[১]
গত সপ্তাহের কথা। মাসকান্দায় একটি সুপার শপ থেকে ফিরছিলাম। হেঁটেই আসছিলাম। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা একটি রিকশায় চোখ পড়ল। রিকশায় মেয়েলোক থাকায় দৃষ্টি নামিয়ে নিলাম। কিন্তু মস্তিষ্ক সিগনাল দিল—রিকশায় অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা ঘটছে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখ আবার রিকশায় চলে গেল। হ্যাঁ, রিকশায় একটি অস্বাভাবিক ঘটনাই ঘটছিল। মেয়েলোকের ডানপাশে একটি ছেলে বসা। আর সে মেয়েটিকে কিস করছে!
.
হ্যাঁ, ঘটনা এমনটিই ঘটেছে। কেউ কেউ হয়তো সুধারণাবসত বলবেন, ‘ওরা তো স্বামী-স্ত্রীও হতে পারে। বাইরে থেকে দেখে খারাপ ধারণা করা ঠিক না।’ আপনাদের সুধারণার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তারা স্বামী-স্ত্রী হবার সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি। কেননা, বাংলাদেশের মতো একটি রক্ষণশীল দেশে কোনো বিবাহিত জুটি বাসার চার দেয়ালের বাইরে এভাবে কিসাকিসি করবে না।
.
[২]
আমাদের দুর্ভাগ্য, বছর কয়েক আগেও একই রকম আরেকটি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হয়েছিলাম আমরা। জয়নুল আবেদীন উদ্যানের ওপারে ছিল সেটি। সেখানে হয়তো অনেকেই অনেক ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে থাকতে পারেন।
.
[৩]
ভ্যালেন্টাইন্স ডে নামক বৈশ্বিক যিনা দিবসে আজকাল কী কী হয়, তা বলাই বাহুল্য। একটু খোঁজ নিলে আমাদের আশেপাশেই সম্ভ্রম হারানো অনেক মেয়ের গল্প শুনতে পারব আমরা। আর এই কথিত ভালোবাসার জন্য আত্ম-হত্যা বা খুনখারাবিও তো কম হয়নি। আল্লাহ তাআলা আমাদের মাফ করুন।
.
[৪]
জেনারেশন জেড-এর ছেলেমেয়েদের কিছু কমন ক্রাইসিস আছে। পড়াশোনায় অনীহা, ডিভাইস-আসক্তি, সিগারেটের নেশা, পর্ন ও প্রেম-আসক্তি, ডিপ্রেশন, সুই-সাইড টেন্ডেন্সি ইত্যাদির কোনো-না-কোনো মহামারিতে ভুগছে জেন-জি’র প্রায় প্রতিটি ছেলেমেয়েই। পিতা-মাতার অবাধ্যতা আর আদব-কায়দার ঘাটতির কথা তো বলাই বাহুল্য।
.
[৫]
নৈতিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি আমাদের সমাজে আরেকটি সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। তা হলো কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষ। তথাকথিত আধুনিকতা আর পশ্চিমি পশ সাজতে গিয়ে অনেকেই আক্রমণ করে বসছে এই ভূখণ্ডের সবচেয়ে বেশি মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে চাকরির বাজার—সবখানেই দেখা মেলে মুসলিমদের সাথে বৈষম্য কিংবা ইসলামবিদ্বেষের মতো ঘটনা। দাড়ির জন্য কটু কথা শুনতে হয় মুসলিম ছাত্রদের। নিকাবের জন্য ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয় মুসলিম ছাত্রীদের। এ ধরনের ঘটনাগুলো কে না জানে?
.
[৬]
অবক্ষয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জুলুম আর বেইনসাফির গল্প। পতিত স্বৈরাচারের আমলের তুলনায় এখন এসবের মাত্রা কিছুটা কমলেও, শেষ হয়ে যায়নি একদম।
.
[৭]
ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে এই যে এত এত সমস্যা, এত সংকট, এগুলোর সমাধানেই আমরা কাজ করতে চাই। তরুণ প্রজন্মের কাঁধে হাত রেখে বড় ভাই হয়ে সঠিক রাস্তাটা দেখিয়ে দিতে চাই তাদের। সমাজে বিদ্যমান অন্যান্য সমস্যাগুলোও সমাধান করতে চাই। সমাজের প্রতিটি মানুষের মুখে ন্যায় ও ইনসাফ প্রাপ্তির হাসি ফুটাতে চাই।
.
[৮]
আমাদের কাজগুলো হবে সোশ্যাল অ্যাকটিভিজমের মাধ্যমে। আমরা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাজের মানুষের কাছে তুলে ধরব। তাদেরকে সচেতন করব। এরপর সমস্যা সমাধানে একসাথে কাজ করব। এর জন্য আমরা কখনো লিফলেট বিলি করব। কখনো দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাটাব, বা গ্রাফিটি করব। কখনোবা সভা-সেমিনার বা ওয়ার্কশপের মাধ্যমে।
.
[৯]
আমাদের সাথে যুক্ত হোন আপনিও। কিংবা আপনার ছেলেকে আমাদের সাথে দিন। সাপোর্টার হোন। ডোনেট করুন। সমাজ পরিবর্তনের এই লড়াইয়ে আমরা একসাথে লড়তে চাই। আমরা একদিনে সবকিছু পরিবর্তন করতে পারব না; তবে একদিন অবশ্যই পারব ইনশাআল্লাহ। কারণ, আমরা একা নই। আপনারা আমাদের সাথে আছেন এবং থাকবেন। আপনারা সাথে থাকলে আমরা আকাশের ওপারের ওই আকাশটাও ছুঁয়ে দেখার স্বপ্ন দেখার সাহস করতে পারব ইনশাআল্লাহ!
.
আমাদের সাথে যুক্ত হওয়ার দুটি উপায়।
১। আপনি যদি ময়মনসিংহ শহরের বাসিন্দা হয়ে থাকেন এবং আমাদের সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন, তাহলে আপনি আমাদের সদস্য (Member) হতে পারবেন। সদস্য হওয়ার শর্ত ও নিয়ম এই ফরমে দেওয়া আছে। সদস্য ফরম - https://tinyurl.com/MYCmember
.
২। আর যদি আমাদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, কিন্তু আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার সাথি হতে চান, তাহলে আপনি আমাদের সহযোগী (Supporter) হতে পারেন। সহযোগী হওয়ার শর্ত ও নিয়ম এই ফরমে দেওয়া আছে। সহযোগী ফরম - https://tinyurl.com/MYCsupporter
.
আমাদের অনলাইন ঠিকানাসমূহ:
ফেসবুক - www.facebook.com/MymensinghYouthClub24
ইউটিউব - www.youtube.com/@MymensinghYouthClub
টেলিগ্রাম - https://t.me/MymensinghYouthClub
ইমেইল:
[email protected].
আমরা নওজোয়ান নিয়েছি এই পণ—
আঁধারের বুক চিরে লিখে যাব আলোর সমীকরণ
স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে শেখাব শুভ্রতার ব্যাকরণ!
.
#MymensinghYouthClub
#Mymensingh #MymensinghCity