Iklas-ইখলাস

@ikhlas66


একটি ইসলামিক দাওয়াহ ডিজাইন চ্যানেল। শুধুমাত্র রবের সন্তুষ্টির জন্য ইনশাআল্লাহ।

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:27


কেউ কেউ আমাদের শিখায় যে নারী পর্দা করে সব করতে পারে। তবে  সত্যিকার অর্থে নারী ঠিক ততটুকুই করতে পারে যতটুকু শরীয়ত মোতাবেক হয়। পর্দা করে সব করা যায়না...!

নারী হিজাব করে এভারেস্ট জয় করবে আর আপনারা বলবেন বাহ! এমনই তো হওয়া চাই। হিজাব পরে নারী ব্যাং-কে চাকরি করবে আর আপনারা বলবেন, ওমুক মেয়ে তো হিজাব করে চাকরি করে তোমার করতে সমস্যা কী? নারী হিজাব করে বিজনেস করবে, লাইভে এসে নিজেকে প্রদর্শন করবে আর আপনি বলবেন হিজাব করেতো সব-ই করা যায় আজকাল।

নারী হিজাব-নিকাব করে ব্রাইডাল ফটোগ্রাফি করে বিয়ে করবে আর সেগুলা অনলাইনে ভেসে বেড়াবে আর আপনি বলবেন, পর্দা করেতো ভালোই সব করা যায়। কেন যে ওরা এ-ত কঠিন করে ফেলে ইস-লামকে! হিজাব করে কাপল ভ্লগ করে কি-স হা-গ করে ভিডিও ছাড়বে আর বলবে আমরাতো পর্দা করেই এগুলা করি। কোনো কোনো অ_ন্ধ অনুসরণকারী বলবে, এই কট্টর মুস-ল-মান-দের এক বা_জে স্বভাব সবকিছুতেই প্রবলেম খুঁজে৷ নিকাব করে আপনি হেঁটে হেঁটে ভিডিও আপলোড করবেন আর আমরা নসীহা করলে উত্তরে বলবেন, পর্দা করতেছে এক মহিলা কেন আপনাদের এত চুল-কানি? নিকাব করে খাওয়া-দাওয়া, বিলাসিতা শো করলে কেও আপনাকে নসীহা করলে আপনি বলবেন, এসব সি_ক মানুষ কোথা থেকে যে আসে!

আসলেই আমরা সি_ক আর তাই আপনাদের পর্দার ধারণাটা আজও মাথায় ঢুকিয়ে নিতে পারছিনা। হিজাব একটা কাপড় না যা দিয়ে অনলি চুল ঢাকলাম। হিজাব একটা কাপড় না যা দিয়ে শুধু মুখটা ঢাকলাম। হিজাব একটা ফরজ বিধান যেটা আমার আপনার ইচ্ছামতো মডারেট ও-য়ে-তে পালনের সুযোগ নাই। নারী বাইরের বে-গানা পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ রেখে চলতে পারেনা, নারী হিজাব করেই ফ্রি-মিক্সিং পরিবেশে চাকরি করতে পারেনা। নারী আকর্ষণীয়ভাবে বে-গানা পুরুষদের সামনে এমন শো করতে পারেনা নিজেকে।

~ কামরুননাহার মীম!

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:27


ছেলেরা চাচ্ছে মেয়েরা বোরকা পরুক, কিন্তু নিজেদের দৃষ্টি সংযত রাখতে মনে থাকে না।

মেয়েরা চাচ্ছে ‘স্মার্ট’ পোশাক পরতে, সাথে চাইছে ছেলেরা যাতে খারাপ দৃষ্টিতে না তাকায়।

সমস্যাটা এখানেই। আমি নিজে ধর্ম মানি না, কিন্তু আশা করছি আশেপাশের মানুষ ধর্ম মেনে চলুক!

~সংগৃহীত

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:26


আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তোমাদের দেহগুলোকে পবিত্র রাখবে, আল্লাহ তোমাদের পবিত্র করুন। যদি কোনো বান্দা অজু অবস্থায় ঘুমায় তাহলে তার পোশাকের মধ্যে একজন ফেরেশতা শুয়ে থাকেন। রাতে যখনই এ ব্যক্তি নড়াচড়া করে তখনই এ ফেরেশতা বলেন, হে আল্লাহ আপনি এ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন, কারণ সে অজু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।’

(সহিহ ইবনে হিব্বান: ৩/৩২৮; আলবানি, সহিহুত তারগিব: ১/৩১৭)

মনে থাকবে তো?

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:26


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্বঃ০৪

আবরাহার ব্যর্থ অভিযানের পঞ্চাশ কি পঞ্চান্ন দিন পরের ঘটনা। সময়টা ছিল বসন্তকাল। সোমবার ভোরবেলায় মক্কা নগরীতে বানু হাশিম পরিবারে জন্ম হয় মুহাম্মাদ ﷺ -এর। সে বছরই আবরাহা মক্কায় আক্রমণ করেছিল। আরবিতে হাতিকে বলে ফীল। হস্তিবাহিনীর আক্রমণের ঘটনার কারণে বছরটি পরিচিত হয় আমুল ফীল )عام الفيل( বা হস্তিবছর নামে।)

নবি ﷺ -এর জন্মের সময় ধাত্রীর কাজ আঞ্জাম দেন আবদুর রহমান ইবনু আউফ (রদিয়াল্লাহু আনহু)-এর মা শিফা বিনতু আমর।

সন্তান জন্মদানের পর রাসূল ﷺ -এর মা আমিনা স্বপ্নে দেখেন যে, তাঁর শরীর থেকে একটি আলো বেরিয়ে সিরিয়ার প্রাসাদগুলো আলোকিত করে ফেলছে।

নাতি জন্মের খবর পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত হন আবদুল মুত্তালিব। নবজাতককে কা'বায় নিয়ে আল্লাহ তাআলার শোকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন। আবদুল মুত্তালিবের ধারণা-তাঁর নাতি একদিন অনেক বড় হবে, খুবই প্রশংসিত হবে। তাই তিনি তার নাম রাখেন মুহাম্মাদ, অর্থ “প্রশংসিত"। আরবের সংস্কৃতি অনুযায়ী সপ্তম দিনে তিনি শিশু মুহাম্মাদের আকীকা করেন, চুল মুণ্ডন করেন এবং খতনা করেন। এরপর মক্কাবাসীদের নিমন্ত্রণ করে বেশ জমজমাট এক ভোজের আয়োজন করেন।

মুহাম্মাদ ﷺ -কে তাঁর বাবার দাসী উম্মু আইমান দেখা-শোনা করতেন। তিনি আবিসিনিয়ার অধিবাসী ছিলেন। তার আসল নাম ছিল বারাকাহ। আল্লাহ তাআলা তাঁকে অনেক নিয়ামাত ও অনুগ্রহ দান করেছেন। উম্মু আইমান (রদিয়াল্লাহু আনহা) রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নুবুওয়াতের যুগ পেয়েছিলেন এবং মদীনায় হিজরতও করেছিলেন।

অধ্যায়: নবিজি ﷺ এর জন্ম
বই: রাসূলে আরাবি
পৃষ্ঠা: ২৬

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:26


সেদিন বুয়া এসে ঘর পরিষ্কার  করার সময় বিছানায় কাঁথা দেখে খুব অবাক হয়ে বললো, "আপা, এই গরমে আপনে কাঁথা গায়েত দেন!!"

তারপর নিজেই আবার স্বগতোক্তি করলো, " আপনারার তো এসি আছে, এর লাইগ্যা শীত করে। আমরার বাড়িত টিনের চাল, এমুন গরম পরে.."

তার চেহারায় প্রচণ্ড গরমের বিদ্ধস্ততা প্রকট ভাবে বিদ্যমান।

হঠাৎ করে কেন যেন আমার অসম্ভব লজ্জা বোধ হল, বুয়ার দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে কোন সদুত্তর  দিতে পারলাম না।  প্রয়োজন হলে এসি ছাড়তে পারি, গরমের রাতেও শীতের আমেজ পাই, আল্লাহ এর কত বড় রহমত এটা!!

কোন দিন আই পি এস ফেইল করলে, গরমে যেরকম ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা করে আস্ফালন করি, শীতাতপের শীতল হাওয়াতে কি সেই পরিমান কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি!?

নাকি এই বিলাসীতাকে 'অবশ্য পাওনা" হিসেবে ভেবে নিয়েছি?

এখনো মনে পড়ে, যেদিন ঘরে প্রথম আই পি এস লাগানো হয়েছিল, প্রথম বার কারেন্ট যাবার পরেও আমাদের ঘর আলোকিত রয়ে গিয়েছিল। প্রতিবেশীদের অন্ধকার ঘরের মাঝে, নিজ ঘরের আলোয় আম্মু খুব সংকোচ বোধ করছিলেন। এই নতুন পাওয়া সুবিধায় আনন্দিত হবার বদলে বহুদিন দেখেছি মায়ের লজ্জিত, সংকুচিত মুখাবয়ব। 

আশে পাশের সবাইকে ফেলে একা একা আরাম করার সেই লজ্জা থেকে স্বাভাবিক হতে অনেক দিন লেগেছিল।

আমরা প্রতিনিয়ত কত অজস্র নিয়ামতে যে ডুবে থাকি, তার সঠিক হিসাব নিজেরাও দিতে পারবো না। কি পেলাম না সেই ফিরিস্তি যত সহজে দিতে পারি, কত কিছু না চাইতেই পেয়ে গিয়েছি তা নিয়ে কিন্তু তত সহজে ভাবতে চাই না।

আর নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাও হয় না। যেমন কল খুললে পানি আসে। এই আপাতদৃষ্টিতে তুচ্ছ বিষয়টি কি বিশাল আশির্বাদ তা কি জানেন? পৃথিবীর অনেক দেশে পানি যেন সোনার মত মূল্যবান।

বেশ ক'বছর আগে একবার উটের পিঠে চেপে থর মরুভূমিতে যাচ্ছিলাম, আমার উটের মালিক ছিল তের/ চোদ্দ বছরের এক বালক। তার রোদে পোড়া তামাটে চেহারা আজও ভুলি নি।

শুষ্ক রুক্ষ মরুভূমিতে তাদের বসবাস। তাদের মত মরুভূমির  আরো অনেক গ্রামের বাসিন্দারাই, প্রতিদিনের ব্যবহার্য পানি নিয়ে আসে কয়েক মাইল দূরের নদী থেকে। সকাল হলেই গ্রামের মেয়েরা মাথার উপর অদ্ভুত উপায়ে একাধিক কলসি নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে পানি আনতে যায়।

সেদিনের পর থেকে অনেক দিন কলের পানি খুললে আমি কিছুক্ষণের জন্যে হলেও মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। এই সহজলভ্য পানি যে এত মূল্যবান তা এর আগে অনুভব করি নি।

শুধু কলের পানি নয়, ফ্রিজ খুললে খাবার পাওয়া যে একটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় তা আপনি কখনোই বুঝবেন না, যদি না কখনো খাবারের কষ্ট করে থাকেন। অথবা খাবারের কষ্টে মানুষ কত ত্যাগ, তিতিক্ষা করতে পারে তা না দেখে থাকেন।

বেশিদূর যেতে হবে না, এরকম মানুষ আশে পাশেই পাবেন। আমার শশুরবাড়িতে নতুন বুয়া রেখেছে কিছুদিন হল। মহিলাটির বার/তের বছরের একটি ছেলে আছে, স্বামী মারা গেছেন। বাচ্চাকে খাওয়াতে পারছেন না দেখে, বুকের ধনকে রেখে এসে অন্যের বাড়িতে কাজ করছেন।

মা তাকে ফেলে চলে এসেছে, এই অভিমানে বাচ্চাটি দিনের পর দিন মায়ের সাথে কথা বলছে না। এই মায়ের সামনে দিয়ে যখন আমি বাচ্চা কোলে নিয়ে বলতে থাকি, "আমার বাচ্চা খায় না",  সারাদিন পারলে ইউটিউব ঘেঁটে,  রান্না ঘরে গিয়ে বাবুর জন্য এটা সেটা রান্না করি, তখন নিজের আদিখ্যেতায় নিজেই বিরক্ত হই।

এক জন তার কলিজার টুকরার মুখে দুটো ভাত তুলে দেবার জন্য, ঘর বাড়ি ছেড়ে আমাদের ঘর সাজাতে এসেছে... যে খাবার আমার ছেলে হয়তো একবার মুখে তুলে, দ্বিতীয়বার মুখ বাঁকিয়ে ফেলে দেবে, সেই অর্থহীন খাদ্য রান্নার জন্য পেঁয়াজ কুটছে, পুরো ব্যাপারটিই কেমন যেনো হৃদয় বিদারক লাগে।

হায়রে, সন্তানের জন্য খাবার কেনার সামর্থ্যও যে কত বড় প্রাপ্তি, তা কি আমরা জানি?

মাথার ওপর ছাদ, ভালবাসার মানুষের সান্নিধ্য, এমনকি নিজের সংসারের জন্য খাটতে খাটতে হাঁপিয়ে ওঠার জন্যেও আলহামদুলিল্লাহ বলা উচিত।

নিজের সংসারের জন্যই তো পরিশ্রম করতে হচ্ছে। পরের বাড়িতে যেয়ে তো কাজ করতে হচ্ছে না। তাছাড়া কত মেয়ে একটা সংসার, সন্তান পাবার জন্য দিনের পর দিন দুয়া করে যাচ্ছে, তার খবর কি আমরা রাখি!

আমাদের অনেকে এই বুড়ো বয়সেও মা বাবার আদর পাচ্ছি। মাঝে মাঝে তাদের কাছে গিয়ে বিশ্রাম নিতে পারছি। কতজনের তো তাও নেই। কিংবা থাকলেও, তাদের কাছে যাওয়া সম্ভব নয়।

আসলে না পাওয়ার হিসেব করতে গেলে, তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকবে। তার চেয়ে কি কি পেয়েছি, তার হিসেব করলে কেমন হয়? সারাজীবিনেও হিসেব শেষ করতে পারবেন না।

সচেতন বা অবচেতন ভাবে কত নিয়ামতে আমরা আকন্ঠ ডুবে আছি তা আমরা নিজেরাও জানি না।

জীবন নিয়ে কৃতজ্ঞ হলে, লাভ বই ক্ষতি নেই।

দুনিয়ার পেছনে, নিরন্তর চাহিদার পেছনে ছুটতে ছুটতে, জীবনে যা আছে তা উপভোগ করার আগেই ওপারে পাড়ি জমায় অনেকে।

তাই মাঝে মাঝে গন্তব্যহীন ইঁদুর দৌড় থেকে একটু থমকে দাঁড়ালে কেমন হয়?

নাহলে জানবো কি করে, আমার রব আমাকে কত কিছু দিয়েছেন?

আমরা উনার কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করব?

লেখা: Hasneen Chowdhruy

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:26


আপনারা আল্লাহর সহায় থেকে নিরাশ হবেন না। একমাত্র কাফেররাই আল্লাহর সহায় থেকে নিরাশ হয়।

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:26


মুখে না বলে দু'আয় রাখুন এটলিস্ট আল্লাহর কাছে তো বলতে পারবো। নাহয় আল্লাহর কাছে জবাবদিহীতার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:26


পর্দা করেন, হাত মোজা পা মোজা পরেন কিন্তু হায় গায়রে মাহরাম মেনে চলেন না! দুর্ভোগ তাদের জন্য।

এভাবে পর্দা করার পর ও হাশরের ময়দানে যদি দেখেন এত করে পর্দা মেনটেইন করে চলার পরও পর্দার কোনো সওয়াব আপনার আমল নামায় নাই কেমন লাগবে সেদিন?

পর্দা করার পর ও যদি নিম্নোক্ত কাজগুলো করেন আপনার পর্দার কোনো মূল্য নেই বোন—

১। পর্দা করেন কিন্তু গায়রে মাহরাম না মেনে চাচাতো ভাই, মামাতো ভাই, খালাতো ভাই, খালু এদের সাথে বসে গল্প করেন। আপনার পর্দা কেঁটে গেলো।

২। পর্দা করেন কিন্তু মেসেঞ্জারের নন মাহরামে ভর্তি। তাদের সাথে দিনের পর দিন চ্যাট করছেন, আপনার পর্দা কেঁটে গেলো। আপনি বলবেন প্রয়োজনে কথা বলেন, এটা শয়তানের ফাঁদ। আমার অন্তত মনে হয় না একজন গায়রে মাহরামের সাথে আপনার প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে।

৩। পর্দা করেন কিন্তু ছেলেদের সাথে মিষ্টি ভাষায় কথা বলেন হাসি ঠাট্টা করেন, আপনার পর্দা কেঁটে গেলো।
আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেন, “(হে নবি পত্নীগণ) তোমরা অন্য নারীদের মতো নও। যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো, তবে পরপুুরুষদের সাথে কোমল কন্ঠে কথা বলো না। এতে করে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, সে প্রলুব্ধ হয় আর তোমরা ন্যায়সঙ্গত কথা বলবে।” — (সূরা আহযাব, আয়াত : ৩২)
তাফসিরকারগণ বলেন: আয়াতটা সকল মুমিন নারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

৪) বাসায় নন মাহরাম আসলে তাদের সামনে বেপর্দায় দিব্বি ঘুরে বেড়ান, আপনার পর্দা কেঁটে গেলো।

৫। নিজের দৃষ্টিকে হেফাজতে রাখতে পারেন না। একটা সুন্দর ছেলে দেখলে তার দিকে তাকিয়ে থাকেন। আর বলেন ক্রাস খাইছি (নাউজুবিল্লাহ মিন যালিক), আপনার পর্দা কেঁটে গেলো।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, “(হে রাসুল)আপনি বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হিফাযত করে।” — (সূরা নূর, আয়াত : ৩০)

৬। পর্দা করে ফেইসবুকেে ছবি দেন, অযথা এদিকে সেদিক ঘুরে বেড়ান। আপনার পর্দা কেঁটে গেলো। নিজেকে অযথা প্রদর্শন করে কি বুঝাতে চান? আপনি পর্দা করেন এটা? নাকি আপনি পর্দা নিয়ে মশকরা করেন এটা দেখাতে চান?

আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেন, “(হে নারীগণ) তোমরা তোমাদের ঘরের (বাড়ির চতুর্সীমানার) ভেতর অবস্থান কর এবং বাইরে বের হয়োনা। জাহিলী যুগের মেয়েদের মতো নিজেরদের প্রদর্শন করে বেরিয়ো না।” — (সূরা আহযাব, আয়াত : ৩৩)

৭। পর্দা করে বাহিরে বের হওয়ার আগে চিন্তা করেন আপনাকে সুন্দর লাগতেছে কিনা। পর্দা কেঁটে গেলো। পর্দা কেন করেছেন সুন্দর দেখার জন্য নাকি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য?

আল্লাহ সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন!

লেখা- আতকিয়া উলফাত আরসি

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:26


প্রশ্ন: নবি ﷺ কে দুই যাবীহের সন্তান বলা হয় কেন?

উত্তর : নবি ﷺ এর পিতা আবদুল্লাহ। আবদুল মুত্তালিবের সবচেয়ে সুদর্শন, পুণ্যবান ও আদরের সন্তান। তাকে 'যাবীহ'ও বলা হয়। অর্থ-যাকে যবাই বা কুরবানি করা

এই ঘটনা ঘটেছিল মুহাম্মাদ ﷺ -এর পৃথিবীতে আগমনের ৫০ বা ৫৫ দিন পূর্বে।

হয়েছে। যামযাম কূপ খননের সময় যখন কূপের নিশান দেখা গেল তখন কুরাইশও আবদুল মুত্তালিবের সাথে এই মর্যাদায় ভাগ বসাতে উদ্যত হলো। এ নিয়ে তাদের মাঝে তুমুল ঝগড়া ও বিরাট বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে অতি কষ্টে এই বিবাদ-বিশৃঙ্খলার একটা মীমাংসা হয়। তবে তাদের বাহাদুরি দেখে আবদুল মুত্তালিব মান্নত করেন যে, আল্লাহ তাআলা যদি তাকে দশটি ছেলে দান করেন এবং প্রত্যেকেই প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই করার উপযুক্ত হয়, তাহলে তিনি তাদের মধ্য থেকে একজনকে আল্লাহর রাস্তায় যবাই করবেন। পরবর্তী সময়ে আল্লাহ তাআলা তাঁর এই ইচ্ছাকে পূর্ণ করেন। তাঁর দশটি পুত্রসন্তানের সবাই এখন শক্তিশালী লড়াকু সৈনিক। ফলে আবদুল মুত্তালিব মান্নত পুরা করার উদ্দেশ্যে তার সব ছেলের নাম দিয়ে লটারির আয়োজন করেন। লটারিতে আবদুল্লাহর নাম আসে। তাই আবদুল্লাহকে যবাই করার জন্য কা'বা চত্বরে নিয়ে যান। কিন্তু কুরাইশ গোত্রের লোকেরা, বিশেষত আবদুল্লাহর ভাই ও মামারা প্রচণ্ডভাবে এ কাজের বিরোধিতা করেন। অবশেষে ঠিক হয় যে, আবদুল্লাহর বদলে এক শ উট যবাই করা হবে। এই সিদ্ধান্তানুসারে তিনি তাঁর ছেলে আবদুল্লাহর পরিবর্তে

এক শ উট যবাই করেন।

আর এ ঘটনার ফলে আবদুল্লাহর এক নাম হয় 'যাবীহ'।

এ জন্যই নবিজি মুহাম্মাদ ﷺ -কে 'দুই যাবীহের সন্তান' বলে আখ্যায়িত করা হয়। এক যাবীহ হলেন ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) আর একজন নবিজির সম্মানিত পিতা আবদুল্লাহ।

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:26


এইমাত্র জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়ে তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে চেয়ারে বসলেন ..শিষ্ট নারী*বাদী।
আলোচ্যবিষয় ছিল: ‘কীভাবে পুরুষ ছাড়া বেঁচে থাকবেন’
আলোচনা করতে করতে গলা শুকিয়ে গেছে।
অনেক কসরৎ করেও কোমলপানীয়ের ছিপি খুলতে না পেরে,
স্বামীর দিকে বোতলটা বাড়িয়ে দিলেন।

~শায়েখ আতিক উল্লাহ হাফি.

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:25


ফজরের নামাজ শেষে....

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:25


#সীরাহ_আন_নুবুবিয়্যাহ_সিরিজ
পর্বঃ০৩

রাসূল ﷺ এর দাদা আবদুল মুত্তালিবের পিতা হাশিমের নামানুসারে এ বংশকে বলা হয় হাশিমি। কুসাইয়ের দায়িত্বসমূহ থেকে হাজীগণের আতিথেয়তার দায়িত্ব পান হাশিম।

হাশিমকে ওইসময়ের সবচেয়ে মর্যাদাবান ব্যক্তি বলে গণ্য করা হতো। হাশিম শব্দের অর্থ চূর্ণকারী, টুকরোকারী। তিনি রুটি টুকরো টুকরো করে গোশত আর ঝোলের সাথে মিশিয়ে একধরনের খাবার তৈরি করে মানুষের মাঝে বিতরণ করতেন। এ কারণেই তাঁর নাম হাশিম বলে পরিচিতি পায়। তাঁর মূল নাম ছিল আমর।

হাশিম একবার সিরিয়া অভিমুখে ভ্রমণকালে ইয়াসরিবেশ যাত্রা-বিরতি করেন। সে সময় তিনি সেখানকার বানু আদি ইবনি নাজ্জার গোত্রের মেয়ে সালামা বিনতু আমরকে বিয়ে করেন। কিছুদিন সেখানে অবস্থান করার পর তিনি আবার সিরিয়া অভিমুখে রওনা হন। অতঃপর ফিলিস্তিনের বিখ্যাত নগরী গাযায় আকস্মিকভাবে তাঁর মৃত্যু হয়। সেসময় তাঁর স্ত্রী সালমা গর্ভবতী ছিলেন। তিনি এক ছেলের জন্ম দেন, যার চুলে সাদাটে ভাব ছিল। ফলে তার নাম রাখা হয় শাইবা, যার অর্থ শুভ্রকেশী। সে মদীনায় লালিত-পালিত হতে থাকে। মক্কায় হাশিমের আত্মীয়দের কেউ তখনো শাইবার জন্মের কথা জানত না। আট বছর পর মুত্তালিব জানতে পারেন তাঁর প্রয়াত ভাইয়ের ছেলের ব্যাপারে। সিদ্ধান্ত নেন তাকে মক্কায় ফিরিয়ে আনার। পরে যখন তিনি তাকে নিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন তখন লোকজন ভাবে তাঁর সাথে থাকা ছেলেটা বুঝি তাঁর দাস। ফলে ছেলেটিকে তারা 'আবদুল মুত্তালিব' (মুত্তালিবের দাস) বলে সম্বোধন করতে শুরু করে। আর এভাবেই শাইবা পরিচিত হয়ে যান আবদুল মুত্তালিব নামে।

আবদুল মুত্তালিবের সবচেয়ে সুদর্শন, পুণ্যবান ও আদরের সন্তান ছিলো নবি ﷺ এর পিতা আব্দুল্লাহ। তাকে 'যাবীহ'ও বলা হয়।

পিতার মতো আবদুল্লাহও ছিলেন সুন্দর ও সুপুরুষ। বানু যাহরা গোত্রের নেতা ওয়াহাবের মেয়ে আমিনার সাথে তাঁর বিয়ে হয়। আমিনা সেই সময়ের সবচেয়ে পবিত্র ও উন্নত চরিত্রের অধিকারী ছিল। তাদের বংশও ছিল উঁচু। বিয়ের কিছুকাল পরে আমিনা অন্তঃসত্ত্বা হন। কিন্তু সন্তান জন্মের আগেই আবদুল মুত্তালিব আবদুল্লাহকে ব্যবসায়িক কাজে মদীনা বা সিরিয়ায় পাঠান। ফিরতি পথে মদীনায় তাঁর মৃত্যুর বেদনাবিধুর ঘটনা ঘটে। 'নাবিগা যুবইয়ানি' নামক স্থানে তাকে দাফন করা হয়। তখনো নবি ﷺ এর জন্ম হয়নি।

অধ্যায়: নবিজির বংশধারা
বই: রাসূলে আরাবি
পৃষ্ঠা: ২২-২৫

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:25


জাতীয় শিক্ষা সংস্কার মঞ্চ আয়োজিত 'গোল টেবিল বৈঠক' পরবর্তি সময়ে
শাইখুনা হারুন ইজহার হাফিঃ
আবু ত্বাহা মোহাম্মদ আদনান ভাই হাফিঃ
আসিফ আদনান ভাই হাফিঃ
উস্তায আহমেদ রফিক হাফিঃ
শামসুল আরেফিন শক্তি ভাই হাফিঃ
মেহেদী হাসান ভাই সহ আরো অনেকে একসাথে ।

~ দাওয়া প্লাটফর্ম

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:25


এমন হইলে তো আলহামদুলিল্লাহ!!!

Iklas-ইখলাস

21 Jan, 00:24


এক সৌভাগ্যবতী বোনের কথা...🌸