Nazrul Islam @nazruldew Channel on Telegram

Nazrul Islam

@nazruldew


سَمِعۡنَا وَاَطَعۡنَا‌ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَاِلَيۡكَ الۡمَصِيۡرُ

আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনারই ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল। [২:২৮৫]

Nazrul Islam (Bangla)

আমাদের নবান্ন ও কাব্যগ্রন্থ সমূহের মধ্যে একজন মহান কবি, সাহিত্যিক এবং দার্শনিক ছিলেন - কাজী নজরুল ইসলাম। তার গান, কবিতা এবং লেখা যেকোনো কালের জনপ্রিয় এবং অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। এই Telegram চ্যানেল '@nazruldew' এই মহান কবির কাব্য এবং উক্তির জগতে প্রবেশ করে আপনাদের সাথে ভাগ করতে উদ্বুধিত। এখানে আপনি পাবেন একটি অসাধারণ সংগ্রহ যা কয়েকটি ভাষায় পোস্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে বাংলা এবং আরবী সহ অন্যান্য ভাষা রয়েছে। তাই, আপনি মুখ্যত বাংলা ও আরবী ভাষায় কয়েকটি অসাধারণ উক্তি, কবিতা এবং কথা পাবেন। যদিও কবি নজরুল এক ইসলামিক কবির হিসাবে পরিচিত কিন্তু তার কাব্য আপনার ভাষায় অনুভব করতে পারবেন এই চ্যানেলে। অতএব, '@nazruldew' নামক চ্যানেলে যোগ দিন এবং সাহিত্যিক প্রসঙ্গে আপনার মতামত এবং ভাবনা শেয়ার করুন।

Nazrul Islam

20 Jan, 04:54


মরা মাঠে প্রাণ জেগেছে।

Nazrul Islam

01 Jan, 15:43


বেত্তমিস পোলাপানের কারণে শান্তিতে থাকা গেল না। কামডা করল কি! কেমনডা লাগে বলেন!

Nazrul Islam

30 Dec, 05:33


শাহবাগকে কোলে নিয়ে শাপলা চত্বরে হেফাজতের গায়ে ডাইনীর দাঁত বসিয়ে রক্তচোষার সেই পুরনো এবং আগাগোড়া তথ্যে ঠাসা এই ভিডিওটা এখানেই রেখে দিলাম। ফেসবুকে এটা নেবে না।

Nazrul Islam

27 Dec, 16:49


সবার বিচার হবে বা বিচার করা সম্ভব হবে, কিন্তু অসভ্য সাংবাদিকদের বিচার চাওয়া তো দূরের কথা, তাদের বিরুদ্ধে 'বিচার' শব্দ ব্যবহার করলেই বারোটা যাবে। কারণ গ্যাং অব জার্নালিস্ট ফোরামের মতে সাংবাদিকরা যা করে তা আম জনতার কাছে অপরাধ মনে হলেও শিক্ষিত এই বোকারদের কাছে স্রেফ সাংবাদিকতা।

মতির আলো, আনামের স্টার, জনকণ্ঠ, কালের কণ্ঠ, সমকাল, একাত্তর ৭১, সময় টিভি সহ এজাতীয় মিডিয়া বিগত আমলে যা যা প্রকাশ করেছে তা কোনোভাবেই ক্ষমাযোগ্য হতে পারে না। এরা ক্ষমা পেয়ে গেলে কারোর বিচার করার নৈতিক ভিত্তি থাকবে না। এরাই সেই পিঁপড়া, যারা একটু গুড় নিয়ে ঝগড়ার মূলে লাগিয়েছিল যুগের পর যুগ। এদেরকে ছেড়ে কথা হবে কেন?

সাংবাদিক হলেই নিষ্পাপ এবং বিচার করা যাবে না, এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। একটিভিজম করতে হবে। এখনই দমন করা না গেলে ভুয়া ফ্রিডম ফাইটারদের মতো এদের দৌরাত্ম্য চরমে পৌঁছুবে।

আমরা সৎ ও ভালোর পক্ষে।

Nazrul Islam

23 Dec, 11:20


দুটো আরবি বই। একটি রামায়ণ, অন্যটি মহাভারত। ছবিতে থাকা দুই লোক বই দুটো আরবিতে অনুবাদ করেছেন। মোদি সাহেবের মাধ্যমে সেগুলোর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। মোদি সাহেব বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠায় "জয় শ্রী রাম, জয় কৃষ্ণ" লিখে মুনাফিক এসব এরাবিয়ানদের মনের খায়েশ মেটান। বেশি কিছু লেখার জন্য আমি প্রস্তুত নই।

হায় মেরুদণ্ডহীন মুনাফিক মধ্যপ্রাচ্য, হায়!

Nazrul Islam

18 Dec, 15:43


ওরা কি সংখ্যায় কম? পিটিয়ে মানুষ মেরে ফেলার ১৬ বছরের তরতাজা অভিজ্ঞতা কি নেই?

ওদেরকে কি বিচারের মুখোমুখি করতে পেরেছেন? অপরাধীদেরকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন? পারেন নি। ওরা আগের মতোই আছে। নীরবে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। পুরনো পেশায় শান দিচ্ছে।

তো তারা কেন আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতাকে জ/ বা / ই করবে না? আপনারা তাদেরকে আদর করেছেন বলে তারাও আপনাদেরকে কদর করবে? কখনোই এমনটা করবে না তারা। আপনাদের মতো দামড়া নয় তারা।

এই সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে যারা আছে তাদের অধিকাংশ প্রশাসনিক কাজে অদক্ষ। এদের দ্বারা ফাইলে স্বাক্ষর সম্ভব হলেও, বুক টান করে শাসন করা সম্ভব হবে না।

গোছানো কথায় মানুষ পটানো যায়, কিন্তু অসভ্যদেরকে দমন করা যায় না। অসভ্যরা তখনই পালায় যখন শাসকরা অপরাধ দমনে দৃঢ়চেতা হয়।

এই মিনমিনে সরকার অসভ্যদের শুরু করা কিলিং মিশন থামাতে পারবে বলে মনে হয় না। এরা না চিনে শত্রু, না চিনে মিত্র। বড় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এজেন্সিতে বহাল তবিয়তে থাকা লোকগুলোই দেশের জন্য কাল হতে পারে। এরা যে কী পরিমাণ নিমকহারাম তা তিলেতিলে বুঝবে এই জাতি।

Nazrul Islam

16 Dec, 13:05


শায়খ খালিদ নাবহান, যিনি স্থানীয়দের কাছে আবু দিয়া নামে পরিচিত, তাঁর রবের কাছে চলে গেলেন। পরিবারের ছোট-বড় বহুজনকে হারিয়ে তিনিও আমাদেরকে ছেড়ে আসল গন্তব্যে পাড়ি জমালেন। বেঁচে থাকা উম্মাহ ইনশাআল্লাহ এই প্রতিশোধ নেবে। দানব ইসরাইল এবং দোসরদের কবর খোঁড়াই এখন এই উম্মাহর অন্যতম কাজ হওয়া উচিত।

রাহিমাহুমুল্লাহ।

Nazrul Islam

16 Dec, 06:09


ইসলামে শাহাদাহ বা শহীদের মর্যাদা অত্যন্ত উঁচুতে। এটি পরকালীন র‍্যাংক বা পদমর্যাদা, যেটি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁর একান্ত প্রিয় বান্দাদেরকে দিয়ে থাকেন। এটা পেতে হলে সুনির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। শর্তগুলো শরীয়াহতে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছে। সেই কন্ডিশন বা নীতিমালায় কারোর হাত দেওয়ার, সংযোজন-বিয়োজন করার বা অপব্যাখ্যা করার সুযোগ একবিন্দুও নেই।

মৌলিক শর্ত দুটো:

ক. যেহেতু এটা পরকালীন পদমর্যাদা সেহেতু এটা পেতে হলে বান্দার পরকালীন দৃঢ় বিশ্বাস থাকতে হবে। পরকালীন জীবন, বিচার, আল্লাহর একক আধিপত্য, কবর, মিজান, হাউজে কাওসার, সওয়াল-জওয়াব ইত্যাদি বিষয়ের কোনো একটার প্রতি অবিশ্বাস, এমনকি সামান্যতম সন্দেহ, আপত্তি বা অভিযোগ বান্দার থাকলে তার শহীদ নামক পদমর্যাদা পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এটা একদম খালিস মুমিনের জন্য বরাদ্দ। কোনো বে-ঈমান, মুশ-রিক, মুনাফিক, সংশয়বাদী, মু-র‍তাদ এই পদমর্যাদার যোগ্য নয়।

খ. খালিস মুমিন হলেই হবে না। তিনি কোন উদ্দেশ্যে কী কাজে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিলেন তাও খতিয়ে দেখতে হবে। কোন কাজে নিজের জীবনকে বিসর্জন দিলে শাহাদাহর মর্যাদা পাওয়া যায় তা কুরআন-সুন্নাহয় যেকোনো দুর্বোধ্যতা ছাড়া উল্লিখিত আছে। দুনিয়াবি স্বার্থে পক্ষ-প্রতিপক্ষ নির্ধারণ করে যুদ্ধ করে মারা গেলেই যে ইসলামের একচ্ছত্র পদমর্যাদা শাহাদাহ অর্জিত হবে না তা আর বিশদ ব্যাখ্যার মুখাপেক্ষী নয়। বোঝ যাদের পরিষ্কার তাদের কাছে এটা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট।

এরপরও সুনির্দিষ্ট উসুল অবজ্ঞা করে ইসলামের এই গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা যারতার সাথে কেউ ব্যবহার করলে সে যে তাহরীফের দায়ে দায়ী হবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

ইসলামী পরিভাষা ইসলামের সম্পদ। এটাকে অপব্যবহার করার অধিকার কেউ রাখে না।

Nazrul Islam

15 Dec, 13:25


সেই একই কথা, নবী ﷺ-এর যুগেও তো নারীরা ব্যবসা করেছিলেন! এই যে বোনেরা নিজেদের মতো করে দ্বীন বুঝে দ্বীনদার সেজে ভেজাল পাকিয়ে পুরো দেশ কাঁপিয়ে দিচ্ছেন সে সম্পর্কেও বইলেন প্রিয় ভাইয়েরা। একমুখী আলাপ করলে ইনসাফ বজায় রাখতে পারবেন না৷

ইখতিলাতে (ফ্রি মিক্সিং) জড়ালে সমস্যা তৈরি হবেই। ক'টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন? শরীয়াহ যা নিষেধ করেছে তা-ই অগ্রগতির হাতিয়ার বানিয়ে যদি সাদরে গ্রহণ করেন তখন পদেপদে সমস্যা সৃষ্টি হবে এবং এটা হবেই। কেউ আটকিয়ে রাখতে পারবে না। প্রথমে আপনি শরীয়াহর সীমা ভাঙবেন, তারপর সেই আপনিই ভাঙা আঙিনায় ঢুকে পড়া দুষ্টুদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবেন—ব্যাপারটা কেমন হয়ে যাচ্ছে না!

ভেঙে বলার সাহস হল না। পয়েন্ট ধরে বললে আমাদের অনেক ভাইবোনদের তোপের মুখে পড়ার সম্ভাবনা আছে। এখন বাড়তি মানসিক চাপ নিতে চাচ্ছি না। ক্ষমা করবেন।

Nazrul Islam

14 Dec, 18:41


সমকালীন শিয়া সম্প্রদায় প্রায় প্রতিটি মুসলিম দেশে সবচেয়ে কম ধর্মীয় অনুশীলনকারী, সবচেয়ে বেশি ধর্মনিরপেক্ষ এবং ধর্ম থেকে সবচেয়ে দূরে:

ইরানে যুবসমাজ ব্যাপক হারে ধর্ম ত্যাগ করছে বা ধর্ম নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই।

সিরিয়ায় তারা ছিল ধর্মনিরপেক্ষ কাফির বাথিস্ট নুসাইরি সরকারের মেরুদণ্ড।

পাকিস্তানে কোনো ধর্মনিরপেক্ষ বা উদারপন্থীর সহযোগী হিসেবে প্রায়ই শিয়া বা কাদিয়ানিদের সম্পৃক্ততা দেখা যায়।

আফগানিস্তানে হাজারা সম্প্রদায়কে ধর্মনিরপেক্ষতা, পাশ্চাত্যকরণ এবং বেহায়াপনা প্রচারের এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

তুরস্কে আলেভিরা হয় কামালবাদী বা কমিউনিস্ট; যেকোনো ক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষ এবং ইসলামের বিরোধী।

আলবেনিয়ায় বেকতাশি সম্প্রদায় পুরোপুরি হাস্যকর।

আজারবাইজানে শিয়ারা পুরোপুরি ধর্মনিরপেক্ষ।

তাজিকিস্তান এবং পাকিস্তানে, ইসমাইলিরা মূলত পার্বত্য অঞ্চলের পৌত্তলিক, যারা ইসমাইলি বাতিক মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে।


এসব ক্ষেত্রে, তাদের প্রধান শত্রু সবসময়ই সুন্নি, শরিয়া এবং ইসলাম।

সুতরাং শিয়ারা আমাদের ঘোরতর শত্রু।

Nazrul Islam

14 Dec, 18:36


কথিত মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। আন্তর্জাতিক আইন বলতে কিছু নেই।

কাফিররা আমাদের রক্ষা করবে না।
কাফিরদের বিশ্বাস করা যায় না।

আমাদের মাথায় এটি না ঢোকা পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন আসবে না।

Nazrul Islam

13 Dec, 06:08


ফারুকী না কি সাংস্কৃতিক লড়াই করেছেন। সাংস্কৃতিক লড়াই করে যে অভ্যুত্থান ঘটানো যায় এবং ১৬ বছরের পোক্ত মসনদ ভেঙে চুরমার করা যায় তা নতুন জানা হল। জানিয়ে বাধিত করলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভাই। মসনদে বসেই কীভাবে পল্টি মারে মানুষগুলো, ভাবছি তা-ই।

ফারুকী কী ছাতার মাথা করেছেন, যা শুধু আসিফরা জানেন বাকিরা কিছুই জানেন না? হয়ত বলা হবে, আসিফরা শিক্ষিত ছেলেপেলে, ঢাবির ছাত্র। লড়াইয়ের সংজ্ঞা তারাই ভালো বুঝেন। আর খেটে খাওয়া জনগণ বোকার ঘরের বোকা। চিত্রগুলো সামনে আসলে আসিফদেরকে বাংলায় শাসন করা ব্রিটিশ স্যারদের মতো মনে হয় এবং সাধারণ জনগণকে মনে হয় তিতুমীর-ফকির মজনুদের অনুসারী নীল কৃষকদের মতো। তবে কৃষকরা থেকে যায় জমিনে, স্যারদের প্যান্ট খোলা দৌড়ের ওপর থাকতে হয়।

নগ্নতা যার পেশার মূলমন্ত্র সে কীভাবে সভ্যতা ফিরিয়ে আনতে পারে, জানা নেই। এই বোঝ শুধু আসিফদের আছে। সেই বোঝ থেকেই ফারুকীর মতো পতিত রেজিমের পা-চাটা দোসরদেরকে লড়াইয়ের কৃতিত্ব দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছেন না, শাসনের চেয়ারে বসিয়ে নতুন করে নগ্নতা, মানববিকৃতি এবং অসভ্যতার মোটা চাদর নতুন বাংলাদেশের গায়ে জড়িয়ে দিচ্ছেন।

মনে রাখবেন, অযোগ্য-অসভ্যরা যখন মসনদে বসে তখন তারা একা পুড়ে না, পুরো জাতিকে পুড়িয়ে ছারখার করে।

Nazrul Islam

12 Dec, 06:45


আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে যা যা করা লাগে করতে হবে আমাদের। ফেতনাময় এ-যুগে এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে আমাদের।

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তাঁরা কুরআনের ভাষ্যমতে (أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ) ঈমানদারদের প্রতি রহমদিল হবেন এবং ইসলামের শত্রু বে-ঈমানদের বিরুদ্ধে হবেন অত্যন্ত কঠোর।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এক সর্ষে দানা পরিমাণ ঈমানওয়ালাকেও বিচারের শেষে মুক্তির ব্যবস্থা করবেন। অতিছোট দানা পরিমাণ ঈমান যার ভেতর থাকবে আল্লাহ তাকে কুফফারদের মতো চিরস্থায়ী জাহান্নামী করবেন না। জাহান্নামভোগ শেষে মুক্ত করে দেওয়া হবে।

ঠিক একারণে স্বীকৃত কোনো মুসলিমকে তাকফির করা ইসলামে এতটা কঠিন করা হয়েছে। ফতোয়া বিভাগের সবচেয়ে কঠিন বিষয় হচ্ছে কাউকে তাকফির করা। এটা কোনো ব্যক্তিবিশেষ বা কোনো গোষ্ঠীবিশেষ চাইলেই করতে পারবে না। সামগ্রিক বিষয়ে দক্ষ আলিমদের ইজমা দরকার এ-বিষয়ে।

এই কঠিন বিষয়কে যারা সহজ করে দিচ্ছেন তাদেরকে সন্দেহ করা শিখতে হবে। কোনো একজন কিছু শুনেই কোনো স্বীকৃত মুসলিমকে জিন্দিক বললে বা তাকফির করলে তাকে সম্মিলিতভাবে জেরার মুখোমুখি করা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের দায়িত্ব।

সুতরাং আমাদের প্রধানত দায়িত্ব দুটো।

১. দক্ষ আলিমদের টিম ছাড়া কাউকে সরাসরি তাকফির করব না।
২. কেউ নিজের একক জ্ঞানে কাউকে তাকফির করলে তার বিরুদ্ধে ইসলাহী নিয়তে সোচ্চার হব।

Nazrul Islam

28 Nov, 04:07


সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইকে যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

Nazrul Islam

22 Nov, 16:54


এবার আবু সুফিয়ান বলতে লাগল, আজ বদরের প্রতিশোধের দিন৷ উত্তম প্রতিশোধ নেওয়া হল। যুদ্ধ তো এমই—আজ এক পক্ষের জয় হলে, কাল অন্যের পক্ষে জয় হবে। সুতরাং আজকের দিনটা আমাদের। বদরের বদলার দিন। ঘুরে ঘুরে যদি মাঠ পরিদর্শন করো তাহলে দেখবে নাক কাটা, হাত কাটা, পা ছিন্নভিন্ন করা, পেট ফাঁড়া, চোখ উপড়ে ফেলা তোমাদের দলের সদস্যদের কর্তিত লাশ। আসলে লাশের সাথে এমন আচরণ করতে আমি নির্দেশ দিই নি, তবে এতে আমি কিন্তু অসন্তুষ্টও নই। এটা যেন মুসলিমদের পাওনা ছিল।

খুশিতে আটখানা হয়ে আবু সুফিয়ান বলতে লাগল, “হে হুবাল, তোমার শির উঁচু হোক।” এই একই কথা তিনবার বলল। এবার রাসূল ﷺ-এর মুখে ভিন্ন সুর। “তোমরা কি ওর কথার জবাবে কিছু বলবে না?” সাহাবীদেরকে জিজ্ঞেস করলেন। “আমরা কী জবাব দিব, হে রাসূল ﷺ?” জানতে চাইলেন সাহাবীরা। তোমরা বলো, الله اعلي و اجل (আল্লাহ সবচেয়ে মর্যাদাশালী এবং তিনিই মহিমান্বিত) 

হুবাল মূর্তির নাম। কা'বার ভেতরে সংরক্ষিত ছিল। মক্কার মুশরিকরা হুবালের উদ্দেশে এবাদত করত। আল্লাহর রাসূল ﷺ যখন হুবাল নিয়ে মন্তব্য শুনলেন তখন আর চুপ থাকলেন না। সঙ্গেসঙ্গে জবাব দিয়ে দিলেন, (কীসের হুবাল-টুবাল) আল্লাহু আ'লা ও আজাল্ল। নবী ﷺ-এর মিশন ছিল ঈ'লা-ই কালিমাতিল্লাহ বা আল্লাহর শাশ্বত বাণীকে উঁচু করা এবং অন্যান্য সব মতাদর্শের ওপর দ্বীন ইসলামকে বিজয়ী করা। সুতরাং যখনই তিনি আল্লাহর বিপরীতে দাঁড় করানো হুবালের প্রশংসাসূচক কথা শুনলেন তখনই তা নাকচ করে বলে দিলেন, একমাত্র আল্লাহই হচ্ছেন একচ্ছত্র মর্যাদার অধিকারী এবং তিনিই মহিমান্বিত। আবু সুফিয়ান যখন রাসূল ﷺ-বেঁচে আছে কি না, তা জিজ্ঞেস করছিল তখন তা শুনেও রাসূল ﷺ চুপ ছিলেন। সাহাবীদেরকেও নীরব থাকতে বললেন। সেই আবু সুফিয়ান যখন একই ময়দানে একই পরিবেশে হুবাল দেবতার নাম ধরে প্রশংসা করল তখন আর তিনি নিজেও চুপ থাকলেন না, সঙ্গীদেরকেও চুপ রাখলেন না। 

হুবাল প্রশ্নে মুসলিমদের জবাব শুনে আবু সুফিয়ান মেজাজ হারিয়ে ফেলল। সে বলতে লাগল, “আরে আমাদের উজ্জা আছে, তোমাদের তো উজ্জা নেই।”

উজ্জাও মূর্তির নাম। কথিত আছে, গাতফানের এক গাছের নাম উজ্জা। সেটারই পূজা করত তারা। উজ্জার স্মরণে তারা এবাদত করত। এই উজ্জার প্রসঙ্গ টেনে আবু সুফিয়ান বোঝাতে চাইল যে, আমাদের ইজ্জত দানকারী উজ্জা ছিল বিধায় আজ আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে সম্মানিত হয়েছি। তোমাদের এমন দেবতা নেই বলেই অপমানিত হয়েছো।

আবু সুফিয়ানের কথা শুনে আল্লাহর রাসূল ﷺ সেই আগের মোডেই বললেন, “তোমরা কি ওর কথার জবাব দেবে না?” “কী জবাব দিব, হে রাসূল ﷺ” জানতে চাইলেন সাহাবীরা। “তোমরা বলো, الله مولانا ولا مولي لكم আল্লাহই আমাদের সহায়তাকারী বন্ধু, তোমাদের এমন কোনো বন্ধু নেই। (বুখারী-৩০৩৯)

চুপ থাকার একটা সীমা আছে। সবসময় চুপ থাকা যাবে না। ব্যক্তিগত বিষয়ে মানুষ যখন নানান কিছু প্রচার করবে তখন সেদিকে কান না দিয়ে নিজের ঈমান-আমল নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারলেই কল্যাণ তরান্বিত হবে। ধৈর্যের বাঁধ আছে। একটুতে ভাঙা যাবে না। ব্যক্তিগত ও জাগতিক বিষয়ে মানুষ পিছনে লাগলে ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। বাঁধে বালুর ব্যাগ ফেলে মজবুত করতে হবে। কথা কম বলতে হবে। একেবারে না বলতে পারলেই ভালো। এতে শত্রুতা কমে আসবে। মানুষের মনে দরদ জন্মাবে।

কিন্তু কোনো কুলাঙ্গার যদি আমার দ্বীন, আমার শরীয়াহ, আমার নবী, আমার কিতাব নিয়ে প্রশ্ন তোলে, বিরূপ মন্তব্য করে কিংবা গালি দেয় তখন তা শুনে চুপ করে বসে থাকার সুযোগ নেই। তেলেবেগুনে জ্বলে উঠতে হবে। জবাব চাইতেই হবে। টুঁটি চেপে ধরার শক্তি থাকলে একমুহূর্ত বিলম্ব করা যাবে না। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে চুরমার করে ফেলতে হবে। হতে হবে দুর্বার এবং দুর্বিনীত। কেউ যদি আমাদেরকে শুনিয়ে “জয় শ্রীরাম” বলে তৎক্ষনাৎ আমাদেরকে তাকবীর ধ্বনি দিয়ে কাঁপন ধরিয়ে দিতে হবে ওদের বুকে। 

কেউ যদি আমাদেরকে ইউরোপ-আমেরিকার ভয় দেখায় তৎক্ষনাৎ তাদের প্রদর্শিত ভয় পায়ের নিচে রেখে বলতে হবে, الله مولانا ولا مولي لكم আল্লাহই আমাদের সহায়তাকারী বন্ধু, তোমাদের এমন কোনো বন্ধু নেই। ইউরোপ-আমেরিকা তো আল্লাহর চারপায়া চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও নিকৃষ্ট। কীসের ভয় দেখাও আমাদেরকে? 

Nazrul Islam

22 Nov, 16:54


অসীম নির্ভীকতা 

উহুদের ময়দানে কঠিন এক সময়ের সাক্ষী হতে হল মুসলিম বাহিনীকে। শত্রুবাহিনীর পলায়ন দেখে আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর রা.-এর নেতৃত্বে থাকা ৫০ জন পদাতিক সাহাবীর পূর্বনির্ধারিত নিজেদের অবস্থান ত্যাগ করায় নিদারুণ এক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন। পুরো মুসলিম বাহিনীতে এক বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হল। বিজয়ের আবেশে টপাটপ পড়তে লাগল তাজা তপ্ত রক্ত। এখানে সেখানে ঈমানদারদের লাশের স্তুপ। মুসলিমদের নিরুদ্দেশ দৌড়াদৌড়ি। কাফিরদের উপর্যুপরি আঘাত। মুশরিকদের চতুর্মুখী ক্ষুরধার আক্রমণ। সব মিলিয়ে অবর্ণনীয় এক অবস্থা তৈরি হয়েছিল উহুদের ময়দানে। 

 আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর সাথে মাত্র ১২ থেকে ১৪ জন সাহাবী অবশিষ্ট ছিলেন। তাঁরা সিশাঢালা প্রাচীর হয়ে নবী ﷺ-এর নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন শেষপর্যন্ত। মুহাজিরদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আবু বকর, উমর, আলী, আব্দুর রহমান বিন আউফ, সা'দ বিন আবি ওয়াক্কাস, তলহা বিন উবাইদুল্লাহ, যুবাইর বিন আওয়াম এবং উবাইদা বিন জাররাহ রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহুম।

আনসারদের থেকে ছিলেন হুবাব বিন মুনযির, আবু দুজানা, আসিম বিন সাবিত বিন আবি আফলাহা, হারিস বিন সিম্মাত, উসাইদ বিন হুযাইর, সা'দ বিন মু'আয রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহুম। 

মুসলিম বাহিনীর সর্বমোট ৭৫ জন শহীদ হয়েছিলেন। ৫ জন মুহাজির থেকে, ৭০ জন আনসার থেকে। মুহাজির ৫ জনের অন্যতম দু'জন হলেন হামজা রাদিআল্লাহু আনহু এবং মুস'আব বিন উমাইর রাদিআল্লাহু আনহু। জুবাইর বিন মুত'ঈমের গোলাম ওয়াহশী হামজা রাদিআল্লাহু আনহুকে শহীদ করে। বদর যুদ্ধে মুশরিকদের ৭০ জন নিহত হয়েছিল এবং বন্দী হয়েছিল আরো ৭০ জন। সেই হিসাবটাই পুনরাবৃত্তি হয়েছিল উহুদের ময়দানে। ৭৫ জন শহীদ হলেন, আহত হলেন ৭০ জন। এভাবেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সময়ে সময়ে পরিস্থিতি পরিবর্তন করে মুসলিমদের ঈমানের বিশুদ্ধতা যাচাই করেন এবং শাহাদাতের সীমাহীন মর্যাদা প্রদান করে তাঁদের অবস্থান আরো উঁচুতে নিয়ে যান। (তাফসীরে বাগাভী, ইমরান-১৪০)

যুদ্ধ শেষ। মুশরিকরা উৎফুল্ল। মুসলিমদের ছিন্নভিন্ন দেহ এদিকওদিক ছড়ানো-ছিটানো। কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ান হাঁটছিল আর কড়মড় করে জিজ্ঞেস করছিল, মুহাম্মদ কি বেঁচে আছে? একই প্রশ্ন তিন তিনবার জিজ্ঞেস করল। সাহাবীরা চুপ। কোনো জবাব দিলেন না। আল্লাহর রাসূল ﷺ আবু সুফিয়ানের কথায় সাড়া দিতে নিষেধ করেছিলেন৷ প্রয়োজন নেই ওকে জবাব দেওয়া।

নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করল আবু সুফিয়ান। বলতে লাগল, ইবনে আবু কুহাফা কি বেঁচে আছে? এখানে আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহু উদ্দেশ্য। এভাবে তিন তিনবার জিজ্ঞেস করল। সাহাবীরা এবারো যথারীতি চুপ। জবাব দেওয়া নিষেধ বিধায় তাঁরা জবাব দিলেন না। 

একটু এগিয়ে আবার বলতে লাগল, ইবনে খাত্তাব কি বেঁচে আছে? না, জবাব নেই। এই জবাব না দেওয়ার পিছনে শত্রুর ভয় ছিল না, রাসূল ﷺ-এর নির্দেশ পালনের ব্যাপার ছিল। সুতরাং ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যে তাঁরা জবাব দেন নি বা আওয়াজ উঁচু করেন নি, বিষয়টি তেমনটা নয়৷ মুজাহিদরা ভয় পায় না, ভয় দেখায়। 

সাড়াশব্দ না পেয়ে আবু সুফিয়ান এবার সানন্দে বলতে লাগল, ওরা সবক'টি মারা গিয়েছে। বেঁচে নেই নেতৃস্থানীয় জেউ-ই। বেঁচে থাকলে তো জবাব আসত। আবু সুফিয়ানে কথা শেষ হওয়া দেরি, উমর রাদিআল্লাহু আনহুর আপন রূপে হুঙ্কার দিতে দেরি হল না। তিনি নিজেকে আর স্থির রাখতে পারলেন না। চিৎকার দিয়ে বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর দুশমন, তুই মিথ্যা বললি। এতক্ষণ যাদের নাম ধরে অবস্থা জানতে চেয়েছিলে তাদের সবাই জীবিত। মনে রাখিস, অত্যন্ত কঠিন বিপদ তোর জন্য অপেক্ষা করছে।”

প্রশ্ন আসতে পারে, নবী ﷺ-এর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উমর রাদিআল্লাহু আনহু কীভাবে জবাব দিলেন? তিনি কখন জবাব দিলেন সেই প্রেক্ষাপট স্মরণে রাখলে উত্তর খুঁজে বের করা কঠিন হবে না৷ আবু সুফিয়ান যখন উপস্থিত দুই গ্রুপের সবার কাছে প্রচার করা শুরু করলেন যে, মুহাম্মদ ﷺ, আবু বকর, উমর আর নেই, তাঁরা সবাই নিহত, ঠিক তখনই নীরবতা ভেঙে প্রতিহুঙ্কার দিয়ে উমর রাদিআল্লাহু সঠিক তথ্য জানিয়ে দেন। এটা জানানোর প্রয়োজন ছিল। কারণ এই খবর ছড়িয়ে পড়লে এবং মুসলিমদের পক্ষ থেকে সঠিক তথ্য না আসলে সাহাবীদের মাঝে মারাত্মক এক আতঙ্ক এবং হতাশা কাজ করতে পারে৷ তেমনটা হলে এই সাময়িক ধাক্কা সামলে পুনরায় পূর্ণশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া কঠিন হয়ে যাবে। এছাড়া তিনি যখন জবাব দিলেন তখন প্রেক্ষাপটও ছিল ভিন্ন। আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর নিষেধাজ্ঞা ছিল তখন, যখন আবু সুফিয়ান নাম ধরে অবস্থা জানতে চেয়েছিল। উমর রাদিআল্লাহু আনহুর জবাব দিলেন তখন, যখন আবু সুফিয়ান প্রশ্ন করা শেষে জনতার উদ্দেশে সিদ্ধান্ত জানাতে লাগল। সুতরাং উমর রাদিআল্লাহু আনহুর এই নীরবতা ভেঙে অগ্নিমূর্তি ধারণ করা রাসূল ﷺ-নির্দেশনার বাইরে হয় নি৷ বরং এখানে দ্বীন রক্ষার প্রশ্নে উমর রাদিআল্লাহু আনহুর অসীম নির্ভীকতা প্রকাশ পেয়েছে। এমন নির্ভীক হওয়া জরুরি আমাদের প্রত্যেকের। বিজয় সাহসীদের পদচুম্বন করে, ভীতুদের থেকে পালিয়ে বেড়ায়।

(একই সাথে নিচের অংশ না পড়লে পুরো ম্যাসেজটা নেওয়া কঠিন হতে পারে।)

Nazrul Islam

16 Nov, 05:43


দুঃশাসকরা তিন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত।

১. আল্লাহ এবং তাঁর মনোনীত দ্বীনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।
২. রাষ্ট্রীয় সম্পদ বাধাহীন লুণ্ঠন।
৩. ব্যক্তিগত পর্যায়ে চুরি-ডাকাতি, গুম, *ত্যা, জিনা ইত্যাদি।

ক. আল্লাহ ও তাঁর মনোনীত দ্বীনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার অনেক পথ আছে। সরাসরি বিদ্রোহ শব্দ ব্যবহার না করেও কাজে তা প্রকাশ করা যায়। দ্বীন নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে তামাশা করা, দ্বীনদার মানুষদেরকে শুধুমাত্র দ্বীন পালন করার কারণে কষ্ট দেওয়া, দ্বীনের পরিপূর্ণ দাওয়াতে বাধা হয়ে দাঁড়ানো, রাসূল ﷺ-এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা এবং বিদ্বেষ পোষণকারীদেরকে পুনর্বাসন করা, ইসলামী ভাবধারা মিটিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা, ইসলামী শিক্ষা বন্ধ করে পরবর্তী প্রজন্মকে জাহালতের দিকে ধাবিত করার চেষ্টা করা—এসবই দ্বীনের সাথে বিদ্রোহ করার নামান্তর। এমন অপরাধ ক্ষমতায় থাকাকালীন যারা করেছে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করার আগে এবং তাদের থেকে সর্বশেষ বক্তব্য শোনার পূর্ব পর্যন্ত ক্ষমার 'ক্ষ' পর্যন্ত মুখে আনা যাবে না। অপরাধ সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হলেও তো দুনিয়াবি শাস্তি থেকে রেহাই দেওয়ার সুযোগ নেই অনেকক্ষেত্রে।

খ. রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন করার অর্থ হচ্ছে পুরো দেশের প্রত্যেক জনগণের অধিকার লুণ্ঠন করা। এটা বান্দার হক। এখানে ১৮ কোটি মানুষের অধিকার জড়িত। লুণ্ঠনকৃত সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আগপর্যন্ত আল্লাহই তো ক্ষমা করবেন না, মানুষ কীভাবে ক্ষমা করে দেওয়ার চিন্তা করবে? এক্ষেত্রে যারা সমাজ ও রাষ্ট্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা বলেন তাদের ওপর অত্যাবশ্যক দায়িত্ব হল, ওদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করা। ১৮ কোটি মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার সবধরনের চেষ্টা করা। ডাকাতদের শাস্তি নিশ্চিত করার আগে যাদের দিলে ওদের প্রতি ক্ষমার প্রশ্ন চলে আসবে তাদের দ্বারা আর যা-ই হোক, ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে না। অধিকার হারা মানুষ অধিকার ফিরে না পেলে এই জুলুমও কাটবে না। ডাকাতিকর্মের পর মায়া, দয়া এবং সহানুভূতির কেন্দ্রবিন্দু হবে যাদের সম্পদ ডাকাত করা হয়েছে তারা; ডাকাতরা বিন্দুমাত্র ছাড় পাবে না। ইসলাম সবসময় মজলুমদের পাশে থাকে এবং জালিমদেরকে নিশ্চিহ্ন করে বদ্ধপরিকর থাকে। ইসলামের বাইরে গেলে শান্তি আসার পরিবর্তে দুঃখ আসবে নতুন চকচকে মোড়কে।

গ. ব্যক্তিগত পর্যায়ে যেসকল অপরাধ ও অন্যায় সংঘটিত হয়েছে সেসব থেকে মুক্তি দেওয়ার অধিকার শুধুমাত্র ভুক্তভোগীর আছে, অন্যদের নেই। অন্যায়ভাবে যাকে জেলে নেওয়া হয়েছিল তিনি যদি ক্ষমা করে দেন তাহলে দিতে পারেন, কিন্তু দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির ক্ষমার ঘোষণা দেওয়া ইসলামবিরুদ্ধ কাজ। যে মা-বাবার আদরের সন্তানের চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা করেছিল সেই মা-বাবা ছাড়া কেউ-ই এসব অপরাধীকে ক্ষমা করার অধিকার রাখে না। যাদের বাবাকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পুরো দেহটা থেঁতলে দিয়েছিল সেই তাদেরকে ছাড়া বাবার হত্যাকারীদেরকে কেউ ক্ষমা করতে পারবে না। ইসলামে এমন কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে অন্তত ১০ কোটি মানুষ যে কোনো-না-কোনোভাবে জুলুমের শিকার হয়েছিল সেই তারাই যদি একজন একজন করে ক্ষমা করে দেয় তবেই ক্ষমা পেতে পারে, অন্যথায় শাস্তি নিশ্চিত করা এবং তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করা নেতৃস্থানীয়দের ওপর অবশ্য কর্তব্য। এটাই ইসলাম। ইসলাম সীমার ভেতর দরদী হতে বলে। সীমালঙ্ঘন করে অহিংস হতে ইসলাম কঠিনভাবে নিষেধ করে।

সুতরাং আমি শুধু আমার ওপর করা জুলুমের বিচার থেকে তাদের অব্যহতি দিতে পারব। ব্যক্তিগত জীবনে পাওয়া কষ্ট ভুলে গিয়ে ক্ষমা করতে পারব। কিন্তু কখনোই (১,২ ও ৩) উপর্যুক্ত তিন ধরনের অপরাধ থেকে এই আমি তাদেরকে ক্ষমা করতে পারব না এবং ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য ওকালতিও করতে পারব না। ইসলাম অপরাধ করতে নিষেধ করে। অপরাধ (হক্কুল ইবাদ সংক্রান্ত) কেউ করে ফেললে তার শাস্তি নিশ্চিত করতে জোর নির্দেশ দেয়। ক্ষমার ব্যাপারটা শুধুমাত্র ভুক্তভোগীর একক নিয়ন্ত্রণে। ক্ষমা করলে ভালো, না করলে মন্দ নয়।

সুতরাং দুঃশাসকদেরকে আপনি কোন কোন অপরাধ থেকে দায়মুক্তি দিতে চান? সেই অধিকার কি আপনার আদৌ আছে? না থাকলে এমন অনধিকার চর্চা কেন হচ্ছে?

Nazrul Islam

08 Nov, 05:39


এই দুনিয়াতে যা কিছু করবেন, যা কিছু দেবেন, যত ভূমিকা রাখবেন সব যেন হয় একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির আশায়। মানুষের ভালোবাসা, তাদের কৃতজ্ঞতা এবং তাদের থেকে কোনোরূপ প্রতিদান পাওয়া যেন উদ্দেশ্য না হয়। এদিকে একদমই ফোকাস করবেন না। আপনার ফোকাস থাকবে একমুখী—এক আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা। তিনি সন্তুষ্ট হয়ে গেলে তিনিই মানুষের অন্তরে আপনার জন্য এমন বে-নজির মোহাব্বত তৈরি করে দেবেন যা আপনি কখনো কল্পনাও করেন নি। আপনি অনুগত দাস হয়ে মনিবের সন্তুষ্টির লক্ষ্যে শুধু কাজ করে যান। কখনোই মনিব ছাড়া মনিবের অন্যান্য দাসের কাছে অতিরিক্ত কিছু পাওয়ার ইচ্ছা রাখবেন না। আপনার যা প্রয়োজন তা কখনোই আপনার নির্বাচিত বা আপনার পছন্দের কোনো মানুষ পূরণ করতে পারবে না। এমন জায়গা থেকে পূরণের সাড়া আসবে যাদেরকে নিয়ে আপনি একমুহূর্ত ভাবেন নি।

সুতরাং বিনিময় পাওয়ার আশায় বা ভালো ফিডব্যাকের প্রত্যাশায় কারোর কোনো উপকার করবেন না। করবেন এবাদত হিসেবে। এবাদত তো হতে হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই, তাইনা?

জনৈক ব্যক্তি বলেন, "আমি আমার মা-বাবাকে যা দিই তজ্জন্যও তাঁদের থেকে ভালো কোনো আচরণ বা উত্তম কোনো বিনিময় আশা করি না। আল্লাহর হুকুম পালন করি শুধু। মা-বাবার প্রতি সদাচারী, অনুগত এবং যত্নশীল হওয়া আল্লাহর নির্দেশ। শরীয়াহর চূড়ান্ত সীমা লঙ্ঘন না করলে আমি আল্লাহর সেই হুকুম পালন করে যাবই।"

আমাদের সব ডেডিকেশন হোক একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য।

Nazrul Islam

07 Nov, 15:53


• ৩০ বৎসর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন।
• ৩৬ বৎসর বয়সে মারা যান।
• মুসলিম হিসাবে বাঁচেন মাত্র ৬ বছর। হ্যাঁ, ৬ বছর।

• তিনি যখন মারা যান তখন রাসুল সা. এর কাছে জিবরীল আ. আগমন করে বললেন, “ঐ ব্যক্তি কে, যার মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছে?”

• তাঁর জানাজায় সত্তর হাজার ফেরেশতা শরীক হয়েছিলেন। ইতোপূর্বে এমন ঘটনা ঘটেনি।

• আকাশের ফটক তাঁর জন্য খুলে গিয়েছিল।

• তাঁর রুহ আরশে পৌঁছলে সেখানকার মালায়িকা বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

• তাঁর কবর মাত্র একবার সঙ্কুচিত হয়েছিল। পরবর্তীতে আল্লাহ প্রশস্ত করে দেন।

তিনিই হযরত সা'দ বিন মুয়াজ রাদিআল্লাহু আনহু।

আমাদের আদর্শ তাঁরাই যারা জীবন বাজি রেখে ইসলামের খেদমত করে গেছেন। সব ধরনের স্বার্থ পায়ে ঠেলে একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার রেজামন্দি হাসিলের জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সত্যের উপর সিশাঢালা প্রাচীরের মতো অবিচল ছিলেন। এক কদম নড়েন নি। এক মুহূর্ত টলেন নি। আমরা তাঁদেরকে ভুলবো না। তাঁদের আঁকা পথ ধরেই এগিয়ে যাব আমাদের নির্ধারিত গন্তব্যে ইনশাআল্লাহ।

Nazrul Islam

07 Nov, 02:06


দিনে কতবার মৃত্যুর কথা স্মরণ হয়? প্রায়ই স্মরণ হলে লক্ষ্মণ ভালো। না হলে লক্ষ্মণ খারাপ।

Nazrul Islam

06 Nov, 17:17


"তুমি মুসলিম, তোমার মা মুসলিম, তোমার বাবা মুসলিম, তোমার আত্মীয়স্বজন সবাই মুসলিম, আলহামদুলিল্লাহ। বারাকাল্লাহু ফিকুম। এই আমি কা/ফি/র থেকে মুসলিম হয়েছি, কিন্তু আমার মা-বাবা, নিকটাত্মীয় সবাই কা/ফি/র। অনেকে মারাও গিয়েছেন। তোমরা তো মৃতদের জন্য সওয়াব পাঠাতে পারো। ইসালে সওয়াবের নিয়তে তাদের জন্য হজ্জ করলেও হয়, সাদাকা করলেও কবরে থেকে তাঁরা প্রতিদান পায়। প্রাণ খুলে তাঁদের জন্য দুয়াও করতে পারো। এই আমি তো আমার মা'র জন্য দুয়াটা পর্যন্ত করতে পারি না। খুবই কঠিন বাস্তবতা এটি।"

ঈমানের চেয়ে বড় দৌলত আর কিছু নেই, হবেও না।
জীবন গেলেও যেন এই দৌলত হাতছাড়া না হয়, খেয়াল রাখি।

Nazrul Islam

06 Nov, 15:44


বলৎকার করাই হচ্ছে চিন্ময় দাসের অন্যতম নেশা।

Nazrul Islam

06 Nov, 11:06


ইউএস স্বাধীন হয় ১৭৭৬ সালে৷ সেই হিসেবে দেশটির বয়স ২৪৮ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে একটিবারের জন্যও ওরা কোনো নারীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে নি৷ মাত্র দুইজন নারী প্রেসিডেন্সি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিল৷ এবার কমলা, আগে (২০১৬ সাল) হিলারি। দুইজনের ভরাডুবি নিশ্চিত হওয়ার পর কেঁদেকুটে ফিরতে হয়েছে বাড়ি। বরাবরই বিশাল ব্যবধানে বেডি মানুষদেরকে পিছনে ফেলে বেডা মানুষ জিতেছে এবং প্রতিবার সেই বেডা মানুষের ভূমিকায় ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প। লোকটা আসলেই নারী বিদ্বেষী৷ দিলটা পাথর। আমাদের উচিত নারী বিদ্বেষী ইউএসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক বয়কটের ডাক দেওয়া।

ভাবুকদের জন্য শিক্ষা রয়েছে।
দেখেন এখন যা ভালো মনে করেন।

Nazrul Islam

29 Oct, 16:22


আমাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে যারা দাঁড়াবে বিচার চেয়ে।

Nazrul Islam

28 Oct, 16:52


আল্লাহর রাসূল ﷺ ওয়ারিশসূত্রে বাবার কাছ থেকে যা যা পেয়েছিলেন তন্মধ্যে তরবারিও ছিল। নবী ﷺ নিজেও যা যা রেখে গিয়েছিলেন তন্মধ্যে একাধিক যুদ্ধাস্ত্রও ছিল।

যখন থেকে উম্মাহ তাঁদের বাবাদের কাছে থেকে রক্ষণভাগ এবং আক্রমণভাগ ঠিক রাখতে ওয়ারিশি জ্ঞান-কৌশল এবং সরঞ্জাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ঠিক তখন থেকেই অপমান-জুলুম শীতের কম্বলের মতো এই উম্মাহকে জড়িয়ে ধরেছে।

সুদিন ফিরবে তখনই যখন বাবাদের পক্ষ থেকে ওয়ারিশি সম্পত্তির মধ্যে লঙ্ঘিত ফরজ বিধান সংক্রান্ত জ্ঞান-বুদ্ধি এবং সরঞ্জাম যুক্ত হবে। নসীহা, সিরিজ ওয়াজ বা নরম ভাষায় দাওয়াতের মাধ্যমে জুলুমের ধাতব-দেওয়াল ভেঙে আলোর মশাল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। লোহা ভাঙতে হয় লোহা দ্বারা, তুলা দিয়ে বানানো কাঠি দ্বারা নয়।

Nazrul Islam

27 Oct, 05:51


🌸ইমাম মালিক রাহি. বলেন,🌸

❝প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়ো না। কোনো জমায়েত থেকে উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে সেখানে যোগ দিয়ো না।❞

📚 তারতিবুল মাদারিক ২/৬৩

Nazrul Islam

18 Oct, 15:02


মূল ভবনে আঘাত করার সময় তিনি গ্রাউন্ড ফ্লোরে ছিলেন। ভবনের চারদিক ঘিরে ফেলে কু*ত্তা বাহিনী। ওদের উপস্থিতি টের পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গে তিনি উপরের তলয়, ঠিক যেখানে তিনি লুকিয়ে থাকতেন, সেখানে চলে গেলেন। তাঁর এর দৌড়ঝাঁপ দেখে ফেলে ওরা। উপরে ওঠার মুহূর্তেই ওরা আবার তাঁকে লক্ষ করে ট্যাংক চালায়। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন এবং একটা হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে তাঁর জায়গায় গিয়ে বসলেন। এরমধ্যে শয়তান বাহিনী তোড়জোড় করে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগল। তিনি তা টের পেয়ে এক হাতেই দু দুটো গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন ওদেরকে টার্গেট করে। ওরা সাহস হারিয়ে ফেলল। যে গতিতে উপরে ওঠার চেষ্টা করেছিল তারচেয়ে দ্বিগুণ গতিতে পুনরায় নিচে নেমে গেল।

বাহিরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। সিদ্ধান্ত হল ড্রোন প্রবেশ করিয়ে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ড্রোন ব্যবহার করল তারা। তিনি কর্তিত ও রক্তাক্ত হাত নিয়ে দেখছিলেন সব। এক হাতে ছিল লাঠি। যখন ড্রোন তাঁর কাছাকাছি আসল ঠিক তখনই তিনি লাঠি নিক্ষেপ করলেন ড্রোনের উদ্দেশে। তাঁর এই অবস্থান শনাক্ত হওয়ার পর পুরো বিল্ডিং গুড়িয়ে দেওয়ার মতো শক্তিশালী ট্যাংক শেল্ড ব্যবহার করল ওরা এবং তাতেই তিনি শহীদ হলেন।

Nazrul Islam

17 Oct, 16:51


ইয়াহয়া সিনওয়ারই যে হবেন তাতে মোটামুটি নিশ্চিত।