𝗛𝗢𝗣𝗘 𝗳𝗼𝗿 𝗬𝗢𝗨𝗧𝗛

খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বই।
রমযান মাসকে কিভাবে সঠিক ভাবে কাজে লাগানো যায়, একজনের মুমিনের কি কি করণীয় রয়েছে এবং কি কি থেকে বেঁচে থাকা প্রয়োজন তাই নিয়ে বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে রমযান সংক্রান্ত বিভিন্ন মাসলা-মাসাইল।

• বইঃ রামাদানে - মুমীনের দায়ীত্ব ও কর্তব্য
• লেখকঃ ড. মানজুরে ইলাহী

◑ Night Reminder : 𝙲𝚕𝚒𝚌𝚔 𝚑𝚎𝚛𝚎
◑ Have You Read SURAH KAHAF today? : Click here

◑ সিয়াম/রোজা বিষয়ক বই এর PDF সমূহ:

১. সহীহ হাদীসের আলোকে শাবান মাস
২. রমযানে মুমিনের করণীয় ও বর্জনীয়
৩. রামাদানে - মুমীনের দায়ীত্ব ও কর্তব্য
৪. রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
৫. রমযান মাসের ৩০ আসর

মুআবিয়া ইবনে জাহিমা আস-সালামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর সন্তোষ লাভের এবং আখেরাতে জান্নাত প্রাপ্তির আশায় আমি আপনার সাথে জিহাদে যেতে চাই। তিনি বলেনঃ তোমার জন্য দুঃখ হয়, তোমার মা কি জীবিত আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেনঃ ফিরে গিয়ে তার সেবাযত্ন করো। এরপর আমি অপর পাশ থেকে তাঁর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আখেরাতে জান্নাত লাভের আশায় আপনার সাথে জিহাদে যেতে চাই।

তিনি বলেনঃ তোমার জন্য দুঃখ হয়, তোমার মা কি জীবিত আছে? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! হাঁ। তিনি বলেন, তুমি ফিরে যাও এবং তার সেবাযত্ন করো। এরপর আমি তাঁর সম্মুখভাগে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আখেরাতে জান্নাত লাভের আশায় আমি আপনার সাথে জিহাদে যেতে চাই। তিনি বলেনঃ তোমার জন্য দুঃখ হয়, তোমার মা কি জীবিত আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বলেনঃ তোমার জন্য আফসোস! তার পায়ের কাছে পড়ে থাকো, সেখানেই জান্নাত।

◑ সূত্রঃ সুনানে ইবনে মাজাহ, হা/২৭৮১

ইমাম আবু ইসহাক আল ফাযারী (রাহি.) বলেছেন—

এমন অনেক মানুষই আছেন যারা নিজেদের প্রশংসা পছন্দ করেন, অথচ আল্লাহর কাছে হয়তো তার মশার পাখার সমান মূল্যও নেই।

◑ সূত্রঃ হিলইয়াতুল আউলিয়া: ৮/২৫৫
◑ Night Reminder : 𝙲𝚕𝚒𝚌𝚔 𝚑𝚎𝚛𝚎

হজরত উবাদা বিন সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা আমাকে ছয়টি বিষয়ের জামানত (নিশ্চয়তা) দাও; আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের জামিন হচ্ছি (নিশ্চয়তা দিচ্ছি)।

(১) যখন কথা বলবে, সত্য বলবে।
(২) কখনও ওয়াদা করলে তা পূরণ করবে।
(৩) কখনও তোমাদের কাছে আমানত রাখা হলে, তা (প্রাপকের কাছে ঠিকমতো) পৌঁছে দেবে।
(৪) লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে।
(৫) দৃষ্টি অবনত রাখবে।
(৬) হাতকে অন্যায় থেকে বিরত রাখবে।

◑ সূত্র: মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং-২২৭৫৭
◑ Night Reminder : 𝙲𝚕𝚒𝚌𝚔 𝚑𝚎𝚛𝚎

◑ নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি ঈমানদারদেরকে তাদের পারস্পরিক সহানুভূতি, বন্ধুত্ব ও দয়ার ক্ষেত্রে একটি দেহের মতো দেখবে। দেহের কোন একটি অঙ্গ যদি ব্যথা পায়, তবে শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এর কারণে জাগরণ ও জ্বরের মাধ্যমে ঐ ব্যথার অংশীদার হয়।[আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৬৬০]

ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদীসে মু’মিনদেরকে পরস্পর পরস্পরের সহমর্মিতা প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। এ হাদীস এবং তার পূর্ববর্তী কিছু হাদীস মু’মিন মুসলিমদের পরস্পর পরস্পরের উপর দয়াশীল এবং ভালো ও জনকল্যাণমূলক কাজে একে অপরের সহযোগী হতে বলেছে। এ হাদীস থেকে আরো বুঝা যায় কাউকে কোন বিষয় বুঝাতে নিকট অর্থবোধক কোন শব্দ দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন ভালো এতে খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি বুঝে আসে। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৬০১১)

◑ রসূলুল্লাহ ﷺ আরও বলেছেনঃ সকল মু’মিন এক অখন্ড ব্যক্তির মতো। যদি এদের কোন একজনের চক্ষু ব্যথা হয়, তবে তাদের সর্বাঙ্গ ব্যথিত হয়, আর যদি তার মাথা ব্যথা হয়, তখন তাদের সারা শরীর ব্যথিত হয়।[সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১১৩৭]

◑ Night Reminder : 𝙲𝚕𝚒𝚌𝚔 𝚑𝚎𝚛𝚎

আস সালাম ফাউন্ডেশন
যে সমস্ত ভাই, বোন কুরআনুল করিম শেখার আগ্রহ আছে কিন্তু সময় এবং পড়াশোনার চাপে শিখতে পারছেন না। আপনারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

Designer: SK WASIRUDDIN

Jummah reminder ✿𓍯𓂃

সুরা আল কাহাফ | সুরা নং-১৮ —

❑ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা আল কাহাফ পড়বে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমাহ্ হতে আগামী জুমাহ্ পর্যন্ত চমকাতে থাকবে।

• Reference: মিশকাত, হা/২১৭৫
• কমপক্ষে ১০ টি আয়াত হলেও পড়েন (ইনশাআল্লাহ)
• সংক্ষিপ্ত তাফসীর সহ সুরা কাহাফ: click here
• The channel about Jummah: Click here
• telegram: @Hope_for_youthSWU641

উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ) বলেন,

وَآخِ الْإِخْوَانَ عَلَى قَدْرِ تَقْوَاهُمْ، وَلَا تَجْعَلْ لِسَانَكَ بُذْلَةً لِمَنْ لَا يَرَى فِيهِ، وَلَا تَغْبِطِ الْحَيَّ إِلَّا بِمَا تَغْبِطُ الْمَيِّتَ،

‘মুসলিম ভাইদের সাথে ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখ তাদের তাক্বওয়ার পরিমাণ অনুযায়ী। তবে যার মধ্যে তাক্বওয়া দেখা যায় না তার জন্য তোমার জিহবাকে নোংরা করো না। জীবিতদের প্রতি হিংসা করো না; যেমনভাবে তুমি মৃতদের প্রতি হিংসা করো না’।

◑ সূত্রঃ হিলয়াতুল আওলিয়া ৯/২১২
◑ Night Reminder : 𝙲𝚕𝚒𝚌𝚔 𝚑𝚎𝚛𝚎

অর্থাৎ হাশরের মাঠে তুমি তার সাথে থাকবে যাকে তুমি ভালোবাস। এর কারণ হলো মানব জাতি অনুকরণপ্রিয়। যে যাকে ভালোবাসে তার নীতি, আদর্শ অনুসরণ করে ও তা জীবনে বাস্তবায়ন করে। সে জন্য কিয়ামতের দিনেও সে তার বন্ধু হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘‘আর যারা রসূলের অনুসরণ করেন তারা (কিয়ামতের দিন) তাদের সাথে থাকবে যাদেরকে আল্লাহ অনুগ্রহ (নি‘আমাত) দান করেছেন’’- (সূরাহ্ আন্ নিসা ৪ : ৬৯)।

অত্র হাদীসটি দ্বারা বাহ্যিকভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, তোমরা নেক ও সৎ বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব কর, তাহলে তোমরা কিয়ামতের দিন তাদের সাথে থাকতে পারবে। যেমনটি অন্য একটি হাদীসে এসেছে- ‘‘ব্যক্তি (মানুষ) তার বন্ধুর ধর্মের উপর থাকে’’- (আবূ দাঊদ হাঃ ৪৮৩৩)। বাহ্যিকভাবে হাদীসটির মধ্যে উৎসাহ ও ভীতি এবং সতর্ক ও সাবধনতা রয়েছে।

◑ Night Reminder : 𝙲𝚕𝚒𝚌𝚔 𝚑𝚎𝚛𝚎

• ইসলামিক দৃষ্টিকোণে ডিপ্রেশনের সমাধান
• Practical tips for mental peace and spiritual upliftment

🔊: Ustad Md. Naseel Shahrukh

কিছু কিছু কঠোরমনা মানুষ যা বিশ্বাস করে তার বিপরীতে ঈমানদারদের দুঃখিত হওয়া উচিত নয়। কারণ দুঃখবোধ এমন এক অবস্থা যা মন-মানসিকতার ক্ষতি করে। মুসলমানদেরকে অবশ্যই দুঃখ-বিষন্নতা দূর করতে হবে এবং আমাদের জীবন ব্যবস্থায় বৈধ সকল পন্থায় এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। দুঃখ করাতে প্রকৃত কোন লাভই নেই। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিচের দু'আতে এর থেকে পানাহ চেয়েছেন।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ

“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট (ভবিষ্যতের) দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা এবং (অতীতের) দুঃখ-বেদনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।”

এ হাদীসে উদ্বিগ্নতার সাথে দুঃখ-বেদনাকে যোগ করা হয়েছে। এ দুয়ের মাঝে পার্থক্য হলো-যদি ভবিষ্যতে কী ঘটবে এ দুর্ভাবনা হয় তবে আপনি উদ্বিগ্নতা বোধ করছেন। আর যদি অতীতের ঘটনা নিয়ে মন খারাপ হয় তবে আপনি দুঃখবোধ করছেন। উভয়টাই মনকে দুর্বল করে, অক্ষমতা সৃষ্টি করে ও ইচ্ছা শক্তিকে দমন করে।

◑ বই: লা-তাহযান [হতাশ হবেন না]
◑ Night Reminder : 𝙲𝚕𝚒𝚌𝚔 𝚑𝚎𝚛𝚎

নখ বৃদ্ধি করা সুন্নাহ বিরোধী কাজ,
আর এতে চতুষ্পদ জানোয়ারের সাদৃশ্যতাও রয়েছে।

— শাইখ ইবনু বায রাহিমাহুল্লাহ
◑ সূত্র: মাজমূ আল ফাতাওয়া : ১০/৪৯

কষ্টের পরে স্বস্তি তখনই আসে;
যখন সৃষ্টির থেকে আশা ছেড়ে দিবেন।

— ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ
◑ সূত্রঃ মাজমু আল ফাতওয়া: ১০/৩৩১

আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খাদেম, আবূ হামযাহ আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দার তওবা করার জন্য ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা বেশী আনন্দিত হন, যে তার উঁট জঙ্গলে হারিয়ে ফেলার পর পুনরায় ফিরে পায়।

মুসলিমের অন্য বর্ণনায় এইভাবে এসেছে যে, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার তওবায় যখন সে তওবা করে তোমাদের সেই ব্যক্তির চেয়ে বেশী খুশী হন, যে তার বাহনের উপর চড়ে কোন মরুভূমি বা জনহীন প্রান্তর অতিক্রমকালে বাহনটি তার নিকট থেকে পালিয়ে যায়। আর খাদ্য ও পানীয় সব ওর পিঠের উপর থাকে। অতঃপর বহু খোঁজাখুঁজির পর নিরাশ হয়ে সে একটি গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে বাহনটি হঠাৎ তার সম্মুখে দাঁড়িয়ে যায়। সে তার লাগাম ধরে খুশীর চোটে বলে ওঠে, ’হে আল্লাহ! তুমি আমার দাস, আর আমি তোমার প্রভু!’ সীমাহীন খুশীর কারণে সে ভুল করে ফেলে।

◑ সূত্রঃ সহীহ বুখারী, হা/৬৩০৯
◑ Night Reminder : 𝙲𝚕𝚒𝚌𝚔 𝚑𝚎𝚛𝚎

SK WASIRUDDIN PPT PRESENTATION.pdf

কথাগুলো 🩵🥺

হজরত আমর ইবনু মায়মুন আল আওদি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে উপদেশ দিয়ে বললেন: পাঁচ জিনিসের আগে পাঁচ জিনিসকে মূল্যায়ন করো। তাহলো-

১. যৌবনকে মূল্যায়ন করো বার্ধক্যের আগে।
২. সুস্থতাকে মূল্যায়ন করো অসুস্থ হওয়ার আগে।
৩. স্বচ্ছলতাকে মূল্যায়ন করো দারিদ্র্যতা আসার আগে।
৪. অবসরকে মূল্যায়ন করো ব্যস্ততার আগে। এবং
৫. জীবনকে মূল্যায়ন করো মৃত্যু আসার আগে।’

◑ সূত্রঃ আল মুসতাদরাক লিল হাকিম, হা/৭৮৪৬
◑ Night Reminder : 𝙲𝚕𝚒𝚌𝚔 𝚑𝚎𝚛𝚎

And never is your Lord forgetful ......

“The Palisades fire is one of the most destructive natural disasters in the history of Los Angeles,” said Los Angeles Fire Chief Kristin Crowley.🤡🤡🤡

◑ telegram: @Hope_for_youthSWU641

জুমার দিন হলো আমলের দিন।
রমাদানের সাথে অন্য মাসের তুলনা যেমন,
জুমার দিনের সাথে অন্য দিনের তুলনা তেমন।
জুমার প্রতিটি ঘণ্টা রমাদানের লাইলাতুল কদরের মতো গুরুত্বপূর্ণ।

— ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ
◑ সূত্র: যাদুল মাআদ, ১৩৯৮

◑ ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) একদিন খাববাবকে ডেকে বলেন, তোমার উপরে নির্যাতনের কাহিনী আমাকে একটু শুনাও। তখন তিনি নিজের পিঠ দেখিয়ে বললেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আমার পিঠ দেখুন। আমাকে জ্বলন্ত লোহার গনগনে আগুনের উপরে চাপা দিয়ে রাখা হ’ত। আমার পিঠের মাংস গলে উক্ত আগুন নিভে যেত’। তখন ওমর (রাঃ) বলেন, এরূপ দৃশ্য আমি ইতিপূর্বে কখনো দেখিনি’।

সম্ভবতঃ যৌবনকালে লোহার আগুনে পিঠ পুড়িয়ে দেওয়ার যন্ত্রণাদায়ক ঘা থেকে পরবর্তীতে তিনি কঠিন রোগে আক্রান্ত হন। যেকারণ মাঝে-মধ্যে বলতেন, মৃত্যু কামনা নিষিদ্ধ না হ’লে আমি সেটাই কামনা করতাম।

— সূত্রঃ ত্বাবারাণী কাবীর হা/৩৬১৮

◑ শুক্রবার রাতের জন্য অনুস্মারকঃ Click here

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতেন, যে ব্যক্তি ‘আম্মারের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে আল্লাহ তার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেন’। খালিদ বিন অলীদ (রাঃ) বলেন, এই হাদীছ শোনার পর থেকে আমি সর্বদা তাকে ভালোবাসতাম’।

◑ সূত্রঃ মুসতাদরাক আল হাকিম, হা/৫৬৭৪
— হাদিসটির পেক্ষাপটঃ

ইয়ামন থেকে মক্কায় হিজরতকারী ইয়াসির পরিবার মক্কার বনু মাখযূমের সাথে চুক্তিবদ্ধ মিত্র (حَلِيفٌ) ছিল। পরিবার প্রধান ইয়াসির বিন মালিক এবং তার স্ত্রী সুমাইয়া ও পুত্র ‘আম্মার সকলে মুসলমান হন। ফলে তাদের উপরে যে ধরনের অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছিল, ইতিহাসে তার তুলনা বিরল। বনু মাখযূম নেতা আবু জাহলের নির্দেশে তাদেরকে খোলা ময়দানে নিয়ে উত্তপ্ত বালুকার উপরে শুইয়ে রেখে প্রতিদিন নানাভাবে নির্যাতন করা হ’ত। একদিন চলার পথে তাদের শাস্তির দৃশ্য দেখে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, صَبْرًا آلَ يَاسِر فَإِنَّ مَوْعِدَكُمُ الْجَنَّةُ ‘ধৈর্য ধর হে ইয়াসির পরিবার! তোমাদের ঠিকানা হ’ল জান্নাত’। অবশেষে ইয়াসিরকে কঠিন নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।[হাকেম হা/৫৬৪৬]

অতঃপর পাষাণ হৃদয় আবু জাহল নিজ হাতে ইয়াসিরের বৃদ্ধা স্ত্রী সুমাইয়ার গুপ্তাঙ্গে বর্শা বিদ্ধ করে তাকে হত্যা করে। তিনিই ছিলেন ইসলামে প্রথম মহিলা শহীদ।[ আল-ইছাবাহ, সুমাইয়া, ক্রমিক ১১৩৩৬।] অতঃপর তাদের পুত্র ‘আম্মারের উপরে শুরু হয় নির্যাতনের পালা। তাকেও বেলালের ন্যায় কঠিন নির্যাতন করা হয় যতক্ষণ না সে রাসূল (ছাঃ)-কে গালি দিতে রাযী হয়। অবশেষে বাধ্য হয়ে তিনি তাদের কথা মেনে নেন। পরে মুক্তি পেয়েই তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দরবারে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করেন كََيْفَ تَجِدُ قَلْبَكَ؟ ‘ঐ সময় তোমার অন্তর কিরূপ ছিল’? তিনি বললেন,مُطْمَئِنًّا بِالْإِيْمَانِ ‘ঈমানের উপর অবিচল’। রাসূল (ছাঃ) বললেন إِنْ عَادُوا فَعُدْ ‘যদি ওরা আবার বলতে বলে, তাহ’লে তুমি আবার বল’। তখন নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয়,[হাকেম হা/৩৩৬২]

ঈমান আনার পরে যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কুফরী করে, তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর ক্রোধ এবং কঠিন শাস্তি। কিন্তু যাকে বাধ্য করা হয়, অথচ তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে (তার কোন চিন্তা নেই)’ (নাহল ১৬/১০৬)। ইবনু কাছীর বলেন, সকল বিদ্বান এ বিষয়ে একমত যে, কুফরীতে বাধ্য করা হ’লে বাধ্যকারীর কথামত কাজ করা জায়েয (ইবনু কাছীর)। একমাত্র বেলাল ছিলেন, যিনি তাদের কথা মত কাজ করতেন না, বরং কেবলি বলতেন আহাদ, আহাদ।

পরে হযরত আবুবকর (রাঃ) ‘আম্মার বিন ইয়াসিরকে তার মনিবের কাছ থেকে খরীদ করে মুক্ত করে দেন। ‘আম্মার ঐ সময় আবুবকর (রাঃ)-এর প্রশংসায় যে কবিতা বলেন, তার শুরু ছিল নিম্নরূপ :

جَزَى اللهُ خَيْرًا عَنْ بَلاَلٍ وَصَحْبِهِ + عَتِيْقًا وَأَخْزَى فَاكِهًا وَأَبَا جَهْلِ

‘আল্লাহ উত্তম পুরস্কার দান করুন আবুবকর (রাঃ)-কে বেলাল ও তার সাথীদের পক্ষ হতে এবং লাঞ্ছিত করুন আবু ফাকীহাহ (উমাইয়া বিন খালাফ) ও আবু জাহলকে’।[আবু নু‘আইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ১/১৪৮]

‘আম্মার রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতেন, যে ব্যক্তি ‘আম্মারের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে আল্লাহ তার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেন’। খালিদ বিন অলীদ (রাঃ) বলেন, এই হাদীছ শোনার পর থেকে আমি সর্বদা তাকে ভালোবাসতাম’।[হাকেম হা/৫৬৭৪; ] আবুবকর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে ভন্ডনবীদের বিরুদ্ধে ইয়ামামাহর যুদ্ধে তার কান বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওমর (রাঃ) তাকে কূফার গবর্ণর নিযুক্ত করেন। রাসূল (ছাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে,تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ‘তাকে বিদ্রোহী দল হত্যা করবে’ (বুখারী হা/৪৪৭)। ৩৭ হিজরীতে ছিফফীনের যুদ্ধে তিনি আলী (রাঃ)-এর পক্ষে যোগদান করেন এবং শহীদ হন। এসময় তাঁর বয়স ছিল ৯৩ বছর। আলী (রাঃ) তাঁকে গোসল ও কাফন না দিয়েই দাফন করেন।[ আল-ইস্তী‘আব ক্রমিক ১৮৬৩]

ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রহ. বলেন, ইলমের ভান্ডার আল্লাহ তাকেই দেন, যাকে তিনি ভালোবাসেন। যদি ইলম কোনো ব্যক্তি বা পদের সাথে সম্পর্কিত হতো তাহলে উঁচু বংশের লোকেরাই ইলম পেত। কিন্তু আতা একজন হাবশী গোলাম ছিলেন (তবুও আল্লাহ তাঁকে ইলম দান করেছেন)।

◑ বই: সালাফের জীবন থেকে

— নোট: হাবশি নামটির উৎপত্তি হয় আরবী আল-হাবশ থেকে। আরবরা আল-হাবশ বলতে বুঝাতো আবিসিনিয়াকে। ইথিওপিয়ান/ আবিসিনিয়ান জাহাজের ক্যাপ্টেনরা এই উপমহাদেশে পণ্যের সাথে কৃতদাসও নিয়ে আসত এবং বিক্রি করে দিত। হাবশিরা শারীরিক ভাবে অনেক শক্তিশালী ছিল এবং অনেক কাজ করতে পারত, তাই ধীরে ধীরে উপমহাদেশে হাবশি কৃতদাসের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

❑ এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১। এই হাদীসটি মহাহাদীস, এই হাদীসটি মুসলমানদেরকে ভাই ভাই হয়ে, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল হয়ে, ভালোবাসা ও প্রেম-প্রীতির সহিত সমব্যথী হয়ে জীবনযাপন করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। সুতরাং তাদের মধ্যে থেকে প্রতিটি ব্যক্তি নিজের জন্য যে জিনিসটি পছন্দ করবে, তার অন্য ভাই এর জন্য সেই জিনিসটিই পছন্দ করবে। আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এই ভাবেই মুসলমানদের বিবরণ পেশ করেছেন।

২। এই হাদীসটির দ্বারা এই বিষয়টি সাব্যস্ত হয়ে যায় যে, মুসলমানরা যেন একে অপরকে অনুগ্রহ করে এবং তারা সবাই যেন মিলিত হয়ে, ঐক্য বজায় রেখে বা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জীবনযাপন করে, একটি অট্টালিকার ন্যায়, যার একটি অংশ অন্য অংশটিকে মজবুত করে ধরে রাখে।

৩। এই হাদীসটি মুসলমানদেরকে উপদেশ প্রদান করে যে, তারা সবাই যেন নিজেদের মধ্যে একতা ও সহযোগিতা, ইসলাম ধর্মের কাজে সাহায্য, পবিত্র কুরআনের আলোকে ঐক্যের প্রতীক মজবুত করে রাখে। এবং তারা যেন নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে ছত্রভঙ্গ না হয়ে যায়।

◑ Night Reminder : 𝙲𝚕𝚒𝚌𝚔 𝚑𝚎𝚛𝚎

রং-বেরঙের উপকরণের মধ্যে আমরা আজ আবদ্ধ। খেল-তামাশায় মত্ত হয়ে এখন আমরা দিকভ্রান্ত। বন্দিশালায় বদ্ধ হয়ে, পথ ভুলে আছি বহুকাল ধরে। পথ খুঁজে বেড়াই, পথের সন্ধান ভুলে আবার আপন নীড়ে ফিরে যাই। দুনিয়ার মোহে পড়ে, আপন সত্তাকেই ভুলে যাই; ভুলে যাই এই জগতে আসার মূল উদ্দেশ্যকে। পথহারা পথিকের পথ খোঁজা দরকার। তীর হারা নাবিকের পাল তোলা দরকার। মোহের জগতে নিবদ্ধ লোকের, উত্তরণ দরকার! সেটা কোথায়? সেটা হলো কুরআন ও সুন্নাহ।

কুরআন সুন্নাহ’র বাতলে দেয়া পথ ধরে, পথ খুঁজে পেয়েছে কতশত পথভোলা মানুষ। আলোর জ্যোতি গায়ে মেখে দূর করেছে নিকষ কালো অন্ধকার। নূরের ছোঁয়া পেয়ে সজীবতা ফিরে পেয়েছে কতশত মৃত অন্তর। আমরা পথহারা পথিক। নূরের জ্যোতি উপেক্ষা করে অন্ধকার ঘরে জীবন-যাপন করি‌। পথ খুঁজে পাই না। হেদায়েতের রশ্নি হারিয়ে, মোহের জগতে বিচরণ করি। আস্তে আস্তে আপন সত্তাকে ভুলে নিজের আখেরাত ধ্বংস করি।

আমরা সবাই জানি, যে কুরআন-সুন্নাহ বুকে ধারণ করেছে, সে তার সিরাতাল মুস্তাকিম খুঁজে পেয়েছে। আর যে সিরাতাল মুস্তাকিম খুঁজে পেয়েছে, সে-ই সফলকাম। সুতরাং, সঠিক পথের সন্ধান করতে, সফলকাম হতে হলে আমাদেরকে কুরআন-সুন্নাহ বুকে ধারণ করতে হবে।

নিকাব যখন ফিতনা!

— শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আল-বদর (হাফি.)

“যাকে দু’আ করার তাওফিক দেয়া হয়েছে,কবুল হওয়ার নিয়ামত থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয় না। প্রতিশ্রুতি পালনে রব্বের চেয়ে কে উত্তম হতে পারে? আপনার অন্তরের খবর উনার চেয়ে কে অধিক জানেন? ভরসা রাখুন তাঁর ওয়াদার উপর যিনি আপনার দু’আ শুনেন। “তোমরা আমাকে ডাকো,আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো”!

◑ বইঃ আসমানী খামে আমার দুআ
◑ Night Reminder : 𝙲𝚕𝚒𝚌𝚔 𝚑𝚎𝚛𝚎

যারা হাদীসের উপর গবেষনা করতে চান বা জ্ঞান অর্জন করতে চান তাদের জন্য এই বইটি সহায়ক ভুমিকা পলন করবে। এই বইয়ে যইফ ও জাল হাদীস বর্জনের মুলনীতিগুলো খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তাই প্রত্যেক তালেবে এলেম এবং যারা জ্ঞান অর্জন করতে চান তাদের জন্য এই বইটি আবশ্যক। তবে কোনো বিষয় নিয়ে একজনের সিদ্ধান্ত দিয়ে বিচার করা ঠিক নয় তাই একটি বিষয়ে অনেকের বক্তব্য পর্যালোচনা করা আবশ্যক।

◑ Night Reminder : 𝙲𝚕𝚒𝚌𝚔 𝚑𝚎𝚛𝚎

আলহামদুলিল্লাহ্  🌼
অবশেষে আবার ডিসেম্বর মাসে সংঘটিত ইসলামীক আক্বীদা টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণ করে পুরস্কার স্বরূপ বইগুলো (৬টি) আমরা দুজনেই আজ হাতে পেলাম। আল্লাহ্ তাআলা ভাইয়ের ব্যবসায় বারাকাহ দান করুক, ভাইয়ের চলার পথ আল্লাহ্ সহজ করে দিক। আমিন।

◑ লেখাঃ 𝚠𝚛𝚊𝚒𝚜𝚏𝚒𝚊𝚛

Jummah reminder ✿𓍯𓂃

সুরা আল কাহাফ | সুরা নং-১৮ —

❑ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা আল কাহাফ পড়বে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমাহ্ হতে আগামী জুমাহ্ পর্যন্ত চমকাতে থাকবে।

• Reference: মিশকাত, হা/২১৭৫
• কমপক্ষে ১০ টি আয়াত হলেও পড়েন (ইনশাআল্লাহ)
• সংক্ষিপ্ত তাফসীর সহ সুরা কাহাফ: click here
• The channel about Jummah: Click here
• telegram: @Hope_for_youthSWU641

◑ Video from : moathemam/ig

—
اَللّهُمَّ صَلِّ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدُ، اَللّهُمَّ بَارِكْ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ


❑ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশবার রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি শুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে এবং তাঁর জন্য দশটি মর্যাদা উন্নীত করা হবে।

◑ বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
◑ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
◑ সূত্রঃ সুনান আন-নাসায়ী, হা/১৩০০

❑ 𝙿𝙾𝚅:
Abdul Rahman Al-Sudais (রাহি.) এর মিসওয়াক করা 🙂🙂:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমু'আর দিন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির গোসল ও মিসওয়াক করা কর্তব্য এবং সামর্থ্য থাকলে সে যেন সুগন্ধি ব্যবহার করে।"এমনকি স্ত্রীর সুগন্ধি থেকে হলেও"।

◑ বর্ণনাকারীঃ আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ)।
◑ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
◑ সূত্রঃ সহীহ মুসলিম, হা/১৮৪৫

মানুষের চারিত্রিক গঠনে ইসলামের বৈশিষ্ট্য:
সূত্র: আব্দুল হামিদ ফাইযী আল মাদানী।

Surah Naba🙂🩵

পায়ে এতো ক্ষত তোর,
তবুও মিটলো না ভুলপথে হাটবার সাধ?
ফিরে আয়... হতাশার অশ্রু মুছে ফেল,
ঐ যে ফজরের আযান শোনা যায়....
ওঠ, জীবনটাকে রিস্টার্ট মারবি।
নতুন করে জীবন শুরু করবি চল।
একদম নতুন করে। চোখ মেলে একবার দেখ,
তোকে বরণ করে নেবার জন্য কি অপূর্ব এই আয়োজন!

• বইঃ আকাশের ওপারে আকাশ, পৃষ্ঠা: ১৫৭
• Date of Reminiscence : 03/12/2022
• Night Reminder : Click here

#BKTPP #REMINISCENCE #ALHAMDULILLAH

আলহামদুলিল্লাহ্ 🌼
অবশেষে পুরস্কার স্বরূপ বইটি হাতে পেলাম। আল্লাহ্ আবদুল্লাহ ভাইয়ের ব্যবসায় বারাকাহ দান করুক, ভাইয়ের চলার পথ আল্লাহ্ সহজ করে দিক। আমিন।

প্রদত্ত বইটির সম্পর্কে ভূমিকা: রাসূল (ছাঃ) বলেন, কিয়ামতের দিন বান্দাকে প্রথম প্রশ্ন করা হবে তার ছালাত সম্পর্কে। ছালাতের হিসাব সঠিক হলে তার সমস্ত আমল সঠিক হবে। আর ছালাতের হিসাব বেঠিক হলে অন্য সব আমল বরবাদ হবে (সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৩৫৮)। সেকারণ মাননীয় লেখক সমাজের এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটির প্রতি গভীরভাবে দৃষ্টি দিয়েছেন এবং চূড়ান্ত সাধনার মাধ্যমে মুহাদ্দেছীন ও সালাফে ছালেহীনের মাসলাক অনুসরণে ছহীহ হাদীছের ভিত্তিতে অত্র বইটি রচনা করেছেন। এ বইয়ের অনন্য বৈশিষ্ট্য হল, বড় একটি বিষয়কে ছােট পরিসরে বিশুদ্ধ দলীল সহ পেশ করা। আল্লাহভীরু মুসলমানের জন্য এ বই পরকালীন মুক্তির পথে আলােকবর্তিকা হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

“তোমরা কি জান ‘গীবত’ কী?
— যদি জানতে চান তাহলে Click here

'হাশরের ময়দানে বান্দাকে যখন উপস্থিত করা হবে এবং তার হাতে তার আমলনামা দেওয়া হবে, সে দেখবে সেখানে তার নামাজ, রোজা কিছুই লেখা নেই। কোনো নেক কাজই আমলনামায় দেখতে পাবে না।

সে তখন বলবে, "ইয়া আল্লাহ! এটা তো মনে হয় অন্য কারও আমলনামা! আমার তো ভালো আমল ছিল, এখানে সেগুলোর উল্লেখ নেই।"

ফেরেশতারা জবাব দেবে, "তোমার রব ভুল করেন না এবং ভুলেও যান না। বরং তোমার আমলগুলো মুছে দেওয়া হয়েছে এজন্য যে, তুমি মানুষের গীবত করতে।'

— ইমাম ইবনুল জাওজি (রহ.)
সূত্র: বাহরুদ দুমুঈ (অশ্রুসাগর), পৃষ্ঠা নং ১৩৩

• আমাদের সবার জন্য রাতের অনুস্মারক: Click here
• গীবত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নীচের লিংকে গুলোতে ক্লিক করুন: 1. 2. 3. 4.

জীবন কী? এ জীবন আমরা কেন পেলাম? পৃথিবীতে কী উদ্দেশ্যে আমাদের পাঠানো হয়েছে? —এসব দার্শনিক প্রশ্নের উত্তর বহুকাল ধরেই মানুষ খুঁজে ফিরছে।

অবশ্য যিনি আমাদের পাঠিয়েছেন, সেই মহান আল্লাহ-ই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রেখেছেন কুরআন কারীমে। এ পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানোর উদ্দেশ্য শুধু তাঁর ইবাদাত করা। স্রেফ এটুকুই, আর কিছু না।

এই ইবাদাতের জন্যে তিনি আয়ুষ্কাল দিয়েছেন। সময়কে ভাগ করে দিয়েছেন বছর-মাস-সপ্তাহ ইত্যাদি এককে। এক সময়ের ওপর আরেক সময়কে শ্রেষ্ঠত্বও দিয়েছেন।

আমাদের এই দুনিয়ার জীবন কিছু ঘণ্টা-মিনিট-সেকেন্ডের সমষ্টি মাত্র। সময়কে উপযুক্ত খাতে ব্যয় করা তথা ইবাদাতে বিনিয়োগ করার মধ্যেই দুনিয়ার জীবনের সার্থকতা। আর এটাই জীবনকে কাজে লাগানো।

বই : জীবনকে কাজে লাগান
রচয়িতা: ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি (রহঃ)।

তোমার ভাইকে ক্ষমা করে দাও।
আচ্ছা সত্যি করে বলো তো, তোমার কারণে যদি তোমার ভাইকে আল্লাহ শাস্তি দেন, তাতে তোমার কী এমন লাভ হবে?

— ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রহ.)
সূত্র: সিয়ার আলামিল নুবালা, ১১/২৬২

ঘরের বাইরে নীচে জাকজমকপূর্ণ ড্রেস আর মাথায় একখন্ড কাপড় ঝুলানো কে ( তথাকথিত হিজাব) পরিপূর্ণ পর্দা মনে করা ফেমিনিস্ট দের জন্য এই বক্তব্য শুনা অতি গুরুত্বপূর্ণ। 🫵🫵

🔊: আবদুল্লাহ 🌸

— an example of Mushrik's Lite Version: click here

হিজাব!!!!
যারা কেবল মাথায় একখন্ড কাপড় ঝুলানো কে (হিজাব) পরিপূর্ণ পর্দা মনে করে, তারাই এই যুগের সবথেকে বড় ফেমিনিস্ট। এই হিজাব অর্থাৎ মাথায় এক খন্ড কাপড় এর সাথে সমাজের প্রসিদ্ধ 'আশেকী রসুল ওরফে বেরেলভী মহিলাদের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ তারাই এই একখন্ড কাপড় ঝুলানোকে পরিপূর্ণ পর্দা বলে সাব্যস্ত করে যা কস্মিনকালেও সালাফী মহিলাদের পর্দার বৈশিষ্ট্য ছিল না। অর্থাৎ কোনো সালাফী মহিলা মাথায় একখন্ড কাপড় ঝুলানো (হিজাব) কে কখনোই পরিপূর্ণ পর্দা বলে আখ্যায়িত করতে পারে না, পারে না, পারে না।

নীচে জাকজমকপূর্ণ ড্রেস আর মাথায় একখন্ড কাপড় ঝুলানো (so called Hijab) কে পারমানেন্ট পর্দা মনে করা মেয়েরাই সমাজের প্রকৃত জোকার। বেপর্দা মেয়েদের সোশ্যাল মিডিয়ার বায়োতে alhamdulillah for everythings" লেখা যেমন জোকারের পরিচয় দেয়, ঠিক তেমনই এই শ্রেণীর পর্দা করা মেয়েরাও নিজেদের জোকার বলে প্রমাণ করে।

— এই শ্রেণী মেয়েদের থেকে সবসময় দূরে থাকবেন, এরা ইসলামকে অতিমাত্রায় নিজেদের জন্য ব্যবহার করে সমাজের কাছে ভালো হতে চাই মাত্র। এরা দুইমুখো মানুষের ন্যায়,কারণ এরা এই হিজাব পড়েই মানুষের কাছে ইসলামী প্রেমী হিসেবে তুলে ধরে এবং সাথে এই so called hijab' পড়ে হারাম জায়গা তেও যেতে কোনো দ্বিধাবোধ করে না। এরা সবজায়গায় নিজেদের ফাত্রামি জাস্টিফাই করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। এদেরকে কস্মিনকালেও বন্ধু (অভিভাবকত্ব), অর্ধাঙ্গীনি হিসেবে গ্রহণ করবেন না.......

বিঃদ্রঃ প্রকৃত অর্থে হিজাব মানে কখনোই মাথায় একখন্ড কাপড় ঝুলানো কে বোঝায় না। পরিপূর্ণ পর্দাকে সংক্ষিপ্ত আকারে মানুষের বোঝার সুবিধার্থে এই শব্দটির প্রয়োগ হয়....।

• এবিষয়ে শাইখ আহমাদুল্লাহ এর বক্তব্য: click here

ঈমান ও নিফাক দুটি বিপরীতমুখী জিনিস। মুমিন আর মুনাফিক কখনো বন্ধু হতে পারে না—দুনিয়াতেও না আর পরকালে তো মুনাফিকের আবাস হবে জাহান্নামের অতলে। নিফাক একটি দ্বিচারী স্বভাব। ভিতরে এক রূপ আর বাইরে আরেক রূপ। আল্লাহর কাছে এটা অত্যন্ত ঘৃণিত স্বভাব।

পবিত্র কুরআন এবং হাদিসে নববীতে নিফাক ও মুনাফিক সম্পর্কে বিশদ আলোচনা এসেছে। মুনাফিকদের সম্পর্কে কুরআনে স্বতন্ত্র সূরা অবতীর্ণ করা হয়েছে। হাদিসে নববীতে তাদের আচার-বৈশিষ্ট্যের বিবরণ এসেছে। মুনাফিকরা মুসলমানদের ঘরের শত্রু। এরা কোনকালেই উম্মাহর কল্যাণকামী ছিল না। ইসলামের শুরুলগ্ন থেকে হাজার বছরের ইতিহাস থেকে আমরা এর সত্যতা পাই। এতো নাযুক একটি বিষয় সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা আর উদাসীনতা যারপরনাই হতাশাজনক।

নিফাক থেকে বাচুন" বইটা সমকালীন মুসলিমবিশ্বের প্রতি দরদমাখা এক সতর্কবার্তা। নিফাক সম্পর্কে ধ্যান-ধারণার প্রয়োজনীয় সংশোধনী। বাস্তব উদাহরণসহ নিফাকের ভয়াবহতার এক সত্য বিবরণ। নিফাকের শঙ্কায় থাকা মানসিক অবস্থার বিশ্লেষণ। নিজের অজান্তেই নিফাকে জড়িয়ে যাওয়ার প্রামাণ্য আলোচনা এবং ঈমানঘাতী এই ব্যাধি থেকে আত্মরক্ষার প্রচেষ্টা।

প্রিয় পাঠক, নিজের অবস্থা উপলব্ধি করুন এবং ফিরে আসুন। কিয়ামতের ভয়াবহ দিনে ঈমান ও কুফর, শিরক এবং নিফাকের মাঝে বিভাজন প্রাচীর দাড় করানোর আগেই....

• বই - নিফাক থেকে বাঁচুন
• লেখক - ড. ইয়াদ কুনাইবী
• Night reminder for all of us: click here

POV of the Year: Berelovies is crying at the corner 🤡🤡.

বেরলভীরা এবং যাদের বেরলভীদের প্রতি আত্মভক্তি - প্রেম বর্তমান তারা এই শীতকালীন রাতে  ঘরের কোণে শরীরে  কাঁথা জড়িয়ে কাঁদো!!!

কী একখানা অবস্থা! আসলে কোনো পার্থক্য নেই। মন্দির হলেও শির্ক হতো আর তা না হলেও এখন যা হয় সেটা মন্দিরের কাজকর্ম থেকে কোনো অংশেই কম নয়।
এখান থেকেই প্রমাণিত হয়,
বেরেলভী = হিন্দু/মুশরিকদের Lite version।

#ইসলামপুর 🤡 #ইসলামপুরওয়ালাআত্মীয় 🤡

Tawhīd Is The Foundation of Happiness

Ibn al-Qayyim رحمه الله:

“The greatest way to achieve happiness is through Tawhīd. The happiness of a person’s heart depends upon its perfection, strength and increase.”

— [The Keys to Happiness | Pg. 33]
• Night Reminder: Click here

গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা যুবকদের জন্য:

• বিয়ের জন্য দ্বীনদার ছেলে/মেয়ে চেনার উপায় কি..?

• যে মেয়ের মা, খালা,নানী, চাচী, ফুফু বে-দ্বীন, অশালীন, বেহায়াপণা আচরণ বিশিষ্ট হলে সেই ঘরে কস্মিনকালেও বিয়ে করবেন না। 🫵🫵

00:40 🫵🫵

গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা: 📌📌
কখনো মানুষের পিছনে লাগবেন না..!!

6:20 💔💔

মুমিন এবং মুনাফিক এর শনাক্তকারী/পার্থক্যকারী নামাজ হল ফজর নামাজ। কেননা মুনাফিকরা ফজর নামাজ আদায় করতে খুব অলসতাবোধ করে।

উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একবার মহানবী (স.) আমাদের ফজরের নামাজ পড়িয়েছেন। সালাম ফিরিয়ে জিজ্ঞেস করেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তারপর আরেকজনের নাম নিয়ে জিজ্ঞেস করেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তিনি বলেন, এ দুই নামাজ (এশা ও ফজর) মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। তোমরা যদি জানতে যে এই দুই নামাজে কী পরিমাণ সওয়াব আছে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে শরিক হতে।’

সুনানে আবু দাউদ, হা/৫৫৪
telegram: @Hope_for_youthSWU641

এই সময়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, সবার এর উত্তর জানা উচিত বলে মনে করি।

এখনকার বাঙ্গালী সমাজের অধিকাংশ বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করা হারাম। শায়খ মতিউর রহমান

— Night reminder: Click here

بَارَكَ اللهُ لَكُمَا وَبَارَكَ عَلَيْكُمَا وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِيْ خَيْرٍ-

বা-রাকাল্লা-হু লাকুমা ওয়া বা-রাকা ‘আলাইকুমা ওয়া জামা‘আ বায়নাকুমা ফী খায়রিন। (এই বিবাহে আল্লাহ তোমাদের জন্য বরকত দান করুন ও তোমাদের উপর বরকত দান করুন এবং তোমাদের উভয়কে কল্যাণের সাথে একত্রিত করুন)।

Congratulations🎉 Dear Bhai😭🩵.
Hadiya(BOOKS) to Vabi from Wadima.
Date: 09/11/24

Alhamdulillah!
This one is Asolutely Classical Tafsir Volume for Al Qura'an.

এটা ইংরেজি ভার্সন। অনেক পুরনো। আব্বুর লাইব্রেরী থেকে আজ সংগ্রহ করলাম যদিও বাংলা ভার্সন টা আমার কাছে আছে।

Bangla version: Click here

Jummah reminder ✿𓍯𓂃

সুরা আল কাহাফ | সুরা নং-১৮ —

❑ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা আল কাহাফ পড়বে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমাহ্ হতে আগামী জুমাহ্ পর্যন্ত চমকাতে থাকবে।

• Reference: মিশকাত, হা/২১৭৫
• কমপক্ষে ১০ টি আয়াত হলেও পড়েন (ইনশাআল্লাহ)
• সংক্ষিপ্ত তাফসীর সহ সুরা কাহাফ: click here
• The channel about Jummah: Click here
• telegram: @Hope_for_youthSWU641

❑ জুমু‘আর বুৎপত্তিগত সংক্ষিপ্ত ভূমিকা:

.........‘জুমআহ’কে জুমআহ এই জন্য বলা হয় যে, এই দিনে আল্লাহ তাআলা সমস্ত বস্তুর সৃষ্টির কাজ সমাপ্ত করেন। যেন সকল সৃষ্টি এই দিন ‘জমা’ (একত্রিত) হয়েছে। অথবা নামাযের জন্য মানুষ জমা ও সমবেত হয়, তাই এই দিনকে জুমআহর দিন বলা হয়। (ফাতহুল ক্বাদীর)........

— পুরো অংশ পড়ার জন্য নীচের লিংকে জয়েন হয়ে রিকুয়েস্ট পাঠান।[1] রিকুয়েস্ট সাথে সাথেই গ্রহণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।

— জুম'আ সম্পর্কিত সমস্ত কিছু একসাথে জানতে এবং সহজেই আমল করার জন্য জুমআর সম্পর্কিত অনুস্মারক পোস্ট পেতে এই চ্যানেলটিতে জয়েন হোন এবং বাকিদের জয়েন হতে সাহায্য করুন।

— [1] Invite Link 🔗:
https://t.me/+gFPat5eUQldkYzVl

.... জাজাকাল্লাহ খয়রন ✿𓍯𓂃

❐ নিকটাত্মীয় কেউ যদি কোনো উপহার (টাকা, পোশাক, খাবার) দেয়, বিবাহের দাওয়াত দেয় ইত্যাদি এবং তার উপার্জনে যদি হারামের মিশ্রণ থাকে, তবে সেটা কি গ্রহণ করা যাবে?

— যদি স্পষ্ট জানা যায় যে, উপহারটা হারাম উপার্জনের, তাহলে সেটি গ্রহণ করা বৈধ হবে না। কেননা এতে সেই হারামকে সহযোগিতা করা হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে একে অন্যকে সহযোগিতা করো না (আল-মায়েদা, ৫/২)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঐ শরীর জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যেই শরীর হারাম দিয়ে গঠিত হয়েছে (বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, হা/১১৫৯)।

— যে ব্যক্তির সম্পদে হালাল-হারামের মিশ্রণ আছে, তার দাওয়াতে সাড়া দিয়ে তার খাবার খাওয়া, তার সাথে লেনদেন করা, তার দেওয়া উপহার গ্রহণ করা-প্রভৃতি বিষয়গুলো মাকরূহ।[১]

[১] ফকিহ বুহুতী (রহ.)
সূত্র: কাশাফুল ক্বিনা, ৫/১৬৭

telegram: @Hope_for_youthSWU641

❐ দাড়ি রাখা ওয়াজিব: ১

দাড়ি আল্লাহর একটি মহান ও বড় নি‘আমত। ইসলামের চিহ্ন বলে বিবেচিত। দাড়ি মানেই পুরুষত্ব, এটি পুরুষত্বের পরিচয়, মুসলিমের সৌন্দর্য। দাড়ি কেবল কিছুসংখ্যক চুল রাখা এমনটি নয়। এটি মহান আল্লাহর প্রকাশ্য নিদর্শনসমূহের অন্যতম নিদর্শন। এর দ্বারা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

“আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করলে এটা তার হৃদয়ের তাকওয়া থেকে উদ্ভূত বা আল্লাহ সচেতনতার লক্ষণ।” [সূরা আল-হাজ, আয়াত: ৩২]

শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসায়মীন রহ. বলেন, নবী-রাসূলদের সুন্নাত ও পথ নির্দেশনাই হলো দাড়ি রাখা। সকল নবীর দাড়ি ছিল। কেউই শেভ করে নি, দাড়িতে স্টাইল করেন নি।

মহান আল্লাহ নবী হারূন আলাইহিস সালামের প্রসঙ্গ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, যখন হারূন আলাইহিস সালাম তার ভাই মূসা আলাইহিস সালামকে বলেন,

“হারূন বললেন: ‘হে আমার সহোদর! আমার দাড়ি ও চুল ধরবেন না। আমি আশংকা করেছিলাম যে, আপনি বলবেন: তুমি বনী ইসরাঈলদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছো ও আমার কথা শোনায় যত্নবান হও নি।” [সূরা ত্বাহা, আয়াত: ৯৪]

তাছাড়াও দাড়ির ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরাম এবং সালাফে সালেহীন তথা আমাদের নেককার উত্তরসূরীরাও আমাদেরকে সঠিক পথ নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তাদের কেউই দাড়ি শেভ করতেন না।

সাহাবী কাইস ইবন সা‘দ রাদিয়াল্লাহু আনহুর দাড়ি উঠে নি। তার কাওম আনসাররা বলতো: “বীরত্ব ও সাহসিকতায় কতইনা সেরা মানুষ হলেন আমাদের নেতা কাইস ইবন সা‘দ; কিন্তু কষ্টের বিষয় হলো, তার কোনো দাড়ি নেই। দিরহাম দিয়ে যদি দাড়ি কেনা যেতো, তাহলে আমরা তার জন্য দাড়ি কিনতাম!!”

আল্লাহ তা‘আলাই বেশি জানেন যে, পুরুষের জন্য কোনটি বেশি উপযোগী? তিনি পুরুষের জন্য দাড়ি চয়েস করেছেন, তাই এর দ্বারা তাকে সজ্জিত করেছেন। আল্লাহ যা চয়েস করেছেন, কোনো জ্ঞানী ব্যক্তি কি সেটাকে অপছন্দ করতে পারে? কখনই না। আল্লাহ বেশি জানেন, নাকি বান্দা বেশি জানেন? কারণ, মানুষের জ্ঞানের পরিধি সীমাবদ্ধ। আল্লাহ তা‘আলা তাই বলেন, “তোমরা কি বেশি জান, না আল্লাহ?” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৪০]

মহান আল্লাহ চাইলে পুরুষদেরকে সৃষ্টি করতে পারতেন দাড়ি ব্যতীত। কিন্তু তিনি দাড়ি দিয়ে পুরুষকে নারী থেকে স্বতন্ত্র (আলাদা) করে দিয়েছেন।

সম্মানিত ভাই, আপনি লক্ষ্য করুন, দাড়ি শেভ করে কী লাভ? এতে কি আপনার সাওয়াব হচ্ছে, না গোনাহ হচ্ছে? কেন আপনি মূল্যবান সময় ও অর্থ নষ্ট করছেন দাড়ি শেভের মত গোনাহের কাজে? দাড়ি কি আপনার নিকট একটি বোঝা? যদি বোঝা না হবে, তাহলে আপনি কেন শেভ করছেন? কেটে ছেটে খুব ছোট ছোট করে রাখছেন? দুনিয়ার বিনিময়ে আখেরাতকে বিক্রয় করা কি সঠিক কাজ?

চাকুরিজীবি অনেকের যুক্তি হলো: চাকুরি ঠিক রাখতে দাড়ি রাখি না। আপনি দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন যে, আপনার রিয্‌কের মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ, অন্য কেউ নয়। আবার কেউ বলেন, স্ত্রীর অনুমতি নেই, সে অসন্তুষ্ট হবে তাই দাড়ি শেভ করি। আপনার স্ত্রী অথবা যার অধীনে চাকুরি করছেন সে কি মহান আল্লাহ ও রাসূলের চাইতে আপনার নিকট বেশি প্রিয়?? কার সন্তুষ্টি, কার আনুগত্য করা আপনার বেশি দরকার? একবার চিন্তা করুন। আর হে প্রতিষ্ঠানের মালিক! আপনি আল্লাহকে ভয় করুন। আল্লাহই আপনাকে প্রতিষ্ঠানের মালিক বানিয়েছেন। তার অনুগ্রহের কথা স্মরণ করে মানুষকে হারাম কাজে বাধ্য করবেন না। আর হে মুসলিম বোন! আল্লাহর শক্তির কথা ভুলে যাবেন না। সর্বদা মনে রাখুন যে, মহান আল্লাহ ও প্রিয় রাসূলের আনুগত্য করার প্রতিজ্ঞা করেই আমরা ইসলামে প্রবেশ করেছি। অতএব, আপনাদের নিকট মহান আল্লাহ তা‘আলা ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেন দুনিয়ার সব চাইতে প্রিয় হয়।.................... ........!

— telegram: @Hope_for_youthSWU641

হিজাব!!!!
যারা কেবল মাথায় একখন্ড কাপড় ঝুলানো কে (হিজাব) পরিপূর্ণ পর্দা মনে করে, তারাই এই যুগের সবথেকে বড় ফেমিনিস্ট। এই হিজাব অর্থাৎ মাথায় এক খন্ড কাপড় এর সাথে সমাজের প্রসিদ্ধ 'আশেকী রসুল ওরফে বেরেলভী মহিলাদের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ তারাই এই একখন্ড কাপড় ঝুলানোকে পরিপূর্ণ পর্দা বলে সাব্যস্ত করে যা কস্মিনকালেও সালাফী মহিলাদের পর্দার বৈশিষ্ট্য ছিল না। অর্থাৎ কোনো সালাফী মহিলা মাথায় একখন্ড কাপড় ঝুলানো (হিজাব) কে কখনোই পরিপূর্ণ পর্দা বলে আখ্যায়িত করতে পারে না, পারে না, পারে না।

বিঃদ্রঃ প্রকৃত অর্থে হিজাব মানে কখনোই মাথায় একখন্ড কাপড় ঝুলানো কে বোঝায় না। পরিপূর্ণ পর্দাকে সংক্ষিপ্ত আকারে মানুষের বোঝার সুবিধার্থে এই শব্দটির প্রয়োগ হয়....।

— সেখ ওয়াসির উদ্দিন।
telegram: @Hope_for_youthSWU641

• Night reminder for all of us : Just click here

সালাফদের সামনে দুনিয়ার প্রাচুর্য আসলে তাঁরা ভয় পেতেন, তাঁদের আমলের প্রতিদান দুনিয়াতেই দিয়ে দেয়া হলো কিনা!

আর আমাদের অবস্থা তো এই, প্রাচুর্যকে আমরা আমাদের নেক আমলের প্রতিদান ভেবে খুব আনন্দ পাই, আরও আরও দুনিয়ার পেছনে ছুটি।

• Courtesy : The lamp of guidance
• telegram: @Hope_for_youthSWU641

The biggest calamity this ummah is facing now is the abundance OF daughter of a Daiyuuth Father. ...🫵🫵

Now the most serious and dangerous fitnah of this ummah is the daughters of a Daiyuuth father. According to the hadith, these fathers and their daughters are the resident of the hell. This pathway of hell does not stop here but it is paving the way for some of the religious boys to go to hell.

They(Daiyuuth father's daughter) are like pesticides in the field of society, they use Islam according to their own advantage and come into the lives of good pious boys(Deen E boys) and leave the life like eutrfiication of water bodies. Always stay away from them.

—Night reminder : click here ✿𓍯𓂃

— Isabgol benefits for diabetes: Take 1-2 teaspoons of isabgol husk with water before meals. Isabgol slows down the absorption of sugar in the intestines, which can help maintain stable blood sugar levels.

উম্মু আইমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আটা ছেনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য রুটি তৈরি করলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ এটা কী? তিনি বলেন, এটা আমাদের এলাকার খাবার। আমি আপনার জন্য এ খাবার তৈরি করতে আগ্রহী হলাম। তিনি বলেনঃ এর মধ্যে ভুষি ঢেলে দাও, তারপর ছেনে নাও।

• রেফারেন্স : সুনানে ইবনে মাজাহ, হা/৩৩৩৬
• Biological proof: Click here

📌 2:28 💔💔 : বাপও শিক্ষিত,মাও..🙂

— নারী ফিৎনা: সেকুলার বাপের সেকুলার মেয়ে.......দাইয়ূস বাপ! দাইয়ূস পরিবার।

— জন্ম দিতে পারলেই বাপ হওয়া যায় না.....প্রসব করাতে পারলেই মা হওয়া যায় না....

• Night reminder: Click here

নিশ্চয় তুমি যাকে ভালবাস তাকে তুমি হিদায়াত দিতে পারবে না; বরং আল্লাহই যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন। আর হিদায়াতপ্রাপ্তদের ব্যাপারে তিনি ভাল জানেন।

এই আয়াত ঐ সময় অবতীর্ণ হয় যখন নবী (সাঃ)-এর হিতাকাঙ্ক্ষী চাচা আবু তালেবের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসে। তখন তিনি চেষ্টা করলেন যাতে চাচা একবার নিজ মুখে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বাণী উচ্চারণ করুক, যাতে পরকালে আল্লাহর সামনে তার ক্ষমার জন্য সুপারিশ করতে পারেন। কিন্তু সেখানে কুরাইশ নেতাদের উপস্থিতির কারণে আবূ তালেব ঈমান আনয়নের সৌভাগ্য হতে বঞ্চিত থাকে এবং কুফরের উপরই তার মৃত্যু হয়। নবী (সাঃ) এর জন্য অত্যন্ত দুঃখিত হলেন। এই সময় মহান আল্লাহ এই আয়াত অবতীর্ণ করে স্পষ্ট করে দিলেন যে, তোমার কাজ কেবলমাত্র পৌঁছিয়ে দেওয়া ও আহবান করা। আর হিদায়াত দান করা আমার কাজ। হিদায়াত সেই ব্যক্তিই লাভ করে থাকে, যাকে আমি হিদায়াত দান করি। তুমি যাকে হিদায়াতের উপর দেখতে পছন্দ কর, সে হিদায়াত পায় না। (বুখারীঃ সূরা কাস্বাসের তাফসীর পরিচ্ছেদ, মুসলিমঃ ঈমান অধ্যায়)

telegram: @Hope_for_youthSWU641

❐ শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তোমাদের সর্বোত্তম দিন হলো জুমুআহর দিন। এ দিন আদম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে এবং তাতে বিকট শব্দ হবে। অতএব তোমরা এ দিন আমার উপর প্রচুর পরিমাণে দুরূদ পাঠ করো। তোমাদের দুরূদ অবশ্যই আমার নিকট পেশ করা হয়। এক ব্যক্তি বলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! কিভাবে আমাদের দুরূদ আপনার নিকট পেশ করা হবে, অথচ আপনি তো অচিরেই মাটির সাথে একাকার হয়ে যাবেন? তিনি বলেনঃ আল্লাহ নবীগণের দেহ ভক্ষণ মাটির জন্য হারাম করেছেন।

ব্যাখ্যা: আল্লাহ তা‘আলা জমিনকে নবী ﷺ দের দেহ ভক্ষণ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ নাবীগণ তাদের ক্ববরে জীবিত রয়েছেন কিন্তু এ জীবন বলতে বারযাখী জীবন, দুনিয়ার দৃশ্যমান জীবন নয় এবং তা শাহীদদের জীবনের চেয়ে অধিক দৃঢ় ও পরিপূর্ণ জীবন এবং এ হাদীস প্রমাণ করে যে, জুমু‘আর দিন নাবী ﷺ-এর উপর অধিক দরূদ পড়া শারী‘আত সম্মত এবং রসূল ﷺ-এর মৃত্যুর পরও তা তাঁর নিকট পৌঁছানো হয়।

• Friday reminder: Click here
• Surah kahaf pdf: click here

Alhamdulillah, I have collected this masterpiece from My Father's traditional Islamic library.

• Photographer: KZ Fatima 🌸
• Given Book: Al-Nawawi's Forty Hadith

— ছবি গুলির ওয়াটার মার্ক মুছে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা নিষিদ্ধ🚫।

IOU (Islamic Online University) তে কীভাবে হাদিস গ্রন্থ পড়ানো হয় (theology বিভাগে), তা এই প্রশ্ন দেখে একটু হলেও অনুভব করতে পারবেন। উত্তর পারলে কমেন্ট করুন ইনশাআল্লাহ।

— SK WASIRUDDIN (Dept. Of BAis)

• Night reminder: Click here
• telegram: @Hope_for_youthSWU641

• Friday reminder: Click here
• Surah kahaf pdf: click here

গীবতের অর্থ হল, অন্য লোকের কাছে কোন ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা (নিন্দা বা সমালোচনা করা), যা সে অপছন্দ করে। আর যদি তার প্রতি এমন দোষের কথা সম্পৃক্ত করা হয়, যা তার মধ্যে নেই, তাহলে তা মিথ্যা অপবাদ হবে। স্ব-স্ব স্থানে দু’টোই বড় অপরাধ ও মহাপাপ।

— অপরের কাছে কোন মুসলিম ভাইয়ের নিন্দা গাওয়া ঐ রকমই, যেমন মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া। মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে তো কেউ পছন্দ করে না, কিন্তু গীবত হল মানুষের অতি প্রিয় খাদ্য।

❐ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা, ধারণা মিথ্যা কথার নামান্তর।’ [বুখারী: ৪০৬৬]

❐ মু'আবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ আমি নিজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “তুমি যদি মানুষের গোপনীয় বিষয় জানার জন্য পেছনে লাগো। তাদের জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করবে কিংবা অন্তত বিপর্যয়ের দ্বার প্রান্তে পৌছে দেবে।”[আবু দাউদ: ৪৮৮৮]

❐ যে ব্যক্তি মুসলিমদের দোষ-ত্রুটি তালাশ করে বেড়াবে আল্লাহ্‌ তার দোষ-ত্রুটির অন্বেষণে লেগে যাবেন। আর আল্লাহ যার ত্রুটি তালাশ করেন তাকে তার ঘরের মধ্যে লাঞ্ছিত করে ছাড়েন।” [আবু দাউদ: ৪৮৮০]

—Night reminder : click here ✿𓍯𓂃

❐ মূল কথা হল এই যে, শিরক বিদআত এর জ্ঞান আপনার কাছে যেমন ভাবে সুস্পষ্ট ঠিক তেমনি গুনাহে জারিয়া বিষয়টিও স্পষ্ট। কেবল পার্থক্য হল আপনি এই 'গুনাহে জারিয়া কে গুনাহ মনে করেন না, খুবই তুচ্ছ বিষয় ভাবেন। এই গুনাহে লিপ্ত হওয়ার সময় পরিবার-সমাজের কথা আগে অগ্রাধিকার দেন। অতএব আপনার কাছে গুনাহে জারিয়া সম্পর্কে খুবই ভালো ভাবে সুস্পষ্ট হওয়া সত্ত্বেও আপনি অন্যের ফোনে ফ্রেমবন্দি হতে সাহায্য করা, আপনার সেই ফ্রেমবন্দি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়....এসব ঘটনার শেষ পরিণতি জেনেও না জানার নাটক করে এই গুনাহের কথা এরিয়ে গেলেন। এরপর কিছুদিন যেতে না যেতেই সাধারনভাবে আপনি এই ফ্রেমবন্দির কথা ভুলেও গেলেন। তারপর আপনি একদিন হঠাৎই মারা গেলেন। এবার পুনরায় আপনার কাছে স্পষ্ট হবে সেই অমুক দিনের ফ্রেমবন্দির কথা,যেই দিন আপনি এই গুনাহের কথা নিজেকে ভাবার জন্য অগ্রাধিকার দেননি, সেই সাথে ফ্রেমবন্দির আগের মুহূর্তের পরিবারের সেই কথাটি যেটা এসময় আপনাকে খুবই ভয়াবহ ভাবে আফসোস অনুভব করাবে —"আয় না একটাই তো গ্রুপ ফটো, একটা-দুটো ক্লিক করলে কিছুই হবে না। "। এরপর আপনি কেবল আফসোসই করে যাবেন কিন্তু কোনো কাজে আসবে না.....কারন আপনি কবরে থাকলেও আপনার গুনাহে জারিয়া এর সরঞ্জাম পৃথিবীর সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও বর্তমান। কিয়ামত পর্যন্ত আপনি এই গুনাহের ফল পেতেই থাকবেন.....যতক্ষণ না এই গুনাহে জারিয়ার সরঞ্জাম পারমানেন্টলি রিমুভ করা হবে।

telegram: @Hope_for_youthSWU641

❐ শয়তান যখন আপনাকে শিরক-বিদআত এমন ভয়াবহ পাপের সাহায্য ঘায়েল করতে পারবে না তখন বিভিন্ন গুনাহে জারিয়া এর সাহায্য আপনাকে ফাঁসিয়ে রাখবে। এমন একটি ভয়াবহ গুনাহে জারিয়া হল 'গ্রুপ হিসেবে ফ্রেমবন্দি(Groups Photos), যেই ফ্রেমবন্দির অন্তিম ঠিকানা হল পাবলিক সোশ্যাল মিডিয়া। যেখানে আপনি প্রতিদিন কারোর না কারোর দ্বারা যিনার উৎস হিসেবে বিবেচিত হবেন...........

বুরাইদাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের ও তাদের (কাফেরদের) মধ্যে যে অংগীকার রয়েছে তা হলো সালাত (নামায/নামাজ)। অতএব যে ব্যক্তি সালাত ত্যাগ করলো, সে কুফরী করলো।

— রেফারেন্স: সুনানে আন নাসাঈ, হা/৪৬৩

❐ হাদীসে সালাতকে মুসলিম ও কাফিরের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্যকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইসলামে একমাত্র সালাতকেই সুস্পষ্ট পার্থক্য নিরূপণকারী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল-এর মতে, উপরোক্ত হাদীসের আলোকে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বর্জনকারী কাফির।

❐ এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১। প্রকৃত ইসলাম ধর্মে এই বিষয়টি নির্ধারিত রয়েছে যে, নামাজ হলো মুসলিম এবং অমুসলিম ব্যক্তির মধ্যে তফাত করার একটি প্রকাশ্য নিদর্শন।

২। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কোনো সময় নামাজ প্রতিষ্ঠিত করার বিষয়ে অবহেলা করা বৈধ নয়।

৩। আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলামের আত্মা হলো নামাজ। সুতরাং নামাজ বর্জন করে দেওয়ার পর বা নামাজ পরিত্যাগ করার পর প্রকৃত ইসলামের আর্ কোনো প্রকাশ্য নিদর্শন থেকে যায় না।

— telegram: @Hope_for_youthSWU641

আপনার স্ত্রী রাস্তা
মানুষের সম্পদ না...

বিবাহ কি ইবাদত নাকি
সামাজিক নিয়ম?

— Night reminder: Click here

নীচে জাকজমকপূর্ণ ড্রেস আর মাথায় একখন্ড কাপড় ঝুলানো (so called Hijab) কে পারমানেন্ট পর্দা মনে করা মেয়েরাই সমাজের প্রকৃত জোকার। বেপর্দা মেয়েদের সোশ্যাল মিডিয়ার বায়োতে alhamdulillah for everythings" লেখা যেমন জোকারের পরিচয় দেয়, ঠিক তেমনই এই শ্রেণীর পর্দা করা মেয়েরাও নিজেদের জোকার বলে প্রমাণ করে।

— এই শ্রেণী মেয়েদের থেকে সবসময় দূরে থাকবেন, এরা ইসলামকে অতিমাত্রায় নিজেদের জন্য ব্যবহার করে সমাজের কাছে ভালো হতে চাই মাত্র। এরা দুইমুখো মানুষের ন্যায়,কারণ এরা এই হিজাব পড়েই মানুষের কাছে ইসলামী প্রেমী হিসেবে তুলে ধরে এবং সাথে এই so called hijab' পড়ে হারাম জায়গা তেও যেতে কোনো দ্বিধাবোধ করে না। এরা সবজায়গায় নিজেদের ফাত্রামি জাস্টিফাই করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। এদেরকে কস্মিনকালেও বন্ধু (অভিভাবকত্ব), অর্ধাঙ্গীনি হিসেবে গ্রহণ করবেন না.......।

telegram: @Hope_for_youthSWU641

হিজাব দুই প্রকার: দৃষ্টি আকর্ষক, দৃষ্টিরোধক। উদ্দেশ্যও দুটি; মানুষের মুগ্ধতা, আল্লাহর মুগ্ধতা। হিজাবের ধরণটা স্পষ্ট থাকা জরুরী।

আলহামদুলিল্লাহ্ আলহামদুলিল্লাহ্ 🌼
অবশেষে পুরস্কার স্বরূপ বই দুটো আমরা দুজনেই হাতে পেলাম। আল্লাহ্ আবদুল্লাহ ভাইয়ের ব্যবসায় বারাকাহ দান করুক,ভাইয়ের চলার পথ আল্লাহ্ সহজ করে দিক। আমিন

শুদ্ধভাবে সলাত/ছলাত শেখার জন্য এই বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি বইটি সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধ একটি গ্রন্থ এবং প্রায় সকল ভাষাতেই অনূদিত হয়েছে। লেখক কিতাবে ছলাতের মৌলিক-অমৌলিক খুঁটিনাটি সমস্ত নিয়ম-পদ্ধতির আলাদা আলাদা শিরোনাম নির্ধারণ করে তার আওতায় হাদীছের বিভিন্ন গ্রন্থের উদ্ধৃতিসহ তথ্য উল্লেখ করেছেন। শুধু ছহীহ বা হাসান হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত নিয়মগুলোই তিনি নিয়েছেন। যঈফ বা মওযু হাদীছ থেকে যে সমস্ত নিয়ম পাওয়া যায় তা তিনি উল্লেখ করেননি। এছাড়াও পাঠকের সুবিধার্থে এতে প্রয়োজনীয় টীকা সংযুক্ত করা হয়েছে।

নিশ্চয়ই আমরা জানতাম না, আমাদেরকে আল্লাহ তাআলা বিশ্ব নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে জানিয়েছেন। বিশ্ব নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে সালাত আদায় করতেন আমাদেরকে সেভাবেই সালাত আদায় করতে হবে।

"তাওহীদই অন্তর ও মনের সর্বপ্রথম পরিশুদ্ধকারী।"

— ইবনুল কাইয়্যিম (রহিঃ)
[ইগাসাতুল লাহফান মিন মাসায়িদিশ শাইতান: ১/১০৮]

আজ আমি দুধ খাইয়ে বাইরে গিয়েছিলাম। প্রতিদিনের মতো বিড়াল দুটো ছাদেই থাকে, রাতে রুমে নিয়ে আসি। কিন্তু আজ ছাদে গিয়ে দেখি সাদা বিড়াল টা মরে পড়ে আছে। সন্ধ্যায় যারা ছাদে উঠেছিল তাদের কেউ পা দিয়ে চাপা দিয়ে (জানি না ইচ্ছাকৃতভাবে নাকি অনিচ্ছাকৃতভাবে) মেরে দিয়েছে, আল্লাহ তাআলা ভালো জানেন। বিড়াল টার সারা শরীর ভিজে ছিল.....।

ভীষণ খারাপ লাগছে আমার.... এই কয়দিনে বিড়াল দুটো আমার অনেক প্রিয় হয়ে উঠেছিল।

রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিকৃষ্ট খানা হ’ল ওয়ালীমার ঐ খানা, যাতে কেবল ধনীদের দাওয়াত দেওয়া হয় এবং গরীবদের বাদ দেওয়া হয়’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩২১৮)।

বর্তমান যুগে বিয়ে এবং ওয়ালীমাতে উপহারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। যাতে গরীব আত্মীয়গণ লজ্জায় পড়েন। সেকারণ তাক্বওয়ার দাবী হ’ল সকল প্রকার বাড়াবাড়ি ও প্রদর্শনী হ’তে দূরে থাকা এবং এই পবিত্র অনুষ্ঠানগুলিকে সহজ ও অনাড়ম্বর করা।

telegram: @Hope_for_youthSWU641