ThinkTwice 🔻

পরকালের প্রতি একনিষ্ঠ এবং অবিচল বিশ্বাস না থাকলে, দুনিয়া আসলেই ভয়াবহ অসহনীয় জায়গা৷

ফ্রেন্ড সাজেশনে বুয়েটিয়ান জুনিয়র এক ছাত্রলীগ ক্যাডারের আইডি আসলো হঠাৎ। খুব চেনা মুখ। হলে ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা ছিলো। মুজিবকেই নিজের আসল বাপ বলে পরিচয় দিতো। ভারতের প্রতি আস্থা ও আনুগত্য ছিলো অবিচল। ভয়াবহ ধূর্ত এবং সেই সুবাদে আওয়ামী বয়ান প্রতিষ্ঠায় ছিলো একনিষ্ঠ দাস। যতদূর মনে পড়ে,মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে খুব সুশীল ভাবে এগ্রেসিভ ছিলো। যাই হোক, সামগ্রিক পুরস্কার হিসেবে বিসিএস ফরেন ক্যাডার তো প্রাপ্যই।

আইডিটায় ঢুকলাম৷ নতুন আইডি৷ নতুন ভাবে নাম। আগের আইডি ভ্যানিশ। এই অল্প ক'দিনের মধ্যেই অতি লোভনীয় এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক দূতাবাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে বর্তমানে কর্মরত। ফেসবুক আইডিতে দেয়া তথ্য অনুযায়ী জুলাই বিপ্লবের পরে লাস্ট ডিসেম্বরেই সেই পদ প্রাপ্তি। রিসেন্ট কিছু পোস্ট দেখলাম৷ রেগুলার গান-বাজনা, শিল্প সংস্কৃতির প্রোগ্রাম হচ্ছে তার নেতৃত্বে৷ যাদেরকে এনে এসব আসর বসানো হচ্ছে, তারা ফেসবুকে আবার ভাই ভাই বলে ট্যাগ দিয়ে তেলের শিশি উলটে দিচ্ছে। বুঝতেই পারছেন তারা কারা।সংস্কৃতিমনা প্রগতিশীল আওয়ামীলিগ ও ভারতেই আস্থা রাখা 'নির্যাতিত সংখ্যালঘু' সম্প্রদায়ের গণ্য মান্যরা। দেখলাম, দূতাবাসের কালচারাল মজমা, বউ-বাচ্চা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো সহ আনন্দময় চিল লাইফ কাটাচ্ছে ছাত্রলীগটি। দেখে ভালো লাগলো, 'ফকিন্নিদের' জুলাই বিপ্লব তার জীবনে আনন্দের ব্যাঘ্যাত ঘটাতে পারেনি। বরং ক্যারিয়ারে আরো উন্নতি এনে দিয়েছে। দুই দিনের অন্তর্বর্তী সরকার দূরে থাক, সামনের রাজনৈতিক সরকারের দিনেও ছাত্রলীগটি ভালোই থাকবে। কারন এটা বাংলাদেশ। সামনের বার আওয়ামীলিগ ক্ষমতায় আসতে আসতে নিশ্চই ফরেন মিনিস্ট্রির একদম উপরের দিকে পৌঁছে যাবে৷ কে জানে,পররাষ্ট্র সচিবও হয়ে যাবে হয়তো৷ ভারত প্রভুর দয়া তো আছেই।

শহীদ হাসানের কথা মনে পড়ে গেলো৷ শহীদ তানভিন, শহীদ ইয়ামিনের কথা মনে পড়লো৷ শহীদ আবরার ফাহাদের কথা মনে পড়লো। বেচে থাকলে ছেলেটা মহামান্য বিসিএস ক্যাডার না হলেও, আমেরিকায় হয়তো কিছু করে কর্মে খেতো। মনে পড়ে গেলো, আওয়ামীলিগ আমলে চিরতরে হারিয়ে যাওয়া কিংবা গুম হয়ে জীবনটাকে প্রায় হারিয়ে ফেলা হাজারো মানুষ ও তাদের পরিবারের কথা। জুলাই বিপ্লবের পরের বাংলাদেশে, অতি গুরুত্বপূর্ণ এক দূতাবাসের এম্বাসেডরের পরেই দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা, যে কিনা অফিশিয়ালি দূতাবাসের ডে টু ডে এক্টিভিটি লিড করে, সে এক সময়কার পোস্টেড ছাত্রলীগ নেতা। স্বাধীনতা ২.০! হা হা।

আসলেই, পরকালের বিশ্বাস না থাকলে দুনিয়াটা কি অসহনীয় জায়গাই না হতো।- নাহিয়ান হোসেইন

আজ ১২ই ফেব্রুয়ারী। আবরার ফাহাদের আজ ২৭ বছরে পা দেয়ার কথা ছিলো৷ নিউক্লয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পিএইচডি করার ইচ্ছা ছিলো ছেলেটার। হয়তো আমেরিকার কোন টপ র‍্যাঙ্কড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ডেড পজিশনে থাকতো এখন সে। আবরার ফাহাদকে স্মরণ করে ছোট্ট একটা পোস্ট দিয়েছে ওর ছোট ভাই আবরার ফায়াজ। সেখানে এসে হাহা দিচ্ছে অনেকে। আমি জানি, অনেকেই বলবে লীগের বট আইডি এগুলো৷ কিন্তু অভিজ্ঞতার কারনেই, আমি কিছুক্ষণ সময় নিয়ে হাহা দেয়া প্রোফাইলগুলো চেক করলাম৷ না, সবগুলো বট আইডি না। কুয়েটের একটা ছেলেকে পেলাম৷ জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার। স্পেনে থাকে আরেকটা ছেলে। কতভাবে জীবন এঞ্জয় করছে তার অগণিত ছবি। এরকম অনেকগুলো রিয়েল প্রোফাইল৷ হাহা রিএক্ট দেয়ার অন্তত ৭০% রিয়েল প্রোফাইল। তার ভেতরে উল্লেখযোগ্য একটা অংশ বিশেষ এক ধর্মের।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে লীগ৷ বাড়ির সবাইকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিলো বাইরে থেকে আটকে দিয়ে। কোনমতে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে কাফির পরিবার৷ দেশে এবং দেশের বাইরে অগণিত লীগের লোকজন উল্লাস করছে। আরো কত কাফির বাড়ি পোড়ানো হবে সেই হুঙ্কার দিচ্ছে। সব কাফিদের পরিবারসহ খু*ন করবে সেই কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছে।

গতকাল মুন্সিগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা একটা বাসে আগুন দিয়েছে লীগের লোকজন। বাসে ঘুমিয়ে থাকা ১৪ বছরের হেল্পার বাচ্চা ছেলেটা ঘুমের মধ্যেই পুড়ে মারা গিয়েছে। সেই খবরে এসে লীগের লোকজন কমেন্ট করছে, খেলা শুরু৷ উল্লাস করছে।

আমি ঠিক জানি না, কিভাবে আওয়ামীলিগারদের অস্তিত্ত্ব স্বীকার করে নিয়ে বাংলাদেশ টিকে থাকবে। আসলেও জানি না। এরকম ভয়াবহ একদল নরপিশাচের সাথে লড়াই করে টিকে থাকার একমাত্র অর্থ হলো, বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ অবশ্যাম্ভাবী।

খুব সম্ভবত আওয়ামীলিগারদের ভায়োলেন্সের প্রতি এই আল্টিমেট কমিটমেন্টের কারনেই ময়ূখরা আত্ববিশ্বাসী যে, বাংলাদেশটা থাকবে না।- নাহিয়ান হোসেইন

https://youtu.be/bIADBYnR5r8?feature=shared

আমরা যে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার জন্য আরব নেতাদের দোষারোপ করি, এ নিয়ে বহু আরব-ভক্ত খুবই রুষ্ট। জনৈক মজুমদার তো যুদ্ধের শুরুতে একবার লাইভে এসে কেঁদেকেটে একসাথ। তো ট্রাম্প এবার হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন।

কিছুদিন আগে তিনি গাজার পুরো জনসংখ্যাকে মিশর ও জর্ডানে শিফট করার কথা বলেছিলেন। মিশর-জর্ডান অবশ্য প্রস্তাব সাথে সাথেই প্রত্যাখ্যান করেছে। সবাই ভাবছিল এই ঘটনা এখানেই শেষ।

কিন্তু গতকাল আবার প্রস্তাব যে মিশর ও জর্ডান প্রত্যাখ্যান করেছে, তা জানিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “তারা এটা করবে। তারা এটা করবেই। তারা করতে চলেছে, ঠিক আছে? আমরা তাদের জন্য অনেক কিছু করি, তাই তারা এটা করবে।”

শেষের লাইনটা খেয়াল করেন, "আমরা তাদের জন্য অনেক কিছু করি, তাই তারা এটা করবে।”

ওকে?

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার বোঝাপড়া যে ফিলিস্তিনিদেরই করতে হবে, আরব নেতারা যে অলরেডি বুকড, এ-বিষয়ে সন্দেহ করা অমূলক। এবার আপনারা হামাসকে দোষ দিতে থাকেন।

"হামাসকে কেন সমর্থন করবেন" এই শিরোনামে একটা দীর্ঘ আর্টিকেল লিখতেছি, ইনশাআল্লাহ।- মনজুরুল হক

ভারতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী নেতা ও সাবেক অবৈধ মন্ত্রী (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক) মোজাম্মেল বলেছে, ভারতের কাছ থেকে সর্বাত্বক সহায়তার আশা করছে তারা। ২৬ শে মার্চের আগেই বাংলাদেশে ফিরে আসার ব্যাপারেও তারা আশাবাদী। এই মোজাম্মেলকে নিয়ে এন্থনি মাসকারেনহাসের Bangladesh legacy of blood এবং হুমায়ূন আহমেদের দেয়াল উপন্যাসে কি লেখা ছিলো একটু মনে করিয়ে দেই।

"১৯৭৪ সালে এক নবদম্পতি গাড়ীতে করে যাচ্ছিল। টঙ্গীর আওয়ামীলীগ নেতা ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মোজাম্মেল দলবলসহ গাড়িটি আটক করে। ড্রাইভার আর নববধূর স্বামীকে হত্যা করে, মেয়েটিকে সবাই মিলে ধর্ষণ করে, অতঃপর তিনদিন পর তাঁর লাশ পাওয়া যায় টঙ্গি ব্রীজের নীচে ।

পৈশাচিক এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় সর্বত্র। বিশেষ অভিযানে দায়িত্বরত মেজর নাসেরের হাতে মোজাম্মেল ধরা পড়ে। মোজাম্মেল মেজরকে বলে- ঝামেলা না করে আমাকে ছেড়ে দিন, আপনাকে তিন লাখ টাকা দেবো। বিষয়টা সরকারি পর্যায়ে নেবেন না। স্বয়ং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমি ছাড়া পাবো। আপনি পড়বেন বিপদে। আমি তুচ্ছ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে জড়াতে চাই না।

মেজর নাসের হুঙ্কার ছাড়লেন, এটা তুচ্ছ বিষয়? আমি অবশ্যই তোমাকে ফাঁসিতে ঝোলাবার ব্যবস্থা করবো। তোমার তিন লাখ টাকা তুমি তোমার গুহ্যদ্বারে ঢুকিয়ে রাখো!

এরপরের কাহিনী অতি সরল। কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোজাম্মেলের বাবা, দুই ভাই গেল বঙ্গবন্ধুর কাছে। তিনি ঢোকা মাত্র মোজাম্মেল এর বাবা ও দুই ভাই কেঁদে বঙ্গবন্ধুর পায়ে পড়লো। টঙ্গি আওয়ামীলীগের সভাপতিও পায়ে ধরার চেষ্টা করলেন। পা খুঁজে পেলেন না। পা মোজাম্মেলের আত্মীয় স্বজনের দখলে!

বঙ্গবন্ধু বললেন, ঘটনা কি বল?
টঙ্গি আওয়ামীলীগের সভাপতি বললেন, আমাদের মোজাম্মেলকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। মেজর নাসের তাকে ধরেছে। নাসের বলেছে ৩ লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দিবে।
মিথ্যা মামলাটা কি?
মোজাম্মেল এর বাবা কাঁদতে কাঁদতে বললেন, খুনের মামলা লাগায়া দিছে।
মুজিব জিজ্ঞাসিলেন, ঘটনা কি ?
টঙ্গি আ’লীগের সভাপতি বললেন, আমাদের সোনার ছেলে মোজাম্মেলকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে।
মেজর নাসির তাকে ধরে নিয়ে গেছে। বলেছে তিন লাখ টাকা দিলে ছেড়ে দিবে। কাঁদতে কাঁদতে আরো বললো, এই মেজর আ’লীগের নাম শুনলেই তেলে বেগুণে জ্বলে ওঠে। সে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে, টঙ্গিতে আমি আ’লীগের কোন শূয়োর রাখবো না। বঙ্গবন্ধু, আমি নিজেও এখন ভয়ে অস্থির! টঙ্গিতে থাকি না। ঢাকায় চলে আসছি। (ক্রন্দন)

এবার হুঙ্কার ছাড়লেন বঙ্গবন্ধু, কান্দিস না। কান্দার মত কিছু ঘটে নাই। আমি এখনো বাইচ্যা আছি তো, মইরা যাই নাই। এখনি ব্যবস্থা নিতাছি।

অতঃপর মোজাম্মেলকে তাৎক্ষণিক ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিলেন এবং মেজর নাসেরকে টঙ্গি থেকে সরিয়ে দেবার জরুরী আদেশ দেয়া হলো।
মোজাম্মেল ছাড়া পেয়ে মেজর নাসেরকে তার বাসায় পাকা কাঁঠাল খাওয়ার নিমন্ত্রন করেছিল।"

মোজাম্মেলের কিছু হয়নি। যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী হয়েছে। জুলাইতে গণহত্যা চালিয়েছে। সামনেও হয়তো চালাবে আবার। কারন মোজাম্মেলদেরকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার জন্য, ওদেরকে মাটিতে পুঁতে ফেলার জন্য কোন প্রতিজ্ঞা এই দেশের কারো রক্তে নাই। মোজাম্মেলরা ফিরে আসবে, রাজনীতি করবে, নির্বাচন করবে।

বাংলাদেশ সব সময় অভিশপ্তই থেকে যায় কারন টঙ্গী ব্রিজের নিচে পড়ে থাকা সেই মেয়েটার লাশের অভিশাপ এই দেশের বাতাসে লেগে আছে। এখন যেমন আস্তে আস্তে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের লাশের অভিশাপ জমা হচ্ছে বাতাসে।- নাহিয়ান হোসেইন

অসংখ্য মানুষ নিজে যে কোম্পানিতে চাকরি করে, সেই কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ করার চিন্তা করে প্রথমেই। তারা ভাবে, "কোম্পানির কোটি কোটি টাকা আছে। আমি যদি দু-চার লাখ টাকা মেরে দিই, তাতে সমস্যা নেই।"
অনেক মানুষ বিপদগ্রস্ত অবস্থায় ধনীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বেমালুম গায়েব হয়ে যায়, কারণ তারা মনে করে, "ওদের তো অনেক আছে, টাকা ফেরত না দিলেই বা কী?" অন্যদিকে টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দেওয়ার বিষয়ে তো বাঙালির জুড়ি নেই! ধনী বা গরিব, যার কাছ থেকেই ধার নিক না কেন, ফেরত দেওয়ার সময় গ্রহীতা আর দাতাকে চেনে না। কী দারুণ ব্যাপার!
প্রকৃতপক্ষে দুইটি কাজ একই মানসিকতার প্রতিফলন। ভিন্ন ভাবে।
আমাদের পেজে আমরা ব্যক্তিগত উন্নয়ন (পার্সোনাল গ্রোথ) ও আত্মউন্নয়ন (সেলফ ডেভেলপমেন্ট) নিয়ে কথা বলি। কিন্তু কেউ যদি চোর মনোভাব নিয়ে ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও আত্মউন্নয়নের স্বপ্ন দেখে, তাহলে আসলে তার কোনো লাভ নেই। সে যদি টাকা কামায়ও, বড় চোর হয়ে কামাবে। চুরি করে বড়লোক হওয়া ডেভেলপমেন্ট নয়, বরং এটি আরও বড় চুরি করার প্রস্তুতি মাত্র।
নৈতিকতার পরের ধাপ হচ্ছে ব্যক্তিগত ডেভেলপমেন্ট ও পার্সোনাল গ্রোথ। যদি কারও নৈতিকতায় সমস্যা থাকে, তাহলে প্রথমে নৈতিকতার শিক্ষা নিতে হবে। এটা সে পরিবার থেকে নেবে, নাকি সুফি-দরবেশদের কাছে গিয়ে নিজের আত্মশুদ্ধি করবে, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে, নৈতিকতা ঠিকঠাক করার পরই সে বড় স্বপ্ন দেখতে পারবে। তখনই ডেভেলপমেন্ট এর সূত্রগুলো কাজ করা শুরু করবে এবং সে নিজেই সেটা বুঝতে পারবে। এর বাইরে চুরি করে সফল হওয়ার কোন শর্টকাট নেই। হ্যা আছে; চোর হওয়ার শর্টকাট আছে। যদিওবা তাকে বাইরে থেকে ধনী দেখায়।

কত কিছুই না মনে পড়ে যায়। মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইদীর বিরুদ্ধে মামলার রায় যেদিন ঘোষণা করা হলো, সেদিন আমি টিউশনি করাতে যাচ্ছি। কি ভেবে সেদিন বের হয়েছিলাম কে জানে। যাওয়ার রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় মানুষের জটলা দেখলাম। বিকেলে যখন বনশ্রীর ভেতর থেকে হেঁটে রামপুরা টিভি সেন্টারের সামনে মেইন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছি, রাস্তায় তখন কিচ্ছু নেই। কোন বাসের নাম গন্ধ নেই। ততক্ষণে জানতে পেরেছি, পুরো দেশে নাকি ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে। যাই হোক, দেখলাম মেইন রাস্তায় মানুষও নেই তেমন। অদ্ভুত থমথমে অবস্থা। আবার মনে হচ্ছে একটু দূর থেকে অনেক মানুষের চিৎকার বা স্লোগান কিছু শুনছি। একটা সিএনজি এসে সামনে দাঁড়ালো। সিএনজিওয়ালা মামা খুবই রিজনেবল ভাড়া চাইতেই উঠে বসলাম। রামপুরার রাস্তা পার হয়ে কিছুদুর সামনে মালিবাগের দিকে আসতেই একদিকে স্লোগানের শব্দ, আরেকদিকে লাইভ গুলি করার শব্দ। কিছুটা অবাক হয়েই সিএনজি দিয়ে বাইরে তাকানোর চিন্তা করছি যখন, তার আগেই সিনএনজি চালকের ধমক, "ভিতরের দিকে চাইপা বসেন মামা।" পলাশী পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত কয়েকবার ওপেন ফায়ারের শব্দ শুনলাম বিভিন্ন জায়গায়। হ্যাঁ ঢাকার মধ্যে, বিকেলের আলোয়। সিএনজি মামা প্রায় উড়ে যাচ্ছিলো সিএনজি নিয়ে। এর মাঝেই বললো, বিভিন্ন জায়গায় নাকি পুলিশ-র‍্যাব-বিজিবি মিলে পাখির মত গুলি করে মানুষ মারতেছে। আমাকে নামায় দিয়েই মামা বাসার পথ ধরবে। হলে ফিরলাম। সেদিন একদিনেই সারা দেশে গুলি করে ৩০০ এর উপর মানুষ মেরেছিলো আওয়ামীলিগ। হ্যাঁ, জাস্ট একদিনেই।
আমরা তখন ক্লাশ ফাইভে পড়ি। খুলনায় আমাদের পাশের বাসার প্রতিবেশী যে আন্টি ছিলেন, তার ছোট ভাই সাতক্ষীরা থেকে তার বাসায় বেড়াতে আসলেন। মফস্বলে যা হয়, কাছের প্রতিবেশীর আত্বীয় আসলে তাকে নিজেদের বাসায় দাওয়াত দেয়া অবধারিত। কাজেই সেই মামাকে আমাদের বাসায় দাওয়াত দেয়া হলো। সেই মামা তখন ইন্টারে পড়তেন বোধ হয়। লম্বা-চওড়া, প্রায় নায়ক টাইপ চেহারার খুবই শান্ত-শিষ্ট একজন মানুষ। চুপচাপ, আন্তরিক হাসি। এখনো উনার চেহারা আমার মনে আছে। উনি থাকা অবস্থায়ই আমরা পিচ্চিরা মিলে একবার পিকনিক করলাম। মামা আমাদের সাথে হৈ চৈ করে পিকনিক করলেন। সাইদী সাহেবের রায়ের পর সেই মামাকে পুলিশ মেরে ফেললো গুলি করে সাতক্ষীরাতে। কোন রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকা তিনি, সাইদী সাহেবের রায়ের বিরুদ্ধে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন আর দশজনের মত। রাতের বেলা স্থানীয় আওয়ামীলিগের নেতা-কর্মীরা পুলিশ নিয়ে আসে বাসায়। পুলিশ তুলে নিয়ে গুলি করে মেরে ফেলে সেই অমায়িক, শান্ত-শিষ্ট মানুষটাকে। এখনো উনার চেহারাটা আমার মনে পড়ে।
আজকে সুখরঞ্জন বালি যখন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, কিভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়েছিলো, গুম করে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো সাইদী সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায়, তখন আমার সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে মরহুম সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, গুম হয়ে যাওয়া ইলিয়াস আলীর কথা। মনে পড়ে আবরার ফাহাদের কথা। মনে পড়ে বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া হাজারো তরুণের কথা, যারা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলো। শাহবাগের সেই জংলী দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। কত মানুষের সাথে পুরোপুরি সম্পর্ক ছেদ করলাম শাহবাগের সেই সময়ে। আমার এক জীবনে যদি কখনো একটা মাত্র গর্ব করার মত নৈতিক অবস্থান থাকে, তা হলো প্রথম দিন থেকেই শাহবাগকে মনে প্রাণে ঘৃণা করেছি। একবারো এক মুহুর্তের জন্যও শাহবাগকে মেনে নিতে পারিনি। প্রতি মুহুর্তেই জানতাম, শাহবাগ হলো এই দেশ ও জাতির অস্তিত্ত্বের শত্রু। শাহবাগ হলো দিল্লীর হিংস্র হায়েনাদের জংলী সমাবেশ। শাহবাগ অভিশপ্ত হোক, শাহবাগীরা অভিশপ্ত হোক অনন্তকাল ধরে। এক জীবন ধরে শাহবাগের বিরুদ্ধে বাংলাদেশপন্থীদের লড়াই জারি থাকবে ইনশাআল্লাহ।- নাহিয়ান হোসেইন

🌟 জীবন গুছিয়ে নিতে চান? আগে রুমটা একটু গুছান! 🧘‍♀️✨
সারাক্ষণ মনে হচ্ছে সবকিছু এলোমেলো? কাজ করতে ইচ্ছা করছে না, আর দুশ্চিন্তা মাথা থেকে যাচ্ছে না? আপনার চারপাশের অবস্থা কিন্তু আপনার মনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে!
এখানে আসে মারি কন্ডো—একজন জাপানি অর্গানাইজেশন গুরু, যিনি গোটা দুনিয়াকে দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে জিনিসপত্র গুছিয়ে ফেলা শুধু ঘর নয়, জীবনকেও বদলে দিতে পারে। তার লেখা বই "The Life-Changing Magic of Tidying Up" এ তিনি বলেন, জিনিসপত্র গুছানোর মাধ্যমে আপনার মনে শান্তি আনতে পারবেন। আর এটা কোনো একদিনের কাজ নয়—আপনার জীবনের একটি নতুন পদ্ধতি!
তার ফর্মুলা? খুব সোজা!
✅ যেটা আপনার ভালো লাগে, সেটাই রাখুন: কোন জিনিসটা দেখলে মন ভালো হয় বা আনন্দ আসে, সেটা রেখে বাকিগুলো বিদায় দিন। (হ্যাঁ, পুরনো কাপড় বা অব্যবহৃত জিনিসও!)
✅ জিনিসের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করুন: সবকিছু যে যেখানে খুশি ফেলে রাখার দিন শেষ! সবকিছুর একটা জায়গা বানান, যেন খুঁজতে ঝামেলা না হয়।
✅ অগোছালো জীবনকে বিদায় দিন: ঘরটা পরিষ্কার হলে মনের ভেতর একটা অদ্ভুত শান্তি আসে। তখন কাজেও মন বসে আর মাথায় নতুন আইডিয়াও আসে।
মারি কন্ডো একদম সহজ ভাষায় বলেন, "আপনার ঘর আপনার মনের প্রতিচ্ছবি।" তাই ঘর গুছিয়ে ফেললে মনে একটা হালকা অনুভূতি আসবে, যা আপনার পুরো জীবনেই প্রভাব ফেলবে।
💡 তো, শুরুটা আজই করে ফেলুন। প্রথমেই ডেস্কটা? নাকি পুরনো আলমারিটা? আপনার যেটা মনে হয় বেশি এলোমেলো, ওখান থেকেই শুরু!

চলছে

সারজিস ভাই এবং হাসনাত ভাইদের একটা টিম টঙ্গীতে সাদপন্থীদের সাথে কথা বলে রাত আড়াইটায় কাকরাইল এসেছে। সাদপন্থীদেরকে বলেছে, যে আপনাদের প্রস্তাবনা গুলো আমরা আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছবো। এর আগ পর্যন্ত আপনারা ইজতেমার ময়দানে ঢুকবেন না।

সারজিস ভাই এবং হাসনাত ভাই কাকরাইল পৌঁছে মুরুব্বিদের সাথে কথা শুরু করে। আলোচনার মাঝে সারজিস ভাই এবং হাসনাত ভাই সাদপন্থী উসামাকে ফোন দিয়ে বলেছে, আপনারা যদি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগে ইজতেমার ময়দানে ঢুকেন, তাহলে আপনাদের সাথে আমরা নেই। এটাও বলেছে কোনভাবেই আপনারা ময়দানে ঢুকবেন না। এবং আমাদেরকে নিয়ে যে ভিডিও প্রচার করেছেন, এটা ডিলিট করবেন।

কিছুক্ষণ পরে যখন আক্রমণের খবর এলো, সাথে সাথে হাসনাত ভাই এবং সারজিস ভাই উসামা এবং আব্দুল্লাহকে অনেক ফোন করেছে, কেউ ফোন ধরে না। তখন তারা আক্রমণ করতেছিল।

তারা উপদেষ্টাদের কথা উপেক্ষা করেছে। ছাত্র জনতার আলোচনার উদ্যোগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সর্বশেষ আমার ভাইদেরকে রক্তাক্ত করে শহীদ করেছে। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমকে যারা প্রত্যাখ্যান করে, সমাধানের পথকে উপেক্ষা করে যারা স'ন্ত্রা'সের পথকে বেছে নেয়, তাদের কঠিন বিচার অবশ্যই করতে হবে।

লিখেছেন
রফিকুল ইসলাম আইনী
নির্বাহী কমিটির সদস্য: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

মোদীর পোস্টের সরাসরি কিছু মেসেজ আছে। ১৯৭১ এ ভারতীয়রা পাকিস্তানিদের পরাজিত করে পূর্ব পাকিস্তানকে নিজেদের অংশ হিসেবে মুক্ত করে, এই পোস্টের মূল অর্থ হলো এটা। এর আগেও ভারতের পক্ষ থেকে 'vijay diwas' নিয়ে পোস্ট হলেও, সেখানে বাংলাদেশের উল্লেখ থাকতো। কিন্তু এই পোস্টে বাংলাদেশের কোন নাম গন্ধই নেই। মোদির পোস্টটা স্পষ্টতই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে সরাসরি অস্বীকার করা। আগামী দিনে ভারত যে বাংলাদেশে সামরিক আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে সেটাও স্পষ্ট এই পোষ্টের মাধ্যমে। ভারত তাদের সকল পরিসরে একটা বয়ান এবং সম্মতি তৈরি করছে বাংলাদেশে সামরিক আগ্রাসন চালানোর জন্য। সেই বয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো তাদের জনগণের মধ্যে এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করা যে, '৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানিদের পরাজিত করে, পূর্ব পাকিস্তানকে যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করে। বাংলাদেশ আসলে কৃত্রিম একটা রাষ্ট্র এবং এটার কোন অস্তিত্ব থাকার সুযোগ নেই। সেই বয়ানের প্রকাশ্য ভাষণ আজ দেয়া হলো।
অথচ ছাপড়িরা ফেসবুকে এটা নিয়ে মজা করছে, ট্রল করছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে সেনাপ্রধানের মিটিং, পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার বাতিল করা এবং মোদীর আজকের পোস্ট সব কিছু যে এক সূত্রে গাঁথা এটা ছাপড়িরা যদি বুঝতো।- নাহিয়ান হোসেইন

যে শিশুটি বড় হয় কোলাহলের মাঝে, চারপাশে সবাই চিৎকার করে কথা বলে, তার গলাও ক্রমে "চিৎকার" হয়ে ওঠে। আবার যেই শিশুটি বড় হয় নিস্তব্ধতার মধ্যে, যেখানে মিন মিন করে কথা বলাটাই স্বাভাবিক, সেই শিশুটি সারাজীবনেও জোরে চেঁচিয়ে কথা বলতে শেখে না।
আমাদের ন্যাচারাল ভয়েস কোথায় যেন হারিয়ে যায়। কখন? কেউ জানে না। হয়তো দু’বছর বয়সেই হারিয়ে গেছে। একটা অভ্যাসের কণ্ঠস্বর—যাকে ভিন জিয়াং বলেন হ্যাবিচুয়াল ভয়েস। এই অভ্যাসের কণ্ঠে আমরা অনেক বছর পার করি। ২০ বছর, ৩০ বছর, ৪০ বছর... তারপর হঠাৎ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হয়, "আমার কণ্ঠস্বর তো ভালো নয়," বা "আমি তো জোরে কথা বলতে পারি না।"
ভুল। আপনার কণ্ঠস্বর খুব ভালো ছিল। সেই কণ্ঠস্বর এখন ঘুমিয়ে আছে। আপনি জাগাননি। ভিন জিয়াং বলেন, কণ্ঠ জাগানো সম্ভব। আপনার ন্যাচারাল ভয়েস ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েকটা কাজ করতে হবে। বিস্তারিত
https://www.facebook.com/Readinglamp.FloraFaculty/posts/pfbid02N9FYaAUhst4vqYhLL8KhBVzzK2YmjShmo8tySC5WqCt4ynxa7VfacKjqhWMr6jchl

.ভয়াবহ বিষয় হলো, আপনি বারবার নেগেটিভ চিন্তা করার মাধ্যমে আপনার মস্তিষ্কের ফিজিক্যাল কাঠামো/নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করে ফেলছেন। যদি এই প্রক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে যেকোন ভালো কথাই আপনার কাছে অর্থহীন মনে হতে পারে। আপনার সমস্ত কাজ, খারাপ অভ্যাস, বা সফলতা না পাওয়ার পেছনে আপনার চিন্তার মাধ্যমে তৈরিকৃত ফিজিকাল ব্রেইনের ভূমিকা অনেক বড়। এটি বুঝতে হলে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ টার্ম জানা জরুরি—
১। নিউরাল পাথওয়ে
২। নিউরোপ্লাস্টিসিটি।

এখন আরো মনোযোগ দিন নিচের কয়েক লাইনে -

নিউরাল পাথওয়ে: এটি হলো মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে নিউরনের সিরিজ কানেকশন।

নিউরোপ্লাস্টিসিটি: মস্তিষ্কের একটি অসাধারণ ক্ষমতা, যা অভিজ্ঞতা, শেখা বা আঘাতের প্রতিক্রিয়ায় নতুন নিউরাল পাথওয়ে তৈরি এবং পুরনো পাথওয়ে পরিবর্তন করতে সক্ষম।

প্রতিটি চিন্তা একটি নতুন নিউরাল পাথওয়ে তৈরি করে। কিন্তু যখন কেউ বারবার নেতিবাচক চিন্তা করে বা খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়, তখন নিউরোপ্লাস্টিসিটির কারণে নেতিবাচক নিউরাল পাথওয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। একসময় এটি এতটাই শক্তিশালী হয়ে যায় যে যত ভালো উৎসাহমূলক কথাই... বিস্তারিত https://www.facebook.com/share/p/18BUnGqkdR/

২০১১ সাল থেকে গোঁড়া তাবলীগী সাথীদের যে মানসিকতাটি আমাকে সবচেয়ে বেশি ভারাক্রান্ত করত তা হল, সারা দুনিয়ার নির্যাতিত নিপীড়িত মুসলমানদের ব্যাপারে তারা এমন দৃষ্টিভঙ্গি লালন করত যে, নবিওয়ালা কাম দাওয়াতের কাম (প্রচলিত তাবলিগের কাজ) না করার কারণেই তাদের উপর আল্লাহর এই আযাব নেমে এসেছে!

এমন নিষ্ঠুর নির্দয় পাষাণ মানসিকতা আমি আর অন্যকোন দ্বীনি ঘরানার লোকদের মাঝে পাই নি। ভাবখানা এমন যে, ওরা মার খেলে খাক, আমাদের কী করার আছে? ওদের দোষেই ওরা মার খাচ্ছে। ওরা আগে তাবলিগের কাজ ধরুক তাহলেই তারা আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা পাবে।

একজন সাধারণ মুসলমান যে পাঁচওয়াক্ত নামাজও ঠিক মত পড়ে না তার ভেতরও ফিলি'স্তিন কা'শ্মীর আফ'গানি'স্তানের আক্রান্ত মুসলমানদের জন্য যে পরিমাণ দুঃখ কষ্ট আর দরদ ব্যথা লক্ষ্য করতাম একজন মজবুত তাবলীগী সাথীর মাঝে তার অর্ধেকের অর্ধেক সমবেদনাও দেখতে পেতাম না।

মূলত তাদের এরকম দৃষ্টিভঙ্গি লালনের পেছনে সাদ সাহেবের বয়ানের বিরাট প্রভাব ছিল। এর একটি প্রমাণ লক্ষ্য করুন। আনুমানিক 2014 সালের ইজতিমায় আমি নিজ কানে সাদ সাহেবকে বলতে শুনেছি, المسلمون كجسد واحد (সকল মুসলমান এক দেহের ন্যায়) এই হাদিসের তো একটি প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যা আছে। কিন্তু আমার কাছে এর ব্যাখ্যা হল, সারা দুনিয়ার মুসলমান এক দেহের ন্যায়, তাই সারা দুনিয়ার কোন অঞ্চলের মুসলমানদের ঈমান আমলে ত্রুটি দেখা দিলে সারা দুনিয়ার মুসলমান সেটি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়বে এবং তার সংশোধনে এগিয়ে আসবে।

আজিব ব্যাখ্যা! কিসের মধ্যে কী?!

2014 সালে আমি সালের সফরে মালয়েশিয়ান জামাতে ছিলাম। মালয়েশিয়ান তাবলীগী সাথীরা আবার সাদ সাহেবের কঠিন ভক্ত। এখনও। তাদের একজন কথা প্রসঙ্গে আমাকে বলেছিল, mawlana Saad say, now no jihaad! Now only da'wah!!

আরেক সাথীর থেকে শুনলাম, আরা'কানে যখন দশজন তাবলিগের সাথীকে রাখাইনরা জবা'ই করে দেয়, এরপর মুসলমানদের উপর রাখাইনদের আ'ক্রম'ণ খুব বেড়ে যায় তখন আরা'কানের কিছু সাথী নিজামুদ্দিন মারকাযে সাআদ সাহেবের পরামর্শ নিতে এলে তিনি তাদেরকে বেশি বেশি গাশত করার পরামর্শ দিয়েছেন!
(আসলে তার থেকে তো এটাই স্বাভাবিক ছিল। ওই সাথীরাই আসলে বোকা ছিল। কার থেকে কী পরামর্শ নিতে হয় তাও তাদের বুঝ ছিল না।)

উনি একদিকে প্রচলিত তাবলিগের কাজকে ফরযে আইন আখ্যা দেয়ার মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ উলামায়ে কেরামসহ তাবলীগ জামাতের বাইরে উম্মতের বিশাল অংশকে শক্ত অপরাধীর কাতারে ফেলে দিতেন। যেহেতু তার এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী সবাই ফরজ তরক করে চলছে! উনার এই তাবলিগের দাওয়াতী কাজকে ফরযে আইন দাবির মধ্যে ভয়ঙ্কর রকমের বিষ থাকতো। কীভাবে দেখুন, তার এই বক্তব্য শুনে তাবলিগের সাধারণ সাথীরা মনে মনে চিন্তা করতো—যদি এই কাজ ফরজ হয়ে থাকে তাহলে এই ফরজ কাজটা করে না কারা কারা দেখি তো! এই দেখতে গিয়ে তারা দেখত, ইয়া আল্লাহ! দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামদের কেউই তো নিয়মতান্ত্রিকভাবে এই কাজ করছে না! তাহলে আর তাদেরকে এত শ্রদ্ধা করার কী আছে?

এজন্যই ওই সময়ে তাবলীগের কোন পুরনো সাথীকে বড় কোন আলেমের রেফারেন্সে কিছু বলা হলে সে পাল্টা প্রশ্ন করে বসতো— তিনি তাবলীগে সাল দিয়েছেন কিনা? তাবলীগে সময় দেন কিনা? আমি একবার এক জেলার শুরার সাথীকে মুফতি তাকি উসমানী সাহেব ও মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরী রহ. এর রেফারেন্সে একটা কথা বলার পরও তিনি হুবহু এই প্রশ্ন আমাকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন যে, তারা সাল দিয়েছেন কি না? তারা তাবলিগের মেহনতে জুড়েন কিনা?

তো একদিকে তিনি তাবলিগের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করতে করতে এটিকে ফরযে আইন সাব্যস্ত করে উম্মতকে তা গেলানোর চেষ্টা করতেন অপরদিকে তাবলিগের সাথীদের মন মানসিকতা থেকে কা'ফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের চেতনা সমূলে উপড়ে ফেলার জন্য বিভিন্ন রকম কৌশলী কথাবার্তা বলতেন। কখনো বলতেন, কোন দিলের মধ্যে উম্মতের হেদায়েতের ফিকির আর উম্মত থেকে ইন্তেকামের (প্রতিশোধের) ফিকির এক সাথে জমা হতে পারে না। এতটুকু বলে এর ব্যাখ্যা করে বলেন, আমি এখানে উম্মত বলতে শুধু মুসলিম উম্মত বুঝাই নি। বরং কা'ফের উম্মতও বুঝিয়েছি। সুতরাং কোন দিলে কা'ফেরদের হেদায়েতের ফিকির আর তাদের থেকে প্রতিশোধ নেয়ার ফিকির একত্র হতে পারে না।
(কথাটা শুনতে কি মধুর! কিন্তু কী সূক্ষ্ম বিষ আছে এতে তা ধরতে পেরেছেন!?)

আচ্ছা, সাহাবায়ে কেরাম যখন কা'ফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতেন তখন কি তাদের দিলে কা'ফেরদের হেদায়েতের ফিকির থাকত না? শুধু কি হেদায়েতের ফিকিরই থাকত! ইন্তেকামের ফিকির থাকত না? ইন্তেকামের ফিকির ছাড়া তলো'য়ার দিয়ে কারো গরদানে আঘাত করা যায়?

আরেক ইজতিমার বয়ানে তাকে বলতে শুনেছি, যে মেহনতের দ্বারা মানুষকে জাহান্নামে পাঠানো হয়, মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়, ব্যাপক র'ক্তপাত হয় সেই মেহনতের চাইতে ওই দাওয়াতওয়ালা কাম আল্লাহ তাআলার নিকট অনেক বেশি প্রিয়, অনেক বেশি শ্রেষ্ঠ, অনেক বেশি উচুঁ—যে দাওয়াতওয়ালা কামের মাধ্যমে উম্মত জাহান্নাম থেকে জান্নাতমুখী হয়। গোমরাহী থেকে 👇

হেদায়েতমুখী হয়। আল্লাহর নাফরমানী থেকে তার আনুগত্যমুখী হয়।

কথাগুলো শুনতে কত চমৎকার লাগে! তাই না? একজন সাধারণ তাবলিগের সাথী এই কথার মাঝে কোন সমস্যাই খুঁজে পাবে না। ভাববে, কত দরদী কথা! অথচ এই কথাটার মধ্যে জিহাদের ব্যাপারে কী ভয়ঙ্কর বিষ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে—ভেবে দেখেছেন?!

এই যে উনি দাওয়াতকে জিহাদের মুখোমুখী দাঁড় করিয়ে দিলেন, দাওয়াতের কাজকে উঠালেন আর জিহাদের কাজকে দাবালেন; এটা উনি কোথায় পেলেন? এই কাজ কি উনার পূর্বে সালাফ ও খালাফের কেউ করেছিল? কোন মুফাসসির? কোন মুহাদ্দিস! কোন ফকীহ?

আসলে জিহাদের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারনা তৈরিকারী এ ধরনের কথাবার্তা শুধু সাদ সাহেব একাই বলেন নি। তাবলিগের অনেক প্রবীণ মুরুব্বীও বলে গেছেন। কাকরাইলের অনেক প্রবীণ মরহুম জনৈক গায়রে আলেম মুরুব্বী, অনেক মুখলিস মানুষ ছিলেন- যার নাম নিলে অনেকেরই মেনে নিতে কষ্ট হবে - তাবলিগের ইংরেজি শিক্ষিত সাথীরা সবাই তার সাথে সম্পর্ক রাখত। তিনি সাথীদেরকে একটি বই খুব গুরুত্বের সাথে পড়ার পরামর্শ দিতেন। বইটির নাম: ‘তলোয়ারে নয়, উদারতায়’। তো এই বই পড়ে সাধারণ শিক্ষিত সাথীরা দ্বীনের ব্যাপকতার ব্যাপারে কী ধারণা পাবে? এই সাথীরা ভবিষ্যতে ইকদামী জিহাদের বিধান কীভাবে স্বীকার করবে?

সমস্যা আসলে অনেক গভীরে। তাই মেহনত অনেক গভীর থেকে করা জরুরি।
-লিখেছেন Usama Siraj

৫ তারিখের পর বেশ কিছুদিন আমার শ্বশুরবাড়ির দিকের কোন কোন আত্মীয় স্বজন ও পরিচিতজনদের বাসায় গেলে দেখতে পেতাম ফুলের তোড়া আর মিষ্টির বহর।
এই ফুল আর মিষ্টি কারা এনে দিয়েছিল?? সহজ, তদবিরবাজ সরকারী কর্মকর্তারা। উদ্দেশ্য, প্রমোশন।
হাসিনার বিদায়ের পরপরই প্রশাসনকে ইমিডিয়েটলি স্ট্যাবিলাইজ করার প্রয়োজন পড়ে, সেই প্রয়োজন মেটাতে প্রশাসনে ঢোকানো হয় প্রচুর রিটায়ার্ড আমলাদের, এবং তাদের সিংহভাগ আসে একটা রাজনৈতিক দলের সাথে লবিং করে। রাতারাতি কন্ট্রোলে নেয়া হয় পুলিশ প্রশাসন, দখল করা হয় শীর্ষস্থানীয় সব মিডিয়া। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করি, দলবদলের প্রতিযোগিতা চলছে মিড লেভেলে, টপ লেভেলে চলছে উড়ে এসে জুড়ে বসাদের রাজত্ব।
ফলে, প্রতিটা মন্ত্রনালয়ে জমেছে অভিযোগের পাহাড়। সৎ, দেশপ্রেমিক জুনিয়র অফিসারদের কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না।
কারা করতে দিচ্ছে না??
সিনিয়র আমলাদের একটা অংশ।
এই সিনিয়র আমলাদের কাদের প্রেসক্রিপশনে বসানো হয়েছে?? খুজলে কোন কোন রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতার নাম পাওয়া যায় যাদের ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের সাথে খুব দহরম মহরম চলছে।
পুলিশ এবং মিডিয়াতেও একই অবস্থা। বাইরে থেকে খোল বদলেছে শুধু, ভেতরটা রয়ে গেছে একই রকম।
এখানেও একটু ভেতরটা ঘাটলেই ঐ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও একটা বিশেষ হাইকমিশনের সাথে তাদের যোগাযোগের বিষয়টা সামনে চলে আসে।
ফলে দেখা যাচ্ছে, সরকারের টপ প্রায়োরিটি এজেন্ডা যেগুলো, সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সরকারকে দুর্বল ও ব্যর্থ মনে হচ্ছে। এতে করে সুবিধা হচ্ছে ওল্ড স্কুল পলিটিশিয়ানদের, তারা মনে করছেন দ্রুত নির্বাচন বাগিয়ে নিয়ে ক্ষমতায় চলে গেলেই খেল খতম। বাকিটা নিজেরা নিজেরা সামলে নেয়া যাবে।
সরকারকে এভাবে ব্যর্থ করে তোলার কারিগরদের মধ্যে একদম প্রথমেই যে দুজনের নাম আসে তারা হলেন ১)সিরাজুল ইসলাম সাথী, (মুখ্য সচিব) ও ২) মোখলেস উর রহমান। এর আগে এসবে নেতৃত্ব দিতেন ডিজি এডমিন ও ডিজি পিএমওতে থাকা দুই সচিব৷ যাদের ঐ দায়িত্ব থেকে অপসারন করা হয়েছে।
এখন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসন, নির্বাচন কমিশন এবং মিডিয়া কোনকিছুই সংস্কার না করে, গনহত্যার বিচার না করে, আওয়ামী লীগের দুর্নীতির বিচার না করে শুধু নির্বাচন দিয়ে দিলেই কি দেশ বদলে যাবে??
অবশ্যই না।
বরঞ্চ, পুরনো যে ফ্যাসিস্ট কাঠামো তা অক্ষত থেকে যাবে, অক্ষত থাকবে ইন্ডিয়ান হেজিমনি। ক্ষমতায় থাকা নামগুলো বদলাবে শুধু, কিন্তু বাংলাদেশ রয়ে যাবে ইন্ডিয়ার সেই অঘোষিত কলোনিই।
এবং এটাই বাংলাদেশকে পুনর্দখলের ভারতীয় স্ট্র‍্যাটেজি।
এই স্ট্র‍্যাটেজির মাধ্যমে তারা বড় রাজনৈতিক দলগুলোতে নিজেদের পছন্দের মানুষদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে এসেছে, ঐ নেতাদেরকে দিয়েই মিডিয়া-পুলিশ-সিভিল এডমিনে নিয়ে এসেছে এমন অফিসারদেরকে, যাদের প্রায়োরিটি বাংলাদেশ না, অন্য কিছু।
প্রশ্ন উঠতে পারে, তিন ছাত্র উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা কি করছেন তাহলে??
তারা যেদিন জয়েন করেন সেদিনই আমি বলেছিলাম, প্রায় অসম্ভব একটা কাজ তারা হাতে নিয়েছেন। তাদের যে জব রেস্পন্সিবিলিটি, সেটার ওপর কোন ইন্টার্নশিপ, কোন ট্রেইনিং তারা পান নাই, নাই তাদের কোন এক্সপেরিয়েন্স। শুধু মেধা আর দেশপ্রেম নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাচ্ছেন তারা। এটা বলার সুযোগ নেই যে তারা তাদের ব্যক্তিস্বার্থ ও সামষ্টিক স্বার্থে কিছু করে না, বরঞ্চ সেটা অবশ্যই এক্সিস্ট করে, করাটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ তাদের নিতে দেখা যায় নি এবং সাহসের সাথে তারা ইন্ডিয়ান প্লটকে মোকাবিলা করে এসেছে।
আসিফ বা নাহিদরা যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে, সেগুলোকে বারবার বাধাগ্রস্ত করছে এই আমলাতান্ত্রিক স্বৈরাচার ও তাদের সহায়তাকারী ইন্ডিয়ান কোলাবোরেটর পলিটিক্যাল ফোর্স।
ছাত্র উপদেষ্টাদের দক্ষতা, পরিপক্কতা ও অভিজ্ঞতার অভাব তাদের ভোগাচ্ছে, কিন্তু এরচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে, প্রশাসনে তাদের একান্ত নিজের বলে কেউ নাই। তাদের সততার যে অভাব নাই, এইটা দেশের মানুষ জানে। বিশেষভাবে তরুণদের একচেটিয়া সাপোর্ট এখনো আসিফ-নাহিদের প্রতি আছে এবং একই ভাবে তা আছে ড. ইউনুসের প্রতিও। কিছু বিতর্কিত কাজ না করলে আসিফ নজরুল স্যারও হয়তো এই সাপোর্ট পেতেন।
এই ব্যাপক জনসমর্থনের কারনে এরা এখন হয়ে উঠেছে ইন্ডিয়ান দালালদের গলার কাটা। তাই ইন্ডিয়ান দালালরা আমলাতান্ত্রিক ফ্যাসিজমের মাধ্যমে আটকে দিচ্ছে ওদের ফাইল, আটকে দিচ্ছে ওদের দেয়া প্রমোশন। এই একই অবস্থা চলছে ফাওজুল কবির খান, ফরিদা আখতার, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সহ বেশ কজন উপদেষ্টার মন্ত্রনালয় সমুহে। সম্প্রতি জনপ্রশাসন, সংবিধান ও পুলিশ প্রশাসন সংস্কারের কিছু উদ্যোগ নেয়ার ফলে এখন বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান হেজিমনির বিরুদ্ধে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে মাহফুজ, আসিফ এবং নাহিদ। আধিপত্যবাদীদের দোসরেরা সরকারের ভেতরে থেকে সরকারকে অচল যেমন করছে তেমনি চেষ্টায় আছে বাংলাদেশের ওপর ইন্ডিয়ান হেজিমনি অটুট রেখে দেয়ার।👇

এই মুহুর্তে ইন্ডিয়া চায় কোন রকম সংস্কার না করে বাংলাদেশে একটা নির্বাচন। বাকিটা ক্ষমতাসীন দলের সাথে তারা বোঝাপড়া করে নিতে পারবে বলে তারা মনে করে। সেজন্য তাদের প্রথম কাজ হল আসিফ-নাহিদদের চরিত্র হনন এবং তাদের সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
আজকে মুখ্য সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবের আয়োজনে এমন কিছু ষড়যন্ত্রের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেহেতু পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার নিয়ে আসিফ কাজ করছে, তাই প্রথম শিকার হবে সে। এরপর আসবে ধাপে ধাপে নাহিদ আর মাহফুজ।
নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নকে হত্যা করার আয়োজনের প্রথম ধাপ হচ্ছে, মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের সাথে ড. ইউনুস এবং ছাত্রজনতার দুরত্ব সৃষ্টি। আজকে বেলা ১২টা থেকে মিডিয়া ওয়ার শুরুর সম্ভাবনা আছে।
আসিফ, নাহিদদের পদত্যাগের পরের ধাপ হবে সরকারের লেজিটিমেসি হারানো এবং সরকার ইন্ডিয়ান হেজিমনির পুতুলে পরিনত হওয়া। ইতোমধ্যেই গতকাল দ্যা হিন্দুকে নেয়া ইন্টারভিউয়ে ডক্টর ইউনুস বলেছেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহনে সরকার বাধা দেবে না। যেহেতু বড় রাজনৈতিক দলগুলো চায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক, বৃহত্তম রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাউকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে বাধা দিতে পারে না।
আশা করি বুঝতে পারছেন, বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান প্রক্সি কতটা ভয়ানক হয়ে দাড়িয়েছে। অভ্যুত্থানের তিন মাসের মাথায় তারা অভ্যুত্থানের সরকারকে দিয়ে বলাচ্ছে যে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে বাধা দেয়া হবে না। এরপরের ধাপ হবে তারা বলবে আওয়ামী লীগের বিচার করা যাবে না। পরিস্থিতি সেদিকেই আগানোর তোড়জোড় চলছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের করনীয় কি??
আমাদের করনীয়, দালাল রাজনীতিবিদদেরকে চিহ্ণিত করা এবং প্রশাসন, মিডিয়া ও পুলিশে সংস্কার ও গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোন নির্বাচন মানবো না, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া। দালাল আমলাদের তাৎক্ষনিক অপসারনের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান নিতে সরকারকে বাধ্য করা এবং আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের পক্ষে যারা অবস্থান নিচ্ছে, তাদের পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দেয়া।
বাংলাদেশের স্বার্থের ওপরে কোন স্বার্থ নাই। হাসিনা সরকারের গুলির সামনে বুক পেতে দেয়ার সময় আমরা কোন আপোসে যাই নাই, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের ব্যাপারেও আমরা কোন আপোস করবো না।
এই স্বপ্ন বাংলাদেশের নব্বই পরবর্তী প্রজন্মের নন নেগোশিয়েবল কমন ড্রিম।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!!
ইনকিলাব জিন্দাবাদ!! -- Muhammad Sajal

"কোন রাজনৈতিক দল যদি মনে করে তারা বিপ্লবীদের খেলে দেবে, তাদের স্মরণে থাকা ভালো যে খেলার আগেই তারা হেরে আছে।"
- আতিফ আবু বকর
"আসিফ-নাহিদদের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বের করে দিলে বরং এক দিক থেকে ভালই হবে।
আমরা তো বরং চাই তারা আবার রাজুতে আসুক,সাধারন ছাত্র হিসেবে। যাত্রাবাড়ি আসুক, রামপুরায় আসুক, উত্তরায় আসুক, ষোলশহর আসুক। ভারতীয় দোসররা দেখুক চেয়ারে থাকা আসিফ-নাহিদদের চেয়ে রাস্তায় থাকা আসিফ-নাহিদ কত শক্তিশালী।"
- Sajjad Sharif
"বিপ্লবের পক্ষের সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। বলশেভিকদের হাতিয়ার ছাড়া অবলম্বন নাই।"
- Khomenee Ehsan
" মিডিয়া ওয়্যার খেইলা লাভ নাই, আপনাদের মেইন স্ট্রিম মিডিয়া যে গঙ্গার স্রোতে ভাইসা গেছে এইটা বুঝতে শেখার মধ্যেই কল্যাণ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার এই স্বপ্ন বাংলাদেশে ৯০ পরবর্তী প্রজন্মের নন নেগোশিয়েবল কমন ড্রিম।"
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
ইনকিলাব জিন্দাবাদ
- Muhammad Sajal

... এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে কিন্তু আওয়ামী আমলে আমার দেশ পত্রিকা, দিগন্ত টিভি বন্ধ করে মাহমুদুর রহমানকে জেলে ঢুকানো থেকে শুরু করে পনেরো বছরের ফ্যাসিজম কায়েম করেও আওয়ামী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয় নাই। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি কি এত বড় প্রপাগান্ডার জবাব দেয়ার নূন্যতম প্রয়োজন বোধ করবেন? নাকি উনি জানেনই না, কি খেলা মাহফুজ আনাম শুরু করেছে।

দিল্লীর নির্দেশনায় ঢাকায় কি শুরু হয়েছে, সেটা মাহফুজ আনামের এই অল আউট প্রপাগান্ডা দেখেও যদি উনারা না বুঝেন, কি আর বলার আছে। - নাহিয়ান হোসেইন

আগস্টের শেষ সপ্তাহে বলেছিলাম, বাংলাদেশের মানুষের নিজেদের দেশকে ওন (own) করার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেটার বিরুদ্ধে সর্বাত্বক শত্রু হিসেবে দাঁড়াবে ডেইলি স্টার-প্রথম আলো। বাংলা পত্রিকা বলে প্রথম আলোর শয়তানি তাও কালেভদ্রে কেউ কেউ বুঝেন, কিন্তু ইংরেজী পত্রিকা ডেইলি স্টার এক্ষেত্রে সীমাহীন স্বাধীনতা পায়। অথচ বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশি মিশনগুলোর সাধারন পারস্পেক্টিভ তৈরি হয় ডেইলি স্টার থেকেই। একমাত্র পিটার হাস নিউ এইজকে প্রমোট করার চেষ্টা করেছিলেন। কারন এই ভদ্রলোক ডেইলি স্টারের শয়তানি ধরতে পেরেছিলেন। দিল্লীর দাস, বেজন্মা, চরিত্রহীন লুইচ্চা মাহফুজ আনাম এখন প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে চার সাংবাদিকের নামে হত্যা মামলা নাকি পুরোপুরি ভিত্তিহীন! মোজা বাবু, শ্যামল দত্ত, ফারজানা রূপাদের কথা বাদই দিলাম। সময় টিভির সামান্য এক স্টাফ রিপোর্টারও পুলিশকে বলেছিলো, 'গুলি করেন, ফুটেজ নিমু'। আওয়ামীলিগের ফ্যাসিবাদী শাসন ও গণহত্যার অন্যতম পিলার ছিলো সাংবাদিক নামের খুনী কুকুরগুলো৷ প্রপার মামলা হলে, নূন্যতম কয়েকশো সাংবাদিকের জেলে যাওয়ার কথা। জাস্ট চার খুনীর নামে মামলা আর কিছু আওয়ামী পান্ডার প্রেস কার্ড বাতিল করাতেই নাকি, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের.. 👇👇

এটা স্পষ্ট যে, দিল্লী থেকে বড় ধরণের কিছু ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ঢাকায় সেটায় যুক্ত অনেকেই। অনেক জায়গায় এটা নিয়ে কথা হলেও ব্যাপারটা প্রায় নিশ্চিত বলে ধরে নেয়া যায় গত কয়েকদিনে দুইজন মানুষের বক্তব্যে।

১৩ই নভেম্বর মির্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁও শহরের তার নিজের বাসভবনে বসে সাংবাদিকদের বলেছেন ‘ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। তা না হলে জাতি হিসেবে আমরা অনেক বড় বিপদের সম্মুখীন হব।’ লক্ষ্য করুন, মির্জা ফখরুল সরাসরি এক্ষেত্রে ভারতকে দায়ী করেছেন। কোন ব্যক্তি বা মিডিয়াকে না। তার মত পজিশনে থাকা একজনের বক্তব্য যে ভারতের রাডারে আছে তা তিনি ভালোভাবেই জানেন। এরপরেও কোন কূটনৈতিক রাখঢাকও তিনি রাখেননি। এটা সহজ কিছু না।

এদিকে ১৫ই নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক প্রোগ্রামে আমীর খসরু সরাসরি বলেছেন,ভারতকে বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। তাহলেই ঢাকার সাথে দিল্লীর সম্পোর্কন্নোয়ন সম্ভব। আমীর খসরু বিএনপিতে ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত। তিনি যখন এই কথা প্রকাশ্যে বলেন, তার মানে ভারতের সাথে মধ্যস্থতার কোন সুযোগ আর তিনি দেখছেন না।

মার্কিন মুলুকে যে তুঘলকি চলছে তাতে ভারত আর আওয়ামীলিগ যে তুমুল আশাবাদী এবং রুথলেস কর্মকান্ডের জন্য প্রস্তুত, সেটা সবাই জানে। প্রশ্ন হলো, অথর্ব পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, ইনকম্পিটেন্ট প্রেস উইং, বিএনপি-জামায়াত-ছাত্রদের অনৈক্য, দুর্বল সরকার সব কিছু সামলে নিয়ে বাংলাদেশের অস্তিতের শত্রু ভারত আর আওয়ামীলিগকে ঠেকানোর জন্য প্রস্তুত হতে পারবো আমরা আদৌ? -- নাহিয়ান হোসেইন

মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমি একটা surrealistic দুঃস্বপ্ন দেখছি। ৫ই আগস্টের পর অন্তত যে দুঃস্বপ্নটা আমাদের দেখার কথা ছিলো না। জাস্ট তিনটা মানুষের কথার সাথে আর তিনটা 'মানুষের' কথার তুলনা দিয়ে আমি এই দুঃস্বপ্নটা ব্যাখ্যা করতে পারি।

মির্জা ফখরুল বলেছেন, আওয়ামীলিগকে নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত রাখা ও ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করাকে তিনি সমর্থন করেন না। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধকেও তিনি সমর্থন করেন না।

জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, এত কথায় কথায় ফ্যাসিস্ট বলা তিনি অপছন্দ করেন। যাদের ফ্যাসিস্ট বলা হচ্ছে তারা উনার বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে থাকতে চান তিনি। এর আগে তিনি অবশ্য এই রাজনৈতিক 'আত্বীয়দের' ক্ষমা করে দেয়ার কথাও বলেছিলেন।

বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, ৫ই আগস্টকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে আখ্যায়িত করার ব্যাপারটা তিনি মানেন না। যারা এটাকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলছে তাদের উপর তিনি অত্যন্ত ক্ষিপ্ত। ৫ই আগস্টকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলা মানে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনা ফোন কলে বলেছে, ২২৭ জনকে লিস্ট করে ফেলেছে সে খুন করার জন্য। যে কোন মুহুর্তে সে দেশে ঢুকবে এবং সবাইকে দেখে নেবে। প্রতিটা ফোন কলেই সে সবাইকে দেখে নেয়ার কথা রিপিট করেছে। বিএনপি-জামায়াতের নেতা কর্মীদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সে।

অমি পিয়াল ফেসবুকে লিখেছে, ২০ ই জানুয়ারীর পর সবাইকে ধরে ধরে পঙ্গু করা হবে। জাস্ট জানে মেরে ফেলা হবে না। অবশ্য তার পোস্টে কমেন্টকারী আওয়ামী লোকজন লিখেছে, এই নির্দেশ তারা মানবে না। তারা ডিসেম্বরেই মিশনে নামতে চায় এবং শুধু পঙ্গু করার 'অনুরোধ' রক্ষা করতে চায় না তারা। এলাকায় ছেলেপেলে রেডি আছে এবং ফোন বন্ধ করে গণহত্যা চালানোর জন্য তারা প্রস্তুত।

নিঝুম মজুমদার লিখেছে, বিপ্লবীদের ফাঁসি পর্যন্ত যেতে দেবে না সে। জাস্ট প্রথম সুযোগেই নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে।

কেন বাংলাদেশে এভাবে ফ্যাসিবাদ কায়েম হলো আর সেই ফ্যাসিবাদ ১৫ বছর ধরে চললো, সেটা বুঝতে চাইলে জাস্ট প্রথম তিনজনের কথার সাথে পরের তিনজনের কথার তুলনা করলেই বুঝতে পারবেন।

--- নাহিয়ান হোসেইন।

সেনারা উত্তর গাজা ছাড়তে বাধ্য করায় বেইট লাহিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় এক ফিলিস্তিনি পরিবার... পরিবারের ছেলেদের দায়িত্ব অনেক। সুস্থ আহত সব অবস্থায়...।😢

ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের মেইস আল জাবাল গ্রাম ধুলিস্যাত করে দিয়ে উল্লাস করে উঠছে...

ইসরায়েলের চলমান হামলার কারণে লেবাননে এক মিলিয়নের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে, আর অন্তত ৩৭টি সীমান্তবর্তী গ্রাম ও ৪০,০০০টি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

Revisiting- Thinktwice

মওলানা সা’দ ও তার অনুসারীদের দুর্ভাগ্য যে, উম্মাহর কেউ তাদের সঙ্গে নেই। সালাফী, লা-মাযহাবী, জামায়াতীসহ উম্মাহর বিভিন্ন ধারার আলিমগণ গোটা তাবলীগ জামায়াতকেই নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেন। কিন্তু তাতে এই জামায়াত কখনো অস্তিত্ব সংকটে ভুগেনি। কারণ উলামায়ে দেওবন্দের দুআ ও সমর্থন সর্বদা তাদের ওপর আলো ও ছায়া হয়ে, ঢাল ও দেয়াল হয়ে ছিল।

মওলানা সা’দ ও তার অনুসারীরা সেই উলামায়ে দেওবন্দকেই শত্রু মনে করলেন, তাদের দরদভরা ইসলাহের নসীহতকে হাসাদ গণ্য করলেন, যাদের থেকে একদিন এই জামায়াতের জন্ম হয়েছিল, সেই গোড়াকেই তারা কার্যত অস্বীকার করলেন। যেই বটবৃক্ষ তাদেরকে যুগ যুগ ধরে ছায়া দিয়ে বড়ো করেছে, সুরক্ষা দিয়েছে, সেটাকেই অপ্রয়োজনীয়, অপাঙক্তেয় ঠাওরালেন। এভাবে তারা কখন যে সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়লেন, উম্মাহর সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন, সকল ধারার আলিমদের দৃষ্টিতে গোমরাহ ফেরকায় পরিণত হলেন- অনুভবই করলেন না। অবস্থা এমন হয়েছে, ইতিহাসের কেউ কখনো ‘সাদিয়ানী ফেরকা’ নামে কোনো বিচ্ছিন্ন বাতিল সম্প্রদায়ের ইতিহাস লিখলে কেউ বিরোধিতা করবে না, কেউ তাদের পক্ষে কলম ধরবে না। কৃতঘ্নতার অনিবার্য পরিণতি এমন বৈকি।

তাবলীগ জামায়াতের বিভক্তি মুছে গিয়ে ফের আগের মতো হয়ে যাবে- এটা অসম্ভব তো নয়, কিন্তু আকীদা ও ফিরাকভিত্তিক আমার দীর্ঘ পড়াশোনা এই সুধারণার সাহস যোগায় না। ব্যক্তিগত বিবাদ মীমাংসাযোগ্য। ফিরকাগত বিচ্ছিন্নতা দুরারোগ্য ও অমীমাংসেয়। কিন্তু উম্মাহর উলামায়ে কিরাম সম্মিলিত পদক্ষেপ নিলে, সাদপন্থী সাধারণ মুসলমানদেরকে দরদের সঙ্গে ইসলাহের দাওয়াত দিয়ে গেলে সমাজে তাদের প্রভাব নিশ্চিতভাবেই কমতে থাকবে। পুরো উম্মাহর সকল ধারার আলিমদের বিপরীতে গিয়ে কোনো বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায় হকের দাবিদার হয়ে টিকে থাকবে এটা অসম্ভব। সময়ের আবর্তে নিশ্চিহ্ন হওয়াই বিচ্ছিন্নদের অনিবার্য পরিণতি। আলিমদের সঙ্গে থাকুন। শুযূয ও ইনহিরাফ থেকে মুক্ত থাকুন।

--মুহতারাম মিজান হারুন সাহেব।

২০১৩ সালের ৫মে ছিল এক নারকীয় রাত৷ হেফাযত ইসলামের সিট-ইন প্রটেস্টে সেদিন পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব এর সমন্বয়ে যৌথবাহিনী একযোগে হামলা চালায়। কমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউট করে, ইলেক্ট্রিসিটি বন্ধ করে দিয়ে রাতের অন্ধকারে নিরস্ত্র হেফাযতে ইসলামের যিকিররত কর্মীদের ওপর হামলা চালায় পাঁচ হাজার সদস্যের সশস্ত্র বাহিনী।
সেদিন হাজার হাজার রাউন্ড বুলেট ছোঁড়া হয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অবমাননার প্রতিবাদে নেমে আসা মুসলিমদের ওপর। আজো জানা যায় নি ঠিক কত মুসলিম সেদিন শহীদ হয়েছে। অসংখ্য লাশ গার্বেজ ট্রাকে করে সরিয়ে ডাম্প করা হয় অজানা কোনো স্থানে।
শাপলা চত্ত্বরে সংঘটিত এই ম্যাসমার্ডারের ঘটনাকে প্রথম আলো কীভাবে কাভার করেছে?
৮ মে, ২০১৩ সালে প্রথম আলো একটি ছবির ক্যাপশন এভাবে লেখে,
"হেফাযতে ইসলামের নৃশংস হামলায় নিহত বিজিবি সদস্য লাভলু রহমানের মৃতদেহ তার গ্রামের বাড়িতে ভুরুঙ্গামারীতে হেলিকপ্টার থেকে নামানো হচ্ছে।"
প্রথম আলোকে চিনতে এই একটি ঘটনা, এই একটি ক্যাপশনই যথেষ্ট। এরকম উদাহরণ অসংখ্য।
২০১৪ সালের ২৩ মার্চ তারা একটি নিউজের শিরোনাম দেয়
"৪ ফিল ইস তিনি জন গী নিহত"
প্রচণ্ড রিঅ্যাকশন হওয়ার পর জন গী শব্দটা মুছে দেয় প্রথম আলো।
২০১৬ সালের ১০ জুলাই প্রথম আলো স্বাধীনতাকামী কাশ্মিরী যোদ্ধাদের ব্যাপারে নিউজে লেখে,
"কাশ্মীরি জন গী দের ‘পোস্টার বয়’ বুরহান মুজাফফর ওয়ানির দাফনকে কেন্দ্র করে সেখানে এখনো সংঘর্ষ চলছে"
২০১৮ সালের ১১ জুলাই ইসলামি প্রকাশনার সাথে জড়িত মাওলানা ইসহাক খান এর ব্যাপারে 'সংবাদ প্রকাশে সর্বোচ্চ স্ট্যান্ডার্ড বজায়' রাখা এই পত্রিকাটি নিউজ করে,
"জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়েছিলেন ইসহাক"
মানবতাবিরোধী সন ত্রা সী দল র‍্যাবের বক্তব্য কোনো ভেরিফিকেশন ছাড়া, কোনো উদ্ধৃতি চিহ্ন ছাড়া, কোনো সন্দেহ বা প্রশ্নের জায়গা না রেখে এভাবেই নিরপরাধ মানুষকে জন গী বানিয়ে বিমানুষীকরণ চালিয়ে যায় জন গী বাদের ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম কারিগর এই পত্রিকা।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হৃদয় মণ্ডলের কথা নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে। তাকে নিয়ে নিউজ করার সময় প্রথম আলো তার নামের আগে বারবার লিখেছে 'শিক্ষক', 'বিজ্ঞানশিক্ষক'। না, তার আগে ধর্ম অবমাননাকারী ট্যাগ যুক্ত করে নি, বরং যথেষ্ট সম্মানের সাথেই উল্লেখ করেছে তার নাম।
শেখ সাবিহা আলম প্রথম আলোর জন গী বাদ বিশেষজ্ঞ রিপোর্টার। ২০২২ সালের ১ জুলাই একটি উগ্রবাদের বিস্তার সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে সে দাবি করেছে, সামাজিক অসহিষ্ণুতার একটি কারণ দেশের তরুণ সমাজের একটি বড় অংশ মুসলিম পরিচয়কে বাঙ্গালি বা বাংলাদেশী পরিচয়ের ওপর প্রাধান্য দেয়।
উগ্রবাদ বিষয়ক ২০১৯ এর আরেকটি রিপোর্টে, ঢাবির শিক্ষক শান্তনু মজুমদারকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়, "মুসলমানরা মনে করছেন গোটা বিশ্বে তাঁরা অন্যায়ের শিকার...ইসলামের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এবং ভারতে হি--বাদের প্রসারের কারণে মুসলমানরা ষড়যন্ত্রের শিকার বলে ভাবছেন"।
শব্দগুলোর দিকে লক্ষ্য করুন, 'মনে করছেন', 'ভাবছেন' -- অর্থাৎ, মুসলিমরা অন্যায়ের শিকার এটা তারা মনে করছেন, কিন্তু বাস্তবে সেটা নয়। ভারতে হি--বাদের প্রসারকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ভাবা হচ্ছে, কিন্তু আদতে সেটা নয়।
আমি উপরে প্রথম আলোর নিউজ এবং রিপোর্টিং স্টাইলের অল্প কিছু উদাহরণ দেখালাম। সত্যি বলতে এগুলো বেশ এক্সপ্লিসিট ইসলামোফোবিয়া। সুক্ষগুলো ধরতে গেলে কয়েক বছর লেগে যাবে।
বাংলাদেশে ফ্যাশিবাদের অন্যতম কারিগর এই পত্রিকা। ওয়ার অন টেরর বয়ানের অন্যতম রক্ষক এই পত্রিকা। ইসলামের বিরুদ্ধে মানুষকে বিষিয়ে তোলার হোতা এই পত্রিকা। তারা ভিলেইনকে ভিক্টিম বানায়, ভিক্টিমকে বানায় ভিলেইন।
এদেরকে রুখে না দিলে পথ খুঁজে পাবে না বাংলাদেশ। — জিম তানভির

আমার এক বন্ধুর পরিচিতা একজন ছিলেন বিডিআর হত্যাকান্ডের সময় পিলখানায় নির্যাতিতা। আর্মি ফ্যামিলির মেয়ে। পুরো হত্যাকান্ড চালানোর সময় দুই দিনে কয়েকবার তাকে রেপ করা হয়। এই ভয়াবহতম নির্মমতার ট্রমা তিনি কোনদিন কাটিয়ে উঠতে পারেননি। পরবর্তীতে তার বিয়ে হয়, একটা টেলিকম কোম্পানিতে ক্যারিয়ার শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ করে যখনই সেই স্মৃতি তার মনে পড়ে, তিনি আতঙ্কে কাপতে কাপতে অজ্ঞান হয়ে যান। সেটা বাসা বা অফিসে যেখানেই হোক না কেন। এরকম আরো অনেককেই সেই সময় রেপ করে কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ভারতীয় লোকজন, স্থানীয় আওয়ামী নেতা এবং বিডিআরের কিছু সৈনিক।

আজ কিছুক্ষণ আগে জুল্কারনাইন সায়ের বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন, কিভাবে আওয়ামীলিগ এবং ভারত বিডিআর হত্যাকান্ড বাস্তবায়ন করে। এই দেশের প্রতিটা মানুষ যা জানে, সেটার অফিশিয়াল ডকুমেন্টেশন সামারি আকারে প্রকাশ করেছেন তিনি।

একটা প্রশ্ন আছে। বিডিয়ার হত্যাকান্ডের জন্য আওয়ামীলিগকে দায়ী করে বিএনপি কিংবা জামায়াতের কোন শীর্ষ নেতাকে কখনো বক্তব্য দিতে দেখিনি। আগে না হয় অনেক ভয় ছিলো, এই তিন মাসেও কি উনাদের কেউ একজন বলেছেন, বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য হাসিনা সহ নানক, তাপস এদের সবার মৃত্যুদন্ড চাই? ন্যায়ভিত্তিক রাজনৈতিক ন্যারেটিভ তৈরিতে উনাদের ক্ষমার অযোগ্য ব্যর্থতা যে পৃথিবীর সবচেয়ে নিম্নমানের নপুংশকটার মত, উনারা কি জানেন?. - -নাহিয়ান হোসেইন

আলহামদুলিল্লাহ, মোট ১৮ দিনের সফর শেষে অবশেষে ঢাকায়। আবুধাবি হয়ে আমেরিকা। নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, ডালাস, হিউস্টন ইত্যাদি সিটিতে ১০ দিন থাকা হয়। Yousuf Sultan মুফতি সাহেব ও আমি একই সাথে ছিলাম।

এই সফরে মুফতি Yousuf Sultan ভাই আমার জীবনে নতুনভাবে পরিচিত হয়েছেন। তাঁর চমৎকার উপস্থাপন, উত্তম আখলাক ও বিনয় সফরের প্রতিটি কঠিন কঠিন মুহূর্তে আমাকে অভিভূত করেছে। সফরে একজন অপরজনের প্রতি কিভাবে খেয়াল রাখতে হয় তা তাঁর কাছ থেকে শেখার বিষয় ।

বলতে দ্বিধা নেই, আমি আমার বন্ধু থেকে শিখতে চেষ্টা করেছি। অসম্ভব একজন সুন্দর মনের মানুষ তিনি। আল্লাহ তাকে আরও বারাকাহ ও কবুলিয়্যাত দিন।

ইসলামী ফাইন্যান্সের উপর ইংরেজীতে যৌথভাবে নানা সেশন পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল হিউস্টনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামী ফাইন্যান্স কনফারেন্সে আমাদের যৌথ প্রবন্ধ উপস্থাপন।

এরপর পাকিস্তানে করাচী সদর-এ মোবিনপিক রেস্টুরেন্টে ৪ রাত। এই হোটেলেই জনাব ডা. জাকির নায়েক সাহেব উঠেন। এখানেই মুফতি তাকী সাহেব ও উনি সাক্ষাতে মিলিত হন। কাছ থেকে আমাদের তা দেখার সুযোগ হয়েছে।

শেষ ৩ রাত দারুল উলূম করাচীর মেহমান খানায় থাকার সুযোগ হয়। যখন আমি সফর শুরু করি, ঠিক এর কিছু দিন আগে আমাদরে কওমী মাদরাসার স্বীকৃতির উন্নয়ন, নেসাব ইত্যাদি নিয়ে আমার গবেষণা প্রবন্ধ প্রস্তুত করতে হয়েছিল।

সফরে বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছি-অন্যান্য দেশের দেওবন্দী ধারার মাদরাসাসমূহ আসলে কীভাবে কাজ করে থাকেন।

আমেরিকার সবচেয়ে প্রাচীন, প্রসিদ্ধ কওমী মাদরাসা ‘দারুল উলূম নিউওয়ার্ক’। এখানে আমরা ০৫দিন ছিলাম। তাদের শিক্ষার্থীগণ আমেরিকায় বসে করাচীর আল-আলামিয়্যা বিন্নুরী টাউনের অধীনে দাওরায়ে হাদীসের পরীক্ষা দিয়ে উচ্চমানের সনদ হাসিল করেন, যা আমেরিকার কিছু ইউনিভার্সিটিএকসেপ্ট করে। তারা এটি এ জন্যই করেন যেনো শিক্ষার্থীগণ তাদের মেধার প্রমাণ আরও বহুদূর ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন।

পাকিস্তানে এই অভিজ্ঞতা আরও অধিক দেখতে পেয়েছি। এখানের আলেমগণের চিন্তাধারা আপনাকে এক নতুন দিগন্তে উপনীত করবে। আপনি কখনও হয়তো চিন্তা করতে পারেননি একটি মাদরাসার মুহতামিম মাদরাসার গেইটের ২০ হাতের দুরত্বের মধ্যেই ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছেন।

যেনো মাদরাসার ছাত্ররা এই ২০ হাতের মধ্যেই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইউনিভার্সিটি থেকেই প্রয়োজনীয় সদন হাসিল করে নিতে পারেন। নিজেদের বলয়ে বেড়ে উঠা ও সময়কে চ্যালেঞ্জ করার এক অসম্ভব সুন্দর সমন্বয় আপনাকে অভিভূত করবে।

আমাকে দারুল উলূম করাচীর এক ফাযেল জিজ্ঞাসা করলেন, আপনাদের মাদরাসায় কয়জন ডক্টরেট আছেন? আমার উত্তর কী হবে-তা আপনারা জানেন। তিনি অবাক করে দিয়ে বললেন, দারুল উলূম করাচীতে এটি থাকাটা খুবই স্বাভাবিক।

মুফতি সাহেবের এক শাগরেদ আমাকে অবহিত করলেন, মুফতি সাহেব তাকে বলেছেন-নিজের বাতেন বা আভ্যান্তরীণ যোগ্যতার কিছু যাহেরী বা বাহ্যিক প্রমাণ দৃশ্যমান রাখতে দাাও। বুদ্ধিমানদের জন্য এই সংক্ষিপ্ত হেদায়াত যথেষ্ট।

চলবে ইনশাআল্লাহ। (সামনে জামিয়াতুর রশীদ নিয়ে লিখবো ইনশাআল্লাহ। ওখানেও যাওয়া হয়েছে।)

- মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম

কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী এবং বিএনপি জামাতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘরানার কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা ছোট্ট ছোট্ট কয়েকটি কাজ করে ফেসবুকে ছাড়তে পারেন। গণঅভ্যুত্থান-মুড ঠিক রাখা এবং বিগত রেজিম ও ফ্যাসিজমের চেহারাটাকে সামনে রাখার জন্য এ কাজগুলো দরকার।

@ গত ১৫ বছরে, বিশেষত গত ৭/৮ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে হাসিনা যেসব ব্যঙ্গোক্তি, বক্রোক্তি ও অভাব্যতাপূর্ণ কথাবার্তা বলেছেন, সেগুলোকে একসঙ্গে করে একটি ভিডিও/এক ধরনের তিন থেকে পাঁচটি বক্তব্য নিয়ে একটি ভিডিও ক্লিপ বানিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ফেসবুকে ছেড়ে দিতে পারেন।

@ পতিত ফ্যাসিবাদ আমলের বিভিন্ন মন্ত্রীর অসঙ্গত, অসভ্যতাপূর্ণ বক্তব্য ও আচার-আচরণের নানা রকম ক্লিপ বানাতে পারেন, ছড়িয়ে দিতে পারেন।

@ ফ্যাসিবাদ আমলে বিভিন্ন সময়ে পুলিশি, ছাত্রলীগী এবং সরকারি গুন্ডামি আক্রমণ হামলা, মেয়েদের ওপর হামলা এসব নিয়ে ক্লিপ বানিয়ে ছেড়ে দিতে পারেন।

@বিশেষত জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রক্ত হিম করা বীভৎস আক্রমণ হামলার দৃশ্যগুলো ছোট ছোট ভিন্ন ভিন্ন (৩/৪ টা একসাথে) ক্লিপ বানিয়ে ছড়িয়ে দিতে পারেন।

@ বিভিন্ন রাস্তাঘাট ব্রিজ ফ্লাইওভার কালভার্ট সহ নানা রকম দুর্নীতিপূর্ণ কর্মকান্ডের রিপোর্ট সম্বলিত পত্রপত্রিকা কাটিং/ভিডিও প্রতিবেদনের সংকলন করে ভিডিও ছাড়তে পারেন।

@ এগুলো সব একসঙ্গে করা কিংবা একসঙ্গে আপ করার দরকার নেই। সপ্তাহের দুদিন: শনিবার/মঙ্গলবার এ জাতীয় ক্লিপ/ ভিডিও /রিল আপ করার একটা ট্রেন্ড চালু করা উচিত। যেন সপ্তাহ জুড়ে অন্য সব কিছুর সঙ্গে এগুলো চলতে থাকে এবং দেশবাসীর মনের মধ্যে
বিগত ১৫ বছর সময়ের দুঃশাসন বর্বরতা লুটপাট সম্পর্কে একটা সজাগ পরিস্থিতি বিরাজ করে।

@ মনে রাখবেন, সামাজিক মাধ্যমে এই কাজগুলোর বিস্তার ঠিকঠাক ভাবে চলতে থাকলে ফ্যাসিবাদের অনেক নড়াচড়া এমনিতেই বন্ধ থাকবে। আর সাধারণ ছাত্র জনতা ও আম মানুষ সচেতন থাকার উপলক্ষ সামনে পাবে। কেউ না কেউ কাজগুলো করার চেষ্টা করুন। যারা পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার যোগ্যতা রাখেন কিংবা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যাদের রাজনৈতিক অবস্থান গোল কিংবা গেম আছে, তারা কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের দিয়ে কাজগুলো করান। এজাতীয় জিনিস সামাজিক মাধ্যমে দরকার।

ডকুমেন্ট এবং স্মৃতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মুছে ফেললে মুছে যায়, জাগিয়ে রাখলে জেগে থাকে।-
-মাওলানা শরীফ মোহাম্মদ

এখনও বহাল তবিয়তেই রাখা হয়েছে।

#### ৬. ছাত্র-জনতার বিজয় সমুন্নত রাখতে জরুরী করণীয়ঃ

ক. বিতর্কিত জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে দ্রুত অপসারণ (ফেরদৌস, জাহাঙ্গীর, মঈন, আশরাফ, সেলিম আজাদ)। মেজর জেনারেল আমিন, মাহবুব, কবীর, খালেদ আল মামুন এবং সারোয়ারের মত অন্ধ আওয়ামী লীগ নেতা টাইপ কর্মকর্তাদের অনতিবিলম্বে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান।

খ. সেনাবাহিনীতে চিহ্নিত আওয়ামী ঘাতকদের অবিলম্বে বাহিনী থেকে বের করে দেওয়া। বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানই একমাত্র গুম-খুনের সাথে জড়িত ব্যক্তি নয়, কমপক্ষে ৪০-৫০জন কর্মকর্তা আছেন যারা প্রত্যেকে ডজনখানেকের বেশি গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।

গ. ছাত্র জনতা যারা সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দ্বারা গুম, খুন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তারা দ্রুত উক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইসিটিতে মামলার ব্যবস্থা করুন।

পরিশেষে সকল জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা ও সকল পদের সামরিক সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলবো, ৫ আগস্টের মতো জনগণের পাশে থাকুন। এ দেশ আমাদের সকলের, একটি পদোন্নতি, একটি পোস্টিংয়ের এবং কোন রাজনৈতিক দলের জন্যে নিজের বিবেক বিক্রি করবেন না। সারা দেশের জনগণের ভরসা আপনাদের ওপর। যারা রাষ্ট্র ও জনগণ বিরোধী কোন চক্রের সাথে হাত মেলাবেন তাদের বাংলার মাটি থেকে কিছুতেই পালিয়ে যেতে দেয়া হবেনা।

-সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের

*অতি গুরুত্বপূর্ন এই মতামতটি অত্যন্ত বিশ্বস্ত সামরিক সূত্রে প্রাপ্ত, কোনরকম পরিবর্তন ব্যতিত প্রকাশ করা হলো*

আশঙ্কা: ছাত্র ও জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের নীল নকশা

#### ১. জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতাঃ

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পিছনের একমাত্র অবদান ছিল ছাত্র ও আপামর জনসাধারণের। এখানে সরকার, কোন বাহিনী বা প্রতিষ্ঠান সাহায্য করেনি। তবে বর্তমানে র‍্যাব ও বিজিবি দাবি করছে যে তারা ছাত্রদের পক্ষে ছিল (যা হাস্যকর)। একইভাবে সেনাবাহিনীকে পরবর্তীতে এমনভাবে গৌরবান্বিত করার চেষ্টা করা হয়েছে যেন তারা ছাত্রদের পাশে ছিল। প্রকৃত সত্য হল, ৪ আগস্ট ডোনাল্ড লু কর্তৃক মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে জানানো হয়েছিল, সেনাবাহিনী গুলি চালালে জাতিসংঘ থেকে তাদের ফেরত নেওয়া হবে। এই প্রেক্ষিতে সালমান এফ রহমান ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ০২৩০ ঘটিকা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনী সহ অন্যান্য বাহিনী প্রধানরা হাসিনাকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করে এবং নিরাপদে ভারতে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো; সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যম-জুনিয়র সারির অফিসার ও সাধারণ সেনা সদস্যরা ছাত্র-জনতার পক্ষে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলেন, যার ফলে হাসিনার আনুগত্যকারী জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অভ্যুত্থানের ভয়ে ছিলেন।

#### ২. বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর ভেতর আওয়ামী প্রভাবঃ

বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা, বিশেষ করে হাসিনার ঘনিষ্ঠরা, কিছুদিন ভয়ে ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়াও, সার্বিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নে সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার অভাব সর্বজন স্বীকৃত। কনিষ্ঠ অফিসার ও সেনা সদস্যরা চাইলেও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ধরতে দেওয়া হচ্ছে না, কারণ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বাধা দিচ্ছে। এই সুযোগে ফ্যাসিস্টরা পুনর্বাসিত হচ্ছে।

#### ৩. আওয়ামী পুনর্বাসনঃ

সেনাবাহিনীর ভেতরে বর্তমানে আওয়ামী পুনর্বাসনে কাজ করছে দুটি গ্রুপ—একটি মেজর জেনারেলদের এবং অন্যটি ব্রিগেডিয়ার জেনারেলদের (৩৪ ও ৩৫ বিএমএ লং কোর্স)। মেজর জেনারেলদের গ্রুপে রয়েছে আমিন, সাঈদ, কবির, নাজমুল, সারোয়ার, মাহবুব, জাহাঙ্গীর এবং ২৭তম বিএমএ লং কোর্সের ০৬ জন মেজর জেনারেল (সারওয়ার ফারিদ, ডিজি, এনএসআই ব্যতীত)।

#### ৪. মেজর জেনারেল ফেরদৌস ও তার প্রভাবঃ

মেজর জেনারেলদের গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএ ৪৪১০ মেজর জেনারেল ফেরদৌস হাসান সেলিম। এই অফিসার শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর ছেলে এবং হাসিনাকে "ফুফু" বলে ডাকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র এই অফিসারের পাসিং আউট (২০ ডিসেম্বর ১৯৯২) অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে বিএমএতে গমন করেন। মেজর জেনারেল ফেরদৌস দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত জেনারেল আজিজের সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে আজিজের সকল অবৈধ লেনদেনের সাথে জড়িত ছিলেন, কেবল তাই নয় নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আজিজ পরবর্তী চরিত্রহীন সেনাপ্রধান জেনারেল শফি'রও সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। বর্তমানে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সামরিক সচিব হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত রয়েছেন। অতি চতুর এই অফিসার প্রধান উপদেষ্টাকে ব্যবহার করে সশস্ত্র বাহিনী, সিভিল এবং ফরেন সার্ভিস ও পুলিশের বড় পদগুলোতে আওয়ামীপন্থী লোকদের বসাচ্ছেন। কিছু ক্ষেত্রে বাহিনীর প্রধানদের সুপারিশও পরিবর্তন করছেন এই অফিসার। উদাহরণ হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজের (২৭ লং) পদোন্নতি এবং ডিজিএফআইতে পদায়নের সুপারিশ পরিবর্তন করে হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুখ্যাত মেজর জেনারেল (অবঃ) তারিক সিদ্দিকী মনোনীত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীরকে ডিজি ডিজিএফআই হিসেবে পোস্টিং করান। মেজর জেনারেল ফেরদৌস শুরু থেকেই গোপনে শেখ হাসিনা ও তারিক সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।

#### ৫. সামরিক বাহিনী ঘিরে আওয়ামী ছকঃ

বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ছোট-বড় ৭৫টি আন্দোলন হয়েছে। এ সকল আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল নীরব দর্শকের মতো। ৪ আগস্ট পর্যন্ত সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা যেভাবে ছাত্র-জনতাকে অত্যাচারের জন্য চাপ দিয়েছেন, সেই রকম কোন উদ্যোগ বর্তমান আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য নেই। ফেরদৌস, এহসান এবং সেলিম আজাদ মিলে বর্তমান আওয়ামীপন্থী সকল সেনা কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে দিচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, আগামী নভেম্বর মাসে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে রাষ্ট্রপতি চুপ্পু'র মাধ্যমে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করানো। এ কারণেই ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি আওয়ামী চেতনাবাদী মেজর জেনারেল মঈনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে পরিবর্তন করা হয়নি। সেনাবাহিনীতে চিহ্নিত দুর্নীতিগ্রস্ত ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের

এত এত ইসলামিক বয়ান দিয়েও এদের মত পিছুটান মুক্ত হতে পারলাম না। আফসোস। 🫡

বাংলাদেশে গত পনেরো বছরের যে ফ্যাসিজম, সেটার মূল পিলার ছিলো শাহবাগী বামরা। আদর্শিক ভাবে এদের চাইতে নিকৃষ্ট কোন এজেন্সি বাংলাদেশে নাই। যে আওয়ামীলিগকে আমরা গত পনেরো বছর দেখেছি, সেই আওয়ামীলিগ আসলে এই বামদের বানানো। বামদের প্রত্যক্ষ নির্দেশনাতেই এই ফ্যাসিজম তৈরি হয়। ফ্যাসিজমের তাত্ত্বিক গুরু ছিলো বামদের মিডিয়া প্রথম আলো। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, মেনন-ইনু সহ সামগ্রিক শাহবাগী বাম এজেন্সি এভাবে আওয়ামীলিগের রাজনৈতিক চিন্তাধারা নিয়ন্ত্রণে না নিতে পারলে শেখ হাসিনা কিংবা আওয়ামীলিগ কোনটাই এরকম ভয়ঙ্কর দানবে পরিণত হতো না। বামরা হলো সেই নোংরা শক্তি , যারা যেখানেই হাত দিয়েছে সেটা শেষ হয়ে গিয়েছে। বামদের কারনেই আওয়ামিলীগের আপাত সহনশীল নেতারা সরে যেতে বাধ্য হয় এবং একটা সেন্টার লেফট দল থেকে উগ্রবাদী, খুনী, কট্টর সেক্যুলার মিলিট্যান্ট দলে পরিণত হয় আওয়ামীলিগ। যার মাশুল সমগ্র বাংলাদেশ এবং আওয়ামীলিগ উভয়কেই দিতে হচ্ছে। বাংলাদেশের সামগ্রিক সামাজিক ট্রাস্ট নষ্ট করে দিয়ে ঘৃণার মাধ্যমে সব ধ্বংস করে দিয়েছে বামরা। আমার এই কথার অর্থ সহজেই বুঝবেন যারা ২০০৯ বা তার আগের সময় থেকেই বাংলা ব্লগস্ফিয়ারে ছিলেন।

ফ্যাসিবাদের মূল পিলার এবং গত পনেরো বছরের সব গণহত্যার মাস্টারপ্ল্যানার সেই বামরা এসে এখন ছাত্র-জনতার প্রতিবাদী গ্রাফিতি মুছে দেয়া শুরু করেছে দেয়াল থেকে। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের দায় নিয়ে আওয়ামীলিগকে প্রেক্ষাপট থেকে সরে দাঁড়াতে হলো অথচ গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড বামরা এসে নতুন বাংলাদেশের দখল নিয়ে নিচ্ছে! বেশ কিউট ব্যাপারটা। - নাহিয়ান বিন হোসেইন

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হাউজ দখলের স্টাইল টা বাংলাদেশের গনভবন দখলের ক্ষেত্রে জনগণের মাথায় আইডিয়া দিয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশ বিপ্লবের যে স্ট্যান্ডার্ড সেট করল সেটাও কিন্তু ছোঁয়াচে। এটাও ছড়িয়ে পড়তে পারে অনেক জায়গাতেই 😉😜

সমন্বয়কদের তরফ থেকে শায়খ আহমাদুল্লাহর কাছে ফোন আসে গতকাল (৭ আগস্ট) দুপুরে। তারা শায়খকে আলেম সমাজের তরফ থেকে নতুন সরকারের উপদেষ্টা বানাতে চান।
আমি তখন শায়খের সামনে বসা। একটা বিষয় নিয়ে আলাপ করছিলাম।
ফোনের এপাশ থেকে শায়খ বিনয়ের সাথে রাষ্ট্র পরিচালনায় নিজের অযোগ্যতার কথা বললেন এবং অনাগ্রহ প্রকাশ করলেন। তারপর আলেমদের ভেতর থেকে বেশ কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করলেন। প্রস্তাবিতদের অন্যতম ছিলেন ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
এরপর প্রস্তাবিত আলেমদের শিক্ষা, যোগ্যতা, বয়স ও কর্মজীবন নিয়ে কতক্ষণ আলাপ করলেন।
শেষে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের ব্যাপারেই জোরালো মত দিলেন শায়খ। আলহামদুলিল্লাহ, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের একজন হওয়ার অফার নিশ্চয় অনেক আকর্ষণীয়। শায়খ আহমাদুল্লাহ সেই আকর্ষণকে জয় করতে পেরেছেন।
এই ক্ষমতাচর্চা ও আত্মপ্রচারের কালে শায়খ আহমাদুল্লাহর এই বিনয়, দূরদর্শিতা এবং অপরকে অগ্রাধিকার দেয়ার মানসিকতা উদাহরণ হয়ে থাকবে নিশ্চয়ই।
শায়খের জন্য শ্রদ্ধা ও দোয়া—মহান আল্লাহ তার সম্মানকে আরো বৃদ্ধি করুন।- লেখক সাব্বির জাদিদ

দেশে ফিরে যা বললেন ডঃ ইউনুস। শহীদ আবু সাইদের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তিনি।

বঙ্গভবনের পথে...
আজকের শপথ গ্রহন,রাষ্ট্র সংস্কারের প্রথম পদক্ষেপ। 💚🇧🇩💚

বিচারবিভাগের ফ্যাসিবাদ বিলোপ করতে হবে
আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি,
বিচারবিভাগে এখনো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার শরিক বিচারপতিরা বিচরণ করছেন। আমরা শুনতে পেলাম, অভ্যুত্থানের আগে আমাদের যেভাবে আদালতের নামে টালবাহানা করা হত, ঠিক একই কায়দায় অভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্র-জনতার সরকার ব্যাহত করার প্রচেষ্টা চলমান।
আমরা অচিরেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার সক্রিয় শরিক প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের বিচারপতিবৃন্দের অপসারণ দাবি করছি। অনতিবিলম্বে দেশপ্রেমিক এবং জনগণের পক্ষের বিচারপতিদের উক্ত শুন্য পদসমূহে নিয়োগ করে দেশে ছাত্র-জনতার সরকার প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম দ্রুততর করা হোক। আশা করবো সকালের মধ্যেই বিচারপতিগণ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন। অন্যথায় আমাদের কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে হবে।
এছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিচারবিভাগকে স্বাধীন ও কার্যকর ভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় পলিসি বাস্তবায়ন করার আহ্বান থাকবে।
এছাড়াও দেশের সকল পর্যায়েই ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী, সহযোগীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আহ্বান করা যাচ্ছে।
আসিফ মাহমুদ
সমন্বয়ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

গুম করার পর কি করা হতো বন্দীদের সাথে?
বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তা এস আই মাসুদ রানার মুখে এর বিস্তারিত বর্ননা😢

এই ছবিটা ঘুরতেছিলো। এটা আসলেই ডিবির হারুণ। আমি নিশ্চিত হইছি। সি এম এইচ এ আই সি ইউয়ে আছে। কিন্তু কে কখন তারে পিটাইলো? এইটা জানতে পারি নাই। জানান বিস্তারিত।

উনার জন্য দু আ কইরেন। ইমুর একজন প্রতিভাবান ফ্রি ল্যান্সারের এমন অকালে মৃত্যু মাইনা নেয়া যায়না।- পিনাকী ভট্টাচার্য

ডিবি লাইফ সেটেল করে দিতে চেয়েছে, আব্দুল হান্নান বলেছেন "আমার বাবা আমাকে এটা শেখায়নি" । টকশোতে আবেগে আপ্লূত সমন্বয়কারী আব্দুল হান্নান মাসুদ।