𝒎𝒖𝒔𝒍𝒊𝒎𝒂𝒕𝒓𝒊𝒙

ইসরাইলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে ফ্রান্সের মন্ত্রীর সাথে হাতমেলাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলো। পুরো দুনিয়ার সামান্যতম কোনো হাউকাউ দেখেছেন? অথচ দুদিন আগে শামে কী হয়েছিলো তা তো জানেন।

বাস্তবতা হলো, প্রশ্নটা নারীর সম্মান বা ইজ্জতের না, প্রশ্ন আল্লাহ মনোনীত একমাত্র সত্যধর্ম ইসলামকে ফুতকার দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা, সেটা। । অবশ্য এতে তারা চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে ও হবে।
.
আমাদের কতক মুসলিম ‘বৃহত্তম স্বার্থে একটু হাত মিলালে কী এমন ক্ষতি হবে’ বলে চিরস্থায়ী ধোঁকা খেয়েই যাচ্ছে!

রমজান সংক্রান্ত মাসায়েল

মাসআলা ১

মাসআলা ২

মাসআলা ৩

মাসআলা ৪

মাসআলা ৫

মাসআলা ৬

মাসআলা ৭

মাসআলা ৮

মাসআলা ৯

মাসআলা ১০

মাসআলা ১১

📜

কিনেছেন কি?

গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই একটা বিষয় চোখে পড়েছে যে, বাংলাদেশের ইসলামিস্টরা নিজেদেরকে রাষ্ট্র চালানোর ব্যাপারে অযোগ্য মনে করে। কিংবা এখনো যোগ্য হয়ে উঠেনি এরকম বলতে চায় তারা। আপনি হয়তবা বাস্তব অবস্থা বুঝানোর জন্য নিজেদের যোগ্যতাকে যথেষ্ট মনে করছেন না। কিন্ত দেশের সেক্যুলাররা কি যোগ্য ? সেক্যুলারদের দিয়েই তো রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে তাহলে সেক্যুলাররা যদি যোগ্যই হয় তাহলে রাষ্ট্র এত খারাপ ভাবে পরিচালিত হচ্ছে কেন ? আপনি নিজের কমতিকে অযোগ্যতা মনে করবেন এটাও সেক্যুলাররা চায়। আপনার মধ্যে রাষ্ট্রের ব্যাপারে একটা হীনমন্যতা কাজ করুক। এবং সেই হীনমন্যতা আপনাকে যেন ছোট ভাবতে শিখায় । এই নিয়ে আমার একটি পোস্টের লিঙ্ক কমেন্ট বক্সে দেওয়া হল।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় চীন থেকে ড্রোন এনে লাইট শো করতে চায়। জুলাইয়ের আইকনিক ছবিগুলো থ্রি-ডি তে দেখাবে বলে। শুধু ড্রোনের খরচ ৫ লাখ ডলার অর্থাৎ ৬ কোটিরও বেশি টাকা।

চীন থেকে ১৭ জন লোকও আসবে ব্যাপারটা দেখভাল করতে। তাঁদের আসা যাওয়া, থাকার খায়খরচাও সরকারকে বহন করতে হবে। এই ড্রোনগুলো তাঁরা আবার চীনে ফেরত নিয়ে যাবে।

ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালের জন্য কনসার্ট টাইপ এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় খরচে এই আয়োজন করা হবে। পুরো প্রোগ্রামের খরচ এখনও নির্ধারিত হয় নাই। নিশ্চয়ই তা আরও বহুগুণে বেশি হবে।

এই খবর দেখলে নিশ্চয়ই মুজিব বর্ষের লেজার শো তামাশার কথা মনে পড়ে? আমরা কি তবে খোলস বদলের চক্করে আছি? অথচ দেখুন, আহতদের চিকিৎসা নিয়ে চারদিকে কত হাহাকার, কত কথা!

খোকন চন্দ্র বর্মণ নামের এক রিকশাচালক যার মুখে মাজল ঠেকিয়ে পুলিশ গুলি করেছিল তার ওপরের ঠোঁট, মাড়ি, নাক, তালু—এগুলোর এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই।

খোকন প্রথম আলোকে বলেছিল, 'আমার চেহারা দেখে এখন আমি নিজেই ভয় পাই। এর চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো ছিল। কষ্ট থেকে মুক্তি চাই। আর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না।

সরকার শুধু বলছে, আমাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাবে। বিদেশে পাঠাতে এত সময় লাগে? সরকার চাইলে আমাকে দ্রুত বিদেশে পাঠাতে পারে না?’

অথচ এই খোকনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ না পাঠিয়ে এখনও নানা রাজনৈতিক আয়োজনে নিয়ে বক্তৃতা করানো হয়। উপদেষ্টারা তার বক্তব্য আপলোড দেয়, অথচ কত কষ্টে সে একটা শব্দ উচ্চারণ করে।

তাঁর সাথে ছবি তুলে নয়া বন্দোবস্তের নেতারা তা ফেসবুকে প্রচার করেন। খোকনের যে-ই চেহারা খোকন নিজে দেখতে চান না, সে-ই চেহারা শো অফ করে অন্যেরা। সে তো চায় চিকিৎসা।

এত সব কিছুর বাইরে শুধু কনসার্ট থেকে কনসার্টে থাকে জুলাই। কেবলই উদযাপনে আর আনন্দ আয়োজনে।

আরজু আহমাদ

𝒎𝒖𝒔𝒍𝒊𝒎𝒂𝒕𝒓𝒊𝒙 pinned «ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে ইসলামী বই মেলা! আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মেলা। স্থান: পায়রা চত্বর, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। @muslimatrix»

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে ইসলামী বই মেলা!

আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মেলা।

স্থান: পায়রা চত্বর, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

@muslimatrix

ফাতিহা আয়াতের উদ্যোগ সম্পর্কে সচেতনতা কাম্য:
ফেসবুক সেলিব্রিটি ফাতিহা আয়াত সম্প্রতি জাতিসংঘের এসডিজি (SDG) এজেন্ডা বাংলাদেশে প্রমোট করতে স্কুল পর্যায়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করছেন। এসডিজি এজেন্ডায় কিছু ভালো বিষয় থাকলেও, সমাজ বিধ্বংসী এল জ টিভি মতবাদও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই এজেন্ডার বাস্তবায়নে জাতিসংঘকে একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
.
আমাদের দেশে জাতিসংঘের নাম অত্যন্ত সমীহের সঙ্গে দেখা হয়। তবে বাস্তবতা হলো, জাতিসংঘের নিজস্ব কোনো আয়ের উৎস নেই। তারা সদস্য দেশের চাদা, বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এবং তা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অনুদান (সহজ ভাষায়- ভিক্ষা) হিসেবে দেয়। এই অনুদানদাতাদের নিজস্ব এজেন্ডা থাকে। অনেক এল জি টিভি সংশ্লিষ্ট সংস্থাও জাতিসংঘে ফান্ডিং করে।
.
জাতিসংঘ নীতিগতভাবে এই এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছে এবং মুসলিম দেশগুলোতে তা শব্দের মারপ্যাঁচ ব্যবহার করে কার্যকর করছে।
ফাতিহার উদ্দেশ্য মহৎ হতে পারে, কিন্তু তার মাধ্যমে এই এজেন্ডার বাস্তবায়নের একটি ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে।
.
মজার বিষয় হলো, ফাতিহার বাবা আসিফ মাহতাব উৎসকে নিজের মেয়ের এই এসডিজি উদ্যোগে অংশ নিতে দেখা করেছেন। যে শরীফা ইস্যুর জন্য আসিফ মাহতাব পরিচিত সেই তাকে দিয়েই যদি এজেন্ডার বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হয়, তা হবে রীতিমত বিস্ময়কর। এসডিজি যে শরীফা মতবাদের সাথে জড়িত, তার কিছু রেফারেন্স দিয়েছিলাম। এর ভিত্তিতে আসিফ মাহতাব সেই উদ্যোগে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানান। অর্থাৎ আসিফ মাহতাব সেই এসডিজি উদ্যোগে জড়িত হননি।
.
শুনেছি, সাইফুর’সকেও এই উদ্যোগে যুক্ত করা হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে সাইফুর’স এর পরিচালক নিপু ভাইকে বিষয়টি জানালাম। উনি এসব তথ্য আগে জানতেন না।
.
বিশ্বের মোড়লরা যেভাবে এই এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে, তাতে আমাদের সমাজ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। কমেন্ট কিছু প্রাসংগিক রেফারেন্স দেয়া হলো
ড মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন

রুকইয়াহ এর নামে হাদিসে আসেনি এমন যেসব আমল করার জন্য বলা হয় সেগুলো করার বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করুন।

অনেক হাবিজাবি জিনিস করতে বলা হয়, সেগুলোর অনেকগুলোই উল্টো সমস্যার কারণ হয়।

হাদিসে খুবই অল্প কিছু আমলের কথা বলা আছে, চেষ্টা করুন সেগুলোর উপরেই আমল সীমাবদ্ধ থাকতে।

মনে রাখবেন, রাকিদের অনেকেই আপনাকে আক্রান্ত করে অর্থ আয় করতে চেষ্টা করবে।

রুকইয়াহ যেনো হয় হাদিসের ভিত্তিতে, প্রতিটি আমল করার আগে নিশ্চিত হোন এটি হাদিসে এসেছে কিনা।

অনেক আগে ফরহাদ মাজহারের বহুবাদি ইসলাম দর্শন নিয়ে অনলাইনে আলোচনা- সমালোচনা উঠেছিল।

এই দর্শনের মূল কথা হল, ইসলামের বহুরূপ আছে। আরবের ইসলাম, তুর্কির ইসলাম, ইউরোপের ইসলাম, আফ্রিকার ইসলাম, ইরানের ইসলাম, বাংলার ইসলাম- এভাবে ইসলাম নানা জায়গায় নানা রূপ ধারণ করেছে। এটা একটি ভয়াবহ দ্বীনবিরোধী দর্শন ও চিন্তা।

অঞ্চলভেদে ইসলামের বহুরূপ হয় না। ইসলাম একটাই। আরবেও ইসলাম এক, আফ্রিকায়ও ইসলাম এক, বাংলায়ও ইসলাম এক। ইসলাম যেখানেই যাক, একই থাকবে। এভাবে ইসলামের বহুরূপ আবিষ্কার করা একটি প্রাচ্যবাদী প্রজেক্ট।

এর মাধ্যমে ইসলামের স্বকীয়তা বিনষ্ট করে আঞ্চলিকতায় ইসলামের মূল স্প্রিরিটকে বিলিয়ে দেয়া হয়। এর মাধ্যমে ইসলামকে ব্যাখ্যার করার জায়গায় সালাফদের প্রামাণিকতাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। ইসলামকে ব্যাখ্যা করার অথোরিটি দিয়ে দেয়া হয় যুগ ও আঞ্চলিকতার উপর। আর এটি নি:সন্দেহে ইসলামের নামে এক দ্বীনহীন দর্শনের নাম।

এই দর্শনও মর্ডানিজমের রূহকে ধারণ করে। এই দর্শনে ইসলাম থাকে কেবল ভাব ও বাহ্যিক কিছু আচার- আচারণের জায়গায়। কিন্তু শরীয়ত ও ফিকহে ইসলামীর তুরাসি কোন অথোরিটি এই দর্শনে স্থান পায় না। বরং একে নানা ট্যাগে চিহ্নিত করা হয়।


ইফতেখার সিফাত
৩০ আগস্ট, ২০২৪
@muslimatrix

আমি বলি কী, ইসলামি মুভি ইন্ডাস্ট্রি তৈরী করা হোক। পরিচালক হবে মিজানুর রহমান। গল্প থাকবে কাসেম বিন আবু বকর সাহেবের, নাট্যরূপ দেবেন তারেক মানোয়ার সাহেব। প্রযোজনা করবেন দরবেশ বাবা ও MBS.

গান গাইবেন তাহেরী। সাইডে নাচার জন্য কিছু সুফিকে আনতে হবে ঢোলতবলা সহ।

গল্প হবে পুরোপুরি ইসলামিক। সিনেমাটা দেখলেও ওজু ভাঙবে না এমন। নায়ক বিয়ের উদ্দেশ্য নায়িকার সাথে প্রেম করবেন। নায়িকার মুখ দেখতে চাইবেন যাতে জান্নাতে চিনতে পারেন।আর জিনা থেকে বাঁচতে বিসমিল্লাহ বলে চুমু খাবেন।

ওয়াল্লাহি। দশজন জাকির নায়েক, হাকিকাজজু, হিজাবরা যা করতে পারবেন না তার চেয়েও বেশি দাওয়াতের কাজ হবে এই সিনেমার মাধ্যমে। ইসলাম ছড়িয়ে পড়বে।

খাই রুল

ইন্দোনেশিয়া ব্রিকসে যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রাজিল।

#INDONESIA #BRICS

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান:

এলজিবিটিকিউ ইস্যুটি বর্তমানে পরিবারের অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে গুরুতর হুমকিগুলির মধ্যে একটি।

#LGBTQ #TURKIYE

সময়ের কাজ সময়ে না করলে বিপদ

ওরা পা‌পের ওয়ার্ল্ড ফে‌স্টিভাল ফিফা বিশ্বকা‌প আয়োজ‌নে ইসলা‌মের দাওয়াহ খুঁ‌জে পায়, কিন্তু এক‌টি নিখাদ দাওয়াত তালী‌মের মেহনতে এবং তাবলীগী ইজ‌তিমায় শুধু ‌পিক‌নিক আর বিদআত খুঁ‌জে পায়, দাওয়াহ খুঁ‌জে পায় ন‌া! এটা ‌যেন ঠিক মিসক-আম্ব‌রে খুশবু না পাওয়া এবং গোব‌রে খুশবু পাওয়ার মত! আফ‌সোস, শত আফ‌সোস!

সাইফুদ্দীন গাজী

তাহসান নিজে ই'ভ্যা'লির মতো ফ্র'ডের প্রমোটর, তার আম্মা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের নি'কৃ'ষ্টতম দু'র্নী'তিবাজ এক্স-চেয়ারম্যান, যাকে সে বিয়ে করছে তার আব্বা কু'খ্যা'ত স'ন্ত্রা'সী, যৌথ বাহিনীর অপারেশনে নি'হ'ত।

অথচ তারা আমাদের তরুণ-তরুণীদের আইডল৷ লজ্জা হয়! লজ্জা হয়!! তোমরা যারা তাদের আইডল ভাবো, তোমাদের লজ্জা হয় না? তোমরা যারা তাদের পোস্ট হুমড়ি খেয়ে শেয়ার দিচ্ছো, তোমাদের লজ্জা হয় না? তোমরা না জুলাই এর বীর গাজী? তোমরা না দেশপ্রেমিক জেন-জি?

আতিকুর রহমান

অধিকৃত জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী।

#GazaGenocide

কুদস এর পবিত্র মসজিদ প্রাঙ্গনে ইসরায়েলের সেনাদের চলাচল।

#PALESTINE

তাহসান তার চাইতে পনেরো বছরের ছোট কাউকে বিয়ে করলে "সবুরে লেওয়া ফলে"। আর হুজুররা কমবয়সী কাউকে বিয়ে করলে চরিত্রে দাগ পড়ে।

— ফাহাদ ইবনে ইলিয়াস

তুরস্ক থেকে বাংলাদেশের ট্যাংক কেনা নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে সামরিক ট্যাংক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ভারত সব সময় সতর্ক থাকে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

৩ জানুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখপাত্র বলেন, ভারত নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সব সময় নজর রাখে এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্ত ভারতের প্রতি কোনো বার্তা কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ভারত কখনও বাংলাদেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আগ্রহী এবং সে সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মানের ওপর ভিত্তি করে থাকতে চায়।

বিস্তারিত পড়ুন:
https://www.facebook.com/share/p/15kaH9tQZE/

বোনেরা আপনারা দেখুন।

১।
নবীগণ মেষ চড়িয়েছেন। হাদীসে স্পষ্ট এসেছে, আল্লাহ এমন কোনও নবী পাঠান নি যিনি মেষ চড়ান নি। মেষ যাঁরা চড়ায় তাঁদেরকে Shepherd বলা হয়।

আর যারা গরু চড়ায় তাঁদেরকে বলা হয় Cowboy। এই শব্দের উদ্ভব স্প্যানিশ শব্দ vaquero থেকে। যার অর্থ দাঁড়ায় যিনি ঘোড়ার পিঠ থেকে গরুর পাল সামলায়।

কাউবয় শব্দটা কানে আসলে চোখে কি ভাসে? ওয়েস্টার্ন মুভির দৃশ্য নিশ্চয়। যাযাবার উশৃংখল একদল লোক যারা সারা বছর গরু চড়িয়ে যখন শহরে ফেরে তখন বিশৃঙ্খলা, অনাচারে লিপ্ত হয়। ম্যানার বলে কিছু থাকে না।

অথচ নবীগণ মেষ চড়ানোর কারণ আল্লাহ তাঁদেরকে ধৈর্যশীল করতে চেয়েছেন। সেই শিক্ষা তাঁদের মধ্যে প্রোথিত করেছেন। গরু চড়ানোয় এই লক্ষ্য অর্জিত হয় না।

আমাদের নবী সা. কখনোই গরু চড়ান নি। তিনি কখনও Cowboy ছিলেন না। যে ব্যক্তিই বলে থাকুন তিনি ভুল বলেছেন।

২।

খাদিজা রা. এঁর কর্মচারী রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনোই ছিলেন না। তাঁর সাথে ব্যবসা ছিল মুদারাবা ভিত্তিতে। মূলধন ছিল খাদিজার আর রাসুল সা. সে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। তাঁরা লভ্যাংশ ভাগ করে নিয়েছেন।

খাদিজা রা. এঁর একাধিক ব্যবসা ছিল। কিন্তু মক্কাবাসীদের ব্যবসা যেহেতু আমদানি রফতানি ভিত্তিক ছিল, ফলে তাঁর নিজের পক্ষে এই ব্যবসা পরিচালনা সম্ভব ছিল না। প্রায় সব সিরাতবিদেরাই এমনটি বলেছেন।

জনপ্রিয়তা শুদ্ধতার দলিল না। ফলে মিজানুর রহমান আজহারী যখন রাসুল সা. প্রসঙ্গে বলেন তিনি 'কাউবয়', খাদিজাতুল কুবরার 'কর্মচারী' ছিলেন এইসব কথা তিনি ভুলই বলেছেন।

কিন্তু তাঁর ভুলের বাড়তি সমস্যা হলো, এ ভুল ব্যাপক বিস্তৃতি পায়। আর মানুষ সেটাকে ভুল বলে মানতে চায় না।

৩।

ইসলামের ইতিহাসে পেশাদার বক্তাদের 'কাসসাস' মানে 'Story Teller’ বলা হত। ইবনুল জাওযির মতে, এরাই ইলমে হাদিসের সবচে' বড়ো ক্ষতি করেছে।

ইবনে উমার রা. মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলতেন, এই বক্তাদের জন্যই আমি মসজিদ থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হই, এদের ছাড়া আর কিছুই আমাকে মসজিদ থেকে দূরে রাখতে পারত না।

আরজু আহমাদ

যখন কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা প্রকাশিত হয় কলিকাতার দাদাবাবুরা একে কবিতা হিসেবেই স্বীকৃতি দেয় নি। মুসলমানি আরবি-উর্দু আর অতৎসম শব্দে ভরা, এটা কবিতা নাকি? যবন পুত্ররা কি কবিতা লিখতে পারে নাকি, ছ্যাঁ, ছ্যাঁ, ছ্যাঁ...

কলিকাতার রাবিন্দ্রিক বাবু সজনীকান্ত দাস 'বিদ্রোহী কবিতাকে ব্যঙ্গ করে একটা কবিতা লিখেছিলেন ব্যাঙ নামে,

আমি ব্যাঙ!
লম্বা আমার ঠ্যাং ।
আমি ব্যাঙ! আমি সাপ! আমি ব্যাঙেরে গিলিয়া খাই,
আমি বুক দিয়ে হাঁটি ইঁদুর ছুঁচোর গর্তে ঢুকিয়া যাই।
.
প্রশ্ন আগের টাই, যবন পুত্ররা কি কবিতা লিখতে পারে নাকি!? গত ১০০ বছরেও এই প্রশ্নের সমাধান হয় নাই। সমাজে সেই একই আলাপ। কওমি, কারবালা, আরশ, শাহাদাত, ফোরাত জাতীয় মুসলমানি আর পূর্ব বাংলার মুসলমান চাষাভুষাদের মুখের অতৎসম শব্দ দিয়ে কবিতা হয় নাকি!?

মীর সালমান শামিল

সিরিয়ার এতীম শিশুদের ভরণপোষণের খরচ বহন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে Brothers for Crescent স্থায়ী দাতা সদস্য হতে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

কোরআনের তেলাওয়াত শেখানোর পাশাপাশি জেনারেল শিক্ষিত ভাইদেরকে দ্বীন শেখানোর ব্যাপারে তিনটি পদক্ষেপ জরুরী বলে মনে করি,

১. সব বয়সের নারী-পুরুষের জন্য সকল পাড়া-মহল্লায় দ্বীন শেখানোর ব্যবস্থা করা।

২. প্রাথমিক আরবিভাষা শেখানোর ব্যবস্থা করা।

৩. দ্বীনের মোটামুটি পূর্ণাঙ্গ একটি সিলেবাস পড়ানোর চেষ্টা করা।

পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে এই বিষয়গুলো থাকা জরুরী,

১. আকিদা ও আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের মধ্যমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি,
২. ইবাদাত (নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতের ফাযায়েল ও মাসায়েল),
৩. মুআমালাত (ব্যবসা ও বিয়ে-শাদী সংক্রান্ত ফাযায়েল ও মাসায়েল),
৪. মুআশারাত (হুকুক),
৫. আখলাক (তাযকিয়া-তাসাওউফ),
৬, সিয়াসাত।

নিম্নোক্ত বইগুলোতে এই বিষয়গুলো একত্রে আছে,

১. ইসলাম ও আমাদের জীবন,
২. ইসলামকে জানতে হলে,
৩. ইসলাম পরিচিতি,
৪. ইসলাম কেয়া হ্যায়,
৫. দ্বীন ও শরীয়ত,
৬. ইসলাম: মুকাম্মাল দ্বীন অওর মুস্তাকিল তাহজিব,
৭. হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ,
৮. ইহয়াউ উলূমিদ্দীন,
৯. তালিমুদ্দীন,
১০. ফুরুউল ঈমান
১১. ইত্যাদি।

এখান থেকে নমুনা দেখা যেতে পারে। তবে বিজ্ঞ আলেমদের তত্ত্বাবধানেই এই ধরনের শিক্ষাকার্যক্রম চলতে হবে।

Mosaddik Adil

শুভ সকাল বাংলাদেশ

আমরা জানি কেউ নিউ ইয়ার পালন করে মানেই এমন না যে সে মদ খায় বা পার্টি করে।

তবে অনেকেই খায়।

সংখ্যাটা আরেকটু বড় করলে যারা ফানুস উড়ায় তাদের পাওয়া যাবে।

আরেকটু বড় করলে পাওয়া যাবে যারা ফায়ারওয়ার্কস করে।

আরেকটু বাড়ালে পাওয়া যাবে যারা ছাদে বারবিকিউ করে।

আরেকটু বাড়ালে পাওয়া যাবে যারা অন্তত ফ্যামিলির গন্ডিতেই ভালোমন্দ কিনে বা রেঁধে খায়।

আরেকটু বাড়ালে পাওয়া যাবে বারান্দা বা ছাদে দাঁড়িয়ে ফায়ারওয়ার্কস দেখে।

এভাবে বাড়তে বাড়তে যে সংখ্যাটা দাঁড়াবে তাতে প্রায় গোটা সমাজই কভার হয়ে যায়।

অতএব দেখা গেল সবাই হয়তো মদ খাচ্ছে না বা ফানুস বা মুরগী পোড়াচ্ছে না, কিন্তু প্রায় সবাইই ইন প্রিন্সিপল ইনভল্ভড।

মা'আযাল্লাহ।

অথচ মুসলিমদের এমন হওয়ার কথা ছিল না।

কুফফারদের একটি আচার যেটার আদি-উপ-অন্ত গোটাটাই আল্লাহর 'আজ্জা ওয়া জালের, আই রিপীট, আপনি নিজেকে যাঁর বান্দা বলে মুখে দাবী করেন সেই আল্লাহ 'আজ্জা ওয়া জালের অবাধ্যতা দ্বারা বোঝাই, সেটার সাথে ইন প্রিন্সিপ্‌ল কীভাবে একমত হতে পারেন?

মুসলিম হিসেবে তো আপনার এমন হওয়ার কথা ছিল যে আমি কাউকে নিউ ইয়ার উইশ করব না, কেউ উইশ করলে জবাব দিব না, নিউ ইয়ার উপলক্ষে কোন পারসোনাল বা ফ্যামিলি আয়োজন রাখব না, বাইরে ফায়ারওয়ার্কস হলে দেখব না, গান-বাজনা বা যেটা কানে আসুক কানে আঙ্গুল দিয়ে রাখবো।

ধরেন আপনার এক প্রতিবেশি আছে যার সাথে আপনার বাবার দীর্ঘদিনের শত্রূতা। সে আজ রাতে পার্টি করে আপনার বাবার ধ্বংস কামনা করবে, আপনার বাবাকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক গান-বাজনা করবে, আপনার বাবার নাম কাগজে লিখে আগুনে পোড়াবে, ফায়ারওয়ার্কস করবে। আপনি সেই গান শুনবেন? সেই ফায়ারওয়ার্কস করবেন? তার সাথে তাল দিয়ে বারবিকিউ করবেন?

কুফফার আল্লাহ তা'আলার নামে গালাগাল দিয়ে খোলামেলা সেলিব্রেট করে না কারণ অতটা সাহস সব সময়ে হয়না। কিন্তু আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যতার সব এলিমেন্ট দিয়ে সেলিব্রেট করে। আজ রাতেই করবে। আর আপনি কিনা সেটায় তাল দেন, আবার বলেন আপনি মুসলমান।

একটু তো লজ্জা করেন।

তাওসীফ সালাম

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থার্টি ফাস্ট নাইটে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ অনুযায়ী এসব কর্মকাণ্ড দণ্ডনীয় অপরাধ।

#BANGLADESH

এখানে জনতার নিরাপত্তা নেই, নেই ন্যায়বিচার

…
এরপর সবচেয়ে কঠিন আক্রমণটা আসে মিডিয়া থেকে। আবারো আমার দেশ পত্রিকাতে উল্লেখিত দুই ছাত্রীর কেসটাকেই রেফারেন্স হিসেবে ধরি। যারা রিপোর্টটি পড়েছেন তারা জানেন সেখানে এই দুই ছাত্রীর পরিবারের খুবই পরিষ্কার বক্তব্য রয়েছে। যে বক্তব্যগুলোকে আপনি ডান বাম করতে পারবেন না। অর্থাৎ তাদের বক্তব্যকে নতুন কোন ব্যাখ্যাদান করা সম্ভব না। এবং ব্যাখ্যাদান করলেও তাদের মূল বক্তব্যকেই আরো সুস্থির করবে।

...
কিন্ত আশ্চর্য হলেও সত্য নিলুফার ভিলার নাটক মঞ্চায়নের পর প্রথম আলো পত্রিকা এই দুই ছাত্রীর পরিবারের বক্তব্য নিয়ে 'পাহাড়া দিয়েও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখা যায়নি' এই শিরোনামে একটি রিপোর্ট করে। রিপোর্টে নরসিংদীতে পরপর ঘটা দুটো পুলিশি অপারেশনে উদ্ধার করা ব্যক্তিদের নিয়ে করা হয়। একটি হল এর আগেরদিন ঘটা নরসিংদীর ভগীরাথপুরে ঘটা 'অপারেশন গার্ডিয়ান নট' এর মৃত ভিক্টিমদেরকে নিয়ে (যাদেরকে কথিত সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ দেওয়া হয়) । অন্যটি এই দুই ছাত্রীকে নিয়ে।

…
রিপোর্টের শুরুতেই বুলেট পয়েন্টে উল্লেখ করা হয়েছে- পরিবারের সদস্যদের বোকা বানিয়ে বাসা ছাড়েন তিন ছাত্রী।

কিন্ত এর স্বপক্ষে পারিবারিক একটি বক্তব্যও রিপোর্টে আসেনি। রিপোর্টে পরিবারের যে বক্তব্যটি প্রথম আলোর রিপোর্টার নিজের মত তুলে ধরে সেটি হল "এত পাহারা দিয়ে রাখার পরও আবারও কীভাবে তাঁরা জঙ্গিবাদে জড়ালেন, সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাচ্ছে না তিনটি পরিবার"। এই বক্তব্যটুকু বুঝতে হলে আপনাকে আগে আমার দেশ পত্রিকাতে আসা রিপোর্টিটি পড়তে হবে। তারপরে আপনি এই বক্তব্যটিতে থাকা গরমিলের সন্ধান করতে পারবেন। অর্থাৎ তার পরিবার এখানে পুলিশের দেওয়া বক্তব্যের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। অর্থাৎ এটা একটা উলটো প্রশ্ন রাখা হয়েছে যে আমার মেয়ে কখন জঙ্গিবাদে জড়াবে বা জড়ানোর সুযোগই বা পাবে কিভাবে যখন আমি সে আমাদের সাথেই থাকে ! কোন বাবা ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া কিংবা ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সন্তানের অপরাধ ঘটানোর ব্যাপারে অ্যাফারমেটিভ বিবৃতি পাবেন না। কিন্ত জঙ্গিবাদে গ্রেপ্তার হলে সেখানে পরিবারগুলোর অ্যাফারমেটিভ বিবৃতি দান করে ! এর থেকে আশ্চর্য আর কিইবা হতে পারে। অর্থাৎ প্রথম আলো সহ গত সরকার আমলের পুরো সেক্যুলার মিডিয়া ভিক্টিম পরিবারগুলোর বক্তব্য গুলোও তাদের মত করে ছাপিয়েছে ।
…
এরপরে আরেকটি বাক্য দেখুন সেখানে বলা হয়েছে, “ কাউন্টার টেররিজমের কর্মকর্তারা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে খাদিজা ও ইশরাত বলেছেন, তাঁরা কেউই তাঁদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত নন।"

এটাকেও আমরা এভাবে উদাহরণ দেই। ধরুন , আপনি একজন নিরীহ লোক আপনি সদ্য বাঙ্গালী বাবুর মত ভাত খেয়ে উঠলেন। আর পুলিশ তখনই আপনাকে কোন চুরির দায়ে অভুযুক্ত করে গ্রেপ্তার করল । এরপর পুলিশ আপনাকে জিজ্ঞেস করল, আপনি যা করেছেন তার জন্য অনুতপ্ত কিনা। আপনি যদি আপনার ভাত খাওয়াকে আসল উদ্দেশ্য ধরে বলেন, আমি যা করেছি তার জন্য আদৌ অনুতপ্ত নই। উদাহরণটা একটু হেঁয়ালি হয়ে গেল । তাহলে আমার দেশ পত্রিকা থেকেই সেই দুই ছাত্রী কী করেছিল তা এখানে তুলে ধরি । যা তার পরিবার এভাবে উল্লেখ করেছে,

‘আমার মেয়ে আশুলিয়ার খাজান এলাকায় একটি মেসে থাকত। সেখানে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই মেস ছিল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমার মেয়ে আমাকে ফোনে বলল, বাবা আমি বাড়ি যামু। আমাকে এক হাজার টাকা পাঠাও। আমি তাকে বেলা ৩টায় টাকা পাঠাই। সে ৩টা ১৪ মিনিটে টাকা তোলে। এরপর আর ফোন ধরে না। ২০১৮ সালের ৩ বা ৪ অক্টোবরের ঘটনা এটি।’

‘পরে সেই মেসে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, বিকালে বাজারে গেছিল, আর তো ফেরে নাই। পরদিন গেলাম সেখানে। দেখলাম তালা মারা। এরপর আর খোঁজ পাই নাই। কয়েক দিন পরে টিভিতে দেখলাম তারা নরসিংদীর সাততলা ভবন থেকে নামতাছে।’"

এই অবস্থায় আপনি কেন বলবেন যে আপনি অনুতপ্ত। যখন আপনি কোন অপরাধই করেন নি । এবার প্রথম আলোর রিপোর্টে উল্লেখ করা বিবৃতিটুকু আবারো পড়ুন আর ভাবুন।

এরপরে প্রথম আলোর রিপোর্ট থেকে এই অংশটুকু আমরা বিবেচনা করি, “ ইশরাতের মাও মিরপুরের বাসা থেকে মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা–নেওয়া করতেন। একমাত্র মেয়ে যেন জঙ্গিবাদেনা জড়ান সে চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না তাঁর। তিনি বলেন, আকলিমা ও খাদিজাকে বাসায় আসতে মানা করেছিলেন। পরীক্ষার ফরম পূরণের কথা বলে ৫ অক্টোবর বাসা থেকে বের হন ইশরাত। গ্রেপ্তার হওয়ার পর মেয়ের খোঁজ নিতে তিনি নরসিংদীতে যাননি"।

…
অর্থাৎ এখানেও মায়ের নিশ্চিত কিংবা কনফার্মেশন যে তার মেয়ে জঙ্গি নন সেটাকে তিনি এভাবে কনফার্ম করেছেন যে তার মেয়েকে তিনি নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা-নেওয়া করতেন। অর্থাৎ তার মেয়ে কীভাবে জঙ্গিবাদে জড়াবে যেখানে তিনি নিজে আনা নেওয়া করতেন ! আকলিমা (মৃত ভিক্টিম ) এবং ইসরাত উভয়কেই বাসায় আসতে অর্থাৎ ইসরাতের বাসায় আসতে নিষেধ করেছিলেন । কিন্ত এর মানে এই নয় ঐ দুই মেয়ে জঙ্গি হয়ে থাকবে হয়তবা এজন্য নিষেধ করেছিলেন। বরং যেভাবে জামাত সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে গণহারে জামাতের ছেলে মেয়েদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছিল সেই আশঙ্কা থেকে তাদেরকে নিষেধ করেছিলেন

পত্রিকা কিংবা মিডিয়ার দ্বারা কোন ব্যক্তিকে সন্ত্রাসবাদের তকমা দেওয়া নতুন কিছু নয়। নাইন ইলেভেনের পরে অসংখ্য মুসলিমের জন্য এই ব্যাপারটি খুবই কমন ফেনোমেনা হয়ে উঠেছিল। কিন্ত আশ্চর্য হলেও সত্য আমেরিকা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়া সহ ইউরোপের নানা দেশের মুসলিমেরা এ সব পত্রিকার বিরুদ্ধে নানা সময়ে মানহানির কেস দিয়ে সন্ত্রাসবাদির তকমা খাওয়ার ব্যাপারটির মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। এরমধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য কেসের উদাহরণ যদি টানি তাহলে তা হতে পারে ফক্স নিউজের বিরুদ্ধে আহমেদ মোহাম্মদের ২০১৬ এর একটি মানহানির কেস। ফক্স নিউজ তাকে সন্ত্রাসবাদির তকমা দিয়ে 'ক্লক বয়' নাম দিয়ে বসেছিল। কেসটিকে কোর্ট ডিসমিস করলেও তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদির যে তকমা দেওয়া হয়েছিল তার প্রতিবাদে এটি একটি রেকর্ড হয়ে থাকে। এসব কেসের ফলাফল খুব একটা সফল না হলেও এগুলোকে সন্ত্রাসবাদের ভুল তকমার প্রতিবাদ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এসব কেস সফল না হওয়ার মূল যে কারণ তা বিশেষ কিছু না ফ্রিডম অফ স্পিচের কারণ দেখিয়ে এই কেসগুলোকে ডিসমিস করা হয়।

…
কিন্ত বাংলাদেশে গত দুই যুগে এরকম একটা সিঙ্গেল ডিফেমেশন কিংবা মানহানির কেস সামনে আসে নাই যেখানে ভিক্টিমকে সন্ত্রাসবাদের তকমা দেওয়ার জন্য মিডিয়া এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর কারণ কি ছিল ? গতকালকে আমার দেশের রিপোর্টটি পড়লে আসা করি এটা পরিষ্কার হওয়ার কথা।
…
হাসিনা এরকম একটি ইসলামোফোবিক সোসাইটি দাড় করিয়েছিল, যে সোসাইটিতে যে কোন মুসলিম ব্যক্তিকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে রাষ্ট্রযন্ত্র যদি অভিযুক্ত করে তাহলে সেখানে ভিক্টিম মূহুর্তে এতিম হয়ে পড়ে। তাকে সাহয্যের জন্য তার আপন পিতা মাতা আর খোদা তায়ালা ছাড়া কেউ থাকে না। আর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি ইনস্টিটিউট দাঁড়িয়ে যায়। সেটা পুলিশ হতে শুরু করে, আদালত, আদালতের কথিত পিপি, আদালতের বিসিএস ক্যাডার হওয়া ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা জাজ প্রত্যেকেই সেই নিরীহ ভিক্টিমের বিরুদ্ধে দানব হয়ে এক দৈত্যাকার হিংস্রতার দেয়াল গড়ে তোলে। এবং সেই দেয়ালগুলোর ডেকোরেশনের জন্য এগিয়ে আসে কথিত আইনের লোক অনেকক্ষেত্রে কথিত মানবাধিকার কর্মী এবং প্রথম আলোর মত মিডিয়াগুলো। আমি এক এক করে লিখছি। এবং হাসিনার প্রতিষ্ঠিত এই নষ্ট ইকোলজিকে যদি ধ্বংস করতে না পারেন তাহলে বিপ্লব বলেন আর গণঅভ্যুত্থান বলেন কোনটাই আপনাকে মুক্তি দিতে পারবে না।
…
গুম কমিশনের প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী বৃহস্পতিবার প্রথম আলোতে একটি সাক্ষাৎকার দেন সেখানে তিনি বলেন,
...
"আমাদের কাছে গুমের ঘটনায় যে অভিযোগগুলো এসেছে, সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখেছি। ধরা যাক, জঙ্গি সন্দেহে ১০০টি গুমের ঘটনা ঘটলে তার মধ্যে ৮০টিরই জঙ্গি–সম্পৃক্ততার অভিযোগ মিথ্যা ছিল। বাকি ২০ শতাংশ সত্য হলেও হতে পারে।"…

আমি মনে করি এটা এক ভয়াবহ স্বীকারোক্তি। গত সময়ে সন্ত্রাসবাদীতার অভিযোগে যাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এদের বেশিরভাগকেই প্রথমে গুম করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এদের সাথে রাষ্ট্র আর এই প্রথম আলো মিডিয়াই কি আচরণ করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থাৎ জনাব মইনুল ইসলামের বক্তব্যকে যদি বাস্তব (আসলেও বাস্তব) হিসেবে গ্রহণ করি তাহলে একটা ন্যারেটিভ দাড় করাতে হয়। সন্ত্রাসবাদীতার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত একশ জনের একশ জনেরই মানহানি করার ব্যাপারে রাষ্ট্র এবং সেক্যুলার মিডিয়ার ভূমিকা ছিল একশতে একশ পার্সেন্ট। যদি ঐ একশ জনের মধ্যে আশি জনেরই সন্ত্রাসবাদিতার সাথে নূন্যতম সম্পর্কও নেই। বাকি বিশ জনের ব্যাপারে আদৌ সত্য কিনা তাও বলা সম্ভব নয়। অর্থাৎ তা তদন্তের বিষয়। কিন্ত আশি জন যে নিষ্পাপ এবং তারা যে হাসিনার কায়েম করা বাস্তুতন্ত্রের ভুক্তভোগী তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
…
এরপর আমরা যদি দেখি হাসিনার পতনের পরে এখন পর্যন্ত যে কয়টা জঙ্গি নাটক নিয়ে মিডিয়া গুলোতে রিপোর্ট হয়েছে তার একটার চার্জশিটের সাথেও সে সময়ে পুলিশের বলা ঘটনার কোন মিল নেই। রেফারেন্স হিসেবে যদি আমার দেশ পত্রিকার গতকালকের রিপোর্টটি সামনে আনি তাহলে দেখবেন মনিরুল ইসলাম মিডিয়ার সামনে যা বলে বিষয়টাকে একটা সাসপেন্স দিয়েছিল তার কিছুই চার্জশিটে উল্লেখ নেই। কিন্ত চার্জশিটও মনিরুলের টিমেরই বানানো। কেন , এমন হল ? মনিরুল কেন ভালো করে তার বানানো নাটকের সাথে মিল রেখে একটা চার্জশিট বানাতে অক্ষম হল ! এর সহজ উত্তর হল কাউকে সন্ত্রাসবাদিতার অভিযোগ দিয়ে নাটক মঞ্চস্থ করে গ্রেপ্তার করার পর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হিসেবে যদি সাদা কাগজও দেওয়া হত তাহলে তাও কোর্ট কতৃক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। অর্থাৎ হাসিনার আমলে একজন মুসলিমের জীবনের দাম পোকা মাকড় থেকেও কম ছিল। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনাই যথেষ্ট। এবং মনিরুলও এটা জানত। অর্থাৎ বিচারকদের সামনেও ঐ চার্জশিট পড়ার কোন দরকার ছিল না। যখনই জানা যেত, যে এই ব্যক্তিকে সন্ত্রাসবাদির তকমা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঠিক তখনই সে মানবিক স্থান হারিয়ে ফেলে। সেই বিচারকেরা এখনও আমাদের কোর্টের আসনগুলো অলঙ্কিত করে চলেছে।

। যেহেতু এর আগেও এরকম নাটক করে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপরে শেষ বাক্যটুকু দেখন, “ গ্রেপ্তার হওয়ার পর মেয়ের খোঁজ নিতে তিনি নরসিংদীতে যাননি"। ভাবখানা এমন মেয়ে জঙ্গি অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে তাই তার পরিবারও মেনে নিয়েছে তাদের মেয়ে আসলেই জঙ্গি এ কারণেই ঘৃণায় সেই মেয়ের খোঁজ নিতে আর নরসিংদী যায় নি। চিন্তা করুন, প্রথম আলোর রিপোর্টার কোন পর্যায়ের শয়তান হলে যে বাক্যতে একটি পরিবারের অসহায়ত্ব প্রকাশ পায় সেই বাক্যটিকেই সে ভিক্টিমের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। এসব জঙ্গি নাটকের পরে তৎকালীন সময়ে স্পষ্টই কোন পরিবারের পক্ষে তার পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নেওয়ার সুযোগ রাখা হত না। যেখানে চার্জশিটেরই দরকার পড়ে না সেখানে খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করা তো দূরের কথা।
…
প্রথম আলোতে এই রিপোর্টটই যে লিখেছিল তাকে সিটিটিসি সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কৃত ২০১৯ সালে পুরষ্কৃত করে। তার নাম 'শেখ সাবিহা আলম'। এই সাবিহা আলম একজন নিজে মেয়ে হয়ে এরকম অসংখ্য মেয়ের জীবনকে তছনছ করে দিতে তার একটুও বাঁধে নাই। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এরকম কাল্পনিক রিপোর্ট লিখে সে অনেক সুযোগ সুবিধাও বাগিয়ে নিয়েছে। সে এখন এ এফপি-র বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি। অর্থাৎ বাংলাদেশকে বহিবির্শ্বের জন্য হুমকি হিসেবে দাড় করানো তার জন্য ওয়ান টু-র ব্যাপার।
…
যাই হোক, মূল কথায় আসি। এত কিছুর পরেও আমাদের ভিক্টিমেরা কেন ডিফেমশন কেস করতে সাহস পায় না ? এর সহজ উত্তর হতে পারে এই পুরো পরিবেশটাই সাবিহা আলমদের মত শয়তানদের দিয়ে ভর্তি। হাসিনাই এই এনভায়োরেনমেন্ট দাড় করিয়েছে যেখানে একজন মুসলমানের কোন সাহায্য থাকবে না। এসব স্থানে কেস করা মানে হল আরো ঝামেলাতে জড়িয়ে পড়া। জুলাই আগস্টের অভ্যুত্থান হাসিনার কায়েম করা এই সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করতে না পারে তাহলে যত যাই হোক, এই অভ্যুত্থান আমাদেরকে নতুন কিছু দিতে পারবে না।

…
আমার এই স্ট্যাটাস সংশ্লিষ্ট রেফারেন্স প্রতিবেদনগুলোর লিঙ্ক কমেন্ট বক্সে দেওয়া থাকল।

সাওয়াবুল্লাহ হক

পশ্চিমে ডানপন্থী রাজনীতিকে সাধারণত ধরা হয় ফ্যাসিবাদী রাজনীতি হিসেবে। বাস্তবেও তাই। আমেরিকার রিপাবলিকান পার্টির MAGA (Make America Great Again) Faction বাদে বাকি অংশটা মোটাদাগে ফ্যাসিস্ট ফিচারগুলোর অধিকাংশই ধারণ করে; মিলিটারিলি এক্সপ্যানশনিস্ট, কর্পোরেটোক্রেইটিক, জিঙ্গোইস্টিক। ওদের লিবারাল পলিসিগুলোতেও ফ্যাসিস্ট আচরণ আছে, বিশেষ করে যখন ফরেইন পলিসি হিসেবে সেগুলো এ্যাপ্লাই হয়। ফ্রান্স, জার্মানী, ইতালী, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ড, স্পেইন, সুইডেন, হাঙ্গেরী- এই সবগুলো দেশে ডানপন্থী দলগুলো চরমমাত্রার ফ্যাসিস্ট।

মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ইরান আর সৌদি আরব বাদে মোটামুটি বাকি সবগুলো দেশের ডানপন্থীরাই গণমুখী রাজনীতির সাথে জড়িত। এবং এসব দেশে দেখা যায় লিবারাল, সেক্যুলারপন্থার রাজনীতি মোটাদাগে ফ্যাসিস্ট। এরা আবার গণতান্ত্রের ধ্বজাধারী দেশগুলো দ্বারা ব্যাকড। বাংলাদেশেও ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটাইছে বামেরা।

পশ্চিমা দেশগুলোর ডানপন্থা মানে ফ্যাসিজম আর মুসলিম দেশগুলোর ডানপন্থা মানে এ্যান্টি-ফ্যাসিজম। এটা কেন? ভেবেছেন কখনো? ভাবতে গিয়ে আমার মাথায় ঘুরছিলো ভেবার, স্টার্ক, ফারগুসনদের কথা; যারা পশ্চিমের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য তাদের ধর্মকে অন্যতম অনুঘটক হিসেবে দেখিয়েছিলো। আর অন্য অঞ্চলের অর্থনৈতিক দারিদ্রতার জন্যেও তাদের ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে দায়ী হিসেবে দেখিয়েছিলো। আমি তাদের থিওরিকে সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছি কী না সেটা জরুরী না। কিন্তু মাথায় ঘুরছিলো আরকি।

আব্দুল্লাহ আল রাইহান

দেশের অন্যতম প্রয়াত বাম তাত্ত্বিক জনাব সরদার ফজলুল করিম একস্থানে বলেন,

“ ইন্টারভিউ কার্ড নিয়ে আমি কলকাতায় যাই। রাইটার্স বিল্ডিংয়ে না গিয়ে আমি প্রথমে গেলাম কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে। সেখানে মুজাফফর আহমেদ (যাকে আমরা কাকাবাবু বলতাম), নৃপেন চক্রবর্তী (যিনি পরে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন)। আমি হাসতে হাসতে বললাম, ‘আমি তো বিলেত যাচ্ছি।’ ওঁরা শুনে হাসতে হাসতে ঠাট্টার ছলে বললেন, ‘আপনি বিলেত যাবেন আর আমরা এখানে বসে ভেরেণ্ডা ভাজবো? কাঁথা-কম্বল নিয়ে পার্টি অফিসে চলে আসেন।’ তো কাঁথা-কম্বল নিয়ে পরের দিন আমি পার্টি অফিসে যাইনি কিন্তু ইন্টারভিউ কার্ডটা ছিঁড়ে ফেলেছিলাম।"
…

এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশে বামেরা একাডেমিকভাবে কেন এত শক্তিশালী অথবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের কেন এত সরব অবস্থান পাওয়া যায় তার উত্তর খুঁজতে গেলে হয়তবা এরকম অনেক বাম তাত্ত্বিকদের কোরবানিই প্রকাশ পাবে। বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে, মফস্বলে কোনখানে বামদের পক্ষে আহামরি কোন সমর্থন পাবেন না। তাদের জনসমর্থন অন্যান্য দলের জনপ্রতিনিধিদের তুলনায় অনেকটা শূন্যের কোঠায়। তারপরেও দেখবেন বাংলাদেশের নীতি নির্ধারনে সর্বস্থানে ছড়ি ঘুরাতে যাদেরকে পাবেন আপনি ড্যাম সিউওর থাকেন তাদের জীবনের কোন না কালে তারা বামকাল কাটিয়ে এসেছেন।
…
বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণীতে যে ইসলামিস্টদের কোন অবস্থান নেই এর একচ্ছত্র অবদান বামদের। আওয়ামী লীগের মত একটি গণমানুষের রাজনৈতিক দলকে যে এ দেশের মুসলিমদের বিরুদ্ধে পরিচালনা করা হয়েছিল এবং ভবিষ্যতেও হবে এর পুরো অবদানই বাম তাত্ত্বিকদের। কথিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী রাজনীতির ব্যর্থতা শেষকালে গিয়ে ঠেকেছে ইসলামিস্টদের ঠেকানোতে গিয়ে। ইসলামিস্টদের ঠেকানোটাই হল সাম্রাজ্যবাদীদের ঠেকানো। এমনকি বামতাত্ত্বিকদের দ্বারা এ দেশের সাধারণ মানুষও ব্রেইন ওয়াশড। বাংলাদেশের মুসলিমেরা পলিটিক্যালি অ্যাক্টিভ হয়ে উঠলে এই দেশ আমেরিকা দখল করে নিবে এই ভয়টাও বামদের আবিষ্কার। এখন অনেকেই দেখছি বামদের এই তত্ত্ব ধার করে নিচ্ছে। তারা শরীয়াহ-র ডাক শুনলেই আমেরিকার পদদ্ধনি শুনতে পায়। ডাবল ফেইসড চেহারার এই মানুষেরা একদিকে আপনাকে বামদেরকে ঘৃণা করতে শিখাবে আরেক দিক থেকে আপনার নিকটে বামদের তত্ত্ব বিক্রি করবে। বাংলাদেশে মূলত বামরাই চায় না যে এ দেশের সন্তানেরা মুসলিম পরিচয় নিয়ে বড় হয়ে উঠুক। এজন্য বইতে কি থাকবে কি থাকবে না এই নির্দেশনাও বামদের থেকেই আসে। এবং বামদের নির্দেশনা শক্তিশালী নির্দেশনা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। আমাদের দেশের সন্তানেরা মুসলিম না হয়ে কথিত বাঙ্গালী পরিচয় নিয়ে বড় হয়ে উঠুক এটাও বামদেরই চাওয়া।
…

আপনাদের নিকট আমার প্রশ্ন, আপনাদের মাথাতে কখনো কি এই প্রশ্নটা আসে নি, যে দলের পলিটিক্যালি কোন জনসমর্থন নেই সেই দলটি নীতি নির্ধারনীতে এত শক্তিশালী হয়ে উঠল কী করে ?
…
আমি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মোটা দাগে দুটো কারণ দেখতে পাই।
…
এক, দেশ বিভাগ পরবর্তী সময়ে মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী মুসলিম পরিবারের সন্তানেরা কখনই তার ধর্ম কেন্দ্র করে কোন আদর্শ লালন করতে পারে নাই। তার ভোগবাদী নীতি তাকে শুধুমাত্র একটা কেরানি পর্যায়ের চাকরি যুগিয়ে দিতে পেরেছে মাত্র কিন্ত এর সাথে সাথে একটি লম্বা সময়ের জন্য মুসলিম আদর্শকে ভুলে যেতে হয়েছে। আশি নব্বই দশক ছিল সবচেয়ে শোচনীয় যুগ সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পাশ করা মুসলিম পরিবারের সন্তানেরা রাজনৈতিকভাবে ইসলাম চিন্তা করা তো দূরের কথা তাদের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জীবনেও ইসলাম ছিল না। এই দশকগুলোর মুসলিম আমলারা দাড়ি বিহীন সুটেড ব্যুটেড হবে এটাই যেন শেষ কথা। তারা মুসলিমদের আদর্শকে সর্বদিক থেকে ডুবিয়েছে। এদের নির্লিপ্ততাই মূলত বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোতে ইসলামোফোবিয়াকে স্থায়ীভাবে গেথে দেয়। যে মুসলিম সন্তানেরা ইসলামের নাম দিয়ে জনপ্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছিল তারাও ইসলামকে শুধুমাত্র এবং একমাত্র কালচারালি গ্রহণ করতে চেয়েছিল বাদবাকি পলিটিক্যালি তারা কখনোই ইসলামকে গ্রহণ করতে পারে নাই। তমদ্দুন মজলিশ চেয়েছিল ইসলামিক সমাজতন্ত্রকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিখাগোষ্ঠী মুসলিমদেরকে নবজাগরণের দাওয়াত দিয়ে মুসলিমদেরকে তার মৌলিক পরিচয়ের বিরুদ্ধেই ঘৃণা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এছাড়া বাদবাকি পুরো একটা অংশ ভোগবাদীতার সমুদ্রে কেরানি হওয়ার স্বপ্নে জীবন পার করে। এই মুসলিম সন্তানদের নির্লিপ্ততার সময়টাকে কাজে লাগায় বাম সন্তানেরা। তারা তাত্ত্বিকতা হিসেবে গ্রহণ করে বামতন্ত্রকে। এবং একেই মানুষের মুক্তির পথ মনে করে একে আঁকড়ে ধরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক, ছাত্র বামের আদর্শকে লালন করা শুরু করে। তারা মনে করে কলোনিয়াল শক্তির বিরুদ্ধে মুক্তি এনে দিতে পারবে বামের রাজনীতি। এবং নিজস্ব আবিষ্কৃত মতবাদে তারা শিখাতে চায় নন আইডেন্টিটি পলিটিক্স। যেখানে ধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থানই যেন মূল অবস্থান। তারা মানুষকে গিলায়

ধর্মের আইডেন্টিটিই মানুষে মানুষের বিরোধ আনে [এই পরাজিত তত্ত্ব ইদানিং আবার ফরহাদ মাজহার কে প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে] । সেই সময়টাতে বামদের শিকড় এত গভীরে গিয়ে প্রোথিত হয়েছে যে সেই তুলনায় এই বঙ্গের মুসলমানেরা তাদের শিকড় পৌছানোতো দূরের কথা তারা যেন কোন চারাই রোপন করতে শিখে নাই।

…
দুই, বামদের কোরবানি। প্রথম যুগের বাম তাত্ত্বিকদের বড় একটা অংশই সরদার ফজলুল করিমের মত কোরবানি করে। এমনকি বামদের ভাষাতে এখন যারা বুর্জোয়া হয়ে উঠেছে তাদের জীবন ঘাটলেও আমরা একটা সময় পর্যন্ত তাদের কোরবানি দেখতে পাই। সরদার ফজলুল করিম বিলেতে না গিয়ে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন তখন স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় বাম আদর্শ আরো পরিস্ফুট হওয়ার সুযোগ পায়। কিন্ত ঠিক এই সময়টাতেই মুসলিম শিক্ষকেরা কতটুকু পলিটিক্যালি ইসলাম আদর্শকে সামনে রেখে অ্যাক্টিভ ছিলেন সেই প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি।
…
মোদ্দাকথা, মুসলিম সন্তানেরা যখন নির্লিপ্ত থেকে ভোগবাদিতায় মজে ছিল তখন বাম সন্তানেরা তাদের বাম আদর্শ নিয়ে পলিটিক্যালি অ্যাক্টিভ হয়ে উঠে যার ফসল তারা এখনো পেয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মুসলিম সন্তানেরাও এখন পর্যন্ত পলিটিক্যালি অ্যাক্টিভ হয়ে উঠতে পারে নাই। বামেরা যেখানে তাদের বস্তাপচা আদর্শকে যুগের পর যুগ ধরে প্রচার করে যাচ্ছে সেখানে আপনি 'গোসল করে না' এই টাইপ কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালি ন্যারেটিভ দাড় করাতে পারবেন না। আপনি যদি সফলতা হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় বড় আলেমদের ডেকে সেমিনার করতে পারা তাহলে বলব আমাদের ঘোর এখনো কাটে নাই। আগস্টের পরে ডিসেম্বর এসে ঠেকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোন সন্তানেরা একত্র হয়ে শরীয়াহকে সামনে রেখে কোন দল কার্যকর হয়ে উঠতে পারল না কেন সেই প্রশ্ন সামনে আসা উচিত বলে মনে করি। বরং উল্টোটাই দেখতে পাচ্ছি , বিশ্ববিদ্যালয়ের দাড়ি টুপি ওয়ালা সন্তানেরাও দেখি শরীয়াহর বিরুদ্ধে পোস্ট দিলে ভালোবাসা জানায়। আর যারা শরীয়াহকে প্রাধান্য দেয় তাদেরকে জ...ongi হিসেবে সাব্যস্ত করতে দ্বিধা করছে না। দাড়ি টুপি রেখে ভাসানি হয়েছিল রেড মাওলানা। এরা কী এখন নিজ কওমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অরেঞ্জ মাওলানা হতে চায় ? যে সন্তানেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন তারা দয়া করে আমাদের পূর্বসুরীদের ভুলে ভরা গর্বকে আর টেনে বেড়াবেন না। দয়া করে আল্লাহ্‌র নাম নিয়ে শরীয়াহকে সামনে রেখে পলিটিক্যালি অ্যাক্টিভ হয়ে উঠুন। মনে রাখবেন শরীয়াহকে ভালোবেসে আপনি যে নবজাগরণের উন্মেষ ঘটাবেন তার ফলাফল ইনশাআল্লাহ আগামি ভবিষ্যতের সন্তানেরা যুগের পর যুগ পেতে থাকবে।

সাওয়াবুল্লাহ হক

নিলুফার ভিলায় জঙ্গি নাটকের নেপথ্য কাহিনি

বিনাবিচারে ৬ বছর জেলে মানারাতের দুই ছাত্রী

একটা সমকামী পুরুষ কাপল একটা ছেলেকে দত্তক নেয়। মাইনর। তারপর রাতের পর রাত ছেলেটাকে ধর্ষণ করে দুইজন মিলে। আল্লাহ তায়ালা লুত আলাইহিসসালাম এর সম্প্রদায়কে এমনি এমনি ধ্বংস করে নাই। সমকামিতা বিকৃত আচরণের বাউন্ডারি।

সুত্র- https://www.hindustantimes.com/trending/gay-couple-gets-100-years-in-jail-for-raping-adopted-sons-recording-porn-in-house-of-horrors-101735018403625.html

ক্যাপশন: এম জে বাবু

দ্যা টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এই আর্টিকেলের মূল বক্তব্য হলো সংসার পোক্ত করতে চাইলে বউকে মাঝেমধ্যে অন্য পুরুষের কাছে যেতে দিন। এ দাবিটা করা হচ্ছে আবার কিছু 'সোশ্যাল ও সায়েন্টিফিক' কিছু স্টাডির ভিত্তিতে।

জ্ঞানের কাঠামো কতোটা কলুষিত হতে পারে, সুখের ধারণা কতোটা বিকৃত হতে পারে, প্রগতির ধারণা কতোটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হতে পারে, অধিকারের ধারণা কতোটা সমাজবিধ্বংসী হতে পারে -- এটা আধুনিক সমাজ না দেখলে জানা যেত না।

ঠিক কতোটা অন্ধকার হলে একটা সভ্যতার কর্ণধাররা এভাবে চিন্তা করতে শেখায়?

একেই_বলে_সভ্যতা
জীম তানভীর

https://t.me/newsboxbangla/33111

পড়া মনে থাকে না?
সমাধান: দুরুদ

মেধা কম?
সমাধান: দুরুদ

আমলে মন বসে না?
সমাধান: দুরুদ

দ্রুত হজ-উমরায় যেতে চান?
সমাধান: দুরুদ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখতে চান?
সমাধান: দুরুদ

হাশরে তাঁর অবধারিত সুপারিশ পেতে চান?
সমাধান: দুরুদ

জান্নাতে তাঁর কাছাকাছি থাকতে চান?
সমাধান: দুরুদ

আল্লাহ তাআলার প্রিয় হতে চান?
সমাধান: দুরুদ

দুরুদে-দুরুদে ঝলসে যাক আমাদের যবান। জিহ্বা যেন সাক্ষ্য দেয়, তাকে দিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্চারণ করা হয়েছে দুরুদ— সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

মাওলানা তানজীল আরেফীন আদনান

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়:

গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইসরায়েলের হামলার ফলে ৩৭ জন নিহত ব্যক্তির মৃতদেহ হাসপাতালে এসেছে এবং ৯৮ জন আহত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন যা নথিভুক্ত করা হয়েছে।

— আলজাজিরা

#GazaGenocide #Gaza #PALESTINE #Health@newsboxbangla

আল্লাহকেও ভয় পায় না।

তথাকথিত মেইনস্ট্রিম মিডিয়া যা কখনও হাইলাইট করবে না।

অমুসলিমদের মোকাবেলায় কখনো মুমিনকে তুলনা করা যাবে না। চাই মুসলিমের আখলাক যতই খারাপ হোক আর কাফেরের আখলাক যতই ভালো হোক। আল্লাহ এটাকে অনেক বেশি অপছন্দ করেন।

মাওলানা আব্দুল মালেক
৪ অক্টোবর ২০২৪ ইং
মাসিক ইসলাহি মজলিসের বয়ান।
আব্দুল্লাহ বিন বশীর হতে।

শায়খ মিজানুর রহমান আজহারী হাফিজাহুল্লাহ দেশে এসেছেন, আলহামদুলিল্লাহ।

ওনার মতো জনপ্রিয়তা খুব কম আলিমেরই আছে।

প্রচলিত ধারার বাইরে ওনার আলোচনার টপিক রাখলে আমরা উপকৃত হবো। অনেকেই বলার সাহস করেন না এমন টপিকে তিনি কথা বললে ভালো হয়।

আমরা যখন শিবির করতাম তখন শিবিরে আজকের মতো এতো এতো বুদ্ধিজীবী ছিলো না। আমরা সাঈদী হুজুররে ভালোবাসতাম, দেশে খেলাফত চাইতাম, কুরআন-হাদীস থেকে জিহাদের আয়াতগুলা বেশি বেশি পড়তাম, মৌদুদী-বান্না-কুতুব পড়তাম আর হৃদয়ে শহীদী তামান্না লালন করতাম, নেতৃবৃন্দের নির্দেশে জিহাদী জযবা নিয়ে রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করতাম। আমরা ছিলাম রিয়েল তৌহিদী জনতা।

এখনকার শিবিরের ছেলেরা অনেক স্মার্ট। তারা আমাদেরকে ‘ক্ষ্যাত’ ভাবে, দেশে গণতন্ত্র চায়, সেক্যুলারদের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সহাবস্থান চায়, জঙ্গীবাদের তারা ঘোর বিরোধী। মুফতি মেঙ্ক, ইয়াসির কাযী, নুমান আলী খান প্রভৃতি উঁচু জাতের লেখকদের বই পড়ে তারা। ‘তৌহিদী জনতা’ তাদের কাছে একটা গালি। তারা আমাদেরকে তৌহিদী জনতা বলে গালি দেয়।

- মাসুম হাফিয

বগুড়ায় আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে বাড়ির বারান্দায় চিরকুট ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।

ড. ইউনুস ক্ষমতায় বসেই বললেন, আপনারা মন খুলে সমালোচনা করুন।

আমরা খুশি হলাম। দালালকে দালাল বললাম, চেতনাব্যবসায়ীকে বললাম চেতনাবাজ। পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানি করতে চাওয়া সামিনা লুৎফাদের মুখোশ উন্মোচন করলাম, ক্ষমতার বলয়ে দালাল প্রথমালো গং এর প্রভাব নিয়ে কথা বললাম।

৫ মাস পার হলো। এলো সাইবার বুলিং আইন। ড. ইউনুসের কথার মেয়াদ যে পাচ মাস ছিলো - সেটা বুঝলাম। ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে বাক স্বাধীনতার মেয়াদ কমাতে হয় - এটা তো হাসিনার শেখানো৷ তারা দ্রুত শিখছে৷

- ডা. মেহেদী হাসান

গণ অধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খান এর ফেসবুক পোস্টটা দেখুন।

আমার অসংখ্য বক্তব্যে আমি বলেছি ৭১ এর পর শেখ মুজিব পাকিস্তানি আমলাদের মাধ্যমে দেশ চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। ঠিক অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানও শেখ মুজিবের পথেই হেঁটেছেন। তিনিও আওয়ামী আমলাদের মাধ্যমে দেশ চালাচ্ছেন। তাকে বোঝানো হয়েছে, আ.লীগের পর একমাত্র বিএনপি-জামায়াত পন্থী পর্যাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা সরকারে রয়েছে। এখন আমরা কি বিএনপি-জামায়াতকে স্পেস করে দিবো নাকি আওয়ামী কর্মকর্তাদের চাপে রেখে দেশ চালাবো? বিএনপি-জামায়াত ঘরানার কর্মকর্তাদের ঠেকাতে সরকার আওয়ামী পন্থীদেরকেই বেছে নেয় নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জায়গা করে দিতে। কোলের মধ্যে সাপ রেখে, সাপকে পোষ বানানোর চিন্তা। কিন্তু এরা যে ছোবল দিয়ে প্রাণটা শেষ করে দিবে, সেই ভয়াবহতা বোঝার সক্ষমতা সরকারের নাই। আমরা বারবার বলে এসেছি, আগে সবাই মিলে আ.লীগ ঠেকান। ন্যূনতম আগামী ১০-১৫ টা বছর জাতীয় ঐক্য ও সংহতি মজবুত রাখুন। সবাই মিলে দেশ চালানোর বন্দোবস্ত তৈরি করুন। কিন্তু সরকারের সহায়তায় একমাত্র নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে গিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তিকেই বানানো শুরু হলো জুলাই স্পিরিট বিরোধী শক্তি। জাতীয় ঐক্য ও সংহতি ভেঙে যাওয়ার সাথে সাথে এখন শুরু হয়েছে আ.লীগের খেলা। এই ঐক্য ও সংহতি ভেঙে ফেলতে চমৎকারভাবে সফল হয়েছে ভারতীয় র ও আ.লীগ। এখন আমাদের আর বাঁচার কোন উপায় নেই। এখন থেকেই এভাবে ছোবল মারবে পতিত স্বৈরাচার ও ভারতীয় দোসররা। এর দায় সম্পূর্ণ ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের।

৮ মিলিয়ন আমিরিকান পুরুষদের অনলিফ্যান একাউন্ট আছে আর ১.৮ মিলিয়ন মেয়ে অনলি ফ্যানে জড়িত। ক্রিয়েটরদের মধ্যে ৭০% মেয়ে। শখের আমিরিকা। পর্ন ইনডাস্ট্রি ধ্বসে পড়ার নতুন পাপের রাস্তা বের করছে। যৌনতাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন? ওইখানে পতিতাবৃত্তি, যৌনকার্জ খুব কম বয়স থেকে জড়ানো যায়। আমাদের মত ৩০ বছর পর্যন্ত ভার্জিন থাকে না। তাহলে ভার্চুয়ালে কেন এত আকৃষ্ট হচ্ছে?

উত্তর , বিকৃত মস্তিষ্ক। টাকা যেমন সুখের একটা অংশ, সব সুখ না। যৌনতাও জীবনের অংশ। পুরো জীবন না। কিন্তু পশ্চিমে যৌনতায় আসল জীবন। যৌনতা এমন জিনিস , এটাকে যত বেরী দিয়ে রাখা যায় তত ভালো। ছেড়ে দিলে লাগামহীন হয়ে যায়।

বাংলাদেশেও দেখা যাচ্ছে সে ট্রেন্ড। এখানে ওইখানে বাচ্চা পাওয়া যায়। রুম ডেইট যেমন কমন বিষয়। সেক্স চ্যাটিং, ন্যুডের চালাচালি যেন ভাত খাওয়ার মত।

একটা পুরুষ যার মাথায় সারাক্ষণ যৌনতা ঘুরে সে আজকাল ভালো পুরুষ, একটা মেয়ে নিতম্ব আর স্তন দেখিয়ে বেড়াতে পারলে সে মেয়ে আসল মেয়ে।

আজকাল মানুষ আর কুকুরের মধ্যে পার্থক্য নাই। মানুষকে আলাদা করে প্রিন্সিপাল। সেটাই আজকাল মানুষের মধ্যে নাই।

উন্নত রাষ্ট্র পশ্চিমা আইডিওলজির ভূমি আব্বো আমিরিকা যদি নারী স্বাধীনতার এত উন্নয়ন করে থাকে তাহলে সেখানে ১৮ লক্ষ নারী পতিতাবৃত্তি কেন বেছে নিচ্ছে? নারীকে পতিতা বানানো এর থেকে সস্তা আর কী হতে পারে?

আমাদের মেয়েরাও পশ্চিমা ফাঁদে পা দিচ্ছে, যেমনটা দিয়েছিল পশ্চিমের মেয়েরা ১৯৫০-৬০ এর দশকে। ফলাফল, মেয়েদের আবাস্থল হচ্ছে ভার্চুয়াল ব্রোথেলে।

আফসোস, আফসোস , আফসোস।

- এম জে বাবু

চীন বা ইরান হলে পাঠ্যবই ছাপাতে যে ইচ্ছাকৃত গড়িমসি করছে, সেই নেতাকে শহরের রাস্তায় ঝুলিয়ে রাখা হতো।

এজন্যই ওসব দেশে বিপ্লব টিকে আছে কিন্তু বাঙালির বিপ্লব টেকে না।

আমি গত একদিন পর্যন্ত দেখার চেষ্টা করেছি যে আমার দেশ পত্রিকার গ্রাউন্ড ব্রেকিং রিপোর্ট 'ডিবি থেকে নিয়ে ৯ তরুণ খুন' এটা নিয়ে কে কে আলোচনা করছে। কিন্ত আশ্চর্য হলেও সত্য কথিত সুশীলেরা হাসিনা সরকার আমলের নানা অপরাধ নিয়ে নিয়মিত ভিডিও করা কিংবা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিলেও 'আমার দেশ' পত্রিকার এই রিপোর্টটি কাউকে শেয়ার দিতে দেখি নাই। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে শুধুমাত্র প্রেস সচিব জনাব শফিকুল আলমকে শেয়ার করতে দেখেছি। তাও ইনসিগনিফিক্যান্ট ওয়েতে। কেননা সরকারি পদে থেকে একটা অপরাধের বিস্তারিত জেনে সে শুধুমাত্র শেয়ার দিয়েই বসে থাকতে পারেন না। ঘটনা যদি বাস্তব হয় তাহলে একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে অবশ্যই তাকে কোন না কোন অ্যাঙ্গেলে সেই অপরাধের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। এমনকি সে কোন মন্তব্যও সংযোজন করে নাই।
...
এই এলিট শ্রেনীকে ফলো করে কথিত এলিটের সিড়িতে চড়তে বসা ব্যক্তিরাও আমার দেশের এই খবরটি শেয়ার দেয় নি। অর্থাৎ তারা মানসিকভাবেই সেক্যুলার লিবারেল মিডিয়ার নিকট নিজের চিন্তাভাবনাকে বন্দি করে দিয়ে আসছে যে কথিত সেক্যুলার লিবারেল মিডিয়া ছাড়া অন্যরা যা ছাপায় তা প্রোপাগান্ডা। তাই তাঁর কথিত বায়বীয় এলিট স্ট্যাটাসকে সে 'আমার দেশ' পত্রিকার নিউজ শেয়ার করে প্রশ্নবিদ্ধ করতে রাজি না।।
...
আমার বেশ কিছু হত্যা, ক্রাইম, গণহত্যা ইত্যাদি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার খবর কিংবা ডকুমেন্টশন পড়ার সুযোগ হয়েছে। আমার দেশের এই রিপোর্টের পূর্বে আমি কয়েক মাস আগে নিউ ইয়র্কারের একটি রিপোর্ট ছিল 'হাদিথা ম্যাসাকার' নিয়ে সেটা পড়া এবং পডকাস্ট শোনার সুযোগ হয়েছিল। ঐ ম্যসাকারের কিছু ছবি এবং তথ্য উদ্ধারের জন্য নিউ ইয়র্কার ইউ এস নেভি, মেরিন কর্পস এবং ইউ এস সেন্ট্রাল কমান্ডের বিরুদ্ধে একটা মামলা করতে বাধ্য হয়। ইনভেস্টিগটিভ জার্নালিজম সহজ বিষয় নয়। বিশেষ করে সেখানে প্রতিপক্ষ যদি থাকে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের অপরাধ যদি হত্যার মত কোন কাজ হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টা আরো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এবং আমি মনে করি বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রে এই কাজটা করা আরো কঠিন কেননা, বাংলাদেশে সরকারি পোস্টে চাকরি করে কাউকে হুইসেল ব্লো করতে পাবেন না যেটা আমেরিকাতে পাওয়া যায়। আমেরিকাতে হুইসেল ব্লোয়ারদের নিরাপত্তার জন্য আইন আছে যদিও সেই আইনের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে রাষ্ট্র চাইলে হুইসেল ব্লোয়ারকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে এবং করেও কিন্ত তারপরেও আমেরিকান কালচারে হুইসেল ব্লোয়ার জন্ম নেয়। কিন্ত বাংলাদেশের কালচারে চাকরিরত অবস্থায় কোন হুইসেল ব্লোয়ারের জন্ম হয় না। গত জাতীয় নির্বাচনগুলো রিগড করার সাথে অসংখ্য সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা জড়িত ছিল ডিসি হতে শুরু করে ইউ এন ও, ওসি, এসপি কে জড়িত ছিল না ? যে কলেজ কিংবা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেই প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল, পিয়ন সবাই জড়িত ছিল ! হাজারের উপর কর্মকর্তা সিস্টেমিক্যালি নির্বাচন কারচুপির সাথে জড়িত আছে। এখন পর্যন্ত কোন একজন কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী কে এ নিয়ে কোন একটা বক্তব্য দিতে দেখেছেন ? সেই ভোটের রাতগুলোর কোন এক বিবরণ পেয়েছেন ? পান নাই। পাবেন সেই আশা করাটাও গুড়ে বালি হতে পারে।
...
তাই স্বাভাবিকভাবেই আমার দেশ রিপোর্টে আমরা পুলিশের কোন সরাসরি বক্তব্য পাই নি । এমনকি যে পুলিশের সাথে কথা বলা হয়েছে সে ভুলে যাওয়ার ভান ধরেছে। একইভাবে চ্যানেল টুয়েন্টিফোর আরেকটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন 'অপারেশন ঈগল' নিয়ে যে রিপোর্ট করেছে কিংবা মানবজমিন কোনটাতেই পুলিশের সরাসরি স্বীকারোক্তি পাওয়া সম্ভব হয় নি। তাই সেক্যুলার এলিটদের সাজানো ন্যারেটিভ, যে ন্যারেটিভ দাড় করিয়ে তারা আমাদেরকে না মানুষ বানায় সেই ন্যারেটিভ ভেঙ্গে ফেলা সহজ কাজ না।
...
সেই ন্যারেটিভ ভাঙ্গতে হলে আমার আপনাকে আমার দেশকে সাপোর্ট দিতে হবে। এই একই রিপোর্ট যদি প্রথম আলো ছাপাত তাহলে মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী হতে শুরু করে জাহেদ'স টেইকস সবাই কথা বলত। কিন্ত তারা সমাজের টিকে যাওয়া সেক্যুলার ন্যারেটিভের বাহিরে যেতে রাজি না। প্রথম আলো জানলেও এটাইপের ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন নিয়ে কোন কথা বলবে না। ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশনে হাজারটা মুসলিম মারা গেলেও তা প্রথম আলোর জন্য মাথাব্যাথা না। বরং এগুলো তাদেরকে উপকার পৌছায়। জুজুর ভয় দেখিয়ে একটা রিক্ত পোক্ত কথিত সেক্যুলার নেইশনের স্বপ্নকে আরো স্বার্থক করে তুলে।
...
তাই যে নয়জন নিহত হল তাদের জন্য আমাদের কথা বলতে হবে। আমার দেশের এই গ্রাউন্ড ব্রেকিং রিপোর্টকে আলোচনাতে আনতে হবে। আমাদের আলোচনা আমরাই আলোচনাতে আনব। এসব ক্ষেত্রে কোন সুশীলগিরীর কোন প্রশ্রয় আমরা দিব না। আমার দেশ পত্রিকার রিপোর্টটি পড়লে বুঝবেন, একাকি থাকা, গরিব, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন এগুলোকে যেভাবে উগ্রতার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল। আপনি আমি চাইলেই সেই ন্যারেটিভকে উলটো করে দিতে পারি। তাই আমাদের ন্যারেটিভ আমাদেরই শক্তিশালী করতে হবে । প্রথম আলো কিংবা ডেইলি স্টারের ন্যারেটিভকে দূর্বল করে তুলতে হবে। রাষ্ট্রকে জবাবদিহি করতে হবে। রাষ্ট্র নিহত আর্মি অফিসারদের

মৃত্যু নিয়ে হলে তদন্ত কমিশন করবে কিন্ত নিরীহ গরীব সন্তানদেরকে জ...ongi বানিয়ে মেরে ফেলা হবে তা নিয়ে রাষ্ট্রের কোন জবাবদিহি থাকবে না, তাহতে পারে না। রাষ্ট্রকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। রাষ্ট্রের স্বীকারোক্তি লাগবে।
...
এজন্য আমার দেশ পত্রিকার অবশ্যই এই রিপোর্টের পরে একটি আফটার ইফেক্টস টাইপ কন্টিনিয়াসলি রিপোর্ট করে যেতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়, আইজিপি, ডিএমপি-র হেড এদের নজরে এই রিপোর্টটি পড়েছে কিনা কিংবা না পড়লে তারা এ ব্যাপারে জানে কিনা জানলে তাদের পদক্ষেপ কি সব কিছু আমাদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এবং আমার দেশ এটা নিয়ে পডকাস্ট করতে পারে। সেই পডকাস্টে যাদের থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে সেগুলো যদি রেকর্ডেড থাকে প্রয়োজনে সেগুলোও সংযুক্ত করা হবে। এভাবেই আমাদের ন্যারেটিভ আশা করি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। বাকিটা আল্লাহ্‌ সহায়।

সাওয়াবুল্লাহ হক

"ভাই নিউট্রাল হইতে শিখো" - দেখবেন এই কথাগুলা প্রাইভেট ভার্সিটিতে অনেকে বলবে কিংবা আপনি যদি ধর্মীয় ভিউ শেয়ার করেন, তারা বলবে, "এগুলো ধর্মীয় যুক্তি। নিরপেক্ষ যুক্তি না।"

"নিউট্রাল" এই শব্দটা ইউরোপিয়ানদের খুবই প্রিয় শব্দ। তারা নিজেদের হিস্টোরিকাল ভার্সন অনুযায়ী তারা যেভাবে খেতে চায়, যেসব পোষাক, যে ধরনের আচরণ এক্সপ্রেস করে সেটাই হচ্ছে তাদের "নিরপেক্ষতা"। কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাস নিউট্রাল না।

কিন্তু তাদের বিশ্বাসের সিম্বল ইউজ করা "নিউট্রাল"। এভাবে মিডিয়া বই নিউজ এবং স্কুল কলেজে রুলস রেস্ট্রিকশন দিয়ে মানুষের ব্রেইন কলোনাইজ করা হয়। যাতে আপনার ভিতর বায় ডিফল্ট সিস্টেম তৈরি হয়- "নিউট্রাল মানেই আমার ড্যাডি যা বলেছে"।

"নিউট্রাল" শব্দ এইজন্যই একটা স্ক্যাম।

- ইফতেখার হুসাইন সীমান্ত

বাংলাদেশ আর্মির অজ্ঞাতনামা একজন মেজরের ওয়াইফ ও সন্তান Bangladesh Police এর Detective Branch (DB) নিয়ন্ত্রিত একটি Detention/Torture Facility তে বন্দি ছিলেন। তাঁদের স্বামী বা পিতা বাংলাদেশ আর্মি থেকে অজানা কারণে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তাঁকে ধরবার জন্য তাঁদের ব্যবহার করা হতো। স্ত্রীকে দিয়ে তাঁর স্বামীকে ফোন করানো হতো!

- শেখ মুহাম্মাদ সেলিম, ব্লাক সাইটের বন্দি।

ওখানে অস্ট্রেলিয়ার একটি রেস্তোরাঁর একজন শেফের স্ত্রী ও তাঁর সন্তানও ছিলেন। দম্পতির শিশু সন্তানটি দামি খাবার ছাড়া কিছু খেতে চাইতো না!

বাংলাদেশ হলো এমন। যেখানে শিশুদের বন্দি করে নির্যাতন করা হয়। শারীরিক না হলেও মানসিক। জীবনসঙ্গীকে খুঁজে পেতে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে সিনেমার কায়দায় জিম্মি করা হয়। এগুলো এখনো রয়ে গিয়েছে। নিজেদের স্বাধীন বলেন!

Revan M

দৈনিক আমার দেশ আজ বাংলাদেশের কথিত 'Counter Terrorism' ও 'Terrorism' এর গোমর ফাঁস করে দিয়েছে। যেখানে বিশেষ করে দু'টি CT অপারেশন নিয়ে রিপোর্ট ফাঁস করেছেন তাঁরা।

যার একটির শিকার ছিলেন সাদ্দাম ও মারজান নামের দু'জন মানুষ। তাঁদের মাঝে মারজানের এতকাল পরিচয় ছিল হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর নারকীয় কাণ্ডের অপারেশন কমাণ্ডার হিসাবে! যেখানে সাদ্দাম ছিলেন মারজানের সঙ্গী ও 'Neo JMB' এর Northern Region Commander!

২০১৭ সালের মার্চ মাসে মারজান ও তাঁর সাথে সাদ্দামকে মুহাম্মাদপুর বেড়িবাঁধ অঞ্চলে Counter Terrorism & Transnational Crime (CTTC) এর অপারেশনে হত্যা করা হয়। অতঃপর আজ আমার দেশ "আয়নাঘরের বন্দি" শেখ মুহাম্মাদ সেলিমের হাত ধরে আমাদের জানিয়েছে যে, মারজান ও সাদ্দাম মূলত প্রাণহানির অনেক আগে থেকে শেখ মুহাম্মাদ সেলিমের সাথে Bangladesh Police নিয়ন্ত্রিত একটি Interrogation & Torture Site এ বন্দি ছিলেন। ২০১৬ সালের জুনের দিকেও তিনি মারজানকে সেখানে দেখতে পান। তাঁকে সাজানো অপরাধে মেরে ফেলা হয়েছিল।

প্রশ্ন হলো -

০১| মারজানকে হলি আর্টিজানের মাস্টারমাইণ্ড হিসাবে পরিচয় দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি এখন ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। তাহলে হলি আর্টিজানের সত্যিকার মাস্টারমাইণ্ড কোথায়?

আমার দেশের রিপোর্টে CTTC এর আরেকটি অপারেশন নিয়েও লেখা হয়েছে। 'Operation Storm 26' নামের অপারেশনটি হয়েছিল ২৬/০৭/২০১৬ তারিখে। সেখানে মারা গিয়েছিল ০৯ জন জঙ্গি। দশম জঙ্গিটি সেদিন নাকি পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে।

কিন্তু, আমার দেশের মতে সেদিনের ১০ জন জঙ্গির সকলে আসলে অনেক আগে থেকে Bangladesh Police নিয়ন্ত্রিত পূর্বের সেই Interrogation & Torture Site 'টিতে বন্দি ছিলেন। সেখান থেকে অপারেশনের পূর্বে তাঁদের বের করে 'Storm 26' এর মঞ্চ তথা কল্যাণপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

আমার দেশের মতে, এই ০৯ জনকে হত্যার মঞ্চ সাজানোর বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন আমাদের দশম জঙ্গি। যিনি এরপর থেকে কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন। আগস্টের ০৫ তারিখে কাশিমপুর কারাগারের ভেতর তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। মারজান ও সাদ্দাম নামক ২০১৭ সালে প্রাণ হারানো দু'জনও 'Storm 26' এর বন্দিদের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তাঁদের তাই ২০১৭ সালেই ভিন্ন একটি গল্পের মঞ্চে ব্যবহার করে নেওয়া হয়েছিল।

প্রশ্ন হলো -

০২| হলি আর্টিজানের নামে এগুলো হয়েছে। এখন প্রমাণিত হলো যে, হলি আর্টিজান তাঁদের কারো কাজ না। তাহলে হলি আর্টিজান কারা করেছে?

০৩| রিপোর্ট অনুসারে কাশিমপুর কারাগারে ক্লিনাররা কাজ করেছে ০৫ আগস্ট তারিখে ও তার পরে। কারা কর্তৃপক্ষের বিষয়ে এজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?

০৪| বাংলাদেশের জনগণ দৈনিক আমার দেশের এমন চাঞ্চল্যকর ও ভয়াল রিপোর্ট পড়ে চুপ করে আছে কেন? এটার সকল দিক নিয়ে কথা বলা দরকার তো!

ধন্যবাদ।

Revan M

ধর্মীয় কোনো ইস্যুতে আঘাত আসলেই উলামায়ে কেরাম এবং ইসলামপন্থীরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। তাই এদের নাম হয়েছে 'প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী'।

অন্যদিকে হাজার অপরাধ থাকা সত্ত্বেও যখন মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট প্রাপ্ত কেউ কোথাও কট খায় অথবা জাতীয় সংগীত পাল্টানোর কথা উঠে - তখন ইন্সট্যান্ট কান্নাকাটি নেমে আসে প্রথম আলো আর ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে।

এমন ইন্সট্যান্ট প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও কিন্তু তাদের নাম 'প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী' হয়নি। তারা হয়েছে 'প্রগতিশীল অংশ'।

ইরফান সাদিক

আর্টস বা কমার্স এ পড়া মেয়ে যখন নারীশিক্ষার গুরুত্ব বুঝাতে বলে "মহিলা ডাক্তার কোথায় পাবেন" মনে চায় কষ্টে আরেকটা বিয়ে করি।

- তুষার

ভাদা = ভারতের দালাল,
পাদা = পাকিস্তানের দালাল

এভাবে 'ব্যালেন্স' করে সুশীল হবার চেষ্টাটা অপ্রয়োজনীয় ছিল। দেশে কোনো পাদা নাই। আর যাদের খুশি করতে চাচ্ছেন ওরা সফট ভাদা। ওরা খুশি হবে না।

জীম তানভীর

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে দিল্লিকে কূটনৈতিক পত্র পাঠিয়েছে ঢাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

– যমুনা টিভি

#BANGLADESH #INDIA

দৈনিক আমার দেশের 'বঙ্গভবনে সেদিন হাত কাঁপছিল রাষ্ট্রপতির' প্রতিবেদনে একটি সত্য তুলে ধরা লেখা হয়েছে 'সরকার গঠন নিয়ে নানা প্রস্তাবের মধ্যে জামায়াতের আমির বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে গেছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি এ সময় আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্রদের জন্য সবার কাছে দোয়া করার আহ্বান জানান।'

জামায়াত আমিরের বক্তব্যের পর শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়। সরকার গঠনের আলোচনায় নতুন মাত্রায় যোগ হয়।

এই সত্যটি প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া কেউই সামনে আনেনি। এমনকি জামায়াত সমর্থিত পত্রিকা দৈনিক নয়া দিগন্তও খবরটি পিক করতে পারেনি।

সেদিন বঙ্গভবনে মির্জা ফখরুল যখন বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সামনে আনেন তখন জামায়াত আমির অত্যন্ত দৃঢভাবে সমর্থন দিয়ে বক্তব্য দেন।

দৈনিক আমার দেশের মত একটি পত্রিকা কেন থাকা জরুরী সেটা নতুন করে বলার প্রয়োজন নাই। দৈনিক আমার দেশের সামনে আগামীদিনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জে সম্ভবত বিএনপি। লেটস সি।

- আরিফ আহমাদ

ফ্যাসিবাদী, গণহত্যাকারী, মানবতাবিরোধী অপরাধকারী আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘রেলিভ্যান্ট’ এবং নির্বাচনে আসতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

— নয়াদিগন্ত

#BANGLADESH

লিবিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি, শেখ সাদিক আল-গরিয়ানি সমস্ত লিবিয়ানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং লিবিয়া থেকে রাশিয়ানদের তাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এক সিরিয়ান পরিবার তাদের মেয়েকে জীবিত দেখতে পেয়ে এভাবেই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে।

পরিবারটি জেনে আসছিল যে, একটি সামরিক চেকপয়েন্টে আটক করার পর আসাদ সরকার তাকে হত্যা করেছে।

আপনার সন্তানের শিক্ষা কাদের হাতে বন্দি?
https://www.facebook.com/share/p/1DqTUkSc9A/

বিবিসির এক নারী সাংবাদিক পোশাকের স্বাধীনতা নিয়ে আ-ফ-গা-নিস্তানের মুখপাত্র আব্দুল কাহার বালখির সাথে দুই বছর আগে একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলো। সেটার ভাবানুবাদ করছিঃ

সাংবাদিকঃ নারীদের বোরকা পরার বিধানটা কেমন, মানে তাদের জন্য এটা পরা জরুরি কেন?

আব্দুল কাহারঃ দেখুন প্রশ্নটা আপনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে করা। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে নারীরা সেক্সুয়ালাইজড কিংবা অব্জেক্টিফাইড হয় এমন কোন কিছু গ্রহণযোগ্য নয়। আমি বোঝাতে চাচ্ছি, মানুষ কিভাবে পরিচালিত হবে সেটা নির্দিষ্ট কিছু মূল্যবোধ বা আইন দ্বারা নির্ধারিত হয় যা সমাজ ভেদে ভিন্ন। এবার আপনার হিজাব সম্পর্কিত প্রশ্নে আসি, বিশেষ করে বোরকার ব্যাপারে। বোরকা আ-ফ-গা-নি-স্তানের একটা স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পোশাক। ইসলাম নারীদের হিজাব পরার কথা বলে যেভাবে মাদার মেরী হিজাব পরিধান করেছেন। যেভাবে ধার্মিক খ্রিস্টান নারীরা নিজেদের আবৃত করে রাখে সেটার সাথে হিজাবের কোন পার্থক্য নেই।

সাংবাদিকঃ কিন্তু মাদার মেরী শত বছর আগে হিজাব পরেছেন আর এখন ২০২২ সাল চলছে!

আব্দুল কাহারঃ শত বছর না, হাজার বছর আগে পরেছেন। আবারও বলছি, এটা মূলত আইনের উৎস সম্পর্কিত ধারণার বিষয়। আমরা বিশ্বাস করি, আইন আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত যিনি এই পৃথিবী, মহাবিশ্ব ও মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন। আপনাকে আমি যে কথাটা বোঝানোর চেষ্টা করছি তা হলো, আপনার বিশ্বাস অনুযায়ী আপনাদের আইন সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন ও বিবর্তনযোগ্য। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস অনুযায়ী আল্লাহর দেয়া বিধানমালা অপরিবর্তনশীল এবং আমরা সেটাই মেনে চলার চেষ্টা করি।

সাংবাদিকঃ তার মানে কি এটা নয় যে আপনারা প্রগতিশীলতাকে ধারণ করেন না কারণ আপনাদের আইন হাজার বছর আগ থেকে আটকে আছে? এটা কি ন্যায্য মূল্যায়ন হলো?

আব্দুল কাহারঃ দেখুন, প্রগতিশীলতা বলতে যদি আপনারা পাবলিক স্ফেয়ারে নারীর নগ্নতাকে বোঝান তাহলে অবশ্যই আমরা সেই প্রগতিশীলতাকে প্রত্যাখ্যান করি। আর যদি প্রগতিশীলতা বলতে আপনারা বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক উন্নতিকে বোঝান তাহলে ইসলামের আদর্শের মাঝেই সেটা রয়েছে। আপনি যদি ইসলামিক ইতিহাস পড়ে দেখেন, দেখবেন মুসলিমরা গণিত, জ্যোতির্বিদ্যাসহ বিজ্ঞানের প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রে অগ্রগামী ছিলো। তাই, আপনারা যদি প্রগতি বলতে নারীদের পর্দাহীনতার কথা বলেন তাহলে সেটাতে আমরা একমত নই, কিন্তু প্রগতি বলতে যদি বিজ্ঞান, সমাজ, অর্থনীতির উন্নতি বলেন তাহলে আমরা সেটা অর্জন করতে চাই।

সাংবাদিকঃ আমার পয়েন্টটা আবার বোঝানোর চেষ্টা করি। আমি নিজে নগ্ন হয়ে রাস্তায় চলাফেরা করি না, আমি সম্মানজনক পোশাক করি এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে নিজের শরীর প্রদর্শন করি না। কিন্তু হিজাবকে আমি অসম্মানজনক মনে করি এই দৃষ্টিতে যে এটা নারীকে লুকিয়ে রাখতে চাইছে এধরনের একটা বার্তা দেয়...

আব্দুল কাহারঃ আমি আপনার শেষ পয়েন্ট অনুসারেই জিজ্ঞেস করছি, নানরা কি নারীদের লুকিয়ে রাখার বার্তা দেয়?

সাংবাদিকঃ ধীরে ধীরে নানরাও এখন সামনে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিশেষ ধরনের পোশাকের অভ্যাস ছেড়ে তারা বের হয়ে আসছেন। তারাও প্রগতিশীল হচ্ছে।

আব্দুল কাহারঃ আচ্ছা, তারমানে পর্দা ছুড়ে ফেলা মানেই প্রগতিশীলতা?

সাংবাদিকঃ নাহ আসলে.....হতেও পারে...

আব্দুল কাহারঃ হতেও পারে? আবার বলছি, প্রগতিশীলতা বলতে যদি বোঝায় মূল্যবোধকে ছুড়ে ফেলা তাহলে আমরা কখনই সেধরনের প্রগতিশীল নই। কিন্তু প্রগতি বলতে যদি বোঝায় বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নতি, তবে আমরা সেটা অর্জন করবো এবং আমরা অতীতে সেগুলোতে অগ্রগামী ছিলাম।

সাংবাদিকঃ আমি আসলে পর্দা ছুড়ে ফেলার সাথে প্রগতিশীলতার সম্পর্ক বোঝাতে চাইছি না। আমি বোঝাতে চাইছি এটা আসলে একান্তই নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ, স্বাধীনতার ব্যাপার। আমার মনে হচ্ছে এখানে মানুষের সেই স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা হচ্ছে।

আব্দুল কাহারঃ পশ্চিমা সমাজের সব জায়গায় কি মানুষের পুরোপুরি নগ্ন হয়ে চলাফেরার স্বাধীনতা রয়েছে?

সাংবাদিকঃ সেখানে মানুষকে নিজস্ব পছন্দ ও ইচ্ছা অনুযায়ী পোশাক পরার স্বাধীনতা আছে।

আব্দুল কাহারঃ ঘরের ভেতরের কথা বলছি না, পোশাক ছাড়া তারা কি প্রকাশ্যে সব জায়গায় চলাফেরা করতে পারে?

সাংবাদিকঃ পাবলিক স্পেয়ারে? না, এটা অশালীন।

আব্দুল কাহারঃ আমরাও প্রায় একইরকম কথাই বলছি। ব্যক্তিগতভাবে, ঘরের মধ্যে তারা যেকোন ধরনের পোশাক পরতে পারে। কিন্তু পাবলিক স্ফেয়ারে তাদের শালীন পোশাক পরতে হবে।

সাংবাদিকঃ শালীনতার সম্পর্ক কি বোরকার সাথে?

আব্দুল কাহারঃ পর্দার সাথে।

সুশীল

প্রথমালমের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে শাহবাগ ২.০ তার যাত্রা শুরু করলো। এটিকে শাহবাগীয়তাবাদ বলে ভুল করবেন না। এটি শাহবাগই। আগামী শাসকদলের সাথে এটি প্রথম ইন্দো-বাংলা সাংস্কৃতিক বন্দোবস্ত। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই। পরিত্যক্ত জিনিসে পঁচনের গন্ধ তীব্র থাকলেও উৎপাদনের ক্ষমতা থাকবেনা। ওদের ঐক্যই ওদের দূর্বলতা আর আমাদের বিচ্ছিন্নতাই আমাদের শক্তি। হাজার শাপলা ফুটে আছে ময়দানে। নতুন লড়াইয়ে স্বাগতম।

— কায় কাউস

@Inqilab_E_Bangalah

রাশিয়ার হামলায় হায়াত তাহরীর আল শাম এর প্রধান নিহত হয়েছেন বলে দাবি ইরানী মিডিয়ার।

https://t.me/abidmohammad2/466

আজ সকাল থেকে গাজায় ৫১ জন নিহত হয়েছেন ইসরায়েলের হামলার ফলে।

যাদের মাঝে ৩২ জন নিহত হয়েছেন উত্তর গাজায়।

#GazaGenocide #Gaza #PALESTINE

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে,

সিরিয়া আসাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং আগামী ঘন্টার মধ্যে দামেস্কের পতন হবে

#SYRIA

সিরিয়ার যুদ্ধের আপডেটস দেখুন

https://t.me/abidmohammad2

এখানে আলেপ্পো শহরের কথা বলেছি।

পুরো আলেপ্পো প্রদেশের সব এলাকা এখনও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি বিরোধী যোদ্ধারা। তবে আসাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা আলেপ্পোর প্রায় অর্ধেক এখন বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে এবং অভিযান চলমান রয়েছে।

গতকাল রাতেই হায়াত তাহরীর আল শাম, সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মির একাংশ ও আরও কিছু আসাদ বিরোধী গ্রুপের যোদ্ধারা সম্মিলিত অভিযানের মাধ্যমে আলেপ্পো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ছিল। সিরিয়ার যুদ্ধে বিগত কয়েক বছর এই ধরনের বড় অভিযানের দেখা মেলেনি।

#SYRIA

ভারত বা হিজ্রেলের পতাকা পদদলিত করা খুব খারাপ।

ওরা সীমান্তে আমার ভাই বোন মারবে, হাজার টন বোম মাইরা একটা শহর ধ্বংস করে দেবে, বাট ওদের পতাকাকে আমার সম্মান করতে হবে।

জ্ঞান বিজ্ঞানে পরাজিত করতে হবে।

আপনাকে ওরা বেঁচেই থাকতে দিচ্ছে না, আপনার দেশে প্রতিটা সেক্টর অচল করে রেখে দিয়ে আপনাকে বলা হচ্ছে, জ্ঞান বিজ্ঞানে টক্কর দেন।

ভারতের দাস হাসিনা নিজের বাপের মূর্তি বানাইসে ৪০০ কোটি দিয়া, আর গবেষণাতে দিতো ১ লাখ টাকা।

তো এই যে আপনি জ্ঞান বিজ্ঞানে পেছনে, এর দায় আপনার? নাকি হাসিনার?

যদি ভারতের পতাকাকে সম্মান দেখাতে হয়, তাইলে আওয়ামীলীগের পতাকাকেও সম্মান দেখানো উচিত।

শেখ হাসিনাকেও আসলে ওভাবে মব জাস্টিস করে পালাতে বাধ্য করা উচিত হয় নাই।

জ্ঞান, বুদ্ধি আর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা উচিত ছিলো।

সাদিক

বাই ন্যাচার, একটা কনসিডারেবল মানুষের জীবনে মতাদর্শ গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র খাওয়া-চাকুরি-পরিবার নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকতে পারে না। মানুষের দরকার একটা গ্রেটার গোল, একটা মহত্তর আর্দশের।

উপনিবেশ পরবর্তী সময়ে পূর্ব বাংলায় কমিউনিজম এই আদর্শের চাহিদা মিটিয়েছিলো। ৬০-৭০ এর দশকে বাংলাদেশের ব্রাইট ছেলে-মেয়েরা ছাত্র ইউনিয়ন করতো। কমিউনিজমের শতাব্দীর স্বপ্ন ভঙ্গের পরে ঢাকার মিডিলক্লাসের মধ্যে একটা আধ্যাত্মিক শূন্যতা তৈরি হয়। আস্তে আস্তে সেই জায়গা করে নেয়/নিচ্ছে ইসলাম। প্রাথমিকভাবে মিডিলক্লাসের ইসলাম চর্চার বড় জায়গা ছিল জামাত-শিবির। তবে সউদি সালাফিজমের ইন্টারনেট রেভ্যুলেশনের পরে সেই জায়গটায় ভাগ বসায় আহলে হাদিস। তবে সউদ রাজবংশের অতিরিক্ত দালালী এবং অহমিকার জন্য আহলে হাদিসও তার অবস্থান ধরে রাখতে পারে নাই। তবে তারপরও মিডিলক্লাসে এখনো জামাতের চেয়ে আহলে হাদিসের প্রভাব বেশি।

বর্তমানে আহলে হাদিস, জামাতকে ছাপিয়ে মিডিলক্লাস প্রভাব বাড়চ্ছে খেলাফতপন্থী গ্রুপগুলো।

একটা দলের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, মেধা, বংশ মর্যাদা, জ্ঞান, ক্যারিশমা, এবং সততা গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছাড়া বাকী সব প্যারামিটারে খেলাফরপন্থী গ্রুপ বাকী ডানপন্থীদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। উদাহরণ হিসেবে, আমি জামাত-শিবিরে ৪০ বছরের কম বয়েসি কাউকে দেখি না যে আসিফ আদনানের সাথে ব্যাটেল করতে পারবে। এবং খেলাফতপন্থীরা মূল জামাত-শিবিরের চেয়ে মূল টেক্সটের অনেক কাছাকাছি। ইসলামি জ্ঞান অর্জনে গুরুত্ব কম দেওয়া এবং ভারত প্রশ্নে হঠকারী অবস্থানের জামাত-শিবির তাদের জনপ্রিয়তা জ্যামেতিক হারে হারাচ্ছে।

মীর সালমান শামিল

ইমাম সাহেব খলিফা উমরের (রাযি.) জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করলেন।
আলোচনা করলেন না খলিফা উমর এখানে উপস্থিত থাকলে শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার জন্য মুশরিকদের কি শাস্তি প্রদান করতেন তা নিয়ে। আলোচনা করলেন না খলিফা উমর ইসকনের চিন্ময়কে কিভাবে শিরচ্ছেদ করতো। আলোচনা করলেন না প্রথম আলো আর ডেইলী স্টারের সম্পাদকের কি শাস্তি দিতেন খলিফা উমর।

আমরা অতীতের খলিফা উমরকে জানতে চাই, বর্তমানে কোনও খলিফা উমরকে চাই না।

আসাদ সরকার আলেপ্পোর কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেছে তারা যেনো দ্রুত সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসমূহ নিয়ে পরিবারসহ নিরাপদ স্থানে সরে আসে।

অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে অন্তত সাময়িক সময়ের জন্য হলেও আলেপ্পো ছেড়ে দিচ্ছে আসাদ বাহিনী।

আসাদ বিরোধীরা আলেপো শহরের একদম নিকটে চলে এসেছে।

#SYRIA

ওয়াজের আওয়াজে এক সপ্তাহ ধরে ঘুমাতে পারি না রাত ১২ টার আগে।

প্যান্ডেলের বাইরে মাইক না দিলে কি চলে না? মানুষকে কষ্ট দিয়ে কি ধর্ম প্রচার করছেন!

কোনও হুজুর করলে জঙ্গী সংগঠন হয়ে যেতো।

ভারতপন্থী প্রথম আলোর মিথ্যা কথা

কাউকে খুন না করেও হিজবুত তাহরীর নিষিদ্ধ হয়ে আছে বাংলাদেশে কিন্তু দিনে দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী খুন করার পরেও ইসকন নিষিদ্ধ হলো না।

এই হলো আইন? এই হলো বিচার?

১৯৪৬ সালে কোলকাতায় মুসলিম গণহত্যায় (The Great Kolkata Killings) উজ্জীবিত হয়ে লক্ষিপুরের রামগঞ্জের জমিদার, ব্রিটিশ দালাল রাজেন্দ্রলাল চৌধুরী এবং রায়পুরের জমিদার চিত্তরঞ্জন রায় চৌধুরী তাদের অঞ্চলেও দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করে। রাজেন্দ্রলাল তার ধর্মীয় বলিদান অনুষ্ঠানে একটি মুসলিম ছেলেকে বলি দেয়। ভেবেছিলো কোলকাতার মতো এখানে দাঙ্গা বাঁধালে কোলকাতার হিন্দুদের থেকে সে সাহায্য পাবে।

এখন যেমন ইশকন পায়ে পাঁড়া দিয়ে লাগতে চাচ্ছে, সাথে সাধারণ হিন্দুদেরও মৌন সমর্থন আছে, ঠিক একই অবস্থা তখনও ছিলো; জমিদার রাজেন্দ্রলাল চৌধুরী পায়ে পাঁড়া দিয়ে লাগতে চেয়েছিলো। তার সাথে ছিলো রায়পুরের জমিদার চিত্তরঞ্জন রায় চৌধুরী। তাদের দৌরাত্মে সাধারণ হিন্দুদেরও একটা মৌন সমর্থন ছিলো।

এসব থেকে জমিদার রাজেন্দ্রলাল আর চিত্তঞ্জন রায় এবং সাধারণ হিন্দুদেরকে নিবৃত্ত রাখার জন্য লক্ষিপুরের শ্যামপুরের কৃষক-প্রজা পার্টির নেতা এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব গোলাম সরোয়ার হোসেইনী বারবার রাজেন্দ্রলাল এবং চিত্তরঞ্জনকে বুঝিয়েছিলেন। কাজ না হওয়ায় গান্ধীসহ কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতাকেও চিঠি পাঠিয়ে কোলকাতায় মুসলিমনিধন আর এখানে জমিদার রাজেন্দ্রলাল এবং চিত্তরঞ্জন রায়ের দৌরাত্ম বন্ধের জন্য উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু ইতিহাসে 'মহাত্মা' হিসেবে পরিচিত গান্ধী ছিলেন নিরুদ্দেগ। এগুলো নিয়ে তার কোনো বিকারই ছিলোনা। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিলো সেও চাচ্ছিলো এখানেও কোলকাতার মতো কিছু হোক।

জমিদার রাজেন্দ্রলাল, চিত্তরঞ্জন আর সাধারণ হিন্দুদের দৌরাত্ম সারা নোয়াখালীতে (লক্ষিপুর, ফেনী, সন্দীপ) মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করে। এই ঘটনা পাশের জেলা চাঁদপুর, কুমিল্লা আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিছু অংশকেও প্রভাবিত করে। সেখানেও মুসলিমরা হিন্দুদের এই দৌরাত্মে বিরক্ত হয়ে ওঠে।

অবস্থার টের পেয়ে গোলাম সারোয়ার হোসেইনী গান্ধীকে আবারও চিঠি পাঠান যে, তিনি যেন কোলকাতায় মুসলিম হত্যা থামান এবং নোয়াখালীতে হিন্দুদেরকে এরকম বিপজ্জনক কাজ থেকে বিরত রাখার উদ্যোগ নেন। চিঠিতে তিনি গান্ধীকে মৃদু হুমকি দিয়ে একটা আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন; যদি কোলকাতায় মুসলিম হত্যা বন্ধ করা না হয় এবং নোয়াখালীতে হিন্দুরা এসব কাজ বন্ধ না করে তাহলে তিনি এখানকার মুসলিমদেরকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে যাওয়া থেকে বাঁধা দিয়ে মানাতে পারবেন না।

আরেকজন ছিলো মুসলিম লীগের কাশেম। কৃষক-প্রজা পার্টির নেতা গোলাম সারোয়ার হোসেইনী আর মুসলিম লীগের নেতা কাশেমের নেতৃত্বে গঠিত মিঁয়ার ফৌজ আর কাশেম ফৌজের ব্যানারে শুরু হয় গণক্ষোভের প্রকাশ। যে ক্ষোভ থেকে বাঁচাতে কোলকাতা অথবা ইন্ডিয়া থেকে কোনো হিন্দু এগিয়ে আসেনি। জমিদার রাজেন্দ্রলাল চৌধুরীও গণক্ষোভ থেকে ছাড় পায়নি। তখন দেখা হয়নি কে সাধারণ হিন্দু আর কে জমিদার।

কোনো চিঠির উত্তর না দেয়া এবং হিন্দুদেরকে গায়ে পাঁড়া দিয়ে ঝগড়া থেকে বিরত রাখতে কোনো উদ্যোগ না নেয়া গান্ধী এই ঘটনার চার সপ্তাহের মাথায় সো কল্ড 'শান্তির লক্ষে পদযাত্রা' করে নোয়াখালী এসে হাজির হন। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে।

একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে জন্যে মুসলিম এবং হিন্দু উভয় পক্ষেরই দায়িত্ব আছে; সাধারণ হিন্দুরা সন্ত্রাসী সংগঠন ইশকন থেকে নিজেদেরকে দায়মুক্ত করে নিতে পারে, আর তাদের সাথে মিলে, তাদের কাঁধে ভর করে যেসব আওয়ামীলীগ-কাপুরুষ নিজেদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় আছে তাদেরকে কন্ডেম করতে পারে, ধরিয়ে দিতে পারে।

মুসলিমরা যথেষ্ট সহনশীল আছে, দুইজন মানুষকে হত্যার পরও তারা শান্ত মেজাজের পরিচয় দিচ্ছে, বাকিদেরকেও শান্ত থাকার কথা বলছে। একই ঘটনা যদি ভারতে ঘটতো, তাহলে এতক্ষণে মুসলিমদের দশার একসের হতো। হিন্দুরা যদি ভাবে এই অবস্থা চলতে থাকবে আর মুসলিমরা শান্ত থাকবে, ছেচল্লিশের মতো কোনো কাশেম ফৌজ আর মিঁয়ার ফৌজ উঠে অবস্থার প্রতিশোধ নিবেনা, তাহলে অনেক বড় ভুল করবে। যার পুরোটার দায় পড়বে অবশ্যই হিন্দুদের ওপরে। কারণ মুসলিমরা বারবার ইশকন আর আওয়ামীলীগ থেকে হিন্দুদেরকে সতর্ক করে যাচ্ছে।

আব্দুল্লাহ আল রায়হান

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য সিরিয়া বা শাম সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমি হিসেবে বিবেচিত। আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে সিরিয়াতে মুসলিমরা শত্রুদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালানো শুরু করেছেন এবং সফলতা পাচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ।

ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে। হামলায় অংশ নেওয়া হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের এই ছবিগুলো প্রকাশিত হবার পরও তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না।

#BanISKCON #BanISKCONfromBD #JusticeForSaifulIslam

আলেপ্পোর প্রতিরক্ষা দ্রুত ভেঙে পড়ছে, এবং শিয়া মিলিশিয়াদের পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

#SYRIA

বাংলাদেশে ভারতবিরোধী বা বাংলাদেশের জন্য উপকারী এমন পাবলিক ফিগারদের ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা নতুন কিছু না।
এটা খুবই কার্যকরী পুরোনো টেকনিক।

বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানকে গাড়ী চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। মাওলানা আইনুদ্দীন আল আজাদ, খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ওনাদেরকেও ট্রাক চাপা দেয়া হয়।
কয়েকদিন আগে জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহকেও একইভাবে হত্যা চেষ্টা করা হয়। গুরুতর আহত হন তিনি।

আজকে শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফের বাড়ী থেকে ফেরার সময় আরাকান সড়কে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয় হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সার্জিস আলমকে।
খুবই পুরনো এবং কার্যকরী টেকনিক।

সিরিয়ায় মুজাহিদরা আলেপ্পো বিজয় করতে যাচ্ছে।

নিউজ দেখেন

https://t.me/newsboxbangla

ইশশশশশ।

ছবি: চট্টগ্রামে গতকাল ইসকনের লোকজনের হাতে নিহত আইজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এর মৃতদেহ।

উম্মাহর জাগরণে প্রতিপক্ষ নয়, সহযোগী হোন :

বিংশ শতাব্দী ছিল মুসলিম উম্মাহর পরাজয় ও লাঞ্ছনার শতাব্দী। এ শতাব্দীতেই মুসলিমরা হারিয়েছে তাদের গৌরবময় খিলাফাহ। ইতিহাস-ঐতিহ্য ভুলে বাঘের জাতি রূপান্তরিত হয়েছে বিড়ালের জাতিতে। অভিভাবকহীন উম্মাহ পদে পদে লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে। এতিমের মতো কখনো এ দুয়ারে এবং কখনো ও দুয়ারে ধরনা দিয়েছে। কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি, কেউ জায়গা দেয়নি। ক্রমশ বেড়েছে জুলুম-অত্যাচারের সীমা। প্রকৃত মুসলিমদের নাম-নিশানা মিটিয়ে দিতে একমত হয়েছে সমগ্র কুফফার বিশ্ব। ক্ষমতার লোভে তাদের সাথে জোট বেঁধেছে মুনাফিকদের দল। সময় গড়িয়েছে অনেক। মুসলিমরা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। দ্বীন-ধর্ম ত্যাগ করে কেউ প্রাধান্য দিয়েছে দুনিয়ার জীবন। কেউবা গিয়েছে আপোষের পথে। কেউবা মিশেছে বিজাতির সাথে। আর অল্প কিছু মানুষ বেছে নিয়েছে বন্ধুর পথ, যে পথ বিপদসংকুল, কণ্টকাকীর্ণ। এভাবেই কেটেছে গোটা বিংশ শতাব্দী।

এরপর আসল একবিংশ শতাব্দী। এটা হলো মুসলিমদের বিজয়ের শতাব্দী। এটা উম্মাহর ঘুরে দাঁড়ানোর সূচনাকাল। শুরু হলো নতুন খেলা। খেলার সূচনা করল মুসলিমরাই। ২০০১ সাল ছিল পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা মুসলিমদের ঘুরে দাঁড়ানোর সাল। এটা ছিল আঘাতের পরিবর্তে পাল্টা আঘাতের বছর। দুর্বলতা ও কাপুরুষতা কাটিয়ে সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনার সূচনাবর্ষ। কুফফার বিশ্ব চোখে-মুখে সর্ষেফুল দেখতে শুরু করল। সামরিক সক্ষমতায় যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও শয়তানের দল প্রতিটি ময়দানে রহমানের বান্দাদের হাতে মার খেতে লাগল। ফলে উম্মাহ ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করল। বিশ্বের প্রান্তে প্রান্তে আল্লাহর বান্দারা বিজয়ের স্বাদ পেতে শুরু করল। খোরাসান অঞ্চল দখলদারমুক্ত হলো। আল্লাহর যমিনে মুক্ত বাতাসে ইসলামের পতাকা উড়তে থাকল। এতে উম্মাহর যুবকদের হৃদয়ে বিজয়ের আশা ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার অগ্নিশিখা নতুন করে জেগে উঠল।

চলমান শতাব্দীর প্রথম দশকে উম্মাহর জাগরণ শুরু হলেও দ্বিতীয় দশকে এটা ব্যাপ্ত হয়েছে এবং তৃতীয় দশকে তা আরও শক্তিশালীরূপে আবির্ভূত হয়েছে। বর্তমানে উম্মাহর সচেতন মুসলিমদের হৃদয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা ও স্বজাতির অস্তিত্ব রক্ষার ব্যাপারটি বেশ ভালোভাবেই গেঁথে গিয়েছে। উম্মাহর জাগ্রত শ্রেণি এখন সমুচ্চ স্বরেই ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলছে। যুবকদের শ্লোগানে শারিয়াহ কায়েমের আওয়াজ বেশ স্পষ্টভাবেই শোনা যাচ্ছে। দ্বীনে ফেরা জেনারেল ভাইয়েরা মানুষের কাছে দ্বীনের স্পষ্ট বার্তা বেশ সাহসিকতার সাথেই পৌঁছে দিচ্ছেন। বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে আধুনিক রিদ্দাহ ও জাহিলিয়াত মোকাবেলা করছেন এবং উম্মাহর ইমান-আকিদার হেফাযতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। উম্মাহর রাব্বানি আলিমরাও দ্বীনের সুষ্পষ্ট আহকাম নিয়ে কথা বলছেন এবং দালিলিকভাবে বাতিল আকিদা ও মতাদর্শ খণ্ডন করে চলছেন। সব মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে উম্মাহ যে আবার জেগে উঠছে, তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।

এমন গুরুত্বপূর্ণ ও সঙিন মুহূর্তে উম্মাহর এ জাগরণকে থামিয়ে দেয় এমন সকল পদক্ষেপ থেকে আমাদের বিরত থাকা কর্তব্য। দল, মাসলাক ও মানহাজের ভিন্নতাকে পাশ কাটিয়ে কুফফার ও মুনাফিক গোষ্ঠার বিরুদ্ধে পরিচালিত বুদ্ধিবৃত্তিক এ যুদ্ধে সকল মুসলিমের সহযোগিতা করা একান্ত অপরিহার্য। ফিকহি ইখতিলাফ ও আকিদার শাখাগত মতানৈক্য নিয়ে বিভেদ তৈরি না করে দ্বীন-ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে সবার কাজ করা জরুরি। ইমান-আকিদার প্রতিরক্ষা ও প্রকৃত মুসলিমদের অস্তিত্ব রক্ষার এ লড়াইয়ে হেরে গেলে না থাকবে দল, আর না থাকবে মাসলাক-মাযহাব। তাই মুসলিমদের এমন সংকটকালে দলীয় দ্বন্দ্ব উসকে না দিয়ে সবাই ভাই-ভাই হয়ে যাই এবং উম্মাহর জাগরণে যারা কাজ করছে তাদের সহযোগী হই। আল্লাহ না করুন, সহযোগী হতে না পারলেও কমপক্ষে যেন তাদের প্রতিপক্ষ না হই। আল্লাহ আমাদের বোঝার ও উম্মাহর জাগরণে সহযোগী হওয়ার তাওফিক দান করুন।

মুফতী তারেকুজ্জামান হাফি.

#KunanPoshpora

আজ কাশ্মীরের মুসলিমদের উপর ভারতের অত্যাচারের অন্যতম মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানাবো।

১৯৯১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের সেনাবাহিনী "কর্ডন অ্যান্ড সার্চ অপারেশন" (CASO) এর নামে কাশ্মীরের কুনান এবং পোশপোরা নামক দুটি গ্রাম ঘেরাও করে ফেলে।

ঘেরাও করার পর গ্রামের পুরুষদের গ্রামের বাইরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আর গ্রামে থাকা নারীদের ধর্ষণ করে ভারতের সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে তরুণী, বয়স্ক নারী এমনকি গর্ভবতী নারীরাও ছিলেন।

প্রাথমিক তদন্তে স্থানীয় প্রশাসন এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছিল কিন্তু ভারতীয় সরকার এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়। এখন পর্যন্ত দোষীদের বিচারের সম্মুখীন করেনি।

ঘটনার ভুক্তভোগীদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায় —

জিজ্ঞাসাবাদের নামে পুরুষদের গ্রামের বাইরে নিয়ে যায় এবং অত্যাচার করে।

গ্রামের ঘরের দরজা ভেঙে নারীদের ওপর হামলে পরে ভারতীয় সেনারা, সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে নারীদের।

গর্ভবতী নারীরাও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, এমনকি বৃদ্ধ ও ১৩ বছরের কিশোরীকে পর্যন্ত ধর্ষণ করে।

এ সময় নারীদের মারধর, শরীরে সিগারেটের ছ্যাকা দেয়।

#KASHMIR

মানব যেমন ত্রুটিপূর্ণ, তেমনি তার বিধানও ত্রুটিপূর্ণ।

- মুফতী তারেকুজ্জামান হাফি.

২৪ এর গণঅভ্যুত্থান নিয়ে প্রকাশিত হলো আবদুল্লাহ আল মাসউদ এর বই।

জুলাই বিপ্লবে শহীদ ফাহমিন জাফরের রক্তে ভেজা ইউনিফর্ম!

বার বার গাজার কথা বলার ফলে যারা বিরক্ত হোন তাদের জন্য উপরের ছবিটি।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে উত্তর গাজায় এক ফিলিস্তিনির লাশ কুকুরে টানছে।

উত্তর গাজা অবরুদ্ধ হয়ে আছে, উদ্ধার কাজ পরিচালনা করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। ফলে আহতরা ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে, এরপর তাদের লাশ পর্যন্ত নেওয়ার কোনও সুযোগ দিচ্ছে না ইসরায়েল।

গাজার সব ফিলিস্তিনি যেদিন মারা যাবেন, সেদিন আর বলবে না কেউ গাজার কথা।

আল্লাহ আমাকে মাফ করুন।

#GazaGenocide

🗞

গুটি কয়েক পন্ডিতের জন্য পুরো দলের বদনাম

এটা এদেশের একটি অন্যতম মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাংলাভাষায় এই বিষয় এত চমৎকার কাজ এর আগে হয়নি। মৌলিকও না, অনুবাদও না। অথচ বইটা আমরা সংগ্রহ করছি না। ফলে এমন মৌলিক কাজ না আর প্রকাশক ছাপার হিম্মত করবে না লেখকরা আর সাহস করবে!

উৎসাহের জন্য হলেও এই বইটা আমাদের সংগ্রহ করা দরকার।

উম্মাহ মাইর খেয়ে ভর্তা হয়ে যাচ্ছে আর কেউ আছেন আকিদা নিয়ে আর কেউ আছেন মাসলাক নিয়ে।

লিটমাস টেস্ট করে রাখুন।

আসিফ মাহতাব বা শায়খ আহমাদুল্লাহকে উপদেষ্টা দেখতে চাওয়া ধরণের গণ পোস্ট করা মানে এই নয় তাদেরকে উপদেষ্টা বানাইতেই হবে এমনটা সবাই মনে প্রাণে চাচ্ছে আর এটাই মূল উদ্দেশ্য। এটা একটা পলিটিক্যাল মুভ বলতে পারেন। জনগণের কাছে ইসলাম প্রিয় মানুষদের গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরা হচ্ছে এটার মূল উদ্দেশ্য । এছাড়া সাধারণ জনগণের মনের ভিতর প্রশ্ন ঢুকিয়ে দেওয়া এই যে ইসলাম প্রিয় যোগ্য মানুষদের কেন ক্ষমতার সুযোগ দেওয়া হয় না?
সুতরাং উপদেষ্টা হওয়া না হওয়ার বিষয় এখানে মূখ্য নয়, সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া ও ইসলাম প্রিয় মানুষদের গ্রহণযোগ্যতা প্রকাশ পাওয়াটাই এখানে মূল উদ্দেশ্য।

তাহমীদ হুসাইন চৌধুরী (TamuMamu)

যদিও নদীয়ার এসলাম প্রচারক মাহফুজের ঐ আওকাদ নাই তবুও দেখে মজা পাইলাম।

প্রথম আলোর থিওরী মতে — কোনও ছেলে নেশা না করলে, সিগারেট না খেলে সে জঙ্গী।

অডিও ভার্সন

✨ ইসলামী জীবনব্যবস্থার সৌন্দর্য্য
🎙 জাকারিয়া মাসুদ
আদ-দ্বীন শপ, খুলনা। সেমিনার-২০২৪

✨ ইসলামী জীবনব্যবস্থার সৌন্দর্য্য
🎙 জাকারিয়া মাসুদ
আদ-দ্বীন শপ, খুলনা। সেমিনার-২০২৪

https://t.me/themuslimatrix/72

লিডারশিপের একটা ওয়ার্কশপ নিচ্ছিলাম। বলছিলাম রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ বাবার ভালোবাসা দেননি - তিনি তাঁর বাবাকে জন্মের আগেই হারিয়েছেন।
মায়ের আদরও খুব বেশি দিন পাননি।
এতিমরা আরবের কালচারে খুব নিগৃহিত ছিল।
প্রচণ্ড কষ্টে তাকে বড় হতে হয়েছে।
এই কষ্টটা তাকে হীরার মতো শক্ত বানিয়েছে।
প্রায় তিন সপ্তাহ হয়ে গেল আব্বা মারা গেছেন।
আব্বা মারা যাবার পরের দিনই জমি দেখতে যেতে হয়েছে।
অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
দুদিন পরে ঢাকায় ফিরে পুরোদমে অফিস করেছি।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কষ্টটা আমি কখনও বুঝব না কারণ আমার আব্বা ছিলেন - তিনি আমাদের সম্পত্তি সব সুন্দর করে গুছিয়ে দিয়ে গেছেন।
কিন্তু তাও যখন মনে হয় আব্বাকে জড়ায় ধরতে পারব না, কপালে একটা চুমু দিতে পারব না, পা-টা একটু টিপে দিতে পারব না - মনটা মানে না।
আমাদের সময়ে আমাদের চারপাশে তাকান।
কাদের আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা এতিম করে বড় করছেন বলেন তো?
কাদের আল্লাহ কষ্টের আগুনে পুড়িয়ে হীরা বানাচ্ছেন?
এই এতিম বাচ্চাদের জন্য আমার এত কান্না লাগে - বলার মতো না।
ওদের কোলে নেয়ার মতো কেউ বেঁচে নাই।
আমার সামর্থ্য থাকলে শুধু এই বাচ্চাদের কোলে নেয়ার জন্য আমি কুদসে যেতাম।
আল্লাহ এই বাচ্চাদের হাতে যেন উম্মাতের মুক্তি লিখে রাখেন।
এদের বাবা-মায়েদের শহীদ হওয়ার উত্তম বিনিময় দান করেন।
আমাদের নামধারী মুসলিম ভাইবোনদের ঘুম থেকে জাগার তাওফিক দেন।

শরীফ আবু হায়াত

সাধারণ আলেম সমাজ - এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

বিষয়: উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে....

বেনজিরের প্রশংসায় ফারুকী🤮

শুরু হয়ে গিয়েছে ফ্যাসিবাদ 2 ?

অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে উম্মাহর উদাসীনতা :

দিন যত এগোচ্ছে, ইমান ও কুফরের দ্বন্দ্ব ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সময় আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে, কারা আমাদের মিত্র, আর কারা আমাদের শত্রু। চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে, সামনের লড়াইটা কী নিয়ে এবং কাদের সাথে হবে। বৈশ্বিক অরাজকতা ও দেশীয় অস্থিরতার পেছনে বর্তমানে একটি বিষয়ই কাজ করছে। আর তা হলো ইসলামের মূলোৎপাটন ও মুসলিম নিধন। একটু মনোযোগের সাথে লক্ষ করলেই চোখে পড়বে, পুরো বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ওপর নিরন্তর আক্রমণ চলছে। কোথাও সরাসরি এবং কোথাও কূটকৌশলে ও ছদ্মাবরণে। গত কয়েক দশক ধরেই এভাবে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আক্রমণ ও প্রোপাগাণ্ডা চলছে। তবে এখন ধীরে ধীরে সব উন্মোচিত হচ্ছে। ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে বন্ধুর মুখোশের আড়ালে থাকার শত্রুর কুৎসিত চেহারা।

বর্তমানে বিশ্ব কুফফার গোষ্ঠী ইসলামবিরোধী ভয়ংকর এজেন্ডা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তারা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে একাধারে সামরিক, আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। একদিকে সরাসরি সামরিক আক্রমণের মাধ্যমে নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে, অন্যদিকে মুসলিম দেশগুলোতে কুফরি মতাদর্শের সয়লাব ঘটিয়ে উম্মাহর ইমান হরণের কাজও এগিয়ে নিচ্ছে। আর বিজাতীয় ও পশ্চিমা কালচারের মাধ্যমে চারিত্রিক অধঃপতন ও আমল নষ্ট করার কাজ তো অনেক আগে থেকেই করে আসছে। কিন্তু আফসোস যে, অধিকাংশ মুসলিম চলমান এ বৈশ্বিক সংকট ও ভয়ংকর লড়াই সম্পর্কে একেবারেই ওয়াকিফহাল নয়। অনেক মুসলিমের এটাও জানা নেই যে, কারা তাদের শত্রু, আর কারা মিত্র। কিন্তু নিজেদের মধ্যকার কোন্দল আর দ্বন্দ্ব নিয়ে ঠিকই তারা সজাগ।

খুব আশ্চর্য লাগে ওই সকল লোকের প্রতি, যারা আজও ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র ইখতিলাফি বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি করে ভাইয়ে ভাইয়ে শত্রুতা সৃষ্টি করে। মাসলাকি দ্বন্দ্ব-বিবাদ জিঁইয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে এবং উম্মাহর মূল সংকটের জায়গা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে রাখে। ইসলাম ও মুসলিমদের কমন শত্রুদের বিরুদ্ধে সীসাঢালা প্রাচীরের মতো এক কাতারে না দাঁড়িয়ে নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ইমান ও তাওহিদের বার্তা, কুফর ও রিদ্দাহর কথা, সেক্যুলারিজমের সাথে ইসলামের সংঘর্ষের বয়ান, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের কুফরের আলোচনা নেই। তথাকথিত মানবতাবাদ, জাতীয়তাবাদ ও পুঁজিবাদসহ পশ্চিমা সব তন্ত্রমন্ত্র ও দর্শনের অসারতা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমাদের যত শক্তি ও মেধা, বেশির ভাগ ব্যয় হয় কেবল মুসলিমদের বিরুদ্ধেই। আল্লাহর কাছে আমরা পানাহ চাই।

তাই উম্মাহর সচেতন ভাইদের সজাগ হওয়ার সময় হয়েছে। নিজেদের মধ্যকার সকল মাসলাকি দ্বন্দ্ব, মাযহাবি ইখতিলাফ ও গোষ্ঠীভিত্তিক বিবাদ দাফন করে কুফফারের বিরুদ্ধে আমাদের একজোট হওয়ার এখনই সময়। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই এটা প্রয়োজন। নইলে আমাদের কারোরই রক্ষা নেই। কেননা, এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে, বর্তমানে সরাসরি ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। সমগ্র কুফফার ও মুনাফিক গোষ্ঠী একজোট হয়ে কাজ করছে। এখনো যদি সংকট উপলব্ধি না করি এবং এ থেকে উত্তরণের পথ বের না করি তাহলে শীঘ্রই নিজেদের প্রাণ কিংবা ইমান হারাতে হবে। ইমান ও কুফরের চলমান যুদ্ধে কীভাবে ইমানের রক্ষা হবে, সে চিন্তা-পরিকল্পনা আজই করতে হবে। বুদ্ধিমান তো তারাই, যারা সময়ের আগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং জাতিকেও সে পথে আহবান করে।

মুফতী তারেকুজ্জামান হাফি.

আবু সাঈদকে বললাম, দু'লাইনের একটা কবিতা লিখো৷

লিখলো,
মধু খাচ্ছো? খাও,
জীবন দিলাম ফাও।

ডা. মেহেদী হাসান

ছাত্র জনতাকে ব্যাবহার করিয়া একদল ইয়াজুজকে হটাইয়া আরেকদল মা'জুজকে ক্ষমতায় আনিবার দুষ্টচক্রের নামই হইল তথাকথিত গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থান!

জুলুম থেকে জালেম, প্রতিবাদ থেকে আবেগ, রক্ত থেকে শাহাদাত, অত:পর ক্ষমতা থেকে দাজ্জাল!


এই হল বিপ্লবের বাস্তুসংস্থান! এখানে তাওহীদ পন্থীদের উন্মুক্ত সিরাত মাত্র দুটি! হয় যুলকারনাঈন অথবা লৌহ প্রাচীর!

তবে আফসোসের বিষয় হল: না আমাদের জুলকারনাইনের মত কোন আমির-ইমারাহ আছে, আর না লৌহ প্রাচীরের মত কোন জামায়াহ!

আর একারণেই আজ "এর" তো কাল "ওর" দ্বাসত্বের মাঝেই স্রেফ শান্তিপূর্ণ দ্বীন পালনের স্বাধীনতার ফিকিরেই আমাদের চিন্তার বাস্তুসংস্থান ঘুমিয়ে গেছে!
ঠিক যেন "আসহাবুল কাহাফ" বা গুহাবাসীর ঘুম!

Taw Haa Zin Nurain Online Madrasa

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সমন্বয়কদের কমিটির অনেকেই এখন বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজকর্ম দেখে বিরক্ত ও হতাশ হয়ে অনেকেই ফেসবুকে করছেন পোস্ট।

আমাদের হুজুররা লাখো মানুষের জমায়েত দেখেই যখন তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছে, ফারুকীরা তখন সরকারে ঢুকে গেছে।
ওরা এখন দেশ চালাবে ওদের মতো করে।
সব জায়গাতেই পয়েন্ট জিরোর মারপ্যাচ!

সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান ছেলেটাকে আমার ভালো লাগে। দেখে মনে হয় ছেলেটার মন নরম। নানান সময় ইমোশনাল হয়ে কেঁদে ফেলে। এগুলো সে ভান করে করে, তা না। সত্যিকারের আবেগ, কষ্ট আর কান্না তার মধ্যে দেখা যায়।
.
কয়েকদিন আগে একটা টিভি চ্যানেলের সাথে আলোচনায় আব্দুল হান্নান কান্না চাপতে চাপতে বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রজনতার কুরবানীর অর্জনকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তারা শুধু ক্ষমতার চিন্তায় মত্ত। এতো কুরবানী, এতো লাশের পরও সত্যিকারের কোন পরিবর্তন আনার প্রতি তাদের আগ্রহ নেই। বরং তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে।
.
আব্দুল হান্নানের কথাগুলোর সাথে দ্বিমত নেই। তার আবেগ আর কষ্টের সাথে আমি এমপ্যাথাইয করি। তবে আমি একটা বিষয় মনে করিয়ে দেই-
.
গণঅভ্যুত্থানের অর্জনকে নষ্ট করা, হাজারো মানুষের কুরবানীকে উপেক্ষা করা, লীগের পুনর্বাসন করার এই কাজটা অন্তর্বর্তী সরকারও করছে। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে আরও কার্যকরীভাবে করছে।
.
গণঅভ্যুত্থানের বয়ান প্রথম কালো-দিল্লী স্টারের কোলে তুলে দেয়া, আওয়ামী লীগের কালচারাল ও মিডিয়া ফ্রন্টগুলো অক্ষত রাখা, লীগের অর্থের যোগানদাতাদের সেইফ এক্সিট দেয়া, বিচারের আওতায় না আনা, ১/১১ এর এনজিওবাগীদের ক্ষমতার কেন্দ্রে বসানো, ফারুকীদের মতো সফট শাহবাগীদের উপদেষ্টা বানানো - এই সরকার আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য কম করছে না।
.
রাজনৈতিক দলগুলো দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া বা এরকম কিছু বিষয়ের বিরুদ্ধে বলছে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুরোদমে ঐ কালচারাল হেজেমনিকে শক্তিশালী করতে উঠে পড়ে লেগেছে, যেটা বারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে।
.
রাজনৈতিক দলগুলো আব্দুল হান্নানদের কথা শুনবে না। কিন্তু এই সরকার তো আব্দুল হান্নানদেরই সরকার। তাদেরই ছাত্রনেতারা সরকারে বসে আছে।
.
তাই আব্দুল হান্নান যদি কষ্ট করে ছাত্র কোটায় যারা উপদেষ্টা হয়েছে তাদের সাথে গিয়ে এ আলাপগুলো করে, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় যে পলিটিকাল প্ল্যাটফর্মগুলো গড়ে তোলা হচ্ছে সেখানে গিয়ে এ আওয়াজগুলো তুলে - তাহলে ইন শা আল্লাহ ভালো হবে।
.
কথাগুলো বললাম কারণ গণঅভ্যুত্থানের সম্ভাবনা নষ্ট হোক, এই কুরবানী বৃথা যাক, এটা আমরা কেউই চাই না। আমরা আব্দুল হান্নানদের চোখে পানিও দেখতে চাই না।

আসিফ আদনান

গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইসরায়েলের হামলার ফলে —

নিহত হয়েছেন এমন ৫১ জনের লাশ হাসপাতালে এসেছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নথিভুক্ত করেছে।

আহত হয়েছেন এমন ১৬৪ জন হাসপাতালে এসেছেন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নথিভুক্ত করেছে।

#GazaGenocide #Gaza #PALESTINE #Health

❝গোনাহগারকে কখনো তার গোনাহের শাস্তি এভাবেও দেওয়া হয় যে, গোনাহটা ছাড়তেও পারে না, আবার গোনাহটাতে কোন স্বাদও পায় না।❞

— আবদুল কাদীর মাসুম হাফি.

মু'তা জর্ডানের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। সেখান থেকে মাসজিদুল আকসার দূরত্ব খুব বেশি নয়। মাত্র দুই মনজিল বা ৪ মাইল দূরেই ইসলামের প্রথম কিবলা। মদীনা থেকে মু'তার দূরত্ব প্রায় এগারো শ' কিলোমিটার। তখন আজকের মতো হাই স্পিডের গাড়ি ছিল না। হেঁটে, উটে বা ঘোড়ায় চড়ে যেতে হয়েছিল তাঁদের। সেই মু'তা প্রান্তরেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাসূল ﷺ-য়ের জীবদ্দশায় সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। বিপক্ষে ছিল চৌকস রোমান সেনাবাহিনী। তাদের নিজস্ব সেনা সদস্য ছিল এক লাখ৷ আরবের বিভিন্ন গোত্র থেকে যোগ দেয় আরও এক লাখ মিলিশিয়া। সর্বমোট দুই লাখ প্রশিক্ষিত এবং সশস্ত্র সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মাত্র তিন হাজার সদস্য বিশিষ্ট সেনাদল অপ্রতিরোধ্য লড়াই গড়ে তোলেন। বিশ্বকে দেখিয়ে দেন, মুসলিমরা সেনাসংখ্যা আর অস্ত্রের জোরে যুদ্ধ করে না। মুসলিমরা যুদ্ধ করে গাজী কিংবা শহীদ হওয়ার অদম্য উৎসাহ নিয়ে। দু হাত কেটে ফেললেও পতাকা মাটিতে ফেলে দেয় না। রক্তাক্ত ও কর্তিত হাতের অর্ধাংশ দিয়েই কালেমার পতাকা উঁচিয়ে ধরে।

৬২৯ সালের সেপ্টেম্বরে (৮ হিজরি সনের জমাদিউল 'উলা) আল্লাহর রাসূল ﷺ দূত হত্যাকারী শুরাহবিল বিন আমর গাসসানীকে উচিত শিক্ষা দিতে যুদ্ধদলকে বিদায় জানালেন। বিদায়কালে সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধান আল্লাহর রাসূল ﷺ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন। তারপর আল বিদা বলে বিদায় জানান।

সেনাদল চলতে শুরু করল। হঠাৎ হযরত আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা রাদি. ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলেন। অশ্রু দাড়ি গড়িয়ে বুকে পড়ে পরনের কাপড়ের উপরাংশ ভিজে যায়।

"কী হল, আপনি কাঁদছেন কেন?" সহযাত্রীদের প্রশ্ন।

"তোমরা কি খেয়াল করো নি, আল্লাহর রাসূল ﷺ নসিহত পর্বে একটি আয়াত তেলাওয়াত করেছিলেন?

তিনি তেলাওয়াত করেছিলেন,

وَإِنْ مِنْكُمْ إِلَّا وَارِدُهَا ۚ كَانَ عَلَىٰ رَبِّكَ حَتْمًا مَقْضِيًّا

আর তোমাদের প্রত্যেকেই তার (জাহান্নামের) উপর দিয়েই অতিক্রম করবে, এটা আপনার রবের অনিবার্য সিদ্ধান্ত।( মারইয়াম, আয়াতঃ ৭১)

আমি শুধু ভাবছি, জাহান্নাম অতিক্রম করে জান্নাতে যেতে পারব কিনা৷ যদি না পারি তাহলে তো আমাকে জাহান্নামের ভয়াবহ আগুনে পুড়তে হবে৷ তখন কীভাবে সেই যন্ত্রণা সহ্য করব?

আর সেই ভয়ই আমাকে অঝোরে কাঁদাচ্ছে।"
হযরত আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা রাদিআল্লাহু আনহুর জবাব।

তাঁরা কোথায়, আর আমরা কোথায়?
কী ছিল তাঁদের ফিলোসোফি, কী আমাদের এইম অব লাইফ? তাঁদের মতো ভাবতে, কাজ করতে এবং পরিকল্পনা সাজাতে ব্যর্থ হলে এই দুনিয়ার কুৎসিত চেহারা পাল্টানো কখনোই সম্ভব নয়।

নজরুল ইসলাম

হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু উবাইদাহ করমর্দন (হ্যান্ডশেক) করছেন শিশুদের সাথে পাশে আরেক আল কাসসাম যোদ্ধা একটি শিশুকে কোলে তুলে রেখেছেন।

#PALESTINE #Hamas #Gaza #GazaGenocide

তারা (ইসকন) যদি ভেবে থাকে দিল্লি তাদেরকে সাহায্য করবে, দিল্লি অনেক শক্তিশালী! তাহলে শুনে রাখুন, দিল্লির থেকেও বড় শক্তি আছে মুসলমানদের।

তাদেরকে (ইসকন) টান দিলে যদি দিল্লি আসে, তাহলে আমাদেরকে টান দিলে ওই বড় শক্তি চলে আসবে। আপনারা চিনতে পেরেছেন তো তাদেরকে?

তারা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। তারা খোরাসানে আছে। সারাবিশ্বের মুসলিম এক হয়ে আছে!

— শাইখুনা হারুন ইযহার (হাফি.)

স্বপ্ন ২০০ গ্রাম পিউর মাংস আলুসহ দিচ্ছে ১৬০ টাকায়। আলু ও প্রসেসিং ফি হিসেবে বিশ টাকা বাদ দিলেও মূল্য দাঁড়ায় ১৪০ টাকা। তাহলে এক কেজি পিউর মাংসের মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭০০ টাকা।

বিনা লাভেও যদি বাজারজাত করা হয় এটা কি সম্ভব? স্বপ্নের এই মাংসের উৎস কী? স্বপ্নের মাদার কোম্পানি এসিআই। এসিআই-কে তো এত ট্রাস্ট করার কিছু নাই।

২০২০ এ করোনায় যখন মানুষের জীবন যায়, তখন এসিআই তাদের 'স্যাভলন' হ্যান্ড স্যানিটাইজারে কয়টা পয়সার জন্য আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহলের পরিবর্তে 'বিষাক্ত মিথানল' ব্যবহার করেছে। এর জন্য ১ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।

মিথানল রিপিটেড এক্সপোজারে স্নায়ু বিকল হতে পারে, চোখের প্রদাহ, দৃষ্টিহীনতা, মাথাব্যথা আরও নানা জটিলতার আশংকা আছে।

এর আগের বছর হাইকোর্ট এসিআই এর লবণ বাজারজাত করা নিয়ে বলেছিল, 'আপনি ১০ বছর পরেও যদি দেখেন তখনও মেয়াদ দুই বছরই। আর দুই বছরের মেয়াদ আজীবনেও শেষ হবে না। মানুষকে কত রকম ঠকানো যায় তার সব আছে।'

সেই লবণ উচ্চ আদালত ক্ষতিকর বিবেচনায় নিষিদ্ধ করেছিল।

যে কোম্পানি উচ্চ আদালতের ভাষায় মানুষকে যত রকম ঠকানো যায়, তার সব অনুসরণ করে সেই কোম্পানিকে এত বাহবা দেওয়ার আগে আমি স্পষ্ট হতে চাই।

এই মাংসের প্যাকেজ গরিবের জন্য না। মেসের জন্যও আসলে না। এর টার্গেট উঠতি নিউক্লিয়াস ফ্যামিলি। দুইজনের সংসারের জন্য এই বাজার সুন্দর, যে সংসারে বুড়া বাপ-মা নাই। সেই ফ্যান্টাসির সমাজে এটা বেশ আলোচিত হবে তা স্বাভাবিক। স্বপ্ন সেই জায়গায় টাচ করেছে।

কিন্তু আমি এর আগে পষ্ট হতে চাই। এই মাংসের উৎস কি? আমদানি করা মাংস? দেশীয় মাংস তো এ দামে সম্ভবপর নয়। আমদানি হলে কোন দেশ থেকে আমদানি করা? কোন মানের মাংস? হালালভাবে জবাই করা কি না?

আরজু আহমাদ

(সচেতনতার জন্য শেয়ার করা, বিশ্বাস করা না করা পাঠকদের একান্ত ব্যক্তিগত এখতিয়ার)

পোশাকের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা এসব হলো বাকওয়াস।

ওদের মন মতো না হলেই আপনাকে বাধ্য করবে থেমে যেতে।

তাবলীগের মাওলানা সাদকে নিচু দেখানোর জন্য মজা করে এই সাজ সেজেছে এক মাদ্রাসা ছাত্র।

এভাবেই এক পক্ষ আরেক পক্ষের ইজ্জত হরণ করছে, শাহবাগীদের কি দরকার!

LGBTQ আইন আমাদের দেশে যদি হয়ে যায় তাহলে নিজের সন্তানের বেলাতেও চুপ থাকা লাগবে। বাধা দিলেই জেল-জরিমানা।

এই যে দেখেন পশ্চিমা দেশের এলন মাস্ক নিজের সন্তানকেও ছেলে থেকে মেয়ে হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেনি। অথচ তার টাকার কোনো অভাব নাই কিন্তু কোনো লাভ হয়েছে?

"স্কাউন্ড্রেল" কিংবা "র‍্যাস্কেল", ভোলা যায় নাই কিছুই। হৃদয়ের ক্ষত শুকায় নাই। দোয়া করি আল্লাহ যেনো এদের প্রত্যেককে 'উপযুক্ত' প্রতিদান দেন। আমীন। আল্লাহুমা আমীন।

নাফিসা তাসনিন

বঙ্গদেশে হিজাব:

১. ভিকারুননিসায় থাকাকালীন একবার সব ক্লাসের সব সেকশন এর মেয়েদের ক্লাসের মাঝখান থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হলো। ডাকার তরিকা ছিলো এমন, একজন টিচার আর কয়েকজন সিনিয়র আপু ক্লাসে আসলেন, আঙুল তাক করে করে কয়েকজনকে দাঁড় করালেন, তারপর বললেন সবাই লাইন ধরে বের হয়ে আসো। যেভাবে অপরাধীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, ওনাদের জেশ্চার, মুখাবয়ব দেখে আমরা নিজেদের সেই কাতারেই ফেললাম। লাইন ধরে যেতে যেতে পৌঁছাই বড় আপার রুমে। উল্লেখ্য, বড় আপা ওয়াজ দ্য স্ক্যারিয়েস্ট বিইং আলাইভ। সচরাচর কেউ কোনো অপরাধ করলে তাকে বড় আপার রুমে নিয়ে যাওয়া হতো বিচার করার জন্য, বড় আপা স্বভাবতই হরেক রকমের শাস্তি দিতেন। আমাদের লাইন এতো বড় ছিলো যে লাইনের এক মাথা বড় আপার রুমের ভেতর, আরেক মাথা সিড়ির উপর। এতোগুলা মেয়ে কে উনারা এই ইন্সট্রাকশন দিতে নিয়ে আসছেন যে, আমাদের হিজাব ঠিক নাই। হিজাব হতে হবে রুমাল এর মত ছোট, গলা দেখা যেতে হবে(!), শুধুমাত্র মাথাটুকু চাইলে ঢাকতে পারি।

*আইডি কার্ডেও হিজাব পড়া ছবি গ্রহণযোগ্য হবে না। ক্রস বেল্ট দেখা যেতে হবে(?!)। ফলে আমাদের সবার দ্বিতীয়বার ছবি জমা দিতে হয়।

*ভিকারুননিসার নিয়ম ছিলো ক্লাস টেন পর্যন্ত চুলে তেল দিয়ে মাঝখানে সিথি করে দুই ঝুটি/বেণী করে স্কুলে আসতে হবে। ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় আমার চুল এতোই ছোট ছিলো যে ঝুটি তো দূরে থাক, হাতে মুঠো করে ধরাও যেতো না। এটা জানা সত্ত্বেও কিছু টিচার ক্লাসে এসে পড়ানোর বদলে হিজাব খুলে দেখতো চুলে তেল আছে কি না!

হিজাব আমার পোশাক এর অংশ, কেউ চাইলেই কিভাবে আমার হিজাব খুলতে পারে আমার মাথায় ঢোকে না। হোক সেটা স্কুলের ভিতরে অথবা বাইরে। ড্রেস কোড চেক করার নামে কারো জামা-কাপড় খুলে কি আপনি দেখেন ভেতরে কি আছে?

২. রাজউকে আসার পর প্রথম দিনই ম্যাক্সিমাম বোরকা-হিজাব পরিহিতার যে নিকনেম দেওয়া হয়, তা হলো- "হুজুর"। ধরেন ক্লাসে পড়া পারেন নাই, বলবে, "কি হুজুর, খালি হিজাব পড়লেই হবে?" ক্লাসে একদিন দেরি হইসে? বলবে, "এতো রঙ ঢং করলে তো দেরি হবেই" যদিও এমন কোনো সত্যতা নাই যে আপনি রঙ ঢংয়ের হিজাব পড়েছেন (পড়লেও তাতে কারো বাপের কিছু না)। এবং এইসব কথাবার্তা তারা ক্লাসের মাঝখানে সবার সামনে দাঁড় করিয়ে পড়ার সময় নষ্ট করে বলবে। মাঝে মাঝে ছুটির পরে রুমে ডেকে নিবে, বাকি টিচারদের দেখিয়ে দেখিয়ে বলবে, "এটা একটা হিজাব পড়ার ধরন হতে পারে? ক্লাসে সং সেজে আসার কোনো দরকার আছে?"

একবার আমার এক বান্ধবী বোরকা পড়ার পারমিশন(!) চাইলে মর্নিং শিফট এর ভিপি স্যার রাগান্বিত কন্ঠে তাকে বলেন, "পর্দা করার জন্য মাদ্রাসা আছে, সেখানে ভর্তি হও, এটা রাজউক কলেজ!" আপনারা জেনে অবাক হবেন যে স্যার এর আয়তন এতোই বেশি যে দরজা দিয়ে ঢোকার সময় ওনার শরীর ৯০° এংগেল এ বাঁকাতে হয়।

এমনও ঘটনা আছে, যে কোনো নিকাব পরিহিতা হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষায় ফার্স্ট হইসে, তাকে একজন পিএইচডিধারী পুরুষ শিক্ষক 'জোর' করে নিকাব খুলাইসে এই বলে যে, "তোমার চেহারা না দেখলে আমি পরবর্তীতে তোমাকে চিনবো কিভাবে?"। হাঁটু পর্যন্ত আইকিউ-ওয়ালা সেই শিক্ষক কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট এর একজন কুখ্যাত প্রফেসর।

একজন হিন্দু মিস ছিলেন, আমারই একসময়ের ফর্মমাস্টার। উনি কলেজে ওনার বন্ধুসুলভ আচরণের জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন। এডজুটেন্ট হওয়ার পর ক্ষমতার লোভে উনি স্টুডেন্টদের সাথে কুকুরের মত ব্যবহার শুরু করেন। উনি আমার এক নিকাব পরিহিতা বান্ধবীকে কলেজের দুই বছর প্রতিদিন নিকাব নিয়ে কথা শুনাইতো। আই রিপিট, প্রতিদিন। কারণ ছিলো এটাই যে হিজাব কেন 'যথেষ্ট' পরিমানে ছোট না। একদিন সবার সামনে চড় দেওয়ার হুমকি দেয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কলেজের টেইলররা পায়ের জুতা থেকে শুরু করে সব কিছুই সেল করতো, জামা/প্যান্ট/পায়জামা অর্ডারও দেওয়া যেতো। কেনা যেতো না শুধু হিজাব/নিকাব।

প্রতিদিন সকালবেলা টার্ন আউট এর ভয়ে ভয়ে কলেজে যাওয়া লাগতো। লুকায় লুকায় ঢুকসি টানা ৮ বছর। ধরাও খাইছি, বকা তো খাইছিই।

স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক(?) হিসেবে এই বিচার আমি কাকে দিবো আমি জানি না। কে বিচার করবে, কার বিচার করবে বা আদৌ করবে কি না। করলেও ৮ বছর ধরে করা অপমান আপনারা ফিরিয়ে নিতে পারবেন? যদিও আমার মনে হয় না ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছাটুকুও আপনাদের মত রেয়ারলি হিউম্যান বিইংদের আছে। সর্বোচ্চ যেটুকু আপনারা করতে পারেন সেটা হলো একটা 'স্যরি' আর সর্বনিম্ন- কিছুই না। কিছু কিছু টিচারের তো 'সিনিয়র' টিচার হওয়ার বদৌলতে ডিকশনারিতে শব্দটাই রাখতে ভুলে যান। আপনাদের উপহাসের স্যরির খ্যাতাপুরি আমি।

আমরা ইথিকাকে ভুলি নাই, ইথিকার মৃত্যুকে কারা ধামাচাপা দিয়েছিলো তাদের ভুলি নাই। কোচিং না করার কারণে পরীক্ষার মার্ক নিয়ে ত্যানাপ্যাঁচানো ইংরেজি কিংবা কেমিস্ট্রি টিচারকে আমরা ভুলি নাই। রিলিজিয়াস এডুকেশন এর যেসব টিচার সব কিছু জেনেও কোনোদিন কোনো প্রতিবাদ করেননি, কোনো প্রশ্ন তোলেননি যে, "হিজাব নিকাব দেখলেই চোখ মুখ এমন রক্তবর্ণ হওয়ার কারণ কি?" আমরা তাদের ভুলি নাই। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সহ্য করা কোনো অন্যায় 'গালি' কে আমরা ভুলি নাই।

ইয়াহইয়া সিনওয়ার ও তার সাথের মুরাবিত্বীনগণ শাহাদাতের সময় অভূক্ত ছিলেন। খালি পেটে তিনদিন জিহাদ করে শহীদ হয়েছেন। আমাদের সময়ের 'গাযওয়ায়ে আহযাব' গাযযার রিবাত্ব। আমাদের ঈমানের লিটমাস টেস্ট গাযযার রিবাত্ব। আমাদের খুযলান এতটা চরমের পৌঁছে গেছে যে শোক প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই যেন করার নেই।

- মুহতারাম আম্মারুল হক

প্রচন্ড খাদ্য অভাবের কারণে উত্তর গাজার ফিলিস্তিনিরা মাটিতে পড়ে যাওয়া খাবার তুলছে খাওয়ার জন্য।

#GazaGenocide

💬

ফেসবুক আর রিয়েলিটির কি পার্থক্য!

তাবলীগের চলমান ইস্যু যতটা না তাবলীগী তার থেকে অধিক রাজনৈতিক।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

যখনই যেকোনও ইস্যুতে নিজেদের মাঝে মতপার্থক্য তৈরি হবে, গালিগালাজ বা অশালীন মন্তব্য না করি।

যতই মতপার্থক্য থাকুক, মুসলিমদের ভেতর কেন গালিগালাজ বা অশালীন মন্তব্য বিনিময় হবে!

দয়া করে নিজস্ব মাসলাক, মাজহাব এবং ঘরাণার এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য দ্বীনী প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করবেন না।

ইলিয়াস কান্ধলভী রাহি. তাবলীগের মেহনত শুরু করেছিলেন মত-পথ সাইডে রেখে পুরো উম্মাহর ঈমান, আমলে উন্নতির জন্য।

এখন ঘরাণার মার্কেটিং হয়ে গিয়েছে তাবলীগের কাজ।

তাবলীগের মূল কাজ বাদ দিয়ে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তাবলীগের ব্যবহার করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ।

সেই কেউ কেউ এর নাম বললে আবার সমস্যা আছে।

মাসলাককেই দ্বীন মনে করতে শুরু করলে সমস্যা হবেই।

হিব্রু সূত্রঃ ইয়াহইয়া সিনওয়ারের মরদেহের ময়নাতদন্তে জানা যায়, মৃত্যুর আগে তিনদিন তিনি অভুক্ত ছিলেন।

#Hamas

The hidden truth behind BRAC

একজন মুসলমানকে ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থার গুরুত্ব বোঝাতে হয় এরচে কষ্টদায়ক এবং লজ্জার আর কি হতে পারে!

- আবদুর রহমান মুআজ

ফাতিহা আয়াতদের মাধ্যমে দেশে আমেরিকান ইসলাম পুশ করা হবে খুব দ্রুতই। অনেকটা ইসলামের মালালা ভার্সন। দীর্ঘ মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের জন্য তৈরি হন ভায়েরা। ড. ইউনুস দেশে ওয়েস্টার্ন থিংক স্ট্যাবল করে যাবেন। পশ্চিমে আমুদে জীবন ছেড়ে ফাতিহা হঠাত দেশে কেন, ভাবুন।

ফাতিহা এখন মিডিয়াতে গুরুত্ব পাবে। সরকারিভাবে প্রমোটেড হবে। যাদের চোখ আছে তারা বাহ্যিক দেখে, যাদের অন্তর্চোখ আছে তারা ভেতরটাও দেখতে পায়।

সাদিক ফারহান

বিএনপি-র জনসমর্থনের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল "ভারত" এর আনুগত্য না করা।

কূটনৈতিক ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য কখনও কখনও নমনীয় আচরণ করলেও আওয়ামীলীগের মতো বিএনপি-র হাইকমান্ড কখনোই অতীতে "ভারত" এর অনুগত হিসাবে কাজ করেনি।

তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আওয়ামীলীগের থেকে অধিক সচেতন হিসাবেই পরিচিত ছিল।

তবে, সাম্প্রতিক কিছু ইস্যুতে বিএনপি-র আচরণ দেখে মনে হচ্ছে যেনো বিএনপি-র হাইকমান্ড ভারতের কাছে নিজেদের বিশ্বস্ত হিসাবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছে এবং একই সাথে নিশ্চিত করতে চাচ্ছে তারা আওয়ামীলীগের মতোই ভারতের কথা মেনে চলবে।

এভাবে চললে, অন্তত তরুণদের ভোট বিএনপি-র হাতছাড়া হবে। দেশের তরুণ প্রজন্ম ভারতের অতিরিক্ত দাদাগিরি আচরণ সহ্য করেনি, এখন যে অতিরিক্ত ভারত-প্রেম দেখাবে তাকেই আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে তরুণ প্রজন্ম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হালচাল

শায়খ আহমাদুল্লাহকে আমন্ত্রণ করে সীরাত মাহফিলের অনুমতি না মিললেও "জয় শ্রী রাম" লেখা আলোকসজ্জার আয়োজন ঠিকই হয়।

'ইউনিভার্স ২৫' বিজ্ঞানের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ানক একটি গবেষনা, যেখানে ইদুঁরের কলোনির উপর পরীক্ষানিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে মানব সভ্যতাকে বোঝার চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা।
এই 'ইউনিভার্স ২৫' এর চিন্তাটি আসে মার্কিন বিজ্ঞানী জন ক্যালহোনের কাছ থেকে। তিনি একটি 'আদর্শ দুনিয়া' নির্মাণ করেন যেখানে ইঁদুরেরা থাকবে এবং বংশবৃদ্ধি করবে। আরও ভালোভাবে বলতে, ক্যালহোন ইদুরের স্বর্গ নামের একটা বিশেষ পরিবেশ তৈরি করেন, যেখানে অঢেল খাবার, পানি ও থাকার জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জায়গা ছিলো। শুরুতে সেখানে তিনি চার জোড়া ইঁদুর রাখেন, যেগুলা উপযুক্ত পরিবেশে অল্প সময়ের মধ্যে বংশবৃদ্ধি শুরু করে এবং সেটাও বেশ দ্রুত গতিতে।
অবাক করা ব্যাপার হল, ইঁদুরদের সেই স্বর্গে রাখার মাত্র ৩১৫ দিন পরেই বংশবৃদ্ধির হার কমে যায়। যখন ইঁদুরের সংখ্যা ৬০০ তে পৌছালো তখন সেখানে দুটি জাত তৈরি হয় ভালো ও 'বিকৃত' ইঁদুরের। এর পর থেকে দূর্বল ইঁদুর গুলো আক্রমণের শিকার হয় এবং অনেক পুরুষ ইঁদুর 'মানষিকভাবে ভেঙে পড়ে'।
ইঁদুরের স্বর্গে থাকার ফল নারীদের ভেতরে পড়েছিল অন্যভাবে। নারীরা নিজেদের আত্মরক্ষা থেকে সরে আসে এবং তাদের সন্তানদের প্রতি আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে। নারী ইদুরদের মাঝে এই আক্রমনাত্মক মনোভাব ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শিশু জন্মহার ক্রমেই কমতে শুরু করে এবং বিপরীতে শিশু মৃত্যুহার বেড়ে যায়।
পুরুষদের মাঝে একটি নতুন জাতের ইঁদুরের উৎপত্তি হয় যারা কিনা 'সুন্দরী ইঁদুর'। তারা নারীদের সাথে বংশবৃদ্ধি ও জায়গার জন্য 'লড়াই' কর‍তে অস্বীকৃতি জানায়। তারা স্রেফ খাদ্য ও ঘুম নিয়ে চিন্তিত হয়। একসময় যেয়ে সুন্দরী পুরুষ ও আক্রমণাত্মক নারীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।
ক্যালহোনের মতে, মৃত্যুর দুটি ধাপ ছিলো। 'প্রথম মৃত্যু' ও 'দ্বিতীয় মৃত্যু'। শেষটি হচ্ছে জীবনের অর্থহীন হয়ে পড়া! অর্থাৎ বংশবৃদ্ধির ইচ্ছার অভাব তৈরি, সন্তান জন্মদান ও সন্তান প্রতিপালনের প্রতি অনিহা এবং সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করতে এগিয়ে না যাওয়া। সময়ের সাথে সাথে শিশু ইঁদুরদের মাঝে মৃত্যুর হার ১০০% ছুয়ে যায় এবং বংশবৃদ্ধি শূণ্যতে গিয়ে ঠেকে।
ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ইঁদুর গুলোর মাঝে সমকামী তৈরি হয়, এবং তারা নিজেরাই নিজেদের খেতে শুরু করে (Homosexuality, Cannibalism)। এই বিকৃত মস্তিষ্কদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে, যদিও সেখানে খাবারের কোনো অভাব ছিলো না, ছিল না বিপরীত লিঙ্গের প্রাণীদের অভাব।
এই গবেষণা শুরুর দুই বছর পর শেষ ইঁদুরটি জন্ম নেয়৷ ১৯৭৩ সালের মধ্যে 'ইউনিভার্স ২৫' প্রজেক্টের শেষ ইঁদুরটি মারা যায়।
জন ক্যালহোন এই পরীক্ষাটি আরো পঁচিশবার করেন, এবং সবগুলো পরীক্ষাতেই একই ফলাফল আসে৷ ক্যালহোনের এই বৈজ্ঞানিক কাজের মাধ্যমে নাগরিক সমাজ ও সভ্যতার অবক্ষয় টের পাওয়া যায় এবং শহুরে জীবন সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পাওয়া যায়।
আমরা আজকের দুনিয়ায় এই একই জিনিসটা দেখছি...।
❝একদিকে দূর্বল, মেয়েলী পুরুষের ছড়াছড়ি– যাদের কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত দক্ষতা কিংবা আত্মরক্ষার সামর্থ্য নেই; আর অন্যদিকে আক্রমনাত্মক পুরুষালী নারী– যারা অতিরিক্ত বদ মেজাজি এবং প্রাকৃতিক মাতৃত্ব-নারীত্ব থেকে দূরে।❞ ❝একদিকে বিশ্বব্যাপী এলজিবিটি, ফ্রি-সেক্স মুভমেন্ট, ভোগবাদের তীব্র উত্থান; অন্যদিকে বিয়ে-পরিবারগঠন, জন্মদান ও সন্তান প্রতিপালনে অনাগ্রহী মানুষের বৃদ্ধি।❞
অর্থাৎ, পৃথিবীব্যাপী Antinatalism, LGBTQ Movement, Free Sex Movement, Feminism, Liberalism, Gender Fluidity Concept ইত্যাদি ওয়েস্টার্ন আইডিওলজি বা পশ্চিমা দর্শনের উত্থান যে বর্তমান ভগ্নপ্রায় বিশ্বব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেক— সেটা বুঝতে আর সুস্থ মস্তিস্কের কারো বেগ পাওয়ার কথা নয়।


Reference : Universe 25: The Mouse "Utopia" Experiment That Turned Into An Apocalypse,

বাহ স্বাধীনতা!
https://t.me/newsboxbangla/29695

আওয়ামী লীগ তার ফ্যাসিজম টিকিয়ে রাখার জন্য ৭১ এর পর থেকে দুইটা অস্ত্র সবসময় বাগিয়ে ধরেছে। এই দুই অস্ত্রই আওয়ামী লীগের দুই ন্যারেটিভ।

১. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিসূচক গরুর রচনা।
২. তাদের একক পুরুষ শেখ মুজিব।

এই দুই ন্যারেটিভকে পুঁজি করেই তাদের ফ্যাসিবাদ সবসময় টিকে গেছে। প্রথম ন্যারেটিভকে শক্তি যুগিয়েছে বাম ও ইসলামবিদ্বেষী শক্তি। দ্বিতীয় ন্যারেটিভকে সামনে রেখে স্বৈরাচারের প্রেসক্রিপশন দিয়েছে ভারত। বাম ও ইসলামবিদ্বেষী শক্তি বলতে ওরকম কিছু আদর্শিকভাবে বাংলাদেশে এক্সিস্ট করে না। সোজা কথায়, বাম বলতে কিছু নেইই এই দেশে। যা আছে তা হলো ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিস্তারে দেশীয় ল্যাস্পেন্সার। এরা মিলে ফ্যাসিজমকে উদোম সার্ভিস দিয়ে গেছে। ন্যারেটিভগুলো শক্তিশালী করেছে। কিন্তু এই দুই ছাড়া আদর্শিক স্বকীয় অবস্থান না থাকায় এগুলো না থাকলে আওয়ামীলীগ হয়তো নাই হয়ে যাবে। অথবা সরাসরি ভারতের সহযোগী হয়ে দেশের অভ্যন্তরে তাদের হয়ে কাজ করবে যে কোনো রূপে। আস্তে আস্তে এগুলো ভেঙে পড়ছে। ছাত্রলীগ বা আওয়ামীরা তাদের কাজ শুরু করবে। কিন্তু বাকীদের ন্যারেটিভ কী?

জিয়াউর রহমানের বিএনপির সবচেয়ে বড় ন্যারেটিভ ছিলো ভারত বিরোধিতা। বিএনপি এর উপরই প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু ম্যাডাম অসুস্থ হবার পর থেকে বিএনপিতেও ভারতপ্রীতির রাজনীতি হচ্ছে। বিএনপি যদি নিজেদের ন্যারেটিভে ফিরতে না পারে তাইলে তাদের কপালে দুঃখ আছে। নতুন আরেক ফ্যাসিজমের হয় জন্ম তারা দেবে না হয় নির্মুল হয়ে যাবে।

আম্মারুল হক

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অসংখ্য সদস্য গত পনেরো বছরে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতি এদের স্পষ্ট দায়বদ্ধতা রয়েছে কেননা এদের রিক্রুটমেন্টের পিছনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করাটাও একটি ভাইটাল কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই এরা চাইলেই শিক্ষক হিসেবে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটিকে আবারো সংগঠিত করতে পারে। তাই এদেরকে এখনই বরখাস্ত করতে হবে। এদের সব নিয়োগ বাতিল করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের কষ্টের টাকায় কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের রুটি রুজির নিরাপত্তার পিছনে খরচ হতে পারে না। এরা বি আওয়ামীকরণের মূল বাধা। ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কিংবা তার অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাই যথেষ্ট নয়। আমাদেরকে অবশ্যই বি আওয়ামীকরণের কথা চিন্তা করতে হবে।

- সাওয়াবুল্লাহ হক

ছাত্রলীগের মাদার ফাদার সংগঠন যুবলীগকেও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক।
...
আর যদি

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে জাতি কি পেল ?
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাই কি একমাত্র সমাধান ছিল ?
ছাত্রলীগ কিভাবে এক সময় এই জাতির আশার স্থান হয়ে ছিল।
ছাত্রলীগের পূর্বের নেতারা ছাত্রলীগের নিষিদ্ধতাকে যেভাবে দেখছেন।
ছাত্রলীগ যেভাবে পূনরায় ফিরে আসতে পারে।
ছাত্রলীগের সাথে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের অপরাধের তারতম্য কতটুকু।
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের মাধ্যমে সরকার কী অসহিষ্ণুতার পরিচয় দিল
ছাত্রলীগ যেভাবে একদা গণমানুষের সংগঠন হিসেবে দাড়িয়েছিল
স্বাধীনতার জন্য ছাত্রলীগের ভূমিকা কী আমরা ভুলে যাব ?
...

ইত্যাদি কলাম যদি দেখতে না চান তাহলে প্রথম আলো আর ডেইলি স্টারকেও পরবর্তী টার্গেটে রাখুন। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের পক্ষে যে কেউ কলম তুলবে তাকে সন্ত্রাস দমন আইনে জবাবদিহিতার সম্মখীন করার জন্য সুতীক্ষ্ণ নজর রাখুন।

সাওয়াবুল্লাহ হক

শাতীমে রাসূল

https://www.facebook.com/share/157tJJ7c8Q/

এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে ঐ শয়তানের ফেসবুক একাউন্ট পাবেন।

আমরা চাই ট্রাফিক পুলিশের চাকরিতে হিজড়াদের বিশেষ সুযোগ প্রদান করা হোক।

* হিজড়াদের নামে ট্রান্সজেন্ডার নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করলে খবর আছে। একদম মেডিক্যাল টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে হিজড়াদের সরকারি এই চাকরিতে সুযোগ দিলে তাদের কর্মসংস্থান হবে, সাধারণ মানুষও আর বিব্রত সবে না ওনাদের টাকা তোলার কারণে।

রেহান থেকে আবরার
আসবো ফিরে বার বার
আবু সাঈদ থেকে ওয়াসিম
আজকে মোদের ঈদের দিন।

আলহামদুলিল্লাহ!

মুনীরুল ইসলাম ইবনু জাকির মুক্ত বাতাসে।

BREAKING NEWS!

সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো সরকার।

#BANGLADESH

দেশে কীভাবে জঙ্গী নাটক সাজানো হত, আর কীভাবে নিরীহ মানুষকে ঘরের ভিতর তালাবদ্ধ করে হাজার হাজার রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে খাচায় বন্দি পাখির মত মারা হত, তার বীভৎস বিবরণ।

মানবজমিনের এই নিউজটা মাস্ট রিড

https://mzamin.com/news.php?news=132762&fbclid=IwY2xjawGFgItleHRuA2FlbQIxMAABHb2Hc1svwla2ZE9vfcTucrVj0a6gRB96n6ygleax7P96Xu9WkihOXAMiYQ_aem_jK3qsuteM_jY2tTCB_G9uw#gsc.tab=0

লিখেছেন, রাফান আহমাদ

বাঙালির 1984 (পর্ব ১)

নজরদারি ও কর্তৃত্ববাদ

(১)
২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে কয়েক বছর হলো। ইউরোপের নানা জায়গায় কর্তৃত্ববাদী সরকার জেঁকে বসছে। এমনই এক রাষ্ট্র ওশেনিয়ার সরকার প্রধান হলো বিগ ব্রাদার। তবে তাকে কেউ সশরীরে দেখে নি। শহরের সব জায়গায়, এমনকি বাসা-বাড়িতেও তার পোস্টার দেখা যায়, পোস্টারে লিখা 'বিগ ব্রাদার তোমাদের দেখছেন'।

তো তিনি কীভাবে সবাইকে দেখছেন? বিগ ব্রাদারের সরকার টেলিস্ক্রিন দিয়ে সবাইকে নজরদারি করত। টিভির মতন এই যন্ত্রে সরকারের গুণগান গাওয়া হতো, পাশাপাশি যন্ত্রটা দিয়ে ঘরে নজরদারিও করা হতো। কড়া নজরদারি বেড়াজালে পরে মানুষ ভয়ে নিজের স্বাধীন চিন্তাকে দমন করে রাখত। নজরদারির জন্য আরো নিয়োগ করা হয়েছিল চিন্তা-পুলিশ। তারা লুকানো মাইক্রোফোন, ইনফর্মার ও নিজেদের পর্যবেক্ষণ থেকে সন্দেহভাজন লোক শনাক্ত করত। কেউ সরকারের বেঁধে দেয়া বয়ানের বিপরীতে চিন্তা করলেও সেটা অপরাধ গণ্য করা হত। বাচনভঙ্গি, আচার-আচরণে এমন কিছু আঁচ পেলেই তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হত। তাকে 'উধাওঘরে' নিয়ে গায়েব করে ফেলা হত। এরপর মুছে ফেলা হত তার অস্তিত্বের সব চিহ্ন। কেউ আর তাকে খুজে পেত না। প্রতিবেশি, সহকর্মী এমনকি নিজের সন্তানেরাও চিন্তা-পুলিশকে তথ্য দিত। এই ভয়ের সংস্কৃতির মাঝে পরে মানুষ নিজের চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করত। কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে পরস্পর-বিরোধী তথ্য চোখ বুজে মেনে নিত। সরকারের বয়ান ছিল, যুদ্ধই শান্তি - স্বাধীনতাই দাসত্ব - অজ্ঞতাই শক্তি।

(২)
বাঙালির রাষ্ট্রে সরকার প্রধান হলেন শেখ হাসিনা। তার নির্দেশে নজরদারি চলত গোয়েন্দা সংস্থা আর পুলিশের মাধ্যমে। ইসরায়েল থেকে স্পাই ভ্যান, পেগাসাস সফটওয়ার কেনা হয়েছিল এই কাজ করার জন্য। এরা হলো বাঙালির চিন্তা-পুলিশ। টিভির পর্দায় শুধু উন্নয়নের গল্প বলা হত। মাঠ পর্যায়ে কাজ করত ছাত্রলীগ ও বাম কর্মীদের সিংভাগ। এরা চিন্তা-পুলিশের ইনফর্মার হিসেবে কাজ করত। ফেসবুক পোস্ট, পোষাক যেমন দাঁড়ি-বোরকা-পাঞ্জাবি, নামায পরে কিনা, বিরোধী দল সমর্থন, সরকারের সমালোচনা-এসব বিষয় দেখে তারা স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি নির্ধারণ করত। এদের কাউকে জ সন্দেহে আয়নাঘরে গুম করা হত, কাউকে ক্রয়ারে মারা হত, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হত। পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়া জনগণের কণ্ঠরোধ করা হতো।

প্রতিবেশি, সহকর্মী, সহপাঠী এমনকি বন্ধুও চিন্তা-পুলিশের কাছে তথ্য পাচার করত। আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙালি ভাইদের কাছে তথ্য দিত। তারা জামাত শিবির সন্দেহে নির্যা*ন চালাত, কখনো মেরেই ফেলত। এরপর চিন্তা-পুলিশের কাছে তুলে দিত।

বাঙালির সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য চিন্তা-পুলিশ জ নাটক সাজাত। কয়েক মাস আগে গুম করা লোকদের নিয়ে কোথাও অভিযান করত বা বো* ফাটাত। তারপর বলত এরা নাশকতা করতে গিয়ে পুলিশের গু*তে মারা গেছে। যেই প্রতিবাদের সামান্য নজির দেখাত তাকে রাজাকার, জামাত-শিবির, মৌলবাদি, জ আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে ঝাঁপিয়ে পড়ত মুক্তমনা, বিজ্ঞানমনস্ক বাঙালিরা। মানুষ প্রবল ভয়ে কারো পোস্টে লাইক দেয়া থেকেও দূরে থাকত। কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে পরস্পর-বিরোধী মতও মেনে নিত। বাঙালিদের বয়ান ছিল হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি অথচ বাংলা ইতিহাস বাড়িয়ে বললেও ছয়শ বছর পার হয় না। তারা বলত ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অথচ আবার বিশ্বাস করত শেখ মুজিব স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তারা নিজেদের অসাম্প্রদায়িক দাবি করত অথচ বাঙালির পরিচয় নির্মানের ইতিহাসে সাম্প্রদায়িকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।

বিগ ব্রাদার যেমন ইতিহাসকে নিজের মতন করে সাজিয়ে নিজের দলের বয়ান জায়েজ করত। বাঙালিরাও ঠিক তেমনিভাবে নিজেদের মতন করে ইতিহাস সাজিয়ে অসাম্প্রদায়িকতা ও স্বাধীনতার চেতনাকে জাস্টিফাই করত। বিগব্রাদারের দেশে মূলধারার বয়ানরে প্রশ্ন করা যেমন 'চিন্তাপরাধ' ছিল। বাঙালির দেশেও অসাম্প্রদায়িকতা আর স্বাধীনতার চালু বয়ানকে প্রশ্ন করলে প্রগতিশীল মধ্যবিত্ত আর পুলিশিং কাঠামো তারে ধরাশায়ি করত।

(চলবে)

https://youtu.be/bTG-ZAy_5Og?si=0vNhNRGqBNA5X6V9

বঙ্গভবনের সামনে সাউন্ডগ্রেনেড বিস্ফোরণ, সাংবাদিক-শিক্ষার্থীসহ আহত ৫।

@newsboxbangla

রাজশাহীর ভাইলোক আপনারা কই?

Royal Enfield ভারতীয় পণ্য।
আমাদের বয়কট লিস্টে ছিল।
আমরা বেহায়া জাত, সহজেই রক্তের গন্ধ ভুলে যাই।

ইয়া আল্লাহ! ইয়া রব!

আসিফ আদনানের লেখা ঐ নাশিদে কি ঈমান বিরোধী কোনও কথা আছে?

অমুসলিমদের মন্ডপে গিয়ে গান গাইতে পারলেও আসিফ আদনানের লেখা নাশিদ গাইতে পারবা না। এটা কোন ধরনের মানসিকতা?

হামাসের শীর্ষ নেতা ও সাবেক প্রধান খালেদ মাশাল বলেছেন,

ইয়াহইয়া সিনওয়ারের নেতৃত্বে ইসরাইলবিরোধী যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে তা দখলদার ইসরাইলকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।

তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সিনওয়ারের স্মরণে আয়োজিত এক শোক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

#PALESTINE #Israel #Hamas