Asif Adnan (Unofficial) @asifadnanunofficial Channel on Telegram

Asif Adnan (Unofficial)

@asifadnanunofficial


এখানে মুহতারাম আসিফ আদনান ভাইয়ের ফেসবুক, ব্লগসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মের লেখাগুলো একত্রিত করার চেষ্টা করব। ইংশাআল্লাহ

Asif Adnan (Unofficial) (Bengali)

আসসালামু আলাইকুম! আপনাদের জন্য একটি নতুন টেলিগ্রাম চ্যানেল পরিচালিত করতে উদ্যোগী হলাম 'Asif Adnan (Unofficial)'. যা '@asifadnanunofficial' নামে পরিচিত। এই চ্যানেলে মুহতারাম আসিফ আদনান ভাইয়ের ফেসবুক, ব্লগ এবং অন্যান্য প্লাটফর্মের লেখাগুলি একত্রিত করা হয়েছে। এটি আপনাদের জন্য একটি অদ্ভুত স্থান হতে পারে যেখানে আপনি মুহতারাম আসিফ আদনান ভাইযের জনপ্রিয় লেখা পড়তে পারবেন এবং তার সাথে আপনার মতামত আদান-প্রদান করতে পারবেন। যারা মুহতারাম আসিফ আদনান ভাইয়ের কর্মকান্ড এবং মতামতে আগ্রহী, তাদের জন্য এই চ্যানেলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ হতে পারে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন? এখনই যোগ দিন 'Asif Adnan (Unofficial)' চ্যানেলে এবং মুহতারাম আসিফ আদনান ভাইয়ের প্রতিটি লেখা উপভোগ করুন! আল্লাহ হাফেজ।

Asif Adnan (Unofficial)

06 Jan, 01:14


একটা গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। পুরো দেশের মানুষ মোটামুটি একমত, দেশে কিছু পরিবর্তন দরকার। সংসদ ভেঙ্গে দেয়া, প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের মতো নানা ব্যাপার ঘটে গেছে। তারপরও আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া অংশটা যখন নতুন সংবিধানে যেতে পারেনি।
.
তারা কিন্তু সেক্যুলার সংবিধান থেকে ইসলামী শাসন অথবা, পুঁজিবাদী সিস্টেম ছেড়ে সমাজতন্ত্রে যাবার মতো মৌলিক কোন পরিবর্তনের কথা বলছে না। ৭২ এর সংবিধানের কাঠামো থেকে বের হয়ে এসে গণপরিষদ বানিয়ে নতুন একটা কনস্টিটিউশানের কথা বলছে। এটাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আসা সরকার করতে পারছে না।
.
আর কিছু মানুষ এই ২০২৪ সালে এসেও ভোলাভালা জনগণ আর সমর্থকদের স্বপ্ন দেখিয়ে যাচ্ছে গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম কায়েম করার! নির্বাচনী গণতন্ত্রের মাধ্যমে কিভাবে এই মৌলিক পরিবর্তন আনা যাবে? সংসদে কয়টা সিট পাওয়া গেলে রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো এবং সংবিধানকে পালটে ফেলা (সংশোধনী না) যায়? গতো ১৫০ বছরে এমন কোন উদাহরণ কী আছে যেখানে এধরণের মৌলিক পরিবর্তন নির্বাচনী গণতন্ত্রের মাধ্যমে হয়েছে?
.
এই অসম্ভব ব্যাপারটা কী গণতান্ত্রিক রাজনীতিবিদরা জানেন না? দলগুলো জানে না? জানার তো কথা। জেনেশুনেও, আমাকে ভোট দাও, ইসলাম নিয়ে আসবো - এভাবে মানুষকে স্বপ্ন দেখানো কিভাবে সৎ আচরণ হয়?

Asif Adnan (Unofficial)

04 Jan, 16:49


এই প্যাটার্ন আমরা চিনি। এধরণের আচরণ এবং ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার না হলে অতীতের পুনরাবৃত্তি হবে। মানুষ রক্ত দিয়ে, আন্দোলন করে লীগ সরিয়েছে ডিসকাউন্ট লীগের যুলুম সহ্য করার জন্য না।

নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাই প্রতিবাদ করুন৷

Asif Adnan (Unofficial)

03 Jan, 15:21


দেখুন, শেয়ার করুন।
https://youtu.be/HCN3nnGGw-g?feature=shared

Asif Adnan (Unofficial)

03 Jan, 15:17


দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায়- প্রস্তাবিত- সাইবার বুলিং আইনের কার্যকারিতা এবং অপব্যবহারের ঝুকি- নিয়ে আমাদের প্রথম প্রবন্ধ (৭ম পৃষ্ঠায়)। এই আইনে সেই বিষয়টিও কিন্তু জড়িত! লিংক কমেন্টে।

Muhammad Sorwar Hossain

https://www.facebook.com/share/p/19MWiC3oMW/

Asif Adnan (Unofficial)

03 Jan, 15:15


আইএমএফ-ওয়ার্ল্ডব্যাংকের প্রেসক্রিপশানে ভ্যাট বাড়ানো কওমের স্বার্থবিরোধী যুলুমতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত।
.
অর্থ বছরের মাঝামাঝি এসে নজিরবিহীনভাবে ভ্যাট বাড়ানোর কথা বলছে সরকার। পেছনে আছে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের চাপ। এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সিস্টেমের কাঠামোগত যুলুমতান্ত্রিকতার আরেকটি উদাহরণ।
.
ভ্যাট বাড়ানোর প্রভাব পড়বে পুরো অর্থনীতিতে। দেশে গতো দু’বছর ধরে চলা মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। কমবে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ ক্রয়ক্ষমতা। এই সিদ্ধান্ত গরীব-মেহনতী মানুষের চরম ক্ষতি করবে, মধ্যবিত্তকে আরও সংকটে ফেলবে, অর্থনীতিকে স্থবির করবে, এবং বাড়িয়ে দেবে বৈষম্যকে। মানুষের ওপর চাপাবে যুলুমের বোঝা। অন্যদিকে উচ্চবিত্তের ওপর এই ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব হবে সীমিত।
.
যেখানে আসমান ও যমীনের মালিক আল্লাহ বলেছেন বিত্তবানদের সম্পদে গরীব মানুষের অধিকার আছে, ইসলাম যেখানে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষের সাহায্য করার দায়িত্ব দিয়েছ সম্পদশালীদের, সেখানে আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের এসব পলিসি বিদেশী পাওনাদারের দেনা ফেরত দেয়ার বোঝা চাপাচ্ছে গরীব-মেহনতী মানুষের ওপর। এসব পলিসি যুলুমকে কাঠামোগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছে।
.
মূল্যস্ফীতির ফলে মানুষ কনসাম্পশান কমাতে বাধ্য হবে, ফলে অর্থনীতিতে চাহিদা কমবে। আমাদের মতো অর্থনীতির জন্য ব্যাপারটা ভালো না। এর ফলে এক ধরণের দুষ্টচক্র শুরু হবার আশংকা থাকে। আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রেসক্রিপশনগুলো বরাবরই সামাজিক ইনসাফের বদলে রাজস্ব অর্জনের মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়।
.
বাস্তব পৃথিবীর রক্ত-মাংসের মানুষের কষ্টের বদলে তাদের ফোকাস থাকে অর্থনীতির বিমূর্ত চলক আর বাস্তবতাবিচ্ছিন্ন নানা টার্গেট অর্জনে।
বারবার এদের প্রেসক্রিপশান দারিদ্র্য দূর করার ক্ষেত্রে ব্যর্থ প্রমানিত হয়েছে। সমস্যার সমাধানের বদলে এদের পলিসি সমস্যাকে আরও উস্কে দিয়েছে। এমন উদাহরণ অনেক।
.
এসব প্রতিষ্ঠানের গণবিরোধী প্রেসক্রিপশান বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেশে দেশে অর্থনৈতিক মন্দা, সামাজিক সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আর্জেন্টিনা থেকে শুরু করে গ্রিস, শ্রীলংকা থেকে শুরু করে আফ্রিকার বহু দেশ এই ‘চিকিৎসার’ ভুক্তভোগী।
.
লক্ষ্য করুন কওম ও যমীনের স্বার্থের জায়গা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না। এই পলিসি ঠিক করে দিচ্ছে আইএমএফ আর ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। আইএমএফ-ওয়ার্ল্ডব্যাংকের প্রেসক্রিপশান মানতে গিয়ে রাষ্ট্র নিজ মাটি ও মানুষের ওপর আন্তর্জাতিক ক্যাপিটাল আর কর্পোরেশনের স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের মতো দেশগুলোতে শোষণ চালাচ্ছে।
.
তারা তাদের এইড বা আর্থিক সাহায্যের সাথে এমন সব গণবিরোধী শর্ত জুড়ে দিয়েছে যেগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকারগুলো কওমের স্বার্থের বদলে প্রাধান্য দেয় বিদেশী শক্তির লাভকে। জনস্বার্থ বিরোধী এসব অবস্থানের কারণে সরকারগুলো দেশের ভেতর নাযুক পরিস্থিতিতে পড়ে, বিদেশীদের ওপর বাড়ে নির্ভরতা। এ সুযোগে আরও নতুন নতুন পলিসি চাপিয়ে দেয় ওরা।
.
নিজ মাটি ও মানুষের চাহিদা পূরণের বদলে সরকারগুলো পরিণত হয় বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ারে। আমাদের দেশে ঠিক তাই হচ্ছে। এই পলিসি মুসলিম বিশ্বে পশ্চিমাদের নব্য উপনিবেশবাদী শোষনের উদাহরণ।
.
ট্যাক্সেশানের জায়গা থেকেও ভোগ্য পণ্যের ওপর ভ্যাট না বাড়িয়ে উচ্চবিত্তের সম্পদের ওপর বা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া নিয়ে কাজ করা যেতো। দুর্নীতি কমানোতে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে আরও দক্ষ করে তোলার দিকে ফোকাস করা যেতো।
.
কিন্তু এধরণের প্রেসক্রিপশানগুলো একদিকে এলিটদের রক্ষা করে অন্যদিকে করের বোঝা চাপিয়ে দেয় দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর। রাষ্ট্র যন্ত্রের অদক্ষতা আর এলিটদের বিলাসিতার বোঝা টানতে হয় সবচেয়ে দুর্বল, সবচেয়ে মযলুম জনগোষ্ঠীদের। নিওলিবারেলিসমের চিরাচরিত স্বভাব এটা।
.
পাশাপাশি, এই ভ্যাট বৃদ্ধি গণমানুষের জীবনে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ আর আগ্রাসনের আরেকটা উদ্বেগজনক ধাপ। রাষ্ট্র এক অতিকায় জোঁকের মতো মানুষের কষ্টার্জিত সম্পদ থেকে প্রতিনিয়ত নানা ভাবে নানা চেহারায় অর্থ শুষে নিচ্ছে।
.
তারপর সেই শুষে নেয়া অর্থ নিয়ে মানুষকে দাবিয়ে রাখার জন্য তৈরি করছে অস্ত্রধারী নানা বাহিনী। নজরদারীর সুক্ষাতিসুক্ষ কাঠমো। মানুষের সেবা তো দূরে থাক, মানুষকে শান্তিতে থাকার সুযোগটাও দিচ্ছে না রাষ্ট্র। সে উল্টো আন্তর্জাতিক এলিটদের শোষন ও নিয়ন্ত্রনের উপকরণ হিসেবে কাজ করছে।
.
ভ্যাট বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমা বিশ্বের নব্য-উপনিবেশাবাদী শোষণ আর নিওলিবারেল ওয়ার্ল্ড অর্ডারের সামনে সরকার আর তথাকথিত বিপ্লবীদের নতজানু অবস্থানের প্রমাণ। যা আবারও প্রমান করে যুলুম ও শোষণের আন্তর্জাতিক কাঠামো থেকে মুক্ত হতে না পারলে, ইসলামের শিক্ষার পাটাতনে দাঁড়িয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন না আনলে যতো বার সরকার পাল্টাক কেন, মুক্তি আমাদের আসবে না।
.
ভ্যাট বৃদ্ধির ফিরিঙ্গি প্রেসক্রিপশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন
ইনসাফ ও মাযলুমের পক্ষে দাড়ান

Asif Adnan (Unofficial)

03 Jan, 15:15


- প্রতিদিন জিয়ার নাম নিলে বেহেশতে যাওয়া যাবে
- মসজিদের মাইকে আযান দেয়া যাবে না রাজনৈতিক প্রোগ্রামে ডিস্টার্ব হবে

বিএনপি লীগের সাথে টেক্কা দেয়ার জন্য আটঘাট বেঁধে নেমে গেছে মনে হচ্ছে।

মুয়াজ্জিনের সাক্ষাৎকারঃ
https://www.facebook.com/Chouddagramjournal.official/videos/602124085560821/

Asif Adnan (Unofficial)

02 Jan, 01:19


হেলমেট দল।

Asif Adnan (Unofficial)

31 Dec, 15:35


র' কিভাবে মালদ্বীপের নির্বাচনে গুটিবাজি করতে চেয়েছিল৷ তা নিয়ে রিপোর্ট। খুব স্পেসিফিক ইনফরমেশন দেয়া হয়েছে রিপোর্টে। ওয়াশিংটন পোস্ট এসব তথ্য কোন না কোন গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে পেয়েছে। অ্যামেরিকান ইন্টেলিজেন্স আর ডারতীয় ইন্টেলিজেন্সের রেশারেশি দেখতে ভালো লাগছে।

https://www.washingtonpost.com/world/2024/12/30/maldives-president-muizzu-india-china-influence/

Asif Adnan (Unofficial)

31 Dec, 15:34


লীগ তোষণের ফলাফল

Asif Adnan (Unofficial)

31 Dec, 15:33


- আওয়ামী জাহেলিয়াতের কবর
- ডারতীয় সম্প্রসারণবাদ ও বিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান
- সাংস্কৃতিক জমিদারদের চ্যালেঞ্জ করা
.
বাংলাদেশের সেক্যুলার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যারাই এই তিন ইস্যুতে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থান নেবে গণমানুষ আপাতত তাদেরকেই 'মন্দের ভালো' হিসেবে দেখবে।
.
আপাতত এই তিন ফ্রন্টেই মির্যায়ী বিএনপি সহ পুরনো রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান খারাপ। বৈষম্যবিরোধী-জানাক এর অবস্থান ১ আর ২ এর ক্ষেত্রে তুলনামূলক কম খারাপ।
.
আর সাংস্কৃতিক জমিদারদের সিম্পিং এর ক্ষেত্রে সবাই একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। যদি জমিদাররা এদের সবাইকেই অপছন্দ করে।
.
সেক্যূলার দল হিসেবে এদের সবার সাথেই আদর্শিক দ্বন্দ্ব আছে থাকবে। তবে এই তিন ইস্যুতে কে কোন অবস্থান নেয়, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।

Asif Adnan (Unofficial)

31 Dec, 15:33


ঘোষণা নিয়ে একটা হযবরল হচ্ছে। সম্ভবত কামলা বিদ্রোহের কারণে ছাত্রনেতারা সিরিয়াস কিছু সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ভাবতে বাধ্য হয়েছে।
.
কিন্তু এখানেও ইনডিসাইসিভনেস, এক দিকে বিপ্লবের রেটোরিক অন্যদিকে মিডিওকার সংস্কারবাদী চিন্তা, এক দিকে বিপ্লবী অন্য দিকে সরকারের অংশ হবার মাইন্ডসেটের কারণে ব্যাপারটা গোজামিল হয়ে গেছে। আর নিজেরা নিজেরা 'জাতির হয়ে' কথা বলার ব্যাপারটা তো আছেই।
.
তবে এতো কিছুর পরও আমি ঐ কথাই বলবো যা ৭/৮ অগাস্ট বলেছিলাম। আপাতত রাজনীতির বোর্ডে ছাত্ররা তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে কম খারাপ চয়েস।
.
বিশেষ করে আওয়ামী লীগের ফিরে আসা এবং ডারতীয় আগ্রাসনের ডুয়াল হুমকির ব্যাপারে তাদের অবস্থান তুলনামূলকভাবে ভালো। মির্যায়ী-বিএনপি লীগ আর ডারত দুটোরই পুনর্বাসনের ঠিকাদারি নিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে৷
.
ঘোষনা বা 'মার্চ' থেকে বিশেষ কিছু আশা করি না৷ তবে আপাতত তারা লিস্ট ব্যাড অপশান।

Asif Adnan (Unofficial)

31 Dec, 02:37


অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বলা কথাগুলো আবার মনে করিয়ে দিলাম।

https://www.facebook.com/share/v/1BMQmCdYk7/

Asif Adnan (Unofficial)

30 Dec, 08:24


নিচের লেখাটা সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখের। ৩১শে ডিসেম্বরের আগে আবার লেখাটা প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে। #১৩ এবং #১৪ বিশেষভাবে দ্রষ্টব্য -
.
এক মাস কেটে গেল। এই এক মাসে অনেক কিছু হলো। আমাদের মনোযোগও বিক্ষিপ্ত হলো। কিছু জানা কথা আবার মনে করিয়ে দেই।
.
১। আওয়ামী জাহিলিয়্যাতের পতন এই কওমের অনেক বড় অর্জন। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড় নিয়ামত। এই নিয়ামতের মূল্যায়ন যদি আমরা না করি, তাহলে পরিণতি ভালো হবে না।
মহান আল্লাহ বলেছেন,
لَئِن شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ ۖ وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ

যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য (আমার নি‘য়ামাত) বৃদ্ধি করে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও (তবে জেনে রেখ, অকৃতজ্ঞদের জন্য) আমার শাস্তি অবশ্যই কঠিন।
.
২। জুলাই গণহত্যার বিচার বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি কোন দিক থেকেই সন্তোষজনক না। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিচার শুরু হয়নি। কিন্তু তার আগেই উপদেষ্টা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা ক্ষমা, পুনর্বাসন ইত্যাদির কথা বলা শুরু করেছেন। এগুলো আত্মঘাতী কাজকর্ম।
.
৩। র‍্যাব ভেঙ্গে দেয়া প্রয়োজন, পুলিশ বাহিনীতে যারা সিস্টেমিক খুনের সাথে জড়িত তাদের যথাযথভাবে বিচারের আওতায় আনা জরুরী। জন(গী) দমনের নামে চরম নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো পুলিশ ও র‍্যাবের অফিসারদের বিচার করা আবশ্যক। কিছুই হয়নি, কোন অগ্রগতিও দেখা যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে গণহত্যার সাথে জড়িত পুলিশরা প্রমোশন পেয়ে বসে আছে।
.
৪। এক মাস কেটে যাবার পরও আন্দোলনে হতাহতের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়নি, এটা বড় ব্যর্থতা। জুলাই আন্দোলনে যুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন, যারা পঙ্গু হয়েছেন, যারা কুরবানী করেছেন, তালিকা তাদের পরিবারগুলো সম্মাননা ও সহায়তা দেয়া আমাদের সামষ্টিক দায়িত্ব।
.
৫। বিভিন্ন ব্ল্যাক সাইট বা ‘আয়নাঘরে’ যারা গুম হয়েছিল তাদের হদিস বের করা, পরিবারগুলোকে জানানো, জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা, এই গুম ও ক্রসফায়ার চক্র ও সিস্টেম নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের মতো কাজগুলো একেবারেই আগায়নি।
.
৬। বিভিন্ন বাহিনী, সংস্থা এবং আমলাতন্ত্রের উঁচু উঁচু পদে এখনো আওয়ামী লোকজন রয়ে গেছে। গুম, ক্রসফায়ার, মাফিয়া তন্ত্রের সাথে লোকদের এখনো সরানো হয়নি। এভাবে কোন অর্থবহ সংস্কার হবে না।
.
৭। আওয়ামী জাহিলিয়্যাতের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে কাজ করা ব্যবসায়ীদের বিচার ও জবাদিহিতার আওতায় আনা হয়নি। বরং তারা নানাভাবে নতুন সরকার, এবং বিরোধী দলগুলর ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছে। এদের বিচার হওয়া জরুরী।
.
৮। আওয়ামী আমলে ভারতের সাথে দেশের স্বার্থবিরোধী কী কী চুক্তি হয়েছে, আওয়ামী শাসনের সাথে ডার৩-ইয় ইনভলভমেন্ট, এদেশে ডার৩-ইয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎপরতার বিবরণ জনগণের সামনে প্রকাশ করা দরকার।
.
৯। আওয়ামী জাহিলিয়াতকে সমর্থন করে যাওয়া, এর পক্ষে আদর্শিক বয়ান তৈরি করা গণশত্রু বুদ্ধিজীবি ও সেলিব্রিটিদের চিহ্নিত করা, সামাজিকভাবে বয়কট এবং শাস্তির মুখোমুখি করা অত্যন্ত জরুরী। আমরা সেটা তো করিইনি, বরং উল্টো পথে হাটছি।
.
১০। সাংস্কৃতিক জমিদার গোষ্ঠী কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দিলেও নানা চেহারায় আবারও ফিরে আসবে। এর বিভিন্ন ইঙ্গিত আমরা এরই মধ্যে দেখতে পাচ্ছি। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
.
১১। এনজিও এবং তাদের পশ্চিমা ব্যাকাররা আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি ও ঈমান বিরোধী নানা এজেন্ডা নিয়ে সচল হয়েছে। এর মধ্যে র‍্যাডিকাল ফেমিনিস্ট দাবি থেকে শুরু করে এলজিটিভি, নানা এজেন্ডা আছে। এই যমীনের মানুষ এধরনের কোন চক্রান্ত মেনে নেবো না। বরং এধরণের এজেন্ডা জোর করে বাস্তবায়নের চেষ্টার ফলাফল অত্যন্ত নেতিবাচক হবে।
.
১২। জুলাই আন্দোলনের ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য জনউদ্যোগ প্রয়োজন। ইতিহাস সংরক্ষণ করা না হলে ইতিহাস বিকৃতি হবেই।
.
১৩। ছাত্রনেতাদের অবদান দেশ স্বীকার করে। মাস্টারমাইন্ড বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে যেসব বিতর্ক হয়েছে, সেসবের পরও মানুষ এখনো ছাত্রনেতাদের সাফল্য ও কল্যাণ চায়। তাদের উচিৎ ডীপ স্টেইট, সাংস্কৃতিক জমিদার, প্রথম আলো-ডেইলি স্টার ব্লকের সুশীল সমাজের অনুগামী হবার বদলে দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাগুলো বোঝা এবং তাদের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করা। এই মানুষেরাই আন্দোলনকে সফল করেছে, এই মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
.
১৪। হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের ওপর ৭২ এর সংবিধান স্টাইলে বিভিন্ন ন্যারেটিভ চাপিয়ে প্রবণতার ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
.
আল্লাহ এই যমীন ও কওমের জন্য উত্তম ফায়সালা করুন। আমাদের ইসলাহ করে দিন, আমাদের অকৃতজ্ঞ কওম হওয়া থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ তাঁর যমীনে তাঁর দ্বীনকে বিজয়ী করার রাস্তা প্রশস্ত করে দিন।

Asif Adnan (Unofficial)

29 Dec, 07:34


ডীপ স্টেইট কথাটা আমরা অনেক শুনি, বাট ডীপ স্টেইট আসলে কী সেটা নিয়ে অনেকেরই আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভাসা ভাসা। ডীপ স্টেইট যা যা নিয়ে গঠিত হয় তার একটা রাফ লিস্ট যদি করা হয় তাহলে সেখানে নিচের এন্ট্রিগুলো থাকবে --
.
- আমলাতন্ত্র
- গোয়েন্দা সংস্থা
- সশস্ত্র বাহিনীর টপ ব্র্যাস
- ফাইন্যানশিয়াল এলিট
- মিথ্যা মিডিয়া
- সাংস্কৃতিক জমিদার
- দেশী-বিদেশী এনজিও নেটওয়ার্ক
.
৩১ শে ডিসেম্বর নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলুক, তবে সেটা ডীপ স্টেইট দুর্বল করে কি না সেদিকেও চোখ রাখুন। কারণ তা না হলে বাদবাকি হাকডাকে লাভ নেই।

Asif Adnan (Unofficial)

25 Dec, 15:37


সাংবাদিক কনক সারোয়ারের সাথে গুম কমিশনের সদস্য নূর খান লিটনের সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ। কথাগুলো সবার শোনা দরকার। এই মাটিতে ভয়ঙ্কর যুলুমের কী ধরনের মেশিনারি গড়ে উঠেছিল, সেটা সবার জানা দরকার। কারণ যুলুমের এই মেশিনারি কিছুটা স্থবির হলেও এখনো ধ্বংস হয়নি।
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন -

الظُّلْمُ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
যুলুম কিয়ামতের দিন গাড় অন্ধকার রূপ ধারণ করবে। [সহীহ বুখারী]
.
আর গাঢ় অন্ধকার এইসব যালিমদের অন্তরকে দুনিয়াতেই গ্রাস করে নিয়েছে।
.
দেখুন, শেয়ার করুন।

https://www.youtube.com/watch?v=24OWQs9jqZ8

Asif Adnan (Unofficial)

19 Dec, 04:42


সেক্যূলার রাষ্ট্রের ভেতরে ইসলামকে শক্তিশালী করতে হলে রাষ্ট্রের প্রতি নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। এটা অপরিহার্য। কিন্তু হচ্ছে উল্টোটা।
.
বিভিন্ন ইসলামী জামাআতের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব, নানা ঘরানার মধ্যে সংঘাত, তর্কবিতর্ক - এগুলো নিয়ে আমরা বারবার উপযাচকের মতো সেক্যূলার রাষ্ট্র আর ক্ষমতার কাঠামোর কাছে ছুটে যাচ্ছি। তাকে এক রকম আমন্ত্রন করে নিয়ে আসছি ইসলাম এবং ইসলামী কর্মকান্ডের ওপর হস্তক্ষেপ করতে।
.
এটা যে ইসলামের প্যারাডাইমের সাথে কতোটা সাংঘর্ষিক, কাংক্ষিত পরিবর্তনের পথে কতো বড় বাঁধা সেটা আমরা একেবারেই বুঝতে পারছি না।
.
ইসলামী শাসনের বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী কমিউনিটি, ডিসেন্ট্রালাইযেইশান।
সেক্যুলার শাসনের বৈশিষ্ট্য হল কমিউনিটির কাছ থেকে সামাজিক ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়া, তীব্র মাত্রার সেন্ট্রালাইযেইশান।
.
ইসলামী শাসনের মূল প্যারাডাইম রুহানিয়াত ও নৈতিকতা যার ভিত্তি হল তাওহীদ ও রিসালাত। সেক্যুলার রাষ্ট্রের মূল প্যারাডাইম বস্তুবাদ, নাফসানিয়াত, এবং সবার উপর রাষ্ট্রের ইবাদাত।
.
এমনও সময় ছিল যখন পুরো মুসলিম বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ ভূমির মালিকানা ছিল ওয়াকফের অধীনে। এগুলো ছিল শাসকের নিয়ন্ত্রন থেকে মুক্ত। সমাজের ভেতরে, সমাজের মানুষের মাধ্যমে এগুলো চালিত হতো। মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ সমাজকল্যাণমূলক কাজ হতো আওকাফের মাধ্যমে। কমিউনিটি এম্পাওয়ারমেন্টের এর চেয়ে ভালো উদাহরণ আর কী হতে পারে?
.
একান্ত প্রয়োজন ছাড়া হুকুমাতের হস্তক্ষেপ ইসলামী শাসনব্যবস্থায় অনুৎসাহিত করা হয়েছে। ওয়াইয়েল হাল্লাক তুলনা দিতে গিয়ে বলেছেন, ইসলামী শাসনব্যস্থায় আমীর/সুলতান/খালীফাহ হল একজন গ্লোরিফাইড বাটলার বা খানসামার মতো। তার কাজ হল কেয়ারটেকারের।
.
সেক্যুলার রাষ্ট্র এর পুরোপুরি বিপরীত। এই রাষ্ট্র এক অতিকায় দানব যা সব কিছুকে নিজের কুক্ষীগত করতে চায়। মানব জীবনের সবকিছুকে সে তার সেন্ট্রালাইযড কাঠামোর ভেতরে আনতে চায়। সেক্যূলার রাষ্ট্র সিস্টেম্যাটিকালি কমিউনিটিকে দুর্বল করে। সমাজের কাজ থেকে সব ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে, সবাইকে সে তার ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। সবার ওপর নজরদারি করতে চায়, নিয়ন্ত্রন করতে চায় সবাইকে।
.
ইসলামী সমাজবিপ্লবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল দানবীয় সেক্যুলার রাষ্ট্র সমাজের কাছ থেকে যে ক্ষমতাগুলো ছিনিয়ে নিয়েছে সেগুলো আবারও সমাজের মধ্যে ফিরিয়ে আনা। সব কিছুতে রাষ্ট্রের মুখাপেক্ষীতা থেকে বের হয়ে আসা। সেন্ট্রালাইযড দানবীয় শক্তির বিপরীতে বিকল্প পকেটস অফ পাওয়ার তৈরি করা।
.
এক্ষেত্রে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে গ্রাম পরিষদ, কমিউনিটি উদ্যোগে শুরু করা বিনিয়োগ কিংবা তাকাফুল, সমবায়, কওমকেন্দ্রিক শিক্ষা, গণপ্রতিরোধ কমিটিসহ অনেক কিছু বিকল্প পকেটস অফ পাওয়ারের উদাহরণ হতে পারে। এ সবকিছু রাষ্ট্র নামক দানবের বিপরীতে কমিউনিটিকে শক্তিশালী করে।
.
সমাজের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ক্ষমতা সমাজকে ফিরিয়ে না দিলে প্রকৃত অর্থে ইসলামী বিপ্লবকে স্থায়ীরূপ দেয়া দুঃসাধ্য। তাই আমাদের প্রয়োজন কমিউনিটি এম্পাওয়ারমেন্ট। কিন্তু আমরা নিজেরা সেধে সেধে রাষ্ট্রের কাছে গিয়ে আরও বেশি হস্তক্ষেপ, আরও বেশি ক্ষমতার ব্যবহারের জন্য আবেদন করছি।

দিকদর্শন

Asif Adnan (Unofficial)

18 Dec, 01:09


দিকদর্শন ২
.
গতো ১০০ বছরে কোন ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রন (তামকীন) অর্জন করে ইসলামী শাসন বাস্তবায়ন করার উদাহরণ—
.
.
১। রীফ ইম|| র৩: সময়কাল, ১৯২১-১৯২৬। অঞ্চল; মরক্কোর পাহাড়ি রীফ অঞ্চল। প্রতিষ্ঠাতা; আমীর মুহাম্মাদ বিন আব্দেলকারীম আল-খাত্তাবী, রাহিমাহুল্লাহ।
.
পদ্ধতি: গেরিলা যুদ্ধ। আল-খাত্তাবীকে আধুনিক গেরিলা যুদ্ধের জনক বলা হয়।
.
প্রেক্ষাপট: ১৯২১ সালে স্প্যানিশ উপনিবেশিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রীফের গোত্রগুলোকে একত্রিত করতে শুরু করেন আমীর আল-খাত্তাবী। সে বছরের এপ্রিলে উলামা ও গোত্রপতিদের ঐক্যমতে তাঁকে আমীর নির্ধারণ করা হয়। ১৯২১ সেপ্টেম্বরে দেয়া হয় ইماরতের ঘোষণা। রিপাবলিক অফ রীফ। নামে রিপাবলিক হলেও এটি ছিল ইসলামী শরীয়াহ দ্বারা শাসিত ইماরত। আয়তনে ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। আজকের কুয়েতের চেয়ে বড়। ৮০ জন গোত্র প্রধান ও আলিমদের নিয়ে গঠিত হয় মজলিশে শূরা। শরীয়াহ আদালতে বিচার হতো মালিকী ফিকহ অনুযায়ী।
.
১৯২৪ নাগাদ স্প্যানিশদের পাশাপাশি শুরু হয় ফ্রেঞ্চদের আগ্রাসন। মুসলিমদের সাথে গাদ্দারি করে ফ্রেঞ্চদের অধীনস্ত মরক্কোর সুলতান। তবু বিপুল প্রতিকূলতার মুখে আমীর আল-খাত্তাবীর বাহিনী টিকে থাকে। একসময় সাধারন জনগণকে নিশানা বানিয়ে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার শুরু করে স্প্যানিশরা। ১৯২৫ থেকে ১৯২৬ এর মধ্যে বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে মারা যায় প্রায় দেড় লক্ষ মরক্কোন মুসলিম। সাধারন জনগনকে রক্ষার জন্য শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেন আমীর আল-খাত্তাবী। [১]
.
.
২। প্রথম অফ..গন ইম|| র৩ : সময়কাল, ১৯৯৪-২০০১।
পদ্ধতি: গৃহযুদ্ধ, মোবাইল ওয়ারফেয়ার, মিলিশিয়া অফেন্সিভ।
.
প্রেক্ষাপট:
১৯৯৪ সালে সূচনার পর, ৯৬ নাগাদ পুরো দেশের অধিকাংশ অংশ নিয়ন্ত্রনে নেয় ৩লে.. বন আন্দোলন। প্রতিষ্ঠা করে ইসলামী ইম র৩। গৃহযুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে গেরিলা যুদ্ধের বদলে অনেকটাই কনভেনশানাল মিলিটারি কনকোয়েস্টের আদলে কর্তৃত্ব অর্জন করে তারা। ২০০১-এ অ্যামেরিকার আগ্রাসনের পর পতন ঘটে এই ইম র৩-এর।
.
.
৩। দ্বিতীয় অফ..গন ইমারাত: সময়কাল, ২০২১-চলমান।
পদ্ধতি: গেরিলা যুদ্ধ।
.
প্রেক্ষাপট:
প্রায় বিশ বছর ধরে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ৩লে.. বন। শেষ পর্যন্ত ২০২১ সালে ন্যাটো সেনারা অফ..গনি-- স্তান ছাড়ার আগেই নিয়ন্ত্রন এনে ফেলে কাবুলসহ প্রায় পুরো দেশ। দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী ইম র৩। অনেক বিশেষজ্ঞ মতে ন্যাটোর বিরুদ্ধে ৩লে.. ব||নের প্রতিরোধকে ভিয়েতনামের পর গেরিলা যুদ্ধের সবচেয়ে সফল প্রয়োগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। [২]
.
.
৪। ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরান: সময়কাল, ১৯৭৯ – চলমান।
পদ্ধতি: গণবিপ্লব

.
প্রেক্ষাপট: শিয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম শীর্ষ বৈশ্বিক ধর্মীয় নেতা তথা ‘আয়াতুল্লাহ’ রুহুল্লাহ খোমেইনির নেতৃত্বে পাহলভী রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘ গণআন্দোলন যা এক পর্যায়ে বিপ্লবী গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। গণঅভ্যুত্থানের সর্বশেষ পর্যায়ে ইরানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০% এর মতো রাস্তায় নেমে আসে। অনেক অ্যাকাডেমিক একে আধুনিক সময়ের সর্ববৃহৎ ম্যাস পলিটিকাল মোবালাইযেইশান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন [৩]
.
গণঅভ্যুত্থানের কারণে ইরানের শাহ দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। বিপ্লবী রাজপথে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সামরিক বাহিনী বিপ্লবীদের নেতৃত্ব মেনে নেয়। ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামী রিপাবলিক ঘোষণা দেয়া হয়।
.
.
৫। অ||ই সিস: সময়কাল, ২০১৪-২০১৭, মতান্তরে ২০১৯। অঞ্চল; ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন অংশ।
পদ্ধতি:
গেরিলা যুদ্ধ, ইনসার্জেন্সি, ‘ব্লিটযক্রিগ’ ধাঁচের অভিযান।
.
প্রেক্ষাপট: জুন ২০১৪-তে সংগঠনটি ইরাকের মসুল দখল করার পর এককভাবে তাদের নেতাকে ‘খলিফা’ বলে ঘোষণা করে, এবং নিজেদেরকে খিল..ফহ বলে দাবি করে। এই সময়ে সংগঠনটি ইরাক ও সিরিয়ার প্রায় ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছিল।
.
উল্লেখ্য, এই ঘোষণার সাথেসাথেই সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয় যেকোন অঞ্চলে তাদের পদার্পন হওয়া মাত্রই সেখানকার সকল ইসলামী সংগঠন, জামআহ এবং ইমারাত বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রয়োজনে তাদের জোরপূর্বক দমন করা হবে।
.
পরবর্তীতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ-ও বলা হয় যে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা কার্যত ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে লড়াই বলে গণ্য হবে। অতএব, যারাই তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে তারা কুফরে লিপ্ত। এই নীতির কারণে সিরিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে তারা অন্যান্য মুসলিম দলগুলোর বিরুদ্ধে সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়ে এবং এধরণের সব সংগঠনকে ক||ফির ঘোষণা করে।
.
২০১৫ সাল থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী এবং অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তিগুলো দাঈশের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। ২০১৭ সালের শেষ দিকে মসুল (ইরাক) এবং রাক্কা (সিরিয়া) তাদের কাছ থেকে পুনর্দখল করা হয়। ২০১৯ সালের মার্চে সিরিয়ার বাঘুজ ছিল তাদের সর্বশেষ ঘাঁটি। এর পতনের পর তাদের দাবিকৃত অধিকাংশ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রন তারা হারিয়ে ফেলে।

Asif Adnan (Unofficial)

16 Dec, 10:18


বাংলায় হযরত মুজাহিদ শাহ জালাল রাহিমাহুল্লাহ এর গৌরবের পদার্পন কিন্তু বীফকে কেন্দ্র করেই।

জাস্ট সেয়িং...

Asif Adnan (Unofficial)

16 Dec, 02:35


আল্লাহুম্মাগফিরলী

Asif Adnan (Unofficial)

29 Nov, 09:24


আমার কাছে মনে হয় (নাটকীয় পয হবে), সাইফুল হত্যার সাথে হিন্দু বা ইসকন সদস্য জড়িত না (আবারও অতিনাটকীয় পয)...

(পরের লাইনে এক্সট্রিমলি হ্যামি ডেলিভারি হবে:)

...আওয়ামী লীগ জড়িত৷

বাণীতে: অল-অ্যারাউন্ড মিডিওকার বাঙ্গু সেক্যুলাঙ্গার

Asif Adnan (Unofficial)

29 Nov, 09:23


এদিকে দারোয়ান এত লোক দেখে ভয় পেয়ে গেল। তাকে হুমকি ধামকি দিতেই সে গেইট খুলে দিল। সবাই এলাকার স্থানীয় পোলাপান। এদেরকে ক্ষেপিয়ে দারোয়ানের চাকরি করা যাবে না। গেইট খোলা পেয়েই হুড়মুড় করে ছাত্ররা বিল্ডিং এ ঢুকে পড়ল। একদল ৪ তলার টার্গেটেড ফ্ল্যাটের দরজায় আরেকদল ৬ তলার ফ্ল্যাটের দরজা ধাক্কা দিতে লাগল। ৪ তলার দরজা খুলল না কিন্তু ৬ তলার দরজা খুলে ফেলল। ভেতরে ভয়ার্ত বাসার লোকজনকে দেখে বুঝল এখানে কোন স্নাইপার থাকার কথা না। ৪ তলার দরজা কেউ খুলছে না। শব্দ শুনে পাশের রুমের দরজা খুলে একজন দেখা দিয়ে বললেন "এই বাসাটা ফাঁকা।" ফাকা বাসার কথা শুনে পোলাপানদের উৎসাহ আরো বেড়ে গেল। এক পর্যায়ে তারা দরজা ভেংগে ফেলল। ভেতরে হুড়মুড় করে ঢুকেই তারা সেই কাঙ্ক্ষিত স্নাইপারের দেখা পেল। পুলিশের পোষাক পরা দুইজন লোক রাইফেল হাতে এই বাসায় অবস্থান করছে। এই বাসাটা আসলেই ফাঁকা। দুইজন পুলিশ প্রাণ ভিক্ষার উদ্দেশ্যে মাফ চাওয়ার ভঙ্গিতে হাত জোড় করে রাখল। উত্তেজিত জনতার এখন এসব দেখার সময় নেই। তারা পুলিশ দুইজনকে উত্তম মধ্যম লাগানো শুরু করল। একজন এক রুমে দুইটা রাইফেল খুজে পেল। রাইফেলের নল এখনো গরম। তার মানে এই রাইফেল থেকেই গুলি করা হয়েছে। পুলিশ দুইজনকে মারতে মারতে বিল্ডিং এর নিচে নামানো হলো। এদিকে শোরগোল টের পেয়ে বিল্ডিং এর মালিক পালিয়ে গেল। তাকে অবশ্য বিল্ডিং এ হামলাকারী আন্দোলনকারীরা চিনত না। চিনলে তার পালানোর সুযোগ হতো না।

আধা ঘণ্টা পরে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে দুইটা উলঙ্গ লাশ ঝুলে রইল। তাদের পা উপরের দিকে আর মাথা নিচের দিকে। এদিকে সূর্য উঠে গেছে। রাস্তায় হাজার হাজার মাদ্রাসার ছাত্র তাকবির ধ্বনি দিচ্ছিল। আশেপাশের মাদ্রাসা থেকে পঙপালের মত ছাত্র আসছিল। খুনি পুলিশের এই পরিণতি দেখে সমবেত জনতার উৎসাহ বেড়ে গেলো। আজকে যাত্রাবাড়ীর বেরিকেড ভাঙতেই হবে। এমনিতেই যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর ব্রীজ ৩ দিন ধরে অচল৷ কয়েকশো গাড়ির চাকা পাংচার করে রাখা হয়েছে। চাইলেও এখান দিয়ে কোনো গাড়ি আসা যাওয়া করতে পারবে না। ১৮ জুলাই ২০২৪ ছিল আন্দোলনের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন।

#রক্তের_বন্ধন

Syful Islam

Asif Adnan (Unofficial)

29 Nov, 09:23


১৮ জুলাই ২০২৪

যাত্রাবাড়ীর এক গলি থেকে ফজর নামাজ পড়ে ৩/৪ টা ছেলে মেইন রোডের দিকে যাচ্ছিল। তাদের উদ্দেশ্য, ভোর হবার আগেই যাত্রাবাড়ী চিটাগং রোড হাইওয়ে দখলে নেয়া।

আর মাত্র ৫ টা বিল্ডিং পরে গলি শেষ, সামনে মেইন রোড। হঠাৎ গুলির শব্দ, তাদের একজন সঙ্গী লুটিয়ে পড়ল। ছেলেটার নাম মারুফ। হতবিহ্বল বাকীরা বুঝতে পারছিল না কোথা থেকে গুলি এসেছে, কে গুলি করেছে। এদিকে লুটিয়ে পড়া সঙ্গীর শরীর থেকে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। তার দিকে ভালো ভাবে তাকাতেই ২য় গুলির শব্দটা শোনা গেল। উপস্থিত সবাই মাটিতে শুয়ে পড়ল। এদের গায়ে গুলি লাগে নি। এরা নিরাপত্তার জন্য শুয়েছে৷ আহত মারুফকে টেনে হিঁচড়ে গলির ভেতরে নিয়ে যাওয়া হলো। মারুফের কাঁধ ছুয়ে গুলি বেরিয়ে গেছে। রাবার বুলেট না। এটা স্নাইপার বুলেট। এগুলো যুদ্ধে ব্যবহার করা হয় আরেক দেশের সৈন্য হত্যা করতে।

এদিকে যাত্রাবাড়ী বাসী গত ৩ দিন গুলির শব্দ শুনে অভ্যস্ত তবে এখন ভোর হওয়ায় শব্দের মাত্রাটা বেশি ছিল। এলাকার সবার ঘুম ভেঙে গেল। অনেকে বাসা থেকে নেমে গেল। বাইরে কী হচ্ছে জানার জন্য।

গুলির শব্দের উৎস নিয়ে আলোচনা করে বের করা হলো গলির মাথায় কোনো বাড়িতে স্নাইপার আছে। গলি থেকে বের হলেই গুলি করবে। কিন্তু কোন বিল্ডিং এ স্নাইপার সেটা জানে না কেউ। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে হলে মেইন রোডে যেতে হবে। যদিও এটা যাত্রাবাড়ী। মেইন রোডে যাওয়ায় অনেকগুলো রাস্তা আছে। আশেপাশের গলি থেকেও সেইম তথ্য এলো। গলি থেকে বের হতেই অদৃশ্য স্থান থেকে তাদের উপর গুলি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নিল যে করেই হোক স্নাইপারের লোকেশন বের করতে হবে। এটা বের করার জন্য জানবাজ কিছু লোক দরকার যার গুলি খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কয়েকজনকে আগে গলি থেকে বের হতে হবে। পেছনে পেছনে কিছু লোক দেখবে কোন বাসা থেকে গুলি করছে। কে হবে সেই জানবাজ?

ইন্টার পড়ুয়া একটা ছেলে আগে যেতে রাজি হলো। সে একা একা আগে যাবে।

ছেলেটার নাম অনিক। সে বন্ধুর সাথে কোলাকুলি করল। এক বন্ধুর কানে কানে বলল "আমার কিছু হলে মাকে সান্ত্বনা দিস।" বন্ধু দুস্টামি করে উত্তর দিল "আর তোর ক্রাশ?" অনিক উত্তর দিল "তাকে আমার কথা বলিস।'

হাসিমুখে অনিক গলির মুখের দিকে এগোলো। তার চোখে সতর্ক দৃষ্টি। আগে যেখানে মারুফ গুলি খেয়েছে ঠিক সেই স্থানে আসার সাথে সাথে গুলির শব্দ শোনা গেল। এদিকে অনিক আগে থেকেই একে বেঁকে চলছিল। গুলি তার গায়ে লাগে নাই। তবে গুলিটা আশেপাশের কোথাও দিয়ে গেছে বোঝা গেছে। অনিক পেছন দিকে না গিয়ে সামনের দিকে দৌড় দিল। এবার আরেকটা গুলি হলো। এটাও অনিকের গায়ে লাগে নাই। এদিকে অনিকের পেছন পেছন আরো ২ টা ছেলে এলোমেলো ভাবে দৌড়াচ্ছিল। পেছন থেকে শরীফ আর শাহাদাৎ ভাই মোটামুটি একটা ধারনা পেলেন কোন বিল্ডিং থেকে গুলি করেছে। এদিকে অনিক ও ২ টা ছেলে গলির মাথায় পৌঁছে গেছে। তারা একটা বিল্ডিং এর ঠিক নিচে অবস্থান করছে। এখানে উপর থেকে কেউ গুলি করতে পারবে না। এদিকে শরীফ আর শাহাদাৎ আগের জায়গায় ফিরে গেল। সেখানে এখন মিনিমাম ১০০ জন আন্দোলনকারী। আরো অনেকেই জড়ো হচ্ছে।

সবাই ইতিমধ্যে জেনে গেছে গলির মুখে অদৃশ্য স্নাইপার অবস্থান করছে। কোন বিল্ডিং থেকে গুলি করা হয়েছে সেই ধারনাও পেয়ে গেছে। তারা এটা নিয়ে বলাবলি করল। এক পর্যায়ে তারা জানতে পারল ঐ বিল্ডিংটার মালিক এক আওয়ামীলীগ নেতা। তার মানে তাদের ধারণা সঠিক। আওয়ামীলীগ নেতার বাসায় পুলিশ অথবা আওয়ামীলীগের স্নাইপার অস্ত্র তাক করে বসে আছে।
বিল্ডিং টা ৬ তলা। গুলি করা হয়েছে ৩ থেকে ৬ তলার মধ্য থেকে যেকোনো একটা ফ্ল্যাট থেকে। গলির যে পয়েন্টে ভোরে মারুফ গুলি খেয়েছে সেখান থেকে ৪/৫/৬ তলা ভালো করে দেখা যায়। তার মানে ৩ তলা থেকে গুলি করা হয় নি। আবার ছাদ থেকেও গুলি করা হয় নি। এদিকে ২ টা করে মোট ৬ টা ফ্ল্যাট আছে। ৩ টা ফ্ল্যাট আগেই বাদ দেয়া হলো। কারণ এই ৩ টা ফ্ল্যাট থেকে মেইন রোডের দিকে গুলি করা যাবে, গলির ভেতরের দিকে নয়। ৪/৫ ও ৬ তলাকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হলো কিন্তু কাউকে দেখা গেলো না। ৫ তলার একজন মহিলা বারান্দায় এসে কী যেন দেখে রুমে ঢুকে গেলেন। তার মানে ৫ তলাতেও স্নাইপার নেই। অর্থাৎ ৪ ও ৬ তলার এদিকের ফ্ল্যাটের যেকোনো একটায় স্নাইপার আছে। এখন আন্দোলনকারীরা টার্গেট নিয়েছে এই বিল্ডিং এর দখল নিবে। তারপর বিল্ডিং এ ঢুকে স্নাইপারকে বের করবে। কাজটা খুবই ভয়ানক কারণ আন্দোলনকারী কারো হাতে পিস্তল নাই। লাঠি ও ইটের টুকরাই একমাত্র ভরসা।

আন্দোলনকারীরা এক এক করে গলির বিল্ডিং গুলোর দেয়ালের সাথে গা ঘেঁষে ঘেঁষে মেইন রোডের দিকে এগোলো। একজন একজন করে আগানোর কারণে উপর থেকে কেউ দেখার সুযোগ নেই। তাই গুলিও হলো না।

৫ মিনিটের মধ্যে আওয়ামিলীগ নেতার বাড়ির সামনে প্রায় শ খানেক আন্দোলনকারী হাজির হয়ে গেল।

Asif Adnan (Unofficial)

28 Nov, 14:29


ফ + প + ই ❤️

ফখরুল প্রথম কালোকে ভালোবাসে, ইসকনকেও ভালোবাসে।
.
প্রথম কালো ইসকনকে ভালোবাসে তবে ফখরুলের ব্যাপারে মিক্সড সিগনাল দেয়।
.
ইসকন দুজনেরকাউকেই ভালোবাসে না। জাস্ট ফ্রেন্ডস হিসেবে দেখে। সে ভালোবাসে পাশের শহরের রেইপি ভাইব ওয়ালা যোগীকে৷
.
ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী৷
.
নাম সাজেস্ট করেন কিছু।

Asif Adnan (Unofficial)

28 Nov, 00:18


ইসলামকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের তথাকথিত ডানপন্থীরা কিভাবে ভারতীয় আগ্রাসনের মোকাবেলা করবে, আর কী নিয়ে, কিভাবে তারা হিন্দুত্বব।।দের মুখোমুখি হবে আমার দেখার খুব ইচ্ছা।

Asif Adnan (Unofficial)

27 Nov, 09:18


Asif Adnan (Unofficial) pinned «এই ভাইকে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা আজ হত্যা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি মতে, তাকে জবাই করা হয়েছে এবং তাও পুলিশের সামনে। হ্যা, কারওয়ান বাজারে হেডম দেখানো সেই পুলিশের সামনে। . আল্লাহ এই ভাইকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। শহীদের মর্যাদা দিন। তাকে শুধু মুসলিম…»

Asif Adnan (Unofficial)

27 Nov, 09:04


এটা এডভোকেট সাইফুল ইসলাম ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারার স্পষ্ট ভিডিও। ইসকনকে সেইফ এক্সিট দেওয়ার জন্য নানা তত্ত্ব আনা হচ্ছে, এমনকি জাতীয়তাবাদী কিছু সেক্যুও এসব বয়ানের সাথে জড়িত। এসব তালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না।

Ahmad Rafique

Asif Adnan (Unofficial)

27 Nov, 09:03


প্রথম ছবির পেছনের সায়েন্স হল দ্বিতীয় ছবিটা।

Asif Adnan (Unofficial)

27 Nov, 08:58


চিনেছেন একে?

আওয়ামী লীগ জমানায় (সালটা মনে নেই) চট্টগ্রামে হিন্দুদের কোনো এক বিক্ষোভে এই কুশল বরন কোমর দুলিয়ে-দুলিয়ে স্লোগান দিয়েছিল, "কুরুক্ষেত্রের হাতিয়ার-গর্জে উঠুক আরেকবার।"

মনে আছে? মনে না থাকলে খুঁজে নিয়েন-যাচাই করে নিয়েন তথ্যটা।

- এই কুশল বরণ চবির সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক। ইসকন নেতা প্রভূপাঁদ চিন্ময় গ্রেফতার হবার পর তিনি তাকে ছাড়াতে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

- এই কুশল কট্টর হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি সংগঠন আরসএস এর সাথে জড়িত।

ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গী যৌগী আদিত্যনাথের সঙ্গেও এই কুশলের সুসম্পর্কের কথা সবারই জানা।

- সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে।

- সাইকোপ্যাথ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে All Out খেলায় নেমেছে India ও তাদের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা RAW । আর RAW এর কালচারাল উইং তো অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে সরব।

তাদের সাংবাদিকরাও মিথ্যা খবর পরিবেশন করছে।

Abu Sufian

Asif Adnan (Unofficial)

27 Nov, 07:07


হিন্দুত্ববাদের নতুন ফেইজ!

Asif Adnan (Unofficial)

27 Nov, 01:50


কোন নিন্দা নাই, শোক নাই। উদ্বেগ কিংবা উৎকণ্ঠা নাই। কিছুই নাই। শুধু আপনাকে কী করতে হবে, কী ভাবতে হবে, আপনার কী দায়িত্ব সেটা নিয়ে নির্দেশনার ফিরিস্তি।

আজকে লাশটা মুসলিমের না হয়ে অন্য কারও হলে দেখতেন এদের ভাষা কেমন হতো।

এরা কোনোদিন বাংলার মুসলিমদের ঔন করেনি, করবেও না।

Asif Adnan (Unofficial)

19 Nov, 09:22


যদি বিএনপি, ড. ইউনুসের ক্যাবিনেট, কিংবা ছাত্রনেতা - কেউই আওয়ামী জাহেলিয়াত উৎখাতে আন্তরিক না হয়, তাহলে প্রয়োজনে জনগণের অগ্রবর্তী অংশকে সে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে। বাই এনি মীনস নেসেসারি।

Asif Adnan (Unofficial)

19 Nov, 09:21


এটা আনএক্সেপ্টেবল। এতো কিছুর পর আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে?

দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার না করা, এবং তাদের পুনর্বাসনের যে কোনো চেষ্টা জাতির সাথে, কুরবানীর সাথে গাদ্দারী বলে বিবেচিত। যারাই এ কাজ করার চেষ্টা চালাবে তারা গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবে। এবং জাতি ও ইতিহাস তাদেরও বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাবে, সুনার অর লেইটার। যদি বিএনপি আসলেই এ অবস্থান নিয়ে থাকে তাহলে এটা তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ব্লান্ডার হবে।
.
তবে ড. ইউনুসকে ক্লিন চিট দেয়ার কিছু নেই। তিনি নির্বাচনের সময়সীমার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর কথা উপেক্ষা করতে পারেন, সব জায়গায় 'ছাত্ররা যা বলবে তাই হবে' বলেন, কিন্তু এখানে এসে এক বিএনপি-র কথায় (যদি আসলেই বিএনপি এমন অবস্থান নিয়ে থাকে) সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন?
.
ছাত্রনেতাদের নিয়ে নানা রকমের প্রশ্ন এবং সংশয় মানুষের মধ্যে গতো তিন মাসে তৈরি হয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য, অবস্থান এবং বক্তব্য স্পষ্ট না। তবে তারা যদি আসলেই আওয়ামী জাহেলিয়াত নির্মূল করায় আন্তরিক হন, তাহলে জনগণকে আবারও তারা পাশে পাবেন। তবে আওয়ামী জাহেলিয়াত উৎখাতে তারাও কতোটা আন্তরিক, আমি নিশ্চিত না।

Asif Adnan (Unofficial)

18 Nov, 10:02


পালংবাদ জাতীয় আলাপের মূল সমস্যা কোথায়? সমস্যা হল, এসব আলাপের মাধ্যমে ইসলামী পরিভাষা ব্যবহার করে সেক্যুলার শাসন আর মতাদর্শের বৈধতা তৈরি করা হয়। এবং অবধারিতভাবে আন্ডারমাইন করা হয় ইসলামী শাসনকে।
.
মানুষ দুনিয়াতে আল্লাহর খালীফাহ, চারপাশের অন্যান্য সৃষ্টির প্রতি মানুষের দায়িত্ব আছে, মানবজাতির প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে - এই অবস্থানগুলো নিয়ে কোন মুসলিমের আপত্তি নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই দায়িত্বগুলো পালন করা হবে কিভাবে?
.
আল্লাহর খালীফাহ হিসেবে মানুষ অন্যদের এবং নিজ সমাজের টেইককেয়ার করবে কিভাবে? এক্ষেত্রে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন পথ ও পদ্ধতি ঠিক করে দিয়েছেন?
.
উত্তর হল, ইসলামী শরীয়াহ। দুনিয়াতে আল্লাহর খালীফাহ হিসেবে মানুষের যে ভূমিকা তা পূর্ন করার উপায় হলো ইসলামী শরীয়াহ অনুসরন করা, শরীয়াহ বাস্তবায়ন করা। আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করা। অর্থাৎ ইসলামী শাসন।
.
এটাকে শরীয়াহ না বলে পালনবাদ কেন বলতে হচ্ছে? কারণ, পালনবাদ - ইসলামী শরীয়াহ চায় না। সে চায় সমাজতন্ত্র। পালনবাদ হল শাসনের ব্যাপারে সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারাকে ইসলামী ফ্লেভার দেয়ার চেষ্টা। সেক্যুলার শাসনের ইসলামী বৈধতা আবিস্কারের প্রয়াস।
.
আরও ভেঙ্গে বলি। ধরুন, কেউ বললো - আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ। আমরা তাঁর খলীফাহ, আমাদেরও এখন নিজেদের এবং অন্য সব সৃষ্টির পালন করতে হবে, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী।
.
এতোটুক আপনি মেনে নিলেন। তারপর প্রশ্ন আসবে, এই 'পালন; করার ব্যাপারটা কি আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথে হবে? নাকি এটা মানুষের বানানো আইন, আর পশ্চিমাদের ঠিক করা স্ট্যান্ডার্ডে হবে?
.
একজন মুসলিম বলবে, এটা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথে হবে। সে ক্ষেত্রে এটার নাম শরীয়াহ। এটাকে পালনবাদ নাম দেয়ার কিছু নেই।
.
কিন্তু পালনবাদের প্রবর্তকরা ইসলামী শরীয়াহ চান না। তারা চান মানুষের বানানো আইন ও মতবাদের শাসন। তারা এমন একটা শাসন চান যেটা মৌলিকভাবে শরীয়াহর সাথে সাংঘর্ষিক, আর বিধানের দিক থেকে পদে শরীয়াহর সাথে যার সংঘাত পদে পদে। এজন্যই তাদের জোড়াতালি দিয়ে পালনবাদ আবিস্কার করতে হয়।
.
পালনকর্তার নাম ইনভোক করে আপনি পালনবাদের কথা বলবেন, কিন্তু সেই 'পালন' করার সময় আর আল্লাহর কথা শুনবেন না, তখন শাসন করবেন কুফরের মাধ্যমে - এটা কেমন কথা হলো?
.
একই অবস্থা দেখবেন মাকাসিদুশ শরীয়াহ নিয়ে আলাপের ক্ষেত্রেও। শরীয়াহর মাকসাদ কিভাবে অর্জিত হবে তা তো শরীয়াহ যিনি নাযিল করেছেন তিনিই বলে দিয়েছেন। শরীয়াহর মাকসাদ অর্জিত হবে শরীয়াহ বাস্তবায়নের দ্বারা। আর শরীয়াহ বাস্তবায়নের সময় একাধিক জায়েজ বিষয়ের মধ্যে একটাকে বেছে নেয়ার সময় কোনটা শরীয়াহর মাকসাদের অধিক নিকটবর্তী বলে মনে হচ্ছে সেটাকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
.
কিন্তু আজ অনেকে মাকাসিদুশ শরীয়াহ এর কথা বলে শরীয়াহকে অকার্যকর করতে চায়। শরীয়াহ বাস্তবায়ন চায় না, কিন্তু মাকাসিদুশ শরীয়াহর উদাহরণ দেয়। অদ্ভূত কথা। শরীয়াহর মাকসাদ কিভাবে অর্জিত হবে তারা কি সেটা আল্লাহর চেয়ে বেশি বোঝার দাবি করতে চায়? নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক।
.
মাকাসিদুশ শরীয়াহ নিয়ে এই জাতীয় বয়ান এবং পালংবাদের আলাপের মূল সমস্যা একই জায়গায়। এসব আলাপ যারা করেন তারা ইসলামী পরিভাষা ব্যবহার করেন ইসলামের বিরুদ্ধে। ইসলামী পরিভাষা ব্যবহার করে তারা কুফরের শাসনের বৈধতা তৈরির চেষ্টা করেন।
.
এধরনের প্রতারণামূলক আলাপের চেয়ে স্পষ্টভাষী সেক্যুলারদের সোজসাপ্টা কথা উত্তম।

Asif Adnan (Unofficial)

18 Nov, 06:18


https://songramernotebook.com/archives/39488

Asif Adnan (Unofficial)

18 Nov, 06:18


রবিবাবা
~পালংবাদ

Asif Adnan (Unofficial)

17 Nov, 04:57


~পালংবাদ

Asif Adnan (Unofficial)

15 Nov, 22:31


সেলফি, অটোগ্রাফ, ব্যক্তিকেন্দ্রিক অতি ভক্তি বা উচ্ছাস, এধরনের ব্যাপারগুলো সেলিব্রিটি কালচারের অংশ হিসেবে আমার অপছন্দ। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ছবি তোলার ব্যাপারে অনেক আলেমগণের শক্ত অবস্থান আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি এই অবস্থান অনুসরণের চেষ্টা করি। যদিও সবসময় পারি না। আল্লাহ মাফ করুন। সেলফিসহ অন্য কোন ধরনের ছবি তোলার ব্যাপারটা একারণে আমি এড়িয়ে যাই। তবু ভিডিওর থাম্বনেইল, বিভিন্ন ডিজিটাল পোস্টারে ইত্যাদিতে আমার ছবি ব্যবহার হয়। এগুলোও এড়াতে পারলে ভালো, যদিও সব ক্ষেত্রে এগুলো আমার ব্যক্তিগত ডিসিশনের বিষয় হিসেবে থাকে না।
.
যারা আমার ছবি প্রোফাইল পিকচার হিসেবে দিয়েছেন বা আমার ছবি দিয়ে বিভিন্ন ইমেজ ইত্যাদি বানাচ্ছেন , তারা একাজগুলো না করলেই খুশি হবো। যদি উপকারি মনে হয় তাহলে আমার ভিডিওগুলো ক্লিপ বা রীলস হিসেবে শেয়ার করতে পারেন। বা আমার লেখা শেয়ার করতে পারেন। ছবি বানানো এবং শেয়ার করার ব্যাপারটা কমাতে পারলে ভাল হয়।

Asif Adnan (Unofficial)

15 Nov, 22:30


আলেপ উদ্দীন নামের এই কুখ্যাত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০ এর বেশি গুম এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার অভিযোগে মামলা দয়ের করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। তারই একটি- ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানায় ১৫(০৮)২৪ নং হত্যা মামলায় অতিরিক্ত এসপি আলেপ উদ্দীনকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল থেকে ঢাকায় নিয়ে এসেছে ডিবি পুলিশ, গতকাল পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই পুরো সময় আলেপ তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নিজের স্ত্রীর সাথে আলাপ করেছে, তাকে ঢাকা আনা হয়েছে সেটা জানিয়েছে, মোট কথা তার আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি তার পরিবার জানে। আজ সকালে ঐ একই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

আর এর মধ্যেই এই খুনীকে রক্ষা করার জন্য প্রথম আলোর দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে! অবশ্য একটি ভিনদেশী ফান্ডে চলা প্রথম আলো আর ডেইলি স্টার যে ঐ দেশের 'এ্যাসেট' আলেপ উদ্দীন কে রক্ষার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবে সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।

যারা ঢাকা শহরে থাকেন তাদের নিশ্চই চোখে পড়েছে- গুলশান, বনানী, ধানমণ্ডি এবং বেইলী রোড এলাকা অনেকগুলো আরব/টার্কিশ/ভারতীয় রেস্টুরেন্ট আচমকা বন্ধ হয়ে গেছে। এগুলোর মালিক, স্টাফ কারো কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আপনাদের অবগতির জন্য বলছি- এগুলো ছিলো ঐ বিশেষ দেশের ক্যামোফ্লেজ আউটলেট। প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারও তাই।

একটি দেশ অন্য দেশে তার আনুষ্ঠানিক দূতাবাসের বাইরেও এক বা একাধিক সাংষ্কৃতিক কেন্ত্র, বাণিজ্য কেন্দ্র, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি অনেক কিছুই চালাতে পারে (রাষ্ট্রেীয় অনুমতি সাপেক্ষে)। কিন্তু যখন তারা তাদের হেজিমনি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারের মত প্রতিষ্ঠান চালায় তখন সেগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেয়া রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যই প্রয়োজন।

এবার একটা প্রশ্ন করি?
পলাতক হাসিনা ভারতে বসে একের পর এক ভিডিও বার্তায় কখনো ২৭৭জনকে হত্যা করা নির্দেশ দিচ্ছে, কখনো চট করে ঢুকে পড়ার হুমকি দিচ্ছে, কখনো ট্রাম্পের ছবি নিয়ে মিছিল করে পুলিশের সাথে মারামারি করার পরামর্শ দিচ্ছে। এমন দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র বক্তব্য যদি হাসিনার বদলে অন্য কোন রাজনৈতিক নেতা বিদেশে বসে দিতেন, তাহলে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কতগুলো নিউজ করতো? মতিউর রহমান এবং মাহফুজ আনাম কতগুলো কলাম লিখতেন?

আমি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর প্রসিকিউটরদের প্রতি আহবান জানাবো- এখনি প্রথম আলোর এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শক্ত আইনী ব্যবস্থা নিতে। ৩ হাজারের বেশি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং ৭শ'র বেশি গুমের ঘটনায় ভিক্টিমদের পরিবারদের বিচার পাবার অধিকার এই প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার গং যেন কোন ভাবেই বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সেটা এখনি নিশ্চিত করতে হবে।

A K M Wahodujjaman

Asif Adnan (Unofficial)

15 Nov, 22:29


এই ছেলেটি তার মাকে হ'ত্যা করেনি। হ'ত্যা করেছে মূলত ভাড়াটিয়া, তাদের অনৈতিক কাজের কথা জেনে যাওয়াতে তারা এই কাজ করে।

র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মায়ের হ'ত্যাকারী তার নিজেরই ছেলে সাদ।

অতীতের মতোই মিডিয়া ট্রায়াল করে ছেলেটিকে ভয়াবহ বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছিল ডেথ স্কোয়াডের সদস্যরা।

সাদ এর বাবা অভিযোগ করেছেন, নির্যাতন করে এমন স্বীকারোক্তি আদায় করেছিল র্যাব।

র‍্যাবের যেসব সদস্য এমন করেছে তাদের শনাক্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক।
Abu Sufian

Asif Adnan (Unofficial)

15 Nov, 22:27


Persevere

Asif Adnan (Unofficial)

13 Nov, 14:04


র‍্যাডিকাল চিন্তাভাবনা।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর ঈমান এনে সশস্ত্র পথে গেলে সেটা জাস্টিফাইড।

কিন্তু ফ্যাসিবাদ, লিবারেলিসম কিংবা অন্য কোন সেক্যুলার মতাদর্শের বিরুদ্ধে তাওহীদ ও রিসালার ওপর ঈমান এনে একই কাজ করতে গেলে সেটা জঘন্যতম অপরাধ - এটা কেন?

প্রথমটার জাস্টিফিকেশন কোথা থেকে আসছে আর পরেরটা অপরাধ গণ্য কেন হচ্ছে?

যাই হোক, মন্ত্রী পদমর্যাদার ব্যক্তিদেত থেকে এসব কথা আসছে দেখে ভালো লাগছে। মাচ অ্যাপ্রিশিয়েটেড।

Asif Mahmud

Asif Adnan (Unofficial)

13 Nov, 13:27


প্রিয় বই। শেষ পর্যন্ত অনুবাদ হল৷ আরও আগেই হবার দরকার ছিল। হাইলি রেকোমেন্ডেড।

Asif Adnan (Unofficial)

13 Nov, 00:42


Clip from Blood Brothers Podcast

Link to the full podcast:

https://m.youtube.com/watch?v=D_tuqdBmOHk&list=PLf_YzC569VIOcg_Ivf6V0olhzYY7ShiTs&index=2&pp=iAQB

Asif Adnan (Unofficial)

12 Nov, 14:37


Still a better upodeshta than farooqi

Asif Adnan (Unofficial)

12 Nov, 04:21


ইন শা আল্লাহ ১৬ তারিখ চট্টগ্রামে থাকছি। সম্ভবত এটা আগামী বেশ কিছু দিনের জন্য শেষ পাবলিক স্পিচ হতে যাচ্ছে। আপাতত আর পাবলিক অনুষ্ঠান করার প্ল্যান নেই।

শেষটা জন্মভূমি চট্টগ্রামে হওয়াটা এক অর্থে ফিটিং।

আগ্রহীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন লিংক

https://event.seanpublication.com/etn/sean-seminar-4-chittagong/?fbclid=IwY2xjawGVam1leHRuA2FlbQIxMQABHRYmldSdCnVCBCY5rmGj_YkFngqi55x4TWtqpj_H7lW12ZG_iU5bsQFCFg_aem_goCfQm8D16VfvLuFdgsFkg

Asif Adnan (Unofficial)

11 Nov, 17:56


https://www.facebook.com/100064052434738/posts/pfbid09U2izD5SubJAoSAG8V7erbTgZ7enVh2FBbWSkcZ7H55iXf2VfEzdTDcYZbFejCR5l/?app=fbl

Asif Adnan (Unofficial)

11 Nov, 17:55


হাসিনা টিকে থাকলে উনাকেও জেলে যেতে হতো।

ছোট ভাইকে উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চাই।

A much better candidate than Farooqi.

Asif Adnan (Unofficial)

24 Oct, 09:07


আমি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটিতে শাফিউর রহমান ফারাবীর সাথে একই ব্লকে ছিলাম অনেক দিন। ওর মতো এত সহজ সরল দ্বিতীয় কাউকে আমি সেখানে পাইনি। ধর্মীয় বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে সে একেবারেই আমাদের অধিকাংশ বাঙালি মুসলমানের মতো একেবারেই সাদামাটা ও ট্রেডিশনাল। এমনকি নেয়ামুল কোরআন বা বারোচান্দের ফজিলত টাইপের বই আমি তাকে পড়তে দেখেছি।

তার একটাই গুন, একটাই দোষ--সে আল্লাহর রাসূলকে ভালোবাসে। সে এমন গভীরভাবে ভালোবাসে যে আমি তাকে এ ব্যাপারে ঈর্ষা করি। এই ভালোবাসার প্রমাণই সে তার জীবনের সোনালী সময়টা জেলে কাটিয়ে দিচ্ছে।

ছেলেটার বাবা নেই, ভাই নেই, দেখাশোনার কেউ নেই। আমরা ১৫ কোটি মুসলমান মিলেও তার বাবা ভাইয়ের দায়িত্বটা পালন করতে পারলাম না। অথচ ওয়াজে আমরাই বলি মুসলমান মুসলমানের ভাই।

শাফিউর রহমান ফারাবির জন্য এটা যতটা পরিক্ষা তার চেয়ে বড় পরীক্ষা এই বাংলার মুসলমানদের জন্য। একজন মানুষ কেবল আল্লাহর রাসূলকে মুহাব্বাত করে, আল্লাহর রাসূলকে অবমানকারীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার কারণে অন্যায়ভাবে জেলে পড়ে আছে, আর আমরা আরামসে জীবন উপভোগ করছি। আমরা কী জবাব দেবো আল্লাহর কাছে?

রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনেও যদি বলি তার বিরুদ্ধে কোনো হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার কোনো প্রমাণ নেই, এমনকি প্রত্যক্ষ কোনো অভিযোগও নেই। অথচ মিথ্যা মামলায় সে জেল খাটছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে।

যারা আল্লাহর রাসূলকে ভালোবাসেন বলে দাবি করেন তাদের সকলের কাছে আমার আকুল আবেদন, আপনারা প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে শাফিউর রহমান ফারাবির মুক্তির জন্য আওয়াজ তুলুন, কথা বলুন।

আমরা যদি এই ব্যাপারে আওয়াজ তুলতে না পারি তবে আমাদের বাকশক্তির হক্ব আমরা আদায় করলাম না। আমাদের জন্য অধিক উপযুক্ত উপাধি হলো "বোবা শয় তান"।

আহমেদ রফিক

Asif Adnan (Unofficial)

24 Oct, 09:03


schadenfreude
🫶

Asif Adnan (Unofficial)

23 Oct, 23:47


আমাদের ৭ দফা
১। স্বৈরাচারের মদদপুষ্ট শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।

২। গণতদন্ত কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাপলা গণহত্যার বিচার করতে হবে।

৩। অনতিবিলম্বে জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু বিচারকার্য শুরু করতে হবে। গণহত্যার সাথে জড়িত খুনি কর্মকর্তাদের বিচার করতে হবে।

৪। বাকশালী মুজিববাদী চেতনা সমূলে উচ্ছেদ করতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৫।সকল রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ও কার্যালয় থেকে বাকশালপন্থী স্বৈরাচার শেখ মুজিবের নাম ও ছবি অপসারণ করতে হবে।

৬। তদন্ত কমিশন গঠন করে আওয়ামী লীগের আমলে সংঘটিত সকল জুলুম,বেইনসাফির সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে হবে।

৭। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কেন পালিয়ে যেতে দেওয়া হলো এবং এই কাজে কারা সাহায্য করল, তার সুষ্ঠু তদন্ত, জবাবদিহিতা এবং বিচার করতে হবে।
Enamu Hossain

Asif Adnan (Unofficial)

23 Oct, 23:46


মনে আছে আবু সাঈদের কথা? কিংবা আসহাবুল ইয়ামিন - এপিসির ওপর থেকে নৃশংসভাবে যার নিথর দেহ টেনে হিচড়ে ফেলে দিয়েছিল পুলিশ?
.
আশুলিয়াতে সেই ছাত্রদের কথা মনে আছে, যাদেরকে মেরে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছিলো? ভুলে গেছেন নাফিসের কথা, রিকশাওয়ালা ভাই প্রাণপণ চেষ্টায়ও বাঁচাতে পারেনি যাকে?
.
আজকের মতো রাতে এ স্মৃতিগুলো কি দুঃস্বপ্ন হয়ে ফিরে আসে না? প্রচন্ড রাগে কি হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে যায় না?
.
মনে হয় না। আমরা ভুলে যাই। আমরা ভুলতে পছন্দ করি। যার কারণে খুনী আওয়ামীলীগ আজ ফিরে আসার চেষ্টা করছে নানা রূপে। আবু সাঈদের রক্তে ভেজা মাটিতে দাঁড়িয়ে খুনী হাসিনার পক্ষে স্লোগান দেওয়ার স্পর্ধা দেখাচ্ছে তারা।
.
মুজিববাদের পক্ষে কলাম লিখছে ডেইলি স্টারদের মতো ফ্যাসিবাদের দোসররা। বহাল তবিয়তে আছে মুজিববাদের সে বয়ান, যে বয়ানের ওয়র তৈরি হয়েছিল পিলখানা, শাহবাগ, শাপলা গণহত্যা, জুলাই গণহত্যা সর্বোপরি আওয়ামী জাহেলিয়াত।
.
৭৫-এও মানুষ মনে করেছিলো, খুনী লীগ আজীবনের জন্য বিদায় হয়েছে। কিন্তু না। ২১ বছরের মাথাতেই আবার ক্ষমতায় ফিরে এসেছে তারা। ৪০ বছরের মাথায় দোর্দন্ড প্রতাপে কায়েম করেছে আওয়ামী জাহেলিয়াত ২.০।
.
আপনি হাসিনার প্রতি দয়া দেখালেও সে আপনার প্রতি দেখাবে না। জুলাই গনহত্যার ব্যাপারে খুনী হাসিনা থেকে শুরু করে তাদের কোনো নেতাকর্মীর কোনো অনুতাপ নেই, অপরাধবোধ নেই। তারা বারবার ফিরে আসে আগের চেয়ে আরও অনেক হিংস্র হয়ে।
.
তাদের আসার পথ সুগম করে মুজিববাদী সাংস্কৃতিক বয়ান। ডেইলি স্টারের কলাম, উপদেষ্টাদের মাথার উপরে মুজিবের ছবি মুজিববাদের ফিরে আসারই অশনী সঙ্কেত দেয় আমাদেরকে।
.
রক্তের দাগ শুকায় নাই। জুলাই জুড়ে যে মানুষদের ঐক্য, বীরত্ব ও মহানুভবতায় হাসিনার পতন হয়েছে, সে মানুষগুলো এ মাটিতেই আছে। চোখের সামনে দিয়ে খুলি উড়ে যাওয়া ভাইয়ের লাশ নিয়ে যাওয়ার স্মৃতি আমরা ভুলিনি। ভোলা সম্ভব না।
.
আমরা হাসিনার পতন নিশ্চিত করেছি বটে, বিজয় নিশ্চিত করি নি। যদি আজ পথে না নামি, নতুনভাবে মুজিববাদের বিদায় না ঘটাই, মনে রাখবেন আবু সাঈদদের রক্তই শেষ রক্ত না। আমাদের ও আমাদের প্রজন্মের মুক্তি হয় নি। ১৫ বছরের স্বৈরাচারই শেষ স্বৈরাচার না। তাই আসুন না, খুনীদের বিচার, আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, মুজিববাদের বিদায়ের লক্ষ্যে আরেকটাবার নামি, যেভাবে নেমেছিলাম এ কয়েকমাস আগেই।
.
জুলাইয়ের কাফেলা জেগে উঠুক আরেকবার।

Asif Adnan (Unofficial)

23 Oct, 01:58


ইন শা আল্লাহ।
শনিবার, ২৬শে অক্টোবর।
রাজশাহী।

Asif Adnan (Unofficial)

23 Oct, 01:57


অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো তাজকিয়াহ লাইফ আয়োজন করতে যাচ্ছে এক ব্যতিক্রমী ইসলামিক আলোচনা সভা "ইতিহাসের আয়নায় বর্তমান ও ভবিষ্যত" (Islam and History: A Reflection on the Past, Present, and Future) শীর্ষক সেমিনারের। আমাদের এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো, ইসলামের গৌরবময় অতীত, বর্তমান সমাজে ইসলামের প্রভাব এবং ভবিষ্যতে ইসলামের দিশা নিয়ে চিন্তাশীল আলোচনার মাধ্যমে একটি আদর্শিক পথের সন্ধান করা।
.

এই সম্মেলনে আমন্ত্রিত থাকছেন দেশসেরা প্রজ্ঞাবান ইসলামি আলোচক এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাশীল ব্যক্তিত্বগণ, যারা ইসলামের ইতিহাস এবং ভবিষ্যত নিয়ে সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনা এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। তাঁদের দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা আমাদেরকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বর্তমানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত করবে এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি আদর্শিক দিকনির্দেশনা প্রদান করবে, ইন শা আল্লাহ।
.

আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে, যেখানে আমরা দুপুর ২:৩০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ইসলামী চিন্তা ও সমাজ বিনির্মাণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করবে। এই সেমিনারটি বিশেষভাবে তরুণদের জন্য প্রাসঙ্গিক হবে, যারা ইসলামের শাশ্বত শিক্ষার আলোকে একটি নতুন সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখে।
.

সম্মানিত আলোচকবৃন্দ:
১. আবু তাসমিয়া আহমেদ রফিক
২. আসিফ আদনান
৩. ইমরান রায়হান
৪. এম মাহবুবুর রহমান
৫. জাকারিয়া মাসুদ
৬. ইসমাঈল হোসাইন
৭. ইরফান সাদিক
এবং সম্মানিত স্থানীয় আলিমগণ।

*রেজিস্ট্রেশন: ইতিহাসের আয়নায় বর্তমান ও ভবিষ্যত*
তারিখ: ২৬ অক্টোবর ২০২৪
ভেন্যু: শাহ ডাইন কনভেনশন হল-০৩, কাদিরগন্জ
সময়: দুপুর ২:৩০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত
রেজিস্ট্রেশন ফি: ২৫০৳
রেজিস্ট্রেশন ডেডলাইন: ২৫ অক্টোবর ২০২৪
রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদানের জন্য:

বিকাশ/নগদ: 01777125562
রকেট: 016464885205 (সেন্ড মানি করবেন ইন শা আল্লাহ)

রেজিস্ট্রেশন ফরম: কমেন্টে বক্সে।
আমাদের এই মহতী উদ্যোগে আপনাকে স্বাগতম। দেখা হবে ইন শা আল্লাহ ২৬ অক্টোবর, রাজশাহীতে।

তাজকিয়াহ লাইফ
ইসলামের পথে জীবন গড়ার অঙ্গীকার।
https://forms.gle/oCNZTbcEYTDQ5S7t9

Asif Adnan (Unofficial)

22 Oct, 00:01


https://youtu.be/T-_3kV8D1lU

Asif Adnan (Unofficial)

21 Oct, 23:59


Ami choto bela thekei fasibader biruddhe.
Asif Bin Hossain

Asif Adnan (Unofficial)

21 Oct, 23:57


এই বক্তব্য গণহত্যার সময় রিজিমের অংশ হয়ে যাওয়া সাকিবের কর্মকান্ডকে ওয়াইটওয়াশ করা ছাড়া আর কিছুই না।

এই টোকাইকে টীম থেকে এই মূহুর্তে বাদ দেয়া হোক। আইডিয়ালি তার বাসা ঘেরাও দেয়া দরকার ছিল।

Asif Adnan (Unofficial)

21 Oct, 23:57


🔥

Asif Adnan (Unofficial)

21 Oct, 23:56


https://www.facebook.com/share/v/eBN3nsQNrgLjUnsq/

Asif Adnan (Unofficial)

21 Oct, 23:53


বিপ্লব আর সংস্কারের পার্থক্য কী?
.
বিপ্লব হল সমাজ ও শাসন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। সংস্কার হল বিদ্যমান কাঠামোর ভেতরে কিছু পরিবর্তন আনা। বিরাজমান ব্যবস্থার সংশোধন বা এর সাথে সমঝোতা করা বিপ্লবের উদ্দেশ্য না। বিপ্লব শুরুই হয় মৌলিক ও আমূল পরিবর্তনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে।
.
অন্যদিকে, সংস্কারের কাজ আগের ব্যবস্থা বহাল রেখেই করা যায়। শাসক ও ক্ষমতাশালীরা মেনে নিতে পারে এমন কিছু সংস্কারমূলক কাজ করলেই হয়। এর জন্য বিপ্লবের দরকার হয় না। এ দুইয়ের মধ্যে সংস্কারের প্রক্রিয়া নিঃসন্দেহে সংক্ষিপ্ত ও সহজতর।
.
নিও-লিবারেল পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন কিছু রেগুলেইশান দেয়া, কিছু নিয়মনীতি আর নজরদারী বাড়ানো, করসংক্রান্ত টুকিটাকি পরিবর্তন - এগুলো সংস্কার। এই অর্থব্যবস্থার বদলে কমিউনিস্ট আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা চালু করা বিপ্লব।
.
সেক্যুলার শাসনে আরও জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা আনা, রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ক্ষমতার বিভাজনকে আরো ভারসাম্যপূর্ণ করা, রাষ্ট্রীয় গুমখুন বন্ধ করা এগুলো বিদ্যমান ব্যবস্থার সংস্কার। সেক্যুলার সাংবিধানিক শাসনের বদলে ইসলামের শাসন আনা বিপ্লব।
.
বাঙ্গালিত্বের সনাতনী ধারণাকে পুনঃসজ্ঞায়ন করা, এর নতুন ব্যাখ্যা আনা, ইসলামাইয করার চেষ্টা সংস্কার। ক্যাটাগরি হিসেবে বাঙ্গালিত্বের ধারণাকে অপ্রাসঙ্গিক ও তামাদি করে দেয়া, আত্মপরিচয়ের প্রধান ভিত্তি হিসেবে ইসলামকে আনা, বিপ্লব।
.
এমন বিপ্লব যা বাঙ্গালিত্বের ধারণাকে পরিবর্তনের ধার ধারে না, বাঙ্গালিত্বের জমিদারদের জমির ভাগবাটোয়ারা কিংবা সীমানা পুনঃনির্ধারন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয় না, বরং ওদের জমিদারিকেই বিলুপ্ত করে দেয়।

৩১ অগাস্ট, ২০২২।

Asif Adnan (Unofficial)

21 Oct, 23:52


মনে করুন, বিএনপি ক্ষমতায় আছে। সরকার তারা চালাচ্ছে। ৫-ই অগাস্টের পর তারাই পাওয়ারে এসেছে।
.
এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের প্রথম সারির প্রায় সব নেতা, সব গডফাদাররা বহাল তবিয়তে দেশ থেকে 'পালিয়ে যাচ্ছে'।
.
গণহত্যায় প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করা পুলিশ-র‍্যাব-বিজিবি-র অফিসারদের কারও বিচার হচ্ছে না। বেশি থেকে বেশি তাদের চাকরি যাচ্ছে।
.
সেই সাথে হাসিনা পালানোর দু' মাস দশ দিনের মাথায় লীগ তাদের স্লোগান নিয়ে হাজির হচ্ছে। শো ডাউন করছে।
.
.
এরকম সিনারিওতে আপনি কী বলতেন? বিএনপি মানুষের সাথে গাদ্দারি করেছে। তারা আওয়ামী লীগ এবং খুনে অফিসারদের সাথে গোপনে হাত মিলিয়েছে। তাই না?
.
এখন বলুন - এই সরকারের ক্ষেত্রে কেন একই উপসংহার টানা হবে না? এই সরকারের সময়ে তো ঠিক একই বিষয়গুলো হচ্ছে।
.
পুরো সরকারকে এ প্রশ্নটা করা প্রয়োজন। বিশেষভাবে ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে যারা ক্ষমতায় গেছেন তাদের স্পষ্ট করে বলা উচিৎ তারা কি আওয়ামী জাহেলিয়াতের পুনর্বাসনের জন্য কারও সাথে আঁতাত করেছেন কি না।
.
যদি তারা এমন না করে থাকেন, তাহলে তারা কেন এগুলো থামাচ্ছেন না? যদি থামাতে না পারেন তাহলে কেন পদত্যাগ করছেন না?
.
আর যদি তারা আসলেই এমন আঁতাত করে থাকেন, তাহলে জুলাই আন্দোলনের সাথে, নিহত ও আহতদের রক্তের সাথে গাদ্দারির পরিণতি কেমন হওয়া উচিৎ বলে তারা মনে করেন?

Asif Adnan (Unofficial)

21 Oct, 23:52


দাড় টুপিওয়ালা মানুষকে দানব আকারে হাজির করার সেই পুরনো খেলা।
কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষ এখনো বহাল তবিয়তে আছে।