Nashita Wellness @nashitawellness Channel on Telegram

Nashita Wellness

@nashitawellness


Nashita Wellness (English)

Welcome to Nashita Wellness, a Telegram channel dedicated to helping you live a healthier lifestyle! Nashita Wellness is a community of like-minded individuals who are passionate about health, fitness, and overall well-being. Whether you're looking to lose weight, improve your fitness level, or simply learn more about living a healthier life, Nashita Wellness has something for everyone. The channel provides a variety of resources, including workout tips, healthy recipes, motivational quotes, and wellness challenges to keep you inspired and on track. Join us on Nashita Wellness and start your journey towards a healthier you today!

Nashita Wellness

23 Jan, 12:15


রামাদান উপলক্ষে প্রতি বছর কিছু না কিছু স্পেশাল আয়োজন করে থাকি আমরা, যার নাম 'মিশন রামাদান'।

এ বছরও নতুন আঙ্গিকে মিশন রামাদান শুরু করতে যাচ্ছি খুব শীঘ্রই ইন শা আল্লাহ। আর এবারের থিম- সুস্বাস্থ্য।

উভয় সাইন্স এবং সুন্নাহ থেকে নির্দেশনা নিয়ে আমরা আমাদের টার্গেট গুলোকে সাজাবো। শুধু সাজিয়ে বসে থাকবো না, সাথে সাথে প্র্যাকটিসও করবো ইন শা আল্লাহ।

তবে এবার একটু নতুন সংযোজন আছে। আমাদের উইমেন্স ক্লাবে রামাদান উপলক্ষে আরেকটু বাড়তি আয়োজন আছে, যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। যারা দ্বীনের পথে নতুন বা তেমন দ্বীনি সার্কেল এখনো হয়নি, তারা ক্লাবে জয়েন করে উপকৃত হতে পারেন।

[ক্লাবে জয়েন করতে চাইলে বোনেরা ফেসবুক পেইজে মেসেজ করবেন।]

- নাশিতা টিম

Nashita Wellness

19 Jan, 03:56


'বারাকাহ' শব্দটির অর্থ হলো কোন কিছুর কল্যাণ ও ধারাবাহিতা বৃদ্ধি। অল্প প্রচেষ্টায় যখন কোন জিনিস বা উদ্দেশ্য লাভ করা যায়; কিংবা দীর্ঘ সময় যদি তা অটুট থাকে, তখন তাকে আমরা বারাকাহ বলি।

ইংরেজিতে একে বলে blessing। প্রোডাক্টিভিটির অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হল বারাকাহ। জীবনে আমরা সবাই এই বারাকাহর খোঁজ করি, কিন্তু কোথাও যেন পাই না। না আছে সময়ের বারাকাহ, না জিনিসের বা কাজের।

আসলে বারাকাহ হল কেবলমাত্র আসমান হতে প্রাপ্ত একটি নিয়ামাত। তাই যে কোনো জিনিসে বা কাজে বারাকাহ পাওয়ার জন্য আসমানের অধিপতি ও তাঁর রাসূলের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করা আবশ্যক।

আসুন কুরআন ও সুন্নাহ থেকে বারাকাহর কিছু উৎস সম্পর্কে জেনে নেই:

💠 ভালো নিয়ত

নিঃসন্দেহে আমাদের অন্তরের সংকল্প বা নিয়ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যেকোন কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আসলে একজন মুসলিমের যেকোন কাজেরই প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহকে খুশি করা। এর সাথে আরো উদ্দেশ্য নিহিত থাকতে পারে।

যদি কেউ ভালো উদ্দেশ্যে কোন কঠিন কাজও করা শুরু করে, তাহলে তা আল্লাহই সহজ করে দিবেন, বারাকাহ দিবেন। কিন্তু যদি কাজটি হয় লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে, তাহলে তা ভালো কাজ হলেও তার প্রকৃত কল্যাণ ও সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হতে হবে।

★ প্র্যাকটিক্যাল টিপস:
যেকোন কাজ শুরুর আগে ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখবেন- কাজটি কেন করছেন? কাজটির ফলে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করা হবে কি? কিংবা এর ফলে আপনার ফরজ ইবাদতে কোন প্রভাব পড়বে কি?

সম্ভব হলে ইস্তিখারা করে নিবেন (বিস্তারিত- হিসনুল মুসলিমের ২৬ নং দুআ)। কাজটি অবশ্যই বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবেন, আল্লাহর নামের সাথে বারাকাহ রয়েছে।

কাজটি চলমান থাকাকালীন সময়েও বারবার নিয়ত চেক করতে থাকবেন। রিয়ার আশঙ্কা থাকলে আউজুবিল্লাহি বলে সরে আসবেন, নিয়ত ঠিক করে আবার শুরু করবেন।

💠 মাইন্ডসেট

এর অর্থ মনের নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা দ্বারা প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করা। এটা করা তখনই সহজ হবে যখন আপনার মনে তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর উপর ভরসা থাকবে। কারণ আল্লাহই বলেছেন-

"যে কেউ আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিষ্কৃতির পথ বের করে দেবেন। আর তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট।" [সূরা তালাক : ২,৩]

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যদি তোমরা আল্লাহর ওপর যথাযথ ভরসা করতে তবে আল্লাহ্‌ তায়ালা পাখির ন্যায় রিযিক দান করতেন। পাখি সকাল বেলায় ক্ষুধার্ত অবস্থায় বাসা থেকে বের হয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় উদরপূর্তি করে ফিরে আসে।” [মুসনাদে আহমাদ: ১/৩০]

তাছাড়া সব সময় আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ করা জরুরি। মহান আল্লাহ তায়া’লা হাদীসে কুদসীতে বলেছেন: "আমি আমার দাসের কাছে তেমনই, যেমন সে আমাকে মনে করে।" [সহিহ্ বুখারী]

অর্থাৎ যদি আপনি ইতিবাচক জিনিস আশা করেন এবং আশা করেন যে আল্লাহ আপনাকে জীবনে বারাকাহ দান করবেন, তবে তা-ই ইন শা আল্লাহ পূরণ হবে।

★ প্র্যাকটিকাল টিপস:
আপনার বাসা বা অফিসের দেওয়ালে অথবা রেফ্রিজারেটর, ডায়েরি, হোয়াইটবোর্ড ইত্যাদি দৃশ্যমান স্থানে কুরআনের আয়াত বা হাদীসগুলো লিখে নোট হিসেবে আটকে দিন। এভাবে যখন আপনি হাঁটা চলা করবেন আপনার মনে পড়বে সেটা দেখলেই।

বেশি দুনিয়াবি কাজের প্রেশার নিবেন না, সামর্থ্য থাকলেও। তার বদলে আল্লাহর পথে বেশি সময় ব্যয় করুন। বারাকাহ আসবেই ইন শা আল্লাহ।

💠 ভোরের পাখি

তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন এবং সময় নষ্ট করবেন না। স্বয়ং রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সকালে তার উম্মাহর জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। [মুসনাদে আহমেদ]

এর জন্য ভোরে আপনাকে সময়মত ফজরের সালাত আদায় করতে উঠতে হবে এবং তারপর আল্লাহর নামে আপনার কাজে লেগে পরবেন। সকালের রোদ এবং সকালের রুটিন সারা দিনের জন্য আপনার এনার্জি বুস্ট করবে।

★ প্র্যাকটিকাল টিপস:
যদি আপনি ফজরে ঘুম থেকে ওঠায় অভ্যস্ত না হয়ে থাকেন, তবে দশ মিনিট আগে আপনার অ্যালার্ম সেট করে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুক্ষণ আগে শুতে যাবেন। এইভাবে কিছুদিন পর ১০ মিনিট এগিয়ে এনে আপনার অ্যালার্ম সেট করবেন, যতদিন না অভ্যস্ত হচ্ছেন।

ফজর পড়ে আবার ঘুমিয়ে যাবেন না। সে সময়ে খুব ইন্টারেস্টিং কোন কাজ করুন, পরিবারের সাথে আলাপ করুন। খেজুর ও পানি খেয়ে কিছুক্ষণ হালকা শরীরচর্চা করে নিতে পারেন, এতে সারাদিন আরো একটিভ থাকবেন ইন শা আল্লাহ।

💠 কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার কারণে প্রচুর পরিমাণে বারাকাহ বাড়ে। আল্লাহই বলেছেন-

"তুমি যদি কৃতজ্ঞ হও তবে অবশ্যই আমি তোমার জীবনে (বারাকাহ) বাড়িয়ে দেবো" [সূরা ইব্রাহিম: ৭]

মনে তো বটেই, মুখেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। আমাদের প্রতিদিনের ইবাদতে পঠিত "সামি'আল্লাহু লিমান হামিদা" বাক্যাংশটির অর্থ, "যারা আল্লাহর প্রশংসা করে আল্লাহ তাদের শোনেন"। মানে যারা ঘন ঘন "আলহামদুলিল্লাহ" বা আল্লার শুকরিয়া আদায় করেন, তাদের পক্ষে তাদের দু'আ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাক!

Nashita Wellness

19 Jan, 03:56


★ প্র্যাকটিকাল টিপস:
বেশি বেশি আলহামদুলিল্লাহ বলার অভ্যাস করুন। একটি গ্র্যাটিচিউড জার্নাল বানাতে পারেন। সারাদিনের যে যে কাজগুলোর জন্য আপনি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলেন তা লিখে রাখবেন।

💠 মানুষের সাথে সুসম্পর্ক

এখন, আপনি হয়তো বলতে পারেন, সম্পর্ক বজায় রাখার মধ্যে আবার বারাকাহ কোথায়? হাদিসে বলা হয়েছে যে সদয় হওয়া কোনও কিছুর কল্যাণকে বাড়িয়ে তোলে।

"যে কোমল হৃদয় থেকে বঞ্চিত সে আসলেই কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়।" [মুসলিম]

রাসূল (সাঃ) আরো বলেছেন: “যে ব্যক্তি তার উপার্জন বৃদ্ধি করতে চায় (ও বারাকাহ চায়) এবং চায় যে তার জীবনকাল দীর্ঘায়িত হয়, তার উচিত তার আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত” [বুলুগুল মারাম]

‘তোমরা পরিবার, আত্মীয়রা একসাথে খাও এবং আলাদা করে খেও না, কারণ বারাকাহ তো এক সাথেই রয়েছে।’ [ইবনে মাজাহ]

★ প্র্যাকটিকাল টিপস:
দিনের খাবারগুলো সম্ভব হলে পরিবারের সবার সাথে বসে খাবেন। এতে হৃদ্যতা বাড়বে, সাথে বারাকাহও।

আপনার আত্মীয় ও পরিচিতদের একটি তালিকা করুন এবং প্রতিদিন তাদের কাউকে না কাউকে ফোন দেয়ার প্ল্যান করুন। মাঝে মধ্যে তাদের বাসায় গিয়ে উপস্থিত হোন, নিজের বাসায় দাওয়াত দিন। সম্ভব হলে তাদের ছোট হলেও হাদিয়া দিন।

কারো সাথে সম্পর্ক ভালো না থাকলেও ভালো আচরণ করবেন। কারণ আপনি তো তা আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় করছেন, প্রশংসা পাওয়ার জন্য না।

💠 কুরআন

সারাদিনের কাজে বারাকাহ পেতে কুরআন পড়ুন। যদি আপনি কুরআন পড়ার সময় নিজেকে আরবি বর্ণগুলিতে হোঁচট খাচ্ছেন বলে মনে করেন তবে হতাশ হবেন না। হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যারা কষ্ট সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করেন তারা দ্বিগুণ পুরষ্কার পায়!

মন দিয়ে কুরআন পড়লে শুধু প্রশান্তি অনুভব হয় তাই না, মনোযোগও বৃদ্ধি পায়। গ্রেগ ম্যাককাউন তার একটি বইতে উল্লেখ করেছেন যে প্রতিদিন ফোকাস বৃদ্ধি করার জন্য তাঁর একটি অভ্যাস হল "অনুপ্রেরণামূলক ক্লাসিক সাহিত্য" পড়া। তার মধ্যে অন্যতম হল ইংরেজিতে কুরআনের অনুবাদ!

আগের দিনের মুসলিম গবেষকরা সারাদিন ব্যস্ত থাকলেও দিনের শুরুতে কুরআন নিয়ে ঠিকই বসতেন। কারণ দিনের শুরুতে কুরআন পড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ।

★ প্র্যাকটিকাল টিপস:
আপনি যদি আরবী না জানেন তাহলে বাংলায় অর্থসহ পড়ুন। সাথে একটু তাফসীর পড়তে পারেন, গুরুত্বপূর্ণ কিছু দাগিয়ে নোট করতে পারেন।

বিশেষ করে দিনের শুরুতে কুরআন পড়ার রুটিন করুন, যতই সামান্য হোক না কেন। বাড়ির অন্যদের সাথে প্রতিদিন কুরআনের আসর বসাতে পারেন।

💠 ইস্তিগফার

ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা হল চূড়ান্ত বারকাহ-প্রাপ্তির হাতিয়ার। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর কাছে দিনে অন্তত ১০০ বার (মতান্তরে ৭০বার) ক্ষমা চাইতেন।

“তোমার রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি সর্বদা ক্ষমাশীল। তিনি আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ করেন। আপনাকে ধন-সম্পদ ও সন্তানে বারাকাহ দেন।" [কোরআন : ১০-১২]

★ প্র্যাকটিকাল টিপস:
প্রতিদিন অন্তত ১০০ বার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে অভ্যাস করুন। প্রতিবার বলার সময় মন থেকে বলবেন। তাছাড়া আপনি চলতে ফিরতে, বিশ্রামের ফাঁকে 'আস্তাগফিরুল্লাহ' পড়তে পারেন।

একই সাথে অন্যদের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করার অভ্যাস করুন, তাতে করে আল্লাহর নিকট আপনার প্রার্থনা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে ইন শা আল্লাহ।

💠 সাদাকা

যখনই জীবনে বারাকাহর অভাব বোধ করবেন, সাদাকাহ বা অর্থ দান করবেন, যতই সামান্য হোক না কেন। কারণ বারাকাহর অভাব হয় গুনাহর কারণে আর সাদাকা গুনাহকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়, আল্লাহর ক্রোধ দমন করে। শুধু তাই না, সাদাকার ফলে অর্থের বারাকাহ আরো বাড়ে। তাছাড়া এর ফলে মানুষের দুআ ও অশেষ সাওয়াবও অর্জন করা যায়।

একটি হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, "হে আদম সন্তান, তোমরা (আমার জন্য) খরচ করো, তাহলে আমিও তোমাদের জন্য খরচ করবো।"

★ প্র্যাকটিকাল টিপস:

প্রতিদিন একটু একটু করে খামে টাকা জমান, বা বেতন পেলে একটি অংশ আলাদা করে রাখুন। সাদাকার সুযোগ আসলে সেখান থেকে দান করবেন।

বাজার করে ফেরার পথে কিছুটা খাবার রাস্তায় বিলিয়ে আসতে পারেন। অসহায়দের খাবারের মাধ্যমে সাহায্য করতে পারলে তা অর্থ অপেক্ষা উত্তম।

মানুষের প্রতি আপনার সাহায্য, উপদেশ কিংবা নিতান্ত হাসিও কিন্তু সাদাকা হতে পারে। তাই মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার করুন, তাদের বিপদে সহায়তা করুন।

💠 সালাম ও সালাওয়াত

সালাম খুব ছোট্ট একটি আমল হলেও বরকতের একটি অন্যতম উৎস। কুরআনে বলা হয়েছে-
"যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ করবে তখন একে অপরের প্রতি সালাম প্রেরণ করো। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকতময় ও পবিত্র দুআ।" [সূরা আননুর ২৪:৬১]

এছাড়া বেশি বেশি রাসূল (সাঃ) এর উপর সালাওয়াত বা দরুদ পেশ করুন, এটিও শান্তি ও বরকত বৃদ্ধি করে।

'যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ওপর দশবার দরূদ পাঠ করবেন।' [সহিহ মুসলিম: ৩৮৪]

★ প্র্যাকটিকাল টিপস:

Nashita Wellness

19 Jan, 03:56


বাসায় ঢুকতেই বা কারো সাথে দেখা হতেই সালাম দিন, বয়সে ছোট হলেও। অনলাইনেও প্রথমে সালাম দিয়ে কথা শুরু করবেন। নিজ পরিবার ও সন্তানদের এই অভ্যাস করান।

দুরূদ পাঠকে আপনার জিকিরের একটি অংশ করুন। আপনি ঘরের কাজ করছেন, গাড়ি চালাচ্ছেন বা ভ্রমণ করছেন, নবীর উপর দরুদপাঠ করুন। কোথাও অস্থিরতা লক্ষ্য করলে দুরূদ পড়া শুরু করুন।

💠 দুআ

রাসূল (সাঃ) নিজের বা অন্যদের জন্য বারাকাহর দুআ প্রায় প্রায় উচ্চারণ করতেন। সামনে থাকলে বলতেন, 'বারাকাল্লাহু ফিক' আর উপস্থিত না থাকলে বলতেন, 'আল্লাহুম্মা বারিকলাহু'। তাছাড়া কেউ আপ্যায়ন করলেও তার জন্য বিশেষভাবে বারাকাহর দুআ করতেন।

বারাকাহর দুআ করা বদনজর এড়ানোর জন্যও খুবই জরুরি। নজরের কারণে বারাকাহ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে।

★ প্রাকটিক্যাল টিপস:
কোন কাজে বিশেষভাবে বারাকাহ আশা করলে, আল্লাহর দরবারেই তা দু হাত তুলে পেশ করুন। নিশ্চয়ই তিনি শুনবেন।

সুন্নাহ অনুযায়ী বেশি বেশি বারাকাহর দুআ করবেন। শুধু নিজের জন্য না, অন্যদের জন্যও। কারণ অপরের জন্য ভালো দুআ করলে ফেরেশতারাও আপনার জন্য অনুরূপ দুআ করবেন!

💠 হালাল উপার্জন

জীবনে বারাকাহ পেতে হালাল উপায়ে উপার্জন করা জরুরি। পেশায় অসততা অবলম্বন করলে বারাকাহ তো পাওয়া যাবেই না, আল্লাহ তার কোন আমলও কবুল না করতে পারেন!

রসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন:
“ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে যদি তারা সত্য কথা বলে এবং একে অপরের কাছে সমস্ত কিছু স্পষ্ট করে তোলে তারা তাদের লেনদেনে বারাকাহ পাবে, তবে তারা যদি কিছু গোপন করে এবং মিথ্যা বলে তবে তাদের লেনদেনের বারাকাহ দূর হয়ে যাবে" [রিয়াদ আস সালিহিন ৫৯]

★ প্র্যাকটিকাল টিপস:
যদি আপনি ব্যবসায়ী হোন, তাহলে লেনদেনের ক্ষেত্রে সব সময় স্বচ্ছ থাকবেন। চাকুরিজীবি হলে, কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন। যেকোন কাজ করার আগে ভেবে নিবেন, এর সঙ্গে কি সুদ বা কোন হারাম কিছুর সংশ্লিষ্টতা আছে?

যদি টের পান আপনার কাজের সাথে হারাম জড়িত আছে বা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাহলে তা ছেড়ে দিতে কুন্ঠিত হবেন না। রিজিকের মালিক তো আল্লাহ, তিনি কোথা হতে বারাকাহ দিবেন, আমরা কেউ জানিনা!

আপনার জীবনে বারাকাহ বাড়ানোর জন্য এখনই নিয়ত করে ফেলুন এবং ধীরে ধীরে প্রতিটি পয়েন্ট বাস্তবায়ন শুরু করুন। আল্লাহ আপনার ও আমাদের সবার জীবনে বারাকাহ দিন। আমিন।

তথ্য কৃতজ্ঞতা: Ayeina, Productive Muslim ও Nashita
ছবি কৃতজ্ঞতা: Pexel

#Nashita_wellness

Nashita Wellness

16 Jan, 04:49


ধরুন, কেউ একজন উদ্ভট রঙের পোশাক পরেছে, কিংবা সেই রঙের চাদর বিছানায় বিছিয়েছে। এতে তার সম্পর্কে আপনার ধারণা কেমন হবে?

তাকে ক্ষ্যাত ভাববেন, তাই না?

কিন্তু, যেই রং আপনার চোখে বাঁধছে, সেই রঙটিই তার মন জয় করেছে। তাহলে সমস্যা কোথায়?

এই যে আরেকজনের পছন্দের সাথে আপনার পছন্দ মিলল না, সেজন্য তাকে নিয়ে নেগেটিভ চিন্তা করাটা কি ঠিক? তাহলে তো আপনিও অনেকের চোখে একই ভাবে ক্ষ্যাত!

আল্লাহ তাআলা একেক মানুষকে একেক ভাবে বানিয়েছেন। একেক জনের শরীর তো বটেই, চোখের ভেতরের গঠনটাও আলাদা। এজন্য যে রং আপনার চোখকে আরাম দেয়, তা হয়তো আরেকজনকে দেয় না। কিংবা, হয়তো সেই রং সে ঠিকমত দেখতেও পায় না, কেননা সে কালার ব্লাইন্ড।

সবাই একরকম করে দুনিয়া দেখলে, একই রকম জিনিস পছন্দ করলে কেমন হত ভাবুন তো! পৃথিবীতে কোন বৈচিত্র্য থাকতো না।

আল্লাহ জেনে বুঝেই এই বৈচিত্র্য দান করেছেন। শুধু পোশাক, খাবার ইত্যাদি পছন্দের ক্ষেত্রে নয়, মানুষের চিন্তা চেতনার দিক থেকেও রয়েছে ভিন্নতা।

এই জন্যই- একটি লেখা আপনার ভালো না লাগলেও, আরেকজনের ভালো লাগতে পারে। আবার, কোন নাশিদ আপনাকে আনন্দ দিলেও, অন্যকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারে!

এই বিষয়টি আমরা যত মাথায় রাখবো; অন্যদের পছন্দকে যত বেশি শ্রদ্ধা করবো; আমাদের জীবন তত সুন্দর ও প্রশান্তির হবে, ইন শা আল্লাহ।

#Nashita_Wellness

Nashita Wellness

07 Jan, 03:10


📌 কিছু কথা:
আমরা অনেকেই হয়তো জানি না, উন্নত দেশ গুলোয় বর্তমানে অসুখ বিসুখের ক্ষেত্রে ওষুধ পত্রের বদলে এরকম ঘরোয়া টোটকা সেবনেই বেশি পরামর্শ দেয়া হয়। এতে অসুখ সারে সহজে, কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না, তার উপর শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, আলহামদুলিল্লাহ।

আরেকটি বিষয়, যেকোনো অসুস্থতায় দুআর বিষয়টিও সমান গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। বিশেষ করে সকাল সন্ধ্যার দুআ গুলোর মধ্যে বিশ্বাসীদের জন্য বিশেষ শিফা রয়েছে।

আল্লাহ সবাইকে সুস্থতা ও কল্যাণের সঙ্গে রাখুন। আমিন।

তথ্য : Medical News Today
ছবি : Pexel

#Nashita_health
#Nashita_Wellness

Nashita Wellness

07 Jan, 03:10


হুট করে চারদিকে বেড়ে গেছে সর্দি কাশি, যা বেড়ে গেলে হতে পারে মারাত্মক শাসকষ্ট। তাই সর্দি কাশি দেখা দিলে, সেটাকে বাড়তে না দেয়ার জন্য অবিলম্বে এই ঘরোয়া টোটকা গুলো চেষ্টা করে দেখুন।

🔸লবণ পানি :
বুকের সর্দি, কফ দূর করতে সবচেয়ে সহজ আর সস্তা উপায় হল লবণ পানি। লবণ শ্বাসযন্ত্র থেকে কফ দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ পানির সঙ্গে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে দিনে দুই তিনবার গড়গড়া করুন।

🔸লেবু এবং মধু :
লেবু পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। ভিটামিন সি এসময়ে কতটা জরুরি টা বলার অপেক্ষা রাখে না। মধু ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এমনকি এটি বুক থেকে কফ বা শ্লেষ্মা দূর করে গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

🔸কালোজিরা :
কালোজিরার ওষুধি গুণের কথা আমরা সবাই জানি। সর্দি কাশি হলে কালোজিরা খুব উপকারী। এটি ভর্তা করে, তেল আকারে, এমনি চিবিয়ে বা মধুর সাথে সেবন করা যাবে। নাক বন্ধ হলে, কালোজিরা পরিষ্কার কাপড় এ পেঁচিয়ে নাক দিয়ে টান দিলে বন্ধ নাক খুলে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধে প্রতিদিন আধ চা চামচ করে কালোজিরা খাওয়া উচিত।

🔸গোলমরিচ :
ঠাণ্ডা নিরাময়ে গোলমরিচ খুবই উপকারী। এক চামচ মধুর সাথে এটি সামান্য মিশিয়ে খাওয়া যায়। গলা ব্যথার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায়।

🔸হলুদ :
হলুদে থাকা কারকুমিন নামের উপাদান বুক থেকে কফ, শ্লেষ্মা দূর করে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট দ্রুত কমিয়ে দেয়। এটি গলা ও বুকের খুসখুসে অস্বস্থি, জ্বালা, ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে প্রতিদিন গড়গড়া করুন। এ ছাড়া এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। সম্ভব হলে এর সঙ্গে দুই চা চামচ মধু এবং এক চিমটে গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে এই দুধ দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন।

🔸পেঁয়াজ :
একই পরিমাণের পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, মধু এবং পানি একসঙ্গে মিশিয়ে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এভাবে সামান্য উষ্ণ এই পানি দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার পান করুন।

🔸আদা :
এক টেবিল চামচ আদা কুচি এক পানিতে মেশান। এবার এটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫-১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে এতে সামান্য মধু দিয়ে দিন। দিনে অন্তত তিনবার এই পানীয়টি পান করুন। এ ছাড়া এক চা চামচ আদা কুচি, গোল মরিচের গুঁড়া, এবং লবঙ্গের গুঁড়া দুধ বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি দিনে তিনবার পান করুন। আপনি চাইলে এক টুকরা আদা নিয়ে মুখে চাবাতে পারেন। আদার রস বুকের কফ বা শ্লেষ্মা শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।

🔸তুলসী পাতা ও আদা :
এক কাপ পানিতে কয়েকটা তুলসী পাতা ও আদা কুচি ফেলে ফোটাতে থাকুন। পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে এলে তা নামিয়ে রাখুন। এবার এই পানি দিনে অন্তত দু’বার পান করলে সর্দি-কাশি কমে যাবে, ইন শা আল্লাহ।

🔸অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার :
এক কাপ সামান্য উষ্ণ পানিতে দুই চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে এই পানীয়টি দিনে অন্তত দুই তিনবার পান করুন। মোটামুটি ৮-১০ দিন পান করুন।

🔸বাষ্প :
পানিতে ইউক্যালিপ্টাস অয়েল মিশিয়ে তার বাষ্প নিশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করলে বুকে জমা কফ দূর করতে সাহায্য করবে। বাষ্প নেওয়ার সময় জোরে শ্বাস নিতে হবে, বন্ধ নাক ও বুকে জমা কফের অস্বস্তি থেকে আরাম পাওয়া যায়। ইউক্যালিপটাস তেলের বদলে মেন্থল ব্যবহার করা যায়, যা আমাদের দেশে সহজলভ্য।

🔸ব্ল্যাক কফি :
অস্বস্তি থেকে সাময়িক আরাম মেলে ব্ল্যাক কফি পান করলে। আর জমে থাকা সর্দি গলাতেও উপকারী। তবে দিনে দুই কাপের বেশি পান করা যাবে না, কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

🔸সরিষার তেল :
সরিষার তেলের যে ঝাঁঝ তা ঠান্ডার সময় খুবই উপকারী। খাওয়ার পাশপাশি এটির বাষ্পও নাক দিয়ে নেওয়া যায়। বুকে ও শরীরে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়। একটু রসুন কুচি দিয়ে চুলায় গরম করে তারপর খেলে কাশি নিরাময়ে আরো কার্যকরী হয়।

🔸মাথা উঁচুতে রাখা :
বুকের অত্যধিক শ্লেষ্মা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে। এই সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত বালিশ ব্যবহার করে মাথাকে উঁচুতে তুলুন। এর ফলে কাশি বা অস্বস্তি কমে যাবে ইন শা আল্লাহ। সেই সাথে ঘুমের সময় কান দুটো ঢেকে নিবেন, এতে আরাম পাবেন।

🔸লবঙ্গ :
সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গ খুবই জাদুকরী। এটি মুখে রাখলে কাশির প্রকোপ কমে আসবে। দৈনিক লবঙ্গ ও অন্যান্য গরম মশলা যোগে লাল চা তৈরি করে পরিবারের সকলকে নিয়ে খেতে পারেন, এতে অসুখ প্রতিকার ও প্রতিরোধ উভয়ই হবে, ইন শা আল্লাহ।

এছাড়া সর্দি কাশি হলে বেশি বেশি টক জাতীয় ফল, সি-ভিট, উষ্ণ ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। ঠাণ্ডা পানি ও খাবার এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত রোদে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

Nashita Wellness

03 Jan, 09:21


চলছে রজব মাস। এটি হিজরী ক্যালেন্ডারের সপ্তম মাস এবং কুরআনে উল্লেখিত পবিত্র চারটি মাসের মধ্যে একটি। বলা হয়, এ মাসেই ইসরা এবং মিরাজের অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল।

তাছাড়া রজব মাস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে রামাদান প্রায় দোরগোড়ায় এবং আমাদের সেজন্য প্রস্তুতি নিতে হবে- আত্মিক, মানসিক এবং শারীরিকভাবে।

এজন্যই ইমাম তিরমিযী (রহঃ) এর চাচা ইমাম আবু বকর আল-ওয়াররাক আল-বালখি (রহঃ) বলেছেন:

'রজব মাস হলো রোপণের মাস, শাবান মাস সেচ দেওয়ার মাস এবং রামাদান হলো ফসল কাটার মাস।'

তাহলে কিভাবে আমরা এই মাসটিকে রমজানের প্রস্তুতির জন্য ব্যবহার করতে পারি? চলুন দেখে নেই।

🌱 আত্ম-শুদ্ধি

কিছু সময় একা কাটান এবং কীভাবে আপনি নিজের ঈমানের উন্নতি করতে পারেন তা চিন্তা করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন-

'আমি আজ মারা গেলে আল্লাহ ও তাঁর রসূল কি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন?'
'আমি কি ইবাদাত সহ আমার সকল কথা ও কাজে আন্তরিক?'
'আমি কি পরকালের প্রস্তুতির জন্য আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি?'

🌱 ক্ষমা প্রার্থনা এবং দুআ

আমরা সকলেই ভুল করি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে ক্ষমা চাওয়ার এটাই সঠিক সময়। তিনি পরম ক্ষমাশীল ও করুণাময়। একই সাথে অন্য যাদের সাথে আপনি অন্যায় করেছেন তাদেরকেও ক্ষমা করতে বলুন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "সকল আদম সন্তানই ক্রমাগত ভুল করে, তবে তাদের মধ্যে সর্বোত্তম তারা যারা অবিরত অনুতপ্ত হয়।" (তিরমিযী)

দুয়ার লিস্ট রামাদান আসার আগেই তৈরি করা জরুরি। রজব থেকে শুরু করলে খুব ধীরে সুস্থে সুন্দর একটি লিস্ট করে ফেলা সম্ভব।

আর আল্লাহর কাছে রামাদান পাওয়ার এবং পেয়ে তা কাজে লাগানোর তৌফিক চাইতে হবে।

🌱 বাড়তি সিয়াম

নিজেকে রামাদানের রুটিনে পরিণত করতে, বেশি বেশি সিয়াম রাখা শুরু করুন। গত রামাদান আপনার মিস করা সিয়ামগুলো পূরণ করুন।

এছাড়াও সোমবার এবং বৃহস্পতিবার সুন্নাহ মোতাবেক সিয়াম রাখুন।

আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সবচেয়ে বেশি সিয়াম রাখতেন সোমবার ও বৃহস্পতিবার। তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর কাছে মানুষের আমল পেশ করা হয়। আল্লাহ প্রত্যেক মুসলমানকে ক্ষমা করে দেন যারা একে অপরকে পরিত্যাগ করে তাদের ছাড়া।" (হাসান)

🌱 বাড়তি সালাত ও যিকর

ফরজ সালাত এর পাশাপাশি সুন্নাহ ও নফল সালাত গুলোতে আমরা আরো যত্নশীল হতে পারি।

তাহাজ্জুদ এ উঠার জন্য চেষ্টা করতে পারি, সেজন্য কাজ গুছিয়ে জলদি ঘুমের অভ্যাস করতে হবে। অন্তত ঘুমের আগে কিছুটা নফল সালাত পড়ে নিতে পারি। সম্ভব হলে দুপুরে দুহার সালাত পড়ে নেয়া উচিত।

সালাত শেষে জিকিরের অভ্যাস করা উচিত। এর অনেক ফযীলত রয়েছে। তাছাড়া ঘরের কাজ করতে করতে, চলতে ফিরতে জিকির করা যায়।

🌱 সাদাকাহ

আমরা যদি একে অপরকে সাহায্য করি তবেই এই পৃথিবী একটি ভাল জায়গা হতে পারে। বিনিময়ে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের উভয় জগতে পুরস্কৃত করেন।

রাসূল মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন:
"আল্লাহ তার বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ তার সাহায্যকারী অন্যের সাহায্যে থাকে।" (মুসলিম)

আল্লাহ বলেছেন:
"কে আছে যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেবে, অতঃপর তিনি তা তার জন্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন এবং তার জন্য রয়েছে মহৎ পুরস্কার?" (কুরআন ৫৭:৩১)

🌱 প্রতিদিন কুরআন পড়া

অনেকে রামাদান এ পুরো কুরআন পড়ার নিয়ত করেন। তারা যদি রজব থেকে শুরু করেন তাহলে খুব সহজেই তিন মাসে পুরো অর্থ সহ কুরআন পড়ে ফেলতে পারবেন।

শুদ্ধ ভাবে কুরআন তিলাওয়াত চর্চা ও নতুন কিছু সূরা মুখস্ত করতে পারি আমরা।

🌱 আরো যত সুন্নাহ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে আরও জানুন এবং তাঁকে অনুসরণ করুন।

“বলুন, [হে মুহাম্মদ], যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর, [তাহলে] আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়।" (কুরআন ৩:৩৩)

নিয়মিত করার মত আরো হাজার সুন্নাহ রয়েছে, যেমন, অযুর সময় মিসওয়াক করা, ফজরের পর জেগে থাকা, রাতে দুআ পড়ে শোয়া, খেজুর খাওয়া, বেশি বেশি সালাম দেয়া, আত্মীয়দের খবর নেয়া, দাওয়াহ দেয়া ইত্যাদি।

মনে রাখতে হবে, বড় বড় আমলের এর পাশপাশি ছোট ছোট ভালো কাজ গুলোও গুরুত্তপূর্ণ। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়তে, ছোট্ট একটা হাসি কিংবা একটি ভালো পোস্ট শেয়ার করাও আমলনামায় যোগ করতে পারে অনেক সাওয়াব, যদি তিনি চান।

ছবি : পেক্সেল

(রিপোস্ট)

বি: দ্র: আমাদের নতুন টেলিগ্রাম চ্যানেল Nashita Women's Club এ ইতিমধ্যে রামাদান উপলক্ষে প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে। যারা জয়েন করার কথা ভাবছিলেন, দ্রুত নক করবেন।

#Nashita_reminder
#Nashita_Wellness

Nashita Wellness

01 Jan, 17:21


নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে আমরা আপনাদের সামনে আমাদের একটি নতুন উদ্যোগের কথা জানাতে এসেছি।

শুধুমাত্র বোনদের জন্য টেলিগ্রামে একটি চ্যানেল খোলা হয়েছে যার নাম Nashita- Women's Club।

কেন এই উদ্যোগ?

বোনদের জন্য কিছু উপকারী পডকাস্ট, চ্যালেঞ্জ, ওয়েবিনার, ট্রেনিং ইত্যাদি আয়োজনের ইচ্ছা আছে। সেজন্য আলাদা এই চ্যানেলটি খোলা হয়েছে। এর সদস্য হতে কোন অর্থ খরচ করতে হবে না, তবে সকল শর্ত মানার মানসিকতা থাকতে হবে।

যারা ক্লাবে জয়েন করতে চান তারা Nashita Wellness এর ফেসবুক পেইজে ইনবক্স করবেন (লিংক নিচে দেয়া হলো)।

প্রতিটি আইডি যাচাই বাছাই করে তবেই চ্যানেলের লিংক প্রদান করা হবে।

আমরা এই চ্যানেলেও আগের মত সবার জন্য লেখা চালিয়ে যাবো, ইন শা আল্লাহ। আশা করি আমাদের সামান্য এই প্রয়াসগুলো আপনাদের উভয় জীবনে কিছুটা হলেও কল্যাণ সাধন করবে। দুআর দরখাস্ত।

-নাশিতা টিম
১ জানুয়ারি, ২০২৫ (১ রজব, ১৪৪৬)

ফেসবুক পেইজের লিংক:
https://www.facebook.com/share/Lv5a1Z91P971YArP/

Nashita Wellness

23 Dec, 17:24


আধুনিক জীবনযাত্রার একটা বড় সমস্যা আছে। জীবন খুব দ্রুত গতিতে চলে। এর সাথে তাল মেলাতে আমরা একসাথে অনেকগুলো কাজ করার চেষ্টা করি, সব ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করি।

আমাদের অস্থির জীবনকে স্বাভাবিক গতিতে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজে কর্মে ধীরস্থির হওয়া জরুরি। কিন্তু বর্তমানে আমাদের মধ্যে অনেকেই তাড়াহুড়ো করতে করতে এত অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে ধীরস্থির হওয়ার ধারণাটি অনেক সময় অস্বস্তিকর মনে হয়!

এই যেমন, আপনি একটি ইউটিউব ভিডিও 2x গতিতে দেখেছেন, এবং তারপর স্বাভাবিক 1x গতিতে দেখার বা শোনার চেষ্টা করুন– এটি অত্যন্ত ধীর মনে হবে!

আপনি হয়তো ভাবছেন: "আমার অনেক কাজ আছে। আমার দ্রুত চলা ছাড়া উপায় নেই। তাছাড়া আমি তো এই দ্রুত গতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারি।"

হ্যাঁ, আপনি হয়তো এখন গতি বজায় রাখতে পারছেন, কিন্তু আপনি সম্ভবত একটি অনিবার্য বার্নআউটের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন। বার্নআউট মানে শুধুমাত্র ক্লান্ত হওয়া নয়– এটি হলো মানসিক হতাশা, প্রোডাক্টিভিটির পতন, এবং "কোন কিছুর আর যত্ন না নেওয়া" ইত্যাদির সমষ্টি।

একজন স্প্রিন্টার দ্রুত দৌড়াতে পারে, কিন্তু কেবল একটি ছোট দূরত্ব পর্যন্ত। তবে একটি ম্যারাথন দৌড়বিদ ধীরে চললেও দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দিতে পারে।

আপনার জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্র: সম্পর্ক, কাজ, স্বাস্থ্য এবং দ্বীন সমন্বয় করার জন্য এরকম 'ধীর কিন্তু চলমান’ গতি নির্ধারণ করুন। বেশি সময় লাগলেও দীর্ঘমেয়াদে আপনি সব টার্গেটই অর্জন করবেন, ইন শা আল্লাহ। আর জীবনকে সুস্থির করার উপায়গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল- "ধীরস্থির সালাত”।

আমরা দিনে পাঁচটি সালাতের মাধ্যমে আমাদের ব্যস্ত জীবনের মাঝে বিরতি নেয়ার এবং আমাদের স্রষ্টার দিকে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাই। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আমাদের মধ্যে অনেকেই দ্রুততার সাথে তা শেষ করি।

আমরা কি কখনো ভেবেছি, রাসূল ﷺ আমাদের এই সালাত দেখলে কি বলতেন? আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত একটি হাদিসে, রাসূল ﷺ একজনকে তাড়াহুড়ো করে সালাত পড়তে দেখে বললেন, "তুমি ফিরে যাও এবং সালাত পড়, কারণ তুমি সালাত পড়োনি।" (বুখারি)

জীবনের অন্তে যদি দেখি যে আমাদের বেশিরভাগ সালাত কবুল হয়নি, তাহলে কেমন লাগবে?

অতএব, ধীরস্থির সালাত কোনো বিলাসিতা নয়– এটি একটি প্রয়োজনীয়তা। এটি আমাদের নফস এবং শয়তানের বিরুদ্ধে এক রকম লড়াই।

বিচার দিবসে আমাদের সম্পর্কে প্রথম প্রশ্ন হবে আমাদের সালাত নিয়ে। আমাদের জীবনের সংক্ষিপ্ত সময়ে আমরা কত কাজ সম্পন্ন করেছি তা নয়।

🔸ধীরস্থির সালাত অনুশীলনের উপায়:

১. পর্যাপ্ত সময় নির্ধারণ

সালাতকে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ করবেন না। অন্তত ২০-৩০ মিনিট সময় নির্ধারণ করুন। আপনি হয়তো ভাববেন এটি অতিরিক্ত, বিশেষ করে যখন আপনার 'আরও গুরুত্বপূর্ণ' কাজ আছে। কিন্তু স্রষ্টার সাথে সাক্ষাতের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু এই পৃথিবীতে আছে কি?

২. সালাতকে অগ্রাধিকার দিন

একজন কামার ছিলেন, যিনি আযান শুনে তার উত্থিত হাতুড়ি ফেলে দিয়েই সালাতের জন্য চলে যেতেন। এটি আমাদেরও অনুশীলন করা দরকার।

যখন আপনি আযান শুনবেন, স্ক্রলিং থামান, রান্নাঘর বা চ্যাট থেকে বেরিয়ে আসুন, সেই ডকুমেন্টটি সেইভ করে কাজ বন্ধ করুন– আপনি যা কিছু করছেন তা অপেক্ষা করতে পারে।

তবে সালাতের দিকে ছুটে যাওয়া মানে তাড়াহুড়ো করা নয়। রাসূল ﷺ বলেছেন, "যখন সালাতের জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন তাতে দৌড়ে আসবে না, বরং শান্তভাবে এবং ধীরে আসবে।" (বুখারি)।


৩. সালাতের স্থান ঠিক করুন

সালাতের জায়গা হওয়া চাই নিরিবিলি, ঝামেলা মুক্ত। মসজিদে গেলে সম্ভব হলে আপনার ঘড়ি এবং ফোনটি পিছনে রেখে যান। গবেষণায় দেখা গেছে, আপনার ফোন দৃশ্যমান থাকলে আপনার মানসিক ক্ষমতা হ্রাস হয়! তাছাড়া, সময়ের প্রতি অতিরিক্ত সচেতনতা উদ্বেগ এবং তাড়াহুড়োর পেছনে দায়ী। যদি আপনাকে আপনার ঘড়ি/ফোন আনতে হয়, তাহলে এটি আপনার ব্যাগে বা গাড়িতে রেখে দিন।

৪. মাইন্ডফুল ওযু

একটি সুন্দর সালাত সুন্দর ওযু দিয়ে শুরু হয়। চেষ্টা করুন: আপনার পুরো ওযুর জন্য একটি ছোট পানির বোতল ব্যবহার করুন। এই অনুশীলনটি আমাদের পূর্বসূরীদের মধ্যে ছিল। এটি আপনাকে প্রতিটি পানির ফোঁটার প্রতি আরও সচেতন করবে। রাসূল ﷺ প্রায় এক মুদ (প্রায় ৫০০-৭৫০ মিলি) পানি দিয়ে ওযু করতেন।

সেই সাথে যখন আপনি ওযু করবেন তখন মনে রাখবেন যে প্রতিটি পানির ফোটার সাথে পাপগুলোও ঝরে যাচ্ছে।

৫. সালাতের ধাপগুলো যত্ন করুন

রাসূল ﷺ সালাতের ধাপগুলো সম্পর্কে অত্যন্ত যত্নশীল ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "যেভাবে আমাকে সালাত পড়তে দেখেছ, সেভাবেই সালাত পড়।" (বুখারি)।

প্রতিটি ধাপের ব্যাপারে নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারেন:

Nashita Wellness

23 Dec, 17:24


- দাঁড়ানোর সময়, আপনার শরীর সম্পূর্ণরূপে স্থির রাখুন, চোখ সিজদাহর স্থানে নিবদ্ধ রাখুন।
- শান্ত, ছন্দময় গতিতে তিলাওয়াত করুন; মাঝে মধ্যে বিরতি নিন ও আয়াতগুলোর অর্থ নিয়ে ভাবুন।
- হাতে সময় থাকলে বড় সূরা তিলাওয়াত করুন, না পারলে একই রাকাতে কয়েকটি ছোট সূরা পড়ুন।
- রুকু'তে যাওয়ার সময়, দেহের প্রতিটি জয়েন্ট স্থির হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
- সিজদায় যাওয়ার সময়, নিশ্চিত করুন যে আপনার কপাল, নাক এবং হাতগুলি ঠিকভাবে স্থাপন করা হয়েছে।
- রুকু'তে ও সিজদায় বেশি বেশি যিকর ও দুআ করুন।

৬. তাড়াহুড়ো করার প্রবণতা কমান

যখন আপনি তাড়াহুড়ো করার প্রবণতা অনুভব করবেন, তা উপেক্ষা করুন। বরং এটিকে আরও ধীরস্থির হওয়ার ট্রিগার হিসাবে ব্যবহার করুন। একটি গভীর শ্বাস নিন, আউযুবিল্লাহ পড়ুন এবং মনে করুন: আল্লাহর সাথে এই সংযোগের মুহূর্তটি আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি মূল্যবান।

৭. সালাত শেষে একাকী কিছুক্ষণ

সালাম বলার পর হঠাৎ উঠে যাবেন না। রাসূল ﷺ সালাতের পরে বসে থাকতেন। আপনার সালাত এবং দুনিয়ার জীবনের মধ্যে একটি সময় প্রয়োজন– এই সময় আপনার সালাতকে আপনার হৃদয়ে স্থির হতে দেয়। এই সময়টি ব্যবহার করুন:

- প্রয়োজনীয় সালাতের পরের যিকর পড়তে
- আপনার মনে যা কিছু আছে তার জন্য দুআ করতে
- কোরআন তিলাওয়াত করতে

তবে মনে রাখতে হবে, মাঝেমধ্যে বিশেষ প্রয়োজনে আপনাকে দ্রুত সালাতও পড়া লাগবে। রাসূল ﷺ কখনও কখনও একটি শিশুর কান্না শুনে সালাত ছোট করতেন, মায়ের কথা চিন্তা করে। আবার ফরজ সালাতের পূর্বে সালাত তিনি ছোট সূরা দিয়েই আদায় করতেন।

কিন্তু "দ্রুত" সালাত এবং "তাড়াহুড়ো" সালাত অবশ্যই এক না। ছোট সূরা পড়লে সালাতে ফোকাস বজায় রেখেও সংক্ষিপ্ত করা সম্ভব।

ধীরস্থির সালাত অনুশীলন শুরু করুন দিনে একটি সালাত দিয়ে, সম্ভবত ফজর বা ইশা, যখন আপনার কাজের চাপ কম থাকে। তারপর ধীরে ধীরে আপনার সকল সালাতে অনুশীলন করুন।

আল্লাহ আমাদের সালাতে তাড়াহুড়ো করার প্রবণতা কমিয়ে দিন, এবং আমাদের জীবনকে এমন গতিতে পরিচালনা করার তৌফিক দিন যা আমাদের জন্য সবচেয়ে কল্যাণকর। আমীন।

তথ্য কৃতজ্ঞতা: The Productive Muslim
ছবি কৃতজ্ঞতা: Pexel

#Nashita_Wellness

Nashita Wellness

16 Dec, 04:01


একটা গল্প বলি। গল্পের মূল চরিত্র আপনি নিজেই।

ধরুন, আপনি দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে দ্বীনের পথে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত, কিন্তু পরিবারের বাঁধার কারণে বারবার থমকে যেতে হয়। তখন খালি মনে প্রশ্ন আসে, মা-বাবা কেন আপনাকে বুঝে না? তারা না আপনার ভালো চায়?

বিয়ের পর দেখলেন, আপনার জীবনসঙ্গীও আপনাকে বোঝে না। তার কোনকিছুই আপনার সাথে মিলে না। আপনার মতের যেন কোনো গুরুত্বই নেই।

আপনি নিরুপায় হয়ে সব সয়ে গেলেন। কিন্তু কিছুদিন পর দেখলেন আপনার নিজের গর্ভে বেড়ে ওঠা সন্তানও আপনাকে বুঝতে পারে না। এত আদরে বড় করা সন্তান কি করে অবাধ্য হয়ে গেল?

এভাবে করে আপনাকে বোঝার মতো একটা মানুষের আশায় সারাটা জীবন কাটিয়ে আপনি ফিরে গেলেন রবের কাছে- এক সাগর অতৃপ্তি নিয়ে। তারপর বিচারের দিন অবাক হয়ে দেখলেন, আপনার মত ওই মানুষগুলোও অভিযোগ নিয়ে এসেছে- আপনি নাকি কখনও তাদের বুঝতে চেষ্টা করেননি!

.......

এবার গল্পটাকে অন্যভাবে সাজাই।

আপনি দ্বীনের পথে আগাতে ইচ্ছুক, কিন্তু পরিবার নারাজ। আপনি ধৈর্য ধরলেন। নিজে যা জানতেন তাদেরকেও সহজ-সুন্দর ভাষায় জানালেন। আপনি অধিক দায়িত্বশীল হলেন, রবের প্রতি, পরিবারের প্রতি। ধীরে ধীরে আপনি বদলে গেলেন, বদলে গেল আপনার পরিবারও।

একজন উত্তম জীবনসঙ্গীর জন্য বহু রাত দুআ করে কাটালেন। অতঃপর, বিয়ের পর দেখলেন- সবটা মিলেনি। যেটুকু মিলেছে, তার জন্য আপনি রবের কাছে কৃতজ্ঞ হলেন। বাকি টুকুর জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেলেন। দুজনের চলার পথে মতভেদ হলেই আপনি নিজে থেকে ছাড় দেন। এতে আপনার কষ্ট লাগেনা, কারণ আপনি জানেন- আরেকটি মানুষ হুবহু আপনার মত করে ভাববে না, চাইলেও পারবে না।

এরপর আপনাদের কোলজুড়ে সন্তান এলো। আপনি দুআ করলেন যেন তারা আল্লাহর অনুগত হয়। আল্লাহ তাদের আপনারও অনুগত করে দিলো। আপনি তাদের বয়সের, সময়ের উপযোগী করে উপদেশ দেন। তারা তাই আপনাকে সবচেয়ে ভালো বন্ধু মনে করে। আপনার আদর ও শাসনের মাঝে তারা শক্ত হয়ে বেড়ে উঠে, শেষ বয়সে এসে আপনার শক্তি হয়।

এভাবে করে একদিন আপনার মৃত্যু হয়। আপনি দেখেন- আপনার কবর অনেক প্রশস্ত, দিনকে দিন তা আরো প্রশস্ত হচ্ছে! বিচারের দিনও সহজেই পার হয়ে যান আপনি, কারণ আপনি তো রবের সম্পর্কে, মানুষের সম্পর্কে সুধারণা পোষণ করতেন।

এরপর আপনি এগিয়ে যান আপনার চিরস্থায়ী আবাসের দিকে, যেখানে আপনার রব এবং প্রিয়জনেরা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

.......

জীবনের গল্প সবার একরকম না। কিন্তু ভালোর ফল অবশ্যই ভালো। যেকোনো মন্দকে আমরা ভালো দিয়ে পরিবর্তন করার চেষ্টা তো সবাই করতে পারি, তাই না?

আল্লাহ আমাদের জন্য আমাদের জীবনের গল্প সহজ ও সুন্দর করে দিন। আমিন।

#Nashita_Wellness

Nashita Wellness

29 Nov, 13:19


👉 যারা মিশন রামাদান সম্পর্কে কিছু জানেন না, তারা এই হ্যাশট্যাগ গুলোর উপর ক্লিক করে দেখুন-

#Mission_Ramadan
#Mission_Ramadan_1445

নতুন কোন থিম সাজেস্ট করতে চাইলে আমাদের পেইজের এই পোস্টের নিচে কমেন্ট করতে পারেন-

https://www.facebook.com/share/p/QXgCs2Xh5VpgRQ6m/

Nashita Wellness

29 Nov, 13:09


রামাদানের বাকি আর মাত্র তিন মাস। এই উপলক্ষে আমরাও বহুদিন পর নতুন উদ্যোমে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। আল্লাহ তৌফিক দিন।

বরাবরের মত এই বছরেও নতুন আঙ্গিকে 'মিশন রামাদান' সাজানোর ইচ্ছা। আপনারা সবাই জানেন আমরা প্রথমে একটি থিম নির্ধারণ করে তারপর টার্গেট পরিকল্পনা করি। যেমন, গতবছর থিম ছিল সালাত।

এবছর কিছু থিম নিয়ে আমরা ভাবছি। আপনারা ভোট দিয়ে একটিকে নির্বাচন করতে সাহায্য করুন-

১. স্বাস্থ্য : সুস্থ ও ফিট থাকতে বিভিন্ন সুন্নাহ ও সাইন্টিফিক হ্যাবিট বিল্ড করা
২. বন্ধন : আমাদের রব্ব ও আমাদের আহলের (পরিবারের) সকলের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করার লক্ষ্যে সুন্নাহ ও সাইকোলজিকাল এপ্রচ ফলো করা

চাইলে নতুন কোন থিমও সাজেস্ট করতে পারেন।

আল্লাহ আমাদের সকলকে সুস্থভাবে রামাদান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। আমিন।

#Nashita_Wellness
#Mission_Ramadan

Nashita Wellness

09 Sep, 05:47


আরো বিস্তারিত মতামত জানাতে চাইলে আমাদের ফেইসবুক পেইজে ইনবক্স করতে পারেন।

Nashita Wellness এর ফেসবুক পেইজের লিংক:

https://www.facebook.com/Nashita.wellness?mibextid=JRoKGi

Nashita Wellness

01 Sep, 10:44


নাশিতার লোগোটি যখন ডিজাইন করা হচ্ছিলো, তখন যেই থিমটা মাথায় ছিল তা হলো- 'ভিন্নতা সত্বেও একতা'। লোগোতে থাকা একই ফুলের বিভিন্ন রকম পাপড়ি গুলো আসলে এই উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক।

আজ যখন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম গুলোকে উম্মাহর কল্যাণে একত্রিত হতে দেখি, আমরা নস্টালজিক না হয়ে পারিনা। শুধু তাই না, আল্লাহর অশেষ করুনায় এমন একটি উদ্যোগের অংশ হওয়ার সুযোগও আমরা পেয়ে গেলাম!

অত্যন্ত চমৎকার ও সময়োপোযোগী টপিক দিয়ে সাজানো হয়েছে 'মুসলিমাহ অনলাইন কনফারেন্সে-২০২৪'। কনফারেন্সের টপিক গুলো হলো-

🔸সবার আগে ঈমান

🔸ইতিহাসের দর্পণে বর্তমান

🔸সত্যের পথে আহ্বান

🔸নেক্সট জেনারেশনের প্যারেন্টিং

🔸অশান্ত দিনে প্রশান্ত মন

🔸সুন্নাহর অনুসরণে সুস্বাস্থ্য

🔸উম্মাহর সেবায় মুসলিমাহ

🔸সম্মতি নিয়ে সংশয়

🔸নারীদের সুরক্ষায় করণীয়


📌 কনফারেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত :

📍স্থান: অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে, বোনদের নির্ধারিত ফেসবুক অথবা টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করতে হবে (রেজিস্ট্রেশনের পর লিংক ইনবক্স করা হবে)

📍তারিখ ও সময়: ৪-১২ই সেপ্টেম্বর, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭.০০-৮:৩০ ঘটিকা, ইন শা আল্লাহ

📍রেজিস্ট্রেশন ফি: সম্পূর্ণ ফ্রি

📍রেজিস্ট্রেশন করতে তা'লিমুন নিসা পেইজের ইনবক্সে পাঠান-
✔️ আপনার নাম
✔️ আপনার মোবাইল নাম্বার
✔️ হোয়াটসএপ নাম্বার

(কল করে কনফার্ম করা হবে, ইন শা আল্লাহ)

আমরা সকলের কাছে অনুরোধ করবো এতে উপস্থিত হতে। ঘরে বসে, ফ্রিতে এতগুলো উত্তম আলোচনা শোনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আয়োজকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দিন।

[এই কনফারেন্সে রেজিস্ট্রেশন করার শেষ তারিখ আজ। তাই অনুগ্রহ করে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করুন।]

#Nashita_Wellness
#muslimah_online_conference_2024

Nashita Wellness

30 Aug, 16:11


উম্মাহর জন্য কল্যাণকর কিছু করতে চাই আমরা সবাই। কিন্তু কিভাবে তা করা সম্ভব?

একজন মুসলিমাহ হিসেবে কি কি উপায়ে উম্মাহর কল্যাণে অবদান রাখা যায়, সেসব নিয়েই সাজানো হয়েছে 'মুসলিমাহ অনলাইন কনফারেন্স-২০২৪'।

বোনদের জন্য আয়োজিত ৯দিন ব্যাপী এই কনফারেন্সে গুরুত্ব পূর্ণ কিছু টপিক নিয়ে আলোচনা করবে আমাদের কিছু প্রিয় প্ল্যাটফর্ম ও প্রিয় বোন, ইন শা আল্লাহ্।

♦️ কনফারেন্সের টপিক সমূহ :

🔸 সবার আগে ঈমান
-Markazun Nahda

🔸ইতিহাসের দর্পণে বর্তমান
-Itqaan Ta'leemud Deen

🔸সত্যের পথে আহ্বান
- তা'লিমুন নিসা

🔸নেক্সট জেনারেশনের প্যারেন্টিং
-Tarbiyah

🔸অশান্ত দিনে প্রশান্ত মন
-Muslimah Confidence Workshop

🔸সুন্নাহর অনুসরণে সুস্বাস্থ্য
-Nashita Wellness

🔸উম্মাহর সেবায় মুসলিমাহ
-RAMFIT- Research Academy For Medical Fiqh & Islamic Treatment

🔸সম্মতি নিয়ে সংশয়
- মুহ্তারমাহ আনিকা তুবা

🔸নারীদের সুরক্ষায় করণীয়
-মুহ্তারমাহ সামান্থা সাবেরীন মাহি &
মুহ্তারমাহ তাসনিম সানজানা

♦️ কনফারেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত :

🔸স্থান: অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে, বোনদের নির্ধারিত ফেসবুক গ্ৰুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে অবশ্যই জয়েন করতে হবে

🔸তারিখ ও সময়: ৪-১২ই সেপ্টেম্বর, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭.০০-৮:৩০ ঘটিকা, ইন শা আল্লাহ

🔸রেজিস্ট্রেশন ফি: সম্পূর্ণ ফ্রি

🔸রেজিস্ট্রেশন করতে তা'লিমুন নিসার ইনবক্সে পাঠান-
আপনার নাম
মোবাইল নাম্বার
হোয়াটসএপ নাম্বার

👉 সকলকে কল করে কনফার্ম করা হবে, তাই বোনেরা নিজের সচল নাম্বারটি দিবেন।

🔸 ফেসবুক পেইজের লিংক: https://www.facebook.com/profile.php?id=100077497630343&mibextid=kFxxJD

🔸 টেইলগ্রামে রেজিস্ট্রেশন করতে চাইলে যোগাযোগ করুন:
@Taleemun_mod আইডির সাথে

🔴রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন - ১ সেপ্টেম্বর, রাত ১২ টা (দয়া করে এর মাঝেই রেজিঃ করুন এবং যাদেরকে কনফারেন্সে যুক্ত করতে চান তাদেরকে শেয়ার এবং মেনশনের মাধ্যমে দাওয়াত পৌঁছে দিন )

#muslimah_online_conference_2024

Nashita Wellness

28 Aug, 03:48


মুসলিম জাতির বর্তমান দৈন্যদশার অন্যতম কারণ যে ঐক্যের অভাব, এ ব্যাপারে সকলেই একমত। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেছেন-

‘হে মুমিনগণ! তোমারা আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’  (সূরা আল-ইমরান : ১০৩)

উম্মাহের এই ক্রান্তিলগ্নে ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা স্বরুপ আয়োজিত হতে যাচ্ছে 'মুসলিমাহ কনফারেন্স-২০২৪'

শুধুমাত্র বোনদের জন্য আয়োজিত এই অনলাইন প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছে একাধিক সুপরিচিত প্ল্যাটফর্ম ও কিছু প্রিয়মুখ।

তাদের কাছ থেকে আমরা জানার চেষ্টা করবো : সমসাময়িক পরিস্থিতিতে কি করে একজন উত্তম মুসলিমাহ্ হওয়ার পাশাপাশি উত্তম স্ত্রী, মা, দাঈ কিংবা সুনাগরিক হওয়ার মাধ্যমে উম্মাহর ঐক্য গঠনে ভূমিকা রাখা যায়।

🌻গেস্ট প্লাটফর্ম হিসেবে যারা থাকছেন-

▪️মারকাযুন নাহদা
▪️Itqaan Ta'leemud Deen
▪️তা'লিমুন নিসা 
▪️Tarbiyah
▪️Muslimah Confidence Workshop
▪️Nashita Wellness
▪️RAMFIT- Research Academy For Medical Fiqh & Islamic Treatment

🌻এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আমাদের আরো কিছু প্রিয় বোন, ইন শা আল্লাহ।

🌻 রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিস্তারিত :

▪️কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে: অনলাইনে

▪️তারিখ ও সময়: ৪-১২ই সেপ্টেম্বর, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭.০০ মিনিটে

▪️রেজিস্ট্রেশন ফি: সম্পূর্ণ ফ্রি

▪️রেজিস্ট্রেশন করতে তা'লিমুন নিসা পেইজের ইনবক্সে পাঠান-
আপনার নাম
মোবাইল নাম্বার
হোয়াটসএপ নাম্বার

▪️পেইজের লিংক: https://www.facebook.com/profile.php?id=100077497630343&mibextid=kFxxJD

যাদের ফেইসবুক নেই উনারা @Taleemun_mod আইডিতে যোগাযোগ করুন

কপি পেস্ট/শেয়ার করে দাওয়াত পৌঁছে দিন প্রত্যেকটি মা-বোনের কাছে ইন শা আল্লাহ!

Nashita Wellness

21 Aug, 20:06


জেগে থাকলে দয়া করে উঠুন, তাহাজ্জুদ সালাতে দাঁড়িয়ে যান। বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, ভয়াবহ এবং ভয়াবহ।

এই ভয়াবহতার কারণ যে বা যা-ই হোক না কেন, দু চোখে ঢল নামিয়ে বৃষ্টি ও সমগ্র জাহানের মালিকের কাছে ফরিয়াদ করুন। এজন্য রাসূলের শেখানো দুআও পড়তে পারেন:

اَللّٰهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا، اَللّٰهُمَّ عَلَى الْآكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُوْنِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ

হে আল্লাহ! আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় (বর্ষণ করুন), আমাদের উপর নয়। হে আল্লাহ! উঁচু ভূমিতে, পাহাড়ে, উপত্যকার কোলে ও বনাঞ্চলে (বর্ষণ করুন)।

আল্লা-হুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা ‘আলাইনা। আল্লা-হুম্মা আলাল-আ-কা-মি ওয়ায্যিরা-বি ওয়াবুতূনিল আওদিয়াতি ওয়ামানা-বিতিশ শাজারি (বুখারী ১/২২৪, নং ৯৩৩)

অসহায় ভাই ও বোনদের জন্য আল্লাহর কাছে দুনিয়াবি ও গায়েবী সাহায্য প্রার্থনা করুন, নিজেও যতটুকু সম্ভব সাহায্য করুন। আগে যাচাই করুন, এই মুহূর্তে তাদের কি প্রয়োজন, সেভাবে হাত বাড়িয়ে দিন। নিঃসন্দেহে সাদাকাহ বিপদ দুর করে।

সেই সঙ্গে আমাদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয়ই আমরা যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে পারিনি, যতটা উচিত ছিল।

যারা নফল সিয়াম রাখতে সক্ষম, তারা সিয়াম রাখুন। কারণ ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে সিয়াম পালনকারীর দুআ দ্রুত কবুল হয়।

দ্রুত সময়ে দুআ কবুলের সুযোগ রয়েছে আরো তাদের, যাদের আকাশে অবিরাম বৃষ্টি ঝরছে।

আল্লাহ আমাদের অকল্যাণকর বৃষ্টি ও প্রতিবেশী থেকে রক্ষা করুন।

-nashita team

Nashita Wellness

19 Aug, 06:02


আমরা জানি মাত্র ৩ দিনে নিজের আমূল পরিবর্তন সম্ভব না, আসক্তি থেকে চিরতরে মুক্তিও সম্ভব না। তবে যদি ৩ দিনে আপনার স্ক্রিন টাইম ১ ঘন্টাও কমে, সেটাও বড় পাওয়া, আলহামদুলিল্লাহ।

আমরা ৩ দিনের একটি ডেমো দেখালাম। এভাবে নিত্যদিন নিজেকে নিজে চ্যালেঞ্জ দিয়ে এগিয়ে যান মুক্তির পথে। দুআ রইলো।

-Nashita team

Nashita Wellness

18 Aug, 06:23


📱 ডিজিটাল ডিটক্স চ্যালেঞ্জ

📌Day 2: Be productive!

আজকে আমরা ফোনের কথা ভুলে প্রোডাকটিভ থাকার চেষ্টা করবো। সেইসাথে নিজের যত্ন নিবো আর আল্লাহর সাথে সম্পর্ক আরো মজবুত করার চেষ্টা করবো।


🎯 Target 4: Distance

আজকে আমরা ফোন থেকে দূরে থাকবো। মানে আক্ষরিক অর্থেই দূরে থাকবো, ইন শা আল্লাহ। ফোনটিকে কোনো উঁচু জায়গায় বা চোখের আড়ালে রাখুন। (Mandatory)

যদি সম্ভব হয় তাহলে ফোন সুইচ অফ বা এয়ারপ্লেন মোড এ রাখুন। (Optional)

[কাজ থাকলে ল্যাপটপ বা পিসিতে করতে পারেন।]


🎯 Target 5: Clean

একটি গুছানো, পরিষ্কার রুম দেখলে এমনিতেই মন প্রোডাকটিভ হয়ে যায়। তাই আজ নিজের রুম সুন্দর করে গুছান ও ধুলো পরিষ্কার করুন। (Mandatory)

নিজেকেও পরিপাটি রাখুন আজ। গোসল করে সুন্দর পোশাক পড়ুন, আতর ব্যবহার করুন, চুল আঁচড়ে ভালো করে বেঁধে নিন। তারপর আয়নায় তাকিয়ে দুআ পড়ুন: আল্লাহুম্মা হাসসানতা খালকি ফা আহসিন খুলুকি; যার অর্থ- হে আল্লাহ! আপনি আমার অবয়ব সুন্দর করেছেন, আমার স্বভাব-চরিত্রও সুন্দর করে দিন। (Optional)


🎯 Target 6: Pray

আল্লাহ নিজে ওয়াদা করেছেন, আমরা চাইলে তিনি অবশ্যই নিয়ামত দিবেন, আর আমরা কৃতজ্ঞ হলে তিনি তা বহুগুণে বাড়িয়ে দিবেন। তাহলে আসুন আজ বেশি বেশি দুআ করি: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউজু বিকা মিন্ কলবিন লা ইয়াখশাউ, যার অর্থ- হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট খুশুহীন হৃদয় হতে আশ্রয় চাই। সেইসাথে তাঁর কাছে বেশি বেশি কৃতজ্ঞতা জানাই। (Mandatory)

সম্ভব হলে দু রাকাত নফল সালাত পড়ে সময়ের বারাকাহ লাভের জন্য দুআ করবেন। (Optional)


👉 আগামীকাল সকালে ইন শা আল্লাহ চ্যালেঞ্জ শেষ হবে। শেষদিনে একটু বাড়তি ইফোর্ট দিন।

#Digital_detox_challenge (Day 3)
#Nashita_Wellness

Nashita Wellness

17 Aug, 05:13


📱 ডিজিটাল ডিটক্স চ্যালেঞ্জ

📌Day 2: Relax!

যদি গতকালের টার্গেট গুলো সব করে থাকেন, তাহলে আপনার অস্থিরতা কিছুটা বাড়ার কথা!

নাহ, ভুল বলিনি। কোন আসক্তি থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রথম প্রথম অস্থিরতা কাজ করে। যদি আপনি অস্থির না হোন, তার মানে আপনার ডিভাইসের আসক্তি বেশি ছিল না, আলহামদুলিল্লাহ।

আসক্তি থাকুক আর না থাকুক, আজ শরীর ও মনটাকে প্রশান্ত রাখার চেষ্টা করবেন। অহেতুক সময় অপচয় না করে কুরআনের সাথে সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটাবেন ও একটি তৃপ্তির ঘুম দিয়ে পরদিন আপডেট জানাবেন।


🎯 Target 4: Announce

আগামী দুদিন WhatsApp, Messenger বা অন্যান্য মেসেজিং এপ গুলো কম ব্যবহার করবেন। আজ status/my day তে লিখে দিবেন যে আগামী দুদিন আপনি unavailable থাকবেন। (Mandatory)

চাইলে এসব এপের নোটিফিকেশন অফ করে রাখতে পারেন। (Optional)

[অতীব জরুরি কাজ থাকলেই কেবল মেসেজ করবেন। টাইপ করতে যেহেতু সময় লাগে, ভয়েস মেসেজ দিবেন।]


🎯 Target 5: Be aware

সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্য হয়তো এলার্ম সবসময় দেন। এবার এলার্ম সেট করুন ঘুমানোর জন্য!

রাত ১০ টায় এলার্ম সেট করুন, এলার্ম বাজলে ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ করে দিবেন, যেন ১১ টার ভেতর ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। (Mandatory)

নিজের ফোনের ইন্টারনেট তো বটেই, যাদের পক্ষে সম্ভব তারা বাসার ওয়াইফাই কানেকশনও অফ করে দিবেন। নিজে বাঁচুন, অন্যকেও আসক্তি থেকে বাঁচান। (Optional)


🎯 Target 6: Ponder

আমাদের মাথায় সারাদিনই নানা অহেতুক চিন্তা ও দুশ্চিন্তা ঘুরপাক খায়, রাতে এগুলো বেড়ে যায়। এগুলো থেকে মুক্তি পেতে নিজের ব্রেইনকে ডাইভার্ট করা প্রয়োজন।

আগামী দুদিনে সুরা মুলক এর অর্থ ও তাফসীর পড়বেন, এবং তা নিয়ে চিন্তা করবেন। (Mandatory)

মুলক পড়া থাকলে সুরা সাজদাহ এর অর্থ ও তাফসীর পড়বেন। (Optional)

👉 আগের দিনের target 1-3 আজকেও চলবে। কেউ গতকাল মিস করলে আজকে থেকে শুরু করুন।

#Digital_detox_challenge (Day 2)
#Nashita_Wellness

Nashita Wellness

16 Aug, 05:59


কিছু স্যাম্পল ওয়ালপেপার দেয়া হলো।

Edited by: Nashita Team

Nashita Wellness

16 Aug, 05:44


📱 ডিজিটাল ডিটক্স চ্যালেঞ্জ

📌Day 1: Breath!

বুক ভরে একটি লম্বা শ্বাস নিন। জ্বি, এখনই। দুই মিনিট পরেও না। আপনার ডিটক্স চ্যালেঞ্জ এখনই শুরু হচ্ছে।

এবার বলুন 'বিসমিল্লাহ'। আর নিয়ত করুন যে- একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আপনি এই চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছেন। আশা করি আল্লাহ আপনার জন্য সব সহজ করে দিবেন।

এরপর নিচের টার্গেট গুলো পড়ুন ও সাথে সাথে পালন করার চেষ্টা করুন।

🎯 Target 1: Cut off

আগামী তিনদিন ফেসবুক বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন প্রকার কমেন্ট করা যাবে না, কোন পোস্ট শেয়ার করা যাবে না। (Mandatory)

যারা আরেকটু স্ট্রিক্ট হতে চাচ্ছেন ও যারা পারবেন, তারা নিজ আইডি ডিএক্টিভ করে ফেলুন। (Optional)

[যাদের অনলাইন বিজনেস আছে, তারা বিজনেস রিলেটেড কাজ কেবল করতে পারবেন।]


🎯 Target 2: Change

নিজ ফোনের লক চেঞ্জ করুন, সম্ভব হলে কঠিন কিছু দিন। যাদের এতদিন লক ছিল না, তারা নাম্বার বা প্যাটার্ন লক দিন। ফিঙ্গার প্রিন্ট অপশন আপাতত বন্ধ রাখুন। (Mandatory)

যাদের পক্ষে সম্ভব তারা ফোনে ওয়ালপেপার চেঞ্জ করে ভালো রিমাইন্ডার সম্বলিত কোন ছবি দিতে পারেন। তবে সেটা খুঁজতে বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না। জাস্ট ব্ল্যাক কালার এর ব্যকগ্রাউন্ড ওয়ালপেপার সেট করতে পারেন। (Optional)

[আমরা কিছু ছবি দিচ্ছি, ওয়ালপেপার করতে পারেন।]


🎯 Target 3: Plan

মোবাইল থেকে দূরে থাকার কারণে যে সময় বাঁচবে সেই সময়টা কাজে লাগানোর জন্য যেকোন একটি ভালো বই সিলেক্ট করবেন। সেটা কুরআনের অনুবাদ হতে পারে, কিংবা গল্পের বইও হতে পারে। তবে pdf বা ebook হলে হবে না। (Mandatory)

কেউ চাইলে একটি নতুন সূরা বা দুআ তিনদিনে মুখস্ত করার টার্গেট নিতে পারেন। হিফজ করলে হার্ট ও ব্রেইন উভয় ভালো থাকে। (Optional)

👉 কালকে সকালে এগুলোর আপডেট নেয়া হবে ইন শা আল্লাহ। যেহেতু আমরা কারো সরাসরি খোঁজ নিতে পারছি না, তাই নিজ দায়িত্বে একজন অ্যাকাউন্টেবিলিটি পার্টনার ঠিক করে নিবেন (হতে পারে ফ্রেন্ড, স্পাউজ ইত্যাদি)।

#Digital_detox_challenge (Day 1)
#Nashita_Wellness