کانال উম্মাহ সেন্ট্রাল — Ummah Central @salaficentralbn در تلگرام

উম্মাহ সেন্ট্রাল — Ummah Central

উম্মাহ সেন্ট্রাল — Ummah Central
সালফে স্বলেহীনদের মানহাজ অনুযায়ী বিশুদ্ধ আক্বীদাহ'র আওয়াজ পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর
.
আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজঃ-
www.facebook.com/SalafiCentralMedia
.
YouTube:
www.youtube.com/@-SalafiCentralBN
.
টুইটারঃ-
https://twitter.com/SCBN_Media
3,965 مشترک
594 عکس
169 ویدیو
آخرین به‌روزرسانی 05.03.2025 12:19

সালফি কেন্দ্র: ইসলামের বিশুদ্ধ আকীদাহ প্রচারের একটি প্ল্যাটফর্ম

সালফি কেন্দ্র, যা 'উম্মাহ সেন্ট্রাল' নামেও পরিচিত, ইসলামি দুনিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। এই সংগঠনটি সালফে স্বলেহীনদের মানহাজ অনুযায়ী বিশুদ্ধ আকীদাহ প্রচার করার জন্য নিবেদিত। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামের সত্যিকারের শিক্ষা ও মূল্যবোধ সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া, যাতে মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠিত হয়। সালফি কেন্দ্রের অনলাইন উপস্থিতি যেমন Facebook, YouTube এবং Twitter মাধ্যমে মানুষের মাঝে ইসলামী শিক্ষার প্রসার ঘটাচ্ছে। এই সংগঠনটি বিভিন্ন বিষয়ের উপর অনুসন্ধান করে, যাতে মুসলমানদের মনে সঠিক আকীদাহের প্রতিষ্ঠা হয়। তারা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির উপর বিভিন্ন উপন্যাস এবং আলোচনা সেশন আয়োজন করে, যা সত্যিকারের ইসলামী শিক্ষা থেকে মানুষকে সচেতন করে।

সালফি কেন্দ্রের উদ্দেশ্য কি?

সালফি কেন্দ্রের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামের বিশুদ্ধ আকীদাহ প্রচার করা এবং এর শিক্ষাকে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া। তারা আশা করে যে সুন্দরভাবে ইসলামী শিক্ষার প্রচার করে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হবে।

সালফি কেন্দ্র আরও বিশ্বাস করে যে, সালফে স্বলেহীনদের অনুসরণ করা মুসলমানদের জন্য একটি নৈতিক দায়িত্ব। তারা ইসলামের মৌলিক নীতিমালা, যা পবিত্র কোরআন এবং হাদিস দ্বারা ভিত্তি লাভ করেছে, তার ভিত্তিতে সমাজকে ইসলামী মূল্যবোধে পরিচালিত করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

সালফি কেন্দ্রের অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো কি?

সালফি কেন্দ্রের বেশ কিছু জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তাদের অফিসিয়াল Facebook পেইজ, YouTube চ্যানেল এবং Twitter প্রোফাইল। এই প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে তারা ইসলামী শিক্ষার বিভিন্ন আলোচনার ভিডিও, প্রবন্ধ এবং তথ্য শেয়ার করে।

এই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে সালফি কেন্দ্র জনগণের সাথে যুক্ত হতে পারে এবং তাদের মধ্যে ইসলামী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে পারে। বিশেষ করে, YouTube চ্যানেলে তারা বেশ কিছু ভিডিও আপলোড করে যা তরুণদের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব তুলে ধরে।

সালফি কেন্দ্র কীভাবে সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ ছড়াচ্ছে?

সালফি কেন্দ্র বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেয়। তারা সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং আলোচনা সেশন আয়োজন করে, যেখানে মুসলিম যুবকদের জন্য ইসলামের মৌলিক বিষয়াবলী এবং মানহাজ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এছাড়া, সালফি কেন্দ্রের সদস্যরা স্থানীয় মসজিদগুলোতে ইসলামী শিক্ষার প্রচার করছে, যা মুসলিম সমাজে ইসলামের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে। তারা समुदायের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ইসলামী মূলনীতির প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পেও অংশগ্রহণ করে।

সালফি কেন্দ্রের মাধ্যম কি ধরনের কন্টেন্ট রয়েছে?

সালফি কেন্দ্র তাদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিতে বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করে যা ইসলামের বিভিন্ন দিককে তুলে ধরে। এখানে বক্তৃতা, ভিডিও রেকর্ডিং, লিখিত পাঠ্য এবং আলাপ আলোচনা অন্তর্ভুক্ত।

তাদের কন্টেন্টগুলি ইসলামের মৌলিক নীতিমালা, ইতিহাস এবং আধুনিক সমাজের চ্যালেঞ্জের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা ও তৈরি করা হয়। এই কন্টেন্টগুলি সাধারণ মানুষের জন্য সহজবোধ্য এবং তথ্যপূর্ণ যা সঠিক আকীদাহ অর্জনে সহায়ক।

সালফি কেন্দ্রের সাথে যুক্ত হওয়ার উপায় কি?

যারা সালফি কেন্দ্রের কার্যক্রমে যুক্ত হতে চান, তারা তাদের ফেসবুক পেজ, YouTube চ্যানেল অথবা Twitter প্রোফাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। এখানে অংশগ্রহণ করলেই তারা ইসলামী শিক্ষার বিভিন্ন উদ্যোগ এবং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।

এছাড়াও, সালফি কেন্দ্রের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। সেখানে তারা নিয়মিত আপডেট এবং আসন্ন ইভেন্টের তথ্য শেয়ার করে, যা সদস্যদের জন্য উপস্থিত থাকতে সহায়ক।

کانال تلگرام উম্মাহ সেন্ট্রাল — Ummah Central

উম্মাহ সেন্ট্রাল — Ummah Central হল একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল, যা সালফে স্বলেহীনদের মানহাজ অনুযায়ী বিশুদ্ধ আক্বীদাহ'র আওয়াজ পৌঁছে দেয়। চ্যানেল টির মূল লক্ষ্য হল ইসলামের সালাফি মর্মকে প্রচার ও বোধ করানো। চ্যানেলে মন্তব্য, আলোচনা, ও সংবাদের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়ের সালাফি দৃষ্টিকোণ বিষয়ে জ্ঞান সাজানো হয়।nnএই চ্যানেলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ভিজিট করে www.facebook.com/SalafiCentralMedia এবং তাদের YouTube চ্যানেল www.youtube.com/@-SalafiCentralBN এ সাবস্ক্রাইব করে থাকা যায়। আরো তথ্যের জন্য তাদের টুইটার একাউন্ট https://twitter.com/SCBN_Media এ ফলো করুন।nnUmmah Central চ্যানেলে শেখ আব্দুল্লাহ হাদী, শেখ আবু ইসমাইল মাজহাজি, মুফতি আলী ইদরিস, শেখ সুলেমান রাতিব, মুফতি তাওসীন চৌধুরী এবং অন্যান্য প্রশিক্ষকগণের মূল্যবান উপদেশ, মতামত, ও সম্বাদ পাওয়া যায়। যারা ইসলামিক শিক্ষা, বিশ্বাস ও আধুনিক দুনিয়ার মধ্যে সমভব সম্প্রেরণ খুঁজছে, তাদের জন্য এই চ্যানেলটি একটি প্রভাবশালী সম্পাদনা হতে পারে।

آخرین پست‌های উম্মাহ সেন্ট্রাল — Ummah Central

Post image

https://www.facebook.com/SalafiCentralMedia/posts/122221893602084307

05 Mar, 11:26
23
Post image

৬. সিয়াম ভাঙ্গার নিয়ত করা, যদিও না ভাঙ্গা। কারণ নিয়ত হচ্ছে সিয়ামের রোকন।
.
পরিশেষে, আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন আমাদের সিয়াম, কিয়াম, জি হা দ সহ অন্যান্য সকল আমল কবুল করেন, আমাদের দ্বীনকে বিজয় করেন সকল বাতিল দ্বীনের উপর। আমারা যেন একত্রিত হতে পারি ইসলামের ছায়াতলে এবং কারাগার থেকে আমাদের বন্দী ভাই-বোনদের মুক্তি দেন।
.
وصلّ اللهم على نبيّنا محمّد وعلى آله وأصحابه أجمعين والحمدُ لله ربّ العالمين

04 Mar, 08:30
152
Post image

আহকামুস সিয়াম
[সিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ মাসাঈল ও বিধিবিধান]
.
সকল প্রশংসা আল্লাহর। স্বলাত ও সালাম আল্লাহর রাসূল, তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবাগণ ও তাঁর অনুসারীদের প্রতি। অতপর,
রমাদ্বনের সিয়াম ইসলামের স্তম্ভসমূহের একটি। পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার জন্য সকলের এই রোকনটি আদায় করা জরুরী। আর বিধিবিধান জানার মাধ্যমেই সিয়াম সঠিক ভাবে পালন করা সম্ভব।
.
💠 সিয়ামের পরিচয়ঃ
শাব্দিক অর্থ: সিয়াম আরবি শব্দ। অর্থ কোনো কিছু থেকে বিরত থাকা। যেমন পানাহার, কথা বা কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা । আল্লাহ ﷻ বলেনঃ
فَاِمَّا تَرَیِنَّ مِنَ الۡبَشَرِ اَحَدًا ۙ فَقُوۡلِیۡۤ اِنِّیۡ نَذَرۡتُ لِلرَّحۡمٰنِ صَوۡمًا فَلَنۡ اُکَلِّمَ الۡیَوۡمَ اِنۡسِیًّا ﴿ۚ۲۶﴾
“…আর যদি তুমি কোন লোককে দেখতে পাও তাহলে বলে দিও, ‘আমি পরম করুণাময়ের জন্য চুপ থাকার মানত করেছি। অতএব আজ আমি কোন মানুষের সাথে কিছুতেই কথা বলব না’ ”
- এখানে সওম শব্দটি ‘কথা না বলা' অর্থে এসেছে। [লিসানুল আরব]
শারয়ী পরিভাষায়: নিয়তের সাথে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস (সিয়াম ভঙ্গের কারণ) থেকে বিরত থাকা।
.
💠 সিয়ামের হুকুমঃ
রমাদ্বন মাসের সিয়াম ইসলামের একটি রোকন যা কুরআন-সুন্নাহ ও উম্মতের ইজমা অনুযায়ী প্রত্যেক মুলিমের উপর ওয়াজিব (ফরজ)
আল্লাহ ﷻ বলেন,
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلْقِصَاصُ فِى ٱلْقَتْلَى ۖ ٱلْحُرُّ بِٱلْحُرِّ وَٱلْعَبْدُ بِٱلْعَبْدِ وَٱلْأُنثَىٰ بِٱلْأُنثَىٰ ۚ فَمَنْ عُفِىَ لَهُۥ مِنْ أَخِيهِ شَىْءٌۭ فَٱتِّبَاعٌۢ بِٱلْمَعْرُوفِ وَأَدَآءٌ إِلَيْهِ بِإِحْسَـٰنٍۢ ۗ ذَٰلِكَ تَخْفِيفٌۭ مِّن رَّبِّكُمْ وَرَحْمَةٌۭ ۗ فَمَنِ ٱعْتَدَىٰ بَعْدَ ذَٰلِكَ فَلَهُۥ عَذَابٌ أَلِيمٌۭ ١٧٨
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর”। [বাকারাহ: ১৮৩]
شَهْرُ رَمَضَانَ ٱلَّذِىٓ أُنزِلَ فِيهِ ٱلْقُرْءَانُ هُدًۭى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَـٰتٍۢ مِّنَ ٱلْهُدَىٰ وَٱلْفُرْقَانِ ۚ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ
“রমাযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে” [বাকারাহ: ১৮৫]
.
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন,
بنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ: شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَحَجِّ البَيتِ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ
“ইসলামের স্তম্ভ পাঁচটি, (১) সাক্ষ্য দেয়া, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসুল, (২) স্বলাত কায়েম, (৩) যাকাত প্রদান, (৪) হজ্জ এবং (৫) রমাদ্বনের সিয়াম।” [বুখারি ও মুসলিম]
“ইজমাগতভাবে রমাদানের সিয়াম মুসলিমদের উপর ফরজ, যে তা অস্বীকার করবে সে (মু র তা দ) কা ফি র।” [মারাতিবুল ইজমা]
.
💠 ওয়াজিব হওয়ার শর্তঃ
সিয়াম ওয়াজিব হওয়ার শর্ত ৬টি:
১. মুসলিম হ‌ওয়া: সিয়াম কাফিরের উপর ওয়াজিব না।
২. স্বাভাবিক মস্তিষ্কের হ‌ওয়া: পাগলের জন্য সিয়াম ওয়াজিব না।
৩. বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক হ‌ওয়া: শিশুদের সিয়াম জরুরি না। মুস্তাহাব হল, তাকে সিয়ামে অভ্যস্ত করা; যাতে বালেগ হলে রাখতে পারে।
৪. সুস্থ হ‌ওয়া: সিয়ামের কারণে অসুস্থতা বৃদ্ধি বা আরোগ্যে বিলম্ব হলে সিয়াম ফরজ না।
৫. মুকিম অবস্থায় থাকা: মুসাফিরের জন্য সিয়াম ওয়াজিব না। তবে মুস্তাহাব— সক্ষম হলে আদায় করা।
৬. সামর্থ্য থাকা: অক্ষমের জন্য সিয়াম ওয়াজিব না। যেমন: বার্ধক্যে উপনীত ব্যক্তি; এমন অসুস্থ যার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই; গর্ভবতী নারী ও দুগ্ধপোষ্য শিশুর মা, যিনি সিয়াম রাখলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
.
💠 সিয়ামের রোকনঃ-
১. নিয়ত করা মনে মনে: রমাদান মাসের প্রথম দিন নিয়ত করে রাখাই যথেষ্ট। সাহরীর জন্য জাগ্রত হওয়া ও ফজরের পর থেকে পানাহার না করার মাধ্যমে নিয়ত হয়ে যায়।
২. নিষিদ্ধ কাজ: যেমন— পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা।
৩. সময়সীমা: সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ।
.
💠 সিয়ামের ফজিলতঃ-
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ
(من صام رمضان إيماناً واحتساباً غُفر له ما تقدم من ذنبه) [رواه البخاري]
“কেউ ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমাদ্বনের সিয়াম রাখলে তার পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” [বুখারী]
এ হাদিসটিতে রাসুলুল্লাহ ﷺ রমাদ্বনে সিয়াম পালনকারীকে ক্ষমার সুসংবাদ দিয়েছেন দু'টি শর্তে।
ঈমানের সাথে: আল্লাহ ﷻ, তাঁর বান্দার উপর সিয়াম ফরজ করেছেন তাই আপনার নিয়ত ছিল রমাদানে সিয়াম রাখবেন, তবে রমাদান আসলে অসুস্থতা বা অন্য কোনো বৈধ কারণে সিয়াম রাখতে না পারলেও শর্তটি আদায় হয়ে যাবে।

04 Mar, 08:30
124
Post image

সওয়াবের আশায়: রমাদ্বনে সিয়াম রেখেছেন আল্লাহর প্রতিদান ও সওয়াবের আশায়, কাউকে দেখানো বা জানানোর উদ্দেশ্যে করেননি তাহলে আপনি হাদিসের এই অংশটিও আদায় করলেন।
আর এ দু'টি বিষয় পূর্ণ হলে হাদিসে বর্ণিত সুসংবাদ আপনার জন্য ইনশাআল্লাহ।
.
💠 সিয়ামের হিকমাহঃ-
সিয়াম রাখা অনেক উপকারী। মুসলিমদের জন্য সিয়াম ওয়াজিব করার প্রধান কারণ ও সবচয়ে বড় হিকমাহ হচ্ছে ‘তাকওয়া’। যাতে মুসলিমরা আল্লাহর আদেশ মানতে ও নিষেধ থেকে বিরত থাকতে পারে। তিনি ﷻ বলেন, “হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো”। তাকওয়া অবলম্বন মানে, তোমরা যাতে আল্লাহকে স্বরণ করে হারাম থেকে বাঁচো ও আবশ্যক বিধানসমূহ আদায় করো।
.
💠 সিয়াম তরককারীর হুকুমঃ-
রমাদ্বনে অসুস্থতা, সফর বা অন্য কোনো বৈধ কারণে সিয়াম না রাখতে পারলে গুনাহ হবে না।
আর শারয়ী ওযর ব্যতীত তরক করলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে, যদি অলসতা বা খাহেশাতের কারণে না রাখে; কিন্তু সিয়ামকে ওয়াজিব ও ইসলামের রোকন বলে স্বীকার করে তাহলে সে কবীরা গুনাহকারী। আর যদি প্রকাশ্যে পানাহার করে তাহলে সে গুনাহ প্রকাশের কারণে ফাসিক।
হাফিজ যাহাবী বলেন,
وعند المؤمنين مقرر أن من ترك صوم رمضان بلا مرض ولا غرض ( أي بلا عذر يبيح ذلك ) أنه شر من الزاني ومدمن الخمر ، بل يشكون في إسلامه ويظنون به الزندقة والانحلال اهـ .
“মুমিনদের কাছে স্পষ্ট, কেউ অসুস্থতা বা কোন বৈধ কারণ ব্যতীত রমাদ্বনের সিয়াম না রাখলে সে যিনাকারী ও মাদকাসক্ত ব্যক্তির চেয়েও নিকৃষ্ট।” [আল-কাবাইর]
তবে যে সিয়ামকে অস্বীকার করে। যেমন বলে, ‘ইসলামে সিয়াম বলতে কিছু নেই’ ফুকাহাদের ঐক্যমত্যে সে ‘কাফির’। কেননা সিয়াম হচ্ছে দ্বীনের ওয়াজিব বিধান ও ইসলামের স্তম্ভসমূহের একটি। কাজেই যে তা অস্বীকার ও ভঙ্গ করাকে হালাল মনে করে, তার আসলুদ দ্বীন নষ্ট হয়ে যায়।
.
💠 বিনা ওযরে সিয়াম ভঙ্গকারীর শাস্তিঃ-
বৈধ অজুহাত ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে রমাদ্বন মাসে সিয়াম ভঙ্গ করেছে এমন ব্যক্তির পার্থিব শাস্তি।
যে সিয়াম ভঙ্গ করে কিন্তু অস্বীকার করে না ও বিশ্বাস করে— এটি ফরজ বিধান; তাকে বেত্রাঘাত করা হবে বা রমাদ্বনে দিনের বেলা খাদ্যগ্রহণ থেকে বিরত রাখা হবে অথবা কাজী (মুসলিম বিচারক) সিদ্ধান্ত নিয়ে শাস্তি দিবেন।
আর যে হালাল মনে করে সিয়াম তরক করে, তাকে হত্যা করা হবে। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন,
إذا أفطر في رمضان مستحلا لذلك وهو عالم بتحريمه استحلالا له وجب قتله، وإن كان فاسقا عوقب عن فطره في رمضان بحسب ما يراه الإمام وأخذ منه حد الزنا، وإن كان جاهلا عرف بذلك وأخذ منه حد الزنا ويرجع في ذلك إلى اجتهاد الإمام. والله أعلم.
“যে ব্যক্তি রমাদ্বনে সিয়াম রাখেনা ও সিয়াম ভাঙ্গা হালাল মনে করে অথচ সে জানে এটা হারাম, এমন ব্যক্তিকে হত্যা করা ওয়াজিব। আর ফাসেক হওয়ার কারণে সিয়াম না রাখলে তাকে ইমামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে।” [মাজমূউল ফাতাওয়া]
.
💠 সিয়ামের মুস্তাহাবসমূহঃ-
সিয়ামের মুস্তাহাব অনেক। যেমনঃ
১. সাহরি: সুবহে সাদিকের সময়ে সাহরি খাওয়া উত্তম।
২. দোয়া: সাহরী ও ইফতারে দোয়া করা।
৩. দ্রুত ইফত্বার: সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফত্বার করা।
৪. বিজোড় খেজুর দ্বারা ইফত্বার করা: সম্ভব না হলে কয়েকটি দ্বারা, সেটাও না হলে পানি দিয়ে ইফত্বার করা।
৫. সিয়ামকারীদের ইফত্বার করানো।
৬. নফল আমল: তারাবি, তাহাজ্জুদ, কুরআন তিলাওয়াত, সদাকাহ, ই'তিকাফ ইত্যাদি।
৭. মাসজিদে জাম’আতে স্বলাত আদায়।
এছাড়া অন্যান্য নফল আমলসমূহ।
.
💠 মাকরূহ ও হারাম সমূহঃ-
১. বৈধ জিনিস অপচয়: অযুতে অতিরিক্ত পানি খরচ; প্রয়োজন ছাড়া খাবার আস্বাদন করা ইত্যাদি।
২. মুস্তাহাব তরক: সাহরী আগে খাওয়া, ইফত্বার দেরিতে করা।
৩. অহেতুক কথাবার্তা: আল্লাহর জিকির না করে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা।
৪. নিন্দিত আচরণ: গীবত ও চোগলখোরি করা, মিথ্যা ও অশ্লীল কথা বলা এবং হারাম কিছু দেখা।
এছাড়াও অন্যান্য মাকরূহ কাজ।
.
💠 সিয়াম রেখে বৈধ কাজঃ-
১. গোসলে বিলম্ব: নারীদের হায়েজ-নেফাস অবস্থায় ফজরের পরে গোসল করা।
২. কিছু গিলে ফেলা: যা থেকে বিরত থাকা অসম্ভব। যেমন: থুথু, ধুলাবালি ইত্যাদি।
৩. খাবারের স্বাদ গ্রহণ: রান্না অথবা শিশুকে খাওয়ানোর সময় জিহ্বায় স্বাদ নেয়া।
৪. আতর বা খাবারের ঘ্রাণ নেয়া।
৫. গোসল করা এবং সাতার কাঁটা।
৬. ঔষধ ব্যবহার: যা পেটে যায় না। যেমন— শিরা বা মাংশপেশীতে ইনজেকশন দেয়া।
.
💠 সিয়াম ভঙ্গের কারণসমূহঃ-
১. পানাহার।
২. স্ত্রী সহবাস।
৩. ইচ্ছাকৃত বমি। (যদিও কিছু সাহাবি ও সালাফদের মতে রোজা ভঙ্গ হয়না)
৪. নারীদের হায়েজ বা নেফাস।
৫. হিজামা' বা cupping therapy এর মাধ্যমে রক্তক্ষরণ: রাসুলুল্লাহ ﷻ বলেছেন: “যারা হিজামা করে ও করায় তাঁদের সিয়াম ভেঙ্গে যায়।” [আবু দাউদ] (যদিও বুখারির এক হাদিসে এসেছে ইবনু আব্বাস বলেন, “নবী ﷻ মুহরিম ও স্বয়িম অবস্থায় হিজামা করিয়েছেন”।)

04 Mar, 08:30
142