ঢাকায় অফিস খুলতে চাচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।
মানবাধিকার মানে হলো মানবের অধিকার৷ দেশীয় রাজনীতিতে গুম, হ*ত্যা, ক্রস ফায়ার, জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া, ধর্ষণ, বিরুদ্ধমত দমন, অত্যাচার আর নিপীড়নের হিড়িক দেখতে দেখতে মানবাধিকার শব্দটা শোনামাত্রই এসবই আমাদের চোখে ভাসে৷
কিন্তু, যারা মানবাধিকারের ফেরিঅলা সেজে বসে আছে দুনিয়ায়, সেই পশ্চিমাদের কাছে ‘মানবাধিকার’ বলতে কেবল এতোটুকুই নয়। তারা মানবাধিকার বলতে আরো বোঝে—যেকোনো পথ, মত, আর ব্যক্তির ইচ্ছাকে স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়া, যতোই সেগুলো উক্ত দেশের কৃষ্টি, কালচার, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস, ধর্ম আর অনুভূতির প্রতিকূলে হোক না কেন।
তার মানে, কোনো এক শরিফ যদি হঠাৎ করে বলে সে আসলে শরিফ নয়, মনে মনে সে আসলে শরিফা, আপনাকে সেটা মেনে নিতেই হবে। মেডিকেল রিপোর্ট যতোই বলুক যে সে আসলে শরিফ, সেসব কোনো কাজে আসবে না৷ তার দাবিটাই সব।
আপনার সন্তান যদি একদিন স্কুল থেকে ঘরে এসে ঘেউ ঘেউ শব্দ করে, আর আপনি তাকে শাসাতে গেলে সে যদি বলে যে সে আসলে মানুষ নয়, সে মনে মনে একটা কুকুর, আপনাকে সেটাই মানতে হবে। আপনাকে মানতে হবে যে—মানুষ নয়, আপনি আসলে জন্ম দিয়েছেন একটা কুকুর।
হাসবেন না যেন। পশ্চিমে এরকম ঘটনাগুলো বেশ ঘটছে এখন। বাচ্চা নিজেকে দাবি করছে বিড়াল, সাপ ইত্যাদি বলে৷ এবং বাবা মা, স্কুলের টিচারকেও সেসব মেনে নিতে হচ্ছে, কারণ—মানবাধিকার৷ সে নিজকে কী ভাববে সে সম্পূর্ণটাই তার ব্যক্তিগত বিষয়৷ বাপ মা, ভাই-বোন, স্কুলের মাস্টার, অভিভাবক—কারো কোনো অধিকার নেই তাকে থামানোর৷
শুধু তো তা-ই নয়, মানবাধিকারের নামে এরা সেই বিকৃত পাপ, যে পাপের কারণে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ধ্বংস করে দিয়েছেন একটা গোটা জাতি, যে কাজ শুধু ইসলাম নয়, সকল ধর্মেই ঘৃণিত আর নিন্দিত, সেই পাপটাকে সমাজে তারা নর্মালাইজ করার জন্য পুরোদমে কাজ চালাবে এবং এদেশের সকল এনজিও তাদেরকে এই কাজে শতভাগ সাহায্য করবে।
দেশের প্রথম সারির পত্রিকা ‘মানবজমিন’ ইতোমধ্যেই তাদের রিপোর্টে সেই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘের এই মানবাধিকার সংস্থা এমনই এক আজব চীজ যে, দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ অফিস খোলার জন্য তাদেরকে অনুমতি দেয়নি এখন পর্যন্ত। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান তো নয়ই, আমাদের পার্শ্ববর্তী গোদীরাষ্ট্রও এই সংস্থাকে দিল্লিতে অফিস খুলতে দেয়নি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার তদন্ত, তাদের সাহায্য, দরদ আর ভালোবাসা ব্যতীতই আমরা ফ্যাসিস্ট, শতাব্দীশ্রেষ্ঠ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমল পার করে এসেছি। সুতরাং, আমাদের আগামির দিনগুলোও তাদের কোনোরকম সোহবত ছাড়াই চলে যাবে।
অধিকারের নাম করে আমাদের এই ধর্মপ্রাণ দেশটাতে অশান্তির বীজ বপন করতে আসলে সেটা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। খেদানো হবে, যেভাবে আমরা খেদিয়েছি স্বৈরাচার।
~ আরিফ আজাদ