fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ @fatwaa_org Channel on Telegram

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

@fatwaa_org


আমাদের উদ্দেশ্য কুরআন-সুন্নাহর আলোকে, সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ইসলামের সঠিক ফাতওয়া তুলে ধরা।

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ (Bengali)

ফ্যাটওয়া.অর্গ টেলিগ্রাম চ্যানেলটি একটি উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ যা অনুসন্ধান এবং শিক্ষা প্রদানের জন্য উদ্দীপনা দেয়। এই চ্যানেলটির উদ্দেশ্য হল কুরআন-সুন্নাহ এবং ইসলামিক শাস্ত্রের বিষয়ে সঠিক ফাতওয়া উদ্ধৃত করা যা সময়ের চাহিদা অনুযায়ী পরিষ্কার এবং সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা দেয়। এই চ্যানেলে আপনি ইসলামিক আইন, শাস্ত্র, ফিকাহ, কুরআন তাফসীর, হাদিস, প্রলোকন এবং আরও অনেক বিষয়ে জানতে পারবেন। এছাড়াও, এই চ্যানেলে উচ্চতর ইসলামী আইন এবং ফাতওয়া সম্পর্কে আলোচনা, প্রশ্নোত্তর, আলোচনা সেমিনার, ওয়েবিনার এবং লেখা পেতে পারবেন।

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

22 Nov, 12:46


বন্দী বিনিময়ের বিধান

প্রশ্নঃ

তাগুত বাহিনীর কোনও সদস্যকে গ্রেফতার করে তার বিনিময়ে তাদের হাতে থাকা কোনও নিরপরাধ মুসলিম বন্দীকে মুক্ত করা কি জায়েয হবে?

-আবদুল মুকীত

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

এটি শুধু জায়েযই নয়; অনেক বড় নেক কাজও বটে। বরং কারও সামর্থ্য থাকলে তার ওপর অর্পিত শরঈ ওয়াজিব দায়িত্ব। তবে এজন্য অবশ্যই বিজ্ঞ আলেম ও মুজাহিদদের পরামর্শ কাম্য। যাতে কোনও ভুলের কারণে মুসলিমদের উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি না হয়ে যায়।-সহীহ বুখারী: ৪/৬৮ হাদীস নং: ৩০৪৬, (দারু তওকিন নাজাহ); ফাতহুল বারী: ৬/১৬৭ (দারুল ফিকর); উমদাতুল কারী: ১৪/২৯৪, (দারু ইহয়াইত তুরাস আল-আরাবী); ফয়যুল বারী: ৪/২৩৮, (দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ); জামিউত তিরমিযী: ৩/১৮৭, (দারুল গারবিল ইসলামী); শরহুস সিয়ারিল কাবীর, পৃ: ১৫৭৮, (আশ-শারিকাতুশ শারকিয়্যাহ); ফাতহুল কাদীর: ৫/৪৭৪, (দারুল ফিকর); রদ্দুল মুহতার: ৪/১৩৯, (দারুল ফিকর); আল-মাওসূওআতুল ফিকহিয়্যাহ: ৩২/৬২, (ওযারাতুল আওকাফ, কুয়েত); আল-মুগনী: ৯/২২১, (মাকতাবাতুল কাহেরা)

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৭-৭-৪৪

০৯-২-২৩

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

22 Nov, 12:46


বন্দী বিনিময়ের বিধান

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0/%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a6-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2/%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%80-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%a8/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

21 Nov, 15:57


হারাম সম্পদ দিয়ে ক্রয়কৃত বস্তু ব্যবহারের বিধান

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%a8/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a6%a6-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%95/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

21 Nov, 15:57


হারাম সম্পদ দিয়ে ক্রয়কৃত বস্তু ব্যবহারের বিধান

প্রশ্নঃ

আমরা জানি, ব্যাংক কর্মকর্তার ব্যাংক-উপার্জনটা হারাম। তা থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয নেই। এখন এই ব্যক্তি তার হারাম উপার্জন থেকে যেই পণ্য ক্রয় করে রেখেছে, আমাদের জন্য কি তা ব্যবহার করা বৈধ হবে? যেমন, তার মালিকানাধীন কেতলি দিয়ে পানি গরম করে তা দিয়ে চা বানিয়ে পান করা? তার কেনা জায়নামাযে নামায পড়া ইত্যাদি।

-আবদুল হাফীয

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

الحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله، أما بعد:

হারাম সম্পদ দিয়ে ক্রয়কৃত বস্তু ক্রেতার জন্য ব্যবহার যেমন নাজায়েয, অন্যদের জন্যও ব্যবহার নাজায়েয। -বাদায়েউস সানায়ে: ৭/১৫৫, রদ্দুল মুহতার: ৫/৯৮

সুতরাং যদি সেগুলো তার হারাম উপার্জন থেকে ক্রয়কৃত বলে আপনি নিশ্চিত হোন, তাহলে আপনাদের জন্যও তা ব্যবহার জায়েয হবে না। আর যদি হালাল সম্পদ দিয়ে ক্রয়কৃত বলে নিশ্চিত হোন, তাহলে ব্যবহার জায়েয।

আর যদি কোন সম্পদ দিয়ে ক্রয় করা হয়েছে তা নিশ্চিত না হোন, তাহলে দেখতে হবে, তার অধিকাংশ সম্পদ হালাল, না হারাম। যদি অধিকাংশ হালাল হয়, তাহলে ব্যবহার করতে পারবেন। অধিকাংশ হারাম হলে, ব্যবহার করতে পারবেন না।-আল মুহিতুল বুরহানী: ৫/৩৬৭, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩৪২

তবে ওই জায়নামাযে আদায়কৃত নামায সহীহ হয়েছে। পুনরায় তা আর আদায় করতে হবে না। -মাবসুতে সারাখসী: ৬/৫৭, বাহরুর রায়েক: ২/১৪৯

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৭-৭-৪৪

০৯-২-২৩

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

20 Nov, 12:40


বিয়ে করলে জিহাদ থেকে সরে পড়ার আশঙ্কা হলে করণীয় কী?

প্রশ্নঃ

আমি বেশ কজন ভাইকে দেখেছি, তারা বিয়ে করার পর জিহাদ থেকে সরে পড়েছেন। আমার ভয় হচ্ছে, আল্লাহ না করুন আমার ক্ষেত্রেও এমন হয় কি না। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কী?

তাছাড়া বিয়ের আগেই যদি কারও মাঝে ফরয আদায়ে কমতি থাকে তাহলে বিয়ের পর তা আরও বেশি হওয়া স্বাভাবিক। এই অবস্থায় তার জন্য বিয়ের হুকুম কী হবে? কিংবা যদি এমন আশঙ্কা হয় যে, বিয়ের পর ফরয ঠিক থাকবে না তাহলে করণীয় কী? একটু বিস্তারিত জানালে অনেক উপকৃত হতাম।

-হাবিব নাজ্জার

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

বিয়ে শরীয়তের স্বতন্ত্র একটি বিধান। বিয়ের মাধ্যমে দীনের পূর্ণতা আসে। হাদীস শরীফে ইরশাদ হচ্ছে,

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: “إِذَا تَزَوَّجَ الْعَبْدُ فَقَدْ كَمُلَ نِصْفُ الدِّينِ، فَلْيَتَّقِ اللهَ فِي النِّصْفِ الْبَاقِي “.- شعب الإيمان (7/ 341 رقم الحديث: 5100 مكتبة الرشد، الرياض، الطبعة: الأولى: 1423 هـ) وقال البوصري (840هـ) في “إتحاف الخيرة” (4/10 دار الوطن، الرياض، الطبعة: الأولى، 1420 ه) : وقال الحاكم: صحيح الإسناد. وليس كما زعم، لضعف عبد الرحيم بن زيد وأبيه.

“আনাস বিন মালিক রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন বান্দা বিয়ে করে, তার অর্ধেক দীন পূর্ণতা লাভ করে। সুতরাং সে যেন বাকি অর্ধেকের ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করে।” -শুআবুল ঈমান, বায়হাকী: ৭/৩৪১, হাদীস নং: ৫১০০, (মাকতাবাতুর রুশদ, রিয়াদ)

বিশেষ জরুরি অবস্থা ছাড়া স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ের সঙ্গে জিহাদের ফরয আদায়ের কোনো বৈপরীত্য নেই। সুতরাং এঅবস্থায় বিয়েকে জিহাদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। বিশেষ কোনো কারণ না থাকলে শরীয়তের প্রতিটি বিধানের ওপরই স্বাভাবিক গতিতে আমল করার চেষ্টা করা জরুরি।

হ্যাঁ, বিয়ে করলে স্বভাবতই একজন মনুষের কাঁধে অতিরিক্ত কিছু দায়-দায়িত্ব আরোপিত হয়। যার ফলে অন্য কাজের সময় সুযোগ কমে আসে এবং কারও জন্য একই সঙ্গে দুই কাজ কিছুটা কঠিন হওয়াও বিচিত্র নয়। কিন্তু পরিবারবর্গের ভরণ পোষণ ও দেখাশোনাও একটি ফরয কাজ। একারণে জিহাদের কাজে বিয়ের আগের তুলনায় যৌক্তিক পরিমাণে সময় ও শ্রম কম দেয়া দোষণীয় নয়। যতক্ষণ সম্ভব সমন্বয় করে সবগুলো ফরযই আদায় করে যেতে হবে।

কিন্তু কেউ যদি মনে করেন, বিয়ের কারণে জিহাদের পথ থেকে একদমই ছিটকে পড়তে হবে, এটা মোটেও ঠিক নয়। বিয়ে জিহাদ থেকে ছিটকে পড়ার কোনো কারণ নয়। মূল কারণ অলসতা, ঈমান, আমল, তাকওয়া, তাহারাত এবং হিম্মত ও মনোবলের দুর্বলতা। সুতরাং তার জন্য আবশ্যক হলো, কোনো বিজ্ঞ ও মুত্তাকি আলেমের সঙ্গে পরামর্শ করে নিজের দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলোর চিকিৎসা ও উন্নয়নে সচেষ্ট হওয়া।

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৭-৭-৪৪

০৯-২-২৩

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

20 Nov, 12:40


বিয়ে করলে জিহাদ থেকে সরে পড়ার আশঙ্কা হলে করণীয় কী?

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0/%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a6-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a6-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%aa/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

19 Nov, 11:58


ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ জামাআতের সাথে নামায পড়ার সুযোগ না দিলে করণীয় কী?

প্রশ্নঃ

আমি একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করি। কাজ চলাকালে মসজিদে জামাআতের সাথে নামায পড়ার জন্য অপারেটর ভাইয়ের কাছে অনুমতি চাইলে, ভাই বলেন, তুমি ফ্লোরের পাশেই নামায পড়ে নাও। কোনো সময় সুযোগ পেলে মসজিদে যাই, বেশির ভাগ সময় জামাআতে নামায পড়তে পারি না। আমি এখন কী করতে পারি? আমি কি এই চাকরিটা ছেড়ে দেবো?

-আদিল

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

আপনার এবং আপনার অধীনস্থদের যদি জীবিকা নির্বাহের ভিন্ন ব্যবস্থা থাকে অথবা জীবিকা নির্বাহের জন্য এমন কোনও বিকল্প ব্যবসা বা চাকরির ব্যবস্থা করতে পারেন, যেখানে আপনি নামাযগুলো জামাআতের সঙ্গে আদায় করতে পারবেন, তাহলে এই চাকরি ছেড়ে দিতে পারেন। পক্ষান্তরে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে, এই চাকরি ছাড়া ঠিক হবে না। সে ক্ষেত্রে চাকরি চালিয়ে যান এবং পাশাপাশি জামাআতের সঙ্গে নামায আদায়ের মতো ভালো বিকল্পের জন্য দোয়া এবং চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। নামাযের সুযোগ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকেও বুঝানোর চেষ্টা করুন।-রদ্দুল মুহতার: ১/৫৫৬, ৬/৭০ দারুল ফিকর, বৈরুত; কাশশাফুল কিনা’: ১/৪৯৬ আলামুল কুতুব; ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ৬/৪১৪ জামিয়া ফারুকিয়া করাচি; আল-ইসলাম সুওয়াল ওয়া জওয়াব, ফাতওয়া নং: ৭২৮৯৫

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৭-৭-৪৪

০৯-২-২৩

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

19 Nov, 11:57


ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ জামাআতের সাথে নামায পড়ার সুযোগ না দিলে করণীয় কী?

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9c/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%86%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a5%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%af-%e0%a6%aa%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

18 Nov, 12:09


মিডিয়া কর্মীদের উপার্জন কী হালাল, না হারাম?

প্রশ্নঃ

মিডিয়া কর্মীদের উপার্জন কী হালাল? না, হারাম? যদি হারাম হয় তাহলে তাদের করণীয় কী?

-হামযা হিবাতুল্লাহ

উত্তরঃ

সততার সঙ্গে এবং তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের শরীয়াহ নীতি মেনে কেউ মিডিয়ার কাজ করলে অবশ্যই তার পারিশ্রমিক হালাল হবে। তবে বর্তমান অধিকাংশ মিডিয়া কর্মীই প্রচুর মিথ্যাচার করে। যা প্রকাশ করা নাজায়েয, অসৎ উদ্দেশ্যে তা প্রকাশ করে। আবার যা প্রচার করা জরুরি, তা গোপন করে। কুরআন সুন্নাহ ও ইসলামের প্রতি মানুষের মধ্যে ঘৃণা সৃষ্টির চেষ্টা করে। কুফর শিরক ও বিজাতি সভ্যতা সংস্কৃতিকে স্বাভাবিকরণ ও সৌন্দর্যায়নের চেষ্টা করে। এসব অন্যায় কর্মের পারিশ্রমিক হালাল নয়। তাদের করণীয় হচ্ছে, হারাম উপায়ে উপার্জিত অর্থ থেকে দায়মুক্তির জন্য তা দান করে দেওয়া এবং তাওবা করে এই পথ থেকে ফিরে আসা। -আল-ফাতাওয়াত তাতারখানিয়া: ১৫/১৩০-১৩২, (যাকারিয়া বুক ডিপো); মাজমুউল ফাতাওয়া: ২৮/৪২১-৪২২ (মাজমাউল মালিক ফাহাদ)।

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

০৫-০৭-১৪৪৪ হি.

২৮-০১-২০২৩ ঈ

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

18 Nov, 12:08


মিডিয়া কর্মীদের উপার্জন কী হালাল, না হারাম?

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a7/%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%a8/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

17 Nov, 12:00


কিতালের জন্য কি পিতা-মাতার অনুমতি জরুরি?

প্রশ্নঃ

কিছু লোককে বলতে শুনি, কিতালে যাওয়ার জন্য নাকি পিতা-মাতার অনুমতি নিতে হয়। আসলেই কি বিষয়টি এমন? পিতা-মাতার অনুমতি ছাড়া কি কিতাল করা যায় না?

-হাম্মাদ, মোমেনশাহী

উত্তরঃ

কিতাল ফরযে আইন হলে পিতা-মাতার অনুমতি নিতে হয় না; বরং তখন পিতা-মাতা নিষেধ করলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিতাল করা জরুরি।

ইমাম বুরহানুদ্দীন বুখারী রহিমাহুল্লাহ (৬১৬ হি.) বলেন,

قال محمد رحمه الله: إذا جاء النفير، فقيل لأهل مدينة أو مصر قريب من العدو، وقد جاء العدو يريدون أنفسكم وذراريكم وأموالكم، فلا بأس بأن يخرج الرجل بغير إذن والديه، وإن نهياه فلا بأس بأن يعصيهما إذا كان ممن يقدر على الجهاد، وقد ذكرنا هذا، وليس للوالدين أن ينهيا الولد عن الخروج في هذه الحالة؛ لأن القتال في هذه الحالة فرض عين، وليس لهما أن ينهيا الولد عما هو فرض عين. -المحيط البرهاني في الفقه النعماني (8/112-113 ط. إدارة القرآن، كراتشي)

“ইমাম মুহাম্মদ রহিমাহুল্লাহ বলেন, যখন নাফীরে আম হবে অর্থাৎ শত্রুদের নিকটবর্তী কোনো জনপদের অধিবাসীদের জানানো হবে, তোমাদের জান-মাল, সহায়-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য শত্রুরা চলে এসেছে; তখন পিতা-মাতার অনুমতি ব্যতীত যুদ্ধে বের হতে কোনও অসুবিধা নেই। পিতা-মাতা যেতে বারণ করলে যুদ্ধ করার সক্ষমতা থাকলে তাদের অবাধ্য হতেও দোষ নেই। এটা আমরা আগেই উল্লেখ করেছি। এমন পরিস্থিতিতে পিতা-মাতার জন্য সন্তানকে যুদ্ধে যেতে বারণ করার অনুমতি নেই। কারণ, এই অবস্থায় জিহাদ ফরযে আইন। ফরযে আইন কাজ থেকে সন্তানকে বারণ করার অধিকার পিতা-মাতার নেই।”–আলমুহিতুল বুরহানি: ৮/১১২ (ইদারাতুল কুরআন, করাচি)

আরও দেখুন, তাফসীরুল কুরতুবী: ৮/১৫১ (দারুল কুতুবিল মিসরিয়্যাহ); ফাতহুল বারী: ৬/১৪০ (দারুল ফিকর); শারহুস সিয়ারিল কাবীর, পৃ: ৯৯ (আশ-শারিকাতুশ শারকিয়্যাহ); আল-ফাতাওয়াত তাতারখানিয়া: ৭/৯; রদ্দুল মুহতার: ৪/১২৭ (দারুল ফিকর)

তবে পিতা-মাতা যদি অক্ষম হন এবং একমাত্র আপনার উপর নির্ভরশীল হন, তাদের দেখাশোনা ও ভরণ পোষণের বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না থাকে, তখন তাদের দেখাশোনা ও ভরণ পোষণ করাও আপনার উপর ফরযে আইন। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে কোনও বিজ্ঞ মুফতী সাহেব থেকে মাসআলা জেনে নিবেন ইনশাআল্লাহ।

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

০৫-০৭-১৪৪৪ হি.

২৮-০১-২০২৩ ঈ.

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

17 Nov, 12:00


কিতালের জন্য কি পিতা-মাতার অনুমতি জরুরি?

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0/%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a6-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2/%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%95%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%be/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

16 Nov, 12:49


তাগুতের আদালতে বিচারপ্রার্থী হওয়ার বিধান

প্রশ্নঃ

কুরআনে তাগুতের কাছে বিচার নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আমাদের দেশে তো এখন ইসলামী হুকুমত নেই। তাহলে আমরা সন্ত্রাসীদের জুলুম-নির্যাতনের শিকার হলে কিংবা জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়াদির জন্য কোথায় বিচারপ্রার্থী হবো?

-আবু হানিফা

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

রাষ্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থা যেহেতু শরীয়াহ সম্মত নয়, এজন্য কোনো বিষয়ে মুসলিমদের পরস্পর বিবাদ হলে, তাদের সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের ফরয দায়িত্ব হল, বিজ্ঞ আলেমদের শরণাপন্ন হওয়া এবং এবিষয়ে শরীয়তের ফায়সালা কী, তা জেনে সে অনুযায়ী আমল করা। প্রয়োজনে যেসব এলাকায় মুসলিমদের সামাজিক বা পঞ্চায়েত কমিটি আছে, তাদের সহযোগিতা নেওয়া। শরীয়াহ সম্মত বিচার বাস্তবায়নে সামর্থ্য অনুযায়ী সার্বিক সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসা পঞ্চায়েত কমিটিসহ এলাকার সকল মুসলিমের দায়িত্ব। বিশেষত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের দায়িত্ব এখানে সবচেয়ে বেশি।-গিয়াসুল উমাম, পৃ: ৩৯১ (মাকতাবাতু ইমামিল হারামাইন); আয-যাখিরাহ, ইমাম করাফী (৬৮৪ হি.): ১০/৪৪ (দারুল গারবিল ইসলামী); আল-হিলাতুন নাজেযাহ, পৃ: ২৭০-২৭২ (মাকতাবায়ে রযি, দেওবন্দ); ইমদাদুল মুফতীন: ২/৮৯৪ (দারুল ইশায়াত)।

তবে এটা তখনই সম্ভব, যখন উভয় পক্ষই শরীয়াহ সম্মত বিচার চায় অথবা পঞ্চায়েত ও নেতৃস্থানীয় লোকদের; সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপর বিচার বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা থাকে। পক্ষান্তরে আমি শরীয়াহ বিচার চাইলেও, প্রতিপক্ষ যখন শরীয়াহ বিচার চাইবে না বা বিচারের মুখোমুখি হতে চাইবে না এবং পঞ্চায়েত ও সমাজের নেতৃবর্গের শরীয়াহ বিচার বাস্তবায়নের সক্ষমতাও থাকবে না, তখন বাধ্য হয়ে জুলুম থেকে বাঁচার জন্য বা নিজের হক আদায়ের জন্য কিছু শর্ত সাপেক্ষে তাগুতের আদালতে বিচার চাওয়া জায়েয। শর্তগুলো হচ্ছে;

১. শরীয়াহ বিচারই যে উত্তম, পূর্ণাঙ্গরূপে এই বিশ্বাস লালন করা।

২. প্রতিপক্ষের উপর জুলুম না করা।

৩. আমার জন্য যদি এমন কোনো হকের ফায়সালা হয়, যা আমার নয়, তাহলে তা প্রকৃত হকদারকে ফিরিয়ে দেওয়া।

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৭-৭-৪৪

০৯-২-২৩

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

16 Nov, 12:48


তাগুতের আদালতে বিচারপ্রার্থী হওয়ার বিধান

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%88%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%86%e0%a6%95%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a6%be/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%a4-%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a8/%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

15 Nov, 12:15


দীর্ঘ দিন দূরে থাকার পর তালাক দিলে ইদ্দতের হুকুম কী?

প্রশ্নঃ

স্বামী স্ত্রী দেড় বছর ধরে আলাদা। এ অবস্থায় স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। এক্ষেত্রে ইদ্দতের হুকুম কী?

-আবদুল হক

উত্তরঃ

এ অবস্থায়ও তালাকের পর থেকেই ইদ্দত পালন করতে হবে।–মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবাহ: ১০/১৩১ হাদীস নং: ১৯২৫১ দারুল কিবলাহ; বাদায়েউস সানায়ে: ৩/১৯২ দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বৈরুত; রদ্দুল মুহতার: ৩/৫২৯ দারুল ফিকর, বৈরুত; আল-মওসুয়্যাহ ফিকহিয়্যাহ: ২৯/৩০৭ ওযারাতুল আওকাফ, কুয়েত; ইমদাদুল মুফতিন: ২/৫৮৬ যাকারিয়া বুক ডিপো; খাইরুল ফাতাওয়া: ৫/২৮৪ যাকারিয়া বুক ডিপো

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৭-৭-৪৪

০৯-২-২৩

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

15 Nov, 12:15


দীর্ঘ দিন দূরে থাকার পর তালাক দিলে ইদ্দতের হুকুম কী?

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%80/%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%98-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%a6%e0%a7%82%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%a4%e0%a6%be/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

14 Nov, 12:53


}وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا (2) وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا} [الطلاق: 2، 3[

“যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার উত্তরণের পথ করে দেন এবং তাকে এমনভাবে রিযিক দান করেন, যা সে কল্পনাও করে না। যে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে, তিনি তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর কর্ম সম্পাদন করেই ছাড়েন। আর তিনি সব কিছুর জন্য একটি পরিমাপ নির্ধারিত করেছেন।” (সূরা তালাক: ৬৫:০২-০৩)

আরও ইরশাদ করেন,

}وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مِنْ أَمْرِهِ يُسْرًا (4) ذَلِكَ أَمْرُ اللَّهِ أَنْزَلَهُ إِلَيْكُمْ وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّئَاتِهِ وَيُعْظِمْ لَهُ أَجْرًا (5)} [الطلاق: 4، 5[

“যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার বিষয় সহজ করে দেন। এ আল্লাহর নির্দেশ, যা তিনি তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন। আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করে দেন এবং তাকে বড় প্রতিদান দেন।” (সূরা তালাক: ৬৫:০৪-০৫)

হাদীসে এসেছে,

عن عبد الله بن مسعود قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: تابعوا بين الحج والعمرة، فإنهما ينفيان الفقر والذنوب كما ينفي الكير خبث الحديد، والذهب، والفضة، وليس للحجة المبرورة ثواب إلا الجنة. –أخرجه الترمذي في سننه (410) (تحقيق بشار)، وقال الترمذي: حسن صحيح غريب.

“আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা ধারাবাহিক হজ ও উমরা আদায় করতে থাকো। এ দুটো আমল দারিদ্র্য ও গুনাহ বিদূরিত করে। যেমন ভাটার আগুন লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা-জং দূরীভূত করে। একটি কবুল হজের প্রতিদান তো জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।” –সুনানে তিরমিযী হাদীস নং: ৪১০; হাদীসটি সহীহ।

আরও দেখুন:- আলমাবসূত: ৪/১৬৩, দারুল মারিফাহ; হিদায়া: ১/১৩২, দারু ইহয়ায়িত তুরাস; ফাতহুল কাদীর: ২/৪১৪, দারুল ফিকর; রদ্দুল মুহতার: ২/৪৬৬, দারুল ফিকর; জাওয়াহিরুল ফিকহ: ৪/৯৭

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

০৫-০৭-১৪৪৪ হি.

২৮-০১-২০২৩ ঈ.

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

14 Nov, 12:53


সময়মতো হজ করিনি, এখন করণীয় কী?

প্রশ্নঃ

আমার উপর যখন ফরয হয় তখন হজের খরচ ছিলো ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। যা এখন ৬ লাখ ৮৩ হাজারে পৌঁছেছে। বর্তমানে আমার কাছে নগদ অর্থ আছে ৭ লাখ ৫০ হাজারের মতো। আমি একজন সাধারণ ব্যবসায়ী। এ মুহূর্তে হজে গেলে অবশিষ্ট সম্পদ পরিবার ও ব্যবসার জন্য যথেষ্ট হবে না। সম্পদের পরিমাণ শুধু বাড়ির জায়গাটুকু। এদিকে ব্যবসার অবস্থাও মন্দা যাচ্ছে। খরচের তুলনায় আয় কম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, যা দিন দিন সামর্থ্যের বাহিরে চলে যাচ্ছে। দীনের বিভিন্ন তাগাদা তো আছেই।

সারকথা হলো, আমার উপর হজ ফরয হওয়ার পর এখন আর্থিক অবস্থা অনেকাংশেই আমার অনুকূলে নেই। এমতাবস্থায় আমি কী করতে পারি? হজে যাবো, নাকি সার্বিক হালাত বিবেচনা করে অবস্থা উন্নতির জন্য আরও বিলম্ব করবো?

উল্লেখ্য, যখন আমার উপর হজ ফরয হয়েছিলো, তখন আমি চাইলে স্বাভাবিকভাবেই হজ করতে পারতাম। কিন্তু অবহেলা করে দেরি করেছি, যার ফলে বর্তমানে এই অবস্থার মুখোমুখি হয়েছি।

-আবদুল মুমিন

উত্তরঃ

হাদীস শরীফে এসেছে,

عن أبي أمامة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من لم يمنعه عن الحج حاجة ظاهرة، أو سلطان جائر، أو مرض حابس فمات ولم يحج، فليمت إن شاء يهوديا، وإن شاء نصرانيا» -(أخرجه الدارمي في سننه (1826)، الناشر: دار المغني للنشر والتوزيع، المملكة العربية السعودية). وقال الإمام البيهقي رحمه الله: وهذا وإن كان إسناده غير قوي فله شاهد من قول عمر بن الخطاب رضي الله عنه اهـ. –السنن الكبرى (4/546)، دار الكتب العلمية.

“আবু উমামা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তিকে স্পষ্ট অভাব বা জালিম শাসক অথবা সফরে বাধাপ্রদানকারী অসুস্থতা; হজ পালনে বাধা দেয়নি, অথচ সে হজ না করে মৃত্যুবরণ করল, সে চাইলে ইহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করুক, না হয় খ্রিস্টান হয়ে মৃত্যু বরণ করুক (তাতে আমার কিছু যায় আসে না) ।” –সুনানে দারেমী, হাদীস নং: ১৮২৬

হযরত উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

من مات وهو موسر لم يحج، فليمت على أي حال شاء، يهوديا، أو نصرانيا. –(أخرجه ابن أبي شيبة في المصنف (14670)، شركة دار القبلة) وقال الشيخ عوامة: إسناده صحيح.

وقال ابن الملقن رحمه الله (804هـ): ورواه سعيد بن منصور بلفظ: «لقد هممت أن أبعث رجالا إلى هذه الأمصار فينظروا كل من كان له جدة ولم يحج؛ فيضربوا عليهم الجزية (ما هم بمسلمين) » . وقال الحافظ أبو محمد المنذري: إسناده حسن، شاهد لحديث أبي أمامة اهـ. – البدر المنير (6/ 38) الناشر: دار الهجرة للنشر والتوزيع – الرياض-السعودية

“যে ব্যক্তি ধনী হয়ে মৃত্যুবরণ করলো, অথচ সে হজ করলো না, সে যে অবস্থায় ইচ্ছা মৃত্যুবরণ করুক; ইহুদী হয়ে বা খ্রিস্টান হয়ে।” –মুসান্নাফ, ইবনু আবী শাইবাহ, হাদীস নং: ১৪৬৭০; হাদীসটি সহীহ।

…অপর বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন: “আমার ইচ্ছে হয়েছিলো, এসব শহরে কিছু লোক প্রেরণ করি, যারা সম্পদ আছে তারপরও হজ করেনি এমন প্রত্যেকটি লোককে খুঁজে বের করে তাদের উপর জিযিয়া আরোপ করবে…।” –সুনানে সায়ীদ বিন মানসূর, দেখুন- আলবাদরুল মুনির: ৬/৩৮

উল্লিখিত হাদীসসমূহ থেকে পরিষ্কার বুঝা যায়, হজ ফরয হওয়ার পর তা আদায় না করা কতটা ভয়াবহ। বস্তুত হজ ফরয হওয়ার পর বিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব আদায় করে নেওয়া জরুরি। বিলম্ব করা নাজায়েয।

হাদীসে এসেছে,

عن ابن عباس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ” تعجلوا إلى الحج – يعني: الفريضة – فإن أحدكم لا يدري ما يعرض له “. –أخرجه أحمد في مسنده (2867)، (الناشر: مؤسسة الرسالة) وقال الأرنؤوط: حديث حسن.

“ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা দ্রুত হজ কর, -অর্থাৎ ফরয হজ-। কারণ তোমাদের কেউই জানে না, সামনে সে কোন পরিস্থিতির শিকার হবে।” –মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং: ২৮৬৭

অপর বর্ণনায় এসেছে,

قال رسول الله – صلى الله عليه وسلم -: “من أراد الحج فليتعجل، فإنه قد يمرض المريض، وتضل الضالة، وتعرض الحاجة”. أخرجه ابن ماجه في سننه (2883)، (الناشر: دار الرسالة العالمية)، وقال الارنؤوط: حديث حسن.

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি হজের সংকল্প করে, সে যেন অবিলম্বে তা আদায় করে। কারণ মানুষ কখনও অসুস্থ হয়ে যায়, কখনও প্রয়োজনীয় জিনিস বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং কখনও অপরিহার্য প্রয়োজন সামনে এসে পড়ে।” –সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং: ২৮৮৩

সুতরাং এখন আপনার কর্তব্য, আর কোনো বিলম্ব না করে হজ আদায় করে নেওয়া। অবহেলাবশত বিলম্বের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা। ইনশাআল্লাহ তিনি ক্ষমা করবেন।

আপনি যদি আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বর্তমান অভাব অনটনের মধ্যেও হজ আদায় করেন, আল্লাহ আপনার রিযিকের অভাব অনটনসহ সকল সঙ্কট দূর করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

14 Nov, 12:52


সময়মতো হজ করিনি, এখন করণীয় কী?

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%b9%e0%a6%9c-%e0%a6%93%e0%a6%ae%e0%a6%b0%e0%a6%be/%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%9f%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a7%8b-%e0%a6%b9%e0%a6%9c-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%8f%e0%a6%96%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%a3%e0%a7%80%e0%a7%9f/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

13 Nov, 12:01


আবহাওয়াবিদদের দেওয়া আগাম সংবাদ কি বিশ্বাস করা যাবে?

প্রশ্নঃ

বর্তমানে ঝড় বৃষ্টির যে আগাম বার্তা দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে আমাদের আকীদা কী হওয়া উচিত? এসব বিশ্বাস করা কি শিরক হবে?

-সাজিদ

উত্তরঃ

আবহাওয়াবিদরা ঝড় বৃষ্টির আগাম বার্তায় যা করেন, তা হচ্ছে, তাদের আবহাওয়া বিষয়ক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার আলোকে যখন ঝড় বৃষ্টির কোনো লক্ষণ বা পূর্বাভাস দেখেন, তখন বলেন, অমুক এলাকায় অমুক সময় ঝড় বৃষ্টি হতে পারে বা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ঝড় বৃষ্টি হওয়ার নিশ্চিত কোনও সংবাদ তারা দেন না। ঝড় বৃষ্টির এমন আগাম বার্তা আপনি আমি সকলেই কম-বেশি দিতে পারি। আকাশে যখন মেঘ জমে, তখন আমরা বলতে পারি এবং বলি, আজ বৃষ্টি হতে পারে। ঝড়ের লক্ষণ দেখে বলি, ঝড় হতে পারে। আবহাওয়াবিদদের মাঝে আর আমাদের মাঝে পার্থক্য হল, এ বিষয়ক পড়াশোনা অভিজ্ঞতা ও আধুনিক প্রযুক্তি ইত্যাদির কারণে ঝড় বৃষ্টির লক্ষণগুলো তারা আমাদের চেয়ে বেশি বুঝেন এবং আগে বুঝেন।

এ কারণে আমাদের বুঝার আগেই তারা ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনার সংবাদ দিতে পারেন। এভাবে লক্ষণ দেখে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনার সংবাদ দেওয়া এবং ঝড় বৃষ্টি হতে পারে মনে করার মধ্যে আকীদাগত কোনও সমস্যা নেই। -মুয়াত্তা মালিক: ১/১৯২ (দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবী); আত-তামহীদ: ২৪/৩৭৭ (ওযারাতুল আওকাফ, মরক্কো); মাজমুউল ফাতাওয়া: ২৪/২৫৫ (মাজমাউল মালিক ফাহাদ, মদীনা); ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দায়িমা: ১/৬৩৫ (রিয়াসাতু ইদারাতিল বুহুসিল ইলমিয়্যাহ, রিয়াদ); দারুল ইফতা, জামিয়া ইসলামিয়্যাহ বিন্নুরী টাউন, করাচি, ফাতওয়া নং: ১৪৩১০১২০০৪৫৯

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

০৫-০৭-১৪৪৪ হি.

২৮-০১-২০২৩ ঈ.