পর্দা - The Sign of Modesty @parda24hours Channel on Telegram

পর্দা - The Sign of Modesty

@parda24hours


পর্দা - The Sign of Modesty (Bengali)

পর্দা - The Sign of Modesty চ্যানেলটি একটি মুসলিম মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ, পরামর্শ এবং প্রেমের চ্যানেল। এখানে আপনি মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ তথ্য পাবেন। এই চ্যানেলটির মুখ্য উদ্দেশ্য হল মহিলাদের জন্য সঠিক পরামর্শ এবং প্রেমের জন্য সহায়ক থাকা। পর্দা - The Sign of Modesty চ্যানেলটির সদস্য হয়ে রয়েছেন মানসিক পরিষ্কার পেয়ে সুন্দর, সঠিক পরামর্শ এবং সাহায্যের সুযোগ পেতে। যদিও এটি একটি মুসলিম মহিলাদের জন্য চ্যানেল, তার লক্ষ্য হ'ল সমস্ত মহিলাদের জন্য উপকারী এবং মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করা। এই চ্যানেলে আপনি পাবেন মহিলাদের সন্তান পালন, পরিবারিক সমস্যা, সুন্দরতা পরামর্শ এবং মহিলাদের মেন্টাল হেলথ সম্পর্কে উপকারী পরামর্শ। তাছাড়া, পর্দা - The Sign of Modesty চ্যানেলে আপনি নতুন যৌবন মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ, পরামর্শ এবং সুন্দরতা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে পরামর্শ পাবেন। এই চ্যানেলটি যারা মহিলা সম্পর্কে তথ্য এবং পরামর্শ চান তাদের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী মাধ্যম। তাই এখনই যোগ দিন এই চ্যানেলে এবং মহিলাদের মধ্যে আরও শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস দেখে আসুন।

পর্দা - The Sign of Modesty

27 Aug, 16:09


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নব-নিযুক্ত ভিসি নিয়াজ আহমেদ খান স্যারের ইমামতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করেছে শিক্ষার্থীরা।

পর্দা - The Sign of Modesty

27 Aug, 12:09


ভুলে যাবেন না সাকিব স্বৈরা★চারের দোসর, আর সেই শা★স্তি তার পাওনা আছে। ক্রিকেট মাঠে সে ক্রিকেটার, মাঠের বাইরে সে ছিলো স্বৈরা★চার।

এটাও ভুলে যাবেন না তার শহর, নির্বাচনি আসন মাগুরাতেই ৪ তারিখ ৬ জন গু-লি-বিদ্ধ হয়ে শ-হী-দ হয়েছিলো।

যে সকল ক্রিকেটাররা এখন সাকিবের জন্য পোস্ট দিয়ে মায়াকান্না করছে, জুলাই গ★ণ-হ★ত্যার সময়ে তাদের নেট কি বন্ধ ছিলো?

~ PUSAB

পর্দা - The Sign of Modesty

11 Aug, 20:52


চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। অপরাধীদের সেই লিস্টে সম্ভবত সাতজনের নাম ছিলো। না, সেখানে হাফিজুর রহমান নামে কোন নাম ছিলো না।

এর অর্থ হলো, ইভেন হাসি-নার বানানো করাপ্টেড কোর্টও এই মামলার সাথে তার নূন্যতম সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করতে পারেনি।

তাহলে আমার হাফিজুর ভাইকে ম-র-তে হলো কেন? এই প্রশ্নের উত্তর দূরের কথা, এই প্রশ্ন করার স্বাধীনতাও আমরা পাইনি কোনদিন।

৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকেরই অনেকের কথাই মনে পড়েছে। আমার মনে পড়েছে হাফিজুর ভাইয়ের কথা ।

কলেজ পালিয়ে যে বই পড়া হচ্ছে, বাসায় জানে?

আমি খুব শক্ত ছেলে। অথচ যতবার এই কথাটা মনে পড়ে, আমি আর চোখ খোলা রাখতে পারি না।

হাফিজুর ভাই হিরো নন। ছিলেন না কোনদিন। তিনি অনিমেষ ছিলেন না, ক্ষুদি★রাম ছিলেন না, ছিলেন একজন ক্যা-ন্সারের রোগী। সাধারণ রাজনীতি করা পাবলিক ইউনিভার্সিটির একজন সাধারণ ছাত্র।

সেই মানুষটাকেও শেখ হাসি-না খু★ন করিয়েছিলেন। তাকে ওষুধ তো দূরের কথা, পানিও খাইতে দেওয়া হয়নি।

আজকাল বিকেলে বৃষ্টি হলেই হাফিজুর ভাই এর কথা মনে পড়ে খুব। মনে পড়ে, ক্যান্সা-র আক্রান্ত একটা হাসিখুশি মানুষ নিজের অসুস্থতা ভুলে একটা রুম নিয়েছিলো কোচিং সেন্টার চালাবে বলে।

কিন্তু সেই কোচিংটা তিনি আর কখনও খুলতে পারেননি।

ভয়ঙ্কর খু★নি ড্রাকুলা হাসি-নার কাছে থেকে রক্তশূন্য একজন লিউকোমিয়ার রোগীও ছাড়া পায়নি।

~ সাদিকুর রহমান খান!

পর্দা - The Sign of Modesty

11 Aug, 20:52


"কলেজ পালিয়ে যে বই পড়া হচ্ছে, বাসায় জানে?"

শুনে চমকে উঠলাম। হাতে তখন আবু ইসহাকের পদ্মার পলিদ্বীপ। এক রাশ আতঙ্ক নিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি, হাফিজুর ভাই।

আমার মুখে হাসি চলে আসে। হাফিজুর ভাই আর যাই হোক, বই পড়ার জন্য বাসায় বিচার দেবে না, আমি জানি।

লাইব্রেরিতে জোরে কথা বলা যায় না। ফিসফিস করে বললাম, চলো বাইরে যাই। পড়তে বিরক্ত লাগতেসে।

রাজশাহী সেন্ট্রাল লাইব্রেরি নিউ ডিগ্রী কলেজের পাশেই। বহু পোলাপাইন এখানে বসে ফোন টিপতে আসে, প্রেম করতে আসে। আমি সত্যিকার অর্থেই বই পড়তে আসতাম।

বই পাইলে আমার মাথা কোনকালেই ঠিক থাকতো না।

তবে হাফিজুর ভাই ছিলো বইয়ের চেয়েও ইন্টারেস্টিং। এলাকার বড় ভাই। কলেজের বড় ভাই। তবে রাজনীতি করতেন আমার উল্টোটা। আমি তখন অনিমেষ পড়ে বাংলাদেশে বা-ম বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি। আর হাফিজুর ভাই শি-বির করে দেশে ইরা★নি স্টাইলে ইস★লামি বি-প্লবের স্বপ্ন দেখেন।

কঠিন তর্ক করতাম সেই সময়। বেশিরভাগ সময়ই হাফিজুর ভাই আমার সাথে তর্কে হেরে যেতেন। তখন তো বুঝি নাই, এখন বুঝি উনি ইচ্ছা করে হারতেন আমাকে খুশি করার জন্য।

একবার কোন এক কারণে ইস্কুল থেকে বাসায় আসবো। রিকশা নাই। হাফিজুর ভাই দেখে বললেন, আমার সাইকেলে উঠো। দিয়ে আসি। আজকে ধর্মঘট। রিকশা পাবা না।

ছোটবেলা থেকেই আমি নাদুস নুদুস। সেই আমাকে নিয়ে গ্রীষ্মের দুপুরে ভাই হাপাতে শুরু করলেন। থামলেন দুইবার। আমার খটকা লাগলো। ভাইয়ের শক্তি এতো কম কেন?

বাসায় এসে দেখি আব্বুও আমাকে নিতে গেছে। আমি চলে এসেছি। আম্মু বললো, কীভাবে এলি? আমি বললাম হাফিজুর ভাই এর সাইকেলে।

আম্মু আতকে উঠলো। ওর সাইকেলে তুই উঠেছিস কেন? জানিস না ওর ক্যা-ন্সার?

আমি কিছু বলি না। এতো হাসিখুশি মানুষেরও ক্যান্সা-র থাকে? কই কোনদিন বলেনাই তো?

হাফিজুর ভাই মূলত ছিলেন লিউ-কোমিয়ার রোগী। তিনমাস পর পর রক্ত চেঞ্জ করতে হতো। অথচ এই লোকটা কত বড় অভিনেতা চিন্তা করেন, আমাদের কাউকে কখনও জানতে দেয় নাই।

এরপর ঐ লাইব্রেরির কাহিনী।

লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে মালোপাড়ার দিকে একটা একটা ঘর দেখালেন। বললেন, কোচিং দিচ্ছি। তুমি তো সায়েন্স এ থাকবা, আর্টসে গেলে পড়তে পারতা।

ভাই তখন পড়েন রাজশাহী ইউনিভার্সিটির পাবলিক এডমিনস্ট্রেশনে।

আমি ভাবলাম, যাক। আড্ডার আর ঝগড়ার আরেকটা জায়গা আমাদের হলো।

আমি যখনই বা-ম বিপ্লব নিয়ে কোন বই পড়তাম, ভাইকে বিপরীতে কল্পনা করতাম। কল্পনায় তাকে হারিয়ে দিয়ে বিরাট মজা পেতাম।

এমনই একদিন হুট করে আব্বু এসে বললো শালবাগানে রাবির এক টিচার খু★ন হয়েছে।

সারাদেশে হইচই পড়ে গেল। আমরা আগ্রহ নিয়ে ওয়েট করতে শুরু করলাম। আব্বু বাজার না করেই চলে এসেছে। পরদিন আম্মু বললো ডিম নিয়ে আয় দোকান থেকে।

আমি ডিম আনতে গেছি। দোকানে অনেক ভীড়। সম্ভবত বাংলাভিশনে বলা হলো, রাবির টিচার হ★ত্যা মামলায় হাফিজুর রহমান নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আমি বাসায় আসলাম দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে। আম্মুকে বললাম, হাফিজুর ভাইকে পুলিশ ধরেছে। আম্মু বললো ধুর, এইটা এই হাফিজুর না। অন্য হাফিজুর। যে ছেলে বড় গলায় একটা কথা বলতে পারে না, তারে পুলিশ কেন ধরবে?

অথচ আম্মুর জানা ছিলো না, একটা মাছি না মারতে পারা মানুষকে সাধারণ পুলিশ ধরতে না পারলেও হাসি-নার পুলিশ ধরতে পারে।

হাফিজুর ভাইয়ের বাবার ভাষ্য ছিলো, ফজরের নামাজ পড়ে ভাই ঘুমাইছিলো। বাসা থেকেই ডিবি তারে তুলে নিয়ে যায়। ইভেন প্যান্ট পরার সুযোগ তারে দেওয়া হয়নি। টি শার্ট আর লুঙ্গি পরা অবস্থাতেই তাকে তুলে নেওয়া হয়।

সবচে বড় কথা, একজন ক্যা-ন্সারের রোগীকে ওষুধ নেওয়ার সুযোগও পুলিশ তাকে দেয়নাই।

তাকে ৫ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছিলো যতদূর মনে পড়ে।

দুইদিনের মাথায় অনেক চেষ্টা চরিত করে ভাইয়ের বড় ভাই ওষুধ নিয়ে সেলে যাইতে পারছিলেন।

বাট তার আর দরকার হয় নাই।

কারণ এর কিছুক্ষণ পরেই হাফিজুর ভাই পুলিশ হেফাজতে মারা যান। বড় ভাইয়ের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তাকে ওষুধ দূরের কথা, পানিও খাইতে দেওয়া হয় নাই।

হাফিজুর ভাইয়ের লাশ আসার পর অদ্ভুতভাবে বৃষ্টি নামলো। এলাকার সমস্ত মানুষ হাউমাউ করে কানতে লাগলো। আমার দাদির মৃত্যুর পরেও আব্বুরে আমি কানতে দেখিনি। অথচ সেইদিন আব্বুও পারলো না, বললো, এই ছেলেটারেও এমনে মেরে ফেললো?

হাফিজুর ভাইয়ের বড় ভাই বললেন, ছোটবেলা থেকেই আমাকে খুব জ্বালাইসে। তিন মাস পর পর রক্ত দিতে হতো, কত ঝামেলা। আমার আর কোন ঝামেলা থাকলো না। বলে শিশুর মতো কানতে লাগলেন।

আমি দেখলাম, লাশ নিয়ে আসা পুলিশ সদস্যরা রুমাল দিয়ে চোখ মুছতেসে।

এই মৃত্যুর পর এই পরিবারটাই তছনছ হয়ে গেল। ভাইয়ের বাবা স্ট্রো-ক করলেন, মা প্যারা-লাইজ হলেন। এতো জুলুম সহ্য করা তাদের পক্ষে আর সম্ভব হয়নি, মানুষ কতই বা আর পারে?

রেজাউল করিম হ★ত্যা মামলা নিয়ে সবার আগ্রহ শেষ হলেও আমার হয়নি। আমি শেষদিন পর্যন্ত এই মামলার খোঁজ খবর রেখেছি।

পর্দা - The Sign of Modesty

07 May, 07:09


নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন — ❝কোনো নারী যদি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ঠিকভাবে আদায় করে, রামাদানে মাসে সিয়াম পালন করে এবং যথাযথভাবে স্বামীর কথা মেনে চলে, তাহলে তাকে বলা হবে—তুমি জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা, সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করো।❞
.
রেফারেন্সঃ [ইমাম বুখারি রাহিমাহুল্লাহ মুসলিম ও আহমাদ ইবনু উমারের সূত্রে বর্ণনা করেছেন, সহিহুল জামি, হাদিস নং : ৬৬০]

পর্দা - The Sign of Modesty

05 Mar, 16:29


ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের সার্ভার ডাউন!

পর্দা - The Sign of Modesty

05 Mar, 16:03


আপনাদের ফেসবুক আইডির কী অবস্থা? কিছুটা একা একা লাগছে না? টেনশন নেবেন না, এই সমস্যা এখন পুরো বিশ্বের। দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে আশা করি।

তবে এমন একদিন আসবে, যেদিন আমরা পুরো একা হয়ে যাব; পুরোপুরি একা। কেউ সেদিন আসবে না আমাদের সান্ত্বনা দিতে; একমাত্র আমল ছাড়া।

পর্দা - The Sign of Modesty

13 Feb, 04:52


একটা কথা শুনতে একটু বা_জে লাগতে পারে। চেষ্টা করছি ভদ্রভাবে বলার।

একটা মেয়ে যৌ_ন_তা রিলেটেড একটা পেশার পরে সবচেয়ে বেশি যেভাবে নিজেকে অসম্মানিত করতে পারে তা হলো কোনো ছেলের গার্লফ্রেন্ড হয়ে। একটা ছেলে আপনাকে স্পর্শ করে (শারীরিক সম্পর্ক হলে তো হলোই), আপনার নানা অঙ্গ-ভঙ্গি দেখে, গ-ন্ধ শুঁ-কে, ন্যা_কা_মো কথা শোনে আপনাকে প্রতিটা ওয়েতে ভো-গ করছে।

কিসের বিনিময়ে?

কিছু 'চাঁদ তারা এনে দেওয়া' ধরণের কথা, মাঝেমধ্যে কুমি-রের কান্না আর কিছু গিফট দেওয়ার মাধ্যমে। সে আপনার দায়িত্ব নেয় না, আপনার নিরা-পত্তা দেয় না, ধর্ম-সমাজের দৃষ্টি থেকে লু-কিয়ে লুকি-য়ে আপনাকে ভো-গ করে, জাহা_ন্নামে_র পথে নিয়ে যায়, আপনাকে একটা পরিবার না দিয়ে নিজ পরিবারের বি-রু-দ্ধে নেয়।

আর আপনি তাকে স্পর্শ, দৃষ্টি ও শ্রবণের মাধ্যমে দিচ্ছেন যৌ_ন_তৃ-প্তি।

এর চেয়ে অসম্মানের আর কী হতে পারে? আপনাকে কেউ কেন বিয়ে করতে চাইবে? যে শুধু আকর্ষণীয় কথার মাধ্যমেই যৌ_ন_তা বিলি করে তাকে কে বিয়ে করতে চাইবে? কেন কেউ আপনাকে সন্তানের মা বানাতে চাইবে, যে মা হওয়ার কথা সন্তানের চোখে, পরিবার ও স্বামীর চোখে এক মহান নারী, যাকে প্রচন্ড সম্মান করতে ইচ্ছে হয়?

ঠিক কতটা নি-চে নামলে নি-চে নামা শে-ষ হবে?

~ ইরফান সাদিক!

পর্দা - The Sign of Modesty

28 Jan, 04:38


আমি লক্ষ্য করে দেখেছি যেসব মেয়েরা অনেকগুলো ছেলের মধ্যেখানে বসে গল্প আর আড্ডাবাজিতে মেতে ওঠে, কারণে-অকারণে হাসতে হাসতে পাশে বসে থাকা কোনো ছেলেবন্ধুর গায়ের উপর পড়ে যেতে উপক্রম হয় এই টাইপের মেয়েদেরকে ছেলেরা শুধু মেয়েবন্ধু হিসেবেই গ্রহণ করে। কখোনো তাদের "বধূ" বানাতে চায়না।

আপনি কি জানেন সব পুরুষেরাই যে বিবাহের উদ্দেশ্যে রক্ষণশীল পরিবারের "ভদ্র" মেয়েদেরকেই অধিক পছন্দ করে? তা নিজের চরিত্র যেমনি হোক না কেনো! এর দ্বারাও কি আমার বোনেরা, আপনারা কিছুই বুঝেন না? এর মানে হচ্ছে সহজপ্রাপ্য জিনিসের কোনো মূল্য নেই। যখনই আপনি পুরুষ প্রজাতির কাছে সহজলভ্য হয়ে গেলেন তখনই তারা আপনাকে বধূর মর্যাদা দেওয়ার পরিবর্তে শুধুই তাদের আড্ডাবাজির সদস্য হিসেবেই রাখাটাকেই যথেষ্ঠ মনে করল।

জানেন কি? তাই বলছি, দয়া করে ঝিনুকের ভিতরে থাকা "মুক্তা" হয়ে থাকুন, "ঝিনুক" হবেন না।

পর্দা - The Sign of Modesty

26 Dec, 11:27


বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবাদতখানায় জুমার নামাজ পড়াচ্ছিলেন একজন বিদেশি ছাত্র। ওনার খুৎবার বিষয় ছিল - নামাজ।

তিনি ১৫ মিনিটে ইংরেজিতে অনেক চমৎকার কিছু কথা বলেছেন; সামারি করার সময় একটা ‘লাইন’ উচ্চারণ করেছেন, যা আজও আমার কানে-মনে বাজে —

“সারাদিনের পরিকল্পনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কিভাবে ঠিকভাবে আদায় করবেন, আগে সেই পরিকল্পনা নিন; তারপর বাকি কাজগুলো ঐ অনুযায়ী এডজাস্ট করে পরিকল্পনা করুন; আপনার জীবন পাল্টে যাবে।”

আসুন আমরা আল্লাহর কাছে এভাবেই পরিকল্পনা নেওয়ার তাওফিক কামনা করি।

- ইমরুল!

পর্দা - The Sign of Modesty

20 Dec, 18:55


তাবেঈ মূসা ইবনু ইয়াসার বলেন, এক মহিলা আবু হুরায়রা (রা.)-এর নিকট দিয়ে গমন করেন। তাঁর দেহ থেকে সুগন্ধি জোরালোভাবে বেরিয়ে আসছিল। তখন তিনি বলেন, হে আল্লাহর বা-ন্দী! তুমি কি মসজিদে যাচ্ছ? মহিলা বলেন, হ্যাঁ। তখন আবু হুরায়রা বলেন, তুমি কি মসজিদে গমনের জন্য সুগন্ধি মেখেছো? মহিলা বলেন, হ্যাঁ! আবু হুরায়রা বলেন, তাহলে তুমি ফিরে গিয়ে গোসল করো।

কারণ আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ❝যদি কোন নারী মসজিদে গমন করার সময় তার সুগন্ধি প্রসারিত হয় তবে আল্লাহ তার সালাত কবুল করবেন না, যতক্ষণ না সে তার বাড়িতে ফিরে গিয়ে গোসল করে।❞

~ 'পোশাক, পর্দা ও দেহসজ্জা'—বই থেকে!

পর্দা - The Sign of Modesty

11 Dec, 12:28


কিছুদিন আগে একজন গবেষকের একটি গবেষণায় দেখলাম যে, একজন পুরুষের মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ড প্রায় ২৫ লাখ জিবি! অবাক করা কান্ড! এরপরও এই যুগের Young Generation এর ম-স্তি-ষ্ক অ_কে_জো হওয়ার কারণ নিয়ে আমি যখন ভাবলাম, তখন আমার কাছে মনে হয়েছে যে, এত বড় একটি আসমানী সিস্টেমকে অকার্যকর করে দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র বে-পর্দার একজন নারীর একটি হাসিই যথেষ্ট, ইন্না লিল্লাহ!

~ আতাউর রহমান নদভী (হাফি.)

পর্দা - The Sign of Modesty

09 Dec, 12:00


আবদুর রহমান ইবনে আবু নুম রাহিমাহুল্লাহর মাথায় প্রচুর উকুন ছিলো। উকুনের কারণে তিনি অতিষ্ঠ ছিলেন। উকুন নিধনের জন্য অনেককিছু করলেন, কোনো লাভ হলো না।

একদিন তিনি আল্লাহর কাছে দু’আ করলেন - “হে আল্লাহ! আমার মাথায় অনেক উকুন। উকুন থেকে আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই।”

আল্লাহ তার দু’আ কবুল করলেন। দু’আ শেষ করতে না করতেই তার মাথা থেকে বলের মতো উকুনগুলো ঝরে পড়লো।

আমরা ছোটোখাটো বিষয়ে কি আল্লাহর কাছে দু’আ করি? মাথায় খুশকি আছে, স্যাম্পু ব্যবহার করে কাজ হচ্ছে না। আল্লাহর কাছে কি দু’আ করি - “আল্লাহ! আমার মাথার খুশকি দূর করে দিন?”

ছোটোখাটো ব্যাপারে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই না কেনো? আমাদের কি মনে হয় ছোটোখাটো ব্যাপারে আল্লাহ সাহায্য করেন না? কিংবা এসব ছোটোখাটো ব্যাপারে আল্লাহর কাছে চেয়ে কী হবে?

সালাফগণ ‘ছোটোখাটো’ ব্যাপারেও আল্লাহর কাছে সাহায্যপ্রার্থনা করতেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

“তোমাদের প্রত্যেকেই যেন তার প্রতিটি অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে তার রবের নিকটে প্রার্থনা করে, এমনকি তার জুতার ফিতা ছিঁ-ড়ে গেলে তাও যেন তাঁর নিকটে চায়।” [জামে আত-তিরমিজি : ৩৬০৪]

আবদুর রহমান ইবনে আবু নুম রাহিমাহুল্লাহর ঘটনাটি পাবেন 'সাহাবীদের চোখে দুনিয়া'–বইতে!

পর্দা - The Sign of Modesty

09 Dec, 10:22


সব ই অভিনয়। ফাঁ-কা বুলি। মানুষের সামনে ওরা এমন একটা ভাব ধরে যেন ওদের চেয়ে সুখী দাম্পত্য পৃথিবীতে আর নাই। আসলে সব ধোঁ_কা, প্রতা_রণা আর মি-থ্যা মরীচিকা। সমস্যা হলো, ওদের এই মিছে চাকচিক্যের ফাঁ_দে আটকা পড়ে কত যে দম্পতি নিঃশেষিত হয়েছে তার ইয়ত্তা নাই।

অনেক অবুঝ নারী সে_লি-ব্রি_টি হতে চায়। অনেকে আবার তুলনামূলক মূল্যায়ন করতে গিয়ে স্বামীর উপরে সামর্থ্য বহির্ভূত বোঝা চাপিয়ে দিয়ে কৃ-ত্রি-ম সুখের আশায় অ-কৃত্রিম সুখের নীড়ে আ-গু-ন ধরিয়ে দেয়।

হালাল এবং স্বল্পে তুষ্টির সুখ পৃথিবীতে আর নাই।

~ ড. বিএম মফিজুর রহমান আল-আযহারী (হাফি.)

পর্দা - The Sign of Modesty

08 Nov, 08:38


লক্ষকোটি বার বলব — দ্ব্যর্থহীনভাবে চিৎ-কার করে জানিয়ে দেব — আমি মা হতে চাই। মা পরিচয়ের চেয়ে বড় পরিচয় আর কিছু হতে পারে না।
.
~ আনিকা তুবা!

পর্দা - The Sign of Modesty

08 Nov, 08:38


যদি প্রশ্ন করা হয়, আমার প্রিয় কাজ কী? তাহলে আমি একশবার বলব, হাজার বার বলব, বাচ্চাদের সাথে সময় কাটানো। বাচ্চাদেরকে গল্প শোনানো। ওদের সাথে খেলা। মা/-র্শা/-ল আর্ট প্র‍্যাকটিস করা। ওদের নিয়ে ক্র‍্যাফট মেকিং। ওদের সূরা পড়ানো। ইসলামের কথা বলা। মুস/লিম/দের কথা বলা।
.
এসব কাজ করে আমি কখনো বোরড হই না। হ্যাঁ, ক্লান্ত হই। সারাদিন সাংসারিক কাজ সামলানোর পর আমার অসম্ভব টায়ার্ড লাগে। তবু যখন রাত হয়ে গেলে বাচ্চারা বলে, এবার আমাদের সাথে শোও, আমাদের সাথে ঘুমাও। আমি কথাটা ভীষণ এনজয় করি। মুখে কপট বি_র_ক্তি দেখিয়ে বলি, তোমাদেরকে দেখলে মনে হয় মা যেন সারাদিন তোমাদের সাথে ছিলাম না! শুধুমাত্র আরেকটা দুধের শিশু ও আছে, তাই বড়গুলোর সাথে ঘুমানোটা আর হয় না। কিন্তু আমার ইচ্ছা করে ওদের কথা মেনে নিই। আমার ইচ্ছা করে হ্যা-রি পটার বইয়ের টাইম ট্রাভেলের মতো একই সময়ে বড়গুলোর সাথে গুটুরগুটুর গল্প করি আর অন্যপাশে পিচ্চিটার ফোকলা হাসি দেখে ছড়া কাটি। আমার ইচ্ছে করে দিনে-রাতে চব্বিশ ঘণ্টাই জেগে থেকে ওদের সঙ্গ উপভোগ করি৷
.
এই যে বাচ্চাদের সাথে সারাটাদিন কাটিয়ে দিচ্ছি৷ আমার অলমোস্ট ফুল এনার্জি ওদের পিছে দিয়ে দিচ্ছি, এজন্য আমার একটুও খারাপ লাগে না। বরং যেই দিনগুলোতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি, বাসার কাজগুলো ঠিকভাবে গোছাতে পারি না, বাচ্চাদেরকে বেশি সময় দিতে পারিনা সেদিন আমার খারাপ লাগে। যখন ওদের জন্য পরিকল্পনা মাফিক মোটামুটি সব কাজ করতে পারি, সে দিনগুলোই আমার কাছে সেরা। অন্তর থেকে কেমন একটা শান্তি অনুভব করি। খুব স্যাটিসফাইড লাগে।
.
আমি ছোটবেলা থেকে মোটামুটি ভালো রেজাল্ট করেছি৷ ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। আমার মা-বাবা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমার উপর অনেক আশা রেখেছেন, আমাকে নিয়ে বড় বড় স্বপ্ন দেখেছেন। তাদের অনেকেই হয়তো আমাকে এখন একজন ব্য/র্থ মানুষ ভাবেন। আমার কাজগুলোকে নী-চু নজরে দেখেন। তাদের অভিব্যক্তিতে ফুটে ওঠে, তুবা মেয়েটা জীবনে কিছুই করতে পারল না।
.
কিন্তু আমি যখন থেকে বুঝতে শিখেছি, ইসলাম আমাকে নারী হিসেবে কী দায়িত্ব দিয়েছে, তখন থেকে আমার বিন্দুমাত্রও ইচ্ছা হয়নি চাকরি করবার বা নিজের ক্যারিয়ার সাজানোর। সমাজ হয়তো আমাদের এই চিন্তাটা বুঝতে পারে না। তাদের কাছে অনেক চটকদার অপশন আছে। ক্যারিয়ার, প্রোমোশন, হাই-স্যালারি ইত্যাদি। এগুলোই এখন মানুষের স্ট্যাটাস মাপার মাপকাঠি। এগুলো ছাড়া কেউই আপনাকে ঠিক সমীহ করতে চাইবে না। কিন্তু এসব নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই। আমার মূল ফোকাসই হয়ে গেছে আমার পরিবার, আমার সন্তান-সন্ততি, আমাদের দ্বীন-ঈমান-আমল।
.
এর মাঝে যে আমি কখনোই কোনো ‘জব’ করিনি, তা না। টুকটাক করেছি। তবে পায়ের নি-চে মাটি হিসেবে আমার নিজস্ব কিছু আর্নিং থাকা দরকার এমন মানসিকতা থেকে করিনি। কিংবা আমার নিজের একটা আলাদা পরিচয় থাকা চাই — এই মনোভাবও রাখিনি। বরং আমি যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েছি শুধুমাত্র সেই বিষয়গুলো নিয়েই ইনভলভ হওয়ার চেষ্টা করেছি। মানুষের মধ্যে ইসলামী জ্ঞানের প্রচার-প্রসারের তাগিদ থেকে মাদ্রাসা বা ইসলামিক প্রতিষ্ঠানে পড়িয়েছি। বাচ্চাদের জন্য গল্পের বই লিখেছি। আমার সব কর্মকাণ্ড কমবেশি এগুলো ঘিরেই। এর কোনোটাই দুনিয়াবি নজরে খুব বড় কিছু না। এরপরেও যদি কোনোকিছুর জন্য এতটা বেশি সময় দেয়া লাগে, যার কারণে আমার সংসার জীবনে সময় দিতে অসুবিধা হবে, আমি নির্দ্বিধায় সেগুলো করার চিন্তা বাদ দিয়েছি। কেননা এর কোনোটাই আমার মেইন ফোকাস ছিল না।
.
আমার ফার্স্ট প্রায়োরিটি আমার সংসার এবং সন্তানদের আপব্রিঙিং। তাদের তরবিয়ত। আলহামদুলিল্লাহ — এই দুই জিনিস যদি ঠিক থাকে, তাহলে আমি সফল আলহামদুলিল্লাহ। সংসার এবং সন্তানদের পিছে যে সময় যাচ্ছে, সেটা মোটেও সময় নষ্ট নয়। এই টাইমটা আমার ইনভেস্টমেন্ট। অনেকে মনে করে ক্যারিয়ারে সময় দিলাম না, বাচ্চাদের পিছে সংসারের পিছে খেটে খেটে ম/রে গেলাম, এতে আমার কী লাভ হলো? আমি কী পেলাম? নিজের কোনো ক্যারিয়ার নিজের কোনো পরিচয় না থাকা মানে আমার জীবনটাই বৃথা। আমরা মুসলিমরা ভাবি, আলহামদুলিল্লাহ, আমি সংসারের পিছে সময় ইনভেস্ট করে নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলছি। আমার সমস্ত সময়, মেধা, শ্রম, প্রচেষ্টা সবকিছু ঢেলে দিয়ে একটু একটু করে আমার সন্তানদেরকে তৈরি করছি। এরচেয়ে বড় প্রজেক্ট আর কী হতে পারে?
.
আমার সন্তানরা যদি আলেম হয়, হাফেজ হয়, মুস-লিম উম্মাহর জন্য বেনেফিশিয়াল কিছু করতে পারে তাহলেই আমাদের এই পরিশ্রম সফল। তাদেরকে আল্লাহর পথে গড়ে তোলার বিনিময়ে আমিও জান্নাতের হক্বদার হয়ে যাব ইন শা আল্লাহ। এখন কবুল করার মালিক আল্লাহ। আমরা তো খালি চেষ্টা করতে পারি।
.
মানুষ হিসেবে আমরা খুবই সীমিত সময় হাতে করে দুনিয়ায় এসেছি। এই সময়টুকু আমি আমার পরিবারে দিব নাকি মানুষের বিজনেসে দিব, এই হিসাব তো আমাকেই করতে হবে। আমি আমার পথ বেছে নিয়েছি। আমাকে কেউ যদি বলে তুমি একজন মা হতে চাও নাকি একজন ইঞ্জিনিয়ার? মা হতে চাও নাকি একজন লেখিকা? মা হতে চাও নাকি একজন সাকসেসফুল ক্যারিয়ার উইম্যান? তাহলে হাজারবার বলব,

পর্দা - The Sign of Modesty

17 Oct, 18:32


ইয়া আল্লাহ!