ডাক্তারি ভর্তি পরীক্ষার হলে যা নেওয়া যাবে এবং যাবে না
নেওয়া যাবে
অ্যাডমিট কার্ড
আগের একটা পোস্টে বলছি, অ্যাডমিট কার্ড কালার প্রিন্ট লাগবেই, কারণ সাদাকালো কপি গ্রহণযোগ্য না। এটা হচ্ছে প্রাইমারি জিনিস, এটা না নিলে পরীক্ষা দিতে পারবেন না। অ্যাডমিট কার্ডের কোনোপ্রকার ফটোকপি গ্রহণযোগ্য না।
এইচএসসির রেজিস্ট্রেশন
এটা লাগবেই, এবং সম্ভব হলে আসল কপিটাই নিয়ে যেতে হবে। যদি আসল কপি না থাকে, ফটোকপি নিয়ে যাওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে ফটোকপিটা প্রথম শ্রেণির সরকারি যেকোনো গ্যাজেটেড কর্মকর্তার মাধ্যমে সত্যায়িত করে নিতে হবে, এবং পরীক্ষার হলে এ ব্যাপারে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তাহলে আসল কপি না আনার কারণ উল্লেখ করতে হবে, এতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
কলম
কলম কমপক্ষে ৩ টা নেওয়া উচিত। পুরোপুরি নতুন বা আগে একেবারেই ব্যবহার করা হয়নি এমন কলম নেয়া যাবে না, কারণ ওএমআর শীট পূরণ করতে এসব কলম ব্যবহার করলে সমস্যা হতে পারে। তাই, আগে বেশ কয়েকবার ব্যবহার হইছে এবং যথেষ্ট কালি আছে এমন কমপক্ষে ৩ টা কলম নিতে হবেই, এর বেশি নিলেও ভালো। কলমটা হতে হবে এমন যেন বাইরে থেকে কলমের কালির লেভেল বুঝা যায়, নইলে এটার জন্য সমস্যা করতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে আমি রেকমেন্ড করি ম্যাটাডোর অলটাইম, কারণ এটা দিয়ে ওএমআর পূরণ করে স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়, আবার বাইরে থেকে কালিও দেখা যায়।
স্কেল
স্কেল সত্যি বলতে লাগবেই এমন না, তবে কিছু ভেন্যুতে প্রশ্নপত্র থেকে ওএমআর ছিঁড়তে বলতে পারে (আমাদের ভেন্যুতে বলছিলো যতদূর মনে পড়ে), তখন স্কেল কাজে লাগে। এক্ষেত্রে স্কেল মানে প্লাস্টিকের শক্ত ও স্বচ্ছ স্কেল যা পাওয়া যায়, ঐটাই নিবেন। স্টিলের স্কেল নেওয়ার কোনো দরকার নাই, এটা যথেষ্ট রিস্কি।
ফাইল
উপরে যা যা বলা হলো, এগুলো একসাথে নেয়ার বুদ্ধি হচ্ছে স্বচ্ছ ফাইল, এবং সেটা অতি অবশ্যই স্বচ্ছ (বাইরে থেকে ফাইলের ভিতরের সবকিছু দেখা যায়) ই হতে হবে। তবে এমনভাবে এগুলো ফাইলের মধ্যে নিতে হবে যাতে করে ইনভিজিলেটর কোনো ডকুমেন্ট দেখতে চাওয়ামাত্র দ্রুততম সময়ের মধ্যে সহজেই বের করে দেখানো যায়। স্বচ্ছ ফাইল না নিলে ওটা নিয়ে ঢুকতেই আপনাকে বাধা দেয়া হতে পারে।
চশমা
যে চশমা ছাড়া চোখে দেখতে অসুবিধা হয় বা কোনো অসুস্থতার কারণে ব্যবহার করা হয়, তা অবশ্যই নেয়া যাবে। কিন্তু ঢংয়ের চশমা নেওয়া উচিত না, কারণ পরীক্ষার হল কোনো ঢং করার জায়গা না।
নেওয়া যাবে না
ঘড়ি
প্রত্যেকটা পরীক্ষার হলে সচল দেয়ালঘড়ির ব্যবস্থা থাকে, যা আগে থেকেই হল সুপাররা চেক করে থাকেন। তাও যদি কোনো কারণে কোনো পরীক্ষার হলে ঘড়ি না থাকে বা ঘড়ি নষ্ট থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে ইনভিজিলেটররা সময় বলবেন নির্দিষ্ট ব্যবধানে, আপনাদেরকে জানাবেন পরীক্ষার আর কতক্ষণ বাকি আছে। তবে, কেউ যদি ঘড়ি নেয়, তা ক্ষেত্রবিশেষে এক্সপেল করার জন্য যথেষ্ট কারণ। কোনো ঘড়িই, ডিজিটাল বা অ্যানালগ, নেয়া যাবে না।
পানির বোতল
ক্যান্ডিডেটের পিপাসা পাইতেই পারে, সেক্ষেত্রে পরীক্ষার হলে ঢোকার আগেই পানি খেয়ে তারপর ঢুকতে হবে। কিছু কিছু ভেন্যুতে খাবার পানির ব্যবস্থা থাকে (আমাদের ভেন্যুতে ছিলো)। আর, পানি নিয়ে ঢুকলেও ওএমআর খুবই সেন্সিটিভ একটা জিনিস, সেটাতে পানি পড়াটা খুব ভালো দেখাবে না।
টিস্যু
অনেকেই আছেন ঘাম মুছার জন্য টিস্যু নিয়ে যান। পরীক্ষার হলের ভিতরে টিস্যু নিয়ে না ঢোকাই ভালো। যদি ঘাম মুছতেই হয়, পরীক্ষার হলের ভিতরে ঢোকার আগে মুছে নিবেন, আর পরীক্ষার হলের ভিতরেও যদি ঘামেন, শার্ট/জামার হাতা কীজন্য আছে?
বোর্ড
আপনাদের কাছে এরকম মনে হতেই পারে, যে ওএমআর শীট পূরণ করবো কিন্তু টেবিল যদি এবড়োথেবড়ো হয় তাহলে বোর্ড নিলে ভালো হবে। সত্যি বলতে, কোনো পরীক্ষার হলেই বোর্ড নেয়া উচিত না, বিশেষত মেডিক্যাল ও এএফএমসি ভর্তি পরীক্ষায় এটা এক্সপেল করার যথেষ্ট কারণ।
পেন্সিল
পেন্সিল নেয়া যাবেই না এমন না, তবে বেশকিছু ভেন্যুতে বলে দেয়া হয় পেন্সিলের বদলে কলম ব্যবহার করতে। আর সত্যি বলতে, পেন্সিলের কাজও নাই তেমন এখানে। প্রশ্নপত্রে রাফ করার জন্য আপনি কলমই ব্যবহার করতে পারবেন, এবং এটা যথেষ্ট সময় সাশ্রয়ী।
ওয়ালেট/মানিব্যাগ/যেকোনো ধরনের ব্যাগ
আপনার সাথে ভেন্যুতে যে/যারা যাবেন তাদের কাছে আপনার ওয়ালেট/মানিব্যাগ/যেকোনো ধরনের ব্যাগ রেখে যাবেন। এরকম কেউ না থাকলে ভেন্যুতে বা ধারেকাছে বিশ্বস্ত কোথাও ওয়ালেট/মানিব্যাগ/ব্যাগ রেখে যাওয়া যায় কিনা খুঁজে বের করবেন। সবচেয়ে ভালো হয় একেবারেই যদি ওয়ালেট/মানিব্যাগ না নেন, টেকাপয়সা নিজের পকেটে রাখবেন। আর ব্যাগ নেয়ার কোনো কারণই নাই, যেখানে বোর্ড পরীক্ষায়ও ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেয়না.....আর পেন্সিল ব্যাগ নেয়া উচিত না, যেহেতু আপনি একটা স্বচ্ছ ফাইলের ভিতর সবকিছুই নিচ্ছেন।
মোবাইল ফোন/যেকোনো ধরনের ডিভাইস
why are we still here? why are you still here? আপনার উদ্দেশ্য কী? আপনি কেনো?
যাইহোক, এগুলোই ব্যাপার। আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।
সীমান্ত ও তিথী আপু
মেডিলজি