খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী @quranerjyti Channel on Telegram

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

@quranerjyti


হযরতজি মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী হাফিজাহুল্লাহ

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী (Bengali)

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী টেলিগ্রাম চ্যানেলটি একটি ধর্মীয় চ্যানেল, যেখানে আপনি শায়খ উমায়ের কোব্বাদী হুজুরের খুতুবা শুনতে পারবেন। এই চ্যানেলটি ইসলামিক শিক্ষা, ধর্মীয় প্রসঙ্গ, ও লাইভ সম্প্রদায়ের মাধ্যমে মানুষকে ধর্মীয় আলোকে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে প্রতিদিন নতুন খুতুবা পরিবেশিত করে। আপনি যদি ইসলামের মৌলিক তত্ত্বাবলম্বী হতে আগ্রহী হন এবং মনোযোগ দিতে চান, তাহলে খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী চ্যানেলটি আপনার জন্য একটি অবশ্যই মাধ্যম হতে পারে। এখানে আপনি শায়খ উমায়ের কোব্বাদী হুজুরের সমস্ত বক্তব্য শুনতে পাবেন এবং আপনার ধর্মীয় জীবনকে আরও উন্নত করতে পারবেন। আপনি যদি ধর্ম, শান্তি, ও আল্লাহর দিকে অনুগামী হন, তাহলে খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী চ্যানেলটি আপনার জন্য একটি বাধ্যতামূলক মাধ্যম হতে পারে। ধরণের এই ধর্মীয় চ্যানেলগুলি আপনার মানসিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতার ক্ষেত্রে অপার্থিভূত ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই, খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী চ্যানেলটি আপনার ধারণাগুলি প্রস্তুত করুন এবং আপনার ধর্মীয় জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করতে আরম্ভ করুন!

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

11 Feb, 12:26


একসময় মুসলিম চিকিৎসকগণ তাদের ব্যবস্থাপত্রের শুরুতে লিখতেন— বিসমিল্লাহ বা هو الشافي (তিনি-ই আরোগ্যদানকারী)। এটি শুধু একটি প্রথা ছিল না, বরং আল্লাহর ওপর নির্ভরতার সৌন্দর্যময় প্রকাশ। সে সময় মুসলমানদের প্রতিটি কাজে ঈমানের প্রতিচ্ছবি ছিল স্পষ্ট, চিকিৎসাশাস্ত্রও তার ব্যতিক্রম ছিল না।
.
যখন একজন চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনের শুরুতে বিসমিল্লাহ বা هو الشافي লিখতেন, তিনি যেন ঘোষণা করতেন— সুস্থতা আসলে ওষুধ বা চিকিৎসকের হাতে নয়; একমাত্র আল্লাহই আরোগ্যদাতা। চিকিৎসক কেবল মাধ্যম, কিন্তু চূড়ান্ত ফল নির্ধারণ করেন মহান রব।
.
এই চিন্তাধারা আসলে ইবাদতের অংশ। চিকিৎসকের জন্য এটি কেবল একটি লেখা নয়, বরং তাঁর নিয়ত ও ঈমানের বহিঃপ্রকাশ।
.
কিন্তু আজ পশ্চিমা প্রভাব ও বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের জীবন থেকে ধীরে ধীরে ইসলামের প্রতীকগুলো মুছে দিচ্ছে। যে সংস্কৃতি একসময় আল্লাহর ওপর ভরসাকে প্রাধান্য দিত, এখন সেটিই অনুপস্থিত।
.
আজ কোনো মুসলিম চিকিৎসক هو الشافي বা বিসমিল্লাহ লেখেন না, বরং সরাসরি ওষুধের নাম লেখা শুরু করেন। অথচ কেউ তাদের এভাবে লেখার জন্য বাধা দিচ্ছে না, কেউ তাদের সেকেলে বলছে না।
.
তাহলে কেন আমরা এই সুন্দর অভ্যাসটি ভুলে গেলাম? কেন আমাদের ঈমানের প্রকাশ আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে?
.
সুতরাং, ডাক্তার হোন— এতে কোনো বাধা নেই। তবে মুসলিম ডাক্তার হোন। আপনার ঈমানকে প্রস্ফুটিত করুন, আপনার বিশ্বাসের স্বাক্ষর রাখুন আপনার ব্যবস্থাপত্রেও। শুরু করুন বিসমিল্লাহ বা هو الشافي লিখে— আল্লাহর ওপর নির্ভরতা প্রকাশ করে। চিকিৎসক হিসেবে আপনার জ্ঞান ও দক্ষতার সাথে সাথে, আপনার ঈমানের পরিচয়ও থাকুক।
#খুতুবাত

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

10 Feb, 01:31


বাইতুল মুকাদ্দাস বিজেতা সালাহুদ্দীন আইয়ুবী রহ.-এর নাম নিশ্চয় আপনারা শুনেছেন। তাঁর ব্যাপারে প্রসিদ্ধ ছিল, তিনি জিহাদের ময়দানের জয়-পরাজয়ের ফয়সালা রাতে জায়নামাযে বসে করে নিতেন।
.
বাইতুল মুকাদ্দাস যে দিন জয় লাভ করেন, এর আগের রাতে তিনি সারা রাত ইবাদত করলেন। সকাল বেলা ফজর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়েছেন। পথিমধ্যে ওই যুগের একজন প্রসিদ্ধ বুজুর্গের সঙ্গে দেখা।
.
তিনি স্বভাববশতঃ তাঁর কাছে দোয়া চাইলেন, যেন বাইতুল মুকাদ্দাস জয় লাভ করতে পারেন।
.
বুজুর্গ মুসকি হেঁসে উত্তর দিলেন, সালাহুদ্দীন! আমার কাছে দোয়া চাওয়ার প্রয়োজন নেই। তুমি তো গতকাল রাতেই আল্লাহর কাছ থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস নিয়ে নিয়েছ।
.
এজন্য আল্লাহর শপথ করে বলছি, যদি আল্লাহর কিছু বান্দা-বান্দি এই মহান ইবাদতের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি, তাহলে দেশের চেহারাই পাল্টে যাবে।
.
আল্লাহ আমাদেরকে তাহাজ্জুদের পাবন্দ বানিয়ে দিন- আমীন।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

06 Feb, 16:50


বিশ্ব ভালোবাসা দিবস: ব্যভিচার দিবস

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

05 Feb, 15:36


বয়ফ্রেন্ড আর গার্লফ্রেন্ড নামক কোনো আত্মীয় কোরআন-হাদিসে নেই।
.
কেননা, কোরআন ও হাদিসের দৃষ্টিকোণে প্রকৃত পক্ষে এরা ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিনী।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

04 Feb, 13:25


ঘুম নাকি জেগে থাকা—কোনটি ধ্বংসের কারণ?
__
সলফে সালেহীনের যুগে এক ব্যক্তি বাজারে হাঁটতে হাঁটতে ঘোষণা করছিল—
"أَهْلَكَكُمْ النَّوْمُ"
"হে মানুষ! ঘুম তোমাদের ধ্বংস করেছে!"

তার অর্থ ছিল—যারা ইবাদতের জন্য জাগে না, তারা ক্ষতিগ্রস্ত।
.
এক আল্লাহওয়ালা শুনে বললেন, "না, বরং সত্য হলো—"

"بَلْ أَهْلَكَتْكُمْ الْيَقِظَةُ"
"জাগ্রত থাকাটাই তোমাদের ধ্বংস করেছে!"
.
লোকজন বিস্মিত হলে তিনি ব্যাখ্যা করলেন

"ঘুম তো বিশ্রাম ও পাপ থেকে বাঁচায়, বরং মানুষ জেগে থেকেই গুনাহ করে, দুনিয়ার ফিতনায় পড়ে। তাই প্রকৃত ধ্বংসের কারণ অহেতুক জাগ্রতা।"

তিনি আরও বললেন
"خَفْ اللَّهَ بِالنَّهَارِ وَنَمْ بِاللَّيْلِ"
"দিনে আল্লাহকে ভয় করো, আর রাতে ঘুমাও।"

অর্থাৎ, দিনের বেলা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকো, আর রাতে প্রশান্তির ঘুম নাও, যেন পরবর্তী দিন ভালোভাবে ইবাদত ও সৎকর্ম করতে পারো।

লোকটি নিজের ভুল বুঝতে পেরে বললো, "আপনার কথাই সত্য। আজ থেকে আমি এটাই প্রচার করবো।"
[আদাবুদদুনয়া ওয়াদদীন ১/৯৮)]

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

03 Feb, 12:45


যখন লোকেরা গোসলের জন্য আপনার মরদেহটি খাটিয়ায় রাখবে, তখন আপনি নিশ্চল নিশ্চুপ ও নিথর মৃতদেহ বৈ কিছু নয়। আপনি নড়তেও পারবেন না, তারা আপনাকে নাড়াবে। তখন আপনার গুনাহগুলো আপনার কোনো উপকারে আসবে কি!?
.
সুবহানাল্লাহ! তখন কোথায় থাকবে আপনার শক্তি!? আপনার যৌবন!? আপনার অহমিকা!? আপনার বন্ধুরাই বা তখন কোথায় থাকবে!? সে দিন যে নেক আমলগুলো আপনি করেছিলেন, সেগুলো ছাড়া আর কিছুই উপকারে আসবে কি!?
.
ওমর বিন আব্দুল আযীয জনৈক আলেমকে বলেন, আপনি আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন, আপনিই প্রথম খলীফা নন, যিনি মৃত্যুবরণ করবেন।

খলীফা বললেন, আরও উপদেশ দিন।

তিনি বললেন, আদম পর্যন্ত আপনার বাপ-দাদাদের এমন কেউ ছিলেন না যিনি মৃত্যুবরণ করে নি। এবার আপনার পালা।

একথা শুনে খলীফা কেঁদে ফেলেন।

তিনি প্রতি রাতে আলেম-ওলামাদের নিয়ে বৈঠক করতেন। যেখানে মৃত্যু, কেয়ামত ও আখেরাত নিয়ে আলোচনা হত। তখন তারা এমনভাবে ক্রন্দন করতেন, যেন তাদের সামনেই জানাযা উপস্থিত হয়েছে। [ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন ৭/১৩৯]
#খুতুবাত

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

02 Feb, 13:10


যে সুন্নাহ পালনে নবীজির সঙ্গে জান্নাতে থাকা যাবে
..
একসঙ্গে থাকতে গেলে টুকটাক মনোমালিন্য হবেই। মা-মেয়ের মধ্যেও হয়। তবে আগের দিনের ঝগড়ার জের পরের দিন পর্যন্ত টেনে আনা উচিত নয়।
.
যা হয়েছে, তা ভুলে যান। রাতে ঘুমানোর আগেই একে অপরকে মাফ করে দিন। নতুন একটা সকাল, নতুনভাবে শুরু করুন। একে অপরকে ক্ষমা করে দেয়ার মাধ্যমে ঝগড়ার ইতি টানুন।
.
দেখুন, এটি এমন একটি সুন্নাহ যে, এর কারণে নবীজির সঙ্গে জান্নাতে থাকা যায়। আনাস রাযি. বলেন, নবীজী ﷺ একদিন আমাকে বলেছেন

হে বৎস! যদি তুমি পার, সকালে ও সন্ধ্যায় তোমার অন্তরে কারো প্রতি বিদ্বেষ থাকবে না তবে তা-ই কর। তারপর তিনি বললেন, হে বৎস, এ হল আমার সুন্নাহ। যে ব্যক্তি আমার সুন্নাহ জীবনে বাস্তবায়ন করল সে আমাকে ভালোবাসলো। আর যে আমাকে ভালোবাসলো সে জান্নাতে আমার সঙ্গে থাকবে। [তিরমিযী : ২৬৭৮]
.
আমাদের পরিবারগুলোতে এই সুন্নাহর চর্চা নেই। বরং দেখা যায়, সকাল হলেই নতুন উদ্যমে শুরু হয় আগের দিনের ঝগড়ার পুনরাবৃত্তি।
.
অথচ শাশুড়ি যদি চিন্তা করে, আমি নবীজির সঙ্গে জান্নাতে থাকার জন্য বৌমাকে মাফ করে দিলাম। অনুরূপভাবে বৌমা যদি চিন্তা করে, আমি নবীজির সঙ্গে জান্নাতে থাকার জন্য শাশুড়ি আমার সঙ্গে অন্যায় করলেও তাকে মাফ করে দিলাম তাহলে ঝগড়া স্থায়ী হয় না।
.
সুন্নাহটির চর্চা একটু কঠিন বৈকি! তবে শান্তিময় পরিবার পেতে হলে এটির চর্চা কেবল বউ-শাশুড়ি নয়; বরং পরিবারের সকলেরই মাঝে থাকা চাই।
#খুতুবাত

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

01 Feb, 12:26


সন্তানের হারাম রিলেশনের কথা জানার পরেও যদি বাবা বাঁধা না দেয়, বোনের প্রেমের কথা জানার পরেও যদি ভাই বাঁধা না দেয়, স্ত্রীকে পরপুরুষের প্রতি মুগ্ধ দেখেও যদি স্বামী জ্বলে না ওঠে, তাহলে এরা দাইয়ুস।
.
দাইয়ুসের আভিধানিক অর্থ ব্যভিচারের দূত। হাদিস আছে, ওই ব্যক্তিকে দাইয়ুস বলা হয় যে, তার পরিবারের অশ্লীলতাকে মেনে নেয়।‌ [মুসনাদে আহমাদ ৫৩৭২]
.
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দাইয়ুস জান্নাতে যাবে না। [নাসাঈ ২৫৬২]
#খুতুবাত

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

31 Jan, 13:46


নেক আমল করলে আল্লাহ তাআলা সুন্দর জীবন দান করবেন
.
জুমার আলোচনা

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

30 Jan, 12:52


অন্তরের আরোগ্য
.
ইবরাহীম আল-খাওয়াস রহ. এবং ইয়াহইয়া ইবনে মু‘আয রহ. বলেন

পাঁচটি জিনিসে অন্তরের আরোগ্য রয়েছে
১. চিন্তা—গবেষণা করে কুরআন তেলাওয়াত।
২. পেট খালি রেখে খাদ্য গ্রহণ।
৩. কিয়ামুল লাইল তথা তাহাজ্জুদ।
৪. শেষ রাতের কাকুতি—মিনতি করে দোয়া এবং
৫. নেককার মানুষের সাহচর্য।

[সিফাতুস সাফওয়া : ২/২৯৩]

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

30 Jan, 01:53


এক কাঠুরিয়ার ঘটনা

মনসবী শরীফে মাওলানা রূমী রহ. ঘটনাটি লিখেছেন। এক কাঠুরিয়ার ঘটনা। প্রতিদিন সে জঙ্গলে যেতো, লাকড়ি জোগাড় করতো, তারপর বাজারে বিক্রি করে দিতো, এভাবেই তার পরিবার চলতো।
.
প্রতিদিনের মতো আজও সে জঙ্গলে গেলো। লাকড়ি কুড়িয়ে আঁটি বেধে বাড়িতে নিয়ে এলো। এরই মধ্যে ঘটে গেলো এক ভয়াবহ ঘটনা।
.
লাকড়ির আঁটির ভেতরে চলে এলো একটি বিষধর সাপ। তবে জীবিত নয়, মনে হয় মৃত।
.
কাঠুরিয়া ভাবলো, মরা সাপ আর কীইবা করতে পারবে, তাই সে এর প্রতি বিশেষ মনোযোগী হলো না। রাতে সে ঘুমিয়ে পড়লো।
.
অপরদিকে সাপটি তো আসলে মৃত ছিলো না, বরং জীবিতই ছিলো। হয়ত তার শরীরটার ওপর বিশাল ধকল গিয়েছিলো, তাই আধমরা হয়ে গিয়েছিলো। কাঠুরিয়া একেই ভেবেছিলো মৃত।
.
এখন সাপটি দীর্ঘ বিশ্রাম পেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠলো, ধীরে ধীরে ফোঁস ফোঁস শুরু করে দিলো। এতকিছু ঘটে যাচ্ছিলো, অথচ কাঠুরিয়া ও তার পরিবার ছিলো সম্পূর্ণ বেখবর।
.
এক পর্যায়ে সাপটি ফণা তুললো এবং কাঠুরিয়াকে দংশন করে নিজের ঠিকানায় চলে গেলো। আর কাঠুরিয়া মারা গেলো।
.
সকাল বেলা ওঠে পরিবারের সকলেই তো হতবাক, কী থেকে কী হয়ে গেলো! একটি মরা সাপ কিভাবে একজন জলজ্যান্ত লোককে এভাবে মেরে ফেললো!
.
উক্ত বর্ণনা করার পর মাওলানা রূমী রহ. বলেন, মানুষের নফসও একটি বিষধর সাপের মতো।
.
মানুষ যখন আল্লাহওয়ালার সোহবতে থাকে, রিয়াযত-মুজাহাদা করে, তখন নফস কিছু সময়ের জন্য হয়ত নিস্তেজ হয়ে পড়ে, কিন্তু মরে তো যায় না। সময় মতো সে আবার জেগে ওঠতে পারে, ফণা তুলতে পারে এবং বিষ ঢেলে দিতে পারে। সুতরাং তাকে মৃত ভাবার কোনো কারণ নেই। মাওলানা রূমীর ভাষায়
نفس اژد ها است مرده است
از غمے بے آتی افسرده است
অর্থাৎ- মানুষের নফসও ওই বিষাক্ত সাপের মতো, এখনও যার মৃত্যু হয়নি। রিয়াযত, মুজাহাদা ও সাধনার ঝড়ে সে হয়তো কিছুটা নেতিয়ে পড়েছে, তবে মারা যায়নি। যে-কোনো সময় সে তেজী হয়ে ওঠতে পারে, ছোবল মারতে পারে, ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
.
অতএব, এর ধ্বংস-ক্ষমতা সম্পর্কে উদাস থাকা যাবে না মোটেও। এক মুহূর্তের অসতর্কতার সুযোগে সে ধ্বংস করে দিতে পারে অনেক কিছু।
#খুতুবাত

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

28 Jan, 02:03


আল্লাহ তাআলার একটা নিয়ম আছে। কেউ যখন কোনো গুনাহের কাজ শুরু করে তখন আল্লাহ তার সঙ্গে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার আচরণ করেন।
.
এতেও যদি বান্দা পিছু না হটে তাহলে তার সঙ্গে তিনি কিছু দিন যাবত দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখার আচরণ করতে থাকেন।
.
এরপরেও ফিরে না আসলে আল্লাহ তাকে সাজা দেয়ার ইচ্ছা করেন।
.
আর যে দুর্ভাগার ব্যাপারে তিনি শাস্তির ইচ্ছে করেন তাকে তিনি নাচিয়ে ছাড়েন। তখন তাকে ঘরে বসিয়ে রেখেও লাঞ্ছিত করে ছাড়েন। এমন কি অন্যের জন্য ওই শাস্তিকে দৃষ্টান্ত বানিয়ে দেন।
.
সুতরাং এভাবে ভাবুন, আমি অনেক দিন থেকে অমুক গুনাহে লিপ্ত। এখন পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা দোষ গোপন করে রাখার আচরণ করছেন। যদি শাস্তি দেয়ার ইচ্ছা করে ফেলেন তাহলে আমার দীন-দুনিয়া উভয়টাই যাবে। আমার কিছু থাকবে না।
.
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَمَنْ يُّهِنِ اللهُ فَمَا لَهُ مِنْ مُكْرِمٍ
আল্লাহ যাকে লাঞ্ছিত করেন, তার সম্মানদাতা কেউ নেই। (সূরা হজ্ব ১৮)
.
আয়াতটি নিয়ে ভাবলে গুনাহ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়া সহজ হয়।
#খুতুবাত

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

27 Jan, 13:45


আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাযি. বলেন

তোমার অন্তর তিন জায়গায় তালাশ কর। এক. কোরআন শোনার সময়। দুই. জিকিরের মজলিসগুলোতে। তিন. একাকীত্বের সময়ে।
যদি উক্ত তিন জায়গায় তুমি অন্তরটা খুঁজে না পাও তাহলে জেনে রেখো, মূলত তোমার অন্তরটা নেই। সুতরাং আল্লাহ তাআলার কাছে এর পরিবর্তে আরেকটি অন্তর ভিক্ষা কর।
[আলফাওয়াইদ, ইবনুল কাইয়্যিম : ১/১৪৯]

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

26 Jan, 13:33


ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল রহ. একজন কবির কাছে একটি কবিতা শুনে দরজা বন্ধ করে খুব কেঁদেছিলেন। কবিতাটি ছিল এই,
إِذَا مَا خَلَوْتَ الدَّهْرَ يَوْمًا فَلَا تَقُلْ
خَـلَـوْتُ وَلَـكِـنْ قُـلْ عَـلَـيَّ رَقِـيبُ
যদি তুমি দিনের কিছু সময় একাকী কাটাও, তখন একথা বলো না যে, আমি নির্জনে একাকী সময় কাটিয়েছি; বরং বলো, আমার পেছনে সদা সর্বদা একজন পাহারাদার ছিল।
.
আল্লাহ তাআলা বলেন,
مَّا يَلْفِظُ مِن قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ
মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে। (সূরা ক্বাফ ১৮)

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

24 Jan, 14:12


https://www.facebook.com/share/v/19u1QdJzuw/
নোয়াখালী জেলার ছয়ানী এলাকার যুবসমাজের একটি চোখ জুড়ানো উদ্যোগ। আপনার এলাকায়ও এধরণের কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেন।
.
যুবসমাজের এজাতীয় উদ্যোগ দেখলে খিলাফাহ-র জমিনে সিজদা দেয়ার স্বপ্ন আরো উত্তুঙ্গ হয়ে ওঠে।
.
আমাদের যুবসমাজ এভাবেই এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

24 Jan, 10:49


আজ রাত ৯ টায়, ইনশাআল্লাহ।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

23 Jan, 16:32


সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

বৃহস্পতিবার মাগরিব থেকে জুমু'আর দিনের মাগরিবের আগ পর্যন্ত প্রতিটি সেকেন্ড নেকি ও সওয়াবের একেকটি ভান্ডার।
অতএব (পুরো সময়টাতে যত বেশি সম্ভব) রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রতি দরুদ পাঠ করুন।

— ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহিমাহুল্লাহ

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

22 Jan, 12:36


গুনাহকে ছোট মনে করো না।
বড় পাহাড় ছোট ছোট পাথর দিয়েই তৈরি হয়।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

22 Jan, 05:03


ফুযাইল ইবনু ই’য়ায রহ. বলেন
خَصْلَتَانِ تُقَسِّيَانِ الْقَلْبَ : كَثْرَةُ الْكَلَامِ ، وَكَثْرَةُ الْأَكْلِ
দু’টি স্বভাব অন্তরকে কঠোর করে দেয়। অতিরিক্ত কথা এবং অতিরিক্ত আহার। [বাইহাকী; আযযুহদুল কাবীর : ১৭৬]

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

22 Jan, 00:48


ইমাম আহমদ রহ.-এর ছেলে আব্দুল্লাহ বলেন:
আমার বাবা প্রায়ই সালাতের পরে দোয়া করতেন:
اللَّهُمَّ كَمَا صُنْتَ وَجْهِي عَنِ السُّجُودِ لِغَيْرِكَ فَصُنْ وَجْهِي عَنِ الْمَسْأَلَةِ لِغَيْرِكَ.
আল্লাহ! আপনি যেভাবে আমার চেহারাকে আপনি ছাড়া অন্য কারো জন্য সিজদা করা থেকে রক্ষা করেছেন, তেমনিভাবে আপনি ছাড়া অন্য কারো কাছে কিছু চাওয়া থেকেও রক্ষা করুন।

[সিফাতুস সাফওয়াহ, ১/৪৮৪]

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

21 Jan, 16:08


হাসান বসরী রহ এর এর উপনাম ছিল আবু সাঈদ। এক ব্যক্তি বলল, হে আবু সাঈদ! আমি চাই রাত জেগে ইবাদত করব, কিন্তু পারি না। এর কারণ কী?
তিনি উত্তর দিলেন
أَنْتَ رَجُلٌ قَدْ قَيَّدَتْكَ ذُنُوبُكَ
তুমি বন্দি! তোমার গুনাহই তোমাকে বন্দি করে রেখেছে।
[সিফাতুস সাফওয়া : ৩/২৩৫]

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

20 Jan, 06:39


প্রতিটি পরিবারের মাঝে কিছু দীনী common activities থাকা চাই। যেমন, প্রতিটি ঘরেই তা’লিমের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যেখানে পরিবারের সকল সদস্য উপস্থিত থাকবে। এর জন্য এমন একটা সময় নির্ধারণ করে নেওয়া, যেন ওই সময়ে পরিবারের সকল সদস্য উপস্থিত থাকতে পারে। যেন নারী এবং শিশুরা দীনি মেজাজে গড়ে ওঠতে পারে।
.
সা’দ ইবন আবী ওয়াক্কাস রাযি. বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের রাসূলের যুদ্ধের ইতিহাস শিক্ষা দিতাম, যেমনিভাবে তাদেরকে আমরা কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতাম। (তারবিয়াতুল আওলাদ ফিল ইসলাম : ৩১৮)
.
অথবা এমনও হতে পারে যে, মাঝে মাঝে একজন আমলধারী আলেমকে দাওয়াত দিলেন। সেখানে পরিবারের সকল সদস্য উপস্থিত থাকল। আর তিনি সকলের উদ্দেশ্যে কিছু নসিহত করলেন।
.
অথবা এর সুরত এমন হতে পারে যে, পরিবারের সকল সদস্য মিলে ফজরের পরে একসঙ্গে বসে কুরআন তেলাওয়াত করলেন।
.
অথবা এমনও হতে পারে যে, সকলে মিলে একটা নির্দিষ্ট সময়ে বসে একসঙ্গে কিছু জিকির করলেন, দোয়া করলেন।
.
অথবা এমনও হতে পারে যে, সপ্তাহে একদিন যেমন সোম কিংবা বৃহস্পতিবার সকলে মিলে রোজা রাখলেন। তারপর সকলে মিলে একসঙ্গে ইফতার করলেন। ইফতারের আগে দোয়া কবুল হয়। ওই সময় সকলে মিলে একসঙ্গে দোয়া করলেন।
.
পরিবারের মাঝে এ জাতীয় দীনী common activities পরিবারের সদস্যদের মাঝে Bonding তথা বন্ধন বৃদ্ধি করবে। একে অপরের অনুভূতি বোঝা সহজ হবে।
.
শিক্ষক হিসেবে আমাদের এই অভিজ্ঞতা আছে যে, যে ছেলেটা বেয়াড়া টাইপের হয়, খোঁজ নিলে দেখা যায়, এর বড় কারণ হল, পরিবারের মধ্যে দীন চর্চা না থাকা। ধর্মীয় মূল্যবোধ না থাকা।
#খুতুবাত

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

19 Jan, 14:16


অনবরত গোনাহে নিমজ্জিত ব্যক্তির অন্তর শক্ত হয়ে যায়। ফলে তাওবার প্রয়োজনীয়তা তার অনুভব হয়না এবং মৃত্যুর সময় তাওবার সুযোগ হয় না। ইবনু রজব রহ. বলেন

أَنَّ خَاتِمَةَ السُّوءِ تَكُونُ بِسَبَبِ دَسِيسَةٍ بَاطِنَةٍ لِلْعَبْدِ لَا يَطَّلِعُ عَلَيْهَا النَّاسُ

মৃত্যুর সময় অশুভ পরিণতির কারণ বান্দার গোপন গোনাহ, যা সম্পর্কে মানুষ জানত না। (জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম : ১/১৭২)

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

18 Jan, 10:57


তাহাজ্জুদ : ফজিলত এবং কিছু টিপস

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

17 Jan, 08:05


বিভিন্ন জাতির ওপর আল্লাহর আযাব কেন আসে?

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

16 Jan, 15:41


Live stream finished (35 minutes)

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

16 Jan, 15:05


Live stream started

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

16 Jan, 09:24


ইসলাহী মজলিস
আজ বাদ ইশা।
বাইতুল ফালাহ মসজিদ, মধ্য মনিপুর খেজুরতলা, মিরপুর, ঢাকা।
https://maps.app.goo.gl/vc7sBntNC1dgcPWU9

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

13 Jan, 16:53


শিশু যখন কাঁদে, বাবা তখন সন্তানকে এভাবে জিজ্ঞেস করে, আব্বু! তোমার কী লাগবে? মজা লাগবে? আইসক্রিম দরকার? চকলেট দিব? কী প্রয়োজন? আব্বুকে বলো! আব্বু এখুনি এনে দিচ্ছি।
.
অনুরূপভাবে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাকে জিজ্ঞেস করেন, বান্দা! তোমার কী দরকার? ক্ষমা দরকার? ক্ষমা করে দিব। রিজিক লাগবে? রিজিক দিয়ে দিব। বান্দা! আমি মাওলার কাছে বলো, তোমার কী প্রয়োজন, আমি পূরণ করে দিব।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

12 Jan, 17:25


+ এই সূরা পড়লে আল্লাহ তায়ালা অভাব দূর করে দেন।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে এই সূরার উপর আমল করার তাওফীক দান করেন।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

12 Jan, 17:25


এসলাহী বয়ানের সারমর্ম (সূরা ইখলাছ অবলম্বনে)
সময়: ১ সফর, এশা এর নামাজের পরে
স্থান: আন-নূরী জামে মসজিদ, মিরপুর-১ (মুক্তিযুদ্ধা মার্কেটের বিপরীত পার্শে), ঢাকা।

সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য।

মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় সংকট হলো ঈমান ও আকিদার সংকট। যখন আকিদার সংকট দেখা দেয় তখন মুসলিম উম্মাহ যত বড় জাতি হোক না কেন অল্প সংখ্যক লোকের গোলামে পরিণত হয়।

আমদের ঈমান ও আকিদা সংশোধনের লক্ষ্যে সূরা ইখলাস সম্পর্কে ভালো ভাবে অবগত হওয়া একান্ত জরুরী।

ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী রাহ বলেন কোন সূরার কি নাম তা আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সূরা ইখলাস এর অনেকগুলো নাম আছে।

সূরা ইখলাস -
এই সূরা ঈমানের বিশুদ্ধতা শিক্ষা দেয় তাই এর নাম সূরা ইখলাস।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি এই সুরার মর্মার্থ জেনে তেলাওয়াত করে আল্লাহ তায়ালা তাকে সকল প্রকার শিরক থেকে হেফাজত করেন।

সূরা তাওহীদ -
এই সূরা আল্লাহর একত্ববাদ শিক্ষা দেয়। তাওহীদ হলো সূরা এখলাসের মূল বক্তব্য যা আমাদের ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন, সবকিছুর সাথে জড়িত।

সূরা নাজাত -
যে ব্যক্তি এই সূরার উপর আমল করবেন আল্লাহ তায়ালা তাকে দুনিয়া-আখিরাতে নাজাত দান করবেন।

সূরা আসাস (ভিত্তি) -
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সপ্তম আকাশ আল্লাহ তায়ালা এই সূরার উপর দাড় করিয়ে রেখেছেন। এই জন্য এই সূরা কে সূরা আসাস ও বলা হয়।

সূরা মানিয়া (প্রতিহতকারী) -
এই সূরা হলো কুফর ও শিরক প্রতিহত কারী।

সূরা মিফতাহ (চাবি) -
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু বলেন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে এই সূরা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমার আরশের যে খাজনা আছে এই সূরা হলো তার একটি চাবি।

সূরা জামাল (সুন্দর) -
আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সুন্দরকে পছন্দ করেন।
এক সাহাবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আল্লাহ সৌন্দর্য্য বর্ননা করেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন এই সূরা তেলাওয়াত করে আল্লাহ তায়ালার সৌন্দর্য্য বর্ণনা করেন।

সুরাতুল মারিফা (পরিচয়) -
কিছু লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন যে, আপনার আল্লাহর পরিচয় আমাদের কে বলেন। তখন আল্লাহ তায়ালা এই সূরা নাযিল করে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন।

সূরা নূর -
এই সূরার আরেক নাম হলো নূর বা আলো।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কোরআনের নূর হলো সূরা ইখলাস।

সূরা বেলায়েত (বন্ধুত্ব) -
এই সূরা আল্লাহর সাথে বান্দার বন্ধুত্ব তৈরি করে। যে ব্যক্তি বেশি বেশি এই সূরা তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে তার বন্ধু বানিয়ে নিবেন।

সূরা ইখলাসের ফযীলত:

+ এই সূরা তেলাওয়াত করলে কোরআনের এক তৃতীয়াংশের সওয়াব পাওয়া যায়। সুতরাং যে ব্যক্তি তিন বার এই সূরা পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে এক খতম কোরআন তেলাওয়াত এর সওয়াব দান করবেন।

+ এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এই সূরা খুব মহব্বত করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন এই সূরা প্রতি মহব্বত তোমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

+ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন এই সূরা ঘুমানোর পূর্বে কোনো ব্যক্তি যদি ডান কাত হয়ে শুয়ে ১০০ বার পরে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে শিরিক থেকে মুক্তি দান করবেন।

+ মুহাজির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একজন সাহাবী থেকে শুনেছি তিনি আমাকে বলেছেন, আমি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আমি একটি সফর করেছি এক ব্যক্তি এই সূরা তেলাওয়াত করতেছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এই সূরা যদি বুঝে শুনে পরে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে মাফ করে দিয়েছেন।

+ হজরত ওসমান ইবনে মাউজুন রাদিয়াল্লাহু আনহু অসুস্থ হলে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই সূরা এবং তার পরবর্তী দুটি সূরা পরে ফুঁ দিলেন এবং বললেন এই তিনটি সূরা পরে তোমরা রোগীর চিকিৎসা কর।


হজরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর দুটি বৈশিষ্ট্য ছিল:
- তার অহংকার ছিল না।
- তিনি বেশি বেশি সূরা ইখলাস তেলাওয়াত করেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত জিবরাঈল আলাইহিস সালামকে বলেন, হে জিবরাঈল! আজকে সূর্য খুব বেশি আলো দিচ্ছে কেন?
উত্তরে তিনি বলেন, মূয়াবিয়া ইবনে লাইছি রাদিয়াল্লাহু আনহু মারা গেছেন এজন্য ফেরেশতারা এত বেশি এসেছে।
তিনি সবসময় সূরা ইখলাস তেলাওয়াত করতেন।

+ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কেউ যদি এই সূরা ৫০ বার তেলাওয়াত করে। কেয়ামতের দিন তাকে বলা হবে হে আল্লাহর প্রশংসাকারী বান্দা! উঠ এবং জান্নাতে যাও।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

12 Jan, 12:49


গরিবের সম্পদে ধনীদের অধিকার আছে : সুদ।
.
ধনীদের সম্পদে গরিবের অধিকার আছে : যাকাত।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

11 Jan, 12:53


বাদ ইশা আলোচনা করবেন
ডাঃ শামসুল আরেফিন শক্তি হাফি.
স্থান : বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, খেজুরতলা, মধ্য মনিপুর, মিরপুর, ঢাকা।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

09 Jan, 04:41


অমুসলিমরা আমাদের আদর্শ হয় কীভাবে! তারা তো গলির বখাটেদের মতো। নেশা করা, জুয়াবাজি করা, অন্যের মা-মেয়ে-বোন ও স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা এসব তো গলির বখাটেদের কাজ। অমুসলিমরা আমাদেরকে তো এগুলোই শেখায়।
.
সুস্থ বিবেকসম্পন্ন কোনো মানুষ যেমনিভাবে বখাটেদের অনুসরণ করতে পারে না; অনুরূপভাবে অমুসলিমদেরও অনুসরণ করতে পারে না।
.
একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন, তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সিংহ ভাগ চলে এসব বখাটেপনাকে ঘিরে। এসবের পেছনে তারা বিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে।
.
আফসোস! আমরা নিজেদের মর্যাদা নিজেরাই নষ্ট করে ফেলেছি! বখাটেদের অনুসরণ করাটাকেই সভ্যতা ও আধুনিকতা ভেবে বসে আছি! এটা কি বিবেকহীনতা নয়? মূর্খতা নয়?

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

08 Jan, 07:39


ইসলাহি মজলিস।
আন নূরী জামে মসজিদ।
তারিখঃ ০৭ই জানুয়ারি ২০২৫। বাদ এশা।
আলোচনা পেশ করেনঃ- হযরত মাওলানা শায়েখ ওমায়ের কোব্বাদী দামাত বারকাতুহুম।
আলোচনার বিষয়বস্তুঃ হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এবং পাঁচজন সাহাবীর একটি খাস মজলিস।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

06 Jan, 14:49


মিসওয়াক করা
টুথব্রাশ এবং মিসওয়াক উভয়টাই দাঁত পরিষ্কার করে। তবে ব্রাশ করলে দাঁত পরিষ্কার করার সাওয়াব হয়ত পাবেন; কিন্তু মিসওয়াকের ফজিলত পাবেন না। মিসওয়াকের ফজিলত পেতে হলে মিসওয়াকই করতে হবে। হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন
السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ
মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা, রবের সন্তুষ্টির মাধ্যম।
আর আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টিই তো মুমিনের সবচেয়ে বড় চাওয়া ও পরম পাওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন
وَرِضْوَانٌ مِنَ اللَّهِ أَكْبَرُ
আর আল্লাহর সন্তুষ্টি সবচেয়ে বড় বিষয়।

নিয়মিত মিসওয়াকে ঈমানী—মৃত্যু
একারণেই আল্লামা ইবনু আবেদীন রহ. বলেন, মিসওয়াকের উপকারিতা তিরিশেরও অধিক।
أَدْناها إماطَةُ الأذَى
তন্মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র উপকার হচ্ছে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
وَأَعْلَاهَا تَذْكيْرُ الشَهادةِ عِنْدَ المَوْتِ
আর সর্বোচ্চ উপকার হচ্ছে মৃত্যুর সময় কালিমা শাহাদাহ স্মরণ হয়।

মিসওয়াকের আরো উপকারিতা
হাফেজ ইবনুল কাইয়্যিম রহ. মিসওয়াকের অনেক উপকারিতার কথা উল্লেখ করেছেন। তার মধ্য থেকে যে কয়টি মনে আছে বলে দেই! যেমন
يَشُدُّ اللِّثَةَ
দাঁতের মাড়ি শক্ত করে।
وَيَجْلُو الْبَصَرَ
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
وَيُصْلِحُ الْمَعِدَةَ
পাকস্থলী রোগমুক্ত করে।
وَيُنَشِّطُ لِلْقِرَاءَةِ، وَالذِّكْرِ وَالصَّلَاةِ
তেলাওয়াত জিকির ও নামাযের জন্য উদ্যমী করে তোলে।
وَيُرْضِي الرَّبَّ
আল্লাহ তাআলাকে খুশি করে।
وَيُعْجِبُ الْمَلَائِكَةَ
ফেরেশতাদেরকে মুগ্ধ করে।
وَيُكْثِرُ الْحَسَنَاتِ
নেকিসমূহ বৃদ্ধি করে।
তাছাড়া এটি পকেট থেকে বের করলেই নামাযের কথা মনে পড়ে।
এটি পকেট থেকে বের করলেই সুন্নাতের কথা মনে পড়ে।
এটি পকেট থেকে বের করলেই রাসূলুল্লাহ ﷺ—এর কথা মনে পড়ে। এটি পকেট থেকে বের করলেই আল্লাহর কথা মনে পড়ে।

মৃত্যুর আগমুহূর্তেও মিসওয়াক
মিসওয়াকের প্রতি নবীজির কী পরিমাণ ভালোবাসা থাকলে তিনি মৃত্যুর আগমুহূর্তেও মিসওয়াকের কথা ভুলে যান নি। তখনও তিনি মিসওয়াক করেছিলেন। আম্মাজান আয়শা রাযি. বলেন, নবীজি যেদিন ইন্তেকাল করেছিলেন, সেদিন তিনি আমার ঘরে ছিলেন। আমার বুকে মাথা রেখে ইন্তেকাল করেছিলেন। সেদিন তিনি ছিলেন প্রচণ্ড অসুস্থ। তিনি অসুস্থ হলে আমাদের মধ্যকার কেউ দোয়া পড়ে তাঁকে ঝাড়ফুঁক করতেন। তাই আমি তাঁকে ঝাড়ফুঁক করছিলাম। এসময় আমার ভাই আবদুর রহমান আসলো। তার হাতে ছিল মিসওয়াকের একটি তাজা ডাল। নবীজি তখন সেদিকে এমনভাবে তাকালেন যে, আম্মাজান আয়েশা রাযি. বলেন
وعَرَفْتُ أنَّه يُحِبُّ السِّوَاكَ
আমি বুঝলাম যে, তিনি মিসওয়াককে ভালোবাসেন।
আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম, আমি কি আপনার জন্য মিসওয়াক নিব? তিনি মাথা নাড়িয়ে জানালেন যে, হ্যাঁ। তখন আমি মিসওয়াকটি নিলাম। কিন্তু মিসওয়াক ছিল তার জন্য শক্ত, তাই আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমি কি এটি আপনার জন্য নরম করে দিব? তখন তিনি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললেন। তখন আমি তা চিবিয়ে নরম করে দিলাম। এরপর তিনি ভালোভাবে মিসওয়াক করলেন।
আয়শা রাযি. যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিন উক্ত ঘটনা যখনই মনে করতেন, তখনই আল্লাহ তাআলার শোকর আদায় করতেন। শোকর আদায়ের পদ্ধতিও ছিল দারুণ সুমিষ্ট। শোকর আদায় করতেন এভাবে
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي جَمَعَ بَيْنَ رِيقِي وَرِيقِهِ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنَ الدُّنْيَا
সকল প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য যিনি নবীজির জীবনের দুনিয়ার শেষ দিনে তাঁর মুখের লালা এবং আমার মুখের লালা একত্র করে দিয়েছেন।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

03 Jan, 08:47


https://youtu.be/OtFSUJMHTDQ?si=XyTcXrs2aPOi9Dnt

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

02 Jan, 09:25


ইমাম আহমদ রহ.-এর ছেলে আব্দুল্লাহ বলেন:
আমার বাবা প্রায়ই সালাতের পরে দোয়া করতেন:

اللَّهُمَّ كَمَا صُنْتَ وَجْهِي عَنِ السُّجُودِ لِغَيْرِكَ فَصُنْ وَجْهِي عَنِ الْمَسْأَلَةِ لِغَيْرِكَ.

আল্লাহ! আপনি যেভাবে আমার চেহারাকে আপনি ছাড়া অন্য কারো জন্য সিজদা করা থেকে রক্ষা করেছেন, তেমনিভাবে আপনি ছাড়া অন্য কারো কাছে কিছু চাওয়া থেকেও রক্ষা করুন।
.
[সিফাতুস সাফওয়াহ, ১/৪৮৪]

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

31 Dec, 18:29


লাগামছাড়া, বাঁধনহারা যৌন-স্বাধীনতাপূর্ণ জীবনই হলো পশ্চিমাদের প্রগতি।

দু:খজনক বিষয় হলো, এই প্রজন্মের কিছু যুবক ও যুবতী সংকীর্ণ দৃষ্টিকোণে ধরে নিয়েছে যে, ওরা যেটা করে, সেটাই উত্তম ও অনুকরণীয়।

কোনো প্রকার বিচার-বিশ্লেষণ না করে চোখ বুজে অপরের অনুকরণ করে যারা তৃপ্তি পায়, তারা বানরের স্বভাবের অধকিারী বললে ভুল হবে না।

ঢাকা শহরে এখন প্রচুর বানরের নাচ চলছে।

আত্মপরিচয়কে ভুলে গিয়ে এরা পশ্চিমাদের গোলামি সেলিব্রেট করছে।

শব্দ দূষণের মাত্রা দেখে মনে হচ্ছে এরা তাদের প্রভুদের থেকেও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে।

এদের জন্য আফসোস আর হেদায়েতের দোয়া ছাড়া কিছুই করার নেই।

কে থামাবে এই ধ্বংসন্মূখ জাতিকে!

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

31 Dec, 14:58


ইসলাহী বয়ান
https://youtu.be/JA-7X7G3NEk?si=H7JIP8qxRrUof35m

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

31 Dec, 09:47


দুনিয়ার সকল মানুষ আপনাকে মুসলিম বললো এবং আপনি নিজেও দাবি করলেন যে, আপনি একজন মুসলিম। কিন্তু আল্লাহ তাআলা আপনার ইসলাম কবুল করেন নি! বলুন, এতে কোনো ফায়দা আছে?!
.
এক শ্রেণীর অবস্থা দেখে মনে হয়, এ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। এরা শেষ বিচারের দিন অমুসলিমদের সাথে থাকতে রাজি আছে, কিন্তু অমুসলিমদের অন্ধ অনুকরণ ছাড়তে রাজি নেই।
.
শত কোটি আফসোস! থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করে আজ কত মুসলিম ঈমানহারা হয়ে যাবে!

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

23 Dec, 16:35


শায়েখ আসিম আল হাকিম হাফিজাহুল্লাহ প্রায় সময় একটা কৌতুক বলেন। ধরুন আপনাকে এ মুহুর্তে জান্নাতে নেওয়া হলো,ফেরেশতারা আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে"এই যে ইনি সাদ বিন মুয়াজ,ইনি তালহা,ওই যে উনি মুয়াজ বিন জাবাল,আর উনি তো আমির আল জুমাহি রাদিআল্লাহু আনহুম।"

আপনি বললেন," আরে আমি তো উনাদের কাউকে চিনি না,নামও শুনি নি।চলুন জাহান্নাম থেকে একটা ট্রিপ নিয়ে আসি।"

তারপর আপনি জাহান্নামে গেলেন।আপনি এদের অনেকেই চিনেন।আপনি আপনার যৌবন ধরে যাদের জন্য পাগল ছিলেন, যাদের ইনকাম থেকে নিয়ে এচিভমেন্ট সব আপনার মুখস্থ,সেসব খেলোয়াড়, গায়ক, নায়ক,সেলেব্রিটি সব এখানে আছে।আপনার স্বপ্নে মানুষ যেনো সব এখানে।
আপনি কি জান্নাতি নাকি জাহান্নামিদের দলে নিজেই বোঝে নিন।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

19 Dec, 03:59


আজকের ইসলাহী মজলিস।
দীনী দাওয়াত রইল।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

18 Dec, 14:46


https://youtu.be/3GXEu55UDfc?si=17ulXpnKhiJJ46Xw
এখানেও নাটের গুরু প্রথম আলো ও দিল্লি স্টার।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

18 Dec, 13:29


https://youtu.be/xgWcu9LJ0O8?si=BGy08Lgu0xihcwx6

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

18 Dec, 04:37


https://youtu.be/nDELNxX4A0E?si=19jK-NTkuEqK3hqq

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

16 Dec, 17:47


মনিপুর ইয়ুথ সোসাইটি-তে প্রদত্ত নাসিহা

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

16 Dec, 14:43


আব্দুল কাদের জিলানী রহ. তাঁর কিতাবে লিখেছেন, কোনো বেনামাযীর অমঙ্গল চল্লিশ ঘর পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে।
.
এবার ভাবুন, যে ঘরে বেনামাযী বাস করে, সেই ঘরের অমঙ্গলের অবস্থা কেমন হবে!
.
আর যদি কোনো ঘরের সকলেই বেনামাযী হয়, তাহলে সেই ঘরের অমঙ্গলের অবস্থা কিরূপ হবে!
.
যার কারণেই মহিলারা আজ কেঁদে ফিরে যে, ঘরে কোনো বরকত নেই। কী যে হলো জানি না, বাচ্চারা কেউ কথা শোনে না।
.
কখনো বলে, সন্তানরা সব অবাধ্য হয়ে গেছে। আবার কখনো বলে, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বনিবনা হয় না।
.
এসব হলো নামায না পড়ার কুফল।
#খুতুবাত

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

15 Dec, 00:50


https://youtu.be/x_DBISgBVkQ?si=Zg4PuQ2D_QDoe_hW

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

14 Dec, 14:12


আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. বলতেন, ‘শীতকালকে স্বাগতম। কেননা তা বরকত বয়ে আনে। রাতগুলো দীর্ঘ হয়। ফলে তা কিয়ামুল লাইল-এর জন্য (রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ) সহায়ক এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখা সহজ। [আল-মাকাসিদুল হাসানা : ২৫০]

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

13 Dec, 12:34


কন্সপেরিসে থিউরী কিভাবে বাস্তবে ঘটলো !

জুলাইয়ের শেষের দিকে , আন্দোলন তুঙ্গে আছে। 

হাসিনা তার সর্বশেষ অস্ত্র ব্যবহার করছে , হেলিকপ্টার থেকে গুলি করছে, ভিনদেশী স্নাইপার দিয়ে রাস্তার পথচারীকে  নির্বিচারে হত্যা করছে। 

তখন সাধারণ মানুষ দিশেহারা , একটু দ্বিধাগ্রস্থ , হাসিনা কি আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিলো !

তখন আমার  বন্ধু মহলে " আজরাইরা পেচাল " নামে যেমন হোয়াটস্যাপ গ্রূপ আছে, তেমনি নানা বোদ্ধাদের নিয়ে নানান গ্রূপও আছে। 

সেরকম দুয়েকটি গ্রূপে  আমাকে যারা কাছ থেকে চিনে যে, আমি "ডার্ট পলিটিক্স " ভালা পাই , তারা জিগেস করেছিল - কি বুঝতাছোস , হাসিনা কি টিকে গেলো ?!

তখন আমি বলেছিলাম ,

- হাসিনার টেকা নিয়ে প্রশ্ন নয় , প্রশ্ন হলো ইন্ডিয়া কিভাবে এখন থেকে উদ্ধার পাবে !

আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আন্তে পারলেও হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখা ইন্ডিয়ার জন্য সম্ভব হবে না।

কারণ, সারা দুনিয়া দেখছে হাসিনা কিভাবে নির্বিচারে মানুষ মারছে। 
অতএব হাসিনাকে সরাতেই হবে ভারতের। 

তবে ভারত একটি চাল দিয়ে আন্দোলের গরম কয়লায় ঠান্ডা পানি ঢেলে সব আগুন নিভিয়ে  দিতে পারে। 

কারণ, হিন্দুস্থান হাসিনার পতন মেনে নিবে কিন্তু বাংলাদেশকে কক্ষনোই ভারতের থাবা থেকে বের হতে দেয়া যাবে না। 

গত ১৫ বছরে তিলে তিলে সারা বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে  বিচ্ছিন্ন করে দেশের দুটি সমুদ্রবন্দর হাতিয়ে নিয়েছে। 

বেনাপোল আগরতলা ট্রেন লাইন বাংলাদেশের পয়সায় তৈরী করে নিয়েছে। 
এবং সর্বোপরি আগামী ২৫ বছরের জন্য বিজেপী সরকারেকে বাংলাদেশ কোন প্রকার বিদ্যুৎ সরবরাহ না করেও  স্রেফ যৌতুক হিসেবে প্রতি বছর ৪ হাজার কোটি টাকা দিতে বাধ্য করেছে। 

অখন্ড ভারতের স্বপ্ন পূরণে আর মাত্র ৫টি বছর দরকার  ছিল ভারতের, ব্যাস তাদের উগ্রবাদী হিন্দুত্ববার অন্তিম খায়েশ পূরণ করে দিতো বাংলাদেশ। 

*অতএব ভারত আন্দোলনের ফসল তাদের ঘরে তুলে নেয়ার জন্য , ডঃ ইউনুসকে একটি টোপ দিতে পারে। 

কারণ, ডঃ ইউনুস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন ব্যক্তি। 
ভারতেও কয়েকজন নোবেল প্রাইজ উইনার আছে , কিন্তু ডঃ ইউনুসের মতো সারা পৃথিবী চিনে এমন কেউ নেই। 

অতএব তাকে যদি রাজি করাতে পারে তবে ভারত বাংলাদেশ হারাবে না  !

-- হাল তুই এইডা কি কস ?!
ডঃ ইউনুস কোনভাবেই ভারতের লোক না , সে কোনদিন  হাসিনার মতো ভারতের পক্ষে কাজ করবে না !   

কথা সত্যি বন্ধু।  ডঃ ইউনুস ভারতের লোক না। 

কিন্তু মনে রাখিস উনি দেশ চালাবে না।
উনি ম্যাগাজিনের মাত্র কভার-পেইজ থাকবেন। 

সরকার চালাবে ভারতের পছন্দের উপদেষ্টা দ্বারা। 

আর সব সচিবরা তো আছেই, তাদের চেয়ার বদল হতে পারে কিন্তু তাদের লয়ালিটি বা কেবলা দিল্লিই থাকবে। 

হাসিনার সরকারের সব কাজ কিভাবে হতো সে কি  জানতো,
দেশ চাইলাইতো তার অফিস। 

বড় প্রজেক্ট ১০/১২ কোটির উপরে না হলে হাসিনা জানতই না কে কত টাকা নিচ্ছে এক বালিশের জন্য। 

তেমনি ডঃ ইউনুস রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সবার সাথে মিটিং করবেন , বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ থাকবে। 

কিন্তু দেশ চালাবে গত ১৫ বছরে যত আজিজ- বেনজির -মার্কা লম্পট দুই নম্বর সচিবদের তৈরী করেছে  তাদের দ্বারা। 

কিছু অথর্ব, কিন্তু দেখতে নিপাট ভদ্রলোক মনে হয় , এমন কিছু পরিচিত/অপরিচিত মুখ নেয়া হবে, যারা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সচিবদের সাথে চা বিস্কুট খেয়ে বাসায় চলে যাবে। 

আর মন্ত্রালয় চলবে , আগের দাদা পছন্দের তৈরী "হোয়াটস্যাপ গ্রূপের" সচিবদের দ্বারা।

উপরের "ডার্টি গেইম প্ল্যানটা" আমি তখন দিয়েছিলাম আমার বন্ধুদের। 

কিন্তু এটা যে সত্যি হবে সেটা কোনদিন ভাবিনি, বিশেষ করে যখন দেখলাম আসিফ নজরুল নিয়োগ পেয়েছে !

কারণ , শাহবাগের সময় থেকে একমাত্র আসিফ নজরুলই  স্রোতের টানে গা ভাসিয়ে দিয়ে সরকারের তাবেদারী কখনো করেনি।
সে সরকার বিরোধী নানাভাবে সেই  ইমেজ  তৈরী করেছিল। 

তাকে মনে হয়েছিল সৎ পলিটিশিয়ান , এবং ক্লিন ব্যাকগ্রাউডের মানুষ (যদিও তার মেয়ের বয়সী শিলাকে বিয়ে করে) । 

কিন্তু পিনাকী দাদাকে যেমন শাহবাগের সিপাহসালার হওয়ার কারণে ঠিক ১০০% এখনো মেনে নিতে পারিনা। 

যদিও তিনি অনেক অনেক কাফ্ফারা দিয়েছেন গত ৭/৮ বছরে (কারণ , শাহবাগই ছিল একটি ফ্যাসিস্ট সরকার তৈরীর প্রথম সোপান , যেখানে বাংলাদশের নাগরিকরা তাদের সকল স্বাধীনতা হারাতে শুরু করে )।

তেমনি আসিফ নজরুলের উপদেষ্টা হওয়ার পর আমি আমার কন্সপিরেসি থিউরি ভুলে গেলেও, ফারুকীকে নিয়োগ দেয়ার পর থেকেই মনে হয়েছে -  উ,হু,  আমার "ডার্টি গেইম থিউরি" নিয়ে একটু  ভাবা দরকার। 

গত তিন মাসের কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে , কেটলির  ঢাকানাতে যেমন একটি ফুটো রাখতে হয় স্টিম বেরিয়ে যাওয়ার জন্য  , নইলে বিস্ফোরণ ঘটবে। 

তেমনি আসিফ নজরুল ছিল গত সরকারের আমলে জনগণের জন্য "একটি ফুটা ", যেটা দিয়ে জনগণের মনের কথা বের করতে দিতো, যাতে মানুষ শান্তি পায়। 
তা না হলে মানুষের ভিতর জমে থাকা বাস্প বিস্ফোরণ ঘটাতে পারতো।      

এখন কেন মনে করি দাদারাই এখনো ক্ষমতার চাবিকাঠি নাড়ছে !

~মুহাম্মদ সজল

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

08 Dec, 09:32


আলহামদুলিল্লাহ, শাম এখন মুক্ত। পতন ঘটেছে বাশার আল আসাদের।
.
শুরাইহ ইবনে উবাইদ রহ. বলেন, আলী রাযি. একবার শামবাসীদের প্রতি অভিশাপ দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন,
আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, শামে আবদালরা (আল্লাহর বিশেষ ওলি) অবস্থান করেন। তারা ৪০ জন থাকেন। যখন একজন মারা যান, আল্লাহ তার স্থানে আরেকজনকে নিযুক্ত করেন। তাদের বরকতে বৃষ্টি হয় এবং শত্রুর বিরুদ্ধে জয়লাভ হয়।
[মুসনাদে আহমদ: ৮৯৬]

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

08 Dec, 02:30


https://youtu.be/wo1RNZ3zLEQ?si=4phvY2iVt-5oCcma

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

05 Dec, 15:48


❛  প্রিয় রাসূলুল্লাহ ﷺ ﷺ ❜

নবীজি (ﷺ) ছিলেন একজন রাষ্ট্রপ্রধান।
তিনি ছিলেন একজন প্রধান সেনাপতি।
তিনি ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি ছিলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি ছিলেন পূর্তমন্ত্রী।
তিনি ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন আল্লাহর নবী।
তিনি ছিলেন একজন সার্বক্ষণিক শিক্ষক।
তিনি ছিলেন একজন সার্বক্ষণিক প্রধান বিচারপতি। পাঞ্জেগানা ইমাম। সাপ্তাহিক খতীব। সার্বক্ষণিক ওয়াজকারী।
.
এতকিছু সত্ত্বেও তিনি ছিলেন একজন ভালো বন্ধু। ভালো উপদেষ্টা। ভালো ভাই। ভালো ভাতিজা। ভালো খালু। ভালো দুলাভাই। অসাধারণ স্বামী।
.
এতসব ব্যস্ততা, তবুও তিনি পরিবারকে অনেক সময় দিতেন। নিজের কাজ নিজে করতেন। বাড়ির বাজার সদাই করতেন। জুতো সেলাই করতেন। ছাগলের দুধ দোহাতেন। ভালোবাসার মানুষগুলোর সাথে একান্ত সময় কাটাতেন।
.
আম্মাজান আয়েশার দীর্ঘ কথাও অত্যন্ত মনোযোগের সাথে শুনতেন। ধৈর্য ধরে বোঝাতেন। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে দু’জনে চুপিসারে দৌড়াদৌড়িও করতেন।
.
শুধু তাই নয়, কখনো রাতের এক তৃতীয়াংশ, কখনো অর্ধেক রাত, কখনো পুরো রাত ইবাদত করে পা ফুলিয়ে ফেলতেন।
= ইয়া হাবীবি! কিভাবে করতেন এতকিছু?
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ ﷺ

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

04 Dec, 16:37


ইসলাহি মজলিস।
আন নূরী জামে মসজিদ।
তারিখঃ ০৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৪। বাদ এশা।
আলোচনা পেশ করেনঃ- হযরত মাওলানা  শায়েখ ওমায়ের কোব্বাদী দামাত বারকাতুহুম।

বিষয়ঃ-মিজানের পাল্লায় ভারী হওয়ার কয়েকটি আমলঃ-(১)বেশি বেশি লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ জিকির করা।
(২) সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম ( سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم)বেশি বেশি পড়া।
(৩) সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদাখালকীহি ,ওয়া রিদা নাফসীহি, ওয়া জিনাতা আরসিহী অমিদাদা কালিমাতিহ।( سبحان الله وبحمده عدد خلقه ورض نفسه وزنات عرشه ومداد كلماته) বেশি বেশি পড়া।
(৪) প্রত্যেক নামাজের পর দশবার সুবহানাল্লাহ দশবার আলহামদুলিল্লাহ দশবার আল্লাহু আকবার পড়া।
(৫) ঘুমানোর আগে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়া।
(৬) যে কোন মুসিবত আসলে আল্লাহকে দোষারোপ না করে প্রথম অবস্থা থেকে ধৈর্য ধারণ করা।
(৭) জানাজার নামাজে শরিক হলে এক কিরাত সোয়াব পাওয়া যায়, অতঃপর দাফনের কার্য পর্যন্ত শরিক থাকলে দুই কিরাত পরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। একেক কিরাতের ওজন ওহুদ পাহাড়ের চেয়ে বেশি।
(৮) উত্তম চরিত্র অর্জন করা।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

03 Dec, 13:32


একটা তিক্ত বাস্তবতা স্পষ্ট হচ্ছে, বহু মুসলিম শ/রি/য়া/হ আইন চায় না। কিন্তু যেসব মুসলিম চায় তাদের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।
.
শ/রি/য়া/হ অবশ্যই সুন্দর। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্যে এর চেয়েও পারফেক্ট কিছু হতেই পারে না। এর অধীনে অমুসলিমরাও তাদের ধর্ম পালনের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা পায়। তারাও নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারে।
.
সুতরাং আমরা যদি একে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারি তবে নিঃসন্দেহে না চাওয়া দলের বহু লোকও শ/রি/য়া/হ আইনের পক্ষে ভিড়বে।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

30 Nov, 09:34


আজ রাত ৯ টায়। ইনশাআল্লাহ।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

29 Nov, 10:48


ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বলেন,
“অভাব দূর করার ক্ষেত্রে لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِٱللَّٰهِ (আল্লাহ ব্যতীত কোনো ক্ষমতা ও শক্তি নাই।) বলার অসাধারণ প্রভাব রয়েছে।”

[আল-ওয়াবিলুস সায়্যিব, ১০৬]

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

29 Nov, 08:09


জুমার বয়ান: (২৯-১১-২০২৪)

বিষয় : দুনিয়ার লোভ ও তার প্রতিকার -৪
ইসকন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন

শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দি হাফিজাহুল্লাহ

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

27 Nov, 13:33


পাড়া-মহল্লার প্রতিটি দেয়ালে লিখে দিন 'ইসকন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।'

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

22 Nov, 09:13


জুমার বয়ান: (২২-১১-২০২৪)

বিষয় : দুনিয়ার লোভ ও তার প্রতিকার -৩

শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দি হাফিজাহুল্লাহ

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

20 Nov, 14:18


ইসলাহি মজলিস
তারিখ: ২১/১১/২০২৪
রোজ বৃহস্পতিবার।
সময়: বাদ এশা।
এশার নামাজের জামায়াতের সময়: ৭:৩০ মিনিটে।
স্থানঃ বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ,(খেজুর তলা মসজিদ) মিরপুর, ঢাকা.


☀️হযরতুল আল্লাম হযরত মাওলানা শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দী দামাত বারাকাতুহুমুল আলিয়া।
(খতীব, বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ, খেজুর তলা,দ‌ক্ষিন মনিপুর, মিরপুর, ঢাকা।
সিনিয়র মুহাদ্দিস,দারুর রাশাদ মাদ্রাসা, মিরপুর-১২,ঢাকা।) ☀️

সকলের প্রতি দ্বীনি দাওয়াত রইল, স‌ওয়াব এর আশায় অন্যান্য ভাইদের নিকট দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার বিনীত অনুরোধ রইলো।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

20 Nov, 12:57


https://maps.app.goo.gl/skHpKb2ChFUHZVzw8

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

20 Nov, 12:56


ইসলাহী মজলিস
.
আগামী কাল বৃহস্পতিবার। বাদ ইশা।
.
বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ, মধ্য মনিপুর [খেজুরতলা], মিরপুর, ঢাকা।
.
সকলের প্রতি দীনী দাওয়াত।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

15 Nov, 09:07


ওমর রাযি. জনৈক অবিবাহিতকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন,
ما يمنعُك من النِّكاحِ إلَّا عجزٌ أو فجورٌ
তোমাকে বিয়ে করতে বাধা দিচ্ছে- হয়তো অক্ষমতা; নয়তো পাপাচারিতা। [আলইসাবা ৪/৭৮]

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

12 Nov, 00:08


দেশ কি এ পথেই হাঁটছে
.
হাদিসে এসেছে, আমার উম্মত থেকে কল্যাণ বন্ধ হবে না, যতক্ষণ না তাদের মাঝে জারজ সন্তান বেড়ে যায়। যখন তাদের মাঝে জারজ সন্তান বিস্তার লাভ করবে, তখন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ব্যাপক আযাবের সম্মুখীন করবেন।
[মুসনাদে আহমাদ : ২৬৮৩০]

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

08 Nov, 09:48


দুনিয়ার লোভ ও তার প্রতিকার

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

07 Nov, 10:40


সব সময় একজন হক্কানি আলেমের টাচে থাকবেন, তাঁর মজলিসে নিয়মিত অংশগ্রহণ করবেন।
বলতে পারেন, ভেজালের এই জামানায় নেক মজলিস পাবো কোথায়? কার কথা শুনে নিজেকে সংশোধন করবো? কীভাবে বুঝবো যে, অমুক মজলিসটি নেক এবং আল্লাহ তাআলার কাছে মাকবুল।
এর সমাধানও হাদিসে আছে। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,
قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ، أَيُّ جُلَسَائِنَا خَيْرٌ؟ قَالَ: مَنْ ذَكَّرَكُمُ اللهَ رُؤْيَتُهُ، وَزَادَ فِي عِلْمِكُمْ مَنْطِقُهُ، وَذَكَّرَكُمْ بِالْآخِرَةِ عَمَلُهُ
এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলো, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের বসার সঙ্গী বা মজলিস হিসেবে কোনটি সবচেয়ে উত্তম? রাসুলুল্লাহ ﷺ উত্তর দিলেন, যার সাক্ষাৎ তোমাদেরকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যার কথায় তোমাদের ইলম বেড়ে যায় এবং যার আমল তোমাদেরকে আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (মুসনাদ ইবন আব্বাস রাযি. ৬৩৮)
সুতরাং যে শায়খের মজলিসে এই তিনটি প্রভাব অনুধাবন করবেন তাঁর মজলিসে নিয়মিত আসা-যাওয়া করবেন। তাঁর কথা শুনবেন। এমনকি মাঝে মধ্যে কোনো কাজ না থাকলেও তাঁর কাছে যাবেন, যতক্ষণ পারেন সময় দিবেন, যেতে দেরী হয়ে গেলে ফোন করে খোঁজখবর নিবেন এবং দিবেন।
দেখবেন, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি, এর প্রভাব আপনি তখনও নিশ্চিত অনুভব করবেন, যখন রাতের অন্ধকারে আপনি স্মার্ট ফোনটা হাতে নিবেন। ব্রাউজিং করার সময় গুনাহর চিন্তা যখন আপনাকে তাড়িত করবে, তখন এই নেক সোহবতের নূর আপনি অনুভব করবেন।
دم كے دم میں قلب نورانی ہوئی
مرد حق سے ملکے حقا نی ہوئی
ধীরে ধীরে অন্তর আলোকিত হয়েছে, আল্লাহওয়ালার সঙ্গে মিলে হক্কানি হয়ে উঠেছে।
#খুতুবাত

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

07 Nov, 08:50


ইসলাহি মজলিস।
আন নূরী জামে মসজিদ।
তারিখঃ ০৫ই নভেম্বর ২০২৪। বাদ এশা।
আলোচনা পেশ করেনঃ- হযরত মাওলানা  শায়েখ ওমায়ের কোব্বাদী দামাত বারকাতুহুম।

বিষয়ঃ- আল্লাহ তায়ালাকে পাওয়ার পথে বাধা হচ্ছে চারটিঃ- ১) দুনিয়ার মহব্বত, ২) অহংকার, ৩) হিংসা, ৪) তওবা করতে দেরি করা।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

05 Nov, 10:29


উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে বিশ্ব ইজতেমা হবে দুই পর্বে, ইনশাআল্লাহ।

প্রধম পর্ব -
৩১-শে জানুয়ারী ও ১-২- ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।

দ্বিতীয় পর্ব -
৭-৮-৯ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।
.
আল্লাহ কবুল করুন। সবাই সংবাদটা প্রচার করুন।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

04 Nov, 12:04


সুফিয়ান ইবনে হুসাইন রহ. বলেন, আমি ইয়াস ইবনু মুআবিয়া রহ.-এর নিকট কোনো এক লোকের বদনাম করলাম। তিনি আমার চেহারার দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি কি রোম সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছ?
.
আমি বললাম, না।
.
তিনি বললেন, ভারতবর্ষ, তুর্কী, সিন্ধু প্রদেশের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছ?
.
আমি বললাম, জী না।
.
তিনি বললেন, তোমার থেকে রোমান, সিন্ধু, তুর্কী, ভারতীয়রা নিরাপদে রইল, অথচ তোমার মুসলিম ভাই তোমার থেকে নিরাপদ নয়! তিনি বলেন, এরপর থেকে আর কখনও আমি এরূপ করিনি।
(আলবিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ : ১৩/১২১)

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

03 Nov, 15:00


https://www.youtube.com/live/ENfD0miH3jY?si=hYffThAYmh-zsZm1

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

03 Nov, 06:07


আজ রাত ৯ টায়, ইনশাআল্লাহ।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

02 Nov, 01:10


এই অন্তরের একটা তালা আছে। ওই তালা খোলার একটা চাবি আছে। যে চাবির নাম হল মুচকি হাসি। আপনি এই চাবি যত ব্যবহার করতে পারবেন, মানুষের হৃদয়ে তত বেশি পৌঁছতে পারবেন। যত বেশি মুচকি হাসবেন, মানুষের হৃদয় তত বেশি জয় করতে পারবেন।
.
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন
إِنَّكُمْ لا تَسَعُونَ النَّاسَ بِأَمْوَالِكُمْ وَلَكِنْ يَسَعُهُمْ مِنْكُمْ بَسْطُ الْوَجْهِ وَحُسْنُ الْخُلُقِ
ধন-সম্পদ দিয়ে তোমরা ব্যাপকভাবে লোকেদের সম্ভষ্ট করতে সক্ষম হবে না, কিন্তু মুখমণ্ডলের প্রসন্নতা ও প্রফুল্লতা এবং চরিত্র মাধুর্য দ্বারা ব্যাপকভাবে তাদেরকে সন্তুষ্ট করতে পারবে। (বুলুগুল মারাম : ১৫৩৪)

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

31 Oct, 17:23


আল্লাহ যেন আমার ডাকে সাড়া দেন। তিনি যেন আমাকে ক্ষমা করেন; এর জন্য আমাদের কত ভাবনা!
.
আর রাতের শেষ প্রহরে স্বয়ং আল্লাহ বান্দাকে ডাকতে থাকেন বান্দাকে ক্ষমা করার জন্য! আর এর জন্য তিনি প্রথম আসমানে চলে আসেন।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

31 Oct, 13:46


হয়তো এরই নাম হবে মহব্বত; যা হৃদয়ে এক প্রজ্বলিত আগুন হয়ে বিরাজ করে।
.
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

28 Oct, 03:08


গরিব আমি নিশ্চয় দেয়ার কিছু নেই।
আছে শুধু ভালবাসা গ্রহণ করুন তা-ই।
.
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

27 Oct, 04:30


যিনি পাপীকে তাঁর উদারতার চাদরে ঢেকে নিয়েছেন।
.
যিনি দুশমনের হাতে আঘাত খেয়েও তাদের জন্য দোয়া করেছেন।
.
যামানা তাঁর আর কী নাম দিবে ‘রাহমাতুল লিল আলামীন’ ছাড়া!
.
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

26 Oct, 05:10


সেই চক্ষু কত সৌভাগ্যবান যে প্রিয় নবী ﷺ-এর কান্তিময় অবয়ব দর্শন করেছে।
.
সেই হৃদয় কত সার্থক ও ভাগ্যবান যেখানে প্রিয় নবী ﷺ-এর খেয়াল-ধ্যান বাস করে।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

24 Oct, 10:06


হে প্রিয় রাসূল!
গোটা বিশ্বের সৌন্দর্য যখন ছড়িয়ে দেয়া হয়, তখন তা অগণিত ছিল। যখন সেগুলো একত্রিত করা হয় তখন তা মুহাম্মাদ নামে গণ্য হয়।
.
আপনি তো সকল সৌন্দর্যের সমষ্টি!
.
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

24 Oct, 06:30


স্বয়ং আল্লাহই তার প্রিয় রাসূল ﷺ-কে বলে দিয়েছেন, যে তোমার নয়, সে আমারও নয়।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

23 Oct, 09:59


তুমি যে তাওবার ভরসায় গোনাহে লিপ্ত হতে চলেছো, কী নিশ্চিয়তা আছে যে, তাওবার সুযোগ তুমি পাবে। কে জানে মৃত্যুর ফিরেশতা তখন থাবা দেয়ার জন্য তৈয়ার হয়ে আছেন কি না!
.
একবার হাসান বসরী রহ. এর ছেলে বাবার কাছে এসে বলল, আব্বাজান! তীরটা ভেঙ্গে গেছে।
তিনি বললেন, দেখি, কোনটা?
ছেলে দেখাল যে, এটা। তখন তিনি দেখে বললেন
الْأَمْرُ أَسْرَعُ مِنْ ذَلِكَ
মৃত্যু এর চেয়েও দ্রুত ধাবমান। (ইবনু আবিদ্দুনয়া, ক্বাসরুল আমল : ৩৮)
#খুতুবাত

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

22 Oct, 13:02


আবুদ্দারদা রাযি. বলেন
إِنَّ الْعَبْدَ يَخْلُو بِمَعَاصِي اللَّهِ فَيُلْقِي اللَّهُ بُغْضَهُ فِي قُلُوبِ الْمُؤْمِنِينَ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُ
বান্দা গোপনে আল্লাহ তাআলার নাফরমানি করে। ফলে আল্লাহ তাআলা মুমিনদের অন্তরে তার ব্যাপারে এমনভাবে ঘৃণা তৈরি করে দেন যে, সে টেরও পায় না। (ইবনুল কায়্যিম, আদ-দা ওয়াদদাওয়া : ১/৫২)

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

20 Oct, 17:49


এক রাতে হাসান বসরী রহ. দাঁড়ান এবং নামায শুরু করেন। নামাযের মধ্যে সকাল পর্যন্ত এই আয়াত বিরামহীনভাবে তেলাওয়াত করতে থাকেন
وَإِن تَعُدُّواْ نِعْمَةَ اللّهِ لاَ تُحْصُوهَا إِنَّ اللّهَ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ
আর যদি তোমরা আল্লাহর নিআমত গণনা কর, তবে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আননাহল : ১৮)
.
জিজ্ঞেস করা হল, মাত্র একটি আয়াত পড়ে সারা রাত শেষ করে দিলেন, কারণ কী?
.
তিনি উত্তর দেন
إن فيها معتبرا ما نرفع طرفا ولا نرده إلا وقع على نعمة وما لا نعلمه من نعم الله أكثر
আয়াতটিতে শিক্ষণীয় বিষয় আছে। আমরা দৃষ্টি যে দিকেই ঘুরাবো, আল্লাহ তাআলার নেয়ামত পাবো। বেশির ভাগ নেয়ামত তো আমাদের জানার বাইরেই আছে। (মাফাতিহু তাদাব্বুরিল কুরআন : ১/৪৬)

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

20 Oct, 05:17


যখন বলতে না পারার বেদনায় থাকবেন, হাত তুলে আল্লাহর কাছে সব বলে ফেলুন, চোখের পানি দিয়ে সব বেদনা ধুয়ে ফেলুন।
.
কেননা আল্লাহ-ই তো বান্দার সবচেয়ে আপন। তিনি তো সবই জানেন।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

19 Oct, 17:57


কা’ব আলআহবার রাযি. বলেন
إن الملائكة يَنْظُرُونَ من السَّمَاءِ إلى الَّذِينَ يتهجدون بالليل كَمَا تنظرون أنتم إلى نجوم السَّمَاءِ
যেমনিভাবে তোমরা আকাশের তারকারাজি দেখো, অনুরূপভাবে ফেরেশতারা আকাশ থেকে তাদের প্রতি তাকিয়ে থাকেন যারা রাতে তাহাজ্জুদ পড়েন। (ইবনু রজব, ইখতিয়ার আল-আওলা : ৯১)

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

19 Oct, 11:05


মাশায়েখ বলেন, যে পুরুষ নিজেকে কুদৃষ্টি থেকে হেফাযত করতে চায়, যে নারী চায় যে, সে পর্দায় চলবে সে নিউইয়র্ক শহরেও তা পারবে।
.
পক্ষান্তরে যে তা চায় না, সে হারাম শরীফের ভেতরেও তা পারে না।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

18 Oct, 17:58


শিশু যখন কাঁদে, বাবা তখন সন্তানকে এভাবে জিজ্ঞেস করে, আব্বু! তোমার কী লাগবে? মজা লাগবে? আইসক্রিম দরকার? চকলেট দিব? কী প্রয়োজন? আব্বুকে বলো! আব্বু এখুনি এনে দিচ্ছি।
.
অনুরূপভাবে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাকে জিজ্ঞেস করেন, বান্দা! তোমার কী দরকার? ক্ষমা দরকার? ক্ষমা করে দিব। রিজিক লাগবে? রিজিক দিয়ে দিব। বান্দা! আমি মাওলার কাছে বলো, তোমার কী প্রয়োজন, আমি পূরণ করে দিব।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

17 Oct, 12:11


মুহাম্মদ ইবনু সুকা রহ. বলেন,‌আমরা সাঈদ ইবনু যুবাইর রহ.-এর সঙ্গে কা'বা শরীফের আঙ্গিনায় বসা ছিলাম। তখন তিনি আমাদের বললেন,
أنتم الآن في أكرم ظل على وجه الأرض
এখন তোমরা পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে সম্মানিত জিনিসের ছায়ায় বসে আছো।
[আখবারু মাক্কা ২/১৯০]
.
ফা লিলাল্লাহিল হামদ...

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

15 Oct, 07:00


জাবির রাযি.-এর প্রতি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাঁচ উপদেশ

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

14 Oct, 09:50


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষায় : যারা আমাদের মধ্য থেকে নয়

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

14 Oct, 08:20


https://youtube.com/@umayerkobbadispeeches5235?si=HufeAuj4r3zZ_2PX

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

14 Oct, 00:30


ব্যবসায়ী পরীক্ষা দিচ্ছে ব্যবসার মাধ্যমে। সে হয়তো ভাবছে, আমি ব্যবসা করছি, অর্থ উপার্জন করছি। মূলত সে পরীক্ষা দিচ্ছে। কেননা এই ব্যবসার মাধ্যমে সে জান্নাতে যেতে পারে, জাহান্নামেও যেতে পারে।
.
অফিসের চেয়ারে বসে যে কলম চালায়, সেও এর মাধ্যমে পরীক্ষা দিচ্ছে। কেননা এই কলমের পাশাপাশি আরেকটি অদৃশ্য কলম ও তার জন্য চলমান-- ফেরেশতাদের কলম। হয় ডান কাঁধের ফেরেশতার কিংবা বাম কাঁধের ফেরেশতার কলম তার জন্য চলমান।
.
এভাবে প্রত্যেকেই মূলত পরীক্ষা দিচ্ছে।
.
যে সংসার করছে, সংসারের মাধ্যমে সে পরীক্ষা দিচ্ছে। যে রাস্তায় চলছে, পরীক্ষা দিচ্ছে। যে মসজিদে আছে, পরীক্ষা দিচ্ছে। যে মাদরাসায় আছে, পরীক্ষা দিচ্ছে।
.
প্রত্যেকের জন্য ডান কাঁধের ফেরেশতার কিংবা বাম কাঁধের ফেরেশতার কলম প্রতিনিয়ত চলমান। কলম কারো জন্য থেমে নেই।
.
যে লোকটি যে কাজ করছে, সে ওই কাজের মাধ্যমে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা কারো জন্য থেমে নেই। কেননা দুনিয়া মানেই পরীক্ষার হল।
.
সুতরাং দুনিয়াতে আছেন মানে পরীক্ষার হলে আছেন। শিশু এবং পাগল ছাড়া এ-ই পরীক্ষা থেকে নিস্তার কারো নেই।

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

12 Oct, 08:49


জুমার বয়ান: (১১-১০-২০২৪)

সীরাত পর্ব ০৪: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিভাবে আমাদের জীবনে আসবে এর ছয় পদ্ধতি

শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দি হাফিজাহুল্লাহ

খুতুবাতে শায়খ উমায়ের কোব্বাদী

11 Oct, 13:47


আমাদের অবস্থা
...
এক ছেলে তার মাকে বলল, মা! বলো তো খরগোশের পা কয়টা? মা বলল, চারটা। ছেলেটি বলল, মা! তুমি ভুল বলেছ, আমি বাজি ধরলাম যে, খরগোশের পা তিনটা। মা বলল, বেটা! তুমি ভুল বিষয়ে বাজি ধরেছ। তুমি তো হেরে যাবে। ছেলেটি উত্তর দিল, মা! আমি তো হেরে যাব তখন, যখন মেনে নিব। আমি মানবোই না। আমি বলেই যাব, খরগোশের পা তিনটা।
.
আজ আমাদের অবস্থাও হয়ে গেছে গল্পের ছেলেটির মত। বিচার মানি তাল গাছ আমার টাইপের মানসিকতা লালন করি। নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু হলে তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। সবসময়ই জিততে চাই। কখনোই হারতে চাই না। কারণ আমরা সবসময়ই মনে করি আমরা নিজেরাই ঠিক, অন্যরা বেঠিক। আমরা ধরেই নেই, যত দোষ, ভুল, অন্যায় সব আমাদের প্রতিপক্ষের, আমাদের নিজেদের নয়।