ই-স-রা-য়েলের হাতে সময় আর বেশি নেই। বিশ-বাইশ হাজার নিরীহ মানুষ হত্যা করা ছাড়া তাদের বড় ধরণের কোনো অর্জন নেই। উল্টো নিজেরাই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার। এই পর্যন্ত তাদের প্রায় ৫১ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়ে গেছে। প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ২৬০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে। রিজার্ভ ফোর্সের বেতন গুণতে হচ্ছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার। অর্থনীতির নাভিশ্বাস ওঠার যোগাড়।
বড়জোর মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত ইসরায়েলের হাতে সময় আছে। এর বেশি সময় আমেরিকা বিশ্বজনমত উপেক্ষার ঝুঁকি না নেয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া যুদ্ধ প্রলম্বিত হলে আমেরিকাকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সেনা মোতায়েন করতে হতে পারে। বিশেষ করে ইয়ামানে। বাইডেনের এমন সিদ্ধান্ত রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও সমর্থন করবে না। নিজ দল ডেমোক্র্যাটের সমর্থন পাওয়াও দুস্কর হয়ে পড়তে পারে।
অন্যদিকে যুদ্ধ আরো প্রলম্বিত হলে আমেরিকা-ইসরার ঘনিষ্ঠ সহযোগি সিসির অবস্থাও করুণ হতে পারে।
মিসরের হিসেব ওলটপালট হয়ে গেছে বাব মানদাবে হুসিদের হামলায়। সুয়েজ ক্যানেল দিয়ে তেলবাহী জাহাজ চলাচলের কারণে মিসর প্রতি বছর বিপুল রাজস্ব আয় করে। কয়েকমাস আগে মিসর খুশিতে বগল বাজিয়েছিল। কারণ সুয়েজ ক্যানেল থেকে তাদের রাজস্ব আয় ৯.৪ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছিল। হুসিদের হামলার পর সুয়েজ ক্যানেল দিয়ে জাহাজ চলাচল প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সুয়েজ ক্যানেলের আয় মিসরের অর্থনীতির মূলচালিকাশক্তি বলা যেতে পারে।
.
ছবিটা দেখি। বাম দিক থেকে সুয়েজ ক্যানেল দিয়ে রেড সীতে প্রবেশ করা জাহাজগুলো ডানদিকের বাব মানদাব দিয়েই এশিয়া বা চীনের দিকে অগ্রসর হয়। এখন বাব মানদাবকে সুরক্ষিত রাখতে হলে হয় ইয়ামানে হামলা চালাতে হবে না হয় গাযায় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। বাব মানদাব প্রণালীকে সুরক্ষিত রাখতে আমেরিকা ইতিমধ্যে একটি নেভাল এলায়েন্স গঠন করেছে। আমেরিকা চাপ দিয়ে সৌদি আরবকেও এই জোটে শামিল করতে চাচ্ছে। সৌদি পড়েছে উভয় সংকটে। সৌদি চাচ্ছে হুসিদের সাথে চূড়ান্ত মিটমাট করে ইয়ামান যুদ্ধকে পুরোপুরি শেষ করে দিতে। এখন মার্কিন চাপে নেভার জোটে অংশ নেয়ার অর্থ -হুসিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া।
দেখা যাক, এমবিএস কী করেন।
এই পোস্টটা মূলত ‘বাব আল-মানদাব’ কোথায় সেটা স্পষ্ট করার জন্য। আর হাঁ, বাব আল-মানদাব নিয়ে ‘আল্লাহর বিশেষ বান্দাদের’ এক মহাপরিকল্পনা ছিল। এখনো আছে। আল্লাহর খাস বান্দারাও বাব আল-মানদাবের গুরুত্ব অনেক আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন। সেমতে কাজও শুরু করেছিলেন। আল্লাহর ইচ্ছা ছিল না। বাব আল-মানদাব হুসিদের দখলে আছে। আল্লাহ চাহেন তো একদিন এই প্রণালী আল্লাহর বান্দাদের দখলে আসবে। ইন শা আল্লাহ। সেদিনের অপেক্ষায়।
বাব অল-মানদাব প্রায় ৮০ মাইল চওড়া প্রণালী।
এখান দিয়ে পুরো বিশ্বের ১২% তেল এখান দিয়ে যায়।