হাদিস লেখকের উচিত আল্লাহর নাম লেখার সময় ‘আযযা ওয়া জাল্লা’ কিংবা ‘তা'আলা’ অথবা ‘সুবহানাহু ওয়া তা'আলা’ কিংবা ‘তাবারাকা ওয়া তা'আলা’ অথবা ‘জাল্লা যিকরুহু’ বা ‘তাবারাকাসমুহু’ অথবা ‘জাল্লাত আযমাতুহু’ ইত্যাদি লেখা।
অনুরূপভাবে নবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নাম উল্লেখের সময় ‘সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ সংক্ষেপে না লিখে পূর্ণরূপে লেখা। সালাত ও সালাম দুটাই লেখা। শুধু দুরুদ বা শুধু সালাম না লেখা৷
এমনিভাবে সাহাবিয়ে কেরামের নাম উল্লেখের সময় ‘রাদিআল্লাহু আনহু’ লেখা, যদি সাহাবি কোনো সাহাবির পুত্র হয়, তখন ‘রাদিআল্লাহু আনহুমা’ লেখা৷ উলামায়ে কেরাম ও বুযুর্গ ব্যক্তিদের নাম উল্লেখের সময় ‘রাদিআল্লাহু আনহু’ ও ‘রহমাতুল্লাহি আলাইহি’ লেখা মুস্তাহাব। মূল যে কিতাব থেকে বর্ণনা করছে সেখানে না থাকলেও এগুলো লিখতে হবে। কারণ এগুলো রেওয়ায়েতের অংশ নয়, বরং দু'আ বাক্য।
হাদিস পড়ার সময়, যে কিতাব থেকে পড়ছে সেখানে এই দু'আ বাক্যগুলোর উল্লেখ না থাকলেও পড়তে হবে। বারবার পড়তে হলেও বিরক্ত হওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে যে গাফেল হবে সে বিশাল কল্যাণ ও ফযিলত থেকে বঞ্চিত হবে।
[শারহু মুসলিম, ১/৩৯]
বইঃ ফিতনার যুগে মুক্তির পথ, পৃষ্ঠা : ৩৬-৩৭