Tablig News24 🌍

মদিনার মসজিদে নববীর পাশে অবস্থিত পবিত্র জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে দর্শনার্থীদের প্রবেশের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী...

বিস্তারিত: https://www.somoynews.tv/news/2024-11-19/BCU9FAvz

“পুরুষ মানুষ তো সে যে নিজের মাঝে দুশ্চিন্তা ধারণ করে রাখে, পরিবারকে দুশ্চিন্তায় ফেলে না।”

– ইব্রাহীম আল-হারবী (রহ.)
[তথ্যসূত্র: আল-মুন্তাযাম, ১২/৩৮১]

33 বছর দেশে কোনো রাষ্ট নায়ক ছিল না। নায়িকারা ছিল যাদেরকে পাশের দেশের বুইড়া বে ডা রা সুযোগ পাইলে সুদ তো।

নবীর অপমান হলে মিছিলে দেখা যায় না!
কিন্তু সাদ সাহেবের জন্য এত মায়া কান্না ঘটনা কি?
💵💵?

----------------ইতিহাসের সাক্ষী--------------
আজ পযর্ন্ত কোন ব্যক্তি কখনও নিযেকে জুবায়ের পন্থি বলে পরিচয় দেয় নি,কারন জুবায়ের পন্থি নামে কোন দল নেই,কিন্তুু অন্য ভায়েরা ঠিকই নিযেদের কে সাদ পন্থি,এতায়াতি,মূলধারা বলে পরিচয় দিয়ে আসছে,এর কারন স্পষ্ট যে তারা এক ব্যক্তিকে অনুসরণ করে তাবলীগ নয় বরং পূজা করছে।✊

ফটো সেশন আর বিভ্রান্তি ছড়াতে গিয়েছিল দুই বাটপারে। তারিক জামিল সাহেবের সহজ কথা- কিছ লিয়ে আয়া তুম? ফটো তো.... লেয়া। বাঁকা হাসি দিয়ে বললেন- আব যাও, দুশমনে উলামা কি ছাঁথ কাম কারো! পরে উঠে চলে আসছে। ওরে বা"ট'পা"র!!

সাদপন্থীদের নতুন কৌশল মিডিয়া দিয়ে মাওলানা সাদ ও নিজেদের অপরাধগুলো ঢাকার চেষ্টা করছে।

https://www.kalbela.com/probash/140767

ফতোয়া

দারুল উলুম দেওবন্দের যে শংকা 'ফিরক্বায়ে সাদিয়াহ' রূপে প্রকাশিত হলো!

'মাওলানা সাদ কান্ধলবী কে বাআজ গলদ নজরিয়্যাত ওয়া আফকার কে ছিলছিলাহ মে দারুল উলুম দেওবন্দ কা মুত্তাফাক্বাহ মাউকিফ তথা মাওলানা সাদ কান্ধলবীর কতিপয় ভুল দৃষ্টিভঙ্গি এবং চিন্তা বিষয়ে দারুল উলুম দেওবন্দের সর্বসম্মত রায়' নামে একটি ফাতওয়া দেওবন্দের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটের প্র্রথমে পেইজে 'খুসুসী ফাতওয়া' ক্যাটাগরিতে বিদ্যমান আছে।

উক্ত ফাতওয়ার একাংশে লেখা হয়েছে:
‘যাচাই বাছাইয়ের পর একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, সাদ সাহেবের বয়ানে কুরআন ও হাদীসের ভুল বা মারজূহ ব্যাখ্যা, গলদ প্রমাণ পেশ এবং তাফসীর বির রায় পাওয়া যায়। কিছু কথায় আম্বিয়া আলাইহিস সালামের শানে বেআদবী প্রকাশ পায়। অনেক বিষয় এমন আছে, যে বিষয়ে সাদ সাহেব জমহুর উম্মত এবং সালাফের ইজমা থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। ……… তাবলীগ জামাত একটি খালেস দ্বীনী জামাত। যা আমলী ও মাসলাকীভাবে জমহুর উম্মত এবং আকাবীরদের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে নিরাপদ থাকতে পারে না। আম্বিয়ায়ে কেরামের শানে বেআদবী, চিন্তাগত বিচ্যুতি, তাফসীর বির রায়, হাদীস আছারে সাহাবার মাঝে মনগড়া ব্যাখ্যা বিষয়ে উলামায়ে কেরাম একমত হতে পারেন না। এ বিষয়ে চুপ থাকা যায় না। কেননা, এ ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি পরবর্তীতে পুরো জামাতকে হক পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। যেমনটি ইতোপূর্বের কিছু ইসলাহী ও দ্বীনী জামাতের ক্ষেত্রে ঘটেছে।
এ কারণে উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে উম্মতে মুসলিমাকে বিশেষ করে সাধারণ তাবলীগী বন্ধুদের এ বিষয়ে সতর্ক করা আমাদের দ্বীনী দায়িত্ব মনে করি যে, মাওলানা মুহাম্মদ সাদ সাহেব তার কম ইলমের কারণে নিজের ফিকির ও নজরিয়া এবং কুরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে জমহুর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের রাস্তা থেকে সরে যাচ্ছেন। যা নিঃসন্দেহে গোমরাহীর পথ। এ কারণে এ বিষয়ে চুপ করে থাকার সুযোগ নেই। কেননা, যদিও এ দৃষ্টিভঙ্গি একজন ব্যক্তির, কিন্তু তা দ্রুতগতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়াতে শুরু করেছে। ……….যদি তাকে অতি দ্রুত থামানো না যায়, তাহলে শংকা আছে যে, ভবিষ্যতে তাবলীগ জামাতের সাথে সম্পৃক্ত উম্মতের একটি বড় অংশ গোমরাহীর শিকার হয়ে ফিরক্বায়ে দ্বল্লাহ তথা পথভ্রষ্ট দলে পরিণত হবে। [মাওলানা সাদ কান্ধলবী কে বাআজ গলদ নজরিয়্যাত ওয়া আফকার কে ছিলছিলাহ মে দারুল উলুম দেওবন্দ কা মুত্তাফাক্বাহ মাউকিফ, জবাব নং-১৪৮৯২১]

ফাতওয়া লিংক:https://darulifta-deoband.com/home/ur/dawah-tableeg/148921?fbclid=IwY2xjawGrM_ZleHRuA2FlbQIxMQABHUrqrZfLFGKC82Su1ciKH0rfxvDCqMmY-svu0QJYDw5qBRFElNXjr3USrA_aem_rcSZz6qLsn0sEran98BuXg

১. এতাতীরা আজ কাকড়াইলে এসেছে হাতে সুন্নতি লাঠি নিয়ে (?!) কারো হাতে গজারি, বাঁশ , লাল কসটিপ মারা লাঠি, আবার কারো হাতে দেখলাম প্লাস্টিকের পাইপ। আমার কথা হল জুমার নামাজের সাথে এসবের কিসের সম্পর্ক? আর যদি সুন্নতের জন্য হয় তাহলে এটা কেমন সুন্নত? এবং কেমন সুন্নতি লাঠি?
বেডিং ছাড়া হাতে শুধু লাঠি থাকা, তাদের এই দৃশ্যটাই তাদের হিংস্রতা ফুটিয়ে তুলে।
২. বারোটায় আজান দিয়ে ১২:৩০ এ জুমা পড়া এটা কোন ধরনের সুন্নত? নাকি আহলে হাদিসের পদ্ধতি অবলম্বন করা হলো?
৩. কিছু পিকাপ এ মাইক সেটিং করে দেখলাম একদিকে নয়াপল্টন অন্যদিকে শেরাটন অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত নামাজের ব্যবস্থা করেছে, যেহেতু 4 লক্ষ মত উপস্থিত হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কাকরাইলের পূর্ব দিকের রাস্তা ছাড়া আর তাদের মানুষই হলো না সারা বাংলাদেশ থেকে। যাকে বলা যায় সম্পূর্ণ ছ্যাকা খাওয়া।
৪. এতদিনে আমাদেরকে হেফাজতি বলে গালিগালাজ করত এবং বলতো আমরা নাকি তাবলীগকে রাজনৈতিক বানিয়ে ফেলেছি, কিন্তু আজ তারা মার্চ ফর কাকরাইল ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করে তারা সম্পূর্ণ কাকরাইলের ভিতরেই রাজনীতি প্রবেশ করালো। একটা দল বাতিল ও ভ্রান্ত বলে চিহ্নিত করার জন্য আর কোন কিছুর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না বাহ্যিকভাবে।

আজ কুমিল্লা জেলা মারকাজ নুর মসজিদ ৬জেলার বিভাগীয় জোড়ে মাওলানা যোবায়ের সাহেব হাফি: এ-র দরদ মাখা বয়ান।

সম্পূর্ণ ক্লিয়ার সাউন্ড ভিডিও।

-اَللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّد (ﷺ)
❝আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া'সাল্লিম আ'লা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ❞(ﷺ)💕

শুধু মাওলানা তারিক জামিল কেন শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী হাফিজাহুল্লাহ এর সাথে ফটো সেশন করলেও কোনো লাভ হবে না!

গোমরাহীর পথ পরিহার করে দীনের স্বার্থে জোড় মিল মুহব্বত বাড়িয়ে কাজ করে যেতে হবে।

জীবন বদলে দেওয়ার মতো শেখ সাদীর ১৫ টি বিখ্যাত উপদেশ।

’ ফার্সি গদ্যের জনক মহাকবি শেখ সাদি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাভাষী পাঠকের কাছে অতি প্রিয় কবি। শুধু বাঙালিই নয় বিশ্বজুড়ে তিনি অত্যন্ত সমাদৃত। তার ১৫টি বিখ্যাত উপদেশ যা কিনা আপনার জীবনকে বদলে দিবে।

১. তিন জনের নিকট কখনো গোপন কথা বলিও না- (ক) স্ত্রী লোক. (খ) জ্ঞানহীন মূর্খ. (গ) শত্রু।

২. অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে কৃতজ্ঞ কুকুর শ্রেয়।

৩. আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভয় পাই, তার পরেই ভয় পাই সেই মানুষকে যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।

৪. এমনভাবে জীবনযাপন করে যেন কখনো মরতে হবে না, আবার এমনভাবে মরে যায় যেন কখনো বেচেই ছিল না।

৫. হিংস্র বাঘের উপর দয়া করা নিরীহ হরিণের উপর জুলুম করার নামান্তর।

৬. যে সৎ, নিন্দা তার কোন অনিষ্ঠ করতে পারে না।

৭. প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায় কিন্তু শ্রদ্ধা করে না।

৮. দেয়ালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বলো, কারন তুমি জান না দেয়ালের পেছনে কে কান পেতে দাঁড়িয়ে আছে।

৯. মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মত, যা একবার মুখ থেকে ফেলে দিলে আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই কথা বলার সময় খুব চিন্তা করে বলা উচিত।

১০. মন্দ লোকের সঙ্গে যার উঠা বসা, সে কখনো কল্যানের মুখ দেখবে না।

১১. দুই শত্রুর মধ্যে এমন ভাবে কথাবার্তা বল, তারা পরস্পরে মিলে গেলেও যেন তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।

১২. বাঘ না খেয়ে মরলেও কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট মুখে তুলে না।

১৩. ইহ- পরকালে যাহা আবশ্যক তাহা যৌবনে সংগ্রহ করিও|

১৪. কোন কাজেই প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস করিও না|

১৫. অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা যদি সবাই জানত তাহলে কেউ অজ্ঞ হত না।

🔴ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠিত।। সভাপতি মুফতি মোবারক উল্লাহ, সাধারন সম্পাদক মাওলানা আলী আজম কাসেমী।।২০/১১/২০২৪

পাকিস্তান আমাদের কখনোই শত্রু ছিলনা শত্রু বানানো হয়েছে।
ইন্ডিয়া কখনোই আমাদের বন্ধু ছিলনা বন্ধু বানানো হয়েছে। বাবরী মসজিদ আমাদের মুসলমানদের কত পুরাতন নিদর্শন ছিল এটা ভেংগে ঘুরিয়ে দিছে কত কষ্ট লাগে, কত হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। ইনশাআল্লাহ এই বাবরী দিবস উপলক্ষে আরও বিভিন্ন বিষয়ে বক্তারা বক্তব্য রাখবেন আপনারা আমন্ত্রিত।

حاجی عبدالوہاب صاحب رح کا بتایا ہوا وظیفہ 😍💙
🎙مولانا فہیم خان صاحب رح 🥺💯
قرض ختم ، مال میں برکت ، گھر کی پریشانیاں ختم
Followe https://whatsapp.com/channel/0029VatnY0qBqbr27dUklk2w

দারুল উলূম দেওবন্দ ও এধারার মাদরাসা-মকতব য‌দি প্রতি‌ষ্ঠিত না হ‌তো, তা হ‌লে উপমহা‌দে‌শকে স্পে‌নের প‌রিণ‌তি বরণ কর‌তে হ‌ত। ব‌লে‌ছেন বহু অন্তর্দৃ‌ষ্টিসম্পন্ন বুযুর্গ ও ইতিহাস-দার্শনিকগণ। ‌ব‌লে‌ছেন আল্লামা ইকবাল ও হযরত আলী মিয়া নদভী রহ. প্রমুখ প্রাজ্ঞ প‌ণ্ডিতগণ।

স্পেন ইসল‌ামী খেলাফার অধী‌নে আটশ’ বছর থাকার প‌রেও প‌নের শত‌কে এসে তার এমন বেদনাদায়ক পত‌ন হয়ে‌ছিল, সেখা‌নে ক‌র্ডোভা মস‌জিদ গ্রানাডা‌ প্রাসাদছাড়া মুস‌লিম প‌রিচয় দেওয়ার মত কেউ ছিল না। গত শতাব্দী‌র শে‌ষ নাগাদ ৫০০বছর পর্যন্ত সেখা‌নে আযান ও নামায সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। মুস‌লি‌ম খেল‌াফ‌তের সা‌থে ইসলামও এক‌ত্রে বিদায়‌ নি‌য়ে‌ছিল। তারা সশস্ত্র জি/হা/দ‌কেই সমস‌্যা সমাধান ম‌নে ক‌রে‌ছিল, এর বিকল্প চিন্তা ক‌রে‌নি!

পক্ষান্ত‌রে ভারতবর্ষ সাতশ বছর মুস‌লিম শাস‌নের (সেটা খেলাফাহ ছিল না) পর যখন নি‌জে‌দের কর্মফ‌লের কার‌ণে মুস‌লিম রাজত্ব হাতছাড়া হ‌লো, তখন না এখান থে‌কে ইসলাম গেল, না মুস‌লিম বিদায় হ‌লো। বরং বহুগু‌ণে ইসলাম ও মুস‌লিম শ‌ক্তি সঞ্চয় কর‌লো। এখা‌নকার মুস‌লিমরাও স্পেনে ভাগ‌্যবরণ কর‌তে পা‌র‌তো, এখা‌নেও কুতুব‌মিনার ও লাল‌কিল্লা ছাড়া মুস‌লিম‌দের কিছুই অব‌শিষ্ট থাক‌তো না! কিন্তু আল্লাহ তাআলা সেটা রক্ষা ক‌রে‌ছেন। এর রহস‌্য কী ছিল?

মুস‌লমা‌নেরা দিল্লীর ক্ষমতা হাতছাড়া করার প‌রে ব‌সে থা‌কেন‌নি! নানাভা‌বে ঘু‌রে দাঁড়া‌নোর চেষ্টা ক‌রে‌ছে। সিপাহী সশস্ত্রবিপ্লব, বালা‌কোট যুদ্ধ, শা‌মেলীর লড়াই তার একেক‌টি মাইল‌স্টোন। বার বার সশস্ত্র চেষ্টার প‌রেও যখন রাজত্ব উদ্ধার ক‌ঠিন হ‌য়ে পড়‌লো, এবং সশস্ত্র জিহাদ আপাত অকার্যকর হ‌তে লাগ‌লো, তখন উলামা‌য়ে কেরাম শিক্ষা ও সংস্কৃ‌তিক বিপ্ল‌বের প্রতি ম‌নো‌যোগী হ‌লেন। তারা ভাব‌লেন, মুকুট হা‌রি‌য়ে‌ছি মস্তক হারা‌তে পা‌রি না! রাজত্ব হা‌রি‌য়ে‌ছি, দীন হারা‌তে পা‌রি না।‌ ক্ষমতা হারালেও ঈমান হারা‌নো যা‌বে না! ঠিক ওই নারী সাহা‌বীর মত, যি‌নি ব‌লে‌ছি‌লেন- “য‌দি আমি সন্তান হা‌রি‌য়ে থা‌কি, তাই ব‌লে কি আমি লজ্জা হারাবো?”

‌বিচক্ষণ ও দূরদর্শী উলামা‌য়ে কেরাম এ ভূখ‌ণ্ডে টি‌কে থাকার, অতঃপর ঘু‌রে দাঁড়া‌নো ভিন্ন কৌশল অবলম্বন কর‌লেন! তারা রাজ‌নৈ‌তিক ও সাম‌রিক লড়াই বন্ধ রে‌খে আদ‌র্শিক লড়াইয়ে অবতীর্ণ হ‌লেন। যেখা‌নে বৃ‌টিশরা মুসলমান‌দের রাজ‌নৈ‌তিকভা‌বে পরা‌জিত করার প‌রে আদ‌র্শিকভা‌বে পরা‌জিত করার জ‌ন্যে নতুন শিক্ষাধারা চালু, সাংস্কৃ‌তিক আগ্রাসন ও মিশনারী যুদ্ধ শুরু ক‌রে‌ছিল! এই নতুন যুদ্ধ মোকা‌বেলার জ‌ন্যেই নতুন ছাউনি গ‌ড়ে তুল‌লেন উলামা‌য়ে কেরাম। ভাব‌লেন আমরা যু‌দ্ধে দুর্বল হ‌তে প‌া‌রি, আদ‌র্শে নয়। তাই তাঁরা দেওব‌ন্দের ডালিম বৃ‌ক্ষের নি‌চে প্রতিষ্ঠা কর‌লেন দারুল উলূম। যার শাখা প্রশাখা, সন্তান-সন্ত‌তি ভারতবর্ষ তো ব‌টে, পৃ‌থিবীর আনা‌চে কানা‌চে ইল‌মের আলো ইসলা‌মের নূর বিতরণ ক‌রে চ‌লে‌ছে অদ‌্যাব‌ধি। যার ব‌দৌলতে কো‌টি কো‌টি মানুষ জাহান্নাম হ‌তে মু‌ক্তি পে‌য়ে‌ছে, ‌কো‌টি কো‌টি ব‌নি আদম ইমান ও ইল‌মের পরশ পে‌য়ে‌ছে। কতসংখ‌্যক আলিম, মুফতী, মুহা‌দ্দিস, ফকীহ, লেখক, গ‌বেষক, দাঈ, মুবা‌ল্লিগ, মুজা‌হিদ, মাশা‌য়েখ, শিক্ষক, ইমাম, মুআয‌যিন তৈ‌রি হ‌য়ে‌ছে, তার হিসাব কি কেউ দি‌তে পার‌বে? ভারতবর্ষ আজ কো‌টি‌ কো‌টি মুস‌লি‌মের বসবাস, এটা এই দেওব‌ন্দের তালীম ও দাওয়া‌তিধারারই সুফল! এই দেওবন্দই জন্মলগ্ন হ‌তে বিশুদ্ধ জি}হা‌দি জযবা লালন ও প্রতিপালন ক‌রে আস‌ছে। এই দেওব‌ন্দের স‌ন্তা‌নেরাই আ{ফগা‌}নে স্বতন্ত্র ইসলামী শাসনতন্ত্রও কা‌য়েম ক‌রে‌ছে! ইনশাআল্লাহ, এক‌দিন এর প‌রি‌ধি আরও বিস্তৃ‌তি লাভ কর‌বে? এর প‌রেও য‌দি কেউ ব‌লে দেওবন্দ কি ক‌রে‌ছে, সে হয়ত অন্ধ মুর্খ, নয়ত জা‌হেলী আসা‌বিয়া‌তে আক্রান্ত!

ইতিহাস ব‌লে, সবখা‌নে সবসময় জি{হা}দ ও শত্রুর সা‌থে লড়াই ফলপ্রসূ নয়। কো‌নো জা‌তির জন্মল‌গ্নে এবং তার পতনকালে- এই দুই সময় ব‌্যক্তিগত ও সামা‌জিক পর্যা‌য়ে দীন ও ঈমান‌কে মজবুত ক‌রে আঁক‌ড়ে ধরা এবং আভ‌্যন্তরীন সংস্কারই জা‌তি রক্ষার মূলমন্ত্র। এই দুর্বল ও ক্ষ‌য়িষ্ঞু সম‌য়ে শত্রুর সা‌থে যুদ্ধ করা আত্মঘা‌তি। ভারতীয় মুস‌লিম নেতৃবৃন্দ সেই বিষয়‌টি বুঝ‌তে পে‌রেই মাঠ থে‌কে পা‌ঠে ফি‌রে এসে‌ছি‌লেন এবং আত্মসংস্কা‌রে ম‌নো‌যোগী হ‌য়ে‌ছি‌লেন। এতে করে এখানকার ইসলাম ও মুস‌লিম‌রা স্পে‌নের পরিণ‌তি ভোগ করা হ‌তে রক্ষা পে‌য়ে গে‌ছে। ‌স্পে‌নের মুস‌লিমরাও য‌দি ‌শেষ সম‌য়ে ভারতীয়‌দের মত এমন কিছু ভাবত, আল্লাহ চা‌হে তো শোচনীয় প‌রিণ‌তি হ‌তে রক্ষা পেত!
দেওবন্দ আমা‌দের দীনী চেতনার সু‌তিকাগার, বিশুদ্ধ চেতনার বা‌তিঘর! দেওবন্দই আমা‌দের ইলমী ঐতি‌হ্য ও জ্ঞানগ‌র্বের হিমালয়। ‌দেওবন্দিয়তই এতদাঞ্চ‌লের ঈমান ইসলাম ও ইলমের সর্ববৃহৎ রক্ষাকবচ! এখানকার সন্তা‌নেরাই এক‌দিন এদে‌শে ইসলা‌মের বিজয়‌কেতন উড়‌াবে ইনশাআল্লাহ!

২০।১১।২৪