Sabr @dawahchannelsabr Channel on Telegram

Sabr

@dawahchannelsabr


Our YouTube Channel : https://youtube.com/c/AlBaqiBangla

Sabr (English)

Introducing 'Sabr' - the Telegram channel dedicated to promoting patience and perseverance in the face of life's challenges. Managed by the user @dawahchannelsabr, this channel offers a variety of content aimed at inspiring and motivating its followers to practice Sabr in their daily lives. Sabr, which translates to patience, is a virtue highly valued in Islam and is believed to bring about countless blessings and rewards. The channel provides daily reminders, quotes, and videos to help its audience develop this important quality. In addition to the Telegram channel, 'Sabr' also has a YouTube channel where viewers can find even more resources and content to deepen their understanding of Sabr. Join the 'Sabr' community today and start your journey towards a more patient and resilient life!

Sabr

11 Feb, 02:01


কুদৃষ্টির কারণে আমলের শক্তি ছিনিয়ে নেয়া হয়!

শাইখুল হাদিস মাওলানা মোহাম্মাদ জাকারিয়া রহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন, কুদৃষ্টি বড়ই ধ্বংসাত্মক রোগ। আমার অনেক বন্ধু-বান্ধবের ওপর আমার অভিজ্ঞতা আছে, জিকিরে মশগুল হওয়ার আগে তাদের মধ্যে জোশ আসে। কিন্তু কুদৃষ্টির কারণে ইবাদতের মজা ও স্বাদ বিলীন হয়ে যায়। এরপর আস্তে- আান্তে ইবাদত ছেড়ে দেয়ায়ও অত্যন্ত হয়ে পড়ে।
(আপবিতি খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৪১৮)

সুস্থ কোনো যুবকের যদি জ্বর হয় আর যাওয়ার কোনো নাম গন্ধও না থাকে, তাহলে দুর্বলতার কারণে তার জন্য চলাফেরাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। কোনো কাজ করতে মন চায় না। বিছানায় পড়ে থাকতে মন চায় । এমনিভাবে যাকে কুদৃষ্টির অসুস্থতায় পেয়ে বসেছে, সে ভেতরে ভেতরে দুর্বল হয়ে পড়ে। তার পক্ষে ভালো কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যভাবে বললে আমল করার শক্তি তার কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়। ভালোকাজ করতে চাইলেও কুদৃষ্টির কারণে সম্ভব হয়ে ওঠে না।

[ মূল : জুলফিকার আহমদ নকশবন্দিয়া হাফি. ]

Sabr

09 Feb, 19:48


⚡️
x.com/suppressednws/…

Sabr

08 Feb, 11:34


মোটামুটিভাবে ওয়ালপেপার হিসেবে ইউজ করা যায়। AI generated

Sabr

06 Feb, 16:05


ছোট গুনাহ!

হাদীসে এসেছে, আয়শা রাযি, হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন,

হে আয়শা, তুমি ওই সকল গুনাহ থেকে বেঁচে থাক যেগুলোকে ছোট বলে ধারণা করা হবে। কেননা এ সমস্ত ছোট ছোট গুনাহের খোঁজ রাখার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ফেরেশতা নিয়োজিত রয়েছে। ( সহিহ আলজামি ; ২৬৮৬)

চিন্তা করে দেখুন, হাদীসে আছে, এক ব্যক্তি একটা বিড়ালকে বেঁধে রাখার কারণে জাহান্নামে চলে গেছে। একজন মুজাহিদ শুধু একটি রশি চুরি করার কারণে জাহান্নামে চলে গেছে। আরও এসেছে, একজন লোক আমল করতে করতে জান্নাতের পাড়ে চলে যায়, তারপর সে হঠাৎ একটা কথা বলে যার কারণে সে জাহান্নামের পাড়ে চলে আসে।

তাহলে বলুন, কোনো গুনাহ ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ আছে? বরং একজন মুমিন সগিরাকেও কবিরা গুনাহ মনে করে।

মূল : শায়েখ উমায়ের কোব্বাদি

অতএব, গুনাহকে যত ছোট বলে মনে হবে, সেটা আল্লাহর কাছে ততটাই গুরুতর। আর গুনাহকে যত গুরুতর মনে হবে, সেটা আল্লাহর কাছে ততটাই তুচ্ছ। সেদিন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর গুনাহকে তুচ্ছ জ্ঞানের জন্য কত আবেদের পথ রুখে যাবে। রাব্বিগফিরলি..

Sabr

04 Feb, 18:32


আমরা বর্তমানে যেই অবক্ষয়ের মধ্যে আছি, এখানে নারী-পুরুষের জৈবিক চাহিদা কেন্দ্রিক সমস্যাগুলোর সমাধান কখনোই কেবল মাত্র বিয়ে না। কেবল বিয়েকে এখানে সমাধান হিসেবে আনা যায় না।

একটা ৬-৯ বছরের ছোট ছেলে বা মেয়ে যেমন অবৈধ রিলেশনে ঢুকে যাচ্ছে, আবার কয়েক বাচ্চার মা বাপও আজকে পরকীয়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে অনায়েসেই। আজকের সংকট ছোট-বড়, বিবাহিত-অবিবাহিত, মাদ্রাসা-জেনারেল সকল জায়গাকেই আঘাত করছে।

এই অবক্ষয় আরো গভীরে এবং আরো বিস্তৃত। আমরা বিদ্যমান যেই রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক কাঠামোয় বসবাস করছি, এর পুরোটাই প্রব্লেমেটিক। এখানের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিটি পক্ষ সমাজে যিনা, ফাহেশা, অবৈধ সম্পর্ক ও মেলামেশার উপাদান তৈরি করছে। এরা হল ফাহেশার ক্রিয়েটর ও উৎপাদক।

যারা একদিকে সমাজে নিয়মিত যিনা ফাহেশার উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, আবার অন্যদিকে ইসলাম যৌনতা ও নারীপুরুষের সম্পর্কের যেই বিধান ও নৈতিক স্ট্রাকচার দিয়েছে, সেটাকে ক্রিমিনালাইজ করছে। সেগুলোর ব্যাপারে মানুষ ও তরুণ প্রজন্মের ভিতর ঘৃণা ও নাক ছিটকানো মনোভাব তৈরি করছে। তাদের মাঝে প্রতিনিয়ত ফ্রিমিক্সিং, হারাম রিলেশন, ফ্রিডম, কনসেন্ট ইত্যাদি ওয়েস্ট বর্ন ভেলুজ পুশ করছে।

ফলে কম বয়সে বিয়ে দিয়ে এর কোন সমাধান হবে না। এর জন্য আমাদের সমাজে বৈপ্লবিক এক পরিবর্তন দরকার। সমাজ ও রাষ্ট্রের ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলে যেসব উৎপাদক আছে তাদেরকে যেমন অকেজো করতে হবে, তেমনি মানুষের নৈতিকতা ও আদর্শকেও ইসলামের দেয়া ভেলুজ ও আইডিয়া দিয়ে গড়ে তুলতে হবে।

ইফতেখার সিফাত হাফি.

Sabr

04 Feb, 15:21


ইসলাম নারীরে বানাইছে রাণী,
আধুনিকতা বানাইলো দাসী।

ইসলাম বাপরে বানাইছে মুজাহিদ-সিংহস্বরূপ ,
আধুনিকতা বানাইলো বজ্জাত দাইয়ূস।

ইসলাম মা রে বানাইছে জান্নাতের অধিকারীনি, মমতাময়ী,
আধুনিকতা বানাইলো বজ্জাত বেয়াদপ।

ইসলাম ভাইরে বানাইছে দ্বায়িত্ববান গাইরতওয়ালা পুরুষ,
সেক্যুলারিজম বানাইলো গাইরতহীন আস্ত বলদ।

ইসলাম পরিবাররে বানাইছে চোখের প্রশান্তি,
আধুনিকতা বানাইলো বিচ্ছেদ আর কলহের কারখানা।

ইসলাম নারী-পুরষের সম্পর্করে বানাইছে পবিত্র-কমনীয়
আধুনিকতা বানাইলো নাপাক, বিচ্ছিরি যিনার আসর।

ইসলাম সমাজরে বানাইছে ন্যায়-নীতি আর ইনসাফের আদর্শ,
আধুনিকতা বানাইছে যিনা ব্যাভিচার আর জুলুমের অভয়ারণ্য।

Sabr

04 Feb, 12:53


বাইতুল্লাহ-র সামনে এমনিভাবে কাঁদা যে কতটা সৌভাগ্যের কেমনে বুঝাব! কেমনে বুঝব!.

Sabr

02 Feb, 11:13


কোরআনের আলোকে উন্নতির সোপান

কোরআনুল কারিমের শ্রেষ্ঠত্ব, মানুষের স্বভাবগত দ্রুততার প্রবণতা, প্রত্যেকের সাথে তার আমলনামা থাকার বিষয়টি উল্লেখ করার পর ইসলামি জীবনব্যবস্থা সম্পর্কিত প্রায় তেরোটি আদেশ-নিষেধ ও আদব-আখলাকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ইসলামি শিষ্টাচার ও উত্তম চরিত্রের কারণেই (যেমনি মুসলমানরা সম্মানিত হয়েছে, তেমনি তার ছায়াতলে এলে অন্য) যেকোনো জাতি সম্মানিত হতে পারে। এজন্য অনেকে এগুলোকে উন্নতির সোপান বলেও উল্লেখ করেছেন। সূরা ইসরাে ২৩-৩৯নং আয়াতে এইসব বিধান ও আদব বিবৃত হয়েছে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হল:

১. আল্লাহ ছাড়া কারও ইবাদত করো না।

২. মাতাপিতার সাথে সদ্ব্যবহার করো।

৩. আত্মীয়স্বজন, মিসকিন-মুসাফিরদের হক আদায় করো।

৪. অপচয় করো না।

৫. কার্পণ্য করো না।

৬. হাত এতটা প্রসারিত করো না, যাতে আগামীকাল তোমাকে আফসোস করতে হয়।

৭. দরিদ্রতার ভয়ে সন্তান হত্যা করো না।

৮. কোনো প্রাণীকে অন্যায়ভাবে হত্যা করো না।

৯. এতিমের সম্পদে অবৈধ হস্তক্ষেপ করো না।

১০. অঙ্গীকার করলে তা পূর্ণ করো।

১১. সঠিকভাবে ওজন করো।

১২. যে জিনিসের ব্যাপারে তোমার সঠিক জ্ঞান নেই, তার পেছনে পড়ো না।

১৩. জমিনে দম্ভভরে চলো না।

পরিশেষে দু-দু'বার করে বলা হয়েছে, আল্লাহর সাথে কাউকে মাবুদ সাব্যস্ত করো না।

বই : খোলাসাতুল কোরআন ; মাওলানা মোহাম্মদ আসলাম শেখোপুরী রহ.

Sabr

01 Feb, 13:35


নারীর মনস্তত্ত্বে যে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।
সে নারীর দৈহিক নিয়ন্ত্রণ ও চলে আসে।
সেটা প্রেমের নামে হোক। বা বিয়ের নামে।
যেই দখল নেয় নারীর মনস্তত্ত্ব। ওই নারীই তার কাছে বন্দি হয়ে যায়।

সেটা হেদু হোক বা মুসলিম। ভদ্র ছেলে হোক বা বখাটে৷ ধনী বা গরীব।

এজন্য দেখবেন পর্দানশীন মেয়েও কোনো বখাটের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় । বা কোনো হেদুর৷
কারণ বখাটে বা হেদু। সে প্রথমে দেহের উপর ঝাপিয়ে পড়ে না।

অল্প অল্প অনুভূতি বা কৃত্রিম ভালোবাসা দেখিয়েই একটা মেয়ের মনস্তত্ত্বকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়।
তখন বাকি ধাপ গুলো ফিতরাত গত ভাবেই হয়ে থাকে।

এই উম্মাহর মধ্যে কোনো বিচক্ষণ দায়ী দেখলাম না। যারা অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে ভাবে।
নারীদের রক্ষা করতে হলে। তাকে গৃহ থেকেই বের করা যাবে না। সহ শিক্ষার তো প্রশ্নই আসে না৷

খিযির (আ) এর মত যারা ভাবে। তারাই শিকলবন্দী করার বাস্তবতা টা বুঝবে৷
আর নারীদের কথা কি বলবো৷

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও নগরায়ণ। তাদের মনস্তত্ত্ব সিফাত বিকৃত হয়ে গেছে। সেটা রিকোভার সম্ভব নয়৷

সম্ভব অবশ্যই। এই চাকচিক্যময় দুনিয়া থেকে তাকে লুকিয়ে রাখতে হবে৷ দুনিয়ার আলো যত কম পড়বে তার উপর৷ ততই সে সুরক্ষিত থাকবে।

নারী ত ঝিনুকের মত সুরক্ষিত থাকার কথা৷ এখন তাদের রক্ষা করার কথা ভাবে কে?
কারা পারবে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে নারীদের গৃহে লুকিয়ে রাখতে?

আপনি তাকে সুরক্ষিত করতে যে ভাবনা বা সিদ্ধান্ত নিবেন। তা এ-যুগে চরম লেভেলের গোড়ামি,ধর্মান্ধতা, মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনা।
এসব তো বাস্তবতা বিবর্জিত।

উল্টো দিকে তাকিয়ে দেখুন। কাহাফের ভাবনায় ভাবুন। এই ফি-তনায় নারীদের রক্ষায় খিযির (আ) এর মত দূরদৃষ্টি দিন৷

— আল ইন্তিফাদা

Sabr

29 Jan, 08:36


পুরুষরা ভোট দিন (বয়স ২০ বা তার বেশি)
https://t.me/muslimatrix/4954

নারীরা ভোট দিন (যেকোনও বয়স, সর্বোচ্চ তিনটি অপশন বাছাই করতে পারবেন)
https://t.me/muslimatrix/4957

নারী হয়ে পুরুষের পোলে বা পুরুষ হয়ে নারীর পোলে ভোট দিয়ে অনৈতিক হবেন না

Sabr

28 Jan, 20:27


Chatgpt মোটামুটি নিরপেক্ষ উত্তর দেয়। নিজে থেকে উত্তর না দিয়ে দুই পক্ষের স্টেটমেন্ট দিয়ে থাকে এই টাইপের প্রশ্নের ক্ষেত্রে। কিন্তু DeepSeek এ চায়নার বিরুদ্ধে যেকোন কিছুই বোধহয় Censored করা! চারবার সেইম প্রশ্ন করি, উত্তর দেয়, তারপর ডিলিট করে দেয়...

Sabr

27 Jan, 20:06


বন্দী থেকে মুক্ত ফিলিস্তিনি এসে দেখে তার প্রিয় মা আর নেই.... যার যায় সেই বুঝে হায় 💔

رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا

Sabr

27 Jan, 09:47


টুনটুনি ; চর্মচক্ষুর শীতলতা, আল্লাহর এক অপূর্ব সৃষ্টি!

Sabr

25 Jan, 12:41


মুনাফিক ব্যক্তি কখনো বুঝতেই পারে না যে, সে মুনাফিকতার বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে লালন করছে। বরং সে মনে করে, তার কাজগুলোই সঠিক।

অন্যদিকে, একজন ইমানদার ব্যক্তি সর্বদা ভয়ে থাকে— এই বুঝি মুনাফিকতার দিকে পা বাড়িয়ে ফেললাম! তার মন কাঁপে, তার আত্মা ব্যথিত হয়।

আল্লাহ বলেন:
মুমিন তো তারা, যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে উঠে যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। আর যখন তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং যারা তাদের রবের উপরই ভরসা করে।

(সূরা আনফাল: ২)

যখন মুনাফিক ব্যক্তি মিথ্যা বলে, তখন সে ভাবে, 'প্রয়োজনে একটু মিথ্যা বললে ক্ষতি কী!' সে তার মিথ্যাকে হালকা চোখে দেখে।

অন্যদিকে, একজন ইমানদার ব্যক্তি যদি কখনো ভুলক্রমে মিথ্যা বলে ফেলে, তখন সে অন্তর থেকে অনুতপ্ত হয়। সে ভাবে: 'হায়! আমি কতই না নিকৃষ্ট হয়ে গেছি।' তার হৃদয়ে অনুশোচনার আগুন জ্বলে ওঠে।

আল্লাহ আমাদের সকলকে মুনাফিকতার বৈশিষ্ট্য থেকে রক্ষা করুন এবং আমাদের অন্তরকে ইমানের আলোয় ভরিয়ে দিন।

Sabr

24 Jan, 09:01


ভূমধ্যসাগরের শীতল বাতাস আমায় ঘুম এনে দিতে ব্যর্থ,
কেননা উপত্যকার রক্ত ভেজা নোনা বাতাসের উৎকট গন্ধ আমার ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

দামেশকের চোখ ঝলসানো রোদ আমার জন্য অভিশাপ,
কেননা এই সূর্য হাজার মৃত আদমের গুম হওয়া লাশের হদিস জানে।

কাশ্মীরের জঙ্গলের বন বিড়ালের ডাক আমায় পুলকিত করে না,
কেননা সহস্র কারা প্রকোষ্ঠে আটক যুবকের অশ্রু আমার অনুভূতির নিউরনে বিষ ঢেলে দিয়েছে।

আরাকানের কাঁদামাটি থেকে উত্থিত ধানের পাতা আমার চোখ জোড়ায় না,
কেননা এই ধান গাছ হাজার বোনের ইজ্জত হরণের সাক্ষী দিচ্ছে।

আসামের পাহাড়ী কুলের টক স্বাদ আমার বিস্বাদ লাগে,
কেননা এই কুল গাছে বেধে পেটানো হয়েছিল আমার মতো এক আসামী মিঞাকে।

নৈরাজ্যের এই দুনিয়া আমার থেকে সব ছিনতাই করেছে,
কেননা আমি পশুত্বকে প্রত্যাখ্যান করতে চেয়েছিলাম।

Sabr

17 Jan, 08:25


রাসুল সাঃ বললেন, " তোমরা ইমানকে নবায়ন কর" সাহাবীগণ বললেন, " কিভাবে আমরা আমাদের ইমানকে নবায়ন করব? " তিনি বললেন, " তোমরা অধিক পরিমাণে-
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ) বল"
~মুসনাদে আহমদ ৮৭১০

Sabr

17 Jan, 00:49


'অষ্টম শতকের এক মহান সাধক সালিহ মসজিদে বসে তাঁর ছাত্রদের বলছিলেন-"আল্লাহর দরজায় টোকা দিতেই থাকবে, কখনো থামবে না। যারা আন্তরিকতার সাথে প্রার্থনা করবে, একসময় আল্লাহ নিজের দরজা তাদের জন্য খুলে দেবেন।"

মসজিদের পাশের পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন রাবেয়া বসরি। তিনি এ কথা শুনে বললেন-"হে সালিহ! কে আপনাকে বলেছে আল্লাহর দরজা বন্ধ এবং তা খোলার চেষ্টা করতে হবে?"

রাবেয়া বসরি বুঝতে পেরেছিলেন, আল্লাহর ভালোবাসা আমাদের কর্মের ওপর নির্ভরশীল নয়; বরং এ ভালোবাসা আমাদের কর্মকে প্রভাবিত করে, আমাদের আল্লাহর পথে যাত্রা শুরু করতে উদ্বুদ্ধ করে। সূর্য যেমন গাছকে টানে-যাতে গাছের মুখগুলো সূর্যের আলোর কাছে পৌঁছতে পারে, আল্লাহও তেমনি আমাদের ডাকেন, যাতে আমরা তাঁর স্নেহধারায় ধন্য হতে পারি।

আল্লাহ তিনি, যাঁর কথায় কবর থেকে মৃত মানুষরা উত্থিত হয়, যাঁর আদেশে একটি লাঠির আঘাতে সমুদ্রকে দুই টুকরোয় পরিণত হতে হয়। তিনি আপনার হতাশাজনক পরিস্থিতিকে অলৌকিকভাবে বদলে দিতে পারেন। তিনিই আপনার বিশৃঙ্খল জীবনকে সুসংগঠিত করে দেন, আপনার ক্লেশকে উল্লাসে পরিণত করেন। তিনি পরাজিতকে বিজয়ী বানিয়ে দেন। তিনি আপনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার সাথেই আছেন। এজন্যই রাসূল সা: এর নাতি ইমাম হুসাইন রাঃ বলেছেন-

'হে আল্লাহ! যে আপনাকে হারিয়েছে, সে কী খুঁজে পেয়েছে? এবং যে আপনাকে খুঁজে পেয়েছে, সে কী হারিয়েছে?'

বই : সিক্রেটস অব ডিভাইন লাভ

Sabr

16 Jan, 02:32


বস্তুবাদের উপর বিজয় নির্ভর করেনা। কার স্টক কত বেশি, কার স্টক কত রিচ, কত পাওয়ারফুল সেটার উপরও নির্ভর করেনা। করে একমাত্র ইমানের জোরের উপর, আল্লাহর কাছে কবুলিয়াতের উপর। বাকিসব হলো আনুষঙ্গিক মাত্র।

আল্লাহ আমাদের চক্ষুকে শীতল করুক, কলিজা ঠান্ডা করুক। গাযাবাসীর উপর রহম করুক, আমিন

Sabr

16 Jan, 02:27


তাহরিক সিরিজ
লেখক: Bearded Bengali


১] https://t.me/c/2428379885/2

২] https://t.me/c/2428379885/3

৩] https://t.me/c/2428379885/4

৪] https://t.me/c/2428379885/5

৫] https://t.me/c/2428379885/9

৬] https://t.me/c/2428379885/11

৭] https://t.me/c/2428379885/14

৮] https://t.me/c/2428379885/17

৯] https://t.me/c/2428379885/19

১০] https://t.me/c/2428379885/21

১১] https://t.me/c/2428379885/23

১২] https://t.me/c/2428379885/27

এটি একটি চলমান সিরিজ লেখনী, ইতিমধ্যেই ২০ পর্ব হয়ে গিয়েছে।

Sabr

15 Jan, 00:44


অল্প হাসি বেশি কান্না

একবার হজরত আবু বকর কাতানি রহ. বললেন, আমি একজন সুদর্শন যুবককে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, 'তুমি কে?' সে বলল, 'আমি পরহেজগারি।' আমি বললাম, 'তুমি কোথায় থাকো?' সে বলল, 'চিন্তিত লোকদের অন্তরে।'

কিছুক্ষণ পরে আমি ভয়ংকর আকৃতির একটি মেয়েকে দেখতে পেলাম। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, 'তুমি কে?' সে বলল, 'আমি গোনাহ ও নাফরমানি অর্থাৎ, হাসি- তামাশা।' আমি বললাম, 'তুমি কোথায় থাকো?' সে বলল, 'আমোদ-প্রমোদকারীদের অন্তরে।' আমি জাগ্রত হয়ে প্রতিজ্ঞা করলাম, হাসির প্রবল কারণ না হলে আমি আর কখনো হাসব না।

[ আকাবিরদের জ্ঞান-সাধনার গল্প; জুলফিকার আলি নকশবন্দিয়া হাফি ]

Sabr

14 Jan, 09:04


মসজিদে একেক ওয়াক্তে একেক জায়গায় সালাত পড়ুন। বাসায় বা অন্যখানেও নফল সালাত একেক স্থানে আদায় করুন। বিভিন্ন মসজিদে জুমা আদায়ের চেষ্টা করুন। চলতে ফিরতে জিকির ও দরুদ পড়ুন। যত বেশি স্থানে আপনার আমল সংঘটিত হবে তত লাভ।

সূরা যিলযালের ৪ নং আয়াতের (يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا) তাফসিরে বলা হয়, এসব স্থান রোজ হাশরে আপনার ইবাদতের সাক্ষী দিবেন। তিরমিজিতে বর্ণিত হাদিস এই আয়াতের উল্লেখিত তাফসিরটি বর্ণনা করে।

সাহাবী আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: প্রতিটি নুড়ি পাথরসম স্থান বা চারাগাছ সমান স্থান হলেও জিকির করতে থাকো, হাশরের ময়দানে এরা সাক্ষী দিবে তোমার জিকিরের।

ইবনে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: জমিনের যত খন্ডে তুমি সিজদা আদায় করবে সেগুলো কেয়ামত দিবসে তোমার আমলের সাক্ষ্য দিবে।

চলন্ত গাড়িতে বসে জিকিরের ফলাফলটি কল্পনা করুন তো!

~ মোহাম্মদ সাঈদুল মোস্তফা হাফিজাহুল্লাহ

Sabr

12 Jan, 18:12


অনুগত জীবন যাপন করা

যে নাফরমানীর জীবন যাপন করে সেও বেঁচে থাকে, আর যে ফরমাবরদারীর জীবন যাপন করে সেও বেঁচে থাকে। যারা ফরমাবরদারীর জীবন যাপন করে, তারা ফরমাবরদারীর কারণে মরে যায় না। বরং দিব্য দৃষ্টি দিয়ে দেখলে এটাই চোখে পড়বে যে, যারা ফরমাবরদারী করে, তারাই প্রকৃত অর্থে বেঁচে থাকে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-
شار بايُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْبِبْكُمُ
অর্থ: 'হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের হুকুম মানো, যখন তোমাদেরকে আহ্বান করেন সেই কাজের দিকে, যার মধ্যে তোমাদের জীবন রয়েছে।'

তাই প্রকৃত জীবন তো সেটাই, যা তাঁদের আনুগত্যে অতিবাহিত হয়। আর যে জীবন তাদের নাফরমানীর মধ্যে অতিবাহিত হয়, তা দেখতে জীবন মনে হলেও বাস্তবে তা মৃত্যুর চেয়েও নিকৃষ্ট।

বাস্তব সত্য এই যে, জীবনের স্বাদ ও উপভোগ তারাই লাভ করে, যারা আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং ফরমাবরদারীর মধ্যে জীবন অতিবাহিত করে। আর গোনাহের জীবন, তা বাহ্যত মজার জীবন বলে দেখা গেলেও বাস্তবে তার মধ্যে শান্তি নাই। তা জীবনের খোলস মাত্র। দুনিয়ার খোলস সর্বস্ব জীবনের ভোগ-বিলাসে মত্তরা আত্মহত্যা করে জান দিচ্ছে। কারণ, হাজারো ভোগ- বিলাসের পরও তারা মনের শান্তি পাচ্ছে না। মনের শান্তি কীভাবে লাভ হয়? এ প্রসঙ্গে কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে-
ش دوود تطمئن القلوب للـ
'মনের প্রশান্তি আল্লাহর যিকির দ্বারা লাভ হয়।' (সূরা রাদ: ২৮)

বিধায় শান্তির জীবন, সুখের জীবন, নিরাপত্তা, আরাম ও মজার জীবন তো ঐটাই, যা আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের আনুগত্যে অতিবাহিত হয়। আল্লাহ তাআলা তাঁর অপার অনুগ্রহে আমাদের শান্তি ও সুখের জীবন দান করুন। আমীন।

মূল: মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি.

Sabr

11 Jan, 18:33


পিটিশন ও আফিয়া সিদ্দিকী

শয়তানের কাছে পিটিশনের আবেদনই সবকিছু নয়। আমি এদের কাছে কিছু আশাও করিনা। ইতোপূর্বে বহু পিটিশনের রিজেকশন এরা করেছে। চাইলেই করতে পারে। তার কিছু উদাহরণ দেখুন:

১. লিওনার্ড পেলটিয়ার
- অপরাধ: এফবিআই এজেন্ট হত্যার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
- ক্ষমার আবেদন: প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন, বুশ এবং ওবামা সবাই ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন, কারণ তারা অপরাধটিকে অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করেন।
- সূত্র: (https://en.wikipedia.org/wiki/Leonard_Peltier)

. জোনাথন পোলার্ড
- অপরাধ: ইসরায়েলের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত।
- ক্ষমার আবেদন: প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন, বুশ, এবং ওবামা প্রত্যাখ্যান করেন, কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়। ( যদিও এই বেটাকে পরে মুক্তি দেওয়া হয় )
- সূত্র: (https://en.wikipedia.org/wiki/Jonathan_Pollard)

৩. এথেল ও জুলিয়াস রোজেনবার্গ
- অপরাধ: সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে পরমাণু তথ্য পাচারের অভিযোগ।
- ক্ষমার আবেদন: প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার তাদের ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৫৩ সালে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
- সূত্র:(https://en.wikipedia.org/wiki/Julius_and_Ethel_Rosenberg)

৪. অস্কার লোপেজ রিভেরা
- অপরাধ: সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র এবং সহিংস কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ।
- ক্ষমার আবেদন: প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন শর্তযুক্ত ক্ষমা প্রস্তাব করেছিলেন, যা লোপেজ প্রত্যাখ্যান করেন। পরে প্রেসিডেন্ট ওবামা ২০১৭ সালে তাকে ক্ষমা করেন।
- সূত্র:(https://en.wikipedia.org/wiki/Bill_Clinton_pardon_controversy)

কিন্তু........

এবারেও হয়ত তার ব্যতিক্রম দেখছিনা। এই সভ্য শুয়োরদের কাছে এই পিটিশন আই থিংক কিছুই না। তারপরেও নিজেকে প্রশ্ন করি উম্মাহ-র এই মজলুমের জন্য আসলে করছিটা কি? আল্লাহর কাছে জবাব দেওয়ার মতই বা আছেটা কি আমার? তারপরও স্বান্তনা বশত, মরুভুমির এক কণা বালুর সহস্রভাগের এক ভাগ বেদনার প্রশমনও যদি এই সাইনের মাধ্যমে হয়, তাহলে সেটাই হোক। মহান আল্লাহ এই মজলুম বান্দীর মুক্তি ত্বরান্বিত করুক, আমাদের গাফলতি, কাপুরুষতা আর অক্ষমতা মাফ করুক। আশা, ভরসা, চাওয়া পাওয়া সব তোমারই তরে ইয়া রব।

পিটিশন লিংক

Sabr

10 Jan, 08:55


খুবই বিশেষ একটা ফিলিং শেয়ার করছি।
গাজার যুদ্ধ এক বছরের বেশী সময় ধরে চলছে। প্রথমে যেমন সারাদিন খোঁজ রাখা হতো, তারপর থেকে সেই সময় কমেছেই কেবল।

খেয়াল করলাম, যখনই গাজার খবর রাখা পুরোপুরি বাদ হয়ে যায়, তখনই পার্সোনাল লাইফে একটা প্রবলেমে পড়ি। কেমন যেন আমি গাজাকে ভুলে গেলাম তো আল্লাহও আমাকে ভুলে গেলেন।

এখন আর ওই সাহস করি না। যত ব্যস্ততাই থাক, গাজার মানুষ আর যোদ্ধাদের খবর রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এটা ভোলা উচিৎ হবে না, গাজার পরীক্ষাটা অ্যাকচুয়ালি আমাদের। গাজার মানুষ তো আগেই পাস করেছে।
Ahmad Khan Articles

Sabr

08 Jan, 23:25


Whoever loves to meet Allah.....

Sabr

08 Jan, 13:02


অলসতা!

ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রের ওপর চালানো বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত যে, পৃথিবীজুড়ে যত কোটিপতি আছে, তাদের বিরাট অংশ নিজস্ব প্রতিভা এবং প্রচেষ্টাবলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তাদের সবার শুরুটা হয়েছে শূন্য থেকে। গবেষণায় প্রমাণিত যে, এসকল কোটিপতির সন্তানদের ৯৫% এরও বেশি বাবাদের রেখে যাওয়া অঢেল সম্পদ খুব দ্রুতই নষ্ট করে ফেলে। কেবল ৫% সন্তান সেই সম্পদের সঠিক মূল্যায়ন করতে জানে।

বিভিন্ন রাষ্ট্রের ওপর চালানো জরিপ অনুযায়ী, জাপান আয়তনে ছোট এবং আয়ের সীমিত উৎস থাকা সত্ত্বেও গোটা বিশ্বে অর্থনীতির বিরাট এক অংশকে নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রগুলোকে আল্লাহ তাআলা জনবল এবং প্রাকৃতিকভাবে সীমাহীন সমৃদ্ধি দান করেছেন; কিন্তু তাদের ইচ্ছাশক্তিই ছিনতাই হয়ে গেছে। মনোবল গেছে দমে। তাদের শ্রেষ্ঠত্ব হয়ে পড়েছে ত্রুটিযুক্ত। তাই ব্যর্থতা তাদের সঙ্গী হয়েছে এবং তাদের নামের সাথে জড়িয়ে গেছে হীনম্মন্যতা।
অলসতা প্রতিটি গোত্র ও জাতির পতনের কারণ। প্রতিটি রাষ্ট্র ও সভ্যতার অবক্ষয়ের প্রবেশদ্বার। এজন্যই বারামেকা সম্প্রদায়ের কোনো এক ব্যক্তিকে তাদের সাম্রাজ্য ধ্বংসের কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে সে উত্তর দিয়েছিল-
ভোরের ঘুম এবং সন্ধ্যার পানীয় গ্রহণ।
( রওজুল-আখইয়ার আল-মুন্তাখাব মিন রবীয়িল-আবরার ১/৩৮৭, মুহাম্মদ ইবনু কাসিম ইবনু ইয়াকুব আল-আমাসী আল-হানাফী, দারুল কলম )

মূল: ড. খালিদ আবু শাদী

Sabr

05 Jan, 15:00


মৃত্যুর মুরাকাবা..

হাদীসে আছে, “ আস্বাদ-আনন্দ বিনাশকারী অর্থাৎ মৃত্যুর কথা বেশি-বেশি স্মরণ কর। ”

প্রত্যেকের কিছুক্ষণ বসে চিন্তা করা উচিত যে, আমাকে মরতে হবে, মৃত্যুর পর কবরে যেতে হবে। সেখানে আছে সাপ-বিচ্ছু বা জান্নাতের বাগিচা। ভালো আমল করলে কবর হবে জান্নাতের বাগিচা আর আমল মন্দ হলে ভোগ করতে হবে অবর্ণনীয় শাস্তি। তারপর এক সময় কবর থেকে উঠতে হবে। হাশরে হিসাব-কিতাব আছে। সেখানে হাজির হতে হবে। আছে পুলসিরাত। তা পার হতে হবে। এভাবে মৃত্যুর পর যা কিছু ঘটবে তা স্মরণ করবে। এ মুরাকাবা ও ধ্যান অন্তরে বসে গেলে তারপর আর ভুলেও কোন গুনাহ করতে পারবে না- ইনশাআল্লাহ তা'আলা। (ওয়ায-যিকরুল মাওত )

মৃত্যু, মৃত্যুপরবর্তী অবস্থা, কবর, কিয়ামত ইত্যাদি চিন্তা করলে অন্তরে ভয়-ভীতি সৃষ্টি হয়। অন্তরে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করা মুখ্যতই কাম্য। কারণ তা আখিরাতের পক্ষে সহায়ক। তবে এ চিন্তা জাগ্রত করার প্রতিক্রিয়ায় শারীরিক কোন রোগ-ব্যাধি দেখা দেওয়ার আশংকা থাকলে রোজ এ মুরাকাবা করবে না, যখন গাফলত খুব বেশি হয়ে যাবে কেবল তখনই করবে। মৃত্যু চিন্তার কারণে অন্তরে অস্থিরতা দেখা দিলে হায়াত ও জীবনের মুরাকাবা করবে। চিন্তা করবে দুনিয়ার জীবন অপেক্ষা আখিরাতের জীবন কত ভালো, সেই সঙ্গে তা স্থায়ীও বটে। সে জীবনের আনন্দ-আস্বাদও অনেক বেশি এবং তা নিখুঁত ও পূর্ণাঙ্গ। (কামলাতে আশরাফিয়া)

সর্বপ্রকার পেরেশানি থেকে মুক্তিলাভের মহৌষধ হল আখিরাত চিন্তা। আখিরাতের আযাবের কথা চিন্তা করলে মনে কোন কষ্ট ও ক্লেশ থাকে না। বরং এর ফলে অন্তরে নূর পয়দা হয়। হৃদয়ের আগল খুলে যায়। এর কারণ, আখিরাতের আযাব চিন্তা করলে অন্তর আল্লাহমুখী হয় এবং আল্লাহ তা'আলার সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বা তা' আল্লুক মা'আল্লাহ'ই সব দুঃখ- দুশ্চিন্তা হতে মুক্তি দান করে। হাদীস শরীফে আছে, যে ব্যক্তি যাবতীয় চিন্তাকে এক চিন্তা বানিয়ে নিয়েছে, অর্থাৎ আখিরাতের চিন্তা, আল্লাহ তা'আলা তাকে দুনিয়ার চিন্তা থেকে নাজাত দেবেন (এতে সবরের বিনিময়ে পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে) আর যে ব্যক্তি বিভিন্ন রকম চিন্তা নিজের উপর চাপিয়ে নিয়েছে, সে যে উপত্যকায় পড়েই ধ্বংস হোক তাতে আল্লাহর কিছু যায় আসে না। (আনফাসে ঈসা)

[ বাছায়েরে হাকিমুল উম্মত ; ডা. আব্দুল হাই রহ. ]

Sabr

03 Jan, 17:30


বিয়ে!

এক নিকট-আত্নীয়ের জন্য আম্মা মেয়ে দেখতেছিলেন। যাকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করা হয়েছিল তিনি একটি মহিলা মাদ্রাসার সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রী। সম্প্রতি হাফেজী শেষ করে দওর শুরু করেছেন মাত্র। বহু চড়াই উতরাই পার করে অবশেষে জানতে পারা গেল এই হাফেজা বাসায় যতক্ষণ থাকেন টিকটকে মেতে থাকেন, ঘরে আসলে ১ ওয়াক্ত নামাজের বালাই-ই থাকেনা! উম্মাহ-র চিন্তা তো দূর কি বাত!

তো ভাবতেছি এরকম মানুষের সংখ্যাটা ঠিক কতটুক হবে? বাইরের দিকের পারফরকশনে মুগ্ধ হয়ে কত দ্বীনদার ছেলে বা মেয়ে ঠকে গেছেন আল্লাহু আ'লাম। আল্লাহর বানী দিনের পর দিন আওড়ানোর পরও হৃদয়ে ধারণ করতে না পারা দুর্ভাগা - দুর্ভাগীও আমাদের সমাজে আছেন।

একটা শিক্ষা : নিজেদের চেষ্টায় কোন সুপাত্র সুপাত্রী পাওয়াটা অসম্ভব। আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি করে, চোখের জলে গাল ভাসিয়ে আদায় করে নিতে হবে। আল্লাহর খাস রহমত ছাড়া এ যুগে সালিহ-সালিহা পাওয়াটা অসম্ভব অসম্ভব অসম্ভব। যারা পেয়েছেন তারা এ নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে করে জীবন পার করে দেন।

Sabr

02 Jan, 15:30


দিল [অন্তর] বিনষ্ট করা খুবই সহজ।

দেখুন, ঘরের জানালা যদি খোলা থাকে তা হলে পুরো ঘরে ধুলো-বালি প্রবেশ করে। তদ্রূপ যদি চোখ, কান ইত্যাদির জানালা খোলা থাকে তা হলে মনের কামরায় তো মাটি আসবেই। আজকালকার যুবকদের এই জানালা তো বন্ধই হয় না।

এক ব্যক্তি হযরত হাসান বসরি রহ.র নিকট এল। বলল, হযরত! জানা নেই, আমার অন্তর ঘুমিয়ে পড়েছে। তিনি বললেন, সেটা কীভাবে? বলল, হযরত! আপনি পড়ান, ওয়ায-নসিহত করেন। কিন্তু মনের মধ্যে কোনরূপ প্রতিক্রিয়া হয় না। হযরত বললেন, যদি ব্যাপারটা এমন হয়, তা হলে এ-কথা বলো না যে, অন্তর ঘুমিয়ে পড়েছে, বরং বল, অন্তর মরে গেছে। ওই ব্যক্তি বড়ই বিচলিত হয়ে পড়ল। বলল, সেটা কীভাবে? তিনি বললেন, দেখ, যে-মানুষ ঘুমিয়ে থাকে, তাকে ঝাঁকুনি দিলে সে জাগ্রত হয়ে যায়। আর ঝাঁকুনি দেওয়ার পরও যে জাগ্রত হয় না, সে ঘুমিয়ে নেই, মরে গেছে।

যে-মানুষ আল্লাহর কালাম শোনে, নবীজির হাদিস শোনে, এরপরও তার অন্তর প্রভাবিত হয় না, তা হলে এটা অন্তর মারা যাওয়ারই নিদর্শন। তাই এই অন্তর মারা যাওয়ার আগেই আমরা রুহানি হিসেবে সেটাকে জীবিত করে নিই। এটাকে যখন শোভিত করা হয়, এর পর আল্লাহর মহব্বত দ্বারা পূর্ণ করা হয় তখন এর অবস্থা অন্যরকম হয়ে যায়।
এটা আল্লাহওয়ালাদের অবস্থা। তাদের অন্তর আল্লাহর মহব্বতে পরিপূর্ণ থাকে । আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনও দিকে তাদের ধ্যানও নেই। এমতবাস্থায় বান্দার অন্তর মূল্যবান হয়ে যায়। এই অন্তর শোভিত করার জন্য শায়খগণ নিয়মিত যিকির বাতলে দেন। আমরা সে-যিকির নিয়মিত করতে থাকব। তা হলে আমাদের অন্তর আল্লাহ তাআলার মহব্বতে পরিপূর্ণ হবে। তার পর আমরা রাত জাগার স্বাদ পাব। তখন রাত জাগার জন্য ঘড়ির প্রয়োজন হবে না। বিছানাই ছুড়ে ফেলবে।
কুতবুল ইরশাদ হযরত ড. হাফিযুল্লাহ মুহাজেরে মাদানি রহ. যখন তাঁর বয়ানে 'আহলে-দিল'দের ঘটনা শোনাতেন, তখন বলতেন, এঁদের অন্তর সুগঠিত। হে আল্লাহ! আমাদের অন্তরও শোভিত করে দাও!

মূল : মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি.

Sabr

31 Dec, 17:10


দ্রুত বাইতুল্লার ছায়ায় যেতে চান? রওযার সামনে দাঁড়াতে চান? তাহলে নিচের আমলটি করতে পারেন।

আমার মুহতারাম শায়খ কর্তৃক শেখানো একটি আমল বাতলে দিই আপনাদের।

যে ব্যক্তি আযানের পর যে কোনো দুরুদ পাঠ করে আযানের দুআ পড়বে, এরপর মনে মনে রওযা যিয়ারতের আকাঙ্ক্ষা করবে এবং এই আমল নিয়মিত চালু রাখবে, আল্লাহ তাআলা তাকে কীভাবে যে রওযা যিয়ারতের তাওফীক দান করবেন সে কল্পনাই করতে পারবে না। মোটকথা, আল্লাহ তাআলা তাকে অতিদ্রুত হজ বা ওমরা করার তাওফীক দান করবেন।

বুযুর্গগণ এই আমল করে বাস্তব ফল পেয়েছেন। চাইলে আপনিও করতে পারেন। আমি বুযুর্গ না হয়েও, গুনাহগার হয়েও এর বাস্তব ফল পেয়েছি, আপনি বুযুর্গ কেন পাবেন না?

তানজিল আরেফিন আদনান হাফি

Sabr

30 Dec, 16:27


হারানো স্মৃতির পবিত্র যাতনা...

হযরত রাসূল (সাঃ)-এর তিরোধানের পর হযরত বেলাল (রাঃ) মদীনায় আর অবস্থান করতে পারেননি। নবী শূণ্য মদীনায় তাঁর কিভাবে থাকা সম্ভব? কাকে শোনাবেন, তিনি তাঁর মধুর আযান ধ্বনি? শোকে, দুঃখে, বিচ্ছেদ কাতরতায় একদিন তিনি মদীনা ত্যাগ করে জিহাদে জীবন দান করার মানসে দূরদেশে প্রত্যাগমন করেন। বহুদিন তিনি মদীনায় ফিরে আসেননি। একদিন স্বপ্নে রাসূল (সাঃ)-কে বলতে শুনলেন, হে বলাল। একি রকম যুলুম! তুমি যে আর আমার কাছে আসনা? স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে প্রেমিকের মনে পুনরায় প্রেমের

ফল্গুধারা প্রবাহিত হল। ভোর হতে না হতেই মদীনার দিকে ছুটলেন। রাসূল(সাঃ)-এর বংশধর হযরত হাসান ও হযরত হোসাইন (রাঃ) তাঁদের অতি আপনজন হযরত বেলালকে পেয়ে যেন হারানো সম্পদ ফিরে পেলেন। তাঁরা তাঁর আযান শোনার জন্য হযরত বেলালকে অনুরোধ করলেন। অন্যদিকে নবী বংশধরের অনুরোধ উপেক্ষা করাও যে সম্ভব নয়। তিনি উদাত্তকণ্ঠে তওহীদের সুমধুর বাণী পুনরায় চারদিকে ঘোষণা করে দিলেন। মদীনার আকাশ বাতাস মুখরিত করে হযরত বেলালের আমার ধ্বনি দিক-বিগন্তে ছড়িয়ে পড়ল। মদীনার নর-নারী তাঁদের চির পরিচিত স্বর শুনে রোদন করতে করতে মসজিদে নববীর দিকে ছুটে এলেন। সেখানে হযরত বেলাল (রাঃ)-কে দেখে তাঁদের নবী শোক যেন বহুগুণে বর্জিত হয়ে উত্থলে উঠল। কিছুদিন মদীনায় বসবাস করার পর হযরত বেলাল (রাঃ) স্বীয় বাসস্থান দামেস্কে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ২০ হিজরীতে সেখানেই শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। (উসদুল গাবা)

Sabr

29 Dec, 03:26


অনর্থক কথা-কাজ

মসজিদে হারামের পবিত্র নীরবতা হঠাৎ করেই চিৎকার আর কলহের শব্দে ভেঙে যায়। সেই সময়ের প্রখ্যাত সাহাবি, প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের প্রতীক হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে অন্ধ হলেও, তাঁর দৃঢ় সংকল্প আর অন্তরের দৃষ্টি ছিল তীক্ষ্ণ। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সঙ্গী ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বেহ (রাঃ)।

ঝগড়ার শব্দ শুনে ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর চেহারা থমথমে হয়ে যায়। তিনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন, তারপর দৃঢ় কণ্ঠে ওয়াহাবকে বললেন, "আমাকে ঐ লোকগুলোর কাছে নিয়ে চলো।"

ওয়াহাব তাঁর হাত ধরে নিয়ে গেলেন ঝগড়ারত লোকগুলোর কাছে। প্রবীণ সাহাবিকে সামনে দেখে সবাই থমকে গেল। কোলাহল থেমে গেল। একজন বিদ্বান, বিচক্ষণ এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছের আত্মীয় তাঁদের সামনে। তাঁর সামনে উচ্চবাচ্য করার সাহস কারও হলো না।

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) তাঁদের সবাইকে সালাম দিলেন। লোকেরা সালামের জবাব দিলো। তাঁকে বসতে অনুরোধ করলো, কিন্তু তিনি অনড় দাঁড়িয়ে রইলেন। তাঁর মুখে গভীর উদ্বেগের ছাপ, এবং কণ্ঠে ছিলো আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের গুণাবলীর প্রতি দিকনির্দেশনা।

তিনি বললেন, "তোমরা এতো হৈ চৈ করছো। তোমরা কি জাননা, আল্লাহর খাছ বান্দা কারা? আল্লাহর প্রিয় বান্দা কারা? আল্লাহর খাছ বান্দা তো সেই সব মানুষ, যাঁরা আল্লাহর ভয়ে সব সময় খামোশ থাকেন, চুপ করে থাকেন। অথচ তাঁরা ভালো বলতে পারেন, ভালো লিখতে পারেন এবং বড় জ্ঞানী মানুষ। কিন্তু সেই সব বান্দাদের কেউই তো বোবা, অক্ষম নন। আল্লাহর ভয়েই কেবল তাঁরা নিজেদের মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন। তাঁদের মুখ থেকে একটি রা-ও বের হয় না অপ্রয়োজনে।"

তাঁর ভারী কণ্ঠ লোকদের অন্তরে কাঁপন ধরিয়ে দিল। এক মুহূর্তে সবাই চুপ হয়ে গেল। তাঁদের অন্তরে যেন আল্লাহর ভয় আর তাঁর মহত্ত্বের অনুভূতি নতুন করে জেগে উঠল। ইবনে আব্বাস (রাঃ) কথা শেষ করলেন, কিন্তু তাঁর কথা লোকদের অন্তরে গভীর ছাপ রেখে গেল।

অনেক পরে ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বেহ (রাঃ) স্মরণ করে বলেছিলেন, "সেই দিনের পর থেকে আমি কখনো সেই লোকদের কাউকে একত্রে বসে গল্প করতে দেখিনি।"

মুমিনগণের গুনসমূহ বর্ণনা করতে আল্লাহ তাআলা সূরা মুমিনুন এর ৩নং আয়াতে বলেন,

وَالَّذِيْنَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُوْنَ ۙ

যারা অসার ক্রিয়া-কলাপ হতে বিরত থাকে।

Sabr

28 Dec, 07:44


বই : লাভিং ওয়াইফ

Sabr

28 Dec, 07:44


এক টুকরো জান্নাত

যথেষ্ট নম্র-ভদ্র, আর সহজ-সরল মানুষটা। দুনিয়ার অতো শত ভাবনা নেই তার। এই ব্যবসা-বাণিজ্য আর ইবাদত বন্দেগীই হলো তার আরাধনা! বিয়ে-শাদী নিয়ে ভাবনা আছে তবে পেরেশানি ছিলো না কখনোই। কারণ ঐ বুঝ হওয়ার পর থেকে এই উত্তাল যুবক বয়স পর্যন্ত এখনো প্রভুর কাছে নিয়মিত দোয়া দরখাস্ত করে আসছেন। আর নারী ফেতনা থেকে রয়েছেন যথেষ্ট দূরে!

প্রভুর দরবারে হাত উঠালেই তার দোয়া ছিল একজন নেককার, পূণ্যবতী, প্রেমময়ী স্ত্রীর জন্য। কেঁদেকেটে যেন একাকার হতেন মোনাজাতে। কেনই বা হবেন না। আজকাল যা দিন পড়েছে। ধার্মিক মেয়ে, হুজুরের মেয়ে, মডার্ন মেয়ে, কোনোটাতেই যেন আর আস্থা রাখা যায় না। চারপাশের বাস্তবতা এর জলজ্যান্ত প্রমাণ। সবশ্রেণির মেয়েদের মধ্যেই কমবেশি অবৈধ সম্পর্ক, পরকীয়া, তুচ্ছাতিত বিষয়ে ডিভোর্স, এসব যেন পানিভাত হয়ে গেছে।

যেমন অনেক সময় দেখা যায় খুব একটা ধার্মিকতা নেই এমন মেয়েরাও তথাকথিত ধার্মিক মেয়েদের থেকেও ভাল হয়- চরিত্রে, আচরণে, সতীত্বে। এমন নজির সমাজে কম না। কারণ, উচ্ছৃঙ্খল বাজে স্বভাবের স্ত্রী নিয়ে যেমন অনেক স্বামীকে দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়, তেমনি আজকাল এমন অনেক পর্দানশীন, রোজা-নামাজী স্ত্রীদের কারণেও অনেক পুরষকে কাঁদতে দেখা যায় তাদের নিয়ে নানান অশান্তির কারণে। যদিও এ সংখ্যাটা কম।

তবে পর্দানশীন, রোজা নামাজী হলেই যেকোনো মেয়ে প্রেমময়ী হবে এমন ভাবলে অবশ্য ভুলই হবে। ভালো মন্দ সবশ্রেণির মধ্যেই আছে। তবে ভালোটা আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নিতে হবে আমাদের।

তাই তিনিও দোয়া করে করে নিজেকে সবসময় প্রবোধ দিয়েছেন যে মনের মতোই পাবেন। মানুষের কাছে তো আর চাইছি না। মহান দাতা আল্লাহর কাছেই চাইছি। তিনি অবশ্যই দিবেন। নিরাশ হবো না।

কদিন মাত্র হলো কন্যা দর্শন পর্ব শেষ করেলেন। দিন তারিখও ঠিক হয়ে গেছে। বিয়ের আর মাত্র সপ্তাহ খানেক বাকি।

লোকটার সে যে কী অস্থিরতা। কেমন হবে আসন্ন প্রিয়তমা। আদর করা পোষা বেড়ালের মতো হবে নাকি সাপের মতো ফোঁসফোঁস ফনা ধরবে। ভালবাসা কি বুঝবে। নাকি অনুভূতিহীন জড়ো পদার্থের মতো হবে। তার কথা একটাই! সব কষ্ট সহ্য করতে রাজি আছি কিন্তু যাকে নিয়ে জীবনের শেষ পর্যন্ত কাটাতে হবে, তার সাথেই যদি না হয় মনের মিল। না হয় যদি ভলোবাসা, তাহলে অর্ধেক হাবিয়া তো দুনিয়াতে বসেই দেখে যেতে হবে! অন্যদের মতো "একটা গেলে আরেকটা পাবো"র নীতি তার ভালো লাগে না। একজনই হোক প্রথম, সেই হোক শেষ!

কতো দম্পতি ভালোবাসাহীন নিষ্প্রাণ সংসার জীবন পার করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। এসব ভাবতেই যেন তার গা শিউরে ওঠে। ভাবতে ভাবতেই একদিন শুভক্ষণ চলে এলো। হৃদয় নাড়িয়ে একজন প্রিয়তমা আসলো ঘরে। কয়েকদিন কেটে গেলো। তেমন কিছু বুঝে উঠতে পারলেন না এখনো। দুজনই স্বাভাবিক। ভালোবাসাটা এখনো জমে ওঠেনি দুটি মনে! কিন্তু হঠাৎ একদিন রাতে লোকটা স্বপ্ন দেখলেন। ভয়ানক এক স্বপ্ন! স্ত্রী যেন কার সাথে চলে যাচ্ছেন তাকে ছেড়ে।ঘুমের মধ্যেই কেঁদে উঠলেন হুহু করে। লাফ দিয়ে জেগে উঠে বুকে হাত দিয়ে ইন্নালিল্লাহ পড়লেন কয়েকবার। পাশ ফিরে তাকালেন ঘুমন্ত মায়াবতীর দিকে। চোখ দিয়ে টুপটুপ করে পানি গড়িয়ে পড়লো তার।

দ্রুত বিছানা ছেড়ে অজু করে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন। খোদার কাছে প্রাণ ভরে কাকুতি, মিনতি করলেন। কখনো যেন এমন না হয়। জায়নামাজেই কাটালেন বাকি রাত।

সকালে একান্তে স্ত্রীর কাছে গিয়ে বললেন সেই ভয়ানক স্বপ্নের কথা। স্ত্রী হাত ধরে বললেন, তুমি কি আমায় বিশ্বাস করতে পারছো না?

স্বামী দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, না-না, তোমাকে অনেক বিশ্বাস করি, তবে একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। স্ত্রী অবাক কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, কেন বলো তো।

স্বামী বললেন, তোমাকে হারানোর ভয়।

কথা দাও! আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে নাতো?

স্ত্রী তার হাতের উপর হাত রেখে স্বলাজ কণ্ঠে বললেন, মৃত্যু ছাড়া আমাকে কখনো হারাবে না, কথা দিলাম!

কখনো কষ্টও পাবে না আমার থেকে ইনশাআল্লাহ! তবে একটা শর্ত আছে। মুখ টিপে হেসে স্ত্রী বললেন।

স্বামী কেমন ভয় ভয় চোখে বললেন, সেটা আবার কী।

স্ত্রী কেমন আহ্লাদী কন্ঠে বললেন, আমাকে অনেক বেশী ভালোবাসতে হবে। ভালোবাসা ছাড়া যদি একমূহূর্ত থাকা হয়, তাহলে দেখ তোমার কী অবস্থা করি।

এই কথা শোনার পর স্বামীর মনে হলো, যেন আল্লাহ নিজ হাতে তাকে দিয়েছেন ভালোবাসার এই নেয়ামত। অনবরত সেই দোয়ার ফসল, এক টুকরো জান্নাত।

Sabr

22 Dec, 16:57


লাশ অক্ষত থাকাকেই আমরা সুস্থ থাকা বলি।

লাশ সুদর্শন থাকাকেই আমরা সুন্দর বলি।

লাশ সচল থাকাকেই আমরা জীবিত বলি।

আমাদের সমস্ত মনোযোগ লাশের দিকে, রুহের খবর রাখি না কেউ।

Sabr

22 Dec, 12:01


অহংকার ও লজ্জার একটি দৃষ্টান্ত

আল্লাহ তাআলা হযরত থানভী (রহ.) কে আসাধারণ সূক্ষ্ম দৃষ্টি দান করেছিলেন। এ মালফুযে তিনি বলেন: দু'টি জিনিসের মধ্যে অনেক সময় অস্পষ্টতা ও সংশয়ের সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ, একটিকে অপরটি বলে ধারণা হয়। একটি হলো, 'অহংকার'। অহংকার খুবই খারাপ জিনিস। এটি অনেক আধ্যাত্মিক রোগের মূল। আর দ্বিতীয়টি হলো 'লজ্জা'। কোন কাজ করতে লজ্জাবোধ হওয়া খারাপ নয়, বরং তা জায়েয।

হযরত বলেন: কোন ব্যক্তির যদি পানির কলস বা আমের ঝুড়ি মাথায় নিয়ে বাজারের ভিতর দিয়ে যেতে সংকোচবোধ হয়, তো কখনো এ সংকোচ অহংকারের কারণে হয়ে থাকে। কারণ, মানুষ নিজেকে অপরের চেয়ে বড় মনে করে। আর চিন্তা করে যে, এ বোঝা মাথায় বহন করে নিয়ে যাওয়া আমার মর্যাদার পরিপন্থী। এটি অহংকার। তার অন্তরে একথা আসে যে, আমি অনেক উচ্চ মর্যাদাশীল। এ বোঝা বহন করা আমার মর্যাদার তুলনায় অনেক নিম্ন মানের কাজ। এ মনোভাব অহংকার, যা নিষিদ্ধ এবং হারাম। কোন ব্যক্তি যদি এ কারণে বোঝা বহন করা থেকে বিরত থাকে যে, এ কাজ তার মর্যাদার পরিপন্থী তাহলে তার চিকিৎসা এই যে, এ কাজটিই তার দ্বারা জোর-জবরদস্তি করাতে হবে। যাতে করে তার মন-মগজে নিজের সম্পর্কে যে উঁচু মর্যাদার ধারণা বসে গিয়েছে তা বের হয়ে যায়।

আর অনেক সময় এ ধরনের কাজ করতে সংকোচবোধ হয় লজ্জার কারণে। অর্থাৎ, এ কাজ করার যেহেতু অভ্যাস নেই, আর অভ্যাস বিরোধী কাজ করতে মানুষের লজ্জাবোধ হয়। এটা এ কারণে নয় যে, এ কাজ আমার মর্যাদার পরিপন্থী, বরং এ কারণে যে, সাধারণত: এ কাজ আমি করি না। হঠাৎ জনসম্মুখে এ কাজ করলে মানুষ কী মনে করবে। একটি অস্বাভাবিক কাজ হবে। এজন্যে এমন কাজ করতে সংকোচবোধ হয়- এটি হলো, 'লজ্জা'। এটি অহংকার নয়। এ কারণে যদি কেউ বোঝা বহন না করে তাতে দোষের কিছু নেই।

এখন প্রশ্ন হলো, এটা কীভাবে জানা যাবে যে, এ বোঝা বহন করতে আমার যে সংকোচবোধ হচ্ছে তা কি মর্যাদার পরিপন্থী হওয়ার কারণে এবং অহংকারের কারণে হচ্ছে, নাকি অভ্যাসের পরিপন্থী হওয়ার কারণে এ সংকোচবোধ হচ্ছে? হযরত থানভী (রহ.) বিষয়টি এভাবে পরীক্ষা করতে বলেছেন যে, যে ব্যক্তি বোঝা বহন করতে সংকোচবোধ করছে, সে ব্যক্তিকেই যদি তার অভ্যাসের বিপরীতে হাতির পিঠে বসিয়ে মিছিল বের করা হয় তাহলে কি তার লজ্জাবোধ হবে, না কি হবে না? এতেও যদি তার লজ্জাবোধ হয় তাহলে বোঝা যাবে যে, ঝুড়ি বহন করতে তার যে লজ্জাবোধ হচ্ছিলো বাস্তবিকার্থেই তা তার অভ্যাসের পরিপন্থী হওয়ার কারণে হচ্ছিলো। কিন্তু যদি অবস্থা এই হয় যে, হাতির পিঠে বসিয়ে মিছিল করায় তো সে আনন্দিত হচ্ছে যে, আমাকে নিয়ে মিছিল বের করা হচ্ছে। আমাকে সম্মান করা হচ্ছে। অথচ ঝুড়ি উঠানো যদি অভ্যাস পরিপন্থী কাজ হওয়ার কারণে লজ্জাবোধ হয়ে থাকে তাহলে মিছিল বের করাতেও লজ্জাবোধ হওয়ার কথা। তাই বোঝা গেলো, ঝুড়ি উঠাতে যে, লজ্জাবোধ হচ্ছিলো তা অহংকারের কারণে হচ্ছিলো এবং নিজের মর্যাদার পরিপন্থী মনে করার কারণে হচ্ছিলো। ইনিই হলেন বিজ্ঞ চিকিৎসক (হাকীম), যিনি এ কথা বুঝতে পারছেন যে, কোথায় রোগ রয়েছে, আর কোথায় রোগ নেই।

যাই হোক, যেখানে এ ধরনের কাজ করতে মানুষ এ কারণে দূরে থাকে যে, এ কাজ আমার মর্যাদার পরিপন্থী। তাহলে বুঝে নাও ভিতরে অহংকারের রোগ রয়েছে এবং এর চিকিৎসা করানো জরুরী।

ইসলাহি মাজালিস ৫ম খন্ড ; মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি.

Sabr

21 Dec, 15:24


হযরত আবু হুরায়রা (রা.) নিজে নিজের চিকিৎসা করেন

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) মওলবী কিসিমের মানুষ ছিলেন। তাঁর না রাজনীতির সাথে সম্পর্ক ছিলো, না অন্য কিছুর সাথে। সারাটি জীবন আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের বাণী পাঠদানে অতিবাহিত করেন। তিনি সারা জীবন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস বর্ণনা করেন। পাঁচ হাজার তিনশ' চৌষট্টিখানা হাদীস তাঁর থেকে বর্ণিত আছে।

মারওয়ান বিন হিকাম একবার মদীনা শরীফের গভর্নর ছিলেন। এক সময় তাকে সফরে যেতে হয়। তখন সে হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) কে নিজের স্থলাভিষিক্ত করে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সোহবতের ফয়েয এবং তাঁর শিক্ষার প্রভাবে তিনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। সারা দিন বসে শাসন কাজ চালাতেন। বিভিন্ন বিষয়ের সমাধান দিতেন। আদালতের বিচার পরিচালনা করতেন। বিভিন্ন বিষয়ের যাচাই-বাছাই করতেন। একজন গভর্নরের যাবতীয় কাজ তিনি পালন করতেন।

সন্ধ্যায় যখন রাষ্ট্রীয় ভবন ছেড়ে বাড়ি যেতেন, তখন লাকড়ির একটি বোঝা মাথায় নিয়ে মদীনা শরীফের বাজারের ভিতর দিয়ে যেতেন এবং সেখানে গিয়ে লাকড়ি বিক্রি করতেন। এই লাকড়ি বিক্রি করে তিনি তা দ্বারা ব্যয় নির্বাহ করতেন। শুধু তাই নয়, বরং লাকড়ির বোঝা মাথায় নিয়ে এভাবে ঘোষণা করতে করতে বাজারের ভিতর দিয়ে যেতেন যে, 'সরো, সরো আমীরুল মুমিনীন আসছেন। সরো, আমীরুল মুমিনীন আসছেন।' একদিকে তিনি আমীরুল মুমিনীন, অপর দিকে তিনি এ কাজ করছেন। কেন করছেন? এজন্যে করছেন যে, সারা দিন বসে যে, রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন, এর ফলে যেন মাথায় এ কুচিন্তা না জাগে যে, আমি অনেক বড় ব্যক্তি আর অন্য সবাই আমার চেয়ে তুচ্ছ। এর চিকিৎসা হিসেবে তিনি এ কাজ করতেন।

ইসলাহি মাজালিস ; মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি.

Sabr

19 Dec, 00:54


আমায় মাফ করবে তো .....সাইদ?

Sabr

18 Dec, 10:29


দুনিয়ার মহব্বত..

এক বয়ানে হযরত থানভী (রহ.) বলেন-

" আমি সম্পদ উপার্জন করা থেকে নিষেধ করি না, সম্পদের মোহ থেকে নিষেধ করি। দেখুন, অন্যান্য ফরয আদায়ের পর হালাল উপার্জনও একটি ফরয, বরং আল্লাহ তাআলার কত বড় মেহেরবানী যে, তিনি দুনিয়ার মহব্বতকে নিষেধ করেননি; বরং (দুনিয়াতে) আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর (মহব্বতের) চেয়ে অধিক মহব্বত করতে নিষেধ করেছেন, যার আলামত হল দুনিয়ার কারণে আমলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়া। এমনকি অর্থ-সম্পদের প্রতি স্বভাবগত ভালবাসা অধিক হওয়াও নিষিদ্ধ নয়, নিষিদ্ধ হল চিন্তাগতভাবেও সম্পদের ভালোবাসাকে প্রাধান্য দেওয়া। চিন্তাগতভাবে আল্লাহ ও তার রাসূলের মহব্বতকেই প্রাধান্য দিতে হবে। এর আলামত হল, আল্লাহর হুকুম-আহকাম পালনে ও 'জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ'তে কোনো ধরনের ত্রুটি হতে না দেওয়া। যদি এটা ঠিক থাকে তাহলে স্বভাবগত মহব্বত অধিক হলেও চাই সম্পদের প্রতি হোক কিংবা স্ত্রীর প্রতি কিংবা সন্তানের প্রতি, ভয়ের কোনো কারণ নেই।

কেউ যদি স্বীয় সন্তানের মৃত্যুতে খুব কাঁদে, কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের ঘটনা শুনে বেশি না কাঁদে, তবে এর জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে না। কিন্তু যখন দ্বীনী বিষয় ও দুনিয়াবী স্বার্থের মধ্যে সংঘর্ষ হবে তখন দুনিয়াকে প্রাধান্য দিলে জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু যদি দুনিয়ার লোভ ও আসক্তিকে দ্বীনের জন্য কুরবান করা হয় অথচ এর জন্য দুঃখ হচ্ছে, মনোকষ্ট হচ্ছে, তাহলে শাস্তির ভো প্রশ্নই আসে না বরং সে অনেক বেশি সওয়াবের অধিকারী হবে। তাকওয়ার পূর্ণতা তো এখানেই যে, দুনিয়ার লোভ ও আসক্তি থাকা সত্ত্বেও তাকে প্রতিহত করতে সক্ষম হওয়া।

মোটকথা, পার্থিব আকর্ষণমাত্রই নিন্দিত নয়। হাঁ, এই আকর্ষণকে কার্যক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া নিন্দিত।"

(আনফাসে ঈসা, পৃষ্ঠা ৬৮)

কিন্তু কীভাবে বুঝা যাবে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের মহব্বত বেশি, না দুনিয়ার মহব্বত বেশি? এর উত্তর হযরত থানভী (রহ.) এভাবে দিয়েছেন যে, 'এর আলামত হল আমলে ব্যাঘাত ঘটা।' অর্থাৎ, যখন সম্পদের আগ্রহ এবং তা উপার্জনের মগ্নতা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণের মধ্যে ঘাটতি সৃষ্টি করবে তখন বুঝে নিতে হবে যে, দুনিয়ার মহব্বত অধিক হয়ে গেছে। এটা ভয়ের কারণ ও গোনাহের কারণ।

ইসলাহি মাজালিস চতুর্থ খন্ড; মুফতি ত্বাকি উসমানী হাফি.

Sabr

17 Dec, 17:03


আবু বকর রা: ও তাঁর পুত্র

হযরত আবু বকর রা: এর ছেলে আব্দুর রহমান বদরের যুদ্ধে মুশরিকদের পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করেছিল। তিনি ইসলাম গ্রহণ করার পর তাঁর বাবার পাশে গিয়ে বসলেন।
তিনি তাঁর বাবাকে বললেন, আমি বদরের যুদ্ধে আপনাকে দেখেছি আর তখন আপনাকে হত্যা করা আমার জন্য খুবই সহজ ছিল, কিন্তু আমি আপনাকে হত্যা না করে অন্যদিকে ফিরে গিয়েছি।
হযরত আবু বকর বললেন, কিন্তু আমি তোমাকে হত্যা করার সুযোগ পেলে ফিরে যেতাম না, অবশ্যই হত্যা করতাম।
অর্থাৎ ইসলামের জন্যে তিনি নিজের ছেলেকে হত্যা করতে কোনো দ্বিধা করতেন না।

তারিখে খুলাফা ; পৃষ্ঠা ৬৪

Sabr

15 Dec, 06:28


আপনি কোনো পুরুষকে বদলাতে পারবেন না। কারণ তারা জেদী, একরোখা এবং নিজের বিশ্বাসে অটল। কিন্তু আপনি তাকে ভালোবাসলে, সে নিজ থেকেই বদলে যাবে। তার আচরণ, কথার টোন অটোম্যাটিক পরিবর্তন হবে। নারী শক্তিশালী কেউ না, সে শক্ত হতে গেলে ভেঙে যাবে। প্যাচাতে গেলে কেটে যাবে। সে মূলত কোমল, পানির মতো তরল। এতটাই কোমল যে, তার পরশে পৃথিবীর সবচে শক্ত পুরুষও গলে যেতে বাধ্য।

কখনো সংসারে অমিল দেখা দিলে একবার নিজেকে যাচাই করুন। দেখুন, আপনার আচরণ নারীসুলভ আছে কি না। আপনি কারো শখের নারী হওয়ার আগে ভাবুন, কারো শখের হওয়ার মতো করে তাকে ভালোবাসতে পারছেন কি না। তালাক হয়ে যাবে; সবাই উপস্থিত, সালিশ চলছে। তখনও কোনো স্ত্রী ‘নারী’ হয়ে উঠলে, কোমল স্বরে একবার পুরুষকে চাইলে, স্বামীর পাহাড়সম রাগ নিমিষেই বরফশীতল পানি হয়ে যায়। এটাই দাম্পত্যের রসায়ন। স্বামী-স্ত্রী ছাড়া পৃথিবীর কেউ এর মূল কারণ বোঝে না।

সেজন্য বলি, সমস্যা হলেই মায়ের কাছে ফোন নয়। আপনার পুরুষকে বুঝুন। সে বাহিরে থাকে, টাকা ইনকাম করে। বহুরকম লোকজনের সাথে তার উঠাবসা, লেনদেন। কোনো কারণে তার মেজাজ বিক্ষিপ্ত হতে পারে। নারীর কাজ যত কঠিনই হোক, সে সমাজ ফেস করে না। ফলে নিজেকে সংযত ও নিয়ন্ত্রিত রাখা তার পক্ষে সম্ভব। তাই, আপনার পুরুষ বাইরে থেকে এলে তার যত্ন নিন। চেহারা ফ্যাকাশে দেখলে তখনই কী হয়েছে জিজ্ঞেস না করে তাকে পানি দিন। বলুন একটু গোসল করে আসেন খাবার দিই। পরে ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করুন কী হলো।

পুরুষ কখনো জেতে কখনো ঠকে। তার জেতাটা যেমন ইনজয় করেন, ঠকাটাও মেনে নিন। সে কোথাও লস করেছে মানেই তাকে বকাঝকা করবেন, এমন নয়। হেরে যাওয়ার অনুভব তারও আছে। বরং সাপোর্ট দিন। সহজ করুন। সময় বুঝে পরামর্শ দিন। এই যে ম্যানেজ করার ব্যাপার, এটা নারীদের আছে। আম্মাজান খাদিজার কথা ভাবুন। কীভাবে নবুওয়াতের প্রথম আগমন তিনি সামাল দিয়েছেন। নবিজির কথাটা মনে করুন, খাদিজা! আমি বোধহয় মারা যাব, কে আমাকে বিশ্বাস করবে? খাদিজা শান্ত গলায় নবিজির বুকের বোঝা নামিয়ে দিলেন। তাঁর প্রশংসা করলেন। ব্যক্তিগত আমল উল্লেখ করলেন। কেন খাদিজা সর্বশ্রেষ্ঠ, এই এক ঘটনা তার উপযুক্ত প্রমাণ।

ঠিক এজন্যই নারী সুকুন, নারী শান্তি, নারী পুরুষের মোহ। যে নারীর কণ্ঠ পুরুষের চেয়ে উঁচু, চলাফেরা অতি-আধুনিক, পুরুষোচিত, সে নারী ময়ূর থেকে কাক হতে চায়। নিজের মোহনীয় সৌন্দর্য ছেড়ে বিদঘুটে হতে চায়। এমন নারী যত সুন্দরীই হোক, তার সংসার হয় না। হলেও মরচে ধরে যায়। বাচ্চাকাচ্চা বা সামাজিকতার জন্য কোনরকম টিকে থাকে। একে জীবন বলে না, বলে ঘানি টেনে যাওয়া। সুতরাং নারী, আপনি বরং নারীই হোন। কোমল হোন, শান্ত হোন। নরম হোন, সুকুন হোন। দেখবেন পাথরের মতো পুরুষও, আপনার ফোঁটা ফোঁটা ভালোবাসার সামনে নিজেকে বিলিয়ে দিতে বাধ্য হবে।

Sabr

13 Dec, 18:45


ক্রোধের সর্বোত্তম চিকিৎসা

কখনো কখনো ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে অন্য একটি পন্থাও ফলপ্রসূ হয় তবে তা খুব কঠিন। হযরত থানভী (রহ.) নিম্নোক্ত মালফুযে তা বর্ণনা করেছেন-

'যদি স্বভাবগতভাবেই কারো রাগ খুব বেশি হয় এবং সামান্য বিষয়েই এত বেশি রাগ এসে যায় যে, তখন আর হুশ থাকে না তাহলে এর সর্বোত্তম চিকিৎসা এই যে, যার উপর রাগ করা হয়েছে, মেজাজ ঠাণ্ডা হওয়ার পর সবার সামনে তার কাছে হাতজোড় করে, পায়ে ধরে ক্ষমা চাবে; বরং তার জুতা মাথায় নিবে। এক দুইবার এমন করা হলেই নফসের শিক্ষা হয়ে যাবে।' (আনফাসে ঈসা, পৃষ্ঠা ১৭১)

এভাবে সবার সামনে ক্ষমা চাওয়ার দ্বারা নফস সতর্ক হয়ে যাবে। পরবর্তীতে কখনো রাগারাগির পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে ভাববে যে, রাগ করা যাবে না, রাগ করলে বড় বিপদ। সবার সামনে ক্ষমা চাওয়ার চেয়ে ক্রোধ সংবরণ করা বরং অনেক সহজ। এভাবে ক্রোধের প্রবণতা দুর্বল হয়ে যাবে।

আমার এক বন্ধু আছেন যার রাগ খুব বেশি। রাগ উঠলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এমনকি মা-ও যদি কিছু বলেন তাহলে তাঁর সঙ্গেও রাগারাগি আরম্ভ করেন। তিনি আমার কাছে বিভিন্ন অযীফা ও যিকির-আযকার জানতে চান, ফজরের সময় কী পড়ব, জোহরের সময় কী পড়ব ইত্যাদি। আমি তাকে বললাম, আপনার কোনো অযীফা-যিকিরের প্রয়োজন নেই, আপনার প্রথম কাজ এই যে, মায়ের কাছে গিয়ে তার পা ধরে মাফ চাবেন এবং বলবেন যে, 'আমার ভুল হয়ে গেছে, আমাকে মাফ করে দিন।' একথা শুনে তিনি বললেন, আমাকে মাফ চাইতে হবে? এ তো বড় বিপদ দেখছি। আমি বললাম, এটা আপনাকে করতেই হবে। মায়ের পা ধরে মাফ চান এবং ভাই-বোনদের সামনে। তিনি আবার বললেন, এটা তো অত্যন্ত কঠিন কাজ। আমি বললাম, যত কষ্টই হোক, কাজটা করুন। তার কাছে এটা অত্যন্ত কঠিন মনে হচ্ছিল যে, ভাই-বোনদের সামনে কীভাবে মার কাছে মাফ চাব। কিন্তু তিনি কাজটা করলেন। পরে সাক্ষাতে বললেন, কী বলব, সে সময় তো আমার অন্তর জবাই হয়ে গিয়েছে। আমি বললাম, আমারও এটাই উদ্দেশ্য ছিল। দু চার বার তাকে দিয়ে এই কাজ করানোর পর মেজাজ একদম ঠিক হয়ে গেছে।

ইসলাহী মাজালিস চতুর্থ খণ্ড || মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি.

Sabr

11 Dec, 08:47


প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
গাজায় আমি যা দেখছি তার ভয়াবহতা আমার মনকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে। এতটা হতাশা ও অসহায়ত্ব আগে কখনো অনুভব করিনি—যদিও আমি প্রায়ই তথাকথিত ‘পাওয়ারফুল’ ও ‘প্রেরণাদায়ক’ বক্তব্য দিয়ে থাকি। কিন্তু এখন নিজেকে সম্পূর্ণ অক্ষম ও দুর্বল মনে হচ্ছে।
.
একজন প্রাক্তন বন্দি হিসেবে, যে বাগরাম এবং গুয়ানতানামোর ভয়াবহতার কথা শেয়ার করেছে, এমনকি বাগরামে ফিরে গিয়েও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে, ‘সিদনাইয়া’ থেকে আসা ছবি ও সাক্ষ্য দেখে- নিজের অতীত উল্লেখ করতে আমার লজ্জা হচ্ছে।
.
সিআইএ আমাকে বন্দিত্বের সময় প্রায়ই সিরিয়ায় পাঠানোর হুমকি দিত। এখন আমি বুঝি, কেন।
.
আমি লিবিয়ার আবু সালিম কারাগার দেখেছি এবং মিশর, মরক্কো, পাকিস্তান ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সিআইএ পরিচালিত গোপন কারাগারের বর্ণনা শুনেছি। কিন্তু ‘সিদনাইয়ার’ ছবিগুলো, সাক্ষ্য এবং হাজারো মানুষের তাদের প্রিয়জনের খোঁজে মরিয়া প্রচেষ্টা—এগুলোর গভীরতা ও ব্যাপকতা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।
.
এই চিত্রগুলো দেখার পর থেকে আমার হৃদয় যেন সবসময় গলার কাছে আটকে আছে।
.
আমার মনে আছে, ২০১২ সালে মুক্তির পর লিবিয়ার ত্রিপোলির আবু সালিম কারাগারে প্রবেশ করার সময় একটি সেল ব্লকের প্রবেশপথে স্প্রে করে লেখা একটি বাক্য-
مؤبد في غنتنامو و لا يوم في أبو سليم
“গুয়ানতানামোর আজীবন কারাদণ্ড আবু সালিমের একদিনের সমানও নয়।”
.
কারাগার দুটি নিজে দেখার পর আমি হয়তো এ কথার সঙ্গে একমত হতাম—যদি ‘সিদনাইয়া’ না দেখতাম।
.
মুজাহিদীন দিমাশক দখল করেছেন এবং জামে উমুবিতে প্রবেশ করেছেন। বিশ্বাস করা হয়, এই মসজিদের সাদা মিনারাই সেই স্থান, যেখানে ঈসা ইবনু মরিয়ম আলাইহিস সালামের প্রত্যাবর্তনের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে।
.
কে এমন একটি দিনের কথা কল্পনা করতে পেরেছিল—এমন উদযাপন, এমন বিজয়?
.
প্রথমে নিষ্ঠুর দখলদার বাহিনীর হাত থেকে কাবুলের মুক্তি, আর এখন আরব বিশ্বের সবচে নৃশংস স্বৈরশাসকের পতন। কিন্তু এই মুক্তির মূল্য আমাদের কল্পনার চেয়েও অনেক অনেক বেশি। যার প্রকৃত মাত্রা হয়তো কখনোই সম্পূর্ণরূপে বোঝা যাবে না।
.
আল্লাহ সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিন, যারা নির্যাতন ও অপমান সহ্য করেছে এবং তাদের বিধ্বস্ত দেহ ও হৃদয়কে সুস্থ করে দিন।
.
আল্লাহ তাদের শাহাদাত কবুল করুন, যারা নিঃসঙ্গতার কষ্ট আর প্রিয়জনকে শেষ একবার দেখবার অতৃপ্তি নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
.
আল্লাহ নিপীড়ক ও জালিমদের এক এক করে হিসাব নিন। তাদের শক্তি ও ক্ষমতাকে নিঃশেষ করে দিন এবং তাদের এমন পরিণতি দিন যা সবার জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
.
আল্লাহ আমাদের জন্য এমন নেতৃত্ব দিন, যিনি শক্তি, সংকল্প, সম্মান, মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও করুণার সঙ্গে শাসন করবেন।
.
আমরা যেন একদিন জায়নবাদের নির্মূল হতে এবং গাজাসহ পুরো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও বিজয় প্রত্যক্ষ করতে পারি।
.
আমরা যেন একদিন আল-আকসায় প্রবেশ করতে পারি—কাঁদতে কাঁদতে, দোয়া করতে করতে, হাসতে হাসতে, দান করতে করতে এবং প্রতিটি জালিম ও দখলদারকে সেখান থেকে ও তার আশপাশ থেকে বিতাড়িত হতে দেখতে পারি।
আমিন।
-মোয়াজ্জেম বেগ (বৃটিশ নাগরিক এবং প্রাক্তন গুয়ান্তানামো বন্দী)

Saeed Abrar Hafi.

Sabr

10 Dec, 14:32


মানুষের করা প্রত্যেকটা কাজ আল্লাহর ইচ্ছার কাছেই সমার্পিত হয়, আল্লাহর ইচ্ছাতেই আবর্তিত হয়। এমনকি মানুষ তার জবান দিয়ে যে দোয়াটা করে, সে দোয়াটাও আল্লাহ তায়ালা নিয়ন্ত্রণ করেন। যেন এই দোয়া তার জন্যে কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে, এমন জায়গা থেকে যা সে কল্পনাও করতে পারে না। কারণ আল্লাহ তায়ালাই জানেন কোন দোয়া আমাদের উপকারে আসবে, আর কোন দোয়া আমাদের উপকারে আসবে না। তাই বাহ্যিক, অভ্যন্তরীন সবকিছু আল্লাহ তায়ালার ছায়াতেই নিয়ন্ত্রিত হয়, আল্লাহ তায়ালার রহমতের কাছেই সমর্পিত।

~ আম্মারুল হক হাফি.

Sabr

08 Dec, 12:33


কত সহস্র আবির আল জানাবি, কত সহস্র আইমান, কত সহস্র মজলুম আল্লাহর বান্দার শাহাদাতের বিনিময়ে এ নিআমাত এসেছে আল্লাহু আ'লাম।

আল্লাহ এ বিজয়ের ধারাকে চলমান রাখুক, পবিত্র ভূমির মুক্তি দেখিয়ে কলিজা ঠান্ডা করুক , আমিন।

ভিডিওটি আসাদ বাহিনীর নৃশংসতার একটা উদাহরণ মাত্র।

Sabr

07 Dec, 08:32


حب الله !!

হুব্বুল্লাহ এক আজিব জিনিস। যার অন্তরে এসেছে, তাঁর চাহিদা সীমিত হয়ে যায়। মানুষের নিকট চাওয়া কমে যায়। সালাতে আরো বেশি শান্তি পায়, আল্লাহর স্বরণে অন্তর তৃপ্ত হয়। দুনিয়ায় চলে ফিরে, খাবার খায়, উপার্জন করে, পরিবারে সময় কাটায়। কিন্তু নিয়ত থাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি, আল্লাহকে রাজি খুশি করা। সর্বোপরি, আল্লাহর জন্য জীবন কাটিয়ে দেয়।

Sabr

06 Dec, 15:16


Video Courtesy : Ikhlas

Sabr

04 Dec, 15:30


একটা সত্যি কথা কি জানেন?
আমাদের মধ্যে না আছে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা, না আছে ভয়।

এমন একজনের কথা একটু আগে বাসায় বলছিলাম, যে কিনা আমাদের সময়েরই একটা ছেলে।

এই ছেলে ইশার পরপরই ঘুমায়ে যায়, কারণ এটা রাসূলুল্লাহর (সা) সুন্নাহ। আর রাসূলুল্লাহর (সা) সুন্নাহই তার কাছে গাইডেন্স। আর গাইডেন্স ফলো করলেই সে সফল। নইলে তো সে মিসগাইডেড, ব্যর্থ!

এই ছেলে প্রতি রাতে ঘুম থেকে সাড়ে বারোটায় উঠে যায়। ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সে চুপিচুপি টানা সলাত করে। কিয়াম করে।
কেন?

কারণ, সে আল্লাহর প্রতি সত্যিই কৃতজ্ঞ।
সে নিজের ভুল আর জাহান্নাম নিয়ে সত্যিই ভীত।
এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে আর আশ্রয় চাইতে চাইতে সে দুই পা ফুলায়ে ফেলে।
প্রতিদিন।

একটা ট্যুরে ত্রিশদিনের একদিনও তার এই রুটিন মিস হয় নাই। তীব্র মশার প্রকোপেও আল্লাহর প্রতি ভালবাসা তাকে সুন্নাহর অনুসরণ থেকে থামাইতে পারে নাই। কোন পরিস্থিতি আর অজুহাতই তাকে আল্লাহর সাথে কথোপকথনের মিষ্টতা মিস করার দুঃসাহস দেয় নাই।

মনিব নিজে নেমে আসবেন, কথা শুনতে চাইবেন, মাফ করতে চাইবেন, আর এই কথার উপরে ঈমান থাকলে দাস হয়ে সে ঘুমাবে, তা কী হয়?
হয় না।

এই ছেলেটা তাওহীদ "বুঝেছে"।
আল্লাহকে চিনেছে।
সফলতা দেখেছে।

আর আমরা?
আমরা বয়ান দিয়ে, বয়ান শুনেই বিন্দাস!
ঠিক না?

আল্লাহর জন্য বাঁচা!
এতো সস্তা?
.
— মোহাম্মদ তোয়াহা আকবর (হাফি.)


@qalbunsaleem19

Sabr

03 Dec, 13:17


প্রকৃত তাকওয়ার স্বরূপ!

যদি কারো মাঝে একশটি বিষয়ে ‘তাকওয়া’ থাকে (ওগুলোর ব্যাপারে আল্লাহর যা হুকুম তা-ই সে পালন করে। করণীয় হলে করে। বর্জনীয় হলে বর্জন করে) কিন্তু মাত্র একটি বিষয়ে তার মাঝে ‘তাকওয়া’ না থাকে (ওটার ব্যাপারে আল্লাহর যা হুকুম তা সে পালন করে না। করে তার উল্টোটা) তাহলে সে মুত্তাকী নয়।

~ ইমাম আব্দুল্লাহ বিন মুবারক রহ.

Sabr

02 Dec, 00:28


বংশগতভাবে অভিজাত নারীরা স্বামীকে কখনো খোঁটা দেয় না।

সারা আলাইহাস সালাম তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী রমণী ছিলেন। তাফসির বিশারদগণ বলেছেন, ইউসুফ আলাইহিস সালাম তার দাদি সারা থেকেই সৌন্দর্য লাভ করেছেন। তার এত সৌন্দর্য সত্ত্বেও তিনি ভদ্র এবং স্বামী-ভক্ত ছিলেন। হক কাজে স্বামীকে সহায়তা করতেন। আল্লাহ-প্রদত্ত সৌন্দর্যের কারণে স্বামীর ওপর অহংকার করতেন না।

তেমনিভাবে আমাদের মা খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা বংশগতভাবে অভিজাত ছিলেন। তার অঢেল সম্পত্তি ছিল, আর স্বামী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন নিতান্ত দরিদ্র, খাদিজা নিজের সমস্ত ধন-সম্পদ স্বামীর হাতে তুলে দেন।

এই পার্থিব ও বস্তুগত পার্থক্য তাদের বিয়ের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়নি। ফলে তিনি স্বামীর কাছে যেমন মর্যাদাবান হয়েছেন তেমনি মৃত্যুর পরেও মর্যাদাবান থেকেছেন। তিনি মাটির নিচে কবরে শায়িত হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার ব্যাপারে কোনো বিরূপ কথা সহ্য করতে পারতেন না। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বেশি বেশি স্মরণ করতেন। এ কারণে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা'র ঈর্ষা হতো।

একদিন তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলে বসেন, 'আপনি এখনো তাকে স্মরণ করেন অথচ তিনি ছিলেন পুরনো দিনের এক বৃদ্ধা নারী। আল্লাহ আপনাকে তার চেয়ে উত্তম স্ত্রী দান করেছেন।' রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, 'আল্লাহর শপথ, আল্লাহ আমাকে খাদিজার চেয়ে উত্তম স্ত্রী দান করেননি। সে এমন এক নারী ছিল আমাকে যার ভালোবাসা প্রদান করা হয়েছে। মানুষ যখন আমাকে বঞ্চিত করেছে সে তখন আমাকে দান করেছে। মানুষ যখন আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে সে তখন আমাকে আশ্রয় দিয়েছে। তারা যখন আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে সে তখন আমার প্রতি ঈমান এনেছে।' বুখারি ; ৩৮২১

Sabr

30 Nov, 17:04


আলি রা. এর একটি চমৎকার বিচার

জুর ইবনু হাবিশ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-দুজন লোক একসাথে খেতে বসেছে। একজনের কাছে ৩টি রুটি, অপরজনের কাছে ৫টি। তারা যখন রুটিগুলো সামনে রেখেছে, তখন এক লোক তাদের সামনে এসে সালাম দেয়। তারা তাকে তাদের সাথে খেতে বলে। লোকটিও তাদের সাথে শরিক হয়। তিন জন মিলে ৮টি রুটি খায়। যাওয়ার সময় লোকটি আট দিরহাম দিয়ে বলে- 'এই নাও তোমাদের খাবারের বিনিময়।'

এখন দুজন ঝগড়া শুরু করে দেয়। পাঁচ বুটিওয়ালা বলে- 'আমার পাঁচ দিরহাম, আর তোমার তিন দিরহাম।'

তিন দিরহামওয়ালা বলে- 'দেখো! সমান সমান ভাগ ছাড়া আমি নেব না।'

তখন তারা দুজন আমিরুল মুমিনিন আলি রা.-এর কাছে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। আলি রা. তিন রুটিওয়ালাকে বলেন- 'দেখো, তোমার সাথি তো একটি সুন্দর মতই পেশ করেছে। কারণ, তার রুটি তোমার চেয়েও বেশি। সুতরাং, তুমি তিনটিই মেনে নাও।'

সে বলে উঠল-'আমি ইনসাফ পেতে চাই।'

তখন আলি রা. বললেন- 'তুমি যদি ইনসাফ পেতে চাও, তাহলে তো তোমার ভাগ্যে একটাই জুটবে।'

লোকটি বলল 'আরে! এটা কী?'

তিনি বললেন- 'এটাই ইনসাফ।'

সে বলল-'তাহলে আমাকে বুঝিয়ে দেন- ইনসাফ কীভাবে হলো, যাতে আমি মেনে নিতে পারি?'

আলি রা. বললেন-'তাহলে শোনো, আটটি রুটিকে ২৪ ভাগ করো। তোমরা তিনজনই মিলেমিশে এই ২৪ ভাগ রুটি খেয়েছ। যেহেতু কে কম খেয়েছে, আর কে বেশি খেয়েছে জানা নাই; সুতরাং ধরা হবে, সবাই সমান সমান খেয়েছ। তাহলে তুমি খেয়েছ ২৪ ভাগের ৮ ভাগ। মূলত, ২৪ ভাগের ১ ভাগ তোমার নিজের। আর তোমার সাথি খেয়েছে ৮ ভাগ। প্রকৃত পক্ষে, সে ১৫ ভাগের মালিক। সেখান থেকে শুধু ৮ ভাগ খেয়েছে। তার আরও বাকি আছে ৭ ভাগ, যা দিরহামওয়ালা খেয়েছে। আর তোমার বাকি ছিল এক ভাগ, যা দিরহামওয়ালা খেয়েছে। সুতরাং, একভাগের বিনিময়ে এক দিরহাম, আর তার ৭ ভাগের বিনিময়ে ৭ দিরহাম।

তখন লোকটি বলল-'এখন আমি বুঝলাম।'

তারিখুল খুলাফা, ১৩৯

Sabr

29 Nov, 15:34


লেখা : মুহাম্মদ আবিদ

Sabr

29 Nov, 01:28


ভীত সন্ত্রস্ত.. ক্ষত বিক্ষত। কেউ দুনিয়াতে, কেউ আখিরাতে!

জুমুআর দিন দুআ করতে যেন না ভুলি উম্মাহর নির্যাতিত ভাইবোনদের জন্য। গাযা থেকে কাশ্মির, সিরিয়া থেকে কাশগড়, ইয়েমেন থেকে আরাকান... কোথায় নির্যাতিত না!

আল্লাহ আমাদের গাফিলতি মাফ করুন।

Sabr

28 Nov, 13:55


ইস্কন একটি অরাজনৈতিক সংগঠন...
ঝই বাংলা ঝই বংবন্দু

Sabr

27 Nov, 16:33


সারজিস, হাসানাত, খান তালাত, আসিফ, নাহিদ ভাইসহ অন্যান্য সমন্বয়কের একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ছিল। তারা চাইলেই পারতেন লীগের দালালি করে সফলতার শিখরে যেতে। চাইলেই পারতেন লীগের বড় কোনো পদে থেকে কোটি কোটি টাকা কামাতে। বিদেশে সম্পদ নিয়ে পাড়ি জমাতে। চাইলেই পারতেন অনেক কিছু। কিন্তু তারা এসব লোভকে ত্যাগ করে নিজেদের ভবিষ্যৎকে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন আজীবনের জন্য। অভ্যুত্থান চলাকালিন সময়েও তাদের প্রত্যেককে দেড় কোটি টাকার লোভ দেখানো হয়েছিল। তারা চাইলে সেটা গ্রহণ করতে পারতেন।
তারা এখন চাইলেও আমাদের মতো মুক্ত-স্বাধীন ভাবে চলতে পারেন না। যে-কোনো জায়গায় ঘুরতে যেতে পারেন না। পরিবার নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। ভবিষ্যতে সন্তানাদিও কম শঙ্কার মধ্যে নয়। এটা যে কী পরিমাণ বিরক্ত আর কষ্টের, এটা অল্প হলেও বুঝি।
অন্যান্য নেতাদের চেয়েও তাদের শঙ্কা বেশি। কারণ তারা বিপ্লবী। অল্প সত্য কথা বললেই যেখানে জুলুমের শিকার হতে হয়, সেখানে তারা জালেমকে মসনদ থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়েছেন, তাদের ওপর তো জালিমের সব রক্তচক্ষুগুলো সুযোগের অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে।
তাদের জন্য দুআ করা উচিত সবসময়। আল্লাহ যেন আপদ-বিপদ থেকে হেফাজত করেন। সবসময় সত্যের ওপর রাখেন। আমাদের দুআতে তাদের নাম স্মরণ রাখা জরুরি। আর কিছু না হোক, কত মানুষ তাদের কারণে জুলুম থেকে মুক্তি পেয়েছে, কত মানুষ জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে! তাই তারা আমাদের দুআর হকদার।

তানজিল আরেফিন আদনান হাফি.

Sabr

26 Nov, 19:20


চিন্ময় ইস্যুটা একইসাথে উদ্বেগজনক, হতাশাজনক, আশ্চর্যজনক আবার আশাব্যাঞ্জক।

উদ্বেগজনক এ কারণে যে মাতৃভূমি টা একটা দাঙ্গার কাছাকাছি বলা চলে। স্বৈরাচার মুনাফিকেরা, গান্ডু মাথামোটা উগ্র হিন্দুরা উঠে পড়ে লাগছে। দাঙ্গা বাধানোতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতেছে এ দুই গোষ্ঠী। সহাবস্থানের সুদীর্ঘ ইতিহাসকে নিমিষেই ধ্বংস করে দিচ্ছে। নতুন আগুনে হয়ত আবার জ্বলবে এ দেশ। হিন্দুরা তো ক্ষতির সম্মুখীন হবেই, মুসলিম জনগোষ্ঠীও সমূহ ক্ষয়ক্ষতির মুখ দেখবে হয়ত।

হতাশাজনক এজন্য যে, ৯৩% মুসলমানের এ দেশে আমরা আসলেই পাওয়ারলেস। রাজনীতিতে নিজের অবস্থান রাখতে পারিনি, সাংস্কৃতিক অঙ্গণে নিজেদের শক্ত অবস্থান নেই আমাদের। সংখ্যায় কোটির ঘরে হয়েও আবরার, সাইদ, সাইফুল ইসলামদের হত্যা আমাদের দেখতে হলো।

আশ্চর্যজনক এজন্য যে, ৭% হিন্দুর কিছুসংখ্যক ইসকন থাকা সত্ত্বেও কতটা ঐক্যের নমুনা এরা দেখালো তা অবাক করার মত। এক চিন্ময়ের ইস্যুতে কোর্ট প্রাঙ্গনে এদের উপস্থিতি আমাকে অবাক করেছে। যদিও আওয়ামি মুনাফিকেরা সংখ্যাটাকে ভারি করেছে, প্ল্যানগুলোকে এগোতে সাহায্য করেছে। আরো আশ্চর্যজনক এজন্য যে, নামধারী মুসলিমগুলা কিসের আশায় ইসকনের পক্ষে নিচ্ছে! কিসের আশায়ই বা মুসলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতেছে!

আশাব্যাঞ্জক এজন্য যে, নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়িতে থাকা দ্বীনি ঘরানার মানুষদের হয়ত চোখ একটু হলেও খুলবে। দাড়ি টুপিওয়ালা হয়ে আরেক দাড়ি টুপিওয়ালা ভাইয়ের সাথে দ্বন্দের বিষয়টা হয়ত একটু হলেও মাথা খাটাবে। নিজেদের ভিতর কাহিনিগুলো থেকে হয়ত মেইন কনফ্লিক্টের দিকে মনোযোগ দিবে। একটু হলেও, কয়েকজন হলেও।

Sabr

24 Nov, 13:27


হযরত জিবরাঈল আ.-এর বদ দু'আ

একবারের ঘটনা। রাসূল সা. মসজিদে নববীতে খুতবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আসলেন। মিম্বরের প্রথম সিঁড়িতে পা রেখে বলে উঠলেন, আমীন। দ্বিতীয় সিড়িতে পা রাখার সময়ও বললেন, আমীন। তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখলেন, তখনও বললেন আমীন। খুতবা শেষে সাহাবায়ে কেরাম তাঁর কাছে এর কারণ জানতে চাইলেন। রাসূল সা. উত্তর দিলেন, আমি যেই মাত্র মিম্বরে পা রেখেছি, তখনই জিবরাইল আ. আসলেন। তিনটি দু'আ করলেন। প্রতিটি দু'আর পর আমি আমীন বলেছি। মূলত এগুলো দু'আ ছিল না। ছিল বদ দু'আ।

একটু ভাবুন! মসজিদে নববীর মত পবিত্র স্থানে সম্ভবত জুমার দিনে, যে দিনটি হলো, দু'আ কবুলের দিন দু'আ করলেন জিবরাইল আ., আর আমীন বললেন, স্বয়ং রাসূল সা.। এতগুলো বিষয় যেখানে পাওয়া গিয়েছে, সেখানে দু'আ কবুল যে হয়েছে, এর মধ্যে আর কি সন্দেহ থাকতে পারে?

তারপর রাসূল সা. বললেন, প্রথম দু'আটি ছিলো এই, ঐ ব্যক্তির জন্য ধ্বংস, যে তার পিতা-মাতাকে বৃদ্ধ অবস্থায় পেলো; অথচ খেদমত করে গুনাহ মাফ ও জান্নাত লাভে ধন্য হতে পারলনা। দ্বিতীয় বদ দু'আ ছিল, ঐ ব্যক্তি ধবংস হোক, যে পূর্ণ একটি রমযান অতিবাহিত করল, অথচ গুনাহ মাফ করাতে পারল না। যেহেতু রমযান মাসে মহান আল্লাহ নানা বাহানায় গুনাহ মাফ করেন।

তৃতীয় বদ দু'আ হলো, ঐ ব্যক্তির জন্য ধ্বংস, যে আমার নাম শুনেছে, অথচ আমার উপর দরূদ পাঠ করল না।

এ হলো দরূদ শরীফ পাঠ না করার পরিণতি। তাই নবীজী সা.-এর নাম আসার সঙ্গে সঙ্গে দরূদ পড়ে নিবেন। -তারীখুল কাবীর: ৭/২২০

মূল : মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি.

Sabr

23 Nov, 12:10


সুবহানাল্লাহ... আল্লাহ এই মোবারক মেহনতকে কবুল করুক, আমিন।

জাকারিয়া মাসুদ হাফি. এর দ্বীনে ফেরার গল্প

Sabr

19 Nov, 05:00


আল্লাহর মহব্বত...

আখেরাতে সে ব্যক্তি সর্বাধিক সৌভাগ্যবান হবে, আল্লাহ তা'আলার সাথে যার মহব্বত অধিকতর শক্তিশালী হবে। কেননা, আখেরাতের অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তা'আলার কাছে গিয়ে সাক্ষাতের সৌভাগ্য অর্জন করা। বলা বাহুল্য, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যখন আশেক তার মাশুকের কাছে যাবে, তার দীদারে চিরতরে ধন্য হবে, কোনরূপ বাধা থাকবে না এবং মালিন্য ও বিচ্ছিন্নতার কোন আশংকা থাকবে না, তখন কি অভাবনীয় খুশী ও অপার আনন্দই না তার অর্জিত হবে। কিন্তু এই আনন্দ মহব্বতের শক্তি অনুপাতে হবে। মহব্বত যত বেশী হবে, আনন্দও তত বেশী হবে।

দুনিয়াতে কোন ঈমানদার আল্লাহর মহব্বত থেকে খালি নয়। কিন্তু মহব্বতের আধিক্য যাকে এশক বলা হয়, তা অনেকের মধ্যে নেই। এই এক অর্জনের উপায় দু'টিদুনিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং মন থেকে গায়রুল্লাহর মহব্বত বের করে দেয়া।

কেননা, মন হচ্ছে পান- পাত্রের মত। যদি পাত্রে পানি থাকে, তবে তাতে সিরকা রাখার অবকাশ থাকে না। আল্লাহ তা'আলা কাউকে দুটি মন দেননি যে, একটির দ্বারা আল্লাহকে মহব্বত করবে এবং অপরটি দ্বারা গায়রুল্লাহকে মহব্বত করবে। আল্লাহকে সর্বান্তকরণে চাওয়াই হচ্ছে পরিপূর্ণ মহব্বত। যে পর্যন্ত অপরের দিকে মনোযোগ রাখবে, সে পর্যন্ত মন অপরের সাথে একপ্রকার মশগুল থাকবে এবং যে পরিমাণ অপরের সাথে মশগুল থাকবে, সে পরিমাণ মনে আল্লাহর মহব্বত কম হবে।

[ এহইয়াউ উলুমিদ্দীন ॥ পঞ্চম খণ্ড; ইমাম গাযালী রহঃ ]

Sabr

17 Nov, 16:49


দ্বীনে ফেরার পর সবচেয়ে ভয়াবহ জিনিসটির নাম হলো ‘অনিয়ন্ত্রিত জযবা।’ এটার কারণে অনেকেই দ্বীনে ফেরার কিছুদিন পর ধীরে ধীরে দ্বীন থেকে সরে যেতে থাকে। জযবা কোনো খারাপ জিনিস নয়, কিন্তু এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এবং উপযুক্ত জায়গায় প্রয়োগ করতে না পারলে এটাই হয়ে দাঁড়ায় বড় ক্ষতির কারণ।
বেশিরভাগ কিশোর বা উঠতি তরুণদের মনে প্রচুর জযবা থাকে। এই জযবাটাকে কাজে লাগানো উচিত। কিন্তু সমস্যা হলো, অনলাইনের এ যুগে এসব জযবা বিপথে যেতে বেশি দেরি লাগে না।

জযবার তীব্রতায় কেউ তাকফীরি বনে যান, কেউ-বা হয়ে যান খারেজিদের মতো। জগতের কাউকেই তখন গোনায় ধরতে ইচ্ছে করে না। কারও ইলমেই আস্থা হয় না। নিজের বুঝকেই ওহীতুল্য মনে হয়। কিতাবের কালো ইবারত দিয়েই বহু অভিজ্ঞতাকেও উড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে। কোনো অভিজ্ঞ আলেমের কথা শোনাকে তখন ‘পুজো' মনে হয়।
কিন্তু তীব্র সত্য হলো, একটা বয়সের পর এই জযবা আর থাকে না। যৌবনের উন্মত্ততায় তখন এসব হলেও কয়েক বছর পর এটা মিইয়ে যায়। মাঝখানে ক্ষতিটা কী হয়? কাজের কাজ কিছুই হয় না। কোনোদিকেই আগানো যায় না। উল্টো গিবত, অপবাদ, ঘৃণা, বেয়াদবির মতো বড় বড় গুনাহ মাথায় বইতে হয়।

মনে রাখবেন, প্রকৃত কাজের লোকদের জযবা থাকে আসল জায়গায়। তারা অনর্থক জযবাকে নষ্ট করেন না। তারা জযবাকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন।

আমি এমনো যুবক পেয়েছি, যিনি জুমার নামাজ পড়েন না, কারণ তিনি শুনেছেন এ দেশ দারুল হরব, আর দারুল হরবে জুমা ওয়াজিব নয় (যদিও ফতওয়া হলো দারুল হারবেও জুমা পড়তে হবে)। এমনো যু্বক দেখেছি, যে বাসায় একাকী নামাজ পড়ে, তার যুক্তি হলো, এ দেশের ওলামারা তাগুতের গোলাম, তাই তাদের পেছনে নামাজ পড়া জায়েয নয়!

এটা কোনো ভালো লক্ষণ নয়। মারাত্মক অশনিসংকেত এটা। অমুক আলেম প্রকাশ্যে জিহাদের কথা বলেন না, তাই তিনি জিহাদ বিদ্বেষী হয়ে যাবেন? এ ক্ষেত্রে তার বিশ্বাস কী এটাও তো জানতে হবে আগে!

এই অযুহাতে অনেকে এলাকার আলেমদের সাথে সম্পর্ক রাখেন না। আলেমদের থেকে দূরে দূরে থাকেন। কারণ তিনি জিহাদের কথা বলেন না। এটা নিজের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই না।

প্রকাশিতব্য বই থেকে...

তানজিল আরেফিন আদনান হাফি.

Sabr

17 Nov, 04:39


আমরা ইসলামের জন্য কি করেছি আসলে? 💔

Sabr

16 Nov, 08:19


https://youtu.be/Yb_wKduF2vo?si=fr0oVl28s-jwx8KI

Must watch...

Sabr

16 Nov, 00:32


শাইখ সালেহ আল ত্বলিব ফাক্কাল্লাহু আসরহ... আবেগঘন একটি খুতবা।

উল্লেখ্য, জালিমের সমালোচনা করায় ২০১৮ থেকে তিনি জেলে।

Sabr

14 Nov, 03:29


আপনার সালাতই বলে দেবে আপনার কাছে ইসলাম কতটা গুরুত্ব রাখে!

ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল বলেন,
মানুষের নিকট সালাতের গুরুত্ব যতটুকু, ইসলামের গুরুত্বও ঠিক ততটুকু। সালাতের প্রতি মানুষের যতটুকু আকর্ষণ পাওয়া যাবে, বুঝে নিতে হবে ইসলামের প্রতিও তার ঠিক ততটুকুই আকর্ষণ রয়েছে। অতএব হে আল্লাহর বান্দা, আপনি নিজেই নিজের অবস্থা বিবেচনা করুন। আর সাবধান! ইসলামের গুরুত্ব ও মহত্ত্ববিহীন অন্তরে যেন মহান আল্লাহর সাথে আপনার সাক্ষাত না হয়। কারণ, সালাতকে আপনি যতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, আপনার মাঝে ইসলামের মহত্ত্বও ঠিক ততটাই রয়েছে।”

তবাকাতু হানাবিলা, ১/৩৫৪

Sabr

12 Nov, 01:05


অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে উম্মাহর উদাসীনতা :

দিন যত এগোচ্ছে, ইমান ও কুফরের দ্বন্দ্ব ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সময় আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে, কারা আমাদের মিত্র, আর কারা আমাদের শত্রু। চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে, সামনের লড়াইটা কী নিয়ে এবং কাদের সাথে হবে। বৈশ্বিক অরাজকতা ও দেশীয় অস্থিরতার পেছনে বর্তমানে একটি বিষয়ই কাজ করছে। আর তা হলো ইসলামের মূলোৎপাটন ও মুসলিম নিধন। একটু মনোযোগের সাথে লক্ষ করলেই চোখে পড়বে, পুরো বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ওপর নিরন্তর আক্রমণ চলছে। কোথাও সরাসরি এবং কোথাও কূটকৌশলে ও ছদ্মাবরণে। গত কয়েক দশক ধরেই এভাবে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আক্রমণ ও প্রোপাগাণ্ডা চলছে। তবে এখন ধীরে ধীরে সব উন্মোচিত হচ্ছে। ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে বন্ধুর মুখোশের আড়ালে থাকার শত্রুর কুৎসিত চেহারা।

বর্তমানে বিশ্ব কুফফার গোষ্ঠী ইসলামবিরোধী ভয়ংকর এজেন্ডা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তারা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে একাধারে সামরিক, আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। একদিকে সরাসরি সামরিক আক্রমণের মাধ্যমে নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে, অন্যদিকে মুসলিম দেশগুলোতে কুফরি মতাদর্শের সয়লাব ঘটিয়ে উম্মাহর ইমান হরণের কাজও এগিয়ে নিচ্ছে। আর বিজাতীয় ও পশ্চিমা কালচারের মাধ্যমে চারিত্রিক অধঃপতন ও আমল নষ্ট করার কাজ তো অনেক আগে থেকেই করে আসছে। কিন্তু আফসোস যে, অধিকাংশ মুসলিম চলমান এ বৈশ্বিক সংকট ও ভয়ংকর লড়াই সম্পর্কে একেবারেই ওয়াকিফহাল নয়। অনেক মুসলিমের এটাও জানা নেই যে, কারা তাদের শত্রু, আর কারা মিত্র। কিন্তু নিজেদের মধ্যকার কোন্দল আর দ্বন্দ্ব নিয়ে ঠিকই তারা সজাগ।

খুব আশ্চর্য লাগে ওই সকল লোকের প্রতি, যারা আজও ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র ইখতিলাফি বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি করে ভাইয়ে ভাইয়ে শত্রুতা সৃষ্টি করে। মাসলাকি দ্বন্দ্ব-বিবাদ জিঁইয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে এবং উম্মাহর মূল সংকটের জায়গা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে রাখে। ইসলাম ও মুসলিমদের কমন শত্রুদের বিরুদ্ধে সীসাঢালা প্রাচীরের মতো এক কাতারে না দাঁড়িয়ে নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ইমান ও তাওহিদের বার্তা, কুফর ও রিদ্দাহর কথা, সেক্যুলারিজমের সাথে ইসলামের সংঘর্ষের বয়ান, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের কুফরের আলোচনা নেই। তথাকথিত মানবতাবাদ, জাতীয়তাবাদ ও পুঁজিবাদসহ পশ্চিমা সব তন্ত্রমন্ত্র ও দর্শনের অসারতা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমাদের যত শক্তি ও মেধা, বেশির ভাগ ব্যয় হয় কেবল মুসলিমদের বিরুদ্ধেই। আল্লাহর কাছে আমরা পানাহ চাই।

তাই উম্মাহর সচেতন ভাইদের সজাগ হওয়ার সময় হয়েছে। নিজেদের মধ্যকার সকল মাসলাকি দ্বন্দ্ব, মাযহাবি ইখতিলাফ ও গোষ্ঠীভিত্তিক বিবাদ দাফন করে কুফফারের বিরুদ্ধে আমাদের একজোট হওয়ার এখনই সময়। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই এটা প্রয়োজন। নইলে আমাদের কারোরই রক্ষা নেই। কেননা, এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে, বর্তমানে সরাসরি ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। সমগ্র কুফফার ও মুনাফিক গোষ্ঠী একজোট হয়ে কাজ করছে। এখনো যদি সংকট উপলব্ধি না করি এবং এ থেকে উত্তরণের পথ বের না করি তাহলে শীঘ্রই নিজেদের প্রাণ কিংবা ইমান হারাতে হবে। ইমান ও কুফরের চলমান যুদ্ধে কীভাবে ইমানের রক্ষা হবে, সে চিন্তা-পরিকল্পনা আজই করতে হবে। বুদ্ধিমান তো তারাই, যারা সময়ের আগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং জাতিকেও সে পথে আহবান করে।

মুফতি তারেকুজ্জামান হাফি.

Sabr

11 Nov, 15:47


গুনাহ করাও খেয়ানত

এই অস্তিত্ব ও দেহমন এবং সকল যোগ্যতা ও ক্ষমতা আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে আমানত স্বরূপ দান করেছেন। বরং গোটা জীবনই আল্লাহর আমানত। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে, জীবনের কোন কাজ, এসব অঙ্গ- প্রত্যঙ্গের কোনওরকম প্রয়োগ এবং কোনও ধরনের কথাবার্তা যাতে এমন না হয়, যা দ্বারা আল্লাহ প্রদত্ত আমানতের খেয়ানত হয়ে যায়।

সুতরাং আমানত সম্পর্কে যে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গী আমরা পোষণ করে থাকি তা নিতান্তই ভুল। আমানত বলতে কেবল টাকা-পয়সার আমানতকেই বোঝায় না এবং তালা খুলে সেই গচ্ছিত টাকা-পয়সা খরচ করার মধ্যেই খেয়ানত সীমাবদ্ধ নয়। এটাও খেয়ানত বটে। কিন্তু কথা এখানেই শেষ নয়। বস্তুত সমগ্র জীবনই আল্লাহর আমানত। জীবনের প্রতিটি কথা ও কাজই আমানত এবং তার যে কোনও অপব্যবহারই খেয়ানত।
কাজেই হাদীছে, যে আমানতের খেয়ানত করাকে মুনাফিকের আলামত বলা হয়েছে তার অর্থ হল, যত রকম গুনাহ আছে, তা চোখের গুনাহ হোক, কানের গুনাহ হোক, মুখের গুনাহ হোক, বা অন্য কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গুনাহ হোক সবই খেয়ানতের অন্তর্ভুক্ত। তার কোনওটিই মুমিনের কাজ নয়; বরং মুনাফিকের কাজ।

ইসলাম ও আমাদের জীবন - ৭ ; মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি.

Sabr

10 Nov, 08:16


আমি আশপাশের পরিচিত-অপরিচিত কিছু মানুষকে গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করলাম।

দেখলাম যাদের জীবনে আনন্দ আছে, যাদের সুখী মনে হয় এদের ভালো থাকার কারণ অনেকটা একই রকম।

এরা খুব বেশী দামী খাবার খেতে না পারলেও প্রতিবেলায় যা খায় সেটা অনেক তৃপ্তি নিয়ে খায়। পরম যত্নে যা রাঁধে মা অথবা স্ত্রী।

এদের বাসাটা ছোট, কিন্তু বারান্দায় গাছ আছে। অদ্ভুত মায়া ঘেরা সে বাসা। ছোট বাসা তাই প্রিয়জনরা খুব কাছাকাছি থাকে। তাকালেই দেখা যায়, ডাকলেই পাওয়া যায়।

বছরে হয়তো একবার দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারে এরা। কিন্তু যেখানেই যায় প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করে এরা। যদি আর কখনো আসা না হয়!

এরা জীবনসঙ্গীকে সম্মান করে, ভালোবাসে। বিনিময়ে তাই পায় অজস্র। এই সম্মান, ভালোবাসা এদের মানুষ হিসেবে আরো সুখী করে তোলে।

এরা রাতে ঘুমাতে পারে, জায়নামাযে বসে কাঁদতে পারে।

আর যাদের অসুখী দেখেছি,
এদের ভালো না থাকার কারণ অনেক, এক এক জনের এক একরকম, একজনের কয়েকরকম।

Sabr

10 Nov, 05:29


উম্মে উমারা রা. একজন প্রসিদ্ধ সাহাবিয়া..

মদিনার একদল মুসলমান হিজরতের পূর্বে কুরাইশের কাফিরদের থেকে লুকিয়ে আকাবায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাতে ইসলামের প্রচার-প্রসার ও তাঁর সাহায্যের বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন। এটি ছিল মদিনা থেকে আগত মুসলমানদের সর্বপ্রথম দল। এই ছোট্ট দলটিতে উন্মে উমারা রা.ও ছিলেন। ইসলামের ইতিহাসে এটি 'বাইয়াতে আকাবা' নামে প্রসিদ্ধ।

ষষ্ঠ হিজরীতে হুজুর সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ পালনের উদ্দেশে মক্কা অভিমুখে রওনা করেন। তিনি মক্কার নিকটে এসে কুরাইশের কাছে প্রবেশের অনুমতি চান। উসমান রা. মুসলমানদের দূত হিসেবে মক্কায় প্রবেশ করেন। তখন কুরাইশরা উসমান রা.-কে শহিদ করে দিয়েছে মর্মে সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। এতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল সাহাবি থেকে শাহাদাত ও কাফিরদের সাথে লড়াইয়ের বাইয়াত গ্রহণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে এটি 'বাইয়াতে রিদওয়ান' নামে পরিচিত। হজরত উম্মে উমারা রা. এই বাইয়াতেও শরিক ছিলেন।
এছাড়াও তিনি স্বামী যাইদ বিন আসিম রা.-এর সঙ্গে উহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এমনকি উহুদের ময়দানে যখন মুসলমানগণ বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েন-কাফিররা এগিয়ে এসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর হামলা করছিল আর জানবাজ সাহাবিগণ জীবনবাজি রেখে লড়ে যাচ্ছিলেন সেই নাজুক মুহূর্তেও এই বীর মহিলা নাঙ্গা তলোয়ার হাতে হামলাকারীদের আঘাত করে করে পেছনে হটিয়ে দিচ্ছিলেন। সেদিন তিনি হাতে ও বাহুতে কয়েকটি আঘাত পান। অন্যান্য যুদ্ধেও তাঁর এমন অনুপম বীরত্বের কীর্তি প্রকাশ পেয়েছে।'
উসদুল গাবাহ: ৭/২৬৯, ৩৬০

হজরত আবু বকর রা.-এর যুগে মুসাইলামা কাজ্জাব নবুওয়ত দাবী করে। অতঃপর ইয়ামামায় এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সে মুসলমানদের হাতে নিহত হয়। ইয়ামামার যুদ্ধ নামে খ্যাত সেই লড়াইয়ে উম্মে উমারা রা.ও অংশগ্রহণ করেন। হাতে আঘাত পাওয়া পর্যন্ত তিনি দুশমনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান। সেদিন উম্মে উমারা রা. দেহের বারোটি স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন।'

মুসলিম নারীদের বীরত্বগাথা- পৃ:২৩

Sabr

08 Nov, 14:59


সেদিন ওরা পার হয়ে যাবে, কষ্ট আর যাতনার বদৌলতে
আমরা আটকে যাব, গাফিলতি, আল-ওয়াহহানের ফাঁসে..

Sabr

06 Nov, 13:57


আত্নার সাথে দ্বীনি ইলমের সম্পর্ক!!

ফাতাহ্ মুসেলী বলেন : রোগীকে রোজ রোজ খাদ্য, পানীয় ও ওষুধপত্র কিছু না দিলে সে কি মরে যাবে না? লোকেরা বলল : নিঃসন্দেহে মরে যাবে। তিনি বললেন : আত্মার অবস্থাও তদ্রূপ। আত্মাকে তিন দিন এলেম ও জ্ঞান থেকে উপোস রাখলে সে মরে যায়।

তাঁর এ উক্তি যথার্থ কেননা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা হচ্ছে আত্মার খোরাক; এগুলোর মাধ্যমেই তার জীবন; যেমন দেহের খোরাক খাদ্য। যার জ্ঞান নেই, তার অন্তর রুগ্ন মৃত্যু তার জন্যে অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার আত্মার রোগ ও মৃত্যুর খবর রাখে না। দুনিয়ার মহব্বত ও কাজ কারবারে লেগে থাকার কারণে তার চেতনা লোপ পায়। যেমন ভয় ও নেশার আতিশয্যে জখমের ব্যথা অনুভূত হয় না; যদিও বাস্তবে ব্যথা থাকে। কিন্তু মৃত্যু যখন দুনিয়ার বোঝা ও সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়, তখন সে আত্মার মৃত্যুর কথা জানতে পারে এবং পরিতাপ করে। অবশ্য তখন পরিতাপে কোন উপকার হয় না।

ভীত ব্যক্তির ভয় অথবা মাতালের নেশা দূর হয়ে গেলে ভয় ও নেশার অবস্থায় তার যেসব জখম লাগে, সেগুলো সে হাড়ে হাড়ে টের পেতে থাকে। সত্য উদ্ঘাটিত হওয়ার সেই দিনের ভয়াবহতা থেকে আমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি। কেননা, এখন মানুষ ঘুমিয়ে আছে। মৃত্যু হলে জাগ্রত হবে।

[ এহইয়াউ উলুমিদ্দীন খন্ড ১ - ইমাম গাযালী রহঃ ]

Sabr

04 Nov, 10:58


গণতন্ত্রের স্বরূপ ও ইসলামি গণতন্ত্রের অসারতা। মুফতি তারেকুজ্জামান | #AdDeen_Shop_Khulna

Sabr

04 Nov, 10:58


https://t.me/PirojpurDawahCircle

জয়েন হয়ে নিন। গুরুত্বপূর্ণ সব সেমিনার একসাথে পাবেন এই চ্যানেলে.....

Sabr

04 Nov, 06:17


দ্বীন ছাড়া উন্নতি আযাব

হযরত থানভী (রহ.) বলেন, “ আজ মানুষ শুধু আর্থিক উন্নতির নাম 'উন্নতি' রেখেছে। চাই দ্বীন ঠিক থাকুক বা না থাকুক। এটা উন্নতি নয়; বরং আযাব। কেননা, যে উন্নতি দ্বীন ব্যতীত হয়, তা কোনো অর্জনই নয়।”

মরহুম আকবর এলাহাবাদী একজন চিন্তাশীল কবি ছিলেন। তার কবিতা-

“ কেউ যদি কোনো পদের অধিকারী হয়ে যায় জেন্টলম্যান হয়ে যায় বা জজ-ব্যরিস্টার হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীন থাকল না, নামায থাকল না, রোযা থাকল না তো দুনিয়াবী সকল উন্নতি অর্থহীন। ”

হযরত থানভী (রহ.) বলেন, যে আমরা দ্বীনদারী ছাড়া দুনিয়ার উন্নতিকে গোদ রোগ বলে মনে করি। এতে যদিও বাহ্যিকভাবে মনে হয় শরীর বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু এই বৃদ্ধি অসুস্থতা ও কষ্টের বৃদ্ধি। এই বৃদ্ধির ফল ভালো হয় না। তেমনিভাবে যদি অর্থ-বিত্ত বৃদ্ধি পেয়ে কারো দ্বীনদারী বা দ্বীন হুমকীর মধ্যে পড়ে তাহলে (নাউযুবিল্লাহ) এই উন্নতি ও অগ্রগতি হচ্ছে গোদের মতো। এটা এমন কোন ঈর্ষণীয় বস্তু নয়, যা হাসিল করার জন্য মানুষ চিন্তা করবে।

এক মালফুযে হযরত থানভী (রহ.) বলেন-

“ ইমাম গাযালী (রহ.) লিখেছেন যে, আখেরাতের সামনে দুনিয়া পুরোপুরি ঘৃণার বস্তু। কিন্তু এই তুলনা ছাড়াও দুনিয়া ঘৃণিত। কেননা দুনিয়া অন্বেষণকারী শান্তিতে থাকে না। অর্থাৎ, দুনিয়ার বাহ্যিক চাকচিক্য বাদ দিয়ে তার ভিতরের অবস্থা যদি লক্ষ কর, তাহলে দেখবে এরা কেউ দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্ত নয়। অপর দিকে আখেরাত অন্বেষণকারী সবাই শান্তিতে রয়েছে।' (আনফাসে ঈসা, পৃষ্ঠা ১৭৯) ”

[ ইসলাহী মাজালিস চতুর্থ খণ্ড ; মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি. ]

এটার বাস্তব উদাহরণ দেখবেন যখন কোন বেদ্বীন পয়সাওয়ালা, মিলের মালিক, ইন্ডাস্ট্রির মালিক বা নেতার সাথে কিছু সময় কাটাবেন।

Sabr

02 Nov, 15:56


ইত্তেবায়ে সুন্নাতের বিস্ময়কর ঘটনা

ইরান-বিজেতা হযরত হুযাইফা বিন ইয়ামান রা: যখন ইরানে কিসরার ওপর আক্রমণ করলেন, তখন তার সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সে তাঁকে আহ্বান করল। তিনি সেখানে গেলেন। যখন সেখানে তিনি পৌঁছলেন তখন তাঁর সম্মানার্থে প্রথমে তাঁর সামনে খাবার এনে রাখা হল। তিনি খাওয়া শুরু করলেন। খাওয়ার ফাঁকে তাঁর হাত থেকে একটি লোকমা নীচে পড়ে গেল। রাসুল ﷺ এর তালিম হল, যদি কোনও লোকমা নীচে পড়ে যায় তা হলে সেটা নষ্ট করো না। সেটা আল্লাহর রিজিক। জানা নেই, আল্লাহ তাআলা কোন লোকমার মধ্যে বরকত রেখেছেন। তাই সে- লোকমার অবমূল্যায়ন করো না। বরং সেটা উঠিয়ে নাও। যদি সেটার ওপর কোনও মাটি ইত্যাদি লেগে গিয়ে থাকে তা হলে সেটা পরিষ্কার করে নাও, এরপর খেয়ে নাও।

লোকমা নীচে পড়ার পর হযরত হুযাইফা বিন ইয়ামান রা. এর হাদিসটি স্মরণ হল। সেটা উঠানোর জন্য নীচের দিকে হাত বাড়ালেন। তাঁর সামনে এক সাথি বসা ছিলেন। তিনি তাঁকে কনুই দিয়ে খোঁচা দিয়ে ইশারা করলেন, কী করছ! এটা দুনিয়ার সেরা শক্তিধর কিসরার দরবার। তুমি যদি এই দরবারে মাটিতে পড়ে- যাওয়া লোকমা উঠিয়ে খাও, তা হলে এদের দৃষ্টিতে তোমার কোনও মর্যাদা থাকবে না। তারা ভাববে, এ বড়ই লোভী, কখনও ভালো কিছু দেখেনি। তাই এই লোকমা উঠিয়ে খাওয়ার সুযোগ এখানে নেই। আজ এটা বাদ দিয়ে দাও। জবাবে হযরত হুযাইফা বিন ইয়ামান রাযি. একটি চমৎকার বাক্য বললেন- 'আমি কি এই আহমকদের কারণে আমার রাসুল ﷺ-এর সুন্নাত ছেড়ে দিব?'
চাই এরা ভালো মনে করুক বা মন্দ, সম্মান করুক বা অসম্মান করুক কিংবা উপহাস করুক, কিন্তু আমি রাসুল ﷺ এর সুন্নাত ছাড়তে পারব না।

মূল: মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি.

Sabr

02 Nov, 02:04


নতুন বাসায় ফজরের পর...
সুরা আহযাব Youtube

Sabr

31 Oct, 00:02


ইবাদতের তওফিক!

ইমাম সাদি বলেন, "যার অন্তরে আল্লাহর প্রতি অগাধ আস্থা ও পরিপূর্ণ ভরসা রয়েছে সে ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা বেশি বেশি ইবাদত করার তাওফিক দান করেন। তাই আমাদের উচিত, আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ভরসা ও অগাধ আস্থা তৈরির জন্য তার নিকট প্রার্থনা করা।"

ইরশাদ হয়েছে,
"মহাপরাক্রমশালী দয়ালু আল্লাহর ওপর ভরসা করো", সূরা শুআরা -২১৭।

[ মূল : শাইখ খালিদ আর রশিদ হাফিঃ]

Sabr

28 Oct, 00:30


প্রাত্যাহিক লক্ষ্যসমূহ

বিনাশকারী গুণসমূহের মধ্য থেকে দশটি বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা যথেষ্ট। এগুলো থেকে বেঁচে থাকলে অন্য সবগুলো থেকে বেঁচে থাকা হয়ে যাবে। দশটি বিষয় এই :

(১) কৃপণতা,
(২) অহংকার,
(৩) আত্মপ্রীতি,
(৪) রিয়া,
(৫) হিংসা,
(৬) কঠোরতা,
(৭) খাদ্য-লালসা,
(৮) অতিরিক্ত কামভাব,
(৯) অর্থলোভ ও
(১০) জাঁকজমকপ্রীতি।

উদ্ধারকারী গুণসমূহের মধ্যেও দশটিই যথেষ্ট। আর সেগুলো এই :

(১) গোনাহের কারণে অনুতাপ,
(২) বিপদে সবর,
(৩) আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্টি,
(8) নেয়ামতের শোকর,
(৫) ভয় ও আশার সমতা,
(৬) সংসার অনাসক্তি,
(৭) আমলে এখলাস,
(৮) মানুষের সাথে সদাচরণ,
(৯) আল্লাহ তা'আলার মহব্বত ও
(১০) আল্লাহর সামনে খুশু ও নম্রতা।

এহইয়াউ উলুমিদ্দীন || পঞ্চম খণ্ড

Sabr

26 Oct, 15:48


মুফতী আযীযুর রহমান ছাহেব (রহ.)-এর বিনয়

আমার ওয়ালিদ ছাহেব (রহ.) শুনাতেন যে, হযরত মুফতী আযীযুর রহমান ছাহেব (রহ.), যিনি দারুল উলূম দেওবন্দের প্রধান মুফতী ছিলেন এবং হযরত ওয়ালিদ সাহেবের উস্তাদ ছিলেন। তাঁর প্রদত্ত ফতওয়াসমূহ 'ফাতাওয়া দারুল উলূম দেওবন্দ' নামে দশ ভলিউমে ছেপে বের হয়েছে। তারপরও সব ফতওয়া এখনো ছাপা হয়নি।

তাঁর প্রতিদিনের অভ্যাস ছিলো, সকাল বেলা যখন মাদরাসায় যেতেন, তখন মাদরাসার আশেপাশের যত বিধবা ছিলো তাদের নিকট গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেন- বাজার থেকে তোমাদের কোন সদাই আনতে হবে কি? আনতে হলে বলো, আমি এনে দিবো। তখন বিধবারা বলতো, অমুক জিনিস বাজার থেকে এনে দিন। চার-পাঁচজন বিধবার বাড়িতে গিয়ে কী কী সদাই লাগবে জিজ্ঞাসা করে বাজারে যেতেন। সেখানে সদাই খরিদ করতেন। কারো জন্যে পেঁয়াজ, কারো জন্যে টমেটো, কারো জন্যে আলু, কারো জন্যে ঢেঁড়শ, কারো জন্যে রসুন ইত্যাদি ক্রয় করতেন। তারপর সবার ঘরে ঘরে গিয়ে সেগুলো পৌঁছে দিতেন।

কখনো এমন হতো যে, কোন মহিলা বলতো- মৌলভী ছাহেব! আমি আপনাকে অমুক জিনিস আনতে বলেছিলাম, কিন্তু আপনি অমুক জিনিস এনেছেন। তিনি বলতেন- কোন সমস্যা নেই, আমি বদলিয়ে আনছি। কোন মহিলা বলতো- আমি আধা সের বলেছিলাম, আপনি তিন পোয়া এনেছেন। তিনি বলতেন- আচ্ছা কোন সমস্যা নেই, আমি ফিরিয়ে দিয়ে আসছি। এসব কাজ করে মাদরাসায় যেতেন, তারপর ফতওয়া লিখতেন। ইনি ছিলেন দারুল উলূম দেওবন্দের 'মুফতীয়ে আযম'।

[ ইসলাহী মাজালিস পঞ্চম খণ্ড; মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি.]

Sabr

25 Oct, 18:56


এক টুকরো জান্নাত

যথেষ্ট নম্র-ভদ্র, আর সহজ-সরল মানুষটা। দুনিয়ার অতো শত ভাবনা নেই তার। এই ব্যবসা-বাণিজ্য আর ইবাদত বন্দেগীই হলো তার ভাবনা! বিয়ে-শাদী নিয়ে ভাবনা আছে তবে পেরেশানি ছিলো না কখনোই। কারণ ঐ বুঝ হওয়ার পর থেকে এই উত্তাল যুবক বয়স পর্যন্ত এখনো প্রভুর কাছে নিয়মিত দোয়া দরখাস্ত করে আসছেন। আর নারী ফেতনা থেকে রয়েছেন যথেষ্ট দূরে!

প্রভুর দরবারে হাত উঠালেই তার দোয়া ছিল একজন নেককার, পূণ্যবতী, প্রেমময়ী স্ত্রীর জন্য। কেঁদেকেটে যেন একাকার হতেন মোনাজাতে! কেনই বা হবেন না! আজকাল যা দিন পড়েছে। ধার্মিক মেয়ে, হুজুরের মেয়ে, মডার্ন মেয়ে, কোনোটাতেই যেন আর আস্থা রাখা যায় না। চারপাশের বাস্তবতা এর জলজ্যান্ত প্রমাণ। সবশ্রেণির মেয়েদের মধ্যেই কমবেশি অবৈধ সম্পর্ক, পরকীয়া, তুচ্ছাতিত বিষয়ে ডিভোর্স, এসব যেন পানিভাত হয়ে গেছে।

যেমন অনেক সময় দেখা যায় খুব একটা ধার্মিকতা নেই এমন মেয়েরাও তথাকথিত ধার্মিক মেয়েদের থেকেও ভাল হয়- চরিত্রে, আচরণে, সতীত্বে। এমন নজির সমাজে কম না! কারণ, উচ্ছৃঙ্খল বাজে স্বভাবের স্ত্রী নিয়ে যেমন অনেক স্বামীকে দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়, তেমনি আজকাল এমন অনেক পর্দানশীন, রোজা-নামাজী স্ত্রীদের কারণেও অনেক পুরষকে কাঁদতে দেখা যায় তাদের নিয়ে নানান অশান্তির কারণে। যদিও এ সংখ্যাটা কম।

তবে পর্দানশীন, রোজা-নামাজী হলেই যেকোনো মেয়ে প্রেমময়ী হবে এমন ভাবলে অবশ্য ভুলই হবে। ভালো মন্দ সবশ্রেণির মধ্যেই আছে। তবে ভালোটা আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নিতে হবে আমাদের।

তাই তিনিও দোয়া করে করে নিজেকে সবসময় প্রবোধ দিয়েছেন যে মনের মতোই পাবেন। মানুষের কাছে তো আর চাইছি না। মহান দাতা আল্লাহর কাছেই চাইছি। তিনি অবশ্যই দিবেন। নিরাশ হবো না।

কদিন মাত্র হলো কন্যা দর্শন পর্ব শেষ করেলেন। দিন তারিখও ঠিক হয়ে গেছে। বিয়ের আর মাত্র সপ্তাহ খানেক বাকি। লোকটার সে যে কী অস্থিরতা! কেমন হবে আসন্ন প্রিয়তমা! আদর করা পোষা বেড়ালের মতো হবে নাকি সাপের মতো ফোঁসফোঁস ফনা ধরবে! ভালবাসা কি বুঝবে! নাকি অনুভূতিহীন জড়ো পদার্থের মতো হবে! তার কথা একটাই! সব কষ্ট সহ্য করতে রাজি আছি কিন্তু যাকে নিয়ে জীবনের শেষ পর্যন্ত কাটাতে হবে, তার সাথেই যদি না হয় মনের মিল। না হয় যদি ভলোবাসা, তাহলে অর্ধেক হাবিয়া তো দুনিয়াতে বসেই দেখে যেতে হবে। অন্যদের মতো "একটা গেলে আরেকটা পাবো"র নীতি তার ভালো লাগে না। একজনই হোক প্রথম, সেই হোক শেষ!

কতো দম্পতি ভালোবাসাহীন নিষ্প্রাণ সংসার জীবন পার করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন! এসব ভাবতেই যেন তার গা শিউরে ওঠে। ভাবতে ভাবতেই একদিন শুভক্ষণ চলে এলো। হৃদয় নাড়িয়ে একজন প্রিয়তমা আসলো ঘরে। কয়েকদিন কেটে গেলো। তেমন কিছু বুঝে উঠতে পারলেন না এখনো। দুজনই স্বাভাবিক। ভালোবাসাটা এখনো জমে ওঠেনি দুটি মনে! কিন্তু হঠাৎ একদিন রাতে লোকটা স্বপ্ন দেখলেন! ভয়ানক এক স্বপ্ন! স্ত্রী যেন কার সাথে চলে যাচ্ছেন তাকে ছেড়ে।ঘুমের মধ্যেই কেঁদে উঠলেন হুহু করে। লাফ দিয়ে জেগে উঠে বুকে হাত দিয়ে ইন্নালিল্লাহ পড়লেন কয়েকবার। পাশ ফিরে তাকালেন ঘুমন্ত মায়াবতীর দিকে! চোখ দিয়ে টুপটুপ করে পানি গড়িয়ে পড়লো তার।

দ্রুত বিছানা ছেড়ে অজু করে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন। খোদার কাছে প্রাণ ভরে কাকুতি, মিনতি করলেন। কখনো যেন এমন না হয়। জায়নামাজেই কাটালেন বাকি রাত।

সকালে একান্তে স্ত্রীর কাছে গিয়ে বললেন সেই ভয়ানক স্বপ্নের কথা। স্ত্রী হাত ধরে বললেন, তুমি কি আমায় বিশ্বাস করতে পারছো না?

স্বামী দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, না-না, তোমাকে অনেক বিশ্বাস করি, তবে একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। স্ত্রী অবাক কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, কেন বলো তো!

স্বামী বললেন, তোমাকে হারানোর ভয়। কথা দাও...আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে নাতো?

স্ত্রী তার হাতের উপর হাত রেখে স্বলাজ কণ্ঠে বললেন, মৃত্যু ছাড়া আমাকে কখনো হারাবে না, কথা দিলাম! কখনো কষ্টও পাবে না আমার থেকে ইনশাআল্লাহ!

তবে একটা শর্ত আছে! মুখ টিপে হেসে স্ত্রী বললেন।

স্বামী কেমন ভয় ভয় চোখে বললেন, সেটা আবার কী!

স্ত্রী কেমন আহ্লাদী কণ্ঠে বললেন, আমাকে অনেক বেশী ভালোবাসতে হবে! ভালোবাসা ছাড়া যদি একমুহূর্ত থাকা হয়, তাহলে দেখ তোমার কী অবস্থা করি!

এই কথা শোনার পর স্বামীর মনে হলো, যেন আল্লাহ নিজ হাতে তাকে দিয়েছেন ভালোবাসার এই নেয়ামত! অনবরত সেই দোয়ার ফসল, এক টুকরো জান্নাত!

লাভিং ওয়াইফ বই থেকে

Sabr

24 Oct, 14:47


তাহলে আল্লাহ কোথায় আছেন?

প্রত্যেক কাজের সময় কিংবা পূর্বে যদি নিজেকে প্রশ্ন করতে পারতাম আল্লাহ কি আমাকে দেখছেননা? সামান্য সিসি ক্যামেরাওয়ালা কোন রুমে কত সংযত হয়ে চলি, হিসাব করে কদম ফেলি। আহ! সৃষ্টির সামনে কত লজ্জাটাই না করি.. আল্লাহর সামনে সেই পরিমাণ লজ্জা কি দেখাতে পেরেছি? পারলে তো অন্যের হক মেরে খেতাম না, তাড়াহুড়ায় নামাজ পড়তাম না, কিংবা নিঃসংকোচে তার অবাধ্য হতামনা।

বিখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনু ওমর রা. মদীনা থেকে মক্কায় যাচ্ছিলেন। পথে একটি পাহাড়ের পাশে তাঁর যাত্রা-বিরতি হল। পাহাড় থেকে একজন লোক নেমে এল। ইবনু ওমর জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি রাখাল? সে বলল, জি হ্যাঁ।
ইবনু ওমর রাযি. বললেন, আমার কাছে একটি ছাগল বিক্রি করবে? সে বলল, আমি একজন গোলাম মাত্র। ছাগলের মালিক এখানে নেই। এবার ইবনু ওমর রাযি. তাকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে বললেন, তোমার মালিককে বলবে, বাঘে খেয়ে ফেলেছে। এ কথা শোনামাত্র রাখালটি ফিরে গেল এবং যেতে যেতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আঙ্গুল উঁচিয়ে বলল

'তাহলে আল্লাহ কোথায় আছেন?'
ইবনু ওমর রাযি. তার কথায় বিগলিত হলেন এবং বাক্যটির পুনরাবৃত্তি করতে লাগলেন, 'তাহলে আল্লাহ কোথায় আছেন?'
এরপর মদীনায় পৌঁছা পর্যন্ত তিনি এ কথার পুনরাবৃত্তি করতে লাগলেন
'রাখাল বলেছে, তাহলে আল্লাহ কোথায় আছেন?'।

মদীনায় ফিরে তিনি ওই রাখালটির মালিকের খোঁজ করলেন এবং তাকে কিনে আযাদ করে দিলেন এবং তার জন্য ছাগলের পাল কিনে দিলেন।
(সিয়ারু আলামিন নুবালা: ৩/২১৬)

Sabr

21 Oct, 12:04


মহব্বত!

কারো প্রতি অন্তরে মহব্বত আসা কিন্তু ইচ্ছাধীন নয়। কেননা মহব্বত জিনিসটিই মানুষের ইচ্ছাধীন নয় বরং ইচ্ছাশক্তির বহির্ভূত। কিন্তু আল্লাহর প্রতি মহব্বত পয়দা হওয়া ছাড়া তো আমাদের উপায় নেই। তাহলে কী করে পয়দা করা যাবে?

- আল্লাহর মহব্বত বাড়ানো যায় এমন উপকরণগুলো কিন্তু বান্দার ইচ্ছাধীন। উপকরণ গুলো কি কি?

১. বেশি বেশি যিকির করা,
২. আমাদের দেওয়া আল্লাহ পাকের নিয়ামতসমূহ নিয়ে চিন্তা করা, পক্ষান্তরে আর তাঁর প্রতি আমাদের আচরণ কেমন তা নিয়ে চিন্তা করা।
৩. আল্লাহওয়ালাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন ।
৪. আল্লাহ তাআলার ইবাদাতে ও আনুগত্যে লেগে থাকা ।
৫. আল্লাহ পাকের নিকট বেশি বেশি দু'আ করা। ( উম্মাহের এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের উপর খুব বেশি করণীয় )

এই উপকরণ গুলোর মধ্যে নিজেকে বেশি বেশি নিমজ্জিত রাখার মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ অন্তরে ধীরে ধীরে পয়দা হবে আল্লাহর মহব্বত। আল্লাহ পাক আমাকে ও আমাদের সবাইকে আমল করার তওফিক দান করুক আমিন।

Sabr

20 Oct, 04:42


ক্বারী আন নুফাইসের পুত্র..দিল ঠান্ডা করা তিলাওয়াত মাশা আল্লাহ।

Sabr

19 Oct, 23:49


২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় উভয় পক্ষের সৈন্যরাই প্রতিপক্ষের সৈনিকদের মনোবল ভাঙ্গার চেষ্টা করতো। বাংকারের কাছে গিয়ে বলতো অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করতে, আমরা তোমাদের শত্রু না, তোমাদের অফিসারের কথা শুনো না। কখনো প্লেন থেকে লিফলেট ফেলে, কিংবা কখনো হ্যান্ডমাইকে করে।

এটা ডিভাইড অ্যান্ড রুলের ক্লাসিক উদাহরণ। পরবর্তিতে থার্ড জেনারেশন ওয়ার আরো পলিটিকাল রুপ নিয়েছে, এই টেকনিকের ব্যবহার বেড়েছে। তবে এবার আর আওতা কেবল সেনাবাহিনীর মধ্যে নেই। বরং সাধারণ পাবলিককেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শত্রুর মধ্যে যে বা যারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে, বিশেষ করে অস্ত্র ধরতে পারে তাদেরকে বাকি জনগণের কাছে শত্রু হিসেবে তুলে ধরতে হবে। সিভিলিয়ানদের উপর কব্জার সময় এই মেসেজটা দেওয়া, দেখো, এমনিতে আমরা তোমাদের শত্রু না, তোমাদের মারতাম না, কিন্তু এই লোকগুলোই হাতিয়ার তুলে তোমাদের উপর আমাদের রাগিয়ে তুলেছে।

এই টেকনিক একদম পানিপড়ার মত কাজে দিয়েছে। এর উদাহরণ দেওয়া যায় ওসামা বিন লাদেনকে দিয়ে। আজকে সো কল্ড 'লেখাপড়া' করা একজন মুসলিমের কাছে তার ব্যাপারে জানতে চাইবেন। দেখবেন সে যা বলবে তা লাদেনের ব্যপারে সিআইএর বয়ানের সাথে একদম লাইন বাই লাইন মিলে যায়।

এটা কিন্তু কাকতালীয়ভাবে হয়নি। ডিভাইড অ্যান্ড রুলের উপর বেস করে দিনের পর দিন অপিনিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফল। ওসামা বিন লাদেনকে যেদিন হত্যা করা হয়, তার পরেরদিন প্রথম-আলোর সম্পাদকীয় পড়েছিলাম। একটা বাক্য ছিলো, 'লাদেন অনেক মুসলিমকেও হত্যা করেছে।'
এটার সাবলিমিনাল মানে বুঝতে পারেন? আমেরিকা এতই দয়ালু যে মুসলিম হত্যাকারী একজন খুনীকে মেরে মুসলিমদের বাঁচিয়ে দিয়েছে!

পশ্চিমা পাওয়ার হোক বা ইন্ডিয়া বা ইসরাইল - সবার কাছে এটাই টেক্সটবুক উদাহরণ, মুসলিমদের মধ্যে যে-ই একটু গলা উচু করবে, তাকে শত্রু বানিয়ে দাও খোদ মুসলিমদের কাছে। যাদের জন্য চুরি করবে তাদেরকে দিয়েই চোর বলাও - অর্ধেক জিত হয়ে যাবে।

আনফরচুনেটলি, এটা বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশে কাজ করেছে। বিন লাদেনের কথা বললাম। আমাদের দেশের কথাই ধরুন। কিছুদিন আগে পাজিতনি পালকি শর্মা একটা এপিসোড করে কালোপতাকা দেখিয়ে বলল, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বেড়েছে। সাথে সাথে একটা বিরাট সংখ্যক মুসলিম ঝাঁপিয়ে পড়লো, বলেছিলাম না, পতাকা বের করিস না, ওরা জঙ্গী ডাকবে?
মানে ইন্ডিয়া এমনিতে ইনোসেন্ট একটা দেশ, তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের কিছুই বলতো না, যত দোষ এই খেলাফতিদের, এরা ইন্ডিয়াকে এদেশে আনতে বাধ্য করছে, ক্রসফায়ার কোথায়?

****
ব্যতিক্রম দেখলাম ফিলিস্তিনিদের। আমার গাজার প্রায় ৪০০ মানুষকে ফলো করা আছে ইন্সটাগ্রামে। ২০০ এর উপরে পোস্ট দেখলাম শহীদ আবু ইব্রাহিম সিনাওয়ারের ছবি দিয়ে 'রাহিমুহুল্লাহ' ' রহমাতুল্লাহি আলাইহি' লিখছে।

এটা একটা বিশাল ঘটনা। ইসরাইল সেই আজকে থেকে না, বহু বছর ধরে বলছে, হামাস গাজাবাসীদের শত্রু। আমরা এমনিতে তোমাদের মারতাম না, কিন্তু হামাসের নেতারা তোমাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে, তাই তোমরা এই নৃশংসতা ডিজার্ভ করো।

এমনোতো হতে পারতো, প্রাণের ভয়ে গাজাবাসী শহীদ সিনাওয়ারকে শত্রু বলত! কারন আজকে যারাই শহীদ সিনাওয়ারের জন্য শোক প্রকাশ করছে, তারা লিটারালি ইসরাইলের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। তা সত্বেও এমন একজনকে পেলাম না, যে তার শাহাদাতে শোকার্ত নয়।

এক আপু লিখেছেন, 'ওরা কত বড় ইডিয়ট, ভেবেছে আমাদের ৭৫ বছরের সংগ্রাম কেবল একজনের উপর নির্ভরশীল? আমরা তো জন্ম থেকেই লড়ছি এবং মৃত্যু পর্যন্ত লড়বো'

প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না। সম্মানিত শহীদকে একবার বাংলাদেশী ভেবে দেখলাম। ' ভালোই হয়েছে', 'লড়াই করতে গিয়েছিলো!!' ' টানেলে না থেকে ফ্রন্টলাইনে কী', ' অতি জজবাতি', 'জংগী মরেছে' 'নবী (সঃ) ও চুক্তি করেছেন' ' মরেই তো গেলো, লাভ কি হল'

আমরা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারকে হাজার চেষ্টাতেও বুঝতে পারবো না। আমাদের শরীরে সেই মাটিই নেই। দাস মালিকের চেয়ার বসার ফিল ইমাজিনও করতে পারে না। খাঁচার পাখি বাইরেটা কল্পনাতে আনতে পারে না। কারণ সেসব সে এক্সপেরিয়েন্সই করে নি।

গাজার লোকেরা তো বটেও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরাও যেভাবে শহীদ সিনাওয়ারকে আপন করে নিলো - এই কারণেই তারা পবিত্র ভুমির সন্তান।
এই কারণেই সিনাওয়ার গাজায় জন্ম নিতে পেরেছিলেন, গাজীপুরে না।

ওসব উচুদরের আচরণ, আমরা কিভাবে বুঝবো?

Sabr

19 Oct, 12:07


মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব হুজুর একজন দুনিয়াত্যাগী প্রচারবিমুখ মানুষ। তাই যারা ইলম এবং আলেমের সাথে সম্পর্ক রাখেন না, তাদের হুজুরকে না চেনাই স্বাভাবিক। শুধু এই একটি লিঙ্ক তাদের সাথে শেয়ার করে দিন, এখানে হুজুরের পরিচিতির পাশাপাশি লেখা প্রবন্ধ, কিতাব এবং বয়ান এক ঠিকানায় পাবেন ইনশাআল্লাহ, https://muslimbangla.com/writer/65

Sabr

17 Oct, 17:30


যদি কেউ চিন্তা করে তাহলে এই একটা বাণীই হবে : সারাজীবনের পাথেয়, অনুপ্রেরণা, শক্তি, সাহস, স্পৃহা..

ইমাম আলীর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এই কথাটি আমি খুব ভালোভাবে মনে রেখেছি– মানুষের জীবনে দুই রকম দিন আছে: এমন একটি দিন যেদিন মৃত্যু তার তকদিরে নেই, আর এমন একটি দিন যেদিন মৃত্যুই তার তকদির। প্রথম দিনে কেউ আপনার ক্ষতি করতে পারবে না, এবং দ্বিতীয় দিনে কেউ আপনাকে বাঁচাতে পারবে না।

— ইয়াহইয়া সিনওয়ার রহ.

Sabr

16 Oct, 04:50


সময় যত যাচ্ছে, বোঝা তত বাড়ছে
সময় যত গড়াচ্ছে, গাফিলতির থলে তত ফুলছে,

সময় যত যাচ্ছে,
নীরবতার অনলে অন্তর তত পুড়ছে,
অপারগতার গ্লানি তত ক্ষত বিক্ষত করছে,
জবাবদিহিতার ফিরিস্তিও সে অনুপাতে বাড়ছে।

আপন ভাইবোন আগুনে পুড়ছে,
জুলুমের কাটা সদৃশ চাকায় পিষ্ট হচ্ছে,
বোনটা আমার ধর্ষিত হচ্ছে,
পবিত্র ভূমিতে লাশের বন্যা বইছে,
বইছে আর বইছে,
ফুল সদৃশ ছোট ছোট প্রাণগুলো ছিড়ে ফেটে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে,
জীবিতরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।

হায়, তাঁরা হয়ত পার করে ফেলেছে,
কঠিন এক পরীক্ষা ফেলে জান্নাতের পাখি হয়ে গিয়েছে,
গুনাহসমূহ মাফ করিয়ে নিয়েছে।

কিন্তু নরাধম জালিম মুনাফিক শাসকেরা?
নীরব বোবা ক্ষমতাধরেরা?
কি হবে এদের?

হেহ..... আমরা?
নির্বিকার, নিশ্চিন্ত, মজা-মাস্তিতে মত্ত,
ক্যারিয়ার গোছানোতে প্রচুর ব্যস্ত,
ভবিষ্যত নিয়ে প্রচুর চিন্তিত,
বউ-বাচ্চা নিয়ে এতটাই যে ব্যস্ত,
দুদন্ড ফিকিরেরও যে সময় হয়না,
দ্বীনকে বিজয়ী করার চিন্তাও জাগেনা,
কাজের তওফিকও মেলেনা।

এত সহজে কি পার পেয়ে যাব?
ইহকাল পেরিয়ে গেলেও পরকালে পারব?
পারব জবাবদিহিতার ভার সইতে?

Sabr

16 Oct, 02:23


তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে কথা হচ্ছে কয়েক দশক ধরে। কিন্তু হঠাৎ করেই সব কেমন যেন দ্রুত এগোতে শুরু করেছে। আগের দুই বিশ্বযুদ্ধের পুর্বাবস্থার সাথে বর্তমান পরিস্থিতি পুরোপুরি মিলে যায়।

আপনারা নিশ্চয় খেয়াল করেছেন দুটো ব্যাপারঃ

প্রথমতঃ নতুন নতুন দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। আমিরাতের মত পুরোদস্তর ব্যবসায়ী আর প্যাসিফিস্ট একটি রাষ্ট্র সুদানে একটি ফুলস্কেল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।

এই সপ্তাহেই ইউক্রেন যুদ্ধের এক শকিং নিউজ সামনে এসেছে। রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। তাদের লাশ পাওয়া যাওয়ার পরেই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উল্টোদিকে, আমেরিকার পরে ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশী গোলাবারুদ দিয়েছে সাউথ কোরিয়া।
ইউরোপের একটা যুদ্ধে সাথে কোরিয়ানদের কী সম্পর্ক? ঠিক যেন ২য় বিশ্বযুদ্ধের জার্মানি আর জাপানের মত পরিস্থিতি।

মধ্যপ্রাচ্যে এক বছরের মধ্যে চারটে দেশে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লো - ফিলিস্তিন, ইসরাইল, ইয়েমেন ও লেবানন। এবং এটাও সবাই বুঝতে পারছে, এখানেই শেষ না। কারণ ইসরাইল ইরানে হামলা করা মাত্রই জর্ডানের মত দেশেও অস্থিরতা নিশ্চিত।

বাইরে থেকে নিউট্রাল অনেক দেশও সামরিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে - তুরস্ক ও বেলারুশ। তুরস্ক লাস্ট ১ বছরে প্রায় ৬ থেকে আটটা ওয়ারজোনে অ্যাক্টিভ ছিলো।

জেনেভা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহুর্তে পুরো বিশ্বে ১১০ অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘাত চলছে। যার মধ্যে অন্ততঃ ৫টার মতো পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ।
মাত্র তিন-চার বছর আগেও কিন্তু এমন পরিস্থিতির কথা ভাবা যায়নি। করোনার সময়ে মাত্র একটা যুদ্ধের কথা শোনা গেছে, আজেরি-আর্মেনিয়ানদের যুদ্ধ। তারপর এই কয়দিনেই এতগুলো যুদ্ধ লেগে গেলো।

দ্বিতীয়তঃ যুদ্ধ একবার লেগে গেলে আর থামছে না। ইউক্রেনে রাশিয়া কিয়েভের কাছাকাছি চলে আসলে ধরা হচ্ছিলো এবার হয়ত যুদ্ধ শেষ। অথচ দুই বছর ধরে চলছে।

কিংবা গাজাতে। ইসরাইল আর হামাস-ইসলামিক জিহাদের যে শক্তির পার্থক্য, তাতে ইহুদীরা তো বটেই আমরাও ভেবেছিলাম হয়ত মার্চ-এপ্রিল নাগাদ ইসরাইল গাজা দখলে নেবে। তা তো দুরের কথা, হামাসের গায়ে সেইরকম আচড়টাও কাটতে পারেনি। উলটো নতুন যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে। এখন মনে হচ্ছে হামাস হয়ত আরো দুই বছর ইজিলি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে।

একই কথা গৃহযুদ্ধগুলোর ক্ষেত্রেও। সিরিয়ারটা ১২ বছরেও শেষ হলো না। সুদান কিংবা মায়ানমার, শেষ দূরের কথা - লড়াইয়ের মাত্রা কমারও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ব্যক্তিগত মতামত, এই যুদ্ধগুলোর অধিকাংশই আর থামবে না। একেবারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে গিয়ে মিলবে।

ট্রাম্প ফ্যাক্টঃ
ট্রাম্প লাস্ট এক-দেড় বছর ধরে 'সে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকাবে' বলে মার্কেটিং করে আসছে। বহুবার বলেছে, সে প্রেসিডেন্ট হবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেবে। এছাড়া ইউএফসিতে খাবিবের কথার উত্তরে সে গাজার যুদ্ধ থামিয়ে দেবে বলে জানায়।

কিন্তু গত ৬ মাসে ট্রাম্প পুরোপুরি উলটে গেছে। এখন এমন কোন ক্যাম্পেইন নেই যেখানে সে ইসরাইল চাটছে না। বারবার ইরান আক্রমণের কথা বলছে।
ইসরাইলের যে অভ্যন্তরীণ ভঙ্গুরদশা, তাতে তারা যেকোনো মূল্যে ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনা আনতে চায়। এবং এটা যে নিশ্চিত করতে পারবে সে-ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবে।
সব বিবেচনায় ট্রাম্পের জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

বাংলাদেশ ফ্যাক্টঃ

চিন্তাশীল ব্যাক্তিমাত্রই দেখতে পাচ্ছেন, বাংলাদেশ আগামী দিনে আর শান্ত হবে না। লীগ এখন অ্যাসেসমেন্ট পিরিয়ডে আছে। এই দিনগুলোতে সাকিবের মত যেসব সফট পারসোনা রয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবে। ট্রাম্প জিতলেই আসল দিন।

একটা বাস্তবতা বুঝতে হবে, ভারত দরকার পড়লে অরুণাচল চীনের কাছে ছাড়তে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়তে পারবে না। এটা তাদের জন্য অনেক রিস্কি। লাস্ট ১৫ বছরের ইনভেস্টমেন্ট তারা এত সহজে ভাসিয়ে দেবে?
লীগের লোকজনের পয়সা আর ক্ষমতার ক্ষুধা রয়েছে, আর ইন্ডিয়ার দরকার কিছু ক্ষুধার্ত লোক। যদিও লাস্ট দেড় দশকে ডানে-বায়ে ইন্ডিয়ান স্বার্থরক্ষীরা পদে বসেছে, তবু ওই ফ্রি-পাস-নিশ্চয়তা কেবল হাসিনা থেকে মিলতো।

লীগের লোকের হাতে টাকা আর অস্ত্র রয়েছে। যেকোনো দিন লীগের কেন্দ্র থেকে লাশ ফেলতে বলুক, ঠিকই দেখবেন ওরা ফেলে দিয়েছে।

র যেভাবে কাজ করে, তাতে আগামী দিনে টার্গেটেড অ্যাসাসিনেশন বাড়বে - এতে সন্দেহ নেই। আর কিছু লোককে, বিশেষ করে ইসলামপন্থীদেরকে এক্সিকিউট করবে, কিন্তু সেটা অপিনিয়ন ইঞ্জিয়ারিং এর মাধ্যমে, ফলে লোকের সমর্থন থাকবে ওই হত্যাকান্ডে।

আগামীতে আমাদের দেশ শান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এভাবেই বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হবে।

Sabr

14 Oct, 23:52


কিছু কথা...

পড়ালেখার অজুহাত দিয়ে নামাজ মিস দেওয়া ভাইটা বিশ্বাস করে যে রিযিকের মালিক আল্লাহ। সে বিশ্বাস করে যে আল্লাহ অফুরন্ত রিযিকের মালিক। কিন্তু, আল্লাহ যে তার পড়ার ফলাফল বা রেজাল্ট তাঁর অফুরন্ত রিযিকের ভান্ডার থেকেই দিবেন, এটার উপর তার একিন নাই বিধায় সে নামাজ পড়াকে ভালো রেজাল্টের পথে অন্তরায় ভাবতে থাকে।

সময় নাই অজুহাত দিয়ে জামাত মিস দেওয়া ভাইটা জানে, এই সময়ের বরকতের মালিক আল্লাহ। বিশ্বাস করে যে, সময়ের বরকত এটাও উত্তম একটা রিযিক। কিন্তু এই পরিমাণ একিন নেই যেই একিনের বলে সে জামাতের জন্য কিছু সময় বের করে নিবে।

ঘুমের অজুহাতে ফজর মিস দেওয়া ভাইটা জানে শরীর, মন সুস্থ রাখা বা রিফ্রেশড রাখার মালিক আল্লাহ.... ঘুম না। কিন্তু এ পরিমাণ একিন নেই যে একিনের বলে সে ঘুমকে একটু সেক্রিফাইস করে ফজরের নামাজ জামাতের সহিত আদায় করে নিবে৷

খাদ্যে ভেজাল দেওয়া লোকটাও বিশ্বাস করে যে আল্লাহ “রাজ্জাক”। কিন্তু এ পরিমাণ একিন তার নেই যে একিনের বলে সে ভেজাল দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবে।

আল্লাহর আদেশমত চললে জান্নাত পাব, আর অবাধ্যতা করলে জাহান্নাম পাব এটা বিশ্বাস সকলেই করি। কিন্তু এ পরিমাণ একিন নেই যে একিনের বলে নিজেকে এখনই পরিবর্তন করে ক্ষণস্থায়ী এ জীবনের গুনাহ থেকে পরহেজ হয়ে চিরস্থায়ী জান্নাতের পথে পা বাড়াব।

গেমিং, মুভি, প্রেম, আড্ডা, ফ্লার্টিং করা ছেলে বা মেয়েটা জানে অন্তরে শান্তি দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ..... প্রেমিকাও না, গেমও না। কিন্তু তার এ পরিমাণ একিনের অভাব আছে যার বলে সে এসব থেকে নিজেকে ফারেগ করে শান্তি দেনেওয়ালা আল্লাহর পথে পা বাড়াবে, নিজেকে তাঁর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করবে।

এই একিন না থাকাটাই, মানুষের ইহ আর পরজগত ধ্বংসের অন্যতম এক কারণ।

ওয়াল্লাহু আ'লাম

Sabr

13 Oct, 17:40


মাত্র ২০ মিনিটের ২০ মার্কের ক্লাস টেস্টের রেজাল্ট খারাপ হলে কিংবা ৩ ঘন্টার দেয়া পরীক্ষায় গ্রেড কম আসলে কত মন খারাপ করি, কত আফসোস করি!

৭০-৮০ বছরের একটি পরীক্ষায় যদি কেউ অকৃতকার্য হয়, যদি ফলাফলের খাতায় উল্টা নেগেটিভ মার্কিং থাকে তাহলে কিরকম আফসোস হওয়া উচিত সেদিন? হায়.. সেদিন আমল নামা পেয়ে অকৃতকার্যদের আফসোস কেমন হবে জানেন?

“ সে দিন প্রত্যেক ব্যক্তি তার স্বহস্তে সামনে পাঠানো কর্মসমূহ প্রত্যক্ষ করবে আর কাফের ব্যক্তি বলবে, হায়! আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।সূরা নাবা - আয়াত ৪০

Sabr

13 Oct, 14:51


ইমান একিনের কথা বলা আলেম ওলামাদের কথা তেমন পছন্দ না করা, ফ্যামাস আলেমদের নিয়ে ফ্যান্টাসিতে ভোগা, শুধু বই পড়ে আর ইউটিউব ভিডিও দেখে জ্ঞানার্জনের চেষ্টা করা, শুধু বই পড়া জ্ঞান দিয়ে দাওয়াত দেওয়ার চেষ্টা করা বহু দ্বীনি ভাইদের দেখেছি। তাঁরা ব্যক্তিগত জীবনে কেমন জানিনা বাট সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে বেশ সরব। এ ভাইদের মাঝে অন্যতম কমন একটা জিনিস “ বিনয় না থাকা, দরদ না থাকা”। ক্ষেত্রবিশেষে শুধু বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করা অনেক ভাইদের নিজের অজান্তেই অহংকারী বানিয়ে তুলে।

এজন্য, দ্বীনী সোহবত, আলেম ওলামার সোহবত + অফলাইনে দরদের সহিত দাওয়াহ কাজে সময় দেওয়া + আর বেশি বেশি ইমান একিনের বয়ান শোনা আর বলার কোন বিকল্প নেই।

মিষ্টি খেতে কেমন এটা কেবল শুনে শুনে তৃপ্ত হওয়া যায়না, স্বাদও পাওয়া যায়না। খেয়ে দেখলে পরে উপলব্ধি হয়, প্রভাব পরিলক্ষিত হয়... অন্যথায় নয়।

আল্লাহু আ'লাম।

Sabr

12 Oct, 15:01


বরকত আল্লাহ তাআলার এক আশ্চর্য সৈনিক

একবার এক নেককার বান্দা দোয়া করছেন, হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার রিজিকে বরকত দান করুন। তখন এক ব্যক্তি তাকে বলল, আপনি কেন এভাবে দোয়া করছেন কেন? বরং আপনি বলুন, হে আল্লাহ! আপনি আমাকে রিজিক দান করুন।
নেককার বান্দা তখন বললেন, আল্লাহ তাআলা তার প্রত্যেক সৃষ্টির রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু আমি চাই, রিজিকে বরকত। কারণ বরকত হল, আল্লাহ তাআলার একটি গোপন সৈনিক; যার কাছে ইচ্ছা তিনি তা প্রেরণ করেন।

১. এই 'বরকত' যদি সম্পদে প্রবেশ করে; তাহলে তা সম্পদ বৃদ্ধি করে দেয়।
২. এই 'বরকত' যদি সন্তান-সন্ততির মধ্যে প্রবেশ করে; তাহলে তাদেরকে সংশোধন করে দেয়।
৩. এই 'বরকত' যদি শরীরে প্রবেশ করে; তাহলে তা শরীরকে শক্তিশালী করে দেয়।
৪. এই 'বরকত' যদি সময়ে প্রবেশ করে; তাহলে সময়কে সমৃদ্ধ করে দেয়।
৫. আর এই 'বরকত' যদি হৃদয়ে প্রবেশ করে; তাহলে তাতে এনে দেয় সুখ ও শান্তির ছোঁয়া।'
সুতরাং হে আল্লাহ! আপনি আমাদের যা কিছু দিয়েছেন তাতে 'বরকত' দান করুন।

মূলত বরকত দুইভাবে হয়, পরিমাণগত দিক থেকে কোনো কিছু বেড়ে যাওয়া। এটাও বরকত, আবার বস্তুর যে উদ্দেশ্য তা ভালোভাবে পূর্ণ হওয়া, এটাও বরকত। একজনের অর্থ বৃদ্ধি পেল। যদি তা হালাল পন্থায় হয় তাহলে তা বরকত। এটা দৃষ্টিগ্রাহ্য বরকত। দেখা যায়, গণনা করা যায়। আরেকজনের অর্থ হয় তো সংখ্যায় ও পরিমাণে বৃদ্ধি পেল না তবে অর্থের যে উদ্দেশ্য তা পুরা হয়ে গেল। অল্প অর্থে সকল প্রয়োজন পুরা হল। বিপদ-আপদের শিকার হল না। বড় বড় চিকিৎসায় অর্থ ব্যয় হল না। মামলা-মুকাদ্দমায় পয়সা খরচ হল না। যতটুকু হালাল উপার্জন তা দিয়েই জীবন সুন্দরভাবে কেটে গেল। এটাও বরকত। তবে তা আগেরটির মত প্রত্যক্ষ নয়। এটা উপলব্ধির বিষয়। ঈমানদার যখন চিন্তা করেন তখন এ বরকতের উপস্থিতি বুঝতে পারেন।

মূল : শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Sabr

12 Oct, 00:08


অন্তর সিক্ত করা তিলাওয়াত 🤍

Sabr

07 Oct, 18:46


গুনাহ..

অনেক কষ্টে মোমবাতি জ্বালিয়েছেন। আশেপাশে তীব্র ঝড়ো হাওয়া, ফোঁটা ফোঁটা শিশিরের মত বৃষ্টিও পড়ছে অল্প। দমকা হাওয়া আসতে থাকে, আর আপনি ঐ মোমবাতিটারে আড়াল করতে থাকেন। কিন্তু এই লুকোচুরি খেলায় আপনি হেরে গেলেন। অল্প শিশিরের ন্যায় বৃষ্টি আর হাওয়ার মিশেলে আপনার জ্বালানো মোমবাতিটি নিভে গেল।

আমাদের নেক আমলগুলোও তেমনই। গুনাহের পাপরাশিতে মত্ত থাকতে থাকতে অন্তর কলুষিত। নেক আমলের তওফিক আর অন্তর পায়না, পায়না কায়মনোবাক্যে মোনাজাতের তওফিক। নেক আমলের কোন আলামত শুরু হলে গুনাহের দমকা হাওয়ার এক ঝাপটায় ইবাদতের নুরটা আবার মিলিয়ে যায়। ইবাদতকে ভারী মনে হয়। দেহ ইবাদতে থাকলেও একাগ্রতা আর প্রাপ্ত হয়না।

দমকা হাওয়ার মত এই গুনাহের পথরোধ করা ছাড়া তো ইবাদতের সেই মোমবাতি, খুশু-খুযুর সেই চেরাগ তো পূর্ণভাবে জ্বলতে পারবেনা৷ বারে বারে নিভু নিভু হতে হতে নিভেই যাবে, আলো আর ছড়াতে পারবেনা, অন্ধকারও দূরীভূত করতে পারবেনা।

এইতো!! এটাই গুনাহের অন্যতম এক শাস্তি, ভঙ্গুর এই অন্তর শক্ত এক পাথরে পরিণত হওয়া।

Sabr

05 Oct, 08:40


সময় নেই নামক অজুহাত

সময় না পাওয়ার অর্থ এ নয় যে, জ্ঞান অন্বেষণ থেকে দূরে থাকব
যদি কেউ দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য সময় বের করতে না পারে, তবুও তার জ্ঞানার্জনের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়নি। আর যদি কেউ এর জন্য পরিপূর্ণ সময় নির্ধারণ করতে না পারে অথবা আলিমদের মজলিসে বসার সুযোগও তার না মিলে, তাহলে সে অবশ্যই নিজের সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করবে। যতটুকু তার পক্ষে সম্ভব হবে, ততটুকু করবে। কারণ, যদি সম্পূর্ণটা সে নাও পায়, তবে কিছুটা হলেও তার পাওয়া হবে।
আমরা জানি-অনেক সাহাবি, তাবিয়ি, তাবে' তাবিয়ি ও মুহাজির নিজের, সন্তান-সন্ততির ও পরিবারের নানা ব্যস্ততা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য থাকা সত্ত্বেও ইলম অর্জন ছেড়ে দেননি। তাদের ব্যবসা তাদের সারা জীবন ব্যস্ত করে রাখেনি। কিন্তু তারা প্রত্যেকে যে ব্যবসা করতে বিষয়টা এমনও নয়।
আবু হুরাইরা রা. সারা জীবন কখনো ব্যবসা করেননি।

অনেকে আবু হুরাইরা রা.-এর ব্যাপারে বলতে পারেন যে, তিনি এত দেরিতে ইসলাম গ্রহণ করে কীভাবে এত বেশি হাদিস বর্ণনা করেছেন?
সেটা সম্ভব হয়েছিল, কারণ তিনি তার পুরো সময়টাই ইলমের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।

যাদের ব্যস্ততা আছে, তারা প্রতিদিন কুরআনের একটি পাতা পড়তে পারেন। প্রতিদিন একটি আয়াতের তাফসির দেখতে পারেন। প্রতিদিন একটি করে আয়াতের হিফজ করতে পারেন। হাঁটার সময়টা কাজে লাগাতে পারেন। বিশেষ করে, যে সকল শহরে জ্যাম আছে, সেখানে দেখা যায় গাড়িতে বসে বসে দু-তিন ঘণ্টার মতো সময় কেটে যায়। এমন সময়গুলোকে কাজে লাগানো যায় কুরআন তিলাওয়াত করে, দ্বীনি বই পড়ে। বাসায় আসা-যাওয়ার পথে ইলমি আলোচনা শোনা যায়। কিন্তু হায়, আমার মুসলিম ভাইয়েরা গাড়িতে বসে বসে কিংবা হাঁটতে হাঁটতে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে কী শুনছে!?

[ মূল : শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ ]

Sabr

03 Oct, 00:30


ব্যাধিগ্রস্ত অন্তর..

মানুষ কীভাবে বুঝতে পারবে যে, আমার অন্তর রোগাক্রান্ত?
এ-সম্পর্কে হাফেয ইবনে কাইয়্যেম রহ. কিছু নিদর্শন বর্ণনা করেছেন।

১. প্রথম নিদর্শন হল, মানুষ যখন নশ্বর বস্তুকে অবিনশ্বর বস্তুর ওপর প্রাধান্য দিতে থাকবে, তখন বুঝতে হবে, আমার অন্তর ব্যধিগ্রস্ত হয়ে গেছে। যেমন দুনিয়ার ঘর ভালো লাগে, কিন্তু আখেরাতের ঘর বানানোর চিন্তা নেই। দুনিয়ার মধ্যে ইজ্জত-সম্মান পাওয়ার আকাঙ্ক্ষী; কিন্তু আখেরাতের ইজ্জত-সম্মানের কথা অন্তরের মধ্যে জাগে না। দুনিয়ার শান্তি-প্রত্যাশী; কিন্তু আখেরাতের আযাবের প্রতি ভ্রুক্ষেপ নেই।

২. দ্বিতীয় নিদর্শন হল, মানুষ যখন কান্নাকাটি বন্ধ করে দিবে, তখন বুঝতে হবে, আমার অন্তর কঠিন হয়ে গেছে। কখনও-কখনও মানুষের চোখ কাঁদে, আর কখনও-কখনও হৃদয় কাঁদে। হৃদয়ের কান্না চোখের কান্না থেকে শ্রেয়। চোখ দিয়ে পানি বেরোলেই কান্না হবে-এমনটা জরুরি নয়। বরং আল্লাহর অনেক বান্দা এমনও আছেন, যাঁদের হৃদয় কাঁদতে থাকে, যদিও তাঁদের চোখ দিয়ে পানি বের হয় না। কিন্তু তাদের হৃদয়ের কান্না আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায় এবং তাঁদের তাওবা কবুল করার জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়। অন্তর ও চোখ থেকে কোনও একটা অবশ্যই কাঁদবে। আর কারও কারও তো দুটোই কাঁদে-চোখও কাঁদে, মনও কাঁদে।

৩. তৃতীয় নিদর্শন হল, সৃষ্টির সঙ্গে মেলামেশার প্রত্যাশী হয়; কিন্তু আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্মরণই হয় না। এমন বুঝে নিতে হবে, এটা আমার অন্তরের মৃত্যু। মানুষের পরস্পরে সম্পর্ক স্থাপন হলে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী হয়; সঙ্গ পাওয়ার জন্য হৃদয় কাঁদে; তার বিরহে উদাস হয়; তার অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু আল্লাহর সাক্ষাতের কথা তাদের মনে জাগ্রতই হয় না।

৪. চতুর্থ নিদর্শন হল, মানুষের আত্মা যখন আল্লাহর স্মরণে ঘাবড়ে যায় এবং সৃষ্টির সঙ্গে থাকার মধ্যে আনন্দ পায় তা হলে বুঝতে হবে, এটাও তার হৃদয়ের মৃত্যু। আল্লাহর স্মরণে ঘাবড়ানোর অর্থ হল, মানুষের মন তাসবিহ পড়তে এবং মোরাকাবা করতে ভয় পাওয়া। এর ফলে সে মুসাল্লায় বসতে বোঝা অনুভব করে।

একটি মোটা কথা বুঝে নিন। বান্দার সম্পর্ক আল্লাহর সঙ্গে আছে কি না, যদি তা জানতে হয় তা হলে মুসাল্লাহর [ নামাযের জায়গার ওপর তার বসাটা ] দেখে নিন। যাকের, শাগেল বান্দা মুসাল্লার ওপর শান্তভাবে ঠিক সেভাবে বসে থাকে,
যেভাবে শিশু মায়ের কোলে প্রশান্তিতে বসে থাকে।
আর যার অন্তর বক্র, তার জন্য মুসাল্লায় বসা বিপদ-সমতুল্য। সালাম ফেরানোর সঙ্গে-সঙ্গেই মসজিদ থেকে বেরিয়ে যায়। এমনও অনেক আছে, যাদের অন্তর মসজিদে আসতেই সায় দেয় না।

মূল : মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি.

Sabr

01 Oct, 09:12


বিশ্বাসের মর্যাদা!

হাকীমুল উম্মাত হযরত আশরাফ আলী থানভী (রহ.) জনৈক বুযুর্গের একটি ঘটনা লিখেছেন। বুযুর্গের স্ত্রী ছিলো খুব ঝগড়াটে প্রকৃতির। ঝগড়া ঝাটিতে সে মেতে থাকতো সর্বক্ষণ। ঝগড়া-ঝাটি, গাল-মন্দ, লা'নতের মাধ্যমে মহিলাটি স্বীয় ঘরকে যেন এক অগ্নিস্ফুলিঙ্গে পরিণত করে রেখেছিল। এ অবস্থা দেখে বুযুর্গকে কেউ বললো, বকা-ঝকা, ঝগড়া-ফ্যাসাদের এ মানবীকে আপনি লালন করছেন কেন? তাকে তালাক দিয়ে কিসসা খতম করে দিলেই তো হয়। উত্তরে বুযুর্গ বললেন- তালাক দেয়া তো খুবই সহজ। ইচ্ছা করলেই দিতে পারি। কিন্তু আসল ব্যাপারটা হলো, মহিলাটির মাঝে বহু দোষ আছে। তবে তার মাঝে একটি গুণও আছে। যে গুণটির কারণে তাকে আমি কখনো ছাড়বোনা। তালাকও দিবো না। গুণটি হলো কৃতজ্ঞতা, সে এমন কৃতজ্ঞ যে, কথার কথা যদি আমি কোনো কারণে গ্রেফতার হয়ে পঞ্চাশ বছরও জেলে থাকি, তাহলে আমার বিশ্বাস, তাকে আমি যেখানে রেখে যাবো সেখানে বসেই আমার জন্য অপেক্ষা করবে। অন্য কারো প্রতি দৃষ্টিপাতও করবে না সে। আর এই কৃতজ্ঞতা এখন একটি গুণ যার কোনো মূল্য হতে পারে না।

[ ইসলাহি খুতুবাত : মুফতি মুহাম্মদ ত্বাকী উসমানী ]