Abdullah Al Masud @masud887 Channel on Telegram

Abdullah Al Masud

@masud887


শিক্ষক, লেখক ও আলোচক

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (Bengali)

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ নামের এই টেলিগ্রাম চ্যানেল আপনাকে নিয়ে যাচ্ছে শিক্ষক, লেখক এবং আলোচক একজন দক্ষ ব্যক্তির প্রাসাদই। এই চ্যানেলে আপনি পেতে পারবেন প্রাস্তবিক এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান, সমৃদ্ধ সাহিত্যিক প্রকল্প, এবং মূল্যবান আলোচনা যা আপনার দৈনন্দিন জীবন কে একটু অন্যত্র নিয়ে যাবে। এই টেলিগ্রাম চ্যানেল একজন শিক্ষক, লেখক এবং আলোচক এর প্রতিনিধিত্ব করে এবং তার মাধ্যমে আপনার জ্ঞানের হার বাড়াতে সাহায্য করে। এখানে সকালের কবিতা, বিভিন্ন মেশিন লার্নিং সম্বন্ধে জানার উপায়, এবং প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানের প্রস্তাবনা পাবেন। আপনি যদি নতুন জ্ঞান অর্জন করার জন্য আগ্রহী থাকেন তাহলে এই টেলিগ্রাম চ্যানেলটি আপনার জন্য একটি উত্তম স্থান।

Abdullah Al Masud

09 Jan, 17:27


রাজশাহীর প্রথম সফর খুবই প্রাণবন্ত আর উপভোগ্য ছিল আলহামদুলিল্লাহ। যোহরের আগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) আলোচনা করি৷ বিকেলে একটু শহর ঘুরে শাহ মাখদুম রূপোস রাহ. এর মাজার যিয়ারত করি। মাগরিবের পর রাজশাহীর যুবকদের নিয়ে আলোচনা করি তাজকিয়ার হলরুমে। রুয়েটের একজন শিক্ষক আমার আরবীভাষার ছাত্র। এটা জানতাম না৷ আজকে তার সাথেও দেখা হলো। বিদায় বেলায় তিনি তার গাড়িতে করে রেলস্টেশন পৌঁছে দিলেন। সবার আন্তরিকতা আর ভালোবাসা ছিল অবিস্মরণীয়। বার বার রাজশাহী আসার প্রত্যাশা তৈরি হলো৷ এই সুন্দর, ছিমছাম আর মায়াময় শহর ও শহরের মানুষগুলো ভালো থাকুক অনন্তকাল, এই দুআ করি৷ বিদায় রাজশাহী।

Abdullah Al Masud

09 Jan, 03:17


মানুষ ভাবে এক, বাস্তবে হয় আরেক। প্ল্যান ছিল সকালের নাস্তা করব রাজশাহী। ১১টার ট্রেনে রওনাও হয়েছিলাম। সাথে ছিলেন নাহিদ ভাই। কিন্তু মাঝ পথে খবর এলো নাহিদ ভাইর আম্মা মারা গেছেন। তাকে জরুরিভাবে ঢাকায় ফিরতে হবে৷ কিন্তু এত রাতে একা যাওয়াটা রিস্কি প্লাস তিনি কিছুটা অসুস্থও। একা যাওয়াটা কোনভাবেই সমীচীন হবে না। ফলে রাত দেড়টার দিকে দু'জনেই ট্রেন থেকে নেমে যাই টাঙ্গাইল। সেখান থেকে একটা প্রাইভেট কারে শেষ রাতে ঢাকা পৌঁছি। নাহিদ ভাই রাতেই টিকেট করে দিয়েছিলেন। এখন আমি ঢাকায় নাস্তা সেরে রাজশাহীর দিকে রওনা হলাম সকালের ফ্লাইটে। সফর বাসে হোক বা বিমানে, সবসময়ই জানালার পাশে বসার প্রত্যাশা থাকে। আজকে জানালার পাশে সিট পেলাম। সকালের মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে শিশির ভেজা স্নিগ্ধ আকাশ দেখতে দেখতে আশা করছি ঘন্টা খানেকের মধ্যেই রাজশাহী উপস্থিত থাকব ইনশাআল্লাহ।

Abdullah Al Masud

07 Jan, 07:09


অনেকে বইতে বা পোস্টারে নিজের নামের আগে উস্তাদ/পীরের নাম এমনভাবে এত বড় করে লেখে যে পুরো ব্যাপারটা পাঠকের জন্য বিভ্রান্তিকর হয়। যেমন- 'আল্লামা মুফতি হযরত অমুক' বড় করে লেখে তারপর ছোট করে লেখে 'এর সুযোগ্য সাগরেদ' তারপর লেখে 'মাওলানা অমুক'। ভালো মতো খেয়াল না করলে অনেকেই বিভ্রান্ত হন যে, লেখক বা আমন্ত্রিত অতিথি বুঝি প্রথমোক্ত আল্লামা। অনেকে এটা আদব দেখানোর জন্য করে৷ কিন্তু কাজটা আসলে অসুন্দর। আর অনেকে মাহফিলে লোক বেশি টানতে বা বই বেশি চলার জন্য এমন করে। এটা ধোঁকাবাজি। দুইটাই পরিত্যাজ্য।

Abdullah Al Masud

05 Jan, 10:04


সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দিন তার ইন্টারভিউতে ২টা কাজ বিশেষভাবে করে:
১. যখন দেখে সে আটকা পড়বে বা তার প্যাচ কাজে লাগছে না এবং আরেকটু হলে শ্রোতা বুঝে ফেলবে যে তার পেচিদা প্রশ্নের উত্তর গেস্ট দিতে পারছে, সাথে সাথে লাফ দিয়ে অন্য প্রশ্নে চলে যায়।
২. গেস্টের উত্তর দেওয়া শেষ হবার আগেই তার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে তার উত্তরটাকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে।

Abdullah Al Masud

01 Jan, 07:25


https://youtu.be/HPjwG_qZN6A

Abdullah Al Masud

31 Dec, 16:45


জীবন থেকে একটা বছর চলে গেল। ভাবতেই কেমন বিষণ্নতা অনুভব হচ্ছে। এক বছর মানে হলো ১২ মাস, ৩৬৫ দিন, ৮ হাজার ৭৬০ ঘন্টা। এই বছরের অর্ধেকই গেল নানান এক্টিভিজমের ভেতর দিয়ে। বইপড়া হয়েছে খুবই কম। সামনের বছর নিয়ে প্ল্যান সাজিয়ে নিচ্ছি৷ টার্গেট ঠিক করছি। সুনির্দিষ্ট প্ল্যান ছাড়া আপনি কোনভাবেই প্রোডাক্টিভ একটা বছর কাটাতে পারবেন না। তালিকায় মাস্ট যে বিষয়গুলো রাখবেন তার মধ্যে যেন নিচের ৩টা অবশ্যই থাকে-
১. কমপক্ষে ১টা নতুন সেলফ ডেভলপমেন্ট স্কিল খুব ভালভাবে অর্জন করা।
২. কেনা বইগুলো থেকে কী কী বই পড়ে শেষ করবেন তালিকা করা।
৩. প্রতি এক মাস পরপর এই টার্গেট পূরণের অগ্রগতি সম্পর্কে খতিয়ে দেখা।

তো আগামী বছরে আপনাদের কার কী প্ল্যান?

Abdullah Al Masud

31 Dec, 05:39


মির্জা ফখরুলের মতো বাম ও লীগ ঘেঁষা বিএনপির অংশকে আসিফ আদনান ভাই নাম দিয়েছেন 'মির্জায়ী-বিএনপি'। নামটা যুৎসই হয়েছে। এবার অন্য অংশটারও একটা যুৎসই নাম দরকার। তাহলেই বিষয়টা পূর্ণতা পাবে।

Abdullah Al Masud

29 Dec, 11:08


কুরআনের আরবী আর সাধারণ আরবী কি আলাদা কিছু না একই? অনেক সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এই প্রশ্নটা বহুবার পেয়েছি। আমি এই বিষয়টা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। শুনতে পারেন-
https://youtu.be/XSY7KMkKyfI?si=OY5lm98lQx0bq-G_

Abdullah Al Masud

28 Dec, 05:59


যারা এখন 'আমার দেশ' পত্রিকাকে সাংবাদিকতার এথিকসের সবক দিতেছে তাদেরকে কখনো দেখিনি প্রথম আলো / ডেইলি স্টারের এথিকসহীন সাংবাদিকতা নিয়ে কখনো কিছু বলতে। তাদের এসব সিলেকটিভ এথিকসের আলাপ আসলে এক ধরনের সমতাহীন অপলাপ।

Abdullah Al Masud

26 Dec, 16:32


একটা জিনিস খেয়াল করেছেন? ৫ আগস্টের পরপর পাড়া-মহল্লায় ডাকাতের যে একটা জোয়ার বইছিল সেটা কিন্তু থেমে গেছে। কারণ মানুষ নিজেরাই দলে দলে ভাগ হয়ে পাহারা দিয়ে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থায় নেমেছিল। তারপর একে একে আনসার লীগ থেকে শুরু করে নানান লীগের আগমন ঘটেছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর জন্য যত ধরনের উস্কানি দেওয়া সম্ভব, সব তারা দিয়েছে। কাজ হয়নি। এগুলো সবই থেমে গেছে এখন৷ আগেরগুলোতে কাজ হয়নি জনতার সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধতার কারণে৷ স্বৈরাচারের দোসররা নতুন নতুন ষড়যন্ত্র নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করছে৷ জনমনে আতঙ্ক ঢুকানোর জন্য যা করা দরকার করছে। সমন্বয়কদের হুমকি দিচ্ছে, উড়ো চিঠি পাঠাচ্ছে। মনে রাখবেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ডাকাত-উপদ্রব থেমে যাবার মতো এগুলোও থেমে যাবে৷ মুশকিল হলো, উপদেষ্টাদের কাজকাম দেখে জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকার ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়ছে। কেননা যে স্পিরিটকে ধারণ করে তারা জীবন দিতেও প্রস্তুত, দিনশেষে দেখা যায় সেই স্পিরিট পরিপন্থী কাজকারবার করা হচ্ছে৷ এভাবে চলতে থাকলে সবার জন্যই বিপদ হবে।

Abdullah Al Masud

26 Dec, 04:04


সচিবালয়ে দুই প্রান্তের ভিন্ন দুই রুমে আগুন যে ইংগিত দেয় তা হলো, স্বৈরচার পালিয়ে গেলেও তার দোসররা কতটা মজবুতভাবে এখনো প্রশাসনের সবখানে চুপটি মেরে বসে আছে। তারা কী কী ধরনের গোলযোগ পাকাতে সক্ষম। উপদেষ্টা মণ্ডলী এদেরকে খুঁজে বের করা ও ছাটাই করার দ্বারা সবকিছুকে নিরাপদ করার দিকে মনোনিবেশ না করে সাইবার বুলিং আইনের মতো হাবিজাবি জিনিস নিয়ে ব্যস্ত।
সচিবালয়ের মতো কঠিন নিরাপত্তা বেষ্টিত জায়গার যদি এই হাল হয় তাহলে আমরা আশঙ্কা করতেই পারি যে, সামনে এসব ঘটনা আরও ব্যাপকভাবে ঘটবে।

Abdullah Al Masud

23 Dec, 15:37


মাঝেমাঝে মনে হয়, আল্লাহ তাআলা আওয়ামীলীগকে হটাইসেন এদেশের জনগণকে এটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্য যে, কেন তিনি এতদিন বিএনপিকে ক্ষমতার বইরে রেখে ছিলেন এবং এরা দল হিসেবে কতটা অথর্ব ও মেরুদন্ডহীন।

Abdullah Al Masud

22 Dec, 07:04


নতুন বছরে আপনি নতুন কিছু শেখার প্ল্যান করতে পারেন। এই তালিকায় কুরআনের অর্থ বুঝার জন্য আরবীভাষা হতে পারে প্রথম পছন্দ। আমরা কুরআনের অর্থ বুঝাকে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের আরবীভাষা শিক্ষা কোর্সের কারিকুলাম সাজিয়েছি। বিগত ৪ বছরে কয়েক হাজার মানুষ আরবীভাষা শিখেছে আমাদের একাডেমীতে আলহামদুলিল্লাহ। কিছু বিবরণ আমি ভিডিওতে তুলে ধরেছি। আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে কমেন্টে দেওয়া লিংক থেকে দেখতে পারেন। ভর্তির জন্য মেসেজ করুন-
ফেসবুক পেইজ- www.facebook.com/NLQURAN
হোয়াটসআপ-+8801700-946569

Abdullah Al Masud

19 Dec, 01:50


https://youtu.be/3GXEu55UDfc?si=g0zxWJ7zCzUoRf-7

Abdullah Al Masud

17 Dec, 08:13


যখন কারও উপর এমন অভিযোগ তোলা হয়, যেটা সেই ব্যক্তির ইজ্জতের সাথে জড়িত, তখন সেটা প্রচারের আগে নিশ্চিত হয়ে নিন। শুধু অনুমান করে কিংবা 'হতে পারে', 'মনে হয়' এর ভিত্তিতে বিষয়টি প্রচার করা হারাম। কেননা এতে করে ব্যক্তির ইজ্জতের উপর আঘাত আসে। মনে রাখবেন, মুমিনের ইজ্জতের দাম এতো বেশি যে, বিদায় হজের ভাষণে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কয়টি বিষয়ে তার উম্মতকে বারবার সাবধান করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো, অন্যায়ভাবে কারো ইজ্জতের যেন হানি না ঘটানো হয়৷

Abdullah Al Masud

16 Dec, 04:42


যেহেতু ২৪ এর এমন গণঅভ্যুত্থানেও বাংলাদেশ বেঁচে উঠেনি, তাহলে আর কোন দিনই বেঁচে উঠবে না।

Abdullah Al Masud

14 Dec, 14:03


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যে আগে 'জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়' ছিল সেটা এখনো ভার্সিটির ভিত্তি প্রস্তরে ঝলঝল করছে। এটি আল-বেরনী হল এর সামনে আজও আছে। জানি না, সামনে আর কতদিন থাকবে৷ ছবিগুলো আজকে সন্ধ্যায় আমার নিজ হাতে তোলা। কনফারেন্স শেষে পুরো ভার্সিটি ঘুরে দেখার সুযোগ হলো৷ তখন ছবিটা তুলে নিয়েছিলাম।

Abdullah Al Masud

14 Dec, 10:34


খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ডিগ্রি কলেজে জোর করে এক বোনের নিকাব খুলতে বাধ্য করার ঘটনায় খাগড়াছড়ির ভাইয়েরা কি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন? যারা কনটেক্সট জানেন না, তারা পোস্টটি পড়ে নিন-
https://www.facebook.com/share/p/zLfbiiMvpbYXv9dB/

Abdullah Al Masud

13 Dec, 16:02


আগামীকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক কনফারেন্সে থাকব আলোচক হিসেবে ইনশাআল্লাহ। এই ভার্সিটিকে মনে করা হয় সবচে মুক্ত সংস্কৃতির ভার্সিটি। এখানে এমন কোন কনফারেন্স হবে একসময় সেটা ছিল আকাশ কুসুম ব্যাপার৷ আল্লাহ অবস্থার পরিবর্তন করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। ভাইয়েরাও এই সুযোগকে ভালোভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। জাযাহুমুল্লাহ।
আমার আলোচনার বিষয় 'ইসলাম ও বস্তবাদের সংঘাত'।

Abdullah Al Masud

12 Dec, 08:11


আমার একজন ব্যক্তিগত পার্ট টাইম সহযোগী দরকার। অফিসে এসে কাজ করতে হবে। বিবরণ নিম্নে তুলে ধরছি৷

যোগ্যতা:
* কমপক্ষে দাওরা হাদীস পাশ [মুমতায], (তাখাসসুস করা থাকলে অগ্রাধিকার)
* আরবী ও বাংলাভাষায় পারদর্শী
* কম্পিউটার চালনা জানা ও পিসিতে বাংলা-আরবী টাইপিং করতে পারা
কর্মঘন্টা: মাগরিবের পর থেকে রাত ১০টা
লোকেশন: বসিলা, মুহাম্মদপুর
বেতন: যোগ্যতা অনুসারে আলোচনা সাপেক্ষে সন্তোষজনক হবে ইনশাল্লাহ।

এই এলাকার কেউ আগ্রহী থাকলে সিভি মেইল করতে পারেন। উপযুক্ত মনে হলে আমিই ফোন দিব সাক্ষাতের জন্য ইনশাআল্লাহ

ইমেইল: [email protected]

Abdullah Al Masud

08 Dec, 05:09


গাড় সবুজ বৃত্তটা সিরিয়ার আহলুস সুন্নাহের শতকরা হার নির্দেশ করছে। হালকা সবুজের ন্যায় অংশটা শিয়া আলাবিদের হার। পলাতক প্রেসিডেন্ট বাশার ছিল এই শিয়া বিশ্বাসভুক্ত। শিয়াদের সবচে বেশি ভ্রান্ত শাখা নুসাইরিয়ার ছিল সে। যাদেরকে আলাবিও বলা হয়৷ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদ-পদবি ও বিশেষভাবে সেনাবাহিনীর প্রায় পুরো অংশই ছিল আলাবি শিয়াদের নিয়ে৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুন্নি/আহলুস সুন্নাহ সিরিয়াতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও সংখ্যালঘু শিয়াদের কারণে তারা কোনঠাসা অবস্থায় ছিল কয়েক দশ ধরে। এবার আশা করি অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। আসাদের এই পরাজয় তার একার না, বরং কতক কুফ-ফা-র ও মুনাফিকদেরও পরাজয়৷ তন্মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, ইরান, আরব আমিরাত ইত্যাদি৷

Abdullah Al Masud

08 Dec, 03:17


আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে কাঙ্খিত বিজয় কেতন উড়ছে দামেস্কের আকাশে।

Abdullah Al Masud

08 Dec, 01:50


দামেস্কে প্রবেশ করা শুরু হয়েছে। মূল শহরের আগে মফস্বল অঞ্চলে আছে এখন এইচটিএস। আজকে দিনে দিনেই আশা করছি চূড়ান্ত বিজয় কেতন উড়বে বিইযনিল্লাহ।

Abdullah Al Masud

07 Dec, 15:29


দেহ বাংলাদেশে হলেও মন পড়ে আছে শামের ধুলিময় অলিগলিতে। শামকে ভালোবাসার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুআ করেছেন- আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী শামিনা- হে আল্লাহ, আমাদের শামে বরকত দান করুন৷ নবীজি শামকে যখন বলেন 'আমাদের শাম', তখন একে ভালো না বেসে কি পারা যায়? দামেস্ক হয়ত আজ রাতেই বিজয় হতে যাচ্ছে বিইযনিল্লাহি৷

Abdullah Al Masud

05 Dec, 11:57


খতিব সাহেবগণ আগামী কাল জুমার খুতবা ইসকন বিষয়ে দিন। এই টপিকে পিডিএফটি পড়ে নিন। সবাই এটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।

Abdullah Al Masud

02 Dec, 01:51


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হলো বিএনপির ক্যান্সার। এই লোক না জিয়ার চেতনা ও আদর্শকে ধারণ করে, আর না এদেশের জনগণের পালস বুঝে। বিএনপি একটি আদর্শহীন দলে পরিণত হবার দায় অনেকটাই তার উপর বর্তায়। এই লোক যতদিন বিএনপির সহিসের ভূমিকায় থাকবে, ততদিন বিএনপি জিয়াউর রহমানের চেতনা ও আদর্শ থেকে কেবল দূরেই সরতে থাকবে।

Abdullah Al Masud

30 Nov, 06:18


মুসলিম জনপদের নামগুলো অবিকৃত রাখা আমাদের দায়িত্ব। নাম পরিবর্তন হওয়া মানেই অতীত ইতিহাসের সাথে আপনার সম্পর্ক কিছুটা হলেও হালকা হওয়া। যে লোক 'আলেপ্প' শুনেছে সারাজীবন, সে ইসলামের ইতিহাস পড়তে গিয়ে 'হালাব' এর নাম শুনে বুঝবে না, এটাই সেই ঐতিহাসিক জনপদ। মূলত উপনিবেশিক শক্তি তাদের অধিকৃত প্রতিটি অঞ্চলের নাম পরিবর্তন করেছিল সেই জনপদকে তাদের অতীত থেকে শেকড়হীন করতে। মনে রাখুন, আমাদের হালাব, তাদের আলেপ্পো। আমাদের মিশর, তাদের ইজিপ্ট। আমাদের... তাদের...

Abdullah Al Masud

27 Nov, 05:49


গেরুয়া কালারের গেঞ্জি পরিহিত লম্বা ছুরি হাতে নেওয়া এই লোক যে আলিফ ভাইকে কো-পা-চ্ছে তার একটা স্পষ্ট ভিডিও পাওয়া গেছে৷ কেউ ছাদ থেকে ভিডিওটি করছে। মিলিয়ে নিন৷

Abdullah Al Masud

23 Nov, 01:06


আকরাম ভাই ছাত্র-আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। প্রথম আলোর অনুষ্ঠানেও গিয়েছিলেন এবং এটা দেখে তার পরিচিতজন অনেকেই দুঃখিত হবার কথা ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলেন। তো তিনি এই পোস্ট শেয়ার করেছেন। পড়ে দেখতে পারেন এতে কী লেখা আছে। যেহেতু আকরাম ভাই এখন আর কেবলই একজন 'আকরাম হুসাইন' না, বরং দায়িত্বশীলতার জায়গায় অধিষ্ঠিত এবং আগামীতে কওমের অভিভাবকত্বের আরো নানান জায়গায় সম্পৃক্ত হবার সম্ভাবনা আছে তাই কওমের সামনে তার চিন্তাধারা ও ভাবনার ধরণগুলো পরিষ্কার থাকা দরকার। তিনি সাধারণ অন্য দশ জনের মতো কেউ হলে এটা আলাদাকরে মানুষের সামনে তুলে ধরার প্রয়োজন ছিল না।

Abdullah Al Masud

22 Nov, 10:37


বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ হলেও এটি সরকারীভাবে নির্মিত হয়নি। পাকিস্তান আমলে ঢাকায় বড় শিল্প উদ্যোক্তা বাওয়ানি পরিবারের পক্ষ থেকে এই মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। মসজিদের পরিচালনা-ব্যয় নির্বাহের জন্য নিচে বিশাল বড় মার্কেটও নির্মাণ করা হয়। সেই মার্কেট থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতিবছর শুধু ভাড়া বাবদ আয় হয়৷

কিন্তু দুঃখজনক হলো, এসব আয়ের খুব সামান্যই মসজিদের কল্যাণে ব্যয়িত হয়৷ বাইতুল মোকাররমের মতো জাতীয় মসজিদের সাউন্ড সিস্টেম সেই মান্দাতা আমলের গড়বড়ে। আজকাল মহল্লার ছোটখাট মসজিদেও আরও উন্নত সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা রাখা হয়। এই মসজিদের ওজুখানা-ওয়াশরুমের দুরবস্থার কথা কী আর বলব! পবিত্রতা হাসিল করতে গিয়ে উল্টো নাপাক হয়ে আসতে হয়। মসজিদ মার্কেটের কোটি কোটি টাকা তাহলে কোথায় ব্যয় হয়?

মূলত এই মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠান ইসলামি ফাউন্ডেশনই এই ব্যাপারে গাফেল ও আন্তরিকতাহীন। তারা একটু উদ্যোগী হলেই এসবের সুন্দর ও সহজ সমাধান হতে পারে। মূলত ইফার কর্মকর্তাদের বড় একটা অংশ ঠিকমতো নামাজই পড়ে না৷ তাই মুসল্লিদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়েও তারা অত ভাবিত নয়৷

এই বিষয়ে তিনভাবে কাজ করা যেতে পারে-

১. যারা সংবাদিক আছেন, তারা পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে পারেন। মসজিদের এত এত টাকা কোথায় ব্যয় হয় এবং মসিজদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উন্নতি করতে ইফার এই অবহেলা কেন।

২. যাদের লবিং আছে তারা আবেদননামা জমা দিতে পারেন ইফার দায়িত্বশীলদের কাছে।

৩. জুমার পর প্ল্যাকার্ড হাতে মসজিদের গেইটে বা সিঁড়িতে সাউন্ড সিস্টেম উন্নত করণ এবং ওয়াশরুম-ওজুখানার সংস্কারের জন্য মানববন্ধন হতে পারে।

(যত পারেন এটি কপি/শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।)

Abdullah Al Masud

21 Nov, 00:56


সাত সকালে একটা কিতাব মুতালাআর জন্য হাতে নিতেই দেখলাম শুরুতে লিখে রেখেছি- হাযিহী হাদিইয়াতুন মিন আখিল কারীম মাশুকুর রহমান রহিমাহুল্লাহ (এটি মাশুকুর রহমান রাহ. এর পক্ষে থেকে হাদিয়া।) আল্লাহ ভাইকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন৷ যতবারই তাঁর কথা মনে পড়ে, আমি ৩ বার তাঁর জন্য সুরা ইখলাস পড়তে ভুলি না।

Abdullah Al Masud

19 Nov, 16:43


আমাদের মাদরাসার উস্তাদ তানবীর সাহেব মারা গেলেন গত রাতের শেষ দিকে। বয়সে আমার চেয়ে অনেক ছোট হবেন৷ ব্যক্তিগতভাবে খুব বেশি পরিচয় ছিল না। যেহেতু আমি আবাসিক উস্তাদ না। দুই/একবার কথা হয়েছিল শুধু। আগ্রহভরে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। তার চেহারা চোখে ভাসছে বারবার৷ আমরা যারা ভাবছি, বয়স হলে তারপর আল্লাহমুখী হবো, তাদের জন্য সতর্কবার্তা রয়েছে এতে। মাঝেমাঝে মনে হয়, কবে না জানি আমিও এভাবে বিনা নোটিশে হঠাৎ করেই চলে যাব! বিগত দিনগুলোতে আমার কথায় বা আচরণে কষ্ট পেলে মাফ করে দিয়েন।

Abdullah Al Masud

18 Nov, 10:54


ড. ইউনুস শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হতে পারে সেই ব্যাপারে খোলাসা করে কিছুই বলেননি। পুরো বিষয়টাকে তিনি প্রতিবারই ধোঁয়াশার ভিতরে রেখেছেন৷ বলেছেন, জনগণ যতদিন চায় আমরা ততদিন থাকব৷ এই কথাটা খুবই অস্পষ্ট একটা কথা। তিনি কি জনগণ থেকে ভোট নিবেন একাধিক মেয়াদের ব্যাপারে যে, জনগণ তাদেরকে কতদিন চাচ্ছে? ক্ষমতা আসলে এমন জিনিস, যে একবার এটা চেখেছে সে সহজে ছাড়তে চায় না। লম্বা সময় থাকাতে আপত্তি ছিল না, যদি তারা গণমানুষের আকাঙ্খাকে শ্রদ্ধা করত এবং বিপ্লবের স্পিরিটকে ধারণ করত। বাস্তব চিত্র পুরো উল্টো। মনে রাখবেন, জনগণের এত এত আপত্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফারুকি/শেখ বশিরদের সুন্দরভাবেই বহাল রাখা হয়েছে সরকারে। এজন্যই 'জনগণ যতদিন চায়' কথাটাকে আমি সন্দেহের চোখে দেখি৷

Abdullah Al Masud

17 Nov, 05:41


একদিকে 'দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা' শ্লোগান দিয়ে বা শ্লোগানের সাথে সহমত পোষণ করে অন্যদিকে প্রথমকালোর সাথে মাখামাখি বহাল রাখার নাম হলো 'পায়জামাবাদ'।

Abdullah Al Masud

15 Nov, 10:17


যারা বলেছিলেন মাওলানা আবদুল মালেক সাহেবের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নেই; ফলে তিনি বাইতুল মোকাররমের মত জাতীয় মসজিদের খতিব হিসেবে মানানসই নন তাদের জন্য এই কথাগুলো। মূলত একজন প্রকৃত আহলে ইলম সরাসরি রাজনীতি না করলেও রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে থাকেন।

Abdullah Al Masud

14 Nov, 15:45


কখনোই এই চ্যানেল নিয়ে আমি কিছু লিখিনি৷ একবার ভেবেছিলাম ৫০ হাজার সাবস্ক্রাইব হবার কাছাকাছি সময় যখন হবে, তখন একদিন পোস্ট দিব৷ যাতে দ্রুত ৫০ হাজার হয়ে যায়। কিন্তু সেটা ভাবনাতেই থেকে যায়। তারপর পোস্ট দেবার কথা যখন মনে পড়ল, দেখি সাবস্ক্রাইব ৫০ হাজার অতিক্রম করে ফেলেছে। তাই পরে আর পোস্টটা দেওয়া হয়নি৷ আজকে আবার মনে হলো চ্যানেলটার কথা জানাই। এটি আমাদের একাডেমির চ্যানেল। অনেক উপকারী ভিডিও/আলোচনা পাবেন। চ্যানেলের লিংক আর এতে কী কী বিষয় পাবেন তার একটা তালিকা কমেন্টে দিয়ে রাখব। চালু চালু সাবসক্রাইব করে ফেলতে পারেন।

চ্যানেল লিংক-
https://youtube.com/@nlquran

Abdullah Al Masud

12 Nov, 09:27


ছাত্র সমন্বয়করা ধীরেধীরে জনপ্রিয়তা আর বিশ্বস্ততা হারাচ্ছেন। এটা খুবই বেদনাদায়ক একটা বিষয়। এর তিক্ত ফল শুধু তারাই না, অন্য সবাইকেও ভোগ করতে হবে। কারণ এটা যত তলানিতে নামতে থাকবে, ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদকে মোকাবেলা করার ক্ষমতাও হ্রাস পেতে থাকবে।

Abdullah Al Masud

11 Nov, 06:23


এই হাসিই বলে দেয় সফট লীগার ও জুলাই গণহত্যার আসামী শেখ বশিরের উপদেষ্টা নিয়োগে ৩ ছাত্র উপদেষ্টাও বেজায় খুশি। সবচে বেশি খুশি বোধহয় মাহফুজ আর নাহিদ৷ কারণ এই দুইজনের হাসিটা বেশি প্রসারিত।

Abdullah Al Masud

10 Nov, 17:58


সম্প্রতি উপদেষ্টা হওয়া শেখ বশির ও তার ভাই শেখ আফিল দুজনেই জুলাই গণহত্যার আসামী। দুজনেই লীগের নেতা। তার ভাই শেখ আফিল ছিল লীগের সাবেক এমপি। ৫ই আগস্টের পরে যশোরের চাঁচড়া চেকপোস্টে অবস্থিত আফিলের এগ্রোতে ক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালিয়েছিল৷ কাদের উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে বুঝেন এবার৷

Abdullah Al Masud

10 Nov, 17:37


হিরো আলম কী দোষ করল? তাকেও উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চাই৷

Abdullah Al Masud

10 Nov, 17:04


দেড় হাজার মানুষ শুধু দ্রুত নির্বাচনের জন্য যেমন জীবন দেয়নি, তেমনি শেখ বশির আর ফারুকির মতো লোকদেরকে মন্ত্রীত্বের মর্যাদা দিয়ে নীতিনির্ধারক বানানোর জন্যও জীবন দেয়নি। প্রিয় ছাত্রনেতারা, আপনারা প্রথমটার মতো দ্বিতীয়টা নিয়েও স্পষ্টভাষায় কথা বলুন।

Abdullah Al Masud

10 Nov, 16:28


হাসিনার ফ্যাসিবাদ ছিল মুজিবের বাকশালের সম্প্রসারিত রূপ। আপনারা হাসিনার বিরোধিতা করেন, আবার মুজিবের ছবি মাথার উপর টাঙ্গায়া রাখেন পরম শ্রদ্ধায়। এইসব পায়জামাগিরি বাদ দেন।

Abdullah Al Masud

10 Nov, 16:23


যেভাবে এখন ট্রাম্পের ছবি সম্বলিত ব্যানারের নাটক মঞ্চস্থ করার কুবুদ্ধি দিয়েছে এই বেডি, তেমনি দশ বছর আগে এই বেডিই তার লোকদের পল্টনে কুরআন পুড়িয়ে হুজুরদের উপর দোষ চাপানোর কুবুদ্ধি দিয়েছিল। পার্থক্য কেবল এতটুকু, তখন তার কল ফাঁস করার কেউ ছিল না।

Abdullah Al Masud

10 Nov, 15:09


আপনারা গণঅভ্যুত্থানকে নিজেদের ক্ষমতার বৈধতার সনদ হিসেবে পেশ করবেন। যেহেতু বিদ্যমান সংবিধানের মারপ্যাচে আপনাদের আটকে পড়ার আশঙ্কা আছে। তারপর ঝামেলা দেখা দিলেই 'গণ'কে আহ্বান করবেন মাঠে নামতে ও থাকতে। কিন্তু রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণীতে 'গণ' এর কোন আকাঙ্খার বাস্তবায়ন করবেন না। নীতিনির্ধারক বানাবেন এমন লোকদের, যারা বিপ্লব ও 'গণ' এর আকাঙ্খাকে ধারণ করে না। এমন করতে থাকলে 'গণ' এর ঠ্যাকা পড়েনি যে, আপনারা বিপদ দেখে প্রতিবার তাদের ডাকলে তারা দৌড়ে চলে আসবে৷ দয়া করে মিথ্যা রাখালের চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসুন৷ নইলে সত্যিকার প্রয়োজনের সময় ডাক দিলেও কেউ আসবে না আপনাদের বাঁচাতে। মনে রাখবেন, 'গণ' দ্রুতগতিতে আপনাদের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে৷

Abdullah Al Masud

06 Nov, 11:21


আমার হাতের এই কুরআনটি হাতে লেখা। প্রায় তিনশ বছর আগের। এমন একটা হাতে লেখা পান্ডুলিপি বা মুসহাফ হাতে তুলে ধরে দেখব, এটা অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল। ফাইনালি সেটা পূরণ হলো আলহামদুলিল্লাহ। একজন প্রাচীন জিনিস সংগ্রাহকের বাসায় এটি পেলাম। এছাড়াও মোগল আমলের বিভিন্ন দলিল/নথিও তার সংগ্রহে দেখেছি৷ বহু প্রাচীন মুদ্রার বিশাল কালেকশও ছিল। ফুটা পয়সার নাম বইতে পড়লেও এই প্রথম সেটাও ধরে দেখলাম। কুরআনের মুসহাফটা নিয়ে একটা ভিডিও বানিয়েছিলাম। লিংক-

https://youtu.be/EGvPNO7LZh0?si=kQaDhEcpHd9y4h7z

Abdullah Al Masud

05 Nov, 10:38


গতকাল বইমেলাতে সীরাত প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় ১ম পুরষ্কার লেপটপ যে পেয়েছে, সে ছিল ইডেন কলেজের এক ছাত্রী। তার পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছে তার ভাই৷ ছেলেদেরকে পেছনে ফেলে একটা মেয়ের এভাবে ১ম পুরষ্কার জিতে নেওয়াটা বেশ ভালো লাগল৷ মেয়েদের লেখালেখির জায়গাটাতে আরও ব্যাপকভাবে আসা উচিত। প্রতিযোগীতাটার আয়োজন করেছিল 'সন্দীপন প্রকাশন'। লেপটপসহ নগত অর্থ ও বই মিলিয়ে মোট ২ লক্ষ টাকার পুরষ্কার দেওয়া হয়েছিল প্রতিযোগীদের। সীরাতচর্চায় এভাবে উৎসাহিত করার ব্যাপারটা বেশ প্রশংসনীয় ছিল।

Abdullah Al Masud

05 Nov, 09:18


বইমেলাতে গেলে পূর্ব গেটে যাবেন। সেখানেই প্রকাশকদের মেলা। পূর্ব গেট হলো মেট্রোরেলের রাস্তা যেদিক দিয়ে গিয়েছে সেদিকে। অর্থাৎ পল্টন মোড় থেকে মতিঝিলের দিকে যেতে যে পাশ সেদিকে। মসজিদের মেহরাব থেকে সোজা উল্টো দিকে হাঁটা দিলেই মেলায় চলে যাবেন। আর মেলাতে গেলে আমার নতুন বইটা দেখার দাওয়াত থাকল। নাম- '২৪-এর গণঅভ্যুত্থানঃ স্মৃতিচারণ ও ইতিহাস'। রাহনুমা প্রকাশনী। স্টল নং ৩৫-৩৬।

Abdullah Al Masud

05 Nov, 09:15


নূরুল আনওয়ার এর সুন্নাহ-ইজমা-কিয়াসের অংশের তালখিস চলে এসেছে। পাবেন বইমেলাতে চেতনা প্রকাশন ও উমেদ প্রকাশন এবং মাকতাবাতুল হাসানে।

Abdullah Al Masud

04 Nov, 16:25


তাবলীগ জামাতের অবদান ও প্রভাব এবং এর টিকে থাকার গুরুত্ব বুঝতে হলে বৈশ্বিক পরিসরে তাবলীগ জামাতের খেদমত বুঝতে হবে। গ্রামের কোন মসজিদে কিছু অতি সাধারণ মানুষের জামাত দেখে বিষয়টি অনুধাবন সম্ভব নয়। এটি বুঝার জন্য সবচে সুন্দর ও সহজ মাধ্যম হলো মুফতি তকি উসমানী সাহেবের সফরনামাটা পড়ে নেওয়া৷ এটি ৩ খন্ডে প্রকাশ করেছে মাকতাবাতুল ইসলাম - প্রকাশনী 'দেশ-দেশান্তর' নামে। এটি পড়লে দেখবেন, ইউরোপের বহু দেশে ও বহু জায়গায় মানুষ এখনো দ্বীনের সাথে জুড়ে আছে এই তাবলিগের মেহনতের কারণে৷ বহু মক্তব ইউরোপের অন্ধকার জগতে আলো ছড়াচ্ছে ও নানানভাবে মুসলিম সন্তানদের দ্বীন শেখাচ্ছে তাবলীগের বা তাদের দ্বারা প্রভাবিত লোকজন। আমি যখন রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে সফরে যাই, তখনও দেখেছি বহু আগ থেকে সেখানে তাবলীগের মেহনত জারি এবং মানুষকে দ্বীনের সাথে জুড়ে রাখার কাজ করে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে এই জামাতের মেহনতকে জীবিত রাখা ও বিকৃতি থেকে রক্ষা করা তাই দেশীয় ও বৈশ্বিকভাবে বহু জরুরি৷

সম্প্রতি মুআয বিন নূর নামে এক অকালপক্ক সাদপন্থী যেভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে লোকজনের সামনে সন্ত্রা·সী কায়দায় হুমকি দিয়ে কথা বলেছে এটা কোনভাবেই মানা যায় না। তার ও তাদের বুঝা উচিত, এদেশের সহীহ মানহাজের তাবলীগের কর্মী ও সমর্থকরা মরে যায়নি বা ঘুমিয়ে নেই৷ তারা যদি মনে করে, এসব ধমকিমার্কা কথা বলে ভয় পাইয়ে দিবে, তাহলে স্বপ্নের দেশে বসবাস করছে। কেননা উলামা-তুলাবারা যেভাবেই হোক এই মহতি মেহনতকে সঠিকভাবে টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ। আগামীকালের কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।

Abdullah Al Masud

03 Nov, 15:43


৫ই নভেম্বরের সমাবেশ তাবলীগ জামাত নিয়ে। এতটুকু বোধগম্য। যেহেতু দুই পক্ষের বিরোধ দীর্ঘ দিনের এবং সামনেই ইজতিমা। কিন্তু সমাবেশের পরিচয়ে 'কওমী মাদরাসা ও দ্বীন রক্ষা' এর কথাও যুক্ত হয়েছে। এতটুকু পুরোপুরি বোধগম্য হয়নি। হঠাৎ করে নতুন কোন সমস্যায় তো কওমী মাদরাসা বা দ্বীনে ইসলাম পতিত হয়নি। তাহলে এমন শ্লোগানের হেতু কী আল্লাহই ভালো জানেন৷ আবার এখানে দেখা যাচ্ছে কওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ অথরিটি হাইয়ার কিংবা সবচে বড় বোর্ড বেফাকের অফিসিয়াল কোন সম্পৃক্ততা নেই৷ পক্ষান্তরে আঞ্চলিক কিছু বোর্ড অফিসিয়ালি বিবৃতি দিয়ে এই সমাবেশকে সফল করতে আহ্বান জানাচ্ছে। প্রয়োজনে পরীক্ষাকে পেছাতেও বলছে। হাকিকত আল্লাহই ভালো জানে৷ তবে আমাদের অতীত ইতিহাস তেমন সুখকর নয়। আমাদের নিখাঁদ আবেগকে কীভাবে বিভিন্ন স্বার্থে ব্যবহার করা হয় তা বারবার দেখা হয়ে গেছে। চুন খেয়ে মুখ পুড়লে দই দেখলেও ভয় করে। সেজন্য এই বিষয়গুলোকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হচ্ছে। আপনাদের প্রতিও সামগ্রিকভাবে সবকিছুর উপর পর্যালোচনামুখী নজর রাখার অনুরোধ থাকলো৷ চোখ বন্ধ করে সব কিছু বিশ্বাস করে নেবার দিন বহু আগেই ফুরিয়ে গেছে৷

Abdullah Al Masud

03 Nov, 10:40


আমাদের একাডেমিতে কুরআন সহীহকরণ কোর্সের পরবর্তী ব্যাচে এখনো ভর্তি চলমান আছে। আপনাদের পরিচিত কেউ তিলাওয়াত সহীহ করতে আগ্রহী থাকলে জানাতে পারেন। বিস্তারিত পোস্টারে বলা আছে।

ভর্তির জন্য মেসেজ করতে হবে-
ফেসবুক পেইজ- www.facebook.com/NLQURAN
হোয়াটসআপ- +8801700946569

Abdullah Al Masud

02 Nov, 16:47


এস পেন দিয়ে বারবার ট্রাই করার পর কিছুটা আয়ত্বে এসেছে। এটা মোবাইলে হাতে লেখা। মনে রাখবেন, মোবাইলের টাইপিং করা ক্যালিগ্রাফি কখনোই হাতে লেখার ক্যালিগ্রাফির বিকল্প হতে পারে না৷ তাই মোবাইলের ডিজাইনের পাশাপাশি সম্ভব হলে আরবী হাতের লেখারও চর্চা করুন। আরবী হাতের লেখা শেখা নিয়ে আমার একটা ফ্রি কোর্স আছে। লিংক- https://nlquran.net/courses/arabic-hand-writting/

Abdullah Al Masud

31 Oct, 17:13


'২৪-এর গণঅভ্যুত্থান: স্মৃতিচারণ ও ইতিহাস' বাঁধাইখানাতে বই প্রস্তুত হচ্ছে। আগামীকাল চলে আসবে বইমেলাতে এবং সেখান থেকে পাঠকের হাতে।

Abdullah Al Masud

31 Oct, 16:01


চেতনা প্রকাশন - Chetona Prokashon থেকে ইনশাআল্লাহ। এটা আলোর পিদিম এর পরিমার্জিত সংস্করণ।

Abdullah Al Masud

30 Oct, 16:37


প্রচ্ছদ মূ্ল্যায়ন করুন। পুরস্কার জিতুন।
লিংক-
https://www.facebook.com/share/p/gWTTV4r47CtfckGq/

Abdullah Al Masud

29 Oct, 14:37


এই প্রচ্ছদটা সামান্য পরিমার্জিত করে ফাইনাল করা হয়েছে। দেয়াল লিখনগুলোর মধ্যে একটা আছে আমার লেখা। জলছাপের চিঠিটা শহীদ আনাসের৷ ফ্ল্যাপের লেখাটা তুলে দিচ্ছি নিচে। বইটা সম্পর্কে একটা আইডিয়া পাবেন।
.
জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের মানুষের; বিশেষত জেন-জি প্রজন্মের অসীম সাহসিকতা ও জুলুম-পীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এক মহা দাস্তানের নাম। জালিম যতোই ক্ষমতাশীল হোক, তার পতন যে অনিবার্য- তার দলিল। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র, রাষ্ট্রশক্তি এবং মুনাফিকির চাদর পরা কথিত সুশীল সমাজ, নতজানু গণমাধ্যম ইত্যাদির শতভাগ সমর্থন থাকার পরেও যুগের ফিরআউনরা যে এক সময় ধ্বংসের দরিয়ায় ডুবে মরে কিংবা কোন মতে চোরের মতো পালিয়ে গিয়ে পিঠ বাঁচায়- তার উদাহরণ।

গণঅভ্যুত্থানের প্রতিটি পর্বের ঘটনা ও মানুষের আত্মত্যাগের ইতিহাস সংরক্ষণ অতীব জরুরি। এই জরুরি কাজের ক্ষুদ্র একটি অংশ হলো এই বইটি। এটি নিরেট কোন ইতিহাসও নয়, আবার শুধু স্মৃতিকথাও নয়। উভয়ের মিশেলে বইটি রচিত হয়েছে। পাঠক এর ভেতর দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিক চিত্র যেমন পাবেন, তেমনি একজন প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে দেখা ঘটনাবলির বিবরণও পাবেন।

প্রকাশনী: রাহনুমা প্রকাশনী
পৃষ্ঠা: ২২৪
প্রকাশ হবে আগামী শুক্রবার

Abdullah Al Masud

28 Oct, 13:02


ফাইনালি আগামী শুক্রবার বইটা আসছে ইনশাআল্লাহ রাহনুমা প্রকাশনী থেকে। ইচ্ছা ছিল সবকিছু প্রস্তুত হবার পর পাবলিকলি জানাব। সেই সময় এসে গেছে। প্রচ্ছদ কোনটা ভালো লাগছে কমেন্টে জানাতে পারেন। এগুলো থেকেই কোন একটা চূড়ান্ত করব। তাই নতুন প্রচ্ছদের আইডিয়া না দিয়ে এই ৩টা থেকে কোনটা ভালো লাগছে সেটা বলতে পারেন। অগ্রিম শুকরান ও বইটি পড়ার নিমন্ত্রণ থাকলো।

Abdullah Al Masud

28 Oct, 06:23


আমার এই বইটি বিষয়বস্তুর বিবেচনায় খুবই উপকারী একটি বই। সাধারণ মানুষের জন্যও প্রতিটা লেখা উপযোগী। তবে বিশেষভাবে তালিবুল ইলম ও আহলে ইলমদের জন্য অনেক খোরাক আছে এতে। যারা বইটি পড়েছেন, নিশ্চয়ই আমার সাথে একমত হবেন। আমার লেখা বিভিন্ন ইলমী প্রবন্ধ-নিবন্ধের সংকলন এটি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সম্ভবত বইটির নামের কারণে তেমন একটা পরিচিতি পায়নি এটি। তাই চাচ্ছিলাম এটার নাম পরিবর্তন করে কিছু পরিমার্জনসহ নতুন করে এটি আনতে। এর জন্য উপযুক্ত নাম প্রস্তাব করে সাহায্য করতে পারেন। সূচির ছবিও দিয়ে দিয়েছি।

Abdullah Al Masud

28 Oct, 05:53


নূরুল আনওয়ার কিতাবটি উসুলে ফিকহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কিতাব। কওমী মাদরাসায় পাঠ্য। আমি ছাত্র অবস্থায় যখন এর দ্বিতীয়ার্ধ তথা সুন্নাহ-ইজমা-কিয়াস অংশ পড়ি তখন কিতাবের বিশালতা ও এর প্রচুর প্রকারের কারণে জটিল মনে হতো। বিশেষত পরীক্ষার সময়ে এতগুলো প্রকার মনে রাখা কষ্টসাধ্য ছিল। তখন নিজের জন্য আমি এটি সংক্ষেপিত করেছিলাম। ছাত্র ভাইরা আমার হাতে লেখা নোট ফটোকপি করে পড়তেন। তারা উপৃকত হয়েছেন বলে জানাতেন। পরবর্তীতে এটাকে কম্পোজ করে পিডিএফ করে রেখে দিয়েছিলাম। নূরুল আনওয়ার পড়ুয়া বহু তালিবুল ইলম সেটা ফটোকপি করে সংগ্রহে রাখত। এতদিন এটা ফটোকপিতেই সীমাবদ্ধ ছিল। এবার দারুল লুবাব থেকে ছেপে আসতেছে। আশা করছি আগামী শুক্রবার থেকে বইমেলাতে এটি পাওয়া যাবে।

Abdullah Al Masud

23 Oct, 15:29


ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে
সরকারীভাবে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

Abdullah Al Masud

23 Oct, 05:08


গতকালকে একটা দরকারে বাইতুল মোকাররম গিয়েছিলাম। এক ফাঁকে বইমেলাতেও ঢু মেরে আসলাম। এবারের বইমেলাকে সত্যিকারের বইমেলা মনে হচ্ছে। প্রচুর স্টল, সুন্দর ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজসজ্জা ইত্যাদির কারণে অন্যরকম একটা আমেজ এসেছে। বড় বড় প্রকাশনীগুলো ছোটদের জন্য আলাদা স্বতন্ত্র প্রকাশনী করেছে। এটাও পজিটিভ দিক। ছোটদের বই নিয়ে ভালো ভালো বইও তারা করে ফেলেছে। আতফাল, টুনটুন, লিটল উম্মাহ আরও কী কী নাম যেন। সবগুলো মনে রাখতে পারিনি। আপনারা অবশ্যই ঘুরে আসবেন। দাওয়াত থাকলো। এখনও কিছু কিছু স্টলের কাজ চলছে দেখেছিলাম। আজকালকের মধ্যে সব পুরোপুরি রেডি হয়ে যাবে আশা করছি।

Abdullah Al Masud

19 Oct, 16:57


কারো যদি মূলে সমস্যা থাকে, তাহলে তার মাধ্যমে বারবার ভুল হতেই থাকবে। তিনি যতোই চেষ্টা করেন, মূলের সমস্যার সংশোধন করার আগ পর্যন্ত তার ভুল হবার ধারা বন্ধ হবে না। এটাই বাস্তবতা।

Abdullah Al Masud

18 Oct, 16:13


জুমার পর অল্প সময়ের জন্য বাইতুল মুকাররম পূর্ব গেটে অনুষ্ঠিতব্য ইসলামী বইমেলার জায়গাটা ঘুরে আসলাম। বিগত ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম এমন ব্যতিক্রমধর্মী একটি মেলা হতে যাচ্ছে। প্রশস্ত জায়গায় একসাথে থাকবে ৮০+ প্রকাশনী। লেখক কর্ণার থাকবে আলাদা। কোন মহিলা আসলে তাদের বসার দরকার হলে এর জন্যও আলাদা কর্নারের ব্যবস্থা থাকছে এবার। কিডস জোন থাকবে। স্টেজ থাকবে। যেখানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনসহ নানান আয়োজন থাকবে। এবারের এই জমজমাট মেলাতে আগমনের জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন। ও হ্যা, ইসলামী বইমেলা শুরু হবে ২২ তারিখ থেকে ইনশাআল্লাহ।

Abdullah Al Masud

18 Oct, 15:51


আমার চিন্তা-মানস গঠিত হবার পেছনে এই বইটির অপরিসীম গুরুত্ব আছে। একটা সময় আমি আহলে হাদীসদের নিয়ে প্রচুর লেখতাম। অনেক কঠোরতা প্রকাশ পেত সেসব লেখায়। পরবর্তী সময়ে এই বইটির পাঠ আমার মধ্যে ভারসাম্যতা এনেছিল। শুধু এই প্রসঙ্গেই নয়, অন্য আরও অনেক বিষয়ে ভিন্ন মতের সাথে ডিল করার ক্ষেত্রে ভারসাম্যতা রক্ষা করার দীক্ষাও আমি এই বইটি থেকে পেয়েছিলাম। বলা যেতে পারে, বইটি আমাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। মাওলানা আবদুল মালেক সাহেবের কাছে সেজন্য আমি অনিশেষ কৃতজ্ঞ। হুজুর বাইতুল মুকাররমের খতিব হয়েছেন এটাকে আমি বেশ পজিটিভ হিসেবে দেখছেন। কারণ হলো, তিনি তাঁর মুরুব্বিদের সাথে মশোয়ারা করে নিয়েছেন। ফলে এই সিদ্ধান্তে বরকত হবে ইনশাআল্লাহ। দ্বিতীয়ত তিনি নিজ থেকে এই দায়িত্ব চেয়ে নেননি। এই পদের জন্য লালায়িতও ছিলেন না। তাকে পীড়াপীড়ি করে দেওয়া হয়েছে। হাদীসে এসেছে, দায়িত্ব অন্যদের থেকে দেওয়া হলে আল্লাহ সাহায্য করেন। তিনিও আল্লাহর সাহায্য পাবেন ইনশাআল্লাহ। ধর্ম উপদেষ্টা খালিদ সাহেবসহ যারা এই নিয়োগে ভূমিকা রেখেছেন সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

Abdullah Al Masud

18 Oct, 00:33


ইয়াহয়া সিনওয়ারের শাহাদাতের সংবাদে আরবে এক দল ফেসবুকে আলহামদুলিল্লাহ আর 'মুস্তারাহ মিনহু' বা 'তার থেকে মুক্তি মিলল' বলে পোস্টাচ্ছে। এরা কারা ভেঙ্গে বলার দরকার নেই। এরা যে মানহাজের কথা বলে, আমি সেই মানহাজকে ঘৃণা করি। আমাদের দেশে এই মানহাজের শেকড় গেড়ে বসুক, সেটা কখনোই চাই না। এই মানহাজের যারা শায়খ ও দায়ী তাদের সাথেও আমার বারাআত।

Abdullah Al Masud

15 Oct, 16:18


আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বৈঠকে আমাদেরকে বলেছিলেন, 'আমার প্রতি আলেম-উলামাদের যে ভালোবাসা সেটাকে অন্য কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।' ২০১৩ সালের ৫ই মে বিকেলে একজন গ্রামের সাধারণ আলেম শাপলা চত্তর থেকে তার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন অফিসে। কীভাবে ঢাকা এসেছেন জিজ্ঞাসা করার পর তিনি বলেছিলেন, 'কিছু পথ হেঁটে আর কিছু পথ গাড়িতে চড়ে।' কেন তার সাথে দেখা করতে এসেছেন জিজ্ঞাসা করার পর তিনি বলেছিলেন, 'শাপলা চত্তরে আমি দুই প্যাকেট নাস্তা পেয়েছিলাম। ভাবলাম আপনি যেহেতু আসতে পারেননি এখানে, তাই আপনার জন্য এক প্যাকেট তবারক হিসেবে নিয়ে আসি।' তারপর মাহমুদুর রহমান বললেন, 'আমি সেই আলেমের কথা আজও ভুলিনি। তার এই ভালোবাসার কথা মনে হলেই আমার চোখ ভিজে আসে।'

Abdullah Al Masud

13 Oct, 08:09


ছাত্র-জনতার খু°নি পুলিশগুলোর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এখনও একটা মামলাও হয়নি যতদূর জানি। অথচ এরই মধ্যে পুলিশের ঠোকা মামলায় আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালিতে। এটা খুবই অশনি সংকেত। বিষয়টা নিয়ে চুপ থাকলে আগামীতে আরো নানান জেলায় এই গ্রেফতার কার্যক্রম সচল হবে। কারণ ৫-ই আগস্টের আগ থেকেই মামলাগুলো দায়ের করা আছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় গণভবনকে তসনস করার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হবে। ছবি ও ফুটেজ দেখে নানান লোককে গ্রেফতার করা হবে। বিপ্লবী সরকার গঠন না করার ফলাফল আসতে শুরু করেছে। সামনে আরও কী কী হবে আল্লাহ জানে।

Abdullah Al Masud

12 Oct, 11:03


আমার দেশ সম্পাদক ও মজলুম সাহসী সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের সাথে সুন্দর ও প্রাণবন্ত একটি দুপুর কাটল আমাদের। নানান শলা-পরামর্শ ও কর্মপদ্ধতি দিয়ে আলাপ-আলোচনা হলো। সুসংবাদের কথা হলো, ডিসেম্বরের মধ্যেই আমার দেশ পত্রিকা চালু হবে ইনশাআল্লাহ।

Abdullah Al Masud

11 Oct, 08:11


উসাইদ মুহাম্মদ ও মোল্লা হানিফ ইতিমধ্যে তাদের ক্যালিগ্রাফি প্রতিভার সাক্ষর রেখে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছেন। আজকে এই দুইজনের একটা পডকাস্ট শুনলাম। মনে হলো, তারা শুধু ভালো ক্যালিগ্রাফি/গ্রাফিতি করতে পারেন এরকমই নয়, বরং তাদের সাংস্কৃতিক বোঝাপড়াটাও বেশ চমৎকার। সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে যারা রত, তাদের সাংস্কৃতিক বোঝাপড়ার জায়গায়টা এমনই মজবুত হওয়া চাই। সাধারণত সাংস্কৃতিক ময়দানে যারা কাজ করতে আসে, অনেকেই স্রোতের তোড়ে পড়ে নিজেরাই ভেসে যায়। পরিবর্তন আনার পরিবর্তে নিজেরাই পরিবর্তিত হয়ে পড়েন। এই দুইজন আশা করি সামনে আরও অনেক ভালো করবেন ইনশাআল্লাহ। আরেকটা বিষয় হলো, মোল্লা হানিফ যে ভালো আঁকে সেটাই না, ক্যালিগ্রাফির নানান ইতিহাস ও পাঠ নিয়েও তার ভালো পড়াশুনা আছে মনে হলো। শুভকামনা উভয়ের জন্য।

https://youtu.be/Bqx0M3YF80E?si=P9WtPPUaAYdFRRZN

Abdullah Al Masud

10 Oct, 11:15


ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশনা বিভাগের অধীনে আগে প্রচুর কাজ হতো আগে। অনুবাদের কাজসহ সম্পাদনা ইত্যাদিতে অনেক কাজ ছিল। ইফার স্বর্ণযুগে বহু লেখক-অনুবাদক এখানে কাজ করে বড়সড় অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পেয়েছেন। যখন থেকে ইফা হয়ে গেছে -যাইনুল আবিদীন সাহেবের ভাষায়- আওয়ামীলীগের মিলাদখানা, তখন থেকে এই সুযোগগুলোর রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বছরে নতুন বই যে কয়টা আসত অধিকাংশই জাতির পিতার ও তার কন্যার গুণকীর্তন।

আমাদের দাবি ছিল, শুধু বইমেলা নয়; ইফারও সংস্কার হোক। ইফা তার স্বর্ণযুগে ফিরে যাক। যাতে আমরা আবার দারুন দারুন গবেষণাধর্মী সব কাজ দেখতে পাই। যেহেতু এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এর জন্য সরকারী আলাদা ফান্ড থাকে বাজেটের, ফলে ইফা থেকে বড়বড় কাজ হওয়া অনেক সহজ। অনুবাদক, সম্পাদক ও প্রুফরিডাররাও অনেক কাজ পেতে পারে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। সুযোগের জায়গাটা এখানে অনেক বড়।

তবে ইফা যেহেতু ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে তাই ইফাকে নিয়ে কথা বললে সেটা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপর গিয়ে পড়ে। উদ্যোগটা এই মন্ত্রণালয়কেই নিতে হবে। আর ধর্ম মন্ত্রণালয় মানেই এখানে অবধারিতভাবে ধর্ম উপদেষ্টার প্রসঙ্গ চলে আসে। আর ধর্ম উপদেষ্টার সংশ্লিষ্টতা আছে এমন কোন বিষয় নিয়ে কথা তুললেই এক শ্রেণির লোকেরা ক্ষেপে যান এবং নানান ট্যাগ ও বাজে কথা বলেন, তাই বিষয়টা মোটেও সহজ না। সেজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে এসব সংস্কারের দাবি ও কর্যক্রম থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেননা আমি নিজে অনুবাদ করা ছেড়ে দিয়েছি বহু আগে। সামনেও করার নিয়ত নেই। সুতরাং ইফার এসব সংস্কারে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোন ফায়দা নেই। এটাতে জ্ঞানচর্চার ধারা উন্মোচিত হবে এবং সাধারণ অনুবাদক/লেখক প্রমুখেরা উপকৃত হতে পারবে ভেবেই বিষয়গুলোর সাথে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারছি, নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর দরকার নেই। তাছাড়া যাদের জন্য এসব করা, তারাও কেউ কেউ নানান বাজে কথা বলেন। কেমন যেন 'যার জন্য করলাম চুরি, সে বলে চোর।' তাই এগুলো থেকে ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি।

আরেকটা বিষয় জানিয়ে রাখি। ধর্ম উপদেষ্টা একটা পদের নাম। ব্যক্তির নাম নয়। আজকে একজন আছেন, নির্বাচন হয়ে গেলেই এখানে অন্য একজন আসবেন। পদটা কিন্তু থেকেই যাবে। আমাদের দাবি-দাওয়া ও দায়ের আলাপটা ছিল পদের কাছে। ব্যক্তি পরিচয় মূখ্য ছিল না। অন্যথায় আফম খালিদ সাহেবের প্রতি আমার কোন দ্বেষ নেই । বরং পূর্ণ মাত্রায় শ্রদ্ধা ও সম্মান আছে। তিনি আমার একটা বই পড়ে আমার নাম্বার সংগ্রহ করেছিলেন এবং তারপর আমাকে ফোন করে অনেক সময় নিয়ে কথা বলেছিলেন। এটা চলতি বছরের ঘটনা। তো ব্যক্তিগতভাবে তাঁর প্রতি আমার আলাদা কোন কিছু নেই। যেহেতু তিনি পদে আছেন, তাই সেই পদের কাছে আমাদের নানান কথা আছে। সেই পদ থেকে তিনি চলে যাবেন, অন্য কেউ আসবেন, তার কাছেও কথা থাকবে। এটা হলো বিষয়। যারা এই ব্যক্তি আর পদ দুইটাকে গুলিয়ে ফেলেন, তারাই মূলত সমস্যায় পড়েন।

Abdullah Al Masud

09 Oct, 05:50


অবশেষে বইমেলা হবার সিদ্ধান্ত হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এটা নিয়ে কয়েকটা কথা বলি। সবাই পড়বেন আশা করছি। অনেক কিছু পরিষ্কার হবে।

মূল কথায় যাবার আগে ভূমিকা স্বরূপ পিছনের কিছু বিষয় জানাই আপনাদেরকে। কেন বইমেলা সংস্কারের দাবি তোলার প্রয়োজন পড়ল। প্রতিবছর রবিউল আউয়াল মাসে বইমেলার আয়োজন হয়। সেখানে খুচরা পুস্তক ব্যবসায়ী বা হকারদের দৌরাত্ম্য থাকে। ইফার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে তারা অনেকগুলো স্টল বরাদ্দ নিয়ে নেয়। ফলে প্রথম সারির অনেক প্রকাশনীও স্টল পায় না। হকাররা পরে সেই স্টলগুলো দ্বিগুণ/তিনগুণ দামে তা প্রকাশনীর কাছে বিক্রি করত। সেজন্যই অনেক সময় আপনারা দেখতেন, স্টলে উপরের ব্যানারে নাম ভুঁইফোড় কোন প্রকাশনীর, আর ভিতরে সাইনবোর্ড প্রথম সারির কোন প্রকাশনীর। মূল ঘটনা ছিল এটা।

পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে আমাদের দাবি ছিল, বইমেলা হকারদের এই দৌরাত্ম মুক্ত হোক। এটি যেহেতু প্রকাশকদের মেলা, তাই এতে কেবল প্রকাশকরাই অংশ নিবে। বাংলাদেশসহ দুনিয়ার সকল দেশেই সবখানে বইমেলা হয় প্রকাশনীর, কোন খুচরো পুস্তক ব্যবসায়ী/হকারদের নয়। বাংলা একাডেমি যে নীতিমালা মেনে মেলা আয়োজন করে সেভাবেই যেন নীতিমালা করা হয় যে, মেলাতে প্রত্যেকে যার যার বই বিক্রি করবে। মেলাকে সুন্দর করতে আরো কিছু যৌক্তিক দাবী ছিল সহায়ক হিসেবে। মূল দাবী এটাই।

আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রকাশকদের এই দাবিকে জোরাল সমর্থন করেছি দুই কারণে। এক হলো, হকারদের দুর্নীতি/জুলুম দূর করা। দুই হলো, বিগত বছরগুলোতে এদেশের জেনারেল শিক্ষিত মানুষদের বড় একটা অংশ দ্বীনের পথে আসা বা প্রভাবিত হবার পেছনে প্রকাশনা শিল্পের উন্নতির বিশাল অবদান আছে। তাই এই শিল্প যেন আরো বিকশিত হয় এবং গণ মানুষের কাছাকাছি বেশি পরিমাণে যেতো পারে সেই ব্যবস্থায় সহায়তা করা।

এবার কিছু ধারাবিহকতা লক্ষ্য করুন-

- প্রথম ধাপে এই দাবি নিয়ে রবিউল আওয়াল মাস আসার আগেই ধর্ম উপদেষ্টাসহ ইফার কর্মকর্তাদের সাথে মিটিং হয়। তেমন ইতিবাচক কোন ফলাফল আসেনি।

- ফলে দ্বিতীয় ধাপে প্রেসার ক্রিয়েট করার জন্য আমরা বইপাঠ কর্মসূচিসহ আরো কিছু কর্মসূচি হাতে নিলাম। প্রথম ধাপ সবার সামনে না থাকায় অনেকেই ভেবেছেন এটা বোধহয় শুরুর ধাপ। অথচ মাঠে নামার আগেই টেবিলের আলোচনার ধাপ শেষ হয়েছিল। ফলাফল না আসাতে মাঠে নামা হয়।

- তৃতীয় ধাপে আমাদের সাথে আবার বৈঠক হয় ধর্ম উপদেষ্টার। এটা ১৩ রবিউল আউয়াল। সেখানেও শুধু আশ্বাস ছিল। বাস্তবায়ন নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছিল না। মূলত ভিতরে ভিতরে হকারদের সিন্ডিকেট এখানে সক্রিয় ছিল।

- চতুর্থ ধাপে বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাদের ধারস্ত হই আমরা। তারা যেন সহায়তা করেন আমাদেরকে। এখানে কিছু সুখের ও দুঃখের স্মৃতি আছে। থু থু উপরে ছিটালে নিজেদের গায়ে পড়ে বলে এড়িয়ে গেলাম।

- এক পর্যায়ে এবারের ইসলামী বইমেলাটা স্থগিত হবার দিকে আগাচ্ছিল। বিষয়টা আঁচ করে পঞ্চম ধাপে আমরা 'লেখক এক্টিভিস্ট ফোরাম' গঠন করে লেখক সম্মেলনের আয়োজন করলাম। সেখানে দ্রুত বইমেলার আয়োজন ও ইফার সংস্কারের দাবি জানালাম। নইলে লেখক-এক্টিভিস্টরা মিলে ইফার অফিস ঘেরাওসহ আরো নানান পদক্ষেপ নেওয়া হবে ঘোষণা করা হলো।

- ষষ্ঠ ধাপে আবারও ধর্ম উপদেষ্টা মহোদয়কে ফোন করানো হয় জনপ্রিয় কিছু দায়ীদের দিয়ে। অবশেষে তিনি মেলার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আদেশ দেন ইফাকে।

এবার আসি সিদ্ধান্তের বিষয়। আপনারা সবাই মেলা হবে এতটুকু নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু যেটা সবার চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে সেটা হলো, মেলাটা দুই ভাগে হবে। দক্ষিণ গেটে হকারদের স্টল থাকবে। আর পূর্ব গেটে প্রকাশকদের। এভাবে দুই ভাগে হওয়া কাম্য ছিল না। বইমেলাতে হকারদের দৌরাত্ম্য বাইতুল মুকাররমের বইমেলা ছাড়া আর কোন বইমেলাতে কোথাও পাবেন না। যাইহোক, তবুও তো শুকরিয়া যে মেলাটা হচ্ছে।

যাস্ট দুইটা জিনিস খেয়াল করেন-

১- বইমেলাটা দুই ভাগে হচ্ছে। হবার কথা ছিল ১ভাগে। অর্থাৎ সেই দুর্নীতিবাজ হকাররা রয়েই গেছে।
২- বইমেলা হয় রবিউল আউয়াল মাসে। এখন রবিউল আউয়াল পার হয়ে আজকে রবিউস সানির ৫ তারিখ। মেলা শুরু হবে আরও ১০ দিন পরে। ২০ অক্টোবর থেকে। এই বিলম্বের পেছনে ঘটনা কী ছিল আশা করি বুঝতে পারছেন। অর্থাৎ মেলা হবার অনুমতিটা স্বাভাবিক কোন প্রক্রিয়া ছিল না। অনেক কাঠখড় পোড়ানোর ফলাফল এটি।

এবারের মেলাতে যে নতুন কিছু ভালো লাগার মতো ব্যাপার আপনারা পাবেন ইনশাআল্লাহ, সেটা এমনি এমনি হয়ে যায়নি। এর পেছনে অনেক প্রকাশক-লেখক ভাইদের দৌড়-ঝাপ ও প্রচেষ্টা ছিল। তাদের জন্য দুআ করতে ভুলবেন না। আর যারা ফেসবুকে বসে ভাবছেন, সব কিছু এমনি এমনি হয়ে গেছে বা হয়ে যেত, তাদের ভুল আশা করি আমার এই লেখা পড়ে ভাংগবে।

এবার মেলাটা যেভাবে হচ্ছে, এটাতে আমরা সাময়িক সন্তুষ্ট, পুরোপুরি না। আমরা আশাবাদী, আগামীতে ইসলামী বইমেলা আরও দারুণভাবে আয়োজিত হবে ইনশাআল্লাহ। পরিবর্তনের ধারা যেহেতু শুরু হলো, এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

Abdullah Al Masud

07 Oct, 16:29


আজকে ৭ অক্টোবর বিশেষ দিন। তুফানুল আকসার কারণে এই দিনটি যুগ যুগ থেকে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই দিনকে সামনে রেখে সিয়ারু আলামিন নুবালা পড়া শুরু করলাম। দেখা যাক, পুরোটা শেষ করতে কয় মাস বা কয় বছর লাগে। আমার কাছে যে নুসখা, সেটা সূচিসহ মোট ৩০ খন্ড।

অধ্যয়নে উপকারী জিনিসগুলো মাঝেমাঝে টেলিগ্রামে ভয়েস মেসেজে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। যেহেতু লেখতে সময় লাগে।

Abdullah Al Masud

06 Oct, 15:33


উলুমুল কুরআন বিষয়ক ছোট বইটা পড়লাম। অল্প পরিসরে অনেক তথ্য সন্বিবেশিত হয়েছে এতে। উলুমুল কুরআন অধ্যয়নের প্রাথমিক পাঠ্য হিসেবে বেশ উপযুক্ত কিতাব মনে হয়েছে। জরুরি প্রায় সবগুলো বিষয় অল্প কথায় স্থান পেয়েছে এতে। কিতাবটি রচনা করেছেন আমাদের বড় ভাই ও মিশরের জামিআ আযহারের কৃতি ছাত্র লুতফে রব্বি আফনান। আল্লাহ তাআলা তার হায়াতে ও ইলমে বরকত দান করুন। আমীন।

Abdullah Al Masud

05 Oct, 09:04


কিছুদিন আগে আলজাজিরা বাংলাদেশের একটি ক্যালিগ্রাফি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। বিষয়টা নিঃসন্দেহ আমাদের দেশের জন্য সুনাম ও সম্মানের ছিল। সম্প্রতি দেখলাম সেই ক্যালিগ্রাফির জনক মোল্লা হানিফ ও তার শিল্প কর্ম নিয়ে সময় টিভিও একটা প্রোগ্রাম করেছে। তো ৫ আগস্টের পর যারা এই সময়ে ক্যালিগ্রাফি করার ঘোর বিরোধী ছিলেন এবং যুক্তি দেখিয়েছিলেন- এতে করে নাকি পশ্চিমাদের কাছে এই মেসেজ যায় যে, এদেশ মৌলবাদিদের হাতে চলে গেছে, তারা এখনও তাদের সেই মতের উপর বহাল আছেন? বলি কি, ইউরোপ-আমেরিকা যদি আপনাদের মতো এত দুর্বল চিন্তার অধিকারী হতো যে, ক্যালিগ্রাফি দেখেই মৌলবাদী/Zonগিবাদী নির্ণয় করে, তাহলে তাদের আর বিশ্বের নেতৃত্বের আসনে যেতে হতো না। মূলত আপনাদের এসব চিন্তা ছিল মানসিক বৈকল্য থেকে সৃষ্ট। সবখানে পশ্চিমাদের মন যুগিয়ে চলা ও তাদের চোখে ভাল হবার তাড়না থেকে উৎসারিত। এটাও আত্মপরিচয়ের একটা সংকট।

Abdullah Al Masud

04 Oct, 15:27


https://youtu.be/0YQAzm4F7uo

Abdullah Al Masud

04 Oct, 13:26


যারা ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলেন তাদের আলোচনাতে এটাও বারবার আসা উচিত যে, এদেশে জেএমবির মতো কাঁচা কাজ যেন কেউ না করে। বিচ্ছিন্নভাবে দুই চার জায়গায় বো*মা মেরে কখনো ইসলামী শাসন কায়েম সম্ভব নয়। কেউ কেউ সত্যিকার অর্থেই এই জাতীয় সশস্ত্র পন্থার সাথে জড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় কিছু এজেন্সি তাদের কাউন্টার টেরোরিজমের অর্থায়ন হালাল করা ও নিজেদের প্রমাণের জন্যও সংগঠন সাজায় এবং সেখানে জযবাতি তরুণদের ভিড়িয়ে ফাঁদে ফেলে। সবমিলিয়ে এই ধরনের ফাঁদে যেন না পড়ে কেউ, সেই বিষয়ে ব্যাপক সচেতন করা দরকার। যেই তরুণ এসব কাজে ভিড়ে, সে হয়ত মুখলিস। কিন্তু তার কর্মপন্থা সঠিক না। ফলে শেষমেশ সে নিজেও বিপদে পড়ে, ফ্যামিলিকে বিপদে ফেলে এবং যারা দাওয়াতী কাজ করে শরীয়তের ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করতে চায়, তাদের কাজকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। দিনশেষে এমন নাদান লোকদের ঝুড়িতে ফলাফল থাকে শূন্য।
আর যারা এসব নাদান লোকদের কাজের কারণে শরীয়াহর শাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে প্রকাশ্যে মানুষদেরকে সচেতনকারী ব্যক্তিদের নানান রকম ব্লেইম দেন, তাদেরও জানা উচিত যে, এমন লোকেরা এদেশকে দাওয়াতের ভূমি মনে করে। কারণ এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখনও শরীয়াহর শাসনের অপরিহার্যতার ব্যাপারে সচেতন নয়।

Abdullah Al Masud

03 Oct, 05:27


নাগরিক কমিটির কিছু ভাই কথায় কথায় সবখানে নারীদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টা টেনে এনে অন্যদের খোঁচা মারেন। তাদের যুক্তি হলো, নারীদের হার মোট জনসংখ্যার ৫২%। তাই সবকিছুতে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত না করলেই নয়। প্রশ্ন হলো, নাগরিক কমিটিতে ৪৮ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৯জন নারী কেন? তাদের যুক্তি অনুপাতে এটা কি ইনসাফপূর্ণ হলো? ৫২% এর আনুপাতিক হারে নারী সদস্যের সংখ্যা বেশি না রাখতে পারুক অন্তত সমান সমান রাখত। নাকি যোগ্য মেয়ে সদস্যের অভাব?

Abdullah Al Masud

03 Oct, 02:07


ধরেন, সাদা বা কালো পতাকা বাদ দিয়ে লাল-সবুজ পতাকা বা শুধু সবুজ কিংবা অন্য কোন কালারের পতাকার মধ্যখানে কালেমা লিখে যদি উড়ানো হয়, তখন কি সমালোচনাকারীরা এটি মেনে নিবে? মনে হয় না। আপত্তি একটা না একটা তারা করবেই। বিশ্বাস না হলে সামনে সবুজ কিংবা অন্য কোন কালারের পতাকার গায়ে কালিমা লিখে উড়াতে পারেন।