Ikhlas-ইখলাস @ikhlas66 Channel on Telegram

Ikhlas-ইখলাস

@ikhlas66


একটি ইসলামিক দাওয়াহ ডিজাইন চ্যানেল। শুধুমাত্র রবের সন্তুষ্টির জন্য ইনশাআল্লাহ।

Iklas-ইখলাস (Bengali)

ইখলাস-ইসলামিক দাওয়াহ চ্যানেলnnইখলাস-ইসলামিক দাওয়াহ চ্যানেল হল একটি অভিনন্দনী মাধ্যম, যা ইসলামের দিকে সঠিক প্রচার করে। এই চ্যানেলটির লক্ষ্য হল শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা। এখানে ইসলামের মূল ধারনা এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করা হয়। ইখলাস চ্যানেলে যাত্রা করে আলী, মুহাম্মদ (সাঃ), কুরআন, সুন্নাত এবং ইসলামী সংস্কৃতির প্রতিটি বিষয় চর্চা করা হয়।nnআমরা অত্যন্ত গর্বিত এবং উৎসাহিত হই যে আমাদের চ্যানেল সঠিক জ্ঞান এবং সঠিক দিকে মানুষকে প্রেরিত করে। আমরা আশা করি আমাদের ভক্তদের উৎসাহিত হবে এবং ইসলামের আলোচনা এবং ধারনা বিষয়ে সঠিক জ্ঞান উপভোগ করবে।nnইখলাস-ইসলামিক দাওয়াহ চ্যানেলে যোগদান করুন এবং আপনার জ্ঞান এবং মনোযোগ দিয়ে এই সমৃদ্ধ সম্প্রদায়ে যোগ দিন। ইসলাম এবং ধর্মীয় বিষয়ে আরও অনেক কিছু জানুন এবং আপনার ধর্মীয় জীবন উন্নত করুন।

Ikhlas-ইখলাস

13 Jan, 08:02


আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার এবং একটি দোয়া কবুলের গল্প।
দোয়া জীবন পরিবর্তন করতে পারে। বিশেষ করে বোনেরা বিয়ের আগে কেমন জীবনসঙ্গী চান সেটা সবার আগে আল্লাহকে বলুন।

খুব বাজে একটা দাম্পত্য সম্পর্কের (মা-বাবার) পরিবার  থেকে বিলং করি আমি। ছোট থেকে খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে পরিবার নিয়ে। বিয়ে জিনিসটা খুব অসহ্য লাগতো একসময়।  দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর ডিসিশন নিয়ে বিয়ে করব। বেশ কিছু বায়ো ডাটা পাই। তার মধ্যে একজনের সাথে কথা বেশ অনেকটুকু আগায়।

খুব ভয় করছিলো। তার আখলাক ভাল, দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানে পড়েন। সব দিক থেকেই ভাল। আমার নিজের সম্পর্কে বিশেষ কিছু  ব্যক্ত করে বলার মতো তেমন কিছু নেই। প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে দিন যেতো। যদি কষ্ট পাই?
বিয়ের পরের স্মৃতিচারণ যদি তিক্ত হয়!

আল্লাহর কাছে খুব দোয়া করেছি, খুব কান্না করেছি। মাসের পর মাস রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়েছি। শত-শত বার ইস্তেখারা করেছি। রোজা রেখেছি। অনেক ঝড়-ঝাপটা মাড়িয়ে অবশেষে অর্ধ বছর লম্বা সময় অপেক্ষা করে  সপ্তাহের পবিত্র দিনে জুমা’র পরে আমাদের বিয়ে হয়।

এর পরের জীবনটা আমার অবর্ণনীয়। আল্লাহ আমাকে এমন নিয়ামত দিয়েছেন যে সত্যি বলতে মাঝে মাঝে মনে হয় আমি এতটাও উপযুক্ত নই এসবের। আল্লাহ আমাকে এমন একজন জীবন সঙ্গী দিয়েছেন যার তুলনা আমি কোথাও খুঁজে পাই না। চক্ষু শীতলকারী অন্তর শীতলকারী একজন।

আমার প্রতিটি কাজ মুগ্ধ হয়ে এপ্রিশিয়েট করেন। রান্নাটা খারাপ হলেও পেটপুরে খেয়েদেয়ে ওঠে যান। অফিস থেকে ফিরে সুন্দর সুন্দর নাম ধরে ডাক দেন। মাঝে মাঝে কবিতা শুনান। মন খারাপ হলে গল্প শোনান। দিনের কিছু সময় এটা ওটা বলে খুব হাসান। মাঝে মাঝে বলি - আমি কি একটু রেগেও থাকতে পারবো না?

- নাহ, বউরা রাগ করলে বাসায় ভালো লাগে নাকি!

এই ভালবাসা গুলো কি হারামে ডুবন্ত গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডরা অনুভব করতে পারবে?

আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। আমি দুনিয়াতে এক টুকরো জান্নাত হিসেবে আমার সংসারটাকে পেয়েছি। প্রত্যেক দিন মনে হয় যে, আমি নতুন করে তার প্রেমে পড়ি। মাঝে মাঝে আমার খুব কান্না পায়। যদি আমার আগে সে আল্লাহর কাছে চলে যায়? যদি এই ভালবাসা গুলো নাই হয়ে যায়? তাহলে আমার কি হবে! এখন নিয়মিত আমার সময়টা ভয়ে ভয়ে কাটে এসব চিন্তা করে। কেউ যখন হঠাৎ করে ভরপুর নিয়ামত পায় তাহলে শুনেছি আল্লাহ সেসব নিয়ে পরীক্ষা করেন। সত্যি বলতে আমি দুনিয়াতে টাকা পয়সা নাম ডাক কিছু চাই না। শুধু চাই যখন মৃত্যু আসবে এই মানুষটার দিকে তাকিয়ে থেকে কালেমা পড়ে যাতে আমি মারা যায়। সে যাতে আমার আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে না যায়।

সে তো নিশ্চয়ই জান্নাত পেয়ে যাবে একজন আদর্শ স্বামী, সন্তান এবং পিতার দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু আমি যদি জান্নাত না পাই?

[এমন নয় যে আমাদের ঝগড়া হয় না কিংবা কোনো কষ্ট নেই জীবনে। আমি শুধু ভালোটুকু বেঁছে নিয়েছি জীবনে ভাল থাকার জন্য।]

- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বোন

Ikhlas-ইখলাস

13 Jan, 05:51


এরা দাইয়ুস!!!

Ikhlas-ইখলাস

13 Jan, 04:12


সাধারণত ঝগড়া লাগে না। মানুষটা খুবই নিরীহ। চুপচাপ থাকে। তারপরও কখনো উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হলে, রাগ থামার পর প্রতিবারই স্বামী বলেন, জামাকাপড় ব্যাগ ‍গুছিয়ে নাও। স্ত্রী বিনাবাক্যব্যয়ে প্রস্তুতি নিয়ে নেয়। প্রথমবার ঝগড়ার পর স্বামী যখন বলল: সবকিছু গুছিয়ে নাও, স্ত্রী ভীষণ কেঁপে উঠেছিল। মানুষটা তাকে কোথায় রেখে আসবেন? এখন আর ভয় পায় না।
স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী শহরের শেষপ্রান্তে নদীর তীরে নিরিবিলি এক রেস্তোরাঁয় নিয়ে যান। সামর্থের সবটুকু দিয়ে স্ত্রীকে হোটেলের সবচেয়ে ভলো খাবার দিয়ে আপ্যায়িত করেন। স্ত্রী কখনো এ-বিষয়ে কিছু জানতে চাননি। স্বামীর বোন কৌতুহলী হয়ে ভাইয়ের কাছে জানতে চাইল। কারণটা কী?
ভাই বললেন,
-মেয়েরা স্বামীর সাথে ঝগড়া হলে, মায়ের কাছে গিয়ে মনের কষ্ট প্রকাশ করে। অভিমান করে বাপের বাড়ি যায়। কয়েকদিন থেকে মনটা হালকা করে আসে। তোর ভাবির যে কেউ নেই। পুরোপুরি এতিম। এমনকি বাপের বাড়িও নেই। সারাজীবন ভাড়াবাড়িতে থেকে এসেছে। মা-বাবাও বেঁচে নেই। কার কাছে যাবে? তাই ঝগড়ার পর বাহির থেকে ঘুরিয়ে আনি। নদীর পাড়ে কিছুক্ষণ তাকে একাকি সময় কাটানোর সুযোগ করে দিই। খোলা আকাশের নিচে, নদীর তীরে দাঁড়ালে হয়তো মনের ভার কিছুটা হলেও হালকা হবে। বাপের বাড়িতে ঘুরিয়ে তো আর আনতে পারব না। অন্তত একটা বেলা মুক্তির স্বাদ পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা তো করতে পারি, তুই কি বলিস?

~শায়েখ আতিক উল্লাহ হাফিঃ

Ikhlas-ইখলাস

13 Jan, 02:53


বেশিরভাগ মানুষ বান্দার হক নষ্টের গুনাহে লিপ্ত। বান্দার হক আল্লাহ ক্ষমা করেন না। কিয়ামতের দিন এটার জন্যই মানুষ ধরা খাবে বেশি।

~আবুল হাসানাত কাসিম হাফি.

Ikhlas-ইখলাস

12 Jan, 16:16


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্ব: ৭৬

উহুদ-পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ ও যু-দ্ধসমূহ:

উহুদের যুদ্ধে মুসলিমদের দুর্বল দিক প্রকাশ হয়ে পড়ে। মুশরিকরা এর ফায়দা লুটতে ভোলেনি। মুসলিমরা পরপর কয়েকটি বেদনাদায়ক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন।

শোকাবহ রজী' :

হিজরি চতুর্থ সনের সফর মাস। আদাল ও কারা গোত্রের একটি প্রতিনিধিদল নবি(ﷺ) -এর কাছে আসে। তাদের জনগোষ্ঠীরা ইসলামের প্রতি বেশ আগ্রহী-এ কথা জানায় তারা। অপরিচিত এই ধর্মবিশ্বাসটি সম্পর্কে তারা আরও জানতে ইচ্ছুক। আসিম ইবনু সাবিত (রদিয়াল্লাহু আনহু)-এর নেতৃত্বে দশ জন সাহাবির একটি দলকে তাদের ওখানে পাঠান নবিজি(ﷺ)। ঈমান ও কুরআন শেখাতে গিয়ে মুসলিমদের সে দলটি আর ফিরে আসেননি। মুশরিকদের বিশ্বাসঘাতকতায় আল্লাহর রাহে শ-হীদ হয়ে যান তারা।

রজী' নামক স্থানে হুযাইল গোত্রের একটি দল ওত পেতে ছিল। আদাল আর কারার লোকেরাই তাদের লেলিয়ে দিয়েছে মুসলিমদের ওপর। একটি পাহাড়ে থাকা অবস্থায় দশ জন সাহাবির ছোট্ট দলটিকে চারদিক থেকে জেঁকে ধরে প্রায় এক শ হুযাইলি তিরন্দাজ। তারা শপথ করে বলে যে, মুসলিমরা নেমে এলে তাদের হত্যা করা হবে না। কিন্তু দলনেতা আসিম নেমে আসতে অস্বীকৃতি জানান। তিরযু-দ্ধে সাত জন সাহাবি শ-হীদ হন। বাকি তিন জনকে আবারও শপথ করে বলা হয় যে, তাদের হ-ত্যা করা হবে না। ফলে নেমে আসেন তারা। আসার সাথে সাথে হুযাইলিরা তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলতে শুরু করে। একজন সাহাবি মন্তব্য করেন, "এটা হলো প্রথম বিশ্বাসঘাতকতা।” তাকে বাঁধতে আসা লোকটিকে তিনি বাধা দিতে উদ্যত হন। ফলে তাকেও হ-ত্যা করা হয়। খুবাইব ইবনু আদি আর যাইদ ইবনু দাসিনা (রদিয়াল্লাহু আনহুমা)-কে বন্দি করে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয় সেই পুরোনো নিপীড়ক কুরাইশদের হাতে। নিজের জীবন আর তাদের নিজেদের রইল না।

বদর যু-দ্ধে হারিস ইবনু আমির ইবনি নাওফালকে কতল করেছিলেন খুবাইব। এবার খুবাইবের জীবনের মালিকানা নিয়ে নেয় হারিসের ছেলে। কিছুদিন কারাভোগ করানোর পর তানঈম অঞ্চলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মৃ-ত্যুদণ্ড দিতে। দণ্ড কার্যকরের আগে তিনি দু-রাকাআত সালাত আদায় করে নেন। বদদুআ করেন যেন তার খু-নিদের প্রত্যেকের ওপর আল্লাহর ক্রোধ আপতিত হয়। মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার সময় আবৃত্তি করেন,

"মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু হলে, নেই পরোয়া কোনও কিছুতেই;
যে পাশ থেকেই করা হোক হ-ত্যা, তা হবে আল্লাহর পথেই।
আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় আমি হচ্ছি নিহত;
তিনি চাইলে কর্তিত অঙ্গেও দেবেন বরকত অবিরত।"

আবূ সুফইয়ান খুবাইব (রদিয়াল্লাহু আনহু)-কে বলেন, "কী? এখন আফসোস হচ্ছে না? মনে হচ্ছে না আজকে তোর জায়গায় মুহাম্মাদ মারা গেলে ভালো হতো, আর তুই থাকতি পরিবারের সাথে নিরাপদে?"

খুবাইব হুংকার দেন, "আল্লাহর কসম! নবিজির গায়ে একটা কাঁটা বিঁধুক, সেটাও আমি চাই না।"

এরপর হারিস ইবনু আমিরের ছেলে তাঁকে তার পিতার বদলে হ-ত্যা করে।
আর এদিকে সফওয়ান ইবনু উমাইয়ার হাতে নিজের মৃত্যুর অপেক্ষায় আছেন যাইদ ইবনু দাসিনা (রদিয়াল্লাহু আনহু)। সাফওয়ানের বাপ উমাইয়া ইবনু মুহাররিস মারা পড়েছিল যাইদের তরবারিতে। কিছু সূত্রমতে আবূ সুফইয়ানের সাথে ওপরের কথোপকথনটি হয়েছিল যাইদ ইবনু দাসিনার, খুবাইবের নয়।

রজী' পাহাড়ে পড়ে থাকা মুসলিমদের লাশগুলোকেও কুরাইশরা অপমান করার ফন্দি করে। আসিম (রদিয়াল্লাহু আনহু)-এর লাশ নিয়ে আসার জন্য একদল লোককে পাঠানো হয়। কিন্তু তার দেহের ওপর ভনভন করতে থাকা ভীমরুলের কারণে কাছেও ঘেঁষতে পারেনি মুশরিকরা। জীবদ্দশায় আসিম (রদিয়াল্লাহু আনহু) কসম করেছিলেন যে, জীবনে তিনি কোনও পৌত্তলিককে ছোঁবেন না, তাদেরও তার শরীর ছুঁতে দেবেন না। মরণের পরও আল্লাহ তাআলা তাঁর সে কসম রক্ষা করেন। *[বুখারি, ৩০৪৫; ইবনু হিশাম, ২/১৬৯-১৭৯, যাদুল মাআদ, ২/১০৯।]

অধ্যায়: উহুদ-পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ ও যু-দ্ধসমূহ।
বই: রাসূলে আরাবি, পৃষ্ঠা: ২০১- ২০৩।

Ikhlas-ইখলাস

12 Jan, 15:06


উপার্জনের দায়িত্ব নারীর নয়, কেবল পুরুষেরই। তবে উপার্জনক্ষম পুরুষ না থাকে তাহলে নারী পর্দা ঠিক রেখে, শরয়ী সীমার মধ্যে থেকে উপার্জন করতে পারে। যেমন:

১. অনলাইনে বিজনেস করা। যেমন কাপড় ইত্যাদি।
২.হোমমেড খাবার বিক্রি করা।
৩. হস্তশিল্পের বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করা।
৪. সেলাই মেশিন দিয়ে মহিলাদের কাপড় তৈরি করা।
৫. ছোট বাচ্চা অথবা বড় মেয়েদের পড়ানো। ঘরে বসেই পড়ানো যায়, তবে অন্য বাসায় পড়ানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা চাই।
৬. লেখালেখি, প্রুফ রিডিং, সম্পাদনার মাধ্যমে উপার্জন করা।
৭. ঘরে বসে বিভিন্ন বুকশপ বা প্রকাশনীর কন্টেন্ট রাইটার, অনলাইন কার্যক্রম দেখাশোনা বা এ জাতীয় কাজ করা। তবে এ ক্ষেত্রে ফিতনা থেকে সতর্ক থাকতে হবে, গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে চ্যাটিং থেকে বিরত থাকতে হবে।
৮. কোন মাদ্রাসায় মেয়েদের পড়ানো।
৯.শুধু মেয়েদের পরিচালিত কোন কর্মক্ষেত্রে কাজ করা।
১০. অনলাইনে মেয়েদের/ বাচ্চাদের পড়ানো।
১১. কাঁথা সেলাই করে উপার্জন করা।
এমন অনেক কাজ রয়েছে তবে সব ক্ষেত্রেই শর্ত হলো, শরয়ী সীমার বাইরে না যাওয়া।

- পর্দা গাইডলাইন

Ikhlas-ইখলাস

12 Jan, 14:30


একজন মেয়ের ঘটনা,

একজন মেয়ে বলেন, আমি ডায়বেটিসে আক্রান্ত ছিলাম। ইনসুলিন গ্রহণ করতাম। ইনসুলিনের সুচালো আঘাতে আমার অনেক কষ্ট হতো। আমার কাছে ওষুধ গ্রহণ করা অপছন্দনীয় হয়ে উঠল। আমার জীবনের কঠিন সময়গুলোর একটি ছিল, আমার ইনসুলিন গ্রহণের সময়গুলো। এ অবস্থা চলাকালে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদীস শুনতে পেলাম:

'একটি কাঁটাও যদি কোনো মুসলমানের দেহে বিদ্ধ হয়, তাহলে আল্লাহ তাআলা এর বিনিময়ে তার গুনাহসমূহ মার্জনা করে দেন।'

[সহীহ বুখারী, ৫৬৪০;
সহীহ মুসলিম, ২৫৭২]

আমি মনে মনে বললাম, সুঁইয়ের প্রতিটি ক্ষুদ্র আঘাত, আর ইনসুলিন তো সুইয়ের মতোই, আল্লাহ তাআলা এর মাধ্যমে আমার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিচ্ছেন। তখনই আমি ইনসুলিনের বিপদের রহস্য বুঝতে পারলাম আল্লাহ তাআলা এর দ্বারা আমাকে ক্ষমা করে দিতে চাচ্ছেন। তখন থেকে আমার ইনসুলিন গ্রহণের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। আমি এ ইনসুলিনের নাম দিই 'شَوَّكَةُ الْمَغْفِرَة' (শাওকাতুল মাগফিরাহ) ক্ষমার সুচালো আঘাত। তারপর যখনই আমি ইনসুলিন নেয়ার কারণে কষ্ট পেতাম, এটিকে আল্লাহ তাআলার ক্ষমাপ্রাপ্তির কারণ মনে করতাম।

বই: নারী-জীবনের সুখ-সংগ্রাম

Ikhlas-ইখলাস

12 Jan, 12:36


1.أما رعاية الرجل أهله فالقيام عليهم والسياسة لأمرهم وتوفيتهم الحق في النفقة والعشرة، وأما رعاية المرأة في بيت زوجها فحسن التدبير في أمر بيته والتعهد لمن تحت يدها من عياله وأضيافه وخدمه ↑
2.قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم على ابنته فاطمة خدمة البيت وقضى على عليه بما كان خارج البيت ↑
3.فجعل أعمال الخارج أي مما يتعلق بخارج البيت كإتيان الحطب والماء وتجصيل النفقة على علي رضي الله تعالى عنه وجعل أعمال الداخل كالطحن والخبز والعجن على فاطمة رضي الله تعالى عنها ↑
4.إذا كانت المرأة ممن تخدم نفسها فعليها الطبخ والخبز لأن النبي صلى الله عليه وسلم جعل خدمة داخل البيت على فاطمة رضي الله عنها ↑
5.المستحق عليها بالنكاح تسليم النفس إلى الزوج للاستمتاع وما سوى ذلك من الأعمال تؤمر به تدينا ولا تجبر عليه في الحكم نحو كنس البيت وغسل الثياب والطبخ والخبز فكذلك إرضاع الولد ↑
6.اتقى الله يا فاطمة وأدى فريضة ربك واعملي عمل أهلك ↑
7.في قوله صلى الله عليه وسلم: اتقى الله يا فاطمة واعملي عمل أهلك دليل على أن كل امرأة تطيق الخدمة يلزمها خدمة بيتها ↑
8.إذا علم الحكم في فاطمة فهو في غيرها بالأولى

Ikhlas-ইখলাস

12 Jan, 12:35


নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন:

"তোমাদের প্রত্যেকেই দায়ী এবং তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে... পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বে এবং স্ত্রী তার স্বামীর ঘর ও সন্তানদের দেখভালের দায়িত্বে।" (সহীহ বুখারী, ৫২০০)
ইমাম আল-খাত্তাবি ব্যাখ্যা করেন:

"পরিবারের উপর পুরুষের দায়িত্ব হল তাদের তত্ত্বাবধান করা, তাদের বিষয়গুলো পরিচালনা করা এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং সঙ্গের অধিকার পূরণ করা। স্ত্রীর দায়িত্ব হল তার স্বামীর ঘরের যত্ন নেওয়া এবং তার অধীনে থাকা লোকদের যেমন আত্মীয়-স্বজন, অতিথি এবং দাস-দাসীদের দেখভাল করা।" (আলাম আল-হাদীস, ১:৫৮০)[১]
এটি বর্ণিত হয়েছে যে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার কন্যা ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) কে ঘরের ভেতরের কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং তার স্বামী আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) কে ঘরের বাইরের কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, ২৯৬৭৭)[২]

আবদুল সিন্দি ব্যাখ্যা করেন যে "ঘরের বাইরের কাজ" বলতে কাঠ এবং পানি সংগ্রহ করা এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা বোঝায়, এবং "ঘরের ভিতরের কাজ" বলতে আটা পিষা, রুটি বানানো এবং ময়দা মন্ডানো ইত্যাদি কাজ বোঝায়। (তাওয়ালি আল-আনওয়ার, ৬:৪১০)[৩]

কাজটি ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) এর জন্য এত কঠিন ছিল যে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে তার হাতে দাগ পড়ার কথা অভিযোগ করেছিলেন এবং একজন দাসী চেয়েছিলেন। তবে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে বলেছিলেন যে দাসীর চেয়ে ভালো হলো ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাসবীহ পড়া। (সহীহ বুখারী, ৫৩৬১)

আল-হিদায়া এর লেখক ইমাম আল-মারগিনানী ব্যাখ্যা করেছেন:

"যখন কোনো নারী এমন পরিবার থেকে আসে যা নিজের কাজ নিজেরা করে, তখন তার অবশ্যই রান্না এবং বেক করতে (এবং গৃহকর্ম করা) হবে, কারণ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফাতিমা (রাদিআল্লাহু আনহা) কে ঘরের ভেতরের কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।" (মুখতারাত আল-নওয়াজিল, ২:১৯৪)[৪]
অর্থাৎ, যারা সক্ষম এবং সাধারণত দাসী বা শ্রমিক নিয়োগকারী ধনী পরিবার থেকে আসে না এমন স্ত্রীদের অবশ্যই গৃহকর্ম করতে হবে। ইমাম আল-সারখসী ব্যাখ্যা করেছেন:

"বিবাহের কারণে তার উপর যা বাধ্যতামূলক তা হল স্বামীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নিজেকে তার হাতে সমর্পণ করা। ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে তাকে এই কাজ ছাড়াও অন্যান্য কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যদিও তাকে আইনত বাধ্য করা হবে না - যেমন ঘর পরিষ্কার করা, কাপড় ধোয়া, রান্না করা এবং বেক করা; এবং একইভাবে, শিশুকে দুধ খাওয়ানো।" (আল-মাবসুত, ৫:২০৯)[৫]
অর্থাৎ, ঠিক যেমন শিশুকে দুধ খাওয়ানো মায়ের জন্য বাধ্যতামূলক, তেমনি ঘরের কাজ করাও তার জন্য বাধ্যতামূলক।

একটি বর্ণনায় উল্লেখ আছে যে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাসবীহ পড়ার পরামর্শ দেওয়ার আগে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) কে বলেছিলেন:

"হে ফাতিমা! আল্লাহকে ভয় করো, তোমার রবের আদেশ পালন করো এবং তোমার পরিবারের কাজ করো।" (সুনান আবু দাউদ, ২৯৮৮)
আবদুল সিন্দি এই হাদীস সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, এই হাদীস প্রমাণ করে যে "কাজ করতে সক্ষম প্রত্যেক নারীকেই কাজ করতে হবে"।[৭] (তাওয়ালি আল-আনওয়ার, ৬:৪১১) তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, "একবার ফাতিমার বিষয়ে আদেশ জানা গেলে, অন্য নারীদের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি প্রযোজ্য হবে।" (তাওয়ালি আল-আনওয়ার, ৬:৪১১)[৮]

-মুফতী জামিল উর-রহমান

রেফারেন্সগুলো কমেন্টে দেয়া থাকবে ইনশাআল্লাহ।

Ikhlas-ইখলাস

12 Jan, 08:47


যখন উমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর উপর হত্যার চেষ্টা করা হলো এবং তিনি গুরুতর আহত হলেন, তখন তার ক্ষত চিকিৎসার জন্য দুধ পান করানো হয়। কিন্তু সেই দুধ তার ক্ষত থেকে বের হয়ে আসতে লাগল। এ অবস্থায় চিকিৎসক বললেন, “হে আমিরুল মুমিনিন! আপনার জীবনসীমা শেষ হয়ে আসছে। আপনি কোনো ইচ্ছা বা ওসিয়ত করে নিন।”

উমর (রা.) তার ছেলে আব্দুল্লাহকে ডেকে বললেন,
“হুযাইফা ইবনে ইয়ামানকে আমার কাছে নিয়ে আসো।”

হুযাইফা (রা.) ছিলেন সেই সাহাবি, যাকে রাসুলুল্লাহ (সা.) মুনাফিকদের নাম জানিয়েছিলেন। এই গোপন বিষয় কেবল আল্লাহ, রাসুলুল্লাহ (সা.), এবং হুযাইফা (রা.)-এর জানা ছিল।

যখন হুযাইফা (রা.) এলেন, তখন উমর (রা.) রক্তক্ষরণ সত্ত্বেও তাকে বললেন,
“হে হুযাইফা! আমি তোমাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, রাসুলুল্লাহ (সা.) কি আমাকে মুনাফিকদের মধ্যে উল্লেখ করেছিলেন?”

হুযাইফা (রা.) চুপ করে থাকলেন এবং তার চোখ অশ্রুতে ভরে গেল। উমর (রা.) পুনরায় জোর দিয়ে বললেন,
“আল্লাহর কসম, আমাকে বলো, তিনি কি আমার নাম নিয়েছিলেন?”

হুযাইফা (রা.) কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
“আমি এই গোপন বিষয় কাউকে জানাতে পারি না। তবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করছি, রাসুলুল্লাহ (সা.) আপনার নাম মুনাফিকদের মধ্যে উল্লেখ করেননি।”

এ কথা শুনে উমর (রা.) তার ছেলে আব্দুল্লাহকে বললেন,
“এখন দুনিয়াতে আমার শুধু একটি ইচ্ছা বাকি আছে।”

আব্দুল্লাহ (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন,
“তা কী, আব্বা জান?”

উমর (রা.) বললেন,
“আয়েশা (রা.)-এর কাছে যাও এবং তাকে বলো, উমর ইবনে খাত্তাব সালাম পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাকে বলো না যে ‘আমিরুল মুমিনিন’ সালাম পাঠিয়েছেন, কারণ আজ আমি আর মুমিনদের আমির নই। তাকে বলো, উমর অনুরোধ করছেন যেন তাকে তার দুই সঙ্গীর (রাসুলুল্লাহ (সা.) এবং আবু বকর (রা.)) পাশে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।”

আব্দুল্লাহ (রা.) গেলেন এবং আয়েশা (রা.)-এর কাছে অনুমতি চাইলেন। তখন আয়েশা (রা.) কাঁদছিলেন। কিন্তু তিনি বললেন,
“আমি এই জায়গাটি আমার জন্য রাখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আজ আমি এটি উমরের জন্য উৎসর্গ করছি।”

আব্দুল্লাহ (রা.) খুশি মনে ফিরে এসে সংবাদটি জানালেন। কিন্তু উমর (রা.) তখনও মাটিতে মুখ রেখে ছিলেন। আব্দুল্লাহ তার মুখ নিজের হাঁটুর ওপর রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উমর (রা.) বললেন,
“আমার মুখ মাটিতে থাকতে দাও, যাতে আমি আমার রবের সামনে বিনীতভাবে হাজির হতে পারি। উমরের জন্য আফসোস, যদি তার রব তাকে ক্ষমা না করেন।”

উমর (রা.) তার ওসিয়ত করলেন,
“যখন আমার জানাজা হবে, তখন হুযাইফার প্রতি নজর রাখো। যদি তিনি আমার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন, তবে বুঝে নিও আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন। এরপর আমাকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কক্ষের দরজায় নিয়ে গিয়ে বলো, ‘হে মা! আপনার ছেলে উমর অনুমতি চাচ্ছে।’ যদি তিনি অনুমতি দেন, তাহলে আমাকে সেখানে দাফন করো। অন্যথায় আমাকে সাধারণ মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করো।”

অতঃপর যখন হুযাইফা (রা.) জানাজায় অংশগ্রহণ করলেন, তখন উমর (রা.)-কে আয়েশা (রা.)-এর কক্ষের দরজায় নিয়ে যাওয়া হলো এবং অনুমতি চাওয়া হলো। তিনি অনুমতি দিলেন। এভাবে উমর (রা.) তার দুই সঙ্গীর পাশে দাফন হলেন।

আল্লাহ উমর (রা.)-এর প্রতি দয়া করুন। যিনি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত হয়েও আল্লাহর ভয়ে কাঁপতেন। কিন্তু আজ আমরা গাফলত ও নির্ভীকতায় জীবনযাপন করছি। আমরা আমাদের কাজের হিসাব করি না, আমাদের আখিরাতের কথাও ভাবি না।

اللهم احسن خاتمتنا ولا تقبض ارواحنا الا وانت راض عنا
হে আল্লাহ আমাদের শেষ পরিণতি টা সুন্দর করুন এবং আপনি আমাদের উপর সন্তুষ্ট না হয়ে আমাদের মৃত্যু দিয়েন না।

-সংগ্রহীত

Ikhlas-ইখলাস

12 Jan, 05:00


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্ব: ৭৫

মুসলিম বাহিনী মদীনা অভিমুখী: শহীদদের দাফন-কাফন শেষ। এবার মদীনা ফেরার পালা। পথে থেমে কয়েকজন নারীকে সান্ত্বনা দেন তিনি। তাদের আত্মীয়রা যু*দ্ধে নিহত হয়েছে। নবিজির দুআ তাদের অন্তর প্রশান্ত করে।
প্রিয়জন হারানোর বেদনা ধৈর্য ধরে সহ্য করেন মুসলিমরা। নবিজি ﷺ নিরাপদ আছেন, এ সংবাদেই প্রশান্তি সবার। আপনজনের চেয়ে নবিজিকে ﷺ তাঁরা কত বেশি ভালোবাসতেন, তার সামান্য নমুনা পাওয়া যায় একটি ঘটনায়। যু*দ্ধফেরত মুসলিমদের একটি দলের সাথে দীনার বংশের এক নারীর দেখা হয়। তারা ভারাক্রান্ত মন নিয়ে নারীটিকে জানান যে, তার স্বামী, ভাই এবং বাবা তিন জনই যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। কিন্তু নারীটি উত্তরে বলেন, "আগে বলুন নবিজি ﷺ কেমন আছেন?” জানানো হলো, "আল্লাহর শোকর, তিনি নিরাপদ আছেন।" নারীটির শুধু শোনা কথায় মন মানে না। তিনি নিজের চোখে গিয়ে রাসূলুল্লাহকে ﷺ দেখতে চান। অবশেষে নবিজিকে সামনাসামনি দেখতে পেয়ে বলেন, "আপনি যে বেঁচে আছেন, তাতেই সব দুঃখ উধাও হয়ে গেছে।”[ইবনু হিশাম, আস-সীরাহ ২/৯৯]
সে রাতে মদীনাবাসীরা একদম সতর্ক অবস্থায় থাকেন। হাজার হোক, জরুরি অবস্থা তখনো চলমান। ক্লান্তি আর আঘাত তো আছেই, তার সাথে যুক্ত হয়েছে নিজেদের ভুলের কারণে নবিজি ﷺ -এর জীবন ঝুঁকিতে ফেলার অনুশোচনা। সবাই তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে পাহাড়া দিতে ইচ্ছুক। কিন্তু আল্লাহর রাসূলের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো ফিরে যেতে থাকা শত্রুদলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা। মদীনায় অতর্কিত আক্রমণ যেন চলে না আসে, তা নিশ্চিত করতে চাইছিলেন তিনি।
হামরাউল আসাদের যু*দ্ধ:
ঠিক পরদিন সকালেই নবি একজন ঘোষককে দিয়ে ঘোষণা করান যে, উহুদ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সবাইকে এক্ষুনি শত্রু ধাওয়া করতে যেতে হবে। চরম ক্লান্তি আর মারাত্মক ক্ষত নিয়ে প্রতিটি মুসলিম সে নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। মদীনা থেকে আট মাইল দূরে হামরাউল আসাদে স্থাপন করা হয় সেনাশিবির।
ওদিকে মদীনা থেকে ছত্রিশ মাইল দূরে রাওহা নামক স্থানে যাত্রাবিরতি করে সলা- পরামর্শ চলছে মুশরিক শিবিরে। সেনাপতিদের কটূক্তি করার জের ধরে চলছে বাগবিতণ্ডা। অরক্ষিত মদীনায় আক্রমণ করার সুবর্ণ সুযোগকে পায়ে ঠেলে আসার শিশুসুলভ সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাই এখন খেপা। মুসলিম শিবিরেও তখন পরিকল্পনা চলছে। মা'বাদ ইবনু আবী মা'বাদ খুযাঈ নবিজি ﷺ এর এক শুভাকাঙ্ক্ষী। তিনি হামরাউল আসাদে এসে উহুদের ঘটনা সম্পর্কে সমবেদনা জানান। নবিজি ﷺ তাকে বললেন আবু সুফইয়ানের কাছে যেতে। ভীতিকৌশল ব্যবহার করে তাড়িয়ে দিতে বললেন মুশরিক বাহিনীকে। কথামতো মা'বাদ গেলেন রাওহায়। সিদ্ধান্তের পাল্লা তখন মদীনা পুনরাক্রমণের দিকেই হেলে আছে।
মা'বাদ গিয়ে শুরু করলেন মারাত্মক বর্ণনা। মুসলিমরা কেমন ভয়ানক প্রস্তুতি নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করতে আসছে, তা বলতে লাগলেন রং চড়িয়ে, "আরে আপনারা তো জানেন না। মুহাম্মাদ এত বিশাল এক দল নিয়ে বেরিয়েছেন, জীবনে এত বড় বাহিনী দেখিনি। প্রতিশোধ আর রক্তের নেশায় পাগল হয়ে আছে সবাই। তোমরা কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ওই পাহাড়টার পেছন দিকে ওদের প্রস্তুতিটা একবার দেখে নাও।"
বুদ্ধি কাজে দিল। সাহস হারিয়ে ফেলল মাক্কি বাহিনী। আবূ সুফইয়ানও তার রণপরিকল্পনাকে একই রকম ভীতিকৌশলে সীমিত করে ফেলেন। মাক্কি বাহিনী আরেক রাউন্ডের জন্য প্রস্তুত-এই বলে একটি কাফেলাকে দায়িত্ব দেন যেন তারা মুসলিম বাহিনীর নিকট তা খুব করে প্রচার করে। এই ফাঁকে বাহিনী নিয়ে তড়িঘড়ি করে নিজেরা ধরেন মক্কার পথ। হারতে হারতে বেঁচে আসা মুসলিম বাহিনী এই সতর্কবার্তা শুনে লড়াইয়ের পূর্ণপ্রস্তুতি নেন। নতুন আক্রমণের ঘোষণায় তাদের মনোবল আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে।
"যাদের লোকেরা বলেছে যে, তোমাদের সাথে মুকাবিলা করার জন্য কাফিররা বহু সাজ-সরঞ্জাম সমাবেশ করেছে, তাদের ভয় করো। তখন তাদের বিশ্বাস আরও দৃঢ়তর হয়ে যায় এবং তারা বলে, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট আর তিনি কতই-না চমৎকার তত্ত্বাবধায়ক।”[সূরা আল-ইমরান, ১৭৩]
যেহেতু ফাঁকা হুমকি আর বাস্তবায়িত হয়নি, তাই পরের প্রশান্ত অবস্থাটির কথা আয়াতে তুলে ধরা হয় এভাবে, "ফলে তারা ফিরে এল আল্লাহর নিয়ামাত ও অনুগ্রহ নিয়ে। কোনও ক্ষতিই তাদের স্পর্শ করেনি। আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া আর কিছু তারা চায়ওনি। আর আল্লাহ তো সীমাহীন অনুগ্রহকারী।” [ আলে-ইমরান, ১৭৪]

অধ্যায়: মুসলিম বাহিনী মদিনা অভিমুখী ও হামরাউল আসাদের যু*দ্ধ।
বই: রাসূলে আরাবি, পৃষ্ঠা: ১৯৯-২০১।

Ikhlas-ইখলাস

12 Jan, 03:40


রিযিকের বারাকাহ এক অদ্ভুত রহমত!!!

Ikhlas-ইখলাস

12 Jan, 02:01


বিয়েতে সর্বমোট ছয়টি কাজ করতে হয়।

দুটি ফরজ,
১/ ইজাব ও কবুল
২/ কমপক্ষে দুজন স্বাক্ষী

একটি ওয়াজিব
১/ বিয়ের মোহর

তিনটি সুন্নত
১/ বিয়ের খুতবা
২/ খেজুর বিলানো
৩/ দাওয়াতে ওলিমা

এর বাইরে অন্য কিছু নেই।

- মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ কুরাইশী হাফিযাহুল্লাহ

Ikhlas-ইখলাস

06 Jan, 14:37


সারাটা জীবন আয়না পরিস্কার করলাম আসলে ময়লাটা চেহারায়।

-মির্জা গালিব।

Ikhlas-ইখলাস

06 Jan, 10:56


হেফাজতে রাখুন! যা প্রমোটেড তা নিয়ন্ত্রণেই নেয়ামত!

Ikhlas-ইখলাস

06 Jan, 06:40


আমাদের পেইজের ফলোয়ার ১ মিলিয়ন+!!!
সরি ১ লাখ+

কন্টেক্সট কমুনা!!

Ikhlas-ইখলাস

06 Jan, 05:10


সত্যিই সত্য কখনোই গোপন থাকেনা!

Ikhlas-ইখলাস

06 Jan, 03:36


দ্বীনদারিত্বের ভার বহন করাও দ্বীনদারের অংশ!

Ikhlas-ইখলাস

06 Jan, 01:47


আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।
সবকিছুই কারণবশত ঘটে থাকে।
একদিন আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার জীবনে যা কিছু ঘটেছে তার প্রতিটাই আপনার জন্য উত্তম ছিল।

ড. বিলাল ফিলিপ্স।

Ikhlas-ইখলাস

05 Jan, 17:37


মেজর ডালিমের তাকানোর স্টাইল।
কথার ভঙ্গিমা। শ'ত্রুর চোখে চোখ রেখে কথা বলার ধরণ দেখে তাকে মনে হয় ১৮ তে পা রাখা নব জোয়ান৷

আর আমাদের সেলিব্রিটিরা যে আমাদের জেনারেশন কে খাসি বানাচ্ছে। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে শ'ত্রু কে বন্ধু বলে জ্ঞান দিচ্ছে৷
সেটার সূক্ষ্ম পার্থক্য ধরতে পারছেন না আপনারা৷

-আল ইন্তিফাদা

Ikhlas-ইখলাস

05 Jan, 15:27


অনেকের মুখে প্রচুর ব্রণ, মেছতা, ফোঁড়া বা অন্যান্য দাগের কারণে প্রচুর সমস্যায় ভোগেন। ছেলেরা পার পেয়ে গেলেও অবিবাহিত মেয়েরা বেশি সমস্যায় ভোগেন, তারা কিছু আমল করতে পারেন ইনশাআল্লাহ।

১. নিচের আয়াতাংশ প্রতিদিন অন্তত ৪১ বার পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে পুরো মুখে মুুছতে পারেন

مُسَلَّمَةٌ لَّا شِيَةَ فِيْهَا

উচ্চারণ : ‘মুসাল্লামাতুল লা শিয়াতা ফিহা

২. সম্ভব হলে যমযমের পানিতে, না হলে স্বাভাবিক পানিতে নিচের দুআটি পড়ে ফুঁ দিয়ে মুখে মাসাহ করবেন,

اَللّٰهُمَّ مُطْفِئَ الْكَبِيْرِ وَمُكَبِّرَ الصَّغِيْرِ اَطْفِهَا عَنِّيْ

এটার ক্ষেত্রে যমযমের পানির বদলে এক ধরনের আতরের কথা লেখা আছে কিতাবে, কিন্তু সেটা দুষ্প্রাপ্য বিধায় যমযমের পানি ব্যবহার করেও ফল পেয়েছেন কেউ কেউ।

৩. ডান হাতের শাহাদাত আঙুল দিয়ে মুখের দিকে ইশারা করে সূরা বাকারার ২৫৯ নং আয়াত নিয়মিত কিছুদিন পড়তে পারেন।

এগুলো শরয়ী রুকইয়ার আমল। প্রথম ও শেষেরটা সরাসরি কুরআনের আয়াত। সালাফদের থেকে এই আমল প্রমাণিত। মাঝেরটা হাদীসে বর্ণিত আমল, যেটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে প্রয়োগ করেছেন তাঁর এক স্ত্রীর ওপর।

-উস্তাদ তানজিল আরেফিন হাফি.

Ikhlas-ইখলাস

05 Jan, 13:37


সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়াসাল্লাম।

Ikhlas-ইখলাস

05 Jan, 12:18


আজ পর্যন্ত আমরা সেখানে পৌঁছতে পারিনি!

Ikhlas-ইখলাস

05 Jan, 08:22


আল্লাহুম্মাগফিরলী!

আমরা সারা সপ্তাহে কী কী গুনাহ করছি - সেটা ছেলেটির সাথে তুলনা করে দেখা যেতে পারে। জান্নাত কেন ওদের - সেই প্রশ্নের উত্তর নিজেই পাওয়া যাবে, ইন শা আল্লাহ!

Ikhlas-ইখলাস

05 Jan, 03:06


মেয়েটিকে
আব্দুল্লাহ ইবনে আবু বকর বিয়ে করলেন, তিনি শহিদ হয়ে যান!
তারপর যায়েদ ইবনে খাত্তাব বিয়ে করেন, তিনি শহিদ হয়ে যান!
তারপর উমর ইবনে খাত্তাব বিয়ে করেন, তিনি শহিদ হয়ে যান!
তারপর যুবায়ের ইবনে আওয়াম বিয়ে করেন, তিনি শহিদ হয়ে যান!
তারপর হুসাইন ইবনে আলি বিয়ে করেন, তিনিও শহিদ হয়ে যান!

মদিনাবাসীরা বলতো, কেউ শহিদ হতে চাইলে যেনো এই মেয়েকেই বিয়ে করে!

তিনি ছিলেন 'হযরত আতীকা বিনতে যায়েদ রদিয়াল্লাহু আনহা, যাকে زوجة الشهيد বলা হতো।

~আহমেদ জুনাইদ (হাফি:)

Ikhlas-ইখলাস

05 Jan, 01:48


আন্দালুসের পতন হচ্ছে। শেষ সুলতান কান্না করছেন। তার মা তাকে বললেন, পুরুষের মত সাম্রাজ্যকে রক্ষা করতে পারোনি, এখন নারীর মত কান্না করে কী লাভ!

সত্যিই আমরা মুসলিমরা আজ পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলেছি। এজন্যই আজ আমরা অধ:পতিত, লাঞ্চিত। আমরা দেখতে পুরুষ, কিন্তু আমাদের ভিতরে পুরুষত্ব নেই।

উম্মাহর পুরুষেরা যেদিন তাদের পুরুষত্ব ফিরে পাবে, সেদিনই এই উম্মাহর নারীরা মহীয়সী হয়ে উঠবে, তাদের শিশুরা সাহসী হিসেবে বড় হবে। তাদের পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব সকল কিছু সংশোধিত হয়ে যাবে।

- ইফতেখার সিফাত (হাফি:)

Ikhlas-ইখলাস

04 Jan, 16:11


সাথে সাথে সবাই ত*র*বারি দিয়ে কয়েকবার আঘাত হানেন। তবে তা খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। অবশেষে মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা (রদিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর কোদাল দিয়ে কা'বের তলপেট চিরে ফেলেন। ভয়ানক চিৎকার করতে করতে মারা পড়ে কা'ব। সে আওয়াজে জেগে ওঠে সারা দুর্গ। মশাল জ্বলে ওঠে চারপাশে। কিন্তু জঘন্যতম শত্রুর বকবকানি চিরতরে বন্ধ করে দিয়ে নিরাপদে পালিয়ে আসেন পাঁচ মহান সাহাবি। (রদিয়াল্লাহু আনহুম)।
এ ঘটনায় মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে ইয়াহু*দিদের মনোবল। প্রকাশ্য শত্রুতা ত্যাগ করে কিছুকালের জন্য গা-ঢাকা দেয় তারা। মুসলিমরাও সাময়িক রেহাই পান উত্ত্যক্তকারীদের হাত থেকে।

অধ্যায়: সাওয়ীকের যু*দ্ধ ও কাব ইবনু আশরাফের হ*ত্যা।
বই: রাসূলে আরাবি, পৃষ্ঠা: ১৮৪-১৮৬।

Ikhlas-ইখলাস

04 Jan, 16:11


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্বঃ৬৯

সাওয়ীকের যু*দ্ধ:

ওদিকে আরেকটি সামরিক অভিযানের মাধ্যমে বদরের প্রতিশোধ নিতে আবূ সুফইয়ানের ছটফটানি ও অস্থিরতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। মুহাম্মাদ ﷺ এর সাথে লড়াই করার আগে গোসল না করারও কসম করেন তিনি। লড়লেই যেন বিজয় নিশ্চিত! দুই শ জনের এক বাহিনী নিয়ে মদীনায় আসেন কসম পূর্ণ করতে। 'আরিদ' নামক এক জনবসতিতে অতর্কিতে হা*মলা করে দুই জন আনসারকে শ*হী*দ করেন। এরপর বাহিনীটি তাদের কয়েকটি দামি খেজুর গাছ কেটে পু*ড়িয়ে দেওয়ার পর পালিয়ে যায়।
হানাদারদের খবর পেয়ে নবি ﷺ ও তাঁর সেনারা তাদের পিছুধাওয়া করেন। 'কারকারাতুল কাদর' নামক স্থান পর্যন্ত ধাওয়া করা হলেও শত্রুরা হাতছাড়া হয়ে যায়। তবে ঊর্ধ্বশ্বাসে পালাতে গিয়ে আবু সুফইয়ানের বাহিনী তাদের সব মূল্যবান রসদ ফেলে যেতে বাধ্য হয়। বিশেষত ভুট্টা দিয়ে তৈরি একধরনের ছাতু। খাবারটির আরবি নাম 'সাওয়ীক'। এই কারণেই অভিযানটিকে 'সাওয়ীকের যুদ্ধ' বলে অভিহিত করা হয়। এটাকে কারকারাতুল কাদরের যুদ্ধও বলা হয়।

কা'ব ইবনু আশরাফের হ*ত্যা:

মুসলিমদের পথে পরবর্তী কাঁটার নাম কা'ব ইবনু আশরাফ। প্রচুর সম্পদশালী ধনী এক ইয়া*হুদি কবি। মুসলিম ও তাদের নবিﷺ -এর প্রতি তার অপরিসীম বিদ্বেষ। নিজের কাব্যপ্রতিভা ব্যবহার করে সে নবি, সাহাবা এবং মুসলিম নারীদের সম্ভ্রম নিয়ে মারাত্মক কটূক্তি করত। সেই সাথে ইসলামের শত্রুদের উৎসাহিত করতে থাকত মুসলিমদের সাথে লড়াই করার জন্য। বদরের যু*দ্ধের পরপরই মক্কায় এক ঝটিকা সফর করে সে এ ব্যাপারে আরও উস্কানি দিয়ে আসে। প্রতিশোধ-নেশায় পাগল কুরাইশ তখন একেই তো নাচুনি বুড়ি, তার ওপর কা'বের বাকপটুতা দিয়ে আসে ঢোলের বাড়ি।
আরবে কবি এবং কবিতার কদর এমনিতেই বেশ উঁচু। কা'বের বাগ্মিতা যেন জাদুর মতো কাজ করে কুরাইশদের ওপর। প্রতিশোধের আহ্বানের পাশাপাশি সে কুরাইশদের এ বলেও সান্ত্বনা দেয় যে, ধর্মীয় দিক দিয়ে তারাই সঠিকতর। বানু কাইনুকা'র ঘটনা থেকে শিক্ষাও নিতে বলে তাদের। কা'বের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার শপথ নেয় কুরাইশ মু*শ*রিকরা।
কাজ শেষে মদীনায় ফিরে এসে মুসলিম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কণ্ঠযু*দ্ধ জারি রাখে কা'ব ইবনু আশরাফ। তার ফিরে আসার খবর পেয়ে নবি ﷺ সাহাবিদের বলেন, "আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অপমান করছে কা'ব। কে আছ, যে আমাকে তার থেকে মুক্তি দেবে?”
এই আহ্বানে সাড়া দেন মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা, আব্বাদ ইবনু বিশর, আবু নাইলাহ, হারিস ইবনু আওস এবং আবূ আবস ইবনু জাবর (রদিয়াল্লাহু আনহুম)। মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাকে দলপতি করে অভিযানের পরিকল্পনা ঠিক করা হয়। তবে এ অভিযানে যেহেতু ছলনার আশ্রয় নিতে হবে, তাই আগেই তিনি নবিজি ﷺ এর নিকট অনুমতি নিয়ে নেন।
আল্লাহর রাসূল ﷺ এর অনুমোদন পেয়ে কা'বের কাছে যান মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা তাকে ডাকিয়ে এনে এ কথা সে কথার ফাঁকে বলেন, "এই লোকটা [নবি ﷺ] আমাদের কাছে যাকাত-সদাকা চায়। সত্যি কথা বলতে কী, সে আমাদের বিরাট বিপদে ফেলে দিচ্ছে!"
ফাঁদে পা দেয় কা'ব। খুশিতে আত্মহারা হয়ে বলে, "আল্লাহর কসম! ভবিষ্যতে ওকে নিয়ে তোমরা আরও অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে।" এভাবে কা'বের বিশ্বাস জয় করে নেওয়ার পর মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা (রদিয়াল্লাহু আনহু) কিছু গম আর খেজুর কর্জ চান। বন্ধক হিসেবে নিজের অস্ত্রগুলো জমা রাখার কথা বলেন। কা'ব অনুরোধটি গ্রহণ করেন।
এরপর আবু নাইলাহ (রদিয়াল্লাহু আনহু) এসে একইভাবে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন যে, আরও বেশ কিছু লোক নবিজি ﷺ এর ব্যাপারে একই মনোভাব পোষণ করে। তাদেরও কা' বের কাছে নিয়ে আসার কথা বলেন তিনি। কারণ, সবারই এখন সাহায্যের প্রয়োজন। কা'বের খুশি আর দেখে কে! এতগুলো মুসলিমকে হুঁশ ফিরে পেতে দেখে সে নিজেই বেহুঁশ হওয়ার দশা।
সেদিন ৩য় হিজরি সনের রবীউল আউয়াল মাসের ১৪ তারিখ। পূর্ণিমার রাতে দুর্গে নিজের কামরায় নববধূর আলিঙ্গন উপভোগ করছে কা'ব। পাঁচ জন সশ*স্ত্র মুসলিম এসে ডাক দেয় কা'বকে। তার স্ত্রী বলে, 'এই সময় কোথায় যাচ্ছেন?' আমি যে আওয়াজ শুনলাম তা থেকে র*ক্ত প্রবাহের ইঙ্গিত পাচ্ছি!' স্ত্রীর সাবধানবাণীকে পাত্তা না দিয়ে সরল বিশ্বাসে কা'ব বেরিয়ে আসে দুর্গ থেকে। মুসলিমদের হাতে অ*স্ত্র দেখেও সে কিচ্ছুটি সন্দেহ করেনি। এগুলো তো বন্ধক রাখার জন্য আনা হয়েছে, তাকে হ*ত্যা করতে নয়!
হাঁটতে হাঁটতে আর কথা বলতে বলতে একটু দূরে চলে আসে সবাই। আবূ নাইলাহ (রদিয়াল্লাহু আনহু) কা'বের মাথায় দেওয়া সুগন্ধির প্রশংসা করেন। একটু কাছ থেকে শুঁকে দেখার অনুমতি চান তিনি। গদগদ হয়ে কা'ব রাজিও হয়ে যায়। এভাবে আবু নাইলাহ (রদিয়াল্লাহু আনহু) বারকয়েক নিজেও শোঁকেন, সঙ্গীদেরও শুঁকে দেখতে বলেন। একসময় কা'বকে একদম বাগে নিয়ে আসার পর আবূ নাইলাহ সঙ্গীদের আহ্বান করেন, “এবার ধরো আল্লাহর শত্রুটাকে!"

Ikhlas-ইখলাস

04 Jan, 15:32


ট্রু!!!

Ikhlas-ইখলাস

04 Jan, 14:29


যারা সবদিক দিয়েই বিয়ের উপযুক্ত হয়ে আছেন, এরপরও বিয়ে করতে পারছেন না, তারা নিচের আমলগুলো বেশি বেশি করতে পারেন:

১. সূরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াত
২. সূরা কাসাসের ২৪ নং আয়াত
৩. প্রতিদিন ১১ বার সূরা দুহা পড়তে পারেন।
৪. সূরা ইয়াসিন ও আল্লাহ তাআলার পবিত্র ৯৯ নামও খুব কার্যকরী।

এ ছাড়াও নিয়মিত দুআ বেশি কার্যকর হবে ইনশাআল্লাহ।

Ikhlas-ইখলাস

04 Jan, 12:32


আপনি কি গুরাবাহ?

গুরাবাহরা কখনো পর্দা করা, পর্দা ছাড়া, নিকাবী হিজাবী শ্যাডো, হাইড, হাফ ফেসইড, পা, হাত মোজার ছবি দেয় না। গুরাবাহ রা কখনো হাত মোজার উপরে জাঁকজমকপূর্ণ ঘড়ি লাগিয়ে আপলোড দেয় না।

গুরাবাহ রা কখনো পা দিয়ে হাঁটার ভিডিও দেয় না। গুরাবাহ রা কখনো এংগেলে এভাবে সেভাবে নিজের ছায়াও প্রদর্শন করে না। গুরাবাহ রা কখনো অনলাইন, অফলাইনে ছেলে বন্ধু রাখেনা, অশ্লীল আলাপে জড়ায় না। নিজেকে নেকড়ের সামনে ভেড়ি সাজিয়ে স্রোতে গা ভাসায় না।

~ সংগৃহীত

Ikhlas-ইখলাস

04 Jan, 10:14


নির্বাচনী গণতন্ত্রের মাধ্যমে শরীয়াহ কায়েমের স্বপ্ন দেখানো মুসলিমদের সাথে প্রতারণা।

Iklas-ইখলাস

03 Dec, 08:14


“যারা বলেন আল্লাহর ফরজ বিধান পর্দা করলে নারীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেশ এবং জাতির উন্নয়নে কাজ করতে পারবে না তাদের জন্য এই উদাহরণটিই যথেষ্ট।”

তো উদাহরণে দেখলাম, তিনি একাধিক ভার্সিটির সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষিকা। প্রত্যেকটা ভার্সিটিই সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নারীদের এসব সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করা নাজায়েজ।
উদাহরণ আনবেন ভাল কথা, এমন উদাহরণ কেন আনলেন যেটায় নিজেরাই আটকে যাবেন?

এই যে নারী শিক্ষকরা শিক্ষকতা করার জন্য ছাত্র, পুরুষ কলিগ, পুরুষ ডিপার্টমেন্ট হেড ইত্যাদি মানুষের সাথে মিশতে হয় সেক্ষেত্রে পর্দার বিধান কোথায় যায়?

সহশিক্ষা হারাম সম্পর্কিত যেকোনো লেখা দিলেই একদল নারী ডাক্তার কই পাবেন মুখস্থ ডায়ালগটা দিয়ে যান। তো এই যে আপনাদের ফরজ পর্দা করা মানুষের উদাহরণ দিলেন উনি তো নারী ডাক্তার না। এখন পারলে বলেন ডাটা সাইন্স, কম্পিউটার সাইন্স এগুলোর জন্যও পর্যাপ্ত নারী দরকার উম্মাহর খেদমতের জন্য! পর্দা মানেই যদি একটুকরো কাপড় মনে করেন তাহলে আপনার নিজেরই “ফরজ” পরিমাণ ইলমটুকুও নেই।

এখানে ব্যক্তি আলোচ্য বিষয় নয় তবুও ব্যক্তির উদাহরণ হিসেবে একটা হারামকে নরমালাইজ করা হলে তখন ব্যক্তি আলোচনায় উঠে আসবেই। এত কঠোরভাবে কেন লিখছি? কারণ এসব লেবাসধারীদেরকে সামনে রেখে যারা উদাহরণ দেয় তাদের জন্য সেসব বোন সহশিক্ষা ছাড়তে পারে না যারা পর্দার বিধান মেনে সহশিক্ষা ছাড়তে চায়।

পরিবার, আত্মীয়স্বজন, সমাজ তখন একজন লেবাসি মানুষকে সামনে রেখে উদাহরণ দিয়ে বলে, “পর্দা কি তুমি একাই বোঝো? ওরা বোঝে না? দেখো না হাতমোজা, পা মোজা পরে খাস পর্দা করেও কী সুন্দর শিক্ষকতা করে?” বেপর্দা একজন নারীর থেকেও পর্দানশিন নারী প্রকাশ্যে হারামে থেকে এভাবেই ক্ষতিসাধন করে যেটা খালিচোখে বোঝা যায় না।

এত আলোচনা পাশে রেখে একটা কথাই ভাবেন। যেসব মেয়ে পর্দা করে ছবি আপলোড দেয় তাদেরকে কেমন দৃষ্টিতে দেখেন? যদি এটা নিয়ে আপত্তি থাকে তবে সেই মহিলার ছবিটা যে প্রচার হচ্ছে? এই প্রচারণা যারা চালাচ্ছেন তারা আশা করি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বাদ দিবেন।

ফিতনার ব্যাপারে কঠোরতা না থাকলে হালাল-হারামের সীমারেখা একটাসময় অস্পষ্ট হয়ে যায় যেমনটা এই কেসে দেখতে পাচ্ছেন। পর্দার বিধান শুধু কাপড়ের সাথে সম্পর্কিত না, এই বিধান আরো ব্যাপক। ফরজ পর্দা মেনে এসব ভার্সিটিতে শিক্ষকতা করা দূরে থাকুক, এই পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছানোই সম্ভব না।

শিক্ষক হওয়ার জন্য কি মুখ ঢেকে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে ছবি জমা দিয়েছে? এই বেপর্দা ছবি জমা দিতে কি উনি বাধ্য ছিলেন? যদি না হন তবে “ফরজ পর্দা” করে এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণ হিসেবে এটা কেমন?

~মেরাজ হোসেন

Iklas-ইখলাস

03 Dec, 05:11


আজকাল দেখি কাউকে বিশ্বাসই করা যাবে না।ইসলামিক গ্রুপ দেখে এড হয় আর পরে দেখি সবাই নারী স্বাধীনতা নিয়ে অনেক চিন্তিত।হ্যাঁ ভাই,পর্দা করে সব করা যায়।পর্দা করে পাইলট হওয়া যায়,পর্দা করে আইনজীবী হওয়া যায়, সব করা যায়।

পর্দা করে সব করা যায় না এটা আমরা মেয়েরা বুঝতেছি আর আপনারা ছেলেরা আছেন পর্দা করে সব করা যায় এই উক্তি নিয়ে।
পর্দা করে সব করা গেলেও পর্দা করা যায় না।আর বোরকা আর পর্দার মধ্যে পার্থক্য করতে না পারলে কিছু বলার নাই।
যেখানে আইডল বানাতে হবে খাদিজা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা,ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা উনাদের।সেখানে কোন নারী বোরকা পরে চাকরি করেন উনাকে কেন আইডল বানাতে যাব?
আল্লাহ তাআলা যে নারীদের সর্বশ্রেষ্ঠ করেছেন উনারা কেউ কি পর্দা করে চাকরি করেছিলেন?নাকি উত্তম মা,উত্তম স্ত্রী ছিলেন বলে উনাদের সর্বশ্রেষ্ঠ করা হয়েছিল?

~আয়েশা বিনতে ইসমাঈল

Iklas-ইখলাস

03 Dec, 01:46


#প্রিয়_দুআ
__
.
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বয়ং এই দু'আ পড়ে মহান আল্লাহ তা'আলার কাছে প্রার্থনা করতেন। দু'আটির অর্থ, মূল ভাব, কাংখিত আবেদন খেয়াল করুন।
.
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ وَأَنْ تَغْفِرَ لِي وَتَرْحَمَنِي وَإِذَا أَرَدْتَ فِتْنَةَ قَوْمٍ فَتَوَفَّنِي غَيْرَ مَفْتُونٍ
.
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ وَحُبَّ عَمَلٍ يُقَرِّبُ إِلَى حُبِّكَ
.
.
বাংলা উচ্চারণঃ (আরবীর মতো পরিপূর্ণ নয়)

আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ফি'লাল খাইরাত ওয়া তারকাল মুনকারাত, ওয়া হুব্বাল মাসাকিন, ওয়া আন তাগফিরালী ওয়াতারহামানী ওয়া ইযা আরাদতা ফিতনাতা ক্বাওমীন ফাতাওয়াফ্ফানী গাইরা মাফতুন।
.
আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা হুব্বাক। ওয়া হুব্বা মান ইয়ু হিব্বুক। ওয়া হুব্বা আমালীন ইয়ুক্বাররিবু ইলা হুব্বিক।
.
বাংলা অর্থঃ (ভাবার্থ)

"হে মহান আল্লাহ তা'আলা, আমাকে সৎ কাজ করা, অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকা ও দরিদ্রদের ভালোবাসার তাওফীক দান করুন। আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। আমার উপর দয়া করুন। আর আপনি যখন কোন জাতিকে কোন ফিতনাহতে (পরীক্ষা) ফেলার ইচ্ছা করেন, তখন আমাকে ফিতনাহ-মুক্ত মৃত্যু দান করুন।
.
হে মহান আল্লাহ তাআলা,
আমি আপনার ভালোবাসা প্রার্থনা করি। যাঁরা আপনাকে ভালোবাসে, তাঁদের ভালোবাসাও প্রার্থনা করি। এবং এমন আমলের ভালোবাসা প্রার্থনা করি, যেই আমল আমাকে আপনার ভালোবাসার কাছে পৌঁছে দেবে।"
.
[জামে' তিরমিযীঃ অধ্যায় ৪৭ (কিতাবুত তাফসীর), হাদীস ৩৫৪৩]

Iklas-ইখলাস

02 Dec, 17:30


হয় শরীয়াহ নয় শাহাদাত।

ফুলস্টপ.

Iklas-ইখলাস

02 Dec, 16:37


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্বঃ ৩৮

পূর্ণ বয়কট:
মুশরিকরা আবু তালিবের সাথে কূটনীতিতে হারতে নারাজ। খাইফু বানী কিনানায় সভা বসল পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে। একসময় সামাজিক বয়কটের প্রস্তাবনা উঠল। এখন থেকে বানু হাশিম ও বানুল মুত্তালিবকে সমাজচ্যুত হিসেবে বিবেচনা করা হবে। যতদিন না তারা মুহাম্মাদ(ﷺ) -কে হত্যার জন্য মুশরিকদের হাতে তুলে দিচ্ছে, ততদিন অন্য গোত্ররা এদের সাথে মেয়েদের বিয়ে দেবে না এবং তাদের মেয়েদেরও বিয়ে করবে না, তাদের সাথে ব্যবসায়িক লেনদেনে যাবে না, সঙ্গ দেবে না, তাদের সাথে কথাও বলবে না, এমনকি তাদের শান্তিচুক্তিও গ্রহণ করবে না।

সবাই একমত হওয়ার পর বাগীদ ইবনু আমির ইবনি হাশিম এই সিদ্ধান্তগুলো চামড়ার একটি টুকরোর ওপর লিখে দেয়। তারপর তা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় কা'বার দেয়ালে। এ কাজ করার জন্য নবি(ﷺ) তার জন্য বদদুআ করেন। ফলে বাগীদের পুরা হাত, কিংবা কয়েকটি আঙুল বিকল হয়ে যায়। *[ ইবনুল কাইয়িম, যাদুল মাআদ, ২/৪৬; বুখারি, ১০৯০।]

বয়কট করার এই সিদ্ধান্তের ফল হয় মারাত্মক। মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে বানু হাশিম ও বানুল মুত্তালিবের সকল সদস্যকে মক্কা ত্যাগ করে শিআবু আবী তালিব নামক উপত্যকায় থাকতে বাধ্য করা হয়। এই বয়কটের আওতার বাইরে থাকা একমাত্র সদস্য আবু লাহাব। তাদের কাছে খাবার বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানায় মক্কাবাসীরা। ফলে তারা বাধ্য হন গাছের পাতা ও শেকড় খেতে। অবস্থা এতই শোচনীয় হয়ে দাঁড়ায় যে, ক্ষুধার্ত নারী-শিশুর কান্না প্রতিধ্বনিত হতে থাকে উপত্যকাজুড়ে। গুটিকয়েক সমব্যথীদের পক্ষেও সম্ভব হচ্ছিল না শান্তির ভয় উপেক্ষা করে খাবার পৌঁছে দিতে। তবে হাকিম ইবনু হিযাম কোনোরকমে তার খালা খাদীজা (রদিয়াল্লাহু আনহা)-এর কাছে কিছু গম পাঠাতে সক্ষম হন।
এত অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যেও রাসূল অমুসলিমদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানো থামাননি। বিশেষ করে হাজ্জ মৌসুমে তাঁর তৎপরতা বেড়ে যেত। আরবের নানা প্রান্ত থেকে আসা গোত্রগুলোর সাথে দেখা করতে যেতেন তিনি এ সময়টিতে।

চুক্তিপত্রের বিনাশ ও বয়কটের সমাপ্তি:

তিন বছরের অনাহার ও কষ্টের পর বানু হাশিম ও বানুল মুত্তালিব হতাশার চরম সীমায় পৌঁছে যায়। এর মধ্যে আল্লাহ তাআলা কুরাইশদের অন্তর নরম করে চলেছিলেন পাঁচ জন সম্ভ্রান্ত আশরাফ ব্যক্তির মাধ্যমে। এরাই শুধু শরণার্থীদের নিয়ে কিছুটা ভাবতেন। প্রথমজন হলেন হিশাম ইবনু আমর ইবনিল হারিস, কুরাইশদের মাঝে অতি-সম্মানিত এক ব্যক্তি। নির্বাসিতদের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে চিন্তা করে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত হন।

অবশেষে হিশাম ইবনু আমর এই অবিচারের বিরুদ্ধে তৎপর হলেন। একে একে দেখা করলেন বাকি চার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির সাথে।

প্রথমেই গিয়ে ধরলেন যুহাইর ইবনু আবী উমাইয়া মাখযূমিকে। ইনি নবিজি(ﷺ) -এর জ্ঞাতিভাই। তারপর যথাক্রমে মুত'ইম ইবনু আদি, আবুল বুখতারি ইবনু হিশাম এবং যামআ ইবনু আসওয়াদের সাথে পরামর্শ করলেন। আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এই অন্যায় তারা চলতে দিতে চান কি না। সকলেই একমত হলেন যে, কা'বায় ঝুলতে থাকা ওই শর্তনামাটি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলা উচিত।

পরদিন সকাল। কা'বা প্রাঙ্গণে তারা অপেক্ষা করতে লাগলেন। প্রতিদিনের ন্যায় কুরাইশদের জড়ো হওয়ার জন্য। এরপর সবাই এসে জড়ো হলে, তওয়াফ শেষ করে যুহাইর দাঁড়িয়ে বললেন, "মক্কার জনগণ, শুনুন! এদিকে আমরা পেটপুরে খাচ্ছি, পান করছি। আর ওদিকে বানু হাশিম অনাহারে মরছে। আল্লাহর কসম! এই নিষ্ঠুর আর অন্যায় চুক্তিনামা ছিঁড়ে কুচিকুচি না করা পর্যন্ত আমি ক্ষান্ত হব না।"

আবূ জাহল খ্যাঁকিয়ে উঠল, "কী যা-তা বলছেন? আল্লাহর কসম! কেউ ছিঁড়তে পারবে না ওটা।"

যামআ প্রতিবাদ করে বললেন, "আল্লাহর কসম! যা-তা কথা তো আপনি বলছেন। এটা লেখার সময়ও আমাদের কোনও সম্মতি নেওয়া হয়নি।"

আবুল বুখতারি তার কথাকে সমর্থন করে বলে উঠলেন, "যামআ সঠিক কথা বলেছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের সাথে কোনোকালেই একমত ছিলাম না।"

এবার মুত 'ইম ইবনু আদিও বললেন, "আমারও একই কথা। এই শর্তনামার বিরোধিতা করলে কী এমন পাপ হয়ে যাবে? বরং এই দলীল এবং তাতে যা লেখা আছে, তা থেকে আমরা দায়মুক্ত। আল্লাহ যেন এটার জন্য আমাদের না ধরেন।" এ কথা শুনে হিশামও সায় জানালেন।

এই অকস্মাৎ বিদ্রোহ দেখে আবু জাহলের মনে সন্দেহ ঢুকে গেল। সে বলল, "মনে হচ্ছে যেন জিনিসটা আগে থেকে পরিকল্পিত। আপনারা অন্য কোথাও এই ব্যাপারে আগেই পরামর্শ করে এসেছেন।"

সুবর্ণ সুযোগটি লুফে নিলেন আবূ তালিব। তিনি নবি(ﷺ) -এর নিকট থেকে একটি কৌতূহলোদ্দীপক ওহির কথা জেনেছেন একটু আগেই। সেটা বলার জন্যই এসেছিলেন কা'বার প্রাঙ্গণে। উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, "মুহাম্মাদ(ﷺ) আমাকে বলেছে যে, সে ওই চুক্তিনামাটির ব্যাপারে একটি ওহি পেয়েছে- পুরো পাতাটি উইপোকায় খেয়ে ফেলেছে। শুধু অবশিষ্ট আছে 'বিসমিকাল্লাহুম্মা (আপনার নামে, হে আল্লাহ)' লেখা অংশটা। যাও, গিয়ে দেখো। ওর কথা যদি ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে আমি আর তোমাদের ও তার মাঝে বাধা হয়ে থাকব না। কিন্তু যদি দেখা যায় ওর কথা ঠিক, তাহলে কিন্তু এক্ষুনি এই বয়কট তুলে নিতে হবে!" কুরাইশরা আবু তালিবের চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ

Iklas-ইখলাস

02 Dec, 16:37


করল। মুত'ইম ইবনু আদি উঠে গিয়ে শর্তনামাটি নিয়ে আসতেই দেখা গেল মুহাম্মাদ(ﷺ) -এর দাবি অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে।

কুরাইশদের আরও একটি নিদর্শন দেখিয়ে দিলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা। তবুও তারা তাদের ভ্রান্তবিশ্বাসের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে ইসলামের উজ্জ্বল আলোতে আসতে নারাজ। শুধু বয়কট তুলে দেওয়ার ব্যাপারেই সম্মত হলো তারা। পর্বতগিরি থেকে বেরিয়ে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিলেন রাসূলুল্লাহ(ﷺ) ও তাঁর অনুসারীরা। ফিরে এলেন মক্কায়।

অধ্যায়: পূর্ণ বয়কট, চুক্তিবিনাশ ও বয়কট সমাপ্তি।
বই: রাসূলে আরাবি, পৃষ্ঠা: ১১৪-১১৬।

Iklas-ইখলাস

02 Dec, 16:02


১৮ সদস্যের ইখতিয়ারউদ্দিন এর ভয়ে
লক্ষ্মণ সেন পালিয়ে গিয়েছিল।
এবার কোটি ইখতিয়ারউদ্দিন এর সামনে
লক্ষ্মণ সেনের উত্তরসূরীরাও পালিয়ে যাবে,
ইং শা আল্লাহ।

~শায়েখ মোখতার আহমেদ হাফি.

Iklas-ইখলাস

02 Dec, 13:20


কোনো একটা দেশের দূতাবাসে হা-মলা করার অর্থ সেই দেশের সাথে সরাসরি যু*-দ্ধ ঘোষণা করা। যেটা ডারতের পাজিতরা আজকে আগরতলায় করেছে।

এটা মোটামুটি অফিশিয়ালভাবেই যু*,দ্ধ ঘোষণার নামান্তর।

- ibtihaz tahsin

Iklas-ইখলাস

02 Dec, 12:52


কনসার্টে একত্রে ঢলাঢলি করা নারী-পুরুষ উভয়েই দুশ্চরিত্র। বিয়ের ক্ষেত্রে এসব মানুষদের এড়িয়ে চলুন।বেহায়া নারী দিয়ে সংসার হয় না, বেগাইরত পুরুষ নিয়ে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায় না

Iklas-ইখলাস

02 Dec, 10:23


হাফিজাহুল্লাহ 🔥

Iklas-ইখলাস

02 Dec, 07:45


এক দ্বীনি ভাইয়ের সাথে তার বাসায় গেলাম একটা কাজে।

কারেন্ট নেই অনেক অন্ধকার, কিন্তু অন্য একটা কামরা থেকে মৃদু আলো, দরজার নিচ দিয়ে এক মেয়েলী কন্ঠে কোরআন তেলাওয়াত ভেসে আসছে।
বুঝতে বাকি রইলো না ইহা ভাইয়ের সহধর্মিনী।

অবাক হলাম এখানে, ভাইয়ের ১৬ মাস ও ৩ মাস বয়স চলতি দুইটা সন্তান আছে।

শুনলাম যত ঝড় বৃষ্টি আসুক না কেন সন্তানদেরকে কাছে নিয়ে তার নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত কখনো বাদ যায়না।

~ ইব্রাহিম খলিল

Iklas-ইখলাস

02 Dec, 03:23


যখন হিজাব করতাম না, গলায় কিংবা একপাশে ওড়না নেওয়া খুব স্বাভাবিক মনে হতো। কতো মেয়েরা তো ওড়নাই নেয় না! আর অতো বেশি ওড়না নিলে নতুন কেনা সুন্দর জামাটার কারুকার্য দেখা যাবে কিভাবে?

এরপর আল্লাহ তা'আলা বোধ দিলেন। নারীদেহের একেকটা অঙ্গ পুরুষের সামনে বের হওয়াটা কত লজ্জার, সেই জ্ঞান দিলেন। আলহামদুলিল্লাহ্! বুঝলাম, বুঝ থাকা আর না থাকায় কত তফাৎ! এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও যখন বেপর্দা মেয়েদের লাফঝাঁপ দেখি, আমার লজ্জা লাগে।

লজ্জাও একটা নিয়ামত। লজ্জা একবার হারালে, সব করা যায়। তখন সব খারাপ জিনিস সৌন্দর্য আর শিল্পের নামে স্বাভাবিক মনে হয়।

| সংগৃহীত |

Iklas-ইখলাস

02 Dec, 02:20


নগ্ন ছবি দেখবা যত
আল্লাহর কসম, রিজকের দুয়ারে তালা লাগবে তত।

--- মুফতি মুশতাকুন্নবি হাফিযাহুল্লাহ

Iklas-ইখলাস

01 Dec, 16:22


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্ব : ৩৭
শাস্তির জন্য তাড়াহুড়া:

মানুষ ক্রমাগত সত্য অস্বীকার করতে থাকলে আল্লাহর পক্ষ থেকে চরম শাস্তি আসবে। এ ব্যাপারে সতর্ক করাও নবিজি(ﷺ) -এর একটি দায়িত্ব। এ সতর্কবাণী শুনেও কুরাইশরা অপেক্ষা করতে থাকে পানি কোন দিকে গড়ায়। কিছুই হচ্ছে না দেখে বাড়তে থাকে তাদের অহংকার। নবি(ﷺ) -কে চ্যালেঞ্জ করে বলে, পারলে শাস্তি এখনই নিয়ে আসুন। আল্লাহ এর জবাব দেন,

"ওরা বলছে তাড়াতাড়ি শাস্তি নিয়ে আসতে! অথচ আল্লাহ তাঁর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন না। নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালকের এক দিন তোমাদের গণনার হাজার বছরের সমতুল্য। " *[সূরা হাজ্জ, ২২:৪৭]

"তারা আপনাকে দ্রুত আযাব নিয়ে আসতে বলে। ঠিকই একদিন কাফিরদের ঘিরে ধরবে জাহান্নাম। " *[সূরা আনকাবূত, ২৯:৫৪]

"ষড়যন্ত্রকারীরা কি এই ভয় করে না যে, আল্লাহ তাদের ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন? অথবা তাদের কাছে এমন জায়গা থেকে আযাব আসবে, যা তাদের ধারণাতীত। কিংবা চলাফেরার মধ্যেই তাদের পাকড়াও করবে, তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না। কিংবা ভীতি প্রদর্শনের পর তাদের পাকড়াও করবেন? আসলে তোমাদের প্রতিপালক বড়ই মেহেরবান ও দয়ালু। *[সূরা নাহল, ১৬ : ৪৫-৪৭]

এবারও মক্কাবাসীরা সত্যকে পাশ কাটানোর একটা অজুহাত খুঁজে নিল। বলল, মুহাম্মাদ(ﷺ) সত্যিই নবি হয়ে থাকলে যেন অলৌকিক ঘটনা ঘটিয়ে দেখান। এভাবে কখনও সমঝোতা, কখনও অবাস্তব দাবি নিয়ে তারা আগ-পিছ করতে থাকে। অনেকেরই মনে হতে থাকে যে, তরবারি ছাড়া আর কোনও সমাধান বাকি নেই। আরেকদল আবার রক্তপাত-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় সেটা নাকচ করে দেয়।

আবূ তালিবকে তারা আগেও অনুরোধ করেছিল, যেন মুহাম্মাদ(ﷺ) -কে হত্যা করতে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাহ্যত তাদের হুমকির প্রতি ভীতি প্রকাশ না করলেও কুরাইশদের গোপন ষড়যন্ত্র নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় থাকতেন বটে। আর এর কারণও আছে। তাই আবূ তালিব দ্রুত পদক্ষেপ নিলেন। কা'বা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে বললেন বানু হাশিম ও বানুল মুত্তালিবের লোকজনকে। সবার থেকে দৃঢ় শপথ নিলেন, যেন তারা যেকোনও মূল্যে স্বগোত্রীয় ভাই মুহাম্মাদ(ﷺ) -এর প্রতিরক্ষা করেন। নবিজির চাচা, ইসলামের স্বঘোষিত শত্রু আবূ লাহাব শুধু শপথ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। কুরাইশদের প্রতি সে তার সমর্থন অটুট রাখার ঘোষণা দেয়। *[ইবনু হিশাম, আস-সীরাহ, ১/২৬৯।]

অধ্যায়: শাস্তির জন্য তাড়াহুড়া।
বই: রাসূলে আরাবি, পৃষ্ঠা: ১১২-১১৩।

Iklas-ইখলাস

01 Dec, 15:15


আল্লাহুম্মাগফিরলী!!

Iklas-ইখলাস

01 Dec, 11:06


আলহামদুলিল্লাহ, সোন্দাহ বাইতুল হাম জামে মাসজিদ কুমারখালীর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

এবং ওই কমিটির প্রত্যেককে সবার সামনে ইমাম সাহেবের কাছে মাফ চাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

- সাধারণ আলেম সমাজ

Iklas-ইখলাস

01 Dec, 08:14


আদ্দাইয়ান ইবন কুত্বন আল-হারেসী তার মেয়েকে উপদেশ দেন,
.
“মেয়ে আমার!
তোমার গলার আওয়াজ যেন তোমার স্বামীর আওয়াজের চাইতে উঁচু না হয়।
তোমার আদেশ যেন তার আদেশের উপরে না থাকে।
জেনে রাখো— সম্মানিতা নারী তারাই, যারা (স্বামীর কাছে) পরাজিত, বিজয়ীরা নয়।
সে যদি তোমকে অল্প কিছু দেয়, সেটাকে তুমি বেশি মনে করো, তুচ্ছজ্ঞান করো না।
সে যদি তোমার জন্য বেশি বেশি করে, তাহলে কৃতজ্ঞতা পোষণ করো, বড়াই করো না।
তার কোনো স্বভাব তোমার কাছে খারাপ মনে হলে তার প্রতি সদয় হবে।
জেনে রাখো— অভাবগ্রস্ত হলেও যে মানুষটা দানশীল, সে দশজন কৃপণ ধনী থেকে উত্তম।
.
[ইবনুদ্দাজ্জাজীর ”সাফাত্বুল মুলাহ ওয়া-যাওহুত তারাহ”: ১/৫৭]

Iklas-ইখলাস

26 Nov, 06:31


একই ছাদের নিচে বাস করলে, একই ঘরে দিনাতিপাত করলে, একই বিছানায় একসাথে ঘুমালে, একসাথে জান্নাতে বসবাস করা যাবে - ব্যাপারটা এমন নয়। গন্তব্য আলাদাও হতে পারে। যেমনটি হয়নি নূহ (আ:) ও তার স্ত্রীর। যেমনটি হয়নি লুত্ব (আ:) ও তার স্ত্রীর। যেমনটি হয়নি ফিরাউন ও তার স্ত্রী আসিয়া (আ:) এর।

ব্যবধানটা বিশ্বাসের, তাক্বওয়ার, আমলের আর আনুগত্যের।

Iklas-ইখলাস

26 Nov, 03:37


কুরআন এমন দুটি মেয়েকে মঞ্চে উপস্থাপন করেছে, যারা কূপের দিকে পা বাড়াচ্ছে না কেবল এই কারণে যে,  সেখানে পুরুষদের আনাগোনা আছে।

Iklas-ইখলাস

26 Nov, 02:14


যে মেয়েটা অর্ধউলঙ্গ হয়ে ভিডিও ক্রিয়েট করছে আর যে মেয়েটা বোরকা, হিজাব ও নিকাব পরে টিকটক আর রিলস করছে, তাদের মধ্যে তাবাররুজের চর্চার ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য নেই। তারা উভয়েই মহান আল্লাহর অভিশপ্ত জায়েলিয়াতের তাবাররুজে লিপ্ত।

* তাবাররুজ মানে হলো অপাত্রে সৌন্দর্য প্রদর্শন।

Iklas-ইখলাস

25 Nov, 23:12


আমার লাগাম আমি দুঃশ্চিন্তার হাতে ছেড়ে দেব না,
আমার লাগাম আমি আল্লাহর হাতে ছেড়ে দেব।

- শাইখ আতিক উল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

Iklas-ইখলাস

25 Nov, 16:16


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্বঃ ৩৩

উমর (রা.)এর ইসলাম গ্রহণে মুশরিকদের প্রতিক্রিয়া:

গায়ে-গতরে আর মন-মেজাজে উমর ইবনুল খাত্তাব (রদিয়াল্লাহু আনহু)-এর সমকক্ষ কেউ নেই। মুসলিম হওয়ার পর তাঁর প্রথম পদক্ষেপ ছিল নবিজি ﷺ এর শত্রুদের কাছে নিজের পরিবর্তনের খবরটা পৌঁছে দেওয়া। সেই দুর্ভাগাদের মাঝে স্বাভাবিকভাবেই আবু জাহল নির্বাচিত হলো একদম প্রথম ব্যক্তি হিসেবে। আবূ জাহলের বাড়ির দরজায় করাঘাত করলেন উমর। দরজা খুলে হাসিমুখে অভিবাদন জানাল সে, "আহলান ওয়া সাহলান! কী উদ্দেশ্যে আগমন?" উমর (রদিয়াল্লাহু আনহু) জবাব দিলেন, "এলাম একটি সংবাদ দিতে-আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল মুহাম্মাদের ধর্ম মেনে নিয়েছি।"
আবূ জাহলের মাথায় যেন বাজ পড়ল। সাথে সাথে দরজা লাগিয়ে দিতে দিতে বলল, "আল্লাহ তোমার অমঙ্গল করুক এবং তুমি যা কিছু নিয়ে এসেছ তারও অমঙ্গল হোক। " এরপর উমর গেলেন তাঁর মামা আসি ইবনু হিশামের ওখানে। দুঃসংবাদখানা শুনেই সে ঘরে ঢুকে দরজা আটকে গা ঢাকা দিল। উমর (রদিয়াল্লাহু আনহু)-এর তৃতীয় নিশানা জামীল ইবনু মুআম্মার জুনাহি। এই লোকটি কোনও মজার খবর পেলে মুহূর্তে তা রাষ্ট্র করে দিতে ওস্তাদ। উমর (রাদিয়াল্লাহ আনহু)-এর কথা শোনামাত্র কাজে নেমে পড়ল জামীল। চিৎকার করে বলতে লাগল, "খাত্তাবের ছেলে বিধর্মী হয়ে গেছে। খাত্তাবের ছেলে বিধর্মী হয়ে গেছে।"
উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) সংশোধন করে বললেন, "এ মিথ্যে বলছে। আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি!" জামীলের চিৎকার শুনে হুড়মুড় করে বেরিয়ে এল মানুষজন। কেউ কেউ এসে উমর (রদিয়াল্লাহু আনহু)-কে মারতে লাগল। উমরও কম যান না। তিনিও তাদের পাল্টা মার দিতে আরম্ভ করলেন। এভাবে দুপুর পর্যন্ত মারামারি চলল। অবশেষে উমর (বদিয়াল্লাহু আনহু) ক্লান্ত হয়ে বসে পড়লেন। হতবিহ্বল মুশরিকরা বলাবলি করতে লাগল কী করা যায়। সিদ্ধান্ত নিল উমরের বাসায় গিয়ে আজ মেরেই ফেলবে তাঁকে। সে উদ্দেশ্যেই দল বেঁধে রওনাও দিল সবাই।

ওদিকে আস ইবনু ওয়াইল সাহমির সাথে কথা বলছেন উমর (রদিয়াল্লাহু আনহু)। এই আসের বংশ বানু সাহমের সাথে উমর (রদিয়াল্লাহু আনহু)-এর বংশ বানু আদিব সম্পর্ক বেশ ভালো। "আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি এই কারণে তোমার সম্প্রদায় আমাকে মেরে ফেলতে চায়", আসকে বললেন উমর।
"অসম্ভব!” এটুকু বলতেই আস দেখলেন উত্তেজিত জনতা এদিকেই ধেয়ে আসছে।
আস ইবনু ওয়াইল তাদের পথরোধ করে বললেন, "দাঁড়াও, কোথায় যাচ্ছো?"
উত্তেজিত জনতা জবাব দিল, "আপনি শোনেননি, খাত্তাবের ছেলে তো বিধর্মী হয়ে গিয়েছে।" আস ইবনু ওয়াইল বললেন “তার কাছে যাওয়ার কোনও রাস্তা নেই!" থতমত খেয়ে তাঁর দিকে তাকাল জনতা। সমীহ উদ্রেককারী গড়ন, আর পরনে ডোরাকাটা ইয়েমেনি পোশাক। কথাটার মাঝে সুপ্ত হুমকি বুঝতে পেরে সবাই নিজ নিজ বাড়ির পথ ধরল।
অধ্যায়: উমর (রা.)এর ইসলাম গ্রহণে মুশরিকদের প্রতিক্রিয়া।
বই: রাসূলে আরাবি, পৃষ্ঠা: ১০৩-১০৪

Iklas-ইখলাস

25 Nov, 15:38


আমাদের কত অভিযোগ, যে আমার কিছু দু'আ কবুল হয়না। কত দু'আ করি কিন্তু দু'আ কবুল হয়না। এই ভেবে অনেকটা হতাশায় থাকি।
.
কিন্তু বিষয়টা এমনো হতে পারে, যে আল্লাহ আমার এই দু'আ করাটা পছন্দ করেন তাই বারবার শুধু দু'আ শুনতে চান। কবুল হয়ে গেলে হয়তো দু'আ করবেন না। তাই দু'আ টা শোনার জন্য আল্লাহ একটু দেরি করেন।
.
ভেবে দেখেছেন আপনার দু'আ করাটা আল্লাহর কাছে কত পছন্দের? আর দু'আ কি বিফলে যাবে বলেন? দুনিয়াতে না হোক আখিরাতে বিনিময় পাবেনই ইনশাআল্লাহ।
.
সুতরাং, দু'আ করতেই থাকুন আপনার রব আপনার দু'আ এবং চোখের পানি খুব পছন্দ করেন।
.
ভেবেই চোখ রবের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমার রব আমার কন্ঠ পছন্দ করেন এর চেয়ে বড় কিছু কি হতে পারে? কোন দু'আ কখন আল্লাহ কবুল করবেন তিনিই ভালো জানেন। দু'আ কবুল না হোক দু'আ করতে তো পারছি! আর সেই দু'আ টা আমার রবের কাছে অনেক পছন্দের ও। দু'আর বিনিময় না হয় আখিরাতে চেয়ে নিবো ইনশাআল্লাহ।

#ইখলাস

Iklas-ইখলাস

25 Nov, 13:49


তুমি কি জানতে চাও, আল্লাহর কাছে তোমার সম্মান কতটকু? তাহলে দেখ, তিনি তোমাকে কোন অবস্থায় রেখেছেন...

- যদি দেখ তিনি তোমাকে তার যিকিরে মশগুল রেখেছেন, তাহলে জেনে রেখ, তিনি তোমাকে স্মরণ করতে চান।

- যদি দেখ তিনি তোমাকে কুরআন দ্বারা মশগুল রেখেছেন, তাহলে জেনে রেখ, তিনি তোমার সাথে কথা বলতে চান।

- যদি দেখ, তিনি তোমাকে ইবাদাত/আনুগত্যে ব্যস্ত রেখেছেন, তাহলে জেনে রেখ, তিনি তোমাকে তার সান্নিধ্যে টেনে নিয়েছেন।

- যদি দেখ, তিনি তোমাকে দুনিয়া দিয়ে ব্যস্ত করে দিয়েছেন, তাহলে জেনে নাও, তিনি তোমাকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন।

- যদি দেখ, তিনি তোমাকে লোকজনের সাথে মশগুল বানিয়ে দিয়েছেন, তাহলে জেনে নাও, তিনি তোমাকে অপমানিত করেছেন।

- যদি দেখ, তিনি তোমাকে দুআর দ্বারা ব্যস্ত রেখেছেন, তাহলে জেনে নাও, তিনি তোমাকে কিছু দিতে চান।

অতএব, সবসময় নিজের অবস্থা দেখ। তুমি কোন কাজে মশগুল? আল্লাহ তোমাকে যে কাজে ব্যস্ত রেখেছেন, সেটাই তোমার অবস্থান তাঁর কাছে...

- ড. রাতিব আন-নাবলুসি

Iklas-ইখলাস

25 Nov, 10:51


নবীজির ﷺ আমলে সেকুলার, লিবারাল, উৎকট নারীবাদী- এসব পরিভাষা ছিলো না, ছিল শুধু মুনাফিক। তারাই এখন নানা নামে পরিচিত!!!

Iklas-ইখলাস

25 Nov, 05:53


মাঝে মাঝে হেদায়েতপ্রাপ্তরা ঝড়ে যায় কেন?

Iklas-ইখলাস

25 Nov, 04:47


"তৌহিদী জনতা"র বিপরীত হচ্ছে "মু'শরিকি জনতা"।

Iklas-ইখলাস

25 Nov, 03:03


একজন নারী। বাহ্যিক শক্তিতে দুর্বল। কিন্তু আল্লাহর রজ্জু যে ধারণ করে, সে কখনো দুর্বল হয় না।

সারা (আঃ) অজু করলেন। নামাজ পড়ে রবের কাছে সাহায্য চাইলেন। দুআ করলেন:

'হে আল্লাহ, আপনি যদি জেনে থাকেন যে, আমি আপনার প্রতি ইমান এনেছি এবং আপনার রাসুলের প্রতিও... আমি আমার লজ্জাস্থানের হিফাজত করেছি... তবে আমার ওপর এ কাফিরকে চাপিয়ে দেবেন না... হে আল্লাহ, যেভাবেই হোক তার কাছ থেকে আমাকে বাঁচান।...'

কাফির বাদশাহ যখন সারার (আঃ) দিকে হাত বাড়ানোর ইচ্ছে করল, তখন সে নিজের জায়গাতেই জমে গেল। নড়াচড়া করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলল।

বই- ডাক দিয়ে যাই তোমায় হে মুসলিম তরুণী

Iklas-ইখলাস

25 Nov, 01:54


"হে অধিক পাপ করেও কম অনুশোচনাকারী, তোমার চোখ অশ্রুসিক্ত না হওয়ার জন্য কাঁদো। সালাফগণ মুত্তাকী হয়েও সর্বদা কাঁদতেন আর তুমি পাপী হয়েও হাসো!?"
.
--- ইমাম ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ)।
--- [কিতাব আল-খাওয়াতিম: ২৫৪]।

Iklas-ইখলাস

24 Nov, 16:29


বিচার তো হবেই, হয় আল্লাহর জমিনে, নয় হাশরের ময়দানে!

Iklas-ইখলাস

24 Nov, 16:10


নবিজি ﷺ -এর দুআ শেষ হতেই উমর (রদিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কোনও উপাস্য নেই। আর আপনি আল্লাহর রাসূল।"

উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম উঁচু স্বরে "আল্লাহু আকবার!" বলে উঠলেন। যার ধ্বনি কা'বা প্রাঙ্গণ থেকেও শোনা গিয়েছিল। *[ইবনু হিশাম, আস-সীরাহ, ১/৩৪৩-৩৪৬; ইবনুল জাওযি, তারীখু উমর ইবনিল খাত্তাব, ৭-১১।]

অধ্যায়: উমর রা. এর ইসলাম গ্রহণ।
বই: রাসূলে আরাবি, পৃষ্ঠা: ১০১-১০৩।

Iklas-ইখলাস

24 Nov, 16:10


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্বঃ ৩২

উমর ইবনুল খাত্তাবের ইসলাম গ্রহণ:

উমর ইবনুল খাত্তাব (রদিয়াল্লাহু আনহু)-এর মুসলিম হওয়ার ঘটনা ইসলমি ইতিহাসের সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক অধ্যায়গুলোর একটি। দীর্ঘদেহী ও বলবান এই মানুষটি পরিচিত ছিলেন কড়া মেজাজি ও কবিতাপ্রেমী হিসেবে। সেই সাথে ইসলামের সাথে ছিল তার মারাত্মক শত্রুতা। হামযা (রদিয়াল্লাহু আনহু)-এর মাত্র তিন দিন পরেই উমর ইসলাম গ্রহণ করেন।

কা'বায় নবিজি(ﷺ) -এর তিলাওয়াত করা কিছু আয়াত মাঝেমাঝে উমরের কানেও এসেছিল। মনেও একটু নাড়া পড়েছিল সে আয়াতগুলো শুনে। কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় তাঁর হৃদয় তখনো ইসলাম ও নবি-এর শত্রুতায় বদ্ধপরিকর। এমনকি একদিন এমন অবস্থা দাঁড়াল যে, তিনি তরবারি নিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত রাসূলুল্লাহ(ﷺ) -কে হ*ত্যা করার জন্য। সৌভাগ্যবশত, ওই তৎপরতাকে কাজে রূপ দিতে পারেননি তিনি।

মুষ্টিতে তলোয়ার আর অন্তরে বিদ্বেষ নিয়ে চলছেন উদ্দেশ্য পূরণ করতে। মাঝপথে নুআইম ইবনু আবদিল্লাহর সাথে দেখা। নুআইম বললেন, "কোথায় যাচ্ছেন?"

"মুহাম্মাদকে য*বাই করে ফেলব", উমরের জবাব।

"বানু হাশিম আর বানু যুহরা যদি প্রতিশোধ নিতে আসে?"

কথাটা যেন উমরের কাছে চ্যালেঞ্জের মতো লাগল। রাগত স্বরে বললেন, "আপনিও বিধর্মী হয়ে গেছেন নাকি?”

নুআইম পাল্টা বললেন "আমার কথা ছাড়ুন। আপনার বোন আর বোন-জামাই-ই তো নিজ ধর্ম ছেড়ে দিয়েছে।"

রাগের চোটে উমর ভুলেই যান নবিজি(ﷺ) -এর কথা। ছুটে যান বোন ফাতিমা বিনতুল খাত্তাব (রদিয়াল্লাহু আনহা)-এর ঘরে। ঠিক সেই সময় খাব্বাব ইবনুল আরাত্ত (রদিয়াল্লাহু আনহু) ছিলেন ফাতিমার ঘরে, সূরা ত্ব-হা শেখাচ্ছিলেন তাদের। উমরের আসার শব্দ পেয়েই খাব্বাব লুকিয়ে পড়েন। সূরা লেখা পাতাগুলোও দ্রুত লুকিয়ে ফেলেন ফাতিমা।

"কী বিড়বিড় করছিলি তোরা?" সশস্ত্র উমরের জিজ্ঞাসা।

"কই? কিছু না তো! এমনি কথা বলছিলাম।"

"তোরা দু'জনই বিধর্মী হয়ে গেছিস, না?"

উমরের বোন-জামাই এবার বললেন, "আচ্ছা উমর, আপনিই বলুন। আপনার ধর্ম যদি সত্য থেকে বহু দূরে থাকে, তাহলে আর কীই-বা করার আছে?" কথা শেষ না হতেই উমর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে প্রহার করতে থাকেন। ফাতিমা বাধা দিতে এলে তাঁর মুখেও আঘাত করে রক্তাক্ত করে ফেলেন। কিন্তু উমরের বোন তখন সত্য উচ্চারণে আর ভীত নন। স্বামীর সাথে গলা মিলিয়ে তিনিও উমরের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, "উমর, সত্য যদি তোমার ধর্ম থেকে বহু দূরে থাকে, তাহলে কী করবে?"
তারপর ভাইকে শুনিয়ে দিলেন কালিমা শাহাদাত, জানিয়ে দিলেন নিজের ঈমান গ্রহণের কথা, "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনও উপাস্য নেই, আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।"

বোনের এই দৃপ্ত ঘোষণা উমরকে লজ্জায় ফেলে দেয়। এবার একটু নরম হয়ে বললেন, "আচ্ছা, কী যেন পড়ছিলে, ওইটা একটু দেখি?"

বোন এবার কড়া স্বরে বললেন, "তুমি তো নাপাক। পাক-পবিত্র না হয়ে কেউ এটা ছুঁতে পারে না। যাও, পবিত্র হয়ে এসো।"

অনুশোচনায় দগ্ধ উমর গোসল করে এলেন। সূরা ত্ব-হা লেখা পাতাগুলো নিয়ে পড়তে আরম্ভ করলেন। অতঃপর যখন এই আয়াতে পৌঁছলেন-

إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي (٤١)

"নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া কোনও উপাস্য নেই। অতএব, আমারই উপাসনা করো এবং আমার স্মরণে সালাত প্রতিষ্ঠা করো। " *[সূরা ত্বহা, ২০: ১৪]

তখন বলতে লাগলেন, "এ তো অনেক উত্তম ও বড় সম্মানিত কালাম। আমাকে মুহাম্মাদের ঠিকানা বলে দাও।"

এ কথা শুনে খাব্বাব (রদিয়াল্লাহু আনহু) লুকানো স্থান থেকে বেরিয়ে আসেন। বলেন, "উমর, সুসংবাদ গ্রহণ করুন! আমার ধারণা নবি(ﷺ) -এর দুআ আপনার ব্যাপারে কবুল হয়েছে। গত জুমুআ রাতে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) দুআ করেছেন, 'ইয়া আল্লাহ, উমর ইবনুল খাত্তাব এবং আবু জাহল ইবনু হিশামের মধ্যে যে আপনার নিকট বেশি প্রিয় তার মাধ্যমে ইসলামকে শক্তিশালী করুন।"

এরপর তিনি বলে দিলেন, নবিজি(ﷺ) সাফা পর্বতের পাশে আরকামের ঘরে অবস্থান করছেন। জানতে পেরে উমর সেখানে ছুটে যান। দরজায় টোকা শুনে একজন সাহাবি দরজার ফাঁক দিয়ে উমরকে দেখতে পান, উত্তেজিত দেহভঙ্গি, হাতে তরবারি! পড়িমড়ি করে ভেতরে ছুটে গিয়ে তিনি সবাইকে সতর্ক করে দেন।

"ব্যাপার কী?" হামযা (রদিয়াল্লাহু আনহু) জিজ্ঞেস করলেন।

"দরজায় উমর দাঁড়িয়ে আছে।" ভীত কণ্ঠে সেই সাহাবির অনুযোগ।
হামযা বললেন, "ওহ! এই ব্যাপার? যদি সে ভালো উদ্দেশ্যে এসে থাকে, তাহলে তো ভালোই। আর তা না হলে ওর তরবারি দিয়েই আজ ওকে শেষ করে দেবো।"

ঠিক সেই সময় মুহাম্মাদ ﷺ -এর ওপর ওহি অবতীর্ণ হচ্ছিল। ওহি অবতরণ শেষে বসার ঘরে এলেন তিনি। এসেই দেখেন উমর সেখানে বসা। নিজেই এগিয়ে গিয়ে উমরের কাপড় ধরে ঝাঁকি দিয়ে দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, "ওহে উমর, কেন ফিরে আসতে দেরি করছ? ওয়ালীদ ইবনুল মুগীরাকে আল্লাহ যেভাবে শায়েস্তা করেছেন, সে-রকম কিছুর অপেক্ষায় আছ? হে আল্লাহ, এই হলো উমর ইবনুল খাত্তাব! ওর মাধ্যমে ইসলামকে শক্তিশালী ও গৌরবান্বিত করুন!"

Iklas-ইখলাস

24 Nov, 14:24


সব কিছুর হিসাব হবে ইনশাআল্লাহ!

Iklas-ইখলাস

19 Nov, 17:25


আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তোমাদের দেহগুলোকে পবিত্র রাখবে, আল্লাহ তোমাদের পবিত্র করুন। যদি কোনো বান্দা অজু অবস্থায় ঘুমায় তাহলে তার পোশাকের মধ্যে একজন ফেরেশতা শুয়ে থাকেন। রাতে যখনই এ ব্যক্তি নড়াচড়া করে তখনই এ ফেরেশতা বলেন, হে আল্লাহ আপনি এ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন, কারণ সে অজু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।’

(সহিহ ইবনে হিব্বান: ৩/৩২৮; আলবানি, সহিহুত তারগিব: ১/৩১৭)

মনে থাকবে তো?

Iklas-ইখলাস

19 Nov, 16:10


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্ব:২৭

মুসলিমদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র-দারুল আরকাম:

প্রথম পদক্ষেপ: নবি(ﷺ) সাহাবি আরকাম ইবনু আবিল আরকাম মাখযূমি (রদিয়াল্লাহু আনহু)-এর ঘরটিকে গোপন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেন। এখানে মুমিনদের ইবাদত, দাওয়াত, তাবলীগ, শিক্ষণ-প্রশিক্ষণ সবকিছু হতো। ঘরটির অবস্থানও একেবারে আদর্শ জায়গায়। কা'বা থেকে অল্প একটু হাঁটা-দূরত্বে সাফা পাহাড়ের পাদদেশে, কিন্তু শহরের কোলাহল থেকে যথেষ্ট দূরে। আশপাশে বসবাসরত মুশরিকরা তাই খেয়ালও করেনি যে, এই জায়গাটিতে প্রায়ই লোকজন জড়ো হচ্ছে।

নবি(ﷺ) সেখানে সাহাবিদের কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। আর সাহাবিগণ সেগুলো আত্মস্থ করে নিতেন। এভাবেই প্রথম দিককার মুসলিমরা দ্বীন ইসলামের মৌলিক বিষয়াদির শিক্ষা এবং নির্ঝঞ্ঝাটে সালাত আদায়ের সুবর্ণ সুযোগ পান দারুদ আরকামে।

তবে নবিজি(ﷺ) নিজে ঠিকই প্রকাশ্যে সালাত আদায় অব্যাহত রাখেন। নির্যাতন, অপমান, হয়রানি সত্ত্বেও সকলের কাছে পৌঁছে দিতে থাকেন ইসলামের দাওয়াত। চরম বৈরী পরিবেশেও রাসূলের মাধ্যমে প্রকাশ্যে দাওয়াত চালানোটা আল্লাহর এক বিশেষ প্রজ্ঞা ও দয়াব নিদর্শন। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) -এর এই প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার কারণেই বিচার দিবসে কেউ এই অভিযোগ করতে পারবে না যে, তাদের কাছে কেউ সরলপথের আহ্বান নিয়ে আসেনি।

আবিসিনিয়ায় প্রথম হিজরত (রজব, নুবুওয়াতের ৫ম বছর):

দ্বিতীয় পদক্ষেপ: উত্তরোত্তর শত্রুতা থেকে মুসলিম সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে আল্লাহর রাসূল(ﷺ)-এর পরবর্তী পদক্ষেপ ছিল হিজরত। নবিজি(ﷺ) জানতে পারেন যে, আবিসিনিয়ার ন্যায়পরায়ণ খ্রিষ্টান রাজা তাঁর শাসনভূমিতে কোনও নির্যাতন বরদাশত কবেন না। তাই তিনি মুসলিমদের নির্দেশ দেন আবিসিনিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নিতে।

নুবুওয়াতের পঞ্চম বছরের রজব মাসে মুসলিমদের প্রথম দলটি হিজরত করে। বারো জন পুরুষ এবং চার জন নারীর সেই ছোট্ট কাফেলাটি লোহিত সাগর ধরে আবিসিনিয়ায় যাত্রা করেন। দলটির নেতৃত্বে থাকেন উসমান ইবনু আফফান (রদিয়াল্লাহু আনহু) ও তাঁর স্ত্রী নবি-তনয়া রুকাইয়া (রদিয়াল্লাহু আনহা)। নবি ইবরাহীম ও লূত (আলাইহুমাস সালাম)-এর পর এটাই ছিল প্রথম কোনও পরিবারের ধর্মরক্ষার্থে হিজরত করা।

মুহাজিরদের দলটি রাতের অন্ধকারে নীরবে মক্কা থেকে বেরিয়ে পড়েন। পৌঁছে যান জেদ্দার দক্ষিণে অবস্থিত বিশাল সমুদ্রবন্দরে। সৌভাগ্যবশত তারা তখনই পেয়ে যান দুটো মালবাহী জাহাজ। তাতে চড়েই আবিসিনিয়া পৌঁছান তাঁরা। পেয়ে যান বহুল আকাঙ্ক্ষিত নিরাপদ আশ্রয়।

এদিকে কুরাইশরা খবর পেয়ে রাগে ফেটে পড়ে। তৎক্ষণাৎ তারা তাদের পিছু ধাওয়া করে। এই ভেবে যে, তাঁদের ফিরিয়ে এনে উচিত সাজা দেওয়া যাবে। কিন্তু ততক্ষণে মুসলিমরা সমুদ্রবন্দর ছেড়ে বহুদূর চলে গেছেন। ক্লান্ত ও হতাশ হয়ে মক্কায় ফিরে আসে মুশরিকরা। আর ভেতরে ভেতরে ক্রোধে জ্বলতে থাকে। *[ইবনুল কাইয়িম, যাদুল মাআদ, ১/২৪]

অধ্যায়: অধ্যায়: দারুল আরকাম প্রতিষ্ঠা ও আবিসিনিয়ায় প্রথম হিজরত।
বই: রাসূলে আরাবি, পৃষ্ঠা: ৮৯-৯০।

Iklas-ইখলাস

19 Nov, 15:12


কুলসুম বিনতে আবু বকর একদিন বললেন, “আমি আল্লাহর কাছে এমন একজন স্বামীর জন্য প্রার্থনা করেছিলাম, যিনি আমাকে ভালোবাসায় ডুবিয়ে রাখবেন। যিনি হবেন আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা।”
আল্লাহ তার এই দোয়া কবুল করলেন। তিনি জীবনসঙ্গী পেলেন তালহা বিন উবাইদুল্লাহকে—জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত মহান একজন সাহাবি।

সালাফদের থেকে বর্ণিত আছে, কলসুম তার স্বামীর কথা বলতে গিয়ে বলতেন, “তালহা যখন আমাকে দেখতেন, তার চেহারা যেন আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে উঠত। আমার কণ্ঠস্বর শুনলেই তার মুখে মিষ্টি হাসি ফুটে উঠত। আমি কাঁদলে, তিনি যেন নিজেকে সামলাতে পারতেন না। তার চোখেও জল চলে আসত। রাতে তিনি শান্তিতে ঘুমাতেন না, যতক্ষণ না নিশ্চিত হতেন যে আমি স্বস্তিতে আছি। নামাজে দোয়া করতেন। নিজের জন্য কিছু চাওয়ার আগে সবসময়ই আমার জন্য দোয়া করতেন। আমি যদি অসুস্থ হতাম, তিনি এমনভাবে আমার পাশে থাকতেন যেন রোগটা তার নিজের শরীরে লেগেছে। যতক্ষণ না আমাকে কাছে বসিয়ে আশ্বস্ত করতেন, তার মন শান্ত হতো না। যখন আমরা একসঙ্গে খেতাম, তিনি খাবারের প্রথম লুকমাটি নিজের হাতে তুলে আমার মুখে দিতেন। আমি ছিলাম তার গর্ব। তার ভালোবাসা—গোপনেও, প্রকাশ্যেও। আমাকে তিনি তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ মনে করতেন।”

[সূত্র: সিয়ারু আলামীন নুবালা | লেখাটি সোমালিয়ান শাইখ ড. আব্দুশ শাকুর হাফিযাহুল্লাহ’র ফেসবুক ওয়াল থেকে সংগৃহীত | ভাষান্তর: সাদিক শাহরিয়ার]

Iklas-ইখলাস

19 Nov, 12:32


সফলতা কি?
-একটি উত্তম মৃত্যু আর রবের জান্নাত!

Iklas-ইখলাস

19 Nov, 10:36


"পুত্রবধু তার শশুর শাশুড়ির দেখাশুনা করতে বাধ্য  নাকি বাধ্য না?" এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু লেখা পড়েছি, ডজনের উপরে হবে। সবার লেখাই আংশিক, এক পাক্ষিক এবং এক দিকের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু শুধুমাত্র কন্যা সন্তানদের পিতা-মাতাকে তাদের জামাই দেখা শুনা করতে বাধ্য কিনা, এই কথার আলোচনা হয় না। প্রশ্নটাই কেউ তুলে না!

কারণ, সম্ভবত শুধুমাত্র কন্যা সন্তানদের মা-বাবারা কখনই বৃদ্ধ হন না, অসহায় হন না, বিপদে পড়েন না, তাদের জীবনে কোনো প্রয়োজন নাই। শুধুমাত্র পুত্র সন্তানদের মা-বাবারাই বৃদ্ধ হন, অসহায় অবস্থায় পড়ে যান, তাদের জীবনে ছেলের বউদের সেবা যত্ন খুব দরকার।

(সম্ভবত এটাও যে, বাবা-মায়েরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শুধু ছেলে সন্তানকেই মানুষ করেন, মেয়ে সন্তানকে কেউ কষ্ট করে মানুষ করে না, তারা বিনাক্লেশেই বড় হয়ে যায়।)

যাই হোক, এবার যদি প্রশ্ন করি যে, "একজন কি তার স্ত্রীর মা-বাবাকে দেখা শুনা করতে বাধ্য, তাদের জন‍্য খরচ করতে বাধ্য (ধরে নিচ্ছি তার স্ত্রীর মা-বাবার শুধু কন্যা সন্তান আছে এবং সবার বিয়ে হয়েছে)?" আমার জানা, ইসলামে এর উত্তর হলো "না, তিনি বাধ্য নন। ইসলাম তাকে এই দায়িত্ব দেয়নি।" একই ভাবে যদি প্রশ্ন করা হয় "একজন মহিলা তার হাজবেন্ডের মা-বাবাকে দেখা শুনা করতে কি বাধ্য?" এরও উত্তর হলো "না, তিনিও বাধ্য নন।"

এখন প্রশ্ন হলো, "তাদের উভয়ের জন‍্যই কি উভয়ের মা-বাবার দেখা শুনা করা উত্তম?" এই প্রশ্নের উত্তর হলো "জ্বী, উত্তম। এবং যদি উভয়ে উভয়ের মা-বাবার প্রতি খেয়াল রাখে, যোগাযোগ রাখে, সামর্থানুসারে খরচ করে - তাহলে তাদের উভয়ের সম্পর্ক আরো মধুর হবে। এবং প্রত্যেকের মা-বাবার সেবার মাধ্যমে তাদের জান্নাতে যাবার সুযোগ বাড়বে ইনশাআল্লহ। পরের প্রজন্ম তাদের নানা-নানী, দাদা-দাদী পাবে। তারা যখন দেখবে তাদের মা-বাবা তাদের দাদা-দাদী, নানা-নানীদের সাথে উত্তম আচরণ করে - তখন তারাও তাদের নিজের মা-বাবাকে সর্বোত্তম আচরণ দিবে ইনশাআল্লহ।"

সুতরাং যখন বলা হয় "পুত্রবধু শশুর শাশুড়িকে দেখা শুনা করতে বাধ্য নয়।" তখন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের বিধানটা বলা হয় (ইসলামের বিধান লুকাবার দরকার তো নাই)।

"দেখাশুনা করা উত্তম নাকি উত্তম না?" এ প্রশ্নের উত্তর "অবশ্যই  উত্তম"। যদি প্রশ্ন করা হয়, "দেখাশুনা করা কি উচিত?" - সেটা নির্ভর করবে ঐ পরিবারের সকলের উপর। হতেও তো পারে, বউ সেবা করতে চায় কিন্তু শাশুড়ি চরম শুচিবাই, তাদের মিল মহব্বত হচ্ছে না।

বিষয়টা অনেকটা এমন যদি প্রশ্ন করা হয় "আমরা কি তাহাজ্জুদ পড়তে বাধ্য?" উত্তর "না।" যদি প্রশ্ন করা হয় "তাহাজ্জুদ পড়া কি উত্তম/উচিত?" তাহলে উত্তর "সর্বোত্তম এবং উচিতও।"

লেখা : Shiblee Mehdi

Iklas-ইখলাস

19 Nov, 07:49


চলুন জীবনের নতুন পৃষ্ঠা খুলি!

Iklas-ইখলাস

19 Nov, 04:41


পবিত্র, নেককার, কুররাতু আইয়ুন হওয়া যে সহজ কাজ নয়!

Iklas-ইখলাস

19 Nov, 03:24


গতকাল এক নীরব বিপ্লবের সাক্ষী হলাম। একটা (নাসিরাবাদ সরকারি হাইস্কুল, চট্টগ্রাম) স্কুলের ক্লাস টেনের ছেলেরা তাদের স্কুল জীবনের শেষটা করলো Ragday বা কোনো অশ্লীলতা, নাচানাচির মাধ্যমে নয়, বরং এক নসীহা প্রোগ্রামের মাধ্যমে।

শরীরের অসুস্থতা, চাকরির ব্যস্ততা, পথের দূরত্বকে উপেক্ষা করে বাচ্চাদের আহ্বানে আমি মাগুরা থেকে চট্টগ্রামে ছুটে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। এই বয়সে আমি কেমন ছিলাম, আর এই বাচ্চাগুলোকে আল্লাহ কত আগে হেদায়েত দিয়েছেন। কীভাবে এদের ডাক আমি অগ্রাহ্য করি?

৪০০+ ছাত্র (বেশির ভাগই ক্লাস টেন, নাইন, এইট) উপস্থিত ছিল। রাজ্জাককে রাগিয়ে রিজিক তালাশ, মুইজ্জকে নারাজ করে ইজ্জতের আশা, শাফীকে রাগিয়ে শিফা, মুক্বল্লিবাল ক্বুলুবকে ক্রোধান্বিত করে হৃদয়ের সুখ আসতে পারে না, এই বোধ তো বহু পক্বকেশ মুরব্বির ঘটেও নেই। সেখানে এই কিশোররা এই বোধের আলোয় উদ্ভাসিত। আল্লাহ কেন যুবক বয়সের এবাদতে এতো খুশি হন, তা আমি হাড়ে হাড়ে টের পেলাম, নিজেরই এত খুশি হচ্ছিল।

সকল স্কুলগুলোয় ছাত্র-শিক্ষকদের মাঝে এমন বোধোদয় হোক। আমাদের সন্তানদের জীবন রুটিনড হোক, সুন্দর হোক, পেরেশানিমুক্ত হোক। বাকি স্কুলগুলোও এগিয়ে আসুক যদি বাচ্চাদের সুন্দর ভবিষ্যতই তাদের কাম্য হয়। গার্জিয়ানরা প্রেসার দিন। আমাদের বাচ্চাদেরকে পশ্চিমের সর্বনাশা থাবা (সমচাম, পর্ন, ফোনাসক্তি, হারাম প্রেম, গোপন পাপ ইত্যাদি) থেকে বাঁচাতে ইসলামই আমাদের প্রেসক্রিপশন। আশ-শাফীর দেয়া প্রেসক্রিপশন। ইসলাম অবিকল্প। যদি স্রেফ দুনিয়াও চান, তবুও ইসলাম অবিকল্প।

~শামসুল আরেফীন শক্তি হাফি.

Iklas-ইখলাস

19 Nov, 02:04


যখন আমি যু*দ্ধক্ষেত্রে থাকি,
তখন এটি আমার কাছে বিবাহের রাতে কোনো সুন্দরী নারীর সাথে রাত্রী যাপনের চেয়ে বেশি পছন্দনীয়।

- খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ)

Iklas-ইখলাস

18 Nov, 17:03


জান্নাতি ফুল🌸

Iklas-ইখলাস

18 Nov, 16:10


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্বঃ ২৬ ( ২য় অংশ)

নবিজি ﷺ এর ওপর নির্যাতন:

আবূ জাহলের আসল উপনাম ছিল আবুল হাকাম। এর আক্ষরিক অর্থ জ্ঞানের পিতা। কিন্তু নবিজি-এর প্রতি আচরণ দেখে মুসলিমদের কাছে তার ডাকনাম হয়ে যায় আবু জাহল-অজ্ঞতার পিতা। স্থানীয় পৌত্তলিক ধর্মত্যাগকারী প্রতিটা ব্যক্তি আবূ জাহলের চোখে বিচ্ছিন্নতাবাদী। সে তাঁদের বিদ্রোহের দায়ে শাস্তি দিত। অপমান করত। মুহাম্মাদ -কে প্রকাশ্যে অপমান করা আর সালাতে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সে ছিল অগ্রগামী।

একদিন নবি ﷺ কে সালাত আদায় করতে দেখে যথারীতি উত্ত্যক্ত ও হুমকি প্রদান শুরু করল সে। অবশেষে নবি আবূ জাহলের গলার কাপড় ধরে সজোরে ঝাঁকি দিয়ে তিলাওয়াত করলেন,

أَوْلَى لَكَ فَأَوْلَى ﴿٤٣﴾ ثُمَّ أَوْلَى لَكَ فَأَوْلَى (٥٣)

"দুর্ভোগ, তোমার দুর্ভোগ! আবারও বলি। দুর্ভোগ, তোমার দুর্ভোগ!

আবু জাহল উত্তর দিল, "মুহাম্মাদ, তুই আমার ওপর খবরদারি করছিস! তুই আর তোর খোদা আমার কোনও ক্ষতিই করতে পারবি না। এই পুরো এলাকায় আমিই সবচেয়ে ক্ষমতাবান।। প্রতিশোধের নেশায় পাগল আবু জাহল একদিন তার দোস্তদের বলল, "মুহাম্মাদ কি তোমাদের সামনে মাটিতে মুখ ঘষে (সালাত পড়ে)?"

তারা জবাব দিল, "হ্যাঁ।"

"লাত ও উযযার কসম! আর একবার ওকে এই কাজ করতে দেখলে তার ঘাড়ে পা দিয়ে চেহারা মাটিতে মিশিয়ে দেবো।"
আরেকদিন রাসূলুল্লাহ-কে সালাত পড়তে দেখে আবু জাহল তার হুমকি বাস্তবায়নের
উদ্দেশ্যে আগে বাড়ল। তাকিয়ে থাকা লোকেরা দেখল যে, আবু জাহল নিরস্ত্র মুহাম্মাদ -এর একটু কাছে গিয়েই আবার দৌড়ে ফিরে আসছে এবং হাত দিয়ে কিছু একটা থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। সবাই জিজ্ঞেস করল "আবুল হাকাম, কী হয়েছে?” আবু জাহল বলতে লাগল, "আমার আর ওর মাঝখানে দেখলাম আগুনের একটি পরিখা আর ভয়ানক কতগুলো দৃশ্য!" সাহাবিদের নবি পরে বলেছিলেন, "সেদিন সে আমার কাছে ভিড়লে ফেরেশতারা টেনে টেনে তার প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিঁড়ে ফেলতেন।

নবিজি ﷺ -কে অসম্মান করে চির-লাঞ্ছনার অধিকারী হওয়া আরেক ব্যক্তির নাম উকবা ইবনু আবী মু'আইত। একবার নবি কা'বার কাছে সালাত আদায় করছিলেন। অনেকের সাথে কাছেই বসা ছিল আবু জাহল। হঠাৎ সে বলল, "মুহাম্মাদ যখন সাজদা দেবে, তখন অমুক গোত্রের একটা উটের নাড়িভুঁড়ি এনে ওর পিঠে কে রেখে দিতে পারবে?" উকবা ইবনু আবী মু'আইত তখন নিজের কাবিলিয়াত প্রমাণ করার জন্য রীতিমতো ছটফট করছে। সুযোগ পেয়েই সে ছুটল যবাই করা একটি উটের নাড়িভুঁড়ি নিয়ে আসতে। ফিরে এসে অপেক্ষা করতে লাগল মুহাম্মাদ কখন সাজদায় যান। যেই না তিনি মাথা ঝোঁকালেন, অমনি গিয়ে সে আবর্জনাগুলো ঢেলে দিল নবিজি -এর ঘাড়ের ওপর।

আবু জাহল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়ার জোগাড়। নবিজি মাথা না তুলে ওভাবেই সাজদায় রইলেন। ফাতিমা (রদিয়াল্লাহু আনহা)-কে কেউ একজন খবরটা পাঠাল। তিনি দৌড়ে কা'বা প্রাঙ্গণে এসে দুর্গন্ধময় নাড়িভুঁড়ি সরিয়ে দিলেন বাবার শরীরের ওপর থেকে। ভারী জিনিসটা সরে যাওয়ায় রাসূলুল্লাহ ﷺ উঠে সোজা হয়ে বসলেন।

অধ্যায়: নবি ﷺ এর উপর কুরাইশদের নির্যাতন।
বই: রাসূলে আরাবি,পৃষ্ঠা: ৮৪-৮৯।

Iklas-ইখলাস

18 Nov, 15:24


"মেন্টাল সাপোর্ট এর জন্য স্ত্রীর বিকল্প নাই"একজন পুরুষের মানসিক শান্তি ও সমর্থনের ক্ষেত্রে তার স্ত্রীর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, চাপ ও মানসিক ক্লান্তির সময় একজন স্ত্রী তার সঙ্গীকে যে সমর্থন, সহানুভূতি ও ভালোবাসা দেন, তা অনন্য। স্ত্রী সঙ্গীর মানসিক ও আবেগগত প্রয়োজন গুলো বোঝার চেষ্টা করেন এবং সেই অনুযায়ী পাশে থাকার চেষ্টা করেন, যা জীবনের কঠিন সময়গুলো সহজ করে তোলে।

একজন স্ত্রীর মতো নিঃস্বার্থ মমতা ও মানসিক সমর্থন, আসলে আর কেউ দিতে পারে না। জীবনের প্রতিটি চড়াই -উতরাইয়ে যখন মানসিকভাবে ক্লান্তি অনুভব হয়।

তখন একজন স্ত্রীর স্নেহময় স্পর্শ ও আন্তরিক সহানুভূতি সঙ্গীকে নতুন করে জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে সাহায্য করে। স্ত্রী তার সঙ্গীর অনুভূতি বোঝে।

সব ব্যথা ভাগাভাগি করে নেয়, এমনকি না বললেও অনেক কিছু অনুভব করতে পারে।

জীবনের প্রতিটি ধাপে পাশে থাকা এই মানুষটি যেন এক সজীব ছায়া, যার কোমল ও মায়াবী উপস্থিতি সঙ্গীকে সব বাধা পার করার প্রেরণা জোগায়।

Iklas-ইখলাস

18 Nov, 14:11


মাশাআল্লাহ! সুন্দর উপস্থাপন এবং এই চিন্তাধারাই উচিত। আলেমরা নবীদের ওয়ারিশ তাই বিভক্ত না করে একসাথে দাওয়াহ কাজ করাটাই উম্মাহর জন্য কল্যানকর।

Iklas-ইখলাস

18 Nov, 12:33


লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ!

Iklas-ইখলাস

18 Nov, 08:10


নারী-পুরুষ সমান অধিকার!!

*মুচকি হাসুন!

Iklas-ইখলাস

14 Nov, 16:33


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্ব-২৩ ( ৫ম ও শেষ অংশ)

মুশরিকদের বলা হলো, তোমরা কীভাবে আল্লাহ তাআলার সাথে যিনি সর্বশক্তিমান এবং সবকিছুর সৃষ্টা-অন্যান্য উপাস্যদের শরীক করো। যাদের কোনও ক্ষমতা নেই, যাদের নিজেদেরই সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ আর তারা কি সমান হতে পারে?

"যিনি সৃষ্টি করে, তিনি কি সে লোকের সমতুল্য যে সৃষ্টি করতে পারে না? তোমরা কি এতটুকুও বুঝবে না। "[সূরা নাহল, ১৬ : ১৭]

যখন তাদের সামনে এই প্রশ্ন রাখা হলো তারা হতভম্ব হয়ে গেল। নির্বাক হয়ে হতাশ চেয়ে থাকা ছাড়া তাদের আর কোনও উপায় ছিল না। তাদের হুজ্জতবাজি খতম হতে দেখে তারা নতুন কৌশল আবিষ্কার করে বলতে শুরু করল, 'দেখো, আমাদের বাপ- দাদারা সমস্ত মানুষ থেকে বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী ছিলেন। তাদের অনন্য বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি সবার মাঝে ব্যাপকভাবে প্রসিদ্ধ ছিল। দূর-দূরান্তের মানুষও বিষয়টি অকুণ্ঠচিত্তে মান্য করত। ওই সমস্ত সম্মানিত ব্যক্তিদের দ্বীন-ধর্ম-ইবাদাতই ছিল এ-রকম। সুতরাং তা বাতিল ও গোমরাহ হওয়া অসম্ভব। স্বয়ং মুহাম্মাদের বাপ-দাদারাও এই একই ধর্মের ওপর অতিবাহিত হয়েছেন।

ওপর অতিবাহিত হয়েছেন।

এর প্রত্যুত্তরে আল্লাহ তাআলা বলেন,
"তারা বলে, বরং আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের যাতে পেয়েছি সে বিষয়েরই অনুসরণ করব। যদিও তাদের বাপ-দাদারা কিছুই জানত না, জানত না সরল পথটাও। [সূরা বাকারা, ২ : ১৭০]

"তারা তাদের পূর্বপুরুষদের পেয়েছিল বিপথগামী। অতঃপর তারা তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণে ছিল তৎপর।[সূরা সফফাত, ৩৭ : ৬৯-৭০]

আবার বাপ-দাদা ও দেব-দেবীদের অপমান ও বিরোধিতা করার ফলে মুহাম্মাদ(ﷺ) ও মুসলিমরা অভিশপ্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলে মুশরিকরা।

"আমরা এ কথাই বলি যে, তোমার ওপর আমাদের কোনও উপাস্যের অশুভ ছায়া পড়েছে। [সূরা হূদ, ১১ : ৫৪]

এসব দুর্বল হুমকির জবাবে আল্লাহ তাদের মনে করিয়ে দেন সেসব দেব-দেবীর চূড়ান্ত অক্ষমতার কথা। নিশ্চল, নির্বাক, প্রতিরোধহীন এসব প্রতিমা কী করে মুসলিমদের ক্ষতি করবে?

"তাদের কি পা আছে যে, হাঁটবে? হাত আছে যে, ধরবে? চোখ আছে যে, দেখবে? না কি কান আছে যে, শুনবে? বলে দাও, যাদের তোমরা আল্লাহর শরীক বলে দাবি করো, তাদের ডাকো অতঃপর আমার অমঙ্গল করো এবং আমাকে কোনও অবকাশই দিয়ো না। [সূরা আ'রাফ, ৭ : ১৯৫]

"হে লোকসকল, একটি উপমা বর্ণনা করা হলো, অতএব তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোনো। তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা করো, তারা কখনও একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না, যদিও তারা সকলে একত্র হয়। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কোনও কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধারও করতে পারবে না। প্রার্থনাকারী এবং যার কাছে প্রার্থনা করা হয়, উভয়েই শক্তিহীন দুর্বল।"[সূরা হাজ্জ, ২২ : ৭৩]

নিজেদের বিশ্বাসের প্রতি মুশরিকদের করা অপমান শুনতে শুনতে কোনও কোনও মুসলিম ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে যেতেন। রাগের মাথায় মুশরিকদের বলে বসতেন, "তোদের দেবতাদের মাথায় শিয়ালে প্রস্রাব করে গেলেও তো তারা কিছু বলতে পারে না। যার মাথায় শিয়াল প্রস্রাব করে সে কতই-না অপদস্থ ও লাঞ্ছিত।"

মুশরিকরা এতে রাগে অন্ধ হয়ে মুসলিমদের ও আল্লাহর নামে গালিগালাজের ঝড় বইয়ে দিত। গভীর এক আধ্যাত্মিক দ্বৈরথ যেন নিছক গলাবাজিতে পর্যবসিত না হয়, তাই আল্লাহ সাথে সাথে নির্দেশ দেন,

"আল্লাহকে ছাড়া তারা যেসবকে ডাকে, সেগুলোকে গালমন্দ কোরো না। তাহলে তারাও ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দিয়ে বসবে। "[সূরা আনআম, ৬ : ১০৮]

তো দেখা যাচ্ছে যে, মুশরিকদের উত্থাপিত প্রতিটি আপত্তির জবাব আল্লাহ তাআলা নিজেই দিয়ে দিচ্ছেন। আর আল্লাহর নবি(ﷺ) সব বিদ্রুপ ও গালিগালাজ উপেক্ষা করে দাওয়াতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বাকযুদ্ধে হেরে পৌত্তলিকরা সিদ্ধান্ত নিল বলপ্রয়োগে মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে রাখার। গোত্রপতিরা নিজ নিজ গোত্রের মুসলিমদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ শুরু করল। আবু তালিবের কাছে একসময় একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে দাবি করল যে, তিনি যেন মুহাম্মাদকে(ﷺ) তার দাওয়াতি প্রচারণা বন্ধ করতে বলেন।

অধ্যায়: ইসলাম নিয়ে মুশরিকদের আপত্তি উত্থাপন
বই: রাসূলে আরাবি, পৃষ্ঠা: ৭৪-৭৬।

Iklas-ইখলাস

14 Nov, 16:02


আধুনিকতার আরেক নাম অশ্লীলতা!!!

Iklas-ইখলাস

14 Nov, 15:10


নেককার স্ত্রী আল্লাহর পক্ষ থেকে  সবচেয়ে বড় নেয়ামত ❤️‍🔥

Iklas-ইখলাস

14 Nov, 11:43


বিশ্বাস করেন আপনার বোরখা পড়া পিক দেখে মাশাআল্লাহ্ বলা হুজুরটাও আপনার মতোই ভন্ড।

Iklas-ইখলাস

14 Nov, 06:24


এখানে আরবি متاع শব্দের অর্থ ভোগ্যপণ্য/ভোগ্যবস্তু বোঝানো হয়নি। এখানে متاع শব্দের অর্থ সম্পদ বোঝানো হয়েছে। সুতরাং অর্থ দাড়ায়, "দুনিয়া পুরোটাই সম্পদ। তবে দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ হলো নারী"। আরবি প্রায় প্রতিটি শব্দই বহুল অর্থবোধক যা কুরআনের ভাষায় বিশেষ পারদর্শী না হলে বোঝা মুশকিল। নাস্তিকরা এই জায়গাটায় এসেই উস্টা খায় এবং সাধারণ মুসলমানের অন্তরে সন্দেহ সৃষ্টি করে।

Iklas-ইখলাস

14 Nov, 06:22


হাদিসটা দেখিয়ে শাহাবগী বললো, তোমরা যে বলো ইসলাম নারীকে মর্যাদা দিয়েছে, এই দেখো তোমাদের ইসলামও তো নারীকে ভোগ্য পন্য বলেছে।

বললাম, তোমাদের বল্গাহীন ভোগ আর আল্লাহ প্রদত্ত সীমারেখার মধ্যে থেকে আমাদের উপভোগ তো এক জিনিস না। তোমরা তোমাদের নারীদের পন্য বানাও, অন্যের উপভোগের উপকরণ বানাও আর আমাদের কাছে আমাদের নারীদের সম্মান আমাদের জীবনের চেয়ে মূল্যবান।

©

Iklas-ইখলাস

14 Nov, 06:22


আমাদের নারীরা আমাদের কাছে নিরাপদ।আমাদের মা,স্ত্রী,খালা আমাদের নিকট সম্মানিতা!

Iklas-ইখলাস

14 Nov, 05:17


পৃথিবীর ভিন্ন দিক!!

Iklas-ইখলাস

14 Nov, 04:22


আল্লাহ তাআলা নারীকে একথা বলেননি :
‘তুমি হিজাব করো’!
‘তুমি বোরকা পরো’!
‘তুমি স্কার্ফ পরো’!

আল্লাহ তাআলা বলেছেন :
১. মুমিন নারীগণ যেন বে-গা-না পুরুষের কাছে সৌন্দর্য প্রকাশ না করে!
وَلَا یُبۡدِینَ زِینَتَهُنَّ
(সূরা নুর : ৩১)

২. তোমরা আদি জা-হে-লি যুগের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়িয়ো না!
وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ ٱلۡجَـٰهِلِیَّةِ ٱلۡأُولَىٰۖ
(সূরা আহযাব : ৩৩)

৩. মূল নিষেধাজ্ঞা সৌন্দর্য প্রকাশ করার বিষয়ে। যে বোরকা-হিজাবের মাধ্যমে সৌন্দর্য প্রকাশ পায়, বলাবাহুল্য সেটাও নি-ষি-দ্ধ। বোরকা-হিজাব এমন হওয়া জরুরী, যাতে সৌন্দর্য প্রকাশ না পায়।

বলাবাহুল্য চেহারাতেই সমস্ত সৌন্দর্য কেন্দ্রীভূত থাকে। কখনো চোখেও। এজন্য দৃষ্টিও অবনত রাখতে বলা হয়েছে।

~ আতিক উল্লাহ (হাফি.)

Iklas-ইখলাস

14 Nov, 02:18


লোক দেখানো ফ্যাশনকে সুহকান।

Iklas-ইখলাস

14 Nov, 00:34


"হে অধিক পাপ করেও কম অনুশোচনাকারী, তোমার চোখ অশ্রুসিক্ত না হওয়ার জন্য কাঁদো। সালাফগণ মুত্তাকী হয়েও সর্বদা কাঁদতেন আর তুমি পাপী হয়েও হাসো!?"
.
--- ইমাম ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ)।
--- [কিতাব আল-খাওয়াতিম: ২৫৪]

Iklas-ইখলাস

13 Nov, 17:14


আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তোমাদের দেহগুলোকে পবিত্র রাখবে, আল্লাহ তোমাদের পবিত্র করুন। যদি কোনো বান্দা অজু অবস্থায় ঘুমায় তাহলে তার পোশাকের মধ্যে একজন ফেরেশতা শুয়ে থাকেন। রাতে যখনই এ ব্যক্তি নড়াচড়া করে তখনই এ ফেরেশতা বলেন, হে আল্লাহ আপনি এ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন, কারণ সে অজু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।’

(সহিহ ইবনে হিব্বান: ৩/৩২৮; আলবানি, সহিহুত তারগিব: ১/৩১৭)

মনে থাকবে তো?

Iklas-ইখলাস

13 Nov, 16:22


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ

পর্ব: ২৩ এর ৪র্থ অংশ।

নবিজি ﷺ যখন তাওহীদ ও একত্ববাদ এর আহ্বান নিয়ে তাদের নিকট আসলেন এবং আল্লাহ ব্যতীত সমস্ত উপাস্যকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানালেন তখন তাদের কাছে তা অতি কষ্টকর ও বেশ ভারী মনে হলো। তারা একে পথভ্রষ্টতা এবং ষড়যন্ত্র বসে বিবেচনা করল। তারা বলল,

"সে কি সব উপাস্যকে এক উপাস্যে পরিণত করেছে? নিশ্চয় এ বড় বিস্ময়কর বিষয়! তাদের কতিপয় বিশিষ্ট ব্যক্তি এ কথা বলে প্রস্থান করে যে, তোমরা চলে যাও এবং উপাস্যদের পূজায় দৃঢ় থাকো। নিশ্চয়ই এ বক্তব্য কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। এক উপাস্যওয়ালা কোনও ধর্মের কথা তো আমরা শুনিনি! নিশ্চয়ই এটা কোনও নতুন উদ্ভাবন।

কুরআনের আয়াতের মাধ্যমে এসব মুশরিকের সাথে বিতর্ক করেছেন স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা। তাদের জিজ্ঞেস করেছেন যে, কাউকে আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত ভাবার জন্য তাদের মানদণ্ডটা কী। কীভাবে তারা নিশ্চিত হতো যে, অমুক ব্যক্তি আল্লাহর বিশেষ বান্দা। এটা নির্ধারণ করার উপায় স্রেফ দুটি- নিজেরাই অদৃশ্যের জ্ঞান লাভ করা, অথবা আসমানি কিতাব থেকে জেনে নেওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন,

"তাদের কাছে কি অদৃশ্যের খবর আছে? ফলে তারা তা টুকে রাখে?"

"তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকলে এটির আগে অবতীর্ণ হওয়া কোনও কিতাব নিয়ে আসো, অথবা তোমাদের দাবির স্বপক্ষে পরম্পরাগত কোনও জ্ঞান থাকলে তা পেশ করো।
"আপনি বলুন, তোমাদের কাছে কি কোনও প্রমাণ আছে যা আমাদের দেখাতে পারো। তোমরা শুধু আন্দাজের অনুসরণ করো এবং তোমরা শুধু অনুমান করে কথা বলো। মুশরিকরা স্বীকার করত যে, তাদের কাছে অদৃশ্যের জ্ঞান নেই। আসমানি কোনও কিতাবও নেই তাদের কাছে। বাপ-দাদার সময় থেকে চলে আসা ঐতিহ্য-সংস্কৃতিই তাদের আসল সম্বল। ফলে তারা বলতে লাগল,

"বরং আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের যে বিষয়ের ওপর পেয়েছি, তারই অনুসরণ করি।

"আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের পেয়েছি এক পথের পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলেছি।"

মূর্তিপূজারিদের অজ্ঞতা ও অসহায়ত্ব এখান থেকেই প্রকাশ পায়। কুরআনে আল্লাহ তা একদম স্পষ্ট করে দিয়েছেন,

"নিশ্চয়ই আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না।"

তাদের নেককার ও নৈকট্যপ্রাপ্ত পূর্বপুরুষদের ব্যাপারে আল্লাহ স্পষ্টত বলেন, "আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যাদের ডাকো, তারা সবাই তোমাদের মতোই বান্দা।

অর্থাৎ যে বিষয়গুলো আল্লাহ তাআলার সাথে বিশেষায়িত সেগুলোর ওপর তোমাদের যেমন কোনও ক্ষমতা নেই ঠিক তেমনি তোমাদের উপাস্যদেরও কোনও ক্ষমতা নেই। সুতরাং তোমরা এবং তারা অসহায়ত্ব ও ক্ষমতাহীনতার দিক দিয়ে সমান সমান। এ জন্যই আল্লাহ চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন,

"তোমরা তাদের ডাকো, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো, তাহলে তারা যেন তোমাদের ডাকে সাড়া দেয়।

"আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ডাকো, তারা তুচ্ছ একটি খেজুর আঁটিরও মালিক নয়।"

"তোমরা তাদের ডাকলে তারা তোমাদের সে ডাক শুনে না। শুনলেও তোমাদের ডাকে সাড়া দেয় না। কিয়ামাতের দিন তারা তোমাদের শিরক অস্বীকার করবে। পূর্ণ অবগত সত্তার (আল্লাহ) ন্যায় তোমাকে কেউ অবহিত করতে পারবে না।"

অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার জ্ঞান পরিপূর্ণ এবং সবকিছুর খবর তিনি রাখেন। সুতরাং তিনি যা বলবেন তা-ই সঠিক হবে আর অন্যরা যা বলবে তা হবে মিথ্যা ও বানোয়াট। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আল্লাহকে ছাড়া আরও যাদের কাছে তারা প্রার্থনা করে, তারা একটা জিনিসও সৃষ্টি করতে পারে না; বরং তারা নিজেরাই সৃজিত। তারা মৃত, নির্জীব। কখন তাদের পুনরুত্থিত করা হবে, সেটাই তো তারা জানে না।"

"তারা কি আল্লাহর সাথে এমন অংশীদার নির্ধারণ করে, যারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না; বরং উল্টো তারা নিজেরাই সৃষ্ট? এসব প্রার্থিতরা না তাদের প্রার্থীদের সাহায্য করতে পারে, না নিজেদের।

"তারা তাঁর পরিবর্তে কত উপাস্য গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না এবং তারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং নিজের ভালোও করতে পারে না, মন্দও করতে পারে না এবং জীবন, মরণ ও পুনরুজ্জীবনেরও তারা মালিক না।

আল্লাহ তাআলা তাদের উপাস্যদের অবস্থা একটি উপমার মাধ্যমে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন,

"আর তাঁকে ছাড়া তারা যাদের ডাকে, তারা তাদের কোনও কাজে আসে না, ওদের দৃষ্টান্ত সেরূপ, যেমন কেউ দু-হাত পানির দিকে প্রসারিত করে, যাতে পানি তার মুখে পৌঁছে যায়। অথচ পানি কোনও সময়ই তার মুখে পৌঁছাবে না। কাফিরদের যত আহ্বান তা সবই ভ্রষ্টতায় নিপতিত।”

অধ্যায়: ইসলাম নিয়ে মুশরিকদের আপত্তি উত্থাপন
বই: রাসূলে আরাবি, পৃষ্ঠা: ৭০-৭৩

Iklas-ইখলাস

13 Nov, 14:20


আমাদের সোসাইটি মসজিদে তারাবীর নামাজের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম ৮৫ উর্ধ এক মুছল্লি আমার পাশে খুব কষ্ট করে জায়নামাজ বিছিয়ে দাঁড়ালেন। জায়নামাজ বিছাতে তার কষ্ট হচ্ছিল। বসা থেকে সহজে উঠতে পারছিলেন না। এক হাতে ফ্লোরে ভর দিয়ে তাকে উঠতে হচ্ছিল।

নামাজ শুরু হলো। আমি ভাবছিলাম এই বয়স্ক মানুষটি এতো কষ্ট করে এতো লম্বা সময় নিয়ে কি করে নামাজ পড়বেন। আবার উনি কিছু মনে করতে পারেন, তাই কোনো কিছু বলতে সাহস পাচ্ছিলাম না। আমার মনে হচ্ছিল তিনি চাইলে চেয়ারে বসে নামাজ পড়তে পারতেন। মসজিদে অনেকে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করেন। আমাকে অবাক করে দিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে, ঠিক ঠাক রুকু-সিজদা করে পুরো ২০ রাকাত তারাবীর নামাজ আদায় করলেন। তার আগে এশার ফরজ এবং সুন্নাতও পড়েছেন।

তারাবী নামাজ শেষে আমি বিতরের নামাজ মসজিদে জামাতে পড়িনা। বাসায় পড়ি। তার সাথে কথা বলার জন্য আমি সেদিন মসজিদে রয়ে গেলাম। বিতর নামাজ শেষ হলে আমি আস্তে করে তাকে সালাম দিয়ে হাত মেলালাম। তারপর বললাম,
-চাচা, আপনি যে এতো কষ্ট করে নামাজ আদায় করলেন, চাইলে চেয়ারে বসেও তো নামাজ পড়তে পারতেন।
-না বাবা, আল্লাহ এখনো যতটা শক্তি দিছে তা দিয়ে রুকু সিজদা করতে পারি। চেয়ারে বসে নামাজ পড়তে চাইনা।
-আমি লক্ষ্য করছি চাচা, আপনার কষ্ট হচ্ছিল। বিশেষ করে সিজদা শেষে উঠে দাঁড়াতে বেশ সময় লাগছিল আপনার।
-বাবাজী, তুমি ঠিকই বলছ, কষ্টতো একটু হচ্ছিল। তবে মাথা ঠেকিয়ে সিজদার যে আনন্দ সেটা কি আমি বসে বসে ইশারায় সিজদা করে পাব, বাবা?

আমি চাচার কথা শুনে আর কথা বাড়ালাম না। শুধু মনে মনে আল্লাহ কে বললাম, আমৃত্যু যেন মাথা ঠেকিয়ে সিজদা করে যেতে পারি মাবুদ।

✍️ তানভীর শাহরিয়ার রিমন

Iklas-ইখলাস

13 Nov, 12:07


আমার দ্বীন, আমার জমিন🔥

~ভিডিও সংগৃহীত!

Iklas-ইখলাস

13 Nov, 08:08


নামাযে মনোযোগ ধরে রাখার কৌশল!!

Iklas-ইখলাস

13 Nov, 06:15


ইয়া রব্ব!

Iklas-ইখলাস

03 Nov, 16:45


আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তোমাদের দেহগুলোকে পবিত্র রাখবে, আল্লাহ তোমাদের পবিত্র করুন। যদি কোনো বান্দা অজু অবস্থায় ঘুমায় তাহলে তার পোশাকের মধ্যে একজন ফেরেশতা শুয়ে থাকেন। রাতে যখনই এ ব্যক্তি নড়াচড়া করে তখনই এ ফেরেশতা বলেন, হে আল্লাহ আপনি এ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন, কারণ সে অজু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।’

(সহিহ ইবনে হিব্বান: ৩/৩২৮; আলবানি, সহিহুত তারগিব: ১/৩১৭)

মনে থাকবে তো?

Iklas-ইখলাস

03 Nov, 14:58


কুরআনি ভাবনাগুচ্ছ (পর্ব-২)
------------------
২৬. সংবিধান
কুরআন কারিম আল্লাহর দেওয়া সংবিধান। মানবজাতির সংশোধনের জন্যে তিনি নাজিল করেছেন। দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা লাভের জন্যে। আমি কোন দলে থাকবো?
কুরআন কারিম অনুসারীদের দলে?
কুরআন কারিম অমান্যকারীদের দলে?
আমি যদি প্রথম দলে থাকি, তাহলে শান্তিতে দুনিয়ার জীবন কাটাতে পারবো, আখিরাতে সফলদের কাতারে শামিল হবো।
.
২৭. শোকহরা
বিষন্নচিত্তে যখন কুরআন কারিম তিলাওয়াত করতে বসি, একটু পর মনে হতে থাকে, কুরআনের আয়াতগুলো আমার কলবের চারপাশে ঘুরছে। কলব জড়িয়ে ধরছে। আহত হৃদয়ের উপর উপশমের ব্যান্ডেজ বেঁধে দিচ্ছে। আয়াতগুলো মুখ লাগিয়ে হৃদয় থেকে সমস্ত দুঃখ-শোকের বিষ চুষে নিচ্ছে। কাজ শেষে বলছে, কোনও সমস্যা নেই, সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
কী চমৎকার এক কিতাব আমাদের এই কুরআন।
.
২৮. একের ভেতর অনেক
একটি সূরা একই সাথে কত কিছু;
কুরআনি ইলমের আধার।
তিলাওয়াত।
জিকির।
দুআ।
রুকইয়া। ঝাঁড়ফুক। জাদুটোনানিরোধক।
হিসন। সুরক্ষা।
যখনই সম্ভব হয়, একবার পড়ে নিতে পারি সূরা ফাতিহা। সূরাটা সবারই মুখস্থ আছে। ছোটও আছে। সময়ও বেশি লাগে না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে পড়া যায়। মন খারাপ থাকলে পড়া যায়। বিপদ এলে পড়া যায়। কোনও কারণ ছাড়াই পড়া যায়। এমনিতেই পড়া যায়।
.
২৯. আত্মীয়তা
কুরআন কারিমের আয়াতগুলো নিয়ে ভাবলে মনে হয় আমি আর সাধারণ কেউ নই, সরাসরি আল্লাহর সাথে আমাকে কেমন একটা আত্মীয়তা হয়ে গেছে। এই অনুভূতি সবারই হয়। আমরা ভিন্ন হলেও আল্লাহ তো একজন। কুরআনও সেই একটাই। এটাই শেষরক্ষা।
.
৩০. কুরআনের বাগান
ইমাম শাফেয়ী রহ.-এর একজন ছাত্রের নাম রবি বিন সুলাইমান। উস্তাদের কাছে প্রশ্ন করলেন,
সততা ও আত্মশুদ্ধি কীভাবে অর্জন করতে পারি?
তুমি বা তোমার ভাই-বেরাদর যারই সততা-চিত্তশুদ্ধির ইচ্ছা করবে, তাকে কুরআনের বাগানে ছেড়ে দেবে। তাতে বিচরণ করতে দেবে। কুরআনের সাথে কিছুদিন থাকলে, সে ইচ্ছা করুক বা না করুক, আল্লাহ তাকে সংশোধন করে দেবেনই।
.
৩১. হৃদয়ে কুরআন
কুরআন তিলাওয়াতের সময় কোন দিকটা বেশি খেয়াল রাখবো?
তুমি প্রতিদিন কতটুকু তিলাওয়াত করো?
এক পারা করে।
তাহলে একটা বিষয় লক্ষ রাখবে: তুমি তিলাওয়াত করতে করতে সূরা বা পারার কোন জায়গায় পৌঁছতে পারলে, সেটার হিশেব না রেখে, বরং কুরআন কারিম তোমার হৃদয়ের কোথায় গিয়ে পৌঁছলো, তার হিশেব রাখা শুরু করো! কাজ দেবে।
.
৩২. জিহাদ ও জিহায
খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. যখনই কুরআন কারিম হাতে নিতেন, অশ্রুসিক্ত চোখে কুরআন কারিমকে সম্বোধন করে বলতেন,
জিহাদই আমাকে তোমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।
আহ, কুরআন থেকে দূরে থাকার কত সুন্দর আর চমৎকার অজুহাত। দূরে থাকাই বা বলি কী করে? জিহাদ করাও তো কুরআনের সাথেই থাকা। কুরআনের আইন বাস্তবায়ন করা। কিন্তু আজ আমরা ‘জিহায’-এর কারণে কুরআন থেকে যোজন-যোজন দূরে। পার্থক্য শুধু একটা হরফের: ‘দ’ ও ‘য’।
জিহায অর্থ সরঞ্জাম। সামগ্রী। অর্থাৎ মোবাইল-কম্পিউটার-ল্যাপটপ-টিভি।
.
৩৩. কুরআনের ছোঁয়া
কুরআন কারীম তিলাওয়াত ও কুরআন কারীম চর্চা মানুষকে উদার আর মুক্তহস্ত করে দেয়। কুরআনের ছোঁয়ায় একজন মানুষ হয়ে পড়ে অন্তহীন আকাশের ন্যায় উদার। মুক্ত বাতাসের ন্যায় অবাধ। নবীজি সা.-ও কুরআনের ছোঁয়ায় মুক্ত বাতাসের চেয়েও বেশি উদার আর মুক্তহস্ত হয়ে উঠতেন (বুখারী)।
কৃপণকে বেশি বেশি কুরআনের ছোঁয়ায় নিয়ে আসতে হবে। যে কোনও মানসিক রোগীকে কুরআনের ছায়ায় নিয়ে আসতে হবে। মন খারাপ থাকলে কুরআনের আলোয় আসতে হবে।
.
৩৪. আয়াতের মিল
কুরআন কারিমের প্রতিটি পৃষ্ঠায় দুটি মিলপূর্ণ আয়াত বা আয়াতাংশ থাকে। শব্দের সংখ্যায় মিল থাকে। বাক্য গঠনে মিল থাকে। অনেক সময় অন্ত্যমিলের দিক থেকেও অদ্ভুত রকমের মিল থাকে। একটু নমুনা দেখা যাক:
প্রথম পৃষ্ঠা:
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِیمِ
ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَ ٰ⁠طَ ٱلۡمُسۡتَقِیمَ
দ্বিতীয় পৃষ্ঠা:
وَبِالآخِرةِ هم يُوقِنُون
وأولئك هم المفلِحون
তৃতীয় পৃষ্ঠা:
أَلَاۤ إِنَّهُمۡ هُمُ ٱلۡمُفۡسِدُونَ وَلَـٰكِن لَّا یَشۡعُرُونَ
أَلَاۤ إِنَّهُمۡ هُمُ ٱلسُّفَهَاۤءُ وَلَـٰكِن لَّا یَعۡلَمُونَ
আরেকটা ব্যাপার লক্ষণীয়, প্রতি পৃষ্ঠার সাদৃশপূর্ণ দুটি আয়াতে অর্থগত মিলও আছে। দুটিকে সামনে রেখে তাদাব্বুর-তাফাক্কুরেরও ব্যাপক অবকাশ আছে। সব পৃষ্ঠায় এই নিয়ম খাটবে কি না বলতে পারছি না, নিজেরা চেষ্টা করে দেখতে পারি। মিলে গেলে আলহামদুলিল্লাহ, না মিললে, নাউযুবিল্লাহর কিছু নেই।
.
৩৫. মনের ওষুধ
কী ব্যাপার, মন খারাপ করে বসে আছ যে?
সংসার-সমাজের চাপ?
একটু ভেবে কারণটা বলো তো?
নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই, মাঝেমধ্যে মন কেন যেন বিষণœ হয়ে থাকে।
সঠিক উত্তর দাও নি। সাচমুচ বাতাও, আমি আজ ইস্তেগফার করি নি। কুরআন তিলাওয়াত করি নি।

Iklas-ইখলাস

03 Nov, 14:58


.
৩৬. অবিশ্বাসী মুসলিম
তিউনিসিয়ার সদ্যপ্রয়াত প্রেসিডেন্ট আলবাজী সাবসি। তার মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় দেখা গেল একলোক বসে কুরআন তিলাওয়াত করছে। অথচ সাবসী ক্ষমতায় থাকাকালে সদম্ভে ঘোষণা করেছিল, ‘তিউনিসিয়ার সাথে ইসলাম ও কুরআনের কোনও সম্পর্ক নেই’।
নারী ও পুরুষ সমান মিরাস পাবে, এই বিষয়ে তার অবস্থান ছিল অত্যন্ত কঠোর আর সুস্পষ্ট। মুসলিম নারীকে কাফির পুরুষ বিয়ে করতে পারবে, কুরআনবিরোধী এই আইনেও সাবসীর ধর্মবিরোধী অবস্থান ছিল সুদৃঢ়। যে জীবিত অবস্থায় কুরআন মানে নি, যদি তাওবা না করে মারা যায়, কুরআন পাঠে তার কী উপকার হবে?
.
৩৭. আক্ষেপ
১. হায়, আমি যদি জীবনটা শুধু কুরআনের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখতাম।
-সুফিয়ান সাওরি রহ.
২. আমার, আমাদের মধ্যেও একসময় এই আক্ষেপটা প্রবল হয়ে উঠবে। ইশ, দুনিয়ার সব বাদ দিয়ে শুধু কুরআন ও হামিলে কুরআনকে নিয়ে কেন ব্যস্ত থাকলাম না।
.
৩৮. সংশোধন
১. আহলে কুরআন যদি সংশোধিত হয়ে যেত, সব লোক আপনা-আপনিই সংশোধিত হয়ে যেত।
-মায়মূন বিন মুহরান রহ.
২. কুরআন হলো উম্মুল কিতাব। সমস্ত কিতাবের মূল। কুরআন মেনে চলা মানে, সমস্ত জ্ঞানের মৌলিক অংশকে মেনে চলা।
৩. আহলে কুরআন বা কুরআন শিক্ষাদানকারীগণও নবীজি সা.-এর প্রকৃত ওয়ারিস। তারা ভালো হলে, বাকিরা তাদের ছোঁয়া পেয়ে এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে।
৪. আহলে কুরআন এখন ব্যবহৃত হয়, যারা হাদিস মানে না, তাদের ক্ষেত্রে। হাদিস শরিফে আহলে কুরআন বলে বোঝানো হয়েছে, যারা কুরআনে হাফেজ। যারা বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করে, তাদের।
.
৩৯. ওসিয়ত
১. একলোক উবাই বিন কা‘ব রা.-কে বললেন,
‘আমাকে কিছু ওসিয়ত করুন’।
আল্লাহর কিতাবকে ইমাম হিশেবে গ্রহণ করো, আল্লাহর কিতাবকে কাজি ও হাকিম হিশেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নাও। কুরআন ও সুন্নাহকেই তোমাদের রাসুল তাঁর স্থলাভিষিক্ত করে রেখে গেছেন। কুরআন তোমাদের জন্যে সুপারিশকারী। কুরআন তোমাদের জন্যে নিরঙ্কুশ মাননীয়। কুরআন সন্দেহাতীতভাবে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষী। কুরআনে আছে তোমাদের আলোচনা। তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের আলোচনা। কুরআনে আছে তোমাদের বর্তমান জীবনের বিধি-বিধান। কুরআনে আছে তোমাদের সংবাদ-বৃত্তান্ত। তোমাদের পরবর্তীদের বৃত্তান্তও আছে।
২. কুরআন কারিম হলো পুরো মানবজাতির দর্পণ। কুরআনেই আছে সব সমস্যার সমাধান। কুরআনের ছোঁয়া পেয়েই মৃত কলব জীবিত হয়। কুরআনের প্রভাবে মানবজাতির গতি-প্রকৃতি সংশোধিত হয়।
.
৪০. হুদান-লিন্নাস
কুরআন কারিম নাজিল শুরু হওয়ার পর, প্রায় পনেরোশ বছর পার হয়ে গেছে। আজও কুরআন প্রথম দিনের মতোই ‘হুদান লিন্নাস’ আছে। কিয়ামত পর্যন্ত একই রকম (هُدى لِّلنَّاسِ) মানবজাতির জন্যে হিদায়াতস্বরূপ থেকে যাবে।
.
৪১. মুকাল্লিদ
মানুষ প্রথমে কুরআন ছেড়ে হাদিসের দিকে ধাবিত হয়েছে। তারপর হাদিস ছেড়ে ইমামগণের বক্তব্যের দিকে ধাবিত হয়েছে। তারপর ইমামগণের বক্তব্য ছেড়ে ‘মুকাল্লিদদের’ রীতিনীতির দিকে ধাবিত হয়েছে। তারপর কিছু মুকাল্লিদের মতো অন্ধ তাকলিদ ছেড়ে জাহেল ও তাদের ভ্রান্তির দিকে ধাবিত হয়েছে। এভাবেই একটি উম্মত তাদের শক্তি হারিয়ে বসেছে।
-শায়খ গাযযালী রহ.।
.
৪২. কুদসিয়া
১. কুদসের সবচেয়ে যে বিষয়টা বেশি টানে, তা হলো ‘কুদসিয়া’ বোনদের কুরআনি হালকা। যায়নবাদী দখলদার ইয়াহুদিদের শত নির্যাতন কাঁদানে গ্যাস, লাঠির আঘাত, গুলি, কিছুই ‘কুদসিয়া’ বোনদের দমিয়ে রাখতে পারে না। তারা আল্লাহর কালাম নিয়ে অহর্নিশি মশগুল ‘মুনহামিক’ (বুঁদ) হয়ে থাকেন।
২. এদের দেখলে, বুকের ভেতরে কেমন এক চিনচিনে গিবতা (ঈর্ষা?) অনুভব করি। কী এক আলোময় জীবন তাঁদের।
.
৪৩. আরিফ বিল্লাহ
কুরআন কারিম ‘বুস্তানুল আরিফীন’। আল্লাহকে যারা চিনতে চান, যারা আল্লাহকে চেনার পথে বের হন, তাদেরকে ‘আরিফ’ বলা হয়। কুরআন কারিম আল্লাহকে চেনার শ্রেষ্ঠতম বুস্তান। বাগান। এই বাগানে আল্লাহকে চেনা যায়। এই বুস্তানের প্রতিটি ফুলে আল্লাহকে চেনার ঘ্রাণ পাওয়া যায়। এই বাগানের প্রতিটি লাইনে আল্লাহকে জানার ‘রঙ’ পাওয়া যায়। এই বাগানে আল্লাহকে পাওয়ার তরিকা পাওয়া যায়।
.
৪৪. কুরআন সম্প্রচার
সেদিন কুয়েতের আমির মারা গেলেন। কুয়েতের জাতীয় টেলিভিশনে নিয়মিত অনুষ্ঠান স্থগিত করে, কুরআন তিলাওয়াত সম্প্রচার করা হয়েছে। কুরআন কারিমকে আজ আমরা মৃত্যুর সাথে নির্দিষ্ট করে ফেলেছি। অথচ দরকার ছিল উল্টোটা। কুরআন কারিম জীবনের জন্যে। আমি সারা জীবন কুরআনবিরোধী আচরণ করে, শেষযাত্রায় কুরআন নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করলে, কুরআন আমার জন্যে কতটা উপকারী হবে, বলা কঠিন। তারপরও কুরআনে ফিরে আসাও কম কথা নয়। কুরআন কারিম হোক জীবনে ও মরণে।
.
৪৫. কুরআন-যাপন
গতরাতে ঘুমুতে যাওয়ার সময়ও কুরআন নিয়ে মশগুল ছিল। স্বপ্নও দেখেছে কুরআন নিয়ে। ঘুম থেকে উঠেও কুরআন নিয়ে বসে পড়েছে। এমন জীবন কতই না বরকতময়।

Iklas-ইখলাস

03 Nov, 14:58


.
৪৬. ওসিয়ত
বিয়ের পর আমার ফুপি আমাকে ‘ওসিয়ত’ করেছিলেন,
‘বাবা, যখন তুমি তোমার সন্তানের জন্যে দুআ করবে, সাথে সমস্ত মুসলমানের সন্তানের জন্যেও দুআও করবে। অন্যের সন্তানের জন্যে দুআ করলে, তোমার সন্তানের কল্যাণও আল্লাহ নিশ্চিত করবেন। মুসলমানের সন্তানের ভালো তো একপ্রকার তোমার সন্তানের ভালোর মতোই। কারণ, অন্য মুসলমানের সন্তান ভালো হলে, তোমার সন্তানও তার দ্বারা প্রভাবিত হবে।
ফুপির এই ওসিয়ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, হাতেনাতে ফল পেয়েছি।
-ড. ফাহদ সুলতান রুমী
.
৪৭. হিলিং টাচ
হিলিং টাচ বলে একটা কথা আছে। এটি একটি চিকিৎসাপদ্ধতির নাম। বিশেষ পদ্ধতিতে, শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি স্পর্শের মাধ্যমে নিরাময়ের চেষ্টা করা হয়। অনেক দুরারোগ্য ব্যাধিও নাকি এই প্রাচীন চিকিৎসাবিদ্যার মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। কুরআন কারিমেরও নিজস্ব শক্তিশালী হিলিং টাচ আছে। নিরাময়ী স্পর্শ। এ স্পর্শ শুশ্রূষার। এ স্পর্শ জীবনের। এই স্পর্শ আখিরাতের। এই স্পর্শ জান্নাতের। এই স্পর্শ চূড়ান্ত সাফল্যের।
.
৪৮. ছায়ানিবিড় বাগান
কুরআন কারিম শীতল ছায়ানিবিড় আরামদায়ক এক বাগান। এই বাগানে চাষাবাদ খুবই সহজ। এই বাগানের ফুল-ফল সবই অতি সুস্বাদু। এই বাগানের প্রতিটি গাছ-ফল-ফুল নিরাময় আর আরোগ্যদানকারী। এই বাগানের ছায়ায় বাস করতে পারা বিরাট সৌভাগ্যের। এই বাগানের ফলমূল কুড়াতে পারা রাব্বে কারিমের অপরিমেয় নিয়ামত। এমন একটি বাগানের মালিক—আমি বলতে গেলে কোনও বিনিময় ছাড়াই—বনে বসে আছি। আমি বাগানটার ঠিকমতো দেখভাল করছি? বাগানের ফুলের সুবাসে, ফলের রসে নিজেকে রঙিন করতে পারছি তো?
.
৪৯. আসমানি কিতাব
১. পৃথিবীতে একমাত্র একটি গ্রন্থই আছে, যা বিশে^র শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আল্লাহর পাঠানো সমস্ত আসমানি কিতাবের ইলম ধারণ করে আছে। কুরআন কারিম হলো সেই কিতাব।
২. তাওহিদ ও ঈমানের মূলনীতি আদম আ. থেকে আজ পর্যন্ত এক। সমস্ত নবী ও রাসুল একই তাওহিদের দাওয়াত দিয়ে গেছেন। পার্থক্য হয়েছে শুধু শরিয়তে। সালাত কয় ওয়াক্ত হবে, সিয়াম কয়দিন রাখবে—এসবের পার্থক্য।
৩. কুরআন কারিম অনুসরণ করা মানে, সমস্ত আসমানি কিতাবের অনুসরণ। পেয়ারা নবীজি সা.-এর অনুসরণ মানে, সমস্ত নবীর অনুসরণ।
.
৫০. মনমরা ভাব
সারাক্ষণ এমন মনমরা ভাব নিয়ে থাক কেন?
কী করবো, কিছুই ভালো লাগে না। কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। কথা বলতে মন চায় না। ঘর থেকে বের হতে মন সায় দেয় না।
তুমি সূরাতুল ইনশিরাহ (আলাম নাশরাহ) নিয়মিত পড়তে থাক।
কখন কয়বার পড়ব?
কোনও ক্ষণটন ছাড়াই যখন তখন পড়তে থাক। হিশেব ছাড়া। গোনা ছাড়া।
কিছুদিন পর। হুজুর, আমার অসুখ কেটে গেছে।
কুরআন কারিম হলো ‘শিফা’ আরোগ্য। উপশম নিকেতন।

~শায়েখ আতিক উল্লাহ হাফি.

Iklas-ইখলাস

03 Nov, 12:12


সবারই মনে ইচ্ছা থাকে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত করার। যদি সে পরিমাণ তিলাওয়াত প্রতিদিন না হয়, বা করা হলেও মনের ওপর জোর খাটিয়ে করতে হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে,
কোনও গুনাহ আমার কলবকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। মলিন করে ফেলেছে। পাপের এ মলিনতা-কলুষতাই আমাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত থেকে বাধা দিয়ে রাখছে।
.
২১. সৌভাগ্যের উৎস
আমরা কত কত জায়গায় সৌভাগ্যের সন্ধান করি, অথচ যাবতীয় সৌভাগ্যের উৎস অযতেœ, অবহেলায়, ধুলোমলিন অবস্থায় বইয়ের তাকে, পড়ার টেবিলের এক কোণে অসহায়ের মতো পড়ে থাকে।
আমরা নিশ্চয় বুঝে গেছি সেটা কী?
‘আল-কুরআন’।
.
২২. কুরআনি চিকিৎসা
মানসিক রোগের জন্যে যত বড় ডাক্তারের কাছেই যাই, কুরআন কারিমের একটি আয়াত আমার মনকে যতটা শাস্তি দিতে পারবে, সুখ দিতে পারবে, দুনিয়ার তাবত ডাক্তার মিলেও তা পারবে না।
.
২৩. আল্লাহর রজ্জু
কুরআন কারিম একটা রশির মতো। এর একটি দিক আল্লাহর হাতে, আরেক দিক আমার হাতে। আমি যত বেশি রশিটা ধরে থাকবো, ততবেশি আল্লাহর সাথে জুড়ে থাকতে পারবো। আমি যত বেশি রশিটা ঢিল দেবো, তত বেশি আমি গোমরাহির অতল গহ্বরে পতিত হতে থাকব।
শুধু ধরে থাকলেই হবে না, শক্ত করে ধরতে হবে। কারণ এই রশির অদৃশ্য একটি টান আছে। আমাকে আস্তে আস্তে টেনে আল্লাহর দিকে নিয়ে যাবে। যেমন তেমন করে ধরে থাকলে, আমি এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকবো। কোনও উন্নতি হবে না।
.
২৪. প্রয়োজন পূরণ
কুরআন কারিম সবার জন্যে। সবার প্রয়োজন মেটায়।
ঈমান বৃদ্ধি পাওয়ার জন্যে তিলাওয়াত করলে ঈমান বৃদ্ধি পায়।
ভয় দূরীভূত করার জন্যে তিলাওয়াত করলে ভয় দূর হয়।
দুঃখ-শোক দূরীভূত করার জন্যে তিলাওয়াত করলে দুঃখ-শোক দূর হয়।
আল্লাহর মহব্বত বৃদ্ধির জন্যে তিলাওয়াত করলে মহব্বত বৃদ্ধি পায়।
.
২৫. কুরআনের ভালোবাসা
যে জন্মগতভাবে বোবা, সেও চায় সুন্দর সুললিত কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করবে। মায়ের পেট থেকেই বধির হয়ে এসেছে, সেও গভীর আশায় প্রহর গোনে, আল্লাহর কালাম শুনবে। জন্মান্ধ ব্যক্তিও মনে মনে সুপ্ত বাসনা পোষণ করে, কুরআন কারিমকে একটু নিজ চোখে দেখবে। আমার চোখ আছে, আমার বাকশক্তি ঠিক আছে, আমার দৃষ্টিশক্তি ঠিক আছে! আমি কী করছি? আমাকে কি আমার মোবাইল গ্রাস করে নিয়েছে?

~শায়েখ আতিক উল্লাহ হাফি.

Iklas-ইখলাস

03 Nov, 12:12


কুরআন কারিমের সাথে লেগে থাকলে সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়।
কুরআন কারিমকে কলবে স্থান দিলে?
সে কলব থেকে দুনিয়া বের হয়ে যায়।
সে কলবে সুখ-সৌভাগ্য এসে বাসা বাঁধে।
সে কলবওলার জীবনে বরকতের বান ডাকে।
ধন্য হোক, কুরআন দ্বারা পূর্ণ হৃদয়, কুরআন দ্বারা সজ্জিত হৃদয়।
ইয়া রাব্ব, আমাদেরকে এমন মানুষের অন্তর্ভুক্ত করুন।
.
১৩. ঈমানখেকো
আমাদের কথা হচ্ছিল দোকলাম আর চিকেন নেক নিয়ে। অবাক হয়ে দেখলাম, দৈনিক পত্রিকার, অনলাইন পোর্টালের প্রায় সব খবরই তার নখদর্পণে থাকে। দোকলাম অঞ্চল নিয়ে চীন-ভারতের দ্বৈরথ, দার্জিলিংয়ের চিকেন নেক নিয়ে ভারতের থরহরি কম্পমান অবস্থা, মার্কিনি গুয়াম ঘাঁটিতে হামলার জন্যে উত্তর কোরীয় ‘রাজার’ হুমকি, সবই তার নখদর্পণে। কিন্তু বিশটা মিনিট কুরআন কারিমের জন্যে ব্যয় করার ফুরসত মেলে না। কখনো সালাতও পিছিয়ে যায়। মিডিয়া এক প্রচ- ঈমানখেকো দানবে পরিণত হয়েছে।
.
১৪. কিয়ামুল লাইল
কিছু মানুষ থাকে, তাদের সাথে কথা বলতে দাঁড়ালে কোন ফাঁকে সময় পেরিয়ে যায়, টেরও পাওয়া যায় না। গত পরশু বিশ^রোডের পাশে দাঁড়িয়ে কথা শুরু হলো। ঈশার পর থেকে। কোন ফাঁকে সাড়ে এগারোটা বেজে গেল, আল্লাহই ভালো জানেন। একই জায়গায় সাড়ে বারোটা বাজার রেকর্ডও আছে। এই বিশেষ ‘কিয়ামুল লাইলে’(!) খুব বেশি মানুষ থাকে না।
যত বিষয় নিয়েই আমাদের কথা হোক, শেষ মুহূর্তে এসে কুরআন কারিমে ঠেকবেই। সেদিনও তা-ই হলো। কালও একই অবস্থা। প্রতিবারই তিনি আমাকে প্রশ্ন করেন,
তিলাওয়াত কেমন চলছে?
এবার আমিই প্রশ্ন করলাম,
‘তিলাওয়াতের তাওফিক কেমন হচ্ছে’?
আসলে কুরআন কারিম নিয়ে যতই সময় কাটানো হোক, গবেষণা করে কাগজের বিশাল স্তূপ দিয়ে ফেললেও তিলাওয়াতের বিকল্প কিছুই নেই। বেশি বেশি তিলাওয়াত করতেই হবে। এটার মতো শক্তিশালী আমল আর কিছু নেই। তিলাওয়াত মানে হলো, ডিরেক্ট কল। ডাইভার্ট কল নয়। প্রতিবার আমাদের এই বিশেষ ‘কিয়ামুল লাইলের’ পর তিলাওয়াতের মান ও পরিমাণ বেড়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ।
.
১৫. নারীর শক্তি
একজন নারীর কতটা শক্তি? দ্বীন প্রচারের ক্ষেত্রে? না না, টিভি মিডিয়া বা ফেসবুকের কথা বলছি না। ঘরে থেকেই একজন নারী কতটা দ্বীনের কাজ করতে পারে? প্রশ্নটা যখনই জাগে, সাথে সাথে একটা শে‘রও পাশাপাশি মুখে চলে আসে!
তু মী দা-নী কেহ সূজে কেরাআতে তূ
দিগরগোঁ করদ তাকদীরে উমার রা।
শে‘রটা প্রায়ই মাথায় ঘোরে। আল্লামা ইকবাল মরহুমের চিন্তাগুলো বড়ই অদ্ভুত। যেদিকে কারো দৃষ্টি যায় না, তার দৃষ্টি খুঁজে খুঁজে ঠিক সেখানে হাজির হয়। বোনের কুরআন পড়া, কুরআন শিক্ষার প্রতি দরদ, কুরআনের শিক্ষার প্রতি অবিচল আস্থা দেখে উমার ঈমান এনেছিলেন। এ-ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত করেই আল্লামার স্বগতোক্তি,
তুমি তো জানই তোমার তিলাওয়াতে কতটা শক্তি।
উমারের মতো মানুষের তাকদিরই বদলে দিয়েছে।
.
১৬. মুফাসসির
দ্বীন সম্পর্কে জানার একটা পর্যায়ে গিয়ে কারো কারো মধ্যে কিছু বিচ্যুতি দেখা দেয়। তাদের মধ্যে মুফাসসির বা মুহাদ্দিস হওয়ার শখ জাগে। মুফাসসির হতে গিয়ে নিজের বুঝ মতোই কুরআন ব্যাখ্যা করতে শুরু করে দেয়। ভেবে দেখে না, আমি যা বলছি, সেটা সালাফের মানহাজ অনুযায়ী হচ্ছে তো? নাকি কুরআন থেকে গায়ের জোরে যুগোপযোগী সমাধান বের করতে গিয়ে খোদ নিজেই উৎকট এক জীবন্ত সমস্যায় পর্যবসিত হচ্ছি?
.
১৭. মুজিযা
কুরআন কারিম খোদ একটি ‘মুজিযা’। শুধু তা-ই নয়, পাশাপাশি মুজিযার জন্মদানকারীও বটে। কুরআনের সংস্পর্শে জন্ম নিয়েছে অসংখ্য মুজিযা। কুরআন কারিমের উপর আমল করে অনেক মানুষ আল্লাহর ওলি হয়েছেন। সেই ওলিগণের হাত দিয়ে অনেক ‘কারামত’ মানে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এটা কুরআনেরই বরকত।
পার্থক্য হলো, নবীগণের মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া অলৌকিক ঘটনাকে ‘মুজিযা’ বলে। ওলি-বুজুর্গুর হাত দিয়ে প্রকাশ পাওয়া অলৌকিক ঘটনাকে ‘কারামত’ বলে। কুরআন কারিম এতই প্রভাবশালী কিতাব, শুধু ঈমানদার নয়, একজন কাফিরও উপকৃত হতে পারে।
(হাকীমুল উম্মতের মালফুযাত অবলম্বনে)
.
১৮. পকেটে কুরআন
পকেটের মধ্যে কুরআন কারিম নিয়ে ঘোরাফেরা করলেই সবকিছু হয়ে যাবে—এমনটা নয়। নিজের আখলাকের মধ্যে একটা আয়াত নিয়ে ঘোরাটা অনেক বড় কিছু।
.
১৯. কুরআনের ধুলো
একটা বাক্য পড়লাম, ভেতরে বড়সড় একটা ধাক্কা লাগল। বাক্যটি হলো,
‘তুমি তোমার মোবাইলে ধুলো পাবে না। কিন্তু কুরআনের ওপর ঠিকই ধুলো জমে থাকতে দেখবে’।
আসলেই যদি অবস্থা এমন হয়, তাহলে তুমি ধরে নাও, তুমি বান্দার সাথে সম্পর্কস্থাপনকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছ। অবহেলা করছ আল্লাহর সাথে সম্পর্কস্থাপনকে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, বাক্যটা পড়ার সাথে সাথেই মোবাইল এবং কুরআন উভয়টার প্রতি চট করে নজর দিলাম। হায় হায়, কুরআনের ওপর ধুলোর হালকা স্তর জমে আছে,
ইয়া আল্লাহ!
.
২০. তিলাওয়াতের তাওফিক

Iklas-ইখলাস

03 Nov, 12:12


কুরআনি ভাবনাগুচ্ছ
------------------
১. কুরআনের মর্যাদা
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহ. রমাদান মাসেই কুরআনের মর্যাদা রক্ষায় জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। আব্বাসী খলিফার চাবুকের ক্রমাগত আঘাত সইতে না পেরে একেকদিন বেহুঁশ হয়ে যেতেন। এমন অবিশ্বাস্য নির্যাতনের মুখেও কুরআনের সম্মান রক্ষার দাবি থেকে একবিন্দু পিছু হটেন নি। রোজাও ভাঙেন নি। আমি কী করছি? টেনেটুনে একপারা তিলাওয়াত করছি? অথচ তাঁরা দিনে রাতে দুই খতম দিতেন।
.
২. অনিদ্রা রোগ
এক আরব খ্রিস্টানের সরল স্বীকারোক্তি,
আপনি সব সময় এত হাসিখুশি কীভাবে থাকেন?
আমি প্রতিদিন শোয়ার আগে একটা কাজ করি।
কী কাজ?
ভালো করে গোসল করে কুরআন খুলে কয়েকটা ‘ভার্স’ বাইবেলের মতো সুর করে করে পড়ি। আগে আমার অনিদ্রা রোগ ছিল, একজন ‘দরবেশ’ আমাকে এই পরামর্শ দিয়েছিলেন। এখন রাতে আমার গভীর ঘুম হয়। আগে আমি বিষন্ন রোগে ভুগতাম। এখন দিনের পর দিন আমার একবারও খারাপ হয় না।
অথচ মাসের পর মাস চলে যায়, আমি একবারও কুরআন কারিম খুলে বসি না।
.
৩. আল্লাহকে চেনা
সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বোচ্চ সর্বোৎকৃষ্ট সর্বোপকারী ইলম হলো, আল্লাহকে চেনার ইলম। আল্লাহকে চেনার ইলম অর্জনের অব্যর্থ কার্যকরী পদ্ধতি হলো:
ক. কুরআন কারিমের আয়াত নিয়ে তাদাব্বুর করা।
খ. সৃষ্টিজগৎ নিয়ে গভীর ভাবনায় ডুব দেওয়া।
.
৪. বুঝে পড়া
কুরআন কারিম পড়ার সময় বোঝার চেষ্টা করা। আরবি না জানলেও অন্ধকারে হাতড়ানোর মতো হলেও অর্থটা অনুভব করার চেষ্টা করা। কুরআন পড়া মানে আল্লাহর সাথে কথা বলা। তখন মনকে সব চিন্তা থেকে অবমুক্ত করে নিলে অফুরন্ত লাভ। আমি আল্লাহর কথা বুঝতে পারছি না, কিন্তু আল্লাহ তো আমার কথা বুঝতে পারছেন। আমি যে তাঁরই কথা উচ্চারণ করছি। আমার এই না-বোঝা আবৃত্তি শুনে তিনি কি খুশি না হয়ে পারেন? আমাকে তাঁর নৈকট্য দান না করে পারেন?
.
৫. অফুরন্ত শক্তি
কুরআন কারিমের প্রতিটি আয়াতই অফুরন্ত শক্তির আধার। গভীর মনোযোগ দিয়ে তিলাওয়াত করলে, বারবার একই আয়াত পড়তে থাকলে, মনের দুঃখ দূর হয়। যাবতীয় দুশ্চিন্তা উবে যায়। জীবন ও কর্মে প্রভূত বরকত আসে। আমরা চর্মচক্ষে এসব বরকত দেখতে পাই না। আল্লাহ তাআলা আমাদের অগোচরেই নানাবিধ বরকতে আমাদের জীবনকে পূর্ণ করে দেন। নবীজি সা. একটা আয়াত পড়ে পড়েই সারারাত কাটিয়ে দিয়েছেন।
.
৬. মূল্যায়ন
কুরআন কারিম নিয়ে মুসলিম-অমুসলিম-নির্বিশেষে মনীষীগণ নানারকম মন্তব্য করেছেন। যে যার বুঝ মতো মতামত প্রকাশ করেছেন। ভালোলাগার অনুভূতি জানিয়েছেন। এসব মন্তব্য ও অভিব্যক্তিগুলো খুঁজে খুঁজে পড়লে কুরআন কারিমের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। নতুন করে বাড়তি ভালোবাসা জন্মায়।
.
৭. আল্লাহর প্রদি দরদ
বাবা-মা, বিবি-বাচ্চার প্রতি আমার কেমন দরদ, সেটা মাপা যায়। তার গভীরতা অনুমান করা যায়। আচরণ দিয়ে, ব্যবহার দিয়ে, যাপিত জীবন দিয়ে। আল্লাহর প্রতি আমার ভালোবাসা কতটা গভীর, সেটাও মাপা যায়। কুরআন কারিমের প্রতি আমার ভালোবাসা কতটা গভীর, সেটা দিয়ে।
.
৮. ধনভান্ডার
কুরআন কারিম হলো ধনভান্ডারের মতো। কাউকে বিশাল এক ধনভান্ডারের চাবি দিয়ে যদি বলা হয়, তোমার যত ইচ্ছা দুহাত ভরে হীরা-জহরত-মণিমুক্তা নিয়ে নাও। মানুষটা দু’হাত ভরে নিবেই, কসরত করে গিলেও কিছু মুক্তা নিয়ে আসতে চাইবে। আঁশ না মেটা পর্যন্ত ধনভান্ডার ছেড়ে একচুলও নড়তে চাইবে না।
কুরআন কারিম ইলমের মণি-মুক্তায় ভরপুর। তবুও কুরআন নিয়ে বসতে মন চায় না। বসলেও কখন উঠব তার জন্যে ঘন ঘন ঘড়ির দিকে চোখ যায়। বারবার হাই ওঠে। নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা মনে পড়ে যায়। অথচ হওয়ার কথা ছিল উল্টোটা।
.
৯. হিদায়াত
রাব্বে কারিম অনেক সময় অনীহ বান্দাকেও হিদায়াত দিয়ে দেন। এমন অনেক ঘটনা আছে, কুরআন কারিমের ভুল বের করার নিয়তে কুরআন নিয়ে বসেছে। দুয়েক আয়াত পড়েই হিদায়াতি বুঝ পেয়ে গেছে। জাহান্নাম নিতে এসে জান্নাত নিয়ে ফিরে গেছে।
.
১০. নিয়ামত
সব সময় কুরআন কারিম নিয়ে থাকেন। কুরআন কারিম নিয়ে গবেষণা করেন। কুরআন কারিম-বিষয়ক বিশাল বিশাল গ্রন্থ লিখেন। সারা জীবন কুরআন কারিম নিয়ে কাটিয়েছেন। এমন মানুষও কিন্তু হিদায়াত থেকে দূরে থাকতে পারেন। মৃত্যুর সময় কালিমাহীন থাকতে পারেন। হিদায়াত এক আজিব নিয়ামত।
.
১১. প্রলোভন
শয়তানের কাছে অত্যন্ত বিপজ্জনক বিষয় হলো, আমার কুরআন কারিম নিয়ে বসা। শয়তান তার সর্বশক্তি ব্যয় করে আমাকে কুরআন কারিম থেকে দূরে সরাতে। নানা সুন্দর সুন্দর বিকল্প সামনে রাখতে থাকে। আমার মতো দুর্বল বান্দারা সেইসব প্রলোভন এড়াতে পারে না। ফাঁদে পড়ে যায়।
.
১২. কুরআনের প্রভাব
কুরআন কারিম তিলাওয়াত করলে স্বভাবে কোমলতা আসে।
কুরআন কারিম হিফজ করলে মর্যাদা বুলন্দ হয়।
বিষন্ন মন নিয়ে তিলাওয়াত শুরু করলে অল্পক্ষণেই মনটা প্রফুল্ল হয়ে ওঠে।

Iklas-ইখলাস

03 Nov, 08:16


জান্নাতের ছাদ হলো 'রব্বুল আ'লামিনের আরশ'

সালাফরা একে অপরকে সান্ত্বনা দিতেন এবং ভরসা দিয়ে বলতেন: এইতো আর কিছুদিন মাত্র, আসল ঠিকানা তো জান্নাত।
সাহাবায়ে কেরাম, সালাফে সালেহীনগণ নিজেদের এভাবেই সান্ত্বনা দিতেন।

জান্নাত নিয়ে বেশি বেশি চিন্তা ভাবনা করুন। এই দুনিয়ার মোহে পড়বেন না। দুনিয়ার এই মজা একেবারেই ক্ষণিকের। জান্নাতের জীবনের কোনো শেষ নেই। বারবার এ সত্যটা নিজেকে মনে করিয়ে দিন। জান্নাত নিয়ে প্রতিদিন কিছুসময় চিন্তা ভাবনা করুন, দুনিয়ার সকল যাতনা রকেটের গতিতে হাওয়া হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

মনে রাখবেন, সবচেয়ে বড় ক্ষতি সেটাই যখন পৃথিবীর চেয়ে প্রশস্ত জান্নাত দেখেও নিজের জন্য এতটুকু স্থান খুজে পাওয়া যাবে না! জান্নাত এমন এক স্থান যেখানে কাওকে কোনো ক্লান্তি স্পর্শ করবে না এবং কোনোদিন সেখান থেকে কাওকে বেরও করে দেওয়া হবে না তাই একটু কষ্ট সহ্য করুন। অন্তরে গেঁথে নিন একটি কথা, 'জান্নাতের প্রথম মুহুর্তেই আপনি ভুলে যাবেন দুনিয়ার সব দুঃখকষ্ট'

আরিফ আজাদ বলেন,
দুনিয়া একটা সাগর। এখান থেকে আমাদেরকে মুক্তো কুড়িয়ে ফিরতে হবে। সেই মুক্তোর নাম— জান্নাত।

Iklas-ইখলাস

03 Nov, 06:18


ধার্মিক এক যুবক দ্বীনদার এক মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু মেয়ের বাবা প্রস্তাব মেনে নেন নি; কারণ ছেলেটা ছিল গরীব।

কিছুদিন পরে আরেকজন যুবক বিয়ের প্রস্তাব দেয়। যদিও সে ধনী ছিল, কিন্তু তার পাপের কথা লোকদের অজানা ছিল না। অথচ মেয়ের বাবা প্রস্তাবটি সাথে সাথে মেনে নেন।

মেয়ে বিয়েতে অমত পোষণ করলে বাবা তাকে বার বার বোঝাতে লাগলেন। বললেন, “দেখ, আল্লাহ চাইলে তাকে হেদায়েত দিতে পারেন।”

একথা শুনে মেয়েটি বলল, “যিনি হেদায়েত দানের মালিক, তিনি কি রিযিক দানের মালিক নন?”

[শায়খ আল মুনাজ্জিদ (হাফি.) থেকে, Daily Fawaid থেকে সংগৃহীত এবং অনূদিত]

✍🏻আরিফুল ইসলাম

Iklas-ইখলাস

03 Nov, 04:38


আমাদের সবার নিয়ত এটাই হোক 🔥

Iklas-ইখলাস

03 Nov, 03:31


আইচ্ছা!!!

Iklas-ইখলাস

02 Nov, 17:28


ফিতরাত গত ভাবে প্রত্যেকটা নারীই মাতৃত্বের অধিকারী❤️‍🔥

Iklas-ইখলাস

02 Nov, 16:03


#সীরান_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্ব: ১৫

নুবুওয়াত ও ওহি সূচনার তারিখ :

ওহি অবতীর্ণ হওয়ার ও নুবুওয়াত-প্রাপ্তির সর্বপ্রথম ঘটনা। এটি সংঘটিত হয় রমাদান মাসে কদরের রাত্রে (লাইলাতুল কদর-এ)।

আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ""রমাদান মাস, এ মাসেই কুরআন অবতীর্ণ হয়।" [ সূরা বাকারা, ২ : ১৮৫]

আবার অন্য স্থানে বলেছেন, "নিশ্চয়ই আমি একে অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে।" [সূরা কদর, ৯৭ : ১]

বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, এই ঘটনা ঘটে সোমবার রাতের শেষ প্রহরে সূর্যোদয়ের খানিক পূর্বে। সময়টা ছিল রমাদান মাসে কদরের রাত্রি। সে বছর কদর ছিল ২১ রমাদানে। সে অনুসারে নবি(ﷺ) -এর নুবুওয়াতের সূচনা হয় তাঁর জন্মের একচল্লিশতম বছরের ২১ রমাদান সোমবার রাতে। [অন্য একটি সহীহ হাদীস অনুযায়ী কুরআন অবতীর্ণের তারীখ হলো, ২৪ রমাদান (২৫তম রাতে)]

সৌরবর্ষ অনুসারে নবি(ﷺ) চল্লিশতম বছরের শুরুর দিকেই নুবুওয়াত-প্রাপ্ত হয়েছেন।

ওহি-বিরতি ও পুনরাবৃত্তি:
হেরা গুহার সে ঘটনার পর কোনও ওহি আসা ছাড়াই বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে যায়। [ইবনু সা'দ, তবাকাতুল কুবরা, ১/১৯৬]. মুহাম্মাদ(ﷺ) -এর দুশ্চিন্তা হয় যে, আল্লাহ মনে হয় তাঁকে ত্যাগ করেছেন। কিন্তু কেন?
হতাশায় মাঝেমাঝে তিনি পাহাড় থেকে লাফ দিতে চাইতেন। কিন্তু ঠিক সেই সময়টায় জিবরীল (আলাইহিস সালাম)-এর উপস্থিতি অনুভূত হতো, ফলে শান্ত হয়ে যেতেন তিনি। আসলে এই বিরতিটুকু পরেরবার ওহি লাভের কষ্ট সামলাতে মুহাম্মাদ(ﷺ) -কে প্রস্তুত করে। ভয় দূর করে এবং নিজেকে স্বাভাবিক করে তুলতে সাহায্য করে। এ কারণে বরং তিনি ওহির প্রতি একধরনের আগ্রহ ও টান অনুভব করেন। ওহি অবতীর্ণ হওয়ার প্রতীক্ষা করতে থাকেন।

মুহাম্মাদ(ﷺ) একদিন হেরা গুহায় ইবাদাত শেষে পাহাড় বেয়ে নামছিলেন। এমন সময় আরেকটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। তাঁর নিজের বর্ণনায় ঘটনাটি এমন:

"পাহাড় থেকে নেমে উপত্যকায় আসতেই কাউকে আমাকে ডাকতে শুনলাম। ফলে আমি আমার ডানে তাকালাম কিন্তু কিছুই দেখতে পেলাম না। বামে তাকালাম সেখানে কিছু নেই। সামনে তাকালাম, পেছনে তাকালাম কিন্তু কিছুই দেখলাম না। এরপর আমিঃ মাথা তুলে দিগন্তপানে তাকালাম। দেখি হেরা গুহায় আমার কাছে যিনি এসেছিলেন, সেই ফেরেশতা। আসমান ও জমীনের মাঝে বিরাট এক চেয়ারে বসে আছেন। তাঁকে দেখে আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে মাটিতে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলাম। এরপর দ্রুতপায়ে বাসায় ফিরে খাদীজাকে বললাম, "আমায় চাদর দিয়ে ঢেকে দাও! আমায় চাদর দিয়ে। ঢেকে দাও! আমাকে কম্বল পরিয়ে দাও আর আমার ওপর একটু ঠান্ডা পানি ঢালোং ফলে সে আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দেয় এবং ঠান্ডা পানি ঢালে। অতঃপর অবতীর্ণ হতে শুরু করে-

"হে বস্ত্রাবৃত, উঠুন এবং সতর্ক করুন! আপনার প্রতিপালকের বড়ত্ব বর্ণনা করুন। পোশাক পবিত্র করে নিন। অপবিত্রতা পরিহার করুন। বেশি পাওয়ার লোভে দান করবেন না; বরং আপনার প্রতিপালকের জন্য ধৈর্য ধরুন। [ সূরা মুদ্দাসসির, ৭৪ : ৭]

এই ঘটনা সালাত ফরজ হওয়ার পূর্বেই ঘটেছিল। এরপর থেকে ওহি ধারাবাহিকভাবে নাযিল হওয়া আরম্ভ হয়। [বুখারি, ৪৯২৬, মুসলিম, ১৬১]

প্রথম ওহির মাধ্যমে মুহাম্মাদ(ﷺ) -কে নবি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ওহির মাধ্যমে তাঁকে রাসূল হিসেবে নির্বাচিত করা হলো। নুবুওয়াত ও রিসালাতের মাঝে ওহি-বিরতির সময়টুকুই ব্যবধান। উক্ত আয়াতে নবি(ﷺ) -কে দুটো কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং সে দুটি কাজের পরিণামও জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমটি হলো, 'উঠুন এবং সতর্ক করুন' আদেশ করা হচ্ছে, মানুষকে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ জানিয়ে দিতে এবং তাদের পাপরাশির কঠোর পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করতে। তারা যে পথভ্রষ্টতা ও পাপাচারে লিপ্ত রয়েছে, গাইরুল্লাহর পূজা করছে এবং আল্লাহর সাথে তাদের শরীক করছে এর পরিণামে আল্লাহ তাদের কঠোর শাস্তি দেবেন। তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম।

দ্বিতীয় দায়িত্ব হলো, আপনি নিজেও আল্লাহর আদেশ-নিষেধগুলো যথাযথভাবে পালন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট হোন। অন্যের জন্য নিজেকে আদর্শ হিসেবে গড়ে তুলুন। পরবর্তী আয়াতগুলোতে এই আদেশ করা হয়েছে।

অধ্যায়: নুবুওয়াত প্রাপ্তি এবং ওহি-বিরতি ও পুনরাবৃত্তি।
বই: রাসূলে আরাবি, পৃষ্ঠা: ৪২-৪৪।

Iklas-ইখলাস

02 Nov, 14:35


উম্মাহর নারীদের রক্ষার দায়িত্ব কিভাবে নিবেন?

Iklas-ইখলাস

02 Nov, 12:25


গোপন বিয়ে থেকে বিরত থাকুন!

Iklas-ইখলাস

02 Nov, 10:13


মেয়ে: আম্মু আমি তোমাদের পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করতে পারবোনা।

মা: কেনো পারবে না? ছেলের কোন দিক দিয়ে কমতি আছে বলো? টাকা আছে বাড়ি আছে ছেলে আবার (অমুক) দেশের সিটিজেন ও আর ছেলে প্রচুর শিক্ষিত ও।

মেয়ে: এইগুলো নাহয় দুনিয়ার জন্য তাহলে আখিরাতের জন্য কি আছে? নামাজ পড়েন? দাঁড়ি রেখেছেন? আল্লাহ তা'য়ালার আদেশ নিষেধ পালন করেন? নবীর সুন্নত পালন করেন? দ্বীনি জ্ঞান আছে?

মা: এইগুলো না থাকলেও কি হবে পরবর্তীতে তুমি তোমার মতো বানিয়ে নিও সমস্যা কি?

মেয়ে: আম্মু আল্লাহ তা'য়ালা সূরা কাসাস এর ৫৬ নং আয়াতে বলেছেন: নিশ্চয়ই তুমি যাকে ভালোবাসো তাকে তুমি হিদায়েত দিতে পারবে না: বরং আল্লাহই যাকে ইচ্ছে হিদায়েত দেন। আর হিদায়েতপ্রাপ্তিদের ব্যাপারে তিনি ভালো জানেন।

প্রতিবেশী: এই মেয়ে, তুমি কি তোমার মায়ের থেকে বড় হয়ে গেছো?
আপা,আপনার মেয়েতো দেখি অনেক বেয়াদব আপনার কথা শোনে না!

এমন পরিস্থিতির শিকার কত শত বোন 💔
আল্লাহ তায়ালা সবার সহায় হন এবং সকল বাবা-মাকে বুঝার তৌফিক দেন...

Iklas-ইখলাস

02 Nov, 05:58


ইনকিলাব ইনকিলাব🔥

Iklas-ইখলাস

23 Oct, 03:44


কেউ কেউ আমাদের শিখায় যে নারী পর্দা করে সব করতে পারে। তবে  সত্যিকার অর্থে নারী ঠিক ততটুকুই করতে পারে যতটুকু শরীয়ত মোতাবেক হয়। পর্দা করে সব করা যায়না...!

নারী হিজাব করে এভারেস্ট জয় করবে আর আপনারা বলবেন বাহ! এমনই তো হওয়া চাই। হিজাব পরে নারী ব্যাং-কে চাকরি করবে আর আপনারা বলবেন, ওমুক মেয়ে তো হিজাব করে চাকরি করে তোমার করতে সমস্যা কী? নারী হিজাব করে বিজনেস করবে, লাইভে এসে নিজেকে প্রদর্শন করবে আর আপনি বলবেন হিজাব করেতো সব-ই করা যায় আজকাল।

নারী হিজাব-নিকাব করে ব্রাইডাল ফটোগ্রাফি করে বিয়ে করবে আর সেগুলা অনলাইনে ভেসে বেড়াবে আর আপনি বলবেন, পর্দা করেতো ভালোই সব করা যায়। কেন যে ওরা এ-ত কঠিন করে ফেলে ইস-লামকে! হিজাব করে কাপল ভ্লগ করে কি-স হা-গ করে ভিডিও ছাড়বে আর বলবে আমরাতো পর্দা করেই এগুলা করি। কোনো কোনো অ_ন্ধ অনুসরণকারী বলবে, এই কট্টর মুস-ল-মান-দের এক বা_জে স্বভাব সবকিছুতেই প্রবলেম খুঁজে৷ নিকাব করে আপনি হেঁটে হেঁটে ভিডিও আপলোড করবেন আর আমরা নসীহা করলে উত্তরে বলবেন, পর্দা করতেছে এক মহিলা কেন আপনাদের এত চুল-কানি? নিকাব করে খাওয়া-দাওয়া, বিলাসিতা শো করলে কেও আপনাকে নসীহা করলে আপনি বলবেন, এসব সি_ক মানুষ কোথা থেকে যে আসে!

আসলেই আমরা সি_ক আর তাই আপনাদের পর্দার ধারণাটা আজও মাথায় ঢুকিয়ে নিতে পারছিনা। হিজাব একটা কাপড় না যা দিয়ে অনলি চুল ঢাকলাম। হিজাব একটা কাপড় না যা দিয়ে শুধু মুখটা ঢাকলাম। হিজাব একটা ফরজ বিধান যেটা আমার আপনার ইচ্ছামতো মডারেট ও-য়ে-তে পালনের সুযোগ নাই। নারী বাইরের বে-গানা পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ রেখে চলতে পারেনা, নারী হিজাব করেই ফ্রি-মিক্সিং পরিবেশে চাকরি করতে পারেনা। নারী আকর্ষণীয়ভাবে বে-গানা পুরুষদের সামনে এমন শো করতে পারেনা নিজেকে।

~ কামরুননাহার মীম!

Iklas-ইখলাস

23 Oct, 00:57


ছেলেরা চাচ্ছে মেয়েরা বোরকা পরুক, কিন্তু নিজেদের দৃষ্টি সংযত রাখতে মনে থাকে না।

মেয়েরা চাচ্ছে ‘স্মার্ট’ পোশাক পরতে, সাথে চাইছে ছেলেরা যাতে খারাপ দৃষ্টিতে না তাকায়।

সমস্যাটা এখানেই। আমি নিজে ধর্ম মানি না, কিন্তু আশা করছি আশেপাশের মানুষ ধর্ম মেনে চলুক!

~সংগৃহীত

Iklas-ইখলাস

22 Oct, 17:37


আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তোমাদের দেহগুলোকে পবিত্র রাখবে, আল্লাহ তোমাদের পবিত্র করুন। যদি কোনো বান্দা অজু অবস্থায় ঘুমায় তাহলে তার পোশাকের মধ্যে একজন ফেরেশতা শুয়ে থাকেন। রাতে যখনই এ ব্যক্তি নড়াচড়া করে তখনই এ ফেরেশতা বলেন, হে আল্লাহ আপনি এ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন, কারণ সে অজু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।’

(সহিহ ইবনে হিব্বান: ৩/৩২৮; আলবানি, সহিহুত তারগিব: ১/৩১৭)

মনে থাকবে তো?

Iklas-ইখলাস

22 Oct, 16:14


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্বঃ০৪

আবরাহার ব্যর্থ অভিযানের পঞ্চাশ কি পঞ্চান্ন দিন পরের ঘটনা। সময়টা ছিল বসন্তকাল। সোমবার ভোরবেলায় মক্কা নগরীতে বানু হাশিম পরিবারে জন্ম হয় মুহাম্মাদ ﷺ -এর। সে বছরই আবরাহা মক্কায় আক্রমণ করেছিল। আরবিতে হাতিকে বলে ফীল। হস্তিবাহিনীর আক্রমণের ঘটনার কারণে বছরটি পরিচিত হয় আমুল ফীল )عام الفيل( বা হস্তিবছর নামে।)

নবি ﷺ -এর জন্মের সময় ধাত্রীর কাজ আঞ্জাম দেন আবদুর রহমান ইবনু আউফ (রদিয়াল্লাহু আনহু)-এর মা শিফা বিনতু আমর।

সন্তান জন্মদানের পর রাসূল ﷺ -এর মা আমিনা স্বপ্নে দেখেন যে, তাঁর শরীর থেকে একটি আলো বেরিয়ে সিরিয়ার প্রাসাদগুলো আলোকিত করে ফেলছে।

নাতি জন্মের খবর পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত হন আবদুল মুত্তালিব। নবজাতককে কা'বায় নিয়ে আল্লাহ তাআলার শোকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন। আবদুল মুত্তালিবের ধারণা-তাঁর নাতি একদিন অনেক বড় হবে, খুবই প্রশংসিত হবে। তাই তিনি তার নাম রাখেন মুহাম্মাদ, অর্থ “প্রশংসিত"। আরবের সংস্কৃতি অনুযায়ী সপ্তম দিনে তিনি শিশু মুহাম্মাদের আকীকা করেন, চুল মুণ্ডন করেন এবং খতনা করেন। এরপর মক্কাবাসীদের নিমন্ত্রণ করে বেশ জমজমাট এক ভোজের আয়োজন করেন।

মুহাম্মাদ ﷺ -কে তাঁর বাবার দাসী উম্মু আইমান দেখা-শোনা করতেন। তিনি আবিসিনিয়ার অধিবাসী ছিলেন। তার আসল নাম ছিল বারাকাহ। আল্লাহ তাআলা তাঁকে অনেক নিয়ামাত ও অনুগ্রহ দান করেছেন। উম্মু আইমান (রদিয়াল্লাহু আনহা) রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নুবুওয়াতের যুগ পেয়েছিলেন এবং মদীনায় হিজরতও করেছিলেন।

অধ্যায়: নবিজি ﷺ এর জন্ম
বই: রাসূলে আরাবি
পৃষ্ঠা: ২৬

Iklas-ইখলাস

22 Oct, 15:01


সেদিন বুয়া এসে ঘর পরিষ্কার  করার সময় বিছানায় কাঁথা দেখে খুব অবাক হয়ে বললো, "আপা, এই গরমে আপনে কাঁথা গায়েত দেন!!"

তারপর নিজেই আবার স্বগতোক্তি করলো, " আপনারার তো এসি আছে, এর লাইগ্যা শীত করে। আমরার বাড়িত টিনের চাল, এমুন গরম পরে.."

তার চেহারায় প্রচণ্ড গরমের বিদ্ধস্ততা প্রকট ভাবে বিদ্যমান।

হঠাৎ করে কেন যেন আমার অসম্ভব লজ্জা বোধ হল, বুয়ার দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে কোন সদুত্তর  দিতে পারলাম না।  প্রয়োজন হলে এসি ছাড়তে পারি, গরমের রাতেও শীতের আমেজ পাই, আল্লাহ এর কত বড় রহমত এটা!!

কোন দিন আই পি এস ফেইল করলে, গরমে যেরকম ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা করে আস্ফালন করি, শীতাতপের শীতল হাওয়াতে কি সেই পরিমান কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি!?

নাকি এই বিলাসীতাকে 'অবশ্য পাওনা" হিসেবে ভেবে নিয়েছি?

এখনো মনে পড়ে, যেদিন ঘরে প্রথম আই পি এস লাগানো হয়েছিল, প্রথম বার কারেন্ট যাবার পরেও আমাদের ঘর আলোকিত রয়ে গিয়েছিল। প্রতিবেশীদের অন্ধকার ঘরের মাঝে, নিজ ঘরের আলোয় আম্মু খুব সংকোচ বোধ করছিলেন। এই নতুন পাওয়া সুবিধায় আনন্দিত হবার বদলে বহুদিন দেখেছি মায়ের লজ্জিত, সংকুচিত মুখাবয়ব। 

আশে পাশের সবাইকে ফেলে একা একা আরাম করার সেই লজ্জা থেকে স্বাভাবিক হতে অনেক দিন লেগেছিল।

আমরা প্রতিনিয়ত কত অজস্র নিয়ামতে যে ডুবে থাকি, তার সঠিক হিসাব নিজেরাও দিতে পারবো না। কি পেলাম না সেই ফিরিস্তি যত সহজে দিতে পারি, কত কিছু না চাইতেই পেয়ে গিয়েছি তা নিয়ে কিন্তু তত সহজে ভাবতে চাই না।

আর নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাও হয় না। যেমন কল খুললে পানি আসে। এই আপাতদৃষ্টিতে তুচ্ছ বিষয়টি কি বিশাল আশির্বাদ তা কি জানেন? পৃথিবীর অনেক দেশে পানি যেন সোনার মত মূল্যবান।

বেশ ক'বছর আগে একবার উটের পিঠে চেপে থর মরুভূমিতে যাচ্ছিলাম, আমার উটের মালিক ছিল তের/ চোদ্দ বছরের এক বালক। তার রোদে পোড়া তামাটে চেহারা আজও ভুলি নি।

শুষ্ক রুক্ষ মরুভূমিতে তাদের বসবাস। তাদের মত মরুভূমির  আরো অনেক গ্রামের বাসিন্দারাই, প্রতিদিনের ব্যবহার্য পানি নিয়ে আসে কয়েক মাইল দূরের নদী থেকে। সকাল হলেই গ্রামের মেয়েরা মাথার উপর অদ্ভুত উপায়ে একাধিক কলসি নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে পানি আনতে যায়।

সেদিনের পর থেকে অনেক দিন কলের পানি খুললে আমি কিছুক্ষণের জন্যে হলেও মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। এই সহজলভ্য পানি যে এত মূল্যবান তা এর আগে অনুভব করি নি।

শুধু কলের পানি নয়, ফ্রিজ খুললে খাবার পাওয়া যে একটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় তা আপনি কখনোই বুঝবেন না, যদি না কখনো খাবারের কষ্ট করে থাকেন। অথবা খাবারের কষ্টে মানুষ কত ত্যাগ, তিতিক্ষা করতে পারে তা না দেখে থাকেন।

বেশিদূর যেতে হবে না, এরকম মানুষ আশে পাশেই পাবেন। আমার শশুরবাড়িতে নতুন বুয়া রেখেছে কিছুদিন হল। মহিলাটির বার/তের বছরের একটি ছেলে আছে, স্বামী মারা গেছেন। বাচ্চাকে খাওয়াতে পারছেন না দেখে, বুকের ধনকে রেখে এসে অন্যের বাড়িতে কাজ করছেন।

মা তাকে ফেলে চলে এসেছে, এই অভিমানে বাচ্চাটি দিনের পর দিন মায়ের সাথে কথা বলছে না। এই মায়ের সামনে দিয়ে যখন আমি বাচ্চা কোলে নিয়ে বলতে থাকি, "আমার বাচ্চা খায় না",  সারাদিন পারলে ইউটিউব ঘেঁটে,  রান্না ঘরে গিয়ে বাবুর জন্য এটা সেটা রান্না করি, তখন নিজের আদিখ্যেতায় নিজেই বিরক্ত হই।

এক জন তার কলিজার টুকরার মুখে দুটো ভাত তুলে দেবার জন্য, ঘর বাড়ি ছেড়ে আমাদের ঘর সাজাতে এসেছে... যে খাবার আমার ছেলে হয়তো একবার মুখে তুলে, দ্বিতীয়বার মুখ বাঁকিয়ে ফেলে দেবে, সেই অর্থহীন খাদ্য রান্নার জন্য পেঁয়াজ কুটছে, পুরো ব্যাপারটিই কেমন যেনো হৃদয় বিদারক লাগে।

হায়রে, সন্তানের জন্য খাবার কেনার সামর্থ্যও যে কত বড় প্রাপ্তি, তা কি আমরা জানি?

মাথার ওপর ছাদ, ভালবাসার মানুষের সান্নিধ্য, এমনকি নিজের সংসারের জন্য খাটতে খাটতে হাঁপিয়ে ওঠার জন্যেও আলহামদুলিল্লাহ বলা উচিত।

নিজের সংসারের জন্যই তো পরিশ্রম করতে হচ্ছে। পরের বাড়িতে যেয়ে তো কাজ করতে হচ্ছে না। তাছাড়া কত মেয়ে একটা সংসার, সন্তান পাবার জন্য দিনের পর দিন দুয়া করে যাচ্ছে, তার খবর কি আমরা রাখি!

আমাদের অনেকে এই বুড়ো বয়সেও মা বাবার আদর পাচ্ছি। মাঝে মাঝে তাদের কাছে গিয়ে বিশ্রাম নিতে পারছি। কতজনের তো তাও নেই। কিংবা থাকলেও, তাদের কাছে যাওয়া সম্ভব নয়।

আসলে না পাওয়ার হিসেব করতে গেলে, তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকবে। তার চেয়ে কি কি পেয়েছি, তার হিসেব করলে কেমন হয়? সারাজীবিনেও হিসেব শেষ করতে পারবেন না।

সচেতন বা অবচেতন ভাবে কত নিয়ামতে আমরা আকন্ঠ ডুবে আছি তা আমরা নিজেরাও জানি না।

জীবন নিয়ে কৃতজ্ঞ হলে, লাভ বই ক্ষতি নেই।

দুনিয়ার পেছনে, নিরন্তর চাহিদার পেছনে ছুটতে ছুটতে, জীবনে যা আছে তা উপভোগ করার আগেই ওপারে পাড়ি জমায় অনেকে।

তাই মাঝে মাঝে গন্তব্যহীন ইঁদুর দৌড় থেকে একটু থমকে দাঁড়ালে কেমন হয়?

নাহলে জানবো কি করে, আমার রব আমাকে কত কিছু দিয়েছেন?

আমরা উনার কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করব?

লেখা: Hasneen Chowdhruy

Iklas-ইখলাস

22 Oct, 12:21


আপনারা আল্লাহর সহায় থেকে নিরাশ হবেন না। একমাত্র কাফেররাই আল্লাহর সহায় থেকে নিরাশ হয়।

Iklas-ইখলাস

22 Oct, 09:09


মুখে না বলে দু'আয় রাখুন এটলিস্ট আল্লাহর কাছে তো বলতে পারবো। নাহয় আল্লাহর কাছে জবাবদিহীতার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

Iklas-ইখলাস

22 Oct, 05:09


পর্দা করেন, হাত মোজা পা মোজা পরেন কিন্তু হায় গায়রে মাহরাম মেনে চলেন না! দুর্ভোগ তাদের জন্য।

এভাবে পর্দা করার পর ও হাশরের ময়দানে যদি দেখেন এত করে পর্দা মেনটেইন করে চলার পরও পর্দার কোনো সওয়াব আপনার আমল নামায় নাই কেমন লাগবে সেদিন?

পর্দা করার পর ও যদি নিম্নোক্ত কাজগুলো করেন আপনার পর্দার কোনো মূল্য নেই বোন—

১। পর্দা করেন কিন্তু গায়রে মাহরাম না মেনে চাচাতো ভাই, মামাতো ভাই, খালাতো ভাই, খালু এদের সাথে বসে গল্প করেন। আপনার পর্দা কেঁটে গেলো।

২। পর্দা করেন কিন্তু মেসেঞ্জারের নন মাহরামে ভর্তি। তাদের সাথে দিনের পর দিন চ্যাট করছেন, আপনার পর্দা কেঁটে গেলো। আপনি বলবেন প্রয়োজনে কথা বলেন, এটা শয়তানের ফাঁদ। আমার অন্তত মনে হয় না একজন গায়রে মাহরামের সাথে আপনার প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে।

৩। পর্দা করেন কিন্তু ছেলেদের সাথে মিষ্টি ভাষায় কথা বলেন হাসি ঠাট্টা করেন, আপনার পর্দা কেঁটে গেলো।
আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেন, “(হে নবি পত্নীগণ) তোমরা অন্য নারীদের মতো নও। যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো, তবে পরপুুরুষদের সাথে কোমল কন্ঠে কথা বলো না। এতে করে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, সে প্রলুব্ধ হয় আর তোমরা ন্যায়সঙ্গত কথা বলবে।” — (সূরা আহযাব, আয়াত : ৩২)
তাফসিরকারগণ বলেন: আয়াতটা সকল মুমিন নারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

৪) বাসায় নন মাহরাম আসলে তাদের সামনে বেপর্দায় দিব্বি ঘুরে বেড়ান, আপনার পর্দা কেঁটে গেলো।

৫। নিজের দৃষ্টিকে হেফাজতে রাখতে পারেন না। একটা সুন্দর ছেলে দেখলে তার দিকে তাকিয়ে থাকেন। আর বলেন ক্রাস খাইছি (নাউজুবিল্লাহ মিন যালিক), আপনার পর্দা কেঁটে গেলো।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, “(হে রাসুল)আপনি বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হিফাযত করে।” — (সূরা নূর, আয়াত : ৩০)

৬। পর্দা করে ফেইসবুকেে ছবি দেন, অযথা এদিকে সেদিক ঘুরে বেড়ান। আপনার পর্দা কেঁটে গেলো। নিজেকে অযথা প্রদর্শন করে কি বুঝাতে চান? আপনি পর্দা করেন এটা? নাকি আপনি পর্দা নিয়ে মশকরা করেন এটা দেখাতে চান?

আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেন, “(হে নারীগণ) তোমরা তোমাদের ঘরের (বাড়ির চতুর্সীমানার) ভেতর অবস্থান কর এবং বাইরে বের হয়োনা। জাহিলী যুগের মেয়েদের মতো নিজেরদের প্রদর্শন করে বেরিয়ো না।” — (সূরা আহযাব, আয়াত : ৩৩)

৭। পর্দা করে বাহিরে বের হওয়ার আগে চিন্তা করেন আপনাকে সুন্দর লাগতেছে কিনা। পর্দা কেঁটে গেলো। পর্দা কেন করেছেন সুন্দর দেখার জন্য নাকি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য?

আল্লাহ সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন!

লেখা- আতকিয়া উলফাত আরসি

Iklas-ইখলাস

22 Oct, 04:48


প্রশ্ন: নবি ﷺ কে দুই যাবীহের সন্তান বলা হয় কেন?

উত্তর : নবি ﷺ এর পিতা আবদুল্লাহ। আবদুল মুত্তালিবের সবচেয়ে সুদর্শন, পুণ্যবান ও আদরের সন্তান। তাকে 'যাবীহ'ও বলা হয়। অর্থ-যাকে যবাই বা কুরবানি করা

এই ঘটনা ঘটেছিল মুহাম্মাদ ﷺ -এর পৃথিবীতে আগমনের ৫০ বা ৫৫ দিন পূর্বে।

হয়েছে। যামযাম কূপ খননের সময় যখন কূপের নিশান দেখা গেল তখন কুরাইশও আবদুল মুত্তালিবের সাথে এই মর্যাদায় ভাগ বসাতে উদ্যত হলো। এ নিয়ে তাদের মাঝে তুমুল ঝগড়া ও বিরাট বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে অতি কষ্টে এই বিবাদ-বিশৃঙ্খলার একটা মীমাংসা হয়। তবে তাদের বাহাদুরি দেখে আবদুল মুত্তালিব মান্নত করেন যে, আল্লাহ তাআলা যদি তাকে দশটি ছেলে দান করেন এবং প্রত্যেকেই প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই করার উপযুক্ত হয়, তাহলে তিনি তাদের মধ্য থেকে একজনকে আল্লাহর রাস্তায় যবাই করবেন। পরবর্তী সময়ে আল্লাহ তাআলা তাঁর এই ইচ্ছাকে পূর্ণ করেন। তাঁর দশটি পুত্রসন্তানের সবাই এখন শক্তিশালী লড়াকু সৈনিক। ফলে আবদুল মুত্তালিব মান্নত পুরা করার উদ্দেশ্যে তার সব ছেলের নাম দিয়ে লটারির আয়োজন করেন। লটারিতে আবদুল্লাহর নাম আসে। তাই আবদুল্লাহকে যবাই করার জন্য কা'বা চত্বরে নিয়ে যান। কিন্তু কুরাইশ গোত্রের লোকেরা, বিশেষত আবদুল্লাহর ভাই ও মামারা প্রচণ্ডভাবে এ কাজের বিরোধিতা করেন। অবশেষে ঠিক হয় যে, আবদুল্লাহর বদলে এক শ উট যবাই করা হবে। এই সিদ্ধান্তানুসারে তিনি তাঁর ছেলে আবদুল্লাহর পরিবর্তে

এক শ উট যবাই করেন।

আর এ ঘটনার ফলে আবদুল্লাহর এক নাম হয় 'যাবীহ'।

এ জন্যই নবিজি মুহাম্মাদ ﷺ -কে 'দুই যাবীহের সন্তান' বলে আখ্যায়িত করা হয়। এক যাবীহ হলেন ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) আর একজন নবিজির সম্মানিত পিতা আবদুল্লাহ।

Iklas-ইখলাস

22 Oct, 03:06


এইমাত্র জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়ে তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে চেয়ারে বসলেন ..শিষ্ট নারী*বাদী।
আলোচ্যবিষয় ছিল: ‘কীভাবে পুরুষ ছাড়া বেঁচে থাকবেন’
আলোচনা করতে করতে গলা শুকিয়ে গেছে।
অনেক কসরৎ করেও কোমলপানীয়ের ছিপি খুলতে না পেরে,
স্বামীর দিকে বোতলটা বাড়িয়ে দিলেন।

~শায়েখ আতিক উল্লাহ হাফি.

Iklas-ইখলাস

21 Oct, 23:06


ফজরের নামাজ শেষে....

Iklas-ইখলাস

21 Oct, 16:15


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্বঃ০৩

রাসূল ﷺ এর দাদা আবদুল মুত্তালিবের পিতা হাশিমের নামানুসারে এ বংশকে বলা হয় হাশিমি। কুসাইয়ের দায়িত্বসমূহ থেকে হাজীগণের আতিথেয়তার দায়িত্ব পান হাশিম।

হাশিমকে ওইসময়ের সবচেয়ে মর্যাদাবান ব্যক্তি বলে গণ্য করা হতো। হাশিম শব্দের অর্থ চূর্ণকারী, টুকরোকারী। তিনি রুটি টুকরো টুকরো করে গোশত আর ঝোলের সাথে মিশিয়ে একধরনের খাবার তৈরি করে মানুষের মাঝে বিতরণ করতেন। এ কারণেই তাঁর নাম হাশিম বলে পরিচিতি পায়। তাঁর মূল নাম ছিল আমর।

হাশিম একবার সিরিয়া অভিমুখে ভ্রমণকালে ইয়াসরিবেশ যাত্রা-বিরতি করেন। সে সময় তিনি সেখানকার বানু আদি ইবনি নাজ্জার গোত্রের মেয়ে সালামা বিনতু আমরকে বিয়ে করেন। কিছুদিন সেখানে অবস্থান করার পর তিনি আবার সিরিয়া অভিমুখে রওনা হন। অতঃপর ফিলিস্তিনের বিখ্যাত নগরী গাযায় আকস্মিকভাবে তাঁর মৃত্যু হয়। সেসময় তাঁর স্ত্রী সালমা গর্ভবতী ছিলেন। তিনি এক ছেলের জন্ম দেন, যার চুলে সাদাটে ভাব ছিল। ফলে তার নাম রাখা হয় শাইবা, যার অর্থ শুভ্রকেশী। সে মদীনায় লালিত-পালিত হতে থাকে। মক্কায় হাশিমের আত্মীয়দের কেউ তখনো শাইবার জন্মের কথা জানত না। আট বছর পর মুত্তালিব জানতে পারেন তাঁর প্রয়াত ভাইয়ের ছেলের ব্যাপারে। সিদ্ধান্ত নেন তাকে মক্কায় ফিরিয়ে আনার। পরে যখন তিনি তাকে নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন তখন লোকজন ভাবে তাঁর সাথে থাকা ছেলেটা বুঝি তাঁর দাস। ফলে ছেলেটিকে তারা 'আবদুল মুত্তালিব' (মুত্তালিবের দাস) বলে সম্বোধন করতে শুরু করে। আর এভাবেই শাইবা পরিচিত হয়ে যান আবদুল মুত্তালিব নামে।

আবদুল মুত্তালিবের সবচেয়ে সুদর্শন, পুণ্যবান ও আদরের সন্তান ছিলো নবি ﷺ এর পিতা আব্দুল্লাহ। তাকে 'যাবীহ'ও বলা হয়।

পিতার মতো আবদুল্লাহও ছিলেন সুন্দর ও সুপুরুষ। বানু যাহরা গোত্রের নেতা ওয়াহাবের মেয়ে আমিনার সাথে তাঁর বিয়ে হয়। আমিনা সেই সময়ের সবচেয়ে পবিত্র ও উন্নত চরিত্রের অধিকারী ছিল। তাদের বংশও ছিল উঁচু। বিয়ের কিছুকাল পরে আমিনা অন্তঃসত্ত্বা হন। কিন্তু সন্তান জন্মের আগেই আবদুল মুত্তালিব আবদুল্লাহকে ব্যবসায়িক কাজে মদীনা বা সিরিয়ায় পাঠান। ফিরতি পথে মদীনায় তাঁর মৃত্যুর বেদনাবিধুর ঘটনা ঘটে। 'নাবিগা যুবইয়ানি' নামক স্থানে তাকে দাফন করা হয়। তখনো নবি ﷺ এর জন্ম হয়নি।

অধ্যায়: নবিজির বংশধারা
বই: রাসূলে আরাবি
পৃষ্ঠা: ২২-২৫

Iklas-ইখলাস

21 Oct, 14:50


জাতীয় শিক্ষা সংস্কার মঞ্চ আয়োজিত 'গোল টেবিল বৈঠক' পরবর্তি সময়ে
শাইখুনা হারুন ইজহার হাফিঃ
আবু ত্বাহা মোহাম্মদ আদনান ভাই হাফিঃ
আসিফ আদনান ভাই হাফিঃ
উস্তায আহমেদ রফিক হাফিঃ
শামসুল আরেফিন শক্তি ভাই হাফিঃ
মেহেদী হাসান ভাই সহ আরো অনেকে একসাথে ।

~ দাওয়া প্লাটফর্ম

Iklas-ইখলাস

21 Oct, 09:18


এমন হইলে তো আলহামদুলিল্লাহ!!!

Iklas-ইখলাস

21 Oct, 05:49


এক সৌভাগ্যবতী বোনের কথা...🌸