Ahmad Khan Articles @akwritings Channel on Telegram

Ahmad Khan Articles

@akwritings


Ahmad Khan Articles (English)

Ahmad Khan Articles is a Telegram channel created by the talented writer Ahmad Khan. With the username @akwritings, this channel is dedicated to sharing a wide range of articles on various topics. Whether you are interested in literature, self-improvement, technology, or travel, you will find something to pique your interest on this channel. Ahmad Khan's writing is insightful, engaging, and thought-provoking, making it a must-follow for anyone who appreciates well-crafted content. Join Ahmad Khan Articles today to expand your knowledge, spark your creativity, and connect with like-minded individuals who share your passion for learning and growth.

Ahmad Khan Articles

06 Feb, 05:02


উদ্দেশ্য লীগ শায়েস্তা হলেও কালকের ঘটনাটা একেবারে লিবারেল সেক্যুলার পাড়ায় গিয়ে পেনিট্রেট করেছে।

এটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইসলামের কোর স্প্রিচুয়াল প্রাকটিস পুরোপুরি অন্তর কেন্দ্রিক। যেমন, ইখলাস, তাক‌ওয়া। কিন্তু সেক্যুলারদের ট্যানজিবল কিছু দরকার হয়। সেদিক থেকে ৩২ নম্বর ওদের কেবলা।

ভালো হয়েছে।

Ahmad Khan Articles

30 Jan, 15:51


মমিকার ব্যপারটা খুব যন্ত্রণা দিতো। মনে হতো নিজ হাতে কিছু করতে পারলে ভালো লাগে। একটা প্লানও বানাইছিলাম।

আজকে বড়ই খুশীর দিন!

কিছু তাৎপর্য্যঃ
১। মমিকা সিটিজেনশীপ পায় নি। তাঁর টুইটার প্রোফাইলে এসে নানান সময় রেন্ডিরোনা করতো। ক্যামেরার সামনে কোরআন পোড়ানোর পিছনে এটাও একটা উদ্দেশ্য ছিলো।

২। ও ইরাক থেকে পালিয়ে এসেছিলো। ইরাকীরা রেগুলার তাঁকে হত্যার হুমকী দিতো। এমনকি তাঁর বাড়ীঘর পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

৩। এই জানোয়ার কিন্তু সিভিলিয়ান না। সে শিয়া মার্সেনারি ছিলো। কত নির্দোষ সুন্নী ভাইবোনকে সে হত্যা করেছে। নিজেকে যতই অ্যাক্টিভিস্ট দাবী করুক, সে আসলে ওইসব ফ্যামিলির রোষ থেকে পিঠ বাঁচাতেই ইউরোপে পালায়।

৪। সুইডেন বিশ্বের অন্যতম সেইফ একটা দেশ। যারাই কাজটা করেছেন, অনেক সিগনিফিক্যান্ট কিছু করে গেলেন। পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এই বার্তা স্পষ্ট, মুসলমানদের প্রায়োরিটি কোথায় আসলে। দেশে এসে মেরে যাচ্ছে কিছু বলছে না, কিন্তু আল্লাহ বা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ডিজরেস্পেক্ট করা হলো রেড লাইন। যে-ই করবে, সুইডেনের মত এত বড়লোক একটা দেশে গিয়েও বাঁচতে পারবে না।

চার্লি হেবদো, স্যামুয়েল পাতি, সালওয়ান মমিকা।
লিস্টে আরো কিছু নাম যোগ করা দরকার না? চিন্তা করুন, এই আমাদের সামনেই কয়েকজন মানুষ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু প্রেজেন্ট করার মত কিছু পেয়ে গেলো।

আর আমরা কোন মুখে তাঁকে ফেইস করবো?

Ahmad Khan Articles

29 Jan, 15:40


পুরো দুনিয়াতেই একই অবস্থা। জাপানের একটি ফোরামের কমেন্ট এগুলো।

কী কোরিয়া, কী ভারত, কী আমেরিকা, কী সাউথ আফ্রিকা - সবখানের তরুণেরা দিন দিন চরম নারীবিদ্বেষী হয়ে উঠছে।

ক্লাসে ৮০ জন ছাত্রের একজন ফেল করলে সেটা ছাত্রের দোষ, কিন্তু ৭৫ জনই ফেল করলে সেটা তাদের দোষ হতে পারে না।

এই তরুণদের মধ্যে ভাষাগত মিল নেই, দেশ আলাদা, কালচারাল মিল নেই, কিন্তু সবার মনোভাব এক্সাক্ট একই হয় কীভাবে? পুরো দুনিয়ার তরুণেরা নারী বিদ্বেষী হচ্ছে কেন?

কারণ পশ্চিমের ফেমিনিজম পুশ করা। গাইনোসেন্ট্রিক সমাজ বানাতে গিয়ে একটা ছেলেকে জন্ম থেকেই ভিলেন বানানো হচ্ছে। স্কুলে উঠলে কেবল ছেলে হওয়াতে আলাদা ট্রিট্মেন্ট দেওয়া হচ্ছে, (পুরো দুনিয়াতে প্রি, মিড ও জূনিয়র স্কুলের টিচারদের মধ্যে নারী বেশী)।

টানা কুড়ি বছর বুলি করে প্রায় খাদের কিনারায় ঠেলে দিলেন, এখন জিজ্ঞেস করেন, ছেলেটা নারী অধিকার সমর্থন করে না কেন?

ফানি।

Ahmad Khan Articles

26 Jan, 15:52


কিছু আপডেটঃ


২। আল জাজিরার নতুন ডকুমেন্টারিটা পারলে দেখে নেবেন। এরকম জিনিস দশ বছরে একটা আসে। প্রাণপ্রিয় মোহাম্মদ দেইফ ও শহীদ সিনাওয়ারের কিছু আনসিন ফুটেজ আছে।

৩। বাংলাদেশের সিটিটিসি এফবিআইয়ের সাথে কাজ করতে যাচ্ছে। তার মধ্যেই আবার ব্লাক ফ্লাগ ওড়ানোয় তিন ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। এটা থেকে দুটো জিনিস স্পষ্টঃ

- পশ্চিমারা দেখিয়েছিলো তারা গুম খুনের ব্যপারে কেয়ার করে, স্যাংশন ট্যাংশন দিলো। আদতে ইসলামপন্থীদের জান-সম্মান ওদের কাছে মশার সমানও না। লীগ বিএনপির লোকজনকে গুম আর ক্রসে দেওয়াতেই ঝামেলা লেগে গিয়েছিলো।

তাছাড়া সো-কল্ড জংগী মেরে ফেললেও তারা কিছুই বলবে না। যেমনটা বিএনপির আমলে হয়েছিলো। এজন্য পিলখানায় কর্ণেল গুলজার মারা খাওয়াতে খুশী হয়েছিলাম। এই লোকটার হাতে অনেক মুসলিমের রক্ত ছিলো।

- ট্রাম্প ক্ষমতা নেবার পর যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে লিবারেল ব্লক কোনঠাসা হতে যাচ্ছে। তাই বিশ্বজুড়ে তারা আবার জঙ্গীবাদ ইস্যু সামনে আনার ট্রাই করছে। কারণ 'ইজলামিক টেররিজম' মার্কিনিদের কাছে লবণের মত। সব পক্ষই খায়। এফবিআইয়ের সাথে মেলামেশা এই কারণেই।

৩। ট্রাম্পের 'গাজার মানুষদের ক্লিনআউট করা' বা জর্ডান-মিশরকে রিফিউজি নিতে রেডি থাকার হুমকী দিতে দেখে অনেকেই দুশ্চিন্তায় আছেন। তবে আমি ভয়ের কিছু দেখছি না। ব্যাপারটা এতই ইজি হলে রাফার বিচে আজকে ইহুদীর পাল রোদ পোহাতো।

গাজা থাকবে। গাজা ক্লিন করতে একটা বিশ্বযুদ্ধ দরকার হবে, এর কমে হবে না।


১। পার্সোনাল লাইফে একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিশনাল সিচুয়েশন চলছে। অত্যন্ত ব্যাস্ত। এদিকে পেজ + চ্যানেলের অ্যাডমিন হিসেবে আমি একাই এখন।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে সব স্থিতিশীল হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
প্রমিজ করছি, এতদিনের ঘোস্টিংয়ের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
স্টোরি টাইম, পুর্বঘোষিত আর্টিকেলগুলো, আর ব্লাইন্ডস্পট নিয়ে এগোনোর প্লান করছি।
দেখা যাক।

Ahmad Khan Articles

21 Jan, 15:07


আপনি যদি খেয়াল করেন, লাস্ট ৭০০-৮০০ বছরের মধ্যে হিন্দুত্ববাদ রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে এমন সর্বব্যাপী ছিলো না। আর এই কয়েকশত বছর ধরে ম্যাচিউরড হওয়া হিন্দুত্ববাদের মোকাবেলার দায়িত্ব এসে পড়েছে আমাদের জেনারেশনের কাধে।

কী পরিমাণ প্রিপারেশন দরকার ভেবে দেখেছেন?

Ahmad Khan Articles

16 Jan, 00:44


খাওয়ার চিনি আর সার দিয়ে বানানো বোমা দিয়ে একটা নিউক্লিয়ার পাওয়ারকে ১৬ মাস আটকে রাখলো, সিজফায়ার ডিলে বাধ্য করলো - এ এক অবিশ্বাস্য দলের গল্প!

Ahmad Khan Articles

15 Jan, 15:54


হিশাম ভাই আর নেই।

কলজেটা ছিড়ে যাচ্ছে।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন

Ahmad Khan Articles

15 Jan, 06:33


দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে। একজন রানিং প্রেসিডেন্ট অ্যারেস্ট হবেন এটা আমাদের মত দেশে থেকে ভাবাও যায় না।

বুড়ো ইয়ন সুক শেষবয়সে এসে ক্ষমতা পেয়েছিলো, মাথা ঠিক রাখতে পারে নি।

কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পরিণতি থেকে একটা শিক্ষাই মেলে, এই মডার্নিজমবিরোধী লড়াইয়ে বুড়ো বুমারদের উপর একদমই বিশ্বাস রাখা যাবে না। এই লোকটা তরুণদের ভোটব্যাংক ইউজ করে ক্ষমতায় এসেছিলো। কিন্তু এইভাবে মাঝপথে এসে জল ঢেলে দিলো।

কোরিয়ার তরুণদের জন্য এটা বেশ বড় ধাক্কা ছিলো। তবে আশার কথা এই, বুড়ো ইয়ন কেবল তরুণদের ক্যাম্পেইন থেকে ক্যাশ করেছিলো, মুল আন্দোলন তরুণদের হাতেই। তরুণেরা নতুন করে পলিটিক্সে আসছে। যেমন, ওখানকার এক এমপি নির্বাচিত হয়েছে যে কিনা পেশায় গেমার (প্রফেশনাল ই-স্পোর্টস)।

ইয়নের পাওনা সে পেয়েছে। কিন্তু কোরিয়ার সব দলই এই বার্তা পেয়েছে, তরুণদের ইগনোর করে একটা গাইনোসেন্ট্রিক সমাজ টিকবে না। না পশ্চিমে, না এশিয়াতে। পশ্চিমে একটু সময় লাগছে, কিন্তু এশিয়া-মধ্যেপ্র্যচ্যে সব স্পষ্ট।

নারীবাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। ফিউচার ইজ নট ফিমেল, মাসকুলিনিটি ইজ দ্যা ফিউচার।

Ahmad Khan Articles

12 Jan, 15:15


ক্রিস্টিন ক্রোলি লস অ্যাঞ্জেলেসের অগ্নিনির্বাপক সংস্থায় ইতিহাসের প্রথম নারী চীফ। ফলাফল চোখের সামনে।

যেখানে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পত্বি পুড়ে যাচ্ছে, সেখানে এই মহিলা বলছে, "লিঙ্গসমতাকেই আমি সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছি!"

এর প্রভাবও দেখা যাচ্ছে। দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরের তালিকা করলে লস অ্যাঞ্জেলেস টপ দশের মধ্যে আসবে। অথচ এই শহরের একেবারে মাঝখানের ফায়ার হাইড্রান্টে পানি নেই। মানুষ ভ্যানিটি ব্যাগে পানি ভরে আগুন নিভাচ্ছে।

ক্রোলি ব্যস্ত ছিলো ফায়ার সার্ভিসে নারীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা নিয়ে!

তবে মিডিয়া অলরেডি ক্রোলির পক্ষে দাড়িয়েছে। কারণ এলএ হলো আমেরিকার কাভার পেজ। এখানে যেভাবে স্পষ্টভাবে লিংসমতা ব্যাকফায়ার করেছে সেটা না ঢাকলে বাকী দুনিয়ার কাছে ফেমিনিজম বেচবে কীভাবে?

Ahmad Khan Articles

10 Jan, 08:13


খুবই বিশেষ একটা ফিলিং শেয়ার করছি।
গাজার যুদ্ধ এক বছরের বেশী সময় ধরে চলছে। প্রথমে যেমন সারাদিন খোঁজ রাখা হতো, তারপর থেকে সেই সময় কমেছেই কেবল।

খেয়াল করলাম, যখনই গাজার খবর রাখা পুরোপুরি বাদ হয়ে যায়, তখনই পার্সোনাল লাইফে একটা প্রবলেমে পড়ি। কেমন যেন আমি গাজাকে ভুলে গেলাম তো আল্লাহও আমাকে ভুলে গেলেন।

এখন আর ওই সাহস করি না। যত ব্যস্ততাই থাক, গাজার মানুষ আর যোদ্ধাদের খবর রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এটা ভোলা উচিৎ হবে না, গাজার পরীক্ষাটা অ্যাকচুয়ালি আমাদের। গাজার মানুষ তো আগেই পাস করেছে।

Ahmad Khan Articles

08 Jan, 15:28


অ্যান্ড্রু টেইটকে নিয়ে এক মেসি সিচুয়েশনের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু সাম্প্রতিক ঘটনার ব্যপারে স্পষ্ট আইডিয়া দিতে চাই আপনাদের।
এই লেখাতে টপিকগুলো থাকবেঃ

- মামলার পরিস্থিতি
- ড্যাডি কয়েন স্কাম
- গাজা যুদ্ধ
- টমি রবিনসন ও অ্যান্ড্রুর ইসলামোফোবিক কমেন্ট।
- অ্যান্ড্রুর রাজনৈতিক দল
- আদৌ কী সে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে?
- ব্রিটেনের রাজনীতি ও ইসলামাইজেশন
- মুসলিম রেইপ গ্যং মিথ কীভাবে সৃষ্টি হলো এবং অ্যান্ড্রু এটা প্রচার করছে কেন?
- ফাইনালি অ্যান্ড্রুকে কেন সাপোর্ট করেছিলাম এবং এখন কতটা করা যুক্তিসঙ্ঙ্গত।

আপনি যদি চান আরো কোনো টপিক যোগ করা দরকার, প্লিজ কমেন্টে জানান। UNFAZED চ্যানেলে কমেন্ট করা যাবে।
ধন্যবাদ।

Ahmad Khan Articles

06 Jan, 14:53


দাদার কথা আজ খুব মনে পড়লো। উনি শেষ বয়সটা পর্যন্ত মেজর ডালিমের ব্যপারে বলে গেছেন। টানা কয়েক দশক তো উনার একটা ছবিও দেখা যায় নি। মেজর ডালিম সামনে এসেছেন, কথা বলছেন - এই দেখে দাদার রিঅ্যাকশন কেমন হতে পারতো তা যেন আমি চোখে দেখতে পাচ্ছি।

মেজর ডালিমকে কিন্তু একটু বয়স্ক জেনারেশনের সবাই চেনে। দেশে আজকে সিরিয়াসলি হইচই পড়ে গেছে।

মেজর ডালিম ও দাদার ব্যপারে আমার আগের লেখাটা পড়ুন

Ahmad Khan Articles

05 Jan, 15:00


সিরিয়াসলি খুশীর দিন। এই মানুষটাকে ১০ বছর বয়স থেকে দেখতে চেয়েছি।

লিঙ্ক

Ahmad Khan Articles

04 Jan, 15:30


একসময় পছন্দের কারো মৃত্যুর খবরে কেউ যখন হাহা রিঅ্যাক্ট দিতো বা মকারি করতো তখন খুব খারাপ লাগতো। কিন্তু এখন পারসেপশন পুরো উলটে গেছে।

আপনার মৃত্যুতে যদি আপনার শত্রুপক্ষ উল্লাস না করে, খুশী না হয় তাহলে আপনি তেমন কোনো আচড়ই কেটে যেতে পারলেন না। আপনাকে শত্রুরা গোনায়ই ধরে নি।

ফেসবুকে যারা আছেন, তাদের চোখে পড়ার কথা, লীগের লোকজন শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে কী ধরণের নোংরা মকারি করে, ট্রোল-মিম বানায়। এটা কিন্তু শহীদ আবু সাঈদের জন্য সম্মানের নির্দেশক। এই একজন ২৫ বছর বয়সী ছেলে তাদের জন্য এতবড় ডেন্ট রেখে গেছে, তারা ভুলতে পারছে না।

আপনি আপনার শত্রুর জন্য যতবড় আতঙ্ক হবেন, আপনার মৃত্যুতে শত্রুর সেলিব্রেশন তত বড় হবে। ২০১১ সালের মে মাসে আমেরিকাতে টোটাল অ্যালকহল সেলের ন্যাশনাল অ্যাভারেজ বেড়ে গিয়েছিলো, কারণ মার্কিনিরা বিন লাদেনের হত্যা সেলিব্রেট করছিলো।

এখন আমিও চাই, লোকেদের একটা অংশ আমার মৃত্যুতে উল্লাস করুক, হা-হা রিঅ্যাক্ট দিক। এটাই নির্দেশ করবে, আমি শত্রুর জন্য আতঙ্ক ছিলাম। সেই আতঙ্ক দূর হওয়ায় এই উদযাপন চলছে।

Ahmad Khan Articles

25 Dec, 13:46


আপনাদের ধারণাও নেই দেশে কী ঘটে গেছে।
আসলে খবরটা আপনার সামনে এসেছিলো, আপনি গুরুত্ব দেননি।

অবশ্য আপনার দোষ নেই এখানে।
খবর হলো, হিন্দু জগদীশ মন্ডলের ছেলে আকাশ মন্ডল নির্মমভাবে কুপিয়ে একে একে সাতজন মুসলিমকে হত্যা করেছে।
আপনি পত্রিকার হেডলাইনে পড়েছেন খুনীর নাম 'ইরফান'। তাও একটা দুটো না, প্রায় সব পত্রিকার খবরের একেবারে শিরোনামেই ইরফান উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।

ফলে র‍্যান্ডম ঘটনা ভেবে সবাই এড়িয়ে গেছে। কিন্তু এটি কী আসলেই র‍্যান্ডম? কী ধরণের ক্ষোভে মানুষ একে একে সাতজনকে খুন করে? আবার সামহাও ভিকটিম সবাই মুসলিলিম!

হেডলাইনের এই খেলাটা ইউজ করে পাশের দেশের মিডিয়াগুলো। মুসলিম হলে হেডিংয়ে, হিন্দু হলে ম্যাক্সিমাম সময়ে নামই জানায় না।

যেটা শামীম ওসমানের শীতলক্ষ্যাকান্ডের মত আলোচিত হতে পারতো, সাংবাদিকদের দেওয়া একটা নাম পুরো ন্যারেটিভ চেঞ্জ করে দিলো। ওরা আবার অন্যদের বলে সাম্প্রদায়িক!

(এবার খবরটা হজম করার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশে সাতজন নির্দোষ-ঘুমন্ত মুসলিমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক হিন্দু)

Ahmad Khan Articles

23 Dec, 14:46


শুধু হলি আর্টিজানের ঘটনায় ৭২+ মানুষকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছিলো। যাদের প্রায় সবাই নির্দোষ মানুষ।

এই ঘটনা বাদেও ক্রসফায়ার ছিলো। এক পুলিশ ফাড়িতে ১৭ জন পর্যন্ত গোণা হয়েছিলো।
সেই ফাড়িতে একজন কোরআনে হাফেজকে এনেছে। বিকেলে ফাড়ির পুলিশ সাথে করে নিয়ে এসেছে বাজারে চা খাওয়ার জন্য।

জিজ্ঞেস করেছে, কী চাস ? উনি বললেন আমার মেয়েটাকে দেখতে চাই। (উনার একটা বাচ্চা মেয়ে ছিলো, কথা শেখেনি তখনো)। টের পেয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ বলল, হবে না।
এই হাফেজ আবার আমার ক্লোজ একজন আলেমের পরিচিত ছিলেন, যার কথা আগে একটা আর্টিকেলে বলেছিলাম।

যাইহোক, পরদিন ফাড়ির পাশের মাঠে উনার লাশ পাওয়া গেলো।

(একটা সিক্রেট বলি, ক্রসফায়ারের শিকার ওই ৭০-৭২ জনের মধ্যে আমার নামটাও থাকতে পারতো। পরিস্থিতির প্যাঁচ। আমার এক ক্লোজ সিনিয়রকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো। যিনি জংগী দুরের কথা আইএসকেই দুচোখে দেখতে পারতেন না। কেবল আমাদের মত ধর্ম প্রাকটিস করার চেষ্টাই বড় অপরাধ ছিলো তখন।)

Ahmad Khan Articles

23 Dec, 14:04


কয়েক বছর আগে কিছু ছেলে একটা বাসা ভাড়া নিয়ে বিসিএস কোচিং করছিলো। হঠাৎ একদিন দেখে দরজা বাইরে থেকে লাগানো। হ্যান্ডমাইকে কেউ বলছে, তোমরা অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করো।
ওরা তো অবাক, কিসের অস্ত্র, কিসের আত্মসমর্পণ? কিছুক্ষণ পর পরিস্কার হয়ে যায় যে, সো কলড জংগী ড্রামার পার্ট হয়ে গেছে তারা।

একজন বুদ্ধি করে লাইভে আসে। মুহুর্তেই ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে যায়। দেখা যায় ঘরে অস্ত্রপাতি তো দূরের কথা, ভিতরের দরজা-জানালা পর্যন্ত ঠিকমত নেই। একটা আধা সমাপ্ত বাড়ী অল্প টাকায় ভাড়া পেয়ে তারা চাকরীর প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।

পুলিশ তবু হাল ছাড়তে নারাজ। জংগী তাদের লাগবেই। পরে এলাকার লোকজন জড়ো হলে কয়েক ঘন্টা পর ব্যপারটা ভন্ডুল হয়ে যায়।

ঘটনাটা এইজন্যে আনলাম, আজকের আমার-দেশের লিড নিউজটা নিশ্চয় সবাই পড়েছেন। কোন ধরণের ডেমোগ্রাফিককে টার্গেট করেছে দেখেছেন? একদম দিনমজুর, গার্মেন্টস শ্রমিক শ্রেণী। তাদের জন্য এই দেশে একটা কুটোও নড়েনা। তাদের ফ্যামিলি যদি এগিয়ে আসেও, এমন কোনো মিডিয়া ছিলো না যারা তাদের কথা ছাপতো। মানে লীগের ভয়েই না কেবল, বরং ওই জাতঘৃণা থেকে।
পড়াশোনা শেষ, বেকার -এইধরণের লোক তো আরো সাবহিউমান লেভেলের। ছাত্র হলে মরলে তবু রাস্তা অবরোধ হয়। লাইফের এই পর্যায়ে এসে বন্ধুবান্ধবেরাও আশেপাশে থাকে না অনার্সের মতো। ফলে খুবই সহজ টার্গেট। পুলিশ কিন্তু তাদের র‍্যান্ডমলি সিলেক্ট করে নি, জেনেশুনেই করেছে।

এই এলিটিজম রক্তে মিশে আছে। ওরা জানতো কাদের মারলে কেউ কিচ্ছুটি বলবে না, ওই খবরটাও জানতে চাইবে না। মেজর জিয়াউল হক ও মুফতি হান্নান, দুজনেই হাসিনাকে মারার ট্রাই করেছিলেন, দুজনেই সফল হতে পারেননি। অথচ দ্বিতীয়জনের নামটাও নেওয়া পাপ। কারণ মাদ্রাসার হুজুর, স্যালারি পনেরোর বেশী নয়।

তবু এই 'লো-কোয়ালিটির' মানুষদের স্যাক্রিফাইস করা ছাড়া চেঞ্জ আসে না। এদের লাগেই।

Ahmad Khan Articles

20 Dec, 07:57


২টি সংবাদে নজর দিইঃ

১ - আমেরিকাতে এবিসি নিউজ ট্রাম্পকে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা (১৫ মিলিয়ন ডলার) ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। তাদের অন্যায় ছিলো তারা এক ইন্টারভিউ ও কিছু নিউজে ট্রাম্পকে ধর্ষক বলে উল্লেখ করেছিলো। ট্রাম্প মানহানির মামলা করে এবং জিতে যায়।

মন্তব্যঃ ভাবছি এরকম আদালত আমাদের দেশেও তো হওয়ার কথা ছিলো। যে পরিমাণ মানুষকে সম্মানহানী তো বটেই, লিটারালি খুন করে ফেলেছে, তাতে বহু মিডিয়াকে নিংড়ে দেউলিয়া করে দেওয়া যেতো। 'সময় খারাপ ছিলো, আমাদের উপায় ছিলো না' - এগুলো মাফ পাওয়ার মতো লজিক না। ব্যাক্তির সম্মানহানি তো মিডিয়া স্বউদ্যোগেই করেছে।

২ - বাইডেন যাওয়ার আগে রেকর্ড পরিমাণ 'রাষ্ট্রপতির ক্ষমা' করে যাচ্ছে। এর মধ্যে তার নিজের ছেলে হান্টার বাইডেনও রয়েছে। লক্ষ্যনীয় ব্যপার হলো, ডেমোক্রাট পার্ট, লিবারেল বুদ্ধিজীবিরা সহ পুরো ফেমিনিস্ট ব্লক ব্যপারটাকে সমর্থন জানাচ্ছে। অথচ এই হান্টার বাইডেন একজন শিশু নিপীড়ক, তার ল্যাপটপে শত শত শিশুর সেক্সুয়াল অ্যাসল্টের প্রমাণ ছিলো। শুধু বাচ্চা মেয়েই না, প্রাপ্তবয়স্ক নারীদেরকেও রেইপ ও টর্চারের বহু প্রমাণ আছে। এক ভিডিওতে তাকে রক্তাক্ত এক মেয়েকে করিডোরে টেনে নিয়ে বেড়াতে দেখা যায়।

মন্তব্যঃ অবাক লাগে না? এই ফেমিনিস্টগুলোই তো আপনি একটা বানান ভুলে তাদের ক্রিটিসাইজ করলেও আপনার আগে পরের ১৪ জেনারেশনকে রেপিস্ট ট্যাগ দিয়ে দেয়। অথচ একজন আত্মস্বীকৃত সিরিয়াল ধর্ষককে ক্ষমা করে দেওয়ার সমর্থন করছে।

ফেমিনিস্টগুলো দেশে দেশে এমনই। তারা সুগারকোট করে এই ভাবটা নিতে চায় যে তারা সব নারীর ব্যপারে কেয়ার করে, আমরা যারা নারীবাদের বিরুদ্ধে তারা অমানবিক। কিন্তু তারা তাদের লিবারেল মুর্শিদদের হাজারো নারী নির্যাতন মেনে নেয়। ডেইলি স্টারের সাংবাদিক একটা বাচ্চা মেয়েকে মেরে হাত ভেঙ্গে কয়েকতলার উপর থেকে ফেলে দিয়েছিলো। বাংলাদেশের পুরো ফেমিনিস্ট গোষ্ঠী ওই সাংবাদিকেরই পক্ষ নিয়েছিলো। আরো হাজার হাজার সিমিলার ঘটনা আমাদের দেশেই আছে। ফেমিনিস্ট, সে আমেরিকান হোক বা দেশী - চরিত্র বদলায় না।

Ahmad Khan Articles

19 Dec, 07:56


ফাহামের মৌলিক সমস্যা সে বুড়ো। এইরকম ভয় কি আমাদের আগে দেখানো হয়নি? লিখিস না পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে, দাড়ী টুপি নিয়ে ব্যানার ধরলে ভারত জঙ্গী বলবে। এই একটা ভয়ও যদি আমলে নেওয়া হতো, জুলাই বিপ্লব হতো?

দেশ বদলে গেছে। আংকেল স্যাম চলে আসবে, দাদা চলে আসবে এইসব ভয়কে মিডল ফিঙ্গার দেখিয়েই আমরা হাসিনাকে সরালাম। দাড়ী টুপি পরে, কালেমা লেখা ব্লাক ফ্লাগ নিয়েই মিছিল হয়েছে - আমরা দেখলাম ওরা যে ভয়গুলো দেখাতো সেটা কেবলই ভয়।

জুজুর ভয় পাওয়া, বুড়ো বুদ্ধি মারানো লোকেরা লাস্ট ১৫ বছরে কী অর্জন করেছে সেটা আমরা দেখেছি।

বুড়োদের বড় সমস্যা তারা একটা টাইমলাইনে আটকে থাকতে চায়। পরিবর্তন চায় না। তরুণেরা বুদ্ধিমান -এটা মানতে চায় না। এজন্য লাস্ট কয়েক মাসে খেয়াল করুন - তরুণেরা যতবার লীগকে বিনাশ করতে চেয়েছে, লীগের লোকেরা না বরং যাদেরকে লীগবিরোধী ভাবা হতো সেইসব বুড়োরাই বাধা দিয়েছে।

এই বুড়োত্বই একটা ধর্ম। দল আলাদা হলেও ভাষা, খেলার স্টাইল সব এক।

এই বুড়োদের ঘৃণা করি।

Ahmad Khan Articles

18 Dec, 10:39


গেরিলা যুদ্ধের দুটো বড় অ্যাসপেক্ট হলো, ইনফ্লার্টেশন (শত্রুর বাহিনীর মধ্যে মিশে যাওয়া, বিশেষ করে ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের জন্য।) আর স্যাবোটাজ, মানে শত্রুর এলাকায় ঢুকে ক্ষতি করে আসা।

রনি বা চটি পিয়াল যে গেরিলা স্টাইল ফলো করার ঘোষণা দিয়েছে, এতে অলরেডি তাদের আপার হ্যান্ড রয়েছে। আওয়ামীপন্থি একটা পুলিশের চাকরি যায়নি। পুলিশের কাছ থেকে ইন্টেলিজেন্স ওরা ফ্রিতেই পাবে।

বাকি থাকে পলিটিকাল রিঅ্যাকশন। যার কিছুই হচ্ছে না। সমন্বকরা একটা পাবলিক ডিস্প্লে দুরের কথা, ফেসবুকে পর্যন্ত কিছু বলছে না, সিনেমা দেখে বেড়াচ্ছে।

মনে রাখা, গেরিলা মিশন যদি ঠিকভাবে প্লান করা হয় তাহলে এটা ঠেকানো খুবই কঠিন। কিন্তু পরের মিশনের প্লানও ঠেকিয়ে দেওয়া যায় যদি আগের মিশনের জবাব ভালোমতো দেওয়া হয়।

এইখানে কিতাব ধরে ফলো করার কিছু নেই। সমান-সমান জবাব দিলে পরের মিশনে ওরা ডাবল ডাউন করবে। যা হচ্ছে এখনি তার দশগুণ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। নইলে আমাদের জান বাঁচানোর প্রশ্ন।

Ahmad Khan Articles

17 Dec, 21:14


মাতৃতান্ত্রিক পরিবার ও অশ্লীলতা

চীনে মোট ৫৬টি এথনিক জনগোষ্ঠি আছে। এর মধ্যে একমাত্র মাতৃতান্ত্রিক উপজাতি হলো 'মুসোই', ইউনান প্রদেশের। এদের কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে নিইঃ

> পুর্বপুরুষদের পরিবর্তে নারীদের পরিচয়ে বড় হয়।
> একজন নারী একইসাথে একাধিক পুরুষের সাথে থাকতে পারে। আমাদের এখানে যা পরকীয়া নামে পরিচিত, সেটাকে উৎসাহিত করা হয়।

তবে পুরুষদের লয়াল থাকতে হয়। ইভেন ভোরের আলো উঠবার আগে তার শয্যাসংগীর ঘর ছাড়তে হয়।
> সন্তানদের বাবার ব্যপারে কোনো আইডিয়া থাকে না। যেহেতু সব নারীরই একাধিক সঙ্গী থাকে, প্রায় ১০০% লোকই তাদের বাবা কে তা জানে না।

মুসোই চীনের অত্যন্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এদের আয় জাতীয় আয়ের অর্ধেকের কম। চীনের ন্যাশনাল এভারেজ ইনকাম ৪০/৪৫ হাজার ইউয়ান। এদের সেখানে ১৫ থেকে ২০ হাজার। লাইফ কোয়ালিটি, শিক্ষা সবদিকের র‍্যাংকিংয়ে ৫০ থেকে ৫৬ এর মধ্যে,(মোট জাতি/উপজাতি)। এই হচ্ছে এশিয়ার প্রায় সবচেয়ে বড় মাতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা।

তবে এরা দুনিয়াজুড়ে পরিচিত একটা কালচারের কারণে। সেটা হলো 'ওয়াকিং ম্যারেজ' বা হুক আপ কালচার বলতে পারেন। একইসাথে একাধিক সেক্সুয়াল পার্টনারের এই সিস্টেম তাদের বহু পুরনো।

এখন এখানে যে বিষয়টি খেয়াল করার সেটা হলো, মুসোইয়ের মত এত পিছিয়ে পড়া এক জনগোষ্টি, তাদের সামনে কত সমস্যা ছিলো সল্ভ করার জন্য। খেতে পায়না, শিক্ষাদীক্ষা নেই, ইনকাম নেই -এত বড়বড় ব্যপার। কিন্তু তাদের গোত্রের নেত্রীরা কিসে ফোকাস করেছে? লাগামহীন সেক্স, অশ্লীলতা, পরকীয়া ইত্যাদি।

এখানেই আসে একটা ইন্টারেস্টিং ব্যপার। নারী নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে গেলেই সেখানে অবধারিতভাবে ছড়িয়ে পড়ে অশ্লীলতা, আর কিছু হোক বা না হোক।

এটা যেমন গবেষণায় প্রমাণিত, তেমনি আপনার আশেপাশে তাকালেও দেখতে পারবেন। যেসব পরিবারে বাবা অনুপস্থিত হয় প্রবাসী, ডিভোর্সড বা নেতৃত্বে নেই, ওইসব পরিবারে অশ্লীলতা খুবই কমন বিষয়। মেয়ে একের পর এক সম্পর্কে জড়াচ্ছে, বাসায় রেগুলার অপরিচিত লোকের আনাগোনা চলছে। আর অভিভাবিকা হিসেবে মা সাবধান করবে কী; অনেক সময় মেয়ের সাথে তারাও জড়িয়ে পড়ে। এগুলো একদম চোখের সামনের উদাহরণ।

বাবা নেই এরকম মেয়েদের বিয়ে হওয়া এইসব কারণেই কঠিন এখন।

এবার কিছু গবেষণা দেখাই। মার্কিন এনজিও Institute for Shelter Care এর গবেষনায় দেখা গেছেঃ

> ৭০% সেক্স ট্রাফিকিংয়ের শিকার মেয়েরা বাবাহীন ও সিংগেল মাদার ফ্যামিলি থেকে আসে।
> একটা বাবাহীন টিনেজ মেয়ের আঠারোর আগে প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ার সম্ভাবনা ৬ গুণ বেশী!
> টিনেজ বয়সে মা হবার সম্ভাবনা ৭৫% বেশী।
> অতি আর্লি সেক্স অর্থাৎ ১১-১৪ বছর বয়সের মধ্যে এর সম্ভাবনা বাবা না থাকলে তিন গুণ বেশী।
> একটা বাবাহীন পরিবারের সন্তান অপরাধে জড়ানোর সম্ভাবনা ৮০% বেশী।
রেফারেন্স

এছাড়া বেশ্যবৃত্তি, পর্নে অভিনয়, অনলিফ্যানস এসবে জড়ানোর সম্ভাবনা বহুগুণ বেশী। ইভেন পশ্চিমে টার্মও আছে একটা 'ফাদারলেস বিহ্যাভিয়ার'।

বিষয়টা লক্ষ্য করেছেন? বাবার উপস্থিতি থাকলে একটা অমুসলিম পরিবারেও সেক্সুয়াল ডিসিপ্লিন থাকে। কিন্তু বাবা নেতৃত্বে অনুপস্থিত থাকলে একটা মুসলিম পরিবারেও অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে।

পরিবারের নেতৃত্বে নারী থাকলে সেখানে ব্যাভিচার, নির্লজ্জ্বতা ঢুকে যায়। ইসলামে একজন নারীর পজিশন, পাওয়ার, দ্বীনদারিতা যা-ই হোক না কেন তাকে অবশ্যই একজন পুরুষের অধীনে যেতে হয়।

ইসলামে নারীর সর্বোচ্চ আসন মা। অথচ এই মা-কেও তার জন্ম দেওয়া ছেলের (প্রাপ্তবয়স্ক) অভিভাবকত্বে যাওয়া লাগে স্বামীর অনুপস্থিতিতে।

পুরুষ নেতৃত্বে থাকবে, নারী অধীনে। এই ন্যাচারাল অর্ডার ভাংলে সেটা টিকবে না। পৃথিবীর হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে একটাও সফল মাতৃতান্ত্রিক সমাজ পাওয়া যায় না, রাষ্ট্র তো অনেক দুরের কথা। ইভেন যেসকল জায়গায় টিকে আছে তা পশুপাখির মত করে।

মাটৃয়ার্কির বিফলতা নিয়ে আরেকদিন লেখার ইচ্ছে আছে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Ahmad Khan Articles

16 Dec, 20:28


এই বছরের শুরুর দিকের ঘটনা। পাশাপাশি তিনটা রেস্টুরেন্ট। মাঝেরটায় গেলাম। নো বিফ সাইন টানানো। বললাম, বিফ বিরিয়ানি আছে?
ম্যানেজার বললো, নেই।
বললাম, গরুর মাংসের কী মেনু আছে তাহলে?
- কোনো আইটেমই নেই।
: কেন?
- (হাসছে) বোঝেনই তো, হিন্দুরা আসে। আর দেশের অবস্থা ভালো না।
: কিন্তু বিফ রাখলে তো অতিরিক্ত মুসলিম কাস্টমার পেতেন। আর বিফের তো ৫/১০ টাকার মত সস্তা মেনু হয় না, প্রফিটও ভালো হতো।
কী সব আমতা আমতা বলে গেলো। বললাম, পাশের রেস্টুরেন্টে বিফ আছে। আমি ওখানে যাচ্ছি।

যে হোটেলের কথা বলছি এটা কিন্তু মোটেও হিন্দু এলাকার না। একদম শহরের মাঝখানে, প্রথম সারির হোটেল। অনেক উন্নত, ইভেন পর্দানশীন মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে। কিন্তু বিফ নেই।

৫ই আগস্টের পরে সেই পাশের হোটেলটায় গিয়েছি। দেখি বিফ বিরিয়ানি উধাও। ম্যানেজার বললো, শুধু বাইরে বিফ বিরিয়ানি সাইন দেখে হিন্দুরা এই হোটেলেও ঢোকে না। মানে এক গ্লাস পানির জন্যও না।

হোটেল মালিকদের সাথে কথা বলে আর কিছু তথ্য সংগ্রহ করে যেটা বুঝলাম -
> বিফ না রাখাতে ওদের প্রফিট বেশী। কারণ বিফ ওয়ান ওয়েতে কাজ করে। মানে, বিফ থাকলে হিন্দু কাস্টমার পুরোপুরি হারাবে, কিন্তু নো-বিফ লেখা থাকলেও কোনো মুসলিম কাস্টমার হারাবে না।

বিফ রাখার কারণে শাস্তি পাচ্ছে, কিন্তু নো-বিফ লেখায় কেউ শাস্তি দিচ্ছে না। এটা বড় একটা ব্যাপার।

আর শুধু কী হিন্দু কাস্টমার? ৬ জন কলিগ লাঞ্চ করবে, একজন হিন্দু। আপনার কী মনে হয় ওইখানে বিফের প্রশ্নটাও উঠবে? ৪০ জনে একজন হিন্দু সেখানে পর্যন্ত বিফ রান্না হয় না।

> নো-বিফ থাকলে বয়কটের ব্যপারটা নতুন। আপনি যদি কোনো হোটেলে খাওয়া বাদ দেন এই কারণে, তাহলে প্লিজ হোটেলওয়ালাকে একবার জানাবেন কারণটা। ভয় নেই, আপনাকে তো মারবে না (আর মারলে আমাদের জানায়েন)। এতে করে তারা মেসেজটা পাবে। অনলাইনের চেয়ে ৫দিন ৫ জন সরাসরি বলে আসলে বেশী লাভ।

মনে রাখবেন, বিজনেস ইজ অল অ্যাবাউট প্রফিট। তারা লস খেলে অবশ্যই আমলে নেবে।

> বিফ খুবই আশ্চর্য্যজনকভাবে আমাদের আইডেন্টিটির অংশ। অল্প অল্প ইতিহাস জানতে হবে, একটা খাবারের মেনু কিভাবে কালচারাল ওয়ারের অংশ হয়ে যায়। সচেতন করতে হবে, কেন কলকাতার তিন গুণ দাম এই দেশে, কারা বিফের দাম বাড়িয়ে রেখেছে।

Ahmad Khan Articles

13 Dec, 10:48


এইধরণের অনেক রিসোর্স জোগাড় করেছিলাম অনলিফ্যানস নিয়ে একটা মোটামুটি সাইজের আর্টিকেল লেখার জন্য। সে প্রায় ৭/৮ মাস আগের কথা। ব্যস্ততা এত বেড়েছে, কবে আসবে বলতে পারছি না।

(খবরঃ মায়ের নগ্ন ছবি দেখানোয় আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলো ছেলেটা। অথচ তার মায়ের রিঅ্যাকশন ছিলো, সে নাকি ওভাররিঅ্যাক্ট করছে, এসব নাকি ব্যপারই না।)

Ahmad Khan Articles

13 Dec, 09:45


রেভেঞ্জ পর্ন প্যারাডক্স


> পাড়ার একটা মেয়ের ন্যুড লিক হয়েছে। ফ্যামিলির কাছেও পৌছেছে। বাবার কলিগ, বাসায় আসা আত্মীয়, যে যেভাবে পারছে কথা শুনিয়ে দিচ্ছে।

ফ্যামিলি একরকম একঘরে। ছোটভাই স্কুলে গেলে টিটকারী শোনে, বাবা বাজারে যেতে পারে না। সেই মেয়েকে রাস্তায় দেখলে লোকে বলে 'ঢেকে কী হবে, দেখে ফেলেছি' ইত্যাদি ইত্যাদি।

এই ধরণের ঘটনার পর আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে। ইভেন মা-বাবা পর্যন্ত সুইসাইড করার খবর পাওয়া যায়।

এখানে দুটো ব্যাপার -
* এই ন্যুড লিক বা রেভেঞ্জ পর্ন, এর ভয়াবহ পরিণতি দেখেই বহু মেয়ে পাপ থেকে বেঁচে থাকছে। ভেবে দেখুন, কারো ন্যুড লিক হবার পর উপরের একটা ঘটনাও ঘটছে না। তাহলে অশ্লীলতা কোন পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়বে? এই যে রিঅ্যাকশন, এটা কিছুটা হলেও ডিসিপ্লিন আনছে।
* এবার অপরপক্ষের দিকটা। যে ভয়টা ডিসিপ্লিন আনছে, সেটা আসলে কিসের ভয়? সেটা লোকে দেখে ফেলবে - এই ভয়। কিন্তু আপনি যদি এই লোক বা দর্শকের দিকটা ভাবেন, তারাও কিন্তু ভালো কিছু করছে না। পর্ন ছড়িয়ে দেওয়া বা দর্শক হওয়া দুটোই বড় ধরণের পাপ।

অর্থাৎ, এটা একটা প্যারাডক্স। আপনি কোনো পক্ষই নিতে পারছেন না। থামিয়ে দিলে সমাজ ধ্বংস হবে, আবার চলতে দেওয়াও পাপ।

> আপনাদের সদ্য সমাপ্ত জুলাই বিপ্লবের একটা ঘটনার কথা মনে আছে নিশ্চয়। সাংবাদিক ইলিয়াস ডিবি হারুনের ভিডিও ফাঁস করে দিয়েছিলো। এই একটা ঘটনা পুরো বিপ্লবে বিশাল একটা মোমেন্টাম এনে দিয়েছিলো। পরে জানতে পেরেছি, প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিলো।

ওই ঘটনার পর ডিবি হারুনের মত লয়াল লাঠিয়ালকেও সরিয়ে দেওয়া হয়, কিছু কর্মকর্তা কেবল এই ভিডিও ফাঁসের ভয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে নামতে চায় নি। অর্থাৎ পুরো ঘটনা আন্দোলনের বিশাল উপকার করেছিলো।
আসলে ওই লেভেলের কর্মকর্তারা তো পাবলিকের ব্যপারে কেয়ার করে না, তাদের ভয় ছিলো এইসব ভিডিও তাদের কলিগরাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতো। কারণ যেসব বড় পদ, এক পদের জন্য বহু লোক মূখিয়ে থাকে। ইমেজকে ব্লাকমেইল করে তাদের ক্যারিয়ারের বারোটা বাজিয়ে দিতো।

তাছাড়া এসব অফিসারদের সন্তানদেরও বাপের এসব কীর্তি অস্বস্তিতে ফেলতো।
মোটকথা, জনগণের উপকারই হয়েছে।

কিন্তু উল্টোভাবে, লাখ লাখ মানুষ যে সেই অশ্লীলতার সাক্ষী হলো? সেটাও তো ভালো নয়।

আবারও, সেই একই প্যারাডক্স।

> বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই পরকীয়া কাপোল, ইভেন সিঙ্গেল কাপল ধরা পড়লেও সাধারণতঃ মারধর করা হয়, সম্মানহানি করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো লিমিটই ক্রস ফেলে জনতা।

কিন্তু ভেবে দেখুন, বিবাহবহির্ভুত ব্যাভিচার চলছে, কিন্তু সামাজিক রিঅ্যাকশনটা আর নেই। কী অবস্থা হবে তখন? সমাজে বৈধভাবে জন্ম নেওয়া মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।

> বাংলাদেশের বিয়েগুলোতে বিয়ের আগে, বিয়ের দিন বা বিয়ের পরে বয়ফ্রেন্ড কর্তৃক হবু স্বামীকে ভিডিও বা ছবি পাঠিয়ে দেওয়ার চল আছে।
বয়ফ্রেন্ডের দিক থেকে, সে অন্যায় করেছে একটা পবিত্র সম্বন্ধ ভেঙ্গে, প্রাইভেসী লঙ্ঘন করে, গোপন পাপ প্রকাশ করে।

কিন্তু ভাবুন তো, সে যদি এটা না করতো? এখানে একমাত্র লুজার হতো সেই নির্দোষ স্বামী যে এত ইফোর্ট দিয়ে বিয়ে করে পাচ্ছে এক চরিত্রহীনা অমানুষকে, যে আগেই সব বিলিয়ে দিয়ে এসেছে। আবার এই ভয় যদি না থাকতো, অলরেডি পচে যাওয়া সমাজে মেয়েগুলো আরো বেশী ব্যাভিচারে জড়িয়ে পড়তো, যেহেতু কোনো কনসিকোয়েন্স পোহানো লাগছে না।

> বলা হয়, মেয়েদের জন্য ন্যুড লিক হলে তার ফল নেওয়া লাগে দুইবার। একবার তো ইমিডিয়েটলি। দ্বিতীয়বার তার সন্তান হবার পর।

এমনিতে মা-বাবা অল্পবয়েসী সন্তানের খুব কাছের হয়ে থাকে। তাদের নিয়ে মশকরা বা বুলি করা সন্তানেরা সহজে মানতে পারে না। ইভেন মায়ের নাম বিকৃত করে বললে পর্যন্ত বাচ্চারা মারামারি করতে লেগে যায়।
সেখানে ভেবে দেখুন, ওইটুকু বাচ্চা স্কুলে গেলে তার সহপাঠি কিংবা বুলিরা তাকে তার মায়ের নগ্ন ভিডিও দেখাচ্ছে, সেক্স ভিডিও দেখাচ্ছে। তার চাইল্ডহুড ওইখানেই শেষ, সম্পুর্ন তার মায়ের দোষে। ওই মা তার সন্তানকে কী জবাব দেবে?

আমেরিকাতে মায়ের নগ্ন ভিডিওকে কেন্দ্র করে স্কুলগামী বাচ্চাদের আত্মহত্যার ঘটনা খুবই কমন। ওই বয়সে আসলে এসব অনেক বড় আঘাত।

একদিকে এই নির্দোষ বাচ্চাকে বুলি যেমন জঘন্য কাজ, তেমনি এটা যদি না থাকতো তাহলে মায়েরা তো কেয়ারই করতো না। অশ্লীলতা আরো ছড়াতো।

*******
আমরা আসলে সেই সমাজ চাচ্ছি, যেখানে এই দুই পক্ষেরই অস্তিত্ব থাকবে না। অশ্লীলতা যেমন প্রমোট করার কেউ থাকবে না, তেমনি কোনো ব্যাভিচারিও পার পেয়ে যাবে না।

Ahmad Khan Articles

09 Dec, 18:18


সিরিয়া নিয়ে লিখবো। বলতে গেলে বেড়ে উঠেছিই এই খবরের সাথে। সিরিয়ার সংঘাত যখন শুরু হয় তখন কত ছোট ছিলাম। অনেক ইমোশনাল, একটা বোমা পড়ার খবরও রাখা হতো।

তারপর আস্তে আগ্রহ কমে গিয়েছিলো। আপনাদের আগে একদিন বলেছিলাম, ২০১৯ এ এসে আগ্রহ চলে যায়। ধরেই নিয়েছিলাম আসাদ আর কোনোদিন যাবে না। হয় ও মারা যাবার পর ক্ষমতার দ্বন্দ হবে, অথবা ইরান-রাশিয়া এই দুটো রাষ্ট্রের পতন হতে হবে। তাছাড়া একটা উপায় দেখতাম না যাতে বাশারকে কেউ ক্ষমতা থেকে নামাতে পারে, একটা পক্ষও ছিলো না।

এমন হয়ে গিয়েছিলো, সিরিয়ার খবর আসলেও ইগনোর করা হতো। কারণ পরিস্থিতি কমপ্লেক্স। একমাত্র ডাঃ শাজুল ভাইকে ফলো করা হতো।

আসাদের এই ব্রুটালিটি যা দেখতে পারছেন, তা ও করতে পেরেছিলো কারণ তার আশেপাশে মারাত্মক লয়াল শিয়ারা ছিলো। ইভেন খোদ আসাদের চাইতেও ব্রুটাল ছিলো। তার উপরে তার আত্মীয়রা ছিলো। অর্থাৎ শুধু আসাদ পর্যন্ত পৌছাতে হলেও বহু লাশ মাড়িয়ে যেতে হতো।
(বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, একসময় মনে হতো যদি ইন্টারভিউ নেওয়ার ছদ্মবেশে সিরিয়া গিয়ে ওকে মেরে আসতে পারতাম!)

সেই আসাদ ও তার বাহিনী কিনা ১২ দিনে হেরে গেলো! এটা কে বিশ্বাস করবে?!! জুলুমের মাত্রা এত বিশাল ছিলো যে আল্লাহ জলজ্যান্ত একটা মিরাকলই দেখিয়ে দিলেন আমাদের!

কত স্মৃতি, কত কষ্ট লেগেছে একসময়।
আসাদের কিছু জেল ছিলো এরকম, সেলগুলো এক ফুটেরও কম। একজন মানুষ বসাও সম্ভব নয়। ওইখানে ৪/৫ জন মানুষকে রাখা হতো! তাও বছরের পর বছর!
ভাইসে একটা ডকুমেন্টারী ছিলো। একটা খালি জেলে একজন মা দেয়ালে দেয়ালে হাত বুলোচ্ছেন। শুনেছিলেন তার ছেলেকে এখানে রাখা হয়েছিলো।পরে আর খোঁজ পাননি। দেয়ালে হাত দিয়ে ছেলের স্পর্শ পাবার চেষ্টা করছেন। হতেও তো পারে, তার ছেলে এই দেয়ালে হাত রেখেছিলো!

২০১৩ সালের দিকের কথা। ইউটিউবে একটা ভিডিও পেয়েছিলাম। তখন অত সেন্সর করতো না। আসাদের আর্মি এক সুন্নী কিশোরীর কাপড় খুলে ফেলছে। তার পাশে তার বাবা-মাকে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে, তাদের মাথায় রাইফেল ঠেকানো। ওদেরই কেউ একজন ভিডিওটা করেছিলো।
আমার প্রায় জ্বর এসে গিয়েছিলো দেখে। খেতে পারতাম না।

আরো হাজার হাজার ঘটনা!

আপাতত প্রিপারেশন নিচ্ছি, ওই ১২ দিনে মিলিটার পার্স্পেক্টিভ থেকে কি ঘটেছিলো, কী ধরণের লড়াই হলো, এটা জানানোর। পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।

Ahmad Khan Articles

07 Dec, 13:57


কিছু অনেস্ট মতামতঃ

বাংলাদেশের আরবান ওয়ারফেয়ারগুলোতে সবচেয়ে ভালো করবে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা, মানে তারা যদি ডেমোক্রেসি ছেড়ে গেরিলা যুদ্ধে নামে আরকি। লাস্ট ১৫ বছর শহরগুলোতে যেভাবে তারা পুলিশ-র‍্যাব- ডিবি, ইভেন ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তাদের সাথে ক্যাট-মাউস খেলেছেন, তা ব্যাপক ইম্প্রেসিভ। দুটো পয়েন্ট বলিঃ

> অ্যারেস্ট এড়াতে তাদের সবচেয়ে বড় ছায়া ছিলো সুধী শ্রেনী। যাদের সামাজিক পরিচয় আছে, তারা দিনের পর দিন জামায়াত শিবিরের কর্মীদের আশ্রয় দিয়েছে, খাবার দিয়েছে, বাঁচিয়ে রেখেছে। নইলে তাদের উপর যেই মানের টর্চার চলেছে তাতে কোনো অর্ডিনারি দল টিকে থাকার কথা না।

এই শেল্টার দেওয়া ডেমোগ্রাফিকটা না থাকলে কোনো সশস্ত্র দল আরবান এরিয়াতে এক মাসও টিকবে না। বাংলাদেশের সর্বহারা-জনযুদ্ধ, কলকাতার নকশাল, উড়িষ্যার মাওবাদীরা - সবাই এইভাবেই টিকে রয়েছে।

এমন অনেক ঘটনা আছে, চিহ্নিত জামায়াত কর্মী, হাঁসপাতালে নিলে পুলিশ ধরবে, ওই অবস্থায় সমমনা ডাক্তাররা তাকে বাসায় চিকিৎসা দিয়েছে, সার্জারি পর্যন্ত হয়েছে।

এই শ্রেনীটা তৈরি না করতে পারলে যে কোনো গেরিলা আন্দোলন কেউ এইদেশে করতেই পারবে না, ইভেন ভারতের বিরুদ্ধে হলেও।

> বাংলাদেশের যে ট্রেইন ও রাস্তা, তাতে কারের চাইতে বাইক ড্রাইভিং বেশী কাজে লাগবে। আমি অন্ততঃ একজন সাবেক শিবির নেতাকে পার্সোনালি দেখেছি, শুধু বাইক ড্রাইভিং স্কিলের কারণে ক্রসফায়ার থেকে বেঁচে গিয়েছেন। আরো অনেক ঘটনা আছে। গেরিলা যুদ্ধ বাইক ছাড়া হয় না।

(একটা অনুরোধ, ইয়েস, সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি জটিল। কিন্তু আইএসের মত বিচ্ছিন্নতাবাদ আর স্টুপিডি প্র্যাকটিস করতে যাবেন না কেউ। ভারত হোক হিন্দুত্ববাদ, এদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনি মোটেও একা না। এই দেশে ভারত সামান্য ক্রিকেট ম্যাচে হারলেও বিজয় মিছিল হয়। এই লড়াইয়ে বাংলাদেশের মানুষ তো বটেই, বাংলাদেশ আর্মিকেও পাশে পাবেন। কাজেই বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ নেই। )

Ahmad Khan Articles

02 Dec, 18:04


ভারতের অ্যাডভান্টেজঃ এয়ার পাওয়ার (প্লেন অ্যান্ড মিসাইল)
আমাদের অ্যাডভান্টেজঃ ইনফ্যান্ট্রি

আমাদের লড়ার জন্য মানুষ আছে অনেক, মিসাইল ঠেকানোর কিছু নেই। ফলে শহীদের সংখ্যা অস্বাভাবিক বেশী হবে। অনেক ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, বহুত হিসেব নিকেশ করে অপারেশন করতে হবে।

তবে একটা কাজ সবকিছুকে ঘুরিয়ে দিতে পারে। সেটা হলো স্যাবোটাজ। একটা বিশাল সংখ্যক স্পাই থাকবে সীমান্ত এলাকাজুড়ে। শত্রুর এলাকায় ঢুকে একজনে হাজারজনের কাজ করে দিতে পারবে।

Ahmad Khan Articles

02 Dec, 17:06


জীবনে দেখা সেরা ডকুফিল্ম।

যুদ্ধ মানেই ক্রাইসিস। কোথাও যদি পুরুষের ১০০% মুল্যায়ন হয় তবে সেটা এই ক্রাইসিসেই।

ফিল্মের স্টোরি আলেপ্পো শহরের কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে। একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত শহরে জীবনযাপন কেমন হয়, পুরুষের দায়িত্ব কেমন হয়।

এই ডকুমেন্টারিটি মূলতঃ হোয়াইট হ্যাট ভলান্টিয়ারদের নিজেদের ক্যামেরায় রেকর্ড করা। খানিকটা ভ্লগ স্টাইলে। মনে আছে, শেষের কয়েক মিনিট দেখে মাথায় হাত দিয়ে বসে ছিলাম।

আলেপ্পো হঠাৎ করে আবারো প্রাসঙ্গিক হয়েছে। যুদ্ধবিদ্ধস্ত এই শহরের ভেতরকার জীবনযাপন বুঝতে পারবেন।

(এটা কোনো সিনেমা না, রিয়েল লাইফ ফুটেজ সব। কোন নারী ক্যারেক্টার নেই। সো দেখতে সমস্যা নেই।)

ইউটিউবে অথবা টরেন্ট সাইটগুলোতে পাবেন। Last Men in Aleppo লিখে সার্চ দিন। ইংরেজী সাবটাইটেল আছে। বাংলায় নেই।

Ahmad Khan Articles

01 Dec, 13:54


একসময় সিরিয়ার কত মিডিয়ার খবর রাখা হতো। কিন্তু সিরিয়ার যুদ্ধ ঝিমিয়ে যেতে থাকলে আগ্রহ চলে যেতে থাকে।

তবে লাস্ট কয়েক বছর ধরে সিরিয়ার দুইজন মানুষকে ক্লোজলি ফলো করে আসছি।

প্রথমজন হলেন, বাংলাদেশী মহামানব, ডাক্তার শাজুল ইসলাম। যিনি ইউকের ওয়েল সেটেল্ড যে লাইফটা ছেড়ে সিরিয়াতে গিয়েছেন, তার সেটেল্ড লাইফটা আমাদের দেশের লোকের কাছে ড্রিম।
তিনি কোনো সামরিক সংগঠনে যোগ দেন নি। বরঙ আহত সিরিয়াবাসীর জন্য সারা দুনিয়ার কাছে হাত পেতে টাকা, ঔষুধ আর মেডিকেল ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করেন।
লাস্ট কয়েক বছরে তো সিরিয়া নিয়ে মানুষের আগ্রহ তেমন ছিলো না, তাই তার টার্গেট বেশীরভাগই পূরণ হতো না। এই ভাই ভিডিওর আগে ভাইরাল ক্লিপ জুড়ে দিতেন। তারপর বলতেন, এবার তো আপনার অ্যাটেনশন পেলাম!

এমন মানুষ আর হয় না। উনার পেজে যান।

দ্বিতীয়জন ব্রাদার উমর। অ্যান্ড্রু টেইট তার সংস্থা 'লিটল হার্ট ফাউন্ডেশনের' স্পন্সর, সেখান থেকেই চেনা। শত শত এতিমকে বড় করছেন। হাজারো মানুষকে খাওয়াচ্ছেন।

উপরের দুজনই সিরিয়ার মানুষের উপর থেকে হাল ছেড়ে দেননি। আজ তাদের খুশী দেখি সত্যিই ভালো লাগছে।

Ahmad Khan Articles

01 Dec, 13:11


সিরিয়ার যুদ্ধের সবচেয়ে শান্তিদায়ক দিকটা হলো - আমেরিকার অপমানিত হওয়া। আমেরিকা তো এলাকার সেই মস্তান, যে কোথাও গ্যাঞ্জাম দেখলেই আগে গিয়ে মাতব্বরি শুরু করে। সিরিয়াতে এত বড় ঘটনা ঘটে যাচ্ছ, কিন্তু লাস্ট দেড় যুগে আমেরিকা সেখানে কোন পূর্নাংগ পক্ষই হয়ে উঠতে পারে নি। এমন না যে চেষ্টা করে নি, কিন্তু পদে পদে উভয় সংকট ছিলো।

সিরিয়াতে এক পক্ষে ছিলো বাশার আল আসাদ, ইরান ও হিজবুল্লাহ তথা শিয়া বলয় সাথে রাশিয়া। অপরদিকে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি সহ সবগুলো ডেমোক্রেটিক বিদ্রোহী গ্রুপ, সুন্নী ইসলামী দল যেমন নুস্রা বা এখনকার এইচটিএস। থার্ড পার্টি যেমন কুর্দি ও আইএস খানিকটা সবারই শত্রু, আমেরিকা এখানে কুর্দিদের হেল্প করেছে।

এখন আমেরিকা যদি সুন্নী তথা জিহাদিদের বিপক্ষে যেতে চায় তাহলে চীরশত্রু রাশিয়া ও ইরানের সাথে জোট করতে হতো। একইসাথে বাশার স্বৈরাচারী হওয়ায় আমেরিকাতে এই ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠিত ছিলো, সব স্বৈরাচার এক হয়েছে - কিম, পুতিন, খোমেনি আর বাশার। সুতরাং সেটা নো-নো অপশন।

আবার উল্টোভাবে ওই স্বৈরাচারীদের বিরোধিতা করতে গেলে মার্কিনীদের পক্ষ নিতে হচ্ছিলো সুন্নী-জিহাদীদের! এখানে বলে রাখা ভালো, নুস্রা ভেঙ্গে এইটিএস হওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো আমেরিকাকে এখানে অপ্রাসঙ্গিক করে তোলা, যেন আল-কায়েদা জিকির তুলে ঢুকে পড়তে না পারে। এবং সেটায় কাজও হয়েছে।

তবে এখানে অন্যতম ভয় ছিলো, সুন্নীরা যদি কোনোভাবে সিরিয়ার ক্ষমতা পায়, ইসরাইলের খুটি নড়ে যাবে। ইরান আমেরিকাকে এই বলে নিবৃত্ত করেছিলো, বাশার ক্ষমতায় থাকলেই ইসরাইলের উত্তর-পূর্ব অংশ নিরাপদ থাকবে (এটা একেবারে ডকুমেন্টেড ইনফো)। আসলে ব্যপারটা ছিলোও তাই। সুন্নীরা দামেশকে পৌছাতে পারলে পশ্চিম তীর আর সিরিয়ার বর্ডার উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তখন ফিলিস্তিনিরা লাস্ট ৭৫ বছরের প্রতিশোধ নিতে চাইবে (আলহামদুলিল্লাহ, একসময় কেবল কল্পনা হলেও এখন এটা সম্ভাবনার রুপ নিয়েছে।)।

ফলে আমেরিকার হাতে অপশন হয়ে পড়লো কম। জেমস ফলির জবাই নিয়ে ওবামার সরকার বেশ লজ্জ্বায় পড়েছিলো। ফলে সালিশের প্রথম সারিতে সিট না পেলেও বাগদাদিকে মেরে ট্রাম্প দেখানোর চেষ্টা করেছিলো আমেরিকার প্রাসঙ্গিকতা। এছাড়া ওয়াগনারের এক ইউনিটকে খতম করা নিয়ে রাশিয়ার সাথে ঝামেলা হয়েই যাচ্ছিলো একরকম।

ফলে আমেরিকা কী করলো? মান নিয়ে পালিয়ে বাচলো। পাড়ার মাস্তানকে শালিসের মধ্যে কেউ দামই দিলো না। এই ধরণের হিউমিলিয়েশন অন্ততঃ এই শতকে দেখা যায় নি।

*********
মন থেকে শ্রদ্ধা আসে সুন্নী বিদ্রোহীদের প্রতি। ভেবে দেখুন, তারা দখলকৃত জায়গা হারিয়েছে, সাপ্লাই বন্ধ, ইকোনমি ধ্বংস হয়ে গেছে, পুরো দুনিয়া তাদের ভুলে ছিলো বছরের পর বছর। তবু তারা হাল ছাড়লো না। ৭-৮ বছর পর তারা আবার এমন কামব্যাক করলো, যেন কোনো চিটকোড পেয়েছে!

এই যাত্রা একদম ইসরাইল বর্ডারে গিয়ে থামুক!

Ahmad Khan Articles

29 Nov, 18:22


সেই সিরিয়ার যুদ্ধের শুরু থেকে খোঁজখবর রাখা হতো। আহলে সুন্নাতের উপর বাশারের বাহিনীর যে ইনহিউম্যান ট্রিটমেন্ট, এই ব্যপারটা খুবই টানতো। সাথে সুন্নীরা কিভাবে প্রতিশোধ নেয় তা জানার জন্য আগ্রহ ছিলো ব্যাপক। সেসময় ইউটিউবেই কমব্যাট ফুটেজ পাওয়া যেত, এত সেন্সর করতো না। একপর্যায়ে কালেকশন এমন বিশাল হয়ে গেলো, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সেই শুরুর মিছিলের সময় থেকে শুরু করে ইন্টারনেটে পাওয়া যায় সিরিয়ার এমন যেকোনো ক্লিপ আমার কাছে ছিলো। এই কালেকশন কয়েকশ জিবি হয়ে যায়।

কিন্তু আইএসের অপদার্থদের কারণে সুন্নীরা গ্রিপ হারাতে থাকে। সাথে আগ্রহও কমতে থাকে। ২০১৯ সালের পরে এই ব্যপারে আগ্রহ পুরোপুরি চলে যায়।

বিশেষ করে নুসরা ভেঙ্গে এইচটিএস হবার পর। লাস্ট ২০২১ সালে জাওলানির ইন্টারভিউ দেখে পুরো দুনিয়ার মত শক পেলাম। ওয়েস্টার্ন ড্রেসে জাওলানিকে দেখে ধরেই নিয়েছিলাম সুন্নীদের জন্য সিরিয়াতে আর কিছু নেই। কারণ ততদিনে ইরাকের উপর ইরানি শিয়াদের কব্জা চরমে, তুর্কি পুরোপুরি যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে।

******
কিছুদিন আগের মার্কিন ইলেকশনের আগে এরকম একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিলো যে, ট্রাম্প জিতলে লেবাননের যুদ্ধ হয়তো বেশীদুর গড়াবে না। আর সেটা ভয়ঙ্কর, কারণ ইসরাইল তখন পূর্ণ মনোযোগ গাজায় দেবে। ইভেন ইরান যদি গাজা সেলআউটও করে দেয়, বিস্ময়ের কিছু নেই।

ঠিক তখনই সিরিয়া থেকে এই সুখবর! সেই আলেপ্পোতে আবার সুন্নী পতাকা! বাশারের বাহিনী কুকুরের মত পালাচ্ছে! ওর বাপ পুতিন আবার ইউক্রেনে আটকে আছে, হাত খুলে কিছু দিতে পারবে না। ফলে ভালো গ্যাড়াকলে পড়েছে।

তবে মনে রাখা দরকার, এটিকে আলেপ্পো বিজয়ের চাইতে ২০১৯এর সীমানা পুনরুদ্ধার বলাই বেশী যুক্তিযুক্ত।

********
ইসরাইলের সাথে সিরিয়ার বর্ডার আছে। কিন্তু সেটা কিন্তু আলেপ্পোর উলটো দিকে, দেশের অপর প্রান্তে। ইনশাল্লাহ, যদি দামেশক পৌছানো যায়, পুরো দুনিয়া থেকে মুসলিমরা ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসবে ইহুদি ব্লাডের স্বাদ নিতে।

সেই দিন আমাদের হোক।

Ahmad Khan Articles

27 Nov, 14:28


ফাহাম আব্দুস সালামের মত থার্ডক্লাস পাবলিককে দেশের মানুষ এত পাত্তা দেয় কেন জানেন?
কারণ দেশের লোকজন পড়ে না। ফাহাম পড়াশোনা করে। পড়ে এসে যখন দুয়েকটা অপরিচিত বাক্য বলে, লোকে একেবারে মাথা নুইয়ে ফেলে।

আল্লাহর প্রথম আদেশ কী? নামাজ না, রোজা না - পড়ো। এটা ছিলো আপনার সুপার পাওয়ার।
যে উচু জায়গায় ওঠে সেই তো দূরে দেখতে পায়। স্টাডির সিড়ি বেয়ে আপনাকে উপরে উঠতে হবে।

না হলে, যে উপরে দেখতে পাচ্ছে তার কথাই মাথা নিচু করে মেনে নিতে হয়। কোনো নিশ্চয়তা নেই সে সত্য বলছে কিনা।

আপনারা আল্লাহর আদেশ মেনে যদি পড়াশোনা না করেন , একটা পড়াশোনা করা ইডিয়ট তো আপনার মাথার দখল নেবেই।

Ahmad Khan Articles

26 Nov, 17:33


কেমন একটা অশান্তি ছেয়ে গেছে অন্তরে। এক অস্বস্তিকর ফিলিং। আমাদের মত লোক যারা একটু পলিটিকাল লিটারাসি রাখার ট্রাই করি, আমরা জানতাম এরকম কিছু কোনো না কোনোদিন ঘটবে। সেসব বইয়ের পাতার কথা ছিলো।

কিন্তু তাই বলে এত রিয়েল? এত কাছাকাছি চলে আসবে? শহীদ আলিফ মাটিতে পড়ে গিয়েছিলো। এটা মুসলমানের দেশ। আমরা কয়েক কোটির পাল এক আলিফকে বাঁচাতে পারলাম না। এই দেশে, এই বাংলাদেশে একজন মুসলিমকে স্রেফ মুসলিম বলে হিন্দুরা জবাই করে মেরে ফেললো। ইনিশিয়াল শক কেটে যাওয়ার পর ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করছি, পারতেছি না।

লাস্ট এরকম হয়েছিলো শহীদ আবরার ফাহাদের শাহাদাতের পর।

Ahmad Khan Articles

25 Nov, 06:54


অনেক ক্লোজ একজন কাকা মারা গেলেন। এলাকার নাইটগার্ড ছিলেন। লাস্ট ৫/৬ বছর ধরে তার অন্যতম ক্লোজ লোক ছিলাম আমি। রাতের আড্ডা দেওয়া হত ভালোই।

সেই কাকা সুইসাইড করলেন। বিষ খেয়ে। খবরটা একরম অবিশ্বাস্য ছিলো। ডিপ্রেশনে ছিলেন ঠিকই, কিন্তু এই ৬০-৬৫ বছর বয়সে কেউ সুইসাইড করবে ভাবা যায় নি।

সুইসাইডের কারণ সাংসারিক ঝামেলা। এই বয়সে কোথায় রিলাক্স করবেন, উল্টো সারারাত জেগে বাড়ি ফেরার পর স্ত্রীর বকাঝকা। দিনের পর দিন। কাকা একসময় বাড়ী যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

'জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী নারী, এবং সেটা স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতার কারণে' - ছোটবেলায় ব্যপারটা বুঝতাম না। এই একটা অপরাধে কেন এরকম গণহারে নারী জাহান্নামে যাবে? তাও এরা সবাই মুসলিম নারী!

এখন কিছুটা বুঝতে পারি। একটা মিডল এজের পুরুষের তো নিজের বলে কোনো লাইফ থাকে না। নিজের পিছনে অতিরিক্ত তো দূরের কথা, দরকারী জিনিসটাও জোটে না। একটা পয়সা অতিরিক্ত এলেও সেটা সবার আগে দেয় স্ত্রী-সন্তানের জন্য। এই যে ২৫ বছর ধরে সংসারের জন্য রেডি হলো, বাকি ২০ বছর সংসারের জন্য রক্ত জল করে পরিশ্রম করলো, তার বিনিময় তো জোটেই না, স্বীকৃতি পর্যন্তও না। পুরুষ সেই পর্যন্তও মেনে নেয়।
কিন্তু তার উপরে গিয়ে শুনতে হয়, সে কী করেছে? মুরোদ নেই, এই সংসারে এসে কিছুই পেলাম না!

সে অলরেডি ১০০% দিচ্ছে সংসারের পিছনে, আর কী করবে!!!!?

পুরুষ সবচেয়ে বেশী সুইসাইড করে এই বয়সে এসে। আত্মহত্যা করা পুরষদের ৬০%ই মধ্যবয়েসী।

এক মুরব্বী বলতেন, তোরা ছেলেপেলেরা এই বয়সের একাকীত্ব নিয়ে সুইসাইড করতে চাস। তাহলে একাকীত্ব আর মানসিক যন্ত্রণা কাকে বলে - তোরা চোখেও দেখিসনি। যখন মিড লাইফ ক্রাইসিসে পড়বি, সারাদিনে এক মিনিট সময় হবে না নিজের জন্য, বউ পানসে আর খিটখিটে হয়ে যাবে - সেক্স চেয়েও পাবি না, এতবড় ফ্যামিলিতেও একা হয়ে পড়বি, একটা মাছের কাটার স্যাক্রিফাইস করার কথা আসলেও সেটা সবার আগে তোকে করতে হবে। এতকিছু করেও শুনবি, কী করেছিস সংসারের জন্য!

আমার ভাইকে বললাম, কিরে এগুলো সত্যি নাকি?
বলল, মিড লাইফে যাওয়া লাগে? আমি এখনই শুনতেছি!

পুরুষের লাইফ!!!!

Ahmad Khan Articles

18 Nov, 15:16


লাইফ আপডেটঃ
পুর্বঘোষিত আর্টিকেলগুলো লেখার পর একটু ব্রেক নিতে চাই। লেখার মান দিন দিন অনেক কমে যাচ্ছে।
এজন্য স্টাডির পরিমাণ বাড়াচ্ছি। প্রতি বছর ২৫টি বইয়ের টার্গেট থাকে। এই বছর পূরণ হলো না।

বছর প্রায় শেষ হয়েই গেলো। ২০২৫ সালের জন্য স্টাডিপ্লানের টপিক ঠিক করেছি ভারতীয় আধিপত্য ও হিন্দুত্ববাদ।

যাইহোক, এত পার্সোনাল ব্যাপার শেয়ার করে আপনার এক মিনিট সময় নেওয়ার উদ্দেশ্য হলো, আপনার কাছে যদি উপরের টপিকে কোনো ভালো বইয়ের খোঁজ থাকে, প্লিজ জানান। যদিও লিস্ট আমি নিজেও একটা করেছি, কিন্তু আপনার থেকে শুনতে চাই। একইসাথে কমিউনিটির বাকিদের জন্যও ভালো হবে।
ধন্যবাদ।

(UNFAZED চ্যানেলে কমেন্ট করতে পারবেন)

Ahmad Khan Articles

17 Nov, 16:17


আগামীর অশান্ত বাংলাদেশে এমন একটা প্রতিপক্ষ আমাদের রয়েছে, যাদের কথা সবসময় আড়ালে থেকে যায়।

আগামীতে বাংলাদেশে সিভিল ওয়ার বা ভারতীয় আক্রমণ - যেটাই ঘটুক, এই পক্ষটা আমাদের একদম গলা চেপে ধরবে।

এই পক্ষটা হলো এনজিও।

আমরা এই মুহুর্তে হয়তো এই ভেবে নিশ্চিন্ত থাকছি যে গেরিলা যুদ্ধ আমাদের আপার হ্যান্ড দেবে। কিন্তু ভারত বা তার প্রক্সিদের সাথে গেরিলা যুদ্ধে জিততে গ্রামাঞ্চলের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। এটা পৃথিবীর কেউ পারেনি। আফগান, ভিয়েতনাম, আলজেরিয়া - যত জায়গায় বহিঃশক্তির বিরুদ্ধে জয় এসেছে তা প্রথমতঃ এই গ্রামের বদৌলতে।
আফগানে যখন মিডিয়াতে দেখাচ্ছিলো মাত্র ৫-১০টা জেলা দখলমুক্ত, সেখানে প্রকৃতপক্ষে ৮০ ভাগ রুরাল এরিয়া তালেবানরা আগেই দখল করে নিয়েছিলো।

এটা সত্যি, গেরিলা যুদ্ধের বড়টাই হবে আরবান ওয়ারফেয়ার, যেমনটা আমরা ইরাকে বা গাজায় দেখছি। কিন্তু গ্রাম নিয়ে যদি আপনি নিশ্চিত না থাকতে পারেন, সাপ্লাই লাইন আর সেইফহাউজের অভাবে আরবান ওয়ারফেয়ার চালিয়ে যাওয়া যাবে না। গ্রাম আমাদের জন্য থ্রেট হবে না - কেবল এই নিশ্চয়তা পেলেই কেবল আরবান গেরিলা ওয়ারফেয়ারে একটা ভালোমানের ফাইট আশা করা যায়।

কিন্তু ভয়ঙ্কর আনফরচুনেট একটা বিষয়, রুরাল এনজিওরা বাংলাদেশের গ্রামগুলোর ব্যপারে যে মনস্তাত্বিক দখল রাখে, বাংলাদেশে আর কোনো পক্ষের সেরকম দখল নেই। খোদ বাংলাদেশ সরকারেরও এদের মত এত ভালো আইডিয়া নেই।

এক ভাইয়ের এঞ্জিওর অফিসে গিয়েছিলাম। মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়। ২০টা গ্রাম নিয়ে কাজ করে। ওই গ্রামগুলোর কার হাড়িতে কী রান্না হচ্ছে সেই খবরও এনজিও রাখে। এখানকার অর্ধেক গ্রামবাসী প্রত্যেককে তারা চেনে। লিটারালি।

৫০,০০০+ এনজিও এভাবে একটা একটা মানুষ ধরে ধরে করাপ্ট করে ফেলছে। সুদ ঢোকাচ্ছে, নারীদের লজ্জ্বা চিরজীবনের মত ভেঙ্গে দিচ্ছে। সেইসব নারীদের গর্ভে আরো কয়েক লেভেল বেশী বেহায়া আর করাপ্ট সন্তান জন্ম নিচ্ছে।
জাস্ট মুসলমানের কিশোরী মেয়েদের নিয়েই কাজ করে ১০,০০০+ এনজিও। ভেবে দেখুন, এত বাজেট, এত মেধা, এত রিসোর্স মাত্র একটা ডেমোগ্রাফিক টার্গেট করে। থ্রেটের মাত্রা বুঝতে পারছেন?

গ্রামের এই অশিক্ষিত, দরিদ্র মানুষদের জীবনযাত্রা নিয়ে তারা ল্যবরেটরি পর্যায়ের গবেষণা করে। ফলে হাজার বছরের পরীক্ষিত বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা দিয়ে তারা এই মানুষগুলোর মাইন্ডম্যাপ হাতের তালুর মত স্পষ্ট করে স্টাডি করতে পারে। আপন ভাইয়ের চেয়ে এনজিওগুলো বেটার বিহ্যাভিয়ার ট্রাক করতে পারে।

*******
এদের বিরুদ্ধে কি করা যায় বলতে গেলে অনেকেই চলে আসে মুখস্ত কথা নিয়ে। মুসলমানদের এই এনজিওগুলোর চাইতে বেটার এঞ্জিও বানাতে হবে - একদম বাজে কথা। দুনিয়ার সব কিছুরই বেটার ভার্সন হয় না।

বাজেট অনেক বড় ইস্যু। একটা দুই রুমের অফিসে প্রত্যেকে মিনিমাম ৫০,০০০+ বেতন পায়। তাও ৯টা-৫টা অফিস। এই এত বেকারের দেশে এরকম স্যালারি আর কে দিতে পারবে? তাদের একেকজন অডিটর মিনিমাম দেড়লাখ টাকা পায়। ব্রাকের একজন ড্রাইভারও ৩৫,০০০+ বেতন পায়। একজন ইলেক্ট্রিশিয়ানের সাথে কথা বলেছিলাম। সে তখন ৪৫+ পেতো।

মুসলমানেরা বাজেট দিয়ে কম্পিট করতে পারবে না।

সামনে সঙ্ঘর্ষের দিনে এই এনজিওগুলো এত বছরের কালেক্ট করা তথ্যগুলো দিয়ে শত্রুপক্ষকে হেল্প করবে। ওই মানের রিসোর্স আমাদের তো বটেই, সরকার কিংবা আর্মির কাছেও নেই।
এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ ইরাক যুদ্ধ। ত্রাণের আর চিকিৎসার বেশে থাকা এসব 'ভলান্টিয়ার'গুলো ইউএস আর্মিকে আগাগোড়া সার্ভ করে গেছে।

এদের একমাত্র ঔষধ সেটাই যেটা নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেন আর পাকিস্তানে কাজ করেছে। এদের কালেক্ট করা তথ্য হাতিয়ে নিয়ে পিটিয়ে বের করে দেওয়া। আর কোনোভাবে এদের সাথে পারা যায় না।

বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য এই এঞ্জিওদের বেসরকারিভাবে ট্রাক করা জরুরী। আর বিপদ আসলে সবার আগে এই থ্রেট দূর করতে হবে। নাহলে এরা আমাদের বাঁচতে দেবে না।

Ahmad Khan Articles

11 Nov, 06:26


ফোরবি নিয়ে লেখাটা দিতে চেয়েছিলাম কোরিয়ার আর্টিকেলটার সাথে। এটা কোরিয়ায় শুরু হয়েছিলো। কিন্তু কেন যেন ভুলে গিয়েছিলাম অ্যাড করতে।

ট্রাম্প জেতার পর এবার আমেরিকাতে শুরু হয়েছে।
কিন্তু এটা নিশ্চিত, কোরিয়ার মত জোরালো এখানে হবে না। কারণ এখানকার মেয়েরা বাঁচেই অ্যাটেনশনের জোরে।

সামান্য বেশী অ্যাটেনশন পাওয়ার লোভে যেখানে এরা কসমেটিক্সের ব্রান্ড পর্যন্ত চেঞ্জ করে ফেলে, সেখানে এই ফোরবি একেবারেই কাজ করবে না।

Ahmad Khan Articles

08 Nov, 00:47


সমন্বয়করা দিন দিন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে, গ্রিপ হারাচ্ছে। বিএনপি তাদের একটা পলিটিকাল ভুল করবার আশায় ওৎ পেতে ছিলো। এবং সেটা তারা পেয়ে গেছে যখন জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা হয়েছে।
আমাদের বয়েসি তরুণেরা বলতেই পারি ওদের ভেঙ্গে দিতে হবে, দেশ থেকে তাড়াতে হবে। কিন্তু পলিটিক্স এভাবে কাজ করে না।
জাতীয় পার্টি চাচ্ছিলোই তাদের উপরে হামলা হোক। বিশেষ করে যখন কেন্দ্রীয় অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এটা দেশে-বিদেশের একটা পক্ষও ভালোভাবে নেয়নি।

এই হামলার মাধ্যমে সমন্বয়কদের ডেস্পারেশন ফুটে ওঠে- তারা আবার আরেকবার জুলাইয়ের মত প্রাসঙ্গিক হতে চেয়েছে। খেয়াল করলে দেখবেন জমায়েতে লোকসংখ্যার পরিমাণ আগের চেয়ে কমে গেছে।
মোটামুটি হামলার পরদিনই টের পেয়ে যায় তারা বেশ বড়সড় ভুল করে ফেলেছে। এজন্য বিএনপির দারস্থ হতে হয়েছে। আর বিএনপি ঠিক এটার অপেক্ষায় চুপ করে ছিলো। ফলে তারা কিন্তু আবার এখন রাজনীতির সম্মুখভাগে, সমন্বয়করা ব্যাকফুটে।

হান্নানকে কান্নাকাটি করতে হচ্ছে এরকমই কিছু ভুলের কারণে। আন্দোলন তো করেছে কিন্তু কিছু বুড়ো ঝানু পলিটিশিয়ানের বুদ্ধির সাথে পারেনি।

অথচ জাতীয় পার্টির সিচুয়েশনটা প্রশাসনকে দিয়ে হ্যান্ডেল করলে ব্যপক ভালো হতে। মামলা-পুলিশ এগুলো ইউজ করতে আর বাঁধা ছিলো না।

একইসাথে হাজারী গলির ব্যপারটা প্রশাসন খুবই সুন্দরভাবে হ্যান্ডেল করেছে। এইটা সমন্বয়করা বা সাধারণ মানুষ হ্যান্ডেল করতে গেলে এতক্ষণে দাঙ্গার খবর লিখতে হতো।

Ahmad Khan Articles

06 Nov, 14:04


এলাকার পাতিনেতার পিছনে স্লোগান দেওয়া ছেলেপেলেও আজকে হঠাৎ করে মার্কিন ফরেন পলিসি বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছে। স্ক্রিনশট নিয়ে রাখছে, ইউসুফ সরকারের কাউন্টডাউন - মানে সিরিয়াসলি হাসি পাচ্ছে!

আপনাদের ব্যপারটা স্পষ্ট করে দিচ্ছি, এরপরে আর কনফিউশনে পড়বেন না।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত চীনবিরোধী মার্কিন পলিটিশিয়ান অনেক কম আছে।
ইন্ডিয়ার একমাত্র কার্ড এখানে, বাংলাদেশে যদি মার্কিনপন্থী সরকার না থাকে তাহলে চীনের দিকে ঝুঁকে যাবে। এজন্য বাংলাদেশে মার্কিনপন্থী সরকার লাগবে।

এবার বলুন তো, ডঃ ইউনুসের চাইতে বড় মার্কিনপন্থী সরকারপ্রধান আর কে হতে পারে?
ফানি ব্যপার হলো, লীগের লোকেরাই বলছিলো, ইউনুস দেশ আমেরিকাকে দিয়ে দিয়েছে, সেন্ট মার্টিনে মার্কিন ঘাটি হচ্ছে, আমেরিকার দালাল!

তো আমেরিকা একজন পরীক্ষিত 'আমেরিকার দালাল' বাদ একজন পতিত ডিকটেটরকে ক্ষমতায় বসাবে? তার উপর হাসিনার সরকার আবার আমেরিকার কাছ থেকে স্যাংশন খাওয়া!

বাংলাদেশ এতটাই ছোট দেশ যে ট্রাম্পের মত কাটছাঁট পররাষ্ট্রনীতির লোক কখনোই এখানকার ইন্টারনাল পলিটিক্স নিয়ে মাথা ঘামাবে না। তার কাছে বাইনারি অপশন হলো, আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কি/না।

চামচাগুলো হাই হয়ে যাচ্ছে রেজাল্ট দেখে, ফিল নিচ্ছে। হাই কেটে গেলেও দেখবে কিছু বদলায়নি।

Ahmad Khan Articles

06 Nov, 00:53


আমেরিকান ভোট নিয়ে আমার কিছুই যায় আসে না কে জিতলো বা হারলো। ট্রাম্পের কথাবার্তা ফেমিনিস্টদের রাগিয়ে দিতো, ব্যপারটা উপভোগ্য। কিন্তু কিছুদিন আগে ট্রাম্প গুলি খেয়ে মারা গেলে আমি কি খুশি হতাম? অবশ্যই!
কমালা বা বাইডেনকে মেরে দিলেও খুশি। আমেরিকার ধ্বংস মানে পুরো দুনিয়ার মুক্তি।

কিন্ত এখানে একটা ব্যপার আছে। অবসরে বিনোদনের জন্য আমি ফেমিনিস্টদের আফসোসের বই পড়ি, তাদের কমিউনিটির পোস্ট পড়ি। বুড়িয়ে যাওয়া ফেমিনিস্টদের আর্তনাদ আমার কাছে মিউজিকের মতো।

গত কয়েক মাস ধরে অধিকাংশ ফেমিনিস্ট কম্যুনিটিতেই ট্রাম্পকে পুরো ছাল ছাড়িয়ে রোস্ট চলছে। কারণ নারীদের অ্যাবোর্শনের অধিকার নিয়ে তারা ব্যপক চিন্তিত। ভেবে দেখুন, একটা লিটারাল গনহত্যা চলছে গাজায়, তার চেয়ে বড় ইস্যু তাদের কাছে পেটের বাচ্চা খুন করার অধিকার!

এজন্য চাই ট্রাম্প জিতুক। ট্রাম্প-কামালা দুটোই ইহুদীদের bitch. কিন্তু ট্রাম্প জিতলে ফেমিনিস্টগুলোর কান্নাকাটি দেখার মত হবে। আমিও পপকর্ণ সহকারে আমেরিকার ধ্বংস দেখতে বসে যাবো।

Ahmad Khan Articles

05 Nov, 04:05


উভয়পক্ষেই বাড়ছে গণতন্ত্রের উপর অনাস্থা

Ahmad Khan Articles

05 Nov, 02:31


ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময় আমার একজন শিক্ষিকা রেগুলার নানান বিষয়ে পরামর্শ দিতেন। আমার নিজের কাছ থেকেও ধর্মীয় ব্যাপারে সাজেশন নিতেন। সেই সুত্রে একদিন বললেন, তোমাদের এই জেনারেশন সংসার নিয়ে ব্যপক হতাশ হতে যাচ্ছো।
সবচেয়ে বড় হতাশার কারণ হবে তোমাদের স্ত্রীরা।
কারণ তুমি তোমার বাবার সংসারের সাথে কম্পেয়ার করবে। তোমার বাবা স্বামী হিসেবে তোমার মায়ের কাছ থেকে যা পেয়েছে তোমরা তা কোনোভাবেই তা পাবে না। বিশেষ করে সেবার প্রশ্নে।

বিয়ের প্রথমদিকে এগুলো তেমন কিছু মনে হবে না। কিন্তু যত বয়স বাড়বে ততই ওই কম্পারিজন বার বার উঠে আসবে।

আশ্চর্য্যজনকভাবে, দীর্ঘদিন ধরে বিবাহিত কিছু সিনিয়রের সাথে কথা বলে বিষয়টার সত্যতা পেয়েছি।
*****
আমরা অনেক সময় বাবাদের মায়ের সাথে কিছু আচরণ অনেক রুড মনে করি, বা আমি বিয়ের পর মোটেও অমন করবো না ভেবে রাখি।
পরবর্তিতে বড় হয়ে বোঝা যায়, ওটা জুলুম তো ছিলোই না, বরং বাবা যদি ওই দাপটটা বজায় না রাখতেন, এই ফ্যামিলিই ভেঙ্গে পড়তো। নারী শাসনের আওতায় না থাকলে শাসক হয়ে উঠবে, যেটা সবাইকে ডুবিয়ে দেবে। দুনিয়ার এত টপিক থাকতে কুরআনে স্ত্রীকে প্রহারের আয়াত আল্লাহ এমনি এমনি দেননি।

অতি আধুনিক-লিবারেল সাজতে গিয়ে মারা খাওয়ার গল্পও শুনেছি। প্রথমদিকে স্ত্রীর সাথে অতি নমনীয় আচরণ করেছে। ভেবেছিলো, বাবার মতো হবো না। উল্টো ব্যাক্তিত্বই খুইয়ে দিয়েছে। এখন তার সংসারে প্রতিটা পয়সা কোথায় খরচ হবে, স্বামী বাসে নাকি রিকশায় চড়বে সেটাও স্ত্রী ঠিক করে দেয়।
মাঝবয়েসী লোকটা হাউমাউ করে কাঁদছে। 'কাকা কী করবো, বাচ্চারা স্কুলে পড়ে, এখন ডিভোর্স দিতে পারবো না। আবার উঠতে বসতে এই অপমান আর নিতে পারছি না। বাচ্চাদের নিয়ে আমার মতের কোন দামতো দেয়ই না, আমি কতক্ষণ ঘুমোবো সেটাও তার কথামত'।

এই হচ্ছে পৌরুষ বিসর্জন দেওয়ার পরিণতি।

Ahmad Khan Articles

03 Nov, 17:18


ট্রাম্পের বাংলাদেশ নিয়ে টুইট প্রসঙ্গে

ট্রাম্পের কাছ থেকে এরকম একটা কিছু আশা করেছিলাম। কিন্তু এত পরে আসবে জানা ছিলো না।

তবে ভোটের মাত্র এক সপ্তাহ আগে আসার মানে হলো, এটা ভোট পরবর্তি পরিস্থিতির জন্য। ভোটে জেতার জন্য করলে অনেক আগে থেকেই হিন্দুদের টার্গেট করে কাজ করতো ২০১৬ সালের মত।

আর হিন্দু ভোটাররা তেমন সিগ্নিফিকান্ট নয়। কারণ সুইং স্টেটগুলোতে হিন্দু জনসংখ্যা কম। আর যেসব জায়গায় আছে সেগুলো অলরেডি ব্লু স্টেট। যেমন ক্যালিফোর্নিয়া বা নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প এমনিই জিতবে না।

ট্রাম্পের টুইটে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু দেখি না। বাংলাদেশ সরকারকেও তেমন দেখা গেলো না। কারণ এটা ছিলো পকেট ঝাড়া দিয়ে খুচরো পয়সা বের করার মত, কার্যকর না, কিন্তু কিছু ভোট অন্ততঃ পাওয়া যাবে।

জয়ের লবিং বলুন আর ইন্ডিয়ার মার্কিন অ্যাম্বাসী, তাদের টাকা কথা বলেছে - এটা ঠিক। কিন্তু ট্রাম্প জিতলেও আগামী মিডটার্মের আগে ফরেন পলিসির মৌলিক পরিবর্তন আসবে না বলে বিশ্বাস। ততদিনে অন্তর্বর্তি সরকার গুছিয়ে নিতে পারবে।

চার্টের রেফারেন্সঃ পিউ রিসার্চ সেন্টার

Ahmad Khan Articles

03 Nov, 17:04


আগামীকাল মার্কিন নির্বাচনে জেন্ডার ওয়ার নিয়ে আর্টিকেলটা পাবেন। আর ৫ তারিখের পর থেকে ভোট পরবর্তি পরিস্থিতির আপডেট দেওয়া হবে মেইন চ্যানেলে।

ইনশাল্লাহ।

Ahmad Khan Articles

03 Nov, 15:52


> আদালতের উপর পুর্ন নিয়ন্ত্রন নেবে। আমেরিকার জাজ বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টের জাজদের সহজে বদলানো যায় না। ট্রাম্প লাস্ট টার্মে তার বিশ্বস্ত কিছু জাজ বসিয়ে গিয়েছিলো, যার সুফল সে লাস্ট ৪ বছর ধরে পেয়েছে।

> লিবারেলদের উপর ক্রাকডাউন চলবে। সারাদেশে অ্যাবর্শন ব্যান করবে। কেউ জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী সহ বা অ্যাবর্শন করাতে গিয়ে ধরা পড়লে জেল। এই আইন কিন্তু টেক্সাসের মত রাজ্যে অলরেডি কার্যকর। নো ফল্ড অ্যাবর্শন করালে সেই ডাক্তার লাইসেন্স হারায়, জেল হয়।

ট্রান্সদের জন্য ঔষুধ ও হরমোন নিষিদ্ধ হবে। ইভেন তাদের জব পেতেও ঝামেলা হবে।

এরকম অনেক রক্ষণশীল ব্যাপার ইমপ্লেমেন্ট করা হতে পারে। পর্ন ব্যান করার কথাও রয়েছে। এটা নিয়ে আবার ডেমোক্রাটরা অ্যাডও বানিয়েছে, 'ট্রাম্প আসলে কিন্তু পর্ন দেখতে দেবে না!'

> সর্বোপরি ডেমোক্রেসি আমরা যেভাবে চিনি তেমনটা আমেরিকাতে থাকবে না।

এখানে বুঝতে হবে, আমেরিকা কিসের উপর দাড়িয়ে। ট্রান্স, লিবারেলিজম, ফেমিনিজম আমাদের কাছে পাগলামি মনে হলেও এগুলোই কিন্তু আমেরিকাকে আমেরিকা বানায়, যে যা ইচ্ছে করতে পারবে - ল্যান্ড অব ফ্রি। এগুলো কেড়ে নেওয়া মানে আমেরিকার 'আমেরিকাত্ব' ছিনিয়ে নেওয়া। যা হলে আমেরিকা আর আমেরিকা থাকে না।

/ ট্রাম্পের কিছু পলিসি হলো স্ট্রেইট আপ জুলুম। আর আল্লাহ জালিম শাসক মুসলিম হলেও টিকিয়ে রাখেন না।

/ পৃথিবীর ইতিহাসে এই ধরনের সর্বশক্তিমান সাম্রাজ্য ১০০ বছরের বেশী টেকে না। আমেরিকা তার পিক পিরিয়ড পার করে ফেলেছে।

ট্রাম্পের পাগলামিই আমেরিকার পতনের শেষধাপ আরম্ভ করবে ইনশাল্লাহ।

মৃতপ্রায় গনতন্ত্রের শেষ নিঃশ্বাসঃ

ভোটে যেই জিতুক, উভয়পক্ষেরই গণতন্ত্রের উপর বাড়তে থাকা অনাস্থা স্পষ্ট। লিবারেল-ফেমিনিস্টদের বক্তব্য, আমাদের এত চেষ্টা আর ট্রাম্পের এতকিছু দেখার পরেও আমেরিকার জনগণ যদি তাকেই প্রেসিডেন্ট বানায়, তাহলে এই সিস্টেম আমাদের দরকার নেই।

ডানপন্থিদের বক্তব্য, আমেরিকাকে বাঁচাতে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসা দরকার। যে সিস্টেম ট্রাম্পকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দেয়,সেই সিস্টেমে ফল্ট।
এগুলো কিন্তু অনুমান করে বলা না, উভয় পক্ষ থেকেই রোজ আসছে এরকম বক্তব্য। ৫ তারিখের পর আরো কয়েকগুণ শুনতে পাবেন।

উভয়পক্ষই এই উপলব্ধি করছে, তারা যা চায় অ্যাবসলিউট গনতন্ত্র দিয়ে তা পাওয়া সম্ভব নয়। যেমন, বামেদের জন্য Roe v Wade. তাদের নিজেদের প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকার পরেও দেশে অ্যাবর্শন ব্যান হলো। আবার ট্রাম্পের মেক্সিকান ওয়াল। সে ক্ষমতায় থেকেও সিনেটের বাধায় বানাতে পারলো না।

ফলে এটা স্পষ্ট, উভয়পক্ষই চুড়ান্ত কন্ট্রোল চায়, যা ডেমোক্রেসি দিতে পারছে না। একবার যখন সংবিধান সংশোধন আর প্রশাসনিক সংস্কার করে সেই পথে হাটবে, তখন ডেমোক্রেসি টেকনিকালি ডেড হয়ে যাবে।

সবচেয়ে গ্রেট গনতন্ত্রের দেশটা থেকেই ডেমোক্রেসির পতন শুরু হতে যাচ্ছে ইনশাল্লাহ।

Ahmad Khan Articles

03 Nov, 15:52


৫ই নভেম্বরের নির্বাচন, আমেরিকার ধ্বংসের শুরু?

লাস্ট ৪ বছরে সবসময় চেয়েছি ট্রাম্প যেন চব্বিশের নির্বাচনে না জেতে। কারণ ট্রাম্প কাজের লোক। তার স্লোগান 'মেইক আমেরিকা গ্রেইট এগেইন' - আসলেই আমেরিকাকে গ্রেট বানানোর কথা বলে।

ট্রাম্পের শাসনামলে আমেরিকা নতুন অধ্যায় দেখেছিলো। লাস্ট ২৫-৩০ বছরের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সময়ে আমেরিকা কোনো নতুন যুদ্ধ শুরু করেনি। জালানির দাম কমে গিয়েছিলো, ফলে ইনফ্লাশন সহনীয় পর্যায়ে ছিলো।

ট্রাম্প পাগলামি করলেও কাজের লোক ছিলো। এজন্যই ভয় ছিলো, এই লোক যদি ক্ষমতায় আসে, আমেরিকা আবার উন্নতি করবে। যেটা বাকি দুনিয়ার জন্য ভালো নয়। কিন্তু এই বছরের শুরুতে একজনের একটা বিশ্লেষণ দেখে আমার মতামত পুরোপুরি উলটে যায়। এখন আমি মনেপ্রাণে চাই যেন ট্রাম্প জেতে। কেন, সেটা নিচে বলছি।

প্রথমেই স্পষ্ট করে নিই, ভোট আমেরিকার, আমি কেন কথা বলছি? আর আমি কি চাই?
আমি সর্বশক্তি দিয়ে আমেরিকার ধ্বংস চাই। এই ডেভিলের ধ্বংস হওয়া জরুরী।

এর উপরে ভিত্তি করেই নির্বাচন নিয়ে কথা বলা যাক।

২০২৪ সালের নির্বাচনের পুরোটা জুড়েই রয়েছে ট্রাম্প। অর্থাৎ ভোটের ফলাফলের পরের পরিস্থিতি নির্ধারণ হবে কিন্তু কমালা হ্যারিসের উপর নয়।

এই নির্বাচনের দুটো সিনারিও আসতে পারে। এবং দুটোই আমেরিকার ধ্বংসকে একেকভাবে তরান্বিত করতে পারে।

প্রথম ফলাফলঃ ট্রাম্প হেরে গেছে।

এর ফলাফল হবে রায়ট। এর আগের টার্মে বাইডেনের কাছে হেরে ট্রাম্প যেটা করেছিলো, মারাত্মক ভায়োলেন্স উসকে দিয়েছিলো।
এবার রেগুলার রক্ষণশীল ভোটাররা তো বটেই, কট্টরপন্থি সংগঠনগুলো অনেক লম্বা সময় ধরে প্রিপারেশন নিচ্ছে। তারা এই নির্বাচনে জিততেই চায়-ই চায়।

ট্রাম্প হেরে গেলে সবার আগে যেটা বলবে, এই নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এবং সেই ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করার মত এভিডেন্স ভোটের কয়েকদিন বাকি থাকতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে এসে গেছে। যেমন, ভোটিং মেশিনে ট্রাম্পকে ভোট দিতে গেলে নিচ্ছে না, বা ট্রাম্পে টিক দিলেও ভোট হ্যারিসে পড়ে যাচ্ছে।

এইধরণের প্রমাণ সামনে, বিশেষ করে ভোটের দিন আরো আসবে। ট্রাম্প জিতলে এগুলো নিয়ে তেমন আলোচনা হবে না, কিন্তু হারলে ব্যপক হইহুল্লোড় লাগিয়ে দেবে।

তবে অন্যতম লক্ষণীয় বিষয় হলো, কীভাবে ইয়াং জেনারেশনের ছেলেরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করছে। মাত্র দুইদিন আগে ওরিগনে একজন ব্যালটভর্তি গাড়ী জালিয়ে দিয়েছে। নিউ ইয়র্কে একজন চাপাতি নিয়ে ভোটারদের ভয় দেখিয়েছে। আরেক জায়গায় দেখলাম ভোটারদের বাধা দিচ্ছে। মানে পুরো আওয়ামী লীগের মত ব্যপারস্যাপার। ওরিগন এবং নিউ-ইয়র্ক দুটোই কিন্তু ডেমোক্রাট স্টেট।

আপনাদের মনে আছে কিনা, ২০২০ সালে ব্লাক লাইভস ম্যাটার বিক্ষোভের সময় কাইল রিটেনহাউস নামের ১৭ বছর বয়সী এক ছেলে গুলি করে দুই বিক্ষোভকারীকে মেরে ফেলেছিলো। ট্রাম্প উলটো এই ছেলের প্রশংসা করেছিলো।

ট্রাম্পের যে কাল্টের মত ফ্যানবেজ, তাতে তারা মোটেও সহজে হার মানবে না। লাস্ট চার বছর ধরে এদের অনেকগুলো আন্ডারগ্রাউন্ড কমিউনিটিতে ছিলাম। এখানে হাজার হাজার ইন্ডিপিন্ডেন্ট গ্রুপ কাজ করছে সরাসরি অস্ত্র নিয়ে।
হয়ত জানুয়ারি সিক্সের মত ক্যাপিটলে কিছু হবে না, কিন্তু পুরো আমেরিকা জ্বলবে এটা নিশ্চিত।

ট্রাম্প না আসলে আমেরিকার ঋণ বাড়তে থাকবে। ডলারের প্রভাব কমবে। নতুন যুদ্ধের ব্যায় মেটাতে গিয়ে আমেরিকার অলরেডি বাড়াবাড়ি রকমের ইনফ্লাশন আরো বাড়বে। জাতিগত বিদ্বেষ বাড়তে বাড়তে আমেরিকা সিভিল ওয়ারের জন্য এক টাইম বোম্বে পরিণত হবে, যা কেবল ফাটার অপেক্ষা।

ডেমোক্রাটরা আসলেও আমেরিকার পতন হবে, তবে একটু দেরীতে।


দ্বিতীয় ফলাফলঃ ট্রাম্প জিতে গেছে।


ট্রাম্প বহুবার স্পষ্ট করেছে, ক্ষমতায় গেলে সে একচ্ছত্র কন্ট্রোল চায় একদম ডে ওয়ান থেকে।
তার সাথে যোগ হয়েছে প্রজেক্ট ২০২৫, যেখানে একদম ধরে ধরে বলা আছে নেক্সট রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় বসার ১৮০ দিনে কী কী ঘটবে। এই প্রজেক্ট নিয়ে আমার ছোট একটি লেখা আছে, পড়তে পারেন।

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে আমেরিকার অর্থনীতি ধ্বংস তরান্বিত হবে।

> সে বলেছে, তার অফিসে বসার প্রথম দিন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ডিপোর্টেশন চালু করবে। মানে অবৈধ অভিবাসীদের বহিস্কার করবে। আমেরিকার জনসংখ্যার ১২ মিলিয়ন মানুষ অবৈধ। এই কাজ তৃনমূল অর্থনীতিকে খোড়া করে দেবে। অবৈধ অভিবাসীদের কার্বনেই আমেরিকার বহু সেক্টরে সস্তা শ্রম পাওয়া যায়।
আর ট্রাম্প এটা করবেই। তার একদম পোস্টার ইশতেহার।

> প্রজেক্ট ২০২৫ বানানো হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সবচেয়ে বড় কাজ ছিল আগামী সরকারের সকল পর্যায়ে রক্ষণশীলদের বসানো। ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে প্রায় ২ লাখ সরকারী কর্মকর্তা চাকরি হারাবে। যেখানে ডানপন্থী লোকদের বসানো হবে।

আশ্চর্য্য ব্যপার হলো, কারা হবে নতুন সেই ২ লাখ কর্মকর্তা, সেটা কিন্তু অলরেডি ঠিক হয়ে গেছে। হেরিটেজ ফাউন্ডেশন বিগত অনেকগুলো বছর ধরে এই লোকগুলোকে তৈরি করেছে। ইভেন এখনো তাদের সাইটে সিভি জমা দেওয়া যায়।

Ahmad Khan Articles

01 Nov, 19:22


ভোটের ফলাফল যাই আসুক, ডান-বাম দুই পক্ষেই ব্যপক রণপ্রস্তুতি চলছে। লাস্ট এক সপ্তাহ ধরে ফেমিনিস্ট কমুনিটিগুলোতে একটা হট টপিক, ট্রাম্প জিতলে কী করা যাবে?

ট্রাম্প হারলে সেমি-গৃহযুদ্ধ কনফার্মড। লাস্ট ৪ বছর ধরে এক্সট্রিম রাইটদের দেখছি অস্ত্র মজুত আর মিলিটারি ট্রেনিং নিতে। কিছু প্রাইভেট টেলিগ্রাম গ্রুপে ছিলাম - একদম ন্যাশনাল আর্মির ট্রেনিং। সাবেক সেনা কর্মকর্তারাই ইয়াংদের করাচ্ছে।

কিন্তু লিবারেলদের এই প্রথম দেখছি অস্ত্র আর প্রশিক্ষণ নিয়ে তোড়জোড় করতে। যে স্ক্রিনশট দেখছেন সেটা সবচেয়ে বড় ফেমিনিস্ট সাবরেডিট থেকে নেওয়া।

Ahmad Khan Articles

29 Oct, 11:28


এবারের মার্কিন নির্বাচন পুরোপুরি জেন্ডার ওয়ারে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে কামালা প্রার্থী হবার পর।

ফেমিনিস্টদের একটা বড় অংশ শুধু এই কারণেই কামালাকে ভোট দেবে যে সে একজন নারী।

অপরদিকে ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন বড় আকারে ফোকাস করেছে তরুণদের উপর। সে ইউএফসিতে গিয়েছে ম্যাচ দেখতে, নানান পডকাস্টে যাচ্ছে।

তবে ট্রাম্পের অ্যানালিস্টরা বেশ ইফেক্টিভ একটা কাজ করেছে। তরুণদের একটা বড় অংশ হোপলেস। পশ্চিমে তরুণদের লোনলিনেস মহামারী চলছে, এবং এই সংখ্যাটা বিশাল। ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন ম্যানেজাররা এই ব্যপারটা কোনোভাবে নোটিস করেছে।

ভোটের আগে আমি একটা লেখা দেবো 'মার্কিন নির্বাচনঃ অ্যাবর্শন ও জেন্ডার ওয়ার নামে'। সেখানে পুরো ব্যপারগুলো বিস্তারিত লেখা থাকবে। ইনশাল্লাহ।

Ahmad Khan Articles

27 Oct, 02:36


খবরটি বেশ আলোচিত হয়েছে। চীনের কাছে তিনিয়ান দ্বীপে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি বিমানঘাঁটি বানায় আমেরিকা। এখান থেকেই জাপানের উপর হামলা চালাতো। তবে এই দ্বীপ বিখ্যাত হবার অন্যতম কারণ হলো, জাপানে ফেলা দুই পরমাণু বোমা এই ঘাটি থেকেই লোড করা হয়েছিলো।

বিশ্বযুদ্ধের পর এটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। নানান আগাছা, আর বন বাদাড়ে ঢেকে যায় রানওয়েগুলো কিন্তু হঠাৎ করেই মার্কিন আর্মি এটি পরিস্কার করা শুরু করেছে। তারা এই ঘাটি আবার অ্যাক্টিভ করছে।

কারণ হিসেবে বলছে চীনকে ঠেকানোর পুর্বপ্রস্তুতি। যা ২০২৭ সাল নাগাদ ঘটতে পারে।

বুঝতে পারছেন কিছু? তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সামরিক প্রস্ততি শুরু হয়ে গেছে বড় খেলোয়াড়দের তরফ থেকেই।

Ahmad Khan Articles

23 Oct, 16:05


ওই টুপি লুকিয়ে মসজিদে যাওয়া, গেস্টরুমে র‍্যাগ, মধ্যরাতে বিচার, কয়েক ঘন্টার নোটিশে মেস ছাড়া, দাড়ির কারণে হেনস্থা - বন্ধুদের কেবল সিটের লোভে মেরুদন্ড বেচতে দেখা, শিবির সন্দেহে মার খেতে দেখা -

ফোন করে হাড্ডি ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলো, আজ ওকেই ফোন দিতে ইচ্ছে হচ্ছে।

অনেক কিছু মনে পড়ে গেলো। এগুলো তো পার্সোনাল অভিজ্ঞতা।

Ahmad Khan Articles

21 Oct, 19:05


বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের জোর সম্ভাবনা

অনেকদিন পর গৃহযুদ্ধের প্রকৃতি ও শর্ত নিয়ে স্টাডি করলাম। এবং লক্ষণগুলো মিলিয়ে যেটা বুঝলাম, বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ লাগতে যাচ্ছে।

আমার ধারণা ছিলো, লীগ থাকাকালীনই হয়ত লেগে যাবে। এবং আপনি যদি টেকনিকাল দিক বিবেচনা করেন, এটার শুরুটা আগস্টেই হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, হয়নি এবং তার বড় কৃতিত্ব যায় বাংলাদেশ আর্মির প্রতি। তারা সেদিন সঠিক ডিসিশন না নিলে আমি নিজেও আজ বেঁচে থাকতাম কিনা সন্দেহ আছে।

গৃহযুদ্ধের কথা এত জোরে মনে হচ্ছে কারণ কিছু পাওয়ারফুল ইন্টারনাল ও এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর রয়েছে।

প্রথমতঃ লীগ ডুব দিয়ে ছিলো, কিন্তু সেইভাবে পালায়নি, মারাও যায়নি, জেলেও যায়নি।
দুই মাসে দেশ থেকে ৫০ হাজার লোকও ভারতে যায়নি। এটা ইন্ডিয়ান পত্রিকার তথ্য।
কাউয়া কিংবা শামীমের আশংকা অনুযায়ী হাজার হাজার লীগ খুন হয়নি।
সেইভাবে গণগ্রেফতার হয়নি।
সরকারের টালমাটাল অবস্থা স্পষ্ট। তা নিয়ে উপদেষ্টাদের গরজ কম। কারণ পলিটিকাল ক্যারিয়ার বলে কিছু ঝুঁকিতে নেই। লীগের সাংস্কৃতিক পুনর্বাসনের অনেকটাই হয়ে গেছে। দেশী বাম = দিল্লীর লোক।

আরো একটা ব্যাপার যোগ করতে চাই, লীগ সরকারের আমলে গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি কম ছিলো কারণ লীড করতে পারে এরকম হাজার হাজার আলেম বা ইসলামপন্থী লোক জেলে ছিলো। আপনি মানেন বা না মানেন, মাওলানা মামুনুল হকের মত আলেমরা এক ডাক দিলে এক লাখ লোক ঘন্টাখানেকের মধ্যে জড় হয়, এটা যেকোনো অবস্থাতেই একটা সিরিয়াস পাওয়ার। গৃহযুদ্ধের জন্য বিরোধীপক্ষেও কিছু শক্তি থাকা লাগে, যেটা লীগ দমন করতো। কিন্তু এখন সেই পাওয়ারগুলো দৃশ্যপটে উপস্থিত।
বাংলাদেশের লোকজন আলেমদের ডাকে মরতেও পারে, এটা একটা বাস্তবতা।

সুতরাং, অন্তর্বর্তি সরকার লীগ দমাতে বা জনরোষ কমাতে ব্যার্থ হলে সেই পাওয়ার ভ্যাকিউম পুরণে অনেক শক্তিই মাসল দেখাতে চাইবে, সেটা ছাত্রনেতারা কিংবা ট্রাডিশনাল ইসলামী শক্তি। লীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা এই শক্তিগুলোকে মুখোমুখি দাড় করাবেই। আর পাওয়ারগুলো মুখোমুখি মানেই সঙ্ঘর্ষের সম্ভাবনা।

সবার উপরে, আমি তো আমার ভাইয়ের খুনের বদলা নিতে চাইবোই, তাই না?

দ্বিতীয়তঃ উপরে যা বললাম, এগুলো কিন্তু একটা দেশের মধ্যে নিজেরাই সমাধান করা সম্ভব, অতটাও কিছু না যে ফুলস্কেল যুদ্ধ লেগে যাবে। কিন্তু এখানেই আসে এক্সটার্নাল ফ্যাক্টরগুলো।

আনফরচুনেটলি, বাংলাদেশে ভারতের মত এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর খুবই কার্যকর। ভেবে দেখুন, লীগ ক্ষমতা নেওয়ার মাত্র দুই মাসের মাথায় ভারত যদি পিলখানার মত কাজ ঘটাতে পারে, লাস্ট ১৫ বছরে তারা তো বসে ছিলো না। বাংলাদেশের তৃনমূল পর্যায়ে পর্যন্ত ইন্ডিয়ার জাল বিস্তৃত। আমাদের ন্যাশনাল ডাটাবেজ ইন্ডিয়ার হাতে, বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের ব্যাপারে ইন্ডিয়া কিছু না কিছু ভার্চুয়ালি জানে। আমাদের ন্যাশনাল মনিটরিং সফটওয়্যারের সার্ভার ইন্ডিয়াতে। ইভেন আর্মিতে বেতন দেওয়া হয় যে সফটওয়ার দিয়ে, তাও ইন্ডিয়ান। মানে ওদের কিছু প্রদেশকেও ওরা এভাবে পেনেট্রেট করতে পারে না, যেমনটা বাংলাদেশে করে ফেলেছে।
এগুলো কাজে লাগাবে না?

দুই সপ্তাহ পর মার্কিন নির্বাচন। ট্রাম্প জিতলে আমেরিকাতে ছয় মাসের মধ্যে একটা মৌলিক পরিবর্তন আসবে (প্রজেক্ট ২০২৫)।

লীগের আমলে নিশ্চয় খেয়াল করেছে, সমাজের নতুন বড়লোক হয়ে ওঠা লোকগুলো, অস্ত্র হাতে টহল দেওয়া ছেলেরা - সব লীগের। তারা তাদের সাম্রাজ্য ফিরে পেতে চাইবেই চাইবে।

ভারত যদি বিন্দুমাত্র আশার বানী শোনায়, লীগের ওই ৫০ হাজার বাদে বাকি কোটিরা দেশেই আছে, ঝাঁপিয়ে পড়বে।

আপনি জানের ভয়েই আবার মাঠে নামতে চাইবেন।

এবার মিলান সব,কিছু আউট'ল এর কারণে আপনার জান ঝুঁকিতে পড়েছে, আপনার নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ, ফলে আপনি হাতিয়ার ওঠাতে বাধ্য হলেন।

এটাকে কী বলে যেন?
রাইট, গৃহযুদ্ধ।

Ahmad Khan Articles

19 Oct, 21:48


২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় উভয় পক্ষের সৈন্যরাই প্রতিপক্ষের সৈনিকদের মনোবল ভাঙ্গার চেষ্টা করতো। বাংকারের কাছে গিয়ে বলতো অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করতে, আমরা তোমাদের শত্রু না, তোমাদের অফিসারের কথা শুনো না। কখনো প্লেন থেকে লিফলেট ফেলে, কিংবা কখনো হ্যান্ডমাইকে করে।

এটা ডিভাইড অ্যান্ড রুলের ক্লাসিক উদাহরণ। পরবর্তিতে থার্ড জেনারেশন ওয়ার আরো পলিটিকাল রুপ নিয়েছে, এই টেকনিকের ব্যবহার বেড়েছে। তবে এবার আর আওতা কেবল সেনাবাহিনীর মধ্যে নেই। বরং সাধারণ পাবলিককেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শত্রুর মধ্যে যে বা যারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে, বিশেষ করে অস্ত্র ধরতে পারে তাদেরকে বাকি জনগণের কাছে শত্রু হিসেবে তুলে ধরতে হবে। সিভিলিয়ানদের উপর কব্জার সময় এই মেসেজটা দেওয়া, দেখো, এমনিতে আমরা তোমাদের শত্রু না, তোমাদের মারতাম না, কিন্তু এই লোকগুলোই হাতিয়ার তুলে তোমাদের উপর আমাদের রাগিয়ে তুলেছে।

এই টেকনিক একদম পানিপড়ার মত কাজে দিয়েছে। এর উদাহরণ দেওয়া যায় ওসামা বিন লাদেনকে দিয়ে। আজকে সো কল্ড 'লেখাপড়া' করা একজন মুসলিমের কাছে তার ব্যাপারে জানতে চাইবেন। দেখবেন সে যা বলবে তা লাদেনের ব্যপারে সিআইএর বয়ানের সাথে একদম লাইন বাই লাইন মিলে যায়।

এটা কিন্তু কাকতালীয়ভাবে হয়নি। ডিভাইড অ্যান্ড রুলের উপর বেস করে দিনের পর দিন অপিনিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফল। ওসামা বিন লাদেনকে যেদিন হত্যা করা হয়, তার পরেরদিন প্রথম-আলোর সম্পাদকীয় পড়েছিলাম। একটা বাক্য ছিলো, 'লাদেন অনেক মুসলিমকেও হত্যা করেছে।'
এটার সাবলিমিনাল মানে বুঝতে পারেন? আমেরিকা এতই দয়ালু যে মুসলিম হত্যাকারী একজন খুনীকে মেরে মুসলিমদের বাঁচিয়ে দিয়েছে!

পশ্চিমা পাওয়ার হোক বা ইন্ডিয়া বা ইসরাইল - সবার কাছে এটাই টেক্সটবুক উদাহরণ, মুসলিমদের মধ্যে যে-ই একটু গলা উচু করবে, তাকে শত্রু বানিয়ে দাও খোদ মুসলিমদের কাছে। যাদের জন্য চুরি করবে তাদেরকে দিয়েই চোর বলাও - অর্ধেক জিত হয়ে যাবে।

আনফরচুনেটলি, এটা বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশে কাজ করেছে। বিন লাদেনের কথা বললাম। আমাদের দেশের কথাই ধরুন। কিছুদিন আগে পাজিতনি পালকি শর্মা একটা এপিসোড করে কালোপতাকা দেখিয়ে বলল, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বেড়েছে। সাথে সাথে একটা বিরাট সংখ্যক মুসলিম ঝাঁপিয়ে পড়লো, বলেছিলাম না, পতাকা বের করিস না, ওরা জঙ্গী ডাকবে?
মানে ইন্ডিয়া এমনিতে ইনোসেন্ট একটা দেশ, তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের কিছুই বলতো না, যত দোষ এই খেলাফতিদের, এরা ইন্ডিয়াকে এদেশে আনতে বাধ্য করছে, ক্রসফায়ার কোথায়?

****
ব্যতিক্রম দেখলাম ফিলিস্তিনিদের। আমার গাজার প্রায় ৪০০ মানুষকে ফলো করা আছে ইন্সটাগ্রামে। ২০০ এর উপরে পোস্ট দেখলাম শহীদ আবু ইব্রাহিম সিনাওয়ারের ছবি দিয়ে 'রাহিমুহুল্লাহ' ' রহমাতুল্লাহি আলাইহি' লিখছে।

এটা একটা বিশাল ঘটনা। ইসরাইল সেই আজকে থেকে না, বহু বছর ধরে বলছে, হামাস গাজাবাসীদের শত্রু। আমরা এমনিতে তোমাদের মারতাম না, কিন্তু হামাসের নেতারা তোমাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে, তাই তোমরা এই নৃশংসতা ডিজার্ভ করো।

এমনোতো হতে পারতো, প্রাণের ভয়ে গাজাবাসী শহীদ সিনাওয়ারকে শত্রু বলত! কারন আজকে যারাই শহীদ সিনাওয়ারের জন্য শোক প্রকাশ করছে, তারা লিটারালি ইসরাইলের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। তা সত্বেও এমন একজনকে পেলাম না, যে তার শাহাদাতে শোকার্ত নয়।

এক আপু লিখেছেন, 'ওরা কত বড় ইডিয়ট, ভেবেছে আমাদের ৭৫ বছরের সংগ্রাম কেবল একজনের উপর নির্ভরশীল? আমরা তো জন্ম থেকেই লড়ছি এবং মৃত্যু পর্যন্ত লড়বো'

প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না। সম্মানিত শহীদকে একবার বাংলাদেশী ভেবে দেখলাম। ' ভালোই হয়েছে', 'লড়াই করতে গিয়েছিলো!!' ' টানেলে না থেকে ফ্রন্টলাইনে কী', ' অতি জজবাতি', 'জংগী মরেছে' 'নবী (সঃ) ও চুক্তি করেছেন' ' মরেই তো গেলো, লাভ কি হল'

আমরা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারকে হাজার চেষ্টাতেও বুঝতে পারবো না। আমাদের শরীরে সেই মাটিই নেই। দাস মালিকের চেয়ার বসার ফিল ইমাজিনও করতে পারে না। খাঁচার পাখি বাইরেটা কল্পনাতে আনতে পারে না। কারণ সেসব সে এক্সপেরিয়েন্সই করে নি।

গাজার লোকেরা তো বটেও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরাও যেভাবে শহীদ সিনাওয়ারকে আপন করে নিলো - এই কারণেই তারা পবিত্র ভুমির সন্তান।
এই কারণেই সিনাওয়ার গাজায় জন্ম নিতে পেরেছিলেন, গাজীপুরে না।

ওসব উচুদরের আচরণ, আমরা কিভাবে বুঝবো?

Ahmad Khan Articles

18 Oct, 00:27


কোনোভাবেই বুঝোতে পারবো না, মোহাম্মদ দেইফ ও ইয়াহিয়া সিনাওয়ার আমার কাছে কী ছিলেন। যেই কল্পরাজ্যের ডিস্টোপিয়ান পরিস্থিতির মধ্যে বিপ্লবের স্বপ্ন নাবালক বয়স থেকে দেখে এসেছি, তার মুর্তিমান রুপ ছিলেন এনারা।

পিছনে একশো মিডিয়া আর বিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং আছে, ওই বিপ্লবে মজা নেই। সিনাওয়ারের মত পৃথিবীর সব সীমাবদ্ধতা, এর চেয়ে কন্ট্রোলড ইনভায়রনমেন্ট তো আর হয় না - তার মধ্যে থেকে একটা ৭ই অক্টোবর বের করে আনা, এটা গল্পের বইয়ে পড়লে কেউ বিশ্বাস করতে পারতো না। সিনাওয়ার করে দেখিয়েছেন।

আজ মনে কী চলেছে লেখায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

Ahmad Khan Articles

17 Oct, 23:06


আবু ইব্রাহিম সিনাওয়ার শাহাদাতের মাধ্যমেই তার মর্যাদা চুড়ান্ত করলেন।

Ahmad Khan Articles

17 Oct, 23:03


ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন

Ahmad Khan Articles

16 Oct, 00:29


তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে কথা হচ্ছে কয়েক দশক ধরে। কিন্তু হঠাৎ করেই সব কেমন যেন দ্রুত এগোতে শুরু করেছে। আগের দুই বিশ্বযুদ্ধের পুর্বাবস্থার সাথে বর্তমান পরিস্থিতি পুরোপুরি মিলে যায়।

আপনারা নিশ্চয় খেয়াল করেছেন দুটো ব্যাপারঃ

প্রথমতঃ নতুন নতুন দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। আমিরাতের মত পুরোদস্তর ব্যবসায়ী আর প্যাসিফিস্ট একটি রাষ্ট্র সুদানে একটি ফুলস্কেল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।

এই সপ্তাহেই ইউক্রেন যুদ্ধের এক শকিং নিউজ সামনে এসেছে। রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। তাদের লাশ পাওয়া যাওয়ার পরেই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উল্টোদিকে, আমেরিকার পরে ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশী গোলাবারুদ দিয়েছে সাউথ কোরিয়া।
ইউরোপের একটা যুদ্ধে সাথে কোরিয়ানদের কী সম্পর্ক? ঠিক যেন ২য় বিশ্বযুদ্ধের জার্মানি আর জাপানের মত পরিস্থিতি।

মধ্যপ্রাচ্যে এক বছরের মধ্যে চারটে দেশে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লো - ফিলিস্তিন, ইসরাইল, ইয়েমেন ও লেবানন। এবং এটাও সবাই বুঝতে পারছে, এখানেই শেষ না। কারণ ইসরাইল ইরানে হামলা করা মাত্রই জর্ডানের মত দেশেও অস্থিরতা নিশ্চিত।

বাইরে থেকে নিউট্রাল অনেক দেশও সামরিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে - তুরস্ক ও বেলারুশ। তুরস্ক লাস্ট ১ বছরে প্রায় ৬ থেকে আটটা ওয়ারজোনে অ্যাক্টিভ ছিলো।

জেনেভা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহুর্তে পুরো বিশ্বে ১১০ অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘাত চলছে। যার মধ্যে অন্ততঃ ৫টার মতো পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ।
মাত্র তিন-চার বছর আগেও কিন্তু এমন পরিস্থিতির কথা ভাবা যায়নি। করোনার সময়ে মাত্র একটা যুদ্ধের কথা শোনা গেছে, আজেরি-আর্মেনিয়ানদের যুদ্ধ। তারপর এই কয়দিনেই এতগুলো যুদ্ধ লেগে গেলো।

দ্বিতীয়তঃ যুদ্ধ একবার লেগে গেলে আর থামছে না। ইউক্রেনে রাশিয়া কিয়েভের কাছাকাছি চলে আসলে ধরা হচ্ছিলো এবার হয়ত যুদ্ধ শেষ। অথচ দুই বছর ধরে চলছে।

কিংবা গাজাতে। ইসরাইল আর হামাস-ইসলামিক জিহাদের যে শক্তির পার্থক্য, তাতে ইহুদীরা তো বটেই আমরাও ভেবেছিলাম হয়ত মার্চ-এপ্রিল নাগাদ ইসরাইল গাজা দখলে নেবে। তা তো দুরের কথা, হামাসের গায়ে সেইরকম আচড়টাও কাটতে পারেনি। উলটো নতুন যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে। এখন মনে হচ্ছে হামাস হয়ত আরো দুই বছর ইজিলি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে।

একই কথা গৃহযুদ্ধগুলোর ক্ষেত্রেও। সিরিয়ারটা ১২ বছরেও শেষ হলো না। সুদান কিংবা মায়ানমার, শেষ দূরের কথা - লড়াইয়ের মাত্রা কমারও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ব্যক্তিগত মতামত, এই যুদ্ধগুলোর অধিকাংশই আর থামবে না। একেবারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে গিয়ে মিলবে।

ট্রাম্প ফ্যাক্টঃ
ট্রাম্প লাস্ট এক-দেড় বছর ধরে 'সে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকাবে' বলে মার্কেটিং করে আসছে। বহুবার বলেছে, সে প্রেসিডেন্ট হবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেবে। এছাড়া ইউএফসিতে খাবিবের কথার উত্তরে সে গাজার যুদ্ধ থামিয়ে দেবে বলে জানায়।

কিন্তু গত ৬ মাসে ট্রাম্প পুরোপুরি উলটে গেছে। এখন এমন কোন ক্যাম্পেইন নেই যেখানে সে ইসরাইল চাটছে না। বারবার ইরান আক্রমণের কথা বলছে।
ইসরাইলের যে অভ্যন্তরীণ ভঙ্গুরদশা, তাতে তারা যেকোনো মূল্যে ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনা আনতে চায়। এবং এটা যে নিশ্চিত করতে পারবে সে-ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবে।
সব বিবেচনায় ট্রাম্পের জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

বাংলাদেশ ফ্যাক্টঃ

চিন্তাশীল ব্যাক্তিমাত্রই দেখতে পাচ্ছেন, বাংলাদেশ আগামী দিনে আর শান্ত হবে না। লীগ এখন অ্যাসেসমেন্ট পিরিয়ডে আছে। এই দিনগুলোতে সাকিবের মত যেসব সফট পারসোনা রয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবে। ট্রাম্প জিতলেই আসল দিন।

একটা বাস্তবতা বুঝতে হবে, ভারত দরকার পড়লে অরুণাচল চীনের কাছে ছাড়তে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়তে পারবে না। এটা তাদের জন্য অনেক রিস্কি। লাস্ট ১৫ বছরের ইনভেস্টমেন্ট তারা এত সহজে ভাসিয়ে দেবে?
লীগের লোকজনের পয়সা আর ক্ষমতার ক্ষুধা রয়েছে, আর ইন্ডিয়ার দরকার কিছু ক্ষুধার্ত লোক। যদিও লাস্ট দেড় দশকে ডানে-বায়ে ইন্ডিয়ান স্বার্থরক্ষীরা পদে বসেছে, তবু ওই ফ্রি-পাস-নিশ্চয়তা কেবল হাসিনা থেকে মিলতো।

লীগের লোকের হাতে টাকা আর অস্ত্র রয়েছে। যেকোনো দিন লীগের কেন্দ্র থেকে লাশ ফেলতে বলুক, ঠিকই দেখবেন ওরা ফেলে দিয়েছে।

র যেভাবে কাজ করে, তাতে আগামী দিনে টার্গেটেড অ্যাসাসিনেশন বাড়বে - এতে সন্দেহ নেই। আর কিছু লোককে, বিশেষ করে ইসলামপন্থীদেরকে এক্সিকিউট করবে, কিন্তু সেটা অপিনিয়ন ইঞ্জিয়ারিং এর মাধ্যমে, ফলে লোকের সমর্থন থাকবে ওই হত্যাকান্ডে।

আগামীতে আমাদের দেশ শান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এভাবেই বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হবে।

Ahmad Khan Articles

16 Oct, 00:28


পড়ুন নিচের পোস্টে 👇👇👇

Ahmad Khan Articles

13 Oct, 16:45


আর বড় কারণ প্রকাশ্য অশ্লীলতা। নিকটবর্তি সময়ে আপনি যেকোনো পাবলিক ভার্সিটি ভিজিট করে থাকলে বুঝে গেছেন আমি কী বলছি। একদম পাবলিক পার্ক বানিয়ে ফেলেছে।

সিনিয়ররা এসে বলেছিলো, কিরে, ক্যাম্পাস তোরা পুরো মাগীপাড়া বানিয়ে ফেলছিস। বাচ্চাকাচ্চার সামনে ব্যপক বিব্রতকর অবস্থা।

শুধু এই একটা কারণেও ভার্সিটি লাইফে শিবিরের পাওয়ারফুল উপস্থিতি মিস করেছি। ছাত্রলীগের কাছ থেকেই শোনা, শিবির ক্যাম্পাসে কেমন পাহারা বসিয়েছিলো। শাবির একজন বললো, যেদিন থেকে শিবির বিতাড়িত হলো তখন থেকেই ঝোপেঝাড়ে ইউজড কনডম পাওয়া যেতে থাকলো।

২০২২ সাল থেকে অ্যান্ড্রু টেইট পর্যন্ত রিয়েল লাইফে বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে আলোচনায় বারবার এসেছিলো, কিশোর-তরুণদের জন্য মিনিংফুল কিছু শিবির যেইভাবে করে অন্য কোনো সংগঠন পারেনি। বর্তমান তরুণদের যে ডিসিপ্লিন আর মিসগাইডিংয়ের সঙ্কট - শিবির থাকলে তা কমে যেত।

ঠিক এই একটা কারণে হলেও ব্যপারটা নিয়ে আশাবাদী।

• মেইন্সট্রিম শিবির সেইভাবে করিনি কোনোদিন। বড় কারণ অবশ্যই ডেমোক্রেসি। এখন জুনিয়রদের বলি, টাকাপয়সার একদম মরণপণ অভাবে হলে শিবিরের নেতাদের কাছে যা, অন্ততঃ একটা টিউশনির ব্যবস্থা করে দেবে।

• অ্যাডমিশন কোচিঙয়ের সময় একটা ছেলের সাথে পরিচয় হয়েছিলো। ওকে ওর নিজ কলেজেরই প্রিন্সিপাল পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছিলো শিবির করতো বলে। ইন্টার পরীক্ষা প্রথমবার দিতে পারেনি। পরেরবার নানান কায়দা করে ম্যানেজ করেছে।

ও একটা বার্মিজ চাকুর ছবি দেখিয়েছিলো। বলেছিলো, চাকুটা কিনেছি আমার প্রিন্সিপাল স্যারের জন্য। যেদিন লীগ ক্ষমতা থেকে নামবে আমি একদৌড়ে কলেজে যাবো।

গত একমাস আগে আপনারা যেসব শিক্ষক(!)দের পদত্যাগ করানো দেখেছেন, ওগুলোর পিছনে এরকম স্টোরি ছিলো।

• আমার কাজিন শিবিরের মেসে ছিলো। ২০১২ সালের ঘটনা। সেখানে থাকতো ওই উপশাখার সেক্রেটারী। সে আবার প্রেম করতো। একদিন ফোনে কথা বলার সময় কট খেলো। একজন দায়িত্বশীলের এরকম চারিত্রিক অধপতন, শহর শাখার নেতৃবৃন্দ বিচার বসালো। কোচিং সেন্টারের বেঞ্চের কাঠ দিয়ে পিটিয়ে ওই সেক্রেটারীকে মেস থেকে বের করে দেওয়া হলো।

Ahmad Khan Articles

13 Oct, 16:45


সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও শিবির প্রসঙ্গ

• বিপ্লবের ফল নিতে হলে সবার আগে আত্মত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হয়। না করতে পারলে আপনি ওই বিপ্লবের ফল ভোগের মোরাল রাইট হারাবেন।

সরকারীভাবে গড়া ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন' এর প্রধান ব্যক্তি হিসেবে ডঃ ইউনুসকে নিয়োগ দেওয়া ছিলো সবচেয়ে বড় ভুল। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তার লাখো দায়িত্ব আছে। এখানের জন্য সময় তেমন পাবেনই না। একজন ডেডিকেটেড লোক দেওয়ার দরকার ছিলো।
শহীদ মুগ্ধ'র ভাই স্নিগ্ধকে দায়িত্বে রাখা ওইসময় রাইট মনে হলেও এখন ভুল প্রমাণিত হচ্ছে।

চিন্তা করেন, রক্ত দিয়ে আনা সরকার ক্ষমতায়, কিন্তু রক্ত দেওয়া লোকটার জন্য বিকাশ নাম্বার দিতে হচ্ছে কেন ফেইসবুকে? দুই মাস পরেও এমন আহত পাওয়া যাচ্ছে যাদের কাছে এখনো কোনো সাহায্য যায়নি।

আর এত এত সিরিয়াস ইনজুরি, ২২ হাজার আহত, কয়জনকে বিদেশ পাঠানো হয়েছে?

সরকারের এই ব্যর্থতার মাফ হয়না। ঠিক এটাই যথেষ্ট ডঃ ইউনুসকে কলঙ্কিত করে ফেলার জন্য।

• ৫ই আগস্ট পুলিশের উপর হামলার জন্য যে মামলা বা গ্রেফতার হচ্ছে - এগুলো সব টেস্ট কেস। পুলিশ বাজিয়ে দেখতে চাচ্ছে। এজন্য মামলাগুলো সব ঢাকার বাইরে।

আমাদের এখনি কড়া রেস্পন্স দেখাতে হবে। একটা মামলা, অ্যারেস্ট দুরের কথা - জিডিও হওয়া উচিত নয়। যে পুলিশ মরেছে - মরেছে, দরকার হলে ফ্যামিলিকে ক্ষতিপূরণ দিন। অ্যারেস্ট কেন হবে?

আহতরা এখনো হাসপাতালে।

• গত দুই মাসের একটা পজিটিভ দিক ছিলো ইসলামপন্থীদের সরব উপস্থিতি। যদিও এর ডাবল হওয়ার দরকার ছিলো - সুযোগ আস্তে আস্তে কমে আসছে। তবু যেটুকু হয়েছে, প্রথম আলো গংকে একটু হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়া গেছে।

• সরকারে থাকা এনজিওর লোকেরা এটা নোটিস করেছে। তারা জানে সামনে সংবিধান সংশোধন আসছে। আবার পাবলিক সাপোর্টও অত পক্ষে নেই। তাই যা আছে তাই নিয়েই সর্বশক্তি নিয়োগ করতে চায়।

উপদেষ্টা শারমিন সরাসরি মেয়েদের আন্দোলনে রাস্তায় নামতে বলেছে। গুনে গুনে নয় জন কাগজ হাতে দাড়িয়েছে, সেটা প্রথম আলোর লীড নিউজ।

আগামী দিনে ফেমিনিস্ট সংগঠনগুলোর অ্যাক্টিভিটি আরো বাড়বে।

এরা নির্লজ্জ্ব। গত পনের বছরে লীগের আমলে লীগের করা ধর্ষণের বিচার চাইতে আসুক - সেটার ক্রেডিবিলিটি থাকতো। স্বঘোষিত ধর্ষক মোজাম্মেল দশ বছর মন্ত্রীত্ব করে গেলো।
এত এত গুরুত্বপূর্ন ইস্যু, দেশী ফেমিনিস্টদের মুল ফোকাস পড়লো কোথায়?
ওড়নাতে!!



শিবির প্রসঙ্গঃ

• আর কেউ না জানুক, মাঠে যারা ছিলেন তাদের জানার কথা মাঠে জামায়াত শিবির কতটা উপস্থিত ছিলো। জামায়াতের অফিসিয়াল হিসাব অনুযায়ী তাদের ও শিবিরের মিলিয়ে ১৬ লাখ কর্মী রাস্তায় নেমেছিলো। প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশী।

শিবির ছাড়া এই আন্দোলন হতে পারতো না। মিছিলের ডেস্টিনেশন থেকে পানির বোতলের জোগাড় সব তারা ভালোভাবে সামলিয়েছে।

১৮ তারিখ ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হলো। পরদিন ১৯ তারিখ, কোনো খবর পাচ্ছি না। বিকেলের দিকে রেডিও হাতে বেরোলাম। শিবিরের একজনের সাথে দেখা। বললো আজকে প্রোগ্রামে যাননি? বললাম, প্রোগ্রামের কথাই তো জানতাম, আমি তো জানি নেট বন্ধ মানে সব বন্ধ। আমাকে বলল, শিবিরের সব শাখা থেকেই ছেলে নিয়ে গেছে।

আমি অবাক হলাম। শিবির কিভাবে এলো? ভাই বলল, আপনার কি মনে হয়, এইসব সাধারণ ছাত্র যারা জীবনে ১০টা লোক একজায়গায় করেনি তারা এত বিশাল আয়োজন করছে? ফেইস দিয়ে রেখেছে সাধারণ ছাত্রদের, কিন্তু অর্গানাইজ করছে সব জামায়াত শিবিরের লোক। খোদ বিএনপির লোকজনও জামায়াতের ভাড়া করা গাড়ীতে করে শহরে আসছে।

ছোট শহরগুলোতে এটাই রিয়েলিটি ছিলো। নেট বন্ধ তবু হাজার হাজার ছেলে উপস্থিত হয়েছে। কিভাবে? কারণ তাদের কর্মীরা ছিলো ওয়েল ডকুমেন্টেড। ফোন নাম্বার-ঠিকানা সব ছিলো, ফলে নেট বন্ধ থাকায় প্রবলেম হয়নি। আর শিবিরের মেসগুলো থেকে সবাই যেত মিছিলের জন্য।

• সমন্বয়কদের যে অতিরিক্ত ক্রেডিট দেওয়া হয়েছে, তা তারা ডিজার্ভ করে না। এটা সত্যি, তারা জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত আন্দোলন টেনে নিয়ে গিয়েছে, তবে পিছনে শিবির ছিলো।

জুলাইয়ের শেষ কয়েকটা দিন থেকে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত মাঠের পরিস্থিতি এমন ছিলো, কেউ ঘোষণা না দিক, সকাল ১১টা থেকে বিক্ষোভ হবে মানে হবেই। মানুষ সকাল থেকেই এসে বসে থাকতো, ইভেন জানতোও না আজকের কর্মসূচী কী হবে। কোনো নেতা বা সমন্বয়ক যদি আন্দোলন থামিয়ে দেবার কথা বলতো, আমি নিশ্চিত মানুষ তাদের কথা শুনতো না।


• এখন শিবিরের ভূমিকা মোটামুটি সবাই জানে। আব্দুল কাদের নিশ্চিত করেছে আমরা যে দাবীদাওয়ার কথা শুনেছি তা শিবিরের লোকজনের লিখে দেওয়া। কিন্তু শিবির যথাসময়ে এই ক্রেডিট ক্লেইম করতে পারে নি। মহফুজের মত লোকেরা ততদিনে ফ্রন্টসিটে বসে গেছে।

• এবার সবচেয়ে ব্রাইট সাইটটার কথা বলি। এই বিপ্লবের যদি একটা ভালো দিক থাকে সেটা হলো ক্যাম্পাসে শিবিরের উপস্থিতি।

দুটো কারণে। মাদক আর অশ্লীলতা নির্মুল

ভার্সিটি থাকাকালীন দেখেছি কিভাবে হোয়াটসঅ্যাপে নক দিলেই একদম হলের রুমে পর্যন্ত পৌছিয়ে দিয়ে যেত। এটা পুরো নির্মুল সম্ভব নয়, কিন্তু কিছুটা নিয়ন্ত্রনে তারা আনতে পারবে।

Ahmad Khan Articles

09 Oct, 17:24


প্রথম-আলোর ফেমিনিস্ট ন্যারেটিভ তৈরির ঘৃণ্য অপচেষ্টা


শায়লা বীথি বলেছেন, তার স্বামীর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তার উপরে হামলা হতে পারে।

এখন কে এই বিথির স্বামী? আর তার রাজনৈতিক পরিচয় কী?

বীথির স্বামী তৈমুর ফারুক তুষার। সে কালের কন্ঠের রিপোর্টার। পড়াশোনা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে ছিল জাসদ ছাত্রলীগের (ইনু) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি।

এই লোক প্রচন্ড মাত্রার ইসলামবিদ্বেষী এবং আওয়ামীপন্থী। শাহবাগের সময় জামায়াত নেতাদের ফাঁসির দাবীতে রাস্তায় ছিলো। তার প্রোফাইলজুড়ে ২০১৩ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত নানা সময় ইসলাম, মুসলিম ও ইসলামপন্থীদের কটাক্ষ করতে দেখা যায়। সে এখনো বর্তমান সরকারকে নানাভাবে তাচ্ছিল্য করে চলেছে।

এই চিহ্নিত আওয়ামীলীগ অ্যাক্টিভিস্টের রোষানলে পড়তে হয়েছে বহু মানুষকে। ৫ই আগস্ট বিপ্লবের দিনে এই দালালের বাড়িতেও হামলা হয়।


• শায়লা বীথির উপর হামলা একটা নাটক হবার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ ৫ তারিখের পরে জনরোষ এড়াতে ও জনমত টানতে নিজেদেরকে ভিক্টিম হিসেবে দেখানোর চেষ্টা।

• হামলাটা বীথির ভাষ্য অনুযায়ী তার স্বামীর রাজনীতির কারণে হয়েছে বলে তার দাবী। কিন্তু প্রথম আলো এটা 'নারীবিদ্বেষী মৌলবাদের' বয়ান হিসেবে দাড় করাতে চাচ্ছে।

• যদি নিজেদের সাজানো না-ই হবে তাহলে এতবড় অ্যাসল্টের পর মামলা কোথায়? হামলাকারীদের গ্রেফতার করে কেন জিজ্ঞেস করা হচ্ছে না, যে তারা মৌলবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েই তার উপর হামলা করেছে কিনা?

• কোনো কিছু প্রমাণিত হওয়ার আগেই 'শক্তি নেটওয়ার্ক' নামের চিহ্নিত ফেমিনিস্ট সংগঠন ঠিকই ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ভিক্টিমহুড ইউজ করে নিজেরা প্রাসঙ্গিক হবার চেষ্টা।

■ দ্বিতীয় ইস্যু

প্রথম আলোর এই ন্যারেটিভের পুরো রিপোর্টটাই এরকম গোঁজামিলে ভর্তি। যেমন একই রিপোর্টে অপরাজিতা সঙ্গীতা নামের আরেক নারীর সাথে ঘটা ঘটনা উল্লেখ করেছে। সঙ্গীতা চার সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করে দাবী করেন, ওড়না না থাকায় নাকি তার উপরে হামলা হয়েছে। ঘটনাটা বানোয়াট

• উক্ত ভিডিওর মাধ্যমে কিছুই প্রমানিত হয় না, তার উপর আদৌ হামলা হয়েছে কিনা, বা হলেও তা ওড়নার কারণে কিনা।

• চার সেকেন্ডের ক্লিপ থেকে কী বোঝা সম্ভব? তার আগের বা পরের অংশ কোথায়? নিজের উপর ঘটা হামলা আপনি চার সেকেন্ড পরেই বন্ধ করবেন?

• এবার আসল প্রশ্ন। হামলা হলে সেটা ফৌজদারি অপরাধ। সঙ্গীতা মামলা করেনি। নাকি মামলা হলে তার মিথ্যা ধরা পড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে?

প্রথম আলো কিভাবে এই ব্যাপারগুলো ভেরিফাই না করে এতবড় একটা সেন্সিটিভ ইস্যুতে উপসংহার টানতে পারে?

অপরাজিতা সঙ্গীতা একজন পারফেক্ট ফেমিনিস্টের উদাহরণ। তিনি ফেমিনিস্টদের মধ্যে কমন প্রবলেম, 'ভিক্টিমহুড কমপ্লেক্সে' ভুগছেন।
একইসাথে এই নারী প্রচন্ড পুরুষবিদ্বেষী। তার বানানো এক ফিল্মের নাম 'পুরুষাতঙ্ক'।
২০২২ সালের নরসিংদী স্টেশনকান্ডে সে গিয়েছিলো ‘অহিংস অগ্নিযাত্রা’ প্রতিবাদের নামে তামাশা করতে।

■ প্রথম আলোর আনা বাকি রিপোর্টগুলোও গোঁজামিলে ভরাঃ

• নরসিংদী কান্ডকে নারীর প্রতি সহিংসতা হিসেবে দেখাতে চেয়েছে। যেখানে হাইকোর্ট নিজেই বলেছেন, " সভ্য দেশে এমন পোশাক পরে রেলস্টেশনে যাওয়া যায় না"

• ক্লিশে সেই টিপকান্ডের কথা এনেছে। যা বহু আগেই প্রমাণিত হয়েছে ওই মহিলার বানানো বলে। মাঝখানে নাজমুল নামের পুলিশ সদস্যের লাইফটাই এলোমেলো করে দেওয়া হলো।

■ প্রথম আলো এত মরিয়া চেষ্টা কেন করছে?

• প্রথম আলো একটি মৌলিক আইনগত ও সাংবিধানিক পরিবর্তন চায়, যা ফেমিনিস্ট তথা সেক্যুলারদের পক্ষে থাকবে। লীগের আমলে পলিটিকাল কারণে এসব সামনে আনতে পারেনি। তারমানে এই নয় যে তারা চেষ্টা করেনি, সর্বোচ্চ করেছে।

• ইউনুসের সরকার অরাজনৈতিক, ফলে তাদের পলিটিকাল লাভক্ষতির হিসেবের দরকার নেই। কিন্তু প্রথম-আলোর প্রবলেম হয়েছে সদ্য ঘটা বিপ্লবের সিংহভাগটাতেই ইসলামপন্থীদের অংশগ্রহণ, এদেশীয় মুসলিমরাই এই বিপ্লবের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার। তাই তাদেরকে ডিঙ্গিয়ে কিছু করে প্রতিক্রিয়া ডেকে আনার কাজটা এখনি সরকার করতে চায় না।

• ফলে তারা অ্যাস্ট্রোটার্ফিং শুরু করেছে। নিজেদের এজেন্ডাকে জনতার এজেন্ডা হিসেবে প্রতিঠিত করতে চাইবে। এজন্য তারা একদফা ট্রায়াল দিয়েও ফেলেছে (এবং লজ্জ্বাজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, নারীরা যা ইচ্ছে পরতে পারবে, এটা দেশের ৬০ শতাংশ মানুষই মানেন না।

প্রথম আলোর আগের অ্যাপ্রোচগুলো দুর্বল, এবারেরটাও ব্যার্থ হবে।

Ahmad Khan Articles

09 Oct, 17:23


নিচের পোস্টে পড়ুন 👇👇👇

Ahmad Khan Articles

09 Oct, 17:18


আসছে কয়েক মিনিট পর

Ahmad Khan Articles

06 Oct, 19:13


মেয়েদের বেলায় অন্ততঃ তার বাবার ফ্যামিলিটা রয়েছে। তাদের কাছে হেল্প চাইতে পারে, পরামর্শ নেয়। ছেলে যাবে কোথায়? একটা মানিব্যাগ কেনার আগেও যেই বাবাকে জানানো যেত সেখানে তাকে এ ব্যাপারে কিছুই বলা যায় না।

মা জ্বর হলে ছেলের আগে টের পান, অথচ এই ব্যালান্স করতে গিয়ে ছেলে যে তীব্র যন্ত্রণায় মানসিক রোগী হবার পথে, মা বুঝতেই চান না।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে, মা ছেলের কাছে ফোন করেছে। রিসিভ হয়নি। মা বললো, দেখেছিস, বিয়ের পর কেমন কথা বলা বাদ দিয়েছে। আমি বললাম, আচ্ছা, বিয়ের আগে ফোন না ধরলে কী মনে করতেন? বললেন, হয় মিটিঙয়ে আছে, কিংবা গাড়িতে। বললাম, একই ঘটনা কী এখনও ঘটতে পারে না?

বউ মানবে না, মা-বাবাকে কিছু বলা যায় না, ভাইয়েরাও ইন্টারেস্টেড পার্টি, তাদের বলা মানে ভাবীদের মুখ ঘুরে আরেক পরিস্থিতি। বিবাহিত ছেলেরা শেষমেষ আসে আমাদের মত বন্ধুদের কাছে। পরামর্শ চায়, এদিকে আমরা নিজেরাই ব্যাচেলর। সংসারে এক বছরের মাথায় হাঁপিয়ে উঠেছে, বলে তোর ওখান থেকে একদিন ঘুরে আসা যাবে?

বন্ধুদের যাদের সাথে এক মিনিটের বেশী কোনোদিন ফোনে কথা হয়নি, তাদের সাথেই এখন ২০-৩০মিনিট পার হয়ে যায়। সবার একই ইস্যু।

থাম্বনেইলে যে ছবিটা দিয়েছি এটার সাথে একটা সত্য ঘটনার সম্পর্ক আছে।
মাঠের পাশে এভাবে গাছতলায় বসে আমাকে ফোন করতো। মা-বৌ দুইজন দুই ঘরে মন খারাপ করে বসে আছে, দুজনের কাছেই সে ভিলেন। এমন একটা অবস্থা, লাইফের আপন মানুষদের বলা যায় না, মা-বৌ বুঝতে চায় না, নিজের ভাইকেও বলা যায় না - ভাই নিজেও এক পক্ষ। শেষমেষ ভরসা বন্ধুরা।

ওকে বললাম, তোর সাথে যেসব ইস্যু নিয়ে কথা হয় সেগুলো নিয়ে কিছু একটা লিখি। থাম্বনেইলটা ওর সামনেই বানানো।

■■ আধুনিক মায়েদের ডুয়ালিটি

ছেলের বৌয়ের বেলায় কারারক্ষীর মত হলেও একটা ব্যাপারে মায়েদের আচরণ পুরো উল্টো। সেটা হলো ছেলের গার্লফ্রেন্ড। অনেক ফ্যামিলিতে দেখেছি, মা ছেলের গার্লফ্রেন্ডের সাথে নিয়মিত ভিডিওকলে কথা বলে। সে কি হৃদ্যতার সম্পর্ক!
ভ্যালেন্টাইন ডে-তে প্রথম আলো শিরোনাম করেছিলো, মা তার ছেলের গার্লফ্রেন্ডকে বলছে, 'আমার পাগলটারে দেখে রাইখো মা'

ছেলে প্রকাশ্য ব্যাভিচারে জড়িয়ে রয়েছে, মা উলটো উৎসাহ দিচ্ছে! এই মা-ও নাকি সংসারে শান্তি চায়!

এবার ভাবুন তো এই মেয়েটাই যখন তার পুত্রবধু হচ্ছে তখন তার ওই ক্রিম মাখানো আচরণ কোথায় পালালো? মমতাময়ী মা থেকে হয়ে উঠলেন কম্পিটিটর শাশুড়ী!

শুধু ফ্যামিলিতে মা-ভাবীর ক্যাচাল দেখেও বহু ছেলে বিয়ের আগ্রহ হারাচ্ছে।

এক সিনিয়রকে বলা হলো বিয়ে করেন না কেন? বলল, মা আমাকে এখনও খাইয়ে দেয়। মা ওর সাথে আমি বাদেই অনেকক্ষণ ফোনে কথা বলে। একদিকে আমার সেক্সুয়াল লাইফ ঠিকঠাক, কোনো দায়িত্ব নেই-গ্যাঞ্জাম নেই, মায়ের আদরও পাচ্ছি। আমি জানি বিয়ের পরদিনই এসব উধাও হয়ে যাবে। সেধে এই লাইফ হারাতে যাবো কেন?

মানে বিয়েকে ঠিক আর কত কঠিন করা হবে!

■■ সংসার শিখবো কোথায়? উদাহরণ সামনেই আছে

কিছু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার পেলাম প্রি-ম্যারেজ কোর্স এবং কাউন্সেলিংয়ের উপর

> ইরানে ১৯৯৩ সাল থেকে গ্রাজুয়েশন লেভেলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রি-ম্যারেজ কোর্স ও কাউন্সেলিং করানো হয়। এসব কোর্সের টপিক থাকেঃ
- স্বাস্থ্য,
- ধর্মীয় ও আইনি বিধান,
- বিবাদ মেটানো,
- স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ও
- কমিউনিকেশন স্কিল।
কোর্সগুলো তৈরি করা হয় অত্যন্ত অভিজ্ঞ কিছুর প্রফেসর এবং সংশ্লিষ্ট প্রফেশনালদের দিয়ে।
একটা রিসার্স পেপার পেলাম, যেখানে দেখিয়েছে কিভাবে এসব কোর্স ডিভোর্সের হার তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমিয়েছে।

> মালেশিয়াতেও সিমিলার কোর্স রয়েছে। এছাড়া ভার্সিটিভিত্তিক নানান সংগঠন এরকম ওয়ার্কশপ ও কোর্সের আয়োজন করে। একটা কোর্সের পোস্টারের ছবি দেখলে আইডিয়া পাবেন।

> বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়পর্যায়ে এই ধরনের প্রি-ম্যারেজ কোর্স অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর পাশাপাশি এখনই কিছু সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিতে পারে।

> যারা শাশুড়ী হতে যাচ্ছেন তাদের জন্য ছেলে-মেয়ের বিয়ের আগে অবশ্যই তাদের করণীয় সম্পর্কিত কর্মশালার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশে ফ্লোর মোছার জন্যও কোর্স আছে, কিন্তু শ্বাশুড়ি হওয়াটা নারীরা শিখছে কোথায়? তাদের মনগড়া কাজের কারণে পুত্রবধু তো বটেই, ছেলের উপরও মারাত্মক জুলুম করেন। যা তাদের নিজেদেরকেও মানসিক শান্তি দেয় না। এই ধরণের আয়োজন সব পক্ষের জন্যই উইন-উইন হবে।

> সর্বশেষ, বিয়ের প্রস্ততিতে সবাই যে পার্টটা স্কিপ করে যায় সেটা হলো বাচ্চার কেয়ার। বিয়ের পর ইভেনচুয়ালি বাচ্চা হবেই। ইউনিভার্সিটি পাশ গর্বিত মা-ও দেখা যায় বাচ্চার নিউট্রিশন ও সাইকোলজি সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান নেই, সারাদিন বাচ্চাকে ভাত গেলানোর ট্রাই করে যাচ্ছে। এটাও শিখতে হবে।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।