শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ @shaikhahmadmusajibril Channel on Telegram

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

@shaikhahmadmusajibril


এই চ্যানেলে শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহর বিভিন্ন উক্তির অনুবাদ দেওয়া হয়।এইটা কোন অফিশিয়াল চ্যানেল নয়।
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ (Bengali)

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ নামে এই চ্যানেলে বিভিন্ন উক্তির অনুবাদ পাওয়া যায়। এটি কোন অফিশিয়াল চ্যানেল না হলেও, এখানে শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহর জ্ঞান এবং উক্তি শেয়ার করা হয়। যদি আপনি ইসলামের ভিত্তি ও তত্ত্বে আগ্রহী হওয়া সাথে এই চ্যানেলে যোগ দেন, তাহলে আপনি অনেক কিছু শেখা ও বুঝতে পারবেন। এছাড়া, ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে ভাইরালে গেছে শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহের উক্তি এবং তার গভীর অর্থবোধ প্রতিটি মানুষের মনে প্রবেশ করায়। তাই, এই চ্যানেল আপনার জীবনে অনেক কিছু আবিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে। শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ চ্যানেলে যোগ দিন এবং নতুন জ্ঞান পেতে শুরু করুন।

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

03 Jan, 14:49


যদি কেউ আল্লাহর হুকুমের ব্যাপারে বিশ্বাসযোগ্য না হয়, সে আপনার গোপনীয়তা ও সম্মানের ব্যাপারেও বিশ্বাসযোগ্য নয়।

‘বিবাহের ভিত্তি’ হচ্ছে - ‘আস্থা।’

কেউ যদি আল্লাহর হুকুমের ব্যাপারে বিশ্বস্ত না হয়, সে অন্য কোনো ব্যাপারেও বিশ্বস্ত হবে না।

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

09 Dec, 13:54


বিজয়ের মূল সূত্র খুব সাদাসিধে। এতে কোনো জটিলতা নেই।

যে বেশি আল্লাহকে ভয় করে - অর্থাৎ যিনি মুত্তাকি, বিজয় তার দিকেই যায়।

যদি আল্লাহর ভয়ের বিষয়টা না থাকে, তখন বিজয় আকওয়া ( أقوى ) বা  তুলনামূলক বেশি ক্ষমতাধরের দিকে চলে যায়।
বিষয়টা তখন ক্ষমতা বনাম ক্ষমতার ইস্যুতে পরিণত হয়।

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

08 Dec, 14:45


❝ আল্লাহু আকবার!
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যাঁর অনুগ্রহে সমস্ত সৎকর্ম সম্পন্ন হয়।

প্রত্যেক মুসলিম যে কোনো ত্বাগুতের পতনের মাধ্যমে অপরিসীম আনন্দ অনুভব করে, এমনকি যদিও উক্ত ত্বাগুতের পতন অন্য কোন ত্বাগুতের দ্বারা ঘটে।

ইবনু কাসির রাহিমাহুল্লাহ এই ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন,
‘আল্লাহ জালিমদের প্রতি প্রতিশোধ গ্রহণ করেন এইভাবে যে - তাদের একদলকে অন্য দলের উপর ( প্রবল করে ) চাপিয়ে দেন;
আর এইভাবে তাদের কিছু অংশকে অন্য অংশের মাধ্যমে ধ্বংস করেন।
এইটা তাদের অন্যায় ও সীমালঙ্ঘনের প্রতিফল।’


এই আনন্দ বিশেষত স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন নিরপরাধ মুসলিম বন্দীদের মুক্তি দেখা যায়।
বিশেষত আমাদের বোনদের মুক্তি এবং
এমন মাজলুম ব্যক্তি - যাদের ঘরবাড়ি, ভুমি এবং শহর পুনরুদ্ধার করে তাদের হারানো অধিকার পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

তবে আমাদের প্রকৃত আনন্দ তখনই পূর্ণ হয়, যখন আল্লাহর বিশুদ্ধ শারীয়াহর বাস্তবায়ন পুরোপুরি কার্যকর হয়।

কেবলমাত্র কোনো শহর থেকে শত্রুর পশ্চাদপসরণ কিংবা কোন ত্বাগুতের পতন হলেই তা শারীয়াহ অনুযায়ী ‘মুক্তি’ বা ‘বিজয়’ বলে বিবেচিত হয় না,
যতক্ষণ না সেই ভুমি আল্লাহর আইন দ্বারা পরিচালিত হয় এবং
সেই সকল ধর্মনিরপেক্ষ আইনগুলোও নির্মূল করা হয়;
যা শারিয়াহর বিধান বাস্তবায়নে বাঁধা সৃষ্টি করে।


একটি পুরনো মরিচা ধরা ত্বাগুতকে অন্য চকচকে নতুন ত্বাগুত দ্বারা প্রতিস্থাপন করা, যে কিনা আল্লাহর বিশুদ্ধ শারীয়াহ বাস্তবায়ন করে না;
এইটাকে কখনোই ‘মুক্তি’ বা ‘স্বাধীনতা’ বলা যায় না।
বরং, এইটা হল নিপীড়নের পুনরাবৃত্তি এবং ত্বাগুতের পুনর্জন্ম।


‘স্বাধীনতা’র নামে কিছু ভূমি মুক্ত করে হয়তো সাময়িক কিছু পার্থিব লাভ হতে পারে সত্য।
কিন্তু আল্লাহর শারীয়াহ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ভূমি মুক্ত করা হলো সেই মহৎ লক্ষ্য - যা মানুষকে এমন এক জান্নাত দান করবে, যা আসমান ও জমিনের চেয়েও বিস্তৃত।

আজ আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, যিনি আমাদের সময়ের অন্যতম প্রধান জালিমের পতন প্রত্যক্ষ করার সুযোগ দিয়েছেন।

আমরা দুআ করি,
আল্লাহ ﷻ আমাদের অন্তরগুলো আনন্দে পূর্ণ করুন এবং বাকি জালিমদেরও পতন প্রত্যক্ষ করার তাওফিক দান করুন।
যেন আমরা ন্যায়পরায়ণ এবং প্রকৃত মুত্তাকী মুওয়াহহিদদের ( খিলাফাহর ) শাসনের অধীনে তাওহিদের ছায়ায় জীবনযাপন করতে পারি। ❞

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
( জুমাদাল আউয়াল ৬, ১৪৪৬ হিজরী )
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

05 Nov, 00:31


ইবনে রাহঊহ বলেছেনঃ

“ যে ব্যক্তি সময় শেষ না হওয়া অবধি খাঁটি অজুহাত দিয়ে ইচ্ছে করে সালাত ছেড়ে দেয়, সে কাফির। ”

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

30 Oct, 17:24


বিশুদ্ধ তাওহিদ মানে হলো - ফিলিস্তিন কোনো জাতীয়তাবাদ সংক্রান্ত ইস্যু নয়।

ফিলিস্তিন যুদ্ধ আরব জাতীয়তাবাদের জন্য নয়।
ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদের জন্যও নয়।


ফিলিস্তিন পুরো উম্মাহর বিষয়।

যদি সীমান্ত হালকাও খুলে দেওয়া হয়, দেখা যাবে লাখ লাখ অনারব মুসলিম জান হাতে নিয়ে ছুড়ে মারতে এই মৃত্যু উপত্যকায় এগিয়ে আসবে।
আল্লাহর নামকে সুউচ্চ করার জন্য, পবিত্র ভূমি মুক্ত করার জন্য এগিয়ে আসবে। ❞

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

26 Oct, 19:55


ইবনে রাহায়িহ বলেছেনঃ

❝ এইটা রাসূল ﷺ এর কাছ থেকে প্রাপ্ত সহিহ হাদিস যে -
কোন ব্যক্তি সালাত পরিত্যাগ করলে সে কাফির।

আর এইটা রাসূল  ﷺ এর সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সকল উলামাদের অভিমত।

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

26 Oct, 00:43


“ ‘আল্লাহ’ নিছক একটি নাম না।
আপনি যখন বলছেন ‘আল্লাহ’;
তখন মহিমান্বিত, পরাক্রমশালী ও পরম সম্মানিত এক সত্তার নাম উচ্চারণ করছেন।

যখন আপনি ‘আল্লাহ’ বলছেন;
আপনি সেই এক ও অদ্বিতীয় সত্তার নাম নিচ্ছেন, যিনি সাত আসমানকে ঊর্ধ্বে স্থাপন করেছেন কোনোরকম স্তম্ভ ছাড়াই।

আপনি উচ্চারণ করছেন সেই একচ্ছত্র অধিপতির নাম;
যিনি ‘কুন’ (كُنْ) আদেশ দিয়ে সাত জমিনকে আপনার নিচে সুবিন্যস্ত করেছেন, আর নিঃসৃত বীর্য থেকে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন সুন্দর ও শ্রেষ্ঠতম আকৃতিতে।

যখন‌ই আপনি কোনো বাক্যে ‘আল্লাহ’ শুনতে পাবেন, মনের গভীর থেকে এই কথাগুলো স্মরণ করবেন।

‘আল্লাহ’ — এ কোনো সাধারণ নাম না।
আমরা কি আদৌ এই নামের প্রকৃত অর্থ উপলব্ধি করতে পারি?

‘আল্লাহ’ নামটি যে হৃদয়ে রাজত্ব করে;
তা পরিণত হয় এক দৃঢ়, শক্তিশালী, বিশুদ্ধ ও এক‌ইসাথে রাহমাহপূর্ণ হৃদয়ে।

এই হৃদয় যে ‘আল্লাহ’ নামকে ধারণ করেছে!
‘আল্লাহ’ তো যেনতেন কোনো নাম না।

যে হৃদয় সত্যিকারভাবে ‘আল্লাহ’ নামের মর্মার্থ অনুধাবন করেছে, তা কখনো কোনো গুনাহকে তুচ্ছ ভাবতে পারে না। ”

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

25 Oct, 04:36


যখন পরীক্ষা আপনাকে বিহ্বল করে ফেলবে, যখন প্রবল প্রতিপক্ষের সামনে নিজেকে একা আবিষ্কার করবেন -
মনে রাখবেন আল্লাহই ﷻ আপনার জন্য যথেষ্ট।

নিঃসন্দেহে আল্লাহ ﷻ তাঁর বান্দাদের জন্য যথেষ্ট। আমরা আসলে তাঁরই মুখাপেক্ষী।

দাওয়াহর রাস্তায় অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হবে। একের পর এক পরীক্ষা ও মুসিবত আপনার দিকে ধেয়ে আসবে।
এই প্রতিকূলতায় এক আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেই আপনি পাশে পাবেন না।

সুতরাং আপনি যদি বিপদের মুহূর্তে আল্লাহকে পাশে চান, তবে দুর্যোগের মুখোমুখি হবার আগেই নিশ্চিত করুন - আপনি কেবল তাঁরই সন্তুষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছেন।

প্রতি পদক্ষেপের আগে নিজেকে প্রশ্ন
করুন -

আমি কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজটি করছি?
এটা কি ইসলাম সম্মত?
আল্লাহ এতে খুশি হবেন তো?


আল্লাহর ﷻ সন্তুষ্টিকেই নিজের উদ্দেশ্য বানিয়ে নিন।

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

22 Oct, 18:03


আল্লাহর শরিয়াহ ব্যতিত অন্য বিধান দ্বারা শাসন করা কুফরি ❞

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

[ আল আকসা মিডিয়া ]
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

22 Oct, 05:49


যখন আপনি মারঈয়াম আলাইহিস সালামকে অপবাদ দানকারীদের বংশধর ও তাদের সমগোত্রীয়দের দ্বারা অভিযুক্ত হোন, তখন সেটাই করেন যা তিনি করেছিলেনঃ-

- তাদের সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন,
- এবং পথ চলতে থাকুন।

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

21 Oct, 13:28


যদি আপনি কখনও অনুভব করেন যে পৃথিবীটা আপনার বিপক্ষে,

তবে আল্লাহর সাথে আপনার সম্পর্ক দৃঢ় রাখুন,
এবং জিকিরে নিমগ্ন থাকুন।


‘তারপর তারা তার বিরুদ্ধে মহা ষড়যন্ত্র আঁটতে চাইল,
কিন্তু আমি তাদেরকেই পরাভূত করে দিলাম।’ ❞

( সূরা আস-সাফাত, ৩৭ঃ৯৮ )

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

20 Oct, 20:58


আল্লাহ ﷻ হক্বের উপর থাকা সংখ্যালঘুদের প্রশংসা করেছেন,

এবং এটাই প্রচলিত নিয়ম যে -
হক্বের অনুসারী সংখ্যালঘুরাই হয়।

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

20 Oct, 08:35


সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়টি ইহুদিবাদীদের নিপীড়ন ও নিষ্ঠুরতা নয়, বরং মুসলমানদের নিরবতা।

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

19 Oct, 20:06


তারা ( কুফফাররা ) যত বেশি ইসলামের সাথে লড়াই করবে, ইসলাম ততই তীব্র হবে।

তারা যতই ইসলামের আলো নিবৃত্ত করার চেষ্টা করবে, ততই এইটা জ্বলে উঠবে।

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

19 Oct, 14:47


“ আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন,

‘পূর্বের সালাফদের একজন মানুষ যদি এখন জীবিত হয়ে ফিরে আসে, তবে তিনি ইসলামকে চিনতে পারবেন না।’

আর আজ যদি তিনি দেখতেন, তাহলে কি বলতেন?! ”

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

19 Oct, 09:47


যখন তারা মুসলমানদেরকে ইসলামের বাইরে নিয়ে যেতে পারেনি -

তখন তারা মর্ডানিস্টদেরকে ছড়িয়ে দিয়েছে,
অন্তর থেকে ইসলামকে বের করে
সেগুলোকে উন্মুক্ত খোলসের মতো রেখে দেওয়ার জন্য। ”


- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

18 Oct, 18:46


আল্লাহ সর্বশক্তিমান স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টিকে ‘কাফির’ এবং ‘মুমিন’ এ বিভক্ত করেছেন,
এখন কোন সৃষ্টি তৃতীয় শ্রেণীর উদ্ভাবন করে দেখাবে? ”

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

18 Oct, 11:39


“ যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। ”
( সূরা আল মুজদালাহ , ৫৮ঃ২২ )

উক্ত আয়াতের পরে ইমাম ইবনে
তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন; মুমিন কখনোই কাফিরকে ভালবাসতে পারেনা।

সুতরাং যে ব্যক্তি তাদেরকে ভালবাসবে, সে মুমিন নয়। ❞


- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

17 Oct, 15:47


“ তারা এমন একজন দাঈর কাছ থেকে দ্বীন শিখতে ঝাঁপিয়ে পড়েন, যিনি তার মাথায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ( ক্যাপ ) রেখে ইসলামিক বক্তৃতা দিতে পছন্দ করেন।

কোথায় গেলো,
- ‘ওয়ালা’ এবং ‘বারা?’ ”


- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

16 Oct, 13:44


“ নিজেদের সাথে একটু সৎ হয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুনঃ-
কাফিরদের ভূমিতে আপনারা কি সত্যিই আল্লাহর আনুগত্য আর তাগুতকে অস্বীকারের প্রকাশ্য ঘোষণা দিতে পারবেন?
আপনারা যাদের রেখে যাচ্ছেন, আপনাদের সন্তানেরা;
তাদের ব্যাপারে আপনি কি নিশ্চিত যে তারা ঈমান হারিয়ে ফেলবে না?


আমরা ইতিমধ্যেই জেনে ফেলেছি যে, আপনি কোনোমতেই নিশ্চিত হতে পারবেন না।
অতীত ইতিহাস বলে যে আপনার সন্তানেরা ঈমান নিয়ে থাকতে পারবে না, বিভিন্ন গবেষণা এইটার সত্যায়ন করেছে।

আমাদের চোখের সামনেই চার পাঁচ প্রজন্মের মধ্যেই মুসলিমরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছে।  অনেকেই লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ বিকৃত করে ফেলেছে।

আমি আমার পড়াশোনার সময় গুণেছিলাম প্রায় ৪৫ টারও বেশি ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
আমরা যেন অন্য ধর্মালম্বী বা জীবন বিশ্বাস থেকে আলাদা হই।


আর আজকে যারা প্রো-ইন্টারফেইথের লোকজন যারা - কাফিরদের সাথে ঐক্যের, সাদৃশ্যর আহব্বান করছে।
আমি ইন্টারফেইথ আদর্শের কথা এর আগেও আলোচনা করেছি -
ইন্টারফেইথ একটা আদর্শ। এটা একটা বিশ্বাস। প্রায় দশ জন উলামার ঘোষণা মতে এটা কুফরের বিশ্বাস।

আমি আমার অধ্যয়নের সময় গুণে দেখলাম রাসূলুল্লাহর ﷺ ৪৫ টিরও বেশি সহিহ হাদিস রয়েছে, আর আমি সহিহ ছাড়া অন্যান্যগুলো হিসেবের মধ্যে আনি নি। গণনা এখনও শেষও হয় নি, এর মধ্যেই ৪৫ টিরও বেশি কেবল সহিহ হাদিসই পেলাম,
যেখানে রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে কাফিরদের থেকে ভিন্ন হতে নির্দেশ দিচ্ছেন!

আর অপর দিকে এইসব অথর্বরা, এইসব মূর্খরা ইন্টারফেইথে অংশগ্রহণ করে বলে বেড়ায়,
- ‘আমরা এখানে ধর্মগুলোর সাদৃশ্য খুঁজতে এসেছি!

রাসূলুল্লাহ ﷺ বারবার বলছেন,
‘ভিন্ন হও, ভিন্ন হও, ভিন্নরকম হও’;
আর তাই আমরা নিজেদের স্বাতন্ত্র বজায় রাখার চেষ্টা করছি।
কিন্তু ওরা সেটা চায় না।

নিজেদের ঈমানের দিকে তাকান।
এই ব্যাপারটি ভাল বুঝতে পারবেন, যদি কখনও হজ্জ বা উমরাহ করে থাকেন।

আচ্ছা হজ্জ বা উমরাও থাক, যদি কখনো এমন জায়গায় কিছু সময় থেকে থাকেন যেখানকার লোকদের ঈমানের অবস্থা ভাল বা সেখানকার পরিবেশ উত্তম।
আর এরপর এমন পরিবেশে এসে পড়লেন, যেখানটা গুনাহ আর ফাহিশায় পূর্ণ।
এমন ক্ষেত্রে আগে যেসব বিষয়ে আপনার ফিতরাত প্রতিরোধ গড়ে তুলছিল, অস্বস্তি তৈরি করছিল সেটা আর অটুট থাকে না।
আপনি কেমন যেন পরিবর্তিত হয়ে যান।

হজ্জ বা উমরা থেকে ফিরবার পর পর যখন আপনি দেখবেন একজন পুরুষ আর একজন নারী চুমু খাচ্ছে, আপনার তখন অস্বস্তি লাগবে।
কিন্তু যখন আপনি বিশ বছর এমন দৃশ্য দেখে কাটিয়ে দিবেন, আপনার ছেলেমেয়েরা এমন দৃশ্য দেখে দেখে বড় হবে;
তখন এইসব অশ্লীলতা, বেহায়াপনায় আপনার কিছুই মনে হবে না। আপনারা এসবে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।

আর এটা তো মাত্র একটা ছোট্ট উদাহরণ, যা আপনার ‘ঈমানের প্রতিরোধ ব্যবস্থা’ কে খুন করে ফেলে। আমাদের তো অবাক করে দেয় রাসূলুল্লাহর ﷺ হিজরের পাশ দিয়ে যাবার সময়কার ঘটনা শুনে।

হিজর হলো সেই এলাকা, যেখানে আল্লাহ আযযাওয়াজাল নবী সালেহর ( আলাইহিস সালাম ) এর কওমকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।

আমার একজন শিক্ষক যিনি এই সময়ের একজন শ্রদ্ধেয় আলিম, তাঁর থেকে এই বিষয়ে একটি কথা শুনেছিলাম। আমি এটা কখনই ভুলতে পারব না।

তিনি বলেন,
- রাসূলুল্লাহ ﷺ অমুসলিমদের বসবাসের একটি অঞ্চল দিয়ে যাবার সময় নিজের মুখ ঢেকে ফেলেছিলেন এবং চলার গতি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাদের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে।
আর সেখানে আমরা এমন মানুষদের মধ্যে বসবাসের কথা আলাপ করছি, যারা কিনা দিনরাত খেটে মরছে আমাদেরকে দ্বীন থেকে বের করে ফেলার জন্য!

নিজেদেরকে এই প্রশ্নও করুন যে,
আপনারা কি সত্যিই প্রকাশ্যে সৎ কাজের উপদেশ আর মন্দ কাজে বাধা প্রদান করতে পারেন?

আমাদের কাছে এটা তো একেবারেই অবহেলিত এক ব্যাপার। নিতান্তই অবহেলিত।

আপনারা নিজেরাই নিজেদেরকে উত্তর দিনঃ-
আপনারা কি সৎ কাজের উপদেশ আর মন্দ কাজে বাধা প্রদান করতে পারেন? ”

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

16 Oct, 05:41


“ রাসূলুল্লাহর ﷺ একটি হাদিসে, যা একাধারে সহিহ বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, আহমাদে এসেছে।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ
‘তোমাদের প্রত্যেকেই হলে রাখাল এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ পালের ব্যাপারে দায়িত্বশীল।
একজন পুরুষ তার পরিবারের রাখাল আর এই ব্যাপারে সে দায়িত্বশীল।
একজন নারী তার স্বামীর বাড়ির রাখাল এবং এইজন্য সে দায়িত্বশীল।’
[ আল আদাবুল মুফরাদঃ ২১২ ]

একজন পুরুষ, সে নিজ পরিবারের রাখাল, অর্থাৎ এই পালের ব্যাপারে দায়িত্বশীল।
আপনাকে এই ব্যাপারে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। আপনার পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের ব্যাপারে আপনি জিজ্ঞাসিত হবেন।

যদি আপনি জানেন যে আপনার সন্তানদের জন্য এমন দুর্ভোগ আসতে পারে, আপনার সন্তানরা দ্বীনের মৌলিক বিষয়ে অটল নাও থাকতে পারে;
তাহলে আপনি তাদেরকে ধোঁকা দিলেন আর এজন্য আপনাকে পস্তাতে হবেই হবে।


আম্বিয়াগণ ( আলাইহিমুস সালাম ) নিজেদের ব্যাপারে শির্কের ভয় করতেন,
আর আজকে এটা কিনা সবচেয়ে হালকা বিষয় হয়ে গেল?

তাঁরা কিন্তু এমন পরিবেশে ছিলেন না, যেখানে মুসলিমদেরকে দ্বীন ত্যাগ করানোর জন্য মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করা হতো।
তারপরেও তাঁরা সবসময় অজানা এক আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করতেন।

কাফির মুশরিকরা আজ আমাদের পেয়ে বসেছে, আমরা তাদের মাঝে বসবাস করছি।
ওদের স্কুল, শিক্ষাব্যবস্থা, মিডিয়া, জীবনব্যবস্থা সব কিছু আমাদের ওপর জেঁকে বসেছে।


মড়ার ওপর খড়ার ঘা হিসেবে প্রতিনিয়ত ওরা কুটিল ষড়যন্ত্র করে চলছে আমাদের ঈমান কেড়ে নেবার জন্য।
মিলিয়িন মিলিয়ন ডলার ঢালছে।
পানির মতো টাকা খরচ করছে। মিডিয়া ক্যাম্পেইন করছে।

উম্মাহর মধ্যে দালাল নিয়োগ যারা ছলেবলেকৌশলে আমাদেরকে দ্বীন থেকে বের করে নিচ্ছে।

অথচ আপনি যদি এখানকার কোনো বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করেন যে,
সন্তানদের ব্যাপারে কোন বিষয়টা নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা সবচেয়ে কম?
- সেটা হবে শির্ক বা কুফরে পতিত
হবার আশঙ্কা।

এর কারণ কি বলে মনে হয় আপনার?
ঐ সন্তানদের কথা পরে আসুক,
তাদের বাবা মায়েরাই আসলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর অর্থ বোঝেনি।

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ঘর সাজাবার কোনো ব্যানার নয়।
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ কোনো গহনা বা জমির দলীল নয় যে, আপনি
আপনার সন্তানদের হাতে তা তুলে দেবেন আর তারা তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জুড়ে পরম যত্নে আগলে রাখবে।

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ খুব গভীর, খুব ওজনদার।
এইটাকে বুকে ধারণ করার জন্য অবশ্যই আগে এর অর্থ বুঝতে হবে। আত্মস্থ করতে হবে।


যে কোনো সময় এটি হারিয়ে যেতে পারে। অসতর্ক হওয়া যাবে না।
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এখানকার বহু সংখ্যকের কাছ থেকেই হারিয়ে গিয়েছে।

তাই আমাদের শত্রুরা প্ল্যান করেছে যে মুসলিমরা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ কেবল মুখে মুখেই বলুক,
কিন্তু তারা যেন সেটা নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করতে না পারে। তাকে ‘ইসলাম’ শিখতে দাও;
কিন্তু প্রকৃত ইসলাম নয়, বিকৃত, মডারেট ইসলাম।


তাদেরকে ‘ইন্টারফেইথ’ দাও;
তাদেরকে সেকুলারিজম, ঐতিহ্য, প্রথা, বিজাতীয় সংস্কৃতি, নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা, ভ্রান্ত পথে জীবন পরিচালনা, আইডল, উৎসব
দাও।
কেবল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ থেকে বাইরে নিয়ে যাও।


সে মুখে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলছে, বলুক যতো খুশি;
কিন্ত কক্ষনো যেন সেটার ওপরে আমল করতে না পরে,
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ কে কেন্দ্র করে
জীবন পরিচালিত করতে না পারে। ”

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

15 Oct, 11:10


।।ওয়ালা এবং বারাকে কলুষিত করার উদ্দেশ্য -২।।

“ মুসলিমরা কখনো আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে সাপের মতো বারবার খোলস বদলায় না।
ইসলামের বিশুদ্ধ্ব আকিদাহর জ্ঞান অনেকেরই অর্জন করার সৌভাগ্য হয়েছিল। কিন্তু মহান আল্লাহ তাদের এই সম্পদের জন্য অযোগ্য মনে করলেন এবং এই সম্মান তাদের থেকে সরিয়ে নিলেন।

আজ খুব অল্প মানুষকে আল্লাহ এই সম্মান দিয়েছেন।
আজ এই উম্মাহ যে বিশাল ফিতনা আর বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তার একটা সুবিধা হল - বরফ গলে যাচ্ছে, আর মুখোশের নিচে থাকা সত্যিকার চেহারাগুলো সবার কাছে পরিষ্কার হচ্ছে।

আপনার দুই পাশে তাকান। সামনে তাকান। পেছনে তাকান।

হকপন্থীরা কোথায়?
শাইখ কিসক রাহিমাহুল্লাহ বলতেন,
‘প্রকৃত ইসলামের দেখা তুমি পাবে কারাগারের চার দেয়ালের ভেতরে।’

আলোচনার শেষে বলা যায়, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর মূলে রয়েছে ওয়ালা এবং বারাহর শিক্ষা।
তাওহিদের পর কালিমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার অন্যতম হল - আল ওয়ালা ওয়াল বারার শিক্ষা।


ওয়ালা এবং বারাহ মুসলিমের পরিচয়, দুর্ভেদ্য এক ঢাল - যেইটা পরবর্তী মুসলিম প্রজর্ম্মের তাওহিদের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা করে।

ওয়ালা এবং বারাহর আকিদাতে আপনার সুগভীর বিশ্বাস থাকতে হবে,
এটাকে হালকাভাবে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।


কিভাবে ওয়ালা এবং বারাহ আপনি আপনার জীবনে বাস্তবায়ন করবেন,
আপনার সন্তানদের শেখাবেন; সেই ব্যাপারে আপনার কনক্রিট প্ল্যান থাকতে হবে।


কাফির মুশরিকরা ওয়ালা এবং বারাহকে চরমভাবে ঘৃণা করে। কারণ তারা আমাদের ইসলামকে, আমাদের পরিচয়কে ঘৃণা করে।
তারা চায় আমাদের দ্বীনকে আমরা যেন অন্য ধর্ম আর নানা তন্ত্রমন্ত্রের সাথে মিশিয়ে বিকৃত করে ফেলি।

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

14 Oct, 18:16


।।ওয়ালা এবং বারাকে কলুষিত করার উদ্দেশ্য -১।।

“ ইসলামের শত্রুরা অন্তরের তীব্রভাবে আল ওয়ালা ওয়াল বারাকে ঘৃণা করে।
ইসলামের প্রত্যকে শত্রুর একান্ত চাওয়া - ওয়ালা এবং বারাকে বিভ্রান্তির বেড়াজালে বন্দী করে ফেলা।

মুসলিমরা বাহ্যিকভাবে ইসলাম ধারণ করুক, তাদের মুসলিম নাম থাকুক, নিজেদের মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিক, এতে তাদের কোন সমস্যা নেই।
কিন্ত তারা চায় - মুসলিমদের ভেতরটা যেন হয় ফাঁপা, অন্তর যেন হয় ঈমানশূন্য।

কোন মুসলিমকে ধর্মান্তরিত করা খুবই কঠিন। একজন মানুষ একবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহতে বিশ্বাসী হলে যতো কিছুই হোক না কেন, তার রেশ ঐ ব্যক্তির অন্তরে থেকেই যায়।

একবার যে অন্তরে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর ছাপ পড়ে সেই, অন্তর থেকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর ছাপ পুরোপুরি মুছে ফেলা খুবই কঠিন।
এইজন্য ইহুদী বা খ্রিষ্টানরা চায় না মুসলিমদেরকে তাদের ধর্মে নিয়ে আসতে, তারা চায় মুসলিমদেরকে ইসলাম থেকে দূরে নিয়ে আসতে।

এখন চিন্তা করুন তো,
কিভাবে খুব সহজে মুসলিমদের তাঁদের ধর্ম থেকে বের করে নিয়ে আসা সম্ভব?

- মুসলিমদের আল ওয়ালা ওয়াল বারা ভুলিয়ে দেওয়া,
বা অন্তত পক্ষে ওয়ালা এবং বারা সহ ইসলামের সঠিক শিক্ষা ভুলিয়ে দেওয়া।


এই কারনেই কাফেররা বারবার মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা, সিলেবাস, কারিকুলামে নাক গলায়। তারা কারিকুলাম থেকে আল ওয়ালা ওয়াল বারার আলোচনা বাদ দেওয়ার অথবা ভুল ব্যাখ্যা তুলে ধরার জন্য হস্তক্ষেপ করে।

আন্তধর্মীয় কার্যক্রম এমনই আরেকটা অস্ত্র - আল ওয়ালা ওয়াল বারাকে মুছে ফেলার।
বর্তমান বিশ্ব ইন্টারফেইথ বা আন্তঃধর্মীয় কর্মকান্ডের নামে যা হয়, তার সবগুলো মৌলিক দিকের উদ্দেশ্য হল - মুসলিমদের আল ওয়ালা ওয়াল বারা নষ্ট করে দেওয়া।

জাযিরাতুল আরবের অনেক আলিমের বক্তব্য দিয়েছিলেন - যারা আন্তঃধর্মীয় কর্মকান্ডকে কুফর বলেছেন কিংবা যারা এই আদর্শ গ্রহণ করে, বিশ্বাস করে ও প্রচার করে; তাদেরকে কাফির বলেছেন।

দুই পবিত্র ভূমির মাসজিদের একজন আলিম, যুগের মুরজিয়ারা যাকে অনুসরণের দাবি করে;
তিনি বলেছেন - যে আন্তঃধর্মীয় কর্মকান্ডের দিকে আহ্বান করে, সে ইহুদী-খ্রিস্টানদের চেয়েও নিকৃষ্ট।


আমাদের সমাজে আজকাল অনেক মানুষ দেখা যায়, যারা নিজেদের ইসলামের দা’ঈ বলে দাবি করে। মানুষও তাদের ব্যাপারে এমন ধারণা করে, কিন্তু যারা আসলে ‘রুয়াইবিদাহ।’
তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর সঠিক আকিদা নির্মূল করা।

তাদের এই জঘন্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য আল ওয়ালা ওয়াল বারাহ এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর সঠিক বিশ্বাসকে ধ্বংস করার জন্য তারা আন্তঃধর্মীয় কর্মকান্ডের আড়ালে কাজ করে।
তারা এই কাজ সরাসরি করতে পারবে না। মুসলিমরা ক্ষেপে যাবে বাঁধা দেবে। তাই তারা আন্তঃধর্মীয় কর্মকান্ডের নামে তা করে।

আজ যেসকল পাশ্চাত্যের দাঈ এবং শায়খগন উম্মাহকে ওয়ালা এবং বারা ভুলিয়ে দিতে চাচ্ছে, বিভ্রান্তি আর বিকৃতি ছড়াচ্ছে, ইসলামের শত্রুদের পক্ষে কাজ করছে;
১২-১৩ বছর আগে ঠিক এই লোকগুলোর ব্যাপারেই মনে হত তারা ওয়ালা এবং বারার প্রশ্নে আপোষহীন।
তাদের তখনকার বক্তব্য দিয়ে তাদের আজকের বক্তব্য খন্ডন করা যাচ্ছে। তাদের ঐ সময়ের লেকচারগুলোই তাদের বর্তমান বিভ্রান্ত দাবীর অসারতা প্রমাণ করার জন্যে যথেষ্ট।

শুধু পাশ্চাত্যে না, ভারতীয় উপমহাদেশ বা আরবেও অনেক দাঈ এবং শায়খ এভাবে বদলে গেছেন। ২০০১ এর আগে তাদের আকিদা আর চেহারা কেমন ছিল তা খুঁজে দেখুন। আর তাদের আজকের আকিদা আর বেশভুষা দেখুন।

তারা আল ওয়ালা ওয়াল বারাকে ছেটে ফেলেছে, তাই আল্লাহ চেহারা এবং বেশভূষায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসারী হওয়া থেকে তাদেরকে ছেটে ফেলেছেন।

তাদের আলোচনা শুনলে দেখবেন, তারা আল ওয়ালা ওয়াল বারাকে ছেটে ফেলেছে আর তাদের চেহারার দিকে তাকালে দেখবেন তারা আল্লাহর রাসূলের সুন্নাহকে ছেটে ফেলেছে।

আপনি নিজেই যাচাই করে দেখুন। যাচাই করুন, তুলনা করুন। ভাবুন।

কী অবিশ্বাস্য , কাকতালীয় ব্যাপার, তাই না?
হঠাৎ করে এই সব লোকের আকিদাহ ২০০১ এর পর বদলে গেল। রাতারাতি তাদের নীতি পালটে গেল।
সবাই একসঙ্গে! হুট করে!

তাদের ওপর কি এমন কোন অহী নাযিল হয়েছে যার ব্যাপারে আমরা জানি না?
কেন এমন হল? ”

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

14 Oct, 10:32


।।আল ওয়ালা ওয়াল বারা বনাম ইন্টারফেইথ - ২।।

“ ২০০১ এর পর অনেকে আল ওয়ালা ওয়াল বারার ব্যাপারে তাদের আকিদাহ ও দৃষ্টিভঙ্গি আমূল বদলে ফেলেছে। সাপের মতো খোলস বদলে অন্য মানুষে পরিণত হয়েছে।
তারা দাবী করে যে ইমাম শাফিঈ রাহিমাহুল্লাহ যেমন তাঁর মাযহাবের ক্ষেত্র পরিবর্তন এনেছিলেন, একইভাবে তারাও পরিবর্তন এনেছে।

ইমাম শাফিঈ রাহিমাহুল্লাহ হলো শাফেয়ী মাযহাবের ইমাম। তাঁর জীবনকালে তাঁর দুইটা মাযহাব ছিল বলা যায়।
জীবনের প্রথমাংশে তিনি ছিলেন ইরাকে। ইরাকে থাকা অবস্থায় তিনি বিভিন্ন ফতোয়া দিয়েছেন, লিখেছেন, ছাত্রদের শিখিয়েছেন।

জীবনের পরবর্তী অংশে তিনি পাড়ি মিশরে জমান। মিশরে থাকা অবস্থায়ও তিনি  বিভিন্ন ফতোয়া দিয়েছেন, লিখেছেন, ছাত্রদের শিখিয়েছেন।

ইরাকে থাকা অবস্থায় ইমাম শাফেয়ীর অবস্থানের সাথে মিশরে থাকাকালীন অবস্থানের পার্থক্য ছিল।

একজন ফকীহ যখন কোন বিষয়ের উপর ফতোয়া দেন;
তখন কুরআন, সুন্নাহ এবং ইজমার জ্ঞানের পাশাপাশি তাঁকে সেই স্থানের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, প্রথা পারিপার্শ্বিক অবস্থা, সময় ইত্যাদির জ্ঞান রাখতে হয়। একজন ফকীহকে অবশ্যই এগুলো জানতে হবে।
কিন্তু লক্ষ্য করুন, এটা হল ফিকহের ক্ষেত্রে।

ফিকহের ক্ষেত্রে এসব নিয়ামকের কথা বিবেচনা করার কথা বলা হচ্ছে। আকিদাহর ক্ষেত্রে না। আকিদাহ বদলায় না। ফিকহের ক্ষেত্রেও পরিবেশ, প্রেক্ষাপট, ঐতিহ্য, প্রথা ইত্যাদির বিবেচনায় কিছু কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আসে। সম্পূর্ণ মাযহাব বদলায় না।

ইমাম শাফেয়ীর অবস্থানে এতো ব্যাপক পরিবর্তন আসার কারণ হল নতুন দলিল পাওয়া।
ইরাক থেকে মিশরে যাবার পর তিনি নতুন অনেক শার’ঈ দলিল সংকলন করেছিলেন, যার ভিত্তিতে তাঁর অবস্থানে পরিবর্তন এসেছিল।

ইমাম শাফেয়ীর জীবনী এবং তাঁর মাযহাব বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, তাঁর পরিবর্তন মিশরে যাবার পর শুরু হয়নি। বরং ইরাক ছেড়ে যাবার ঠিক আগে আগে তাঁর অবস্থানে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। কারণ এই সময় তাঁর কাছে নতুন দলীল এসে পৌছাচ্ছিল।
নতুন দলীলের সন্ধান পাবার পর তিনি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন।

তিনি শাসক বা কোন নির্দিষ্ট ভূখন্ডের অধিবাসী কিংবা নফসকে সন্তুষ্ট করার জন্য নিজের অবস্থান বদলাননি। তিনি অবস্থান বদলেছেন শার’ই দলিলের ভিত্তিতে। এবং তাঁর এই পরিবর্তন শুরু হয়েছিল মিসরে আসার আগেই, ইরাকে থাকা অবস্থাতেই। আর ইরাকে থাকা অবস্থায় ইমাম শাফেয়ীর যে মাযহাব ছিল, তা কারো কাছে বর্ণনা করতে তিনি নিজেই নিষিদ্ধ করেছেন।

কাজেই প্রেক্ষাপট, পরিস্থিতি, ঐতিহ্যের কারণে ইমাম শাফেয়ীর অবস্থানে এতো ব্যাপক পরিবর্তন আনেননি। শাসক, জনগণ কিংবা নফসকে সন্তুষ্ট করার জন্যেও তিনি অবস্থান বদলাননি। তিনি তাঁর অবস্থান বদলে শার’ঈ দলিলের ভিত্তিতে।

আমাদের যুগের যেসব লোক ২০০১ এরপর তাদের আকিদাহ ও অবস্থানে পরিবর্তন করেছে, তার কারণ হল হক্ব থেকে বিচ্যুত হওয়া অথবা দ্বীনের বিষয়কে নফস কিংবা জনগণের কাছে পছন্দণীয় করা।
তারা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঐ মতকেই গ্রহণ করে যেটা ঐ সময়ে জনপ্রিয়।

তারা এটা করে অন্যদের সন্তুষ্ট করার জন্য। জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য।
প্রয়োজনে তারা কুরআন সুন্নাহর বিপরীতে গিয়েও মানুষকে কিংবা শাসককে সন্তুষ্ট করার জন্য এমন করে।

তারওপর তাদের এই পরিবর্তন শুধু ফিকহে না। বরং মানুষকে সন্তুষ্ট করার জন্য তারা নিজেদের আকিদাহও পালটে ফেলেছে।

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

14 Oct, 00:14


।।আল ওয়ালা ওয়াল বারা বনাম ইন্টারফেইথ - ১।।

“ আন্তঃধর্মীয় সম্মেলন বা আন্তঃধর্মীয় ব্যানারের আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া লোকেরা সাধারণত দুই ধরণের হয়ঃ

১) এমন লোক, যারা দাওয়াহকে ভালোবাসে, ইসলাম প্রচার করতে ভালোবাসে; কিন্তু তারা দ্বীনের ব্যাপারে অজ্ঞ।
অজ্ঞতার কারণে মনে করে আন্তঃধর্মীয় কাজকর্ম দিয়ে ইসলামের প্রচার করা যাবে।

এই ধরণের লোকদের উচিত দাওয়াতী কাজ থেকে কিছুদিন বিরতি নিয়ে আগে ভালোভাবে ইসলাম শেখা।
না হলে তারা মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে থাকবে এবং সওয়াব তো দূরে থাক, দিন দিন তাদের পাপের বোঝা ভারী হতে থাকবে।

মুসলিমদের ভেতর থেকে যারা ইন্টারফেইথের প্রবক্তা, যারা আন্তঃধর্মীয় প্ল্যাটফর্মে সভা সমিতিতে অংশগ্রহণ করে; তারা ইসলামের ব্যাপারে জাহেল, অজ্ঞ।
এরা মনে করে আন্তঃধর্মীয় কাজকর্ম দিয়ে ইসলাম আর দাওয়াহর বিশাল খেদমত করে ফেলেছে। বিশাল কিছু অর্জন করেছে। আসলে এই কুল ওকূল হারানো ছাড়া আর কিছুই তারা অর্জন করতে পারেনি। তারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হবার দুর্ভাগ্য অর্জন করেছে।

এই লোকগুলো ইন্টারফেইথ এবং দাওয়াহকে গুলিয়ে ফেলে। এই দুইয়ের মধ্যেকার পার্থক্য তারা ধরতে পারে না। ইন্টারফেইথ বা আন্তঃধর্মীয় কার্যক্রমের ইতিহাস সম্পর্কেও এরা অজ্ঞ।

ইহুদি-খ্রিস্টানদের মধ্যে কিভাবে এসব কর্মকান্ড শুরু হয়েছিল, তাদের এজেন্ডা কি ছিল, তারপর কিভাবে কিছু কথিত মুসলিম এর প্রচারণা শুরু করলো – এইগুলো তারা জানে না।
তাদেরকে ইন্টারফেইথের ইতিহাস জিজ্ঞাসা করুন, দেখবেন তারা বলতে পারছেনা।

২) দ্বিতীয় শ্রেনী হল ঐসব লোকেরা, যারা জেনে বুঝে আন্তঃধর্মীয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে, প্রচার করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে।
এই লোকগুলো ইন্টারফেইথের ইতিহাস জানে, এর আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কেও এরা অবগত। অথবা এরা এর কিছু দিক সম্পর্কে জানে, এবং সেই উদ্দেশ্যে বিশ্বাস করে।

এরা হল বর্তমান সময়ে এই উম্মাহর মুনাফিক।
তারা ইন্টারফেইথের আদর্শের ওপর ঈমান এনেছে এবং দ্বীন ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার প্রচার রোধে ইসলামের শত্রুদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করছে।
তারা দ্বীন ইসলামের এমন এক সংস্করণ চায়, যা নিয়ে ইসলামের শত্রুরা সন্তুষ্ট।

কোনমতেই ইন্টারফেইথের আদর্শ বা কর্মকান্ড গ্রহণ করা যাবে না। ইন্টারফেইথ একটা কুফরি মতবাদ।
অন্যদিকে দাওয়াহ হল আমাদের নবী
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অনুসৃত পদ্ধতি।
ইন্টারফেইথ এবং দাওয়াতকে এক মনে করার মানে হল একটা তাজা আপেল আর একটা পঁচা কমলালেবুকে এক মনে করা।

আবু ওয়াফা ইবনু আকিল (রহঃ) এর ওয়ালা এবং বারাহ নিয়ে তাঁর অসাধারণ একটি উক্তি রয়েছে।
তিনি বলেন,
‘কোন যুগে ইসলামের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে চাইলে মসজিদের দরজায় ভিড় করা মুসল্লীদের সংখ্যা গণনা করো না, হজ্জের সময় লাব্বাইকের ধ্বনির দিকেও তাকিও না;
বরং তুমি দেখ - তাদের ওয়ালা এবং বারাহর অবস্থা কি!’


ইসলামের প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায় ওয়ালা এবং বারাহর উপর ঐ যুগের মুসলিমরা কেমন আমল করছে, সেটা দেখে।
ওয়ালা এবং বারাহ হল একটি লিটমাস টেস্ট।

ওয়ালা এবং বারাহ এর মূল বিষয়টি অত্যন্ত সহজসরল। বিদআতি গোষ্ঠী বিশেষ করে দার্শনিক ফিরকার লোকেরা তাদের ভ্রান্ত ধ্যানধারণা প্রচার করার আগে এই বিষয়ে আলোচনাও সহজ সরল ছিল। আলিমগণ সংক্ষেপে সহজ সরলভাবে তা ব্যাখ্যা করতেন।
কিন্তু এখন মডার্নিস্টরাসহ বিভিন্ন ধরণের বাতিল লোকেরা এই বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। ”

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

13 Oct, 11:51


।।ইন্টারফেইথ ও মর্ডানিজম -২।।

ইসলাম কোন পুরনো আসবাব না, যা বছর বছর মেরামত করতে হবে। যা ২০২০ এর জন্য সংস্কার করতে হবে।
ইসলাম নানান রূপ নেই। ইসলাম একটাই।

যে ইসলাম ১৪০০ বছর আগে নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ে এসেছিলেন। শিখিয়েছিলেন, পালন করেছিলেন।
এইটাই আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন। একমাত্র ধর্ম। একমাত্র জীবনব্যবস্থা।
এর কোনো সংস্কার, কোনো ঘষামাজার দরকার নেই।


আজ কিছু কিছু মানুষ নিজেদেরকে আল্লাহর চেয়ে বেশি দয়ালু দাবি করতে চায়। তারা দয়ার নামে অদ্ভূত সব যুক্তি আনে।
তারা বলতে চায় যে, কাফির-মুশরিকরাও জান্নাতে যেতে পারে।

দ্বীন বেঁচে দিন কাটানো এই লোকেরা এই ধরণের কথাবার্তা বলে আল্লাহর শত্রুদের কাছ থেকে মডারেট হবার সার্টিফিকেট পায়। তারা দ্বীন বিক্রি করে মডারেট হবার সার্টিফিকেট কেনে।

যারা দয়ার নামে কাফির ও মুশরিকদের জান্নাতী বানাতে চায়, তারা আসলে মনে করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ এর চেয়ে বেশি বুঝে। তারা মনে করে তারা আর-রাহমান, আর-রাহীমের চেয়ে বেশি দয়ালু।

কারা জান্নাতে যাবে আর কারা জাহান্নামী হবে, সেটা আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন।
তারা আল্লাহর ফায়সালাকে বাদ দিয়ে সেখানে নিজের মতকে প্রাধান্য দেয়, আল্লাহর বক্তব্যের বদলে নিজের মতকে প্রচার করার চেষ্টা করে।

সাধারণ মূলনীতি হলো -
যদি কেউ কুফর এবং শিরকের ওপর মৃত্যুবরণ করে, তাহলে তার চিরস্থায়ী ঠিকানা জাহান্নাম।

আল্লাহ সুবাহানা তায়ালা আযাবের ব্যাপারে কোনো সতর্ককারী না পাঠিয়ে কোনো জাতিকে আযাবে মুখোমুখি দাঁড় করাননা, এইটা সত্য।

তবে সতর্কবার্তা তাদের কাছে পৌঁছেনি, এই দাবি কারা করতে পারে, কাদের কাছ থেকে এই দাবি আসলে তা গ্রহণযোগ্য; সেটা আমাদের বিবেচনা করা দরকার।

কোন দুর্গম পাহাড়ের ভেতরে গুহায় বসবাস করা, বাকি পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কোন গোত্র হয়তো এমন দাবি করতে পারে।

কিন্তু আজকে গুগলের যুগে, স্যাটেলাইট টিভি আর ইন্টারনেটের যুগে সব তথ্য যার হাতের নাগালে আছে, সে যদি দাবি করে ইসলামের দাওয়াত তার কাছে পৌঁছেনি – তাহলে সেটা গ্রহণযোগ্য না।

কিছু লোক আছে, যারা এখানে আপত্তি করতে চাইবে।
তারা এসে বলবে - আপনারা যেটা বলছেন সেটা ভুল। আজকের দুনিয়ায় সবাই হয়তো ইসলামের কথা শুনেছে, কিন্তু তাদের কাছে প্রকৃত ইসলাম পৌঁছায়নি।

কিন্তু মনে রাখবেন, মুমিন হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হল আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াহ পৌঁছে দেওয়া।
আর কাফেরদের দায়িত্ব হল সত্য দ্বীনের সন্ধান করা, সত্যের খোঁজ করা।
তাদের এই দায়িত্ব আমাদের দায়িত্বের চেয়েও অনেক বড়।

আমাদের জানা থাকা দরকার - ইসলামের খোঁজ করা প্রত্যেকর ওপর আবশ্যক। ”

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

13 Oct, 01:32


।।ইন্টারফেইথ ও মর্ডানিজম - ১।।

যে সকল লোক আল্লাহ এবং সবচেয়ে প্রিয় তাঁর নবী রাসূলুল্লাহ ﷺ এর অবাধ্য হবে, তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
এখানে জানার বিষয় হল – রাসূল ﷺ এর অবাধ্য প্রত্যেক ব্যক্তিই কি জাহান্নামের আগুনে পুড়বে?

শিরক আকবর বা কুফর আকবরঃ-

যদি কেউ শিরক আকবর করে এবং তার উপরই মৃত্যবরণ করে, তাহলে সন্দেহাতীতভাবে সে ব্যক্তি চিরকাল জাহান্নামের আগুনে পুড়বে।

যদি কেউ মৃত্যুর আগে কুফর বা শিরক ত্যাগ না করে,
তাওবাহ না করে এবং
ঐ অবস্থাতেই মারা যায়;

তাহলে সে চিরকাল জাহান্নামে থাকবে।

কেউ যদি শিরক করে, তবে তার সব আমল নিস্ফল হয়ে যাবে।
এবং সে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে।


মনে রাখবেন -
যদি কোন অমুসলিম ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ গ্রহণ করা ছাড়া,
বিশ্বাস করা ছাড়া,
ঘোষণা করা ছাড়া মারা যায়;
তাহলে সে কাফির।

এই সত্য অস্বিকার করার কোন উপায় নেই।

ইন্টারফেইথ ঠিক এই আকীদারই সর্বনাশ করতে চায়।
সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য এইটা একটা বড় ষড়যন্ত্র।

ইন্টারফেইথ প্রচার করে - ‘সকল ধর্মই সঠিক।’ সকল ধর্মই শান্তি ও সম্প্রীতির কথা বলে।
কথাটি শুনতে ভাল লাগলেও বাস্তবে এই ইন্টারফেইথ মুসলমানদের জন্য
ঈমান বিধ্বংসী ষড়যন্ত্র।

ইন্টারফেইথ নিজেই একটা স্বতন্ত্র ধর্ম।
অথচ এইটা এমনভাবে ছদ্মবেশের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখে,
মুসলিম তরুণ যুবকেরা বুঝতেই পারেনা - কখন ইন্টারফেইথের মাধ্যমে তারা তাদের ঈমান হারিয়ে ফেলেছে।

বর্তমানে ইন্টারফেইথ প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতাদেরকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইহুদীবাদীরা আজ মুসলমানদের উপরে যে আগ্রাসন চালাচ্ছে, মুসলমানরা যেন তাদের নির্যাতন বা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক হতে না পারে, আঘাতের বদলে প্রতিঘাত করতে না পারে - সে জন্যই তৈরী করা হচ্ছে কথিত এই ইন্টারফেইথ সিস্টেম।
যা আজকে সারা পৃথিবীতে চালানো হচ্ছে আন্তঃধর্মীয় ঐক্য সম্মেলন নামে।

ইহুদীবাদীরা জানে মুসলিমদেরকে একেবারে ইসলাম থেকে বের করে আনা কষ্টসাধ্য, তাই আল্লাহর দুশমনেরা ইন্টারফেইথের এই বিষ উম্মাহর মাঝে ঢুকিয়ে দিচ্ছে।
যার মূল লক্ষ্য মুসলিমদের তাওহীদকে নষ্ট করা, মৌলিক আকীদাহকে পরিবর্তন করে ফেলে।

মডার্নিস্ট আর আন্তঃধর্মীয় সংলাপের ফেরিওয়ালাদের কথা বিভ্রান্ত হবেন না। তাদের হাতের পুতুলে পরিণত হবেন না, তাদের মিষ্টি কথায় ভুলবেননা।

নিজেদের গোমরাহিকে জায়েজ করার জন্য তারা কুরআনের আয়াতের অর্থকে বিকৃত করে।
তারা বলে, কুরআনের কিছু আয়াতে বলা হয়েছে - ইহুদি, খ্রিস্টান সকলেই জান্নাতে যাবে।

আমরাও বলি যে কিছু ইহুদী এবং খ্রিষ্টান জান্নাতে যাবে। এতে কোন সন্দেহ নেই। এটা কুরআনেই বলা হয়েছে।
আর আল্লাহর কালাম নিয়ে কে প্রশ্ন করবে?

কিন্তু প্রশ্ন হল, কোন ইহুদীরা জান্নাতে যাবে?
কোন ইহুদি, খ্রিস্টানরা জান্নাতে যাবে?
যেসব ইহুদীরা মুসা আলাইহিস সালামের জীবদ্দশায় তাঁকে আল্লাহর রাসূল হিসেবে গ্রহণ করেছিল, তারা শিক্ষা গ্রহন করেছিল, পালন করেছিল – তারা জান্নাতে যাবে।
যেসব খ্রিস্টানরা ঈসা আলাইহিস সালামকে আল্লাহর নবী হিসেবে মেনে নিয়েছিল, এবং তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করেছিল, কুফর ও শিরক থেকে বিরত ছিল - তারা জান্নাতে যাবে।
আর আমরা তাদের সবাইকে মুসলিম হিসেবেই মনে করি। ”

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

11 Oct, 08:52


।।ইন্টারফেইথ।।

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril

শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ

08 Oct, 06:59


কারাগারে শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন নবী ইউসুফ আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

কালক্রমে মহান এই নবীর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বন্দীত্বের স্বাদ আস্বাদন করেছিলেন -
খুবাইব ইবনু আদি রাদিয়াল্লাহু আনহু, ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক, আহলুস সুন্নাহর ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বলসহ সালাফ আস-সালেহিনের অনেকেই।


এই পাঠশালার গর্বিত শিক্ষার্থী ছিলেন - ইবনুল কাইয়্যিম, ইবনু কাসির, ইবনু হাজর আল-আসকালানী, ইবনু হাযম, ইবনুল আসির, শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ সহ উম্মাহর মহিরুহরা, আল্লাহ তাঁদের ওপর রাহমাহ বর্ষণ করুন।

সাম্প্রতিক যুগেও যখন সোনালি এই পথের উত্তরাধিকারীরা তাওহিদের পতাকা উঁচিয়ে ধরলেন, হক ও বাতিলের পার্থক্য সুস্পষ্ট করলেন, মানবরচিত সংঘ, তন্ত্রমন্ত্র ও শরীয়াহর বদলে কিতাবুল্লাহ ও নববী মানহাজের দিকে উম্মাহকে আহ্বান করলেন;
পূর্ব ও পশ্চিমের তাওয়াগ্বীত তাদের বন্দী করল, কারাগারে ছুড়ে দিলো।

কুরআনে বর্ণিত সেই ফিরআউনের মতোই আধুনিক ফিরাউনরাও বলল,
- ‘যদি তুমি আমাকে ছাড়া কাউকে ইলাহরূপে গ্রহণ করো, তাহলে আমি তোমাকে অবশ্য অবশ্যই কারারুদ্ধ করব।’
[ তরজমা, সূরা আশ শুয়ারা, ২৬ঃ২৯ ]

সত্য পথের পথিকদের আবদ্ধ করা হলো। তাঁদের ওপর চালানো হলো অমানুষিক, অবিশ্বাস্য সব নির্যাতন।
পুনরাবৃত্তি হলো সেই একই গল্পের।
বদলালো কেবল নামগুলো।

পুরোনো কারাগার আর অন্ধকূপগুলো জায়গা দখল করে নিল তোরা, গুয়ান্তানামো, বাগরাম, আবু গারিব, আল হাইর, সাইদনায়া আর নানা ব্ল্যাক সাইট।

খুবাইব, বিলাল আর সুমাইয়্যাদের ( রাদিয়াল্লাহু আনহুম ) জায়গা নিতে আসলো - সাইদ, উমার, নাসির আর আফিয়াসহ নাম না জানা আরও অসংখ্য মুওয়াহহিদ।

দোররা, চাবুক, মরুভূমির সূর্য, উত্তপ্ত কয়লা, আর বর্শার জায়গা নিল - এনহ্যান্সড ইন্টারোগেইশান টেকনিক, ইলেকট্রিকিউশান, সেনসরি ডিপ্রাইভেইশান, ওয়াটার বোর্ডিং আর আবু গারিবের মতো পৈশাচিকতা।
কিন্তু বদলালো কেবল খুঁটিনাটি গুলোই।
মূল চিত্রনাট্য আজও অপরিবর্তিত।

অনেকে হার মানল, আপস কিংবা চুক্তি করল, বিকিয়ে দিলো নিজের বিশ্বাস ও আদর্শকে।
কিন্তু ইমাম আবু হানিফা, ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল, ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহর মতোই তাঁদের উত্তরসূরিরা শক্ত হাতে আঁকড়ে রাখলেন তাওহিদের হাতলকে।

নিজেদের স্বাধীনতা, সময় ও রক্তের বিনিময়ে, নবি ইউসুফের ( আলাইহিস সালাম ) পাঠশালায় নিজেদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আঁধারের এই সুদীর্ঘ মওসুমে পথহারা উম্মাহর সামনে হক ও বাতিলের পার্থক্য স্পষ্ট করে তুলে ধরলেন।

বন্দীত্ব আর কারাগার তাঁদের পরাজিত করতে পারেনি, পারেনি সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত করতে। নির্যাতন পারেনি হকের প্রশ্নে আপসে তাঁদের বাধ্য করতে।

বরং আল্লাহ , তাঁর রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ও তাঁর দ্বীনের ব্যাপারে আপসহীন অবস্থানের কারণে তাঁরা হয়েছেন পরিশুদ্ধ, সম্মানিত! ”

- শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril