With the Qur'an @withthequran Channel on Telegram

With the Qur'an

@withthequran


এই চ্যানেলটি বোন নায়লা নুযহাত এর।

টেলিগ্রাম লিংক: t.me/withthequran

Whatsapp চ্যানেলের লিংক:

https://whatsapp.com/channel/0029VanGhQtD38CXd6q4nJ0B

With the Qur'an (Bengali)

এই চ্যানেলটি 'With the Qur'an' নামের মহান একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল। এখানে বোন নায়লা নুযহাত এর পরিচালনায় রয়েছে পবিত্র কুরআন শরীফ এর উদ্ধরণ ও ব্যাখ্যা। এই চ্যানেলে আপনি আপনার মানসিক ও আধ্যাত্মিক জীবনের পরিবর্তনের মাধ্যমে কুরআন শরীফ এর অমূল্য প্রশ্নোত্তর, উপদেশ, উক্তি এবং শিক্ষা প্রাপ্ত করতে পারবেন।nnযদি আপনি কুরআন শরীফ এর সম্পর্কে আরও জানতে এবং এটির মধ্যে নিবন্ধন করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে নিম্নলিখিত লিঙ্ক গুলি দেখুন:nnটেলিগ্রাম লিঙ্ক: t.me/withthequrannnWhatsapp চ্যানেলের লিংক: https://whatsapp.com/channel/0029VanGhQtD38CXd6q4nJ0Bnn'With the Qur'an' চ্যানেলে যোগ দিন এবং আপনার আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানে এক ধারাবাহিক পথের ভাগীদার হন।

With the Qur'an

25 Nov, 01:25


“আমি পুরো কুরআন মুখস্থ করতে পারি না!”

এটি তাদের উত্তর যারা দুনিয়ার কাজ-কর্ম ও বিনোদনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

আপনি সহজে যেটুকু পারেন, তা মুখস্থ করুন—সুরা আল বাকারা, আলে ইমরান, অথবা আল কাহফ। অথবা আপনি পেছনে ফিরে “জুজ আম্মা”র ছোট সুরাগুলো পুনরায় মুখস্থ/ঝালাই করতে পারেন।

নিশ্চিত থাকুন, কাজটি সহজ, ইন শা আল্লাহ আপনি সাহায্যপ্রাপ্ত হবেন এবং আপনি কুরআনের পরিজনদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।

আর এর চেয়ে বড় নিয়ামত আর কী হতে পারে!

— ড. আবদুল মালিক আল-কাসিম

With the Qur'an

24 Nov, 01:05


“এই কুরআন তার অনুসারীদের এমনভাবে ব্যস্ত রেখেছে যে তারা এই দুনিয়া ভুলে গেছে, আর আল্লাহ তাদের দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়েছেন। কুরআনকে যদি আপনি সত্যিকারের ভালোবাসেন, তবে তা আপনাকে তার সঙ্গেই ব্যস্ত রাখবে।”

(আরবি পোস্ট থেকে সংগৃহীত)

With the Qur'an

21 Nov, 03:50


“আপনার উইর্দ (দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণ কুরআন পাঠ ) সম্পন্ন করুন, তারপর যা করার করুন।”

With the Qur'an

20 Nov, 01:55


“মুখস্থ করা আয়াত দৃঢ় করতে সংগ্রামরত ব্যক্তিকে বলুন:
সুসংবাদ গ্রহণ করুন! আল্লাহ অবশ্যই প্রাচুর্যপূর্ণ প্রতিদান দেন।”

(আরবি পোস্ট থেকে সংগৃহীত)

With the Qur'an

19 Nov, 01:55


কেউ একটু আগে মাত্র ১৫ মিনিটে কুরআনের ১০ পৃষ্ঠা (একটি পূর্ণ হিজব) পড়েছেন।

আমরা কত সময় নষ্ট করছি!
অনেকের পুরো দিন কেটে যায়, কিন্তু কিছুই পড়া হয় না।

এমন ব্যক্তি এবং তার মতো আরও যারা, যদি প্রতিদিন মাত্র এক ঘণ্টা কুরআনের জন্য দিতেন, তাহলে মাসে দুইবার কুরআন খতম করতে পারতেন।

~আওয়াদ আল-জুমাইলি

With the Qur'an

18 Nov, 04:40


যেকোনো বাহ্যিক কারণে যেদিন কুরআন পড়ার রুটিনে গন্ডগোল হয়, খুব খারাপ লাগে কুরআন স্টুডেন্টদের। কিন্তু না চাইতেও কারণ গুলো গায়ে এসে পড়ে। কখনো অসুখ বিসুখ। কখনো বচসা, ভুল বুঝাবুঝি। কখনো বাইরের মানুষের অসময় আবদার। কখনো আরো কিছু। আসলে এটাই জীবন। এসব ঝামেলা থাকবেই। এজন্য তারা চুপিচুপি পড়া শেষ করেন। যেন কারো ডিস্টার্ব না হয় আর কেউ তাদের ডিস্টার্ব না করে। তারপরও কিছু কিছু disturbance পড়ার সময়েই এসে উদয় হয়। সেই সময়টা তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত - যখন সকলের ঘুমে থাকার কথা ছিল, তখন হলেও।

একজন কুরআন স্টুডেন্ট এর কাছে তার পড়ার সময়টা অনেক দামী। এই কথা যারা কুরআন স্টুডেন্ট না, তারা কবে বুঝবেন?

With the Qur'an

17 Nov, 04:32


সালাতুদ দোহা:
যাদের সময় নিয়ে পড়ার সময় আছে, চেষ্টা করুন সে সময় সামান্য হলেও কুরআন রিভিশন দিতে। অর্থাৎ সূরা আল ফাতিহা এর পর রিভিশনের অংশ থেকে পড়ুন।

With the Qur'an

17 Nov, 02:33


উবাইদ বিন উমাইর (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:

উমর ইবন খাত্তাব (رضي الله عنه) আমাদের ফজরের নামাজ পড়ালেন। তিনি সূরা ইউসুফ তিলাওয়াত শুরু করলেন এবং তিলাওয়াত করতে করতে যখন এ আয়াতে পৌঁছালেন:

‘….শোকে তার চোখ দু’টি সাদা হয়ে গিয়েছিল এবং তিনি ছিলেন সংবরণকারী।’

[আয়াত: ৮৪]

তিনি (উমার رضي الله عنه) এত কাঁদলেন যে তার আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল, তারপর তিনি রুকুতে চলে গেলেন।

~ ফাদাইল উল কুরআন, আল কাসিম ইবন সালাম (পৃষ্ঠা ১৩৭)। 📃

With the Qur'an

16 Nov, 03:28


এই জীবন আমাদের দেয়া হয়েছে আল্লাহর ইবাদতের জন্য। আর সারাদিনের দুনিয়াবি দায়িত্বের চাপে সালাত যদি কোনমতে আদায় করা হয়ও, কুরআন পড়ার ব্যাপারটা অনেকের হয়েই ওঠে না।

এরকম একটা জীবনে আখিরাত নিয়ে ভাবনা-চিন্তা সত্যিকার অর্থে কতটুকু আছে?

কুরআনের জন্য সময় বের করুন। নিজের জীবনে। এবং সহজ করে দিন সময় বের করা, পরিবারের সদস্যদের জীবনে।

কুরআনের সাথে সম্পর্কহীন "মুসলিম" যেন আমরা না হই!

With the Qur'an

15 Nov, 07:31


চাকরি। ইউনিভার্সিটি। থিসিস।

কেউ কি বলবে "আমি অসুস্থ/সফরে/ব্যস্ত- তাই পড়া করবো না/আসবো না/ সময়মত পরীক্ষা/থিসিস দিবো না?"

কুরআন ক্লাসের বেলায় যখন একথা আমরা বলি- আমাদের আচরণেই আমরা বুঝিয়ে দেই যে আমাদের জীবনে কুরআনের অবস্থান কী। শেষ পর্যন্ত দুনিয়াটাই প্রাধান্য পায়।

With the Qur'an

13 Nov, 23:02


কুরআন থেকে দোয়া

With the Qur'an

10 Nov, 23:06


কুরআান থেকে দোয়া

With the Qur'an

09 Nov, 23:01


কুরআন থেকে দোয়া

With the Qur'an

08 Nov, 23:02


কুরআন থেকে দোয়া

With the Qur'an

06 Nov, 23:01


কোরআন থেকে দোয়া

With the Qur'an

06 Nov, 01:09


কোরআান থেকে দোয়া

With the Qur'an

04 Nov, 23:01


কোরআান থেকে দোয়া

With the Qur'an

03 Nov, 22:49


কোরআন থেকে দোয়া

With the Qur'an

03 Nov, 02:45


হিফজ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার সুবাদে আমার প্রচুর মেসেজ দেখা লাগে, এবং উত্তর দিতে হয়। একসময় মনে হলো, এসবের কারণে আমি মন দিয়ে আমার নিজের পড়া করতে পারছি না। এর সমাধান কী? সব থামিয়ে দেয়া যায়। সেক্ষেত্রে সকল বোনেরা যারা প্রতিষ্ঠানে পড়ছিলেন তাদের হিফজ বাধাগ্রস্ত হবে।

তখন মনকে ট্রেনিং দিতে হয়েছে যে, "আগে পড়া। বাকি সমস্ত ইস্যু পরে দেখলেও হবে।"

শয়তান পড়তে বসলেই আমাদের বুঝায় যে "ওই কাজ বাকি/ওই বিষয়টা দেখা বাকি/অমুকে দরকারে পড়ে মেসেজ দিচ্ছে"...... সাথে সাথে দেখে সলভ করতে হবে তক্ষুণি এমন ইস্যু কিন্তু কম থাকে। সেসব পড়া শেষ করার পরও হতে পারে।

আরেকটা বিষয় মনে রাখা কুরআন স্টুডেন্ট এর জন্য জরুরি। সেটা হলো, অন্য মানুষ তাদের সময় অনুযায়ী আপনাকে নক দিবে। এক্ষেত্রে আপনার পড়ার সময় বেশিরভাগই খেয়াল করবে না। আপনি সময়মত উত্তর দিলে তারা খুশি হবেন- কিন্তু এভাবে খুশি করতে থাকলে আপনার সারাক্ষণ উত্তর দেয়া লাগবে। এটা তাই আপনার নিজেরই খেয়াল রাখা লাগবে যে, কখন আপনি disturbance চাননা। সেই সময় ফোন বন্ধ রাখুন/দূরে রাখুন/নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন। নিজের পড়াটা শেষ করুন। বাকিদের সমস্যার সমাধান তার পর করবেন।

With the Qur'an

01 Nov, 04:25


সালাতে কতটুকু রিভিশন দিবেন?

কুরআনের যেই পৃষ্ঠাগুলো অনেক ভালো মুখস্থ আছে, সেসব পৃষ্ঠা সালাতে পড়া কোনো ব্যাপার হওয়ার কথা না। এক্ষেত্রে অনায়াসে ২/৩ পৃষ্ঠা প্রতি রাকাতে পড়া যায়। যদি সেটা কঠিন লাগে, ফরয সালাতে অন্তত প্রতি রাকাতে এক পৃষ্ঠা, আর সুন্নাহ সালাতে হাফ পৃষ্ঠা করে পড়তে পারেন।

আমি এমন মানুষদের চিনি যারা সালাতে এক থেকে দুই পারা রিভিশন দিয়ে ফেলেন, সারাদিনে ভাগ করে।

আপনি যদি কুরআন মুখস্থ এর সফরে থাকেন, দিনে অন্তত একটি সালাতে (সব না পারলে), ঠান্ডা মাথায় রিভিশন দিন। সেটা সালাতুদ দোহা হোক, কিয়ামে হোক, ওয়াক্তি সালাতে হোক। যখন সবচেয়ে শান্তিতে সালাতে আদায় করতে পারেন, কাজের চাপ ছাড়া, ডিস্টার্ব ছাড়া- তখন সালাতে রিভিশন দিন।

নিজেকে এর উপকারিতা, সাওয়াব এবং আনন্দ থেকে বঞ্চিত করবেন না।

With the Qur'an

31 Oct, 04:20


আপনি কি সালাতে মুখস্থ অংশ থেকে পড়েন?

যেই সূরাগুলো খুব ভালো মনে আছে, সেগুলো সালাতে পড়ুন। এটাকে দৈনিক রিভিশন হিসেবে ধরবেন না। সেটা আলাদা। এগুলো সালাতে পড়লে রিভিশন হয়ে যাবে। আলাদা করে বসতে হবে না। আলাদা করে বসুন যেই সূরা গুলোতে মুখস্থে দুর্বলতা আছে, সেসব নিয়ে।

এভাবে,

▫️দরকারি অংশগুলো সময় নিয়ে রিভিশন করার সময় পাবেন।
▫️ভালো মুখস্থ অংশগুলো নিয়মিত পড়া হবে।
▫️সালাতে মনোযোগ বেশি থাকবে।

ইন শা আল্লাহ

With the Qur'an

30 Oct, 04:07


ফোন থেকে কুরআন পড়ার অভ্যাস যাদের আছে, তারা সম্ভব হলে অবশ্যই ইন্টারনেট অফ করে পড়তে বসবেন। সম্ভব হলে বলছি কারণ অনেক সময় আমরা কোনো জরুরি মেসেজ/কলের অপেক্ষায় থাকি। এরকম না হলে, ইন্টারনেট বন্ধ করে পড়ুন। নাহলে বার বার কিছু না কিছু মনকে বিক্ষিপ্ত করতেই থাকবে। অন্য কেউ আপনাকে ইন্টারনেটে খুঁজে পাবে না সেই সময়টায়- এই অস্বস্তি সরিয়ে ফেলুন। জীবন মরণ প্রয়োজন হলে আপনাকে ডাইরেক্ট কল দিবে। সেরকম প্রয়োজন বেশিরভাগ সময়ই পড়ে না।

আর মুসহাফ* নিয়ে বসা গেলে সেটাই উত্তম ফোন থেকে পড়ার চাইতে, মনোযোগের জন্য।

------
*কুরআনের লিখিত কপি

With the Qur'an

29 Oct, 08:57


রামাদানের প্রস্তুতি ১২

মানুষ সম্পদ ভালোবাসে। যার অনেক আছে, তারও যাকাত দিতে কষ্ট হয়। এটা হয়ত ঈমানের দুর্বলতা। এরপর রামাদানের যাকাতুল ফিতর, সেটাও দায়িত্ব মনে করেই দেন অনেকে। বাড়তি কিছু দিতে মন চাইলেও বার বার খোঁজেন যাকাতুল ফিতরের মাঝে যোগ করা যায় কিনা অর্থাৎ বাড়তি টাকা খরচ না হোক।

অথচ এই যাকাত (ইসলাম এর স্তম্ভ) আর যাকাতুল ফিতর (ফরয) ছাড়াও আরো অনেক সদাকা মুসলিমদের করার কথা।

সদাকা করার এই অভ্যাস যখন আমাদের থাকবে, তখন রামাদানে সেটা আমরা আরো বেশি করে করতে পারবো।

তাই মনকে বড় করার প্রস্তুতি যেন আমরা আগে থেকেই নেই। দিতে পারার জন্য মনকে তৈরি করি। নিয়মিত দেয়ার অভ্যাস করি। মানুষের কাছে খাবার-কাপড় নেই, ছাদ নেই- আমরা যেন তাদের কাছে সেসব পৌঁছে দিতে চেষ্টা করি।

মনকে নরম করার জন্য
▫️ সদাকা সংক্রান্ত আয়াত/হাদীসগুলো পড়তে পারি। ▫️মানুষের সাথে মিশতে পারি তাদের জীবনের প্রয়োজনগুলো নিয়ে ধারণা রাখার জন্য। ▫️নিজেদের বাড়তি ব্যবহার্য জিনিসগুলো চিহ্নিত করে যার লাগবে তাকে দিয়ে দিতে পারি।

এই অভ্যাস রামাদানের জন্য না শুধু, আজীবনের জন্য। রামাদানে সেটা আমরা বাড়িয়ে দিবো সোয়াবের আশায়।

আল্লাহ বলেন,

"তোমরা যা ভালোবাস তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনও সাওয়াব অর্জন করবে না। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, নিশ্চয় আল্লাহ্ সে সম্পর্র্কে সবিশেষ অবগত।"

(
সূরা আলে ইমরান: ৯২)

যা কিছু আমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করবো, আল্লাহ সব জানেন। পুরোটাই লাভ- কিছুই হারাবে না ইন শা আল্লাহ।

With the Qur'an

29 Oct, 03:45


ফজরের পর যারা কুরআন পড়তে বসবেন, নেট অফ করে বসবেন। আরো ভালো হয় ফোন দূরে রেখে দিলে। ফজরের পরের দুইটা ঘণ্টা হোক কুরআনের সাথে একাগ্রচিত্তে পার করা দুই ঘণ্টা।

With the Qur'an

28 Oct, 23:24


কুরআন থেকে দোয়া

With the Qur'an

27 Oct, 04:44


মনের অবস্থা ঠিক হলে ঠিকমত কুরআন পড়বো- এভাবে ভাবলে ঠিকমত পড়া হবেই না। কারণ সর্বক্ষণই আমাদের মন কোনো না কোনো "অবস্থায়" থাকে।

কুরআন পড়তে থাকুন। ইন শা আল্লাহ কুরআনের সাথে চলতে চলতে মনের অবস্থা ঠিক হবে।

With the Qur'an

24 Oct, 05:27


কুরআন মুখস্থ করার চাইতে আগে সহিহ ভাবে পড়তে শেখাটা জরুরি। এক্ষেত্রে মুখস্থ শুরু করতে দেরি হলে মন খারাপের কিছু নাই। সবই তো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা। একবার যখন শুদ্ধ করে পড়তে পারবেন, তারপর মুখস্থ শুরু করুন। তখন আর মুখস্থ অংশে পড়ার ভুল থাকবে না ইন শা আল্লাহ।

With the Qur'an

22 Oct, 22:51


কুরআন থেকে দোয়া

With the Qur'an

21 Oct, 05:07


রামাদানের প্রস্তুতি ১১

সিয়াম সংক্রান্ত মাসলা মাসায়েল পড়ার জন্য রামাদান পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। কারণ এই জ্ঞান আগেই অর্জন করার কথা। রামাদান সেই জ্ঞান প্রয়োগের সময়।

সিয়াম এর ফিকহ অনেক সহজ। এখন থেকে পড়া শুরু করলে ইন শা আল্লাহ রামাদানের অনেক আগেই পড়া শেষ হয়ে যাবে। চেষ্টা করুন অল্প করে হলেও প্রতি সপ্তাহে সিয়ামের ফিকহ নিয়ে পড়ালেখা করতে।

নিজে শিখুন। পরিবারের মানুষকে শেখান। কোনো আমল যখন জ্ঞানের ভিত্তিতে, জেনে বুঝে করা হয়, তখন সেই আমলের মাঝে আরেক রকমের প্রশান্তি কাজ করে।

এবারের রামাদান হোক জ্ঞানের ভিত্তিতে, জেনে বুঝে পার করা রামাদান। ইন শা আল্লাহ।

With the Qur'an

20 Oct, 23:06


কুরআন থেকে দোয়া

With the Qur'an

20 Oct, 21:46


কোনোদিন পরিকল্পনা অনুযায়ী মুখস্থ এবং রিভিশন শেষ করার কী আনন্দ- এটা কেবল একজন কুরআন স্টুডেন্ট জানে। আর পরিকল্পনা মাফিক কিছু পড়তে না পারার কষ্ট- এটাও বর্ণনা করার মত না।

আলহামদুলিল্লাহ সেই সমস্ত দিনের জন্য যখন ঠিকমত পড়া হয়না। এই কষ্টের দিনগুলোর উসিলায় আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে, সুন্দরভাবে পড়া শেষ করতে পারা দিনগুলো কত বড় নিয়ামত।

With the Qur'an

19 Oct, 16:59


কুরআন ক্লাস শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে করতে পারা। শুধু নিজের ভুল শুদ্ধ করা না, অন্যের ভুলগুলো নিয়ে টিচার কী বলেন বুঝতে চেষ্টা করা- পুরোটাই অনেক বড় নিয়ামত এবং রিযিক সুবহানআল্লাহ।

এই নিয়ামত আমরা যেন অবহেলা করে নষ্ট না করি।

With the Qur'an

19 Oct, 03:13


With the Qur'an pinned «আমাদের প্রিয় "With the Qur‘an" চ্যানেল এখন Whatsapp এও থাকছে ইন শা আল্লাহ। ফেসবুক এর পেজটি বন্ধ করে দেয়ার পর আমাদের শুধু টেলিগ্রামে চ্যানেল ছিল। অনেকেই টেলিগ্রাম ব্যবহার করেন না। তাই এখন থেকে এই চ্যানেল Whatsapp এও থাকবে, টেলিগ্রামের পাশাপাশি। https:…»

With the Qur'an

18 Oct, 23:11


কুরআন থেকে দোয়া

With the Qur'an

17 Oct, 21:38


রামাদানের প্রস্তুতি ১০

আল্লাহ ﷻ কুরআনে আমাদের অনেক দোয়া শিখিয়েছেন। আমরা কি সেসব জানি? অর্থ জানি সেসব দোয়ার? ব্যাখ্যা?

আল্লাহর রাসূল ﷺ এর করা দোয়াগুলো কি আমরা খেয়াল করে পড়েছি?

আবূ হুরায়রাহ رضي الله عنهم থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ

"অন্য সব নবীদের চাইতে আমাকে ছয়টি বিশেষ মর্যাদা দান করা হয়েছে। আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থবোধক কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।....."

(আল বুখারী ও মুসলিম)

কুরআনে আসা দোয়াগুলো তো অবশ্যই অপূর্ব সুন্দর। সেই সাথে আল্লাহর রাসূল ﷺ আমাদেরকে অপূর্ব সব দোয়া শিখিয়ে গিয়েছেন। অল্প কথায়, অনেক গভীর অর্থ বহন করে এমন দোয়া। আমরা বেশিরভাগ দোয়াগুলো জানি না। যা জানি তার অর্থ জানিনা। অর্থ পড়লেও ব্যাখ্যা সেভাবে পড়া হয় না।

রামাদান আসার আগের এই কয়েকমাস আমরা কুরআন ও সুন্নাহে বর্ণিত দোয়াগুলো নিয়ে পড়ালেখা করতে পারি। কিভাবে?

▫️যথাসাধ্য মুখস্থ করতে পারি।

▫️অর্থ দেখতে পারি।

▫️ব্যাখ্যা পড়তে পারি।


যখন রামাদান আসবে (এবং তার আগে থেকে), আমরা চেষ্টা করতে পারি সেসব দোয়া সালাতে পড়ার, সাজদায়, সালাম ফিরানোর আগে। নিজেদের ব্যক্তিগত দোয়ার সময়ও পড়তে পারি। দোয়া এমনিতেই ইবাদত। তার ওপর যদি কুরআন ও সুন্নাহের থেকে নেয়া দোয়া হয়?

কতই না সুন্দর অভ্যাস!

With the Qur'an

17 Oct, 17:09


অন্যকে কুরআন শেখানোর মর্যাদা অনেক বড় দায়িত্ব সাথে নিয়ে আসে। কাউকে কুরআন শেখানোর বিষয়টা আমরা যেন হালকাভাবে না নেই। মনোযোগ দিয়ে, সময় নিয়ে, নিষ্ঠার সাথে ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে হবে। আর যদি সেটা করার যোগ্যতা না থাকে, এই দায়িত্ব না নেয়াই নিরাপদ।

With the Qur'an

15 Oct, 20:31


রামাদানের প্রস্তুতি ৯

আসলে রামাদানের প্রস্তুতি কী?

একজনের মুমিনের জীবনে প্রতিদিনই ইবাদত থাকার কথা। এই চেষ্টা রোজ থাকার কথা যে, আমরা খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকবো। ভালো হবো আগের চাইতে। তাই এই রুটিন, এই অভ্যাস- এগুলো এজন্য না যে রামাদানের কয়টা দিন আমরা একেবারে বদলে যাবো, আর তার আগে আর পরে সব যেমন ছিল তেমন চলবে।

এতদিন আমরা যা কিছু নিয়ে কথা বলেছি, হয়ত বা আরো বলবো, এই সবই আমাদের জীবনের অংশ হওয়ার কথা। তাহলে রামাদানের ব্যাপারটা কী?

এই জীবনের অংশ যা কিছু, সেসবের চাইতে বেশি কিছু করা, যেন রামাদান শেষে আবার যখন আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরবো, সেটা এখনকার চাইতে আরো উন্নত হয়। রামাদানে একমাস যখন আমরা সত্যিই অনেক চেষ্টা করি ঠিক হয়ে চলতে, সেটা আমাদের আল্লাহর ইচ্ছায় সাহস দেয় বাকি সময়ও আরেকটু চেষ্টা করার।

এই প্রস্তুতি হিসেবেই ভাবতে পারি আমরা, আমাদের কী কী দোষ আছে। আমরা কিন্তু জানি। নিজেদের গুনাহগুলো। সেগুলো লেখার প্রয়োজন নেই কোথাও। কিন্তু নিজের মনে একটা লিস্ট করা যায়। কী কী ত্রুটি নিজেদের মাঝে আমরা আর চাই না। সেটা বাদ দেয়ার জন্য এখন থেকে চেষ্টা করা যায়। সম্পূর্ণ না পারতে পারি। কিন্তু এখন থেকে সেটা নিয়ে সচেতন হলে হতে পারে রামাদানের এক মাস সেসব থেকে দূরে থাকা সহজ হবে? হয়ত রামাদানের পর আমরা এখনকার চাইতে ভালো হবো?

যেমন গীবত। যার এই অভ্যাস আছে, এই দোষ নিয়ে পড়ালেখা করুন। এর গুনাহ কী জানুন। ক্ষতি কী। শাস্তি কী। কিভাবে এর থেকে বাঁচা যায়। কেন বার বার এর মাঝে পড়া হয়? জানলে বের হয়ে আসা সহজতর হবে ইন শা আল্লাহ। তারপর এটা নিয়ে সচেতন থাকা। তারপরও হয়ে যাবে ভুল। আবার তাওবা করা। ঠিক করা। রামাদান যত এগিয়ে আসবে, তত চেষ্টা করা জানতে রামাদানে এই গুনাহের পরিণতি কী? সচেতন হতে চেষ্টা করা আগে থেকে যেন রামাদান আসতে আসতে সচেতন থাকাটা অভ্যাসে পরিণত হয়।

কত রামাদান আসে আর যায়, আমরা ভাবি গীবত মুক্ত রামাদান হোক, কিন্তু হয়না?

এটা একটা উদাহরণ। এরকম আরো অনেক গুনাহ আমাদের আছে। যা সংশোধন করা সম্ভব।

বিষয়টা বলা হয়ত সহজ, করা এত সহজ না। কিন্তু, সহজ না বলে কখনোই যদি আমরা শুরু না করি, তাহলে তো আজীবন এই গুনাহগুলোর মাঝেই থাকতে হবে তাই না? একজন মুসলিম হিসেবে এটা কখনো কাম্য না।

রামাদানকে আমরা একটি লক্ষ্য হিসেবে নিতে পারি, যা শুরু হওয়ার আগেই আমরা এসব গুনাহ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে চেষ্টা করবো। ইন শা আল্লাহ।

With the Qur'an

15 Oct, 10:18


আমাদের প্রিয় "With the Qur‘an" চ্যানেল এখন Whatsapp এও থাকছে ইন শা আল্লাহ।

ফেসবুক এর পেজটি বন্ধ করে দেয়ার পর আমাদের শুধু টেলিগ্রামে চ্যানেল ছিল। অনেকেই টেলিগ্রাম ব্যবহার করেন না। তাই এখন থেকে এই চ্যানেল Whatsapp এও থাকবে, টেলিগ্রামের পাশাপাশি।

https://whatsapp.com/channel/0029VanGhQtD38CXd6q4nJ0B

With the Qur'an

15 Oct, 09:15


শয়তান তো চাইবেই রোজ আপনাকে পথ থেকে সরাতে। আর না হলেও হিফজ/রিভিশনের স্পিড কমাতে। কুরআন মুখস্থ করা তো ওর স্বপ্ন না। আপনার স্বপ্ন। আপনিও তাই বার বার চেষ্টা করবেন পথে আসতে। বার বার চেষ্টা করবেন এগিয়ে যেতে।

With the Qur'an

14 Oct, 04:48


একজন মানুষ হিফজ করার পথে অনেক কিছু শেখে। তার মাঝে ধৈর্য্য, অধ্যবসায় এসব নিয়ে অনেক বলা হয়।

কিন্তু এই সফরটা আরেকটা বড় বিষয় শেখানোর কথা- নম্রতা। কারণ একজন মানুষের যে প্রতিদিন পড়া এবং ঈমানের লেভেল একই থাকে না, আজকে ভালো বলেই যে আগামীতেও এমনই থাকবে এটার নিশ্চয়তা নেই, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আগানোর উপায় নেই- এটা হিফজ/রিভিশন নিয়ে থাকা একজন মানুষ খুব ভালো করে বুঝতে পারেন।

অনেক ভালো একটা রুটিন একদম উল্টে যেতে পারে। অনেক ভালো করে দেয়া রিভিশন মাথা থেকে চলে যেতে পারে। অনেক ভালো পড়া খারাপ হতে পারে। ভালো করে তুলা পড়া বার বার তুলতে চেষ্টা করা লাগতে পারে। প্রতিদিনের যুদ্ধ নিজের সাথে নিজের। প্রতিদিনের বুঝতে পারা, নিজের ভুল ত্রুটি। প্রতিদিন জানা যে আজকে পড়া গেল মানে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।

"আমার কোনো শক্তি নাই। এটা পুরাটাই আল্লাহর রহমত"- এটা বুঝতে পারলে আর কিসের অহংকার??

With the Qur'an

13 Oct, 08:59


রামাদানের প্রস্তুতি ৮

এমন অনেকের হয় যে, রামাদানে তাফসীর পড়ার অনেক ইচ্ছা থাকে কিন্তু,

-প্রথমে পুরা কুরআনের তাফসীর পড়ার টার্গেট নিয়ে শুরু করার পর দেখা যায় সেটা হচ্ছে না।

-যেহেতু সেটা হচ্ছে না, এরপর কতটুকু পড়া হবে, কই থেকে, সেটা বাছাই করতে সময় চলে যায়।

-কেউ কেউ কোন গ্রন্থ থেকে পড়বেন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। একটা শুরু করে দেখেন বেশি সংক্ষিপ্ত, অন্যটা আবার বেশি বড়। কোনোটা কঠিন লাগছে।

-এসব ট্রায়াল এরোর করে করে অনেকের আর তাফসীর পড়া হয়না রামাদানে।

এই বিষয়গুলো নিয়ে রামাদানের আগেই ভাবুন।

প্রথমত কেন তাফসীর পড়তে চাই?
কুরআন বুঝার জন্য। কুরআনের শিক্ষা জীবনে প্রয়োগ করার জন্য। রামাদানে খতম তো না বুঝে অনেক দেয়া সম্ভব। কিন্তু একটু হলেও কুরআন বুঝে পড়ার জন্য।

তিরিশ পারার তাফসীর তিরিশ দিনে পড়ে শেষ করাটা একটু কঠিন। বিশেষ করে যদি তিলাওয়াত আর সালাতে সময় দেয়া হয়। কারো পক্ষে সেটা সম্ভব হলে অবশ্যই করুন। সেই এক্সপেরিমেন্ট রামাদানে শুরু না করে এখন থেকে করুন। দেখুন আসলে কতটুকু পড়তে পারেন দৈনিক।

এই প্র্যাকটিসের মাঝে কোন তাফসীর পড়তে আরাম লাগে সেই এক্সপেরিমেন্ট ও রাখবেন। যারা আগে কখনো তাফসীর পড়েননি, তারা বাংলায় শায়খ ড. আবু বকর যাকারিয়ার তাফসীর পড়তে পারেন। আগে পড়ে থাকলে তাফসীর ইবন কাসীর পড়তে পারেন। ইংলিশে শুধু সংক্ষেপে পড়তে চাইলে "Interpretation of the meanings of the Noble Qur‘an" পড়তে পারেন, ড. মুহাম্মদ মুহসীন খান এবং ড. মুহাম্মদ তকিউদ্দীন আল হিলালি এর। আর আরেকটু বিস্তারিত পড়তে চাইলে তাফসীর আস সা‘দি পড়তে পারেন। অনেক সুন্দর অনুবাদ।

নিজের পড়ার গতি নিয়ে ধারণা পাওয়া আর কী পড়বেন বাছাই করা শেষ হলে, তারপর ঠিক করুন রামাদানে কী পড়বেন। সেটা হতে পারে একটা সূরা- যেমন সূরা আল হুজুরাতের তাফসীর- ভালো করে পড়ে নিজের সামাজিক আচার ব্যবহারে পরিবর্তন আনার জন্য। হতে পারে সূরা আল কাহফের তাফসীর- প্রতি শুক্রবার যেই সূরা পড়া হয় সেটা নিয়ে জানার জন্য। হতে পারে আমপারার তাফসীর- সালাতে কী পড়ি বুঝার জন্য। হতে পারে শেষ পাঁচ পারার তাফসীর, অথবা অন্য কোনো অংশ থেকে।

প্ল্যানটা এমনও হতে পারে যে, সারা বছরের জন্য একটা প্ল্যান থাকবে তাফসীর পড়ার। রামাদানে সেই প্ল্যানের যেই অংশ পড়বে, সেটাই পড়ে শেষ করবো। যেমন আগামী দুই বছরের প্ল্যান পুরা কুরআনের তাফসীর পরে শেষ করার। এক্ষেত্রে রামাদানে স্বাভাবিক গতিতে পড়া যেতে পারে। যেমন বাকি মাসগুলোতে পড়া হবে।


যেটাই করি, নিজেদের পরিস্থিতি বুঝে আগে থেকেই প্ল্যান করে নিলে রামাদান শুরু হওয়ার পর সময় নষ্ট হবে না, ইন শা আল্লাহ।