☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼 @golpo_kotha Channel on Telegram

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

@golpo_kotha


তুমি মানুষকে যা দিয়েছো প্রতিদানে অনুরূপ আশা করো না, কারণ সবার কাছে তোমার মতো হৃদয় নাও থাকতে পারে! ☺️❤️

আপনার লিখা পাঠান: @GolpoKothaBot 📮

Buy Ads : t.me/Loyalads
Community > @LINK_TREES ☘️
Admin > @FLYNN_LOYAL 🤍

গল্প কথা - Golpo Kotha (Bengali)

গল্প কথা - Golpo Kotha চ্যানেলটি একটি সাহিত্যিক চ্যানেল, যেখানে আপনি আপনার মনকে বিশেষ করে কথার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন। এখানে আপনি আপনার সংকট, সুখ, ভালোবাসা বা অন্যান্য কোনও বিষয়ে গল্প লিখতে পারেন এবং অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করতে পারেন। এটি আপনার মাধ্যমে আপনার ভাবনা এবং কথাগুলি শেয়ার করার একটি অসাধারণ সুযোগ। nnতুমি মানুষকে যা দিয়েছো প্রতিদানে অনুরূপ আশা করো না, কারণ সবার কাছে তোমার মতো হৃদয় নাও থাকতে পারে! 😊❤️nnআপনার গল্প পাঠাতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন @GolpoKothaBot 📮nnসম্প্রদায় > @LINK_TREES ☘️nnAdmin > @FLYNN_LOYAL 🤍

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

12 Feb, 14:51


যদি সেই তুমি না থাকো তাহলে কিভাবে থাকবো আমি?যতক্ষণ তুমি ছিলে আমিও বেচে ছিলাম সেই তুমি কে দেখে দেখে আজ তুমি নেই আমিও নেই।তুমি বিহীন আমার সব ইচ্ছে যেন মরে গেল। (প্রিয় বাবা)...

রহমান জুনাইদ..

আপনার লিখা পাঠান
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

10 Feb, 02:38


একাকীত্বের রাতে,হতে কলম সামনে বই
আকাশে চাঁদ নীরব এ জ্বলে যেমন একা
ঠিক তেমনি,একাকীত্বের রাতে হাতে কলম সামনে বই ।
তাও আছে বিশ্বাস,যেমন করে সূর্যের প্রখরতা অন্ধকারকে সরিয়ে ফেলে ,
ঠিক তেমনি একাকীত্বের রাত সরিয়ে আসবে নতুন ভোর।
তাও চাঁদ তুমি এখন একা যেমন আমি

- Mou Mahi Hasan 🥰

আপনার লিখা পাঠান
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

09 Feb, 19:08


Ever since then, something has been ringing incessantly, like the chimes of a clock. The sound is coming from outside, faint but persistent. It stirs a memory in Kabir, a memory from his childhood-- a memory of a ice cream seller. That kaku would come around with his cart, selling ice creams. He carried a small bell, and its rhythmic jingle would echo through the neighborhood. During the sweltering summer afternoons, as soon as the bell’s sound reached the ears of the children, they would rush out, clutching coins of two or five taka. Buying an ice cream for ten taka was a luxury, a bold move that required some negotiation with parents. Kabir’s father would often give in, but his mother never did. One day, when Kabir asked her for ten taka, she scolded him, "Don’t you dare eat those things! They make those ice creams with drain water." That comment left Kabir puzzled. He thought, "Our tap at home has so much water--it never runs out. Maybe ice cream kaku doesn’t have a water tank at his place." The next day, Kabir approached ice cream kaku and said, "Kaku, from now on, when you make ice cream, take water from our house. Don’t use drain water." Remembering this, a faint smile tugs at Kabir's lips. Those ice cream sellers are gone now. That era has passed. Back then, vendors would visit every home--the newspaperman at dawn, the milkman with his cans, and the vegetable seller with his cart. They were part of daily life, like clockwork. Now, no one comes. Kabir lies sprawled on the sofa, his legs stretched out. He gets up and walks to the kitchen. Nazifa is there, rolling out rotis with practiced ease. Last night, they had a fight. Since morning, not a word has passed between them. Food, Kabir thinks, is like relationships. Too much sweetness leads to problems -- diabetes, sugar spikes. A balanced meal needs variety-- spicy, sour, dry, veg, non-veg. Relationships, too, need balance. Some relationships are destined to have a mix of emotions. If there’s only sweetness, it becomes cloying, like diabetes. Arguments, fights, and sulking are inevitable. They strengthen the bond. Kabir understands this. So does Nazifa. That’s why, even when they’re angry, they’re not really angry. It’s become a part of their routine. This sulking, this *abhiman*, is uniquely Bengali. You won’t find this in any culture. Kabir stands behind Nazifa, his breath warm against her neck.
"What are you doing?" he asks.
"You can see for yourself," she replies, not looking up.
"Still angry? Do you like staying angry like this?"
Nazifa stays silent.

"Okay, I’m sorry," Kabir says, his voice sincere. He steps closer, wrapping his arms around her waist from behind. "I said it. You won’t say it, so I will. I’m sorry." Nazifa stiffens for a moment but doesn’t pull away.
"Why are you breathing so heavily? Do you have a cold or something?"

"No! I just feel like kissing you," he murmurs, his lips brushing against her neck.
"Every time I see your neck, I feel like it."
"Stop it," she says, but there’s no real anger in her voice now.
"Let me work. Don’t we have to eat? Since morning, I’ve been doing everything. You don’t even help a little." Kabir tightens his grip playfully, resting his chin on her shoulder.
"I’ll help, I promise. But first, say you forgive me." Nazifa sighs, finally turning her head slightly to look at him. "You’re impossible."
"But you love me anyway," he says with a grin.
"Maybe," she replies, a small smile tugging at her lips. "Now let me go. The rotis will burn."
"Only if you say it properly," Kabir insists, refusing to let go. "Fine, fine, I forgive you," Nazifa says, rolling her eyes but smiling now. "Happy?"
"Very," he says, finally releasing her but planting a quick kiss on her cheek before stepping back.

As Nazifa returns to her cooking, Kabir walks over to the window. The morning sunlight streams in, casting a golden glow over the kitchen. He looks out at the quiet street below, where the neighborhood is slowly waking up. A voice was coming from distance what was shouting something that was unclear.

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

09 Feb, 19:08


The sound of that voice mingles with the chirping of sparrows perched on the electric wires. For a moment, Kabir's mind drifts back to his childhood. He again remembers that ice cream kaku. He was a thin, wiry man with a permanent tan from hours under the sun. He always wore a faded white vest and a checkered lungi, its edges frayed from years of use. His face was lined with wrinkles, but his eyes sparkled with kindness. In one hand, he carried a small brass bell, its sound crisp and clear, and in the other, a wooden cart with a glass lid. Inside the cart were those ice creams, perfectly shaped and glistening under the sun. Kabir remembers how ice cream kaku would smile, his teeth slightly crooked, as he handed over the ice creams, always adding a little extra scoop for the regulars. "Eat it quick, before it melts!" he would say, his voice warm and gravelly. The memory feels vivid, as if it happened just yesterday. He smiles to himself, the sound of the bell echoing in his mind.

"Do you ever think about how things used to be?" Kabir asks, turning to Nazifa.
She looks up from the stove, puzzled. "What do you mean?"
"Like when we were kids. The small things that made life so simple. The ice cream sellers, the street vendors, the way everything felt slower, you know?"
Nazifa shrugs, stirring the curry. "I guess. But life’s different now. We’ve got our own version of simplicity, don’t we?"
Kabir nods, walking back to the kitchen table. "Yeah, we do. But sometimes I miss that old simplicity. Like the ice cream kaku with his cart. You wouldn’t know him-- he was from my childhood. He used to ring this little bell, and all the kids would come running."
Nazifa smiles, placing a plate of rotis and curry on the table. "Sounds like a nice memory. But you know, even if things have changed, we’ve still got each other. That’s our version of simplicity."
Kabir sits down, picking up a roti. "You’re right. And honestly, I wouldn’t trade this for anything."
Nazifa sits across from him, her smile softening. "Good. Now eat before it gets cold." They share the meal in comfortable silence, the morning sunlight filling the room. Outside, the world continues to move forward, but inside their little home, time seems to stand still, if only for a little while.

©®Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

09 Feb, 16:45


I really love to see people in love, like কি সুন্দর মুচকি মুচকি হাসে, লজ্জা পায়, যার প্রেমে পরেছে তার নাম নিলেই লাল হয়ে যায়, কি কিউট। যেই মানুষ পড়ালেখা নিয়ে মারাত্মক সিরিয়াস তাকে দেখি পরীক্ষার মাঝে ফোনের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসে। কি সুন্দর রান্নাবান্না করে নিয়ে যায়, আবার কার জন্য জিজ্ঞেস করলে কি যে লজ্জা টা পায়, ভালোই লাগে। কি একটা গ্লো চেহারার মধ্যে থাকে ভাল্লাগে দেখতে, মানুষগুলো আজীবন এমন থাকুক শুধু এই দোয়াই করি, অনেক বছর পর দেখা হলে যাতে ওই মানুষটার সাথেই সুখে আছে এই কথাটাই যেন শুনি।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

09 Feb, 08:11


বহুদিন পরে দেখা তোমার সাথে, " তুমি" ই সম্বোধন করছি। কারণ আপনি বলাটা আমার ঠিক আসে না তুমিও জানো সেটা। আরো অনেক কিছুই যদিও জানতে তুমি, কিন্তু মনে রাখলে কই। তুমি জানতে তোমার ওই গলার স্বর শোনার জন্য সারাদিন কিভাবে অপেক্ষায় থাকতাম, তুমি জানতে তোমায় একটি বার দেখার জন্য কি পরিমান পাগল হয়ে যেতাম, তুমি জানতে তোমার ওই ' আমার ফুলকিশোরী ' ডাকটা শোনার জন্য কতটা উদগ্রীব হয়ে থাকতাম। হাহ তুমি সবই জানতে শুধু মনের দিক থেকে চাইতে না, ভালবাসতে না। প্রথম যখন জেনেছিলাম তোমার অন্য রমণীর প্রতি আকর্ষণ, তখন না নিজেকে নিয়ে খুব হীনমন্যতায় থাকতাম। কারণ আমার নিশ্চই কোনো ভুল ত্রুটি আছে নইলে কেনো তুমি এত কথা দিয়েও এখন কথা রাখতে অপারগ হয়ে গেলে। কিন্তু না পরে ভেবে দেখলাম তুমি হয়তো আমার ' ভালোবাসায় ' নয় ' মোহ ' তে আকৃষ্ট হয়েছিলে। কিন্তু আমি বোকা মানুষ বুঝতেই পারিনি, মাঝে মাঝে তুমি বলতে না!- " তুমি বড্ড বোকা জানত; এই সমাজে এত বোকার দাম নেই" । তখন হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু এখন বুঝতে পারি। সে যাই হোক, কিন্তু একটাই কথা আমার যে, আমি তোমাকে বসন্তের প্রেম হিসেবে চাইনি যেখানে পাতাঝড়ার পর আবার নতুনত্ব আসে। আমি চেয়েছিলাম তীব্র শীতের চাদর হিসেবে যে সব সময় আমাকে উষ্ণতায় মুড়িয়ে রাখবে।
❞কাছে গিয়ে দেখলাম দূরত্বই সুন্দর। যেমন সুন্দর দূরের চাঁদ কিংবা নক্ষত্রমন্ডলী। ছুঁয়ে দেবার চেয়ে ছোঁয়ার আকাঙ্ক্ষাটাই বেশি সুন্দর।
অতি প্রিয় কোনকিছু ছুঁয়ে ফেলতে নেই,

দূরত্বই সুন্দর।। 🖤

মির্জা গালিব এর ভাষায় -"সারাজীবন কেবল সেই মানুষটির কথাই মনে রইলো, যাকে ভেবেছিলাম ভুলে যাব।।"

   - নীলাশা💙


আপনার লিখা পাঠান
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

07 Feb, 18:33


আমি পৃথিবী। নিজেকে পৃথিবীর মত সত্য,জাগতিক এবং চিরস্থায়ী সত্তা বলে মনে হয়। আর তুমি হচ্ছে মায়া কিংবা এমন একটি অনুভূতি যা অপার্থিব,ধরা ছোয়ার বাহিরের কোনো এক অনুভূতি যা কোনো ভাবেই বাস্তবিক নয়। আমার অস্তিত্ব যতটাই সত্য তোমার উপস্থিতি ততটাই মোহময় কিন্তু মিথ্যে। অথচ এই বিষাদ, অপার্থিব এবং কল্পনাকে কেন্দ্র করেই অহেতুক যুদ্ধ। কখনো তোমার প্রতিমুখে আবার কখনো নিজেরই বিরুদ্ধে সর্বস্ব হেরে যাওয়া। হয়তো পৃথিবী-মায়া,আমি-তুমি একে অপরকে পূর্ণ করলেও কখনো এক হওয়া সম্ভব নয়।
পৃথিবী এবং মায়াই কি তবে একে অপরের পরিপূরক.?
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

05 Feb, 17:21


সময়!🕚

নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছি সময়ের হাতে। শুধু অবহেলিত অব্যক্ত অনুভূতি সব তোমায় বারংবার মনে করে! তুমি কী আমার অপেক্ষায় বসে থাকো, কথা বলতে? হয়তো থাকো না।
আর আমিও সময়ের কাছে বন্দী হয়ে গিয়েছি।
সময় আমায় ছাড়ে না!
দেহ জুড়ে ক্লান্তির ছাপ, হতাশায় আচ্ছন্ন হলেও ছুটি মিলে না! আমার বিক্রিত সময়গুলো আজ টাকা খোঁজে, ভালোবাসা খোঁজে না। কে বলে, টাকার কাছে ভালোবাসা বিক্রি হয় না? এইতো, ভালোবাসা বিক্রি করে দিয়ে আমি টাকার পিছনে ছুটি রোজ। শুধু এই বেহায়া মনটাই পড়ে থাকে তোমার কাছে।
ভালো থেকো "কাঠগোলাপ"
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

05 Feb, 07:30


প্রিয়তমেষু

আমার হারমোনিষাম, গান, ফুল, রং তুলি, ক্যানভাস সবাইকে দুঃখের খোরাকের গল্প শুনাতে মন চায়। "এই যে ভালো আছি!"
যদিও বেলা শেষে পাচিলের গা বেয়ে আক্রোশের কণা গুলো আড়মোড়া দিয়ে উঠে! জানান দেয়, যে তারা বিলুপ্ত যায়নি। উত্তম কুমারের "দেয়া নেয়া" সিনেমার রেশ টেনে মন চায়, সব ছেরে দিয়ে ভালো থাকার পথ বেছে নেই। এই সাদা-কালো জগতে সুখের রঙিন ছোয়া আনাটাই তো যুদ্ধ মনে হয়। মহা বিপদ! কালো মেঘের ভেলা সরে গিয়ে আমার লাল নীলে ভরা সময় গুলো ফিরে পেতে মন চায়।

ইতি বেওয়ারিশ প্রেরক রাহা 💗💐
আই মিন ফারাবী রাহা ~

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

03 Feb, 07:40


জীবনকে পুরোপুরি সুন্দর করার পরিবর্তে আমরা কিছু মুহূর্তকে সুন্দর করার চেষ্টা করতে পারি ...
জীবনে উত্থান-পতন থাকবেই।তাই প্রতিটি অংশকে নিখুঁতভাবে সাজানো হয়তো খুব কঠিন।
অপ্রত্যাশিত অনেক কিছুই অত্যন্ত সুন্দর হতে পারে। প্রিয়জনদের বা শুধুই নিজের সঙ্গে একটা মেঘ ডাকা বৃষ্টির সকাল, নীরব সন্ধ্যা,এক কাপ চা, যা একসাথে মিলে একটা সুন্দর জীবন তৈরি করতে পারে।
তাই পুরো জীবন সুন্দর হওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে, আমরা প্রতিটি মুহূর্তকে সুন্দর করে তুলতে পারি। হয়তো শেষে এই মুহূর্তগুলির যোগফলই একটা সুন্দর জীবন..🦋
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

02 Feb, 16:49


আমি মূলত সেই নারীকে ভালোবেসেছি!
যে কি নাহ নিউজ ফিড স্কুল করতে করতে ভুলে যায় গতরাতে এক বেকার যুবকের মনে আশা জাগানোর কথা! সমগ্র দুনিয়ার বাঁধা ফেলে তাকে নিজের করে নেওয়ার চুক্তি! শুধরে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা আর 'একটি সুন্দর জীবন'
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

31 Jan, 12:32


Value না দিলে আমিও আর same energy দেখাই না, সেইটা যেই হোক। আমার জীবনে priority অনেক বড় ভূমিকা রাখে। ১০১টা পথ চিনলেও আমি সবাইকে সব কিছু দেখাই না। মানুষের উপর ছোট ছোট investment করে দেখবেন, সেই investment হইতে পারে সময়, মেধা, সুযোগ, কায়িক শ্রম কিংবা ভরসা। Investment এর কিচ্ছু রিটার্ন দরকার নাই শুধু দেখবেন, সেইম spark টা কাজ করে কিনা। যদি না করে? সেই স্টেইজ কিংবা প্লাটফর্ম আপনার না।
Save your energy, Execute your plan B
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

27 Jan, 15:43


মির্জা গালিবের একটা কথা আছে না—
'সন্ধ্যা কাটে না অথচ বছর কেটে যায়'
সময়ের সাথে আমারাও চলে যাচ্ছি । কোথায় যাচ্ছি জানি না । তবে বুঝতে পারছি কোথাও একটা যাচ্ছি । হয়তো সমুদ্রের দিকে– নয়তো নক্ষত্রের দিকে । নিয়ম করে আমাদের জ্বর , ঠান্ডা , অভিমান হচ্ছে । বিনা পারিশ্রমিকে দিনের পর দিন নিজের সাথে অভিনয় করে যাচ্ছি । নিরপরাধ দুটো চোখ ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে । তবুও আমরা যাচ্ছি । প্রিয় মানুষ ফেলে , পরিচিত আকাশ ফেলে আমরা চলে যাচ্ছি । দূরে । বহুদূরে কোথাও.
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

27 Jan, 07:26


চোখ বিক্রি করে, আমি এই শহরে এসেছি। চারদিকে তাই কাউকে দেখি না। পথের মধ্যে একজন বলেছিল, কান দুটাও রেখে যাও। রেখে এলাম। এখন আমি আর ভালো-মন্দ কিচ্ছু শুনি না।
তবে, মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে এই শহরে।
একজনকে বললাম, এই খারাপ লাগার কারণ কী?
বললেন, বোকা ছেলে সব বিক্রি করেছ, বিবেকটা বিক্রি না করলে তো এমন হবেই...
এরপর, এই শহরে আমি একজন ভালো ক্রেতা খুঁজে বেড়াচ্ছি। কয়েকজনকে পেয়ে বললাম, একটা বিবেক ছিল। খুব কম দামে বেঁচতে চাই । নেবেন ভাই?
বললেন, মাথা খারাপ ! আমরা মাত্রই নিজেদের বিবেক বেঁচে দিয়ে এলাম।।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

25 Jan, 14:34


আমি তার জন্য কি না হারাইছি,ইজ্জত হারাইছি, সম্মান হারালাম,বন্ধু হারালাম,পরিবার হারালাম,ভুল জানতাম ভালোবাসলে পাথরেও ফুল ফুটে।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

24 Jan, 13:18


একটা জীবন ভীষন এলোমেলো,একজীবনে কত আক্ষেপ-ই-না রয়ে গেলো আমার।হয়নি পড়া সুনীলের সবগুলো কবিতা,পুর্নেন্দ পত্রীর "কথোপকথন"রবি ঠাকুরের "চোখের বালি" কিংবা জীবনানন্দ'র "বনলতা সেন"..কোনোটাই টানে নি আমায়।কোনো এক ভরদুপুরে পরিষ্কার নীলচে আকাশ দেখে বেসুরো গলায় হয়নি গাওয়া রুদ্র'র "ভালো আছি, ভালো থেকো"।দেখা হয়নি শীতের কুয়াশায় মোড়া সোডিয়াম আলোয় রাতের শহর,ঝাপসা আলোয় তলিয়ে গেছি..হয়নি ভেজানো পা একটা ফোঁটা শিশিরে।একটা কবিতা লিখবো বলে- কতো রাত জেগেছি,লেখা হয়নি,শব্দ খুঁজে পাইনি বলে।একজীবনে কত আক্ষেপই-না রয়ে গেলো আমার
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

22 Jan, 17:43


'বেঁচে থাকার জন্যে প্রতিদিন যে ট্যাক্স দিতে হয়, তার নাম নিঃসঙ্গতা।' এই নিঃসঙ্গতার বিপদ্দজনক রুপ দেখেছেন যিনি তিনিই কেবলমাত্র জানেন কবিতার ভার কতটুকু।

বোধহয় ভাস্কর চক্রবর্তী জানতেন, সবটুকুই। নাহলে কি করে তিনি বললেন? 'জীবন কি কচ্ছপের পিঠে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা?' অথবা

'আমি চোখ বুজি, চোখে খুলে যায় আমার ভেতর থেকে—
একলা থাকতে থাকতে, থাকতে থাকতে
আমার গায়ে সবুজ শ্যাওলা গজিয়ে উঠবে একদিন
পোড়ো বাড়ির মতো আমি অদ্ভুত দাঁড়িয়ে থাকবো একদিন গম্ভীর জঙ্গলের
মধ্যে—'
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

17 Jan, 15:57


জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা অনেক কিছু করতে চাই, কিন্তু সব সময় তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। চেষ্টার কোনো অভাব নেই, তবুও যেন এক অদৃশ্য বাধা আমাদের পথ রোধ করে। কখনো আত্মবিশ্বাসের অভাব, কখনো পরিস্থিতির জটিলতা বা কখনো নিজের ভেতরকার দ্বিধা। নিজের সীমাবদ্ধতার সঙ্গে লড়াই করে এগিয়ে যেতে চাইলেও, কেন জানি যেন পারি না। তবুও, এই ব্যর্থতাগুলো আমাদের শেখায়—চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, কারণ একদিন না একদিন সেই "পারতে না পারা" আমাদের "পারার" গল্প হয়ে উঠবে।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

17 Jan, 11:15


USA তে ডাক্তারি করতে হলে একটা এক্সাম দেয়া লাগে, USMLE, এই এক্সাম দিতে মোট কতো টাকা খরচ হয় জানো? গেস করো। মাত্র ৩০ লক্ষ টাকা 😂

বিলেত যাবা? বিলেতে যেতে হলে PLAB দিতে হয়, কতো টাকা লাগে জানো? মাত্র ১৫-১৮ লক্ষ টাকা 😂

কী, বিদেশ যাওয়া মস্ত ডাক্তার হওয়া কতো সোজা দেখেছো?

আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছি, এই এক্সামগুলো কিন্ত তুমি দিবে MBBS মানে অনার্স পাশের ঠিক পরে। এতো টাকা তুমি পাবে কোথায়?

৮. ভাই, আমি MBBS পাশ করেই চাকরি করবো, টাকা আর টাকা।

🤣,

ভাইয়া, MBBS পাশের পর তোমার জন্য কোনো চাকরি নাই। কোনো হসপিটাল তোমাকে নিবে না। নিবে না বলাটা ঠিক না, নিবে। কিন্ত বেকার খাটনি খাটাতে নিবে।

তোমাকে ১২ ঘন্টা হসপিটালে থাকতে হবে, এরজন্য তোমাকে দেয়া হবে মাত্র ৫০০ টাকা দৈনিক, কোনো কোনো দয়ার সাগর হসপিটাল হয়তো ৮০০ টাকাও দিনে দিতে পারে।

মজা এখানেও আছে, ম্যাক্সিমাম হসপিটালই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত, মানে এখানেও মামা-চাচা না থাকলে এই " খ্যাপ" টাও তুমি পাবে না।

৯.তাহলে ভাই কী করবো MBBS পাশ করে?
MBBS পাশের পর তোমার সামনে দুইটাই রাস্তা।

বিসিএস নাইলে বিদেশ যাওয়া। বাবার টাকা না থাকলে বিদেশ যাওয়া আগেই বাদ কারণ অনার্স পাশ কারো জন্য ১৫-১৮ লক্ষ টাকা জমানো প্রায় অসম্ভব।

দেশে প্রতি বছর MBBS পাশ করে ১০ হাজার স্টুডেন্ট। বিসিএসে নেয় ৫০০-৬০০ জন।

বাকিরা কই যায়? বাকিরা ৯৯% মানবেতর জীবন যাপন করে MBBS পাশ করেও। কারণ টাকা ইনকামের কোনো রাস্তাই তো নেই। টাকা না থাকলে দুনিয়া প্রায় অন্ধকার।

মানে MBBS এ ভর্তি হওয়াটা একজন ডাক্তারের একাডেমিক জীবনের সবচেয়ে সহজ ধাপ, আসল পড়াশোনার যুদ্ধ শুরু হয় MBBS পাশ করার পর। ফ্যামিলির যদি তোমাকে ৩০ বছর পর্যন্ত টাকা দেয়া ক্ষমতা না থাকে, তাহলে MBBS পাশ করার পর তুমি আসলে ৯৯% ক্ষেত্রে কপর্দকশূন্য হয়ে যাবে।

১০. মেডিকেলে সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস, সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ২ঃ৩০ টা। এরপর ইভিনিং ওয়ার্ড, বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত। তোমার আইটেম নামক কুইজ ডেইলি থাকবে। তোমার অন্যান্য ভার্সিটির বন্ধুরা যখন ঘুরতে যাবে, তুমি মুখ বুজে আইটেমের পড়া পড়বে। কারণ প্রতিদিনই আইটেম।

তাই যাদের কালকে মেডিকেলে চান্স হবেনা, তারা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করো যে এই অমানুষিক অত্যাচারের জগত থেকে আল্লাহ তোমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।

নিচে আমি আমার এক স্যারের ডিগ্রির টাইমের এক্সপেরিয়েন্স এর স্ক্রিনশট দিলাম, দেখে নাও ডিগ্রির স্যাররা কতোবড় দয়ালু। উনি আমার স্যার মানে টিচার।

আর MBBS পাশ করা যে কতো "সহজ", সে গল্প নাহয় আরেকদিন বলবো ইন শা আল্লাহ।

তাই বলে যে মেডিকেলে সুযোগ-সুবিধা নেই, তা কিন্ত না, তুমি যদি মেডিকেলে ক্লাসের টপার হও, মানে বেস্ট অফ দ্যা বেস্ট, তোমার সামনে অবারিত সুযোগ থাকবে পৃথিবীর যেকোনো দেশে বেস্ট লাইফ লিড করার, কিন্ত বেস্ট অফ দ্যা বেস্ট কতোজনই বা হয়? তাই কেউ মেডিকেলে চান্স না পেয়ে হতাশ হয়ো না।

মেডিকেল তোমার জন্য অমিত সম্ভাবনার দরজা খুলে দিবে কিন্ত সাথে সাথে একাডেমিকালি তোমাকে ম্যাক্সিমাম কেসে প্রচন্ড পেইনের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাবে।

যাদের জীবনের আল্টিমেট প্যাশন ডাক্তার হওয়া, তারা বাদে অন্যদের এই লাইনে আসা উচিত নয়। কেবলই ডাক্তার হওয়া, টাকা কামানোর ধান্দায় থাকলে পাশ করার পর পর ডিপ্রেশনে পড়ে যাবে৷ কিন্ত কেউ যদি মেডিকেল সাইন্সকে ভালোবেসে মেডিকেলে আসে, তার জন্য এসকল অসুবিধা কোনো ব্যাপারই না। টাকা কোনো না কোনোভাবে ম্যানেজ হয়ে যায়। আর সব স্যাররা তো খারাপ না, অনেক ফেরেশতার মতো স্যারও থাকেন। আর ডিগ্রির পর লাইফটা কিছুটা ইজি হয়ে যায়। মেডিকেল বিসিএস হয়ে গেলো তো লাইফ আরো ইজি ইন শা আল্লাহ।

শাদমান আবরার
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
বায়োলজি, ACS Future School

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

17 Jan, 11:15


মেডিকেলের Pros নিয়ে সবাই বলে, মেডিকেল লাইফের ভেতর নিয়ে কেউ বলে না।

নিচে কিছু প্রুফ দিচ্ছি, ভালো করে পড়ো। যদি কালকে চান্স না পাও, তাহলে এই যন্ত্রণা থেকে তুমি বেঁচে যাবে।

যারা চান্স পাবে না, তাদের জন্য মেডিকেলের কিছু গল্প বলিঃ

১. মেডিকেলে চান্স পেলেই সবাই ডাক্তার হয় না। MBBS পাশের পর "ডিগ্রি" বলে একটা শব্দ আছে।
( MBBS পাশ করলে মানে তুমি অনার্স পাশ করলে বা BSc করলে, দেশে যেমন অনার্স পাশ মানে বেকার, MBBS পাশ করার পরও সেটাকে বেকারই বলে, নামটা একটু শুনতে ভারী আরকি)।

তোমরা সেটাকে জানো FCPS, Diploma নামে। এইসব ডিগ্রির জন্য BSMMU তে পরীক্ষা দিতে হয় যেই পরীক্ষায় MBBS পাশ করা ডাক্তারদের মধ্যে পাশ করে ১০০ জনে ২-৩ জন।

ম্যাক্সিমাম MBBS পাশ করা ভাইয়া আপুরা এই ডিগ্রিতে চান্স পায় ২-৩ বার এক্সাম দিয়ে, মানে সেকেন্ড বা থার্ড টাইমার হিসেবে। প্রথমবারে ডিগ্রিতে চান্স পাওয়া মানে সবার কাছে বিশাল কিছু, ধরে নাও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ফার্স্ট হওয়ার মতো বিষয়।

আর MBBS ( যা অনার্সের সমতুল্য) পাশের পর ডিগ্রি তোমাকে করতেই হবে, মাস্ট। কারণ, ডিগ্রি ছাড়া তুমি ডাক্তার হতেই পারবে না।

২. MBBS ডাক্তার মানে MBBS পাশ করা ডাক্তারের কোনো দাম নেই, MBBS পাশ করার পর অন্তত এক বছর তুমি বেকার, তোমার বয়স তখন ২৪-২৫ বছর। তারপরও তোমাকে বাসা থেকে টাকা নিয়ে চলতে হবে। ভাবছো, MBBS এ চান্স পেয়ে রেগুলার টাকার বান্ডিল নিয়ে বাসায় যাবে? 😂, এমনও অনেক MBBS পাশ করা ডাক্তার আছে, ডেইলি তিন বেলা খাবারের বাজেট ১০০ টাকা।

৩. উপরে যে BSMMU তে পরীক্ষার কথা বললাম না, এগুলোর জন্যও কিন্ত কোচিং করতে হয়, মেডিকেল কলেজে গেলে দেখবা Synapse, Genesis সহ আরো বহু কোচিং এর পোস্টার। এগুলো কিন্ত ইন্টারমিডিয়েটের কোচিং না, এগুলো MBBS পাশ করা সিনিয়র ভাইয়া-আপুদের জন্য কোচিং।

৪. আরো মজার বিষয় বলি, এই BSMMU এর এক্সামগুলোর ফি কিন্ত ১০ হাজার টাকা (সর্বনিম্ন), মানে ফেল করলে এই পুরো টাকাটাই জলে। ডিগ্রিতে চান্সও পেলে না, টাকাও গেলো।

৫. ধরে নিলাম, তুমি খুব পড়াশোনা করে ডিগ্রিতে চান্স পেলে, চান্স পেয়েছো, ডিগ্রি কিন্ত পাশ করোনি । এই ডিগ্রিগুলো হবে ৪-৫ বছরের। এই ৪-৫ বছরে তোমার বেতন কতো টাকা হবে জানো? মাত্র ৩৫ হাজার টাকা সরকারি ইন্সটিটিউটে (ডিগ্রিতেও এক্সাম দিয়ে সরকারি ও বেসরকারি ইন্সটিটিউটে চান্স পেতে হয়)। বেসরকারি ইন্সটিটিউটে কোনো টাকাই দেয়া হবে না । তাও সবাই এই টাকা পাবে না, যারা প্রথমদিকের স্টুডেন্ট, তারা পাবে শুধু, ডিগ্রিতেও সরকারি, বেসরকারি আছে। যদি তুমি ডিগ্রিতে চান্স পাও কিন্ত সিরিয়াল পেছনে থাকার কারণে বেসরকারি মেডিকেলে ডিগ্রিটা করতে হয়, তাহলে তুমি কোনো টাকা পাবে না। আর সরকারি মেডিকেলে যারা ডিগ্রি করবে, তারাও খুশি হয়ো না, কিছুদিন আগেও আমাদের সিনিয়র ভাইয়া-আপুরা আন্দোলন করেছেন যে, উনাদের প্রায় আড়াই বছরের ডিগ্রির টাকা বাকি কেন?

একজন রিক্সাওয়ালা মামা মাসে ৩০ হাজার টাকা কামান।
আরো মজার, এই ৪-৫ বছর তুমি অন্য কোনো কাজ করতে পারবে না, কারণ তোমাকে ১৬ ঘন্টা সরকারি হাসপাতালে আটকে রাখা হবে ।

৬. ধরে নেই, তোমার ভাগ্য খুব ভালো, তুমি খুব ভালো স্টুডেন্ট, তুমি একবারেই ডিগ্রিতে চান্স পেলে। কিন্ত এই ডিগ্রি পাশ করতে তোমাকে insane লেভেলের চাটুকার হতে হবে। স্যাররা তোমাকে চড় থাপ্পড়ও মারতে পারেন, মুখ বুজে সহ্য করতে হবে। By the way, এইসব ঘটনা যখন চলছে তখন তোমার বয়স ২৪-৩০। মানে তোমার ভার্সিটির ফ্রেন্ডরা তখন দুই বাচ্চার বাবা আর তুমি এক্সাম পাশ করার জন্য ১৬ ঘন্টা কাজ করে দিয়ে স্যারের অপমান মুখ বুজে সহ্য করছো ।

৭. ভাই, আমি দেশি ডিগ্রি নিবো না, বিদেশে যাবো, 😂
ভাইয়া, তুমি স্বপ্নের দুনিয়ায় আছো।
বাংলাদেশের MBBS পাশ করে স্টুডেন্টরা দুই জায়গায় যায়
USA, UK. সোজা বাংলায় আমেরিকা নাহয় লন্ডন।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

16 Jan, 14:40


আজ বৃহস্পতিবার
আমাদের ফের দেখা হোক শীত শেষের দিকে ঠিক শেফালি ফুলের মৌসুম শুরু হবার আগে।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

16 Jan, 05:22


আত্মসম্মানবোধ আমার কাছে প্রেম ভালবাসার চেয়ে প্রিয়। তেজ, জেদ, সাহস এবং সততা, এগুলো আমার অলংকার।
আমি সহজে কারও “কাছের” হই না, নিজেকে সহজ বানাইও না। বন্ধুদের যত্ন করি, কিন্তু বন্ধনে জড়াই না। আমার মানসিক স্বস্তি নষ্ট হয় যে গলিতে, সে গলিতে যতই আলো থাকুক, ওই আলোয় আমি হাঁটব না। কোনো প্রলোভনে আমাকে দমানো যাবে না। যা আমি করতে চাই, তা আমি অবশ্যই করব। আর যা করতে চাই না, তা আমাকে দিয়ে কেউ করাতে পারবে না।
আমি কঠিন মানুষ। যতটা কঠিন হলে ভেঙে যাওয়া নিজেকে নতুন করে গড়া যায়, আমি ততটাই কঠিন।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

11 Jan, 07:22


হারাবে?
ঠিকানাহীন কোন ঠিকানায়!
যার নেই কোন প্লট, ব্লক, রোড বা সেক্টর
নেই কোন ডাকঘর বা টেলিফোন নম্বর..
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

10 Jan, 16:22


অনেকেই জিগ্যেস করে তোমার স্বপ্ন কি..?

আমরা আমাদের স্বপ্ন কে বাস্তব রূপ দিতে কতই না মরিয়া হয়ে উঠি তাই না..?
আমার মতে,,
আমি স্বপ্নকে কে বাস্তব রূপ দিতে চাই না,, বাস্তব কে স্বপ্ন বানাতে চাই🖤
কেন জানেন..?
স্বপ্ন কে বাস্তব রূপ দিয়ে গিয়ে আমরা আমাদের জীবন টাই শেষ করে দেই,, যদি না হয় আমাদের মুখ হয়ে থাকে হতাশা ভরা,,
একটা আক্ষেপ থেকে যায় আমি বোধহয় পারলাম না,,
কিন্তু বাস্তবতা কে মেনে নিয়ে তাকে স্বপ্ন বানালে দেখবেন জীবন কি সুন্দর হয়,, আমি যেমন আছি ভালোই আছি,, আমি আমিতেই খুশি🖤
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

10 Jan, 15:53


আচ্ছা,
তুমি কি আমার অপেক্ষায় বসে থাকো?
জানি, অপেক্ষায় তোমার ক্লান্তি নেই। এদিকে হতাশা, একাকিত্ব আর তোমার সঙ্গ না পাওয়ার অসুখে ক্রমশ দূরে সরে যাই। তোমার কী আফসোস হয় না, অনুশোচনা হয় না আমার জন্য?
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

10 Jan, 15:06


কথার ওপর কেবল কথা
সিলিং ছুঁতে চায়,
নিজের মুখের আয়না আদল
লাগছে অসহায়,
তুমি অন্য কারোর ছন্দে বেঁধো গান.
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

10 Jan, 11:27


তোমার জোছনার রঙে তুলি ডুবিয়ে আল্পনা আঁকি, তারই
মধ্যে আঁকি জোনাকির সুখ, তোমায় ছুঁয়ে লিখি কত নীল অক্ষর; সেসব বুকের কলঙ্কে রেখো...
যদি ভালবাসো, থেকে যেও আমার গালের তিলে-- আমার
শত জন্মের অপেক্ষা হয়ে.
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

10 Jan, 04:25


রাজনৈতিক দল, শিক্ষাব্যবস্থা, ঢাকার চিত্র, প্রিয়তমার মন সবই বদলিয়েছে, যা বদলায়নি তা কেবল আমার ভাগ্য।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

07 Jan, 17:45


"আমরা নিখুঁত নই। একটা ঘাসফড়িং নিখুঁত, একটা সন্ধ্যাতারা নিখুঁত, একটা বৃষ্টির ফোঁটা নিখুঁত। নিখুঁত একটা বসন্তের রাত। কিন্তু আমরা জন্ম থেকেই পঙ্গু, বেঢপ, মূর্খ এবং দিশাহারা। আমরা ধূর্ত, জালিয়াত, ভঙ্গুর, ভিখারি। আমরা জন্মাই শুধু ভুল স্বপ্নে ভুল কামে ভুল শহরে হেঁটে নিজেদের ধ্বংস করার জন্য, ভুল মানুষকে ভালোবেসে এবং আঘাত পেয়ে, বুক ভেঙে মরে যাওয়ার জন্য। শুধু, সবশেষে টের পাই, আমাদের ভুলগুলি কি মারাত্মক নিখুঁত!"
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

05 Jan, 15:15


আমারে রেখে দিয়েন- যেভাবে মুখের ওপর উরে আসা বিরক্তিকর চুল গুলারে রেখে দেন.
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

04 Jan, 20:55


sabko sab nahi milta💔

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

03 Jan, 19:18


প্রচন্ড খারাপ সময় গুলাতে যখন মেন্টাল সাপোর্ট দেওয়ার মতো কাউকেই পায়না,তখন ই মানুষ সবাই কে বলে বেড়ায় 'একা থাকাই ভালো!'

কোনো মানুষ আসলে নিজের ইচ্ছায় একা থাকতে চায় না,বাধ্য হয়।
আশেপাশে অনেক মানুষ কিন্তু কেউ ই তার না, এইসব যখন সে টের পেয়ে যায়,সেই থেকে মানুষ নিজেকে এবং অন্য কে বলে বেড়ায় 'একা থাকা ভালো! 🤍

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

03 Jan, 08:59


🗣️ : your music taste is so bad, rude, cringe.
(My music taste:)🥺🥀

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

01 Jan, 10:26


থেকে যেও, যেমন থাকে জন্ম দাগ
অদৃশ্য হলেও যেন অনুভূতিগুলা,
চিরকাল রয়ে যায় সময়ের গহিনে।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

01 Jan, 09:08


অশুভ


- অনেক পাখি মরেছে, বুঝলি?

- হ্যাঁ, ভাই।

- পাখির মৃত্যু কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়।

- মানে?

- বিভিন্ন লোককথায়, ইউরোপ থেকে শুরু করে ভারতীয় উপমহাদেশেও কিন্তু পাখির মৃত্যুকে অমঙ্গলের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। তাই বলছি, কালকে রাতে অনেক পাখি মরেছে।

- আরে, ভাই! তুই এসবে বিশ্বাস করিস? পাখি তো মরে-ই। যদিও এভাবে মৃত্যুটা  আমরা মেনে নিতে পারি না। আর আতশবাজি ফোটানোয় শুধু পাখিই নয়, মানুষও তো মরেছে।

- মানুষের কথা হচ্ছে না। মানুষ যুদ্ধে মরে, মহামারীতে মরে। এক্সিডেন্ট করেও মরে। মানুষের মৃত্যুতে অমঙ্গলের ছাপ নেই। অমঙ্গলের ছাপ থাকে পাখির মৃত্যুতে। যেখানে মৃত্যু স্বাভাবিক হয় না। কোনো কোনো লোককথায় এটাও আছে, যে বাড়ির সামনে পাখি মরে পড়ে থাকতে দেখা যায়, সে বাড়িতে বিপদ নেমে আসে। আর এখন তো গোটা শহর জুড়ে পাখিদের মৃত্যু হয়েছে।

- যাচ্ছে তাই। হাদিসে এইসব কুলক্ষণ এবং অশুভ জিনিসে বিশ্বাস করাকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

- হাদিসের অনেক কথাকেই আমরা Literal হিসেবে ধরে নিই, যেগুলো উচিত নয়। হাদিসে আছে সংক্রামক কোনো ব্যাধিই নেই। আসলেই কি?

- আরে, তার মানে হচ্ছে রোগ অন্য কোনো কারণে নয় বরং আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়।

- আমি কখন বারণ করলাম? There are more things in Heaven and Earth, Horatio than are dreamt of in our philosophy.

- কী বোঝাতে চাইছিস এক্সাক্টলি? ঠিক করে বল।

- কিছুই বোঝাতে চাইছি না। আমি নিজেই কি কিছু বুঝি? ভাবছি শুধু। ভেবেই যাই।


©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

31 Dec, 19:11


দেখছি সবাই এই বছরের শেষ দিন উদযাপন করছে! দেখতে ভালোই লাগছে সবাই নিজেকে আনন্দে রাখার সর্বোচ্চ প্রয়াস করছেন। সারা বছর যেমনই যাক না কেন অন্তত আফসোস রাখতে নেই শেষে! যদিও সব অপ্রাপ্তি, সব বিষাদ আর নেতিবাচক বিষয় গুলো ভুলা সম্ভব না সবার ক্ষেত্রে তবুও কিছু প্রাপ্তি, কিছু সুন্দর মুহুর্ত আর ইতিবাচক বিষয় আমাদের সহায়তা করে নিজেদের গুছিয়ে রাখার, ভালো রাখার এবং অপ্রাপ্তি গুলোকে উপেক্ষা করে ডিঙ্গিয়ে চলার। আমি -আমরা প্রতি বছরই নতুন কিছু শিখতে পাই, নতুন কিছু অর্জন করি এবং অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলি চিরতরে! এইবছর এমনই হলো তবে ভীষণ বাজে ভাবে হলো, আমার আত্মবিশ্বাস, আনুগত্য, ভরসা, আশা-প্রত্যাশা সব কিছু আমার সাথে নাটকের মতোই কাজ করেছে এবং আমার ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে ভেঙ্গে দিয়েছে আমার সুন্দর ব্যক্তিত্ব ও মানসিকতাকে কিন্তু কিছু প্রাপ্তিও ছিলো এ-বছর যা অবিকল স্বপ্নের মতোই ছিলো আমার জন্য। আমার জীবনের বাজে বছর গুলোর কথা আসলে ২০২৪ অন্যতম শীর্ষ স্থানে থাকবে! তেমনই আমার জীবনের সব চাইতে শিক্ষনীয় এবং বিশেষ কিছু প্রাপ্তির অন্যতম কারণ ছিলো এই বছরটা। আমি বরাবর প্রস্তুত সব কিছু গ্রহণ করার জন্য আগামী বছরেও আমার সাথে এমন কিছুই ঘটবে এবং প্রতিবছরই ঘটবে তবে আশা করি আমার হারানোর মতো আর কিছু নাই আর কিছু হারাতে হবে না! কিছু একটা আছে যার অপেক্ষায় আছি -সেটা হয়তো আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি হিসেবে আসবে নয়তো সর্বশেষ অপ্রাপ্তি হিসেবে। এছাড়া আমার আর কোনো ভয় নাই আমি মুক্ত পাখির মতোই আছি, আমার জীবন নিয়ে কোনো অভিযোগ নাই! আমি জানি আমি ততটুকুই পেয়েছি যা আমার জন্য ছিলো এবং যা পাবো সেটাও আমার জন্য লিখিত রাখা আছে। মাঝে-মধ্যে বড্ড যন্ত্রণা অনুভব করি,ঘটে যাওয়া বিষয় গুলোর জন্য কেননা এমন কিছুও ঘটে যা আমার সাথে ঘটার কোনো কথাই ছিলো না, বিনা দোষে আমি কতশত শাস্তি উপভোগ করি, কতো বার আমি সঠিক এবং মনোযোগী, পরিশ্রমী থাকা সত্ত্বেও অপ্রাপ্তির ভার বহন করে চলি, সব হারিয়ে ফেলার তিক্ত অনুভূতি আমায় ভীষণ বাজে ভাবে জখম প্রদান করে এবং বিশ্রী দাগ রেখে যায় জীবনে! তারপর নিজেই নিজেকে বুঝাই এই সব কিছু আমার পাওনা ছিলো, স্রষ্টা সব কিছু জানেন -তিনিই তো সব কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছেন, আমি অভিযোগ -অভিমত পোষণ করতে পারি না যতই দুঃখ আর যন্ত্রণা হোক আমার! আমায় শেষ অব্দি অপেক্ষা করতে হবে শেষটা সুন্দর হওয়ার জন্য! এমনকি শেষটা সুন্দর না হলেও আমি অপারগ, আমায় মেনে নিতে হবে এবং শেষ নিঃস্বাস অব্দি অপেক্ষা করে যেতে হবে, সময় লাগলেও সকল পরিস্থিতিতে আমি যেমন -তেমন ভাবে সামলে নিতে পারি নিজেকে এবং এই ক্ষেত্রে আমি কারোর উপর নির্ভরশীল না।
এটাই আমার বিশেষ প্রাপ্তি!

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

27 Dec, 16:06


ট্রেনের সীটে বসতে যাব অমনি!
পড়ে থাকা পিনটা দেখে-
ধাঁধিয়ে গেল আমার চোখের মণি।
হটাৎ যদি না দেখে যেতাম বসে,
হাড়ে হাড়ে টের পেতাম রক্ত রসে।

জানি না কে তুমি রেখে গেলা স্মৃতি,
মালিকানাহীন পিন, তাই নিইনি অনুমতি।
সযত্নে রেখে দিছি মানিব্যাগের ভাঁজে,
ওটা এখন লাগবে আমার সীম খোলা কাজে! 😴

> @Bangla_Poetry

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

27 Dec, 09:00


আর এখন তুমি উদাসীন হয়ে শীতকালে শেষ সন্ধ্যায় ঘুরে বেড়াবে, এমনতো হবেই এইরকম কাজে
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

26 Dec, 17:34


প্রিয় ডিসেম্বর, প্রভাতে তোমার শহরে মেঘ করেছে।
শীতের আলতো পরশ, মেঘলা, কুয়াশা!
কি অদ্ভুত সুন্দর এক অনুভূতি!
এই শহরেই জন্মেছো, অথচ এই শহরের মায়ার পরশ তুমি পাওনি।
তুমি কেবল রুক্ষতাকে খুঁজে ফিরেছো মহাকাল।
অথচ আমি কতটা কোমল হয়ে ফুটেছিলাম; তোমার জন্য!
তুমি দেখনি, তুমি বোঝনি
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

26 Dec, 07:49


আমি চাই তুমি ঠিক সেভাবে এসো, যেভাবে এলে- মন খারাপ, রোগ, প্যারাসিটামল, মাইগ্রেন সব ছেড়ে যায়।

তুমি ঠিক সেভাবে এসো, যেভাবে এলে- নিজেকে একেবারে ভেঙেচুরে দেওয়া যায়।

তুমি এসো আহত এক পাহাড়ভাঙ্গা বুকে বৃষ্টি হয়ে,
ঝড়ের রাতে ঘর হয়ে।

তুমি আমার মাথাটাকে নাও, আশ্বাস দাও ছেড়ে যাবে না।

আমায় জ্বরের রাতে মূল্যহীন একটা রুগ্ন গাছের মতো কাঁপতে হচ্ছে একা, বালিশ ভেজে, নালিশ জমে।
আমি চাই- তুমি কঠিন রাতগুলোতে আমার পাশে এসে বসো, আঁকড়ে ধরো আমায়। দীর্ঘ অনিদ্রার গায়ে হাত বুলিয়ে দাও, আমাকে নাও, আমার অসুস্থ শরীরটাকে নাও।

আমি চাই তুমি ঠিক সেভাবে এসো, যেভাবে এলে- প্রকৃতি নিয়ম লঙ্ঘন করে, আর আকাশ তার নিজস্ব রং হঠাৎ বদলে নেয়, জলের বুকে সিঁদুর মেঘ খেলা করে, রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট গুলো হয়ে ওঠে- বৃটেনের সেই নাইটমেয়র গল্পটার মত স্নিগ্ধ রোমাঞ্চকর।

তুমি ঠিক সেভাবে এসো যেভাবে এলে- শহর বাধ্য হয় ছোট্ট শিশুর মত ঘুমিয়ে পড়তে।

আমি চাই তুমি ঠিক সেভাবে এসো, যেভাবে এলে মহাকালও জানান দিক "তুমি এসেছো"।

নিজেকে সমর্পণ করে তুমি ঠিক সেভাবে এসো, CONTEUR যেভাবে এলে কোনমতেই তোমায় ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

26 Dec, 03:13


আজকে ফরজের নামাজের সময় নামাজ পড়তে অনেক বেশি অলসতা কাজ করছিল। শীতের জন্য এই সময় টা অনেক বেশি অলস লাগে। ৫ টা থেকে এলার্ম  দিয়ে রেখেছি উঠার জন্য কিন্তু বারবার এলার্ম বন্ধ করে শুয়ে থাকি। আজকে ঠিক তেমন কিছু ঘটেছিল। তখন হঠাৎ কানে এক শব্দ আসলো - একটি শোক  সংবাদ। আজকে রাতে আমাদের পাশের এলাকায় এক জন মারা গেছে। যিনি মারা গেছেন তিনি হয়তো এখন বেঁচে থাকলে আমাদের মত নিজেকে রবের কাজে নয়তো দুনিয়ার কাজে ব্যস্ত রাখতেন। কিন্তু এখন মারা গিয়েছেন তার দুনিয়ার সব কাজ শেষ। এখন তার শুরু একটি জীবন তা হচ্ছে পরকালের জীবন। দুনিয়ায় জীবন নিয়ে আমাদের কত কল্পনা সব এক নিমিষে শেষ হয়ে যাবে। আজ শীতের জন্য আমি ভালোভাবে নামাজ পড়ছি না। যারা শীতে  মারা যাচ্ছে তাদের কিন্তু ওই মাটির কবরে রাখা হবে। এভাবে আমাকেও মাটির কবরে রাখা হবে।   এভাবে একদিন আমিও  চলে যাব। পেছনে পড়ে থাকবে শুরু দুনিয়ায় করে যাওয়া কাজ গুলো। এভাবে একদিন যখন  সবাইকে বরের কাছে চলে যেতে হবে।  আমরা কি সত্যি  রবে সামনে যাওয়া জন্য প্রস্তুত ?

💞Unknown💞

আপনার লিখা পাঠান:
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

25 Dec, 14:41


এইযে দূরত্ব বাড়ালেন, অকারণ দূরে চলে গেলেন!
অপরিচিত গড়ে দিলেন দূরত্বের দেয়াল! আজকাল এসবের কারণ জানতে ইচ্ছে করে।
অথচ, এক জীবনে আপনাকে ভালোবাসা ছাড়া আমি আর কোনো অন্যায় করিনি।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

25 Dec, 14:10


আজ আমার পরীক্ষা তাই আমি পড়তেছি। আমার বাড়ির পাশে হয়তো কোথাও কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে তাই তারা গান বাজাচ্ছে। আমার বাড়ির পাশে রাস্তা দিয়ে একটি এম্বুলেন্স যাচ্ছে হয়তো আজকে কেউ অসুস্থ অথবা হয়তো আজ কারো বাড়িতে তারা তাদের প্রিয়জনকে হারালো। আমার পাশের ঘরে বসে ঘরের লোকজন কি করছে আমি তা জানি না। সত্যিই জীবন অনেক অদ্ভুত একই সময় আশেপাশের লোকজন কত কিছু করছে আমরা তা জানি না। কেউ হয়তো বা নিজেকে ব্যস্ত রেখেছে ভালো কাজে।  কেউ হয়তো নিজেকে ব্যস্ত রেখেছে খারাপ কাজে। কোথাও হয়তো আজ কোন নতুন শিশু জন্ম গ্রহণ করছে। কোথাও হয়তো কেউ তার প্রিয়জনকে হারানোর বেদনায় কান্না করছে।  একই সময় পৃথিবীতে কত কিছু  হচ্ছে তা সত্যিই আমাদের অজানা। অথচ এই সব বিষয়ের খবর একই সাথে  যিনি  জানেন  তিনি হচ্ছেন আমাদের রব

💞Unknown 💞

আপনার লিখা পাঠান:
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

24 Dec, 15:33


বিচ্ছেদ হবে না কেনো? মানুষের কাছে এখন ভালবাসার কদর নাই, সময়ের কদর নাই, ইমোশনের কদর নাই।

কদর শুধু আছে রাগের, ইগোর, স্বার্থের, বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের, মোহের। মানুষ ধরে রাখার চেয়ে ছাড়তে বেশি পছন্দ করে! নিজে বদলাবার আগে অন্যের বদলাবার এক্সপেকটেশান রাখে, রাগ আর জেদে প্রতিযোগীতা পছন্দ করে! নিজেদের সম্পর্ক সুন্দর করার চেয়ে আরো বেটার একটা খুঁজে নেওয়া বেটার মনে হয় তাদের!

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

24 Dec, 13:26


এক টুকরো আকাশ কিনবো তোমার নামে!
বিরাট সাইনবোর্ডে লিখা রবে "এখানে পাখিদের ওড়া নিষেধ,
ওড়বে না কোন প্রজাপতি কিংবা কিশোরের লাগামহীন ঘুড়ি"।
এরোপ্লেন নামক দানবও যাতে চাকা না বাড়ায় এ আকাশে।
মেঘ থাকবে না, গর্জন থাকবে না, কেবল নীল রঙ থাকবে।
সূর্য্যটিকে বানিয়ে দেব আমার আকাশ গোলাম।
কখনও যদি ইচ্ছে হয় তীব্র শীতে দুজন মিলে একটু করে রোদ খাবো।
তারপর আমি পৃথিবীর সকল নিয়ম ভেঙ্গে তোমার চারপাশে ঘুরবো।
আকাশে পাখী নেই বলে তুমি আফসোস করবে
আমি বলবো "চল দুজন মিলে ওড়াওড়ি করি"
এক টুকরো আকাশ কিনবো তোমার নামে!
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

23 Dec, 10:14


Before you start anything, learn how to finish it.😊

> @TG_Quotes

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

22 Dec, 17:33


যদি বউটা বলে
একটু আসো তো একা একা
রান্না করতে পারছি না
তাহলে ভেবো না
সে তোমাকে খাটাতে চাচ্ছে!!!
সে চায় তুমি তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে
ধরো

যদি বউটা বলে কই গো!
একা একা শাড়ী পরা যায়?
একটু আসো।

তাহলে শুয়ে থেকোনা!!!
সে চায়, শাড়ীর কুচি ধরে
নাভী ঘেঁষে
তোমার নিজ হাতে শাড়ীটা পড়িয়ে দাও

যদি বউটা বলে
অফিস (বা যেকোনো কর্মস্থল) থেকে এত দেরি করে বাড়ি
ফিরেছো কেন"?
তাহলে ভেবো না,
সে তোমাকে সন্দেহ করছে!!!
সে চায়,
অনেক সময় তোমার সাথে
থাকতে!!

যদি বউ বলে,
এক্ষূণি বাজার করে আনো,
ঘরে বাজার নেই,
তাহলে ভেবনা সে তোমাকে শুধু
বাজার করার জন্যেই পাঠাচ্ছে . . .
সে চায়,
তুমি ফেরার পথে তার জন্য
চকলেট চিপস্ ফুচকা ইত্যাদি আনো

যদি বউ বলে, খেতে ভাল লাগছেনা।
তাহলে ভেবনা তার খিদে নেই।
সে চায়, তুমি তাকে নিজ হাতে খাইয়ে দাও

যদি বউ বলে, তুমি আর আগের মতো আমাকে ভালবাসো না। দিন দিন পচা হয়ে যাচ্ছ,
তাহলে ভেবনা, সে তোমাকে অপছন্দ করে।
সে চায়,
তুমি তার কাছে আরো ভালো রোমান্টিক
স্বামী হয়ে উঠো
যদি বউটা বলে, আজ তোমাকে ঘুমাতে
দেবোনা,
তাহলে মনে করোনা সে তোমাকে
সহ্য করতে পারেনা!!!
সে চায় আজ রাতে গোছালো বিছানাটা
এলোমেলো হোক দুজনের
দুষ্টমিতে! 😊

> @Bangla_Poetry

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

22 Dec, 16:13


আমার জীবনে যাকে আমি গুরুত্ব দিয়েছি, কিংবা যে একবার আমার সাথে পরিচিত হয়েছে তাকে কোন দিন ক্ষতি করিনি। যার জন্য কেউ আমাকে ভুলার কোন প্রশ্ন আসেনা। সবার কাছে একজন হাসিখুশী,হাস্যমুখ নিয়ে কথা বলা একজন সুখী মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলাম, আছি এবং থাকবো। মানুষকে অভয় দিয়েছি, সঙ্গ দিয়েছি, সাহস যুগিয়েছি। একজন আদর্শিক মানুষ হবার চেষ্টায় আছি; যা আমাকে আনন্দ দেবে।

আধুনিক যুগের ডিপ্রেশন এঞ্জাইটি এখনো বুঝে উঠিনি। শুধু এটুক বুঝি কেউ আমাকে কষ্ট না দিক, দিলেও সমস্যা নাই; আমি সহ্য করেই সন্তুষ্ট। ওই লিরিকটার মত আমি কষ্ট পেতে ভালবাসি, তাই তোমাদের কাছে ফিরে আসি।

আমি নিজেকে যতটা স্ট্রং ভাবতাম আমি আসলে ততটা না। অভার ইমোশন, কারো ছোট্ট কথায় চোখের কোণে পানি এসে যাওয়া বাচ্চার মত ছেলেটাই আমি। কারো দুটো সুন্দর কথায় গলে গিয়ে আবার ধোকা খাওয়া কষ্ট পাওয়া ছেলেটাই আমি।

কারো কাছে এভেলেবেল হওয়া মানেই কি নিজেকে সস্তা করে তুলা মনে হয় না। অন্যের জন্য নিজেকে একদম সহজ করে ফেলা এটাই একটা গুন। মানুষের বিপদ দেখে যে কারো সামনে নিজ দায়িত্বে উপকার করে আসা টাও মহৎ। নিবেদিত প্রাণের এই পৃথিবীতে কোন কালেই মানুষকে মূল্যায়ন করা হত না। হবেও না। তারপরও, আত্নতৃপ্তি জিনিসটার দরকচা আছে, যা ভেতরে আনন্দ জোগাবে। ইয়েস ডুড! আত্মকেন্দ্রিক হলে চলবে না।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

22 Dec, 07:44


যত বড় হলাম তত শিখলাম, একটা ঘুম দিলেই সব ঠিক হয়ে যায়। শোক, ক্লান্তি, অভিমান, রাগ, হতাশা সবকিছুর আয়ু মাত্র ৬ ঘন্টা।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

22 Dec, 07:17


মস্তিষ্কের নিম্নতম গহীন ডুবন্ত কালকোঠোরীর এক প্রাণঘাতী অন্ধকার বয়ে নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে চলেছি প্রত্যহ। নিজেকে আশ্বস্ত করছি, "এইতো আর কটা দিন" সয়ে গেলেই ঝলমলে আলো এসে ধরা দিবে এই মৃতপ্রায় কর্ণিয়ায়। তবে এই সময়ের হিসেব যেন অন্ধকারকেই ভালোবাসে। নাহয় এতো সহসায় দিন, মাস পেরিয়ে যায়, তবুও অন্ধকারের সমাপ্তি নেই কেন? মাঝে মাঝে মনে হয় আমিই এই অন্ধকারের কারণ নই তো? এক আকাশ সংশয় নিয়ে আমি অন্ধকার দেখি। রঙহীন গাড় অন্ধকার। নিভু চোখে অন্ধকারের ভাবমূর্তিতে স্পষ্ট হয়ে উঠে নিজেরই চিরচেনা মুখশ্রী।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

21 Dec, 15:30


একটি সাদা ঘুড়ি,
উড়তে উড়তে ডুবে যায় মহাশূন্যে।
আমার কোনো কিছুরই তাড়া নেই,
বিশাল নক্ষত্রের বুকে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মাঝে।

মৃত্যুর দিকে দেখো,
সমস্তটাই সময়ের সুতোয় বুনো।
যেন এক অনন্ত চক্রে
আমাদের জীবন গাঁথা।

মৃত দুটি প্রাণী,
কথার ক্ষুধা নিয়ে বসে আসে স্মৃতির জ্যোৎস্না রাতে।
কথা হয় জীবন নিয়ে,
মৃত্যু নিয়ে, ভালোবাসা নিয়ে।
কথা হয় প্রতিটি মুহূর্তকে নিয়ে।

বেলা শেষে হেমন্ত আসলে
জলপাই পাতা ঝরে পড়ে উদাস পথিকের গায়ে।
চুম্বকের বিকর্ষণে কিছু ধান পেকে
বৃষ্টির মতো ঝড়ে পড়ে দিন হয়ে।
এরপর বর্ষা আসে,
যুগ ঢেকে যায় মেঘের আড়ালে,
তখন, সেই সাদা ঘুড়ির মতো
আমিও হারিয়ে যাই মহাশূন্যে।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

21 Dec, 15:15


বুকের ভেতর এক তীব্র অশান্তি নিয়ে কে-টে যায় রাতের পর রাত। মনে হয়, বুকের ভেতর চলতে থাকা আর্তনাদগুলোকে শুনবার জন্য কোথাও কেউ নেই। তবু, খুঁজে নেই তাকে, যাকে সবচেয়ে আপন বলে মনে হয়।

অথচ, বলবার সময় দেখি, যাকে ভাবি সবচেয়ে আপন, সে কথা শুনবার পাশাপাশি ডুবে আছে চারকোণা কাঁচের বাক্সের পৃথিবীতে। তখন, মনের মধ্যে কেউ এসে বলে, কি দরকার নিজেকে প্রকাশ করবার? তোমার কথা শুনবার মতো আগ্রহ আছে কার?

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

21 Dec, 14:52


আমি সূর্যোদয় ছিলাম,সে দেরিতে জেগেছিল।
সে চাঁদ ছিল,আমি খুব তারাতাড়ি ঘুমিয়েছিলাম.
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

21 Dec, 10:20


মানুষ কতো পারফেক্ট চায় আসলেই কি সত্যি বলতে কেউ পারফেক্ট হয়?
সৃষ্টিকর্তা কাউকেই হয়তো পারফেক্ট করে না। আসলে মানুষ যেরকম ই হোক নিজেকে কখনো নিজের কাছে ছোট করে দেখতে হয় না, মানুষ আপনাকে কোন দৃষ্টিতে দেখলো সেটা নিয়েও ভাবতে হয় না। আপনি যেমন তেমনই যথেষ্ট, আপনার প্রতিটা ভাঁজ, প্রতিটা ক্ষত, প্রতিটা অপূর্ণতা এ সবই আপনার গল্পের অংশ! 😊❤️‍🩹

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

20 Dec, 14:39


মানুষে মানুষে দূরত্ব কীভাবে তৈরি হয়। একসাথে অনেক বছর পাশাপাশি কাটানোর পর অকস্মাৎ কি আমরা আবিষ্কার করি যে জীবন বদাল গিয়েছে। এই আমার সাঙ্গ বসে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিল একটা মানুষ, অতঃপর কোনো হেমাভর বিকোল কি নিজোক দেখাত পাই চায়ের কাপ হাতে আমি একাই বসে আছি বারান্দায়। আর কোথাও নেই কেউ। সেখানে বসে আকাশ দেখা যায় না, আকাশ ঢেকে রাংথ বিকটাকৃতির সহ মানব। ওদের কংক্রিটের শরীর, গোট কত গুপ্তকুঠুরি শরীতে কোট বসানো নারক জানালা।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

20 Dec, 14:34


আমি ওকে কেমনে বলি ভালো থাকো আমায় ছাড়া,দোয়া কবুল হলে কি হবে আমার
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

03 Dec, 08:49


https://t.me/FunfactsTM

Join everyone 💡

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

03 Dec, 05:26


সব সময় স্ট্রং থাকা যায় না,ভেতরের আর্তনাদ লুকিয়ে রাখা যায় না!জমে থাকা ব্যথা গুলো হঠাৎ চিৎকার দিয়ে বলে উঠে, আমি ভালো নেই,আমি আর পারছি না..❤️‍🩹

~Nidhi

আপনার লিখা পাঠান:
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

02 Dec, 21:14


এই রাত অন্ধকার, দৃষ্টির অবিচার
কত পরিচয়, মিথ্যে অভিনয়

কার কথা উপকার, আছে তার অধিকার

ভেঙ্গেচুরে একাকার, হাসিমুখে অত্যাচার
কে জানে?

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

01 Dec, 15:12


-ভালোবাসা কখনো ধনী-গরীব, বয়স দেখে হয় না,
-তবে আমরা কেনো তা মেনে নিতে পারি না।💔

আপনি কখন কাকে ভালোবেসে ফেলবেন তা আপনি নিজেও বুঝবেন না। তবে এই ভালোবাসার বড় বাধাটা ফ্যামিলি হয়ে থাকে। তারা কখনো বুঝতেই চায় না, দুটো মানুষ একজন অন্য জনকে ভালোবেসে যখন ভালো আছে, তাহলে আমরা কেনো মেনে নিতে পারি না। আমরা কেনো ভেদাভেদ শুরু করে দেই, জীবনে ভালো থাকাটা মূখ্য। পরিবার মেনে নিলে হয়তো এই জগতে ভলোবাসার চেয়ে সুন্দর কিছু হতো না।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

01 Dec, 12:23


"এ শহরের নিষিদ্ধ জ্যামে আটকে থাকা কাকেরাও যেখানে আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় সেখানে তুমি কেন মুখ ফিরিয়ে নাও না?" এই একই প্রশ্ন নিয়ে তো আমিও বাঁচি রোজ একটু একটু করে...🌼🌿

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

30 Nov, 16:35


অপেক্ষা, প্রতীক্ষা কি ব্যাকুলতা, যে শব্দের উচ্চারণের জন্যে সেটাই বলা হয় না এই বহমান সময়ের স্রোত ধারার মাঝে। কেবল ইশারায় থাকে, কেবল তন্দ্রায় থাকে, কত যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বুঝাই।

আমি জানি না-
এই দীর্ঘ বর্ষার শেষে; আমি এখনও জানি না।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

29 Nov, 14:10


যদি আর-কারে ভালবাসো,
যদি আর ফিরে নাহি আসো.
তবে তুমি যাহা চাও তাই যেন পাও.....

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

29 Nov, 11:56


যা লিখি তা নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অভিজ্ঞতা। একমাত্র মৃত্যু বিষয়ক কবিতাগুলি পরোক্ষ অভিজ্ঞতার প্রতিক্রিয়া। মৃত্যুর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা যেদিন হবে, সেইদিন তো আর লেখার উপায় থাকবে না।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

29 Nov, 10:01


"আমাকে তুমি জাগিয়ে
একা কেন ঘুমালে?

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

29 Nov, 09:34


ছোট্ট একটা বাড়ি থাকবে তার, শহরে নয়, শহরতলিতে; যেখানে লাল কাঁকরের রাস্তা আছে আর আছে নীল আর সবুজের সমারোহ। মাঝে মাঝে দু পায়ে কাঁকর মাড়িয়ে বেড়াতে বেরুবে ওরা। সকালে কিংবা সন্ধ্যায়। রাস্তায় লোকজনের ভিড় থাকবে না। নিরালা পথে মন খুলে গল্প করবে ওরা, কথা বলবে।
আজকের বিকেলটা বড় সুন্দর তাই না?
কালও এমনটি ছিলো।
চিরকাল যদি এমনি থাকে?

~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

28 Nov, 17:59


ভালোবেসেছি তাই


আগের পর্ব
[ https://t.me/MaxRab1/270 ]


[ দ্বাদশ পর্ব ]



যাওয়ার আগে সবাই সব বন্দোবস্ত করতে শুরু করলো। আয়ান এই প্রথম কোথাও ট্যুরে যাচ্ছে। এর আগে কখনও সেভাবে কোথাও যাওয়া হয়নি তার। সেজন্য নিতুলের ওপর সে যেমন খুশি, তেমনি বিরক্তও। রুমি ছেলেটার সাথে এর আগেও কয়েকবার দেখা হয়েছে আয়ানের। তবে ছেলেটাকে দেখতে পারে না সে। অতি চটপটে স্বভাব আর মেয়েদের সাথে প্রচুর খাতির তার। যেখানে নাজিয়া আর প্রীতির মতো সুন্দরী মেয়েরা যাচ্ছে, সেখানে রুমির চলন বলন দেখে ওদের তার প্রতি ইমপ্রেস হয়ে যাওয়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়। মেয়েরা এরকম ছেলেদেরই পছন্দ করে বেশি।

- ভাই, রুমির সাথে তোর অত অন্তরঙ্গতা কবে থেকে?

- কেন? কী হয়েছে?

- ছেলেটা খুবই বিরক্তিকর।

- কী করলো?

- বেশি কথা বলে।

- বেশি কথা বলতে পারা লোকজন একটু না থাকলে ভাই মজা পাওয়া যায় না। আসর জমানো লোক দরকার।

-  রুমি একটু বাড়াবাড়ি।

- তো আর কাকে আনতাম? তুই তো শালা সাইলেন্ট মোড একটিভেট করে বসে থাকিস চিরকাল। সবাই অমন চুপ করে বসে থাকলে   ভাই আমরা তোদের ছাদে গিয়েই না হয় একসাথে বসে নীরবতা পালন করবো'খন।

- কিন্তু....

- লোকজন দেখবে একসাথে পাঁচ সাতটে ছেলেমেয়ে বসে বসে শোকসভা পালন করছে। কারো দাফন বা দাহ করতে যাব আমরা?

- তুইও ভাই কম যাস না।

- আমি আবার কী করলাম?

- কবে প্রীতি, প্রীতির ভাই এমনকি প্রীতির ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ডসুব্ধ খাতির করে ফেললি জানালিও না।

- যখন জানানোর দরকার তখনই তো জানালাম।

- হ্যাঁ, ভাই। কখন বিয়ে করে ফেলবি সেটাও জানাবি না। একেবারে বিয়ে শাদি করে বাচ্চা কাচ্চা স্কুলে যাওয়া শুরু করলে তখন জানাবি। তারপর জিজ্ঞেস করলে বলবি, স্কুলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত জানানোর দরকার ছিল না।

- থাম, ভাই। থাম। রুমিকে তুই হিংসে করিস বুঝেছি।

- হিংসে করি? আমি কেন হিংসে করতে যাব। আমার শুধু ওর...  মানে ওকে ভালোই লাগে না ভাই। ওর আচরণ এমন কেন?

- দাঁড়া, দাঁড়া। ওকে বলা হয়ে গেছে অলরেডি। এখন আর ওকে যাওয়া থেকে আটকানো যাবে না ভাই। তুই আমার সাথে সাথেই থাকিস বা আসিফের সাথে সাথে। তাহলে ওকে খুব একটা সহ্য করতে হবে না।

- আহা! খুব ভাবিস আমার জন্য। চললাম।

- যাওয়ার দিন লেট করিস না কিন্তু।


[ চলবে...... ]

©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

28 Nov, 13:23


আমি এক ধূসর অন্ধকার মেঘ আমাতে ঘর্ষণ হয় কিন্তু বজ্র হুংকার হয় না! তবে ভীষন অন্ধকারে আমাতে অঝোরে শব্দহীন বৃষ্টি নামে কিন্তু কোথাও পানি জমে না কিন্তু কেনো?

কেননা আমি এক স্তব্ধ ফুল :)
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

28 Nov, 07:54


মেঘেরা যেমন কান্না ঝরায় বৃষ্টির বাহানায়..
আমিও তেমন ঝরে পড়ি তোমাকে পাওয়ার আশায়।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

28 Nov, 06:52


তোমাকে পাইলেও জীবন চলবে, তোমাকে না পাইলেও জীবন চলবে..! তবে তোমাকে পেয়ে গেলে হয়তো সন্ধ্যায় একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে মন চাইতো, দুটো কথা বেশি বলতে ইচ্ছে করতো, রাস্তায় গোলাপ ফুল বা চুড়ি দেখলে শখ করে হয়তো একগুচ্ছ ফুল কিংবা জোড়া চার চুড়ি নিয়ে যেতে ইচ্ছে হতো... তোমাকে পেয়ে গেলে হয়তো একসাথে বসে আকাশের তারা গোনার সাধ মিটতো, বর্ষার দিনে একসাথে ভেজার শখ মিটতো.. হয়তো তোমাকে না পাইলে এই জীবনে এই শখগুলো অপূর্ণই থেকে যাবে, সবকিছুতেই একটা তুমি না থাকার অভিযোগ থেকে যাবে...! তোমাকে না পাইলে তেমন কিচ্ছু হবে না শুধু বুকের ভিতর জীবনভর একট হাহাকার থেকে যাবে, মাঝরাতে একটা চাপা ব্যথা অনুভূত হবে, মনের ভিতর মেঘ জমে হঠাৎ করেই বৃষ্টি নামবে অঝোরে.... তার চেয়ে বেশি আর

কিচ্ছুটি হবে না...!

তবে আমি বর্ষা চাইনা, বসন্ত চাই... আমি শূন্যতা চাইনা,
তোমাকে চাই...!. তুমি আমার বড্ড শখের, আমার জন্য নাহয়

একটা জীবন আমার সাথে থেকে যেয়ো... এবার নাহয় মান
অভিমান ভেঙে আরেকটি বার ফিরে এসো.....

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

28 Nov, 05:53


আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি.!

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

27 Nov, 09:47


পুড়ে গেছে পুরোনো সম্পর্কে বদলে গেছে অনুভূতির যাত্রা পথ, তোমরা কি শুনতে পারো? শূন্যস্থান সংখ্যা ভুলে গেছে।

অপ্রাসঙ্গিক তারা ছিন্ন হয়ে গেছে! তবুও নেই কোনো উৎসব। এতদিন কি ছিলো মোহ? নাকি রঙিন মিথ্যে?

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

26 Nov, 19:21


একাকিত্বতা, ম্যাসিভ ডিপ্রেশন, সুইসাইডাল টেনডেনসি সব একান্ত নিজের। করুণা, আর মায়ার সার্কাস দেখাবে কেউ কেউ। কিন্তু, এগুলা একান্ত নিজের ই কষ্ট, অন্য কারো না। কষ্টে পাথর হয়ে উঠতে পারলেই, দ্বিতীয় আর কোন কষ্ট নেই। পাথর হয়ে যাওয়া মানে, আপনি হতাশাগুলোকে আলিঙ্গন করছেন।

কেউ প্রতারনা করেছে, চরমভাবে মাঝ রাস্তায় ফেলে চলে গিয়েছে, একটুও ফিরেও তাকায়নি। ব্যাপার না। আপনি তারপরেও বেঁচে আছেন মানে আপনি রিলাইজ করেছেন, এই না থেকে যাওয়ার যুগে, যারা থেকে যায় তারা বড্ড অনিয়ম করে ফেলেছে।

এই একটা কথাই ভাবুন, পৃথিবী নিজেই চিরস্থায়ী নয়, কিভাবে সম্ভব মানুষের চিরস্থায়ী থাকা। টেক ইট সিম্পল, গো এহেড ফর ইউওর সেলফ, অনলি ইউওর সেলফ।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

26 Nov, 18:33


বিষয়টা খুব আগের না শীতের রাতে জ্যাকেটের পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাঁটতে বের হতাম, মৌলিক কোন দুঃখ না থাকলেও কোথায় যেন একটা দুঃখ থাকত! দুঃখটা এমন যে এর কোন নির্দিষ্ট কারণ নেই। আমার কষ্ট পাবার ক্ষমতা কমে গেছে এর মানে এই না যে আনন্দ পাবার ক্ষমতা বেড়ে গেছে। নদীর স্রোতে ভাসতে থাকা মানুষের লাশের মত, স্রোত বাড়ুক অথবা কমুক , তার আর কিছুই আসে যায় না। আমার আমাকে চেনার ইচ্ছেটা বেড়ে গিয়েছে। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় গুলো কাটাতে চাই একান্তই নিজের সাথে। আয়নার মানুষটার দিকে তাকালে প্রথমে খুব চেনা লাগে, আরও কিছুক্ষণ তাকালে অচেনা লাগে, আরও কিছুক্ষণ তাকালে এত চেনা লাগে যে, ভয় হয় খুব!

𝙇𝙤𝙮𝙖𝙡 𝙁𝙚𝙚𝙡𝙞𝙣𝙜𝙨🍀

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

26 Nov, 08:17


বন্ধুগণ! যারা চ্যানেলে লেখা দাও, দয়া করে বানানগুলো চেক করে নিয়ে তারপর লেখাটা দিও। আমরা স্কুল জীবন থেকেই বাংলার চর্চা করে আসছি। এত বছরের চর্চার পরেও বাংলা বানানে যদি ভুল হয়, তাহলে তা সত্যিই দুঃখের বিষয়।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

26 Nov, 08:01


পূর্ণিমার জলসানো চাঁদের আলোয় অপলক তাকিয়ে, earphone এ বাজছে আসেশ এর গান, চোখ বেয়ে পানি বেয়ে পরছে অনবরত।ভাবা যায়! যে মানুষ টা বলেছিলো আমাকে কখনোই ছেড়ে যাবে না,সে মানুষটার ও অন্য একটা মানুষ ছিলো। ছেলেরা বলে মেয়ে মানুষই ঠকায়,তবে আজ কেন মেয়ে হয়ে হেরে গেলাম!😅
মেয়ে হয়েও বাক হীন কান্নায় ভেঙে পরতে হয় মাঝ রাতে?

__নিধি

আপনার লিখা পাঠান:
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

19 Nov, 13:56


পুরুষ মানুষের মৃ*ত্যুর দিন ছাড়া আলাদা কোন দিবস নেই। পুরুষ মানুষের আছে শুধু দায়িত্ববোধ। নিজের স্বপ্ন বিস*র্জন দিয়ে, পরিবারের সদস্যদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করার নাম পুরুষ। পুরুষ মানুষ কখনো তাদের লক্ষ্য পৌঁছাতে পারে না, সময়ের পালাক্রমে তাদের লক্ষ্য পরিবর্তন হয়। পরিবর্তন হয় না একটা কথা কি করেছে পরিবারের জন্য! মৃ*ত্যুই কেবল পুরুষ মানুষের জন্য মুক্তির দিন।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

19 Nov, 11:10


নিজের দিক টা বুঝিয়ে বলতে না পারার ব্যর্থতা খুবই নির্দয়ভাবে চিবিয়ে ধরে মানুষকে। এখানে চিৎকার করার সুযোগ নেই কারণ ব্যর্থতাটা নিজের। তাই ব্যথা টা সহ্য করে যেতে হয়।

ভিতর থেকে আমি কি অনুভব করছি; তা মুখ পর্যন্ত আনাটা আমার জন্য ঘুমের মধ্যে বোবা ধরার পর চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করা সমতূল্য। যা শত চেষ্টার পরেও সম্ভব হয়ে উঠেনা।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

19 Nov, 10:40


আগে বুঝতাম শুধু ভালোবাসা দিয়েই সম্পর্ক হয়, সংসার হয় ।দুজন মানুষ একে অপরকে ভালবাসলেই বুঝি সংসার করা যায়, ভালো থাকা যায়। কিন্তু এখন সময়ের সাথে সাথে যখন আমরা নিজেদের আশেপাশে জানতে শিখি, বুঝতে শিখি, তখন বুঝি শুধু ভালোবাসা দিয়েই সম্পর্ক বা সংসার কোনটাই গড়ে তোলা যায় না। সংসার একটি জটিল রাসায়নিক বিক্রিয়ার মত। বিক্রিয়া পরিপূর্ণরূপে সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য অসংখ্য প্রভাবক এর দরকার হয়, না হলে সেটা মাঝপথে থেমে যায় বা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সংসার করা কিংবা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যেমন টাকা পয়সা, ধৈর্য্য, দায়িত্ব-কর্তব্য, একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, বড় দের আশীর্বাদসহ অসংখ্য প্রভাবকের দরকার হয়। শুধু ভালোবাসা থাকলেই হয় না।

"স্ফুটনাঙ্কের পারদের মতো অর্ধ প্রস্ফুটিত হৃদয়,
আরো একটি অর্ধ হৃদয়ের জন্য অপেক্ষমান
অবিকল অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তার মত
।।"

- নীলাশা 💙

আপনার লিখা পাঠান:
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

18 Nov, 17:49


"Permanent friendship" বলতে কিছু নেই! যত গভীর বন্ধুত্ব হোক না কেন একটা পর্যায়ে গিয়ে না চাইতেও
বন্ধুত্ব টা হারিয়ে যায়..!

একসময় আপনি যার সাথে খুব ক্লোজ ছিলেন এখনো তাদের সাথে সম্পর্কগুলো আছে, কিন্তু আগের মতো ক্লোজনেসের ব্যাপারটা নেই, যাকে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড দাবি করতেন একসময় দেখবেন সে আর ওই যায়গায় নেই..!

সারাজীবন কেউ না কেউ আপনার বন্ধু থাকবে! কিন্তু 'permanent' বলতে কাউকে পাবেন না। বন্ধু পরিবর্তন হবে.. পুরনো বন্ধুর প্রতি আবেগ,ইচ্ছে,টান থাকবে কিন্তু খালি বন্ধুত্বের ধরন পাল্টে যাবে..!

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

18 Nov, 17:46


এমনি ৫


আজ অনেকদিন পর টিভিতে একটা পুরো সিনেমা দেখলাম। টিভিতে সাধারণত কোন সিনেমা দেখা হয় না। দেখবই বা কীভাবে? আড়াই ঘন্টার একখানা সিনেমাকে এড দিয়ে সময় নষ্ট করে পাঁচ ঘন্টা - সাড়ে পাঁচ ঘন্টা অব্দি টেনে নিয়ে যায়। আজকে দুপুরবেলা খাওয়াদাওয়ার পর একটা বই নিয়ে বসেছি।  দু এক পাতা পড়াও হয়ে গেছে। বাইরের আবহাওয়া ভাল নয়। এরকম ওয়েদারে হয় সিনেমা দেখা উচিত না হয় রূপকথার বা ভূতের গল্প পড়া উচিত। বই-ই নিয়ে বসেছি। কিন্তু মন লাগছিল না। এ রুম থেকে সে রুমে যাচ্ছি। কে কী করছে দেখছি। আবার নিজের রুমে আসছি। শুচ্ছি, উঠে পড়ছি। কী করব বুঝতে পারছি না। মা'র রুমে গিয়ে দেখি মা টিভি দেখছে। মা'কে একটু জ্বালানো যাক ভেবে মা'র কাছে গিয়ে বসলাম। টিভিতে একটা সিনেমা শুরু হয়েছে মাত্র। যেটার কথা শুরুতে বলছিলাম। বনি সেনগুপ্ত'র সিনেমা। জি বাংলায় হচ্ছিল। কিছু সময় দেখে খেয়াল করলাম ভালই লাগছে। মুভির ঘটনা আহামরি কিছু নয়। খুবই সিম্পল প্লট। কিন্তু দেখতে ভাল লাগছিল। সিনেমার গল্পটা মোটামুটি এরকম - একটা ছেলে আর একটা মেয়ে একই অফিসে কাজ করে। ছেলেটা মেয়েটাকে প্রথম দেখাতেই ভালবেসে ফেলে। কিন্তু ছেলেটা খুবই লাজুক আর কম কথা বলা স্বভাবের। সে মেয়েটাকে বলতে পারেনা কিছু। প্রতিদিনের ঘটনা সে তার বাবাকে শেয়ার করে। তার বাবা তার বন্ধুর মতই। তো নায়ক নায়িকা দুজনের মধ্যে কীভাবে ভালবাসা গ্রো করে, ভালবাসা গ্রো করতে গিয়ে কীভাবে ঝামেলা তৈরি হয়ে যায় তারপর কীভাবে তা থেকে উত্তরণ হয় সেটা নিয়েই পুরো গল্পটা। ছেলেটার সাথে আমি নিজেকে রিলেট করতে পারলাম। এ যেন আর্চির গল্প নয়, আমারই গল্প। আমার জীবনে এরকম ঘটনা ঘটেনি বটে, কিন্তু ঘটলে অমনই হবে। সিনেমাটা দেখতে দেখতে মা'কে জিজ্ঞেস করলাম, " আচ্ছা, আম্মু। হোয়াট ইফ আমিও একটা মেয়েকে পছন্দ করলাম আর তোমার কাছে এসে তার কথা জানালাম। তুমি কি নায়কের বাপের মত আমাকে কোপারেট করবে? "

মা এমন উত্তর দিল যে কী বলব। বললো,
" তুই মেয়েদের সাথে গিয়ে কথা বলতে পারিস? অত সাহস তোর থাকলে তো। "
" আরে আমি বললাম যদি হয়। হলে তখন কী করবে? "
" তোর দ্বারা তো ঠিকঠাক কোন কাজ হয়না কখনো। ঐ বরাবরের মত তোর বাপকে আর আমাকেই কিছু করতে হবে আরকি। "

একে তো জীবনে ভালমন্দ কিছু হচ্ছে না, তারপরে মা'র এইসব মন খারাপ করিয়ে দেওয়া কথা। মা আমাকে এখনো বাচ্চা মনে করে কেন? মনে মনে বললাম, তুমহারা বেটা কুছ করকে দিখায়েগা মা। কিন্তু কী যে করব তার আইডিয়া নেই। সিনেমা দেখা শেষ হলে বাইরে গিয়ে দাঁড়ালাম। আজ সারাদিনে একটুও রোদের দেখা নেই, উল্টে বৃষ্টিই হয়েছে সারাদিন। চারপাশের পরিবেশ ভিজে একসা। রাস্তাঘাট পানি আর কাদায় পরিপূর্ণ। ছাদে উঠলাম। ছাদে গিয়ে দু দিকে দু হাত বাড়িয়ে আড়মোড়া ভেঙে হাই তুললাম। আকাশে মেঘ করে আছে। কালো মেঘ। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে বোঝা যাচ্ছে মেঘগুলো সরে যাচ্ছে একদিক থেকে অন্যদিক। অন্ধকার হয়ে আসছে চারদিকে। মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকলে মনের অজান্তেই কারো না কারো অবয়ব ফুটে ওঠে বলে মনে হয়। একটু আগে যে সিনেমায় দেখলাম সেই নীহারিকার ছবি ভেসে উঠল কি? নাকি অন্য কেউ? তার নামের আদ্যাক্ষর কি -? শশশ! বলা যাবে না। আর্চির গ্যালারিতে গল্পের তো হ্যাপি এন্ডিং হয়ে গেল। আমার জীবনের গ্যালারিতে কি হ্যাপি এন্ডিংওয়ালা রীল স্থান পাবে? কে জানে।

 
©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

18 Nov, 13:27


কবিতা- মনের পাখি
কবি-বঙ্কিম রানা

পাখনা মেলে যায় যে উড়ে
আমার খাঁচার বুলবুলি ,
বৃথা তারে ধরতে গেলে
হয় সে তখন রঙ- তুলি ।
স্বপ্ন ভাঙার গানগুলি সব
হৃদয়-বীণায় ঝড় তুলে ,
তবু পাখি দেয় না ধরা
জীবন নদীর এই কূলে ।
আকাশ আলোর এই পৃথিবী
তৃষ্ণাভরা ফুলগুলি ,
পারলে নিও বুকের মাঝে
আমার দেওয়া অঞ্জলী ।
বাঁধবো না আর কঠিন ডোরে
মন খাঁচার এই শৃঙ্খলে ,
মুক্ত আকাশ ঘর বানালাম
রইল খোলা সকলে ।
আমার খাঁচা রইল পড়ে
কাদা মাটির এই ঘরে ,
ভালোবেসে চাইলে এসো
বাঁধবো না আর পিঞ্জরে ।

আপনার লিখা পাঠান:
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

18 Nov, 12:26


তোমার চলে যাওয়া..
আমার বেঁচে থাকা আয়ুর মতো দীর্ঘ।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

18 Nov, 09:53


ডাক নাম ভুলে গেলে; সর্বনামে ডাকো! তবুও চিঠি লিখো, আমি বেশ আছি! ঠিক যেমন থাকে শহরের শেষ বাসে ঘরে ফেরা কোনো উদাসীন যাত্রী। চিঠি দিও; কথায় না হলেও অনন্ত নিরবতায় দিও। ইতিতে না হয় অতীতের সেই নামটাই রেখো! তবু চিঠি দিও!
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

18 Nov, 06:54


প্রিয়

সব শীতের শেষে বসন্ত আসে না। তেমনি সব অপেক্ষার প্রাপ্তি মনের মতো হয় না। আমার শহরে আপনার দেখা মিলবে না আর কখনই! আপনার সাথে পায়ে পা মিলিয়ে হাতে হাত রেখে শহরের পিচ ঢালা রাস্তায় সোডিয়াম লাইটের আলোয় হেঁটে বেড়ানো ইচ্ছেটা পূরণ হবে না হয়ত! শীতের বিকেলের ছাঁদে একরাশ বিষণ্ণতায় আপনাকে পাওয়া হবে না। একটা মস্ত বড় রাত নির্ঘুম কাটিয়ে দেওয়ার সেই নিধারুণ গল্পগুলোও হয়ত আপনাকে কখনো বলা হবে না!

পৃথিবীর কোন এক পাড়ে আপনার জন্য সীমাহীন ভালোবাসা পুষে রাখা কোন এক মানবের কথা ছোট্ট এই জীবনে আপনার হয়ত জানাই হবে না। আচ্ছা নীরু যাকে আমরা সত্যিই ভালোবাসি তাকে ভালোবাসি কথাটা বলতে পারা এতো কঠিন কেন বলুন তো? যাকে নিয়ে গোটা আস্ত একটা জীবন আমরা বেঁচে থাকতে চাই তারা কেন অবসরে আমাদের আফসোস হয়; মাঝরাতে বিষণ্ণ অভিমান হয়ে রয়? বলতে পারেন? বলতে পারেন এক জীবনে আমাদের এতো আক্ষেপ বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয় কেন?

সেই অপ্রাপ্তিগুলো পূর্ণ হতে পারত! কোন এক ঝুম বৃষ্টির রাতে বহুল প্রতিক্ষীত আপনাকে পাওয়া হতে পারত! সন্ধ্যার বিষণ্ণতায় আপনার কাঁধে মাথা রেখে অনায়েসেই বলে দেওয়া যেতো শত মন খারাপের কাব্য। অথচ এইসবের কিছুই হলো না। তবুও আপনাকে খুব করে বলতে ইচ্ছে করে- তুমি ফিরে এসো নক্ষত্র পতনের রাতে। আমি আবার তোমার প্রেমে পড়ব। আমি আবার তোমার দেওয়া দুঃখগুলোকে সযত্নে ভালোবাসব।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

17 Nov, 19:09


যতদূর চোখ যায় ঢেউ ঢেঊ
কতো ঢেউ কতো গান আমি আর পাঠাবো,কতদূর!
এইসব মায়ার খেলা নাকি
আর কতটা একা থাকি।।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

17 Nov, 16:48


সুদিন আসে না কোনো মূল্য ছাড়া—এই পৃথিবীতে,
বসন্তের স্বপ্ন দেখা পাতা তাই ঝরে পড়ছে শীতে।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

16 Nov, 22:29


আমার এই দুচোখে পরিপূর্ণ ঘুৃম পাচ্ছে না, কত বছর ধরে তার কোন ঠিক নেই....

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

15 Nov, 14:53


আচ্ছা! মানুষ কী পিছিয়ে যায়?

সমান্তরালে সবার মতোই আমরা ছুটতে চাই। অথচ কি অদ্ভুত ব্যাপার আমাদের প্রত্যেকের জীবনই আলাদা, ঠিক তেমনি আমাদের গল্পগুলোও; যেইগুলো অব্যক্তই থেকে যায় আজীবন।

তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি নতুন করে বীচার, যত চড়াই-উৎরাই থাকুক তাও আমরা সংগ্রাম করি, স্রোতের তোড়ে ভেসে যাই না। হয়তো বা সেই জন্যই আমরা যদিও সাধারণ তবে আমাদের গল্প গুলো অসাধারণ। সত্যি মানুষ স্রষ্টার এক বিস্ময়কর সৃষ্টি।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

15 Nov, 10:36


জীবন এখানে অবারিত মাঠ
খোলা আঙিনায়, খোলা দু'টি মন
জলে-জঙ্গলে সুখে ভরপুর চৌকাঠ।

এখানে ফসলের ক্ষেতের মতো সজীব দু'টি প্রাণ!
প্রাচুর্যে ঠাঁসাঠাসি, নেই কেউ থামাবার।
পৃথিবীতে স্বর্গের সুখ
কেনা হয়ে গেছে তাঁদের
এখন কেবল অপেক্ষা
পাখি হয়ে আকাশে উড়বার।

আহা নিবিড় আঙিনা!
আহা নীরবতা! আহা স্বাধীনতা!
আহা উন্মোচিত দিগন্তরেখা!

-Musafir

আপনার লিখা পাঠান:
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

15 Nov, 08:29


🥲

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

14 Nov, 17:36


ভালোবেসেছি তাই



আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/241 ]


[ দশম পর্ব ]


আয়ান নাজিয়াকে থামিয়ে দিয়ে বললো, "দাঁড়াও, দাঁড়াও। নিতুল এল কোথা থেকে? নিতুলকে পেলে কোথায় তোমরা?" আসিফ বললো, "আরে, ভাই! নিতুলই তো আমাদের মাথায় আইডিয়াটা দিল।" আয়ানের কৌতূহলের মাত্রা চরমে। জিজ্ঞেস করলো, "নিতুলকে চিনিস কীভাবে তুই?" আসিফ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মুখটা প্যাঁচার মত করে দু হাত বুকের কাছে বেঁধে বললো, "কোথায় থাকিস ভাই? নিতুলের সাথে থেকেও একটু সোশ্যালাইজ করা শিখলি না। নিতুলকে এই পাড়ায় চেনে না এমন কেউ আছে?" নাজিয়া বললো, "তো এখন আমরা তো চাইছি ঘুরে আসব কোথা থেকে। যাবি তুই আমাদের সাথে?" আয়ান ঠিক করে নিল যাবে তাদের সাথে। প্রতিদিন একইরকম ভাবে দিন যাপন করে জীবনটা কেমন একঘেয়ে হয়ে গেছে। একটু বদল দরকার। সে সঙ্গে সঙ্গে বলে দিল, "ওকে, ডান। আই এম ইন। আর কে কে যাচ্ছে?"
নাজিয়া বললো, "নিতুলকে জিজ্ঞেস কর।"
"আচ্ছা, যাব কোথায় সেটা ঠিক করেছ?"
"হ্যাঁ। সিলেট।"

নিচে নেমেই ঘরে গিয়ে নিতুলকে ফোন লাগায় আয়ান।

"হ্যালো, নিতুল?"

"হ্যাঁ। বল।"

"তুই শালা আমাকে না জানিয়ে আসিফ আর নাজিয়াপুর সাথে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে নিলি আর আমায় জানালি না কিছু?"

"দাঁড়া, দাঁড়া। প্ল্যান তো করিনি।"

"তাহলে?"

"আমি নাজিয়া আপুর সাথে একটু আলোচনা করছিলাম একটু ঘুরতে যাওয়া যায় নাকি সেটা নিয়ে। তো আপুই বললো সিলেট যাওয়া যায়।"

"নাজিয়া আপুকে পেলি কোথায় তুই? আর তুই যে তাদের ভাইবোনকে চিনিস, বলিস তো কখনো?"

"আরে, বলার কী আছে? আসিফ আর আমি আগে একসাথে ফুটবল খেলতাম মিন্টু রোডের ঐদিকে মাঠটায়। সেই সূত্রে আলাপ।"

"আর নাজিয়া আপু?"

"সব কথা তোকে বলব কেন রে?"

"কেন ভাই? কী হবে বললে?"

"আরে, ভাই! নাজিয়া আপু আর আসিফকে বরাবরই চিনি আমি। স্কুলে থাকতে থেকেই নাজিয়া আপুকে চিনি। অনেকবার উপজেলা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা করতে গিয়েও দেখা হয়েছে। আমরা তো ফেসবুকেও এড আছি। মিউচুয়ালে দেখিস।"

"আচ্ছা, বেশ। আমাদের সাথে আর কে কে যাচ্ছে?"

"আপাতত আমরা চারজন যে যাব এটা ঠিক হয়েছে। আমম....দেখা যাক। কয়েকজন মাথায় আছে ; ওদের বলে দেখব। রাজি হলে সাথে নিয়ে নেব আর নাহলে আমরা আমরাই। তোর বাড়িতে আপত্তি করবে না তো?"

" না, না। আপত্তি কীসের?"

"দেখিস ভাই।"

"হ্যাঁ।"

ঘুরতে যাওয়ার কথায় আয়ান যতটা না খুশি হয়, তার চেয়ে বেশি খুশি হয় নাজিয়া আপুও তাদের সাথে যাবে ভেবে। সেদিন যে নাজিয়া আপু আর প্রীতিকে একইসাথে স্বপ্নে দেখল, সেই কথা মনে আসে তার। দুজনেই সুন্দরী। দুজন দুরকম। দুজনেরই হাসি সুন্দর। চেহারা সুন্দর। নাজিয়া আপুর চুল প্রীতির চেয়েও বেশি সুন্দর। আবার প্রীতির চোখ নাজিয়া আপুর চেয়ে বেশি সুন্দর। নাজিয়া আপুর গলার স্বর একটু ভারি ভারি। প্রীতির গলার স্বর মোলায়েম। নাজিয়া আপু উচ্চতায় একটু লম্বা আর প্রীতি একটু খাটো। আয়ান কি দুজনেরই প্রেমে পড়ে বসে আছে? একইসাথে কি দুজনকে ভালোবাসা যায়? ভালোবাসা আর প্রেম কি এক? প্রেমে পড়লে ভালোবাসা হয় নাকি ভালোবাসলে প্রেমে পড়া হয়? এ ধরনের অনুভূতিকে শব্দবন্দি করা যায়? কতরকমের প্রশ্ন আয়ানের মনে দানা বাঁধে।


[ চলবে...... ]


©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

14 Nov, 06:31


সম্বিৎ



একটা বেশ সিরিয়াস লেখা লিখবো ভাবছি। আসলে শুধু ভাবিইনি। খানিকটা কাজেও পরিণত হয়েছে ভাবনাটা। তবে লাইন দশেক লিখেই কেটে দিতে ইচ্ছে করছে। মনমতো হচ্ছে না। ল্যাপটপটা কোলের ওপর থেকে নামিয়ে রেখে দিলাম পাশে। উপরে হাত বাড়িয়ে পাখা বন্ধ করলাম। দুমিনিট পরে বাতিও নিভিয়ে দিলাম। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। চারিদিক নীরব৷ বাইরের রাস্তা থেকে মাঝেমধ্যে রিকশা আর বাইকের হর্ণের শব্দ কানে আসছে। শব্দগুলো খুব তীক্ষ্ণ। এতো দূর থেকেও স্পষ্ট শোনা যায়। গরমে ঘেমে উঠেছি একটু একটু। ঘরটা প্রথমে অন্ধকারে ঢেকে ছিলো। কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। ধীরে ধীরে চোখ সয়ে আসতেই ঘরের সবকিছু ঠাহর হতে লাগলো। ঐতো সামনে আলমারি, হাতের ডানদিকে টেবিল আর চেয়ার, বাঁদিকে বুকশেলফ। ভাবনায় ডুবে যাচ্ছিলাম হঠাৎ মোবাইলে টুং করে একটা শব্দ হলো। নোটিফিকেশন এসেছে। দেখবো না৷ যা খুশি আসুক।

এখন তাহলে রাত। রাত মানে অন্ধকার, ভূত, প্যাঁচা, বাঁদুড়, চোর, নাইটক্লাব, কান্না, সুখচিৎকার আরও কতো কী! কদিন আগে প্যাঁচা নিয়ে একজনের সাথে কথা বলছিলাম। প্যাঁচার কথা মনে হতেই আমার বাড়ির কথা মনে পড়ে। কারণ ছোটোবেলায় একবারই মাত্র সামনাসামনি প্যাঁচা দেখেছিলাম। প্যাঁচা আর বাড়ি দুটো একসাথে মনে পড়লে বর্ষাকালের কথা মনে পড়ে। বর্ষাকাল আমার খারাপও লাগে আবার ভালোও লাগে। মিশ্র অনুভূতি কাজ করে এই সময়ে। আমি ছোটো থাকতে বাড়িতে একটা ছেলে ছিলো আমাকে স্কুলে নিয়ে আসার জন্য আর দিয়ে আসার জন্য। সেই ছেলেটা বর্ষার সময় বেশ কৌশল করে জাল দিয়ে মাছ ধরতো। আমার নিজেরও ওরকম মাছ ধরার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু আমার জন্য বাসার বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিলো না। অনেক অনুনয়, কান্নাকাটি করে বাসায় রাজি করিয়ে মাছ ধরা দেখতে গিয়েছিলাম ছেলেটার সাথে। সে এক বিচিত্র কথা। বর্ষায় গ্রামে গেলে বিপত্তির শেষ নেই। গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাই কাঁচা থাকে আর বৃষ্টি হলেই কাঁদায় ভরে যায়। হাঁটা মুশকিল হয়ে যায়। তবে প্রকৃতির অবর্ণনীয় অসামান্য রূপ বর্ষাকালে গ্রামে গেলেই দেখতে পাওয়া যায়। জেলেদের উল্লাস, ভেজা মাটির গন্ধ, আকাশের রং, গাছেদের প্রাণ পাওয়া,ছেলেপুলের কাঁদায় পড়ে খেলাধুলোর নামে দুষ্টুমি আর সাপে ব্যাঙে বাঁচামরার খেলাসহ কতো কী দেখতে পাওয়া যায়! কিন্তু শহরে বর্ষা বলতে কিছুই নেই। দেয়ালে জমে থাকা শ্যাওলা আর ছাতা মাথায় লোকজনের চলাফেরা ছাড়া আর কিছুই নেই শহরে। তবুও আমার গ্রামে যাওয়া হয় না এখন আর। শেষ কবে গ্রামাঞ্চলের বর্ষা দেখেছিলাম মনেই পড়ে না।

ভাবনার জাল আবার ছিঁড়ে গেলো। বাইরে থেকে চেঁচামেচির আওয়াজ আসছে। কিন্তু আমার ঘরটার কী যেনো একটা বদল ঘটে গেছে। আজকে রুমমেট বাড়ি গিয়েছে। ফিরবে না। তবুও কার যেনো উপস্থিতি টের পাচ্ছি। আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সজাগ হয়ে গেছে। আমি চোখ খুললাম। দেখি রোজমেরি আমার সামনে দাঁড়িয়ে। অন্ধকারেও বেশ বুঝতে পারছি। উপরে হাত বাড়িয়ে বাতিটা জ্বালাতে যাবো তক্ষুণি সে বলে উঠলো, " থাক না। অন্ধকার ভালো লাগছে। "
" আলো আঁধারির খেলাতেই আটকে আছি। "
" মিস করছিলে আমায়? "
" কখন এলে? টের পেলাম না তো। "
" এই মাত্রই। ঘরের দরজা খোলা রেখেছো তাই ঢুকে পড়তে পেরেছি। "
" দরজা তোমার জন্য সবসময় খোলাই ছিলো। কিন্তু তুমি কখনো আসোইনি। "
" এইতো এলাম। "
" চলে যাও। তুমি ভ্রম। তুমি হ্যালুসিনেশন। তুমি ইল্যুশন। তুমি সত্যি নও। "
" পাগলামো ছেড়ে স্বাভাবিক হবে না? "
" আমি তো স্বাভাবিকই। আমার চেয়ে স্বাভাবিক আর কজন আছে বলতে পারো? আমি এখনও লিখি। কবিতা লিখি, গল্প লিখি। ছোটোবেলার গল্প লিখি। আমার ছোটোবেলাকার বর্ষার গল্প শুনবে? আমি ভালো থাকার গল্প লিখি। আমার গল্পে কোনো দুঃখ নেই। আমি ভালো আছি। স্বাভাবিক আছি। "
"তুমি কাঁদছো কেনো? "
" কাঁদছি? কই, নাতো। খামোখা কাঁদতে যাবো কেনো? কীসব আবোল তাবোল বকছো? অন্ধকার কতো কিছু পার পেয়ে যায় আর আমার চোখ পার পাবে না সেটা কীভাবে সম্ভব? "

রোজমেরি এগিয়ে এসে আমার সামনে ঝুঁকে আমার  দুগাল মুছে দেয় তার হাত দিয়ে। তারপর পাশে বসে হাত দুটো ধরে বলে, " এখানেই সব শেষ নয়। ঐ দেখো " বলে নিজের ডান হাতটা জানলার দিকে নির্দেশ করে। আমি তাকিয়ে দেখি একগাদা লোকজন হন্যে হয়ে ছুটছে একটা খোলা মাঠের দিকে। যেনো কোনো একটা অতি মূল্যবান সম্পদ রয়েছে ওদিকে। হঠাৎ কালো রঙের বেশ বড় একটা  সরীসৃপ দেখতে পেলাম যা মানুষকে অন্য দিকে থেকে ধেয়ে আসছে। তখনই প্রচন্ড বৃষ্টিপাত আর তার মধ্যে অনুভব করলাম আমার হাত দুটোতে যে রোজমেরির হাতের পরশ পাচ্ছিলাম তা আর পাচ্ছি না। রোজমেরি চলে গেছে। আবার। চলে গেছে সে।



আবার মোবাইল বেজে উঠলো। এবারে নোটিফিকেশন নয়। রিংটোন।  দেয়ালে হেলান দিয়ে ঘাড়টা একদিকে কাত হয়ে কখন যে চোখ লেগে গেছিলো টেরই পাইনি। ঘাড়টা খুব ব্যাথা করছে এখন। গরমে পুরো শরীরটাই ঘামে ভিজে গেছে। পাখাটা চালিয়ে দিয়ে ফোনটা ধরলাম।


©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

13 Nov, 17:06


May be, today, I walked in the way you walk daily, 
May be, I, did stand there in where you wait for bus usually ,
May be, I, was enjoying a view you enjoy occasionally. 

Now, Guess what?

May be, I, came to your city,
May be, to feel you in air,
May be, just to feel loved,
May be, to give you a surprise.

You know,

May be, I used to stumbled before,
May be, then, I learned how to compartmentalise,
May be, I discerned how incredulous thing can happen when a man in love...

May be, you know, I know nothing...


©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

13 Nov, 10:09


কেউ দেহে মরে! কেউ বিশ্বাসে মরে! কেউ মরে ভরসায়। বলবো না তুমি কোথায় মরলে। তিন কবুলে অবিশ্বাসে নাকি নিশ্বাসে। শুধু জানি তুমি আর কখনো ফিরবে না। ফিরতে পারবে না!

৬ ইঞ্চি কপালে তুমি নেই, কিন্তু দেখো ২৮৩.৪৯ গ্রাম হৃদয়ে তুমি কেমন না চাইতেও থেকে গেছো। তোমাকে ভুলে যাওয়ার সমীকরণটা মনে হয় ভুল লিখেই পাস করেছি। মস্তিষ্ক নামক পরীক্ষক হয়তো আমাকে অসাবধানতায় পাস করে দিয়েছিল আর না হলে মায়ায়। আমি বোধহয় তোমাকে এখনও ভালবাসি, নয়তো নতুন জীবনে আবার তোমার মতো কাউকে খুজতাম না।

তুমি মস্তিষ্কের পিসিতে কপি করা ছিলে নতুন করে যাই লিখতে যাই পেস্ট হয়ে যায়। তোমার চোখ নাক কান গলা তোমার মুখ, তোমার হাসি। তোমার কন্ঠস্বর ভেসে আসে নতুন গানে, নব বসন্তের দিগন্তে। আমি বোধহয় তোমাকে এখনও

ভালবাসি, এখনও ভালবাসি। তোমার আদর,যত্ন,ভরসায়, রাগে,অনুরাগে অভিমানে নতুনে

যে তোমাকেই আমার লাগবে। তোমাকে ছাড়া আমার চলবেই না। আমি বোধহয় তোমাকে এখনও ভালবাসি। এই ভালবাসার সীমান্ত নেই, অসীম। ভালবাসা মরে না। মরে কেবল দেহের মানুষ, বিশ্বাসের মানুষ আর ভরসা মানুষ।

তুমিও মরেছো কোথাও না কোথাও, চাইলেও ফিরিয়ে আনা যায় না, ফিরতে পারে না আগের জায়গায়।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

12 Nov, 20:07


মানুষ চাইলেই সবাইকে জীবনে জড়িয়ে নিতে পারে না। নিশ্চিত শুভাকাঙ্ক্ষী জানার পরেও আপন করতে পারে না অনেক মানুষদেরকেই। সকল মানুষের নিজস্ব একটা গন্ডি থাকে, থাকে পাহাড়সম অনেক বাঁধা-বিপত্তি। তাছাড়া যেই মানুষগুলো প্রতিনিয়ত নিজের জীবনের চড়াই-উতরাই এর সাথে যুদ্ধ করে যায়, তাদের মতো মানুষদের কাছে ভালোবাসার মতো বিলাসিতার সময় থাকে না মোটেই। মজা মনে হলেও এটাই সত্য কথা। আর তাছাড়া যাকে নিয়ে ভবিষ্যৎ বোনার কোনো স্বপ্ন নেই। তার সাথে দু'দিন কথা বলে তার মনে আশার বীজ বোনাটা অ'ন্যায় কাজ। যেই অ'ন্যায় করলে মানুষের জন্য নিজেকে ক্ষমা করাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পৃথিবীতে সবাই সবার জন্য আসে না। তাই চাইলেই কাউকে জীবনে পাওয়া হয়ে যায় না। কিছু মানুষ সারাজীবনই হয়তো আমাদের মনের থাকে, কিন্তু তাদেরকে কখনোই নিজের করে পাওয়া হয় না। এতে কারোই দোষ থাকে না। তবুও এর জন্য ক'ষ্ট পেতে হয় অনেকটা। কিন্তু এই কষ্টটাই ভবিষ্যৎকে বাঁচিয়ে দেয় যত্ন করে। কারণ আজকে মায়াজালে পা বাড়িয়ে দিলে আজন্ম কষ্টকে নিজের সাথী বানিয়ে নিতে হবে। পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীতে সবটাই তো বদলে যায়। একদিন এই পাগলামীটাও বদলে যাবে কালের স্রোতে। তীব্র চাওয়া সঠিক মানুষটাকেই এনে দিবে একসময় জীবনে। বর্তমানটা তখন ধুলোপড়া স্মৃতি হয়ে থাকবে।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

12 Nov, 19:55


"যে থাকার সে এমনিতেই থাকবে, এফোর্ড ছাড়াও থাকবে" এই কথাটা অধিকাংশ সম্পর্কের ক্ষেত্রেই আসলে সত্যি।

যে থাকার সে থাকবে, চোখে না হারালেও থাকবে, অবহেলিত হয়েও থাকবে। কারণ, এই ঘৃণা আর মন্দবাসার পৃথিবীতে মানুষ কেবলই ভালোবাসার কাঙ্গাল। একটু ভালোবাসা পেলে মানুষ মাটি কামড়ে পড়ে থাকে। ভালোবাসা হারিয়ে যাবার ভয় কে না পায়!

কিন্তু, আপনি যাকে ভালোবাসেন আর যে আপনাকে সীমাহীন ভালোবাসা দিলো জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে যদি দেখেন, তার বুকের ভেতর প্রবল শূন্যতা তখন আপনার কেমন লাগবে? অথবা, যদি সে মানুষটা পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তার ডায়েরি পড়ে জানতে পারেন, আপনার উপর বুকভর্তি অভিমান নিয়ে সে মানুষটা পরপারে চলে গেছে, তখন আপনি কী করবেন?

যাকে ভালোবাসেন, তাকে যত্ন করতে সমস্যা কই? সে তো আছেই ভেবে তাকে জড়বস্তুর মতো রেখে দিলে সম্পর্কের সার্থকতা কই? দিনশেষে তার তৃপ্ত মুখ দেখে ঘুমাতে না পারলে ভালোবাসার মর্ম কই?

যাকে ভালোবাসেন, তাকে যত্ন করুন। সম্পর্ককে আদরে রাখুন। ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করুন অসংখ্যবার। যেন জীবনের শেষভাগে দাঁড়িয়ে আপনার মানুষটাই বলতে পারে, আপনার থেকে বেশি ভালো কেউ তাকে কখনো বাসেনি, বাসতে পারতোও না।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

12 Nov, 16:29


ভাবতেই অবাক লাগে, একদিন আমাদের বাড়ির লোক সবাই মরে যাবে। আত্মীয় স্বজন মরে যাবে। বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী সহ পরিচিত সবাই মরে যাবে। আমরা নিজেও মরে যাব। মরে কোথায় যাব সেটা জানি না। তবে মরে যে যাব, এটা জানি। আমাদের বাড়ি ঘরে তখন অন্য কেউ থাকবে। অন্য লোকজন। নাও থাকতে পারে। খালিই পড়ে থাকতে পারে। তবে আমাদের চির পরিচিত পাড়া, গ্রাম, শহর জুড়ে আমাদের বদলে অন্য লোকজনের বিচরণ থাকবে। আমাদের মনে করার মতো কেউ থাকবে না। আমরা তেমন তেমন বিশেষ কেউ না হলে কেউ মনে করবে না সেটাই স্বাভাবিক। আমরা কি তেমন বিশেষ কেউ হতে পারব? আমরা সেটা জানি না। ভবিষ্যৎ কে জানতে পারে, বলো তো? কেউই না। তবে লোকে আমাদের মনে রাখেও যদি, মরার পর তা কি আমাদের জন্য বিশেষ কোনো লাভ বয়ে আনবে? মৃত্যুর আগেই তো যতো লাভ লোকসানের হিসেব নিকেশ। মৃত্যুর পর তার গণনা হয় কি? শরীরী চাহিদা কি মৃত্যুর পরের অশরীরী অস্তিত্বকে কোনো প্রকার বিচলিত করতে পারে, যদি সত্যিকার অর্থেই মৃত্যুর পর মানুষ কোনো অশরীরী অবস্থা প্রাপ্ত হয় তাহলে?
কেমন হতো, যদি আমরা আমাদের মৃত্যুর সময়টা জানতে পারতাম? আমার তো মনে হয়, আমরা মৃত্যুকে ভুলে থাকতে পেরে খুবই কাজের কাজ করছি। প্রতিদিন নতুন নতুন স্বপ্ন বুনছি। এটা করব, সেটা করব। কালকে ওখানে বেড়াতে যাব, পরশু তাকে ফোন করব, তরশু অন্যজনকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলব। এমন চলতেই থাকে। অথচ আগামী এক ঘন্টার মধ্যে বাথরুমে পিছলে গিয়ে মাথাটা পাষাণ মেঝেতে ঠুকে গিয়ে মরে যাব কিনা তার নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি না। সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে পা ফেলতে একটু ব্যতিক্রম হতেই একদম গিয়ে নিচে পড়ে ইহলীলার সাঙ্গ করব কিনা জানি না। দুপুরবেলা কলিং বেল শুনে দরজা খুলতেই কেউ গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়ে বাড়ির জিনিস লুটপাট করতে আসবে কিনা তাও জানি না। এই এতসব না জানার মধ্যেও কত ভাবনা চিন্তা আমাদের জীবন নিয়ে। কত পরিকল্পনা।

আচ্ছা, দেয়ালে মাথা ঠুকতে ইচ্ছে হয় না মাঝেমাঝে? মনে হয় না, জীবন এমন কেন? আমার সাথেই কেন এমন হল? আমিই কেন? এর উত্তর আমরা জানিও। হ্যাঁ। জানি তো। জানব না কেন বলতে পার? আচ্ছা, বলে দিচ্ছি। আমি না, তাহলে কে? সে কেন? তাহলে আমিই বা কেন না? কী কারণ? বুঝতে পারি কি আমরা? না বুঝলেও জীবন থেমে থাকে না। কিছু না কিছু করেও জীবন কেটে যায়। তবে মৃত্যুই যে সত্য তার ব্যাপারে তো সন্দেহ নেই। মৃত্যুর পর আর ফিরে আসা নেই। আপনজন চলে গেলে তাকে আর দেখতে পাওয়ার পথ নেই। মৃত্যুর পর কেউ এসে বলে যেতেও পারবে না সে কী অবস্থায় আছে। এই পৃথিবীতে আদতে জীবিত মানুষের চেয়ে মৃত মানুষই বেশি। মৃত্যুর ছায়া চারিদিকে ঘূর্ণায়মান। কাউকে না কাউকে পাকড়াও করেই চলেছে প্রতিনিয়ত। বড় বড় শিল্পপতি, চিত্রকর, অভিনেতা, সাহিত্যিক, গায়ক, বিজ্ঞানী, ধর্মগুরু কাউকেই মৃত্যু ছাড় দেয় না। পৃথিবীতে তাঁদের এত অবদান মৃত্যুর কাছে কোনো গুরুত্ব রাখে না। তাহলে এত কিছুর অর্থ কী? আমরা কীসের পেছনে ছুটে চলেছি? কেন করছি? আখেরে যে জীবনকে আমরা আশীর্বাদ হিসেবে ধরে নিচ্ছি, সেই জীবনই আমাদের কখন শেষ হয়ে যাবে তা তো আমরা বলতে পারি না। পরিকল্পনা করে রাখা অনেক কিছুকে মাঝপথে ফেলে রেখে, স্বজনদের ঠিকঠাক বিদায় অবধি না জানিয়ে আমাদের আচমকাই হয়তো চলে যেতে হবে। এমন আশীর্বাদের কী আবশ্যকতা ছিল?
এরূপ আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়ে পার্থিব জীবনে কী কার্যোদ্ধার হচ্ছে?

আমরা হামেশা নিজেদের পছন্দের রাজনৈতিক মতাদর্শ, পছন্দের ধর্মীয় মতবাদ অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি সেটাই সত্য। সেই মতবাদে বিশ্বাস করলেই প্রকৃত মুক্তি। আমরা কিছুই নিশ্চিতরূপে জানি না। আমরা যা বিশ্বাস করি, তা অন্যেও বিশ্বাস করুক এমনটা চেয়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চাই; যাতে নিজের আত্মাভিমানী মন প্রফুল্ল হয়। অথচ ঐ মতবাদে নিজের ব্যক্তিগত জীবনে কী ফল পাচ্ছি, তা ভেবে দেখার অবসর পাই না। নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে, আমাদের আপনজনদের তাতে কী উপকার হচ্ছে তা ভেবে দেখার ফুরসত পাই না। বস্তত, আমরা নিজের আত্মীয় স্বজনের কথা চিন্তা অবধি করি না। বিশাল বিত্তশীল লোকেরা বাহবা কুড়নোর জন্য, সুশীলদের সভা-মজলিসে দান দক্ষিণার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গুরুগম্ভীর বুলি আওড়ান। অথচ তাদেরই গ্রাম্য কুটুম, গেল হপ্তায় মাত্র দেড় হাজার টাকার কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে ব্যাংকের মাঠ কর্মীর কাছে যে পরিবারসুদ্ধ অপমানিত হয়েছেন, সে খবরটুকু রাখেন না। এ তো কোনো বানানো কথা নয় যে, আমি বলে দিলাম আর আপনারা তা আমি বলছি বলে বিশ্বাস করবেন। এমন ঘটনা আকছার হচ্ছে। খবরের কাগজের পাতা ওল্টালে হয়তো পাওয়া যাবে না। খুন জখমের খবর না হলে এসব খবর লোকে ছাপবে কেন? কিন্তু মানুষ হয়ে মানুষের জন্য বাঁচলে, অন্য মানুষের খবর ঠিকই কর্ণগোচর হয়।

[ বাকিটুকু নিচে ]

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

12 Nov, 16:29


আমার কথায় হয়তো বৈপরীত্য দেখতে পাচ্ছেন। একবার বলছি, পৃথিবীতে যা-ই করি না কেন তার কোনো মূল্য নেই। মৃত্যু এসে হয়তো প্ল্যান করে রাখা কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই আমাদের গ্রাস করে ফেলবে। আবার বলছি, বাঁচলে মানুষ হয়ে মানুষের মতো বাঁচতে। তাতে পূর্বোক্ত ব্যাপারটার সমাধা কীভাবে হচ্ছে তার উত্তর পাচ্ছেন না। দেখুন, আমি তো সবাইকে একযোগে আত্মহত্যা করার পরামর্শ দিতে পারি না। দিলেও আপনারা আমার কথা মানবেন কেন? আমরা নিজের ইচ্ছায় পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ না করলেও, নিজের ইচ্ছায় কজনেই বা মৃত্যুবরণ করতে চাই? আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই একথা তো সত্য। আমরা কেউ বললেই এখন দশতলার ছাদ থেকে গিয়ে লাফ দিয়ে দেব না নিশ্চয়ই। প্রকৃতপক্ষে, যে পরকালে বিশ্বাস করে না সেও এমন কাজ করবে না কখনো। কেন করবে না এর পেছনে ওরা যা যুক্তিই দেয়, তা বুঝতে পারি কিন্তু তেমন একটা পছন্দ করি না৷ তবে স্বেচ্ছায় না মরলেও, মরতে তো হয়ই একদিন। বেঁচে যদ্দিন থাকা যায়, তদ্দিন সবার মাঝে একটা শুভ প্রভাব রেখে যেতে পারলে মৃত্যুর পরও তা পরবর্তী প্রজন্মকে প্রভাবিত করতে পারবে। পৃথিবী প্রকৃতপক্ষে কোনো সুখের জায়গা তো নয়৷ লোকজন এই ধ্রুব সত্য সম্পর্কে অবগত থাকার পরেও নতুন প্রাণ পৃথিবীতে এনে তাদের জীবনকে দূর্বিষহ করায় উদ্যত হন। এই প্রক্রিয়াকে থামানোর কোনো উপায় তো নেই। তাই লোকের ভালো করতে পারলেই নিজের সাথে সাথে অন্যেরও মঙ্গল। অন্তত, আমি তো এটাই বিশ্বাস করি।


©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

12 Nov, 15:43


আমরা প্রবল তৃষ্ণা নিয়ে যা চাই, তা পাই না।কেন?
~রাহা👀

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

12 Nov, 15:41


Life would have been better if “Agar tum saath ho”
~Raha💗

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

12 Nov, 13:13


যতবার লিখি ততোবার তার কথাই লিখি! তার পূর্ণযৌবনা, অপরূপ মোহিত সৌন্দর্য্য নিয়ে যা বর্ণনা করি তা আসলে তার আগে কিছুই নাহ! তাকে কখনো কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় নাহ! সে যদি কখনোই তা বুঝতে নাহ পারে সেটা আমার দূর্ভাগ তবে যতদিন তার নির্লিপ্ত দৃষ্টি থাকবে আমার উ যতদিন তার উদাসীনতা কাঁদাবে আমায় ততোদিন আমি লিখবো! যেদিন তাকে পেয়ে যাবো, সেদিন কবিতা থেমে যাবে! কারণ,
"সুখী মানুষ কাব্য করে নাহ"
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

12 Nov, 08:54


জীবন বলেছিলেন, " যে জীবন ফড়িং এর দোয়েল এর মানুষ এর সাথে তার হয় নাকো দেখা"। মুখচোরা আমি মানুষ এর দেখা না পেলেই বরং স্বস্তিবোধ করি। সুতরাং জীবন ফড়িং অথবা দোয়েল এর হলে আমার তাতে আক্ষেপ নেই। সৃষ্টিকর্তা বোধ করি আমার এই বিষয় টা তার কনসার্ন এর মধ্যে নিয়েছেন। বাগান টা যে ওদের বসতভিটা তা আমার খেয়াল ছিলো না। সুতরাং তাদের গৃ্‌হস্থে এই মধ্য দুপুর বেলা ঢুকে পড়ায় সে এসে তার টেরোরিটি মার্ক করে দিয়ে গেলো। কি সাহস! কি সাহস! তাদের নয়, আমার। জীবনানন্দের ফড়িং এর জীবন চাইতে গিয়ে আমার জীবন প্রজাপতির হয়ে গেলো!!
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

12 Nov, 04:13


আপনার লিখা পাঠান:
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

11 Nov, 19:36


তুমি আমার হৃদয় স্পন্দিত ফুল হও।
তোমার সুঘ্রাণে মরুভূমির তপ্ত আভা শীতল হোক;
রাঙ্গা চরণে বিষাদ মনে জ্যোতি ফিরুক।
আমি হবো তোমার শুশ্রূষা,
তোমার হৃদয়ের রত্নকণা।🌼
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

11 Nov, 17:13


যখন তুমি আল্লাহর ইবাদত থেকে ধীরে ধীরে সরে আসবে  তখন তুমি নিজের জীবনের আসল খুশিটাই হারিয়ে ফেলবে। কারণ আল্লাহ মানুষের উপর অসন্তুষ্ট হলে তাদের রিজিক বন্ধ করে দেয় না তাদেরকে   সিজদা দেওয়ার হেদায়েত কমিয়ে  দেন। তখন মানুষ ধীরে ধীরে জানা - অজানা অনেক বেশি পাপে লিপ্ত হয়। এখনো সময় আছে। সময় শেষ হয়ে যায়নি।  নিজের  পরকালের জীবনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু কর । কারণ কার  মৃত্যু কখন হবে কেউই বলতে পারবে না। আজ হয়তো জীবিত আছো।  কালকে জীবিত   নাও  থাকতে পারো ।আল্লাহর পথে ফিরে আসো। হেদায়েতের পথে ফিরে আসো।

-Unknown

আপনার লিখা পাঠান:
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

11 Nov, 16:03


_ জানো?

এই ব্যস্ততার শহরে সব হয়! যেমন ধরো প্রতিটি দুঃস্বপ্নের রাতে দুঃখের মেলা বসে, তারারা নিশ্চুপে ডাকে, না পাওয়ার আক্ষেপ প্রতিনিয়ত ধাওয়া করে, হতাশা ঘেরাও করে, আবার রাস্তার ধারে বাগানবিলাশেরাও ঝাঁক বেঁধে রাখে! "প্রেমিকের ওপর প্রেমিকার অভিমান তো হয়ই, সুদূরে থাকা মানুষটা তার প্রাণের মানুষের জন্য চিঠিও পাঠায়, সূর্য-বৃষ্টির ও মিলন হয়। কিন্তু হয় না শুধু আমাদের দেখা! দেখা হওয়াটা কি এতটাই অসম্ভব?
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

02 Nov, 20:04


কেউ আপনাকে ভালোবাসে আর কেউ আপনাকে মন থেকে চায় এই দুইটার মধ্যে অনেক পার্থক্য বিদ্যমান। ভালো আপনাকে যে কেউই বাসতে পারে। ভালোবাসতে টাকা লাগে না। দায়িত্ববোধ থাকেনা। তার উপর এই সম্ভা ভালোবাসার যুগে ভালোবাসা তো মুড়িমুড়কির মতোই কেনাবেচা হয়। আজ এখানে তো কাল ওখানে।

তবে আপনাকে যে চায় তার কাছে আপনিই লাস্ট অপশন। এই চাওয়ার মধ্যেই ভালোবাসা বিদ্যমান। এই চাওয়ার মধ্যেই পাওয়ার আকুতি বিদ্যমান। এই চাওয়ার মধ্যেই দায়িত্ববোধ বিদ্যমান। এই চাওয়ার মধ্যেই আপনাকে না পাওয়ার বা হারানোর ভয় ও বিদ্যমান। যে আপনাকে চাইবে সে সর্বাবস্থায় যেকোনো মূল্যেই আপনাকে চাইবে। আপনাকে অপশন হিসেবে না দেখে প্রায়োরিটি হিসেবে দেখবো
It's not about who likes you or loves you. It's all about who keeps choosing you constantly. So, make your decision wisely.
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

02 Nov, 18:32


White Lilies
এই ফুলের প্রতি এক আকাশ সমান ভালোবাসা জন্মেছে। একতো এই ফুল আমার শহরে পাওয়া যায় না বললেই চলে আর পাওয়া গেলেও দাম মাশাল্লাহ। কয়েক বছর পর এই ফুলের প্রতি আমার ভালোবাসা কেমন থাকবে জানিনা তবে নিজেকে অনেক গুলো লিলিস উপহার দেওয়ার ইচ্ছে বাকেট লিস্টে জমা হয়ে গেছে।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

02 Nov, 16:40


মাঝে মাঝে একটা ভয়ংকর অভিমান পেয়ে বসে এই শিশু মনে। সেই অভিমান ফেরে রাগের অগ্নি প্রবাহ বয়ে যায়, সে চায় দারুন মাপের নিদারুণ পরিণাম। যেমন, বরফ কনকনে শীতের রাতে পাগলা বৃষ্টি নামুক শহরজুড়ে, ঘোরেল ঝড় এসে লণ্ডভণ্ড করে দিক শহরতলী, কোনো সুনামী এসে কব্জা করুক মানুষের অধিকার। ধুরন্ধর এক উল্কা এসে পড়ুক, দেশটার পাঁজর ভেঙে দিক। বাজখাই শব্দে কেঁপে উঠুক গোলকটা, ভূমিকম্পের মাত্রা মাপতে গিয়ে কাঁটা ভেঙে যাক রিখটার স্কেলের। টানা হোক একটা কলঙ্কিত যুগের ইতি।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

02 Nov, 15:19


কবিতা - ওড়না
কবি - বঙ্কিম রানা

তোমার ঐ নীল ওড়না
ঝড়ের স্রোতে ভেসে,
আমায় ছুঁয়ে হারিয়ে গেল
নীল বাদলের দেশে ।
ঘুম পাড়ানি গান গুলি আর
দেয় না সাড়া এই প্রাণে ,
জোয়ার সম আছড়ে পড়ে
হৃদ-সাগরের মৌ-বনে ।
আয় না ফিরে ওড়না রে তুই
জীবন নদীর মাঝখানে ,
মন হারানো প্রাণগুলি সব
আবার ফিরুক তোর টানে ।।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

02 Nov, 13:59


কবিতা: উপদেশ
লেখক: হাঃফয়সাল

ভালো থাকতে চাও জীবনে
থাকতে হবে  মনে,
হাঁসতে হবে বেশি
থাকতে হবে খুশি।
কদর নেই যেখানে,
যাবে না সেখানে।
যে চাই না বুঝতে
যাবে না তাকে খুঁজতে।
সত্য বললে রেগে যায়?
রাগ ভাঙ্গানোর দরকার নাই।!

আপনার লিখা পাঠান:
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

02 Nov, 12:15


🌸🌼

- t.me/Nature_AI

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

02 Nov, 09:57


প্রেমের আধিপত্য বিস্তারে তোমার মত স্বৈরাচার এখনো বিশ্বের অদ্বিতীয়
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

02 Nov, 08:37


অশথ গাছের কাছে গিয়ে পিছিয়ে যাই শতাব্দী

দেওয়ালে আলো মোমেতে আলো পলতে আলো এসব পকেট থেকে বের করে জ্বালিয়ে দেওয়া পর ওপারে আলো জ্বালাতে গিয়ে দেখি কত শত আলো চোখে চোখে ঝলসে যায় অন্ধকারে পড়ে আছে কত শত নিথর ডানা আবার প্রসব যন্ত্রণা যন্ত্রণার ধুয়া যেন ছানি পড়া চোখ আগ্নেয়গিরির, গড়ে গড়ে পড়ছে ফোটা ফোটা গ্লানি সমতল পাহাড় গুহা সবশেষে যখন সত্য সম্মুখে বিন্দুর সন্ধান তখন কি জ্বলবে জন্মান্তর? অসস্ত গাছের কাছে গিয়ে পিছিয়ে যাই শতাব্দী।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

02 Nov, 07:15


অনুভূতি

'সরস্বতী পুজো' বাঙালীর প্রেম দিবস বলা যায়। তেমনই এক সরস্বতী পুজোয় তোমায় প্রথম দেখেছিলাম কলেজের গেটের বাইরে, তুমি হয়তো কারো জন্য অপেক্ষা করছিলে কিংবা এমনিই দাঁড়িয়ে ছিলে। তোমার পরনে ছিলো একটি " নীল" রঙের পাঞ্জাবি, হাতে একটি বেল্টের ঘড়ি, আর মাথায় একরাশ অগোছালো চুল বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে স্থির থাকতে পারছিল না বোধহয়। অদ্ভুত ব্যাপার কি জান! 🍂 আমার পরনেও একটি " নীল" শাড়ি, যদিও " নীল" রঙটি  আমার ভীষণ পছন্দের💙। সেইসব কথা এখন থাক, কিন্তু তুমি যখন ঘড়ি দেখতে দেখতে হঠাত্ আমার দিকে একপলক তাকালে.... তখন আমার মনে হয়েছিল দুনিয়াটা এখানেই থেমে যাক আর আমরা একভাবে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকি😌। কিন্তু তা তো হবার নয়, তখন মনে হচ্ছিল-
  " এক পলকে একটু দেখা, আর একটু বেশি হলে ক্ষতি কি?"
এইভাবে ভালবাসা হয় কি না আমার জানা নেই, তবে আমি প্রেমে পড়েছি ভীষণ ভাবে🍂, জড়িয়ে পড়েছি তোমার মায়ায়। তোমার ওই রিমলেস চশমার পেছনের দুটি বুদ্ধিদীপ্ত চোখের, তোমার ওই অগোছালো চুলের, তোমার ওই শান্ত নির্মল হাসির, তোমার ওই শুভ্র রঙা " নীল" পাঞ্জাবির, তোমার গলার আওয়াজ এর, এবং সর্বোপরি "তোমার"😌
আমি ভীষণ ভাবে প্রেমে পড়েছি,
কিন্তু কিছু অনুভূতি বলে প্রকাশ করা যায় না। আর এই 'অনুভূতি' আমার মনের গভীরের, এটি একান্তই আমার, 'শুধুই আমার'🍂। রবি ঠাকুর এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলেছিলেন-

" প্রত্যেকটি মন আর একটি মনকে খুঁজেছে নিজের ভাবনার ভার নামিয়ে দেওয়ার জন্য, নিজের মনের ভাবকে অন্যের মনে ভাবিয়ে তোলার জন্য।"🍂


                 - নীলাশা 💙

আপনার লিখা পাঠান:
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

02 Nov, 01:00


জানো,বোকা পুরুষ গুরুত্ব না পেলে দূরত্ব বাড়িয়ে দেয়,আর একটু বেশি গুরুত্ব পেলে-নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে ভালোবেসে যায়।

নারীরা'ও ঠকে,তবে পুরুষ'কে একটু যত্ন করে সাজিয়ে ঠকানো হয়।যেখানে না থাকে অভিযোগের ভাষা,না থাকে রাগ সৃষ্টির কারণ,শুধু বুঝে বুঝে সহ্য করে নিতে হয়।

হ্যাঁ,এটাই পুরুষ!:-)💙🤗

লেখা:-তানজিমুল ইসলাম মুনতাসির
শব্দে:-কৈশিকা রায়


আপনার লিখা পাঠান:
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

01 Nov, 21:55


বহুকাল পরে দেখা হবে ফের
সন্ধ্যা রাতের আকাশে,
তুমি হবে আধখানা চাঁদ
আমি শুকতারা হবো পাশে।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

01 Nov, 21:47


"তবু মনে রেখো, যদি মাঝেমাঝে উদাস বিষাদভরে কাটে সন্ধ্যাবেলা, অথবা শারদ প্রাতে বাধা পড় কাজে, অথবা বসন্ত -রাতে থেমে যায় খেলা। তবু মনে রেখো, যদি মনে পড়ে আর আঁখিপ্রান্তে দেখা নাহি দেয় অশ্রুধারা।"
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

01 Nov, 21:41


এখন পড়ছি খুবই চমৎকার দুইটা বই:

১. When Things Don't Go Your Way by Haemin Sunim
২. ট্রাকবাহনে ম্যাকমোহনে by নবনীতা দেবসেন।

এতটা আষ্টেপৃষ্টে ধরেছে বই দুটো, শেয়ার না করে পারলাম না। ভালো ভালো বইগুলো তো শেয়ার করার জন্যই, না?

আপাতত প্রদোষে প্রকৃতজন বই সাইডটেবিলে গড়াগড়ি খাচ্ছে। ওতে আবার কবে হাত পড়বে তা বলতে পারলাম না। গতকাল ২০ পৃষ্ঠা পড়ার পর আজকে কেন জানি ও বই আর ধরতে ইচ্ছে হয়নি।
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

01 Nov, 19:50


একটা সময় গিয়ে মানুষের মধ্যে যেকোনো কিছু "একসেপ্ট" করে নেয়ার ক্ষমতা চলে আসে। মেনে নেয়ার, মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা। এই স্টেজ-টা খুবই খারাপ। একবার এই স্টেজে চলে গেলে মানুষ মরে যায়। অনূভুতিরা অসাড় হয়ে যায়। কোনোকিছু আর দাগ কাটেনা, কিছু করার থাকেনা, বলার থাকেনা। অদ্ভুত এক আলস্য ভর করে শরীরে, মনে। শুয়ে শুয়ে মরন দেখতেও তখন আর গায়ে লাগেনা। নিজের মরন, অন্যের মরন, আত্মার মরন।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

01 Nov, 16:34


বিষণ্ন গানের সুর ধরে,
জীবন কেন থামে না।
একাকীত্বের একা জীবনে,
মানুষ কেন থাকতে চায় না।
শত স্মৃতিতে গড়া সুপ্ত অনুভূতি,
তবু হারিয়ে কেন গেলো?
বাস্তবতার মঞ্চে আমার না হলেও,
স্বপ্নে কেন আসো?
বিষাদের ঘণ্টা বাজিয়ে,
কেন চলে আসো?
~farabi raha

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

01 Nov, 15:05


তোমার পছন্দের সেই মৃদু বাতাস একদিন এক বিশাল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে তুমি টেরও পাবে না! 🖤

~Alien

আপনার লিখা পাঠান:
@GolpoKothaBot 📮

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

01 Nov, 09:20


ব্যোমকেশ যদি ফেসবুকীয় ট্রেন্ডের প্রশ্নগুলোর জবাব দিতো 😃


১. নাম?
উ: শ্রী ব্যোমকেশ বক্সী।

২. ডাকনাম?
উঃ ব্যোমকেশই ডাকে লোকজন। আর প্রাইভেট ডিটেকটিভ না বলে সত্যান্বেষী বললে খুশি হবো বেশি।
 
৩. চুলে রং করেছেন?
উঃ চারিদিকে যা রং দেখছি, তাতে আর আলাদা করে চুলে রং দেবার কোনো আগ্রহ পাইনি।

৪. হাড় ভেঙ্গেছে কোনোদিন?
উঃ না না। তবে একবার হাড় ভাঙার জোগাড় হয়েছিল বৈকি।

৫. একপাক্ষিক ভালোবেসেছেন কাউকে?
উঃ উঁহু। দেবদাস মার্কা জীবন আমি কাটাইনি কোনোদিন। যাকে ভালবেসেছি, তাকেই বিয়ে করেছি।

৬. কাউকে মারা যেতে দেখেছেন?
উঃ অনেকবার। আমাদের কাজকারবারই তো এরকম। আর লোক মরলেই তো আমাদের সংসার চলে। হে হে।

৭. সব থেকে প্রিয় ফুল?
উঃ আমার সত্যই তো আস্ত একটা ফুল।

৮. অ্যাম্বুলেন্সে উঠেছেন?
উঃ নিজে উঠিনি বটে তবে আমার সংস্পর্শে থাকা অনেক লোকই উঠেছেন।

৯. পোষা প্রাণী আছে?
উ: না হে। আমি নিজেই সত্যর পোষ্য হয়ে আছি।

১০. হাসপাতালে থেকেছেন?
উঃ হাসপাতালে থাকিনি। তবে মর্গে মড়া সেজে পড়ে থাকতে হয়েছিল অনুকূল ডাক্তারকে ধরার জন্য।

১১. ঘোড়ায় চড়েছেন?
উঃ  নাহ। চড়তে হয়নি কোনদিন। ভবিষ্যতে দরকার হলে ভেবে দেখা যাবে এখন।

১২. ভালোবাসেন?
উঃ সত্যই আমার একমাত্র ভালোবাসা। কী বললেন? সত্যবতীর কথা বলছি কিনা? কথার মারপ্যাঁচ কষবেন না তো।

১৩. টিকিট ছাড়া ভ্রমন করেছেন?
উঃ না, মশাই। ক্রাইম বন্ধ করার স্বার্থে কাজ করে চলেছি, বুঝলেন? ক্রাইম করতে নয়।

১৪. প্রেম পত্র লিখেছেন?
উঃ লিখতে হয়নি। ওসব লেখালেখিতে আমি নেই। ওসব অজিতে কাজ। তবুও বেচারা সারাজীবন একলাই থেকে গেল। আমি যা বলার সোজাসুজিই গিয়ে বলে দিয়েছি।

১৫. রাস্তায় নেচেছেন কখনো?
উঃ আমি নাচি না, মশাই। অপরাধীদের নাচাই।

১৬. জীবনে কয়টা প্রোপোজাল পেয়েছেন?
উঃ বিয়ে শাদি হয়ে গেছে। এখন আর এসব জিজ্ঞেস করে লাভ কী বলুন?

১৭. বাড়ি থেকে পালিয়েছেন?
উঃ পালাইনি। তবে হ্যারিসন রোডের বাড়ি থেকে অজিতদের মেসে গিয়ে বেশ কয়েকদিন থাকতে হয়েছিল। সবই তদন্তের স্বার্থে।

১৮. চুরি করেছেন?
উঃ করতে হয়েছে, মশাই। করতে হয়েছে। তবে রহস্য সমাধানের জন্য করতে হয়েছে। অন্য কোন অভিসন্ধি ছিল না আমার।

১৯.ভূত দেখেছেন?
উ: নাহ! বরদার সাথে যেবার দেখা হয়েছিল, ভেবেছিলাম হয়তো দেখে টেখে ফেলব। কিন্তু না। যুক্তি দিয়ে যা বিচার করা যায় না তা নিয়ে আমি বিশেষ মাথা ঘামাই না।

২০. বেস্টফ্রেন্ড আছে?
উঃ অজিত ভায়াই তো আমার বেস্টফ্রেন্ড।

২১. কাউকে ভালো লাগে?
উঃ আপনি আজকে বাড়িতে ঝগড়া লাগিয়ে ছাড়বেন দেখছি।

২২. প্রিয় খাবার?
উঃ কচুরি। আর সত্য ভালোবেসে যা রেঁধে খাওয়ায় তা-ই প্রিয়।

২৩. আপনি কেমন?
উঃ আমি একজন সত্যসন্ধিৎসু। সত্যান্বেষী। সত্যের প্রেমিক। আর নেহাতই একজন ছাপোষা বাঙালি ভদ্রলোক। ব্যস!

২৪. প্রিয় জায়গা?
উঃ সত্যর মন। ইয়ে মানে.... এই যে এই কেয়াতলার যে বাড়িটায় আছি সেটাই এখন প্রিয় জায়গা। আর হ্যারিসন রোডের যে বাড়িটার তেতলায় থাকতাম সেই বাড়িটাও। অনেক স্মৃতি আছে বাড়িটাকে ঘিরে।

২৫. বড় কোন ইচ্ছা আাছে ?
উঃ না মশাই। আমি যেমন আছি, যেমন চলছে তেমনই কাটিয়ে দিতে চাই। আর খোকা পড়াশোনা করে মানুষ হোক। খুব বড় ইচ্ছে টিচ্ছে নেই তেমন আর। তবে অজিতের বড় ইচ্ছে আছে। সে তার বইয়ের ব্যবসা আরও বড় করতে চায়।  

২৬. প্রিয় পোশাক?
উঃ  ধুতি আর পাঞ্জাবি। সাহেবদের পোশাক পরতে আমার আপত্তি নেই। তবে ধুতি পাঞ্জাবি পরে যা আরাম, তা আমি ওসবে পাইনে।

২৭. নিজেকে কত দিতে চান?
উ:  কেন লজ্জা দিচ্ছেন বলুন? সত্য আর অজিতকে জিজ্ঞেস করুন। ওরা যত দেয়, দেবে।

২৮. রান্না করেছেন?
উঃ না, বাপু! আমি রান্না করতে গেলে লোকজনকে সেদিন উপোস করে থাকতে হবে। ভাগ্য করে পুঁটিরাম আর সত্যকে আমার জীবনে পেয়েছি। বুঝলেন?

২৯. একাকীবোধ করেন?
উঃ আগে হয়তো করতাম। কিন্তু অজিতের মত বন্ধু আর সত্যর মত বউ পাওয়ার পর থেকে আর করিনা।

৩০. কবে বিয়ে করবেন?
উঃ সাত খন্ড রামায়ণ পড়ে সীতা কার বাপ জিজ্ঞেস করলে তো হবে না মশাই।

©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

31 Oct, 17:20


হ্যালোইন পর্ব


" হ্যাপি হ্যালোইন! "
" কে? "
চমকে পেছনে ফেরে রিয়া।
" ট্রেভর! "
" ওভাবে দাঁড়িয়ে আছিস যে? আজ পার্টি হচ্ছে না?"
" তোকে ছাড়া পার্টির আমেজ আসবে কোত্থেকে? "
" গত বছরের এই দিনটার কথা মনে আছে? তুই সেজেছিলিস হোয়াইট ল্যাডি আর আমি স্বয়ং লুসিফার, " এ কথা বলেই ট্রেভর হাতটা বাড়িয়ে দেয় রিয়ার দিকে।
" চল না বাগানের দিকটায় যাই৷ ওখানে গেলে মাটির কাছাকাছি যাওয়া যাবে। মাটির গন্ধটা নাকে এলেই শান্তি পাওয়া যায়৷ মাটির আশ্রয়েই যে থেকেছি অ্যাদ্দিন। কীরকম যেনো মায়া পড়ে গেছে৷ "
রিয়া ট্রেভরের বাড়িয়ে দেয়া হাতটা ধরতেই চমকে ওঠে। সে যেনো কোনো মানুষের হাত না ধরে কোনো বরফের খন্ড চেপে ধরেছে৷ ট্রেভর এগোতে থাকে। রিয়াও। অতি ঠান্ডায় হাত জ্বালা করলেও ট্রেভরের হাতটা ছেড়ে দেয়না সে। চোখ বেয়ে জল পড়তে থাকে তার৷
ট্রেভর একসময় থামে। তাকায় রিয়ার দিকে। রিয়াও তাকায় ট্রেভরের দিকে। রিয়া বলে, " কখনো ছেড়ে যাবিনা তো আমায়? "
" তোকে নিতেই তো এসেছি আমি৷ "



রিয়ার বড় ভাই রাহুল এসেছিলো বোনকে ডিনারে ডাকতে। দেখলো রিয়া একা একা বাগানের দিকে হেঁটে চলেছে৷ তাদের বাড়িতে অন্য সব বছরই হ্যালোইন পার্টি হতো। আজ হয়নি। রিয়ার জন্যই৷ রিয়ার ফিয়ঁসে (fiancé) ট্রেভর দু সপ্তাহ আগে রোড অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে।  তারপর থেকে সে নাওয়া খাওয়া ছেড়েই দিয়েছে প্রায়৷ দিনে দিনে চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে৷ ডাক্তার বলেছে ট্রেভরের শোক কাটিয়ে উঠতে না পারলে আর কোনো আশা নেই। এতোদিন দরজা বন্ধ করে ঘরেই বসে থাকতো। আজ বিকেলের দিকে বেরিয়ে বারান্দায় হেঁটেছিলো কিছু সময়। তারপর সন্ধ্যে থেকে এখানেই উঠোনটায় একা বসেছিলো৷ থাক, হাঁটুক বাগানের দিকটায়। এতে যদি কিছুটা ভালো বোধ করে। একটু পরেই না হয় ডাকা যাবে৷ এই ভেবে রাহুল চলে গেলো।

©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

31 Oct, 17:16


ভালোবেসেছি তাই


আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/217 ]


[ অষ্টম পর্ব ]


সেদিন রাতে আয়ান খেয়েদেয়ে একটু আগেই ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমিয়ে এক বিচিত্র স্বপ্ন দেখে সে। সে দেখে, প্রীতি মেয়েটা একটা বড় অডিটোরিয়ামের মতো জায়গার স্টেজের একদম মাঝখানে একটা চেয়ারে একলা বসে আছে। তার দেহ অনড়। দৃষ্টি স্থির। দর্শক সারিতে রাশি রাশি চেয়ার রাখা। কিন্তু চেয়ারগুলোতে কেউ বসে নেই। পুরো ফাঁকা। শুধু প্রচন্ড অট্টহাসির শব্দ শোনা যাচ্ছে। কারা যেন একসাথে দল বেঁধে নিজের সর্বশক্তি ব্যয় করে হাসছে। আয়ান শব্দের দিকটা অনুসরণ করে তাকাতেই দেখতে পায় নিতুল আরও কয়েকটা ছেলে আর মেয়ের সাথে অডিটোরিয়ামের এক কোণায় দাঁড়িয়ে হাসছে। কেন হাসছে ওরা? কিছুই বুঝতে পারে না আয়ান। তার খুব রাগ হতে থাকে। সে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে এগিয়ে যায় সামনের দিকে। গিয়ে স্টেজের সামনে একদম প্রীতির সামনাসামনি দাঁড়ায়। প্রীতির কিন্তু কোনো বিকার থাকে না। সে আগের মতোই বসে থাকে। আয়ান নিতুলের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, "হয়েছে টা কী? এত হাসছিস কেন তোরা?" প্রশ্ন শুনে নিতুল আর তার দলবল হাসি থামিয়ে  একসাথে অত্যন্ত গম্ভীর দৃষ্টি নিয়ে আয়ানের দিকে তাকায়। নিতুল বলে, "ম্যাক্স র‍্যাব বেশ একটা মজার কৌতুক শুনিয়েছে রে। তাই না হেসে পারছি না", বলেই ওরা ফের দম ফাটা হাসি হাসতে শুরু করে। আয়ান এবার অবাক হয়। সে কীভাবে যেন বুঝতে পারে আর কিছু জিজ্ঞেস করলেও কোনো উত্তর পাবে না। সে তার বাঁদিকের একটা দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসে। বেরোতেই দেখে সে তার বাসার ছাদে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ছাদটা আলোয় ঝলমল করছে। কে যেন বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করেছে ছাদে। সেখানে একটা গোল আকৃতির টেবিল আর দুটো চেয়ারও এনে রাখা হয়েছে দুদিকে। টেবিলের দুদিকে রয়েছে প্লেট, কোল্ড ড্রিংকসের বোতল আর গ্লাস। সে চমকায়। তখন দেখে নাজিয়া আপু মুচকি হেসে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। নাজিয়া আপু তার হাতটা ধরে বলে, "দুঃখ করিস না। জীবনে অনেক কিছুই চাওয়া অনুসারে হয় না। চল, আজকের রাতটা সেলিব্রেশন করি আমরা। দুঃখ ভোলার সেলিব্রেশন।"


ঘুম ভেঙে যায় আয়ানের। চোখ খুলে সে কোথায় আছে তা বোঝার চেষ্টা করে। স্বপ্নের কথা বুঝতে পেরে আরও কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে সে। স্বপ্নের ব্যাপারগুলো মনে করার চেষ্টা করতে থাকে। তারপর বালিশের পাশে রাখা ফোনটা হাতে নিয়ে সময় দেখে নেয়। রাত তিনটে ষোল। খুব তেষ্টা পায় যেন তার। সে উঠে টেবিলের ওপর রাখা বোতল থেকে পানি খেতে থাকে ঢোকের পর ঢোক। অদ্ভুত স্বপ্ন বটে! গত দুদিনে যাদের যাদের সাথে তার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, তারা সকলেই স্বপ্নে এসে হাজির হয়েছে। শুধু ম্যাক্স র‍্যাব ছাড়া। সে সশরীরে আসেনি। কে এই ম্যাক্স র‍্যাব? নিতুলের কাছে একবারই নাম শুনেছিলো সে। তাতেই সে স্বপ্নে এসে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়ে গেল যেন। অবচেতন মস্তিষ্কের হিসেব নিকেশ বোঝাও দায়।


[ চলবে........ ]


©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

31 Oct, 14:42


[ বছর চারেক আগের লেখা ]


আজ সন্ধ্যেবেলা বারান্দায় একটা চেয়ারে হেলান দিয়ে আর আরেকটা চেয়ারে পা দুটো তুলে দিয়ে বসে আছি৷ বারান্দার বাতি নেভানো৷ ভেতরকার ঘরগুলোর আলোও জ্বালাইনি৷ আজ বোধহয় পূর্ণিমা। আকাশে বেশ বড়সড় চাঁদ উঠেছে। সেই চাঁদের আলো গ্রিল পেরিয়ে বারান্দার মেঝেতে এসে পড়েছে। বাইরে থেকে ঝিঁঝির আওয়াজ আসছে৷ আর কোনো আওয়াজ নেই। কিছুই করার নেই তাই বসে বসে ভাবছি কেউ যদি অনেকদিন পর বিরিয়ানি খেতে বসে আর তখনি যদি তার প্লেটে কেউ একটা ব্যাঙ ছুঁড়ে দিয়ে দৌড় দেয় তাহলে তার রিয়াকশনটা কী হবে৷ এসব ভাবছি হঠাৎ খেয়াল হলো বারান্দার গেটের বাইরে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে। একটা ছায়া৷ মুখ দেখা যাচ্ছেনা। আমি ভয় পেয়ে গিয়ে চেঁচিয়ে উঠলাম, " অ্যাই কে রে কেরে? " কোনো আওয়াজ পেলাম না। দেখি ঐ ছায়ামূর্তিটা কোনো এক আশ্চর্য কায়দায় বন্ধ গেট গলে ভেতরে চলে এলো৷ আমার তো চক্ষুস্থির৷ চেয়ার ছুঁড়ে মারবো নাকি দৌড়ে উঠে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করবো কিছুই মাথায় আসছিলো না৷ আমি শুধু তাকিয়ে আছি৷ বিরিয়ানি আর ব্যাঙ ততক্ষণে মাথা থেকে চলে গেছে। ছায়ামূর্তিটা আস্তে আস্তে সামনে এসে দাঁড়ালো। এসেই পরিচিত গলায় বললো, " হে হে ভয় পেলি নাকি? আমি অনিক। " মুহূর্তে মনে পড়ে গেলো অনিকের কথা৷ অনিক আমাদের পাড়ায় থাকতো৷ আমারই বয়েসী। বিকেলে ক্রিকেট খেলতাম ওর সাথে৷ ভয় কিছুটা কেটে গেলো৷ জিজ্ঞেস করলাম, " হতভাগা তুই না মরে গেছিলি৷ এলি কী করে ? " অনিক হেসে আমার যে চেয়ারে পা রাখা ছিলো তা টান মেরে টেনে নিয়ে বসে পড়লো৷ আর বললো, " সাধে মরেছি নাকি৷ কে জানতো পেয়ারা পাড়তে গিয়ে ছাদ থেকে পড়েই মরে যাবো৷ হাত টাত ভাঙতো তো এক কথা ছিলো। " বললাম, " মরবি নাতো কী? মাথাটা যেভাবে ইটে গিয়ে ঠুকেছিলো বাপরে বাপ! খুব মিস করছিলাম তোকে৷ তাই বলে তোর এভাবে ফিরে আসাটা কিন্তু আমি বরদাস্ত করতে পারছিনা৷ যেভাবে এন্ট্রি মারলি যদি হার্ট ফেল করে মরে যেতাম ? " অনিক ( বা অনিকের ভূত) বললো, " ভালোই হতো৷ দুজন একসাথে ভূত হয়ে ঘুরে বেড়াতাম। " আমি রেগে গিয়ে বললাম, " দরকার নেই বাপ আমার। জীবনে অনেক কিছু করার বাকি আছে। এতো তাড়াতাড়ি মরতে চাইনা। আচ্ছা একটা কথা বলতো। মরেছিলি তো হপ্তাখানেক আগে। আসতে এতো দেরি হলো কেন? জ্যামে আটকে গিয়েছিলি নাকি?" অনিক (বা তার ভূত) বললো, " ধুর ঐ জগত থেকে আসা এতো সোজা নাকি। আমাদের কি ইউরোপের ভূত পেয়েছিস নাকি যে যখন যেখানে ইচ্ছা যেতে পারবো? এখানে ব্রহ্মদত্যির কাছে দরখাস্ত করে অনুমতি পেলে তবেই আসা যায়৷ আজ এলাম৷ হ্যালোউইন তো৷ একা বসে বোর হবি জানি। তাই একটু কম্পানি দিতে এলাম।"
আমার কপালে এসবই জোটে।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

29 Oct, 16:15


শ্রান্তি


মনের বিরাম নেই। একের পর এক অবাঞ্ছিত ধাঁধাঁয় মনে তোলপাড় হয়।

ঘুম নেই চোখে। না রাতে। না দিনে। সকাল সন্ধ্যা রেডিওর মত অনবরত কী যেন বকে চলেছে কোথাও কে একটা। শব্দটা ঠিকঠাক ঠাহর হচ্ছে না। কিন্তু মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। শব্দের উৎসও ধরা যাচ্ছে না। তবু খুঁজতে বেরোই না। আশঙ্কা হয়, যদি খুঁজতে খুঁজতে আর বাড়ি ফেরা না হয়? বাড়িতে সকলের খাওয়া হয়ে যাবে। আমি ফিরছি না দেখে মাও না খেয়ে খাবার ঢাকা দিয়ে রেখে আমার পথ চেয়ে বসে থাকবে। এ ঘর ও ঘর করবে। ফোন করলে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন দেখাবে। বাবাকে বলবে। বাবা বলবে,"টেনশনের কী আছে? ফিরে আসবে। ও আর কচি খোকাটি নয়।" তবু মা ফেরার পথের দিকে তাকিয়ে থাকবে। ভালো লাগার মতো ব্যাপার নয়।


এর মধ্যে কিছু লোক থাকে। তিলকে তাল করার দায়িত্ব তারা নেয়। তারা রহস্য নিয়ে আসে। আবার রহস্য নিয়ে ফিরে যেতে চায়। নিজেকে কেউকেটা প্রমাণ করতে গেলে অমন করতে হয়। তারা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবুও পাশের বাসায় জোর ভলিউমে গান বাজালে তা কানে না এসে তো পারে না।

"তোমাকে আমি একটা গোঁজামিল দেওয়া কথা বলবো। তুমি তা সত্য বলে ধরে নিও। বুঝলে?"
" ঠিক আছে। এ আর এমন কাজ কী?"

না। হাসা যাবে না। বিরক্ত হওয়া যাবে না।
রেগে যাওয়া যাবে না। রেগে যাওয়া মানে নাকি হেরে যাওয়া। হয়তো। মিথ্যে কথাকে মেনে নিতে হবে। নিতে হয়। প্রশ্ন করা যাবে না। গেলেও সদুত্তর পাওয়া যাবে না।

"প্রশ্ন করলে কী হবে?"
"অন্যজন রেগে যাবে না?"
"তাতে কী হলো? আমি কারো খাই না পরি?"

খাওয়া-পরার প্রশ্ন নয়। আবার, মনে ধাঁধাঁ নিয়ে বসে থাকাও ভালো কাজ নয়। পারলে অবিশ্বাস করতে হয়। না হয় মনকে বলতে হয়, "আমি জানি না", "তাতে আমার কী?" দেখো। শেষ ব্যাপারটাই সবচেয়ে কাজের। নিজের মনে যোগ না এলে অন্যের থেকে মনোযোগের অভিপ্রায় প্রকাশ পায় লোকের। কিছু না কিছু করে হোক। একটুখানি। ঐ রান্নার পরে যখন দেখা যায়, তরকারিতে নুন দেওয়া হয়নি। তখন উনুনে ফের বসিয়ে এক চিমটে ছড়িয়ে নাড়ানোর মতো একটুখানি মনোযোগ। বেশি তো চায় না কেউ। তবে ঐ অমুক দিলেই চলবে। তমুক না। অমুকই। তমুককে কে চাইছে? এ এখানে কেন? ধুস! একে হটাও।

তারপর কী হয় জানো? চার দেয়ালের মধ্যে আটকে থাকা। মনের ভেতরে হতে থাকা শব্দের পুনরাবৃত্তি। পাহাড় থেকে পা হড়কে খাদে পড়ার সময় কোনোকিছু আঁকড়ে বেঁচে থাকার প্রয়াস করার মতো মনের কী একটা অবলম্বন যেন লাগে। ঐ অবলম্বন থাকলেই যেন শব্দটা বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটা মনে হয় আরকি। কিন্তু কোথাও থই পাওয়া যায় না। অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়ার মতো অশেষ রিক্ততা এসে গ্রাস করে। অন্ধকার সুযোগ পেয়ে দানা বাঁধে। জলের স্পর্শ কোথা থেকে যেন পাওয়া যায়। চোখের থেকে বোধ হয়।


©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

29 Oct, 04:49


কখন জন্মেছি, কখন শেষ হয়ে গেলাম,
কেউ খবর রাখে না
পৃথিবীর একগুচ্ছ মৃত ঘাসের মত!
একদিন সবুজ ছিলাম,
এই আনন্দ নিয়ে হারিয়ে যেতে হবে

-জীবনানন্দ দাশ

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

27 Oct, 18:21


সকালের ডায়েরি




খুব সকালে ঘুম ঘুম চোখে বই নিয়ে বসেছি। অঙ্কের বই। চাইলেই ঘুমোতে পারতাম। কিন্তু আজকে স্যারের পড়া করা হয়নি। অঙ্ক না করে রাখলে উদোম ক্যালাবে। আব্বু পাশের ঘরে টিভি অন করে বারান্দায় চলে গেছে নখ কাটতে। ব্লেড নিয়ে তাও। আমি সাহস করেও ব্লেড হাতে নিই না। নেল কাটার থাকতে কেনো খামোখা এতো ঝামেলা পোহাতে যাবো? টিভিতে রবীন্দ্র সঙ্গীত হচ্ছে। সকালে অমনটা হয়। বিরক্ত লাগে ওসব ঝিম ধরা রবীন্দ্র সঙ্গীত। রান্নাঘরে আম্মু কিছু একটা নাস্তার ব্যবস্থার করছে। বাসন কড়াইয়ের টুং টাং আওয়াজ আসছে। সাথে খুব জোর খিদে পাওয়ানো গন্ধ। পানি খাওয়ার বাহানায় উঠে গিয়ে একবার দেখে এলাম কী নাস্তা রেডি হচ্ছে। ওদিকে আবার পাশের বাসার মোটকা লোকটা গেট খুলে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছে আর আমার মনে হচ্ছিল আমাদের গেট খুলে যেনো কেউ আসছে। দিনে নব্বইবার অন্তত এটা হয়। খালিই মনে হয় এই যেনো কেউ আসছে। এই যেনো স্যার চলে আসছে। শুধু আমার একারই মনে হয় না। আম্মুরও মনে হয়। এতোবার গেট খুলে বেরোনোর কী আছে রে বাবা! মোটকা লোকটা একদিন আমায় বকেছিলো কোনো কারণ ছাড়াই। আমি নাকি ওর হিসেবের খাতায় কাটাকুটি করে হিসেব নষ্ট করে দিয়েছি। কী সুন্দর কার্টুন এঁকেছিলাম সেটার প্রশংসা না করেই বকাঝকা করলো। লোকটাকে পছন্দ করি না আমি। তবে মোটকা লোকটার একটা মেয়ে আছে। দেখতে সুন্দর। ইন্ডিয়ান সিঙ্গার মোনালি ঠাকুরের মতো দেখতে লাগে। আমার থেকে কয়েক বছরের বড়। তাতে কী? সেদিন আমার গাল টিপে দিয়ে বলেছিলো, আমি কত্তো কিউট!  আমি জেএসসি পরীক্ষাটা দিয়ে দিলেই তো বেশ বড় হয়ে যাবো। তখন গিয়ে প্রপোজ করবো। এখন না। মাত্র দুবছরের ব্যাপার। অপেক্ষাই তো করতে হবে। সে না হয় করে নেবো। আমাদের আরেক প্রতিবেশী হলেন সুনীল আঙ্কেল। সে লোকটার একটা ছেলে,  আরেকটা মেয়ে। ছেলেটা কলেজে পড়ে। হোস্টেলে থাকে। মেয়ে পড়ে ক্লাস এইটে। দেখতে তো ভালো নয়ই, উল্টে ভীষণ দেমাকি। আমি মিশি না ওর সাথে। তবে সুনীল আঙ্কেল ভালো। আমাকে ডেকে নিয়ে গল্প করে এটা সেটা নিয়ে। বাসায় কিছু রান্না হলে আমাকে ডেকে নিয়ে খাওয়ায়। লোকটার সাথে বসে টিভিও দেখি মাঝেমধ্যে। একদিন একটা সিনেমা চলছিলো। যথারীতি আমি আর আঙ্কেল বসে দেখছি আর অমনি কীসব উল্টোপাল্টা সিন চলে এলো। আমার অমনি হঠাৎ মনোযোগ পড়ে গেলো আঙ্কেলের বেড়ালের দিকে। সে দরজার পাশে চার ঠ্যাং চার দিকে ছড়িয়ে শুয়েছিলো। আমি নাম ধরে ডাক দিচ্ছি " রাইটু, কাম হেয়ার, আয়, আয় এদিকে "। আড়চোখে আঙ্কেলের দিকে তাকিয়ে দেখি তিনি রিমোটের ব্যাটারি ঠিক করতে ব্যস্ত। মানে,  ব্যাটারি খুলে আবার ঢোকাচ্ছেন। অল্পক্ষণ পরে সব স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার পর আঙ্কেল ক্রিকেটের চ্যানেল দিয়ে দিলেন।

" আজ ধোনি কতো রান করবে বল তো? "
" সেঞ্চুরি। "


ধুর অঙ্ক করতে ভালো লাগছে না। একটু হাঁটি গিয়ে বারান্দায়। সকালের রোদ বারান্দার মেঝেতে এসে পড়ছে। সাড়ে সাতটা বাজে। তাও কী কড়া রোদ! আজ হেব্বি গরম পড়বে সারাদিন বোঝাই যাচ্ছে। আমি বারান্দার কোণার দিকে গেলাম।
কোণার দিকে গ্রিলের ওপাশে উঠোনে অনেকগুলো গাছ আছে। কয়েকটা গাছ চিনি না কারণ ওগুলোতে ফল টল ধরে না। চেনার দরকারও নেই। ফলই ধরে না তো চিনে করবো টা কী?  তো একটু বড়সড় রকমের গাছে একটা কাক এসে বসেছে। কেনো বসেছে জানি না। দৌড়ে যেতেই উড়ে গেলো। কয়েকটা চড়ুই দেখলাম এই ডাল থেকে ওই ডালে ছুটোছুটি করছে। আরও কয়েকটা কালো রঙের পাখি। নাম জানি না। কিচিরমিচির শব্দে ভরে উঠেছে চারিদিক। গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে মোটকা আঙ্কেলের বাসার দিকে তাকালাম। তাদের বাসার ডান দিকে আরেকটা বাসা আছে। সেখানে তেতলার ছাদে উঠে একটা ছেলে রোজ সকাল বিকেল ডাম্বেল নিয়ে এসে ব্যায়াম করে। আসলে ব্যায়াম ট্যায়াম কিছু না। সবই ঐ মোটকা আঙ্কেলের মেয়েকে ইম্প্রেস করার ধান্দা। সব বুঝি। এই যে দেখতে পাচ্ছি ছাদে দাঁড়ানো। কী করছে ঠাহর হচ্ছে না। হঠাৎ উঠোনের দিকে কেউ একটা দৌড়ে গেলো বলে মনে হতেই দেখি সুনীল আঙ্কেলদের বেড়াল। একটা ব্যাঙকে নাকানিচুবানি দিচ্ছে। ভারি মজা!  আমি ব্যাঙ ভালোবাসিনে। ঘেন্না করে দেখলে। আম্মু ডাকছে। খাবার রেডি। খেয়ে নিয়ে তখন পড়তে বসবো ভালো করে। যাই। 



©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

27 Oct, 06:30


Love isn't about what you give or what you receive. It's not about commitment, honesty, promises, respect, or desire, or communication, or understanding, or companionship. Great love includes all those things, but  ultimately love is about how you feel about you when you're with them. If you feel good about you, the rest of things comes very naturally. You want to listen... you want to only be with them. You would never lie, cheat, break a promise, or disrespect them..because it goes against how you feel about you. And by disrespecting them, you see clearly how it disrespects yourself. That's love: When you see your own  reflection  in them, and couldn't even consider treating them like they don't matter.

𝒘𝒂𝒊𝒕𝒊𝒏𝒈 𝒇𝒐𝒓 𝒚𝒐𝒖🥀

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

26 Oct, 04:34


যদি এমন হয়? না মানে, যদি এমন হয়? ধরো, দুজন বন্ধু রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় খেয়াল করলো আকাশে মেঘ করতে শুরু করেছে। অতি দ্রুত আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘের রঙ ক্রমশ ঘন হতে হতে বিশালাকার দানবের আকার নিয়েছে। দিনের আলো ঢাকা পড়ে গিয়ে চারিদিকটা অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। প্রচন্ড বেগে বাতাস বইতে শুরু করেছে। মেঘ যেন নিচে আসতে আসতে দিগন্ত ছাড়িয়ে ক্রমশ অন্যদিকে গতিশীল হতে হতে পুরো পৃথিবী ছাপিয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে লোকের কোলাহল শুরু হয়েছে। পাড়ার পঁচাশি বছরের বৃদ্ধও নাকি তার গোটা জীবনে প্রকৃতির এমন রূপ দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন। আসন্ন মহাপ্রলয়ের ভয়ে পৃথিবীর হয়তো এই শেষ দিন বলে লোকজন ভীষণভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। শেষবার নূহ নবীর আমলে হয়তো এমন মহাপ্রলয় ঘটেছিল বলে ধার্মিক লোকেরা বলাবলি করতে থাকে। মাটি যেন কেঁপে উঠতে লাগলো। ভূমিকম্প শুরু হয়ে গেছে মনে হয়। আর বোধ হয় রক্ষা নেই। এই বুঝি সব শেষ হয়ে গেল! রাস্তায় ফাটল ধরতে শুরু করেছে। ভূমির প্রচন্ড কম্পনে লোকজন এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। আশেপাশে থাকা দৃঢ় জড়বস্তু অবলম্বন করে রাস্তায় ক্রমশ বড় হতে থাকা ফাটলের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বসে থাকে কেউ কেউ। কেউ কেউ এই ভীষণ মুহুর্তে স্বজনদের মুখটা শেষবার দেখার অভিপ্রায়ে বাড়ির দিকে ছুট দেয়। রাস্তার ফাটল বড় হওয়ার সাথে উপস্থিত লোকজনের হৃৎকম্প বাড়িয়ে দিয়ে অতিকায় এক সরীসৃপের মাথা বেরিয়ে আসে। কৃষ্ণকায় বিশালাকার মূর্তিমান আতঙ্ক, যার চোখ জ্বলজ্বল করছে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো, প্রকট হতে থাকে নিজের সর্বাঙ্গকে ভূমির নিচ থেকে উত্তোলন করতে করতে। উপস্থিত লোকজন চিৎকার করতে করতে উক্ত স্থান ত্যাগ করতে উদ্যত হয়। এই প্রাণীটি দেখতে রূপকথার দানবাকৃতি ভুজঙ্গদের মতো মনে হলেও,  আদতে তা নয়। তার চেয়েও বীভৎস এবং ভয়ঙ্কর। সব ধরনের বিভীষিকাময় বিশেষণ যেন ফিকে হয়ে আসে এই ভীষণদর্শন জীবটির সামনে। এ মোটেই পাতালপুরী থেকে উঠে আসা জীব নয়। এ অন্য কোনো মহাবিশ্বের জীব, যে কিনা কোনো এক আশ্চর্য জাদুবলে পৃথিবীর চির ধরিয়ে, পৃথিবীর নিম্নগর্ভ থেকে উদিত হওয়ার অবকাশ পেয়েছে। প্রথমেই উল্লিখিত দুই বন্ধু ছাড়া কেউই নিজের ভূমি আঁকড়ে দাঁড়িয়ে নেই। ত্রিসীমানায় অন্য কোনো জনপ্রাণীর আওয়াজ কর্ণগোচর হলো না। জীবটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেই নিজের সমস্ত জোর খাটিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে প্রচন্ড জোরে এক গর্জন দিলো। সেই গর্জনে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার জোগাড় হতে লাগলো আশেপাশের কিলো দশেক অবধি অবস্থান করা লোকের। সকলেই নিজের বাড়িতে প্রবেশ করে দরজা জানালা এঁটে দিয়ে স্বজনদের সাথে নিঃশব্দে বসে নিজ জীবনের অন্তিম ক্ষণ অতিবাহিত করার চেষ্টায় রত। কেউ কেউ তুমুল আলোচনায় রপ্ত। যারা স্বচক্ষে জীবটিকে দর্শন করেছে, তাদের গলা দিয়ে রা সরছে না। এই জীব যদি একবার স্বীয় ক্ষুধা নিবারণে উদ্যত হয়, তাহলে সমগ্র পৃথিবীর সাড়ে আটশো কোটি মানুষকে ভক্ষণ করতে তার খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না। তবে মানুষের নিকট বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রাদিও তো রয়েছে। এই প্রাণীটিকে হত্যা করা কি খুব শক্ত হবে? মানুষ পারমাণবিক অস্ত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের হানিকারক অস্ত্র তৈরি করে নিয়েছে ইতোমধ্যেই। তবে কে বলতে পারে যে, এই প্রাণীর সাথে পৃথিবীর নিম্নদেশ থেকে অন্য সদৃশ প্রাণী মাথাচাড়া দেবে না? যদি একের পর এক প্রাণী বের হয়ে আসতে থাকে, তবে? যদি মানুষের তৈরি সব হাতিয়ার কম পড়তে থাকে এদের সামনে? আর প্রয়োগকৃত অস্ত্র যে শুধু ঐ প্রাণীদেরই ধ্বংস করবে এমনও তো নয়। সাথে মানুষেরও জীবনহানি ঘটবে। কিন্তু ঐ দুই বন্ধুর কথা মনে আছে, যারা তখনও ভূমি আঁকড়ে দাঁড়িয়েছিল? তারা নির্ভয়ে চোখ দুটো প্রাণীটার দিকে স্থির করে তাকিয়ে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই কেন? তারা কি অমরত্ব প্রাপ্ত? তারা কি আসলে মানুষই? নাকি তারাও অন্য কোনো মহাবিশ্ব থেকে  আগমনকারী জীব?


©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

24 Oct, 17:03


ভালোবেসেছি তাই

আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/205 ]


[ সপ্তম পর্ব ]


তিনটে বই নিয়ে বাড়ি ফেরে আয়ান। নিতুল নেয় দুটো। বাড়ি ফিরে আয়ানের মন বেশ ফুরফুরে লাগে। বিকেলটা ভালোই কেটেছে। মেয়েটার ব্যাপারে ভাবতে বসে সে। মেয়েটা প্রকৃতপক্ষেই সুন্দরী। প্রেমে পড়ার মতো। শুধু আয়ান বলেই নয়। যে কেউ পড়বে, এমন। আয়ান বেশ ক'টা ছবি তুলে দিয়েছিল তাদের। ছবি তোলা তার এক রকমের নেশাই বলা যায়। আর তোলেও ভালো। মেয়েরা আয়ানের ছবি তোলার বেশ তারিফও করেছে। নিতুল ছেলেটা কাজের বটে। আয়ান একলা হলে মোটেই ওদের সাথে আলাপ জমাতে পারতো না। নিতুল কৌশলে তাদের ফেসবুক আইডিও জুটিয়ে নিয়েছিলো। বলেছিল, "আপনারা আপনাদের ফেসবুক আইডি দেন না কেন? এখনকার যুগে নেটওয়ার্কিং যে বিশাল একটা ব্যাপার সে'টা নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হবে না আপনাদের। আমরা কানেক্ট হয়ে থাকি, চলুন।" তারাও আপত্তি না করে নিজেদের আইডি শেয়ার করেছিল। সেই থেকেই আয়ান মেয়েটার নাম জানতে পেরেছিল। প্রীতি। কয়েকবার নামটা বিড়বিড় করে সে।

"গড! প্রীতি ইজ প্রিটি।"


মেয়েটাকে মেসেঞ্জারে "হ্যালো, হাই" লিখতে ইচ্ছে হয় আয়ানের। কিন্তু মুহূর্তেই নিজেকে "এর চেয়ে খারাপ ইমপ্রেশন আর কিছু হতে পারে না" বলে মনকে শান্ত করে। ইমপ্রেশন খারাপ করা যাবে না কিছুতেই। কী করা যায়? নিতুলকে ফোন দেয় সে।

- ভাই! কী করছিস?

- কী করবো? কিছুই না। তুই কী করছিস?

- শোন। মেয়েটাকে মেসেঞ্জারে নক দিলি?

- পাগল?

- হাত নিশপিশ করছে।

- তাহলে -------

- ছি, ছি! ভুল হয়ে গেছে এ কথা বলে।

- হা হা হা।

- শোন না, ভাই।

- বল না।

- ক্রাশ খেয়ে গেছি ভাই।

- আস মোমেন্ট।

- ধুর! তুই প্রীতির বান্ধবীদের যেকোনো একটাকে নিয়ে নে। আপত্তি করবো না।

- সেইম টু ইউ।

- সে মুসলিম। তুই কেন এত উৎসাহী, শালা?

- ভালোবাসা মানে না কোনো জাত, ধর্ম, বর্ণ  লিঙ্গ।

- তুই আমার বন্ধু না?

- তো?

- কিছু একটা কর।

- রোসো, বৎস। রোসো। এত অধৈর্য হলে চলে না। সবুরে মেওয়া ফলে। এখন ফোন রাখ। খিদে পেয়েছে। খাবো।


নিতুল ফোন কেটে দেয়। আয়ান নতুন কেনা বইগুলো নেড়েচেড়ে দেখে। পড়তে ইচ্ছে হয় না তার। বিছানায় লম্বা হয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে থাকে সে। তারপর, ফোন হাতে নিয়ে প্রীতির ফেসবুক আইডিটা স্ক্রল করতে থাকে। প্রীতির ফিচার করা স্টোরিগুলো থেকে শুরু করে আপলোড করা সব প্রোফাইল পিকচার, কভার ফটো সহ যাবতীয় পোস্টগুলো দেখতে থাকে সে। ভুলে আঙুলের ছোঁয়া লেগে পুরনো কিছুতে রিয়েক্ট যাতে না পড়ে, সেদিকে সতর্কও থাকে সে। কোনো কোনো ছবিতে কোনো কোনো ছেলের সাথে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি দেখে মন খারাপ হতে থাকে তার। বেশ অনেকক্ষণ ধরে আইডি ঘাঁটাঘাঁটি করে নিশ্চিত হয় যে, মেয়েটা কারো সাথে রিলেশনশিপে নেই। সিঙ্গেলই।



[ চলবে..... ]

©® Max Rab

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

24 Oct, 12:54


এত আপন ভেবেছ যাকে সেও নিচ্ছে না তো খবর।🥺

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

23 Oct, 15:31


And suddenly the rickshaw puller mama said, শোনো বাবা, ছাতাটা আমারে দিয়া তাড়াতাড়ি পলি দিয়া গা ঢাকো। এইডা আশ্বিন কার্তিকের বৃষ্টি। গায়ে পানি পড়লেই জ্বরে ভুগবা।
I don't know why those words made me feel like crying.
নিতান্ত কেউ নন। তবু আচমকা পাওয়া এক ফোঁটা যত্নে ক্যামন আমরা গলে গলে যাই এই আশ্বিন কার্তিকের বৃষ্টির মতোই!
And that's how some words from someone can make your day worth living for.
আর কিছু তো না, শুধুমাত্র যত্নেই তো বাঁচে সব। অযত্নে বৃক্ষও শুকিয়ে যায়, আর আমরা তো মানুষ! 😊

🍀গল্প-কথা🌼

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

23 Oct, 05:29


জরুরিভিত্তিতে ৮ ব্যাগ AB- ('এবি' নেগেটিভ) রক্তের প্রয়োজন

⚠️ রোগের ধরণ: কোলন ক্যান্সার (colon cancer)
🩸 রক্তের গ্রুপ: AB(-ve) ('এবি' নেগেটিভ)
💉 রক্তের পরিমাণ:  ৮ ব্যাগ
📆 রক্তদানের তারিখ: ২১ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে
🏥 রক্তদানের স্থান: আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতাল, প্লট-০৩, এমব্যাংকমেন্ট ড্রাইভ ওয়ে, সেক্টর-১০, উত্তরা মডেল টাউন, উত্তরা, ঢাকা
☎️ যোগাযোগ: 01717384575

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

22 Oct, 13:04


(১)

একদিন তুমি স্বস্তি হবে,
ঝেড়ে ফেলে দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস।
ভুলে যাবে -
তোমার মিথ্যে জোছনার রাত,
আমার প্রতিশ্রুতির পিছু তাড়া!

(২)

দিন যায় - দিন আসে,
তোমার মতো ওরাও বলেছিলো আমায়,
আমার -
সব দিন আসে,
একদিন না আসে!

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

22 Oct, 12:04


-মানুষের ভালোবাসা হবে আড়ম্বরহীন,শর্তহীন, চালচুলোহীন,
-তবু শেষমেষ একটা বুক থাকবে ভেঙে পড়ার মতো জাপ্টে ধরার মতো। 🤍

ভালোলাগা আর ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্য কোথায় জানো? কাউকে ভালো লাগলে তার চেয়ে সৌন্দর্যের কাউকে পেলে তাকে ভুলে যাওয়া যায়। আর ভালোবাসা মানে হলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষটাকে পেলেও ওই একজন কেই ভালোবাসা।

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

21 Oct, 15:59


জেনারেল শিক্ষিত ভাইদের বলছি

বিয়ের ক্ষেত্রে আপনারা মাদ্রাসা পড়ুয়া আলেমা, মুফতিয়াদের এড়িয়ে চলুন প্লীজ! হ্যা, হাফেজা হলে সমস্যা নেই।

দুনিয়ায় যতো ফখর আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে খতরনাক ফখর হচ্ছে ইলমের ফখর। আপনি তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাবেন বরং ক্ষেত্রবিশেষে ইলমওয়ালাদের প্রতি আপনার অশ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি হতে পারে।

তাদেরকে মুহতামিম সাহেব আর বাতিলের আতঙ্ক মার্কা বক্তাদের জন্য রেখে দিন! আপনি জেনারেল পড়ুয়া দ্বীনে ফেরা প্রকৃত দ্বীনদার মধ্যবিত্ত খোঁজ করুন! বিয়ের আগে জ্ঞানী ও বিবাহিতদের পরামর্শ নিন!

Mahmud

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

21 Oct, 02:10


“No flowers grow without rain, no humans glow without pain.” 🌸

✈️ t.me/TG_Quotes

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

21 Oct, 01:24


আমি জানি উপরওয়ালা দেখেন সব, ওনি জানেন বুঝেন সব। তবে কি আমার একাকিত্বতা তিনি দেখছেন নাহ?

I Want to ask my loneliness that why you are alone??

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

20 Oct, 11:50


সে এখন যার সাথে আছে, সে ধনী পরিবারের ছেলে, বিদেশে তার বাপের বিজনেস আছে, তার বিদেশে ভালো লাগে না তাই দেশে এসে আমার জেরিনরে নিয়া নিলো , আমার হৃদয় ছিনিয়ে নিলো , আমার সব কেড়ে নিলো , তার মানে আমি কি একজন ফেইলার হিসেবে ছিলাম তার কাছে?
পুরো শহর খুঁজে তার জন্য ফুল নেয়া, তাকে আমার হাতে খাইয়ে দেয়া কি কোনো মাইনে রাখেনা? তার চাইতে বড় কথা আমার প্রায়োরিটি লিষ্টে উপরে থাকা একজন মানুষ সে। আমার হৃদয় সে , সে বিহীন আমি একজন হৃদয়হীন ব্যক্তি। তার কাছে আমার ভালোবাসার কি কোনো মূল্য নেই? আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা তারে রাখতে পারেনি। কি করলে প্রিয় মানুষ ছেড়ে যায়না? আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কারণ কি? আমি কি একজন ব্যর্থ প্রেমিক?
তোমারে ভালোবাসার পর আর কাউরে মনে ধরেনি
অভিমান শেষ হলে ফিরে এসো... অপেক্ষায়

©

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

19 Oct, 18:02


কাউকেই নাহ💔

☘️গল্প কথা - Golpo Kotha🌼

19 Oct, 15:09


https://t.me/TG_DP_PP

Profile pic and wallpaper এর জন্য এই চ্যানেলে জয়েন করুন ❤️🌸