বরকতময় রমাদান @ramadanreminder Channel on Telegram

বরকতময় রমাদান

@ramadanreminder


রমাদান বিষয়ে লেখনী সমূহ একত্রে সহজ প্রাপ্য করার উদ্দেশ্যে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান (Bengali)

বরকতময় রমাদান চ্যানেলটি রমাদান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ছোট লেখনী সমূহ সহজেই অ্যাক্সেস করার জন্য উদ্দেশ্য করে। এই চ্যানেলে রমাদান মাসের প্রতিটি দিনের সঠিক পদ্ধতিতে পালন করতে সহায়ক লেখনী, মেসেজ, ওয়াজ, আয়াতের ভিডিও, ওয়াজিদের ভিডিও, ভক্তি পর্ব, এবং আরও অনেক কিছু পাওয়া যাবে। ক্ষুদ্র প্রয়াসে রমজান মাসের মাহকে আরো সুন্দর করার চেষ্টা করছে 'বরকতময় রমাদান' চ্যানেল। আরও অনেক কিছু জানতে, https://t.me/RamadanReminder এ যোগদান করুন।

বরকতময় রমাদান

05 Feb, 01:02


শবে বরাত ( লায়লাতুন নিসফি মিন শাবান ) সংক্রান্ত লেখনী বিষয়ক সম্পূর্ণ একক চ্যানেল।
https://t.me/Shab_e_Barat

বরকতময় রমাদান

04 Feb, 18:28


ধূলিমলিন উপহার: রামাদান
সিরিজের সকল পর্ব ( মোট ২৮ পর্ব )

পর্ব ১ – নফস কে শেকল বদ্ধ করুন

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/86

পর্ব ২ – আল্লাহর প্রতি আমাদের আকাঙ্ক্ষা

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/89

পর্ব ৩ – শুধু আমার রব জানেন

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/92

পর্ব ৪ – সাওম শুধু আমার ই জন্য

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/95

পর্ব ৫ – রামাদানে নারীরা

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/98

পর্ব ৬ – রামাদানের সুবাস নিন

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/101

পর্ব ৭ – শুরু হোক প্রতিযোগিতা

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/104

পর্ব ৮ – ফিরে যাওয়া আল্লাহর কাছে

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/107

পর্ব ৯ – আল্লাহর কাছে কাঁদা

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/110

পর্ব ১০ – তিনি তো ফিরিয়ে দেবেন না

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/113

পর্ব ১১ – যে দু’আ বৃথা হবার নয়

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/116

পর্ব ১২ – দু’আ সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/119

পর্ব ১৩ – ভুলে যাওয়া সুন্নাহ

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/122

পর্ব ১৪ – কুরআনকে বন্ধু বানান

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/125

পর্ব ১৫ – আল-কুরআনের শক্তি এবং প্রভাব

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/128

পর্ব ১৬ – এক দিরহাম দান হাজার দিরহাম সওয়াব

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/131

পর্ব ১৭ – সিয়ামের স্বাদ

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/134

পর্ব ১৮ – ভুলে যাওয়া ইতিহাস আন্দালুস বিজয়

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/137

পর্ব ১৯ – ইতি’কাফ আল্লাহর ঘরে, আল্লাহর সাথে

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/140

পর্ব ২০ – লাইলাতুল ক্বদর

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/143

পর্ব ২১ – আইন জালুতের যুদ্ধ

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/146

পর্ব ২২ – আইন জালুতের বিজয়

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/149

পর্ব ২৩ – জিহবার সংযম পর্ব ১

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/163

পর্ব ২৪ – জিহবার সংযম পর্ব ২

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/164

পর্ব ২৫ – জিহবার সংযম পর্ব ৩

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/165

পর্ব ২৬ – ইযযাহ মর্যাদা কেবল ইসলামে পর্ব ১

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/168

পর্ব ২৭ – ইযযাহ মর্যাদা কেবল ইসলামে পর্ব ২

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/169

পর্ব ২৮ – বিদায় রামাদান

https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/172

#Ramadan

বরকতময় রমাদান

03 Feb, 23:10


❝ পরকালের পথে যাত্রা ❞
সিরিজের সকল পর্বের লিঙ্ক ( মোট ২২ পর্ব  )

পর্ব ১ – মৃত্যু

https://t.me/RamadanReminder/2327

পর্ব ২ – মন্দ সমাপ্তির কারণ

https://t.me/RamadanReminder/2328

পর্ব ৩ – রুহের যাত্রা

https://t.me/RamadanReminder/2329

পর্ব ৪ – কিয়ামতের ছোট লক্ষণ (১-৭)

https://t.me/RamadanReminder/2330

পর্ব ৫ – কিয়ামতের ছোট লক্ষণ (৮-১৮)

https://t.me/RamadanReminder/2331

পর্ব ৬ – কিয়ামতের ছোট লক্ষণ (১৯-৩৮)

https://t.me/RamadanReminder/2332

পর্ব ৭ – কিয়ামতের ছোট লক্ষণ (৩৯-৫২)

https://t.me/RamadanReminder/2333

পর্ব ৮ – কিয়ামতের প্রধাণ দশ আলামত (১)

https://t.me/RamadanReminder/2334

পর্ব ৯ – কিয়ামতের প্রধাণ দশ আলামত (২)

https://t.me/RamadanReminder/2335

পর্ব ১০ – কিয়ামতের প্রধাণ দশ আলামত (৩)

https://t.me/RamadanReminder/2336

পর্ব ১১ – পুনরুত্থান

https://t.me/RamadanReminder/2337

পর্ব ১২ – কেমন হবে কাফেরদের কিয়ামত

https://t.me/RamadanReminder/2338

পর্ব ১৩ – কেমন হবে গুনাহগারদের কিয়ামত

https://t.me/RamadanReminder/2339

পর্ব ১৪ – কেমন হবে মুত্তাকিদের কিয়ামত

https://t.me/RamadanReminder/2340

পর্ব ১৫ – কিয়ামতের পরিচয়

https://t.me/RamadanReminder/2341

পর্ব ১৬ – জবাবদিহিতা

https://t.me/RamadanReminder/2342

পর্ব ১৭ – কেমন হবে জাহান্নাম

https://t.me/RamadanReminder/2343

পর্ব ১৮ – জাহান্নামের বাসিন্দা

https://t.me/RamadanReminder/2344

পর্ব ১৯ – জান্নাতী বনাম জাহান্নামী

https://t.me/RamadanReminder/2345

পর্ব ২০ – জান্নাত-ভ্রমণ

https://t.me/RamadanReminder/2346

পর্ব ২১ – কেমন হবে জান্নাত

https://t.me/RamadanReminder/2347

পর্ব ২২ – জান্নাতের বাসিন্দারা

https://t.me/RamadanReminder/2348

বরকতময় রমাদান

02 Feb, 19:04


রমাদান আসার আগে
" ইমাম আবু নাওয়ার আল আওলাকী রাহিমাহুল্লাহ " এর বিখ্যাত লেকচার সিরিজ The Hereafter Series এর বাংলা ডাবিং
পরকালের পথে যাত্রা ❞ -
( সকল লেকচার লিঙ্ক একত্রেঃ
https://t.me/RamadanReminder/2350 )
এবং
" শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ " এর
ধূলিমলিন উপহারঃ রমাদান ❞ -
( সকল লেকচার লিঙ্ক একত্রেঃ
https://t.me/ShaikhAhmadMusaJibril/173 )
লেকচার সিরিজ দুইটা শুনে শেষ করা যেতে পারে।

আত্মশুদ্ধি মূলক ফায়দা হবে ইন শা আল্লাহ।
( ব্যক্তিগত নসিহত )

বরকতময় রমাদান

02 Feb, 19:04


প্রশ্নঃ শরিয়ত অনুমোদিত এমন কিছু বিশেষ বিষয় কি আছে,যা দিয়ে একজন মুসলিম রমাদানকে স্বাগত জানাতে পারে?

উত্তরঃ
আলহামদু লিল্লাহ।
মাহে রমাদান বছরের সবচেয়ে উত্তম মাস। কেননা আল্লাহ্‌ তাআলা এ মাসে সিয়ামকে ফরয করে, ইসলামের চতুর্থ রুকন বানিয়ে এ মাসকে বিশেষত্ব দিয়েছেন। এ মাসের রাতে কিয়াম পালন করার বিধান জারী করেছেন।
যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
" ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর নির্মিত- এই সাক্ষ্য প্রদান করা যে,
আল্লাহ্‌ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহ্‌র রাসূল (বার্তাবাহক),
সালাত প্রতিষ্ঠা করা,
যাকাত প্রদান করা,
রমাদানের সিয়াম রাখা এবং বায়তুল্লাহ্‌র হজ্জ আদায় করা। "
[ সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম ]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেনঃ
" যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবপ্রাপ্তির আশায় রমাদান মাসে কিয়াম পালন করবে,তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। "
[ সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম ]

রমাদান মাসকে স্বাগত জানানোর জন্য বিশেষ কিছু আছে মর্মে আমি জানি না।
তবে একজন মুসলিম রমাদানকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সাথে, আগ্রহ-উদ্দীপনার সাথে এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সাথে গ্রহণ করবে;যেহেতু তিনি তাকে রমাদান পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন, তাওফিকপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং জীবিতদের মধ্যে রেখেছেন যারা নেক আমলের ক্ষেত্রে পরস্পর প্রতিযোগিতা করে।
যেহেতু রমাদানে উপনীত হতে পারা আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে একটি মহান নেয়ামত,এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবীদেরকে রমাদান আগমনের সুসংবাদ দিতেন রমাদানের মর্যাদা তুলে ধরার মাধ্যমে এবং আল্লাহ্‌ তাআলা রোযাদার ও সালাত গুজারদের জন্য যে মহান সওয়াব প্রস্তুত রেখেছেন - তা বর্ণনা করার মাধ্যমে।
শরিয়ত একজন মুসলিমের জন্য অনুমোদন করে যে-
তিনি এই মহান মাসটিকে স্বাগত জানাবেন খালিস তাওবার মাধ্যমে,

সিয়াম ও কিয়ামের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করার মাধ্যমে,
নেক নিয়ত ও দৃঢ় সংকল্পের সাথে।
[সমাপ্ত]

[ ফাদিলাতুশ শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায রাহিমাহুল্লাহর " মাজমুউ ফাতাওয়া ওয়া মাকালাত মুতানাওয়্যিয়া। "
(১৫/৯) ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Feb, 19:03


রমজানের প্রস্তুতি

১) আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুলের মানসিকতা গড়ে তুলব।ছোট-বড় প্রতিটি বিষয়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার অভ্যেস গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবো।বেশি বেশি দোয়া করব।দোয়ায় যথাসম্ভব কাকুতিমিনতি করব।
দোয়ায় বলবঃ
ইয়া রব!
দয়া করে,মায়া করে,আমাকে ইবাদত করার তাওফিক দান করুন।
আপনার আনুগত্যের পথে যাবতীয় বাধা-প্রতিবন্ধকতা যেন দূর করে দিন,আমিন।

২) নিজেকে বারবার মনে করিয়ে দিবো,বারবার সংকল্প করবঃ
শাবান ও রমজানে সম্ভাব্য একটা নেকআমলও যেন বাদ দিবো না,ইন শা আল্লাহ।শাবান ও রমজানের যাবতীয় কল্যাণ অর্জনে সচেষ্ট থাকব,ইন শা আল্লাহ।

৩) এখন থেকে আমার রুটিন হবে এমনঃতাওবা,ইস্তেগফার,সিয়াম,কেয়াম (তারাবি-তাহাজ্জুদ),কুরআন তিলাওয়াত,দানসদকা,বেশি বেশি নেকনিয়ত,২৪ ঘণ্টার যাবতীয় ফরজ, ওয়াজিব,মাসনুন আমল।ইন শা আল্লাহ।

৪) ছোটবড় সব ধরণের গুনাহ এড়িয়ে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখব। মন্দ অভ্যেসগুলো খুঁজে চিহ্নিত করে দূরীকরণে মরিয়া হয়ে উঠব।ইনশা আল্লাহ।

৫) মসজিদ ও জামাতে হাজির হওয়ার ব্যাপারে অনীহাকে বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় দিবো না।কোনো অবস্থাতেই সলাতকে সঠিক সময়ের পরে যেতে দিবো না।সলাত আদায়ে অত্যন্ত তৎপর হবো।ইন শা আল্লাহ।

৬) বিভিন্ন ক্ষেত্রের মাসনুন আমলগুলো খুঁজে খুঁজে পালন করব। খাবারের,হাম্মাম-বাথরূমের, মসজিদের,বাজারের,গৃহে প্রবেশ ও বের হওয়ার,পাঁচ নামাজের পরের, সকাল-সন্ধ্যার,ঘুমের আগে ও পরের।ইন শা আল্লাহ।

৭) অবশ্যই অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ কুরআন তিলাওয়াত করব।বুঝে বুঝে একখতম কুরআন তিলাওয়াত করবো।না বুঝলেও যত বেশি সম্ভব তিলাওয়াত করব।না বুঝলে বেশি বেশি তিলাওয়াত করার পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত একটা আয়াত হলেও বোঝার চেষ্টা করব।ইন শা আল্লাহ।

৮) প্রতিদিন অন্তত একটি আয়াত হলেও হিফজ করার জানতোড় মেহনত করব।হিফজ করার আয়াতগুলো সুন্নতে-নফলে-তাহাজ্জুদে পড়ব।ইন শা আল্লাহ।

৯) তাজকিয়া নাফস বা আত্মিক পরিশুদ্ধির ক্ষেত্রে আমার মেহনত হবে দুইভাবেঃ

ক) তাহাল্লি (التحلي) সজ্জিতকরণ। খুঁজে দেখব,আমার মধ্যে কোন কোন গুণের অভাব আছে।আমি কোন কোন ইবাদত করি না।সেগুলো নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করব।ইন শা আল্লাহ।

খ) তাখাল্লি (التخلي) বিসর্জন।
আমার মধ্যে যেসব বদখাসলত আছে,কু-প্রবৃত্তি আছে,সেগুলোকে শেকড়বাকড়সহ উপড়ে ফেলে দিবো। নিজেকে সব ধরণের ‘কু’ থেকে অবমুক্ত করার জন্য রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠবো।ইন শা আল্লাহ।

১০) রমজান বিষয়ক আয়াতে কারিমা ও হাদিস শরিফ পড়ব। সালাফ রমজান কিভাবে কাটাতেন, সেটা জানার চেষ্টা করব।নিয়মিত ফাজায়েলে রমজান পড়ব।ইন শা আল্লাহ।

১১) ভালো একটা মসজিদ বেছে নিয়ে,সব ধরণের বাধাবিপত্তির বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ করে হলেও ত্রিশদিন তারাবিতে অংশ নিয়ে, নামাজে একটা খতম শুনব।ইন শা আল্লাহ।

১২) কুরআনের দোয়াগুলো মুখস্থ করে ফেলব।সম্ভব হলে অর্থসহ। নিয়মিত মুনাজাতে পড়ব। সুন্নত-নফলের সিজদা ও শেষবৈঠকে দোয়াগুলো পড়ব।ইন শা আল্লাহ।

১৩) দোয়া ও জিকির মুখে মুখে রাখব।হাতে কাজ করব,মুখে জিকির জারি রাখব।উঠতে বসতে, শয়নে-স্বপনে-জাগরণে জিকির করব।দুরূদ শরিফ পড়ব।ইস্তেগফার করব।কুরআনি দোয়াগুলো পড়ব। বিশেষ করে নতুন হিফজ করা আয়াতগুলো বারবার পড়তে থাকব।ইন শা আল্লাহ।

১৪) নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, পাড়া-প্রতিবেশি-বন্ধুবান্ধবের জন্য আলাদা আলাদা আমলি রুটিন বানানোর চেষ্টা করব।এতে করে আমার চারপাশে আমলের পরিবেশ সৃষ্টি হবে।আমল করা সহজ হয়ে যাবে।একে অপরকে আমলের তাগিদ দিবো।একে অপরের কাছ থেকে আমলের হিসেব নিবো।সম্ভব হলে পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখব।ইন শা আল্লাহ।

১৫) সম্ভব হলে পুরো কুরআনের আরবি আয়াত তিলাওয়াতের পাশাপাশি তরজমা পাঠেরও একটা খতম দেয়ার চেষ্টা করব।ইন শা আল্লাহ।

১৬) গুনাহের সম্ভাবনাময় ব্যক্তি-বস্তু-স্থানকে শতভাগ বয়কট করার চেষ্টা করব।গুনাহের সব পথ বন্ধ করার নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা গ্রহণে সুতা পরিমাণ ফাঁক-ফাটল রাখব না। বিশেষ করে নজরের হেফাজত করার ব্যাপারে কোনো আপস করা চলবে না। ইন শা আল্লাহ।

১৭) সবসময় মনে রাখব,আমার নিজের কোনো ক্ষমতা নেই।আল্লাহ তাআলার তাওফিক ছাড়া আমার একার পক্ষে গুনাহ থেকে বাঁচা, নেককাজ করা মোটেও সম্ভব নয়। তাই নিয়মিত আল্লাহর তাওফিক কামনা করব।
নিয়মিত পড়বঃলা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম।

১৮) আমি নিজেকে যতবেশি ছোট করে,ক্ষুদ্র-তুচ্ছ-নগন্য মনে করে আল্লাহ তাআলার কাছে চাইতে পারব,রাব্বে কারিম আমার প্রতি অনুগ্রহ করার নিশ্চয়তা ততবেশি বাড়বে।

১৯) পুরো রমজানে আমার নামাজের গুণগত মান ও পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করব।আগের তুলনায় রমজানে আমার নামাজ যেন আরো বেশি খুশুখুজু,বিনয়নম্রতাপূর্ণ হয়।ইন শা আল্লাহ।

২০) ইয়া আল্লাহ!
আমাদের কাছে রমজান পৌঁছে দিন। রমজানে আপনার পছন্দনীয় আমল করার তাওফিক দান করুন।রমজানে আপনার অপছন্দনীয় কাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন।উপরের আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন।আরো যা যা দরকার সেগুলোও পালন করার তাওফিক দান করুন।আমীন।

- শাইখ আতিক উল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
#Shaban
#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Feb, 19:02


শাবান থেকে প্রস্তুতিমূলক দৌড় শুরু করলে, রমজানে ইবাদতে সহজে গতি আনা যায়। রমজানের আগমনি সুসংবাদ প্রচার করা সুন্নত।

- শাইখ আতিক উল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

#Shaban
#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Feb, 19:02


“ যেকোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের ভালো প্রস্তুতি মানেই কাজের অর্ধেক পূর্ণতা। যেকোন গুরুত্বপূর্ণ বা বড় কাজ আগে থেকে ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহন করা হয় তবে সেই কাজটি অর্ধেক পরিপূর্ণতায় পৌছে যায়।
আর প্রস্তুতি যদি যেনতেন থাকে তবে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজই পূর্ণতায় পৌছাতে পারেনা।

রমদানুল কারীম আল্লাহ্‌ সুবহানু ওয়াতালার পক্ষ থেকে এত বিশাল অফারের ভান্ডার নিয়ে উপস্থিত হতে যাচ্ছে সেই রমদানুল কারিমকে সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হলে এখন থেকে সর্বোত্তম প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে।
আল্লাহর কোনো বান্দা যেকোন কাজ যদি করে  যদি তা যথাযথ ভাবে করে ভালভাবে করে ,উত্তম উপায়ে করে তো সেই জিনিসটি আল্লাহ্‌ পছন্দ করেন। যেনতেন ভাবে কোন কাজ করলে আল্লাহ্‌ তা পছন্দ করেন না।আপনার আমার রমদান আমাদের রমজান সুন্দর ভাবে কাটবে কখন ! যদি আমরা তার ভালোভাবে আগে থেকে প্রস্তুতি নি ইবাদত বন্দেগি করার জন্য।আর তখনি ওইটাকে ভালোভাবে করা যাবে ,আর আল্লাহ্‌ তায়ালার প্রিয় পাত্র হওয়া সহজ হবে।

সে জন্য প্রিয় ভাই ও বন্ধুগন সেজন্য রমদানের প্রস্তুতির জন্য ১১ টি প্রস্তুতির কথা বলতে চাই যা আমাদেরকে সহায়তা করবে  রমজান মাসকে সুন্দর ভাবে কাটানোর জন্য। যে উদ্দেশ্যে আল্লাহ্‌ তায়ালা রমদান দিয়েছে, যে উদ্দেশ্যে আল্লাহ্‌ তায়ালা সিয়াম দিয়েছেন , তাকওয়া পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য আমারা অগ্রসর হও্যার জন্য এই ১১ টি পরামর্শ ইন শা আল্লাহ কাজে আসবে।

১) তওবা ও ইসতেগফার করা।
( আগের গোনাহ থেকে মুক্ত হওয়া যাতে আল্লাহর সাথে দুরত্ব কমে যায়।ও নতুন জীবন গড়ার সংকল্প করা )

২) কুরান ও সুন্নাহে  রমজান বিষয়ক যেসব ফজিলত ও উপকারিতার কথা বলা হয়েছে সেগুলা পড়া, জানা ,আলোচনা করা এবং কল্পনা করা ( বার বার স্মরন করা ও নিজিকে নিজে বলা - হে আমার প্রবৃত্তি, যে রমজান আসছে এ রমজান আমার জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ, এ রমদান আল্লাহকে সব থেকে বেশি সন্তুষ্ট করার সর্বোত্তম উপায় , এ রমজান জান্নাতের বিশেষ  গেট দিয়ে প্রবেশের এক সুবর্ণ সুযোগ, এ রমজান আমার পূর্বের গোনাহগাথাকে মাফ করার উপায়। )

৩) ক্ষমা ও সওয়াব লাভের জন্য পাক্কা নিয়াত করা।

৪) গত কোনো কাজা সিয়াম থাকলে তা রমজান আসার পূর্বে আদায় করা।

৫) রমজান মাসে আল্লাহ্‌ যে সাধারন ক্ষমা করে থাকেন, এ ক্ষমা পেতে শিরক ও হিংসা থেকে মুক্ত থাকা।

৬) রমদান ও সিয়াম সম্পর্কিত সকল মাসলা মাসায়েল সম্পর্কে জানা।

৭) গত রমাদান কি কি কারনে ভালোভাবে কাটানো সম্ভব হয়নি, কি কারনে আমল এর ত্রুটি ছিল সেগুলোকে বের করা ও সংশোধন করা।

৮) রমজানের যে গুরুত্বপূর্ণ আমল আছে সুগুলোকে শাবান মাস থেকে অনুশীলন করা। যেমনঃ নফল সিয়াম রাখা, কুরান পড়া  বেশি বেশি, দান সদাকা ইত্যাদি।

৯) রমদান মাসের ২৪ ঘন্টার রুটিন তৈরি করা।

১০) শাবান মাসের শেষ দিকে ২৯ তারিখে সাধ্যমত  চাঁদ দেখার চেষ্টা করা ও নতুন চাঁদ দেখার দোয়া পাঠ।

১১) আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা রমজানের নেক আমলগুলো ভালোভাবে করার তৌফিক চেয়ে। ”

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Feb, 19:01


রামাদ্বান মাসকে স্বাগতম জানাবেন কিভাবে?

শায়খ মুহাম্মাদ আমীন শানক্বীতীকে প্রশ্ন করা হল,
রামাদ্বান মাসকে স্বাগতম জানানোর বিষয়ে আমাকে কিছু নসীহত করুন।

তিনি বললেন,
নেককর্মের মওসূমকে স্বাগতম জানাতে হয় ‘বেশী বেশী ইস্তেগফার’ দ্বারা।
কেননা গুনাহের কারণেই বান্দা ইবাদতের তাওফীক থেকে বঞ্চিত হয়।


যে ব্যক্তির অন্তর ‘ইস্তেগফার’কে আঁকড়ে থাকবে,তার অন্তর পরিশুদ্ধ হবে।
সে যদি দুর্বল হয় শক্তিশালী হবে, অসুস্থ হলে আরোগ্য লাভ করবে, বিপদগ্রস্থ হলে নিরাপত্তা লাভ করবে, দিশেহারা থাকলে হেদায়াত লাভ করবে,
সংকীর্ণ অবস্থায় থাকলে প্রশস্থতা লাভ করবে।


কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তিরোধানের পর ‘ইস্তেগফার’ হচ্ছে আমাদের নিরাপত্তা লাভের গ্যরান্টি।

ইমাম ইবনে কাসীর রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

যে ব্যক্তি ‘সর্বদা ইস্তেগফার’ দ্বারা নিজেকে বৈশিষ্টমণ্ডিত করতে পারবে, আল্লাহ তার রিযিক সহজ করে দিবেন,
তার সকল কাজকে সাবলিল করে দিবেন,

তার সকল বিষয়কে সংরক্ষণ করবেন।


ওমার বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

আকাশ থেকে যদি বজ্রপাতও হয়,
তবু ইস্তেগফারপাঠকারী আক্রান্ত হবেনা।


আসুন সবাই পাঠ করি,

ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻲَّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮﻡَ ﻭَﺃَﺗُﻮﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ

'আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি।'

অর্থাৎ - আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব। তিনি নিখিল সৃষ্টির পরিচালক। আমি তার কাছেই ফিরে যাব।

বিশিষ্ট সাহাবি জায়েদ (রা.) বর্ণনা করেন,
নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন,
যে ব্যক্তি এ দোয়াটি পাঠ করবে,
তার ( জীবনের ) সব গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।
[ সুনান আবু দাউদঃ ১৫১৯,জামে আত তিরমিযীঃ ৩৫৭৭ ]

- সংগৃহীত

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Feb, 18:57


https://t.me/RamadanReminder/3538

বরকতময় রমাদান

02 Feb, 03:32


উবাদাহ ইবনু সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

রমাদান আসলে রাসূলুল্লাহ ﷺ এই দু’আ পড়তেন —

اَللَّهُمَّ سَلِّمْنِي لِرَمَضَانَ وَسَلِّمْ رَمَضَانَ لِي وَتَسَلَّمْهُ مِنِّي مُتَقَبَّلاً

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লিমনি লি-রামাদ্বানা ওয়া সাল্লিম রামাদ্বানা লি ওয়া তাসাল্লামহু মিন্নি মুতাক্বাব্বালা।

অর্থঃ হে আল্লাহ!
আমাকে শান্তিময় রমাদান দান করুন।
রমাদানকে আমার জন্য শান্তিময় করুন।
রমাদানের শান্তিও আমার জন্য কবুল করুন।

[ কিতাবুদ দু’আ — ত্বাবারানি;
হায়াতুস সাহাবাহ্, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৮২ ]

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Feb, 03:32


কোন কোন সালাফ বলতেন ,

اللهم سلمنى لرمضان وسلم رمضان لى وتسلمه منى متقبلا

হে আল্লাহ!
আমাকে রমাদ্বান পর্যন্ত নিরাপদে পৌঁছিয়ে দেন, রমাদ্বানকে আমার পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেন এবং আমার কাছ থেকে তা কবুল করুন ।


#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Feb, 03:32


ইমাম ইবনু রজব (রহ) বলেন ,

“ কোন কোন সালাফ আল্লাহর কাছে রমাদানের ছয়মাস আগে থেকে দুআ করতেন যেন তাদেরকে রমাদান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়,

অতঃপর বাকী ছয়মাস দুআ করতেন যেন তাদের রমাদানের কৃত আমলগুলো কবুল করে নেওয়া হয় । “

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Feb, 03:32


মুআল্লা বিন ফজল বলেন,

“ তাঁরা ( সালাফরা ) ছয় মাস ধরে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করতেন -
তিনি যেন তাদেরকে রমাদান পর্যন্ত পৌঁছে দেন।

অতঃপর ছয় মাস ধরে আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন -
তিনি যেন তাদের পক্ষ থেকে রমাদান ( এর আমলসমূহ ) কে কবুল করেন। ”


ইয়াহইয়া ইবনু আবি কাসির বলেন,

তাঁরা ( সালাফরা ) দোয়ায় বলতেন,
“ হে আল্লাহ!
রমাদান পর্যন্ত আমাকে নিরাপদ রাখো।
হে আল্লাহ!
রমাদানকে আমার জন্য নিরাপদ রাখো।
আমার পক্ষ থেকে রমাদান ( এর আমলসমূহ ) কে কবুল করো। ”

[ লাতাইফ আল মাআরিফ, ( পৃঃ ২৮০ ) ]
#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Feb, 03:31


রমাদানের আর রয়েছে ১ মাস।

চলুন জেনে নেই, আল্লাহ প্রিয় বান্দা কারা?

আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন,

আল্লাহর প্রিয় বান্দা হলো - যারা আল্লাহকে ভালোবাসে এবং যারা আল্লাহর যিকরের জন্য সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র, ছায়া ইত্যাদির হিসাব-নিকাশ রাখে।

[ কিতাবুয যুহদ, ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনু মোবারক রহিমাহুল্লহ ]

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Feb, 03:31


কেমন কাটবে আপনার রমাদান ?

সাওম পালন করার সময় মিথ্যা ও হারাম কাজ থেকে তোমার কান, চোখ, ও জিহবাকে বিরত রাখো।

কাজের লোকদের কষ্ট দেবে না।

সাওমের দিনগুলোতে অবশ্যই ধীরস্থিরতা এবং গাম্ভীর্যের সঙ্গে থাকবে।

সাওমের দিনগুলোকে সাওম না-রাখার দিনগুলোর মতো বানিয়ে ফেলো না।

[ কিতাবুয যুহদ, ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনু মোবারক রহিমাহুল্লাহ ]

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Feb, 12:51


১৪৪৬ হিজরি সালের পবিত্র রমাদান মাসের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি ( ঢাকা জেলার জন্য )

সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Feb, 10:16


রমাদানের আয়োজন _ কীভাবে কাটাবেন মাহে শাবান Shaikh Tamim Al Adnani.m4a

#শাবান
#Shaban
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Feb, 10:16


রামাদানে সহজে কুরআনের দু’টি খতম দেওয়া সম্ভব—ইনশাআল্লাহ্। সেক্ষেত্রে তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।

[এক.]
প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজের আগে অথবা পরে চার পৃষ্ঠা করে পড়া। এতে পাঁচ ওয়াক্তে মোট ৪×৫ = ২০ পৃষ্ঠা (এক পারা) হবে প্রতিদিন। প্রতিদিন এক পারা মানে ৩০ দিনে ৩০ পারা। অর্থাৎ এক মাসে এক খতম হবে ইনশাআল্লাহ্। ৪ পৃষ্ঠার জায়গায় ৮ পৃষ্ঠা করে পড়লেই দুই খতম হয়ে যাবে।

যদি নামাজের আগে ৪ পৃষ্ঠা ও পরে ৪ পৃষ্ঠা করে পড়া হয়, তবে প্রতি ওয়াক্তে হবে ৪×৪ = ৮ পৃষ্ঠা। তাহলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে-পরে হবে ৫×৮ = ৪০ পৃষ্ঠা (দুই পারা)। প্রতিদিন দুই পারা হলে ১৫ দিনে এক খতম হবে এবং এক মাসে দুই খতম হবে ইনশাআল্লাহ্।

[দুই.]
সকাল ৯ টা থেকে ১১ টার মধ্যে ১০ পৃষ্ঠা পড়া। কারণ তখন আমরা মাত্রই ঘুম থেকে উঠি। মন ফ্রেশ থাকে, এসময় তিলাওয়াত করতে ভালোই লাগে। এরপর যোহরের নামাজের পর আরো ১০ পৃষ্ঠা পড়া। কারণ এই সময়টাও যথেষ্ট প্রশস্ত। তাহলে ১০+১০ = ২০ পৃষ্ঠা, অর্থাৎ এক পারা হবে প্রতিদিন। 

যদি এর সাথে সংযুক্ত করতে চাই, তবে আসরের পর ৮ পৃষ্ঠা, মাগরিবের পর ৪ পৃষ্ঠা, ইশার পর (ঘুমানোর পূর্বে) ৪ পৃষ্ঠা এবং সাহরিতে বা ফজরের পর আর ৪ পৃষ্ঠা। তাহলে মোট ৮+৪+৪+৪ = ২০ পৃষ্ঠা বা ১ পারা হবে।

অর্থাৎ দিনে-রাতে মিলিয়ে মোট দুই পারা হবে প্রতিদিন। অনেকের ব্যস্ততা থাকতে পারে। তারা একটু এদিক-সেদিক করে নিতে পারেন।

যারা এক খতমে সন্তুষ্ট থাকতে চান, তারা উক্ত সময়গুলোতে অর্ধেক করে তিলাওয়াত করলেই হয়ে যাবে।

[তিন.]
ফজরের আগে অথবা পরে ৫ পৃষ্ঠা;
সকাল ৯—১১ টার মধ্যে ১০ পৃষ্ঠা;
যোহরের নামাজের পরে ১০ পৃষ্ঠা;
আসরের আগে বা পরে ৫ পৃষ্ঠা;
মাগরিবের নামাজের পরে ৫ পৃষ্ঠা;
ঘুমানোর পূর্বে বা ইশার পরে ৫ পৃষ্ঠা।
সর্বমোট: ৫+১০+১০+৫+৫+৫ = ৪০ পৃষ্ঠা তথা ২ পারা হবে প্রতিদিন।

এটা কঠিন মনে হলে:
ফজরের আগে বা পরে ৫ পৃষ্ঠা;
ফজরের পরে ঘুমিয়ে, ঘুম থেকে জেগে ৫ পৃষ্ঠা;
যোহরের পর ৫ পৃষ্ঠা;
আসরের পর বা রাতে ৫ পৃষ্ঠা;

মোট ২০ পৃষ্ঠা তথা ১ পারা হবে প্রতিদিন। এক মাসে এক খতম হয়ে যাবে।

তবে, বিভিন্ন সময়ের প্রেশার না নিয়ে সকালে ঘুম থেকে ওঠে ৯—১১ টার মধ্যে ২০ পৃষ্ঠা, যোহরের পর ১০ পৃষ্ঠা এবং আসরের পর ১০ পৃষ্ঠা পড়লে সহজ হয়। যদি আসরের পর ১০ পৃষ্ঠা না পড়া যায়, তবে অন্তত ৫ পৃষ্ঠা পড়বেন আর রাতে ৫ পৃষ্ঠা পড়বেন। (মোট ২০+১০+১০ = ৪০ পৃষ্ঠা তথা দুই পারা)—এই হিসেবে মোট দুই পারা প্রতিদিন অনায়াসে পড়া সম্ভব, ইনশাআল্লাহ্। কারণ এই সময়গুলোতে ব্যস্ততা কম থাকে।

এই পোস্টটি হিজিবিজি মনে হলে দুঃখিত। টপিকটাই এমন। তাই, কিছুই করার নেই।

- তাসবীহ পেইজ থেকে সংগৃহীত

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Feb, 10:14


ইমাম ইবনে রজব হাম্বলি রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

” ফরয নামাযের আগে পরে যেভাবে সুন্নাত-নফলের বিধান রয়েছে,
তেমনি রমাদানের ফরয সিয়ামের আগে পরে শাবান ও শাওয়াল মাসে নফল সিয়ামের বিধান রয়েছে; মূল বিধানের পরিপূরক হিসাবে।
তাই মূল ইবাদতের পাশাপাশি পূর্বাপরের নফল ইবাদতগুলোর প্রতিও যত্নবান হওয়া চাই। ”

[ লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃঃ ১৮৮ ]

#শাবান
#শাওয়াল
#Shaban
#Shawal
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

29 Jan, 08:19


https://t.me/ShesJamanarFitnah

বরকতময় রমাদান

29 Jan, 08:19


বিশ্বের মাজলুম মুসলিম কারাবন্দীদের তথ্য তুলে ধরার একটি প্রয়াস।
https://t.me/Muslimprisonersbd

বরকতময় রমাদান

29 Jan, 08:17


একটি ভিত্তিহীন বর্ণনাঃ “ যে ব্যক্তি রজব মাসের প্রথম তারিখ, পনের তারিখ ও শেষ তারিখে গোসল করবে...

বার চান্দের আমল শিরোনামের বেশ কয়েকটি পুস্তিকায় নিম্নোক্ত কথাকে হাদীস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে,

‘যে ব্যক্তি রজব মাস পেয়ে তার প্রথম তারিখ, পনের তারিখ এবং শেষ তারিখে ইবাদতের নিয়তে গোসল করবে;
সে ব্যক্তি গোনাহ হতে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু সন্তানের মত বিমুক্ত হয়ে যাবে।’

এটি একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা।

নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে তা পাওয়া যায় না। এটি মূলত শিয়াদের থেকে আমাদের সমাজে প্রসিদ্ধ হয়েছে।

শিয়াদের প্রসিদ্ধ কিতাব ‘বিহারুল আনওয়ার, বাকের আলমাজলিসী (খ. ৭৮, পৃ. ১৭), ‘রিয়াযুল মাসায়েল’, সায়্যেদ আলী আততবাতবায়ী (খ. ২, পৃ. ২৭৮) ও ‘ওসায়েলুশ শীয়াহ’, হুর আলআমিলী (খ. ৩, পৃ. ৩৩৪) সবগুলো কিতাবেই ইবনে তাউসের ‘ইকবালুল আমাল’ এর হাওয়ালায় এটিকে হাদীস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

কিন্তু ইবনে তাউসের ইকবালুল আমালে [ পৃ. ১১৮ ( ৬২৮ ) ] দেখা গেল, সেখানে তিনি তা সনদহীন উল্লেখ করেছেন।

যাইহোক, এটি একটি ভিত্তিহীন কথা।

[ মাসিক আলকাউসার ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

28 Jan, 13:23


“ ‘শবে মেরাজ’ কোন মাসে, কোন দশকে এবং কত তারিখে হয়েছে; এই বিষয়ে কোন প্রমাণিত দলীল নেই।

এই সম্পর্কে যে সকল বর্ণনা রয়েছে, তা বিচ্ছিন্ন ও মতভেদপূর্ণ।
এতে নিশ্চিত হওয়ার মত কিছু নেই। ”

- শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ
[ যাদুল মা'আদ, ইবনুল কাইয়্যিমঃ ১/৫৮ ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

27 Jan, 17:24


বরকতময় রমাদান pinned «।।ইসরা ও মিরাজ বিষয়ক কয়েকটি লেখা।। কুরআন-হাদীসে ইসরা ও মিরাজ : বর্ণনা ও শিক্ষা https://www.alkawsar.com/bn/article/2912/ সহীহ হাদীসের আলোকে মিরাজুন্নবীর ঘটনা https://www.alkawsar.com/bn/article/2542/ ইসরা ও মি’রাজ বিষয়ে একটি উত্তম ও প্রাচীন রচনা htt…»

বরকতময় রমাদান

27 Jan, 17:24


।।ইসরা ও মিরাজ বিষয়ক কয়েকটি লেখা।।

কুরআন-হাদীসে ইসরা ও মিরাজ : বর্ণনা ও শিক্ষা
https://www.alkawsar.com/bn/article/2912/

সহীহ হাদীসের আলোকে মিরাজুন্নবীর ঘটনা
https://www.alkawsar.com/bn/article/2542/

ইসরা ও মি’রাজ বিষয়ে একটি উত্তম ও প্রাচীন রচনা
http://www.alkawsar.com/article/1565

প্রচলিত ভুলসমূহঃ-
===============


মিরাজ বিষয়ক আলোচনা : কিছু অসতর্কতা
http://www.alkawsar.com/article/657

এটি হাদীস নয় : মেরাজে নবীজীর সাতাশ বছর সময় লেগেছিল
http://www.alkawsar.com/article/420

এটি হাদীস নয় : আপনার জুতায় আরশ ধন্য হয়েছে
http://www.alkawsar.com/article/870

একটি বানোয়াট কিসসা
মেরাজে নবীজী ইসরাফীল আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাম দিলে ইসরাফীলের উত্তর না দেয়া

https://www.alkawsar.com/bn/article/2959/

এটি কি হাদীস : আসসালাতু মি’রাজুল মু’মিনীন
http://alkawsar.com/article/1563

একটি অলীক কাহিনী : স্ত্রীকে মাছ কাটতে দিয়ে গোসল করতে যায়
https://www.alkawsar.com/bn/article/1938/

একটি কাহিনীঃ ‘দুআয়ে কদ্হ’ সম্পর্কিত বর্ণনার কোনো ভিত্তি নেই
https://www.alkawsar.com/bn/article/49/

কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরঃ-
===================


মেরাজের ঘটনা কি রজবের ২৭ তারিখে হয়েছিল?
https://www.alkawsar.com/bn/qa/answers/detail/272/

একটি ভিত্তিহীন কথা : যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিদরাতুল মুনতাহায় পৌঁছলেন তখন জিবরীল আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিছনে সরে গেলেন এবং বললেন, যদি আমি আর এক পা অগ্রসর হই তাহলে জ্বলে যাব
https://www.alkawsar.com/bn/qa/answers/detail/277/

মিরাজে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহকে সরাসরি দেখেছেন? না শুধু কথা শুনেছেন? উপযুক্ত প্রমাণসহ জানতে চাই।
https://www.alkawsar.com/bn/qa/answers/detail/22/

মেরাজে গিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নব্বই হাজার কালাম লাভ করেন।
এর মধ্যে ত্রিশ
হাজার কালাম জাহেরী আর বাকী ষাট হাজার বাতেনী।
এই কথাগুলো সঠিক?

https://www.alkawsar.com/bn/qa/answers/detail/257/

মেরাজের ঘটনা কি কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত?
মেরাজ অস্বীকার করলে কি ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে?

মেরাজ স্বপ্নে হয়েছিল এমন আকীদা রাখা কেমন?
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা নাকি স্বশরীরে মেরাজ স্বীকার করতেন
না?
https://www.alkawsar.com/bn/qa/answers/detail/295/

[ মাসিক আলকাউসার ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

27 Jan, 17:15


শবে মেরাজ অনুসন্ধান ও উদযাপন

ইসরা ও মেরাজ সত্য এবং এটি রাসূল ﷺ এর একটি মুজিজা।
তবে আল্লাহ আমাদের জন্য ইসরা ও মেরাজ উদযাপন করা শরীয়তসিদ্ধ করেননি।

এটি এমন কিছু যা রাসূল ﷺ করেননি, তার সাহাবারা করেননি এবং সালাফে সালেহীনও করেননি। সুতরাং তাঁদের পর এমন কিছু প্রবর্তন করা আমাদের জন্য বৈধ নয়,
এটি ভ্রষ্টতার অন্তর্ভুক্ত।

যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু নতুন প্রবর্তন করে যা এর অংশ নয়, তা প্রত্যাখ্যান হবে এবং আল্লাহর কাছে এটি গ্রহণযোগ্য নয়।

ইসরা ও মেরাজের রাত নির্ধারণের বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটি যে ২৭ তারিখের রাত, এমন কোনো প্রমাণ নেই;
তেমনিভাবে অন্য কোন তারিখেরও প্রমাণ নেই।


যদি এই রাত নির্ধারণে আমাদের জন্য কোনো উপকার থাকত, তবে আল্লাহ ও তার রাসূল ﷺ তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতেন।
কিন্তু যেহেতু কুরআন ও সুন্নাহতে এর উল্লেখ আসেনি, তাহলে এটি প্রমাণ করে যে আমরা এই রাত অনুসন্ধান করা বা উদ্‌যাপন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নই।

এটি দ্বীনের কোন অংশ নয়; বরং এটি একটি উদ্ভাবিত বিদআত।

- শাইখ সালেহ আল ফাওজান হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

26 Jan, 18:22


আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী রাহিমাহুল্লাহ ( অষ্টম শতকের বিখ্যাত হাদিস বিশারদ ) বলেন,

রজব মাসের নির্দিষ্ট কোন নামাজ প্রমাণিত নেই।

তিনি আরও বলেন,

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম বা সাহাবায়ে কেরাম থেকে নির্দিষ্টভাবে রজব মাসে রোজা রাখার কোন ফজিলতের কথা প্রমাণিত নয়।

[ লাত্বায়েফুল মাআরেফঃ ২২৮ ]

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

26 Jan, 18:21


আল্লামা হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

“ ‘রজব মাসের ফজিলত’,
‘রজব মাসে রোজা রাখা ফজিলত’,
‘রজব মাসের নির্দিষ্ট কোন রাতে ইবাদত করা’ - এর ফজিলত সম্পর্কে প্রমাণ হওয়ার উপযুক্ত কোন হাদিস নেই।


[ তাবয়ীনুল আযাব বিমা ওয়ারাদা ফী শাহরি রাজাবঃ পৃ. ১১ ]

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

26 Jan, 18:09


।।শবে মিরাজের রোযা।।

শবে মি'রাজের রোযা বলতে শরীয়তে কিছু নেই।
বরং একটি হাদীসে রজব মাসে রোযা রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।

ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত,
" নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব মাসে রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। "
( সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৭৪৩ )

যদিও উপরোক্ত হাদীসটির সনদে কিছুটা দূর্বলতা রয়েছে।
তবে শবে মি'রাজ উপলক্ষ্যে কোনো রোযা রাখার কথা শরীয়তে নেই।
বরং এই উপলক্ষ্যে রোযা রাখা মাকরূহ।

তবে হ্যাঁ, যেকোনো মাসে নফল রোযা রাখা যায়। এই মাসেও নফল রোযা রাখা যেতে পারে।
বিশেষ করে সোমবার, বৃহস্পতিবার ও আইয়ামে বী'জের রোযা।

আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে শরীয়তের সহীহ সমঝ দান করুন।

- মুফতি শফী কাসেমী হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder
#শবে_মেরাজ

বরকতময় রমাদান

26 Jan, 18:03


মিরাজ বিষয়ক প্রশ্ন ও ভুল ধারণা

প্রশ্নঃ- আমাদের দেশে রজবের ২৭ তারিখ দিবাগত রাতে শবে মেরাজ পালন করা হয়। বইপুস্তুকেও ২৭ তারিখকেই মেরাজ রজনী বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

কিন্তু ইদানীং কিছু মৌলভী সাহেব থেকে এই ব্যাপারে কিছু সংশয়ের কথা শুনলাম।
বাস্তব বিষয়টি কি?

উত্তরঃ-
মেরাজের ঘটনা রজবের ২৭ তারিখে হয়েছিল - এই কথা প্রমাণিত নয়।
এই তারিখটি শুধু এমন একটি রেওয়ায়েতে পাওয়া যায়, যার সনদ সহীহ নয়। কোনো নির্ভরযোগ্য দলীল দ্বারা এটি প্রমাণিত নয়।

মেরাজ কখন হয়েছিল - সে সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য সনদে শুধু এটুকু পাওয়া যায় যে, তা হিজরতের এক বা দেড় বছর আগে সংঘটিত হয়েছিল।
কিন্তু কোন দিন, মাস বা তারিখে সংঘটিত হয়েছে এই ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য সূত্রে কিছুই নেই।

তাই এই তারিখকে মেরাজ-রজনী হিসাবে ধরে নেওয়া যেমন ভুল তেমনি তা উদযাপন করাও ভুল।

সাহাবা, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন কেউ কখনো মেরাজ রজনী উদযাপন করেছেন - এমন কোনো প্রমাণ নেই।
এটি একটি কুসংস্কারও বিদআত।

[ আলমাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ ও শরহুল মাওয়াহিব ৮/১৮-১৯;
আলবিদায়া ওয়াননিহায়া ২/৪৭১;
লাতায়িফুল মাআরিফ পৃ. ১৩৪ ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

26 Jan, 18:03


মিরাজ বিষয়ক প্রশ্ন ও ভুল ধারণা

প্রশ্নঃ-
মেরাজের ঘটনা কি কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত?
মেরাজ অস্বীকার করলে কি ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে?
মেরাজ স্বপ্নে হয়েছিল এমন আকীদা রাখা কেমন?
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা নাকি স্বশরীরে মেরাজ স্বীকার করতেন না?

উত্তরঃ-
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মেরাজ কুরআন-হাদীস ও ইজমায়ে উম্মত এর অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত।

‘মেরাজ সত্য’ - এই বিশ্বাস রাখা ফরজ।
অস্বীকার করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।


আর মেরাজ যে স্বশরীরে ও জাগ্রত অবস্থায় হয়েছিল, তা যে শুধু রূহানী বিষয় ছিল না - এই বিষয়টির উপরও ঈমান রাখা জরুরি।

সকল সাহাবা, তাবেয়ীন ও তাবে তাবেয়ীনের বিশ্বাসও এটিই।

আম্মাজান আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার থেকে যে কথা বর্ণনা করা হয়, তা ঠিক নয়।

একে তো সেটির সনদ দুর্বল।
আর ইমাম আবুল আব্বাস ইবনে সুরাইজ বলেছেনঃ

‘এই উক্তিটি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এর উপর আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ তিনি তা বলেননি অথচ তার নামে একথা চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
[ শরহুল মাওয়াহিব, যুরকানীঃ ৮/৭ ]

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বায়তুল মাকদিস পর্যন্ত সফরের কথা সূরা বনী ইসরাঈলের শুরুতে এবং উর্ধ্ব জগতের সফরের কথা সূরা নাজমের ১৩ থেকে ১৮ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কুরআন মজীদের আয়াত, সহীহ হাদীস ও উম্মতের ইজমা দ্বার প্রমাণিত বিষয়ের বিপরীত ঐ ধরনের যয়ীফ বর্ণনার কোনো স্থান নেই তা বলাই বাহুল্য।

এই প্রসঙ্গে ইমাম আবুল খাত্তাব উমর ইবনে দিহইয়া বলেন,
ইসরার হাদীসের উপর মুসলিমদের ইজমা রয়েছে এবং বেদ্বীন ও মুলহিদরা তা থেকে বিমুখ হয়েছে।

তারা ফুঁৎকারে আল্লাহর নূর নিভিয়ে দিতে চায়।
আর আল্লাহ তার নূরকে পূর্ণ করবেন। যদিও কাফেররা অপছন্দ করে।

[ বিস্তারিত জানার জন্য আল কাউসারে ( আগস্ট ’০৬ ) প্রকাশিত হযরত মাওলানা আবদুল মালেক ছাহেব দামাত বারাকাতুহুমের প্রবন্ধটি পড়া যেতে পারে। ]

[ মাসিক আলকাউসার ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

26 Jan, 14:55


মিরাজ বিষয়ক প্রশ্ন ও ভুল ধারণা

প্রশ্নঃ-
একটি ভুল বিশ্বাসঃ মিরাজের উদ্দেশ্য কী ছিল?

উত্তরঃ-

মিরাজের আলোচনা করতে গিয়ে কেউ কেউ স্পষ্টভাবে কিংবা ইশারা ইঙ্গিতে এমন সব কথা বলে থাকেন, যা থেকে বোঝা যায় যেঃ

তাদের ধারণায় মিরাজের উদ্দেশ্য ছিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহর ঘরে মেহমান হিসেবে দাওয়াত দেওয়া।

অথচ আল্লাহ তাআলার ঘর-বাড়ি প্রয়োজন হয় না। স্থান ও কাল তাঁরই সৃষ্টি, তিনি স্থান ও কালের গণ্ডির ঊর্ধ্বে।

কুরআন কারীমে সূরা ইসরা ও সূরা নামলে মিরাজের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখিত হয়েছে।

তা হলঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঊর্ধ্ব-জগতের সফর করানো এবং
আল্লাহ তাআলার কুদরতের বড় বড় অনেক নিদর্শন তাঁকে দেখানো।

[ মাসিক আলকাউসার ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

26 Jan, 14:54


মিরাজ বিষয়ক প্রশ্ন ও ভুল ধারণা

“ একটি কাহিনীঃ ‘দুআয়ে কদ্হ’ সম্পর্কিত বর্ণনার কোনো ভিত্তি নেই। ”

ব্যাখ্যাঃ-
কোনো কোনো অযীফার কিতাবে ‘দুআয়ে কদ্হ’ নামে একটি দীর্ঘ দুআ পাওয়া যায়, যার সম্পর্কে দাবি করা হয়েছে যে - মিরাজের রাতে জিবরীল আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দান করেছেন এবং তার বহু ফযীলত উল্লেখ করেছেন।

প্রকৃত বিষয় এই যেঃ এটা মাসূর দুআ নয়, কেউ তা তৈরি করেছে।

আর এর যে ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে, তা একটি অলিক কাহিনী। বাস্তবতার সঙ্গে এর দূরতম কোনো সম্পর্কও নেই।

মোল্লা আলী ক্বারী রাহ. ‘আলহিযবুল আ’যম’ কিতাবের শুরুতে এই ‘মওযূ’ বর্ণনাগুলির দিকে ইঙ্গিত করে কঠোর সমালোচনা করেছেন। শরহে নুখবার ভাষ্যগ্রনে'ও ‘মওযূ’ অধ্যায়ে এর সমালোচনা করেছেন।

[ মাসিক আলকাউসার ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

26 Jan, 14:54


মিরাজ বিষয়ক প্রশ্ন ও ভুল ধারণা

প্রশ্নঃ-
এটি কি হাদীস - আসসালাতু মি’রাজুল মু’মিনীন?

উত্তরঃ-
‘নামায মুমিনের মেরাজ’ - কথাটা একটা প্রসিদ্ধ উক্তি। কেউ কেউ একে হাদীস মনে করে থাকেন।
কিন্তু হাদীসের প্রসিদ্ধ কিতাবসমূহে এটা পাওয়া যায় না।

তবে এই কথাটার মর্ম বিভিন্ন সহীহ হাদীস থেকে আহরণ করা যায়।
এই জন্য এই কথাটা একটি প্রসিদ্ধ উক্তি হিসেবেই বলা উচিত, হাদীস হিসেবে নয়।


হাদীস বলতে হলে নিম্নোক্ত কোনো সহীহ হাদীস উল্লেখ করা যায়ঃ

১) “ মুমিন যখন নামাযে দাঁড়ায়, তখন সে তার রবের সঙ্গে একান্তে কথা বলে।”
( সহীহ বুখারী, হাদীসঃ ৪১৩ )

২) “ তোমাদের কেউ যখন নামাযে দাড়ায় তখন সে আল্লাহর সঙ্গে একান্তে কথা বলে, যতক্ষণ সে তার জায়নামাযে থাকে। ”
( সহীহ বুখারী, হাদীসঃ ৪২৬ )

[ মাসিক আলকাউসার ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

26 Jan, 14:53


মিরাজ বিষয়ক প্রশ্ন ও ভুল ধারণা

এটি হাদীস নয়ঃ আপনার জুতায় আরশ ধন্য হয়েছে।

ব্যাখ্যাঃ-
লোকমুখে মেরাজ সম্পর্কে একটি কথা প্রসিদ্ধ আছে যেঃ
মেরাজ রজনীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরশে মুআল্লায় প্রবেশের পূর্বেজুতা খুলতে চাইলে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
‘হে মুহাম্মাদ!
আপনি জুতা খুলবেন না। ( জুতা নিয়েই আরোহন করুন ) কেননা, আপনার জুতা নিয়ে আগমনে আরশ ধন্য হবে! এটি বরকত লাভের কারণে অন্যের উপর গর্ববোধ করবে!’

কথাগুলো সাধারণ মানুষের মাঝে প্রসিদ্ধ তো আছেই, কোন কোন বক্তার মুখেও শোনা যায়। কিন্তু তা প্রমাণিত নয়। সবগুলোই মনগড়া ও বানানো কথা।

ইমাম রযীউদ্দীন আল-কায্ভীনী (রহ.) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল,

— রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জুতা নিয়ে আরশ গমন এবং
আল্লাহ তাআলার সম্বোধন ( হে মুহাম্মাদ! আপনার জুতায় আরশ ধন্য হয়েছে! ) ইত্যাদি প্রমাণিত কি না?

তিনি উত্তরে বলেছিলেন,
— “ জুতা পায়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আরশ গমনের হাদীস প্রমাণিত নয়।
এমনকি তিনি ( খালি পায়ে) আরশে পৌঁছেছেন, এমন কথাও কোন নির্ভরযোগ্যসূত্রে বর্ণিত নেই।


সহীহ বর্ণনা মতে,
তিনি শুধু সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত গমন করেছেন। ”

( সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ-শরহুল মাওয়াহেবঃ ৮/২২৩ )

অপর এক মুহাদ্দিসের ভাষ্যঃ
আল্লাহ তাআলা তাকে ধ্বংস করুন, যে বলে - তিনি জুতা নিয়ে আরশে আরোহণ করেছেন।

কত ঔদ্ধত্য! কত বড় স্পর্ধা!
যিনি শিষ্টাচারীদের সরদার, যিনি আরেফবিল্লাহগণের মধ্যমণি, তাঁর ব্যাপারে এমন কথা!

তিনি আরো বলেন যেঃ
রযীউদ্দীন আল-কাযভীনীর উত্তরই সঠিক।

প্রায় চল্লিশজন সাহাবী থেকে সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিতভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মেরাজ তথা উর্ধ্ব জগতে গমনের ঘটনা বর্ণিত আছে।
এঁদের কারো হাদীসে এই কথা উল্লেখ নেই যে - সে রাতে তাঁর পায়ে জুতা ছিল।

এই কথা কতক গন্ডমূর্খ কিসসা-কাহিনীকারদের কাব্যে এসেছে।
কোন নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত হাদীসে বা দুর্বলসূত্রে বর্ণিত হাদীসেও এ কথা নেই যে - তিনি আরশে আরোহন করেছেন।

এটি কারো বানানো কথা, এর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করা যায় না।
( শরহুল মাওয়াহেবঃ ৮/২২৩ )

আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ মাক্কারী (রহ.) স্বরচিত গ্রন্থ ফাতহুল মুতাআল ফী মাদহি খাইরিন নিআল - এই উপরোক্ত কথাটিকে জ্বাল বলে জানিয়েছেন।
( আল আসারুল মারফুআঃ ৩৭ )

আরো দ্রষ্টব্যঃ গায়াতুল মাকাল ফীমা ইয়াতাআল্লাকু বিন্নিআল : আল্লামা লাখনোভী (রহ.)

[ মাসিক আলকাউসার ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

26 Jan, 14:52


মিরাজ বিষয়ক প্রশ্ন ও ভুল ধারণা

এটি হাদীস নয়ঃ মেরাজে নবীজীর সাতাশ বছর সময় লেগেছিল।

ব্যাখ্যাঃ-
মেরাজ সম্পর্কে এক ওয়ায়েজকে বলতে শুনেছি যেঃ
তাতে নাকি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাতাশ বছর সময় ব্যয় হয়েছিল।

আরেক ওয়ায়েজ এই কথাটি বললেন আরো চটকদার করে।
তার ভাষায়ঃ
ইন্তেকালের সময় যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে জিবরীল আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মালাকুল মাওত হাজির হল।

তখন তিনি মালাকুল মাওতকে জিজ্ঞাসা করলেন,
- তুমি এত তাড়াতাড়ি কেন এলে? আল্লাহ তো আমাকে নব্বই বছর হায়াত দিয়েছিলেন।

তখন জিবরীল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
- আপনার জীবনের সাতাশ বছর তো মেরাজের রাতেই অতিবাহিত হয়ে গেছে।

উপরোক্ত বর্ণনার কোনো ভিত্তি আমরা পাইনি।

মেরাজের সহীহ ও নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়েত গুলোর কোথাও বলা হয়নি যে, মেরাজে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কত সময় অতিবাহিত হয়েছিল।

কুরআন মজীদ এবং সহীহ ও নির্ভরযোগ্য হাদীসে বলা হয়েছে যে, এই ঘটনাটি একটি রাতে সংঘটিত হয়েছিল।
তাতে পুরো রাত লেগেছিল, নাকি রাতের কিছু অংশ, না চোখের পলকেই ঘটে গিয়েছিল; তা সহীহ হাদীসে নেই।

হাদীসে এই কথাও নেই যে - আল্লাহ তাআলা তখন সময় ও সৃষ্টিজগতকে স্থির রেখেছিলেন কি না।

অতএব মিরাজের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এবং তার রহস্য ও তাৎপর্য আলোচনার সময় এই সব অমূলক কথাবার্তার আশ্রয় নেওয়া খুবই নিন্দনীয় ও সর্বোতভাবে পরিত্যাজ্য। কোনো দায়িত্বশীল ও আমানতদার ব্যক্তি এই ধরনের কথা বলতে পারেন না।

আল্লাহ তাআলার পরিষ্কার আদেশ -
‘যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই এর পিছনে পড়ো না।’
এরপরও শুধু অনুমান ও ধারণার উপর ভিত্তি করে বলা, বিশেষত মানুষের সামনে বর্ণনা করা বড়ই অন্যায়।

উপরন্তু তা যখন হয় আল্লাহ ও রাসূলের সাথে সম্পর্কিত, তখন তো এর ভয়াবহতা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আল্লাহ তাআলা আমাদের হেফাযত করুন, আমীন।

[ মাসিক আলকাউসার ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

26 Jan, 14:52


মিরাজ বিষয়ক প্রশ্ন ও ভুল ধারণা

প্রশ্নঃ-

লোকমুখে শোনা যায় যেঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত পৌঁছলেন;
তখন জিবরীল আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বলে সামনে অগ্রসর হতে অক্ষমতা প্রকাশ করেন যে -

‘আমি আর এক কদম অথবা আর এক চুল পরিমাণ অগ্রসর হলে আমার ডানাসমূহ জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।’

এই কথা সহীহ কি না?

উত্তরঃ- এই কথা ভিত্তিহীন।

প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আবদুল্লাহ ইবনে সিদ্দীক আলগুমারী রাহ. বলেন,

‘‘ এরূপ ধারণা করা নিকৃষ্টতম বাড়াবাড়ি যে - যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিদরাতুল মুনতাহায় পৌঁছলেন;
তখন জিবরীল আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিছনে সরে গেলেন এবং বললেনঃ
‘যদি আমি আর এক পা অগ্রসর হই তাহলে জ্বলে যাব।’

এটি একটি মিথ্যা ও বাজে কথা।

বস্তুত, সে রাতে জিবরীল আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুহূর্তের জন্যও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গ ত্যাগ করেননি।

সিদরাতুল মুনতাহা এবং অন্যান্য স্থানেও তিনি তাঁর সাথেই ছিলেন।

শরহুল মাওয়াহেবে এই বর্ণনা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এইগুলো নিঃসন্দেহে মিথ্যা। ”

[ শরহুল মাওয়াহিবঃ ৮/২০০ ]

( মাসিক আলকাউসার থেকে সংগৃহীত )
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

25 Jan, 17:23


বিশ্বের মাজলুম মুসলিম কারাবন্দীদের তথ্য তুলে ধরার একটি প্রয়াস।
https://t.me/Muslimprisonersbd

বরকতময় রমাদান

23 Jan, 17:45


https://t.me/ShesJamanarFitnah

বরকতময় রমাদান

22 Jan, 18:02


রজব মাসঃ যে বিষয়গুলো ভাবা প্রয়োজন

কুরআন মজীদে যে চার মাসকে ‘আরবাআতুন হুরুম’ বলা হয়েছে মাহে রজব সেই মাসগুলোর অন্যতম।

অন্য তিন মাস হল যিলকদ, যিলহজ্ব ও মহররম।
এই চার মাসকে আশহুরে হুরুম এজন্য বলা হয় যে, শরীয়তের দৃষ্টিতে এই মাসগুলি অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ।

মানুষের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই অতি মূল্যবান। কেননা, এই মুহূর্তগুলির মূল্যায়ণ ও অবমূল্যায়ণের উপরই তার সফলতা ও ব্যর্থতা নির্ভর করে।

জীবনের মুহূর্তগুলি মহান আল্লাহর দান। তিনি দেখতে চান — কে কত বেশি সৎকর্মের মাধ্যমে এই মুহূর্তগুলিকে সফল করে তোলে। এইজন্য জীবনের একটি মুহূর্তও হেলায় বিনষ্ট করা উচিত নয়, পূর্ণ সতর্কতা ও সচেতনতার সঙ্গে তা কাজে লাগানো উচিত।

মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক না কেন, সে তার জীবনের কিছু কিছু মুহূর্তকে অত্যন্ত মূল্যবান বিবেচনা করে। তার বিবেচনায় সেই বিশেষ মুহূর্তের সতর্কতা ও সচেতনতা জীবনকে অনেক দূর অগ্রসর করে দেয়। এই সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হলে সে আনন্দিত হয়, এগুলো হল মানুষের নিজস্ব বিবেচনা, কিন্তু মানুষ এই বিবেচনাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

মহান আল্লাহও তাঁর বান্দাদেরকে এমন কিছু সময় দান করেছেন, যে সময়ে তার বাড়তি সতর্কতা ও সচেতনতা কাম্য। এই বাড়তি সচেতনতাটুকু দ্বারা আল্লাহর নৈকট্যের পথে অন্য অনেক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি অগ্রসর হওয়া সম্ভব।
তাই আল্লাহপ্রেমিক বান্দাগণ এই সময়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ‘আশহুরে হুরুমে’র অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় রজব মাসের মুহূর্তগুলিও সেই বিশেষ মনোযোগের দাবিদার।

এই সময় নিজের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো সংশোধন করে নেওয়া এবং আল্লাহর আদেশ ও রাসূলের সুন্নাহ পালনে অধিক যত্নবান হওয়া কর্তব্য। কিন্তু মানুষের ‘প্রকাশ্য দুশমন’ কিভাবে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে, তার একটি দৃষ্টান্ত এই সময় দেখা যায়।
এই ফযীলতপূর্ণ সময়ে শরীয়ত মোতাবেক আমল করার পরিবর্তে এক শ্রেণীর মানুষকে দেখা যায় বিভিন্ন বেশরা কাজকর্মে লিপ্ত হতে।

এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ‘খাজার ডেগ নামক অপসংস্কৃতি। এই মাসে খাজা মুইনুদ্দীন চিশতী রাহ. এর ইন্তেকালকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর মানুষ বিভিন্ন ধরনের বিদআতে, এমনকি শিরকী কাজকর্মে লিপ্ত হয়। এসব শিরক ও বিদআত পূর্ণরূপে বর্জন করা ছাড়া আল্লাহ ও তার রাসূলের সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে না।

গাইরুল্লাহর নামে কোনো কিছু মান্নত করা, গাইরুল্লাহর নামে কিংবা তার সম্মানের উদ্দেশ্যে পশু জবাই করা, গাইরুল্লাহর কাছে ধনসম্পদ, বিদ্যাবুদ্ধি, সল্লান-সল্লতি ইত্যাদি প্রার্থনা করা কিংবা বিপদ-আপদ, বালা-মুসীবত থেকে মুক্তি চাওয়া ইত্যাদি সবই অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ ও শিরক।
কুরআন-হাদীসে এই বিষয়ে মুসলিমদেরকে সাবধান করা হয়েছে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, এক শ্রেণীর মানুষ এই কাজগুলোতেই বেশি আগ্রহ বোধ করে থাকে। বিশেষত আউলিয়ায়ে কেরামকে কেন্দ্র করে এ জাতীয় কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়া অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। প্রকৃত মুসলিম হিসেবে বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই এই সব শিরকী কর্মকাণ্ড পরিহার করতে হবে।

রজবের পর শাবান। এরপরই রমাযান।
মাহে রমাযানের পূর্ণ রহমত ও বরকত লাভ করতে এখন থেকেই সচেতন হওয়া কর্তব্য।

গুনাহ ছেড়ে নেক আমলের দিকে ধাবিত হওয়ার অত্যন্ত মূল্যবান উপলক্ষ আমাদের সামনে উপস্থিত। এর যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনে সক্ষম হতে পারি।

[ মাসিক আলকাউসার ]

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

21 Jan, 18:13


হাফেয ইবনে রজব রাহিমাহুল্লাহ বলেছিলেন,

যে রমজানে রহমত প্রাপ্ত হয়েছে, সে-ই প্রকৃত পক্ষে রহমতপ্রাপ্ত।

যে রমজানের কল্যান থেকে বঞ্চিত হয়েছে, সে-ই প্রকৃত পক্ষে বঞ্চিত।

যে আখিরাতের জন্য রমজানে কিছু গুছিয়ে নিতে পারল, না সে-ই প্রকৃত পক্ষে নিন্দিত। ”

[ লাতায়েফুল মা'রেফঃ ১৪৮ ]

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

21 Jan, 18:13


রহমতের মৌসুম | উস্তাদ সাঈদুল মুস্তাফা |

https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

21 Jan, 08:39


#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

21 Jan, 08:39


সালাফগণ ছয় মাস ধরে আল্লাহর কাছে দু'আ করতেন যাতে তাঁরা রমাদান লাভ করতে পারেন।
আর বাকি ছয় মাস দু'আ করতেন যাতে এই রমাদানের ইবাদত আল্লাহ কবুল করেন। ”

- মুয়াল্লা বিন ফাদ্বল (রহ)
[ লাত্বাইফুল মা'আরিফঃ ১৫৮ ]

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

21 Jan, 08:39


যদি তুমি রাতে কিয়ামুল লাইল আর দিনে সিয়াম রাখতে সক্ষম না হও, তবে জেনে রাখো - নিঃসন্দেহে  তোমার গুনাহ তোমায় শিকল বেঁধে রেখেছে বলেই তুমি বঞ্চিত!

- ইমাম ফুযাইল বিন ইয়ায রহ
[ সিয়ারু আলামিন নুবালাঃ ৭/৪০১ ]

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 17:58


উমার ইবন কায়েস রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

“ সুসংবাদ তার জন্যে,যে রমাদানের পূর্বেই নিজেকে সংশোধন করেছে । ”

[ লাতায়িফুল মা'আরিফ, ১৩৮ ]

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 17:58


যায়েদ ইবনে খালেদ আল-জুহানি (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

“ যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে সে রোজাদারের সম পরিমাণ সওয়াব পাবে;
রোজাদারের সওয়াব থেকে একটুও কমানো হবে না। ”
[ সুনানে তিরমিযিঃ ৮০৭ ]

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেনঃ
রোজাদারকে ইফতার করানো দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে - তাকে পেট ভরে তৃপ্ত করানো।
[ আল ইখতিয়ারাত, পৃষ্ঠাঃ ১৯ ]

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

19 Jan, 17:54


এক আমলে একাধিক নিয়তঃ
( সিয়াম )

সিয়াম পালনকালে আমি নিয়ত করবঃ-

১) সিয়ামের মতো আর কোনও ইবাদত নেই।

২) সাওম শুধুই আল্লাহর জন্য। স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই সওমের প্রতিদান দেবেন।

৩) রোজা আমার জন্য ঢালস্বরূপ হবে। চরিত্র রক্ষার কারণ হবে। জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার এক সুরক্ষিত দুর্গ হবে।

৪) আল্লাহর কাছে আমার সপক্ষে সুপারিশ করবে।

৫) আমার খালিপেট থেকে নির্গত ‘গন্ধ’, আল্লাহর কাছে মিশকে আম্বরের চেয়েও বেশি সুরভিত মনে হবে।

৬) ইফাতিরর সময় আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করবেন।

৭) আল্লাহ আমার চেহারাকে জাহান্নাম থেকে ১০০ হাত দূরে সরিয়ে রাখবেন।

৮) রোজামুখে খাতিমাহ বিল-খাইর হলে মানে ইন্তেকাল করলে, জান্নাতের সুবিখ্যাত দরজা, বাবুর রাইয়ান দিয়ে আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।

- শাইখ আতিক উল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

18 Jan, 17:15


রামাদানঃ
আমার জীবনস্পন্দন  | উস্তাদ সাঈদুল মুস্তাফা |

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

17 Jan, 14:32


বরং মেরাজ কোন মাসে সংঘটিত হয়েছে, সেটি নিয়েও কয়েকটি মতামত পাওয়া যায়৷

এ নিয়ে ঐতিহাসিকদের পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়। রবিউল আউয়াল, রবিউস সানি, রামাযান, শাওয়াল, রজব৷ বিশ্বকে তাক লাগানো একটি বিস্ময়কর ঐতিহাসিক ঘটনার তারিখ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মতভিন্নতা এটাই প্রমাণ করে যে, এই রাত্রি পালনীয় কোনো রাত নয়।

তাছাড়া মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল ৫ হিজরীতে৷ এরপর কমপক্ষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৮বছর দুনিয়াতে ছিলেন। কিন্তু তাঁর এবং সাহাবায়ে কেরামের মাঝে এই রাত্রি বিশেষভাবে পালনের কোনও তৎপরতার কথা হাদীসের কিতাবসমূহে পাওয়া যায় না। এর দ্বারা বুঝা গেলো, এই রাতে ইবাদতের আলাদা কোনো ফযীলত নেই৷ দিনে রোযা পালনের ন্যূনতম ফযীলতের আলোচনা সহীহ বা হাসান পর্যায়ের কোনো হাদীসেও নেই।

মুফতি তাকী উসমানী বলেন: তাই শবে মেরাজ উপলক্ষে ২৭ তারিখ দিবাগত রাতে ইবাদত-বন্দেগির বিশেষ এহতেমাম করা, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নামায আদায় করা, দিনের বেলা রোযা রাখা এসবকে শরীয়তের অংশ মনে করা, সুন্নাত মনে করা বা সুন্নাত হিসেবে পালন করা সম্পূর্ণ নিজের পক্ষ থেকে বানানো বিদআত হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
(ইসলাহী খুতুবাত: ১/৬০)

২) মেরাজ উপলক্ষে ২৭শে রজব রোযা রাখা৷ এটিও বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত কোনো আমল নয়৷ বরং উমর রাযি. থেকে এই দিবসে রোযা পালনের বিপক্ষে শক্ত অবস্থানের বিবরণ পাওয়া যায়৷ যাদের ব্যাপারে সংবাদ পেতেন রোযা রেখেছেন, তাদেরকে রোযা ভাঙ্গতে বাধ্য করতেন৷
(কানযুল উম্মাল: ২৪৫৭৫)

বিদআত মূলোৎপাঠনে সাহাবায়ে কেরাম যে আপোষহীন ছিলেন, এমন ঘটনা তার বাস্তব দৃষ্টান্ত৷ অন্য সাধারণ দিনের মতো এ দিন রোযা রাখলে তো কোনো সমস্যা নেই৷ কিন্তু মেরাজ উপলক্ষে আলাদা সুন্নাত বা মুস্তাহাব মনে করে এ দিন রোযা রাখলে বিদআত হবে৷
(ইসলাহী খুতুবাত: ১/৬৩)

৩) শবে মেরাজ উপলক্ষে শিরনী বিতরণ করা, মাহফিলের আয়োজন করা, দলবেঁধে কবর জিয়ারত করা, উৎসব উদযাপনের মতো এ রাতকে পালন করা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কাজ৷ এসব মনগড়া কাজের ক্ষতিকর দিক হলো, এগুলোতে লিপ্ত হলে মানুষ শরীয়তের আসল বিধান পালন থেকে দূরে সরে যায়৷

মুহতারাম হাযিরীন!
২৭শে রজব মেরাজ সংঘটিত হওয়ার শক্ত ভিত্তি না থাকলেও রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সশরীরে জাগ্রত অবস্থায় মেরাজে গমন করেছিলেন, তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত৷ মেরাজের রজনীতে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবীব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনটি উপহার দিয়েছিলেন৷ মূলত এগুলোই আমাদের জন্য পালনীয় ও আমলের বিষয়৷ হাদীসে এসেছে -

অর্থ: মেরাজের সফরে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে তিনটি বিষয় দান করা হলো -
ক) পাঁচ ওয়াক্ত নামায।
খ) সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত৷
গ) শিরকমুক্ত উম্মতের মারাত্মক গোনাহ (তাওবার মাধ্যমে অথবা তাওবা ছাড়াই) ক্ষমার সুসংবাদ৷
(সহীহ মুসলিম: ৩২৮)

মেরাজের সবচে বড় শিক্ষা হলো, পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা৷ ইসলামী শরীয়তে ঈমানের পর সবচে গুরুত্বপূর্ণ আমল৷ তাই অন্যান্য ভিত্তিহীন আমল ও আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়ে যথানিয়মে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায়ের প্রতিশ্রুতি নিই৷ এটাই মেরাজের শিক্ষা, মেরাজের চেতনা৷

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বিষয়গুলো বোঝার, বিদআত ও কুসংস্কারমুক্ত হয়ে দ্বীন পালন করার তাওফীক দান করুন৷ আমীন৷

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

17 Jan, 14:31


বিষয়: রজব মাস: করণীয়-বর্জনীয়
আলোচক - মুফতি জিয়াউর রহমান
(জুমার বয়ান থেকে)

الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله. أما بعد فأعوذ بالله من الشيطان الرجيم. بسْمِ الله الرَّحْمَن الرَّحيم: إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِندَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ۚذَٰلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ ۚ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنفُسَكُمْ.

মুহতারাম হাযেরীন!
আজ রজব মাসের ১৬ তারিখ জুমাবার৷ আপনাদের সামনে রজব মাসের ফযীলত ও করণীয়-বর্জনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ!

রজব মাস পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ৪টি সম্মানিত মাসের অন্যতম মাস৷ রজব শব্দ 'তারজীব' থেকে এসেছে৷ যার অর্থ সম্মান করা৷ যেহেতু আরবের লোকেরা চারটি মাসকে খুব সম্মান করত, মর্যাদা দিত৷ আর রজব মাসও সেই চারটি মাসের অন্যতম সম্মানিত মাস৷ তাই এই মাসকে রজব বলে নামকরণ করা হয়েছে৷

সম্মানিত ৪টি মাস হচ্ছে - যুলকা'দা, যুলহিজ্জা, মুহাররাম এবং রজব৷

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন -

অর্থ: আসমান-জমিন সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহ তাআলার ঠিক করা নিয়মে মাসের সংখ্যা বারোটি৷ এরমধ্যে চারটি হলো সম্মানিত মাস। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন। অতএব এ মাসগুলোতে তোমরা (পাপাচারে লিপ্ত হয়ে) নিজেদের ওপর জুলুম করো না।
(সূরা তাওবা: ৩৬)

হাদীসে এসেছে -

অর্থ: আবু বাকরাহ রাযি. থেকে বর্ণিত, (বিদায় হজের দিন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা যেদিন আসমান-জমিন সৃষ্টি করেছেন সেদিন সময়ের হিসাব যেমন ছিল সেভাবেই তা ফিরে এসেছে। বছর বার মাসে। এরমধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। এর তিনটি ধারাবাহিক। যুলকা'দা, যুলহিজ্জা ও মুহাররম। আরেকটি হলো রজব মাস, যা জুমাদাল উখরা ও শাবানের মাঝামাঝি।
(সহীহ বুখারী: ৩১৯৭)

এই মাসে ইবাদতের গুরুত্ব:

সম্মানিত ৪টি মাসে ইবাদতের সওয়াবও অন্য মাসসমূহের তুলনায় বেশি৷ ঠিক তদ্রূপ গোনাহের ভয়াবহতাও অন্য মাসসমূহের তুলনায় এই মাসসমূহে বেশি৷

ইসলামপূর্ব যুগ থেকেই সম্মানিত মাসের ২টি বিধান ছিলো৷ একটি হলো, এই মাসে যুদ্ধবিগ্রহ হারাম হওয়া৷ এটি ইসলামী শরীয়ত আসার পর মানসূখ তথা রহিত হয়ে গেছে৷ অপরটি হলো, এই ৪মাসের সম্মান ও মর্যাদা৷ আর সম্মানের দাবি হলো, এই মাসসমূহে ইবাদত বেশি বেশি করা৷ আর ইবাদতের সওয়াবও হবে অন্য মাসসমূহের তুলনায় বেশি৷ এটি ইসলামী শরীয়তেও বহাল রয়েছে৷

হযরত মুফতি শফী রাহ. বলেন:
সমস্ত নবীগণের শরীয়ত এ বিষয়ের উপর একমত যে, এই ৪মাসে প্রত্যেক ইবাদতের সওয়াব অন্য মাসসমূহের তুলনায় অনেক বেশি৷ এই মাসসমূহে গোনাহ করলে গোনাহের শাস্তি ও ভয়াবহতাও অধিক৷
(মাআরিফুল কুরআন: ৪/৩৭০)

উলামায়ে কেরাম বলেছেন, আশহুরে হুরুম তথা সম্মানিত মাসসমূহের এই বৈশিষ্ট্য রয়েছে যে, এসব মাসে ইবাদতের প্রতি যত্নবান হলে বাকি মাসগুলোতে ইবাদতের তাওফীক হয়। আর আশহুরে হুরুমে কষ্ট করে গোনাহ থেকে বিরত থাকতে পারলে অন্যান্য মাসেও গোনাহ পরিহার করা সহজ হয়।
(আহকামুল কুরআন, জাসসাস ৩/১১১; মাআরিফুল কুরআন ৪/৩৭২)

তাই আশহুরে হুরুমের অন্তর্গত রজব মাসের মর্যাদা রক্ষায় আমাদের সচেষ্ট হওয়া উচিত।

আল্লাহ তাআলা কর্তৃক মনোনীত চারটি মাস, বিশেষ মর্যাদা এবং প্রভূত সম্মানে ভূষিত। যার অংশীদার রজবও, যেহেতু রজব তার একটি। আল্লাহ তাআলা বলেন -

অর্থ: হে মু’মিনগণ, আল্লাহর নিদর্শনসমূহ (নিষিদ্ধ বস্তু) হালাল মনে করো না এবং সম্মানিত মাসসমূহকে।
(সূরা মায়েদা: ২)

অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার সংরক্ষিত, নিষিদ্ধ বস্তুসমূহ-যেগুলোকে তিনি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং অনাধিকার চর্চা হতে বারণ করেছেন, সেগুলোকে তোমরা হালাল মনে কর না। যার ভেতর ভ্রান্ত বিশ্বাস, নিষিদ্ধ-কাজ, উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।

সম্মানিত হাযিরীন!

মাস সম্মানিত হওয়ার কারণে সেই মওসুমে ইবাদতের সওয়াব যেমন বেশি, ঠিক তদ্রূপ এই মাসসমূহে গোনাহের ভয়াবহতাও বেশি৷

তিলাওয়াতকৃত আয়াতের শেষাংশে আল্লাহ তাআলা সে বিষয়টিই উল্লেখ করেছেন -

"অতএব এ মাসগুলোতে তোমরা (পাপাচারে লিপ্ত হয়ে) নিজেদের ওপর জুলুম করো না।"

অন্যথায় বছরের সকল দিবসেই গোনাহ মারাত্মক অপরাধ৷ গোনাহ বর্জন করা সবসময়ের জন্য জরুরি৷

সম্মানিত মুসল্লিয়ানে কেরাম!
রজব মাসকে কেন্দ্র করে আমাদের মাঝে কতিপয় ভুল বোঝাবুঝি, অজ্ঞতা ও ভুল প্রচলন রয়েছে৷

১) শবে মেরাজ৷ রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মেরাজ একটি ঐতিহাসিক সত্য ও বিস্ময়কর ঘটনা৷ এটি সশরীরে ও জাগ্রত অবস্থায় হয়েছিল৷

তবে আমাদের সমাজে এ সম্পর্কিত অজ্ঞতা ব্যাপক৷ সাধারণ মানুষ থেকে নিয়ে শিক্ষিত সমাজ পর্যন্ত; অধিকাংশ মানুষ এটাই জানেন যে, রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঐতিহাসিক মেরাজ ২৭শে রজব সংঘটিত হয়েছে৷ অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, মেরাজ কবে, কত তারিখে হয়েছে, সে বিষয়টি ইতিহাসে একটি মতবিরোধপূর্ণ বিষয়৷ তাই নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে, এ তারিখেই মেরাজ সংঘটিত হয়েছে৷
২য় অংশ👇

বরকতময় রমাদান

14 Jan, 20:35


শবে বরাত ( লায়লাতুন নিসফি মিন শাবান ) সংক্রান্ত লেখনী বিষয়ক সম্পূর্ণ একক চ্যানেল।
https://t.me/Shab_e_Barat

বরকতময় রমাদান

14 Jan, 20:35


রামাদান ২০২৫, আর মাত্র ৪৫ দিন। মানে দেড় মাস। অনেকেই হয়তো জেনে অবাক হয়ে গেছেন, রামাদান মাস এত কাছাকাছি চলে এসেছে। এই অবাক হওয়া আফসোসে রূপ নেবে, যখন দেখবেন চোখের পলকে রামাদান মাসও চলে যাবে।

স্বয়ং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই ব্যক্তির জন্য বদদুয়া করেছেন, যে রামাদান মাস পেল কিন্তু নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না। অবহেলায়, আলসেমিতে রামাদান কাটিয়ে দিল।

সাহাবিরা ৪ মাস আগে থেকে রামাদানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। অধীর আগ্রহে রামাদানের জন্য অপেক্ষা করতেন। আমরা তো অন্তত মাস খানেক আগে থেকে হলেও প্রস্তুতি নিতে পারি?

"ধূলিমলিন উপহার রামাদান" এই প্রস্তুতির চমৎকার দিকনির্দেশনামূলক এক বই। এই বই আপনাকে রামাদানের জন্য উদগ্রীব করে তুলবে। রামাদান কী জিনিস, অন্তরে এই উপলব্ধি তৈরি করবে। আপনি চাইবেন না রামাদানের একটি মুহূর্তও নষ্ট হোক।

বইটি অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন।
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

13 Jan, 16:38


রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল আমিরাত

মধ্যপ্রাচ্যে আগামী ১ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এবারের রমজান মাসটি যদি ২৯ দিনের হয়। তাহলে আগামী ৩০ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় ঈদুল ফিতর পালিত হবে। অপরদিকে ৩০ দিনের হলে ৩১ মার্চ হবে ঈদ। 

সূত্রঃ
https://www.banglaedition.com/religion/2025/01/12/234172

https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

08 Jan, 17:42


আবু বাকর আল বালখি রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

‘রজব’ বাতাস প্রবাহ ( বাতাস বওয়ার মাস ) ,
‘শাবান’ পুঞ্জীভূত মেঘমালা ( সেই বাতাসে মেঘের ঘনঘটার মাস )
আর মহিমান্বিত ‘রমাদান’ বৃষ্টি নামা ( বৃষ্টি নামার মাস ) । ”

- ইবনু রজব রাহিমাহুল্লাহ
[ তথ্যসূত্রঃ লাতাইফুল মা'রিফ, পৃষ্ঠা: ১২১ ]

#রজব
#শাবান
#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

08 Jan, 17:41


‘রজব’ হলো ফসল রোপণের মাস,
‘শাবান’ ফসলে পানি সেচ দেবার মাস আর ‘রমাদান’ ফসল তোলার মাস। ”

— আবু বকর আল বালখি রাহিমাহুল্লাহ
[ সূত্রঃ লাতায়েফুল মাআরেফ, পৃষ্ঠা: ১৪৩ ]

#রজব
#শাবান
#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

08 Jan, 17:41


শাইখ রাতিব আন-নাবুলুসি বলেন,

‘রজব’ হলো আমলের জমিতে বীজ বপনের সময়,
‘শাবান’ হলো তাতে পানি সিঞ্চনের সময়,
আর ‘রমাদান’ হলো ফসল তোলার সময়। ”

#রজব
#শাবান
#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

05 Jan, 19:26


উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

“ রজব মাসের ফজিলতের ব্যাপারে কোন সহিহ হাদিস বর্ণিত হয়নি। ‘রজব’ মাসের আগের মাস ‘জুমাদাল আখেরা’ মাসের উপর রজব মাসের ভিন্ন কোন মর্যাদা নেই;
শুধু এইটুকু - রজব মাস হারাম মাসগুলোর একটি।
রজব মাসে বিশেষ কোন রোজা নেই। বিশেষ কোন নামাজ নেই। বিশেষ কোন উমরা নেই। অন্য কোন ইবাদত নেই।
রজব মাস অন্য যে কোন মাসের মতোই।

[ লিকাউল বাব আল-মাফতুহ’ (২৬/১৭৪) ]

পক্ষান্তরে কোন মুসলমানের রমজান মাস পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করতে কোন অসুবিধা নেই।

হাফেয ইবনে রজব (রহঃ) বলেনঃ

“ মুয়াল্লা বিন ফজল বলেন,
তাঁরা ছয়মাস দু’আ করতেন রমজান মাস পাওয়ার জন্য এবং ছয়মাস দু’আ করতেন তাদের আমলগুলো কবুল হওয়ার জন্য।

ইয়াইয়া বিন কাসির বলেন,

তাদের দু’আর মধ্যে ছিলঃ-
হে আল্লাহ!
আমাকে রমজান পর্যন্ত নিরাপদ রাখুন। রমজানকে আমার জন্য
নিরাপদ করুন এবং রমজানের আমলগুলো কবুল করে আমার কাছ থেকে রমজানকে বিদায় করবেন।

[ লাতায়িফুল মাআরিফ (পৃষ্ঠ- ১৪৮) ]

শাইখ আব্দুল করিম আল-খুদাইরকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল,
“ আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজব ও শাবান ওয়া বাল্লিগ-না রমজান ” - হাদিসটির শুদ্ধতা কি?

তিনি জবাবে বলেন,
“ এই হাদিসটি সাব্যস্ত নয়।
কিন্তু কোন মুসলিম যদি রমজান পাওয়ার জন্য, রোজা পালন ও কিয়াম সাধনার তাওফিকের জন্য এবং লাইলাতুল কদর পাওয়ার জন্য দু’আ করে অর্থাৎ সাধারণ দু’আ করে; ইন শা আল্লাহ এতে কোন অসুবিধা নেই। ”

#রজব
#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

04 Jan, 09:07


❝ বর্ণিত আছে যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদান এগিয়ে এলে আনন্দিত হতেন।

রজব মাস শুরু হলে তিনি দুআ করতেন,

اللهم ‌بارك ‌لنا ‌في ‌رجب ‌وشعبان، ‌وبلَّغنا ‌رمضان

হে আল্লাহ,
আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন, আর আমাদেরকে রমাদানে পৌঁছে দিন।


একইভাবে সালাফরাও ( রাহিমাহুমুল্লাহ ) রমাদানের আবির্ভাবে আনন্দিত হতেন, এর জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করতেন।

তাঁরা ৬ মাস যাবৎ দুআ করতেন যেন আল্লাহ তাঁদেরকে রমাদান পাইয়ে দেন,
এরপর বাকি ৬ মাস দুআ করতেন যেন রমাদানের আমলগুলো কবুল হয়ে যায়।

এভাবে গোটা বছরই তাঁরা রমাদানের ইহতিমাম করতেন। ❞

- শাইখ আব্দুল্লাহ বিন জিব্রীন রাহিমাহুল্লাহ
[ ফাতাওয়াউশ শাইখ ইবন জিব্রীনঃ ৫/৫৯ ]

#রজব
#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

03 Jan, 11:58


রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

বারো মাসে বছর হয়। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত।
তিনটি হলো ধারাবাহিকভাবেঃ
জিলকদ, জিলহজ, মহররম।
আর চতুর্থটি হলো ‘রজব।’


( সহিহ বুখারিঃ ২/৬৭২ )

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

এই চার মাসে আমল করলে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি সাওয়াব হয় এবং
এই চার মাসে গুনাহ করলে অন্য মাসের তুলনায় বেশি গুনাহ হয়।


( তাফসিরে তাবারিঃ ৬/১৪৯-১৫০ )

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Jan, 15:55


দুটি বিদআতঃ ‘লাইলাতুর রাগাইব ও শবে ইস্তেফতাহ পালন

কিছুদিন আগে একটি মসজিদে ‘ইসলামী পবিত্র দিনসমূহ’ শিরোনামের একটি তালিকা নজরে পড়ল।
সযত্নে লেখা এই তালিকাটিতে দেখলাম - রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার ‘লাইলাতুর রাগাইব’ আর রজবের পনেরো তারিখ ‘শবে ইস্তেফতাহ’।

আসলে রজব মাস নিয়ে কোনো কোনো মহলে বিভিন্ন কল্পিত বিদআত ও রসমের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এর সমর্থনে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও জালকৃত বিভিন্ন বর্ণনাও ‘মাকছুদুল মুমিনীন’ ও ‘বার চাঁদের ফযীলত ও আমল’ জাতীয় কিছু অনির্ভরযোগ্য বইয়ে পাওয়া যায়।

যেমন একটি জাল বর্ণনা হল,
‘যারা রজব মাসে রোযা রাখে, তাদের গুনামাফীর জন্য ফেরেশতাকুল রজবের প্রথম জুমআর রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দোয়ায় মগ্ন থাকেন।’

এরকম আরেকটি ভিত্তিহীন বর্ণনা হল,
‘যে ব্যক্তি রজবের প্রথম বৃহস্পতিবার রোযা রাখে, অতঃপর মাগরিব ও ইশার মাঝখানে দু’রাকাত করে ( বিশেষ পদ্ধতিতে ) বার রাকাত নামায আদায় করে;
তার সকল প্রয়োজন পূরণ করা হয় এবং তার সকল গুনাহ মাফ করা হয়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা, বালুকণা, পাহাড়ের ওজন এবং বৃক্ষের পাতার সমপরিমাণ হয়।
আর কিয়ামতের দিন সে তার পরিবারের সাত শত গুনাহগার জাহান্নামের উপযোগী মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।’

প্রয়োজন পূরণের কথিত এই রাতটির নামও রাখা হয়েছে ‘লাইলাতুর রাগাইব’।
আর বিশেষ পদ্ধতির উল্লেখিত নামাযের নাম ‘সালাতুর রাগাইব’।

এমনিভাবে পনের রজবের রাত সম্পর্কিত একটি জাল বর্ণনা হল,
‘এই রাতে চার রাকাত নামায বিশেষ নিয়মে আদায় করে নির্দিষ্ট পরিমাণ দুরূদ, তাসবীহ-তাহমীদ ও তাহলীল আদায় করলে আল্লাহর পক্ষ হতে তার নিকট এক হাজার ফেরেশতা পাঠানো হয়।
যারা ঐ ব্যক্তির জন্য নেকী লিখতে থাকেন এবং ঐ রাত পর্যন্ত যত গুনাহ সে করেছে সব ক্ষমা করে দেন।
অবশেষে তার কাঁধে হাত রেখে একজন ফেরেশতা বলে,
তুমি নতুন করে আমল শুরু কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।’

গুনাহ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে নতুন করে আমল শুরু করার এই বানোয়াট বর্ণনার কারণেই সম্ভবত এই রাতের নাম রাখা হয়েছে ‘শবে ইস্তেফতাহ’।

উল্লেখিত বর্ণনা ছাড়াও এই দুই রাত সম্পর্কে এই ধরনের আরো প্রচুর পরিমাণ ভিত্তিহীন বর্ণনা রয়েছে।

কিন্তু আসল কথা হল - শরীয়তে ‘লাইলাতুর রাগাইব’ ও ‘শবে ইস্তেফতাহ’ নামে বিশেষ মহিমান্বিত কোনো রাতের অস্তিত্বই নেই।
নামে-বেনামে রজব মাসে এই বিশেষ রাত উদযাপন হচ্ছে নবউদ্ভাবিত বিদআত। কুরআন ও সুন্নাহ্‌য় যার কোনো প্রমাণ নেই।

তেমনিভাবে ঐ রাত বা দিনগুলোতে কোনো নির্দিষ্ট নামায-রোযা বা অন্য কোনো বিশেষ আমলের কথাও ইসলামে নেই।
এই সম্পর্কিত সকল বর্ণনা ও রেওয়ায়েত সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও জাল।

অতএব ‘লাইলাতুর রাগাইব’ হোক কিংবা ‘শবে ইস্তেফতাহ’ - এগুলো উদযাপন করা কিংবা কল্পিত ও ভিত্তিহীন বর্ণনার উপর নির্ভর করে বিশেষ ধরনের আমল করা সবই পরিত্যাজ্য।
এগুলো থেকে দূরে থাকাই একজন মুমিনের একান্ত কর্তব্য।

[ মাসিক আলকাউসার ]

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Jan, 15:54


শুরু হলো রজব মাস,
জেনে নিন এই মাসের তাৎপর্য এবং করণীয় ও বর্জনীয় কুসংস্কারসমূহ।

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Jan, 15:54


রজব মাসের বিশেষ আমল কী, রমজান মাস পাওয়ার বিশেষ দোয়াটি কি করা যাবে?
উত্তর প্রদানেঃ শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ।

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:54


সালাফগণ রমাদানের পূর্বেই রমাদানের জন্য প্রস্তুতি নিতেন।

তাঁরা বলতেন,
রজব মাস হলো মুমিনের ইবাদাতের বীজ বপনের মাস।
শাবান মাস হলো বান্দার চোখের পানি দিয়ে ইবাদাতের বীজে সেচ দেওয়ার মাস।
আর রমাদান হলো ইবাদাতের ফসল ঘরে তোলার মাস। ”

اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ، وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ

#রজব
#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:53


আলহামদুলিল্লাহ, আমরা রজব মাসে পদার্পণ করলাম। রামাদানের আর মাত্র দুই মাস সময় বাকি আছে। রজব মাসে পঠিত একটি দু‘আর ব্যাপারে কয়েকটি কথা:

হাদিসে এসেছে, রজব মাস এলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন —

اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْ رَجَبَ وَشَعْبَانَ وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ

(উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা বা-রিক লানা ফি রজাবা ওয়া শা‘বান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদা-ন)

হে আল্লাহ!
আপনি আমাদের রজব ও শাবানে বরকত দিন এবং রমাদানে পৌঁছে দিন।
[ইমাম ইবনুস সুন্নি, ‘আমালুল ইয়াউম ওয়াল লাইলাহ: ৬৫৯; শায়খ আরনাউত্ব, তাখরিজুল  মুসনাদ: ২৩৪৬]

হাদিসটির সনদ (বর্ণনাসূত্র) মুহাদ্দিসগণের ঐক্যমতে দ্বয়িফ (দুর্বল)। তবে, যেহেতু এটি কোনো বিধি-বিধানের হাদিস নয়, সেহেতু কেউ চাইলে এর উপর আমল করতে পারে। অর্থাৎ, দুর্বল হাদিস কখনই হুজ্জাহ (প্রমাণ/রেফারেন্স) হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, তাই দুর্বল হাদিস দ্বারা কোনো আহকাম (বিধান) সাব্যস্ত করা যায় না। কারণ দুর্বল হাদিসের ব্যাপারে মৌলিক কথা হলো, এটি নবিজি থেকে অপ্রমাণিত। কিন্তু কোনো সাধারণ ফজিলতের বিষয় বা দু‘আ ইত্যাদি দুর্বল হাদিসের উপর ভিত্তি করে আমল করা যায়।

সালাফে সালিহিন থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তাঁরা রামাদানের অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন দু‘আ করতেন, যাতে রামাদান নসিব হয়। সুতরাং আমরাও রামাদান পাওয়ার জন্য আল্লাহর সাহায্য চেয়ে উপরিউক্ত দু‘আটি করতে পারি কিংবা নিজ ভাষায় অন্য যেকোনো দু‘আ করতে পারি।

- নুসুস

#রজব
#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:53


বিস্তারিতঃ
https://t.me/RamadanReminder/3537

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:51


আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,

যে ব্যক্তি
- জুমআর রাত,
- রজব মাসের প্রথম রাত,
- অর্ধ শাবানের রাত এবং
- দুই ঈদের রাতসহ এই পাঁচ রাতে কোনো দোয়া করে;
সে রাতে তার কোনো আবেদনই ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’


[ মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক,
হাদিস নংঃ ৭৯২৭ ]

১লা জানুয়ারী মাগরিবের পর থেকে রজব মাস শুরু।
রজব মাসের প্রথম রাতের আমলের ব্যপারে আল্লাহ সবাইকে যত্নবান হবার তৌফিক দিন,আমিন।

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:50


আজ সন্ধ্যায় (১ জানুয়ারি ২০২৫) বাংলাদেশের আকাশে রজব মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। শুরু হলো ১৪৪৬ হিজরির রজব মাস। দেশের প্রচলিত নিয়মে এই মাসের দিন গণনা শুরু হবে ২ জানুয়ারি রোজ বৃহঃবার থেকে। নতুন চাঁদ দেখে দুআটা পড়ে নেই।

ইসলামের চারটি হারাম মাসের একটি মাস হচ্ছে এই পবিত্র রজব মাস। এই মাস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে রমাদান মাস আসার আর মাত্র দুই মাসের কম সময় বাকি। আসুন আমরা আল্লাহর কাছে রমাদান পাওয়ার দুআ করি এবং প্রস্তুতি শুরু করে দেই ইন শা আল্লাহ

নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দো‘আঃ

اللّٰهُ أَكْبَرُ، اللّٰهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللّٰهُ

উচ্চারণঃ আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু ‘আলাইনা বিলআমনি ওয়ালঈমানি ওয়াস্‌সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ

অর্থঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার (চাঁদের) রব্ব।

[তিরমিযী ৫/৫০৪, নং ৩৪৫১; আদ-দারিমী, শব্দ তাঁরই, ১/৩৩৬। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫৭]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:48


রজব ও শা’বান মাসে রাসূল ﷺ এই দু’আ করতেনঃ-

اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ

উচ্চারণঃ ‘আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফি রজাবা ওয়া শা’বানা ওয়া বাল্লিগনা রমাদন।’
.
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত ( হায়াত দিন ) পৌঁছে দিন।’

[আল মুজামুল আওসাত, হাদিস নং ৩৯৩৯]

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:47


আজ ১ লা রজব ১৪৪৬। কোরআন নাযিলের মাস পবিত্র রমজান মাসের আর মাত্র ২ মাস বাকি। রসূল ﷺ রজব মাস আসলেই তার রোজা বাড়িয়ে দিতেন এবং রমজানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করতেন।

তিনি দোয়া করতেন,
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَب، وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ

“ হে আল্লাহ!
আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত ( হায়াত দিন ) পৌঁছে দিন। ”
[ তাবারানিঃ ৩৯৩৯ ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:41


https://www.somoynews.tv/news/2025-01-01/MDSx0YSE

https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

30 Oct, 17:46


বাংলাদেশে রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল

পবিত্র রমজান মাস আগমনের দিনগণনা শুরু হয়েছে। হিজরি ক্যালেন্ডার অনুয়ায়ী, শাবানের পরই আসে রমজান মাস, সেই হিসাবে আর চার মাস বাকি আছে। এর মধ্যেই ২০২৫ সালের রমজান শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ইউএই )।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক দেশটির সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে আগামী বছরের ১ মার্চ রমজান শুরু হতে পারে। আর সেই হিসাবে বাংলাদেশে ২ মার্চ থেকে শুরু হতে পারে রোজা।

দ্য ইমেরিটাস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটি সোমবার ( ২৮ অক্টোবর ) জানায়, ২০২৫ সালের ১ মার্চ দেশটিতে রোজা শুরু হতে পারে। এর আগে আকাশে হিজরি রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাবে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জানায়, রমজান মাসের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে, আর মাত্র চার মাস বাকি আছে। এই সময় দ্য ইমেরিটাস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটি রমজান শুরুর সময় নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে।

সোসাইটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হিজরি জমাদিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করছে রোজার শুরুর তারিখ। এই মাসের চাঁদ আগামী ৩ নভেম্বর দেখা যেতে পারে।

এখন চাঁদ দেখার পরেই নিশ্চিত করা যাবে, রোজা কবে শুরু হবে। দ্য ইমেরিটাস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান গালফ নিউজকে জানান, সম্ভবত আগামী বছরের ১ মার্চ আমিরাতে রমজান শুরু হবে, তবে সবকিছু চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করছে।

উল্লেখ্য, সাধারণত সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে রোজা শুরুর একদিন পর বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশে ২ মার্চ রোজা শুরু হতে পারে।

রমজান হলো ইসলামী চন্দ্র বর্ষপঞ্জির নবম মাস। এই মাসের ৩০ বা ২৯ দিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পালন করেন মুসলিমরা। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের ওপর নির্ভর করে উপবাসের সময়কাল পরিবর্তিত হয়।

অবশ্য হিজরি সনের তারিখ গণনা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। তাই স্থানভেদে এর তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। পবিত্র রমজানসহ অন্য মাসগুলো শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চাঁদ দেখা কমিটি দিয়ে থাকে।

[ সূত্রঃ গালফ নিউজ ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

22 Oct, 20:16


রোজা বা উপবাস ( ফাস্টিং ) ক্যানসার মোকাবিলা করতে পারে!

অটোফেজি ও অ্যাপোপটোসিস-এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কোষ অপসারিত হয়।

অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।

ডিএনএ-এর ক্ষতি আটকায় এবং মেটাস্টেসিসকে ধীর করে।

ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়িয়ে, ক্যান্সারের কোষগুলিকে বাড়তে দেয়না।

ইমিউনোসার্ভিলেন্স-এর মাধ্যমে ক্যান্সারের কোষগুলি বিনাশ করে।

এইচও-1 এবং এসওডি মজবুত করে কোষের বিস্তারে বাধা দেয়।

- ডাঃ কে. এম. সাইফুল্লাহ
ওয়ার্ল্ড-রিনাউন্ড আয়ুষ চিকিৎসক
( অল প্রেইজ বি টু দ্য লর্ড অফ ইউনিভার্সেস )
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

16 Oct, 12:58


তাকওয়া অর্জনের মাস রমজান ❞

- শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লাহ

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

16 Oct, 12:57


কিভাবে কাটাবো রমজানুল মোবারক

- শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লাহ

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

16 Oct, 09:49


রমাদান বিষয়ক দুইটি গুরুত্বপূর্ণ অডিও লেকচার আজকে আপলোড করা হবে ইন শা আল্লাহ, যেগুলো রমাদান মাসের জন্য সহায়ক হবে।

https://t.me/RamadanReminder/3527

https://t.me/RamadanReminder/3528

বরকতময় রমাদান

10 Aug, 10:18


JOIN 👇
শেষ জামানা এবং ফিৎনা।
https://t.me/ShesJamanarFitnah

বরকতময় রমাদান

14 Jul, 13:50


আসছে টানা ৮ দিন ধারাবাহিক নফল সিয়ামের অভাবনীয় সুযোগ!

আগামীকাল সোমবার সাপ্তাহিক সুন্নাহ সিয়ামের দিন।
মঙ্গল ও বুধবার আশুরার সিয়াম। বৃহস্পতিবারও সাপ্তাহিক সুন্নাহ সিয়ামের দিন।


নিছক জুমা হিসেবে নফল রোযা নিষেধ হলেও মুহাররম মাস হিসেবে এবং আগে-পরে রোযার সাথে জুমার দিনও রোযা রাখা যায়। আবার চাইলে বিরতিও দেওয়া যায়।

এরপর শনি, রবি ও সোম আইয়্যামে বিজ তথা চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের সিয়াম।

এই সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারানো উচিত হবে না।

★ একজন মুসলমান ফরজ ইবাদত তো পালন করবেনই, এটা তার অপরিহার্য দায়িত্ব; পাশপাশি আল্লাহর প্রিয় হয়ে ওঠার জন্য, আল্লাহর কাছে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের নফল ইবাদতের প্রতিও তিনি যত্নবান হবেন।

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

21 Apr, 14:24


“ রমাদান ছাড়াও বছরে সাতটি সময়ে রোজা রাখা সুন্নত। ”

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Apr, 15:06


শাওয়ালের ছয় রোজায় ডাবল সওয়াব লাভের উপায়।

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

19 Apr, 20:35


রমাদান পেয়ে কে ক্ষমাপ্রাপ্ত?
আর কে অভিশপ্ত?


- মাওলানা মামুনুর রশিদ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

19 Apr, 20:35


পুরো বছরকে রমাদানময় করতে রমাদানের তিনটি আমল ছাড়বেন না।

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

19 Apr, 20:15


“ রমাদান শেষ হলেও -

রোজা রাখার ‍সুযোগ শেষ হয়নি,
কিয়ামুল লাইল শেষ হয়ে যায়নি,
কুরআনও হারিয়ে যায়নি;
সওয়াবের আশ্বাসও ফুরোয়নি।

- শাইখ আতিক উল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

19 Apr, 14:23


প্রশ্নঃ- মা-বোনরা রমাদানের কাযা রোযাগুলো আগে রাখবেন?
নাকি শাওয়াল মাসের ছয় রোযা আগে রাখবেন?


মা-বোনদের রমাদানের ভাঙতি কাযা রোযার সাথে শাওয়ালের ছয় রোযার নিয়ত করলে আদায় হবে?

بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله

উত্তরঃ- এক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে, কাযা রোযাগুলো আগে রেখে পরে শাওয়ালের ছয় রোযা রাখা৷
কেননা নফলের চেয়ে ফরযের গুরুত্বই বেশি৷

কাযা রোযাগুলো হচ্ছে ফরয৷ আর শাওয়ালের রোযা নফল৷
যদিও এই ছয় রোযার ফযীলত অপরিসীম৷

হাদীসে এসেছে আবু আইয়ুব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত -
‘যে ব্যক্তি রমাদানের রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসে ৬ টি রোযা রাখবে, সে যেন পুরো বছরজুড়ে রোযা রাখল৷’
( মুসলিম হাদীস নং- ১১৬৪ )

তবে কেউ যদি মনে করেন -
আগে শাওয়ালের ছয়টি রোযা রেখে দেই, পরে কাযা রোযা আদায় করব; তাহলেও সমস্যা নেই৷

কেননা শাওয়ালের ছয়টি রোযা তো এই মাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট৷ শাওয়ালের মধ্যেই রাখতে হবে৷

অপরদিকে কাযা রোযা বছরের যে কোনো মাসে, যে কোনো দিনে বিক্ষিপ্তভাবে রাখতে পারবেন৷

হানাফী, শাফেঈ ও মালেকী মাযহাবের রায়ও এইট যে - কাযা রোযার আগে শাওয়ালের রোযা বা যে কোনো নফল রাখা যাবে, কোনো সমস্যা নেই৷

পক্ষান্তরে হাম্বলী মাযহাব মতে আগে কাযাগুলো রাখতে হবে৷ পরে নফল৷ কাযার আগে নফল রাখা জায়েয নেই৷ যদিও হাম্বলী মাযহাবের এই মতটি জুমহূরের বিপরীত৷

তাছাড়া হাদীসে প্রথমে কাযা আদায় করে শাওয়ালের রোযা রাখার কোনো কথা সুস্পষ্টভাবে আসেনি৷

বরং আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আগের রমাদানের কাযা পরের শা'বানে রাখতেন বলে বুখারি-মুসলিমসহ অন্যান্য হাদীসের কিতাবে বিবরণ পাওয়া যায়৷
‘আবু সালামা বলেন, আমি শুনেছি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেনঃ
আমার উপর বিগত রমযানের রোযা বাকি থাকত, যার কাযা আমি ( পরবর্তী ) শা‘বান মাস ছাড়া আদায় করতে পারতাম না।’
( বুখারী হাদীস নং - ১৮৪৯ ও মুসলিম হাদীস নং - ১১৪৬ )

আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা যদি শাওয়ালের রোযা আদায় করে থাকেন, আর উম্মুল মুমিনীন থেকে তো না রাখার ধারণা করা যায় না৷ তাহলে তো রামাযানের কাযা আদায় না করেই তিনি শাওয়ালের ছয়টি রোযা আদায় করেছেন, সেটাই এই রেওয়ায়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয়৷

তাছাড়া শাওয়ালের রোযা রাখতে হলে আগে কাযা আদায় করতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা অনেকটা কঠিন হয়ে যায়৷
বিশেষত নারীদের জন্যে একমাস রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসেরও আরো অর্ধেক রোযা পালন আসলেই কঠিন কাজ৷

এইজন্য শরীয়ত এমন নির্দেশনা দেয়নি৷
তাই শাওয়ালের রোযা আগে রেখে পরে যে কোনো সময় কাযা আদায়েরও সুযোগ রয়েছে৷
বিশেষত মা-বোনরা এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন৷

রমাদানের কাযা রোযার সাথে শাওয়ালের রোযার নিয়ত করলে আদায় হবেনা৷
বরং কাযা এবং শাওয়ালের রোযা পৃথক পৃথকভাবে রাখতে হবে৷

‘যদি রমাদানের কাযা এবং নফলের নিয়ত করা হয়, তাহলে এক বর্ণনা মতে ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ ও ইমাম আবু ইউসুফ রাহ. এর মত হলো - এতে রমাদানের কাযা আদায় হবে৷’
( আল-বাহরুর রায়িকঃ ২/২৯৯ )

দারুল ইফতা দেওবন্দের ফতোয়া -
কাযা রোযা পৃথক রাখবে৷ শাওয়ালের নফল ছয় রোযা পৃথক রাখবে৷
কাযা রোযার সাথে নফল রোযার নিয়ত করা ঠিক নয়৷
( ফতোয়া নং - ৫৫৫২৪ )

والله تعالي اعلم بالصواب.

উত্তর লিখনে-
মুফতি জিয়াউর রহমান হাফিজাহুল্লাহ,
আম্বরখানা সিলেট।
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

15 Apr, 14:41


শাওয়ালের ছয়টা সিয়াম কি পরের মাসগুলোতে আদায় করা যাবে?

শাওয়াল চলে গেলে এই সিয়াম পূর্ণ করার বিধান শরীআতে নেই। কেননা এটি হচ্ছে সুন্নাহ।

এর আদায়ের সময় তখন চলে যাবে, তা সেটা ব্যক্তি কোনো ওজরের জন্য ছাড়ুক বা ওজর ব্যতীতই ছাড়ুক। ❞

[ শাইখ বিন বাযকে রাহিমাহুল্লাহ,
মাজমুঊ ফাতাওয়াঃ ১৫/৩৮৯ ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

15 Apr, 14:40


মহিলারা রমজানের কাজার আগে শাওয়ালের ৬ রোজা রাখতে পারবে কি?

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

12 Apr, 23:56


রমাদানের পর মুমিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি?

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

12 Apr, 23:56


রমাদানের পরের সময়টা কিভাবে কাটাবেন?

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

11 Apr, 14:09


শাওয়াল ও আইয়্যামে বীজের রোজা একসাথে রাখা যাবে কিনা ?

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

11 Apr, 14:06


শাওয়ালের ছয় রোযা
------------------------------
রমযানের পরবর্তী আরবী মাস হচ্ছে শাওয়াল। পয়লা শাওয়াল ঈদের দিন। ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম। ঈদের দিন ব্যতীত বাকি দিনগুলোতে ছয়টি রোযা রাখার ফযীলত অনেক। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

যে ব্যক্তি রমযানে রোযা রাখল। এরপর শাওয়ালে ছয়টি রোযা রাখল। সে পুরো বছর রোযা রাখার সওয়াব লাভ করবে।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৪)

পূর্ণ এক মাস রোযা রাখার পর শাওয়ালেও এর রেশ থেকে যায়। রোযা না রাখলেও রোযা রোযা মনে হয়। তাই শাওয়াল মাসে এমনিতেই রোযা রাখা সহজ। এ ছয় রোযা ইচ্ছা করলে লাগাতারও রাখা যায়। আবার কয়েকদিন বাদ দিয়ে বাদ দিয়েও রাখা যায়।আবার কয়েকদিন বাদ দিয়ে বাদ দিয়েও রাখা যায়। তাই একটু হিম্মত করে ফযীলতপূর্ণ এ ছয়টি রোযা রেখে পুরো বছর রোযা রাখার সওয়াব লাভ করার চেষ্টা করি। আল্লাহ তাআলাই উত্তম তাওফীকদাতা।

শাওয়ালের রোযা বিষয়ক প্রশ্ন-উত্তর
============================
প্রশ্ন:
শাওয়াল মাসের ছয় রোযা রাখার নিয়ম কী? এগুলো এক সাথে লাগাতার ছয় দিন রাখা জরুরি, না মাঝে বিরতি দিয়ে রাখা যাবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর:
শাওয়ালের ছয় রোযা ধারাবাহিকভাবে একত্রে রাখা যায়, আবার বিরতি দিয়েও রাখা যায়। যেভাবেই রাখা হোক তা আদায় হয়ে যাবে এবং নির্ধারিত ফযীলতও লাভ হবে।
(লাতাইফুল মাআরিফ ৪৮৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/২১৫; আলমাজমূ ৬/৪২৬-৪২৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৬২; ফাতহুল মুলহিম ৩/১৮৭; আলমুগনী ৪/৪৩৮)
----------
প্রশ্ন:
এই হাদীসটির সঠিক তরজমা কী? কেউ যদি الدهرশব্দের অর্থ ‘একযুগ’করে তাহলে তা কি সহীহ হবে?
উত্তর:
হাদীসটির অর্থ-‘যে ব্যক্তি পুরো রমযান এবং এর পরে শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখল সে যেন পুরো এক বছর রোযা রাখল।’
প্রশ্নোক্ত হাদীসে الدهر শব্দটি দ্বারা এক বছর বুঝানো হয়েছে। কেননা শাওয়ালের ছয় রোযার ফযিলত সম্পর্কে বর্ণিত ‘সুনানে নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ’-এর এক বর্ণনায় الدهر এর পরিবর্তে আসসানাহ অর্থাৎ এক বৎসর এসেছে। অতএব এখানেও الدهر দ্বারা আসসানাহ বা এক বৎসরই উদ্দেশ্য হবে। এক যুগ নয়।
উল্লেখ্য, আভিধানিকভাবে الدهر শব্দটি কোনো নির্দিষ্ট সময় বুঝায় না। তাই الدهر এর অর্থ যুগ নয়। আভিধানিকভাবে الدهر শব্দের যে সব অর্থ পাওয়া যায় তা নিম্নরূপ :
(১) পুরো জীবন।
(২) দীর্ঘ সময়।
(৩) উল্লেখযোগ্য অনির্দিষ্ট সময়।
(৪) হাজার বছর
(৫) এক লক্ষ বছর।
উল্লেখ্য যে, হাদীসটিতে الدهر এর অর্থ যেমনিভাবে ১ বছর করা হয়েছে তেমনি কেউ কেউ পুরো জীবন অর্থেও তা ব্যবহার করেছেন। মূলত : এ দুটি কথায় কোনো বিরোধ নেই। কারণ একটি নেক আমলের ছওয়াব দশগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। সে হিসেবে শাওয়ালের ছয়টিসহ ছত্রিশটি রোযা রাখা মানে তিনশ ষাট দিনই অর্থাৎ ১ বছর রোযা রাখা। অতএব যে ব্যক্তি এভাবে প্রতি বছর ছত্রিশটি রোযা রাখল সে বস্ত্তত পুরো জীবনই রোযা রাখল।
(ইকমালুল মু’লিম ৪/১৩৯; মাআরিফুস সুনান ৫/৪৪৪; ফয়যুল কাদীর ৬/১৬১; ফাতহুল মুলহিম ৩/১৮৭; আউনুল মা’বুদ ৭/৬৩)
----------
প্রশ্ন:
রমযানের কাযা রোযা এবং শাওয়ালের ছয় রোযা একত্রে রাখলে উভয়টি আদায় হবে কি? এবং কাযা ও নফল রোযার সওয়াব পাওয়া যাবে কি?
উত্তর:
রযমানের কাযা রোযা এবং শাওয়ালের ছয় রোযা একত্রে নিয়ত করলে শুধু রমযানের কাযা রোযা আদায় হবে। শাওয়ালের ছয় রোযা আদায় হবে না। এবং ছয় রোযার সওয়াবও পাওয়া যাবে না। শাওয়ালের ছয় রোযা রাখতে হলে পৃথকভাবে শুধু এর নিয়তে রোযা রাখতে হবে।
(বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/৪৪০, ২/১৩; ফাতহুল কাদীর ২/২৪৮; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৪৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০১)

[ মাসিক আলকাউসার ]
#Ramadan
#Shawal
#শাওয়াল
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

11 Apr, 14:05


আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) এর বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
যে ব্যক্তি রমজান মাসের সব ফরজ রোজাগুলো রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছর ধরেই রোজা রাখল।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১১৬৪)
অর্থাৎ,শাওয়াল মাসের মাত্র ৬টি রোজার সাওয়াব বছরজুড়ে রোজা রাখার সমতুল্য।

রমাদান মাসের পরের মাস অর্থাৎ হিজরি সনের দশম মাস হলো শাওয়াল মাস। এ মাসের প্রথম দিনে মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ জাতীয় উৎসব, ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। উৎসব আনন্দে মুসলমানগণ যাতে রমাদানের মহৎ শিক্ষাটা ভুলে না যায়, হয়তো সে জন্যই রাসুলে করিম (সা.) এ মাসে ছয়টি নফল রোজা রাখতে উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন।
শাওয়ালের ছয় রোজা রাখার আরও ফায়দা হচ্ছে- অবহেলার কারণে অথবা গুনাহর কারণে রমাদানের রোজার উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে থাকে সেটা পুষিয়ে নেয়া। কেয়ামতের দিন ফরজ আমলের কমতি নফল আমল দিয়ে পূরণ করা হবে। এগুলোই শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রাখার ফজিলত।

এর বিধানসমূহঃ
১) রমাদানের সিয়াম পালনের পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা সুন্নত-মুস্তাহাব; ফরজ/ওয়াজিব নয়।
২) এই রোজা শাওয়াল মাসের যেকোন দিনে রাখতে পারবেন।
৩) একটানা অথবা ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাখতে পারবেন আপনার সুবিধানুযায়ী।
৪) রমাদানের মত শাওয়ালের রোজা রাখার ক্ষেত্রেও সাহারী ও অবিলম্বে ইফতার করা সুন্নাহ।
৫) নিয়্যাত অন্তরের সংকল্প, মুখে করা জরুরী নয়। বরং জরুরী মনে করলে বিদয়াত হবে।
৬) এই রোজাগুলো আইয়্যামে বীজ ও সাপ্তাহিক নফল রোজার সাথে মিলিয়ে রাখা যায়। ফলে একটি রোজা রেখেও একাধিক রোজার ফজিলত হাসিল হবে। সেক্ষেত্রে অন্তরের নিয়্যাতই যথেষ্ট ইন শা আল্লাহ্‌।
৭) শাওয়ালের ৬ রোজায় বছরজুড়ে রোজা রাখার ফজিলত ওই ব্যক্তির জন্যই কার্যকর হবে, যে ব্যক্তি রমজান মাসজুড়ে ফরজ রোজা আদায় করেছেন এবং শাওয়ালের রোজা পালন করেন। তাই রমাদানে কারনবশত কোন রোজা কাজা করে ফেললে রমাদানের রোজাগুলো সম্পন্ন করে তারপর শাওয়ালের রোজা রাখবেন। এটাই উত্তম। আর যদি কাযা রোজার পরিমান এত বেশি হয় যে সেগুলো আগে রাখতে গেলে শাওয়ালের রোজাগুলো ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে আগে শাওয়ালের রোজা রাখার অনুমতি আছে।
৮) শাওয়ালের ৬ রোজাকে সাক্ষী রোজা বলা যাবেনা। সাক্ষী রোজা নামে শরীয়তে কোন রোজা নাই।

রেফারেন্সঃ
https://ifatwa.info/18135/?show=18135#q18135
https://ifatwa.info/18523/?show=18523#q18523
https://ifatwa.info/17803/?show=17803#q17803
- IOM

#Ramadan
#Shawal
#শাওয়াল
https://t.me/RamadanReminder