NAKInBangla @noumanalikhanbangla Channel on Telegram

NAKInBangla

@noumanalikhanbangla


NAKInBangla (Bengali)

স্বাগতম! নমস্কার সবাই। NAKInBangla চ্যানেলটি হল নউমান আলী খান এবং তার কাজের উপর ভিত্তি করে গঠিত একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল। এই চ্যানেলে আমরা নউমান আলী খানের উদ্দেশ্যবান কাজ এবং সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত থাকতে চেষ্টা করি। এটি একটি অদ্ভুত, সহজ ও উপকারী সংস্থা, যা আপনাকে উদ্দেশ্যবান প্রেরণাদাতা মানে নউমান আলী খানের বিচারের কিছু ভিডিও, লেকচার এবং উপকারিতা বিজ্ঞাপন সরবরাহ করে। NAKInBangla চ্যানেলটি নউমান আলী খানের জন্য একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে এবং আপনাকে একটি আনন্দময় এবং শিখতে অনুরোধ করতে নিশ্চিত করতে প্রস্তুত। আপনি নউমান আলী খান ও তার কাজের সাথে যোগাযোগ নিতে এবং তার লিডারশিপ থাকা পেতে চান তাহলে NAKInBangla চ্যানেলটি আপনার জন্য আদর্শ হতে পারে।

NAKInBangla

23 Jan, 06:50


https://ift.tt/AvPxmte কুরআন আপনার কাছ থেকে কী চায়? কুরআন থেকে আমি হেদায়েত খুঁজছি এর মানে কী?
হেদায়েত খোঁজা মানে শুধু আমল বা কাজ খোঁজা নয়। এটি অতি সরল একটি অভিমত যা খুবই জনপ্রিয়। চলুন, অনুসন্ধান করে দেখি কুরআন থেকে হেদায়েত খোঁজার অর্থ কী?

সবার আগে- এটি আপনার চিন্তাভাবনাকে সংশোধন করে। ফলে চারপাশের দুনিয়াকে আপনি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা শুরু করেন। কুরআনে হেদায়েতের অন্যতম বড় একটি রাস্তা হলো- কুরআন বাস্তবতাকে আপনার উপলব্ধির চেয়ে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে। কুরআন অধ্যয়নের পূর্বে বাস্তবতাকে আপনি একভাবে দেখতেন, কুরআন অধ্যয়নের পরে এটি এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জিনিস।

মূল্যবান কিছু দেখলে আপনি জিনিসটি সম্পর্কে একভাবে চিন্তা করেন। আর মূল্যহীন কিছু দেখলে তার সম্পর্কে ভিন্নভাবে চিন্তা করেন। তো, কুরআন চারপাশের বাস্তবতা সম্পর্কে আপনার চিন্তা এবং উপলব্ধিতে পরিবর্তন নিয়ে আসে।

সহজ একটি উদাহরণ দিচ্ছি। কুরআন মাটি ভেদ করে চারাগাছ উঠে আসা সম্পর্কে কথা বলেছে। কুরআন যদি এ সম্পর্কে না বলতো তবু আপনি জানেন চারাগাছ মাটি ভেদ করে উঠে আসে। তাহলে কুরআন বলাতে এতে কী পার্থক্য তৈরী হয়? কুরআন বলছে, যখনি তুমি বিচার দিবসের কথা ভুলে যাও, মনে রেখো চারাগাছ মাটি থেকে উঠে আসে।

তাহলে কুরআনের অভিমতে চারাগাছ মাটি থেকে উঠে আসা কিসের রিমাইন্ডার? আমাকে কিসের কথা মনে করিয়ে দিবে? বিচার দিবসের কথা।

আমাকে বলুন, চারাগাছ মাটি থেকে উঠে আসার সাথে বিচার দিবসের কী সম্পর্ক? মৃত্যু থেকে জীবন। আমরা মাটিতে প্রবেশ করবো। আমাদের শরীর পঁচে গলে হয়তো বীজের আকৃতির মত হয়ে যাবে। বা এমনকি আরো কম। কিছুই না হয়তো। এরপর আল্লাহ আমাদের পুনরুত্থিত করবেন। আবার উঠাবেন মাটি থেকে।

তাই, বিচার দিবস নিয়ে যদি সন্দেহ দেখা দেয়, শুধু চারাগাছের দিকে লক্ষ্য করুন।
তাহলে, এখন আমি যেভাবে চারাগাছের দিকে তাকাবো তা সারাজীবনের জন্য পরিবর্তিত হয়ে গেল। বুঝতে পারছেন? খুবই সাধারণ একটি বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কিভাবে পরিবর্তিত হয়ে গেল!!

- নোমান আলী খান
- 01. How to Approach the Quran - Al-Kahf - A Deeper Look
- bayyinah tv

NAKInBangla

22 Jan, 07:00


https://ift.tt/OAjD8S3 জীবনের এই সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতাটি আপনার এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার মাঝে একটি পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াই একমাত্র মূল্যবান বিষয়।

হাদিসে এসেছে, এমন এক ব্যক্তিকে জাহান্নামে আনা হবে যে দুনিয়াতে (আনআম আহলুল আরদ) সবচেয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপন করেছে...

সুখী। সবকিছু সহজ। জীবনে কোনোদিন কষ্ট দেখেনি। নারী, ভোগ-বিলাস, মৌজ-মাস্তি, বন্ধু-বান্ধব, প্রেম-পিরিতি, টাকা-পয়সা যাই বলেন না কেন। স্বাস্থ্য। সবকিছু তার জন্য ভালো ছিল।

কিন্তু পরকালে সে জাহান্নামে গেলো। অতঃপর আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা তাকে এক সেকেন্ডের জন্য দোজখে রাখবেন। অতঃপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাকে জিজ্ঞেস করবেন বা তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, তুমি কি তোমার জীবনে কখনো কোনো বিলাসিতা বা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দেখেছো? তখন সে আল্লাহর নামে শপথ নিবে! এবং সত্যি সত্যি বলবে। সে বলবে—"আল্লাহর শপথ! আমি আমার জীবনে কখনো কোনো সহজ সময় দেখিনি।" এই এক সেকেন্ডের শাস্তির ফলে তার এই অবস্থা হবে।

অন্য কথায়, দুনিয়ার সমস্ত আনন্দ-ফূর্তি = জাহান্নামের এক সেকেন্ডের শাস্তি। জাস্ট চিন্তা করে দেখুন, কিসের রিস্ক নিচ্ছেন?

অন্যদিকে জান্নাতিদের অবস্থা কেমন হবে? আমরা গত এক বছর যাবত গাজায় অসংখ্য মানুষকে শহীদ হতে দেখেছি। জানেন? কেয়ামতের দিন শুধুমাত্র শহীদেরা দুনিয়াতে এসে আবারও শহীদ হতে চাইবে। শাহাদাতের বিনিময়ে তারা যে অবর্ণনীয় পুরস্কার পাবেন তা দেখে তারা আবারও শহীদ হতে চাইবেন। কারণ তখন তাদের কাছে মনে হবে, এত বেশি পুরস্কারের জন্য এটা তো খুবই সামান্য সেক্রিফাইস।

তাই জাস্ট উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন, কি এমন পুরস্কার তারা পাবেন যার জন্য তারা আবারও দুনিয়াতে এসে বোমার আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন হতে চাইবেন। আমাদের পক্ষে এখন এই দুনিয়ায় থেকে এটা বুঝা সম্ভব নয়। এখন মনে হয়, এমন কিছু নেই যার জন্য আমি আবারও তোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হতে চাইবো। কিন্তু পরকালের ক্যালকুলেশন আমাদের উপলব্ধি ক্ষমতার বাইরে।

তাই এই পরীক্ষায় পাশ করার চেষ্টা করুন। শুধু চেষ্টা না, নিজেকে সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ করে দিন। এর চেয়ে বেশি সিরিয়াস আর কিছু নেই।

NAKInBangla

19 Jan, 13:55


https://ift.tt/h0lpRa1 আজকের আয়াত:

আল্লাহ কাফিরদেরকে ক্রুদ্ধাবস্থায় বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য করলেন। কোন কল্যাণ তারা লাভ করেনি। যুদ্ধে মু’মিনদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ সর্বশক্তিমান, পরাক্রমশালী।

৩৩:২৫

NAKInBangla

19 Jan, 13:00


https://ift.tt/h0lpRa1 ~~ জ্ঞান ও আমল ~~

এটা আমার কাছে এই সূরার সেরা অংশ মনে হয়। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই ব্যাপারটা সূরা ফাতিহাকে অলৌকিক করে তুলেছে। এটা ফাতিহাকে এতো সুন্দর করে তুলেছে যা যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করা অসম্ভব। আমি যদি মুসলিমদের মতো না ভেবে অমুসলিমদের মতোও ভাবি, তবু এটা যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করা মুশকিল যে কীভাবে একজন মানুষ এরকম নিখুঁতভাবে কথা বলতে পারে! এটাই আপনাদের সামনে তুলে ধরছি এখন। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ফাতিহাতে দুটো বিষয় রয়েছে।

[১] জ্ঞান
[২] প্রয়োগ/কাজ

‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন, আর-রাহমানির রাহীম, মালিকি ইয়াওমিদ্দ্বীন’ এটুকু পুরোটাই জ্ঞানের কথা। এই জ্ঞান কীসের ব্যাপারে? আল্লাহ । প্রথম তিনটি আয়াত আল্লাহর ব্যাপারে জ্ঞান বিষয়ে। এগুলোতে আল্লাহ সম্পর্কে জানি, তাঁর সম্পর্কে জ্ঞান পাই।
‘ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাইন। ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম, সিরাতাল্লাজিনা আন’আমতা আলাইহিম। গাইরিল মাগদ্বুবি আলাইহিম, ওয়ালাজজাল্লিন।’ এগুলো ক্রিয়াজাত বাক্য, ক্রিয়া মানে কাজ বা প্রয়োগ। তাহলে এগুলো কাজ বা প্রয়োগ বিষয়ে।

তাহল, এই সূরা শুরু হয়েছে জ্ঞান দিয়ে এবং শেষ হয়েছে সেই জ্ঞানের প্রয়োগ (কাজ, আমল) দিয়ে।
এখন, এই জ্ঞান ও আমলের তিনটি অবস্থা রয়েছে।

[১] কিছু মানুষের জ্ঞান রয়েছে। এই জ্ঞান তাদেরকে কর্মের দিকে ধাবিত করে। আপনার জ্ঞান যদি আপনাকে তার প্রয়োগের দিকে ধাবিত করে, তবে আপনি সরল-সোজা পথে আছেন।
তো, আপনি যদি 'সিরাতাল মুস্তাকিমের পথে থাকতে চান, তবে আপনার জ্ঞান থাকা ও সে অনুযায়ী কাজ করা আবশ্যক। এই দুটির ভারসাম্য ও সমন্বয় ফরজ। জ্ঞান থাকা ও সেই অনুযায়ী আমল করে সঠিকপথে চলা।

কিন্তু আরো দুটো শ্রেণী রয়েছে। আমরা যখন হেদায়াত চেয়েছি তখন হেদায়াতের বাইরে থাকা দুটি দল থেকে আল্লাহর কাছে বেঁচে থাকার দুআ করেছিলাম। সেই দুটি দল ছিল গজবপ্রাপ্ত ও পথহারা ব্যক্তি।

কিছু মানুষের জ্ঞান রয়েছে, কিন্তু এই জ্ঞানকে তারা কাজে লাগায় না। আবার কিছু মানুষের কাজ (আমল) রয়েছে, কিন্তু সেটা সঠিক জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে নয়, মানে জ্ঞান ছাড়াই কাজ (আমল) করে বসেছে।

[২] আপনার যদি জ্ঞান (ইলম) থাকে, কিন্তু কাজ (আমল) না থাকে, তবে আপনি সূরা ফাতিহায় বর্ণিত গজবপ্রাপ্তদের দলে থাকবেন। কারণ তারা জ্ঞান অনুযায়ী আমল করতো না। সঠিকটা জানার পরেও সেই অনুযায়ী সঠিক পথে না চলে আল্লাহর নাফরমানির পথে চলতো।

[৩] আপনার যদি কাজ (আমল) থাকে, ইচ্ছাকৃতভাবে ভালো আমল করতে চান, কিন্তু সেটা যদি ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে হয়, তবে সেটা জ্ঞানহীন প্রয়োগ/আমল। এরা আদ-দ্বাল্লিন (পথহারা) শ্রেণীর লোক। পথ না জানা লোকেরা পথহারা হয়। ইলম গ্রহণ না করার আগ্রহ থাকার কারণে, ইলম অর্জন না করার কারণে এরা নিজেরা পথ চিনে না, হারিয়ে যায় সঠিকপথ থেকে।

[১] জ্ঞান
[২] আমল
[৩] জ্ঞান+আমল (সৎপথ)
[৪] জ্ঞান আছে কিন্তু আমল নেই
[৫] আমল আছে কিন্তু জ্ঞান নেই

তাহলে জ্ঞান ও আমলের ভিত্তিতে মানুষ তিন শ্রেণীর।

[১] জ্ঞান+আমল > সৎপথ (উম্মাতাও ওয়াসাতা, মধ্যমপন্থী ভারসাম্যময় জাতি)
[২] শুধু জ্ঞান-(আমল নেই) > গজবপ্রাপ্ত
[৩] শুধু আমল-(জ্ঞান নেই) > পথহারা ব্যক্তি

এভাবে, সূরা শুরু হয়েছে জ্ঞান দিয়ে, তারপর জ্ঞান ও প্রয়োগ একসাথে এসেছে (নেয়ামতপ্রাপ্ত ব্যক্তি)! এরপর এসেছে প্রয়োহীন জ্ঞান (মাগদুব), তারপর জ্ঞানহীন প্রয়োগ (দ্বাল্লিন)। পুরো বিষয়টিই জ্ঞান ও আমলের ব্যাপারে ভারসাম্য খুব নিখুঁতভাবে এসেছে।

এভাবে কে কথা বলে! এতো সুন্দর করে! সুবহানাল্লাহ! অথচ কুরআন পুরোটাই কথা বা বক্তব্যের আকারে এসেছে, ঠিক আমাদের দৈনন্দিন স্বতস্ফুর্ত আলাপের মতো। এটা বারবার লেখা ও সম্পাদনার আকারে নাজিল হয়নি যে ভুলগুলো বারবার শুধরে ঠিক করা যাবে। এরকম কোনো সম্পাদনার পদ্ধতি এতে আসেনি।

বই : বিস্ময়কর ফাতিহা
মূল : উস্তাদ নোমান আলী খান

সূরা ফাতিহা এক মহাবিস্ময়। এর প্রতিটি শব্দে বিস্ময়ের একেকটি মহাসমুদ্র উন্মোচিত হয়। এর প্রতিটি শব্দ, বাক্য, বিষয়, অলঙ্কার, ভারসাম্য, মাত্রা সবই একেকটি বিস্ময়কর মুজিযা, যা প্রতিটি মানবমনে এক মহান রবের প্রতি মাথা নুইয়ে পড়তে বাধ্য করে, বাধ্য করে নিজেকে এমন রবের ভালোবাসার দাসত্বে আবদ্ধ করতে।

যারা উস্তাদের "সূরা আর-রাহমানের গভীরে" এই তাদাব্বুরের কিতাবটি পড়েছেন, তারা নিশ্চয় জানেন আল্লাহর কালামের তাদাব্বুর কতোটা গভীর, সেখানে হেদায়াতের নূর কতোটা গভীরে লুকিয়ে আছে! ভাষার অলংকারও কীভাবে আল্লাহর কালামের আশ্চর্য বুননের সামনে থমকে দাঁড়ায়! সুবহানাল্লাহ! তাদাব্বুরের ধারাবাহিকতায় এটি উস্তাদের আরেকটি সেরা কাজ।

সংগ্রহ করতে পারেন। নীচের রকমারি, ওয়াফিলাইফ ও অন্যান্য বুকশপ থেকে বই সংগ্রহ করতে পারেন।

[1] রকমারি (01519521971) (Whatsapp এ মেসেজ দিয়ে অর্ডার দিন)

[2] ওয়াফিলাইফ (01799-925050)

যেকোনো প্রয়োজনে Bookish Publisher (+8801645261821) এ যোগাযোগ করতে পারেন।

NAKInBangla

18 Jan, 06:50


https://ift.tt/S05bjOW জান্নাতে আল্লাহর সাথে আপনার প্রথম কথোপকথনটি কেমন হবে তা নিয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন?

ধরুন, আল্লাহর রহমতে আপনি জান্নাতে প্রবেশ করেছেন। প্রথমবারের মতো আল্লাহর সাথে আপনার সাক্ষাৎ। গেইট দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করলেন। জান্নাতি পোশাক পরিচ্ছদ পরিধান করলেন। প্রাসাদগুলো দেখতে পাচ্ছেন। নদীগুলো দেখতে পাচ্ছেন। নিজের পরিবার পরিজনকে দেখতে পাচ্ছেন।

এখন, আল্লাহ আপনার সাথে কথা বলতে চান। আর এটা প্রশ্নত্তোর নয়। কারণ, প্রশ্নোত্তরের সেশন ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ হবে আমাদের। সে সময় আমাদের বিশেষভাবে সজ্জিত করা হবে। আল্লাহ যার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে--عٰلِیَهُمۡ ثِیَابُ سُنۡدُسٍ خُضۡرٌ وَّ اِسۡتَبۡرَقٌ ۫ وَّ حُلُّوۡۤا اَسَاوِرَ مِنۡ فِضَّۃٍ - তাদের উপর থাকবে সবুজ ও মিহি রেশমের পোশাক এবং মোটা রেশমের পোশাক, তারা অলংকৃত হবে রৌপ্য নির্মিত কংকনে।" (৭৬:২১)

তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের সিল্কের তৈরি পোশাক পরানো হবে, হাতে বিশেষ ধরণের ব্রেসলেট পরানো হবে। মনে করতে পারেন রোলেক্স ঘড়ির মত কিছু। বিশেষ ব্রান্ডের ঘড়ি পরানো হবে। হাতে ব্রেসলেট পরানো হবে। সুন্দর জামা পরানো হবে।

কেন তাদের স্পেশাল পোশাক পরানো হবে? কারণ, বিশেষ কারো সাথে সাক্ষাতের সময় আমরা উত্তম পোশাক পরিধান করি। আর এখন মহা বিশ্বের মালিকের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে। তাই, আমাদের সর্বোত্তম উপায়ে সাজিত করা হবে। ঠিক একই আয়াতের পরের অংশে তিনি বলেন- وَ سَقٰهُمۡ رَبُّهُمۡ شَرَابًا طَهُوۡرًا - "আর তাদের রব, আল্লাহ! তাদেরকে পবিত্র ড্রিঙ্কস পান করতে দিবেন।"

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সুস্বাদু ড্রিংকস পান করতে দিবেন। আর যখন পবিত্র পানীয় আমাদের দিবেন তিনি তখন আমাদের সাথে কথা বলবেন, আর কী বলবেন তিনি তখন? তিনি বলবেন- اِنَّ هٰذَا کَانَ لَکُمۡ جَزَآءً وَّ کَانَ سَعۡیُکُمۡ مَّشۡکُوۡرًا - "এটিই তোমাদের বেতন, এটিই তোমাদের পুরস্কার, আর তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা ছিল প্রশংসাযোগ্য। তোমাদের চেষ্টাগুলো কবুল করে নেয়া হলো।" (৭৬:২২)

কিন্তু আপনি তখন কী বলবেন? সেই কথোপকথনটি নিয়ে একটু ভাবুন তো। কী বলবেন তখন আপনার রবকে? জান্নাতে প্রথমবারের মত আল্লাহর সাথে যখন আপনার কথা বলার সুযোগ হবে।

(শায়েখ ওমর সুলেইমান কয়েকজন মুসলিম ভাই বোনকে প্রশ্নটি করেছিলেন। তাদের উত্তর পড়ে দেখুন।)

প্রথম উত্তরদাতা: আপনার প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। আপনার প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। আপনার প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। থ্যাংক ইউ। থ্যাংক ইউ। থ্যাংক ইউ।

দ্বিতীয় উত্তরদাতা: আমাকে এখানে প্রবেশ করতে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কারণ, আমি জানি আমার আমল আমাকে এখানে প্রবেশ করানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।

তৃতীয় উত্তরদাতা: সকল প্রশংসা আপনার জন্য। থ্যাংক ইউ। আলহামদুলিল্লাহ। আমার বেলায়—

জীবনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার একমাত্র উপায় হলো আল্লাহর সাথে আমার সম্পর্ক। তিনি যে এ সময়টাতে, এ পরীক্ষার সময়টাতে আমার সাথে ছিলেন এটাই আমার কাছে সবকিছু। তিনি যে আমার জন্য একটি পারফেক্ট প্ল্যান লিখেছেন। তাই সকল কৃতজ্ঞতা তাঁর প্রতি। চরম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো তখন।

চতুর্থ উত্তরদাতা: আমি আগে কখনো এটা নিয়ে চিন্তা করিনি। সম্ভবত আল্লাহকে সেজদা করবো। এবং তাঁর প্রশংসা করবো।

পঞ্চম উত্তরদাতা: সে মুহূর্তে আমার অন্তর আসলে অনেক বেশি কৃতজ্ঞতাবোধ এবং থ্যাংকফুলনেসে পূর্ণ থাকবে। আমি এমনকি বুঝতে পারছি না কি বলবো। তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকাটাই হবে অনেক সৌন্দর্যময় একটি ব্যাপার।

ষষ্ঠ উত্তরদাতা: আমি তাঁকে সবচেয়ে গভীর উপায়ে কৃতজ্ঞতা জানাবো সে সময়। ওই সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য যে কথাগুলো মনে আসবে সেগুলো ব্যবহার করে আমি সবচেয়ে অসামান্য উপায়ে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো। ইসলামের নেয়ামতের জন্য। এটি সত্যিই অনেক সুন্দর একটি ধর্ম। এটি আমাদের প্রচুর সাহস যোগায় মানুষের মত মানুষ হওয়ার জন্য, আরো ভালো হওয়ার জন্য আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলোকে অতিক্রম করতে প্রেরণা দিয়ে যায়। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য।

সপ্তম উত্তরদাতা: আমার মনে হয়, এমনকি সে মুহূর্তেও আমি মাফ চাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবো। ব্যাপারটা এমন যেনো—

আমি জানি আমি আপনার আদেশ নিষেধগুলো ঠিকভাবে মেনে চলিনি। আমি জানি আমি যথেষ্ট পরিমাণে করিনি। আমি জানি একজন মুসলিম হিসেবে আমার যা যা করার কথা ছিল আমি তা করিনি। হ্যাঁ। আপনার প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কিন্তু, একই সময়ে, আমি আসলে খুবই দুঃখিত। ইয়া আল্লাহ! I am so sorry, iya Allah!

NAKInBangla

17 Jan, 12:25


https://ift.tt/S05bjOW আসসালামু আলাইকুম।

আমাদের কাছে এক ভাই ইনবক্স করেছেন, তার বাবা মারা গিয়েছেন। উনি উস্তাদ নোমান আলী খানের দুটি বই এই উদ্দেশ্যে সাদাকায়ে জারিয়া হিসেবে দিতে চান। যার আর্থিকভাবে বই কেনার অবস্থা নেই, তারাই এর হকদার। তো, এই হিসেবে দুজনকে এটা দেওয়া হবে। বাকীরা কেউ কমেন্ট করবেন না।

বাছাই করার জন্য আমরা একটু জানতে চাইব ঃ উস্তাদের লেকচার থেকে আপনি কী শিখেছেন যা অন্য আলেম বা দাঈ থেকে পাননি। আপনার মনের মতো করে লিখুন।

NAKInBangla

17 Jan, 09:59


কেমন হবে জাহান্নামের শাস্তি? শায়েখ ওমর আল বান্না
https://l.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fwww.youtube.com%2Fwatch%3Fv%3DKa_D9bNG4Vk&h=AT21k-ps3mWgzBCv3kzF6dy69SlngFTDjidmYwGVJ6gz_KeDGOEVvpcrJfIOYeU8xBtbtVuq7wtyOWzMtOvYLRhLSGbDg7CzR80nIaEAdx-0093xsugnrXljfLzimlRv&s=1
Support us in patreon https://ift.tt/39UbmKF us in Buzzsprout: https://www.buzzsprout.com/1933402/supportফেসবুকে আমরাঃ https://www.face...
নতুন ডাবিং, দেখেছেন?কেমন হবে জাহান্নামের শাস্তি? : শায়েখ ওমর আল বান্না

NAKInBangla

14 Jan, 14:02


নতুন ভিডিওঃ কেমন হবে জাহান্নামের শাস্তি? শায়েখ ওমর আল বান্না
YouTube https://www.youtube.com/watch?v=Ka_D9bNG4Vk

NAKInBangla

14 Jan, 12:25


https://ift.tt/7WHFR9t তুহিন ছিল এক তরুণ, যার হৃদয়ে অস্থিরতা। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সে খুঁজে ফিরতো প্রশান্তি, খুঁজতো এমন কিছু যা তার হৃদয়ের শূন্যতাকে পূর্ণ করবে। সে নামাজ পড়ত বটে, কিন্তু নামাজ ছিল তার কাছে কেবল দায়িত্বপালনের মতো। তুহিন জানতো না, নামাজের গভীরে লুকিয়ে আছে এক অপার মধুরতা, এক অলৌকিক প্রশান্তি।

এক সন্ধ্যায় সে বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে চোখ পড়ে একটি বইয়ের ওপর— "কীভাবে নামাজের মধুরতা লাভ করা যায়"। বইটির লেখক মিশারী আল খারাজ, যিনি কুরআন ও সালাতের সৌন্দর্যের গভীরে ডুব দিয়েছেন।

বইটির প্রথম পাতায় পড়ল —

'নামাজ কেবল দেহের কার্যকলাপ নয়, এটি হৃদয়ের এক অভিব্যক্তি, যা আপনাকে আল্লাহর দরবারে সরাসরি উপস্থিত করে'।

এরপর তুহিন বইটি দোকান থেকে কিনে আনে। গভীর রাতে, মোমবাতির মৃদু আলোয় সে বইটি পড়তে শুরু করে।

প্রথম অধ্যায়েই সে যেন নিজের হারিয়ে যাওয়া আত্মার কথা শুনতে পেল। লেখক বলছেন—
"আপনি যদি নামাজের প্রতিটি শব্দে মনোযোগ দিন, যদি উপলব্ধি করেন ‘আল্লাহু আকবার’ উচ্চারণের মাহাত্ম্য, তবে আপনার হৃদয়ে এমন এক শিহরণ সৃষ্টি হবে, যা পৃথিবীর কোনো বস্তুই দিতে পারে না।"

বইয়ের পরবর্তী অধ্যায়গুলো তুহিনকে নামাজের খুশু অর্জনের বিভিন্ন পদ্ধতির সাথে পরিচিত করায়। মিশারী আল খারাজ বলছেন—
• নিয়তের বিশুদ্ধতা: হৃদয়ে যখন আল্লাহর ভালোবাসা সঞ্চারিত হয়, তখন নামাজ হয় এক মধুর আলাপন।
• আয়াতের অর্থ বোঝা: কুরআনের প্রতিটি শব্দে লুকিয়ে আছে এক অপার মহিমা।
• মনোযোগ বৃদ্ধি: দুনিয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে হৃদয়কে একনিষ্ঠভাবে সৃষ্টিকর্তার দিকে ধাবিত করা।
তুহিন ধীরে ধীরে এই পদ্ধতিগুলো নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে শুরু করে। সে প্রতিদিনের নামাজে নিজের মনোযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করে এবং প্রতিটি সিজদায় হৃদয়ের গভীর থেকে দুআ করে। কিছুদিন পর, সে অনুভব করল— নামাজ আর তার জন্য দায়িত্ব নয়; এটি হয়ে গেছে তার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্ত।

তুহিনের জীবনে বইটির প্রভাব ছিল অভাবনীয়। সে উপলব্ধি করল, নামাজ মানে শুধুমাত্র কিছু শারীরিক কার্যকলাপ নয়; এটি এক হৃদয়গ্রাহী সম্পর্ক, যেখানে সে তার প্রভুর কাছে নিবেদিত হতে পারে।

তুহিনের মতো আপনিও কি হারানো প্রশান্তি খুঁজছেন?

"কীভাবে নামাজের মধুরতা লাভ করা যায়" বইটি আপনাকে এক নতুন দিগন্তের সন্ধান দেবে। এটি আপনার নামাজকে বদলে দেবে, আপনার জীবনে আনবে এক অপার শান্তি। বইটি শুধু পড়ার জন্য নয়, এটি নামাজে এক নতুন জীবনের স্বাদ পাওয়ার জন্য।

আপনার হৃদয় যদি সত্যিই প্রশান্তির জন্য ব্যাকুল হয়, তাহলে এই বইটি হতে পারে আপনার জন্য এক সেরা সঙ্গী, একদম আখিরাতের পাথেয় পর্যন্ত। আল্লাহর সাথে একান্তে আলাপের মধুরতা অনুভব করতে চাইলে অনন্য এই বইটি সংগ্রহ করেই দেখুন না!

কমেন্টে বই সংগ্রহ করার লিংক দেওয়া থাকবে।

NAKInBangla

12 Jan, 08:10


https://ift.tt/ygot6al মুসলিম তরুণদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা || নোমান আলী খান

NAKInBangla

07 Jan, 16:00


https://ift.tt/bhcFoWs বলতে পারেন কোন বইটি নিয়ে ভাইটি কথা বলেছেন? বইটি নিয়ে আপনিও আপনার মনের অনুভূতি লিখে যান একটু...কেন বইটা পড়া ইসলাম বিষয়ে প্রথম জরুরী।

"দারুণ এক অনুভূতি নিয়ে বইটি শেষ করলাম, আলহামদুলিল্লাহ।
আমরা যদি কারো সম্পর্কে না জানি কিভাবে তার প্রতি আমাদের মুহাব্বত বা ভালোবাসা তৈরী হবে?...

আর একজন মুসলিমের সর্বোপ্রথম উচিত তার রবকে জানা। যে রবের সে ইবাদাত করছে, যদি সে রব সম্পর্কেই না জানে কিভাবে সে রবের প্রতি, তার অনুগত্যের প্রতি একাগ্রতা আসবে?...

আর বইটি এতো সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখা হয়েছে, কুরআনের বিভিন্ন বাণী, আল্লাহর হেকমত, উনার প্রতি কেনো সুধারনা রাখবে, রাখলে কি উপকার হবে নআ রাখলে কি হবে এগুলোর যুক্তিসংগত কারন কুরআন থেকে তোলে ধরেছেন। এমনকি বুঝার সুবিধার জন্য খুব সহজভাবে বিভিন্ন উদাহর ব্যাবহার করেছেন।

বইটির প্রথমেই ওস্তাদ নোমান আলী খানের সংক্ষিপ্ত জীবনি তোলে ধরেছেন। উনার জীবনি টা পড়লেই আপনার মধ্যে এক মটিবেশন কাজ করবে, কুরআনের প্রতি এক তীব্র আকর্ষন অনুভব করবেন।
আশা রাখছি এই বইটি আপনার আর আপনার রবের মাঝে একটি শক্ত সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করবে, আল্লাহ তা আলাকে আরো কাছ থেকে চিনতে পারবেন।"

- ফয়েজ জিদান

NAKInBangla

05 Jan, 15:02


নতুন ভিডিওঃ মুসলিম তরুনদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা
YouTube https://www.youtube.com/watch?v=4NlKj7Saogc

NAKInBangla

05 Jan, 14:55


https://ift.tt/PkOG6Az ~~ দাস বনাম ইবাদতকারী ~~

আমরা যখন আল্লাহকে ❛রব্ব❜ বলি, তখন আমাদেরকে কী বলা হয়? Slave (দাস), ইবাদতকারী নয়। এই কথা মনে রাখুন। ইবাদত দাসত্বের একটা অংশ।

একজন দাস সবসময়ের জন্যই দাস; যখন সে ঘুমায়, খায়, কাজ করে সবসময় দাস। ছুটির সময়েও দাস দাসই থাকে, সাপ্তাহিক কাজের সময়েও সে দাসই। যখন সে ট্রাফিকে থাকে সেখানেও সে দাস, যখন ইবাদত করে তখনও সে দাস। সে যাকিছুই করুক না কেন, সে সবসময় দাসই। কিন্তু একজন ইবাদতকারী শুধু তখনই ইবাদতকারী যখন সে ইবাদত করে। ইবাদত পার্টটাইম বিষয়।

তাহলে, কেউ আসর পড়ল, এরপরে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত ফ্রি? না। কারণ, আপনি নির্দিষ্ট একটা সময় ইবাদত করেন, বাকী সময় ইবাদতকারী না হতে পারেন কিন্তু তখনও আপনার পদবী থাকবে আল্লাহর দাস হিসেবে। পার্টটাইম ইবাদতকারী কিন্তু ফুলটাইম দাস। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমরা অধিকাংশ লোক নিজেদেরকে আল্লাহর সাথে সম্পর্কের বিষয়টা শুধু ইবাদতকারী হিসেবে সীমিত করে ফেলেছি। আমরা পার্টটাইম ইবাদত করি, আর বাকী সময় ফ্রি ভাবি নিজেদেরকে। আসল বিষয় হচ্ছে আমরা যে সময়টুকুতে ইবাদত করি, সেই ইবাদতই নিজেদের মনে করিয়ে দেই যে বাকী পুরো সময়টায় আমরা দাস। ইবাদতের ফাঁকা সময়টা আপনার জন্য ফ্রি না, বরং ইবাদতই আপনাকে মনে করিয়ে দেয় ফাঁকা সময়টা, বাকী সময়টা আপনি আল্লাহর দাস।

সালাতের সময় হয়েছে। মুভিটা থামিয়ে চলে গেলেন। সালাত শেষ করে মনে হলো এখন তো ফ্রি হয়ে গেছি, যা খুশি তাই করবো। অথচ আসল বিষয় হচ্ছে, আপনি সালাতে এসেছেন, আর সালাত আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে আপনি আল্লাহ যেভাবে চাচ্ছেন সেভাবে জীবনযাপন করবেন! সালাত থেকে বের হয়ে আপনি বরং আরো উত্তম দাস হবেন, এটাই ইবাদতের উদ্দেশ্য ছিল। কয়েক ঘন্টা পর পর সালাতের উদ্দেশ্য কী? এই মধ্যবর্তী সময়ে ভুলে যাচ্ছেন আপনি কে। তখন এই সালাতের ইবাদত আপনাকে আপনার আসল লেভেল (পরিচয়) স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে আপনি আসলে আল্লাহর একজন দাস।

আপনারা জানে, একজন দাস যখন Master এর সামনে দাঁড়ায়, তখন সে নির্দিষ্ট ড্রেসকোড ও শৃঙ্খলার সাথে দাঁড়ায়। আমরা সালাতে ঠিক এই কাজটিই করি। সালাতে যখন আমাদের Master (রব্ব) এর সামনে দাঁড়াই তখন হাত বেঁধে দাসের মতো বিনয় নিয়ে দাঁড়াই, অন্য কারো সাথে তখন কথা বলি না, এদিক-সেদিক তাকাই না। আমরা তখন চূড়ান্ত শৃংখলার সাথে আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে থাকি যেন আমাদের ঐ সময়টুকু পরিপূর্ণ দাসত্বে অবস্থান করছে। এমনকি আমরা আমাদের নিজেদেরও নিয়ন্ত্রণ করছি না তখন। কেউ কথা বলতে আসলেও আমরা কথা বলি না। কেউ কল দিলে আমরা মোবাইল ধরি না। সেখানে কাউকে খুঁজেন না, মোবাইল ধরেন না। ঠিক ঐ সময়টুকুতে আপনার শরীর পুরোপুরি আল্লাহর দাসত্বের আবরণের নিয়ন্ত্রিত, শৃঙ্খলিত। আপনার জিহবা দাসত্বে নিবেদিত, আপনার চোখ দুটি আনুগত্যে নত।

কেউ জিজ্ঞেস করতে পারে দাস দেখতে কেমন। একজন দাস ঠিক তাই করে যা তার রব ঠিক যেভাবে ও যা করতে বলে। সালাত আল্লাহর প্রতি ঠিক এই চূড়ান্ত দাসত্বের বহিঃপ্রকাশ। সালাত আমাদের দাসত্বের প্রতিদিনকার চূড়ান্ত প্রকাশ। এটা আপনাকে প্রতিদিন স্মরণ করিয়ে দেয় আপনি আসলে কে।

এটাই রব্ব।

--
হাদীসে এসেছে সূরা ফাতিহা ও সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের মতো কিছু অন্য কোনো নবী-রাসুলকে দেওয়া হয়নি। আরেক হাদীসে এসেছে সূরা ফাতিহার মতো এমনকিছু তাওরাত, ইঞ্জিল এমনকি কুরআনেও দেওয়া হয়নি।

সূরা ফাতিহা এক মহাবিস্ময়। এর প্রতিটি শব্দে বিস্ময়ের একেকটি মহাসমুদ্র উন্মোচিত হয়। এর প্রতিটি শব্দ, বাক্য, বিষয়, অলঙ্কার, ভারসাম্য, মাত্রা সবই একেকটি বিস্ময়কর মুজিযা, যা প্রতিটি মানবমনে এক মহান রবের প্রতি মাথা নুইয়ে পড়তে বাধ্য করে, বাধ্য করে নিজেকে এমন রবের ভালোবাসার দাসত্বে আবদ্ধ করতে।

যারা উস্তাদের "সূরা আর-রাহমানের গভীরে" এই তাদাব্বুরের কিতাবটি পড়েছেন, তারা নিশ্চয় জানেন আল্লাহর কালামের তাদাব্বুর কতোটা গভীর, সেখানে হেদায়াতের নূর কতোটা গভীরে লুকিয়ে আছে! ভাষার অলংকারও কীভাবে আল্লাহর কালামের আশ্চর্য বুননের সামনে থমকে দাঁড়ায়! সুবহানাল্লাহ! এবার তাদাব্বুরের ধারাবাহিকতায় আরেকটি সূরা যোগ হলো : বিস্ময়কর ফাতিহা।

যারা “সূরা আর-রাহমানের গভীরে” সংগ্রহ করেন নাই, দুটোই একসাথে সংগ্রহ করতে পারেন। নীচের রকমারি, ওয়াফিলাইফ ও অন্যান্য বুকশপ থেকে বই সংগ্রহ করতে পারেন।

[1] রকমারি (01519521971) (Whatsapp এ মেসেজ দিয়ে অর্ডার দিন)

[2] ওয়াফিলাইফ (01799-925050)

যেকোনো প্রয়োজনে Bookish Publisher (+8801645261821) এ যোগাযোগ করতে পারেন।

NAKInBangla

05 Jan, 09:10


মাহফিলে ভিডিওটি আপলোড করা হলো।
সেখানেও আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
https://mahfil.net/watch/Nnd6FDPVFW6SmFf

NAKInBangla

05 Jan, 07:15


https://ift.tt/PkOG6Az নতুন ভিডিও ডাবিং
লিঙ্ক কমেন্টে

NAKInBangla

04 Jan, 09:30


https://ift.tt/Mk4T1Z8 [অপ্রকাশিত নতুন ডাবিংকৃত লেকচারের অংশবিশেষ ]
আমাদেরকে সাবিকুন (সবার চেয়ে অগ্রগামী) হতে হবে, অভিনব কিছু করতে হবে।

NAKInBangla

04 Jan, 05:45


https://ift.tt/Mk4T1Z8 ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য সহায় হোন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য সহায় হোন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের জন্য সহায় হোন।

ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদেরকে সম্মানিত করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের মর্যাদা উন্নত করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের ভয় প্রশমিত করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের অসুস্থদের সুস্থ করে দিন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের আহতদের আরোগ্য দান করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের মৃতদের গ্রহণ করে নিন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদের উপর আপনার রহমতের বারিধারা বর্ষণ করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদেরকে দৃঢ়তা দান করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি আমাদেরকে দিয়ে তাদের প্রশান্তি দান করুন। ও আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি তাদেরকে দৃঢ়পদ রাখুন।

ইয়া আল্লাহ! যেহেতু সমগ্র পৃথিবীবাসি তাদেরকে পরিত্যাগ করেছে, যেহেতু তাদের মুসলিম ভাই-বোনেরা তাদের দিকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছে, ও আল্লাহ! আমরা যেন ওদের মত না হই। ও আল্লাহ! আমরা যেন তাদের মত না হই যারা ফিলিস্তিনিদের পরিত্যাগ করেছে।

ইয়া আল্লাহ! তাদের পানি, খাদ্য, ইলেক্ট্রিসিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকল মৌলিক প্রয়োজন পূরণ করা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। ইয়া আল্লাহ! আপনার স্বর্গীয় মিরাকল তাদের উপর বর্ষণ করুন। যা তাদের উপকারে আসবে, ইয়া আল্লাহ! ইয়া রাব্বাল আলামিন! আপনার অলৌকিক সাহায্য দিয়ে তাদের এ অভাবগুলো পূরণ করে দিন। ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে এবং তাদেরকে আপনার মিরাকল দেখান। ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে এবং তাদেরকে আপনার মিরাকল দেখান। ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে এবং তাদেরকে আপনার মিরাকল দেখান।

ইয়া আল্লাহ! প্রতিজন বাবা-মা যাদেরকে তাদের কলিজার টুকরা সন্তানদেরকে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে বের করে আনতে হয়েছে, ইয়া আল্লাহ! জান্নাতে তাদেরকে একত্রিত করে দিন। যেন তারা এই দুনিয়ার কষ্টের কথা ভুলে যায়। ইয়া আল্লাহ! প্রতিজন বাবা-মা যাদেরকে তাদের কলিজার টুকরা সন্তানদেরকে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে বের করে আনতে হয়েছে, ইয়া আল্লাহ! জান্নাতে তাদেরকে একত্রিত করে দিন। যেন তারা এই দুনিয়ার কষ্টের কথা ভুলে যায়।

ইয়া আল্লাহ! আধিপত্যবাদী শক্তির আন্ডারে তাদের কাটানো প্রতিটি সেকেন্ডের জন্য তাদেরকে জান্নাত দিয়ে পুরস্কৃত করুন। ইয়া রাব্বাল আলামিন! আধিপত্যবাদী শক্তির আন্ডারে তাদের কাটানো প্রতিটি সেকেন্ডের জন্য তাদেরকে জান্নাত দিয়ে পুরস্কৃত করুন।

ইয়া জাব্বার! ইয়া জাব্বার! ইয়া জাব্বার! তারা এমন এক শত্রুর কবলে যারা উদ্ধত-অহংকারী, তারা এমন এক শত্রুর কবলে যারা গনহত্যাকারী, তারা এমন এক শত্রুর কবলে যারা মনে করে সমগ্র বিশ্বের সকল ক্ষমতা তাদের হাতে; ইয়া আল্লাহ! তাদেরকে তাদের উদ্ধত-অহংকারী শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয় দান করুন। ইয়া আল্লাহ! তাদেরকে তাদের দাম্ভিক শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয় দান করুন। ইয়া আল্লাহ! তাদেরকে তাদের রূক্ষস্বভাব শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয় দান করুন।

ইয়া আল্লাহ! অত্যাচারীর ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিন। ইয়া আল্লাহ! অত্যাচারীর পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিন। ইয়া আল্লাহ! অত্যাচারীর দুরভিসন্ধি নস্যাৎ করে দিন। ইয়া আল্লাহ! তাদের ষড়যন্ত্র যেন তাদেরকেই ধরাশায়ী করে। ইয়া আল্লাহ! তাদের ষড়যন্ত্র যেন তাদেরকেই বিপর্যয়ে ফেলে। ইয়া আল্লাহ! তাদের ষড়যন্ত্র যেন তাদেরই ক্ষতি করে।

ইয়া আল্লাহ! নির্দোষ নিরপরাধ মানুষদের রক্ষা করুন। ইয়া আল্লাহ! শিশুদের রক্ষা করুন। ইয়া আল্লাহ! নারীদের রক্ষা করুন। ইয়া আল্লাহ! তাদেরকে তাদের শত্রুদের উপর আপনার ক্ষমতা দেখতে দিন।

ইয়া আল্লাহ! ইয়া আল্লাহ! ইয়া আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের মর্যাদা উন্নত করে দিন। ইয়া আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, আপনি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের এমন সামর্থ্য দান করুন যেন তারা আল-আকসা শত্রুমুক্ত করতে পারে। ইয়া আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি, দয়া করে আল-আকসা মুক্ত করে দিন। ইয়া আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট দোয়া করছি যেন তারা তাদের ঘর-বাড়িতে ফেরত আসতে পারে। ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকেও স্বাধীন আল-আকসায় যাওয়ার সামর্থ্য দান করুন। ইয়া রাব্বাল আলামিন।

ইয়া আল্লাহ! যে স্থান থেকে আপনি আপনার রাসূলকে মিরাজে নিয়েছেন, ইয়া আল্লাহ! যে স্থানে আপনি সকল নবী-রাসূলদের একত্রিত করেছেন, ইয়া রাব্বাল আলামিন! আমাদেরকেও আল-আকসায় একত্রিত করুন। ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকেও আল-আকসায় নামাজ পড়ার সামর্থ্য দান করুন। যেভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ আদায় করেছেন।…

NAKInBangla

03 Jan, 05:55


https://ift.tt/SipdRof

NAKInBangla

02 Jan, 18:30


https://ift.tt/SipdRof বেশি বেশি শেয়ার করুন। ইয়াসির কাদির পেইজটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন। উনার অনেকগুলো লেকচার ডাবিং করার প্ল্যান আছে আমাদের। পেইজটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে আপনাদের সাহায্য চাই।

NAKInBangla

27 Dec, 10:02


নতুন ভিডিওঃ রাসূলুল্লাহর জীবন থেকে দুঃখ-কষ্ট মোকাবেলার শিক্ষা || ইয়াসির কাদি
YouTube https://www.youtube.com/watch?v=B6sUtxc-LXQ

NAKInBangla

26 Dec, 10:46


https://ift.tt/3QrV6Gh "আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তা'আলা আমাকে বইটি পড়ার সুযোগ দিয়েছেন। নিখুঁত আলোচনা, দরদী ভাষা ও বইটির ধারাবাহিক বিন্যাস আমার হৃদয়কে উষ্ণতায় ভরিয়ে দিয়েছে। আমি মনে করি এই বইটি যেই পড়েছে তাঁর হৃদয়কে ভালো লাগার স্পর্শে ছুঁয়ে দিয়েছে। বইটি ঠিক পড়ার সময় আমি অনুভব করলাম আমার চোখের পানি অনবরত চুইয়ে পড়ছে।

বইটি আপনাকে অনেক কিছু শেখাবে। আপনাকে জানাবে আপনি আসলে কে, আপনার পরিচয় কী। যদি আপনি সত্যিকারভাবেই বইটি বুঝতে পারেন তবে হতাশা, দুঃশ্চিন্তা, ভয়গুলো ম্যাজিকের মতো উবে যাবে, আর ফিরে আসবে না। আপনি বুঝতে পারবেন এই দুনিয়ার কিছুই আমাদের নয়, আর হবেও না কখনো।

বইটি আপনাকে শেখাবে আবেগী হওয়া ঠিক আছে, পাপ ও ভয় নিয়ে জীবনে সংগ্রাম করবো; কিন্তু যখনই আমরা এই জীবনের আসল মানে বুঝতে শিখবো তখন জানবো যে আল্লাহ ছাড়া আমাদের কোনো গতি নেই, তাঁর কাছে ফিরে যাওয়াই আমাদের আসল গন্তব্য। কারণ আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়াটাই আমাদের জন্য চিরন্তন সত্য।

এই বইটি আপনাকে আরো শেখাবে যে, আল্লাহ আপনার ফলাফলের ব্যাপারে মনোযোগ দেন না, তিনি বরং আপনার কর্মপ্রচেষ্টা ও সংগ্রামটা দেখেন। সর্বোপরি আপনাদের জানাতে চাই যে, আপনি যদি সত্যিকাররূপেই আল্লাহর দিকে ফিরে আসার সংগ্রাম শুরু করতে থাকেন, বা আপনার তাওয়াক্কুল বৃদ্ধি করতে চান, অথবা আপনি যদি হতাশা-কষ্টে নিপতিত থাকেন, তবে এই বইটি আপনাকে দৃঢ়তা দিবে, শক্তিশালী হতে শেখাবে এবং তাওয়াক্কুল বৃদ্ধির জন্য বেশ সহায়ক হবে। সেই সাথে আপনি আল্লাহর দয়া ও করুণা সম্পর্কে এমন করে অনুভব করবেন যা ইতিপূর্বে কখনো চিন্তাও করেন নাই।"

--- "প্রশান্তির খোঁজে" বই বিষয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন প্রমা, রকমারির রিভিউ থেকে অনূদিত।

এই যে হৃদয়ে আল্লাহর কালামের প্রভাব উদিচ হওয়া, এই ধরণের আল্লাহর কালামের বর্ণনা খুব কম মানুষই দিতে পারে। উস্তাদ নোমান আলী খান তাদের একজন আলহামদুলিল্লাহ্‌। আপনারা উস্তাদের বইগুলো নিজে সংগ্রহ করুন, অন্যকে হাদিয়া দিন। কারো মাধ্যমে কেউ হেদায়াত পেলে সেটার মূল্য কী জানেন? রাসূল (সা) বলেছেন, সেটা লাল উটের চাইতেও দামি। লাল উট আরবের সবচেয়ে সেরা মানের উট। অর্থাৎ কারো মাধ্যমে কেউ হেদায়াত পেলে সে আল্লাহর কাছে সর্বোচ্চ সেরা পুরষ্কার পাবে আলহামদুইল্লাহ। তাই, উস্তাদের বইগুলো নিজে সংগ্রহ করুন ও অন্যদের হাদিয়া দিন। হতে পারে আপনার মাধ্যমে কেউ আল্লাহকে আরো ভালোভাবে চিনবে, সেটাই হবে জান্নাতে যাবার সেরা উসিলা। জ্ঞানার্জন ও দাওয়াতী কাজে সালাফদের মাঝে কেউ খরচ নিয়ে ভাবেননি। কারণ এগুলো জান্নাত ও আল্লাহর সন্তুষ্টি পাবার সবচেয়ে সেরা মাধ্যম।

বইগুলো সংগ্রহ করার লিংক কমেন্টে দেওয়া থাকবে।

NAKInBangla

25 Dec, 10:30


https://ift.tt/rkDqhlx ~~ মূর্তি ও মূর্তিপুজারী : মশার চ্যালেঞ্জ ~~

এই উপমাটি যারা মূর্তিপূজার শিরক করে তাদের ব্যাপারে। দুটি পরস্পর বিরোধী বিশ্বাস। একটি তাওহীদ, অন্যটি শিরক। তাওহীদের এক ছোট্ট দুর্বল মশা হাজার বছর ধরে শিরকের আস্তানায় তাদের নাকের ডগায় এর অজ্ঞতা, দুর্বলতা ও ধর্মের ভঙ্গুরতা প্রত্যক্ষ প্রদর্শন করে চলেছে। চলুন সেই বিষয়ে এই উপমার শক্তিশালী বয়ানটা দেখি।

আল্লাহ মুশরিকদেরকে তাদের বিশ্বাস ও ধর্মের ভঙ্গুরতা একটা মাছির মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। সেই উপমাটাই এই আয়াতে এসেছে।

يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ ضُرِبَ مَثَلٌ فَاسْتَمِعُوا لَهُۥٓ ۚ إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ لَن يَخْلُقُوا ذُبَابًا وَلَوِ اجْتَمَعُوا لَهُۥ ۖ وَإِن يَسْلُبْهُمُ الذُّبَابُ شَيْـًٔا لَّا يَسْتَنقِذُوهُ مِنْهُ ۚ ضَعُفَ الطَّالِبُ وَالْمَطْلُوبُ

﴾হে মানুষজন! একটা উপমা বর্ণনা করা হলো, তোমরা সেটা খুব মনোযোগ দিয়ে শোন; তোমরা যারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, তারা সকলে একত্রিত হলেও কখনোই একটা মাছি পর্যন্ত সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে না। আর মাছি যদি তাদের (মূর্তি) কাছ থেকে কোনো কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবুও তারা তার কাছ থেকে সেটাও উদ্ধার করার ক্ষমতা পর্যন্ত রাখে না। প্রার্থনাকারী (মুশরিক) ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয় (মূর্তি), উভয়েই শক্তিহীন-দুর্বল। ﴿[সূরা হজ্জ্ব : ৭৩]

আল্লাহ বলেন,

إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ لَن يَخْلُقُوا ذُبَابًا

﴾তোমরা যারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, তারা কখনোই একটা মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না। ﴿

وَلَوِ اجْتَمَعُوا لَهُۥ

❝যদি তারা সকলে একত্রে মিলিত হয়েও একটা মাছি সৃষ্টির প্রজেক্ট হাতে নেয়, তবুও তারা সক্ষম হবে না ছোট একটা মাছি সৃষ্টি করতে।❞

প্রশ্ন ওঠে, আল্লাহ কেন বড় কোনো সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললেন না, তারা পাহাড়-পর্বত বা সূর্য সৃষ্টি করতে পারবে না। এই উদাহরণও তো কুরআনে রয়েছে। ইব্রাহীম  নমরুদকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন,

فَإِنَّ اللَّهَ يَأْتِى بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ الْمَغْرِبِ

﴾আল্লাহ তো পূর্বদিক থেকে সূর্য উঠান, তুমি তাহলে সেটা পশ্চিম দিক থেকে উঠিয়ে দেখাও। ﴿[সূরা বাকারা : ২৫৮]

কিন্তু এই আয়াতে আল্লাহ বলেন, তোমরা সবাই একত্র হয়েও মাত্র একটা ছোট্ট মাছি পর্যন্ত সৃষ্টি করতে অক্ষম।

‘পারলে এই ছোট্ট, অতি নগণ্য এই জিনিসটা তৈরি করে তোমাদের সবার সক্ষমতা দেখাও।’

আমরা কুরআনের অন্য জায়গায় পেয়েছি, কাফির-মুশরিকরা মশা কিম্বা এরচেয়েও ছোট উপমার ব্যাপারে বিদ্রুপ করে বলতো,

وَأَمَّا الَّذِينَ كَفَرُوا فَيَقُولُونَ مَاذَآ أَرَادَ اللَّهُ بِهٰذَا مَثَلً

﴾আর যারা অবিশ্বাসী তারা বলে, “এই জিনিসের উদাহরণ দিয়ে আল্লাহ কী ইচ্ছে করেন? ﴿[সূরা বাকারা : ২৬]

এটা মাদানি সূরার উদাহরণ। আমাদের শুরুর আয়াতের সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে।

খুব মন দিয়ে ভাবুন, আল্লাহ বলেন,

وَإِن يَسْلُبْهُمُ الذُّبَابُ شَيْـًٔا

﴾আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কোনো কিছু ছিনিয়ে নেয় ﴿

যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করে, তাদের অনেক মন্দির বা গীর্জা থাকে। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায় প্রচুর রয়েছে। আমেরিকা বা এসব জায়গাতেও কিছু আছে। এদের মন্দির বা টেম্পল থাকে। এগুলো বেশ জায়গাজুড়ে বিস্তৃত থাকে আর ভিতরে থাকে বিভিন্ন মূর্তি, যেগুলোকে তারা পুজা করে। তারা যদি সেগুলোর পুজা নাও করে, অন্তত তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে মনোযোগের জন্য হলেও এগুলো রাখে।

তাদের সকল মন্দির-টেম্পলে একটা কমন বিষয় সব জায়গাতেই দেখবেন; মূর্তির সামনে বিভিন্ন ধরণের খাবার উৎসর্গ করে থাকে কল্যাণ বা দয়া পাবার আশা নিয়ে। এটা হতে পারে দুধ, পিঠা বা যেকোনো কিছু। এরপর তারা তাদের পূজার শুরু করে।

আচ্ছা, তাদের দৃষ্টিতে এগুলো স্রষ্টার আশীর্বাদপুষ্ট খাবার। কোনো ট্যুরিস্ট ব্যক্তি যে হিন্দু বা বৌদ্ধ কোনোটাই নয়, সে সেখানে বেড়াতে গিয়ে যদি এই উন্মুক্ত খাবার দেখে, যদি হাত দিয়ে নিয়ে কিছু খেতে যায় তবে মন্দিরের লোকেরা কী করবে? হাতে বাড়ি মারবে, নিষেধ করবে বা থাবা দিয়ে সেটা নিয়ে যাবে, বলবে,

—ওহু, এটা বিশেষ খাবার (স্রষ্টার খাবার), নেওয়া যাবে না। এটা ছুবে না। ঐ যে বড় মূর্তিটা তোমার দিকে তাকিয়ে আছে, এটা তার জন্য।

কিন্তু, কোনো খাবার যদি সবসময় খুলে রাখেন, খোলা জায়গায় রাখেন, তবে কী হয় জানেন? মাছিদের আগমন ঘটে। এটা সবসময় ঘটে থাকে।
মন্দির খোলা। মূর্তির সামনে খোলা প্লেটে পরিবেশিত খাবার রাখা আছে। সেখানে মাছি উড়তে থাকে। মন্দিরে মূর্তিপুজারীরা মূর্তির কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করে বা কিছু চাইতে থাকে। অনেকে মূর্তিপূজা করতে থাকে। অথচ এদের সামনেই মাছি বিশালাকার মূর্তির সামনের খাবারে বসে, সেখান থেকে এক ঝলক খাবার নিয়ে উড়ে চলে যায়। যেই মূর্তির সামনে থেকে মাছি খাবার নিয়ে গেল, সেই মূর্তি বা গড এই মাছির কিছু করতে পেরেছে? কিছু করতে পারে না, করার ক্ষমতাও নেই!

মূর্তি…

NAKInBangla

23 Dec, 10:45


https://ift.tt/VbBMDpc ~~ক্ষমা ও করুণার দুআ ~~

اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِى الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ

হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করছি।

এই দুআতে, আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের পার্থিব জীবন এবং পরকালীন জীবনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় দুটি বিষয় প্রার্থনা করছি: ক্ষমা এবং কল্যাণ। আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও ভুলের জন্য ক্ষমা এবং সর্বপ্রকার কল্যাণ - আধ্যাত্মিক, শারীরিক ও মানসিক। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমাদের প্রকৃত সাফল্য নিহিত রয়েছে আল্লাহর করুণা ও সুরক্ষা প্রার্থনায়, শুধু বড় বিষয়গুলোতেই নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে।

কল্যাণ প্রার্থনার অর্থ হলো আমাদের অন্তরে প্রশান্তি, শরীরে শক্তি এবং ক্ষতি থেকে সুরক্ষা চাওয়া। আর ক্ষমাপ্রার্থনা করার মাধ্যমে আমরা স্বীকার করি যে, সঠিক পথে থাকার জন্য আমাদের আল্লাহর করুণার প্রয়োজন। এই দুআটি আমাদের জীবনযাপনের এমন সবকিছু অন্তর্ভুক্ত করে যা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করবে, দুনিয়া ও আখিরাতেও।

ইয়া আল্লাহ, আপনি আমাদের ক্ষমা করুন এবং আপনার করুণায় আমাদের সুরক্ষিত রাখুন। আমাদের জীবনের সকল ক্ষেত্রে কল্যাণ দান করুন এবং সর্বদা আপনার দিকে ফিরে আসার তাওফিক দিন। আমীন।

সোর্স ঃ উস্তাদের ইউটিউব কমিউনিটি থেকে।

হিসনুল মুসলিম থেকে পুরো দুআটি দিচ্ছি।

«اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ: فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي، وَمَالِي، اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي، وَآمِنْ رَوْعَاتِي، اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَينِ يَدَيَّ، وَمِنْ خَلْفِي، وَعَنْ يَمِينِي، وَعَنْ شِمَالِي، وَمِنْ فَوْقِي، وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي».

“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা এবং নিরাপত্তা চাচ্ছি আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার ও অর্থ-সম্পদের। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন, আমার উদ্বিগ্নতাকে রূপান্তরিত করুন নিরাপত্তায়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেফাযত করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পিছনের দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আর আপনার মহত্ত্বের অসিলায় আশ্রয় চাই আমার নীচ থেকে হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া থেকে”।

[আবূ দাউদ, নং ৫০৭৪; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩৮৭১। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্‌ ২/৩৩২।]

NAKInBangla

22 Dec, 14:15


https://ift.tt/VbBMDpc ~~ রব্ব-আব্দ সম্পর্ক ~~

এখন, এই ‘রব্ব’ শব্দ সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত জানব।

আপনি জানেন, যখন আমি ❛শিক্ষক❜ বলব তখন তার সাথে কার সম্পর্ক থাকবে? ছাত্রদের। যখন বলব—বাবা-মা, এটা বাচ্চাকাচ্চার সাথে সম্পর্কিত। যখন বলব—বস/চাকুরিদাতা। চাকুরিদাতার সাথে সম্পর্ক কর্মচারীদের। এমন কিছু পরিভাষা আছে যাদের সাথে একটা সম্পর্ক থাকবেই। কিন্তু আপনি যখন ‘বুদ্ধিমান’ বলবেন, এর সাথে কারো সম্পর্ক থাকবে, এমন না। যখন বলবেন ‘লম্বা’, তার মানে এই না যে এটা কারো সাথে সম্পর্কিত। তবে যখন চাকুরিদাতা বলবেন তখন সেটা কর্মচারীদের সাথে সম্পর্কিত হয়।

আল্লাহর কিছু নাম এমন রয়েছে যা কারো সাথে সম্পর্ক নির্দেশ করে না। আল্লাহ মহাজ্ঞানী (আল-আলিম)। ‘মহাজ্ঞানী’ কথাটা কারো সাথে সম্পর্ক নির্দেশ করে না। এটা আল্লাহর একটা বর্ণনা যা কারো সাথে সম্পর্কিত নয়। কিন্তু যখন আল্লাহ নিজেকে প্রভু, রব্ব কিংবা এধরণের শব্দে বলেন, এগুলোর সাথে তখন কোনো একটা সম্পর্ক তৈরী করা জরুরী হয়ে পড়ে। আল্লাহ নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে এই ধরণের বর্ণনাই প্রথম দিয়েছেন যা আল্লাহর সাথে একটা সম্পর্ক তৈরী করে।

এখন আল্লাহর সাথে আমাদের অনেক ধরণের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা। আমরা তাঁর সৃষ্টি। তিনি আমাদের নেয়ামত প্রদান করেন আর আমরা দয়াগ্রহীতা। আল্লাহ হলেন শিক্ষক, আমরা তাঁর ছাত্র। আল্লাহর সাথে এগুলো সবই আমাদের সম্পর্ক।

কিন্তু আল্লাহ বলেন “এই সকল সম্পর্ক পরে, প্রথম যে সম্পর্কটা জানতে হবে, যেই সম্পর্ককে আপনি কখনই ভুলে যাবেন না, যা সারাটা দিন প্রতিটা সময়ই মনে রাখতে হবে”, সেটা হচ্ছে—তিনি আমাদের ‘রব্ব’। তাহলে এক্ষেত্রে আমাদের কী বলা হবে? ‘আব্দ’ (عَبْد), দাস। রব্ব বা মালিকের সাথে আমাদের সম্পর্ক আমাদের দাসে পরিণত করে।

‘রব্ব’ শব্দটা ব্যাখ্যা করেছি। এখন ‘আব্দ’ শব্দটা বুঝতে হবে। কারণ এটাই আমাদের সম্পর্ককে পূর্ণতা দিবে। ‘আব্দ’ (দাস) সম্পর্কে বেশি কিছু বলব না, শুধু একটা কথা বলব।
আল্লাহ নিজের পরিচয়ের অংশটিতে বলেছেন তিনি ‘রব্ব’। এখন এই সম্পর্কের যা বাকি (দাসত্বর অংশ) সেটা ফাতিহায় অগ্রসর হলেই দেখতে পাই, সেটা কী?

إِيَّاكَ نَعْبُدُ ﴾আমরা কেবলই আপনার দাসত্ব করি।﴿

আমরা হচ্ছি ‘আব্দ’ (দাস)। আমরা ইতিমধ্যেই আপনার দাস হয়ে গিয়েছি। আপনাকে ‘রব্ব’ হিসেবে স্বীকার করে নিলাম।

আমার শিক্ষক ড. আব্দুস সামী আমাকে প্রশ্ন করতেন। একবার আমরা আরবী পড়ছিলাম তার কাছে, তিনি বললেন,

—“নোমান! আমাকে পুরো কুরআনের সারমর্ম বল।”

আমি বললাম, “আমি বুঝতে পারছি না আপনি কী বোঝাতে চাচ্ছেন”

তিনি বললেন, “আচ্ছা, আমাকে এমন একটা বাক্য বল যা পুরো কুরআনের সারাংশ”
আমি বললাম, “আচ্ছা, আচ্ছা, এবার মনে হয় পারব। আল্লাহকে ❛রব্ব❜ হিসেবে মেনে নেয়া আর নিজেদেরকে ❛আব্দ❜ হিসেবে স্বীকার করা” এটাই।

তিনি বললেন, “হ্যাঁ, তুমি পেরেছ। আমি তোমাকে কিছু শেখাতে পেরেছি।”

এটাই সেই কথা। আল্লাহকে রব্ব হিসেবে মেনে নাও, নিজেকে আব্দ (দাস) হিসেবে স্বীকার করে নাও।

এখন, দাস কথাটার মানে কী? দাস এমন যার নিজের কোনো পছন্দ থাকতে পারে না। চূড়ান্ত কথা হচ্ছে, একজন দাস সে যে নিজে নিজের কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাদের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে দেয়া হয়। একটা উদাহারণ দিচ্ছি।

আমাদেরতো এখন দাসপ্রথা নেই, কিন্তু মনে করুন আছে। ভাবুন আপনাদের একজন আসলেন আর বললেন, “এই নো’মান, তুমি আমার গোলাম।” আমি বললাম, “ঠিক আছে, সেটাই।” তাহলে এখন থেকে আপনি আমার প্রভু আর আমি আপনার দাস।

আমি এখানে ১০ মিনিট ধরে নীরবে বসে আছি। তো, আপনি কী চাচ্ছেন? কফি কিংবা অন্যকিছু? একজন দাসের ইচ্ছার স্বাধীনতা নেই। দাস সেটাই করতে পারে যা তার প্রভু চায়। তাই, যতক্ষণ তার প্রভু তাকে কিছু না বলছে, তার কিছু করার নেই। যদি লোকটি শুধু বলত, “আমার দাস!” আর আমি বলতাম, “জ্বী, আচ্ছা”। এরপর তিনি আমাকে কিছুই বলছেন না। যদি তিনি আমাকে কিছু করতে না বলেন, তাহলে আমার জন্য যা বাকি থাকে তা হচ্ছে নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করা, যতক্ষণ না তিনি আমাকে কিছু করতে বলছেন।

একজন দাস আর কর্মচারীর মাঝে পার্থক্য কী?

একজন কর্মচারী শুধু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিযুক্ত। তারপর মুক্ত। কিন্তু একজন দাস কতক্ষণ দাস? যখন আপনি ঘুমান তখনও দাস। যখন সজাগ তখনও দাস। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আপনি দাস। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতেও দাস। সকালেও আপনি দাস। রাতেও দাস। মাসজিদে আপনি দাস। মাসজিদের বাহিরেও দাস। এমন কোনো সময় নেই যখন আপনি দাস নন।

দ্বিতীয়ত,

আপনি তখনই কেবল দাস হতে পারবেন যখন জানবেন মালিক আপনার কাছে কী চান। যদি আপনি না জানেন তিনি কী চান, আপনি যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। আর আপনি যদি আপনার ইচ্ছে মতো যা খুশি তাই করা শুরু করেন, সংজ্ঞানুযায়ী আপনি মুক্ত, দাস নন।
তাই, দাসত্ব বলে কিছু নেই যতক্ষণ না প্রভু কিছু করতে বলেন, যতক্ষণ মালিক কোনো নির্দেশনা না দেন।

এখন, আল্লাহ নিজেকে প্রভু বলছেন। যার মানে আমি দাস। এটা আমাকে ভাবাচ্ছে যে,
“আচ্ছা…

NAKInBangla

21 Dec, 10:40


https://ift.tt/t5hjx9M রাসূল (সা) বলেন,

"كُلُّ ابْنِ آدَمَ خَطَّاءٌ وَخَيْرُ الْخَطَّائِينَ التَّوَّابُونَ"

"আদম সন্তানের প্রত্যেকেই ভুলকারী, আর ভুলকারীদের মধ্যে সর্বোত্তম হলো তারা যারা তওবাকারী (অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে)।" [তিরমিযি]

জীবন একটি উত্থান-পতনের সফর, যেখানে ভুল-ত্রুটি অনিবার্য। এই হাদীসটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমাদের কৃত ভুলগুলি নয়, বরং আমরা কীভাবে সেগুলির প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাই সেটাই মূল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তওবা একটি অনুগ্রহ, নতুন করে শুরু করার একটি সুযোগ, এবং আমাদের স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি ও আরও দৃঢ় করার একটি মাধ্যম। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অপরাধবোধ বা হতাশা যেন কখনোই আমাদেরকে আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা থেকে বিরত না রাখে। তওবার প্রতিটি পদক্ষেপ তাঁর অসীম রহমতের দিকে একটি পদক্ষেপ।

Nouman Ali Khan

NAKInBangla

17 Dec, 13:30


https://ift.tt/wPi4Z0c "২০১৬ সালে দ্বীনে প্রত্যাবর্তনের পর আমার জন্য সবচেয়ে জরুরী ছিল নামাজে নিয়মিত হওয়া আর মনোযোগী হওয়া। তাই তখন থেকেই খুশূ-খুযূ সম্পর্কিত বইগুলো প্রকাশ হওয়া মাত্রই কিনে ফেলতাম। আলহামদুলিল্লাহ্ নামাজে খুশূ-খুযূ সম্পর্কিত অনেকগুলো বই পড়া হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে এই বইটাকে আমি এক নম্বরে রাখবো। নামাজে মধুরতা ও প্রশান্তি অর্জনের উপায় সম্পর্কে যারা একটু বিস্তারিত জানতে চান এ বইটি তাদের জন্য। বইটি পড়ে আমি খুবই উপকৃত হয়েছি। এই বইটার মতো খুশূ-খুযূ নিয়ে এত বৃহৎ পরিসরের আলোচনা সংবলিত কোনো বই এখন পর্যন্ত আমি দেখিনি। বইটি মূলত মিশারী আল খারাজ-এর লেকচার সিরিজের সংকলন হলেও ইবনুল কায়্যিম ও ইবনু রজব হাম্বলীদের মতো মহান ইমামদেরও লেখাগুলোও বইতে সংযোজন করা হয়েছে। তাই কেউ যদি খুশূ-খুযূ নিয়ে অনেকগুলো বই না পড়ে কেবল একটি বই পড়তে চায়, তাহলে এই একটি বইই তার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।

বইটি পড়ার পর আমি নামাজকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি। শুধু নামাজই না, ওযু থেকে শুরু করে নামাজের প্রত্যেকটি কাজের পিছনে কী তাৎপর্য ও আবেদন রয়েছে তা নতুন করে ভাবতে শিখেছি। বইটিতে নামাজের প্রতিটি কাজের একেকটা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে আর সেটা পড়ার পর ভেবেছি, "আচ্ছা, এভাবে তো ভেবে দেখিনি"। বইটি আপনাকে আল্লাহর সাথে নতুন সম্পর্ক সৃষ্টি করে দেবে। এমনকি আপনি আপনার নামাজকে আরো বেশি আপন মনে করবেন। নামাজের ব্যাপারে আরো বেশি সতর্ক ও যত্নশীল হবেন। বইটি আল্লাহর কাছে আমাদের অন্তরকে আত্মসমর্পিত করে তুলবে। নামাজের প্রতিটি শব্দকে ভেতর থেকে অনুভব করতে, শারীরিক স্থিরতা ও অন্তরের প্রশান্তি অর্জনে সাহায্য করবে ইন শা আল্লাহ্।

বইটিতে মোট ৪১টি অধ্যায় আছে। প্রথম অধ্যায়ে রয়েছে কীভাবে নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সাথে বন্ধন দৃঢ় করতে পারি সেসব আলোচনা। এরপর ধাপে ধাপে ওযু থেকে শুরু করে সালাম ফিরানো পর্যন্ত প্রতিটা কাজের যৌক্তিকতা, আধ্যাত্মিক তাৎপর্য এবং রহস্যের জট নিয়ে চমৎকার সব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সর্বশেষ অধ্যায়ে, নবিজীর জীবনের শেষ মুহূর্তটিতেও নামাজের প্রতি তাঁর কি অপূর্ব টান ছিল তা দেখানো হয়েছে।

সত্যি বলতে এধরনের বইয়ের লেখাগুলো কখনোই পুরোনো হয় না। কারণ পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে আমাদের ঈমানের স্তর ওঠা-নামা করে, নামাজের মান বাড়ে-কমে। তাই যখনই নামাজের মান কমে যায়, তখনই বইয়ের টিপসগুলো ঔষধের মতো কাজ করে। আবেগ-অনুভূতির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করে কীভাবে নামাজে মধুরতা অর্জন করা যায়, তার উপায় উপকরণগুলো দেখিয়ে দেবে বইটি।

বইটি যখন প্রথমবার পড়েছিলাম, মনে হয়েছিল বইটির বহুল প্রচার প্রসার হওয়া দরকার। নতুন সংস্করণে দেখলাম এটা এবার ৫ম মুদ্রণ। আলহামদুলিল্লাহ্, তার মানে অনেক মানুষের কাছেই পৌছেছে বইটি।

বইটি পড়ার পর, বইয়ের সাথে সম্পৃক্ত সকলের জন্য অন্তর থেকে দুআ চলে এসেছিল। আল্লাহ্ যেন প্রত্যেকের চেষ্টাগুলোকে কবুল করে নেন এবং আমাদের জন্য নামাজে খুশূ-খুযূ অর্জন করা সহজ করে দেন, আমিন।"

-- লিখেছেন M. Hasan Sifat ভাই।

"এই সূরাতে আল্লাহ যা কিছুই বলেছেন, তা একটি চশমার ভেতর দিয়ে দেখতে হবে। আর সেই চশমা হলো ❛আর-রাহমান❜। এই সূরার বাকি পুরোটা, কিছুই বুঝতে পারবেন না যদি না বুঝেন যে, আল্লাহ সবকিছুই বলছেন তার অকল্পনীয় ভালোবাসা থেকে। এমনকি যখন তিনি জাহান্নাম নিয়ে কথা বলছেন, তখন সেটাও তিনি ভালোবাসা থেকে করছেন!"

উস্তাদের "সূরা আর-রাহমানের গভীরে" বইটিতে আল্লাহর কালামের এক বিস্ময়কর সুশৃংখলা ও ধারাবাহিকতাে আবিষ্কার করবেন । আল-কুরআন একইসাথে হেদায়াত ও ধারাবাহিক বয়ানের দিক থেকে কতোটা বিস্ময়কর, সেটা দেখতে পারবেন সূরা আর-রাহমানের তাদাব্বুরে। "নাযম আল-কুরআন" বা কুরআনের সুশৃঙ্খল ধারাবাহিকতা যে কুরআনের এক বিস্ময়, সেটা এক বিস্ময় নিয়ে হাজির হবে বইটির গভীর প্রজ্ঞার সাথে।

বই দুটি নিজেকেই গিফট দিতে পারেন এই রামাদান ও ঈদ উপলক্ষ্যে। বা অন্যকে হাদিয়া দিতে পারেন সাদাকায়ে জারিয়ার অপূর্ব উপলক্ষ্যে। আমাদের প্রকাশিত সেরা দুটি বই আলহামদুলিল্লাহ।

বই দুটি নীচের যেকোনো শপ ও বাংলাবাজার এর সমকালীন, মিরাজ প্রকাশনী ও জাজিরা ডটকম থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।

[১] রকমারি : (01519521971) (Whatsapp এ মেসেজ দিয়ে অর্ডার দিন)

[২] ওয়াফিলাইফ : (01799-925050)

যেকোনো প্রয়োজনে প্রকাশনার পেইজ Bookish Publisher (+8801645261821) এ
যোগাযোগ করতে পারেন।

NAKInBangla

14 Dec, 13:10


https://ift.tt/57RAXZG

NAKInBangla

12 Dec, 11:00


https://ift.tt/JG8Eh7j “কতটা আবেগ অনুভব করেছিলাম বইটি কেনার আগে। এখন যত পড়ি, ততই হৃদয় বিগলিত হতে থাকে। যাকে চিনিই না, তাকে ভালবাসবো কী করে? তাই তো ভালোবাসতে হলে আগে চিনতে হবে, জানতে হবে সম্পর্কের পরিধিটাও।

বইটি পড়ে আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক কিছু শিখেছি। নিজেকে আল্লাহর বান্দা বলার চেয়ে আল্লাহর দাস বলে পরিচয় দিতে যেন বেশি ভাল লাগে এখন”।

- "আমি ও আমার রব" বইটি নিয়ে অনূভুতি প্রকাশ করেছেন : আব্দুল্লাহ হোসেন আকাশ।

২০১৬ সালে দ্বীনে প্রত্যাবর্তনের পর আমার জন্য সবচেয়ে জরুরী ছিল নামাজে নিয়মিত হওয়া আর মনোযোগী হওয়া। তাই তখন থেকেই খুশূ-খুযূ সম্পর্কিত বইগুলো প্রকাশ হওয়া মাত্রই কিনে ফেলতাম।

আলহামদুলিল্লাহ্ নামাজে খুশূ-খুযূ সম্পর্কিত অনেকগুলো বই পড়া হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে এই বইটাকে আমি এক নম্বরে রাখবো। নামাজে মধুরতা ও প্রশান্তি অর্জনের উপায় সম্পর্কে যারা একটু বিস্তারিত জানতে চান এ বইটি তাদের জন্য। বইটি পড়ে আমি খুবই উপকৃত হয়েছি। এই বইটার মতো খুশূ-খুযূ নিয়ে এত বৃহৎ পরিসরের আলোচনা সংবলিত কোনো বই এখন পর্যন্ত আমি দেখিনি। বইটি মূলত মিশারী আল খারাজ-এর লেকচার সিরিজের সংকলন হলেও ইবনুল কায়্যিম ও ইবনু রজব হাম্বলীদের মতো মহান ইমামদেরও লেখাগুলোও বইতে সংযোজন করা হয়েছে। তাই কেউ যদি খুশূ-খুযূ নিয়ে অনেকগুলো বই না পড়ে কেবল একটি বই পড়তে চায়, তাহলে এই একটি বইই তার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।

- “কীভাবে নামাজের মধুরতা লাভ করা যায়?” বইটি নিয়ে অনুভূতি প্রকাশে সিফাত হাসান ভাই,।

সূরা আর-রাহমান : অলৌকিক শৈল্পিকতার তুলনাহীন এক আধার
.
আল্লাহর কালামের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে আছে এতো এতো বিস্ময় যে, সেগুলোকে পরিপূর্ণরূপে ধারণ করতে পারা মানব মস্তিষ্কের জন্য অসম্ভব! এতো বেশি অলৌকিকত্ব আর অনন্যতার আঁকর আল-কুরআন যে, প্রতিটি আয়াত বরং প্রতিটি শব্দ কুরআনের বিস্ময়কে কেবলই বাড়িয়ে বাড়িয়ে দেয়। আর সেই বিস্ময়কর কুরআনেরই বিস্ময়ের আরেক খনি সূরা আর-রাহমান।
.
রাব্বুল আলামীনের অপরূপ এই কালামের তুলনাহীন শৈল্পিকতায় ডুব দিয়ে অমূল্য সব রত্ন তুলে আনার এক প্রচেষ্টার নাম “সূরা আর-রাহমানের গভীরে”। নোমান আলী খান কুরআনের অসাধারণ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এই সূরাটির গভীরে ঢুকে প্রয়াস চালিয়েছেন এর অলৌকিক ভাষার বিস্ময়কে পাঠকের সামনে তুলে ধরার। তিনি দেখিয়েছেন কুরআন যেমন রাহমানের বাণী, ঠিক তেমনি এর সমস্ত শিক্ষাও সেই রহমতেরই প্রতিচ্ছবি। জান্নাত কিংবা জাহান্নাম, বিবরণ যেটারই হোক না কেন, সবগুলোই মহান রবের সেই অতুলনীয় ও অপরিমেয় রহমতেরই প্রতিফলন মাত্র।

১। আমি ও আমার রব – উস্তাদ নোমান আলী খান
২। সূরা আর-রাহমানের গভীরে - উস্তাদ নোমান আলী খান
৩। কীভাবে নামাজের মধুরতা লাভ করা যায়? – মিশারী আল-খারাজ

এই তিনটি বই আপনাকে আল্লাহকে ভালোবাসার গুপ্ত রহস্যের দরজাগুলো একে একে খুলে দিবে; যেন সেটা হবে জান্নাতে যাওয়ার পথের পাথেয় ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা হোক আপনার প্রিয় উপহার।

বইগুলো সংগ্রহ করতে পারেন রকমারি, ওয়াফিলাইফসহ বাংলাবাজার ও অনলাইন বুকশপ থেকে। কমেন্টে রকমারি ও ওয়াফিলাইফ থেকে সংগ্রহ করার নাম্বার দেওয়া থাকবে।

যারা বইগুলো পড়েছেন, আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে প্রিয় ভাই-বোনেরা?

NAKInBangla

11 Dec, 11:15


https://ift.tt/PKlOUhg " ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এ এফ এম খালিদ হুসাইন আমার কাছ থেকে আমার রচনাগুলোর সংখ্যা জানতে চাইলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন আমার দৈনন্দিন রুটিন কী। আমি এই প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলাম এবং আরজ করলাম যে পড়া-লেখার বাইরে আমার আর কোনো কাজ নেই। আমি কোনো সামাজিক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি না। বাড়ি থেকে বের হলে হয় মসজিদে যাই, নয়তো ব্যায়াম করতে যাই। আমার ওপর "মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত" প্রবচনটি প্রযোজ্য। মন্ত্রী মহোদয় আমাকে বারবার দোয়া করলেন।"

NAKInBangla

05 Dec, 12:35


https://ift.tt/Hd2Meoy "আমার জীবনে যে বইটা পড়েছি আর কেঁদেছি। আল্লাহকে চিনলাম আর তাঁর প্রেমে পড়ে গেলাম।"

একজন পাঠকের হৃদয়ের অনুভূতি এরকমভাবেই শেয়ার করেছেন রকমারির একটা বইয়ের নীচে। বলতে পারেন আমাদের কোন বইটি সম্পর্কে তিনি বলেছেন?

ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, “দুনিয়ার সমস্ত ভালোবাসা আপনাকে কষ্ট দিবে, একমাত্র আল্লাহর ভালোবাসা ছাড়া।”

বর্তমান জমানা সন্দেহ ও নিরাশার যুগ। অশান্তি ও অস্থিরতার যুগ। আল্লাহর ভালোবাসা ও তাঁর আশা ছাড়া চূড়ান্তভাবে এগুলোর সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু এই ভালোবাসা ও অন্তরের প্রগাঢ় প্রশান্তির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় আল্লাহ সম্পর্কে আমাদের বিভিন্ন দ্বিধা, সন্দেহ, অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও নিরাশা।

বইটি সৃষ্টি-স্রষ্টার বিষয়ে। সাইকোলজি বিষয়ে; বিশেষত একজন সৃষ্টির মনে স্রষ্টা বিষয়ে যেসব ভুল ধারণা, দ্বিধা, সন্দেহ, অজ্ঞতা ও নিরাশা কাজ করে সেই বাঁকগুলোর সঠিক পথ। সৃষ্টির স্রষ্টা বিষয়ে ওসব নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য বান্দাকে এই দুনিয়ায় চুড়ান্ত হতাশা, কষ্ট ও নিরাশার দিকে ধাবিত করে। ফলে, তার মনটা অশান্তি ও অস্থিরতায় বিষিয়ে ওঠে। তখন এই দুনিয়ার সকল সুবিধা-ভোগ্যবস্তুও সময়ের সাথে সাথে সুখ-শান্তি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে থাকে। মানুষ তখন হয়ে ওঠে মূল্যহীন, প্রশান্তিহীন এক শারীরিক বস্তুতে। তখন এই জীবনের আর কীই-বা মূল্য থাকে!

এই অশান্ত, অস্থির ও জড়জীবনে প্রশান্তি ও প্রাণের সঞ্চার করতে পারে একমাত্র যিনি, তিনি আমার রব; আল্লাহ তা’আলা। যিনি প্রাণ সৃষ্টি করেছেন, যিনি সকল প্রশান্তির উৎস। অনন্ত প্রশান্তি ও ভালোবাসা চূড়ান্তভাবে তিনিই প্রতিটি প্রাণে ঢেলে দিতে পারেন। তাঁর দিকে ফিরে যাওয়া ছাড়া বেঁচে থাকার চূড়ান্ত প্রশান্তি, স্থিরতা ও ভালোবাসা পাওয়া অসম্ভব।

আল্লাহকে ভালো না বেসে পারা যায় কীভাবে? সে বিষয়েই উস্তাদ নোমান আলী খানের “আমি ও আমার রব” বইটি। যদি আল্লাহকে ভালোভাবে চিনেন, তবে তাকে ভালোবাসবেন তবে অন্তরের প্রশান্তির ফোয়ারা বইতে থাকবে। আর যাকে ভালোবাসবেন, তবে তার সাথে সম্পর্কের গভীরতাও প্রশান্তিকর হবে। এই দুটি বই আপনাকে সেই প্রশান্তির দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে পারে ইনশাআল্লাহ।


ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলতেন,

“দুনিয়ার জান্নাতে যে প্রবেশ করবে আখেরাতের জান্নাতেও সে প্রবেশ করবে”। জানি না দুনিয়ার জান্নাত কি, কিন্তু সালাহতে তার কিছু ছিটেফুটা টের পেয়েছিলাম “কীভাবে নামাজের মধুরতা লাভ করা যায়?” বইয়ের বিষয়াবলি প্রয়োগে।

আল্লাহকে তাঁর হকসহ তাঁর সাথে বান্দার সম্পর্কের নানাদিক জানা ও সালাতে আল্লাহর সাথেকার সম্পর্ক দুটোই আত্মিক প্রশান্তির দুয়ার উন্মুক্ত করে দেয়।

আখিরাতে ফরজ নামাজের ঘাটতিগুলো পূরণ করা হবে নফল নামাজ দিয়ে। কিন্তু কথা হলো আপনার নামাজই যদি কবুল না হয় তবে কি আল্লাহ সেগুলো দিয়ে পূর্ণ করবেন ফরজের ঘাটতিগুলো?! না। যে নামাজগুলো কবুল হয়নি সেগুলো তো সাওয়াবের আমলেই উঠবে না, সেগুলো দিয়ে কীভাবে ফরজের ঘাটতি পূরণ করবেন আল্লাহ তায়ালা? যেসব কারণে নামাজ কবুল হয় না, নামাজ বাতিল হয়ে যায়, খুশু থাকে না, সেগুলো ঠিক করতে হবে। এসব নিয়েই তো মিশারী আল-খারাজের বিশদ আলোচনার বই “কীভাবে নামাজের মধুরতা লাভ করা যায়?”।

নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করার ও অসীম সাওয়াবের মাধ্যমে হয়ে দাঁড়ায় নামাজের ইবাদাত। সেই ইবাদাতের মধুরতা ও পুরো সাওয়াবের কোনো কমতি যেন না থাকে সেটা যেন নিশ্চিত করতে পারি আমরা। সেজন্য নামাজের প্রশান্তি ও শীতলতা দরকার। এ নিয়েই বইটি।

এই অমূল্য দুটি বই-ই আপনাকে আল্লাহর ব্যাপারে বিশুদ্ধভাবে জানতে, অন্তরের স্থিরতা ও সালাতের ইবাদতের সর্বোচ্চ প্রশান্তি এবং মধুরতা পেতে সহায়তা করবে।

বইগুলো বাংলাবাজারসহ নীচের যেকোনো অনলাইন শপ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।

এই দুটিসহ অন্যান্য বইগুলোও সংগ্রহ করতে পারেন নীচের ঠিকানা থেকে।

[1] রকমারি (01519521971) (Whatsapp এ মেসেজ দিয়ে অর্ডার দিন)

[2] ওয়াফিলাইফ (01799-925050)

যেকোনো প্রয়োজনে প্রকাশনার পেইজ Bookish Publisher [01645261821] এ যোগাযোগ করতে পারেন।

NAKInBangla

03 Dec, 12:31


https://ift.tt/rbaDvTu ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলতেন, "দুনিয়ার জান্নাতে যে প্রবেশ করবে আখেরাতের জান্নাতেও সে প্রবেশ করবে।" জানি না দুনিয়ার জান্নাত কি, কিন্তু সালাহতে তার কিছু ছিটেফুটা টের পেয়েছিলাম এই বইয়ের বিষয়াবলি প্রয়োগে।

আল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করার ও অসীম সাওয়াবের মাধ্যম নামাজের ইবাদাত। সেই ইবাদাতের মধুরতা ও পুরো সাওয়াবের কোনো কমতি যেন না থাকে সেটা যেন নিশ্চিত করা উচিত। সেজন্য নামাজের প্রশান্তি ও শীতলতা দরকার।

খুশু হলো নামাজের প্রাণ। এটার প্রকৃতি হলো অন্তর বা মনের একটি অবস্থা যা নামাজে প্রশান্তি, গাম্ভীর্য, বিনম্রতা ও মধুরতা বজায় রাখে; যা হৃদয় থেকে বর্ষিত হয়ে আমাদের আল্লাহর সামনে বিনম্র, আত্ম-সমর্পিত ও প্রশান্ত করে তুলে।

"কীভাবে নামাজের মধুরতা লাভ করা যায়?" বইতে নামাজের অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আলোচিত হয়েছে যা আমাদের শারীরিক স্থিরতা, অন্তরের প্রশান্তি ও নামাজের মধুরতা লাভ করতে সহায়তা করবে।
যেদিন আল্লাহর সাথেকার আন্তরিক ইবাদাতটুকুই আমাদের আল্লাহর দয়ায় নাজাতের উসিলা হতে পারে, সেই আন্তরিক ইবাদাতের মাধ্যমে এই দুনিয়ায় এক প্রশান্তির শীতলতা আনতে পারে আমাদের হৃদয়ে, যা এই দুনিয়ার সমস্ত প্রশান্তি থেকে উত্তম। ইবাদাতের সেই স্বাদ, মধুরতা ও প্রশান্তির পথ-পদ্ধতি নিয়েই মিশারী আল-খারাজের "নামাজের মধুরতা" বইটি।
--

“কতটা আবেগ অনুভব করেছিলাম বইটি কেনার আগে। এখন যত পড়ি, ততই হৃদয় বিগলিত হতে থাকে। যাকে চিনিই না, তাকে ভালবাসবো কি করে? তাই তো ভালবাসতে হলে আগে চিনতে হবে, জানতে হবে সম্পর্কের পরিধিটাও।

বইটি পড়ে আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক কিছু শিখেছি। নিজেকে আল্লাহর বান্দা বলার চেয়ে আল্লাহর দাস বলে পরিচয় দিতে যেন বেশি ভাল লাগে এখন.” – আব্দুল্লাহ হোসেন আকাশ

“প্রতিটি লাইনের মাঝে মুগ্ধতা ছড়ানো,
মনে হয় যেন "আমার রবের সাথে এক নতুন পরিচয় হচ্ছে।” – মাহমুদা সুলতানা

অশান্ত, অস্থির ও জড় জীবনে প্রশান্তি ও প্রাণের সঞ্চার করতে পারে একমাত্র যিনি, তিনি আমার রব; আল্লাহ তা’আলা। যিনি প্রাণ সৃষ্টি করেছেন, যিনি সকল প্রশান্তির উৎস। অনন্ত প্রশান্তি ও ভালোবাসা চূড়ান্তভাবে তিনিই প্রতিটি প্রাণে ঢেলে দিতে পারেন। তাঁর দিকে ফিরে যাওয়া ছাড়া বেঁচে থাকার চূড়ান্ত প্রশান্তি, স্থিরতা ও ভালোবাসা পাওয়া অসম্ভব।

সেই অনন্ত পথের প্রশান্তি, অন্তরের পূর্ণতা ও চূড়ান্ত ভালোবাসার পথটা দেখাতে পারে এই দুটি বই ইনশাআল্লাহ।"

বই : আমি ও আমার রব

- উস্তাদ নোমান আলী খান

বই : কীভাবে নামাজের মধুরতা লাভ করা যায়?

- মিশারী আল-খারাজ

পাবেন রকমারি ও ওয়াফিলাইফসহ অনলাইন শপসমূহে। কমেন্টে বইগুলো পাবার উপায় দেওয়া থাকবে।

আপনারা যারা বই দুটি পড়েছেন, আপনাদের অনুভূতিগুলো জানাতে পারেন আমাদের।

NAKInBangla

02 Dec, 07:01


https://ift.tt/IBc8dKj || এমন শ্বশুর কোথায় পাবো ? ||
.
.....আবু ওদায়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি নিয়মিত মসজিদে নববিতে সাঈদ ইবনুল মুসাইয়েব রাহিমাহুল্লাহ’র (তাঁর উপাধি ছিলো, সাইয়িদুত তাবেয়িন তথা তাবেয়িদের নেতা) দরসে উপস্থিত থাকতাম। একবার আমার স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে আমি বেশ কিছুদিন ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারিনি। এই অবস্থা দেখে শায়খ ধারণা করলেন, হয়ত আমার কোন বিপদ হয়েছে বা কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। উপস্থিত ছাত্রদেরকে তিনি আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, কেউ জবাব দিতে পারল না। অতঃপর দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার পর একদিন আমি ক্লাসে ফিরলাম। শিক্ষক সাঈদ বিন মুসাইয়েব আমাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে এতদিন আমার অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলেন। বললাম, বেশ কিছুদিন যাবত আমার স্ত্রী অসুস্থ ছিল। অসুস্থ অবস্থায় সে মারা গেছে। তার কাফন-দাফন ও জানাযা শেষ করে আজ ক্লাসে উপস্থিত হলাম।
.
.....সাইদ বিন মুসাইয়েব বললেন, এত কিছু ঘটে গেছে, অথচ তুমি আগে কিছুই বলোনি? আগে জানালে আমরা তোমার স্ত্রীর জানাযায় উপস্থিত হতাম। তোমাকে সান্ত্বনা দিতে আমরা তোমার বাড়িতে যেতাম। আমি বললাম, জাযাকাল্লাহ খায়রান! আমি উঠে চলে যেতে চাইলে তিনি ইশারা করে বসতে বললেন। লোকজন চলে যাওয়া পর্যন্ত বসেই রইলাম। এরপর তিনি বললেন, হে আবু ওদায়া‘! আচ্ছা, নতুন বিয়ের ব্যাপারে কী ভাবছ?
.
.....আমি বললাম, আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করুন। কে এখন আমার সাথে তার মেয়ের বিবাহ দিবে? আমি এমন একজন যুবক, যে এতিম অবস্থায় বড় হয়েছি ও দারিদ্র্যকে আলিঙ্গন করে জীবন যাপন করছি। আর আমার নিকট দুই কিংবা তিন দিরহামের বেশী অর্থও নেই।
.
.....সাঈদ ইবনুল মুসাইয়েব রাহিমাহুল্লাহ বললেন, তুমি কি এখন বিয়ে করতে চাচ্ছ? আমি চুপ করে রইলাম। কিছু একটা আঁচ করতে পেরে উস্তাদযী নিজেই বললেন, আমি আমার মেয়েকে তোমার সাথে বিয়ে দিতে চাই। একথা শুনে আমার জবান বন্ধ হয়ে গেল। পরক্ষণেই বললাম, আমার অবস্থা জানার পরেও আপনি আমার সাথে আপনার মেয়েকে বিয়ে দিতে চাচ্ছেন?
.
.....তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমাদের নিকট যখন এমন কেউ আসে যার দ্বীনদারী এবং উত্তম চরিত্রে আমরা খুশি। আমরা তার সাথে মেয়ে বিয়ে দিয়ে দেই। তুমি আমার মতে পরহেযগারিতা এবং উত্তম চরিত্রে উপযুক্ত। এরপর তিনি আমাদের নিকটতম লোকদেরকে ডাকলেন। তারা উপস্থিত হলে তিনি হামদ্-ছানা ও দরূদ পাঠ করে (বিয়ের খুৎবা পাঠ করে) তার মেয়ের সাথে আমার বিয়ে পড়িয়ে দিলেন। আর এই বিয়েতে মোহর নির্ধারণ করলেন দুই বা তিন দিরহাম।
.
.....কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিয়েটা হয়ে গেল। আনন্দে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। নানা কথা ভাবতে ভাবতে আমি বাড়িতে ফিরলাম। সেদিন আমি রোজাদার ছিলাম। কিন্তু রোজার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। নিজেকে ভৎর্সনা করছিলাম। মনে মনে বলছিলাম, হে আবু ওয়াদা‘, তুমি কী করলে? কার নিকট অর্থ ধার করবে? কার নিকট সম্পদ চাইবে? সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে মাগরিবের সময় হয়ে গেল। ফরজ সালাত আদায় করে ইফতারের কথা মনে পড়ল। ঘরে সামান্য খাবার ছিল। একটি রুটি আর তেল। এক বা দুই লোকমা মুখে না দিতেই কেউ যেন দরজায় করাঘাত করল।
.
.....কে এলো এই সময়ে? জানতে চাইলাম। উত্তর এলো, ‘সাঈদ।’ আল্লাহর কসম! ভাবছিলাম, কোন সাঈদ? কয়েকজন সাঈদের কথা মনে পড়ল। দরজা খুলে দেখি, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়েব রাহিমাহুল্লাহ! অথচ সাঈদ নামের কতজনের কথা মাথায় এসেছে। কিন্তু ইবনুল মুসাইয়েবের কথা একবারও আমার মাথায় আসেনি। কারণ গত চল্লিশ বছর যাবত তাঁর গমনক্ষেত্র ছিল বাসা থেকে মসজিদ আর মসজিদ থেকে বাসা। এ দীর্ঘ সময়ে এর বাইরে অন্য কোনো পথ তিনি মাড়াননি। মনের মধ্যে সন্দেহ ও ভয় ঘুরপাক খাচ্ছিল। কোনো ঘটনা ঘটে গেছে নাকি? বললাম, হে আবু মুহাম্মাদ! আমাকে খবর দিলেই তো আমি আপনার নিকট হাজির হতাম।
.
.....তিনি বললেন, এখন তো আমাকেই তোমার কাছে আসতে হবে। আমি বললাম, দয়া করে ভিতরে আসুন। তিনি বললেন, না। আমি এক বিশেষ কাজের জন্য এসেছি। আমি বললাম, আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করুন? বলুন কীজন্য এসেছেন? তিনি বললেন, ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক আমার মেয়ে সকাল থেকে তোমার স্ত্রী হয়ে গেছে। আমি জানি, তোমার দুঃখে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ নেই। তাই আমি অপছন্দ করলাম যে, তুমি এক স্থানে রাত্রি যাপন করবে আর তোমার স্ত্রী অন্যত্র রাত কাটাবে। সেজন্য আমি তাকে নিয়ে এসেছি। আমি বললাম, তাকে নিয়ে এসেছেন? আমারতো প্রস্তুতি নেই! হয়ত সেও প্রস্তুত ছিল না। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তাকাতেই দেখলাম তার পিছনে একজন সুন্দরী মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
.
.....তিনি তাকে লক্ষ্য করে বললেন, মা, তুমি আল্লাহর নাম ও বরকতে তোমার স্বামীর গৃহে প্রবেশ কর। যখন মেয়েটি বাড়িতে প্রবেশের ইচ্ছা করল তখন সে লজ্জায় মাটিতে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হল।আমি তার সামনে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। এরপর মেয়েকে বাড়িতে প্রবেশ করিয়ে নিজেই দরজা লাগিয়ে দিয়ে তিনি চলে গেলেন। আমি দ্রুত রুটি ও তেলের নিকট গিয়ে তা আলো থেকে দূরে সরিয়ে রাখলাম। যাতে সে তা দেখতে না পায় এবং তা দ্বারা রাতের খাবার শেষ করতে পারি।
.
.....এরপর ছাদের উপরে…

NAKInBangla

01 Dec, 06:55


https://ift.tt/OedJUo7 || জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ মানুষ ||

আমাদের কাছে চমৎকার একটি হাদিস রয়েছে একেবারে সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারী মানুষটি সম্পর্কে। জান্নাতে প্রবেশকারী একেবারে সর্বশেষ মানুষটি। এই হাদিসটি সহীহ মুসলিমে বর্ণনা করেছেন ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রা)। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, রসূল (স) বলেছেন, সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তিটি জাহান্নাম থেকে বের হবার জন্য জাহান্নামের দরজা অভিমুখে কষ্ট সহকারে হাঁটতে থাকবে। কখনো তার পা পিছলে যাবে, কখনো সে পড়ে যাবে। এরপর সে উঠে দাঁড়াবে এবং হাঁটা অব্যাহত রাখবে। আর আগুনের শিখা বারবার তার কাছে এসে তাকে দগ্ধ করতে থাকবে এবং ফিরে যেতে থাকবে। এরপর অবশেষে সে বের হবে। এর আগেই তাকে জানিয়ে দেয়া হবে যে সে বের হওয়ার অনুমতিপ্রাপ্ত হয়েছে। সে মূলত সর্বশেষ ব্যক্তি।

এখন সে সেই শাস্তির স্থান থেকে হেঁটে বেরিয়ে আসছে। আর এই হাঁটাটি সহজ কোনো বিষয় নয়। দীর্ঘ সময়ের শাস্তির পর অবশেষে সে এখন বের হতে পারছে, কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাকে কষ্ট সহকারে হাঁটতে হবে। এরপর অবশেষে যখন সে সেই এলাকা থেকে বের হবে, তখন পেছনে ফিরে তাকাবে এবং বলবে, تَبَارَكَ الَّذِي نَجَّانِي مِنْكِ - তাবারাকা-ল্লাযি নাজ্জানি মিনকি — কতো মহিমাময় সেই সত্ত্বা যিনি আমাকে তোমার কাছ থেকে মুক্তি দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি আমাকে এমন নেয়ামত দান করেছেন, যা পূর্বাপর কাউকেও প্রদান করেননি। সেই নেয়ামতটি কি ? আমিই সর্বশেষ মানুষ। এরপরে যারা জাহান্নামে রয়ে গিয়েছে, তারা সেখানে স্থায়ীভাবে চিরকাল থাকবে।

তো এই ব্যক্তিটি উপলব্ধি করতে পারছে যে, সে হচ্ছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া সর্বশেষ মানুষ। সে মাত্র বের হচ্ছে; তাই না ? আর সে যখন জাহান্নামে ছিলো, তার একমাত্র দোয়া ছিলো, ও আল্লাহ, আমাকে বের হওয়ার সুযোগ দিন, ও আল্লাহ, আমাকে বের হওয়ার সুযোগ দিন, ও আল্লাহ, আমাকে শুধু এখান থেকে মুক্তি দিন। সেই দোয়াটি এখন কবুল হয়েছে। সে-ই সর্বশেষ মানুষ। এখন তার সেই দোয়া গৃহীত হয়েছে, সে এখন বাইরে এসেছে।

বাইরে বের হওয়ার পর কিছুটা দূরে সে একটি গাছ দেখতে পাবে। কিছুটা দূরে সে একটি গাছ দেখতে পেলো। তখন সে আল্লাহর কাছে আরেকটি দোয়া করবে। সে বলবে, ও আল্লাহ, আমাকে শুধু ঐ গাছটির কাছে যেতে দিন, যেখানে আমি বসে থাকতে পারবো, এর ছায়ায় আশ্রয় নিতে পারবো এবং গাছটির আশেপাশের পানি পান করতে পারবো। প্রথম দোয়াটি ছিলো — আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন। সে এখন জাহান্নামের বাইরে। এখন সে সেই এলাকায়, জান্নাতের বাইরে একটি গাছ দেখতে পাচ্ছে। এই এলাকাটি জান্নাতের অভিমুখে অবস্থিত। কিন্তু এখনো তা জান্নাত থেকে অনেক দূরে। সে এখন শুধুমাত্র একটি গাছই দেখতে পাচ্ছে।

তো সে বলবে, ও আল্লাহ, আমাকে সেখানে যাওয়ার সামর্থ দিন। মহান আল্লাহ তখন বলবেন, আমি যদি তোমাকে এটা দান করি, তুমি তো এরপরে আরো কিছু চাইবে ! লোকটি বলবে, আমি আপনার কাছে প্রতিজ্ঞা করছি, ও আল্লাহ, আমি প্রতিজ্ঞা করে বলছি যে, আমি শুধু এটাই চাই। রসূল (স) মন্তব্য করেছেন, আল্লাহ ইতিমধ্যেই তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করার জন্য। আল্লাহ জানেন যে সে এটা ভঙ্গ করবে। আর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। কারণ আল্লাহ জানেন যে মানুষের ধৈর্য্য সীমিত।

আমাদের অবস্থা হোলো — خُلِقَ الْإنْسَانُ ضَعِيْفاً - খুলিক্বাল ইনসানু দঈফা। আমাদের ধৈর্য্য সীমিত। কখনোই কখনোই আল্লাহকে বলবেন না, কখনোই আল্লাহকে বলবেন না যে, ও আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আর কোনো কিছু চাইবো না। কারণ আল্লাহকে আমাদের প্রয়োজন প্রতিটি মিলিসেকেন্ডে। আমরা কখনোই আল্লাহকে বাদ দিয়ে স্বনির্ভর হতে পারবো না। আমাদের সবসময় আল্লাহকে প্রয়োজন। আর আল্লাহর কাছে আমাদের এই প্রয়োজনেই আমাদের মর্যাদা। আল্লাহর নিকট দরিদ্র্যতার মধ্যেই আমাদের সমৃদ্ধি। কখনোই বলবেন না যে, ও আল্লাহ, আমি কেবলমাত্র এটাই চাই। না। “ও আল্লাহ আমি আপনার কাছে আরো চাই এবং আরো চাই এবং আরো চাই। আপনি আমাকে যা দিবেন তার সবই আমার প্রয়োজন। কারণ, ও আল্লাহ, আমি হতদরিদ্র্য, আর আপনিই ধনী।

কিন্তু এই লোকটি এগুলো কিছুই জানে না। সে হোলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া সর্বশেষ মানুষ। এই লোকটি হাদিসের প্রতিও মনোযোগী ছিলো না এবং এই সকল বিষয় জানতো না। দুনিয়ার জীবনে সে কি করেছে আমরা জানি না, কিন্তু সে-ই হোলো জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ মানুষ। তো সে আল্লাহকে বলবে, ও আল্লাহ, আমি আপনার কাছে প্রতিজ্ঞা করছি যে, এটাই আমার সর্বশেষ চাওয়া। তখন আল্লাহ তাকে অনুমতি প্রদান করবেন। এখন সে সেই গাছের কাছে যাবার শক্তি পেয়েছে। এখন সে বসে পড়বে এবং এই গাছের ছায়া উপভোগ করবে। আর সে সেখান থেকে পান করবে এবং গাছের ছায়ায় অবস্থান করবে। কিন্তু সেখানে অবস্থানরত অবস্থায় সে চারপাশে দেখছে, আর এখন সে এই গাছটির তুলণায় অধিকতর সুন্দর এবং বড় আরেকটি গাছ দেখতে পেলো। সে নিরবতা অবলম্বন করছে, কারণ সেই প্রতিজ্ঞার কথা তার স্মরণ আছে। সে নিরবতা অবলম্বন করবে।…

NAKInBangla

30 Nov, 14:35


https://ift.tt/OedJUo7 আমাদের পূর্বে নবুওতপ্রাপ্ত গোষ্ঠী ছিল বনী ইজরাঈল নবী ইসহাকের পুত্র নবী ইয়াকুব (আ) এর বংশধারার নবুওত। এই বনী ইজরাঈলের এক লোক বয়স্ক অবস্থায় মৃত্যুর কাছাকাছি উপনীত হয়। সারাজীবন তেমন ভালো আমল নেই, শেষ বয়সে মৃত্যুর এই সময়ে এসে ভালো কাজ করার শক্তিও নেই। তাই মৃত্যুর কাছাকাছি সময়ে তিনি তার সব সন্তানদের কাছে ডাকেন। ডেকে জিজ্ঞেস করেন,

আমি তোমাদের কেমন বাবা ছিলাম?

এই সময়ে এসে সন্তানরা অবশ্যই ভিন্ন কিছু বলবে না যাতে বাবা কষ্ট পায়। তারা বলে, আপনি আমাদের ভালো বাবা ছিলেন।

তখন তিনি সেই ভালত্বের দোহায় নিয়ে তাঁর সন্তানদের এই মৃত্যুর পূর্বে একটা ওসিয়ত করে যান। হাদীসের ভাষাটা এরকম,

হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন:

"এক ব্যক্তি ছিল, যে আল্লাহর ভয়ে বলেছিল, ‘আমি আমার মৃত্যুর পর আমাকে পুড়িয়ে দিও। তারপর সেই ছাইগুলো বাতাসে ছড়িয়ে দিও।’

তাঁর মৃত্যুর পর সন্তানরা ঠিক তাই করে। লাশ পুড়িয়ে ছাই করে বাতাসে ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু আল্লাহ তাঁকে পুনরায় জীবিত করেন। এরপর হাদীসে এসেছে,

আল্লাহ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার এই কাজের উদ্দেশ্য কী?’
সে উত্তর দিল, ‘তোমার ভয়ে।’ এরপর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন।"

[সহীহ বুখারী : ৩৪৭০; সহীহ মুসলিম : ২৭৫৬]

আল্লাহ সম্পর্কে তাকওয়া থাকা, একটা পজিটিভ গুণ থাকার কারণে এই লোক আল্লাহর ক্ষমা পায়! এই ক্ষমা পাওয়া মানে কি জানেন? এই দুনিয়ার মতো দশটা দুনিয়া তাঁকে জান্নাত হিসেবে পুরষ্কারের নেয়ামতে ডুবিয়ে দেওয়া হবে। এই যদি হয় আল্লাহ সম্পর্কে ইতিবাচক উত্তম ধারণার ফল, তাহলে চিন্তা করুন, যারা আল্লাহকে প্রতিনিয়ত ভালোবাসে, আল্লাহর সাথে সম্পর্কের গভীরতায় প্রবেশ করে, অন্তরে আল্লাহর প্রশান্তির শীতলতা অনুভব করে, তাদের অবস্থা কেমন হবে? আল্লাহ কুরআনে আরো কিছু শব্দ বলেছেন যেখানে বলা হয়েছে কিছু লোকেদেরকে আল্লাহ “বেহিসাবি রিজিক” দিবেন, “অগণিত নেয়ামত” দিবেন (বিগাইরি হিসাব)। তাহলে শুধু ইতিবাচক চিন্তার কারণে ক্ষমার বদলে দশ পৃথিবীর নেয়ামত পায়, তবে এরা কত গুণ নেয়ামতের মহাসমুদ্রে নিমজ্জিত থাকবে?

আল্লাহ সাথে প্রশান্তিকর, ইতিবাচক, দৃঢ় বন্ধনের জন্য পড়তে পারেন আমাদের কয়েকটা বই, হয়তো এগুলোই আপনাকে “বেহিসাবি নেয়ামত” এর দিকে একটু হলেও অগ্রসর হতে সহায়তা করবে।

১। আমি ও আমার রব
২। কীভাবে নামাজের মধুরতা লাভ করা যায়?
৩। প্রশান্তির খোঁজে ঃ ১
৪। সূরা আর-রাহমানের গভীরে
৫। বিস্ময়কর ফাতিহা

বইগুলো নীচের যেকোনো অনলাইন শপ বা আপনার পছন্দের অনলাইন শপ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।

[১] রকমারি : (01519521971) (Whatsapp এ মেসেজ দিয়ে অর্ডার দিন)

[২] ওয়াফিলাইফ : (01799-925050)

বই সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য প্রকাশনার পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন : Bookish Publisher (01645261821).

NAKInBangla

30 Nov, 08:50


https://ift.tt/OedJUo7 কোনো কাজের জন্য সবচেয়ে বড় মোটিভেশন কি জানেন? কাজটি শুরু করা। অনুপ্রেরণার অপেক্ষা না করে কাজটি শুরু করুন। জাস্ট শুরু করুন। কাজটিতে জড়িয়ে পড়ুন।

একবার এক মনোবিজ্ঞানির সাথে আমার মোটিভেশন নিয়ে কথা হয়। উনি খুবই ইন্টারেস্টিং একটি রিসার্চ দেখালেন এমন মানুষদের নিয়ে যারা এক্সারসাইজ করার জন্য অনুপ্রাণিত হতে চান। জানেন কারা ব্যায়াম করার জন্য সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছিল? যাদেরকে বলা হলো—

"কোনো কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে জাস্ট প্রথম দিন ব্যায়াম করুন।"

দেখা গেল প্রথম দিনের ব্যায়ামই তাদের জন্য সবচেয়ে বড় মোটিভেশন ছিল দ্বিতীয় দিন জিমে আসার। অর্থাৎ—বাহিরের কোন অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য শোনার চেয়ে কাজটি শুরু করাই ছিল সবচেয়ে বড় মোটিভেশন। করাটাই মোটিভেশন।

নবুয়তী মিশনের শুরুতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঠিক এটাই বলেছেন। یٰۤاَیُّهَا الۡمُدَّثِّرُ- قُمۡ فَاَنۡذِرۡ ۪- "ওহে বস্ত্র আবৃত (ব্যক্তি)! ওঠ, সতর্ক কর।"

তাই কোন কাজের জন্য অনুপ্রাণিত হতে চান? জাস্ট কাজটি শুরু করুন।

—নোমান আলী খানের বক্তব্য থেকে

NAKInBangla

28 Nov, 08:00


https://ift.tt/4NR5wM6 আলহামদুলিল্লাহ, মালয়েশিয়ায় আমি Nouman Ali Khan এর সাথে কিছু সুন্দর সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছি।

আমি একটি পডকাস্ট রেকর্ড করেছি, যা আমার মনে হয় আমি যতগুলো পডকাস্টে অংশ নিয়েছি তার মধ্যে সেরা। আমরা হিকমাহ (প্রজ্ঞা), দাওয়াহ, আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা ( Emotional Intelligence), সত্যতা এবং আরও অনেক বিষয়ে কথা বলেছি।

পডকাস্ট এবং দুপুরের খাওয়ার সময় আমাদের আলাপ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আবেগাপ্লুত করেছে। এতে আমার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছে যে তিনি আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য একটি আশীর্বাদ এবং সম্পদ। মাশা’আল্লাহ।

আল্লাহ তাঁকে আরও উন্নতি দিন, হেফাজত করুন এবং বরকত দান করুন।

-- বিশিষ্ট দা'ঈ Hamza Andreas Tzortzis

NAKInBangla

28 Nov, 07:00


https://ift.tt/4NR5wM6 কুরআনের যুক্তি হলো মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সৌজন্যপ্রবণ। আদব, শিষ্টাচার বা শালীনতার প্রতি মানুষের রয়েছে স্বাভাবিক ঝোঁক। মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই ভালো। অনেক নাস্তিক বা অজ্ঞেয়বাদীও এই বিষয়টা নিয়ে গর্ব করেন। তারা এভাবে বলবে— "আমার ভালো হতে ধর্মের দরকার নেই। আমি নিজে নিজেই ভালো থাকতে পারবো। আমার নৈতিক অনুভূতি রয়েছে। আমার বিবেক আছে।"

তাহলে, বিবেকের ব্যাপারটি এমন ব্যক্তিও অস্বীকার করে না যে আধ্যাত্মিকতার সমগ্র আলোচনাকে অস্বীকার করে। যাদের একেবারে চরম অধঃপতন হয়নি তারা অন্তত নৈতিক কম্পাস থাকার কথা অস্বীকার করবে না।

আর যারা একেবারে অধঃপতনের চরম সীমায় পৌঁছে গেছে তারা বলবে—"নৈতিকতা বলতে কিচ্ছু নেই, তোমার যা খুশি তাই করো। তুমি যা করো তাই সঠিক। যা করতে ভালো লাগে তাই ঠিক।" কেউ এমন পর্যায়ে পৌঁছলে তার এবং পশুর মাঝে আর কোনো পার্থক্য থাকে না। কারণ, পশু যাই করুক না কেন আপনি এর জন্য তাকে মন খারাপ করতে দেখবেন না। মুরগি খেয়ে ফেলার কারণে সিংহের মাঝে অপরাধবোধ জাগ্রত করতে পারবেন না। (অন্যের ক্ষেতের ফসল খেয়ে ফেলার কারণে কোনো ছাগলের ভেতরেও অনুশোচনা জাগাতে পারবেন না।) তাদের কোনো বিবেক নেই। আপনাকে কামড় দেওয়ার কারণে মশা এসে ক্ষমা চাইবে না। তাদের কর্মের ভালো বা মন্দ ফলাফলের কোনো জ্ঞান নেই। ধর্ম অস্বীকার করতে করতে যদি এমন পর্যায়ে এসে পৌঁছেন যেখানে নৈতিক কম্পাস থাকার কথা অস্বীকার করেন, তাহলে কংগ্রাচুলেশন! আপনি জাস্ট একটি জানোয়ারে পরিণত হলেন। কুরআনে এসেছে—"সুম্মা রদাদনাহু আসফালা সাফিলিন।" (তারপর আমি তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি হীনদের হীনতম রূপে।)

যাইহোক, স্বাভাবিক ক্ষেত্রে, প্রকৃতিগতভাবে মানুষ সৌজন্যপ্রবণ। এই সৌজন্যের একটি অংশ হলো সমাদর করা, তারিফ করা। একজন ভদ্র মানুষ সুন্দর কিছু দেখলে তার কদর করে। একজন শিষ্টাচারী মানুষ বিমান থেকে চমৎকার কোন দৃশ্য দেখে বলে উঠে—"ওয়াও! দৃশ্যটা খুবই সুন্দর।" একজন শিষ্টাচারী মানুষ সুন্দর কোন চিত্র, সুন্দর কোন গাড়ি, সুন্দর কোন বাড়ি, সুন্দর যে কোন কিছু দেখলে বলে উঠে— "হ্যাঁ, এটা খুব সুন্দর।" তারা এগুলোর সমাদর করে। (মুখে না বললেও মনে মনে কদর করে।)

কিন্তু, খুবই খুবই বিকৃত মস্তিষ্কের কেউ যত সুন্দর কিছুই দেখুক না কেন, সে জানে এটা সুন্দর, তারপরেও সে সমাদরকারীদের কাঁতারে নিজেকে নামাতে চায় না। মুখ বাঁকা করে বলবে— "হুঁহ, আমার এতে কিছু যায় আসে না।" কিন্তু একজন শিষ্টাচারী মানুষ এমনটা করবে না। শিষ্টাচারী মানুষ এর প্রশংসা করবে, কদর করবে। এটা হলো একটা দিক।

শিষ্টাচারের দ্বিতীয় যে দিকটির উপর আমি ফোকাস করতে চাই তা হলো—কেউ যদি আপনার কোনো উপকার করে তাহলে শিষ্টাচারের দাবী হলো অন্তত এর জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। এটা ধর্মীয় কোনো বিষয় নয়। কোথাও যাচ্ছেন পথিমধ্যে গাড়ির চাকা নষ্ট হয়ে গেল। এখন, কেউ যদি এগিয়ে এসে চাকা লাগাতে সাহায্য করে তাহলে তাকে অন্তত বলুন, ধন্যবাদ ভাই।

তাহলে একজন শিষ্টাচারী মানুষ তারিফ করে এবং ধন্যবাদ জানায়। এই দুইটি জিনিস একজন ভদ্র মানুষের ভেতরে সেট করে দেওয়া হয়েছে। কারো যদি ধন্যবাদ জানানোর বা প্রশংসা করার সামর্থ না থাকে তাহলে তাকে আর যাই বলা যাক ভদ্র মানুষ বলা যায় না।

সৌজন্যতার বা ভদ্রতার কুরআনিক টার্ম হল ফিতরাহ। আল্লাহ আগে থেকেই আমাদের ভেতরে ভদ্রতার এই বৈশিষ্ট্য স্থাপন করে দিয়েছেন। সূরা ফাতিহার প্রথম শব্দ হলো আলহামদুলিল্লাহ। প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা আল্লাহর জন্য। একজন ভদ্র মানুষ চিন্তা করে কথা বলে।

"যদি আমার স্ত্রী সুন্দর কোনো কারুকাজ/চিত্রকর্ম আমার সামনে এনে উপস্থাপন করে আমি তার প্রশংসা করি। আমার বাবা যখন পড়ার খরচ প্রদান করেন আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আমার বাবার জন্য আমি কাকে ধন্যবাদ জানাবো? আমার দাদাকে। আমার দাদার জন্য কাকে?"

এভাবে সে গভীরভাবে চিন্তা করে। সে ভাবে—এর শুরু কোথায়? আমি এই চিত্রকর্মের প্রশংসা করতে পারি। এই চিত্রকর্ম হলো একটি পর্বতের। কিন্তু পর্বতের জন্য আমি কার প্রশংসা করবো? আসল পর্বত দেখেই তো এই ছবি আঁকা হয়েছে, তাই না? কিভাবে আমি এর জন্য প্রশংসা করবো?

এভাবে সে প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা নিয়ে গভীর ভাবনায় ডুবে যায়। শেষে একমাত্র যে উপসংহারে সে পৌঁছে তা হলো—কেউ একজন এর জন্য প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। চারপাশে নিদর্শনের সংখ্যা অগণিত।

প্রসঙ্গত, যে শিষ্টাচার হারিয়ে ফেলেছে সে কি কাউকে প্রশংসা করার জন্য খুঁজছে? না। সে কখনো গ্লাসটি অর্ধেক পূর্ণ দেখবে না। সে সবসয় দেখবে গ্লাস অর্ধেক খালি। তাই সে বিশাল পর্বত দেখে বলবে—"হ্যাঁ, সুন্দর পর্বত। কিন্তু বরফ প্রাণঘাতী। আকাশ অসাধারণ কিন্তু মেঘ দিয়ে ঢাকা।" সে সবকিছুতেই সমস্যা দেখতে পাবে। সে কোনো কিছুর তারিফ করতে পারবে না।

জানেন? এই ধরণের মানুষদের সাথে থাকতে কারোই ভালো লাগে না। এটা ধর্মীয় কোনো বিষয় নয়, তাই আমি এই কথা বলতে কোন পরোয়া করি না। এই ধরণের মানুষদের আশে পাশেও কেউ থাকতে চায় না। কারণ, মনে হয় যেন তারা জীবন উপভোগ করার…

NAKInBangla

27 Nov, 12:45


https://ift.tt/4NR5wM6 কুরআন কারীম নাযিল করার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর কালাম নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করার মাধ্যমে তার হেদায়াত প্রাপ্ত হওয়া; তাদাব্বুর ও হেদায়াত। আল্লাহ বলেন,

لِيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ

যাতে মানুষ এর (আয়াতের) মধ্যে চিন্তা করে এবং যাতে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ উপদেশ গ্রহণ করে। [সূরা সোয়াদ : ২৯]।

এই তাদাব্বুর না করা অন্তর নিয়ে আল্লাহ বড়সড় একটা অভিযোগ করেন। কেন এই অভিযোগ? কারণ গভীর চিন্তাশীলতার সাথেই দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত হেদায়াত জড়িত। আল্লাহ বলেন,

তারা কি কুরআন সম্পর্কে চিন্তা করে না, নাকি অন্তরে লেগে আছে সেই তালা, যা অন্তরে লেগে থাকে? [সূরা মুহাম্মাদ : ২৪]।
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَىٰ قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا

ইমাম শাওকানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এই আয়াত দিয়ে কুরআন কারীম নিয়ে তাদাব্বুর করা ওয়াজিব হওয়া বোঝা যায়।

তেমনি এক তাদাব্বুরের বিস্ময় রচিত হয়েছে উস্তাদ নোমান আলী খানের "সূরা আর-রাহমানের গভীরে" এবং "বিস্ময়কর ফাতিহা" বই দুটিতে।

বইটি নীচের যেকোনো অনলাইন শপ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।

[১] রকমারি : (01519521971) (Whatsapp এ মেসেজ দিয়ে অর্ডার দিন)

[২] ওয়াফিলাইফ : (01799-925050)

বই সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য প্রকাশনার পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন : Bookish Publisher (01645261821).

যারা পড়েছেন, তাদের কেমন লেগেছে?

NAKInBangla

26 Nov, 05:15


https://ift.tt/EAIZ7vF আল্লাহ আপনাকে সবধরণের উপকরণ সরবরাহ করেছেন যেন হেদায়েত পেতে পারেন। এই জীবনটা ব্যবহার করে যেন চিরস্থায়ী জান্নাত অর্জন করতে পারেন। কিন্তু, আপনি কী করলেন? ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার ভোগবিলাসের মাঝেই নিজেকে ডুবিয়ে রাখলেন। আপনার কাছে আছে কুরআন, আপনার কাছে আছে রাসূলের শিক্ষা। আপনাকে দেওয়া হয়েছে দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি, অন্তঃকরণ এবং বিবেক বুদ্ধি। আপনি ইচ্ছে করলে সবচেয়ে সেরা মানুষ হতে পারতেন। কিন্তু খারাপ হওয়াটাকেই নিজের জন্য পছন্দ করলেন। দোষ কার?

আল্লাহ কাউকে ঘৃণা করেন না। নিজের অন্যায়ের জন্য আল্লাহকে দোষ দিবেন না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আপনাকে চান্স্ দিয়েছেন। আপনার হেদায়েত পাওয়াটাকে তিনি দারুন ভালোবাসেন।

জীবনটা তো একটি উপহার। কারণ, এ জীবনে তাঁর কথামত চললে আপনার জন্য আছে অকল্পনীয় চিরসুখের জান্নাত। পাবেন চিরস্থায়ী জীবন। ভোগ বিলাস এবং আনন্দ ফুর্তি করতে পারবেন চিরকাল। আরো আছে মহাবিশ্বের মালিকের চিরকালীন সন্তুষ্টি। তিনি কোনোদিন জান্নাতবাসীদের উপর অসন্তুষ্ট হবেন না।

পৃথিবীর গাছপালা, পশুপাখির তো জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু মানুষের আছে। তাই, এ মহা সুযোগটাকে কাজে লাগান। আমাদের তিনি কুরআন দিয়েছেন, রাসূল দিয়েছেন, নামাজ পড়া শিখিয়েছেন। আমরা একটু দৃঢ়তা দেখালে পাপ কর্ম থেকে বিরত থাকতে পারি। জান্নাতে যাওয়ার জন্য সবকিছু আমাদের হাতের সামনে। কেন এ সুযোগ মিস করবেন?

ইবাদত করার এই সুযোগ চিরকাল আপনার থাকবে না। হয়তো হঠাৎ মৃত্যুর মাধ্যমে এর সমাপ্তি হবে অথবা অতি বৃদ্ধ হয়ে পড়বেন। কখনো কখনো যুদ্ধবিগ্রহ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিপতিত হতে পারেন। গাজায় এক ভাইকে বলতে দেখলাম, "আমরা যে একটু অজু বা গোসল করে নামাজ পড়বো এ সুযোগটুকুও ইসরাইল আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। কোন পানি নেই। কী দিয়ে পবিত্র হব।"

তাই আমাদের যাদের এখনো সুযোগ আছে আল্লাহর ইবাদত করার, চলুন, ইবাদতের অভ্যাস গড়ে তুলি।

এ আয়াতটি স্মরণে রাখুন। وَ مَاۤ اُمِرُوۡۤا اِلَّا لِیَعۡبُدُوا اللّٰهَ مُخۡلِصِیۡنَ لَهُ الدِّیۡنَ ۬ۙ حُنَفَآءَ وَ یُقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ یُؤۡتُوا الزَّکٰوۃَ وَ ذٰلِکَ دِیۡنُ الۡقَیِّمَۃِ - "তাদেরকে এ ছাড়া অন্য কোন হুকুমই দেয়া হয়নি যে, তারা আল্লাহর ইবাদাত করবে খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে তাঁর আনুগত্যের মাধ্যমে। আর তারা নামায প্রতিষ্ঠা করবে আর যাকাত দিবে। আর এটাই সঠিক সুদৃঢ় দ্বীন।" ৯৮:৫

জাস্ট খাঁটি মনে আল্লাহর ইবাদাত করতে থাকুন। দৈনিক নামাজগুলো আদায় করুন। আল্লাহর পথে দান করুন। টাকা-পয়সার ক্ষেত্রে সৎ থাকুন। বিপদ এলে আল্লাহর পুরস্কারের আশায় সবর অবলম্বন করুন। একজন বিনয়ী মানুষ হিসেবে জীবন যাপন করুন।

যারা ভাবছেন জীবনের বিশাল একটা সময় পার করে ফেলেছেন, পরকালের জন্য কিছুই করেননি। হতাশ হবেন না। এখনো সময় আছে। আবু বকর সিদ্দিক (রা) ইসলাম গ্রহণ করেন সম্ভবত ৩৮ বছর বয়সে। ৬৩ বছর বয়সে মারা যান। এ অল্প কয়েক বছরের ইসলাম দিয়েই তিনি এই উম্মার সবচেয়ে সেরা ব্যক্তিতে পরিণত হোন।

তাই আপনার জন্যেও সুযোগ আছে। জীবনের বাকি সময়টা নিজের জান্নাত বিনির্মাণে ব্যয় করুন। ওস্তাদ নোমান আলী খান তার এক আলোচনায় বলেছেন, উনার এক বন্ধু তাওবা করে ফিরে আসার পর নিজের জীবনটা আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করে দেন। দিনরাত শুধু দীনী কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। তো একবার তিনি ভয়ংকর অ্যাক্সিডেন্টের কবলে পড়েন। কিন্তু আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন। পরে তিনি এক্সিডেন্টের মুহূর্তটা এভাবে বর্ণনা করেছেন—"আমার মাথায় তখন স্ত্রী সন্তান কোন কিছুর চিন্তা ছিল না। আমি শুধু ভাবছিলাম পরকালে নাজাত পাওয়ার জন্য যথেষ্ট আমল কি করেছি? নাজাত পাবো তো? জান্নাত পাবো তো? এটাই তখন আমার একমাত্র ভাবনা ছিল।"

সূরা মুনাফিকুনে এসেছে—"আর আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় কর, তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে। কেননা তখন সে বলবে, হে আমার রব, যদি আপনি আমাকে আরো কিছু কাল পর্যন্ত অবকাশ দিতেন, তাহলে আমি দান-সদাকা করতাম। আর সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। আর আল্লাহ কখনো কোন প্রাণকেই অবকাশ দেবেন না, যখন তার নির্ধারিত সময় এসে যাবে। আর তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।"

তাই চলুন, আমাদের নির্ধারিত সময়টা এসে যাওয়ার আগেই আল্লাহর দিকে ফিরে আসি। আমাদের আশেপাশে যেসব সৎকর্মশীলরা আছেন তাদের মত হয়ে যাই। নাজাত পাওয়ার জন্য, জান্নাত পাওয়ার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেই।

কারণ, এছাড়া যে আর কোন কিছুর কোনই গুরুত্ব নেই। একদিন আমাদের মৃত্যু হবে অথবা পৃথিবী ধ্বংস হবে আর এর মাধ্যমে পার্থিব সকল বিষয়ের চিরকালীন সমাপ্তি হবে।

তাই সত্যিকারের জীবনের জন্য কাজ করুন যার কোন সমাপ্তি নেই। আর তা হল জান্নাতের জীবন। আল্লাহ যেমন বলেছেন,وَ اِنَّ الدَّارَ الۡاٰخِرَۃَ لَهِیَ الۡحَیَوَانُ ۘ لَوۡ كَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ- আখিরাতের জীবনই প্রকৃত জীবন—তারা যদি জানত! (২৯:৬৪)

NAKInBangla

25 Nov, 07:40


https://ift.tt/EAIZ7vF *** নতুন ডাবিং ***

শুধু অডিও শুনতে এখানে ক্লিক করুন।
https://ift.tt/jfzdp2Q

NAKInBangla

24 Nov, 19:27


নতুন ভিডিওঃ আধুনিক দুনিয়ায় যেভাবে ক্ষমতা অর্জন করতে হবে || নোমান আলী খান
YouTube https://www.youtube.com/watch?v=OjSL6ygKioQ

NAKInBangla

23 Nov, 06:05


https://ift.tt/bPj9F5y

NAKInBangla

20 Nov, 15:31


https://ift.tt/R0TLWic প্রবৃত্তির তাড়নায় কখনও আমলে সালেহ বা ভাল কাজ হয় না। আমলে সালেহ তথা ভাল কাজের জন্য শ্রম আর প্রচেষ্টার দরকার।
দুনিয়ার সব মূল্যবান জিনিস প্রচেষ্টার মাধ্যমে আসে। বিশেষ করে যে কাজগুলো আপনাকে আল্লাহর কাছে নিয়ে যায়। বিনা প্রচেষ্টায় যা আসে তার কোন দাম নেই। আল্লাহও এমন জিনিসে কোন মূল্য দেন না।
আপনারা যে বসে এখানে যে কুরআনের ক্লাস করছেন এটা আপনাদের কামনার ফসল নয়, বরং শ্রমের ফল। আপনারা এখন বাসায় আরাম করে থাকতে পারতেন এই রাতে। এসব না করে অনেকটা নিজের ইচ্ছা আর কামনার বিরুদ্ধে গিয়ে আপনারা এখানে এসেছেন।
এইভাবেই শ্রম দিয়ে, নিজেকে বাধ্য করেই ভাল কাজ করেতে হয়। কুরআন আল্লাহ বলেছেন, মানুষ শুধু তাই পায় যার জন্য সে চেষ্টা করে। প্রচেষ্টা ছাড়া কোন কাজ আপনার হয় না। এর জন্য কোন সওয়াবও পাবেন না।

-- শাইখ মুহাম্মদ আকরাম নদভীর আলোচনা থেকে অনুপ্রাণিত

NAKInBangla

20 Nov, 04:40


https://ift.tt/R0TLWic মক্কার আকাশে তখন সন্ধ্যার ছায়া নামছে। কাবা প্রাঙ্গণে লোকজনের ভিড় ক্রমশ কমে আসছে। এমন সময় একটি ছোট কাফেলা মক্কায় প্রবেশ করল। কাফেলার নেতা ছিলেন তুফাইল বিন আমর আদ-দাউসি - দাউস গোত্রের একজন সম্মানিত নেতা ও বিখ্যাত কবি।

পরদিন সকালে কুরাইশ নেতারা যখন জানতে পারলেন যে তুফাইল মক্কায় এসেছেন, তারা দ্রুত তাঁর কাছে এলো। তুফাইল পরে বর্ণনা করেছেন:

"আমি যখন মক্কায় পৌঁছলাম, কুরাইশ নেতারা আমার কাছে এসে বলল: 'হে তুফাইল! আপনি আমাদের অঞ্চলে এসেছেন। কিন্তু আমাদের মাঝে এই লোকটি (মুহাম্মদ) আমাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। তার কথা যেন জাদুর মতো। সে পুত্র ও পিতার মাঝে, ভাই ও ভাইয়ের মাঝে, স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটায়। আমরা আশঙ্কা করছি আপনার ও আপনার সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমাদের পরামর্শ - আপনি তার সাথে কথা বলবেন না, তার কোন কথা শুনবেন না।'"

তুফাইল বলেন: "আল্লাহর কসম! তারা এতটাই জোর দিয়ে বলল যে আমি মনস্থির করলাম, আমি তার কোনো কথা শুনব না। তারা আমাকে কানের ছিপি দিল। আমি সেটা কানে পুরে ফেললাম যাতে তার কোনো কথা আমার কানে না আসে।"

পরদিন সকালে তিনি মসজিদুল হারামে গেলেন। দেখলেন রাসূল (সা.) কাবার পাশে নামাজ পড়ছেন। তুফাইল বলেন:

"আল্লাহর ইচ্ছায় তাঁর কিছু কথা আমার কানে এসে পৌঁছল। যা শুনলাম তা ছিল অতি সুন্দর বাক্য। আমি নিজেকে বললাম: 'ধিক! আমি একজন বুদ্ধিমান কবি। ভাল ও মন্দ কথার পার্থক্য বুঝি। তবে কেন আমি এই মানুষের কথা শুনব না? যদি ভাল হয় গ্রহণ করব, আর যদি মন্দ হয় বর্জন করব।'"

তুফাইল রাসূল (সা.)-এর বাড়ি ফিরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন। তারপর তাঁর পিছু নিলেন। রাসূল (সা.)-এর বাড়িতে গিয়ে বললেন:

"হে মুহাম্মদ! আপনার সম্প্রদায়ের লোকেরা আমাকে এই এই কথা বলেছে। আল্লাহর কসম! তারা আমাকে এতটাই ভয় দেখিয়েছিল যে আমি কানে তুলা পুরে ফেলেছিলাম যাতে আপনার কথা শুনতে না পাই। কিন্তু আল্লাহ চাইলেন যে আমি আপনার কিছু কথা শুনি। আমি তা অতি সুন্দর মনে করেছি। এখন আপনি আমাকে আপনার দাওয়াত সম্পর্কে বলুন।"

রাসূল (সা.) তাঁকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন এবং কুরআন পাঠ করে শোনালেন। তুফাইল বলেন:

"আল্লাহর কসম! আমি এর চেয়ে সুন্দর কথা ও এর চেয়ে ন্যায়সঙ্গত বিধান আর কখনও শুনিনি। আমি তখনই শাহাদাত পাঠ করে ইসলাম গ্রহণ করলাম।"

ইসলাম গ্রহণের পর তুফাইল বললেন:

"হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্মানিত ব্যক্তি। আমি তাদের কাছে ফিরে যাব এবং তাদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেব। আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন আল্লাহ আমাকে একটি নিদর্শন দেন।"

রাসূল (সা.) দোয়া করলেন। তুফাইলের মুখমণ্ডলে এক নূর প্রকাশ পেল। তিনি এই নূর নিয়ে নিজের এলাকায় ফিরে গেলেন এবং নিজের পিতা-মাতা, স্ত্রী ও সম্প্রদায়কে ইসলামের দিকে দাওয়াত দিতে লাগলেন।

তুফাইল বিন আমরের ঘটনা প্রমাণ করে যে কুরআনের সত্য বার্তা এবং এর সাহিত্যিক সৌন্দর্য একজন সত্যান্বেষী মানুষের জীবনে কী গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। একজন বিখ্যাত কবি, যিনি প্রথমে কুরআন শোনা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন, তিনিই পরে এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে শুধু নিজেই ইসলাম গ্রহণ করেননি, বরং একজন সফল দাঈ হিসেবে অনেক মানুষকে ইসলামের পথে আহ্বান করেছেন।

এটাই কুরআনের ঐশী প্রভাব। এর প্রভাব রয়েছে অনেকভাবে। একজন সালাফ আলেম বলেছেন, মানুষ মানুষ সম্পর্কে যত অধিক জানতে থাকে, সে তাঁকে তত অধিক ঘৃণা করতে থাকে ও দূরে সরে যায়। কিন্তু মানুষ আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে যত বেশি জানতে থাকতে, সে আল্লাহকে তত অধিক ভালোবাসতে থাকে।

তেমনি, আরবের সেরা জ্ঞানীরা এর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি নিজেদের ইচ্ছেয়ও। কেন? কী সেই প্রভাব? সেই প্রভাব আমরা জানতে পারব আল্লাহর কালামের মাধ্যমে। সেজন্য পড়তে পারেন উস্তাদের এই বইগুলো।

১। উপমার শৈল্পিকতায় মুগ্ধময় কুরআন
২। সূরা আর-রাহমানের গভীরে
৩। কুরআনের বিস্ময়কর ভাষাতাত্ত্বিক অলঙ্কার
৪। বিস্মকর ফাতিহা

বইগুলো পাবেন রকমারি, ওয়াফিলাইফ ও বাংলাবাজারসহ অন্যান্য বুকশপে।

[1] রকমারি (01519521971) (Whatsapp এ মেসেজ দিয়ে অর্ডার দিন)
[2] ওয়াফিলাইফ (01799-925050)

বায়তুল মোকাররমের ইসলামী বইমেলায় ২৯ নং স্টল (পেনফিল্ড পাবলিকেশন) এ আমাদের বইগুলো পাবেন।

যেকোনো প্রয়োজনে Bookish Publisher (+8801645261821) এ যোগাযোগ করতে পারেন।

NAKInBangla

13 Nov, 08:05


Telegram: Contact @DrAkramNadwiBangla
https://ift.tt/qaQKcXZ

NAKInBangla

08 Nov, 04:30


https://ift.tt/hy03ILW ~~ সবাই দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ ~~

আরবরা ❛রব্ব❜ শব্দের প্রধান ও প্রথম অর্থ করে মালিক। যেমন, রব্বুল বাইত মানে বাড়ির মালিক। রব্বুল আব্দ অর্থ দাস/কর্মচারীর মালিক। ইংরেজিতে Lord বলে। তবে আমি এটা অপছন্দ করি। তারা Praise the Lord বলে। Lord আসলে ❛রব্ব❜ এর বিস্তৃত ও সঠিক অর্থ দেয় না। আমি যখন রব্বের ৫টি অর্থ বললাম সেগুলোর সাথে আসলে Lord শব্দ যায় না। তবে আমাকে যদি একটা শব্দ উল্লেখ করতেই হয়, তবে সেটা হবে Master। কারণ একটা Slave (দাস) এর Master (মালিক) থাকে। আল্লাহও মালিক কিন্তু ভিন্ন ধরণের মালিক। তবে এটা আনলে আরেকটা মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হবো আমরা।

আল্লাহ Master হলে আমরা মানুষরা তাঁর দাস (Slave)। আচ্ছা, মানবজাতি তো কোনো একসময় এই দাসত্বের শৃঙ্খল এবং এর ফল ভোগ করেছে। অনেক জাতিও দাসত্ববরণ করেছে। বনী ইজরাইলরা দাস ছিল। আফ্রিকান আমেরিকানরা দাস ছিল। সাম্রাজ্যবাদিরা যাদের দেশ দখল করতো তাদেরকেই দাস বানাতো। এটা আবার বিভিন্ন রূপে ঘটতো; অর্থনৈতিক দাসত্ব, রাজনৈতিক দাসত্ব, সামাজিক দাসত্ব। এগুলো বর্তমানেও হাজির আছে আর জারিও রয়েছে। আপনি যখন কাউকে দাস হিসেবে ভাবেন, তখন দাসত্বের কেমন চিত্র আপনার চোখে ভেসে ওঠে? ভালো নাকি খারাপ?

~তারা খুব খারাপ অবস্থায় আছে।

আপনি যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন কেন তারা এই খারাপ অবস্থায় আছে, তারা উত্তরে তাদের Master এর নাম বলবে। তাই, তারা যদি এই Master থেকে মুক্ত হতে পারে, সেটাই হবে তাদের ভালো অবস্থা। তারা যদি দাস হয় তবে তাদের সবচেয়ে সেরা অবস্থা হবে এই Master থেকে মুক্তি পাওয়া বা এর থেকে পালিয়ে যাওয়া। এই Master থেকে তারা যতদূরে সরে যেতে পারবে, তাদের জন্য তত কল্যাণকর। একটা দাসের জন্য সবচেয়ে সেরা বিষয় Master থেকে মুক্ত হওয়া।

এখন, আমরা ঠিক এই আয়াতে আল্লাহকে বললাম Master (মালিক)। কিন্তু যখন দাসত্ব নিয়ে ভাবি, আমরা অবর্ণনীয় কষ্ট ও ভোগান্তির দৃশ্য মাথায় আনি। সেজন্য এই Master এর কথা চিন্তা করলে আপনি তাঁর দিকে নয় বরং তাঁর থেকে পালানোর ফন্দি-ফিকির করেন। আর এখানেই সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয়। Master এর কথা মনে পড়লেই মারপিট, কষ্টের কাজে জোড়াজুড়ি করা, অত্যাচার, অপমান—এগুলোই তারা ভাবতে থাকে। তারা ঘূর্ণাক্ষরেও কখনো প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতার কথা ভাবে না।

আল্লাহ বলেন “আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন” ﴾সমস্ত জাহানের রব্ব আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা। ﴿আপনি যখন এটুকু বলেন, তখন আসলে এমন আল্লাহর জন্য এই প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতার কথা বলেন, যার সমস্ত গুণের মাঝে প্রথম গুণ এই Master (মালিক)।

আরে এটা কি! আমি তো মুক্ত হতে চেয়েছিলাম। আমি তো Master এর প্রশংসা করতে চাই না। মানুষের ভিতরে একটা ভাব আছে সে কর্তৃত্ব থেকে সবসময় পালিয়ে থাকতে চায়। তাকে মুক্ত থাকতেই হবে। কেউ আপনাকে কিছু করতে আদেশ করলে আপনি সেটা প্রচন্ড ঘৃণা করেন।

মা খেতে আসতে আদেশ দিলেও বিরক্ত হোন। পুলিশ রাস্তায় ট্রাফিক সিগনালের আদেশ দিলেও রাগ ওঠে। সরকার ট্যাক্স দেওয়ার আদেশ করলে পারলে থু দেন। মানুষ কর্তৃত্ব পছন্দ করে না। এটা মানুষের প্রকৃতিতে নেই। মানুষ মুক্ত থাকতে পছন্দ করে। আপনি আপনার বসকে এজন্য ঘৃণা করেন না যে তিনি খারাপ মানুষ। তাকে অপছন্দ করার কারণ সে আপনাকে কাজের আদেশ দেন। কেউ আমাদের কিছু করতে আদেশ দিবে সেটা আমাদের পছন্দ না।

এজন্য মানুষ ছুটি ভালোবাসে। ছুটিতে কেউ তাকে কিছু করার আদেশ দিতে পারবে না। সে মুক্ত বাতাসে উড়ে বেড়াবে। শান্তি আর শান্তি! মানবজাতি আসলে মুক্তি পেতে চায়।
আমি ছোট সময়ে সৌদি আরবে ছিলাম। যেই স্কুলে পড়তাম সেখানে নির্দিষ্ট ড্রেসকোড ছিল। প্রশ্ন করার জন্য হাত তুলতে হতো। শিক্ষক অনুমতি দিলেই প্রশ্ন করা যেতো। প্রশ্ন শেষে আবার বসার জন্য সোজা হয়ে বসতে হতো। পুরো শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হতো।

এরপর আমেরিকায় পাবলিক স্কুলে চলে আসলাম। এখানে এসে দেখি কোনো ড্রেসকোড নেই, যে যেরকম পারে পোশাক পরে আসে। কেউ জিন্স, কেউ হাফপ্যান্ট। শিক্ষক কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করলে ছাত্র বলে অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করেন! এই ধরণের আচরণ তো সৌদি আরবে মৃত্যুদন্ডের সমতুল্য! আবার কেউ চুইনগাম চিবুচ্ছে, কেউ চিত হয়ে কেউ কাত হয়ে শুয়ে আছে। যেন স্বাধীনতার স্বর্গরাজ্য!

আমি এই স্বাধীনতা ও মুক্ত পরিবেশ দেখে তো পুরাই হতবাক। কিন্তু কয়েক মাস পর বুঝতে পারলাম এরা আসলে কেউই মুক্ত না, সবাই দাস। কয়েকজন ছেলে সবসময় হেভি মেটাল মিউজিকের ভিতরে ডুবে থাকে। তাদের ড্রেস, ট্যাটু এক ধরণের। কথাবার্তাও একই ধরণের। চলাফেরাও এক ধরণের। কেউ যদি তাদের দলে আসতে চায়, তাকেও একই ধরণের পোশাক পরতে হবে, একই স্টাইলের ট্যাটু করতে হবে, একইভাবে চলতে-ফিরতে হবে। তাদের নিজেদের ড্রেসকোড রয়েছে, সেটা পরতে হবে, যেন তাদের মতো দেখা যায়।

আমি সৌদিতে তাদের ড্রেসকোড ও স্কুল পলিসির দাস ছিলাম, এরা দেখি একটা নির্দিষ্ট সংস্কৃতির দাস। আলাদা সামাজিক দলের দাস। আর আপনি যদি কোনো দলে যোগদান না করেন, আপনাকে তারা যেন…

NAKInBangla

04 Nov, 12:50


https://ift.tt/fjBT1Ok || আল-কুরআনের তাফসির আধুনিক হওয়া জরূরী কেন? ||

ইসলাম সর্বাধুনিক – কথাটা মুখের। যারা এই কথা বলে তাদেরকেও যদি আধুনিক যমানার কোনো সমস্যাকে সিস্টেম্যাটিকভাবে সমাধা করতে দেন তবে আপনার মুখের ওপর সমাধা দিয়ে দিবে – ইসলাম সব সমস্যার সমাধান। তাইলে তারা বিশ্বকে লিড দিতে পারছে না কেন, এই প্রশ্ন যদি ফের করেন তবে আবার হাজারটা সমস্যার কথা বলবে! পশ্চিমাদের দোষাবে!! নিজেদের যেন কোনো দোষ নেই! জ্ঞানের চরম দৈন্যদশা নেই!
বাংলাভাষায় তাফসিরের ক্ষেত্রে আধুনিক কাজ নেই।

সাহাবা ও সালহে সালেহীনরা ইসলাম শিখতো ও তাদের বাচ্চাদের শেখাতো আল-কুরআন ও সীরাহ দিয়ে। এজন্য তাফসীর ও সীরাহর ক্ষেত্রে আধুনিক কাজ না হলে – এই দুটি জায়গা থেকে নবতর পরিবর্তনের সাথে সাথে যদি যুগোপযোগী আলোচনা ও সমাধা না আনতে পারেন তবে সেই জাতির যোগ্যতার অভাব পরিলক্ষিত হয়।

সীরাহর ক্ষেত্রে বাংলাভাষায় আধুনিক কাজ সম্প্রতি হচ্ছে, অনূদিত আকারে। সেটাও অনেক ভালো কাজ নিঃসন্দেহে। ফিকহুস সীরাহর ট্রেন্ড। কিন্তু আল-কুরআনের ক্ষেত্রে এই জিনিসটি এখন পর্যন্ত অনূদিত হয়নি – যুগোপযোগিতার ক্ষেত্রে। যদিও আধুনিক তাফসির অনূদিত হয়েছে (তাদাব্বুরে কুরআন, ফি যিলালিল কুরআন, তাফহিমুল কুরআন) কিন্তু যুগোপযোগিতার পর্যায়ে সেগুলোতেও কমতি রয়েছে।

প্রচূর পরিমাণ ছেলে-মেয়ে কুফুরি ও সেক্যুলারিজমের দিকে ঝুকছে। কেন? তাদের ফেরানো যাচ্ছে না কেন? কারণ আপনার আধুনিক ব্যাখ্যা উপস্থিত নাই। ডাক্তার এসরার আহমাদ সূরা নূরের তাফসির করে আমেরিকার বিশ্ববিদযালয়গুলোর প্রফেসরদেরকে বোঝাতেন রাসেল, নিতসের মতো দার্শনিকদের দর্শনের গলদ কোথায়!

সেরূপ পরিবর্তিত আধুনিক জীবনের সাথে চিন্তাভাবনা না আনলে, আপনি যুগোপযোগী চিন্তাভাবনা না আনলে বিশ্বকে লিড দেওয়া তো দূরে থাক, নিজের ঘরের ভাই-বোন ও সন্তানদেরও দর্শনসমস্যা, বিজ্ঞানসমস্যা, ভোগবাদি সেক্যুলারিজমের সমস্যাকেই মিটাতে পারবো না।

তুরস্কের সাবেক প্রেজিডেন্ট আহমাদ দাউতগুলের কথা জানেন। তার একটা পিএইচডি থিসিস তার দেশের পররাষ্ট্র পলিসির ভিত্তি! তুরস্কের এরদোয়ানের সাবেক উপদেষ্টা আর বর্তমান গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহীম কালিন – তার দেশের সন্তানদের দর্শন সমস্যায় ফেলবে তো দূরে থাক, বরং তিনি মুসলিম দার্শনিকদের দর্শনের উচ্চতা তুলে ধরে কীভাবে বিশ্বকে লিড দিতে হয় সেগুলো শেখান। এই যুগোপযোগিতা ও জীবনঘনিষ্ঠতা যদি ইসলামের মৌলিক জায়গায় – আল-কুরআন ও সীরাহতে না আনতে পারেন তবে এই সমস্যা জারিই থাকবে।

ইসলাম যদি আমার সমস্যার সমাধান না দেয়, আল-কুরআন যদি আমার কথা না বলে, আমার সমাজের যুগের দর্শন ও বিজ্ঞান সমস্যা থেকে সন্তান-ভাই-বোনদের না রক্ষা করতে পারে তবে, এই সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগের জিনিস এই বিশ্বায়নের আধুনিক যুগের মানুষজন গ্রহণ করবে কেন?

এসকল দিক বিবেচনা করেই আধুনিক জীবন ও জগতকে কেন্দ্র করে এই চারটি তাফসির রচিত হয়েছে। দর্শন, বিজ্ঞান, সেক্যুলার, ভোগবাদিতা সমস্যাসহ রয়েছে আধ্যাত্বিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানের অপূর্ব সমন্বয়। প্রজ্ঞার আলোকে তুলে হয়েছে আমাদের রুহানি পুষ্টি ও যুগীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পলিসি।

১। আমার জীবনে আল-ফাতিহা : ইমাম মুতওয়াল্লী আল-শারাওয়ী (রাহ)
২। বিস্ময়কর ফাতিহা : উস্তাদ নোমান আলী খান
৩। সূরা আর-রাহমানের গভীরে : উস্তাদ নোমান আলী খান
৪। তাফসির সূরা আসর : উস্তাদ নোমান আলী খান

বইগুলো পাবেন রকমারি, ওয়াফিলাইফ ও বাংলাবাজারসহ অন্যান্য বুকশপে।

[1] রকমারি (01519521971) (Whatsapp এ মেসেজ দিয়ে অর্ডার দিন)

[2] ওয়াফিলাইফ (01799-925050)

বায়তুল মোকাররমের ইসলামী বইমেলায় ২৯ নং স্টল (পেনফিল্ড পাবলিকেশন) এ আমাদের বইগুলো পাবেন।

যেকোনো প্রয়োজনে Bookish Publisher (+8801645261821) এ যোগাযোগ করতে পারেন।

NAKInBangla

01 Nov, 12:31


https://ift.tt/Sh3DJZ1 “কতটা আবেগ অনুভব করেছিলাম বইটি কেনার আগে। এখন যত পড়ি, ততই হৃদয় বিগলিত হতে থাকে। যাকে চিনিই না, তাকে ভালবাসবো কী করে? তাই তো ভালোবাসতে হলে আগে চিনতে হবে, জানতে হবে সম্পর্কের পরিধিটাও।

বইটি পড়ে আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক কিছু শিখেছি। নিজেকে আল্লাহর বান্দা বলার চেয়ে আল্লাহর দাস বলে পরিচয় দিতে যেন বেশি ভাল লাগে এখন”।

- অনূভুতি প্রকাশে : আব্দুল্লাহ হোসেন আকাশ। "আমি ও আমার রব"

২০১৬ সালে দ্বীনে প্রত্যাবর্তনের পর আমার জন্য সবচেয়ে জরুরী ছিল নামাজে নিয়মিত হওয়া আর মনোযোগী হওয়া। তাই তখন থেকেই খুশূ-খুযূ সম্পর্কিত বইগুলো প্রকাশ হওয়া মাত্রই কিনে ফেলতাম। আলহামদুলিল্লাহ্ নামাজে খুশূ-খুযূ সম্পর্কিত অনেকগুলো বই পড়া হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে এই বইটাকে আমি এক নম্বরে রাখবো। নামাজে মধুরতা ও প্রশান্তি অর্জনের উপায় সম্পর্কে যারা একটু বিস্তারিত জানতে চান এ বইটি তাদের জন্য। বইটি পড়ে আমি খুবই উপকৃত হয়েছি। এই বইটার মতো খুশূ-খুযূ নিয়ে এত বৃহৎ পরিসরের আলোচনা সংবলিত কোনো বই এখন পর্যন্ত আমি দেখিনি। বইটি মূলত মিশারী আল খারাজ-এর লেকচার সিরিজের সংকলন হলেও ইবনুল কায়্যিম ও ইবনু রজব হাম্বলীদের মতো মহান ইমামদেরও লেখাগুলোও বইতে সংযোজন করা হয়েছে। তাই কেউ যদি খুশূ-খুযূ নিয়ে অনেকগুলো বই না পড়ে কেবল একটি বই পড়তে চায়, তাহলে এই একটি বইই তার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।

- অনুভূতি প্রকাশে সিফাত হাসান ভাই, “কীভাবে নামাজের মধুরতা লাভ করা যায়?” বইটি নিয়ে।

সূরা আর-রাহমান : অলৌকিক শৈল্পিকতার তুলনাহীন এক আধার
.
আল্লাহর কালামের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে আছে এতো এতো বিস্ময় যে, সেগুলোকে পরিপূর্ণরূপে ধারণ করতে পারা মানব মস্তিষ্কের জন্য অসম্ভব! এতো বেশি অলৌকিকত্ব আর অনন্যতার আঁকর আল-কুরআন যে, প্রতিটি আয়াত বরং প্রতিটি শব্দ কুরআনের বিস্ময়কে কেবলই বাড়িয়ে বাড়িয়ে দেয়। আর সেই বিস্ময়কর কুরআনেরই বিস্ময়ের আরেক খনি সূরা আর-রাহমান।
.
রাব্বুল আলামীনের অপরূপ এই কালামের তুলনাহীন শৈল্পিকতায় ডুব দিয়ে অমূল্য সব রত্ন তুলে আনার এক প্রচেষ্টার নাম “সূরা আর-রাহমানের গভীরে”। নোমান আলী খান কুরআনের অসাধারণ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এই সূরাটির গভীরে ঢুকে প্রয়াস চালিয়েছেন এর অলৌকিক ভাষার বিস্ময়কে পাঠকের সামনে তুলে ধরার। তিনি দেখিয়েছেন কুরআন যেমন রাহমানের বাণী, ঠিক তেমনি এর সমস্ত শিক্ষাও সেই রহমতেরই প্রতিচ্ছবি। জান্নাত কিংবা জাহান্নাম, বিবরণ যেটারই হোক না কেন, সবগুলোই মহান রবের সেই অতুলনীয় ও অপরিমেয় রহমতেরই প্রতিফলন মাত্র।

এই তিনটি বই আপনাকে আল্লাহকে ভালোবাসার গুপ্ত রহস্যের দরজাগুলো একে একে খুলে দিবে; যেন সেটা হবে জান্নাতে যাওয়ার পথের পাথেয় ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা হোক আপনার প্রিয় উপহার।

বইগুলো সংগ্রহ করতে পারেন নীচের অনলাইন শপগুলো থেকে।

[1] রকমারি (01519521971) (Whatsapp এ মেসেজ দিয়ে অর্ডার দিন)

[2] ওয়াফিলাইফ (01799-925050)

বায়তুল মোকাররম বইমেলায় পাবেন ২৯নং স্টল পেনফিল্ড পাবলিকেশনে।

যেকোনো প্রয়োজনে Bookish Publisher (+8801645261821) এ যোগাযোগ করতে পারেন।

যারা বইগুলো পড়েছেন, আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে প্রিয় ভাই-বোনেরা?

NAKInBangla

01 Nov, 06:20


https://ift.tt/Sh3DJZ1 প্রতিটি মানুষের জান্নাতুল ফিরদাউসে যাওয়ার সুযোগ আছে। আপনার আমার আমাদের সবার। আর সেটা দূরের কোনো জিনিস না। দূরত্বটা মূলত মৃত্যু। যে কোনো সময় সেটা ঘটে যেতে পারে। প্রশ্ন হলো আপনি কি আসলেই সেখানে যেতে চান? সে জন্য যেরকম জীবন অতিবাহিত করার কথা আপনি আমি কি তা করছি?

রাসূলুল্লাহ (স) এর এক বিস্ময়কর হাদিস। রাসূল (স) বলেন- "আল্লাহ জান্নাতুল ফিরদাউসে সকল মানুষের জন্য ঘর তৈরি করে রেখেছেন।" সকল মানুষের জন্য, শুধুমাত্র বিশ্বাসীদের জন্য না। কিন্তু কিছু মানুষ ওখানে যেতে চায় না। বিশ্বাসীরা যখন যাবে তখন তারা অনেক খালি ঘর দেখতে পাবে। সুতরাং তারা সে ঘরগুলো উত্তরাধিকারসূত্রে পাবে।

আপনার প্রতি আল্লাহর প্রত্যাশা রয়েছে যে আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন। সুতরাং এটা নষ্ট করবেন না। দুর্বল ঈমান নিয়ে থাকবেন না। আল্লাহর প্রতি নিজের বিশ্বাস হারাবেন না। জীবনের কঠিন সময় গুলোকে এভাবে দেখুন—আল্লাহ দেখতে চান আপনি সেই ঘরগুলোর জন্য কতটুকু মূল্য দিতে চান।

এমন জান্নাত যেখানে আপনার বয়স হবে ৩৩, কোনোদিন বৃদ্ধ হবেন না এবং অসুস্থ হবেন না। দুঃখ বা দুঃশ্চিন্তা কোনোদিন আক্রমণ করবে না। নারীরা হবে হুরদের চেয়ে অসীম গুণে বেশি রূপবতী। আর পুরুষের শারীরিক শক্তিমত্তা হবে একশ মানুষের সমান। পাবেন সুবিশাল এক রাজত্ব, কুরআনের ভাষায় মূলকান কাবীরা। হাদিসে এসেছে, সর্বশেষ প্রবেশকারী পাবে দশটা পৃথিবীর সমান এক জান্নাত। তাহলে ভেবে দেখুন, ফিরদৌসের অধিবাসীরা কত বিশাল জান্নাত পাবে! যেদিকে তাকাবেন দু'চোখ জুড়ে শুধু দেখবেন নেয়ামত আর নেয়ামত। মন যা চায় তাই পাবেন, কুরআনের ভাষায় 'মা তাসতাহি আন্ফুসুকুম। যা কোনোদিন শেষ হবে না। প্রতিটি নেয়ামত দিন দিন শুধু বৃদ্ধি পেতে থাকবে। কখনো এক রকম নয়। আরো আছে মহাবিশ্বের মালিকের সাক্ষাৎ। যদি শুধু এ কাজগুলো করতে পারেন।

১। তারা নিজেদের নামাজে খুশু বজায় রাখে।
২। আর যারা অনর্থক কথাকর্ম থেকে বিমুখ।
৩। আর যারা যাকাতের ক্ষেত্রে সক্রিয়। এর আরেকটি অর্থ হলো— যারা নিজেদের পরিশুদ্ধ করার কাজে সক্রিয়। অন্য কথায়, তারা বুঝতে পারে আমার ব্যক্তিত্ব অশুদ্ধ, এর নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা রয়েছে। হয়তো আমার রাগের সমস্যা আছে, আমি হয়তো মানুষকে মাফ করতে পারি না। কেউ কষ্ট দিলে তা হয়তো ভুলতে পারি না। আমি হয়তো বুঝতেও পারি না যে, কথা বলার সময় আমি মানুষকে কষ্ট দিয়ে ফেলি। আমি হয়তো বিনোদনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করে ফেলি।

এই আয়াতটি কিভাবে নিজ জীবনে বাস্তবায়ন করবেন? নিজের ব্যাপারে যে বিষয়গুলো অপছন্দ করেন তার একটি লিস্ট তৈরি করুন। আর আপনি নিশ্চিত যে, এগুলো আল্লাহও পছন্দ করেন না। এরপর এগুলো দূর করার চেষ্টায় আত্মনিয়োগ করুন।

৪। আর যারা তাদের নিজেদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী। যারা অশ্লীলতা থেকে নিজেদের রক্ষা করে চলে।
৫। আর যারা নিজেদের আমানাত ও ওয়াদা পূর্ণ করে।
৬। আর যারা নিজেদের নামাযের ব্যাপারে যত্নবান। (দৈনিক নামাজগুলো ঠিকভাবে আদায় করে।)

তারাই হল উত্তরাধিকারী। তারা ফিরদাউসের উত্তরাধিকার লাভ করবে, যাতে তারা চিরস্থায়ী হবে। (সূরা মু'মিনুনের আলোকে)

NAKInBangla

31 Oct, 05:10


https://ift.tt/oYi4dwU এই বক্তব্যটি আপানাদের দানের টাকায় ডাবিং করা হয়েছে। আমরা আপনাদের বেশি বেশি ডাবিং উপহার দিতে চাই। আমরা প্রফেশনাল এডিটর ব্যবহার করি যেন ডাবিংটা মানসম্মত হয়। আর এ কাজে আমাদের প্রচুর টাকা খরচ হয়। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে বেশ কয়েকটি খুৎবার অনুবাদ আছে। আরও আছে Prophet’s ﷺ Road to Hajj | Dhul Hijjah 2024 সিরিজের চার পর্বের অনুবাদ। এ ছাড়া শায়েখ ইয়াসির কাদির 'জান্নাতের বর্ণনা' সিরিজের অনুবাদ চলছে। কিন্তু টাকার অভাবে ডাবিং করাতে পারছি না। আপনারা যদি আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন তাহলে বেশি বেশি ডাবিং উপহার দিতে পারবো। যদি সম্ভব হয় প্রতি মাসে আমাদের দান করুন।

বিকাশ : 01571773284
নগদঃ 01571773284
রকেট : 015717732847
নামঃ Anamul Haque

PayPal: [email protected]

[আমরা যারা এডমিন হিসেবে কাজ করি কেউ এখান থেকে কোন পারিশ্রমিক গ্রহণ করি না।]
----------------------------------------------------
**নতুন ডাবিং**
মুসলমানদের মাঝে একতা নেই কেন? নোমান আলী খান

NAKInBangla

30 Oct, 17:33


নতুন ভিডিওঃ মুসলমানদের মাঝে একতা নেই কেন? নোমান আলী খান
YouTube https://www.youtube.com/watch?v=UUXju3OCHkc

NAKInBangla

27 Oct, 11:31


https://ift.tt/IKW0GT9 বায়তুল মোকাররম পূর্বগেটে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বইমেলায় উস্তাদ নোমান আলী খানের বইগুলো পাবেন ২৯নং স্টল পেনফিল্ড পাবলিকেশনে।

হেদায়াত ক্রমাগত আল্লাহর কাছে চাইতে হয়। এজন্য হেদায়াতী মানুষ ও হেদায়াতের কালামের কথার বই উত্তম দুটি সংগী। এই দুই সংগী আপনাকে আল্লাহর পথে ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এজন্য উত্তম বই কিনুন এবং আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিবে এমন উত্তম সংগীদের সাথী হোন।

বইমেলায় আসুন, আল্লাহর কথা, রাসূলের কথার বইগুলো কিনুন। বিভিন্ন প্রকাশনায় অনেক ভালো ভালো বই প্রকাশিত হচ্ছে। আল্লাহর কালামের জন্য যে অল্প টাকা খরচ করবেন, সেটা যে হেদায়াতের ফায়দা দিবে সেই তুলনায় অর্থটা খুব তুচ্ছ। কারণ, হেদায়াত ছাড়া এই পৃথিবী ও এর যাবতীয় কিছু মূল্যহীন। তাই, হেদায়াতের পথে থাকার জন্য খরচ করতে কখনো পিছপা হবেন না; হোক সেটা জ্ঞানার্জনে, সাদাকায়, ইবাদতে।

NAKInBangla

25 Oct, 13:01


https://ift.tt/Zjm5Rs7 ~~ কল্যাণ লাভের মূলনীতি ~~

আল্লাহ তা’আলা বলেন:
لَن تَنَالُوا الْبِرَّ حَتّٰى تُنفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ ۚ وَمَا تُنفِقُوا مِن شَىْءٍ فَإِنَّ اللَّهَ بِهِۦ عَلِيمٌ

﴾তোমরা কস্মিণকালেও কল্যাণ লাভ করতে পারবে না যদি না তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে ব্যয় কর। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় কর আল্লাহ তা ভালোভাবেই জানেন।﴿ [আলে-ইমরান : ৯২]
এখানে ভালোবাসার জিনিস উৎসর্গের ব্যাপারে বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন: ততক্ষণ তোমরা কল্যাণ লাভ করতে পারবে না যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে ব্যয় কর। দানের ক্ষেত্রে এটি খুবই বিখ্যাত একটি আয়াত। আমি এখান থেকে যে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করতে চাই সেটা نالَ (নালা); যার অর্থ যখন আপনি ভ্রমণ করছেন ও গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছেন না। ‘নাল’ বলতে বোঝায়—অবশেষে কোনো কিছু পাওয়া।

আরবরা এই ব্যাপারটার সাথে অতি পরিচিত। তাদেরকে মরুভূমিতে ভ্রমণ করতে হয়। এজন্য এই বৈরী অবস্থা থেকে তারা গন্তব্যে পৌঁছাতে অস্থির হয়ে থাকে। মরুভূমি থেকে গন্তব্যে না পৌঁছাতে পারাটা মৃত্যুর শামিল। সেখানে বেঁচে থাকার উপকরণ নেই। সমুদ্র ভ্রমণের ব্যাপারটাও ঠিক একই। ধরুন, আপনি সমুদ্র ভ্রমণ করতে করতে হারিয়ে গেলেন। অথবা যেখানে আপনার পৌঁছানোর কথা সেটা খুঁজে পেলেন না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যোগান আপনার থাকতে হবে, বিশেষ করে খাবার পানি যেখানে খুব সীমিত। ফলে আপনাকে বেঁচে থাকতে হলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মাঝেই তীরে পৌঁছাতে হবে। তাই আল্লাহ এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন যা ভ্রমণে বেঁচে থাকা এবং নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যবহার হয়।

কিন্তু এর সাথে আল্লাহ যে শব্দটি যোগ করেছেন তা সত্যিই চমৎকার। الخير (আল-খাইর) বা এই ধরনের শব্দ যা ‘ভালো’ ‘কল্যাণ’ বোঝাতে ব্যবহার হয়, তার পরিবর্তে পরিবর্তে আল্লাহ الْبِرّ (আল-বিররু) শব্দটি ব্যবহার করেছেন। আল-বিররু শব্দ البر (আল-বার) এর সবচেয়ে নিকটতম শব্দ। ‘আল-বার’ মূলত ‘জমিন’ বোঝায়।

সুতরাং যখন আপনি নাল (গন্তব্যে পৌঁছানো) শব্দটি শুনলেন তাৎক্ষণিক আপনার আল-বার (জমিন) এর কথা মনে পড়বে। শাব্দিকভাবে আয়াতে বলছে, আপনি ততক্ষণ তীরে পৌঁছাতে পারবেন না…। আর আল্লাহ এখানে বোঝাচ্ছেন আপনি ততক্ষণ কল্যাণ লাভ করতে পারবেন না…। আল্লাহ চাইছেন আমরা যেন এই চিত্রকল্পটি নিয়ে ভাবি।

নিজেকে সমুদ্রের অশান্ত ঢেউ আর ঝড়ের মাঝে কল্পনা করুন। আপনি জানেন না এই অবস্থা থেকে কখন গন্তব্যে (জমিনে) পৌছাবেন। অবশেষে সেই দ্বীপে পৌছালেন যেখানে আপনি নিরাপদ। সেই নিরাপদ দ্বীপকে বলা হয় আল-বির।

তীরে পৌঁছানো কল্যাণে পৌঁছানোর মতোই। আহ, অবশেষে আমি নিশ্চিন্ত, নিরাপদ! পাপ ও সমস্যার মধ্যে থাকা সমুদ্রের মাঝে থাকার মতোই। সমস্যাসংকুল জীবনযাপন করার মতোই। আপনি সেই নিরাপদ ভূমিতে পৌছাতে পারবেন না, حَتّٰى تُنفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ ﴾যদি না আপনি আপনাদের প্রিয় বস্তু থেকে ব্যয় করেন।﴿

এমন একটি নৌকার কথা চিন্তা করুন যাতে ছিদ্র আছে, বা এটা অনেক ভারী। অতিরিক্ত বোঝা নিয়ে চলছে। এই ধরনের নৌকাকে বাঁচাতে আপনার কী করা উচিত? আপনাকে এর থেকে অতিরিক্ত বোঝা ফেলে দিতে হবে। আল্লাহ বলেন: আপনি তীরে পৌছাতে পারবেন না যদি অতিরিক্ত বোঝা ফেলে না দেন। আর এই ক্ষেত্রে তীর বলতে কল্যাণকে বোঝানো হয়েছে। যতক্ষণ না প্রিয় বস্তু থেকে ব্যয় করেন অর্থাৎ আপনার নৌকাকে বাঁচাতে, নিজেকে বাঁচাতে হলে ঐ নৌকা থেকে আপনার পছন্দের জিনিস ফেলে দিতে হবে। আল্লাহ এখানে ঠিক সেটাই বলেন—আপনাকে পছন্দের জিনিস থেকে ব্যয় করতে হবে (ফেলে দিতে হবে, অন্যকে দিয়ে দিতে হবে)।

এর অর্থ শুধু মসজিদে সাদাকা দেওয়াই নয়, এর অর্থ এমন আত্মীয়দের মাঝে ব্যয় করা যাদেরকে আপনি অপছন্দ করেন। আপনাকে হয়তো জীবনের কিছু বিলাসিতা ত্যাগ করতে হবে। আপনার প্রতিবেশী ও চারপাশের যারা কষ্ট করছে তাদের জন্য ভাবতে হবে। আপনাকে হয়তো আপনার পছন্দের জিনিসগুলো বেশি বেশি দান করতে হবে; পুরাতন জামাকাপড় নয়। এমন জিনিস দেওয়া নয় যা কেউ আপনাকে দিলে আপনি সেটা বাঁকা চোখে দেখবেন। এটা আল্লাহর বোঝানো ব্যয় নয়। বরং এমন জিনিস দিতে হবে যা আপনি নিজের জন্য চান; ভালোবাসার জিনিস, কল্যাণকর জিনিস, প্রিয় জিনিস।

প্রতি বছর ঈদ আসে। আপনারা শপিং করতে যান। আপনি যে শার্ট, যে কাপড় বা যে গহনা কিনবেন, সাদাকা দেওয়ার জন্য ঠিক সেই ধরনের জিনিসই কিনুন। এই ধরনের সাদাকাই সত্যিকার আল-বির (কল্যাণ)। শুধুমাত্র তখনই আপনি মনে করতে পারবেন, কল্যাণকর কাজ করছেন। এখন আপনি বুঝবেন যে যাকাতের কাপড়ের নামে সস্তা কাপড় বিলানোটা এই আয়াতের কল্যাণ লাভের মাঝে পরবে না।

কি চমৎকার আয়াত! আমাদেরকে বোঝানোর জন্য কি চমৎকার চিত্রকল্প আল্লাহ ব্যবহার করেছেন! আমরা মনে করি আমাদের যা কিছু প্রয়োজন তার সবই জাহাজে আছে। কিন্তু আল্লাহ বলছেন এই ভ্রমণে বেঁচে থাকতে হলে আপনাকে আপনার পছন্দের কিছু জিনিস দিয়ে দিতে হবে, যদি আপনি কল্যাণের পথে যেতে চান।…

NAKInBangla

24 Oct, 16:01


https://ift.tt/Zjm5Rs7 NAKBangla কে দান করুন
------------------------------------------
আমরা আপনাদের বেশি বেশি ডাবিং উপহার দিতে চাই। আমরা প্রফেশনাল এডিটর ব্যবহার করি যেন ডাবিংটা মানসম্মত হয়। আর এ কাজে আমাদের প্রচুর টাকা খরচ হয়। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে বেশ কয়েকটি খুৎবার অনুবাদ আছে। আরও আছে Prophet’s ﷺ Road to Hajj | Dhul Hijjah 2024 সিরিজের চার পর্বের অনুবাদ। এ ছাড়া শায়েখ ইয়াসির কাদির 'জান্নাতের বর্ণনা' সিরিজের অনুবাদ চলছে। কিন্তু টাকার অভাবে ডাবিং করাতে পারছি না। আপনারা যদি আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন তাহলে বেশি বেশি ডাবিং উপহার দিতে পারবো। যদি সম্ভব হয় প্রতি মাসে আমাদের দান করুন।

বিকাশ : 01571773284
রকেট : 015717732847

[আমরা যারা এডমিন হিসেবে কাজ করি কেউ এখান থেকে কোন পারিশ্রমিক গ্রহণ করি না।]

NAKInBangla

24 Oct, 14:46


https://ift.tt/Zjm5Rs7 লিখছি “উপমার শৈল্পিকতায় মুগ্ধময় কুরআন” বইটি নিয়ে। সূচনা থেকে পরিশিষ্ট পর্যন্ত এই বইতে আল্লাহর কালামের গভীরতা খুবই নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে বাস্তবজীবনের উপমার মাধ্যমে, যা হাজারো অন্ধকারাচ্ছন্ন আবদ্ধ ঘরকে নিমিষেই আলোকিত করে তুলে। আল-কুরআনের প্রজ্ঞা, সাহিত্য, সৌন্দর্য এতো বিশাল হতে পারে কে ভাবতো আমাদের মতো সাধারণের মাঝ থেকে? আল-কুরআনের অনুবাদ পড়া হতো, সংক্ষিপ্ত তাফসীর পড়া হতো, তবে শুধু পড়াই হতো, অন্তরকে স্পর্শ করতো না। মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ হতো, কীভাবে আমি কুরআনকে উপলব্ধি করবো যা আমার অন্তরকে আলোকিত করবে, সালাতকে করবে বিনয়ী? কী এমন আছে যা আমার সাথে কুরআনের সম্পর্ককে মজবুত করবে? এসব ভাবতে ভাবতে কান্না করছিলাম। ঈমানের দুর্বলতা ও সব মিলিয়ে খুব খারাপ অবস্থা ছিল। হঠাৎ দ্বীনি বোনের এই বই একটি কমেন্ট দেখে অর্ডার করেছিলাম। বই হাতে আসার পর পড়তে পড়তে অচেনা এক জগতে চলে যাই যেখানে কুরআনের শৈল্পিক সৌন্দর্য এতোটা গভীর, একটি পাথরে পানি প্রবেশ করিয়ে দেয়। পড়তে পড়তে থামি এক প্রশান্তিময় টপিকে চলে আসি যেখানে একজন মুমিনের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। টপিক ছিল “রাসূলের উপমা সূর্যের মতো”।

পথ চলতে চলতে যখন ঈমানের দুর্বলতা আসে, চারদিকে অন্ধকারে চেয়ে যায়, তখন উদিত হওয়া সূর্যের দিকে তাকালে মনে হয় না সেটা শুধুমাত্র সূর্য, তখন মনে হয় সেটা এমন একটি সূর্য যার উপমা দেওয়া হয়েছে রাসূলের সাথে, তথা সিরাজাম মুনিরা। অর্থাৎ এমন একটি বাতি যা আলো ছড়ায় এবং সবকিছুকে আলোকিত করে। এমন একটি সুর্য যা অন্ধকারকে দূরীভূত করে হেদায়েতের আলো প্রদর্শন করে। তখন ওই চাঁদটার দিকে তাকালে মনে হয় না ওটা কেবল একটা চাঁদ, এর উপমা মুমিন বান্দাদের সাথে যেটা সূর্য থেকে ধার করা আলো নিয়ে চলে, যে চাঁদ সবসময় এক অবস্থায় থাকে না, সে একটা সময় ক্ষীণ হয়ে যায় ঠিক খেজুরের শুষ্ক পুরাতন বাকা শাখার মতো। মুমিনদের অবস্থা ঠিক চাঁদের মতো, সে সবসময় দৃঢ় ঈমান নিয়ে চলতে পারে না, একটা সময় সেই ঈমানে দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়, আবার সেই সূর্য যার উপমা রাসূলে সাথে তার থেকে আলো নিয়ে আবার সে আলোকিত করে রাতকে, অন্ধকারকে করে দূরীভূত। তথা রাসূল আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তাঁর শিক্ষা বর্তমান আছে এবং থাকবে এবং তা থেকে মুমিনরা আলো নিবে প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রজ্জ্বলিত করবে, সূর্যের দায়িত্ব ও নেতৃত্ব দেওয়া চাঁদ অনুসারী অনুগামী মাত্র। জ্যোতির প্রভাবে অন্ধকার দূরীভূত হবেই। যেটা আমাকে ঈমানের দুর্বলতা কাটিয়ে আবার উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করে।

এখন আমি বুঝতে পারি, সূরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াত দ্বারা আল্লাহর কাছে আসলে আমি কেমন প্রশান্তি চাচ্ছি। এখন আমি বুঝতে পারি রঙিন জীবনের ধূসরতা মানে কী। বুঝতে পারি বৃষ্টি ও কুরআনের সাথে জীবন ও ঈমানের সম্পর্ক কেমন। কী অসাধারণ কুরআনের শৈল্পিকতা। শিক্ষা ও সৌন্দর্যের দিক থেকে এতো নিখুঁত। সুবহানাল্লাহ!

একটি মানুষকে কেমন হিকমাহ এবং প্রজ্ঞা দান করলে তিনি এতো সুন্দর করে বাস্তব জীবনের উপমা দিয়ে কুরআনের শিক্ষাকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে পারেন! সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ। উস্তাযকে আল্লাহ হায়াতে তয়্যিবা দান করুক এবং নাকবাংলার সমস্ত প্রচেষ্টাকে কবুল করুক।

লিখার মাধ্যমে কিছু অনুভূতি কখনো প্রকাশ করা যায় না, যা একমাত্র আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা জানেন। আমার মতো অচেনা পথের পথিকগুলো যেন এই বইয়ের স্পর্শে এসে অন্তরকে বিগলিত করতে পারে আল্লাহ যেন সেই তাওফীক দান করেন। আমিন ইয়া রব্বুল আলামীন।

~~ জান্নাতুল মাওয়া ইতিহা
সোর্স : ওয়াফিলাইফ

কুরআনের এরকম গভীরে প্রবেশ করতে চাইলে পড়তে পারেন উস্তাদ নোমান আলী খানের "উপমার শৈল্পিকতায় মুগ্ধময় কুরআন", "সূরা আর-রাহমানের গভীরে" এবং "বিস্ময়কর ফাতিহা" এবং ইমাম আল-শারাওয়ী রাহিমাহুল্লাহ এর "আমার জীবনে আল-ফাতিহা"।

বায়তুল মোকাররমের ইসলামী বইমেলায় ২৯ নং স্টল (পেনফিল্ড পাবলিকেশন) এ আমাদের বইগুলো পাবেন।

রকমারি, ওয়াফিলাইফ ও বাংলাবাজারসহ অন্যান্য বুকশপ থেকে বই সংগ্রহ করতে পারেন।

[1] রকমারি (01519521971) (Whatsapp এ মেসেজ দিয়ে অর্ডার দিন)

[2] ওয়াফিলাইফ (01799-925050)

যেকোনো প্রয়োজনে Bookish Publisher (+8801645261821) এ যোগাযোগ করতে পারেন।

NAKInBangla

20 Oct, 15:20


https://ift.tt/67eSNqC কিভাবে আপনি আল্লাহর ক্ষমা এবং রহমতের প্রতি আশা হারাতে পারেন? এ জন্য আল্লাহ কুরআনে বলেছেন- قُلۡ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰهِ- ও আমার বান্দারা! আল্লাহ সরাসরি আমাদের সম্বোধন করে বলেছেন, আমাকে এবং আপনাকে সরাসরি। তিনি ফার্স্ট পারসনে কথা বলছেন। তিনি কুরআনে সরাসরি আমাদের লক্ষ্য করে বলছেন।

তিনি আমাদের বলছেন, ইয়া ইবাদিই! ও আমার বান্দারা। আমরা আল্লাহর দাস। এখানে তিনি সৎ কর্মশীলদের উদ্দেশ করে বলছেন না, নবীদেরও নয়, সবচেয়ে সেরাদের উদ্দেশ্যেও নয়, তিনি পাপীদের উদ্দেশ্যে বলছেন। "ইয়া ইবাদিয়াল্লাজিনা আস্রাফুও আলা আনফুসিহিম।" ও আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের বিরুদ্ধে এতো বেশি পাপ করেছ। তিনি সবচেয়ে খারাপদের উদ্দেশ্য করে বলছেন, আমি এবং আপনি, পাপীদেরকে। তিনি বলছেন- لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰهِ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আশা ছেড়ে দিও না।

যখন আল্লাহ আপনাকে উদ্দেশ্য করে কথা বলছেন, তিনি আপনাকে ডাকছেন আপনার সবচেয়ে সঠিক বর্ণনা ধরে, এটাই আমার সবচেয়ে সঠিক বর্ণনা, যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, আপনি এবং আমি এরকমই।

আল্লাহ সরাসরি আমার উদ্দেশ্যে বলছেন। আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলছেন, হে পাপী মানুষ! আশা ছেড়ে দিও না। আমি সকল পাপ ক্ষমা করে দিবো। এর চেয়ে বেশি কী চান? এর চেয়ে অতিরিক্ত আর কী চান? যখন আল্লাহ আপনাকে সুনির্দিষ্ট করে সম্বোধন করেছেন, আল্লাহ সরাসরি আপনার সাথে কথা বলছেন আর তিনি বলছেন, আশা ছেড়ে দিও না। আমি এখানেই আছি। আমি ক্ষমা করে দিবো। ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ - আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ হলেন গাফুর, আল্লাহ হলেন রহিম।

আমরা কি ভুলে গেছি যে, আমাদের রাসূল (স) কী বলেছেন? আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ওয়াদা করেছেন- হে আমার বান্দারা! তোমরা দিন রাত পাপ করে যাও। আর আমিও দিন রাত তোমাদের পাপগুলো ক্ষমা করে যাই। হে আমার বান্দারা! তোমরা যদি পৃথিবী সমান পাপ নিয়ে আমার সামনে হাজির হও, আমিও তোমাদের কাছে পৃথিবী সমান ক্ষমা নিয়ে হাজির হব।

হে আমার বান্দা! যদি তুমি আমার কাছে আকাশ পরিমাণ পাপ নিয়ে উপস্থিত হও, এরপর তুমি কোনো অংশীদার সাব্যস্ত না করে আমার ইবাদাত করো, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আমি তোমার সকল পাপ ক্ষমা করে দিবো। এরপর হাদিসে এসেছে, আল্লাহ বলেন- ওয়া লা উবালিই। আর আমি কোনো পরোয়া করি না, তুমি কত পাপ করেছ।

কারণ, আপনি তো কোনো মানুষের সাথে ডিল করছেন না। মানুষ গণনা করবে আপনি কত পাপ করেছেন। আপনি এমন কারো সাথে ডিল করছেন না যে ক্ষুদ্রমনা এবং গুরুত্বহীন; আপনি আর-হামুর রহিমিনের সাথে ডিল করছেন, আপনি ডিল করছেন খাইরুল গাফিরিনের সাথে, আপনি ডিল করছেন গাফফার এবং গাফুরের সাথে। আপনি কত বেশি পাপ করেছেন আল্লাহ তার পরোয়া করেন না।

তিনি শুধু চান আপনি তাঁর দিকে ফিরে আসবেন এবং তাঁর কাছে মাফ চাইবেন। এবং হাত তুলে তাঁকে বলুন- রাব্বি আজনাবতু জানবান, ফাগফিরলিই। ও আল্লাহ আমি একটি গুনাহ করেছি, আমাকে মাফ করে দিন।

ইস্তেগফার এবং তাওবা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আপনার কাছে চান।
আর এসব কিছু পাপের বৈধতা দেয়ার জন্য নয়। আমাকে ভুল বুঝবেন না। আউজুবিল্লাহ।

আল্লাহ পাপ পছন্দ করেন না, কিন্তু পাপ করার পর ধার্মিকদের অন্তর থেকে যে অনুশোচনা আসে আল্লাহ তা পছন্দ করেন। তাই, পাপ করার ইচ্ছে করবেন না। কিন্তু, যখন পাপ হয়ে যায়, একবার যখন তা আপনার অতীত হয়ে যায়— এই পাপের অনুশোচনাকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দিকে প্রত্যাবর্তন করুন।

প্রিয় মুসলিম, আল্লাহ যদি আমাদের নিষ্পাপ করে সৃষ্টি করতে চাইতেন তবে আমরা মানুষ হতাম না, আমরা ফেরেশতা হতাম। কিন্তু, আমরা মানুষ। মোটের উপর, প্রকৃতিগত ভাবেই আমরা পাপ প্রবণ। তাই বলে পাপকে আলিঙ্গন করবেন না। সবসময় এর বিরুদ্ধে লড়াই করুন। সবসময় সেগুলো নিয়ে অনুতাপ অনুভব করুন।

কিন্তু, কখনোই আল্লাহর দয়ার প্রতি আশা ছেড়ে দিবেন না। সর্বদা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দিকে ফিরে আসুন। জীবনে যাই করেন না কেন, যত বেশি বার করেন না কেন, এমন কি যদি আপনার অভ্যাসগত কোনো পাপও থেকে থাকে— নিজেকে মূল্যহীন এবং অপদার্থ মনে করার সুযোগ শয়তানকে কখনোই দিবেন না। এমনকি আপনার যদি অভ্যাসগত কোনো কবিরা গুনাহও থেকে থাকে, শয়তানকে কখনোই আপনার এবং আপনার প্রভুর মাঝে আসতে দিবেন না।

কারণ, কোনো কিছুই আপনার এবং আপনার রবের মাঝে আসতে পারে না; যদি শুধু তাঁর দিকে ফিরে আসেন। সবসময় ইস্তেগফার(আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা) করুন। নিজের পাপগুলোকে অন্য সৎ কাজে অনুপ্রাণিত হতে ব্যবহার করুন।

হ্যাঁ, আদর্শ অবস্থা হলো সকল কবিরা গুনাহ বর্জন করা। হ্যাঁ, আদর্শ অবস্থা হলো কোনো অভ্যাসগত পাপ না থাকা। আর সেটা হলো সৎকর্মশীলদের অবস্থা। সৎকর্মশীল, আওলিয়া, আম্বিয়া তারা কবিরা গুনাহ করেন না। এবং…

NAKInBangla

20 Oct, 11:15


https://ift.tt/67eSNqC ~~ প্রভু-দাসের সম্পর্ক ~~ (৩য় পর্ব, শেষ)

সবচেয়ে অসাধারণ যে ব্যাপারটা আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর আশপাশের অবিশ্বাসী মানুষ ও কুরাইশদের থেকে শিখেছি তা হলো—যদি আপনি কুরাইশদেরকে (কাফির) জিজ্ঞাসা করতেন এই আকাশ ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছে? তারা বলবে ‘আল্লাহ’। কুরআনেই আছে এটা:

مَّنْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضَ لَيَقُولُنَّ اللَّ

﴾তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, “আসমান ও জমিন কে সৃষ্টি করেছে?” তারা অবশ্যই বলবে, “আল্লাহ”।﴿ [আয যুমার : ৩৮]

অদ্ভুত! কীই?! তাদের আল্লাহকে সবকিছুর স্রষ্টা হিসাবে মেনে নিতে কোনো সমস্যা নেই! কিন্তু যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হতো,

مَن رَّبُّ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ’

﴾আকাশ এবং পৃথিবীর রব কে? ﴿[সূরা রা’দ : ১৬] মালিক কে? তখন তারা চুপ হয়ে যেতো।
কারণ কী? কারণ এটা মানলে আল্লাহর কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আপনার নিজের খামখেয়ালির উপর চলতে পারবেন না।

এটা মানলে আমাকে দাস হতে হবে। কারণ উনি যদি রব হয়ে যান, তাহলে তো তাদেরকে উনার অনুগত দাস হয়ে যেতে হয়। ধরুন, যদি আমি একটি গাড়ি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করি, এটা কে বানিয়েছে? ‘লেক্সাস’, ‘জাগুয়ার’ অথবা কেউ একজন। হ্যাঁ, আমি এটা মেনে নিচ্ছি এটা তারা বানিয়েছে। ‘এই গাড়ীর বস কে? এর উপর সবচেয়ে বেশি কতৃত্ব কার?’ এখানে সে একটু পিছিয়ে যাবে, বলবে, থামো, এটা আমার গাড়ি।

যখন কেউ ইসলামে প্রবেশ করে তাকে এই সীমাটাই অতিক্রম করতে হয়, ‘আল্লাহ রব’ শুধু এটা মেনে নিলেই হয় না, সে নিজেও আল্লাহর অনুগত ‘দাস’ এটাও মেনে নিতে হয়।

বই : আমি ও আমার রব

- উস্তাদ নোমান আলী খান

NAKInBangla

18 Oct, 05:50


https://ift.tt/SOiFNqj আজকের আয়াতঃ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ رِجَالٌ صَدَقُوۡا مَا عَاهَدُوا اللّٰهَ عَلَیۡهِ ۚ فَمِنۡهُمۡ مَّنۡ قَضٰی نَحۡبَهٗ وَ مِنۡهُمۡ مَّنۡ یَّنۡتَظِرُ ۫ۖ وَ مَا بَدَّلُوۡا تَبۡدِیۡلًا -- মু’মিনদের মধ্যে কতক লোক আল্লাহর সঙ্গে তাদের কৃত অঙ্গীকার সত্যে পরিণত করেছে। তাদের কতক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শাহাদাত বরণ করেছে আর তাদের কতক অপেক্ষায় আছে। তারা তাদের সংকল্পে কখনো তিল পরিমাণ পরিবর্তন করেনি। (৩৩:২৩)

NAKInBangla

16 Oct, 10:55


https://ift.tt/GrWXoPL ~~ প্রভু-দাসের সম্পর্ক ~~ (২য় পর্ব)

সাধারণভাবে আপনি যখন মালিক সম্পর্কে চিন্তা করেন—তারা অত্যাচারী হয়ে থাকে। আপনার মনে শেকল, চাবুক, মারধর এই ধরনের ছবি ভেসে উঠে। এটা অনেক মানুষ মালিকের ক্ষেত্রে সত্য। আল্লাহ আসলে অন্য ধরনের মালিক বা রব। একমাত্র রব, সুরা ফাতিহাতে যার ব্যাপারে বলা হচ্ছে ‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আর রাহমানীর রাহীম’। সূরা ফাতিহা আমাদেরকে বলছে এই রব সেই ধরনের ‘রব’ যার ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনি জানছেন যে তিনি সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা পাওয়ার মালিক। অন্য কোনো দাসের মালিক কিন্তু এরকম প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা পাওয়ার যোগ্য নয়।

‘মালিক’ বললে কখনো এমন কারো কথা মনে আসে না যার প্রশংসা করা যাবে বা যার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন। বরং মনে আসে কখন আমি এর থেকে মুক্তি পাব। কিন্তু আল্লাহর জন্য আপনার প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা রয়েছে।

এখন আবার সেই বিষয়টাতে ফিরে যাই, কেন আল্লাহ আমাকে একটি নির্ভেজাল সুখী জীবন দিলেন না?

প্রশ্নটি শুনে মনে হচ্ছে না যে আল্লাহ আপনার কাছে ঋণী? যেনবা আপনার চাকরীদাতার কাছে আপনার বেতন পাওনা রয়েছে, আপনার বাবসায়িক সহযোগীর কাছে আপনি আপনার শেয়ার পান। আপনার বাবা-মার কাছেও আপনার কিছু প্রাপ্য আছে, আপনাকে বড় করার দায়িত্ব তাদের। আপনার সন্তান, আপনার স্ত্রী বা আপনার স্বামীর কাছেও আপনার প্রাপ্য আছে।

আল্লাহর কাছে আপনার কোনো পাওনা নেই। উনার কাছে আপনার কিছুই প্রাপ্য না। আপনিই বরং আপনার প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য উনার কাছে ঋণী।

তাই, আপনি যখন এই প্রশ্ন করছেন ‘আমার জীবন একদম ঝামেলামুক্ত হওয়া উচিত’ আপনি ইতিমধ্যেই সেই ধারণাটা সরিয়ে ফেলছেন যে আল্লাহ আপনার রব, আপনার অবস্থান এমন যে কিনা আল্লাহর কাছে দাবী করতে পারবেন না। যখনি এই ধারণাটা আপনি দূরে ঠেলে দিচ্ছেন, তখন এটা খুব অস্বস্তিকর ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে—❛আমি চাই আল্লাহ আমার বন্ধু হবে, আমি চাই আল্লাহ আমার সাহায্য করবে যেভাবে আমি চাই।❜

এই সম্পর্কটা কীরকম হবে সেটা আপনি ঠিক করতে চাচ্ছেন। আমরা জানি যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক ধরণ আছে। যেমন, এক গ্রুপ বন্ধুর সাথে আপনি যেভাবে কথা বলছেন আরেক গ্রুপের সাথে আপনার কথা বলার ধরণ হয়তো সেরকম নয়। তাই প্রত্যেকটা সম্পর্কের ক্ষেত্রেই আপনি তার পরিধিটা ঠিক করে নেন। তাই কেউ কেউ ভাবে আল্লাহর সাথে তাদের সম্পর্ক কেমন হবে সেটা তারা ঠিক করবে। যেমন, আমি আল্লাহর জন্য এটা করবো, আল্লাহ আমার জন্য এটা করবেন। এরকম দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক। এটা খুব এক কেন্দ্রিক, একরৈখিক। কিন্তু বড় সমস্যা হচ্ছে আপনি ঠিক করছেন এই সম্পর্কের শর্ত কী হবে। এখন চিন্তা করুন, সর্বোচ্চ কর্তৃত্বধারী স্বত্তার সাথে আপনার সম্পর্কের পরিধি কার ঠিক করার কথা? অবশ্যই যিনি সবকিছু জানেন তার করার কথা। যিনি মালিক তাঁর ঠিক করার কথা।

এখন, আল্লাহর জানার বিষয় ও শর্তের বিষয়ে আসি।

হ্যাঁ, যিনি সবকিছু জানেন উনার শর্ত আপনার শর্তগুলোর উপরে থাকবে। উনি যেটা চান সেটাই মূখ্য, আপনি কী চান সেটা মূখ্য নয়। আমি যখন এরকম বলছি এটা শুনতে খুব কঠিন শুনাতে পারে। কিন্তু আপনি যখন উনার শর্ত মেনে নিবেন সেটাই চুক্তির চূড়ান্ত অংশ। আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই কুরআন পড়ে থাকেন তবে বুঝবেন কুরআন মাজিদই হচ্ছে উনার শর্ত—আমার আবদ (ভালো দাস) হতে গেলে তোমাকে এগুলো মেনে চলতে হবে।

‘আমি চাই, আমি চাই, আমি চাই। আমাকে কেন নির্ভেজাল জীবন দিচ্ছেন না?’—এইযে এই ধরনের প্রশ্ন, এতে আনুগত্যের অভাব আছে। এতে একধরনের ‘দাবীর’ সুর আছে। হ্যাঁ আপনি চাইতে পারেন, কিন্তু একজন বান্দার চাওয়া আর একজনের দাবিদারের চাওয়ার সুরের মাঝে তফাৎ আছে। আল্লাহ বলছে না আপনি চাইতে পারবেন না, পারবেন। কিন্তু উনি সিদ্ধান্ত নেবেন কখন দিবেন, কী দিবেন, কীভাবে দিবেন। এগুলো উনিই ভালো জানেন।

এ ধরণের প্রশ্নের জবাব এটা না যে আল্লাহ কী চান বা না চান, বরং জবাবটি হলো আল্লাহকে নিয়ে আমাদের ধারণা কী। আমাদের ধারণাতেই আসলে গলদ রয়েছে। একবার যদি আপনি এটা ধরতে পারেন তাহলেই সমস্যার সমাধান।

বই : আমি ও আমার রব

- উস্তাদ নোমান আলী খান

পাবেন রকমারি ও ওয়াফিলাইফসহ অনলাইন শপসমূহে।

NAKInBangla

15 Oct, 13:36


https://ift.tt/GrWXoPL ~~ প্রভু-দাসের সম্পর্ক ~~ (১ম পর্ব)

আমার কাছে বিভিন্নজন প্রশ্ন করেন। একটি লোক আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, ‘যদি আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম হন, তাহলে কেন উনি আমাকে একটি সুন্দর ও সুখী জীবন দেননি? কেন উনি আমাকে এত কঠিন একটা জীবন দিয়েছেন?’

প্রশ্নটা আমার মাথায় গেঁথে ছিল, কারণ প্রায় একই ব্যাপারে আরেকজন তরুণের সাথে আমার কথা হয়েছে। তার সাথে ধর্ম নিয়ে কথা বলছিলাম। সে মুসলিম নয়। সে আমাকে বলল,

❛আমি কলেজে যাবার আগ পর্যন্ত বেশ ধার্মিক পরিবারে বেড়ে উঠেছিলাম, তারপরই ধর্ম পালন করা ছেড়ে দিয়েছি।❜

আমি জানতে চাইলাম কেন ধর্ম পালন ছেড়ে দিলে।

সে বলল,

❛আমি সব ধর্ম নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছি, দেখেছি, কিন্তু কোনোটাই আমাকে টানেনি। এর কারণ, যখন কলেজে গেলাম আমার মনে হলো, যেই মুহূর্তে আমি পরীক্ষা নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম তখন অনেক প্রার্থনা করলাম। কিন্তু আমার পরীক্ষা ভালো হলো না। তাই আমার মনে হলো প্রার্থনায় সময় ব্যয় না করে আমার বরং পড়াশোনা করা উচিত। এভাবে আমি অনুধাবন করলাম আমার ধর্মের দরকার নেই, আমার আল্লাহর দরকার নেই, আমার দরকার শুধু সঠিক কাজটা করা, সেটাই যথেষ্ট। তাই এই ব্যাপারে আমি অনেক বেশি যুক্তিবাদী হয়ে গেলাম আর ভাবলাম আমার ধর্মের প্রয়োজন নেই।❜

অনেক লোকই এভাবে চিন্তা করে। যারা এই ধরনের পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে তারা যুক্তি দেখায় যখন ‘আমার জীবনে বড় সমস্যা ছিল, আমি বলতাম, ‘হে আমার রব, আপনি আমার সাথে এমন করছেন কেন? আমি তো আপনার কাছে অনেক প্রার্থনা করেছি। প্রত্যেকদিন প্রার্থনা করেছি, ওইটা চেয়েছি, দান করেছি’। তারা এই ধরনের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রথা-কাজের কথা বলবে।

একজন মুসলিমের জন্য এটা ৫ ওয়াক্ত নামাজ হতে পারে, হিন্দুর জন্য হতে পারে মন্দিরে যাওয়া অথবা এই ধরনের কিছু। অর্থাৎ ব্যাপারটি যা দাঁড়ায় তা হলো—

‘আমার যা করার তাতো আমি করেছি, হে প্রভু! আপনি কেন আপনার কাজ করছেন না? আপনার তো সবকিছু করার ক্ষমতা আছে, তাহলে আমার এত দুর্দশা কেন?’

অর্থাৎ আপনার কাছে এটা অনেকটা দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্কের মতো। আমি আপনাকে দিচ্ছি, আপনি কেন আমাকে দিচ্ছেন না? এটা তো ঠিক না’। তাহলে ব্যাপারটি অনেকটা ওরকমই যে উনি যদি সবকিছু করার ক্ষমতা রাখেন তাহলে আমার জীবনে কেন এত সমস্যা?

আমি অন্য ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে পারবো না তবে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এই চিন্তাধারার সমস্যাটা রয়েছে। ইসলামে আল্লাহর সাথে আমাদের একদম মূল সম্পর্কটা হচ্ছে—‘রব’ এবং ‘আবদ’। রব হচ্ছেন ‘প্রভু’, আর ‘আবদ’ হচ্ছেন ‘বান্দা’ (দাস)। যখন একজন প্রভুর কথা আসে তখন আপনার কিন্তু প্রভুর সাথে কোনো দর কষাকষির সুযোগ নেই।
আপনি আপনার চাকরিদাতার সাথে দরাদরি করতে পারেন। আপনার সহযোগীর সাথে দরাদরি করতে পারেন। ব্যবসায়িক সহযোগী ও পরিবারের সাথে দরাদরি করতে পারেন। ‘আমি ওই সময় বাসায় আসবো’ ‘না, ওই টাইমে আসো’, ‘ঠিক আছে, সমস্যা নাই’।

কিন্তু যখনই ‘প্রভু’ আর ‘দাসের ব্যাপার’ আসে তখন এই ধরণের শর্ত কে দিতে পারে? কেবল ‘রব’ই এই ধরণের শর্ত দিতে পারেন। আর বান্দা বা দাসের কাজ হচ্ছে শুধু সেগুলো অনুসরণ করা।

আচ্ছা, মালিকের ব্যপারে আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, তিনি যদি আপনাকে কিছু দেন সেটা আসলে বোনাস (অতিরিক্ত উপহার)। আর যদি কিছু নাও দেন তাহলে সেটা দিতে তিনি বাধ্য নন। কারণ আপনি কোনো বেতনভুক্ত কর্মচারী নন, আপনি দাস। আর দাসের কোনো বেতন থাকে না।

বই : আমি ও আমার রব

- উস্তাদ নোমান আলী খান

পাবেন রকমারি ও ওয়াফিলাইফসহ অনলাইন শপসমূহে।

NAKInBangla

12 Oct, 02:14


আল্লাহর সিদ্ধান্তের কাছে বিনয়ী হোন || নোমান আলী খান
https://l.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fyoutu.be%2FW_Pf10psvi8%3Fsi%3DYpSaEsGaoqT_g7LN&h=AT0bhiSh1yNqiCimr9wkh2QGZXnDa3o8kYotfXHg8Zq1ssACoxfWhQyW9qpxeX3aZ2q49nTcWFxEwUmJXdNYEdTuaLdQ2NdsqR5U6Zy44S1eU8ksmbbiDPpW0UL5AFQA&s=1
মূল বক্তব্যের লিঙ্কঃ https://www.youtube.com/watch?v=Q0QClt6yY7kSupport us in patreon https://ift.tt/KnO6fZQ: 01718619630 (personal) ফেস...
আল্লাহর সিদ্ধান্তের কাছে বিনয়ী হোন। উস্তাদের এই লেকচারটি বর্তমানে ১৫ লক্ষ ভিউ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। এই লেকচার ইসলামী শরীয়তের একটা প্রধান মূলনীতি "সামিই'না ওয়া আতা'অনা" (আমরা শুমলাম ও মেনে নিলাম) এর উপর। এটা ঈমান আনার পর প্রথম দাবি। কারণ আপনার অন্তরে আল্লাহ তা'আলার দ্বীনের ব্যাপারে এতটাই আত্মবিশ্বাস জন্মেছে যে আপনি আর আল্লাহর কোনো আইন, ইবাদত, বিশ্বাস নিয়ে সন্দেহে পতিত হন না।কিন্তু, বর্তমান জমানায় অনেকেই দ্বীনে বিশ্বাস আনা ও অনেকে কিছু কিছু দ্বীন মানার পরেও দ্বীন সম্পর্কে, এর কিছু শরীয়া আইন সম্পর্কে সন্দেহ ও দ্বিধায় পড়ে যায়। এর কারণ মূলত আল্লাহকে চিনতে না পারার অক্ষমতা। এই লেকচারটি আপনাকে সাহায্য করবে এই বিষয়ে। আর উস্তাদ নোমান আলী খানের "আমি ও আমার রব" বইটি এই বিষয়ে আলহামদুলিল্লাহ সেরা সংযোজন। দ্বীন ও আল্লাহ বিষয়ে যে সন্দেহ ও দ্বিধা উঁকি দেয়, অন্তর অশান্ত হয়ে ওঠে বারবার, সেই বিষয়ে একটা উপযুক্ত পথ্য। বইটা সংগ্রহে রাখার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ।

NAKInBangla

11 Oct, 15:55


https://ift.tt/79DwTo6 পর্ণ আসক্তি || নোমান আলী খান

NAKInBangla

11 Oct, 12:29


ইসলামের অত্যাবশ্যকীয় উপাদানসমূহ - নোমান আলী খান - বাংলা ডাবিং
https://l.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fyoutu.be%2FL29Igj8MfsU%3Fsi%3DMtIiaXatI4blLwSG&h=AT06FL80GtmKKGoSLxcCaVn9Xp0-vcq1navInhY9A2NUadmHcL-ejs9us_7ubu0jArET3ixF4JKiup4x8AzBj7iV0GaWavbkt_jsx3XRVPJwRRfplBAo2BeojyHpRS2X&s=1
নতুন ভিডিওর আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করুনঃ https://ift.tt/DF1m0dY
ইসলাম পালন ও জানার ব্যাপারে প্রথম ও মৌলিক জ্ঞান নিয়ে এই অসাধারণ লেকচারটি। দেখেছেন? কী শিখেছেন জীবনে প্রয়োগের ক্ষেত্রে?

NAKInBangla

10 Oct, 13:55


https://ift.tt/1cb2ySe "আমি ও আমার রব" এত চমৎকার বই, যেইদিন পড়ছি আলহামদুলিল্লাহ আর হতাশা কাজ করে না, ভেংগে যাওয়া'র উপক্রম, নুইয়ে পড়ার উপক্রম হলে আলহামদুলিল্লাহ হতাশ হই না।

"নামাজে মধুরতা" বই আলহামদুলিল্লাহ আরো চমৎকার। বইটা পড়ার পর নামাজে ১০০ ভাগের ১ ভাগেরও কম অনুভুতি পাইছি। এই যদি হয় এই ১ ভাগের কম অনুভুতি, এত মায়া এত দরদ সালাতের। সেইদিন বুঝছিলাম আসলে কেন সাহাবীদের পায়ে তীর লাগলে তারা টেরও পায় না।

যাইহোক আমি নাকবাংলা টিম এর প্রতি অত্যান্ত কৃতজ্ঞ। আমার নোমান আলী খান এর একটা কথা বার বার মনে পড়ে, উনি বলছিলো এই বুঝি প্রথম কোরআন শুনলাম উস্তাদ থেকে। উস্তাদের কুরআনের লেকচার শোনার পর মনে হইছিলো এই বুঝি আমি ফাস্ট কোরআন শুনছি। ঠিক সেইদিন উনার সব বই সংগ্রহ করি। কিছু বই এখনো বাকি আছে সংগ্রহ করার। আমার খুব সরাসরি নোমান আলী খান থেকে আরবি ভাষা, কোরআন এর গভীর জ্ঞান অর্জন করার। জানি না কখনো সুযোগ হবে কিনা।

নাক বাংলা টিম আল্লাহ আপনাদের দুনিয়া-আখিরাতে উত্তম সব কিছু দিক আমিন"

অনুভূতি প্রকাশে - বিনতে হায়াত (লেখা ইষত পরিমার্জিত)

"নামাজের মধুরতা"-সহ উস্তাদ নোমান আলী খানের বইগুলো সংগ্রহ করতে পারেন কমেন্টে দেওয়া লিংক থেকে।

NAKInBangla

08 Oct, 12:59


লোভ-লালসা: বহু অনিষ্টের মূল || নোমান আলী খান
https://l.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fwww.youtube.com%2Fwatch%3Fv%3DhOxyokyoQLM&h=AT1VPyiGsl9DyRIO47eoVYSdPQvstD8eUHvVRCe_5D4MXOI57IE3tmYU3UT7g1Dd26ZQSwvXiGlXj5m3ITS8lRgPAq1CLNpf-Q-gncNMaksj-8fACExm3wmWp-viUOcG&s=1

নতুন ডাবিং : লোভ-লালসা: বহু অনিষ্টের মূল || উস্তাদ নোমান আলী খান

NAKInBangla

07 Oct, 06:47


নতুন ভিডিওঃ লোভ-লালসা: বহু অনিষ্টের মূল || নোমান আলী খান
YouTube https://www.youtube.com/watch?v=hOxyokyoQLM

NAKInBangla

05 Oct, 05:32


নতুন ভিডিওঃ জান্নাতের বর্ণনা (১ম পর্ব) || ইয়াসির কাদি
YouTube https://www.youtube.com/watch?v=4oDsxislN9A

NAKInBangla

03 Oct, 03:30


https://ift.tt/rPiJzHT ~~ রকমারির সিরাতমেলা উপলক্ষ্যে বইতে ছাড় ~~

Bookish Publisher থেকে প্রকাশিত উস্তাদ নোমান আলী খানের নির্ধারিত মূল্যের বইগুলোতে রকমারির সিরাতমেলা উপলক্ষ্যে ছাড়ে বই কিনুন। নির্ধারিত মূল্য থেকে ৫%। এটা তাদের অ্যাপ থেকে ক্রয় করতে গিয়ে APPUSER কোড দিয়ে আরো অতিরিক্ত ৩% ছাড় পাবেন। ৭৯৯+ টাকার ইসলামি বই অর্ডারে থাকছে নিশ্চিত ফ্রি শিপিং অফার (SIRATMELA) কোডে! মোট দুটি ছাড় ও একটি ফ্রি ডেলিভারি অফার নিতে পারেন ১৫ তারিখ পর্যন্ত অর্ডারে।

""আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তা'আলা আমাকে বইটি পড়ার সুযোগ দিয়েছেন। নিখুঁত আলোচনা, দরদী ভাষা ও বইটির ধারাবাহিক বিন্যাস আমার হৃদয়কে উষ্ণতায় ভরিয়ে দিয়েছে। আমি মনে করি এই বইটি যেই পড়েছে তাঁর হৃদয়কে ভালো লাগার স্পর্শে ছুঁয়ে দিয়েছে। বইটি ঠিক পড়ার সময় আমি অনুভব করলাম আমার চোখের পানি অনবরত চুইয়ে পড়ছে।

বইটি আপনাকে অনেক কিছু শেখাবে। আপনাকে জানাবে আপনি আসলে কে, আপনার পরিচয় কী। যদি আপনি সত্যিকারভাবেই বইটি বুঝতে পারেন তবে হতাশা, দুঃশ্চিন্তা, ভয়গুলো ম্যাজিকের মতো উবে যাবে, আর ফিরে আসবে না। আপনি বুঝতে পারবেন এই দুনিয়ার কিছুই আমাদের নয়, আর হবেও না কখনো।

বইটি আপনাকে শেখাবে আবেগী হওয়া ঠিক আছে, পাপ ও ভয় নিয়ে জীবনে সংগ্রাম করবো; কিন্তু যখনই আমরা এই জীবনের আসল মানে বুঝতে শিখবো তখন জানবো যে আল্লাহ ছাড়া আমাদের কোনো গতি নেই, তাঁর কাছে ফিরে যাওয়াই আমাদের আসল গন্তব্য। কারণ আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়াটাই আমাদের জন্য চিরন্তন সত্য।

এই বইটি আপনাকে আরো শেখাবে যে, আল্লাহ আপনার ফলাফলের ব্যাপারে মনোযোগ দেন না, তিনি বরং আপনার কর্মপ্রচেষ্টা ও সংগ্রামটা দেখেন। সর্বোপরি আপনাদের জানাতে চাই যে, আপনি যদি সত্যিকাররূপেই আল্লাহর দিকে ফিরে আসার সংগ্রাম শুরু করতে থাকেন, বা আপনার তাওয়াক্কুল বৃদ্ধি করতে চান, অথবা আপনি যদি হতাশা-কষ্টে নিপতিত থাকেন, তবে এই বইটি আপনাকে দৃঢ়তা দিবে, শক্তিশালী হতে শেখাবে এবং তাওয়াক্কুল বৃদ্ধির জন্য বেশ সহায়ক হবে। সেই সাথে আপনি আল্লাহর দয়া ও করুণা সম্পর্কে এমন করে অনুভব করবেন যা ইতিপূর্বে কখনো চিন্তাও করেন নাই।" --- প্রমা, রকমারির রিভিউ থেকে অনূদিত

অ্যাপের লিংক কমেন্টে দেওয়া থাকবে।

NAKInBangla

02 Oct, 12:40


https://ift.tt/rPiJzHT Bookish Publisher থেকে প্রকাশিত নির্ধারিত মূল্যের বইগুলোতে রকমারির সিরাতমেলা উপলক্ষ্যে ছাড়ে বই কিনুন। নির্ধারিত মূল্য থেকে ৫%। এটা তাদের অ্যাপ থেকে ক্রয় করতে গিয়ে APPUSER কোড দিয়ে আরো অতিরিক্ত ৩% ছাড় পাবেন। ৭৯৯+ টাকার ইসলামি বই অর্ডারে থাকছে নিশ্চিত ফ্রি শিপিং অফার (SIRATMELA) কোডে! মোট দুটি ছাড় ও একটি ফ্রি ডেলিভারি অফার নিতে পারেন ১৫ তারিখ পর্যন্ত অর্ডারে।

""আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তা'আলা আমাকে বইটি পড়ার সুযোগ দিয়েছেন। নিখুঁত আলোচনা, দরদী ভাষা ও বইটির ধারাবাহিক বিন্যাস আমার হৃদয়কে উষ্ণতায় ভরিয়ে দিয়েছে। আমি মনে করি এই বইটি যেই পড়েছে তাঁর হৃদয়কে ভালো লাগার স্পর্শে ছুঁয়ে দিয়েছে। বইটি ঠিক পড়ার সময় আমি অনুভব করলাম আমার চোখের পানি অনবরত চুইয়ে পড়ছে।

বইটি আপনাকে অনেক কিছু শেখাবে। আপনাকে জানাবে আপনি আসলে কে, আপনার পরিচয় কী। যদি আপনি সত্যিকারভাবেই বইটি বুঝতে পারেন তবে হতাশা, দুঃশ্চিন্তা, ভয়গুলো ম্যাজিকের মতো উবে যাবে, আর ফিরে আসবে না। আপনি বুঝতে পারবেন এই দুনিয়ার কিছুই আমাদের নয়, আর হবেও না কখনো।

বইটি আপনাকে শেখাবে আবেগী হওয়া ঠিক আছে, পাপ ও ভয় নিয়ে জীবনে সংগ্রাম করবো; কিন্তু যখনই আমরা এই জীবনের আসল মানে বুঝতে শিখবো তখন জানবো যে আল্লাহ ছাড়া আমাদের কোনো গতি নেই, তাঁর কাছে ফিরে যাওয়াই আমাদের আসল গন্তব্য। কারণ আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়াটাই আমাদের জন্য চিরন্তন সত্য।

এই বইটি আপনাকে আরো শেখাবে যে, আল্লাহ আপনার ফলাফলের ব্যাপারে মনোযোগ দেন না, তিনি বরং আপনার কর্মপ্রচেষ্টা ও সংগ্রামটা দেখেন। সর্বোপরি আপনাদের জানাতে চাই যে, আপনি যদি সত্যিকাররূপেই আল্লাহর দিকে ফিরে আসার সংগ্রাম শুরু করতে থাকেন, বা আপনার তাওয়াক্কুল বৃদ্ধি করতে চান, অথবা আপনি যদি হতাশা-কষ্টে নিপতিত থাকেন, তবে এই বইটি আপনাকে দৃঢ়তা দিবে, শক্তিশালী হতে শেখাবে এবং তাওয়াক্কুল বৃদ্ধির জন্য বেশ সহায়ক হবে। সেই সাথে আপনি আল্লাহর দয়া ও করুণা সম্পর্কে এমন করে অনুভব করবেন যা ইতিপূর্বে কখনো চিন্তাও করেন নাই।" --- প্রমা, রকমারির রিভিউ থেকে অনূদিত

অ্যাপের লিংক কমেন্টে দেওয়া থাকবে।

NAKInBangla

30 Sep, 08:05


https://ift.tt/fRv0gxV আমরা যদি মুমিন হই আমাদের পরাজয় আসলে অসম্ভব। যদি আমরা দুনিয়াতে রাজনৈতিকভাবে বিজয়ী হই তাহলে তো বিজয়ী হলাম। আর যদি রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করতে না পারি আর এই চেষ্টায় জীবন হারাই, তবে তো আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হলাম, আরো বড় পুরস্কার জান্নাত পেলাম।তাহলে আমাদের পরাজয় কোথায়? আমাদের শত্রুরা কোনদিন আমাদের পরাজিত করতে পারবে না। কারণ একজন মুমিন সর্বাবস্থায় বিজয়ী।

NAKInBangla

27 Sep, 14:45


https://ift.tt/HaKLYb6 “কতটা আবেগ অনুভব করেছিলাম বইটি কেনার আগে। এখন যত পড়ি, ততই হৃদয় বিগলিত হতে থাকে। যাকে চিনিই না, তাকে ভালবাসবো কি করে? তাই তো ভালবাসতে হলে আগে চিনতে হবে, জানতে হবে সম্পর্কের পরিধিটাও।

বইটি পড়ে আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক কিছু শিখেছি। নিজেকে আল্লাহর বান্দা বলার চেয়ে আল্লাহর দাস বলে পরিচয় দিতে যেন বেশি ভাল লাগে এখন.” – আব্দুল্লাহ হোসেন আকাশ

“প্রতিটি লাইনের মাঝে মুগ্ধতা ছড়ানো,
মনে হয় যেন "আমার রবের সাথে এক নতুন পরিচয় হচ্ছে।” – মাহমুদা সুলতানা

অশান্ত, অস্থির ও জড় জীবনে প্রশান্তি ও প্রাণের সঞ্চার করতে পারে একমাত্র যিনি, তিনি আমার রব; আল্লাহ তা’আলা। যিনি প্রাণ সৃষ্টি করেছেন, যিনি সকল প্রশান্তির উৎস। অনন্ত প্রশান্তি ও ভালোবাসা চূড়ান্তভাবে তিনিই প্রতিটি প্রাণে ঢেলে দিতে পারেন। তাঁর দিকে ফিরে যাওয়া ছাড়া বেঁচে থাকার চূড়ান্ত প্রশান্তি, স্থিরতা ও ভালোবাসা পাওয়া অসম্ভব।

সেই অনন্ত পথের প্রশান্তি, অন্তরের পূর্ণতা ও চূড়ান্ত ভালোবাসার পথটা দেখাতে পারে এই দুটি বই ইনশাআল্লাহ।"

বই : আমি ও আমার রব

- উস্তাদ নোমান আলী খান

বই : কীভাবে নামাজের মধুরতা লাভ করা যায়?

- মিশারী আল-খারাজ

পাবেন রকমারি ও ওয়াফিলাইফসহ অনলাইন শপসমূহে। কমেন্টে বইগুলো পাবার উপায় দেওয়া থাকবে।

NAKInBangla

27 Sep, 04:35


https://ift.tt/yUfQz1T সীরাহ আমাদেরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা প্রদান করে। আর তা হলো—আমরা কখনো দুর্দশা বা যন্ত্রণাকে এই সুযোগ প্রদান করবো না যেখানে এটা আমাদের সকল কর্মপ্রচেষ্টাকে বন্ধ করে দিবে এবং হতাশার চক্রে আমরা ঘুরপাক খেতে থাকবো। না, না, না। আমরা কখনো হাল ছেড়ে দিবো না। আমরা কখনোই হাল ছেড়ে দিবো না। আমরা পথ চলা অব্যাহত রাখবো। আমরা আমাদের কর্মযজ্ঞ, সংগ্রাম এবং জীবনধারা অব্যাহত রাখবো। যা-ই ঘটুক, আমরা থেমে যেতে পারি না এবং এই বলে অচল হয়ে পড়ে থেকে বলতে পারি না যে, “আমি কিছু করতে পারবো না, আমি হাল ছেড়ে দিলাম”। না!!

গোটা সীরাহই একের পর এক দুর্যোগের মোকাবেলায় একের পর এক কৌশল গ্রহণের ঘটনায় সমৃদ্ধ। এই দুর্দশা এবং সমস্যাগুলো সমাধানে আপনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। আপনার যদি কাজ না থাকে, কাজের সন্ধানে নেমে পড়ুন, কাজ খুঁজতে থাকুন, নতুন দক্ষতা অর্জন করুন। ঘরে বসে থেকে একথা বলতে পারবেন না যে, “আমার তো কোনো কাজ নেই। আমি তো কিছুই করতে পারছি না”। সীরাহ আমাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছে যে, প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। প্লান-এ দিয়ে চেষ্টা করুন। এটা কাজ করছে না ? প্লান-বি দিয়ে চেষ্টা করুন। এটাও কাজ করছে না ? প্লান-সি দিয়ে চেষ্টা করুন।

আর জেনে রাখুন, এভাবে সবগুলো দরজায় করাঘাত করতে থাকলে আল্লাহ তখন নতুন একটি দরজা উন্মুক্ত করে দিবেন। আপনি হয়তো এখনো এতে কড়া নাড়েননি। আল্লাহই সেই দরজা উন্মুক্ত করে দিবেন, কারণ আপনি অন্য সকল দরজায় কড়া নেড়েছেন। ঘরে বসে থাকলে সেটা ঘটবে না।

এই বিষয়ে উদাহরণ দেয়ার মতো সময় নেই। কিন্তু এই মূলনীতিটি জেনে রাখুন। আর গোটা সীরাহই এ ধরনের উদাহরণে পরিপূর্ণ। কখনো হাল ছেড়ে দিবেন না। কখনোই কোনো দুর্দশাকে সুযোগ দিবেন না যাতে এটা আপনার কর্মপ্রচেষ্টাকে থামিয়ে দিতে পারে। সামনে এগিয়ে যাবার জন্য আপনার অবশ্যই নিজেকে বল প্রয়োগ করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই জীবনের পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হতে হবে। আর যদি কোনো বিষয়ের সমাধান করার সক্ষমতা থাকে, আপনাকে এটা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। আপনাকে এটা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং কখনোই হাল ছেড়ে দিবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার রবের সক্ষাত লাভ করেন। কারণ এই প্রচেষ্টার মাঝে, এই সংগ্রামের মাঝেই বিচার দিবসে আপনার মুক্তি নিহিত।

সীরাহ আমাদের শিক্ষা দেয়, আপনি কখনোই কখনোই হাল ছেড়ে দিবেন না। সর্বদা আপনার সাহস, দৃঢ় সংকল্প এবং প্রেরণা অব্যাহত থাকতে হবে। আপনি অবিরত সমস্যা সমাধান করতে থাকবেন— প্লান এ, প্লান বি, প্লান সি, প্লান ডি, যতক্ষণ পর্যন্ত না সমস্যা শেষ হয়ে যাবে, অথবা আপনি আপনার প্রভুর সাথে সাক্ষাত করবেন। وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتَّىٰ يَأْتِيَكَ الْيَقِينُ - ওয়াবুদ রব্বাকা হাত্তা ইয়াতিয়াকার ইয়াক্বিন। এক্ষেত্রে থেমে যাবার সুযোগ নেই। আর এটা ইমানদার এবং কাফেরের মধ্যে পার্থক্যগুলোর একটি। একজন ইমানদার কখনোই হাল ছেড়ে দেয় না। একজন ইমানদার প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে, এরপর আবার চেষ্টা করে, আবারো চেষ্টা করে। থেমে যাওয়া সে কখনো মেনে নিতে পারে না।

—ডক্টর ইয়াসির কাদি

NAKInBangla

26 Sep, 09:05


https://ift.tt/yUfQz1T মদিনার নতুন মুসলমানেরা যখন মক্কায় এসে রাসূলুল্লাহ (স) কে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, অর্থাৎ আকাবার শপথের পর, তাঁরা জিজ্ঞেস করেছিলেন তাদের পুরস্কার কী হবে? এ সাহায্যের বিনিময়ে তারা কী পাবে? উত্তরে রাসূল (স) বলেছিলেন, জান্নাত। জান্নাত তোমাদের পুরস্কার।

তিনি তাদের বলেননি, যদি তোমরা আমাকে সাহায্য করো তাহলে আমরা এক সাথে পারস্য এবং রোমান সাম্রাজ্য জয় করবো। ফলে তোমরা প্রত্যেকে বিশাল ধনী যাবে। না। তিনি এমনটি বলেননি। তিনি বলেছিলেন, তোমাদের পুরস্কার হলো জান্নাত।

এমনকি কুরআনেও আল্লাহর পথে সংগ্রাম করার পুরস্কার হিসেবে প্রথমে জান্নাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দুনিয়ার বিজয়ের কথা সেকেন্ডারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দুনিয়ার বিজয়কে "উখরা বা সেকেন্ডারী" বলা হয়েছে। এবং বলা হয়েছে তোমরা এটা ভালোবাসো। কিন্তু তোমাদের প্রকৃত পুরস্কার হলো জান্নাত। [সূরা সফ ৬১:১০-১৩ দেখুন]

লিবিয়ার 'মরুসিংহ' ওমর আল মুখতার বিশ বছর ধরে ইতালির উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যান। তবু শেষ পর্যন্ত উনি রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করতে পারেননি। কিন্তু তাই বলে কি উনি পরাজিত হয়েছেন? কক্ষনো না। কারণ, মুমিনদের কাছে দুনিয়ার রাজনৈতিক বিজয় হলো সেকেন্ডারি বিষয়। আমাদের নিকট প্রাইমারী বিজয় হলো জান্নাত। এ জন্য আমরা কখনো বশ্যতা স্বীকার করি না। আমৃত্যু লড়ে যাই।

NAKInBangla

25 Sep, 05:25


https://ift.tt/z2SpM6j সূরা বাকারার ৩য় আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন— الَّذِیۡنَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡغَیۡبِ - যারা অদৃশ্যের প্রতি ঈমান আনে...

অদৃশ্যে বিশ্বাসের অনেকগুলো দিক রয়েছে। আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় দিকটি হলো— মনের মাঝে আশা ধরে রাখা। গায়েবের প্রতি ঈমান কখনো আমাদের নিরাশ হতে দেয় না।

মুসলিম উম্মাহ যখন একের পর এক ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে থাকে, অবস্থা দিন দিন শুধু খারাপই হতে থাকে, এরপর আরো খারাপ...এভাবেই চলছে বছরের পর বছর ধরে। আমাদের একটি জিনিস উপলব্ধি করতে হবে— আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা কুরআনে আমাদের কিছু ওয়াদা দিয়েছেন। সেই ওয়াদাগুলো জানার পর চামড়ার চোখে আমি কী দেখছি তা নিয়ে আর পরোয়া করি না। কারণ, অন্তর্চক্ষু দিয়ে আমি যা অবলোকন করি তা আরো বেশি শক্তিশালী।

আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা বলেছেন- وَ لَا تَهِنُوۡا وَ لَا تَحۡزَنُوۡا وَ اَنۡتُمُ الۡاَعۡلَوۡنَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ - "আর তোমরা নিরাশ হয়ো না ও বিষন্ন হয়ো না এবং যদি তোমরা বিশ্বাসী হও তাহলে তোমরাই বিজয়ী হবে।" (৩:১৩৯)

তাই এটা কোনো ব্যাপার না যদি উম্মাহকে পরাজয়ের পর পরাজয় হজম করতে হয়, যদি আমরা একটার একটা খারাপ খবর পেতে থাকি সমগ্র দুনিয়াজুড়ে— এতে আমাদের হীনবল হওয়ার কিছু নেই। কারণ, শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ অমাবশ্যার সমাপ্তি আসবেই আর মুক্তির সূর্য উদিত হবেই। জেলের তালা ভাঙবেই।

আল্লাহর কাছ থেকে এ আশা দেওয়া হয়েছে যে, আল্লাহ ঈমানদারদের বিজয় দিবেন। যদি তারা ঈমানের উপর টিকে থাকে। একজন ঈমানদারের কাছ থেকে আপনি সবকিছু কেড়ে নিতে পারেন, কিন্তু কখনো তাদের আশা কেড়ে নিতে পারবেন না।

—নোমান আলী খান

NAKInBangla

24 Sep, 13:09


রহমানের বান্দাদের গুণাবলী || নোমান আলী খান
https://l.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fyoutu.be%2FpHANgrcyo-s%3Fsi%3DsM05uzszKvobzmWV&h=AT1xZy4CqMihdkCAKK_ZoI4cN-gx_1fHdEvfa97O945Mh2n-EOTQpZCSgYfjACi6qkVzmcorm4hv9QnLSgGoJnf7S65zeTg16pT7jLY0PB6t1qYmO-ROmRWlIv7Fk1xi&s=1
ইবাদুর রাহমান || রাহমানের বান্দারা বাংলা তাফসির ২৫ নাম্বার সূরা, সূরাতুল ফুরকানের যে আয়াতগুলোর তাফসির করা হয়েছে স....
রহমানের বান্দারা। কারা দয়াময়ের বান্দা? তাদের বিশেষ গুণগুলো কী?