Offbeat Talks

২০২২ সালের অগাস্ট মাসে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে একটি খুনের ঘটনা ঘটে যা বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ঘটনাটি খুব বেশি আলোচিত হয় নি, তবে এর প্রকাশভঙ্গি গণমাধ্যমের চরিত্র ও কৌশল সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়।

ঘটনাটি হচ্ছে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক লোক মাকসুদুর রহমান, যে দুই বছর ধরে দেশে অবস্থান করছিল। তার ঘরে কাজ করতো শোয়েব আক্তার নামে একজন গৃহপরিচারক৷ মাকসুদুর রহমান তার লিঙ্গ পরিবর্তন করে নাম নেয় মেঘলা ডায়না।

যারা পোস্টটি পড়ছেন এবং ইদানিংকালে চোখ-কান খোলা রাখছেন তারা আশা করি ইতোমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন মাকসুদুর রহমান এর আসল পরিচয় কী।

হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, সে একজন তথাকথিত রুপান্তরিত নারী বা ট্রান্সফর্মার।

গৃহ পরিচারক শোয়েবের ভাষ্যমতে মাকসুদ অর্থের বিনিময়ে তাকে দিয়ে ফাইফরমাশ খাটাতো এবং তার সঙ্গে যৌনকাজে লিপ্ত হতো। কিন্তু শোয়েব এ কাজ থেকে বের হয়ে আসার জন্য বিয়ে করে স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা করে। কিন্তু মাকসুদ তাকে জোরপূর্বক বিকৃত যৌ**নকর্মে বাধ্য করতো। এক পর্যায়ে বীতশ্রদ্ধ হয়ে শোয়েব তাকে হত্যা করে পালিয়ে চলে যায়। এগারো দিন পর মাকসুদের পঁচাগলা লাশ উদ্ধার হয়। দেখা যায় তারই পোষা বিদেশী কুকুর তার লাশ খাচ্ছে।

গণমাধ্যমে মাকসুদুর রহমানের যে পরিচয়টি বেমালুম চেপে গেছে তা হচ্ছে মাকসুদুর রহমান একজন ট্রান্সফর্মার। সে লিঙ্গ পরিবর্তন করে নারী সেজে নারী নামে দেশে একাকী জীবনযাপন করতো। কোনো আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধব তার ছিল না, তবে 'কমবয়সী কিছু ছেলে' তার বাসায় যাওয়া আসা করতো। তার সঙ্গী ছিল একদল বিদেশী জাতের কুকুর এবং যৌনকর্মের সঙ্গী বানিয়েছিল গৃহপরিচারককে। মাকসুদুর রহমান ওরফে মেঘলা ডায়নার আসল পরিচয় এটাই -- বিকৃত যৌনাচারী।

অনৈতিক, নোংরা ও বিকৃত রুচির কিছু ছেলেপেলেকে সফল মানুষ হিসেবে সমাজে উপস্থাপন করার মাধ্যমে গণমাধ্যম ট্রান্সফর্মারদের ব্যাপারে সমাজে ইতিবাচক একটি ইমেজ তৈরির চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু যখনই মাকসুদুর রহমানদের অপকর্ম ফাঁস হয়, তখন তারা এদেরকে ট্রান্সফর্মার হিসেবে পরিচয় না দিয়ে পরিচয় করিয়ে দেয় তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজ*ড়া হিসেবে।

মাকসুদুর রহমান ডায়না লিখে সার্চ করুন বাংলায় বা ইংরেজিতে।

(ছবিতে নারী সাজা লোকটি মাকসুদুর রহমান। তার রুপান্তর-পূর্ববর্তী ছবিটি প্রকাশ করেছে যমুনা টিভি)

বিকৃত যৌনাচারে বাধ্য করায় ডায়নাকে খুন করলো লাদেন! | Third Gender Murder (যমুনা টিভি) https://www.youtube.com/watch?v=1b1vHTKtNXI

হিজড়া ডায়না হত্যায় গ্রেপ্তার ১, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি (প্রথম আলো) https://www.prothomalo.com/bangladesh/3shkqs0l7o

সমকামী প্রেমিকই ডায়নার ঘাতক (মানবযমিন)
https://mzamin.com/news.php?news=18675

সমকামিতার কারণেই খুন হয় থার্ড জেন্ডার মাকসুদুর রহমান (ইনকিলাব)
https://m.dailyinqilab.com/article/513824

‘নিহত সেই ডায়নার মরদেহ খাচ্ছিলো তাঁর পোষা কুকুর’ (Bangla Insider)
https://www.banglainsider.com/inside-investigation/123088

শারীরিক সম্পর্কে অতিষ্ঠ হয়ে ডায়নাকে খুন করেন লাদেন (BanglaNews24)
https://www.banglanews24.com/national/news/bd/954275.details

দেশে লিঙ্গবৈচিত্র‍্যের নামে যে অরাজকতা আমদানি করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে তা রুখে দাঁড়ানোর দায়িত্ব আমাদের সবার। বিদেশী অর্থায়নে চালিত বিভিন্ন এনজিও, কিছু যৌনবিকৃতি লালনকারীকে গ্রুমিং এবং স্পন্সর করে এদেশে তাদের রোল মডেল এবং সফল ব্যক্তি হিসেবে মানুষের সামনে এদের উপস্থাপন করছে। আদতে এরা প্রত্যেকে লুজার, এদের একমাত্র যোগ্যতা বিভিন্ন নোংরা ও অস্বাভাবিক যৌনাচারের প্রতি এদের সীমাহীন আগ্রহ। হোচিমিন ওরফে রোকন এখানে একা নয়, হোচিমিন অনেকের মধ্যে এক।

একটি বড় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক হোচিমিনদের প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের পকেট ভরছে বিদেশ থেকে আগত অর্থ দিয়ে। বিনিময়ে তারা এই সমাজে নতুন নতুন অশ্লীলতা দিয়ে সমাজে দুর্যোগ এর জন্ম দেওয়া ছাড়া আর কোনো অবদান এরা রাখবে না।

এদের চিহ্নিত করতে হবে।

আপনার একটি ছোটো তথ্য, পর্যবেক্ষণ রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আমাদের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগের ঠিকানা:

[email protected]

আপনাদের অ্যাকাউন্ট এবং চ্যানেলে এগুলো reel/shorts হিসেবে শেয়ার করতে পারেন

আমাদের প্রতিবেদনমূলক ভিডিও প্রকাশের পর হোচিমিন ইসলাম ওরফে রোকনের পক্ষে যিনি সর্বপ্রথম সরব হয়েছেন তিনি বাংলাদেশের কেউ নন, বরং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের একজন জেন্ডার অ্যাক্টিভিস্ট এবং কলামিস্ট। তার নাম বাপাদিত্য মুখার্জী। বাপাদিত্য প্রান্তকথা (prantakatha) নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, তার এই প্রতিষ্ঠান SAYAN এর সেক্রেটারিয়েট হিসেবে কাজ করছে।

আমাদের ভিডিওতে আমরা SAYAN সম্পর্কে উল্লেখ করেছি যারা দক্ষিণ এশিয়ায় এলজি স্বাভাবিকীকরণের জন্য কাজ করছে। হোচিমিন ওরফে রোকন এই সায়ানের কান্ট্রি ডিরেক্টরদের একজন।

সহজ ভাষায় সায়ানের পৃষ্ঠপোষক বাপ্পাদিত্য মুখার্জীর প্রান্তকথা। আর হোচিমিনের পৃষ্ঠপোষক বাপ্পাদিত্য। ২০২৩ সালে নেপালে, ঢাকায়, ২০২২ সালে কলকাতায় সায়ানের প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়, এগুলোতে হোচিমিন ও তার বস বাপ্পাদিত্য উপস্থিত ছিল এবং তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

বাপ্পাদিত্য মুখার্জী ইউএস কনসুলেট কলকাতার সহযোগিতায় এলজি ও ট্রান্সফর্মারদের জন্য ফান্ড তোলা থেকে শুরু করে সমাজে তাদের অবস্থান গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য খোলাখুলিভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব তথ্য তাদের নিজস্ব সাইটেই আছে।

নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের জঙ্গি ও ধর্মান্ধ আখ্যা দেওয়া বাপ্পাদিত্য বাবু হোচির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাতে আমরা মোটেও অবাক হইনি, তবে কয়েকটি প্রশ্ন থেকেই যায়। আমাদের ভিডিওতে হোচি-র নিজস্ব বক্তব্য ও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকেই আমরা তার মিথ্যাচার, ধর্মবিদ্বেষ এবং বিশেষ করে ইসলামবিদ্বেষের অবস্থান প্রমান করে দেখিয়েছি। আমাদের এবং সাধারণ জনগণের প্রশ্ন –

১। বাপ্পাদিত্য বাবু কি হোচিমিনের ভয়ঙ্কর ইসলামবিদ্বেষী অবস্থান সমর্থন করেন? তারও কি হোচিমিনের মতো ‘ইসলাম’ শব্দটার প্রতি ‘অ্যালার্জি’ আছে?

২। বাপ্পাদিত্য বাবু কি হোচিমিনের ধর্মবিদ্বেষী অবস্থান সমর্থন করেন? ইসলাম ধর্মের পাশাপাশি খ্রিষ্ট ধর্ম ও সনাতন ধর্ম নিয়েও হোচির অবমাননামূলক বক্তব্যগুলোর সাথে কি তিনি একমত? যেহেতু তিনি হোচির সমর্থনে ঝাপিয়ে পড়ার ডাক দিচ্ছেন?

৩। বাপ্পাদিত্য বাবু কি হোচিমিনের অগণিত মিথ্যাচার সমর্থন করেন? হোচিমিন সায়ানের কান্ট্রি ডিরেক্টর হয়ে যখন বলে সে এলজি- অ্যাকটিভিসম করে না, তখন সেই মিথ্যাচারে কি বাপ্পা বাবুদের সমর্থন থাকে?

৪। সর্বোপরি, যদি বলা হয় বাপ্পাদিত্য মুখার্জীরা ভারতে বসে হোচিমিন ওরফে রোকনের মতো মানুষদের দিয়ে বাংলাদেশে এলজি- এজেন্ডার প্রসারে কাজ করছেন - তাহলে কী ভুল বলা হবে?

৫। যদি বলা হয় বাপ্পাদিত্য মুখার্জীরা ভারতে বসে বাংলাদেশে ইসলামীবিদ্বেষীদের ফান্ড করে নেটওয়ার্ক তৈরি করছেন তাহলে কী ভুল বলা হবে?

হুমকিধামকি না দিয়ে বাপ্পা বাবু এ প্রশ্নগুলো উত্তর সরাসরি দিলে ভালো হবে।

আমরা অপেক্ষা করছি।