The Muslim POV

ফিলিস্তিনের মির্জা ফখরুল

বিএনপির যারা ইনসাইডার তারা নিশ্চয়ই জানেন এই দুই ব্যক্তির বিরোধ প্রায় ১৭ বছর পুরনো। যার ফলে ২০১১ সালে তদানীন্তন মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর বদৌলতে দলের নিয়ন্ত্রণ প্রথম ব্যক্তির কব্জায় যাওয়ার পর থেকে দ্বিতীয় ব্যক্তির উপর দীর্ঘমেয়াদী রক্তক্ষয়ী আওয়ামী জুলুম চলা সত্ত্বেও জিয়া ফ্যামিলির অনুপস্থিতির (মায়ের অসুস্থতা ও ছেলের নির্বাসন) সুযোগে সাংগঠনিক ভাবে বিএনপি উনার পাশে দাঁড়ানো থেকে বিরত ছিল।

সময়ের পরিক্রমায় আজ নিশ্চয়ই সবাই বোঝেন যে তাদের দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগব্যপী বিরোধ কোন ব্যক্তিগত কারণে ছিল না। ছিল নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে, এদেশের সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দানে একজন লোক ইন্ডিয়াবিরোধী হবে আরেকজন লোক ইন্ডিয়ার দালালি করবে আর তাদের মধ্যে সংঘাত হবে না, এটা অসম্ভব।

আমি এখনও মনে করি বিএনপির সাম্প্রতিক ইন্ডিয়াপন্থী ওভার্চার জিয়া ফ্যামিলির অবস্থানের না বরং মির্জা ফখরুল, আমির খসরু, টুকু, শামা ওবায়েদের মত কিছু সেল-আউট গাদ্দারের টাকা খাওয়ার বা বিছানার ফুটেজের ফলাফল, যারা এলিট নামে পরিচিত এদেশের সবচেয়ে খতরনাক ঐতিহাসিক গাদ্দার শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করছে এবং সিমপ্লি জিয়া ফ্যামিলির গ্রাউন্ড অ্যাবসেন্সের সুযোগে এসব বজ্জাতি চালাচ্ছে।

এই সেল-আউটরা প্রায় প্রত্যেকেই অত্যন্ত নিকৃষ্ট আক্বিদার সেকুলার বিধায় তারা বুঝতে পারছে না গাদ্দারের কপালে আল্লাহ তা'আলার মাইর কোন পলিটিকাল মেথড মেনে নাজিল হয় না। তাদের ইসলাম বৈমুখ্য তাদেরকে হাসিনার পতনের স্পিরিচুয়াল মেথডটা অনুধাবন করতে দেয় না। ফলে তারা বুঝতে পারছে না তাদের কপালে যে মাইরটা আসছে সেটা থেকে বাঁচার জন্য একমাত্র উপায় হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সাতার দেয়া, যেটা ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের সস্তা লিকারে অভ্যস্ত এই কুকুরদের দ্বারা এই বয়সে আর সম্ভব না।

— দাড়ি কি রাখতেই হবে?

— আল্লাহ 'আজ্জা ওয়া জাল যা দিয়ে রেখেছেন তা রাখার কিছু নাই। জাস্ট কাটবেন না।

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ —শুরু কিন্তু "না" দিয়ে। মানে আগে বাকি সব উপাস্য-পদ্ধতি-তন্ত্র বাদ।

কি পরিমাণ লাশ যে এরা লুকায় রাখছে আল্লাহ জানে।
আগেরদিন আমাদের ছয়টা লাশ দেখাইছে। এরপর আজকে আরেকটা বের করছে। এক পরিবার ছয়টা লাশ দেখে ফিরে গেছিল। আমরা চাপ প্রয়োগের পর সাত নাম্বার লাশ বের করছে এবং ওই পরিবার লাশ সনাক্ত করতে পারছে।

এখন ওইটা কত দ্রুত পরিবারের কাছে শতভাগ নিশ্চিত করে দিতে পারি সেটাই হচ্ছে বিষয়।

আর গতকাল রাতে যে পরিবার আসছিল, তারা সকালে এসে লাশ উল্টেপাল্টে দেখছে কিন্তু মিল পায় নাই। রাতে বলছিল মিল আছে।

এরকম কত নিখোঁজ পরিবার আছে
কত লাশ লুকায় রাখছে
জানি না

©️ Hasan Enam

তক্বদিরে লেখা থাকলে দূরের দাবানল থেকে উড়ে আসা আগুনের গুড়া (ember) থেকেও এভাবে আগুন লাগবে। লা 'হাওলা ওয়া লা ক্বুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

হামদা আল-রুয়াঈ কিন্তু ওদের কাছে "সুপারমাম" হয়েছে ১৯ সন্তানের জন্য না, বরং ডিগ্রীর জন্য। দাজ্জালী মিডিয়ার এসব ট্রিক বুঝতে হবে।

আল্লাহ তা'আলা তাকে সঠিক উপলব্ধি দিন।

টিউলিপ সিদ্দিক ইস্যুতে খোদ ইউকে প্রাইম মিনিস্টার কিয়ার স্টার্মারকে পুরা প্যাঁচে ফেলে দেয়া হয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সম্ভবত টিউলিপ রিজাইন দিবে এবং সেক্ষেত্রে তার পলিটিকাল ক্যারিয়ারের আপাতত এখানেই ইতি ইন শা আল্লাহ।

আল্লাহ 'আজ্জা ওয়া জাল এই দলের প্রতিটা অণু-পরমাণুকে পদে পদে পাকড়াও করুন।

— কাফের দুর্যোগরে বলেন গজব আর মুমিনেরটারে বলেন পরীক্ষা, এ কেমন কথা?

— এটাই সঠিক কথা।

A glimpse of how the ongoing Greater Los Angeles fire really is.

প্রকৃতির খেয়াল/লীলা/প্রতিশোধ বলে কিছু নাই।

আল্লাহ তা'আলার ব্যপারে অজ্ঞ বা নাফরমানরা আল্লাহ তা'আলার শক্তিকে আন্ডারমাইন করতে এসব বলে।

"বুদ্ধিমান মু'মিন যখন কুরআন তিলাওয়াত করে তখন কুরআনের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করে, যেন কুরআন একটা আয়না। সেই আয়নায় সে নিজেকে যাচাই করে দেখে যে তার কোন কাজগুলো সুন্দর আর কোনগুলো নিকৃষ্ট।
তার মাওলা কুরআনে তাকে কোন জিনিসগুলো থেকে সতর্ক করেছেন সেগুলো দেখে সে সতর্ক হয়, কোন জিনিসগুলোর শাস্তির ভয় দেখিয়েছেন তা জেনে সে সেগুলো সম্পর্কে ভীত হয়।
সে দেখে যে তার মাওলা কোন জিনিসগুলো পাবার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন, সে সেগুলো পেতে আগ্রহী ও আকাঙ্ক্ষী হয়।
.
যার মাঝে এই বৈশিষ্ট্যগুলো রয়েছে বা এর কাছাকাছি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সে হক আদায় করে কুরআন পাঠ করেছে এবং সঠিকভাবে তাকে হেফাজত করেছে। কুরআন তার জন্য সাক্ষ্য, সঙ্গী ও রক্ষাকবচে পরিণত হবে।
.
যার মাঝে এই বৈশিষ্ট্যগুলো রয়েছে সে নিজেকে এর মাধ্যমে উপকৃত করবে, পরিবারকে করবে। সে নিজের পিতামাতা ও সন্তানসন্ততির জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের সকল কল্যাণ বয়ে আনবে"।
.
~ ইমাম আবু বাকর আল আজুররী [রাহ.]
.
[ আখলাকু আহলিল কুরআন, পৃ: ৮১, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বৈরুত, ২০০৩ ঈ.] p: 944

টিমেথি উইক্‌সের কথা মনে আছে?

অ্যামেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ আফগানিস্তান এর সেই ইংলিশ লেকচারার অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক যাকে ছাত্ররা ২০১৬ সালে কিডন্যাপ করেছিল এবং ২০১৯ সালে আনাস হাক্কানীদের সাথে প্রিজনার সোয়াপের সময় দেখা যায় তিনি রিভার্ট করে পুরোদস্তুর প্র‍্যাকটিসিং মুসলিম হয়ে গেছেন?

আমাদের ভাই সেই জিবরাঈল উমর (রিভার্শানের পরের নাম) দীর্ঘদিন ক্যানসার আক্রান্ত থাকার পর কাবুলে আজ আল্লাহ তা'আলার কাছে ফিরে গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি'ঊন।

আল্লাহ তা'আলা উনাকে ক্ষমা করুন, দয়া করুন ও জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিন।

দুঃখ, ক্রোধ ও দু'আহীন আমাদের একটি মুহুর্তও যেন গাজ্জার মুসলিমদের সাথে তামাশা।

এই হচ্ছে জাবির সেই হারামজাদা ছাত্রদল নেতা নবীনুর রহমান নবীন যে অ্যাসিস্টেন্ট প্রক্টর শামীমা নাসরিন জলির হিজাব-নিক্বাব-মোজা নিয়ে কটূক্তি করেছে। হারামজাদার উইয়ার্ড নামেই তার ফ্যামিলির ইসলাম চিন্তা ও জ্ঞানের প্রতিফলন আছে।

নিউ ইয়ারের নষ্টামি রোধে যারা শক্তি প্রয়োগের বিরোধীতা করে, হাদীসের "হাত দিয়ে থামানো" দিয়ে তারা আসলে কী বুঝে? কাতুকুতু দিয়ে থামানো?

হ্যাপি নিউ ইয়ার

আমরা জানি কেউ নিউ ইয়ার পালন করে মানেই এমন না যে সে মদ খায় বা পার্টি করে।

তবে অনেকেই খায়।

সংখ্যাটা আরেকটু বড় করলে যারা ফানুস উড়ায় তাদের পাওয়া যাবে।

আরেকটু বড় করলে পাওয়া যাবে যারা ফায়ারওয়ার্কস করে।

আরেকটু বাড়ালে পাওয়া যাবে যারা ছাদে বারবিকিউ করে।

আরেকটু বাড়ালে পাওয়া যাবে যারা অন্তত ফ্যামিলির গন্ডিতেই ভালোমন্দ কিনে বা রেঁধে খায়।

আরেকটু বাড়ালে পাওয়া যাবে বারান্দা বা ছাদে দাঁড়িয়ে ফায়ারওয়ার্কস দেখে।

এভাবে বাড়তে বাড়তে যে সংখ্যাটা দাঁড়াবে তাতে প্রায় গোটা সমাজই কভার হয়ে যায়।

অতএব দেখা গেল সবাই হয়তো মদ খাচ্ছে না বা ফানুস বা মুরগী পোড়াচ্ছে না, কিন্তু প্রায় সবাইই ইন প্রিন্সিপল ইনভল্ভড।

মা'আযাল্লাহ।

অথচ মুসলিমদের এমন হওয়ার কথা ছিল না।

কুফফারদের একটি আচার যেটার আদি-উপ-অন্ত গোটাটাই আল্লাহর 'আজ্জা ওয়া জালের, আই রিপীট, আপনি নিজেকে যাঁর বান্দা বলে মুখে দাবী করেন সেই আল্লাহ 'আজ্জা ওয়া জালের অবাধ্যতা দ্বারা বোঝাই, সেটার সাথে ইন প্রিন্সিপ্‌ল কীভাবে একমত হতে পারেন?

মুসলিম হিসেবে তো আপনার এমন হওয়ার কথা ছিল যে আমি কাউকে নিউ ইয়ার উইশ করব না, কেউ উইশ করলে জবাব দিব না, নিউ ইয়ার উপলক্ষে কোন পারসোনাল বা ফ্যামিলি আয়োজন রাখব না, বাইরে ফায়ারওয়ার্কস হলে দেখব না, গান-বাজনা বা যেটা কানে আসুক কানে আঙ্গুল দিয়ে রাখবো।

ধরেন আপনার এক প্রতিবেশি আছে যার সাথে আপনার বাবার দীর্ঘদিনের শত্রূতা। সে আজ রাতে পার্টি করে আপনার বাবার ধ্বংস কামনা করবে, আপনার বাবাকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক গান-বাজনা করবে, আপনার বাবার নাম কাগজে লিখে আগুনে পোড়াবে, ফায়ারওয়ার্কস করবে। আপনি সেই গান শুনবেন? সেই ফায়ারওয়ার্কস করবেন? তার সাথে তাল দিয়ে বারবিকিউ করবেন?

কুফফার আল্লাহ তা'আলার নামে গালাগাল দিয়ে খোলামেলা সেলিব্রেট করে না কারণ অতটা সাহস সব সময়ে হয়না। কিন্তু আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যতার সব এলিমেন্ট দিয়ে সেলিব্রেট করে। আজ রাতেই করবে। আর আপনি কিনা সেটায় তাল দেন, আবার বলেন আপনি মুসলমান।

একটু তো লজ্জা করেন।

প্রতিবন্ধী সন্তান কেউ চেয়ে আনে না। আল্লাহ তা'আলা যখন এমন সন্তান দিয়েছেন তখন এই সন্তানের মধ্যেই মায়ের জন্য কল্যাণ ছিল। হয়তো এই সন্তানের উসিলায় আল্লাহ তা'আলা তার আখিরাতকে সহজ করে দিতেন। এখন বেঁচে থাকুক খুনী হয়ে। সেই সাথে ব্রেইনরট ফেমিনিস্টদের সাপোর্ট তো আছেই যারা চার বছরের বাচ্চার মাকেও "পোস্টপার্টাম স্ট্রেস" বুলশিট দিয়ে চালায় দিচ্ছে।

— বুঝছেন ভাই, আলেমরা বক্তব্য রাখার সময়ে বা প্রশ্নোত্তর দিতে গিয়ে আগে পরে এত এত দোয়া-দরুদ পড়ে যে মূল বক্তব্য আর খুঁজে পাওয়া যায় না, আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারা বক্তব্য শোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।

— সুব'হানাল্লাহ, ভাই। দেখেন আমরা ঈমান-'আমলের বরকত থেকে নিজেদের দূরত্ব কতটা বাড়িয়ে দিয়েছি যে একজন 'আলিমে দীন বক্তব্যের 'আদব স্বরূপ আল্লাহ তা'আলার তাসবি'হ-তা'হমিদ আর রাসূলুল্লাহর ﷺ প্রতি দুরূদ পড়েছেন বলে আমাদের আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছে। লা'নত আমাদের এমন আগ্রহের প্রতি যা রাব্বুল কারীম আর তাঁর পয়গম্বরের উল্লেখ শুনে হারিয়ে যায়।

এই মোজেবছানাগুলার বিচার তো দূরে থাক পরিচয়ও জানা যাচ্ছে না, এতেই স্পষ্ট হয় দেশ এখনও মোজেবছানারাই চালাচ্ছে।

আল্লাহর ﷻ রাস্তার যোদ্ধা যেখানে আইনের ঊর্ধ্বে না সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কোন হরিদাস পাল?

ইবলিসের বিকল্প কে? ইবলিসের কোন বিকল্প নাই, বিপক্ষ আছে। আমার দেশ প্রথম আলোর বিকল্প না বরং বিপক্ষ হোক। আল্লাহ তা'আলা সহায় হোন।

ইসলামকে এখনও একমাত্র সমাধান মানতে পারে নাই কিন্তু ইন্ডিয়াকে চিরশত্রূ মেনেছে, এমন ভাইবোনদেরকে একদম টার্গেট করে দা'ওয়াহ দিতে হবে।

— মিউজিক এত ক্ষতিকর হলে এত সহস্র বছর টিকল কীভাবে?

— ইবলিস আরও বেশিদিন ধরে টিকে আছে।

এতিমরা এত গেরিলা গেরিলা করছে, তাদের গেরিলা লেগেসি কী?

১৯৭১ সালে ওদের গেরিলা যুদ্ধ ২৯ অগাস্ট রাতে শুধু ঢাকাতে আইএসআই এর এক অপারেশানেই কোলাপ্স করেছিল। তাও আবার বাঙ্গালির জাতপ্রসিদ্ধ গাদ্দারির ফলশ্রুতিতে। বাকি সাড়ে চার মাস যা চলেছে সব ছাড়া ছাড়া।

সেই যুদ্ধেরও মূল দুই আর্কিটেক্ট জেনারেল খালেদ আর কর্নেল হায়দার ১৯৭৫ সালে নিজেদের মুক্তিযুদ্ধকালীন ইউনিটেরই দুই তাহেরপন্থী জুনিয়ার অফিসারের হাতে মারা পড়ে। ধরে নিয়ে গ্যারেজে দাঁড় করিয়ে সামারি এক্সেকিউশান।

আর এই মুহুর্তে এতিমরা যেই যুদ্ধটা করছে সেটা গেরিলা গোরিলা বান্দর শিম্পাঞ্জি কোনটাই না। এটা সিম্পলি একটা জনবিচ্ছিন্ন পলাতক দলের কাওয়ার্ডলি যুদ্ধ যেখানে এক-আধ ডজন কাওয়ার্ড মিলে একজনকে টার্গেট করে মারছে। সেই একজনরা কারা? খুবই লো-লেভেল, লো-প্রোফাইল, আনগার্ডেড আন্দোলনকারীরা, আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।

এতিমদের বর্তমান যুদ্ধটার সাথে কারও মিল থাকলে সেটা আছে সেভেন্টিজের আরবান নকশাল মডেলের সাথে। কতগুলা বামপন্থী শুয়োর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহরে নামে আট-দশজন মিলে কখনও বিরাণ রাস্তার একাকী ট্রাফিক কন্সটেবলকে, কখনও সরকারী অফিসের বাড়িফেরতা কেরানীকে, কখনও ফাঁকা স্কুল বিল্ডিংয়ে কোন হেডমাস্টারকে শ্রেণী সংগ্রামের নামে শেষ করত। এতিমদের যুদ্ধটা হচ্ছে ঠিক তেমন।

এবং এদের পরিণতিও নকশালদের মতই হবে। ইন ফ্যাক্ট আরও বেশি নিষ্ঠুর, চিরস্থায়ী, দ্রুত ও জনসম্পৃক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

একটা ব্যপার পুরা শিওর যে, নকশালরা কখনও ত্যাক্ত-বিরক্ত পাবলিকের গণধোলাই খেয়েছে তেমন শোনা না গেলেও এই ডাইনীর এতিমরা অতি শীঘ্রই ভয়াবহ কিছু মব জাস্টিস ফেইস করবে ইন শা আল্লাহ।

তোদের শরীরে অনেক বিষ তো? বিষ মজাবো ইন শা আল্লাহ। আয়।

বিক্রম মিশ্র আসার পরঃ

— আন্দোলনকারী ৩ ছাত্র খুন
— "পিলখানা কমিশন" বাদ
— "মায়ের ডাক" বাদ

যারা তদন্ত কমিশনের প্রস্তাব নাকচ করে, তাদেরকে চাপ দিয়ে নতুন কমিটি করানো যাবে কিন্তু তদন্ত আর হবে না, কারণ তদন্ত চাপ দিয়ে করানোর কম্ম না। অতএব সমন্বয়করা এসব চাপ আর কাবাবের নাটক না করে সরকারের মধ্যে কারা পিলখানা তদন্তের বিরোধী তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করুক।

"যে অন্তরে এমন কিছু আছে যা আল্লাহ অপছন্দ করেন সে অন্তরে নূর প্রবেশ করা নিষিদ্ধ থাকে"।
.
~ ইমাম সাহল বিন আব্দিল্লাহ আত তুসতারী [রাহ.]
.
[ ইমাম ইবনু রাজাব হাম্বলী (রাহ.), লাতাইফুল মাআরিফ, পৃ: ৪৪০, আল মাকতাবুল ইসলামী, বৈরুত, ২০০৭ ঈ.] p: 926

ইউনুস সরকারের নিয়ন্ত্রণ হাতবদল হয়ে ওয়াশিংটন থেকে দিল্লীতে স্থানান্তরিত হওয়ার একের পর এক আলামত দ্রুত প্রকাশ্যে আসছে। ইউএস এম্বেসি ব্যাক্‌ড "মায়ের ডাক"-কে সরকারী দাওয়াতপানি থেকে ডিলিস্টিং করা তেমনই একটি এবং সম্ভবত এখন পর্যন্ত সবচেয়ে স্পষ্ট আলামত।

ইন আদার ওয়ার্ডস, বাংলাদেশের কনট্রোল এখন অফিসিয়ালি প্রো-ইন্ডিয়া রেজিম ২.০ এর হাতে। লা 'হাওলা ওয়া লা ক্বুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

এই মুহুর্তে এদেশের কোন কমিউনিটিকে যদি সবচেয়ে বেশি কৌশলী ও মৌলিকত্বমুখী হতে হয়, তাহলে সেটা হচ্ছে এদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী।

বলাই বাহুল্য আমাদের মৌলিকত্ব হচ্ছে আল্লাহ তা'আলার একত্ববাদ অর্থাৎ তাও'হীদ, আর আমাদের কৌশল হচ্ছে তাঁর রাসূল সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ ও মানহাজ।

পিলখানার পুনঃতদন্ত যারা বন্ধ করল তারা প্রকারান্তরে নিজের কাঁধে পিলখানার দায় তুলে নিল।

অমুক উপদেষ্টাকে ছাত্রীর নিক্বাব খোলার নালিশ দেয়ার আগে খোঁজ নেন উপদেষ্টা নিজে বা তার ফ্যামিলি কি মানে কিনা কাজটা যে খারাপ হয়েছে।

Ki bolli tui?

জীবনে একদিনও ঘাদানিকের সাথে ছিল এমন কোন মুসলিম নামধারী আসলে প্রকাশ্য বিচ্ছেদ ও তওবা ছাড়া পুনরায় বিশ্বাসযোগ্য না।

রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবমাননায় নির্লিপ্ত আছেন মানেই আপনি প্রবাবলি আর মুসলিমের খাতায় নাই।

একটা ক্ল্যারিফিকেশান।

আপনারা হয়তো বিভিন্ন ইসলামী নেতা বা ব্যক্তিত্ব, অনলাইন বা অফলাইনের ইসলামী সেলিব্রিটি ইত্যাদির কাছ থেকে সময়ে সময়ে সুন্দর সুন্দর সব বাণী শুনছেন যে ইসলাম শান্তির ধর্ম, ক্ষমার ধর্ম, দয়ার ধর্ম, অতএব একবার শারী'আহ ক্বায়েম হয়ে গেলে মুসলিমরা তাদের এতদিনের দুঃখ-কষ্ট সব ভুলে যাবে আর ইসলামের বন্ধু-শত্রূরা সব ভাই-ভাই হয়ে যাবে।

এমন কথা শুনেছেন না?

সবার জ্ঞাতার্থে জানিয়ে দেই, এই জমিনে বা যেই জমিনেই আল্লাহ তা'আলার সক্রিয় বান্দারা কুফ্‌র সিস্টেমের মূলোৎপাটন করে ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাআল্লাহ বিইযনিল্লাহ, সেই জমিনে তৎপূর্বে যে সমস্ত লোক আল্লাহ 'আজ্জা ওয়া জাল বা তাঁর রাসূল সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের শানে বেয়াদবি করেছিল, বা ক্বুরআন ও সুন্নাহর কোন বিষয় নিয়ে ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপ করেছিল, বা মুসলিমদের উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে অত্যাচার করেছিল, বা মুসলিমদের উপর অত্যাচারকারীদেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করেছিল,

এসব ক্যাটাগরির একজন লোকও ইনশাআল্লাহ বিইজনিল্লাহ আমাদের প্রতিশোধ থেকে বাদ যাবে না। আমরা ইনশাআল্লাহ বিইজনিল্লাহ তাদেরকে খুঁজে খুঁজে, গুনে গুনে এবং তিলে তিলে তাদের ঐসব কর্মকান্ডের হিসাব নিব।

যখন সেই সময়টা আসবে তখন হয়তো আমরা অনেকে থাকব না (আল্লাহ তা'আলার কাছে দু'আ করি যেন থাকি), আবার যারা ঐসব কর্মকান্ড করছে তারাও অনেকে থাকবে না। কিন্তু আমরা যারাই অবশিষ্ট থাকব, আমরা তাদের যারা অবশিষ্ট থাকবে তাদের থেকে হিসাব নিব। ইনশাআল্লাহ বিইজনিল্লাহ।

শুধুমাত্র তারা আওতামুক্ত থাকবে যারা তৎমধ্যে মরে যাবে বা সংশোধন করে প্রকাশ্যে তওবা করবে।

আশা করি বিষয়টা ক্লিয়ার হয়েছে।

গাজীপুরে সম্ভবত লীগ অথবা/এবং হিন্দুদের কোন গ্রুপ সক্রিয় আছে যারা ইন্ডিয়ার সমালোচকদের উপর টার্গেট অ্যাটাক করছে।

কিছুদিন আগে এক ভাইকে বলেছিলাম এই ছেলেটার ডেস্ট্রাকশানের প্রতি আমাদের বেস্ট কনট্রিবিউশান হচ্ছে তাকে তার চলমান কোর্সে চলতে দেয়া।

কিন্তু এখানে তো সে যা করেছে তাতে মুসলিম হিসেবে আমাদেরও কিছু কর্তব্য ধার্য হয়ে যাচ্ছে।

সাইদনায়াতে শিয়ারা মুসলিম মেয়েদের ধর্ষণের সময়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে ক্বুরআনের অডিও প্লে করত।

দেশের জন্য আমরাও জান দিব ইন শা আল্লাহ, যখন শারী'আহ কায়েম হয়ে যাবে। কিন্তু তখন তো আবার আপনারা বলবেন "নাআআ! এদেশ আমার নাআআ!"

বিএনপির ভিতরে সম্ভবত জামাই সমেত মির্জা ফখরুলের রিসেন্ট ইন্ডিয়া ও ইস্কনপ্রীতির বিরুদ্ধে একটা কড়া রিঅ্যাকশান হয়েছে।

প্রতিবাদ-নিন্দা কখনও নিস্ফল হয় না। উল্টো এসব না করলে এক সময়ে অন্যায় গা সয়ে যায়। যেমনঃ ইন্ডিয়ায় গোরক্ষার নামে মুসলিমনিধন এখন সয়ে গেছে!

মায়ের বদনখানি মলিন হলে নয়ন জলে ভাসা এই গর্ভস্রাবগুলা কোথায় এখন?

ইন্ডিয়ার পতাকা পুড়ানো-পাড়ানো দুঃখজনক। কিন্তু দুঃখ জীবনের অংশ তাই সবার উচিত মানিয়ে নেয়া।

ইন্ডিয়ার হ্যাডম, ইন্ডিয়ার সামরিক শক্তি ইত্যাদি নিয়ে বেশি লাফালে বুঝবেন বান্দা হয় বলিউডে নয়তো দালালিতে নয়তো দু'টোতেই আক্রান্ত।

https://www.facebook.com/share/p/WraTnky7m7G2LS4D/

ইন্ডিয়া থেকে আসা হাতি নিয়ে ২৩টা স্টোরি করা প্রথম আলো ইন্ডিয়ার সৃষ্ট বন্যা নিয়ে অসত্যাচার ও অবহেলা করেছিল কার কার মনে আছে?

আরেক মজার ইনফো— ৫ অগাস্ট বঙ্গভবনে চরমোনাই খুব মার্শাল ল চাচ্ছিল। সেটা ঘটলে আসল ক্ষমতা লীগের জেনারেলদের দ্বারা ইন্ডিয়ার হাতেই থেকে যেত।

শুধু ফাহাম না, যেকোন সেকুলারই ইসলাম প্রশ্নে প্রয়োজনে দিনশেষে ইন্ডিয়ার প্রতিও নরম হবে কিন্তু কখনও হুজুরদের পক্ষে আসবে না।

এতকিছুর মধ্যে একটা মজার ইনফো— ৫ অগাস্ট বঙ্গভবনে চরমোনাই দাবী করে যেন শুধু নিবন্ধিত দল ডাক পায়। মানে জামায়তকে মাইনাসের ধান্দায় ছিল।

যারা ইন্ডিয়াকে ইসলাম বাদে অন্য আদর্শ দিয়ে মোকাবেলা করতে চায়, বুঝে নিবেন তারা প্রয়োজনে ইন্ডিয়ার পক্ষে যাবে তবুও হুজুরদের পক্ষে থাকবে না।

ডেমক্রেসির মৌলিক হিপক্রিসি হচ্ছে— এটা জনমতের দোহাই দিলেও কখনও মানুষ কি ডেমক্রেসি চায় না ভিন্ন কিছু চায় সেই গণভোট করতে রাজি হবে না।

ঠিক ওষুধ না খাওয়া মানে রোগকে সহায়তা করা। তেমনি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ইসলাম বাদে অন্য আদর্শ বা পদ্ধতি গ্রহণ করা মানে ইন্ডিয়াকে সহায়তা করা।

তাও'হীদ ইস্যুতে আবু হাকাম কীভাবে আবু জাহলে পরিণত হয়েছিল, ফাহামের ইডিয়েট ফাহামে রূপান্তর তার প্র‍্যাকটিকাল উদাহরণ।

হিন্দুদের যতই পলিটিকাল পাওয়ার থাকুক, এই মৌলিক কারণে তারা কখনও স্পিরিচুয়ালি স্ট্রং হয়না— ফ্যামিলির মহিলাদের প্রচন্ড অশালীনাচার।

অজি ছাপড়ি এখন ইস্কনের দলে। এরা বেইসিকালি মুসলিম ছাড়া আর সবার দলে। আল্লাহ তা'আলা এই দলবদ্ধতাকে আখিরাত পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করুন।

ইস্কন, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার নিয়ে চলমান জনসচেতনতা নিঃসন্দেহে আল্লাহর ﷻ র'হমত। এটা শুধু ধরে রাখা না বরং বাড়াতে কাজ জারি রাখতে হবে।

কিছু রেপ্লিকা ইন্ডিয়ান রুপি ছাপান। তারপর মির্জা ফখরুলকে যেখানে পাবেন তার দিকে ছুড়ে বলবেন "নাচ ফখরুল নাচ তুঝে রুপিয়া মিলেগা"।

জেনারেল জিয়াও ডাইনীকে ভদ্রতাবশতঃ দেশে ফিরিয়েছিলেন। তারপর উনার হায়াত আর ১৪ দিনও কুলায় নাই।

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে ১৩ জন শনাক্ত হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পরে তাদের মধ্য থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলো– রুমিত দাস, সুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস ও সনু মেথর।

ফুটেজে শনাক্ত অন্যরা হলো– বিকাশ দাস (১), অর্জুন দাস, বিকাশ দাস (২), বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র শুভ কান্তি দাস, সরকারি হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজের কর্মচারী কৃষ্ণ দাস ও বুনজা মেথর। তাদের মধ্যে বিকাশ দাস (১) ও বুনজা মেথরকে হত্যাকাণ্ডের হোতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা। বিকাশ বান্ডেল সেবক কলোনির হরিজন সম্প্রদায়ের সর্দার জগন্নাথ দাসের ছেলে। এ ঘটনায় বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুভ কান্তি দাসকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সিলভার রঙের হেলমেট, কমলা রঙের টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা রামদা হাতে এক যুবক এবং লাল হেলমেট, নীল রঙের টি-শার্ট ও জিন্স পরা বঁটি হাতে আরেক যুবক আইনজীবী আলিফকে কোপাচ্ছে। পুলিশ বলছে, প্রথমজন বিকাশ দাস; দ্বিতীয় ব্যক্তি বুনজা মেথর। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তদন্তের সঙ্গে জড়িত পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, বিকাশ ও বুনজাকে ধারালো অস্ত্র হাতে দেখা গেছে। জগন্নাথের তিন ছেলেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। মহসিন কলেজের কর্মচারী কৃষ্ণও ঘটনাস্থলে ছিল।

তথ্যসূত্র : সমকাল

আমরা যখন থেকে প্রথম আলোরে ঠেঙ্গাই তখন ডাঃ পিনাকী নিজেই প্রথম আলোভক্ত শাহবাগী ছিল।

পূর্ণাঙ্গ ইসলাম থেকে যে যত দূরে, প্রথম আলো ডেইলি স্টার থেকে সে তত নিরাপদ ও নির্লিপ্ত।

ঘটনা যেহেতু এন্ডিয়ার ছিটমহল প্রথম আলো ডেইলি স্টারের অফিসের সামনে ঘটে নাই, অতএব শাওনের জামাইয়ের প্রবলেম নাই।

ডাইনীর বিকল্পে আপোষহীনরা যখন ২টা পত্রিকার বিকল্পে ঠেকে যায়, তখন বোঝা যায় প্রথম আলো ডেইলি স্টারই মূল সিস্টেম। ডাইনীতো ছিল সাইনবোর্ড।

ইন্ডিয়া-বিরোধী অথচ প্রথম আলো-প্রেমী যেন সেই লোক যে চায় না তার মা-কে পরপুরুষ ভোগ করুক আবার সে নিজেই ঐ পুরুষের স্মার্টনেসে মুগ্ধ।

যেসব সমন্বয়ক ডাইনীকে ভয় পায় নাই তারা প্রথম আলো ডেইলী স্টারকে ভয় পেয়ে কী প্রমাণ করল? প্রমাণ করল এতদিনে আসল শত্রূর গায়ে হাত পড়েছে।

স্বাধীনতার ঘোষক মোজেব
৩০ লাখ ডেড
ধর্মনিরপেক্ষতা
ছাত্রজনতার যুদ্ধ
—
১৯৭১-এর চার মিথ্যা

একটা মানুষ কতটা ইভিল হলে শুধুমাত্র ক্রসফায়ার কীভাবে স্টেইজ করে এক কোর্সমেটকে সেটার ডেমো দিতে র‍্যান্ডম একটা ছেলেকে তুলে এনে মেরে ফেলতে পারে?

ঐ না মাকা (Masood Kamal) প্লিজ

আমি কনফিডেন্ট যে খুব থরো রিসার্চ করলে বের হয়ে আসবে যে মোজেবছানারা মানব ইতিহাসের ইতরতম জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম। আমার এই কথায় এক পারসেন্টও সারকাজম বা আবেগ নাই। এটা আমার একটা ফ্যাক্ট-বেইসড সারমাইজ।

কনটেক্সটঃ রিসেন্টলি মোজেবছানারা প্রচার করছে যে মুগ্ধ আর স্নিগ্ধ আসলে একই ব্যক্তি, কেউ আসলে মরে নাই, মুগ্ধই আসলে স্নিগ্ধ আর এটা পুরাটাই মোজেবের দলের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র।

This marks as one the most socio-politically significant Bangladeshi Muslim counter-offensive of recent times. May Allaah Ta'ala preserve and bolster them.

আবু জুওয়াইরিয়াহকে মনে আছে? সেই Mujahid Hadi Ibn Hasan ভাই একটু আগে আল্লাহর ﷻ কাছে ফিরে গেছেন।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন।

একটু পর উনার জানাজাঃ https://maps.app.goo.gl/qBRmf81STsN6x81bA

দেশে থাকলে চামড়ায় এমন কালসিটের জন্য ট্যাটু করতে হত না

— এইযে এত মেয়ে বিয়ে নিয়ে নেগেটিভ সবই কি আশিক জিন কেইস?

— না, প্রচুর রোকেয়া জিনও আছে।

হয় মোজেবের দলকে নিষিদ্ধ করো।

নয়তো নিষিদ্ধ করবে কিনা তার গণভোট করো।

বিএনপির মাতৃহীন প্রো-এন্ডিয়া নেতাদের মায়েরা মরে বেঁচেছেন। আদারওয়াইজ তাদের ছেলেরা ক্ষমতার জন্য তাদেরকেও এন্ডিয়ার কাছে বেচে দিত।

এটা দেখে যেন স্মৃতির এক দীর্ঘ ট্রেইন এসে হাজির হল।

২০০১ সালের অক্টোবার মাস।

১ অক্টোবার ছিল বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন। সম্ভবত সর্বনিম্ন স্ট্যান্ডার্ডেও এখন পর্যন্ত দেশের ইতিহাসের সর্বশেষ গ্রহণযোগ্য ইলেকশান। মোজেবের দল সেদিন গোহারা হেরেছিল।

৭ অক্টোবার অ্যামেরিকা আফগানিস্তানে লোকাল টাইম ভোরে এয়ারস্ট্রাইক শুরু করে। আবিষ্কারের পর এই প্রথম প্রিডেটর ড্রোনের অপারেশনাল ইউজ শুরু হয়। ওরা প্রথম ভোরেই 'উমার সালিস রা'হীমাহুল্লাহকে ডিটেক্ট করে ফেলেছিল, কিন্তু মারতে পারেনি।

১০ অক্টোবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার গঠন করে।

১৯ অক্টোবার আফগানিস্তানে অ্যামেরিকান আর ব্রিটিশদের দৃশ্যমান গ্রাউন্ড অপারেশান শুরু হয়, যদিও ছোটবড় প্রচুর ক্ল্যান্ডেস্টাইন অপারেশান অক্টোবারের প্রথম থেকেই চালু ছিল।

দৃশ্যমান গ্রাউন্ড অপারেশানের পর প্রথম জুমু'আবার ছিল ২৬ অক্টোবার। তখন আমরা বায়তুল মুকাররমে জুমু'আ পড়ি। পূর্ব গেইটের সাথের বড় জায়গাটা (সম্ভবত যেখানে রিসেন্টলি বইমেলা হল) তখন খোলা, অর্থাৎ উপরে শেড নাই। আমরা যেখানে বসেছি তার পাশেই দেখি দেয়ালের সাথে কাঁচা হাতে তৈরি স্টেনগান আর আরপিজির বেশ কিছু রেপ্লিকা, আর কিছু ব্যানার-পতাকা গুছিয়ে রাখা। আমাদের আশেপাশে মুসল্লীদের মধ্যে মাদরাসার একেবারেই ইয়াং কিছু ছেলে। সলাত আদায় শেষ করেই ছেলেগুলো তাদের সরঞ্জাম নিয়ে উঠে চলে গেল।

পরে মাসজিদ থেকে বেরিয়ে দেখি মাইকযুক্ত রিকশা, ব্যানার-ফেস্টুন আর সেসব রেপ্লিকা হাতে কওমি মাদরাসার 'উলামা-ত্বলাবাদের বিশাল ডেমোনস্ট্রেশান চলছে। বিষয়বস্তু— অ্যামেরিকার আফগানিস্তান-হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। তখন খতীব উবায়দুল হক, মুফতি ফজলুল হক আমিনী, শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক, সবাই জীবিত। এক অন্যরকম সময়।

২৭ অক্টোবারে দেশের সব জাতীয় পত্রিকা এমন ছবিতে ছেয়ে গেল। দেশের বাম-অধ্যুষিত ও এন্ডিয়া-নিয়ন্ত্রিত মেইনস্ট্রীম মিডিয়া এসব ছবি ও খবর শত অস্বস্তি আর চাপা আশংকা সত্ত্বেও নিরাবেগ ভাবেই প্রকাশ করল। কারণ দেশে তখন এক প্রবল অ্যান্টি-এন্ডিয়া ও প্রো-ইসলাম ওয়েইভ চলছে।

২০০১ সালের শেষের ঐ কয়েকটা মাস, বিশেষ করে অক্টোবার মাসটা যে বাংলাদেশ তো বাংলাদেশ গোটা দুনিয়ার মুসলিমদের আগামী কয়েক দশকের দিনগুলিকে কীভাবে শেইপ করতে যাচ্ছে আমরা কি ঘুণাক্ষরেও টের পেয়েছিলাম?

*কুকুরটা জ্বালাচ্ছে

লজিক— পিডা!

জামায়ত মহাসচিব— মানুষ হতে চাইলে সহযোগিতা করব।

*মশা বসেছে

লজিক— মার!

জামাত আমীর— মারা পছন্দ করি না। মশা আমাদের জীবপরিবারেরই সদস্য।

বাই দ্য ওয়ে প্রথম আলোর সুধী সমাবেশ ফকির খাওয়ানো কম পলিটিকাল মাস্‌ল ফ্লেক্সিং বেশি ছিল। ওরা দেখালো ওরা ডাকলে পাড়ার সব কুকুর জড়ো হয়।

প্রথম আলোর সুধী সমাবেশের সাথে ফাঁড়া কাটানোর জন্য ফকির খাওয়ানোর তুলনাটি যে ভাই দিয়েছেন, আল্লাহ তা'আলা তার বুদ্ধিতে বারাকাহ দিন।

যেভাবে চাটছে তাতে জিহ্বার সফট টিস্যু ইনজুরি অবধারিত। দেশবাসী বিকাশে চিকিৎসার টাকা পাঠানোর জন্য প্রস্তুত থাকুন।

জানি কথাটা অনেকের হজম হবে না— এই হলটি সব অকুপ্যান্ট সমেত ভস্মীভূত হয়ে গেলে পরদিন আমরা একটি অপেক্ষাকৃত নিরাপদ বাংলাদেশ পেতাম।

শুনেছি শিবিরের নেতাকর্মীদেরকে প্রচুর অ্যাকাডেমিক এক্সারসাইজের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে মূল সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের এসব ছাগলামি মার্কা কথাবার্তার তাউয়ীলের একটা কনটেস্ট আয়োজন করা যেতে পারে।

আশা করা যায় আজকের এই তাউয়ীলে পারদর্শীদের মধ্য থেকেই বের হয়ে আসবে আগামী দিনের বলিষ্ঠ আমীর, নায়েবে আমীর ও সেক্রেটারি জেনারেলরা। সেই সাথে চলমান থাকবে মেধার ইয়ে মারা সারার এই ফল্গুধারা।

আমীরে জামায়ত তাদের প্রতি নম্র হতেই পারে কারণ তারা পরপর কয়েক জেনারেশানের সম্ভাব্য আমীরকে ঝুলিয়েছে বলেই সে আজ আমীর হতে পেরেছে।

▪️ কমপ্লিট হোক আর ইনকমপ্লিট, জুলাইতে হতাহতদের দু'টা বেশ লম্বা-চওড়া লিস্ট ওদের কাছে আছে। একটা গাজীদের, একটা শহীদদের।

▪️ এ ধরণের লিস্ট যখন তৈরি হয়ে যায়, তখন চাইলেই প্রত্যেকটা নামকে সাথে টাইম আর লোকেশান দিয়ে স্ট্যাম্পিং করা সম্ভব (যদি অলরেডি করা না হয়)। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি কখন ও কোথায় আহত বা শহীদ হয়েছে।

▪️ টাইম ও লোকেশান জানা মাত্রই বের করে ফেলা যাবে ঐ সময়ে ঐ জায়গায় পুলিশের কোন ইউনিট ডেপ্লয়েড ছিল, ঐ এলাকা কোন থানার আন্ডারে ও থানার ওসি কে ছিল, কোন ফাঁড়ির আন্ডারে ও ফাঁড়ি-ইনচার্জ কে ছিল, ঐ এলাকা কোন ডিসির আন্ডারে।

▪️ একেকটা ঘটনাস্থলের আশপাশের সরকারী বেসরকারী সব সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া সম্ভব। শহরাঞ্চলে সরকারের প্রচুর সিসিটিভি ক্যামেরা তো থাকেই, আজকাল প্রাইভেট ও কমার্শিয়াল প্রপার্টিতেও সিসিটিভি ক্যামেরার ছড়াছড়ি। জুলাইয়ের ক্রিমিনালরা সেগুলোর ফুটেজ সরানোর সুযোগও পায় নাই কারণ ৫ অগাস্ট হঠাৎ পটবদল হয়েছে। অর্থাৎ ফুটেজগুলো চাইলেই সংগ্রহ করা সম্ভব।

▪️ হতাহতের ফুটেজগুলো পুলিশের স্থানীয় পদস্থদের নিয়ে যাচাই-বাছাই করলে সরাসরি জড়িতদেরকে আইডেন্টিফাই করা সম্ভব। কিংবা পুলিশের পক্ষ থেকে যদি দাবী আসে এবং সেটা যদি ফুটেজ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে দোষী ব্যক্তি লীগের কেউ, সেটাও বের করা সম্ভব।

▪️ লীগের লোক দোষী হওয়ার ক্ষেত্রে হতাহতের লোকেশানগুলো লীগের কোন অঙ্গসংগঠনের কোন ইউনিটের আওতায় ছিল, পুলিশের নাম বের করার একই পদ্ধতিতে সেসব দলীয় ইউনিটেরও দায়িত্নশীলদের পরিচয় বের করা সম্ভব।

🟥 এবার আমাকে বলেন, উপরের প্রসেসটা হাজার হাজার আহত ও শহীদের কয়জনের ক্ষেত্রে চালানো হয়েছে?

🟥 কয়টা স্পেসিফিক মামলা হয়েছে (ঢালাও মামলায় মন্ত্রী-এমপিরা আসামী এমন না)?

🟥 কয়জন পুলিশ বা লীগের লোক সরকারী ভাবে চিহ্নিত হয়েছে?

🟥 এসব তদন্তের ক্ষেত্রে কোন প্রকারের অগ্রগতির কয়টি রিপোর্ট তৈরি বা প্রকাশ হয়েছে?

অতএব, আমরা যে বলি বিপ্লব ছিনতাই হয়েছে এবং সরকার বিশ্বাসঘাতক, অকারণে বলি না।

একটি স্বঘোষিত ইসলামী দলের প্রধান, অথচ বিশ্বাস করে ক্ষমতার জন্য আল্লাহকে ﷻ ছাড় দিয়ে বিদেশি শক্তিকে খুশি করতে হবে।

কী আজব, তাই না?

মিনিস্ট্রিতে মোজেবের ফটো নামানো ফারুকির বাটপারিরই নমুনা— মন্ত্রীর চাকরি বাঁচাতে এতদিনের পূজনীয় দেবতাকে বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে।

শিক্ষার্থী ভাইয়ারা, এখানে বিক্ষোভ না করে আগে খোঁজ নাও এই মোজেবছানাদের সাথে তাদের ল' ডিপার্টমেন্টের ছুটিতে থাকা কলিগ প্রফেসার ড. মোঃ নজরুল ইসলাম (আসিফ) ওরফে আসিফ নজরুলের সম্পর্ক কেমন।

সম্পর্ক ভালো না হলে বিক্ষোভ চালিয়ে যাও, ফল পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আর যদি সম্পর্ক ভালো হয় তাহলে আসলে এসব বিক্ষোভ-টিক্ষোভ করে বিশেষ লাভ হবে না। দেখো না বউকে মোজেবের বিছানায় পাঠানো ফারুকিকেই আমরা কিছু করতে পারছি না।

"জীবন্ত শহীদ" ত্বল'হাহ ইবনু উবাইদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুর উপাধি। উবাইদুল অ্যামেরিকার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য না।

এই আদর্শ মুজিবছানাটি রাতে শেওড়াপাড়া থেকে অ্যারেস্ট হয়েছে

দেশের সামরিক বেসামরিক যেকোন এজেন্সি প্রথম আলো ডেইলি স্টারকে ডিফিউজ/ডেস্ট্রয় করার সক্ষমতা রাখে। অভাব শুধু পলিসি ও লিডারশিপের।

আরব নবী মু'হাম্মাদ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রচারিত ইসলামের সার্বজনীনতা ও বিশ্বময়তাকে যে মানে না, সে না জীবিতাবস্থায় মুসলিম, না মৃতাবস্থায় শহীদ।

প্রথম আলো ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে কওমি উলামা ছাড়া আর কোন মূলধারা দলকে পাশে পাবেন না। তাই কাজ যা করার আমাদেরকেই করতে হবে, মব হিসেবে।

প্রথম আলো ডেইলি স্টার সংশোধনের পাত্র না। এদের একমাত্র সমাধান দখল নয়তো বিলুপ্তি।

প্রথম আলো ডেইলি স্টারের যত এমপ্লয়ি ফেসবুকে আছে সব আইডির লিস্ট করেন। কুকর্ম উম্মোচনের যেকোন পোস্টে সবাই ওদেরকে ট্যাগ/মেনশান করবেন।

প্রথম আলো নির্মূল করো

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

Farhad Mazhar বলেছে লীগ থেকে সেকুলারিজম নেয়া যেতে পারে। সে জানে না মুসলিমরাও তার উপর প্রয়োগের জন্য লীগ থেকে অনেক কিছু নিতে পারে।

— ভাই আপনার দীনে ফেরার গল্পটা বলেন।

— ফেরা আর হল কই।

মুসলিমবঙ্গ রিভাইভাল স্টার্টার প্যাক—

▪️ ইসলামের জ্ঞান
▪️ মুসলিম পরিচয়
▪️ মুসলিম সঙ্গ
▪️ মুসলিম গৌরব ও কুফফারের কৌশলের জ্ঞান
▪️ দা'ওয়াহ।

বংশগত হারামী

যে ধরণের হেভিওয়েট প্যানেল মা শা আল্লাহ, তাতে তো শুধু কুমিল্লা শহর না বরং আশপাশের ভাইদেরও যাওয়া উচিত। বারাকাল্লাহ ফীহিম।

কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে (ঈদগাহের অপজিটে, সার্কিট হাউজ ও প্রেস ক্লাব সংলগ্ন) এই শনিবার ইন শা আল্লাহ। আমার জন্মস্থান এখান থেকে জোরে হাঁক দিলে শোনা যায় এমন দূরত্বে হলেও এই মুহুর্তে যাওয়ার সুযোগ নাই।

কিন্তু যাদের সুযোগ আছে তারা মিস করা সমীচীন হবে না।

লেগেছে রে লেগেছে

কালবেলা সম্পাদক ও র এজেন্ট সন্তোষ শর্মাকে নিয়ে কথা না বলার জন্য Harun Izhar-কে নয়া দিগন্তে ১২ বছর চাকরি করা এক দালালের ফোন

https://youtu.be/38TuLuel6J0?si=aq0pkaIktP7D3yZH

শেখ মুজিবের তিন উপাধি

(শেষ পর্ব)

শেষ পর্বেই মূল বিষয়বস্তু অর্থাৎ শেখ মুজিবের বহুল ব্যবহৃত তিন উপাধি— বঙ্গবন্ধু, জাতির জনক, ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

প্রথমে ক্লিয়ার করে নেই, আমি সেবার আতাউস সামাদের দেয়া অ্যাসাইনমেন্টে শেখ মুজিবের নামের আগে কোন উপাধি ব্যবহার করি নাই এবং কখনওই করি না যতটা না সে ঐ উপাধিগুলোর অযোগ্য হওয়ার জন্য, তার চেয়ে বেশি এজন্য যে আমি সাধারণত ইতিহাস প্রসঙ্গে কিছু লিখতে বা বলতে গেলে কারও নামের আগে রাষ্ট্রীয় ও সামরিক পেশাগত পদবী ছাড়া আর অতিরিক্ত আর কিছু লেখা প্রেফার করি না। উদাহরণ স্বরূপ ১৯৭২-৭৫ সালের প্রসঙ্গ আসলে হয়তো প্রেসিডেন্ট মুজিব বা প্রাইম মিনিস্টার মুজিব লিখব। সেটাও কোন অমোঘ রীতি না, ব্যত্যয় হতে পারে এবং হয়। অতএব, ঐ ঘটনায় আতাউস সামাদ আমাকে উপাধি না লেখার কারণ জিজ্ঞেস করলে আমি উত্তরে এটাই বলতাম। কিন্তু উনি জিজ্ঞেস করেননি।

আর মূলত, ঐ তিন উপাধি শেখ মুজিবের জন্য প্রযোজ্য বা যথাযথ কোনটাই না। কেন না, সেটার আলোচনা কোন দীর্ঘ তত্ত্ব বা ইতিহাস চর্চাও না। সেটার আলোচনা অত্যন্তই সংক্ষিপ্ত ও অবজেক্টিভ।

১. প্রথমে বঙ্গবন্ধু উপাধির কথাই বলি।

শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়া হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে। সেদিন রেসকোর্স মাঠে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক জনসভায় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতা, ডাকসুর তদানীন্তন ভিপি ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকে এই উপাধি দেয়।

তোফায়েল কোন ক্যাপাসিটিতে “জাতির পক্ষ থেকে” ঐ উপাধি দিতে পারে আর জাতিও সেটা ব্যবহারে বাধ্য থাকে সেই যুক্তি ও পদ্ধতিকে আলোচনায় আনার প্রয়োজনই নাই। কেন নাই? কারণ তার ঠিক চার বছর পর ৩রা জানুয়ারী ১৯৭৩ তারিখে পল্টন ময়দানের এক জনসভায় ডাকসু-র তদানীন্তন ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম শেখ মুজিবকে আরও বিস্তর রাজনৈতিক গালাগাল দেয়ার পাশপাশি তাকে দেয়া সেই বঙ্গবন্ধু উপাধিটি ফিরিয়ে নেয়।

অতএব সেই যুক্তি ও পদ্ধতিকে আমলে নিলেও সেদিনের পর থেকে শেখ মুজিব আর বঙ্গবন্ধু না। এটা একটা অযচিত ভাবে প্রদত্ত উপাধি যেটা পরে শেখ মুজিবের ফ্যাশিস্ট চরিত্র উম্মোচনের পর ফিরিয়েও নেয়া হয়েছে। আজও কেউ এই উপাধি ব্যবহার করলে বুঝে নিবেন সে হয় নির্বোধ, নয়তো নির্লজ্জ, নয়তো ফ্যাশিট, এবং সম্ভবত তিনটাই।
—

২. তারপর আছে জাতির জনক।

শেখ মুজিব কোন জাতির জনক? বাঙালি জাতির জনক? কোন হিসেবে? শেখ মুজিব কি বাংলা ভাষা বা সংস্কৃতির প্রবর্তক? বাংলা ভাষার মৌখিক ফর্মের প্রায় বারো-তেরো’শ বছর বয়স আর লিখিত ফর্মের প্রায় নয়’শ বছর বয়স পার হওয়ার পর জন্ম নেয়া একজন ব্যক্তির পক্ষে সেটা কীভাবে সম্ভব?

ও আচ্ছা, যে রাজনৈতিক সংগ্রামের ফলে বাংলাভাষীদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হয়েছে সে সেই সংগ্রামের ফিগারহেড ছিল, সেজন্য সে জাতির জনক? তো সেই রাষ্ট্রের সব নাগরিক কি বাংলা বলে? অধিকাংশই বলে, কিন্তু সবাই তো আর বলে না। দেশে বাংলা ছাড়াও আরও ৩৫-৪০টির মত ভাষার মানুষ আছে। শেখ মুজিব বাঙালি জাতির পিতা হলে ঐ ভাষাভাষী প্রায় ১৫ লাখ লোকের পিতা কে?

তাছাড়া জাতি যদি বাঙালিই ধরা হয় তাহলে বাংলাদেশি নাগরিক ছাড়াও তো প্রায় ৮-১০ কোটি লোক বাংলা বলে যাদের প্রায় সবাইই ইন্ডিয়ান। শেখ মুজিব কি তাদেরও পিতা?

সর্বোপরন্তু, গোটা দুনিয়ায় বাংলাভাষীদের মধ্যে প্রায় ৭০% হচ্ছে মুসলিম, আর মুসলিম জাতির পিতা যে ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালাম সেটা আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক ঘোষিত ও মীমাংসিত একটি বিষয়। এটা যে অস্বীকার করে সে মুসলিমই নয়। তাহলে শেখ মুজিব আবার কীসের জাতির পিতা!
—

৩. সর্বশেষ এবং সবচেয়ে হাস্যকর হচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

গণমাধ্যমের হরেক রকম ফরম্যাট। তার মধ্যে একটা ফরম্যাট হচ্ছে রেডিও। তাও আবার ২০০৪ সাল যখন দেশে রেডিওশ্রোতা একটা খুঁজে বের করার মত বস্তু। তাও আবার দেশ-বিদেশের বহু চ্যানেলের মধ্যে একটি চ্যানেল বিবিসি বাংলা। তাও আবার সেই বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের মধ্যে ২০০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ মার্চ মাত্র ৩৯ দিন ধরে করা জরীপ।

মাত্র ৪ দিনেই ঝপাঝপ সমস্ত যাচাই-বাছাই শেষ করে ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় বিজয়ীদের নামে নাটকীয় ঘোষণা। প্রতিদিন একজন করে মোট ১৮ জনের নাম ঘোষণা করতে করতে নাটকীয়তা যখন তুঙ্গে, তখন ১৪ এপ্রিল শাহবাগ ধর্মের প্রধান দুই দেবতা শেখ মুজিব আর রবীন্দ্রনাথের মধ্যে ফাইনাল কুস্তি আয়োজিত হয়। স্বাভাবিক ভাবেই সিফিলিসে জর্জরিত রবীন্দ্রনাথ তাতে হেরে যায়। জিতে যায় শেখ মুজিব। আওয়ার কান্ট্রি লিডার স্যার, উই আর বেরি প্রাউড স্যার।

সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নামক রাবিশটি নিয়ে আশা করি আর কিছু বলার প্র‍য়োজন নাই।
—

তো, এই হচ্ছে শেখ মুজিবের তিন উপাধির আদ্যোপান্ত।

তিনোটাই ভুয়া।

ব্রাদার আস্কড আ ভেরি গুড কোয়েশ্চেন। কেউ ইসলামী নারীবাদী পাড়ায় দমকল বাহিনী পাঠান প্লিজ।

আজ যারা জামায়তের হিন্দু শাখার পক্ষে যুক্তি দেয়, কাল ওরা মাসজিদের কোণে হিন্দুদের পূজার জায়গা রাখার পক্ষেও যুক্তি দিবে। মা'আযাল্লাহ।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে নিয়ে কথা বলছি আজ ১৮ বছর চলে। ফলে যাই বলতে চাই দেখা যায় আগেই বলা হয়ে গেছে। যেমন গত রেজিমের পতনের ৬ষ্ঠ দিনের এই পোস্ট।

তার মানে কি সব বলা হয়ে গেছে? না। এতদিন শুধু তারা কী কী করে সেসব বলা হয়েছে।

এখন তাদের বিষয়ে আমরা কী কী করণীয় সেটা ঠিক করতে হবে।

লীগ নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে যেই থাকবে জুলাইয়ের শহীদদের কয়েকটা মামলায় তার নাম দিয়ে দিবেন। বাকি জীবন কোর্টের লেজে লেজে ঘুরুক হারামজাদা।

বনানীতে একটা রেস্টুরেন্ট ছিল। টার্কিশ কুইজিন। কিন্তু অর্ডার করতে গিয়ে দেখা গেল মেনুতে কোন বীফ নাই। অবাক হওয়ার মত ব্যপার কারণ টার্কিশ কুইজিনে তো বীফ কমন।

ওয়েইটারকে জিজ্ঞেস করতে জানা গেল রেস্টুরেন্টের বয়স ১২ বছরের বেশি (সাত মাস আগে) এবং তারা কখনওই বীফ সার্ভ করেনি।

সন্দেহ হওয়ায় রেস্টুরেন্ট ম্যানেজারের কাছে রেস্টুরেন্টের মালিকের নাম জানতে চাওয়া হল। উত্তর এল, মালিক নাকি চারজন। সবাই নাকি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, কিন্তু কারও নাম বলল না।

ওয়েইটারকে তার নাম জিজ্ঞেস করা হল। উত্তর এল, তপন। পুরো নাম জানতে চাওয়া হল। উত্তর, মিস্টার তপন!

মূল ওয়েইটারকে তার নাম জানতে চাওয়া হল। উত্তর এল, প্রণব।

ওকে।

একটা ছুতোয় আরেক ওয়েইটারকে ডেকে তার নাম জানতে চাওয়া হল। উত্তর, বাবু। পুরো নাম? উত্তর, শুধু বাবু ডাকলেই চলবে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত পদক্ষেপে সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে পাশের একটা বাড়ির গার্ডের নেইমপ্লেট খেয়াল করে দেখা গেল মুসলিম নাম। চেহারাতেও মুসলিমদের ছাপ। তাকে জিজ্ঞেস করা হল, কী ব্যপার এই রেস্টুরেন্টের কি হিন্দু স্টাফ বেশি নাকি? উত্তর, বেশি কম না স্যার, সবই হিন্দু।

ওকে।

সবই "ঠিক" ছিল।

কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, ৫ অগাস্টের পর থেকে রেস্টুরেন্টটা আর খোলেনি।

তো এই হচ্ছে ঘটনা।

২০১২-১৩ সালের দিকে খুব শোনা গিয়েছিল ঢাকার বিভিন্ন বড়লোক এরিয়ায় রেস্টুরেন্ট ফ্রন্ট বিজনেসের আড়ালে র-য়ের প্রচুর স্লীপার সেল আছে। অনেকটা কোল্ড ওয়ারের সময় সিআইএর "অপারেশান গ্ল্যাডিও"-র মত। আগ্রহীরা Operation Gladio লিখে গুগল করতে পারেন।

বিশেষ রেস্টুরেন্ট বলতে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে শাহবাগ মন্দিরের (শেখের বাড়ি) ঠিক পাশে সান্তুর (Santoor) রেস্টুরেন্টের এই বদনাম ছিল সেই ৯০ এর দশকের শেষে রেস্টুরেন্টের জন্মলগ্ন থেকেই। ৫ অগাস্টে শেখের বাড়ির সাথে সান্তুর-ও পুড়িয়ে দেয়া হয়।

সান্তুর পোড়ানো হয়েছে শুনে খুব আশ্চর্য হয়েছিলাম কারণ র‍্যান্ডম মবের তো জানার কথা না ওটা যে র-য়ের আড্ডাখানা। অতএব থিওরি হচ্ছে হয় সত্যিই মবের ভেতর থেকে কেউ জেনেশুনে কাজটা করেছে, নয়তো অ্যাকসিডেন্টালি পুড়েছে, আর নয়তো র-য়ের লোকজন নিজেরাই এভিডেন্স ডেস্ট্রয় করতে কাজটা করেছে।

এছাড়াও কানে আসছে ঢাকার বড়লোক এলাকার অনেক রেস্টুরেন্ট আর অন্যান্য বিজনেসও নাকি ৫ অগাস্ট থেকে বন্ধ।

বলা বাহুল্য সেগুলার মধ্যে পলাতক লীগারদের বিজনেসের পাশাপাশি র-য়ের কিছু স্পটও আছে। প্লাস দু'টোর মধ্যে তফাতও বেশি না। যেমন সান্তুর-এর মালিকের বাবা ছিল শেখের আমলের লীগ নেতা।

তো এই হচ্ছে অবস্থা।

মুজিব ও রবীন্দ্রনাথের কুকর্মের কথা বলবেন আর দলমত নির্বিশেষে প্রো-ইন্ডিয়ানরা ধরা দিবে না, এটা অসম্ভব। ট্রাই করেই দেখেন।

শারী'আহপন্থীদের বিরুদ্ধে ওদের জ*গী ট্যাগিংয়ের ইতিহাস অন্তত ২০ বছর পুরনো, যখন আজকের ট্যাগদাতারা অনেকেই ডায়পার পরতো বা কিছু পরতো না।

বাংলাদেশে প্রো-ইন্ডিয়ানদের ২টা দেবতা— মুজিব ও রবীন্দ্রনাথ। এদেশ এক কদম আগানোরও শর্ত হচ্ছে এই দু'জনের প্রকৃত দানব রূপকে সামনে আনা।

যে যার কলেজ/ইউনিভার্সিটির রানিং ছাত্রদেরকে ছাত্রলীগের রানিং কমিটির লিস্ট পোস্ট করতে বলেন, কমেন্টে নেতাদের প্রোফাইলের লিংক সহ।

The moment of truth

বই কিনুন, বই পড়ুন, বই হাদিয়া দিন।

আল্লাহ 'আজ্জা ওয়া জাল এই বই মেলাকে অগণিত মুসলিমদের জন্য ইসলামকে জানার ও মানার মাধ্যম বানিয়ে দিন।

নিজেদেরকে "ইসলামী সংগঠন" দাবী করে পুরুষ সদস্যের প্রপার দাড়ি ও নারী সদস্যের প্রপার পর্দা না থাকাকে মেনে নেয়া একটা বড়রকমের প্রতারণা।

Reminder