Mahfuj Ibn-Al Delowar @mafuj360 Channel on Telegram

Mahfuj Ibn-Al Delowar

@mafuj360


“প্রচার করো, যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়।” ️[সহীহ বুখারি-৩৪৬১]

মাহফুজ ইবন-আল দেলোয়ার (Bengali)

মাহফুজ ইবন-আল দেলোয়ার চ্যানেলটি "mafuj360"। এটি একটি অসাধারণ চ্যানেল যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের মুসলিম ধর্মীয় সাহিত্যিক সংস্কারের সাথে বিভিন্ন সাধারণ ধরনের আয়াত ও হাদিস সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই চ্যানেলটি বুখারি শরীফ থেকে বিভিন্ন সত্যমূর্তি আয়াত ও হাদিস থেকে উদ্ধৃতি করে সামান্য প্রচার করে থাকে। মাহফুজ ইবন-আল দেলোয়ার চ্যানেলটি ধর্মীয় ছাত্র-ছাত্রীদের এবং সাধারণ মানুষদের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ। চ্যানেলটি প্রশাসকের বিশেষ পরামর্শ এবং নির্দেশনা দ্বারা পরিচালিত হয়। এই চ্যানেলটির ওপর আপনার পছন্দের আয়াত ও হাদিস প্রকাশ করা হোক এবং এটি আপনার পরিচিতি বা বাণী দিয়ে পোস্ট করা যাবে। তাই, মাহফুজ ইবন-আল দেলোয়ার চ্যানেলে যোগ দিন এবং আপনার ধর্মীয় জ্ঞান এবং সাধারণ আয়াত ও হাদিস প্রকাশ করুন।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

12 Jan, 18:40


-মুমিনগণ পরস্পর দীন ও আক্বীদা সম্পর্কিত ভাই।

-যদিও তাদের বংশ, দেশ ও যামানার মধ্যে অনেক দূরত্ব বিদ্যমান থাকে।

বইঃ- "আল ওয়ালা ওয়াল বারা"
পৃষ্ঠাঃ-০৭

Mahfuj Ibn-Al Delowar

12 Jan, 12:38


আল্লাহ যাদের দোয়া কবুল করেন, তাদের সবার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট, তাদেরকে ভালোবাসেন আর তাদের কাজে-কর্মে সন্তুষ্ট — বিষয়টি এমন নয়; তিনি তো নেককার, গুনাহগার, ঈমানদার, কাফের সবার ডাকেই সাড়া দেন।
- ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ)
[ইগাসাতুল লাহফান]
ليس كل من أجاب الله دعاءه يكون راضيا عنه ولا محبا له ولا راضيا بفعله ؛ فإنه يجيب البر والفاجر والمؤمن والكافر.

Mahfuj Ibn-Al Delowar

11 Jan, 15:34


-এই লোক খারেজীদের অন্তর্ভুক্ত।

-শাইখ সালেহ আল ফাউজান حفظه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

11 Jan, 11:12


-দুনিয়া হলো চায়না 😂

Mahfuj Ibn-Al Delowar

10 Jan, 17:26


শাইখ মুহাম্মদ আমান আল জামী رحمه الله বলেন:

" আমরা আমাদের যুবকদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি- তোমরা রাজনীতির নাম ভাংগিয়ে তোমাদের জীবনের মূল্যবান সময়কে নষ্ট করো না। তোমরা রাজনীতির খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানোই না, কাজেই সকল রাজনৈতিক আন্দোলন এবং দল কে পরিত্যাগ করো। এর চেয়ে বরং দীনি ইল্ম অর্জন করো। কেননা ইল্মই হলো মূলভিত্তি। বিভিন্ন সমাজ সংস্কারকদের ইতিহাস অধ্যয়ন করো। ইমাম আহমদ, ইবন তাইমিয়্যাহ, ১২ তম হিজরী শতাব্দীর সংস্কারক (মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব) এর ইতিহাস অধ্যয়ন করো "

উৎস: কুররাতু উয়ুনিস সালাফিয়্যাহ

Mahfuj Ibn-Al Delowar

08 Jan, 18:43


.

Mahfuj Ibn-Al Delowar

08 Jan, 16:57


-অল্প পরিমাণ অ্যালকোহল যুক্ত পারফিউম ব্যবহার করার হুকুম কি?

-শাইখ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন رحمه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

07 Jan, 15:07


-ইকামাহ..

-ইমাম নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী রহিমাহুল্লাহর কন্ঠে

Mahfuj Ibn-Al Delowar

05 Jan, 17:36


-মিথ্যা পাসপোর্ট বা জাল পাসপোর্ট বানিয়ে হজ্জ করলে হজ্জ হবে কি?

-তার হজ্জ হয়ে যাবে। হজ্জ বিশুদ্ধ হবে। কেননা পাসপোর্ট নকল করা হজ্জের কর্ম সমূহের অন্তর্ভূক্ত নয়। এটা হজ্জের বাইরের কাজ। কিন্তু একাজের কারণে সে গুনাহগার হবে। তাকে তওবা করা উচিত। কেননা স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বা প্রশাসনকে ধোঁকা দেয়া একটি মারাত্মক অপরাধ ও বড় গুনাহর কাজ।

জেনে রাখা উচিত, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে আল্লাহ তার ব্যবস্থা করে দিবেন, তাকে ধারণাতীত রিযিক দান করবেন, তার সকল কাজ সহজ করে দিবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে, সত্য কথা বলবে এবং সৎ পথ অবলম্বন করবে, আল্লাহ্ তার কর্ম সংশোধন করে দিবেন এবং তার গুনাহ্ ক্ষমা করে দিবেন।

-ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম

Mahfuj Ibn-Al Delowar

04 Jan, 06:30


বিবেক-এর থেকে আবেগ যখন বেসি হয়!

আলহামদুলিল্লাহ এক্ষেত্রে 'আল্লামা আলবানী'র কথাই চূড়ান্ত।

মুহাদ্দিছুল 'আছর 'আল্লাম নাছির উদ্দীন আল-আলবানী (রহিমাহুল্লাহ) বিদ'আতিদের সাথে ঐক্য করা সম্পর্কে বলেন(প্রতিটা সালাফীদের এই কথাটা পালন করা আবশ্যক),

ولأن نموت فرادى، لا رابطة لنا، ولا جامعة لنا، لا نعصي الله ورسوله في مسألة واحدة خير لنا من أن نجتمع على الضلال!، وعلى منهج يقررونه ويعلمون أنهم يخالفون فيه الشرع، في كثير من أوامره.

আমরা একাকী মারা যাব, এমতাবস্থায় বিদ‘আতীদের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক থাকবে না, জোট থাকবে না, আমরা একটি মাসআলাহ’র ক্ষেত্রেও আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করব না। উক্ত অবস্থা আমাদের নিকট এ অবস্থার চেয়ে উত্তম যে, আমরা ভ্রষ্টতার ওপর জমায়েত হব, এমন একটি মানহাজের ওপর ঐক্যবদ্ধ হব, যে মানহাজকে তারা স্বীকৃতি দেয় এবং জেনেশুনে তারা এ ক্ষেত্রে শরিয়তের বিরোধিতা করে—অসংখ্য শরিয়ত-নির্দেশিত বিষয়ে।

[সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, ৪০১ নং]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

03 Jan, 09:08


-আমরা বলি নারী হলো একটি পূর্ন সমাজ ,,,

-উস্তায শামসি حفظه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

03 Jan, 08:49


কোনো এক নারীর প্রতি রসূলুল্লহ ﷺ এর উপদেশ:

"তুমি ভেবে দেখবে, তার (স্বামীর) নিকট তোমার অবস্থান কেমন
কেননা, সে ই তোমার জান্নাত এবং সেই তোমার জাহান্নাম।" [মুসনাদে আহমদ; সহীহুল জামি]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

02 Jan, 17:22


-আহলুর-রায় গোষ্ঠীর একদলের ফ্যানাটিসিজমের ইতিহাস কিন্তু পুরনো। সালাফদের যুগেও এদের রুহানি পিতারা ভণ্ডামি করে বেড়াত। সেজন্য বিখ্যাত তাবি তাবিয়ি ইমাম ফুদাইল ইবনু ইয়াদ রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “নিশ্চয়ই এসব লোকের অন্তঃকরণ আবু হানিফার ভালোবাসার সুধা পান করেছে এবং তারা তাঁর ব্যাপারে অতিরঞ্জন করেছে। এমনকি তারা তাঁর চেয়ে বেশি জ্ঞানী কেউ ছিল বলে মনে করে না। যেমনভাবে শিয়া সম্প্রদায় আলির ভালোবাসায় অতিরঞ্জন করেছে। অথচ আল্লাহর কসম, সুফইয়ান সাওরি তাঁর চেয়ে বেশি জ্ঞানী ছিলেন।”

[হিলইয়াতুল আউলিয়া ওয়া তাবাকাতুল আসফিয়া, আসার নং : ৯২৮২]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

02 Jan, 17:21


حفظه الله تعالى

Mahfuj Ibn-Al Delowar

02 Jan, 15:39


সুফিয়ান আস-সাওরি ( رحمه الله ) বলেন,

"ما أحب أن يظهر مني خير أكثر مما أعلم من نفسي."

“আমি কখনোই চাই না যে, আমার সম্পর্কে এমন কোনো ভালো দিক প্রকাশিত হোক, যা বাস্তবে আমার মধ্যে নেই।”

[জামে উলুম ওয়াল হিকাম, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৯১]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

31 Dec, 17:42


“যদি কোনো ব্যক্তি মুশরিকদের দেশে বাড়িঘর বানায় (স্থায়ী বসবাস করতে থাকে), তাদের নববর্ষ ও উৎসবাদি পালন করতে থাকে, তাদের অনুকরণ করতে থাকে এবং এভাবেই তাদের অনুকরণের মধ্যে তার মৃত্যু হয় তবে তাদের সাথেই কিয়ামতের দিন তাকে পুনরুত্থিত ও একত্রিত করা হবে।”

- আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (رضي الله عنه)

[বাইহাকী, আস-সুনানুল কুবরা ৯/১৩৪]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

31 Dec, 17:33


কারণ জ্ঞানী মানুষের শরীর মোটা হয় না

Mahfuj Ibn-Al Delowar

31 Dec, 11:35


শীতকালে গোসলের পর স্ত্রীর মাধ্যমে নিজেকে উষ্ণ করা প্রসঙ্গে

ইবরাহিম আত-তাইমি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু গোসলের পর তাঁর স্ত্রীর মাধ্যমে নিজের শরীর উষ্ণ করতেন।” [১]

উম্মু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, “আবু দারদা গোসল করতেন। এরপর তিনি কাঁপতে কাঁপতে এসে আমার মাধ্যমে নিজের শরীর গরম করতেন।” [২]

ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেছেন, “আমি অপবিত্রতার কারণে গোসল করি, তারপর (আমার) স্ত্রী গোসল করার পূর্বে তার মাধ্যমে নিজেকে গরম করি।” [৩]

ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেছেন, “শীতকালে এমনই ছিল কুরাইশদের জীবনযাপন।” [৪]


❏ পাদটীকা :

[১]. ইবনু আবি শাইবা, আল-মুসান্নাফ (তাহকিক : সাদ আশ-শাসরি), হা. ৮২৯, বর্ণনার মান : মুনকাতি (বিচ্ছিন্ন)।

[২]. ইবনু আবি শাইবা, আল-মুসান্নাফ, হা. ৮৩০, বর্ণনার মান : মুনকাতি (বিচ্ছিন্ন)।

[৩]. ইবনু আবি শাইবা, আল-মুসান্নাফ, হা. ৮৩১, বর্ণনার মান : সহিহ (তাহকিক : শাসরি)

[৪]. ইবনু আবি শাইবা, আল-মুসান্নাফ, হা. ৮৩২, বর্ণনার মান : হাসান (তাহকিক : শাসরি)।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

31 Dec, 06:30


→তোমরা যারা নাচে, গানে থার্টি ফার্স্ট নাইট সেলিব্রেট করতে যাচ্ছ তোমাদেরকে আল্লাহর রাসূলের সতর্কবাণী শুনিয়ে যেতে চাইঃ

‘শেষ যামানায় আমার উম্মতের কিছু লোককে বানর ও শূকরের আকৃতিতে রূপান্তরিত করা হবে।’

সাহাবায়ে কেরাম আরয করলেন - "হে আল্লাহর রাসূল! তারা কি তাওহীদ ও রিসালাতকে স্বীকার করবে?"

বললেন - "হ্যাঁ, তারা (নামেমাত্র) নামায, রোযা ও হজ পালন করবে।"

তিনি বললেন - ‘তারা গান-বাদ্য, তবলা-সারেঙ্গী ও নর্তকী ইত্যাদি উপভোগ করবে, মদ্যপান করবে, রাতভর খেলাধুলা ও বিনোদনে লিপ্ত থাকবে। এরপর ভোরে তারা বানর ও শূকরের আকৃতিতে রূপান্তরিত হয়ে যাবে।’ (আল্লাহ মাফ করুন!)
____
[ফাতহুল বারী : ১০/৯৪]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

31 Dec, 05:53


▋কাফিরদের ক্যালেন্ডার ব্যবহার।
.

কাফিরার দিন-তারিখ গণনা করার জন্য যে ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে তা ব্যবহার করা তাদের অভিভাবক ও বন্ধু বানানোর অন্যতম লক্ষণ। বিশেষ করে যেসব ক্যালেন্ডারের মধ্যে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও ঈদ-উৎসব সনাক্ত করা আছে, তা ব্যবহার করাও তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করার অন্তর্ভুক্ত। যেমন ইংরেজী ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা। মূলতঃ এটি ঈসা আালাইহিস সালামের জন্ম তারিখকে স্মরণ করে রাখার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এটি খ্রিস্টানরা নিজেদের পক্ষ হতে তৈরি করেছে। ঈসা আালাইহিস সালামের জন্ম দিবস করা এবং তাকে স্মরণ করে রাখার জন্য ক্যালেন্ডার বানানো তার দীনের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং এ ক্যালেন্ডারের ব্যবহার করা তাদের ধর্মীয় নিদর্শন ও উৎসবকে পুনর্জীবত করায় অংশ গ্রহন করার শামিল।

উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফকালে ছাহাবীগণ যখন মুসলিমদের জন্য তারিখ নির্ধারণ করার ইচ্ছা পোষণ করলেন, তখন তারা কাফিরদের সাদৃশ্য হওয়ার আশঙ্কায় তাদের তারিখ পরিহার করে রাসূল ﷺ-এর হিজরতের বছর থেকে হিজরী সাল ও তারিখ গণনা শুরু করলেন। এতে প্রমাণিত, সাল তারিখ গণনার ক্ষেত্রেও কাফিরদের বিরোধিতা করা আবশ্যক। এ ছাড়াও কাফিরদের অন্যান্য বিশেষ আভ্যাসগুলোর বিরোধিতা করা জরুরি।
.

তথ্যসূত্র:

‘আল ওয়ালা’ ওয়াল ‘বারা’(পৃষ্ঠা-১২)
--শাইখ সালিহ আল ফাওযান হাফেজাহুল্লাহ।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

30 Dec, 17:40


-একজন নারী প্রয়োজন শক্তিশালী পুরুষ ,আর একজন পুরুষের প্রয়োজন নরম করুনাময় নারী

Mahfuj Ibn-Al Delowar

30 Dec, 17:06


-Happy new year উৎযাপনের বিধান।

-শাইখ সালেহ আল ফাউজান حفظه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

30 Dec, 12:07


💢 শাইখের পরিবারে আত্নীয়তা করার সুযোগ

শাইখুল আকীদা ড. আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া হাফিঃ এর কন্যা মেডিকেলে শেষ বর্ষে অধ্যয়ন করছেন। বাংলাদেশ/সৌদি-আরবে প্রতিষ্ঠিত দ্বীনদার সালাফী পাত্র আবশ্যক।

🔴 আপনার বায়োডাটা ও প্রস্তাব পাঠাতে নিচের হুয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করে লিখুন:

👉 আমি শায়েখের সাথে আত্নীয়তা করতে আগ্রহী:

01759-362168

Mahfuj Ibn-Al Delowar

30 Dec, 08:48


-হালাল উপার্জনে টাকা কম থাকে এতে সুধু বিয়ে করা সম্ভব ,প্রেম না।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

30 Dec, 08:39


ইমাম শাফিঈ (রহিমাহুল্লহ) বলেন,
❛যে তার কাপড় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে, তাঁর দুঃখ
কমে যায় এবং আর যে ভাল সুগন্ধি ব্যবহার করে,
তার জ্ঞান (বুদ্ধি) বৃদ্ধি পায়।❜

[📗সিফাতুল সাফওয়া : ০১/৪৩৭]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

29 Dec, 16:46


-যারা বলে শিয়া রাফেজীরা আমাদের ভাই। তাদের বক্তব্য ভুল....

-শাইখ সালেহ আল ফাউজান حفظه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

29 Dec, 08:35


-ক্যানভাস, প্রাচীর গাত্র, কাগজ ইত্যাদিতে প্রাণীর ছবি অঙ্কন করার বিধান.!

-আব্দুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ القِيَامَةِ المُصَوِّرُونَ»

“কিয়াতের বিচারে কঠোর শাস্তি প্রাপ্তরা হবে ছবি নির্মাতাগণ”।[1]

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

«وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذَهَبَ يَخْلُقُ كَخَلْقِي، فَلْيَخْلُقُوا حَبَّةً، وَلْيَخْلُقُوا ذَرَّةً»

“যারা আমার সৃষ্টির ন্যায় সৃষ্টি করতে তৎপর হয় তাদের থেকে বড় যালিম আর কে আছে? এতই যদি পারে তো তারা একটা শস্য দানা সৃষ্টি করুক কিংবা অণু সৃষ্টি করুক”।[2]

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ، يَجْعَلُ لَهُ، بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا، نَفْسًا فَتُعَذِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ» وقَالَ: «إِنْ كُنْتَ لَا بُدَّ فَاعِلًا، فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لَا نَفْسَ لَهُ»

“প্রত্যেক ছবি নির্মাতা জাহান্নামে যাবে। সে যত ছবি অঙ্কন করেছে তার প্রত্যেকটির বিনিময়ে তার জন্য একটি করে প্রাণী তৈরি করা হবে। সে জাহান্নামে (তাকে) শাস্তি দেবে। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, “তোমাদেরকে যদি ছবি আঁকতেই হয় তাহলে বৃক্ষ ও যার রূহ নেই তার ছবি আঁক”।[3]

এ সকল হাদীস থেকে প্রমাণ মেলে যে, মানুষ, পশু ইত্যাকার যে কোনো প্রাণীর ছবি আঁকা হারাম। চাই তার ছায়া থাকুক বা না থাকুক, তা ছাপা হোক, কিংবা খোদাইকৃত হোক, কিংবা অঙ্কিত হোক বা ভাষ্কর্য হোক কিংবা ছাঁচে ঢালাই করা হোক। কেননা ছবি হারাম সংক্রান্ত হাদীসের আওতায় এ সবই পড়ে।

আর যে ব্যক্তি মুসলিম সে তো শরী‘আতের কথা অকুণ্ঠচিত্তে মেনে নিবে। সে এ বিতর্ক করতে যাবে না যে, আমি তো এটার পূজা করি না বা এটাকে সাজদাহ করি না। একজন জ্ঞানী লোক যদি অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে আমাদের যুগে ব্যাপক বিস্তার লাভকারী ছবির মধ্যে নিহিত একটি ক্ষতির কথাও চিন্তা করেন তাহলে শরী‘আতে ছবি হারামের তাৎপর্য তিনি অনুধাবন করতে পারবেন। বর্তমানে এমন অনেক ছবি আছে যার কারণে কুপ্রবৃত্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠে, কামনার জোয়ার সৃষ্টি হয়। এমনকি ছবির জন্য যিনায় লিপ্ত হওয়াও বিচিত্র নয়।

এছাড়া মুসলিমরা নিজেদের ঘরে প্রাণীর ছবি রাখবে না। কেননা প্রাণীর ছবি থাকলে গৃহে ফিরিশতা প্রবেশ করে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«لاَ تَدْخُلُ المَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ تَصَاوِيرُ»

“যে বাড়ীতে কুকুর ও ছবি থাকে সেই বাড়ীতে ফিরিশতা প্রবেশ করে না”।[4]

কোনো কোনো বাড়ীতে কাফিরদের দেব-দেবীর ছবি দেখতে পাওয়া যায়। বলা হয় যে, এগুলো আমরা হাদীয়া হিসেবে বা সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রেখেছি। অন্যান্য ছবির তুলনায় এগুলো আরও কঠোর হারাম। অনুরূপভাবে প্রাচীর গাত্রে টাঙ্গানো ছবিও বেশি ক্ষতিকারক। এসব ছবি কত যে সম্মান পায়, কত যে দুঃখ জাগরুক করে, কত যে গর্ব বয়ে আনে তার কোনো ইয়াত্তা নেই।

ছবিকে কখনো স্মৃতি বলা যায় না। কেননা, মুসলিম আত্মীয় ও প্রিয়জনের স্মৃতি তো অন্তরে বিরাজ করে। একজন মুসলিম তাদের জন্য রাব্বুল আলামীনের নিকটে রহমত ও মাগফেরাত কামনা করবে। তাতেই তাদের স্মৃতি জাগরুক থাকবে।

সুতরাং সর্বপ্রকার প্রাণীর ছবি বাড়ী থেকে সরিয়ে দেওয়া ও নিশ্চিহ্ন করে ফেলা আবশ্যক। হ্যাঁ, যেগুলো নিশ্চিহ্ন করা দুষ্কর ও আয়াসসাধ্য সেগুলো ব্যতিক্রম বলে গণ্য হবে। যেমন, সাধারণ্যে প্রচলিত কৌটাবদ্ধ খাদ্যদ্রব্য বা টিনজাত খাদ্য সমগ্রী ও অন্যান্য নানা ধরনের বস্তুতে অঙ্কিত ছবি, অভিধান, রেফারেন্স বুক ও অন্যান্য পাঠ্য বাইয়ের ছবি ইত্যাদি। তবে যথাসম্ভব সেগুলো অপসারিত করা গেলে করবে। বিশেষ করে মন্দ ছবি রাখবে না। পরিচয়পত্রে ব্যবহৃত ছবি হারামের আওতাভুক্ত হবে না। কেননা সফরে সেটার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এছাড়া কোনো কোনো বিদ্বানের মতে, যে সব ছবির কদর নেই; বরং তা পদদলিত করার ন্যায় গণ্য, সে সব ছবির ব্যাপারে তারা ছাড় দিয়েছেন। আর আল্লাহ বলেছেন,

﴿فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ مَا ٱسۡتَطَعۡتُمۡ﴾ [التغابن: ١٦]

“তোমরা সাধ্যমত আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর”। [সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত: ১৬]

>
[1] সহীহ বুখারী; সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৪৪২৯।
[2] সহীহ বুখারী; সহীহ মুসলিম; মিশকাত হাদীস নং ৪৪৯৬।
[3] সহীহ বুখারী; সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৪৪৯৮।
[4] সহীহ বুখারী; সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৪৪৮৯।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

29 Dec, 08:21


ইমাম রাবী‘ বিন হাদী আল-মাদখালী (حفظه الله) বলেন

❝অনেক বছর হয়ে গেল,
আমরা এমন কিছু লোকের সাথে বসবাস করছি,
যারা তাদের গায়ে সালাফিয়্যাহ’র চাদর জড়িয়ে আছে।
অথচ তারা বিদ‘আতীদের থেকেও বড়ো মিথ্যুক ও পাপিষ্ঠ।
আল্লাহ’র কাছে এদের থেকে পানাহ চাই।

তারা মিথ্যার মধ্যে এমনভাবে ডুবে আছে,
যা প্রত্যক্ষ করলে খোদ ইহুদি-খ্রিষ্টানও লজ্জা পেয়ে যাবে।❞


-মাজালিসু তাযকীরিয়্যাহ ফী তাফসীরি আয়াতিন কুরআনিয়্যাহ, পৃষ্ঠা: ৭৬।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

28 Dec, 18:08


-আব্দুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেছেন"

যদি এক রাত পরেই পৃথিবীর আয়ু ফুরিয়ে যায়, তবুও আমি পছন্দ করি ঐ একটি রাতেও আমার সাথে আমার স্ত্রী থাকুক"।

-মুসান্নাফে ইবনু আবি শায়বা : ৪/১২৮

Mahfuj Ibn-Al Delowar

27 Dec, 17:43


-এরপর অবশ্যই তোমরা মৃত্যু বরণ করবে।তারপর কিয়ামাতের দিন তোমাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে।...........

Mahfuj Ibn-Al Delowar

26 Dec, 16:21


-সুবহানআল্লাহ, লোকটির ইমান কত শক্ত সুবহানআল্লাহ।

-কাজাকস্তানের একটি প্লেন ফ্লাই করা অবস্থায় দূর্ঘটনার শিকার হয় , তখন লোকটি কালেমা পাঠ করে এবা তাকবির দিতে থাকে তারপর মাটিতে প্লেনটি ক্রেশ করে, কিন্তু লোকটি বেঁচে যান।

-তিনি সহ বাকি যারা আহত হয়েছে আল্লাহ তাদের সুস্থতা দান করুন আর যারা ইন্তেকাল করেছেন আল্লাহ তাদের ক্ষমা করুন। আমিন।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

26 Dec, 08:24


-ফেসবুকে কিছু ভিডিও ভাইরাল হতে দেখলাম, যেখানে দেখা যাচ্ছে , খ্রিস্টানদের বড়দিন উৎসবের কিছু গাছে কেউ কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, সেই ভিডিও নিয়ে অনেক মুসলিম ভাই দেখলাম আনন্দ প্রকাশ করছে।

-অন্যদিকে মহান আল্লাহ বলেন,
হে মুমিনগণ, আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে তারা ডাকে তোমরা তাদেরকে গালি দিও না, কেননা তারা তাদের অজ্ঞতাপ্রসূত শত্রুতার বশবর্তী হয়ে আল্লাহকে গালি দেবে। আর এভাবেই আমি প্রত্যেক জাতির জন্য তাদের কার্যকলাপকে তাদের দৃষ্টিতে চাকচিক্যময় করে দিয়েছি, তারপর তাদের প্রত্যাবর্তন ঘটবে তাদের প্রতিপালকের নিকট, তখন তিনি তাদেরকে জানিয়ে দিবেন যা কিছু তারা করতো।

(সুরা আনআম ১০৮)

-মাহফুজ

Mahfuj Ibn-Al Delowar

25 Dec, 10:47


▌রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ

“মানুষের দেহের যে অংশ প্রথম দুর্গন্ধময় হবে, তা হল তার পেট। কাজেই যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে যে একমাত্র পবিত্র (হালাল) খাদ্য ব্যতীত আর কিছু সে আহার করবে না, সে যেন তাই করতে চেষ্টা করে।”

📚 [বুখারীঃ ৭১৫২]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

09 Dec, 17:51


ইমাম শাফেঈ রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
❛যে তার কাপড় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে, তাঁর দুঃখ
কমে যায় এবং আর যে ভাল সুগন্ধি ব্যবহার করে,
তার জ্ঞান (বুদ্ধি) বৃদ্ধি পায়।❜

[📗সিফাতুল সাফওয়া : ০১/৪৩৭]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

09 Dec, 17:49


একজন মানুষের মর্যাদা তিনটি জিনিসের মধ্যে;

Mahfuj Ibn-Al Delowar

09 Dec, 17:40


ইমাম শাফেঈ رحمه الله বলেনঃ

“যদি আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নত পান, তবে তা অনুসরণ করুন এবং অন্য কাউকে পরোয়া করবেন না।”

ধিম আল-কালাম 393

Mahfuj Ibn-Al Delowar

08 Dec, 06:31


▌অবৈধ ভালবাসা সম্পর্কে ইবনে তাইমিয়্যাহ (رحمه الله) বলেন,

“নারী কিংবা ছোট বাচ্চাদের আসক্তি ব্যক্তিকে এমন বিপর্যয়ে নিপতিত করতে পারে, যার থেকে উদ্ধার করার ক্ষমতা কারো নেই। এর পরিণতি খুবই ভয়াবহ, তার পূন্যের ভাণ্ডার একেবারে শূন্য হয়ে যায়। প্রথম পর্যায়ে কারো অন্তরে কোন চেহারার আসক্তি সৃষ্টি হলে, দ্বিতীয় পর্যায়ে সে তার ভালবাসায় মগ্ন হয়ে যায়। যার ফলশ্রুতিতে সে আস্তে আস্তে নানা অপকর্ম ও অপরাধে জড়িত হয়ে পড়ে, যা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। তবে সব চেয়ে বড় মুসিবত হচ্ছে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে নিক্ষিপ্ত হওয়া। কারণ, বান্দা যখন আল্লাহর এবাদত ও তার প্রতি নিবিষ্ট চিত্ত থাকে, তখন তার কাছে আল্লাহর মহব্বতের চেয়ে মধুর ও সুখকর কোন জিনিস হতে পারে না।”

📚 [মাজমুউল ফাতাওয়া: খন্ড ১০, পৃ: ১৮৭]

(عبودية الشهوات مكمن الداء)
(ترجمة: ثناء الله نذير أحمد)

Mahfuj Ibn-Al Delowar

07 Dec, 18:12


আহলুস সুন্নাহ পরিবর্তনশীল নয়। আমরা আজ বলি, আগামীকাল এবং তার পরের দিনও একই কথা বলবঃ
❝নির্বাচন তাগুতের অন্তর্ভুক্ত এবং এটি হারাম।❞
أَهْلُ السُّنَّةِ مَا يَتَلَوَّنُونَ نَحْنُ نَقُولُ اليَومَ وَغَدًا وَبَعْدَ غَدٍّ: الإِنْتِخَابَاتُ طَاغُوتِيَّةٌ مُحَرَّمَةٌ.
— ইয়েমেনের মুহাদ্দিস শাইখ মুক্ববিল ইবনে হাদী আল-ওয়াদিঈ রহিমাহুল্লাহ, তুহফাতুল মুজীব আলা আসইলাতিল হাজির ওয়াল গারিব, খণ্ড ১/৪০১
(مقبل بن هادي الوادعي، تحفة المجيب على أسئلة الحاضر والغريب ١/٤٠١)

Mahfuj Ibn-Al Delowar

07 Dec, 16:30


|| জনপ্রিয়তা একটি ক্যান্সারঃ

ইমাম সুফইয়ান আছ ছাওরি রাহিমাহুল্লাহ একদা ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক রাহিমাহুল্লাহকে লিখে পাঠান যে,

"ইলম প্রচার করুন, আর জনপ্রিয়তা (অর্জন করার আগ্রহ) থেকে দূরে থাকুন।"

📚হিলইয়াতুল আউলিয়া (৭/৭০)

Mahfuj Ibn-Al Delowar

07 Dec, 06:31


ইমাম আলবানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, " তাবলীগ জামাআত আধুনিক যুগের সূফী।আপনার যদি সূফীদের সম্পর্কে জানা থাকে এবং জানা থাকে যে, তারা ইসলামী শরীআত থেকে বিচ্যুত, তারাও একই ধরণের সূফী তবে আধুনিক যুগের সূফী।"

📜 তুরাসুল আলবানী ফিল মানহাজ, ৭/১২

Mahfuj Ibn-Al Delowar

06 Dec, 16:21


-"ভ্যাসলিন ব্যবহারের পর অজু করলে কি অজু হবে.?"

শাইখ সালেহ আল ফাউজান حفظه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

06 Dec, 03:47


▌রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

“হে আয়েশা! যে লোকের খারাপ ব্যবহারের জন্য লোকজন তাকে পরিহার করে এবং তাঁর থেকে দূরে থাকে, সে সবচেয়ে খারাপ লোক।”

فَقَالَ ‏"‏ يَا عَائِشَةُ إِنَّ مِنْ شَرِّ النَّاسِ مَنْ تَرَكَهُ النَّاسُ أَوْ وَدَعَهُ النَّاسُ اتِّقَاءَ فُحْشِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

📚 [সহীহ, সহীহাহ (১০৪৯), মুখতাসার শামাইল (৩০১), বুখারী, মুসলিম]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

05 Dec, 16:17


"স্ত্রী সহবাসের পর গোসল শরীরে শক্তি ফিরিয়ে দেয়। যা নির্গত হয় (অর্থাৎ বীর্য) তার পুনরাগমন ঘটে, এবং ইহা দেহ ও মন— দু’টোর জন্যই উপকারী। অপরদিকে গোসল পরিহার করা ক্ষতিকর। ফরয গোসল কল্যাণকর হওয়ার ব্যাপারে জ্ঞান ও ফিতরাতের সাক্ষ্যই যথেষ্ট।"
.
— হার্ট স্পেশালিষ্ট ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ।
— [ই‘লামুল মুওয়াক্কি‘ঈন: ২/৪৫]।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

04 Dec, 16:10


ইমাম আহমাদ رحمه الله বলেনঃ

"আমি দেখেছি যে একাকীত্ব আমার হৃদয়ের জন্য বেশি আরামদায়ক।"

[আল-আদাব আল-শারাইয়াহ 2/28]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

04 Dec, 16:01


মুআবিয়া ইবনে কুররাহ رحمه الله বলেন:

"সত্যিই, যাদেরকে বিবেচনা করা হবে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুস্থ ব্যক্তি যার অবসর সময় আছে!"

[আল-মুজালাসাহ ওয়া-জাওয়াহির আল-ইলম: 1325]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

03 Dec, 17:47


«অন্তরের উপর কু-দৃষ্টির প্রভাব»

– ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (رحمه الله) বলেন,

“চোখ অন্তরের আয়না স্বরূপ, চোখ বন্ধ করলে অন্তরও তার প্রবৃত্তির ওপর পর্দা টেনে দেয়। আর চোখ উন্মুক্ত রাখলে অন্তরও তার প্রবৃত্তি উন্মুক্ত করে রাখে। তিনি আরো বলেন, অন্তরের মধ্যে কু-দৃষ্টির প্রভাব সৃষ্টি হওয়ার পর, ব্যক্তি যদি দৃঢ় সঙ্কল্প গ্রহণ করে এবং সাথে সাথে তার মূল উপড়ে ফেলে, তবে এর প্রতিকার করা খুব সহজ। এর বিপরীতে যদি সে বারবার তাকাতে থাকে, তার ছবি অন্তরে বারবার স্মরণ করতে থাকে, তবে তার ভালবাসা অন্তরে প্রোথিত হয়ে যাবে। কারণ, বারবার দৃষ্টি দেয়ার অর্থ হচ্ছে কু-প্রবৃত্তির গাছটি পানি দ্বারা সিঞ্চন করা। আর এভাবেই প্রবৃত্তির গাছটি ক্রমশ বড় হয়ে একদিন তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, ভুলিয়ে দিবে তাকে নিজ দায়িত্ব। অধিকন্তু সে এর কারণে বিভিন্ন পরীক্ষা ও কষ্টের সম্মুখিন হবে, নানা অপকর্মে লিপ্ত হবে।” (রওজাতুল মুহিব্বীন: পৃ: ৯২-৯৫)

(عبودية الشهوات مكمن الداء)
(ترجمة: ثناء الله نذير أحمد)

Mahfuj Ibn-Al Delowar

02 Dec, 17:01


ইমাম ইবন তাইমিয়া জাতীয়তাবাদ এবং আসাবিয়াহ সম্পর্কে বলেন:

> "যে ব্যক্তি জাতি, বর্ণ, গোত্র বা অঞ্চলের ভিত্তিতে মানুষকে একত্রিত করতে চায়, সে ব্যক্তি জাহেলিয়াতের দিকে আহ্বান করছে। ইসলাম উম্মাহর ভিত্তিতে ঐক্যের কথা বলে, যা জাতি, বর্ণ ও ভৌগোলিক সীমার বাইরে।"
সূত্র: মাজমু’ আল-ফাতাওয়া, ২৮/৩৯১।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

02 Dec, 12:11


-এভাবে ছবি প্রিন্ট করে প্রচার করা কোন কোন হাদিস দ্বারা জায়েজ.?

-সহিহ আকিদার সাথে কি সহিহ মানহাজের প্রয়োজন নেই.? আমরা যতটা দাবি করি ততটা কর্মে বাস্তবায়ন করি না।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

02 Dec, 06:31


তিনটি জিনিস মানুষের সম্মান কমায়

Mahfuj Ibn-Al Delowar

01 Dec, 17:50


-মহান আল্লাহ মানুষের অন্তর থেকে ইলমকে কেড়ে নিবেন না, তিনি আলেমদের মৃত্যুর মাধ্যমে দুনিয়া থেকে ইলম উঠিয়ে নিবেন,,,, তখন মানুষেরা মূর্খ লোককে আলেম মনে করে তার থেকে ইলম নিবেন এতে সে নিজেও বিপদগামী হবেন এবং মানুষকেও বিপদগামী করবেন,,

-হাদিসটি বর্ননা করার সময় আল্লাহ শাইখ সালেহ আল ফাউজান হাফিজাহুল্লাহ কান্না করছিলেন......

-মহান আল্লাহ আমাদের আলেমদের রক্ষা করুন,,ক্ষমা করুন

Mahfuj Ibn-Al Delowar

01 Dec, 15:46


-যা বুঝলাম এদেশে যারা বলে আমরা তাক্লিদ করি না তারাই বেশি তাক্লিদ করে...

Mahfuj Ibn-Al Delowar

30 Nov, 17:25


▌কাদরিয়্যারা আহলুস সুন্নাহকে জাবরিয়্যাহ অপবাদ দেয়

মুজবিরাহ বা জাবরিয়্যাহ বলতে তাদেরকে বুঝায় যারা তাক্বদীর সাব্যস্ত করতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে। তারা মানুষদের থেকে সকল কর্ম ও তাদের স্বাধীনতা হরণ করেছে। তারা বান্দার সকল কাজ আল্লহর দিকে সম্পৃক্ত করে। আল্লহই সব করেছেন বান্দা কিছুই করে নি। তারা দু'ভাগে বিভক্ত।

(১) খাঁটি জাবরিয়্যাহ: যারা আল্লহর জন্য কোনো কাজই সাব্যস্ত করে না,তাদের মতে বান্দার কাজ করার ক্ষমতা নেই।

(২) মাঝামাঝি ধরনের জাবরিয়্যাহ: যারা বান্দার জন্য প্রভাবহীন কুদরত বা ক্ষমতা সাব্যস্ত করে (জাবরে মা'নাওয়ী)। [মাক্কালাতুল ইসলামিয়্যীন,পৃ ২৭৯-২৮৭]

তবে কাদরিয়্যাহ ফির্কার লোকেরা জাবরিয়া বা মুজবিরাহ বলে আহলুস সুন্নাহকে উদ্দেশ্য নিয়ে থাকে। কারণ আহলুস সুন্নাহ বিশ্বাস করে যে,সবকিছু আল্লহর নির্ধারণ ও ইচ্ছা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়,তবে বান্দার কাজ করার ক্ষমতা আছে।

কাদরিয়া গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা'আতকে জাবরিয়া বা 'মুজবিরাহ' বলে বদনামী করার বিষয়টি ইমাম ইবনু আবী হাতিম তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, যখন তিনি বিদআতীদের আলামত সম্পর্কে আলোচনা করেন তখন বলেন,'আমার পিতাকে বলতে শুনেছি তুমি বিদআতীদের পরিচয় পাবে যখন তুমি দেখবে যে তারা সেসব লোকের বিরুদ্ধে লেগে যায় যারা ' আছার '(সালাফদের মত) অনুসরণ করে।-- আর কাদরিয়্যাদের আলামত হচ্ছে তারা সেসব লোককে মুজবিরাহ বলে যারা 'আছার '(সালাফদের মত) অনুসরণ করে। [লালকাঈ,শারহু উসূলি ই'তিকাদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা'আহ ১/১৭৯ ]।

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ কাদরিয়্যাদের দ্বারা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা'আতকে এ মিথ্যা ভিত্তিহীন নামের প্রতিবাদ করেছেন এবং তা বাতিল হওয়া প্রমাণ করেছেন; কারণ আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা'আত এটাই বিশ্বাস করে যে,বান্দা প্রকৃত অর্থেই কাজ করে,তার ইচ্ছা ও ক্ষমতা রয়েছে। তিনি বলেন, বিদআতীরা সেসব লোকদেরকে বাতিল নাম প্রদান করে যারা আল্লহ তা'আলার পথের অনুসরণ করে,যে পথের বিষয়টি বর্ণনা করে আল্লহ বলেন, " বলুন,'এটাই আমার পথ,আল্লহর প্রতি মানুষকে আমি ডাকি জেনে-বুঝে,আমি এবং যারা আমার অনুসরণ করেছে তারাও। আর আল্লহ কতই না পবিত্র মহান এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই'।" [সূরো ইউসুফ: আয়াত ১০৮]।
যেমন কাদরিয়্যারা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা'আতকে মুজবিরা নাম দেয় অথচ আহলুস সুন্নাহ এটা বিশ্বাস করে যে,বান্দা সত্যিই কর্মসম্পাদনকারী,তার রয়েছে ইচ্ছা ও ক্ষমতা; মুলত কাদরিয়্যাহরা আহলুল সুন্নাত ওয়াল জামা'আতকে তাদের সাথে তুলনা করে যারা বান্দার কর্ম নেই বলে,আর বান্দাকে যারা জড় পদার্থের মতো মনে করে যাদের কোনো ইচ্ছা নেই।

কাদরিয়্যারা আহলুস সুন্নাহকে জাবারিয়্যা বলার কারণ হচ্ছে, আহলুস সুন্নাহ বিশ্বাস করে যে,আল্লহ সবকিছুর স্রষ্টা,তিনি বান্দার স্রষ্টা,বান্দার গুণের স্রষ্টা আর বান্দার কর্মেরও স্রষ্টা। [ইবনু তাইমিয়্যাহ, বায়ানু তালবীসিল জাহমিয়্যাহ ৬/ ৬৪৩-৬৪৪]

গ্রন্থ: আল ফাতওয়া আল হামাউইয়্যা আল কুবরা

Mahfuj Ibn-Al Delowar

29 Nov, 17:46


▌হাসান বসরী (رحمه الله) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

‘তোমরা দুনিয়ার ব্যস্ততা থেকে বিরত থাক। কারণ, দুনিয়ার ব্যস্ততার শেষ নেই। যে ব্যক্তি দুনিয়ার ব্যস্ততার একটি দরজা উন্মুক্ত করবে, খুব সম্ভব তার এ একটি দরজা আরো দশটি ব্যস্ততার দরজা উন্মুক্ত করবে।’ (যুহুদের কিতাবে ইবনে মুবারক বর্ণনা করেছেন)

তিনি আরো বলতেন, ‘দুনিয়াকে অবজ্ঞা কর, আল্লাহর কসম করে বলছি, তুমি যদি তাকে অবজ্ঞা করতে পার, তবে তুমি পরিতৃপ্ত হয়ে যাবে।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ৪/৫৭৯) তিনি শপথ করে বলতেন, ‘যে ব্যক্তি অর্থকে বড় করে দেখেছে, আল্লাহ তাকে অপমান করেছেন।’ (আবু নাইম ফিল হিলইয়া: ২/১৫২ সিয়ারু আলামিন নুবালা: ৪/৫৭৬)

(عبودية الشهوات مكمن الداء)
(ترجمة: ثناء الله نذير أحمد)

Mahfuj Ibn-Al Delowar

29 Nov, 17:39


▌ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (رحمه الله) নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার ক্ষতি সম্পর্কে বলেন,

‘নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা সকল মুসিবত ও সর্বনাশের মূল। সর্বগ্রাসী মহা বিপদের একটি অশনি সঙ্কেত। অধিকন্তু তা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে এবং অনেক হত্যা, অপমৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্ম দেয়। নবি মুসা আ.-এর সৈন্যদের মাঝে কিছু বেশ্যা নারীর অনুপ্রবেশ ঘটলে তাদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলশ্রুতিতে আল্লাহ তা‘আলা তাদের ওপর মহামারী নাযিল করেন এবং একই দিনে সত্তর হাজার লোকের মৃত্যু ঘটান। এটা বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থের প্রসিদ্ধ ঘটনা। সুতরাং আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পারি যে, মৃত্যুহার বৃদ্ধির একটি বড় কারণ হচ্ছে যেনার বিস্তার ও তার প্রসার, যা সাধারণত নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, নারীর সৌন্দর্য প্রদর্শন, নগ্ন ও অর্ধনগ্নাবস্থায় নারীদের চলাফেরার কারণে হয়ে থাকে।’ (আতুরুকুল হিকমিয়‍্যাহ : ২৫৯)

‘প্রেম-ভালবাসা মূলত ঈমানের দূর্বলতার পরিচয়। কারণ, অন্তরে যখন ঈমানের উপস্থিতি কম হয়, তখনই প্রবৃত্তি ও কু-কামনা বৃদ্ধি পায়, বরং তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।’ (আল-ফাওয়ায়েদ: লি-ইবনিল কাইয়্যিম-পৃ: ৭৫)

(عبودية الشهوات مكمن الداء)
(ترجمة: ثناء الله نذير أحمد)

Mahfuj Ibn-Al Delowar

28 Nov, 18:48


▌কেউ যদি বিএনপি (BNP) এর আদর্শের উপর মারা যায় সে মুরতাদ/কাফের বা নাস্তিক হিসেবে মারা যাবে?

– এই পোস্ট শুধু (BNP) এর জন্য না, বরং এটা এমন সকল আদর্শের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যাদের ভিত্তি (BASE) কুফরের উপর প্রতিষ্ঠিত। এই পোস্ট দেখে যদি অন্তত একজনও কুফর থেকে তাওবা করে, বা কুফর থেকে সচেতন হয় তাহলে সেটাই যথেষ্ট ইন শা আল্লহ।

– এই পোস্ট শুধু তাদের জন্য যারা ঈমানকে ভালবাসে। অর্থাৎ এই পোস্ট শুধুই মুসলমানদের জন্য।

– কারণ আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (رضي الله عنه) বলেছেন, “মানুষের উপর এমন একটি সময় আসবে যখন তারা একত্রিত হবে এবং মসজিদে স্বলাত আদায় করবে, কিন্তু তাদের মধ্যে কোন মুমিন থাকবে না।”

📚 [الإيمان لابن أبي شيبة 97]

– المحدث الألباني خلاصة حكم المحدث 101 إسناده موقوف صحيح على شرط الشيخين في الإيمان لابن أبي شيبة

– নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

‘‘মানুষের নিকট এমন একটি সময় আসবে, যখন জ্বলন্ত আগুনের স্ফুলিঙ্গ হাতের মুষ্ঠির মধ্যে রাখার মতই দ্বীন নিয়ে টিকে থাকা কঠিন হবে।”

📚 [তিরমিযী ২২৬০, আলবানী ও আহমাদ শাকির সহীহ বলেছেন]

– রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

“অন্ধকার রাতের মত ফিতনা আসার আগেই তোমরা নেক আমলের প্রতি অগ্রসর হও। সে সময় সকালে একজন মুমিন হলে বিকালে কাফির হয়ে যাবে। বিকালে মুমিন হলে সকালে কাফির হয়ে যাবে। দুনিয়ার সামগ্রীর বিনিময়ে সে তার দ্বীন বিক্রি করে বসবে।”

📚 [মুসলিম ২১৪]

– এখানে মির্জা ফখরুলের বক্তব্য, “বিএনপি শরীয়াহ আইনে বিশ্বাস করে না।” এটা সরাসরি বিএনপির আকিদাকে রিপ্রেজেন্ট করে। এই বক্তব্য বড় কুফর। যে কেউ বলে আমি শরীয়াহ আইনে বিশ্বাস করি না তাহলে সে মুরতাদ। যে কেউ বলে যে আমরা বা আমি বা আমাদের গ্রুপ বা আমাদের সাথে যারা আছেন অমুক ইত্যাদি এতে বিশ্বাস করে না তখন সবাই কুফরে লিপ্ত হয়, কারণ তারা সামগ্রিকভাবে একটা ইতিক্বদকে রিপ্রেজেন্ট করে। অর্থাৎ যে কেউ জেনে শুনে এমন কুফরী মতাদর্শের সাথে যুক্ত সে কুফরে লিপ্ত, এতে কোন সন্দেহ নেই।

– একজন মুসলমান যখন কোন একটা দল বা কোন ব্যক্তির এরকম কুফরের বিষয়টি জানতে পারে তাহলে তার সাথে সকল সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা এবং আল্লাহর জন্য তাদের ঘৃণা করা ওয়াজিব হয়ে যায়। সেই দলকে একটি শব্দ দিয়ে সাহায্য করা, তাদের কোন পোস্টে রিয়েক্ট বা তার কোন বক্তব্য প্রচার করার অর্থ হল কুফরে সহায়তা করা।

– কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لاَ تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءَهُمْ أَوْ أَبْنَاءَهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ ۚ﴾
‘‘যারা আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তাদেরকে তুমি আল্লাহ ও তার রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবে না। হোক না এই বিরুদ্ধাচরণকারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা তাদের জাতি-গোত্র’’।

📖 [সূরা মুজাদালাঃ ২২]

– যাদের অন্তরে বিন্দুমাত্র ঈমানের প্রতি মায়া আছে তারা এই দুনিয়ার কথিত রাজনীতির জন্য স্বল্পমূল্যে ঈমাম ও আল্লাহর আয়াত বিক্রি করে দিতে পারে?

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “আর তোমাদের সাথে যা আছে তার সত্যায়নকারীস্বরূপ আমি যা নাযিল করেছি তার প্রতি তোমরা ঈমান আন এবং তোমরা তা প্রথম অস্বীকারকারী হয়ো না। আর তোমরা আমার আয়াতসমূহ সামান্যমূল্যে বিক্রি করো না এবং কেবল আমাকেই ভয় কর।” [২ঃ৪১]

– এখানে আমি শুধু শরীয়াহ আইনের বিষয়টি ফোকাস করলাম। নিচের লিংকগুলোতে মুজিবের কুফরী আকিদাগুলোকেও নিয়ে আসা হয়েছে যেগুলো আ.লীগ, BNP উভয়ের মাঝেই কমন আছে।

[নোটঃ এখানে মির্জা ফখরুলকে খাস তাকফীর করা হয় নি। অনেকের মাঝে একটা ভুল ধারণা আছে খাস তাকফীর করা না হলে কোনো একজন মুরতাদ হয় না। এটা ভুল। খাস ব্যক্তির উপর হুকুম প্রয়োগের জন্য তাকফীরের মূলনীতি আছে। আমভাবে যারা এরকম সেকুলার দল বা যেকোন নাস্তিকদের দলের সাথে যুক্ত করবে তারাও আমভাবে এমন কুফরীতে লিপ্ত যার উপর কেউ মারা গেলে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয়ে যায়। আর যাদের কাছে এসব সেকুলার দলগুলোর হাকিকত স্পষ্ট হবার পর এবং সব জানার পরেও যারা এদের সাথে নিজেদের যুক্ত করে আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে তাদের কোন ওজর কি মৃত্যুর পর কাজে আসবে?]

▌মুজিব ও ভাসানীর কুফরী আকিদার উপর মারা গেলে কি কেউ মুসলিম হিসেবে মারা যাবে?

https://www.facebook.com/share/v/15HSjbBpmt/?mibextid=WC7FNe

▌জামাতি বা শিবিরের আকিদার উপর মারা গেলে কি কেউ সুন্নাহর উপর মারা যাবে?

https://www.facebook.com/share/15fjnsMk9a/?mibextid=WC7FNe

▌বিভিন্ন তন্ত্র মন্ত্রের দল ও আল ওয়ালা ওয়াল বারা।

https://www.facebook.com/share/18GSKRMFHd/?mibextid=WC7FNe

Mahfuj Ibn-Al Delowar

28 Nov, 18:47


⚠️

Mahfuj Ibn-Al Delowar

28 Nov, 17:30


একজন মু'মিনের সাথে অবশ্যই আপনার

ওয়ালা (বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা) থাকতে হবে, যদিও সে আপনার প্রতি জুলুম করে কিংবা সীমালঙ্ঘন করে

আর যদিও একজন কাফির আপনার সাথে ভালো আচরণ করে কিংবা আপনাকে আশ্রয় দেয় তবুও তার সাথে আপনার থাকতে হবে বারা' (শত্রুতা এবং বিদ্বেষ)

— শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ رحمه الله [মাজমুউল ফাতাওয়া –খন্ড ২৮]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

28 Nov, 09:37


▌❛জ্ঞানের অনেক বাহক আছেন যারা নিজেরা ততোটা জ্ঞানী নয়। জ্ঞানের এমন বাহকও আছেন যে, তারা যাদের নিকট তা বয়ে নিয়ে যায় তারা তাদের চেয়ে অধিক জ্ঞানী।❜

মুহাম্মাদ ইবনু জুবায়ের ইবনু মুত‘ঈম (রহ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, রসূলুল্লহ ﷺ মিনার ‘আল-খাইফ’ নামক উচ্চভূমিতে দাঁড়িয়ে বলেছেন,

“আল্লহ এমন ব্যক্তিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করুন যে আমার বক্তব্য শোনার পর তা প্রচার করলো (বা অপরের নিকট পৌঁছে দিল)। কারণ জ্ঞানের অনেক বাহক আছেন যারা নিজেরা ততোটা জ্ঞানী নয়। জ্ঞানের এমন বাহকও আছেন যে, তারা যাদের নিকট তা বয়ে নিয়ে যায় তারা তাদের চেয়ে অধিক জ্ঞানী।”

[ইবনু মাজাহ, হা/২৩১; তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: আহমাদ ১৬২৯৬, ১৬৩১২; দারিমী ২১৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহিহ]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

27 Nov, 16:16


-চলমান জ*ঙ্গী ই*সকন ইসুতে অনেক মুসলিম ভাইদের দেখা যাচ্ছে যারা অতিরিক্ত মানবতা দেখাতে গিয়ে কাফের বা হিন্দু লোকেদের মানবাতার ভাই বলে সম্ভোধন করছে, তারা বলে হিন্দুরা আমাদেন সামাজিক ভাই , মানবতার ভাই ইত্যাদি.... ইত্যাদি.... এবং তারা বলে আমরা তাদের ঘৃণা করতে পারি না ,,, ইত্যাদি ইত্যাদি....

-কাফের, ইয়া'হুদি, হিন্দু লোকেদের ভাই বলার বিধান।

-শাইখ সালেহ আল ফাউজান حفظه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

27 Nov, 11:57


১০. মুসলিম বিশ্বাস করবে কিছু কিছু বিধানের ক্ষেত্রে মুসলিম ও অমুসলিমের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যেমন- রক্তমূল্য, মিরাছ বণ্টন, বিয়ে, বিয়ের অভিভাবকত্ব, মক্কায় প্রবেশ ইত্যাদি। ফিকাহের গ্রন্থসমূহে এ মাসয়ালাগুলো আলোচনা করা হয়েছে। তবে এ মাসয়ালাগুলোর ভিত্তি হচ্ছে- আল্লহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ। অতএব, এসব ক্ষেত্রে যে এক আল্লহর প্রতি ঈমান এনেছে ও যে আল্লহকে অস্বীকার করেছে, তার সাথে শরিক করেছে এবং সত্য ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে উভয়ের মাঝে সমতা করা সম্ভবপর নয়।

১১. মুসলিম দেশে ও অমুসলিম দেশে আল্লহর দিকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য মুসলিমেরা নির্দেশিত। মুসলিমদের উচিৎ সত্য দ্বীনের বাণী বিশ্ববাসীর নিকট পৌঁছিয়ে দেওয়া। পৃথিবীর সর্বত্র মসজিদ তৈরী করা। অমুসলিম জাতিসমূহের নিকট দাঈ প্রেরণ করা এবং তাদের শাসকবর্গের নিকট ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিয়ে পত্র প্রেরণ করা। মুসলিম আলিমগণ অমুসলিমদের সাথে সংলাপের ব্যবস্থা করবেন। অমুসলিমদেরকে আলোচনা করার সুযোগ দিবেন, তাদের কথাবার্তা শুনবেন এবং তাদের সামনে সত্যকে তুলে ধরবেন।

সর্বশেষে, আল্লহ তাআলা বলেছেন: বল, ‘হে কিতাবীগণ, তোমরা এমন কথার দিকে আস, যেটি আমাদের মধ্যেও তোমাদের মধ্যে সমান যে, আমরা একমাত্র আল্লহ ছাড়া কারোই ইবাদাত করব না। তার সাথে কোন কিছুকে শরীক করব না এবং আমাদের কেউ আল্লাহ ছাড়া কাউকে রব হিসাবে গ্রহণ করব না।তারপর যদি তারা বিমুখ হয় তবে বল, ‘তোমরা সাক্ষী থাক যে, নিশ্চয় আমরা মুসলিম’। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৬৪] আল্লাহ তাআলা আরো বলেন: “আর যদি আহলে কিতাব ঈমান আনত, তবে অবশ্যই তা তাদের জন্য কল্যাণকর হত। তাদের কতক ঈমানদার। আর তাদের অধিকাংশই ফাসিক।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১১০]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

27 Nov, 03:20


কিছু কিছু প্রশংসা নিন্দায় রূপ নেয় এবং মানুষের কাছে প্রশংসিত ব্যক্তির মর্যাদাহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ধরনের প্রশংসা হলো, যখন কোনো ব্যক্তির ব্যাপারে এমন কিছু বলা হয়, যা তার মাঝে নেই। ফলে মানুষজনের কাছে তার যে বিষয়টির প্রশংসা করা হয়েছে, তারা তার মাঝে সেটির খোঁজ করে। তারা ধারণা করে তিনি সেই বৈশিষ্ট্য ধারণ করেন। কিন্তু যখন তারা তার মাঝে সেটি দেখতে পায় না, তখন সেই প্রশংসা নিন্দায় রূপ নেয়। এক্ষেত্রে যদি প্রশংসাই না করা হত, তাহলে তার এই ক্ষতিটুকু হত না।
.
- ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ)
[যাদুল মা‘আদ: ২/৪১০]
.
مِن المدح ما يكون ذما وموجبا لسقوط مرتبة الممدوح عند الناس، فإنه يُمْدَحُ بما ليس فيه فتطالبه النفوس بما مُدِحَ به، وتَظُنه عنده، فلا تجده كذلك فتنقلب ذما، ولو تُرِكَ بغير مدح لم تحصُلْ له هذه المفسدة.

Mahfuj Ibn-Al Delowar

26 Nov, 16:57


رحمه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

25 Nov, 16:52


ইমাম শাফিঈ رحمه الله বলেন
"সর্বস্ব হারিয়ে গেলে তোমাদের কেউ যেনো ভয় না পায় কারণ আমি তিনবার নিঃস্ব হওয়ার পরেও স্বচ্ছল হয়েছি "
📚মানাকিব আশ শাফিঈ লিল বায়হাক্বী ২/১৬৯

Mahfuj Ibn-Al Delowar

24 Nov, 15:57


ছাদ যেন পর্দাহীনতার আরেক নাম

বিকেল বেলা বাসার ছাদ হয়ে ওঠে শহুরে বাসিন্দাদের জন্য এক টুকরো পার্কের মতোই। যানজটের এই শহরে ছাদ ছাড়া অন্য কোনো জায়গাও থাকে না বাতাস উপভোগ করার। তাই বিকেল হলেই নারী-পুরুষ সবাই ছাদে ওঠে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বাতাস উপভোগের জন্য ছাদে আসা হলেও পরবর্তী সময়ে ছাদ হয়ে যায় এক টুকরো বোটানিক্যাল গার্ডেনের মতো। ছেলে-মেয়েদের অবাধ আড্ডা, দিনশেষে কপোত-কপোতীদের সময় কাটানোর সুবর্ণ সুযোগ, অথবা পাশের বাসার ছাদের ছেলে-মেয়েদের সাথে খুনশুটির নামে ফষ্টিনষ্টি- এসব দৃশ্য শহরের ছাদগুলোতে খুবই চিরচেনা।

অনেক বোন বোরকা পরে ছাদ-বিলাস করতে যান। তারা হয়তো বোরকা পরেই গিয়েছেন, কিন্তু ছাদে যদি গাইরে মাহরাম ছেলেরা থাকে, তাহলে তো তার নজরের হেফাজত হলো না।

তাই এসব ফিতনা থেকে বাঁচার উপায় হলো, এমন সময় ছাদে যাওয়া, যখন ছাদে অন্য কোনো গাইরে মাহরাম থাকে না। পুরুষদের ক্ষেত্রেও একই কথা, ছাদে যদি নারীদের সংখ্যা বেশি থাকে, তাহলে দৃষ্টি হেফাজত করতে চাইলে তখন ছাদে না যাওয়াই ভালো হবে।

নিজের বাসার কোনো গাইরে মাহরাম তখন ছাদে না থাকলেও আশেপাশের ছাদ থেকে কিন্তু অনেকেই দেখতে পারে। তাই ছাদে গেলে পূর্ণ পর্দার সাথেই ছাদে যেতে হবে।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

20 Nov, 16:40


-যারা বলে, আবু হানিফা তাবে'ঈ ছিলেন এবং বিপুল সংখ্যক সাহাবীদের সাথে দেখা করেছেন এবং যারা বলে আবু হানিফার লিখিত কিতাব আছে তাদের এই দাবির রদ্দ...

🎙️ ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদীঈ رحمه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

20 Nov, 14:04


বিষয়: হাদ্দাদি মানহাজ সম্পর্কে কয়েকজন আলেমদের অভিমত

-শাইখ সালিহ আল-ফাওযান حفظه الله
বলেছেন,

হাদ্দাদি মানহাজের অনুসারীরা উগ্রবাদী এবং তারা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর।
তিনি আরও বলেন তাদের আচরণ সালাফি মানহাজ থেকে বিচ্যুত।

-শাইখ রাবী বিন হাদী আল-মাদখালি حفظه الله

তার "আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআর নীতিমালা" বইতে বলেন

হাদ্দাদীরা আহলুস সুন্নাহর নামে বিভাজন সৃষ্টি করে এবং নিজেরা কঠোর হয়ে পড়ে। আর এরা সালাফি মানহাজের চেতনা থেকে সরে গেছে।

তিনি এক অডিও ক্লিপে বলেন,
হাদ্দাদিরা সবচেয়ে বিদ্বেষপূর্ণ এবং নিন্দামূলক বিপথগামী দলগুলির মধ্যে একটি

-শাইখ রাবি’ বিন হাদি আল-মাদখালি حفظه الله
https://ar.alnahj(ডট)net/audio/1437

-শাইখ আব্দুল মুহসিন আল-আবাদ حفظه الله

তার লিখা"আহলুস সুন্নাহর প্রতি আহলুস সুন্নাহর সহানুভূতি (Rifqan Ahl al-Sunnah bi Ahl al-Sunnah)" বইতে বলেন,
হাদ্দাদীদের আচরণ ফিতনা সৃষ্টিকারী এবং তারা ইসলামের সঠিক দাওয়াত থেকে দূরে সরে গেছেন।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

18 Nov, 16:51


শাইখ ইবন তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন:

যিকর এর ক্ষেত্রে লোকেরা ৪ স্তরে বিভক্ত।

১. অন্তর এবং মৌখিকভাবে যিকর: আর শরীয়তে এরই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২. শুধু অন্তর দিয়ে যিকর: যদি তা কথা বলার অসামর্থ্যের কারণে হয়ে থাকে, তবে তা ভালো। কিন্তু যদি কথা বলার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অন্তর দিয়ে যিকর করা হয়, তবে তা হবে উত্তম আমল (অর্থাৎ মৌখিক যিকর) কে ছেড়ে দেওয়া।

৩. শুধু মৌখিক যিকর: এটা তখনই ঘটে যখন কোনো ব্যক্তির জিহবা আল্লাহর যিকরে সিক্ত থাকে।

৪. মৌখিক এবং আন্তরিক যিকরের অনুপস্থিতি: আর এটাই হলো ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা।

[মাজমু' আল ফাতাওয়া, ১০/৫৬৬, সংক্ষেপিত]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

18 Nov, 16:51


-যখন কোন দাঈ বা ব্যাক্তির ভুল অল্প কিছু ব্যাক্তি তুলে ধরে তখন তারা বলে “তাহলে অমুক অমুক শাইখ কেন তার বিরুদ্ধে বললেন না?".....

🎙️ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল ওহাদীইঈ رحمه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

17 Nov, 19:21


▌এক মহিলার ধূর্তামি

এক ব্যবসায়ী নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে একটি ঘটনা বর্ণনা করেন যে, মিশরের রাজধানী কায়রোতে আমরা বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী ব্যবসার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছিলাম। সারাটি বাজারে ব্যবসা করে সন্ধ্যায় "আমর বিন আস" নামক মসজিদটিতে আমরা সবাই একত্রিত হতাম। পরস্পর মত বিনিময় করতাম। একে অন্যকে পরস্পরের ব্যবসা সম্পর্কে জানাত।

একদিন নিয়মানুযায়ী আমরা মসজিদে বসে কথা বলছিলাম এমন সময় কাছেই একটি খুঁটির সাথে বসা এক মহিলা নজরে পড়ল। বাগদাদের এক ব্যবসায়ী সেই মহিলাটির কাছে গেল এবং বলল, "তুমি এখানে বসে কি করছ? কোনো সমস্যা থাকলে বলো আমরা তোমার সহযোগিতা করব।"

সে বলতে লাগল, "মূলত বিষয়টি হলো আমার স্বামী দশ বছর থেকে অনুপস্থিত। এখন পর্যন্ত আমি জানতে পারি নি সে কোথায়, এখন আমার জীবন একাকিত্বে কাটছে। আমার চলার মতো কিছুই নেই। এজন্য আমি কাজী সাহেবের কাছে গিয়েছিলাম যে, তিনি আমার জন্য উপযুক্ত পাত্র ঠিক করে আমার বিয়ে দিয়ে দিবেন যাতে আমার জীবনের সংকটপূর্ণ মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারি; কিন্তু কাজী সাহেব আমার বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এমতাবস্থায় আমি কি করতে পারি

আমি এমন এক ব্যক্তির খোঁজে বের হয়েছি যে, কাজী সাহেবের কাছে গিয়ে নিজেও সাক্ষী দিবে এবং নিজের সাথীদেরকে দিয়েও সাক্ষ্য দেয়াবে যে, আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করেছে অথবা আমাকে তালাক দিয়ে দিয়েছে যাতে আমি বিয়ে করতে পারি। অথবা কমপক্ষে সে কাজীর কাছে গিয়ে একথা বলবে যে, এটা আমার স্ত্রী এবং আমি একে তালাক দিচ্ছি যাতে ইদ্দত (সময় সীমা যা শরীয়ত নির্ধারিত) সমাপ্ত হলে আমি দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারি।"

ব্যবসায়ী এটা শুনে মহিলাকে বললেন, "তুমি আমাকে এক দীনার দাও, এর পরিবর্তে আমি কাজীর সামনে স্বীকার করব যে, তুমি আমার স্ত্রী।
এরপর আমি তোমাকে কাজীর সামনে তালাকও দিয়ে দিব।"

মহিলাটি কাঁদতে কাঁদতে কয়েক সিক্কা বের করে দিল যা এক দীনারের কম ছিল। আর বলতে লাগল, "আমার কাছে এ সিক্কাগুলো ছাড়া কিছুই নেই।" ব্যবসায়ী এ কয়টি পয়সা নিয়ে নিল এবং পরদিন কাজীর সামনে হাজির হলো।

আমরা সারাটি দিন সেই ব্যবসায়ীর অপেক্ষায় ছিলাম; কিন্তু সে সেদিন আর আসল না। এরপরের দিন যখন সে আসল তখন আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম কাল তুমি কোথায় চলে গিয়েছিলে আমরা তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। আমাদের বলো কি ঘটনা ঘটেছিল।

সে বলল: "ওসব কথা রাখো। আমার আসা না আসায় তোমাদের কী আসে যায়? আমার সাথে যা হয়েছে তা আমি বলা পছন্দ করি না।" আমরা তাকে খুব চাপ দিলাম এবং বললাম, "না, তা হতে পারে না। তোমাকে প্রকৃত ঘটনা বলতেই হবে।" এরপর সে বলতে লাগল: আমি সেই মহিলার সাথে কাজীর দরবারে উপস্থিত হলাম।

মহিলাটি কাজীর সামনে দাবি করল যে, "এ লোকটিই আমার স্বামী যে দশ বছর থেকে গায়েব। এখন আমি এ স্বামী থেকে তালাক চাই।" সুতরাং কাজী সাহেব আমাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন করে দিন। কাজী সাহেব আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি তা সত্যায়ন করি।

সুতরাং কাজী মহিলাকে উদ্দেশ করে বললেন, "তুমি কি নিজের স্বামীর উপর তোমার যে অধিকারসমূহ রয়েছে তা থেকে তাকে মুক্তি দিয়েছ?"
সে বলল, "না, না, আল্লহর কসম আমার দেনমোহরের অর্থ তার কাছে পাওনা এবং দশ বছরের খরচও তার উপর ধার্য। আমি দশ বছর থেকে তার অপেক্ষায় রয়েছি তাই আমি নিজের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারি না।"

মহিলার বর্ণনা শুনার পর কাজী সাহেব আমার প্রতি দৃষ্টি দিয়ে বলতে লাগল, "শুনো মিয়া! নিজ স্ত্রীর প্রাপ্য দিয়ে তাকে মুক্ত করে দাও। অথবা যদি চাও নিজে স্ত্রী হিসেবে রাখতে তাও করতে পার।"
আমি কাজীর ফয়সালা এবং এ ধোঁকাবাজ মহিলার কাণ্ড দেখে থমে গেলাম। এখন অবস্থা এমন রূপ ধারণ করল যে, আমি ধোঁকা থেকে বাঁচার কোনো কৌশলও অবলম্বন করতে পারছিলাম না আর না আমি সত্য ঘটনা বর্ণনা দিয়ে মুক্ত হতে পারছিলাম। আমি ভাবতেই ছিলাম, হঠাৎ বিচারক আমাকে পুলিশের সোপর্দ করে দিলেন যে, তারা আমার কাছ থেকে মহিলার অধিকার আদায় করে দিবে।

পুলিশ অফিসার আমাকে বললেন, "এ মহিলাকে ২০ দীনার দিয়ে দিলে তুমি রক্ষা পেতে পারো।" আমার সামনে কোনো সমাধান ছিল না। আমি চুপচাপ ২০ দীনার বের করলাম এবং মহিলাকে দিয়ে দিলাম। এভাবে আমি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি এবং আদালত প্রাঙ্গণে আমি সকলের সামনে অপমান, অপদস্থও হয়েছি।

অন্যদিকে, আমাদের অবস্থা এমন ছিল যে, হাসতে হাসতে আমাদের অবস্থা খারাপই হয়ে যাচ্ছিল। এরপর কিছুদিন পরেই ঐ বাগদাদী ব্যবসায়ী নিজ বাড়িতে ফিরে গেলেন। এরপর তার সাথে আর আমাদের সাক্ষাত ঘটে নি।

[কিতাবুল আযকিয়া: ২৬০]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

17 Nov, 06:31


নিম দাড়ি*

শাইখ সালেহ আল ফাওযান حفظه الله বলেছেন,

নিম দাড়ি (ঠোটের নিচের অল্প কেশ গুচ্ছ) কামানো/কাটা জায়েজ নেই যেহেতু এটা দাড়ির অংশ।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

16 Nov, 16:58


-বিদাআতীদের বই পড়া যাবে না...!

-বিদাআতীদের বই পড়াই যাবে না বিষয় টা এমনও না। কারন এমন অনেক উপকারী বই আছে যেগুলো আহলুল বিদাআহদের লেখা। কারন দ্বীনশেষে ফিকহ বা কিছু বিষয় আমরা বিদাআতিদের বইর ওপর ডিপেন্ড করি....এখন কথা হচ্ছে বিদাআতিদের কোন বই গুলো পড়াযাবে।

১. যে বিষয় আহলুস সুন্নাহর তেমন ভালো কোন বই নেই। এবং যে বিদাআতীদের যে বইটিকে বর্তমান সময়কার শাইখ সালেহ আল ফাউজান হাফিজাহুল্লাহর মত বা তার সমপর্যায়ের কোন আলেম যদি বইটি পড়ে সম্পাদনা করে সাজেস্ট করে তাহলে সুধু সেই বইটি পড়া যাবে।আমি আবারো বলছি শাইখ সালেহ আল ফাউজান হাফিজাহুল্লাহ, শাইখ ইবনে বায, উসাইমীন আলবানী রহিমাহুমুল্লাহর সমপর্যায়ের কোন আলেম যদি সাজেস্ট করে তাহলে....

-বাংলাদেশের কোন যদু মদু হুট করে কোন একটা বই সম্পাদনা করলো আপ আপনি তাদের বই পড়া শুরু করলেন এভাবে আপনি বিদাআতিদের দিকে ঝুকে যাবেন...

-আল্লাহর রহমতে আমাদের কাছে আহলুস সুন্নাহর অসংখ্য বই মওজুদ আছে আলহামদুলিল্লাহ, সেগুলো শেষ করতে করতেই আমাদের জীবন পার হয়ে যাবে...

-এবার কথা হচ্চে কিছু জাহেল যারা ইবনে বায রহিমাহুল্লাহর সাথে মঞ্জুর এলাহীর তুলনা করছে... তাদের কমনসেন্স দেখলে হাসিপায়। আল্লাহ তাদের সিরাতল মুস্তাকিমের পথ অনুসরণ করার তৌফিক দান করুন... কোথায় ইখওয়ানী মঞ্জুর এলাহী আর কোথায় শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে বায রহিমাহুল্লাহ।

✒️মাহফুজ ইবনে দেলোয়ার

Mahfuj Ibn-Al Delowar

15 Nov, 17:42


প্রশ্নঃ- ঐ ব্যক্তির হুকুম কী, যে কোন আলিম বা দাঈকে ভালোবাসে। আর বলে, আমি তাকে খুব ভালোবাসি, আমি কখনও তার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুনতে চাই না। তার কথা দলীল বিরোধী হলেও আমি গ্রহণ করি। কেননা আমাদের শায়খ আমাদের থেকে দলীল প্রমাণ ভালো বোঝেন।

উত্তর: এটি ঘৃণ্য, নিন্দিত গোঁড়ামীপূর্ণ (অন্ধ অনুকরণ)। (ইসলামে এ কাজ) জায়েয নয়।[1]
আল-হামদুলিল্লাহ আমরা আলিম ও দাঈগণকে ভালোবাসি। কিন্তু তাদের কেউ কোন মাসআলায় ভুল করলে আমরা তা দলীল প্রমানসহ বর্ণনা করি। দলীল সহ মতামত খণ্ডন করার দ্বারা মহববত ভালোবাসার কোন ত্রুটি হয় না। মর্যাদা ও ব্যাক্তিত্বকেও খাটো করা হয় না। ইমাম মালিক (রহ.) বলেন,
ما مِنَّا إلا رادٌ ومردودٌ عليه؛ إلا صاحب هذا القبر
একমাত্র এই কবরবাসী অর্থাৎ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছাড়া আমাদের প্রত্যেকের মতামতই খণ্ডনযোগ্য।[2]
আমরা যদি কোন আলিম বা বিদ্বানের মতামত খণ্ডন করি তাহলে এর অর্থ এই নয় যে আমরা তার সাথে শত্রুতা পোষণ করছি বা তার সম্মানহানী করছি। আমরা শুধু হক বর্ণনার উদ্দেশ্যে তাদের দালীলিক পর্যালোচনা করি। এই জন্য জনৈক আলিম তার সহযোগীদের সমালোচনা করার সময় বলতেন ‘‘অমুক ব্যক্তি আমাদের বন্ধু তবে হক আমাদের নিকট তার চেয়েও ঘনিষ্টতর বন্ধু। এটাই সমালোচনার সহীহ পদ্ধতি।[3]
কোন আলিম কোন মাসআলায় ভুল করলে তার মতামত খণ্ডন করাকে আপনারা শত্রুতা পোষণ বা মানহানী করণ মনে করবেন না। বরং প্রত্যেক যুগেই পরস্পর বন্ধুত্বের সূত্রে আবদ্ধ আলিমগণও একে অপরের মতামত খণ্ডন করেছেন। আমাদের জন্য কোন আলিমের ভুল শুদ্ধ সবই অন্ধের মত গ্রহণ করা জায়িজ নয়। বরং এটা তা তা‘আছছুব বা অন্ধ অনুকরণের শামিল।
একমাত্র রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই এমন ব্যক্তি যার প্রত্যেক কথাই গ্রহণযোগ্য, কোন কথা অগ্রহণযোগ্য নয়। এর কারণ হলো তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত দাঈ। তিনি প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে কোন কথা বলেননি। আর অন্য দাঈ বা আলিমের অবস্থা হলো তারা ভুলও করেন আবার সঠিকও করেন। উম্মাহর সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তিবর্গ, মুজতাহীদিনদের অবস্থাও এমনই তারা ভুলও করেন আবার সঠিক মতেও উপনিত হন।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছাড়া আমাদের কেউই মাছুম বা নিষ্পাপ নয়।
আমাদের এটা জানা উচিত। কোন ব্যক্তির মহববতে ভুল, বিষয়ে সাপোর্ট করা উচিত নয়। আমাদের উপর ওয়াজিব হলো ভুল সম্পর্কে বর্ণনা করা।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, (দীন হলো কল্যাণ কামিতা। আমরা (সাহবীগণ বললাম) কার জন্য? তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন আল্লাহ, তার কিতাব তার রসূল মুসলিম নেতৃবর্গ ও মুসলিম জনসাধারণের জন্য।[4]
ভুল উল্লেখ করা সকলের জন্য কল্যাণ কামিতার শামিল। পক্ষান্তরে ভুল ত্রুটি উল্লেখ না করা নছীহত বা কল্যাণকামিতার নীতি বিরুদ্ধ।

[1]. মুহাম্মাদ সুলতান আল-খুজানদী তার ‘হালিল মুসলিম মুলযামুন বিইত্তিবায়ি মাযহাবিম মু’আইয়্যান মিজাল মাযাহিবিল আরবা’আহ’ বা মুসলিমদের উপর কি ৪ মাযহাবের যে কোন একটি অনুসরণ করা ওয়াজিব? নামক গ্রন্থে মোল্লা আলী আল-কারী আল হানাফী (রহ.) এর থেকে উল্লেখ করেন’’ মুসলিম উম্মাহর কোন ব্যাক্তির জন হানাফী, মালিকী শাফিঈ বা হাম্বালী হওয়া ওয়াজিব নয়। বরং আলিম নন এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ওয়াজিব হলো কোন আহলুয যিকির বা আলিমের নিকট জিজ্ঞাসা করে জেনে নেওয়া। আর প্রসিদ্ধ ৪ ইমাম আহলুয যিকিরের অন্তর্ভুক্ত হবে। বলা হয়ে থাকে যে ব্যক্তি আলিমের অনুসরণ করবে সে মৃত্যু পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে। প্রত্যেক ব্যক্তিই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ করার জন্য আদীষ্ট। (পৃ. ৫৮, তাহকীক : আল-হেলালী)
আমি বলেছি : শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমীয়া (রহ.) এর নিকট থেকে এরকম একটি মত রয়েছে। (৩৫নং প্রশ্ন সংশস্নীষ্ট টীকা দ্রষ্টব্য)
ইমাম শাফি‘ঈ (রহ.) বলেন ‘‘কারো সামনে সুন্নাহ স্পষ্ট হয়ে গেলে কোন ব্যক্তির কথায় তার জন্য সুন্নাহকে পরিত্যাগ করা জায়েয নয় (ইবনুল কইয়্যিম, ই‘লামুল মুওয়াকিঈন খ.০১,পৃ. ০৭)।
[2]. (আলবানী, ছিফাতু সলাতিন নাবিইয়িন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পৃ. ২৬ টীকা নং ০৩ প্রকাশনায়, আল মাকতাবাতুল ইসলামী হিজরী ১৪০৩। এবং আজলূনী এটি বর্ণনা করেছেন কাশফুল খফা পৃ. ১৯৬১)
[3]. আবু ইসমাঈল আল হিরাবীর মতমত খন্ডণে শাখুল ইসলাম ইমাম ইবনুল কায়্যিম আল-জাওয্যিাহ (রহ.) এ কথা বলেন (মাদারিজুস-সালিকীন খ. ০৩ পৃ. ৩৯৪)।
[4]. সহীহ, মুসলিম হা/৪৪।

-বই: মানহাজ। প্রশ্ন-৬৭ //https://t.me/mafuj360

Mahfuj Ibn-Al Delowar

15 Nov, 16:29


-পুরুষ..........

Mahfuj Ibn-Al Delowar

14 Nov, 15:51


শায়খ ইবনে বাজ, رحمه الله বলেন:

"তবাররুজ [মহিলারা যারা প্রকাশ্যে তাদের সাজসজ্জা প্রদর্শন করে] এর অর্থ কেবল এই নয় যে একজন মহিলা তার হিজাব পরিত্যাগ করেছেন, আমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই, বরং সে আর আল্লাহর শরীয়ত মেনে চলে না, তাঁর আদেশ লঙ্ঘন করে এবং অনৈতিকতার দিকে আহ্বান করে।

মাজমু আল-ফাতাওয়া ইবনে বায 5/226 |

Mahfuj Ibn-Al Delowar

14 Nov, 15:47


-ইসলামিক.?

-আলহামদুলিল্লাহ ☠️

Mahfuj Ibn-Al Delowar

14 Nov, 07:28


-আমাদের সালাফগন যারতার থাকে ইলম নিতেন না।

-প্রফেসর ড. আবু বকর যাকারিয়া حفظه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

13 Nov, 18:37


❝তোমাকে সালাফদের বর্ণনার [আছার] অনুসরণ করতে হবে যদিও জনগণ তোমাকে প্রত্যাখ্যান করে এবং মানুষের মতামত থেকে বিরত থাকতে হবে যদিও তারা তোমার জন্য বক্তৃতাকে সুশোভিত করে তোলে। সুতরাং বিষয়টি [অন্যদের জন্য] স্পষ্ট হয়ে যাবে, যখন তুমি এ বিষয়ে সরল পথে থাকবে।❞

Mahfuj Ibn-Al Delowar

13 Nov, 15:58


"দাওয়াহ কৌতুক, মিম্স এবং হাস্যরসের মাধ্যমে- নয়"

🎙️শাইখ সালেহ আল ফাউজান حفظه الله تعالى

Mahfuj Ibn-Al Delowar

13 Nov, 12:36


-ইমাম রাবী বিন হাদী আল মাদখলী হাফিযাহুল্লাহ 'এর রুম....


-আল্লাহই ভালো জানেন

Mahfuj Ibn-Al Delowar

13 Nov, 04:10


তেলাওয়াত, যিকর এবং দোয়া ছাড়া কেবল চুপ থাকা কোনো প্রকার ইবাদত ও কাম্য বিষয় না। বরং এটি ওয়াসওয়াসার দরজা খুলে দেয়। নীরব থাকার চেয়ে আল্লাহর যিকরে ব্যস্ত থাকা উত্তম।

- ইবন তাইমিয়্যা ( رحمه الله )
[মাজমুউল ফাতাওয়া]
السكوت بلا قراءة ولا ذكر ولا دعاء ليس عبادة ولا مأمورا به؛ بل يفتح باب الوسوسة، فالاشتغال بذكر الله أفضل من السكوت،

Mahfuj Ibn-Al Delowar

12 Nov, 16:55


-বিদা'আত দুই প্রকার,

১. বিদা'আতে হাসানাহ’ (ভালো বিদা'আত)
২.বিদা'আতে ‘সাইয়্যিআহ’ (মন্দ বিদা'আত)।

-ব্যাক্ষা,
১. ভালো বিদা'আত হলো, যে বিদা'আতের পর জিলাপী, বিরিয়ানির ব্যাবস্থা আছে।

২. মন্দ বিদা'আত হলো যে বিদা'আতের পর কোন কিছুর ব্যবস্থা নাই।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

12 Nov, 16:20


-সুবহানআল্লাহ,

-একটা মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে তার নিজ মা কে "হাত খরচের টাকা আর হারাম প্রেমের সম্পর্কের" জন্য হত্যা করলো ,তারপর মায়ের মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলো, তারপর ডাকাতের গল্প সাজিয়ে ধরা না পরার চেষ্টা করলো..! সুবহানআল্লাহ চিন্তা করা যায় কি একটা জেনারেশন বড় হচ্ছে ,ছেলেটি নাকি মাদ্রাসা পড়ুয়া ,,

-বাবা মা তাদের সন্তানদের স্কুল কলেজে না পড়িয়ে মাদ্রাসায় পড়ায় যেনো ছেলে দ্বীন সম্পর্কে ইলম অর্জন করতে পারে, আর যাদের দ্বীনি ইলম থাকে তারা অনেকেই নিজ পিতামাতার প্রতি কোমল...

-বর্তমান জেনারেশন খুবই ভয়ানক, তাদের আখেরাতের ভয় নেই , বিষয় টা ভাবতেই ভয় লাগে,

-যাদের বাবা মা নেই তারা প্রতিটা মূহুর্ত আফসোস করে হায় আমি যদি আমার বাবা মা এর একটু সেবাযত্ন করার সুযোগ পেতাম,, আর তারা...নিজ মাকে হত্যা করে,,, তারা কি মানুষ...

✒️মাহফুজ ইবনে দেলোয়ার

Mahfuj Ibn-Al Delowar

12 Nov, 08:28


"কিছু লোকের ইলমের সাথে সাথে অহংকার বৃদ্ধি পায়; আল্লহ তাদের প্রতি রহম করুন! (অথচ) প্রকৃত জ্ঞানী সে-ই যার ইলম বৃদ্ধির সাথে সাথে নম্রতা বৃদ্ধি পায়!”

Mahfuj Ibn-Al Delowar

11 Nov, 18:32


-আল্লাহ তার ওপর রহম করুন...

Mahfuj Ibn-Al Delowar

11 Nov, 17:36


শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া [ رحمه الله ] বলেছেন:

❛আপনি যাকে ভালোবাসেন তার থেকে বিচ্ছেদের যন্ত্রনা কখনও কখনও মৃত্যুর চেয়েও খারাপ।❜

[মাজমুআ আল-ফাতাওয়া 35/299] 📖

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- এটা শুধু প্রেম এর বাক্য না - এটা দিয়ে বুঝানো হয়েছে - দুনিয়ার সমস্ত কিছু কে !

Mahfuj Ibn-Al Delowar

11 Nov, 17:34


-উহুদ যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনার দিকে প্রত্যাবর্তন করেন তখন হামনাহ বিনতে জাহশ (রা:) এর সাথে সাক্ষাৎ হয় এবং তার স্বামী মুসাইব ইবনে উমাইয়ের (রা:) এর শহীদের খবর জানাই এ খবর শুনে তিনি চিৎকার করে উঠে এবং হাউ মাউ করে কাদতে শুরু করে দিলো তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন " স্ত্রীর কাছে স্বামীর এক বিশেষ মর্যাদা আছে"

ইবনে হিশাম 2 খন্ড 99 পৃষ্ঠা

Mahfuj Ibn-Al Delowar

10 Nov, 18:00


উটকে শয়তান থেকে (শয়তানী স্বভাব দিয়ে) সৃষ্টি করা হয়েছে।

--খতীব আল-বাগদাদী, আল মুওয়াযযিহ; ২/৯৭

Mahfuj Ibn-Al Delowar

10 Nov, 16:25


-আসিম আল হাকিম থেকে ইলম নেয়া জাবে কি না.?

🎙️উস্তায আবু খাদিজা حفظه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

10 Nov, 09:35


কাউকে কুকুর, গাধা কিংবা শুকর বলা
==================================

সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব رحمه الله এবং ইবরাহী আন নাখয়ী رحمه الله বলেন,
لا تقل لصاحبك يا حمار ، يا كلب ، يا خنزير ، فيقول لك يوم القيامة : أتراني خلقت كلبا أو حمارا أو خنزيرا
তুমি তোমার সাথীকে বলনা, ওহে গাধা, এই কুকুর, হে শুকর। তাহলে কিয়ামতে আল্লাহ তোমাকে বলবেন, তুমি কি আমাকে দেখেছ যে, আমি তাকে কুকুর বানিয়েছি, গাধা বানিয়েছি কিংবা শুকর বানিয়েছি!
( মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ -২৮২-২৮৩/৫ )

শাঈখ উসাইমীন رحمه الله বলেন,
কাউকে হে কুকুর বলে সম্মোধন কিংবা হে গাধা বলে সম্মোধন করা বৈধ নয়। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু বলেছেন,

وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِىٓ ءَادَمَ وَحَمَلْنٰهُمْ فِى الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنٰهُم مِّنَ الطَّيِّبٰتِ وَفَضَّلْنٰهُمْ عَلٰى كَثِيرٍ مِّمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيلًا

আমি তো আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, স্থলে ও সমুদ্রে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি; তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ দান করেছি এবং যাদেরকে আমি সৃষ্টি করেছি, তাদের অনেকের উপর তাদেরকে যথেষ্ট শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।
( সূরা বনী ইসরাইল-৭০)

Mahfuj Ibn-Al Delowar

10 Nov, 04:45


-সত্যিকারঅর্থে জঙ্গি কাকে বলে বা তাদের কাজকর্ম গুলো কেমন সাধারন মানুষ তা যানে না, তাদের মাথায় ডুকিয়ে দেয়া হয়েছে যে, দাড়ি টুপি ওয়ালা কেউ ধর্মীয় কোন বিষয় জোর দিয়ে কিছু বললেই সে জঙ্গি। কিন্তু বাংলাদেশে একটি জঙ্গি সংগঠন হলো ইস্কন।কিন্তু আমরা তাদের জঙ্গি সংগঠন বলে চিন্হিত করতে পারি না কারন তাদের দাড়ি টুপি নেই তাই। 👍🏻

Mahfuj Ibn-Al Delowar

09 Nov, 17:10


-মানুষ দুনিয়ার কথা চিন্তা করতে করতে ঘুমায় ও ঘুম থেকে জেগে উঠে...

Mahfuj Ibn-Al Delowar

09 Nov, 16:10


-মুহতারাম জাকির নায়েক সাহেবের ইলমি খেয়ানত...

Mahfuj Ibn-Al Delowar

09 Nov, 15:59


-আহলুস সুন্নাহ্'র একটি সুন্দর বৈশিষ্ট্য হলো তাদের ভুল কেউ ধরিয়ে দিলে তারা খুশি হয়, ভুল সংশোধন এবং তওবা করে তার জন্য ক্ষমা চায়।

-আর আহলুল বিদাহ্'র ভুল কেউ ধরিয়ে দিলে তারা রাগ করে তাকে বকা দেয় এবং নিজের ভুলের পক্ষে মনগড়া দলিল দেয়।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

09 Nov, 13:59


-"সালাফ আস-সালিহীনের মহিলারা অল্পে তুষ্ট ছিলেন; যখনই কোনও পুরুষ ঘর থেকে (জীবিকার উদ্দেশ্যে) বের হত বাড়ির মহিলারা তাকে বলতো— হারাম থেকে বেঁচে থাকিও, নিশ্চয়ই আমরা ক্ষুধা সহ্য করে নিবো, কিন্তু আগুন (জাহান্নাম) নয়!”

Mahfuj Ibn-Al Delowar

09 Nov, 11:08


তাবিঈ ইমাম তাউস ( رحمه الله ) বলেছেন,
❛❛একজন নেক সৎ মহিলা; মহিলাদের মধ্যে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, এক হাজার কাকের ভিতরে একটা সাদা কাকের দৃষ্টান্ত যেরূপ।❜❜

📗ই'তিলাল আল কল্ব,পৃ: ১৩৮

Mahfuj Ibn-Al Delowar

09 Nov, 09:43


🎧❤️‍🩹

Mahfuj Ibn-Al Delowar

08 Nov, 16:30


-সৌদি বাদশাদের উপর আমরা তাকফির করতে পারি না।


🎙️ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল ওহাদীঈ رحمه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

08 Nov, 13:26


▌«রেজাউল করিম আবরারের সালাম ফেরানোর পদ্ধতিটি সুন্নাহবিরোধী যা অনেক হানাফীরা করে থাকে। আবরারের সালাম ফেরানোর পদ্ধতির সংশোধন করে দেয়া হচ্ছে,

🎙️শাইখ মুহাম্মাদ বিন-রমজান আল হাজীরী হাফিযাহুল্লাহ.... এর মাধ্যমে....»

Mahfuj Ibn-Al Delowar

08 Nov, 09:49


ইমাম হাসান আল বসরী ( رحمه الله ) বলেন,
মানুষকে উপদেশ দাও কাজের মাধ্যমে; কথার মাধ্যমে নয়।

[সিয়ারু সালাফিস সালিহিন লি কাওয়ামিস সুন্নাহ আবুল কাসিম আল আসবাহানি, খন্ড: ৩]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

07 Nov, 18:12


শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা রহিমাহুল্লাহ বলেন

"অনেক মানুষ, যখন তারা সত্যের উপরে কষ্টপ্রাপ্ত হয়, তারা তা পরিত্যাগ করে।"

জামিয়ুল মাসায়িল
232/8

Mahfuj Ibn-Al Delowar

07 Nov, 13:49


-হায় আমার যৌবন! যতই সময় বাড়ে আমার অন্যায় বাড়ে,,,

Mahfuj Ibn-Al Delowar

07 Nov, 10:02


-এবং তাকে তার মতো থাকতে দিন।"

Mahfuj Ibn-Al Delowar

06 Nov, 18:51


حُبّ العِلْم، وطلبه أصل كُلّ طاعة
জ্ঞানের প্রতি ভালবাসা এবং তা অন্বেষণ করা প্রতিটি আনুগত্যের ভিত্তি।

‏وحُبّ الدُّنْيا والمال، وطلبه أصل كُلّ سيِّئة
আর দুনিয়া ও ধন-সম্পদের প্রতি ভালোবাসা এবং তা অন্বেষণ করা প্রতিটি পাপের ভিত্তি।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

06 Nov, 16:23


"সর্বোত্তম স্ত্রী হল সেই যে ভদ্র, স্নিগ্ধ , পরিচ্ছন্ন, ধার্মিক। যে তার স্বামীকে কঠিন সময়ে সাহায্য করে এবং কঠিন সময়ে স্বামীর বিরুদ্ধে কিছু করে না।"

- ইবনে রজব আল-হাম্বলী رحمه الله
[লাতাইফ আল-মারিফ, ১/১৬৪]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

06 Nov, 03:43


ইমাম মুকবিল বিন হাদী রহিমাহুল্লহ বলেন:

ইমাম আবু হানিফার পক্ষে গোঁড়া জাহেলরাই অধিকাংশ। আমি মদিনা ভার্সিটির একদল শিক্ষককে দেখেছি যারা (জারাহ প্রকাশকারীদের উপর) রেগে ফুলে আছে। (এমনকি) তারা জারাহ প্রকাশ করাকে ইসলামের ধ্বংস করার নামান্তর মনে করে থাকে। এই মিসকিনরা জানে না যে আবু হানিফার উপর কথা বলা মানে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের কোন স্তম্ভকে বিদ্রুপ করা নয়।

আমরা এই জা/হেলদের বলি, তোমরা কি আল্লাহ দ্বীন সম্পর্কে অধিক গয়রত ওয়ালা নাকি আহমাদ বিন হাম্বল, মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল আল-বুখারী, মুসলিম বিন হাজ্জাজ, দারাকুতনী এবং খতিব?

তাদের বলি, আবু হানিফা সম্পর্কে তোমরা বেশি জ্ঞানী নাকি মালিক বিন আনাস, শারিক বিন আব্দুল্লাহ, ইয়াহইয়াহ বিন সাঈদ আল কাত্তান, আব্দুল্লাহ বিন ইয়াযিদ আল মুকরি, সুফইয়ান ছাওরী, সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারাক আর যারা এই ইমামদের পথে গিয়েছে?

📖 নাশরুস সহিফা, পৃষ্ঠা ৫

Mahfuj Ibn-Al Delowar

05 Nov, 07:26


-যারা খাবার নষ্ট করে এবং বাসি খাবার খেতে চায় না!!


🎙️শায়েখ মতিউর রহমান মাদানি حفظه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

27 Oct, 17:56


🚫আল কায়েদা ও ওসামা বিন লাদেনের ব্যাপারে উলামাদের অবস্থানঃ

শাইখ সালেহ বিন আব্দুল আযীয আলুশ শাইখ হাফিয্বাহুল্লাহ বলেন,
ﺃﻥ ﺑﻌﺾ ﺍﻟﻤﻌﻠﻤﻴﻦ ﻳُﻤﺠِّﺪ ﺃﺳﺎﻣﺔ ﺑﻦ ﻻﺩﻥ ‏( ! ‏) ؛ ﻭﻫﺬﺍ ﺧﻠﻞ ﻓﻲ ﻓﻬﻢ ﺍﻹﺳﻼﻡ ‏
কিছু কিছু চিহ্নিত ব্যক্তি উসামা বিন লাদেনকে সম্মান দেয়। এটা মূলত ইসলাম ভালভাবে না বুঝার কারণে। ( দা'ওয়াহ পত্রিকা, সংখ্যা, ১৮২৬৩, যুল কা'দাহ , ১৪২২)

আশ শাইখ আহমাদ নাজমী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

لا شك أن هؤلاء يعتبروا محدثين،و هؤلاء الذين آووهم داخلون في هذا الوعيد الذي قاله النبي صلى الله عليه وسلم واللعنة التيلعنها من فعل ذلك، (( لعن الله من آوى محدثاً ))
নিঃসন্দেহে তালেবান ও উসামা বিন লাদেন বিদ'আতীদের অন্তর্ভূক্ত। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদ'আতীদের ব্যাপারে যে শাস্তির কথা বলেছেন তারা তাদের অন্তর্গত এবং যে লানত করেছেন সে লানত তাদের ওপর বর্তাবে। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সে বিদ'আতীকে প্রশ্রয় দেয় তার ওপর আল্লাহর লানত। (কালিমাতু হাক ফী উসামা বিন লাদেন, ১৮২-১৮৩)

শাইখ মুকবিল বিন হাদী আল-ওয়াদিঈ ইয়ামী রাহিমাহুল্লাহ বলেন

أبرأ إلى الله من بن لادن فهو شؤم وبلاء على الأمة وأعمــاله شر.
আমি বিন লাদেন থেকে আল্লাহর কাছে মুক্ত ঘোষণা করছি। সে উম্মাহর জন্য অমঙ্গল ও বিপদ আর তার কর্মকাণ্ড জঘন্য। ( রায়ুল আম কুয়েতিয়া পত্রিকা, ১৯/১২/১৯৯৮, সংখ্যা, ১১৫০৩)

ইমাম বিন বায রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
أن أسامة بن لادن من المفسدين في الأرض، ويتحرى طرق الشر الفاسدة.

উসামা বিন লাদেন জমিনে ফাসাদ সৃষ্টিকারী। সে জঘন্য ফাসাদের পন্থা অন্বেষণকারী। ( মুসলিমূন পত্রিকা, ৯ জমাদিউল উলা, ১৪১৭)

যেহেতু আইএস, আল কায়েদা ও সমমনা দলগুলোর মানহাজ প্রায় একই অর্থাৎ এরা খারেজী এবং ফিতনা সৃষ্টিকারী। আহলুল সুন্নাহর উলামারা প্রায় সবাই এদের ব্যাপারে একমত।

❒ সর্বশেষ নসিহতঃ অর ......

সাহাবীদের পর থেকে তাবেয়ীদের যুগ থেকে, যখন থেকে মুসলমানদের মাঝে “উলামায়ে ছু” (মন্দ বা
পথভ্রষ্ট আলেম) ও আয়াম্মায়ে দ্বোয়াল্লিন (পথভ্রষ্ট
ইমাম বা নেতা) মুসলিম উম্মাহর মাঝে প্রবেশ করেছে,
তখন থেকেই আমাদের আলেমরা বার বার সতর্ক করে
গেছেনঃ ইসলাম শেখার জন্য যাকে-তাকে “উস্তাদ” বা
শিক্ষক হিসেবে গ্রহণ না করার জন্য। কেননা চরমপন্থীরা কিছু ভাল কথার আড়ালে তাদের ‘জাহালত’ (অজ্ঞতা) ও ‘দ্বোয়ালালাহ’ (ভ্রষ্টতা) লুকিয়ে রাখে, যার দ্বারা আপনি, আমি বিভ্রান্ত হতে বাধ্য!

তাই নবাগত দ্বীনী ভাইগন হ্যামিলনের বাশিওয়ালা নয় বরং সালাফদের মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত আলেমদের থেকে ইল্ম হাসিল করুন।
এক্ষেত্রে বিখ্যাত তাবি'ঈ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সীরন রাহিমাহুল্লাহ-র সেই বিখ্যাত উক্তি টি আবারো স্বরন করিয়ে দিচ্ছি!

তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,
‎إنَّ هذا العلم دين ؛ فانظروا عمَّن تأخذون دينكم
নিশ্চয় এই ইলম দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং লক্ষ্য রেখো! কার নিকট থেকে তুমি তোমার দ্বীন গ্রহণ করছো।

আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলা আমাদের সকলকে ' আল্লাহর কিতাব তথা "আল কুর'আন" ও "রাসুলের হাদীস' কে সালফে সালেহীনদের মতো করে বুঝে,
এবং সে-অনুযায়ী বেশী-বেশী নেক আমল করার তাওফিক দান করুন, আ-মীন।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

27 Oct, 16:20


শাইখ বিন বায (রহিমাহুল্লহ) বলেন,

"মহিলাদের ঈর্ষার অনুভূতি রয়েছে:
-যদিও তারা সৎ নারী হয়
-যদিও তারা উদার নারী হয়
-যদিও তারা জ্ঞানী নারী হয়।

হতে পারে তাদের ঈর্ষা বিস্ময়কর এবং সমালোচনা বা নিন্দা করা যেতে পারে.  যখন আল্লহ তাদেরকে সেভাবেই সৃষ্টি করেছেন।  যখন তাদের ঈর্ষা দেখা দেয়, তখন তারা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং আইশা رضي الله عنها, এই সত্যটিকে তুচ্ছ করে যে তিনি সবচেয়ে ধার্মিক এবং সর্বোত্তম মহিলাদের মধ্যে ছিলেন তার ঈর্ষার অনুভূতি ছিল।"

[من-حديث-من-اقتطع-شبر ا-من-الارض-طللما]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

27 Oct, 13:26


-রাসূলুল্লাহ (ﷺ)বলেন,
যদি কোনো মুসলিম তার কোনো অসুস্থ ভাইকে দেখার জন্য পথ চলে তাহলে যতক্ষণ সে পথ চলে ততক্ষণ সে জান্নাতের বাগানের মধ্যে বিচরণ করতে থাকে। যখন সে উক্ত অসুস্থ মানুষের পাশে বসে তখন সে আল্লাহর রহমতের মধ্যে ডুবে যায়। যদি সে সকালে অসুস্থকে দেখতে যায় তাহলে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফিরিশতা তার জন্য দু‘আ করতে থাকেন। আর যদি সে সন্ধ্যায় বের হয় তাহলে সকাল পর্যন্ত ৭০ হাজার ফিরিশতা তার জন্য দু‘আ করতে থাকে।”

-সুনানুত তিরমিযী ৩/৩০০, নং ৯৬৯, সুনানু ইবনি মাজাহ ১/৪৬৩, নং ১৪৪২, হাকিম ১/৫০১।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

27 Oct, 09:45


-ছোটবেলা আম্মার থেকে টাকা নেয়ার জন্য এভাবেই তেল মারতাম, ইখওয়ানী শফিক সাহেব হলেন বর্তমান সময়ের জীন্দা আলী,, চোরা মুফতী আমির হামজাকে জেলা পর্যায়ের আমীর হিসাবে ঘোষণা করা উচিৎ ভুয়া ডক্টর, শফিকুর রহমান সাহেবের....

Mahfuj Ibn-Al Delowar

27 Oct, 08:29


ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ رحمه الله বলেন,
“যে ব্যক্তি শরীয়তের বিরোধিতা করে নিজের মতামতকে প্রাধান্য দেয়, তার হৃদয়ে ঈমান স্থায়ী হয় না।”

[দারউত তাআরুদ্ব: ১/১৭৮]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

26 Oct, 23:50


رحمه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

26 Oct, 16:34


Imām al-Shāfīʿī said:

"The essence of person lies in three things:

Concealing Poverty: So much so that people presume that you are wealthy due to your modesty and integrity.

Concealing Anger: So much so that people presume that you are satisfied.

Concealing Hardship: So much so that people presume that you are blessed and have an easy life."

[منقاب الشافعي إمام البيهقي ص ٢/١٨٨]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

26 Oct, 03:23


-আপনার সন্তানকে আন্তরিকতা শিখান....

Mahfuj Ibn-Al Delowar

25 Oct, 14:41


▌❝আপনার ভাইকে উপদেশ দিন।❞

《إذا أخطأ أخوك فانصحه باللين وقدم له الحجة والبرهان ينفعه الله بذلك، أما أن تجلس وتتربص أن يخطئ فلان، وتقوم تشيع هنا وهناك أن فلانًا فعل كذا وكذا، فهذه طرق الشياطين وليست طرق السلفيين》

Mahfuj Ibn-Al Delowar

25 Oct, 09:55


-কষ্ট করলো দাদা সাহেব ক্রেডিট পেলো হিটলার। 😡😡

Mahfuj Ibn-Al Delowar

25 Oct, 09:42


শ্রোতাদের প্রতি আমার পরামর্শ,,,,,

শাইখ সালেহ আল লুহাইদান رحمه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

24 Oct, 16:24


শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন:

তাদের (বিদ'আত, কুফর বা পথভ্রষ্টতার লোকদের) ক্ষতি মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো শত্রুদের চেয়েও বেশি। কারণ, যদি সেই শত্রুরা মুসলিম ভূমি দখল করে, তারা প্রথমেই মানুষের অন্তর ও তাদের অন্তর্নিহিত দ্বীনকে দূষিত করে না, এটি পরে ঘটে।

তবে এই বিদআতপন্থীরা শুরু থেকেই মানুষের অন্তরকে দূষিত করে দেয়।

— মজমূ’ আল-ফাতাওয়া (২৮/২৩২)

Mahfuj Ibn-Al Delowar

24 Oct, 14:51


-ছাত্রলীগ হলো সন্ত্রাসী দল, ছাত্রদল হলো মানবতার ফেরিওয়ালা ছাত্রশিবির হলো মুজাহিদ ,আর ছাত্রীসংস্তা হলো জান্নাতের হুর...😪

Mahfuj Ibn-Al Delowar

24 Oct, 04:45


ইবনে হাযম رحمه الله বলেন:

"জ্ঞানী সেই ব্যক্তি যে নিজের মধ্যে দোষ দেখতে পারে এবং তা দূর করার চেষ্টা করে।"

‎● {الااخلاق و السير صحفة ٧١}

Mahfuj Ibn-Al Delowar

22 Oct, 18:38


-স্বপ্ন.....

Mahfuj Ibn-Al Delowar

22 Oct, 17:53


*قال ابن عثيمين رحمه الله*
‏«أكثر من الأولاد تكثر لك الأرزاق، هذا هو الصحيح»
‏[شرح رياض الصالحين(٥٥٩/١ )]

*শাইখ উসাইমিন (রহ:) বলেন,*
আপনার যতো বেশি সন্তান থাকবে, ততো বেশি রিজিক বৃদ্ধি করে দেওয়া হবে। আর এটাই হচ্ছে সঠিক কথা।
*`(শারহু রিয়াদুস সালেহিন ১/৫৫৯)`*

Mahfuj Ibn-Al Delowar

22 Oct, 15:34


-কখনো বলবেন না যে মানুষের কাছে ইতিমধ্যেই জ্ঞান আছে।

🎙️শাইখ সালেহ আল উমাইমীন رحمه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

21 Oct, 06:42


▌কথা কম বলা এবং চুপ থাকা প্রসঙ্গে

“স্পর্শকাতর বিষয়ে চুপচাপ থাকা কতই না চমৎকার বিষয়। কতশত লোক তাদের জবানের কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে, তথাপি নীরবতার কারণে একজনকেও দেখলাম না তলিয়ে যেতে। কাজেই, আল্লাহর নৈকট্য হাসিল হয় এমন বিষয় ব্যতীত অন্যকোন বিষয়ে টু শব্দটিও করো না।”

- ইমাম ইবনু হাযম (রহিমাহুল্লহ)
[রাসা‘ইল ইবনু হাযম আল আন্দালুসি, ১/৪০২]

ইমাম হুমাইদী (রহিমাহুল্লহ) বলেছেন,

"لِقَاءُ النّاسِ لَيسَ يُفِيدُ شَيئًا سِوَى الهَذَيَانِ مِنْ قِيلٍ وَقَالِ ، فَأَقلِلْ مِن لِقَاءِ النّاسِ إِلّا لِأَخْذِ الْعِلْم،ِ أَو إِصلَاحِ حَالِ ..".

মানুষের সাথে সাক্ষাৎ অসার কথাবার্তা ছাড়া অন্য কোন ফায়দা দেয় না। সুতরাং তুমি মানুষের থেকে ইলম সংগ্রহ এবং নিজের অবস্থান সংশোধন করার উদ্দেশ্য ছাড়া সাক্ষাৎ করা কমিয়ে দাও।

  📘 | سير أعلام النبلاء (١٢٧/١٩).

Mahfuj Ibn-Al Delowar

20 Oct, 22:30


শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া رحمه الله বলেন:

“যেভাবে একজন ব্যক্তি অন্ধ না হয়েও চোখ বন্ধ করে কিছুই দেখতে পায় না, তেমনি যদি কারো হৃদয় পাপের মরিচায় ঢেকে যায় তবে সে অন্ধ না হলেও সত্য দেখতে পাবে না। যেভাবে কাফেররা অন্ধ।

[মাজমু'আল-ফাতাওয়া ৭/৩৩]

Mahfuj Ibn-Al Delowar

20 Oct, 18:15


-সালাফিরা কিভাবে জায়নিস্টদের হাতে হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু উদযাপন করতে পারে?

উত্তরঃ

জায়নিস্ট এবং রাফিদা উভয়ই ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু। যদি এক দল অপর দলকে পরাজিত করে, তবে তা হবে যেমন আল্লাহ বলেছেন:

{وَكَذَٰٰلِكَ نُوَلِّی بَعۡضَ ٱلظَّـٰلِمِينَ بَعۡضَۢا بِمَا كَانُوا۟ يَكۡسِبُونَ}

"তারা যা উপার্জন করত তার কারণে আমরা অন্যদের উপর কিছু অত্যাচারীকে নির্ধারণ করেছি।" [সূরা আল-আন'আম: 129]

এক কাফের অন্য দলের হাতে পরাজয়ে আনন্দিত হওয়ার কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তি রয়েছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন:
﴿غُلِبَتِ ٱلرُّومُ﴾ إلى قوله: ﴿وَيَوۡمَئذࣲ يَفۡرَحُ ٱلۡمُؤۡمِنُون بِنَصۡرِ ٱللهِ﴾
[সূরা আর-রুম : ২-৫]

আস-সুদ্দি রাহিমাহুল্লাহ মন্তব্য করেছেন: "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুমিনগণ বদরের দিনে মুশরিকদের বিরুদ্ধে তাদের বিজয়ে এবং মুশরিকদের উপর আহলে কিতাবের বিজয়ে আনন্দিত হয়েছিল।"


-কেউ যদি কাফেরদের হাতে কাফেরদের হাতে ভূমিতে দুর্নীতি সৃষ্টিকারী কারো পতনে আনন্দিত হয় তাহলে এটা কি কাফেরদের সাথে মিত্রতা করে?

🎙️আল্লাহমা শাইখ সালেহ আল ফাউজান حفظه الله تعالى

Mahfuj Ibn-Al Delowar

20 Oct, 17:42


কিছু মুফিদ কাজ করছেন মাদ্রাসাতুত তা'সিস।গুরুত্বপূর্ণ আকিদার কিতাব সমূহের দারস নিয়মিত চলছে।আপনি চট্টগ্রামের হলে মাদ্রাসায় গিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারেন।আল্লাহ তা'আলা ওনাদের কাজকে কবুল করুক এবং বারাকাহ দান করুক, আমিন।

ইউটিউব চ্যানেল https://youtube.com/@madrasatuttasis?si=qHrY0aa3chHpMwu3

ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/profile.php?id=100087497022499&mibextid=ZbWKwL

টেলিগ্রাম চ্যানেল https://t.me/madrasatuttasis

Mahfuj Ibn-Al Delowar

20 Oct, 10:58


-পড়াশোনা বা কাজের জন্য আপনি যখন অনেক মাস পড় নিজ বাড়িতে ফিরেন, এবং আপনাকে খেতে দেয়া হয় সেই কাপ, প্লেট, গ্লাস গুলোতে যেগুলো এতদিন আলমিরাতে তুলে রাখা হয়েছিলো মেহমানদের জন্য।

-আপনি আপনার নিজ বাড়িতে আজ মেহমান...!

Mahfuj Ibn-Al Delowar

20 Oct, 08:17


-জামায়েতে ইসলাম একটি পথভ্রষ্ট দল...

🎙️শাইখ মতিউর রহমান মাদানী حفظه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

20 Oct, 07:30


-জান্নাতী গেট🤡

- পৃথিবীতেই জান্নাতী হবার টিকিট...

-ব্রেলভীরা পারেও ভাই 😂

Mahfuj Ibn-Al Delowar

19 Oct, 08:06


-মুহতারাম আব্দুল মালেক সাহেবের কিছু "ইলমী খেয়ানত"

মাওলানা আব্দুল মালেক আল্লামা ইমাম আলবানী রহিমাহুল্লাহর বিরুদ্ধে জমিয়ে রাখা বিষ উদগীরণ করতে ও নিজের অন্তরের ঝাল মিটাতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি প্রবন্ধ লিখে প্রকাশ করেন।যে প্রবন্ধ মাওলানা সাহেব অনেক ইলমী খিয়ানতের আশ্রয় নেন।যা জানলে একজন পাঠক মাথায় হাত দিবেন।আমরা সেসব ইলমী খিয়ানতের কয়েকটা এখানে উল্লেখ করবো। আর বাকীগুলো প্রায় ৩০-৩৫ পৃষ্ঠার প্রবন্ধে অন্য সময়ে প্রকাশ করবো, ইনশাআল্লাহ।

মাওলানা:আলবানী একজন থেকে শুধু প্রথাগত ‘ইজাযত’ গ্রহণ করেছেন।

খেয়ানত: তিনি তাঁর নাম উল্লেখ না করলেও তাঁর সম্পাদিত 'দলিলসহ নামাযের মাসায়েল' পৃষ্ঠা ৩৮৯ তে তাঁর নাম হাবীবুর রহমান আজমী বলা হয়েছে। মাওলানা সাহেবের এ দাবি ভুল প্রমাণের জন্য আরেকজনের নাম উল্লেখ করলাম, যার থেকে আলবানী ইজাযত নিয়েছেন।তিনি হলেন শাইখ রাগেব আত-তব্বাখ।দেখুন হায়াতুল আলবানী ৫০৯।

মাওলানা: 'সাকাতু আনহু' শব্দটি জারহ মুবহাম।কিন্তু তিনি তা জারহ মুফাসসার ঘোষণা দিয়ে অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন।

খেয়ানত: আল্লামা আলবানী বলেছেন ইমাম বুখারী সাকাতু আনহু বললে তা জারহ মুফাসসার হবে।তিনি আমভাবে বলেননি। অথচ মাওলানা সাহেব তা খেয়ানত করে আমভাবে প্রচার করেছেন।মাওলানা সাহেবের শিক্ষক আবু গুদ্দাহ বলেছেন ইমাম বুখারীর এই শব্দ প্রথম স্তরের জারহ। (আর-রাফঊ ওয়াত তাকমীল ৬৮)আর প্রথম স্তরের জারহ হল কাযযাব,ওয়াজ্জা', দাজ্জাল।(আর-রাফঊ ওয়াত তাকমীল ৭৩)আর এসব শব্দ জারহ মুফাসসার। তবে কেউ কাযযাব শব্দকে জারহ মুবহাম বলেছেন।তাই আলবানীর কথা একেবারেই সঠিক।

মাওলানা:ইরওয়াউল গালীলে'র ১/১৫৮ পৃষ্ঠায় অপবিত্র ব্যক্তি কুর'আন স্পর্শ করতে না পারার হাদীসকে আলবানী জঈফ বলেছেন।যা ইজমা' বিরোধী। ইজমা দেখতে ইবনু আব্দিল বার্র এর আল-ইস্তিযকার ১৮/১০ দেখার পরামর্শ দিয়েছেন।

খেয়ানত:আল্লামা আলবানী হাদীসটিকে জঈফ বলেননি, সহীহ বলেছেন।ইবনু আব্দিল বার্রও ইজমার দাবি করেননি। বলেছেন জমহুর বা অধিকাংশের মত।

মাওলানা :আলবানী روي বা এজাতীয় মাজহুলের সিগাহ পেলেই সেই হাদীসকে জঈফ বলতেন।

খেয়ানত:আলবানী তা কখনই বলেননি। আলবানী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন:
لا،ولا يمكن أن نعده من جملة المصححين
অর্থাৎ এজাতীয় মাজহুলের সিগাহ পেলে জঈফ বলবো না।এবং সহীহ আখ্যাদাতা হিসেবেও গণ্য করবো না।(আদ-দুরার ফী মাসায়িলিল মুস্তালাহ ওয়াল আসার ১০৮)

মাওলানা: আলবানী তাকরীব,খোলাসা, মীযানুলসহ কয়েকটা কিতাব দেখেই সিদ্ধান্ত দিতেন।এর প্রমাণসসরূপ মাওলানা সাহেব তিন জন রাবীর নাম উল্লেখ করেন যাদের কারণে আলবানী ৩টি হাদীস জঈফ বলেছেন।১) আব্দুল্লাহ বিন যুগব, ২) ইয়াহইয়া বিন মালেক আল-আযদী ৩) সাঈদ বিন আশওয়া।

খেয়ানত: এই তিন রাবীর ব্যাপারে আল্লামা আলবানী পরবর্তীতে মত পরিবর্তন করেন।কিন্তু তা মাওলানা গোপন রেখে দিয়েছেন।প্রথম রাবীর ব্যাপারে মত পরিবর্তন জানতে সহীহাহ ৩/৭২, দ্বিতীয় রাবীর ব্যাপারে আর-রুওয়াতুল্লাযীনা তারতামা লাহুম আলবানী ৪/৪৩৪ আর তৃতীয় রাবীর ব্যাপারে জঈফাহ ৪/১১৯।

মাওলানা: আলবানীর কাছে জঈফ ও জাল হাদীস একই ছিল, পার্থক্য করতেন না।

খেয়ানত:আলবানী জঈফ+জঈফ মিলে হাসান লিগাইরিহি মানতেন।জাল ও জঈফ একই হলে একাজ করতেন না।তিনি ফাজায়েলে আমলের ক্ষেত্রে আসকালানীর তিন শর্তের আলোকে কেউ আমল করতে চায়লে ছাড় দিতেন।বিস্তারিত জানতে দেখুন তামামুল মিন্নাহ ও সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীবের ভূমিকা।আরও প্রমাণ হচ্ছে তিনি কিতাবের নাম রেখেছেন সিলসিলাতুল আহাদীসিজ জঈফাহ ওয়াল মাওজূ'আহ।তিনি একই মনে করলে এ নাম রাখতেন না।

মাওলানা: আলবানীর মতের বিরুদ্ধে ইসমাঈল আনসারী وصول التهاني باثبات سنية السبحة والرد علي الالباني কিতাব লিখেছেন।

খেয়ানত: ইসমাঈল আনসারী সালাফী আলেম হওয়াই উক্ত কিতাব তাঁর দিকে সম্পৃক্ত করেছেন।অথচ সে কিতাব সালাফী বিদ্বেষী আলেম মাহমূদ সাঈদ মামদূহ এর।

মাওলানা: নামাযের যে পদ্ধতি শায়খ আলবানী রহ. তাঁর কিতাব صفة الصلاة النبي صلي الله عليه و سلم এ উল্লেখ করেছেন একমাত্র একেই ‘নববী নামায’ আর হাদীস ও আসারের সুবিশাল ভাণ্ডারে নামাযের অন্য যেসব পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে সবগুলোকেই বিদ’আতী নামায ও রসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত-বিচ্যুত নামায আখ্যা দেয়া

খেয়ানত: আলবানীর উক্ত বক্তব্য কোথাও পাওয়া যায়নি।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

19 Oct, 06:10


-সালাফিরা কট্টরপন্থী না, সমস্যা হলো হারাম আপনার কাছে বেশি আনন্দের....

Mahfuj Ibn-Al Delowar

19 Oct, 05:49


-চেয়ার (ক্ষমতা) আমাদের নিকট গোবর থেকেও বেশি নগণ্য!!!

-শাইখ মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদীঈ رحمه الله

Mahfuj Ibn-Al Delowar

19 Oct, 03:27


-কি বলবেন সেই মেয়ে দের বেপারে যারা বেপার্দা হয়ে কলেজে যায়। এবং ননমাহরাম ছেলেদের সাথে আড্ডা দেয়।

Mahfuj Ibn-Al Delowar

18 Oct, 12:21


একটা হলো গাজা আরেকটা হলো সিদ্ধি পাতা😑

Mahfuj Ibn-Al Delowar

17 Oct, 18:08


-ইলম অর্জনে ক্লান্ত হওয়া যাবে না...

Mahfuj Ibn-Al Delowar

17 Oct, 08:39


আধুনিক সেক্যুলারদের সুশীল ব্যাক্তিত্ত্ব ও হিন্দুত্ববাদী সুফিজমে আক্রান্ত লালন ফকির ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষতায় অটল!তার গান ও দর্শন প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে।

ঐতিহাসিকদের মতে ভারতের নদীয়া যেলায় এর জন্ম। পরবর্তীতে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়া গ্রাম হয় বাউল মতবাদের কেন্দ্রস্থল। ‘বাউল’ শব্দটির উৎপত্তি নিয়ে মতভেদ আছে। ডঃ পঞ্চানন সাহা বলেন, হিন্দী শব্দ ‘বাউরা’ বা উন্মাদ থেকে বাউল কথাটি এসেছে বলে অনেকে মনে করেন। আবার অনেকে মনে করেন যে, সংস্কৃত ‘বাতুন’ থেকে বাউল শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। অন্যদিকে ছূফীরা সাধু ফকীরকে বলে আউলিয়া। এই আউলিয়া শব্দটি থেকে উদ্ধৃত ‘আউল’ শব্দটি ‘বাউল’ শব্দটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই বাউলরা জাত-গাত-হিন্দু মুসলমানে বিচার করে না (হিন্দু মুসলমান সম্পর্ক নতুন ভাবনা, পৃ. ৭৭)। ঈশ্বরপুরী, চৈতন্যদেব (১৪৮৪-১৫২৩ খৃ.), অদ্বৈতাচার্য হরি গুরু প্রমুখের মাধ্যমে এর সূচনা। বাউল ফকীর লালন শাহ (১৭৭৪-১৮৯০ খৃ.)-এর মাধ্যমে আনুমানিক ১৮১৫-১৮৮৬ সালে এই দর্শনের বিস্তৃতি ঘটে। তাদের আক্বীদা হল-

বাউলরা তাদের গুরুকে ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করে। তারা গুরুর মধ্যে বিধাতার প্রতিমূর্তি দেখতে পায় (ভারতীয় সাংস্কৃতিতে ইসলামের প্রভাব, পৃ. ১১১; বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৮৮)।

অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, লালন তার কিছু গানে সাম্যের কথা বললেও তার গানের একটি বিরাট অংশ খুবই গর্হিত ও বিকৃত যৌনাচারের রূপক স্বরূপ। তার মতে, লালন আসলে গানের নামে ছূফীতত্ত্ব ও মরমিয়া আধ্যাত্মিকতার নামে পর্ণোগ্রাফির দক্ষ কুশলী উপস্থাপক ছিলেন। গুপ্ততত্ত্বের ছদ্মাবরণে লালন দেহতত্ত্বের নামে এক কদর্য যৌনাচারের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বাউলদের এক অংশ এখন লাউয়ের খোল নিয়ে গেরুয়া পরিধান করে সাধনসঙ্গিনী নিয়ে ভিক্ষা করে বেড়ায়। অধ্যাপক আবু জাফরের মতে ‘লালন একটি চিরস্থায়ী ফিতনা’ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন পত্রিকা, ৪৪ বর্ষ, ১ম সংখ্যা, পৃ. ২৩৩)।

বাউলদের গানে যে লতা ও ত্রিবেনী শব্দের প্রয়োগ দেখা যায়, তার এক বিশেষ তাৎপর্য আছে। অভিধান খুললে এর তাৎপর্য জানা যায় না। বাউল বা তান্ত্রিক সাহিত্যে লতার পারিভাষিক অর্থ হল নারীর যৌনাঙ্গ (লোকায়ত দর্শন, পৃ. ৩৯০)। বাউল দরবেশদের মধ্যে ‘লতাসিদ্ধি’ বলে একটি কাণ্ড আছে। তাদেরকে ছালাতের কথা বললে তারা উত্তর দেয়, ইবলীস সব জায়গায় সিজদা করেছে আমরা সিজদা করব কোথায়? তাহলে কোথায় সিজদা করতে হবে- এই কথাটা আর সহজে বলবে না। তবে শিষ্য হয়ে একান্ত ভক্ত হতে পারলে তখন বলবে, ইবলীস ঐ একটা জায়গা বাদ রেখেছে ওখানেই সিজদা করতে হবে। ওটা হল ঐ ‘লতা’। বাউল ছূফীরা এভাবেই লতাসিদ্ধি পালন করে থাকে (উল্টা বুঝিল রাম ও সাধু সাবধান, পৃ. ৬৭)।

বাউল লালন শাহ সুবিধাবাদী সেক্যুলার। ইসলাম তো দূরে থাক কোনো ধর্মের সাথেই উতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলো না। ইনি গাজা সেবন দর্শনের আধ্যাত্মিক গুরু।
অতএব এই দর্শনের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে মুসলিম বলে গণ্য হওয়ার কোন সুযোগ নেই। মুসলিমের জন্য ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বিতীয় দ্বীন অনুসরণ করা হারাম (সূরা আলে ইমরান : ১৯ ও ৮৫)।

লিখনী : রোহান আম্মার