Hope @hope24hours Channel on Telegram

Hope

@hope24hours


প্রয়োজনে: @HopeDM

ফেসবুক: https://www.facebook.com/Hope-Islamic-Dawah-Organization-106488311812795/

আমাদের সব চ্যানেলঃ https://t.me/Hope24hours/1215

Hope (Bengali)

আপনি স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের নতুন টেলিগ্রাম চ্যানেলে - 'Hope'. এই চ্যানেলে আপনি পেতে পারবেন মতিয়ার আলীর ভাষণ, মুহাম্মদ সাহাবের জীবনী, ইসলামী সংস্কৃতি এবং আরও অনেক কিছু। 'Hope' চ্যানেলটির মূল উদ্দেশ্য হল ইসলাম সম্পর্কে জনগণের সঠিক ধারণা গড়ে তোলা এবং সঠিক দাবি করা।nnচ্যানেলে যোগ দিতে, আপনি আমাদের ডিরেক্টরি পেইজ 'Hope Islamic Dawah Organization' এ যোগাযোগ করতে পারেন অথবা চ্যানেলে যোগ দিতে নিচের লিঙ্কটি চেক করুন: https://t.me/Hope24hours/1215nn'Hope' চ্যানেলে কন্টেন্টগুলি প্রতি সময় আপডেট করা হয়, এবং এটি আপনার জন্য ইসলামী জ্ঞান ও সুন্দর সাহিত্যের নজর দান করে। আপনি 'Hope' চ্যানেলে যোগ দিয়ে সমস্ত নতুন আপডেট এবং সংদেশ পাবেন প্রথম হাতে। তাহলে আর অপেক্ষা না করে আজই 'Hope' চ্যানেলে যোগ দিন এবং ইসলাম ও সুন্দর জীবনের সমৃদ্ধতা অনুভব করুন।

Hope

21 Nov, 08:52


পোর্ক খাওয়া হারাম এটা সবাই জানে। একজন ব্যক্তি একটা দ্বীপে আটকে খাদ্যাভাবে মৃতপ্রায় অবস্থা। তার কাছে কোনো বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে এটা খেতে হবে। সেই ব্যক্তি ফতোয়া খুঁজতে গেল, শায়েখ আমার কোনো উপায় নেই। এখন এটা খাওয়া কি হালাল হবে?

অবশ্যই যেটা হারাম সেটা হারামই থাকবে কিন্তু ভিন্ন উপায় না থাকায়, বাধ্য হওয়ায় এটা খাওয়ার ফলে ব্যক্তির গুনাহ হবে না। বিষয়টা সর্বোচ্চ এতটুকুই হবে। শায়েখ এটাকে হালাল বলবেন না কখনোই।

সহশিক্ষা হারাম জানা একদল বাধ্য হয়ে সহশিক্ষায় অংশ নেয়ার দাবী করে। কিন্তু সহশিক্ষাকে হারাম বললে তাদের আঘাত লাগে।
তারা দাবী করে তারা অপারগ অথচ এই অপারগতার মধ্যে থেকেও ইন্সটিটিউশনাল প্রাইড প্রকাশ করে, কেন সহশিক্ষায় যুক্ত থাকতে হবে এই যুক্তি পেশ করে, ক্যাম্পাস, ক্লাস, ফেস্টসহ বিভিন্ন জিনিসের ছবি অপ্রোয়জনে আপলোড করে। একান্ত বাধ্য হয়ে যতটুকু যুক্ত থাকতে হয় এর বাইরেও ক্লাবে যুক্ত থাকা, কো কারিকুলার একটিভিটে ইনভলব হওয়া, শিক্ষাসফরে যাওয়া ইত্যাদি কাজ করে।

তাদের এসব কার্যক্রম পোর্ক খাওয়া ওই ব্যক্তির মতো হয়, যে ব্যক্তি অপারগ দাবী করে পোর্ক খায় অথচ এটাকে কীভাবে রান্না করলে মজা হবে, এটার স্বাদ কেমন, এটা লালন-পালনের প্রয়োজনীয়তা কী ইত্যাদিও একইসাথে বলে।

অপারগতার দোহাই দিয়ে পোর্ক খেয়ে, পোর্কের স্বাদে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া, খেয়ে আনন্দিত হওয়ার ব্যাপারটা যেমন গুনাহের কাজ এসব ব্যাপারও একইরকম। এক্ষেত্রে অপারগতার দোহাই থাকা সত্ত্বেও গুনাহগার হবে।

আরো একটা সত্য কথা বলি। কোনটা অপারগতা, কোনটা নফসের খায়েশ মেটানো সেটার ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা ভালোভাবেই অবগত আছেন। তাই সবাইকে প্রতারিত করতে পারলেও, আল্লাহর সাথে প্রতারণা করতে পারবেন না। এতটুকু মনে রাখাই যথেষ্ট। - মেরাজ হোসাইন

নোট: পোর্ক- শুয়রের মাংস

Hope

21 Nov, 06:06


হযরত আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহার উপর যখন অপবাদ দেয়া হয় এবং মদিনা মুনাফিক সর্দার আব্দুল্লাহ বিন উবাইসহ অনেকেই তা প্রচারে উঠে লেগে পড়ে,তখন রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায় একমাস আয়িশার সাথে কথা বলেন নি, কাছে যান নি।

অতঃপর আয়িশাকে একদিন বলেন, ভুল করে থাকলে স্বীকার করে আল্লাহর কাছে তাওবা করতে তাহলে আল্লাহ মাফ করে দিবেন৷

জবাবে মা আয়িশা অত্যন্ত ভারাক্রান্ত আর ভেঙ্গেপড়া পরিস্থিতির ভেতরেও যে উত্তর দেন তা বিষ্ময়কর এবং অত্যন্ত বিচক্ষণ ও জ্ঞানী ব্যক্তির পরিচয় প্রমাণ করে যিনি মানুষের স্বাভাবিক স্বভাবরীতি ঠাহর করতে পারেন।

তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন:

❝ আল্লাহর শপথ! আমি জানি, যদি আমি বলি যে আমি অপরাধ করিনি, তবে আপনারা আমাকে বিশ্বাস করবেন না। আর যদি আমি স্বীকার করে নিই যে আমি যা করিনি, তা করেছি, তবে আপনারা তা( ঠিকই) মেনে নেবেন। কাজেই আমি আপনাদের কাছে কিছুই বলতে পারছি না। তবে আমি কেবল ইয়াকুব (আঃ)-এর কথাটি বলছি:

فَصَبْرٌ جَمِيلٌ وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ

(সবরই উত্তম, আর তোমরা যা বলছ, আল্লাহই সেই ব্যাপারে সাহায্যকারী)।"
(সূরা ইউসুফ: ১৮)

এরপর আয়িশা (রাঃ) চুপ হয়ে যান এবং আল্লাহ তাআলা সরাসরি ওহির মাধ্যমে তার নিষ্পাপ হওয়ার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা আসে সূরা আন-নূরের আয়াত (১১-২০)-এর মাধ্যমে, যেখানে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট করে দেন যে, আয়িশা (রাঃ) নির্দোষ এবং এ অপবাদ মুক্ত।

যখন কারো প্রশংসা করা হয় তখন খুব কম লোকেই তা বিশ্বাস করে। কিন্তু যখন কিনা কারো বদনাম করা হয় তখন প্রায় সবাই তা বিশ্বাস করে।

কোনোটাই ঠিক নয়।

প্রশংসা হোক বদনাম হোক, মুমিন শরীয়তের নীতিমালার আলোকে যাচাই ব্যতিরেক কারো সম্পর্কে কোনো ধারণা করবে না।

এটা এই যুগের প্রধানতম এক ফিতনা যা থেকে তাহাজ্জুদগুজার বান্দাও মুক্ত নয়!

আল্লাহ হিফাজত করুন। - আব্দুর রহমান মুআজ

অনেক বোনদের মিথ্যা অপবাদ সইতে হয়। এ অপবাদের সময় সবর আর আল্লাহর কাছে দুআ করা, ভরসা করা উচিত। এ ঘটনাটা শিক্ষণীয়। এমন সময় গুলোতে সূরা ইউসূফ ১৮ নম্বর আয়াত পড়ে পড়ে আল্লাহর কাছে বেশি দুআ করতে পারেন ইন শা আল্লাহ।

Hope

20 Nov, 14:01


আল-কুর'আনের আত-তাকবীর সূরার ২৬ নাম্বার আয়াত___

"فَأَيْنَ تَذْهَبُونَ" (Faayna tadhaboon)
"So, where are you going?"
"সুতরাং, তোমরা কোথায় চলেছো?"

আল্লাহু সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার খুবই অলংকৃত একটা প্রশ্ন যা মানুষের বাস্তবতা এবং চূড়ান্ত গন্তব্য সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়। খুবই ফিলোসফিক্যাল।

আমরা প্রতিদিন যে কাজ করি তার একচুয়েল পারপাজ কি? দর্শনের গভীরতম প্রশ্ন "purpose of life" । আর্গুমেন্টের অভাব নাই।
প্রতিদিন আমাদের করা সব কাজকর্মই মূলত বস্তুবাদী দুনিয়ার উপকরণ ভোগ করার জন্যই করে থাকি। জেনারেশনের পর জেনারেশন আসে। নতুন নতুন তত্ত্বের উদ্ভব হয়। নতুন নতুন সংঘর্ষ। এরই মাঝে আমরা আটকে পড়ে যাই নানান ব্যস্ততায়। আমরা নিজেদেরকে প্রশ্ন করতে ভুলে যাই, আমাদের জন্ম ও জীবনের যৌক্তিকতা কোথায়? আমাদের শেকড় কোথায়? জীবনের নিগূঢ় সত্য কি? কোথেকে এসেছি, কোথায় বিলীন হবো? আমাদের জীবন বাধা পড়ে যায় দৌড়াদৌড়িতে, আমরা ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়ি কিভাবে আরো ভালোভাবে জীবন কাটাতে পারবো। একটার পর একটা ধাপ চলতে থাকে জীবনে৷ একেকটা ফেইজে একেক ধরণের প্রস্তুতি নেই। জীবন এগিয়ে যায় ধাপের পর ধাপ। একদিন থেমে যায় মৃত্যুতে। মৃত্যুই শেষ। আর যন্ত্রণা নেই।
কিন্তু মৃত্যুই কি শেষ? এই পার্থিব জীবনে ৬০/৭০ বছরই কি আমাদের জীবনের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়?
সামাজিক স্তরের দিকে লক্ষ্য করুন। কেউ উচু স্তরে, কেউ নিচু স্তরে। কেউ অনেক মেধাবী, সম্পদশালী। কেউ পরিপূর্ণ সুস্থ সুন্দর। আবার কারো কারো রয়েছে শারিরীক প্রতিবন্ধকতা। কারো কারো প্রতিবেলায় খাবারও জোটে না। কত ইনজাস্টিস। কত মজলুমের জীবন শেষ হয়ে যায় বিচারহীনতায়।
তবে জীবনের মূল্য কোথায়?
আমরা যদি জীবনকে শুধুই বস্তুবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি তাহলে তার গভীরতা আর উদ্দেশ্য হারিয়ে যায়।
ইসলামিক দর্শন আপনার জীবনকে আরো মূল্যবান করে তোলে। আপনার প্রতিদিনকার পারিবারিক সামাজিক প্রয়োজন থেকে শুরু করে পার্থিব ও পারলৌকিক জীবনের যৌক্তিকতা প্রদান করে।
আপনার যেকোনো কাজের নিয়তকে গুরুত্ব দেয়। আপনি ভুল পথে চলে গেলে আপনার অনুশোচনা হয়। আপনি আল্লাহকে স্মরণ করেন। আবার সঠিক পথে ফিরে আসেন।
আপনার যেকোনো সিদ্ধান্তে আপনি স্মরণ করেন আল্লাহ আছেন, আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে।

আল্লাহ তা'আলার মানুষকে সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি? কুরআন নাযিল হয়েছিলো কি ইসলাম সত্য ধর্ম সেটা প্রমাণ করতে নাকি ইসলাম বাদে বাকি সব কিছুতে যে ভ্রান্তি আছে তা সংশোধনের উদ্দেশ্যে?
তোমরা ওখানে যেও না, এটা করো না, এগুলা থেকে বেঁচে থাকো, আল্লাহর ইবাদত কর।
কুরআন একধরণের সতর্কতামূলক কিতাব। ইসলামকে ফিতরাতের ধর্ম বলা হয়েছে হাদীসে। মানুষের জীবনের গতিশীলতা তাকে পথভ্রষ্ট করে দেয়। সে অন্য পথে চলে যায়। এক সময় ফিরে আসার রাস্তা হারিয়ে ফেলে। গুমরাহী হয়ে যায়। তাদের থেকে হিদায়াত নিয়ে নেয়া হয়। তার অন্তর বন্ধ হয়ে যায়। সে শুনতে চায় না, বুঝতে চায় না, দেখতে চায় না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
"নিশ্চয়ই হিদায়াত গুমরাহী থেকে পৃথক হয়েছে" (২:২৫৬)
মানুষ ভুলে যায় তার সৃষ্টিকর্তার কথা, তার নিয়ামতদাতা কথা, তার জীবনের চূড়ান্ত পরিণতির কথা। দুনিয়ার খেয়াল খুশিতে মত্ত থাকে।

আল্লাহ তা'আলা বারবার স্মরণ করিয়ে দেন কিয়ামাতের কথা, বিচারদিনের কথা।

- সূর্য যখন নিষ্প্রভ হবে
- যখন নক্ষত্র রাজি খসে পড়বে
- পর্বতসমূহকে যখন চলমান করা হবে
- যখন পূর্ণ-গর্ভা উষ্ট্রি উপেক্ষিত হবে
- যখন বন্য পশুগুলি একত্রিত করা হবে
- এবং সমুদ্রগুলিকে যখন উদ্বেলিত করা হবে
- দেহে যখন আত্মা পুনঃসংযোজিত হবে
- যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে কি অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিলো?
- যখন আমলনামা উন্মোচিত হবে
- যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে
- জাহান্নামের আগুন যখন উদ্দীপিত করা হবে
- এবং জান্নাত যখন নিকটবর্তী করা হবে
- তখন প্রত্যেক ব্যক্তিই জানবে সে কি নিয়ে এসেছে। (৮১:১-১৪)

এসব ঘটবে , নিশ্চিতভাবেই ঘটবে। তাই আল্লাহ তা'আলা বারবার সাবধান করলেন, সতর্ক করলেন নিচের বাণীগুলি দ্বারা__

-আমি প্রত্যাবর্তনকারী তারকাপুঞ্জের শপথ করছি যা গতিশীল ও স্থিতিবান।
- শপথ রাতের যখন ওর আবির্ভাব হয় আর উষার যখন ওর আবির্ভাব হয়
- নিশ্চয়ই এ কুরআন সম্মানিত বার্তাবহের আনীত বাণী, যে সামর্থশালী আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাসম্পন্ন যাকে সেখানে (ফেরেশতাদের দ্বারা) মান্য করা হয় এবং যা বিশ্বাসভাজন। এবং তোমাদের সহচর (মুহাম্মদ সা) উন্মাদ নয়, সেতো তাকে স্পষ্ট দিগন্তে অবলোকন করেছে, সে অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করতে কার্পণ্য করে না এবং ইহা অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য নয়। (৮১:১৫-২৫)

অতঃপর আল্লাহ তা'আলা প্রশ্ন করলেন

" সুতরাং,, তোমরা কোথায় চলেছো?" - ফারহানা রহমান

Hope

20 Nov, 08:50


এক মহিলা ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানী রাহিমাহুল্লাহকে জিজ্ঞেস করেন-

.ফদ্বীলাতুশ শাইখ, আমি বিয়ের আগে বেশি বেশি নামাজ, রোজা আদায় করতাম, কুরআন তিলাওয়াত করে শান্তি অনুভব করতাম, নেক আমলে শান্তি পেতাম কিন্তু এখন আমি সেসব বিষয়ে ঈমানের স্বাদ খুঁজে পাই না..

.ইমাম আলবানী রহিমাহুল্লাহ ওই মহিলাকে জিজ্ঞেস করেন, হে আমার মুসলিম বোন, তুমি তোমার স্বামীর হক আদায় করা এবং তাঁর কথা শোনার ব্যাপারে কতটুকু মনোযোগী?

.মহিলা একটু বিরক্তবোধ করে বলে, শাইখ আমি আপনাকে নামাজ, রোজা, কুরআন তিলাওয়াত আর আল্লাহর আনুগত্যের কথা জিজ্ঞেস করছি, আর আপনি আমাকে আমার স্বামীর ব্যাপারে বলছেন!

.শাইখ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমার বোন, অধিকাংশ মেয়ে এই কারণে ঈমানের স্বাদ, আল্লাহর আনুগত্যে ইবাদতে তৃপ্তি পায় না। কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মহিলা ঐ সময় অবধি ঈমানের স্বাদ বা তৃপ্তি পাবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের স্বামীর হক্ব আদায় করবে। [সহীহ আত তারগীব, ১৯৩৯]

হাদিসের এবারত

لَوْ أَمَرْتُ أحدًا أنْ يَسْجُدَ لأَحَدٍ ؛ لأَمَرْتُ المرأةَ أنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِها ؛ من عِظَمِ حَقِّهِ عليْها ، ولا تَجِدُ امرأةٌ حَلاوَةَ الإيمانِ ؛ حتى تُؤَدِّيَ حقَّ زَوْجِها ، ولَوْ سألَها نَفْسَها وهيَ على ظَهْرِ قَتْبٍ .
الراوي : معاذ بن جبل | المحدث : الألباني | المصدر : صحيح الترغيب

সংগৃহীত

Hope

19 Nov, 17:11


তুষার ভাইয়ের পরামর্শ: বেশি না ৮ সপ্তাহ টানা তাহাজ্জুদ এ দুয়া করতে বলেন, আর লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা পড়তে বলেন লাগাতার। আল্লাহ তায়ালা এসব স্মৃতি এমন ভাবে ভুলিয়ে দিবেন উনি কৃতজ্ঞতায় মাথা নোয়াবে ইন শা আল্লাহ

আফজাল ভাইয়ের পরামর্শ: মুভ অন করার জন্য তাকদীরের ব্যাপারে এই বিশ্বাস পাকাপোক্ত রাখা জরুরী যে, ''যা কিছু হয়েছে, তা না হয়ে থাকত না এবং যা কিছু আমার জন্য নির্ধারিত আছে তা আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না।''
ইমাম নববীর আল আরবাঈনে বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদিসটা মনে রাখলে এই বিষয়টা সহজ হয়-

"মনে রেখো- যা তুমি পেলে না, তা তোমার পাবার ছিল না, আর যা তুমি পেলে তা তুমি না পেয়ে থাকতে না। আরো জেনে রাখো- ধৈর্য্য ধারণের ফলে (আল্লাহর) সাহায্য লাভ করা যায়। কষ্টের পর স্বাচ্ছন্দ আসে। কঠিন অবস্থার পর স্বচ্ছলতা আসে।"

বিস্তারিত করণীয় জানতে লস্ট মডেস্টির 'আকাশের ওপারে আকাশ' বইটা পড়া যেতে পারে অথবা, ইউটিউব থেকে অডিওবুক শোনা যেতে পারে। তবে মুভ অন করার উপলব্ধি তৈরির জন্য লস্ট মডেস্টির নিচের দুইটা লেখা সংক্ষিপ্ত হলেও বেশ কার্যকরী-

১. মুভ অন করার জন্য তাকদীরের ব্যাপারে এই বিশ্বাস পাকাপোক্ত রাখা জরুরী যে, ''যা কিছু হয়েছে, তা না হয়ে থাকত না এবং যা কিছু আমার জন্য নির্ধারিত আছে তা আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না।''
ইমাম নববীর আল আরবাঈনে বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদিসটা মনে রাখলে এই বিষয়টা সহজ হয়-

"মনে রেখো- যা তুমি পেলে না, তা তোমার পাবার ছিল না, আর যা তুমি পেলে তা তুমি না পেয়ে থাকতে না। আরো জেনে রাখো- ধৈর্য্য ধারণের ফলে (আল্লাহর) সাহায্য লাভ করা যায়। কষ্টের পর স্বাচ্ছন্দ আসে। কঠিন অবস্থার পর স্বচ্ছলতা আসে।"

বিস্তারিত করণীয় জানতে লস্ট মডেস্টির 'আকাশের ওপারে আকাশ' বইটা পড়া যেতে পারে অথবা, ইউটিউব থেকে অডিওবুক শোনা যেতে পারে। তবে মুভ অন করার উপলব্ধি তৈরির জন্য লস্ট মডেস্টির নিচের দুইটা লেখা সংক্ষিপ্ত হলেও বেশ কার্যকরী-

১. https://shorturl.at/dEqYH

২. https://shorturl.at/xcS0M

(আরিফুল ভাইয়ের পোস্ট দেখে মনে হলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি, ব্যাক্তিগত পরামর্শ হলো: নিজের ইচ্ছে যদি থাকে যে না আমি গুনাহ করেছি, বের হতে চাই তবে খুব করে আল্লাহর কাছাকাছি যেতে হবে। হোক সালাত আদায়ে, হোক তাহাজ্জুদ এ, হোক যিকির বেশি করে। আল্লাহর কাছে যাওয়ার সকল পন্থাকে আকড়ে ধরতে হবে। যে বান্দা আল্লাহর কাছে আসতে চায়, আল্লাহ তার কাছে তার থেকেও দ্রুত গতিতে যান (এটা আল্লাহর কথা,আমার নয়। কুরআনের একটা আয়াত আছে কখনো সময় করে তাফসির সহ দিব ইন শা আল্লাহ ))

উল্লেখিত বইটার পিডিএফ(অনুমোদিত): https://t.me/Hope24hoursbook/215

Hope

19 Nov, 12:19


"পুত্রবধু তার শশুর শাশুড়ির দেখাশুনা করতে বাধ্য নাকি বাধ্য না?" এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু লেখা পড়েছি, ডজনের উপরে হবে। সবার লেখাই আংশিক, এক পাক্ষিক এবং এক দিকের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু শুধুমাত্র কন্যা সন্তানদের পিতা-মাতাকে তাদের জামাই দেখা শুনা করতে বাধ্য কিনা, এই কথার আলোচনা হয় না। প্রশ্নটাই কেউ তুলে না!

কারণ, সম্ভবত শুধুমাত্র কন্যা সন্তানদের মা-বাবারা কখনই বৃদ্ধ হন না, অসহায় হন না, বিপদে পড়েন না, তাদের জীবনে কোনো প্রয়োজন নাই। শুধুমাত্র পুত্র সন্তানদের মা-বাবারাই বৃদ্ধ হন, অসহায় অবস্থায় পড়ে যান, তাদের জীবনে ছেলের বউদের সেবা যত্ন খুব দরকার।

(সম্ভবত এটাও যে, বাবা-মায়েরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শুধু ছেলে সন্তানকেই মানুষ করেন, মেয়ে সন্তানকে কেউ কষ্ট করে মানুষ করে না, তারা বিনাক্লেশেই বড় হয়ে যায়।)

যাই হোক, এবার যদি প্রশ্ন করি যে, "একজন কি তার স্ত্রীর মা-বাবাকে দেখা শুনা করতে বাধ্য, তাদের জন‍্য খরচ করতে বাধ্য (ধরে নিচ্ছি তার স্ত্রীর মা-বাবার শুধু কন্যা সন্তান আছে এবং সবার বিয়ে হয়েছে)?" আমার জানা, ইসলামে এর উত্তর হলো "না, তিনি বাধ্য নন। ইসলাম তাকে এই দায়িত্ব দেয়নি।" একই ভাবে যদি প্রশ্ন করা হয় "একজন মহিলা তার হাজবেন্ডের মা-বাবাকে দেখা শুনা করতে কি বাধ্য?" এরও উত্তর হলো "না, তিনিও বাধ্য নন।"

এখন প্রশ্ন হলো, "তাদের উভয়ের জন‍্যই কি উভয়ের মা-বাবার দেখা শুনা করা উত্তম?" এই প্রশ্নের উত্তর হলো "জ্বী, উত্তম। এবং যদি উভয়ে উভয়ের মা-বাবার প্রতি খেয়াল রাখে, যোগাযোগ রাখে, সামর্থানুসারে খরচ করে - তাহলে তাদের উভয়ের সম্পর্ক আরো মধুর হবে। এবং প্রত্যেকের মা-বাবার সেবার মাধ্যমে তাদের জান্নাতে যাবার সুযোগ বাড়বে ইনশাআল্লহ। পরের প্রজন্ম তাদের নানা-নানী, দাদা-দাদী পাবে। তারা যখন দেখবে তাদের মা-বাবা তাদের দাদা-দাদী, নানা-নানীদের সাথে উত্তম আচরণ করে - তখন তারাও তাদের নিজের মা-বাবাকে সর্বোত্তম আচরণ দিবে ইনশাআল্লহ।"

সুতরাং যখন বলা হয় "পুত্রবধু শশুর শাশুড়িকে দেখা শুনা করতে বাধ্য নয়।" তখন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের বিধানটা বলা হয় (ইসলামের বিধান লুকাবার দরকার তো নাই)।

"দেখাশুনা করা উত্তম নাকি উত্তম না?" এ প্রশ্নের উত্তর "অবশ্যই উত্তম"। যদি প্রশ্ন করা হয়, "দেখাশুনা করা কি উচিত?" - সেটা নির্ভর করবে ঐ পরিবারের সকলের উপর। হতেও তো পারে, বউ সেবা করতে চায় কিন্তু শাশুড়ি চরম শুচিবাই, তাদের মিল মহব্বত হচ্ছে না।

বিষয়টা অনেকটা এমন যদি প্রশ্ন করা হয় "আমরা কি তাহাজ্জুদ পড়তে বাধ্য?" উত্তর "না।" যদি প্রশ্ন করা হয় "তাহাজ্জুদ পড়া কি উত্তম/উচিত?" তাহলে উত্তর "সর্বোত্তম এবং উচিতও।"

লেখা : Shiblee Mehdi

এডমিন কমেন্ট:

আমি রুকাইয়াহ ও মানসিক কনসালটেন্সির সাথে জড়িত। আমাদের কাছে যখন স্বামীর আয় উন্নতি নেই এমন বিষয়ে পরামর্শ চাইতে আসেন বোনরা; আমরা বলি স্বামীর মা বাবার প্রতির দায়িত্বে স্বামীকে সাহায্য করুন। সহজ করুন। আপনার স্বামী আপনার জীবন সহজ করলে আপনিও তার জীবন সহজ করুন। মা বাবার দায়িত্ব পূরণ না করলে সন্তানের ভাগ্য ভালো হবে না,আখিরাত ও দুনিয়া কষ্টকর হবে। তাই স্বামীর দায়িত্বটা সহজ করুন, সাহায্য করুন।

এছাড়া সন্তানরা যখন এসব দেখে বড় হবে, একদিন আপনি যখন শ্বাশুড়ি হবেন তখন তারাও মায়ের সেবার বিষয়গুলোতে তাদের স্ত্রীদের বুঝাবে। বৈবাহিক জীবন সেক্রিফাইসের। সাথের মানুষটা জীবন সহজ করার একটা চেষ্টা। যত বেশি স্বামী/স্ত্রীর জীবন সহজ করবেন সে তত বেশি নিজেদের সম্পর্ক ভালো হবে(তবে জীবনসঙ্গীকেও এসব বুঝতে হবে; এসব নিয়ে বিস্তারিত কথা অন্যদিন ইন শা আল্লাহ)

আর এতকিছুর পর ও অশান্তি হলে?
দুআ, সবর ও দুআ।

Hope

18 Nov, 23:48


ইমাম মহীউদ্দীন নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন —

“যদি পুরুষ বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যান এবং দেখার পর তাকে পছন্দ না হয় তবে তাকে চুপ থাকতে হবে। তার জন্য এটি বলা জায়েজ নয় যে, 'আমার তাকে পছন্দ হয়নি', কারণ এটি ঐ নারীর জন্য অপমানজনক।”

[রাওযাতুত তালেবীন, ৭/২১]

Hope

18 Nov, 15:16


যে বান্দা ইবাদত বন্দেগিতে শক্তি ব্যয় করে, তার (মনের) শক্তি বেড়ে যায়। অন্যদিকে যে ইবাদত বন্দেগিতে অলসতা করে, সে (মানসিকভাবে) দূর্বল হয়ে যায়।
.
— ওয়াহাব ইবনু মুনাব্বিহ রাহিমাহুল্লাহ
সূত্র: আয-যুহদ, ইমাম আহমাদ, ২১৯১

Hope

18 Nov, 07:56


"দুনিয়া গোছাতে গেলে আখিরাত গোছানো হবে না"—এই কথা সঠিক, তবে দুনিয়ার কিছু সৌভাগ্যের আলামত রয়েছে, যা পরকালেও বরকতের কারণ হতে পারে।

এই সৌভাগ্যের চারটি জিনিস ইসলামে বলা আছে:

• নেককার স্ত্রী

• প্রশস্ত বাসভবন

•আরামদায়ক বাহন

• উত্তম প্রতিবেশী

এগুলো দুনিয়াতে সুকুন এনে দেওয়ার পাশাপাশি আখিরাতেও কল্যাণের পথে সহায়ক হতে পারে।

সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল ﷺ
ইরশাদ করেন,

'চার বস্তু সৌভাগ্যের নিদর্শন: পুণ্যবতী স্ত্রী, প্রশস্ত বাড়ি, সৎ প্রতিবেশী ও আরামদায়ক বাহন। আর চার বস্তু দুর্ভাগ্যের নিদর্শন: মন্দ স্ত্রী, সংকীর্ণ বাড়ি, মন্দ প্রতিবেশী ও মন্দ বাহন। - শাহ মুহাম্মদ

📌এ জিনিসগুলোর জন্য বেশি বেশি দুআ করবো ইন শা আল্লাহ

Hope

18 Nov, 00:02


মাখলুককে আপনি যত ভয় করবেন; ততই তার থেকে পালিয়ে যাবেন, তার কাছে নির্জনতা অনুভব করবেন। আর আল্লাহকে যত ভয় করবেন, ততই তার দিকে পালিয়ে যাবেন, তার ঘনিষ্ঠতা অনুভব করবেন। মাখলুকের যুলুম আর শত্রুতার আশঙ্কা করা হয়। অন্যদিকে আল্লাহর ন্যায়বিচার ও ইনসাফের ব্যাপারে ভয় পেতে হয়।

ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
[ইগাসাতুল লাহফান: ২/১৯৬]

Hope

17 Nov, 14:00


সব বোঝেন, নিজের ঈমানটা একটু বুঝে নেবেন না? জীবন একটাই। যখন চলে যাবো, আর ব্যাক করা যাবে না!
ড. খোন্দকাার আাব্দুল্লাহ জাহাাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ।

Hope

17 Nov, 06:35


ইমাম ইবনু সিরীন রহিমাহুল্লাহ বলেন,

মানুষদের মধ্যে তাদেরই সবচেয়ে বেশি ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে যারা অধিকাংশ সময় অন্যদের ভুলভ্রান্তি নিয়ে পড়ে থাকে।

إنَّ أكثر الناس خطايا أكثرهم ذكرًا لخطايا الناس

[ আল মুজালাসাহ ওয়া জাওয়াহিরুল ইলম, ৬/৮৬ ]

সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আমরা প্রমাণ ছাড়াই অন্যের নামে অভিযোগ করি, কথা বলি। ক্ষেত্র বিশেষে এটা মানুষের মানসিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। কিছু ভাইবোন সারাদিন এত বেশি সমস্যা আর দোষ নিয়ে পরে থাকেন যে; তাদের চোখে সবকিছুতেই সমস্যা মনে হয়। সব কিছুতেই সন্দেহ বা দোষ খুজে পায়। আমরা এসব নিয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যায় করব না ইন শা আল্লাহ

Hope

16 Nov, 09:14


মানুষ যদি বুঝত, বেশি বেশি দুরুদ পড়ার কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কতটা প্রিয় হওয়া যায়, তাহলে দিনমান শুধু দুরুদ পড়েই কাটাত।

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়ালা আলিহি ওয়াআসহাবিহী ওয়াসাল্লামা তাসলিমান কাসীরা।

Hope

15 Nov, 16:52


গতকাল থেকে মাদরাসা বন্ধ হয়েছে। সব ছাত্র বাড়িতে চলে গেছে। আমি মাদরাসার সাথেই বাসা নিয়ে থাকি। আজকে জুমার পরে এক ছাত্র এলো। মনটা খুব খারাপ। বললাম কী ব্যাপার? বলল, একটা বিষয়ে পরামর্শ করার জন্য এসেছি। কী বিষয়? ছেলেটা খুব আক্ষেপ নিয়ে বলল, আমার বাবা আমাকে মাদরাসায় পড়াচ্ছেন। আমার বাবার টাকায় পড়াশোনা করে আল্লাহ আমাকে হাফেজ বানিয়েছেন। এখন কিতাবখানায় পড়ছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমার বাবা এখনো নামাজ পড়েন না! তো বাবার পেছনে কিভাবে মেহনত করতে পারি?

বললাম, দেখো তোমার বাবার মন মানসিকতা নিশ্চয়ই ভালো। মনের মধ্যে কোন শয়তানী থাকলে তোমাকে মাদরাসায় পড়াতেন না। তোমার মাদরাসায় পড়ার খরচ দিতেন না। কিন্তু শয়তানের কোন ধোঁকায় পড়ে হয়তো নামাজ পড়তে পারছেন না। তাই এক্ষেত্রে উনাকে নসিহত করে অথবা নামাজ না পড়ার শাস্তি সংক্রান্ত আয়াত হাদিস শুনিয়ে বিশেষ ফায়দা হবে বলে মনে হয় না।

তুমি এক কাজ করতে পারো। এটা অত্যন্ত ফলপ্রসু একটি আমল। অনেক পরীক্ষিত একটা আমল। তুমি আজকে থেকে বাসায় রাতে তাহাজ্জুদে উঠবে। তাহাজ্জুদে সুন্দর করে সুর করে তেলাওয়াত করবে। যেন তোমার বাবার কানে তোমার তেলাওয়াতের আওয়াজ যায়। নামাজ শেষে খুব কান্নাকাটি করে তোমার বাবার হেদায়েতের জন্য দোয়া করবে। যেন সেই কান্নার আওয়াজ এবং দোয়ার কথাগুলো তোমার বাবার কানে যায়।

আর আজকে থেকে যতদিন তুমি বাড়িতে আছো, মাদরাসা বন্ধ আছে, তোমার বাবাকে কোন কামকাজ করতে দিবে না। বাজার সদাই থেকে শুরু করে তোমার বাবার সব কাজ তুমি করে দিবে। বাজার করে বাবার কাছে পাই টু পাই হিসাব বুঝিয়ে দিবে। এমনকি বাবার জামা কাপড়ও তুমি ধুয়ে দিবে। বাবার খুব খেদমত করো। এরপরে নামাজের সময় হলে বাবাকে খুব অনুনয় বিনয় করে, মায়া মহব্বত করে বল, বাবা চলেন নামাজটা পড়ে আসি।

তোমার বাবা হয়তো ভাববেন, এতদিন মসজিদে যাই নাই, নামাজ কালাম পড়ি নাই; এখন গেলে মানুষ কী মনে করবে? কী ভাববে? সে ক্ষেত্রে তোমার বাবাকে বুঝাও, দেখেন বাবা আপনি মারা গেলে আপনার কবরে আপনাকে একাই যেতে হবে। আপনার পুলসিরাত আপনাকে একাই পার হতে হবে। কেউ আপনার সাথে কবরে যাবে না। সুতরাং কে কী বলল, না বলল সেদিকে তাকিয়ে লাভ নেই। প্রয়োজনে মহল্লার মসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদে নিয়ে যাও। যেতে রাজি না হলে বেশি জোরাজুরি করার দরকার নেই। এইবেলা রাজি না হলে দুয়েক বেলা পরে আবার বল। আর ওই কাজগুলো করতে থাকো। ইনশাআল্লাহ হেদায়েতের মালিক আল্লাহ।

আমার পাঠকদের অনেকের বাবা মা অথবা স্বামী স্ত্রীর অবস্থা এমন হয়ে থাকতে পারে। তাদের জন্য পরামর্শটি শেয়ার করলাম। - কালেক্টেড

Hope

15 Nov, 14:35


উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদের পিতা-পিতামহের নামে কসম করতে নিষেধ করেছেন। ‘উমার (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্‌র কসম! যখন থেকে আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ কথা বলতে শুনেছি, তখন থেকে আমি স্বেচ্ছায় বা ভুলক্রমে তাদের নামে কসম করিনি।

[বুখারী পর্ব ৮৩ অধ্যায় ৪ হাদীস নং ৬৬৪৭; মুসলিম ২৭/১, ১৬৪৬] আল লু'লু ওয়াল মারজান, হাদিস নং ১০৬৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

Hope

14 Nov, 17:16


📌 জুম'আ রিমাইন্ডার

শুক্রবারের আমলঃ
https://t.me/Hope24hours/3189
দুরুদ পড়ার গুরত্বঃ
https://t.me/Hope24hours/987
সবার আগে মসজিদে এলে যে সাওয়াবঃ https://t.me/Hope24hours/3935

Hope

13 Nov, 17:12


رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِير

অর্থ: ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস: ২৪)


আপনার জীবনে যে জিনিসটা খুব প্রয়োজন, কিন্তু কোনোভাবে পাচ্ছেন না। তাহলে উত্তম কিছুর নিয়ত করে এ দুআটা বেশি বেশি করবেন ইন শা আল্লাহ। সাথে বিপদের দুআ, ইস্তেগফার,দরুদ শরীফ এর আমল ও করবেন।

Hope

13 Nov, 15:10


আয়াতুল কুরসির ফজিলতঃ

১। আয়াতুল কুরসি কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত। [ আবু দাউদ - ১৪৬০ ]

২। আয়াতুল কুরসি কুরআনের প্রধান আয়াত । [ তিরমিজি ২৮৭৮ ]

৩। আয়াতুল কুরসির দুটি ঠোঁট ও জিহবা আছে যার মাধ্যমে এই আয়াত সদা সর্বদা আল্লাহ তা'আলার পবিত্রতা বর্ণনা করতে থাকে। । [ মাজমাউজ যাওয়ায়েদ - ৬/৩২৪ ]

৪। সূরা বাক্বারার ২৫৫ নম্বর আয়াত অর্থাৎ আয়াতুল কুরসি এবং সূরা আল ইমরানের ২ নম্বর আয়াতে ইসমে আযম আছে অর্থাৎ যার উসিলায় দুয়া করলে দুয়া কবুল হয়। [ তাখরিজুল মুসনাদ ২৭৬১১ ]

৫। প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে মৃত্যু ছাড়া পাঠকারী আর জান্নাতের মাঝে আর কোন বাধা থাকবেনা [ আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নাসায়ী, হাদীস ১০০ ]

৬। যে আয়াতুল কুরসি সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত আমাদের (অনিষ্ট) থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকবে। আর যে সকালে পড়বে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের (অনিষ্ট) থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকবে। [ সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৭৮৪; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ২০৬৪ ]

---- শাইখ আরিফ বিন হাবিব হাফিযাহুল্লাহর বয়ান থেকে সংগৃহীত

Hope

13 Nov, 08:13


একজন মুসলিম বিয়ে করেন একজন খ্রিস্টান নারীকে।

বিয়ের কয়েক মাস পর সেই যুবক ভালোভাবে দ্বীনের বুঝ পান, তিনি দ্বীন মানা শুরু করেন।

তখন তার ইচ্ছে হলো, তার স্ত্রীও যদি মুসলিম হতেন!

তিনি একজন আলেমের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “আমার স্ত্রী খ্রিস্টান। আমি চাই তাকে ইসলামের দাওয়াত দিতে। তার মধ্যে যে ভুল বিশ্বাস আছে, সেটা তুলে ধরতে। আমি কী কী পড়তে পারি বা কী কী বই তাকে দিতে পারি?”

সেই আলেম তাকে বললেন, “আপনি স্ত্রীকে কিছু না পড়িয়ে নিজে রাসূলুল্লাহ ﷺ –এর সীরাত পড়ুন। স্বামী হিসেবে তিনি (অর্থাৎ রাসূল সাঃ) কেমন ছিলেন সেটা জানার চেষ্টা করুন। সেভাবেই আপনার স্ত্রীর সাথে আচরণ করুন।”

ইমাম সাহেবের উত্তর তিনি বুঝতে পারেননি। তারপরও সেই কথার ওপর আমল করেন।

স্ত্রীর প্রতি আন্তরিক আচরণ করেন, তাকে সহযোগিতা করেন, তার সাথে কটু কথা বলেন না, তাকে গিফট দেন।

সেই মেয়েটার কাছে এমন ব্যবহার ছিলো অদ্ভুত। তারা তো প্রেম করে বিয়ে করেছেন। আগে তো স্বামী এতো কেয়ারিং ছিলো না, এমনকি বিয়ের পরও না। হঠাৎ কেনো সে এমন হয়ে গেলো? এতো ভালো স্বামী?

তিনি জিজ্ঞেস করলে সেই স্বামী বললেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ –এর আদর্শে উজ্জীবিত হয়েই তিনি এমনটা করছেন।

একদিন সেই যুবক নামাজ পড়ার জন্য দাঁড়িয়েছেন। তিনি দেখতে পেলেন তার সেই খ্রিস্টান স্ত্রী তার পাশে এসেছে হিজাব-আবৃত হয়ে।

স্ত্রী বললো, “আমি তো জানি স্বামী-স্ত্রী জামআতে নামাজ পড়তে পারে। Can you lead the prayer?”

সেই যুবক তখন বুঝতে পারেন আলেমের প্রজ্ঞা।

ডিবেট করে অন্যের ভুল তুলে ধরে কাউকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার চেয়েও সহজ হলো আচরণের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াত। যুগে যুগে এই পদ্ধতিতেই বেশি মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছে। - কালেক্টেড

Hope

12 Nov, 23:58


কুরআনুল কারীমের দুটি আয়াত, যা পড়লে আমরা লজ্জিত হতে বাধ্য :

"আমি যখন মানুষের উপর কোনো অনুগ্রহ করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং উল্টা দিকে ধাবিত হয়। আবার যখন কোনো বিপদ এসে তাকে স্পর্শ করে তখন সে দীর্ঘ দোয়া নিয়ে আমার কাছে হাজির হয়।"

(সুরা-হামীম সিজদাহ। আয়াত-৫১।)

“মানুষের অবস্থা হচ্ছে যখন সে কোনো কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয় তখন সে দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আমাকে ডাকে। কিন্তু যখন আমি তার বিপদ দুর করে দিই তখন সে এমনভাবে চলতে থাকে যেনো সে কখনও তার নিজের কোনো খারাপ সময়ে আমাকে ডাকেইনি। ঠিক তেমনিভাবে সীমা অতিক্রমকারীদের জন্য তাদের কার্যক্রমকে সুশোভন করে দেওয়া হয়েছে।”

(সুরা ইউনুস।আয়াত-১২।)

An Nahyan Khan Zeeshan vai