As - Silm @assilmbd Channel on Telegram

As - Silm

@assilmbd


Quote Collection of Islamic Literature & Islamic Movement's Leaders.

Social Media Link:
Facebook: fb.com/assilmbd1
Twitter: twitter.com/assilmbd
Instagram: instagram.com/assilmbd
Telegram bot: @assilmbot

As - Silm (English)

Are you interested in exploring the rich world of Islamic literature and the teachings of Islamic movement leaders? Look no further than the As - Silm Telegram channel! As - Silm is a quote collection of Islamic literature and Islamic movement's leaders, providing you with daily inspiration and wisdom from some of the most influential figures in Islamic history. From scholars to activists, this channel offers a diverse range of quotes that will enlighten and uplift your spirit.

Who is As - Silm? As - Silm is a Telegram channel dedicated to promoting Islamic literature and the teachings of Islamic movement leaders. With a focus on spreading positivity and spiritual enlightenment, As - Silm aims to connect individuals with the profound wisdom of Islamic scholars and activists.

What can you expect from As - Silm? By joining the As - Silm Telegram channel, you will have access to a wide selection of quotes from various Islamic literature and the leaders of Islamic movements. These quotes cover a range of topics, including faith, perseverance, and social justice. Whether you are seeking daily inspiration or looking to deepen your understanding of Islamic teachings, As - Silm has something for everyone.

Don't miss out on the opportunity to enhance your spiritual journey and connect with like-minded individuals. Join the As - Silm Telegram channel today and immerse yourself in the wisdom of Islamic literature and the teachings of Islamic movement's leaders! Stay connected with us on our social media platforms as well: Facebook: fb.com/assilmbd1, Twitter: twitter.com/assilmbd, Instagram: instagram.com/assilmbd, and interact with our Telegram bot: @assilmbot.

As - Silm

20 Jan, 17:21


শিবির নেতাদের অভিনন্দন

২০০৮/২০০৯ সালে আমি যখন হিফজ পড়ি, সিড্যা (ডামুড্যা উপজেলাধীন ইউনিয়ন) ইউনিটের একটি সেটাপ(দায়িত্বশীল/নেতা নির্বাচন ও শপথগ্রহণ) ও ইফতার মাহফিল প্রোগ্রামে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানে একভাইকে সভাপতি ঘোষণা করা হলে তিনি এতো উচ্চস্বরে কাঁদতে থাকলেন যে ভবনের নীচতলা থেকে বাজারের লোকেরা জানতে চাইলো কী হইছে ঘটনা কী!

তারপর থেকে জাজিরায়, তামীরুল মিল্লাতে অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুবার বহু সেটাপ প্রোগ্রামের স্বাক্ষী হয়েছি। বাছাইকৃত দায়িত্বশীল কিংবা শপথ পড়ানো উর্ধ্বতন দায়িত্বশীল একেক জায়গায় একেকজন ছিলেন, কিন্তু একটি চিত্র সর্বত্র একরকম ছিলো। সেটি হলো নবনির্বাচিত/মনোনীত দায়িত্বশীলের কান্না কিংবা মেঘের মতো বিষাদে ছেয়ে যাওয়া মুখ।

এর কারণ কী ছিলো আসলে?

শিবিরের দায়িত্বশীল আলাদা করে আল্লাহর নির্দেশিত যে কাজগুলোকে নিজের জন্য বাড়তি শপথে আরোপ করেন, সেই জিম্মাদারির অনুভূতিই মূলত তাকে কাঁদায়, অথবা তার মুখ 'নেতা হওয়ার আনন্দে উদ্বেলিত না হয়ে আসন্ন কঠিন সংগ্রামের চিন্তা'য় বিষন্ন ও ভারাক্রান্ত হয়।

আদর্শভিত্তিক সংগঠন হওয়ার কারণে শিবিরের সবধরনের কার্যক্রম, বিশেষ করে লোকদেরকে একটি নৈতিক ছাঁচে তৈরীর কাজ সবার সামনে উন্মুক্ত না থাকার ফলে সবার জন্য বোঝা মুশকিল যে শিবিরের দায়িত্বশীল আসলে করেটা কী?

এতটুকু উল্লেখ করতে পারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাবেক সভাপতি তাদের বিদায়ী বক্তব্যে কিংবা মুনাজাতে চিৎকার করে কাঁদতেন এই কথাগুলো বলে, “কত ভাইয়ের কতরকম সমস্যা ছিলো দেখবো দেখবো করে কিছুই করতে পারিনাই, ফ্যামিলির চরম অসহায় অবস্থা নিয়ে কতজন ছুটি চাইছেন ছুটি দিতে পারিনাই, কতভাই নির্যাতনের শিকার হইলেন রাতভর মার খাইলেন, আমার ভাইদেরকে বাঁচাইতে পারলামনা!

আমি তো তখন শ্রোতা মাত্র, এই কথাগুলো যখন আমি স্মরণ করে লিখছি, তখনও আমার কানে বাজছে শরফুদ্দিন ভাই, জুনায়েদ ভাই কিংবা পরবর্তী সভাপতিদের সেই কান্না।

এই জিম্মাদারি সহজ কাজ নয়। যেখানে নেক নিয়তের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা ছাড়া আর কিছুই পাওয়ার নেই। কিছু মানুষের সালাম-কালাম, নির্দিষ্ট গণ্ডিতে বড়ো হয়ে ওঠা, প্রাপ্তি হিসেব করলেও এগুলো তুচ্ছ বিষয়। দায়িত্বকালীন সময়ে নিজের পড়াশোনা, পরিবার, নিজের ভালো-খারাপ— সবকিছুকে পেছনে রেখে জনশক্তিদের নৈতিক-রাজনৈতিক জিম্মাদারি এবং রাজনৈতিক তৎপরতাকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেওয়ার এই দুঃসাধ্য কাজের ভয়ই শিবিরের দায়িত্বশীলকে কাঁদায়। তার মুখের হাসি মুছে যায়।

'দায়িত্ব আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে' এটি শিবিরের মধ্যে বহুল প্রচলিত বাক্য— শিবিরের দায়িত্বশীলদের যে কাজগুলো করতে হয়, সেগুলো মূলত বান্দার ওপর মহান আল্লাহর নির্দেশিত কাজই। ফলে কাজ নিঃসন্দেহে আল্লাহর নির্দেশিত।

তবে দায়িত্বশীল বাছাইয়ের জন্য নিশ্চয়ই আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী আসে না, বরং কিছু ব্যক্তিই সকলের সমর্থনে সেটি নির্ধারণের চেষ্টা করেন। অতএব মানুষের কাজ হিসেবে এখানে মানুষের ইচ্ছাকৃত/অনিচ্ছাকৃত ভুল ত্রুটি/ অপ্রত্যাশিত ঘটনা সবই ঘটতে পারে। সেই হিসেবে দায়িত্বশীল হিসেবে কাউকে দেখতে পাওয়া না পাওয়ার আলাপ অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।

কিন্তু 'দায়িত্বশীল' শব্দটি আমাদেরকে যা বোঝায়, দায়িত্বশীলের জিম্মাদারি আমাদেরকে যা শিক্ষা দেয়, তাতে শিবিরের কোনো জনশক্তি তো দায়িত্বশীলকে অভিনন্দন জানাতে পারেননা।

যারা শিবির করেন বা করেছেন, তাদের উচিত সংগঠনের কালচারকে মর্যাদার সাথে ধারণ করা। কারণ এসব কালচারই আমাদেরকে যুগের পর যুগ ধরে যথাসম্ভব পরিচ্ছন্ন রাখছে।

আর আপনারা যদি বাজার বেচে খাওয়া সংগঠনসমূহের লোকদের দেখে কালচার শেখেন, অভিনন্দন জানানো থেকে শুরু করে দায়িত্বশীলের জন্য অতিরিক্ত প্রটোকল, নিজেরা নিজেদেরকে রাহবার বলা ইত্যাদি! তাহলে আপনাদের চাইতে শিবিরের জন্যই সেটা বেশি লজ্জাজনক হয়ে উঠবে।

লিখেছেন: হোসাইন আহমেদ জুবায়ের
প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা

As - Silm

19 Jan, 08:40


হিজাব আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের পরিচয়সত্ত্বা..
আরবিতে হিজাব পদের সাহিত্যিক অর্থ “একটি অন্তঃপট বা পর্দা”। আল কুরআনে মূলত বিভাজন অর্থে হিজাব শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। রাসূল সা. এর সীরাত থেকে আমরা জানতে পারি, উম্মুল মুমিনিনরা সবসময় পর্দার আড়ালে থেকে পরপুরুষের সাথে কথা বলতেন। আর তৎকালীন যুগের পরিস্থিতিও এমন ছিল যে, স্বামীর উপস্থিতি ছাড়া পরপুরুষেরাও অন্য কারো স্ত্রীর সাথে কথা বলতেন না। এমনকী পুরুষ সদস্য না থাকলে বাড়ির ভেতরে যাওয়ার ট্রেডিশনও চালু ছিল না।

হিজাব একটি ফরজ বিধান। একটি ইবাদত। নারীর সম্ভ্রম রক্ষায় শরিয়াত নির্দেশিত হাতিয়ার হলো হিজাব। হিজাব প্রথা পালন করার জন্য ইসলামী শরীয়াতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। হিজাব হতে হবে এমন, যা সারা শরীরকে এমনভাবে ঢেকে রাখতে সক্ষম, যেন শরীরে কোনো ভাঁজ বোঝা না যায়। সেই সঙ্গে হাত-মুখও অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে। আল কুরআনে আল্লাহ নারীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বুকের ওপর ফেলে রাখে।’ (সুরা নূর, আয়াত : ৩১)

পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যাপারে ইসলামী শরীয়তের বিধান অত্যন্ত যৌক্তিক ও উপকারী। শরীয়ত নারীদের জন্য বিশেষ কোনো পোশাক সুনির্দিষ্ট করে দেয়নি এবং কোনো নির্দিষ্ট ডিজাইনও বলে দেয়নি যে, এ ধরনের পোশাকই কেবল পরিধান করা যাবে। বরং বিভিন্ন দেশ, অঞ্চল, আবহাওয়া ও মৌসুমভেদে পোশাক পরিধানের স্বাধীনতা দিয়েছে।

তবে কিছু মৌলিক নীতি ও সীমারেখা নির্ধারণ করে দিয়েছে যাতে বোঝা যায় যে, কোন ধরনের পোশাক গ্রহণীয় আর কোন ধরনের পোশাক বর্জনীয়। সুতরাং মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে এসব নীতিমালা ও সীমারেখা মেনে চলা জরুরি। যে পোশাকগুলো এই নীতিমালা ও সীমারেখা অনুযায়ী হবে সেগুলোই শরীয়তসম্মত পোশাক বলে গণ্য হবে।

পশ্চিমারা ইসলাম বা মুসলিম বলতেই হিজাবসহ আরো বেশ কিছু ধর্মীয় আচারাদিকে বুঝে। তবে ইসলামে হিজাব শুধু একটি প্রতীকই নয়। বরং হিজাব হলো একটি দায়িত্ব, একটি দ্বায়বদ্ধতা। পশ্চিমা নারীরা সবসময় নিজেকে শুকনো, ফিট এবং সৌন্দর্যকে লালন করে অপরকে আকৃষ্ট করতে চায়। অন্যদিকে, মুসলিম নারীরা তাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে নয় বরং তাদের মানসিকতা ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে মুল্যায়িত হয়। হিজাব পরিধানকারী নারীদেরকে পুরুষরা একটি পন্যের মতো করে বিবেচনা করে না। হিজাব সে সুযোগও দেয় না। হিজাব একজন নারীকে এতটাই মর্যাদাবান করে তোলে পুরুষেরাও তখন তার প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও মুল্যবোধের প্রশংসা করতে বাধ্য হয়।

হিজাব পরিধান করার জন্য যে বোনকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে; আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই বোনের সম্মান ও মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করে দিন। আমিন।

-Ali Ahmad Mabrur

As - Silm

18 Jan, 17:48


আমরা যখন বেঁচে থাকি বা জীবনধারণ করি কেবল নিজেদের জন্য, তখন আমাদের জীবনপরিধি হয়ে পড়ে খুবই ছোট, সীমাবদ্ধ।
সেই জীবনের সূচনা হয় আমাদের বোধবুদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে আর তার ইতি ঘটে আমাদের সীমিত হায়াত শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে।

কিন্তু আমরা যখন অন্যের জন্য বাঁচি কিংবা ভিন্নভাবে বলতে গেলে আমরা যখন বেঁচে থাকি আদর্শের জন্য, তখন আমাদের জীবনপরিধি হয়ে ওঠে সুবিস্তৃত, সুবিশাল ও সুগভীর।

সেই জীবনের সূচনা হয় মানবসভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে এবং তা প্রসারিত হতে থাকে নশ্বর এই দুনিয়া ছেড়ে যাওয়ার পরও।

~সাইয়িদ কুতুব শহিদ
#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVision

As - Silm

02 Jan, 09:39


হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রজব মাসের শুরু থেকেই নিম্নোক্ত দোয়া বেশি বেশি করতেন-

اَللهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবানের বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত জীবিত রাখুন।’
(তাবারানি:৩৯৩৯)

As - Silm

01 Jan, 18:05


কেউ কেউ বলছেন সায়েন্স-ফেস্ট করলে না কি মানুষের চোখ খুলে যাবে। ইসলাম থেকে দূরে সরে যাবে।

আপনার সায়েন্স জানা নিয়ে অনেকের সন্দেহ আছে।

চারুকলার চাপিয়ে দেওয়া সংস্কৃতির ধারকরা প্রগতি না শিখিয়ে সায়েন্সের কেউ শেখালে আমাদের দেশে এরকম প্রগতিশীল ও সায়েন্টিস্ট তৈরি হতো না।

আল্লাহ তায়ালা অনেক জায়গায় তার সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। Law of nature জানলে আপনি বলে উঠবেন—
আল্লাহ তুমি অহেতুক কোন কিছুই সৃষ্টি করনি!(সূরা ইমরান: ১৯১)।

আল্লাহর কোন কোন নেয়ামতকে তোমরা অস্বীকার করবে? (সূরা আর রহমান)

লিখেছেন: সিবগাতুল্লাহ
সাহিত্য সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVision

As - Silm

20 Dec, 09:14


“একটা সংগঠনের গণমুখী হওয়ার জন্যে পাইকারীভাবে সর্বস্তরের মানুষের সংগঠনভুক্ত হওয়া জরুরি নয়। বরং জরুরি হলো সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে চলতে পারে, সর্বস্তরের মানুষের কাছে আন্দোলন ও সংগঠনের বক্তব্য নিয়ে যেতে পারে, সার্থক প্রতিনিধিত্ব করতে পারে কথা ও কাজের মাধ্যমে, এমন মুষ্টিমেয় লোক।”

-শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী

(ফেসবুকে যুক্ত হোন আস সিল্ম এর সাথে)

#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVision

As - Silm

17 Dec, 10:16


প্রশ্নঃ আচ্ছা মাওলানা। আমাদের আল্লাহ এক, রাসূল এক, কুরআন এক; তা সত্ত্বেও মুসলমানরা কেন এক হচ্ছে না ?

জবাবঃ আল্লাহ এক, রাসূল এক, কুরআন এক; কিন্তু মুসলমানদের অন্তর হচ্ছে অসংখ্য। তারা আল্লাহ, রাসূল এবং কুরআনের পথনির্দেশ ত্যাগ করে অন্তরের কামনা এবং নিজেদের স্বার্থকে পথ প্রদর্শক হিসেবে গ্রহণ করেছে।
(যুগ জিজ্ঞাসার জবাব- ১ম খন্ড; সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রহ.)

#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVision

As - Silm

15 Dec, 15:36


শেয়ারের জন্য হাই রেজুলেশন ফাইল

As - Silm

15 Dec, 15:35


“খাঁটি মুমিন হতে হলে, তাগুতের পাক্কা কাফির হতে হবে।”

-অধ্যাপক গোলাম আযম রহ.

যুক্ত হোন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টসমূহে:
ফেসবুক: fb.com/assilmbd1
টেলিগ্রাম:
t.me/assilmbd

As - Silm

09 Dec, 05:50


আজ বেগম রোকেয়া দিবস। টিম আস সিল্ম ইতিপূর্বে সাজিদ হাসানের কলমে বেগম রোকেয়া নিয়ে চার পর্বের একটি বিশ্লেষণধর্মী লিখা প্রকাশ করেছে। আজকের রোকেয়া দিবসকে কেন্দ্র করে আমরা বেগম রোকেয়ার রচনাবলীর সম্পূর্ণ পোস্ট মর্টেম নিয়ে বিস্তারিত একটি পিডিএফ সংযুক্ত করছি। আগ্রহীদের পড়ে দেখার অনুরোধ করছি।


যুক্ত হোন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টসমূহে:

ফেসবুক: fb.com/assilmbd1
টেলিগ্রাম:
t.me/assilmbd

As - Silm

07 Dec, 09:06


সাইয়েদ কুতুব ও ইনসাফবাদী রাজনীতি

উনিশ শো ঊনপঞ্চাশে সাইয়েদ কুতুব ইসলামে সামাজিক ন্যায়বিচার (Social Justice in Islam) শীর্ষক  ঐতিহাসিক রচনা প্রকাশ করেন। এতে কুতুব ইসলামের আলোকে জালেম বনাম মাজলুমের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন, কুতুব শ্রেণী সংগ্রাম ও সামাজিক ন্যায়বিচারের গুরুত্বের কথা বলেন। ‘ইসলাম ধর্ম ও রাষ্ট্রের মধ্যে পার্থক্য করে না।  ইসলাম কেবল বিশ্বাসসর্বস্ব ধর্ম নয়, ইসলাম একইসাথে সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলে।’

.

আরব বাম জাতীয়তাবাদীরা কুতুবের সামাজিক ন্যায়বিচার প্রস্তাবে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। মার্কসবাদী তাত্ত্বিক সামির আমিনের মতে এই বইটিই মুসলিম ব্রাদারহুডের একমাত্র অর্জন। জামাল আব্দুন নাসেরসহ ফ্রি অফিসার্স মুভমেন্টের (Free Officers Movement) সবাই কুতুবের বক্তব্যে উৎসাহিত হন। নাসেরদের ক্ষমতা দখলের পরে কুতুব রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হন। কিছুদিনের মধ্যে কুতুব ধরতে পারেন, ধর্মের বাইরে জালেম বনাম মাজলুমের লড়াইয়ের কোন মর্ম নাই।

..

বস্তুত সামাজিক ন্যায়বিচার প্রপঞ্চটি অত্যন্ত অস্পষ্ট। যার হাতে ক্ষমতা, যিনি আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করেন, জুলুম ও ইনসাফের সংজ্ঞাটা তিনিই ঠিক করেন, যদি ব্যক্তি বিশ্বাসের প্রতি একনিষ্ঠ না হয়, ধর্মের প্রতি তার বিশেষ প্রতিশ্রুতি না থাকে, তবে মাজলুমের বয়ান সবচেয়ে বড় জালেমে পরিণত হতে পারে। কুতুব নাসেরের সাথে দ্বিমত প্রকাশ করলেই তাকে পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়, কুতুব রাজপ্রাসাদ থেকে আত্মগোপনে চলে যান। কুতুব ন্যায়বিচার প্রকল্পের ব্যর্থতা ধরতে পারেন। দশ বছর পর সেই জামাল আব্দুস নাসের সাইয়েদ কুতুবকে ফাঁসিতে ঝুলান। জালেম-মজলুমের সহযোগীদের হাত রক্তে ভরে যায়।

শহীদ সাইয়েদ কুতুবের ফাঁসি জালেম মজলুমের ইনসাফবাদী বয়ানের ইতিহাসিক ব্যর্থতার সুস্পষ্ট দলিল।

ইদানীং, সাবেক ইসলামপন্থীদের অনেকে গুড সেকুলারদের প্ররোচনায় জালেম-মজলুম বয়ানে প্রলুব্ধ হচ্ছেন। তারা ধর্মীয় বাইনারির বাইরে গিয়ে ইনসাফের নতুন মিনিং খোঁজার চেষ্টা করছেন। আমরা তাদেরকে কুতুবের পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। পাশাপাশি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই সূরা নিসার একশো পয়ত্রিশতম আয়াত।

......

O believers! Stand firm for justice as witnesses for Allah even if it is against yourselves, your parents, or close relatives. Be they rich or poor, Allah is best to ensure their interests. So do not let your desires cause you to deviate ˹from justice˺. If you distort the testimony or refuse to give it, then ˹know that˺ Allah is certainly All-Aware of what you do.

সূরা নিসা, ১৩৫

সংগ্রহে : টিম আস সিলম

As - Silm

06 Dec, 06:22


আজ ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ দিবস।

১৫২৮ সালে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সেনাপতি মীর বাকি উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেন। এটি ছিল মোগল স্থাপত্যশৈলীর একটি অনন্য নিদর্শন এবং উপমহাদেশে ধর্মীয় সহাবস্থানের প্রতীক। হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অংশ দাবি করে আসছিল, এই মসজিদটি তাদের দেবতা রামের জন্মভূমির ওপর নির্মিত। এই দাবি ঘিরে প্রথম বিরোধ দেখা দেয় ১৭৫১ সালে মারাঠা শাসনের সময়ে। এরপর অযোধ্যার এই স্থানটি নিয়ে সংঘাত ও তর্ক-বিতর্ক দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে।

১৮৫৮ সালে সিপাহি বিদ্রোহের এক বছর পর নিহাং শিখরা বাবরি মসজিদে আক্রমণ চালায়। তারা সেখানে পূজা আয়োজন করে এবং মসজিদটির পবিত্রতা ক্ষুণ্ন করে। এই ঘটনার পর তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ১৮৮৫ সালে নির্মোহী আখড়া নামের একটি হিন্দু গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে মসজিদের বাইরের অংশে মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে ফয়জাবাদ আদালতে মামলা করা হয়। আদালত সে আবেদন খারিজ করে দেন এবং মসজিদের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।

স্বাধীনতার পর ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরে মসজিদের ভেতরে রামের মূর্তি “অলৌকিকভাবে” আবির্ভূত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। পরে জানা যায়, একদল উগ্র হিন্দু মূর্তিটি মসজিদের ভেতরে স্থাপন করে। এই ঘটনার পর ফয়জাবাদ আদালত মসজিদটিকে হিন্দু ও মুসলমান উভয়ের জন্য বন্ধ করে দেয় এবং স্থানটি সরকারি নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দেয়।

১৯৮৪ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। ১৯৮৬ সালে আদালত হিন্দুদের জন্য মসজিদের তালা খুলে দেয়, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করে। এ সময় বিজেপি আন্দোলনে যোগ দিয়ে এ ইস্যুতে ব্যাপক জনসমর্থন অর্জন করতে শুরু করে। বিজেপি নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানির নেতৃত্বে রাম রথযাত্রার মাধ্যমে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস এবং বিজেপির নেতৃত্বে দেড় লাখ করসেবক অযোধ্যায় সমবেত হয়। নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্যের পর উত্তেজিত জনতা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাবরি মসজিদটিকে সম্পূর্ণ শহীদ করে দেয়। এই ঘটনায় শুধু ভারতের মুসলিমদের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের মুসলিমদের হৃদয়ে গভীর ক্ষত তৈরি হয়।

মসজিদ ধ্বংসের পরপরই ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। মুম্বাইসহ বিভিন্ন জায়গায় মুসলিমবিরোধী সহিংসতায় হাজারো মানুষ প্রাণ হারায়।

মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় একাধিক মামলা দায়ের হয়। তবে ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামমন্দির নির্মাণের জন্য হস্তান্তর করে এবং মুসলমানদের জন্য অযোধ্যার অন্যত্র ৫ একর জমি বরাদ্দের নির্দেশ দেয়। আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়, বাবরি মসজিদ ভাঙা ছিল “আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন।”

২০২০ সালের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। দীর্ঘ নির্মাণকাজ শেষে ২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর কসাই মুদি এই মন্দিরের উদ্বোধন করে।

বাবরি মসজিদের ধ্বংস কেবল একটি স্থাপনার পতন ছিল না, এটি ছিল উপমহাদেশের বহুত্ববাদ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সহাবস্থানের মর্মমূলে এক গভীর আঘাত। অথচ কী আশ্চর্য আমাদের প্রিয় বাবরি মসজিদকে শহীদ করে দেয়া, হাতুড়ি শাবলের আঘাতে মুসলমানদের হৃদয়কে চুর্ণবিচূর্ণ করে দেয়া সেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা আজও আমাদের সংখ্যালঘু নির্যাতনের সবক শোনায়।

وَ اِذَا قِیۡلَ لَهُمۡ لَا تُفۡسِدُوۡا فِی الۡاَرۡضِ ۙ قَالُوۡۤا اِنَّمَا نَحۡنُ مُصۡلِحُوۡنَ
তাদেরকে যখন বলা হয়, ‘পৃথিবীতে ফসাদ সৃষ্টি করো না’, তারা বলে, ‘আমরাই তো শান্তি স্থাপনকারী’
{সূরা বাকারা ২: ১১}

- টিম আস সিলম

As - Silm

05 Dec, 15:58


"মানুষ তার শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের মাধ্যমে দক্ষতার যতই উন্নতর স্তরে উত্তীর্ণ হোক না কেন, সে কখনোই সকল প্রকার দুর্বলতা ও অক্ষমতাকে কাটিয়ে উঠতে পারে না।

তাই তার দ্বারা যদি কোনো মতবাদ রচিত হয়, তবে সেই মতবাদ অবশ্যই রচয়িতার মৌলিক দুর্বলতা, অক্ষমতাসহ ত্রুটিযুক্ত হয়েই গড়ে উঠবে এবং তার ত্রুটিগুলোকে ধারণ করবে।

এই জন্যই মানুষের তৈরি সমস্ত মতবাদ স্থান-কাল-পাত্র ও পরিবেশের তারতম্যভেদে অচল ও অযোগ্য হয়ে পড়ে।"

-ড. জিয়াউল হক
ব‌ই : ইসলাম সভ্যতার শেষ ঠিকানা
#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVision

As - Silm

02 Dec, 12:46


সুনানে দারেমিতে একটা হাদিস আছে। যেখানে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— কোনো ঘরে যদি কুরআন তিলাওয়াত না থাকে, তাহলে ঘরের প্রতিটি কদম সংকীর্ণ হয়ে আসে, কারাগারের মতো মনে হয় ঘরকে।

সেই ঘর থেকে ফেরেশতারা দূরে সরে যায়, শয়তান সেই ঘরে আস্তানা গাড়ে, প্রশান্তি কল্যাণ ও বারাকাহ বিদূরিত হয়ে যায় সেই ঘর থেকে।

পক্ষান্তরে যেই ঘরে নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত হয়, সেই ঘর প্রশস্ত মনে হয়, ফেরেশতাদের আনাগোনা থাকে, শয়তান সেই ঘরেত কাছে ভিড়ে না, সবকিছু বারাকাহপূর্ণ ও প্রশান্তিময় হয়।

সহিহ মুসলিমের অন্য একটা হাদিসে আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন— ‘তোমাদের ঘর সমূহকে কবরস্থানে পরিণত করো না। নিঃসন্দেহে শয়তান সেই ঘর হতে পলায়ন করে যে ঘরে সূরা বাক্বারাহ তেলাওয়াত করা হয়’।

আসুন, নিয়মিত একটু হলেও কুরআন তিলাওয়াত করি। আমরা আমাদের ঘরকে প্রশান্তিময় করে গড়ে তুলি।

এখন অনেকেই হয়তো বলবেন আমি কুরআন তিলাওয়াত করতে পারি না। তাদের জন্য কথা হলো শিখে নিন। আপনি আপনার রবের বাণীটা পড়তে পারেন না। এটা তো দুঃখজনক। শিখতে চেষ্টা করেননি। এটা তো লজ্জাজনক।

কিন্তু যারা শিখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে না। ভালো করে তিলাওয়াত করতে পারছেন না, কষ্ট হয়। তাদের জন্য আবার আলাদা সুসংবাদ আছে। এই ধরনের মানুষদের জন্য রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য একটা হাদিসে বলেছেন— যারা উত্তমরূপে কুরআন পড়বে তারা থাকবে অনুগত সম্মানিত ফিরিশতাদের সাথে। আর যে কুরআন পড়তে গিয়ে আটকে আটকে যায় এবং কষ্ট হয়, তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সকলকে কবুল করুন। আ-মী-ন।

লিখেছেন: রেদওয়ান রাওয়াহা

#AsSilm
#OurMovement
#Tazkiyah

As - Silm

28 Nov, 15:36


শেয়ারের জন্য হাই রেজুলেশন ফাইল

As - Silm

28 Nov, 15:35


প্রশ্ন: মাওলানা! অধিকাংশ লোকের ধারণা, জামায়াতে ইসলামী তার আদর্শ প্রচারের জন্য গণমুখী পদ্ধতিতে কাজ করছে না। আমাদের উচিত জনগণের ইচ্ছা ও প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করে এমন কর্মপন্থা অবলম্বন করা, যা যুগের সাথে খাপ খাবে এবং জনগণের মধ্যে আবেদন সৃষ্টি করবে।

জবাব : জামায়াতে ইসলামী তার প্রতিষ্ঠার দিন যে কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছিলো আমরা কখনো তা থেকে বিন্দুমাত্র সরে পড়ি নি। কারণ, এই কর্মপন্থা আমরা ইসলামের শিক্ষার আলোকে প্রণয়ন করেছি। আমাদের সম্মুখে ছিলো সেই মনযিল, ইসলামী বিধান অনুযায়ী যা একটি খাঁটি ইসলামী দলের মনযিল হওয়া উচিত। এ কাজের জন্য আমরা সেই পথই নির্বাচন করেছি যা কুরআন সুন্নাহর আলোকে একটি ইসলামী দলের পথ হওয়া উচিত।

আমাদের মতে, কুরআন সুন্নাহ নির্ধারিত যাবতীয় মূলনীতি সম্পূর্ণ অপরিবর্তনীয়। জনগণের ইচ্ছা ও দাবির প্রেক্ষিতে তা পরিবর্তন করা যায় না। জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ইসলামী আকাঙ্ক্ষায় রূপান্তরিত করাই তো হচ্ছে আমাদের কাজ। আমরা কখনো ইসলামকে পরিবেশ এবং জনগণের ইচ্ছানুযায়ী পরিবর্তন করবো না। এরূপ প্রস্তাবতো সেই সকল লোকেরাই করতে পারে যারা নিজেদের মধ্যে সমস্যা মোকাবিলার সাহস রাখে না। আমরা স্থায়ী এবং সুদৃঢ় পরিবর্তন চাই। আর এ জন্য স্থায়ী এবং সুদৃঢ় কর্মসূচিই কার্যকর হতে পারে।

সময়োপযোগী সস্তা শ্লোগান দিয়ে এবং বিভ্রান্তকারী কৃত্রিম বুলি আউড়িয়ে জনগণকে ভ্রান্ত পথে পরিচালিত করা যেতে পারে বটে, কিন্তু কোনো কল্যাণকর এবং গঠনমূলক কাজ করা যেতে পারে না। আমরাও যদি বিজয়ী হবার জন্য শয়তানী ধোঁকা-প্রতারণার পথ গ্রহণ করি, তবে আমার মতে কোনো কাজ না করে চুপ করে বসে থাকাটাই এর চাইতে অনেক ভালো হবে।'

-সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রহ.
(সাপ্তাহিক এশিয়া, লাহোর; ৭ নভেম্বর, ১৯৬২)
#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVision

As - Silm

28 Nov, 05:42


আজ ২৮ নভেম্বর, ফারায়েজি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হাজী শরীয়তুল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকী। ১৮৪০ সালে মাত্র ৫৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, অত্যাচারী জমিদার ও নীলকরদের শোষণের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন এক প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, এক অকুতোভয় নায়ক। বৃহত্তর ভারতীয় উপমহাদেশ, বিশেষ করে তৎকালীন পূর্ববঙ্গ ও আসামের নিপীড়িত জনগণের আত্মশক্তির বিকাশে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

ড. মুঈন উদ্দিন আহমদ খান তাঁর ‘হিস্ট্রি অব ফারায়েজি মুভমেন্ট ইন বেঙ্গল’ গ্রন্থে লিখেছেন, “ফারায়েজি আন্দোলন ছিল একদিকে ধর্মীয় কুসংস্কার ও উৎপীড়নমূলক ধর্মীয় রীতিনীতির বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলন, অন্যদিকে জমিদার-মহাজন ও নীলকরদের অত্যাচার থেকে দরিদ্র প্রজাদের রক্ষার সংগ্রাম।” এই আন্দোলন শুধু ধর্মীয় সংস্কার নয়, তা ছিল শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের অধিকার আদায়ের লড়াই।

সুপ্রকাশ রায় তাঁর ‘ভারতের কৃষক বিদ্রোহ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম’ বইয়ে উল্লেখ করেন, “হাজী শরীয়তুল্লাহর নেতৃত্বে মুসলিম কৃষকদের যে অভূতপূর্ব সংঘবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, তা জমিদারদের আতঙ্কিত করে তোলে। মুসলিম ধর্মের গোঁড়া সমর্থকরাও তাঁর প্রতি বিরাগভাজন হন। এই আন্দোলন কেবল মুসলমানদেরই নয়, স্থানীয় হিন্দু কৃষকদেরও সংগ্রামে শামিল করতে সক্ষম হয়েছিল এবং আংশিক হিন্দু-মুসলিম ঐক্যও প্রতিষ্ঠা করেছিল।”

ড. মুহাম্মদ ইনাম-উল-হক তাঁর ‘ভারতের মুসলমান ও স্বাধীনতা আন্দোলন’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন, হাজী শরীয়তুল্লাহর কবরটি আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বর্তমানে তাঁর কবরের নামফলকটি ঢাকার এশিয়াটিক সোসাইটি ভবনে সংরক্ষিত আছে।

ফারায়েজি আন্দোলন শুধু ধর্মীয় সংস্কার ছিল না; ছিলো ক্ষুধা, দারিদ্র্য, জুলুম ও শোষণের বিরুদ্ধে মজলুমের সংগ্রাম। সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ ও তাদের দেশীয় এজেন্টদের বিরুদ্ধে এটি ছিল এক দৃঢ় প্রতিরোধ। আজ যেসব বাম ‍বুদ্ধিজীবী রঠাপ্রেমীরা প্রচার করে বেড়ায় ধর্মের কোনো প্রগতিশীল,সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ও মানব মুক্তির লক্ষ্য সূচক কোন ভূমিকা নেই তারা কি ফরায়েজী আন্দোলন কিংবা তিতুমীরের তরীকায়ে মোহাম্মদীয়া আন্দোলনের ইতিহাস কখনোই পাঠ করেনি?

বাংলা একাডেমিতে রঠা সৈনিক মুহাজির কুদরাত এ খোদার জন্ম-মৃত্যু দিবস ঘটা করে পালন হলেও হাজী শরীয়তউল্লাহর ব্যাপারে একটি শব্দও কখনো উচ্চারিত হয়না কেন?

-টিম আসসিল্ম

As - Silm

20 Nov, 10:53


শেয়ারের জন্য হাই রেজুলেশন ফাইল

As - Silm

20 Nov, 10:49


❝ফ্রি মিক্সিং, মিউজিক ইত্যাদি জায়েয হ‌ওয়াকে আপনি স্রেফ ভিন্নমত হিসেবে দেখেন আর আমি এগুলোকে বিপথগমিতার, বিচ্যুতির প্রথম পদক্ষেপ বলে মনে করি।❞

-রেদওয়ান রাওয়াহা
#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVision

As - Silm

19 Nov, 12:54


"দাওয়াত দিতে হবে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে। তা ব্যক্তিগত দাওয়াতের মতো বিপ্লবীদের জমা করতে সহায়ক না হলেও জনমত গঠনে খুবই কার্যকর। কোনো আদর্শিক বিপ্লব সংগঠিত করার জন্য বেশিসংখ্যক লোকের প্রয়োজন নেই।
তবে সংগঠিত বিপ্লবের সংহতির জন্য, স্থায়িত্বের জন্য, সহযোগিতার জন্য, অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর সমর্থন প্রয়োজন। দাঈদের বেশির ভাগ জনগোষ্ঠীর নিকট পৌঁছার সকল উপায় ও উপকরণ কাজে লাগাতে হবে। মানবের বিভিন্ন শ্রেণি, আত্মীয়, শ্রমিক, চাষি, আলেম, শিক্ষক ইত্যাদির মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণির সমাবেশ করে উপযোগী বক্তব্য দান, বিবিধ সময়ে জন্ম-মৃত্যুতে বিয়ে শাদিতে, ঈদ-পর্বে, রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে দাঈদের যোগদান ও সামাজিকতা রক্ষা করাই দাওয়াত।"

বইঃ দাওয়াতে দ্বীন
লেখকঃ অধ্যাপক মফিজুর রহমান


#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVision

As - Silm

15 Nov, 10:57


শেয়ারের জন্য হাই রেজুলেশন ফাইল

As - Silm

15 Nov, 10:56


"ইসলামী রাষ্ট্রের মূল কথা হলো এই বিশ্ব সাম্রাজ্য আল্লাহর। এখানে কোনো ব্যক্তি, জাতি, গোষ্ঠী কিংবা গোটা মানবজাতিরও সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো অধিকার নেই।"

-সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ

#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVision

As - Silm

14 Nov, 13:08


ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের চিন্তায় ইসলামী রাষ্ট্র নাকি নাকি কল্যাণরাষ্ট্র ?

গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি জানতে মাসিক ছাত্র সংবাদের প্রকাশিত প্রবন্ধটি পড়ুন।

#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVission

As - Silm

09 Nov, 04:23


মুসলিম কবি ও বিশ্ব দার্শনিক আল্লামা ইকবালের জন্ম ১৮৭৭ সালের ৯ নভেম্বর। তিনি শুধু অবিভক্ত ভারতবর্ষের কবি নন বরং বিশ্বকবি হিসেবে সমাদৃত ভারত ,পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাহিত্যে অঙ্গনে। পাকিস্তানের জাতীয় কবি ও আধ্যাত্মিক জনক হিসেবেও পরিচিত তিনি।

ইকবাল চর্চা হয় পশ্চিমা বিশ্বেও। একবার তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, পশ্চিমা দর্শন আপনাকে টানতে পারেনি কেন? ইকবালের জবাব, ‘মদীনার ধুলি আমার চোখের সুরমা হয়ে আছে তাই পশ্চিম আমাকে প্রতারিত করতে পারেনি।’

#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVission

As - Silm

08 Nov, 04:02


"প্রত্যেক মানুষের মধ্যে যে স্বাভাবিক স্বার্থপরতা রয়েছে, তা থেকেই পুঁজিবাদের জন্ম। এর পরিপূর্ণ রূপটি এমন এক মারাত্মক পর্যায়ে উপনীত হয়—যা মানব সমাজের কল্যাণ ও উন্নতির জন্য অপরিহার্য গুণাবলিকে স্থিমিত ও নিষ্প্রভ করে দেয়। ... এই ধরনের অর্থ ব্যবস্থা একদিকে সুদখোর মহাজন, কারখানার মালিক ও অত্যাচারী জমিদার শ্রেণীর উদ্ভব ঘটায় , অন্যদিকে সৃষ্টি করে ঋণভারে জর্জরিত ও অধিকার বঞ্চিত শ্রমিক-মজুর-কৃষকদের সর্বহারা শ্রেণী।"

~সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রহ.
ব‌ই : সুদ ও আধুনিক ব্যাংকিং

As - Silm

03 Nov, 11:53


শেয়ারের জন্য হাই রেজুলেশন ফাইল

As - Silm

03 Nov, 11:52


"জাহেলিয়াত মানে হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া হিদায়তকে অপছন্দ ও অগ্রাহ্য করা, আল্লাহর বিধান মানতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা।"

ড. মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম
ব‌ই : ইসলাম ও অন্যান্য মতবাদ
#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVission

As - Silm

02 Nov, 13:26


“সব নারীই কর্মজীবী”

ইতিহাস জুড়ে নারীর অবদান— তা ঘরের ভেতরে হোক বা সমাজে— অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারপর এলো শিল্প বিপ্লব। শিল্প বিপ্লবের সময় বৃহৎ আকারে উৎপাদনের জন্য নতুন নতুন কলকারখানা তৈরি হলো। এসব কারখানায় প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন ছিল, যা শুধু পুরুষদের দ্বারা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে, নারীদেরও এসব কারখানা ও উৎপাদন কার্যক্রমে কাজ করার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হলো।

পুরুষদের মতো নারীদের শ্রম মূল্য বেশি ছিলো না। অল্প বেতনে অধিক শ্রম নারীদের থেকে নেওয়া যেত। নারীদের এভাবে কর্মক্ষেত্রে আসা পুঁজিবাদী অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করে তোলে। সুশোভিত ও বিকশিত করে তোলে।

কারণ, ওই যে বলেছিলাম তারা সস্তা-শ্রমে কাজ করতে শুরু করেন। এই সময়ে “কর্মজীবী নারী” ধারণাটিকে পুঁজিবাদীরা জনপ্রিয় করে তোলে।

পূর্বে নারীরা প্রধানত ঘরের কাজে সীমাবদ্ধ থাকলেও শিল্প বিপ্লবের পর তাদেরকে ঘরের বাইরে গিয়ে কাজ করার দিকে উৎসাহিত করা হয়।

এর ফলে, সমাজে নারীদের জন্য নতুন ভূমিকা ও চিত্র তৈরি হয়। যেসব নারী ঘরের বাইরে কাজ করতেন, তাদের “কর্মজীবী”
হিসেবে গৌরবজনকভাবে ট্রিট করা হতো, আর যারা ঘরের অভ্যন্তরে থাকতেন ও কাজ করতেন, তাদেরকে অনেক ক্ষেত্রে কম গুরুত্বপূর্ণ বা অকেজো মনে করা হতো।

যারা বা যেসব নারী ঘরোয়া দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে যোগ দেন, এমন নারীদের ক্ষেত্রে “কর্মজীবী নারী” শব্দটিকে এতোটাই গৌরবান্বিত করা হলো যে, যারা বাইরে গিয়ে কাজ করেন না, তাদেরকে রীতিমতো হীনমন্যতার মধ্যে ফেলে দেওয়া হলো।

অথচ এটা যে টোটাল নারী সত্ত্বাকে অপমান করা হলো, তা কেউই বুঝলো না। কেউ কিছু বললোও না।

আমাদের প্রশ্ন হলো, যারা ঘরের বাইরে গিয়ে অন্যের বা বসের মনোরঞ্জন করেন না, সস্তায় শ্রম বিক্রি করেন না, সে সমস্ত নারী কী? “অকর্মজীবী নারী”? তাহলে এই নারীরা বাড়িতে কী করেন— কাজ না করে কেবলই আরাম করেন?

এই যে শ্রমিক হিসেবে বাইরে গিয়ে বা অফিস আদালতে শ্রম দেওয়া নারীদেরকে আকর্ষণীয়, উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে, এবং যারা ঘরে থেকে তাদের সন্তানদের লালনপালন করার দিকে মনোযোগ প্রদান করেন, মানবসভ্যতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট— পরিবার— এর রক্ষাকবচের ভূমিকা পালন করেন, তাদের হীন ও অপমান করা করা হয়েছে— এই অন্যায়, অপমান ও বিভাজন থেকে কার লাভ আর কার ক্ষতি হয়েছে?

লাভ হয়েছে পুঁজিবাদী শোষকদের। ক্ষতি হয়েছে মানবসভ্যতার— বিশেষত নারীদেরই।

মূলত শিল্প বিপ্লবের আগ পর্যন্ত আমাদের সমাজে— “কর্মজীবী নারী” ও “অকর্মজীবী নারী”— এমন কোনো বিভাজনই ছিলো না। আমাদের সব নারীই কর্মজীবী ছিলেন।

আমাদের উচিত তাদের বিরুদ্ধে কণ্ঠকে উচ্চকিত করা— যারা গৃহিণীদের কাজকে অগুরুত্বপূর্ণ কিংবা কম অগুরুত্বপূর্ণ মনে করায়।

আসলে আমাদের সমাজে এমন কোনো নারীকে আমরা চিনি না, যিনি কাজ করেন না। আমাদের সোসাইটিতে সব নারীই কর্মজীবী। কখনো কখনো নারীরা পুরুষদের চেয়েও বেশি কাজ করেন— কথিত কর্মজীবী না হয়েও।

~লিখেছেন: রেদওয়ান রাওয়াহা
#AsSilm

As - Silm

02 Nov, 03:16


আমাদের স্বাতন্ত্র্যিকতা কোথায়?


বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রচলিত ধারার কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন নয়। এই সংগঠনটিকে ছাত্রদল কিংবা অন্য কোন ছাত্রসংগঠনের মত মনে করার সুযোগ নেই। ছাত্রদল টাইপের অন্যান্য সংগঠনসমূহের স্থায়ী কোন নীতি-আদর্শ নেই, পরকালীন কোন চিন্তার বাধ্যবাধকতা নেই, মানবচিন্তার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এদের সংবিধান, কর্মপদ্ধতি কিংবা পলিসি।

অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবির তার নামের মাঝেই ইসলামকে ধারণ করে জানিয়ে দিচ্ছে এই দলের মূলনীতি উৎসারিত হবে ইসলাম থেকে। এই দলের নেতৃত্ব কাঠামো অন্য দলের মত নয়, এই দলের কর্মীবাহিনী অন্যান্য দলের মত নয়। এই দলের সংবিধান কিংবা কর্মপদ্ধতিকে শুধুমাত্র দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করলে পিএইচডি ধারীরাও নির্বোধের মত প্রশ্ন করতে থাকবে। এই দলের কর্মসূচি ও কর্মতৎপরতার মাঝে নেই প্রদর্শনেচ্ছা কিংবা চাকচিক্যের মাধ্যমে লোক জড় করার কৌশল। এ সকল কিছু খালেসভাবে আল্লাহ্‌র দিকে সোপর্দ হয়ে আছে।

এই সংগঠনের নীতি ও আদর্শ নির্দিষ্ট হয়েছে রাসূল (সা) এর জীবন পরিচালনা পদ্ধতি থেকে। এই সংগঠন মানুষের বাহ্যিক বেশ-ভূষা, মোয়ামেলাত কিংবা প্রচলিত ধারার আউটলুকের পরিবর্তনের চাইতে ভেতরগত, চিন্তাগত এবং আদর্শগত পরিবর্তনকে অধিক ফোকাস করে কাজ করে। মানুষকে আল্লাহ্‌র সার্বভৌমত্ব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাকে এক আল্লাহ্‌র প্রতিটি বিধান মেনে নেওয়ার মত আত্মসমর্পনকারী চিন্তার অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা চালায়। ফলে একজন ছাত্র যখন আল্লাহকে একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে মেনে নেয়, দুনিয়া পরিচালনার প্রচলিত সকল মত, পথ, পদ্ধতিকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে আল্লাহ্‌র আইন বাস্তবায়নের জন্য একমত হয়ে যায়, তখন অটোমেটিক্যালি তার বাহ্যিক পরিবর্তনের সূচনা ঘটে। তখন তার মাঝে থাকে না কোনো লোভ, থাকে না দুনিয়াপ্রাপ্তির কোনো প্রত্যাশা, শুধুই পরকালীন কল্যাণকে সে সফলতার মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে। আর তাই সে হয় নৈতিকতাসমৃদ্ধ, উত্তম মোয়ামেলাতের অধিকারী, বিপ্লবী ও সাহসী চিন্তার মিশেলে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় মগ্ন এক উদ্যমী ইনসান। আর এটাই আমাদের স্বাতন্ত্রিকতা।

মানুষ হিসেবে অন্যান্য সংগঠনের চাকচিক্য সবাইকে প্রলুব্ধ করবে— এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীল ও কর্মীদেরকে এই আকর্ষণ থেকে প্রভাবমুক্ত হয়ে পলিসি নির্ধারণ করতে হবে। সাময়িক কোনো লক্ষ্য হাসিলের চিন্তা যেন তাদেরকে কোনভাবেই বিভ্রান্ত না করে। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সজাগ, সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, আল্লাহ্‌র সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার চিন্তা এবং রাসূল সা.- এর জীবনাচরণ অনুসরণই আমাদেরকে স্বাতন্ত্রিকতা দান করেছে। এটাই যদি অন্যদের কর্মসূচির প্রভাবে বাধাগ্রস্থ হয় বা আমাদের চিন্তাকে গতানুগতিক ধারার দিকে ধাবিত করে অথবা আমাদের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের প্রত্যাশাকে আটকে দেয়, তাহলে অন্যদের সাথে আমাদের পার্থক্য থাকলো কোথায়? কোথায় থাকলো আমাদের স্বাতন্ত্রিকতা?

লিখেছেন: আব্দুল্লাহ আবিদ
দাওয়াহ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির


#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVission

As - Silm

01 Nov, 08:27


এলজিটিভির বিরোধিতা কিন্তু ইসলামিক গ্রাউন্ড ছাড়া অন্য অনেক গ্রাউন্ড থেকে করা যায়। মেডিক্যাল, ফিলোসফিকাল, সোশ্যাল, কালচারাল, মোরাল অনেক গ্রাউন্ড আছে। অ্যামেরিকান কনসারভেটিভরা অনেকেই এ ধরণের আর্গুমেন্ট ব্যবহার করছে।

কিন্তু দেশীয় কোনো সেকুলিবকে আজ পর্যন্ত দেখলাম না এলজিটিভির শক্তভাবে বিরোধিতা করছে।

বুঝলাম ইসলামের কথা বললে জাত যাবে কিন্তু অন্য গ্রাউন্ড থেকেও কেন বিরোধিতা করে না যেখানে কনসার্নগুলো লেজিট?

এটা থেকে আপনি বুঝতে পারবেন দুইটা জিনিস। এরা প্রচণ্ড ভীতু, কনটেনশাস ইস্যুতে এরা ইসলামের পক্ষে থাকতে পারে না জাত যাওয়ার ভয়ে।

এবং দুই, এরা প্রচণ্ড ডগম্যাটিক, লিবারেল বাক্সের বাইরে ভাবতে পারে না।

যারা এসবের বিপক্ষে তাদের মধ্যে সবচে 'বুদ্ধিমান' সেকুলিবটা এই বিষয়ে চুপ করে থাকে।

সত্যের প্রতি এদের কোনো কমিটমেন্ট নাই, এদের কমিটমেন্ট বুকের মধ্যে ইসলামের প্রতি অ্যালার্জি পুষে স্ট্যাটাস কৌ ধরে রাখা।

~গোলাম মোহাম্মদ

As - Silm

31 Oct, 13:07


"ধর্মনিরপেক্ষতা কেবল কিছু খারাপই নয়া এটি সত্য-বিধ্বংসী ইবলিসি কালকূট। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা। ধর্মনিরপেক্ষতাকে সামান্যতম ছাড় দেওয়াটাও একজন ঈমানদার মুসলিমের পক্ষে অসম্ভব। নিশ্চয়ই কোনো মুসলিম ধর্মনিরপেক্ষ নয়, আর যে ধর্মনিরপেক্ষ, সে মুসলিম নয়। খোদাদ্রোহী। কেননা, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন একমাত্র সত্য, পূর্ণাঙ্গ মনোনীত দ্বীন হিসেবে ইসলামকে গ্রহণ ও প্রসার করার ঘোষণা দেওয়ার পর আর কোনো মানব রচিত দ্বীন, ধর্ম, বিভিন্ন ধর্মের সহযোগে ককটেল বা সত্য-মিথ্যার, হক-বাতিলের, নূর-জুলুমের সহাবস্থানরূপী ব্যবস্থা স্বরূপ ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পূর্ণ গোমরাহি ও ইবলিসি কারবার। দ্বীন বা জীবনব্যবস্থা তথা ইসলামের প্রশ্নে কোনো আপস, ছাড় নেই। মিথ্যার সাথে সহাবস্থান নেই, দ্বীনকে ব্যক্তিগত জীবনে আবদ্ধ রাখার বিষয়ও নেই। সমগ্র জীবনে দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য, সাধনা ও সংগ্রামই কেবল গ্রহণযোগ্য।"

-ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী

#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVission

As - Silm

29 Oct, 16:52


আধুনিক যুগ উম্মাহর জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা এসেছে যুবসমাজের জন্য।

একদিকে শয়তানের পক্ষ থেকে আসা মন্দের চ্যালেঞ্জ, যার মধ্যে রয়েছে পাশ্চাত্যের বস্তুবাদি ও নাস্তিক্যবাদী দর্শনের প্রভাবে চিন্তার ভ্রান্তি, লোভ-লালসা, স্বার্থান্ধতা, স্বেচ্ছাচারিতা; অপরদিকে বিশ্বমানবতার কল্যাণের জন্য যুবসমাজের দিকে ধ্বনিত হ‌ওয়া আহ্বান এই পথভ্রষ্টতার মোকাবিলায় মানবজাতিকে সঠিক পথের দিশা দেওয়ার, মানবতার ধ্বংস থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গতিপথ পরিবর্তন করে কল্যাণের দিকে ধাবিত করার ও আদম সন্তানদেরকে ধ্বংসের নিম্নস্তরে নিক্ষিপ্ত হ‌ওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার মতো বিরাট চ্যালেঞ্জ।

এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুবকদের করণীয় কী ? কোন আদর্শকে সামনে রেখে এই চ্যালেঞ্জর মোকাবেলা করতে হবে ? রসদ সংগ্রহ করবে কোথা থেকে ? বিপ্লবের পদ্ধতিই বা হবে কী ? এসব প্রশ্নের অত্যন্ত সাবলিল জবাব দেওয়া হয়েছে ছোট্ট এই পুস্তিকাটিতে। মাওলানা ম‌ওদূদী রহ. তাঁর ক্ষুরধার চিন্তার পরিস্ফুটন ঘটিয়েছেন এই বক্তব্যে। সাফল্যের পথ বাতলে দিয়েছেন হযরত ইউসুফ (আ.), প্রিয়নবি হযরত মুহাম্মদ (স.) ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের অনুস্রিত পথ ধরে।

মাত্র দুটো কর্মসূচিকে সাফল্যের সোপান হিসেবে উপস্থাপন করেছেন এখানে। কী সেই সফলতার মন্ত্র ? সমাজ বিপ্লবের কর্মধারা ? আসুন জেনে নিই ছোট্ট এই পুস্তিকাটি থেকে। পু্স্তিকাটি ১৯৭৫ সালের ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জমিয়তে তালাবা পাকিস্তানের বার্ষিক সম্মেলনে প্রদত্ত মাওলানা ম‌ওদূদী রহ. এর ভাষণ।

ব‌ই : আধুনিক যুগের চ্যালেঞ্জ ও যুবসমাজ
রিভিউ : মাসুম বিল্লাহ বিন নূর

As - Silm

26 Oct, 12:23


শেয়ারের জন্য হাই রেজুলেশন ফাইল

As - Silm

26 Oct, 12:22


"ইসলাম কাউকে এ অনুমতি দেয় না যে, সে ধর্ম ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে হবে একজন মুসলমান, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে হবে একজন সমাজতন্ত্রী বা কমিউনিস্ট, রাজনৈতিক ব্যাপারে হবে একজন ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী গণতন্ত্রী এবং নৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে হবে একজন ভোগবাদী।"

অধ্যাপক গোলাম আযম রহ.
ব‌ই : আধুনিক পরিবেশে ইসলাম
#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVission

As - Silm

25 Oct, 05:16


শেয়ারের জন্য হাই রেজুলেশন ফাইল

As - Silm

25 Oct, 05:16


“চোখ ধাঁধানো পশ্চিমা বিশ্ব আমাকে মোটেও মুগ্ধ করেনি, যতটা মদীনার ধুলোবালি করেছে”

-আল্লামা ইকবাল
#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVission

As - Silm

24 Oct, 05:45


ইসলামের পরিচয় : পর্ব ০৪
---------------------------------------

ইসলাম সুব্যবস্থিত একটি মতাদর্শ (Islam is a systematic ideology):

মতাদর্শ হিসেবে ইসলামে রয়েছে একটি সিস্টেম যা অত্যন্ত সুসংঘবদ্ধ, পদ্ধতিসম্মত, বিধিবদ্ধ ও প্রণালিবদ্ধ। ইসলামের প্রতিটি নীতি ও পদ্ধতি অত্যন্ত সুব্যবস্থিত (system oriented)। ইসলামের নির্দেশিত সমস্ত কর্ম সম্পাদন করতে হয় সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল সিস্টেমের ভিত্তিতে। এক্ষেত্রে খামখেয়ালির কোনো অবকাশ নেই।

ইসলাম দুনিয়ার জমিনে এসেছে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য। আল্লাহর নবি মুহাম্মাদ (সা.) তদানীন্তন আরবের করুণ, বিশৃঙ্খল, উচ্ছৃঙ্খল, জাহেলি ব্যবস্থার মূলোৎপাটন করে আল্লাহ প্রদত্ত ওহির জ্ঞানের ভিত্তিতে সেখানে একটি আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করেন।

সিস্টেম (System) কোনো ব্যবস্থার সামগ্রিক পর্যালোচনা। সামগ্রিক বা অখণ্ডরূপে কোনো বিষয়ের পর্যালোচনা বা বিশ্লেষণই সিস্টেমের উদ্দেশ্যে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো ব্যক্তির নাক, কান বা মুখের বর্ণনা ও পর্যালোচনা তখনই সম্পূর্ণ হবে, যখন তা সমগ্র দেহের প্রেক্ষিতে সম্পন্ন হবে। এক্ষেত্রে মানবদেহ হচ্ছে একটি সিস্টেম। বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী আনাতোল র‍্যাপোর্ট (Anatol Raport) সিস্টেমের একটি সুন্দর সংজ্ঞা দিয়েছেন। তাঁর মতে- 'সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সামগ্রিক ব্যবস্থা, যা তার বিভিন্ন অংশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতার ওপর ভিত্তি করে কার্যকর থাকে।' (A whole which functions as a whole by virtue of inter- dependence of its parts is called a system.) যেমন: মোটরগাড়ি একটি সিস্টেমের অধীনে কর্মরত। সিস্টেম তাই সব সময়ই অত্যন্ত সুসংহত ও সুশৃঙ্খল। একটি বৃহৎ সিস্টেমের মধ্যে অনেক উপসিস্টেম থাকতে পারে। তাদেরকে পৃথক করে বিবেচেনা করা যায়; ইসলাম এমনই একটি সিস্টেম।

ইসলামের পর্যালোচনা অখণ্ড ও সামগ্রিক। ইসলাম মানবজীবনকে খণ্ড খণ্ড করে বিবেচনা না করে একটা ইউনিটি (Unity) হিসেবে বিবেচনা করে।

ড. মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম
ব‌ই : ইসলাম ও অন্যান্য মতবাদ

#AsSilm
#OurMovement
#OurMission
#OurVission

As - Silm

21 Oct, 08:10


শেয়ারের জন্য হাই রেজুলেশন ফাইল

As - Silm

21 Oct, 08:09


আমরা জীবনের ক্ষুদ্র কাজেও বাতিলের প্রভাব বরদাশত করবো না।

~ সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রহ.

#OurMovement
#OurMission
#OurVision
#AsSilm

As - Silm

17 Oct, 09:21


শেয়ারের জন্য হাই রেজুলেশন ফাইল।

As - Silm

17 Oct, 09:20


আল্লাহর আইন কায়েমের আন্দোলনকে এমন এক ব্যবসা বলা হয়েছে, যা জাহান্নামের আজাব থেকে নাজাত দেয়।

~অধ্যাপক গোলাম আজম রহ.
#Our_Movement
#Our_Mission
#Our_Vision
#As_Silm

As - Silm

16 Oct, 11:10


ইসলামের পরিচয় : পর্ব ০৩
--------------------------------------
ইসলাম একমাত্র ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থা (Islam is the balanced code of life):
ইসলামের প্রদর্শিত পথ সহজ ও সরল, ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত। ইসলাম মানুষের জীবনে তাৎপর্যপূর্ণ ভারসাম্য স্থাপনে সক্ষম। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি ভারসাম্যপূর্ণ ও সমন্বিত। এখানে সবার যুক্তিসংগত দাবিই স্বীকৃত। বাড়াবাড়ি নয়; পরিমিতিই ইসলামের বৈশিষ্ট্য। কাজেই ইসলামের অধীনে মানুষের জীবন হবে ভারসাম্যপূর্ণ ও সমন্বিত। সবার প্রয়োজন হবে পূরণ। কোনো প্রবণতা ও চাহিদাকেই এখানে অস্বীকার করা হবে না।

উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য ভারসাম্য অতীব প্রয়োজন। তাই ইসলামের অধীনেই উন্নতি, অগ্রগতি ও বিকাশ যথার্থভাবে সম্ভব। দুনিয়ার অপর কোনো মতাদর্শ ইসলামের মতো ভারসাম্য স্থাপন করতে পারেনি। কেউ হয়তো দুনিয়া নিয়ে আছে, আর কারও কারবার শুধু আধ্যাত্মিক জগতে। বৌদ্ধ ধর্ম মতে, জীবহত্যা মহাপাপ। এজন্য জীবহত্যা না করার নীতিতে অটল থেকে নিরামিষ খেয়ে মঠের মধ্যে ধ্যানরত থেকে আত্মার বিশুদ্ধকরণই মুক্তির পথ। খ্রিষ্টান ধর্ম মতে, জীবনে কঠোর সংযমব্রত পালন করে চিরকুমার বা চিরকুমারী অবস্থায় গির্জায় থেকে আত্মোন্নতির সাধনাই কাম্য, আর হিন্দু ধর্ম মতে, সংসারত্যাগী বৈরাগী হয়ে নির্জনবাসে মালা জপতে জপতে ব্যক্তিসত্তার উন্নতির প্রয়াসই করণীয়। এসব ধর্মের বাস্তব জীবনে কোনো কিছুই করণীয় নেই। বস্তু ও বাস্তব জীবনকে তারা কোনো গুরুত্বই দেয়নি। অন্যদিকে মার্কসবাদী নাস্তিকতায় পেটকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে আত্মার খোরাককে করা হয়েছে অস্বীকার। এ এক বিরাট ভারসাম্যহীনতা।

ইসলাম জীবনের সবদিকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। জীবনের বিভিন্ন দিক ও বিভাগে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিধিবিধান জারি করেছে। তাই ইসলামই একমাত্র ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রের জন্য যে মূলনীতি উপস্থাপন করেছে, একমাত্র তার আলোকেই ব্যক্তিতে-ব্যক্তিতে, জাতিতে-জাতিতে, সম্প্রদায়ে-সম্প্রদায়ে সুষ্ঠু ও ভারসাম্যপূর্ণ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

ড. মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম
ব‌ই : ইসলাম ও অন্যান্য মতবাদ

As - Silm

12 Oct, 08:43


কী সেখানে?

যার পূজা সে নিজেই করুক
তোমার আমার
কী সেখানে?
সুযোগ পেলেই ঢালছে তারা
গরম তেলে
ঘি সেখানে—
কী সেখানে?
কী সেখানে?

দাওয়াত পেয়ে যাও যতই
'সম্প্রীতি গান' গাও যতই—
তোমার কথা, তোমার সুরে
বলবে না কেউ
জি, সেখানে—
কী সেখানে?
কী সেখানে?

কোথায় যাবে, কোথায় গাবে
এ কথা তো
জানতে হবে—
শির্‌ক্‌কারী নয় বন্ধু তোমার—
এ মূলনীতি
মানতে হবে!

তাওহীদী রঙ যেই হারালে
পিছলে চরণ খেই হারালে—
ভালোবাসার বদলে আজ
পেলে কেবল
ছি, সেখানে—
কী সেখানে?
কী সেখানে?

~লিখেছেন: বিলাল হোসাইন নূরী
কবি ও শিশু সাহিত্যিক

১২.১০.২৪

As - Silm

06 Oct, 11:26


ইসলামের পরিচয় : পর্ব ০২
-----------------------------------------
ইসলাম একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান (Islam is the only complete code of life):

ইসলাম একমাত্র অনুপম পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। ইসলামের উপস্থাপিত বক্তব্য জীবনের সর্বক্ষেত্রে পরিব্যাপ্ত। ইসলাম মানবজীবনের সকল দিক ও বিভাগকে (All aspects of life) সুনিয়ন্ত্রিত করে সমাজে স্থায়ী সুখ, শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠাকারী একটি মতাদর্শ। তাই এর ব্যাপ্তি জীবনের সর্বক্ষেত্রে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের সব ক্ষেত্রেই ইসলামের নিয়ন্ত্রণাধিকার। তাই ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারি, দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বাঙ্গীণ ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবনব্যবস্থা। জীবনের সব দিকের গুরুত্ব মেনে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি জীবনব্যবস্থা ইসলাম ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যাবে না।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সূরা আলে ইমরানের ১৯ নম্বর আয়াতে বলেন- 'ইন্নাদদ্বীনা ইন্দাল্লাহিল ইসলাম'। অর্থাৎ "ইসলামই আল্লাহর মনোনীত একমাত্র জীবনাদর্শ।"

একই সূরার অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন- 'ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো জীবনাদর্শ যারা অনুসরণ করে, আল্লাহ কখনো তা গ্রহণ করেন না।'
(সূরা আলে ইমরান : ৮৫)

ইসলামী জীবনাদর্শকে পূর্ণাঙ্গ করে দিয়ে আরাফাতের ময়দানে অবতীর্ণ কুরআনের আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেন- 'আজ আমি তোমাদের জন্য দ্বীনকে পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ (কামেল) করলাম। তোমাদের ওপর আমার যাবতীয় নিয়ামত সম্পন্ন করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য একমাত্র দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।' (সূরা আল মায়েদা: ৩)

কুরআনের ঘোষণা অনুসারে ইসলাম অনাগত যেকোনো সময়ের জন্যই পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। এ থেকে বোঝা যায় যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইসলামকে মানবতার জন্য নেয়ামত হিসেবে পাঠিয়েছেন- যাতে মানুষের জীবনের সব সমস্যার সমাধান রয়েছে। মহান স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথে মানুষের সম্পর্ক শুধু উপাসনার নয়; উপাসনা, স্তবস্তুতির পর মানুষ আল্লাহ-নিরপেক্ষ জীবনযাপন করতে পারে না।

মানুষের গোটা জীবনই আল্লাহর নির্দেশের অধীন। ইসলামে আল্লাহ শুধু স্তবস্তুতি ও উপাসনার নির্দেশ দিয়েই ক্ষান্ত হননি; বরং মানবজীবনের যাবতীয় দিক ও বিভাগ সম্পর্কে বিধিনিষেধ অবতীর্ণ করেছেন। ইসলাম সর্বব্যাপক এবং এর ব্যবস্থাগুলো পরস্পর সংগতিপূর্ণ।

-ড. মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম
ব‌‌ই : ইসলাম ও অন্যান্য মতবাদ


যুক্ত হোন আস সিলমের ফেইসবুক পেইজে

As - Silm

04 Oct, 10:53


ইসলামের পরিচয় : পর্ব ০১
---------------------------------------
ইসলাম একটি জীবনদর্শন, জীবনবিধান ও জীবনব্যবস্থা (Islam is the life philosophy, ideology and way of life): ইসলাম হচ্ছে একটি জীবনব্যবস্থার নাম। এটি একটি সঠিক মতাদর্শ। সঠিক জীবনব্যবস্থা মানুষের বস্তুগত জীবন ও আধ্যাত্মিক জীবনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। ইসলাম এ দুটো দিকের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছে। সব সংঘাত ও সংঘর্ষের চিরন্তন ও মহাসমন্বয় হচ্ছে ইসলাম।

জীবনাদর্শ, জীবনব্যবস্থা ও জীবনবিধান হিসেবে ইসলামে রয়েছে সব সমস্যার সঠিক সমাধান। রয়েছে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি সমস্যার সমাধান আর মৃত্যুর পর আখিরাতের অনন্ত জীবনে নিশ্চিত সুখ-শান্তি লাভের উপায়। ইসলাম মানুষের চলার পথের সন্ধানদাতা, উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধশালী জীবন এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন তথা মানবজীবনের চরম লক্ষ্য হাসিলের একমাত্র পন্থা।

ব‌ই : ইসলাম ও অন্যান্য মতবাদ
লেখক : ড. মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম

As - Silm

03 Oct, 06:48


ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা ধর্মকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়।

কেন জানেন?
কারণ, কোনো ধর্মই মিথ্যা বলা বৈধ মনে করে না।

সকল ইসলামী দলই এ ব্যাপারে একমত যে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ একটি কুফরি মতবাদ। তাদের রাজনীতি পুনর্বাসন প্রচেষ্টার বিপরীতে সকল ইসলামী দলের একসাথে থাকার বিকল্প নেই।

কারা বা কোন পক্ষ তাদের পুনর্বাসন চায় তা ইতোমধ্যে স্পষ্ট হওয়া শুরু করেছে।

ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলুন...
Goodbye Secularism
Welcome Al-Islam

~লিখেছেন: রাজীবুর রহমান পলাশ
সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

As - Silm

02 Oct, 09:59


"দুঃখের বিষয় শরীয়াতের মৌল প্রাণসত্তা সম্পর্কে অনবহিত লোকেরা সবসময় 'অনুমতির শেষ সীমায়' চলে যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করে থাকে।

আবার অনেক আলেম ও মাশায়েখ এই বিপজ্জনক সীমানায় তাদের ঘোরাফেরা করতে দেয়ার উদ্দেশ্যে দলীল প্রমাণ সংগ্রহ করে অনুমতির শেষ সীমা তাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার কাজ করে যেতে থাকেন।

অথচ অনুমতির এই শেষ সীমায় আনুগত্য ও অবাধ্যতার মধ্যে মাত্র চুল পরিমাণ ব্যবধান থেকে যায়

এরই ফলে আজ অসংখ্য লোক গোনাহ এবং তার থেকে অগ্রসর হয়ে গোমরাহীতে পর্যন্ত লিপ্ত হয়ে চলছে। কারণ ঐ সমস্ত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সীমান্ত রেখার মধ্যে পার্থক্য করা এবং তাদের কিনারে পৌঁছে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ কথা নয়।"

- সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রহ.
তাফহীমুল কুরআন, সূরা বাকারা; টীকা ১৯৬

As - Silm

01 Oct, 15:49


শেয়ারের জন্য হাই রেজুলেশন ফাইল

As - Silm

01 Oct, 15:48


"ইসলামের দৃষ্টিতে মুসলিম নারীর প্রথম, প্রধান ও আসল কর্মকেন্দ্র হচ্ছে তার ঘর।

আর পাশ্চাত্য দর্শনে নারী হচ্ছে বারবনিতা, নাচঘরের নর্তকী, কারখানার শ্রমিক এবং পুরুষদের লালসা চরিতার্থের উপকরণ মাত্র।"

~ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহীম রহিমাহুল্লাহ
বই: নারী

#Our_Movement
#Our_Mission
#Our_Vision
#As_Silm

As - Silm

30 Sep, 13:09


মানজুর আল মাতিন ভাইদের ওয়ার্ল্ডভিউটা আমরা বুঝি৷ উনারা যে সোসাইটি আর যে ঘরানায় ‘শ্রদ্ধেয়জন’ হয়ে উঠতে চান, সেই সোসাইটির লেন্সটা সোজা পশ্চিমে—যেখান থেকে উনারা কতিপয় মনোহর শব্দাবলী শিখেছেন—মানবাধিকার, ফ্রি স্পীচ, পারসোনাল চয়েজ ইত্যাদি।

মানবাধিকার, ফ্রি স্পীচ, পারসোনাল চয়েজ—এসবের কোনোটাতেই আমাদের আপত্তি নেই। আমাদের আপত্তি হলো তখন যখন আপনি কোনো অপরাধকে ‘স্বাধীনতা’ অথবা ‘পারসোনাল চয়েজ’ বানিয়ে আইন অথবা বিচারের মাধ্যমে সেটা নিরাময়ের বদলে সমাজে সেটার বিস্তার লাভের পথ খুলে দিতে চান।

মানজুর ভাইয়েরা প্রশ্ন করতে পারেন, একজন মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দকে ‘অপরাধ’ বলা কতোটা সমীচীন?

হ্যাঁ, সেটা একদমই সমীচীন নয় যদি আপনি পশ্চিমের লেন্স দিয়ে বিষয়টাকে দেখেন।

তবে, যদি আপনি এই অঞ্চলের মানুষের ধর্ম, সংস্কৃতি, আবেগ এবং চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়ে বিষয়টাকে বোঝার চেষ্টা করেন, সেটা আসলে অপরাধই।

চুরি আর রাহাজানি করাও তো পারসোনাল চয়েজ। যে চোর সে তো নিজের ইচ্ছার বাস্তবায়নই করে, সেটাকে আমরা অপরাধ বলি কেন?

আপনি বলবেন, চুরিতে কেবল একজনের কনসেন্ট (সম্মতি) থাকে, মানে যে চোর তার ইচ্ছাই প্রতিফলিত হয়৷ যার চুরি যায়, সে কিন্তু কনসেন্ট দেয় না। আর, তাছাড়া, চুরির কারণে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ফলে এটা অপরাধ।

ওয়েল, শুধুমাত্র কনসেন্ট বিবেচনায় যদি আপনি ‘ন্যায়’ আর ‘অন্যায়’ নির্ধারণ করেন, আপনার তো তাহলে মোরালিটির কোনো গ্রাউন্ড থাকে না।

ধরুন যে, আমি কাউকে নির্দেশ দিলাম আমাকে গুলি করে মারার৷ সে আমাকে মেরেও ফেললো।

এই ঘটনায় আমাদের দুজনের কিন্তু কনসেন্ট ছিল।

কিন্তু, আদালত বলেন, সমাজ বলেন কিংবা রাষ্ট্র, কেউ কি এই ঘটনাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিবে?

অবশ্যই নিবে না। তারা বলবে—এখানে দুজনের বা দুজনের কোনো একজনের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে। এদের চিকিৎসা দরকার ছিল৷ এরা অ্যাবনর্মাল।

দেখুন, আমাদের কনসেন্ট থাকা সত্ত্বেও আপনার সমাজ কিন্তু বিষয়টাকে ‘স্বাভাবিক’ ভাবে দেখছে না। তারা ধরে নিচ্ছে—কোনো সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ এই ধরণের চিন্তাকে সাবস্ক্রাইব করতে পারে না। আর, এই ধরণের চিন্তাকে ‘স্পেস’ দিতে গেলে সমাজে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। একজন অন্যজনকে মেরে ফেলে ‘কনসেন্টের’ দোহাই দিয়ে পার পেয়ে যাবে।

তো, দেখা যাচ্ছে, আমাদের দুজনের কনসেন্ট থাকা সত্ত্বেও উক্ত ঘটনায় আমরা নিরাপরাধ প্রমাণ হচ্ছি না৷ বরং বিষয়টাকে সমাজের বৃহত্তর কল্যাণের কথা চিন্তা করে ‘অপরাধ’ হিশেবেই দেখা হচ্ছে।

এখন, দুজন একই লি*ঙ্গের লোক কনসেন্টের মাধ্যমে তাদের জৈবিক চাহিদা চরিতার্থ করলে সেটাকেও আপনি শুধু ‘কনসেন্টের’ দোহাই দিয়ে ‘স্বাভাবিক’ ভাবতে পারেন না।

আপনি আবার প্রশ্ন করতে পারেন—ওরা কি সমাজের জন্য হুমকি? ওরা কি সমাজে বিশৃঙ্খলা ঘটাচ্ছে?

ভাইজান, ওরা সমাজের জন্য হুমকি নয়, ওরা গোটা মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি। ওরা এমন একটা বিষয়কে ধারণ করছে যা প্রজননের প্রকৃতি বিরুদ্ধ।

মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য পশ্চিম কতো কী করার ভান ধরে। তারা পরিবেশ আন্দোলন করে, নদী, সমুদ্র রক্ষার আন্দোলন করে। কিন্তু, যে কাজটাকে তারা গোটা বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে চাইছে ‘পারসোনাল চয়েজ’ আর ‘মানবাধিকার’ এর নামে, এই কাজটা অবাধভাবে একশো থেকে দুইশো বছর যদি জারি থাকে, মানবজাতির প্রজনন একটা বিরাট হুমকির মুখে এসে দাঁড়াবে।

মানজুর আল মাতীন ভাইয়েরা সাহসী৷ সাহসের কারণে তারা ‘হিরোইজম’ও লাভ করেন। কিন্তু, অতীব দুঃখের বিষয় হলো—এই তল্লাটের মানুষদের ভাবনা, চিন্তা, সংস্কৃতি আর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তারা রাজনীতি করেন না৷ তাদের রাজনীতির নিক্তি সর্বদা কেন যে পশ্চিমে ঝুলে থাকে কে জানে।

~লিখেছেন: আরিফ আজাদ

As - Silm

26 Sep, 09:09


তারা চায় এমন একটি ইসলাম যা আমেরিকার মানসিকতায় গড়ে উঠেছে।

তারা এমন ইসলাম চায় যা শুধু অজু ভঙ্গের কারণের উপর ফতোয়া দেবে, কিন্তু রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে নীরব থাকবে।

-সাইয়্যেদ কুতুব রাহিমাহুল্লাহ

As - Silm

12 Sep, 05:45


শেয়ারের জন্য হাই রেজুলেশন ফাইল

As - Silm

12 Sep, 05:44


তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ, শক্তি ও উৎসাহ-উদ্দীপনার ওপর‌ই মুসলিম উম্মাহর ভবিষ্যৎ নিহিত

-খুররম জাহ মুরাদ রহ.
(ব‌ই : সুবহে সাদিক)

As - Silm

02 Sep, 12:00


শেয়ারের জন্য হাই রেজুলেশন ফাইল