বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা @bicsbd Channel on Telegram

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

@bicsbd


বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা
facebook: https://www.facebook.com/islamichhatrisangstha

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা (Bengali)

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা চ্যানেলটি একটি অত্যন্ত উপযুক্ত স্থান যেখানে ইসলামিক ছাত্রীদের জন্য সব ধরনের তথ্য, পরামর্শ এবং নিরাপত্তা সরবরাহ করা হয়। এই চ্যানেলে আপনি ছাত্রীদের জন্য উপযুক্ত পোস্ট, পরামর্শ, এবং সাহায্য পেতে পারবেন। চ্যানেলটির প্রধান উদ্দেশ্য হল ইসলামী ছাত্রীদের জীবনে পদক্ষেপ নেয়া এবং সঠিক দিশায় তাদের নিয়ে যাওয়া।nnচ্যানেলটি শুরু করার জন্য, ফেসবুকে তাদের পেইজে যোগ দিন: https://www.facebook.com/islamichhatrisangstha

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

26 Jan, 10:04


একটি বছর শেষে অনেকেই হিসেব করতে বসেন বছরে কী পেলাম কী পেলাম না?
এই প্রশ্নের উত্তরটা অনেকের কাছে ঠিক এমন,
কি আর পেলাম? অনেক কিছু হারালাম,বছরটা ভালো কাটেনি, কতগুলো বাঁশ দিয়ে গেলো, এমনটা না হলে ভালো হতো।’
কিন্তু কখনও কি এই চিন্তা মনে এসেছিল কথাটা সঠিক বলা হচ্ছে কিনা?

মানুষের জীবনে সবকিছুই আল্লাহর পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটে। সূরা আনফালের ৩০ নাম্বার আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনাকারী।”

তাহলে এমন মন্তব্য দ্বারা মহান আল্লাহর পরিকল্পনাকে কি তুচ্ছ করে দেখা হচ্ছে না? আল্লাহর সিদ্ধান্তকে তুচ্ছ জ্ঞান করা আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।প্রত্যেক বান্দাকে নিয়ে আল্লাহর খুব সুন্দর পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু আল্লাহর সাথে সম্পর্কের দূরত্ব এই সুন্দর বিষয় অনুধাবনে বাঁধা হয়ে যায়।

মুমিনের জীবনে যা কিছু ঘটে তা হয় পরিক্ষা, না হয় যোগ্যতা অর্জনের জন্য কিছু বাস্তবতা।
যা ই ঘটে আপাত দৃষ্টিতে তা ভালো বা মন্দ মনে হলেও মুমিন সর্বাবস্থায় কল্যাণের অধিকারী হয়।

“আনাস ইবনে মালিক (রা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মুমিনের বিষয়টি চমৎকার। আল্লাহ তার জন্য যা কিছু ফয়সালা করেন, তাই তার জন্য কল্যাণকর হয়।”

মুমিন সবসময় সব পরিস্থিতিকে আল্লাহর সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করে এবং ইতিবাচক চিন্তা পোষণ করে।
আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন।
আমিন।

________
“অনুধাবনে গত বছর”
🖋️আফিফা রহমান সাদিয়া

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

25 Jan, 12:26


যতই তুমি ক্ষমা করো
দাও না পেতে বক্ষ
তোমায় আমি শত্রু ভাবি
মস্ত প্রতিপক্ষ!
কাছে তুমি যতই টানো
জাপটে ধরো হাতটা
সুযোগ পেলে চেনায় দিবো
আমার আসল জাতটা!
যে মরে সে মরুক তো ভাই
মাখবো না ওই গন্ধ
ক্ষমতা না হাতছাড়া হয়
তাই হয়েছি অন্ধ!
আগে আমি চেয়ারটা পাই
দেখবো পরে দেশটা
অনেক বছর মরছি ক্ষুধায়
বড্ড বেশি তেষ্টা!
রাজনীতিতে তোমরা যারা
টানছো এখন ধর্ম
ক'দিন পরে বুঝবে তারা
এহেন কাজের মর্ম!
ধর্ম হলো ঘরের জিনিস
আলমারিতে বন্দি
রাজনীতিতে চলবে শুধু
মাল কামানোর ফন্দি!
মনের মত আইন করে
ডুবিয়ে খাবো কব্জি
মোল্লারা সব ফতোয়া দিক
ওরা তো খায় সব্জি!
বোঝে না এই পদ-পদবী
খোঁজে শুধু ঐক্য
লাভ-ক্ষতিটা বলতে গেলেই
আসে মতানৈক্য!
রাজনীতিতে কাজ কী তোমার
হও সুরেলা বক্তা
ওয়াজ করো, খতম পড়াও
পোক্ত করো তক্তা!
দেশটা ছাড়ো আমার হাতে
দেখবো আমি সবটা
"ধর্ম দিয়েই চলবে এ-দেশ"
বন্ধ করো রবটা!
সামনে পিছে ডাইনে বামে
তুমিই প্রতিপক্ষ
ঘ্যাচাং করে টানতে ধরে
কিন্তু আমি দক্ষ!

| প্রতিপক্ষ
| তাসলিমা কবির

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

25 Jan, 10:03


আমরা শুনি, আমরা জানি, আমরা দেখি, আমরা বুঝি! অতঃপর আমরা ভাবিও ঠিকই আর কাজ করি ভুল। ক্ষমা পাওয়া যে খুবই জরুরি। আমরা জানি আমাদের গুনাহ পাহাড় সমান হয়ে গেছে আর আমরা এটাও জানি আল্লাহর ক্ষমা আকাশ সমান। তারপর হয়তো আমরা খুবই বিনয়ী ভাবে রবের কাছে ক্ষমা চাই। আর প্রতিজ্ঞা করি এই ভুল আর কখনও করবো না।

একদিন, দুইদিন, এক সপ্তাহ ঠিক তারপর যেনো আমরা আবারো একই ভুল করে নিজেকে হারিয়ে ফেলি। হ্যাঁ আমরা জানি ক্ষমা চাইলে আমরা অবশ্যই ক্ষমা পেতে পারি তবে আমরা জানি না যে, আমরা কি ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ টুকু আদৌ পাবো?
ঠিক সেজন্যই নিজেকে এমন ভাবে খুঁজে নিতে হবে যাতে করে দ্বিতীয় বার আর না হারাই !

________
খুঁজে নাও যেন দ্বিতীয় বার না হারাও!
~ইসরাত জাহান ইফাত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

25 Jan, 09:34


আমরা একটি গোটা দিনকে কীভাবে ইবাদতমুখর করতে পারি
প্রথমত,আমাদের অবশ্যই ফরজ ইবাদত গুলো যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে। দ্বিতীয়ত,গুরুত্বপূর্ণ নফল ইবাদত যেমন: কুরআন তেলাওয়াত, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি পালন করতে পারি। এরপর সমস্ত ধরনের খারাপ কাজ যেমন: মিথ্যা বলা, গীবত, হিংসা, অহংকার, লোভ, রিয়া ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা।
এরপর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যে কাজগুলো বাহ্যিক দৃষ্টিতে দুনিয়াবি কাজ মনে হয়, সে কাজগুলোকে ইবাদতে রূপান্তর করা। একটি দিনের সাধারণ কাজগুলোকে ইবাদতে রূপান্তরিত করা সম্ভব, যদি কাজগুলো সঠিক নিয়ত এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়।

🔹সকাল শুরু করুন সঠিকভাবে:
ঘুম থেকে উঠেই "আলহামদুলিল্লাহ" বলুন, কারণ আল্লাহ আপনাকে আরেকটি দিন বেঁচে থাকার সুযোগ দিয়েছেন। ফজরের নামাজ পড়ুন এবং দিনটি বরকতময় হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।

🔹কাজের শুরুতে নিয়ত ঠিক করুন:
প্রতিটি কাজ শুরু করার আগে মনে করুন, "এই কাজটি আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করছি।"
উদাহরণ: অফিসে কাজ করা হলে নিয়ত করুন, "আমি হালাল উপার্জন করছি, যা আমার পরিবার এবং নিজের প্রয়োজন মেটাবে।"

🔹দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে আল্লাহকে স্মরণ করুন:
খাওয়ার আগে "বিসমিল্লাহ" এবং পরে "আলহামদুলিল্লাহ" বলুন। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে "বিসমিল্লাহ" ও "তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ" বলুন।

🔹পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান ইবাদতের উদ্দেশ্যে:
পরিবারের প্রতি ভালো ব্যবহার করুন এবং তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করুন। কথা বলার সময় মিষ্টভাষী হোন এবং সুপরামর্শ দিন। এটি সাদকা হিসেবে গণ্য হয়।

🔹অফিস বা পড়াশোনা:
কাজ বা পড়াশোনার সময় আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন। অফিসে চাকরি করলে মনে এই নিয়ত রাখুন, আপনি হালাল উপায়ে পরিবারের জন্য উপার্জন করছেন। আবার আপনি যদি শিক্ষার্থী হোন তাহলে এই নিয়তে জ্ঞান অর্জন করুন যে তা আপনি আল্লাহর সৃষ্টিজগতের কল্যানে কাজে লাগাবেন। আর সর্বোপরি
সততা বজায় রেখে কাজ করুন এবং অন্যকে সাহায্য করুন।

🔹মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করুন:
প্রতিটি মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলুন। হাদিসে আছে, "হাসি সাদকার সমান।" কাউকে সাহায্য করার সুযোগ পেলে তা হাতছাড়া করবেন না।

🔹অবসরে জিকির করুন:
দৈনন্দিন বিরতিতে "সুবহানাল্লাহ," "আলহামদুলিল্লাহ," এবং "আস্তাগফিরুল্লাহ" জপুন। সময় পেলে কুরআনের কিছু আয়াত পড়ুন বা শুনুন।

🔹নিজেকে গুনাহ থেকে বিরত রাখুন:
গীবত, মিথ্যা কথা বা অপচয় এড়িয়ে চলুন। চোখ,কান এবং জিহ্বাকে হারাম থেকে বাচিঁয়ে রাখুন।

🔹শরীরের যত্ন নিন:
খাওয়া, বিশ্রাম, ও শরীরচর্চা করুন এই নিয়ত নিয়ে যে, আল্লাহর আমানত (শরীর) ভালোভাবে সংরক্ষণ করছেন।

🔹পরিবেশ এবং সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হোন:
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন, কারণ পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। গাছ লাগানো বা পরিবেশ রক্ষায় কিছু করুন। এটি দানের মতো সওয়াবের কাজ।

🔹রাতের আমল:
রাতে ঘুমানোর আগে দিনের কাজের জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করুন। নিজের ভুলগুলোর জন্য ক্ষমা চান এবং আগামী দিনে আরও ভালো কাজ করার জন্য দোয়া করুন।

সর্বশেষ,
যেকোনো সাধারণ কাজকে ইবাদতে রূপান্তরিত করার চাবিকাঠি হলো নিয়ত। যদি প্রতিটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়, তবে তা ইবাদতের অংশ হয়ে যায়। জীবনকে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী গড়ে তুললেই প্রতিটি মুহূর্ত ইবাদতে পূর্ণ হবে।
ইবাদতমুখর জীবন মানে শুধু নামাজ-রোজা নয়, বরং প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা। তাই প্রতিটি মুহূর্তকে অর্থপূর্ণ করার চেষ্টা করুন।

_______
📎ইবাদতমুখর দিন
🖋️সাদিয়া বিনতে মুসা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

22 Jan, 13:24


আজাদি সবসময় বিজয় নিশান নিয়ে আসে না,
কিন্তু, নুইয়ে দিতে পারে শত্রুর মস্তক,
শত্রুরা গ্লানির কলমে লিখে- ‘ যুদ্ধবিরতির চুক্তি’
আসলে এই স্বাক্ষরে লিখা হয়ে যায় -
আজন্ম যুদ্ধের ময়দানে বেড়ে ওঠা একটি জাতির সাময়িক মুক্তি।

আজাদি সবসময় বিজয় নিশান নিয়ে আসে না,
কিন্তু, বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়ে যায় স্বীয় শৌর্য,
শত্রুরা লহুর বন্যা বইয়ে দেয়,তারপর ঘোষণা করে- নিজেদের পরাজয়ের অনুচ্চ বাণী।
আসলে এই ঘোষণায় উচ্চারিত হয়-
অত্যাচারীরা কখনো জিম্মাদার হতে পারে না।
দেশের মাটির জিম্মা যাদের তাদের মৃতপ্রায় মূল গুলো শক্তি সঞ্চয় করে তাদেরই রক্তবীজে।

আজাদি সবসময় বিজয় নিশান নিয়ে আসে না,
কিন্তু, চোখে চোখ রেখে বলে দিতে পারে-
বিজয় পালক মাথার মুকুটেই রাখতে হবে-
কে বলেছে এই কথা?
আমাদের বিজয় পালক তো সিনাওয়ারের সেই ভগ্ন লাঠি আর পকেটে থাকা জীবন সম্বল।
আমাদের বিজয় পালক তো ইসমাঈলের সদা প্রজ্বলিত বদন খানি।
নেতা মরে যায়; থেকে যায় নীতি।
আর তাতেই-কেঁপে ওঠে জালিম রাজ।
ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ‘ যুদ্ধবিরতি’ র নামে ঘোষণা করে-
নিজেদের সশস্ত্র আত্মসমর্পণ।

//আজাদি সবসময় বিজয় নিশান নিয়ে আসে না//
🖋️সালসাবিল জান্নাত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

20 Jan, 12:18


এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে

কোটাবৈষম্য ও মেধাবীদের অবমূল্যায়নের তীব্র প্রতিবাদ

বিস্তারিত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

20 Jan, 04:35


ঘড়ির কাটায় বিকেল ৫ টা। দীর্ঘ চারঘন্টা যাবৎ একটানা লেখার সমাপ্তি হলো। ডান হাতটা যেন ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছে ব্যাথায়। ঘাড়ে তীব্র যন্ত্রণা। খাতা জমা দিয়ে আমরা বের হলাম হল থেকে। এখন উদ্দেশ্য কমনরুমে যেয়ে আসরের নামাজ আদায়। পিঁপড়ার সারির মতো পরীক্ষার্থীদের ভীড় ঠেলে আমরা ছুটলাম ড.জোহা হলের সামনের পথ ধরে। পথটা বেশ ফাঁকা। ২/৪ জন মানুষ আছে আমরা ছাড়া। ৫/৬ মিনিটের বেশি সময় লাগলো না কমনরুমে পৌঁছুতে। কমনরুমের দরজায় এক জোড়া জুতা দেখে মনে করলাম হয়তো আমাদের আগেই কেউ চলে আসছে নামাজ পড়তে। জুতা খুলে ভেতরে ঢুকলাম। সামনের ছোট্ট করিডোর আর বড় রুমটার মাঝখানে পর্দা ঝোলানো। আমরা ভেতরে ঢুকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রচন্ড এক ঝাড়ি খেলাম।

: “এই মেয়েরা এই! এইভাবে হুড়মুড়ায়ে ঢুকছো কেন হ্যাঁ?”
: “আসসালামু আলাইকুম আন্টি। আমরা একটু নামাজ পড়বো”
:“নামাজ বাসায় যেয়ে পড়ো।”
:“বাসায় যেতে যেতে ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাবে,নামাজটা কাজা হয়ে যাবে আন্টি।”
:“না, আমি আর একটুও থাকতে পারবো না এখানে। সেই অনেক সকালে আসছি।এখন বাসায় যাবো। তোমরা বের হও।”
:“আন্টি, মাত্র ১০ মিনিট সময় দেন আমাদের। বেলা ছোটো। বাসায় পৌঁছুতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে।”
:“পরীক্ষার পরে এতো লেট করছো কেন? এখন না আছে আসর, না আছে মাগরিব। যাও..”

আর কিছু না বলে অগত্যা করিডোর থেকেই ফিরে এলাম আমরা তিনজন। কিছুটা বিক্ষুব্ধ মন। এতো এতো মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে থেকে মাত্র তিনজন নামাজ আদায়ের জন্য গেলাম। আমাদের রিকুয়েষ্ট পর্যন্ত শুনলো না..⁉️
সমাজের প্রত্যেকটা সেক্টরে ইসলামের সঠিক বুঝ তৈরী করার প্রয়োজনীয়তাটা নতুনভাবে উপলব্ধি করলাম।

১ম গেটে প্রচুর ভীড়। এরমধ্যে তো আমরা একসাথে থাকলেও হারিয়ে যাবো। তাই তিনজন পরস্পরের হাত ধরলাম। বললাম চারিদিকে কোথাও তাকানোর দরকার নেই, কেউ কারো হাত ছাড়া যাবেনা। এইভাবে থাকলে আমরা দ্রুত বের হতে পারবো। তারপর আমাদের প্রথম টার্গেট নামাজটা আদায় করে নেওয়া। শিকলের মতো পেচানো হাত ধরাধরি অবস্থায় আল্লাহর রহমতে গেট থেকে বের হয়ে রাস্তায় উঠলাম আমরা। হঠাৎ পেছন থেকে কেউ টেনে ধরলো। কিছুটা চমকে উঠলাম। আরেহ! আম্মু আসছেন আমাকে নিতে...আম্মুকে চিনতে আমার প্রায় ৩০ সেকেন্ড সময় লাগলো।
আম্মু:“এতো পরীক্ষার্থী এই কেন্দ্রে! আমি শত-শত মেয়েদের মাঝে শুধু খুঁজছি একটা সাদা স্কার্ফ। অবশেষে পেলাম।”
আম্মু সব কথা পরে হবে। আমরা নামাজ পড়তে পারি নাই। এখন আগে প্রায়োরিটি নামাজের।

ফিরতি পথে গাড়ির ভেতর নামাজ আদায় করা ছাড়া আর কোনো উপায় খুঁজে পেলাম না আমরা। মনটা আবার বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলো।
৯০% মুসলমানের দেশ
নামাজের চিন্তা শুধু মুষ্টিমেয় কয়েকজনের
নামাজের জন্য কোনো ব্যবস্থাও নেই
পরীক্ষাটাও অটাইমে। বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫টা।
আমরা এই সমস্ত সিস্টেমের পরিবর্তন চাই।

২য় দিন। বৃষ্টির কারণে পিচ্ছিল হয়ে আছে পথগুলো। পরীক্ষা শেষে আমরা পা টিপে টিপে এগুচ্ছি সেই পথে। কমনরুমের সামনে দিয়ে যেতে দেখলাম তালাবদ্ধ দরজা। আরো কিছুটা পথ সামনে যেয়ে কলেজের মসজিদের দিক এগোলাম। একজন বড় আপু বলেছিলেন, কলেজের মসজিদে মেয়েদের নামাজের ব্যবস্থা আছে, জায়গাটা যেন আমরা খুঁজে নিই।
একজন মুরুব্বীর সহযোগিতা নিয়ে জায়গাটা খুঁজে নিলাম।

নামাজ আদায় শেষে বের হয়ে আসছি আমরা। ঘাট বাঁধানো বিশাল সবুজ পানির পুকুর। পুকুরের পাড়ে মসজিদ। প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য বইছে মৃদু ঠান্ডা বাতাস। পুকুরের পানি ঢেউ খেলে আসছে ঘাটের দিকে। পড়ন্ত বিকেল। মেঘলা আকাশ। এই রকম পরিবেশটা কেন যেন মনের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
হৃদয়ে মোচড় দিয়ে উঠলো এক নির্মম ইতিহাস। বি.এল কলেজের এই মসজিদেই জ*বা*ই করার পরে আমাদের ভাইদের লা*শ ফেলে দেওয়া হয়েছিলো এই পুকুরে। আহ! কি নৃশংসতা! ক্ষমতার পালাবদল হয় কিন্তু ইসলামি আন্দোলনের উপর নির্যাতন, নিপীড়নের পরিবর্তন হয়না। পাপের ঘড়া পূর্ণ করে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু ছাত্রদল? তারাও তো কম করেনি..
বৃষ্টিস্নাত ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের মাঝ পথ ধরে বিভিন্ন কথা ভাবছি আর খুব সাবধানে পা ফেলে হাঁটছি। কারণ, “দূর্বা সবুজ ঘাসের উপর হাঁটতে আমার ভয়,সেখানে যদি বীর শহীদের রক্ত লেগে রয়।” একসময় কলেজ এড়িয়া ছাড়িয়ে চলে এলাম বহুদূর। মসজিদের মিনার থেকে ভেসে এলো মাগরিবের আজান।

🍁ঝরা পাতার স্মৃতি🍁
📝নুসরাত জাহান বুশরা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

16 Jan, 12:17


নফসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যেন নিজের মধ্যেই এক গভীর অন্ধকারের সঙ্গে লড়াই। এই নফস বারবার আমাকে টেনে নিয়ে যায় এমন জায়গায়, যেখানে আমার রবের অসন্তুষ্টি থাকে। নিজের পাপগুলো আমাকে গ্রাস করে, আর আমি লজ্জায় ডুবে যাই।

তবুও আমি থামি না, কারণ আমি জানি—আমার রব অতি মেহেরবান। তিনি অপেক্ষা করেন, কবে আমি তাঁর দিকে ফিরে যাব। কিন্তু নফস আমায় আটকে রাখে, যেন আমি তার প্রিয় বান্দা হতে না পারি।

কিন্তু আমার রব বলেছেন:
"তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করেন।"
(সূরা আয-যুমার: ৫৩)

আমি জানি, এ যুদ্ধ সহজ নয়। তবে আমি আশাবাদী, আমার রবের রহমত আমার পাপের চেয়ে বড়। তাই আমি প্রতিদিন একটু একটু করে চেষ্টা করি, আমার নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে। কারণ আমি চিরকালীন ধ্বংস নয়, আমার রবের কাছে ফিরে গিয়ে তার প্রিয় হতে চাই।

"হে আল্লাহ! আমাকে তুমি ক্ষমা করো, আমার নফসকে শুদ্ধ করো, আর আমাকে তোমার প্রিয় বান্দাদের কাতারে শামিল করো।"

______
🔸নফসের সঙ্গে নিরন্তর সংগ্রাম
🖋️হাবিবা রহমান (ফাইজা)

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

14 Jan, 12:04


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বিস্তারিত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

14 Jan, 06:59


ভুলের পর্দা সরে গেলে,
ফেরারী আত্মা করে একটু শান্তির সন্ধান-
জায়নামাজ সিক্ত করে,
তপ্ত লোরে গেয়ে যায় শুধু মাগফিরাতের গান,
উপলব্ধির মানসপটে-
বায়স্কোপের মতো ভেসে আসে অযাচিত কৃত ভুল।
অনুপ্রেরণার বারুদ বাষ্পে,
ভুলের কলি গুলো থেকেই জন্ম নেয় শাশ্বত সব ফুল।

ভুলের পর্দা কীভাবে সরে যায়-
ভেবেছো কখনো কেউ?
হতে পারে কোনো কল্যাণকামীর
দুয়াতে রোদন ঢেউ!

দুয়াতে বদলে বেভুলের পথ-
পথে ফিরে পথভোলা,
চলোনা আবার দুয়াবাদী হই-
দুয়া করি মনখোলা।

দুয়াতে ঘুচবে হৃদয়ের খেদ-
দূর হবে জ্বালা শত উদ্বেগ,
আবে কাউসারে ভেসে যাবে
দেখো সকল বাতিল তেগ।

দুয়াবাদী হই চলো-
দুয়ার ভাষাতে রবের সমীপে
সব কথা আজ বলো!

_____
চলো দুয়াবাদী হই
🖋️জানজাবিল তাসনিম

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

05 Jan, 04:24


Heart Touching ❤️❤️❤️

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

04 Jan, 10:24


মনের খোরাক

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

04 Jan, 09:38


ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢেকে আছে, তারমধ্যে ঠান্ডা বাতাসের হাতছানি। হাড় কাঁপানো শীত যাকে বলে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যস্ততা থেকে খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে বাসায় আসলাম। সকালে লেপের নিচে পা গলিয়ে চা এ চুমুক দিয়ে গ্রামের সবার খোঁজখবর নিচ্ছিলাম আম্মুর থেকে। এক পর্যায়ে নামাজের কথা তুলতেই আম্মু বললো,
“হ্যাঁ সেদিন ই তো তোর দাদাকে নিয়ে কবরে রেখে আসলো।”
বলতেই আমার চোখের চৌকাঠ ভেঙে পানি গড়িয়ে পড়লো।

আমাকে কারোর মৃত্যুর খবর জানানো হয় না, আমি চিন্তা করবো বলে।
তখন মনে একটা চিন্তা উঁকি দিলো
একই আলো, বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে একজন মানুষ পৃথিবীতে তার নির্ধারিত সফর শেষ করলো অথচ আমরা টের ই পেলাম না। ঠিক সেরকমই মালাকুল মউত যখন আমার সফর শেষ করার এলান দিতে আসবেন আমার প্রিয়জন ও বুঝতে পারবেনা।
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে অনন্ত যাত্রার দিকে আমি এগিয়ে যাবো। কত কঠিন হবে আমার সেই পথচলা!
যদি না সেই পথচলার রসদ না যোগাই।

আর কতো আমরা দুনিয়ার মায়ায় পড়ে থাকবো?
রঙিন চশমা আমরা কতদিন পরে থাকবো?তাওবার স্বাদ আস্বাদন করিয়ে আমাদের ডেকে নিও মাবুদ।ফুরিয়ে যাওয়ার আগে তুমি আমাদের ফিরিয়ে নিও রব এটাই আমার আর্জি।

______
🔸রঙিন চশমা
🖋️নুসরাত জাহান

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

04 Jan, 00:12


জাবি'র সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর শামীমা নাসরিন জলি ম্যাডামের পোশাক নিয়ে কটূক্তি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং সহকারী প্রক্টর শামীমা নাসরিন জলি ম্যাডামের পোশাক নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

থার্টি-ফার্স্ট নাইট উদযাপনকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ৩১ তারিখ দিবাগত রাতে প্রক্টরিয়াল বডি ক্যাম্পাসে টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় প্রক্টোরিয়াল টিমের সদস্যরা ৮-১০ জনসহ একটি প্রাইভেট কার দেখতে পেয়ে দায়িত্বপালনের অংশ হিসেবে তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের মাঝে থাকা একজন মেয়ে নিজেকে ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৯তম আবর্তনের (সেশন: ২০০৯-২০১০) শিক্ষার্থী, শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি, নবীনুর রহমান নবীন মেয়েটিকে চলে যেতে বলেন। তখন সহকারী প্রক্টর শামীমা নাসরিন জলি তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তিনি তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং রূঢ় ভাষায় কথা বলেন। এ সময় নবীনুর রহমান নবীন সহকারী প্রক্টরের পোশাক (বোরখা, হাত মোজা) নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন বলে জানা যায়।

একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে তার দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান ও তার পোশাকের কারণে তাকে হেনস্তা করার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের সংবিধান এর সকল নাগরিকের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক সংবিধান প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে একজন শিক্ষককে হেনস্তা ও দায়িত্বপালনে বাধা প্রদানের কারণে অভিযুক্তকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানাচ্ছি।



০৪.০১.২৫

রিনতাহা তারান্নুম

প্রচার বিভাগ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

03 Jan, 04:44


আসুন,
নতুন বছরে ব্যক্তিগত পরিকল্পনা গুছিয়ে নেই...

১. নামাজ,কুরআন, হাদিস, ইসলামি সাহিত্য অধ্যয়ন (নিয়মিত)
২. পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী এবং নিজের হক আদায়ে তটস্থ হওয়া।
৩. একাডেমিক পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া এবং রুটিন তৈরি করে সেভাবে চলা।
৪. মৌলিক মানবীয় গুণাবলী ও ইসলামি নৈতিকতা অর্জন।
৫. সর্বদা দোয়া ও জিকিরে মনকে ব্যস্ত থাকা।
৬. নফল ইবাদত (নফল নামাজ, রোজা এবং দান- সদকার পরিমাণ বাড়ানো। এমন কিছু নফল ইবাদত করা যা আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ জানবে না। যেমন:ঘুমানোর আগে দু’রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে নেয়া, সূরা মূলক পাঠ, মোনাজাত )
৭. আত্মিক পরিশুদ্ধতায় তাকওয়ার গুণাবলী অর্জনে সংকল্পবদ্ধ হওয়া।
৮. মিথ্যা, গীবত, পরনিন্দা, পরচর্চা, অহংকার ইত্যাদি বর্জন করা।
৯. আল্লাহর একজন দায়ী হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালনে তটস্থ থাকা।
১০. নিয়মিত আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেকে সংশোধনের মধ্যে রাখা।

আশা করা যায়, এভাবে পরিকল্পনা গুছিয়ে নেয়া হলে সময় অপচয় কম হবে ইনশাআল্লাহ। সংযত থাকা যাবে সময়ের নিখুঁত ব্যবহারে।
আল্লাহ অনেক বেশি সময়ের বারাকাহ দান করুন,পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাহায্য করুন আমিন।

🔸গুছিয়ে নেই ব্যক্তিগত পরিকল্পনা
🖋️মেশকে জান্নাত সাদিয়া

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

31 Dec, 14:54


প্রতি বছর ৩১শে ডিসেম্বর রাতে "থার্টি ফার্স্ট নাইট" উদযাপনের মাধ্যমে নতুন বছরের সূচনা করা হয়। এ রাতটি সাধারণত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির মাধ্যমে পালিত হয়, যা ইসলামের মূল নীতির পরিপন্থী।

🔹থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন কেন ইসলাম বিরোধী?
১. অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার চর্চা:
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে প্রায়ই অশালীন পোশাক, নাচ-গান এবং অনৈতিক কার্যকলাপ ঘটে। অথচ আল্লাহ তাআলা বলেন:
> “তোমরা অশ্লীলতার নিকটবর্তী হয়ো না।”
(সূরা আল আ’রাফ: ৩৩)
নবী করিম (সা.) বলেছেন:
> “পোশাক পরিহিত হয়েও যারা নগ্ন থাকে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না।”
(সহীহ মুসলিম: ২১২৮)

২. শিরক ও বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণ:
থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনেক কার্যক্রমে শিরকীয় বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাব দেখা যায়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন:
> “যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত।”
(আবু দাউদ: ৪০৩১)

৩. যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয়:
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে যুবসমাজ মাদক, অশ্লীলতা এবং অনৈতিকতার দিকে আকৃষ্ট হয়। এমনকি এ রাতে নারীদের শ্লীলতাহানি এবং অপমানের ঘটনাও ঘটে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
> “তোমরা জেনার নিকটবর্তী হয়ো না। এটি অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট পথ।”
(সূরা বনী ইসরাইল: ৩২)

🔹ইসলামের দৃষ্টিতে করণীয়:
১. বিজাতীয় সংস্কৃতি এবং অশ্লীল কার্যকলাপ বর্জন করা।
২. ইসলামের শালীন জীবনযাপন এবং আল্লাহর আদেশ পালনে মনোনিবেশ করা।
৩. থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন থেকে দূরে থেকে পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনের সাথে সময় কাটানো।

থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন ইসলামের মৌলিক নীতির পরিপন্থী। এটি যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের একটি মাধ্যম। একজন প্রকৃত মুসলিমের উচিত এ ধরনের উৎসব পরিহার করা এবং আল্লাহর পথ অনুসরণ করা।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমিন।

________
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন: ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
🖋️হাবিবা রহমান

#NotOurCulture
#SayNoTo31stNight

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

30 Dec, 18:27


জীবন থেকে আরেকটা বছর চলে গেলো।
ঘড়ির কাটা ঠিক তার গতিতে ছুটছে। শুধু আমিই বেখেয়াল, আমিই কেবল মেলাতে পারি নি জীবনের হিসেব। হিসেব কষতে বসলে সব ঘোলাটে,এলোমেলো লাগে। চোখের সামনে হিসেবের খাতা সাদা-কালো।

থমকে থাকেনি কিছুই আমার জন্য, থমকে থাকেনি ফেলে আসা সময়।
কেবল আমিই থমকে গেছি পথ খুঁজে না পাওয়া আঁধারে ঢাকা বালুচরে।

কতটুকু পরিপূর্ণতা জীবনে ভেবে দেখিনি কখনও !
কতটুকু ছুটেছি আলোর দারে, আবছা সবই !
অথচ ঘড়ির কাটা এগোচ্ছে ঠিক তার গতিতে।
আজও হয়নি এসবের মর্ম অনুধাবন।

ফুরিয়ে আসছে সময়, ফুরিয়ে আসছে জীবনের অবিশ্বাস্য দম।
কখন জানি ঘন্টা বেজে যায়, কখন জানি ডাক পড়ে যায় চলে যাবার। তবুও হুঁশ ফেরেনি আমার, তবুও মত্ত রয়েছি আঁধারে গা ঘেঁষে !
আজও দেখিনি আলোর রক্তিমা ভোর, আজও খুঁজিনি নক্ষত্রের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তবুও দিশেহারা চঞ্চলা মন।

অনুভূতির এ তীব্র শিখা হৃদয়ে কড়া নাড়ছে বারংবার, কড়া নাড়ছে অবহেলা-অবজ্ঞায় ফেলে আসা জীবনের মূল্যবান সময়গুলো।
এ যেন এক তিক্ত অনুভূতি।

_______
এ যেন এক তিক্ত অনুভূতি
🖋️মাহমুদা হোসাইন নূরী

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

29 Dec, 16:20


খ্রিষ্টবর্ষের ৩১ শে ডিসেম্বর রাত ১২ টা ১ মিনিটকে থার্টিফার্স্ট হিসাবে উদযাপন করা হয়। পুরনো বছরকে বিদায় জানানো ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উপলক্ষে নেশা ও উন্মাদনায় মেতে ওঠে অনেকেই। অপচয় ও অপব্যয়ের প্লাবনে ভাসে একেকটি আয়োজন। ইসলামি জীবন বিধান অনুযায়ী এ কাজগুলো মারাত্মক অপরাধ।

♦️উৎপত্তি -
ইংরেজি বা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তিত হয় ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে। এই ক্যালেন্ডার চালু করেন খ্রিস্টধর্মের যাজক পোপ গ্রেগরি। ইতিপূর্বে নববর্ষ পালনের রীতি বিভিন্ন সভ্যতায় থাকলেও পাকাপোক্তভাবে ১লা জানুয়ারি নববর্ষ পালনের রেওয়াজ শুরু হয় এ সময় থেকে।

♦️থার্টি ফার্স্ট নাইট কি ইসলাম সমর্থিত?
১. অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা -
এ রাত্রিকে কেন্দ্র করে চলে অশালীন ও বেহায়াপনার মহোৎসব। যুবতীরা অশালীন পোশাক পরিধান করে অবাধে চলাফেরা করে। অথচ এ প্রসঙ্গে নবী (সা:) বলেন,
“ঐসব নারী যারা হবে পোষাক পরিহিতা কিন্তু প্রায় নগ্ন। যারা পরপুরুষকে আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথা বক্র উঁচু কাঁধ বিশিষ্ট উটের ন্যায়। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না।”
(সহীহ মুসলিম: ২১২৮)

২. বিধর্মীদের সঙ্গে সাদৃশ্য -
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের রীতি চালু হয়েছে খ্রিষ্ট জগতে। সুতরাং এ দিবস পালনের মাধ্যমে বিধর্মীদের সাদৃশ্য অর্জন করা হয়। ইসলামবিজাতীয় সংস্কৃতি পালন করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
“নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন।”
(সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৯)

তিনি আরও বলেন,
“যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্মের অনুসরণ করবে কখনো তার সেই আমল গ্রহণ করা হবে না। আর পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”
(সুরা আল ইমরান : আয়াত ৮৫)

৩.আতশবাজি, পটকাবাজি -
আনন্দের আতিশয্যে মধ্যরাত থেকে শুরু হয় আতশবাজি ও পটকাবাজির মহড়া। বিভিন্ন সড়কে, ভবনের ছাদে, প্রকাশ্য স্থানে উঁচু আওয়াজের পটকা ফোটানো হয়, এ ধরনের অসুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি হয়। সাধারণ জনগণ বিরক্ত হন এবং অসুস্থ, শিশু প বৃদ্ধরা ভীষণ কষ্ট পান।
আল্লাহ তাআলা এ প্রসঙ্গে বলেন,
“যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্ট দেয়; তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।”
(সুরা আল আহজাব, আয়াত : ৫৮)

৪.গান-বাজনা করা -
ডিজে পার্টি, ফ্যাশন শো, ফায়ার প্লে, কনসার্ট, অশ্লীল নৃত্য, ফানুস ওড়ানো ইত্যকার কাজগুলো ছাড়া কোনো বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয় না।
অথচ আল্লাহ তাআলা বলেন,
“এক শ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে পথভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং তা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। এদের জন্যে রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।”
(সুরা লুকমান, আয়াত : ৬ আয়াত)

৫. অর্থ ও সময়ের অপচয় -
এ রাত উপলক্ষে যেসব আয়োজন করা হয়— সর্বক্ষেত্রেই থাকে অর্থ অপচয়ের প্লাবন। অথচ ইসলাম যাবতীয় অর্থ অপচয় থেকে বারণ করেছে। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“আদম সন্তান, তোমরা প্রত্যেক সালাতের সময় সুন্দর পোশাক পরো। খাও, পান করো। কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের ভালবাসেন না।”
(সুরা আল আরাফ, আয়াত : ৩১)

ইসলাম ধর্মানুযায়ী মানুষের প্রতিটি মুহূর্তই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করে যে সময়গুলো নষ্ট করছি সেগুলো কি কখনও ফিরে আসবে? এ সময়টিতে আত্মপর্যালোচনা করার প্রয়োজন ছিল, বিগত বছরটা কতটুকু উৎপাদশীল ও কল্যাণকর কাজে ব্যয় করতে পেরেছি? আমি তো দিনদিন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছি। সুতরাং আগামীর দিনগুলো যেন এরচেয়েও বেশি ফলপ্রসূ হয়।

৭. ব্যভিচার-
এ রাতে অবাধে মেলামেশা ও অপকর্মে লিপ্ত হয় অনেকেই। আল্লাহ তাআলা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হতেও বারণ করে বলেন,
“তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।”
(সুরা বানি ইসরাইল, আয়াত ২২)

কোনো জাতিকে ধ্বংস করতে হলে ধ্বংস করতে হয়— তাদের সভ্যতা সংস্কৃতি ঐতিহ্য; তাহলে ধ্বংসযজ্ঞের বাকি কাজ এমনিতেই সমাধা হয়ে যায়। বদলে যায় ইতিহাসের গতিপথ। উইলিয়াম হ্যান্টিংটন ক্লাস অব সিভিলাইজেশন বইয়ে লিখেন,
“ইসলামি সভ্যতাই পশ্চিমা বিশ্বের প্রধান সমস্যা।”
তাই তারা সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে আমাদেরকে কাবু করতে চায়।

♦️আমাদের আহবানঃ
পরিশেষে সকলকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি এই নিকৃষ্ট সংস্কৃতিকে চিরদিনের জন্য বাংলাদেশ থেকে বিলীন করতে আসুন আমরা সচেষ্ট হই। এ লক্ষ্যে সকল মুসলিমকে সীসা ঢালা প্রাচীরের মত প্রতিরোধ বুহ্য সৃষ্টি করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা ও অন্যদেরকে এই বিষয়ে সচেতন করার মাধ্যমে জান্নাত লাভ করার জন্য আল্লাহ তাওফিক দান করুন।
আল্লাহ্‌ তা’য়ালা বলেন,
”তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে ও পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।”
(সূরা আত-তাহরীম:৬)

_______
▪️থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন
🖊️সুমাইয়া সুলতানা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

29 Dec, 14:22


إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। (সূরা ফাতিহা ০১/০৫)

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

29 Dec, 09:36


জীবন ফুলের বিছানা নয়, কোনো পরীক্ষা ছাড়াই স্মুথলি কেটে যাবে এটা ভাবার কোনো অবকাশ নেই। মানুষ মাত্র ই তাকে পরীক্ষা নেওয়া হবে।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা কুরআনে সুস্পষ্ট বর্ণনা করেছেন যে,

لَنَبۡلُوَنَّكُمۡ بِشَیۡءٍ مِّنَ الۡخَوۡفِ وَ الۡجُوۡعِ وَ نَقۡصٍ مِّنَ الۡاَمۡوَالِ وَ الۡاَنۡفُسِ وَ الثَّمَرٰتِ ؕ وَ بَشِّرِ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿۱۵۵﴾ۙ

আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব
ভয় ও ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি (এসবের) কোনকিছুর দ্বারা নিশ্চয়ই পরীক্ষা করব, ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ প্রদান কর।

ঈমানের পথে অটল থাকা অনেক বেশি কঠিন। ঝলসানো রুটির মতো হৃদয় ঝলসে যাবে, কষ্টের পর কষ্ট আসতে থাকবে তবুও নিরাশ হওয়া যাবেনা, পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া যাবেনা।

পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমরা অনেক সময় ভুলভাল কিছু লিখে চলে আসি,অনেক জানা উত্তর ও ভুলে যাই। হল থেকে বের হওয়ার পর মনে পড়ে ইশশশ! তখন যদি মনে পড়তো তাহলে তো মার্কস কাটার কোনো সুযোগ থাকতো না।

ঈমানী পরীক্ষায় ও তদ্রূপ কষ্টের তীব্রতায় শয়তান আমাদের গাফিলতির দিকে নিয়ে যেতে চায়। ভুলাতে চায় রবকে। আমরা ভুলে যাই কিসে আমাদের শান্তি, কিসে আমাদের মুক্তি। এই পথ কণ্টকাকীর্ণ, বন্ধুুর। সামান্য তম অবিশ্বাস আর অনাস্থা আপনাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। কোথায় ভাসিয়ে নিবে চিন্তা ও করতে পারবেন না।

প্রতি মুহূর্তে রবের কাছে সাহায্য চাইতে হবে। ইয়া রব্ব আপনি পরীক্ষা গুলো সহজ করে দিন , আমি আপনার নগন্য বান্দা, পরীক্ষা দেওয়ার মতো শক্তি আর সামর্থ্য আমার নেই। আমাকে ঈমানের পথে অটল থাকার তাওফিক দান করুন।
রব কি শুনবেননা?
অবশ্যই শুনবেন,

আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন, 'বান্দা আমার প্রতি যেমন ধারণা রাখে, আমি তার কাছে সেই রূপ! আমি তার সাথেই থাকি, যখন যে আমাকে স্মরণ করে।
আল্লাহর কসম! নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দার তওবায় তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অপেক্ষা বেশি খুশী হন, যে তার মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়া বাহন ফিরে পায়।

আর যে ব্যক্তি আমার দিকে এক বিঘত পরিমাণ এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে এক হাত পরিমাণ এগিয়ে যাই। যে আমার দিকে এক হাত পরিমাণ এগিয়ে আসে , আমি তার দিকে দুই হাত পরিমাণ এগিয়ে যাই। আর সে যখন আমার দিকে কদম ফেলে এগিয়ে আসে, আমি তখন তার দিকে দৌড়ে অগ্রসর হই।’’ (বুখারী ও মুসলিম)

মূলত:
মানুষের ঈমান অনুসারেই আল্লাহ্ তা'আলা মানুষকে পরীক্ষা করে থাকেন। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সবচেয়ে বেশী পরীক্ষা, বিপদাপদ-বালা মুসিবত নবীদেরকে প্রদান করেন। তারপর যারা তাদের পরের লোক, তারপর যারা এর পরের লোক, তারপর যারা এর পরের লোক।”
[মুসনাদে আহমাদ: ৬/৩৬৯]

অর্থাৎ প্রত্যেকের ঈমান অনুসারেই তাদের পরীক্ষা হয়ে থাকে। তবে পরীক্ষা যেন কেউ আল্লাহর কাছে কামনা না করে। বরং সর্বদা আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা কামনা করাই মুমিনের কাজ।

ইয়া রব্ব আপনি আমাদের জীবনকে সহজ করুন।
আপনার দয়া ক্ষমা দ্বারা আমাদেরকে পরিপূর্ণ করুন।

_________
ঈমানের পরীক্ষায় ধৈর্যের দীক্ষা
🖋️ সুমাইয়া মুতাদায়্যিনাত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

14 Nov, 03:42


নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'য়ালা সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনাকারী। (সূরা আনফাল : ৩০)

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

17 Oct, 16:45


সূরা আল ক্বরিয়াহ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

14 Oct, 16:36


আমাদের গ্রুপে যুক্ত হোন
https://t.me/bicsbd1

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

14 Oct, 08:06


আমাদের গ্রুপে যুক্ত হোন
https://t.me/bicsbd1