Aabid @aabid24hours Channel on Telegram

Aabid

@aabid24hours


আমাদের ফেসবুকঃ https://www.facebook.com/profile.php?id=100087238790186

প্রয়োজনে: @HopeDM

Aabid (Bengali)

Aabid গ্রুপটির অভিনেতা আবিদ যা 24 ঘণ্টা সার্ভিস দেয়। এই গ্রুপে আপনি একমাত্র সত্যতা এবং নতুন তথ্য পেতে পারেন। আবিদ গ্রুপে নতুন সদস্যদের সুস্বাগতম জানান৷ এই চ্যানেলটি পেতে আপনার ফেসবুক পেইজ দেখুন এবং প্রয়োজনে @HopeDM এ যোগাযোগ করুন।

Aabid

21 Nov, 06:14


প্রিয় রমাদান আসছে... 💖

Aabid

20 Nov, 03:58


আয়মান সাদিক'কে যারা আদর্শ স্বামী উপাধি দিচ্ছেন তারা কি আদৌ আদর্শ স্বামীর ডেফিনেশন জানেন?

• প্রথমত দাইয়ূস কখনোই আদর্শ স্বামী হতে পারে না। বউকে সবার সামনে প্রেজেন্ট করে আখিরাত নষ্ট করছে,,

• দ্বিতীয়ত পা ধরে সরি বলা, স্বামী তার স্ত্রীর রাগ অভিমান ভাঙাতে অবশ্যই সরি বলতে পারে, একবার নয় অনেকবার ই বলতে পারে কিন্তু পা ধরতে হবে কেন? আবার সেটা মাইকিং করে জানাচ্ছে,? নূনতম লজ্জা থাকলে কাজটা করে থাকলেও মানুষকে এভাবে জানাতো না, স্বামী পরিবারের কর্তা সেখানে তিনি কিভাবে নিজেকে ছোট করে বউকে উচ্চ আসনে বসাচ্ছে? ভুলে যাবেন না এই সেই লোক যে মসজিদে বিয়ে করে পরের দিন গান বাজনা, নাচানাচি, পার্টি করেছিলো। এদেরকে আদর্শ তকমা দেওয়ার আগে দুবার ভাবুন।

আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,

"নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদাহ করার আদেশ করতাম, তাহলে নারীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদাহ করে।’’ [তিরমিযি ১১৫৯]

স্বামীর সম্মান মর্যাদা বোঝার জন্য এই একটি হাদিস ই যথেষ্ট মনে করি।

• এই বিষয় টা নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হচ্ছে, ছড়িয়ে যাচ্ছে বিষয়টা, না জানি এখন এই শয়তানি বীজ মেয়েদের মধ্যে ঢুকে গিয়ে দাম্পত্য জীবনে কত অশান্তির সৃষ্টি হবে! স্ত্রীদের এখন তার স্বামী কে সরি বলার মনমানসিকতা ই চলে যাবে, স্বামী'কে বলবে আপনি আমার পা ধরে সরি বলুন। আস্তাগফিরুল্লাহ।

• মেয়ে হয়েও বিষয়টা নিয়ে আপনাদের মতো এত লাফালাফি করতে পারলাম না। যেটা শরীয়ত বিরোধী সেটাকে দেখা মাত্রই ভালো মনে হলেও আদৌ ভালো কি না যাচাই করুন।

Umme Ayesha

অনেকের চোখে সে হয়তো সো কলড আদর্শ স্বামী but sorry to say সে আমার কাছে দাইয়ুস আর গায়রতহীন পুরুষ ছাড়া আর কিছুই নয়।

Aabid

17 Nov, 11:30


[১]
জুমার নামাজ ওয়াজিব। কিন্তু এমন একজন আলেমের বক্তব্য আপনি দেখাতে পারবেন না এই বিষয়ে যে জুমার নামাজ নারীদের জন্য ওয়াজিব কিংবা এই নামাজ না পড়লে নারীদের গুনাহ হবে। জুমার খুতবাও অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়। এখন কেউ যদি এসে বলে, এই গুরুত্বপূর্ণ বয়ান থেকে মেয়েদেরকে বঞ্চিত করা হবে কেন, তাদের অংশগ্রহণও দরকার–তাহলে তার উচিত সালাফদের সময়কার কঠিন বর্ণনাগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করা, যেটা বিশেষ কারণে এখানে দিচ্ছি না।

এখন, একটা ওয়াজিব বিধান কেন মেয়েদের জন্য শিথিল হয়ে গেল? এই প্রশ্নের জবাবটা একদমই সহজ। তা হলো, পর্দার বিধানের জন্য। পর্দার বিধানের উদ্দেশ্য কী? নারীদেরকে সুরক্ষিত রাখা তাদের পবিত্রতার জন্য এবং অতি অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্টি।

তাহলে সেমিনার কিংবা বইমেলায় নারীদের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা কি একটা ওয়াজিব বিধানের চেয়েও বেশি? এসব কথা বললে অবশ্য অনেকে বলতে আসে–মেয়েরা রাস্তাঘাটে, বাজারে, সবখানে যাওয়া-আসা করে তখন কিছু বলেন না, ইসলামি সেমিনারে গেলেই আপনার আপত্তি কেন?

এটার জবাবে বলব, রাস্তাঘাটে ঘোরাফেরা করা মেয়ে, অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাওয়া মেয়েরা এটাকে সওয়াবের কাজ বলে মনে করে না, আর না তো তারা শরীয়াহর বিধানের ধার ধারে। কিন্তু সেমিনার, বইমেলা ইত্যাদি জায়গায় যারা যায়, তাদের বড় অংশ ইসলাম প্র্যাকটিস করতে চায়। সুতরাং এগুলোকে সওয়াবের কাজ ভেবে যেন বিভ্রান্ত হয়ে না পড়ে, সেজন্যই মূলত এসব আলোচনা।

নারীদের ফরজ সালাতের জন্য মসজিদের থেকে যদি নিজের ঘরকে উত্তম বলা হয়, তবে অন্যান্য নফল কাজের জন্য বাহিরে যাবার কথা টেনে আনাটাও কি অবান্তর নয়?

আমরা যদি সালাফদের বুঝকে যথেষ্ট মনে করি, তাহলে যুক্তি-তর্ক যে একদমই অপ্রাসঙ্গিক, তা আশা করি বোঝানো গেছে।

[২]
সিয়ানের সেমিনারে মেয়েদেরকে দ্বিতীয় তলায় জায়গা করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু মেয়েদের চলাচলের পথটা পুরুষদের সামনে দিয়েই ছিল। সেখানে যে পর্দা দেয়া উচিত, তার ব্যবস্থা অনেক পরেই করা হয়। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে, মেয়েদের সেকশনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বক্তাদেরকে বড় স্ক্রিনে দেখানো, এটা অনুমোদিত কাজ কি না আল্লাহ ভালো জানেন তবে এটার দ্বারা যে ফিতনার সৃষ্টি হয় এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

সেমিনারকেন্দ্রিক এই প্র্যাকটিসটা একেবারেই নতুন, যেটা নিঃসন্দেহে পরবর্তীতে আরো বড় ফিতনার দরজা খুলে দেবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে মেয়েরা স্ক্রিনে তাকিয়ে, বক্তাদের চেহারা দেখে বক্তব্য শুনবে এটা যদি আদতে কল্যাণকর কিছু হতো তাহলে সালাফগণ মসজিদে যাওয়ার বিষয়টা নিয়েও এত কঠোর হতেন না, কারণ সালাতে সর্বোচ্চ কতক্ষণই বা লাগে?

শতকরা কত ভাগ ফিতনায় পড়েছে এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক আলাপ, সুযোগ থাকলে ফিতনার পরিবেশ তৈরি না করাটাই মূল কথা।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে নারী-পুরুষের জন্য একই সময়ে প্রস্থানের সমস্যা। উচিত ছিল এমন ব্যবস্থা থাকলে ছেলেদেরকে মেয়েদের অন্তত দশ মিনিট পরে বের হতে দেওয়া, যেন এখানে অসুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি না হয়। আমি প্রোগ্রামে আলাদা রাখলাম, বের হওয়ার সময় সবাইকে মিক্স করে ফেললাম, জিনিসটা তখন মোটেও সুন্দর দেখায় না। যেহেতু ইসলামি সেমিনার সেহেতু আগে ইসলামের চাহিদাকেই, শরীয়তের বিধানকেই গুরুত্ব দিতে হবে।

এখন কমেন্টে অনেকেই বলতে আসবেন তাহলে মেয়েরা দ্বীন শিখবে কীভাবে? আমরা কি বোনদেরকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছি সবকিছু থেকে?

মহিলারা কি আগে দ্বীন শিক্ষা করেনি? আগে কি আলেমা ছিলেন না? তাঁরা কীভাবে শিখতেন? অনলাইনের কল্যাণে সেভাবেও কষ্ট করা লাগে না এখন। তাই অনলি সিস্টার্স অনেক সেমিনার হোক, তবে অনলাইনেই হোক। ভাইদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে বঞ্চিত যেন না হয় কেউই, সেই লক্ষ্যে অনলাইনেও এগুলো প্রচার হোক।

দ্বীনশিক্ষার জন্য সশরীরে গিয়ে এসব সেমিনারে অংশ নিতে হবে, অনলাইনে নিলে হবে না–এমন কোনো শর্ত আছে কি না আল্লাহ ভালো জানেন। বরং ফরজে আইনের ইলম আগ্রহ নারী-পুরুষ সবাই নির্বিশেষে আগ্রহী হবে এটাই কাম্য।

লেখা আর লম্বা করার আগ্রহ হচ্ছে না। তাই বাকি জিনিসগুলো আপাতত থাকুক।

- মেরাজ হোসেন

Aabid

16 Nov, 23:44


আপনার/ আমার সামনে যখন আল্লাহর কোনো বিধান উপস্থাপন করা হয় তখন আমাদের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত এমন "سَمِعۡنَا وَ اَطَعۡنَا" অর্থাৎ আমরা শুনলাম এবং মানলাম।
যখন কোনো বিষয়ের শরীয়তের  বিধান থাকে "হারাম" সেটাকে "হারাম" বলেই মেনে নিতে হবে, বিশ্বাস করতে হবে। ইনিয়ে বিনিয়ে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বিভিন্ন সূরত দেখিয়ে আম ভাবে হালাল বানানোর প্রচেষ্টা করা এবং অন্যকে হারামে উৎসাহিত করা এবং হারামকে হারাম বলে বিশ্বাস না করা "سَمِعۡنَا وَ اَطَعۡنَا" এর মধ্যে পড়ে না। এটা পড়ে "سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا" (আমরা শুনলাম এবং অমান্য করলাম) এর মধ্যে।

আমাদের অনেকে সহশিক্ষাকে হারাম জানার পর বিভিন্ন ওযর পেশ করে বলেন, আমাদের দুনিয়াবি এই উচ্চতর শিক্ষা না থাকলে এমন সিচুয়েশন হলে কি হবে? ওমন সিচুয়েশন হলে কি হবে? তারা কি আল্লাহর সেই বাণীর প্রতি লক্ষ্য করেন না! যেখানে আল্লাহ বলেছেন,

لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۚ
অর্থাৎ "আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের অধিক কষ্ট চাপিয়ে দিবেন না।" 

আমরা আল্লাহর এই আয়াতের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখলে আল্লাহর প্রতিটি বিধানকে হুবহু মেনে নেওয়া সম্ভব।

শরীয়তে আমাদের জন্য নির্দিষ্ট সীমারেখা রয়েছে, এবং সে সীমারেখার মধ্যে থাকার জন্য উপায়ও বলে দেওয়া হয়েছে, অতএব আমাদের শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে থাকার মনোভাব এবং চেষ্টা দুটোই থাকতে হবে। তাহলেই "سَمِعۡنَا وَ اَطَعۡنَا" এর উপর আমল হবে। অন্যথায় سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا এর উপর আমল হয়ে যাবে। মাআযাল্লাহ!

If Allah says it is haram then it is haram, no excuse.

- সংগৃহীত

Aabid

16 Nov, 16:08


সবচেয়ে বড়ো চোর সেই ব্যক্তি, যে চোর ধরার দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে নিজেই চুরি করে।

সবচেয়ে বড়ো দুনিয়াদার সেই ব্যক্তি, যে আখিরাত সম্পর্কিত জ্ঞান প্রাপ্ত হয়ে পুনরায় দুনিয়ার পেছনে ছুটে।

সবচেয়ে বড়ো দূর্ভাগ্যবান সেই ব্যক্তি, যে হিদায়াত পেয়ে গুটিকয়েক সৌভাগ্যবানদের একজন হওয়ার পরে বাঁকা পথ ধরে।

এই মানুষগুলো দুনিয়াদারদের চেয়েও বড়ো দুনিয়াদার। তারা নিজেদের জ্ঞানের খেয়ানতকারী। তারা "হিদায়াতের বিনিময়ে গোমরাহী ক্রয় করেছে।" (২:১৬)

হিদায়াত অমূল্যবান সম্পদ। সবার ভাগ্যে এটা জোটে না। কোটি কোটি মানুষের মাঝ থেকে অল্পকিছু মানুষকে মহান রব হিদায়াত নামক রহমতের চাদরে আশ্রয় দেন।

হিদায়াত পাওয়ার অর্থ হলো–তাঁর বাণী প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব কাঁধে এসে গেছে। এখন থেকে জীবনটা আর নিজের জন্য কাটানো যাবে না। কারণ, এটা নবীওয়ালা কাজ। "আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য তৈরি করেছি।" (২০:৪১)

অথচ, যতটুকু ধৈর্য্য ধারণ করে সতর্কতার সাথে পৃথিবীতে চলার কথা ছিল, সেভাবে তারা চলেনি। একটু ঝুঁকি নিয়ে মহান রবের প্রতিনিধির দায়িত্ব পালনের অঙ্গিকার তারা রক্ষা করেনি। দুনিয়াপ্রীতি। দুনিয়া তাদেরকে পেয়ে বসেছিল।

হিদায়াত না পাওয়া ব্যক্তির তুলনায় হিদায়াত পেয়ে হারানো ব্যক্তি সেদিন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সবচেয়ে বেশি আফসোস করবে।

- karim shawon

Aabid

15 Nov, 03:24


❛ আজীবন রোজা! ❜
-
আমরা হয়তো খেয়াল করে থাকবো! এক ইবাদতের এক স্বাদ! এক রঙ! এক রূপ! সালাতের স্বাদ এক, সিয়ামের স্বাদ আরেক। ফজর সালতের ভাব এক, তারাবীহের স্বাদ আরেক। যাকাতের পরিতৃপ্তির ধরন এক, হজ্বের পরিতৃপ্তির ধরন আরেক!
.
সিয়াম এমন এক ইবাদত, প্রায় সব ধর্মেই এর অস্তিত্ব বিদ্যমান। ধরন-প্রকরণে পার্থক্য থাকলেও মূল পদ্ধতি প্রায় এক: উপবাসযাপন! তার মানে এটা এক সার্বজনীন ইবাদত! পার্থক্য হলো, আমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশিত পন্থায় সিয়াম পালন করি, তারা মানবনির্দেশিত পন্থায় পালন করে। আমাদের সিয়াম আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, তাদেরটা হবে না।
.
সিয়ামের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
-এর প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা নিজ হাতে দেবেন। আর কোনও ইবাদতের ক্ষেত্রে এমনটা বলেন নি।

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: সিয়াম ছাড়া আদমসন্তানের প্রতিটি আমলই তার নিজের জন্যে, সিয়াম আমার জন্যে, আমিই তার প্রতিদান দেবো! (বুখারী)
.
সিয়াম পালনে জাহান্নাম আমাদের থেকে এত দূরে সরে যাবে, যা আমরা কল্পনাও করতে পারবো না। নবীজি ﷺ আমাদের জন্যে চমৎকার আমলটা রেখে গেছেন। আমাদের মুক্তির কথা চিন্তা করে। তিনি সিয়ামের ইবাদতটা বিভিন্নভাবে করে গেছেন। তার একটা হলো: প্রতিমাসে তিন রোজা! যাকে আইয়ামে বীজের রোজাও বলা হয়। চাঁদের ১৩-১৪-১৫ তারিখের রোজা। এই দিনগুলোতে চাঁদের আলোতে রাতগুলো শাদা থাকে বলে: বীজ (শাদা) বলা হয়। নবীজি ﷺ বলেছেন:

আল্লাহর রাস্তায় একদিন রোজা রাখলে, আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামকে সত্তর বছরের দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাবেন (মুসলিম)।

হাদীসে ফি-সাবীলিল্লাহ বলা হলেও, হাদীসের ব্যাখ্যাকারগন বলেছেন: ইখলাস ও পরিপূর্ণ আনগত্যের সাথে ঘরে থেকে রোজা রাখলেও এই ফযীলত লাভ করা যাবে। জাহান্নামকে সত্তর খারীফ (শরৎ) দূরে সরিয়ে নেয়ার কথা বলে, নবীজি মূলত আমাদেরকে উৎসাহিত করেছেন। রোজার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে চেয়েছেন। সামান্য পরিশ্রমেই অনেক বড় অর্জন করার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন।
.
তিনরোজা সম্পর্কে নবীজি বলে গেছেন:

আবু হুরায়রা রা. বলেছেন: আমার হাবীব (সা.) আমাকে তিনটি বিষয়ের ওসীয়ত করে গেছেন। আমি আমৃত্যু এগুলো ছাড়বো না:
ক: প্রতি মাসে তিনরোজা।
খ: সালাতুত-দুহা (ইশরাকের সালাত)।
গ: বিতির আদায় করে ঘুমানো। (মুত্তাফাক)।

.
এই হাদীসে কোন তিনদিন নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। আরেক হাদীসে আছে:

নবীজি ﷺ আবু যর রা.কে বলছেন: তুমি প্রতি মাসে রোজা রাখতে চাইলে: ১৩ ১৪ ও ১৫ পনের তারিখে রোজা রাখো! (তিরমিযী)।

.
তিনদিন রোজা রাখার মাহাত্ম্য কী?

কেউ প্রতিমাসে তিনদিন রোজা রাখার মানে, আজীবন রোজা রাখা! (তিরমিযী)
.
প্রতিমাসে তিনদিন রোজা রাখলে আজীবন রোখার হিশেবটা কিভাবে হলো? সেটা কুরআনেই বলা আছে:

যে একটা নেককাজ করবে, তার জন্যে দশগুণ প্রতিদান থাকবে (আনআম: ১৬০)।

তারমানে একদিন রোজা রাখাটা দশদিন রোজা রাখার সমান। একে দশ। তিনে ত্রিশ। এভাবে প্রতিমাসে তিনদিন রাখলে, সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব লেখা হয়ে যাবে। একবার আমল করা শুরু করলে, প্রতিমাসে তিনদিন রোজা রাখা কিন্তু খুবই সহজ? কতো কতো আমল আমাদের থেকে ছুটে যায় সামথ্য না থাকার কারনে। কিন্তু তাওফীকে থাকা আমলগুলো কেন ছুটবে? আমরাও কি পারি না আবু হুরায়রা রা.-এর মতো করে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে:

আমি আমৃত্যু রোজাগুলো ছাড়বো না!


✍️ উস্তায আতিক উল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ


কালকে থেকে তিনদিন আওয়্যামে বীজের রোজা শুরু ১৩,১৪,১৫ ইন শা আল্লাহ্ সবাই চেষ্টা করবো রাখতে।

Aabid

13 Nov, 00:24


জীবন মাঝে মাঝে আছাড় দেয়। নরম মাটিতে ভারী কিছু পড়লে যেমন 'থ্যাক' করে একটা আওয়াজ হয়, তেমন করে জীবনও মাঝে মাঝে আছাড় দিয়ে ধপ করে বসিয়ে দেয়।

সে সময় উপলব্ধি হয়, আসলে আমি কী, আমার আশেপাশে কাদের বাস। বুঝা যায়, এই বিশাল দুনিয়ার বুকে আমার জন্য কতখানি সংকীর্ণতা অপেক্ষা করে আছে।

এই সময়টার জন্য নিজেকে আগে থেকে প্রস্তুত রাখতে হয়। আমার সামনে কী আছে জানি না, কিন্তু যাই থাক আমি যেন অন্তত স্থির থাকতে পারি - এজন্য হলেও দীর্ঘ সময়ের চর্চা দরকার। কিসের চর্চা? তাওয়াক্কুল আর ব্যক্তিত্বের।

বলা হয়, 'যে পাখি একা ওড়ে, তার ডানা দু'টো ভীষণ শক্তিশালী হয়।' মুমিনের দুই ডানা হলো - তাওয়াক্কুল আর ব্যক্তিত্ব।

আমরা ব্যক্তিত্ব গড়ার দিকে মনোযোগী হই না, অথচ ব্যক্তিত্বই আমার একমাত্র বন্ধু - যার সাথে বোঝাপড়া করা যায়। ব্যক্তিত্ব হচ্ছে, নিজের সত্ত্বার সাথে কানেকশনের জানালা।

কারণ, জীবন এতটাই নির্দয় হয় কখনো কখনো যে, ভাষাও নীরব হয়ে যায়। তখন 'আমি ভেঙ্গে পড়েছি' বলার জন্যও একটা স্পেস লাগে। ব্যক্তিত্ব হলো সেই স্পেস। আর তাওয়াক্কুল এসে ব্যক্তিত্বের সাথে বোঝাপড়া করে ভেঙ্গে পড়াকে রোধ করে।

ব্যক্তিত্ব গড়া দরকার। তাওয়াক্কুল আর ব্যক্তিত্বে গড়া ইস্পাত কঠিন মানুষ হওয়া দরকার। যে মানুষটা শুধু এক জায়গায় ভাঙ্গে - জায়নামাযে।

- ফারহীন আল মুনাদি

Aabid

12 Nov, 13:11


আমাদের সম্মলিত মেহনতে।
আড়াই মাসে টার্গেট দাওয়াহ’র শিট টা ৪০০+ শিক্ষার্থী কে শিখানো হয়েছে৷
মোট আনুমানিক ৭০০+ শিক্ষার্থী নিয়ে করা হলেও৷ সব গুলো বেসিক এ টু জেড শিখার সংখ্যাটা ৪ শ প্লাস ই। বাকি গুলো কমবেশ এটেন্ড করেছে৷

৪ শ জন থেকেই শিটের বেসিক প্রশ্ন গুলোর উত্তর মুখস্থ নেওয়া হয়েছে৷ এবং তাদের মেহনতের জন্য শিক্ষার্থীদের হাদিয়া,পুরস্কার, মেহমানদারি করানো হয়েছে৷

আপনাদের মাঝে শুরু থেকেই এভাবে টার্গেট ভিত্তিক কাজ করার জন্য আহবান করে আসছি।
কারণ দাওয়াহ দিলে শিক্ষার্থীরা আমলে নেয় না।
কিন্তু এই কৌশলের কারণে তারা সব কিছু এ টু জেড শিখছে আল হামদু লিল্লাহ।

কমেন্টে টার্গেট দাওয়াহর শিট টা দিচ্ছি। আপনারা সার্কেল তৈরি করে কাজ গুলো করুন। অনেক ভাই অনেক দ্বীনি সার্কেল এই কাজ গুলো নিয়মিত আঞ্জাম দিচ্ছে।

ইনবক্সে অনেকেই এসব আয়োজন করে পিক দিচ্ছে৷ তাই দাওয়াহ ময়দানে সুপরিকল্পিত ভাবে কাজে না নামলে। আমাদের জেনারেশন কে তাওহীদমুখী করা যাবে না।

টার্গেট দাওয়া এর শীট: https://drive.google.com/file/d/1Z23yF7QuF6Efbh-ZvzBo9k4EJNGkAvqY/view?usp=drivesdk

- আল ইন্তিফাদা

Aabid

11 Nov, 23:56


’ধর্মীয় বিষয়ে তোমরা কাউকে এভাবে অনুসরণ করো না যে— সে ঈমান আনলে, তুমিও ঈমান আনবে; আর সে কুফুরি করলে, তুমিও কুফুরি করবে। যদি কাউকে অনুসরণ করতেই হয়, তাহলে মৃতদের অনুসরণ করো। কারণ, জীবিতরা কখন কোন ফিতনায় পড়ে যায়— তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’

[ আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু; তাহযিবু হিলয়াতিল আউলিয়া: ১/১২৩]

Aabid

11 Nov, 00:01


মেয়েদের জন্য  কলেজ-ভার্সিটিতে পড়াশুনা: শরয়ী দৃষ্টিকোণ

মেয়েদের কে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা একেবারেই নাজায়েয নয়, বরং শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে থেকে প্রয়োজনীয় আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষালাভ  করা শরীয়াহ মোতাবেক একটি কাম্য বিষয়।

মেয়েদের জন্য আধুনিক শিক্ষা অর্জনের সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হলো, যদি ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে থেকেই তা অর্জন করা সম্ভব হয় তাহলে এখানে থেকেই শিক্ষালাভ করা, বাহিরে অন্য কোথাও না যাওয়া। তবে যদি এই জ্ঞান অর্জনের জন্য ঘরের বাহিরে যেতে হয়, তবে তার জন্য কিছু শর্ত আছে যা অবশ্যই পালন করতে হবে।

যেখানে এই শর্তগুলি পাওয়া যাবে সেখানে মেয়েদের জন্য এই পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া জায়েয হবে এবং যেখানে এই শর্তগুলি অনুপস্থিত থাকবে সেখানে মহিলাদের জন্য এই পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া জায়েয হবে না।

শর্তগুলি নিম্নরূপ:

১. মহিলা স্কুলগুলি শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়া জরুরি, কোনো সহ-শিক্ষা থাকতে পারবে না এবং এই বিদ্যালয়গুলিতে কখনো পুরুষদের আসা-যাওয়া করা যাবে না। এছাড়াও, তাদের বিদ্যালয়ের স্থান ফিতনা-ফাসাদ  এবং এর সম্ভাবনা থেকে নিরাপদ হওয়া জরুরি।

২. এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত নারীদের আসা-যাওয়া ব্যবস্থা করতে হবে শরয়ী পর্দাসহ এমন নিরাপদ ভাবে যাতে কোনো পর্যায়ে ফিতনার ভয় না থাকে।

৩. টিচার হিসাবে সদাচারী, সতীসাধ্বী  মহিলা নিয়োগ করা জরুরি। যদি এই ধরনের শিক্ষিকা না পাওয়া যায়, তবে প্রয়োজনীয় বিদ্যা (যেমন চিকিৎসা) শিক্ষার জন্য একজন গুণী এবং বিশ্বস্ত লোক নিয়োগ করতে হবে, যিনি পর্দার আড়াল থেকে মহিলাদের কে শিক্ষা দেবেন। কোনো পর্যায়েই হিজাব ছাড়া তার মুখোমুখি হওয়া যাবে না এবং সরাসরি এতে জড়িত হওয়াও যাবে না।

এছাড়াও, চিকিৎসা শিক্ষা এবং এর ব্যবহারিক অনুশীলনে, হিজাব এবং সতরের শরয়ী বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে পালন করা জরুরি।

৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যদি শরয়ী সফর পরিমাণ দূরত্বে হয়, তাহলে মহিলাকে তার মাহরামের সাথে সেখানে যেতে হবে এবং হোস্টেলে একাকি থাকার ইচ্ছা করতে পারবে না।

৫. এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তাদের আকীদা, ধর্মীয় আচার-আচরণ ও চারিত্রিক নৈতিকতার অবনতি হওয়ার আশংকা না থাকতে হবে।

উপরোক্ত শর্তাবলী সহ যদি কোন স্থানে প্রয়োজনীয় আধুনিক শিক্ষা প্রদান করা হয়, তবে সেখানে মেয়েদের শিক্ষা দেওয়া জায়েজ ও বৈধ হবে। এছাড়া ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হলে নাজায়েয ও অবৈধ হবে।

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সাধারণত নারীদের জন্য প্রয়োজন অতিরিক্ত, সেসব ক্ষেত্র ছাড়া যা নারীদের সাথে  সংশ্লিষ্ট। তাই নারীদের জন্য  বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত এসব ক্ষেত্রে উপরোক্ত শর্ত সাপেক্ষে পড়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
 
এই শর্তগুলি বিদ্যমান থাকা অবস্থায় স্ত্রী স্বামীর অনুমতি নিয়ে শিক্ষার জন্য যেতে পারবে, পিতা-মাতার নিষেধ করার অধিকার নেই।

আর শর্ত পূরণ না হওয়া অবস্থায় স্বামী চাইলেও
যাওয়া জায়েয হবে না। একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। [ফাতাওয়া নং ১৪৪০১২২০০৭৯৭]

ফাতাওয়া বিভাগ
জামিয়া ইসলামিয়া বিন্নুরী টাউন,করাচী
অনুবাদ ও সম্পাদনা: মুহাম্মাদ খাইরুল ইসলাম

Aabid

10 Nov, 08:49


যদি নির্জনতার মাধ্যমে শয়তান আপনাকে সবচেয়ে বেশি কাবু করার চেষ্টা করে, তাহলে একাকী থাকা ছেড়ে দিন। কেননা, একাকিত্বের কারণে কিছু গুনাহ মানুষের ওপর চেপে বসে। যখনই সে একাকী হয়, সাথে সাথে শয়তান তার ওপর পরিপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। ফলে গুনাহে লিপ্ত হওয়ার জন্য তার কুপ্রবৃত্তিকে নাড়া দেয়।

অবসর ও একাকী সময়গুলো পুণ্য অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু সাথে সাথে এটি এমন এক অস্ত্র, যার সামনে একমাত্র সুদৃঢ় মজবুত ও কঠোর ইমানের অধিকারী ছাড়া কেউ টিকতে পারে না। টিকতে না পেরে শয়তানের অস্ত্রে পরিণত হয়ে গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ে মানুষ। অতএব আপনি যদি দুর্বল ইমানের অধিকারী হয়ে থাকেন,তাহলে কিছুতেই নিজেকে একাকী বা অবসর ছেড়ে দেবেন না। প্রত্যেকেই তো নিজের ইমানের ব্যাপারে জানেন, তাই সে অনুযায়ী কাজ করুন।

বই: যে রোগে অন্তর মরে
পৃষ্ঠা: ১৭৬

Aabid

09 Nov, 12:10


রিযকের ব্যাপারে একটা কথা বলি ভাইয়েরা।
আপনারা আল্লাহর জন্য কাজ করলে আল্লাহ আপনাদের জন্য রিযকের উত্তম ব্যবস্থা করে দেবেন।

ধরেন আপনি আইসক্রিম বিক্রি করেন - হালাল চাকরি, হালাল রিযক।
কিন্তু আপনি ইসলামী বই বিক্রি করেন - এটাও হালালভাবে করলে আইসক্রিম বিক্রির চেয়ে তো বেশি পজিটিভ ইমপ্যাক্ট ফেলবে ক্রেতার জীবনে, তাই না?

ধরেন আপনি একজন ডাক্তারি পাশ করে ফেলেছেন কিন্তু ডাক্তারি করতে ভালো লাগে না। আপনার ভালো লাগে ইসলাম, সমাজ এগুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে।  আপনি ইসলামের জন্য ইন্টেলেকচুয়ালি কিছু করতে চান। লেখালেখি, অ্যাকটিভিজম বা গবেষণা।

আপনার কাছে প্রথমে মনে হতেই পারে - সংসার চালাব কীভাবে?
কিন্তু বিশ্বাস করেন, আপনি যদি একটু সবর করেন - আল্লাহ আপনাকে ওই কাজের মাধ্যমেই রিযকের ব্যবস্থা করে দেবেন।

আপনি যদি মনে করেন, কিছুটা সময় ডাক্তারি করবেন বাকিটা সময় ইসলামের জন্য কাজ - সেটাও সম্ভব; তবে আপনি এক্সেল করতে পারবেন না।
ডাক্তার জাকির নায়েক, ডাক্তার হলে জাকির নায়েক হতে পারতেন না।

ওয়ার্ল্ড ক্লাস এক্সেল করতে গেলে ফোকাস লাগে। লেজার ফোকাস।

এখন কেউ বলতেই পারেন, এতদিন ডাক্তারি শিখল - সরকারী মেডিক্যাল কলেজে, জনগণের পয়সায় - এই শিক্ষাটা লস হয়ে যাবে না?
হ্যাঁ যাবে, আরো অনেকেরই যায়।
আমি অনেক ডাক্তারকে চিনি যারা এমবিবিএস পাশ করে এখন আর ডাক্তারি করে না - অ্যাডমিন জব করে বা কাস্টমসে।

একজন ডাক্তার একজন মানুষকে সুস্থ ভালো রাখতে পারে। তবে ৭০ বছরের এই জীবনে ভালো রাখার চেয়ে যদি অনন্তকালের জীবনে ভালো রাখার জন্য কাজ করে তবে ক্ষতি কী?

তবে এর মানে না আমি সবাইকে ডাক্তারি বা এনজিনিয়ারিং বা জব ছেড়ে দিতে বলছি। জবের করার সাথে সাথেও বহু মানুষ ইসলামের খেদমত করেন এটা আমি অস্বীকার করছি না।

কিন্তু এই লেখাটা মিডিওকর কারো জন্য না। এটা তার জন্য যিনি মিডিওক্রিটির উপরে উঠতে চান - জীবনে অসাধারণ কিছু করতে চান।

ভাই, আপনি যদি বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সমর্থ হন, আর যদি সত্যিই আপনার আল্লাহর জন্য, ইসলামের জন্য আউটস্ট্যান্ডিং কিছু করার প্যাশন থাকে - আপনি রিযক নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না - এটাই আমার অনুরোধ। 

আপনি আপনার স্বপ্ন সত্য করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন।
দরকার হলে আমাদের সাথে পরামর্শ করেন।

দেখবেন আল্লাহ আপনাকে দিয়ে আপনার স্বপ্নের কাজগুলো করিয়ে নেবেন - অন্যদিক দিয়ে রিযকে তায়্যিবাও দান করবেন।

- Md Sharif Abu Hayat

Aabid

07 Nov, 17:18


কুরআন তিলাওয়াত তো নিঃসন্দেহে অনেক সওয়াবের একটা কাজ। কিন্তু কুরআন কি শুধুই তিলাওয়াত করার কথা? তিলাওয়াত করলেই কি কুরআনের সব হক্ব আদায় হয়ে যায়? উঁহু, হয় না। কুরআনের অর্থ বুঝতে হয়, একেকটা আয়াত নাজিলের পটভূমি জানতে হয়, শিখতে হয় কীভাবে তা আমরা প্রয়োগ করতে পারবো নিজ জীবনে। এই হক্বগুলো আদায় করা যায় তাফসির জানার মাধ্যমে। কিন্তু কুরআন বলেন বা তাফসির বলেন —এসব একা একা পড়লে লাভের চাইতে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।

শুধু আরবি জানলেই তো চলে না, আরবি তো আমাদের সাহাবায়ে কেরামরাও (রাদ্বিয়াআল্লাহু আনহুমা) জানতেন। কিন্তু তবুও প্রতিটি আয়াতের অর্থ, ব্যাখ্যা আমাদের রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের বুঝিয়ে দিতেন, শিখিয়ে দিতেন।

সেই শেখানোর আর বোঝানোর ধারা অব্যাহত রাখতেই আইওএম নিয়ে এসেছে "ধারাবাহিক তাফসিরুল কুরআন" কোর্স। এই কোর্সে মুফতি জুবায়ের আহমেদ হাফিজাহুল্লাহু এর সান্নিধ্যে তাফসির জানা যাবে। পাশাপাশি সময়টাও সুবিধাজনক (মাগরিব থেকে এশার মধ্যবর্তী সময়ে‌) এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই!
কি দারুণ সুযোগ! তাই না?

🔰 বিস্তারিত:
——————
সম্পূর্ণ কুরআন এর তাফসীর
দারস নিবেন: মুফতি জুবায়ের আহমেদ হাফিজাহুল্লাহ
ভাই-বোন উভয়ের জন্য
লাইভ ক্লাস
ক্লাসের হবে: সপ্তাহে ১ দিন।
ক্লাসের সময়: প্রতি মঙ্গলবার বাদ মাগরিব থেকে এশা পর্যন্ত
কোর্সের সময়সীমা: ১ বছর ব্যাপী
ক্লাস শুরু: ১৯ নভেম্বর

♦️রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া:

কোর্সটি সম্পূর্ণ ফ্রি হলেও অপ্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন ঠেকানোর জন্য ফর্ম ফিলাপ ফি হিসেবে মাত্র ২০ টাকা রাখা হয়েছে।

ফর্ম ফিলাপ ফি ২০ টাকা পে করার জন্য আমাদের বিকাশ নম্বরে পেমেন্ট অপশন থেকে পে করতে পারেন (এটি আমাদের মার্চেন্ট নম্বর)
▪️বিকাশ নম্বর: 017 66 305 059 (Merchant)
▪️বিকাশ ছাড়া অন্য মাধ্যমে পেমেন্ট করতে: https://iom.edu.bd/product/payment_tq/

পেমেন্ট সম্পন্ন হলে অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। পেমেন্টের ট্রাঞ্জেকশন আইডি দিয়ে নিম্নোক্ত ফর্ম ফিলাপ করুন: 

♦️রেজিস্ট্রেশন লিংক:
http://tiny.cc/TafsirulQuran_Forms

♦️আপনার রেজিস্ট্রেশন কনফার্ম হয়েছে কিনা জানার জন্য:
স্টুডেন্ট লিস্ট: https://tiny.cc/Students_List

♦️রেজিষ্ট্রেশনের শেষ সময়: ১০ নভেম্বর

বি:দ্র: শুধু কৌতূহলবশত রেজিস্ট্রেশন করে সংখ্যা না বাড়িয়ে যারা আসলেই কোর্সটি করতে চান শুধুমাত্র তারাই রেজিস্ট্রেশন করলে ভালো হয়।

তাফসির সম্পর্কে কি একা একাই জানবেন ভাইবোনেরা? নিজের বন্ধু-বান্ধবদের জানাবেন না? তাহলে আবার কেমন এ বন্ধুত্ব! পোস্টটি শেয়ার এবং মেনশন করার মাধ্যমে সাদকায়ে জারিয়ার সুযোগ লুফে নিন ইন শা আল্লাহ।

Aabid

07 Nov, 11:19


সূরা কাহফ সম্পূর্ণ তিলাওয়াত
দরুদ
ইস্তিগফার
বেশি বেশি দুয়া মা জ লুম ও নিজেদের জন্য

#জুমা_রিমাইন্ডার

Aabid

07 Nov, 04:15


ইয়া রব আমাকে অইটুকু আমল করার তৌফিক নসীব করুন।যেইটুকু করলে আপনি আমার উপর সন্তুষ্ট থাকবেন।

আমাকে অইটুকু হামদ,যিকির,তিলাওয়াত ইবাদাহ, করার তৌফিক নসীব করুন।যেইটুকু করলে রাসূল (সা) কথা মত অল্প আমল নাযাতের জন্য যথেষ্ট হবে।

আমার আখলাককে অইটুকু সুন্দর করে দিন যেইটুকু সুন্দর করলে আপনি আমার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।

আমার ক্বলব থেকে হিংসা,কুবাসনা,লোভ-লালসা দূর করুন।

আমাকে ইলমে নূর দান করুন।যেন আপনার প্রতি আমার পরিপূর্ণ আক্বীদা, তাওয়াক্কুল রয়🤍

সংগৃহীত

Aabid

06 Nov, 00:08


যে রাসুলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم)-এর সুন্নতের উপর আমল করবে তাঁকে আল্লাহ তায়ালা চারটি সম্মানী বস্তু দান করবেন:

(১) নেককারদের অন্তরে তাঁর ভালবাসা দান করবেন,
(২) বদকারদের অন্তরে তার ভয় পয়দা করে দিবেন,
(৩) তাঁর রুজীতে বরকত দান করবেন,
(৪) দ্বীনের উপর চলার জন্য তাঁকে মেহনত করার সুযোগ করে দিবেন।

আত তাশাব্বু ফিল ইসলাম-১/১৮
©Ishtiaq Ahmed Tushar

Aabid

04 Nov, 06:52


দ্বীন ছাড়া উন্নতি আযাব

হযরত থানভী (রহ.) বলেন, “ আজ মানুষ শুধু আর্থিক উন্নতির নাম 'উন্নতি' রেখেছে। চাই দ্বীন ঠিক থাকুক বা না থাকুক। এটা উন্নতি নয়; বরং আযাব। কেননা, যে উন্নতি দ্বীন ব্যতীত হয়, তা কোনো অর্জনই নয়।”

মরহুম আকবর এলাহাবাদী একজন চিন্তাশীল কবি ছিলেন। তার কবিতা-

“ কেউ যদি কোনো পদের অধিকারী হয়ে যায় জেন্টলম্যান হয়ে যায় বা জজ-ব্যরিস্টার হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীন থাকল না, নামায থাকল না, রোযা থাকল না তো দুনিয়াবী সকল উন্নতি অর্থহীন। ”

হযরত থানভী (রহ.) বলেন, যে আমরা দ্বীনদারী ছাড়া দুনিয়ার উন্নতিকে গোদ রোগ বলে মনে করি। এতে যদিও বাহ্যিকভাবে মনে হয় শরীর বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু এই বৃদ্ধি অসুস্থতা ও কষ্টের বৃদ্ধি। এই বৃদ্ধির ফল ভালো হয় না। তেমনিভাবে যদি অর্থ-বিত্ত বৃদ্ধি পেয়ে কারো দ্বীনদারী বা দ্বীন হুমকীর মধ্যে পড়ে তাহলে (নাউযুবিল্লাহ) এই উন্নতি ও অগ্রগতি হচ্ছে গোদের মতো। এটা এমন কোন ঈর্ষণীয় বস্তু নয়, যা হাসিল করার জন্য মানুষ চিন্তা করবে।

এক মালফুযে হযরত থানভী (রহ.) বলেন-

“ ইমাম গাযালী (রহ.) লিখেছেন যে, আখেরাতের সামনে দুনিয়া পুরোপুরি ঘৃণার বস্তু। কিন্তু এই তুলনা ছাড়াও দুনিয়া ঘৃণিত। কেননা দুনিয়া অন্বেষণকারী শান্তিতে থাকে না। অর্থাৎ, দুনিয়ার বাহ্যিক চাকচিক্য বাদ দিয়ে তার ভিতরের অবস্থা যদি লক্ষ কর, তাহলে দেখবে এরা কেউ দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্ত নয়। অপর দিকে আখেরাত অন্বেষণকারী সবাই শান্তিতে রয়েছে।' (আনফাসে ঈসা, পৃষ্ঠা ১৭৯) ”

[ ইসলাহী মাজালিস চতুর্থ খণ্ড ; মুফতি ত্বাকী উসমানী হাফি. ]

এটার বাস্তব উদাহরণ দেখবেন যখন কোন বেদ্বীন পয়সাওয়ালা, মিলের মালিক, ইন্ডাস্ট্রির মালিক বা নেতার সাথে কিছু সময় কাটাবেন।

সংগৃহীত

Aabid

02 Nov, 15:19


একবার মক্কায় একজন ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ হলো যিনি বেশ শখ করে বাচ্চার নাম রেখেছেন ‘আবরাহা’।

নামটা শুনে আমার তো আসমান থেকে পড়বার জোগাড়। আমি চোখমুখ কপালে তুলে জিগ্যেস করলাম, ‘ভাইজান, ছেলের নাম কী বললেন?’

তিনি তখনও খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে পুনরায় বললেন, ‘আবরাহা’।

‘আবরাহা’ নামটা শুনতে একটু স্মার্ট স্মার্ট শোনায়৷ অনেকটা ইংরেজির ‘আলেকজান্ডার’ টাইপ নাম। সম্ভবত নামের মধ্যে থাকা স্মার্টনেসের কারণেই তিনি নামটাকে নিজের বাচ্চার জন্য পছন্দ করে ফেলেছিলেন।

আসল কথা হলো, আবরাহা নামের নেপথ্য ঘটনা তিনি জানতেন না। সারাটা জীবন সূরা ফীল পড়েছেন বটে, কিন্তু সেই সূরার প্রেক্ষাপট কোনোদিন জানার সুযোগ তার হয়ে উঠেনি।

আমি সময় নিয়ে তাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম। এই নাম যে কতো বিধ্বংসী এক অত্যাচারীর নাম যাকে ধ্বংসের কথা সরাসরি কুরআনেও এসেছে—সেসব বুঝিয়ে বলার পর তিনি বুঝতে পারলেন।

বাচ্চার নাম নির্বাচনে আমরা অনেকেই এই ভুলটা করে থাকি। নামের অর্থের দিকে না তাকিয়ে আমরা স্মার্টনেস, খানিকটা আধুনিক ভাব আর বৈশিষ্ট্যের কথা ভাবতে গিয়ে মাঝেমধ্যে এমন নাম বাছাই করে ফেলি যে—নামটার ভালো কোনো অর্থ আর অটুট থাকে না৷

বাচ্চার সুন্দর, অর্থপূর্ণ নাম রাখতে ইসলাম বেশ গুরুত্ব দেয়৷ কিয়ামতের দিন প্রত্যেককে তাদের নিজ নিজ নাম ধরেই ডাকা হবে। সুতরাং, একটা সুন্দর আর অর্থপূর্ণ নাম পাওয়াটা বাবা-মা’র ওপরে বাচ্চার একেবারে প্রথম অধিকার।

আমাদের দেশের বাবা মায়েরা বাচ্চাদের এমন নামও রাখেন যেসব নাম অনেকসময় শিরক আর কুফরের দিকেও নির্দেশ করে ফেলে৷ অনেকে তো আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করা নামগুলোই বাচ্চার নাম হিশেবে রেখে দেন। একটু খেয়াল করলে দেখবেন, আমাদের চারপাশে ‘রাব্বী’ নামের অনেক মানুষ আছে। অথচ, রাব্বী বলে আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলাকেই ডাকি।

নামের প্রভাব ব্যক্তিজীবনে ভালোভাবেই পড়ে বলে হাদিস থেকে জানা যায়। একবার আল্লাহর রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন লোকের কাছে নাম জিগ্যেস করলে, তিনি যে নাম বললেন তার অর্থ হলো—রাগান্বিত৷ নবিজি তার নাম বদলে এমন একটা নাম বললেন যার অর্থ দাঁড়ায় প্রশান্তি। কিন্তু সে সেটা মানলো না। আগের নামে বহাল থাকলো। জানা যায়, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সে ওইরকম রাগের মেজাজে ছিল।

আমাদের দেশের বাবা মায়েদের আরেকটা বাতিক হলো, বাচ্চার নাম রাখার জন্য তারা এমন নাম রাখতে চান যা তাদের বংশে আর কেউ ব্যবহার করেনি ইতোপূর্বে।

যেমন, যদি আপনি বলেন—‘বাচ্চার নাম ইবরাহিম রাখতে পারেন।’

তারা বলবে, ‘এটা তো আমার বড় জেঠার মেয়ে তার ছেলের জন্য রেখে দিয়েছে’

অথবা, যদি বলেন—‘বাচ্চার নাম খালিদ রাখতে পারেন বা ইসমাইল অথবা ইয়াহইয়া। মেয়ের নাম আয়িশা বা মারইয়াম রাখতে পারেন।’

তাদের জবাব হবে, ‘খালিদ তো আমার খালাতো ভাইয়ের ছেলের নাম। ইসমাইল আমার ছোট বোনের ছেলের নাম৷ ইয়াহইয়া নামের এক ছেলে আমাদের পাশের বাড়িতেই আছে। আয়িশা তো আমাদের প্রতিবেশির মেয়ের নাম৷ মারইয়াম নামের দুইজন তো আমাদের বংশেই আছে’।

মোদ্দাকথা, তাদের এমন নাম চাই যে নাম গোটা বংশ বা আশেপাশের দশগ্রামে আর কেউ তাদের বাচ্চাদের জন্য রাখেনি।

কিন্তু, আল্লাহর রাসুলের সময়ে ব্যাপারটা এরকম ছিল না। এমনকি, আরবে এখনো এধরণের চর্চা নেই৷ সেখানে ঘরে ঘরে আপনি আবদুল্লাহ, মুহাম্মাদ, আলি, খালিদ, মুসা, মুয়াজ, আয়িশা, মারইয়াম, ফাতিমা, আছিয়া, খাদিজা—এই নামগুলো দেখতে পাবেন।

বাচ্চার সুন্দর নামকরণ করুন৷ সেটা তার হক আপনাদের ওপরে। আর, সেই নামটা ধরেই তাদেরকে কিয়ামতে ডাকা হবে৷ তাই, আধুনিকতার চেয়ে অর্থপূর্ণ নাম যেন হয়—সেদিকেই আমাদের নজর দেওয়া উচিত।

- আরিফ আজাদ

Aabid

02 Nov, 04:15


হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রদ্বিয়াল্লহু আনহু বলেন,

নেককাজের ফলে:
- অন্তরে নূর তৈরি হয়
- চেহারায় উজ্জ্বলতা আসে
- শরীরে শক্তি অর্জিত হয়
- রিজিক বৃদ্ধি পায় এবং
- সৃষ্টিজীবের অন্তরে ভালোবাসা তৈরি হয়

পক্ষান্তরে গুনাহ করলে,
- অন্তরে এক ধরনের অন্ধকার তৈরি হয়
- চেহারা কালো কালো হয়ে যায়
- শরীরে দুর্বলতা চলে আসে
- রিজিক কমে যায় এবং
- তার প্রতি মানুষের অন্তরে ঘৃণা তৈরি হয়

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ.
[আল ইসতিকামাহ - ১/৩৫১]

- সংগৃহীত