Rakibul Hasan @rakibulhasanduir Channel on Telegram

Rakibul Hasan

@rakibulhasanduir


Politics without borders

rakibulhasanduir (English)

Are you passionate about politics? Do you believe in the power of open discussions and debates to bring about positive change? Then look no further than the 'Politics without borders' Telegram channel, hosted by Rakibul Hasan. This channel is a hub for individuals from all around the world who are interested in politics and current affairs, where borders do not limit the exchange of ideas and opinions. Rakibul Hasan, the brains behind this channel, is a seasoned political analyst with years of experience in the field. His insightful commentary and thought-provoking analysis make this channel a must-follow for anyone looking to stay informed and engaged in the world of politics. Whether you are a student, a professional, or simply a concerned citizen, 'Politics without borders' offers a platform for you to share your thoughts, ask questions, and engage in meaningful discussions with like-minded individuals. With a diverse range of topics covered, from international relations to domestic policies, 'Politics without borders' ensures that there is always something new and interesting to learn and discuss. Hasan's commitment to promoting civil discourse and fostering a sense of global community sets this channel apart from the rest. Joining this Telegram channel means joining a community that values dialogue, respect, and the exchange of ideas above all else. So why wait? Join 'Politics without borders' today and become part of a growing community of politically engaged individuals who are passionate about making a difference in the world. Let your voice be heard, and together, let's strive for a more informed, connected, and peaceful future. Remember, when it comes to politics, there are no borders – only opportunities for dialogue and understanding. Join the conversation on 'Politics without borders' and be a part of the change you wish to see in the world.

Rakibul Hasan

13 Feb, 15:01


অথচ বিগত দেড় বছরে যখন গাজায় গণহত্যার পর গণহত্যা চলেছে, সৌদি ব্যস্ত ছিল কনসার্ট নিয়ে। ফিলিস্তিনের পক্ষে শ্লোগান দেওয়া, কোফিয়া পড়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এমনকি হজের সময় ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া করাতেও নিষেধাজ্ঞা দেয়!

আরব রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত প্রতিবাদ ও প্রত্যাখ্যানের মুখে ট্রাম্প সুর পরিবর্তন করেছে। সে এখন বলছে আরব রাষ্ট্রগুলোকে সমস্যা সমাধানে প্ল্যান করার কথা বলেছে সে।

এর অর্থ হল—আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনার সুযোগ আছে। ট্রাম্প যা করছে একে বলা হয় ব্রিঙ্কম্যানশিপ। অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে ঠেলতে ঠেলতে খাদের কিনারায় নিয়ে তার থেকে যতবেশি সম্ভব আদায় করে নেওয়া।

কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে এটা আবার ব্যাকফায়ার করে। যেমন করেছে সৌদির ক্ষেত্রে। সৌদি পররাষ্ট্রনীতি এক ঝটকাতে ৪০ বছর পেছনে চলে গেছে। বাদশাহ ফয়সালের চরম আরব জাতীয়তাবাদি বক্তব্য এখন সৌদির টিভিগুলোতে প্রচারিত হচ্ছে। যা এককথায় অকল্পনীয়। হতে পারে এটা সৌদি আরবের পক্ষ থেকে পাল্টা ব্রিঙ্কম্যানশিপ।

তবে ঘটনা যা-ই হোক, ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর খায়েশ বাস্তবায়ন হচ্ছে না তা নিশ্চিত। ফিলিস্তিনিরা নিজ ভূমিতে আছে, এই ভূমিতেই থাকবে। দেড়বছর টানা গণহত্যা চালিয়ে যাদেরকে উৎখাত করা যায় নাই, তাদেরকে উৎখাতের আর কোনো উপায়ও আসলে নাই।

তবে লাভের মধ্যে এটুকু হয়েছে যে ট্রাম্প আর নেতানিয়াহুর এইসব বক্তব্যের কারণে যেসব ইউরোপিয়ান দেশ সাদামনে, হালকা সাদামনে ইজরাইলকে সমর্থন দিত, কিংবা অন্তত ইজরাইলকে সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাহ্যিকভাবে তাদের কিছু যুক্তি থাকত, এখন সেগুলো থাকবে না। বিডিএস মুভমেন্ট, হিন্দ রজব ফাউন্ডেশন-সহ সিভিল সোসাইটি ও ফিলিস্তিনপন্থী মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাজ এখন অনেক সহজ হয়ে যাবে।

ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রগুলোকে ইজরাইলের বিনিয়োগ বন্ধ করতে, ইজরাইলের সাথে সহযোগিতা বন্ধ করতে খুব সহজেই রাজি করানো যাবে। রাজি না হলে নিজেদের তৈরি আইনের ফাঁদে তাদের নিজেদেরকেই ফেলা যাবে।

লাভের লাভ এটুকুই।

Rakibul Hasan

13 Feb, 15:01


আরব দেশগুলোর মধ্যে ইয়েমেনের পর সবচাইতে দরিদ্র রাষ্ট্র জর্ডান। তাদের অর্থনীতির প্রায় ৭০ শতাংশ হল সেবা খাত। অর্থাৎ তাদের দেশে ঘুরতে যাওয়া পর্যটন ও অন্যান্য। বাকি ত্রিশ পার্সেন্ট হল কৃষি ও শিল্পখাত। বৈদেশিক মুদ্রার অধিকাংশই আসে যৎসামান্য এই রপ্তানি আর আমেরিকার দেওয়া সহায়তা থেকে।

আমেরিকার বাজারে জর্দানের পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার লাভ করে থাকে। বহু আগে যখন এই চুক্তি হয়, তখন শর্ত ছিল যেসব পণ্যে ইজরাইলি কাচামাল ব্যবহৃত হবে, সেগুলোই শুধু আমেরিকার বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে।

উদ্দেশ্য ছিল—জর্ডানকে ইজরাইলের কাচামাল কিনতে বাধ্য করা এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালি করা। এভাবেই ইজরাইলকে অপরিচিত আরব দুনিয়ায় ‘সহনীয়’ করে তোলা হয়েছে।

এখন যদি জাস্ট আমেরিকা জর্ডানকে দেওয়া দানদক্ষিণা কিংবা শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করে দেয়, জর্ডানের রাজতন্ত্রের পতন ঘটবে।

আবার এই ভয় দেখিয়ে জর্ডানকে যা গেলাতে চাচ্ছে, অর্থাৎ ফিলিস্তিনিদেরকে নিজ দেশে গ্রহণ করা, এটাও জর্ডানের রাজতন্ত্রের পতন ঘটাবে। কারণ এমনিতেই জর্ডানের জনসংখ্যার মাত্র ২৯ পার্সেন্ট স্থানীয় জর্ডানি। বাকি ৭১ পার্সেন্ট ইরাকি এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের বংশোদ্ভূত। ধরা হয় মোটামুটি ৬৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি।

মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ১৫ লাখের মত। এখন যদি আরও এক মিলিয়ন বা দশ লাখ ফিলিস্তিনি নেওয়া হয়, তাহলে জর্ডানই ফিলিস্তিন হয়ে উঠবে।


জর্ডানের স্থানীয়রা বিদ্রোহ করবে, যেন আরও ফিলিস্তিনি নেওয়া না হয়। জর্ডনের ফিলিস্তিনিরা বিদ্রোহ করবে, কারণ এটি দেশে থাকা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সহযোগিতাতুল্য।

ফলে জর্ডানের অবস্থা এমন-ট্রাম্পের কথা শুনলেও মরতে হবে, না শুনলেও মরতে হবে।

মিশরের অবস্থাও ভাল না। কারণ মিশরীয় অর্থনীতিও আমেরিকান অনুদানের উপর নির্ভরশীল। ট্রাম্প এবার ক্ষমতায় এসে সব দেশের অনুদান বন্ধ করলেও শুধু ইজরাইল, মিশর ও জর্ডানের সহায়তা বহাল রেখেছে। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করাটা মিশরের জন্য আত্মহত্যাতুল্য হবে।

কারণ এতে একদিকে ফিলিস্তিনিরা মিশরের ভেতর ঢুকে যাবে। আর বলাই বাহুল্য সেখানে ঢুকে তারা সুবোধ বালকের মত বসে থাকবে না। প্রতিটা শরণার্থী শিবির প্রতিরোধের কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হবে। আজ হোক বা কাল। পাশাপাশি এখন গাজা আছে বিধায় ইজরাইল ও মিশরের মাঝখানে এটি বাফার জোন হিশেবে কাজ করছে।

যখন গাজা ও গাজাবাসী থাকবে না, তখন মিশর হবে ইজরাইলের প্রতিবেশি। ইজরাইলের খুনে রাজনীতির বলি হবে তখন মিশর, কারণ তখন জীবন দেওয়ার মত গাজা ও গাজাবাসী বলে কিছু থাকবে না। যতই শান্তিচুক্তি থাকুক, ইজরাইল ও জায়োনিজমের বাস্তবতা সবার জানা। ফলে জেনেবুঝে মিশর আত্মহত্যা করতে যাবে না।

অবশ্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মিশরের অবস্থা জর্ডানের মত হবে না। কারণ এরকম সংকটকালে সৌদি আরব মিশরের পাশে দাঁড়ায়। মুরসিকে উৎখাতের পর যেভাবে দাঁড়িয়েছিল।

ট্রাম্পের হুমকিধামকিতে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রনীতি। নেতানিয়াহু ইজরাইলি চ্যানেল ১৪ কে দেওয়া সাক্ষাতকারে খোলাখুলি বলেছে যে সৌদি আরবের সাথে বিগত ৩ বছর ধরে গোপনে আলাপ চলছে। এটি শুধু নেতানিয়াহু আর তার তিনজন সহকর্মী জানে। সৌদির দিক থেকেও হাতেগোনা এরকম কয়েকজন জানে। আর জানে ওয়াশিংটনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।

একই সাক্ষাৎকারে সে বলেছে এটি হল শক্তির বিনিময়ে শান্তি। অর্থাৎ সে সোজাসুজি বলছে—আমাদের শক্তির কাছে সৌদি আরব মাথানত করতে বাধ্য। এটা সৌদি আরবের জন্য অনেক বড় অবমাননা। হয়ত এগুলোও তারা মেনে নিত।

কিন্তু সৌদির সমস্যা হল—ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করলে মধ্যপ্রাচ্যে যে অকল্পনীয় বিপর্যয় নেমে আসবে, তার প্রথম ভুক্তভোগীর তালিকায় থাকবে সৌদির তেল ক্ষেত্রগুলো। এতবড় রিস্ক মুহাম্মদ বিন সালমান নিতে পারে না।

আরও কিছু ক্যালকুলেশন আছে। যেমন বিগত মেয়াদে ট্রাম্প তার প্রস্তাবিত আব্রাহাম একর্ডকে বিভিন্ন আরব রাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করেছে ‘ইরান’ বিরোধি ঔষধ হিশেবে। অর্থাৎ ইরানকে মোকাবেলায় এই চুক্তি।

কিন্তু চ্যানেল ১৪ এর সাথে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে বলেছে এই চুক্তি ছিল ফিলিস্তিনকে সাইডলাইনে ফেলে দেওয়ার জন্য। ফলে যদিও সবাই বুঝত যে এই চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিন সাইডলাইনে চলে যাবে, কিন্তু ৭ অক্টোবরের পর বুঝতে পারছে ইজরাইলের সাথে চুক্তি করে ফিলিস্তিনকে সাইডলাইনে ফেলা যাবে না।

তাছাড়া ইরান এখন বিগত কয়েক দশকের সবচাইতে কোনঠাসা ও দুর্বল অবস্থায় আছে। ফলে ইরান-বিরোধিতার মুলা দেখায়ে আরব দেশগুলোকে কাছে টানা কষ্টকর।

সবচাইতে বড় ধাক্কাটা এসেছে আবার নেতানিয়াহু যখন বলেছে যে সৌদি আরবে অনেক জায়গা আছে, চাইলে সৌদি আরব সেখানে একটা ফিলিস্তিন বানাতে পারে। এই মন্তব্যের পর সৌদি থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সৌদির সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান কোফিয়া পরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে সাক্ষাৎকার দিয়েছে।

Rakibul Hasan

11 Feb, 12:47


মাস্টারমাইন্ড মাহফুজ সমাচার-

https://www.facebook.com/share/p/15onAoKn8z/

Rakibul Hasan

09 Feb, 12:55


আপনি যদি ইভেন চ্যাট জিপিটিকেও জিজ্ঞেস করেন যে পৃথিবীর সো কল্ড 'বন্ধু' প্রতিবেশি কারা কারা, সর্বপ্রথম যে নামটা আসার পসিবিলিটি হাই, সেটা হইল আমেরিকা-কানাডা।

সর্বশেষ আল জাযিরার দ্য টেইক পডকাস্টে দেখলাম কানাডিয়ানরা এখন শপ থেকে কিছু কেনার আগে দেখে সেটা মেইড ইন ইউএস কিনা। ইউএস হইলে সেটা এভয়েড করে।

চাইনিজ ইলেক্ট্রিক কার সেক্টরের সাথে তাল মিলাইতে টেসলা এবং ইউরোপিয়ান সবগুলো কোম্পানি খাবি খাচ্ছে। চীনে ইভি কোম্পানি ১৬ শ প্লাস। প্রতিটা কোম্পানিই চেষ্টা করছে তাদের গাড়িতে একটা ইউএসপি বা ইউনিক সেলিং প্রপোজিশন রাখে। অর্থাৎ তাদের গাড়িতে এমন কিছু ফিচার এড করে, যেইটা অন্য কোনো গাড়িতে নাই।

সাথে এখন এআই ইন্টেগ্রেটেড করে দিচ্ছে। সেই এআইকে বললে অটোমেটিক গাড়ি পার্ক করে দিচ্ছে। এসির পরিবর্তে শীত লাগলে জাস্ট সিটটা হালকা উষ্ণ করে দিচ্ছে। আবার এসির টেম্পারেচার বাড়াইতে-কমাইতে বললে সেটাও করে দিচ্ছে। জোকস বলতে বলতে জোকস শোনাচ্ছে।

এবং কেউ একটা গাড়ি মাসখানেক ইউজ করলে সেই গাড়ির এআই মালিকের অভ্যাস, রুচি বুঝে যায়। তারপর আর তেমন কমান্ডও দিতে হয় না!

ইউরোপ নিয়ে মাস্কের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে ইউরোপে টেসলার বেচাবিক্রি পড়তির দিকে। সুইডেনে সম্ভবত সর্বোচ্চ ৫৯ পার্সেন্ট পর্যন্ত বেচাকেনা পড়ে গেছে।

এটা তো এমনিতেই ট্রাম্পের শেষ মেয়াদ। আমার প্রেডিকশান হল-এটা ইলন মাস্ক এবং খোদ আমেরিকারও শেষ মেয়াদ।

বাকিটা সময়ই বলে দিবে।

Rakibul Hasan

09 Feb, 11:45


সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত তিন ইজরাইলি বন্দির বিহাইন্ড দ্য সিন। এরা সবাই ইজরাইলি সেনাবাহিনির সদস্য ছিল।

Rakibul Hasan

09 Feb, 08:48


বন্দি বিনিময় অনুষ্ঠানে হামাসের শক্তিমত্তার প্রদর্শন। প্রতিটা মুভ, প্রতিজন সদস্যের উপস্থিতি নেতানিয়াহুর গালে একটি করে চপেটাঘাত।

Rakibul Hasan

08 Feb, 16:38


গার্ডিয়ান-সহ আন্তর্জাতিক একাধিক পত্রিকায় একটা সংবাদ এসেছে যে আফগানিস্তানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শের মুহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই আফগানিস্তান ছেড়ে আরব আমিরাতে আশ্রয় নিয়েছেন।

জানুয়ারির ২০ তারিখ খোস্ত প্রদেশের এক অনুষ্ঠানে নারীদের শিক্ষার উপর তালেবানের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছিলেন। বলছিলেন-আমরা দুই কোটি মানুষের উপর জুলুম করতে পারি না।

তারপর রাসুলুল্লাহর যুগ থেকে নারীদের শিক্ষাদীক্ষার উদাহরণ দিয়েছেন৷

মিডিয়ায় বলা হচ্ছে এই বক্তব্যের পরপরই মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা সামরিক আদালতে তার বিচারের আদেশ দিয়েছে। প্লাস তার ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এর পর পরই তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নেন। অবশ্য মিডিয়াকে তিনি বলেছেন সেখানে তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গিয়েছেন।

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে নারীদের শিক্ষার ব্যাপারে শুধু পশতুনদের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা আছে। আফগানিস্তানের অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠী নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে পশতুনদের রীতি অনুসরণ করে না।

এমনকি পশতুনদের মধ্যে যারা পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে থাকে, তারাও কান্দাহারী পশতুনদের এসব নিষেধাজ্ঞায় অভ্যস্ত না। তারা এমনকি ১৯৯৬ সালের অত্যন্ত কট্টর তালেবান শাসনামলেও মেয়েদের শিক্ষা চালু রেখেছিল। তাদের অঞ্চলের সবগুলো স্কুলে মেয়েদের পড়াশোনা সচল ছিল।

উগ্র পশতুনদের এসব রীতিনীতি 'পশতুনওয়ালী' নামে পরিচিত।

Rakibul Hasan

08 Feb, 08:02


যুদ্ধে পা হারানো একজন হামাস সদস্য অস্ত্র কাধে নিয়ে বন্দিবিনিময় অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন।

Rakibul Hasan

01 Feb, 08:47


সংবাদে দেখা যাচ্ছে হামাস আজকের বন্দি বিনিময়ের ক্ষেত্রে যে গাড়িগুলো ব্যবহার করেছে, সেগুলোর মধ্যে দুটি ইজরাইলি সেনাবাহিনীর গাড়ি। সম্ভবত গাযা যুদ্ধে গণিমত হিসেবে পাইছে।

এর আগের দফার বন্দি বিনিময়ের সময় হামাস সদস্যদের হাতে ইজরাইলের এলিট বাহিনীর হাতে থাকা অত্যাধুনিক রাইফেল দেখা গিয়েছিল।

Rakibul Hasan

31 Jan, 00:10


এক ছবিতে হামাসের নেতৃবৃন্দ: ইসমাইল হানিয়া, ইয়াহইয়া সিনওয়ার, মুহাম্মদ দেইফ এবং বাসেম ইসা

Rakibul Hasan

27 Jan, 10:36


উত্তর গাযায় প্রত্যাবর্তনকারীদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছে আল কাসসাম।

Rakibul Hasan

27 Jan, 10:35


একবছরেরও বেশি সময় পরে পুরোপুরি ধ্বংস্তুপে পরিণত হওয়া উত্তর গাজায় ফিরে যাচ্ছে গাযাবাসী।

একজনের মুখেও রাগ নাই, ক্ষোভ নাই, অভিযোগ নাই। আল কাসসাম সদস্যরা দাঁড়িয়ে আছে, তাদের সাথে কোলাকুলি করতেছে, ফুল দিচ্ছে।

প্রত্যাবাসী গাযাবাসীর মধ্যে এমনও রয়েছে যারা অন্তত ২০ বার স্থানান্তরিত হইতে হইছে। পরিবারের ১০-২০ জন শহিদ হইছে।

দেখতেছি আর ভাবতেছি যদি এটা বাংলাদেশে হত ৮০ পার্সেন্ট ভিন্ন দেশে চলে যাইত। বাকি বিশ পার্সেন্টের দশ পার্সেন্ট কাসসাম ব্রিগেডকে গাইল্লাইত। আর দশ পার্সেন্ট খোদ খোদাকে গাইল্লাইতে গাইল্লাইতে যাইত-কেন তাদের এত কষ্ট দিল।

গাযাবাসী ভিন্ন ধাতুতে গড়া।
এজন্য গাযাকে বলা হয় মাসনাউর রিজাল অর্থাৎ বীরদের আঁতুড়ঘর।

Rakibul Hasan

27 Jan, 10:19


ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রচারণা ছিল মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এক সাক্ষাৎকারে সে চব্বিশ ঘন্টায় রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কথা বলছিল। পরে অবশ্য একদিন 'ছয়মাস' হয়ে গেছে।

তবে হোয়াইট হাউসে ঢুকেই যুদ্ধ বন্ধ না করলে রাশিয়াকে উচ্চ মাত্রার কর, শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিছে।

ওদিকে পুতিন এক ভাষণে বলেছে ‘ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের মূল লক্ষ্যগুলো রাশিয়া ইতোমধ্যেই অর্জন করে ফেলেছে।’

আমাদের অবশ্য মাথায় রাখতে হবে যে ইউক্রেনই রাশিয়ার একমাত্র ফ্রন্ট না। এর বাইরেও বহু ফ্রন্টে পুতিন পশ্চিমাদের সাথে লড়তে হচ্ছে।

ফাউন্টেনের পুতিন'স মাস্টারপ্ল্যান বইয়ে রাশিয়ার লড়াই, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, সাফল্য-ব্যার্থতা, শত্রু-মিত্র, কূটনীতি, সামরিক সক্ষমতা, ভৌগোলিক সুবিধা সবকিছুই বিশদভাবে উঠে এসেছে।

বিশ্বরাজনীতি এবং ট্রাম্পের এই মেয়াদ বুঝতে হলে মধ্যপ্রাচ্যের পাশাপাশি আরও দুইটা ফ্রন্টে নজর রাখতে হবে। একটা হল চীন বা ইস্ট এশিয়া, আরেকটা রাশিয়া বনাম ইউরোপ।

সেক্ষেত্রে এই বইটা আপনাদের হেল্প করতে পারে।

Rakibul Hasan

25 Jan, 10:44


https://emadrasaah.com/%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%ac-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a3%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b8-%e0%a6%85%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0/

Rakibul Hasan

25 Jan, 00:28


সারা দুনিয়া জানে মুহাম্মদ দেইফ হুইল চেয়ারে বসা এক ব্যক্তি। কিন্তু এই ডকুমেন্টারিতে দেখা যাচ্ছে সুস্থ সবল!!

Rakibul Hasan

25 Jan, 00:21


আল জাযিরার একটা অনুষ্ঠান আছে "মা খফিয়া আ'জাম" নামে। এই নামের মর্মার্থ হল-যেটা চক্ষুর অন্তরালে, সেইটাই সবচাইতে ইম্পোর্ট্যান্ট।

গতকাল রাতে আল জাযিরা ঘোষণা দিছে এই সিরিজের অংশ হিসেবে গাযা যুদ্ধের উপর একটা ডকুমেন্টারি আসতে যাচ্ছে। সিনওয়ার এবং দেইফের কিছু এক্সক্লুসিভ ভিডিও থাকবে এতে, যা আল কাসসাম আগে কোথাও প্রকাশ করে নাই।

মাত্র ৫ ঘন্টায় ১ মিলিয়ন ভিউ! প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই এর উপর বয়সের রেস্ট্রিকশন আছে।


যেকোনো মুহূর্তে নাই হয়ে যেতে পারে। দেখে ফেলেন যারা আগ্রহী। বুঝেন, না বুঝেন সমস্যা নাই। সিনই অনেক কিছু বলে দিবে।

https://youtu.be/GTvsWLVC9QU?feature=shared

Rakibul Hasan

24 Jan, 12:45


#شاهد الجزء الأول من "سلسلة كمائن الموت " والتحام مجاهدي القسام مع جنود وآليات العدو في محاور التوغل في مدينة بيت حانون شمال قطاع غزة
#طوفان_الأقصى

Rakibul Hasan

24 Jan, 12:45


আল কাসসাম ব্রিগেড কামাইনুল মাওত বা ডেথ এম্বুশ (মৃত্যফাদ) নামে তাদের শেষ দিকের অভিযানগুলোর সিরিজ ভিডিও প্রকাশ করবে।

এটি সেই সিরিজের প্রথম অভিযানের ভিডিও, বাইত হানুনের প্রবেশমুখে।

হামাসের মিডিয়া উইং অত্যন্ত স্ট্রং। ২০১৪ সালের যুদ্ধের পর তারা একই নামে ৪০ মিনিটের একটা ডকুমেন্টারি বানিয়েছিল। ইউটিউবে ছিল, পরে সরায়ে দিছে। এককথায় দুর্দান্ত ছিল। সেই ডকুমেন্টারি থেকেই আমি সর্বপ্রথম হামাসের স্ট্রাটেজি সম্পর্কে ধারণা পাই।

Rakibul Hasan

24 Jan, 06:33


হামাস গাযার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরপরই প্রথমে ৫ জন এবং এরপর ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

১৭ জনকে পায়ে গুলি করে অক্ষম করে দিয়েছে।

এদের সবাইকে এই যুদ্ধে ইজরাইলের পক্ষে রাজাকারীর অভিযোগ আনা হয়েছে। কেউ ত্রাণের ট্রাক লুট করেছে, অস্ত্রশস্ত্র আর গ্যাং নিয়ে।

কেউ ইজরাইলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করেছে। কেউ কেউ ব্যবসায়ী, দুর্ভিক্ষকালে আরও কৃত্রিম সংকট তৈরি করার জন্য ইজরাইলের সাথে মিলে পণ্য মজুদ করেছে এবং দাম বৃদ্ধি করেছে।

এই তালিকায় এখনো পর্যন্ত ৩৭০ জনের নাম এসেছে। ক্রমান্বয়ে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে সবাইকে বিভিন্ন ধাপে সাজা দেওয়া হবে।

Rakibul Hasan

22 Jan, 05:16


নাইস খেলনা
খেলতে খেলতেই আসল খেলা শিখে যাবে।

Rakibul Hasan

21 Jan, 13:25


ইজরাইলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরে জেনিন শরণার্থী শিবিরে যুদ্ধ শুরু করেছে।

Rakibul Hasan

20 Jan, 12:08


ফেসবুক থেকে ঢুকতে চাইলে-
https://www.facebook.com/share/p/15gaheJmPR/

Rakibul Hasan

20 Jan, 12:05


ফেসবুকে লেখাই যায় না, টেলিগ্রামে কিছু লেখলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিতে হয়, সাথে ছবিটবি এড করা যায় না।

সব সমস্যার সমাধান হিসেবে আমার ওয়েবসাইটে ব্লগ সেকশন রাখছি। যদিও এটা এডুকেশনাল সাইট, বাট এখানে ব্লগ না রাখলে মন ভরে লেখা যাবে না।

সাইটে সর্বপ্রথম ব্লগ।
এবং অবশ্যই আমার সবচাইতে ইম্পোর্ট্যান্ট লেখাগুলোর একটি।
ইজরাইল-ফিলিস্তিন গণহত্যার এই দিকটি নিয়ে বাংলায় কোনো লেখা আমার চোখে পড়েনি।
পড়ুন এবং শেয়ার করুন-

https://emadrasaah.com/%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80-%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a8/

Rakibul Hasan

20 Jan, 06:43


এত দীর্ঘ, এত ভয়াবহ, এত নিষ্ঠুর এবং নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের পরও আবদ্ধ গাজা ভূখণ্ড তো গাযা ভূখণ্ড, বরং রাশিয়ার মত পৃথিবীর সর্ববৃহত আয়তনের রাষ্ট্রও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা।

কিন্তু এমনকি সিজফায়ার শুরু হওয়ার আগেই হামাস সদস্যরা গাজায় আবির্ভূত হয়েছে। কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে গোটা গাজায় পূর্বের মতই তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। সরকারি সমস্ত কাজকর্ম শুরু হয়ে গেছে।

কীভাবে সম্ভব?
এই প্রশ্নের এক্সাক্ট উত্তর আমরা জানি না।

তবে কিছুটা ধারণা করতে পারি। তৃণমূল থেকে, একদম জনতার ঘর ঘর আর কলিজার ভেতর থেকে উঠে আসার সুফল এটা। ফাউন্টেন থেকে প্রকাশিত 'হামাস' বইটা পড়লে হামাসের টিকে থাকার কৌশলের কিছু বর্ণনা পাবেন।

প্রশ্ন হল-বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরা এত জনবিচ্ছিন্ন এবং গণবিচ্ছিন্ন কেন? গলত কোথায়?
উত্তরটা ভাবুন।

Rakibul Hasan

20 Jan, 06:33


বন্দিমুক্তি উপলক্ষে পশ্চিম তীরে সব ধরনের জমায়েত এবং উদযাপন কঠোরভাবে নিষেধ করা হইছিল ইজরাইল সরকারের পক্ষ থেকে।

কে শুনে কার কথা।

Rakibul Hasan

20 Jan, 06:32


প্রথম দফার বন্দি বিনিময়ের ভিডিও প্রকাশ করেছে আল কাসসাম। দেখা যাচ্ছে বন্দিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে উপহারের ব্যাগ, তারা আল কাসসামের হাতে বন্দি ছিল সেই সার্টিফিকেট, ব্যাগে অন্যান্য উপহারের সাথে তাদের বন্দিত্বকালের বিভিন্ন ছবি আছে।

মোসাদের এক কর্মকর্তা কোনো এক পত্রিকার সাক্ষাৎকারে বলেছিল গোটা আরব বিশ্বে তাদের স্পাইগিরির প্রধান অস্ত্র হচ্ছে নারী ও মাদক। এই দুইটা দিয়ে তারা আরবের বাঘা বাঘা নেতাকেও বাগে আনতে পেরেছে।

কিন্তু হামাস না ছোঁয় মদ, না ধরে নারী। ফলে হামাসের কাছে ইজরাইলের টেকনোলজি ভয়াবহভাবে মার খেয়ে গেছে।

ইরান, হিযবুল্লাহ, ইরাকসহ সারা দুনিয়ার তথ্য ইজরাইলের হাতে থাকলেও, ঠিক তাদের সৈন্যদের ঘেরাওয়ে থাকা, হয়ত তাদের ট্যাঙ্কের নিচে থাকা, ২৪ ঘণ্টা তাদের সার্ভিলেন্স বিমান আর ড্রোনের ছায়ায় থাকা হামাসের কোনো তথ্য বের করতে পারে নি।

তবে এবারের বন্দিত্বের পর, আমার মনে হয় যদি কাসসাম ব্রিগেড আর ইজরাইলিদের কোনো 'কমন' প্লেস থাকত, যেখানে উভয় পক্ষ নির্বিঘ্নে এবং বাধাহীনভাবে একত্র হতে পারবে, তাহলে উভয়পক্ষের মধ্যে বিয়েশাদির কিছু ঘটনা দেখতে পেতাম।

Rakibul Hasan

19 Jan, 15:47


প্রথম দফার বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে হামাস ৩ জন ইজরাইলিকে রেড ক্রসের হাতে সমর্পণ করেছে।

Rakibul Hasan

19 Jan, 11:10


আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতির খানিকটা বুঝতে চাইলে।

Rakibul Hasan

19 Jan, 11:10


https://www.facebook.com/share/p/1G8wf1f9th/

Rakibul Hasan

19 Jan, 09:34


কাসসাম ব্রিগেড গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। যেসব হাসপাতাল বা ভবনকে কেন্দ্র করে ইজরাইলের সবচাইতে গুরুতর হামলা পরিচালিত হয়েছে, যেমন কামাল আদওয়ান হাসপাতাল, সেগুলোর সামনেই হামাস মহড়া দিচ্ছে।

এন্টনি ব্লিংকেন বলেছে-হামাসের যে পরিমাণ সদস্য হারিয়েছে,সেই পরিমাণ সদস্য তারা পুনরায় সংগ্রহ করেছে। কিন্তু ভিডিওগুলো দেখে মনে হচ্ছে শেষদিকে হামাস যাদের রিক্রুট করেছে, তাদের ইউনিফর্মের ব্যবস্থা করা যায় নাই। সবাই সাধারণ প্যান্ট-জ্যাকেট পরিহিত। তবে অস্ত্রের ব্যবস্থা হয়েছে ঠিকঠাক, কারণ কারো হাত ফাঁকা না। সবার হাতে অস্ত্র।

Rakibul Hasan

19 Jan, 09:31


ইজরাইলি সেনাবাহিনিকে গাযায় যুদ্ধবিরতির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

Rakibul Hasan

19 Jan, 09:13


ফিলিস্তিনিরা নিজেদের 'ধ্বংস্তুপে' ফিরছে। আল জাযিরা সবগুলো ঘটনা লাইভ সম্প্রচারের চেষ্টা করছে। সামনে যতদূর চোখ যায়, শুধু ধ্বংস্তুপ আর ধ্বংস্তুপ। ফিলিস্তিনিরা হাটছে তো হাটছেই।

আমি খুব মন দিয়ে খুজছি যে কোনো ফিলিস্তিনির চোখে পানি আছে কিনা। একজনেরও নাই! এমনকি যাদের পরিবারের একজন-দুইজন থেকে শুরু করে গোটা পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, তারাও এত জোরে স্লোগান দিচ্ছে যে সাংবাদিক কথা বলতে পারছে না। কারো চোখে দুঃখ নাই, কারো মুখে শোক নাই, হা-হুতাশ নাই,কান্না নাই। পৃথিবী তাদের দুর্বলতার কোনো ছিটেফোটাও দেখতে পাচ্ছে না। এই এক আজব জাতি।

ওদিকে লাইভ টেলিকাস্টে পুরো পৃথিবীর চোখের সামনে দেড় বছরের গণহত্যা সত্ত্বেও গোটা ইজরাইলজুড়ে নেমে এসেছে কবরের নিরবতা আর নরকের শোক। এ-ও আরেক আজব জাতি।

Rakibul Hasan

19 Jan, 08:46


ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা নিজেদের বসত ভিটায় ফিরতে শুরু করেছে। রাফাহর রাস্তায় এরকম শত শত খুলি পড়ে আছে।

Rakibul Hasan

17 Jan, 19:42


অস্ত্রবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর থেকে ইজরাইলের বিমান হামলায় এখনও পর্যন্ত গাজায় ১১৬ জন নিহত হইছে।

এদের মধ্যে ৩০ জন শিশু।
৩২ জন নারী।

Rakibul Hasan

16 Jan, 16:38


আমরা নেতানিয়াহু এবং তার কমান্ডারদেরকে এই সংবাদ দিচ্ছি যে-এই যুদ্ধে আমরা তাদেরকে হাঁটুগেড়ে বসতে বাধ্য করব।

-আবু উবাইদা, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩

Rakibul Hasan

16 Jan, 16:34


কুদস প্রাঙ্গনে কুদসের মুক্তির প্রথম ধাপ উদযাপন

Rakibul Hasan

15 Jan, 19:20


গাযায় হামাসের উদযাপন

Rakibul Hasan

15 Jan, 19:15


গাযায় শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ১৯৪৮ সাল থেকে চলে আসা ইজরাইলি সমরনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির চূড়ান্ত পরাজয় ঘটেছে।

কখনো সময় করে বিষয়টা ডিটেইলস ব্যাখ্যা করব।

Rakibul Hasan

15 Jan, 19:14


আল্লাহু আকবর
আল্লাহু আকবর
আল্লাহু আকবর


https://youtu.be/SFVppQ_-ctQ?feature=shared

Rakibul Hasan

15 Jan, 19:10


কাতার যখন অস্ত্রবিরতি চুক্তির ঘোষণা দিচ্ছে, ঠিক তখনো গাযায় বিমান হামলা চলমান।

১৯ তারিখ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, আগামী ৩ দিন ইজরাইল সর্বশক্তি দিয়ে গাযার অবশিষ্ট সবকিছু মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে৷

Rakibul Hasan

15 Jan, 19:07


হামাস বলতে কোনোকিছুর অস্তিত্ব থাকবে না

-নেতানিয়াহু, ৮ অক্টোবর, ২০২৩

আমরা অধির আগ্রহে হামাসের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছি

-নেতানিয়াহু, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

Rakibul Hasan

15 Jan, 18:59


ইজরাইলি ইতিহাসবিদ ইলান পাপ্পে বলেছেন জায়োনিজম তার অন্তিম মুহূর্তে চলে এসেছে। ১৯৪৮ সালে ইজরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে জায়োনিজম ক্রমাগত খুনে, বর্বর এবং কট্টর থেকে অধিকতর কট্টর হয়েছে।

ফলে পৃথিবীবাসী থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হতে এখন অন্তিম মুহূর্তে চলে এসেছে।

উল্লেখ্য, ইলান পাপ্পে দুই দশক আগে বলছিল যে ইজরাইলের নতুন প্রজন্ম কট্টরপন্থী হবে।

তার কথা ফলেছে।

Rakibul Hasan

15 Jan, 18:55


যুদ্ধবিরতিচুক্তি হয়েছে, গাজার বিজয় হয়েছে। পুরো পৃথিবীর সম্মিলিত সামরিক শক্তির বিপরীতে হামাস বিজয়ী হয়েছে।

"কত ক্ষুদ্র দল বৃহৎ দলের উপর বিজয়ী হয়েছে"- সুরা বাকারা

Rakibul Hasan

13 Jan, 16:38


রাফাহর আন নাজিলি এরিয়ায় হামাস আরও একটি জটিল অপারেশন চালিয়েছে।

২৫ জন ইজরাইলি সৈন্য আশ্রয় নেওয়া এক ভবনে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্রের মাধ্যমে আক্রমণ করেছে, যাতে বিল্ডিং এ থাকা সব সৈন্য হতাহত হইছে৷

তাদের উদ্ধারের জন্য রেস্কিউ টিম আসার পর তাদেরকে বহনকারী দুইটা ক্যারিয়ারের নিচে মাইন বিস্ফোরিত হইছে। ফলে রেস্কিউ টিমের অধিকাংশই পুনরায় হতাহত হইছে।

Rakibul Hasan

13 Jan, 16:24


টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানাচ্ছে- কাতারের প্রস্তাবিত সর্বশেষ অস্ত্রবিরতিচুক্তির খসড়ায় হামাস সম্মতি জানিয়েছে৷

Rakibul Hasan

13 Jan, 16:22


বিগত ৭২ ঘন্টায় ১০ ইজরাইলি সৈন্য নিহত হয়েছে।

-আবু উবাইদা

Rakibul Hasan

13 Jan, 15:30


যুদ্ধ যখন শেষ হবে, মিডিয়া আর বইপত্রে এই যুদ্ধের ভেতরের ঘটনা উঠে আসতে শুরু করবে, সেখানে এরকম হাজারো কিংবদন্তী আর জিন্দা কারামত উঠে আসবে নিসন্দেহে।

Rakibul Hasan

13 Jan, 15:29


সাধারণত দেখা যায় ইজরাইল শেষ সময়ে এসে প্রতিপক্ষের উপর চাপ বাড়ায়, যথাসম্ভব বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালায়৷

হামাসের ক্ষেত্রে সেটা উলটো হচ্ছে। কারণ গাযাবাসীকে চাপে ফেলার মত আর কিছুই ইজরাইল অবশিষ্ট রাখে নাই। ত্রাণ নিয়ে যে হাতেগোনা অল্প কয়টা ট্রাক ঢুকে, সেগুলো অফ করে দিতে পারে৷ আর পারে হাসপাতাল ধ্বংস করতে। দুইটাই যুদ্ধাপরাধ। এবং দুইটাই ইজরাইল অনুসরণ করছে, বাট লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না, আন্তর্জাতিক জনমত ইজরাইলিদের বিরুদ্ধে যাওয়া ছাড়া।

ছুটিতে বা অন্য কোনো কারণে ইজরাইলি সৈন্যরা, বা যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে, তারা বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মামলার শিকার হচ্ছে এবং পালিয়ে যেতে হচ্ছে।

অতি সাম্প্রতিক সময়ে হামাসই বরং ইজরাইলের উপর 'চাপ' বাড়াচ্ছে। হামলায় আগের চাইতে বেশি ইজরাইলি হতাহত হচ্ছে।

আপনারা এম্বুশের ভিডিওগুলো দেখলে একটা প্যাটার্ন লক্ষ্য করবেন যে এখনকার বিস্ফোরণগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী ও তীব্র হয়। গোটা এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়৷

হামাসের কাছে এত শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল না। যুদ্ধের শুরুর দিকের এম্বুশ এবং তাদের রকেটগুলো দেখলেই তা বুঝতে পারবেন।

প্রশ্ন হল এখন এত শক্তিশালী বিস্ফোরক পাচ্ছে কই? এগুলো ইজরাইলি ট্যাংক আর বিমান থেকে ফেলা অবিস্ফোরিত বোমা।

এরকম বোমার পুনর্ব্যবহারে হামাস এক্সিলেন্ট মাস্টার। কারণ এখনো পর্যন্ত হামাসের অস্ত্রের সর্ববৃহৎ চালান নিজেদের উৎপাদন থেকেই আসে।

এক হিসেবে দেখা যাচ্ছে গাযায় যে পরিমাণ অবিস্ফোরিত বোমা রয়ে গেছে, তাতে আগামী ৫ বছর হামাসের বিস্ফোরকের অভাব হবে না।

২০০৮, ২০১৪ সালের যুদ্ধের পরও একই ঘটনা ঘটেছিল৷

সর্বশেষ আক্রমণে হামাস ৪২ জন ইজরাইলি সৈন্যের গোটা এক প্লাটুনকে টার্গেট করেছে। তারা নিজেদের ক্যাম্প বানিয়েছিল হামাসের এক সুড়ঙ্গকে।

টানা ৩ দিন ধরে হামাস এতে নজরদারি করছিল। সর্বশেষ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে সুড়ঙ্গের ভেতর গাড়ি প্রবেশ করার পর হামাস এতে বিস্ফোরণ ঘটায়৷

৭ জন নিহত এবং ৩২ জন আহত হয়েছে এই আক্রমণে। যদিও ইজরাইল এখনো পর্যন্ত ৪ জন নিহতের কথা স্বীকার করেছে।

Rakibul Hasan

13 Jan, 15:17


ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে এবং অভ্যন্তরীণভাবে নেতানিয়াহুর উপর অস্ত্রবিরতিতে যাওয়ার প্রচন্ড চাপ আছে।

কারণ অভ্যন্তরীণভাবে ইজরাইলিরা যদিও ফিলিস্তিনিদের নির্মূল চায়, কিন্তু যুদ্ধে এখন ইজরাইলি সেনাবাহিনী তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অর্জন দেখাতে পারছে না।

যুদ্ধের সর্বশেষ ধাপে তাদের কথিত পরিকল্পনা ছিল হামাস নেতাদেরকে হত্যা করা। কিন্তু ইয়াহইয়া সিনওয়ার বাদে গাযায় সাম্প্রতিক সময়ে তারা কাউকে হত্যা করতে পারে নাই। প্লাস সিনওয়ারের মৃত্যুও ইজরাইলের পরিকল্পনায় হয় নাই। এটা ছিল নিছকই কাকতাল।

হওয়ার মধ্যে এখন একটা বিষয় রেগুলার হচ্ছে-ইজরাইলি সৈন্যদের কফিন ইজরাইলে পৌছানো।

Rakibul Hasan

13 Jan, 15:13


ফিলিস্তিনি মিডিয়া জানাচ্ছে যে বুধবার থেকে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা, যদি আদৌ হয়।

হবে কি হবে না, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে নেতানিয়াহুর উপর।

Rakibul Hasan

12 Jan, 17:02


২০ মিনিটের নোটশে পৃথিবীর সমৃদ্ধতম, সুন্দরতম বিলাসবহুল শহহের ধনকুবেররা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। নিজেদের গাট্টিবোচকাও রেডি করার সময় পায় নাই।

এমনকি রাস্তার মুখে মুখে কোটি কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি ফেলে পালিয়ে যেতে হইছে। কারণ গাড়ির জ্যাম লেগে গেছে। নগর কর্তৃপক্ষ বুলডোজার এনে সেসব গাড়ি সরাইতে হইছে।

আল্লাহ যদি কুরআনুল কারিমের পর কোনো ঐশিগ্রন্থ অবতীর্ণ করতেন, সেখানে নির্ঘাত লস এঞ্জেলসের পতন আর সেখান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার কথা থাকত।

পম্পেই, মিশর, বাগদাদ কিংবা রোমের পতনের চাইতে লস এঞ্জেলসের পতন কোনো দিক দিয়েই কম ট্র‍্যাজিক না।

Rakibul Hasan

12 Jan, 16:54


সপ্তাহ খানেকও হয় নাই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছিল মধ্যপ্রাচ্যে সে নরক নামায়ে আনবে, যদি ইজরাইলি বন্দিদেরকে মুক্তি না দেওয়া হয়।

তার দেশে এখন মানব ইতিহাসের সবচাইতে ভয়াবহ নরক নেমে আসছে, অথচ পৃথিবীর সুপার পাওয়ার চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারতেছে না।

তাদের বিশাল বিশাল বিমানগুলোকে আক্ষরিক অর্থেই বাদামের খোসার চাইতে বেশি কিছু মনে হচ্ছে না।

ইজরাইল গাযায় এত পরিমাণ বোমা ফেলছে যেটা ৬ টা পারমাণবিক বোমার সমান। আল্লাহ কোনো বোমা ছাড়াই আমেরিকাকে যেকোনো পারমাণবিক বোমার চাইতে বেশি ও তীব্র আগুনে দগ্ধ করে দিচ্ছেন।

Rakibul Hasan

19 Dec, 17:21


উদীয়মান কিংবা খায়েশি বিগ পাওয়ারদের পররাষ্ট্রনীতি কেমন হওয়া উচিৎ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হইল রাশিয়া এবং পুতিন।

একথা সবার জানা যে সিরিয়ায় একুশ শতকের সবচেয়ে নির্মম গণহত্যা ও নির্বিচার বিমান হামলার মাধ্যমে শহরের পর শহরকে বিরানভূমিতে পরিণত করার প্রধান কারিগর রাশিয়া এবং পুতিন।

আকাশ থেকে গণহত্যা চালিয়েছে রুশ বিমানগুলো। এর মাধ্যমে ভূমিতে গণহত্যার প্রেক্ষাপট প্রস্তুত করা হইছে। তারপর সিরিয়া, ইরান, হিযবুল্লাহ মিলে ঘরে ঘরে গিয়ে সিরিয়ানদের হত্যা করেছে।

এসব আমলে নিলে সিরিয়ার বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় শত্রু হওয়ার কথা পুতিন এবং রাশিয়া।

আসাদকে আশ্রয় দেওয়ার কারণেও রাশিয়া সিরিয়ার শত্রু তালিকায় থাকার কথা।

এবং রাশিয়ার উচিৎ ছিল যেকোনো মূল্যে আসাদকে ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা করা। কিন্তু পুতিন তা করে নাই। বরং আসাদের ভাষণে বুঝা যাচ্ছে রাশিয়া তাকে একরকম কিডন্যাপ করেই নিয়ে গেছে।

যেই তুরতুস বিমান ঘাটি থেকে সিরিয়াকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুতিন ঘোষণা দিচ্ছে সেই তুরতুস ঘাটি ব্যবহার করেই বর্তমান সরকারকে সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রদান করবে।

রাতারাতি পল্টি।
আসলে আন্তর্জাতিক রাজনীতির সেন্সে এটাই রাইট মুভ। এইখানে কেউ কারো গার্লফ্রেন্ড না যে তার জন্য জীবন দিয়ে দিবে।

পক্ষান্তরে আমাদের পার্শ্ববর্তী উদীয়মান দাদার রাজনীতি দেখেন! বাচ্চাদের মত কাজকর্ম। এক হাসিনা লাগবে, সো তার হাসিনাই লাগবে। গোটা বাংলাদেশ গোল্লায় যাক।

ইন্ডিয়ান ডিপ্লোম্যাটরা যদি আসলেই রাজনীতি বুঝত, তাইলে তারাও পুতিনের মত আচরণ করা জরুরি ছিল।

হাসিনা পালায়ে যাওয়ার পর পরই ঘোষণা দেওয়া উচিৎ ছিল হাসিনা আমাদের কেউ না, বাংলাদেশই আমাদের সব। কারণ বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী, আওয়ামী লীগ না।

তারা এগুলো বলবে তো দূরে থাক, গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঝাপায়ে পড়ছে। অথচ তারা নিজেরাও জানে হাসিনাকে আর কোনোদিন বাংলাদেশের গদিতে বসানো সম্ভব না।

জেনেও তারা আওয়ামী লীগকেই আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে না।

এভাবে শুধু বাংলাদেশ না, বরং প্রত্যেকটা প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে ভারত ইতোমধ্যেই শত্রু রাষ্ট্রে পরিণত করছে।

এইরকম মাথামোটা ডিপ্লোম্যাট আর সুইসাইডাল ডিপ্লোম্যাসি দিয়ে আত্মহত্যা সম্ভব, বিগ পাওয়ার হয়ে উঠা সম্ভব না।

Rakibul Hasan

19 Dec, 07:49


Rakibul Hasan pinned «অনলাইনে-অফলাইনে অনেকেই আমাকে শরিয়াহবিরোধী, ইসলামি শাসন বিরোধী মনে করে থাকে। আমি মনে করি এর প্রধান কারণ তাদের ভালোবাসার বিভিন্ন দল ও ব্যক্তি সম্পর্কে আমার সমালোচনা। এক্ষেত্রে তাদের ইকোয়েশন হল-আমরা যাদের গুরু মানি, সে যেহেতু তাদেরকে মানে না, তার মানে নিশ্চয়ই…»

Rakibul Hasan

19 Dec, 07:47


বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জেরেমি বাওয়েন; আহমেদ আল শারা (জাওলানি) হাইলি ইন্টেলিজেন্ট পার্সন এবং সফিসটিকেটেড পলিটিশিয়ান। তিনি আমার স্ট্রেইট প্রশ্নগুলোর স্ট্রেইট উত্তর দিয়েছেন।

Rakibul Hasan

19 Dec, 07:43


বিবিসি; তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন যে আপনারা কোনো ধরনের খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন না, বা সিরিয়াকে আফগানিস্তানের মতো রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করবেন না? কারণ আপনি জানেন অনেকে হয়তো ভাবতে পারে যে আপনারা তালেবানের মতোই আচরণ করবেন?

আবু মুহাম্মদ আল জাওলানি; আফগানিস্তানের সাথে সিরিয়ার প্রচুর পার্থক্য আছে। আমাদের শাসনপদ্ধতি ভিন্ন। আফগানিস্তান একটি গোত্রভিত্তিক দেশ। সিরিয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন। দুই দেশের মানুষ একভাবে চিন্তা করে না। সিরিয়ার সরকার এবং শাসনপদ্ধতি নির্ধারিত হবে সিরিয়ার ইতিহাস এবং সংস্কৃতি অনুযায়ী।

বিবিসি; নারীশিক্ষা, এলকোহল? এগুলো কি সিরিয়ান সংস্কৃতির অংশ? এই বিষয়ে অবস্থান কী হবে?

আবু মুহাম্মদ আল জাওলানি; নারীশিক্ষা অবশ্যই সিরিয়ান সংস্কৃতির অংশ। ইদলিবে বিগত ৮ বছরের পুরোটা সময় ধরে নারীদের জন্য ইউনিভার্সিটি ছিল। ইউনিভার্সিটি লেভেলে সেখানকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা ৬০ শতাংশ!

বিবিসি; এলকোহল?
আবু মুহাম্মদ আল জাওলানি; এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে আমার কথা বলার অধিকার নাই। এগুলো আইনি বিষয়। আমরা সিরিয়ার আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি প্যানেল করব। তারা সিরিয়ার সংবিধান রচনা করবেন। তারপর যেই প্রেসিডেন্টই আসুক, সে তা মেনে চলতে বাধ্য (ডিপ্লোম্যাটিক এন্সার)।

Rakibul Hasan

19 Dec, 06:40


অনলাইনে-অফলাইনে অনেকেই আমাকে শরিয়াহবিরোধী, ইসলামি শাসন বিরোধী মনে করে থাকে। আমি মনে করি এর প্রধান কারণ তাদের ভালোবাসার বিভিন্ন দল ও ব্যক্তি সম্পর্কে আমার সমালোচনা।

এক্ষেত্রে তাদের ইকোয়েশন হল-আমরা যাদের গুরু মানি, সে যেহেতু তাদেরকে মানে না, তার মানে নিশ্চয়ই সে ইসলামবিরোধী।

আরও সহজে বললে তারা এবং তাদের গুরুরা হইল খোদা, তারা যা চায়, যেইভাবে চায়, আমাদের দায়িত্ব হল সেইটাতে সম্মতি দেওয়া। সেটাই প্রকৃত ইসলাম, সেইটাই প্রকৃত জিহাদ, সেইটাই প্রকৃত শরিয়া। খোদ খোদার থেকে আসা খোদার ডিলারদের প্রেসক্রাইবড।

ঠিক এই কারণেই আমি এদের সবচাইতে বেশি সমালোচনা করি। সবার আগে তাদের বুঝতে হবে তারা খোদা না, তাদের কথা শরিয়া না, তাদের দেওয়া সমাধান কুরআন-হাদিস না।

এই চিন্তা যতদিন না গ্রো করবে, ততদিন তারা পিউর এবং পিউর ফ্যাসিস্ট, খুনে মানসিকতার এবং টেরোরিস্ট। পার্থক্য শুধু এটুকু যে তাদের ফ্যাসিজম এবং নিজেদের খোদায়িত্বকে শরিয়ার নাম দিয়ে আমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এরা ভণ্ড এবং প্রতারক। এরা প্রত্যেকে আইসিস। যারা ক্ষমতায় এলে সর্বপ্রথম জীবন যাবে আমার এবং আপনার।

এই টাইপের গোঁয়ার, অন্ধ এবং ফ্যানাটিকদের হাতে ক্ষমতা যাক, এটা আমি এই জীবনে কোনোদিন চাই না। চাই সেটা শরিয়ার নামে হোক কিংবা ইসকনের নামে। কারণ দুইটাই সম্পূর্ণ একই প্রজেক্ট, ভিন্ন নামে, ভিন্ন রূপে।

এই হইল প্রথম পয়েন্ট-নিজেদেরকে খোদা ভাবা বন্ধ করতে হবে। সমালোচনা, আলোচনা, পালটা আলোচনা নেওয়ার এবিলিটি হইতে হবে। এই ন্যূনতম যোগ্যতাটা যার হয় নাই, তার হাতে নিজের গৃহপালিত কুকুরকেও দেওয়া নিরাপদ না।

সেখানে গোটা একটা দেশের ভাগ্য, লক্ষ কোটি মানুষের ভাগ্য এদের হাতে ছেড়ে দেওয়া আর সেটাকে শরিয়া নাম দেওয়া আমি মনে করি শরিয়ার সবচাইতে বড় অবমাননা। শরিয়ার টেরোরাইজেশন। এবং এই কারণেই এদেরকে আমি ইসলামের বিগেস্ট শত্রুদের তালিকায় রাখি। এরা পশ্চিমের স্বার্থসিদ্ধির সবচাইতে বড় টুল।

সিরিয়ার ইতিহাস পড়েন, এইসব সো কল্ড উগ্র শরিয়াকামীরাই আসাদ আর পশ্চিমাদের সবচাইতে বড় দোসর ছিল। তাদের কারণেই সিরিয়ার মুক্তি কমপক্ষে এক দশক পিছাইছে।

দ্বিতীয়ত, আপনে যেই শাসনব্যবস্থাই আনেন না কেন, সেটা অবশ্যই অবশ্যই ইন্সটিটিউশনালাইজড হতে হবে। এটা একদম বেসিক। ইট ছাড়া যেমন ভবন হয় না, প্রাণ ছাড়া প্রাণী হয় না, তেমনই প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ছাড়া শাসনব্যবস্থা হয় না।

যেটা হয়, সেটা হল ব্যক্তি বা গোষ্ঠির খামখেয়ালি। পিউর একটা শুয়োরের খামার। যেটা বাংলাদেশ বিগত ১৬ বছর ছিল।

সো শরিয়ার নামে হোক বা যে নামেই হোক, সর্বপ্রথম দেখাইতে হবে তাদের শাসনের রূপরেখা কী হবে, প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে, প্রাতিষ্ঠানিক বিভাজন কেমন হবে, কোন অংশের কতটুকু ক্ষমতা থাকবে।

আবু মুহাম্মদ আল জাওলানির প্রতিটা সাক্ষাৎকারে আপনি দেখবেন সে ঠিক এই কথাটাই বলতেছে। যে সিরিয়া এখন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠির ইচ্ছায় চলবে না। এটা চলবে প্রতিষ্ঠানের ভেতর দিয়ে। যেখানে ব্যক্তি বা গোষ্ঠির স্বার্থ রক্ষিত হইল কি হইল না, তা বিবেচ্য না।

সভ্য দুনিয়ায় এটা শাসনের প্রথম ভিত। এই ভিত না থাকলে সেটাই ফ্যাসিবাদ।

আইসিস এই ভিত গড়তে পারে নাই। আল কায়েদা পারে নাই।

এই ভিত না থাকলে সেটা হবে ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার খোয়ার। সেখানে আমরা হব গিনিপিগ। আর এই টোটাল সিস্টেমটাকে বৈধতা দেওয়া হবে শরিয়ার নাম দিয়ে। আমাদের মুখ বন্ধ করা হবে শরিয়ার নাম দিয়ে। আমাদের রক্ত হালাল করা হবে শরিয়ার নাম দিয়ে।

তখন সিচুয়েশন এমন দাঁড়াবে যে আপনে মরবেন, বাট উহ-আহও করতে পারবেন না। কারণ করলেই আপনে শরিয়াবিরোধী, মুরতাদ। হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যায়। সেইটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও আপনে ইসলামের শত্রু বিবেচিত হবেন। কারণ ক্ষমতাসীনরা তাদের ক্ষমতার বৈধতা নিছে ইসলামের নামে।

এখন এই ক্ষমতাসীনদের যত ভুল ধরবেন, সব হয়ে যাবে ইসলামবিরোধীতা। আর আপনার রক্ত হালাল। আর আগের পয়েন্টে বলছি যদি না সমালোচনা নেওয়ার এবিলিটি গজায়, তারা আসলে শাসন ক্ষমতার জন্য এখনো সাবালকই হয় নাই।

তো এই দুই পয়েন্ট একত্র করলে যে পরিস্থিতি দাঁড়ায়, তা আমি আমার শত্রুর জন্যও কোনোদিন কামনা করব না। নিজের জন্য তো বহুদূর।

আইরনিক্যালি দেখেন, ক্ষমতায় যায় নাই, কেয়ামতের আগে কোনোদিন যাইতে পারবে সেই সম্ভাবনাও এখনো নাই, এখনই যদি আপনি তাদের সমালোচনা করেন আপনে ইসলামবিরোধী, আপনে শরিয়াবিরোধী!

ক্ষমতায় গেলে কী দশা হবে? তখন তো এই টেলিগ্রাম পোস্টের জন্যও আমি মুরতাদ বা জিন্দিক হিসেবে চিহ্নিত হইতে হবে।

পুরো আলাপের সামারি হল-যতদিন না এই দেশে ইসলাম এবং শরিয়া কায়েমের প্রচেষ্টাকারীরা সুনির্দিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো হাজির করতেছে, ততদিন এই প্রচেষ্টাকে আমি নাবালকত্ব হিসেবেই দেখব। যাদের মাথায় ক্ষমতার প্রথম ডালাটাই গজায় নাই, তার হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া বা তারে ক্ষমতায় নিয়ে আসার মত নির্বুদ্ধিতা অন্তত আমি করব না।

এই-ই হইল আমার অবস্থান।

Rakibul Hasan

19 Dec, 06:17


আল জাযিরা; আপনারা কি নিশ্চিত ছিলেন যে এইচটিএসের আক্রমণ এরকম স্মুদলি আসাদ সরকারকে ফেলে দিবে?

হাকান ফিদান; না। আমরা জানতাম এইচটিএস দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের চিন্তা করছে। প্ল্যান করছে। ওদিকে আসাদ সরকার অত্যন্ত দুর্বল এবং ভঙ্গুর। এই ধরনের যেকোনো সারপ্রাইজ আক্রমণে এই সরকার ভেঙ্গে পড়বে।

আমাদের জন্য মূল চিন্তার বিষয় ছিল রাশিয়া এবং ইরানের প্রতিক্রিয়া। যদি তারা আগের মতই বাছবিচারহীন বোম্বিং করে, এতে সাধারণ মানুষের জীবনহানিই শুধু বৃদ্ধি পাবে। এবং এইচটিএসের সফলতা বিলম্বিত হবে।

আমাদের মূল কাজ ছিল এই ধরনের প্রতিক্রিয়া রোধ করা। যা পুরোপুরি ডিপ্লোম্যাটিক। আমরা তা নিশ্চিত করেছি।
...

টীকা; এই পয়েন্টটা আমি (রাকিবুল হাসান) উল্লেখ করলাম এই কারণে যে আমরা মাঠের যে শক্তি দেখি, সেটাই কিন্তু আসল না। এইখানে দেখেন লড়াই করেছে এইচটিএস, কিন্তু আমি যদি বলি বিজয়ের মূল কারিগর ছিল ডিপ্লোম্যাসি, তাহলে এক চুলও বাড়িয়ে বলা হবে না।

বরং এই ডিপ্লোম্যাসি যদি না থাকত, তাহলে এইচটিএসের পরিণতিও আইসিসের মতই হত। আইসিসের হাতে আজকের এইচটিএসের চাইতে হাজারগুণ বেশি শক্তি ও সামর্থ্য ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা এখন কাপুরুষের মত মসজিদে বোমাবাজি ছাড়া আর কোথাও নাই।

এর কারণ এই না যে তাদের অস্ত্র ছিল না, সৈন্য ছিল না, টাকা ছিল না, ভূমি ছিল না। সবগুলোই ছিল। এবং ইতিহাসে যেকোনো গেরিলা দলের চাইতে অনেক বেশি পরিমাণ ছিল।

তারপরও তাদের আজকের পরিণতি দুই কারণে। এক; বাস্তবতা বুঝতে অক্ষম হওয়া। দুই; ডিপ্লোম্যাসিতে ফেইল মারা।

এরা ছিল আমাদের দেশের সেইসব খোয়াবি বেপ্লবীদের গুরু, যারা এখনো মনে করে অস্ত্র আর বাহুবল থাকলেই হয়ত দেশ জয় করা যায়, ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে ফেলা যায়।

অনলাইনের এইসব সো কল্ড জিহাদিস্টদের এবিলিটি শুধু অতটুকুই, যতটুকু সিরিয়া আর আফগানিস্তানে তারা করেছে- দশক দশকের জন্য দুইটা দেশকে নরকে পরিণত করা।

Rakibul Hasan

19 Dec, 05:58


সিরিয়ার বর্তমান ক্ষমতার পালাবদলের মূল কারিগর তুরস্ক, আর এর পিছনে মূল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ধরা হয় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানকে।

আল জাযিরার সাথে তার অত্যন্ত হাইভোল্টেজ সাক্ষাৎকারে তুর্কি পররাষ্ট্রনীতির মূল চিন্তাগুলো উঠে আসছে। আমেরিকা-ইরান-কুর্দি ইস্যু, সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা ইত্যাদিসহ প্রায় সব বিষয় উঠে আসছে।

প্রশ্নগুলো ছিল একদম টু দ্য পয়েন্ট।

সাক্ষাৎকারটা দেখলে বুঝতে পারবেন আবু মুহাম্মদ আল জাওলানি কেন ওয়াপিজি/ পিকেকেকে দুইটা অপশন দিছে। হয়ত তারা এই এলাকা ছেড়ে চলে যাবে, নয়ত এইচটিএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে।

মাস্ট ওয়াচ-
https://www.youtube.com/watch?v=JQwaJOVb_5g

Rakibul Hasan

08 Dec, 12:18


👉 আপনার কথা শুনে বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে গিয়েছেন। আপনি তো আল-কায়েদার নেতা ছিলেন। আপনার গ্রুপের সম্পর্ক ছিল আল-কায়েদা আর আইএসের সাথে। অথচ এখন কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি “মডারেট লিডার” হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইতেছেন। ঘটনা কী?

🛑 হাইআতু তাহরিরির শাম হলো এই অঞ্চলের অনেকগুলো দলের মধ্যে একটামাত্র। ঠিক অন্যান্য দলের মতই একটা। এখন আমাদের লক্ষ্য বৃহত্তর, আমরা সিরিয়া নিয়ে কথা বলছি। কোনো ক্ষুদ্র দল নিয়ে নয়। প্রয়োজনে যেকোনো সময় তাহরিরিশ শাম ভেঙ্গে যেতে পারে। কারণ দল আমাদের লক্ষ্য নয়, এটি একটি উপায় মাত্র। আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এটি গড়ে তোলা হয়েছিল। এই দায়িত্ব শেষ হয়ে গেলে দলটি শাসন কাজে অংশ নিবে। কিংবা রূপান্তরিতও হতে পারে। আর দশটা দলের মতই।

জীবনে সবাই-ই জীবনের নানা উত্থানপতন, ঘাতপ্রতিঘাত এবং অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যায়, আর এসব অভিজ্ঞতা স্বাভাবিকভাবেই একজন ব্যক্তির সচেতনতা ও প্রজ্ঞা বাড়ায়। ২০ বছর বয়সের একজন তরুণের মত তো ৩০ কিংবা ৪০ বছরের একজন পরিণত ব্যক্তি করতে পারে না। তাদের ব্যক্তিত্ব ভিন্ন হয়। আর সেটা যদি হয় আমার মত ৫০ এর কোঠায়, তাহলে তো কথাই নেই।

👉 তার মানে কি সেসব (আগে যেসব বলতেন) এখন অতীত?
🛑 কখনো কখনো বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে চলার প্রয়োজন হয়, কারণ কেউ যদি নির্দিষ্ট কিছু ধারণা কিংবা নীতি কট্টরভাবে আকড়ে পড়ে থাকে, কোনো ধরনের নমনীয়তা না দেখায়, তাহলে সে তো সমাজের নেতৃত্ব দিতে পারবে না। আর সিরিয়ার মতো জটিল সংঘাত মোকাবিলার তো প্রশ্নই আসে না।

👉 যারা এই মুহুর্তে আপনার কথা শুনছে, তারা কেন আপনাকে বিশ্বাস করবে? আপনি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের চিহ্নিত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী, যার মাথার মূল্য ১০ মিলিয়ন ডলার। আপনার গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্য সবার দৃষ্টিতে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন!
🛑 আপনি জানেন আমি মানুষকে কী বলি? বলি, শব্দ দিয়ে বিচার করবেন না, কাজ দিয়ে বিচার করুন। আমি বিশ্বাস করি, বাস্তবতা নিজেই কথা বলে। এই বিভাজনগুলো মূলত রাজনৈতিক এবং একই সঙ্গে ভুল।

আমি সন্ত্রাসীকে এমন একজন হিসাবে সংজ্ঞায়িত করি—যে ইচ্ছাকৃতভাবে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করে, নির্দোষদের ক্ষতি করে অথবা জনগণকে নিজেদের বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করে। বড় বড় শক্তিগুলো যুদ্ধে এমনই করেছে। আরব, মুসলিম, এমনকি অমুসলিম দেশগুলোতেও হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করেছে। গৃহহীন করা হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। এমনকি আসাদ নিজেও এসব কাজের জন্য দায়ী।

👉 কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যরা বলবে—আপনি এমন এক গোষ্ঠীর অংশ ছিলেন যারা নিজেরাও ঠিক এই কাজগুলোই করেছে।
🛑 ব্যক্তিগতভাবে আমি এই কাজগুলো করিনি। পরিস্থিতিকে অবশ্যই তার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট দিয়ে বোঝা উচিত। ইরাকে একটি ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছিল, এটি হাজারো মানুষের অনুভূতিকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল। ফলে বহু মানুষ সেখানে গিয়েছিল। সেই যুদ্ধ মানুষকে নানা পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, আমাকেও অনুরূপ একটি পর্যায়ে নিয়ে

আমার বয়স, সচেতনতা এবং আমার কাজবাজ আমাকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছে। আমি ইরাকে সন্ত্রাসবাদের জন্য যাইনি, আমি গিয়েছিলাম ইরাকি জনগণকে রক্ষা করতে। সিরিয়ায় ফিরে আসার পর আমি ইরাকের আইসিসি কর্মকাণ্ড সিরিয়ায় ইম্পোর্ট করিনি। এ নিয়েই আমাদের আর আইএসের মধ্যে মতবিরোধ ছিল।

এখন সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরলে অনেক কিছু বদলে যাবে। লাখো মানুষকে তাদের নিজ বাসভূমিতে ফিরিয়ে আনবে। মুক্ত এলাকা গুলোর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা ক্যাম্পে বসবাস করছে—প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ।

আমি বিশ্বাস করি, শীঘ্রই আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছাতে পারব যেখানে আর ক্যাম্প থাকবে না। মানুষ নিজের ঘড়বাড়িতে ফিরে যাবে। তুরস্কে থাকা শরণার্থীরা ঘরে ফিরে আসবে, লেবানন আর জর্ডানে থাকা শরণার্থীরাও ফিরে আসবে নিজ নিজ বাড়িতে। এমনকি ইউরোপে থাকা শরণার্থীরাও সম্ভবত নিজ মাতৃভূমি পুনর্নির্মাণে অংশ নিতে স্বদেশে ফিরে আসবে।

Rakibul Hasan

08 Dec, 12:16


সিএনএনকে হাইয়াতু তাহরিরিশ শামের নেতা আবু মুহাম্মদ আল জোলানির দেওয়া সাক্ষাৎকার

👉 হামা জয় করে ফেললেন, এটা আপনার জন্য কেমন গুরুত্বপূর্ণ?
🛑 সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে, হামার পরবর্তী পরিস্থিতি আগের চেয়ে আলাদা হবে। তবে, যুদ্ধে আমি বেশি আশাবাদী হতে পছন্দ করি না। আমি সতর্ক থাকতে চাই, ভুল করে নিজেদেরকে খুব বেশি নিরাপদ মনে করছি না। এতে নিজেদেরই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

👉 এর পর কী হবে?
🛑যুদ্ধ গোপন বিষয়। যেহেতু যুদ্ধটা এখনো চলমান, তাই বিষয়গুলো গোপনই থাকুক।

👉 বড় বড় শহর দখল করে ফেলতেছেন। কী এমন চেঞ্জ হয়ে গেল যে আপনারা এখন এসব করতে সক্ষম হচ্ছেন? কীভাবে সম্ভব হইল এটা?

🔴 গত কয়েক বছরে সিরিয়ার মুক্ত এলাকাগুলোতে আমাদের ভেতরকার মতামতের ঐক্য হইছে। প্লাস রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হইছে। এই প্রতিষ্ঠানিকীকরণের ভেতর সশস্ত্র দলগুলোও ছিল। তারা সবাই একক প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছে এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ হইতে শিখছে।
এই সুশৃঙ্খলতার ফলে সুষ্ঠুভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারছে। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে, অগ্রগতি দ্রুত হচ্ছে। সিরিয়ার বিপ্লব এখন বিশৃঙ্খলা আর অরাজকতা থেকে শৃঙ্খলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সিভিল ও সামরিক- উভয় ক্ষেত্রেই।

👉 অনেকে মনে করেন আসাদ সরকারের মিত্ররা, যেমন রাশিয়া, হেজবুল্লাহ, ইরান দুর্বল হয়ে গেছে। তারা অন্য যুদ্ধে ব্যস্ত। সেই সুযোগে আপনারা আক্রমণ শুরু করেছেন।
🔴 দুর্বলতা সিরিয়া সরকারের ভেতরেই ছিল, জাস্ট চাপা পড়ে ছিল। তাছাড়া আপনি জানেন, আমরা এখনও যুদ্ধে আছি। তাই এখনই এসব বিস্তারিত আলোচনা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

👉 হামায় আপনারা যে প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছেন, তা কি আলেপ্পো থেকে আলাদা ছিল? আসাদ সরকার কেন এমনভাবে পিছু হটল?
🛑 সরকারের পরাজয়ের বীজ সব সময়ই তাদের ভেতরেই ছিল। সরকার বহু আগেই মরে গেছে। ইরান চেষ্টা করেছে সরকারকে পুনরুজ্জীবিত করতে, তারপর রাশিয়া একে শক্তিশালী করতে চেয়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে, এই সরকার মৃত।

👉 গত এক বছরে মনে হচ্ছিল যে আসাদ এই যাত্রায় বেঁচে গেছে। সে বিজয়ী হয়েছে। তাই আরব লীগ আবার তাকে বুকে জড়ায়ে নিছে। বিশ্বমঞ্চেও আসাদের পুনরাবির্ভাব ঘটছে। এক্ষেত্রে আপনার মতামত কী?

🛑 তারা পরিস্থিতির ভুল মূল্যায়ন করেছিল। কিছু আরব দেশ সরকারকে ইরানী প্রজেক্ট থেকে আলাদা করতে চাইছে, যা আসলে সম্ভব না। আসাদ চাইলেও না। কারণ এটা ছিল অধীনস্ততার সম্পর্ক। আসাদ ইরানকে ছাড়তে পারবে, কিন্তু ইরান আসাদকে ছাড়বে না।

আসাদকে বিজয়ী মনে করা সেইসব শিশুর প্রতি, মানুষের প্রতি, নারীদের প্রতি জুলুম ও গাদ্দারি, যারা কারাগারে ধর্ষিত হয়েছে, দেশান্তরিত, যারা এখনো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সীমান্তে ধুকে ধুকে বেঁচে আছে, যারা সাগরে ডুবে করুণ মৃত্যুবরণ করেছে। এটা কীসের বিজয়? আমরা কোন বিজয়ের কথা বলছি?

👉 আপনি অতীতে কঠোর ইসলামি শাসনের কথা বলতেন। এখনো কি সেই পরিকল্পনাই আছে?
🛑 যারা ইসলামি শাসনের ভয় করেন, তারা হয়তো এর ভুল প্রয়োগ দেখেছেন অথবা বিষয়টা সঠিকভাবে বোঝেননি। আমরা এমনসব কাজই করব যা এই অঞ্চলের ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠাম তৈরি করা। আমরা কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত শাসন বা কারও খামখেয়ালিপূর্ণ স্বৈরশাসনের কথা বলছি না। এমন শাসনব্যবস্থা সিরিয়ার পাওনা যা প্রতিষ্ঠানিক। যেখানে শাসক ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিবে না।

👉 অনেক সিরিয়ানই আসাদ সরকারের পতনে খুশি, কিন্তু তারা এটা নিয়েও চিন্তিত যে এর পর কী হবে? বিশেষ করে সংখ্যালঘুরা?
🛑 কোনো জাতিগোষ্ঠির এই অধিকার নাই যে তারা অন্য আরেকটি জাতিগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলবে। এই অঞ্চলে শত শত বছর ধরে বিভিন্ন সম্প্রদায় একসঙ্গে সহাবস্থান করেছে, তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার অধিকার কারো নাই। সিরিয়ায় এমন একটি আইনি কাঠামো থাকতে হবে যা সবার অধিকার সুরক্ষিত করবে, সবার অধিকার নিশ্চিত করবে। এমন কোনো কাঠামো আমরা চাই না যা শুধু একটি গোষ্ঠির স্বার্থোদ্ধার করবে, যেমনটা আসাদ সরকার করেছে।

Rakibul Hasan

08 Dec, 06:34


্পনায় অবশ্যই আছে। তা সত্ত্বেও আমেরিকা এই পরিবর্তন ঘটতে দিচ্ছে। ইজরাইলও খুশি। ফলে ধারণা করা যায়-ইজরাইলের জন্য হুমকি হবে না, এই নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই ইজরাইল-আমেরিকা এতে গ্রীন সিগন্যাল দিছে। বা অন্তত খুশি হচ্ছে।

৭-একটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শেষ করছি। ফেসবুকে অনেকে এই ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছে যে আসাদ ছিল ইজরাইলের জন্য হুমকি। বিদ্রোহীরা সেই হুমকি খারিজ করে দিচ্ছে। কথাটা আসলে এত সহজ না। কারণ আসাদের আসলে নিজের দেশেই ক্ষমতা পুনরুদ্ধার সম্ভব হয় নাই। ফলে তার ইচ্ছা থাকলেও ইজরাইলের বিরুদ্ধে কিছু করার সক্ষমতা তার নাই এবং কখনোই ছিল না।

সো, তাদের এই আলাপ আমার কাছে যুক্তিহীন মনে হচ্ছে।
হ্যাঁ, এখন সিরিয়া-ইজরাইল সম্পর্ক কেমন হবে, তা নির্ভর করবে ৬ নম্বর পয়েন্টে বলা বিষয়গুলোর ভিত্তিতে।

আরও একটা পয়েন্ট নিয়ে কথা বলার ইচ্ছা ছিল, সেটা হল সিরিয়া বনাম পাকিস্তান। কেউ কেউ সিরিয়া ইস্যুকে পাকিস্তানের টিটিপির মত নিখাদ এবং নিষ্কলুষ সন্ত্রাসী, খুনি এবং আইসিসের চেতনাধারীদের সাথে গুলিয়ে ফেলছে! কিন্তু এটা এতই হাস্যকর, শিশুতোষ এবং নির্বুদ্ধিতাপূর্ণ আলাপ যে এতে আমার সময় নষ্ট করার কোনো অর্থ হয় না।

জাস্ট একটা ইনফরমেশন দিয়ে শেষ করি, যাদের বুঝার ইচ্ছা আছে এই তথ্য থেকেই সিরিয়া-পাকিস্তানের পার্থক্য বুঝতে পারবে। হাইয়াতু তাহরিরির শাম ইতোপূর্বে আহরারুশ শাম নামে ছিল। আহরারুশ শাম ছিল আল কায়েদার সিরিয়া শাখা, গ্লোবাল জিহাদিস্ট। যাদের চিন্তা গোটা দুনিয়ায় জিহাদের মাধ্যমে শরিয়া কায়েম করা।

সিরিয়ান বিদ্রোহীদের সামনে প্রশ্ন চলে আসছে-সারা দুনিয়া নাকি সিরিয়া? তাদের কর্মকাণ্ডের পরিধি কতটুকু হবে? কারণ সারা দুনিয়া যাদের তথাকথিত জিহাদের কেন্দ্র, তাদেরকে কোনো দেশই সহায়তা করবে না। কারণ এইসব গ্লোবাল জিহাদিস্টরা তাদের আশ্রয়দাতা এবং পৃষ্ঠপোষকতাদাতা দেশের পশ্চাদ্দেশে ছুরি মারতে উস্তাদ, তাদের ইতিহাস এরকম বিশ্বাসঘাতকতা আর উন্মাদনায় ভরপুর।

ফলে সিরিয়ান বিদ্রোহীরা যদি আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে চায়, তাহলে অবশ্যই গ্লোবাল জিহাদের ফ্যান্টাসি ছাড়তে হবে। সিরিয়ার উপর ফোকাস করতে হবে। তখন তাদের দাবির পক্ষে একটা যৌক্তিকতা দাঁড়াবে। খুব সিম্পলি হামাসের মত। তখন অন্তত তাদের সমর্থক রাষ্ট্রগুলো তাদেরকে আশ্রয় ও অর্থ দিতে পারবে। যেমন কাতার দিচ্ছে হামাস নেতৃবৃন্দকে।

এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই আহরারুশ শাম আজকের হাইয়াতু তাহরিরিশ শামে পরিণত হইছে। বিনিময়ে আজকে সমর্থন কিংবা মৌন সমর্থন পাচ্ছে।

যারা এই স্বপ্নে বিভোর যে সিরিয়াকে কেন্দ্র করে তাদের লারেলাপ্পা আবার শুরু করবে, তারা নিশ্চিতভাবেই তালেবানের মত পিউর জাতীয়তাবাদী আরেকটা ইসলামি দল/ দেশের ঘটনা দেখতে যাচ্ছে। আরও একবার তাদের স্বপ্নভঙ্গের জন্য সমবেদনা।

সিরিয়ার জনগণের মুক্তি দীর্ঘ হোক, কল্যানকর হোক।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

Rakibul Hasan

08 Dec, 06:34


াদী স্বার্থ হল-আরব বসন্তে তুরস্ক যেসব দলগুলোকে সমর্থন দিয়েছিল, তার সবগুলো শোচনীয়ভাবে পরাজিত হইছে এবং গোটা মধ্যপ্রাচ্য থেকে তুরস্ক কিকড আউট হয়ে গেছে। এটা আঞ্চলিক পরাশক্তি হয়ে উঠতে চাওয়া একটা দেশের জন্য সবচাইতে খারাপ সিচুয়েশন। এর চাইতে বাজে কোনো পরিস্থিতি হতে পারে না।

বিষয়টা আপনারা ভারতের সাথে তুলনা করলে সহজে বুঝতে পারবেন। ভারত এই অঞ্চলের আঞ্চলিক পরাশক্তি হয়ে উঠতে চায়, কিন্তু প্রতিবেশি সবগুলো রাষ্ট্র থেকে কিকড আউট হয়ে গেছে। প্রতিটা দেশে ভারতবিরোধী সরকার।

আরব বসন্তের সূতিকাগার তিউনিসিয়ায় তুরস্ক সমর্থন দিয়েছিল আন নাহদাকে। তারা ক্ষমতায় এসে থাকতে পারেনি। মিশরে সমর্থন দিয়েছিল ইখওয়ানকে, তারাও ক্ষমতায় এসে থাকতে পারেনি। লিবিয়ায় সমর্থন দিয়েছিল লিবিয়ান ইখওয়ানকে, তারা আরব বিশ্বে ইখওয়ানের সবচাইতে অজনপ্রিয় ধারা। জনসমর্থন প্রায় শূন্যের কোঠায়।

সিরিয়ায় সমর্থন দিয়েছিল ফ্রি সিরিয়ার আর্মি আর আরও কিছু মডারেট পক্ষকে। তারা যুদ্ধের শুরুর দিকে দুর্দান্ত সফলতা পেলেও আইসিসের মাধ্যমে আসাদ তাদের সেই খেলা ভণ্ডুল করে দেয়। আইসিসের উত্থানের ভেতর দিয়ে সিরিয়ান বিদ্রোহী এবং জনগণের স্বপ্ন ধুলিস্যাত হয়ে যায়।

আইসিস শুধু নিজেই গণহত্যা চালায় নি, বরং সিরিয়ান জনগণের উপর আসাদ পরিবারের গণহত্যাকে আরও এক দশক দীর্ঘায়িত করে গেছে। চলমান অভিযানে আসাদের পতন না ঘটলে হয়ত আরও যুগ যুগ ধরে আইসিসের দায় সিরিয়ান জনগণের বইতে হত।

তো, দেখা যাচ্ছে কোথাও তুরস্ক সুবিধা করতে পারে নাই। আরব বসন্তে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ছিল আসলে তুরস্ক। শেষমেষ লিবিয়ান সরকারের সাথে চুক্তি করে সর্বপ্রথম খেলায় পুনরায় ফিরে আসে। এবার সিরিয়া দখলের মাধ্যমে সেই খেলা নেক্সট লেভেলে চলে গেল।

আরও একটা ফ্রন্ট রয়ে গেছে। সেটা হল ইরাক। কুর্দিরা ইরাক সরকারের মাথাব্যথার কারণ, তারা তুরস্কেরও মাথাব্যথার কারণ। আবার ওদিকে সিরিয়ার বিশাল অংশ জুড়ে আছে তারা। ফলে সিরিয়ান কুর্দিদের দমনে তুরস্ক এখন ইরাকের সাথে জোটবদ্ধ হতে চাচ্ছে। এখানে অবশ্য আরও জটিল ক্লাইমেক্স আছে।

সেটা হল-সিরিয়ান কুর্দিদের প্রধান দাতা হল ইজরাইল-আমেরিকা। অস্ত্রশস্ত্র, অর্থ ও প্রশিক্ষণ, সবকিছু সরাসরি মার্কিন সেনাবাহিনির তত্ত্বাবধানে হয়। আবার ওদিকে ইরাকি কুর্দিদের প্রধান দাতা তুরস্ক! এখন বোঝাপড়াটা এমন হতে পারে যে ইরাকি কুর্দিদেরকে তুরস্ক আর সমর্থন দিবে না, বিনিময়ে সিরিয়ায় কুর্দিদের দমনে ইরাক সরকার তুরস্ককে সহায়তা করতে হবে।

এটা ভীষণ এবং ভীষণ জটিল এক সমীকরণ। বিশ্বের প্রায় সবগুলো পক্ষ সিরিয়ায় জড়িয়ে আছে। এবং কে কোন পক্ষে আছে, কতটুকু আছে, তা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব।

ইজরাইল সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে সেনাপ্রধান-সবাই প্রকাশ্যে এবং খোলাখুলিভাবে একথা বলে থাকে যে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সবচাইতে বড় ঘুটি হল কুর্দিরা।

আরেকটা ডাইমেনশন রয়ে গেছে। সেটা হল আমেরিকার ক্ষমতায় আসছে ট্রাম্প। খুব জানা কথা সে আমেরিকাকে যুদ্ধ থেকে গুটিয়ে আনবে। আগের মেয়াদেও কুর্দি ইস্যুতে এরদোয়ানকে ট্রাম্প ব্ল্যাংক চেক দিছে, যা খুশি করো। এবং সেবারই আমেরিকান সেনাবাহিনি তাদের সমর্থিত বিদ্রোহীদের পিঠে ছুরি মেরে সেখান থেকে ক্যাম্প গুটিয়ে নেয়। কুর্দিদেরকে এরদোয়ানের দয়ার উপর ছেড়ে চলে যায়।
আবার যেহেতু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে, তার আগেই মাঠেডি করে রাখছে। সিরিয়ান কুর্দি অঞ্চল থেকে আমেরিকা চলে যেতে পারে। সেখানে তুরস্ক অভিযান চালাতে পারে। আবার আগেই বলেছি এই কুর্দিদের প্রধান সমর্থক ইজরাইল। ফলে কুর্দি ইস্যুতে আবার আমেরিকা-ইজরাইল নীতিগত দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে।

৬-হামাস, ফিলিস্তিনের ভাগ্যে কী ঘটবে?
আমার কাছে এটা সবচাইতে বড় প্রশ্ন। এখানে ৫০-৫০ চান্স আছে।

প্রথমত, খুব স্পষ্টতই সিরিয়ার ঘটনা হিযবুল্লাহর বিরুদ্ধে গেছে। এটা ইজরাইলের উত্তরাঞ্চলকে নিরাপদ করবে। বৃহত্তআঞ্চলিক বোঝাপড়ার পরই বিদ্রোহীরা আক্রমণে গেছে এবং আসাদপন্থী সব পক্ষ তাকে ত্যাগ করে গেছে। কেউ তার পক্ষে দাঁড়ায় নাই।

ফলে এখন এককভাবে ইজরাইলের চাপ পড়বে হামাসের উপর। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া যা বহন করার ক্ষমতা হামাসের নাই। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আল কাসসাম ব্রিগেডের একাংশ লেবানন থেকে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। শুরুর দিকে লেবানন থেকে ইজরাইলের উপর হামলাগুলো তারাই পরিচালনা করত। এই অংশটাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

দ্বিতীয় একটা সম্ভাবনা আছে যদি সিরিয়ান বিদ্রোহীরা ইজরাইলের উপর আক্রমণ শুরু করে। তাহলে এটা আরেকটা দুর্দান্ত গেইম হবে। কারণ সরাসরি ইজরাইলের সাথে সিরিয়ার সীমান্ত আছে।

এই সম্ভাবনায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা প্রতিবন্ধকতা আছে। প্রথমত খোদ বিদ্রোহীদের সক্ষমতা। তাদের হাতে কী পরিমাণ এডভান্স অস্ত্রশস্ত্র আছে, সেটা। ইরান তার প্রক্সিদেরকে হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্রও দেয়, সিরিয়ান বিদ্রোহীদের ব্যাকাররা তাদেরকে কদ্দুর সাপোর্ট দিবে সেটা হল মূল প্রশ্ন।

দ্বিতীয়ত, বিদ্রোহীদের এই সক্ষমতা হলেও তারা যে এই হুমকি তৈরি করতে পারে, তা আমেরিকা এবং ইজরাইলের অবগতি ও পরিকল

Rakibul Hasan

08 Dec, 06:34


সিরিয়ার ঘটনা আপনারা জানেন। এখানে অনেকগুলো পক্ষ ছিল।

সেক্যুলার এবং আসাদের সেনাবাহিনি থেকে পক্ষত্যাগকারী সৈন্যদের নিয়ে গঠিত ফ্রি সিরিয়ান আর্মি, অনেকগুলো ইসলামপন্থী দলের সমন্বয়ে গড়ে উঠা ইসলামি কোয়ালিশন যার নেতৃত্বে আছে হাইয়াতু তাহরিরির শাম (HTS), কুর্দিদের নেতৃত্বাধীন দল, বাশার আল আসাদ।

এখন এখান থেকে বাশার আল আসাদ আউট হয়ে গেছে। কিন্তু বাকি দলগুলো যথাস্থানে আছে।

বরাবরের মতই আমি সিরিয়া ইস্যুতে কোনো সিদ্ধান্তসূচক মতামত দিচ্ছি না। বরং ঘটনাপ্রবাহ বুঝতে আপনাদের যেন সুবিধা হয়, সেজন্য কিছু নোটস দিয়ে রাখছি।

১-বাশার আল আসাদ এবং তার পরিবারের পতন, সিরিয়ার মানুষের মুক্তির প্রথম সোপান। এই পরিবার সমৃদ্ধ এই দেশটাকে রীতিমতো গোরস্থানে পরিণত করছে। তাদের গণহত্যা আর অবিচারের ফিরিস্তি দিতে গেলে সেটা কয়েক হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্টেশনেও কুলাবে না। এককথায় যদি বলি-নিষ্ঠুরতার সর্বোচ্চ যে লিমিট আমরা কল্পনা করতে পারি, বাশার আল আসাদ আর তার বাপের নিষ্ঠুরতার সর্বনিম্ন লিমিট তার অনেক উপর থেকে শুরু হয়।

সিরিয়ার জনগণ এই রাক্ষস পরিবারের করালগ্রাস থেকে মুক্ত হইছে, এটা সবচাইতে বড় পাওয়া।

২-এইচটিএস, ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ও অন্যান্য দলগুলোর ভেতর সমঝোতা না হলে অতি শিগগিরই সিরিয়া লিবিয়ায় পরিণত হবে কিংবা সোভিয়েত আমলের পর আফগানিস্তানের যে করুণ দশা হয়েছিল, সেটা হবে। শত শত দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে সশস্ত্র গ্রুপগুলো একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে যাবে। কে কোন এলাকা দখল করবে, কে কোন প্রাকৃতিক সম্পদের দখল নিবে, সরকারের কোন পদে কে থাকবে, এসব নিয়ে এমন সিচুয়েশন তৈরি হতে পারে যে তখন মানুষের মনে হবে বাশার আল আসাদই বরং ভাল ছিল।

এই পরিস্থিতি তৈরি হবে কি হবে না, তা নির্ভর করবে দুইটা প্যারামিটারের উপর। প্রথমত, যুদ্ধরত দলগুলোর মধ্যে এমন কেউ আছে কিনা যে অন্যদের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালি। তাইলে সে একক শক্তিবলে পুরো সিরিয়া নিজের কব্জায় নিয়ে আসবে। যেমন আফগানিস্তানে তালেবান। কিন্তু সিরিয়ার কোনো দলের এরকম শক্তিমত্তা নাই। এখনো পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য এমনই বলে।

দ্বিতীয়ত, পক্ষগুলো কতটা ম্যাচুরিটি আর বোঝাপড়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করি ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্তানের উদাহরণ থেকে সিরিয়ান বিদ্রোহীদের ভেতর একটা ঐকমত্য গড়ে উঠেছে। কিন্তু পাওয়ার পলিটিক্স এমন এক জিনিস, যেখানে শক্তি আর স্বার্থই প্রথম এবং শেষ কথা। বাকি সমস্ত কিছু নস্যি।

আমরা মনেপ্রাণে আশা করি সিরিয়া আরকটা লিবিয়া বা আফগানিস্তান না হোক।

৩-আসাদ সরকারের পতনে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত তো হল সে নিজে এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা। দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত হল হিযবুল্লাহ। ইরান থেকে হিযবুল্লাহর নিকট অস্ত্র সরবরাহের প্রধান রুট ছিল সিরিয়া। সিরিয়া বাদে সরাসরি অস্ত্র পাঠানোর দ্বিতীয় কোনো রুট নাই।

সিরিয়ার বর্তমান বিদ্রোহীরা ইরানকে তাদের সবচাইতে বড় শত্রু বিবেচনা করে। ইরান, রাশিয়া এবং হিযবুল্লাহ সিরিয়ান বিপ্লবকে হত্যা করার প্রধান কালপ্রিট। বাশার আল আসাদের চাইতেও বড় গণহত্যাকারী তারা। প্রকৃত অর্থে তারাই মূল গণহত্যাকারী। তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা না পেলে আসাদ সেই ২০১৫ সালেই চলে গেছিল।

সো, সিরিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীনরা ইরান কিংবা হিযবুল্লাহকে সিরিয়ার মাটিতে চুল পরিমাণ ছাড় দিবে না, তা বলাই বাহুল্য।

৪-ঠিক এই মুহুর্তে ইজরাইল এবং আমেরিকা চাচ্ছে হিযবুল্লাহকে দমন করতে। ইজরাইলের ভাষ্যমতে তারা হিযবুল্লাহর ৫০-৭০ পার্সেন্ট সক্ষমতা ধ্বংস করে দিছে। এটা প্রথম ধাপের অপারেশন। অপারেশনের দ্বিতীয় ধাপ হল হিযবুল্লাহ যেন এই হারানো শক্তি পুনরুদ্ধার করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা। বাশার আল আসাদের পতনের ভেতর দিয়ে তা নিশ্চিত হয়েছে। সিরিয়া হয়ে হিযবুল্লাহর হাতে ইরানি অস্ত্র কিংবা প্রযুক্তি আর যাবে না। ফলে হিযবুল্লাহ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।

৫-বর্তমান বিদ্রোহীদের প্রধান সমর্থক এবং কলকাঠি নাড়ার প্রধান অনুঘটক হিসেবে দেখা হচ্ছে তুরস্ককে। ২০১৫ সালে আসাদ-রাশিয়া যৌথ গণহত্যা শুরু হওয়ার পর বিদ্রোহীদের সর্বশেষ আশ্রয় ইদলিবকে মূলত তুরস্কই রক্ষা করেছিল। আসাদ-রাশিয়া যে পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করেছিল যে পুরো শহরের সব অধিবাসী বিলীন হয়ে যাক, শুধু ভূমিটুকু তাদের দখলে গেলেই হল, এই নীতিতে চাইলে সেসময় অন্যান্য শহরের মত ইদলিবকেও নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যেত। সেটা তুরস্কের কারণেই হয়নি।

প্রশ্ন হল-তুরস্কের স্বার্থ কী?
তুরস্কের সরাসরি স্বার্থ দুইটা। আরেকটা পরোক্ষ স্বার্থ, দীর্ঘমেয়াদি, অনেকটা ইরান স্টাইলের স্বার্থ। প্রত্যক্ষ স্বার্থ দুইটার প্রথমটা হল তুরস্কে থাকা সিরিয়ান শরণার্থীদেরকে দেশে পাঠানো। দ্বিতীয়ত সিরিয়ার বিশাল অংশ জুড়ে দখল ধরে রাখা কুর্দি মিলিশিয়াদেরকে দমন করা। এই দুইটাই তুরস্কের জন্য সরাসরি ‘সিকিউরিটি থ্রেট’। এই দুইটার সমাধান করা না গেলে রাষ্ট্র হিসেবে তুরস্ক আগাতে পারবে না, এই বোঝা বারবার পিছু টেনে ধরবে।

তাই এই দুই প্রশ্নের সমাধান অবশ্যই জরুরি ছিল।

তৃতীয়ত, পরোক্ষ এবং দীর্ঘমেয়াদী

Rakibul Hasan

06 Dec, 02:16


একইভাবে হোমস দখলও গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা হতে যাচ্ছে। কারণ এই শহরটি লাতাকিয়া ও তুরতুসকে যুক্ত করেছে। আর এই দুই শহর থেকেই রাশিয়ান বিমানগুলো আক্রমণে যায়। অনুরূপ হামা বিমানবন্দর থেকে আসাদের বিমানবাহিনী আক্রমণ পরিচালনা করত।

এই দুইটা শহর বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেলে রাশিয়া-আসাদের আকাশশক্তি অনেকাংশে খর্ব হবে।

Rakibul Hasan

06 Dec, 02:13


হামা দখল একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৯৮২ সাথে বাশারের বাপ হাফিজ আল আসাদের বিরুদ্ধে এই শহরে বিদ্রোহ হয়েছিল।

সেই বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে বিগত শতকের অন্যতম গণহত্যা চালাইছে এই শহরে। ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার মানুষ জাস্ট এই একটা শহরেই হত্যা করা হইছে।

আপনি জাস্ট চিন্তা করেন, হাসিনার গোটা শাসনামলে হয়ত ৩-৪ হাজার মানুষও হত্যা করা হয় নাই। তাও পুরো বাংলাদেশে।

আর সেখানে একটা শহরেই যদি ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়, সেই শহরের অবস্থা কী হবে!

গতকাল বিদ্রোহীরা শহরের প্রধান কারাগার খুলে দিছে, যেখানে এখনো সেই সময় বন্দী করা লোকজন ছিল। অর্থাৎ প্রায় ৪০ বছর ধরে তারা বন্দি!!

নিউজে বলা হচ্ছে ট্রাকভর্তি লাশের সাথে এই শহরের মানুষ খুব পরিচিত।

Rakibul Hasan

06 Dec, 02:08


আপনারা ইতোমধ্যে অবশ্যই সিরিয়ার ঘটনাবলির কথা শুনেছেন।

সিরিয়ান বিদ্রোহীরা এখন হামা থেকে হোমস বা হিমসের দিকে যাচ্ছে। বিদ্রোহীদের অগ্রগতি ঠেকানোর জন্য রাশিয়া হোমসের দিকে যাওয়া প্রধান সড়কে রাসতান নামক ব্রিজ উড়িয়ে দিছে।

Rakibul Hasan

04 Dec, 05:21


তালাল আসাদ নিয়ে আলাপ বাংলাদেশে এখনো তেমন জোরদার নয়, অথচ আধুনিকতা, সেক্যুলারিজম, ন্যাশন স্টেট নিয়ে তার আর্গুমেন্ট দুর্দান্ত এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।

The Muslim Minds এর এক সেমিনারে বইটার প্রথম ৩ চ্যাপ্টার নিয়ে আমার কথা বলার কথা ছিল, সময় স্বল্পতার কারণে এক চ্যাপ্টার কাভার করা গেছে, বাকিগুলো যায় নাই।

শুনতে পারেন।

https://www.youtube.com/watch?v=TbFFd9KpUCA

Rakibul Hasan

26 Nov, 18:26


ভৌগোলিক কারণে ফিলিস্তিনে শীতকালে বৃষ্টি হয়।

এবারও এর ব্যতিক্রম নেই। একদিকে ঘরবাড়িহীন বিশ লাখ মানুষ। প্রচন্ড দুর্ভিক্ষ। শীতের পোষাক তো বিলাসিতা। তার উপর বৃষ্টি।

এবং বৃষ্টি এতটাই বেশি যে বৃষ্টিতে সাগরপাড়ে বন্যা হয়ে গেছে। সেই বন্যায় প্রায় ১০ হাজার তাবু ভেসে গেছে!

Rakibul Hasan

25 Nov, 09:54


দুগিনের আর্গুমেন্ট দুর্দান্ত। মিয়ারশেইমারের মত সেও অত্যন্ত ক্লিয়ারলি তথ্য ও তত্ত্ব দিয়ে নিজের আর্গুমেন্ট এস্টাবলিশ করতে উস্তাদ। খুবই মজাদার এবং সিকুয়েনশিয়াল আলাপ করে।

আলাপ হবে টিএসসির মাঠে। নিচে ঘাস। উপ্রে আকাশ।

সবার জন্য উন্মুক্ত। এই বৃহস্পতিবার বিকেলে।

Rakibul Hasan

21 Nov, 13:44


আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

Rakibul Hasan

20 Nov, 05:55


তালাল আসাদ নিয়ে ভবিষ্যতে বেশ কাজ হবে। ইনশাআল্লাহ।

এই কাজগুলো প্রাথমিক ভূমিকা।

Rakibul Hasan

20 Nov, 05:54


https://www.facebook.com/RakibulHasan.ir/posts/pfbid0c9S5jPxFDFNf2gT1gwnw8res3GYtc2QC8Se3GKrNUbF7NuMHhEHHgnLenbF9pf5ql

Rakibul Hasan

19 Nov, 02:57


আগেপরে যেসব আক্রমণ হইছে, সেগুলো তেল আবিবে ছিল না। আর তেল আবিবে যেগুলো হইছে সেগুলো ছিল খুবই ছোট।

কিন্তু এবার মনে হচ্ছে ইজরাইলিরা নিজেরাই গাযা সিটি আর বৈরুতের এক্সপেরিয়েন্স পাবে।

ইজরাইলিদের মনে এই আক্রমণ ভয়াবহ ভয় ধরাবে এতে সন্দেহ নাই।

Rakibul Hasan

19 Nov, 02:56


তেল আবিবে গতকাল রাতে ৪ টা বিশাল বিস্ফোরণ ঘটছে। শপিং মলে আক্রমণ হইছে।

ধারণা করা হচ্ছে এগুলো হিযবুল্লাহর মিসাইল আক্রমণ ছিল।

Rakibul Hasan

14 Nov, 16:15


যেমন ধরেন এখানে চিফ উইটনেস বইটা উইঘুরদের ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত দুনিয়ার একমাত্র প্রামাণ্য গ্রন্থ, যেটা খোদ উইঘুরদের লেখা। নিজের অভিজ্ঞতা। বাকি সব বই বাহির থেকে দেখা লেখকদের নিজেদের ভাবনা।

কুর্দি ও কুর্দিস্তান বাংলা ভাষায় কুর্দিদের বিষয়ে হাতেগোনা কয়েকটা বইয়ের একটা।

Rakibul Hasan

14 Nov, 16:12


ফাউন্টেনের এই সিরিজটা দুর্দান্ত। নানা দিক থেকে।

তার মধ্যে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য হল প্রতিটা বই একাডেমিক। সো ইন ডেপথ পলিটিক্স বুঝতে, বর্তমান মুসলিম বিশ্বের আক্রান্ত জনপদগুলোকে বুঝতে সিরিজটা অদ্বিতীয়।

Rakibul Hasan

07 Nov, 08:32


জিনিসটা ভাল্লাগছে।

Rakibul Hasan

07 Nov, 08:31


হুথি, হিযবুল্লাহ, ইরাকি প্রতিরোধবাহিনী ও হামাসের ছোঁড়া রকেটে ইজরাইলে যখন তখন সাইরেন বেজে উঠে।

এইসময় ইজরাইলিদের কী অবস্থা হয়, তার উপর একট ছোট্ট কমেডি। সেটিংস থেকে অটো ট্রান্সলেটেড বাংলা সাবটাইটেল দিয়ে দেখলে মজা পাবেন।

https://www.youtube.com/watch?v=zOzVFIcmdbQ

Rakibul Hasan

06 Nov, 07:19


বাই দ্য ওয়ে, ট্রাম্প জিতে গেছে।

Rakibul Hasan

06 Nov, 07:19


এগেইন, কামালা ফোকাস করেছে ইডিওপলিটিক, ট্রাম্প ফোকাস করেছে রিয়েলপলিটিক।

পেটে ভাত না থাকলে আদর্শ গোল্লায় যায়। ট্রাম্প এমনভাবে স্বপ্ন দেখাইছে যে অভিবাসী বাঙ্গালী বাবা-মায়েরা ভোট দিছে কামালাকে। কিন্তু তাদের ছেলেরা ভোট দিছে ট্রাম্পকে।

কেন? কারণ সন্তানদের বিশ্বাস ট্রাম্প এলে তাদের বেতন বাড়বে, ভাল জব পাবে। বেটায় বেটায় লাগালাগি করতে পারল কিনা, এতে তাদের যায় আসে না। তাদের যায় আসে পকেটে পয়সা আছে কিনা, পেটে ভাত আছে কিনা-তাতে।

আরবরা ভোট দিছে ট্রাম্পকে! কারণ বাইডেন গণতন্ত্রের বুলি উড়ায়ে গোটা একটা জনপদ নিশ্চিহ্ন করে দিছে। তাকে এবং তার দলকে এই মূল্য পরিশোধ করারই ছিল।

ট্রাম্পের বিজয়ে প্রমোদ গুনবে-ইউরোপ। আমেরিকার কান্ধে চড়ে ফ্রি রাইডিং এবার বন্ধ হবে। মতাদর্শিক সন্ত্রাসবাদ কিছুটা হলেও কমবে।

Rakibul Hasan

06 Nov, 06:32


নেতানিয়াহু তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তকে বরখাস্ত করেছে। গ্যালান্তের পক্ষে আবার মিছিল বের হয়েছে।

এখানে বিশাল রাজনৈতিক ক্যাচাল চলতেছে ভিতরে ভিতরে। সময় পেলে লেখব।

Rakibul Hasan

02 Nov, 05:09


যারা বিপ্লবের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে চান, আগামী নির্বাচনে তাদের প্রধান গোল হতে হবে বিএনপিকে ঠেকানো।

বিএনপি এখন দুইটা গোল নিয়ে আগাচ্ছে।
এক; পাশের দেশকে বুঝানো যে তারা আগের দলের চাইতেও তাদের জন্য বেশি নিরাপদ এবং বেশি অনুগত স্ত্রী।
দুই; বিপ্লবের পক্ষের লোকদের এমন কোনো পদক্ষেপ সফল হইতে না দেওয়া যার ফান্দে তারা ভবিষ্যতে পড়তে পারে।

কারণ তারা অনিবার্যভাবে ধরেই নিয়েছে-তারা 'শুন্যস্থান' পূরণ করতে যাচ্ছে। সর্বদিকে। সর্বক্ষেত্রে।

Rakibul Hasan

02 Nov, 05:08


গেরুয়া পতাকার পক্ষে সো কল্ড সনাতনীলীগের যেসব কমেন্ট দেখা যাচ্ছে। আর তাদের যা হ্যাডম দেখা যাচ্ছে! ভাইরে ভাই। মনে হচ্ছে এরা এই দেশের মালিক, আমরা ভাসমান।

আমি এদেরকে অত্যন্ত শক্তহাতে নির্মূলের পক্ষে। অত্যন্ত শক্ত বলতে অত্যন্ত শক্ত। এতে কে কী বলল, কার দেশে আমার দেশের কী চুলের ইমেজ দাঁড়াইল, তাতে কিচ্ছু যায় আসে না।

সরকার পড়লে কী পরিমাণ খুনোখুনি হবে, আওয়ামী লীগের এ নিয়ে বিশাল পূর্বাভাস ছিল। সেগুলোর কিছুই হয় নাই। কারণ এতদিন তারা বলীর পাঠা খুঁজে পায় নাই। এখন পাইছে।

দ্বিতীয় আরেকটা বিষয় বলতে হয়-যারা কালেমার পতাকা উড়ায়ে মনে করছে দেশে ইসলাম কায়েম করে ফেলছে।

গেরুয়ালীগ এখন নিজেদের পতাকার পক্ষে যুক্তি এটাই দিচ্ছে যে কালেমার পতাকা থাকতে পারলে গেরুয়া পতাকা কেন থাকবে না।

দুই শ্রেণিই এই দেশের শত্রু, এই দেশের মানুষের শত্রু, এই দেশের ইসলামের শত্রু।

Rakibul Hasan

01 Nov, 13:48


দেশে হিন্দুত্ববাদীদের উৎপাত নিয়ে।

Rakibul Hasan

01 Nov, 13:48


https://www.facebook.com/share/p/1F1RsSi7kR/

Rakibul Hasan

25 Oct, 13:57


হামাস জানিয়েছে ইয়াহইয়া সিনওয়ারের উত্তরসূরী হিসেবে এখন কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচিত করা হবে না। এর পরিবর্তে তারা একটি কমিটি করবে। সেই কমিটির অধীনে হামাস পরিচালিত হবে।

হামাস প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইজরাইল ক্রমাগত নেতাদের হত্যা করে থাকে। এই হত্যাকাণ্ডে যেন সংগঠনের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে না পড়ে, সেজন্য নানান কৌশল অবলম্বন করতে হয়।

এর মাধ্যমেই হামাস টিকে আছে। বিস্তারিত ফাউন্টেন থেকে প্রকাশিত হামাস বইতে পাবেন।

Rakibul Hasan

25 Oct, 08:31


একবছর আগে দ্য মুসলিম মাইন্ডসে নিওলিবারেল ইকোনমির উপর একটা সিরিজ শুরু করছিলাম।

কিন্তু প্রথম পর্বের পর আর রেকর্ড করার সময় করে উঠতে পারি নাই।

প্রায় এক বছর পর দ্বিতীয় অংশ রেকর্ড এবং পাবলিশ করা হইছে।

আগ্রহীরা দেখে নিতে পারেন।
একাডেমিক আলাপের বাইরে কোনো পপুলিস্ট চুটকি নাই। সো যারা সিরিয়াস আলাপ পছন্দ করেন, তাদের ভালো লাগবে আশা করি।

https://youtu.be/wjsYa1OU-o0?feature=shared

Rakibul Hasan

23 Oct, 07:16


দেশে কীভাবে জঙ্গী নাটক সাজানো হত, আর কীভাবে নিরীহ মানুষকে ঘরের ভিতর তালাবদ্ধ করে হাজার হাজার রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে খাচায় বন্দি পাখির মত মারা হত, তার বীভৎস বিবরণ।

Rakibul Hasan

23 Oct, 07:15


মানবজমিনের এই নিউজটা মাস্ট রিড

https://mzamin.com/news.php?news=132762&fbclid=IwY2xjawGFgItleHRuA2FlbQIxMAABHb2Hc1svwla2ZE9vfcTucrVj0a6gRB96n6ygleax7P96Xu9WkihOXAMiYQ_aem_jK3qsuteM_jY2tTCB_G9uw#gsc.tab=0

Rakibul Hasan

19 Oct, 08:01


আল জাযিরার নিউজে বলা হচ্ছে ইজরাইলি আর্মি জানিয়েছে নেতানিয়াহুর বাড়িতে ড্রোন আক্রমণ করেছে।

Rakibul Hasan

18 Oct, 13:36


গতকাল ইয়াহইয়া সিনওয়ারের শেষ মুহুর্তের ভিডিওটা দেখার সময় আমি ভাবছিলাম তার জায়গায় যদি আমি হতাম, এই সিচুয়েশনে হয়ত আঙ্গুলটাও নাড়াতে পারতাম না।

হাটু খুলে পড়ে গেছে, আঙ্গুল উড়ে গেছে, দুই দুইটা শেলের আক্রমণ সয়ে তারপর যে তীব্র গতিতে এবং প্রচন্ড শক্তিতে লাঠিটা ছুড়ে মেরেছেন!! আল্লাহু আকবার। এরকম শক্তি সিংহের গায়েও থাকে না।

আল্লাহ সিনওয়ারকে এমন প্রাণ দিয়ে পাঠিয়েছিলেন, যা হরণ করার ক্ষমতা ইজরায়েলের নাই।

কিন্তু এই মহাবীর, সারাজীবন যিনি যুদ্ধের ময়দানে কাটিয়েছেন, শাহাদাতের মৃত্যু তার উপযুক্ত পুরস্কার। তাই আল্লাহ অসীম সাহসিকতা, অকল্পনীয় বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাকে তার পুরস্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন।

Rakibul Hasan

18 Oct, 13:27


https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0v8oqLaBhkVVAUeq6RYgiYoa5aaPDZJgw7Z8xcBFK1WAUEya9wiSZ3rRyokb2UQ1bl&id=100003682460873&mibextid=CDWPTG

Rakibul Hasan

18 Oct, 11:38


বাংলায় এই ভিডিওটা বেশ ভালো। আপনারা দেখতে পারেন।


https://youtu.be/mV-qX2mD9bY?feature=shared

Rakibul Hasan

18 Oct, 01:24


ইয়াহইয়া সিনওয়ার যে বিরোচিতভাবে শাহাদাতবরণ করেছেন, তা লক্ষ লক্ষ যুবককে শাহাদাতের প্রেরণা যোগাবে।

Rakibul Hasan

17 Oct, 18:54


ধারণা করা যাচ্ছে ইয়াহইয়া সিনওয়ার শহিদ হয়েছেন। ইজরাইল নিশ্চিত করেছে।

আল জাযিরার এক এনালিসিসে বলা হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রে সিনওয়ারের মৃত্যু ইজরাইলি প্রোপাগাণ্ডাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।

কত শত কোটি ডলার ব্যয় হচ্ছে সিনওয়ারকে খুজতে। কতবার বলা হইছে যে তারা বন্দিদের নিয়ে টানেলে আত্মগোপন করে আছে, কিংবা সাধারণ নাগরিকদের ঢাল বানিয়েছে।

অথচ দেখা যাচ্ছে সিনওয়ার ইজরাইলের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে! তারা এমনকি চিনতেও পারছে না সে কে!

হয়ত এমন বহু বহু বার হইছে যে ইজরাইলিদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে সিনওয়ার ছিলেন।

মৃত্যকে কতটা তুচ্ছ ভাবলে, কতটা নির্ভয়-নির্ভার হলে এইভাবে জীবন দেওয়া যায়!

আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে বিশ্রাম দিন। খালিদ বিন ওয়ালিদদের সাথে তার নাম তালিকাভুক্ত করুন।

Rakibul Hasan

17 Oct, 17:57


আমি ক্লাসে ছিলাম।

এসে দেখতে পাচ্ছি মুজাহিদদে আযম, যুগের সালাউদ্দিন, শায়খ ও মুরশিদ ইয়াহইয়া সিনওয়ার শহিদ হয়েছেন মর্মে সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে।

এটা সত্য হোক কিংবা মিথ্যা হোক, হামাসের যুদ্ধ, কৌশল, শক্তি, কোনোকিছুতেই এর প্রভাব পড়বে না।

কারণ হামাস কখনোই ব্যক্তিনির্ভর দল ছিল না।

Rakibul Hasan

14 Oct, 07:51


যদি এটা সত্য হয়ে থাকে, তাহলে এটা একটা দারুণ প্রতিশোধ হবে। যদিও আইডিএফ প্রধানের কুকর্মের প্রকৃত সাজার জন্য তারে এইভাবে কয়েক লক্ষবার হত্যা করতে হবে। কিন্তু সেটা যেহেতু মানুষের ক্ষমতায় নাই, যতটুকু শোনা যাচ্ছে, সেটা সত্য হলেই মনে হচ্ছে তার দুনিয়াবি সাজা পূর্ণ হইছে।

বাকিটা আখেরাতের জন্য বরাদ্দ রইল।

Rakibul Hasan

14 Oct, 07:49


ভয়াবহ এই আক্রমণে ইজরাইলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফের (ইজরাইলি সেনাবাহিনি) প্রধান নিহত হয়েছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

এই ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইজরাইল এখনো নিরব।

Rakibul Hasan

14 Oct, 07:47


ইজরাইলে ইরানের মিজাইল হামলার পর আমেরিকা ইজরাইলে নতুন ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠাচ্ছে। সেগুলো পরিচলনার জন্য আমেরিকান সৈন্যও পাঠাচ্ছে।

ইরান আমেরিকাকে বলেছিল ইজরাইল থেকে যেন সৈন্য ও নাগরিকদের সরিয়ে নেয়।

Rakibul Hasan

14 Oct, 07:46


গতকাল হিযবুল্লাহ ইজরাইলে তাদের স্মরণকালের সবচাইতে ভয়াবহ হামলা চালিয়ছে।

হাইফা এবং তেল আবিবের মাঝামাঝি বেনইয়ামিনা সামরিক ঘাঁটিতে এই আক্রমণ চালিয়েছে। এদিন গোটা ইজরাইল জুড়ে হিযবুল্লাহ অসংখ্য আক্রমণ চালিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে সবচাইতে ধ্বংসাত্মক ছিল বেনইয়ামিনার ড্রোন আক্রমণ।

সৈন্যদের ডাইনিং এ খাওয়ার সময় এই ড্রোনটি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরিত হওয়ার আগে ড্রোনটি একটি মিসাইলও নিক্ষেপ করেছিল। তারপর নিজেও বিস্ফোরিত হয়।

হিযবুল্লাহ ৩ টি ড্রোন পাঠিয়েছিল, দুইটা ইজরাইল ঠেকায়ে দিছে বলছে।

ঠিক কী পরিমাণ হতাহত হইছে তা এখনো ক্লিয়ার না। এখনো পর্যন্ত ৭ জন নিহত ও ৩৯ জন আহত হওয়ার কথা জানা যাচ্ছে।

হিযবুল্লাহ ইজরাইলি নাগরিকদের বলছে পরবর্তী দিকনির্দেশনা দেওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকরা যেন ইজরাইলি সামরিক ঘাঁটির আশেপাশে না যায়।

Rakibul Hasan

11 Oct, 15:33


বিশ্বব্যাপী ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা বা মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার কিছু দিক নিয়ে অল্পস্বল্প কিছু আলাপ করলাম।

আমি জানি-অনেকেরই আমার সাথে তীব্র দ্বিমত থাকবে।

তারপরও শোনার এবং ভুল থাকলে সেটা নিয়ে প্রোডাক্টিভ সমালোচনা করার আহবান জানাই।

হোপফুলি জেনারেল ধারার ভাইরা মাদরাসা শিক্ষা সম্পর্কে নতুন কিছু ডাইমেনশন পাবেন।


অনেক দিন পর কোথাও আলাপ করলাম।


https://www.facebook.com/share/v/wJrAXGJDyWLej4vy/

Rakibul Hasan

09 Oct, 10:29


মাহমুদুর রহমান বা অন্য যে কারো নেতৃত্বে জনদাবিগুলো উত্থাপনের আন্দোলন শুরু করতে হবে। যেগুলো বিগত সিস্টেমের রোগগুলো সারাবে।

ফেসবুকে তো সব বলা যায় না, ডক্টর ইউনুসের বিশেষ সহকারি মাহফুজ আলম খালেদ মহিউদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎকারে সরাসরি বলেছে যে তারা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয় নাই। খালেদ মুহিউদ্দিন জানতে চাইছে কেন ছাত্রলীগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসছে?

বলছে এটা গণদাবি। মাহমুদুর রহমান এই দাবি উচ্চকিত করছে এবং বিশাল একটা অংশ এই দাবির পক্ষে সমর্থন জানাইছে। ফলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হইছে।

সরকারের জায়গা থেকে আমাদের বুঝতে হবে যে এই সরকার প্রথাগত কোনো পদ্ধতিতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসেনি। তাদের পক্ষে কী পরিমাণ জনগণ সম্মতি প্রদান করেছে, তার অবজেক্টিভ কোনো প্রমাণ নাই। এই সরকার এসেছে আনস্পেসিফাইড 'গণ-চাহিদার' ভিত্তিতে।

ফলে তারা চায় তাদের কাজগুলোর পেছনে গণদাবি, গণচাহিদা, গণরায় থাকুক। যেন তাদের কাজগুলোর একটা 'গণভিত্তি' থাকে।

খুব সহজ ভাষায় বললে জনগণের যে দাবিগুলো মনে হচ্ছে চাপা পড়ে যাচ্ছে, যেমন আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধকরণ, লীগের বিচার গতিশীল করা ইত্যাদি-এসব দাবিতে আমাদের 'পালটা শাহবাগ' গড়ে তুলতে হবে।

সহজ হিশাব। আমরা জড়ো হতে হবে। দাবি তুলতে হবে। প্রেশার ক্রিয়েট করতে হবে।

Rakibul Hasan

07 Oct, 17:03


গাযা গণহত্যার একবছর পূর্তি উপলক্ষ্যে হামাস তেল আবিবে রকেট নিক্ষেপ করেছে।

এবং আবু উবায়দা রীতি ভেঙে অনেক লম্বা ভাষণ দিয়েছে।

Rakibul Hasan

07 Oct, 16:56


দুই মিনিটে ইরানের অপারেশন ট্রু প্রমিজ টু বা ওয়াদায়ে সিদক সানি। প্রস্তুতিপর্ব থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত।

Rakibul Hasan

06 Oct, 14:54


আগামীকাল ১ম বর্ষপূর্তি।

আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে ফিলিস্তিনিরা হেরে গেছে, গাযা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, দ্বিতীয় নাকবা প্রায় সফল হয়ে গেছে; কিন্তু বাস্তবে এখনও যুদ্ধ শেষ হয়নি, বরং বিস্তৃত হয়েছে।

ওদের আল্ট্রা-রাইট যেদিকে যাচ্ছিল, বিশ্বরাজনীতি যেদিকে যাচ্ছিল, ৭ অক্টোবর না হলে ধীরে ধীরে ফিলিস্তিন ইস্যুটাই নন-ইস্যু হয়ে যেত। পশ্চিম তীরের অর্ধেককে অ্যানেক্স করে নেওয়া হতো, বাকি অর্ধেককে একাধিক গাযায় রূপান্তরিত করা হতো, এবং একপর্যায়ে আকসা ভেঙে ফেলা হতো।

এখনও সেই প্রক্রিয়া থামানো যায়নি; কিন্তু এই সঙ্কটের একটা সল্যুশন যে জরুরী, সেই আলোচনাটা আবার ফিরে এসেছে। আমাদের এক জেনারেশনের জন্য এক বছর খুবই কম সময়, তাই আমাদেরকে সহজেই হতাশা ঘিরে ধরে। কিন্তু ফিলিস্তিন যুদ্ধ চলছে ১০৭ বছর ধরে। দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল বোঝার জন্য তাই এক বছর যথেষ্ট সময় না।

এই দিনের এই বিদ্রোহের ফলে, উন্মুক্ত কারাগার ভেঙে বন্দীদের বেরিয়ে আসার প্রচেষ্টার ফলে যে অকল্পনীয় ত্যাগ তারা স্বীকার করেছে, তার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবেই হয়তো একদিন বিজয় আসবে। এটুকু স্বপ্ন আমাদেরকে দেখতেই হবে।

ছবি © ইয়েমেনি কার্টুনিস্ট কামাল শারাফ

Rakibul Hasan

05 Oct, 06:47


কিছুদিন আগে ঢাকার স্বনামধন্য এক দারুল ইফতায় একটা সেশন ছিল। সেখানে আমি বলেছিলাম-এই দেশে লীগের রাজনীতির সবচাইতে বড় টুল হিসেবে সর্বদা নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে কাজ করছে হুজুররা (ইসলামিস্টরা)।

লীগের রাজনীতির প্রায় ১৪ আনা সবসময় হুজুররা স্বেচ্ছায়, সানন্দে করে দিছে। বাকি প্যাদানোর অংশটা জাস্ট লীগ করতে হইছে। আর কিছু না।

Rakibul Hasan

04 Oct, 15:43


ইরাক থেকে নিক্ষিপ্ত ড্রোন সিরিয়া থেকে দখলকৃত গোলান মালভূমিতে একদম ইজরাইলি সেনাদের রুমের ভিতর গিয়ে বিস্ফোরিত হইছে।

এতে দুইজন মারা গেছে, আরও ২৪ জন আহত। আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর।

Rakibul Hasan

02 Oct, 17:05


আজকে লেবাননে ইজরাইলের ৭ সৈন্য ও এক কমান্ডার মরেছে। একদিনেই মরার রেট বেশ হাই।

এক গ্রামে তারা এম্বুশের কবলে পড়েছে। সেই গ্রামে ইজরাইল মাত্র ৬৫০ বার বোম্বিং করছে, সৈন্যদের জন্য রাস্তা ক্লিয়ার করতে।

সৈন্যরা ভাবছিল পুরা গ্রাম ফাঁকা, খুব সহজেই তারা সেখানে অবস্থান নিতে পারবে।