১. কুরআন স্রেফ আমাদের তিলাওয়াত করা পঠিত কিছু বাক্য নয়। এ হলো হৃদয় ও বিবেক আলোড়ন করা রিসালাত। মানুষের অস্তিত্বকে নাড়া দিয়ে তার সৃষ্টির কেন্দ্রীয়তা ও জিন্দেগির মাকসাদের দিকে তার দৃষ্টি ফেরায়।
২. কুরআনকে সবটুকু দেয়া ছাড়া কুরআন কাউকেই তার সবটুকু দেয় না। যে পাঠক দুনিয়া থেকে তার সমস্ত মনোযোগ ছাড়িয়ে নিজের আত্মাকে কুরআনে নিবিষ্ট করবে সেই কুরআনের সেই অত্যাশ্চর্য মুজিযা দেখতে পাবে যেটা দুনিয়ার চাকচিক্যে মত্ত থাকা ব্যক্তির জন্য অসম্ভব।
৩. আপনি যখন আযাবের আয়াতগুলো পড়বেন তখন সেগুলোকে গাফিলের মত পড়লে এগুলো আপনার কাছে অলীক গল্প কিংবা স্বাভাবিক শাস্তির মতন লাগবে। এগুলো পড়বেন সেই ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে উঠা ব্যক্তির মত যে কি না ভয়ে কুকড়ে যায়।
৪. যে হৃদয় কুরআন ধারণ করে সে হৃদয়ে যে আলো আসে তা তাকে যুলুমের সামনে শান্ত থাকতে দেয় না। পার্থিবতার সামনে ঝুকতে দেয় না।