বাট এইটার কিছু ডার্ক ট্রুথও আসলে আমাদের জানা থাকা দরকার।
আহতদের চিকিৎসার দাবিতে যে আন্দোলন চলতেছে, ওখানেও অনেকগুলো গ্রুপ দাঁড়াইয়া গেছে। এবং এর মধ্যেও স্বার্থের খেলা চলতেছে। একেক গ্রুপ একেক পক্ষের হয়ে খেলতেছে।
এবং মজার ব্যাপার হলো, এই গ্রুপগুলোর আবার নিজেদের নিয়েও সমস্যা। এরা শর্ত দিচ্ছে, অমুক গ্রুপ থাকলে, আমরা থাকবো না। আবার ঐ গ্রুপ বলতেছে ওরা থাকলে আমরা থাকবো না।
কিছু গ্রুপের দাবি দাওয়া শুধু চিকিৎসা আর টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও কিছু গ্রুপ নাকি দাবি করতেছে, তাদের উপদেষ্টা বানাতে হবে। হেলথ সেক্টর ঢেলে সাজাতে হবে।
এই টাইপের দাবি, যেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব না, এগুলো তোলার একটাই অর্থ, আন্দোলন দীর্ঘায়িত করে জন অসন্তোষ বৃদ্ধি করা।
আমি মনে করি, এখানে পুরো ব্যাপারটার প্রথম দোষটা সরকারেরই। সরকারের উচিত ছিলো টাকা আর চিকিৎসার ব্যবস্থাটা একেবারে শুরুতেই সলভ করে ফেলা। তাহলে এই সমস্যা আর বাড়তো না।
এখন সমস্যা বাড়াতে বিভিন্ন এজেন্সি ঢুকে গেছে। যে যার মতো খেলতে ট্রাই করতেছে। এবং কিছু মানুষ লোভে পড়ে হয়তো ইউজ হতেও শুরু করেছেন।
এখনও মিটিং চলছে বিভিন্ন গ্রুপের সাথে।
সরকার ৩ দিনের মধ্যে আহতদের ৩ লাখ করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। টাকার সমস্যা আপাতত সলভ হলো। বাকি চিকিৎসা আর ওষুধের সমস্যা সলভ করে দ্রুত এইটা ক্লোজ করা হোক।
এরপরেও যদি কেউ নতুন ইস্যু নিয়ে রাস্তা আটকাতে চায় বা ইস্যু বানাতে চায় বা উপদেষ্টা হওয়ার মতো অবাস্তব দাবি নিয়ে আসে, তাদের ব্যাপারটা কঠোরভাবে ডিল করা উচিত।
মনে রাখতে হবে, এই সরকারের সমালোচনা আমরা করবো তাকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য না, সফল করার জন্য। এই সরকারের ব্যর্থ হওয়া মানে আওয়ামীলীগ পুনর্বাসনের পথ ক্লিয়ার হওয়া। তখন মারা আমিও খাবো, মারা আপনিও খাবেন।
একই সাথে সরকারের জন্য এইটা বিরাট একটা লেসনও।
ইভেন আহতদের চিকিৎসার মতো একটা সেন্সিটিভ ইস্যুতেও প্ল্যানড করে করে ইউজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আর কোন সমস্যাই এতোটা বাড়তে দিয়েন না, যতটা বাড়তে দিলে জনসমর্থন নিয়ে একটা আন্দোলনকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ইউজ করা যায়।
© Sadiqur Rahman Khan