Message of Hidayah @messageofhidayah313 Channel on Telegram

Message of Hidayah

@messageofhidayah313


আল্লাহ তা'য়ালা যার জন্য হিদায়াত কামনা করেন,
ইসলামের জন্য তার অন্তরকে খুলে দেন। [৬:১২৫]

Message of Hidayah (Bengali)

মোবাইল ফোন দ্বারা বিশ্বের যে কোন স্থানে খুব সহজেই যুক্ত হওয়া যায়। এ অসাধারণ সুযোগ দিয়ে এখন আপনি 'Message of Hidayah' নামের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হতে পারেন। এই চ্যানেল আপনাকে ধর্ম, সাধারণ জীবন এবং ইসলাম সম্পর্কে সঠিক পথ দেখাবে। 'Message of Hidayah' একটি আলোর পথ যা আপনাকে আল্লাহর হিদায়া এবং বিশ্বাসের দিকে নিয়ে যাবে।nn'আল্লাহ তা'যালা যার জন্য হিদায়াত কামনা করেন, ইসলামের জন্য তার অন্তরকে খুলে দেন। [৬:১২৫]' - এই ধরণের জ্ঞানমূলক ম্যাসেজ পাবেন 'Message of Hidayah' চ্যানেলে। আপনি এখানে ইসলামিক মূল্যবোধ, আল-কোরআন, হাদিস, নেতাজির চিন্তা এবং বিশেষভাবে মানবতা সম্পর্কে অনেক জিনিস জানতে পারেন।nnআপনার ইসলামিক জীবনে একটি নতুন আলো দেওয়ার জন্য 'Message of Hidayah' চ্যানেলে যুক্ত হতে পারেন। এই চ্যানেল আপনাকে আপনার মানবিক পথে সহায়তা করতে সহায়ক হবে এবং আপনাকে ইসলামের সঠিক ধারণা নেওয়ার জন্য সোযাজ্যবিধায় নিরাপদ একটি পাহারা হিসেবে কাজ করবে।

Message of Hidayah

22 Nov, 05:14


গোটা বিশ্ব যখন হেরে যায় শীতের কাছে, তখন শীত হেরে যায় একজন ঈমানদারের কাছে।

উমর ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন -
"শীত তো ইবাদাতকারীর জন্য গনিমত"

সুত্র: ইমাম আবু নু'আইম (রাহ.), হিলইয়াতুল আউলিয়া:১/৫১

Message of Hidayah

21 Nov, 16:55


সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়ালা আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়া সাল্লামা তাসলিমান কাসিরা।

Message of Hidayah

20 Nov, 14:14


'হাশরের ময়দানে বান্দাকে যখন উপস্থিত করা হবে এবং তার হাতে তার আমলনামা দেওয়া হবে, সে দেখবে সেখানে তার নামাজ, রোজা কিছুই লেখা নেই। কোনো নেক কাজই আমলনামায় দেখতে পাবে না।
.
সে তখন বলবে, "ইয়া আল্লাহ! এটা তো মনে হয় অন্য কারও আমলনামা! আমার তো ভালো আমল ছিল, এখানে সেগুলোর উল্লেখ নেই।"
.
ফেরেশতারা জবাব দেবে, "তোমার রব ভুল করেন না এবং ভুলেও যান না। বরং তোমার আমলগুলো মুছে দেওয়া হয়েছে এজন্য যে, তুমি মানুষের গীবত করতে।'
.
~ প্রখ্যাত তাবেয়ী সাইদ ইবনু যুবাইর (রহ.)

সূত্র: [বাহরুদ দুমুঈ, ১৩৩]

Message of Hidayah

19 Nov, 02:17


হাসান বাসরি রাহিঃ বলেন, বাড়ি-ঘরে, পথে-ঘাটে, হাটে-বাজারে, বৈঠক-মজলিসে যেখানেই থাকো, বেশি বেশি ইস্তিগফার কর।

কারণ জানা তো নেই, কোন মুহুর্তে ক্ষমার ঘোষণা নেমে আসে!

বইঃ নবীজির পরশে, পৃ:- ১৩৮

Message of Hidayah

17 Nov, 15:43


একজন আলেম দেখলেন তাঁর আশেপাশের অনেক যুবক অবিবাহিত। হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় বিয়ের বয়স পার হওয়া সত্ত্বেও তারা বিয়ে করতে পারছে না।

আমাদের যুগে যেমনটা হচ্ছে। ক্যারিয়ার গড়তে পারছে না বলে যেমন ২৫+ হওয়া সত্ত্বেও বেশিরভাগই অবিবাহিত, সেই যুগে এমন ছিলো।

সেই আলেম একটি উদ্যোগ নিলেন। তাঁর নিজের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা থাকায় তিনি মানুষের কাছ থেকে ঋণ নেয়া শুরু করলেন। সবমিলিয়ে ১ লক্ষ দিরহাম ঋণ নিলেন।

১ লক্ষ দিরহাম আমাদের সময়ের কয়েক কোটি টাকা! তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সেসব যুবকদের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। বিয়ের মোহরানা থেকে শুরু করে তারা যেন স্বাবলম্বী হতে পারে, সেজন্য তাদের হাতে অর্থ তুলে দেন।

এতো টাকা তিনি ঋণ নিলেন, এগুলো পরিশোধ করবেন কীভাবে? তিনি গেলেন বাগদাদের খলিফা কাছে। খলিফা ছিলেন তখন আবু জাফর মনসুর; যিনি দ্বিতীয় আব্বাসী খলিফা।

খলিফাকে জানালেন,
“আমি ঋণগ্রস্ত, আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করুন।”

ঋণের পরিমাণ শুনে খলিফার চক্ষু চড়কগাছ। এতো ঋণ কীভাবে করলেন?

খলিফা জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি এতো দানশীল ও মর্যাদাবান হওয়া সত্ত্বেও এতো ঋণগ্রস্ত হলেন কীভাবে?”

সেই আলেম যুবকদের বিয়ের ঘটনা খুলে বললেন। এমন ভালো একটি কাজে এতো ঋণ করছেন দেখে আব্বাসী খলিফা আল-মনসুর সেই আলেমকে ১ লক্ষ ১০ হাজার দিরহাম গিফট দিলেন। ১ লক্ষ ঋণ পরিশোধের জন্য, ১০ হাজার দিলেন সেই আলেমকে এমন ভালো একটি কাজের উদ্যোগ নেবার জন্য।

সেই আলেম ছিলেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবী যুবাইর ইবনুল আউয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহুর নাতি হিশাম ইবনে উরওয়া রাহিমাহুল্লাহ।

সুত্রঃ [সিয়ারুস সাহাবা: ১৪/২৮২]

Message of Hidayah

17 Nov, 02:00


মু'তা জর্ডানের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। সেখান থেকে মাসজিদুল আকসার দূরত্ব খুব বেশি নয়। মাত্র দুই মনজিল বা ৪ মাইল দূরেই ইসলামের প্রথম কিবলা। মদীনা থেকে মু'তার দূরত্ব প্রায় এগারো শ' কিলোমিটার। তখন আজকের মতো হাই স্পিডের গাড়ি ছিল না। হেঁটে, উটে বা ঘোড়ায় চড়ে যেতে হয়েছিল তাঁদের। সেই মু'তা প্রান্তরেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাসূল ﷺ-য়ের জীবদ্দশায় সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। বিপক্ষে ছিল চৌকস রোমান সেনাবাহিনী। তাদের নিজস্ব সেনা সদস্য ছিল এক লাখ৷ আরবের বিভিন্ন গোত্র থেকে যোগ দেয় আরও এক লাখ মিলিশিয়া। সর্বমোট দুই লাখ প্রশিক্ষিত এবং সশস্ত্র সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মাত্র তিন হাজার সদস্য বিশিষ্ট সেনাদল অপ্রতিরোধ্য লড়াই গড়ে তোলেন। বিশ্বকে দেখিয়ে দেন, মুসলিমরা সেনাসংখ্যা আর অস্ত্রের জোরে যুদ্ধ করে না। মুসলিমরা যুদ্ধ করে গাজী কিংবা শহীদ হওয়ার অদম্য উৎসাহ নিয়ে। দু হাত কেটে ফেললেও পতাকা মাটিতে ফেলে দেয় না। রক্তাক্ত ও কর্তিত হাতের অর্ধাংশ দিয়েই কালেমার পতাকা উঁচিয়ে ধরে।

৬২৯ সালের সেপ্টেম্বরে (৮ হিজরি সনের জমাদিউল 'উলা) আল্লাহর রাসূল ﷺ দূত হত্যাকারী শুরাহবিল বিন আমর গাসসানীকে উচিত শিক্ষা দিতে যুদ্ধদলকে বিদায় জানালেন। বিদায়কালে সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধান আল্লাহর রাসূল ﷺ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন। তারপর আল বিদা বলে বিদায় জানান।

সেনাদল চলতে শুরু করল। হঠাৎ হযরত আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা রাদি. ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলেন। অশ্রু দাড়ি গড়িয়ে বুকে পড়ে পরনের কাপড়ের উপরাংশ ভিজে যায়।

"কী হল, আপনি কাঁদছেন কেন?" সহযাত্রীদের প্রশ্ন।

"তোমরা কি খেয়াল করো নি, আল্লাহর রাসূল ﷺ নসিহত পর্বে একটি আয়াত তেলাওয়াত করেছিলেন?

তিনি তেলাওয়াত করেছিলেন,

وَإِنْ مِنْكُمْ إِلَّا وَارِدُهَا ۚ كَانَ عَلَىٰ رَبِّكَ حَتْمًا مَقْضِيًّا

আর তোমাদের প্রত্যেকেই তার (জাহান্নামের) উপর দিয়েই অতিক্রম করবে, এটা আপনার রবের অনিবার্য সিদ্ধান্ত।( মারইয়াম, আয়াতঃ ৭১)

আমি শুধু ভাবছি, জাহান্নাম অতিক্রম করে জান্নাতে যেতে পারব কিনা৷ যদি না পারি তাহলে তো আমাকে জাহান্নামের ভয়াবহ আগুনে পুড়তে হবে৷ তখন কীভাবে সেই যন্ত্রণা সহ্য করব?

আর সেই ভয়ই আমাকে অঝোরে কাঁদাচ্ছে।"
হযরত আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা রাদিআল্লাহু আনহুর জবাব।

তাঁরা কোথায়, আর আমরা কোথায়?
কী ছিল তাঁদের ফিলোসোফি, কী আমাদের এইম অব লাইফ? তাঁদের মতো ভাবতে, কাজ করতে এবং পরিকল্পনা সাজাতে ব্যর্থ হলে এই দুনিয়ার কুৎসিত চেহারা পাল্টানো কখনোই সম্ভব নয়।

~নজরুল ইসলাম

Message of Hidayah

16 Nov, 02:02


বোন আফিয়া সিদ্দিকী উম্মাহর জন্য বিশাল এক পরিক্ষা💔
রাব্বে কারীম আমাদের অপারগতাকে ক্ষমা করুন। ইনশাআল্লাহ সুম্মা ইনশাআল্লাহ আমাদের বোনের উপর আম্রিকা যে পরিমান নির্যাতন করেছে এর পুরোটা কানায় কানায় শোধ করা হবে।

يَا شَبَابَ الأُمَّةِ! خُذُوا الإِعْدَادَ وَاسْتَعِدُّوا لِلْجِهَادِ.

Message of Hidayah

16 Nov, 01:59


❝সবর❞
মূল: ড. আফিয়া সিদ্দিকী
অনুবাদ: ইবতিহাজ তাহসিন

সহিষ্ণুতা আর সবর এর প্রার্থনা তাঁর কাছে
সবার উপরে মহান রব,যিনি এই হৃদয়ে আছে
আসুক না তবে যতই তীব্র ঝড়
তবুও করবো সবর ও সবর।

দূর মনে হয় সাহায্য; কিন্তু অতীব সন্নিকটে
আল্লাহ ই তো আছেন আমার প্রিয় হয়ে।
এই জোয়ার অতি তীব্র;তবুও ধরো ধৈর্য্য,দমে যেওনা ভয়ে।
করো একটুখানি সবর ও সবর।

সবর ই তো আল্লাহ এর কাছে প্রিয়
আল্লাহ তোমার নিকটেই আছেন,শুনছেন প্রার্থনা!
হয়োনা হতাশ! এই আসমান একদিন পরিষ্কার হয়ে যাবে;
শুধু রাখো একটু সবর ও সবর।

Message of Hidayah

15 Nov, 16:23


আমার পাপ এত বেশি,

"তাওবা করলেও আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন না"

আল্লাহ তা'আলা সম্পর্কে এমন চিন্তা পোষণ করা, ভয়ংকরতম কবিরা গুনাহ।

গুনাহ যত বেশিই হোক, খাস দিলে তাওবা করলে, রব্বে কারীম মাফ করে দেবেন।

~শাইখ আতিক উল্লাহ (হাফি)

Message of Hidayah

15 Nov, 05:06


ঈমান আমলের যা অবস্থা পদে পদে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ডিফেন্সিভ কিছু না কিছু রাখা।
.
যেমন, কবরের জন্য নিয়মিত সূরা মুলকের আমল।
দাজ্জালের প্রভাব থেকে বাঁচতে সূরা কাহাফ।
হাশরের মাঠে আরশের ছায়ায় জায়গা নেওয়ার জন্য হাদীসে বর্ণিত সাত শ্রেণীর অন্তত কোনো একটার অন্তর্ভুক্ত হওয়া।
মিজানের পাল্লা ভারী করতে আল্লাহর প্রিয় শব্দ 'সুবহানাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্ল-হিল আযীম' পড়া।
নবীজি ﷺ-এর সুপারিশ পাওয়ার জন্য খালিসভাবে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' বলা, আজানের দোয়া পড়া, বেশী করে দরূদ পড়া।
.
আবার জান্নাতে গিয়েও সবাই চাইবে নবীজি ﷺ এর কাছাকাছি থাকতে। ভিড় এড়িয়ে নিজের জায়গাটা কাছাকাছি করার আমলও প্রিয়নবীর উপর বেশী দরূদ পড়া।
.
যার দরূদ যত বেশী, সে প্রিয়তমের তত কাছাকাছি।
আল্ল-হুম্মা সল্লি 'আলা মুহাম্মাদ!
সল্লাল্ল-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

~মাহদী ফয়সাল

Message of Hidayah

14 Nov, 15:00


সতর্কবার্তা!!

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যাকে দা’ওয়াত দেয়ার পরও সে তা কবূল করল না, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করল। আর যে ব্যক্তি দা’ওয়াত ছাড়াই উপস্থিত হল, সে চোর হয়ে ঢুকলো এবং লুটেরা হয়ে বের হল।

Message of Hidayah

11 Nov, 14:42


চব্বিশ ঘন্টার জন্য ফেইসবুক সার্ভার ডাউন থকলে আমাদের দম বন্ধ হয়ে আসে অথচ টানা চব্বিশ দিন কুরআন থেকে দূরে থাকলেও মনটা কেঁদে উঠে না, অন্তরটা ব্যথিত হয় না আল্লাহর বিরহে। এই তো জীবন আমাদের!

©Honey Bee

Message of Hidayah

09 Nov, 13:25


যখন আল্লাহ কাউকে ভালবাসেন, তাকে অনেক অর্থ সম্পদ দিয়ে দেন না। তার প্রভাব প্রতিপত্তি ক্ষমতার মধ্যেও কোন প্রবৃদ্ধি ঘটে না। বরং তিনি যদি কাউকে ভালবাসেন তাকে নেক আমলের তাউফিক দেন। যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের তাওফিক হয়, পুরো রমাদান যদি আপনি রোজা রাখতে পারেন, যদি রাত জেগে তার ইবাদত করার সৌভাগ্য হয়, আপনি বিশ্বাস করতে পারেন, সেই মহান রব আপনাকে অনেক ভালবাসেন। তিনি আপনাকে পছন্দ করেন বলেই আপনি তার দিকে দুহাত তুলে চাইতে পারেন, তিনি ভালবাসেন বলেই তার নাম উচ্চারনের সৌভাগ্য আপনার হয়।

এর উল্টো দিকে, যখন আল্লাহ কারো উপর রাগ হন, তিনি কিন্তু তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া বন্ধ করে দেন না। তার খাবার দাবারের যোগানও বন্ধ হয় না। বরং হয়তো সে আগের চেয়ে আরও ভাল থাকার কিংবা খাওয়ার সুযোগ পায়। কেউ তাঁর নাফরমানি করলে, তাকে তিনি সাথে সাথে শাস্তি দেন না। তার পায়ের নিচ থেকে জমিন সরে যায় না, মাথার উপর ছাদও ভেঙ্গে পড়ে না।

কিন্তু আল্লাহ অসন্তুষ্ট হলে, তার অন্তরে মরিচা পড়ে যায়। ইবাদতে তার মন বসে না, নামাজ পড়তে তার আর ভাল লাগে না। দ্বীনের কোন কথা শুনলে বিরক্তি আসে, তিলাওয়াতের সুরের চেয়ে গানের সুরই তার কাছে প্রিয় মনে হয়। তার সাধ জাগে না, গভীর রাতে একাকী সিজদায় যেয়ে কাঁদতে। আফসোস তার হয় না, কেন সে ফজরে আর উঠতে পারে না।

সেই মানুষটি তো ভাবতে থাকে, এসবই তার ইচ্ছাধীন বিষয়। সে নামাজ পড়তে চায় না বলেই,পড়া হয় না। তার তেমন ভাল লাগে না বলেই, অন্যান্য আমলগুলোও সবসময় করা হয় না। কিন্তু প্রকৃত সত্য হল, তারই গুনাহের কারণে, তার থেকে সেই ইবাদতের নিয়ামত ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তারই বদআমলের কারণে, সে আর পায় না আমলের সেই মিষ্টতা......

~Rizwanul Kabir

Message of Hidayah

03 Nov, 13:18


"বউমাপা দাঁড়িপাল্লা"

বিয়ের বয়েস হয়ে গেছে ছেলের মনে ভয়! যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছি সে আমাকে ভালোবাসবে তো? চারপাশে যা দেখছি, তাতে তো বিয়ে করতে এক প্রকার ভয়ই করছে। কথা প্রসঙ্গে বিষয়টা নিয়ে মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে পরামর্শ চাইল। হুযুর সব শুনে বললেন,

-সবার দাম্পত্যজীবনই যে অসুখী হয় এমনটা তো নয়, তুমি ভাল থাকলে তোমার জীবনসঙ্গিনীও ভাল থাকবে তবে তোমাকে আমি একটা মানদণ্ড দিতে পারি।

-কিসের মানদণ্ড?

-যেটা দ্বারা তুমি তোমার স্ত্রীকে মাপতে পারবে।

-কোন বিষয়ে মাপবো?

-সে তোমাকে ভালবাসে কি না।

-জ্বি বলুন তাহলে তো ভালোই হয়। দু'জনের ভুলগুলো ধরা পড়লে শোধরানো সহজ হবে।

-তাহলে শোন। বিয়ের পর খেয়াল করবে; যদি তোমার স্ত্রী চৌদ্দটা কাজ করে, তাহলে ধরে নিবে সে তোমাকে ভালবাসে।

১) যদি তোমার অবর্তমানে সে তোমার কথা আলোচনা করতে, তোমার সম্পর্কে শুনতে আগ্রহবোধ করে, অথবা তোমার মুখ থেকে তোমার জীবনের গল্প শুনতে ভালবাসে এবং তুমি যাদেরকে ভালবাসো, সেও যদি তাদেরকে ভালবাসে, তাহলে তুমি চোখ বুজে ধরে নিতে পারো, তুমি একজন স্বামী সোহাগিনী (উরুবান) স্ত্রী পেয়েছ।

২) তুমি তার মতের বিপরীত কাজ করলে, তার সাথে কোনও বিষয়ে একমত না হলেও, যদি সে রাগ না করে, গাল ফুলিয়ে না থাকে, তাহলে ধরে নিবে তুমি একজন ভাগ্যবান স্বামী।

৩) তোমার হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখে সেও যদি সমব্যথী-সতীর্থ হয়, তাহলে বোঝা যাবে সে একজন স্বামীপরায়ণা স্ত্রী।

৪) যদি দেখো সে নিত্য নতুন বিষয় নিয়ে তোমার সাথে কথা বলে বিষয় খুঁজে না পেলে, বানিয়ে বানিয়ে হলেও ছুতো ধরে তোমার সাথে কথা বলার উপায় খোঁজে, তাহলে সে একজন স্বামী-অন্তপ্রাণ স্ত্রী।

৫) যখনই কোনো নতুন কাজ শুরু করে বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তোমার সাথে পরামর্শ করে তাহলে তুমি নিশ্চিন্ত থাকতে পারো, তুমি একজন পতিব্রতা স্ত্রী পেয়েছ।

৬) যত কমদামিই হোক, তুমি তাকে কোনো উপহার দিলে সে দু'হাতে সে উপহার বড় মনে গ্রহণ করে, পরম উৎফুল্ল হয় তাহলে তুমি শুধু আদর্শ স্ত্রীই পাওনি, একজন বুদ্ধিমতী স্ত্রীও পেয়েছো।

৭) যদি সে সর্বদা তোমাকে ভারমুক্ত রাখতে সচেষ্ট থাকে, আগ বাড়িয়ে তোমার টুকিটাকি কাজগুলো করে দেয়, তাহলে তোমার ইহজীবন টা জান্নাতেই কাটবে চোখ বুজেই এটা মেনে নিতে পারো।

৮) তোমার অনুপস্থিতি যদি তাকে উৎকণ্ঠিত করে রাখে, বারবার ফোন করে, মেসেজ পাঠিয়ে তোমার খোঁজ-খবর করে, তাহলে ধরে নাও, তুমি একজন ফিরিশতাকে পেয়ে গেছ।

৯) তুমি পছন্দ করো এমন কাজ যদি সে আগ বাড়িয়ে করে এবং তুমি পছন্দ করো না, এমন কাজ যদি সযত্নে পরিহার করে চলে, তাহলে তুমি নির্ভার থাক তুমি সুখী একটা জীবন কাটাতে যাচ্ছ।

১০) তোমার স্বভাবের বিশেষ দোষ-ত্রুটি-খুঁত যদি তাকে বিরক্ত না করে, রাগিয়ে না দেয়, তাহলে তুমি সর্বকালের সেরা একজন বন্ধু পেয়ে গেছ।

১১) যদি সে তোমার জন্যে যে কোনও ধরনের কষ্ট স্বীকার করতে এক পায়ে প্রস্তুত থাকে, তাহলে সুখময় একটা জীবনই তোমার সামনে অপেক্ষা করছে।

১২) যদি সে তোমার চিন্তার জগতে আগ্রহভরে অংশগ্রহণ করে, যেসব বিষয়ে তোমার মনোযোগ সেও যদি তাতে আগ্রহী হয়, তোমার শখের বিষয়গুলোর প্রতি সেও যত্নবান হয়, যদি তোমার কল্পনাজগতের সাথেও সে একাত্ম হয়, তাহলে তোমার চেয়ে সুখী ইহজগতে আর কেউ হতে পারে না।

১৩) যদি সে তোমার জন্যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কাজও লাজ-সংকোচ ছাড়া করতে পারে, নির্দ্বিধায় করে ফেলে, তাহলে তোমার উচিত আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা।

১৪) যদি সে তোমাকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে, ইবাদত-বন্দেগীতে, পাপমুক্ত জীবন-যাপনে সহযোগিতা করে, উৎসাহ যোগায়, তাহলে তুমি এমন কিছু পেয়ে গেছো, যা তোমাকে দুনিয়াতেও জান্নাতী সুখের সন্ধান দিবে, আখিরাতেও জান্নাতী জীবন লাভের নিশ্চয়তা দিবে।

বইঃ দুজন দুজনার, পৃষ্ঠাঃ ৪৭-৪৯।
লেখকঃ আতিক উল্লাহ

Message of Hidayah

03 Nov, 03:12


কী আজীব! এই পাগড়ি আমি মক্কায় পড়েছি, মদীনাতেও পড়েছি। অথচ এই পাগড়ির কারণে আজ মদীনায় পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গেল। এটা নাকি ফিলিস্তিনিদের নিদর্শন হিসাবে 'মামনু' - নিষিদ্ধ!

সম্ভবত দুপুর থেকে একজন সিআইডি আমাকে ফলো করেছে। বা'দ আসরের পর আমার তাফসীরের দারস সে রেকোর্ড করেছে। মাগরিবের সালাতের পর যখন রিয়াযুল জান্নায় যিয়ারার জন্য বের হই, সি'আই*ডি আমাকে আটকে দেয়। সে পুলিশ কল করে। মিনিট তিনিকের মধ্যে কয়েকজন পুলিশ এসে হাজির।

পুলিশ ভিসা দেখার নাম করে আমার মোবাইল নিয়ে নেয়। ওদের সাথে পুলিশ স্টেশনে যাই। আমাকে বসিয়ে রাখে। প্রথমে ওয়াশরুমেও যেতে দেয় না। আমাকে জিজ্ঞেস করে ফিলিস্তিনে কোথায় থাকি? আমি বারবার বলি, বাংলাদেশ থেকে এসেছি, সেখানেই থাকি। ভিসা যেন ওরা কোই কোই পাঠাল। অবশেষে নিশ্চিত হল যে, আমি বাংলাদেশী, সেখানেই থাকি।

আমাকে যখন ওয়াশরুমেও যেতে দিল না, তখন আমি তিলাওয়াত শুরু করি। তার আগে দুআ পড়ছিলাম। আমার কী হবে, তা নিয়ে ভাবছিলাম না। শুধু একটাই চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল, আমাকে যদি ওরা এ দেশে নিষিদ্ধ করে দেয়! তবে নবিজির (ﷺ) রওজায় আর আসা হবে না! কাবায় আল্লাহর সামনে আর হাজরা দেওয়া হবে না। তিলাওয়াত করতে করতে আমি ঘুমিয়ে পড়ি।

অবশেষে একটা নোট লেখেন একজন পুলিশ অফিসার। সেই নোট দিয়ে একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করেন আমাকে। সেই কর্মকর্তা কাউন্সেলিং করে আমাকে হাসিমুখে বিদায় জানান। আমি শুধু এতটুকু নিশ্চিত হই, হারামাইনে আসতে আমার জন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না! আলহামদুলিল্লাহ।

~ হাফিজ আল মুনাদি

Message of Hidayah

01 Nov, 16:56


“যদি কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে রাতের বেলা জাগিয়ে তোলে এবং তারা একসাথে নামাজ পড়ে, তাহলে তাদেরকে এমন মানুষদের তালিকায় রাখা হয়, যারা আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে।”