Ashraf Alam Qasmi Nadwi @masqb Channel on Telegram

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

@masqb


masqb (English)

Welcome to the masqb Telegram channel, managed by Ashraf Alam Qasmi Nadwi! This channel is a hub for all things related to spirituality, self-improvement, and personal development. If you are looking for inspiration, motivation, and guidance on your journey towards a more fulfilling life, then this is the perfect place for you. Ashraf Alam Qasmi Nadwi, a renowned spiritual leader and mentor, shares valuable insights, wisdom, and practical tips to help you unlock your true potential and live your best life. Join a community of like-minded individuals who are committed to personal growth and transformation. Subscribe to masqb today and start your journey towards a happier, healthier, and more purposeful life. Remember, the key to success lies within you. Let Ashraf Alam Qasmi Nadwi guide you on your path to greatness.

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

20 Jan, 12:00


যারা "উপেক্ষার নীতি" আয়ত্ত করেছে, তারা নিজেদেরও শান্তি দিয়েছে এবং আশপাশের মানুষদেরও শান্তি দিয়েছে।

*সে আমার সামনে দিয়ে গেল কিন্তু আমাকে সালাম দিল না, "সমস্যা কোথায়?"

*আমি তাকে সালাম দিলাম, কিন্তু সে উত্তর দিল না। তার মাথার ওপরে এক ফেরেশতা আছে, যে আপনার পক্ষ থেকে উত্তর দিচ্ছে। আর সেই উত্তর কতটা উত্তম তা কল্পনা করুন!

*আপনার সদয় ব্যবহারের জবাবে সে অবহেলা করল, আপনার উপকারের জবাবে অকৃতজ্ঞ হল, "প্রত্যেক পাত্র তার ভিতরের মতোই প্রকাশ করে।"

*প্রায়ই সে আপনার বিপরীতে মতামত দেয়, এবং বেশিরভাগ সময় আপনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে, "মতের অমিল বন্ধুত্ব নষ্ট করে না।"

*তার অজুহাতগুলো অসংখ্য, এবং তার যুক্তিগুলো সবসময় প্রস্তুত থাকে। তাকে সত্তরবার ক্ষমা করুন এবং নিজের কাজ চালিয়ে যান।

*আপনার সম্পর্কে তারা কথা বলে, এবং গুজব ছড়ায়, "তাদের তাদের পথেই থাকতে দিন।"

*আপনার উপর আল্লাহ প্রদত্ত কোন নিয়ামত চলে যাওয়ার জন্য তারা আকাঙ্ক্ষা করে, "হিংসা তো প্রথমে হিংসুককেই ধ্বংস করে।"

*তারা আপনাকে অবমূল্যায়ন করে, আপনাকে ছোট করে দেখে, "একটি মাছি নমরুদকে হত্যা করেছিল, এবং একটি পিঁপড়ে নবী সুলায়মান (আ.)-কে থামিয়েছিল। আর মশা তো সিংহের চোখ পর্যন্ত রক্তাক্ত করতে পারে।"

*তারা আপনার আত্মবিশ্বাসকে দমন করে এবং আপনার উদ্দীপনা নিভিয়ে দেয়। যদি আপনি নিজেকে এবং আপনার সামর্থ্য সম্পর্কে জানেন, তাহলে অন্যদের কথায় কিছু আসে যায় না।

*তারা আপনার নীরবতাকে দোষারোপ করে এবং আপনার কম কথার কারণে আপনাকে সমালোচনা করে, "ফাঁকা পাত্রের শব্দ বেশি হয়।"

আপনার কি ক্ষতি হবে এতে?

☚ মনে রাখবেন,

"আমি প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে একটি জায়গার সন্ধান করি না, বরং জান্নাতে আমার জন্য একটি স্থান খুঁজে পাই।"

আপনার সদয়তা এবং ব্যবহার কখনো ভুলে যাওয়া যায় না, তাই এমন মুহূর্তগুলোর জন্য অনুশোচনা করবেন না যেখানে আপনি কাউকে খুশি করেছিলেন, এমনকি সে যদি এর যোগ্যও না হয়।

যারা আপনাকে চেনে তাদের জীবনে কিছু সুন্দর হয়ে উঠুন। আমাদের আল্লাহ আছেন, যিনি আমাদের সদয়তার বিনিময়ে ভালো দিয়ে পুরস্কৃত করেন।

আল্লাহ দুটি বপন পছন্দ করেন: গাছের বপন এবং ভালো কাজের বপন।
যদি আপনি গাছ লাগান, তবে ছায়া এবং ফল পাবেন। আর যদি ভালো কাজের বীজ বপন করেন, তাহলে আল্লাহর ভালোবাসা এবং মানুষের ভালোবাসা পাবেন।

↓˓❀⸀ٴ
আপনার আনন্দ দুশ্চিন্তায় নষ্ট করবেন না, আপনার মন খারাপ করবেন না হতাশায়, আপনার সাফল্যকে অহংকারে নষ্ট করবেন না, অন্যের আশাকে হতাশায় ডুবাবেন না, এবং গতকালকে মনে করে আজকের দিনকে নষ্ট করবেন না। 🥀

আমরা হয়তো এমন আত্মার সঙ্গে দেখা করি যাদের মুখাবয়ব দেখার সৌভাগ্য হয় না।
আমরা এমন শব্দ ভালোবাসি যা আমাদের হৃদয় ছুঁয়েছে, যদিও লেখককে জানি না।
আমরা এমন চোখের সঙ্গে কাঁদি যেগুলো আমাদের চোখ কখনো দেখেনি।
আমরা এমন হৃদয়ের জন্য খুশি হই, যেগুলো তাদের হাসি ছড়িয়ে দেয় শব্দের মাধ্যমে।

🍀 আল্লাহ আপনার জীবন কোরআনের আলো দিয়ে উদ্ভাসিত করুন

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

11 Jan, 19:07


حِفظ الأشعار، وتفهّم معانيها من مفاتيح إتقان مهارة الإنشاء، فإن حافظ الأشعار لو لم يستشهد بها في منثوره، فإنها تفتح له آفاقًا رحبة في فهم العربية وإنقانها والتوغّل في أسرارها ومعانيها.

ولقد نشأت مُحبًا للنثر عاشقًا له عِشقًا ملأ عليّ كل حياتي، وأخذ معه جميع وقتي؛ فكنتُ أمر على البيت أو القطعة الشعرية داخل النثر مرور الكرام، لا أكاد أقرأه، ولو قرأته فلا أُبالي أقرأته صحيحًا أو لا، أفهمته على مُراده أو لا.

ومع كثرة القراءة وتنوّع الاطلاع، وسماع شروح بعض الكتب من أئمة كبار، وأدباء عظام، عرفتُ مكانة الشعر في الأدب العربيّ، وفهم التراث بل والقرآن.

وكان مِن قدر الله أن سمعتُ أحد أفذاذ هذا العصر يشرح مُعلقةَ عمرو بن كلثوم بعد أن قرأها قراءة متقنة في أوّل الشرح، فطرتُ بها حبًا، وهمتُ بها عشقًا في أودية الجمال والغزل والفخر وعزّة النفس عند العربي القديم وشدّة شكيمته، وبكائه على الأطلال، ومِن هنا كانت البداية.

سمعت المعلقة من الشيخ الدكتور عشرات المرات حتى كدتُ أحفظها، وعرفتُ الكثير من معانيها وما ترمي إليه، وجدتُ ذلك في روحي وقلمي.

لقد كان يلقيها كأنه ابن كلثوم قائلها؛ ينفعل مع أحداثها، ويصعد وينزل مع معانيها.

فبحثتُ عن شروحٍ أخرى لبقيّة المعلقات على هذا المنوال أو غيرها من الأشعار والدواوين، فلم أظفر بشيء، لكنّ البحث والتنقيب دائما لا يَعدِمان الباحث فوائد لا تُعدّ وفرائد لا تُحصى.

وجدتُ المعلقات السبع بصوت الشيخ الدكتور فيصل المنصور؛ وقراءته لها قراءة فخمة متينة متغلغلة في المعاني متأثرة بها، فكنت كالذي يبحث عن الذهب فظفر بالياقوت والمرجان.

حفظتُ تلك المعلقات على هاتفي(صوتا) وهي متاحة على صفحته على يوتيوب، فكنت أسمعها ليل نهار في الطريق ووسائل الموصّلات، وأثناء الانتظار، بادئا بمعلقة ابن كلثوم، فأكملت حفظها وإتقانها سماعا فقط، ثم انتقلت لمرحلة أخرى، وهي النظر في الأبيات مع السماع، وهي مرحلة في غاية الأهمية قضيت فيها وقتًا ليس بالقليل، ثم انتقلت لمرحلة ثالثة وهي القراءة معه حتى استقام لساني واتحد صوتي مع صوته، ثم جاءت المرحلة الأخيرة وهي القراءة بمفردي؛ قراءة صحيحة فصيحة واضحة لا خطأ فيها ولا ارتياب.

فحفظت معلقة عمرو بن كلثوم، ثم زهير بن أبي سُلمى، ثم معلقة عنترة بن شداد، وتلك الثلاثة من أعظم الشعر عندي وأجوده، ثم معلقة امرئ القيس، حفظتُ بعضها، وبقيّة المعلقات سمعتها لكن لم أتقنها كالثلاثة الأولى.

تركتُ المعلقات- ولي معها عودة أجعلها في منشور آخر- ثم انتقلتُ لمتون النحو، فحفظتُ بنفس الطريقة نظم الآجرومية لابن آب التواتي، ثم مُلحة الإعراب للحريري- وتلك من النعيم المعجّل عندي- وبدأت في الألفيّة، ثم متن سلم الوصول، وغير ذلك الكثير، كل ذلك بنفس الطريقة التي ذكرتُ، أسمعُ كثيرًا أولا، ثم أسمع وأنظر في النظم، ثم أقرأ مع القارئ، ثم بمفردي، ثم أسردها من حفظي.

لم أقف عند حدود الشعر، فلقد تجاوزته إلى النثر، فبدأت في حفظ مقامات الحريري بصوت القارئ (أبو عمران) وهو متاح على يوتيوب، فكنتُ أسمع المقامة مرات ومرات، ثم أفعل معها كما فعلتُ مع الأشعار، فحفظتُ جملة من المقامات لا بأس بها.

ولقد ساعدني على ذلك وجود طابعة تحت يدي، آتي بالمنظومة التي أريد حفظها من الشبكة مشكولة واضحة، فأطبعها في وُريقات وأدسّها في حقيبتي لأمارس هوايتي في أي مكان كنت فيه دون حمل الكتاب وما يستتبع ذلك من صعوبة.

وأخيرًا، فإن كنتُ أحمل لك بعد هذا السرد نصيحة، فنصيحتي ألا تحفظ الأشعار والدواوين لتزيد منها نسخة جديدة، بل احفظ بفهم ودراية ليظهر ذلك في فهمك وعقلك وقلمك ثم استشهاداتك في كتابتك وفنّك، مستصحبًا النيّة الخالصة و حسن القصد، والله يحفظك ويرعاك.

عمر أبو اليزيد

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

10 Jan, 17:47


মোগল সাম্রাজ্যের সর্বশেষ শাসক শাহানশাহে হিন্দ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর ইংরেজ শাসনামলে বর্তমান মায়ানমারের রাঙ্গুনে নির্বাসিত জীবনের অন্তিম মুহূর্তের একটি দুর্লভ ছবি। সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর ছিলেন একজন দ্বীন দরদী প্রজাহিতৈষী দেশপ্রেমিক, উচ্চ মাপের কবি ও সাহিত্যিক এবং ঈমানদার শাসক। তার শাসনকালের শেষ অবস্থা বড় নির্দয় ছিল। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লব পরাজিত হওয়ার পর বাহাদুর শাহ জাফর নামে মাত্র দিল্লির সম্রাট হলেও ক্ষমতার চাবিকাঠি ছিল ইংরেজদের হাতে। তার পরিবারের উপর নেমে এসেছিল নির্যাতনের স্টিমরোলার। ইংরেজরা একদিন চার ছেলের গরদান কর্তন করে একটি থালায় সাজিয়ে নাস্তা হিসেবে সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের সামনে পরিবেশন করেছিল। চার সন্তানের কর্তৃত মাথা নাস্তার থালায় দেখে বাহাদুর শাহ জাফর হৃদয়ের রক্তকে কালি বানিয়ে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন।

একজন ভারতীয় লেখক তার প্রবন্ধে লেখেন,
"১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বাহাদুর শাহ জাফর ৮২ বছর বয়সী ছিলেন, যখন তার সব সন্তানদের শিরচ্ছেদ করে তাদের কাটা মাথাগুলো ইংরেজরা তার সামনে থালায় সাজিয়ে উপহার হিসেবে পেশ করেছিল। ১৮৫৭ স্বাধীনতা বিপ্লবের পর মেজর হাডসন তার চার পুত্র মির্জা গুলাম, মির্জা খিজর সুলতান, মির্জা আবুবকর এবং মির্জা আবদুল্লাহকে বন্দি করেছিল। মেজর হাডসন তাদের সকলের শিরচ্ছেদ করে এবং তাদের রক্ত হাতে নিয়ে চুমুক দিয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিল যে, যারা ভারতের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখছে তাদের বিরুদ্ধে ইংরেজদের এই যুদ্ধ এবং বিদ্রোহ দমন অব্যাহত থাকবে।

বাহাদুর শাহ জাফর তার পুত্রদের কাটা মাথা হাতে নিয়ে কষ্ট ভরা কণ্ঠে বলেছিলেন, "তৈমুর বংশের সন্তানরা এভাবেই তাদের কর্তব্য পালন করে পিতার সামনে সম্মানিত হয়।" এরপর সেই রাজকুমারদের কর্তিত লাশগুলো কোতোওয়ালির সামনে এবং মাথাগুলো "লাল কেল্লার"- ফটকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

বাহাদুর শাহ জাফর ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ইংরেজ সেনাপতি তাকে প্রতারণার মাধ্যমে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল এবং পরবর্তীতে তাকে বন্দি করে রাঙ্গুনে পাঠিয়ে দিয়েছিল। বাহাদুর শাহ জাফর ছিলেন মোগল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট। ১৮৩৭ সালে সিংহাসনে আরোহণের সময় তাকে "আবু জাফর" নাম পরিবর্তন করে "আবু জাফর মুহাম্মদ সিরাজুদ্দিন বাহাদুর শাহ গাজী" নামে অভিহিত করা হয়েছিল। তার শাসনকালের পরিধি দিল্লি থেকে পলম পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল, যদিও প্রকৃত শাসন ক্ষমতা ইংরেজদের হাতে ছিল।

তিনি উর্দু, আরবি, ফারসি ভাষায় দক্ষতার পাশাপাশি অশ্বারোহন, তলোয়ার চালনা, তীর নিক্ষেপ এবং বন্দুক চালানোর শিক্ষা অর্জন করেছিলেন। তিনি একজন সুফি দার্শনিক, ফারসি ভাষার কবি এবং লেখক ছিলেন। ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করেছিলেন।

ইংরেজরা তার বিরুদ্ধে শাসনের অপরাধ এবং সৈন্যদের হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা করেছিল। আদালতে উপস্থাপিত প্রমাণ ছিল অত্যন্ত নির্মম এবং তাদের আইন অনুযায়ী হলেও, ইংরেজরা তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল এবং তাকে দেশ থেকে নির্বাসিত করেছিল। এক নিরুপায় দেশপ্রেমিক, ধার্মিক, এবং ৮২ বছরের প্রবীণ বাহাদুর শাহ জাফরকে এমন নির্মম মামলা মোকাবিলা করতে হয়েছিল।

অক্টোবর ১৮৫৮ সালে তাকে আজীবনের জন্য রাঙ্গুনে নির্বাসিত করা হয়। সেখানে থেকেও তিনি কলমের মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছিলেন। এই সময়ে তিনি যে গজলগুলো রচনা করেছিলেন, সেগুলো ভারতের স্বাধীনতাকামীদের হৃদয়ে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল।

অবশেষে, রেঙ্গুনে ৬ নভেম্বর ১৮৬২ সালে, এই শেষ মোগল সম্রাট এবং ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের পথিকৃৎ, ভারতের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন।"

রাঙ্গুনে নির্বাসিত জীবন কাটানো অবস্থায় বাহাদুর শাহ জাফর যে কবিতাগুলো রচনা করেছিলেন তার মধ্যে একটি বাংলা অনুবাদসহ কমেন্টে দেওয়া হয়েছে।

আশরাফ আলম কাসেমী নদভী
মাহাদুস সাকাফা বাংলাদেশ
১০ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার
রাত ১০:০০

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

10 Jan, 05:28


কি নেই আমেরিকাতে? চাকচিক্যে সাজানো কৃত্তিম বাগান, জীবন ও জীবিকার সকল উপকরণের পর্যাপ্ততা, ভোগ বিলাস ও রং ঢংয়ের অজস্র আয়োজন, কৃত্রিম ও কৃত্রিমতার সয়লাব, আল্লাহর নাফরমানি অবাধ্যতা ও তাঁর সাথে বিদ্রোহীতা, পাপ ও পাপাচারের অন্ধকারাচ্ছন্নতা, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার গরম বাজার, ক্ষমতার দাপট ও দম্ভ, পান থেকে চুন কষার অজুহাতে অন্যের উপর আগ্রাসন, অর্থনৈতিকভাবে বয়কটের হুমকি, সবকিছুই আছে কিন্তু ঈমান ও রুহানিয়াত শূন্য এই দেশটির কথা চিন্তা করুন এবং বর্তমান দাবানলের চিত্রটি সামনে রেখে আল্লাহর কালামের একটি আয়াতে মনোযোগী হোন। দেখবেন আপনার মন সাক্ষী দিচ্ছে এই আয়াতটি বর্তমান আমেরিকার এই অবস্থার সাথে কত প্রাসঙ্গিক। কত মিল। সাজানো-গোছানো একটি দেশ যা বিগত শতাব্দি একচ্ছত্রভাবে রাজত্ব করে বেড়ানোর আত্মস্বীকৃতিতে বিভোর ছিলো। বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন বিদায়ের ঘন্টা বাজা শুরু হচ্ছে। পৃথিবীতে মোড়লত্ব খর্ব হয়ে এসেছে। তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমন সময় দাবানলের আগুনে পুড়ে ছারখার সবকিছু। কেমন অবস্থা অতিক্রম করছে একটু চিন্তা করুন। আল্লাহ পাক,
اَیَوَدُّ اَحَدُکُمۡ اَنۡ تَکُوۡنَ لَہٗ جَنَّۃٌ مِّنۡ نَّخِیۡلٍ وَّاَعۡنَابٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ۙ لَہٗ فِیۡہَا مِنۡ کُلِّ الثَّمَرٰتِ ۙ وَاَصَابَہُ الۡکِبَرُ وَلَہٗ ذُرِّیَّۃٌ ضُعَفَآءُ ۪ۖ فَاَصَابَہَاۤ اِعۡصَارٌ فِیۡہِ نَارٌ فَاحۡتَرَقَتۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ لَعَلَّکُمۡ تَتَفَکَّرُوۡنَ ٪

তোমাদের মধ্যে কেউ কি এটা পছন্দ করবে যে, তার খেজুর ও আঙ্গুরের একটা বাগান থাকবে, যার পাদদেশ দিয়ে নদী-নালা প্রবাহিত থাকবে (এবং) তা থেকে আরও বিভিন্ন রকমের ফল তার অর্জিত হবে, অতঃপর সে বার্ধক্য-কবলিত হবে আর তার থাকবে দুর্বল সন্তান-সন্ততি, এ অবস্থায় অকস্মাৎ এক অগ্নিক্ষরা ঝড় এসে সে বাগানে আঘাত হানবে, ফলে গোটা বাগান ভস্মিভূত হয়ে যাবে? ২০৪ এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় আয়াতসমূহ পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা কর। আল বাকারা - ২৬৬।

এই আয়াত দেখুন আর দাবানলের আগুনে পুড়তে থাকা বর্তমান আমেরিকার কথা চিন্তা করুন আপনার সামনে আল্লাহ পাকের অসংখ্য নিদর্শন স্পষ্ট হতে থাকবে।

আশরাফ আলম কাসেমী নদভী
মাহাদুস সাকাফা বাংলাদেশ
১০ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার
বেলা ১১:০০ টা

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

09 Jan, 16:25


⊙══════⊙══════⊙
مجلہ : #ماہنامہ_معارف
ماہ : دسمبر 2024
ادارہ : دارالمصنفین، شبلی اکیڈمی، اعظم گڑھ، یوپی
⊙══════⊙══════⊙
✦ @Majallaat ✦ ☜

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

09 Jan, 16:25


বাংলাদেশের গর্ব, তাফসীর শাস্ত্রে বাংলার ফখরুদ্দিন রাজী, কুরআনী খেদমত এবং কুরআনের জ্ঞানের প্রচার প্রসারে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ মুসলিম উম্মাহর সর্বোচ্চ সম্মান পদক 'বাদশা ফয়সাল এওয়ার্ড' অধিকারী ডক্টর মুহাম্মদ মহর আলীকে নিয়ে দারুল মুসান্নিফীন আজমগড় থেকে প্রকাশিত মাসিক মাআরিফ ডিসেম্বর ২০২৪ সংখ্যায় "প্রাচ্যবিদদের কুরআনী চিন্তা-ভাবনায় ডক্টর মুহম্মাদ মহর আলীর বিচার বিশ্লেষণ" শিরোনামে দীর্ঘ একটি প্রবন্ধ এসেছে। আগ্রহীগণ পড়তে পারেন🤓

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

09 Jan, 16:23


আমেরিকায় দাবানল শুরু হয়েছে এতে খুশি হওয়ার পরিবর্তে ভীত হওয়া দরকার। আমাদের তেমন বিশেষ কোনো আমল নেই যা দ্বারা আল্লাহর আজাব থেকে রক্ষা পাবো। এমন আজাব আমাদের উপর ধেয়ে আসেনি এটা আল্লাহ পাকের করুনা। তাই শুকরিয়া আদায় ও আল্লাহর নিকট বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তেগফার করা দরকার।

আশরাফ আলম কাসেমী নদভী।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

07 Jan, 10:36


শায়খুল হিন্দ হযরত মাওলানা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রাহি. দিল্লির জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়ার উদ্বোধনী সভায় সভাপতির ভাষণে বলেন,

"আমাদের মহান জাতির এখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে, আমরা আমাদের কলেজগুলো থেকে শুধুমাত্র কর্মচারী ও দাস তৈরি করব না।
বরং আমাদের কলেজগুলো এমন দৃষ্টান্ত হওয়া উচিত যেন সেগুলো বাগদাদ ও কর্ডোবার বিশ্ববিদ্যালয় ও বিখ্যাত মাদরাসাগুলোর মতো জ্ঞান ও শিক্ষার উদাহরণ তৈরি করে।
যে জাতি ইউরোপকে তার ছাত্র বানিয়েছিল, সেই একই জাতি আবারও কেন তাদের শিক্ষক হতে পারবে না?"

(সূত্র: মাসিক আল বুরহান, জুন ২০১৩, পৃষ্ঠা ৫৫)

আশরাফ আলম কাসেমী নদভী
মাহাদুস সাকাফা বাংলাদেশ।
৭ জানুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার
বিকাল ৪:৩০ মিনিট

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

05 Jan, 11:43


যাদের নিকট লেখাটি পৌঁছবে পড়তে মতামত জানাবেন। ভালো লাগবে শেয়ার করে অন্যদের কাছে পৌঁছে দিবেন। কোনো পরামর্শ থাকলে তা-ও জানাবেন কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করে নিবো। শুকরিয়া।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

05 Jan, 11:42


অনেকে জানতে চান দেশে ইসলাম কীভাবে কায়েম হবে?
এর জন্য দুটি ধাপ রয়েছে।
১- প্রাথমিক: ব্যক্তি জীবনে ইসলাম কায়েম করা।
২- চূড়ান্ত: গণতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে ই/মা/র/ত প্রতিষ্ঠা করা।


ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার পরই রাষ্ট্র জীবনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এর জন্য সর্বপ্রথম শতভাগ মানুষকে কুরআন পড়তে ও বুঝতে হবে। তারপর ইসলামী শরীয়ার পরিপূর্ণ অনুসারী হতে হবে। এর দ্বারা প্রকৃত অর্থে একজন মুসলিমের ঈমানিয়াতের শক্তিশালী হবে। ইবাদাত পালনে প্রশান্তি পাবে। মুআমালাত বা লেনদেন পরিষ্কার হবে। মুআশারাত বা সামাজিকতা ঠিক হবে এবং আখলাক বা নৈতিকতা উন্নত হবে। এই পাঁচটি জিনিস পরিপূর্ণভাবে পাওয়া গেলেই একজন মুসলিম প্রকৃতপক্ষে পরিপূর্ণ মুসলিম হবে। তখন সে যাপিত জীবনের প্রতিটি বিষয়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।


গণতন্ত্রের মাধ্যমে কখনো ইসলাম কায়েম হবে না। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হওয়ার পর থেকে ৭৭ বছর যাবত প্রচেষ্টা চালিয়ে কালমার্রসের গণতন্ত্রের বিপরীতে ইসলামী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আজও পর্যন্ত সম্ভব তো হয়ইনি বরং আরও বাজে অবস্থার সৃষ্টি হতে চলেছে। মিশরে ১৯৬০ সালের দিকে কালমার্সের গণতন্ত্র বাদ দিয়ে সংযুক্ত আরব গণতন্ত্রের নাম দিয়ে ইসলামী শাসনের আদলে আরব গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। পরবর্তীতে 'ই/খ/ওয়া/নু/ল মু/স/লি/মী/ন মু/স/লি/ম ব্রা/দা/র/হু/ড' এর নাম ধারণ করে গণতন্ত্রের মাধ্যমে সরাসরি ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলো। ২০১০-১১ সালে গণতন্ত্রের কাঁধে ভর করে ক্ষমতাতেও এসেছিলো। কিন্তু বাঁধার সম্মুখীন হয়ে শক্তিহীন হয়ে পড়েছে। কারণ একটাই গণতন্ত্র। যা সবার জানা।

বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকেই গণতন্ত্রের পথ ধরে ইসলামী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহতভাবে চলছে । কিন্তু কী হয়েছে বা হচ্ছে? ফলাফল আমাদের সামনে রয়েছে।
তাই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হলে আগে ব্যক্তি জীবনকে ইসলামী রঙে রাঙিয়ে তুলতে হবে। এরপর গণতন্ত্রের কাঠামোকে বিলুপ্ত করে দিয়ে ই/মা/র/তী নেজাম কায়েম করতে হবে। যা মূলত খে/লা/ফ/তী নেজামের সহযোগিতায় সূচনা পর্বের ভূমিকা পালন করবে।

খি/লা/ফ/তের পরিবর্তে ই/মা/র/তী নিজাম প্রতিষ্ঠা করার কারণ হলো। খি/লা/ফ/ত একটি সামগ্রিক বিধানের নাম। একই সময়ে সারা পৃথিবীতে একটি মাত্র কমান্ড থাকবে। যার অধীনে অধীনস্থ সকল ভূখণ্ডের মুসলমান সেই কমান্ডা এক বাক্যে মেনে নিবে। একই সময়ে মুসলমানদের দুইটি ভূখণ্ডে খি/লা/ফ/ত প্রতিষ্ঠা করতে পারবেনা। বরং সকল ভূখণ্ডের অধিবাসীকে একত্রে মিলিত হয়ে একটি কেন্দ্রকে নিজেদের রাজধানী ঘোষণা করে দা/রু/ল খি/লা/ফা/হ ঘোষণা করতে হবে।

ই/মা/র/তী নেজাম এর ব্যতিক্রম। মুসলমানদের একাধিক ভূখণ্ডে একই সাথে একাধিক ই/মা/র/তী নেজাম কায়েম হতে পারবে। খি/লা/ফা/হ ঘোষিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ই/মা/র/তী নেজামগুলোই হবে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার একমাত্র আশ্রয়স্থল। পরবর্তীতে যা মূলত খি/লা/ফ/তের মহান বিধান বাস্তবায়ন করতে সহায়ক হবে।

আশরাফ আলম কাসেমী নদভী
মাহাদুস সাকাফা বাংলাদেশ
৫ জানুয়ারী ২০২৪ রবিবার।
বিকেল ৫:০০

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

22 Dec, 03:24


দারুল উলুম দেওবন্দের শায়খে সানী উস্তাদে মুহতারাম আল্লামা কামারুরুদ্দিন আহমাদ গৌরকপুরী আজ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ রবিবার ফজরের সময় ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

হযরতের নিকট হাদীসের বিখ্যাত দুই কাতাব সহিহ বুখারী ২য় খণ্ডের তাফসীর অধ্যায়ের সূরা তাওবার পর থেকে শেষ পর্যন্ত ও সহিহ মুসলিমের মুকাদ্দামা পড়ার সুযোগ হয়েছে। এছাড়াও তাঁর বর্ণনায় হাদীসে মুসালসালাত ও আওয়ায়িলে সিত্তার সনদ গ্রহণ করেছি।

তিনি শায়খুল ইসলাম শায়খুল আরব ওয়াল আজম হযরত মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানী রাহি. এর শাগরেদে খাস ও মহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক হারদূঈর খলিফা ছিলেন।

জন্ম
আল্লামা কামারুদ্দিন আহমাদ গৌরকপুরী ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৮ সালে উত্তর প্রদেশের জেলা গৌরকপুরস্থ বড়বলগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মূল নাম কামারুদ্দিন আহমাদ। জন্মস্থানের দিকে সম্পৃক্ত করে গৌরকপুরী ও জ্ঞান বিজ্ঞানে অনন্য মর্যাদার অধিকারী হওয়া সর্বমহলে আল্লামা হিসেবে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন। পিতার নাম বশিরুদ্দিন গৌরকপুরী।

আল্লাহ তায়ালা হযরতের যাবতীয় ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন আমীন।

আশরাফ আলম কাসেমী নদভী
মাহাদুস সাকাফা বাংলাদেশ

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

17 Dec, 11:37


হযরত মাদানী ও উসমানী জমিয়ত গড়লেন কবে?
জমিয়ত তো মাওলানা আবদুল বারী ফিরিঙ্গী মহল্লী মাওলানা আবুল মাহাসিন মুহাম্মাদ সাজ্জাদ
মুফতী কিফায়াতুল্লাহ দেহলবী ও মাওলানা সানাউল্লাহ আম্রিতসরী প্রমূখ।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

14 Dec, 09:07


দ্বীনি কাজে ঝগড়া নেই যেখানে ঝগড়া আছে সেখানে দ্বীন নেই। তাই তাবলীগের দুই গ্রুপকেই নিষিদ্ধ করে দেওয়া দরকার। এটাই দেওবন্দের অবস্থান।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

13 Dec, 06:29


١ - بادِرُوا بالأعْمالِ فِتَنًا كَقِطَعِ اللَّيْلِ المُظْلِمِ، يُصْبِحُ الرَّجُلُ مُؤْمِنًا وَيُمْسِي كافِرًا، أَوْ يُمْسِي مُؤْمِنًا وَيُصْبِحُ كافِرًا، يَبِيعُ دِينَهُ بعَرَضٍ مِنَ الدُّنْيا.
الراوي: أبو هريرة • مسلم، صحيح مسلم (١١٨) • [صحيح] • من أفراد مسلم على البخاري

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

13 Dec, 06:12


٣ - إنِّي رأيتُ عمودًا وقالَ أبو العبّاسِ الأصمُّ أنَّ عمودَ الكتابِ اُنتُزِعَ مِن تحتِ وسادَتي وقالَ الفُراوي وسادَتي فنظرتُ، فإذا هوَ نورٌ ساطعٌ عُمِدَ بِهِ إلى الشّامِ ألا إنَّ الإيمانَ إذا وقعتْ الفتنُ بالشّامِ وفي حديثِ السَّهلَكي ألا إنَّ الإيمانَ قد وقعَ بالشّامِ
الراوي: عبدالله بن عمرو • ابن عساكر، تاريخ دمشق (١/١٠٢) • غريب • أخرجه أحمد (١٧٧٧٥)، والحاكم (٨٥٥٤) باختلاف يسير، والطبراني (١٣/٦٣٧) (١٤٥٦١) بنحوه

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

13 Dec, 06:10


٣ - تكونُ جنودٌ أربعةٌ فعليك بالشّامِ فإنَّ اللهَ عزَّ وجلَّ قد تكفَّل لي بالشّامِ وأهلِه
الراوي: أبو طلحة الخولاني • الهيثمي، مجمع الزوائد (١٠/٦٢) • ذرع اختلف في صحبته وفي إسناده جماعة اختلف في الاحتجاج بهم‌‏

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

13 Dec, 06:10


٥ - إنَّكم ستجنِّدونَ أجنادًا جُندًا بالشّامِ ومِصرَ والعراقِ واليمنِ قُلنا فخَرْ لنا يا رسولَ اللَّهِ قالَ عليْكم بالشّامِ فإنَّ اللَّهَ قد تَكفَّلَ لي بالشّامِ
الراوي: أبو الدر داء • السيوطي، الدر المنثور (٦/٥٢٥) • إسناده حسن

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

13 Dec, 06:05


٧ - ستُفتحُ عليكمُ الشّامُ فإذا خيِّرتُمُ المَنازلَ فعليكم بمدينةٍ يقالُ لَها دِمشقُ فإنَّها معقلُ المسلمينَ منَ الملاحمِ وفسطاطُها منها بأرضٍ يقالُ لَها الغوطَةُ
الراوي: أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم • ابن الجوزي، العلل المتناهية (١/٣٠٧) • لا يصح

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

11 Dec, 06:16


ভিডিওতে এই মানুষটি ৬০ বছর জেলখানায় বন্দী থাকার পর মুক্তি পেয়েছে। ১৪ বছরের একটি দুরন্ত বালক ৬০ বছর কারারুদ্ধ থাকার পর ৭৪ বছরের বৃদ্ধ হয়ে মুক্তি পেয়ে আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করছেন।
প্রশ্ন হলো ১৪ বছর বয়সী একটি বালক দুনিয়ার আইনে শিশুটির কী অপরাধ ছিলো?

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

09 Dec, 19:55


জীবনের শেষ গন্তব্য একটাই আর তা হলো মৃত্যু। তবে পরবর্তী ঠিকানা ভিন্ন ভিন্ন কেউ জান্নাতী কেউ জাহান্নামী। হে আল্লাহ! আপনার নিকট জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই। আর চিরসুখী জান্নাতে ঠাই চাই।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

09 Dec, 15:57


https://www.facebook.com/share/r/1CxqNr4vqi/

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

09 Dec, 15:57


আল্লাহু আকবার
শামের সিদয়ানা থেকে মুক্তি পাওয়া একজন কয়েদীকে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো
উত্তরে বলছেন, শুধু দোয়া। দোয়াই ছিলো আমাদের খাবার। আল্লাহর নিকট দোয়া করতাম আর পরিতৃপ্ত হতাম। কয়েদখানায় আমি দোয়ায় বলতাম হে আল্লাহ! মারয়াম বিনতে ইমরানকে আপনি যেভাবে রিযিক দিতেন সেভাবে আমাকেও রিযিক দিন। তখন আমি পরিতৃপ্ত হয়ে যেতাম।
এমনকি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আখেরী জামানায় আমার উম্মতের একটি দল এমন হবে যাদের খাবার হবে তাসবিহ তাহলিল। এগুলো মনে করে যখন আল্লাহর নিকট দোয়া করতাম সাথে সাথে পরিতৃপ্ত হয়ে যেতাম।

আল্লাহু আকবার কাবীরা।
আশরাফ আলম কাসেমী নদভী

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

08 Dec, 09:03


আরাকানীদের নিম্নমানসিকতা ও সন্দেহপরায়নতা আরো বিপদ ডেকে আনতে পারে।

সিরিয়ানরা কখনো পরাজয় মেনে নেয়নি কিন্তু আরাকানীরা পরাজয়কে অধিকার হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে। কাশ্মীর এক্ষেত্রে সিরিয়ানদের মতো। স্বজাতির গাদ্দারি আর সহযোগিতা না থাকায় কিছু করতে পারছে না।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

07 Dec, 18:51


النصر من الله
طوبى لأرض الشام
وهيئة تحرير الشام

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

07 Dec, 15:52


ইতিহাসের পাতায় রাজা বাদশাদের বিভিন্ন অঞ্চল ও ভূখণ্ড জয়ের অধ্যায়কে রূপকথার গল্প মনে হতো। এখন তা বাস্তবে দেখে সত্যিকারের চিত্র বুঝতে সহজ হচ্ছে।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

07 Dec, 14:38


২০১১-২০১৫ সালের দীর্ঘ এই সময়ে স্বৈরাচারী শাসক বাসার আল আসাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের ফলে মুজাহিদদের দখলে চলে আসা হালাব, ইদলিব, হামাত, হিমসসহ বিভিন্ন শহর
ইরান ও রাশিয়ার মদদে অত্যাচারী শাসক বাশার আল আসাদের সরকার বিধংসী আক্রমন ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে মুজাহিদদের দখলে চলে যাওয়া কব্জা মুক্ত করতে সক্ষম হয়। এসব অঞ্চল থেকে সুন্নি মুসলমানদেরকে বেদখল করে শিয়া মুসলমানদের আবাদ করে। স্থলপদ ও আকাশ পথে ইরান ও রাশিয়ানদের যৌথ আক্রমণে ১ মিলিয়নের ও উপরে মানুষ নিহত হয়। লাখ লাখ মানুষ কারাবন্দি হয়। ১৩ মিলিয়নের ও উপর মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি থেকে নিগৃহীত হয়ে আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করে।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

07 Dec, 14:16


বিশ্ববাসী আরেকটি বিজয় দেখার অপেক্ষায়। আর মাত্র কয়েক কিলোমিটার। ইতোমধ্যে স্বৈরাচারী বাশার আল আসাদ পলায়ন করেছে বলে সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

07 Dec, 14:02


উল্লেখ্য ২০১১ সনে যখন বাশার আল আসাদের চলমান শাসনব্যবস্থা বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে এবং সিরিয়া অঞ্চলে শান্তি সমৃদ্ধি কায়েম করার উদ্দেশ্যে হায়াতে তাহরীরে শাম গণ মানুষের আন্দোলনের রূপ নিয়েছিল। তখন তারা বাসার আল আসাদকে পরাজিত করার দ্বার প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। তাদের এই আন্দোলন প্রায় দুই বছর চলমান থাকার পর বাসার আল আসাদের সরকার ২০১৩ সনে ইরানের কাছে সাহায্য তলব করে।

উভয় পক্ষের যুদ্ধ যখন দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছিল এবং হায়াতে তাহরিরে শামসহ অন্যান্য আন্দোলনকারীরা বাশার আল আসাদের সরকার কে বিলুপ্ত করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল তখন ২০১৫ বাসার আল আসাদ রাশিয়ান সেনাবাহিনীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। বাশার আল আসাদের অনুরোধে রাশিয়ান সেনাবাহিনী আকাশ পথে মুক্তিকামী আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণ চালায়। বৃষ্টির ন্যায় বোমা বর্ষণের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদেরকে দুর্বল করে তুলে। অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারায়। লাখ লাখ সিরিয়ান নিজেদের ঘরবাড়ি থেকে নিগৃহীত দেশ তেগে বাধ্য হন। হালাপ শহরকে ধ্বংস করে মৃত্যুপুরীতে রূপান্তর করে দেয়া হয়। এভাবে অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থিমিত হয়ে যায়।

আশরাফ আলম কাসেমী নদভী

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

07 Dec, 13:44


ইতোমধ্যে হায়াতে তাহেরিরে শাম এর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক দামেস্ক শহরে অবস্থিত বিদেশি সকল দূতাবাসে বার্তা প্রেরণ করে একথা জানিয়েছেন যে, সিরিয়ায় অভূতপূর্ব এই নতুন বিজয় এর উদ্দেশ্য এই নয় যে দেশটির রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো শেষ হয়ে গেছে। বরং নতুন এই বিজয় দেশটিকে আরো বেশি শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলবে। আমাদের লক্ষ্য হলো অত্যাচারী শাসক বাসার আল আসাদের শাসনব্যবস্থা বিলুপ্ত করা। নতুন এই বিজয়ের মাধ্যমে সিরিয়ায় নতুন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা উপহার দেওয়া। আর এজন্য সকলের আন্তরিকতা এবং সুপরামর্শ একান্ত প্রয়োজন বলে পত্রে জানানো হয়। এই আন্তরিকতা ও সুপরামর্শ দানে সবাই এগিয়ে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

07 Dec, 13:38


শাম অঞ্চলে মুজাহিদীনদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।
'হায়াতে তাহরিরে শাম' নামক সংগঠনের নেতৃত্বে সিরিয়ার বহু অঞ্চল মুজাহিদীনদের দখলে চলে এসেছে। ইতোমধ্যে হায়াতে তাহেরিরে শাম এর কর্ণধার আবু মোহাম্মদ আল জালানি হালাব, ইদলিব, হামাতসহ গভর্নর হাউস ও এয়ারপোর্ট দখলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রাইটার্সের বরাতে জানা যায় যে মুজাহিদিনরা হালাব ইদলিব ও হামাত শহর দখল করার পর বিজয় উল্লাস করেছেন।
গভর্নর হাউস ও বিমানবন্দর দখলে নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সকল বন্দীদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। তাদের মূল লক্ষ্য অত্যাচারী শাসক বাসার আল আসাদের সৈরতন্ত্র নিপাত করা। তারা হামাত শহর থেকে বাসার আল আসাদের সকল সৈন্যদের সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের পরবর্তী টার্গেট দেশটির রাজধানী দামেস্ক শহর।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

15 Nov, 20:05


আমাদের সিরাত পাঠাগার : Seerah library এর জন্য বই সংগ্রহ শুরু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
সেই ছোট্ট কাল থেকে পাঠাগার নিয়ে অনেক কাজ করে আসছি। নাহবেমীর তথা ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া একটি বালক গ্রামের মানুষকে পড়াশোনায় আগ্রহী করার জন্য ২০১০ সালে আব্বাজান রাহিমাহুল্লার নামে শুরু করেছিলাম 'মাকতাবাতুল আনোয়ার ব্যক্তিগত পাঠশালা'। এই নামে ৫০ টাকা খরচ করে সীলও বানানো হয়েছিল যা এখনো আছে। যেখানেই পুরাতন ছেঁড়া বই পরিত্যাক্ত সাময়িকী পেতাম তোলে নিয়ে আসলাম। নম্বর লাগাতাম ক্যালেন্ডারের তারিখগুলো কেঁচি দিয়ে কেটে টেপ চিপকিয়ে। বই বিতরণ ও পড়তে উৎসাহিত করতে পুরুষদের মাঝে মাদরাসার ছুটিতে আমি কাজ করতাম। অন্যসময় আব্বা কাজ করতেন। নারীদের মাঝে বই বিতরণ ও পড়তে আগ্রহী করে তুলতে ছুটিতে আমি আম্মা ও ছোট বোনকে প্রশিক্ষণ দিতাম। পরে তারা সেভাবে কাজ করতেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ বিতরণ হতো মাসিক আদর্শ নারী পত্রিকা। পুরাতন সেই সংখ্যাগুলো এখনো আছে। এক কার্টুনের উপরে হবে। মাঝে মাঝে পরিষ্কার করে যত্ন নিই।

এরপর আরো ব্যাপকভাবে কাজ করার জন্য কাজে কর্মে ও নামেও আসে ব্যাপকতা। ২০১৩ সালের দিকে মুফাক্কিরে ইসলাম সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রাহি. এর নামে শুরু করি 'আবুল হাসান নদভী পাঠাগার' ব্যাপকতার জন্য একটি মাহফিল করি। মাহফিলে গ্রামের সকল হাফেজে কুরআনকে পুরষ্কৃত করি। প্রাইমারী স্কুল ও কিন্ডারগার্টেনে সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১ম ২য় ৩য় স্থান অধিকারকারী সবাইকে পুরষ্কৃত করা হয়।
সেই মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস উস্তাদে মুহতারাম মাওলানা ইসমাইল সাহেব। বিশেষ অতিথি ছিলেন লালমাটিয়া মাদরাসার নায়েব মুহতামিম ও লালমাটিয়া শাহী মসজিদের খতিব মাওলানা মাসরুরুল হক নোমানী। প্রধান বক্তা ছিলেন হযরত মাওলানা মুফতী Mufti Elias Hamidi । বিশেষ বক্তা ছিলেন নওমুসলিম ও দাঈ Wasek Billah Numany । প্রধান আকর্ষন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বজয়ী হাফেজ মাওলানা Ainul Arefin ও বন্ধুবর হাফেজ মাসুম বিল্লাহ। এছাড়াও আঞ্চলিক সকল আলেম উলামা উপস্থিত ছিলেন। তাদের হাতে সবাইকে পুরস্কার তোলে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনাটি ব্যাপাক আলোড়ন সৃষ্টি করে তখন। শুধু শিক্ষার্থীদের মাঝে কাজ করার জন্য গঠন করি 'ছাত্র উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণ সংগঠন'। তখন শরহে বেকায়া পড়ি মাত্র। দুই বছর কাজ করার পরে পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে চলে গেল সাময়িকভাবে সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকে। অসমাপ্ত স্বপ্নরা বারবার বিভিন্ন সময়ে উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে। অনেকগুলো স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায়।

এরই মধ্যে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ নিয়ে ঘোষণা হয় সিরাত পাঠাগারের। এতে অংশগ্রহণ আমার জন্য খুব আগ্রহ ও আনন্দের। আশা করছি এর মাধ্যমে আমার লালিত স্বপ্নগুলোও পূরণ হবে। সাথে থাকাকে নিজের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার মনে করছি। অবশিষ্ট কাজগুলো বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ।
সিরাত পাঠাগারের সাথে যেকোনো উপায়ে সকলের সম্পৃক্ততা আশা করছি।

আশরাফ আলম কাসেমী নদভী
মাহাদুস সাকাফা বাংলাদেশ
১৩ নভেম্বর ২০২৪ ঈ.
জুমাবার সকাল ১০:৩০ মিনিট।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

13 Nov, 15:43


বেশ কয়েক বছর পর পরিক্ষায় আবারও প্রথম স্থান অর্জন করার স্বাদ গ্রহণ করার সুযোগ হলো আলহামদুলিল্লাহ।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

13 Nov, 13:11


বুখারী ২য় খণ্ডের অন্যতম উস্তাদ শায়খ আবদুল হক আজমী রাহি. এর জীবনী কলমবন্দ করা আমার উপরে জমে থাকা ঋণ ছিলো। আজ কিঞ্চিত পূরণ করা হলো। আলহামদুলিল্লাহ।

জীবনী টি একটি স্বারকের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি প্রকাশ হবে ইনশাআল্লাহ।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

12 Nov, 15:00


আসমায়ে রিজাল শাস্ত্রে গভীর পান্ডিত্বের অধিকারী ‘ইবনে হাজার খ্যাত’ হযরত মাওলানা হাবীবুর রাহমান আজমী রাহি.। সিনিয়র মুহাদ্দিস দারুল উলুম দেওবন্দ। তিনি হযরতের নিকট বহু কিতাব পড়েছেন। সবসময় সাথে সাথে থাকতেন এবং একই দস্তরখানে খানা খেতেন। তার পড়াশোনার যাবতীয় দায় দায়িত্ব হযরত শায়খে সানী নিজে পালন করতেন। মাতলাউল উলুমে থাকাকালে একবার হযরত শায়খের পেটে অপারেশন হলে হযরত মাওলানা হাবীবুর রাহমান রাহি. খুব খেদমত করেছেন। সে বছর তিনি শরহে জামীর ছাত্র ছিলেন। ২০-২২ দিন পর্যন্ত হযরত শায়খ সানী আবদুল হক আজমী রাহি. এর এমন অবস্থা ছিল শরীরের কাপড় পর্যন্ত পরিবর্তন করতে অক্ষম ছিলেন। তখন হযরত হাবীবুর রাহমান আজমী রাহি. তার জামা কাপড় পরিবর্তন করে দিতেন। সামান্যতম সময়ের জন্যও হযরতের খেদমত থেকে দূরে থাকেন নি। হযরত শায়খ নিজ ডায়রীতে লিখেন, ‘আমার প্রিয় মৌলবি হাবীবুর রহমান অনেক খুব খেদমত করেছেন।’ হযরত মাওলানা মুফতী আবুল কাসেম নো’মানী হাফিজাহুল্লাহ। মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস দারুল উলুম দেওবন্দ। হযরত মুহতামিম সাহেব হাফি. দারুল উলুম মৌ মাদরাসায় হযরত শায়খে সানী রাহি. এর নিকট মিজান কিতাব পড়েছেন। হযরত মাওলানা মুফতী শায়খ নিয়াজ আহমাদ হাফিজাহুল্লাহ। শায়খুল হাদীস দারুল উলুম নাদওয়াতুল উলামা লাখনৌ ও প্রধান বিচারপতি মারকাযী দারুল কাযা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল‘ বোর্ড। সিয়াহ সিত্তাহর টিকাকার ও হাদীসের ক্রমান্বয়ক, ২৮ খণ্ডে রচিত ফতোয়ার বিখ্যাত কিতাব ফতোয়ায়ে কাসেমিয়ার লেখক, বিখ্যাত গবেষক ও মুফতী হযরত মাওলানা শাব্বির আহমাদ বারমী হাফি. মুহাদ্দিস ও প্রধান মুফতী জামিয়া কাসেমুল উলুম শাহী মুরাদাবাদ। কিতাবুন নওয়াযিল ও আহকামুল কিতাবের লেখক, নিদায়ে শাহীর সাবেক সম্পাদক হযরত মাওলানা মুফতী সালমান মানসুরপুরী হাফি. মুফতী ও মুহাদ্দিস দারুল উলুম দেওবন্দ। মুহাদ্দিসে কাবীর হযরত মাওলানা হাবীবুর রহমান আজমী রাহি. এর উলুম ও মা‘আরিফের ভাষ্যকার ও তার নাতী, বিখ্যাত গবেষক হযরত মাওলানা ডক্টর মাসউদ আহমাদ আজমী হাফি. মুফতী ও মুহাদ্দিস ‘মাতলাউল উলুম বানারস। মাদরাসা আশরাফুল উলুম রাশিদী গাঙ্গুহর শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা মুফতী খালিদ সাইফুল্লাহ হাফি.। মুহাদ্দিসে কাবীর মাওলানা হাবীবুর রাহমান আজমী রাহি. প্রতিষ্ঠিত ‘মিরকাতুল উলুম মাদরাসা’ আজমগড়ের বর্তমান শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা মুফতী আনযার সাহেব হাফি., দারুল উলুম মৌ এর সাবেক শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা আনওয়ার আলী সাহেব, ও সাবেক শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা ইশতিয়াক আহমাদ সাহেব, বর্তমান শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা আবদুল কাভী সাহেব হাফি., মাহারাষ্ট্রা প্রদেশের এ্যাসাম্ভলীর মেম্বার ও দারুল উলুম দেওবন্দের শুরা সদস্য হযরত মাওলালা মুফতী মুহাম্মাদ ইসমাইল সাহেব, দারুল উলম দেওবন্দের শুরা সদস্য হযরত মাওলানা মুফতী শাফিক আহমাদ বেঙ্গলোরী সাহেব, উত্তর প্রদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হযরত মাওলানা আশফাক আহমাদ সাহেব, বায়তুল উলুম সারাইমীর মাদরাসার উলুমে হাদীস বিভাগের মুশরিফ ও মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা শাকির নেসার মাদানী কাসেমী সাহেব (হযরত শায়খ সানীর জামাতা) বাংলাদেশী ছাত্রদের মাঝে মাওলানা মুফতী জাফর আহমাদ, মুহাদ্দিস জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ, হযরত মাওলানা খলিল আহমাদ কুরাইশী কাসেমী, মুহতামিম দারুল উলুম মাঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, মাওলানা মাহফুজুল হক প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম জামিয়া আজিজিয়া রাহমানিয়া ঢাকা, মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী, মাওলানা নাসিরুদ্দিন কাসেমী, মাওলানা হামীদ জাহেরী কাসেমী, মাওলানা হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা মুনীর হুসাইন কাসেমী প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

11 Nov, 13:09


কে এই সিসি??

লেখাটি জুলাই 2019 সালের
আশরাফ আলম কাসেমী নদভী

তখন 2014 সাল ১ম জুলাই আশি বছর বয়সী তীতানী নামক এক মিশরীয় নারীর ইন্তেকাল হয়। অতি গোপনে কাকপাখিও যেন জানতে না পারে এমন পদ্ধতিতে তাঁর দাফন-কাফন সম্পন্ন করে দেওয়া হয়েছিলো। স্বাভাবিকভাবেই কারো ইন্তেকালে অল্প সংখ্যক মানুষ দাফন-কাফনের কাজ সম্পন্ন করে ফেলে । শোক প্রকাশ ছাড়া এতে তেমন কোনো কিছু হয়না । কিন্তু মৃতব‍্যক্তিটি যদি পরিচিত, অতিপরিচিত, সমাজপতি কেউ হয় বা উর্দ্ধতন প্রথম সারির সরকারি কোনো কর্মকর্তা অথবা তাঁর আপনজন কেউ হয় তখন জানাজানিটা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি হয়।

মৃত ঐ মহিলা যদি অন‍্য দশজন মিশরীয় নারীর মতো হতেন তাহলে কোনো কথা ছিলো না। কিন্তু এই মহিলাটি ছিলেন মিশরের সাবেক আর্মি জেনারেল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আব্দুল ফাত্তাহ সিসির গর্ভধারিনী মা তীতিনী। সিসির কড়া নির্দেশ ছিলো তাঁর মায়ের মৃত্যু সংবাদ দুনিয়ার কেউ যেন জানতে না পারে। আশ্চর্য ধরণের মিল । গতকদিন পূর্বে আদালতে শুনানি অবস্থায় সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফেজ ডক্টর মুহাম্মদ মুরসির মৃত্যুতেও একই বিধান পালিত হয়েছে। মাত্র চার জন মানুষের অনুমতি ছিলো তাঁর দাফন-কাফনে । তন্মধ্যেও দুজন আইনজীবী । এই হিসেবে মাত্র দুজন ভাই ও ছেলের অনুমতি ছিলো । কিন্তু হিতে হলো বিপরীত। মিশর, সৌদি ও তাঁদের দোসররা ছাড়া সারাবিশ্বে মুরসির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মায়ের মৃত্যু গোপন করতে কড়াকড়ি নির্দেশনার ফলে মিডিয়ায় কৌতুহল জাগলো। আমেরিকা ভিত্তিক সি এন এন সহ বেশ কিছু মিডিয়া কারণ তালাশ করতে গেলে বেড়িয়ে এলো মহা-রহস‍্য । বহু আরবী পত্রিকাও সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলো।

১৯৫১ সালে মরক্কোর একটি ইহুদি গোত্র দেশটি ছেড়ে ইজরায়েল গমন করে। সে গোত্রের তীতানী রানী নামক এক যুবতীকে ইজরায়েলের পরিবর্তে মিশর পাঠানো হয়। সেখানে ১৯৫৩ সালে সাঈদ হাসান খালীল নামের এক মুসলমানের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরপর ১৯৫৪ সালে মুসলিম-ইহুদী মিশ্র দম্পতির ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে । তীতানী রানী মরক্কোর নাগরিকত্বের পাশাপাশি ১৯৫৮ সালে নাম পরিবর্তন করে সোয়াদ নামে মিশরীয় নাগরিকত্ব পেয়ে যায়। মিশরে সোয়াদ নামেই ছিলো তাঁর পরিচিতি। ১৯৭৩ সালে সোয়াদ তাঁর ছেলেকে মিশরের সেনাবাহিনীতে ভর্তি করার লক্ষ্যে মরক্কোর নাগরিকত্ব ছেড়ে দেয়। তীতানীর আপন মামা উ'রা সাবাগ' একজন কট্টরপন্থী ইহুদি ১৯৫১-১৯৬৮ সাল পর্যন্ত ইজরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলো। অপরদিকে তাঁর আপন ভাগ্নে মিশরীয় সেনাবাহিনীতে দিনদিন উন্নতি করতে করতে আর্মি জেনারেল হয়ে আত্মপ্রকাশ করে।

বাহ‍্যিক দ্বীনদার, একজন খাঁটি মুসলমানের মতো জীবন যাপন করতো এই আর্মি জেনারেল। তাঁর স্ত্রীর ছবি পর্যন্ত কেউ দেখতে পারেনি কখনো। তাঁর বাহ‍্যিক দ্বীনদারীতা দিয়ে সকলকে ধোঁকায় ফেলে রাখে । এমনকি মিশরের গণভোটে নব নির্বাচিত ইসলামপন্থী সরকারও তাঁর ধোঁকাবাজির জালে আটকা পড়ে যায়। ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিও নিজের অজান্তে ধোঁকায় পড়ে ১২ই আগষ্ট ২০১২ সালে সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে সেই আর্মি জেনারেলকে পদোন্নতির মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রধান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব অর্পণ করে দিয়েছিলেন। এই সেই ব‍্যক্তি একসময়ের আর্মি জেনারেল ও মিশরীয় সেনাপ্রধান আজকে যাকে সমগ্র বিশ্বের মানুষ আব্দুল ফাত্তাহ সিসি নামে জানে । মুহাম্মদ মুরসির ক্ষমতাচ্যুতকারী, মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাকর্মীদের উপর ব‍্যপকভাবে হত‍্যাযজ্ঞ চালিয়ে স্থবিরতার মাধ্যমে মিশরের বুকে আইন-কানূনে এমন সব পরিবর্তন এনেছে যার দরুন ভবিষ্যতে মিশরের জমিনে ইসলামপন্থী সরকার গঠন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার গঠন তো বহু দূরে নির্বাচনে অংশ নিতেও পারবে না।

এভাবেই ৬০-৬৫ বছর পূর্বে শুরু করা প্ল‍্যানে অতি সহজেই ইহুদিরা সফল হয় । আজ তাদের লোক মিশরের ক্ষমতার আসনে আসীন থাকায় মিশরের দিক থেকে কোনো চিন্তাই নেই ইহুদিদের। তাই ফিলিস্তিনসহ মুসলিম দেশ সমূহের কল-কব্জা সেভাবেই নাড়ছে যেভাবে তাঁরা চায়। আর এজন্য ইজরায়েল কর্তৃক আব্দুল ফাত্তাহ সিসিকে হিরো উপাধিতে ভূষিত করছে।

https://crescent.icit-digital.org/articles/and-the-truth-shall-set-you-free
https://www.veteranstodayarchives.com/2013/09/16/al-sisi-jew/

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

11 Nov, 09:36


গ্রেটেস্ট ই-স-রা-ই-ল গঠনে প্রথম অপরাধী আরবরা দ্বিতীয় অপরাধী উপমহাদেশের মুসলমান বিশেষত পাক ও বাংলার মুসলমানের নিরবতা।

দেশে এতো বড় একটা বিপ্লব হয়ে গেলো কিন্তু বাংলাদেশের পাসপোর্টে একসেপ্ট ইজরাইল কথাটার পূণর্বহালে কেউ কোনো উদ্যোগী হচ্ছে না।

সেদিন পাসপোর্ট রেনিউ করলাম। হাতে আসার পর খুশি হতে পারিনি বরং ব্যথিত হয়েছি খুব। বারবার দুই পাসপোর্ট ফি মিলাচ্ছিলাম। পুরাতন কপিতে আছে ই-জ-রা-ই-ল ব্যতিত সমগ্র বিশ্ব লেখা থাকলেও নতুন কপিটিতে ই-জ-রা-ই-ল ব্যতিত কথাটি নেই। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা রেজিমের সরকার এই কথাটি উঠিয়ে দিয়েছিলো। তখন এটি নিয়ে আলোচনা হলে কেউ কর্ণপাত করেনি।

দেশের পট পরিবর্তন হওয়ার পর আশা করছিলাম এই দিকে কেউ নজর দিবে কিন্তু বড় কষ্ট পাচ্ছি কেউ কোনো কথাই বলছে না। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে খুব চমৎকার কাজ। কিন্তু একসেফ্ট ই-জ-রা-ই-ল কথাটি পূণর্বহালে কেউ কোনো উদ্যোগী হচ্ছে না। এটা বড় ব্যথা ও কষ্টের। জানি না কেউ উদ্যোগী হবেন কিনা। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হওয়ার প্রমাণ বারবার প্রকাশ পাচ্ছে। তাদের অবেদন আর থাকছে বলে মনে হচ্ছে না।

আশরাফ আলম কাসেমী নদভী
মাহাদুস সাকাফা বাংলাদেশ
১১ নভেম্বর ২০২৪ ঈ. বিকাল ৩:৩০ মিনিট।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

11 Nov, 04:39


দিয়ারে আলি মিয়াঁয় কয়েকদিন!

চার দিনের সংক্ষিপ্ত শিক্ষা সফর শেষে এবার ফিরে যাচ্ছি আপন ঠিকানায়। অনেক নতুন কিছুর সন্ধান পেলাম এই দিন গুলোতে। এ সপ্তাহের সোমবারে আমরা যারা তাখাচ্চুসাতের বিভাগ সমূহ থেকে শিক্ষা সমাপন করছি প্রায় ২৫০ জনের একটি বিশাল ইলমী কাফেলা সকলে মিলে এসেছিলাম, উপমহাদেশের কিংবদন্তি বীর , বৃটিশ শাসনের কবল থেকে স্বাধীনতা লাভের উদ্দেশ্যে বালাকোটের জিহাদের ময়দানে নিজের জীবন উৎসর্গকারী, কোটি কোটি মানুষের আধ্যাত্মিক রাহবার, বিশেষ করে অখন্ড বাঙ্গালের সকল মুসলমান যার দাওয়াতী মিশনের ফলে সঠিক দ্বিন পেয়েছি, ঈমান আকিদা পরিশুদ্ধ হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ শিরক বিদআত ও কুশংস্কার থেকে তাওবা করে যার হাতে বাইআত গ্রহণ করে দ্বীনের সঠিক দিশা খুঁজে পেয়েছিলো, এবং পরবর্তীতে নিজের একান্ত শিষ‍্য মাওলানা কারামাত আলী জৌনপুরী রহঃ কে পাঠিয়েছিলেন অত্র এলাকার মানুষের ঈমান আকিদা শুদ্ধ করার জন্য, সাইয়‍্যেদ আহমেদ শহীদ রহঃ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তি মুফাক্কিরে ইসলাম সাইয়‍্যেদ আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী'র জন্ম স্থান উত্তর প্রদেশের জেলা রাইবেরেলীর তাকিয়া কালা গ্রামে। আমার কাছে জায়গাটি যদিও পূর্ব পরিচিত । গত দু'বছরে অনেক বার আসা হয়ে হয়েছে এখানে । অনেক কিছু জেনেছি । বিশাল এক লম্বা ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে এই তাকিয়া কালা গ্রামকে ঘিরে । আজ থেকে প্রায় ৪৫০ বছর পূর্বে এই গ্রামের আবাদ করেছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বড় দৌহিত্র হযরত হাসান রাজিয়াল্লাহ আনহু'র বংশধর শাইখ আলামুল্লাহ রহঃ। তিনি হিজরতের উদ্দেশ্যে ইলাহাবাদ থেকে মদীনার দিকে রওনা দিয়েছিলেন । রাস্তা হিসেবে বেঁচে নিয়েছিলেন জলপথকে, সাই নদী বেয়ে। তদানিন্তন কালে সফরের একমাত্র উপযোগী রাস্তা জলপথই ছিলো।

শাইখ আলামুল্লাহ রহঃ এর পূর্ব পুরুষগণ মদিনা থেকে দ্বিন প্রচারের উদ্দেশ্যে হিন্দুস্তানে এসে ইলাহাবাদ শহরে গঙ্গা নদীর তীরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। শাইখ আলামুল্লাহ রহঃ মদিনা অভিমুখে হিজরতের বাসনা ব‍্যক্ত করে আপন শাইখের নিকট অনুমতি প্রার্থনা করলে শাইখ তাঁকে এই বলে অনুমতি দেন যে, যদি দ্বীনের খাতিরে রাস্তায় কেউ তোমায় সফর বাতিল করে থেকে যেতে বলে তাহলে সেখানেই অবস্থান করবে।

শাইখ নিজের দূরদর্শিতায় আঁচ করতে পেরেছিলেন যে, আল্লাহ তায়ালা আমার এই শিষ‍্য ও তাঁর উত্তরাধিকাদের থেকে দ্বীনের এমন কিছু কাজ নিবেন যার দৃষ্টান্ত দ্বিতীয় টি পাওয়া বিরল।

ইলাহাবাদ থেকে সাই নদী বেয়ে চলতে চলতে নৌকা এসে ভীড়ে রাইবেরেলীর তাকিয়া কালা গ্রামে । এখানে এসে অজ্ঞাত জনৈক দরবেশদের সাথে সাক্ষাৎ হয়। অজ্ঞাত দরবেশ তাঁকে এখানে স্থানী ভাবে বসবাস করার কথা বললে শাইখের দেওয়া শর্তের কথা মনে পড়ে যায় । তাই মদীনা অভিমুখে হিজরতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সাই নদীর পাড়ে তাকিয়া কালা গ্রামে স্থায়ী ভাবে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নেন।........!

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

10 Nov, 13:55


*📌المكتب الإعلامي الحكومي ينشر تحديثاً لأهم إحصائيات حرب الإبادة الجماعية التي يشنها الاحتلال على قطاع غزة لليوم 400 – السبت 9 نوفمبر 2024م:*

- *(400) يوماً على حرب الإبادة الجماعية.*
- (3,798) مجزرة ارتكبها جيش الاحتلال.
- *(53,552) شهيداً ومفقوداً.*
- *(10,000) مفقودٍ.*
- *(43,552) شهيداً ممن وصلوا إلى المستشفيات (وزارة الصحة).*
- *(17,385) شهيداً من الأطفال.*
- (209) أطفال رُضّع وُلِدوا واستشهدوا في حرب الإبادة الجماعية.
- (825) أطفالٍ استشهدوا خلال الحرب وعمرهم أقل من عام.
- (1367) عائلة فلسطينية قتل الاحتلال جميع أفرادها ومسحها من السجل المدني.
- (38) استشهدوا نتيجة المجاعة.
- *(11,891) شهيدة من النساء.*
- (1054) شهيداً من الطواقم الطبية (وزارة الصحة).
- *(85) شهيداً من الدفاع المدني.*
- *(184) شهيداً من الصحفيين.*
- (7) مقابر جماعية أقامها الاحتلال داخل المستشفيات.
- (520) شهيداً تم انتشالهم من 7 مقابر جماعية داخل المستشفيات.
- *(102,765) جريحاً ومُصاباً وصلوا إلى المستشفيات. (وزارة الصحة).*
- (398) جريحاً ومُصاباً من الصحفيين والإعلاميين.
- *(70%) من الضَّحايا هم من الأطفال والنساء.*
- (202) مركزاً للإيواء استهدفها الاحتلال "الإسرائيلي".
- (35,055) طفلاً يعيشون بدون والديهم أو بدون أحدهما.
- *(3,500) طفل معرّضون للموت بسبب سوء التغذية ونقص الغذاء.*

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

09 Nov, 16:11


দ্বীনিয়াত বাংলাদেশ Deeniyat Bangladesh এর প্রধান মাওলানা মুফতী Salman Ahmad সাহেব আমার সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করলেও আমি উনাকে আমার উস্তাদের অবস্থানে রাখি। তার ব্যক্তিত্ব থেকে অনেক কিছু শিখেছি জেনেছি। একাধিক বার সাথে সফরসঙ্গী হয়ে সফর করেছি। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে খাস আম অনেক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। দ্বীনিয়াতের প্রায় প্রশিক্ষণেই তার দরসে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি। বিশেষ করে সাইকোলজির ক্লাস আমার খুব প্রিয়। নদওয়াতুল উলামায় আমিও সাইকোলজি পড়েছি একথা যেদিন থেকে জেনেছেন সেদিন থেকে প্রতি ক্লাসের পর ফেরার পথে আমার গন্তব্যের পথে নামিয়ে দেওয়ার সময় দীর্ঘ আলোচনা করেন। ২০২২ সালের কোনো এক রজনীতে শনির আখড়ার ফুটপাতের পাশে দাঁড়িয়ে ঈশার পর থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সাইকোলজি ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম।

আমরা আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষকে তিনি যেভাবে ইজ্জত ও সম্মান দেন তা একমাত্র বিশাল দিলওয়ালা মানুষের পক্ষে সম্ভব। আমি মনে করি তিনি আমার ধারণার চেয়েও বড় দিলওয়ালা। মুসলিম উম্মাহর জন্য কতটুকু দরদ আর তড়প লালন করেন তা অনুমান করা মুশকিল। আল্লাহ কিতাব কুরআনের শিক্ষাকে শতভাগ মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে দেওয়ার ফিকির চেষ্টা নিয়ে দিনরাত সফর করে বেড়ান দেশদেশান্তরে। পৃথিবীর ৬০+ দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। এই তো গত সপ্তাহে আফ্রিকার একাধিক দেশ সফর করে ফিরেছেন।

আজ জানতে পারলাম মহান এই মানুষটি অসুস্থ হাসপাতালে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। শুনে কলিজাটা চিনচিন করছে। আজ বুঝলাম তিনি আমার নিকট কত আপন। আপনত্বের কত বড় জায়গা তিনি দখল করে আছেন আমার মনে। শুধু আমি নই মুফতী সালমান আহমাদকে যারা কাজ থেকে জানেন তারা সবাই আজ তার আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়ায় মাশগুল। দোয়া করি আল্লাহ পাক তার হায়াতে বরকত দান করুন। দ্রুত সুস্থ করে দিন। সহীহ
সালামতি দান করুন। আমীন

আশরাফ আলম কাসেমী নদভী
মাহাদুস সাকাফা বাংলাদেশ
৯ নভেম্বর ২০২৪ ঈ. রাত ১০:০০।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

05 Nov, 13:07


একটি সফল মহাসমাবেশ হয়েছে।
তবে এখন থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আবার মারামারির প্রথা চালু হওয়ার আশঙ্কা করছি। এমনটি আল্লাহ না করুন।

আশরাফ আলম কাসেমী নদভী

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

04 Nov, 11:15


বর্তমান তাবলীগ জামাতের কার্যাবলী দ্বীনের প্রতিনিধিত্ব করার চেয়ে খুব বেশি সাংগঠনিক হয়ে পড়েছে। এটা কে যত তাড়াতাড়ি বুঝা যাবে তত সহজ। দ্বীনি লেভেল লাগানো বন্ধ হওয়া উচিত।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

26 Oct, 08:22


أشرف العالم القاسمي الندوي
مولده
ولد الأستاذ أشرف العالم بن أنور حسين في سنة 1994 من الميلاد في قرية همت نغر من قرى غوري بور وهي محافظة من مديرية مؤمن شاهي بنغلاديش في أسرة كريمة متدينة.

تعليمه
إنه بدأ تعليمه من كتاب القرية وأكمل دراسته الابتدائية فيها ثم ألحقه أبوه بالمدرسة العربية أشرف العلوم ببالية، وأتم دراسته المتوسطة فيها، ثم التحق بالمدرسة الإسلامية لالماتية بداكا. وحصل منها شهادة الثانوية تحت إشراف وفاق المدارس العربية بنغلاديش بدرجة جيد. بعد ما أتم دراسته الثانوية رحل إلى الهند والتحق بالجامعة الإسلامية دار العلوم ديوبند الهند. المشهورة بأزهر الهند. وقضى فيها سنتين وقرأ الصحاح السنة من الأحاديث النبوية والفقه الحنفية على أساتذتها النابغين البارزين ونال منها شهادة الفضيلة بدرجة ممتاز. ثم التحق بالجامعة الإسلامية دار العلوم التابعة لندوة العلماء لكناؤ الهند. قضى فيها سنتين وتخصص في اللغة العربية وآدابها وتخرج منها بشهادة الماجستير بدرجة أعلى.


عمله
بدأ عمله بالخدمات التدريسية في مدرسة منار الشرق داكا وعين مشرفا عاما في قسم اللغة العربية وآدابها. وعمل خطيبا بالجامع. ورأس بتأسيس الكتاتيب والمدارس الدينية كمدرسة الصالحات للبنات ومدرسة الإمام لمسلم لنشر التعاليم الدينية والتربوية بين أطفال المسلمين المتخلفين عن فرائض الدين ومستلزماتها. وقام بتنفيذ الأعمال الخيرية بحفر الآبار لتوفير المياه بين المنكوبين المحتاجين تحت إشراف مؤسسة الرواد ومؤسسة بسمة.
إنه كتب عدة مقالات في الموضوعات المختلفة في اللغة العربية والأردية والبنغالية وصدرت له المقالات في المجلات الشهرية والصحف اليومية. إنه يعمل في مجال العلم والدعوة والثقافة كمدرس في المعهد وخطيب في الجامع وكاتب في ميدان الكتابة والتأليف ومترجم في المكتبة. ونشر أول تأليف له باسم 'أشرف الكمالين لحل أسئلة جلالين' للسيوطي والمحلي من أشرفي بوك ديبو ديوبند الهند. وله بحث قيم حول 'قصة الأساليب القرآنية وخصائصها الفنية' كتبه في الجامعة الإسلامية دار العلوم ندوة العلماء بلكناؤ باحثا لنيل شهادة الماجستير منها.

وقد شارك كثيراً من الملتقيات والندوات والحفلات المنعقدة في جامعة داكا والجامعة الإسلامية العالمية شيتاغونغ وغيرها وألقى المحاضرات على عناوين مختلفة في الجوامع والمحافل أمام عامة الناس من المسلمين في مناطق مختلفة في البلاد. وله مشاركات إعلامية في القنوات الفضائية المتنوعة وقام بتأسيس معهد الثقافة بنغلاديش يرأسها ويدرس فيها اللغة العربية والعلوم الدينية. بارك الله في حياته خدماته وعلمه عمله وتقبلها بقبول حسن. آمين يا رب العالمين.

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

22 Oct, 12:03


Channel photo updated

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

20 Oct, 12:27


গ্রামে আমার একটা বালিকা মাদরাসা আছে। কয়েকদিন পর পার নামে বেনামে বিভিন্ন টিকা ট্যাবলেট দিতে ফোন দেয়। আমার পক্ষ থেকে পরিষ্কার নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। আমরা বাচ্চাদের শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছি। শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছি চিকিৎসা নয়। তাই এই ব্যাপারে আমাদের সাথে আর কোনো যোগাযোগ না করলেই বরং ভালো হয়। ১২ অক্টোবর আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বরাতে এক লোক আবার আমাকে ফোন দিলে আমি পরিষ্কার না করে দেই। তার কন্ঠ উঁচু হতে দেখে তার অবস্থান অনুযায়ী জবাব দিই। বাচ্চাদের চিকিৎসা করার দায়িত্ব অভিভাবকদের মাদরাসা কর্তৃপক্ষের নয়। তাহলে মাদরাসায় কেন যোগাযোগ করেন? সাথে সাথে লিষ্ট থেকে আমার মাদরাসার কেটে দিতে জোর তাগিদ দিলে কেটে দিয়েছে বলে জানায়।

আচ্ছা! দুনিয়াতে তো ফ্রীতে কিছুই পাওয়া যায় না। তাহলে মুসলিম মেয়েদেরকে নামে বেনামে টিকাদান কর্মসূচি ফ্রীতে করে কীভাবে?
এগুলোর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কি কারো কোনো জানাশোনা আছে?
আসলে টিকাগুলোর পিছনের ঘটনা কী?
সরকারের কাঁধে ভর করে বেসরকারিভাবে হয় কেন? সরকারিভাবে দেয় না কেন?
বাংলাদেশ চিকিৎসা সংস্থা থেকে কি এর অনুমোদন আছে? এমন আরো অনেক প্রশ্ন আছে? বাচ্চাদের টিকাদান কর্মসূচিতেও এই প্রশ্নগুলো প্রাসঙ্গিক।

করোনার দোহাই দিয়ে নামে বেনামে বিভিন্ন টিকা দিয়ে আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসময় ভবিষ্যতের দিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে অনেক আলাপ আলোচনা হয়েছে। এখনো হচ্ছে। পলিটিক্যাল স্বার্থে আঘাত আসবে তাই যৌক্তিক আলোচনাগুলোকে থামিয়ে দেওয়ার জোরদার চেষ্টা অব্যাহত। করোনার টিকা দিয়ে বর্তমান প্রজন্মকে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এর কুফল হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে এটেম বোম নিক্ষেপ পরবর্তী প্রজন্মের ন্যায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বিস্তার করবে। এটা সচেতন মহলও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। কিন্তু বাস্তবতা অস্বীকার করা যাবে না।

বাচ্চা ও প্রাপ্ত অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের যে টিকাগুলো দেওয়া হয় তাতে এমন বিরোপ প্রতিক্রিয়া নেই বা হবে না এর কোনো দায়বদ্ধতা আছে কারো কাছে?
তাই সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন জরুরি।

আশরাফ আলম কাসেমী নদভী

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

17 Oct, 17:03


একটু গভীর থেকে ভাবতে হবে

১১ দিন ধরে চলমান সংঘর্ষে একটি বিষয় পরিষ্কার পৃথিবী যাদেরকে সুপার পাওয়ারের আসনে বসিয়ে রেখেছে এরা আসলে সুপার লোজার। একদিকে সবধরনের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত। অন্যদিকে নিজস্ব বিদ্যা বুদ্ধি খাটিয়ে বানানো সামান্য কিছু রকেট।
একদিকে কথিত প্রায় সকল সুপার পাওয়ার দেশ থেকে সব ধরনের সমর্থন সহযোগিতা ও সরকারি অংশগ্রহণ। অন্যদিকে সমর্থন সহযোগিতা তো দূরে নিজের ঘর থেকেই বিরোধিতা ও বিচ্ছিন্নতা সুলভ আচরণ। একদিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ ও আরও সমর্থন নিতে কিছু বাদে প্রায় সব মিডিয়াতে রক্তপিপাশু অত্যাচারীকে অত্যাচারিত এর রূপ দিয়ে ব্যাপক প্রোপাগান্ডা। অন্যদিকে গগণবিদারী হাকাকার আর বোমায় ঝাঝড়া বুকের করুণ আর্তনাদ কর্ণকুহর বেধ করলেও প্রশ্নবোধক চিহ্নের ছাপ তাদের দিকেই তেড়ে আসছে বারবার।

এরপরও শত্রু শিবিরে ভীত সন্ত্রস্ত আর সর্বোচ্চ পিছুটান চোখে পড়ার মতো অবস্থা। বাতাসে ভেসে যাওয়া সামন্য রকেটের আওয়াজও তাদের কাছে প্রলয়ঙ্করী মনে হওয়া এটাই প্রমাণ করে প্রকৃত সুপার পাওয়ারের বিশেষণ কার জন্য সাঝে। এটাই ঈমান আর কুফুরের মাঝে দ্বন্ধ আর পার্থক্য।

চলমান সংঘর্ষের মোড় কোথায় গিয়ে শেষ হবে বলা বড় দুষ্কর। কিন্তু জয় পরাজয়ের নথি প্রথম রোজই লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। যে সব এলাকা প্রথম দিন দখল হয়েছে বা হাতছাড়া হয়েছে তা আবার ফিরে এলেও সেখানে কি পারবে আবার বসতি স্থাপন করতে?
দখলকৃত এলাকা থেকে বিতারিত যে সব অধিবাসী নিজেদের ঠিকানা বানিয়ে আগামীর স্বপ্নে বিভোর ছিলো সম্ভব হবে কি তাদেরকে পূণরায় সেখানে বসতি স্থাপনে সম্মত করতে?
রাজি করানো কি সহজ হবে যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে আবার ফিরিয়ে আনতে?
পৃথিবীর সামনে অপরাজেয় প্রাচীর ও বেষ্টনী, শক্তিধর নিরাপত্তা এজেন্সি ও বাহিনী, চৌকশ গোয়েন্দা সংস্থা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সব গুপ্তচরবৃত্তির দবদবা যেভাবে নিমিষেই ভেঙে চুরমার মিসমার হয়ে গেছে সেটি কি বহাল করতে পারবে?
এমন আরও হাজারো প্রশ্নের উদয় হবে যার উত্তর মিলাতে কষ্ট হলেও সহজ উত্তর হবে না! না! না! তারা কখনোই এই ক্ষতি পোষাতে পারবে না।

তাহলে হাজার হাজার বেসামরিক নিরিহ প্রাণ অকাতরে ঝড়ে যাওয়া, অসংখ্য মানুষ আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করে নেওয়া, অবলা নারী মা ও শিশুর লাশের সারি সারি মিছিল, আত্মীয়-স্বজন আপনজন হারানোর আহাজারি, লাখে লাখে ঘর বাড়ি আর অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষয় ক্ষতি, অসংখ্য অগণিত সহায়-সম্বল নষ্ট হওয়ার পরও আসল বিজয় তাদেরই যারা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে টিকে আছে মাঠে ময়দানে সমরপ্রাঙ্গণে।

আশরাফ আলম কাসেমী নাদভী
মাহাদুস সাকাফা বাংলাদেশ
১৬-১০-২০২৩ সোমবার
রাত ১১:৫৫

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

17 Oct, 06:33


https://dailyinqilab.com/bangladesh/news/695055?fbclid=IwY2xjawF9juxleHRuA2FlbQIxMQABHVkmod23KnktE63A2RLp6zgB1ikG5lfN3T1NVzSXy2mcQ1chjMrX3epQmw_aem_xAZI5l-sVHlAOMls60zAEg

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

17 Oct, 06:32


বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটির বেশি মন্তব্য বিশ্ব জরিপ সংস্থার। তাদের এই তথ্য সঠিক।
একই কাজ ভারত করছে। ২০১১ সালের পর থেকে দেশটিতে কোনো আদমশুমারি হয়নি। ইচ্ছে করে করেনি।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

17 Oct, 04:43


আমি এই উদ্যোগটি 2010 সালে শুরু করে ছিলাম। এলাকার মা-বোনদেরকে আদর্শ নারীসহ বিভিন্ন বই দিতাম। যেকোনো স্থানে ছেঁড়াফাটা বই পেলে সেগুলো নিয়ে জমা করতাম। আমার আব্বা মরহুমের নামে ব্যক্তিগত পাঠশালা তৈরি করেছিলাম। সীল ছাপ্পর বানিয়েছিলাম। এখনও আছে। বই বিতরণের কাজটি আম্মা ও ছোট বোনের মাধ্যমে করাতাম। পুরুষদের মাঝে আব্বা ও আমি বিতরণ করতাম। তখন মাত্র নাহবেমির জামাতে পড়ি। মাদরাসা ছুটির সময়গুলোতে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিতাম। ক্যালেন্ডারের নম্বরগুলো কেঁচি দিয়ে কেটে বইয়ের নম্বর লাগাতাম। বেশ ভালো ফলাফল পাচ্ছিলাম। পরে আর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারিনি।

একজন আলেম বলেন,
অল্প বয়সে যে সাহস করেছেন মাশাআল্লাহ। এখন আপনি পরিণত মানুষ। আবার শুরু করুন।
সাফল্য আসবে ইনশাআল্লাহ।

উনার জ্ঞাতার্থে বলি,
জাযাকাল্লাহু খায়রান।
পরিণত হয়ে বিপদ বেড়েছে। মানুষ সহজেই বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে দেয়। এরপরও কাজ চলমান আছে আলহামদুলিল্লাহ। ২০ বিশ বছরের টার্গেট নিয়ে বালিকা মাদরাসা শুরু করেছি। মূলনীতি তিনটি নারী শিক্ষিকার মাধ্যমেই পরিচালিত হবে।
যা কিছুই হোক অনাবাসিকই থাকবে।
কাফিয়া পর্যন্ত তা'লিম থাকবে।

লক্ষ্য প্রতিটি ঘরের প্রতিটি মা বোনদের মাঝে দ্বীনি তালীম আম করা। দ্বীনি পরিবেশ গড়ে তোলা। নারীরা দ্বীনদার হলে পুরুষরা সহজেই দ্বীনদার হবে। বাচ্চাদেরকে দ্বীনদার হিসেবে গড়ে তুলবে। একটি সুন্দর সমাজ গড়ে উঠবে।

তিন বছরের মেহনতে যে ফলাফল পরিলক্ষিত হচ্ছে তার জন্য আল্লাহ পাকের যতই শুকরিয়া আদায় করা হবে ততই কম আদায় হবে।

প্রতিদিন মহিলাদের মাঝে তালীম হয়। দুই বছর পর্যন্ত বেহেশতী জেওর আহকামে জিন্দেগী আহকামে নিসারসহ অন্যান্য কিতাবের তালীম চলমান ছিল। এখন এক বছর ধরে পাঁচ মিনিটের মাদরাসা কিতাবটির তালীম হচ্ছে। নিয়মিত কুরআন শিক্ষার ক্লাস হচ্ছে। মাসে একবার ইসলাহী মজলিস হয়। সেখানে তাদের আগ্রহ উচ্ছ্বাস দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। এগুলো সব বয়ষ্ক নারীদের জন্য। মেয়েদের জন্য দরসী তালীমের ব্যবস্থা তো আছেই।
আশরাফ আলম কাসেমী নদভী।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

13 Oct, 19:40


قم إلى الصلاة متى تسمع النداء مهما تكون الظروف

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

12 Oct, 15:32


গতকাল নারায়ণগঞ্জের জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলুম দেওভোগ মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে উপস্থিত ছিলাম। প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামা লাখনৌর শায়খুল হাদীস ও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল' বোর্ডের প্রধান বিচারপতি উস্তাদে মুহতারাম হযরত মাওলানা মুফতী নিয়াজ আহমাদ নদভী হাফিজাহুল্লাহ। উস্তাদের খাদিম হিসেবে সঙ্গে গেলেও মাদরাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা আবু তাহের জিহাদী হাফি. নির্দেশ দেন অনুবাদ আপনাকে করতে হবে মাওলানা। বড় মাহফিলে এটি আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। অন্যদিকে শেখ নিয়াজ আহমাদ সাহেবের তরজমা করা সাধারণ কোনো বিষয় নয়। বিষয়বস্তু যাই হোক না কেন একজন বিদগ্ধ মুহাদ্দিস হিসেবে আলোচনার মোড় ঘুরে রিজাল শাস্ত্রে এসে ঠেকে। আলহামদুলিল্লাহ বয়ান শেষে হযরত খুশি হন। কথা প্রসঙ্গে বললেন, তোমার অনুবাদ আমি সরাসরি না বুঝলেও আন্দাজে বয়ান দ্বারা অনুভব করলাম চমৎকার তরজমা করেছো। জিজ্ঞেস করলাম ১০০ নম্বর থেকে কত দিবেন? বললেন ১০০ নয় তোমার বাচনভঙ্গি ও উপস্থাপনার জন্য ১০৫ নম্বর দিবো।

পাশাপাশি মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের জিহাদী নাজেমে তা'লীমাত খুব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এবং অন্য একদিন সময় নিয়ে যাওয়ার জন্য জোরদার তাগিদ দিয়েছেন। মাদরাসার মুহতামিম সাহেব বয়সে বৃদ্ধ হলেও ফিকির দরদে একদম টগবগে যুবক। উনার সাথে কিছু সময় ব্যায় করে খুব ভালো লেগেছে। তার ব্যক্তিত্বের প্রতি বড় আগ্রহী হয়েছি।

মাদরাসার আদব বিভাগের মুশরিফ মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ নাসিম ভাই খুব খেদমত করেছেন। আল্লাহ পাক তার খেদমতকে কবুল করুন। ইস্তেকবাল থেকে শুরু করে পূর্ণ সময়টিতে আমাদের সাথে ছিলেন। আল্লাহ পাক তাকে শায়ানেশান আজর দিন। আমীন।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

10 Oct, 04:17


https://www.facebook.com/share/p/TAx5UqGRm8RF8Brh/

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

10 Oct, 04:17


দশ বছর বয়সী শিশু মুহাম্মাদ পৃথিবী বিখ্যাত জাঁদরেল আলেমদের সামনে কী চমৎকারভাবে উপস্থিত বক্তৃতা করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল। সুবহানআল্লাহ।
উপস্থিত রয়েছেন
শায়খ ডক্টর মুহাম্মাদ রাতিব আন নাবলুসী
শায়খ ডক্টর ইসাম আল বাশীর
শায়খ ডক্টর উমর আবদুল কাফীসহ অনেকেই।

আলজেরিয়ার এই শিশুটি তার বক্তব্যে ইলম ও উলামার কদর ইলম শিক্ষার ব্যাপারে হযরত ইমাম মালিক রাহি. উক্তি উল্লেখ করেন।

আবাক করা বিষয় হলো এই শিশুটিকে গড়ে তুলেছেন তার মা। বক্তব্যে সে কথা উল্লেখ করে মায়ের কৃতজ্ঞতা আদায় ও নিজেই নিজের মা'কে গৌরবান্বিত মা বলে আখ্যা দেন। বাচ্চাদেরকে স্নেহ মায়া মহাব্বত ভালোবাসার নামে ভবিষ্যৎ ধ্বংস না করে কিভাবে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা উচিত এবং মা-বাবার ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত সে কোথাও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে ভবিষ্যতে সে একজন পাইলট হতে চায় যেন সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াতে পারে এবং দ্বীনের দায়ী হতে চায়। তার স্বপ্ন আল্লাহর কোরআন হবে সংবিধান রাসুলের সুন্নাহ হবে অনুপম আদর্শ। বক্তব্যের শেষে আলজেরিয়াকে নিয়ে চমৎকার একটি দেশাত্মবোধক কবিতাও আবৃত্তি করেন।

আমাদের মায়েরাও যদি ১০ বছর পর্যন্ত শুধু খাওয়া না শিখিয়ে জ্ঞানের অলংকার নিয়ে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে এগিয়ে আসেন তাহলে এমন শিশু মুহাম্মাদ হাজারো জন্ম নিবে ইনশাআল্লাহ।

দশ বছর বয়সে আমাদের শিশুরা ভালো করে নিজের কাজগুলো করতে পারে না। মায়েরা তাকে করতেও দেন না। এটা বাচ্চাদের উপর সরাসরি জুলুম। বাচ্চা যখন যে কাজ করতে সক্ষম হবে সেই কাজ তাকেই করতে দেওয়া উচিত। কিন্তু আফসোস আমাদের মাদের উপর। বাচ্চার প্রতি মায়া মুহাব্বতের আতিশয্যে তার সৃষ্টিশীলতাকে শিশুকাল থেকেই নষ্ট করে দেওয়া হয়। তখন বড় হয়েও সে কিছুই করতে পারে না।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুমতি দিন।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

05 Oct, 10:04


কওমী স্বীকৃতিকে কার্যকর করার চেষ্টা আদতে মাদরাসা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করার নামান্তর। কিছু করতে হলে কাফিয়া সনদ দিয়ে SSC পরিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা হোক।
সবার জন্য যেন পছন্দসই ক্ষেত্র নির্বাচন করতে সহজ হয়। যারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী তারা সেদিকে গিয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার সচিব আমলা ইত্যাদি হতে পারেন।
যারা মাদরাসায় থাকতে চান তারা এখানে থেকে যেন দ্বীনি উলুম ও ফুনূনে পারদর্শী হতে পারেন। তাহলে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করি।

এতে মাদরাসাওয়ালাদের মাঝে হীনমন্যতা লালন করা যাবে না যে সবাই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাবে। যারা যাওয়ার তারা যাবে যারা থাকার তারা থাকবে এই মানসিকতা লালন করতে হবে। তবে এসএসসি পরীক্ষা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সবাইকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

পরিক্ষার পর যাওয়ার সংখ্যা যদি উল্লেখযোগ্য হয় তাহলে মক্তবে নূরানীতে ভর্তির সংখ্যা বিপুল সংখ্যক হবে।
অন্যদিকে পরিক্ষার পর মাদরাসায় থাকার সংখ্যা যদি কম হয় শাস্ত্রীয় ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠার সংখ্যা অভূতপূর্ব হবে। এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ দ্বীনি পরিবেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সহজ হবে।

আশরাফ আলম কাসেমী নদভী
মাহাদুস সাকাফা বাংলাদেশ

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

04 Oct, 16:44


ঈমানের মেহনত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ থেকে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের মতো। বাংলাদেশের স্কুল ভার্সিটিগুলোতে তুলনামূলক মেহনত কম হলেও কাজ করছে দাবানলের মতো।

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

04 Oct, 06:14


٢ - إنَّ اللهَ نظر إلى أهلِ الأرضِ فمقتَهم عربَهم وعجَمهم إلا بقايا من أهلِ الكتابِ
الراوي: عياض بن حمار • ابن تيمية، مجموع الفتاوى (١٨/٢٩٢) • صحيح

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

04 Oct, 06:14


١ - أنَّ رَسولَ اللهِ ﷺ قالَ ذاتَ يَومٍ في خُطْبَتِهِ: أَلا إنَّ رَبِّي أَمَرَنِي أَنْ أُعَلِّمَكُمْ ما جَهِلْتُمْ، ممّا عَلَّمَنِي يَومِي هذا: كُلُّ مالٍ نَحَلْتُهُ عَبْدًا حَلالٌ، وإنِّي خَلَقْتُ عِبادِي حُنَفاءَ كُلَّهُمْ، وإنَّهُمْ أَتَتْهُمُ الشَّياطِينُ فاجْتالَتْهُمْ عن دِينِهِمْ، وَحَرَّمَتْ عليهم ما أَحْلَلْتُ لهمْ، وَأَمَرَتْهُمْ أَنْ يُشْرِكُوا بي ما لَمْ أُنْزِلْ به سُلْطانًا، وإنَّ اللَّهَ نَظَرَ إلى أَهْلِ الأرْضِ، فَمَقَتَهُمْ عَرَبَهُمْ وَعَجَمَهُمْ، إلّا بَقايا مِن أَهْلِ الكِتابِ، وَقالَ: إنَّما بَعَثْتُكَ لِأَبْتَلِيَكَ وَأَبْتَلِيَ بكَ، وَأَنْزَلْتُ عَلَيْكَ كِتابًا لا يَغْسِلُهُ الماءُ، تَقْرَؤُهُ نائِمًا وَيَقْظانَ.
وإنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أُحَرِّقَ قُرَيْشًا، فَقُلتُ: رَبِّ، إذنْ يَثْلَغُوا رَأْسِي فَيَدَعُوهُ خُبْزَةً، قالَ: اسْتَخْرِجْهُمْ كما اسْتَخْرَجُوكَ، واغْزُهُمْ نُغْزِكَ، وَأَنْفِقْ فَسَنُنْفِق عَلَيْكَ، وابْعَثْ جَيْشًا نَبْعَثْ خَمْسَةً مِثْلَهُ، وَقاتِلْ بمَن أَطاعَكَ مَن عَصاكَ.
قالَ: وَأَهْلُ الجَنَّةِ ثَلاثَةٌ: ذُو سُلْطانٍ مُقْسِطٌ مُتَصَدِّقٌ مُوَفَّقٌ، وَرَجُلٌ رَحِيمٌ رَقِيقُ القَلْبِ لِكُلِّ ذِي قُرْبى وَمُسْلِمٍ، وَعَفِيفٌ مُتَعَفِّفٌ ذُو عِيالٍ.
قالَ: وَأَهْلُ النّارِ خَمْسَةٌ: الضَّعِيفُ الذي لا زَبْرَ له، الَّذِينَ هُمْ فِيكُمْ تَبَعًا، لا يَبْتَغُونَ أَهْلًا وَلا مالًا، والْخائِنُ الَّذي لا يَخْفى له طَمَعٌ، وإنْ دَقَّ إلّا خانَهُ، وَرَجُلٌ لا يُصْبِحُ وَلا يُمْسِي إلّا وَهو يُخادِعُكَ عن أَهْلِكَ وَمالِكَ، وَذَكَرَ البُخْلَ -أَوِ الكَذِبَ- والشِّنْظِيرُ الفَحّاشُ.
[وفي رواية] لَمْ يُذْكَرْ: وَأَنْفِقْ فَسَنُنْفِق عَلَيْكَ.
[وفي رواية] لَمْ يُذْكَرْ: كُلُّ مالٍ نَحَلْتُهُ عَبْدًا، حَلالٌ.
وفي رواية: قامَ فِينا رَسولُ اللهِ ﷺ ذاتَ يَومٍ خَطِيبًا، فَقالَ: إنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي... وَساقَ الحَدِيثَ. وَزادَ فيه: وإنَّ اللَّهَ أَوْحى إلَيَّ أَنْ تَواضَعُوا حتّى لا يَفْخَرَ أَحَدٌ على أَحَدٍ، وَلا يَبْغِي أَحَدٌ على أَحَدٍ، وَقالَ في حَديثِهِ: وَهُمْ فِيكُمْ تَبَعًا، لا يَبْغُونَ أَهْلًا وَلا مالًا. فَقُلتُ [قتادة]: فَيَكونُ ذلكَ يا أَبا عبدِ اللهِ؟ قالَ: نَعَمْ، واللَّهِ لقَدْ أَدْرَكْتُهُمْ في الجاهِلِيَّةِ، وإنَّ الرَّجُلَ لَيَرْعى على الحَيِّ، ما به إلّا وَلِيدَتُهُمْ يَطَؤُها.
الراوي: عياض بن حمار • مسلم، صحيح مسلم (٢٨٦٥) • [صحيح]

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

03 Oct, 17:13


*بماذا تنوي عند تلاوة القرآن الكريم؟*

كثير من المسلمين لا يقرأ القرآن إلاّ بقصد الثّواب والأجر فقط،
و غفل عن عظيم منافع القرآن
وأنّه كلّما قرأ القرآن بنيّة نال فضلها و حققها الله له
كما قال النبي محـﷺـمد رسول اللـــــــــه 🕋🕋:
*"إنما الأعمال بالنيات وإنما لكل إمرئ ما نوى"* -الحديث-
*فالقرآن منهج حياة،*
والنية تجارة العلماء فمن هذا المنطلق
*أذكر نفسي وإخواني وأخواتي بأن تكون نية المسلم عند القراءة:*
1- *أقرأ القرآن*
بنية العلم والعمل به.
2- *أقرأ القرآن*
بنية الهداية من الله لنفسي و ذريتي وأهل بيتي
3- *أقرأ القرآن*
بنية مناجاة الله تعالى.
4- *أقرأ القرآن*
بنية الإستشفاء به من الأمراض الظاهرة والباطنة.
5- *أقرأ القرآن*
بنية أن يخرجني الله من الظلمات إلى النور.
6- *أقرأ القرآن*
لأنه علاج لقسوة القلب، وفيه طمأنينة القلب، ودفع الوسواس المسيطر عليه .
7- *أقرأ القرآن*
بنية صرف الحسد والعين عني وعن أهل بيتي.
8- *أقرأ القرآن*
حتى لا أكتب من الغافلين وأكون من الذاكرين.
9- *أقرأ القرآن*
بنية زيادة إيماني ويقيني بالله.
10- *أقرأ القرآن*
بنية الإمتثال لأمر الله تعالى بالترتيل.
11- *أقرأ القرآن*
للثواب حتى يكون لى بكل حرف حسنة والحسنة ب 10 حسنات، والله يضاعف لمن يشاء.
12- *أقرأ القرآن*
حتى أنال شفاعة القرآن الكريم يوم القيامة.
13- *أقرأ القرآن*
بنية تنفيذ وصية النبي محـﷺـمد رسول اللـــــــــه 🕋🕋 حيث قال إقرؤوا القرآن
14- *أقرأ القرآن*
حتى يرفعني وينفعني الله به.
15- *أقرأ القرآن*
حتى أرتقي به في درجات الجنة كما قال النبي محـﷺـمد رسول اللـــــــــه 🕋🕋
"إقرأ وارتق ورتل"
16- *أقرأ القرآن*
بنية أن ألبس تاج الوقار، ويكسىٰ والديَّ بحلتين .
17- *أقرأ القرآن*
بنية ذكر الله وطلب المعية (وأنا معه حين يذكرنى) والتقرب إلى الله بكلامه.
18- *أقرأ القرآن*
حتى أكون من أهل الله وخاصته.
19- *أقرأ القرآن*
بنية النجاة من النار ومن عذاب الله.
20- *أقرأ القرآن*
بنية أبطال أى سحر أو مس شيطانى أصابني أو أحد من أهل بيتي.
21- *أقرأ القرآن*
بنية أن النظر في المصحف عبادة.
22- *أقرأ القرآن*
بنية الحصول على الخيرية والفضل عند الله.
23- *أقرأ القرآن*
حتى يكون ريحي طيبا .
24- *أقرأ القرآن*
لأن الله يجلي به الأحزان، ويذهب به الهموم والغموم.
25- *أقرأ القرآن*
ليقضى الله به حاجاتي ويستجب دعواتي
26- *أقرأ القرآن*
ليكون أنيسي في قبري، ونورا لي على الصراط.
27- *أقرأ القرآن*
ليربيني الله ويؤدبني بالأخلاق التي تحلى بها النبي محـﷺـمد رسول اللـــــــــه
🕋🕋
28- *أقرأ القرآن*
لأشغل نفسي بالحق حتى لا تشغلني بالباطل.
29- *أقرأ القرآن*
لمجاهدة النفس والشيطان و الهوى.
30- *أقرأ القرآن*
ليجعل الله بيني وبين الكافرين حجاباً مستوراً يوم القيامة.
*تقبل الله منا ومنكم صالح الأعمال .
https://t.me/MASQB

Ashraf Alam Qasmi Nadwi

02 Oct, 04:23


ইবনে খালদুন বলেন, কঠিন ও দূর্বিষহ মূহুর্তে শক্তিশালী বীরপুরুষদের উত্থান ঘটে। শক্তিশালী বীরপুরুষ ব্যক্তিরা প্রাচুর্যতা ও বিলাসী পরিবেশ সৃষ্টি করে‌। বিলাসী পরিবেশ দূর্বল ও নিষ্ক্রিয় জাতি তৈরি করে। সেই দূর্বল ও নিষ্ক্রিয় জাতি আবার কঠিন ও দূর্বিষহ মূহুর্ত ডেকে আনে।