Ahmad Khan Articles @akwritings Channel on Telegram

Ahmad Khan Articles

@akwritings


Ahmad Khan Articles (English)

Ahmad Khan Articles is a Telegram channel created by the talented writer Ahmad Khan. With the username @akwritings, this channel is dedicated to sharing a wide range of articles on various topics. Whether you are interested in literature, self-improvement, technology, or travel, you will find something to pique your interest on this channel. Ahmad Khan's writing is insightful, engaging, and thought-provoking, making it a must-follow for anyone who appreciates well-crafted content. Join Ahmad Khan Articles today to expand your knowledge, spark your creativity, and connect with like-minded individuals who share your passion for learning and growth.

Ahmad Khan Articles

18 Nov, 15:16


লাইফ আপডেটঃ
পুর্বঘোষিত আর্টিকেলগুলো লেখার পর একটু ব্রেক নিতে চাই। লেখার মান দিন দিন অনেক কমে যাচ্ছে।
এজন্য স্টাডির পরিমাণ বাড়াচ্ছি। প্রতি বছর ২৫টি বইয়ের টার্গেট থাকে। এই বছর পূরণ হলো না।

বছর প্রায় শেষ হয়েই গেলো। ২০২৫ সালের জন্য স্টাডিপ্লানের টপিক ঠিক করেছি ভারতীয় আধিপত্য ও হিন্দুত্ববাদ।

যাইহোক, এত পার্সোনাল ব্যাপার শেয়ার করে আপনার এক মিনিট সময় নেওয়ার উদ্দেশ্য হলো, আপনার কাছে যদি উপরের টপিকে কোনো ভালো বইয়ের খোঁজ থাকে, প্লিজ জানান। যদিও লিস্ট আমি নিজেও একটা করেছি, কিন্তু আপনার থেকে শুনতে চাই। একইসাথে কমিউনিটির বাকিদের জন্যও ভালো হবে।
ধন্যবাদ।

(UNFAZED চ্যানেলে কমেন্ট করতে পারবেন)

Ahmad Khan Articles

17 Nov, 16:17


আগামীর অশান্ত বাংলাদেশে এমন একটা প্রতিপক্ষ আমাদের রয়েছে, যাদের কথা সবসময় আড়ালে থেকে যায়।

আগামীতে বাংলাদেশে সিভিল ওয়ার বা ভারতীয় আক্রমণ - যেটাই ঘটুক, এই পক্ষটা আমাদের একদম গলা চেপে ধরবে।

এই পক্ষটা হলো এনজিও।

আমরা এই মুহুর্তে হয়তো এই ভেবে নিশ্চিন্ত থাকছি যে গেরিলা যুদ্ধ আমাদের আপার হ্যান্ড দেবে। কিন্তু ভারত বা তার প্রক্সিদের সাথে গেরিলা যুদ্ধে জিততে গ্রামাঞ্চলের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। এটা পৃথিবীর কেউ পারেনি। আফগান, ভিয়েতনাম, আলজেরিয়া - যত জায়গায় বহিঃশক্তির বিরুদ্ধে জয় এসেছে তা প্রথমতঃ এই গ্রামের বদৌলতে।
আফগানে যখন মিডিয়াতে দেখাচ্ছিলো মাত্র ৫-১০টা জেলা দখলমুক্ত, সেখানে প্রকৃতপক্ষে ৮০ ভাগ রুরাল এরিয়া তালেবানরা আগেই দখল করে নিয়েছিলো।

এটা সত্যি, গেরিলা যুদ্ধের বড়টাই হবে আরবান ওয়ারফেয়ার, যেমনটা আমরা ইরাকে বা গাজায় দেখছি। কিন্তু গ্রাম নিয়ে যদি আপনি নিশ্চিত না থাকতে পারেন, সাপ্লাই লাইন আর সেইফহাউজের অভাবে আরবান ওয়ারফেয়ার চালিয়ে যাওয়া যাবে না। গ্রাম আমাদের জন্য থ্রেট হবে না - কেবল এই নিশ্চয়তা পেলেই কেবল আরবান গেরিলা ওয়ারফেয়ারে একটা ভালোমানের ফাইট আশা করা যায়।

কিন্তু ভয়ঙ্কর আনফরচুনেট একটা বিষয়, রুরাল এনজিওরা বাংলাদেশের গ্রামগুলোর ব্যপারে যে মনস্তাত্বিক দখল রাখে, বাংলাদেশে আর কোনো পক্ষের সেরকম দখল নেই। খোদ বাংলাদেশ সরকারেরও এদের মত এত ভালো আইডিয়া নেই।

এক ভাইয়ের এঞ্জিওর অফিসে গিয়েছিলাম। মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়। ২০টা গ্রাম নিয়ে কাজ করে। ওই গ্রামগুলোর কার হাড়িতে কী রান্না হচ্ছে সেই খবরও এনজিও রাখে। এখানকার অর্ধেক গ্রামবাসী প্রত্যেককে তারা চেনে। লিটারালি।

৫০,০০০+ এনজিও এভাবে একটা একটা মানুষ ধরে ধরে করাপ্ট করে ফেলছে। সুদ ঢোকাচ্ছে, নারীদের লজ্জ্বা চিরজীবনের মত ভেঙ্গে দিচ্ছে। সেইসব নারীদের গর্ভে আরো কয়েক লেভেল বেশী বেহায়া আর করাপ্ট সন্তান জন্ম নিচ্ছে।
জাস্ট মুসলমানের কিশোরী মেয়েদের নিয়েই কাজ করে ১০,০০০+ এনজিও। ভেবে দেখুন, এত বাজেট, এত মেধা, এত রিসোর্স মাত্র একটা ডেমোগ্রাফিক টার্গেট করে। থ্রেটের মাত্রা বুঝতে পারছেন?

গ্রামের এই অশিক্ষিত, দরিদ্র মানুষদের জীবনযাত্রা নিয়ে তারা ল্যবরেটরি পর্যায়ের গবেষণা করে। ফলে হাজার বছরের পরীক্ষিত বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা দিয়ে তারা এই মানুষগুলোর মাইন্ডম্যাপ হাতের তালুর মত স্পষ্ট করে স্টাডি করতে পারে। আপন ভাইয়ের চেয়ে এনজিওগুলো বেটার বিহ্যাভিয়ার ট্রাক করতে পারে।

*******
এদের বিরুদ্ধে কি করা যায় বলতে গেলে অনেকেই চলে আসে মুখস্ত কথা নিয়ে। মুসলমানদের এই এনজিওগুলোর চাইতে বেটার এঞ্জিও বানাতে হবে - একদম বাজে কথা। দুনিয়ার সব কিছুরই বেটার ভার্সন হয় না।

বাজেট অনেক বড় ইস্যু। একটা দুই রুমের অফিসে প্রত্যেকে মিনিমাম ৫০,০০০+ বেতন পায়। তাও ৯টা-৫টা অফিস। এই এত বেকারের দেশে এরকম স্যালারি আর কে দিতে পারবে? তাদের একেকজন অডিটর মিনিমাম দেড়লাখ টাকা পায়। ব্রাকের একজন ড্রাইভারও ৩৫,০০০+ বেতন পায়। একজন ইলেক্ট্রিশিয়ানের সাথে কথা বলেছিলাম। সে তখন ৪৫+ পেতো।

মুসলমানেরা বাজেট দিয়ে কম্পিট করতে পারবে না।

সামনে সঙ্ঘর্ষের দিনে এই এনজিওগুলো এত বছরের কালেক্ট করা তথ্যগুলো দিয়ে শত্রুপক্ষকে হেল্প করবে। ওই মানের রিসোর্স আমাদের তো বটেই, সরকার কিংবা আর্মির কাছেও নেই।
এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ ইরাক যুদ্ধ। ত্রাণের আর চিকিৎসার বেশে থাকা এসব 'ভলান্টিয়ার'গুলো ইউএস আর্মিকে আগাগোড়া সার্ভ করে গেছে।

এদের একমাত্র ঔষধ সেটাই যেটা নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেন আর পাকিস্তানে কাজ করেছে। এদের কালেক্ট করা তথ্য হাতিয়ে নিয়ে পিটিয়ে বের করে দেওয়া। আর কোনোভাবে এদের সাথে পারা যায় না।

বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য এই এঞ্জিওদের বেসরকারিভাবে ট্রাক করা জরুরী। আর বিপদ আসলে সবার আগে এই থ্রেট দূর করতে হবে। নাহলে এরা আমাদের বাঁচতে দেবে না।

Ahmad Khan Articles

11 Nov, 06:26


ফোরবি নিয়ে লেখাটা দিতে চেয়েছিলাম কোরিয়ার আর্টিকেলটার সাথে। এটা কোরিয়ায় শুরু হয়েছিলো। কিন্তু কেন যেন ভুলে গিয়েছিলাম অ্যাড করতে।

ট্রাম্প জেতার পর এবার আমেরিকাতে শুরু হয়েছে।
কিন্তু এটা নিশ্চিত, কোরিয়ার মত জোরালো এখানে হবে না। কারণ এখানকার মেয়েরা বাঁচেই অ্যাটেনশনের জোরে।

সামান্য বেশী অ্যাটেনশন পাওয়ার লোভে যেখানে এরা কসমেটিক্সের ব্রান্ড পর্যন্ত চেঞ্জ করে ফেলে, সেখানে এই ফোরবি একেবারেই কাজ করবে না।

Ahmad Khan Articles

08 Nov, 00:47


সমন্বয়করা দিন দিন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে, গ্রিপ হারাচ্ছে। বিএনপি তাদের একটা পলিটিকাল ভুল করবার আশায় ওৎ পেতে ছিলো। এবং সেটা তারা পেয়ে গেছে যখন জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা হয়েছে।
আমাদের বয়েসি তরুণেরা বলতেই পারি ওদের ভেঙ্গে দিতে হবে, দেশ থেকে তাড়াতে হবে। কিন্তু পলিটিক্স এভাবে কাজ করে না।
জাতীয় পার্টি চাচ্ছিলোই তাদের উপরে হামলা হোক। বিশেষ করে যখন কেন্দ্রীয় অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এটা দেশে-বিদেশের একটা পক্ষও ভালোভাবে নেয়নি।

এই হামলার মাধ্যমে সমন্বয়কদের ডেস্পারেশন ফুটে ওঠে- তারা আবার আরেকবার জুলাইয়ের মত প্রাসঙ্গিক হতে চেয়েছে। খেয়াল করলে দেখবেন জমায়েতে লোকসংখ্যার পরিমাণ আগের চেয়ে কমে গেছে।
মোটামুটি হামলার পরদিনই টের পেয়ে যায় তারা বেশ বড়সড় ভুল করে ফেলেছে। এজন্য বিএনপির দারস্থ হতে হয়েছে। আর বিএনপি ঠিক এটার অপেক্ষায় চুপ করে ছিলো। ফলে তারা কিন্তু আবার এখন রাজনীতির সম্মুখভাগে, সমন্বয়করা ব্যাকফুটে।

হান্নানকে কান্নাকাটি করতে হচ্ছে এরকমই কিছু ভুলের কারণে। আন্দোলন তো করেছে কিন্তু কিছু বুড়ো ঝানু পলিটিশিয়ানের বুদ্ধির সাথে পারেনি।

অথচ জাতীয় পার্টির সিচুয়েশনটা প্রশাসনকে দিয়ে হ্যান্ডেল করলে ব্যপক ভালো হতে। মামলা-পুলিশ এগুলো ইউজ করতে আর বাঁধা ছিলো না।

একইসাথে হাজারী গলির ব্যপারটা প্রশাসন খুবই সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করেছে। এইটা সমন্বয়করা বা সাধারণ মানুষ হ্যান্ডেল করতে গেলে এতক্ষণে দাঙ্গার খবর লিখতে হতো।

Ahmad Khan Articles

06 Nov, 14:04


এলাকার পাতিনেতার পিছনে স্লোগান দেওয়া ছেলেপেলেও আজকে হঠাৎ করে মার্কিন ফরেন পলিসি বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছে। স্ক্রিনশট নিয়ে রাখছে, ইউসুফ সরকারের কাউন্টডাউন - মানে সিরিয়াসলি হাসি পাচ্ছে!

আপনাদের ব্যপারটা স্পষ্ট করে দিচ্ছি, এরপরে আর কনফিউশনে পড়বেন না।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত চীনবিরোধী মার্কিন পলিটিশিয়ান অনেক কম আছে।
ইন্ডিয়ার একমাত্র কার্ড এখানে, বাংলাদেশে যদি মার্কিনপন্থী সরকার না থাকে তাহলে চীনের দিকে ঝুঁকে যাবে। এজন্য বাংলাদেশে মার্কিনপন্থী সরকার লাগবে।

এবার বলুন তো, ডঃ ইউনুসের চাইতে বড় মার্কিনপন্থী সরকারপ্রধান আর কে হতে পারে?
ফানি ব্যপার হলো, লীগের লোকেরাই বলছিলো, ইউনুস দেশ আমেরিকাকে দিয়ে দিয়েছে, সেন্ট মার্টিনে মার্কিন ঘাটি হচ্ছে, আমেরিকার দালাল!

তো আমেরিকা একজন পরীক্ষিত 'আমেরিকার দালাল' বাদ একজন পতিত ডিকটেটরকে ক্ষমতায় বসাবে? তার উপর হাসিনার সরকার আবার আমেরিকার কাছ থেকে স্যাংশন খাওয়া!

বাংলাদেশ এতটাই ছোট দেশ যে ট্রাম্পের মত কাটছাঁট পররাষ্ট্রনীতির লোক কখনোই এখানকার ইন্টারনাল পলিটিক্স নিয়ে মাথা ঘামাবে না। তার কাছে বাইনারি অপশন হলো, আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কি/না।

চামচাগুলো হাই হয়ে যাচ্ছে রেজাল্ট দেখে, ফিল নিচ্ছে। হাই কেটে গেলেও দেখবে কিছু বদলায়নি।

Ahmad Khan Articles

06 Nov, 00:53


আমেরিকান ভোট নিয়ে আমার কিছুই যায় আসে না কে জিতলো বা হারলো। ট্রাম্পের কথাবার্তা ফেমিনিস্টদের রাগিয়ে দিতো, ব্যপারটা উপভোগ্য। কিন্তু কিছুদিন আগে ট্রাম্প গুলি খেয়ে মারা গেলে আমি কি খুশি হতাম? অবশ্যই!
কমালা বা বাইডেনকে মেরে দিলেও খুশি। আমেরিকার ধ্বংস মানে পুরো দুনিয়ার মুক্তি।

কিন্ত এখানে একটা ব্যপার আছে। অবসরে বিনোদনের জন্য আমি ফেমিনিস্টদের আফসোসের বই পড়ি, তাদের কমিউনিটির পোস্ট পড়ি। বুড়িয়ে যাওয়া ফেমিনিস্টদের আর্তনাদ আমার কাছে মিউজিকের মতো।

গত কয়েক মাস ধরে অধিকাংশ ফেমিনিস্ট কম্যুনিটিতেই ট্রাম্পকে পুরো ছাল ছাড়িয়ে রোস্ট চলছে। কারণ নারীদের অ্যাবোর্শনের অধিকার নিয়ে তারা ব্যপক চিন্তিত। ভেবে দেখুন, একটা লিটারাল গনহত্যা চলছে গাজায়, তার চেয়ে বড় ইস্যু তাদের কাছে পেটের বাচ্চা খুন করার অধিকার!

এজন্য চাই ট্রাম্প জিতুক। ট্রাম্প-কামালা দুটোই ইহুদীদের bitch. কিন্তু ট্রাম্প জিতলে ফেমিনিস্টগুলোর কান্নাকাটি দেখার মত হবে। আমিও পপকর্ণ সহকারে আমেরিকার ধ্বংস দেখতে বসে যাবো।

Ahmad Khan Articles

05 Nov, 04:05


উভয়পক্ষেই বাড়ছে গণতন্ত্রের উপর অনাস্থা

Ahmad Khan Articles

05 Nov, 02:31


ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময় আমার একজন শিক্ষিকা রেগুলার নানান বিষয়ে পরামর্শ দিতেন। আমার নিজের কাছ থেকেও ধর্মীয় ব্যাপারে সাজেশন নিতেন। সেই সুত্রে একদিন বললেন, তোমাদের এই জেনারেশন সংসার নিয়ে ব্যপক হতাশ হতে যাচ্ছো।
সবচেয়ে বড় হতাশার কারণ হবে তোমাদের স্ত্রীরা।
কারণ তুমি তোমার বাবার সংসারের সাথে কম্পেয়ার করবে। তোমার বাবা স্বামী হিসেবে তোমার মায়ের কাছ থেকে যা পেয়েছে তোমরা তা কোনোভাবেই তা পাবে না। বিশেষ করে সেবার প্রশ্নে।

বিয়ের প্রথমদিকে এগুলো তেমন কিছু মনে হবে না। কিন্তু যত বয়স বাড়বে ততই ওই কম্পারিজন বার বার উঠে আসবে।

আশ্চর্য্যজনকভাবে, দীর্ঘদিন ধরে বিবাহিত কিছু সিনিয়রের সাথে কথা বলে বিষয়টার সত্যতা পেয়েছি।
*****
আমরা অনেক সময় বাবাদের মায়ের সাথে কিছু আচরণ অনেক রুড মনে করি, বা আমি বিয়ের পর মোটেও অমন করবো না ভেবে রাখি।
পরবর্তিতে বড় হয়ে বোঝা যায়, ওটা জুলুম তো ছিলোই না, বরং বাবা যদি ওই দাপটটা বজায় না রাখতেন, এই ফ্যামিলিই ভেঙ্গে পড়তো। নারী শাসনের আওতায় না থাকলে শাসক হয়ে উঠবে, যেটা সবাইকে ডুবিয়ে দেবে। দুনিয়ার এত টপিক থাকতে কুরআনে স্ত্রীকে প্রহারের আয়াত আল্লাহ এমনি এমনি দেননি।

অতি আধুনিক-লিবারেল সাজতে গিয়ে মারা খাওয়ার গল্পও শুনেছি। প্রথমদিকে স্ত্রীর সাথে অতি নমনীয় আচরণ করেছে। ভেবেছিলো, বাবার মতো হবো না। উল্টো ব্যাক্তিত্বই খুইয়ে দিয়েছে। এখন তার সংসারে প্রতিটা পয়সা কোথায় খরচ হবে, স্বামী বাসে নাকি রিকশায় চড়বে সেটাও স্ত্রী ঠিক করে দেয়।
মাঝবয়েসী লোকটা হাউমাউ করে কাঁদছে। 'কাকা কী করবো, বাচ্চারা স্কুলে পড়ে, এখন ডিভোর্স দিতে পারবো না। আবার উঠতে বসতে এই অপমান আর নিতে পারছি না। বাচ্চাদের নিয়ে আমার মতের কোন দামতো দেয়ই না, আমি কতক্ষণ ঘুমোবো সেটাও তার কথামত'।

এই হচ্ছে পৌরুষ বিসর্জন দেওয়ার পরিণতি।

Ahmad Khan Articles

03 Nov, 17:18


ট্রাম্পের বাংলাদেশ নিয়ে টুইট প্রসঙ্গে

ট্রাম্পের কাছ থেকে এরকম একটা কিছু আশা করেছিলাম। কিন্তু এত পরে আসবে জানা ছিলো না।

তবে ভোটের মাত্র এক সপ্তাহ আগে আসার মানে হলো, এটা ভোট পরবর্তি পরিস্থিতির জন্য। ভোটে জেতার জন্য করলে অনেক আগে থেকেই হিন্দুদের টার্গেট করে কাজ করতো ২০১৬ সালের মত।

আর হিন্দু ভোটাররা তেমন সিগ্নিফিকান্ট নয়। কারণ সুইং স্টেটগুলোতে হিন্দু জনসংখ্যা কম। আর যেসব জায়গায় আছে সেগুলো অলরেডি ব্লু স্টেট। যেমন ক্যালিফোর্নিয়া বা নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প এমনিই জিতবে না।

ট্রাম্পের টুইটে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু দেখি না। বাংলাদেশ সরকারকেও তেমন দেখা গেলো না। কারণ এটা ছিলো পকেট ঝাড়া দিয়ে খুচরো পয়সা বের করার মত, কার্যকর না, কিন্তু কিছু ভোট অন্ততঃ পাওয়া যাবে।

জয়ের লবিং বলুন আর ইন্ডিয়ার মার্কিন অ্যাম্বাসী, তাদের টাকা কথা বলেছে - এটা ঠিক। কিন্তু ট্রাম্প জিতলেও আগামী মিডটার্মের আগে ফরেন পলিসির মৌলিক পরিবর্তন আসবে না বলে বিশ্বাস। ততদিনে অন্তর্বর্তি সরকার গুছিয়ে নিতে পারবে।

চার্টের রেফারেন্সঃ পিউ রিসার্চ সেন্টার

Ahmad Khan Articles

03 Nov, 17:04


আগামীকাল মার্কিন নির্বাচনে জেন্ডার ওয়ার নিয়ে আর্টিকেলটা পাবেন। আর ৫ তারিখের পর থেকে ভোট পরবর্তি পরিস্থিতির আপডেট দেওয়া হবে মেইন চ্যানেলে।

ইনশাল্লাহ।

Ahmad Khan Articles

03 Nov, 15:52


> আদালতের উপর পুর্ন নিয়ন্ত্রন নেবে। আমেরিকার জাজ বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টের জাজদের সহজে বদলানো যায় না। ট্রাম্প লাস্ট টার্মে তার বিশ্বস্ত কিছু জাজ বসিয়ে গিয়েছিলো, যার সুফল সে লাস্ট ৪ বছর ধরে পেয়েছে।

> লিবারেলদের উপর ক্রাকডাউন চলবে। সারাদেশে অ্যাবর্শন ব্যান করবে। কেউ জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী সহ বা অ্যাবর্শন করাতে গিয়ে ধরা পড়লে জেল। এই আইন কিন্তু টেক্সাসের মত রাজ্যে অলরেডি কার্যকর। নো ফল্ড অ্যাবর্শন করালে সেই ডাক্তার লাইসেন্স হারায়, জেল হয়।

ট্রান্সদের জন্য ঔষুধ ও হরমোন নিষিদ্ধ হবে। ইভেন তাদের জব পেতেও ঝামেলা হবে।

এরকম অনেক রক্ষণশীল ব্যাপার ইমপ্লেমেন্ট করা হতে পারে। পর্ন ব্যান করার কথাও রয়েছে। এটা নিয়ে আবার ডেমোক্রাটরা অ্যাডও বানিয়েছে, 'ট্রাম্প আসলে কিন্তু পর্ন দেখতে দেবে না!'

> সর্বোপরি ডেমোক্রেসি আমরা যেভাবে চিনি তেমনটা আমেরিকাতে থাকবে না।

এখানে বুঝতে হবে, আমেরিকা কিসের উপর দাড়িয়ে। ট্রান্স, লিবারেলিজম, ফেমিনিজম আমাদের কাছে পাগলামি মনে হলেও এগুলোই কিন্তু আমেরিকাকে আমেরিকা বানায়, যে যা ইচ্ছে করতে পারবে - ল্যান্ড অব ফ্রি। এগুলো কেড়ে নেওয়া মানে আমেরিকার 'আমেরিকাত্ব' ছিনিয়ে নেওয়া। যা হলে আমেরিকা আর আমেরিকা থাকে না।

/ ট্রাম্পের কিছু পলিসি হলো স্ট্রেইট আপ জুলুম। আর আল্লাহ জালিম শাসক মুসলিম হলেও টিকিয়ে রাখেন না।

/ পৃথিবীর ইতিহাসে এই ধরনের সর্বশক্তিমান সাম্রাজ্য ১০০ বছরের বেশী টেকে না। আমেরিকা তার পিক পিরিয়ড পার করে ফেলেছে।

ট্রাম্পের পাগলামিই আমেরিকার পতনের শেষধাপ আরম্ভ করবে ইনশাল্লাহ।

মৃতপ্রায় গনতন্ত্রের শেষ নিঃশ্বাসঃ

ভোটে যেই জিতুক, উভয়পক্ষেরই গণতন্ত্রের উপর বাড়তে থাকা অনাস্থা স্পষ্ট। লিবারেল-ফেমিনিস্টদের বক্তব্য, আমাদের এত চেষ্টা আর ট্রাম্পের এতকিছু দেখার পরেও আমেরিকার জনগণ যদি তাকেই প্রেসিডেন্ট বানায়, তাহলে এই সিস্টেম আমাদের দরকার নেই।

ডানপন্থিদের বক্তব্য, আমেরিকাকে বাঁচাতে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসা দরকার। যে সিস্টেম ট্রাম্পকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দেয়,সেই সিস্টেমে ফল্ট।
এগুলো কিন্তু অনুমান করে বলা না, উভয় পক্ষ থেকেই রোজ আসছে এরকম বক্তব্য। ৫ তারিখের পর আরো কয়েকগুণ শুনতে পাবেন।

উভয়পক্ষই এই উপলব্ধি করছে, তারা যা চায় অ্যাবসলিউট গনতন্ত্র দিয়ে তা পাওয়া সম্ভব নয়। যেমন, বামেদের জন্য Roe v Wade. তাদের নিজেদের প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকার পরেও দেশে অ্যাবর্শন ব্যান হলো। আবার ট্রাম্পের মেক্সিকান ওয়াল। সে ক্ষমতায় থেকেও সিনেটের বাধায় বানাতে পারলো না।

ফলে এটা স্পষ্ট, উভয়পক্ষই চুড়ান্ত কন্ট্রোল চায়, যা ডেমোক্রেসি দিতে পারছে না। একবার যখন সংবিধান সংশোধন আর প্রশাসনিক সংস্কার করে সেই পথে হাটবে, তখন ডেমোক্রেসি টেকনিকালি ডেড হয়ে যাবে।

সবচেয়ে গ্রেট গনতন্ত্রের দেশটা থেকেই ডেমোক্রেসির পতন শুরু হতে যাচ্ছে ইনশাল্লাহ।

Ahmad Khan Articles

03 Nov, 15:52


৫ই নভেম্বরের নির্বাচন, আমেরিকার ধ্বংসের শুরু?

লাস্ট ৪ বছরে সবসময় চেয়েছি ট্রাম্প যেন চব্বিশের নির্বাচনে না জেতে। কারণ ট্রাম্প কাজের লোক। তার স্লোগান 'মেইক আমেরিকা গ্রেইট এগেইন' - আসলেই আমেরিকাকে গ্রেট বানানোর কথা বলে।

ট্রাম্পের শাসনামলে আমেরিকা নতুন অধ্যায় দেখেছিলো। লাস্ট ২৫-৩০ বছরের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সময়ে আমেরিকা কোনো নতুন যুদ্ধ শুরু করেনি। জালানির দাম কমে গিয়েছিলো, ফলে ইনফ্লাশন সহনীয় পর্যায়ে ছিলো।

ট্রাম্প পাগলামি করলেও কাজের লোক ছিলো। এজন্যই ভয় ছিলো, এই লোক যদি ক্ষমতায় আসে, আমেরিকা আবার উন্নতি করবে। যেটা বাকি দুনিয়ার জন্য ভালো নয়। কিন্তু এই বছরের শুরুতে একজনের একটা বিশ্লেষণ দেখে আমার মতামত পুরোপুরি উলটে যায়। এখন আমি মনেপ্রাণে চাই যেন ট্রাম্প জেতে। কেন, সেটা নিচে বলছি।

প্রথমেই স্পষ্ট করে নিই, ভোট আমেরিকার, আমি কেন কথা বলছি? আর আমি কি চাই?
আমি সর্বশক্তি দিয়ে আমেরিকার ধ্বংস চাই। এই ডেভিলের ধ্বংস হওয়া জরুরী।

এর উপরে ভিত্তি করেই নির্বাচন নিয়ে কথা বলা যাক।

২০২৪ সালের নির্বাচনের পুরোটা জুড়েই রয়েছে ট্রাম্প। অর্থাৎ ভোটের ফলাফলের পরের পরিস্থিতি নির্ধারণ হবে কিন্তু কমালা হ্যারিসের উপর নয়।

এই নির্বাচনের দুটো সিনারিও আসতে পারে। এবং দুটোই আমেরিকার ধ্বংসকে একেকভাবে তরান্বিত করতে পারে।

প্রথম ফলাফলঃ ট্রাম্প হেরে গেছে।

এর ফলাফল হবে রায়ট। এর আগের টার্মে বাইডেনের কাছে হেরে ট্রাম্প যেটা করেছিলো, মারাত্মক ভায়োলেন্স উসকে দিয়েছিলো।
এবার রেগুলার রক্ষণশীল ভোটাররা তো বটেই, কট্টরপন্থি সংগঠনগুলো অনেক লম্বা সময় ধরে প্রিপারেশন নিচ্ছে। তারা এই নির্বাচনে জিততেই চায়-ই চায়।

ট্রাম্প হেরে গেলে সবার আগে যেটা বলবে, এই নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এবং সেই ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করার মত এভিডেন্স ভোটের কয়েকদিন বাকি থাকতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে এসে গেছে। যেমন, ভোটিং মেশিনে ট্রাম্পকে ভোট দিতে গেলে নিচ্ছে না, বা ট্রাম্পে টিক দিলেও ভোট হ্যারিসে পড়ে যাচ্ছে।

এইধরণের প্রমাণ সামনে, বিশেষ করে ভোটের দিন আরো আসবে। ট্রাম্প জিতলে এগুলো নিয়ে তেমন আলোচনা হবে না, কিন্তু হারলে ব্যপক হইহুল্লোড় লাগিয়ে দেবে।

তবে অন্যতম লক্ষণীয় বিষয় হলো, কীভাবে ইয়াং জেনারেশনের ছেলেরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করছে। মাত্র দুইদিন আগে ওরিগনে একজন ব্যালটভর্তি গাড়ী জালিয়ে দিয়েছে। নিউ ইয়র্কে একজন চাপাতি নিয়ে ভোটারদের ভয় দেখিয়েছে। আরেক জায়গায় দেখলাম ভোটারদের বাধা দিচ্ছে। মানে পুরো আওয়ামী লীগের মত ব্যপারস্যাপার। ওরিগন এবং নিউ-ইয়র্ক দুটোই কিন্তু ডেমোক্রাট স্টেট।

আপনাদের মনে আছে কিনা, ২০২০ সালে ব্লাক লাইভস ম্যাটার বিক্ষোভের সময় কাইল রিটেনহাউস নামের ১৭ বছর বয়সী এক ছেলে গুলি করে দুই বিক্ষোভকারীকে মেরে ফেলেছিলো। ট্রাম্প উলটো এই ছেলের প্রশংসা করেছিলো।

ট্রাম্পের যে কাল্টের মত ফ্যানবেজ, তাতে তারা মোটেও সহজে হার মানবে না। লাস্ট চার বছর ধরে এদের অনেকগুলো আন্ডারগ্রাউন্ড কমিউনিটিতে ছিলাম। এখানে হাজার হাজার ইন্ডিপিন্ডেন্ট গ্রুপ কাজ করছে সরাসরি অস্ত্র নিয়ে।
হয়ত জানুয়ারি সিক্সের মত ক্যাপিটলে কিছু হবে না, কিন্তু পুরো আমেরিকা জ্বলবে এটা নিশ্চিত।

ট্রাম্প না আসলে আমেরিকার ঋণ বাড়তে থাকবে। ডলারের প্রভাব কমবে। নতুন যুদ্ধের ব্যায় মেটাতে গিয়ে আমেরিকার অলরেডি বাড়াবাড়ি রকমের ইনফ্লাশন আরো বাড়বে। জাতিগত বিদ্বেষ বাড়তে বাড়তে আমেরিকা সিভিল ওয়ারের জন্য এক টাইম বোম্বে পরিণত হবে, যা কেবল ফাটার অপেক্ষা।

ডেমোক্রাটরা আসলেও আমেরিকার পতন হবে, তবে একটু দেরীতে।


দ্বিতীয় ফলাফলঃ ট্রাম্প জিতে গেছে।


ট্রাম্প বহুবার স্পষ্ট করেছে, ক্ষমতায় গেলে সে একচ্ছত্র কন্ট্রোল চায় একদম ডে ওয়ান থেকে।
তার সাথে যোগ হয়েছে প্রজেক্ট ২০২৫, যেখানে একদম ধরে ধরে বলা আছে নেক্সট রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় বসার ১৮০ দিনে কী কী ঘটবে। এই প্রজেক্ট নিয়ে আমার ছোট একটি লেখা আছে, পড়তে পারেন।

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে আমেরিকার অর্থনীতি ধ্বংস তরান্বিত হবে।

> সে বলেছে, তার অফিসে বসার প্রথম দিন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ডিপোর্টেশন চালু করবে। মানে অবৈধ অভিবাসীদের বহিস্কার করবে। আমেরিকার জনসংখ্যার ১২ মিলিয়ন মানুষ অবৈধ। এই কাজ তৃনমূল অর্থনীতিকে খোড়া করে দেবে। অবৈধ অভিবাসীদের কার্বনেই আমেরিকার বহু সেক্টরে সস্তা শ্রম পাওয়া যায়।
আর ট্রাম্প এটা করবেই। তার একদম পোস্টার ইশতেহার।

> প্রজেক্ট ২০২৫ বানানো হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সবচেয়ে বড় কাজ ছিল আগামী সরকারের সকল পর্যায়ে রক্ষণশীলদের বসানো। ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে প্রায় ২ লাখ সরকারী কর্মকর্তা চাকরি হারাবে। যেখানে ডানপন্থী লোকদের বসানো হবে।

আশ্চর্য্য ব্যপার হলো, কারা হবে নতুন সেই ২ লাখ কর্মকর্তা, সেটা কিন্তু অলরেডি ঠিক হয়ে গেছে। হেরিটেজ ফাউন্ডেশন বিগত অনেকগুলো বছর ধরে এই লোকগুলোকে তৈরি করেছে। ইভেন এখনো তাদের সাইটে সিভি জমা দেওয়া যায়।

Ahmad Khan Articles

01 Nov, 19:22


ভোটের ফলাফল যাই আসুক, ডান-বাম দুই পক্ষেই ব্যপক রণপ্রস্তুতি চলছে। লাস্ট এক সপ্তাহ ধরে ফেমিনিস্ট কমুনিটিগুলোতে একটা হট টপিক, ট্রাম্প জিতলে কী করা যাবে?

ট্রাম্প হারলে সেমি-গৃহযুদ্ধ কনফার্মড। লাস্ট ৪ বছর ধরে এক্সট্রিম রাইটদের দেখছি অস্ত্র মজুত আর মিলিটারি ট্রেনিং নিতে। কিছু প্রাইভেট টেলিগ্রাম গ্রুপে ছিলাম - একদম ন্যাশনাল আর্মির ট্রেনিং। সাবেক সেনা কর্মকর্তারাই ইয়াংদের করাচ্ছে।

কিন্তু লিবারেলদের এই প্রথম দেখছি অস্ত্র আর প্রশিক্ষণ নিয়ে তোড়জোড় করতে। যে স্ক্রিনশট দেখছেন সেটা সবচেয়ে বড় ফেমিনিস্ট সাবরেডিট থেকে নেওয়া।

Ahmad Khan Articles

29 Oct, 11:28


এবারের মার্কিন নির্বাচন পুরোপুরি জেন্ডার ওয়ারে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে কামালা প্রার্থী হবার পর।

ফেমিনিস্টদের একটা বড় অংশ শুধু এই কারণেই কামালাকে ভোট দেবে যে সে একজন নারী।

অপরদিকে ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন বড় আকারে ফোকাস করেছে তরুণদের উপর। সে ইউএফসিতে গিয়েছে ম্যাচ দেখতে, নানান পডকাস্টে যাচ্ছে।

তবে ট্রাম্পের অ্যানালিস্টরা বেশ ইফেক্টিভ একটা কাজ করেছে। তরুণদের একটা বড় অংশ হোপলেস। পশ্চিমে তরুণদের লোনলিনেস মহামারী চলছে, এবং এই সংখ্যাটা বিশাল। ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন ম্যানেজাররা এই ব্যপারটা কোনোভাবে নোটিস করেছে।

ভোটের আগে আমি একটা লেখা দেবো 'মার্কিন নির্বাচনঃ অ্যাবর্শন ও জেন্ডার ওয়ার নামে'। সেখানে পুরো ব্যপারগুলো বিস্তারিত লেখা থাকবে। ইনশাল্লাহ।

Ahmad Khan Articles

27 Oct, 02:36


খবরটি বেশ আলোচিত হয়েছে। চীনের কাছে তিনিয়ান দ্বীপে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি বিমানঘাঁটি বানায় আমেরিকা। এখান থেকেই জাপানের উপর হামলা চালাতো। তবে এই দ্বীপ বিখ্যাত হবার অন্যতম কারণ হলো, জাপানে ফেলা দুই পরমাণু বোমা এই ঘাটি থেকেই লোড করা হয়েছিলো।

বিশ্বযুদ্ধের পর এটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। নানান আগাছা, আর বন বাদাড়ে ঢেকে যায় রানওয়েগুলো কিন্তু হঠাৎ করেই মার্কিন আর্মি এটি পরিস্কার করা শুরু করেছে। তারা এই ঘাটি আবার অ্যাক্টিভ করছে।

কারণ হিসেবে বলছে চীনকে ঠেকানোর পুর্বপ্রস্তুতি। যা ২০২৭ সাল নাগাদ ঘটতে পারে।

বুঝতে পারছেন কিছু? তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সামরিক প্রস্ততি শুরু হয়ে গেছে বড় খেলোয়াড়দের তরফ থেকেই।

Ahmad Khan Articles

23 Oct, 16:05


ওই টুপি লুকিয়ে মসজিদে যাওয়া, গেস্টরুমে র‍্যাগ, মধ্যরাতে বিচার, কয়েক ঘন্টার নোটিশে মেস ছাড়া, দাড়ির কারণে হেনস্থা - বন্ধুদের কেবল সিটের লোভে মেরুদন্ড বেচতে দেখা, শিবির সন্দেহে মার খেতে দেখা -

ফোন করে হাড্ডি ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলো, আজ ওকেই ফোন দিতে ইচ্ছে হচ্ছে।

অনেক কিছু মনে পড়ে গেলো। এগুলো তো পার্সোনাল অভিজ্ঞতা।

Ahmad Khan Articles

21 Oct, 19:05


বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের জোর সম্ভাবনা

অনেকদিন পর গৃহযুদ্ধের প্রকৃতি ও শর্ত নিয়ে স্টাডি করলাম। এবং লক্ষণগুলো মিলিয়ে যেটা বুঝলাম, বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ লাগতে যাচ্ছে।

আমার ধারণা ছিলো, লীগ থাকাকালীনই হয়ত লেগে যাবে। এবং আপনি যদি টেকনিকাল দিক বিবেচনা করেন, এটার শুরুটা আগস্টেই হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, হয়নি এবং তার বড় কৃতিত্ব যায় বাংলাদেশ আর্মির প্রতি। তারা সেদিন সঠিক ডিসিশন না নিলে আমি নিজেও আজ বেঁচে থাকতাম কিনা সন্দেহ আছে।

গৃহযুদ্ধের কথা এত জোরে মনে হচ্ছে কারণ কিছু পাওয়ারফুল ইন্টারনাল ও এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর রয়েছে।

প্রথমতঃ লীগ ডুব দিয়ে ছিলো, কিন্তু সেইভাবে পালায়নি, মারাও যায়নি, জেলেও যায়নি।
দুই মাসে দেশ থেকে ৫০ হাজার লোকও ভারতে যায়নি। এটা ইন্ডিয়ান পত্রিকার তথ্য।
কাউয়া কিংবা শামীমের আশংকা অনুযায়ী হাজার হাজার লীগ খুন হয়নি।
সেইভাবে গণগ্রেফতার হয়নি।
সরকারের টালমাটাল অবস্থা স্পষ্ট। তা নিয়ে উপদেষ্টাদের গরজ কম। কারণ পলিটিকাল ক্যারিয়ার বলে কিছু ঝুঁকিতে নেই। লীগের সাংস্কৃতিক পুনর্বাসনের অনেকটাই হয়ে গেছে। দেশী বাম = দিল্লীর লোক।

আরো একটা ব্যাপার যোগ করতে চাই, লীগ সরকারের আমলে গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি কম ছিলো কারণ লীড করতে পারে এরকম হাজার হাজার আলেম বা ইসলামপন্থী লোক জেলে ছিলো। আপনি মানেন বা না মানেন, মাওলানা মামুনুল হকের মত আলেমরা এক ডাক দিলে এক লাখ লোক ঘন্টাখানেকের মধ্যে জড় হয়, এটা যেকোনো অবস্থাতেই একটা সিরিয়াস পাওয়ার। গৃহযুদ্ধের জন্য বিরোধীপক্ষেও কিছু শক্তি থাকা লাগে, যেটা লীগ দমন করতো। কিন্তু এখন সেই পাওয়ারগুলো দৃশ্যপটে উপস্থিত।
বাংলাদেশের লোকজন আলেমদের ডাকে মরতেও পারে, এটা একটা বাস্তবতা।

সুতরাং, অন্তর্বর্তি সরকার লীগ দমাতে বা জনরোষ কমাতে ব্যার্থ হলে সেই পাওয়ার ভ্যাকিউম পুরণে অনেক শক্তিই মাসল দেখাতে চাইবে, সেটা ছাত্রনেতারা কিংবা ট্রাডিশনাল ইসলামী শক্তি। লীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা এই শক্তিগুলোকে মুখোমুখি দাড় করাবেই। আর পাওয়ারগুলো মুখোমুখি মানেই সঙ্ঘর্ষের সম্ভাবনা।

সবার উপরে, আমি তো আমার ভাইয়ের খুনের বদলা নিতে চাইবোই, তাই না?

দ্বিতীয়তঃ উপরে যা বললাম, এগুলো কিন্তু একটা দেশের মধ্যে নিজেরাই সমাধান করা সম্ভব, অতটাও কিছু না যে ফুলস্কেল যুদ্ধ লেগে যাবে। কিন্তু এখানেই আসে এক্সটার্নাল ফ্যাক্টরগুলো।

আনফরচুনেটলি, বাংলাদেশে ভারতের মত এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর খুবই কার্যকর। ভেবে দেখুন, লীগ ক্ষমতা নেওয়ার মাত্র দুই মাসের মাথায় ভারত যদি পিলখানার মত কাজ ঘটাতে পারে, লাস্ট ১৫ বছরে তারা তো বসে ছিলো না। বাংলাদেশের তৃনমূল পর্যায়ে পর্যন্ত ইন্ডিয়ার জাল বিস্তৃত। আমাদের ন্যাশনাল ডাটাবেজ ইন্ডিয়ার হাতে, বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের ব্যাপারে ইন্ডিয়া কিছু না কিছু ভার্চুয়ালি জানে। আমাদের ন্যাশনাল মনিটরিং সফটওয়্যারের সার্ভার ইন্ডিয়াতে। ইভেন আর্মিতে বেতন দেওয়া হয় যে সফটওয়ার দিয়ে, তাও ইন্ডিয়ান। মানে ওদের কিছু প্রদেশকেও ওরা এভাবে পেনেট্রেট করতে পারে না, যেমনটা বাংলাদেশে করে ফেলেছে।
এগুলো কাজে লাগাবে না?

দুই সপ্তাহ পর মার্কিন নির্বাচন। ট্রাম্প জিতলে আমেরিকাতে ছয় মাসের মধ্যে একটা মৌলিক পরিবর্তন আসবে (প্রজেক্ট ২০২৫)।

লীগের আমলে নিশ্চয় খেয়াল করেছে, সমাজের নতুন বড়লোক হয়ে ওঠা লোকগুলো, অস্ত্র হাতে টহল দেওয়া ছেলেরা - সব লীগের। তারা তাদের সাম্রাজ্য ফিরে পেতে চাইবেই চাইবে।

ভারত যদি বিন্দুমাত্র আশার বানী শোনায়, লীগের ওই ৫০ হাজার বাদে বাকি কোটিরা দেশেই আছে, ঝাঁপিয়ে পড়বে।

আপনি জানের ভয়েই আবার মাঠে নামতে চাইবেন।

এবার মিলান সব,কিছু আউট'ল এর কারণে আপনার জান ঝুঁকিতে পড়েছে, আপনার নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ, ফলে আপনি হাতিয়ার ওঠাতে বাধ্য হলেন।

এটাকে কী বলে যেন?
রাইট, গৃহযুদ্ধ।

Ahmad Khan Articles

19 Oct, 21:48


২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় উভয় পক্ষের সৈন্যরাই প্রতিপক্ষের সৈনিকদের মনোবল ভাঙ্গার চেষ্টা করতো। বাংকারের কাছে গিয়ে বলতো অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করতে, আমরা তোমাদের শত্রু না, তোমাদের অফিসারের কথা শুনো না। কখনো প্লেন থেকে লিফলেট ফেলে, কিংবা কখনো হ্যান্ডমাইকে করে।

এটা ডিভাইড অ্যান্ড রুলের ক্লাসিক উদাহরণ। পরবর্তিতে থার্ড জেনারেশন ওয়ার আরো পলিটিকাল রুপ নিয়েছে, এই টেকনিকের ব্যবহার বেড়েছে। তবে এবার আর আওতা কেবল সেনাবাহিনীর মধ্যে নেই। বরং সাধারণ পাবলিককেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শত্রুর মধ্যে যে বা যারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে, বিশেষ করে অস্ত্র ধরতে পারে তাদেরকে বাকি জনগণের কাছে শত্রু হিসেবে তুলে ধরতে হবে। সিভিলিয়ানদের উপর কব্জার সময় এই মেসেজটা দেওয়া, দেখো, এমনিতে আমরা তোমাদের শত্রু না, তোমাদের মারতাম না, কিন্তু এই লোকগুলোই হাতিয়ার তুলে তোমাদের উপর আমাদের রাগিয়ে তুলেছে।

এই টেকনিক একদম পানিপড়ার মত কাজে দিয়েছে। এর উদাহরণ দেওয়া যায় ওসামা বিন লাদেনকে দিয়ে। আজকে সো কল্ড 'লেখাপড়া' করা একজন মুসলিমের কাছে তার ব্যাপারে জানতে চাইবেন। দেখবেন সে যা বলবে তা লাদেনের ব্যপারে সিআইএর বয়ানের সাথে একদম লাইন বাই লাইন মিলে যায়।

এটা কিন্তু কাকতালীয়ভাবে হয়নি। ডিভাইড অ্যান্ড রুলের উপর বেস করে দিনের পর দিন অপিনিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফল। ওসামা বিন লাদেনকে যেদিন হত্যা করা হয়, তার পরেরদিন প্রথম-আলোর সম্পাদকীয় পড়েছিলাম। একটা বাক্য ছিলো, 'লাদেন অনেক মুসলিমকেও হত্যা করেছে।'
এটার সাবলিমিনাল মানে বুঝতে পারেন? আমেরিকা এতই দয়ালু যে মুসলিম হত্যাকারী একজন খুনীকে মেরে মুসলিমদের বাঁচিয়ে দিয়েছে!

পশ্চিমা পাওয়ার হোক বা ইন্ডিয়া বা ইসরাইল - সবার কাছে এটাই টেক্সটবুক উদাহরণ, মুসলিমদের মধ্যে যে-ই একটু গলা উচু করবে, তাকে শত্রু বানিয়ে দাও খোদ মুসলিমদের কাছে। যাদের জন্য চুরি করবে তাদেরকে দিয়েই চোর বলাও - অর্ধেক জিত হয়ে যাবে।

আনফরচুনেটলি, এটা বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশে কাজ করেছে। বিন লাদেনের কথা বললাম। আমাদের দেশের কথাই ধরুন। কিছুদিন আগে পাজিতনি পালকি শর্মা একটা এপিসোড করে কালোপতাকা দেখিয়ে বলল, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বেড়েছে। সাথে সাথে একটা বিরাট সংখ্যক মুসলিম ঝাঁপিয়ে পড়লো, বলেছিলাম না, পতাকা বের করিস না, ওরা জঙ্গী ডাকবে?
মানে ইন্ডিয়া এমনিতে ইনোসেন্ট একটা দেশ, তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের কিছুই বলতো না, যত দোষ এই খেলাফতিদের, এরা ইন্ডিয়াকে এদেশে আনতে বাধ্য করছে, ক্রসফায়ার কোথায়?

****
ব্যতিক্রম দেখলাম ফিলিস্তিনিদের। আমার গাজার প্রায় ৪০০ মানুষকে ফলো করা আছে ইন্সটাগ্রামে। ২০০ এর উপরে পোস্ট দেখলাম শহীদ আবু ইব্রাহিম সিনাওয়ারের ছবি দিয়ে 'রাহিমুহুল্লাহ' ' রহমাতুল্লাহি আলাইহি' লিখছে।

এটা একটা বিশাল ঘটনা। ইসরাইল সেই আজকে থেকে না, বহু বছর ধরে বলছে, হামাস গাজাবাসীদের শত্রু। আমরা এমনিতে তোমাদের মারতাম না, কিন্তু হামাসের নেতারা তোমাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে, তাই তোমরা এই নৃশংসতা ডিজার্ভ করো।

এমনোতো হতে পারতো, প্রাণের ভয়ে গাজাবাসী শহীদ সিনাওয়ারকে শত্রু বলত! কারন আজকে যারাই শহীদ সিনাওয়ারের জন্য শোক প্রকাশ করছে, তারা লিটারালি ইসরাইলের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। তা সত্বেও এমন একজনকে পেলাম না, যে তার শাহাদাতে শোকার্ত নয়।

এক আপু লিখেছেন, 'ওরা কত বড় ইডিয়ট, ভেবেছে আমাদের ৭৫ বছরের সংগ্রাম কেবল একজনের উপর নির্ভরশীল? আমরা তো জন্ম থেকেই লড়ছি এবং মৃত্যু পর্যন্ত লড়বো'

প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না। সম্মানিত শহীদকে একবার বাংলাদেশী ভেবে দেখলাম। ' ভালোই হয়েছে', 'লড়াই করতে গিয়েছিলো!!' ' টানেলে না থেকে ফ্রন্টলাইনে কী', ' অতি জজবাতি', 'জংগী মরেছে' 'নবী (সঃ) ও চুক্তি করেছেন' ' মরেই তো গেলো, লাভ কি হল'

আমরা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারকে হাজার চেষ্টাতেও বুঝতে পারবো না। আমাদের শরীরে সেই মাটিই নেই। দাস মালিকের চেয়ার বসার ফিল ইমাজিনও করতে পারে না। খাঁচার পাখি বাইরেটা কল্পনাতে আনতে পারে না। কারণ সেসব সে এক্সপেরিয়েন্সই করে নি।

গাজার লোকেরা তো বটেও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরাও যেভাবে শহীদ সিনাওয়ারকে আপন করে নিলো - এই কারণেই তারা পবিত্র ভুমির সন্তান।
এই কারণেই সিনাওয়ার গাজায় জন্ম নিতে পেরেছিলেন, গাজীপুরে না।

ওসব উচুদরের আচরণ, আমরা কিভাবে বুঝবো?

Ahmad Khan Articles

18 Oct, 00:27


কোনোভাবেই বুঝোতে পারবো না, মোহাম্মদ দেইফ ও ইয়াহিয়া সিনাওয়ার আমার কাছে কী ছিলেন। যেই কল্পরাজ্যের ডিস্টোপিয়ান পরিস্থিতির মধ্যে বিপ্লবের স্বপ্ন নাবালক বয়স থেকে দেখে এসেছি, তার মুর্তিমান রুপ ছিলেন এনারা।

পিছনে একশো মিডিয়া আর বিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং আছে, ওই বিপ্লবে মজা নেই। সিনাওয়ারের মত পৃথিবীর সব সীমাবদ্ধতা, এর চেয়ে কন্ট্রোলড ইনভায়রনমেন্ট তো আর হয় না - তার মধ্যে থেকে একটা ৭ই অক্টোবর বের করে আনা, এটা গল্পের বইয়ে পড়লে কেউ বিশ্বাস করতে পারতো না। সিনাওয়ার করে দেখিয়েছেন।

আজ মনে কী চলেছে লেখায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।