আরব রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত প্রতিবাদ ও প্রত্যাখ্যানের মুখে ট্রাম্প সুর পরিবর্তন করেছে। সে এখন বলছে আরব রাষ্ট্রগুলোকে সমস্যা সমাধানে প্ল্যান করার কথা বলেছে সে।
এর অর্থ হল—আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনার সুযোগ আছে। ট্রাম্প যা করছে একে বলা হয় ব্রিঙ্কম্যানশিপ। অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে ঠেলতে ঠেলতে খাদের কিনারায় নিয়ে তার থেকে যতবেশি সম্ভব আদায় করে নেওয়া।
কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে এটা আবার ব্যাকফায়ার করে। যেমন করেছে সৌদির ক্ষেত্রে। সৌদি পররাষ্ট্রনীতি এক ঝটকাতে ৪০ বছর পেছনে চলে গেছে। বাদশাহ ফয়সালের চরম আরব জাতীয়তাবাদি বক্তব্য এখন সৌদির টিভিগুলোতে প্রচারিত হচ্ছে। যা এককথায় অকল্পনীয়। হতে পারে এটা সৌদি আরবের পক্ষ থেকে পাল্টা ব্রিঙ্কম্যানশিপ।
তবে ঘটনা যা-ই হোক, ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর খায়েশ বাস্তবায়ন হচ্ছে না তা নিশ্চিত। ফিলিস্তিনিরা নিজ ভূমিতে আছে, এই ভূমিতেই থাকবে। দেড়বছর টানা গণহত্যা চালিয়ে যাদেরকে উৎখাত করা যায় নাই, তাদেরকে উৎখাতের আর কোনো উপায়ও আসলে নাই।
তবে লাভের মধ্যে এটুকু হয়েছে যে ট্রাম্প আর নেতানিয়াহুর এইসব বক্তব্যের কারণে যেসব ইউরোপিয়ান দেশ সাদামনে, হালকা সাদামনে ইজরাইলকে সমর্থন দিত, কিংবা অন্তত ইজরাইলকে সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাহ্যিকভাবে তাদের কিছু যুক্তি থাকত, এখন সেগুলো থাকবে না। বিডিএস মুভমেন্ট, হিন্দ রজব ফাউন্ডেশন-সহ সিভিল সোসাইটি ও ফিলিস্তিনপন্থী মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাজ এখন অনেক সহজ হয়ে যাবে।
ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রগুলোকে ইজরাইলের বিনিয়োগ বন্ধ করতে, ইজরাইলের সাথে সহযোগিতা বন্ধ করতে খুব সহজেই রাজি করানো যাবে। রাজি না হলে নিজেদের তৈরি আইনের ফাঁদে তাদের নিজেদেরকেই ফেলা যাবে।
লাভের লাভ এটুকুই।