Muslim Inspiration Official

গুনাহের ক্ষতিসমূহ..

একবার সালাফদের একজনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘ভালো কাজ কেন এত ভারী মনে হয়? অন্যদিকে পাপ কাজ কেন এত হালকা মনে হয়?’
.
তিনি উত্তরে বলেন, “কারণ, ভালো কাজের তিক্ততা আমাদের সামনে উপস্থিত, আর মিষ্টতা অনুপস্থিত যেটা কিনা জান্নাতে মিলবে; তাই ভারী মনে হয়। ভারী হওয়ার কারণে কাজটা যেন তুমি ছেড়ে না দাও। আর খারাপ কাজের মিষ্টতা উপস্থিত, আর তিক্ততা অনুপস্থিত যেটা কিনা জাহান্নামে মিলবে; তাই হালকা মনে হয়। হালকা হওয়ার কারণে কাজটা যেন তুমি করে না বসো।”

সূত্র: ফাতহুল বারী, ১৭/৬৩২

মা শা আল্লাহ! আমাদের সানাবিলের ভাইয়েরা আফিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা আমাদের দেশ থেকে আফিয়ার মুক্তির জন্য আইনি লড়াইয়ের খরচ যোগানোর কাজটাকে সহজ করবে ইনশাআল্লাহ।
.
সানাবিলের উদ্যোগকে সবাই ছড়িয়ে দিন। নিজেরাও সাদাক্বাহ করুন, অন্যদেরও করতে উৎসাহিত করুন। আল্লাহর কাছে দু'আ করুন, যেন আমরা আফিয়া সিদ্দিকী মুক্ত হয়েছেন সেই দিনটি দেখতে পাই।

পোস্টের লিংকঃ https://www.facebook.com/share/p/15eAZXzahb/

সাহাবীদের এবং আমাদের মধ্যেকার সাইকোলজির পার্থক্য

Youtube link-
https://youtu.be/mTIIbTakKks

সাহিল আদিম হাফিজাহুল্লাহর এই লেকচারে সাহাবীদের এবং আমাদের মধ্যেকার সাইকোলজিক্যাল পার্থক্য, কেন সাহাবীদের মর্যাদা এত বেশি, সে সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পাবেন ইনশাআল্লাহ..

ভিডিও ক্রেডিটঃ‌ Youth IslamFeed

উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন:
‘দোয়া আসমান-যমীনের মধ্যবর্তী স্থানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে, তোমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি যতক্ষণ তুমি দুরূদ পাঠ না করো ততক্ষণ তার কিছুই উপরে উঠে না।’

[তিরমিযী, হাদীস নং ৪৮৬]

إِنَّ الدُّعَاءَ مَوْقُوفٌ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ لاَ يَصْعَدُ مِنْهُ شَيْءٌ حَتَّى تُصَلِّيَ عَلَى نَبِيِّكَ صلى الله عليه وسلم

আজ শুক্রবার, বেশী বেশী দরূদের দিন। সূরা কাহাফের দিন। দু'আর বিশেষ দিন।

মুমিন কখনোই পাপাচারে পরিপূর্ণ স্বাদ পায় না, বরং যখনই সে পাপাচারে লিপ্ত হয় তখনই তার অন্তরে একটা অস্থিরতা কাজ করে। যদি অন্তরে এ অস্থিরতা না আসে তবে এজন্য তার কাঁদা উচিত। কেননা তার অন্তর মরে গেছে। [মাদারিজুস সালিকীন, ১ম খন্ড, ১৮০ পৃঃ]

আহহা, আমাদের অন্তরের কি অবস্থা! আমাদের অন্তরে কি পাপাচারে লিপ্ত হলে অস্থিরতা অনুভব হয়? যদি না হয় তবে আল্লাহর সামনে হাত তুলে মুনাজাতে একটু কান্নাকাটি করি ইনশাআল্লাহ..

#GemsFromSalaf #IbnulQayyim #MuslimInspirationOfficial

আজানের সময়ে ও পরে করণীয় কিছু আমলের ফজীলত সমূহ এক নজরে... আমল করতে পারি ইনশাআল্লাহ...

স্থান, কাল, পাত্রভেদে একই জিনিসের মূল্যের ভিন্নতা হয়। শাইখ শাহ সুলতান আহমাদ নানুপুরী রহমাতুল্লহ— এর এক ঘটনা পড়লাম, যেখানে তিনি তার খাদেমকে রাত্রে বাহির থেকে কিছু আনার আদেশ করলেন। রাত তখন গভীর হওয়াতে বাজারে কোনো দোকান খোলা ছিল না, সবশেষে হযরতের খাদেম এক দোকান খোলা পান। স্বাভাবিক মূল্যের থেকে একটু বেশি দামেই সেই বস্তুটির মূল্য বলা হয়। উপায়ন্তর না পেয়ে, সেই দোকান থেকেই হযরতের কাঙ্খিত বস্তু ক্রয় করে নিয়ে আসলেন।

শাইখ সমস্ত বিষয় শোনার পর যে কথা বলেন, এই ঘটনার মূল শিক্ষণীয় বিষয়টিই হচ্ছে এটি। হযরত বললেন— দেখো! গভীর রাতে বাজারে একটি দোকান খোলা থাকায় (অমুক) জিনিসের মূল্য বেড়ে গেছে, তেমনি যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদ পড়ে, তখন আল্লাহ দেখেন, দুনিয়ার সকল লোক ঘুমে বিভোর কিন্তু এক ব্যক্তি নামাজ পড়ছে। তখন আল্লাহ পাকের কাছে উক্ত ব্যক্তির দাম এবং নামাজের দাম বেড়ে যায়। তখন যদি সে টুটিপুঁটি ইবাদাতও করে আল্লাহ পাকের কাছে তার দাম অনেক বেশি।

আল্লাহু আকবার, কি সুন্দর দৃষ্টান্ত আমাদের জন্য। আল্লাহ হযরতকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুক।

রাতের শেষভাগে রব তাঁর বান্দার খুব নিকটবর্তী হন। যদি পারো, ওই সময় আল্লাহর যিকিরকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও! -জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫৭৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১২৭৭

আমাদের কিয়ামুল লাইল থেকে বঞ্চিত হওয়ার মূল কারণ আমাদের গুনাহ ও সময়ের সঠিক ব্যবহার না করা।

#QiyamulLayl #SelfReminderM

অজান্তে চোখ ঝাপসা হয়ে গেলো...
সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল ‘আযীম!

আরাফাতের মাঠে দু’আ কবুলের এক আশ্চর্য ঘটনা | মুহতারাম শিবলী মেহেদী (হাফি.)

ভিডিও: Sabr Hajj & Umrah

মুসলিম ইন্সপিরেশন অফিশিয়াল আয়োজিত লাইভ সেশনে Ishtiak Ahmed Tushar হাফিজাহুল্লাহর আলোচনায় আলোচ্য বিষয় ❝তাক্বওয়া কী? তাক্বওয়ার স্তরসমূহ ও অর্জনে করণীয়❞

ভিডিও লিংকঃ—
https://youtu.be/UwwdyV9pg18

আসলাফ একাডেমির বাৎসরিক অফার চলমান। চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ইনশাআল্লাহ।

- থাকছে ৮০% পর্যন্ত ছাড়! [ইশতিয়াক আহমেদ তুষার হাফিজাহুল্লাহর এই কোড AA22IAT ব্যবহার করে অতিরিক্ত ছাড় পাবেন ১০% ইনশাআল্লাহ।]
- একজন সৌভাগ্যবান পাবেন উমরা করার সুযোগ!
- দুইজন পাবেন স্বর্ণের রিং হাদিয়া!
.
সকল কোর্স তালিকা দেখতে - https://aslafacademy.com/all-courses/

সবাই মিলে চেষ্টা করলে কাজটা খুব একটা কঠিন হবে না, ইন শা আল্লাহ।

১০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাপোর্টে অংশগ্রহণ করুন। লিংক: https://www.change.org/p/free-dr-aafia-siddiqui-a-call-for-justice-and-clemency

ইলমকে যারা জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন তাদের অবস্থাঃ

আমি বলতে চাচ্ছি, আমাদের পূর্বসূরিগণ দুই শ্রেণিতে বিভক্ত ছিলেন। এক শ্রেণি ইলমকেই জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। অপর শ্রেণি নফল ইবাদত-বন্দেগীকে জীবনের লক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বিষয়টা এমন ছিল না যে, যারা ইলমকে জীবনের পরম লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তারা নফল ইবাদত-বন্দেগী একেবারেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। বরং তারাও অল্প-বিস্তর নিজেদের সুযোগ-সুবিধামতো নফল ইবাদত করতেন, যিকির করতেন, নফল নামায পড়তেন, তাহাজ্জুদ পড়তেন। তবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এতেই মগ্ন থাকতেন না।

কোন আলেম আবেদ থেকে উত্তমঃ

আজকালের ওলামায়ে কেরামের এ হাদীস খুব স্মরণ থাকে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন, একজন আবেদ থেকে একজন আলেম তেমনই শ্রেষ্ঠ, যেমন তোমাদের সাধারণ একজনের চেয়ে আমি শ্রেষ্ঠ। (জামে তিরমিযী, কিতাবুল ইলম)

অপর এক হাদীসে এসেছে, একজন ফকীহ শয়তানের জন্য হাজারো আবেদ থেকে কঠিন ও ভারী। (জামে তিরমিযী)

এ ধরনের হাদীস আমাদের খুবই স্মরণ থাকে। খুব ভালোভাবে বুঝে নিন, এ সকল হাদীসে আলেম বলতে ওই আলেম উদ্দেশ্য, যিনি ইলমী নিমগ্নতার পাশাপাশি নফল ইবাদতও অল্প-বিস্তর করেন। আর আবেদ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ওই আবেদ যিনি ইবাদত-বন্দেগীর পাশাপাশি ইলমের সঙ্গেও অল্প-বিস্তর সম্পর্ক রাখেন।

হাদীসে আলেম ও আবেদ বলতে কারা উদ্দেশ্যঃ

বিষয়টি আল্লামা ইবনে খালদুন রহ, তার মুকাদ্দিমায় এ হাদীসের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিখেছেন। অথচ ইবনে খালদুন আবেদ হিসাবে প্রসিদ্ধ নন; বরং তিনি কেবল একজন ঐতিহাসিক হিসাবে প্রসিদ্ধ। তিনি লেখেন: এ হাদীসে আলেম বলতে উদ্দেশ্য হলো ওই আলেম, যার দিন-রাতের নিমগ্নতা ও ব্যস্ততা ইলমকে ঘিরেই। কিন্তু তিনি ইবাদতের প্রতি অমনোযোগী নন। আর আবেদ বলতে ওই আবেদ উদ্দেশ্য, যার দিন-রাতের নিমগ্নতা ও ব্যস্ততা হলো নফল ইবাদত। তবে তিনি ইলমের প্রতি একেবারে অমনোযোগী নন। কারণ, কোনো আবেদ যদি এমন হয় যার ইলমের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, তাহলে তো তার সকল ইবাদত বরবাদ। এমনিভাবে কোনো আলেম যদি এমন হয় যে ইবাদত-বন্দেগী করে না, তাহলে তো তার ইলমই বরবাদ।

আমল ব্যতীত ইলম অর্থহীনঃ

ইবনে খালদুন রহ, আরও লেখেন, যদি কোনো আলেম এমন হয় যে তিনি কেবল ইলম হাসিলেই ব্যস্ত, ইবাদত-বন্দেগীর প্রতি তার কোনো খেয়াল নেই, আমল ও আখলাক দুরস্ত করার কোনো ফিকির নেই আর অপরদিকে কোনো আবেদ এমন হয় যে সে কেবল ইবাদত-বন্দেগীতেই মগ্ন, ইলমের প্রতি তার কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই—তা হলে এ দুজনের তুলনা করা হলে আবেদই আলেম থেকে উত্তম সাব্যস্ত হবে।

অতএব হাদীসে যে আলেম ও আবেদের কথা এসেছে, সেই আলেম ও আবেদ দ্বারা উদ্দেশ্য যে ইলম ও ইবাদত উভয়টির যুগপৎ সমন্বয় করেছেন। অন্যথায় শুধু ইলম তো শয়তানেরও ছিল। সেও অনেক বড় আলেম ছিল। অতএব কেউ যদি কেবল ইলমের পেছনে পড়ে থাকে এমনভাবে যে, কোনো ইবাদত-বন্দেগী করে না, গোনাহ থেকে, অন্যায় থেকে বিরত থাকার কোনো চেষ্টা করে না; বরং নিজের কামনা-বাসনার পেছনেই পড়ে থাকে তো এমন ইলম কোন কাজের বলুন। এমন ব্যক্তির ব্যাপারেই কোরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে, তাদেরকে ওই সকল লোকের বৃত্তান্ত পড়ে শোনান, যাদের আমি আমার আয়াত দিয়েছিলাম। অতঃপর তারা আমার আয়াতগুলো ছেড়ে দিয়েছে। অতঃপর শয়তান তাদের পেছনে লেগে গেল। ফলে তারা পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হলো। (সূরা আরাফ, (০৭) : ১৭৫)

যে আলেমের কথা এ আয়াতে এসেছে সে কীভাবে আবেদ থেকে উত্তম হতে পারে? এমন আলেম থেকে আবেদই উত্তম।

মোটকথা, হযরত থানভী রহ. যে বলেছেন, অধিক পরিমাণে যিকিরের যে উদ্দেশ্য, তা ইলমের নিমগ্নতায় অর্জিত হয়ে যায়-এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ওই আলেম, যে দরস- তাদরীসেই নিমগ্ন থাকে তবে কিছু সময় যিকিরও করে। কিন্তু আবেদ, যে অধিক পরিমাণে যিকির করে তার মুতালাআ, তাকরার, অধ্যয়ন-অধ্যাপনা, লেখালেখি, ফতোয়া ইত্যাদি ইলমী ব্যস্ততা তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়।

-মুফতী তাকী উসমানী হাফি.

[মাসিক নেয়ামত : ৪২, নভেম্বর ২০১৯]

হযরত উবাই ইবনে কা’ব (رضي الله عنه) বলেন, একবার আল্লাহর রাসূল (صلى الله عليه وسلم) যিকরুল্লাহর খুব তাকিদ করলেন।

আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করে থাকি। আমি আমার দু'আর কত ভাগ আপনার জন্য নির্ধারণ করব? তিনি বললেন, তোমার যে পরিমাণ ইচ্ছা।

আমি বললাম, চারভাগের এক ভাগ? তিনি বললেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা। তবে বেশি করলে আরো ভালো।

আমি বললাম, তাহলে অর্ধেক? তিনি বললেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা। তবে বেশি করলে আরো ভালো।

আমি বললাম, তাহলে তিন ভাগের দুই ভাগ? তিনি বললেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা হয়। তবে বেশি করলে আরো ভালো।

আমি বললাম, তাহলে কি আমার দুআর পুরোটাই হবে আপনার প্রতি দরূদ? তিনি বললেন, তবে তো তোমার মকসূদ হাসিল হবে, তোমার গুনাহ মাফ করা হবে।

رواه الترمذي وقال : هذا حديث حسن. اه وقال الهيثمي : رواه الطبراني، وإسناده حسن.)

-জামে তিরমিযী ২/৭২; মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/২৪৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৪৫

আজ শুক্রবার, বেশী বেশী দরূদের দিন। সূরা কাহাফের দিন। দু'আর বিশেষ দিন।

এক ছোট্ট বালককে জিজ্ঞেস করা হলোঃ
••• সবচেয়ে বড় নিয়ামত কী?

বালকটি বললোঃ
••• আল্লাহ যে আমার রব এটাই সবচেয়ে বড় নিয়ামত

~ শাইখ মোহাম্মদ হোবলোস হাফিযাহুল্লাহর লেকচার থেকে
(আলোচনার লিংক নিম্নে, আগ্রহীগণ শুনতে পারি)

এই ছোট্ট বাক্যটির ভাবার্থের গভীরতা যে কত ব্যাপক তা দুনিয়ার জীবনে অকল্পনীয়...!!!

লেকচারটির লিংক
(সম্পূর্ণ চ্যানেলটিই বেশ উপকারী) —
https://youtu.be/_SzVQitAvZI

#MohamedHoblos

"MISSION FAZAR"-এর মূল লক্ষ্য হলো সমাজে ফজরের নামাজ প্রতিষ্ঠিত করা। আল্লাহর ইচ্ছায়, আমরা চাই যেন সকলে ফজরের নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেন এবং এটি নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন।

এ কার্যক্রমে প্রতি দুইজন ব্যক্তির জন্য একজন দায়িত্বশীল নিযুক্ত থাকবেন।

যিনি ভাইদের প্রতিদিন তারগীব তারহীব করবেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময়ে কল করে ফজরে উঠতে সহায়তা করবেন ইনশাআল্লাহ।

একজন দায়িত্বশীল হিসেবে অথবা যদি ফজরের সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে আপনার উদাসীনতা থাকে, তবে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেন গুগল ফরম পূরণ করে ইনশাআল্লাহ।

এ প্রজেক্টটি ভাইদের নিয়ে শুধুমাত্র। বিস্তারিত জানতে ও অংশগ্রহণ করতে চাইলে ফরমটি পূরণ করুন: https://forms.gle/AefAsC5TNjYgwTH49

আমাদের এই পোস্টটি শেয়ার করে দিতে পারেন, ইনশাআল্লাহ —

https://www.facebook.com/share/p/1YDHJQam9y

খাস করে দু'আর দরখাস্ত..

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহিস ওয়াসাল্লাম রজব ও শাবান মাসে বেশী বেশী এই দু'আ পড়তেন,

اَلّهُمَّ باَرِكْ لَناَ فِي رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلَّغْنآَرَمَضاَنَ

হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে রমজানে উপনীত করুন।

রজব শুরু আজ সূর্যাস্তের পর থেকে। রমাদানের পাক্কা ২ মাস আর। শুরু হোক প্রস্তুতি। সঙ্গী হতে পারে:

১. ‘ধূলিমলিন উপহার রমাদান’ বই।
২. রেইনড্রপ্সের লেকচার।

আর হ্যা, আগামীকাল বৃহস্পতিবার। সুন্নাহ সাওম পালন করতে পারি আমরা ইনশাআল্লাহ...

#RamadanPreparation #MuslimInspirationOfficial

মোহাম্মাদ জাভেদ কায়সার রহিমাহুল্লাহর লেখাঃ
•
•
আরেকটি থার্টিফার্স্ট নাইট সামনেঃ—
•
বিখ্যাত ‘আলিমদের শত শত ফাতওয়া ও লেকচার অগ্রাহ্য করে কিছু মানুষ আদিম নেশায় ঘর থেকে বের হবে আজ রাত। কোনো কিছুকেই তারা মানবে না, সকল পবিত্র বিধানকে তারা তুচ্ছজ্ঞান করবে।
•
বড় অদ্ভুত প্রজন্ম; আফসোস!
•
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন –

❝আমার ও লোকদের উদাহরণ হলো এমন লোকের মত - যে আগুন জ্বালালো আর যখন (আগুনের আলোর মাধ্যমে) তার চারদিক আলোকিত হয়ে গেলো, তখন কীটপতঙ্গ ও ঐ সমস্ত প্রাণী যেগুলো আগুনে পুড়ে, তারা তাতে (ঝাঁপ দিয়ে) পুড়তে লাগলো। তখন সে সেগুলোকে (কীটপতঙ্গগুলোকে) আগুন থেকে ফেরানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু সেগুলো (কীটপতঙ্গগুলোকে) তাকে পরাজিত করলো এবং আগুনের মধ্যে পতিত হলো। (তদ্রূপ) আমিও তোমাদের কোমর ধরে আগুন থেকে বাঁচাবার চেষ্টা করছি। কিন্তু তোমরা তাতেই পতিত হচ্ছো❞

— [সহীহ : বুখারী ৬৪৮৩, মুসলিম ২২৮৪, তিরমিযী ২৮৭৪, আহমাদ ৭৩২১, ইবনু হিব্বান ৬৪০৮, সহীহ আল জামি‘ ৫৮৫৮, সহীহ আত্ তারগীব ৩৬৬০]
_
নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সত্য বলেছেন। সত্য বলেছেন। সত্য বলেছেন।

ভাই Mohammed Touaha Akbar হাফিজাহুল্লাহর খুউব গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা। স্ক্রীন এডিক্টেড ব্যক্তিদের জন্য রিমাইন্ডার। পোস্টটিঃ—

স্ক্রীণ দেখলে কী পরিমাণ ব্রেইন ড্যামেইজ যে হয়! এটা নিয়ে একটু ঘেটে দেখেন। রিসার্চ পেপার আর পপুলার সায়েন্সের বইগুলোই আপনার ঘুম হারাম করে দেবে।

সেটা ঘেটে বের করতে না পারলে, কমেন্টে পাঁচ মিনিটের একটা পিচ্চি ভিডিও দিচ্ছি। ( ভিডিও লিংকঃ https://youtu.be/_TjtEHcX1F4 ) ভদ্রলোক একজন ইঞ্জিনিয়ার। ইসলাম নিয়ে সিরিয়াসলি স্টাডি করেন, কমিউনিটিতে একটিভলি কাজ করেন। মানুষকে হেল্প করার চেষ্টা করেন।

আমি বায়োলজির একজন স্টুডেন্ট, টুকটাক রিসার্চার এবং প্রায় দুই দশক ধরে স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির স্টুডেন্টদের পড়াচ্ছি, মেন্টরিং করছি। আমি জানি, উনার কথাগুলো প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ এবং সত্যি। এবং আমি আপনাকে জোর করছি, ভিডিওটা অবশ্যই দেখবেন।

দেখেন, আপনি ফোনে বা মনিটরে স্ক্রীণ দেখবেন, আর আপনার সন্তান এডিক্টেড হবে না! হাহাহাঃ, হোহোহোঃ, এবং হিহিহিঃ!

অর্থাৎ ইম্পসিবল! বাচ্চারা আপনার ওয়াজ-নসীহত দেখে শিখে না। তারা শিখে চোখ দিয়ে।

আর সেই চোখ দিয়ে সে দেখে যে, আপনি ইবাদাতে কোন স্বাদ পান না। আপনার সলাত, কুরআন, জিকির সব মরা মরা! ভুংভাং টাইপের। সে কিন্তু দেখে এইটা।

এন্ড্রয়েড ব্যবহার করার আগের আপনার বইতে মনোযোগ, ইবাদাতের গভীরতা, দীর্ঘ সময় ধরে চিন্তার তীক্ষ্মতা তো আপনার নিজেরই মনে আছে, তাই না? ব্রেইনের কী হারিয়েছেন, সেটা তো এখান থেকেই বুঝতে পারছেন! নাকি তাও পারছেন না?

আপনি যেমন বুঝেন, আপনার চারপাশের মানুষও আপনাকে দেখে এটা টের পায়, অনুভব করে। বাচ্চারা তো বুঝেই। সে আপনাকে ইবাদাতের স্বাদ পেতে দেখে না কখনো। কাজেই, ইবাদাতের স্বাদের সংজ্ঞাটা সে হয়তো কখনোই বুঝবে না। (নিজে কখনো এক্সপেরিয়েন্স করলে, সেটা তার কপাল আর পরিশ্রম।)

ইবাদাতে ডুবে যাওয়া কী জিনিস, প্রতিনিয়ত আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করা কী জিনিস, সেটা আমাদেরকে দেখে শিশুরা শেখে না আর। যেটা আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে ছোটবেলায় অনুভব করতে দেখেছি, স্বাদ পেতে দেখেছি, ফলে ইন্সপায়ারড হয়েছি ওই স্বাদ আর গভীরতা পাওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে, চেষ্টা করতে।

আখিরাতের ভয় সে আপনার মাঝে দেখে না কখনো। মৃত্যু সংবাদে তো দূরের কথা, এমনকি জানাযায় আর দাফনের সময়েও সে দেখে আপনি আগের মতোই নির্বিকার, স্বাভাবিক। নিজের কবরের চিন্তায় কান্নায় ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া, খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়া তো তো অনেক দূরের কথা।

সন্তানেরা তাই বুঝে যায়, হয় আপনার বর্ণিত আল্লাহ-আখিরাত ভুয়া, নইলে আপনি নিজেই ভুয়া। এই বুঝটা কি তার মন আর মস্তিস্কের জন্য চরম ক্ষতির কারণ হচ্ছে না?

আপনি কি মনে করছেন, একটা সন্তানকে আমানাহ হিসেবে পাওয়ার পরে, তাকে এইভাবে ধ্বংস করে দিয়েও আপনি আখিরাতে পার পেয়ে যাবেন?

সেই ভয়ংকর দিনের হিসাব নিকাশ কি আপনার কাছে এতোই সস্তা?

উত্তরটা লিখতে হবে না। আপনার জীবনের কাজ-কর্ম আর সিদ্ধান্তগুলোতেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া আছে।

অজুহাত দিয়ে এইখানে অবশ্যই পার পেয়ে যাবেন।
So, keep it up.

#MohammedTouahaAkbar

রাব্বে কারীম আমাদের বিষয়টি উপলব্ধি করার ও আল্লাহর অবাধ্যতার বিষয়গুলোর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করার তৌফিক দিন, আমিন...

#stopcelebrating31stnight

একটি বাক্য দিয়েও কখনো মানুষের হৃদয় কিনে ফেলা যায়!
.
উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একবার আমি উমরাহ্ করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে অনুমতি চাইলাম। তিনি অনুমতি দিলেন আর বললেন, ‘‘হে প্রিয় ভাই আমার! তোমার দু‘আর মধ্যে আমাদেরকে ভুলো না!’’
.
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘‘হে আমার প্রিয় ভাই! তোমার দু'আর মধ্যে আমাদেরকেও শামিল করো।’’
.
উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) রাসূলের এই ভালাবাসাপূর্ণ আহ্বান প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘নবীজি এমন একটি কথা বললেন—যদি সমগ্র দুনিয়াটাও আমার হয়ে যেত, তবুও আমি এই কথাটির চেয়ে বেশি আনন্দ পেতাম না।" [আবু দাউদ, তিরমিযি, রিয়াদুস সালেহিন: ৭১৪, হাদিসটি হাসান সহিহ]
.
একবার ভাবুন তো, যদি কেউ কখনো ‘হে আমার প্রিয় ভাই!’ বা এরকম কোনো মধুর বাক্যে দিয়ে আপনার কাছে কোনো কিছু আবদার করে, আপনি কি তা ফেলে দিতে পারবেন? এমন লোকদের কখনো ভুলতে পারবেন?
.
পূর্বযুগে অর্থ দিয়ে মানুষ দাস কিনতো। সে প্রসঙ্গে একজন জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘অবাক লাগে যে, লোকে অর্থ দিয়ে দাস ক্রয় করে, অথচ সদ্ব্যবহার দিয়ে স্বাধীন মানুষ ক্রয় করে না।’ জ্বী, ব্যাপারটি এমনই। সদ্ব্যবহার দিয়ে একজন ভদ্র মানুষকেও কিনে ফেলা যায়।
.
মানুষের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চাইলে কথায় মাধুর্য আনার কোনো বিকল্প নেই। সাহাবাগণ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা শুনার জন্য তন্ময় হয়ে থাকতেন। আচরণ সুন্দর করুন। মানুষের মাঝে ইতিবাচকভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন ইনশাআল্লাহ্। তবে, লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, যদি এক্ষেত্রে আপনার উদ্দেশ্য হয়—নবীজির সুন্দর আচরণের সুন্নাহ ও আল্লাহর আদেশ অনুসরণ করা, তবে আপনি দুনিয়াবি উপকারিতার পাশাপাশি অগণিত নেকিও পাবেন।
.
~ Tasbeeh

গুরুত্বপূর্ণ নাসীহাহ...

আমাদের দুশমন — শয়তান।
শয়তানের অবস্থান (হবে) — জাহান্নাম।
শয়তানের কাজ — আমাদেরকেও জাহান্নামে নেয়া।

শয়তান আমাদের জাহান্নামে নিতে ১০টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেঃ

১. আমাদের আক্বিদাহ, দৃষ্টিভঙ্গি নষ্ট করে দেয়,
২. আমাদের বিদআহ-র সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করে,
৩. কবিরা গুনাহ করানোর চেষ্টা করে,
৪. সগীরা গুনাহ করানোর চেষ্টা করে,
৫. দ্বীনি কাজ থেকে সরিয়ে অন্য কোনো কম গুরুত্বপূর্ণ কাজে মশগুল করানোর চেষ্টা করে (অর্থাৎ নেক সুরতে ধোঁকা দেওয়া),
৬. সময়ের অপচয় করানোর চেষ্টা করে,
৭. নিয়তকে নষ্ট করা,
৮. পরস্পরের মধ্যে ইখতিলাফ (মতবিরোধ) সৃষ্টি করে দেয়,
৯. ছোট ছোট বিষয়ে মুখালাফাত (বিরোধ) করায়,
১০. দ্বীনি কাজ পালনে বাঁধা সৃষ্টি করে।

[উস্তাযে মুহতারাম মুফতী জুবায়ের আহমেদ সাহেব হাফিজাহুল্লাহর আলোচনা থেকে।]

মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ। ইয়ামানের বিখ্যাত এক মুহাদ্দিস। মৃত্যুর সময় তার চেহারা কুৎসিত হয়ে যায়। জিহবা কালো হয়ে থুতনি পর্যন্ত এসে ঠেকে। কারণ, জীবদ্দশায় তিনি ইমাম নববী রহি. এর কট্টর সমালোচক ছিলেন। অথচ তিনি শাফিয়ী মাযহাবের উপর ২৪ খন্ডের বিশাল ব্যাখ্যাগ্রন্থ লিখেছিলেন।
[ আদ্দুরারুল কামিনা : ৪/১০৬]

হাফিয ইবনে আসাকির রহি. বলেছেন,
ওহে লোকেরা! আলেমদের গীবত করো না। তাদের নিয়ে হা হা করো না। তাদের গোস্ত বিষাক্ত। আল্লাহর অমোঘ নীতি হল- তিনি আলেমের গীবতকারীকে লাঞ্চিত করে ছাড়েন। এমনকি মৃত্যুর আগে তার অন্তর মেরে ফেলবেন। দীন থেকে দূরে সরিয়ে দিবেন। [ আত তিবয়ান ফি আদাবিঃ২৭]

ইমাম আহমাদ রহি. বলেছেন,
গীবতকারীর জন্য আলেমদের গোস্ত এতটাই বিষাক্ত যে, এর ঘ্রাণ যে নিবে, তার ঈমান অসুস্থ হয়ে যাবে। আর যে তা ভক্ষণ করবে, তার ঈমান মরে যাবে।
[ আল মুয়ীদুঃ ৭১]

যে ব্যক্তি আলেমদের দীনি কথাবার্তার কারণে তাদের নিয়ে মশকারা করে, হা হা দেয়, তাদের ঈমান শঙ্কার মধ্যে।
[ সূরা তাওবাঃ৬৫-৬৬ এর তাফসীর থেকে]

আজকাল নিজের মতের সাথে না মিললেই কমেন্ট বক্সে, সিক্রেট গ্রুপে, চ্যাটিং ঘরে শুরু হয় বিশ্রী মন্তব্য। হা হা রিয়েক্ট তো পান্তাভাত! এটা যে একটা কবীরাহ গোনাহ, সে খবরও নাই। রিপোর্ট মারা আর ব্লক দেয়া তো এখন রীতিমতো প্রতিরোধ ব্যাবস্থা! একটাবার চিন্তা করে না আমি যাকে নিয়ে বিদ্রূপ করছি, হা হা দিচ্ছি, সে তো একজন আলেম।

আজ আপনি যা করছেন, কাল নিশ্চয়ই এর জবাব দিবেন।

Important

"MISSION FAZAR"-এর মূল লক্ষ্য হলো সমাজে ফজরের নামাজ প্রতিষ্ঠিত করা। আল্লাহর ইচ্ছায়, আমরা চাই যেন সকলে ফজরের নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেন এবং এটি নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন।

পূর্বে আমাদের এই কার্যক্রমে ৮০+ ভাই ফরম পূরণ করেন। আমরা প্রায় ৬০+ ভাইকে নিয়ে আনুমানিক দু মাসের মতো সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। সেসকল ভাইদের ‘মিশন ফজর’ কার্যক্রম আবারও চালু করার আবেদনে পুনরায় ‘মিশন ফজর' প্রজেক্টের ঘোষনা করা হচ্ছে।

এ প্রজেক্টটি ভাইদের নিয়ে শুধুমাত্র। বিস্তারিত জানতে ও অংশগ্রহণ করতে চাইলে ফরমটি পূরণ করুন: https://forms.gle/AefAsC5TNjYgwTH49

আমাদের এই পোস্টটি শেয়ার করে দিতে পারেন, ইনশাআল্লাহ —

https://www.facebook.com/share/p/1YDHJQam9y

খাস করে দু'আর দরখাস্ত..

বছরের আজকে নাকি দীর্ঘতম রাত..

শীতকালে এমনিতেই রাত দীর্ঘ হয়, আর আজকে হয়তো আরেকটু দীর্ঘ। রাত যখন গভীর হয় তখন মানুষ ৩ শ্রেনীতে বিভক্ত হয়ে যায়।

এক শ্রেনীর মানুষ রাতকে নিজেদের ইবাদত বন্দেগীর সুর্বন সুযোগ মনে করে আল্লাহর বন্দেগীতে রাত কাটিয়ে দেয়। আরেক শ্রেনীর মানুষ রাতের অন্ধকারাচ্ছন্নতা ও নির্জনতাকে কাজে লাগিয়ে অপকর্মের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়ে, আল্লাহর অবাধ্যতা করে।

আর তৃতীয় শ্রেণীর মানুষেরা ঘুমিয়ে রাত কাটিয়ে দেয়, তাঁদের লাভ লোকসান কিছুই হলো না।

আপনি আমি কোন শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত হব ইনশাআল্লাহ!?

কোনো বান্দা থেকে আল্লাহ বিমুখ হয়ে যাওয়ার অন্যতম আলামত হলো: আল্লাহ তাকে অনর্থক কাজে ব্যস্ত করে দিবেন।
.
- হাসান বসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
[আত-তামহীদ: ৬/৩২৮]

.
— আব্দুল্লাহ মজুমদার (হাফি.)

একটি শীতকালীন ফিক্বহ। সকলে সতর্ক থাকি ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে।

❝শীতকালে শরীরের চামড়া একটু রুক্ষ হয়ে যায়। তাই ওজুর সময় চামড়া ভালমত ডলে ধোয়া উচিত। অন্যথায় অনেক সময় চামড়ার কোন কোন জায়গায় পানি পৌঁছায় না। ফরজ অঙ্গ ঠিকমত না ভিজলে ওজু হবে না। আর ওজু না হলে নামাজও হবে না...❞

— উস্তায Abdullah Al Masud হাফিযাহুল্লাহ...

বেলা ফুরাবার আগেই প্রত্যাবর্তন হোক আমাদের...

এইতো সেদিনের কথা - এই বছরটা শুরু হলো। এমনটা মনে হচ্ছেনা? কিয়ামতের আগে সময় অতিদ্রুত অতিবাহিত হবে - হাদীসটা যেন দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট এখন...

আল্লাহ 'আলিমুল গায়িব। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, দৃশ্য-অদৃশ্য সমস্ত কিছুর জ্ঞান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার রয়েছে।
.
চিন্তা করুন— বান্দা গুনাহ করে, এরপর অনুতপ্ত হয়ে কান্নাকাটি রোনাজারি করে আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে।
বান্দা দিনে যদি ৭০ বারও গুনাহ করে, আর ৭০ বারই তাওবাহ করে আল্লাহ তাঁ কবুল করবেন।
.
দিলের অবস্থা যখন এমন ‘ইয়া আল্লাহ! আমি আর কোনো গুনাহ করবো না।’ আল্লাহ বান্দার দিলের এই অবস্থা দেখে তাঁর তাওবাহ কবুল করে নেন। অথচ আল্লাহর ভবিষ্যতের জ্ঞান রয়েছে, তিনি জানেন- বান্দা আর কয়েকটা দিন পরেই আবার গুনাহে লিপ্ত হবে, তবুও বান্দার অন্তরে ঔ অবস্থা দেখে আল্লাহ পাক বান্দা কে মাফ করে দেন।
.
সুবহানাল্লাহ!

যালিম বাদশাহ্ হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ যখন মরণোত্তর অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁর আম্মীজান তখন তাকে ভৎর্সনা দিয়ে বলছিলেন, এই অসুস্থতা তোমার কৃতকর্মের ফসল!
.
হাজ্জাজ আম্মীর এমন কথায় ভারাক্রান্ত হয়ে আম্মীকে তখন প্রশ্ন করে, ‘আম্মীজান, আল্লাহ যদি আমার বিচারকার্য আপনাকে করতে বলেন। তবে আপনি কি আমাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষিপ্ত করবেন?’ আম্মী সন্তানের প্রতি অন্তরে মায়ার কোমল হ্নদয়ের উত্তর ‘না’ শুনে তখন হাজ্জাজ বলেছিল- ‘আম্মীজান! আপনি আমার প্রতি যেমন দয়াবান, আল্লাহর প্রতি আমি তাঁর থেকেও অধিক দয়ার আশাবাদী।’
.
জ্বি, আমাদের রব আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা অত্যন্ত দয়াবান ও দয়ালু। তিনি রহমান, রহীম। গফফার, গফুরুর রহীম। এজন্য ভুল হয়ে গেলেই মনে রাখবেন ‘লা তাক্বনাতু মির রহমাতিল্লাহ’ - আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।

অনবরত গুনাহ করতে থাকলে অন্তরে কাঠিন্য তৈরি হয়ে গেলে, এই অন্তরের কাঠিন্যতা সহজে দূর করা যায় না।
অথবা দীর্ঘদিন আল্লাহর স্মরন থেকে উদাসীন থাকলে, অন্তরে উদাসীনতা তৈরি হলে কেউ যদি ভাবে- একদিনেই এগুলো সমাধা হয়ে যাবে, তবে এটা অবশ্যই সম্ভব না।
.
এজন্য নিয়মিত মৃত্যুর স্মরন, সকাল-সন্ধ্যার তাসবীহ, তাহলিল আদায় করতে থাকা প্রয়োজন। সবসময় জিহ্বায় আল্লাহর স্মরন জারি রাখা দরকার।

একজন দৃঢ় মজবুত তাবেঈ সুআইহিদ ইবনে জুহাইর বলেন, একবার আমাদের এবং বসরার মধ্যবর্তী কতগুলো ঝর্ণার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। এমন সময় একটি গাধার ডাক শুনতে পেলাম।
বললাম "এটি কীসের ডাক?"
.
একজন বলল, "এই শব্দটি এক ব্যক্তির। সে আমাদের সাথে ছিল। একবার তার মা তার সাথে কোনো ব্যাপারে কথা বললে সে বলে, 'তুমি গাধার মত চেঁচাচ্ছ কেন?' তারপর সে যখন মারা গেল তার কবর থেকে প্রতি রাতে গাধার আওয়াজ শুনা যায়।"
[ কিতাবুর রুহ - ৩২৯ ]

হাদীসটি প্রতিদিন নিয়মিত স্মরণ করা চাই....

আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) বলেছেনঃ

মহাপবিত্র আল্লাহ তা'আলা (ﷻ) বলেনঃ

❝হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি নিজেকে ফারেগ করে নাও আমি তোমার অন্তরকে অভাব মুক্ততা দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিব এবং তোমার অভাব বন্ধ করে দিব। আর তা যদি না কর তবে তোমার দু’ হাত আমি ব্যস্ততা দিয়ে ভরে দিব আর তোমার অভাব দূর করব না❞

— [সহীহ, ইবনু মাজাহ- ৪১০৭, তিরমিজী- ২৪৬৬]

সেমিনারে অংশগ্রহণ করা ভাইদের রিভিউ ছিল আসিফ আদনান ভাইয়ের সেই আলোচনা হ্নদয়ে যে ক্ষত করেছিল মুহতারাম জাকারিয়া মাসুদ সাহেবের আলোচনাতে সেই ক্ষত আরো বেড়ে যায়।

অপেক্ষা করছিলাম আলোচনার। শুরুর প্রায় ১৮ মিনিটে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহ লাঞ্ছিত হবার কারন এবং কীভাবে উম্মাহর মুক্তি আসবে এ নিয়ে কথা বলেন। কথাগুলো শুধুই শোনার জন্য না শুনি, এসমস্ত আলোচনা আমাদের যে দায়িত্বের কথা স্মরন করায় সেই দায়িত্বের জন্য প্রস্তুত হই।

আলোচনার লিংক (সকলে দেখার চেষ্টা করি) -
https://youtu.be/n3ptQJ81I-M

আবূ মূসা আশআরী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, নবী (صلى الله عليه وسلم) বলেছেন, ’’যে আল্লাহর যিকর করে আর যে যিকর করে না, উভয়ের উদাহরণ মৃত ও জীবন্ত মানুষের মত।’’ - (বুখারী ৬৪০৭)

মুসলিম এটি এভাবে বর্ণনা করেছেন যে, ’’যে ঘরে আল্লাহর যিকর করা হয় এবং যে ঘরে আল্লাহর যিকর করা হয় না, উভয়ের দৃষ্টান্ত জীবিত ও মৃতের ন্যায়।’’ - (মুসলিম ১৮৫৯)

তাই ঘরকে বিভিন্ন ধরনের যিকির দিয়ে উজ্জীবিত করা আবশ্যক। চাই অন্তরের যিকির হোক বা জবানের হোক, অথবা নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, ইলমে শরয়ীর আলোচনা, ধর্মীয় কিতাব পাঠ বা উপকারী ক্যাসেট শ্রবণ হোক।

আল্লাহর যিকির না থাকার কারণে আজ কত মুসলিমের ঘর মৃত; বরং সেগুলোর অবস্থা হলো- সর্বদা শয়তানের বাঁশি, গান-বাজনা, গীবত, চোগলখুরী, অপবাদ ইত্যাদিই চলতে থাকে। আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তিনিই একমাত্র ভরসা।

সেই ঘরের অবস্থাটাই বা কেমন, যা আল্লাহর নাফরমানিতে ভরা? যেমন অবৈধ মেলামেশা, গাইরে মাহরাম নিকটত্মীয় বা প্রতিবেশীদের মধ্যে যারা ঘরে ঢুকে যায় তাদের সামনে যাওয়া ইত্যাদি ।

যে ঘরের এ অবস্থা, তাতে ফেরেশতা প্রবেশ করবে কীভাবে!? তাই আল্লাহ আপনাদের প্রতি রহম করুন! আপনারা নিজেদের ঘরগুলোকে আল্লাহ তাআলার বিভিন্ন ধরনের যিকির দ্বারা আবাদ করুন।

📖 কিতাবঃ যেমন ছিলেন তাঁরা, শাইখ খালিদ আল হুসাইনান রহিমাহুল্লাহ, সম্পাদনা- Ali Hasan Osama হাফিযাহুল্লাহ, Ruhama Publication, পৃঃ ৬৪-৬৫

তাবলীগের আমীর হযরত মাওলানা ইউসুফ সাহেব কান্দলবী রহ.-এর মালফুযাতে রয়েছে, মানুষকে তার নিজের মধ্যে সূর্যের তিনটি গুণ সৃষ্টি করে নেওয়া চাই—

১. সূর্য সবসময়ই চলার মধ্যে আছে। কখনো এর মধ্যে অলসতা আসে না। তদ্রূপ আমাদেরও সবসময় দ্বীনি মেহনতে লেগে থাকা চাই।

২. সূর্য নির্বিশেষে সবাইকে সমান আলো দিয়ে যায়। তদ্রূপ আমাদের ঈমানের আলোও বিশ্বব্যাপী হওয়া চাই।

৩. সে তার আলো কিংবা তাপের বিনিময়ে কখনো কারো থেকে কোনো বদলা চায় না। তদ্রূপ দ্বীন পৌঁছিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আমাদেরও দুনিয়াদারদের থেকে কোনো প্রকার স্বার্থের আশা না রাখা বাঞ্ছনীয়।

[আল্লাহওয়ালাদের মকবুলিয়্যতের রহস্য : ৪৭]

চোখের শীতলতা...
আলহামদুলিল্লাহ ইয়া রাব্ব।

For every fall there is a time fixed from Allah.

And the time for Tel aviv is coming.

This century is the century of our victory.

Takbir! Allahu Akbar!

উস্তায এস এম নাহিদ হাসান হাফিজাহুল্লাহ আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। আলোচনা শুরু করেছেন। সকলেই দ্রুত যুক্ত হয়ে যাই ইনশাআল্লাহ।

মুহতারাম ইশতিয়াক আহমেদ তুষার ভাইজান হাফিজাহুল্লাহর আলোচনা চলমান। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই উস্তায এস এম নাহিদ হাসান হাফিজাহুল্লাহ আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন।

যারা উস্তাযের নাসীহাহ শুনতে চাই, দ্রুতই লাইভে যুক্ত হয়ে পড়ি। এবং লাইভটি শেয়ার করে দিই। নিজ পরিচিতদেরকে মেনশন করে তাঁকেও আলোচনা শুনতে আহ্বান করতে পারি ইনশাআল্লাহ।

লাইভ লিংকঃ https://www.facebook.com/share/v/1EaVikZmoY/

আলোচনা করছেন ইশতিয়াক আহমেদ তুষার হাফিজাহুল্লাহ..

লাইভ লিংকঃ https://www.facebook.com/share/v/1EaVikZmoY/

মুসলিম ইন্সপিরেশন অফিশিয়াল আয়োজিত লাইভ সেশনে আমন্ত্রিত মেহমান:

- উস্তায এস এম নাহিদ হাসান হাফি. (লেখক, দাঈ, ভাষাশিক্ষক)

- উস্তায ইশতিয়াক আহমেদ তুষার হাফি.

আগামী ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখ এশার সালাতের পর রাত ৮ টায় ইনশাআল্লাহ আমাদের পেইজে সেশনটি হবে।

আমাদের পেইজ লিংক —
https://www.facebook.com/MuslimInspirationForIbadah

আমাদের পরিচিতদের মধ্যে শেয়ার করে দিতে পারি। অবশ্যই নিজেরাও অংশগ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ।

আজ সাপ্তাহিক ঈদের দিন (জুম'আহ) - সূরা কাহাফের অন্তত প্রথম ও শেষ দশ আয়াত পাঠ করি। সূরা কাহাফের উক্ত শিক্ষাগুলো নিজেদের জীবনে ধারণ করি ইনশাআল্লাহ।

গেরুয়া কালারের গেঞ্জি পরিহিত লম্বা ছুরি হাতে নেওয়া এই লোক যে আলিফ ভাইকে কো-পা-চ্ছে তার একটা স্পষ্ট ভিডিও পাওয়া গেছে৷ কেউ ছাদ থেকে ভিডিওটি করছে। মিলিয়ে নিন৷

— আব্দুল্লাহ আল মাসউদ (হাফি.)

May Allah give him jannah !

From Shaheed Abrar Fahad to Shaheed Advocate Alif, this journey...

"আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্যে অবশ্যই রয়েছে সংকীর্ণ এক জীবন। আমি তাকে কিয়ামতের দিন উঠাবো অন্ধ অবস্থায়।

সে বলবে, আমার রব! আমায় কেন অন্ধ করে উঠালেন! আমি তো (দুনিয়াতে) দেখতে পেতাম।

তিনি বলবেন, এমন করেই আমার নিদর্শনাবলী তোমার কাছে এসেছিল, তখন তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে। ঠিক সেভাবেই আজকে তোমায় ভুলে যাওয়া হলো।"

(সূরাহ ত্ব-হা, ২০ : ১২৪-১২৬)

এ পর্যন্ত অনেকগুলো আন্দোলনের মাধ্যমে লীগ ফেরার চেষ্টা করেছে, কোন আন্দোলনে গুলি চলে নাই। কিন্তু আজ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীকে এভাবে দমন করা হলো৷ কালচারাল জমিদারদের ক্ষমতার প্রদর্শনি এটা।

তবে এটা ওদের পতনের শুরু, ইনশাআল্লাহ। বল প্রয়োগ করে ওরা আমাদের থামাতে পারবে না। আমরা তোমাদের শত্রুতা কবুল করলাম। হয় তোমরা ধ্বংস হবা, অথবা আমরা - সে পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।

কালচারাল ওয়ার, অস্ত্রের যুদ্ধের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের ঘুমানোর সময় না এখন।

© ডা. মেহেদী হাসান (হাফি.)

SEAN এর ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটির সাথে লেখা - “আমাদের পক্ষে সম্ভব হলে এই আলোচনাটা আমরা সকল বাংলা-ভাষী মুসলিমকে দেখাতাম!” আলোচনার গুরুত্ব বুঝতে এতটুকু কথাই আসলে যথেষ্ট...

আলোচনার লিংক (সকলে দেখার চেষ্টা করি) -
https://youtu.be/GCTOsL6bGrQ

হযরত সুফিয়ান ছাওরী (رحمه الله) বলেন,

মুত্তাকি ও পরহেজগারদের মজলিসে বস, তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাদের দ্বীনী বিষয়াদি ঠিক করে দেবেন অর্থাৎ তোমাদেরকে পূর্ণ দ্বীনদার বানিয়ে দেবেন।

নিজেদের দ্বীনী বিষয়ে ওই সকল লোকদের সাথে পরামর্শ করো, যারা আল্লাহকে ভয় করে।

নেক কাজে অগ্রসর হও, তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাদের মাঝে ও তোমাদের গুনাহের মাঝে অন্তরায় হয়ে যাবেন।

[বইঃ মাজালিসে হাসানা : ১/৬৯]

সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাত্ত্বিক, বুদ্ধিবৃত্তিক আলাপ আলোচনার ভীড়ে জেনারেল লাইনের ভাইয়েরা অনেকেই আলিমদের থেকে সম্ভবত বিমুখ হয়ে পড়েছেন। মেহেদি হাসান ভাই অল্প কথায় আলিমদের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। মাশাআল্লাহ, বারকাল্লহু ফি হায়াতিহি..

“ফাস্টফুড মুখরোচক, কিন্তু হেলদি ফুড ছেড়ে শুধু ফাস্টফুড খেলে তো চলবে না। তাদের টা বুনিয়াদি বিষয়। গাছ ছাড়া ডালপালার তো মূল্য নেই।”

Mehedi Hasan ভাইকে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া আখিরাতে আরও সম্মানিত করুন।

উস্তাযে মুহতারাম মাওলানা ডা. Muhammamd Masih Ullah হাফিজহুল্লাহর চমৎকার একটি পোস্ট। গাফলতের ব্যাধিতে আক্রান্ত আমাদের জন্য রিমাইন্ডার।

পোস্টটিঃ—

❝গাফলত ভয়ঙ্কর এক ব্যাধি। আজ গাফলতের হাজারও উপকরণ আমাদের চারপাশে। দ্বীনদার শ্রেণির একটা বড় অংশও আজ গাফলতের থাবায় পর্যুদস্ত। যারা দ্বীন থেকে যোজন যোজন দূরে, গাফলত তো তাদের মেরেই ফেলেছে।

আর আমরা যারা এই যুগের দ্বীনদার শ্রেণি, হাতের নাগালেই গাফলতের নানা উপকরণ আমাদেরকেও অপ্রয়োজনীয় ব্যস্ততায় জড়িয়ে ফেলছে। ফলে গাফলতের মাত্রা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এই যুগে পাঁচওয়াক্ত নামাজীও গাফলত থেকে মুক্ত নয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত, অপ্রয়োজনীয় ব্যস্ততার একটা অনিবার্য ক্ষতি আমলের সময়টাতেও গাফলত পিছু না ছাড়া। একজন মানুষ নামাজ পড়ছে, যিকর বা তিলাওয়াত করছে। কখনও এইসব আমলে রত থাকাবস্থায়ও গাফলত তাকে খুব মৃদুভাবে হলেও আঘাত করে চলেছে।

আমাদের বিগত যামানার দ্বীনদারগন ব্যক্তিগত নফল ইবাদতের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে দেড়-দুই ঘন্টা ব্যয় করতেন। যিকর-তিলাওয়াতের এই পাবন্দীর মাধ্যমে তাঁরা এক আভ্যন্তরীণ শক্তি লাভ করতেন। আজ আমাদের হাতে সেই সময়টুকু নেই। বিগত যামানার দ্বীনদার শ্রেণির সাথে তুলনা করলে আমলের ক্ষেত্রে আমরা মাত্রাতিরিক্ত অলস। হাজার চেষ্টায়ও সামান্য আমলের জন্যও নিজেকে তৈরি করতে পারি না। নানা অজুহাতে মন যিকর-তিলাওয়াত থেকে সরে থাকতে চায়।

এর মূল কারণ ক্রমাগত গাফলতে সৃষ্ট হওয়া অন্তরের কাঠিন্য। এর ঔষধ নিয়মিত তাসবীহাত-তিলাওয়াত, মৃত্যুর স্মরণ, সাধ্যমতো গুনাহমুক্ত জীবনযাপন ও আল্লাহওয়ালাগনের মজলিসে নিয়মিত শরীক হওয়া।

মৃত্যুর স্মরণ নানাভাবে হতে পারে। একজন মুসলিম নিয়মিত দাওয়াতের কাজে মৃত্যুর আলোচনা নানাঢঙ্গে আনতে পারে।

এছাড়া রোগী দেখতে যাওয়া, জানাযায় শরীক হওয়া যদি সচেতনতার সাথে, সঠিক উপলদ্ধির সাথে হয়, তবে তাও মৃত্যুর স্মরণের চমৎকার উপলক্ষ হতে পারে। অন্তত শোয়ার সময় নিজেকে কবরে কল্পনা করা দু'চার মিনিটের জন্য হলেও যথেষ্ট ক্রিয়াশীল।

মোটকথা গাফলত থেকে বাঁচতে হবে।

গাফলত অন্তর কঠিন করে। অন্তরের কাঠিন্য আল্লাহপাকের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করে। আল্লাহপাকের সাথে দূরত্ব জাহান্নামকে নিকটতর করে।

গাফলতের এই সিকোয়েন্স নিয়ে ভালো করে চিন্তাভাবনা করা চাই। পৃথিবীতে আমরা এই ক'দিনই তো আছি। নিজেকে ভুলে থাকলে কি করে চলবে! আমার নিজের পরিণতির ব্যাপারে এভাবে গাফেল থাকা কেবলই ক্ষতির পর ক্ষতি ডেকে আনবে।

রব্বানা! গাফলতের এই থাবা থেকে আমাদের বাঁচাও।❞

#DrMuhammadMasihUllah (গুরুত্বপূর্ণ হ্যাশট্যাগ- এক ক্লিকে অনেকগুলো উপকারী লেখা পড়ার সুযোগ)

ইবনে কাইয়্যিম (রহ.) বলেছেন:
.
"রাগ হলো সিংহের মতো; এর মালিক যদি ওকে মুক্ত করে দেয়, তাহলে তাকে খেয়ে ফেলবে।
.
আর প্রবৃত্তি হলো আগুনের মতো; এর মালিক যদি একে এবার জ্বালায়, তাকে পুড়িয়ে ফেলবে।
.
যে ব্যক্তি তার প্রবৃত্তি ও রাগকে বাগে রাখতে পারে, শয়তান তার থেকে দূরে সরে যায়। আর যে এই প্রবৃত্তি ও রাগের কাছে হার মানে, শয়তান তার সঙ্গী হয়ে যায়।"
.
সূত্র: আল-ফাওয়ায়িদ, ২৬৭

আল্লাহর ফযল করমে ইনশাআল্লাহ ‘মুসলিম ইন্সপিরেশন অফিশিয়াল’ কর্তৃক আগামী ডিসেম্বরের ৭ তারিখ এশার সালাতের পর লাইভ সেশনের আয়োজন করা হচ্ছে।

আমন্ত্রিত মেহমান উস্তায এস এম নাহিদ হাসান হাফিজাহুল্লাহ এবং উস্তায ইশতিয়াক আহমেদ তুষার হাফিজাহুল্লাহ।

টপিক পরবর্তীতে ইনশাআল্লাহ জানিয়ে দেয়া হবে। খাস করে দু'আর দরখাস্ত..

আমাদের ফেসবুক পেইজের লিংকঃ https://www.facebook.com/MuslimInspirationForIbadah

মুমিনের জন্য নাসীহাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। নাসীহাহ বারবার মুমিনকে তাঁর দায়িত্ব-কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মনে করিয়ে দেয়, তাঁর কী করার কথা ছিল আর সে কী করছে। নাসীহাহ মুমিনের অন্তরকে নরম করে, তাঁকে তাঁর দায়িত্বের ব্যাপারে জাগ্রত করে তোলে।
.
আসিফ আদনান ভাই এ সময়ের তারুণ্যের জন্য সেরকমই কিছু নাসীহাহ দিয়েছেন। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে তিনি তারুণ্যকে নাসীহাহ দিয়েছেন তাওবাহ করার, আল্লাহর দিকে পুরোপুরি ফিরে আসার এবং প্রজন্মান্তরে যে গৌরবের উত্তরাধিকারী হয়েছে তাঁরা, সেটাকে যথাযোগ্যভাবে গ্রহণ করে নেবার।
.
এই মূল্যবান নাসীহাহ যেন আমাদের প্রত্যেকের আমলে প্রতিফলিত হয়, মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে আমরা এই দু'আই করি। আল্লাহ তাঁর পক্ষ থেকে তাঁর বান্দাকে জাযায়ে খায়র দান করুন, নিরাপদ রাখুন। আমীন।

© Ilmhouse Publication

Md Sharif Abu Hayat অপু ভাই হাফিযাহুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণীয় একটি লেখাঃ

রিযকের ব্যাপারে একটা কথা বলি ভাইয়েরা।
আপনারা আল্লাহর জন্য কাজ করলে আল্লাহ আপনাদের জন্য রিযকের উত্তম ব্যবস্থা করে দেবেন।

ধরেন আপনি আইসক্রিম বিক্রি করেন - হালাল চাকরি, হালাল রিযক।
কিন্তু আপনি ইসলামী বই বিক্রি করেন - এটাও হালালভাবে করলে আইসক্রিম বিক্রির চেয়ে তো বেশি পজিটিভ ইমপ্যাক্ট ফেলবে ক্রেতার জীবনে, তাই না?

ধরেন আপনি একজন ডাক্তারি পাশ করে ফেলেছেন কিন্তু ডাক্তারি করতে ভালো লাগে না। আপনার ভালো লাগে ইসলাম, সমাজ এগুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে। আপনি ইসলামের জন্য ইন্টেলেকচুয়ালি কিছু করতে চান। লেখালেখি, অ্যাকটিভিজম বা গবেষণা।

আপনার কাছে প্রথমে মনে হতেই পারে - সংসার চালাব কীভাবে?
কিন্তু বিশ্বাস করেন, আপনি যদি একটু সবর করেন - আল্লাহ আপনাকে ওই কাজের মাধ্যমেই রিযকের ব্যবস্থা করে দেবেন।

আপনি যদি মনে করেন, কিছুটা সময় ডাক্তারি করবেন বাকিটা সময় ইসলামের জন্য কাজ - সেটাও সম্ভব; তবে আপনি এক্সেল করতে পারবেন না।
ডাক্তার জাকির নায়েক, ডাক্তার হলে জাকির নায়েক হতে পারতেন না।

ওয়ার্ল্ড ক্লাস এক্সেল করতে গেলে ফোকাস লাগে। লেজার ফোকাস।

এখন কেউ বলতেই পারেন, এতদিন ডাক্তারি শিখল - সরকারী মেডিক্যাল কলেজে, জনগণের পয়সায় - এই শিক্ষাটা লস হয়ে যাবে না?
হ্যাঁ যাবে, আরো অনেকেরই যায়।
আমি অনেক ডাক্তারকে চিনি যারা এমবিবিএস পাশ করে এখন আর ডাক্তারি করে না - অ্যাডমিন জব করে বা কাস্টমসে।

একজন ডাক্তার একজন মানুষকে সুস্থ ভালো রাখতে পারে। তবে ৭০ বছরের এই জীবনে ভালো রাখার চেয়ে যদি অনন্তকালের জীবনে ভালো রাখার জন্য কাজ করে তবে ক্ষতি কী?

তবে এর মানে না আমি সবাইকে ডাক্তারি বা এনজিনিয়ারিং বা জব ছেড়ে দিতে বলছি। জবের করার সাথে সাথেও বহু মানুষ ইসলামের খেদমত করেন এটা আমি অস্বীকার করছি না।

কিন্তু এই লেখাটা মিডিওকর কারো জন্য না। এটা তার জন্য যিনি মিডিওক্রিটির উপরে উঠতে চান - জীবনে অসাধারণ কিছু করতে চান।

ভাই, আপনি যদি বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সমর্থ হন, আর যদি সত্যিই আপনার আল্লাহর জন্য, ইসলামের জন্য আউটস্ট্যান্ডিং কিছু করার প্যাশন থাকে - আপনি রিযক নিয়ে দুশ্চিন্তা কোরেন না - এটাই আমার অনুরোধ।

আপনি আপনার স্বপ্ন সত্য করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন।
দরকার হলে আমাদের সাথে পরামর্শ করেন।

দেখবেন আল্লাহ আপনাকে দিয়ে আপনার স্বপ্নের কাজগুলো করিয়ে নেবেন - অন্যদিক দিয়ে রিযকে তায়্যিবাও দান করবেন।

তিনটি সহজ আমল নিজের গুনাহ মুছার এবং মর্যাদা বৃদ্ধির। আল্লাহ আমাদের আমলের তৌফিক দিন, আমিন।

সংগৃহীতঃ উস্তায Ammarul Hoque হাফিযাহুল্লাহ...

‘সন্তানের সুন্দর চরিত্র ও মনন গঠনে মাতা-পিতা, শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ শিরোনামে উন্মুক্ত এই সেমিনারে আলোচক হিসেবে থাকছেন প্রফেসর মুখতার আহমেদ সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

এছাড়া থাকছেন উস্তায এস এম নাহিদ হাসান হাফি. এবং প্রফেসর ডা. মাহবুবুল হাসান মুনির সাহেব হাফিজাহুল্লাহ।

খিলগাঁও এরিয়ার আশেপাশে থাকা ভাইয়েরা অংশগ্রহণ করি ইনশাআল্লাহ।

৪টি মহামূল্যবান কথা যা মনে রাখা আত্মশুদ্ধির জন্য জরুরি। অহংকারমুক্ত থাকার জন্য কথাগুলোই যথেষ্ট। সালাফদের প্রতিটি বাণী এক একটি অমূল্য রত্ন...

বকর ইবনু আব্দিল্লাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন—

❑ যখন তুমি বয়সে তোমার চেয়ে বড় কাউকে দেখবে, তখন ভাববে: এ ব্যক্তি ঈমান ও সৎ আমলের দিক থেকে তোমার চেয়ে অগ্রগামী, সে তোমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ।

❑ আর যখন বয়সে তোমার চেয়ে ছোট কাউকে দেখবে, তখন মনে করবে: গুনাহ এবং অবাধ্যতায় তুমি তার চেয়ে অগ্রগামী। সুতরাং সেও তোমার চেয়ে উত্তম, তোমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ।

❑ আর যখন তুমি সমসাময়িক ভাইদের দেখবে তারা তোমাকে সম্মান করছে, তোমার প্রশংসা করছে; তুমি মনে করবে- তারা যা করছে, এটা তাদের অনুগ্রহ ও দয়া।

❑ আর যদি তারা তোমাকে সম্মান এবং তোমার প্রশংসা না করে, তাহলে মনে করবে: এটা তোমার কোনো গুনাহের ফসল, আর তুমি তারই উপযুক্ত।

সোর্স: সিফাতুস সাফওয়াঃ ৩/২৪৮

#SifatusSafwa #GemsFromSalaf #MuslimInspirationOfficial

Pic HD File.. (2)

Pic HD File..

‘‘জান্নাত তো কোনো ফেলনা বস্তু নয় যে, যে কারও হাতে চলে আসবে; বরং একে অর্জন করতে প্রচুর পরিশ্রম ও প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে।’’
.
—আল্লামা সাঈদ আহমাদ পালনপুরী (রাহ.)
[তুহফাতুল আলমাঈ: ৬/২২৭]

মুহাম্মাদ জাবেদ কায়সার ভাই রাহিমাহুল্লাহর পোস্টঃ—

❝পুরো বইমেলায় দুই হাত ভর্তি করে বই কিনেছেন। বেশ কিছু পড়েছেন। ধোঁয়া ওঠা কফিতে চুমুক দিতে দিতে কিছু বুক রিভিউও লিখেছেন। বাকী বইগুলোর কোনটি কবে পড়বেন - সেটিরও একটি খসড়া বানিয়েছেন। মা-শা-আল্লাহ।
.
শুধু সর্বোত্তম বানী, কালামুল্লাহ, আল-কুরআনুল কারীম বুঝে পড়ার সময় আজও হয়ে উঠলো না আপনার!

আফসোস, হে মিসকীন!❞

রাহিমাহুল্লাহ তা'আলা রাহমাতান ওয়াসি'য়্যাহ!

চলুন, কুরআনে আমার প্রতি আল্লাহর বানী বুঝে পড়ার চেষ্টা শুরু করি ইনশাআল্লাহ।

#MohammadJavedKaiser #UnderstandQuran #SelfReminderM #MuslimInspirationOfficial

মুহতারাম জাকারিয়া মাসুদ হাফিযাহুল্লাহ ভাইয়ার একটা আলোচনার খোঁজ পেয়ে গতকাল শুনেছিলাম।

দাওয়াত ও তাবলীগের সাথীদের কাছে জাকারিয়া মাসুদ সাহেবের আলোচনার অধিকাংশ বিষয়বস্তু খুবই চিরচেনা।

ভাইয়া আলোচনা শুরু করলেন হাসিয়ে, শেষ করলেন কাঁদিয়ে। মাশাআল্লাহ!

এ সমস্ত আলোচনা আমাদের ইমানী জযবা ও অন্তরে আল্লাহভীতি তৈয়ার করে। অবসর সময় হাতে থাকলে ভাইয়ার কথাগুলো একটু শুনতে পারি নিরিবিলি পরিবেশে। একটু অনুভূতি নিয়ে শুনবো, কেমন?

রাব্বে কারীম ভাইয়ের ছায়া আমাদের উপর দীর্ঘ করুন, উম্মাহর এই সম্পদ দ্বারা আরও উপকার নিন, আমিন...

আলোচনাটি 🔻
https://youtu.be/Yb_wKduF2vo

এক যুবক মসজিদে গিয়ে তার শাইখকে বললো, আমি মুহাম্মাদ সল্লাল্ল-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে স্বপ্নে দেখতে চাই।
.
শাইখ বললেন, দরূদ পড়া বাড়িয়ে দাও।
সে ফিরে আসলো এবং অধিক পরিমাণে দরূদ পড়তে থাকলো।
.
কিছুদিন পর শাইখের কাছে গিয়ে বললো, আমি দরূদ পড়ছি কিন্তু ওনাকে তো দেখছিনা।
.
শাইখ বললেন, তুমি কিভাবে দরূদ পড়ো?
যুবক উত্তর দিলো, লোকেরা যেভাবে পড়ে।
‎اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ
.
তার শাইখ তাকে বললো, তুমি মীমের তাশদীদে দুই হরকত পরিমাণ সময় নিয়ে পড়ো, যেনো তাযীম প্রকাশ পায়।
.
যুবকটি ফিরে আসলো এবং এভাবে দরূদ পড়তে পড়তে একসময় তার কাঙ্ক্ষিত প্রিয় মানুষটিকে স্বপ্নে দেখতে পেলো।
(আরবী একটা আর্টিকেল থেকে অনূদিত)
.
আজ শুক্রবার, দরূদের স্পেশাল দিন, কিন্তু দৌড়ানো দরূদ নয়। ধীরে সুস্থে তাযীমের প্রতি লক্ষ্য করে দরূদ পড়া চাই।
.
আল্ল-হুম্মা সল্লি 'আলা মুহাম্মাদ।

— মাহ্দী ফয়সাল ভাই (হাফি.)

ওয়াহহান অর্থাৎ দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা আমাদের ‘পৌরুষ’ কেড়ে নিয়েছে। এই উম্মাহকে বিকলাঙ্গ করে ছেড়েছে।

এ উম্মাহর পরাজয়ের কারণ জ্ঞান-বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকা নয়, ❝ওয়াহহানই❞ এ উম্মাহর পরাজয় আর লাঞ্ছনার কারণ।

কোনো এক সালাফের উক্তিঃ ❝দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসাই অধিকাংশ পাপাচারের উৎস।❞ এজন্য নিজেদের হ্নদয়কে পরিশুদ্ধ করার ফিকির করি, মুত্তাকী আলিমদের সাথে সম্পর্ক করি, নিজেদের অবস্থা জানিয়ে পরামর্শ গ্রহন করি, ইনশাআল্লাহ।

(উপরের পোস্টটি পড়ুন ইনশাআল্লাহ..)

শাইখ মোহাম্মাদ হোবলোস হাফিজাহুল্লাহর প্রাসঙ্গিক একটি লেকচার —
https://youtu.be/zAJirE10O2g

#Epitaf #MohammadHoblos #ReminderForUmmah #Masculinity #MuslimInspirationOfficial

মুসলিমদের আজ এই করুণ দশা কেন, এমন প্রশ্ন যদি জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে কেউ কেউ বলবে, আমাদের ইলমের অভাব! কিন্তু না, আজকের যুগে ইলম অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে সহজলভ্য। লক্ষ লক্ষ কিতাব, মাদ্রাসা, হাফিয, তালিবুল ইলম, আলিম ওলামা—কোনো কিছুর অভাব নেই। মানুষের হাতে হাতে মোবাইলে, ল্যাপটপে ইলম ঘুরছে।

আমাদের আজকের এই অবস্থার কারণ, আমাদের মাঝে আজ রিজাল—সত্যিকারের পুরুষরা নেই। উম্মাহর পুরুষরা তাদের ‘পৌরুষ’ হারিয়ে ফেলেছে।

আর উম্মাহ যখন পুরুষশূণ্য হয়ে পড়ে, এতে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয় এর নারী আর শিশুদের। আজকে আমাদের অবস্থাও ঠিক তাই। সারাবিশ্বে তাকিয়ে দেখুন, উম্মাহর নারী আর শিশুরা আজ অসহায়, নির্যাতিত। কারণ পুরুষরা তাদের দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা সমাজের মানদণ্ডে ‘পুরুষ’ হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।

ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, “while the cat's away, the mice will play”

আজকে এটাই উম্মাহর অবস্থা। পুরুষরা হারিয়ে গেছে, আর কাফিররা এই উম্মাহকে নিয়ে খেলতে শুরু করেছে। ভাগ ভাটোয়ারা করে নিচ্ছে নিজেদের মধ্যে। যার যেখানে খুশি সেখানে জুলুমের বুট ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন,

— ‘শীঘ্রই মানুষ তোমাদেরকে আক্রমণ করার জন্য আহ্বান করতে থাকবে, যেভাবে মানুষ তাদের সাথে খাবার খাওয়ার জন্য একে অন্যকে আহ্বান করে।’

সাহাবিরা এটা শুনে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কারণ সেসময় মুসলিমরা সংখ্যায় অল্প, তারপরও তাঁরা চারদিক জয় করছে, অমুসলিমরা তাদেরকে সমীহ করছে। তাই সাহাবিরা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,

— “ইয়া রাসূলাল্লাহ! ‘তখন কি আমরা সংখ্যায় কম হবো?”

আমরা কি সংখ্যায় তখন এতটাই নগণ্য হবো যে নিজেদের রক্ষাই করতে পারব না? রাসূল (ﷺ) বললেন,

— ‘না, বরং তোমরা সংখ্যায় হবে অগণিত কিন্তু তোমরা সমুদ্রের ফেনার মতো হবে, যাকে সহজেই সামুদ্রিক স্রোত বয়ে নিয়ে যায় এবং আল্লাহ তোমাদের শত্রুর অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দিবেন।”

বিস্মিত সাহাবিরা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। সমুদ্রের ফেনার মতো মুসলিমদের সংখ্যা, এত অগণিত, অথচ এত করুণ অবস্থা হবে তাদের? তাঁরা জিজ্ঞেস করল, কেন ইয়া রাসূলাল্লাহ! কেন আমাদের এই করুণ অবস্থা হবে? রাসূল (ﷺ) জবাব দিলেন,

— আল্লাহ তোমাদের অন্তরে আল-ওয়াহহান ঢুকিয়ে দেবেন।’

‘ওয়াহহান’ শব্দটা আরবদের কাছে পরিচিত ছিল না। তাই তাঁরা আবার জিজ্ঞেস করল,

— ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল ওয়াহহান কী?’ রাসূল (ﷺ) বললেন,

— ‘দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা এবং কিতালকে (আল্লাহর পথে যুদ্ধ) অপছন্দ করা।’

আবু দাউদে সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত অন্য একটি সহিহ হাদিসে ‘ওয়াহহান’ শব্দের অর্থ বলা হয়েছে— “দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করা।”

এই হাদিস আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এতটাই বাস্তব, এতটাই প্রাসঙ্গিক, মনে হয় যেন ১৪০০ বছর আগে নয়, মাত্রই গত সপ্তাহে হাদিসটা নাযিল হয়েছে। সাহাবিরা এই হাদিস শুনে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন, কারণ তাঁরা তাদের চারপাশের বাস্তবতার সাথে এর প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। কিন্তু আজ আমরা এটা শুনে, নিজেদের সাথে মিলিয়ে দেখে, সহজেই বুঝে ফেলতে পারি, ১৪০০ বছর আগে এই হাদিস দিয়ে রাসূল (ﷺ) কী বুঝিয়েছিলেন।

রাসূল (ﷺ) দুনিয়ার উপমা দিয়েছিলেন কান কাটা মরা ছাগলের সাথে—যেটা পচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। উম্মাহর পুরুষরা আজ সেই কান কাটা মরা ছাগলের পেছনে হাঁপানো কুকুরের মতো ছুটছে। ওয়াল্লাহি! ওয়াহহান—দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা—আমাদের ‘পৌরুষ’ কেড়ে নিয়েছে। এই উম্মাহকে বিকলাঙ্গ করে ছেড়েছে।

— [বইঃ এপিটাফ, পৃ ১১৩-১১৫, মোহাম্মাদ হবলোস, বুকমার্ক পাবলিকেশন]

ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ তার কিতাবুর রুহ গ্রন্থে একটা ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তিনি লিখেছেন ‘একজন পিতা একদিন তার মৃত মেয়েকে স্বপ্নে দেখলেন। স্বপ্নে তিনি মেয়ের কাছে জানতে চাইলেন, ’মা, আমাকে আখিরাতের ব্যাপারে কিছু বলো'।

তার মেয়ে বললো, ‘বাবা, আমাদের সামনে খুবই গুরুতর বিষয় এসে হাজির হয়েছে। আমরা দুনিয়ার সবকিছু জানতাম ঠিক, কিন্তু মানতাম না কিছুই। আল্লাহর কসম করে বলছি বাবা, এখানে এসে যেসব বিষয়ের মুখোমুখি আমরা হচ্ছি, তা এড়াতে আমার আমলনামায় কেবল একটা তাসবিহ অথবা দুই রাকাআত সালাত যদি যোগ করা যেতো, গোটা পৃথিবী লাভের চাইতেও তা আমার কাছে অধিক প্রিয় আর দরকারি হতো’।
[কিতাবুর রুহঃ খন্ডঃ ১ ; পৃষ্ঠা ২২৫

আমাদের কি একটা তাসবিহ অথবা দুই রাকাআত সালাতের সুযোগ নেই প্রিয় ভাই?
আর কত অবহেলা করবেন আপনার মহান দয়ালু রবকে!

আল্লাহর দরবারে আপনার সম্মান এবং অবস্থান সাব্যস্ত হয় তাঁর রাসূলের সাথে আপনার সম্পর্কের ভিত্তি অনুপাতে।

কেউ যদি আসমানে তার ইজ্জতের স্তর জানতে ইচ্ছে পোষণ করে তবে সে যেন তার জীবনে রাসূলের সীরাত ও আখলাক অনুসরণের অবস্থান দেখে।

© Abdur Rahman Muaz (হাফি.)

দাওয়াতের কাজ যিনি করবেন, তার জন্য আবশ্যক কিছু আদব ও উসুল।

মুসা আল হাফিজ হাফিজাহুল্লাহর ‘সুফিদের কাছে সত্যনিষ্ঠতার হাকিকত’ শিরোনামের আলোচনার অংশবিশেষ।

ইউটিউবে দেখতে—
https://youtu.be/yNURywFSfbc

#MusaAlHafij #DawaatOTableeg #MuslimInspirationOfficial

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররমের পূর্ব গেইটে শুরু হয়েছে ‘ইসলামি বইমেলা-২০২৪’। মেলা চলবে ২২ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।

বইমেলায় আসুন। বই কিনুন। বই পড়ুন। প্রিয়জনদের বই উপহার দিন।

ছবি যাদের প্রয়োজন..

আবু দুজানা বলেছেন, রাবেয়া বসরী (রহ) যখন আল্লাহর স্মরণে নিমগ্ন হতেন, তখন নিচের কবিতাটি আবৃত্তি করতেনঃ

তুমি ভান করবে আল্লাহকে ভালোবাসার,
আর অমান্য করবে নির্দেশ তাঁর,

এ যে ভালোবাসার নামে ভণ্ডামী।।
দু’জনের মাঝে অথৈ পারাবার,

তুমি যদি ভালোই বাসো তাঁকে, তবে-
হওনা কেন অনুগত তাঁর?

প্রেমিকরা তো চিরকাল অনুরাগের বাঁধনে
বাধা থাকে দুজন দুজনার॥

- [বইঃ- শু'আবুল ঈমান (ঈমানের শাখাসমূহ), ইমাম বাইহাকী, শাখা-১০, আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা]

গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদিস দেখুন:

আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি জিনিস পরিত্রাণকারী এবং তিনটি জিনিস ধ্বংসকারী।

পরিত্রাণকারী জিনিসগুলো হল- ১. প্রকাশ্যে ও গোপনে আল্লাহকে ভয় করা, ২. সন্তুষ্ট ও অসন্তুষ্ট উভয় অবস্থায় উচিত কথা বলা, ৩. ধনী ও দরিদ্র উভয় অবস্থায় মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা।

আর ধ্বংসকারী জিনিসগুলো হল- ১. প্রবৃত্তির অনুসারী হওয়া, ২. লোভ-লালসা করা, ৩. কোন ব্যক্তি নিজেকে নিজে সম্মানিত মনে করা। আর এ স্বভাবটিই সবচেয়ে খারাপ স্বভাব।

- মিশকাতুল মাসাবীহ, ৫১২২

আলহামদুলিল্লাহ আগামীকাল শুক্রবার টঙ্গী ইজতিমা ময়দানের টিনশেড মসজিদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ছাত্রদের জোড়।

দাওয়াতের কাজে লেগে থাকার জন্য দাওয়াতের মেজাজ, ফিকর, উম্মতের জন্য দরদ জরুরী। আমরা যারা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বা মহল্লায় দাওয়াতের কাজের সাথে জুড়ে আছি, নিজেদেরকে দাওয়াত ও ফিকরের ক্ষেত্রে আগে বাড়ানোর জন্য এ জোড়গুলো খুবই উপকারী।

এছাড়া খুব কাছাকাছি সময়েই অনুষ্ঠিত হবে পুরাতন সাথীদের জোড় ও বিশ্ব ইজতিমা।

কাজেই বড়দের হেদায়াত অনুযায়ী ছাত্রদের নিজেদের প্রতিষ্ঠান/মহল্লার পরামর্শ অনুযায়ী জোড়ে শরীক হওয়া দরকার।

আল্লাহ পাক আমাদের তাওফীক দিন।

উপরের পোস্টে কিছু কথা..

প্যারেন্টিং সংক্রান্ত একটি রিসোর্স পোস্টের লিংকঃ— (Click Here)

#IslamicParenting #LifeLessonsM #ReminderForUmmah #Parenting #MuslimInspirationOfficial

❝সন্তানদের প্রতি অন্ধ ভালোবাসা বাবা/মা কে যেই পরিমাণে বিরত রাখে তাদের (সন্তানদের) আল্লাহর পথ দেখানো থেকে, সেই অনুপাতে কিয়ামতের দিন সন্তানদের সাথে তাদের বাবা/মায়ের শত্রুতা থাকবে।❞ — শায়খ খালিদ আস সাক‘আবি হাফিজাহুল্লাহ

শিক্ষাঃ ১. সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা কতটুকু থাকবে, তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নির্ধারন করে দিয়েছেন। কারো প্রতি মোহাব্বাত কখনো সেই সীমারেখা অতিক্রম করলেই বিপর্যস্ততা নিশ্চিত।

Say, [O Muhammad], "If your fathers, your sons, your brothers, your wives, your relatives, wealth which you have obtained, commerce wherein you fear decline, and dwellings with which you are pleased are more beloved to you than Allah and His Messenger and j#&ihad in His cause, then wait until Allah executes His command. And Allah does not guide the defiantly disobedient people." – (Sura Tawba, 28)

ইমাম ইবনে জারীর তবারী রাহ. বলেন, আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দাদের লক্ষ করে বলছেনঃ হে মুমিনগণ! জেনে রেখ, তোমাদেরকে যে ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি দান করেছি এসব তোমাদের জন্য পরীক্ষার বস্তু। এর মাধ্যমে তোমাদের আমি পরীক্ষা করব। এটা দেখার জন্য যে, সন্তান-সন্ততি ও অর্থ-কড়ির ক্ষেত্রে তোমরা আল্লাহর হক কতটুকু আদায় কর এবং দ্বীনের বিধিনিষেধ কী পরিমাণ মান্য কর। (তাফসীরে তাবারী ১১/১২৬)

অতএব, প্যারেন্টিং এর ক্ষেত্রে অবশ্যই সন্তানের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার নির্ধারিত পরিমানে এবং সবকিছুর থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ভালোবাসা থাকবে অধিক। যেনো কখনো আল্লাহর বিধিনিষেধ পালনে শৈথিল্যতা প্রদর্শন না হয়।

২. সন্তানকে আল্লাহর পথ দেখানো, তাকে সে পথে চলার জন্য অনুপ্রাণিত ও দিকনির্দেশনা দিতে থাকা। নিজে আল্লাহর আনুগত্য করা ও নাফরমানি থেকে বেঁচে থাকা এবং অন্যকেও সে পথে আনার প্রচেষ্টা করা।

লুকমান হাকিম স্বীয় পুত্রকে উপদেশ দিচ্ছেন— "O my son, establish prayer, enjoin what is right, forbid what is wrong, and be patient over what befalls you. Indeed, [all] that is of the matters [requiring] determination." - (Sura Luqman, 17)

সন্তানকে আল্লাহকে চিনিয়ে দিবো, আল্লাহর পথে চলার ও তাঁর আনুগত্যের উপদেশ দিবো ইনশাআল্লাহ..

৩. অন্যথায় কিয়ামতের দিন সন্তানরা বাবা-মার জন্য বিপদের কারন‌‌ হয়ে দ্বাড়াবে।

"আল্লাহ তাআলা যদি বান্দাকে কারো দায়িত্বশীল বানান আর সে নিজ অধীনস্তদের কল্যাণের ব্যাপারে যত্নশীল না হয়, তাহলে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।" (সহীহ বুখারী, হাদীস ৭১৫০)

এই হাদীসটি গভীরভাবে হ্নদয়ে গেথে নিই..

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সন্তান প্রতিপালনে মা-বাবাকে ইসলামী নির্দেশনা অনুসরনের তাওফীক দান করুন, আমিন।

❝হাসানাহ❞ নিয়ে এভাবে কখনো আমরা চিন্তা করেছি?
•
•
আনাস ইবনু মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ‘রাসুলের যুগে এক মুসলিম ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে, তিনি তার ইয়াদতে যান। গিয়ে দেখেন, সে অসুখে কাতর হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। পরিবার জানায়, তার অবস্থা চরম সংকটাপন্ন। রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ইদানীং তুমি কোনো দুআ করেছিলে? আল্লাহর কাছে বিশেষ কিছু চেয়েছিলে? লোকটি বলে, হ্যাঁ করেছিলাম। বলেছিলাম, আল্লাহ! যদি পরকালে আমার কপালে কোনো শাস্তি থাকে, তাহলে তা দুনিয়াতেই দিয়ে দেন। রাসুল বলেন, তুমি এমন দোয়া করতে পারো না। পরকালের শাস্তি তুমি দুনিয়াতে বহন করার ক্ষমতা রাখো না। তুমি এমন কেন বললে না,

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

(হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ইহ-পরকালে যাবতীয় কল্যাণের অধিকারী করুন এবং আমাকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি দিন)। এই বলে আল্লাহর রাসুল তার সুস্থতা চেয়ে দুআ করলে, লোকটি দ্রুতই সুস্থ হয়ে ওঠে।’

তাফসিরে রুহুল মাআনিতে আল্লামা আলুসি রহ. এই হাসানাহ বা ইহ-পরকালের কল্যাণ সংক্রান্ত বেশকিছু ব্যাখ্যা এনেছেন। যেমন, ইহকালের হাসানাহ বা কল্যাণের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেছেনঃ

• কাতাদা রহ.-এর মতে, হাসানাহ মানে সুস্থতা ও অল্পেতুষ্টি।
• আলি রা. বলেন, হাসানাহ দ্বারা উদ্দেশ্য নেককার স্ত্রী।
• হাসান বাসরি রহ. বলেন, হাসানাহ মানে ইলম ও ইবাদত।
• সুদ্দি রহ. বলেন, এ শব্দের উদ্দেশ্য হালাল রিজিক।
• ইবনে উমর রাদি.-এর মতে, হাসানাহ মানে অনুগত সন্তান।
• তিনি আরও বলেন, হতে পারে এর উদ্দেশ্য জগতজোড়া খ্যাতি।
• জাফর রহ. বলেন, দুনিয়াবি হাসানাহ মানে সুস্থতা ও পর্যাপ্ত সম্পদ।
• অনেকের মতে, হাসানাহ বলতে শত্রুদের উপর বিজয় অর্জন উদ্দেশ্য।
• একদল আলিম বলেন, বরং এর দ্বারা উদ্দেশ্য কিতাবুল্লাহর ফাহম।
• আরও অনেকে বলেন, মূলত হাসানাহ মানে পুণ্যবান লোকদের সাহচর্য।

এরপর পরকালীন কল্যাণের ব্যাখ্যায় এসে আলুসি রহ. বলেন:

• পরকালের কল্যাণ হিসেবে কেউ বলেছেন বান্দার জান্নাতপ্রাপ্তির কথা।
• কারো মতে, কিয়ামত দিবসের ভয়াবহতা ও কঠিন হিসাব থেকে মুক্তি।
• আলি রাদি. বলেন, এর দ্বারা বরং হুরে-ঈন লাভ করা উদ্দেশ্য।
• অনেকের দাবি, পরকালের কল্যাণ মানে আল্লাহর দিদার লাভ করা।

ইমাম কুরতুবি রহ. বলেন: সর্বোপরি, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে ‘হাসানাহ’ বা কল্যাণ শব্দটিকে নাকিরা বা অনির্দিষ্ট রেখেছেন এ-জন্যই যে, ইহ-পরকালের যাবতীয় কল্যাণ যেন বান্দা খুব সহজেই এই দুআর মাধ্যমে চেয়ে নিতে পারে।

এরপর তিনি একটি ঘটনা উল্লেখ করে বলেন: একদল লোক হজরত আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে দোয়া চাইলে, তিনি তাদের জন্য উপরোক্ত দুআটি করেন। বলেন:

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

(হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে ইহ-পরকালে যাবতীয় কল্যাণের অধিকারী করুন এবং আমাদের সবাইকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি দিন)। তারা যেন তুষ্ট হতে পারল না। বলল, আরও কিছু দুআ করুন না! আনাস রা. বললেন, আর কী চাও? ছোট্ট এ দুআয় ইহ-পরকালের সবই তো তোমাদের জন্য চেয়ে নিলাম...

তথ্যসূত্রঃ
- সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১
- সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৫৯১
- তাফসিরে রুহুল মাআনি ১/৪৮৬
- তাফসিরে কুরতুবি ২/৪৩৪

Attached Pic HD File...

❝হাসানাহ❞ নিয়ে এভাবে কখনো আমরা চিন্তা করেছি?

বিস্তারিত পড়ুন উপরের লিখায়...

সংযুক্ত আর্টিকেল — https://www.alkawsar.com/bn/article/1761/

ইমাম হাসান আল বাসরি রহিমাহুল্লাহ বলেন, তিনটি কাজে প্রশান্তি খোঁজো—
১. সালাতে,
২. কুরআন তিলাওয়াতে,
৩. জিকিরে,

যদি পেয়ে যাও তাহলে সুসংবাদ গ্রহণ করো এবং তা ধরে রাখার চেষ্টা করো। আর যদি না পাও,তাহলে জেনে রেখো, তোমার জন্য প্রশান্তির দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। সুতরাং, যে কোন উপায়ে তা খোলার চেষ্টা করো।

[ কিতাবু আদাবিল হাসান আল বাসরি ওয়া যুহদিহি ওয়া মাওয়ায়িজিহি লি ইবনিল জাওযি - ৫৪ পৃষ্ঠা ]

উস্তাযে মুহতারাম Tanjil Arefin Adnan হাফিযাহুল্লাহর মূল্যবান নসীহতঃ—

কেউ যদি এ যুগে ফরজ, ওয়াজিব আর সুন্নাতে মুআক্কাদা আমলগুলো ঠিকঠাক মতো করতে পারে, ইন্টারনেট থেকে দূরে থাকতে পারে, কু-দৃষ্টি, গিবত, মিথ্যা ইত্যাদি কবিরা গুনাহ থেকে বাঁচতে পারে—তাহলে নিঃসন্দেহে সে এ যুগের সবচেয়ে বড় বুযুর্গ।

চাই সে কোনো নফল আমল না করুক। রাতে বেশি তাহাজ্জুদ পড়তে না পারুক। বা বেশি বেশি দানও করতে না পারুক।

যুগের ভয়াবহতায় এটুকু আমলই অনেক!

উস্তাযের কথার MD Minhazul Islam Moin ভাইজানের সংযুক্তিঃ— কেউ এটা ভাইবেন না যে, ইন্টারনেটে নসিহত করতেছে ইন্টারনেট ছাড়তে। প্রথমত এসব নিজেকেই বলা। আর এখানে ইন্টারনেটের অপব্যবহার বোঝানো হয়েছে। কেউ যদি একেবারেই ইন্টারনেট ছাড়তে পারে তাহলে তো সবচেয়ে উত্তম।

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ Mashwara Official

HD File..

হযরত আমের ইবনে রবীআহ (رضي الله عنه) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (صلى الله عليه وسلم) কে খুতবার মধ্যে বলতে শুনেছি-

من صلى علي صلاة، لم تزل الملائكة تصلي عليه ما صلى علي، فليقل عبد من ذلك أو ليكثر.

আমার উপর দরূদ পাঠকারী যতক্ষণ দরূদ পড়ে ফেরেশতারা তার জন্য দুআ করতে থাকে। সুতরাং বান্দার ইচ্ছা, সে দরূদ বেশি পড়বে না কম। -মুসনাদে আহমদ ৩/৪৪৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৪০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৯০৭

সামনে পূজায় অনেক "মুসলিম" নামধারী ভাইয়েরা মণ্ডপে যাইতে চাইবে। তাদেরকে হাতজোড় করে বলি,

❝ভাইয়েরা, আল্লাহর গযব নাযিলের জায়গায় কিজন্যে যাবো? আল্লাহর গযব আমার উপরও পড়ুক, এটা কী আমি চাই? একটু চিন্তা করি... একটু চিন্তা করি...❞