ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান-Islam is the complete code of life @islamisthecompletecodeoflife Channel on Telegram

 ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান-Islam is the complete code of life

 ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান-Islam is the complete code of life
পরিপূর্ন মুসলামান হওয়ার জন্য প্রয়োজন ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করা। আর এর জন্য আল্লাহ কি বলেছেন দেখুন- হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শক্র। (বাকারা : ২০৮)
20,547 Subscribers
998 Photos
668 Videos
Last Updated 23.02.2025 05:00

ইসলাম: জীবনবিধানের পূর্ণতা

ইসলাম, যা আরবি ভাষায় 'আসালামু আলাইকুম' অর্থাৎ 'শান্তি' শব্দ থেকে উদ্ভূত, মানবতার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এটি একটি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও তার মূলনীতি, নির্দেশনা এবং নীতিমালা মানব জীবনের প্রত্যেকটি দিককে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ইসলামের মূল উৎস হলো কুরআন এবং হাদিস। কুরআন হলো আল্লাহর অবিসংবাদিত বাণী, যা নবী মুহাম্মদ (সা) এর মাধ্যমে মানবজাতির জন্য অবতীর্ণ হয়েছে। ইসলামের মূল ভিত্তি হলো ঈমান, সালাত (নামাজ), রোজা, যাকাত এবং হজ। একজন পূর্ণাঙ্গ মুসলমান হওয়ার জন্য ইসলামের প্রতি পূর্ণ নিবেদন এবং এর নীতিমালা অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কুরআনের বাকারা সুরার ২০৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে, 'হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না।' এই আয়াতের মাধ্যমে ইসলামের পূর্ণতা এবং নিমন্ত্রণকে তুলে ধরা হয়েছে।

ইসলামের মূলনীতি কী কী?

ইসলামের মূলনীতি সাধারণত পাঁচটি স্তম্ভে বিভক্ত করা হয়। এ পাঁচটি স্তম্ভ হলো: ১. শাহাদাহ (ঈমানের সাক্ষ্য), যা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসকে নির্দেশ করে। ২. সালাত (নামাজ), যা দৈনিক পাঁচ সময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার নির্দেশ দেয়। ৩. রোজা, যা রমজান মাসে সিয়াম পালনের জন্য নির্দেশিত। ৪. যাকাত, যা দান বা দাতব্য সাহায্যের মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র ও অসহায়দের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে। ৫. হজ, যা সক্ষম মুসলমানদের জন্য একবার জীবনে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক।

প্রতিটি স্তম্ভের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। শাহাদাহের মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের বিশ্বাসের ঘোষণার মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করে। সালাত আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং রোজা আত্মসংযম শেখায়। যাকাত সমাজে সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার কাজে সহায়তা করে, এবং হজ মুসলমানদের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ সম্প্রদায় হিসাবে একত্রিত হওয়ার সুযোগ।

কিভাবে একজন পূর্ণাঙ্গ মুসলমান হওয়া যায়?

একজন পূর্ণাঙ্গ মুসলমান হতে হলে প্রথমে ইসলাম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যক। এটি ইসলামি শিক্ষার বই, কুরআন এবং হাদিস অধ্যয়ন করার মাধ্যমে করা যায়। এছাড়াও, ইসলামের নীতিমালা ও আদর্শ অনুসরণ করার মাধ্যমে জীবন যাপন করা জরুরি। একজন মুসলমানের জন্য তার প্রতিদিনের জীবনে ইসলামের নীতিগুলি প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

এছাড়াও, ধর্মীয় কার্যকলাপ যেমন নামাজ, রোজা, যাকাত এবং হজ পালন করা অপরিহার্য। এর মাধ্যমে মুসলমানরা ঈশ্বরের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করে এবং নৈতিকতা, দয়া এবং ঐক্যের মূল্যবোধকে ধারণ করে। একজন মুসলমানের জন্য সমাজে ভালো আচরণ, সত্যনিষ্ঠা এবং সহানুভূতির সঙ্গে অন্যদের সাথে সম্পর্ক রাখা জরুরি।

ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য কী?

ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো ঈশ্বরের ধারণা ও ধর্মীয় উপাসনার পদ্ধতি। ইসলামে এক আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখা হয় এবং আল্লাহর বাণী কুরআনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, অন্যান্য ধর্ম যেমন হিন্দুizm এবং খ্রিস্টান ধর্মে বহু দেবদেবীর পূজা করা হয়। মুসলমানরা আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করে এবং নবী মুহাম্মদ (সা) কে শেষ নবী হিসেবে মান্য করে।

এছাড়া, ইসলামের নৈতিকতা এবং সামাজিক নীতিগুলোও ভিন্ন। ইসলাম মানুষের মধ্যে সমতা, ন্যায় এবং সহানুভূতির শিক্ষা দেয়, যা অনেক ধর্মে ব্যবহৃত নীতি ও আদর্শের সাথে মিলে যায়, তবে কিভাবে তা বাস্তবে প্রয়োগ হয় তাতে পার্থক্য রয়েছে।

ইসলাম ধর্মের ইতিহাস কী?

ইসলামের ইতিহাস শুরু হয় ৬২০ সালে, যখন মহানবী মুহাম্মাদ (সা) প্রথম আল্লাহর কবুল করে ও ইসলামের প্রচার শুরু করেন। তিনি আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ৪০ বছর বয়সে নবুঅত লাভ করেন। প্রথমদিকে, ইসলামের প্রচার চলাকালীন মুসলমানরা ব্যাপক নিপীড়নের শিকার হন। ৬২২ সালে মুহাম্মদ (সা) মদিনায় অভিবাসিত হন, যেখানে ইসলাম একটি শক্তিশালী সম্প্রদায় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

মদিনায় ইসলাম প্রসার লাভ করে এবং সেখানে ইসলামের প্রথম রাষ্ট্র গঠন হয়। পরবর্তী সময়ে, ইসলামের প্রসার পুরো আরব উপদ্বীপ এবং পরে অন্যান্য অঞ্চলে ঘটে। ইসলামের বিস্তারের ফলে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও সমাজে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে, যা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

ইসলামের সামাজিক নীতি কী?

ইসলামী সামাজিক নীতিগুলো মানবতার মৌলিক অধিকার এবং মর্যাদার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। ইসলাম নারী ও পুরুষ উভয়কে সমান অধিকার প্রদান করে এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করে। একে অপরকে সাহায্য করা, অসহায়দের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা এবং সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এছাড়াও, ইসলামে পারিবারিক সম্পর্ক এবং রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলাম পরিবারকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে এবং সম্পর্কগুলোর মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য নৈতিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

 ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান-Islam is the complete code of life Telegram Channel

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান-Islam is the complete code of life নামক চ্যানেলটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান স্থান যা ইসলাম এবং মুসলিম জীবনে আলোকিত করে। এই চ্যানেলে আপনি ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য এবং সূত্র পাবেন। ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করার জন্য সঠিক নির্দেশিকা এবং মার্গনির্দেশনের সাথে পরিচিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই চ্যানেলে পাবেন ইসলামি তথ্য, কোরানের বিভিন্ন আয়াত এবং দীনি উপদেশ যা আপনাকে পূর্ণাঙ্গ মুসলামান হওয়ায় সাহায্য করবে। তারা যারা ইসলামে উদ্যোগশীল এবং আগ্রহী, এই চ্যানেল তাদের জন্য অবিচ্ছিন্ন জ্ঞানোদয়। চ্যানেলে একটি নিখুত সাথী এবং মার্গনির্দেশক পাবেন যিনি আপনাকে ইসলামের সঠিক মার্গে পযন্ত নিয়ে যাবেন। আসুন, চ্যানেলে যোগদান করুন এবং ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান সম্পর্কে উপকারিতা পেতে শুরু করুন!

 ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান-Islam is the complete code of life Latest Posts

Post image

রাসুলুল্লাহ (সা:) কে গালি দিলে তওবা করলেও তাকে হত্যা করতে হবে । তার বেচেঁ থাকার কোন সুযোগ নেই।

~ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক

22 Feb, 01:35
1,409
Post image

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি খোলা চিঠি

বিষয়: আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
আমি বাংলাদেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক ও সাধারণ মুসলিম হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে ইসলাম ধর্ম, মহান আল্লাহ ও তাঁর প্রেরিত রাসূল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্য করে চলেছে। একের পর এক এ ধরনের ঘটনা দেখে একে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত, দুরভিসন্ধিমূলক, অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।

বিশেষভাবে পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির একজন সদস্যের বিরুদ্ধে জনগণের ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের ক্ষেত্রে তার বিতর্কিত ভূমিকা জনমনে সংশয়ের জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সাম্প্রতিক আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক ফেসবুক পোস্ট আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে।

একই ধরনের কর্মকাণ্ড পৌনঃপুনিক হওয়ায় দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে যৌক্তিক ক্ষোভ, তীব্র অসন্তোষ ও হতাশা বিরাজ করছে। এই ক্ষোভের স্ফূরণ ঘটলে দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। সেরকম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আন্তরিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা আশু কর্তব্য। এ ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনলে তা জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে দেবে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
সব সমাজেরই কিছু আদর্শ ও মূল্যবোধ থাকে। তা রক্ষা করা, তাকে সম্মানের চোখে দেখা, নিদেনপক্ষে তাকে অবজ্ঞা না করাই সামাজিক রীতি এবং সাংবিধানিক কর্তব্য। বাংলাদেশের এক শ্রেণির মানুষ প্রতিনিয়ত এর উল্টোটাই করে চলেছে। এ কারণে এ দেশে বারবার অস্থিরতা তৈরি হয়। নতুন বাংলাদেশে এর পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

বর্তমান সরকার গঠিত হয়েছে একটি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। আবু সাঈদসহ অভ্যুত্থানের শহীদদের অধিকাংশই ছিলেন ধার্মিক। এই বিপ্লবে ইসলামপ্রিয় মানুষদের আত্মত্যাগ ও ভূমিকা ছিল মুখ্য। ইসলাম ধর্মের সাম্যের বাণী তাদেরকে আন্দোলনের প্রেরণা যুগিয়েছে। এজন্য এই সরকারের প্রতি ধর্মপ্রাণ জনগণের প্রত্যাশা অনেক। আশা করি—সরকার জনপ্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে, মানুষের আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবে, সরকার এরকম পদক্ষেপই গ্রহণ করবে, যা দেখে মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা ধরে রাখতে পারবে। মানুষ যদি দেখে তাদের আবেগ-অনুভূতিতে নিয়মিত আঘাত করা হচ্ছে, জন-প্রত্যাশাকে পদদলিত করা হচ্ছে, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জনগণকে উস্কে দেয়া হচ্ছে কিন্তু সরকার তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না—তাহলে তারা সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে। দেশের মানুষ যদি সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারায়, তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। অতএব সময় থাকতেই এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব প্রয়োজন।

আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে প্রত্যাশা করি—সরকার জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করবে, ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, ধর্ম অবমাননার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে সরকারি কোনো প্রকল্পে যুক্ত করবে না, যুক্ত করে থাকলে বরখাস্তপূর্বক শাস্তির আওতায় আনবে এবং এ ধরনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হিসেবে ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করবে।

অতএব,
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিনীত অনুরোধ—অনতিবিলম্বে এই ধরনের কটূক্তি ও অবমাননাকর কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এবং দেশবাসীকে এই মর্মে আশ্বস্ত করুন যে, তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বিশ্বাস রক্ষায় সরকার সম্পূর্ণভাবে সচেষ্ট থাকবে।

মহান আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুন এবং আপনাকে জাতির সেবায় নিয়োজিত রাখুন।

বিনীত
আহমাদুল্লাহ

21 Feb, 14:08
2,644
Post image

🔔 জুম্মা রিমাইন্ডার!

◆ সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা-

◆ বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করা-

◆  ইস্তেগফার করা-

◆ গোসল করে, পায়ে হেঁটে আগে আগে মসজিদে যাওয়া, ঈমামের কাছাকাছি বসা ও মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা-

◆ দুআ করা। বিশেষভাবে মুসলিম কবরবাসী ও মাজলুম উম্মাহর জন্য বেশি বেশি দুআ করা,
আর শত্রুর উপর বদ-দো‘আ করতে যেন ভুলে না যায় -

اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، سَرِيعَ الْحِسَابِ، اهْزِمِ الأَحْزَابَ، اللَّهُمَّ اهزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ


(আল্লা-হুম্মা মুনযিলাল কিতা-বি সারী‘আল হিসা-বি ইহযিমিল আহযা-ব। আল্লা-হুম্মাহযিমহুম ওয়া যালযিলহুম)।

অর্থ - “হে আল্লাহ, কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী! আপনি শত্রুবাহিনীকে পরাভূত করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে পরাজিত করুন এবং তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে দিন।”
(মুসলিম, ৩/১৩৬২, নং ১৭৪২)

21 Feb, 04:50
2,230
Post image

আগামীকাল সারাদেশে দুরুদ কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালনে সাধারণ আলেম সমাজের নির্দেশনা

সম্প্রতি আল্লাহ তাআলা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শানে অবমাননাকর বক্তব্যের ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট।

১। জুমার আগে খতিব সাহেবকে অবহিত করুন। হ্যান্ড মাইক, ব্যানার ও প্লেকার্ড রাখুন। জুমার পর খতিব সাহেবকে নিয়ে সকলে সমস্বরে সর্বোচ্চ বার দুরুদ পাঠ করুন। নির্দিষ্ট দাবি ও স্লোগান দিন।

২। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আল্লাহ ও রাসুল সা. কে কটুক্তি এবং ধর্ম অবমাননার জন্য কেবল শাস্তির প্রতি জোর না দিয়ে ভবিষ্যতে এসবের পুনরাবৃত্তি বন্ধের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করুন এবং ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের দাবি ও যৌক্তিকতা তুলে ধরুন।

৩। আল্লাহ ও রাসূলের শানে কটূক্তির ভয়াবহতা ইসলামের আলোকে তুলে ধরুন এবং প্রকৃত শাস্তির বিধান জনসাধারণের সামনে স্পষ্ট করুন।

৪। মুসলিম উম্মাহ যেন এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং একে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়, তা নিশ্চিত করুন।

৫। ইসলামের ইতিহাসে সাহাবায়ে কেরাম ও মুসলিম উম্মাহ কীভাবে এ ধরনের অপমানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তা মানুষের সামনে তুলে ধরুন।

৬। মুসলমানদের ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদের দায়ভার তাদের ওপর চাপানো চলবে না; বরং ধর্ম অবমাননার পুনরাবৃত্তি রোধের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।

আমরা সকল মুসলিমকে আহ্বান জানাই, ধৈর্য ও কৌশলের সাথে প্রতিবাদ করুন, আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন এবং রাসূল সা. এর মর্যাদা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকুন। আল্লাহ আমাদের হিম্মত দান করুন। আমীন!

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

20 Feb, 18:25
2,797