সম্ভাব্য সত্য @somvabbosotto Channel on Telegram

সম্ভাব্য সত্য

@somvabbosotto


কিছু লেখা ও তথ্য সংগ্রহ করা, কিছু সাম্প্রতিক খবর শেয়ার করা এবং নিজের অল্প কিছু কথা বলার জন্য...

চ্যানেল সম্পর্কে যেকোনো ফিডব্যাক এই বটের(@Channel_Owner_chat_bot) মাধ্যমে জানাতে পারেন।

সম্ভাব্য সত্য (Bengali)

সম্ভাব্য সত্য চ্যানেলটি হলো এমন একটি স্থান যেখানে আপনি কিছু লেখা ও তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন, সাম্প্রতিক খবর শেয়ার করতে পারবেন এবং নিজের মতো অল্প কিছু মন্তব্য করতে পারবেন। এই চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি নিজের মতো বাস্তবায়িতকর তথ্য শেয়ার করতে পারবেন এবং অন্যদের মতো তথ্য মূল্যায়ন করতে পারবেন। যেকোনো প্রশ্ন বা যেকোনো ফিডব্যাক সম্পর্কে চ্যানেল ম্যানেজমেন্টের সাথে আলাপ করতে চাইলে, @Channel_Owner_chat_bot বটে অভিযোগ করতে পারেন। আপনার ধারণা ও মতামত স্বাগতম! ঝলমলের মধ্যে তথ্যের ঝাঁপ নিন এবং সম্পর্কে আলাপ করুন।

সম্ভাব্য সত্য

06 Feb, 08:48


⚠️ তালিবান কেন বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি ভেঙেছিল?
✍️ আমানউল্লাহ রাইহান

(ফুল টেলিগ্রাফ আর্টিকেল, লিংকে ক্লিক করলে টেলিগ্রামেই পুরো আর্টিকেল পড়তে পারবেন।)

সম্ভাব্য সত্য

06 Feb, 06:03


⚠️

সম্ভাব্য সত্য

05 Feb, 19:26


খাচ্চরের দফারফা হয়ে গেছে। 🔲

সম্ভাব্য সত্য

05 Feb, 05:21


রাজধানীর দক্ষিণখানে স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত মেয়েটি। মা–বাবার কাছে কেনাকাটার কথা বলে বাইরে বেরিয়েছিল। পরে আর বাসায় ফেরেনি। রোববার হাতিরঝিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মোবাইলের সূত্র ধরে এ দুজনকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। এরপর রবিন ও রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, পাঁচজন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে তাঁর মৃত্যু হলে মরদেহ হাতিরঝিলে ফেলে দেওয়া হয়। এদের মাঝে একজনের সাথে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে দেখা করতে গিয়ে মেয়েটাকে তারা ধর্ষণ ও হত্যা করে।

আজ শরিয়াহ শাসন থাকলে এই দুজনের ফাসি হত। তাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে। মাঠে ময়দানে প্রকাশ্যে সারা দেশ দেখতো, ধর্ষণের দায়ে দুই খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে।

কিন্তু আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন, এমন হাজারো খুনি আজ আপনার চোখের সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারো মাথায় শাস্তি পাওয়ার দুশ্চিন্তা নেই। তারা জানে, সেকুলার আইন ব্যবস্থা বিচার ব্যবস্থা হল ঠুনকো জিনিস।

এদের দুজনেরও কিছু হবে না হয়তো। দুদিন পর ছাড়া পেয়ে যাবে। সেকুলার আইন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা তাদের চুলও বাকা করতে পারবে না।

সেকুলাররা নারীদের নিরাপত্তা দিতে না পারলেও স্বাধীনতার নামে তাদেরকে ইসলামের দেওয়া সুরক্ষাব্যুহ ভেঙে বের করে আনছে। তাদেরকে প্রেম করতে, প্রটেকশন ইউজ করতে উৎসাহিত করছে। আর ঘর থেকে বের হয়ে এভাবেই দিনের পর দিন নির্যাতিতা হচ্ছে মুসলিম মা বোনেরা। সেকুলার আইন ব্যবস্থা বিচার ব্যবস্থা তাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। এত উদাহরণ সামনে, এরপরও শরিয়াহ আইনের প্রয়োজনীয়তা আমরা কবে উপলব্ধি করবো?
✍️ সাজিদ হাসান

সম্ভাব্য সত্য

05 Feb, 04:17


মেয়েটা মাইনর, বুঝজ্ঞান কম এই মাইনর মেয়েটাকে দোষ দেয়া যাবে না। কিন্তু সহশিক্ষায় ছেলেদের মাঝে ঠিকই ছেড়ে আসা যাবে।

মেয়েটা মাইনর, তাকে মানুষ বিপথে নিয়ে যেতে পারে, এরপরেও অরক্ষিত অবস্থায় শিকারীর মাঝে ছেড়ে দিতে হবে জ্ঞানার্জনের জন্য।

মেয়েটা মাইনর, তবে মেয়েটার কনসেন্ট দেয়ার বয়স হয়েছে। এই মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা যাবে কিন্তু বিয়ে করা যাবে না।

মেয়েটা মাইনর, কিন্তু মেয়েটার ডিভাইস ব্যবহারের স্বাধীনতা থাকবে, প্রাইভেসি থাকবে। তার ফোনে বাবা-মা হাত দিতে পারবে না।

মেয়েটা মাইনর, তার মস্তিষ্কে পচন ধরিয়ে ওয়েস্টার্ন জামা পরানো যাবে কিন্তু হিজাব-নিকাব পরানো যাবে না। কারণ পর্দা করার বয়স হয়নি কিন্তু ক্যামেরার সামনে উলঙ্গ হওয়ার বয়স হয়েছে।

মেয়েটা মাইনর কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতারোধে ছেলেদের সাথে মেয়েটাকে মিশতে দিতে হবে। ক্লাসমেটের সাথে ট্যুরে যাওয়ার স্বাধীনতা দিতে হবে।

মেয়েটা মাইনর, এটা আবেগের বয়স। তাই ভুলত্রুটি হতেই পারে। কিন্তু মেয়েটার পাস্ট ইজ পাস্ট। এটা নিয়ে কথা বলা যাবে না। পাস্ট নিয়ে কথা বললে সেটা ছোটলোকি হবে।

মেয়েটা মাইনর, ছেলেটাও মাইনর। দুজনে মিলে ভুল করে ফেলবে। এসব ভুলকে স্বাভাবিকভাবে নিতে হবে কিন্তু বিয়ে? ত্রিশের আগে বিয়ের কথা বললে পিঠের ছাল তুলে ফেলা হবে।

প্রেম করার বয়সে কীসের বিয়ে? এত্ত সাহস হয় কী করে?
✍️ মেরাজ হোসেন ভাই

সম্ভাব্য সত্য

05 Feb, 02:56


এরচেয়ে ভালো উদাহরণ হয় না।🔲

সম্ভাব্য সত্য

04 Feb, 12:21


১। "সুন্দর", "মোটামুটি" এবং "বিশ্রী" কনসেপ্টগুলো বাস্তব। চেহারা বা শরীরের ক্ষেত্রেও। যেখানে প্রযোজ্য, সেখানে শব্দগুলোর প্রয়োগ যৌক্তিক। সুন্দর, কম সুন্দর ও বিশ্রীর প্রতি মানুষের রেসপন্সও একেকরকম হয়। এগুলো অস্বীকারের কিছু নেই।

অসংখ্য নিখোঁজ সংবাদের মধ্যে ১১ বছরের কিশোরীর হারানোর সংবাদ অনেক বেশি ট্র্যাকশন পেয়েছে৷ এর পেছনে অনেক কারণ থাকে বা আছে৷ ওই অনেক কারণের মধ্যে একটা হলো সুন্দর, সুশ্রী, কমনীয়, মায়াভরা চেহারা। যে শব্দই ব্যবহার করেন না কেন।

নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সুন্দর চেহারা প্রদান করাটা অবশ্যই আল্লাহর মেটিকিউলাস পরিকল্পনার অংশ৷ কিছু সৌন্দর্য জন্মগত। কিছু সৌন্দর্য চর্চা বা যত্নের মাধ্যমে অর্জন করে নেওয়া যায়। হ্যাঁ, চেহারা ও শারীরিক সৌন্দর্যও অর্জন।
মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায়, ইসলামের খাতিরে, দাওয়াহকে অধিকতর সফল করার জন্য, স্ত্রী/স্বামীকে খুশি করতে, মানুষের প্রিয় হতে সুন্দর হবে। যতটুকু পারে, জায়েযের সীমার ভেতরে থেকে। মেধা মেধা, অন্তর অন্তর করতে করতে চেহারা ও শরীরের সৌন্দর্যকে ডিজঔন করে দেবে না।

২। শারীরিক চাহিদা জাতিসংঘের নির্ধারিত বয়সসীমা মানে না৷ এটা বায়োলজি। এটাই সায়েন্স। মানসিক পরিপক্বতা ভিন্ন আলাপ। ওই পরিপক্বতা মানুষ আমৃত্যু ধাপে ধাপে পেতেই থাকে, পেতেই থাকে৷ নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও ওয়াহি পেয়েছেন চল্লিশ বছর বয়সে।

যারা মানসিকভাবে পরিপক্ব না, তাদের অভিভাবকত্বের জন্য অভিভাবকরা আছেন। কথা হলো, সেই অভিভাবকরা মানসিক পরিপক্বতার পরিচয় দিচ্ছেন কি না৷ চোখের সামনে গাছে ফুল ধরতে দেখেও সেটাকে চারাগাছ ভাবছেন কি না।

বোরকা পরালেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে কি না, ফুটবল খেললে সমস্যা বাড়বে কি না - সবই পরের আলাপ। তার আগে শারীরিক পূর্ণতা ও শারীরিক কামনা নামক এই বাস্তব জিনিসগুলোকে স্বীকার করতে হবে। স্বীকার করার পর অন্যান্য আলাপ আসতে পারে, তা আসুক।

ফুটবলার বা নিখোঁজ কিশোরী কেউই বিচ্ছিন্ন কোনো মানুষ না। সবাইকে ঘিরেই পালটাপালটি মতের মানুষদের মাঝে নানারকম পলিটিক্স চলে। মানসিক পরিপক্বতা আসার পর তারা একসময় এক নীরব বিকেলে পিছন ফিরে দেখবে। কয়েক বছর বা দশক আগে তাদের নিয়ে যেসব পলিটিক্স হয়েছে, সেগুলো নিয়ে নতুন করে ভাববে। চায়ে চুমুক দিতে দিতে ভাববে, আসলেই কোনো একটা পক্ষ তার জেনুইন শুভাকাঙ্ক্ষী ছিল কি না।
✍️#HujurHoye

সম্ভাব্য সত্য

03 Feb, 05:07


এতো কিছুর মধ্যে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন জর্জ সরোসের ছেলে অ্যালেক্স সরোস। সরোস বেশ ইন্ট্রেস্টিং ক্যারেক্টার। রোমানিয়ান বংশোদ্ভুত 🧃 এই ধনকুবেরকে নিয়ে ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে আছে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। অ্যামেরিকার রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক থেকে শুরু করে ইউরোপীয়, এমনকি ভারতীয় ডানপন্থী বিন্দুত্ববাদীদের অনেকেও মনে করে জর্জ সরোস আর তার প্রতিষ্ঠান ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন গোপন কোনো এজেন্ডা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে।
.
এর মধ্যে সব কথা, সব অভিযোগ প্রমানিত না। অতিরঞ্জন আছে প্রচুর। তবে সরোস এবং প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ধ্যানধারণা এবং এজেন্ডার প্রচার ও প্রসারের জন্য দু হাতে ডলার খরচ করে, এ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। জাস্ট একটা উদাহরণ দেই, এলজি টিভি নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর সবচেয়ে বড় দাতাদের লিস্টে থাকবে সরোসের নাম। [১]
.
সরোস অ্যামেরিকার ডেমোক্রেটিক ব্লক ঘেষা লোক। ট্রাম্প বিদেশে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করার ঘোষণার কিছুদিন পর জর্জ সরোসের ছেলের বাংলাদেশ সফর ব্যাপারটা স্রেফ কাকতালীয় মনে হচ্ছে না।
.
সরোসের সফরের কারণে ইন্ডিয়া উদ্বিগ্ন বা এজাতীয় নানা ধরণের বিশ্লেষণ দেখা যাচ্ছে। আপাতত এটা খারাপ না, তবে সরোসের আনাগোনা আভাস দেয় আগামীতে নিও-লিবারেল অর্থনৈতিক এবং সামাজিক এজেন্ডার সাথে লড়াইটা একেবারে সহজ হবে না।
.
ভালো কথা, অবক্ষয়কাল থেকে সরোসের ইন্ট্রেস্টিং দুটো উদ্বৃতি শেয়ার করি:
.
জর্জ সরোস একবার লিখেছিল,
.
আমি নিজেকে এক ধরনের দেবতা হিসেবে কল্পনা করতাম...সত্যি বলতে কী, ছোটবেলা থেকেই আমি নিজের ভেতরে জোরালো কিছু মেসায়ানিক ফ্যান্টাসি বয়ে বেড়াতাম। আমার মনে হতো এগুলোকে আমার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, তা না হলে এই ফ্যান্টাসিগুলো আমাকে সমস্যায় ফেলতে পারে। [২]
.
বহু বছর পর একজন সাংবাদিক তার কাছে এই কথাগুলোর অর্থ জানতে চাইলে সরোস বলে,
.
নিজেকে ঈশ্বর মনে করা, সব কিছুর স্রষ্টা মনে করা, এটা এক ধরনের রোগ। তবে যখন থেকে আমি এভাবেই নিজের জীবনকে চালাতে শুরু করেছি, তখন থেকে আমি এটা নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। [৩]
.
জর্জ সরোস আর তার বিলিয়েনেয়ার বন্ধুরা ঠিক কোন ধরনের পৃথিবী তৈরি করতে চায়, কোন ধরনের প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করে, কেমন নষ্ট দেবতা হিসেবে কল্পনা করে নিজেদের, তার একটা আভাস হয়তো বিশ্বজুড়ে বিকৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তাদের গভীর আগ্রহ থেকে টের পাওয়া যায়।
✍️ আসিফ আদনান ভাই

সম্ভাব্য সত্য

03 Feb, 04:32


ধর্ম উপদেষ্টাকে মেরুদন্ডওয়ালা মানুষ মনে করেছিলাম!

কওমি মাদরাসায় পড়া আলেম উদ্যোক্তাদের একটি সংগঠন ঢাকায় সেমিনার আয়োজন করেছিলো। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা প্রফেসর খালিদ হুসাইন। অভিযোগ উঠেছে ওই অনুষ্ঠানে একজন নারী সাংবাদিককে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ধর্ম উপদেষ্টাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছু জানেন না বলে প্রথমে দায় এড়ান। এরপর উদ্যোক্তা সংগঠনের প্রধান রোকন রাইয়ানের দুঃখ প্রকাশ করা এবং উপদেষ্টাকে দায়মুক্তি দেয়া একটা চিঠি পড়ে শোনান।

আমরা সবাই জানি, আলেম ওলামারা সাধারণ মানুষের চেয়ে ইসলামের বিধান, সংস্কৃতি বেশি পালন করার চেষ্টা করেন। তাদের এই চেষ্টা কী দোষের কিছু বা ফৌজদারি অপরাধ? যদি অপরাধ না হয়, একজন সচেতন এবং সুস্থ মানুষের দায়িত্ব কী? সামাজিক ভদ্রতা কী?

দায়িত্ব এবং ভদ্রতা হলো- যে বা যারা ইসলামের বিধান, সংস্কৃতি পালন করতে চায় তাকে সহযোগিতা করা। ধরুন, একটা পরিবারে ৫ জন সদস্য আছে। ওই ৫ জনের চার জন পর্দার বিধান যথাযথ ভাবে মানে না। একজন মানার চেষ্টা করে। যে ৪ চারজন মানে না তাদের দায়িত্ব কী, যে একজন মানে তাকে অসহযোগিতা করা, নাকী সহযোগিতা করা? মানুষের শিক্ষা, ভদ্রতা, সভ্যতা কী বলে?

কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার সাধারণ নিয়ম হলো সেই অনুষ্ঠানের আদব এবং সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে যাওয়া। নয়তো এড়িয়ে যাওয়া। আপনি কারো ঘরে গিয়ে তার কালচারের বিরুদ্ধাচারণ করতে পারেন না। এটা কোনো সংবাদিকতা নয়। এটা পরিস্কার বেয়াদবি, শয়তানি। দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো আলেমদের অনুষ্ঠানে নারী সাংবাদিক পাঠিয়ে পরিস্কার শয়তানি এবং বেয়াদবি করে আসছে দীর্ঘ দিন। যা নিয়ে কেউ মুখ খোলে না, কথা বলে না।

এতদিন দেশে ফ্যাসিবাদী সরকার ছিলো। ইচ্ছা করলেও অনেক কথা অনেকে বলতে পারেননি। কিন্তু এখন বলতে পারছেন না কেনো? দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী অভ্যাস থেকে বেরুতে পারছেন না, নাকী মেরুদন্ডে খয় রোগ আছে?

ধর্ম উপদেষ্টা একজন বিদগ্ধ আলেম। একজন ভালো লেখক। একজন রাজনীতিক। একজন শিক্ষক। তিনি কেনো সংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ত্যানা প্যাচালেন? তিনি কেনো রোকন রাইয়ানের কথিত চিঠি পড়ে শোনাতে গেলেন? মেরুদন্ড সোজা করে কেনো বলতে পারলেন না, আলেমদের অনুষ্ঠানে বেপর্দা নারী সাংবাদিক যাওয়া বা পাঠানোই তো বেয়াদবি, অসভ্যতা, ধৃষ্টতা।

ফ্যাসিনার অনুষ্ঠানে দীর্ঘ দিন দেশের কয়েকটি মিডিয়ার সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। সেটা অপরাধ ছিলো না? সেখানে সাংবাদিকদের ইজ্জত যায়নি? পেশাগত দায়িত্বে বাধা দেয়া হয়নি? তখন কারো মুখে 'রাও' ছিলো না কেনো?

দেশের আলেমদের সাথে ওরা পরিকল্পিত ভাবে এসব শয়তানি করে। ইস্যু তৈরী করে। ওরা দেশের মিডিয়া থেকে মুসলিম কালচার পরিকল্পিত ভাবে বিদায় করেছে। 'সালাম' দেয়ার মতো সাধারণ সভ্যতাটাও ওদের সহ্য হয়নি। অথচ দেশের বড় অংশ গণমানুষের ধর্ম ইসলাম। তারা মুসলিম কালচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

কথিত প্রগতির নামে যুগযুগ ধরে দেশের মিডিয়াগুলো মুসলিম কালচারের প্রতি অবজ্ঞা, অসমতা দেখিয়েছে, দেখাচ্ছে। অসাম্প্রদায়িকতার ভেক ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আসলে এগুলো অসাম্প্রদায়িকতার নামে শয়তানি। সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িকতা হলো গণমানুষের ধর্ম এবং সাংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানো। পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করা, অবজ্ঞা না দেখানো।

মিডিয়াগুলোর শয়তানির বর্ম ভেঙ্গে দেয়া উচিত। ইসলামপন্থীদের পরিস্কার করে বলা উচিত- আলেম ওলামাদের বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কোনো নারী সাংবাদিক পাঠানো যাবে না। একান্তই যদি পাঠাতে হয়, সেখানের আদব/কালচার মেনে যেতে হবে।

মনে রাখা দরকার, আলেমদের অনুষ্ঠানের কাভারেজ ওরা সাংবাদিকতার জায়গা থেকে দেয় না। দায়বদ্ধতা থেকে আলেম আলোচকদের টকশোয় ডাকে না। রমজান মাসে ধর্মীয় অনুষ্ঠান গণমানুষের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে প্রচার করে না। এর পেছনে ব্যবসা/ভিউ না থাকলে ওরা কোনো দিন আলেমদের পজেটিভ কাভারেজ দিতো না।

একজন অমুসলিমও যদি কোনো মুসলিম কালচারের অনুষ্ঠানে যায়, সেখানের আদব মেনে যাওয়ার চেষ্টা করে। নারীরা অন্তত মাথায় একটা কাপড় দেয়ার চেষ্টা করে। ছোট পোষাক এভয়েড করে। এটাই শিক্ষীত মানুষের সাধারণ ভদ্রতা। এটাই মানবিক শিষ্টাচার। যা দেশের মিডিয়াগুলো বা সাংবাদিকরা যদি না দেখাতে পারে, আলেম ওলামা এবং ধর্মীয় সংস্কৃতির অনুষ্ঠানে তাদের প্রয়োজন নেই। এই কথাগুলো আলেমদের মেরুদন্ড সোজা করে বলা উচিত। টকশোয় ডাক পেলেই ছুটে যাওয়া উচিত না। সঞ্চালক এবং গেষ্টদের বেপারে স্পষ্ট রিজারভেশন থাকা উচিত। মুসলিম কালচার এবং ইসলামের বিধানের প্রতি অবজ্ঞা দেখানো মানুষদের সাথে ভদ্রতা দেখানোর কিছু নেই। সোস্যাল মিডিয়ার এই যুগে কেউ কারো মুখাপেক্ষী নয়।
✍️ Palash Rahman

সম্ভাব্য সত্য

01 Feb, 18:01


এক ভাই নক দিলো কিছুক্ষণ আগে।
তিনি পাসপোর্ট বানাতে যাচ্ছিলেন,তখন এইখানে Religion এর এই ঘরে Jউ ধর্ম fill up এর অপশন ও দেখলেন।

একটা সময় কিন্তু পাসপোর্ট এ এটা ছিলো না। বাকি ধর্ম গুলো ছিলো কিন্তু Jউ ধর্মের অপশন ছিলো না।

সুতরাং এটা অনুমেয় এখন প্রতিনিয়ত Jউদের ও বাংলাদেশে আসা যাওয়া হচ্ছে। আর Jউদের একটা ওয়েবসাইটে পড়ছিলাম বাংলাদেশে Jউরা ম্যাক্সিমাম ই merchant আর businessman.

So they are active heavily in bangladesh,no doubt...
© Ibtihaz Tahsin

সম্ভাব্য সত্য

31 Jan, 14:21


একটি মজার বিষয় হচ্ছে উক্ত ভাইয়ের স্ত্রীর ২ বার ডেলিভারিতে ঔষধ বাবদ মাত্র ৬৪০ টাকা খরচ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।

আরো একটি মজার ব্যপার হচ্ছে উক্ত ভাই এর ১ম ছেলে সাইফুদ্দীনের পিছনে এই পর্যন্ত (২ বছর ১ মাস ২৬ দিন) অসুস্থতা বাবদ মাত্র ২৬০ টাকা খরচ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। আর ২য় সন্তান সালাউদ্দীন এর পিছনে এই পর্যন্ত (২ মাস ২৫ দিন) অসুস্থতা বাবদ মাত্র ০ টাকা খরচ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।

যদি সন্তানদের সুস্থ রাখতে চান বাল্যবিবাহ দিন।
বাল্যবিবাহ চরিত্র, সম্মান, সম্পদ সবকিছুই নিরাপদ রাখে।
© উস্তাদ সুলতান নাঈম

⚠️ ইসলামফোবিকদের জন্য জ্বলার জন্য পোস্ট শেয়ার করা।
বারকাল্লাহু ফিকুম।

সম্ভাব্য সত্য

31 Jan, 09:06


- ফ্রি-মিক্সিং হারাম দেখে সহশিক্ষা হারাম বলেন। তাহলে ফেসবুক চালান কেন? ফেসবুক তো আরো বড় ফ্রি-মিক্সিংয়ের জায়গা।
- সহশিক্ষা হারামের ফতোয়া আছে। ফেসবুক চালানো হারাম এমন ফতোয়া যদি ওলামায়ে কেরাম দেন তাহলে চালাবো না। হালাল-হারাম তো তোমার যুক্তিতে হয় না। এটাকে হারাম ভাবলে আপনি চালান কেন?

- মেয়েদের উচ্চশিক্ষার পরিবেশ তৈরি করে এরপর সহশিক্ষা হারাম বলতে আসবেন।
- নারী-পুরুষ কারো জন্যই তো উচ্চশিক্ষা ফরজ না, ইলম অর্জন ফরজ। সেটা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও হয়। হারাম-হালাল তো এত ঠুনকো বিষয় না যে বিকল্প দেখাতেই হবে, না থাকলে ইচ্ছামতো হারাম করা যাবে।

- আপনারা মুসলিম নারীদেরকে পিছিয়ে রাখতে চান। আপনারা ইলুমিনাতির এজেন্ট।
- কিন্তু আপনারাই তো নারীদেরকে সেখানে নিতে ব্যস্ত যেখানে ওরা নিতে চায়। নারীদেরকে হায়াহীন করাটাই তো পশ্চিমের মূল উদ্দেশ্য। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার কনসেপ্টটা তো তারাই নিয়ে এসেছে। এভাবে নারীরা যদি এগিয়েই যেত তাহলে ইসলাম কি পিছিয়ে পড়ার শিক্ষা দিয়েছে? যদি তা হয় তাহলে মুসলিম হিসেবে বলবো ইসলামের শিক্ষাই উত্তম।

- কলেজ-ভার্সিটিতে না গেলে নারী ডাক্তার পাবেন কেমনে?
- যারা ইসলাম মানতে চায় তারা যাবে না, যারা হালাল-হারামের পরোয়া করে না তারা যাবে।

- ইয়ে দাঁড়ান, আরো কথা আছে। আমি এতকিছু বুঝি না! আপনারা হারামকে হারাম বলতে পারবেন না! ব্যস।
- এটা তো আপনার প্রশ্নের ধরণ শুনেই বুঝেছিলাম। সরল স্বীকারোক্তির জন্য ধন্যবাদ।
যাই হোক, সূরা ফাতিহাটা শুদ্ধ করে পড়ে শোনান তো ভাই?

- ইয়ে, এখনো শিখতে পারিনি, চেষ্টা চলমান।
- যেটা আপনার জন্য ফরজ অর্থাৎ দ্বীনি ইলম অর্জন করা সেটারই খবর নেই, এতবছরে সূরা ফাতিহাও শুদ্ধ করে পড়তে পারেন না আবার আসছেন জ্ঞানার্জনের হাদিসের অপব্যখ্যা করে সহশিক্ষার বৈধতা দিতে। কিক কি খেয়ে যাবেন? নাকি এসে খাবেন?
✍️ মেরাজ হোসেন ভাই

সম্ভাব্য সত্য

30 Jan, 17:51


ছবিতে, কাসসাম ব্রিগেডের সুপ্রিম কমান্ডার "আবু খালেদ" মোহাম্মদ দেইফ ও কাসসাম ব্রিগেড ডেপুটি চীফ কমান্ডার মারওয়ান ইসসা

ফিলিস্তিন ও মুসলিম জাতির ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দেয়া "আল-আক্বসা ফ্লাড" এর যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শাহাদাৎ বরণ করেছেন।

সম্ভাব্য সত্য

30 Jan, 15:53


মমিকার ব্যপারটা খুব যন্ত্রণা দিতো। মনে হতো নিজ হাতে কিছু করতে পারলে ভালো লাগে। একটা প্লানও বানাইছিলাম।

আজকে বড়ই খুশীর দিন!

কিছু তাৎপর্য্যঃ
১। মমিকা সিটিজেনশীপ পায় নি। তাঁর টুইটার প্রোফাইলে এসে নানান সময় রেন্ডিরোনা করতো। ক্যামেরার সামনে কোরআন পোড়ানোর পিছনে এটাও একটা উদ্দেশ্য ছিলো।

২। ও ইরাক থেকে পালিয়ে এসেছিলো। ইরাকীরা রেগুলার তাঁকে হত্যার হুমকী দিতো। এমনকি তাঁর বাড়ীঘর পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

৩। এই জানোয়ার কিন্তু সিভিলিয়ান না। সে শিয়া মার্সেনারি ছিলো। কত নির্দোষ সুন্নী ভাইবোনকে সে হত্যা করেছে। নিজেকে যতই অ্যাক্টিভিস্ট দাবী করুক, সে আসলে ওইসব ফ্যামিলির রোষ থেকে পিঠ বাঁচাতেই ইউরোপে পালায়।

৪। সুইজারল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম সেইফ একটা দেশ। যারাই কাজটা করেছেন, অনেক সিগনিফিক্যান্ট কিছু করে গেলেন। পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এই বার্তা স্পষ্ট, মুসলমানদের প্রায়োরিটি কোথায় আসলে। দেশে এসে মেরে যাচ্ছে কিছু বলছে না, কিন্তু আল্লাহ বা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ডিজরেস্পেক্ট করা হলো রেড লাইন। যে-ই করবে, সুইজারল্যান্ডের মত এত বড়লোক একটা দেশে গিয়েও বাঁচতে পারবে না।

চার্লি হেবদো, স্যামুয়েল পাতি, সালওয়ান মমিকা।
লিস্টে আরো কিছু নাম যোগ করা দরকার না? চিন্তা করুন, এই আমাদের সামনেই কয়েকজন মানুষ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু প্রেজেন্ট করার মত কিছু পেয়ে গেলো।

আর আমরা কোন মুখে তাঁকে ফেইস করবো?
✍️ Ahmad Khan

সম্ভাব্য সত্য

30 Jan, 14:32


বাশার আল আসাদ আর্মির কুখ্যাত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খালুফ বিপ্লবী সরকারের নিরাপত্তা বাহিনির হাতে ধরা পরার পরে পালিয়ে যাওয়ার পায়তারা করলে তাৎক্ষণিক তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। এই লোক যুদ্ধের শুরু থেকে প্রত্যেকটা সুন্নি গণহত্যার অন্যতম কারিগর ছিলো।

আসাদের লোকদের এখনো পুরোদমে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সিরিয়ার বিপ্লবী সৈন্যরা। আটককৃতদের দ্রুত বিচারকার্য সম্পাদন করে সাজা দেওয়া হচ্ছে। গত তিন দিনে চল্লিশজনের অধিক লোকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এটা ধরপাকড়ের সময় নিহতের বাইরের হিসাব, যাদেরকে আদালতের রায়ের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
© Emran Hossain

সম্ভাব্য সত্য

30 Jan, 09:27


বিদ্রোহী জোটের প্রধান আহমাদ আশ শারা ওরফে আবু মুহাম্মদ আল জাওলানিকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্বের সংসদ, সেনাবাহিনী ও বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলোকে বিলুপ্ত করা হয়েছে । পাশাপাশি সংবিধানের কার্যকারিতাও স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার ২৯ জানুয়ারি দামেস্কে অনুষ্ঠিত ‘বিজয় সম্মেলনে’ এ ঘোষণা দেন সম্মিলিত সামরিক জোটের মুখপাত্র হাসান আবদুল গনি।

ঘোষণায় বলা হয় :

•আহমাদ আশ শারা সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সিরিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।

•তিনি একটি অস্থায়ী আইনসভা গঠন করবেন, যা স্থায়ী সংবিধান কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।

•‘বাথ পার্টি’ এবং তাদের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ ফ্রন্ট বা এনপিএফ এর অন্তর্গত সকল সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত এবং তাদের পুনর্গঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেওয়া হয়েছে।

•আগের সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিলুপ্ত করে নতুন নিরাপত্তা কাঠামো গঠনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

•পুরোনো সেনাবাহিনী বিলুপ্ত করে জাতীয় পর্যায়ে নতুন সেনাবাহিনী গঠন করা হবে।

•২০১২ সালের সংবিধান বাতিল এবং সব বিশেষ আইন স্থগিত করা হয়েছে।

•সব সশস্ত্র গোষ্ঠী, বিপ্লবী ও রাজনৈতিক সংগঠন বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে সংযোজিত করা হবে।

• দামেস্কে প্রবেশ করে আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটানোর দিন ৮ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় বিজয় দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে

__________________________________________________

এগুলোই হলো বিপ্লবী সিদ্ধান্ত।
© ইরফান সাদিক ভাই

সম্ভাব্য সত্য

29 Jan, 15:42


পুরো দুনিয়াতেই একই অবস্থা। জাপানের একটি ফোরামের কমেন্ট এগুলো।

কী কোরিয়া, কী ভারত, কী আমেরিকা, কী সাউথ আফ্রিকা - সবখানের তরুণেরা দিন দিন চরম নারীবিদ্বেষী হয়ে উঠছে।

ক্লাসে ৮০ জন ছাত্রের একজন ফেল করলে সেটা ছাত্রের দোষ, কিন্তু ৭৫ জনই ফেল করলে সেটা তাদের দোষ হতে পারে না।

এই তরুণদের মধ্যে ভাষাগত মিল নেই, দেশ আলাদা, কালচারাল মিল নেই, কিন্তু সবার মনোভাব এক্সাক্ট একই হয় কীভাবে? পুরো দুনিয়ার তরুণেরা নারী বিদ্বেষী হচ্ছে কেন?

কারণ পশ্চিমের ফেমিনিজম পুশ করা। গাইনোসেন্ট্রিক সমাজ বানাতে গিয়ে একটা ছেলেকে জন্ম থেকেই ভিলেন বানানো হচ্ছে। স্কুলে উঠলে কেবল ছেলে হওয়াতে আলাদা ট্রিট্মেন্ট দেওয়া হচ্ছে, (পুরো দুনিয়াতে প্রি, মিড ও জূনিয়র স্কুলের টিচারদের মধ্যে নারী বেশী)।

টানা কুড়ি বছর বুলি করে প্রায় খাদের কিনারায় ঠেলে দিলেন, এখন জিজ্ঞেস করেন, ছেলেটা নারী অধিকার সমর্থন করে না কেন?

ফানি।
✍️ Ahmad Khan

সম্ভাব্য সত্য

14 Jan, 01:23


কোর্টের গারদের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রথমে যখন আপনি সেখানে যাবেন, মনে হবে আপনি কোনো মুরগির ফার্মে আছেন। একদম বিশ্রী দুর্গন্ধ। ফ্লোরের টাইলসগুলোতে ডিমের খোসা জমে কালো হয়ে গেছে। দেয়ালের এদিক-সেদিক গর্ত। গর্তের ভেতর বড় বড় ইঁদুর। প্রথম নিশ্বাস নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে হবে পেটের ভেতর থেকে অনেকদিনের খাবারও বেরিয়ে আসতে চায়।

অথচ অবাক করা বিষয় হলো, আমরা সেই দুর্গন্ধের মধ্যেই খাওয়া-দাওয়া করতাম। কোর্টের দিন ডান্ডাবেড়ি, হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আনা হতো। তবুও যেন একটা উৎসবের আমেজ কাজ করত। পরিবারের মানুষের সঙ্গে দেখা করার, কথা বলার সুযোগ হতো। বাসা থেকে আনা খাবারগুলো সেই দুর্গন্ধ, নোংরা পরিবেশেই আনন্দ করে খাওয়া হতো।

অথচ বাসার আরামের পরিবেশে মজার রান্না করা খাবারে যেন সেই তৃপ্তি আসে না। আসলে তৃপ্তি আসে না ব্যাপারটা এমন নয়। আসল ব্যাপার হলো, আরাম-আয়েশ আমাদের নিয়ামত ও অনুগ্রহকে অনুধাবন করতে দেয় না। আমার রব বলেন:

আর যখন মানুষকে বিপদ স্পর্শ করে, তখন সে শুয়ে, বসে বা দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকে। অতঃপর আমি যখন তার বিপদ দূর করে দিই, তখন সে এমনভাবে চলতে থাকে যেন তাকে কোনো বিপদ স্পর্শ করেনি, যে কারণে সে আমাকে ডাকছিল। এভাবেই সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য তাদের কাজকর্ম শোভিত করে দেওয়া হয়। (সূরা ইউনুস, আয়াত: ১২)

বাইরে হয়তো আমরা মুক্ত, কিন্তু আমাদের অন্তরগুলো বন্দি হয়ে গেছে। আমাদের চিন্তার দুয়ার বন্ধ হয়ে গেছে।
✍️ তপু আহমেদ

সম্ভাব্য সত্য

13 Jan, 03:34


সিরিয়ায় আমল বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকার বিভাগের দায়িত্বশীল মহিলারা পার্কে ঘুরে ঘুরে মহিলাদের মাঝে দাওয়াতের কাজ করছে এবং বেগানা নারীদের নেকাব পড়িয়ে দিচ্ছেন! (মুখ খোলা হিজাব নয়)

এই দৃশ্য পশ্চিমকে যেমন ভীত করবে, তেমনি পশ্চিমের মানসিক দাস কিছু মডারেটদেরও ভীত করবে। আল্লাহ মর্ডানিজমের ফিতনা থেকে আমাদের হিফাজত করুন। আমীন
© Abdullah bin bashir হাফি.

সম্ভাব্য সত্য

12 Jan, 14:47


আলিম ও দাঈরা ফরহাদ মজহারের সঙ্গে বসছেন, একসঙ্গে কথা বলছেন। ভালো কথা। কিন্তু ফরহাদ কি তার 'এবাদত নামা' বই থেকে তাওবা করেছেন। নাকি তারা তার সঙ্গে তাদের পার্থক্যকে স্রেফ শব্দ ও চিন্তার বৈচিত্র্য হিসেবে দেখছেন? কবিতার ভাষার উদাম স্বাধীনতাবোধ থেকে কবিকে ক্ষমা করে দিচ্ছেন।

ফরহাদের 'এবাদত নামা' বইটি আগাগোড়া ইলহাদ, যানদাকা, সাব্ব ও শাতমে ভরপুর। আল্লাহ, রাসূল, কুরআন, ইসলামের নামাজ, হজ্জ ইত্যাদি থেকে শুরু করে কোনো বিষয়ে বিদ্রুপ-ব্লাসফেমি (হিজা) বাদ দেননি। অথচ কা'ব বিন আশরাফসহ আহদে নববীতে যতোজন শা*তিমকে হ*ত্যা করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগ কবিই ছিল। কবিতাতেই তারা প্রিয় নবীজীকে হাজও তথা ব্যঙ্গ ও সমালোচনা করতো। নিকট অতীতে রঙিলা রাসূলসহ একাধিক শাতিমের বইয়ে কবিতাকে আশ্রয় করে সাব্ব-শাতম করা হয়েছে। কারণ এই কাজের জন্য গদ্যের চেয়ে পদ্যের ভাষা অধিক যু‌ৎসই। কুরআনে কবিদের সমালোচনার অন্যতম কারণ কবিত্বের এই শয়তানী দিক। তাহলে কবিতার ভাষা বিবেচনায় ফরহাদ মজহারের শয়তানীকে নযরান্দায করে গেলে কীভাবে হবে?

ফরহাদ নতুন বাংলাদেশে আকাশে উড়ছেন। মরেছে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ। অথচ তিনি নিজেকে স্বাধীনতার জনক ভাবছেন। অতীতের এসব কুকর্মের শাস্তি না হওয়াতে উলামা-দাঈদের থোড়াই কেয়ার করছেন। মুখোশ খুলে লালনবাদ প্রচার করছেন, পৌত্তলিকদের পক্ষ নিচ্ছেন। দার্শনিক সেজে আকীদা ও শরীয়াহর বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই বকছেন। প্রকাশ্যে ইসলামী রাজনীতি, কুরআনী শাসন, ইসলাম ভিত্তিক রাষ্ট্রচিন্তার বিরোধিতা করছেন। মুলহিদ-যিন্দীক সাব্যস্ত হতে আর কী কী লাগে? তার ব্যাপারে আলিম ও দাঈরা কী ভাবছেন?
✍️ মাওলানা মিজান হারুন হাফি.

সম্ভাব্য সত্য

12 Jan, 13:18


১। বন্ধু বা স্বজন নিয়ে রেস্তোরাঁয় ১০০০ টাকা খেলে আগে ৫০ টাকা ভ্যাট দিলেই চলত। বিল হত ১০৫০। এখন ৩০০ টাকার একটু বেশি খেলেই ভ্যাট দিতে হবে ৫০ টাকা। ৩৩০ টাকা খেলে বিল আসবে ৩৮০ টাকা। ৫ পার্সেন্ট থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ অর্থাৎ তিনগুণ ভ্যাট বাড়লো।

২। মোবাইলে ৩ শতাংশ ভ্যাট যোগ হয়েছে তাতে সবমিলিয়ে ১০০ টাকা রিচার্জে আমাদের থাকবে মাত্র ৪৩ টাকা ৭০ পয়সা। আর ইন্টারনেটের দামে ১০ শতাংশ কর যোগ হয়েছে। আগে কোনও সারচার্জ ছিল না।

৩। রোগীর পথ্য ফল কমলা, আঙুর, আপেল, ডালিম, নাশপাতি, ফলের রসের সারচার্জ কর ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩০ শতাংশ হয়েছে। ১৫ শতাংশ বেড়ে ৪৫ শতাংশ হয়েছে বাদামে।

৪। চশমার ফ্রেম, চশমার গ্লাস, সান গ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, বৈদ্যুতিক খুঁটি, সিগারেট, রং, পটেটো ফ্ল্যাকস এ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

৫। আগে পোশাকের দোকানে যে মূল্য লেখা থাকত তা থেকে ৭.৫ পার্সেন্ট ভ্যাট বাড়তি দিতে হত। এখন দিতে হবে ১৫ পার্সেন্ট। অর্থাৎ এই ঈদে ৩ হাজার টাকার একটা পাঞ্জাবি নিলে বিলের উপর ভ্যাট যোগ হয়ে মোট বিল হবে ৩৪৫০ টাকা। দর্জির দোকানে কাপড় বানালে তাতেও ভ্যাট ৫ পার্সেন্ট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

৬। মিষ্টির দোকানের ভ্যাটও সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মিষ্টির দামও বাড়বে। উৎসবে এক কেজি মিষ্টি কিনতেও মানুষকে ভাবতে হবে।

৭। বিস্কুট, জুস, ড্রিংক, ইলেকট্রোলাইট ড্রিংক, কেক , আচার, সস এসব পণ্যভেদে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে।

৮। সব ধরনের টিস্যুর ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। আগে ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। ভ্যাট বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ার ফলে টিস্যুর দামও বাড়বে।

৯। ওষুধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। ২.৪ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। পরিমাণটা হয়ত অল্প কিন্তু জনগণের প্রয়োজনকে উপেক্ষার নমুনা এটা।

১০। আমদানি করা সাবানে ১৫ শতাংশ সারচার্জ বেড়ে এখন ৬০ পার্সেন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিটারজেন্ট এ বেড়েছে ১০ শতাংশ।

রোজায় একটু ফল ফ্রুট মানুষ খাবে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে সে সুযোগ আগেই দূরুহ করলো ইন্টেরিম। সামনের ঈদে নতুন জামা কেনাকে কঠিন করলো তারা।

স্বৈরশাসন মুক্ত প্রথম ঈদ আর রোজার যে আনন্দ এই ভ্যাট বাড়ায়ে তার অনেকটাই ম্লান করে দিল ইন্টেরিম।

মোবাইল, ওষুধ, চশমা, টিস্যু, ফলের মত দরকারি জিনিসে ভ্যাট বাড়ালো। অথচ দরকার ছিল হাসিনার যে প্রকল্পগুলোয় দূর্নীতির কারণে এত করের বোঝা চাপাতে হয় সে বোঝা কমানো।

অপ্রয়োজনীয় প্রজেক্ট বাদ দেওয়া। করের ভার থেকে মানুষকে বের হয়ে বাঁচতে দেওয়া। এই ভ্যাট বাড়ানো জনগণকে পাত্তা না দেওয়ারই দলিল। স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে মানুষ। কিন্তু এ রাষ্ট্র জনগণের রাষ্ট্র হয় নাই।

করের বোঝা কমানোর সংস্কার চেয়েছিলাম আমরা, ১০০ টিরও বেশি পণ্যে কর বাড়ানোর সংস্কার না। এ তো শুরু মাত্র।
✍️ আরজু আহমেদ

সম্ভাব্য সত্য

11 Jan, 16:08


আফিয়া সিদ্দিকীর জন্য দশ লাখ অনলাইন সিগনেচারের আবেদন করেছে তার আইনজীবী। সর্বশেষ তথ্যমতে এখনো প্রায় লাখের কাছাকাছি সিগনেচার বাকি আছে।

আমি অবাক হচ্ছি যে দুই বিলিয়ন মুসলিম বিশ্ব মাত্র দশ লাখ সিগনেচার দিতে পারছে না? দশ লাখ সংখ্যাটা তো খোদ বাংলাদেশ থেকেই পূরণ হতে পারতো। কিন্তু দুইদিনের প্রচেষ্টার পরও সিগনেচার জোগাড় হচ্ছে না। আচ্ছা লস এঞ্জেলস নিয়ে কান্না করা "মানবতা" আর "ইসলাম এমনটা শেখায় না ব্রো" প্রজন্ম সামান্য চেষ্টা করেছে আফিয়া সিদ্দিকীকে জানার? তার মুক্তির চেষ্টা করার? নাকি আমেরিকান নুন আর ভিসার তান্ডবে তাদের কমন সেন্স কাজ করে না?

এখন পর্যন্ত আমার দেখামতে সিগনেচার জোগাড়ে পরিশ্রম করা অধিকাংশ লোকই দ্বীনি ঘরনার। আমার রীতিমতো উপহাস করতে ইচ্ছে করছে। তারা সেক্যুলারিজম আর মানবতার গান গেয়ে সামান্য ইসলামের ছিটেফোটা পালন করে নিজেকে মুসলিম মনে করে। অথচ দিনশেষে ফান্ডামেন্টাল মুসলিম ছাড়া আর কেউই মুসলিমদের বিপদে এগিয়ে আসে না।

এটা দেখেও মানুষের বোঝা উচিত যে কোন পথে তাদের মুক্তি! কারা তাদের কল্যানের কথা চিন্তা করে!
সেক্যুলাররা নাকি ফান্ডামেন্টালিস্টরা! বাইনারি স্পষ্ট
✍️ Muhammad Tahmid

সম্ভাব্য সত্য

11 Jan, 13:06


বোন আফিয়া সিদ্দিকা

সম্ভাব্য সত্য

11 Jan, 09:55


যখন উমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর উপর হত্যার চেষ্টা করা হলো এবং তিনি গুরুতর আহত হলেন, তখন তার ক্ষত চিকিৎসার জন্য দুধ পান করানো হয়। কিন্তু সেই দুধ তার ক্ষত থেকে বের হয়ে আসতে লাগল। এ অবস্থায় চিকিৎসক বললেন, “হে আমিরুল মুমিনিন! আপনার জীবনসীমা শেষ হয়ে আসছে। আপনি কোনো ইচ্ছা বা ওসিয়ত করে নিন।”

উমর (রা.) তার ছেলে আব্দুল্লাহকে ডেকে বললেন,
“হুযাইফা ইবনে ইয়ামানকে আমার কাছে নিয়ে আসো।”

হুযাইফা (রা.) ছিলেন সেই সাহাবি, যাকে রাসুলুল্লাহ (সা.) মুনাফিকদের নাম জানিয়েছিলেন। এই গোপন বিষয় কেবল আল্লাহ, রাসুলুল্লাহ (সা.), এবং হুযাইফা (রা.)-এর জানা ছিল।

যখন হুযাইফা (রা.) এলেন, তখন উমর (রা.) রক্তক্ষরণ সত্ত্বেও তাকে বললেন,
“হে হুযাইফা! আমি তোমাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, রাসুলুল্লাহ (সা.) কি আমাকে মুনাফিকদের মধ্যে উল্লেখ করেছিলেন?”

হুযাইফা (রা.) চুপ করে থাকলেন এবং তার চোখ অশ্রুতে ভরে গেল। উমর (রা.) পুনরায় জোর দিয়ে বললেন,
“আল্লাহর কসম, আমাকে বলো, তিনি কি আমার নাম নিয়েছিলেন?”

হুযাইফা (রা.) কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
“আমি এই গোপন বিষয় কাউকে জানাতে পারি না। তবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করছি, রাসুলুল্লাহ (সা.) আপনার নাম মুনাফিকদের মধ্যে উল্লেখ করেননি।”

এ কথা শুনে উমর (রা.) তার ছেলে আব্দুল্লাহকে বললেন,
“এখন দুনিয়াতে আমার শুধু একটি ইচ্ছা বাকি আছে।”

আব্দুল্লাহ (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন,
“তা কী, আব্বা জান?”

উমর (রা.) বললেন,
“আয়েশা (রা.)-এর কাছে যাও এবং তাকে বলো, উমর ইবনে খাত্তাব সালাম পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাকে বলো না যে ‘আমিরুল মুমিনিন’ সালাম পাঠিয়েছেন, কারণ আজ আমি আর মুমিনদের আমির নই। তাকে বলো, উমর অনুরোধ করছেন যেন তাকে তার দুই সঙ্গীর (রাসুলুল্লাহ (সা.) এবং আবু বকর (রা.)) পাশে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।”

আব্দুল্লাহ (রা.) গেলেন এবং আয়েশা (রা.)-এর কাছে অনুমতি চাইলেন। তখন আয়েশা (রা.) কাঁদছিলেন। কিন্তু তিনি বললেন,
“আমি এই জায়গাটি আমার জন্য রাখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আজ আমি এটি উমরের জন্য উৎসর্গ করছি।”

আব্দুল্লাহ (রা.) খুশি মনে ফিরে এসে সংবাদটি জানালেন। কিন্তু উমর (রা.) তখনও মাটিতে মুখ রেখে ছিলেন। আব্দুল্লাহ তার মুখ নিজের হাঁটুর ওপর রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উমর (রা.) বললেন,
“আমার মুখ মাটিতে থাকতে দাও, যাতে আমি আমার রবের সামনে বিনীতভাবে হাজির হতে পারি। উমরের জন্য আফসোস, যদি তার রব তাকে ক্ষমা না করেন।”

উমর (রা.) তার ওসিয়ত করলেন,
“যখন আমার জানাজা হবে, তখন হুযাইফার প্রতি নজর রাখো। যদি তিনি আমার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন, তবে বুঝে নিও আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন। এরপর আমাকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কক্ষের দরজায় নিয়ে গিয়ে বলো, ‘হে মা! আপনার ছেলে উমর অনুমতি চাচ্ছে।’ যদি তিনি অনুমতি দেন, তাহলে আমাকে সেখানে দাফন করো। অন্যথায় আমাকে সাধারণ মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করো।”

অতঃপর যখন হুযাইফা (রা.) জানাজায় অংশগ্রহণ করলেন, তখন উমর (রা.)-কে আয়েশা (রা.)-এর কক্ষের দরজায় নিয়ে যাওয়া হলো এবং অনুমতি চাওয়া হলো। তিনি অনুমতি দিলেন। এভাবে উমর (রা.) তার দুই সঙ্গীর পাশে দাফন হলেন।

আল্লাহ উমর (রা.)-এর প্রতি দয়া করুন। যিনি জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত হয়েও আল্লাহর ভয়ে কাঁপতেন। কিন্তু আজ আমরা গাফলত ও নির্ভীকতায় জীবনযাপন করছি। আমরা আমাদের কাজের হিসাব করি না, আমাদের আখিরাতের কথাও ভাবি না।

اللهم احسن خاتمتنا ولا تقبض ارواحنا الا وانت راض عنا
হে আল্লাহ আমাদের শেষ পরিণতি টা সুন্দর করুন এবং আপনি আমাদের উপর সন্তুষ্ট না হয়ে আমাদের মৃত্যু দিয়েন না।
© Muhammad Solaiman

সম্ভাব্য সত্য

10 Jan, 14:56


ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া এক মেয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে ফিজিক্যাল করছে নিয়মিত।

এটা ঘটনা মোটামুটি ছড়িয়ে গেছে আশেপাশে সব জায়গায়। ১০০ হাত দূরেই থানা। কোনো পদক্ষেপ নেই৷

১০ কিলো দূরে থানা। এক এলাকায় বিয়ে হয়েছে। পুলিশ এসে তাৎক্ষণিক হানা দিয়েছে৷ অভিযুক্তদের জেল ও হয়েছে৷ আবার জরিমানা ও হয়েছে৷ অপরাধ হিসেবে বলা হয়েছে বাল্য বিবাহ৷

ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া মেয়েটার সাথে যা করছে তার বয়ফ্রেন্ড। সেইম সেই কাজটাই হতো বিবাহ নামে।

কিন্তু সেইম কাজ করলেও একটাতে কোনো একশন নেই। আরেকটা জেল জরিমানা৷

২ টা ঘটনা সেইম হলেও। ঐ ঘটনাটি ভয়ানক অপরাধ হিসাবে সাব্যস্ত হলো। অপরাধের সীমানা টা ছিলো যাস্ট কবুল বলা টা।
সেইম কাজটাই করবেন। একশন হবে না। একশন হবে দুইজন সাক্ষী সমেত কবুল বললে৷ বাকী জীবনের দায়িত্ব নেওয়ার সামাজিক চুক্তি করলে৷

পুলিশ,উপজেলা প্রশাসন,এনজিও কি জন্য "কবুল ও সামাজিক স্বীকৃতি " এর বিরুদ্ধে যু-দ্ধ ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে অবাধ জ্বিনা আর এবোরেশনের সহজলভ্যতা মিলিয়ন টাকা ব্যয় করছে৷

এমনকি অবাধ জ্বীনা ব্যভিচার নরমালাইজেশন করতে তারা পাঠ্য বইয়ে সে-ক্স এডুকেশন এড করছে৷

তারা শুধু আইন করেই ক্ষান্ত নয়৷ বিয়ে যেনো ১৮ পার হলে না করতে পারে৷ সেজন্য তারা সাজিয়েছে নারীর ক্যারিয়ার। আর সংসার ও দাম্পত্য কে নিষি'দ্ধ করতে জনপ্রিয় করেছে লিভ টুগেদার৷

যদি এমন হতো ১৮ এর পরেও বিয়ের হিড়িক পড়তো৷ তাহকে অনেকাংশে জ্বীনা ব্যভিচার রোধ হতো৷ কিন্তু না!
এমন ভাবে কথিত উচ্চ শিক্ষা আর ক্যারিয়ার বিলাসী দিয়ে নারীরদের সাইকোলজি দখল নিয়েছে৷

নারীরা প্রেম করবে৷ জ্বিনা করবে। বাচ্চা নষ্ট করবে৷ কিন্তু সামাজিক চুক্তি তে যাবে না৷ মাতৃত্ব নিবে না৷ স্বামীর অধীনস্থ হবে না। কারণ তার ক্যারিয়ার বিল্ড আপ হবে না৷

এক সেলেব বলেছেন- বিয়ের সামার্থ্য থাকলে বিয়ে করতে বলা হয়েছে৷ না থাকলে রোজা রাখতে বলা হয়েছে৷ ফেসবুকে পোস্ট দিতে ত বলা হয়নি৷ চিন্তা করা যায় এদের কাছে বিয়েটা যাস্ট তামাশা। বই বিক্রি টা খেদমত৷

কিন্তু এদের কে এটা কে বলবে। ছেলেরা সামার্থ্য থাকলে বিয়ে করবে৷ না থাকলে রোজা রাখবে মানলাম। অর্ধেক জনসংখ্যা নারী৷ তাহলে ভার্সিটিতে তারা ক্যান বিয়েহীন হয়ে পড়ে থাকবে। মেয়েদের তো সামার্থ্য ও রোজার প্রসঙ্গ নেই৷

তাহলে ফেসবুকে কী এই অধ:পতন নিয়ে সে কথা বলবে না। বিয়েটা ত নারী ও পুরুষের সমন্বয়ে। কিন্তু আমরা সেলিব্রিটিদের প্রতি এমন ভাবে ঝুঁকে পড়েছি। তারা শত শত সংকট এড়িয়ে গেলেও সমস্যা নেই। পোস্টে শ্রুতিমধুর ও মোটিবেশনাল হলে। আমরা ভাবী খেদমত হচ্ছে৷

কিন্তু এরা না সূক্ষ্ম ভাবে ভাবতে পারে৷ না কাউকে ভাবতে দেয়। নিজের অগভীর দুর্বল দূরদর্শিতা দিয়েই মহাজনের আসনে বসে জাতিকে গাইড করে।

আর জাতিও তাদের কে অক্ষরে অক্ষরে মানে। কারণ সে সেলিব্রিটি। তার রোডম্যাপ কখনো ভুল হতে পারে না।
✍️ আল-ইন্তিফাদা

সম্ভাব্য সত্য

10 Jan, 08:15


খুবই বিশেষ একটা ফিলিং শেয়ার করছি।
গাজার যুদ্ধ এক বছরের বেশী সময় ধরে চলছে। প্রথমে যেমন সারাদিন খোঁজ রাখা হতো, তারপর থেকে সেই সময় কমেছেই কেবল।

খেয়াল করলাম, যখনই গাজার খবর রাখা পুরোপুরি বাদ হয়ে যায়, তখনই পার্সোনাল লাইফে একটা প্রবলেমে পড়ি। কেমন যেন আমি গাজাকে ভুলে গেলাম তো আল্লাহও আমাকে ভুলে গেলেন।

এখন আর ওই সাহস করি না। যত ব্যস্ততাই থাক, গাজার মানুষ আর যোদ্ধাদের খবর রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এটা ভোলা উচিৎ হবে না, গাজার পরীক্ষাটা অ্যাকচুয়ালি আমাদের। গাজার মানুষ তো আগেই পাস করেছে।
✍️ Ahmad Khan

সম্ভাব্য সত্য

09 Jan, 19:18


🔥 অনুভূতি

সম্ভাব্য সত্য

09 Jan, 11:37


সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় চীন থেকে ড্রোন এনে লাইট শো করতে চায়। জুলাইয়ের আইকনিক ছবিগুলো থ্রি-ডি তে দেখাবে বলে। শুধু ড্রোনের খরচ ৫ লাখ ডলার অর্থাৎ ৬ কোটিরও বেশি টাকা।

চীন থেকে ১৭ জন লোকও আসবে ব্যাপারটা দেখভাল করতে। তাঁদের আসা যাওয়া, থাকার খায়খরচাও সরকারকে বহন করতে হবে। এই ড্রোনগুলো তাঁরা আবার চীনে ফেরত নিয়ে যাবে।

ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালের জন্য কনসার্ট টাইপ এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় খরচে এই আয়োজন করা হবে। পুরো প্রোগ্রামের খরচ এখনও নির্ধারিত হয় নাই। নিশ্চয়ই তা আরও বহুগুণে বেশি হবে।

এই খবর দেখলে নিশ্চয়ই মুজিব বর্ষের লেজার শো তামাশার কথা মনে পড়ে? আমরা কি তবে খোলস বদলের চক্করে আছি? অথচ দেখুন, আহতদের চিকিৎসা নিয়ে চারদিকে কত হাহাকার, কত কথা!

খোকন চন্দ্র বর্মণ নামের এক রিকশাচালক যার মুখে মাজল ঠেকিয়ে পুলিশ গুলি করেছিল তার ওপরের ঠোঁট, মাড়ি, নাক, তালু—এগুলোর এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই।

খোকন প্রথম আলোকে বলেছিল, 'আমার চেহারা দেখে এখন আমি নিজেই ভয় পাই। এর চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো ছিল। কষ্ট থেকে মুক্তি চাই। আর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না।

সরকার শুধু বলছে, আমাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাবে। বিদেশে পাঠাতে এত সময় লাগে? সরকার চাইলে আমাকে দ্রুত বিদেশে পাঠাতে পারে না?’

অথচ এই খোকনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ না পাঠিয়ে এখনও নানা রাজনৈতিক আয়োজনে নিয়ে বক্তৃতা করানো হয়। উপদেষ্টারা তার বক্তব্য আপলোড দেয়, অথচ কত কষ্টে সে একটা শব্দ উচ্চারণ করে।

তাঁর সাথে ছবি তুলে নয়া বন্দোবস্তের নেতারা তা ফেসবুকে প্রচার করেন। খোকনের যে-ই চেহারা খোকন নিজে দেখতে চান না, সে-ই চেহারা শো অফ করে অন্যেরা। সে তো চায় চিকিৎসা।

এত সব কিছুর বাইরে শুধু কনসার্ট থেকে কনসার্টে থাকে জুলাই। কেবলই উদযাপনে আর আনন্দ আয়োজনে।

✍️ আরজু আহমেদ

সম্ভাব্য সত্য

08 Jan, 16:48


⚠️ শিয়া প্রেমি গুলা কই?

সম্ভাব্য সত্য

08 Jan, 15:43


“রৌদ্রময়ী” পেইজ নিয়ে কথা বলার পর দেখলাম সেখানে একটা পোস্ট করা হয়েছে, যেটার কমেন্টে তারা বলতে চাচ্ছে তারা ইচ্ছাকৃত এসব পোস্ট করেনি, বা খেয়াল করেনি; তাদের ম্যাসেজ এটা ছিল না, ইত্যাদি। আসলেই কি তাই?

আমি স্পেসিফিক কন্টেন্ট সামনে রেখে পুরো পেইজের, প্যানেলের ব্যাপারে কথা বলেছিলাম। অর্থাৎ এরা যে মডারেট চিন্তা লালন করে এবং সূক্ষ্মভাবে ফেমিনিজম পুশ করে সেই বিষয়ে কথা বলেছিলাম। ওরা শুধরে গেলে ভালোই হতো, but sometimes peace is hardly an option.

আপনারা অনেকেই হয়তো আলোচনার পর পেইজ ঘুরতে গিয়েছিলেন, অনেকেই হয়তো কন্টেন্ট দেখে কোনো সমস্যা ধরতে পারেননি। এদিকে ওদের তাকিয়ার কারণে অনেকেই বুঝতে পারছেন না আমার দাবির সত্যতা কিংবা অবস্থানের যৌক্তিকতা কতটুকু। well, এজন্যই আল্লাহর নামে লেখাটা লেখার সিদ্ধান্ত নিলাম।

১. রৌদ্রময়ী পেইজের একটা গ্রুপ হচ্ছে “Sisters of Bangladesh”। এই গ্রুপে বোনদের বিভিন্ন ডিসকাশন হয়, রৌদ্রময়ীর আয়োজিত ওয়েবিনার, কোর্স নিয়েও হয়, কখনো গাইডলাইন দেওয়া হয়, কখনো মতামত চাওয়া হয়, ইত্যাদি। “রৌদ্রময়ী স্কুল” নামক শাখায় বোনদের বিভিন্ন বিষয়ের উপর কোর্স নেয়া হয়।
এই কোর্সগুলোর মধ্যে দুইজন ইনস্ট্রাক্টরের/মেন্টরের মেন্টালিটি কেমন, তারা কী প্রচার করে সেটা নিয়ে এই পর্যায়ে প্রমাণভিত্তিক আলোচনা করব।

১. ধরেন, আপনি তাদের একটা কোর্স করছেন। কোর্সের নাম “প্রোডাক্টিভ মুসলিমাহ”। এই কোর্স শুধু যে প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এমনটা না। আরো অনেক বিষয়বস্তু অপ্রাসঙ্গিকভাবেই টেনে আনা হবে সুক্ষ্মভাবে ফেমিনিজম ছড়ানোর জন্য। এই কোর্সের মেন্টর হচ্ছে “সেলিনা শিল্পী” নামের ভদ্রমহিলা।

এই ভদ্রমহিলার আকিদা কী, সে কীসে উৎসাহ দেয় Sisters of Bangladesh গ্রুপে, সেটা থাকবে [১] এবং [২] ছবিতে। হালাল-হারাম স্পষ্ট বলার পরেই নিজের অবস্থান সে নিজেই পরিষ্কার করেছে এবং আরেকজনকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছে। মেয়েদেরকে জুডিশিয়ারি প্র্যাকটিস করা এবং সহশিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত হওয়ার সবক দেওয়ার বিষয়টা পরিষ্কার দেখা যাবে এখানে। প্রোডাক্টিভ মুসলিমাহ হতে কোর্স করানো ইন্সট্রাক্টরের প্রোডাক্টিভ ভাষাও আপনারা এখানে দেখে নিতে পারেন।

এক বোন ইউনিভার্সিটিতে পড়া নিয়ে কনফিউজড হয়ে Sisters of Bangladesh গ্রুপে পোস্ট দেয়। সেই বোন বুঝছিলেন না পড়াশোনা এগোবেন কি না, কারণ তিনি শুনেছেন ভার্সিটিতে গেলে ভালো থাকার চান্স কম। সেই পোস্টে আপা কী কমেন্ট করেছেন সেটা দেখবেন [৩] ছবিতে। এই ভদ্রমহিলা (I know this word triggers them) কথায় কথায় misguide শব্দটা ইউজ করলেও কে misguided সেটা মোটামুটি বুঝতে পারবেন।

এবার আসি আরেকজন মেন্টরের কাছে। এই ভদ্রমহিলার নাম “সামসাদ জাহান”। ইনি ফিটনেস কোর্সের মেন্টর। ব্যক্তিগত জীবন সাইডে রেখে শুধু একটা কমেন্টের স্ক্রিনশট [৪] দিলেই মাইন্ডসেট বুঝে ফেলবেন ইনশাআল্লাহ।
ভার্সিটির মেয়েদেরকে গণহারে কেউ খারাপ বললে আমরা ডিফেন্ড করি। কিন্তু কেউ যখন মাদ্রাসার মেয়েদের সবাইকে উদ্দেশ্য করে সন্দেহের তীর ছোঁড়ে, সেক্যুলারদের পারপাস সার্ভ করে সে কতটা বিভ্রান্ত সেটা সহজেই বোঝা যায়।

২. এবার ওদের পেইজে চলে যান। অনলাইনে ব্যাপক পরিচিত হিজাবী ফেমিনিস্ট সাফওয়ানা জেরিনের কতগুলো কন্টেন্ট আছে দেখে আসুন।
সাফওয়ানা জেরিনকে নিয়ে কেউ না জানলে [৫] ছবিটা দেখুন।

৩. হামিদা মুবাশ্বেরা কীভাবে সহশিক্ষাকে হালাল ভাবে, মেয়েদেরকে সহশিক্ষায় যুক্ত হওয়ার জন্য ব্রেইনওয়াশ করে সেটা নিয়ে একটা সিরিজ লিখেছিলাম। (লিংক কমেন্টে)

এই হামিদা মুবাশ্বেরা রৌদ্রময়ীর ওয়েবিনারগুলোতে নিয়মিতই স্পিকার হিসেবে আসে[৬]। ওই সিরিজে হামিদা মুবাশ্বেরার যে লেখাটাকে রিফিউট করেছি এবং যে লেখায় বিভ্রান্ত হয়েছে অনেক বোন সেটাও Sisters of Bangladesh গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছিল। লেখার নাম, “দুনিয়াবী শিক্ষাকে ইবাদতে পরিণত করুন”[৭]।

মোটামুটি মডারেট মহিলাদের মিলনমেলা, মতবাদ প্রচারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই পেইজ কাজ করে বলা যায়। এসব গ্রুপ বলেন, সেমিনার বলেন, ওয়েবিনার বলেন, চ্যানেল বলেন সেগুলোতে এমন ভাব করা হয় যেন এখানে গুপ্তধন থাকে। ওরা যা প্রচার করে সেটা প্রচার করা যাবে, কিন্তু তারা প্রচার করে এটা বলা যাবে না। কেন? কারণ এগুলো নাকি “আমানত”।

ব্রেইনওয়াশিং প্রজেক্টগুলো মূলত এভাবেই আড়ালে থেকে মডারেট ফিতনা প্রচার করে, যেটা বোনরা একটু আকল খরচ করলেই বন্ধ হয়ে যেতে পারত।

আরো অনেক তথ্য-প্রমাণ আছে শুধু যেগুলো শুধু গেস্ট কিংবা গ্রুপের জিনিস এরকম না। পেইজ যারা পরিচালনা করে তাদের আদর্শ, মতবাদ কেমন সেটাও প্রমাণসহ আলোচনা করা যাবে যদি প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপাতত এগুলোই যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ। আমি জাজমেন্ট পাস করব না, এসব জিনিস দেখার পর পেইজে ঢুকে কয়েকটা পোস্ট পড়বেন। কত সুক্ষ্মভাবে ইন্সটিটিউশনাল প্রাইড, সহশিক্ষা, কমফোর্ট জোনের দ্বীন শেখানো হয় সেটা নিজেরাই এখন ধরতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
✍️ Mayraj Hossain ভাই

সম্ভাব্য সত্য

08 Jan, 11:00


সুদ যদি ক্ষতিকর হয় আমরা সমাজে এতো অর্থনৈতিক উন্নতি দেখি কেনো?

একবার চিন্তা করুন, একশটি জোঁক আপনার শরীরে লাগিয়ে যদি বলেন জোঁক শরীরের অংশ, তাহলে অবশ্যই উন্নতি দেখবেন যে জোঁকগুলো ফুলে ফেপে উঠছে। এখন তারা আপনাকে বলবে আরও বেশী কাজ কর। আরও বেশী খাও। আপনি দেখলেন বেশী না খেলে শরীরে শক্তি পান না। তাই আপনি হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম শুরু করলেন। প্রচুর খেলেন। সাথে সাথে জোঁকেরা বলে উঠলো দেখ আমি তোমার ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। আমি তোমার শরীর ছেয়ে ফেলার পরে তুমি আগের চেয়ে বেশী আয় করছো আগের চেয়ে বেশী ভোগ (খাওয়া দাওয়া) করছো। আমরা যতো বড় হয়ে উঠছি তুমি তত বেশী ভোগ করছো। তার মানে আমাদের উন্নতি হচ্ছে তোমার উন্নতি। আমরা আসার আগে কি এই উন্নয়ন চোখে দেখেছো? আরও খাটো, আরও কাজ কর। নয়তো মারা যাবে। রক্ত না দিলে আমরা তোমাকে মেরে ফেলবো। আর সমাজের সবাইকে বলবো তুমি রোগা দেখে মারা গেছ (দেউলিয়া)। সমাজের যারা আমাদের সবচেয়ে পেট পুরে রক্ত দিতে পারে তাদেরকে আমরা পুরস্কার দিব। সবাই তাদের সম্মান করবে। তাকিয়ে দেখো - আমরা তোমার উন্নয়নের সাথী। আমরা আসার আগে কি এতো টাকা, এতো খাওয়া এবং এতো কাজ চোখে দেখেছ?

আপনি নিজেও তখন কথাগুলো বিশ্বাস করেন। ভয়ে কোন প্রতিবাদও করেন না। কারণ অবাধ্য হলেই আপনাকে খেয়ে ফেলবে। ইতিমধ্যে রক্ত চুষে আপনাকে দুর্বল বানিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিবাদ করার শক্তিটুকুনও নাই। রাত গাধার মতন কেবল খাটছেন আর খাটছেন। নিজেও জানেন না কেনো? মনে মনে হয়তো ভাবছেন নিজের জন্যই খাটছেন। কিন্তু আপনি আসলে খাটছেন জোঁক গুলোর জন্য।
✍️ #Mohaimin_Patwary

সম্ভাব্য সত্য

08 Jan, 10:05


[১]
ড্যানিয়েল হাকিক্বাতজুর এর একটা ভিডিও দেখতেছিলাম,সেখানে তিনি ফেমিনিজম সম্পর্কিত বিষয়গুলো বলার সঙ্গে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরছেন।

তিনি বলেন, আজকের দিনের নিওলিবারেল সেক্যুলার ব্রেইন ওয়াশিং করা হচ্ছে সেটা কিভাবে?

সেটা এভাবে যে, Feminism মুসলিম মহিলাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত দুইটা জিনিস ঢুকিয়ে দিচ্ছে ❝দুশ্চিন্তা❞ আর ❝ভয়❞। এই দুইটা পয়েন্ট আসলে গুরুত্বপূর্ণ।

Feminism এর আইডিওলজি তে খেয়াল করবেন এই দুইটা উপাদান বিদ্যমান।

যারা একটু বেশি ই ফেমিনিজম এর প্রতি ঝুঁকে যায় তারা বলে আমরা চাকরি করে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করবো।
আবার যারা একটু ইসলামিক সাইডটা বুঝে,তারা বলে

আমার স্বামীর সাহায্যের জন্য চাকরি করতে চাই। যদি আমার স্বামী মারা যায় আমি কি করবো?

[২]
সবগুলোর মধ্যেই দেখবেন একটা ভয় আর দুশ্চিন্তা কাজ করছে,তার প্রতিউত্তর হিসেবে তারা এগুলো বলে। কারণ তারা মনে করে তাদের Dignity চাকরির সাথে সম্পর্কিত। ১৯৬০ সালের দিকে যেই চিন্তা কাঠামো গড়ে উঠছিলো সেই চিন্তা কাঠামো কে নিওলিবারেল সেক্যুলার অর্ডার Accelerate করছে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে।

আর এই চিন্তাগুলোকে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করছে NGO গুলি।তারা মানুষের সাথে একটা দীর্ঘ সময় মিশে তাদের চিন্তার কাঠামো বদলে দেয়।একটা গ্রামীণ মহিলা কিংবা পুরুষকে অধিক টাকার লোভ দেখানোর মাধ্যমে আস্তে আস্তে তাদেরকে ক্যাপিটালিস্টদের স্লেইভ হওয়ার প্রতি আশ্বস্ত করে তোলে। এতে দেখা যায় আস্তে আস্তে গ্রামীণ মানুষেরা তাদেরকে বিনা হিসেবেই উপকারী বন্ধু হিসেবে ভাবতে শুরু করে। তখন গিয়ে তারা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন সফল করে।

[৩]
একজন মহিলাকে জব সেক্টরে অন্য পুরুষ কর্তৃক
মো লে স্টেড,রে@পd হতে পারেনা? তখন dignity এর প্রশ্ন কি আসেনা?

আরেকটা ব্যাপার হলো তাদের মধ্যে অপরাধ স্বীকার এর মানসিকতা কম,ক্ষেত্রবিশেষে তারা পুরুষদের উপর সেই দোষ চাপিয়ে দিয়ে নিজেদেরকে দায় মুক্তির একটা অলীক কল্পনায় বিভ্রান্ত থাকে। কিন্তু তারা ভাবেনা প্রত্যেকটা মুদ্রার অপর একটা পিঠ ও থাকে।

প্রশ্ন হলো এই আইডিয়াগুলো কিভাবে কাজ করে? (এটা নিয়ে বিস্তারিত আরেকটা পোস্ট এ লিখছিলাম,কমেন্ট থেকে পড়ে নিবেন)

[৪]
আর সর্বশেষ প্রশ্ন যেটা দাঁড়ায় এসবের অবসান হবে কি আদৌ?

পুলিৎজার পুরস্কার প্রাপ্ত জার্নালিস্ট Chris Hedges কর্পোরেট রাজত্বের এই ডিক্টেটরশিপ কে হাইলাইট করে তাঁর Death of The liberal Class বই এ তুলে ধরেছেন তাদের এই রাজত্ব এখন পতনের দিকে ঝুঁকছে।

সুতরাং মুসলিম মহিলাদের মডার্নিজম কে বিশ্বাস এর বদলে বরং তাদের ই পাল্টা প্রশ্ন করা উচিত, is this correct in the eye of islam or I'm pleasing my nafs?

আল্লাহ এর উপর ভরসার বদলে এই দুশ্চিন্তা আর ভয় কি ভালো ফল বয়ে আনবে কিনা? এতে কি একটা সংসার সুন্দরভাবে টিকে থাকবে?
✍️ Ibtihaz Tahsin

সম্ভাব্য সত্য

08 Jan, 09:39


🔥 একবাক্যে ধুয়ে দিছে:

সম্ভাব্য সত্য

08 Jan, 06:51


আমি কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র হিসেবে আপনাদের দুইটা কনসেপ্টের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি, একটা হল - হার্ডওয়্যার সলিউশন (HS), আরেকটা হল সফটওয়্যার সলিউশন (SS). নাম দেখেই রিলেট করতে পারার কথা যে, এগুলো দিয়ে কি বুঝায়। যেমন কোন একটা সমস্যা সমাধানের জন্য বা ফিচারের সফটওয়্যার দিয়েই কি করে ফেলা সম্ভব, নাকি ডেডিকেটেড হার্ডওয়্যার চেইঞ্জ বা এক্সটেন্ড করা লাগবে। নাকি দুইভাবেই পসিবল। পসিবল হলে দীর্ঘমেয়াদের কোনটা ভালো, কিংবা ইমিডিয়েট রেসপন্স হিসেবে কোনটার খরচ কম। এসব হিসাব করে কোম্পানিগুলো কিন্তু তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট করে থাকে।

আমরা যদি আমাদের মধ্যে থাকা এই নষ্ট সিস্টেম, সেটা হতে পারে রাষ্ট্র, কিংবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান সেগুলোর দিকে তাকাই - তখন এই কনসেপ্ট দুইটা প্রয়োগ করতে পারি। এর জন্য আসলে প্রথমে সমস্যাটা কি সেটা বুঝতে হবে। দেখতে হবে যে কাঠামোটা ঠিক আছে কিনা। কাঠামো ঠিক আছে কিন্তু কাঠামোর পলিসিতে সমস্যা। তাহলে পলিসি ঠিক করলেই হয়ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে। এটাকে সফটওয়্যার সলিউশন বলতে পারি। সংস্কার বলতে পারি। কিন্তু দেখা গেলো যে, কাঠামোই ঠিক নেই। যেখানে পলিসি পরিবর্তন করলেও মূল সমস্যাটা থেকে যাচ্ছে, তাহলে তো কাঠামোকে পরিবর্তন করতে হবে, হার্ডওয়্যার সলিউশনে যেতে হবে।

এখন সমস্যা হল যে, হার্ডওয়্যার সলিউশন সব সময় ফিজিবল নাও হতে পারে, খরচ বেশী হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদের সফল হতে হলে হার্ডওয়্যার সলিউশনই দরকার, নতুবা সিস্টেম সাস্টেইন করবে না। অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব করতে হবে। হার্ডওয়্যার লেভেলে প্রোটেক্টিভ মেজার থাকতে হবে যেন সিস্টেম কম্প্রোমাইজড না হয়। কিন্তু স্বল্প মেয়াদে আমরা কিছু সফটওয়্যার সলিউশনের দিকে যেতে পারি। যেমন আমরা উইন্ডোজকে বলতে পারি, লিনাক্সের অথবা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসগুলো রান করানোর জন্য অন্তত সুযোগ করে দাও। কিন্তু এটাতে সন্তুষ্ট হয়ে গেছেন তো আপনি মরছেন। জীবনেও আর উন্ডোজ সরিয়ে সেখানে লিনাক্সের কোন ডিসট্রিবিউশন ইন্সটল দেয়া হবে না। আপনাকে উইন্ডোজের কাছে সবসময় ধরা থাকতে হবে।

স্বল্প মেয়াদি কমফোর্টে সন্তুষ্ট হয়ে গেলে সেটাকেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত মনে করতে থাকলে শেষ পর্যন্ত আপনারা দীর্ঘ মেয়াদি সাফল্য অর্জনের ব্যর্থ হবেন। এজন্য ডাইনামিক অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করতে হবে। তাই স্বল্প মেয়াদি প্রতিকারের পাশাপাশি আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি প্রতিরোধের বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে, বারবার সেগুলোর চর্চা সামনে আনতে হবে। নতুবা আমরা ক্লান্তি কিংবা কমফোর্টের কারণে তা ভুলে যেতে পারি।

সিস্টেমের ভিতর ঢুকে সিস্টেম চেইঞ্জ করতে গেলে আমাদের এই কথাটা মাথায় রাখতে হবে যে, আমরা কি সিস্টেমটা আপডেট-আপগ্রেড, এফিশিয়েন্ট করতে যাচ্ছি, আমরা কি বাগ ফিক্স করতে যাচ্ছি নাকি আমরা সিস্টেমটার কাঠামো পাল্টে ফেলে নতুন ধরণের কাঠামো তথা নতুন সিস্টেম ইনস্টল করতে চাচ্ছি। এই উত্তর স্পস্ট না করলে কাজের কাজ শেষ পর্যন্ত হবে না। অর্থাৎ হার্ডওয়্যার সলিউশনের পরেও সফটওয়্যার লেভলেই আরো কত ধরণের লেভেল আছে। আসলেই কমপ্লিকেটেড!!
✍️ Bearded Bengali

সম্ভাব্য সত্য

08 Jan, 02:46


কিছু বিশ্লেষন...

সম্ভাব্য সত্য

07 Jan, 12:15


সারা দুনিয়ার মাংসের চিত্র,
দাম
র‍্যাংক,
পারচেজ পাওয়ার,
গড়ে একজন কত কেজি খান ।

সবচে বেশি দাম সুইজারল্যান্ডে -
৫৯০০ টাকা কেজি, কিন্তু এই দাম হলেও তাদের উপার্জন বেশি হবার কারনে একজন সুইস নাগরিক বছরে ৬৬ কেজি মাংস খান ।

এই চার্টে সবচে কম পাকিস্তানের - ২৫৫ টাকা কেজি, গড়ে তারা খায় ১৮ কেজি ।

আর্জেন্টিনায় দাম - ৩৮৩ টাকা কেজি,
পারচেজ পাওয়ার ৩০ কিন্তু তারাও বছরে ১১০ কেজি মাংশ খায় ।

সবচে বেশি - এই চার্টে খায় ১৩৬ কেজি মাংস, হংকং এ, প্রতি কেজি মাংস ১১৬০-

আমরা বাংলাদেশিরা - পারচেজ পাওয়ার সবচে কম, মাংস খাইও সবচে কম - বছরে ৪ কেজি মাত্র ।

দুনিয়ায় সবচে কম মাংস খায় বুরুন্ডীতে ৩ কেজি গড়ে,
শেষের দিক থেকে আমরা ৩য় নাম্বারে আছি
বুরুন্ডি ৩ কেজি
কংগো ৩.২৫
বাংলাদেশ ৪.৩২ কেজি

//.\\

আমাদের দেশে দরকার ডুয়াল পারপাস গরু, অর্থাৎ এক্সে গরু দুধ বেশি দেবে যদি বকনা হয়,
আর যদি ষাড় হয় তাহলে যেন মাংস উতপাদনের জন্যও সেটা ভাল হয়।

সেই হিসেবে, আমাদের দেশের জন্য জার্সি, ফ্রিজিয়ান এসব গরু আমাদের দেশে আছে।

কিন্তু এই গরুগুলো আনার সময়ে আমাদের অতি জ্ঞানী প্রানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বিবেচনায় আনে নাই যে, a1 milk এর প্রোটিন আমাদের এই ট্রপিকাল দেশের মানুষের জন্য উপকারি না।
যেমন ভাবে সয়াবিন যেসব ট্রপিক্যাল দেশে শুরু করেছিল অন্য স্থানীয় ভোজ্য তেল বাদ দিয়ে সেখানে পরের ১০ বছ্রে ডায়াবেটিস বেড়েছে ৬৪%

আমাদের জন্য দরকার ছিল জেবু জাতের গরুর জাত উন্নয়ন a1 দুধের জন্য যা আমাদের আবহাওয়ার মানুষের জন্য অধিক পুস্টিকর।
জেবু জাত মানের যেসব গরুতে চুট আছে।

ব্রাহমা, শাহীওয়াল, সিন্ধি, বোরান এসব গরু দুধ দেয় মাঝারি মানের, ষাড় গরুও আমাদের আবহাওয়ায় উপযোগী।

২০০১ এ গীর জাতের গরু আনার কথায় আমলারা যুক্তি দিয়েছিল - আমাদের স্থানীয় জাত এতে নস্ট হবে।
তা হয়েছে বটে, ইনব্রিডিং মিলিয়ে, ইনব্রিডিং করে আমাদের জন্য মন্দের ভাল ফ্রিজিয়ান জাতের ধ্বংস করা হয়েছে।

২০০১ এই, কেনিয়া গীর জাতের গরু আমদানি করে, লোকাল ব্রিডকে জাত উন্নয়ন করে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে এখন দুগ্ধজাত পন্য রফতানি করছে।
সেদিন পড়লাম ব্রাজিলে একটা গীর রেকর্ড ১২৭ লিটার দুধ দেয়।
ফ্রিজিয়ান ত আছেই....

আমরা, আগায় না একই সময়ে, পিছিয়েছি৷

//.\\

১৯৮১ সালে অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা থেকে জিম্বাবুয়ে হয়ে বোয়ার জাতের ছাগলের ভ্রুণ স্মাগলিং করে নিয়ে যায়।

এটাকে অস্ট্রেলিয়ার লোকাল কিকো জাতের ছাগলের সাথে ক্রস করে তারা ছাগলের জাত উন্নত করে। তাদের এই নতুন ছাগলের ক্রস জাতের উদ্ভাবনের কারনে, বর্তমানে তারা দুনিয়ায় সবচে বড় ছাগল রফতানি করা দেশ।

১৯৯৫ সালে, আমেরিকায় একটা বোয়ার জাতের লাইসেন্স করা পাঠার দাম উঠেছিল ১ লাখ ডলার।

ছাগল বা গরুর ক্ষেত্রে আ্যসট্রাস সিনক্রোনাইজেশন নামের একটা টার্মস আছে,
মানে হল - একই সময়ে খামারের সকল ছাগল বা গরুকে হিটে নিয়ে এসে বীজ দেয়া। ছাগলের ক্ষেত্রে এভাবে ৩০% থেকে ক্রিত্রিম প্রজনন এর সফলতা ৬৭% এ নেয়া সম্ভব হয়েছিল। এভাবে সময়, অর্থ সবই অপচয়রোধ করে দ্রুতভাবে জাত উন্নয়ন করেছে তারা।

আমাদের দেশের,
ভাল জাত নাই,
জাত থাকলেও প্রজনন কর্মীরা জাত উন্নয়ন বোঝে না।

আমরা ত জয় বাংলার লোক!
© Mujahidul Islam Jahid

সম্ভাব্য সত্য

07 Jan, 10:04


'মাওলানা' ভাসানী

সূত্র: মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি
✍️ সৈয়দ আবুল মকসুদ।

সম্ভাব্য সত্য

07 Jan, 03:22


৭৫ এর ১৫-ই অগাস্টের মূল মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ফারুক রাহমান। ধানমন্ডি ৩২ এর অপারেশনের মেটিকুলাস প্ল্যানিং থেকে শুরু করে অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ফার্স্ট বেঙ্গল ল্যান্সারের হান্টার-কিলার টীম - ফারুকের কৃতিত্ব। এমনকি অপারেশনের সাইটের রেকি-ও ফারুক নিজে করেছিলেন।
.
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ইনডেমনিটি অ্যাক্ট বাতিল করে। ১৫-ই অগাস্টের অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে দায়ের করে মামলা। লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারুক গ্রেফতার হন ১৯৯৬ এর অগাস্টে। তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয় আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর, ২০১০ এর জানুয়ারিতে।
.
এটুকু মোটামুটি সরল হিসাব মনে হয়। সমস্যা হল ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল না। ছিল বিএনপি-র নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার।
.
যেভাবে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, কিংবা ২১শে অগাস্টের মামলা থেকে বিএনপি-র বড় বড় নেতারা এখন খালাস পাচ্ছেন, চারদলীয় জোটের শাসনামলে সেভাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারুকরা মুক্তি পাননি কিন্তু। এ পুরো পাঁচ বছরে মামলার গতি কিছুটা কমে আসার বাইরে আর তেমন কিছুই হয়নি।
.
ভালো কথা, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স খন্দকার মোশতাক জারি করলেও, এটা সংসদে অনুমোদন পেয়ে সংবিধানে যুক্ত হয় ১৯৭৯ সালে, প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাসনামলে।
.
১৫-ই অগাস্ট কি অপরাধ নাকি জাতির কল্যানের জন্য কাঙ্ক্ষিত অভ্যুত্থান - এই প্রশ্নের মীমাংসা জরুরী। এটা আসলে বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে একটা প্যারাডাইম শিফটিং প্রশ্ন।
.
আর বাস্তবতা হল অন্তত ১৯৯৫ এর পর বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনৈতিক শক্তিরা এ প্রশ্নে আওয়ামী লীগের অবস্থানের অনুসরণ করেছে। লীগ বয়ান তৈরি করেছে, বাকিরা রাজি কিংবা নিমরাজি হয়ে ফলো করেছে। আর এভাবেই লীগ জেতে। এভাবেই লীগ ফিরে আসে।
.
ডিসাইসিভ, এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়ার মানুষ এমনিতেই কম হয়। বিশেষ করে আমাদের সমাজে। আর এধরণের মানুষের সংখ্যা আরও কমে যায় অক্ষম সেন্ট্রিসমের কারণে।
✍️ আসিফ আদনান ভাই

সম্ভাব্য সত্য

07 Jan, 01:57


অনেক বিষয় আমি পক্ষে বা বিপক্ষে, তবে সিস্টেমের কারণে অনেক সময় তা পালন করা সম্ভব হয় না। যেমন:

আমি টিকার বিপক্ষে (বদলে তাওয়াক্কুল, দুয়া, হেফাজতের আমল, রুকইয়াহ ও লাইফস্টাইল সুন্নাহ ভিত্তিক এর পক্ষে)৷ কিন্তু আমার বাচ্চার সব টিকা নেওয়া হয়েছে, কারণ একজন বাবা একা একটি বাচ্চার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। একটা বাচ্চার ব্যাপারে নেওয়া সিদ্ধান্ত গুলো অনেকেই প্রভাবিত করেন, এবং অনেক ইসলামপন্থী ডাক্তার বা সেলিব্রিটি লেখক লেখিকা টিকার পক্ষে থাকেন। আমার যুক্তি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

হোম স্কুলিং আমি প্রমোট করে এসেছি কিন্তু এই যুগে, বিশেষত বাংলাদেশের মত জায়গায় হোম স্কুলিং এর থেকেও কমিউনিটি স্কুলিং জরুরী। কারণ কন্যা শিশুর বেড়ে উঠার জন্য সামাজিকরণের শিক্ষা জরুরী। মিশতে শেখা, পরিচিত হতে শেখা, পরস্পরের কষ্ট দেখা অনুভব করা ইত্যাদি। এজন্য আমি নিজেদের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট করছি৷

আমি ব্যাংক লেনদেনের বিপক্ষে, কিন্তু আমার ৬ টি বিজনেস একাউন্ট ও ২ টি পার্সনাল একাউন্ট আছে। বিকাশও বয়কট করিনি কারণ এগুলো বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ওভাবে চিন্তা করলেও নগদ, রকেট এবং সুদের সাথে জড়িত। গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের কাছে বিকাশ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। তাই বিকাশ বয়কট আমার জন্য সম্ভব নয়। কেউ এগুলো বয়কট করলেও তা আমার কাছে বাস্তব সম্মত লাগে না।

আবার, যদি মুসলিম উদ্যোক্তাকে বলি যে তেল-মধু বিক্রি বাদ দিয়ে পেপ্যালের মতো ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেম তৈরি করো, তবে অনেকেই ভাববে পুঁজিবাদ শেখাচ্ছি। তাদের ভাষ্যে - কোন রকম বাঁচো, দুনিয়া পার করে দাও, প্রজন্মের জন্য এমন যেন কিছুই না করে যাও যে তারা ফিতনা থেকে বেঁচে থাকতে পারে।

আমি কখনো প্রশাসন, আর্মি বা পুলিশের সাহায্য নিতে পছন্দ করি না। কোন ব্যাপারেই আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কারোর সাহায্য নিতে আমি ইচ্ছুক না। তবে যুগের বাস্তবতা এমন যে, না চাইলেও কখনো কখনো প্রশাসনের ইসলামপন্থী ভাইদের সাহায্য নিতে হয়। কারণ খারাপ মানুষ যখন ডিল করা লাগে, খারাপ মানুষ গুলো আল্লাহকে ভয় না করে, প্রশাসনকে ভয় পায়।

আমি একাধিক পরিবার গঠন ও অনেক সন্তান-সন্ততি নেবার পক্ষে। এই যুগে, অন্তত বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি কোন রকম সম্ভব হলেও প্রথমটি প্রায় অসম্ভব।

আমি হাই ক্যারিয়ারিস্টদের পছন্দ করি না, এভেন সে ছেলে হলেও। কারণ আমার অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, উচ্চশিক্ষিত এবং ক্যারিয়ারিস্টদের মধ্যে ঈমান ও তাওয়াক্কুলের কিছুটা অভাব থাকে। তারা দুনিয়া নিয়ে চিন্তা করে সেক্যুলারদের মত, তাদের চিন্তা ধারার মধ্যে "যদি" থাকে, কিন্তু রিজিক নির্ধারিত, তাওয়াক্কুলের মত ইসলামিক ধারণাগুলো তাদের মাঝে কাজ করে না।তারা ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা করে, ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়পত্র করে। যুগের দোহাই দেয়। বাচ্চাদের লেখাপড়া করতে দেশের বাইরে পাঠায় ইত্যাদি। হ্যা আমার Sampling Error থাকতে পারে৷

আমি নারীদের উচ্চশিক্ষা অপ্রয়োজন মনে করি। আল্লাহ তায়ালা নারীকে পুরুষদের সুকুনের উৎস হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, একাকীত্ব দূর করতে এবং ভবিষ্যত উম্মাহ প্রজন্ম গঠনে সহায়তা করতে।

হজরত আদম আঃ জান্নাতে হাজার নেয়ামতের মধ্যেও 'একটা কিছু নেই' অনুভব করতেন, তখন সংগিনী সৃষ্টি করেন আল্লাহ্‌ তায়ালা। তিনি বলেছেনও যে সংগিনী আমাদের মধ্যে থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে যাতা আমরা সুকুন লাভ করতে পারি। যদিও এখন সংগিনী অনেক ক্ষেত্রেই সুকুন নষ্টের কারণ হয়ে গেছে।

নারী একটি নেয়ামত, এবং পুরুষ এই নেয়ামতের যত্ন নেবেন।

বিয়েকে ইবাদাত মনে করি, এর বেশি কিছু না৷ বিয়ে দুনিয়ার ও পরকালের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ কিন্তু বিয়েই একমাত্র দুনিয়া বা পরকাল নয়৷

আমি চৌদ্দশত পঞ্চাশ বছর আগের জীবনযাত্রা পছন্দ করি, কিন্তু এটি সম্ভব নয় এককভাবে। ইসলামিক পরিবেশ দরকার, অন্তত ইসলামিক পরিবার দরকার যেখানে একে অপরকে সহায়তা করা যায়। পরিবেশের অভাবে আমি আমার নিজস্ব চিন্তার অনুসরণ করতে পারি না। এটি আমার ব্যর্থতা এবং কম ঈমানের পরিচায়ক, তবে আমি আমার চিন্তা ধারার সাথে আপোস করিনি।

আমি এই কুফরি বাক্য বিশ্বাস করি না যে "বর্তমান যুগে পুরোপুরি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী চলা সম্ভব নয়"

বরং, আমি বিশ্বাস করি যে, যিনি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী চলতে চান, আল্লাহ তাকে সেই পথ সহজ করে দেন।

আমি বিশ্বাস করি তাওয়াক্কুল ও আমলে৷ শত্রু মোকাবেলায় অস্ত্র বা যুদ্ধের টেকনিকের থেকেও আমার কাছে বেশি গুরুত্বের তাওয়াক্কুল ও সুন্নাহ সময় শত্রুর ব্যাপারে বদদোয়া৷

আবার হ্যাঁ, যেই ব্যাপারে আমি অনিচ্ছা সত্বেও সিস্টেম এর স্বীকার এবং আমি মাজলুম সেসব ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বাড়াবাড়ি পছন্দ করি না। যেমন: কেউ প্রয়োজনেও ব্যাংক একাউন্ট খুলতে না চাইলে, সহ ইত্যাদি৷

(সব একাউন্টে সুদ আসে না৷ এবং শুধুমাত্র লেনদেনের উদ্দেশ্যে একাউন্ট খোলা এবং তাদের কার্ড বা অন্যান্য সার্ভিস ব্যবহারের কারণে সার্ভিস ফীস দেওয়াটার ব্যাপারেও কোন আলেমই ইখতেলাফ করেন নি)
✍️ #Shah_Mohammad_Tonmoy

সম্ভাব্য সত্য

07 Jan, 01:34


সারাদিন আল্লাহর অবাধ্যতায় কাটিয়ে
সারারাত ধরে মৃত অন্তরটা নিয়ে হতাশার সাগরে ডুব দেয়াটাই রুটিন হয়ে গেছে তাই না?

এভাবে ডুবতে ডুবতে অতল গহ্বরে নিজেকে ফেলে দেবেন? একটামাত্র জীবন এভাবে নষ্ট করবেন? সাঁতার তো জানেন, ফিরে আসার রাস্তাটাও চেনা। তবে চেষ্টা কেন করছেন না?

বিশ্বাস করেন, মরার আগে অন্তরকে মেরে ফেলার মাঝে কোনো সার্থকতা নেই। আপনার প্রস্থানে সবাই যদি আপনাকে ভুলেও যায় তবুও আপনি চিরতরে মুছবেন না। আপনার মূল্য নাহয় কেউ বোঝে না, যিনি আপনার যথাযথ মূল্যায়ন করেছেন, তাঁর প্রতিদানে শূন্য হাতে ফিরে গেলে ঠিকই অনুতপ্ত হবেন। তখন? ফিরে তো আসতে পারবেন না!

যে নেয়ামত পেয়েছেন, যা কিছু ছিল আমানত সবকিছুই তো নিজ হাতে নষ্ট করেছেন। একটু ভাবুন তো, যে জার্নির জন্য রূহটা বেরিয়ে যাবে, তাতে কে সাথে থাকবে? কার জন্য আলো ছেড়ে অন্ধকারে যাচ্ছেন? কার জন্য বার বার হেরে যাচ্ছেন?
যে সম্পর্কটা চিরস্থায়ী, সেটার একটু যত্ন নিন।
রবের ডাকে একটাবার সাড়া দিন!
ফিরিয়ে নেয়ার আগে নাহয় নিজেই ফিরে আসুন।
✍️ মেরাজ ভাই

সম্ভাব্য সত্য

06 Jan, 05:34


😐

সম্ভাব্য সত্য

05 Jan, 14:06


গত সপ্তাহে একটা রিপোর্ট দেখলাম - ক্যান্সার রোগীদের ৬০% সরাসরি কৃষি কাজের সাথে যুক্ত ।

কেন চাষীদের ক্যান্সার হচ্ছে ?
কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়ে ।

আমাদের দেশে কৃষির যে উন্নতি - এটা আসে ভারতের পাঞ্জাব থেকে । দুনিয়ায় কৃষি কাজে সবচে আধুনিক কাজগুলো হয় ইস**রাইলে ।
ভারতের সাথে তাদের খুবই অঙ্গরংঙ্গ সম্পর্কের কারনে দুনিয়ার যেকোন আধুনিক টেকনোলজি দ্রুত ভারতে আসে । ভারতের কৃষিতে পাঞ্জাবিরা সবচে আধুনিক, তারা দ্রুত এটা গ্রহন করে ।

বর্তমানে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা থীক রাজস্থানে সপ্তাহে একটা ট্রেন যায় যার নাম ক্যান্সার ট্রেন - এই ট্রেন পাঞ্জাব থেকে রাজস্থানে যায় ক্যান্সার হসপিটালে । পাঞ্জাবকে ভারতের ক্যান্সারের রাজধানী বলা হয় ।
কারন কি ?

কীটনাশক, ফসলে যে কীটনাশক দেয়া হয় সেটার কারনে ।

পাঞ্জাবে যে টেকনোলজি আসে - সেটা বাংলাদেশে আসতে ১৫ বছর সময় লাগে, বর্তমানে ইন্টারনেট এর কল্যানে সেটা আরো দ্রুতই আসে ।

৫ বছর আগে আমাদের ক্যান্সার রোগীদের ৩৪% ছিল চাষীরা, ৫ বছরের মাঝে এটা অফিসিয়ালি ৬০% হয়ে গেছে ।
সব চাষী কি আর টের পায় যে সে ক্যান্সার এ আক্রান্ত ?

তাহলে আনঅফিসিয়ালি এটা কত % ?

//.\\

আমরা চকচকা সবজি, বেগুন এসব খুজি যেগুলো দেখতে সুন্দর ।
যদি পরিমান মাফিক দেয়া হত তাহলে হয়ত কম হত । চাষীরা সব্জিতে কীটনাশক স্প্রে করে পুরো জমিতে একটা বেগুন এ পোকা পেলেই ।
এখন সে জানে না বা জানার চেস্টা করেনা যে - এই কীটনাশক স্প্রে করার পর কতদিন জমিতে যাওয়া উচিত না ।
কতদিন পর্যন্ত কীটনাশক দেয়া সেই সবজি খাওয়ার উপযুক্ত হয়না ।

সে সকালে স্প্রে করে, বিকেলে বা পরদিন ভোরে সেই সবজি তুলে হাটে বিক্রি করে । যে জমিতে স্প্রে করার পরে ৩ দিন ঢোকাই নিষেধ, সেখানে সেই সবজি আমি আপনি খাচ্ছি ৩ দিনের মাথায় ।

কীটনাশক স্প্রে করা চাষী যদি ৬০% হয়ে থাকে - সেই সবজিই আমি আপনি ৩ দিনের মাথায় খেলে আমাদের কতদিন এর মাঝে ক্যান্সার হতে পারে ?

এখানে চাষীরা দেখে লাভ কোথায় ? হাটে সে কিভাবে বেশি দাম পাবে ?

তাহলে ভিলেন এখানে কে ? চাষীরা ?
নাকি চাষীদের কাছে কীটনাশক বিক্রি করা কীটনাশকের দোকানদাররা ?
নাকি আমাদের কৃষি বিভাগ যারা জানে সবকিছু কিন্তু ব্রিফকেসে আসা ইয়ের কাছে নতজানু ?

//.\\

হাইব্রিড সব্জির জয় জয়কার !
কারন উৎপাদন বেশি, টাকা পয়সা বেশি পাওয়া যাবে । ডাবল এক্সেল জাতের হাইব্রিড বড় সাইজ এর ফুলকপির এক কেজি ঈজের দাম সম্ভবত দেখলাম ২ লাখ ৩০০০০ টাকা !

এত দাম দিয়ে কেন বীজ কিনছে চাষীরা ? বেশি লাভের আশায় ।

এত দামের বীজ আসতেছে কোথায় থেকে ? লাভটা নিশ্চিতভাবে বীজ বিক্রি নিয়ে যাচ্ছে কারা ? চাষিরা ত এই বীজ কিনেছে টাকা দিয়ে এখন ১ টাকা কেজি বিক্রি করে খরচই ওঠে না তাদের ।

এখন, বীজ কোম্পানি এই বীজ এনেছে বড় কোম্পানির কাছে থেকে । তারা এটাকে ডিজাইন করেছে যেন সাইজে বড় হয়, এটা থেকে চাষীরা বীজ রেখে দিতে না পারে - ওয়ান পিস মেইড, কারিগর ডেইড টাইপ ব্যাপার আর কি।

এই অতি বর্ধনশীল ফুলকপিতে পানির পরিমান বেশি, সার একটু বেশি দিতে হয় । এই সার কে বিক্রি করে ? তার কি লস হয় ? সেটা আসে কোঠা থেকে ?

সার বেশি দিলেন মানে সেখানে দ্রুত গ্রোথ আসবে, অস্বাভাবিক গ্রোথ - সেই গ্রোথের সাথে আসবে পাতায় গ্লুকোজ - সেই গ্লুকোজ এর লোভে আসবে পোকা, সেই পোকাকে মারতে দেবেন কীটনাশক ।
উপকারি পোকা, অপকারি পোকা মরে সাফ ।

সেই ফসল খেলেন আপনি ৩ দিন পরে বিষসহ, অসুস্থ্য হলেন - গেলেন হসপিটালে । সেখানে যা চিকিৎসা নিলেন, সেইসব মেশিনারিজ এলো কঠা থেকে ? সেইসব মেডিসিন এর পেটেন্ট কাদের হাতে ?

এই এক বিরাট চক্র !
এই চক্রতে জড়িত আমাদের আমলারা, বীজ ব্যাবসায়ী, সার ব্যাবসায়ী, আমাদের চিকৎসা সিন্ডিকেট সহ সবাই - জেনে না বুঝে, ব্যাবসার লোভে টাকার লোভে ।

আমরা ফাদে পড়েই গেছি !
বের হবার উপায় নাই !

দেখেই যাব শুধু ? এটাকে ভাংগার জন্য কিছুই কি করার নাই ?

আমাদের প্লান আছে এটা নিয়ে কাজ করার, যদিও আমাদের ক্ষমতা খুবই সীমিত । আমরা তেমন বড় কিছু করতে পারব না এই বিশাল শক্তির বিরুদ্ধে ।
তবুও, হয়ত দুবছর পরে, ২০২৭ সাল থেকে আমরা কিছুটা শুরু করতে পারব ।
✍️ Mujahidul Islam Jahid

সম্ভাব্য সত্য

04 Jan, 17:01


একসময় পছন্দের কারো মৃত্যুর খবরে কেউ যখন হাহা রিঅ্যাক্ট দিতো বা মকারি করতো তখন খুব খারাপ লাগতো। কিন্তু এখন পারসেপশন পুরো উলটে গেছে।

আপনার মৃত্যুতে যদি আপনার শত্রুপক্ষ উল্লাস না করে, খুশী না হয় তাহলে আপনি তেমন কোনো আচড়ই কেটে যেতে পারলেন না। আপনাকে শত্রুরা গোনায়ই ধরে নি।

ফেসবুকে যারা আছেন, তাদের চোখে পড়ার কথা, লীগের লোকজন শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে কী ধরণের নোংরা মকারি করে, ট্রোল-মিম বানায়। এটা কিন্তু শহীদ আবু সাঈদের জন্য সম্মানের নির্দেশক। এই একজন ২৫ বছর বয়সী ছেলে তাদের জন্য এতবড় ডেন্ট রেখে গেছে, তারা ভুলতে পারছে না।

আপনি আপনার শত্রুর জন্য যতবড় আতঙ্ক হবেন, আপনার মৃত্যুতে শত্রুর সেলিব্রেশন তত বড় হবে। ২০১১ সালের মে মাসে আমেরিকাতে টোটাল অ্যালকহল সেলের ন্যাশনাল অ্যাভারেজ বেড়ে গিয়েছিলো, কারণ মার্কিনিরা বিন লাদেনের হত্যা সেলিব্রেট করছিলো।

এখন আমিও চাই, লোকেদের একটা অংশ আমার মৃত্যুতে উল্লাস করুক, হা-হা রিঅ্যাক্ট দিক। এটাই নির্দেশ করবে, আমি শত্রুর জন্য আতঙ্ক ছিলাম। সেই আতঙ্ক দূর হওয়ায় এই উদযাপন চলছে।
✍️ Ahmad Khan

সম্ভাব্য সত্য

04 Jan, 12:36


Why Jewish Rabbi Supports the Return of the Islamic Caliphate!

সম্ভাব্য সত্য

04 Jan, 08:11


২০০৯-২০১৮ সাল অর্থাৎ ৯ বছরে যত ডাক্তার বেরিয়েছে তাদের মধ্যে ৫৫% ডাক্তারই হচ্ছে নারী। গত ছয়বছরে নারীদের পার্টিসিপেশন কি কমেছে?

উত্তর হচ্ছে না, বরং নতুন মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারীরাই এখনো বেশি। এখানে শুধু শিক্ষার্থী না বরং ডাক্তার হিসেবেও নারীদের সংখ্যা বেশি।

অপরদিকে জনগণের চাহিদার তুলনায় অন্তত দশ হাজার বাড়তি ডাক্তার আছে। তাহলে ভাবুন তো ফরজে কেফায়ার দোহাই দিয়ে যারা মেয়েদেরকে এখনো মেডিকেলের দিকে যেতে বলে তাদের বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণা কতটুকু?

ফরজে কেফায়ার দোহাই দিয়ে নারীদেরকে এত সেন্সিটিভ পরিবেশে না পাঠিয়ে বরং এখন এত ডাক্তার থাকার পরেও, অর্ধেকের বেশি নারী ডাক্তার থাকার পরেও কেন তারা আমাদের ডিমান্ড ফুলফিল করতে পারছে না এই প্রশ্নটা তোলা জরুরী।

আপনারা যারা উম্মাহর খেদমতের দোহাই দিয়ে নারীদেরকে মেডিকেলে পড়িয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর তাদের হাতে এতদিনে দ্বীনদার নারী ডাক্তারদের একটা বড় লিস্ট তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা। দয়া করে সেটা দ্রুত প্রোভাইড করুন। অন্যথায় প্র্যাকটিসিং মেয়েদেরকে বোকা বানিয়ে তাদের দ্বীনকে, হায়াকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলার জন্য আল্লাহর কাছে জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নিন।
✍️ মেরাজ ভাই

সম্ভাব্য সত্য

03 Jan, 06:33


এই যে এত টাকা ভ্যাট দেন ট্যাক্স দেন
আপনি কি জানেন এই ট্যাক্স ভ্যাটের টাকা বেশিরভাগ কই যায়?

সরকারি কর্মচারীদের বেতনে।
হ্যা সত্য।

প্রতি বছর যেই বাজেট দেয় সেখানে দেখবেন সবচেয়ে বেশি টাকা কই যায়। শিক্ষায় কত, চিকিৎসায় কত, রাস্তা ঘাট বানানোতে কত আর সরকারি কর্মচারীদের বেতনে কত।

আর এত টাকা ট্যাক্স ভ্যাট দেওয়ার পর সরকারি কর্মচারীরা আমার আপনার সাথে কেমন আচরণ করে, কয় টাকা ঘুষ নেয় সেটাও একবার হিসাব করবেন।

আপনার জীবন তামা তামা করে এরা ভ্যাট ট্যাক্স বাড়ায়ে সেই টাকা থেকে বেতন নিয়ে জনগণকে কতটুক সার্ভিস দেয় সেটা একবার হিসাব করেন।
✍️ ডা. মর্তুজা শাহরিয়ার

সম্ভাব্য সত্য

03 Jan, 04:32


💔

সম্ভাব্য সত্য

02 Jan, 14:01


ভ্যাট জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।

Vat বৃদ্ধি ইস্যু আমাদের দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর ফলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পায়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এর প্রভাব ধনী দরিদ্র সকলের উপর সমান ভাবে পড়ে। এই ভ্যাট জিনিসটা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। তাই আমার ধর্মীয় জায়গা থেকে এবং অর্থনৈতিক জ্ঞান থেকে এর বিরোধিতা করছি। আমাদের দেশের মানুষের উপর এই চাপানো জুলুমের কারণ মূলত imf
সে বলেছে ভ্যাট বাড়াতে আর আমরা দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে উদ্যত হলাম। দুঃখের জায়গা হচ্ছে রাজনৈতিক দলের নিরব ভূমিকা। এই জায়গা থেকে আহ্বান জানিয়ে গেলাম ইসলাম যে মানুষের ও ব্যবসার জন্য কল্যাণকর তা তুলে ধরতে ভ্যাটের বিরোধিতা করে ইসলামী অর্থনীতির সৌন্দর্য আমরা মানুষের সামনে তুলে ধরি।
✍️ #Mohaimin_Patwary

সম্ভাব্য সত্য

02 Jan, 12:37


অসুস্থতা বেড়েছে। আগামীকাল 'মুসলিম মাইন্ডস' আয়োজিত সেমিনারে যাওয়া হবে কিনা তা অনিশ্চিত। আমার বক্তব্যের বিষয় : জুলাই অভ্যুত্থান কেন ব্যর্থ হচ্ছে। আমি যে আলাপটা করতে চেয়েছিলাম, তা হচ্ছে এইটা। পড়ে আপনার সমালোচনা জানাবেন।

~ জুলাই অভ্যুত্থান কেন ব্যর্থ হচ্ছে ~

জুলাই ব্যর্থ না। জুলাই যেটুকু করতে চেয়েছিল, সেটুকু করেছে। জুলাইয়ে এই করা দরকার ছিল, ঐ করা উচিত ছিল, এগুলো অবান্তর মনে হয়। জুলাই এর বেশি করতে চায়নি। তার এক দফাটা সে রক্ত দিয়ে আদায় করে দিয়েছে।

শুধু ২৪ ইটসেলফ বিপ্লব (revolution) না। তবে বিপ্লবের শুরু হলে হতে পারে। বিপ্লব একটা লম্বা প্রক্রিয়া, অধিকতর রক্তক্ষয়ী। বিপ্লবের উদ্দেশ্যই হল মূলোৎপাটন এবং আমূল পরিবর্তন। নতুন এক রাষ্ট্র / সমাজ-ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বিপ্লব হয়। ভেঙেচুরে দিয়ে নতুন করে গড়া হয়। রুশ বিপ্লব, ফরাসী বিপ্লব, আমেরিকান বিপ্লব, চীনে সাংস্কৃতিক বিপ্লব।

বিপরীতে অভ্যুত্থান (uprising/insurrection) একটু শর্ট প্রক্রিয়া, কিছুটা কম রক্ত লাগে। উদ্দেশ্য থাকে সরকার বদল বা স্বৈরাচার উৎখাত। পুরো ব্যবস্থা উৎখাত ও নয়া বন্দোবস্ত লক্ষ্য নয়। ৬৯ এর আয়ুব-বিরোধী গণঅভ্যুত্থান বা ৯০ এর এরশাদবিরোধী, ২৪ এর হাসিনা বিরোধী অভ্যুত্থান।

শুধু ২৪ একটা অভ্যুত্থান। এবং সফল অভ্যুত্থান। এর দফা একটাই : হাসিনার পতন। রাষ্ট্র সংস্কার ইত্যাদি সব পরবর্তী আলাপ। সুতরাং অভ্যুত্থান হিসেবে ২৪ অলরেডি সফল। যদি একে বিপ্লব বলতে চান, তবে সফল কিনা তা বলার সময় আসেনি। কারণ বিপ্লব প্রক্রিয়াটা চলমান। এখন ছাত্ররা যা করছে বা করতে চাচ্ছে সেটা হল বিপ্লব। এবং এজন্য তাদের শত্রুও তৈরি হয়েছে নতুন করে, যারা বিপ্লব প্রক্রিয়াটা আটকাতে চায়। তারা জুলাইকে অভ্যুত্থান থেকে বিপ্লব হয়ে উঠতে দিতে চায় না। পরিবর্তন চায় না।

১.
বিপ্লবের শত্রু হিসেবে আমরা বিএনপিকে এখন দেখতে পাচ্ছি। অভ্যুত্থানের সহযোগী কিন্তু বিপ্লবের শত্রু। তারা পুরনো ব্যবস্থায়ই থাকতে চায়। কারণ সেটাই তাদের ক্ষমতায় গমন এবং ১৬ বছরের ক্ষুধা মেটাতে উপযোগী। ভারত তোষণ ও ভারতীয় ন্যারেটিভ সার্ভ করে তারা ভারতের কাছে নিজেকে লীগের বিকল্প হিসেবে দাঁড় করাতে বদ্ধপরিকর। ভারতীয় ব্যবস্থাগুলোর (প্রথম আলো গং) পূর্ণ সমর্থন তারা দিচ্ছে এবং লীগ ২.০ হয়ে উঠছে। দ্রুত নির্বাচন এবং তাতে বিএনপির বিজয়ের দ্বারা বিপ্লবের ব্যর্থতা সম্পন্ন হবে। এবং ইতিহাসে ২৪ একটা সফল অভ্যুত্থান হিসেবেই রয়ে যাবে, বিপ্লব হয়ে উঠবে না।

২.
ছাত্র সমন্বয়করা নিজেরাও নানাভাবে সজ্ঞানে-অজ্ঞানে বিপ্লব-প্রক্রিয়ার শত্রু হয়ে উঠতে পারে। তারা নিজেরাও রাষ্ট্রসংস্কার আর না চাইতে পারে বা পিছিয়ে যেতে পারে। যেকোনোভাবে রাজনৈতিক গ্যাঞ্জাম থেকে এক্সিট চাইতে পারে। বা আবেগের বশে বিপ্লবনাশী কাজ করতে পারে। যেমন অথর্ব ইন্টেরিম সরকার দ্বারা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল হওয়া। তোমরা এমন করলে কিন্তু আমি আর থাকব না, এই টাইপ কথায় তারা পিছু হটলে তাও বিপ্লব প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে যাওয়া। বিপ্লব তার গতিতে চলবে, আবেগ দিয়ে চলবে না। মান-অভিমানে বিপ্লবের কিছু আসে যায় না। মান-অভিমানী গাল-ফুলানোও বিপ্লব-প্রক্রিয়া বাধা হয়ে দাঁড়ানো।

৩.
আর বিপ্লবের শত্রু হিসেবে প্রতিবিপ্লবী শক্তি তো আছেই। আওয়ামী আমলা-পুলিশ-আর্মি গত ১৬ বছরে গড়ে ওঠা শতভাগ প্রতিবিপ্লবী শক্তি। স্ট্যাটাস ক্যো বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।

ছাত্র-জনতাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সামনে ২টা অপশন। আগের ব্যবস্থার পুনরাবৃত্তি। নয়তো, নয়া ব্যবস্থা। বিপ্লব পরের ধাপগুলো আরও রক্তাক্ত, আরও কঠোর। আর সেটা না হলে 'নতুন লীগ'কে মেনে নেয়া, বরণ করে নেয়া। ৩য় কোন অপশন আসলে নাই।

বিপ্লবের বন্ধু কারা দেখা যাক। বিপ্লবের এই প্রক্রিয়া সফল হোক কারা চায়?
১.
ছাত্র-জনতা তো চায়ই।
২.
আর চায় গণতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক ইসলামপন্থীরা। কারণ তারা সাবেকী ব্যবস্থার বেনিফিশিয়ারী না, বরং নির্যাতিত। সাবেকী ব্যবস্থায় তাদের স্বপ্নপূরণেরও সুযোগ নেই। তাই তারা নতুন কিছু চায়, তা যতটুকুই হোক, তাদের স্বপ্নের দিকে পজিটিভ ডেভলপমেন্ট।
৩.
এছাড়া সচেতন ডানপন্থী সমাজও সংস্কার চায়, তারাও বিপ্লবের বন্ধু।

বিপ্লব প্রক্রিয়ার নানান ফেইজে নতুন নতুন নেতৃত্ব দেখা যাবে। পুরনো নেতৃত্ব কেউ সহযোগী রয়ে যাবে। কেউ কেউ বিপ্লববিরোধীও হয়ে যেতে পারে। কেইস স্টাডি করতে পারেন: রুশ বিপ্লব বা ইরান বিপ্লব নিয়ে।

আমার চাওয়া বিপ্লব সম্পন্ন হোক।
জুলাই একটা অভ্যুত্থান থেকে পূর্ণ বিপ্লব হয়ে উঠুক।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
✍️ শামসুল আরেফিন শক্তি ভাই

সম্ভাব্য সত্য

02 Jan, 08:23


মজলুম ফরজের ব্যাপারে...

সম্ভাব্য সত্য

24 Nov, 18:15


🔥 Trailer

Full Lecture

সম্ভাব্য সত্য

24 Nov, 18:13


১৪০০ বছর আগে লেখা ঘটনা কেন বিশ্বাস করবো? সাক্ষ্য কি জ্ঞানের উৎস হতে পারে? আমরা কি সাক্ষ্য থেকে জ্ঞান নেই? বাস্তব কিছু উদাহরণ দেখে নেয়া যাক।
🎙 আসিফ মাহমুদ

#themuslimminds #muslimminds #islam

সম্ভাব্য সত্য

24 Nov, 17:18


এ কাজটা করে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলো প্রথম কালো, দিল্লী স্টার। দীর্ঘদিন ধরে আমরা তাদেরকে যে গণশত্রু বলে আসছিলাম, তা নিজ হাতে তারা প্রমাণ করে দিলো।
.
এখন কাজ হলো-

১. এস্কেলেশন বাড়ানো। বারবার জমায়েত হওয়া

২. সরকার, বিশেষ করে সরকারের ছাত্রনেতাদেরকে অবস্থান পরিষ্কার করতে বাধ্য করা

৩. অনলাইন-অফলাইনে আলোচনা জিইয়ে রাখা। পুলিশ ব্রুটালিটির ভিডিও বারবার শেয়ার করা। জুলাইয়ের ট্রমা মানুষ ভুলে নাই। একই ড্রেস, একই ব্রুটালিটি বারবার সামনে এনে সেই দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেওয়া

৪. জেলে কোনোভাবেই কোনো ভাইকে রাখতে দেওয়া যাবে না। জেল ঘেরাও করা, সবাইকে এরেস্ট করতে হবে- এমন প্রেশার দেওয়া, নেগোসিয়েশনের টেবিলে ভালো এমন ভাইদেরকে কাজে দ্রুত যুক্ত হয়ে যাওয়া
.
আওয়ামির পতন হয় নি, কালচারাল ফ্রন্টের কালচারাল হেজেমনি টিকে আছে। এর পতনের আগে আওয়ামি নির্মূল সম্ভব না।
✍️ ইরফান সাদিক ভাই

সম্ভাব্য সত্য

24 Nov, 16:20


©
পুলিশ মসজিদের ভেতরে জুতাসহ ঢুকে লোকদের ধরে নিয়ে গিয়েছে।

ভিডিয়োটা ভারতের নয়, কারওয়ান বাজারে।

সম্ভাব্য সত্য

24 Nov, 08:01


[আত্মপরিচয় : বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, নাকি ইসলাম?]

গতদিন শিক্ষা সংস্কার মঞ্চ আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এহসানুল হক মিলন ছিলেন। গণ্যমান্য অনেকেই ছিলেন। সেখানে আমার প্রস্তাবনা ছিল : এই জাতির পরিচয় হল ইসলাম। ইসলামের ভিত্তিতে ভূমি পেয়েছেন। এরপর পট করে সুইচ করে সেক্যুলারিজমে চলে গেছেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, হ্যান ত্যান তো কম করলেন না। না জাতীয় ঐক্য হলো, না বৃহৎ রাষ্ট্রের নাগপাশ থেকে মুক্তি পেলেন। যেভাবে বৃহৎ শত্রুর কবল থেকে বেঁচে গরুর মাংস চিবুচ্ছেন (ইসলাম দিয়ে), ঠিক সেভাবেই আবারও তাদের মাতবরি থেকে বাঁচতে হবে। চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হলে ভংচং জাতীয়তাবাদ দিয়ে কাজ হবে না, হয়নি। কেবল ইসলামের পাটাতনে দাঁড়িয়েই আবার চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন হিন্ডুতভাকে। ইত্যাদি।

ঢাবির নীল দলের সাবেক অধ্যাপক বললেন: না না, ইসলাম দিয়ে হবে না, চাই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। এটাই নাকি সমাধান। আসলে এই জেনারেশনটা এতো ঘাঁইগুঁতো খেয়েও আর বদলালো না। এনারা তরুণযুবকদের ঝোঁক, পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থা কিছুই বুঝতে চান না। যেটা ঐ জোয়ান বয়সে শিখেছেন, ওটাই চেপে ধরে থাকবেন যতোই বাতিল মাল হোক। একুশ শতকে দিনবদলের জন্য এই জেনারেশনটাকে সব জায়গা থেকে অবসরে পাঠানো দরকার, সব জায়গা থেকে। শুধু জিকির-আজকার করবে।

যাদের টেনে নেবার জন্য ইসলামকে পায়ে ঠেললেন, তারা কি আপনার 'বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ' সাবস্ক্রাইব করে? গত ১৬টা বছর থেকে এই শিখলেন? তারা তো জীবনেও বাংলাদেশি পরিচয়ের ছাতায় আসলো না। এখনও তো আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাহলে কার স্বার্থে এই সেক্যুলারিজম? কোন আশায় এই 'বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ'? কীসের গরজে এতো ইনক্লুসিভনেস?

তাহলে কেন আবার তাদের জন্য ইনক্লুসিভ হতে হবে। যে পরিচয়ে স্বাধীন জমিন পেলে, সেই পরিচয়কে পায়ে ঠেলে কীসের পেছনে ছুটছেন? এই বেঈমানির সাজা এখনো মেটেনি? আর কতকাল ছুটবেন?
✍️ শামসুল আরেফিন শক্তি ভাই

সম্ভাব্য সত্য

23 Nov, 02:19


গ্রন্থালোচনাঃ Formations of the Secular by Talal Asad

🎙 জগলুল আসাদ
#themuslimminds #muslimminds #islam

সম্ভাব্য সত্য

22 Nov, 10:58


বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ হলেও এটি সরকারীভাবে নির্মিত হয়নি। পাকিস্তান আমলে ঢাকায় বড় শিল্প উদ্যোক্তা বাওয়ানি পরিবারের পক্ষ থেকে এই মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। মসজিদের পরিচালনা-ব্যয় নির্বাহের জন্য নিচে বিশাল বড় মার্কেটও নির্মাণ করা হয়। সেই মার্কেট থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতিবছর শুধু ভাড়া বাবদ আয় হয়৷

কিন্তু দুঃখজনক হলো, এসব আয়ের খুব সামান্যই মসজিদের কল্যাণে ব্যয়িত হয়৷ বাইতুল মোকাররমের মতো জাতীয় মসজিদের সাউন্ড সিস্টেম সেই মান্দাতা আমলের গড়বড়ে। আজকাল মহল্লার ছোটখাট মসজিদেও আরও উন্নত সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা রাখা হয়। এই মসজিদের ওজুখানা-ওয়াশরুমের দুরবস্থার কথা কী আর বলব! পবিত্রতা হাসিল করতে গিয়ে উল্টো নাপাক হয়ে আসতে হয়। মসজিদ মার্কেটের কোটি কোটি টাকা তাহলে কোথায় ব্যয় হয়?

মূলত এই মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠান ইসলামি ফাউন্ডেশনই এই ব্যাপারে গাফেল ও আন্তরিকতাহীন। তারা একটু উদ্যোগী হলেই এসবের সুন্দর ও সহজ সমাধান হতে পারে। মূলত ইফার কর্মকর্তাদের বড় একটা অংশ ঠিকমতো নামাজই পড়ে না৷ তাই মুসল্লিদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়েও তারা অত ভাবিত নয়৷

এই বিষয়ে তিনভাবে কাজ করা যেতে পারে-

১. যারা সংবাদিক আছেন, তারা পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে পারেন। মসজিদের এত এত টাকা কোথায় ব্যয় হয় এবং মসিজদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উন্নতি করতে ইফার এই অবহেলা কেন।

২. যাদের লবিং আছে তারা আবেদননামা জমা দিতে পারেন ইফার দায়িত্বশীলদের কাছে।

৩. জুমার পর প্ল্যাকার্ড হাতে মসজিদের গেইটে বা সিঁড়িতে সাউন্ড সিস্টেম উন্নত করণ এবং ওয়াশরুম-ওজুখানার সংস্কারের জন্য মানববন্ধন হতে পারে।

(যত পারেন এটি কপি/শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।)
✍️ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ হাফি.

সম্ভাব্য সত্য

22 Nov, 08:06


পর্দার ভেতর থাকার অর্থ অলস ও অকর্মণ্য থাকা নয়। বোনদের বলব, প্লিজ কাজবাজে থাকুন। শুয়ে-বসে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। বয়সের আগেই শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে গেলে পর্দাও করতে পারবেন না। বোরকা পরে লাভ কী, যদি দৈহিক গঠন লুকোতে না পারেন? এজন্য শতভাগ পর্দার স্বার্থে হলেও আপনাদের বাসার কাজবাজ করা দরকার। ঠিক এ-কারণে আমি মেয়েদের চার-‍দেয়ালবন্দি মহিলা মাদরাসায় থাকার পক্ষে না।

তাদের জন্য গভীর ইলমের চেয়ে আমলের উদ্দীপনা এবং বাসাবাড়ির কাজে সক্রিয় থাকা জরুরি। বেইসিক তো শিখতেই হবে, তারপর শিখতে হবে সংসার। স্বামীর পরিবারকে মুঠোয় পুরা নয়, আপন করা জানতে হবে। এসবের শিক্ষা আসে মায়ের কাছ থেকে, আসে ঘনিষ্ঠ নারী আত্মীয়াদের সাথে মিলেমিশে। তাই, তাদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারে সময় দেয়ার সুযোগ থাকতে হবে। দরকারে সিলেবাস ঢেলে সাজাতে হবে।

আপনি শরীরের যত্ন না নিলে পরবর্তীতে নরমালে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না। দৈহিক যে ফিটনেস আপনার থাকতেই হবে, তার ব্যাপারে যত্নশীল হোন। সত্য করে বললে, একজন পুরুষ নারীর ঠোঁটের লিপস্টিকের চেয়ে তার দৈহিক কাঠামোয় বেশি আকর্ষিত হয়। তাই স্বামী সামলাতে ঝগড়া না করে ফিট ও পরিপাটি থাকুন। শুকিয়ে কাঠও হবেন না, মুটিয়ে মাঠও হবেন না। সাজগোজের পাশাপাশি কাজবাজ করুন। সুস্থ থাকুন।

বিয়ের পর পুরুষের কাজ অনেক সময় সহজ হয়। সে দোকানে বসে থাকে, মাদরাসায় জমে থাকে বা এসির বাতাসে বসে কারবার সামলায়। কিন্তু ঘরের মহিলাকে ঠিকই কষ্টের কাজগুলো করতে হয়। বাচ্চা সামলানো, কিচেন ও ঘরদোর গোছানো নিশ্চয়ই অলস কোনো কাজ নয়। তাই নিশ্চিত করুন আপনার বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় পরবর্তী জীবনের যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠার ব্যাপার আছে কি না। নতুবা সব দিক থেকে পস্তাবেন। না পারবেন ঠিকভাবে পর্দা করতে, না নিরাপদে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন, না স্বামীর চোখে সোহাগী হতে পারবেন।

আল্লাহ জানে কথাগুলো কতজন বুঝবে...

✍️ সাদিক ফারহান

সম্ভাব্য সত্য

22 Nov, 04:07


পোর্ক খাওয়া হারাম এটা সবাই জানে। একজন ব্যক্তি একটা দ্বীপে আটকে খাদ্যাভাবে মৃতপ্রায় অবস্থা। তার কাছে কোনো বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে এটা খেতে হবে। সেই ব্যক্তি ফতোয়া খুঁজতে গেল, শায়েখ আমার কোনো উপায় নেই। এখন এটা খাওয়া কি হালাল হবে?

অবশ্যই যেটা হারাম সেটা হারামই থাকবে কিন্তু ভিন্ন উপায় না থাকায়, বাধ্য হওয়ায় এটা খাওয়ার ফলে ব্যক্তির গুনাহ হবে না। বিষয়টা সর্বোচ্চ এতটুকুই হবে। শায়েখ এটাকে হালাল বলবেন না কখনোই।
সহশিক্ষা হারাম জানা একদল বাধ্য হয়ে সহশিক্ষায় অংশ নেয়ার দাবী করে। কিন্তু সহশিক্ষাকে হারাম বললে তাদের আঘাত লাগে।

তারা দাবী করে তারা অপারগ অথচ এই অপারগতার মধ্যে থেকেও ইন্সটিটিউশনাল প্রাইড প্রকাশ করে, কেন সহশিক্ষায় যুক্ত থাকতে হবে এই যুক্তি পেশ করে, ক্যাম্পাস, ক্লাস, ফেস্টসহ বিভিন্ন জিনিসের ছবি অপ্রোয়জনে আপলোড করে। একান্ত বাধ্য হয়ে যতটুকু যুক্ত থাকতে হয় এর বাইরেও ক্লাবে যুক্ত থাকা, কো কারিকুলার একটিভিটে ইনভলব হওয়া, শিক্ষাসফরে যাওয়া ইত্যাদি কাজ করে।

তাদের এসব কার্যক্রম পোর্ক খাওয়া ওই ব্যক্তির মতো হয়, যে ব্যক্তি অপারগ দাবী করে পোর্ক খায় অথচ এটাকে কীভাবে রান্না করলে মজা হবে, এটার স্বাদ কেমন, এটা লালন-পালনের প্রয়োজনীয়তা কী ইত্যাদিও একইসাথে বলে।
অপারগতার দোহাই দিয়ে পোর্ক খেয়ে, পোর্কের স্বাদে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া, খেয়ে আনন্দিত হওয়ার ব্যাপারটা যেমন গুনাহের কাজ এসব ব্যাপারও একইরকম। এক্ষেত্রে অপারগতার দোহাই থাকা সত্ত্বেও গুনাহগার হবে।

আরো একটা সত্য কথা বলি। কোনটা অপারগতা, কোনটা নফসের খায়েশ মেটানো সেটার ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা ভালোভাবেই অবগত আছেন। তাই সবাইকে প্রতারিত করতে পারলেও, আল্লাহর সাথে প্রতারণা করতে পারবেন না। এতটুকু মনে রাখাই যথেষ্ট।
✍️ মেরাজ ভাই

সম্ভাব্য সত্য

21 Nov, 15:14


😞

সম্ভাব্য সত্য

21 Nov, 09:16


ℹ️ যাদের সহ্য হবে না, তাদের জন্য এই ভিডিওতে জবাব আছে। (যদিও অনেক আগের ভিডিও)
#Polygamy

সম্ভাব্য সত্য

21 Nov, 08:42


▌বহুবিবাহের প্রচলন বা স্বাভাবিকরণ কেনো জরুরি?

❏ ইসলামের কোনো বিষয় সমাজে ট্যাবু হয়ে গেলে, খারাপ চোখে দেখা হলে, ইসলামের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হলে, তার আমল বৃদ্ধি করে ট্যাবু ভেঙে ফেলা অত্যাবশ্যক দায়িত্বে পরিণত হয়, যদিও সাধারণ অবস্থায় ঐ আমলটি ফরজ বা ওয়াজিব পর্যায়ের নাও হয়।

একজন মুসলিমের জন্য এই কারণটি‌ই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে একাধিক বিবাহ ফরজ হলেও তারা করতে পারে না। (যে কারণে এক বিবাহ ফরজ হয়, এক‌ই কারণ/উদ্দ্যেশ্য পূরণ না হলে ‌একাধিক বিবাহ‌ও ফরজ হতে পারে।)

❏ কুরআন সুন্নাহ এবং সাহাবীগণের সময়ে ইসলামের যে বিষয়কে যেভাবে দেখা হতো, ভাবা হতো, প্রচলন ছিল, ঐভাবেই ভাবতে হবে এবং প্রচলন রাখতে হবে। তা থেকে একটুও বাড়াবাড়ি অথবা ছাড়াছাড়ি কিছুই করা যাবে না।

সমাজে ভারসাম্য-শৃঙ্খলা, ইনসাফ-ইহসান ধরে রাখার জন্য এর বিকল্প নেই।


▌বহুবিবাহের প্রচলন না থাকা, এই বিষয়টিকে খারাপ চোখে দেখা, কঠিন করে ফেলার ফলে-

❏ পুরুষ মানুষ অনেক দেখে শুনে বিবাহ করে, সবদিক থেকে সর্বোচ্চ ভালো পেতে চায়, কোনো রিস্ক নিতে বা ছাড় দিতে চায় না। কেননা বিবাহ কেবলমাত্র একটিই করতে পারবে।

❏ এতে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা, সৌন্দর্যে কমতি থাকা, বয়স্কা নারীদের সহজে বিবাহ হতে চায় না।

একাধিক বিবাহের প্রচলন থাকলে, পুরুষ মানুষ এক-দুইজন বিধবা, কম সুন্দরী, বয়স্কা নারী বিবাহ করতে চিন্তিত হতো না, ফলে এমন নারীদের অবিবাহিত থাকতে হতো না। সমাজে গোটা বিবাহের সিস্টেম সহজ হয়ে যেতো।

❏ নারী/পুরুষ উভয়েই সংসারে ভয়ঙ্কর সমস্যায় পড়লে/সঙ্গী খুব খারাপ/পাপাচারী/জালিম/বেইনসাফী হলে, সহজেই তালাক নিতে/দিতে পারতো। তালাকের পরে পুণরায় অন্য কোথাও বিবাহ না হবার ভয়‌ও করতো না।

❏ উত্তম আখলাকের পুরুষরা একাধিক স্ত্রীকে সাথে নিয়েই ভালো থাকতে এবং রাখতে পারতো।
(যে স্বামী ভালো, সে একাধিক স্ত্রীর নিকটেও ভালো‌ই হতো। যে স্বামী খারাপ সে এক স্ত্রীর কাছেও খারাপ।)

❏ খারাপ/জালিম/অবাধ্য নারী/পুরুষদের পরিবার-সংসার করতে বেগ পেত হতো, কেননা তাকে তার খারাবির কারণে সঙ্গী সহজেই ত্যাগ করে যেতো।
এ থেকেও সাধারণ মানুষ নিজেকে ইসলাহ/সংশোধন করার ব্যাপারে মনোযোগী হতো।

(📜 অর্থাৎ যারা ইনসাফের আলাপ তুলে এই বিষয়ের বিরোধীতা করেন, তাদের সমাধান মূলত বহুবিবাহের প্রচলনের মাধ্যমেই সম্ভব, আর ইনসাফ এক বিবাহের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, এছাড়া সন্তান নেওয়া, ভাইবোন, ব্যবসা, চাকুরী, সার্ভিস সবক্ষেত্রেই ইনসাফ জরুরি। এমনকি অন্যের ক্ষেত্রে শুধু ইনসাফ যথেষ্ট নয়, সাথে যথাসাধ্য ইহসান ও কল্যাণকামীতাও জরুরি)


❏ কেউ‌ই সহজে পরকীয়ার গুণাহে জড়াতো না বা প্রয়োজন হতো না। পুরুষরা প্রয়োজন হলেই একাধিক বিবাহ করতে পারতো, এমনকি স্ত্রীরা নিজেদের সংসারে শান্তির জন্য ভালো সতীন খুঁজে দিতো।

❏ নারীরাও প্রয়োজনে/জরুরি হলে তালাক নিয়ে পছন্দের আলফামেইল খুঁজে নিতো, তাদের তৃতীয়-চতুর্থ স্ত্রী হতেও অনাগ্রহ দেখাতো না। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরা লজ্জায় এগুলো প্রকাশ‌‌ই করে না।

সাহাবীগণের সময়ে এগুলো এতোটাই সহজ এবং ভারসাম্য পূর্ণ ছিল, জুবাইর রাঃ-এর বিবাহের ঘটনা বেশ প্রসিদ্ধ। এখানে বলা যাবে না, খুঁজে নিন।


❏ ‌উন্নত হিউম্যান রেইসঃ
পশু পাখির উদাহরণ দিয়ে বুঝা যেতে পারে- উন্নত প্রজাতির, শক্ত-সবল, সুস্থ-স্বাস্থ্যবান, অধিক ফার্টাইল জাতের মধ্যে মেটিং হলে উন্নত ব্রিড পাওয়া যায় বা সম্ভাবনা অধিক থাকে।

অর্থাৎ এমন পুরুষের অধীনে এমন একাধিক নারী থাকলে, তাদের অনেক সন্তান-সন্ততি হতো, এক‌ইসাথে উন্নত হিউম্যান রেইসের রেশিও বৃদ্ধি পেতো।
বিপরীতে দুর্বল নারীরা এমনিতেই বেশি সন্তান জন্ম দিতে পারে না আর দুর্বল পুরুষের অধীনে একাধিক স্ত্রী থাকে না।
একটা জাতি দীর্ঘমেয়াদে শক্তি-সামর্থ্য-রাজত্বের ওপর টিকে থাকতে, উন্নত জাতিসত্তা বা মেধাবী জনসম্পদে সমৃদ্ধ হতে এটার প্রচলন খুবই জরুরি।

❏ এটা জীবজগতের ফিতরাতের অনুকূলে, আর ফিতরাত বিরোধী নিয়মে অভ্যস্ত হলে, সে সমাজে আকল বিকৃতি/সাইকোপ্যাথের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

উন্নত মেরুদন্ডী জীবজগতের মধ্যে দেখুন- সিংহ থেকে মোরগ-মুরগী সবখানে এক‌ই বিষয়, পুরুষ প্রজাতি অপর পুরুষের সাথে তার সঙ্গী ভাগাভাগি করে না, যেকোনো উপায়ে বাকিদেরকে পরাজিত করে বিতাড়ন করে, বিপরীতে বিজয়ী পুরুষের অধীনে একাধিক নারী প্রজাতি থাকলেও তারা এজন্য লড়াই করে না।

অর্থাৎ পুরুষের একাধিক বিবাহ নারীদের ফিতরাতের বিরোধী নয়, ‌অসুস্থ সমাজের প্রভাবে তাদের আকল বিকৃত হয়ে গেছে। বরং তাদের ফিতরাত এতটুকুই যে- একাধিক বিবাহ পরবর্তী অপর সতীন থেকে অধিক গুরুত্ব পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।


...এমন অসংখ্য জরুরি বিষয় রয়েছে। আল্লাহ্ প্রদত্ত এই একটা বিষয় সমাজ থেকে উঠে যাওয়ার ফলে শতশত ফিতনা-ভোগান্তি সমাজে জেঁকে বসেছে, আর নারীরাই অধিক ভুক্তভোগী।
✍️ Mahmud Ul Hasan ভাই

সম্ভাব্য সত্য

21 Nov, 04:22


এত এত প্রমাণ তারপরও তেমন কোনো পদক্ষেপ নাই।

সম্ভাব্য সত্য

21 Nov, 02:41


শিডিউল পোস্ট

আগামীকাল ইনশাআল্লাহ...

সম্ভাব্য সত্য

20 Nov, 04:52


: তাই বলে আপনারা চান নারীরা চার দেওয়ালে বন্দী থাকুক?
- না তো! ছাদ আর ফ্লোর মিলিয়ে ছয় দেওয়াল। ঘর জিনিসটা একটা আয়তাকার ঘনবস্তু। ছয়টা তল এর।
.
: >:( ফাইজলামি রাখেন! আমি বলতে চাইছি...
- ... এই ছয় দেওয়ালে বন্দী রাখার অধিকারই আপনাকে কে দিয়েছে এই তো?
.
: হুম! বলুন কে দিয়েছে?
- দেখুন আমি বেদুঈন বা এস্কিমো ছাড়া এ পর্যন্ত কোনো ঘর দেখিনি যা এই কয় দেওয়াল ছাড়া তৈরী। আমরা তো আর এস্কিমো না যে ইগলু বানিয়ে নারীদের থাকতে দিবো। আমরা তো আর বেদুঈন না যে তাবুর মধ্যে রাখবো তাদের।
.
: আপনি আমার প্রশ্নটাই...
- ... এড়িয়ে গিয়েছি?
: তাই তো!
.
- ওকে! আপনি বলতে চাইছেন নারীরা চার দেওয়ালে বন্দী হয়ে ঘরে থাকবে না। জব নেবে আর ক্যারিয়ার গড়বে। দেখুন, অফিসেও চারটাই দেওয়াল আর... :D
: >:( >:(
.
✍️ #HujurHoye

সম্ভাব্য সত্য

19 Nov, 14:29


কারো বাপ এসে আমাদেরকে সফল করে দিয়ে যায় নাই
রক্ত দিয়ে হাসিনাকে বিদায় করসি আমরা

শহীদদের বন্ধু-পরিবার-সহযোদ্ধারা এখনও মরে নাই
আহতরা এখনও এ মাটিতেই আছে
মাত্র ২% মানুষ লাগবে। এর বেশি না।

আবার নামতে বাধ্য কইরো না
জুলাইয়ের ভুল আবার করবো না
হাসিনাকে দেশ ছেড়ে যাইতে দিসি
তোমরা যে গর্তে লুকাবা সেখান থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে ঝুলাই রাখবো

গুলির ভয় দেখাইও না। মরতেই নামসি আমরা
জানের মায়া নাই, পরিবারের পিছুটান নাই
তোমাদের কোনো বাপরে ডরাই না
আবু সাঈদ ডরায় নাই, ইয়ামিন ডরায় নাই

শেষ দেখার আগে ছাড়বো না এবার।
✍️ ইরফান সাদিক ভাই

সম্ভাব্য সত্য

19 Nov, 08:26


তাহলে পাকিস্তান কী দোষ করলো? পাকিস্তানের সাথে আবার একত্রিত হলেই হয়। আমরাও তাহলে নিউক্লিয়ার শক্তির দেশ বলতে পারবো।

বিএনপি এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় নাই। সো, তারা বলার কে?

⚠️ এখনই যদি আন্দোলন পুনরায় শুরু করতে না পারেন। তবে সামনে সকলের জন্যই খারাবি আছে। এই সুদখোর শুয়োর ইউনুসকে খেদানোর এখনও সময় আছে।

সম্ভাব্য সত্য

18 Nov, 16:59


ফারুকী শাহবাগী ছিলো, সে কেন উপদেষ্টা হলো ?
প্রথম আলো আওয়ামীলগের দালাল ছিলো, তাকে কেন ধরা হলো না ?
নতুন সরকারে অনেক আওয়ামীলীগারকে কেন পুনর্বাসন করা হচ্ছে ?

এই প্রশ্নগুলো যখন আমি শুনি, তখন আমি অবাক হই না।
এই প্রশ্নগুলো যারা করে, এটা তাদের দোষ না, তাদের জ্ঞানের দোষ।
কারণ তারা পলিটিকাল অ্যানালাইসিসটা শিখেছে পিনাকীর মত লোক থেকে।
পিনাকী তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য অনুসারে পাবলিককে পলিটিকাল অ্যানালাইসিস শিখিয়েছে।
আমিও কিন্তু ২০১৭ সালের পলিটিকাল অ্যানালাইসিস শিখিয়েছিলাম,
আমার অ্যানাইসিসটা ছিলো উপর থেকে, মানে আন্তর্জাতিক পলিটিকাল দল (ডেমোক্র্যাক ব্লক, রিপাবলিকান ব্লক ইত্যাদি) দিয়ে।
আমার অ্যানালাইসিস যদি মানুষ বুঝতো তবে তাদের বার বার তাদের ধোকা খেতে হতো না।

প্রথমে আমি শিখিয়েছিলাম,
আওয়মীলীগের জন্ম হচ্ছে সোভিয়েত ব্লক থেকে।
ভারতে কংগ্রেসের মাধ্যম হয়েও তারা সোভিয়েত ব্লকের সাথে সংযুক্ত হতো।
তবে বর্তমানে আওয়ীলীগ ডেমোক্র্যাট ব্লক এবং রিপাবলিকান ব্লকের মধ্যে একটা ব্যালেন্স করে চলে।
মানে তাদের সাথে সমন্বয় করে, যেন ঐ বিদেশী শক্তিগুলো আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় টান না দেয়।

প্রশ্ন হচ্ছে-
ডেমোক্র্যাট ব্লক কারা ?
যারা এনজিও, পরিবেশবাদী, সমকামী-ট্র্যান্সজেন্ডার, নারীবাদী ইত্যাদি। এদের মধ্যে লিবারেল আছে, মডারেট ধার্মীক আছে, সোশ্যাল আছে।

আর রিপাবলিকান কারা ?
অনেক আছে। তবে বেশি হচ্ছে- ব্যবসায়ী, মারাদাঙ্গা গ্রুপের একটা অংশ, সেনাবাহিনীর মধ্যে একটা অংশ।
এদের মধ্যে গ্লোবালিস্ট আছে, ন্যাশনালিস্ট আছে।

ঘটনা হচ্ছে-
আপনি যখন শাহবাগী-নন শাহবাগী দিয়ে পলিটিক্স বুঝতে চাচ্ছেন,
তখন ভুল হচ্ছে।
কারণ আপনি নিজেও শাহবাগ সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে জানেন না।
শাহবাগ তৈরী হয়েছিলো ডেমোক্র্যাটদের দিয়ে,
পরে সেটা আওয়ামীলীগ হ্যাইজ্যাক করে।
ঠিক যেমন- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ডেমোক্র্যাট ব্লকের তৈরী।
এটা মুক্তিযুদ্ধের পরে তৈরী হয়নি, হয়েছে ৯১ এর পরে।
জাহানারা ইমাম, হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল সবাই কিন্তু ডেমোক্র্যাট ব্লকের লোক।
তারাই গণ আদালত তৈরী করে, লেখালেখি করে এই চেতনা তৈরী করে।
আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটা ডেমোক্র্যাটদের থেকে হাইজ্যাক করে মাত্র।

আবার ২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোনলে মূল অর্গানাইজার ছিলো দৃক গ্যালারির শহিদুল আলম।
যেই শহীদুল আলম এখন ইউনুসের বিদেশ সফর সঙ্গী।
তারমানে, আপনি যে শাহবাগ-নন শাহবাগ দিয়ে পলিটিক্স বুঝতে চাচ্ছেন,
সেই প্যারামিটারটা আসলে ভুল।
কারণ- আপনি আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পেরেছেন,
কিন্তু আওয়ামীলগের হাতে যারা ন্যারেটিভ তুলে দিতো,
মানে ডোমোক্র্যাটরা, সেই ডেমোক্র্যাটদের কিন্তু ক্ষমতায় বসিয়েছেন।

আবার
আওয়ামীলীগকে সরিয়ে দিয়েছেন এটা ঠিক।
কিন্তু আওয়ামীলীগ যাদের বুদ্ধিতে পাঠ্যক্রমে ট্রান্সজেন্ডার ঢুকিয়েছিলো,
সেই ডেমোক্র্যাট ব্লকের লোকদের ক্ষমতা বসিয়ে দিয়েছেন।

তাই ফারুকী কেন উপদেষ্টা হলো ?
এই প্রশ্নটা আসলে অবান্তর।
কারণ ফারুকী হচ্ছে ডেমোক্র্যাট ব্লকের লোক।
সে আওয়ামীলীগের মধ্যে ঢুকে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতো।
এখন তাদের দল ক্ষমতায় এসেছে, তাই সে তো সেখানে পদ পাবেই।
এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নাই।

একই ভাবে ডেমোক্র্যাট ব্লকের দৈনিক প্রথম আলো-ডেইলিস্টার এতদিন আওয়ামীলীগকে দিয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতো, এখন তাদের দল ক্ষমতায় এসেছে।
সুতরাং তাদের সাইজ দেয়া তো দূরের কথা, বরং তাদের এজেন্ডাগুলো এখন সরাসরি বাস্তবায়ন হবে।
সুতরাং এগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নাই।
✍️ Noyon Chatterjee

সম্ভাব্য সত্য

18 Nov, 16:24


বিগত ১৬ বছর, শত নিরপরাধের পায়ে ডান্ডাবেড়ী দেখেছি ; প্যারোলে মুক্তি নিয়ে ডান্ডাবেড়ী পায়ে পিতামাতার জানাজা পড়তে দেখেছি!

অথচ আজ খুনিদের হাতেই হাতকড়া নেই !

জুলাই স্পিরিট কি ১০১ দিনেই থমকে গেল?
©

সম্ভাব্য সত্য

18 Nov, 08:10


Conspiracy About Muslim Women

সম্ভাব্য সত্য

17 Nov, 16:58


আগামীর অশান্ত বাংলাদেশে এমন একটা প্রতিপক্ষ আমাদের রয়েছে, যাদের কথা সবসময় আড়ালে থেকে যায়।

আগামীতে বাংলাদেশে সিভিল ওয়ার বা ভারতীয় আক্রমণ - যেটাই ঘটুক, এই পক্ষটা আমাদের একদম গলা চেপে ধরবে।

এই পক্ষটা হলো এনজিও।

আমরা এই মুহুর্তে হয়তো এই ভেবে নিশ্চিন্ত থাকছি যে গেরিলা যুদ্ধ আমাদের আপার হ্যান্ড দেবে। কিন্তু ভারত বা তার প্রক্সিদের সাথে গেরিলা যুদ্ধে জিততে গ্রামাঞ্চলের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। এটা পৃথিবীর কেউ পারেনি। আফগান, ভিয়েতনাম, আলজেরিয়া - যত জায়গায় বহিঃশক্তির বিরুদ্ধে জয় এসেছে তা প্রথমতঃ এই গ্রামের বদৌলতে।
আফগানে যখন মিডিয়াতে দেখাচ্ছিলো মাত্র ৫-১০টা জেলা দখলমুক্ত, সেখানে প্রকৃতপক্ষে ৮০ ভাগ রুরাল এরিয়া তালেবানরা আগেই দখল করে নিয়েছিলো।

এটা সত্যি, গেরিলা যুদ্ধের বড়টাই হবে আরবান ওয়ারফেয়ার, যেমনটা আমরা ইরাকে বা গাজায় দেখছি। কিন্তু গ্রাম নিয়ে যদি আপনি নিশ্চিত না থাকতে পারেন, সাপ্লাই লাইন আর সেইফহাউজের অভাবে আরবান ওয়ারফেয়ার চালিয়ে যাওয়া যাবে না। গ্রাম আমাদের জন্য থ্রেট হবে না - কেবল এই নিশ্চয়তা পেলেই কেবল আরবান গেরিলা ওয়ারফেয়ারে একটা ভালোমানের ফাইট আশা করা যায়।

কিন্তু ভয়ঙ্কর আনফরচুনেট একটা বিষয়, রুরাল এনজিওরা বাংলাদেশের গ্রামগুলোর ব্যপারে যে মনস্তাত্বিক দখল রাখে, বাংলাদেশে আর কোনো পক্ষের সেরকম দখল নেই। খোদ বাংলাদেশ সরকারেরও এদের মত এত ভালো আইডিয়া নেই।

এক ভাইয়ের এঞ্জিওর অফিসে গিয়েছিলাম। মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়। ২০টা গ্রাম নিয়ে কাজ করে। ওই গ্রামগুলোর কার হাড়িতে কী রান্না হচ্ছে সেই খবরও এনজিও রাখে। এখানকার অর্ধেক গ্রামবাসী প্রত্যেককে তারা চেনে। লিটারালি।

৫০,০০০+ এনজিও এভাবে একটা একটা মানুষ ধরে ধরে করাপ্ট করে ফেলছে। সুদ ঢোকাচ্ছে, নারীদের লজ্জ্বা চিরজীবনের মত ভেঙ্গে দিচ্ছে। সেইসব নারীদের গর্ভে আরো কয়েক লেভেল বেশী বেহায়া আর করাপ্ট সন্তান জন্ম নিচ্ছে।
জাস্ট মুসলমানের কিশোরী মেয়েদের নিয়েই কাজ করে ১০,০০০+ এনজিও। ভেবে দেখুন, এত বাজেট, এত মেধা, এত রিসোর্স মাত্র একটা ডেমোগ্রাফিক টার্গেট করে। থ্রেটের মাত্রা বুঝতে পারছেন?

গ্রামের এই অশিক্ষিত, দরিদ্র মানুষদের জীবনযাত্রা নিয়ে তারা ল্যবরেটরি পর্যায়ের গবেষণা করে। ফলে হাজার বছরের পরীক্ষিত বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা দিয়ে তারা এই মানুষগুলোর মাইন্ডম্যাপ হাতের তালুর মত স্পষ্ট করে স্টাডি করতে পারে। আপন ভাইয়ের চেয়ে এনজিওগুলো বেটার বিহ্যাভিয়ার ট্রাক করতে পারে।

*******
এদের বিরুদ্ধে কি করা যায় বলতে গেলে অনেকেই চলে আসে মুখস্ত কথা নিয়ে। মুসলমানদের এই এনজিওগুলোর চাইতে বেটার এঞ্জিও বানাতে হবে - একদম বাজে কথা। দুনিয়ার সব কিছুরই বেটার ভার্সন হয় না।

বাজেট অনেক বড় ইস্যু। একটা দুই রুমের অফিসে প্রত্যেকে মিনিমাম ৫০,০০০+ বেতন পায়। তাও ৯টা-৫টা অফিস। এই এত বেকারের দেশে এরকম স্যালারি আর কে দিতে পারবে? তাদের একেকজন অডিটর মিনিমাম দেড়লাখ টাকা পায়। ব্রাকের একজন ড্রাইভারও ৩৫,০০০+ বেতন পায়। একজন ইলেক্ট্রিশিয়ানের সাথে কথা বলেছিলাম। সে তখন ৪৫+ পেতো।

মুসলমানেরা বাজেট দিয়ে কম্পিট করতে পারবে না।

সামনে সঙ্ঘর্ষের দিনে এই এনজিওগুলো এত বছরের কালেক্ট করা তথ্যগুলো দিয়ে শত্রুপক্ষকে হেল্প করবে। ওই মানের রিসোর্স আমাদের তো বটেই, সরকার কিংবা আর্মির কাছেও নেই।
এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ ইরাক যুদ্ধ। ত্রাণের আর চিকিৎসার বেশে থাকা এসব 'ভলান্টিয়ার'গুলো ইউএস আর্মিকে আগাগোড়া সার্ভ করে গেছে।

এদের একমাত্র ঔষধ সেটাই যেটা নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেন আর পাকিস্তানে কাজ করেছে। এদের কালেক্ট করা তথ্য হাতিয়ে নিয়ে পিটিয়ে বের করে দেওয়া। আর কোনোভাবে এদের সাথে পারা যায় না।

বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য এই এঞ্জিওদের বেসরকারিভাবে ট্রাক করা জরুরী। আর বিপদ আসলে সবার আগে এই থ্রেট দূর করতে হবে। নাহলে এরা আমাদের বাঁচতে দেবে না।
✍️ Ahmad Khan

সম্ভাব্য সত্য

16 Nov, 04:45


কথা ছিল এই ভিডিওটা যুব সমাজের মাঝে অনেক বেশি প্রচারিত হবে। আমার সামর্থ্য থাকলে সকলকেই বলতাম এটা দেখার জন্য।

যারা কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করেন, তারা চাইলে প্রচার করতে পারেন। পার্ট পার্ট অংশ যুব সমাজের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন। শরীয়াহর শাসন ও নোংরা গনতন্ত্র/রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যেকার তুলনা স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

সবাই নিজ নিজ স্থান থেকে যদি প্রচার না করেন তাহলে অন্যদের কাছে পৌছাবেও না, শরীয়াহর সত্য দিকটাও তেমন প্রকাশ পাবে না।

সম্ভাব্য সত্য

15 Nov, 19:15


⚠️ দুই দিন পর হাসিনা কে জাতীয় মজলুম বলে স্বীকৃতি দিবে।

সম্ভাব্য সত্য

14 Nov, 18:39


😶 এত এত অজুহাত মাত্র এক লেখাতেই ঘায়েল...

সম্ভাব্য সত্য

14 Nov, 13:58


⚠️ আন্দোলন শুরু করেছিল ছাত্ররা। হাসিনাকে খেদিয়ে ৫০% কাজ করতে পেরেছে। কিন্তু বাকি ৫০% কাজ কি করতে পেরেছে? উত্তর হচ্ছে, না। উল্টো হাসিনার মতো রেজিম তৈরি হওয়া শুরু হয়েছে। এখনও সময় আছে প্রতিবাদ করার। কারণ এটা এখনও হাসিনার মতো রাঘব বোয়াল হয়ে যায়নি।

এতগুলো রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা চলমান আছে। আর সবাই যদি চুপই থাকে তাহলে হাসিনার চেয়েও বড় রাঘব বোয়াল যখন ঘাড়ে চেপে বসবে তখন টের পাবে এ জাতি.

সম্ভাব্য সত্য

14 Nov, 10:56


⚠️ উগ্র হিন্দুত্ব জঙ্গিবাদ দেশে মাথাচারা দিয়ে উঠেছে।

সম্ভাব্য সত্য

13 Nov, 15:45


নেপাল থেকে বাংলাদেশে আসছিলাম একজন চীনা ভদ্রলোকের সাথে বিমানের বোর্ডিং এ দেখা। তিনি দেখালেন তার পাসপোর্টে পাতার পর পাতা বাংলাদেশের ভিসাতে ভর্তি। আমি অবাক হয়ে গেলাম। এতগুলো ভিসা কেনো?

সে বলল চীনের নাগরিকরা বাংলাদেশে এক মাসের ফ্রি ট্যুরিস্ট ভিসা পায়। সে বাংলাদেশে থাকে। যেই মুহুর্তে এক মাস হতে লাগে তার আগে নেপালে এসে আবার বাংলাদেশে যায়। এভাবে কয়েক বছর বাংলাদেশে আছে।
কিন্তু বাংলাদেশে থাকা এতটা জরুরী কেনো?

সে বলল সে একজন ব্যবসায়ী বাংলাদেশে ব্যবসা করে সেই জন্যে থাকা। মাসের শেষে একদিন নেপালে এসে পরের দিনই চলে যায় বাংলাদেশে।

আমি চোখ কপালে তুলে বললাম কি ব্যবসা করেন আপনি যে প্রতি মাসে একদিনের জন্যে বিমানে করে নেপালে আসেন কেবল ভিসা রিনিউ করতে।

ভেবেছিলাম বিরাট কিছু শুনবো কিন্তু আমাকে অবাক করে বলল আমি রিকশার ব্যাটারি সাপ্লাই করি।
এবার আরও অবাক আমি। রিকশার ব্যাটারি বিক্রি করে এত ধনী হওয়া যায়? এত লেখাপড়া করে আমি বছরে একবার বিদেশে যেতে পারলেই খুশি।

পরে অনেক চিন্তা করে দুইটা জিনিস শিখলাম - ১ কোনো কাজকে ছোট করে দেখতে নাই। আমি যদি রিকশার ব্যাটারি বেচি যত বড় ব্যবসায়ী হই না কেন মানুষ অনেকেই অবজ্ঞা করবে। কিন্তু একজন ব্যাক্তি এই কাজ করে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি আয় রোজকার করে গর্ব ভরে নিজের পরিচয় দিচ্ছে। আসলে কোন কাজই ছোট না।

দ্বিতীয়ত যেই জিনিসটা আরো চিন্তাতে ফেলল আমাকে তা হচ্ছে আমাদের দেশ রিকশার ব্যাটারি পর্যন্ত বানাতে পারে না। কিন্তু গরীব রিকশা মেকানিক থেকে টাকা নিয়ে চীনের মানুষ ধনী হয়ে যাচ্ছে। এভাবে তারা সারা বিশ্বের অন্যতম একটি ব্যবসা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

অনেক দিন পার হয়ে গেলো এখনও অটো রিকশা দেখলে এর ব্যাটারি, মোটর ও বডি দেখি এইটা কোন দেশে তৈরি। আর স্বপ্ন দেখি একদিন আমরাও বানাবো এবং আমাদের দেশের ব্যবসায়ী ও যুবকরা সমৃদ্ধ হবে।
✍️ #Mohaimin_Patwary

সম্ভাব্য সত্য

13 Nov, 11:52


ইসলামিস্টরা আফসোস করছেন বিনপি ইতিহাস থেকে কোনো শিক্ষা নেয়নি। মুজিবের বিরুদ্ধে গণের আক্রোশ সত্ত্বেও বিনপি বলছে মুজিবের ছবি নামানো ঠিক হয়নাই। তার মানে তারা ফ্যাসিবাদী হাসিনার শাসনামল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেনি।
.
বিনপি গণতন্ত্রের বোর্ডে গণতান্ত্রিক খেলোয়াড় হিসেবে সঠিক চালই দিচ্ছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার থেকে তারা সঠিক শিক্ষাই নিয়েছে। গণতন্ত্রের একটা অসাধারণ ধূর্ততা হলো পরমতসহিষ্ণুতা। ভিন্নমতাবলম্বীদের মধ্যে যারা দুর্বল ও নির্বিষ, তাদের প্রতি সহনশীলতা দেখানো গণতন্ত্র ধর্মের একটি রুকন। এই রুকন যারা মানে না, তারা গণতন্ত্র ধর্ম থেকে মুর্তাদ্দ্ হয়ে যায়, বা অন্ততপক্ষে ফাসেকে পরিণত হয়। গণতন্ত্রের মক্কা-মদিনা থেকে ওই শাসকের প্রতি সমর্থন ও সহানুভূতি তুলে নেওয়া হয়।
.
হাসিনা এই ভুলটাই করেছিল। সে দুর্বল ও নির্বিষ প্রতিপক্ষদেরও টিকতে দিচ্ছিল না। তাই গণতন্ত্র থেকে সে মুর্তাদ্দ্ হয়ে যায়। বিনপি এই ফাঁদে পাদিতে নারাজ। আমলীগ বর্তমানে দুর্বল ও নির্বিষ। বিনপি গণতান্ত্রিক ধর্ম পালনের স্বার্থেই এখানে উদারতা, সহনশীলতা দেখাবে। এখানে আমলীগের প্রতি উদারতাটা মাধ্যম মাত্র; কিন্তু উদ্দেশ্য হলো নিজেদের ধার্মিকতা ঠিক রাখা। গণতান্ত্রিক মক্কা-মদিনা থেকে সমর্থন লাভ অব্যাহত রাখা।
.
এই মুহূর্তে শক্তিশালী ভিন্নমতাবলম্বী হলো ইসলামপন্থীরা, সেটা গণতন্ত্রপন্থী ও গণতন্ত্রবিরোধী সকল ব্লকের ক্ষেত্রেই সত্য। সেকুলাঙ্গার গণতান্ত্রিকরা এখন মূলত এদের বিরুদ্ধে সরব থাকবে বেশি। শক্তিশালী ও সামর্থ্যবান ভিন্নমতাবলম্বীর প্রতি সহনশীলতা দেখানোটা গণতান্ত্রিক ধর্মের কোনো ফরয রুকন নয়। বরং তাদের দমন করাটাই ফরযিয়্যাত।
.
তাই মুজিবের ছবি থাকবে। যেটা থাকতে পারবে না, সেটা হচ্ছে ‘শরিয়াহ’ বা ‘খিলাফাহ’ শব্দগুলোর উল্লেখ। মত প্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে এগুলোকে স্পেইস দেওয়া যাবে না। কারণ এসব মত পোষণ ও প্রকাশ করতে দিলে দ্রুতই এগুলো প্রচার ও প্রতিষ্ঠার পথে এগুতে থাকবে। এতে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ণ হবে।
.
বিনপি এই সেদিনের কোনো শিশু না। তারা দশকের পর দশক রাজনীতি করে এসেছে। লীগের চরম দমন-পীড়নমূলক তুফানের সামনে দাঁতকপাটি চেপে টিকে থেকেছে। নিজেদের ধর্ম তাদেরকে আপনার কাছ থেকে শেখা লাগবে না।
.
✍️ #HujurHoye

সম্ভাব্য সত্য

13 Nov, 04:49


একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। এক ভাইয়ের কথা। তাকে নির্যাতনের এক পর্যায়ে তিনি যখন অচেতনের মত হয়ে যেতেন, তাকে বেঁধে দরজার সামনে ফেলে রাখা হত। নিয়ম ছিল, যারাই যাবে, তারা তাকে পাড়িয়ে পাড়িয়ে যাবে। লাথি দিবে।

লো ক্লাস কামলা গুলোর জন্য ছিল নিজেদের ছা-পোষা জীবনে অহংকার প্রদর্শনের এক চরম সুযোগ। কারণ এমনিতে তাদের কোন সম্মান নেই। তাদের বসেরা গালাগলি করতে করতে তাদের বিভিন্ন অর্ডার দেয়। তারা সার সার সার বলে মুখে ফেনা তুলে কুকুরের মত লেজ নাড়াতে নাড়াতে জিহবা থেকে লালা বের করলেও, পিছন পিছন তারাও তাদের নকল প্রভুদের গালগালই করে।

তো একদিন শুনলাম, কোন একটা টিমের অফিসরুমে ওই সব কামলাদের বসা নিষিদ্ধ করা হইসে। আমি মনে মনে বলি বাহ! এই তোদের সম্মান। কয়দিন পর শুনি অবস্থা বিবেচনায়, তাদের জন্য পুরোনো প্লাস্টিকের চেয়ার দেয়া হয়েছে। তারা সোফায় বসতে পারবে না। সোফায় বসলে অফিসারদের জাত চলে যাবে।

এই অফিসাররা তাদের ক্যারিয়ার কমিশনের জন্য গুম-খুন করে, টাকা-পয়সা কামাই করে। তুই ব্যাটা কি পাস, কতটুকু পাস? অথচ তাদের কথায় তুই হয়ত হাতে হ্যান্ডকাফটা লাগাস। কোর্টে কোর্টে হয়ত তুইই দৌড়াস। কিছু হলে দেখবি, তোর অফিসাররা তোরেই সামনে ঠেলে দিবে মরতে। তারা পালিয়ে বিদেশে চলে যাবে। তুই কই যাবি? এ দুনিয়ায় না হয় বাঁচলি, কিন্তু পরে? তোরে কে বাঁচাবে?

#গুম
#আয়নাঘর
© Bearded Bengali

সম্ভাব্য সত্য

12 Nov, 19:25


সুদখোর ইউনুস শুয়োর ❗️

সম্ভাব্য সত্য

12 Nov, 17:10


সুশিক্ষা

সম্ভাব্য সত্য

12 Nov, 15:23


আপনারা যারা আমাকে উপদেষ্টা হওয়ার জন্য ট্যাগ দিচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনারা যতই ট্যাগ দেননা, যত হাজার মানুষই দেন না কেনো, যতো ধর্ম-গোত্রের মানুষ দেন না কেনো, আমিতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবা NGO-r লোক হতে পারব না।

যেই নেতৃত্ব দেয়ার কারণে "সমন্বয়করা" ডিবি অফিসে ছিল, সেই নেতৃত্ব দেয়ার কারনে আমিও ছিলাম। যেই সময় তারা ছিল, ঠিক একই সময় আমি ছিলাম, একই অফিসে ছিলাম। তাদের সাথে আমার দেখাও হয়েছিল। আমি ছিলাম কারাগারের ভিতরে, তারা বাহিরে।
যখন ডিবি আমাকে মেরে ইনিয়ে বিনিয়ে বলেছিল যাতে আমি বের হয়ে আন্দোলনের বিপক্ষে বলে, আমি রাজি হইনি। রাজি হলে আগেই ছাড়া পেয়ে যেতাম।

যেই সময় বাংলাদেশে কোনো শিক্ষক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অবৈধ এবং অন্যায়ভাবে আক্রমণ করার বিরুদ্ধে, ছাত্রদের সাথে একই কাতারে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ করার জন্য ডাক দেয় নাই, আমি দিয়েছিলাম।

আমি বলেছিলাম ছাত্রদের বুকে গুলি লাগার আগে, আমাদের শিক্ষকদের বুকে যেন গুলি লাগে। আমি বলেছিলাম ছাত্রদের গায়ে অন্যায়ভাবে আঘাত লাগার আগে, আমাদের শিক্ষকদের গায়ে যেন লাগে।

আমি প্রথম নিজের উপর দায় নিয়ে সকল শিক্ষকদের মাঠে নামার আহ্বান করেছিলাম। বলেছিলাম আপনারা যদি প্রতিবাদ করতে ভয় পান, বলেন আসিফ স্যারের নেতৃত্বে আমরা করেছি, তাকে ধরেন, তাকে গুম করেন। এবং এই কারনে আমাকে গুম এবং নির্যাতন করে স্বৈরাচার।

কিন্তু সরকার গঠন করার পর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, জনগণ, রাজনৈতিক দল কারো মত না নিয়ে উপদেষ্টা স্বৈরাচারের দোসরদের করা হচ্ছে। তারা "ছাত্রদের দ্বারা নিয়োগ পেয়েছিল"। সেই ছাত্রদের মধ্যে কি আমাদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-নেতারা ছিল? প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে, এবং হচ্ছে। তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ এবং অবদান অস্বীকার করা হয়েছে এবং হচ্ছে।

সরকার গঠন করার পর পাবলিক বিশবিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপদেষ্টা করা হলো, যাদের থাকার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু শিক্ষক হয়ে, আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে, ত্যাগ স্বীকার করেও, আমাকে একটা ফোন করার প্রয়োজন মনে করে নাই এই সরকার। দেশ স্ট্যাবল করার জন্য আমার থেকে কোনো পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন তাদের লাগেনি, যেখানে আমি জনমুখী রাজনীতি এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছি ১৫ বছর ধরে, যেই সময় কিছু শাহাবাগি উপদেষ্টা স্বৈরাচারের দালালি করায় ব্যস্ত ছিল।

আর পাবলিক বিশবিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপদেষ্টা যদি করতেই হয়, তাহলে প্রাইভেট বিশবিদ্যালয় কেন বাদ যাবে? বৈষম্যের কারণে?
মার্কিন বুদ্ধিজীবী এবং রাজনৈতিক বিজ্ঞানী নোম চমস্কি একবার বলেছিলো, NGO-রা একটা ছোট স্বৈরাচারী রাষ্ট্রর মতো। তারা তাদের কর্মচারীরা কি কাপড় পর্বে, কতক্ষণ break পাবে, এমনকি অফিসের culture-o নির্ধারণ করে দেয়।

আমাদের এখনকার বৈষম্যবাদী ফ্যাসিবাদ NGOgram সরকার দেশটাকে সেভাবেই চালাচ্ছে। তারা তাদের মনের মতো উপদেষ্টা নিচ্ছে, এমন একটা ভাব যে আমরা তাদের under এ কাজ করি। তারা যে আমাদের নিয়োগে কর্মচারি এইটা তারা বুঝতে পারছে না। তারা NGO চালিয়ে অভ্যস্ত জনগণকে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা তাদের নেই।

কাজেই আমি এই সরকারের দ্বারা নিয়োগ নিব না। আমাকে যদি ছাত্র-জনতা নিয়োগ দিতে চায়, তাহলে আমি ছাত্র-জনতার দ্বারা নিয়োগ হবো। সেটা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করবে জনগণের ওপর।

তবে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, আমি আন্দোলনের সময় মরতে গিয়েছিলাম। উপদেষ্টা হওয়ার জন্য যাইনি। আপনারা কেও যখন আমাকে চিনেন না, তখন থেকে আমি সংগ্রাম করে আসছি, চেনা পরিচিতি পাওয়ার জন্য না।

যদি সেটা সত্যি হতো, তাহলে আজ আমি ব্র্যাকেই থাকতাম। দেশের মানুষ এবং ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য আয় রোজগার বিসর্জন দিতাম না, টাকার লোভে ব্র্যাকেই পরে থাকতাম। আর আজ ব্র্যাকে থাকলে NGO সমর্থক হিসাবে উপদেষ্টা অটো হয়ে যেতাম। কিন্তু মুসলমান হওয়ার কারণে এবং আমেরিকার ডেমোক্রেটিক পার্টিতে দালাল না হওয়াতে সেটা হয় নি।
✍️ Asif Mahtab Utsha

সম্ভাব্য সত্য

12 Nov, 09:11


ফারুকী মাত্র ১ দিন হইসে দায়িত্ব পাইসে। কিন্তু অর অবস্থাটা দেখসেন, সাংবাদিকদের সামনে! যখন তারে বলা হইল, তারে নিয়া সমালোচনা হইতেসে, বিরোধিতা হইতেসে—তার ভঙ্গি দেখসেন আপনে! কী বিরক্ত! কী নোংরা রকমের স্বাভাবিক ও পল্টিবাজি! মানে, যেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আজকে অর মতো একটা বদমাইশ ও মোনাফেক উপদেষ্টা হইল—সেই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান কুশীলবরা যে ক্ষুব্ধ অর পদায়নে, এইটা নিয়া অর কোনো লজ্জা ও অস্বস্তি নাই। এক চুল বিব্রত না এই অসভ্যটা!
.
অয় গলবাজি করে বলতেসে, এক চিলতা লজ্জার ধার না ধাইরা বলতেসে—শুধু দুয়েকটা পোস্ট দেইখেন না, সব কিসু দ্যাখেন! এরপর অয় দুইটা পোস্টের রেফার করসে। ক্যারে নিমকহারাম, তুই তাইলে মাত্র দুইটা পোস্ট রেফার করলি ক্যান? অন্তত ১০টা পোস্টের কথা কইতি! আর তোর দুয়েকটা পোস্ট বাদ দিব ক্যান? ওগুলা কি তুই ল্যাখোস নাই? ওগুলা কি তোর অবস্থান না?
.
আমি বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অবস্থা বুঝি না! ভাই, দ্যাশের প্রতি আপনেরা যদি এখনও সততা না দেখাইতে পারেন, আর কবে দেখাবেন? আপনাদের কি নিজেদের দিকে তাকাইতে ঘিন্না লাগে না? আপনাদের কাজটা কী? ১৬টা বছর ভয়ের জুজু দেখায়া আপনেরা ফ্যাসিস্টরে ত্যালাইলেন। এখন যখন দ্যাশটা ডাইনিমুক্ত হইল, তখনও আপনেরা ঘুরায়াফিরায়া ওই একই খাসলতে আছেন! আপনেরা এত অমানুষ কেন?

আপনেরা কেউ একজন কি তারে বুমটা আগায়া জিগাইতে পারলেন না—আপনে কি শেখ মুজিবকে স্বৈরাচার মনে করেন না? তার উত্তর যেইটাই হইত, আপনের কাছে ফারুকীর মুখোশ ছিঁইড়া দেওয়ার মতো অসংখ্য প্রশ্নবাণ থাকত।

অয় যদি বলত—না; তাইলে তো আপনে অরে ত্যানাত্যানা বানায়া ফেলতে পারতেন প্রশ্ন কইরা।

+ ক্যান মনে করেন না?

+ আপনে কি বাংলাদেশের ইতিহাস জানেন না?

+ শেমু যে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষরে মারসে, এইটা জানেন না?

+ আপনে কি ৭২ থেকে ৭৫-এর ইতিহাস জানেন না?

+ আপনে কি রক্ষীবাহিনীর নাম শোনেন নাই?

+ শেমু যে ভারতের পাপেট, এইটা কি আপনে জানেন না?

+ শেমুকে কেন হত্যা করা হইল? জানেন না?

+ যারা তারে হত্যা করসে, তাদের ব্যাপারে আপনের অবস্থান কী?

+ শেমুর বাকশাল সম্পর্কে কি আপনে জানেন না?

অরে প্রশ্ন দিয়া কিলায়া শ্যাষ কইরা ওই সম্মেলনের পর অরে উপদেষ্টা থিকা নামায়া দিতে এই সরকার বাধ্য হইত।
.
আর যদি অয় বলত—হ্যাঁ, আমি শেমুরে স্বৈরাচারী মনে করি, তাইলেও আপনে অরে কক কইরা ধইরা বসতে পারতেন। অরে জিগাইতেন:

+ তাইলে শেমুর ৩২ নম্বর ঠিক করতে হবে, বইলা পোস্ট দিসিলেন ক্যান?

+ ড. ইউনূসকেও কেন সেখানে যাইতে হবে, বলসিলেন?

+ আপনের বউ শেখ মুজিবের বউয়ের চরিত্রে অভিনয় করসে ক্যান?

+ আপনে ফ্যাসিবাদের দোসর মন্ত্রী পলকরে ইনোসেন্ট দেখাইতে এত মরিয়া কেন হইসিলেন? কেন ফেসবুকে পোস্ট করসিলেন?

+ আওয়ামী গণশত্রুদেরকে নিয়া কয় দিন পরপর কাতার ধইরা ম্যানশন মাইরা স্তাবকতার বল্লরী ফুটাইতেন ক্যান?

+ বাংলাদেশের সংবিধানে নিষিদ্ধ জঘন্যতম পাপাচার সমকামিতার মতো নোংরামিরে জাস্টিফায়েড করতে গিয়া আপনে কি শাহবাগি নোংরামি অর্থাৎ ফ্যাসিজমেরই কালচারাল উইং শাহবাগিদেরই মস্ত অসভ্য এক পালের গোদা হিশাবে আবির্ভূত হন নাই?

+ যদি তা-ই হয়, তাইলে কীভাবে আপনে শেমু বা শেখাসিনার দোসর না? কালচারাল ফ্যাসিজমের হারামি উদগাতা না?

যা-ই জিগাইতেন, অর কোথাও যাওয়ার উপায় থাকত না। কিন্তু পরিতাপ—আজ এই স্বাধীন বাংলাদেশেও আপনারা এই ভ্যালিড প্রশ্নগুলা তারে করতে পারেন না! জনতার প্রশ্ন, জনতার রাগ-ক্ষোভ-ঘৃণা, কিছুই, তার দিকে ছুইড়া দিতে পারেন না!

অথচ এই আপনারাই কয়েকটা নাটুকে জাতীয় দিবস নিষিদ্ধ হওয়ায় শেমুরে নিয়া কান্দাকাটির প্রশ্ন হাইলাইট কইরা ছাপেন; হাসনাত-সারজিসদেরকে বন্যার টাকার হিসাব নিয়া বিব্রত করেন; শেমুর ৩২ নম্বরে জনতার লুঙ্গি ডান্স নিয়া খুব ঘোড়ার আন্ডা মার্কা বলদামি করেন। আর ভাবেন, খুউব অনেকখানি হাম্বাদিকতা হইল! কিন্তু আসল কাজটা আপনেরা কোনো দিনই করেন না।
✍️ Md. Nesaruddin Rumman

সম্ভাব্য সত্য

12 Nov, 01:47


এই দ্বীন প্রচন্ড ভারী। কাটাঁর চেয়ে তীক্ষ্ণ, তরবারির চেয়ে ধারালো, আগুনের চেয়ে উত্তপ্ত"

🎙 উস্তাদ মানজুরুল করিম (হাফি)

সম্ভাব্য সত্য

12 Nov, 00:34


২৪ এর মীরজাফর, মুনাফেক আসিফ নজরুলকে আগে খেদান। এইটা মুল শয়তানদের মধ্যে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে। এইটা যতদিন টিকে থাকবে ততদিন এমন আরো ফ্যাসিবাদী লোকদের ক্ষমতায় আসীন হতে দেখা যাবে। এখন না হয় প্রকাশ্যে নিয়োগ দিতেছে এরপর পরোক্ষভাবে নিয়োগ দিবে। যা হবে আরো বেশি ক্ষতিকর।

সম্ভাব্য সত্য

11 Nov, 20:17


জুলাই বিপ্লবের অনলাইনের সবচে বেশি এক্টিভ দুইজন মানুষ, পিনাকী ভট্টাচার্য আর জুলকারনাইন সায়ের সামি ভাই প্রোফাইল লাল করে দিয়েছেন।

(আপডেট: নাহিদ হাসানকে ভুয়া স্লোগান দেওয়া হয়নি। ভুয়া স্লোগান সচিবকে দেওয়া হয়েছে বলে জগন্নাথের স্টুডেন্টরা নিশ্চিত করেছেন)

বিএনপির সাথে বৈষম্য বিরোধীদের বিরোধ এখন স্থায়ী রূপ পাইতে চলেছে। জানি না, মাঠে আর ঐক্য তৈরি হবে কি না।

আজ মাদ্রাসার ছাত্রদের গ্রেফতার করা হয়েছিলো। যদিও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, বাট তারপরও পরেরবার ওরা আপনাদের কথা শোনার আগে দুইবার ভাববে নিশ্চিতভাবেই।

আজ ফারুকী প্রথম দিন মিডিয়াতে এসে হুমকি দিয়ে বলেছেন, আজেবাজে কিছু প্রচার করলে অসুবিধা হবে।

একেবারে আওয়ামীলীগের ভাষা। এইবার বুঝেছেন? একজন মুজিববাদী কেন সবসময়ই মুজিববাদী? মুজিববাদের পীর ফারুকীর আগে এমন হুমকি আজ পর্যন্ত কেউ দেয়নি।

জাস্ট দুইটা মানুষের নিয়োগ আপনাদের ৩ মাসের কাজ ধ্বংস করে দিলো।

আপনাদের ঐক্য নষ্ট করে দিলো।

এই মুহূর্তের পিনাকী ভট্টাচার্য, জুলকারনাইন সায়ের আর বিএনপি, বিপ্লবের অন্যতম বড় তিন স্টেক হোল্ডার আপনাদের পাশে নাই।

আপনাদের ধীরে ধীরে যে একা করে ফেলা হইতেছে সেইটা আমরা তো স্পষ্ট বুঝতেছি, আপনারা বুঝতেছেন তো?
✍️ Sadiqur Rahman Khan

সম্ভাব্য সত্য

11 Nov, 15:57


⚠️ শুরু হয়ে গেছে ফ্যাসিবাদ 2.0

সম্ভাব্য সত্য

11 Nov, 14:23


বিএনপির যেকারণে লীগকে দরকার, একই কারণে সমন্বয়ক-মাস্টারমাইন্ডদেরও লীগকে দরকার৷ আওয়ামী লীগেরও জামাতকে একই কারণে দরকার ছিল।

আওয়ামী লীগ কিন্তু ১৬ বছর আর আগের ৫ বছরের কোনোদিন জামাতকে নিষিদ্ধ করে নাই। করছে? জামাতের অনেস্ট নেতাদের ফাঁসি দিসে, কিন্তু সংগঠন টিকে থাকতে দিছে। কেন?
মিডল ক্লাস-এলিটরে বুঝ দিছে আমরা খারাপ, কিন্তু জামাত আরও খারাপ। ওরা আসলে বোরখা পড়া লাগবে। তাই লীগকে টিকায় রাখো। ওরা লীগকে টিকায় রাখছে। বাংলাদেশে প্রচুউউর এমন লোক আছে যারা লীগ থেকে ১ পয়সাও পায় নাই, কিন্তু এই কারণে লীগকে সাপোর্ট করছে। এবং করবে। জামাতের বাস্তবতা এই যে জামাতের নেতার মেয়েরা এখন লিবারেল। জামাত আগে দুইবার জোটে ক্ষমতায় ছিল, ইসলাম পুশ করে নাই, এখনতো ওরা আরও মডারেট। এবারতো মন্দিরে যেয়ে শ্লোক না কি যেন পাঠ করে আসলো। কিন্তু তাও জোর করে জুজুর ভয় গেলানোর স্কিমটা ম্যাসিভলি সাকসেসফুল।

বিএনপি আর মাস্টারমাইন্ড দুই পার্টি এখন চায় একই ভাবে "লীগ চলে আসবে" এই রাজনীতি করতে। পিনাকীর এনালজিটা কাইন্ড অফ সঠিক এখানে। এর কারণটাও অবভিয়াস। বিএনপির কাছে ''আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট, আমি কমপক্ষে তার চেয়ে ভালো" এই লাইনটার বাইরে কোনো বয়ান নাই। ওদের কাছে জনগণকে দেওয়ার মতো কিছু নাই। বুইড়া আর টোকাই কি বা দেবে?

এর সাথে এখন নিউশাহবাগীরাও যোগ হইছে। এদের মতে ইসলামিস্টরা সব হাসিনার লোক। ঐযে কালোপতাকা যে উড়াইলো, ঐটাও নাকি আওয়ামী মাস্টারপ্ল্যান। যদিও কাজটা ছিল ৭৫% হিযবুত তাহরীর আর ২৫% বিজ্ঞান কলেজের ছেলেদের। হিজবুতকে আমি নিজেও যথেষ্ট সন্দেহ করি, প্রবলেম্যাটিক মনে করি। কিন্তু আমার অপছন্দ বা অপজিশনকে খারেজি ট্যাগ মেরে রক্ত হালাল করা বা ওদের উপর জেল-জুলুম জায়েজ করার মতো ফ্যাসিস্ট মেন্টালিটি নিয়ে আমি চলি না। এরা চলে। নিওফ্যাসিজম এদের হাত ধরেই আসবে।
✍️ Tanzirul Islam Nibeer

সম্ভাব্য সত্য

11 Nov, 13:49


একটা প্রবাদ তো সবাই শুনেছেন, "নৌকা আর ধানের শীষ, দুই সাপের একই বিষ"। কেন এই বিষ জানেন, সেটা হলো সেক্যুলারিজম ও গণতন্ত্র। সেক্যুলারিজম আর গণতন্ত্র হলো এমন একটা নৈতিকতাহীন ম্যাকানিজম, যা সবাইকে স্বৈরাচার বানায়। কারণ সেক্যুলারিজমে আইন হচ্ছে সর্বোচ্চ নৈতিকতা। এখন আইন যদি মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের (ফিতরাত) বিপরীত হয়, তবুও এটাই হলো সর্বোচ্চ নৈতিকতা।

শরিয়াহ নিছক আইনের উপর জোর দেয়‌ না, বরং শরঈ আইনের উৎস হলো ফিতরাত। এজন্য আপনি শরঈ আইনের মূল কনসেপ্টকে একটা আয়াতের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবেন, কিন্তু আপনি সেক্যুলার ও‌ লিবারেল আইনকে একটা ফ্রেজ বা প্যারা-ফ্রেজের মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে পারবেন না, আপনি অবশ্যই কোন না কোন সাংঘর্ষিকতা ও সীমাবদ্ধতা লক্ষ্য করবেন।
✍️ হাসান মুহাম্মদ ভাই

সম্ভাব্য সত্য

11 Nov, 11:14


আপনারা ফারুকী ও শেখ বসিরকে নিয়ে ক্যাচাল করছেন, অন্যদিকে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ'র সাথে সম্পর্ক তৈরী করছেন। আমির খসরুর শারীরিক অঙ্গ ভঙ্গি খেয়াল করুন। এই ছবি দেখে ভীত হবার অনেক কারণ আছে। বিএনপিও নতজানু ভারতনীতিতে আগাবে বলে মনে হচ্ছে।

নোট: ছবি কবের জানা নাই। তবে মাথা নতো আমীর খসরুর ছবি বিএনপির ভবিষ্যত ভারতনীতি সম্পর্কে আমাদের ধারণা দেয়।
© Noman Khan

সম্ভাব্য সত্য

10 Nov, 23:52


😶

সম্ভাব্য সত্য

10 Nov, 18:09


সম্প্রতি উপদেষ্টা হওয়া শেখ বশির ও তার ভাই শেখ আফিল দুজনেই জুলাই গণহত্যার আসামী। দুজনেই লীগের নেতা। তার ভাই শেখ আফিল ছিল লীগের সাবেক এমপি। ৫ই আগস্টের পরে যশোরের চাঁচড়া চেকপোস্টে অবস্থিত আফিলের এগ্রোতে ক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালিয়েছিল৷ কাদের উপদেষ্টা বানানো হচ্ছে বুঝেন এবার৷
© মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ হাফি.

সম্ভাব্য সত্য

10 Nov, 15:23


চলছে গাড়ি...

সম্ভাব্য সত্য

10 Nov, 13:13


⚠️ লীগের দালালেরা উপদেষ্টা পর্যায়ের ক্ষমতায় গিয়ে বসে আছে...

সম্ভাব্য সত্য

10 Nov, 07:56


শিক্ষক হিসেবে বলছি।
বাংলাদেশের শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে উচ্চ শিক্ষায় ইংরেজি।

খাতা কাটতে গেলে বোঝা যায় যে কত ভালো কনসেপ্ট বোঝা ব্যাক্তিরা ইংরেজিতে লিখতে হিমশিম খাচ্ছে। বলা যায় প্রতি লাইনে গ্রামার, বানান ও বাক্য গঠন মারাত্মক ভুল। অনেক সময় গবেষণা করে বুঝতে হয় যে ছাত্র কি বুঝাচ্ছে।
সেই তুলনায় যার ইংরেজি ভালো সে সাবলীল ভাবে সব লিখে যায় এবং ভালো মার্ক পায় মেধা না থাকলেও।
আমি প্রথমেই ঘোষণা করছি যে গ্রামার, বানান ও বাক্য গঠনের উপর কোন মার্ক নেই।

কিন্তু আমার জন্যে কষ্ট হয়ে যায় বিষয়টা। কতজন এই কষ্ট করবে? দ্বিতীয়ত, এত উদার নীতির পরেও ছাত্র ছাত্রীরা তাদের জায়গা থেকে পুরোপুরি ভাষার দেয়াল অতিক্রম করতে পারে নাই। নিজে সাক্ষী।
একজন ভালো ছাত্র যখন কেবল ভাষার জন্যে কম মার্ক পায় তার বিশ্ব বিদ্যালয় জীবন পরিণত হয় হতাশায়।
কিন্তু একটা কথা কোনদিন বুঝি নাই আজও বুঝি না। কি দরকার ছিলো ইংরেজিতে পড়াশোনা করানোর? বরং এই দেশকে বহু বছর পিছিয়ে দিয়েছে ইংরেজি ভাষার পূজা।

সেই তুলনায় আমরা চাইলে বাংলাতে বই অনুবাদ করে পড়তে পারতাম। এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ আগ্রহের বিদেশী ভাষা শিখে বিভিন্ন দেশে চাইলে গবেষণা করতে, চাকরি করতে এবং থাকতে যেতে পারতো। সবাই তো বিদেশে যাবে না। যে যেই দেশে যাবে সেই দেশের ভাষা শিখলেই চলে। যারা মনে করে ইংরেজি সব দেশে চলে তারা দেশের বাহিরে পা রেখেই বুঝে যায় ছোট বেলা থেকে কেবল একটা ভাষা সবাইকে শেখানো ছিলো আমাদের জাতীয় ভুল। আপনি যত ভালো ইংরেজি পারেন না কেন এবং যত মেধাবী হন না কেন ইউরোপের দেশ গুলোতে তাদের ভাষা শিখতে হবেই। এশিয়া ও আরব দেশগুলোতে তাদের ভাষা পারলে আপনি আরো ভালো চাকরি ও ব্যবসা করতে পারবেন। বলা যায় ভাষাতে পিছিয়ে থাকার কারণে আমরা বিভিন্ন দেশে পিছিয়ে পড়া কমিউনিটি।

দুনিয়াতে খুব কম মানুষ ইংরেজিতে কথা বলে এবং ইংরেজিতে পড়াশোনা করে। প্রায় সকল দেশেই তাদের নিজ ভাষায় পড়া লেখা করানো হয়। কারণ এটাই সঠিক রাস্তা।

পৃথিবী জুড়ে একটি দেশ নাই যারা মাতৃভাষা ছেড়ে ইংরেজিতে পড়াশোনা করে উন্নত হতে পেরেছে। একটাও না।
কারণ ইংরেজি কেবলমাত্র একটা ভাষা। না এইটা কোন প্রযুক্তি না। এইটা কোন কাজ করার দক্ষতা। না এইটা বুদ্ধি বৃদ্ধি করে বা স্বাস্থের উন্ময়ন করে।

যার দরকার সে নিজ চেষ্টায় তিন বছরে এমনিতেই শিখে নিতে পারে। জোর করে চাপিয়ে দিতে লাগে না।
✍️ #Mohaimin_Patwary

সম্ভাব্য সত্য

10 Nov, 02:52


Can #Science Explain Everything?

সায়েন্স কি সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেয়?

সম্ভাব্য সত্য

08 Nov, 09:53


রাজশাহীতে একটি কলেজ আছে, নাম মহিলা কলেজ। সেখানে শুধু ছাত্রীদেরই ভর্তি নেওয়া হয়। তবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসেবে পুরুষরাই কাজ করেন—শুধু শিক্ষার্থী হিসেবে ছাত্রী ছাড়া আর কোনো পুরুষ শিক্ষার্থী নেই।

এমনই মনে হয়েছে কিছু" মুসলিমা" ইভেন্টের আয়োজনের ক্ষেত্রে। প্রথমে নাম শুনে ভেবেছিলাম, এটি শুধুমাত্র বোনদের জন্য, এবং বোনদের দ্বারাই পরিচালিত একটি আয়োজন। তবে এখন শুনলাম, বিষয়টা আসলে তেমন নয়।

ইভেন্টে যে প্রকাশনীগুলোর স্টল থাকবে, সেগুলোর দায়িত্বে মূলত পুরুষরাই আছেন। শুধুমাত্র দর্শনার্থী হিসেবে নারীদেরই প্রবেশাধিকার রয়েছে; পুরুষদের অনুমতি নেই। কিন্তু ভেতরের আয়োজনেই পুরুষদের উপস্থিতি রয়েছে। এমন কিছু ছবিও প্রকাশিত হয়েছে৷

পর্দাবান্ধব বলতে মূলত কী বুঝায়? মহিলারা নিজ মাহরাম পুরুষদের সাথে নিতে পারবেনা, বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভেতরে অন্যের মাহরাম এর সামনে যেতে পারবে এমন কিছু?
আমি কোন মন্তব্য করছিনা৷ তবে প্রমোটও করছি না৷

সাজেশন দিচ্ছি - বোনদের আয়োজন গুলো অনলাইন ভিত্তিক হলেই ভালো হয়৷
✍️ #Shah_Mohammad_Tonmoy

সম্ভাব্য সত্য

26 Oct, 12:18


🙂

সম্ভাব্য সত্য

26 Oct, 10:32


তাক্বওয়া

সম্ভাব্য সত্য

26 Oct, 00:31


আমি তো কোনো দিন কোনো পরপুরুষের সামনে যাইনি...

আমরা ছোটবেলা থেকে নানুর পর্দার বিষয়টি খুব গভীরভাবে অনুভব করেছি। পর্দার বিষয়ে তিনি ছিলেন অতি সতর্ক। বাইরের তো দূরের কথা ভিতরের কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষ নানুর আঁচলও দেখতে পারেনি কোনো দিন। আমার ওয়ালিদে মুহতারাম হযরত মাওলানা হারুনুর রশীদ দামাত বারাকাতুহুম হলেন নানুর বড় জামাতা। তিনি তাঁর শাশুড়ির পর্দার বিষয়টি এভাবে বলেছেন- ‘আমার বিয়ের পর প্রায় দু’বছর পর্যন্ত আমার শাশুড়ি আমার সামনে আসেননি। জামাতা হিসাবে আদর-আপ্যায়নের সবটুকুই করতেন। কথাও বলতেন। তবে সামনে আসতেন না। ছোট থাকতেই ‘মা’-কে হারিয়েছি, এদিকে শাশুড়িকেও দেখতে পাই না, এটা আমাকে পীড়া দিত। আমার শাশুড়ী ছিলেন বিচক্ষণ। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে একদিন পর্দার আড়াল থেকে বললেন, ‘বাবা! আমি তো কোনো দিন কোনো পরপুরুষের সামনে যাইনি, কথাও বলিনি, তাই আপনার সামনে যেতে সংকোচ লাগে। ধীরে ধীরে এটা ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আপনি কষ্ট নিবেন না।’

এ কারণেই আমার এক দুলাভাই আপাকে বলেছেন, তোমাদের পর্দার ভিত্তি হিমালয় পাহাড়ের মত মজবুত। প্রবল বন্যার স্রোত কোনো কোনো পরিবারের পর্দায় আঘাত হানলেও তোমাদের পর্দায় আঘাত হানতে পারেনি।

নানুকে আমি যেমন দেখেছি, মাসিক আলকাউসার, ডিসেম্বর, ২০১৫

© Mohammad Hossain

সম্ভাব্য সত্য

25 Oct, 02:18


⚠️ অথচ ফারাবি ভাইয়ের ব্যাপারে আমরা তেমন সরব না।

সম্ভাব্য সত্য

25 Oct, 01:15


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে আমার পরিচয় হয় মাস্টার্সে পড়া এক বড় ভাইয়ের সাথে। উনার নাম শামীম (ছদ্মনাম)! খুবই আন্তরিক মানুষ। আমাকে স্নেহ করতেন অনেক। বিকেলা বেলা হলের সামনে আমাকে দেখলেই ধরে নিয়ে নাস্তা করাতেন। কিছু না খেতে চাইলেও জোড় করে নিয়ে যেতেন। ভালো ছাত্র ছিলেন। ডিপার্টমেন্টে থার্ড পজিশনে ছিলেন। পড়াশোনার বাইরে উনার সবচেয়ে পছন্দ ছিলো কবিতা আবৃত্তি করা। কিন্তু কন্ঠ ভরাট না থাকায় উনি হতাশ হতেন। আমাকে মজা করে বলতেন "কবিতা এমন চিকনা কন্ঠে হয় না। তোমার কন্ঠটা আমার দরকার ছিলো। কত দিতে হবে বলো!" আমি সেকেন্ড ইয়ারে উঠার আগেই উনার মার্স্টার্স শেষ হয়ে যায়। উনি চলে যান ঢাকায়। এরপর বহুদিন যোগাযোগ ছিলো না। ২০১৭ সালে উনাকে আমি ফেসবুকে পাই। স্ত্রী সন্তান নিয়ে অষ্ট্রেলীয়াতে সেটেলড হয়েছেন। এরপর থেকে টুকটাক মেসেঞ্জারে কথাবার্তা হতো। এখনো হয়। গতকাল ছাত্রলীগ সম্পর্কিত একটা পোস্ট দেখে উনি আমাকে মেসেজ দিলেন। কথা কথায় উনি আমাকে একটা ঘটনা বললেন উনার।

২০২৩ সালে স্ত্রী সন্তান নিয়ে উনি বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। উনার ১৩ বছরের মেয়ের কাছে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গল্প করেছেন। বাবার গল্প শুনে মেয়ে খুবই অবাক হয়। বাংলাদেশে এত সুন্দর ক্যাম্পাস থাকতে পারে সে বিশ্বাস ই করতে চায় না। ফেসবুক ইউটিউবে ক্যাম্পাসের ভিডিও দেখে দেখে মেয়ে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেখার জন্য। উনি অবশেষে স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন! স্ত্রী সন্তানকে পুরো ক্যাম্পাস দেখালেন। হলের যে রুমে থাকতেন সেখানেও ঘুরিয়ে দেখালেন। মেয়ে খুবই অবাক হয়েছে হলের বাসস্থান দেখে। "এভাবেও থাকা যায়!"

পাহাড়, জংগল, বিচিত্র নানান সব ফুল, পাখি ঝুপড়ী সব দেখা শেষ করে সন্ধ্যায় শহীদ মিনারের পাশে বসে তারা ফুচকা খাচ্ছিলেন। এমন সময় একটা ছেলে এসে উনাকে শহীদ মিনারের দিকে দেখিয়ে বলে "ভাই আপনাকে ডাকছে?" উনি অবাক হলেন। এত বছর পর ক্যাম্পাসে তো তার পরিচিত কেউই নেই। উনি ফুচকা হাতে নিয়েই সেখানে গেলেন। ৬/৭টা ছেলে লাইন ধরে সিঁড়িতে বসে আছে। তখন প্রায় অন্ধকার হয়ে আসছে। সবার চেহারা ঠিক মতো দেখাও যাচ্ছে না। একজন জিজ্ঞাসা করলো "ভাইয়ের বাসা কোথায়?" উনি বললেন, উনি অস্ট্রেলীয়াতে থাকেন। এই ক্যাম্পাসের ই সাবেক ছাত্র। ২০০০/২০০১ সেশন। এটা শুনে পাশ থেকে একটা ছেলে এসে বললো, "প্রমান কি আপনি সাবেক ছাত্র?" শামীম ভাই বিরক্ত হলেন। কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বললেন "প্রমান কেন করতে হবে? আপনারা কে? আপনাদের কাছে কেন আমার প্রমান করতে হবে!?" এই কথা বলার সাথে সাথে একজন উঠে থাপ্পড় মারলো। সাথে সাথে আরও কয়েকজন উঠে কিল ঘুসি মারতে লাগলো। হৈচৈ শুনে উনার স্ত্রী এবং মেয়ে সেখানে ছুটে গেলেন। তারা তাদেরকেও গালাগালি করা শুরু করলো।

তারপর স্ত্রী এবং মেয়ের সামনেই উনাকে কান ধরে উঠবস করালো। এবং চিৎকার করে বলতে লাগলো " খা* পো* শিবির! এই ক্যাম্পাস থেকে তুই জীবিত যাইতে পারবি না।" শামীম ভাই গাড়ীর ড্রাইভারকে ডাকতে লাগলেন। ড্রাইভার আশেপাশে ই চা খাচ্ছিলো হয়তো। উনি তাকে কল দেয়ার জন্য ফোন বের করতে পকেটে হাত দিয়ে দেখলেন ফোনটা পকেটে নাই। উনার মানিব্যাগও নাই। ওরা নিয়ে নিয়েছে।

শামীম ভাইকে কান ধরে উঠবস করেই তারা শান্ত হয় নি। মাটিতে উপর হয়ে নাকে খত দিয়ে বলতে বললো "আমি শিবির। আমি আর এই ক্যাম্পাসে কখনো আসব না।" তা না হলে স্ত্রী সন্তান সহ সবাইকে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত স্ত্রী এবং মেয়ের সামনেই উনি বাধ্য হোন নাকে খত দিতে।" সব সময় মনে রাখবি চবি ছাত্রলীগ থাকতে এই ক্যাম্পাসে কখনো তোরা শিবির পা দিতে পারবি না!" এই বলে তারা উনাকে ছেড়ে দিলো। শামীম ভাই ড্রাইভারকে খুঁজে পেয়ে এরপর কোনরকম গাড়ীতে উঠে দ্রুত ক্যাম্পাস ছাড়েন।

পুরোটা পথ উনার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে এসেছে। লজ্জায় ঘৃনায় অপমানে স্ত্রী সন্তানের দিকে তাকাতেও পারছিলেন না তিনি। মেয়ের কাছে কত গল্প করেছিলেন এই ক্যাম্পাস নিয়ে। উনি অষ্ট্রেলিয়া ফিরে যান। কোন আইনি ব্যাবস্থাও নেন নি। কাউকে জানানও নি। এরকমভাবে অসম্মানিত হবার ঘটনা উনি সম্মানের ভয়ে কাউকেই বলেন নি। আর বলেই বা কি হবে! ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কে কথা বলার আছে তখন! আর এই অপমান কি আর মুছে যাবে! উনি চুপ হয়ে গেলেন। সেদিনের পর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গল্প তো দূরে থাক আর একটা শব্দও কখনো মেয়ের সাথে করেন নি।

আমাকে উনি বারণ করেছেন উনার পরিচয় প্রকাশ না করতে যেহেতু ব্যাপারটা উনার জন্য অসম্মানজনক। তাই উনার পরিচয় আমি দিলাম না। নিজের স্ত্রী সন্তানের সামনে, নিজের ই ক্যাম্পাসে একজন মোস্ট সিনিয়র সাবেক ছাত্র হয়ে যদি এভাবে অপমানিত হতে হতো আপনাদের কেমন লাগতো?
এই ছাত্রলীগকে শুধু নিষিদ্ধ করাই কি যথেষ্ট?
© বুয়েটিয়ান

সম্ভাব্য সত্য

24 Oct, 02:54


মনে আছে আবু সাঈদের কথা? কিংবা আসহাবুল ইয়ামিন - এপিসির ওপর থেকে নৃশংসভাবে যার নিথর দেহ টেনে হিচড়ে ফেলে দিয়েছিল পুলিশ?
.
আশুলিয়াতে সেই ছাত্রদের কথা মনে আছে, যাদেরকে মেরে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছিলো? ভুলে গেছেন নাফিসের কথা, রিকশাওয়ালা ভাই প্রাণপণ চেষ্টায়ও বাঁচাতে পারেনি যাকে?
.
আজকের মতো রাতে এ স্মৃতিগুলো কি দুঃস্বপ্ন হয়ে ফিরে আসে না? প্রচন্ড রাগে কি হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে যায় না?
.
মনে হয় না। আমরা ভুলে যাই। আমরা ভুলতে পছন্দ করি। যার কারণে খুনী আওয়ামীলীগ আজ  ফিরে আসার চেষ্টা করছে নানা রূপে। আবু সাঈদের রক্তে ভেজা মাটিতে দাঁড়িয়ে খুনী হাসিনার পক্ষে স্লোগান দেওয়ার স্পর্ধা দেখাচ্ছে তারা।
.
মুজিববাদের পক্ষে  কলাম লিখছে  ডেইলি স্টারদের মতো ফ্যাসিবাদের দোসররা। বহাল তবিয়তে আছে মুজিববাদের সে বয়ান, যে বয়ানের ওয়র তৈরি হয়েছিল পিলখানা, শাহবাগ, শাপলা গণহত্যা, জুলাই গণহত্যা সর্বোপরি আওয়ামী জাহেলিয়াত।
.
৭৫-এও মানুষ মনে করেছিলো, খুনী লীগ আজীবনের জন্য বিদায় হয়েছে। কিন্তু না। ২১ বছরের মাথাতেই আবার ক্ষমতায় ফিরে এসেছে তারা।  ৪০ বছরের মাথায় দোর্দন্ড প্রতাপে কায়েম করেছে আওয়ামী জাহেলিয়াত ২.০।
.
আপনি হাসিনার প্রতি দয়া দেখালেও সে আপনার প্রতি দেখাবে না। জুলাই গনহত্যার ব্যাপারে খুনী হাসিনা থেকে শুরু করে তাদের কোনো নেতাকর্মীর কোনো অনুতাপ নেই, অপরাধবোধ নেই। তারা বারবার ফিরে আসে আগের চেয়ে আরও অনেক হিংস্র হয়ে।
.
তাদের আসার পথ সুগম করে মুজিববাদী সাংস্কৃতিক বয়ান। ডেইলি স্টারের কলাম, উপদেষ্টাদের মাথার উপরে মুজিবের ছবি মুজিববাদের ফিরে আসারই অশনী সঙ্কেত দেয় আমাদেরকে।
.
রক্তের দাগ শুকায় নাই। জুলাই জুড়ে যে মানুষদের ঐক্য, বীরত্ব ও মহানুভবতায় হাসিনার পতন হয়েছে, সে মানুষগুলো এ মাটিতেই আছে। চোখের সামনে দিয়ে খুলি উড়ে যাওয়া ভাইয়ের লাশ নিয়ে যাওয়ার স্মৃতি আমরা ভুলিনি। ভোলা সম্ভব না।
.
আমরা হাসিনার পতন নিশ্চিত করেছি বটে, বিজয় নিশ্চিত করি নি। যদি আজ পথে না নামি, নতুনভাবে মুজিববাদের বিদায় না ঘটাই, মনে রাখবেন আবু সাঈদদের রক্তই শেষ রক্ত না। আমাদের ও আমাদের প্রজন্মের মুক্তি হয় নি। ১৫ বছরের স্বৈরাচারই শেষ স্বৈরাচার না। তাই আসুন না, খুনীদের বিচার, আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, মুজিববাদের বিদায়ের লক্ষ্যে আরেকটাবার নামি, যেভাবে নেমেছিলাম এ কয়েকমাস আগেই।
.
জুলাইয়ের কাফেলা জেগে উঠুক আরেকবার।
✍️ ইরফান সাদিক ভাই

সম্ভাব্য সত্য

23 Oct, 12:11


বাংলাদেশের 50% এর বেশি পরিবার প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে চলে। অথচ প্রবাসীদের নূন্যতম সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়ে কেউ কথা বলে না। পদে পদে প্রবাসীদের সাথে জুলুম করা হচ্ছে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হচ্ছে সৌদি ভিসা সেন্টারে। এখানে প্রবাসীদের পরিবারের সাথে মাত্রাতিরিক্ত খারাপ ব্যবহার ও দুর্নীতি করা হচ্ছে। এই দিকটা দেখার মতো কেউ নেই।

ভিসা সেন্টারে ফিঙ্গার দিতে গেলে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দুই থেকে তিন ঘন্টা। বসার জন্য একটা চেয়ার পর্যন্ত নেই। তারা আবার সার্ভিস চার্জ নিচ্ছে তিন হাজার টাকার‌ও বেশি। একটা SMS চার্জ কীভাবে 251 টাকা হতে পারে তা জিজ্ঞেস করার মতো কেউ নেই। ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম শেষে পাসপোর্ট ও সাথে থাকা ডকুমেন্ট সাধারণ ডেলিভারি কেউ নিতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাতে তাকে কুরিয়ারের মাধ্যমে ডেলিভারি নিতে বাধ্য করা হয়। আর সেই কুরিয়ার সার্ভিস চার্জ নিচ্ছে 1200+ টাকারও বেশি। তার চেয়ে বড় ধোঁকাবাজি হলো অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে টোটাল পেমেন্ট লেখা থাকে একটা বাস্তবে পরিশোধ করতে হয় তার থেকে অন্তত চার-পাঁচ হাজার টাকা বেশি।

আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে গত 20 অক্টোবর ভিসা সেন্টারে গিয়েছিলাম। আমাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে টোটাল পেমেন্ট লেখা ছিল 14978 টাকা। আমাদেরকে জোরপূর্বক কুরিয়ারের মাধ্যমে ডেলিভারি নিতে বাধ্য করা হয়েছে। সিঙ্গেল ভিসার জন্য পরিশোধ করতে হয়েছে 24629 টাকা। এপয়েন্টমেন্ট লেটারে উল্লেখিত পেমেন্ট থেকে প্রায় 10 হাজার টাকা বেশি। সাধারণত এক/দুই হাজার টাকা এদিক সেদিক হলে যে কেউ তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে উল্লেখিত টাকা থেকে আমি পাঁচ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিয়েছিলাম। তারপরেও আমার স্ত্রী বের হতে হয়েছে। এমন অবস্থা আমি 100% জনের মধ্যে 98% জনের হতে দেখেছি।

আজকে আমার স্ত্রীর মেজো বোন গিয়েছে ভিসা সেন্টারে। তার‌ও ডকুমেন্ট কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হবে। তার থেকে পেমেন্ট নিয়েছে 20839 টাকা। আমাদের দুজনের একই ক্যাটাগরির সার্ভিস। আমার কাছ থেকে কেন তিন হাজার টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছে তার জবাব কোথায় পাবো?

সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো: একজন মহিলা অভিবাবক ছাড়া একাকী একটা রুমে ১০-১৫ মিনিট নন মাহরাম পুরুষের সামনে মুখের কাপড় সরিয়ে বসে থাকতে হবে কেন? আমার স্ত্রীকে ফিঙ্গার নেওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখবে বলা সত্ত্বেও পুরো সময় সিসি ক্যামেরার অজুহাত দেখিয়ে মুখ খোলা রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।
আমিস্বচক্ষে তাদের অভদ্রতা ও জালিয়াতি দেখে এসেছি। অভিযোগ করার মতো উপযুক্ত কোনো জায়গা থাকলে কেউ বলবেন। তা ছাড়া কীভাবে এই জালিয়াতি বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যায় পরামর্শ দিবেন।

প্রথম ছবি: এপয়েন্টমেন্ট লেটারে উল্লেখিত পেমেন্টের বিস্তারিত।

দ্বিতীয় ছবি: 20 অক্টোবর ভিসা সেন্টার থেকে প্রাপ্ত ভাউচার।

তৃতীয় ছবি: 23 অক্টোবর ভিসা সেন্টার থেকে প্রাপ্ত ভাউচার।
✍️ Mohammad Foyjullah ভাই

সম্ভাব্য সত্য

23 Oct, 08:35


Madkhalis: The "Muslim" Friends Of Israel

সম্ভাব্য সত্য

21 Oct, 19:12


বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের জোর সম্ভাবনা

অনেকদিন পর গৃহযুদ্ধের প্রকৃতি ও শর্ত নিয়ে স্টাডি করলাম। এবং লক্ষণগুলো মিলিয়ে যেটা বুঝলাম, বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ লাগতে যাচ্ছে।

আমার ধারণা ছিলো, লীগ থাকাকালীনই হয়ত লেগে যাবে। এবং আপনি যদি টেকনিকাল দিক বিবেচনা করেন, এটার শুরুটা আগস্টেই হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, হয়নি এবং তার বড় কৃতিত্ব যায় বাংলাদেশ আর্মির প্রতি। তারা সেদিন সঠিক ডিসিশন না নিলে আমি নিজেও আজ বেঁচে থাকতাম কিনা সন্দেহ আছে।

গৃহযুদ্ধের কথা এত জোরে মনে হচ্ছে কারণ কিছু পাওয়ারফুল ইন্টারনাল ও এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর রয়েছে।

প্রথমতঃ লীগ ডুব দিয়ে ছিলো, কিন্তু সেইভাবে পালায়নি, মারাও যায়নি, জেলেও যায়নি।
   দুই মাসে দেশ থেকে ৫০ হাজার লোকও ভারতে যায়নি। এটা ইন্ডিয়ান পত্রিকার তথ্য।
   কাউয়া কিংবা শামীমের আশংকা অনুযায়ী হাজার হাজার লীগ খুন হয়নি।
   সেইভাবে গণগ্রেফতার হয়নি।
সরকারের টালমাটাল অবস্থা স্পষ্ট। তা নিয়ে উপদেষ্টাদের গরজ কম। কারণ পলিটিকাল ক্যারিয়ার বলে কিছু ঝুঁকিতে নেই। লীগের সাংস্কৃতিক পুনর্বাসনের অনেকটাই হয়ে গেছে। দেশী বাম = দিল্লীর লোক।

আরো একটা ব্যাপার যোগ করতে চাই, লীগ সরকারের আমলে গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি কম ছিলো কারণ লীড করতে পারে এরকম হাজার হাজার আলেম বা ইসলামপন্থী লোক জেলে ছিলো। আপনি মানেন বা না মানেন, মাওলানা মামুনুল হকের মত আলেমরা এক ডাক দিলে এক লাখ লোক ঘন্টাখানেকের মধ্যে জড় হয়, এটা যেকোনো অবস্থাতেই একটা সিরিয়াস পাওয়ার। গৃহযুদ্ধের জন্য বিরোধীপক্ষেও কিছু শক্তি থাকা লাগে, যেটা লীগ দমন করতো। কিন্তু এখন সেই পাওয়ারগুলো দৃশ্যপটে উপস্থিত।
বাংলাদেশের লোকজন আলেমদের ডাকে মরতেও পারে, এটা একটা বাস্তবতা।

সুতরাং, অন্তর্বর্তি সরকার লীগ দমাতে বা জনরোষ কমাতে ব্যার্থ হলে সেই পাওয়ার ভ্যাকিউম পুরণে অনেক শক্তিই মাসল দেখাতে চাইবে, সেটা ছাত্রনেতারা কিংবা ট্রাডিশনাল ইসলামী শক্তি। লীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা এই শক্তিগুলোকে মুখোমুখি দাড় করাবেই। আর পাওয়ারগুলো মুখোমুখি মানেই সঙ্ঘর্ষের সম্ভাবনা।

সবার উপরে, আমি তো আমার ভাইয়ের খুনের বদলা নিতে চাইবোই, তাই না?

দ্বিতীয়তঃ উপরে যা বললাম, এগুলো কিন্তু একটা দেশের মধ্যে নিজেরাই সমাধান করা সম্ভব, অতটাও কিছু না যে ফুলস্কেল যুদ্ধ লেগে যাবে। কিন্তু এখানেই আসে এক্সটার্নাল ফ্যাক্টরগুলো।

আনফরচুনেটলি, বাংলাদেশে ভারতের মত এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর খুবই কার্যকর। ভেবে দেখুন, লীগ ক্ষমতা নেওয়ার মাত্র দুই মাসের মাথায় ভারত যদি পিলখানার মত কাজ ঘটাতে পারে, লাস্ট ১৫ বছরে তারা তো বসে ছিলো না। বাংলাদেশের তৃনমূল পর্যায়ে পর্যন্ত ইন্ডিয়ার জাল বিস্তৃত। আমাদের ন্যাশনাল ডাটাবেজ ইন্ডিয়ার হাতে, বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের ব্যাপারে ইন্ডিয়া কিছু না কিছু ভার্চুয়ালি জানে। আমাদের ন্যাশনাল মনিটরিং সফটওয়্যারের সার্ভার ইন্ডিয়াতে। ইভেন আর্মিতে বেতন দেওয়া হয় যে সফটওয়ার দিয়ে, তাও ইন্ডিয়ান। মানে ওদের কিছু প্রদেশকেও ওরা এভাবে পেনেট্রেট করতে পারে না, যেমনটা বাংলাদেশে করে ফেলেছে।
এগুলো কাজে লাগাবে না?

দুই সপ্তাহ পর মার্কিন নির্বাচন। ট্রাম্প জিতলে আমেরিকাতে ছয় মাসের মধ্যে একটা মৌলিক পরিবর্তন আসবে (প্রজেক্ট ২০২৫)।

লীগের আমলে নিশ্চয় খেয়াল করেছে, সমাজের নতুন বড়লোক হয়ে ওঠা লোকগুলো, অস্ত্র হাতে টহল দেওয়া ছেলেরা - সব লীগের। তারা তাদের সাম্রাজ্য ফিরে পেতে চাইবেই চাইবে।

ভারত যদি বিন্দুমাত্র আশার বানী শোনায়, লীগের ওই ৫০ হাজার বাদে বাকি কোটিরা দেশেই আছে, ঝাঁপিয়ে পড়বে।

আপনি জানের ভয়েই আবার মাঠে নামতে চাইবেন।

এবার মিলান সব,কিছু আউট'ল এর কারণে আপনার জান ঝুঁকিতে পড়েছে, আপনার নিরাপত্তা  দিতে সরকার ব্যর্থ, ফলে আপনি হাতিয়ার ওঠাতে বাধ্য হলেন।

এটাকে কী বলে যেন?
রাইট, গৃহযুদ্ধ।
✍️ Ahmad Khan

সম্ভাব্য সত্য

21 Oct, 00:33


একটা মিথ্যা ঘটনা :
.
আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু যু'দ্ধের মুহুর্তে এক কা'ফিরকে ধ'রাশায়ী করে ওর বুকের উপর চড়ে বসেন। সে কোনো উপায়ান্তর না দেখে আলির মুখে থুথু নিক্ষেপ করে। ফলে তিনি ওকে ছেড়ে দেন। কা'ফির লোকটা অবাক হয়ে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর জন্য তোমাকে হ'ত্যা করতে উদ্যত হয়েছিলাম। কিন্তু তুমি আমাকে থুথু দেয়াতে আমার মধ্যে একটা ব্যক্তিগত আক্রোশ চলে আসে। তাই ভাবলাম এখন যদি তোমাকে হ'ত্যা করি তাহলে সেটা আল্লাহর জন্য হবে না; বরং ব্যক্তিগত কারণে হবে। তাই তোমাকে ছেড়ে দিলাম। এটা শুনে কা'ফির সৈন্যটা ইসলাম গ্রহণ করে।

ঘটনাটা আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ। বক্তারা ওয়াজের মঞ্চে আর লেখকরা বইপত্রে ইসলামের আখলাক বর্ণনা করতে গিয়ে এটার প্রসঙ্গ আনেন। অথচ এটা সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও আলির নামে বানানো মিথ্যা একটা ঘটনা, যা হিজরি ৬ষ্ঠ শতাব্দিতে ইরানি শিয়াদের দ্বারা রচিত হয়েছে। কোনো নির্ভরযোগ্য ইতিহাসের কিতাবেও এটার উল্লেখ নেই। নেই এর কোনো সনদ।

ঘটনাটার রচয়িতা হলেন ৬ষ্ঠ শতকের ইরানি শিয়া ফকিহ আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবনু আলি শাহর আশুব (মৃত্যু : ৫৮৮ হিজরি)। তিনি সর্বপ্রথম নিজের লিখিত 'মানাকিবু আলি আবি তালিব' (مناقب آل أبي طالب) বইয়ে (খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৩৮১) এই ঘটনাটা উল্লেখ করেন। তবে এর কোনো সনদ উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি কোনো সূত্র বা রেফারেন্সও যুক্ত করা হয়নি।

পরবর্তীতে হিজরি একাদশ শতকের আরেকজন শিয়া আলিম আবু আবদিল্লাহ মুহাম্মাদ বাকির আল-মাজলিসির দ্বারা উক্ত ঘটনাটা আবারো ইতিহাসের পাতায় স্থান পায়। তিনি শিয়া রাফিজি ইসনা আশারিয়া সম্প্রদায়ের একজন আলিম। ইরানের ইস্পাহানে জন্মগ্রহণকারী এই ব্যক্তি ১১১১ হিজরিতে মারা যান। তার লিখিত প্রায় ১১০ খণ্ডের একটা হাদিসের বই আছে, যেটাতে লাখের কাছাকাছি হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে। বইটার নাম বিহারুল আনওয়ার। এই বইটাতে (খণ্ড : ৪১, পৃষ্ঠা : ৫১) উক্ত ঘটনাটা স্থান পেয়েছে। আগেরটার মতো এখানেও এটা সনদবিহীনভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে।

আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর সময়ের পাঁচশ' বছর পরে শিয়ারা এটা বানিয়েছে। এদের বানানো ঘটনাটা পরবর্তীকালে মুসলিম সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। এবং মানুষ এই ভুয়া কাহিনীটা বিশ্বাস করে নেয়। ফলে আহলুস সুন্নাহর অনেকের বইপত্রেও এটা স্থান পায়।
.
কাহিনীটা বাস্তবতারও পরিপন্থী :

এটা বাস্তবতার পরিপন্থী হওয়ার কিছু যৌক্তিক কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো,

১। কোনো কা'ফির নিজের মৃ'ত্যু সন্নিকটে দেখেও প্রতিপক্ষের গায়ে থুথু মারার প্রশ্নই আসে না; বরং সে তখন নিজের প্রাণ নিয়েই বিচলিত থাকার কথা।

২। যু'দ্ধ শেষ হওয়ার আগেই আক্রমণকারী কাফি'রকে ছেড়ে দেয়া যু'দ্ধের নীতিবিরোধী। কারণ এমতাবস্থায় ওকে ছেড়ে দিলে তো সে মুসলিমদের হ'ত্যা করবে।

৩। সে যদি থুথু দিয়েই থাকত, তাহলে তো এটা আরো সুস্পষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা যে, সে আল্লাহরও শত্রু, আলিরও শত্রু। এমতাবস্থায় ওকে ছেড়ে দেয়ার কোনো মানে হয় না।

৪। কা'ফির লোকটার থুথু নিক্ষেপটা ওর চরম মাত্রার কু'ফরি, অবাধ্যতা ও শ'ত্রুতার প্রমাণ বহন করে। এমতাবস্থায়ও ওকে ছেড়ে দেয়ার প্রশ্নই আসে না।

৫। আলি তো ব্যক্তিগত কারণে যু'দ্ধ করতে আসেননি; বরং ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে এসেছিলেন। তাই এমন মুহুর্তে প্রতিপক্ষকে ছেড়ে দেয়ার অর্থ হলো ইসলামের বৃহৎ স্বার্থকে নষ্ট করা।

সর্বোপরি ঘটনাটা যেহেতু বানোয়াট ও ভিত্তিহীন, তাই এটা বিশ্বাস করা ও অপরের কাছে বর্ণনা করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
© Shaikhul Islam

সম্ভাব্য সত্য

20 Oct, 13:15


#case type
Check comment section for better understand.

সম্ভাব্য সত্য

20 Oct, 03:06


বর্তমানে হামাসের রাজনৈতিক নীতি তাদের পূর্বসূরী নেতাদের নীতি থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে বলা চলে। শায়েখ আহমেদ ইয়াসিন রহ. , শায়েখ ড. আব্দেল আজিজ আল রান্তেসি রহ. , শায়েখ ড. নিজার রায়ান রহ... রা চাইতেন সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে পুরো ফিলিস্তিনি মুক্ত করে ইসলামিক নিজাম প্রতিষ্ঠা হোক। তারা বলতেন ফিলিস্তিনে ভূমি একমাত্র মুসলিমদের। তারা গাজায় শিয়াদের প্রভাবের বিরুদ্ধে কাঠের ছিলেন। ইয়াসিন রহ. হিজবুল্লাহর সাহায্যকে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তিনি বলতেন, ইরানের সাথে আমাদের সম্পর্ক হতে পারে শুধুমাত্র স্বার্থের। ইজ্রাঈলী জেল থেকে মুক্তির পর তিনি পাশ্ববর্তী মুসলিম রাস্ট্রগুলিতে সফরে গিয়েছিলেন ফিলিস্তিনের পক্ষ্যে সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে। তিনি ইরান ও সৌদি আরবেও সফরে গিয়েছিলেন।

সিরিয়ান বিপ্লব শুরুর হওয়ার পর হামাসই প্রথম সেখানকার ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের সমর্থন ও ট্রেনিং দিয়েছিল। আহরার আল শাম কাসসামের কাছ থেকে টানেল রক্ষণাবেক্ষণ করার দিকনির্দেশনা পেয়েছিল। সিরিয়ায় ফিলিস্তিনি ইয়ারকুম শরনার্থী ক্যাম্পে ইরানি প্রক্সিগুলার সাথে হামাসের যুদ্ধ হয়েছিল। হামাসের এইসকল কার্যক্রমের জন্য ইরান কয়েক বছর সাহায্য একেবারেই কমিয়ে দিয়েছিল। এক পর্যায়ে হামাস যেখান থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়।

মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড ক্ষমতায় থাকাকালীন হামাস ইরানকে তেমন পাত্তা দিছিলো না। সেসময় রাফাহর সীমান্ত হাজারের অধিক টানেল দিয়ে জমজমাট প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যে, প্রয়োজনীয় ঔষধ... অস্ত্র আসতে থাকে। কিন্তু সিসি ক্ষমতা দখলের পর হাজারেও অধিক টানেল ধ্বংস করে দেয়। অপরদিকে সিনাই হয়ে গাজায় যে অস্ত্র চোরাচালান হতো তা দায়ে*শীদের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে পড়ে। দা*য়েশ কাসসামের কয়েকটি অস্ত্র চালান আটক করে। একই সাথে তারা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ দলগুলির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

একটা সময় হামাসের নেতৃত্ব চেয়ছিল ইরানি প্রভাব কমিয়ে আরব নেতাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে। কিন্তু আরব নেতারা তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। উল্টো সৌদি প্রশাসন হামাসকে সাহায্য করার অভিযোগ তোলে ফিলিস্তিনি ও ডর্ডান নাগরিকদের গ্রেফতার করেছে। শেষ পর্যন্ত হামাসে হাতে ইরান ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা ছিলনা।
-
হামাসের রাজনৈতিক শাখার বিপরীতে সামরিক শাখার কর্মপন্থা অনেকটাই আলাদা। আল কাসসাম ব্রিগেডের আলাদা সামরিক নেতারা রয়েছেন। কাসসাম ব্রিগেডের অনেক বিষয়াদি হামাসের রাজনৈতিক শাখার নেতাদেরকেও জানানো হয়না। রাজনৈতিক শাখাও কয়েকজন নেতা আছেন যারা সামরিক শাখার সাথে ঘনিষ্ঠ। আল কাসসাম ব্রিগেড নিজেরা স্বাধীন সিধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। শায়েখ মুহাম্মদ দেইফ হাফি. সামরিক শাখার সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি।
-
বরকতময় ৭ আক্টবর সকল সমীকরণ পাল্টে দিয়েছে। গাজায় এখন না আছে তথাকথিত পশ্চিমা গণতন্ত্র; না আছে কোনো জাতীয়বাদের ইস্যু....। এখন অস্ত্রের ভাষাই হলো একমাত্র পদ্ধতি।
এমতবস্থায়, গাজার প্রত্যেক মুসলিম ও মুজাহিদদের সাহায্য করা উম্মাহর প্রত্যেক সামর্থবান ব্যক্তিদের ওপর এসে পড়েছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের পার্শ্ববর্তী আরব রাস্ট্রগুলির সামর্থবান মুসলিমদের ওপর। কিন্তু হায়! যখন দেখলেন আপনার পার্শ্ববর্তী আরব রাষ্ট্রগুলির কর্তারা নিজেদের আপন ভাইদের বিরুদ্ধে।

পরিশেষে, ড. আবদুল্লাহ আজ্জাম রহ. ব্যক্তব্য থেকে: 'যদি কোনো ভূখন্ডের মুসলিমরা নিজেদের ভূমি, জানমাল... রক্ষার্থে কাফেরদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু করে তারা যতোই অশিক্ষিত, দুর্বল ও মূর্খ হোক না কেন আল্লাহ তাদের সাহায্য করবেন।'
(সংক্ষিপ্ত)

সম্ভাব্য সত্য

20 Oct, 01:27


২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় উভয় পক্ষের সৈন্যরাই প্রতিপক্ষের সৈনিকদের মনোবল ভাঙ্গার চেষ্টা করতো। বাংকারের কাছে গিয়ে বলতো অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করতে, আমরা তোমাদের শত্রু না, তোমাদের অফিসারের কথা শুনো না। কখনো প্লেন থেকে লিফলেট ফেলে, কিংবা কখনো হ্যান্ডমাইকে করে।

এটা ডিভাইড অ্যান্ড রুলের ক্লাসিক উদাহরণ। পরবর্তিতে থার্ড জেনারেশন ওয়ার আরো পলিটিকাল রুপ নিয়েছে, এই টেকনিকের ব্যবহার বেড়েছে। তবে এবার আর আওতা কেবল সেনাবাহিনীর মধ্যে নেই। বরং সাধারণ পাবলিককেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শত্রুর মধ্যে যে বা যারা প্রতিরোধ গড়ে  তুলতে পারে, বিশেষ করে অস্ত্র ধরতে পারে তাদেরকে বাকি জনগণের কাছে শত্রু হিসেবে তুলে ধরতে হবে। সিভিলিয়ানদের উপর কব্জার সময় এই মেসেজটা দেওয়া, দেখো, এমনিতে আমরা তোমাদের শত্রু না, তোমাদের মারতাম না, কিন্তু এই লোকগুলোই হাতিয়ার তুলে তোমাদের উপর আমাদের রাগিয়ে তুলেছে।

এই টেকনিক একদম পানিপড়ার মত কাজে দিয়েছে। এর উদাহরণ দেওয়া যায় ওসামা বিন লাদেনকে দিয়ে। আজকে সো কল্ড 'লেখাপড়া' করা একজন মুসলিমের কাছে তার ব্যাপারে জানতে চাইবেন। দেখবেন সে যা বলবে তা লাদেনের ব্যপারে সিআইএর বয়ানের সাথে একদম লাইন বাই লাইন মিলে যায়।

এটা কিন্তু কাকতালীয়ভাবে হয়নি। ডিভাইড অ্যান্ড রুলের উপর বেস করে দিনের পর দিন অপিনিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফল। ওসামা বিন লাদেনকে যেদিন হত্যা করা হয়, তার পরেরদিন প্রথম-আলোর সম্পাদকীয় পড়েছিলাম। একটা বাক্য ছিলো, 'লাদেন অনেক মুসলিমকেও হত্যা করেছে।'
এটার সাবলিমিনাল মানে বুঝতে পারেন? আমেরিকা এতই দয়ালু যে মুসলিম হত্যাকারী একজন খুনীকে মেরে মুসলিমদের বাঁচিয়ে দিয়েছে!

পশ্চিমা পাওয়ার হোক বা ইন্ডিয়া বা ইসরাইল - সবার কাছে এটাই টেক্সটবুক উদাহরণ, মুসলিমদের মধ্যে যে-ই একটু গলা উচু করবে, তাকে শত্রু বানিয়ে দাও খোদ মুসলিমদের কাছে। যাদের জন্য চুরি করবে তাদেরকে দিয়েই চোর বলাও - অর্ধেক জিত হয়ে যাবে।

আনফরচুনেটলি, এটা বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশে কাজ করেছে। বিন লাদেনের কথা বললাম। আমাদের দেশের কথাই ধরুন। কিছুদিন আগে পাজিতনি পালকি শর্মা একটা এপিসোড করে কালোপতাকা দেখিয়ে বলল, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বেড়েছে। সাথে সাথে একটা বিরাট সংখ্যক মুসলিম ঝাঁপিয়ে পড়লো, বলেছিলাম না, পতাকা বের করিস না, ওরা জঙ্গী ডাকবে?
মানে ইন্ডিয়া এমনিতে ইনোসেন্ট একটা দেশ, তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের কিছুই বলতো না, যত দোষ এই খেলাফতিদের, এরা ইন্ডিয়াকে এদেশে আনতে বাধ্য করছে, ক্রসফায়ার কোথায়?

****
ব্যতিক্রম দেখলাম ফিলিস্তিনিদের। আমার গাজার প্রায় ৪০০ মানুষকে ফলো করা আছে ইন্সটাগ্রামে। ২০০ এর উপরে পোস্ট দেখলাম শহীদ আবু ইব্রাহিম সিনাওয়ারের ছবি দিয়ে 'রাহিমুহুল্লাহ' ' রহমাতুল্লাহি আলাইহি' লিখছে।

এটা একটা বিশাল ঘটনা। ইসরাইল সেই আজকে থেকে না, বহু বছর ধরে বলছে, হামাস গাজাবাসীদের শত্রু। আমরা এমনিতে তোমাদের মারতাম না, কিন্তু হামাসের নেতারা তোমাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে, তাই তোমরা এই নৃশংসতা ডিজার্ভ করো।

এমনোতো হতে পারতো, প্রাণের ভয়ে গাজাবাসী শহীদ সিনাওয়ারকে শত্রু বলত! কারন আজকে যারাই শহীদ সিনাওয়ারের জন্য শোক প্রকাশ করছে, তারা লিটারালি ইসরাইলের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। তা সত্বেও এমন একজনকে পেলাম না, যে তার শাহাদাতে শোকার্ত নয়।

এক আপু লিখেছেন, 'ওরা কত বড় ইডিয়ট, ভেবেছে আমাদের ৭৫ বছরের সংগ্রাম কেবল একজনের উপর নির্ভরশীল? আমরা তো জন্ম থেকেই লড়ছি এবং মৃত্যু পর্যন্ত লড়বো'

প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না। সম্মানিত শহীদকে একবার বাংলাদেশী ভেবে দেখলাম। ' ভালোই হয়েছে', 'লড়াই করতে গিয়েছিলো!!' ' টানেলে না থেকে ফ্রন্টলাইনে কী', ' অতি জজবাতি', 'জংগী মরেছে' 'নবী (সঃ) ও চুক্তি করেছেন' ' মরেই তো গেলো, লাভ কি হল'

আমরা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারকে হাজার চেষ্টাতেও বুঝতে পারবো না। আমাদের শরীরে সেই মাটিই নেই। দাস মালিকের চেয়ার বসার ফিল ইমাজিনও করতে পারে না। খাঁচার পাখি বাইরেটা কল্পনাতে আনতে পারে না। কারণ সেসব সে এক্সপেরিয়েন্সই করে নি।

গাজার লোকেরা তো বটেও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরাও যেভাবে শহীদ সিনাওয়ারকে আপন করে নিলো - এই কারণেই তারা পবিত্র ভুমির সন্তান।
এই কারণেই সিনাওয়ার গাজায় জন্ম নিতে পেরেছিলেন, গাজীপুরে না।

ওসব উচু দরের আচরণ, আমরা কিভাবে বুঝবো?
✍️ Ahmad Khan

সম্ভাব্য সত্য

19 Oct, 18:46


বেশ কিছুদিন আগেই খেয়াল করলাম আমার ব্রেইন আসলে আমার বিরুদ্ধে কাজ করে। এই ব্যাপারটা নিশ্চিত করার পুনরায় একটু পর্যবেক্ষণ করলাম। দেখলাম, কাহিনী সত্য।

যখন বিদ্যুৎ থাকে না, তখন ফ্যান বন্ধ থাকলেই গরম লাগে। এজন্য বিদ্যুৎ আসার পরেও অনেকক্ষণ ফ্যান বন্ধ রেখে কিংবা সাধারণভাবেই অলসতা করে ফ্যান না চালিয়ে আধাঘণ্টাও দেখলাম, তখন আবার এভাবে গরম লাগে না। বিদ্যুৎ আছে, চাইলেই ফ্যান ছাড়তে পারব এই মাইন্ডসেটই যেন নির্ধারণ করছে যে আমার এখন গরম লাগবে না।

এভাবেই দুর্বল ঈমানদার ব্যক্তির ব্রেইনও তার বিরুদ্ধে কাজ করে। আল্লাহর ব্যাপারে সুধারণা না থাকার কারণে তার মাইন্ডসেট এমন থাকে যে, বিপদ এড়ানোর ক্ষমতা তার নেই। তাই বিপদে পড়লে সে নিজেকে উদ্ধার করতে পারবে না ভেবে আরো দুর্বল হয়।

অপরদিকে তকদিরের প্রতি বিশ্বাস আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে যার ঈমানের জোর বেশি, সে প্রতিকূল পরিবেশেও শান্ত থাকে এটা ভেবে যে আল্লাহ চাইলেই তাকে সাহায্য করবেন। আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা তাকে বিপদ থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। তার ব্রেইন তাকে ধোঁকা দিতে পারে না।

এজন্যই বিশ্বাসীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কম, এথিস্টদের মধ্যে বেশি। এজন্যই ঈমানের নেয়ামত পেয়ে আপনি একবার আলহামদুলিল্লাহ পড়তেই পারেন।
✍️ মেরাজ ভাই

সম্ভাব্য সত্য

19 Oct, 11:03


🎙 রহিমাহুল্লাহ