Iftekhar Jamil @iftekharjamil Channel on Telegram

Iftekhar Jamil

@iftekharjamil


ইলমি আলোচনা : মুজাকারা ও মুনাকাশা

ইলমি আলোচনা : মুজাকারা ও মুনাকাশা (Bengali)

ইলমি আলোচনা : মুজাকারা ও মুনাকাশা একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল যা বিভিন্ন ইসলামিক বিষয়ে মুজাকারা এবং মুনাকাশা করে। এই চ্যানেলে ইসলামি জ্ঞান, ইতিহাস, কুরআন, হাদিস ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য ও পরামর্শ পেতে এই চ্যানেলে যোগ দিন। এই চ্যানেলে আপনি ইসলামের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। ইসলামের সঠিক বিষয়ে সঠিক ধারণা ও সঠিক পরামর্শ পেতে এই চ্যানেলে মুজাকারা করুন। চ্যানেলে সদস্যদের মধ্যে আলোচনা করা হয় এবং সঠিক জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করা হয়। তাহলে যারা ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে পারতে চান এবং সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে চান, তাদের জন্য ইলমি আলোচনা : মুজাকারা ও মুনাকাশা একটি অত্যন্ত উপকারী চ্যানেল। এখনই চ্যানেলে যোগ দিন এবং ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করুন এবং সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন।

Iftekhar Jamil

21 Nov, 11:47


ওরা দুনিয়াটা ভোগ করুক

নবীজি একদিন চাটাইয়ের বিছানায় শুয়ে ছিলেন। শক্ত চাটাই। নবীজির একপার্শ্বে দাগ বসে গিয়েছিল। উমর রাজিঃ দেখেই কান্না করে দিলেন। নবীজি বললেন। কান্না করছো কেন? উমর বললেন, কায়সার ও কিসরা কি আরামে থাকে আর আপনি কত কষ্টে থাকছেন। নবীজি উত্তরে বললেন, উমর, আমাদের জন্য তো আখেরাত আছেই, তারা দুনিয়াটা ভোগ করুক!

Iftekhar Jamil

21 Nov, 08:32


বাংলাদেশিরা কেন ভারতকে অপছন্দ করে?

কেবল রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে বাঙালি মুসলমানরা ভারতকে দেখতে পারে না, এটা বেঠিক অনুমান। ভারত যদি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধও করে দেয়, তবু বাঙালি মুসলমানরা ভারতকে ‘আপন’ ভাবতে পারবে না। এখানে বলে রাখা ভালো, বাঙালি মুসলমানদের সাথে পাকিস্তান বা আফ/ গানদের মিলও সামান্য। তাদের চাইতে ভারতীয়দের সাথেই আমাদের ঘনিষ্ঠতা আরও বেশী। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর আফগান-পাকিস্তানি ছাত্র আছে, তবে তাদের সাথে আমাদের কথা হয় সামান্যই। পাশাপাশি থাকলে পার্থক্যগুলো আরও পষ্টভাবে ধরা পড়ে।

তাহলে প্রশ্ন হল, আপেক্ষাকৃত মিল সত্ত্বেও বাঙালি মুসলমানরা ‘ভারতীয়’দের দেখতে পারে না কেন?

এর প্রধান কারণ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক।

ভারতীয়রা যেসব বিষয়কে সুন্দর বলে ধরে নেয়, আমাদের কাছে এগুলো চূড়ান্ত হ্যাংলামি। আপনি একটা রাবীন্দ্রিক পরিবারের কথা ভাবুন, তাদের ভাবভঙ্গি-রুচি-শিল্প হজম করা বেশ কঠিন। তারা যেসব পাঞ্জাবি-ধূতি পড়ে, সেগুলো আমাদেরকে টানে না, টিপ-খোঁপা-কাজল কয়টা বাঙালি ছেলেকে প্রভাবিত করে, এ নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে। রাবীন্দ্রিক ছেলেদের মধ্যে যোদ্ধা মনোভাব থাকে না, এদের অনেকেই কিছুটা কিছুটা মেয়েলি ধরণের। আপনি চারুকলার দিকে তাকালে এসবের পষ্ট দৃষ্টান্ত ধরতে পারবেন।

অর্থাৎ আমাদের সৌন্দর্য-শিল্পবোধ-আভিজাত্য ভারতীয়দের সাথে মেলে না। প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাধ্যমে এসব বিরোধ আরও প্রবল আকার ধারণ করেছে।

পহেলা বৈশাখের বিরোধিতা কেবল ধর্মীয় বিষয় নয়, বাঙালি মুসলমানদের পক্ষে এসব চর্চা হজম করা যথেষ্ট কঠিন। ভারতীয় ভাববাদ আমাদের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতার সাথে যায় না। দেখুন, লালনফকিররা কেন বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করতে পারল না, উত্তর ভারতের কারামত আলী জৌনপুরীর স্পর্শ ছুঁয়ে গেল প্রতিটা গ্রামে। ফকির মজনু শাহও কিন্তু উত্তর ভারতের মানুষ ছিলেন এবং আপনাদের মনে থাকার কথা, বালাকোট আন্দোলন বাংলাদেশের কন্ট্রিবিউশন ছিল সিগনিফিকান্ট। দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার পরে বাংলার ছাত্রদের সংখ্যাই ছিল সবচেয়ে বেশী।

আমাদের মধ্যে কিছু স্পেশাল দিক আছে, সেটা মানতেই হবে।

আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, বাংলাদেশীরা এত ভারতে যায় কেন, অন্য দেশে যেতে পারে না? পাশাপাশি, মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গটাও অনেকে সামনে আনেন। দেখুন, একদিকে মিয়ানমার আর অপরদিকে সাগর, বিকল্প নাই দেখেই বাংলাদেশীরা ভারতে যায়। মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ চালু থাকলে কয়জন ভারতে যেতে চাইত, সে নিয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়েও ভারতের সাথে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্ধটা অজানা ছিল না। একাত্তরে সেনাবাহিনী ছিল প্রধানত ভারতবিরোধী।

যারা ভারতবিরোধিতাকে পাকিস্তানে নিয়ে ফেলতে চান, তারা হয়ত জানেন না বাঙালিরা পাকিস্তানিদের খুব একটা পছন্দ করে না—দুই পাকিস্তান ভেঙে যাবার প্রধান কারণ এটাই। পাকিস্তান আসলে বাংলাদেশকে ডিজারভ করে না, একাত্তরে না হলেও, আগে বা পরে বাংলাদেশ কখনোই পাকিস্তানের সাথে থাকতে পারত না। আবেগ দিয়ে ইতিহাস বা রাজনীতি চলে না। কাজেই যারা বাংলাদেশীদের স্বতন্ত্রতাকে পাকিস্তানভক্তি বা ভারতবিরোধিতা দিয়ে বুঝতে চান, তারা প্রতারক বা মূর্খ।

আমাদের এখানে ইসলাম কেবল স্থলযোগেই আসেনি, সমুদ্র এই অঞ্চলে ইসলাম আগমনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, পাশাপাশি আদি যুগ থেকেই এই অঞ্চলের মানুষরা কিছুটা স্বতন্ত্রতাপ্রিয়, আর্যসভ্যতা এদেরকে পরাভূত করতে পারেনি। বাংলাদেশের নদী ও কৃষিভিত্তিক সমাজের সাথে গাঙ্গেয় সমভূমির পার্থক্য অনেক। এশিয়াকে ইউরোপিয়ান চোখে দেখা যেমন বিপদজনক, বাংলাদেশকে ভারতীয় চোখে দেখার ঝুঁকিটাও কম নয়।

Iftekhar Jamil

20 Nov, 23:52


প্রিয়জনের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, আমি যখন আমার মুমিন বান্দার কোন প্রিয়তম কিছু দুনিয়া থেকে তুলে নেই আর সে ধৈর্য ধারণ করে, আমার কাছে তার জন্য জান্নাত ব্যতীত অন্য কোন প্রতিদান নেই।

(বুখারি, ৫৯৮১)

Iftekhar Jamil

19 Nov, 23:48


সফরের দোয়া

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোথাও সফরের উদ্দেশ্যে তাঁর উটে আরোহণের সময় তিনবার "আল্লাহু আকবার" বলতেন, এরপর যে দুআ পাঠ করতেন,

سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى اللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمَنْظَرِ وَسُوءِ الْمُنْقَلَبِ فِي الْمَالِ وَالأَهْلِ ‏"‏

মর্ম :

"পবিত্র মহান সেই সত্তা- যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের প্রতিপালকের নিকট ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ! আমাদের এই সফরে আমরা তোমার নিকট কল্যাণ, তাকওয়া এবং তোমার সন্তুষ্টি বিধানকারী কাজের তৌফিক চাই। হে আল্লাহ! আমাদের এই সফর আমাদের জন্য সহজ করে দাও এবং এর দুরত্ব কমিয়ে দাও। হে আল্লাহ! তুমিই (আমাদের) সফরসঙ্গী এবং পরিবারের তত্ত্বাবধানকারী। হে আল্লাহ! তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি সফরের কষ্ট, দুঃখজনক দৃশ্য এবং ফিরে এসে সস্পদ ও পরিবারের ক্ষতিকর পরিবর্তন থেকে।"

(মুসলিম, ৩১৪৫)

Iftekhar Jamil

19 Nov, 23:44


গোপনে দোষ অনুসন্ধান করবেন না

রাতের বেলা অতর্কিতে ঘরে ফিরে স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ পোষণ করে গোপনে দোষ-ক্রটি অনুসন্ধান করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন। (মুসলিম, ৪৮১৬)

Iftekhar Jamil

19 Nov, 03:06


যৌথ পরিবার

আমাদের যৌথ পরিবারগুলো ভেঙে যাওয়াতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সমাজের দুর্বল-পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো। আয়-ইনকামহীন বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা কোথায় যাবে, সবার তো সন্তান থাকে না ; যে মহিলাদের অকালে স্বামী মারা গেল/স্বামী যাদেরকে পরিত্যাগ করলো/ যে নারী-পুরুষরা মানসিক ভারসাম্য হারাল, তাদেরকে দেখার কেউ নেই ; প্রতিবন্ধী সন্তানদের এখন সবাই 'আজাব' মনে করে। এতিমরা অবস্থাসম্পন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করার সুযোগ পেত, এখন কেউ এগুলো মনে রেখেছে?

যৌথ পরিবারকে নিছক প্রথা মনে হলেও এরসাথে অনেক ইসলামি ভেলুজ যুক্ত ছিল, যৌথপরিবারগুলো ইসলামি ওয়ার্ল্ডভিউয়ের আলোকে গড়ে ওঠেছিল। দেখুন, আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। শহুরে সমাজে সবাই নিজেদের টানতে টানতেই ক্লান্ত, পিছিয়ে পড়া কাউকে সাথে রাখার সুযোগ নেই। আমাদের রাজনীতিবিদ-নগরনির্মাতারা যে শহর তৈরি করেছেন, সে শহরে পিছিয়ে লোকদের কোন জায়গা নেই। তাই ভাসমান ভিক্ষুক, পথশিশুর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। রাস্তার পাশে পড়ে আছে মানসিক ভারসাম্যহীন-প্রতিবন্ধী লোকজন ; সন্ধ্যায় প্রচণ্ড বৃষ্টি বা ঠাণ্ডায় বাসায় ফিরতে ফিরতে দেখবেন, ফুটপাতে ভিজছে গৃহহীন অনেক পরিবার।

আমাদের সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা ধর্মীয় ভেলুজের কথা ভাবেননি, অর্থনীতিবিদরা এফোরডেবল বাসস্থানের কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করেননি, আলেমরা পেশাজীবীদের ধর্মীয় ভেলুজের কথা স্মরণ করিয়ে দেননি। ধর্ম তাই কিতাবের মধ্যে আটকে গেছে, সমাজে 'অবতীর্ণ' হয়নি। আমরা যে শহর-নগর-গঞ্জ তৈরি করেছি, সেটি মোটেই ধর্মীয় বিধান পালনের উপযোগী নয়। ধর্ম মানে নিছক ব্যক্তি আপনি নন, ধর্ম মানে আপনি-আপনার পরিবার-আত্মীয়-স্বজন-শিক্ষা-পেশা সবই। আমাদের দেশে কেবল শিক্ষার সেকুলারিকরণই ঘটেনি, একইসাথে অনেক ভেলুজ হারিয়ে গেছে। আমরা সবাই মিলে দুর্বলদের ওপর জুলুম করছি, তাদেরকে নিয়মিত অধিকার থেকে বঞ্চিত করছি।

আপনারা যারা মেডিকেলে পড়েন বা মেডিকেল পেশার সাথে জড়িত, তারা কতটা ইসলামি 'ভেলুজ' জানেন? একটা মানবদেহের সাথে কি কি করা যাবে, কীভাবে তার সম্মান-ডিগনিটি রক্ষা করবেন, কীভাবে ময়নাতদন্ত করবেন, কীভাবে সমাজে চিকিৎসা সরবরাহ করবেন, কীভাবে ওয়াকফ-মুশারাকা-জাকাতে দরিদ্ররা চিকিৎসা পাবে, সেগুলো আপনি কীভাবে জানবেন? আপনি যদি মেডিকেলের সাথে জড়িত না হন/ আপনার কোন নিকটাত্মীয় জটিল রোগে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি না হয়, তবে আপনি কখনোই হাসপাতালের ভেতরের আত্মচিৎকারটা বুঝবেন না।

একদিন, কোন অবসরে সরকারি কোন হাসপাতালে সময় কাটিয়ে আসুন। আপনি ধরতে পারবেন, আমরা কীভাবে গরীব-অসহায় মানুষদের ঠকিয়ে যাচ্ছি, বঞ্চিত করে যাচ্ছি। যে শহরে মানুষ দশ হাজার টাকা খরচ করে বাইজি নাচ দেখছে, সেই একই শহরে পাঁচ হাজার টাকার অভাবে হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা করতে পারছে না। এটাই আমাদের ধার্মিকতা, এটাই আমাদের সভ্যতা-ভদ্রতার প্রকৃতচিত্র। আমাকে আপনার থেকে ভালো মনে করার প্রয়োজন নেই, আমার-আপনার সামাজিক পাপে বিশেষ কোন পার্থক্য থাকার কথা না।

Iftekhar Jamil

18 Nov, 16:59


টক্সিক উদারতা

যাদের কাছে ভাসানি গুরুত্বপূর্ণ, তারা শাব্বির আহমদ উসমানি বা হাফেজ্জি হুজুরকে গুরুত্বহীন মনে করে কেন? অবশ্যই কিছু কারণ আছে, সেটা আমরা সবাই জানি। ইসলামপন্থীদের অনেককে দেখবেন, মরিস বুকাইলির কুরআন-বিজ্ঞানের তুলনাতত্ত্ব দিয়ে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চান, ভাসানিও বামপন্থীদের মরিস বুকাইলি। তারা সারাজীবন রাবিন্দ্রিক বামপন্থাগিরি করে শেষে সন্ধ্যাবেলা ভাসানির পাঞ্জাবি ধরে উদারতা দেখাতে চান, এতই যখন উদার, তবে উসমানি-হাফেজ্জিকে নিতে পারেন না কেন? এগুলোর নাম টক্সিক উদারতা, টক্সিক পজিটিভিটির মতো টক্সিক উদারতাও ভালো জিনিস না।

Iftekhar Jamil

18 Nov, 12:24


মানদন্ড

জুলাই বিপ্লবে শ হীদ হয়েছেন পনেরশো থেকে দুই হাজারের মত মানুষ—আহত হয়েছেন অসংখ্য। এদের সবার প্রোফাইলিং করা জরুরী। আক্রান্তদের বয়স-শিক্ষা-পেশা-ধর্ম-শ্রেণী-অর্থনীতি-রাজনীতি বের করা জরুরী। প্রোফাইলিং করলে ধরতে পারবেন, শেখ হাসিনা কাদেরকে সবচেয়ে বেশী আক্রমণযোগ্য মনে করত, কারা ছিল সবচেয়ে ভালনারেবল শ্রেণী, কারা সবচেয়ে বেশী ঝুঁকি নিয়েছিল—আপনারা যদি এই কাজটা না করতে পারেন, তবে জুলাই বিপ্লব কখনোই যথাযোগ্য মর্যাদা পাবে না। বিপ্লব সাধারণত প্রতিশোধপরায়ণ হয়, যথাযোগ্য মর্যাদা না পেলে সে সাধারণত প্রতিশোধ নিতে দেরী করে না।

Iftekhar Jamil

18 Nov, 00:29


এতিম-বিধবাদের অভিভাবকত্ব

নবীজি জুম্মার খুতবায় বলতেন, কেউ এতিম-বিধবা রেখে মারা গেলে, ঋণ রেখে গেলে তার দিকটা আমি দেখবো। রাষ্ট্র দেখবে। ইসলাম কেবল আমল-আখলাকের জন্য আসেনি, মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্যও এসেছে। আপনি কল্পনা করতে পারেন, আপনার নেতা আপনাকে নিয়মিত স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, আপনার অবর্তমানে আপনার বিধবা স্ত্রী-এতিমদের দায়িত্ব তার কাধে অর্পিত? মধ্যযুগে দূরে থাকুক, এই যুগেও এগুলো কল্পনা করা যায় না।

Iftekhar Jamil

17 Nov, 22:49


কওমি মাদরাসা : স্থবিরতা-জড়তা

সত্তরের দশকে দেশে কওমি মাদরাসা ছিল হাতেগোনা কয়েকটা। আশির দশক থেকে বাংলাদেশে কওমি মাদরাসার ব্যাপক উত্থান শুরু হয়। এর কারণ কী, সে নিয়ে অনেক আলোচনা হতে পারে। একদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, কাউন্টারট্রেডিশনালিজম, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি একদল তরুণ শিক্ষাউদ্যোক্তার হাত ধরে এই উত্থান সম্ভব হয়। সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে দেখানো যেত, এই প্রবৃদ্ধির হারটা হয়তো একশো গুণের কাছাকাছি হবে।

তবে গত নয়-দশ বছরে প্রবৃদ্ধিটা ধীরে ধীরে কমছে : নিকটতম সময়ে উল্লেখযোগ্যহারে বড় মাদরাসা গড়ে ওঠেছে, ছাত্রসংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, অর্থনৈতিক নতুন সংস্থান এসেছে, এগুলো প্রমাণ করা যাবে না। কাজেই মোটাদাগে বলা যায়, কওমি মাদরাসার স্বর্ণযুগ প্রায় সমাপ্তির পথে। এখন, নিয়মিত দুর্নীতি-অধঃপতনের গল্পগুলোই শুনতে হবে।

শুধু নৈতিক কারণেই নয়, আমাদের বর্তমান অর্থনীতি-সমাজব্যবস্থায় প্রচলিত মডেলের মাদরাসার সংখ্যা চাহিদার তুলনায় বেশ খানিকটা বেশী। চাহিদার তুলনায় যোগান বাড়লে বিপর্যয় ঘটবেই। কাজেই প্রবৃদ্ধি তো নয়ই, এখন সবগুলো সূচকই নিন্মগামী হবে। যারা তরুণ, যারা কওমি মাদরাসাকে ভালবাসেন, তাদেরকে অবশ্যই এসব সত্য বুঝতে হবে, ব্যক্তিউদ্যোগে নতুন দিনের চাহিদা তৈরি করতে হবে, নতুনভাবে বিদ্যমান চাহিদার যোগান দিতে হবে। এর জন্য দরকার হবে সাহস, মেধা ও পরিশ্রম।

আমাদের প্রজন্ম কি এতে সফল হবে, নাকি পূর্বসূরিদের তৈরি করা প্রতিষ্ঠানে ভোগবিলাস-অলসতায় ভুগবে?

Iftekhar Jamil

17 Nov, 16:17


তালিবান ও নাইন ইলেভেন

মোল্লা আব্দুস সালাম জাইফ নয় এগারোর কথা শুনে টিভির সামনে গিয়ে বসেন। টুইন টাওয়ারের পতন দেখে দর্শক-শ্রোতারা উল্লাসে ফেটে পড়ছিল, মোল্লা জাইফ ভেঙে পড়েছিলেন কান্নায়। লোকজন অবাক, 'মোল্লা ভাই কান্না করছেন কেন, এখন তো উল্লাসের সময়।' মোল্লা জাইফ চোখ মুছলেন, 'তোমরা এই দিনটির কথা মনে রাখবে যুগ যুগ ধরে, মনে রাখবে আমার কান্নার স্মৃতিও।' রাত একটার দিকে ফোন পেলেন কেন্দ্রীয় অফিস থেকে। মোল্লা জাইফ মোল্লা সাহেবের কাছে সব খুলে বললেন, কী ঘটেছে, কীভাবে কী হয়েছে—সারারাত মোল্লা জাইফ আর চোখের পাতা এক করতে পারলেন না।

Iftekhar Jamil

17 Nov, 15:07


জরুরি দোয়া

Iftekhar Jamil

17 Nov, 05:25


বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সংবিধান কেমন হবে—এর সহজ উত্তর একটাই। বাহাত্তরের সংবিধান কতটা বিলুপ্ত হল, জিয়ার সংবিধান কতটা ফিরে আসলো? এই এক প্রশ্নের উত্তরে সংস্কারের অভিমুখ বের করে ফেলতে পারবেন।

Iftekhar Jamil

16 Nov, 13:02


আমাদের আকিদা

ইসলামের প্রথম যুগে শিয়া-সুন্নি উভয় দিকের আলেমরাই শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন। উভয় তরফের কেউই সুবিধা করতে পারেনি—সেই সময়গুলো কতটা ট্রমামূলক ছিল, সেটা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। রাজনৈতিক সমাধান অর্জন করতে না পারলেও শিয়া-সুন্নি আলেমরা ভিন্ন ভিন্ন দুটি পথ গ্রহণ করে নেন।

শিয়ারা রাষ্ট্র থেকে, সমাজ থেকে আলাদা হয়ে যান—শোক-তাজিয়া-মুরছিয়ায় ডুবে যান। অন্যদিকে, সুন্নি ওলামারা রাষ্ট্র ও সমাজের সাথে আলোচনা জারি রাখেন। কখনো সমালোচনা, কখনো সম্পর্ক, কখনো মৃদু সংঘর্ষ—তবে তারা কখনোই রাষ্ট্র থেকে প্রস্থান করেননি। আশরাফ আলি থানবি কেন জোরালোভাবে জিন্নাহ-মুসলিম লীগকে সমর্থন করলেন—একে আহলে সুন্নাহর দীর্ঘ ইতিহাস থেকেই বুঝতে হবে।

গণতন্ত্রের প্রতি, পশ্চিমা পুঁজিবাদের প্রতি আমাদের আপত্তিও কম নয়। তবে আমরা রাষ্ট্র-সমাজের সাথে সম্পর্কচ্ছেদকে সমর্থন করি না। সম্পর্ক সবসময় সমান থাকবে না, কখনো সমালোচনা, কখনো সম্পর্ক, কখনো মৃদু সংঘর্ষ—যতদিন ক্ষমতাসীনদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ মুসলমান থাকবে, ততদিন তাদের ফাসেকির কারণে, জুলুমের কারণে সম্পর্কচ্ছেদ করা যাবে না। এখানেই আসিম আল-বারকাওয়ি/মাক দিসিদের সাথে আমাদের দ্বিমত।

জালেম-ফাসেক শাসক-ব্যবস্থার সাথে মোকাবেলা করতে হবে রাজনৈতিকভাবেই—একে আকিদা বা যুদ্ধের পর্যায়ে নামিয়ে আনা যাবে না। রাজনৈতিক মোকাবেলায় সক্ষমতার বিকল্প নেই। আপনি যদি অক্ষম হন/দুর্বল হন, তবে রাজনৈতিক বিতর্ককে আকিদার স্তরে নিয়ে গেলে কি বিশেষ লাভ হবে? ইমাম গাজালি লেখেন, শিয়ারা রাজনীতিকে আকিদায় রুপান্তরিত করে, এখানেই তাদের সাথে আমাদের 'আকিদাগত' বিরোধ। মাকদিসিদের প্রতি আমাদের আপত্তিটা এখানেই। রাজনীতিকে আকিদায় রুপান্তরিত করার ক্ষেত্রে মাক দিসিরা শিয়াদের থেকে আলাদা নয়।

Iftekhar Jamil

15 Nov, 10:32


বাঙালি ও মুসলমান

গ্রামীণ বাংলা ও প্রকৃতির কথাশিল্পী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ শতকের বাঙালি হিন্দু ঔপন্যাসিকদের মধ্যে তাকে মেধাবীদের একজন বলতেই হবে, তবে তিনি গ্রামবাংলা ও বাঙালিত্বকে যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, সেখানে ওঠে এসেছে হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদের গল্প।

আপনার কাছে আপনার নিজস্ব সংস্কৃতিকে শ্রেষ্ঠ মনে হতেই পারে, এতে অসুবিধার কিছুই নেই, মুশকিল হল, বিভূতিভূষণ অন্য দশজন হিন্দু লেখকদের মতোই বাঙালি সংস্কৃতিকে হিন্দু সংস্কৃতির প্রতিশব্দ হিসেবে তুলে ধরেছেন : বাঙালি = হিন্দু। এতে হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদের পাশাপাশি মুসলমানদের অপরীকরণের জুলুমটাও ঘটেছে, লেখকের ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। যেনবা মুসলমানরা বাঙালি নয়, যেনবা মুসলমানদের সাংস্কৃতিক রুচি বলতে কিছুই নেই।

সুন্দরবনে সাতবছর উপন্যাসে বিভূতিভূষণ দেখান, মগদের হাতে এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু বাঙালি বালক অপহরণের শিকার হন। সুন্দরবনের প্রকৃতির ভয়াবহ সৌন্দর্যের পাশাপাশি লেখক দেখান, 'বাঙালির নীতিকথা, চেতনা ও শিক্ষায়' মগ বালক ও তার পরিবার ডাকাতি ছেড়ে দেয়, তারা বাঙালি (হিন্দু) আদর্শ-সৌন্দর্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। ডাকাত পরিবার মগজীবন ছেড়ে সভ্যজীবনে ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা করে। আপনাদের মনে করিয়ে দেই, বিভূতিভূষণ এই হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদের গল্প বলছেন জমিদার শাসন-নির্যাতনের যুগে।

সুন্দরবনে সাতবছর উপন্যাসের শেষপর্বে হিন্দুবালকের সাথে মুসলিম জেলেদের সাথে দেখা হয়। নায়ক জেলেদের মহানূভবতায় মুগ্ধ হন, তবে কিছুদিনের মধ্যেই ধরতে পারেন, 'মুসলিম জেলেরাও' শিক্ষিত না। মুসলিম জেলেদের মধ্যেও 'বাঙালি'দের মতো সৌন্দর্য উপভোগের ক্ষমতা নেই । উপন্যাসের শেষে নায়কের দেখা হয় এক হিন্দু মহাপুরুষের সাথে, যিনি বালককে ইতিহাস-সভ্যতার গল্প শোনান, নীতিবোধ ও উপভোগের সুখে মুগ্ধ করেন। শুধু সুন্দরবনে সাতবছর উপন্যাসেই নয়, চাঁদের পাহাড়-পথের পাঁচালীতেও এই প্রবণতা লক্ষ করার মতো।

মার্কিন ইতিহাসবিদ বারবারা মিটকেফ এই প্রবণতার নাম দিয়েছেন : 'টু লিটল'/ 'টু মাচ' :

- 'বাংলা সাহিত্যে' মুসলমানদের কথা অনেক কম। - হিন্দুরা 'আদর্শ বাঙালি'। বাঙালি মানেই দেহে আর্য সৌন্দর্য, হিন্দু ভদ্রতা ও মন। - 'মুসলমান শুধু মুসলমান, তার ইতিহাস-ঐতিহ্য-সৌন্দর্য বলে কিছু নেই। তারা 'ধর্মান্ধ' জেলে-মাঝি-চাষা।'

পুনশ্চ : বিভূতিভূষণ জমিদারের সহযোগী হিসেবে চাকরী করেন, গরুরক্ষা সমিতির প্রচারক হিসেবে দেশব্যাপী ভ্রমণ করেন। তবু বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কোথাও বিভূতিভৃষণকে 'হিন্দুত্ববাদী লেখক' হিসেবে দেখানো হয়নি। এই ট্যাগ নজরুল-ফররুখ-আল মাহমুদদেরই কেবল জুটবে।

Iftekhar Jamil

15 Nov, 08:11


ভারত বাংলাদেশের বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়, অথচ পাকিস্তানের জাহাজকেও সহ্য করতে চায় না।

Iftekhar Jamil

15 Nov, 04:17


তাবলিগ : বিভক্তি, কার্যকারিতা

তাবলিগের বিভক্তিতে অনেক ক্ষতি হলেও আমি একে আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত মনে করি। মুসলমানদের মধ্যে দ্বীনের বেসিক প্রচার—এটাই তাবলিগের প্রকৃত উদ্দেশ্য। সবাইকে মাদরাসায় ভর্তি করানো সম্ভব নয়, সবাই খানকাতেও যেতে চাইবে না, কাজেই একটা 'মোবাইল মাদরাসা-খানকা' বানানো দরকার।

এই চিন্তা থেকেই তাবলিগের সূচনা ঘটেছে। একটা পর্যায়ে তাবলিগের লোকজন মনে করতে শুরু করল, মাদরাসা-খানকার দরকার নেই, রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাগুলোও অর্থহীন। এসব কারণেই আল্লাহ তাদেরকে 'রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক' পরীক্ষায় ফেলে দিলেন।

অবশ্য এখনো তাবলিগের কার্যকারিতা অনেক। এই যুগে আমরা সবাই মোটামুটি ঈমান-আমলের দুর্বলতায় ভুগি—মাঝেমাঝে তাবলিগে সময় লাগালে ঈমান তাজা হবে, আমল সুন্দর হবে। আধুনিক যুগে দেখবেন, বিভিন্ন বিষয়ে ক্যাম্প/ওয়ার্কশপ হয়—তাবলিগকেও ভাবতে পারেন ঈমান-আমলের ক্যাম্প-ওয়ার্কশপ হিসেবে।

Iftekhar Jamil

14 Nov, 16:53


বইটা সংগ্রহ করতে পারেন। হাইলি রেকমেন্ডেড।

Iftekhar Jamil

14 Nov, 11:42


রাজনৈতিক বন্দোবস্ত

লোকজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেপারেশন অফ পাওয়ারের মডেলকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখে। লোকজন ভাবে, নিছক সেপারেশন অফ পাওয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। তারা ভুলে যায়, সেপারেশন অফ পাওয়ার রেড ইন্ডিয়ানদের বাঁচাতে পারেনি, আফ্রিকান আমেরিকানদেরকে প্রায় একশো বছরের মত সেগ্রিগেশন ফেইস করতে হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানিজ আমেরিকানদেরকে স্পেশাল ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়। হোয়াইট ইউরোপিয়ানদের জন্য সেপারেশন অফ পাওয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, বাকিদের জন্য কি তাই?

আগামীদিনের রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য তিনটি বিষয় অত্যন্ত জরুরী। ক) রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে। দ্বিদলীয় জোটব্যবস্থা দাড় করাতে হবে, এবং আওয়ামীলীগ কোনভাবেই দুইজোটের একটি হতে পারবে না—আওয়ামীলীগকে শরিক দল হিসেবে ফিরতে হবে। খ) রাষ্ট্রীয়ভাবে একটা 'অরাজনৈতিক ইসলামের' জন্য স্পেস তৈরি করতে হবে, বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাড় করানো হবে/পুনর্গঠন করা হবে। এতে করে একদিকে 'ধর্মের অতিরাজনৈতিকিকরণ' বন্ধ হবে, অন্যদিকে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যাবে। গ) একটা উচ্চকক্ষ বানাতে হবে, যেখানে পাহাড়ি-হিন্দু-মুসলিম-পেশাজীবী-বাম সংগঠনগুলোর জন্য সিট বরাদ্দ থাকবে, তবে তাদের হাতে অর্থনৈতিক বরাদ্দ থাকবে না।

মুসলিম দেশের লোকজন অনেক্ষেত্রে গণতন্ত্রের মর্মই বুঝেনি। পশ্চিমাদেশগুলোতেও কিন্তু গণতন্ত্রের অনেকগুলো ফর্ম আছে। যেমন, আমেরিকা কেন সিনেট করল, কেন ব্রিটেনে ধর্মীয় নেতারা পদাধিকার বলে সরাসরি সংসদ সদস্য বলে বিবেচিত হন, কেন ব্রিটেন এখনো রাজতন্ত্র ধরে রেখেছে? লোকজন পাইছে এক সেপারেশন অফ পাওয়ার—যে কোন রাজনৈতিক ব্যবস্থাই অত্যন্ত কমপ্লেক্স বিষয়, নিছক নকল করে এসবের সমাধান করা সম্ভব নয়।

Iftekhar Jamil

14 Nov, 09:53


ইলমি চর্চা

আশরাফ আলি থানবি রাহিমাহুল্লাহ সবাইকেই ইলমচর্চা করতে বলতেন। যারা নিতান্তই আওয়াম, তাদের কথা আলাদা। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন, যাদেরকে মেথড-মেথডলজি-থিউরেটিকাল ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে নাড়াচাড়া করতে হয়, তাদের সবার জন্য ইলমি ট্র্যাডিশন জানা জরুরী। ইলমি ট্র্যাডিশন বলতে মৌলিক মুতুনগুলোর চর্চা, গুরুত্বপূর্ণ সবগুলো ফনের এক বা একাধিক কিতাব পড়ে ফেলা জরুরী।

উলুমুল হাদিসের ক্ষেত্রে নুখবাতুল ফিকার পড়তে পারেন, উসুলে ফিকাহের জন্য মুখতাসারুল মানার, নাহুর জন্য আজরুমিয়াহ, আকিদার জন্য তহাবি-খারিদা-নাসাফিয়াহ। মৌলিক কিতাবগুলো পড়া না থাকলে মানুষের চিন্তার ভাষা-পরিভাষা-ফ্রেমওয়ার্কটা গড়ে ওঠে না। পারিভাষিক জটিলতায় আলোচনা আটকে যায়, ভাষার পার্থক্য নিয়ে লোকজন লড়তে থাকেন অথবা একই শব্দের দুইজন দুইরকমের অর্থ বের করেন। আলোচনা আর আগায় না।