Focused @banglafocused Channel on Telegram

Focused

@banglafocused


Focused (English)

Are you looking for a community that is dedicated to self-improvement and personal growth? Look no further than 'Focused' on Telegram! With the username '@banglafocused', this channel is designed to provide you with daily motivation, inspiration, and guidance to help you become the best version of yourself. Whether you are struggling with setting goals, staying motivated, or just need a little push in the right direction, 'Focused' has got you covered. The content shared in this channel is curated to help you develop a positive mindset, cultivate good habits, and achieve your full potential. Join 'Focused' today and start your journey towards a more focused and fulfilling life!

Focused

17 Nov, 06:24


Focused #152

এঁদের জন্যেও প্রস্তুত জান্নাতের ঘর!
========================
জান্নাতের ঘর বিশেষভাবে তাদের জন্য প্রস্তুত, যারা এই দুনিয়ায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট গুণাবলী ধারণ করে। হাদিস ও কুরআনের আলোকে নিম্নে উল্লেখ করা হলো জান্নাতের ঘরের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিদের কিছু গুণ:

১. নম্র ও বিনয়ী লোক
নবী করিম (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে জান্নাতে একটি ঘর দান করবেন।" (তিরমিজি)

২. সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যক্তি
যারা সবসময় সত্য কথা বলে এবং আমানতদার, তাদের জন্য জান্নাতে ঘর প্রস্তুত রয়েছে। (কুরআন ৩৩:৭০-৭১)

৩. তাহাজ্জুদ পড়া ব্যক্তি
যারা রাতে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকে, তাহাদের জন্য জান্নাতে উচ্চ মর্যাদার ঘর প্রস্তুত। (মুসলিম শরিফ)

৪. মহানুভব ও দানশীল ব্যক্তি
নবী (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি একজন ইয়াতিমকে প্রতিপালন করে, সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।" (বুখারি)

৫. নবী (সা.)-এর সুন্নাহ পালনকারী
যারা নবীর সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরে চলে এবং নামাজে মনোযোগ দেয়, তারা জান্নাতে সম্মানের ঘর লাভ করবে। (তিরমিজি)

৬. কষ্ট সহ্যকারী এবং ধৈর্যশীল ব্যক্তি
আল্লাহ বলেন, "ধৈর্যশীলদের জন্য তাদের প্রতিদান সীমাহীনভাবে দেওয়া হবে।" (সূরা যুমার ৩৯:১০)

৭. পরোপকারী ও অন্যের উপকারকারী
যারা দুনিয়ার জীবনে অন্যদের কল্যাণে কাজ করে এবং অন্যের প্রয়োজন মেটায়, তাদের জন্য জান্নাতে বিশেষ মর্যাদার ঘর রয়েছে।

জান্নাতের ঘর পাওয়ার জন্য আমাদের উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই গুণগুলো নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠা করা।

Focused

11 Nov, 14:33


Focused #151

Man will be Man!
================
Dear Sisters : Let your men be "men"

পোস্টটা ইংরেজী একটা বাক্য দিয়ে শুরু করতে হলো, এর সঠিক উপযোগী বাংলা এ মুহুর্তে মনে আসছে না। বোনদের ব্যাপার নিয়ে কোন কিছু লিখলে সবাই প্রথমে ধরে নেয় নিশ্চয়ই এই প্রসঙ্গ লেখকের পরিবারের এক্সপিরিয়েন্স থেকেই লেখা হয়েছে। হতে পারে, কিন্তু নট নেসেসারিলি।
.

উম্মুল মু'মিনিন সায়্যিদা আইশা  রাদিয়াল্লাহু আনহার একটা হাদিস আমরা সবাই জানি। সেখানে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাসায় থাকাকালীন কী করতেন ? উত্তর ছিল "বাসার কাজে সাহায্য করতেন"। খেয়াল করুন বাসার কাজে *সাহায্য* করতেন। যারা সীরাত একটু ভালমতো পড়েছেন তাদের জানার কথা উম্মাহাতুল মু'মিনিনদের কামরা কতটুকু ছিল। আইশা রাদিয়াল্লাহু আনহা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় রাসুলুল্লাহ নামাজ পড়লে সিজদা দেবার সময় পায়ে স্পর্শ লেগে যেত, তখন মা আইশা পা সরিয়ে নিতেন। বা বিয়ের সময় আসবাবপত্র হিসেবে কী পেয়েছিলেন। এমন কোন সীরাতের ঘটনা বা হাদিস মনে পড়ে না যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রান্না করেছেন। মদীনার পুরা জীবনটাই তো ছিল গাযওয়া আর সারিয়্যা নিয়ে ব্যস্ত। এর মধ্যে যতটুকু সময় পাওয়া গিয়েছে, পরিবারের প্রতি উত্তম ইনসাফ করে আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত দাঁড় করেছেন। আর বাসায় সাহায্য করার মধ্যে ছিল কাপড়ে তালি দেয়া, জুতা মেরামত করা ইত্যাদি। মাসের পর মাস চুলায় আগুন জ্বলেনি, সাহাবীদের হাদিয়া খেজুর খেয়ে দিন পার হয়েছে। হাদিসে আছেঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাইরে থেকে এসে বলতেন "আইশা, ঘরে খাবার কিছু আছে ?" মা আইশা উত্তর দিতেন "না, ইয়া রাসুলাল্লাহ"। রাসুলুল্লাহ "তাহলে রোজা রেখে দিলাম" বলতেন বলে ঘটনা আছে। আর উম্মাহাতুল মু'মিনিন আল্লাহর রাসুল থেকে আশাও করেননি তাদের জন্য রান্না করবেন। অনুরুপভাবে অন্যান্য সাহাবীর ক্ষেত্রেও খেয়াল পড়ে না। 

.

কিন্তু বাসায় সাহায্য করার হাদিসটাকে যে যার মতো ইন্টারপ্রেট করে যাচ্ছে। স্ত্রীর অসুস্থতায় কারো হাজবেন্ড রান্না করে কদিন খাইয়েছে - গুড, বারাকাল্লাহু ফিহ, কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় বাসায় রান্না করা কাজটা ইটসেলফ পুরুষদের থেকে আশা করা ঠিক নয়। পুরুষরা করবে কঠিন সব কাজগুলো, বাচ্চাদেরও ট্রেইনিংও দিবে কঠিন কাজের। কঠিন বলতে পেশীশক্তিওয়ালা এবং রিস্কি কাজগুলো বুঝাতে চাচ্ছি। যদি এর বাইরেও ফ্রি থাকে তাহলে পরিবারের সময় দিয়ে রিজিক বৃদ্ধির চেষ্টায় ব্যস্ত থাকা উচিত। পুরুষদের দিয়ে "আনম্যানলি" কাজ করিয়ে সেটা নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই। এখানে ফেমিনিজম টেনে আনতে চাই না। যেটা পয়েন্ট আউট করতে চাই, তা হচ্ছে "আধুনিক পুরুষরা দূর্বল থেকে দূর্বলতর হচ্ছে", পুরুষালি সব দায়িত্ব নিচ্ছে না। মেয়েরা পুরুষের দায়িত্ব নিচ্ছে, একটা সময় পর মিজারেবলি ফেইল করছে। নিউজে দেখলাম কোলকাতার সল্ট লেকের এক লোক কীভাবে তার স্ত্রী তাকে মারধর করে সেটার ভিডিও করে ভাইরাল করেছে, কী লজ্জার কথা! স্ত্রী কাজ করছে আর স্বামী রান্না করে খাইয়েছে সেই গল্পে প্রচুর পুরুষ লাইক / লাভ রিয়্যাক্টও দিচ্ছে। এর মানে হচ্ছে পুরুষরা ভুলতে বসেছে পুরুষসুলভ কাজ কী কী। পৌরুষের বদলে কিউটনেস দেখে মানুষ বেশি আনন্দ পায় এখন।
.

আরবের সে সমাজে পুরুষরা যে পুরুষসুলভ কাজ করতো, শুধু তাই না, মহিলাদেরও এক্সপেকটেশন ছিল পুরুষরা পুরুষের মত আচরণ করবে। হিন্দ বিনতে উতবা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) কে বিয়ের জন্য অপশন দেয়া হয়েছিল সুহাইল ইবন আমর আর আবু সুফিয়ান (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) এর মধ্যে বেছে নিতে। হিন্দের কাছে আবু সুফিয়ানকে পৌরুষময় আর বুদ্ধিমান মনে হয়েছিল, তাই আবু সুফিয়ানকে বেছে নিয়েছিলেন। ইয়ারমুকের যুদ্ধে মহিলাদের ডিপ্লয় করা হয়েছিল যাতে পুরুষরা পিছু হটলে তাদের পাথর মেরে যুদ্ধে আবার ফেরত পাঠিয়ে দেয়। বংশমর্যাদার পর বীরত্ব ছিল মোটামুটি নাম্বার ওয়ান প্যারামিটার।
.

থট প্রসেস শিফটের জন্য আমি পুরা দোষ বোনদের দিতে রাজী নই, তারা আমাদের অর্থাৎ পুরুষদের বর্তমান আচরণের জন্যই এমন সব চিন্তা করছেন যা আসলে আদর্শ পূরুষের ক্ষেত্রে সমীচীন না। এটা বুঝলে অনেকেই হয়তো উল্টোটাই প্রেফার করতেন। হাজবেন্ড মাঝে মাঝে রান্না করে খাওয়ালে সেটাকে ইহসান ধরে আল্লাহর কাছে দুয়া করতেন যাতে এরকম বেশিদিন না হয়, এটাকে প্রাইড হিসেবে পাবলিকের কাছে ছড়িয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগতেন না। যা হোক, আজকাল অ্যাডভাইস অনেক সস্তা এবং সবাই অ্যাডভাইস দেবার কারণে কেউ নিতেও চায় না, তবুও একটা প্রসঙ্গ আসলে সেই প্রসঙ্গে নসীহাহ দিয়ে শেষ করা উচিত। নসীহাহ থাকবে সীরাত আরো একটু ভালমতো অধ্যয়ন করুন, কোনটা রাসুলের সুন্নাহ সেটার সঠিক ব্যাখ্যা শিখুন, আর আপনার স্বামী-ছেলেদের পুরুষ হতে দিন, পুরুষ।

— মুফতি মাহবুবুর রহমান (হাফি.)

Focused

07 Nov, 06:11


Focused #150

কৃতজ্ঞ প্রকাশের বাক্যই তো "আলহামদুলিল্লাহ"
==============================
সেদিন বুয়া এসে ঘর পরিষ্কার করার সময় বিছানায় কাঁথা দেখে খুব অবাক হয়ে বললো, "আপা, এই গরমে আপনে কাঁথা গায়েত দেন!!"

তারপর নিজেই আবার স্বগতোক্তি করলো, " আপনারার তো এসি আছে, এর লাইগ্যা শীত করে। আমরার বাড়িত টিনের চাল, এমুন গরম পরে.."

তার চেহারায় প্রচণ্ড গরমের বিদ্ধস্ততা প্রকট ভাবে বিদ্যমান।

হঠাৎ করে কেন যেন আমার অসম্ভব লজ্জা বোধ হল, বুয়ার দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারলাম না। প্রয়োজন হলে এসি ছাড়তে পারি, গরমের রাতেও শীতের আমেজ পাই, আল্লাহ এর কত বড় রহমত এটা!!

কোন দিন আই পি এস ফেইল করলে, গরমে যেরকম ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা করে আস্ফালন করি, শীতাতপের শীতল হাওয়াতে কি সেই পরিমান কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি!?

নাকি এই বিলাসীতাকে 'অবশ্য পাওনা" হিসেবে ভেবে নিয়েছি?

এখনো মনে পড়ে, যেদিন ঘরে প্রথম আই পি এস লাগানো হয়েছিল, প্রথম বার কারেন্ট যাবার পরেও আমাদের ঘর আলোকিত রয়ে গিয়েছিল। প্রতিবেশীদের অন্ধকার ঘরের মাঝে, নিজ ঘরের আলোয় আম্মু খুব সংকোচ বোধ করছিলেন। এই নতুন পাওয়া সুবিধায় আনন্দিত হবার বদলে বহুদিন দেখেছি মায়ের লজ্জিত, সংকুচিত মুখাবয়ব।

আশে পাশের সবাইকে ফেলে একা একা আরাম করার সেই লজ্জা থেকে স্বাভাবিক হতে অনেক দিন লেগেছিল।

আমরা প্রতিনিয়ত কত অজস্র নিয়ামতে যে ডুবে থাকি, তার সঠিক হিসাব নিজেরাও দিতে পারবো না। কি পেলাম না সেই ফিরিস্তি যত সহজে দিতে পারি, কত কিছু না চাইতেই পেয়ে গিয়েছি তা নিয়ে কিন্তু তত সহজে ভাবতে চাই না।

আর নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাও হয় না। যেমন কল খুললে পানি আসে। এই আপাতদৃষ্টিতে তুচ্ছ বিষয়টি কি বিশাল আশির্বাদ তা কি জানেন? পৃথিবীর অনেক দেশে পানি যেন সোনার মত মূল্যবান।

বেশ ক'বছর আগে একবার উটের পিঠে চেপে থর মরুভূমিতে যাচ্ছিলাম, আমার উটের মালিক ছিল তের/ চোদ্দ বছরের এক বালক। তার রোদে পোড়া তামাটে চেহারা আজও ভুলি নি।

শুষ্ক রুক্ষ মরুভূমিতে তাদের বসবাস। তাদের মত মরুভূমির আরো অনেক গ্রামের বাসিন্দারাই, প্রতিদিনের ব্যবহার্য পানি নিয়ে আসে কয়েক মাইল দূরের নদী থেকে। সকাল হলেই গ্রামের মেয়েরা মাথার উপর অদ্ভুত উপায়ে একাধিক কলসি নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে পানি আনতে যায়।

সেদিনের পর থেকে অনেক দিন কলের পানি খুললে আমি কিছুক্ষণের জন্যে হলেও মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। এই সহজলভ্য পানি যে এত মূল্যবান তা এর আগে অনুভব করি নি।

শুধু কলের পানি নয়, ফ্রিজ খুললে খাবার পাওয়া যে একটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় তা আপনি কখনোই বুঝবেন না, যদি না কখনো খাবারের কষ্ট করে থাকেন। অথবা খাবারের কষ্টে মানুষ কত ত্যাগ, তিতিক্ষা করতে পারে তা না দেখে থাকেন।

বেশিদূর যেতে হবে না, এরকম মানুষ আশে পাশেই পাবেন। আমার শশুরবাড়িতে নতুন বুয়া রেখেছে কিছুদিন হল। মহিলাটির বার/তের বছরের একটি ছেলে আছে, স্বামী মারা গেছেন। বাচ্চাকে খাওয়াতে পারছেন না দেখে, বুকের ধনকে রেখে এসে অন্যের বাড়িতে কাজ করছেন।

মা তাকে ফেলে চলে এসেছে, এই অভিমানে বাচ্চাটি দিনের পর দিন মায়ের সাথে কথা বলছে না। এই মায়ের সামনে দিয়ে যখন আমি বাচ্চা কোলে নিয়ে বলতে থাকি, "আমার বাচ্চা খায় না", সারাদিন পারলে ইউটিউব ঘেঁটে, রান্না ঘরে গিয়ে বাবুর জন্য এটা সেটা রান্না করি, তখন নিজের আদিখ্যেতায় নিজেই বিরক্ত হই।

এক জন তার কলিজার টুকরার মুখে দুটো ভাত তুলে দেবার জন্য, ঘর বাড়ি ছেড়ে আমাদের ঘর সাজাতে এসেছে... যে খাবার আমার ছেলে হয়তো একবার মুখে তুলে, দ্বিতীয়বার মুখ বাঁকিয়ে ফেলে দেবে, সেই অর্থহীন খাদ্য রান্নার জন্য পেঁয়াজ কুটছে, পুরো ব্যাপারটিই কেমন যেনো হৃদয় বিদারক লাগে।

হায়রে, সন্তানের জন্য খাবার কেনার সামর্থ্যও যে কত বড় প্রাপ্তি, তা কি আমরা জানি?

মাথার ওপর ছাদ, ভালবাসার মানুষের সান্নিধ্য, এমনকি নিজের সংসারের জন্য খাটতে খাটতে হাঁপিয়ে ওঠার জন্যেও আলহামদুলিল্লাহ বলা উচিত।

নিজের সংসারের জন্যই তো পরিশ্রম করতে হচ্ছে। পরের বাড়িতে যেয়ে তো কাজ করতে হচ্ছে না। তাছাড়া কত মেয়ে একটা সংসার, সন্তান পাবার জন্য দিনের পর দিন দুয়া করে যাচ্ছে, তার খবর কি আমরা রাখি!

আমাদের অনেকে এই বুড়ো বয়সেও মা বাবার আদর পাচ্ছি। মাঝে মাঝে তাদের কাছে গিয়ে বিশ্রাম নিতে পারছি। কতজনের তো তাও নেই। কিংবা থাকলেও, তাদের কাছে যাওয়া সম্ভব নয়।

আসলে না পাওয়ার হিসেব করতে গেলে, তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকবে। তার চেয়ে কি কি পেয়েছি, তার হিসেব করলে কেমন হয়? সারাজীবিনেও হিসেব শেষ করতে পারবেন না।

সচেতন বা অবচেতন ভাবে কত নিয়ামতে আমরা আকন্ঠ ডুবে আছি তা আমরা নিজেরাও জানি না।

জীবন নিয়ে কৃতজ্ঞ হলে, লাভ বই ক্ষতি নেই।

দুনিয়ার পেছনে, নিরন্তর চাহিদার পেছনে ছুটতে ছুটতে, জীবনে যা আছে তা উপভোগ করার আগেই ওপারে পাড়ি জমায় অনেকে।

তাই মাঝে মাঝে গন্তব্যহীন ইঁদুর দৌড় থেকে একটু থমকে দাঁড়ালে কেমন হয়?

নাহলে জানবো কি করে, আমার রব আমাকে কত কিছু দিয়েছেন?

আমরা উনার কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করব?

#collected

Focused

06 Nov, 15:15


Focused #149

পুরুষদের জন্য রান্না শেখাও জরুরি!
========================
মুসলিম পুরুষের জন্য রান্না শেখা একাধিক কারণে জরুরি ও উপকারী হতে পারে। এটা নিসন্দেহে একটা ভালো কাজ।

১. স্বনির্ভরতা ও স্বনির্ভর জীবনযাপন:

ইসলামে ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ ও স্বনির্ভরতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পুরুষদেরও স্বনির্ভর হয়ে নিজের কাজ করার ক্ষমতা অর্জন করা উচিত। যদি কোনো কারণে স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যরা রান্না করতে না পারেন, তাহলে পুরুষরাও সেই দায়িত্ব নিতে সক্ষম হবেন।

২. পরিবার ও সঙ্গীর প্রতি দায়িত্ব:

ইসলামে পরিবারকে সুন্দর ও সুখী রাখার জন্য পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও দায়িত্বশীলতা গুরুত্বপূর্ণ। নারীর প্রতি করুণা ও সাহায্যের জন্য পুরুষদের রান্নায় দক্ষতা থাকলে তা সংসারকে আরও সুস্থির করতে পারে।

৩. নবীজির (সা.) আদর্শ:

হাদিসে পাওয়া যায় যে, নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজে বিভিন্ন ঘরোয়া কাজে সাহায্য করতেন, যা মুসলিম পুরুষদের জন্য একটি অনুকরণীয় আদর্শ। তিনি নিজ হাতে নিজের কাজ করতেন, এমনকি কাপড় সেলাই ও নিজের খাবার তৈরি করতেন (সহিহ আল-বুখারি)।

৪. স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রস্তুতি:

রান্না শিখলে নিজের ও পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা যায়। এটি ইসলামের রক্ষণশীল জীবনযাপনের দিকেও নির্দেশ করে, যেখানে সুস্থ জীবনযাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৫. কঠিন পরিস্থিতিতে জীবনযাপন:

কখনো দুর্যোগ বা যেকোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে রান্না করার দক্ষতা একজন পুরুষকে নিজের ও পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার যোগানে সক্ষম করে তোলে।

৬. সম্পর্কের উন্নতি:

ঘরের কাজে অংশগ্রহণ এবং স্ত্রীকে রান্নায় সহায়তা করা, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা ও সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধি করে, যা দাম্পত্য সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।

সুতরাং, রান্না শেখা একজন মুসলিম পুরুষের জন্য শুধুমাত্র পারিবারিক ও সামাজিক কারণে নয়, বরং এটি একটি ধর্মীয় দায়িত্ব ও উত্তম আচরণ হিসেবেও বিবেচিত।

Focused

28 Oct, 07:02


Focused #148

হাঁচি আসলে যেকারণে বলি "আলহামদুলিল্লাহ"
==============================
"হাঁচি" মহান আল্লাহর এক অপার নেয়ামত।
ইসলামে হাঁচি আসলে "আলহামদুলিল্লাহ" বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কারণ হাঁচি শরীরের এক ধরনের বিশুদ্ধতার সংকেত বহন করে।
হাঁচি শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তুকে বের করে দেয়, যার ফলে শরীর অনেকাংশে স্বস্তি অনুভব করে।

একটি হাঁচির গতিবেগ ঘন্টায় প্রায় ১০০ মাইল, সাধারণত এটি এক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। এই প্রক্রিয়ায় এক ধাক্কায় প্রায় ১০০ মাইল প্রতি ঘন্টা গতিতে শ্বাস বের হয়, যা হাঁচির মাধ্যমে নাক ও মুখের মাধ্যমে বেরিয়ে আসা অণুজীব বা ধূলিকণা শরীর থেকে বের করতে সহায়তা করে। এতে শ্বাসযন্ত্র পরিষ্কার হয়, যা শরীরের জন্য উপকারী।

জোরে হাঁচির কারণে আপনার পাঁজর ভেঙ্গে যাওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট।এখানে মূলত যা ঘটে তা হলো আপনার নাক চেপে ধরে এবং হাঁচি দেওয়ার সময় আপনার মুখ বন্ধ করার ফলে সিউডোমেডিয়াস্টিনাম (আপনার ফুসফুসের মধ্যে আটকে থাকা বাতাস), একটি সেরিব্রাল অ্যানিউরিজম (মস্তিষ্কের ফাঁপা রক্তনালী) বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

বৈজ্ঞানিকভাবে বললে বলা যেতে পারে হাঁচি আসলে শরীরের একটি প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া, যার মাধ্যমে শরীর নাসারন্ধ্রের ক্ষতিকর বা অস্বস্তিকর কণাগুলো বের করে দেয়। যখন নাকের ভিতরে ধুলো, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা অন্যান্য ক্ষুদ্র কণা ঢুকে পড়ে, তখন নাসারন্ধ্রের অভ্যন্তরের স্নায়ুগুলো মস্তিষ্ককে সংকেত দেয়। মস্তিষ্ক তখন শ্বাসযন্ত্রকে দ্রুত বাতাস বের করতে নির্দেশ দেয়, যার ফলে হাঁচি হয়।
হাঁচি দেওয়ার সময় হৃৎপিণ্ড সহ সমগ্র মানবদেহের সিস্টেমই কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

আপনি যখনই হাঁচি দেন এবং হাঁচি শেষে স্বাভাবিক হন তখন আপনি মূলত নতুন এক জীবনে ফিরে আসেন। অর্থাৎ আপনি যখন হাঁচি দিচ্ছেন তখন আপনার হৃদপিণ্ড কাজ করা বন্ধ করে দেয় বা আপনার মৃত্যু তখনই হয়ে যাওয়ার অবস্থায় চলে যায় কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ আপনাকে আবার জীবন দান করেন কৃপা করে। এ কারণেই তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরুপ আমরা বলি "আলহামদুলিল্লাহ"। ইসলামে এই শারীরিক স্বস্তির জন্য আল্লাহর প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
হাদিসে এসেছে, মহানবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন,

"যখন তোমাদের মধ্যে কেউ হাঁচি দেয় এবং আলহামদুলিল্লাহ বলে, তখন তার ভাই বা সঙ্গী তাকে 'ইয়ারহামুকাল্লাহ' বলবে।" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬২২৪)।

এখানে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে ইসলামের ধ্যানধারণায় আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীলতা এবং শারীরিক ও আত্মিক কল্যাণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তাই, হাঁচির পর "আলহামদুলিল্লাহ" বলা মানে আল্লাহর দেওয়া শারীরিক স্বস্তি ও নেয়ামতের জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে আলহামদুলিল্লাহ বলার মাধ্যমে এই শারীরিক স্বস্তি ও শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
মহান আল্লাহ সূরা আর রহমানে এজন্য আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন একাধিক বার।

"সুতরাং তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?"
আল্লাহর অগণিত নেয়ামতের মধ্যে আমরা ডুবে আছি সদা সর্বদা। এ কারণে শুধু মুখে নয় মন থেকেই আমাদের বলা উচিত "আলহামদুলিল্লাহ"।

Focused

26 Oct, 08:02


Focused #147

এই আহ্বান উপেক্ষা করবেন কীভাবে?
==========================
আজান মানে আহ্বান। কে আহ্বান করছেন? উত্তর হলো মুয়াজ্জিন মানে যিনি আজান দিচ্ছেন। কাকে আহ্বান করছেন?
- আমাকে, আপনাকে সকলকে।
কাঁর দিকে আহ্বান করছেন?
- একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দিকে আহ্বান করছেন।
কেন আহ্বান করছেন?
- কারণ এতেই আছে প্রকৃত সফলতা। জীবনের উদ্দেশ্য।

আজানের শব্দগুলো চলুন জেনে নিই।

আজানের প্রতিটি শব্দের অর্থ নিম্নরূপ:

1. আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর
"আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান"
অর্থ: আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছুর উপরে।

2. আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
"আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ (উপাস্য) নেই"
অর্থ: একমাত্র আল্লাহই উপাসনার যোগ্য।

3. আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ
"আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল"
অর্থ: মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসুল।

4. হাইয়া আলাস সালাহ
"আসুন সালাতের দিকে"
অর্থ: নামাজের জন্য আহ্বান।

5. হাইয়া আলাল ফালাহ
"আসুন কল্যাণের দিকে"
অর্থ: সফলতা ও কল্যাণের দিকে আহ্বান।

6. আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর
"আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান"
অর্থ: পুনরায় আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষিত।

7. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ (উপাস্য) নেই"
অর্থ: একত্ববাদে পূর্ণ বিশ্বাস।

আজান ইসলামে নামাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আহ্বান, যা মুসলমানদেরকে নামাজে উপস্থিত হওয়ার জন্য উদ্দীপিত করে। তো এতকিছু তো জানলেন, এই আহবান এরপরও উপেক্ষা করা যায় কি?

Focused

22 Oct, 15:51


Focused #146

কথা বলুন স্পষ্ট করে
===============
স্পষ্ট করে কথা বলা একটা আর্ট। সবাই এটা রপ্ত করতে পারে না সহজেই। যিনি বলেন তিনিও দেখবেন এটা হঠাৎ করে এমনিতেই অর্জন করেননি। বার বার চেষ্টা করে, বেশি বেশি পড়াশোনার মাধ্যমে শব্দভাণ্ডার উন্নত হয় যা স্পষ্ট করে কথা বলার অন্যতম একটি উপায়। প্রতিদিনই আমাদেরকে কতশত কথা বলতে হয় তার ইয়ত্তা নেই। কথা বলার ক্ষেত্রে আপনি যদি স্পষ্টভাষী হন তবে সেটা শুনতেও যেমন ভালো লাগে তেমনি শ্রোতারাও আপনার কথা গুলো বুঝতে পারেন খুব সহজেই।
মহা গ্রন্থ আল কুরআন এ এমনই একটা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহ আমাদেরকে শিখিয়েছেন সুন্দর করে কথা বলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দুআ।
স্পষ্টভাবে কথা বলার জন্য এই প্রার্থনা বা দুআ যা মূসা (আ.) আল্লাহর কাছে করেছিলেন। কারণ তার কথা বলার ক্ষেত্রে জড়তা ছিল। দুআ টি কুরআনের সূরা ত্বহা-তে (২০:২৫-২৮) উল্লেখ করা হয়েছে। দুআ টি হলো:

رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي (رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي)
وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي (وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي)
وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي (وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي)
يَفْقَهُوا قَوْلِي (يَفْقَهُوا قَوْلِي)

উচ্চারণ:
"রাব্বি শ্‌রাহ্‌ লি সাদরী, ওয়া ইয়াস্‌সির্‌ লি আম্‌রী, ওয়াহ্‌লুল উক্‌দাতাম্‌ মিল্‌ লিসানী, ইয়াফ্‌কাহূ কাওলী।"

অর্থ:
"হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দিন, আমার কাজ সহজ করে দিন, এবং আমার জিহ্বা থেকে জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।"

কোন কোন সময় করতে পারবেন এই দুআ?=============================
যেকোনো সময়ই করতে পারেন। সেটা হতে পারে
১. আপনি কাউকে কোনো কথা বোঝাতে চাচ্ছেন সুন্দর করে কিছু প্রতিবন্ধকতা কাজ করছে মনে যে পারবেন কি না সেই মুহূর্তে এই দুআ করতে পারেন।
২. কোনো প্রেজেন্টেশন আছে কিন্তু ভয় লাগছে খুব! এমন অবস্থায় করতে পারেন এই দুআ।
৩. চাকরির ইন্টারভিউ এর আগে বুক ধড়ফড় করা একটা স্বাভাবিক বিষয়। এই ধড়ফড়ানি কমিয়ে ফেলুন দুআ টি অনবরত পাঠের মাধ্যমে!
৪. আপনি শিক্ষক, ক্লাস নিবেন, কোনো বিষয় নিজে বোঝেন কিন্তু আপনার স্টুডেন্টরা বুঝতে পারছে না হয়তো বিষয়টার জটিলতার কারণে, এমন অবস্থায় দুআ টি করতে পারেন।
৫. কাউকে কথার মাধ্যমে কনভিন্স করা প্রয়োজন কিন্তু মনে ভয় অথবা পেরেশানি কাজ করছে; এমন অবস্থায় করতে পারেন এই দুআ।
৬. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কুরআন তিলাওয়াতের আগে এই দুআ করে কুরআন পড়তে শুরু করুন, ইনশাআল্লাহ পড়া সহজ হয়ে যাবে।

মূলত এই দুআটি স্পষ্টভাবে কথা বলার জন্য এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে বক্তব্য প্রকাশ করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। তাই নিজে মুখস্ত করুন আর অন্যকেও উৎসাহিত করুন। মহান আল্লাহ আমাদেরকে দুআ টি বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন।
আমিন।

Focused

21 Oct, 09:45


Focused #145

মুসলিম জীবনে প্রয়োজনীয় কিছু হালাল ব্যবসা
==============================
মুসলিম জীবনে হালাল ব্যবসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ইসলামের নিয়ম মেনে জীবিকা নির্বাহের একটি পবিত্র উপায়। কিছু প্রয়োজনীয় হালাল ব্যবসার উদাহরণ হলো:

1. কৃষি ও পশুপালন: খাদ্য উৎপাদন যেমন শস্য, ফলমূল চাষ এবং হালাল পশুপালন (যেমন গরু, ছাগল ইত্যাদি) একটি পবিত্র ও হালাল পেশা।

2. খাদ্য ব্যবসা: হালাল খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুত ও বিক্রয়, যেমন হালাল মাংস, দুধ, মাছ, এবং অন্যান্য খাবার সরবরাহ একটি প্রচলিত ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবসা।

3. কাপড় ও পোশাক ব্যবসা: ইসলামী পোশাক যেমন জুব্বা, বোরকা, স্কার্ফ ইত্যাদি তৈরি ও বিক্রি করা একটি জনপ্রিয় হালাল ব্যবসা।

4. প্রযুক্তি ও ই-কমার্স: তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ই-কমার্স, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট একটি দ্রুত বর্ধনশীল এবং হালাল ক্ষেত্র।

5. পুস্তক ও প্রকাশনা: ইসলামী বই, পুস্তক, পবিত্র কোরআন শরিফ বিক্রি এবং ধর্মীয় শিক্ষা সম্পর্কিত ব্যবসা।

6. সেবা খাত: হালাল সেবা প্রদান যেমন আইনি পরামর্শ, ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং পরামর্শ, হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা, এবং স্বাস্থ্যসেবা।

7. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ইসলামী নীতি ও মূল্যবোধে ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, যেখানে ধর্মীয় এবং সাধারণ শিক্ষা একসাথে প্রদান করা হয়।


এইসব ব্যবসাগুলি শুধু হালাল নয়, বরং মুসলিমদের জন্য আখিরাতেও সওয়াব অর্জনের মাধ্যম হতে পারে, যদি সঠিক নিয়ত এবং পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।

Focused

14 Oct, 00:56


Focused #144

হতে চাই 'মুস্তাজাবুদ দাওয়া'!
====================
মুস্তাজাবুদ দাওয়া (مستجاب الدعوة) অর্থ হলো সেই দোয়া, যা আল্লাহ তাআলা কবুল করেন। ইসলামিক পরিভাষায়, কিছু সময়, পরিস্থিতি বা ব্যক্তিদের জন্য দোয়া বিশেষভাবে আল্লাহর নিকট কবুল হয়।

কিছু সময় ও অবস্থা যেখানে দোয়া মুস্তাজাব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে ইসলামি শিক্ষায় উল্লেখ রয়েছে:

1. তাহাজ্জুদের সময়: রাতের শেষ অংশে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য করা দোয়া।
2. জুমার দিন: বিশেষ করে আসরের পরের সময়ে দোয়া।
3. আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়।
4. রোযাদারের ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত।
5. দীনের জন্য কষ্টের মুহূর্তে দোয়া।

কিছু ব্যক্তি আছেন যাদের দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয় বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে:

1. মা-বাবার দোয়া।
2. মযলুমের দোয়া।
3. নিরীহ মুসাফিরের দোয়া।

মুস্তাজাবুদ দাওয়ার মর্যাদা অর্জনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট আমল ও দিকনির্দেশনা কুরআন ও হাদিস থেকে নেওয়া হয়েছে, যা নিম্নে রেফারেন্সসহ উল্লেখ করা হলো:

১. সৎকাজ ও আল্লাহর আনুগত্যে অটল থাকা:

আল্লাহ তাআলা বলেন:
>> “আর তোমরা যে কল্যাণই কর, আল্লাহ তা জানেন।” (সূরা আল-বাকারা, ২:১৯৭)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দার দোয়া কবুল করেন, যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়ো করে (অর্থাৎ দোয়া কবুলের জন্য অস্থিরতা প্রকাশ না করা)।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৭৩৫)

২. নিয়মিত ইবাদত করা:
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আপনার জন্য ফরজ করা হয়েছে, কোনো রকম অজুহাত ছাড়াই নামাজ আদায় করতে হবে নিয়মিত। এ ছাড়া এশরাকের নামাজ ও তাহাজ্জুদ সালাত আদায়েরও অভ্যাস করতে হবে।

কুরআনে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন:

>> “আর আপনি রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়ুন, এটি আপনার জন্য অতিরিক্ত ইবাদত। আশা করা যায়, আপনার রব আপনাকে প্রশংসিত অবস্থানে অধিষ্ঠিত করবেন।” (সূরা আল-ইসরা, ১৭:৭৯)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব; কে আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করবে, আমি তাকে তা দেব।” (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ১১৪৫)

৩. অহংকার ও রিয়ার থেকে মুক্ত থাকা:

হাদিসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি নিজেকে অন্যদের থেকে উত্তম ভাবে, তার মধ্যে কণামাত্র অহংকার থাকলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৯১)

৪. দু'আর মধ্যে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা:

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তোমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে যে তিনি কবুল করবেনই।” (তিরমিজি, হাদিস নং ৩৪৭৯)

৫. হালাল রিযিক উপার্জন করা:

হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “হালাল রিজিক উপার্জন করা হলো প্রত্যেক মুমিনের জন্য একটি ফরজ কাজ।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১০১৫)

আরও বলা হয়েছে: “হারাম থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা দোয়া কবুলে অন্যতম শর্ত।” (মুসলিম, হাদিস নং ১০১৫)

৬. অন্যদের সাথে ভাল আচরণ করা ও তাদের হক আদায় করা:

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মুসলিম হলো সে ব্যক্তি যার হাত ও জিহ্বা থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ১০)

মায়ের সাথে উত্তম আচরণের মাধ্যমেও মায়ের দোয়া পাওয়া যায়।একদা মু‘আবিয়াহ বিন জাহিমাহ আস-সুলামী রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খেদমতে এসে জিজ্ঞাসা করলেন,

‘হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি যুদ্ধে যেতে চাই। আর এ ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কামনা করছি। উত্তরে তিনি বলেন, তোমার মা জীবিত আছেন কি? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তাঁর খিদমতে লেগে থাক। কেননা জান্নাত তাঁর দু‘পায়ের নিচে
(নাসাঈ, হা/৩১০৪; সনদ হাসান)।

৭. মাযলুম ও মুসাফিরের দোয়া প্রার্থনা করা:

হাদিসে বলা হয়েছে, “মাযলুমের (অত্যাচারিত ব্যক্তির) দোয়া ও মুসাফিরের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।” (তিরমিজি, হাদিস নং ১৯০৫)

এই রেফারেন্সগুলো ইসলামের বিভিন্ন বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে নেওয়া হয়েছে, যা আল্লাহর নৈকট্য লাভে এবং দোয়া কবুলের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

তাই আসুন, আমরা মহান আল্লাহর পছন্দের কাজগুলো বেশি বেশি করার মাধ্যমে 'মুস্তাজাবুদ দাওয়া' এর মতো মর্যাদাবান হওয়ার চেষ্টা করি। নিশ্চয়ই মহান রব আমাদের চেষ্টা করা দেখেন।

Focused

13 Oct, 08:48


Focused #143

জান্নাতে যাওয়ার ২০টি আমল
======================
জান্নাতে যাওয়ার জন্য অসংখ্য কুরআন ও হাদিসের রেফারেন্স পাওয়া যায়।কিছু হাদিস নিচে উল্লেখ করা হলো। প্রতিটি হাদিসের রেফারেন্সসহ দেয়া হলো:

১. শহীদ হওয়ার মর্যাদা
হাদিস: "যারা আল্লাহর পথে মারা যাবে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ বুখারী 2810]


২. নামাজের গুরুত্ব
হাদিস: "যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নির্ভুলভাবে আদায় করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের জন্য প্রতিশ্রুতি দেন।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 635]


৩. জাকাত দেয়ার প্রতি উৎসাহ
হাদিস: "যে ব্যক্তি তার ধনসম্পদের জাকাত আদায় করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 985]


৪. সৎকর্ম করার মর্যাদা
হাদিস: "যে ব্যক্তি একজন মুসলিম ভাইয়ের সাথে ভাল ব্যবহার করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 2564]


৫. রোজার মর্যাদা
হাদিস: "যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 1151]


৬. সদকা ও দানের পুরস্কার
হাদিস: "যে ব্যক্তি একটি খেজুরের পরিমাণ সদকা দেয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 1016]


৭. ভাল কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা
হাদিস: "যে ব্যক্তি ভাল কাজের দিকে মানুষকে উৎসাহিত করবে, সে তাদের সঙ্গী হবে জান্নাতে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 189]


৮. কুরআন পড়া
হাদিস: "কুরআন পড়া জান্নাতের মধ্যে আপনাকে উচ্চ মর্যাদা দেবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ বুখারী 5010]


৯. মরহুমদের জন্য দোয়া করা
হাদিস: "যে ব্যক্তি তার মৃতদের জন্য দোয়া করে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 979]


১০. আল্লাহর জন্য ভালবাসা
হাদিস: "যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ভালোবাসে এবং বিদ্বেষ পোষণ করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 2565]


১১. অন্যদের ক্ষমা করা
হাদিস: "যে ব্যক্তি অন্যের ভুল ক্ষমা করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।"
রেফারেন্স: [সুনান আবু দাউদ 4860]


১২. পিতা-মাতার সেবা
হাদিস: "যে ব্যক্তি পিতা-মাতার প্রতি ভালো আচরণ করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ বুখারী 5971]


১৩. নেক কর্ম করার উদ্দেশ্য
হাদিস: "আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে যারা নেক কাজ করে, তাদের জন্য জান্নাতের সাফরকারী।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 2710]


১৪. দরিদ্রদের সাহায্য
হাদিস: "যে ব্যক্তি দরিদ্রদের সাহায্য করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 1054]


১৫. পরহেজগারি
হাদিস: "যে ব্যক্তি পরহেজগারি অবলম্বন করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 19]


১৬. প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা
হাদিস: "যে ব্যক্তি নিজের প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়ে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সুনান ইবনে মাজাহ 4243]


১৭. সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করা
হাদিস: "যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ বুখারী 6820]


১৮. পরস্পর সহযোগিতা
হাদিস: "যে ব্যক্তি অন্যদের সহযোগিতা করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 217]


১৯. মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখা
হাদিস: "যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সুনান আবু দাউদ 4890]


২০. আল্লাহর পথে চেষ্টা করা
হাদিস: "যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে চেষ্টা করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 125]


এই হাদিস গুলো ছাড়াও অসংখ্য রেফারেন্স আছে জান্নাতে যাওয়ার। আসুন আমরা আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা করি আমাদের জন্য সহজসাধ্য আমলগুলো নিয়মিত করার। মহান আল্লাহ আমাদের প্রচেষ্টা গুলোকে বিবেচনা করে নিয়ে সেই চিরকাল থাকার জায়গা জান্নাতের বাসিন্দা হিসেবে কবুল করে নিন।
আমিন।

Focused

11 Oct, 00:34


Focused #142

মন্দ ভাগ্য বা দুর্ভাগ্য থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দুআ
===============
মন্দ ভাগ্য থেকে বাঁচার জন্য নিম্নলিখিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ দুআ ও আয়াত রয়েছে, যা প্রমাণিত হাদিস ও কুরআন থেকে নেওয়া হয়েছে:

১. মন্দ ভাগ্য থেকে বাঁচার দুআ (সুনান আবু দাউদ)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দুআটি করতে নির্দেশ দিয়েছেন:

اللهم إني أعوذ بك من جهد البلاء، ودرك الشقاء، وسوء القضاء، وشماتة الأعداء.

উচ্চারণ:
"আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাহদিল বালাআ, ওয়া দারকিশ শাকাআ, ওয়া সু’ইল কাদাআ, ওয়া শামাতাতিল আ'দাআ।"

অর্থ:
"হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় চাই কষ্টকর পরীক্ষা থেকে, দুর্ভাগ্য থেকে, খারাপ সিদ্ধান্ত থেকে এবং শত্রুদের উপহাস থেকে।"

রেফারেন্স:

সুনান আবু দাউদ (১৫৪৭)

সহিহ বুখারি (৬৩৪৭)

২. সুরা আল-ফালাক এবং সুরা আন-নাস

কোনও খারাপ ভাগ্য, দুর্ভাগ্য বা কষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই দুইটি সূরা পড়া সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলোকে মুআ'ওয়িজাতাইন বলা হয়।

সুরা আল-ফালাক (১১৩:১-৫):

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ، وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ، وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ.

অর্থ:
"বলুন, আমি আশ্রয় চাই ভোরের পালনকর্তার কাছে, তার সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে, অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা ছেয়ে যায়, এবং গাঁটের মধ্যে ফুঁকারীদের অনিষ্ট থেকে, এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।"

সুরা আন-নাস (১১৪:১-৬):

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ، مَلِكِ النَّاسِ، إِلَٰهِ النَّاسِ، مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ، الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ، مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ.

অর্থ:
"বলুন, আমি আশ্রয় চাই মানুষের পালনকর্তার কাছে, মানুষের অধিপতির কাছে, মানুষের ইলাহর কাছে, কুমন্ত্রণা দানকারী শয়তানের অনিষ্ট থেকে, যে মানুষের বুকে কুমন্ত্রণা দেয়, যারা জিনদের মধ্য থেকে বা মানুষের মধ্য থেকে।"

রেফারেন্স:

কুরআন, সুরা আল-ফালাক (১১৩:১-৫)

কুরআন, সুরা আন-নাস (১১৪:১-৬)

৩. দুআ ইস্তিয়াজা

এই দুআটি রাসূলুল্লাহ (সা.) তার সাহাবীদের শিক্ষা দিয়েছিলেন, যাতে তারা খারাপ ভাগ্য এবং কষ্ট থেকে রক্ষা পান।

اللهم إني أعوذ بك من زوال نعمتك، وتحول عافيتك، وفجاءة نقمتك، وجميع سخطك.

উচ্চারণ:
"আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নিআমাতিকা, ওয়া তাহাওয়ুলি আফিয়াতিকা, ওয়া ফুজাআতি নিখমাতিকা, ওয়া জমী'ই সকাতিকা।"

অর্থ:
"হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় চাই আপনার দেওয়া নিয়ামত হারিয়ে ফেলার থেকে, আপনার দেয়া শান্তি পরিবর্তন থেকে, হঠাৎ করে আপনার গজব আসার থেকে, এবং আপনার সকল অসন্তুষ্টি থেকে।"

রেফারেন্স:

সহিহ মুসলিম (২৭৩৯)

এগুলো নিয়মিত পড়লে এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে চললে, মন্দ ভাগ্য ও দুর্ভাগ্যের থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ইনশাআল্লাহ।