বরকতময় রমাদান @ramadanreminder Channel on Telegram

বরকতময় রমাদান

@ramadanreminder


রমাদান বিষয়ে লেখনী সমূহ একত্রে সহজ প্রাপ্য করার উদ্দেশ্যে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান (Bengali)

বরকতময় রমাদান চ্যানেলটি রমাদান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ছোট লেখনী সমূহ সহজেই অ্যাক্সেস করার জন্য উদ্দেশ্য করে। এই চ্যানেলে রমাদান মাসের প্রতিটি দিনের সঠিক পদ্ধতিতে পালন করতে সহায়ক লেখনী, মেসেজ, ওয়াজ, আয়াতের ভিডিও, ওয়াজিদের ভিডিও, ভক্তি পর্ব, এবং আরও অনেক কিছু পাওয়া যাবে। ক্ষুদ্র প্রয়াসে রমজান মাসের মাহকে আরো সুন্দর করার চেষ্টা করছে 'বরকতময় রমাদান' চ্যানেল। আরও অনেক কিছু জানতে, https://t.me/RamadanReminder এ যোগদান করুন।

বরকতময় রমাদান

04 Jan, 09:07


❝ বর্ণিত আছে যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদান এগিয়ে এলে আনন্দিত হতেন।

রজব মাস শুরু হলে তিনি দুআ করতেন,

اللهم ‌بارك ‌لنا ‌في ‌رجب ‌وشعبان، ‌وبلَّغنا ‌رمضان

হে আল্লাহ,
আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন, আর আমাদেরকে রমাদানে পৌঁছে দিন।


একইভাবে সালাফরাও ( রাহিমাহুমুল্লাহ ) রমাদানের আবির্ভাবে আনন্দিত হতেন, এর জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করতেন।

তাঁরা ৬ মাস যাবৎ দুআ করতেন যেন আল্লাহ তাঁদেরকে রমাদান পাইয়ে দেন,
এরপর বাকি ৬ মাস দুআ করতেন যেন রমাদানের আমলগুলো কবুল হয়ে যায়।

এভাবে গোটা বছরই তাঁরা রমাদানের ইহতিমাম করতেন। ❞

- শাইখ আব্দুল্লাহ বিন জিব্রীন রাহিমাহুল্লাহ
[ ফাতাওয়াউশ শাইখ ইবন জিব্রীনঃ ৫/৫৯ ]

#রজব
#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

03 Jan, 11:58


রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

বারো মাসে বছর হয়। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত।
তিনটি হলো ধারাবাহিকভাবেঃ
জিলকদ, জিলহজ, মহররম।
আর চতুর্থটি হলো ‘রজব।’


( সহিহ বুখারিঃ ২/৬৭২ )

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

এই চার মাসে আমল করলে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি সাওয়াব হয় এবং
এই চার মাসে গুনাহ করলে অন্য মাসের তুলনায় বেশি গুনাহ হয়।


( তাফসিরে তাবারিঃ ৬/১৪৯-১৫০ )

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Jan, 15:55


দুটি বিদআতঃ ‘লাইলাতুর রাগাইব ও শবে ইস্তেফতাহ পালন

কিছুদিন আগে একটি মসজিদে ‘ইসলামী পবিত্র দিনসমূহ’ শিরোনামের একটি তালিকা নজরে পড়ল।
সযত্নে লেখা এই তালিকাটিতে দেখলাম - রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার ‘লাইলাতুর রাগাইব’ আর রজবের পনেরো তারিখ ‘শবে ইস্তেফতাহ’।

আসলে রজব মাস নিয়ে কোনো কোনো মহলে বিভিন্ন কল্পিত বিদআত ও রসমের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এর সমর্থনে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও জালকৃত বিভিন্ন বর্ণনাও ‘মাকছুদুল মুমিনীন’ ও ‘বার চাঁদের ফযীলত ও আমল’ জাতীয় কিছু অনির্ভরযোগ্য বইয়ে পাওয়া যায়।

যেমন একটি জাল বর্ণনা হল,
‘যারা রজব মাসে রোযা রাখে, তাদের গুনামাফীর জন্য ফেরেশতাকুল রজবের প্রথম জুমআর রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দোয়ায় মগ্ন থাকেন।’

এরকম আরেকটি ভিত্তিহীন বর্ণনা হল,
‘যে ব্যক্তি রজবের প্রথম বৃহস্পতিবার রোযা রাখে, অতঃপর মাগরিব ও ইশার মাঝখানে দু’রাকাত করে ( বিশেষ পদ্ধতিতে ) বার রাকাত নামায আদায় করে;
তার সকল প্রয়োজন পূরণ করা হয় এবং তার সকল গুনাহ মাফ করা হয়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা, বালুকণা, পাহাড়ের ওজন এবং বৃক্ষের পাতার সমপরিমাণ হয়।
আর কিয়ামতের দিন সে তার পরিবারের সাত শত গুনাহগার জাহান্নামের উপযোগী মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।’

প্রয়োজন পূরণের কথিত এই রাতটির নামও রাখা হয়েছে ‘লাইলাতুর রাগাইব’।
আর বিশেষ পদ্ধতির উল্লেখিত নামাযের নাম ‘সালাতুর রাগাইব’।

এমনিভাবে পনের রজবের রাত সম্পর্কিত একটি জাল বর্ণনা হল,
‘এই রাতে চার রাকাত নামায বিশেষ নিয়মে আদায় করে নির্দিষ্ট পরিমাণ দুরূদ, তাসবীহ-তাহমীদ ও তাহলীল আদায় করলে আল্লাহর পক্ষ হতে তার নিকট এক হাজার ফেরেশতা পাঠানো হয়।
যারা ঐ ব্যক্তির জন্য নেকী লিখতে থাকেন এবং ঐ রাত পর্যন্ত যত গুনাহ সে করেছে সব ক্ষমা করে দেন।
অবশেষে তার কাঁধে হাত রেখে একজন ফেরেশতা বলে,
তুমি নতুন করে আমল শুরু কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।’

গুনাহ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে নতুন করে আমল শুরু করার এই বানোয়াট বর্ণনার কারণেই সম্ভবত এই রাতের নাম রাখা হয়েছে ‘শবে ইস্তেফতাহ’।

উল্লেখিত বর্ণনা ছাড়াও এই দুই রাত সম্পর্কে এই ধরনের আরো প্রচুর পরিমাণ ভিত্তিহীন বর্ণনা রয়েছে।

কিন্তু আসল কথা হল - শরীয়তে ‘লাইলাতুর রাগাইব’ ও ‘শবে ইস্তেফতাহ’ নামে বিশেষ মহিমান্বিত কোনো রাতের অস্তিত্বই নেই।
নামে-বেনামে রজব মাসে এই বিশেষ রাত উদযাপন হচ্ছে নবউদ্ভাবিত বিদআত। কুরআন ও সুন্নাহ্‌য় যার কোনো প্রমাণ নেই।

তেমনিভাবে ঐ রাত বা দিনগুলোতে কোনো নির্দিষ্ট নামায-রোযা বা অন্য কোনো বিশেষ আমলের কথাও ইসলামে নেই।
এই সম্পর্কিত সকল বর্ণনা ও রেওয়ায়েত সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও জাল।

অতএব ‘লাইলাতুর রাগাইব’ হোক কিংবা ‘শবে ইস্তেফতাহ’ - এগুলো উদযাপন করা কিংবা কল্পিত ও ভিত্তিহীন বর্ণনার উপর নির্ভর করে বিশেষ ধরনের আমল করা সবই পরিত্যাজ্য।
এগুলো থেকে দূরে থাকাই একজন মুমিনের একান্ত কর্তব্য।

[ মাসিক আলকাউসার ]

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Jan, 15:54


শুরু হলো রজব মাস,
জেনে নিন এই মাসের তাৎপর্য এবং করণীয় ও বর্জনীয় কুসংস্কারসমূহ।

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

02 Jan, 15:54


রজব মাসের বিশেষ আমল কী, রমজান মাস পাওয়ার বিশেষ দোয়াটি কি করা যাবে?
উত্তর প্রদানেঃ শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ।

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:54


সালাফগণ রমাদানের পূর্বেই রমাদানের জন্য প্রস্তুতি নিতেন।

তাঁরা বলতেন,
রজব মাস হলো মুমিনের ইবাদাতের বীজ বপনের মাস।
শাবান মাস হলো বান্দার চোখের পানি দিয়ে ইবাদাতের বীজে সেচ দেওয়ার মাস।
আর রমাদান হলো ইবাদাতের ফসল ঘরে তোলার মাস। ”

اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ، وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ

#রজব
#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:53


আলহামদুলিল্লাহ, আমরা রজব মাসে পদার্পণ করলাম। রামাদানের আর মাত্র দুই মাস সময় বাকি আছে। রজব মাসে পঠিত একটি দু‘আর ব্যাপারে কয়েকটি কথা:

হাদিসে এসেছে, রজব মাস এলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন —

اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْ رَجَبَ وَشَعْبَانَ وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ

(উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা বা-রিক লানা ফি রজাবা ওয়া শা‘বান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদা-ন)

হে আল্লাহ!
আপনি আমাদের রজব ও শাবানে বরকত দিন এবং রমাদানে পৌঁছে দিন।
[ইমাম ইবনুস সুন্নি, ‘আমালুল ইয়াউম ওয়াল লাইলাহ: ৬৫৯; শায়খ আরনাউত্ব, তাখরিজুল  মুসনাদ: ২৩৪৬]

হাদিসটির সনদ (বর্ণনাসূত্র) মুহাদ্দিসগণের ঐক্যমতে দ্বয়িফ (দুর্বল)। তবে, যেহেতু এটি কোনো বিধি-বিধানের হাদিস নয়, সেহেতু কেউ চাইলে এর উপর আমল করতে পারে। অর্থাৎ, দুর্বল হাদিস কখনই হুজ্জাহ (প্রমাণ/রেফারেন্স) হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, তাই দুর্বল হাদিস দ্বারা কোনো আহকাম (বিধান) সাব্যস্ত করা যায় না। কারণ দুর্বল হাদিসের ব্যাপারে মৌলিক কথা হলো, এটি নবিজি থেকে অপ্রমাণিত। কিন্তু কোনো সাধারণ ফজিলতের বিষয় বা দু‘আ ইত্যাদি দুর্বল হাদিসের উপর ভিত্তি করে আমল করা যায়।

সালাফে সালিহিন থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তাঁরা রামাদানের অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন দু‘আ করতেন, যাতে রামাদান নসিব হয়। সুতরাং আমরাও রামাদান পাওয়ার জন্য আল্লাহর সাহায্য চেয়ে উপরিউক্ত দু‘আটি করতে পারি কিংবা নিজ ভাষায় অন্য যেকোনো দু‘আ করতে পারি।

- নুসুস

#রজব
#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:53


বিস্তারিতঃ
https://t.me/RamadanReminder/3537

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:51


আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,

যে ব্যক্তি
- জুমআর রাত,
- রজব মাসের প্রথম রাত,
- অর্ধ শাবানের রাত এবং
- দুই ঈদের রাতসহ এই পাঁচ রাতে কোনো দোয়া করে;
সে রাতে তার কোনো আবেদনই ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’


[ মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক,
হাদিস নংঃ ৭৯২৭ ]

১লা জানুয়ারী মাগরিবের পর থেকে রজব মাস শুরু।
রজব মাসের প্রথম রাতের আমলের ব্যপারে আল্লাহ সবাইকে যত্নবান হবার তৌফিক দিন,আমিন।

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:50


আজ সন্ধ্যায় (১ জানুয়ারি ২০২৫) বাংলাদেশের আকাশে রজব মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে। শুরু হলো ১৪৪৬ হিজরির রজব মাস। দেশের প্রচলিত নিয়মে এই মাসের দিন গণনা শুরু হবে ২ জানুয়ারি রোজ বৃহঃবার থেকে। নতুন চাঁদ দেখে দুআটা পড়ে নেই।

ইসলামের চারটি হারাম মাসের একটি মাস হচ্ছে এই পবিত্র রজব মাস। এই মাস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে রমাদান মাস আসার আর মাত্র দুই মাসের কম সময় বাকি। আসুন আমরা আল্লাহর কাছে রমাদান পাওয়ার দুআ করি এবং প্রস্তুতি শুরু করে দেই ইন শা আল্লাহ

নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দো‘আঃ

اللّٰهُ أَكْبَرُ، اللّٰهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللّٰهُ

উচ্চারণঃ আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু ‘আলাইনা বিলআমনি ওয়ালঈমানি ওয়াস্‌সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ

অর্থঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার (চাঁদের) রব্ব।

[তিরমিযী ৫/৫০৪, নং ৩৪৫১; আদ-দারিমী, শব্দ তাঁরই, ১/৩৩৬। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫৭]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:48


রজব ও শা’বান মাসে রাসূল ﷺ এই দু’আ করতেনঃ-

اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ

উচ্চারণঃ ‘আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফি রজাবা ওয়া শা’বানা ওয়া বাল্লিগনা রমাদন।’
.
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত ( হায়াত দিন ) পৌঁছে দিন।’

[আল মুজামুল আওসাত, হাদিস নং ৩৯৩৯]

#রজব
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:47


আজ ১ লা রজব ১৪৪৬। কোরআন নাযিলের মাস পবিত্র রমজান মাসের আর মাত্র ২ মাস বাকি। রসূল ﷺ রজব মাস আসলেই তার রোজা বাড়িয়ে দিতেন এবং রমজানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করতেন।

তিনি দোয়া করতেন,
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَب، وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ

“ হে আল্লাহ!
আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত ( হায়াত দিন ) পৌঁছে দিন। ”
[ তাবারানিঃ ৩৯৩৯ ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

01 Jan, 17:41


https://www.somoynews.tv/news/2025-01-01/MDSx0YSE

https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

30 Oct, 17:46


বাংলাদেশে রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল

পবিত্র রমজান মাস আগমনের দিনগণনা শুরু হয়েছে। হিজরি ক্যালেন্ডার অনুয়ায়ী, শাবানের পরই আসে রমজান মাস, সেই হিসাবে আর চার মাস বাকি আছে। এর মধ্যেই ২০২৫ সালের রমজান শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ইউএই )।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক দেশটির সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে আগামী বছরের ১ মার্চ রমজান শুরু হতে পারে। আর সেই হিসাবে বাংলাদেশে ২ মার্চ থেকে শুরু হতে পারে রোজা।

দ্য ইমেরিটাস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটি সোমবার ( ২৮ অক্টোবর ) জানায়, ২০২৫ সালের ১ মার্চ দেশটিতে রোজা শুরু হতে পারে। এর আগে আকাশে হিজরি রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাবে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জানায়, রমজান মাসের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে, আর মাত্র চার মাস বাকি আছে। এই সময় দ্য ইমেরিটাস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটি রমজান শুরুর সময় নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে।

সোসাইটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হিজরি জমাদিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করছে রোজার শুরুর তারিখ। এই মাসের চাঁদ আগামী ৩ নভেম্বর দেখা যেতে পারে।

এখন চাঁদ দেখার পরেই নিশ্চিত করা যাবে, রোজা কবে শুরু হবে। দ্য ইমেরিটাস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান গালফ নিউজকে জানান, সম্ভবত আগামী বছরের ১ মার্চ আমিরাতে রমজান শুরু হবে, তবে সবকিছু চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করছে।

উল্লেখ্য, সাধারণত সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে রোজা শুরুর একদিন পর বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশে ২ মার্চ রোজা শুরু হতে পারে।

রমজান হলো ইসলামী চন্দ্র বর্ষপঞ্জির নবম মাস। এই মাসের ৩০ বা ২৯ দিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পালন করেন মুসলিমরা। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের ওপর নির্ভর করে উপবাসের সময়কাল পরিবর্তিত হয়।

অবশ্য হিজরি সনের তারিখ গণনা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। তাই স্থানভেদে এর তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। পবিত্র রমজানসহ অন্য মাসগুলো শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চাঁদ দেখা কমিটি দিয়ে থাকে।

[ সূত্রঃ গালফ নিউজ ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

22 Oct, 20:16


রোজা বা উপবাস ( ফাস্টিং ) ক্যানসার মোকাবিলা করতে পারে!

অটোফেজি ও অ্যাপোপটোসিস-এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কোষ অপসারিত হয়।

অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।

ডিএনএ-এর ক্ষতি আটকায় এবং মেটাস্টেসিসকে ধীর করে।

ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়িয়ে, ক্যান্সারের কোষগুলিকে বাড়তে দেয়না।

ইমিউনোসার্ভিলেন্স-এর মাধ্যমে ক্যান্সারের কোষগুলি বিনাশ করে।

এইচও-1 এবং এসওডি মজবুত করে কোষের বিস্তারে বাধা দেয়।

- ডাঃ কে. এম. সাইফুল্লাহ
ওয়ার্ল্ড-রিনাউন্ড আয়ুষ চিকিৎসক
( অল প্রেইজ বি টু দ্য লর্ড অফ ইউনিভার্সেস )
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

16 Oct, 12:58


তাকওয়া অর্জনের মাস রমজান ❞

- শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লাহ

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

16 Oct, 12:57


কিভাবে কাটাবো রমজানুল মোবারক

- শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লাহ

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

16 Oct, 09:49


রমাদান বিষয়ক দুইটি গুরুত্বপূর্ণ অডিও লেকচার আজকে আপলোড করা হবে ইন শা আল্লাহ, যেগুলো রমাদান মাসের জন্য সহায়ক হবে।

https://t.me/RamadanReminder/3527

https://t.me/RamadanReminder/3528

বরকতময় রমাদান

10 Aug, 10:18


JOIN 👇
শেষ জামানা এবং ফিৎনা।
https://t.me/ShesJamanarFitnah

বরকতময় রমাদান

14 Jul, 13:50


আসছে টানা ৮ দিন ধারাবাহিক নফল সিয়ামের অভাবনীয় সুযোগ!

আগামীকাল সোমবার সাপ্তাহিক সুন্নাহ সিয়ামের দিন।
মঙ্গল ও বুধবার আশুরার সিয়াম। বৃহস্পতিবারও সাপ্তাহিক সুন্নাহ সিয়ামের দিন।


নিছক জুমা হিসেবে নফল রোযা নিষেধ হলেও মুহাররম মাস হিসেবে এবং আগে-পরে রোযার সাথে জুমার দিনও রোযা রাখা যায়। আবার চাইলে বিরতিও দেওয়া যায়।

এরপর শনি, রবি ও সোম আইয়্যামে বিজ তথা চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের সিয়াম।

এই সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারানো উচিত হবে না।

★ একজন মুসলমান ফরজ ইবাদত তো পালন করবেনই, এটা তার অপরিহার্য দায়িত্ব; পাশপাশি আল্লাহর প্রিয় হয়ে ওঠার জন্য, আল্লাহর কাছে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের নফল ইবাদতের প্রতিও তিনি যত্নবান হবেন।

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

21 Apr, 14:24


“ রমাদান ছাড়াও বছরে সাতটি সময়ে রোজা রাখা সুন্নত। ”

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Apr, 15:06


শাওয়ালের ছয় রোজায় ডাবল সওয়াব লাভের উপায়।

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

19 Apr, 20:35


রমাদান পেয়ে কে ক্ষমাপ্রাপ্ত?
আর কে অভিশপ্ত?


- মাওলানা মামুনুর রশিদ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

19 Apr, 20:35


পুরো বছরকে রমাদানময় করতে রমাদানের তিনটি আমল ছাড়বেন না।

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

19 Apr, 20:15


“ রমাদান শেষ হলেও -

রোজা রাখার ‍সুযোগ শেষ হয়নি,
কিয়ামুল লাইল শেষ হয়ে যায়নি,
কুরআনও হারিয়ে যায়নি;
সওয়াবের আশ্বাসও ফুরোয়নি।

- শাইখ আতিক উল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

19 Apr, 14:23


প্রশ্নঃ- মা-বোনরা রমাদানের কাযা রোযাগুলো আগে রাখবেন?
নাকি শাওয়াল মাসের ছয় রোযা আগে রাখবেন?


মা-বোনদের রমাদানের ভাঙতি কাযা রোযার সাথে শাওয়ালের ছয় রোযার নিয়ত করলে আদায় হবে?

بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله

উত্তরঃ- এক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে, কাযা রোযাগুলো আগে রেখে পরে শাওয়ালের ছয় রোযা রাখা৷
কেননা নফলের চেয়ে ফরযের গুরুত্বই বেশি৷

কাযা রোযাগুলো হচ্ছে ফরয৷ আর শাওয়ালের রোযা নফল৷
যদিও এই ছয় রোযার ফযীলত অপরিসীম৷

হাদীসে এসেছে আবু আইয়ুব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত -
‘যে ব্যক্তি রমাদানের রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসে ৬ টি রোযা রাখবে, সে যেন পুরো বছরজুড়ে রোযা রাখল৷’
( মুসলিম হাদীস নং- ১১৬৪ )

তবে কেউ যদি মনে করেন -
আগে শাওয়ালের ছয়টি রোযা রেখে দেই, পরে কাযা রোযা আদায় করব; তাহলেও সমস্যা নেই৷

কেননা শাওয়ালের ছয়টি রোযা তো এই মাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট৷ শাওয়ালের মধ্যেই রাখতে হবে৷

অপরদিকে কাযা রোযা বছরের যে কোনো মাসে, যে কোনো দিনে বিক্ষিপ্তভাবে রাখতে পারবেন৷

হানাফী, শাফেঈ ও মালেকী মাযহাবের রায়ও এইট যে - কাযা রোযার আগে শাওয়ালের রোযা বা যে কোনো নফল রাখা যাবে, কোনো সমস্যা নেই৷

পক্ষান্তরে হাম্বলী মাযহাব মতে আগে কাযাগুলো রাখতে হবে৷ পরে নফল৷ কাযার আগে নফল রাখা জায়েয নেই৷ যদিও হাম্বলী মাযহাবের এই মতটি জুমহূরের বিপরীত৷

তাছাড়া হাদীসে প্রথমে কাযা আদায় করে শাওয়ালের রোযা রাখার কোনো কথা সুস্পষ্টভাবে আসেনি৷

বরং আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আগের রমাদানের কাযা পরের শা'বানে রাখতেন বলে বুখারি-মুসলিমসহ অন্যান্য হাদীসের কিতাবে বিবরণ পাওয়া যায়৷
‘আবু সালামা বলেন, আমি শুনেছি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেনঃ
আমার উপর বিগত রমযানের রোযা বাকি থাকত, যার কাযা আমি ( পরবর্তী ) শা‘বান মাস ছাড়া আদায় করতে পারতাম না।’
( বুখারী হাদীস নং - ১৮৪৯ ও মুসলিম হাদীস নং - ১১৪৬ )

আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা যদি শাওয়ালের রোযা আদায় করে থাকেন, আর উম্মুল মুমিনীন থেকে তো না রাখার ধারণা করা যায় না৷ তাহলে তো রামাযানের কাযা আদায় না করেই তিনি শাওয়ালের ছয়টি রোযা আদায় করেছেন, সেটাই এই রেওয়ায়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয়৷

তাছাড়া শাওয়ালের রোযা রাখতে হলে আগে কাযা আদায় করতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা অনেকটা কঠিন হয়ে যায়৷
বিশেষত নারীদের জন্যে একমাস রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসেরও আরো অর্ধেক রোযা পালন আসলেই কঠিন কাজ৷

এইজন্য শরীয়ত এমন নির্দেশনা দেয়নি৷
তাই শাওয়ালের রোযা আগে রেখে পরে যে কোনো সময় কাযা আদায়েরও সুযোগ রয়েছে৷
বিশেষত মা-বোনরা এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন৷

রমাদানের কাযা রোযার সাথে শাওয়ালের রোযার নিয়ত করলে আদায় হবেনা৷
বরং কাযা এবং শাওয়ালের রোযা পৃথক পৃথকভাবে রাখতে হবে৷

‘যদি রমাদানের কাযা এবং নফলের নিয়ত করা হয়, তাহলে এক বর্ণনা মতে ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ ও ইমাম আবু ইউসুফ রাহ. এর মত হলো - এতে রমাদানের কাযা আদায় হবে৷’
( আল-বাহরুর রায়িকঃ ২/২৯৯ )

দারুল ইফতা দেওবন্দের ফতোয়া -
কাযা রোযা পৃথক রাখবে৷ শাওয়ালের নফল ছয় রোযা পৃথক রাখবে৷
কাযা রোযার সাথে নফল রোযার নিয়ত করা ঠিক নয়৷
( ফতোয়া নং - ৫৫৫২৪ )

والله تعالي اعلم بالصواب.

উত্তর লিখনে-
মুফতি জিয়াউর রহমান হাফিজাহুল্লাহ,
আম্বরখানা সিলেট।
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

15 Apr, 14:41


শাওয়ালের ছয়টা সিয়াম কি পরের মাসগুলোতে আদায় করা যাবে?

শাওয়াল চলে গেলে এই সিয়াম পূর্ণ করার বিধান শরীআতে নেই। কেননা এটি হচ্ছে সুন্নাহ।

এর আদায়ের সময় তখন চলে যাবে, তা সেটা ব্যক্তি কোনো ওজরের জন্য ছাড়ুক বা ওজর ব্যতীতই ছাড়ুক। ❞

[ শাইখ বিন বাযকে রাহিমাহুল্লাহ,
মাজমুঊ ফাতাওয়াঃ ১৫/৩৮৯ ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

15 Apr, 14:40


মহিলারা রমজানের কাজার আগে শাওয়ালের ৬ রোজা রাখতে পারবে কি?

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

12 Apr, 23:56


রমাদানের পর মুমিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি?

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

12 Apr, 23:56


রমাদানের পরের সময়টা কিভাবে কাটাবেন?

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

11 Apr, 14:09


শাওয়াল ও আইয়্যামে বীজের রোজা একসাথে রাখা যাবে কিনা ?

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

11 Apr, 14:06


শাওয়ালের ছয় রোযা
------------------------------
রমযানের পরবর্তী আরবী মাস হচ্ছে শাওয়াল। পয়লা শাওয়াল ঈদের দিন। ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম। ঈদের দিন ব্যতীত বাকি দিনগুলোতে ছয়টি রোযা রাখার ফযীলত অনেক। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

যে ব্যক্তি রমযানে রোযা রাখল। এরপর শাওয়ালে ছয়টি রোযা রাখল। সে পুরো বছর রোযা রাখার সওয়াব লাভ করবে।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৪)

পূর্ণ এক মাস রোযা রাখার পর শাওয়ালেও এর রেশ থেকে যায়। রোযা না রাখলেও রোযা রোযা মনে হয়। তাই শাওয়াল মাসে এমনিতেই রোযা রাখা সহজ। এ ছয় রোযা ইচ্ছা করলে লাগাতারও রাখা যায়। আবার কয়েকদিন বাদ দিয়ে বাদ দিয়েও রাখা যায়।আবার কয়েকদিন বাদ দিয়ে বাদ দিয়েও রাখা যায়। তাই একটু হিম্মত করে ফযীলতপূর্ণ এ ছয়টি রোযা রেখে পুরো বছর রোযা রাখার সওয়াব লাভ করার চেষ্টা করি। আল্লাহ তাআলাই উত্তম তাওফীকদাতা।

শাওয়ালের রোযা বিষয়ক প্রশ্ন-উত্তর
============================
প্রশ্ন:
শাওয়াল মাসের ছয় রোযা রাখার নিয়ম কী? এগুলো এক সাথে লাগাতার ছয় দিন রাখা জরুরি, না মাঝে বিরতি দিয়ে রাখা যাবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর:
শাওয়ালের ছয় রোযা ধারাবাহিকভাবে একত্রে রাখা যায়, আবার বিরতি দিয়েও রাখা যায়। যেভাবেই রাখা হোক তা আদায় হয়ে যাবে এবং নির্ধারিত ফযীলতও লাভ হবে।
(লাতাইফুল মাআরিফ ৪৮৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/২১৫; আলমাজমূ ৬/৪২৬-৪২৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৬২; ফাতহুল মুলহিম ৩/১৮৭; আলমুগনী ৪/৪৩৮)
----------
প্রশ্ন:
এই হাদীসটির সঠিক তরজমা কী? কেউ যদি الدهرশব্দের অর্থ ‘একযুগ’করে তাহলে তা কি সহীহ হবে?
উত্তর:
হাদীসটির অর্থ-‘যে ব্যক্তি পুরো রমযান এবং এর পরে শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখল সে যেন পুরো এক বছর রোযা রাখল।’
প্রশ্নোক্ত হাদীসে الدهر শব্দটি দ্বারা এক বছর বুঝানো হয়েছে। কেননা শাওয়ালের ছয় রোযার ফযিলত সম্পর্কে বর্ণিত ‘সুনানে নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ’-এর এক বর্ণনায় الدهر এর পরিবর্তে আসসানাহ অর্থাৎ এক বৎসর এসেছে। অতএব এখানেও الدهر দ্বারা আসসানাহ বা এক বৎসরই উদ্দেশ্য হবে। এক যুগ নয়।
উল্লেখ্য, আভিধানিকভাবে الدهر শব্দটি কোনো নির্দিষ্ট সময় বুঝায় না। তাই الدهر এর অর্থ যুগ নয়। আভিধানিকভাবে الدهر শব্দের যে সব অর্থ পাওয়া যায় তা নিম্নরূপ :
(১) পুরো জীবন।
(২) দীর্ঘ সময়।
(৩) উল্লেখযোগ্য অনির্দিষ্ট সময়।
(৪) হাজার বছর
(৫) এক লক্ষ বছর।
উল্লেখ্য যে, হাদীসটিতে الدهر এর অর্থ যেমনিভাবে ১ বছর করা হয়েছে তেমনি কেউ কেউ পুরো জীবন অর্থেও তা ব্যবহার করেছেন। মূলত : এ দুটি কথায় কোনো বিরোধ নেই। কারণ একটি নেক আমলের ছওয়াব দশগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। সে হিসেবে শাওয়ালের ছয়টিসহ ছত্রিশটি রোযা রাখা মানে তিনশ ষাট দিনই অর্থাৎ ১ বছর রোযা রাখা। অতএব যে ব্যক্তি এভাবে প্রতি বছর ছত্রিশটি রোযা রাখল সে বস্ত্তত পুরো জীবনই রোযা রাখল।
(ইকমালুল মু’লিম ৪/১৩৯; মাআরিফুস সুনান ৫/৪৪৪; ফয়যুল কাদীর ৬/১৬১; ফাতহুল মুলহিম ৩/১৮৭; আউনুল মা’বুদ ৭/৬৩)
----------
প্রশ্ন:
রমযানের কাযা রোযা এবং শাওয়ালের ছয় রোযা একত্রে রাখলে উভয়টি আদায় হবে কি? এবং কাযা ও নফল রোযার সওয়াব পাওয়া যাবে কি?
উত্তর:
রযমানের কাযা রোযা এবং শাওয়ালের ছয় রোযা একত্রে নিয়ত করলে শুধু রমযানের কাযা রোযা আদায় হবে। শাওয়ালের ছয় রোযা আদায় হবে না। এবং ছয় রোযার সওয়াবও পাওয়া যাবে না। শাওয়ালের ছয় রোযা রাখতে হলে পৃথকভাবে শুধু এর নিয়তে রোযা রাখতে হবে।
(বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/৪৪০, ২/১৩; ফাতহুল কাদীর ২/২৪৮; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৪৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০১)

[ মাসিক আলকাউসার ]
#Ramadan
#Shawal
#শাওয়াল
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

11 Apr, 14:05


আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) এর বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
যে ব্যক্তি রমজান মাসের সব ফরজ রোজাগুলো রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছর ধরেই রোজা রাখল।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১১৬৪)
অর্থাৎ,শাওয়াল মাসের মাত্র ৬টি রোজার সাওয়াব বছরজুড়ে রোজা রাখার সমতুল্য।

রমাদান মাসের পরের মাস অর্থাৎ হিজরি সনের দশম মাস হলো শাওয়াল মাস। এ মাসের প্রথম দিনে মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ জাতীয় উৎসব, ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। উৎসব আনন্দে মুসলমানগণ যাতে রমাদানের মহৎ শিক্ষাটা ভুলে না যায়, হয়তো সে জন্যই রাসুলে করিম (সা.) এ মাসে ছয়টি নফল রোজা রাখতে উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন।
শাওয়ালের ছয় রোজা রাখার আরও ফায়দা হচ্ছে- অবহেলার কারণে অথবা গুনাহর কারণে রমাদানের রোজার উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে থাকে সেটা পুষিয়ে নেয়া। কেয়ামতের দিন ফরজ আমলের কমতি নফল আমল দিয়ে পূরণ করা হবে। এগুলোই শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রাখার ফজিলত।

এর বিধানসমূহঃ
১) রমাদানের সিয়াম পালনের পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা সুন্নত-মুস্তাহাব; ফরজ/ওয়াজিব নয়।
২) এই রোজা শাওয়াল মাসের যেকোন দিনে রাখতে পারবেন।
৩) একটানা অথবা ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাখতে পারবেন আপনার সুবিধানুযায়ী।
৪) রমাদানের মত শাওয়ালের রোজা রাখার ক্ষেত্রেও সাহারী ও অবিলম্বে ইফতার করা সুন্নাহ।
৫) নিয়্যাত অন্তরের সংকল্প, মুখে করা জরুরী নয়। বরং জরুরী মনে করলে বিদয়াত হবে।
৬) এই রোজাগুলো আইয়্যামে বীজ ও সাপ্তাহিক নফল রোজার সাথে মিলিয়ে রাখা যায়। ফলে একটি রোজা রেখেও একাধিক রোজার ফজিলত হাসিল হবে। সেক্ষেত্রে অন্তরের নিয়্যাতই যথেষ্ট ইন শা আল্লাহ্‌।
৭) শাওয়ালের ৬ রোজায় বছরজুড়ে রোজা রাখার ফজিলত ওই ব্যক্তির জন্যই কার্যকর হবে, যে ব্যক্তি রমজান মাসজুড়ে ফরজ রোজা আদায় করেছেন এবং শাওয়ালের রোজা পালন করেন। তাই রমাদানে কারনবশত কোন রোজা কাজা করে ফেললে রমাদানের রোজাগুলো সম্পন্ন করে তারপর শাওয়ালের রোজা রাখবেন। এটাই উত্তম। আর যদি কাযা রোজার পরিমান এত বেশি হয় যে সেগুলো আগে রাখতে গেলে শাওয়ালের রোজাগুলো ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে আগে শাওয়ালের রোজা রাখার অনুমতি আছে।
৮) শাওয়ালের ৬ রোজাকে সাক্ষী রোজা বলা যাবেনা। সাক্ষী রোজা নামে শরীয়তে কোন রোজা নাই।

রেফারেন্সঃ
https://ifatwa.info/18135/?show=18135#q18135
https://ifatwa.info/18523/?show=18523#q18523
https://ifatwa.info/17803/?show=17803#q17803
- IOM

#Ramadan
#Shawal
#শাওয়াল
https://t.me/RamadanReminder