Hasan Muhammad @contruction23 Channel on Telegram

Hasan Muhammad

@contruction23


contruction23 (English)

Are you interested in the world of construction and looking for a place to connect with like-minded individuals? Look no further because 'contruction23' is the perfect Telegram channel for you! Led by the knowledgeable Hasan Muhammad, this channel is dedicated to all things construction-related. From discussing the latest trends in the industry to sharing valuable tips and tricks for both professionals and enthusiasts, 'contruction23' is your go-to source for all things construction. Hasan Muhammad, with years of experience in the field, provides valuable insights and expertise that you won't find anywhere else. Whether you're a newbie looking to learn more about construction or a seasoned pro wanting to stay updated, this channel has something for everyone. Join 'contruction23' today and become a part of a thriving community passionate about construction!

Hasan Muhammad

15 Feb, 09:43


আজকে সকালে শিরকে আকবর নিয়ে আদনান রশিদের বক্তব্য শুনলাম। আদনার রশিদের চেয়ে ড্যানিয়েলের অবস্থান শক্ত ও যৌক্তিক। আদনান রশিদ বেশিরভাগ আক্ষরিকতার উপর জোর দেয় বেশি, যেটা প্রায় সকল‌ সালাফিদের মধ্যে কমন।

শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ ইস্তিগাছাকে হারাম মনে করতেন যেটা হল দেওবন্দিরাই মনে করে।ইস্তিগাছার ব্যাখ্যা আছে, কারণ একটা হচ্ছে আল্লাহর পরিবর্তে কাউকে তার চেয়ে যোগ্য মনে করা, আরেকটা হচ্ছে মাখলুকের দুর্বলতার জানা সত্ত্বেও তার পক্ষে সম্ভব এমন কিছু সাহায্য চাওয়া।‌ যেগুলো আমরা সাধারণ মানুষের কাছে করে থাকি। আরো রওজার গিয়ে নবীজির কাছে কিছু চাওয়া। এটার ধরন এবং ব্যাক্তির অবস্থা অনুযায়ী শিরক হয় ও কুফর হয়ে যায়।‌ কিন্তু এটা হারাম মনে করে দেওন্দীরা, কিন্তু কিছু করলে তাকে যা কাফির মুশরিক বলে না কারণ এখানে ব্যাখ্যা থাকে। আদনান রশিদ এই জিনিসটা বুঝতে চায় নাই।

আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে শাহ সাহেবকে নিয়ে সবাই টানাটানি করার কারণ কি জানেন, শাহ সাহেব সুফি ছিলেন বড় মাপের। গাজালির পরে যদি ইলমের গভীরতা আর‌ তাসাউফের‌ সর্বোচ্চ মাকাম কেউ নিয়ে থাকে, তাহলে শাহ সাহেবের নাম নিতে হবে। আর সুফিদের কথা হয়ে থাকে গভীর আর বহু অর্থবোধক। তাদের কথার অনেক দিক থাকে, গভীরতা থাকে। উদাহরণস্বরূপ রুমিকে ধরতে পারেন। রুমির করা কবিতাগুলো আল্লাহ ভালোবাসায় উৎসর্গ করে লেখা, অথচ যখন রুহানিয়াত গুলো শাব্দিক রূপ নেয়, তখন সেটা দিয়ে রুহানিয়াত বুঝানো সম্ভব হয় না। কারণ তাদের কথাগুলো হয় মেটাফোরিক। এজন্য অক্ষরবাদীরা রুমির কবিতাকে নারীর সাথে প্রেম ভালোবাসার কবিতা মনে করে।

( নোট, আমি আশআরি, মাতুরিদি আর আছারি নিয়ে একটু ভয়েস নোট দিছি টেলিগ্রামে। ওইটা শুনতে পারেন, আপনাদের কাজে লাগতে পারে।)


আরেকটা অংশ দেখালাম হচ্ছে শিয়াদের বিষয়ে ড্যানিয়েলের অবস্থান। ড্যানিয়েলের অবস্থান ভুল তাতে কোন সন্দেহ নাই কিন্তু। কিন্তু মাহাস তো‌ অলরেডি ইরান থেকে মিলিটারি এডাভান্টেজ নেয়।‌ সুতরাং আলাদাভাবে এটা আর শিয়া সুন্নির ঐক্যের লিটেরেচার প্রচার করার প্রয়োজন হয় না। সৌদি, কাতার আরব আমিরাত সহ মোটামুটি সকল মুসলিম রাষ্ট্রই কিন্তু মাহাসকে মিলিটারি এবং ফাইনান্সিয়াল সাপোর্ট দেয়। কিন্তু স্ট্রাটেজিকলি তারা কিন্তু মাহাস থেকেই সাহায্য বেশি পেয়েছে, এটা স্বীকার করতে হবে। কিন্তু অফিসিয়ালি আলাদাভাবে শিয়া সুন্নির ঐক্যের ডাক ড্যানিয়েলের সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর অবস্থান।

ড্যানিয়েলের পেছনে সালাফিদের ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণগুলো নিছক শিয়া সুন্নির ঐক্যের ডাক না আমার বিবেচনায়।‌ মোটাদাগে তাদের সমস্যা হলো:

> ড্যানিয়েল আশআরি মাতুরিদিদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত মনে করে। যেখানে সালাফিরা তাদের নিজেদের ছাড়া আর কাউকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মনে করে না। (অর্থাৎ আশআরি মাতুরিদিরা আহলুল বিদআহ হাস্যকর!)

> ওয়াহহাবি-সালাফি ডকট্রিনের বিরোধীতা

> শিয়া-সুন্নির ঐক্যের বিরোধীতা করে যখন ড্যানিয়েলকে আক্রমণ করা হয়, তখন থেকেই ড্যানিয়েল ওয়াহ্হাবি-সালাফিদেরকে একাডেমিক খন্ডন করতে‌ শুরু করে।

> ড্যানিয়েল দেওবন্দী ফ্যানবয়।

কিন্তু ওয়াহ্হাবি সালাফি ডকট্রিনের অবস্থান শক্তিশালী না কখনোই। আমি আশ্চর্য হয়েছি আদনান রশিদ নিজে সালাফি হয়ে নিছক আশআরি মাতুরিদিদের প্রতি নম্র হওয়ার কারণে সালাফিদের কাছ থেকেই কি পরিমান আক্রমণ শিকার হলো। এটা অবশ্য নতুন না, এটা পুরোনো স্বভাব।

Hasan Muhammad

14 Feb, 12:41


Last heated debate between Daniel Haqiqatzou and Adnan Rashid shows us Salafi creed has inherent harshness and impossibility of building an empire based on it. At least in the modern age where deceive military triumph over the rest of the world are almost impossible. Strict adherents to the salafi creed is not sympathetic to the fellow Muslim and they other Muslims who belongs to different creed. I think we have to think about exploring an aspect of Islamic sunni secularism where sunni political authority will be neutral midst Sunni traditional creeds like 'Ashari', 'Maturidi', 'athari', 'Ahlul Hadith' and so on.

However I think Maqdisi and his alike shouldn’t get access midst Sunni folk. They could be studied only in the domain of Sunni scholarship.

Hasan Muhammad

14 Feb, 09:30


হাকিকাতজু আর আদনান রশিদের ডিবেট দেখতেছি। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আদনান রশিদের আশআরি মতুরিদিদের প্রতি লিনিয়েন্ট অবস্থান খোদ ওয়াহাবি-সালাফিরাই মানতে পারতেছে না। টুইটারে রীতিমত আদনান রশিদকে ওয়াহাবি-সালাফিরা সমালোচনা করছে প্রচন্ড, অনেকে তাকফিরের হুমকি দিচ্ছে। অনেক প্রশ্ন মাঝে মাঝে আসে, আদনান রশিদ যেই আহলুল বিদআতের সংজ্ঞা দেয়, তাতে তারা নিজেরাই বাতিল হয়ে যায়। আবার দেখেন ইবনে তাইমিয়া আর ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের সাথে আধুনিক ওয়াহ্হাবি-সালাফিদের অমিল।

আশআরি মাতুরিদিরা যে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত- এই বিষয়টা কোন দিনই সালাফিরা মানবে না প্রকৃত অর্থে। ডাইরেক্ট প্রশ্ন করলে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে উত্তর দিবে অথবা চুপ থাকবে। তাদের আকিদার ভিত্তি হলো আশআরি মাতুরিদিদের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত থেকে বের করে দিয়ে ক্রিটিসিজম করে নিজেরা সুপ্রিম হওয়া। আবার মাঝে মাঝে আশ্চর্য হই খারেজিরা আমিরুল মুমিনিন মো ল্লা উমর রহকে আমিরুল মুমিনিন মনে করতো, কিন্তু কিভাবে? কারণ আমিরুল মুমিনিন তো দেওবন্দী মাতুরিদি ছিলো। তার মানে তারা কি মাতুরিদি বিদআতিদের আনুগত্য করছিলো? হাস্যকর মনে হয় না! এই ধরনের আরো জটিল কিন্তু সহজ বিষয় আছে, যার কারণে সালাফিরা শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও কোথায় মূলধারা হতে পারে নাই। আলজেরিয়া, মিশর, শাম যেটাই বলেন না কেন। উল্লেখ্য যে শামে সংখ্যাগরিষ্ঠ আশআরি উলামারা, যদিও সালাফিদের প্রভাব আছে।

Hasan Muhammad

13 Feb, 13:18


https://dailyamardesh.com/amar-desh-special/amdmxzdynxwv2?fbclid=IwY2xjawIanv9leHRuA2FlbQIxMQABHQuBg1ZHgjDZn5xDV0pKLDuhbAOS_WJpXiiMJ8qGPVaWKplKWV1Z1QwukQ_aem_rJ5Z5wHw9BnnwF2_1BFITw&sfnsn=mo

Hasan Muhammad

13 Feb, 02:41


CTTC এর নীচ তলায় বায়োমেট্রিক লকড আয়নাঘর আছে। এটার কথা যেন সবাই ভুলেই গেছে। NSI এর‌ হাতে যতগুলো গুম হয়েছে, তাদের সবাইকে আগে এখানে নিয়ে আসা হয়। এর আগেও আয়নাঘর রিভিল হলেও CTTC এর নীচতলা দেখানো হয় নাই কিন্তু। নীচ তলার বায়োমেট্রিক লকড আয়নাঘরের গ্লাসটা এমনভাবে বসানো যে বাহির থেকে বুঝার উপায় নেই যে এখানে আয়নাঘর আছে।

Hasan Muhammad

12 Feb, 16:03


লিখেছেন জাফরান হাসান

------

আয়নাঘরের কিছু সাধারন শারীরিক নির্যাতনসমূহঃ

১) হাতলওয়ালা কাঠের চেয়ারে বসিয়ে মেটালের বেল্টের মাধ্যমে হাত পা ও মাথা আটকে দিয়ে হাই ভোল্টেজ ইলেক্ট্রিক শক দেওয়া হতো। কিছু আয়নাঘরে লোহার তৈরি চেয়ারও আছে/ছিলো যেগুলো দিয়ে সারাশরীরে প্রচন্ড শেইক/শক দেওয়া হতো। এই চেয়ারের বেশিরভাগ বন্দীই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গেছে।

২) প্লাস্টিকের একটি চেয়ারের নিচের অংশ ছিদ্র করে রাখা হতো। এই চেয়ারে বন্দিকে বসিয়ে অন্ডকোষে সূক্ষ্ম সূতা পেঁচিয়ে চেয়ারের ছিদ্র দিয়ে নিচের দিকে টান দেওয়া হতো।

৩) মেঝে থেকে আনুমানিক ৮/৯ ফুট উচ্চতায় ঝুলন্ত লোহার বার বা সেলিং-এ ফ্যানের হুকের সাথে উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানো হতো।

৪) জানালা অথবা দেয়ালে লাগানো হুকের সাথে বন্দির হাত এমনভাবে হ্যান্ডকাফ/শিকল দিয়ে বেধে রাখা হতো যেন মেঝেতে কোনমত পায়ের আঙ্গুল স্পর্শ করে, কিন্তু পুরোপুরি দাঁড়ানো সম্ভব না হয়।

৫) মেঝেতে পা ছুঁইছুঁই করে দুই হাত উপরে তুলে ঝুলিয়ে বন্দিকে ঝুলিয়ে রাখতো, নিচে পেরেকযুক্ত কাঠ ফেলে রাখা হতো। অনেক বন্দি নিজের ভার সইতে না পেরে পায়ে পেরেক বিধে ফেলতো।

৬) বিশেষ প্লায়ার্স ব্যবহার করে বন্দির হাত ও পায়ের নখ কাঁচা টেনে উপড়ে ফেলা হতো।

৭) বন্দির হাত ও পায়ের নখের অগ্রভাবে সূচালো ক্ষুদ্র সূচ ফুটিয়ে নির্যাতন করা হতো।

৮) পা মুড়িয়ে হাতের ভেতর দিয়ে লাঠির সাহায্যে আটকে রাখা হতো, হাত হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকে রাখা হতো।

৯) ২৪/৭ বন্দির হাতে হ্যান্ডকাফ থাকতো, ফলে অনেকের হাতের চামড়া কেটে হ্যান্ডকাফ ঢুকে যেত।

১০) ঘুমের সময় অনেক বন্দীর হাত পেছনমোড়া করা রাখা হতো। বন্দীদের বুকের উপর ভর করে ঘুমাতে বাধ্য করা হতো।

১১) অনেক বন্দীকে শুয়ে ঘুমানোর অনুমতি ছিলোনা। দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে সারারাত শুয়ে থাকতে হতো।

১২) লাঠির অগ্রভাগ দিয়ে বন্দীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থান, লজ্জাস্থানে আঘাত করা হতো।

১৩) হুট করে বন্দীর দুই কান বরাবর সজোরে চড় দিয়ে বন্দীর কান ফেটে দিতো।

১৪) বন্দীকে মেঝেতে শুইয়ে শরীরের উপর দিয়ে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে রোল করে মাড়াই করতো।

১৫) বন্দীকে প্রসাব করতে দিতোনা, জরুরী প্রকৃতির ডাক আটকে রাখতে বাধ্য করতো।

১৬) বন্দীর অন্ডকোষ সজোরে চাপ দিতো। এতে অনেক বন্দী ব্যথা সহ্য না করতে পেরে অজ্ঞান হয়ে যেত।

১৭) লজ্জাস্থানের প্রসাবের স্থান দিয়ে প্লাস্টিকের রয়্যাল প্লাগ ঢুকিয়ে দিয়েই প্লায়ার্স দিয়ে চাপ দেওয়া হতো। বন্দীর প্রসাবের স্থান কেটে গিয়ে রক্ত পড়তো।

১৮) নারী ও পুরুষ উভয় বন্দীদের অনেককে ধর্ষণ করা হতো। বন্দীদের চোখ বেধে রেখে তার মুখে অফিসাররা গোপনাঙ্গ প্রবেশ করিয়ে দিতো।

১৯) অনেক বন্দীদের শরীরে বীর্যপাত করতো। এমনকি পুরুষ বন্দীদের সাথেও এমন আচরন করত।

২০) পুরুষ বন্দীদের সামনে স্ত্রী-কন্যাকে উলঙ্গ করে একাধিক র‍্যাব সদস্য ঝাঁপিয়ে পড়তো।

উপরের ঘটনাগুলো আমি নিজ কানে সরাসরি বন্দীদের থেকে শুনেছি। সুতরাং আমার পরিচিতজনের কাছে এর সোর্স নিয়ে কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়।

[ নেক্সটঃ আয়নাঘরের সাধারন মানসিক নির্যাতনসমূহ]

Hasan Muhammad

11 Feb, 16:27


নতুন রাজনৈতিক অবস্থা পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বড় একটা শূন্যস্থান হলো বাংলাদেশী মুসলিমদের আত্মপরিচয়ের ডিসকোর্স। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করলাম, যে আত্মপরিচয়ের ক্ষেত্রে ছাত্র নেতারা সেই একাত্তরেই বারবার ফিরে যায় কেন? হাসিনা সরকার আমাদের উপর পনেরো বছর জেল-জুলুম করেছে, অত্যাচারের করেছে এবং মুজিববাদকে প্রতিষ্ঠা করেছে এই একাত্তরের উপর ভর করেই। তাহলে এই অভিশপ্ত জায়গা কেন আমাদের আত্মপরিচয়ের গোড়া হবে? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন একাত্তরের আগে কি বাংলাদেশে মুসলমান ছিলো না? তাহলে বাংলাদেশী মুসলিমদের ইতিহাস এতো পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও তারা একাত্তরে মুখ দেয় কেন বারবার?

আত্মপরিচয় বলতে আমরা কি বুঝি? একটা মানুষ চিন্তা এবং বিশ্বাসগত (ধর্ম ) দিক থেকে কোন একটা মতাদর্শ ও আদর্শকে তার জীবনে ধারণ করে। তার কর্ম, বিশ্বাস এবং মূল্যবোধটাই তো একটা আত্মপরিচয়। সেই অঞ্চলের মানুষের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিই তো তাদের আত্মপরিচয়ের উপাদান। তাহলে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মরা যদি একাত্তরে তাদের আত্মপরিচয় সন্ধান করে, তাহলে এর অর্থ দাঁড়ায় বাকশালী মুজিব এবং খুনি হাসিনা যেটাকে পনেরো বছরের দমন নিপীড়নের মাধ্যমে বাংলাদেশী মুসলিমদের "হি ন্দু য়া নি আত্মপরিচয়" তৈরি করে দিয়েছে, তারা সেটাকে মেনে নিয়েছে। তারা যার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে, তাদের মতাদর্শকেই নিজেদের আত্মপরিচয়ের উৎস ধরে নিয়েছে‌। অর্থাৎ যেই আদর্শ ও চেতনার নামে বাংলাদেশের মানুষ পনেরো বছর নির্যাতিত হয়েছে, আবু সাঈদ সহ আরো দুহাজার প্রান ঝড়েছে, হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে, আজকে তারা সেখানেই তাদের আদর্শকে স্থাপন করছে!

জর্জ অরওয়েলের এনিমেল ফার্মের কথা মনে আছে? পশুর খামারের মালিক মিস্টার জোনসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে পশুরা তাদের স্বাধীনতা অর্জন করে। তারা তাদের স্বাধীন সমাজ গড়ে তোলে, যেখানে তাদের স্লোগান ছিলো All animals are equal. কিন্তু কয়েকদিন পর ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে পড়ে শূকরদের হাতে। ধীরে ধীরে তারা তাদের আগের মালিক‌ মিস্টার জোনসের মতো কাপড় আর দুপায়ে হাঁটতে শুরু করে। তখন স্লোগান হয়ে যায় All animals are equal, but some animals are equal than others. একাত্তরে তারা তাদের আদর্শকে স্থানূকরে সেক্যুলারিজম ও বহুত্ববাদের সেই ইসলামোফোবিক শাহবাগী চিন্তাকে গ্রহণ করে তারা আমাদের সামনে এনিম্যাল ফার্মের উদাহরণ তৈরি করে দিয়েছে। ঠিক যেন এনিম্যাল ফার্মের মতো আগের মালিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নিজেই সেই মালিকের মতো আচরণ করতে শুরু করেছে।

একাত্তর বা সাতচল্লিশ কোনটাই বাংলাদেশের মুসলমানদের আত্মপরিচয়ের জায়গা না। কেননা একাত্তর হলো এমন একটা স্টেশন যেখানে অনেক আগেই জাল বিছিয়ে রেখেছে ভাড় তীয় কর্তৃত্ববাদ। যদি একাত্তরে আপনাদের আত্মপরিচয় থাকে, তাহলে বাংলাদেশে পুনরায় ভাড় তীয় হেজেমনি ফিরে আসবে। হয়তো আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে না, কিন্তু লীগের মধ্যে যেই চরিত্র ছিলো তা বারবারই একাত্তরের উপর ভর করে ফিরে আসবে। শাহবাগ হয়তো আর 'শাহবাগ' নামে ফিরে আসবে না, কিন্তু ভিন্ন আরেক নাম নিয়ে অবশ্যই ফিরে আসবে। একাত্তরকে তারা বিষাক্ত করে ফেলেছে মুজিববাদ দিয়ে। বাংলাদেশের মুসলমানদের আত্মপরিচয়ের জায়গা হলো বখতিয়ার খিলজি আর মুঘলদের শাসনামলে।

এই দেশের মুসলমানরা জাতিগতভাবেই মুসলমান। তুর্কি বংশোদ্ভূত বখতিয়ার খিলজির মাধ্যমে এই অঞ্চলে স্বাধীন সুলতানি আমলের সূচনা হয়, আরব এবং তুর্কি সুফিরা এই অঞ্চলের মানুষকে "মুসলিম" আত্মপরিচয় তৈরি করে দেয়। সুলতানি আমল থেকেই এখানে বাংলা ভাষার লিখিত রূপের সূচনা হয়, তাদের আমলে বাংলা ভাষায় সাহিত্য লেখা হতে থাকে। সুলতানী আমল এবং পরবর্তী মুঘলদের মাধ্যমেই বাংলাদেশি মুসলমানদের সাংস্কৃতিক ভিত্তি তৈরি হয়ে যায়। দাস বংশের সুলতান ইলতুতমিশ, বলবনের সময়ে থেকে বাংলাদেশ রীতিমতো মুসলিম অঞ্চল হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। সুতরাং বাংলাদেশের মুসলমানদের আত্মপরিচয় জায়গা একাত্তর না কিংবা সাতচল্লিশ না। বরং এগুলো বাংলাদেশি মুসলমানদের একটা ইতিহাসের অংশ। যেই ইতিহাসটাকে ভারত এখন বিষাক্ত করে ফেলেছে, ফলে এই বিষাক্ত জায়গা কখনো বাংলাদেশের মুসলমানদের আত্মপরিচয়ের জায়গা না।

আপনি যখনই একাত্তরে আপনার আত্মপরিচয়ের নৌকা ভিড়াবেন, তখনই আপনি— এই অঞ্চলের সেক্যুলারিজমের প্রকৃত রূপ– হিন্দুত্ববাদের কবলে পড়বেন। ভাড় তীয় আধিপত্য আপনার‌ উপর চেপে বসবে। এজন্য সেক্যুলারিজম আর‌ বহুত্ববাদ এই অঞ্চলের মুসলমানদের রক্ষা করবে না, বরং আমাদেরকে রক্ষা করবে "আমরা মুসলিম এবং আমরা একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব করি"— এই কথা এবং বিশ্বাসের উপর।

Hasan Muhammad

11 Feb, 14:32


Modern-day Jihad was initiated by Sayyid Qutb and later carried forward by his followers in Egypt, eventually spreading to Palestine and Syria. One of the key figures in Syria was Sheikh Marwan Hadid. After the Qutbists, the Qutbi-Salafis emerged like Sheikh Azzam, shaping modern Jihad. Najdi scholars such as Sheikh Maqdisi, Abu Qatada, Fahad, and Alwan joined in supporting Jihad after the 1990s.
Sheikh Qatada's followers Takfir on Sheikh Abu Musab al suri in 1990 when he was supporter of Gia.

The ISI of Iraq, in their 2008 video titled Ottoman Khilafah, stated that the Ottoman Caliphate was the last caliphate, which was destroyed in the 1920s.

When an ideological group joins a movement, they influence it with their own ideology. This is why we see the impact of Najdi thought on modern Jihad.

Sheikh Abdullah Azzam and Sheikh Osama bin Laden referred to the Ottoman Caliphate as the last caliphate. Azzam praised Sultan Abdul Hamid II on many occasions, whereas Sheikh Nasser al-Fahd wrote an entire book declaring Takfir on the Ottoman Caliphate.

Sheikh Maqdisi went to Peshawar in end of the Afghan-Soviet war but he was angry on Sheikh Azzam why he doesn't Takfir on president Ziaul Haq, he was saying Afghan Mujahid have shirk because they wear amulet. Sheikh Azzam replied its only Ayatul Kursi or Surah Nas/Falaq, it's Quran not shirk. He didn't have a chance there so Sheikh Maqdisi left Pakistan.

Sheikh Ayman al-Zawahiri once said, "We have great respect for Sheikh Ibn Taymiyyah and Sheikh Ibn Abdul Wahhab, but we speak based on facts—Ash'aris have defended Islam the most."

AQ's leadership are heavily influenced by Sheikh Ibn Taymiyyah, specifically his ruling on Mongols which they feel same for today as USA occupied the Arab world and holy land.

On the other hand, Najdi group only fought against Muslim so their ruling, books, speech are very harsh on Muslims than Kuffar and their followers do the same. Just look at the Madkhali, Daesh or Haddadis. -abu ahmed

Hasan Muhammad

11 Feb, 01:54


শাহবাগী মাহফুজ আলমের গতকালের কথাগুলো আজীবন মনে রাইখেন। জুলাই আন্দোলনে কতজন মাদরাসার ছাত্র শহীদ হলো, আর গতকালকে তাদেরকেই "তৌহিদি জনতা" বলে অপরাধী বানিয়ে দেওয়া হলো। গতকাল যখন অন্যায়ের প্রতিবাদকারীরা অপরাধী প্রমাণিত হয়েছে, তখন এটাও প্রমাণিত হয়ে গেছে এই উপদেষ্টারা ইসলামোফোবের চর্চা করে। অথচ জুলাই আন্দলনে যখন নাকানিচোবানি খাইছিলো, তখন এরা কান্নাকাটি করে বলেছিলো যে মাদরাসার ছাত্ররা নামে না কেন!

এই ঘটনাটা হলো বাস্তব প্রমাণ যে মাদরাসার ছাত্র এই ভন্ডদের সাথে মাঠে নামে না কেন। ইসলামোফোব আর শাহবাগিজমের চর্চা করলে আপনারাও বেশিদিন টিকতে পারবেন না, মুখ থুবরে পড়বেনই।

Hasan Muhammad

10 Feb, 18:27


জামাতি প্রোডাক্টড

Hasan Muhammad

10 Feb, 15:59


> বই মেলায় নিষিদ্ধ বই বিক্রি করা শুরু করলো দোকানদার

>দোকানদারকে জিজ্ঞেস করা হলো সে কেন তাসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করছে?

> দোকানদার "মৌলবাদ নিপাতজাক", "জয় বাংলা" বলে চিৎকার দিলো।

অথচ দোষ হলো সব তৌহিদি জনতার!

অর্থ্যাৎ অন্যায় প্রতিবাদকারীরা উল্টো আসামী হয়ে যাচ্ছে "বিপ্লবী"সরকারে কাছে। জর্জ অরওয়েলের এনিমেল ফার্ম: "All animals are equal, but some animals are equal more than others".

শাহাবাগ আবার জেগে উঠছে।

Hasan Muhammad

09 Feb, 15:12


পিনাকি কেন যে কেউ এদেশে 'র' এর প্রত্যক্ষ পরোক্ষ এজেন্ট হতে পারে কিন্তু পিনাকিকে যারা 'র' এর এজেন্ট বলে তাদের এই বক্তব্যের পেছনে এটা ছাড়া কোন ভিত্তি নাই যে পিনাকি হিন্দু।

আমি মনে করি পিনাকির বিরুদ্ধে এধরণের বক্তব্য হিন্দু বিরোধী কট্টর সাম্প্রদায়িকতা এবং সালাফি ধাঁচের আল ওয়ালা ওয়াল বারার উদাহরণ। আমি বারবার বলেছি সুলতান মাহমুদ থেকে আওরঙ্গজেব আলমগীর রহ পর্যন্ত এমনকি কি কলোনিয়াল যুগে তিতুমীর রহ থেকে শাইখুল হিন্দ রহ এর রেশমি রুমাল আন্দোলনে হিন্দুদের অংশগ্রহণ ছিল। আমি অন্তত উপমহাদেশে এমন কোন গোঁড়া রাজনৈতিক শক্তির অংশ হতে রাজি না যারা হিন্দুদের অ্যাকোমোডেট করতে অক্ষম।

আমরা ভালো করে জানি পিনাকি ভট্টাচার্য এবং আমাদের আদর্শ আলাদা, আমাদের আকাঙ্ক্ষা আলাদা। কিন্তু আমরা কমন গ্রাউন্ডে অবশ্যই সহযোগিতার নীতিতে বিশ্বাসী। এটাই সফল রাজনীতির তরিকা। হামাস এবং কাসসাম গাযার মার্ক্সবাদীদের সাথেও সমন্বয় করে চলে। ফলে ফলে নির্বোধ ইমপ্র‍্যাগমেটিক পলিটিক্যাল ফোর্সের অংশ আমরা হতে চাই না। তাদের কাছে আমরা আমাদের মগজ বন্ধক দিতে রাজি না। হ্যাঁ কমন এজেন্ডায় তাদের সাথেও কাজ করা যেতে পারে।

Hasan Muhammad

07 Feb, 02:46


আমি হাকিকাতজু্র সাথে রাজনীতির আলোচনাকে ফালতু মনে করি, সে শিয়া না, বরং পলিটিক্যালি বেশি প্র্যাগমেটিক হয়ে গিয়ে ইরানের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ছে। তবে তার ওয়াহ্হাবি-সালাফিদের সাথে ডিবেট বেশ উপভোগ্য। ফরিদ, জ্যাক এদের তাকিয়া দেখলে আপনার হাসি পাবে অনেক‌‌

Hasan Muhammad

07 Feb, 02:42


এই ভাইকে টুইটারে অনেকেই চিনে থাকবেন, যারা ইমারতের খোঁজখবর রাখেন।

আসল কথা হলো ওয়াহ্হাবিজম কেন সব দেশেই সমালোচনা করা হয়? তারা তাওহীদের কথা বলে এজন্য? এটা ফাউ কথা। তাদের এক্সট্রিমিজম অনেক বেশি। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো। কিতাবুত তাওহীদ পড়ার পর তারাভাবে এর আগে এই পৃথিবীতে কখনো তাওহীদ ছিলো না, মানে নজদী লেখার আগে। এরপর নজদী তাসাউফ নিয়ে, ইস্তিগাছা নিয়ে যা লিখেছে, সেখানে আসে, তারপর আসে আকিদার বিষয়ে। এসব জায়গায় এসে তারা সকলকে গোমরাহ ভাবতে শুরু করে। শরিয়তের ব্যাপারে অজ্ঞরা যখন কিতাবুত তাওহীদ পড়ে, তখন উম্মাহর আর বাকি আলেমদের সঠিক পথের মনে হবে? সরাসরি জিজ্ঞেস করলে কিছু বলবে না, কিন্তু তাকিয়া করবে ঠিকই। কথা ঘুরাবে, প্যাঁচাবে। সত্যি বলতে তারা যে নতুন ওয়াহ্হাবিজম আবিষ্কার হওয়ার ইতিহাসটাই উপেক্ষা করে গোপন করে তা না, বরং উম্মাহর অন্যান্য আলেম এবং ইসলামের ইতিহাস নিয়েই এরা প্রচন্ড অজ্ঞতার মধ্যে থাকে। আর না হয় ভাবে, পূর্বের তারা গোমরাহ ছিলো। তাসাউফ চারো মাযহাবে স্বীকৃত, ইমাম ইবনে তাইমিয়া তাসাউফের একটা স্তরের সমালোচনা করছে, অথচ এরা ইবনে তাইমিয়ার নাম দিয়ে ইসলামের আধ্যাত্মিকতার শাখাই ধ্বংস করতে চায়!

Hasan Muhammad

06 Feb, 04:39


যারা আন্তর্জাতিক রাজনীতি বুঝতে চান, তাদের জন্য দুগিনের এই লেখাটা কাজের জিনিস।

Hasan Muhammad

06 Feb, 03:09


https://x.com/PaideumaTV/status/1886390042500665700

Hasan Muhammad

05 Feb, 12:33


ধানমণ্ডি ৩২ ভেঙ্গে উড়িয়ে দেন, তাতে আমার কোন আপত্তি নাই, ভাঙ্গা দরকার। কিন্তু এটা দিয়ে আসলেই কি অর্জন হবে? এতদিন পর এই কার্যক্রমগুলো অর্থবহ না।‌ কাজের কাজ কিন্তু কিছুই হয় নাই। প্রশাসন আওয়ামী মুক্ত হয় নাই। ডিজিএফআই,‌ এনএসআই ইত্যাদি থেকে এখনো র দূর করা যায় নাই।‌ বিপ্লব আসলেই যেটাকে বলে সেটা যদি না হয়, তাহলে এগুলোর কোন অর্থ নাই। বরং এগুলো মানুষের আইওয়াশ হিসেবে কাজ‌ করবে, এরচেয়ে ভালো কিছু অর্জন হবে না। আপনারা মূল জায়গায় হাত দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, ফলে এই সমস্যাগুলো স্বাভাবিকভাবেই আরো শক্তিশালী হবে ভবিষ্যতে।

Hasan Muhammad

03 Feb, 16:08


মনে আছে আইনজীবী আলিফকে কারা হত্যা করেছিলো? হিন্দুত্ববাদীরা।‌ এই হিন্দুত্ববাদী অংক কারা? আসিফ যাদের শুভেচ্ছা দিচ্ছে তারাই। ভারত আর বাংলাদেশের পরিটিক্যাল কনফ্লিক্টের কারণ কারণ নিছক সেভেন সিস্টার না, মুসলিম বনাম হিন্দুত্ববাদী, ঈমান ও কুফর, গৌর গোবিন্দ বনাম শাহ জালালের।

এই আদর্শিক পার্থক্য না বুঝে ইনক্লুসিভ রাজনীতির নামে ভন্ডামি এই জাতির সাথে গাদ্দারি। তারা কথায় কথায় ২৪ আর ৭১ কথা বলে। এদের আত্মপরিচয় এতো ছোট আর সঙ্কীর্ণ কেন? যাদের আত্ম পরিচয় ২৪- ৭১ পর্যন্তই, এরা হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী কখনোই হতে পারবে না।

Hasan Muhammad

03 Feb, 08:00


We need khilafa

Hasan Muhammad

01 Feb, 08:31


ভাই শুধু দ্বীনদারী দিয়ে আপনি বিয়ে করতে পারবেন না, বিয়ে করলেও খালি খাহেশাত পূরণ পর্যন্তই, সংসার টিকবে না। দ্বীনদারিতা হলো নিজের আখেরাতের জন্য আর সম্পদ হলো নিজের দুনিয়ার জন্য। আপনি আমি সোনালি যুগের চিন্তা-দর্শনে বিশ্বাস করলেও সমাজ করে না। দ্বীনদার বাবা-মাও দেখে টাকা আছে কি না। সুতরাং সম্পদের ব্যাপারে নেগেটিভ না হয়ে টাকা পয়সা কামানো শিখেন। সবচেয়ে বড় বাস্তবতা হলো সম্পদ না থাকলে দুনিয়াতে আপনি দ্বীনের খেদমতও করতে পারবেন না। দ্বীনদার হন আল্লাহর জন্য আর সম্পদশালী হোন দুনিয়াতে ইসলামের জন্য।

সারজিসের বিয়ে নিয়ে পোলাপান কতো বলছে, কিন্তু এটা হওয়ারই ছিলো। সম্পদ আর ফেইম থাকলে আপনিও পাবেন ভাই। কিন্তু আমরা নাম ফেইমের জন্য ইসলাম পালন করি না, আমরা আল্লাহকে ভালোবাসি, দ্বীনকে ভালোবাসি, শরিয়াহকে ভালোবাসি, এটাই আমাদের মতাদর্শ। আল্লাহর ব্যাপারে মানুষ যেমন ধারণা রাখে, আল্লাহ তাঁর বান্দার সাথে ঠিক সেই ধরনের আচরণই করেন। সাহাবীদের পুরুষত্ব দেখেন, তারা সম্পদ উপার্জন করেছেন, পাশপাশি ব্যাক্তি জীবনে প্রচুর ধার্মিক ছিলেন। ভারসাম্যতা শিখেন, পুরুষ হোন। Money do matter

Hasan Muhammad

31 Jan, 14:47


আমিরের বেফাঁস মন্তব্য অনেক সময় এটা প্রমাণ করে যে উনি নেতৃত্ব দেওয়ার অযোগ্য। জামায়াতের আমির যদি সত্যিই এ কথা বলে থাকে, তাহলে কুফরি করেছে। আমি তাকে কাফের বলছি না, এটা মুফতি সাহেবরা বলবেন।‌ কারণ মানবতা (Humanism) নিজেই হলো আধুনিকতার প্রজেক্ট। আর আধুনিকতা স্বয়ং একটা ধর্ম। আপনি অন্য কোন একটা ধর্মের অংশকে নিজের ধর্মের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে আপনার উপর সন্দেহ করার যথেষ্ট শক্তিশালী যুক্তি আছে।

Hasan Muhammad

31 Jan, 04:31


ইমারতে ইসলামিয়ার দু'জন ছাত্র ভাইয়ের কবিতা শুনুন। আমার চিন্তাধারা দর্শন, আধ্যাত্মিকতা সবকিছু এখানেই।‌ একটা কবিতার মধ্যে অনেক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে আলহামদুলিল্লাহ। আর আগেও বলেছিলাম যে খলিফা হা ক্কা নী নকশবন্দী তরীকার, শুধু খলিফা না, ইমারতের বেশিরভাগ উচ্চপদস্থ উলামারা এই তরীকার। সুতরাং আজকে যারা তাসাউফ বাতিল বলে, তারা নিজেদের মূর্খতাকে অন্যের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

Hasan Muhammad

31 Jan, 02:22


এক ছবিতে হামাসের নেতৃবৃন্দ: ইসমাইল হানিয়া, ইয়াহইয়া সিনওয়ার, মুহাম্মদ দেইফ এবং বাসেম ইসা

Hasan Muhammad

30 Jan, 18:32


আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন

Hasan Muhammad

30 Jan, 17:15


প্রযুক্তি, AI আর মুসলিম বিশ্বাস নিয়ে লেখলাম। যারা পারেন সময় করে পড়তে পারেন, কাজে লাগতে পারে ইনশাআল্লাহ।

Hasan Muhammad

30 Jan, 17:15


https://www.facebook.com/share/p/1AGBg2ChHS/

Hasan Muhammad

29 Jan, 16:17


পুরো দুনিয়াতেই একই অবস্থা। জাপানের একটি ফোরামের কমেন্ট এগুলো।

কী কোরিয়া, কী ভারত, কী আমেরিকা, কী সাউথ আফ্রিকা - সবখানের তরুণেরা দিন দিন চরম নারীবিদ্বেষী হয়ে উঠছে।

ক্লাসে ৮০ জন ছাত্রের একজন ফেল করলে সেটা ছাত্রের দোষ, কিন্তু ৭৫ জনই ফেল করলে সেটা তাদের দোষ হতে পারে না।

এই তরুণদের মধ্যে ভাষাগত মিল নেই, দেশ আলাদা, কালচারাল মিল নেই, কিন্তু সবার মনোভাব এক্সাক্ট একই হয় কীভাবে? পুরো দুনিয়ার তরুণেরা নারী বিদ্বেষী হচ্ছে কেন?

কারণ পশ্চিমের ফেমিনিজম পুশ করা। গাইনোসেন্ট্রিক সমাজ বানাতে গিয়ে একটা ছেলেকে জন্ম থেকেই ভিলেন বানানো হচ্ছে। স্কুলে উঠলে কেবল ছেলে হওয়াতে আলাদা ট্রিট্মেন্ট দেওয়া হচ্ছে, (পুরো দুনিয়াতে প্রি, মিড ও জূনিয়র স্কুলের টিচারদের মধ্যে নারী বেশী)।

টানা কুড়ি বছর বুলি করে প্রায় খাদের কিনারায় ঠেলে দিলেন, এখন জিজ্ঞেস করেন, ছেলেটা নারী অধিকার সমর্থন করে না কেন?

ফানি।

Hasan Muhammad

28 Jan, 17:28


একটা মিথ্যা ভিত্তিহীন ফ্যানাটিক ফাঁদ। যারা পা দিবে নিশ্চিত থাকেন লাইফ শেষ। শুধু দুনিয়া না, আপনার আখেরাতো ধ্বংস হয়ে যাবে।

ইমাম মাহমুদ হলো ভারতের প্রজেক্ট

Hasan Muhammad

28 Jan, 10:22


জাহেলিয়াত জানা ছাড়া এর মোকাবেলা রা সম্ভব না, এখানকার মাদ্রাসাগুলোতে শিখানো হয় "আলো" কি, কিন্তু এটা বুঝানো হয় না যে "অন্ধকার" কি? আমাদের সেখানো হয় আমার আল্লাহর তায়ালার দেওয়া ইলমের নূর পাঠ করছি, কিন্তু আমরা এটা জানতাম না কোনটা অন্ধকার।‌ এজন্য আপনি এখন দেখবেন মাদরাসার ছাত্রীরাও‌ প্রেম করে, মাদরাসার ছাত্ররাও রিলেশন করে ছাত্রীদের সাথে, অনেকেই সিগারেট খায়, (চাপে পড়ে মাদরাসায় আসলে যা হয় আরকি) এটা সাধারণ কথা। আপনাকে আলো দেখিয়ে যদি আমি বলে দেই এর বাইরে যা আছে তাই অন্ধকার, ঠিকাছে এটা সহজ।‌ কিন্তু শক্তিশালী না, কেননা যখন আপনি সাদা আলো দেখিয়েছেন, তখন সে লাল নিল আরো হরেক রকমের আলোর সাথে পরিচিত হচ্ছে, (আমি এখানে এনলাইটেনমেন্টের কথা বুঝাচ্ছি) তাহলে এগুলোকে সে কি ধরবে? সাহাবায়ে কেরাম ঈমান বুঝতে পারছিলেন কারণ তারা সেই সময়কার জাহেলিয়াত জানতেন। বাংলাদেশী দেওবন্দীদের পরাজয় হলো তারা বর্তমান জাহেলিয়াত সম্পর্কে রিসার্চ করে না গবেষণা করে না, এজন্য ঈমানি জজবা এবং জাতি গঠনের ম্যাকানিজম তাদের কাছে থাকলেও বিপ্লবী পরিবর্তনের জন্য যোগ্য লোকের অভাব আছে।‌

ফলে সমাজের ঈমানি দায়িত্ব পালনে‌ তারা যেমন ব্যর্থ একই কারণে তারা রাষ্ট্রের প্রতি আলেমদের যেই দায়িত্ব আছে, রাষ্ট্রতত্ত্ব, ভূরাজনীতি, আন্তর্জাতিক রিলেশন ইত্যাদি নিয়ে তাদের মধ্যে সেই গতিশীলতা নেই।‌ এজন্য এখানে অল্প কিছু দুনিয়াবিমুখ মুখলিস আলেমরা ছাড়া বেশিরভাগ দেওবন্দিয়াত বেচে খায়। শায়খুল হিন্দের ডিপ্লোমসি ছিলো উসমানি সালতানাত, আফগান সম্রাজ্য, জার্মান ও ব্রিটিশ পর্যন্ত। আমি একটা উদাহরণ দিলাম শুধু।

চলবে… ইনশাআল্লাহ....

#LabyrinthofThought

Hasan Muhammad

28 Jan, 10:22


পর্ব: তিন

মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কি বার্নআউট হয় না? কারা এই বার্নআউট? এই যেমন ধরেন এক সময়কার মাদরাসার ভালো ছাত্রটা এখন শাহবাগী পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করে জাতে উঠতে চায়, টুপি পাঞ্জাবি থেকে সরাসরি সার্ট পেন্টে চলে এসে কওমীদের সমালোচনা করতে থাকে, সে এনলাইটেনমেন্টের অনুসরণ করে ইসলামপন্থীদের পশ্চাৎপদ ভাবতে থাকে।

মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বার্ন আউট কয়েক প্রকার হয়, যদি ভালো শিক্ষিত হয়, তাহলে জামাতি ইন্টেলেকচুয়াল গ্রুপ অথবা শাহবাগীদের সাথে যুক্ত হয়ে পড়বে। আরেকদল হলো বামপন্থীদের সাথে মিলে চে গুয়েভারা হওয়ার চেষ্টা করবে। সরাসরি ইসলামের সমালোচনা এরা না করলেও আলেম ওলামাদের সমালোচনা তো অবশ্যই করবে। কারণ মাদরাসার আলেমরা তার জীবনে এমনকি অর্জন দিয়েছে যার সাথে সে নিজের আত্মপরিচয়কে সংযুক্ত করবে? আধুনিক সমাজ ও রাষ্ট্র তাকে একজন মাদরাসার‌ ছাত্র হিসেবে কিভাবে দেখে? শাহবাগী কিংবা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী এলিট সমাজ একটা মাদরাসার ছাত্রকে কিভাবে দেখে? একজন এতিম পোলাপান, মাহফিলের কালেকশনে যাদের জীবন চলে, যাদের উপস্থিতি বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক।

তাহলে সে কিভাবে নিজের বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থানকে কোন সলিড আদর্শের সাথে যুক্ত করবে? সে কোত্থেকে নিজের চিন্তা-চেতনা এবং আদর্শের জন্য বিলঙ্গ করবে নিজের ব্যাপারে? যখন নিজের ঐতিহ্যের ব্যাপারে জানে না, নিজের আদর্শিক অবস্থান এবং ঐতিহাসিক যোগসূত্রকে সে সংযুক্ত করতে না পারবে, তখন সে কেন বুদ্ধিবৃত্তিক এলিট শ্রেণীর সাথে যুক্ত হয়ে শাহবাগী হবে না?‌ কেন সে পরবর্তীতে বামপন্থীদের সাথে নিজেকে এনলাইটেনমেন্টের অংশ মনে করবে না? কারণ সে তো গদবাঁধা পড়াশোনা করেছে, আধুনিক সমাজ কিভাবে চিন্তা করে, কিভাবে সে ইসলাম ও মুসলমানদেরকে দেখে, কিভাবে তারা নিজেদের বয়ান তৈরি করে মুসলমানদের ব্যাপারে, সে এই ব্যাপারে তো কিছুই জানে না। তাহলে সে কোন উদ্দেশ্যে নিজেকে দেওবন্দী উলামাদের সাথে যুক্ত করবে বা নূন্যতম আলেমদের ভিলিফাই করবে না?

এখন যদি আপনি তাকে সোজা জিজ্ঞেস করেন আপনি ঈমানদার কি না, সে ইতিবাচক উত্তর দিবে। কিন্তু আপনি যখন তাকে আদর্শিকভাবে কোন একটা ঐতিহাসিক যোগসূত্রের মাধ্যমে নিজেকে সংযুক্ত করতে বলবেন, তখন সে খেই হারিয়ে ফেলবে। নিছক ঈমান তো আমাদের আছেই কিন্তু সেটার সলিডিটির জন্য কোন একটা ঐতিহাসিক যোগসূত্রকে ও চেইন তো থাকতে হবে যেখান থেকে আমি বা আপনাকে বিলঙ্গ করতে হবে। দেশীও দেওবন্দিদের মধ্যে এখন এই জিনিসটাই নাই, এমনকি বাঙ্গালী জাতির মধ্যেই আত্মপরিচয়ের হীনমন্যতারও কারণ এটাই যে, তারা আল্লাহ বিশ্বাস করে কিন্তু ঐতিহাসিক যোগসূত্রে নিজের মুসলমানিত্বকে কোথাও বিলঙ্গ করতে পারেনা। তাদের এই কোথাও নিজের আত্মপরিচয় না থাকার ফলেই কিন্তু একদল নিজের গোড়া খুঁজে একাত্তরে আরেকদল সাতচল্লিশে, এই উভয়টাই বাটপারি। আমাদের আত্মপরিচয় হলো ১২০৫ সনে কুতুবুদ্দিন আইবেকের মাধ্যমে উপমহাদেশে ইসলামী শাসনে, আমাদের আত্মপরিচয় বখতিয়ার খিলজির শাসনে, আমাদের আত্মপরিচয় সুলতান জালালুদ্দিন মুহম্মাদ শাহ, ১৮৩১ সালে বালাকোটে শাহ সাহেবের চেতনায় আমাদের ইমারাহ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা, ১৮৫৭ কাসেম নানুতুভীর নেতৃত্বে জিহাদ হয়ে সাত চল্লিশে। আমাদের আত্মপরিচয় ১২০৫ হয়ে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত।

শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ লেখার আগে স্বপ্ন দেখেছিলেন এমন এক যুগের যেটা হবে বুদ্ধিবৃত্তির যুগ। আপনি আমি এখন সেই যুগটাই পার করতেছি। এই যুগে শিক্ষিত সমাজে আপনি বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে আধুনিকতার ক্রিটিক না করতে পারলে কারো ঈমান ধরে রাখতে পারবেন না। কোন সন্দেহ নাই ইসলামকে আমাদের অবশ্যই সহজভাবে বুঝতে হবে, কিন্তু যারা আগেই আধুনিকতার দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করেছে কিংবা যারা নিজেদের আত্মপরিচয়কে ইতিহাসের সাথে সংযুক্ত করতে পারে না, তাদেরকে আপনি‌ সহজভাবে না বরং তাদের বোধ‌ অনুযায়ী আপনাকে উপস্থাপন করতে পারতে হবে। অন্যথায় আপনি মেইনস্ট্রিম হয়ে পারবেন না, আপনাকে তারা মেইনস্ট্রিম হতে দিবে না।

এই অঞ্চলে দেওবন্দিরা সেই প্রাচীনকালের শিক্ষা সিলেবাসে আটকে আছে যা এই যুগের জন্য আবশ্যিকভাবে প্রয়োজনীয় কিন্তু তারা এটাকে সমাজের সাথে সংযুক্ত করতে ব্যর্থ। শিক্ষার সংস্কার অবশ্যই করতে হবে, আধুনিক চিন্তা দর্শন, রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থাকে বুঝার জন্য আলাদাভাবে তাদের কোন প্রচেষ্টা নাই। আকাবিরদের অনুসরণের নামে আকাবিরদের অন্ধ অনুকরণ করে তারা আমাদের সংগ্রামী আকাবিরদের এক প্রকার অপমানই করছেন। দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার মাত্র ২৮ বছরের মাথায় নদওয়াতুল উলামা প্রতিষ্ঠা করা হয়, এর অন্যতম একটা কারণ ছিলো প্রাচীন শিক্ষাপদ্ধতি ও সিলেবাসের সংস্কার করা, কারণ শিক্ষা যদি আধুনিক যুগের চিন্তা-দর্শন সমাজনীতি ও রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে সক্ষম না‌ হয়, তাহলে ওই শিক্ষা আস্তে আস্তে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে।

Hasan Muhammad

28 Jan, 06:09


চীনা কোম্পানির Deepseek AI চ্যাট জিপিটিকে বাঁশ মেরে দিয়েছে। এটা চ্যাট জিপিটির চেয়ে এডভান্স এবং ফ্রি ব্যবহার করে দেখতে পারেন

Hasan Muhammad

27 Jan, 14:29


তারা তাদের বিস্তৃত পড়াশোনা এবং ম্যাচিউরিটির কারণে।

তাহলে মোটাদাগে সংঘর্ষের কারণগুলো হলো:
> তাকফিরের নীতি (তাকফিরের বাড়াবাড়ি)
> তাসাউফের চর্চা (আধ্যাত্মিকতা)
> আকিদাহর ইস্যু (কালাম বিষয়ক)
> শিরক ও কুফরের সংজ্ঞায় (ইস্তিগাছার কথা বুঝাচ্ছি )

মোটামুটি এই চারটা বিষয়ে চারো মাযহাবই কাছাকাছি অবস্থানে, বিপরীত শুধু সালাফিজম। বাকি আর তেমন কোন সমস্যা নাই। এবার পরবর্তী পর্বে সমালোচনা করবো দেওবন্দিদের। উপরোক্ত প্রত্যেকটা বিষয়ে দীর্ঘ আলাপ করা সম্ভব, কিন্তু সব আলোচনা এখানের জন্য উপযুক্ত না।

চলবে.... ইনশাআল্লাহ....

Hasan Muhammad

19 Jan, 12:54


সংবিধানে সেক্যুলারিজম আর প্লুরালিজমের পার্থক্যগুলো আপনি লক্ষ্য করেন। দেখেন, শব্দের পার্থক্য ছাড়া খুব বেশি পার্থক্য নাই অল্প ছাড়া‌। আর দুইটার ফলাফল কিন্তু একই থাকবে। কথা হচ্ছে বাংলা মদকেই ইংরেজি বোতলে পেশ করে বলা হচ্ছে "সংবিধানের সংস্কার"।

জনগণের কথা চাওয়া আর আকাঙ্ক্ষা হলো ইসলাম, আর বিভ্রান্ত করা হচ্ছে সেক্যুলারিজম আর প্লুরালিজমের গান গেয়ে!

Hasan Muhammad

19 Jan, 08:25


যাহাই সেক্যুলারিজম তাহাই প্লুরালিজম। সেক্যুলারিজম আর প্লুরাদিজমের চরিত্র এক, নামটা শুধু ভিন্ন।

সেক্যুলারিজম বলে "ধর্ম নিরপেক্ষতারা" কথা, আর প্লুরালিজম বলে সকলের সমান অংশগ্রহণ আর স্বীকৃতির কথা। সেক্যুলারিজম যেমন মত প্রকাশের "স্বাধীনতার" কথা বলে নীতি-নৈতিকতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, ব্ল্যাসফেমি আর ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঘোষণা করে, প্লুরালিজম সেগুলোকে শুরুতেই সাংবিধানিক বৈধতার কথা বলে। অর্থাৎ আপনি সেক্যুলারিজমে যেই মত প্রকাশের স্বাধীনতাটা পাচ্ছেন, সেটা ভালো হোক কিংবা মন্দ, প্লুরালিজমে সেটাকে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়ে আপনাকে পুনরায় চ্যালেঞ্জ করবে‌।

আমার বিবেচনায় প্লুরালিজম নতুন কিছু না, বরং সেক্যুলারিজমের একটা এক্সট্রিম আপডেট ভার্সন। সেক্যুলারিজম যেমন সম্পূর্ণভাবে ধর্মকে রাষ্ট্রের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে, আলাদা মূল্যবোধ আদর্শ তৈরি করি, প্লুরালজিম সেই একই কাজ করবে। সেম সেম, বাট ডিফারেন্ট। পরিভাষা একটা অস্ত্র কথাটা অবশ্যই শুনেছেন, এই পরিভাষার মারপ্যাঁচে ফেলে জনগণকে আবারো বোকা বানানো হচ্ছে।

পশ্চিমে মূলত ডানপন্থীদের উত্থানের সাথে সাথে সেক্যুলারিজমের গ্রহণযোগ্যতা ধীরে ধীরে কমে আসছে। কেননা সেক্যুলারিজম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ আর সংঘাত কমাতে পারে নাই, যুদ্ধ আরো বেড়েছে, লিবারিলাজমের নামে পুরুষত্ব কমেছে পশ্চিমে, টক্সিক ফেমিনিজম, উলঙ্গপনা ইত্যাদী। এজন্য এখন ডানপন্থার অর্থাৎ খৃষ্টানদের যৌবন শুরু হয়েছে। এখন এই যে ডানপন্থার উত্থানের সাথে খৃষ্টান-ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মের মানুষের সেক্যুলারিজমের বিপরীতে ধর্মীয় নীতি-নৈতিকতার প্রতি প্রবল ঝোঁক তৈরি হয়েছে, এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যেই মূলত প্লুরালিজম।

Multiculturalism বা বহুসংস্কৃতিবাদ শব্দটা আগে শুনে থাকবেন হয়তো, এটার মানেও এই একই‌। ডানপন্থার উত্থানের সাথে সাথে তারা প্লুরালিজম আর আর মাল্টি-কালচারালিজমের কথা বলা শুরু করেছে। এটাও মূলত সেই একই বুদ্ধিবৃত্তিক ভন্ডামি করে মানুষকে তত্ত্বের মারপ্যাঁচে আঁটকে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা থেকে দূরে রাখা। এক কথায় বললে প্লুরালিজম হলো "বহু সংস্কৃতি দর্শন, ধর্ম ও মতবাদের সহাবস্থান।" সেক্যুলারিজমের সাথে এক মিলে যাচ্ছে না? যেখানে ধর্ম প্রাইভেট, ধর্মকে ঘরে রেখে পাবলিক প্লেসে সবাই এক‌ "রাষ্ট্র সত্তার" আনুগত্যকারী, কিন্তু একই সাথে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কারণে "সহাবস্থান" করে থাকে।

আলি রিয়াজের মতো দক্ষ মার্কিন গোলাম থাকতে আপনাদের এতো তাড়াতাড়ি স্বাধীনতা আসবে না। সাংবিধানিক প্লুরালিজম (সাবেক সেক্যুলারিজম) আওয়ামী লীগের চরিত্রকে পুনরায় ফিরিয়ে আনবে।

Hasan Muhammad

19 Jan, 04:17


অনেকদিন পর সামনে আসলো, আগে কানে হেডফোন লাগিয়ে কাঁথার নিচে শুনতাম তাঁর লেকচার সিরিজগুলো।

Hasan Muhammad

17 Jan, 05:09


দেওবন্দ আন্দোলন সম্পর্কে ড্যানিয়েল হাকিকতজু।

Hasan Muhammad

16 Jan, 02:44


এটা হচ্ছে কারণ, আর ব্যাপারটা ফিকহের মূলনীতিরও বিরোধী। এই ব্যাপারটা নিয়ে বিচারপতি শায়খ আবদুল হাকিম হাক্কানী তার বইতে লিখেছেন।

Hasan Muhammad

15 Jan, 12:04


মা অসুস্থ, সবাই একটু দোয়া করবেন খাস করে।

Hasan Muhammad

14 Jan, 04:49


আকাবীরে আসলাফের সামনে মাথা নামিয়ে বসে থাকা যেমন আদব আমরা মাদরাসা থেকে শিখি, তেমনি বাতিলের সামনে মাথা উঁচু করে হাটার আদবও আমরা মাদরাসা থেকে শিখি। দুটোই আদব।

-মাওলানা আওরঙ্গজেব ফারুকী হাফিজাহুল্লাহ

Hasan Muhammad

11 Jan, 09:16


বেলাল রাদিআল্লাহু আনহুকে চাবুক মার ছিলো আর তিনি বলছিলেন আহাদ! আহাদ!! শামের সায়েদনা কারাগারে হযরত বেলাল হাবশী রাদিআল্লাহুর একটা জীবন্ত প্রতিচ্ছবি ইনি। তাকে মারতেছে আর বলতেছে বাশার আল আসাদের নাম নিতে, আর তিনি বলছেন আল্লাহ! আল্লাহ! আল্লাহ! ব্যাক্তির চেহারা এবং নাম এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।

আমরা তাওহীদের চর্চা করি, আর তাওহীদকে তারা প্রকৃত অর্থেই ধারণ করেন।‌ কারাগারে যাওয়ার ফ্যান্টাসি কারো মধ্যে থাকা উচিত না, কিন্তু কারাগারে তাওহীদ আপনি বুঝতে ও উপলব্ধি করতে‌ পারবেন। যারা জীবনে একটা সময় সেখানে কাটিয়েছে তারা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে তাওহীদ কি জিনিস।

ভিডিওটা ফুটেজ extract করে বের করেছে TRT.

Hasan Muhammad

11 Jan, 05:45


ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তির দাবিতে পিটিশন করা হয়েছে। ১০ লক্ষ স্বাক্ষরের টার্গেট পূরণ করতে আরও ১ লাখ ৫৭ হাজার স্বাক্ষর দরকার, রবিবারের মধ্যে। পিটিশনের লিংক কমেন্টে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে কাজটা খুব একটা কঠিন হবে না, ইন শা আল্লাহ।

https://www.change.org/p/free-dr-aafia-siddiqui-a-call-for-justice-and-clemency?fbclid=IwZXh0bgNhZW0CMTEAAR1uZvYQmFD_RVZjI69lsGuwIEoBCBISlQcUDAXtQ9_4d9l7b6CN5B1ihU0_aem_-g_u42s-7w6CfD-QvtcW7w

Hasan Muhammad

10 Jan, 07:33


জামাত দেশের ওয়াজ মাহফিলগুলো ধ্বংস করে ফেলছে। মাহফিলগুলোকে নির্লজ্জভাবে দলীয় রাজনৈতিক সমাবেশে পরিনত করা হচ্ছে। বরং আরও জঘন্য ব্যাপার হলো এগুলোকে নির্বাচনী সমাবেশে পরিনত করা হয়েছে। গতকাল রাতেও বিএনপি অধ্যুষিত একটা এলাকায় বক্তা প্রকাশ্যে জামায়াতের পক্ষে ভোট দেওয়ার দাওয়াত দিলেন এবং নাম উল্লেখ না করে বিএনপির নিন্দা করলেন। এসব ঘটনা ঘটতে থাকলে সুনিশ্চিতভাবে এর একটা বাজে প্রতিক্রিয়া হবে। তখন জামাতিরা ভিক্টিম কার্ড এবং ইসলামোফোবিয়া কার্ড খেলতে থাকবে। মাঝখানে বহু বিএনপি নেতাকর্মী ধর্ম ও ধর্মীয় ব্যাক্তিদের উপর বীতশ্রদ্ধ হবে। দাওয়াতের ক্ষেত্রে সর্বস্তরের মুসলমানদের ভেতর একটা প্লাটফর্ম হিসাবে গ্রহনযোগ্যতা হারাবে। সম্ভবত এজন্যই আহমাদ আলী লাহোরি রহ মনে করতেন জামায়াত স্কুল, কলেজে, ইউনিভার্সিটিতে বহু মুসলমানকে দীন সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ করে তুলছে। আমি মনে করি আবারও আলেম ওলামাদের স্পষ্ট করা উচিৎ যে তারা জামাত না।

Hasan Muhammad

09 Jan, 16:36


The image depicting the Hollywood sign engulfed in flames is not real; it is an AI-generated fabrication. Despite the ongoing wildfires in Los Angeles, including the Sunset Fire in the Hollywood Hills, the iconic Hollywood sign remains unscathed. Reports confirm that while the fires have caused significant damage in various areas, the Hollywood sign has not been affected.

The Los Angeles Fire Department has not reported any damage to the Hollywood sign. Images circulating online showing the sign on fire are confirmed to be fake.

In summary, the Hollywood sign is currently safe, and any images suggesting otherwise are digitally altered.

Source : chatgpt

Hasan Muhammad

06 Jan, 13:35


মেজর ডালিম (বীর বিক্রম) বলেন- রবীন্দ্রসঙ্গীতকে জাতীয় সঙ্গীতকে এ দেশের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আরো বলেন ইতিহাসে এমন নজির বিরল যে ভিনদেশী কেউ কোন দেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা।

Hasan Muhammad

06 Jan, 03:50


সকালে সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটা শুনলাম আমি। মেজর ডালিম প্রতি শ্রদ্ধা অনেক অনেক বেড়ে গেছে। আজকে আমরা যতটুকু স্বাধীনতা পাইছি, এর পেছনে তাদের কোরবানিটাই সবচেয়ে বেশি।‌ উপদেষ্টাদের সাথে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন মেজর ডালিম। এখন দেখার বিষয় হলো উপদেষ্টারা কি চায়? কারণ মেজর ডালিমের আত্মপ্রকাশের পর সকল উপদেষ্টা এখন দ্বিতীয় স্তরে নেমে গেছে।

Hasan Muhammad

06 Jan, 02:39


রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম শুনলে এখনো কিছু মানুষ আবেগে ভেসে যায়‌। অথচ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার পরও ভা র তীয় এক কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা কবিতাকে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে চাপিয়ে দেওয়া হলো। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন (দুর্ভাগ্যজনক) নজীর আর কোথাও নাই।

মেজর ডালিম

Hasan Muhammad

05 Jan, 18:38


টাইমলাইনে লিখি রাখি, আজকে মেজর ডালিমকে দেখে দোয়া করলাম। একটা ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ।

সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের জন্য মন থেকেই অনেক দোয়া করি, আল্লাহ এই বান্দাকে কবুল করুক।

Hasan Muhammad

05 Jan, 18:25


আপনারা হয়তোবা অনেকে জানেন না, কিন্তু মেজর ডালিম বাংলাদেশে প্রথম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সেটা ঘটনা ক্রমে টিকে নি কিন্তু ইসলামিক প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম ঘোষক তিনিই ছিলেন।

Hasan Muhammad

05 Jan, 18:24


আপনারা হয়তোবা অনেকে জানেন না, কিন্তু মেজর ডালিম বাংলাদেশে প্রথম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

সেটা ঘটনা ক্রমে টিকে নি কিন্তু ইসলামিক প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম ঘোষক তিনিই ছিলেন।

Hasan Muhammad

05 Jan, 06:35


যখনই জামাত বা কওমি ঘরানার ইসলামপন্থীদের "গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়" ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করবেন, তখন তারা পাল্টা প্রশ্ন করে যে— "আপনি কিভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেন তাহলে, বা ভিন্ন উপায় কি?"

ভাইরে ভাই, স্বশস্ত্র বিপ্লবের যুগে আপনারা এখানো গণতন্ত্র নিয়ে পরে আছেন এটাই তো সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার। আপনারা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে এতোটা পেছনে কেন? আপনারা এখনো সেই ঊনবিংশ শতাব্দীতে আটকে আছেন। একবিংশ শতাব্দীতে আসুন, এই শতকে স্বশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হচ্ছে এবং এই‌ ধারা চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ।

Hasan Muhammad

04 Jan, 13:05


গণতন্ত্র দিয়ে কিভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে ভাই? গণতন্ত্র নিজেই তো "আধুনিকতা" নামক একটা ধর্মের অংশ।‌ এক ধর্মের অঙ্গ দিয়ে আপনি আরেক ধর্ম প্রতিষ্ঠা কিভাবে করবেন? ধর্মের বিকৃতি এভাবেই আসে, মাওলানা মওদুদী রহ "ইসলামী গণতন্ত্রের" যেই তত্ত্ব দিয়েছিলেন, তা ছিলো খুবই অস্পষ্ট ও ধোঁয়াশা পূর্ণ। কিন্তু কথায় আছে না, এক প্রজন্মের ভুল অন্য প্রজন্মের আমল।

জামাত যেই বিচ্যূতি করেছিলো, ডক্টর ইসরার রহ এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।‌ যারা জামাত করে তারা ওই বইটা পড়লে তাদের চিন্তায় অনেক পরিবর্তন আসার সম্ভবনা ছিলো। আসল কথা হলো জামাতের প্রকৃত স্পিরিট ছিলো মূলত মাওলানা মুওদুদির পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আগে, সেই স্পিরিট ইসরার আহমদ সহ অল্প কয়েকজন মানুষের মধ্যেই‌ ছিলো। এটা আপনি স্বীকার করেন আর নাই করেন, এটাই বাস্তবতা।

Hasan Muhammad

03 Jan, 14:11


টি*টি* পিকে নিয়ে দুই ধরনের মানুষের চুলকানি আছে। একদল হচ্ছে যারা নূরানি কা*য়ে**দা আর ছাত্রদের সাপোর্ট করে, কিন্তু টিটিপির ব্যাপারে অজ্ঞতার কারণে তাদেরকে সমালোচনা করে। আরেকদল আছে যারা লিবারেল গণতান্ত্রিক ইসলামপন্থী, যারা নিজেদের পাকিস্তান প্রীতির কারণে পা* কি* স্তা* নের প্রতি ভালোবাসা ছাড়তে পারে না, তাদের প্রীতিটা না‌ যতটা রিসেনেবল, তার চেয়ে বেশি ইমোশনাল। তৃতীয় আরেকটা দল আছে, যারা নাপাক সেনাবাহিনীর জুলুম এবং কুফর জানার পরও টি* টি* পির চেয়ে নিজেদের অধিকতর বুদ্ধিজীবী মনে করে থাকেন, যারা সর্বদা মাওলানা তাকি উসমানির সমালোচনা করতে থাকেন।

যখনই কোন খারেজি আলেমের সমালোচনা করা হয়, তখনই এরা গর্তে থেকে বের হয়ে তাকি উসমানির সমালোচনা জুড়ে দিয়ে বাতেনি দা**শিদের সহগামী হয়ে পড়েন। তাদের বিশ্বাস ছাত্র এবং টি* টি* পির মধ্যে তাকি উসমানির যেসমস্ত ছাত্র আছে, তাদের চেয়ে অধিক হক এবং বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে এরা সচেতন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত টি* টি* পি যতবারই যেখানেই তাদের কোন ফতোয়া অথবা অন্য কোন কারণে মাওলানা তাকি উসমানির নাম নেয়‌ অথবা তাঁর কিতাব থেকে হাওয়ালা দেয়, তখনি সেখানে শায়খুল ইসলাম বলে উল্লেখ করেন। কি আজিব বিরম্বনা ভাই, আমরা কাদেরকে হক ধরবো, যারা খিলাফুল আদাব তাকি উসমানির সমালোচনা করে, নাকি টি* টি* পি আর ছাত্রদের মধ্যে যারা তাকি উসমানিকে শায়খুল ইসলাম বলে সম্বোধন করে!

টি* টি* পির বিরুদ্ধে মাওলানা তাকি উসমানি "বাগাওয়াত" নিয়ে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ওই‌ সময়ে এটা নিয়ে আমিও লিখেছিলাম। সেখানে মাওলানা তাকি উসমানি টিটিপিকে বাগী বলেছেন, আরো‌ বলেছেন পাকিস্তানকে ইসলামী রাষ্ট্র। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কিছু দা**লাপন্থী অত্যন্ত "গভীর ইলমি পাণ্ডিত্য ও মুআদ্দাব" ভাইরা তাকি উসমানির সমালোচনা করে এই বলে যে তাকি উসমানি কেন টিটিপিকে বাগী বলছে! অথচ তারা যেই খারেজি মতাদর্শ লালন করে, তাতে করে তালিব এবং টি* টি পি তো বাতিল। কারণ এরা উভয়েই গভীরভাবে দেওবন্দী আকিদা লালন করে, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হানাফি+মাতুরিদি এবং কিছু অংশ আশআরি। বাগী যে কাউকেই বলা যায়, কারণ 'বাগাওয়াত' দ্বারা তার হক বা বাতিল হওয়া প্রমাণিত হয় না।

কেননা কারো "বাগী" হওয়া তার হক এবং বাতিল উভয়টাই হওয়ার সম্ভাবনা রাখে, আর নিশ্চিতভাবেই টিটিপি হক। তাহলে বাতেনি দালারা কেন তাকি উসমানির সমালোচনা করে? এক দাশিকে প্রশ্ন করলাম আপনি কি তালিবদের তাগুত মনে করেন? ভাইটা আমার উপর বেজায় গরম, কেন আমি এই প্রশ্ন করলাম? কেন সে তালিবদের তাগুত বলার মতো স্পর্ধা করবে। পরে বললেন "নিজামুদ্দীন শামজাই রহ মাতুরিদি আকিদা সঠিক মনে করতেন না।" আমি প্রশ্ন করলাম শামজাই রহ উপর নির্ভর করে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন আকিদার দিক থেকে তারা বাতিল? লোকটা আর কোন উত্তর দিলো না! পড়লাম মহা মুসিবতে! অথচ দেওবন্দীরা পুরোটাই তো মাতুরিদি, ফাদার অফ তালিবান মাওলানা সামিউল হক হাক্কানী রহ বংশগতভাবে শায়খুল হিন্দের ছাত্র এমনকি দারুল উলুম হাক্কানীয়ার পেছনেও আছে‌ শায়খুল হিন্দের ছাত্ররা।

আবার কোন ভাই দাবি করেন বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হলে এখানকার উলামাদেরকে দেওবন্দিয়াত পেরিয়ে সালাফি উলামাদের সাথে একত্রিত হতে হবে! কেন ভাই? ছাত্ররা, টি* টি*পি* রা দেওবন্দীয়াত ছেড়ে দিয়ে সালাফিদের সাথে একত্রিত হয়েছে? সালাফি আন্দোলন এমন সুপ্রিম কোন কিছু? অথচ এটা নতুন আবিষ্কৃত একটা ধারা যেটা ঊনবিংশ শতাব্দীর আগে যার কোন অস্তিত্বই ছিলো না! তাহলে ইসলামী প্রতিষ্ঠার জন্য কেন ভাই দেওবন্দিয়াত ছাড়তে হবে? আপনি প্রকৃত দেওবন্দিয়াত উপস্থাপন করুন, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, শাহ আবদুল আজীজ, সাইয়েদ আহমেদ বেরেলভী আর শাহ ঈসমাইল শহীদ এবং কাসেম নানুতুভী যেই পথে ছিলেন, তাদেরকে সেই পথে ডাকুন। ছাত্রদের কাছে এই চিন্তা নিয়েই একত্রিত হয়েছেন শায়খ ওবিএল। ছাত্ররাই প্রকৃত দেওবন্দী আমরা না, এই দাওয়াত দিতে পারেন।‌

এই অঞ্চলের আমাদের পতন শুধু কুরআন সুন্নাহ এবং প্রকৃত দেওবন্দিয়াত ছেড়ে দেওয়াই না, বরং আমাদের রাজনৈতিক দক্ষতা, সূক্ষ্ম চিন্তা ও কূটনৈতিক অসারতা, জ্ঞানগত অদক্ষতা, প্রচণ্ড নেফাক এবং মুনাফিকি, উলামা বিমুখ হওয়া, উলামাদের নিজেদের জনবান্ধব না হওয়া, আধুনিক বিশ্বের পরিভাষা সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং অযোগ্যতা সহ আধুনিক প্রজন্মের সাথে পরিচিত না হতে পারার ব্যর্থতা।

Hasan Muhammad

01 Jan, 07:58


পুনরুজ্জীবনের জন্য কোন অংশ আর সুস্থ না থাকে, তখন আল্লাহ তায়ালা অন্য আরেকটা জাতিকে তাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে তাদেরকে ধ্বংস করে দেন, আর সেই ব্যাধিগ্রস্থ জাতির কবরের উপর নতুন সভ্যতার নির্মাণ করা হয়, শাহ সাহেবের তত্ত্ব নিয়ে আলাপ আছে ইসলামি রাষ্ট্রচিন্তার পুনর্গঠনে।

Hasan Muhammad

01 Jan, 07:58


ধরেন আপনারা দশজন জন নামাজে দাঁড়ালেন, কিন্তু হঠাৎ করে একদল‌ ডাকাত আপনাদের উপর আক্রমণ করলো, তখন আপনারা কি করবেন? নামাজ পড়বেন নাকি নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য তাদের সাথে লড়াই করবেন? কাপুরুষ হলে‌ পালাতে পারলেন কিন্তু মরদে মুহিদ হোন, তাহলে অবশ্যই আপনি পাল্টা আক্রমণ করবেন। জি*দল উত্তম নাকি ফরজ নামাজ উত্তম এটা স্বাভাবিকভাবে প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভরশীল। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী নামাজ সর্বোত্তম, কিন্তু ময়দানে যখন থাকবেন, তখনো নামাজই উত্তম, আপনারা শুনেন নাই যে মুসলিম সেনাপতিরা যুদ্ধাবস্থায় নামাজ আদায় করতেন? আওরঙ্গজেব রহ ঘটনা শুনেননি?

ইমাম ইবনে তাইমিয়া যেই ফতোয়া দিয়েছিলেন, তা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা করলে বুঝা যায় তিনি এমন একটা পরিস্থিতি থেকে বলেছেন যা যুগ সময় এবং অবস্থার‌ সাথে সম্পৃক্ত, কেননা শায়খুল ইসলামের সমসাময়িক ইতিহাস মাথায় রাখলেই এটা স্পষ্ট হয়ে যায়। এটা ফিকহ ফতোয়ার স্বাভাবিক নিয়ম, যেকোনো একটা ফতোয়ায় সেই অঞ্চলের অবস্থা প্রেক্ষাপট আর পরিস্থিতির একটা প্রভাব থাকে। বাংলাদেশে যদি এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন দেখবেন এই আলেমরাই জি***দের ফরজিয়াত নিয়ে কথা বলবে, অর্থাৎ তখন তারা দেখবেন ইবনে তাইমিয়ার ভাষায় কথা বলবে‌। আবু উসামা জাফর ভাই এটা নিয়ে সুন্দর একটা আলাপ করেছেন, পড়তে পারেন।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আজকে যারা নামাজের অপব্যাখ্যা নিয়ে কথা বলছেন, তারা কেন জি*দের অপব্যাখ্যা নিয়ে কখনো কথা বলেননি? যারা এতদিন কুরআন ও সুন্নাহর নিয়ে করা কথা বলেছেন তারা কেন জাতির উপর চেপে বসাকে এক ডাইনিকে কওমি জননী উপাধি‌ দিয়েছিলেন? জি*দকে অপব্যাখ্যা করে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার‌ সাথে তূলনা করে নিজেরা যেই ভয়াবহ তাহরিফ করলেন সেসবের সমালোচনা আপনারা করেন না‌ কেন? নিজেদের ভুলগুলো নিজেরা কথা বলতে ভয় পান, আর একজন মাজলুমের উপস্থাপনাগত ভুলকে আপনারা সংশোধন করার পরিবর্তে যাচ্ছেতাই আচরণ করলে কিভাবে আপনাদের উপর আস্থা ধরে রাখবে? নিজেদের ভুলগুলো আপনাদের চোখে পড়ে না, অথচ অন্যের বেলায় ষোল আনা!

মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানির সমালোচনা হতে পারে সংশোধনের দৃষ্টিতে স্নেহমূলভাবে, কিন্তু যেভাবে তাকে অপমান করা হচ্ছে, তাতে করে তাদের উপর আস্থা রাখা মুশকিল।

কিন্তু যে সমস্ত বড় বড় উলামারা যেমন মাওলানা আবুল বাশার হাফিজাহুল্লাহ সহ এবং অন্যান্য যারা আছেন, তাদের খিলাফুল আদাব সমালোচনার কারণে যেসব গাইরে আলেম ভাইরা আলেমদের সমালোচনা করে ধুয়ে দিচ্ছেন, তারা নিজেদের একেবারে সহীহ মনে করিয়েন না। হতে পারে মাওলানা রফিক সাহেবের সাথে তাদের মিল হয়ে যাবে, কিন্তু আপনাদের আমাদের বেয়াদবি আমাদেরকে ধ্বংস করবে। কেননা আপনার আমার দুর্বলতা ৯০ পার্সেন্ট, আমরা ইসলামের জ্ঞানতত্ত্ব, ইলম ও উসুল সম্পর্কে কিছু জানেন না নিছক জি**দের বিষয়টা ছাড়া, আর তাদের দুর্বলতা দশ পার্সেন্ট, তারা আধুনিক যুগের যুদ্ধ পদ্ধতি ও চিন্তা দর্শন সম্পর্কে জানে না, এটা হচ্ছে তাদের দুর্বলতা। এটা দূর করতে পারলে তাদের আর কোন দুর্বলতা নেই।

কিন্তু এটা একদিনে পরিবর্তন হবে না, সেই আদিকালের শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন না আসলে কখনোই হবে না।

অনেকে খাওয়ারিজদের বিপরীতে একটা কাউন্টার ন্যারেটিভ তৈরি করতে মুরজিয়াদের কথা বলেন, আর যাকে তাকে মুরজিয়া বলে চালিয়ে দেন, বলে দেন এই অঞ্চলের "অধিকাংশ" উলামারা মুরজিয়া চিন্তায় প্রভাবিত, অথচ এর সংজ্ঞা দিতে গেলে দম বের হয়ে যাবে। যদি প্রশ্ন করা হয়, তাহলে এক দুইজনের বেশি‌ নাম বলতে পারবে না, অথচ "অধিকাংশে"র নাম দিয়ে "মুরজিয়া" বলে বলে কাউন্টার ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে মিথ্যাভাবে‌।

আমার মতে এই অঞ্চলের অধিকাংশ উলামাদের সমস্যা মুরজিয়াবাদ না, বরং তাদের আধুনিক বিশ্বের সাথে পরিচিয়হীনতা। আপনি তাদের প্রশ্ন করেন, জি**দ করা ফরজ কি না, তারা ইতিবাচক উত্তর দিলেও আধুনিক যুগের গেরিলা ওয়ার ফেয়ার নিয়ে তাদের জানাশোনা নেই। আপনি প্রশ্ন করেন, তারা শায়খ ওবিএলকে কেমন মনে করেন, তারা বলবে ঈমানদার। কিন্তু আপনি তাদের প্রশ্ন করেন কায়াদা কিভাবে ফাংশন করে? অধিকাংশ ভ্যাবাচ্যাকা খাবে, কারণ শায়খের ব্যাক্তিত্ব সম্পর্কে জানলেও জানেনা যে কায়াদা কিভাবে রাজনৈতিক ও আদর্শিক ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে। সমস্যা হলো আধুনিক বিশ্বের প্রোপাগান্ডার ধরন, আধুনিকতা কুফরি, এগুলো নিয়ে তাদের মধ্যে চর্চা নেই, এটা হচ্ছে আসল সমস্যা।‌

আধুনিক যুগের চিন্তা-দর্শন নিয়ে সমালোচনামূলক কোন কাজ হয় না মাদরাসায়, আমরা যারা যতটুকু জেনেছি, তা এই অঙ্গন ছাড়ার পর আগে না। আসল গোড়া আমরা চিহ্নিত করতে পারি নাই, কারণ তারা নিজেদের সমালোচনা শুনে অভ্যস্ত না।‌ সমস্যার গোড়ায় হাত দিতে হবে, গড়ায় হাত না দিয়ে যতই চিল্লাচিল্লি করা হোক, লাভ হবে না‌। আর যদি তারা নিজেরা পরিবর্তন না‌ হয়, তাহলে শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ তত্ত্ব অনুযায়ী জাতি যখন সামগ্রিকভাবে ব্যাধি গ্রস্থ হয়ে পড়ে এবং

Hasan Muhammad

01 Jan, 06:31


আহারে বিপ্লব! জুলাই পরবর্তী সরকারের কালেমা হলো "জুলাইয়ের চেতনা।" এই চেতনা ঘিরেই নতুন ফ্যাসিস্টছর আগমন ঘটবে, এটা মনে রাখবেন। সমন্বয়করা আগেই বিক্রি হয়ে গেছে।


https://www.ittefaq.com.bd/712689/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E2%80%99-%E0%A6%93-%E0%A7%AD

Hasan Muhammad

31 Dec, 14:44


এটা ২০২২ সালের থার্টি ফাস্ট নাইটে রাজধানীর আকাশের চিত্র। কি এক ভয়াবহ দৃশ্য কল্পনা করা যায়!!!

এইবারও হয়তোবা এমন কিছু প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছে রাজধানীবাসী। কারণ প্রতিবছরই প্রশাসন থেকে নামকাওয়াস্তে কঠোর বিধিনিষেধের কথা বলে হলেও ঠিকই থার্টি ফাস্ট নাইটে দেশব্যাপী আমরা এই নৈরাজ্য দেখতে পাই। বিশেষ করে রাজধানীর আকাশ আলোকিত হয়ে যায় আতশবাজি আর ফানুসে।

#NotOurCulture #SayNoTo31stNight

Hasan Muhammad

31 Dec, 14:39


আগে আওয়ামী লীগ উন্নয়নের নামে মানুষকে বোকা বানাতো, তাদের কালেমা ছিলো একাত্তর। আর সমন্বয়ক উপদেষ্টাদের কালেমা হলো "জুলাইয়ের চেতনা।"

গণহত্যার অপরাধী আর ফ্যাসিস্টদের 'সেফ এক্সিট' দিয়ে, প্রশাসনে লীগের পুনর্বাসন করে তারা পাঁচ মাস পরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আবেগকে পুঁজি করে "মার্চ ফর ইউনিটি" একটা ভন্ডামি করলো জাস্ট।

Hasan Muhammad

30 Dec, 12:29


হাহা। পয়েন্ট টু বি নোটেড।

আফগান সরকার কিন্তু এখনো অন্তর্বর্তী সরকার। মনে হচ্ছে বিশ্বব্যাপী গনতন্ত্রের অন্তর্বর্তী সরকার মডেল জনপ্রিয় হবে।

Hasan Muhammad

30 Dec, 02:16


চট্টলার বীর শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হম্মাম কাদের চৌধুরীকে আইসোলেট করে রেখেছে মির্জা ফখরুল। এমনকি সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে খেয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে ঐ ফখরুল গংরা। আরও ভয়ানক খবর হলো, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি ফখরুলের ইশারায়। আরও বলবো? অপেক্ষা করুন। সব জেনে যাবেন।

সে বিএনপি এক্টিভিস্ট।

Hasan Muhammad

29 Dec, 07:52


আল বাংলাদেশে হলো ফেসবুক

Hasan Muhammad

07 Dec, 13:10


শারয়ী দলীল হলো ১৯১৭ সালের দুই নভেম্বর ফালা-স্তিনের বিরুদ্ধে বেলফোর ঘোষণা।


https://chithi.me/hasan66

Hasan Muhammad

07 Dec, 10:50


মুজা***হিদরা এখন উত্তর দারা বিজয় করে নিয়েছে। রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণ গেট থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। খুব শিগগিরই দামেস্কে প্রবেশ করবে‌ ইনশাআল্লাহ ‌। বাশার ইতিমধ্যে তার আমলাদের রাজধানী ছাড়তে বলেছে।

Hasan Muhammad

06 Dec, 17:49


❗️🇮🇷/🇸🇾 BREAKING: For the first time, Iranian drones have taken off from the Islamic Republic, and are in the skies of Homs

@Middle_East_Spectator

Hasan Muhammad

06 Dec, 15:35


At least for the time being.

Hasan Muhammad

06 Dec, 12:51


সিরিয়ার পরিস্থিতির সর্বশেষ ম্যাপ

(গতকাল পর্যন্ত)

Hasan Muhammad

06 Dec, 12:35


ক্ল্যাশ রিপোর্ট মিডিয়ার তৈরি মানচিত্র অনুযায়ী সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি:

- বিদ্রোহী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা বেড়ে এখন ২৮,৫২৫ বর্গকিলোমিটার হয়েছে।

- আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা কমে গিয়ে এখন ১,০২,৮৯৭ বর্গকিলোমিটার হয়েছে।

- YPG/PKK নিয়ন্ত্রিত এলাকা বেড়ে ৪৭,৪০৩ বর্গকিলোমিটার হয়েছে।
mh/27

Hasan Muhammad

05 Dec, 04:46


আমাদের সমস্যা হলো‌ আমরা উম্মাহর আকিদাহর ঐক্য চাই। অথচ এটা সবচেয়ে দুর্বোধ্য বিষয়। কেননা আকিদাহর প্রশ্নে আসলে অজ্ঞ আর মূর্খরাও দেখবেন ইমাম আশআরি আর মাতুরিদি নিয়ে প্রশ্ন তুলে। অথচ দেখা যাবে ইমাম আশাআরি আর মাতুরিদি কেন, মহল্লার সাধারণ ইমামের জ্ঞানের কাছাকাছিও‌ না সে। কথায় আছে, খালি কলসি বাজে বেশি।

মনে রাখবেন মুসলমানদের মধ্যে কখনো ‌আকিদার ঐক্য হবে না। উম্মাহর ঐক্য হবে রাজনৈতিক স্বার্থে, কেননা মূল আকিদাহয় তাদের সাথে আমাদের কোন পার্থক্য নাই, পার্থক্য শাখাগত মাসয়ালায়, যা দ্বিতীয় স্তরের। আর খারেজিদের সাথে আমরা কখনো রাজনৈতিক ঐক্য করবো না, কেননা এটা আমাদের আকিদাহর প্রশ্ন, তাদের সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব হক এবং বাতিলের। তারা ঈমানের কথা বললেও তাদের ঈমান গলা নিচে নামে না, তাদের অস্ত্র সবসময়ই মুসলমানদের বিরুদ্ধে উত্থিত হয়।

Hasan Muhammad

04 Dec, 09:30


ভারতীয় মুশরিকদের সাথে লড়াই করার জন্য গরুর গোশতের পোশাক তৈরি করুন

Hasan Muhammad

04 Dec, 09:06


🇸🇾 Situation in Syria, 04.12.24

Hasan Muhammad

04 Dec, 07:46


লে দ্বীনি ভাইয়েরা 🥴

Hasan Muhammad

03 Dec, 14:40


আলেপ্পোতে বিদ্রোহীদের আহ্বান: আসাদ সরকারের কর্মীদের জন্য আত্মসমর্পণের সুযোগ ।

আলেপ্পোতে সিরিয়ান বিদ্রোহী কমান্ড আসাদ সরকারের সামরিক, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা জারি করেছে।

এই ঘোষণা অনুযায়ী, যারা আসাদ সরকারের পক্ষে কাজ করছিলেন এবং বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন তারা আইনগত অধিকার সুরক্ষিত করার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি, তাদের বিরুদ্ধে কোনো বিচার প্রক্রিয়া চালানো হবে না।

বিদ্রোহীদের মতে, এই উদ্যোগ আসাদ সরকারের কর্মীদের জন্য একটি মানবিক পথ খুলে দেবে। যেখানে তারা ভবিষ্যতে নির্ভয়ে তাদের জীবন চালিয়ে যেতে পারবে। (na/3)

Hasan Muhammad

03 Dec, 13:05


সেনাবাহিনীর কাছে আমাদের আবেদন হলো এখন থেকেই সীমান্ত অঞ্চলে যেখানে যেখানে ডিফেন্স প্রয়োজন , সেখানে সেখানে সাধারণ মানুষদেরকে ট্রেইন করা। কারণ শত্রু যদি কখনো হামলা করে, তখন জানিয়ে হামলা করবে না, বরং এটা ঘটবে আকস্মিক। আমাদের মিলিটারি ওয়েপেনের সংখ্যা অনেক কম, এজন্য আমাদের জনসংখ্যাই আমাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।

যুদ্ধ যদি শুরু হয়, তাহলে আমাদের যেমন এডভান্টেজ এবং ডিজএডভান্টেজ আছে, ঠিকই একইভাবে আছে আমাদের বিরোধীপক্ষেরও। আমাদের দুর্বলতাগুলো আগে খেয়াল করেন, আমাদের আধুনিক ভারি অস্ত্রের সংখ্যা কম, আমরা তাদেরকে আগে ক্ষতি করার চেয়ে আগে নিজেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবো। তারা এখানে পুরো বাংলাদেশ আগে দখল করবে না, বরং তারা ধীরে ধীরে করে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইবে। একসাথে পুরোটা খাবেনা, বরং ধীরে ধীরে খাবে।

তারপর আমার সাত বোনকে স্বাধীন করার জন্য পরিকল্পনা করে উঠে পরে লাগতে লাগতে অনেক সময় পার হয়ে‌ যাবে। মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এখানে আসার সুযোগ পাবে, একই সাথে বিভিন্ন ফ্রন্টে‌ সেনাবাহিনীর পক্ষে লড়াই করা সম্ভব হবে না এটা বুঝাই যাচ্ছে। তবে আমাদের অনেক এডাভান্টেজ এখানে আছে। যেমন ধরেন, যদি তারা সরাসরি বাঙ্গালায় মিলিটারি এক্টিভিটা চালায়, তাহলে এক্ষেত্রে সাতবোন আরো সক্রিয় হবে। কাশ্মীর আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, মাওবাদীরাও এক্টিভ হবে। কিন্তু মিলিটারি ক্যালকুলেশন কখনো শতভাগ নিশ্চিত না, এডভান্টেজ ডিজএডভান্টেজ এগুলো কিন্তু ‌অনিশ্চিত সম্ভাব্য ক্যালকুলেশনের ভিত্তিতে হয়, নিশ্চিত না।

এজন্য একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যত আমাদের সামনে অপেক্ষা করতেছে। দেখেন যুদ্ধ মাথার উপর থাকার অর্থ এটাও না যে আপনি আপনার সব কাজ বাদ দিয়ে সকালে উঠে যুদ্ধ করার জন্য সব কাজ ছেড়ে বসে থাকবেন। বরং আপনাকে আপনার সব কাজকর্ম ঠিক রেখে সম্ভাব্য ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নিতে হবে। স্থবির যারা থাকে, তারা কখনো সমাজে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে না। প্রতিটা ঘটনার এবং কাজের একটা সুনির্দিষ্ট সময় আছে, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে সেই সঠিক সময়ের। তার আগ পর্যন্ত সময় হলো নিজের যোগ্যতা বৃদ্ধি করা, ইলম অর্জন করা, তাসাউফের চর্চা করা, ই'দাদ গ্রহণ করা, সতর্ক ও সচেতন নিজে থাকা এবং অন্যকে করা।

Hasan Muhammad

02 Dec, 17:21


ডা রতের মিডিয়াতে বাংলাদেশকে এভাবে দখল করার কথা কেন বলা হয় এটা বুঝতে হলে আমেরিকা মুসলিম দেশগুলোতে কিভাবে এতো দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ করেছে এটা আগে বুঝতে হবে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের‌ সময় আমেরিকা সরাসরি আগে যুদ্ধে‌ নামেনি, বরং তারা এই যুদ্ধে জড়ানোর জন্য আগে একটা প্রোপাগান্ডা ম্যাকানিজম প্রয়োগ করে দেশের মধ্যে।

√ তারা ভয় দেখায় যে যদি ভিয়েতনামে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা হয়, তাহলে তা পুরো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে। এটাকে বলে "ডোমেনি থিওরি"। এই থিওরি দিয়ে আইজান হাওয়ার বুঝানোর চেষ্টা করে যে, আমেরিকার নিরাপত্তার স্বার্থে তারা এই যুদ্ধে জড়াবে।

মিডিয়া ব্যবহার করে তারা বিরোধীপক্ষকে স্বৈরাচার হিসেবে উপস্থাপন করে এটাকে নৈতিকতার যুদ্ধ বলে প্রচার করতো‌।

√ স্বাধীনতা ও‌ গণতন্ত্রকে রক্ষার দায়িত্ব হিসেবে উপস্থাপন করে এটাকে দেশপ্রেম হিসাবে উপস্থাপন করে তারা।

√ মিডিয়া এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে তারা ব্যবহার করে এই কাজের জন্য। তথ্য বিভ্রাট করে তারা জনগণের মনকে এই যুদ্ধের দিকে নিয়ে আসতে থাকে।


এটা ছিলো তাদের জনমত পরিবর্তনের একটা প্রোপাগান্ডা ম্যাকানিজম। বাস্তবে আমেরিকা এতো নৈতিকতাপ্রবণ? না মূলত আমেরিকার বিশ্বব্যাপী আধিপত্য এবং ডলারের রাজত্ব ধরে রাখতেই তারা এতো বড় বড় যুদ্ধ করেছে। আরব বিশ্বেও তারা একই প্যাটার্নে লড়াই করেছে "শান্তি প্রতিষ্ঠা"র নামে। আর ক্রুসেডের মানসিকতা তো অবশ্যই ছিলো।

এবার দেখি ডা রত কিভাবে এই একই ম্যাকানিজমকে ব্যবহার করছে। তারা প্রথমে মিডিয়ার মাধ্যমে মুসলমানদের ক্রিমিনালাইজ করেছে। বলিউড, নাটক আর নেটফ্লিক্সের সিরিজের মাধ্যমে। মো*দী ক্ষমতায় আসার পর থেকে বলিউডে মুসলিম বিরোধী ছবি সবচেয়ে বেশি নির্মিত হয়েছে। আর গত কয়েক বছরে এই হার সবচেয়ে বেশি। এটা নিয়ে "দ্যা দেশভক্ত" একটা লম্বা ভিডিও বানিয়েছিলো কিভাবে ডা রতে আগের চেয়ে বেশি মুসলমান বিরোধী মুভি তৈরি হচ্ছে। বেশিরভাগ ফ্লপ হলেও যেগুলো হিট হয়েছে, সেগুলোর ইম্প্যাক্ট সাধারণ বিন্দু মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এবং অর্ধ শিক্ষিত এবং অশিক্ষিতদের উপর অনেক বেশি।

এরপর ডা রতের টিভি মিডিয়া কিন্তু এখন এই উত্তেজিত, অর্ধশিক্ষিত মূর্খ এবং কুসংস্কারাচ্ছন্নদেরকে বুঝাচ্ছে যে "কেন আমাদের বাংলাদেশ দখল করা গুরুত্বপূর্ণ"। প্রথমতো তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বলিউডে মুভি আর সিরিজ নির্মাণ করেছে, এরপর তারা অখন্ড ডারতের যুক্তি উপস্থাপন করেছে, এখন তারা বুঝাচ্ছে কিভাবে বাংলাদেশ দখল করা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি লক্ষ্য করেন, আমেরিকার ভিয়েতনাম যুদ্ধে যেই প্রোপাগান্ডা ম্যাকানিজম ব্যবহার করেছিলো, ডা রত এখন সেই একই প্রোপাগান্ডা ম্যাকানিজম ব্যবহার করেছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমেরিকা মুসলমানদের থ্রেট উপস্থাপন করে মধ্যপ্রাচ্যে আসে, আর ডা রত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য আসতে চায়। মমতার শান্তি বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব এগুলোকে আপনি এই একই প্যাটার্নে মেলাতে পারবেন।

আমরা যতই হাসি তামাশা করি না কেন, বাস্তবতা এটাই যে আমাদের মাথার উপর এক বিশাল যুদ্ধ অপেক্ষা করছে। একাত্তরের যুদ্ধ করার জন্য বাংলার মাটিতে তাদের একটা পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে। যদিও এখানে অনেক মিলিটারি হিসাব নিকাশ আছে, তবে আমরা একটা ভয়াবহ যুদ্ধের মুখোমুখি তাতে কোন সন্দেহ নাই। বিজয় নিঃসন্দেহে আমাদের হবে ইনশাআল্লাহ, কিন্তু ভয়াবহ যুদ্ধকে হসি তামাশা করে কখনো উপস্থাপন করা উচিত না। তারা প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে, এখন আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা এটাই প্র্যাগমেটিজম।

Hasan Muhammad

02 Dec, 15:03


https://www.facebook.com/61569109886487/posts/122108702216636996/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

Hasan Muhammad

02 Dec, 12:39


শত্রুকে দুর্বলভাবা পরাজয়ের অন্যতম কারণ। বাংলাদেশকে দখল করার বিষয়টা পা জি* তরা অনেক সিরিয়াসলি নেয়, সুতরাং তাদেরকে দুর্বল না ভেবে প্রস্তুতি নেয়া উচিত। শত্রু যতই দুর্বল হোক, শত্রু যতক্ষণ অক্ষত থাকবে, ততক্ষণ আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। দিন ঘনিয়ে আসছে।

Hasan Muhammad

02 Dec, 12:36


আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে উগ্র হিন্দুত্ববাদরা হামলা করেছে।

#AllEyesOnBangladeshiHighComissionInIndia
#ShameOnIndia
#saveBangladeshiHighComissionInIndia
#StopAttackingBangladeshiInIndia
#SaveBangladeshiInIndia

Hasan Muhammad

02 Dec, 02:41


এইটা ভাইরাল হওয়া উচিৎ ছিল। হলুদ সাংবাদিকতা বিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা অন্তত শেয়ার করতে পারতো।

https://www.youtube.com/live/7hkjAGPoUGE?si=LqZtg3bEs-FQGcl7

Hasan Muhammad

02 Dec, 02:40


আলেপ্পো বিমানবন্দরে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা আরও ৫টি যুদ্ধবিমান দখল করেছে।

সিরিয়ার বিদ্রোহীরা আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরও ৫টি L-39 আলবাট্রোস যুদ্ধবিমান দখল করেছে। যা নিয়ে মোট দখলকৃত বিমানের সংখ্যা অন্তত ১১টিতে পৌঁছেছে।( na/1)

Hasan Muhammad

02 Dec, 02:07


সিরিয়ার বিদ্রোহীদের FPV ড্রোন হামলায় আসাদ সরকারের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আদি ঘাসাহ আহত হয়েছেন।
তিনি সিরিয়ার হামায় সামরিক নিরাপত্তা শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
mh/3

Hasan Muhammad

20 Nov, 09:44


এই রামছাগল আর গাধার কথা শোনার পর কিছু গাধা আনন্দিত হবে জানি

Hasan Muhammad

20 Nov, 07:54


এই কথাটাই কিছুদিন আগে লিখেছিলাম যে, কেউ রাজনীতি করলে তাকে স্পষ্ট করেই বলতে হবে যে "আমরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার না, ক্ষমতার রাজনীতি করছি"। এখন সে ইসলামপন্থী হলেই তাকে "ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবো" এমন মিথ্যাচার থেকে বের হতে হবে। গণতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে পারা হলো আজমত, কিন্তু আপনি আমি যতদিন এখানে যতদিন ইসলাম প্রতিষ্ঠা না করতে পারবো, ততদিন আপনাদের আমাদের কেউ না কেউ রাজনীতিতে প্রতিনিধিত্বশীল থাকতে‌ হবে। কারণ মরা থেকে বেঁচে থাকা ভালো, আপনি নিজে মরার কথা ভাবলেও সমাজের অধিকাংশ মানুষের কথা ভাবলে তাদেরকে বাঁচানোর চিন্তা করতে হবে।

কিন্তু দাওয়াহর ক্ষেত্রে আমাদের মূল ফোকাস হলো গণতান্ত্রিক রাজনীতির সর্বোচ্চ বিরোধীতা এবং খিলাফাহ শাসনব্যবস্থা তুলে ধরা। এজন্য যারা গণতান্ত্রিক রাজনীতি করবে, তাদের ফোকাস করতে দাওয়াহ সামাজিক সংস্কারের দিকে। কিন্তু আমাদের যারা রাজনীতি করে তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে নিজের স্বার্থ, তাদের চিন্তার ক্ষেত্রে না সমাজের ব্যাপারে সৎ আর না রাষ্ট্রের ব্যাপারে।

বাংলাদেশে ভৌগলিকভাবে ততদিন মুসলিমরা শক্তিশালী হবে না যতদিন না:

> প্রশাসনিকভাবে ইসলামি ন্যারেটিভ প্রচার করা হবে। এখন এই ন্যারেটিভ যেকোনোভাবেই‌ হোক ইসলামী ন্যারেটিভ হলো এখানকার সার্বভৌমত্ব এবং মুসলমানদের জাতিসত্তা রক্ষার একমাত্র মাধ্যম। কারণ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লুকায়িত হচ্ছে ৪৭ আদর্শিক অবস্থানে অর্থাৎ ইসলাম। এখানে যদি সেক্যুরাজিম বা অন্য কিছু ঢুকানো হয় তাহলে সহজেই বি নদুত্ব বাদ প্রবেশ করবে।

> দ্বিতীয় হলো পাক যতদিন স্বাধীন ও শক্তিশালী না হবে, ততদিন বাংলাদেশ ডা র তেল জন্য থ্রেট হতে পারবে না। পাক স্টাবলিশমেন্টের সাথে আমাদের আদর্শিক দ্বন্দ্ব আছে, এবং থাকতে পারে, কিন্তু পাক শক্তিশালী না হতে পারা আমাদের জন্য থ্রেট। পাক দুর্বল বলেই ডা রত এতো‌ হম্বিতম্বি করতে পারে। আমি পাক প্রশাসনের চেয়ে বেশি সাপোর্ট করি টিটি পিকে, কিন্তু আমাদের ভৌগলিক পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় যেই থাকুক না কেন পাকে, তার সাথেই আমাদের প্রচণ্ড বন্ধুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পর্ক রাখতে হবে। যদিও পাক যেই উদ্দেশ্য স্বাধীন হয়েছিলো, তা একমাত্র টিটি পির মাধ্যমেই অর্জন সম্ভব তালিবদের নেতৃত্বে।

আর আদর্শিকভাবে আমাদের দায়িত্ব হলো ডা রতের বিরুদ্ধে আমাদের আদর্শিক লড়াই। তাওহীদ রিসালাত আখেরাত এই তিনটা বিষয়ের উপর ফোকাস করা। আর ব্যাক্তি গঠনে আমাদের কার্যক্রম হলো ইলম তাসাউফ ও জি***দের দিকে মনোনিবেশ করা।

Hasan Muhammad

19 Nov, 04:57


ইমাম মহীউদ্দীন নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন —

“যদি পুরুষ বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যান এবং দেখার পর তাকে পছন্দ না হয় তবে তাকে চুপ থাকতে হবে। তার জন্য এটি বলা জায়েজ নয় যে, 'আমার তাকে পছন্দ হয়নি', কারণ এটি ঐ নারীর জন্য অপমানজনক।”

[রাওযাতুত তালেবীন, ৭/২১]

Hasan Muhammad

19 Nov, 03:46


ওয়া আলাইকুমুস সালাম

তাসাউফ আমি চর্চা করি না, তবে আমি ইনশাআল্লাহ চর্চা করবো। এটা কিভাবে ফাংশন করে এটা জেনেছিলাম মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরি রহ একটা বই পড়ে। উনার নাম বই লিখে সার্চ দিলে পাবেন ইনশাআল্লাহ।

আর ইংরেজি যা আছে সেগুলো পড়িনি, তাই সাজেস্ট করতে পারছি না। তবে সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ সংগ্রামী সাধকদের জীবনীতে তাসাউফের প্রভাব নায়েক আলোচনা করেছেন বিভিন্ন আলেমদের জীবনী আলোচনা করার সময়। আসলে এটা যতটা না তাত্ত্বিক, তার চেয়ে বেশি প্র্যাক্টিক্যাল। এজন্য তাসাউফের ফাংশন লেখাজোখা কম পাবেন, কিন্তু তাসাউফের গুরুত্ব ও লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে অনেক লেখা আছে।

ইমাম গাজালি রহ তাসাউফেথ ফাংশন নিয়ে আলোচনা করেননি, করেছেন কিভাবে তাসাউফ মানুষের অন্তরকে আল্লাহমুখী করে। শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ একইভাবে কাজ করেছেন, এটার ফাংশনাল সিস্টেমটা আসলে ব্যাক্তির উপর নির্ভরশীল। বাকি লক্ষ্য উদ্দেশ্য হলো মানুষের জীবনকে সেই মুসাফিরের মতো করা; যে ব্যাপারে হাদিসে বলা‌ হয়েছে যে, দুনিয়াতে মানুষের জীবন হলো মুসাফিরের মতন, যে একটা গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছে, কিছুক্ষণ পর আবার আখেরাতের পথে যাত্রা শুরু করবে।

আমি তাসাউফ নিয়ে একটা বিস্তারিত কাজে হাত দিয়েছি ইনশাআল্লাহ। আপনারা অনেক কিছুই জানতে পারবেন ওই বই থেকে।

Hasan Muhammad

19 Nov, 03:27


Hasan Muhammad pinned «নেন এবার চিঠি লিখেন https://chithi.me/hasan66»

Hasan Muhammad

19 Nov, 03:14


নেন এবার চিঠি লিখেন

https://chithi.me/hasan66

Hasan Muhammad

18 Nov, 03:53


গুরু শিষ্যের বই একসাথে

Hasan Muhammad

17 Nov, 07:57


মিযান হারুন যা বলেছে তাতে অনেক বকোয়াস আছে আবার সামান্য কিছু সত্যও আছে। আব্দুল্লাহ ফারুকতো চূড়ান্ত অন্ধ। কিন্তু আমি নিজেও মনে করি মাকদিসিকে এদেশে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা শুধু অনুচিত না বরং কাউন্টার প্রোডাক্টিভ। আমাদের আদর্শ হিসাবে রাখতে হবে মুজাদ্দিদে আলফে সানি, আওরঙ্গজেব, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, টিপু সুলতান, সাইয়্যেদ আহমাদ শহীদ, শাহ ইসমাইল শহীদ, তিতুমীর প্রমুখকে।

Hasan Muhammad

17 Nov, 05:57


সত্যি কথাই বলি গতবছর ইরফান সাদিকের সাথে আমার সালাফিজম নিয়ে ঝগড়া হয়েছিলো। এরপর গত এক বছরে আমি খুবই গভীরভাবে সালাফিজম নিয়ে পড়াশোনা করেছি, শায়খ নজদী থেকে সালফিদের বর্তমান রূপ পর্যন্ত। মূলত তাদের সাথে ঝগড়ার পরই আমি দেওবন্দিয়াত আর সালাফিজমের পড়াশোনা করি।‌ কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আমি সালাফিজম থেকে থেকে দেওবন্দীদের ভিত অধিক শক্তিশালী পেয়েছি। এটা শুধু ইলমি দিক থেকেই না, রাজনৈতিক স্ট্রাটেজি এবং দূরদর্শিতার দিক থেকেও। এরপর থেকেই আমি নিজেকে দেওবন্দি বলি, এর আগে কখনো বলি নাই। অনলাইনে এসব আলোচনা করি না, কারণ এতে করি পরিবেশ নষ্ট হবে। তবে আমি এতটুকু নিশ্চিত উপমহাদেশে দেওবন্দিয়াত ছাড়া কোন আন্দোলন শক্ত হতে পারবে না।

আমি ইরফান সাদিককে মন থেকেই ‌শ্রদ্ধা করি‌, আমি নিশ্চিত সে আমার বেশি ইখলাস ওয়ালা মানুষ। আমার চেয়ে বেশি তাঁর অন্তর পরিষ্কার। কিন্তু আমি কখনোই সালাফিয়াতকে দেওবন্দীদের উপর দেখি না, ইলমি যোগ্যতা এবং রাজনৈতিকভাবে দিক থেকেও। এটা হচ্ছে তূলনা। (তবে আরবের মুজাদ্দিদ শায়খ আযযাম রহ মতো ব্যাক্তিদের কথা ভিন্ন। উনি সালাফি হয়েও অধিক ভারসম্যপূর্ণ ছিলেন আলহামদুলিল্লাহ।) তাদের সাথে একটা পর্যায়ে ঝগড়ার ফায়দা হলো তারা আমাকে ইতিহাস আরো গভীরভাবে পড়তে সাহায্য করেছে। এজন্য ইরফান সাদিক ভাই বিশেষভাবে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

তবে একবিংশ শতাব্দীতে সালাফাজম উপেক্ষা করা যায় না। কিন্তু সালাফিছম এককভাবে কখনোই শক্তিশালী হতে পারবে না। কারণ তাদের ইলমি শিকড় খুবই দুর্বল, এজন্য তারা আরবের প্রত্যেক ভূমিতেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। কিন্তু তাদের আধুনিক স্ট্রাটেজি দুর্দান্ত, এজন্য মোল্লার উমর রহ কাছে তাদের বায়আত আমাদের এই আন্দোলনকে বেগবান করে সফল করেছে। মোল্লা উমর অবশ্যই বিজয়ী হতো, কারণ তাদের ঐতিহাসিক এবং ইলমি শিকড় অনেক গভীরে কারণ তারা দেওবন্দী এবং একই সাথে তাদের ঐতিহাসিকভাবে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস আছে। সাইয়েদ আহমেদ বেরেলভী থেকে রেশমি রুমালেও আফগানরা ছিলো।

যদি আরব মুজাহিদরা যুদ্ধে না আসতো, তবুও মোল্লা উমর রহ বিজয়ী হতো। কিন্তু সেটা তখন আফগানিস্তানে সীমবদ্ধতা থাকতো কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্র অবশ্যই হতো। কিন্তু আরব মুজাহিদের বৈশ্বিক স্ট্রাটেজি ইমারতে ইসলামিয়াকে একটা বৈশ্বিক মঞ্চ হিসেবে তুলে ধরেছে। এটা আরব মুজাহিদদের অবদান কোন সন্দেহ ছাড়াই ।

Hasan Muhammad

17 Nov, 05:32


একটা সংক্ষিপ্ত কিন্তু অযৌক্তিক ও জ্ঞানহীন আলাপ। দেওবন্দিয়াত যদি ইসলাম প্রতিষ্ঠা নাই করতে পারে, তাহলে তালিবরা কিভাবে দেওবন্দী আর কাসেম নানুতুভীর অনুসারী দাবি করে? জামশেদ ভাই কি ইতিহাস জেনে কথা বললো নাকি উত্তেজিত অবস্থায় আবেগ থেকে বললো? হাজী তুরুঙজাইয়ের কথা কি সে জানে? দারুল হাক্কানীয়া দেওবন্দীদের, মোল্লা উমর হাক্কানীয়ার ছাত্র। আমি আগেও প্রমাণ দিয়েছি কয়েকবার বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র না‌ আসার কারণ হলো এখানকার ভৌগলিক সমস্যা, এটা মোটেই দেওবন্দীয়াতের সমস্যা না। এই ধরনের কথা বললে সবচেয়ে নির্মম বাস্তবতা হলো সালাফিজম এবং সালাফিয়াত সবচেয়ে ব্যর্থ আন্দোলন, তারা কি মিশরে আলজেরিয়ায়, ইয়ামান অথবা সিরিয়ার কোথাও সালাফিজম দিয়ে শরিয়াহ প্রতিষ্ঠা করতে পারছে? বরং সালাফিজম প্রত্যেক ভূমিতেই পরাজিত হয়েছে। এই ধরনের অজ্ঞানতা প্রসূত অযৌক্তিক আলাপ দিয়ে বিভক্তি করে আগামী দশ বছরেও কি সম্ভব এই অঞ্চলে ইসলামি রাষ্ট্র আনা? মানুষের কোন কোন জায়গা অবসেশন থাকতে পারে, কিন্তু মিথ্যা আবেগ আর অযৌক্তিক বক্তব্য দিয়ে ইসলাম আসে না, এটা মনে রাখা উচিত।

Hasan Muhammad

16 Nov, 16:04


পাঠকের ক্লিক

Hasan Muhammad

16 Nov, 15:39


বগুড়ায় উম্মে আসমা হত্যাকাণ্ড।

সাদ বিন আজিজ তার মাকে হত্যা করেনি। কিন্তু বিনা অপরাধে সাদ কে গ্রেফতার এবং মিডিয়াতে নিজের মায়ের খুনি হিসেবে সাদ কে যেই অপবাদ দেওয়া হয়েছে। তা কোনোভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়।

সাদ কে অপবাদ দেওয়ার সময় সবাই ঢালাও ভাবে সেই মিথ্যা নিউজ শেয়ার দিয়েছে।

কিন্তু সত্য ঘটনা সামনে আসার পর যখন প্রমানিত হলো- সাদ তার মা'কে হত্যা করেনি। তখন কেউ সেই নিউজ শেয়ার করছেনা।

নিজে সত্য জানুন। এবং শেয়ার করে অপরকে সত্য জানিতে সাহায্য করুন।

যা সাদের সাথে হয়েছে, তা আর কোনো সন্তানের সাথে না হউক।

নিউজ লিংক- https://x.com/bjtyban/status/1857808987812737226?s=46

Hasan Muhammad

16 Nov, 13:39


ইশরাক একজন কনজারভেটিভ লিবারেল। প্রচলিত সমাজ ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে লিবারেলিজমের চর্চা করে আর এগুলোকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চায়। তাই এদের আচরণ ও আদর্শ দেখে এদেরকে ধার্মিক মনে হয়।

কিন্তু কনজারভেটিভ লিবারেলরা ধার্মিক না। তারা কেবলমাত্র প্রচলিত সংস্কৃতিকে ধারণ করে সেটার সাথে লিবারেলিজম ও সেকুলারিজমকে মিলিয়ে পালন করে।

ধার্মিকদেরকে সাধারণত ডানপন্থী ধরা হয় আর কনজারভেটিভ লিবারেলরা center right, আর পূর্ণাঙ্গ ধার্মিকদেরকে far right গ্রুপে ফেলা হয়।

উদাহরণ - জর্ডান পিটারসন Conservative Liberal Christian

Hasan Muhammad

16 Nov, 02:14


ইখওয়ানি-জামাতি পলিটিক্সের সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হলো তারা মাকাসিদের নামে দ্বীন বিকৃত করে ফেলে। দ্বীন বিকৃত করতে করতে তারা তাদের আদর্শই এখন ধ্বংস করে ফেলেছে। আপনি এজন্য তাদের প্রতিটা চিন্তার সাথে কাজের সাংঘর্ষিকতা খুঁজে পাবেন। আপনি যখন কাউকে প্রশ্ন করবেন জামাত ইসলামী কেন করো? সে বলবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য, কিন্তু বাস্তবে তারা করছে গণতান্ত্রিক রাজনীতি। তহলে কথা কাজে মিল কোথায়? গণতান্ত্রিক রাজনীতি দিয়ে "এনলাইটেনমেন্টের" প্রাচীন গ্রিকো-রোমান রাজনীতির চর্চা করে বলছেন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন? হাস্যকরই মনে হবে এবং বড় ধরনের মিথ্যাচারও বটে।

কথা ও‌ কাজের মধ্যে স্পষ্টতা থাকা জরুরি। আমি মনে করি মুসলমানদের একাংশের জন্য রাজনীতি করা ওয়াজিব। এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুমের সুন্নাহ। কিন্তু রাজনীতি করার অর্থ গণতান্ত্রিক রাজনীতি করা না, আবার মৃত্যুবরণ করার চেয়ে একটা অংশ গণতান্ত্রিক রাজনীতি করুক, এটাও জায়েজ কিন্তু কাজটা হারামই থাকবে। এজন্য জামাত বা গণতান্ত্রিক রাজনীতি যারা করবে তাদের সকলের কাছে‌ স্পষ্ট করে বলা উচিত আমরা ক্ষমতার রাজনীতি করি ইসলাম প্রতিষ্ঠার রাজনীতি না। আপনারা এটা বলতে পারেন, আমরা অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলের চেয়ে আদর্শিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে ভালো ফাংশন করতে পারবেন, কিন্তু ইসলাম প্রতিষ্ঠার না। কল্যাণ রাষ্ট্র তত্ত্বের মূল কথাও এটাই, এটা ইসলামী রাষ্ট্র না বরং গণতান্ত্রিক রাজনীতির‌ মধ্যে সবচেয়ে ভালো মডেল।

বাকি আমাদেরকেও‌ রাজনীতিতে আগ্রহী হতে হবে, নিষ্ক্রিয়তা কখনো জাতির মাঝে পরিবর্তন আনে না। কিভাবে রাজনীতি করবেন এটা আপনাকে বুঝতে হবে, এটাই রাজনীতির‌ সৌন্দর্য। আপনি নিছক আদর্শের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চান, তাহলে সম্ভব না। এটাই সিয়াসাহ আর শরিয়াহর সংঘর্ষের জায়গা। এজন্য উমাইয়া থেকে উসমানি শাসনামল পর্যন্ত প্রত্যেক যুগেই উলামা শ্রেণীর সাথে শাসকদের দ্বন্দ্ব ছিলোই, কেন ছিলো? কারণ প্রায়োগিক ক্ষেত্রে হুবহু কপি করা যায় না। সিয়াসাহ নিয়ে সবচেয়ে গভীর আর প্র্যাগমেটিক কাজ হলো ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি, ইমাম গাজালী, জুয়াইনি রহ ইনাদের। কিন্তু ইমাম ইবনে তাইমিয়ার কাজটা ভিন্ন ধাঁচের হলেও তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপদেশমূলক, কিন্তু কাছাকাছি।‌ আদর্শের নামে কখনো রাজনীতি বিমূখ হওয়া যাবে না, এটা ভালো লক্ষণ না।

Hasan Muhammad

13 Nov, 12:22


বেশি না, আর অল্প কয়েক বছর গেলেই দেখবেন ইশারাক শাহবাগীদের পক্ষে বলবে।

Hasan Muhammad

13 Nov, 08:58


দূর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে যদি নিকট ভবিষ্যত ধ্বংস করে দেন , তাহলে আর কখনো দূর ভবিষ্যত আপন করতে পারবেন না। আবেগ আর বাস্তবতা সমন্বয় করে চলা উচিত। তাগুতি শাসনব্যবস্থার দোহাই দিয়ে মূলধারার রাজনীতি থেকে উলামাদের দূরে রাখার ফলাফল কি এতদিন আমরা দেই নাই? ইসলাম ও মুসলমানরা‌ সবসময়ই রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক থেকেছে, এজন্য তারা নিজেদের অধিকার কখনো আদায় করতে পারে নাই। এখন আমরা আধিপত্য অর্জনের কথা বলতেছি, সমাজ প্রভাব বিস্তারের কথা বলতেছি, এটা কিভাবে সম্ভব যদি আপনি মূলধারায় না আসেন?

সংবিধান সংস্কারে গেলেও আমাদের বিপদ না‌ গেলেও আমাদের বিপদ। গেলে আমরা তাগুতি শাসনব্যবস্থাকে সহযোগিতা করছি, না গেলে আমরা নিজেদের অধিকার এবং মুসলমানদের ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছি। এখন এই দুইটা বিপদ থেকে কোনটা সবচেয়ে কম ক্ষতিকর এবং লাভজনক? আমাদের আলেমরা এবং বিশুদ্ধ ইসলামপন্থী যুবকরা রাজনীতি থেকে দূরে, এজন্যই দেখা যায় সবসময়ই শাহবাগীরা প্রশাসনে জায়গা করে নেয়, কারণ আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে বুদ্ধিজীবী শ্রেণী রাজনীতিতে সক্রিয় না‌, আর এই শূন্যতাটা পূরণ করে শাহবাগী সেকুলাররা।

দেখেন সংবিধান সংস্কারে গেলে দেশ ইসলামী রাষ্ট্র কখনোই হবে না, আবার আর্ম স্ট্রাগল করতে পারবেন না এখানে। একই সাথে ডা র ত সম্পূর্ণ ধ্বংস না হলে এখানে ভৌগলিক দূরত্বের কারণে আপনি ইসলামী শাসনব্যবস্থা আনতেও পারবেন না। বাঙ্গালায় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা অনেক দূর ভবিষ্যত নিকট ভবিষ্যত না, ডা র কে ধ্বংস না করে অসম্ভব। আরেকটা ফিল্ড হতে পারে তা হলো মিয়ানমার, যেখানে আরসা সক্রিয় হচ্ছে‌ এবং শক্তিশালী হচ্ছে। কিন্তু উভয় পরিস্থিতিতে আমাদের সুযোগ এখনো অনেক কম।

এই অবস্থায় বিশুদ্ধবাদী হয়ে রাজনীতিতে থেকে দূরে থাকার ফায়দা কি হবে? নিজেরা নিজেরা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে? এরচেয়ে ভালো আপাতত আমাদের এই অঞ্চলের মুসলমানদের অধিকার ও বি নদুত্ব দমনে কাজ করা উচিত। কারণ এটা আমাদের পক্ষে নিকট ভবিষ্যতেই সম্ভব, এটা হতে পারে আমাদের মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্যের প্রথমধাপ। আসিফ ভাই সুন্দর বলেছেন দিলি হোসাইনের পডকাস্টে, আমাদের জাহাজ ছিদ্র অবস্থায় এখন মাঝ সমুদ্রে ডুবন্ত। এটাকে তীরে (খেলাফতে) ভিড়ানোর চেয়ে এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো জাহাজকে ডুবতে না দেওয়া। আমাদের এখন সেই কাজটাতেই মনোযোগ দিতে হবে।

এরমানে এটা না যে আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতির নির্বাচন প্রক্রিয়াতে অংশগ্রহণ করতে হবে সবাইকে। মূল কথা হলো আপনি আপনি কতটুকু প্রভাব অর্জন করতে পারছেন সরাসরি রাজনীতিতে না থেকেই। আদর্শ কপি পেস্ট করা সম্ভব, কিন্তু রাজনৈতিক কার্যক্রম কপি পেস্ট করে হয় না, তার উপর যদি আমাদের মতো বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড, যার চার পাশে রয়েছে বি নদুত্ব বাদ, ঈমানী দুর্বলতায় পাশপাশি রাজনৈতিক স্থবিরতা, তখন তো আমাদের আরো সৃজনশীল হতে হবেই‌। অযোগ্যরা সবসময়ই কপি পেস্ট করার নীতিতে চলে, আর আদর্শহীন মূর্খরা করে অনুকরণ (ইশরাক)। আল্লাহ আমাদের পাথেয় দিয়েছেন, পথ দিয়েছেন, বুদ্ধি দিয়েছেন। আমাদেরকে সেভাবেই কাজে লাগাতে হবে। ইলম, তাসাউফ জি হা দ।

Hasan Muhammad

13 Nov, 04:33


দিলি হোসাইনের সাথে আসিফ আদনান ভাইয়ের আলোচনাটা শুনতে পারেন।
https://youtu.be/D_tuqdBmOHk?si=wiJSI1G2REMYgPNs

Hasan Muhammad

12 Nov, 16:48


সিয়ানের প্রথম অনুষ্ঠানে যে শামসুল আরেফিন শক্তি ভাই যেই একটা প্রস্তাবনা পেশ করেছিলেন, অন্য সব আলোচনার চেয়ে ওইটা আমার কাছে রাজনৈতিক দিক থেকে সবচেয়ে ম্যাচিউর মনে হয়েছে। আমার তাঁর সাথে কোন যোগাযোগ নেই, তবে কেউ পারলে বলবেন উনি উনার প্রস্তাবনা নিয়ে যাতে মাওলানা মূসা আল হাফিজ, মাওলানা মামুনুল হকে সহ অন্যান্যদের আলেমদের কাছে পেশ করে। কারণ, রাজনীতিতে আমাদের মূলধারায় আসতে হলে ওইটা থাকা জরুরি ।

রাজনৈতিক উলামা ছাড়া সফল‌ লবিং করা সম্ভব না, রাজনীতিতে বিশুদ্ধবাদী হয়ে চলা অসম্ভব। কূপমন্ডুকরা তালিবদের উপর দোষারোপ করে নাই? মাওলানা মাদানীর‌ উপর? আমাদের মূল মাকসাদ এখানে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা আপাতত মোটেই না, এখানে মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বশীল করাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। আপাতত ফোকাস করতে কিভাবে বি নদুত্ব বাদ দমন করা যায়। ইসলামী ন্যারেটিভ যদি প্রশাসন থেকে আসবে না, কারণ কারণ সেক্যুলার আর লিবারেল বেশি, এবং ইসলামপন্থীরা পর্যাপ্ত পরিমাণের চেয়ে অনেক কম। এজন্য আমাদের মাঠকর্মী থাকলেও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব কম।

Hasan Muhammad

11 Nov, 12:32


একটা প্রবাদ তো সবাই শুনেছেন, "নৌকা আর ধানের শীষ, দুই সাপের একই বিষ"। কেন এই বিষ জানেন, সেটা হলো সেক্যুলারিজম ও গণতন্ত্র। সেক্যুলারিজম আর গণতন্ত্র হলো এমন একটা নৈতিকতাহীন ম্যাকানিজম, যা সবাইকে স্বৈরাচার বানায়। কারণ সেক্যুলারিজমে আইন হচ্ছে সর্বোচ্চ নৈতিকতা। এখন আইন যদি মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের (ফিতরাত) বিপরীত হয়, তবুও এটাই হলো সর্বোচ্চ নৈতিকতা।

শরিয়াহ নিছক আইনের উপর জোর দেয়‌ না, বরং শরঈ আইনের উৎস হলো ফিতরাত। এজন্য আপনি শরঈ আইনের মূল কনসেপ্টকে একটা আয়াতের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবেন, কিন্তু আপনি সেক্যুলার ও‌ লিবারেল আইনকে একটা ফ্রেজ বা প্যারা-ফ্রেজের মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে পারবেন না, আপনি অবশ্যই কোন না কোন সাংঘর্ষিকতা ও সীমাবদ্ধতা লক্ষ্য করবেন।

Hasan Muhammad

11 Nov, 06:16


সেক্যুলার V/S ইসলাম প্রস্তাবনা

বাংলাদেশ প্রশাসনিকভাবে ডা-রতের হাত থেকে কিছুটা মুক্ত হলেও তা পুরোপুরিভাবে ডা-রতীয় আধিপত্য থেকে মুক্তি লাভ করে নাই। এখানকার রাজনীতি এতটাই পেঁচানো যে মাঝে মাঝে মনে হয় ডা-রত বিরোধী সবচেয়ে বড় আওয়াজটাই আবার আবার ডা-রতের এজেন্ট কি না।

জুলাই পরবর্তী সরকার ব্যবস্থা কোন একটা ন্যারেটিভ দাঁড় করাতে সবচেয়ে বাজেভাবে ব্যর্থ হয়েছে। খুনি হাসিনার পর নতুন কোন ন্যারেটিভ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে কিন্তু উঠানো হয় নাই বা তারা কোন প্রস্তাবনাও পেশ করে নাই। ফলে সেই কপি করা সংবিধান আর হাসিনার কিছু সংস্কার ছাড়া রাষ্ট্রযন্ত্রে বড় কোন পরিবর্তন আসে নাই বললেই ভালো।

খুনি হাসিনার আমলে এই অঞ্চলের মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় বাঁধা কি ছিলো? ইসলমা ও মুসলমান প্রশ্ন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা কি এই সরকার আমলেও ইসলাম ও মুসলমান প্রশ্নের কোন সমাধান পাচ্ছি? এর সহজ উত্তর হচ্ছে না‌। সেক্যুলারিজম ও গণতন্ত্র এখানের কোন সমাধান না, আমি যদি ধর্মীয় দিক বাদ দিয়ে বলি, বাংলাদেশে নিছক সেক্যুলারিজম কোন সমাধান না।‌ কেননা বিগত সরকারের আমলে সেক্যুলারিজমের নামেই প্রশাসনে বি নদুত্ব বাদ জায়গা করে নিয়েছিলো, আজকেও‌ ঠিক সেটাই ঘটছে।

সেক্যুলারিজম ও গণতন্ত্রের নামে শাহবাগীরা কি ফিরে আসে নাই‌? সেক্যুলারিজমের আগের বি নদুত্ব বাদ এখনো রয়ে‌ গেছে, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এখন বি নদুত্ব বাদের বৃষ্টি কম হচ্ছে। কিন্তু এমন কি সবসময়ই থাকবে ? না এমন সবসময়ই থাকবে না, বরং বি নদুত্ব বাদ আরো শক্তিশালী হবে। যদিও প্রশাসন খাঁটি "ইখলাসওয়ালা" সেক্যুলার হয় তবুও তারা সেক্যুলারিজম দিয়ে আদর্শিক সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে পারবে না। কেন পারবে না?

কেননা সেক্যুলার গণতান্ত্রিক কাঠামো এমন একটা রাজনৈতিক তত্ত্ব উপস্থাপন করে, যেখানে আপনি ধর্মীয় ও আদর্শিক সমস্যার সমাধান হিসেবে "সমস্যাকে" আপনি সম্পূর্ণ নির্মূল করতে পারবেন ‌না।‌ কারণ সেক্যুলারিজম 'ডিভাইড এন্ড রুল' পলিসিতে চলে, এজন্য দেখা যায় সেক্যুলারিজমের নামে বি নদুত্ব বাদকে স্পেস দিয়ে "রাষ্ট্রবিরোধী" কার্যক্রম করা থেকে বিরত রাখবে, কিন্তু নির্মূল করবে না। সেক্যুলার রাষ্ট্র সবসময়ই ভাবে যে এটা ভবিষ্যতে আমার কোন এক শত্রুকে মোকাবেলায় কাজে লাগবে। সেই কাল্পনিক শত্রু মোকাবেলার সময় আসতে আসতে সেই সন্ত্রাসী শক্তি আরো বড় হয়, আর সেই সরকার-প্রশাসন ও‌ পলিসি মেকাররা ‌বিলুপ্ত হয়ে যায়।

কানাডায় এই ধরনের প্যাটার্নেই কিন্তু শিখরা নিজেদের জায়গা করেছে, একই সাথে আর এস এস সেখানে শক্তিশালী হয়েছে। ধর্মবিরোধী এতো মতবাদের ছোট থেকে বড় হওয়ার পেছনে ঠিক এই ধরনের প্রসেস‌ বিদ্যমান, সেটা হলো সেক্যুলারিজম।

এবার যদি আমরা রাজনৈতিকভাবে এই সমস্যার একটা সমাধান চাই, যেটা বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করবে, তা হলো প্রশাসনের সম্পূর্ণ ইসলামায়ন। এই প্রশাসন তবুও কুফুরি প্রশাসনই থাকবে, কিন্তু বি নদুত্ব বাদ সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত তখনই হবে যখন সেক্যুলারিজমের ফালতু ও অযৌক্তিক ন্যারেটিভের বিপরীতে ইসলামী ন্যারেটিভ জায়গা করে নিবে। এটা হলো সহজ ও যৌক্তিক সমাধান। এটা মনে রাখবেন রাজনীতিতে বেশি বেশি তাত্ত্বিক আলাপ কোন কাজের না, এজন্য আমরা যখন সেক্যুলারিজমের বিপরীতে ইসলামায়নের কথা বলি, তখন সেটা মোটেই "সেক্যুলার ইসলামিক" তত্ত্বের জায়গা থেকে না, যেটা এখন পশ্চিমা একাডেমির হট টপিক। বরং আমাদের অবস্থান প্রতিকূল পরিবেশে সাময়িক কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ফলাফলের কথা চিন্তা করে।

এতে করে দেশ কুফরী রাষ্ট্রই থাকবে, কিন্তু ইসলামকে ন্যারেটিভ করে কাজ করলে বি নদুত্ব বাদ এবং সার্বভৌমত্ব বিরোধী সকল সন্ত্রাসী কার্যক্রম দূর করা সম্ভব একই সাথে ইসলামের রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মানুষের কাছে সাধারণ করার একটা সুযোগ খুলে যাবে। এভাবে কাজ করলে আমরা পাক ইস্তানের মতো একটা রাষ্ট্রীয় কাঠামো পাবো, যেখানে বি নদুত্ব বাদের কোন অস্তিত্ব থাকবে না। কিন্তু পাক ও আমাদের পার্থক্য থাকবে হলো পাক ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে ধোঁকা দিয়েছে, আমরা এ দ্বারা "ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে" বলি‌না, বরং এই অঞ্চলে আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রুকে আমরা ধ্বংস করতে করতে পারবো, একই সাথে সমাজে ইসলামকে মূলধারা হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবো। আসল ব্যাপার হলো নিজের দাবিতে সৎ এবং স্পষ্ট থাকতে হবে‌। অস্পষ্ট ও অসৎ দাবি করেই জামাত অনেক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, আমরা সেই পথে না‌; স্পষ্ট কিন্তু নিউট্রাল।

Hasan Muhammad

10 Nov, 11:55


আজ রফিকুল ইসলাম মাদানি কি পরিমান মিডিয়া এক্সপোজার পেয়েছেন, দেখেছেন? আমি আলেমদের ট্রেড ইউনিয়ন টাইপ সংগঠন খুব একটা পছন্দ করি না৷ রাজনীতি করতে হবে মানুষের সাথে থেকে মানুষের মাঝে। গনমানুষ থেকে বিভক্ত থেকে কোন গোষ্ঠীভিত্তিক রাজনীতি করে আলেমরা কখনো দেশের মূলধারার রাজনীতিতে গুরুত্ব পাবে না। তবে আরও একটা বিষয় চমৎকার লেগেছে। যেটুকু বক্তব্য মাদানির শুনলাম বেশ পরিপক্ব লেগেছে। মাহফিলগুলোতে সে যেমন বোকা বোকা কথা বলে এখানে মোটেই তার গন্ধও পাইনি। (অন্তত আমি যেটুকু শুনেছি সেটুকুতে) শাইখুল হিন্দ বা হুসাইন আহমাদ মাদানি রহ কেউ একদিনে শাইখুল হিন্দ বা মাদানি হয় নাই। লেগে থাকতে হবে।

Hasan Muhammad

09 Nov, 07:50


সম্পূর্ণ জাতির এখন এই একটা অবস্থা। আমরা জ্ঞানকে "অর্জনের সিড়ি" হিসেবে ব্যবহার করি, এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মকে সভ্য করতে নয়।

আগে একসময় জ্ঞান ছিলো আধ্যাত্মিকতা সমন্বিত রূপ। মু'তাজিলাদের মাধ্যমে জ্ঞান যখন বস্তুবাদের রূপ ধারণ করে, তখন জ্ঞান তার আধ্যাত্মিক শক্তি হারিয়ে ফেলে, জ্ঞান অর্জন তখন বস্তবাদ অর্জনের সমান্তরাল হয়ে উঠে।

চিন্তা করুন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুম ইলম নিতেন , আর তাদের আত্মশুদ্ধি হতো, কিন্তু আমরা ইলম অর্জন করি কিন্তু আমাদের আত্মিক পরিবর্তন ঘটে না। কেন ঘটে না? যেই কুরআন সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুম পাঠ করেছেন, সেই কুরআনই তো আজকে আমাদের সামনে। কিন্তু তাদের আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য হলো, তাদের জ্ঞান তাদের অন্তরে প্রভাব বিস্তার করতো, আর আমাদের জ্ঞান আমাদের বস্তুবাদী "দুনিয়ার অর্জনকে" প্রভাবিত করে।

ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি এতো বড় মাপের আলেম হওয়ার পর নিজের শেষ জীবনে শূণ্যতা নিয়ে ছিলেন। আল গাজালির সমতুল্য ইলমের অধিকারী কেউ এখনো পর্যন্ত আসেন‌ নাই। পুরো গ্রিক দর্শনকে ভাজা মাছের মতো উল্টে দেওয়ার যোগ্যতা রাখতেন, কিন্তু উনি তাসাউফে চলে যান। যখন উনি তাসাউফে যান, তখনই তাঁর কালজয়ী রচনা ইহইয়াউ উলুম-আদ্দীন রচনা করে ফেলেন।‌


আজকের যুগে জ্ঞান এখন বস্তবাদের সমান্তরাল হয়ে গেছে যদি না তার মধ্যে তাসাউফ ও রুহানিয়াত থাকে। মুসলমানদেরকে কাফেরদের থেকে পার্থক্য করে এই রুহানিয়াত। আধুনিকতা হলো গ্রিক দর্শনেই পুনর্জন্ম, আর আমরা গ্রিকদের সেই নতুন জীবনের যুগ পার করছি। এজন্য ইলম এখন বস্তবাদ অর্জনের মাধ্যমে হয়ে উঠেছে। মাদরাসাতেও বিপ্লব জেগে না উঠার কারণ হলো রুহানিয়াত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া। আর আমাদের মধ্যে রুহানিয়াত না থাকার কারণ হলো ইলম না থাকা।

Hasan Muhammad

08 Nov, 09:27


বায়তুল মোকাররম বইমেলা,‌পূর্ব গেইট প্রয়াস প্রকাশন

Hasan Muhammad

07 Nov, 14:41


যারা সিম্পসানসের উপায় ঈমান আনছিলো, তাদের কি হবে এবার?

Hasan Muhammad

07 Nov, 13:39


মেজর জিয়ার সাক্ষাৎকারটা শুনলাম। তার সাক্ষাৎকার শোনার বিশেষ একটা আগ্রহ থাকার কারণ হলো ২০২১ সালে যখন আমাকে আর আমার বন্ধুকে গুম করা হয়, তখন সোয়াটের টিম আমাদের জিজ্ঞেস করেছিলো যে আমাদের সাথে মেজর জিয়ার কোন সম্পর্ক আছে কি না। এজন্য তাকে নিয়ে জানার আগ্রহ বেড়ে যায়। ওই সময় সোয়াট মেজর জিয়াকে ইসলামিক মিলিট্যান্ট হিসাবে ট্রিট করছিলো, আর ভুয়া আনসার আল ইসলামকে তার সাথে সম্পৃক্ত করে একটা মিথ সাজিয়ে সবাইকেই এর সাথে যুক্ত করার চেষ্টা করছিলো।


বাকি তার স্প্রিট দেখে আমার ধারনা, এরকম যদি যদি প্রতিটা সেনাবাহিনীর মধ্যে ইসলামের প্রতি ভালোবাসা থাকে, এবং ইসলামপন্থীরাও যেমন উৎসাহী, তাতে আমি নিশ্চিত ভা র ত এখানে আক্রমণের কল্পনাও করবে না। মূলত এই অভ্যুত্থানের পর ভারতের সকল পরিকল্পনা মাঠে মারা গেছে‌‌। এখন আমাদের উপর সবচেয়ে চাপটা হলো সিআইএর মাধ্যমে পরিচালিত পাহাড়ি অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম। এটাই হলো এখন আমাদের সবচেয়ে বড় উইক পয়েন্ট।

Hasan Muhammad

06 Nov, 08:31


ট্রাম্প নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে, যে জেরুজালেমকে ইসর| ইলের রাজধানী ঘোষণা করেছিলো। অনেকে ভেবেছে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বন্ধ করবে, দেখা যাক কি হয়।

Hasan Muhammad

06 Nov, 03:32


আসল কথা হলো যতক্ষণ পর্যন্ত শাসনব্যবস্থা পরিচালনার যোগ্যতা তৈরি না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোন ব্যাক্তি লড়াই করে নতুন শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। নিঃসন্দেহে সে যুদ্ধ করে পুরাতন শাসনব্যবস্থা ধ্বংস করতে পারবে, কিন্তু যতক্ষন পর্যন্ত সে প্রশিক্ষিত ব্যাক্তি না পাবে, ততদিন পর্যন্ত সে নতুন সরকার ব্যবস্থা পরিচালনা করতে পারবে না।” ‌‌

—মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধী, ইসলমী রাষ্ট্র চিন্তার পুনর্গঠন

Hasan Muhammad

05 Nov, 12:54


আমি মূলধারা মনে করি আলেম ওলামাদেরকে, আমাদের আন্দোলন আর চিন্তাগত পরিবর্তনে‌ যদি আলেমরা সম্পৃক্ত ‌না থাকে, তাহলেই আমাদের আন্দোলন কখনো ব্যাপকতা লাভ করতে পারবে না। হাজারো হলেও আমরা মূলধারার আলেমদের থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে যাচ্ছি, ফলে আমাদের মধ্যে থেকে কোন শক্তিশালী নেতৃত্ব আসছে না এবং একই সাথে সামাজিক সামাজিক পরিবর্তনের পাশপাশি আমাদের রাজনৈতিক প্রভাব তৈরি হচ্ছে না।

আমরা যতই বিচ্ছিন্নভাবে কার্যক্রম করি না কেন, আমরা মূলধারার আলেমদের হতে না পারলে আমরা সমাজের হতে পারবো না। এটা মাথায় রাখতে হবে মূলধারার মানেই প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত হওয়া না। আপনি একটা সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তন চান অথবা আংশিক সংস্কার, উভয়ক্ষেত্রেই আপনাকে ভেতর এবং বাহিরের উভয় শক্তি এবং বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হবে। পার্থক্য হলো পরিবর্তনের ফাংশনকে কে কিভাবে চিন্তা করে। আমরা এটাকে যত সহজেই ব্যাখ্যা করতে চাই না কেন, বাস্তবে তা মোটেই সহজ কিছু না।

মূলধারার নামে প্রগতিশীল (ইসলমা বিদ্বেষীদের কাতারে) হতে গিয়ে অনেকেই ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছে। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত মূলধারা হলো আলেম-ওলামা। রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ হওয়া আমাদের উদ্দেশ্য না, আমার উদ্দেশ্য হলো আমাদের সাথে আলেমদের সম্পৃক্ত করতে পারা‌। আমাদের দ্বীনি কার্যক্রম থেকে আলেমরা আমাদের সমর্থন দেয় নৈতিকতার দিক থেকে, কিন্তু আমাদের চিন্তাধারার সাথে আলেমদের চিন্তার অনেক পার্থক্য আছে। এই চিন্তার পার্থক্যকে আমরা কিভাবে দূর করবো? আমাদের কাজের প্রতি আলেমদের সমর্থন আছে, কিন্তু আমাদের কাজের সাথে আলেমদের সম্পৃক্ততা নাই কেন? এই প্রশ্নের সমাধানটা আমাদের করতে হবে‌।

এটার একটা সমাধানে না আসে আমরা দাওয়াতি কাজ‌ করলেও এটার কোন সমাধান আসবে না। এটা মনে রাখতে হবে সমাজের একটা অংশের পরিবর্তন মানে গোটা সমাজের পরিবর্তন না। সমাজের একটা ছোট্ট অংশ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা পরিবর্তন করতে, কিন্তু তা আমূল বদলে দিতে যথেষ্ট না। আগে চিহ্নিত করতে হবে দূর্বলতার জায়গুলোকে‌। আমি একটা প্রস্তাব রাখতে চাই। যেই সভা সেমিনার এখন সাধারণ মানুষের জন্য করা হচ্ছে, তা মাদ্রাসাগুলোতে করানো যায় কি না, সেটা চিন্তা করা যেতে পারে। কারণ এখানে ইসলামের মূলধারা হচ্ছে মাদরাসা এবং আলেম ওলামা। এজন্য পরিবর্তনের আওয়াজ যদি সেখান থেকে আসে, তাহলে এটা সমাজে বুস্ট করবে অনেক বেশি‌।

Hasan Muhammad

04 Nov, 06:49


বই: ইসলামী রাষ্ট্র চিন্তার পুনর্গঠন

Hasan Muhammad

04 Nov, 02:28


তাসাউফ নিয়ে কেউ কথা বললে ভাই আপনাদের অর্ধেক কথা কেউ বলবে‌ন না, বললে পুরোটা বিস্তারিত জেনে শুনে বলা উচিত। নাচহ-গানের তাসাউফ আল মূলধারার তাসাউফ এক না। আপনি আব্দুল কাদের জিলানী, গাজালি, শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী, আশরাফ আলী থানভী আর হাজি ইমাদাদুল্লাহ মক্কীদের কিভাবে বাইপাস করেন? প্রত্যেকটা মাযহাবেই ভাই তাপাউফের গুরুত্ব তখনো ছিলো এখনো আছে। কিন্তু তাসাউফের নামে ভন্ডদের কথা বলেন, হকপন্থীদের কথা বলেন না কেন?

তালিবরা এখনো পুরোদমে এবং কঠোরভাবে তাসাউফ চর্চা করে, যদি কারো সাথে আপনাদের যোগাযোগ হয় প্রশ্ন করে দেখবেন, উনারা সবাই নকশবন্দী তরীকার তাসাউফ চর্চা করে। এমনকি খলিফা সি রা জু দ্দী ন হা ক্কা নী নিজেও এখনো চর্চা করেন। তার নামের শুরুতে খলিফা লাগার কারণ হলো তিনি ইজাযত প্রাপ্ত হয়েছেন এই ধারায়। তাহলে আপনারা বলেন আপনি না জেনে অর্ধেক কথা বললেন, তাহলে দোষ কাদের?

ইবনে আরাবির কথা অনেকেই বলেন, অথচ খোদ ইবনে আরাবি থাকাকালীন সময়েও এই নাচ গান ছিলো না। ইবনে তাইমিয়া নিজে তাসাউফ চর্চা করে গিয়েছেন, অথচ এটা কেউ বলেন না, ঠিকই বলে ইবনে আরাবিকে যিন্দিক বলে ফতোয়া দিছেন ইবনে তাইমিয়া। অথচ ইবনে তাইমিয়া রহ এটাও বলেছেন যে, ইবনে আরাবির কথা অনেক ক্ষেত্রেই বহু অর্থবোধক, তাকে নিয়ে অস্পষটতা থাকে, কিন্তু তার কিছু ছাত্রদের ব্যাপারে তিনি সরাসরি কাফের ফতোয়া দিয়েছেন। কারণ তারা একেতো আলেম ছিলো না, তার উপর রহস্যবাদের নামে হারাম হালাল করে ফেলতো, এটা ইবনে আরাবির মধ্যে ছিলো না। আর যেই ফুসুসুল হিকামের কথা বলে অনেকে যিন্দিকার ফতোয়া দেয়, এটার মধ্যে ইবনে আরাবির কথার বিপরীতে তার ওই কাফের ছাত্রদের অনেক বাক্য প্রবেশ করেছে, মানে তার মূল বইকে অনেক বিকৃত করা হয়েছে। এটা নিয়েও বিস্তারিত আলাপ করেছেন সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ, পড়ে দেখতে পারেন। ‌আচ্ছা সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী সুফি ছিলেন, তার ব্যাপারে আপনারা কি মন্তব্য করবেন? অথচ অর্ধেক কথা বলে পুরো হকপন্থীদের বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে।

আমি মোটেই তাসাউফ এখনো চর্চা করি না। তবে যদি আল্লাহ তৌফিক দান করে, অবশ্যই করবো। তবে সুফিরা সুন্নাহ্য উপর চলেন‌। উপমহাদেশে দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার পর মাদরাসাই হলো সুফিদের দরবার উস্তাদরাই করতেন তাসাউফ‌। কিন্তু এখন পরিমাণ কম, এজন্য দেখেন না মাদ্রাসাগুলোর‌ অবস্থা দিন দিন জেনারেলদের মতো হচ্ছে। কেন হচ্ছে? কারণ রুহানিয়ত উঠে যাচ্ছে

যারা তাসাউফ ধারণাপ্রসূত কথা বলেন, অন্তত উপরোক্ত আলেমদের লেখা পড়ে তাদের জীবনী ও ইতিহাস পড়ে বলবেন ইনশাআল্লাহ।

Hasan Muhammad

02 Nov, 17:09


এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ

https://www.facebook.com/share/v/s2oLyKPNW9DixAR2/

Hasan Muhammad

02 Nov, 15:20


বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষন ⚠️⚠️⚠️

আলহামদুলিল্লাহ বইটা ইতিমধ্যেই অনেকের হাতে পৌঁছে গেছে। মাওলানা সিন্ধী একজন প্রতিভাবান আলেম ছিলেন তাঁতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু তিনি ভুল থেকে মুক্ত ছিলেন না। এটা অনস্বীকার্য যে মাওলানার ভুলের মাত্রা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু এই বইটার মধ্যে ওই ধরনের ব্যাপক পদস্খলনমূলক কথা নেই‌, যেমনটা মাওলানার সামগ্রিক চিন্তার উপর ভর করে কিছু লোক বলছেন না পড়েই‌। গণতন্ত্র নিয়ে উনি যেখানে যেখানে ভুল করেছেন, সেখানে সেখানে আমি আন্ডার লাইন‌ করে দিয়েছি, সাথে সাথে টিকাও দিয়েছি।

বইয়ের শুরুতে "অনুবাদকের কথা" শিরোনামে আমি সতর্কতা দিয়ে মাওলানা সিন্ধির ভুল চিন্তাধারার উপর সাইয়েদ সুলাইমান নদভী'র রহ লেখার একটা সাম আপ দিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রকাশক বায়তুল মোকাররম বইমেলার আগে বই ছাপানোর কারণে ওই অনুবাদকের কথাটা ছুটে যায়। এটা নিয়ে আমি প্রকাশকের সাথে কথাও বলেছি, তিনি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন এবং এটা পরবর্তী সংস্করণে যুক্ত করবেন বলে ওয়াদা করেছেন। আমি অনুবাদকের কথার পিডিএফ ড্রাইভ কমেন্ট বক্সে দিচ্ছি।

অবশ্যই আমি পাঠ প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা থাকবো ইনশাআল্লাহ।

Hasan Muhammad

02 Nov, 10:00


😁

Hasan Muhammad

01 Nov, 15:49


বিএনপি ফ্যাস্টিটদের কাতারে হাঁটছে

Hasan Muhammad

31 Oct, 17:15


এটা কিছুক্ষণ আগেই ট্রাম্পের পোস্ট। আর ট্রাম্পের সাথে আগ থেকেই খুনি মোদীর ভালো‌ সম্পর্ক। বাংলাদেশের জন্য সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসতেছে। প্রিয়া সাহা কিন্তু ট্রাম্পের কাছেই বিন্দু মাইনোরিটি নিয়ে ট্রাম্পের কাছে বিচার দিছিল। কংগ্রেস আসায় হিসেব উল্টে গেলেও এখন আগের হিসাব পুনরায় ফিরতে পারে। কারণ এবার ডিপস্টেট ট্রাম্পকেই সরকার বানাবে।

Hasan Muhammad

31 Oct, 14:53


ভাই কলরব কতো বড় বাটপার শুনেন, আজকে এলাকায় মাহফিল হচ্ছে। আর বাটপার কলরব লিটরেলি এ আর রহমানের "কুন ফায়াকুন" গাইতেছে। ইসলামী সংগিত হলেও মানতাম, কিন্তু ভাই ডাইরেক্ট ছবির গান কিভাবে! হামদের নামে এসব কি!

Hasan Muhammad

31 Oct, 08:16


এই ব্যানারটা ফেসবুকে পাশপাশি টুইটারে এই হ্যাশট্যাগ সহ সবাই পোস্ট করেন। টার্গেট হলো এটাকে ট্র্যান্ডে নিয়ে আসা

#BanProthomAlo
#BoycottProthomAlo
#UnfollowProthomAlo

Hasan Muhammad

26 Oct, 13:50


শিবির এই ধরনের গবেট কবে থেকে উৎপাদন শুরু করলো? আগে জানতাম শিবিরের বেশিরভাগ কর্মী লিবারেল ইসলামিস্ট। কিন্তু কিছু হলেও তাদের জ্ঞান বুদ্ধি আছে। কিন্তু এই ধরনের ছাপরি মাল কবে থেকে আসা শুরু হয়েছে?

Hasan Muhammad

25 Oct, 15:49


এক বড় ভাই আজকে মেলা থেকে পাঠিয়েছেন ছবিটা। বইটা বায়তুল মোকাররম বইমেলায় হসন্ত আর প্রয়াস প্রকাশনীর স্টলে পাবেন। অনলাইনে পাবেন বাতায়ন পাবলিকেশন এবং Wafilife.com ।

Hasan Muhammad

25 Oct, 13:10


বায়তুল মোকাররম আজকে গেছিলেন বা আগামীকাল যাবেন কেউ?

Hasan Muhammad

25 Oct, 09:38


মুফতি আব্দুল মালেক হাফি. নিষেধ করার পরও আপনারা তাঁর ছবি তুললেন, এখন তা আবার অনলাইনে ছেড়ে দিয়ে কি নিজেকে খুব ভক্ত প্রমাণ করছেন?

Hasan Muhammad

24 Oct, 04:20


মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধী রহ বলেন:

Hasan Muhammad

24 Oct, 01:03


ইসমাইল হানিয়াহ, ইয়াহিয়া সিনওয়ার, শায়খ আহমাদ ইয়াসিন উনারা ছিলেন কাদেরীয়া তরীকার আর অন্যদিকে আমিরুল মুমিনিন এবং খলিফা সিরাজুদ্দীন হাক্কানী হলেন নকশবন্দী তরীকার।

Hasan Muhammad

22 Oct, 16:36


আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে আগামীকাল থেকে বায়তুল মোকাররম বইমেলায় বাইটি পাওয়া যাবে ইনশআল্লাহ। আমার বিশ্বাস বাইটা পাঠকদের জন্য নতুন একটা অভিজ্ঞতা হবে। বাইটি বাতায়ন পাবলিকেশন থেকে আসছে এবং বায়তুল মোকাররম বইমেলায় হসন্ত প্রকাশনী এবং প্রয়াশ প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাবে।

Hasan Muhammad

22 Oct, 08:48


আচ্ছা আমার কাছে কখনো কখনো মনে হয়েছে, আল্লাহ জুয়াইনি, বাকিল্লানী, ইমাম রাজী এবং হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজালীর চেয়ে শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী কোন কোন ক্ষেত্রে এগিয়ে। পলিম্যাথ হিসাবে রাজী, বাকাল্লানী গাজালীর পরে আপনি আর কারো যদি নাম রাখতে চান, তবে গাজালীর পরে অবশ্যই আপনাকে শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভীর নাম রাখতে হবে। কারণ তিনি ইলমের দিক থেকে যেমন ছিলেন গাজালীর সমপর্যায়ের আবার একই সাথে ছিলেন তাসাউফের সর্বোচ্চ আসনে। (মাওলানা মূসা হাফিজ বলছেন শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ এর এমন ব্যাক্তিত্ব হয়ে উঠার পেছনের রহস্য হচ্ছে তাসাউফ।) মাওলানা মূসা আল হাফিজের বক্তব্য: https://www.facebook.com/share/v/8hec6cPnLseVxsGF/

কারণ শাহ সাহেব শুধু যে ইলমি খেদমত করেছেন তা নয় , বরং তিনি উপমহাদেশের ইসলামের রাজনৈতিক জাগরণের পথিকৃৎ ছিলেন। সাইয়েজ আহমেদ বেরেলভী বরং শাহ ইসমাইল শহীদের আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তিই ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে দেওবন্দ এটার উপরেই প্রতিষ্ঠিত হয়। কারণ উপরোক্ত আলেমরা এমন পরিবেশে ছিলেন, যেখানে সমাজ পরিবর্তনে তাদেরকে চিন্তা করতে হয়নি। সমাজের মধ্যে রিদ্দাহ ও জিনাহ ব্যাভিচারী ছড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী এমন ব্যাক্তিত্ব ছিলেন যিনি ইলমি ময়দানের পাশপাশি রাজনৈতিক ময়দা শামাল দিয়েছেন।

উদাহরণ বলা যায়:

-তিনি শাহ আবদুল আজিজকে গঠন করেন যান এবং শাহ আবদুল আজিজ রহ সাইয়েদ আহমেদ বেরেলভী আর শাহ ইসমাইল শহীদের জামাত তৈরি করেন।

-তার কথাতেই মুঘল সাম্রাজ্য রক্ষা করতে আহমাদ শাহ আবদালী ভারতে এসে মারাঠাদের কোমর আজীবনের জন্য ভেঙ্গে দেন। কিন্তু মুঘলরা ক্ষমতা সুসংহত করতে ব্যর্থ হয়।

-তার চিন্তাধারা উপরেই দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা হয় এবং রেশমি রুমাল আন্দোলনের সূচনা হয়, পরবর্তীতে তা স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয়।

-তার উত্তরসূরী মাহমুদ হাসান দেওবন্দীর সীমান্তের আ ফ গান অঞ্চলে জি হা দ চালিয়ে যায়, এবং এবং তাদের বংশধররাই আজকে তা লি বা ন। বলে রাখা ভালো আমিরুল মুমিনিন আবদালী বংশের, আর খলিফা সি রা জুদ্দীন হা ক্কা নী নকশবন্দী তরীকার সুফি।

এজন্য আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয় শাহ সাহেব এগিয়ে থাকবেন।

Hasan Muhammad

20 Oct, 09:22


একটা প্রশ্ন রাখি,

ধরেন আপনার কাপড়ে নাপাকি লাগছে, এখন আপনি যদি সেটাতে হাত না দিয়ে পরিষ্কার করতে চান তাহলে কি সম্ভব? আপনি না করলেও কাউকে না কাউকে করতেই হবে। কিন্তু কেউ হাত না দিলে কি সেটা এমনি এমনি পরিষ্কার হবে?
.
বর্তমান ইসলামপন্থীদের কার্যক্রমের উপর আমার অনেক সন্দেহ তৈরি হয়েছে। নিছক আবেগ আদর্শ কোন সমাধান দিচ্ছে বলে আমি দেখছি না, যেই বিষয়টাই ফোকাস করা উচিত ছিলো তারা সেটাতে করেন নাই। গণতান্ত্রিক ইসলামপন্থীদের রাজনীতিও কোয়ালিটিফুল না। আমরা বারবার মূলধারা বিচ্ছিন্ন কেন হচ্ছি? শুনেন হাসিনার আমলে আপনারা যেই অবস্থানে ছিলেন, আজকেও ঠিক সেখানেই আছেন। বিশুদ্ধবাদী হতে গিয়ে আমরা বিচ্ছিন্ন কেন?

দাওয়াত ও তাবলীগ এটা আজীবন করতে হবে, এটা সবারই ঈমানী দায়িত্ব। এটার ফলাফল দুনিয়াতে না হলেও আখেরাতে অবশ্যই আমরা পাবো। এই কাজ প্রতিটা মুসলমানই জীবনে কমবেশ করে। কিন্তু কথা হলো আমরা মূলাধারা থেকে বারবার বিচ্ছিন্ন হই কেন? সমস্যা কোথায়? কিসের অভাব?

Hasan Muhammad

19 Oct, 15:17


”রাজনীতি একটি খেলা, চালাক লোকেরা খেলে। আর বোকা লোকেরা সেটা দিনভর চর্চা করে।” এটা নাকি রুশোর কথা শুনলাম।

কিন্তু কথাটা নির্ঘাত সত্য। ইসলামপন্থীদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো তারা সিয়াসত বুঝে না। তারা মনে করে সিয়াসত এমন জিনিস যেখানে গায়ে কোন কাঁদা লাগবে না- এটা ভুল। সিয়াসত এমন জিনিস যেটা খেলা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক। এজন্য তালিবরা সিয়াসতে হকের উপর থাকার পরও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। কারণ কী? কারণ জাতির বেশিরভাগ মানুষের অবস্থা হলো তারা শরিয়াহর ব্যাপারে দক্ষ না, এবং কেউ দক্ষ হলে তার মধ্যে সিয়াসতের বুঝ নাই।

কারো আদর্শ আছে, কিন্তু না আছে ইলম আর না আছে সিয়াসতের বুঝ, আছে শুধু আদর্শ। কিন্তু নিছক আদর্শের কোন মূল্য নেই , কারণ নিছক আদর্শ দিয়ে আপনি জাতির মধ্যে কোন দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আনতে পারবেন না, যা হবে তা হলো সাময়িক। পাশপাশি আপনার দরকার হলো ইলম ও সিয়াসতের বুঝ এবং রাজনৈতিক দক্ষতা। জাতির মধ্যে পরিবর্তন আসে দুইটা কাজের মাধ্যমে দাওয়াত ও রাজনৈতিক সক্রিয়তা। যারা যারা বিশুদ্ধবাদী আদর্শের কারণে রাজনীতি থেকে দূরে থাকে, তারা হলো উটপাখির মতো, যাদের নামের সাথে কাজের মিল নাই। রাজনীতিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে তাসাউফ এবং ইলম চর্চা ছাড়া যাবে না। এই তিনটাকে যারা এক সাথে নিয়ে চলতে পারবে, তারা আজ হোক বা কাল, ফিনিক্স পাখির মতো আবার আকাশে উড়বে।

Hasan Muhammad

19 Oct, 15:17


হামাসের সাথে একিউয়ের সাথে অতীতের তিক্ততার আলাপ করা অপ্রয়োজনীয়। ওখানে হামাসই নেতা, একিউকে সেখানে তাদের সমীহ করে চলতে হবে। কারণ ফিলিস্তিনে একিউয়ের রাজনৈতিক লেজিটিমেসি কম বরং হামাসের বেশি। এজন্য একিউ এখন সেখানে যদি প্রধান হয়ে চায়, তবে তাহলে ফিলিস্তিনের প্রতি অনেক সহমর্মিতা আমরা হারাবো। হামাস চায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা একিউও তাই চায়। সুতরাং দলের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে স্বাধীনতার প্রতি দিন।

আর আমি সর্বশেষ যতটুকু জানি, বর্তমান তালিবরা হামাসকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সুতরাং অতীতের আলাপ বাদ দিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে‌

Hasan Muhammad

19 Oct, 09:17


আহমাদ মুসা জীবরিলের মতো দায়েশি সিম্পথাইজারদের আমি কখনো পছন্দ করি নাই। তাদের সর্বোচ্চ সমালোচনা করেছি, সতর্ক করেছি। আমি দেওবন্দী বলে সমালোচনা করি না, বরং সালাফিজম নিয়ে গত এক বছরে অনেক পড়াশোনা করেছি আলহামদুলিল্লাহ, এটা আল্লাহর রহমত আমার উপর, এবং তাদের আচরণ সম্পর্কেও অবগত।

কিন্তু সমস্যা হলো সত্য বললে বলবেন তারা হক বলে দেখে আমরা হিংসামি করি। এবার আহমাদ মূসা জীবরীলের মুখ থেকেই শুনেন। দায়েশের প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধা রাখে, এরাও ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে ইসলামের ক্ষতির কারণ হবে, যদি না আল্লাহ তাকে হেদায়েত দান করে।

ভিডিওটা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইকে

Hasan Muhammad

18 Oct, 17:44


বীরপুরুষের মৃত্যুও বীরপুরুষের মতো। আল্লাহু আকবার

Hasan Muhammad

18 Oct, 15:01


মুফতি আব্দুল মালেক হাফি খতিব হওয়া নিয়ে অনেক পক্ষের দুশ্চিন্তা আফসোস করতেছেন। আমি বলবো আপনারা নিজেদের দাবিতেই সৎ না, আর যদি সৎ হোন, তাহলে আপনারা বোকা। ধরেন মুফতি আব্দুল মালেক হাফি না দিয়ে যদি মাজারিকে দায়িত্ব দেওয়া হলো, তাহলে আপনারা অনেক খুশি হবেন? রাজনীতিকে এতো ভয় পান কেন? এই গুরুত্বপূর্ণ পদ আপনারা এখন দিয়ে দিতে চাচ্ছেন অযোগ্যদের হাতে!

ভাই আপনি কুফুরি রাষ্ট্রের সবই যদি আপনার বিপক্ষের লোকদের হাতে ছেড়ে দিতে চান, তাহলে কয়েকদিন পর নিজেদেরকে ভারতীয় মুসলমানদের মতো অবস্থা দেখবেন। নিজেদের হাতে কিছুই থাকবে না, কিন্তু অধিকার আদায় নিয়ে দাবি তুলবেন। কিন্তু অধিকার দিলে প্রশ্ন করবেন যে এটা কি জায়েজ হবে? প্রথমত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবেন এই জিনিসটা থেকে ফোকাস সরিয়ে আগে দাওয়াত ও অধিকারের ময়দানকে গুরুত্ব দিন।

আমি চাই খতিব ওবায়দুল হকের মতো যুগ ফিরে আসুক, শামসুল হক ফরিদপুরী, হাফেজ্জি হুজুরের দিনগুলো ফিরে আসুক। বিরাট জনসংখ্যার আধ্যাত্মিক সমস্যার সমাধান আর তাদেরকে প্রকৃত দ্বীনের দাওয়াত না দিয়ে আপনি ইসলামী রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখাটা অযৌক্তিক।  আরেকটা কথা,  যারা কাজ করে না কাজের যোগ্যতা ও মুরোদ নাই, তারা কখনো সমালোচিত হয় না। আদর্শের নামে গা বাঁচানোর ধান্দা বাদ দিতে হবে ভাই‌। আপনি আসলেই জাতির পরিবর্তন চাইলে আপনাকে রাজনীতি শিখতে হবে বুঝতে হবে।

Hasan Muhammad

18 Oct, 03:51


এটা সত্য হয়ে থাকলে লাখো কোটি শুকরিয়া

Hasan Muhammad

17 Oct, 17:56


Never say that those martyred in the cause of Allah are dead—in fact, they are alive! But you do not perceive it. (1-154)

We love death more than the disbelievers love life. That is why many of our enemies have been wiped out in these 1400 years, but the power of Islam remains. InshAllah, this time too the victory will be ours.

Hasan Muhammad

17 Oct, 16:49


বসে বসে কুতর্ক করতে চাইলে সারাদিন করতে পারবেন৷ কিন্তু যেসব সরকারি সেক্যুলার ধারায় শিক্ষিত ইসলামপন্থীদের আপনারা আলেম না মানার কথা বলছেন তারা কিন্তু ঠিক শাইখুল হাদিস ওয়াত তাফসির, সাবেক কাযি, আমিরুল মুমিনিন শাইখ হাইবাকে তাদের আদর্শিক আমির মনে করে। তারা কাযিউল কুযাত আব্দুল হাকিম সাহেবের ফতোয়া মাথার উপর রাখে। মৃত উলামাদের কথা না হয় বাদই দিলাম। ফলে বোঝার চেষ্টা করেন তাদের সংঘাত আলেমদের সাথে না। বরং অন্য কিছুর সাথে। সত্যিকারের আলেম বিদ্বেষীদের আপনারা অনেকেই তেল মারেন। এজীবনেতো আর কম দেখলাম না৷ বাহ্যত এমন দ্বীনদার অনেক মানুষও দেখেছি যারা মনে করে কুরআন, হাদিস পড়লেই চলবে। এগুলো ব্যাখ্যায় উলামাদের অনুসরণের কোন বাধ্যবাধকতা নাই। এমন বহু মানুষ এদেশে আছে। আপনারা না চিনলে সেটা আপনাদের সীমাবদ্ধতা। কিন্তু এজন্য আসল আলেমবিদ্বেষীদের ছেড়ে বুকের ইশকে আগুনে ছটফট করা আশিকদের আজেবাজে গালাগালি করার ফাতরামি ছাড়ুন। এটা স্বীকার করুন আপনারা ইলায়ে কালিমাতুল্লাহ লড়াইয়ে সিপাহসালার হওয়ার পরিবর্তে খানকাহি জিন্দেগী বেছে নিয়েছেন। বাস্তবতা হলো তাও না। উলামায়ে কেরামের মাঝে খানকাহি মেহেনতই বা কয়জন করে। সেই ময়দানও মোটামুটি ভন্ডদের দখলে। আলেমদের বিশাল অংশ আছে এখন গনতান্ত্রিক দলের নেতা হওয়া এবং মাদ্রাসার দখলদারি ধরে রাখার তালে।

যাইহোক আমার কথা হলো দুই দলই ইখলাস অবলম্বন করুন এবং কল্পনাবিলাস ছাড়ুন। এদেশে ইলায়ে কালিমাতুল্লাহ সম্ভব না এটা স্পষ্ট ঘোষণা করুন। পাশাপাশি বিশুদ্ধ দ্বীনি বুঝ যেন মুসলমানদের ভেতর টিকে থাকে সেই মেহেনত করুন।

Hasan Muhammad

17 Oct, 07:52


https://dailyinqilab.com/bangladesh/news/695055?fbclid=IwY2xjawF9db1leHRuA2FlbQIxMQABHag44JnITk5nGDuBlq323aEnQM48Be_bYOTawNikBHeeWg9G5eQ1LFKUvg_aem_KunFT0apQrDGMcHwLDWc6w

Hasan Muhammad

16 Oct, 17:07


বাতায়ন পাবলিকেশনের ফেসবুক পেইজ থেকে প্রি অর্ডার করতে পারবেন।