Sabr @dawahchannelsabr Channel on Telegram

Sabr

@dawahchannelsabr


Our YouTube Channel : https://youtube.com/c/AlBaqiBangla

Sabr (English)

Introducing 'Sabr' - the Telegram channel dedicated to promoting patience and perseverance in the face of life's challenges. Managed by the user @dawahchannelsabr, this channel offers a variety of content aimed at inspiring and motivating its followers to practice Sabr in their daily lives. Sabr, which translates to patience, is a virtue highly valued in Islam and is believed to bring about countless blessings and rewards. The channel provides daily reminders, quotes, and videos to help its audience develop this important quality. In addition to the Telegram channel, 'Sabr' also has a YouTube channel where viewers can find even more resources and content to deepen their understanding of Sabr. Join the 'Sabr' community today and start your journey towards a more patient and resilient life!

Sabr

23 Nov, 12:10


সুবহানাল্লাহ... আল্লাহ এই মোবারক মেহনতকে কবুল করুক, আমিন।

জাকারিয়া মাসুদ হাফি. এর দ্বীনে ফেরার গল্প

Sabr

19 Nov, 05:00


আল্লাহর মহব্বত...

আখেরাতে সে ব্যক্তি সর্বাধিক সৌভাগ্যবান হবে, আল্লাহ তা'আলার সাথে যার মহব্বত অধিকতর শক্তিশালী হবে। কেননা, আখেরাতের অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তা'আলার কাছে গিয়ে সাক্ষাতের সৌভাগ্য অর্জন করা। বলা বাহুল্য, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যখন আশেক তার মাশুকের কাছে যাবে, তার দীদারে চিরতরে ধন্য হবে, কোনরূপ বাধা থাকবে না এবং মালিন্য ও বিচ্ছিন্নতার কোন আশংকা থাকবে না, তখন কি অভাবনীয় খুশী ও অপার আনন্দই না তার অর্জিত হবে। কিন্তু এই আনন্দ মহব্বতের শক্তি অনুপাতে হবে। মহব্বত যত বেশী হবে, আনন্দও তত বেশী হবে।

দুনিয়াতে কোন ঈমানদার আল্লাহর মহব্বত থেকে খালি নয়। কিন্তু মহব্বতের আধিক্য যাকে এশক বলা হয়, তা অনেকের মধ্যে নেই। এই এক অর্জনের উপায় দু'টিদুনিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং মন থেকে গায়রুল্লাহর মহব্বত বের করে দেয়া।

কেননা, মন হচ্ছে পান- পাত্রের মত। যদি পাত্রে পানি থাকে, তবে তাতে সিরকা রাখার অবকাশ থাকে না। আল্লাহ তা'আলা কাউকে দুটি মন দেননি যে, একটির দ্বারা আল্লাহকে মহব্বত করবে এবং অপরটি দ্বারা গায়রুল্লাহকে মহব্বত করবে। আল্লাহকে সর্বান্তকরণে চাওয়াই হচ্ছে পরিপূর্ণ মহব্বত। যে পর্যন্ত অপরের দিকে মনোযোগ রাখবে, সে পর্যন্ত মন অপরের সাথে একপ্রকার মশগুল থাকবে এবং যে পরিমাণ অপরের সাথে মশগুল থাকবে, সে পরিমাণ মনে আল্লাহর মহব্বত কম হবে।

[ এহইয়াউ উলুমিদ্দীন ॥ পঞ্চম খণ্ড; ইমাম গাযালী রহঃ ]

Sabr

17 Nov, 16:49


দ্বীনে ফেরার পর সবচেয়ে ভয়াবহ জিনিসটির নাম হলো ‘অনিয়ন্ত্রিত জযবা।’ এটার কারণে অনেকেই দ্বীনে ফেরার কিছুদিন পর ধীরে ধীরে দ্বীন থেকে সরে যেতে থাকে। জযবা কোনো খারাপ জিনিস নয়, কিন্তু এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এবং উপযুক্ত জায়গায় প্রয়োগ করতে না পারলে এটাই হয়ে দাঁড়ায় বড় ক্ষতির কারণ।
বেশিরভাগ কিশোর বা উঠতি তরুণদের মনে প্রচুর জযবা থাকে। এই জযবাটাকে কাজে লাগানো উচিত। কিন্তু সমস্যা হলো, অনলাইনের এ যুগে এসব জযবা বিপথে যেতে বেশি দেরি লাগে না।

জযবার তীব্রতায় কেউ তাকফীরি বনে যান, কেউ-বা হয়ে যান খারেজিদের মতো। জগতের কাউকেই তখন গোনায় ধরতে ইচ্ছে করে না। কারও ইলমেই আস্থা হয় না। নিজের বুঝকেই ওহীতুল্য মনে হয়। কিতাবের কালো ইবারত দিয়েই বহু অভিজ্ঞতাকেও উড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে। কোনো অভিজ্ঞ আলেমের কথা শোনাকে তখন ‘পুজো' মনে হয়।
কিন্তু তীব্র সত্য হলো, একটা বয়সের পর এই জযবা আর থাকে না। যৌবনের উন্মত্ততায় তখন এসব হলেও কয়েক বছর পর এটা মিইয়ে যায়। মাঝখানে ক্ষতিটা কী হয়? কাজের কাজ কিছুই হয় না। কোনোদিকেই আগানো যায় না। উল্টো গিবত, অপবাদ, ঘৃণা, বেয়াদবির মতো বড় বড় গুনাহ মাথায় বইতে হয়।

মনে রাখবেন, প্রকৃত কাজের লোকদের জযবা থাকে আসল জায়গায়। তারা অনর্থক জযবাকে নষ্ট করেন না। তারা জযবাকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন।

আমি এমনো যুবক পেয়েছি, যিনি জুমার নামাজ পড়েন না, কারণ তিনি শুনেছেন এ দেশ দারুল হরব, আর দারুল হরবে জুমা ওয়াজিব নয় (যদিও ফতওয়া হলো দারুল হারবেও জুমা পড়তে হবে)। এমনো যু্বক দেখেছি, যে বাসায় একাকী নামাজ পড়ে, তার যুক্তি হলো, এ দেশের ওলামারা তাগুতের গোলাম, তাই তাদের পেছনে নামাজ পড়া জায়েয নয়!

এটা কোনো ভালো লক্ষণ নয়। মারাত্মক অশনিসংকেত এটা। অমুক আলেম প্রকাশ্যে জিহাদের কথা বলেন না, তাই তিনি জিহাদ বিদ্বেষী হয়ে যাবেন? এ ক্ষেত্রে তার বিশ্বাস কী এটাও তো জানতে হবে আগে!

এই অযুহাতে অনেকে এলাকার আলেমদের সাথে সম্পর্ক রাখেন না। আলেমদের থেকে দূরে দূরে থাকেন। কারণ তিনি জিহাদের কথা বলেন না। এটা নিজের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই না।

প্রকাশিতব্য বই থেকে...

তানজিল আরেফিন আদনান হাফি.

Sabr

17 Nov, 04:39


আমরা ইসলামের জন্য কি করেছি আসলে? 💔

Sabr

16 Nov, 08:19


https://youtu.be/Yb_wKduF2vo?si=fr0oVl28s-jwx8KI

Must watch...

Sabr

16 Nov, 00:32


শাইখ সালেহ আল ত্বলিব ফাক্কাল্লাহু আসরহ... আবেগঘন একটি খুতবা।

উল্লেখ্য, জালিমের সমালোচনা করায় ২০১৮ থেকে তিনি জেলে।

Sabr

14 Nov, 03:29


আপনার সালাতই বলে দেবে আপনার কাছে ইসলাম কতটা গুরুত্ব রাখে!

ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল বলেন,
মানুষের নিকট সালাতের গুরুত্ব যতটুকু, ইসলামের গুরুত্বও ঠিক ততটুকু। সালাতের প্রতি মানুষের যতটুকু আকর্ষণ পাওয়া যাবে, বুঝে নিতে হবে ইসলামের প্রতিও তার ঠিক ততটুকুই আকর্ষণ রয়েছে। অতএব হে আল্লাহর বান্দা, আপনি নিজেই নিজের অবস্থা বিবেচনা করুন। আর সাবধান! ইসলামের গুরুত্ব ও মহত্ত্ববিহীন অন্তরে যেন মহান আল্লাহর সাথে আপনার সাক্ষাত না হয়। কারণ, সালাতকে আপনি যতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, আপনার মাঝে ইসলামের মহত্ত্বও ঠিক ততটাই রয়েছে।”

তবাকাতু হানাবিলা, ১/৩৫৪

Sabr

12 Nov, 01:05


অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে উম্মাহর উদাসীনতা :

দিন যত এগোচ্ছে, ইমান ও কুফরের দ্বন্দ্ব ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সময় আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে, কারা আমাদের মিত্র, আর কারা আমাদের শত্রু। চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে, সামনের লড়াইটা কী নিয়ে এবং কাদের সাথে হবে। বৈশ্বিক অরাজকতা ও দেশীয় অস্থিরতার পেছনে বর্তমানে একটি বিষয়ই কাজ করছে। আর তা হলো ইসলামের মূলোৎপাটন ও মুসলিম নিধন। একটু মনোযোগের সাথে লক্ষ করলেই চোখে পড়বে, পুরো বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ওপর নিরন্তর আক্রমণ চলছে। কোথাও সরাসরি এবং কোথাও কূটকৌশলে ও ছদ্মাবরণে। গত কয়েক দশক ধরেই এভাবে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আক্রমণ ও প্রোপাগাণ্ডা চলছে। তবে এখন ধীরে ধীরে সব উন্মোচিত হচ্ছে। ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে বন্ধুর মুখোশের আড়ালে থাকার শত্রুর কুৎসিত চেহারা।

বর্তমানে বিশ্ব কুফফার গোষ্ঠী ইসলামবিরোধী ভয়ংকর এজেন্ডা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তারা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে একাধারে সামরিক, আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। একদিকে সরাসরি সামরিক আক্রমণের মাধ্যমে নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে, অন্যদিকে মুসলিম দেশগুলোতে কুফরি মতাদর্শের সয়লাব ঘটিয়ে উম্মাহর ইমান হরণের কাজও এগিয়ে নিচ্ছে। আর বিজাতীয় ও পশ্চিমা কালচারের মাধ্যমে চারিত্রিক অধঃপতন ও আমল নষ্ট করার কাজ তো অনেক আগে থেকেই করে আসছে। কিন্তু আফসোস যে, অধিকাংশ মুসলিম চলমান এ বৈশ্বিক সংকট ও ভয়ংকর লড়াই সম্পর্কে একেবারেই ওয়াকিফহাল নয়। অনেক মুসলিমের এটাও জানা নেই যে, কারা তাদের শত্রু, আর কারা মিত্র। কিন্তু নিজেদের মধ্যকার কোন্দল আর দ্বন্দ্ব নিয়ে ঠিকই তারা সজাগ।

খুব আশ্চর্য লাগে ওই সকল লোকের প্রতি, যারা আজও ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র ইখতিলাফি বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি করে ভাইয়ে ভাইয়ে শত্রুতা সৃষ্টি করে। মাসলাকি দ্বন্দ্ব-বিবাদ জিঁইয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে এবং উম্মাহর মূল সংকটের জায়গা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে রাখে। ইসলাম ও মুসলিমদের কমন শত্রুদের বিরুদ্ধে সীসাঢালা প্রাচীরের মতো এক কাতারে না দাঁড়িয়ে নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ইমান ও তাওহিদের বার্তা, কুফর ও রিদ্দাহর কথা, সেক্যুলারিজমের সাথে ইসলামের সংঘর্ষের বয়ান, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের কুফরের আলোচনা নেই। তথাকথিত মানবতাবাদ, জাতীয়তাবাদ ও পুঁজিবাদসহ পশ্চিমা সব তন্ত্রমন্ত্র ও দর্শনের অসারতা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমাদের যত শক্তি ও মেধা, বেশির ভাগ ব্যয় হয় কেবল মুসলিমদের বিরুদ্ধেই। আল্লাহর কাছে আমরা পানাহ চাই।

তাই উম্মাহর সচেতন ভাইদের সজাগ হওয়ার সময় হয়েছে। নিজেদের মধ্যকার সকল মাসলাকি দ্বন্দ্ব, মাযহাবি ইখতিলাফ ও গোষ্ঠীভিত্তিক বিবাদ দাফন করে কুফফারের বিরুদ্ধে আমাদের একজোট হওয়ার এখনই সময়। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই এটা প্রয়োজন। নইলে আমাদের কারোরই রক্ষা নেই। কেননা, এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে, বর্তমানে সরাসরি ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। সমগ্র কুফফার ও মুনাফিক গোষ্ঠী একজোট হয়ে কাজ করছে। এখনো যদি সংকট উপলব্ধি না করি এবং এ থেকে উত্তরণের পথ বের না করি তাহলে শীঘ্রই নিজেদের প্রাণ কিংবা ইমান হারাতে হবে। ইমান ও কুফরের চলমান যুদ্ধে কীভাবে ইমানের রক্ষা হবে, সে চিন্তা-পরিকল্পনা আজই করতে হবে। বুদ্ধিমান তো তারাই, যারা সময়ের আগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং জাতিকেও সে পথে আহবান করে।

মুফতি তারেকুজ্জামান হাফি.

Sabr

11 Nov, 15:47


গুনাহ করাও খেয়ানত

এই অস্তিত্ব ও দেহমন এবং সকল যোগ্যতা ও ক্ষমতা আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে আমানত স্বরূপ দান করেছেন। বরং গোটা জীবনই আল্লাহর আমানত। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে, জীবনের কোন কাজ, এসব অঙ্গ- প্রত্যঙ্গের কোনওরকম প্রয়োগ এবং কোনও ধরনের কথাবার্তা যাতে এমন না হয়, যা দ্বারা আল্লাহ প্রদত্ত আমানতের খেয়ানত হয়ে যায়।

সুতরাং আমানত সম্পর্কে যে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গী আমরা পোষণ করে থাকি তা নিতান্তই ভুল। আমানত বলতে কেবল টাকা-পয়সার আমানতকেই বোঝায় না এবং তালা খুলে সেই গচ্ছিত টাকা-পয়সা খরচ করার মধ্যেই খেয়ানত সীমাবদ্ধ নয়। এটাও খেয়ানত বটে। কিন্তু কথা এখানেই শেষ নয়। বস্তুত সমগ্র জীবনই আল্লাহর আমানত। জীবনের প্রতিটি কথা ও কাজই আমানত এবং তার যে কোনও অপব্যবহারই খেয়ানত।
কাজেই হাদীছে, যে আমানতের খেয়ানত করাকে মুনাফিকের আলামত বলা হয়েছে তার অর্থ হল, যত রকম গুনাহ আছে, তা চোখের গুনাহ হোক, কানের গুনাহ হোক, মুখের গুনাহ হোক, বা অন্য কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গুনাহ হোক সবই খেয়ানতের অন্তর্ভুক্ত। তার কোনওটিই মুমিনের কাজ নয়; বরং মুনাফিকের কাজ।

ইসলাম ও আমাদের জীবন - ৭ ; মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি.

Sabr

10 Nov, 08:16


আমি আশপাশের পরিচিত-অপরিচিত কিছু মানুষকে গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করলাম।

দেখলাম যাদের জীবনে আনন্দ আছে, যাদের সুখী মনে হয় এদের ভালো থাকার কারণ অনেকটা একই রকম।

এরা খুব বেশী দামী খাবার খেতে না পারলেও প্রতিবেলায় যা খায় সেটা অনেক তৃপ্তি নিয়ে খায়। পরম যত্নে যা রাঁধে মা অথবা স্ত্রী।

এদের বাসাটা ছোট, কিন্তু বারান্দায় গাছ আছে। অদ্ভুত মায়া ঘেরা সে বাসা। ছোট বাসা তাই প্রিয়জনরা খুব কাছাকাছি থাকে। তাকালেই দেখা যায়, ডাকলেই পাওয়া যায়।

বছরে হয়তো একবার দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারে এরা। কিন্তু যেখানেই যায় প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করে এরা। যদি আর কখনো আসা না হয়!

এরা জীবনসঙ্গীকে সম্মান করে, ভালোবাসে। বিনিময়ে তাই পায় অজস্র। এই সম্মান, ভালোবাসা এদের মানুষ হিসেবে আরো সুখী করে তোলে।

এরা রাতে ঘুমাতে পারে, জায়নামাযে বসে কাঁদতে পারে।

আর যাদের অসুখী দেখেছি,
এদের ভালো না থাকার কারণ অনেক, এক এক জনের এক একরকম, একজনের কয়েকরকম।

Sabr

10 Nov, 05:29


উম্মে উমারা রা. একজন প্রসিদ্ধ সাহাবিয়া..

মদিনার একদল মুসলমান হিজরতের পূর্বে কুরাইশের কাফিরদের থেকে লুকিয়ে আকাবায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাতে ইসলামের প্রচার-প্রসার ও তাঁর সাহায্যের বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন। এটি ছিল মদিনা থেকে আগত মুসলমানদের সর্বপ্রথম দল। এই ছোট্ট দলটিতে উন্মে উমারা রা.ও ছিলেন। ইসলামের ইতিহাসে এটি 'বাইয়াতে আকাবা' নামে প্রসিদ্ধ।

ষষ্ঠ হিজরীতে হুজুর সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ পালনের উদ্দেশে মক্কা অভিমুখে রওনা করেন। তিনি মক্কার নিকটে এসে কুরাইশের কাছে প্রবেশের অনুমতি চান। উসমান রা. মুসলমানদের দূত হিসেবে মক্কায় প্রবেশ করেন। তখন কুরাইশরা উসমান রা.-কে শহিদ করে দিয়েছে মর্মে সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। এতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল সাহাবি থেকে শাহাদাত ও কাফিরদের সাথে লড়াইয়ের বাইয়াত গ্রহণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে এটি 'বাইয়াতে রিদওয়ান' নামে পরিচিত। হজরত উম্মে উমারা রা. এই বাইয়াতেও শরিক ছিলেন।
এছাড়াও তিনি স্বামী যাইদ বিন আসিম রা.-এর সঙ্গে উহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এমনকি উহুদের ময়দানে যখন মুসলমানগণ বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েন-কাফিররা এগিয়ে এসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর হামলা করছিল আর জানবাজ সাহাবিগণ জীবনবাজি রেখে লড়ে যাচ্ছিলেন সেই নাজুক মুহূর্তেও এই বীর মহিলা নাঙ্গা তলোয়ার হাতে হামলাকারীদের আঘাত করে করে পেছনে হটিয়ে দিচ্ছিলেন। সেদিন তিনি হাতে ও বাহুতে কয়েকটি আঘাত পান। অন্যান্য যুদ্ধেও তাঁর এমন অনুপম বীরত্বের কীর্তি প্রকাশ পেয়েছে।'
উসদুল গাবাহ: ৭/২৬৯, ৩৬০

হজরত আবু বকর রা.-এর যুগে মুসাইলামা কাজ্জাব নবুওয়ত দাবী করে। অতঃপর ইয়ামামায় এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সে মুসলমানদের হাতে নিহত হয়। ইয়ামামার যুদ্ধ নামে খ্যাত সেই লড়াইয়ে উম্মে উমারা রা.ও অংশগ্রহণ করেন। হাতে আঘাত পাওয়া পর্যন্ত তিনি দুশমনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান। সেদিন উম্মে উমারা রা. দেহের বারোটি স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন।'

মুসলিম নারীদের বীরত্বগাথা- পৃ:২৩

Sabr

08 Nov, 14:59


সেদিন ওরা পার হয়ে যাবে, কষ্ট আর যাতনার বদৌলতে
আমরা আটকে যাব, গাফিলতি, আল-ওয়াহহানের ফাঁসে..

Sabr

06 Nov, 13:57


আত্নার সাথে দ্বীনি ইলমের সম্পর্ক!!

ফাতাহ্ মুসেলী বলেন : রোগীকে রোজ রোজ খাদ্য, পানীয় ও ওষুধপত্র কিছু না দিলে সে কি মরে যাবে না? লোকেরা বলল : নিঃসন্দেহে মরে যাবে। তিনি বললেন : আত্মার অবস্থাও তদ্রূপ। আত্মাকে তিন দিন এলেম ও জ্ঞান থেকে উপোস রাখলে সে মরে যায়।

তাঁর এ উক্তি যথার্থ কেননা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা হচ্ছে আত্মার খোরাক; এগুলোর মাধ্যমেই তার জীবন; যেমন দেহের খোরাক খাদ্য। যার জ্ঞান নেই, তার অন্তর রুগ্ন মৃত্যু তার জন্যে অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার আত্মার রোগ ও মৃত্যুর খবর রাখে না। দুনিয়ার মহব্বত ও কাজ কারবারে লেগে থাকার কারণে তার চেতনা লোপ পায়। যেমন ভয় ও নেশার আতিশয্যে জখমের ব্যথা অনুভূত হয় না; যদিও বাস্তবে ব্যথা থাকে। কিন্তু মৃত্যু যখন দুনিয়ার বোঝা ও সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়, তখন সে আত্মার মৃত্যুর কথা জানতে পারে এবং পরিতাপ করে। অবশ্য তখন পরিতাপে কোন উপকার হয় না।

ভীত ব্যক্তির ভয় অথবা মাতালের নেশা দূর হয়ে গেলে ভয় ও নেশার অবস্থায় তার যেসব জখম লাগে, সেগুলো সে হাড়ে হাড়ে টের পেতে থাকে। সত্য উদ্ঘাটিত হওয়ার সেই দিনের ভয়াবহতা থেকে আমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি। কেননা, এখন মানুষ ঘুমিয়ে আছে। মৃত্যু হলে জাগ্রত হবে।

[ এহইয়াউ উলুমিদ্দীন খন্ড ১ - ইমাম গাযালী রহঃ ]

Sabr

04 Nov, 10:58


গণতন্ত্রের স্বরূপ ও ইসলামি গণতন্ত্রের অসারতা। মুফতি তারেকুজ্জামান | #AdDeen_Shop_Khulna

Sabr

04 Nov, 10:58


https://t.me/PirojpurDawahCircle

জয়েন হয়ে নিন। গুরুত্বপূর্ণ সব সেমিনার একসাথে পাবেন এই চ্যানেলে.....

Sabr

04 Nov, 06:17


দ্বীন ছাড়া উন্নতি আযাব

হযরত থানভী (রহ.) বলেন, “ আজ মানুষ শুধু আর্থিক উন্নতির নাম 'উন্নতি' রেখেছে। চাই দ্বীন ঠিক থাকুক বা না থাকুক। এটা উন্নতি নয়; বরং আযাব। কেননা, যে উন্নতি দ্বীন ব্যতীত হয়, তা কোনো অর্জনই নয়।”

মরহুম আকবর এলাহাবাদী একজন চিন্তাশীল কবি ছিলেন। তার কবিতা-

“ কেউ যদি কোনো পদের অধিকারী হয়ে যায় জেন্টলম্যান হয়ে যায় বা জজ-ব্যরিস্টার হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীন থাকল না, নামায থাকল না, রোযা থাকল না তো দুনিয়াবী সকল উন্নতি অর্থহীন। ”

হযরত থানভী (রহ.) বলেন, যে আমরা দ্বীনদারী ছাড়া দুনিয়ার উন্নতিকে গোদ রোগ বলে মনে করি। এতে যদিও বাহ্যিকভাবে মনে হয় শরীর বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু এই বৃদ্ধি অসুস্থতা ও কষ্টের বৃদ্ধি। এই বৃদ্ধির ফল ভালো হয় না। তেমনিভাবে যদি অর্থ-বিত্ত বৃদ্ধি পেয়ে কারো দ্বীনদারী বা দ্বীন হুমকীর মধ্যে পড়ে তাহলে (নাউযুবিল্লাহ) এই উন্নতি ও অগ্রগতি হচ্ছে গোদের মতো। এটা এমন কোন ঈর্ষণীয় বস্তু নয়, যা হাসিল করার জন্য মানুষ চিন্তা করবে।

এক মালফুযে হযরত থানভী (রহ.) বলেন-

“ ইমাম গাযালী (রহ.) লিখেছেন যে, আখেরাতের সামনে দুনিয়া পুরোপুরি ঘৃণার বস্তু। কিন্তু এই তুলনা ছাড়াও দুনিয়া ঘৃণিত। কেননা দুনিয়া অন্বেষণকারী শান্তিতে থাকে না। অর্থাৎ, দুনিয়ার বাহ্যিক চাকচিক্য বাদ দিয়ে তার ভিতরের অবস্থা যদি লক্ষ কর, তাহলে দেখবে এরা কেউ দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্ত নয়। অপর দিকে আখেরাত অন্বেষণকারী সবাই শান্তিতে রয়েছে।' (আনফাসে ঈসা, পৃষ্ঠা ১৭৯) ”

[ ইসলাহী মাজালিস চতুর্থ খণ্ড ; মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি. ]

এটার বাস্তব উদাহরণ দেখবেন যখন কোন বেদ্বীন পয়সাওয়ালা, মিলের মালিক, ইন্ডাস্ট্রির মালিক বা নেতার সাথে কিছু সময় কাটাবেন।

Sabr

02 Nov, 15:56


ইত্তেবায়ে সুন্নাতের বিস্ময়কর ঘটনা

ইরান-বিজেতা হযরত হুযাইফা বিন ইয়ামান রা: যখন ইরানে কিসরার ওপর আক্রমণ করলেন, তখন তার সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সে তাঁকে আহ্বান করল। তিনি সেখানে গেলেন। যখন সেখানে তিনি পৌঁছলেন তখন তাঁর সম্মানার্থে প্রথমে তাঁর সামনে খাবার এনে রাখা হল। তিনি খাওয়া শুরু করলেন। খাওয়ার ফাঁকে তাঁর হাত থেকে একটি লোকমা নীচে পড়ে গেল। রাসুল ﷺ এর তালিম হল, যদি কোনও লোকমা নীচে পড়ে যায় তা হলে সেটা নষ্ট করো না। সেটা আল্লাহর রিজিক। জানা নেই, আল্লাহ তাআলা কোন লোকমার মধ্যে বরকত রেখেছেন। তাই সে- লোকমার অবমূল্যায়ন করো না। বরং সেটা উঠিয়ে নাও। যদি সেটার ওপর কোনও মাটি ইত্যাদি লেগে গিয়ে থাকে তা হলে সেটা পরিষ্কার করে নাও, এরপর খেয়ে নাও।

লোকমা নীচে পড়ার পর হযরত হুযাইফা বিন ইয়ামান রা. এর হাদিসটি স্মরণ হল। সেটা উঠানোর জন্য নীচের দিকে হাত বাড়ালেন। তাঁর সামনে এক সাথি বসা ছিলেন। তিনি তাঁকে কনুই দিয়ে খোঁচা দিয়ে ইশারা করলেন, কী করছ! এটা দুনিয়ার সেরা শক্তিধর কিসরার দরবার। তুমি যদি এই দরবারে মাটিতে পড়ে- যাওয়া লোকমা উঠিয়ে খাও, তা হলে এদের দৃষ্টিতে তোমার কোনও মর্যাদা থাকবে না। তারা ভাববে, এ বড়ই লোভী, কখনও ভালো কিছু দেখেনি। তাই এই লোকমা উঠিয়ে খাওয়ার সুযোগ এখানে নেই। আজ এটা বাদ দিয়ে দাও। জবাবে হযরত হুযাইফা বিন ইয়ামান রাযি. একটি চমৎকার বাক্য বললেন- 'আমি কি এই আহমকদের কারণে আমার রাসুল ﷺ-এর সুন্নাত ছেড়ে দিব?'
চাই এরা ভালো মনে করুক বা মন্দ, সম্মান করুক বা অসম্মান করুক কিংবা উপহাস করুক, কিন্তু আমি রাসুল ﷺ এর সুন্নাত ছাড়তে পারব না।

মূল: মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি.

Sabr

02 Nov, 02:04


নতুন বাসায় ফজরের পর...
সুরা আহযাব Youtube

Sabr

31 Oct, 00:02


ইবাদতের তওফিক!

ইমাম সাদি বলেন, "যার অন্তরে আল্লাহর প্রতি অগাধ আস্থা ও পরিপূর্ণ ভরসা রয়েছে সে ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা বেশি বেশি ইবাদত করার তাওফিক দান করেন। তাই আমাদের উচিত, আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ভরসা ও অগাধ আস্থা তৈরির জন্য তার নিকট প্রার্থনা করা।"

ইরশাদ হয়েছে,
"মহাপরাক্রমশালী দয়ালু আল্লাহর ওপর ভরসা করো", সূরা শুআরা -২১৭।

[ মূল : শাইখ খালিদ আর রশিদ হাফিঃ]

Sabr

28 Oct, 00:30


প্রাত্যাহিক লক্ষ্যসমূহ

বিনাশকারী গুণসমূহের মধ্য থেকে দশটি বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা যথেষ্ট। এগুলো থেকে বেঁচে থাকলে অন্য সবগুলো থেকে বেঁচে থাকা হয়ে যাবে। দশটি বিষয় এই :

(১) কৃপণতা,
(২) অহংকার,
(৩) আত্মপ্রীতি,
(৪) রিয়া,
(৫) হিংসা,
(৬) কঠোরতা,
(৭) খাদ্য-লালসা,
(৮) অতিরিক্ত কামভাব,
(৯) অর্থলোভ ও
(১০) জাঁকজমকপ্রীতি।

উদ্ধারকারী গুণসমূহের মধ্যেও দশটিই যথেষ্ট। আর সেগুলো এই :

(১) গোনাহের কারণে অনুতাপ,
(২) বিপদে সবর,
(৩) আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্টি,
(8) নেয়ামতের শোকর,
(৫) ভয় ও আশার সমতা,
(৬) সংসার অনাসক্তি,
(৭) আমলে এখলাস,
(৮) মানুষের সাথে সদাচরণ,
(৯) আল্লাহ তা'আলার মহব্বত ও
(১০) আল্লাহর সামনে খুশু ও নম্রতা।

এহইয়াউ উলুমিদ্দীন || পঞ্চম খণ্ড