ষোলো @sholo_official Channel on Telegram

ষোলো

@sholo_official


Official telegram channel of Sholo (ষোলো).

Website: www.sholo.info
E-mail: [email protected]
Facebook: www.facebook.com/sholo.official
Instagram: www.instagram.com/sholo_official
Youtube: www.youtube.com/@sholo.official

ষোলো (Bengali)

ষোলো একটি অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেল, যেখানে আপনি প্রযুক্তি, সংবাদ, চলচ্চিত্র, খেলা, মজার ঘটনা, জীবনের সহজ দিনগুলি সম্পর্কে রুচি পাবেন। এই চ্যানেলে ষোলো (Sholo) নামের একটি প্রতীকতা সহ বিভিন্ন বিষয়বস্তু আপডেট হয়। যদি আপনি নতুন পরিবর্তন, অ্যান্টিক তথ্য, এবং মজার অনুভূতি খুঁজছেন, তবে ষোলো চ্যানেলটি আপনার জন্য সঠিক স্থান।

চ্যানেলে অনুসন্ধান করা যায় এই অফিসিয়াল লিঙ্কগুলির মাধ্যমে: ওয়েবসাইট: www.sholo.info, ইমেল: [email protected], ফেসবুক: www.facebook.com/sholo.official, ইনস্টাগ্রাম: www.instagram.com/sholo_official, ইউটিউব: www.youtube.com/@sholo.official

ষোলো

19 Feb, 13:13


এভাবে কাজ করলে ফোকাস ধরে রাখা অনেক সহজ হয়। তোমার মাথায় এটা রাখা যাবে না, তুমি ৪ ঘণ্টা পড়বে। তোমার মাথায় থাকবে- আমি আগামী ২৫ মিনিট পড়ব। এরপর ৫ মিনিট ব্রেক নিব। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করা লাগবে এই ভয়টা আর তুমি পাবে না। পড়তে বসতে বা কোনো কাজ শুরু করতে অলসতা করবে না। আর মাঝেমাঝে যে ব্রেক নিচ্ছ – এই ব্রেক তোমাকে চাঙ্গা করে তুলবে। দীর্ঘক্ষণ তোমার ফোকাস ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
টাইম ট্র্যাক রাখার জন্য আবার মোবাইল ব্যবহার করতে যেয়ো না, ফাঁদে পড়ে যাবে। ঘড়ি ব্যবহার করো।

ষোলো

19 Feb, 13:04


আজকের কাজ কালকের জন্য রেখে দিতে দিতে পড়তে বসাই যেন আর হয়ে ওঠে না। পড়ার জন্য চেয়ার টেনে বসলেও বাড়ির কাজ বা নির্দিষ্ট কোনো বিষয় শুরু করার মতো মনোভাব থাকে না। সবকিছুই যেন কেমন ম্যাজম্যাজ লাগে—আলসেমি, ভয়, আর অনাগ্রহ ঘিরে ধরে। এমনটা আমারও হতো, আর সত্যি কথা বলতে এখনো মাঝেমাঝে হয়। এটা বেশ বাজে অভ্যাস। এ কারণে আমি জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছি। আমাকে পস্তাতে হয়েছে বারবার।
.
আমার জীবনে এই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই বুঝেছি, আলসেমির এই ফাঁদ থেকে বের হওয়া কতটা জরুরি। তোমরা যেন এই কষ্টটা না করো, সেজন্যই আমাদের এই ধারাবাহিক আয়োজন। গত পর্বে আমরা এই ফাঁদ থেকে বের হবার জন্য আলোচনা করেছিলাম- কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করো ও নিজেকে পুরস্কার দাও (Solar Flaring Technique), ৫ মিনিট রুল, এই কাজ করব, নইলে কিছুই করব না – এই ৩ টা টেকনিক। এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্বে আলোচনা করা হবে খুবই কার্যকরী আরও কিছু টেকনিক-
.
পড়তে বসা বা কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে আমি যে অলসতা করতাম তার পেছনে একটা চিন্তা ছিল- আরে বাপরে বাপ! ঐ কাজটা করতে ৪/৫ ঘণ্টা লাগবে, এতক্ষণ পড়তে বা কাজ করতে তো অনেক কষ্ট হবে আমার। এতক্ষণ কাজ করা লাগবে এই ভয়েই আর সেই কাজ করা হতো না, বা পড়তে বসা হতো না। বা  বহুকষ্টে টানা কিছুক্ষণ কাজ করার পর আর মনোযোগ ধরে রাখতে পারতাম না। তোমাদেরও এমন হয়, তাই না? কিছুক্ষণ কাজ করার পর মনে হয়, “উফফ, আর পারছি না!” ফোনের দিকে বারবার নজর যায়, ফেসবুক স্ক্রল করা লাগে, বা মনে হয় ঘুমিয়ে পড়ি!
.
তাহলে আমরা বুঝলাম, এতক্ষণ কীভাবে কাজ করব আমি- এই ভয় দূর করা শিখতে হবে আর শিখতে হবে কাজে দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখার উপায়!
.
১. ‘বিসমিল্লাহ’ বলে কাজ শুরু করো
প্রতিটি কাজ শুরু করার আগে আল্লাহর নাম নিয়ে কাজ শুরু করলে এতে বরকত আসে। ‘বিসমিল্লাহ’ বলার মধ্যে যে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়, তা তোমার কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

২. কিছু দরুদ ও ইস্তিগফার পাঠ করো
কাজের ফাঁকে একটু দরুদ বা ইস্তিগফার পড়লে মস্তিষ্ক কিছুক্ষণের জন্য প্রশান্তি পায়। এটা তোমার দুশ্চিন্তা কমিয়ে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

৩. শুরুতেই কাজের নিয়ত ঠিক করে নাও
তোমার কাজের উদ্দেশ্য কী? এটা বুঝে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্দেশ্য পরিষ্কার থাকলে কাজ করার আগ্রহ বেড়ে যায়।

৪. মাল্টিটাস্কিং কোরো না
একসাথে কয়েকটি কাজ করার চেষ্টা করলে কোনো কাজেই পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া যায় না। গবেষণায় দেখা গেছে, মাল্টিটাস্কিং আমাদের ফোকাস আর গুণমান দুটোই কমিয়ে দেয়। তাই একবারে একটি কাজই করো। পড়ার সময় ফোন বন্ধ রাখো।

৫. একটানা ৪৫ মিনিটের বেশি কাজ কোরো না
আমাদের মস্তিষ্ক ৪৫ মিনিটের বেশি সময় একটানা ফোকাস রাখতে পারে না। একটানা বেশি সময় কাজ করলে ফোকাস, গতি আর কাজের মান তিনটাই কমে যায়। তাই এক ঘণ্টার কাজের স্লট এভাবে ভাগ করো:
৪৫ মিনিট কাজ করো।
১৫ মিনিটের একটি ব্রেক নাও।
এভাবে কাজ করলে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় এবং নতুন করে কাজে মনোযোগ দিতে পারে।

৬. পোমোডোরো টেকনিক অনুসরণ করো
পোমোডোরো হলো টাইম ম্যানেজমেন্টের একটি বিশেষ টেকনিক। তুমি কতক্ষণ কাজ করবে বা পড়বে তার উপর ভিত্তি করে নিচের যেকোনো একটা বাছাই করো- 
*(কমেন্টে ছবি দেওয়া হলো;অবশ্যই দেখে নাও)*

৭. ব্রেকে যা করা যাবে না

ক. সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা
ব্রেক মানে পুরো মস্তিষ্ককে রিফ্রেশ করা। ব্রেকে যদি আবার ফোন চাপাচাপি করো তাহলে তো সমস্যা! তোমার ব্রেইনকে আরও ক্লান্ত করে তুলবে।

৮. ব্রেকে যা করা যেতে পারে

ক. চুপচাপ শুয়ে থাকো
৩-৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকো। এটা তোমার ব্রেনকে রিস্টার্ট করবে ।
খ. হালকা ব্যায়াম করো
৩-৪টি পুশআপ বা স্ট্রেচিং করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং মস্তিষ্ক আরও ভালো কাজ করবে।
গ. বাইরে একটু হেঁটে আসো
বাইরের বাতাস তোমার মন আর শরীর দুইটাই সতেজ করে।
ঘ. চা/কফি/পানি/খেজুর খাও
সাধারণ কিছু স্ন্যাকস বা পানীয় মস্তিষ্ককে শক্তি দেবে।
ঙ. কুরআন পড়ো বা ইস্তিগফার করো
ব্রেকের সময় কুরআন পড়া বা দুআ করার মাধ্যমে তোমার মস্তিষ্ক আর আত্মা দুটোই শান্তি পাবে। আর পাবে আল্লাহর সাহায্য।
.
তাহলে, এখন থেকেই এই নিয়মগুলো ফলো করতে শুরু করো। পরবর্তী লেখায় আমরা আরও কার্যকর টিপস নিয়ে আসব, ইনশাআল্লাহ!

দ্যা আর্ট অফ অলসতা (৩য় পর্ব)
    –আব্দুল্লাহ আব্দুর রহমান

ষোলো

19 Feb, 10:11


৮ম সংখ্যা নিয়ে কেও পাঠচক্র করেছো?

ষোলো

19 Feb, 07:19


বাংলা একাডেমি বইমেলা, ঢাকা।
সন্দীপন প্রকাশনের স্টলে 'ষোলো' পাওয়া যাচ্ছে।
স্টল নম্বর: ৭৬১-৭৬২
লোকেশন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা

ষোলো

18 Feb, 08:38


গতকাল আমরা গিয়েছিলাম শিক্ষানগরী খ্যাত ময়মনসিংহে। ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে ক্যাম্পেইন করার জন্য। Mymensingh Youth Club এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই ক্যাম্পেইনে ষোলো টিম থেকেও তিনজন অংশ নিয়েছিলাম।
.
টিনেইজ ক্রাইসিস নিয়ে অল্প কথায় আলোচনার পর ষোলো'র পরিচিতি পর্ব ছিল। এরপর ছিল ঝটপট কুইজ।
.
আমরা মোট পাঁচটি ক্লাসে (সেকশনে) কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। চারটি ক্লাসের চারজনকে একটি করে 'ষোলো' গিফট দেওয়া হয়েছে। আরেকটি ক্লাসে (দশম শ্রেণি) একজনকে Lost Modesty টিমের "আকাশের ওপারে আকাশ" বই গিফট করা হয়েছে।
.
ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে এটি ছিল আমাদের প্রথম ও প্রাথমিক প্রোগ্রাম। সামনে আরও বড় পরিসরে হলরুমে টিনেইজ ক্রাইসি নিয়ে সেমিনার আয়োজনের ব্যাপারে কথা হয়েছে কর্তৃপক্ষের সাথে। সুতরাং, ময়মনসিংহবাসীর সাথে (বিশেষ করে MZSianদের সাথে) আবারও দেখা হবে ইনশা আল্লাহ্‌।
.
# ষোলো
# জীবনের_জন্য
#Mymensingh

ষোলো

22 Jan, 15:57


মিরপুর ১,২,১০ ও বাংলা কলেজ।

ষোলো

20 Jan, 15:23


ষোলো ৮ম সংখ্যা কবে আসবে?
.
গত দুই সপ্তাহে ইনবক্সে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি এসেছে, তা এটি। কোনো সংখ্যা প্রকাশের পূর্বে এই প্রশ্নটা কমন। কিন্তু এবার একটি ‘বিশেষ’ ঘটনা ঘটেছে। আমরা পাঠককে কোনো উত্তর দিতে পারছিলাম না। কারণ, আমরা নিজেরাও আসলে জানতাম না, ষোলো ৮ম সংখ্যা কবে আসবে।
.
.
[১]
.
ষোলো’র ৮ম সংখ্যা প্রকাশের কথা ছিল ডিসেম্বরের শুরুতেই। আমাদের টিম সেভাবেই রোডম্যাপ সাজিয়ে কাজ শুরু করেছিল। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই ৮ম সংখ্যার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। লেখা বাছাইয়ের পর সম্পাদনা ও প্রুফ রিডিং চলছিল। সে মাসের শেষ সপ্তাহে কনটেন্ট রিলেটেড কাজও প্রায় শেষ হয়ে আসে।
.
অক্টোবর তখন শেষ হতে চলেছে। ৩০ তারিখ বিকালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। আমাদের ডিজাইনার শাহরিয়ার হোসাইনের ম্যাকবুক চুরি হয় বাসা থেকে। থানায় জিডি করেও সেটি ফিরে পাবার কোনো বন্দোবস্ত হয়নি।
.
৮ম সংখ্যার কনটেন্ট রিলেটেড কাজ তখন প্রায় শেষ। এরপরই ডিজাইন শুরু হবে। ঠিক এই সময়টাতেই ডিজাইনারের ল্যাপটপ হারিয়ে গেল। এটা আমাদের জন্য একটি ধাক্কা হয়ে এলো। ৮ম সংখ্যা প্রকাশের প্রজেক্টেড শিডিউলে চিড় ধরল ঠিক তখনই।
.
.
[২]
.
আমরা তখন বাইরে থেকে ডিজাইন করানোর পরিকল্পনা করলাম। একটি ডিজাইন হাউসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলাম। ফাইল গুছিয়ে দিতে দিতে নভেম্বরের মাঝামাঝি হয়ে যায় প্রায়। তারা কাজ শুরু করে দেয় তখনই।
.
রিভিশন-টিভিশন শেষে আমরা তাদের কাছ থেকে ফাইল পেলাম ডিসেম্বরের ২৬ তারিখে। এরপরও ছোট ছোট কিছু কারেকশান প্রয়োজন ছিল। সেগুলো আমরাই করে নিলাম। অতঃপর ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে সন্দীপন প্রকাশনে ফাইল পাঠালাম। আমাদের প্রজেক্টেড শিডিউল থেকে এক মাস দেরিতে!
.
.
[৩]
.
জানুয়ারির এক তারিখেই প্রিন্টের জন্য সকল ফাইল রেডি করে ফেলে সন্দীপন প্রকাশন। যেহেতু আর কোনো ইস্যু নেই, তাই আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়ে দিই যে, ৮ম সংখ্যা ৭ জানুয়ারি থেকে পাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ।
.
আমাদের প্রজেক্টেড শিডিউল থেকে এক মাস পিছিয়ে গেলেও, আমরা আশা করেছিলাম জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ৮ম সংখ্যা প্রকাশিত হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। নতুন বছরের শুরুতে নতুন ষোলো—এটা ভেবে খুশি থাকি আমরা।
.
.
[৪]
.
৫ জানুয়ারি, ২০২৫। সন্দীপন প্রকাশন থেকে আমাদেরকে জানানো হলো—১১ জানুয়ারির দিকে ষোলো প্রিন্টে পাঠানো হবে।
.
এরপর ১১ তারিখ রাতে আপডেট আসে—পূর্বের প্রেস NCTB এর বইয়ের কাজ পাওয়ায় ‘ষোলো’ ছাপাতে চাচ্ছে না। ‘ষোলো’ ছাপিয়ে তাদের নাকি উল্লেখযোগ্য প্রফিট আসে না। তাই নতুন প্রেস খুঁজতে হবে আবারও। নতুন প্রেস খুঁজে ম্যাগাজিন প্রিন্ট শুরু হতে আরও ১/২ দিন লাগতে পারে।
.
ফাইনালি, নতুন প্রেস ফিক্স করে গত পরশু (১৮ জানুয়ারি) ষোলো প্রিন্টে যায়। আলহামদুলিল্লাহ।
.
.
[৫]
.
প্রিয় ভাইয়া ও আপুরা, আমরা জানি—তোমরা অধীর আগ্রহে বসে আছো ৮ম সংখ্যার জন্য। কবে আসবে তোমাদের প্রিয় ষোলো’র নতুন সংখ্যা—এই প্রতীক্ষায় তোমাদের সময় যেন কাটে না! তোমাদের মতো আমরাও অপেক্ষায় আছি, কবে ছুঁয়ে দেখব নতুন সংখ্যা। কিন্তু এমন এক জটিলয়তায় পড়ে গিয়েছিলাম আমরা, কোনো কিছুই নিশ্চিত করে বলতে পারছিলাম না।
.
যাই হোক, অবশেষে তোমাদের প্রিয় ষোলোর ৮ম সংখ্যা প্রিন্টে গিয়েছে। প্রকাশনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আশা করছি, আগামী শনিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে এভেইলেবল হবে ইনশা আল্লাহ।
.
অনিচ্ছাকৃত এই দেরির জন্য তোমরা মন খারাপ কোরো না। ভালোবাসা নাও। ষোলোকে ছড়িয়ে দাও ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি কোণায়।
.
.
ষোলো টিমের পক্ষে
আসাদুল্লাহ আল গালিব

ষোলো

18 Jan, 04:18


লিফলেট কেনার জন্য ও এ-সম্পর্কিত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন মাশহাদাহ ফ্রাগরেন্স পেইজে।

পেইজ লিংক - https://www.facebook.com/MashhadahFragrance?mibextid=ZbWKwL

ষোলো

18 Jan, 04:18


লিফলেটের সফটকপি ডাউনলোড করে নিজে প্রিন্ট করতে পারেন।
প্রেম বিবাহ বহির্ভূত দৈহিক সম্পর্কের ব্যাপারে ১৪+ বয়সীদের মধ্যে ভ্যালেন্টটাইন ডে ও সারাবছর ব্যাপী বিতরণযোগ্য লিফলেট- আকাশের ওপারে আকাশ- https://tinyurl.com/PremLeaflet

ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষ্যে ছাত্র, ছাত্রীদের মধ্যে বিতরণযোগ্য লিফলেটের সফটকপি- ভালোবাসার ফেব্রুয়ারি- https://tinyurl.com/valohok

ষোলো

16 Jan, 16:11


ফিতনার এমন এক মহা-সমুদ্রে আমরা এখন বসবাস করছি, যেখানে বিয়ের আগে প্রেম-ভালোবাসা খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিতনার লাগামহীন এই ঘোড়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সমাজের অলিতে-গলিতে। ফুলের কলির মতন পবিত্র হৃদয়গুলোকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে ঘুণ পোকার মতন। যিনার সহজলভ্য এই ভাগাড়ে আবর্জনার স্তুপে শিশুর খন্ডিত লাশ ছিঁড়ে খায় কুকুর।

আসছে ১৪-ই ফেব্রুয়ারী তথাকথিত বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের নামে পুরো পৃথিবী যে অশ্লীলতায় ডুবতে চলেছে এর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়াতে পারলে সমাজের এই অবস্থা কোনোদিনও পরিবর্তন সম্ভব নয়। বিপথগামী সেই সকল মানুষ যারা অনবরত জাহান্নামের দিকে ছুটে চলছে আসুন সকলে এক হয়ে তাদেরকে যেনার ভয়াবহতা সম্পর্কে, হারামের শাস্তি সম্পর্কে সচেতন করি।

আগামী ১৪-ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ব বেহায়া দিবসের ফেতনা থেকে এই সমাজকে রক্ষা করতে নিজ নিজ এলাকায় এই লিফলেটগুলো দিয়ে ক্যাম্পেইন করতে পারেন। একজন মানুষও যদি ভুল পথ থেকে সরে আসে সেটাও হবে বিরাট এক পাওনা।

----------------------------- -----------------------------
🔴 প্রতিটি লিফলেট এর দাম=২.২০৳,
(সাথে পরিমান অনুযায়ী কুরিয়ার খরচ)

অর্ডারের নিয়ামাবলিঃ

ইনবক্সে লিফলেটে পরিমান উল্লেখ করুন এবং খরচ জেনে

01726969643 - বিকাশ মার্চেন্ট পেমেন্ট।
01316589661 - বিকাশ/রকেট/নগদ পার্সোনাল।

পেমেন্ট সম্পন্ন করে, অর্ডার কনফার্ম করবেন।

@Mashhadah Fragrance
শিমুলতলী, গাজীপুর সদর, গাজীপুর
01316589661

ষোলো

16 Jan, 13:32


Kitaab Glimpse আয়োজিত #ষোলোগ্রাফি প্রতিযোগিতার সেরা ১০ বিজয়ীরা হলেনঃ (প্রথম,দ্বিতীয় হিসেবে নয়)

Rakibul Hasan
Ahmed Imtiaz Arafat
Jhunu Akter
Tamanna Akter
Afroza Mim
Toha Al Ontor
Xyan Sami
Fahmida Arefin
Tanjila Khan
Sawmoon Sumona

বি:দ্র:- প্রতিযোগিদের ষোলোগ্রাফিগুলো কমেন্ট বক্স থেকে দেখে নাও।

ষোলো

15 Jan, 14:13


প্রিয় শহর, শহরের অলিগলি, চারপাশটা কতো দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে আশেপাশের মানুষগুলোও।
.
হুট করে গুগল ম্যাপসের একটা জায়গা আসলো টাইমলাইনে। ২০১৩, ১৫ সালের সময়টায় ফিরে গিয়ে প্রিয় কিছু রাস্তা দেখলাম। কতো কিছু পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আরও ১০ বছর পরে এখনকার দৃশ্যগুলোও পরিবর্তন হয়ে যাবে হয়ত। আব্বু-আম্মু বা অন্য কোনো আপনজন হয়ত আর পৃথিবীতে থাকবে না। হয়ত থাকব না আমিও। আপনিও।
.
মানুষকে ধরে রাখা যায় না। সময় আঁকড়ে ধরে রাখা যায় না। চিরচেনা দৃশ্যগুলোও আটকে রাখা যায় না। স্মৃতি কি আকড়ে রাখা যায়? স্মৃতিও তো প্রতারণা করে সময় সময়। আকড়ে রাখা যায় না আসলে কিছুই।
.
অমোঘ নিয়তির মতো শান্ত স্থির পদক্ষেপে আমাদের সবকিছুই সমর্পিত হবে মৃত্যুর কাছে।
.
মৃত্যুই জগতের পরম সত্য।
.
[লেখা সংগৃহীত]

ষোলো

15 Jan, 07:14


https://pordaai.com/

ইন্টারনেটে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে চলে আসা মহিলাদের ছবি/ভিডিও ব্লার করে দিবে। পিসির জন্য এভেইলেবল আপাতত। ডেভেলপার ভাইদের জন্য আপনারা দুয়া করবেন ।

ষোলো

13 Jan, 05:53


রায়পুরা,নরসিংদী।

ষোলো

12 Jan, 10:56


শাহজাদপুর, নতুনবাজার,বাঁশতলা,গুলশান ২, নৌবাহিনী কলেজ।
ঢাকা

ষোলো

12 Jan, 04:18


পুলিশ লাইন, মাগুরা।
খড়কি বামনপাড়া, যশোর সদর।

ষোলো

11 Jan, 09:46


জামালপুর সদর।

ষোলো

11 Jan, 03:58


বাবরীঝাড় এবং নীলফামারি সদর।

ষোলো

09 Jan, 09:35


লালবাগ,চারতলা মোড়
রংপুর

ষোলো

09 Jan, 06:07


দক্ষিণ সুরমা,মোগলা বাজার,সিলেট

ষোলো

08 Jan, 12:24


৮ম সংখ্যায় যাদের লেখা প্রকাশিত হলো:
.
১. ছায়া - ফাহমিদা আফরিন
২. কমিকস: বান্দরবান অভিযান - সাজিদ হাসান
৩. বয়স যখন বিশের কোঠায়, জেনে নাও সাতটি বিষয় - মাঝি মাল্লার দল
৪. দ্যা আর্ট অফ অলসতা (৩য় পর্ব) - আব্দুল্লাহ আব্দুর রহমান
৫. ফেলটুস থেকে টপার (৪র্থ পর্ব) - রাহাত হোসেন
৬. হাসতে হাসতে শেষ! - হামদাম ইলাহী
৭. তুমি সিঙ্গেল, তুমি সাহসী - লস্ট মডেস্টি
৮. আর আমি তোমাদের শেখাব কীভাবে নারী হতে হয় (১ম পর্ব) - তাসনিয়া জাহান
৯. এ আইয়ুব!! - মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ
১০. সীমান্তে সীমালঙ্ঘন - নাঈমুর রহমান
১১. লাইফ হ্যাকস - অনুবাদ ও পরিমার্জনা: ফাইযান বিন হক
১২. জুলাইয়ের কাফেলা: শহীদ ফরহাদ হোসেন - অনুলিখন: আযিম মাহমুদ মিরাজ
১৩. জুলাইয়ের জল্লাদ! - বিনতে রফিকুল ইসলাম
১৪. গাদ্দারি - খিজির হায়াত
১৫. সব কিছু কি শেষ? - এনামুল হোসাইন
১৬. হাতের কামাল - সাদিকা শারমিন
১৭. এ কেমন অসুখ? - হামদাম ইলাহী
১৮. বাসে বমি থেকে মুক্তির ১০টি উপায়! - সাদিকা শারমিন
১৯. ঘুম নিয়ে যত সমস্যা - অনুবাদ ও পরিমার্জনা: copper
২০. অভিশাপ - আনিকা তুবা
২১. পানির রেসিপি - আয়াত
২২. রাত জাগা পাখি (৩য় পর্ব) - লস্ট মডেস্টি
২৩. সড়ক নিরাপত্তা: কেন আমাদের সচেতনতা দরকার? - আবু ফাতিমা
২৪. বস কেইম টু ডিনার - ওমর ইবনে সাদিক
২৫. সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস: দুর্ধর্ষ ঘোড়সওয়ার (১ম পর্ব) - এনামুল হোসাইন
২৬. চ্যানেল রিভিউ: রেইন ড্রপস মিডিয়া - জুনাইদ
২৭. বাংলা যেভাবে সোনার বাংলা হলো (১ম পর্ব) - আব্দুল্লাহ আল রায়হান মাদানী
২৮. আবিদের ময়লা মাঠ - ইয়ামিন সাজিদ
২৯. ওদের হারাতে দিয়ো না (২য় পর্ব) - খিজির হায়াত
৩০. মসজিদ প্রেমী - নাঈমুর রহমান
৩১. কচিকাঁচার কর্ণার - হুমায়রা
৩২. বৈদ্যুতিক মানব - আব্দুল মুমীত
৩৩. যা স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে শেখায় না (১ম পর্ব) - আসাদুল্লাহ আল গালিব
৩৪. বুদ্ধি খাটাও (পর্ব-৭)
৩৫. রহস্যজট (পর্ব-৭)
৩৬. তোমাদের জিজ্ঞাসা (পর্ব-২)
.
লেখক-লেখিকা ভাইয়া-আপুরা, নিজ নিজ কুরিয়ার এড্রেস ডিটেইলস ও মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট নাম্বার নিয়ে কোর্টে, থুক্কু ফেসবুক পেইজের ইনবক্সে হাজিরা দাও! হাজিরা মিস তো তবারক মিস!

ষোলো

08 Jan, 09:08


যুক্ত হয়ে নাও ষোলো-র ফেসবুক পেইজ এবং গ্রুপে।
.
ফেসবুক পেইজ - https://www.facebook.com/sholo.official?mibextid=ZbWKwL

.
ফেসবুক গ্রুপ - https://www.facebook.com/groups/sholo/?ref=share&mibextid=NSMWBT

ষোলো

08 Jan, 05:35


গৌরনদী,বরিশাল।

ষোলো

07 Jan, 04:23


সন্দ্বীপ,চট্রগ্রাম

ষোলো

06 Jan, 16:04


চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও হাটহাজারী।

ষোলো

05 Jan, 11:06


ছবিটি পাঠিয়েছেন -Mollica Akter

#ষোলোগ্রাফি
#৭ম_সংখ্যা

ষোলো

04 Jan, 12:14


SHOLO Grand Meeting 2025

ষোলো

03 Jan, 12:37


ষোলো ৮ম সংখ্যায় যেসব লেখা থাকছে...

ষোলো

02 Jan, 14:56


বোঁচাগঞ্জ,দিনাজপুরের প্রতিনিধি আরিফ হোসাইন-এর কাছে পাওয়া যাবে ষোলো ৮ম সংখ্যা।

ষোলো

01 Jan, 12:30


আলহামদুলিল্লাহ, অষ্টম সংখ্যা প্রকাশনীতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ - ৭ জানুয়ারি ২০২৫ (ইনশা আল্লাহ)

ষোলো

31 Dec, 14:58


তোমরা কি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করো?
ফলো করতে পারো ষোলোর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল।

- https://tinyurl.com/SholoOfficial

ষোলো

29 Dec, 11:58


যারা ইনস্টাগ্রাম ইউজ করো,ষোলো ভাইয়াকে ফলো দিতে ভুলো না!

ইনস্টাগ্রাম - https://www.instagram.com/sholo_official/

ষোলো

26 Dec, 15:05


ময়মনসিংহের পাঠকেরা ষোলো সংগ্রহ করে নিন আপনাদের শহরের টাউনহল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ১০ দিন ব্যাপী
#ময়মনসিংহ_ইসলামী_বইমেলা_২০২৪ থেকে।
.
ষোলো প্রাপ্তিস্থান: সন্দীপন প্রকাশন ;স্টল নং ৫৮।
.
মেলা শুরু হয়েছে আজ ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার থেকে।
মেলা চলবে ৪ জানুয়ারী,২০২৫ (শনিবার) পর্যন্ত।

.
বইমেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
.
★বি:দ্র: সম্মানিত মা বোনদের বইকেনাকাটার সুবিধার্থে #নারী_প্রহর সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত।
এ সময় শুধুমাত্র নারীরাই স্বাচ্ছন্দে বইকেনাকাটা করতে পারবেন।

ষোলো

25 Dec, 14:57


জুলাই আন্দোলনের স্বরণে,
#ষোলোগ্রাফি
-Meena Akter
.
ষোলো ৭ম সংখ্যাটির প্রচ্ছদ,গল্প জুলাই আন্দোলনের স্মৃতিবাহক।
.
যারা এখনো ষোলো ৭ম সংখ্যাটি সংগ্রহ করো নি, দ্রুত সংগ্রহ করে নাও। স্টক কিন্তু সীমিত!

ষোলো

25 Dec, 04:02


যাত্রাবাড়ীর মাদরাসাতুল ইত্বক্বনে ষোলো বিতরণ করেছে এক ভাই।

ষোলো

24 Dec, 15:15


#ষোলোগ্রাফি
- Hossain Ahmed

.
চলছে ষোলোগ্রাফি নিয়ে প্রতিযোগিতা, বিস্তারিত জানতে ও অংশগ্রহণ করতে ভিজিট করো- #ষোলোগ্রাফি
- Hossain Ahmed

.
চলছে ষোলোগ্রাফি নিয়ে প্রতিযোগিতা, বিস্তারিত জানতে ও অংশগ্রহণ করতে ভিজিট করো- https://www.facebook.com/share/p/1Agv2sqPaF/

ষোলো

24 Dec, 06:27


আলিমদের থেকে এরকম কিছু শুনলে বেশ ভালো লাগে। আমাদের কাজকে যখন তাঁরা এপ্রিশিয়েট করেন, তখন আমরা অনুপ্রেরণা পাই, আরও সাহস পাই। কাজের স্পিরিট বেড়ে যায় কয়েক গুণ। আলহামদুলিল্লাহ।

ষোলো

23 Dec, 15:58


ষোলো ৮ম সংখ্যা।

শীঘ্রই আসছে ইন শা আল্লাহ।

ষোলো

23 Dec, 11:09


#ষোলোগ্রাফি

পাঠিয়েছেন -Md Imran Khan

ষোলো

22 Dec, 16:17


থার্স্টি ফার্স্ট নাইট নামক অপসংস্কৃতি নিয়ে গণমানুষকে সচেতন করার বড় একটা প্ল্যাটফর্ম হলো মাসজিদের মিম্বর। তাই আমরা আমাদের শহরের সম্মানিত ইমাম-খতিবগণকে একটি করে চিঠি পৌঁছে দেবো ইনশা আল্লাহ। চিঠিটা এখানে পাবলিকলি দিয়ে দিচ্ছি, যেন অন্যান্য ভাইয়েরাও সহজে চিঠি ছাপিয়ে নিতে পারেন।
.
//বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
.
প্রিয় সম্মানিত ইমাম!
.
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
.
আশা করি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার অশেষ রহমতে আপনি সুস্থ ও সালামতে আছেন। আমরা আপনার খুৎবা ও বয়ান থেকে অনেক কিছু শিখি এবং উপকৃত হই। আল্লাহ তাআলা আপনাকে আমাদের জন্য আরও দীর্ঘ সময় পর্যন্ত হিদায়াতের আলোকবর্তিকা হিসেবে জারি রাখুন।
.
আজকের এই চিঠি লেখার উদ্দেশ্য হলো, আমাদের সমাজে ক্রমবর্ধমানভাবে ছড়িয়ে পড়া অপসংস্কৃতি এবং নৈতিক অবক্ষয়ের বিষয়ে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা। বর্তমান সময়ের অন্যতম একটি জাহিলি ফিতনা হলো থার্স্টি ফার্স্ট নাইট। পশ্চিমা এই অপসংস্কৃতি উদ্‌যাপন বর্তমান মুসলিম সমাজে মামুলি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এই অপসংস্কৃতি আমাদের মূল্যবোধ, আচার-ব্যবহার এবং ঈমানি শক্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে। আমাদের সামজিক জীবনেও এর নেতিবাচক প্রভাব অগণিত।
.
থার্স্টি ফার্স্ট নাইটের বিভিন্ন উন্মাদনায় বেহুশ হয়ে যাচ্ছে আমাদের তরুণ-তরুণীরা। এই রাতে তাদের পটকাবাজির ফলে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আমাদের শিশু ও বৃদ্ধরা। গত বছর তো পটাকাবাজির বিকট আওয়াজে রাজধানীতে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। মাআজাল্লাহ!
.
আপনার মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্বের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, যদি আপনি আগামী জুমুআর খুৎবায় বয়ানের মাধ্যমে এই পশ্চিমা অপসংস্কৃতির ক্ষতিকর প্রভাব ও কুরআন-সুন্নাহর আলোকে এ থেকে বেঁচে থাকার জরুরত নিয়ে আলোচনা করেন, তবে এটি আমাদের সমাজের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে। আপনার কথাগুলো আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষের অন্তরে গভীর প্রভাব ফেলবে এবং অনেকেই সঠিক পথে ফিরে আসার প্রেরণা পাবে।
.
আমাদের যুব সমাজকে নৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং ইসলামের প্রকৃত শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে আপনার সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা আমাদের এই নিয়তে বরকত দান করুন এবং আমাদের সবাইকে হিফাজত করুন।
.
পরিশেষে, আমরা দুআ করি, আল্লাহ তাআলা আপনার জীবনে বারাকাহ দান করুন এবং আপনাকে দ্বীনের জন্য আরও কার্যকরী ভূমিকা পালনের তাওফিক দান করুন। আমীন।
.
ওয়াসসালাম,
Mymensingh Youth Club এর পক্ষে
ফুলান ইবনে ফুলান//
.
চিঠির শেষে নিজ নিজ ক্লাব/ইউনিটের নাম ও একজন দায়িত্বশীলের নাম লিখে দিয়েন। সম্ভব হলে যোগাযোগের নাম্বারও যুক্ত করে দিতে পারেন।
.
আল্লাহ তাআলা আমাদের সুন্দর নিয়তগুলো বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন।

ষোলো

22 Dec, 11:00


#ষোলোগ্রাফি টি পাঠিয়েছেন,
-Md Abu Bokor

ষোলো

22 Dec, 01:58


আলহামদুলিল্লাহ।
এখন পর্যন্ত চল্লিশ হাজারের বেশি লিফলেট অর্ডার হয়েছে আমাদের বুকশপে। অবশ্যই আনন্দিত হওয়ার মতো। কিন্তু তবুও একটি কারণে বিষন্ন হয়ে উঠছে ভেতরটা। কেন? কারণ জানতে চান?

কারণটা হচ্ছে, অধিকাংশ অর্ডারকারীর লিফলেট বিষয়ে চিন্তা ও পরিকল্পনা জুমু'আ কেন্দ্রিক। মানে হচ্ছে, জুমু'আর আগে লিফলেট হাতে আসবে, আর জুমু'আর পরে মাসজিদের বাহিরে দাঁড়িয়ে বিতরণ করে দিবেন। ব্যস!

দেখুন, কষ্ট করে অর্জিত টাকা খরচ করে, ফান্ড কালেকশন করে লিফলেট সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু ফায়দার কথা চিন্তা করছি কি?! কোন কোন পদ্ধতিতে বা কিভাবে লিফলেট বিতরণ করলে অধিক ফলপ্রসু হবে বা অধিক ফায়দা হবে বা নিজেদের কাঙ্খিত লক্ষ্য উদ্দেশ্য পূরণ হবে? ভেবেছি কি কখনো আমরা?

অধিক ফায়িদা বা ফলপ্রসূতার কথা চিন্তা করলে আমাদেরকে শুধুমাত্র জুমু'আ কেন্দ্রিক চিন্তা ও পরিকল্পনা পরিহার করতে হবে।

যেভাবে আমরা লিফলেট নিয়ে ক্যাম্পেইন বা এক্টিভিজম করতে পারি:

> স্ট্রিট দাওয়াহ
শহরের বা এলাকার মোস্ট ক্রাউডেড প্লেস বা অধিক জনসমাগমের স্থানে স্ট্রিট দাওয়াহ করা। সম্ভাব্য স্থান হতে পারে কলেজ মাঠ, ব্যস্ততম মোড়, খেলার মাঠ, কেদ্রীয় মাসজিদের সামনে ইত্যাদি।

> মিট আপ ইউথ কিশোর গ্যাং
আপনি অবশ্যই জানেন যে, আপনার শহরে বা এলাকায় কে বা কারা থার্টি ফার্স্ট নিয়ে আয়োজন করছে অতীতে বা করার সম্ভাবনা আছে। এমন কিশোর তরুণদের গ্যাং বা সার্কেলের সাথে মিট আপ করা, তাদের খোজ খবর নেওয়া। এরপর থার্টি ফার্স্ট নিয়ে আলাপ করা। সর্বশেষে লিফলেট বিতরণ করে দেওয়া। দুই দিন বা তিন দিন পরে ফলো আপ করা। পুনরায় মিট করা। আপনাদের টাচে বেশি বেশি রাখার চেষ্টা করা যাতে করে থার্টি ফার্স্ট কেন্দ্রিক চিন্তা, পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেওয়ার সময় না পায় ওরা। ওদেরকে ব্যস্ত রাখা। খেলাধুলার আয়োজন করা ওদেরকে নিয়ে। লিফলেট নিয়েই ওদের সাথে পাঠচক্র করা। সময়সাপেক্ষ। তাড়াহুড়ো নেই। সময় দিতে হবে ধারাবাহিকভাবে।

> হালাকাহ
আগামী কয়েকদিন বা'দ মাগরীব নিয়মিতভাবে ফরজ সালাতের শেষে মাসজিদের সম্মানিত ইমামসাহেবদের সহযোগিতায় সংক্ষিপ্ত হালাকাহ করা। এই কাজের জন্য প্রথমে মাসজিদের সম্মানিত ইমাম সাহেবকে কনভেন্স করা। তার নিকট লিফলেট ও এই সংক্রান্ত অন্যান্য আর্টিকেল পৌঁছে দেওয়া। এই হালাকাহ সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের করা।

> ইয়াওমুল জুমু'আ
জুমু'আর দিনের জন্য বৃহস্পতিবার নিজ নিজ মাসজিদের সম্মানিত খতিবসাহেবদের সাথে সাক্ষাত করে লিফলেটের কপি ও এই সংক্রান্ত অন্যান্য আর্টিকেল পৌঁছে দেওয়া। তাকে জুমু'আতে এইসব সমাজ বিধ্বংসী পশ্চিমা সংস্কৃতি সম্পর্কে খুতবাতে আলোচনা করার জন্য কনভেন্স করা। জুমু'আ পরবর্তী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি সম্পর্কেও তাকে অবগত করা। এতে করে খতিব সাহেব বিষয়টির এলান করে দিলে সম্মানিত মুসুল্লিবৃন্দরা আগ্রহভরে লিফলেট নিবেন ও পড়বেন। নতুবা গুরুত্ব দিবেন না। লিফলেট নিবেন কিন্তু না পড়ে ফেলে দিবেন বা রেখে দিবেন। ইয়াওমুল জুমু'আ গুরুত্বপূর্ণ। অধিক ফলপ্রসূ হবে সম্মানিত খতিব সাহেবদেরকে খুতবার বিষয়ে কনভেন্স করতে পারলে।

> বিতরণ
বিতরণের জন্য অভিভাবক ও কিশোর তরুণদের টার্গেট অডিয়েন্স রাখা। এবং বিতরণের সময় এখানে গুরুত্বপূর্ণ। এমন সময়ে লিফলেট বিতরণ না করা যখন ব্যক্তি ক্ষুধার্ত (দুপুরের সময়), ব্যস্ত ও পেরেশান। অভিভাবকদের জন্য ফজরের সালাতের পরে বিতরণ করা, ফজরের পরে হাটতে বাহির হওয়া আংকেলদেরকে লিফলেট বিতরণ করা, এশার পর উপস্থিত অভিভাবকদেরকে লিফলেট বিতরণ বিতরণ করা। আর তরুণ যুবকদের জন্য 'মিট আপ উইথ কিশোর গ্যাং' এই অংশ দেখুন৷

> মাইকিং
শহর বা এলাকাজুড়ে ফাহেশা আয়োজন থেকে সতর্ক করে মাইকিং করা।

> ফটো ও ভিডিওগ্রাফি
অবশ্যই আপনার বা আপনাদের সকল কর্মসূচির ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণ করা। নিজ নিজ ফেসবুক আইডি বা টিমের পেইজ থেকে আপলোড করা।

এই-ই ছিলো আমাদের পক্ষ থেকে লিফলেট ক্যাম্পেইন বিষয়ে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা। আশা করছি, সময়ের সাহসী এক্টিভিস্ট ভাইয়েরা শুধুমাত্র জুমু'আকেন্দ্রিক চিন্তা ও পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে আসবেন ইন শা আল্লাহ।

জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

MuwahhidaH
দু'আ | ভালবাসা | সহযোগিতা

ষোলো

20 Dec, 08:01


বিস্তারিত: https://www.facebook.com/share/p/15f6ffqSnK/?mibextid=CTbP7E

ষোলো

18 Dec, 12:05


#ষোলোগ্রাফি
-Jannat Hasan

ষোলো

16 Dec, 05:56


ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মেলা চলছে। মেলা হচ্ছে উপজেলার মিনি স্টেডিয়ামে। চলবে আজ সারাদিন। তোমাদের প্রিয় ‘ষোলো’ পাওয়া যাচ্ছে মেলায়।

আশেপাশের ষোলো পাঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ঘুরে আসতে পারো/পারেন ইনশাআল্লাহ।

ষোলো

15 Dec, 16:20


ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা। উপজেলা পরিষদ আয়োজিত আগামীকালের মেলায় “ষোলো” ম্যাগাজিনেরও একটি স্টল থাকবে ইন শা আল্লাহ। স্টলে থাকবে আমাদের পীরগঞ্জ প্রতিনিধি শাকিল ভাই।

মেলা চলবে সকাল ১১ টা থেকে মাগরিব পর্যন্ত। ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভাইবোনেরা কাল সারাদিন মেলায় যাও। মেলায় গিয়ে শুধু “ষোলো”র স্টলে ঝাপিয়ে পড়ো! 😎

ষোলো

15 Dec, 12:46


ছবিতে ষোলো-র ৪র্থ,৫ম ও ৬ষ্ঠ সংখ্যা।

#ষোলোগ্রাফি
-সায়মা ফারহা

ষোলো

14 Dec, 08:53


#ষোলোগ্রাফি
-Abdul Ahad Barikul

ষোলো

21 Nov, 14:45


আজ তোমাদের এক দূর দেশের গল্প বলি।
আজব দেশ এক।

সেখানে রক্ত কখনো
জমাট বাধার ফুসরতটুকু পায় না।
সে দেশে অনাগত শিশুর রূহ
দুনিয়ায় নামে না;
নামে কাওছারের তীরে।

ও দেশের লোকগুলো বড্ড অদ্ভুত
বাচ্চাগুলোও স্বজনের জানাযা পড়তে পড়তে
বুড়িয়ে গেছে;
তাই মাস শেষে ত্রাণ না পেয়ে 
খালি পাত মায়ের দিকে এগিয়ে দিয়ে হাসে।

ওখানে গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই
ক্ষুধা আছে, মৃত্যু আছে;
কাপুরুষ নেই, ভীতু মেয়ে নেই
তাকওয়া আছে, জযবা আছে।

মৃত্যুর সাথে দু’দানা একপাতে খেয়ে,
ঘুমোয় শুনে মিসাইলের ঘুমপাড়ানী গান।
শেষবার ঘুমিয়ে ওরা প্রতিরাতে দেখে
বুলেটে বা মিসাইলে ঝাঁঝরা দেহে
জান্নাতুল ফেরদৌসে খুঁজছে আপন স্থান।

ওরা মৃত্যুর জন্য বাঁচে,
ওরা যুদ্ধের জন্য বাঁচে।
আল-আকসার যোগ্য প্রহরী ফিলিস্তিনি
ওরা জান্নাতে বসে হাসে।
.
এক দূর দেশের গল্প
–হুমাইরা আনজুম


.
[ষোলো ৭ম সংখ্যা থেকে নেওয়া, পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে।অর্ডার লিংক কমেন্টে]
.
#ষোলো
#ষোলোর_পাতা_থেকে

ষোলো

20 Nov, 12:13


জুলাই-আগস্টের মেসাকার ভুলে যাবার নয়;
জালিমদের ক্ষমা করে দেওয়ার জন্যে এতো মানুষ জীবন দেয় নি,
#বিচার_চাই
#স্বাধীনতা_২.০

ষোলো

20 Nov, 06:08


#ষোলোগ্রাফি
ছবি: Jarin Tasnim

ষোলো

19 Nov, 14:40


৩য় পর্ব- https://sholo.info/id/619

.
[1] প্রথম পর্ব - https://sholo.info/id/25, দ্বিতীয় পর্ব - https://sholo.info/id/462

.
তোমার এলাকার ষোলো প্রতিনিধির কাছ থেকে ষোলো কিনতে ভিজিট করো এই লিংকে - https://tinyurl.com/protinidhi-male
বি:দ্র:- আপুরা মেয়ে প্রতিনিধি তথ্য পেতে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

.
তোমার এলাকায় প্রতিনিধি না থাকলে,ষোলো পেতে পারো;
রকমারি --
https://rkmri.co/mNme0ElAMmlM/
ওয়াফি লাইফ --
https://www.wafilife.com/sholo-7m-shonkkha-2024/dp/1120872
সন্দীপন - https://www.sondipon.com/product/sholo7/

ষোলো

19 Nov, 14:36


২/  নিজের সামর্থ্য বা সফলতাকে গোনায় না ধরা–

যখন তুমি ভালো কিছু অর্জন করে ফেলো, তখন মনে করো—আরে ঝড়ে বক পড়ে, ফকিরের কেরামতি বাড়ে’ টাইপের অবস্থা। আমার কোনো যোগ্যতা নাই। বা ধরো, কেউ তোমার কোনো কাজের অনেক প্রশংসা করল, তুমি ভেবে নিলা—তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করতে চায় সে। তাই এত প্রশংসা করেছে। মানে, সে যা যা বলেছে সেগুলো আসলে সত্যি না।
.
বা ধরো, মুখচোরা লাজুক হিসেবে তোমার সবিশেষ খ্যাতি থাকলেও কোনো কোনো সময় কোনো কোনো টপিক নিয়ে তুমি অনেক কথা বলে ফেলতে পারো। তোমার এই সফলতা থেকে তোমার উচিত ছিল বাকি সবার সাথে সব পরিস্থিতিতে মুখচোরা না হয়ে কথা বলার অনুপ্রেরণা খুঁজে নিতে এটা ভাবা—আরে, আমিও পারি মানুষের সাথে মিশতে, কথা বলতে। কিন্তু তুমি তা না করে চিন্তা করলা—আসলে এখানে আমার কোনো ক্রেডিট নেই। সেই মানুষগুলো অনেক ভালো। আমাকে পছন্দ করে। আমার জন্য পরিস্থিতি সহজ করে দিয়েছে। তাই আমি এত কথা বলতে পেরেছি।
.
এভাবে যদি বারবার তুমি তোমার সফলতাকে, তোমার গুণ, ইতিবাচক বিষয়, তোমার অর্জনকে ছোট করতে থাকো, তাহলে আত্মবিশ্বাসহীন, নার্ভাস, মুখচোরা, লাজুক স্বভাব থেকে বের হয়ে আসাটা ভয়ঙ্কর রকমের কষ্ট হবে তোমার জন্য।
.
কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কুরআন তিলাওয়াতের দায়িত্ব পাওয়া নার্ভাস কিশোর রবিনের চিন্তাভাবনা দেখো। তার কুরআন তিলাওয়াত খুবই চমৎকার। কিন্তু…
.
রবিন : আজকে সবার সামনে আমাকে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে, কয়বার যে আমি আটকে যাব! সবাই জেনে যাবে, আমার গলা একদম বেসুরো! 

-অনুষ্ঠানের পর ইসলাম শিক্ষা স্যার :  রবিন, মাশাআল্লাহ তোমার তিলাওয়াত খুবই ভালো ছিল।

রবিন : (মনে মনে) স্যার বোধহয় আমাকে সান্তনা দেবার চেষ্টা করছেন, আমি খারাপ করেছি এটা বুঝতে দিতে চাচ্ছেন না।

.
 • বাড়ির কাজ ২

ক) কেউ তোমার কাজের প্রশংসা করেছে, আর তুমি ভেবেছে তুমি এই প্রশংসার যোগ্য না—এমন কোনো ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখো।
খ) কেন তুমি নিজেকে যোগ্য মনে করোনি, তা লিখো।

.
ক্লাস টেনের নাহিদের আজ দায়িত্ব পড়েছে ক্লাসে হাজী শরীয়তউল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করা। সে আলোচনা করছে। আলোচনা খুব ভালো হচ্ছে। সবাই খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছে। আলী হঠাৎ আবিষ্কার করল, দেয়ালে বিশাল একটা টিকটিকি বসে আছে। চোখ টিকটিকির দিকে রাখলেও তার কান নাহিদের লেকচারের দিকে। হঠাৎ গালিব ওমরকে বলল, ‘দেখ, দেখ, বাইরের আম গাছটাতে কী সুন্দর আম। দুজন মিলে মাঝে মাঝে আমগাছের দিকে তাকাচ্ছে। কিন্তু পুরোটা সময় নাহিদের লেকচার শুনছে। কবি তানযিল ক্লাসে লুকিয়ে আনা স্মার্টফোনে সার্চ করে হাজী শরীয়তউল্লাহর ছবি দেখছে। আর মুগ্ধ হয়ে নাহিদের কথা শুনছে।
.
অথচ নাহিদ ভাবছে আমার প্রেজেন্টেশনে সবাই বিরক্ত হয়ে গেছে। কেউ আমার কথা শুনছে না। ঐ যে—
১/ আলী দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে।
২/ গালিব আর ওমর মিয়া জানালা দিয়ে বারবার বাইরে তাকাচ্ছে।
৩/ কবি তানযিল লুকিয়ে ফোন চাপছে আর আমার দিকে তাকাচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে সে আমার কথা শুনছে না।
.
যারা সবকিছুতে শুধু ইতিবাচক জিনিস খুঁজে পায়, তাদের চোখে নাকি থাকে রঙ্গিন চশমা। অন্যদিকে সোশ্যাল এংজিটিতে ভোগা মুখচোরা লাজুক কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের চোখে থাকে ধূসর রংহীন চশমা। সে সবকিছু দেখে। কিন্তু শুধু খারাপ, শুধু নেতিবাচক বিষয়গুলোকেই সত্য হিসেবে বিশ্বাস করে। ইতিবাচক বিষয়গুলোকে সে গোনায় ধরে না। তুমিও কি নাহিদের মতো এমন করো? দৃষ্টিভঙ্গী বদলাও মিয়া, জীবন বদলে যাবে!
.
 • বাড়ির কাজ ৩

ক) এমন একটি ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখো, যখন তুমি সব ইতিবাচক বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করেছ।
খ) কেন ইতিবাচক বিষয়গুলো উপেক্ষা করেছিলা তাও লিখো।
.
আজ এ পর্যন্তই থাক। সামনের সংখ্যাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে পরের ফাঁদগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ। এর আগের পর্বেও বেশ কিছু বাড়ির কাজ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলোসহ এই পর্বে দেওয়া কাজগুলো একটা আলাদা খাতায় সুন্দর করে লিখে ফেলো। এই খাতায় আর অন্য কিছু লিখবে না। পরের পর্বগুলোতেও আরও বেশি করে বাড়ির কাজ দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। এগুলো করলে মুখচোরা স্বভাব কাটিয়ে উঠবে তুমি। মানুষের সামনে কথা বলতে গিয়ে আর নার্ভাস, ভয় লাগবে না তোমার। পালিয়ে পালিয়ে বেড়াবে না।
.
অতীত অভিজ্ঞতা বলে, তোমাদের অধিকাংশই বাড়ির কাজ করবে না। এবং সরি টু সে, এ কারণে মুখচোরা স্বভাব পরিবর্তনের কতদূর কী করতে পারবা, তাও বুঝতে পারছি না!
(চলবে ইনশাআল্লাহ…)
.
মুখচোরা (৩য় পর্ব)
–হাসান আলী

.
[ষোলো ৭ম সংখ্যা থেকে নেওয়া, পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে।অর্ডার লিংক কমেন্টে]
.
#ষোলো
#ষোলোর_পাতা_থেকে

ষোলো

18 Nov, 16:01


#ষোলোগ্রাফি
কারিগর- Mahmudul Haque

ষোলো

18 Nov, 08:55


ষোলো ৬ষ্ঠ সংখ্যা ডাউনলোড লিংক:
মিডিয়াফায়ার - https://cutt.ly/Sholo6
গুগল ড্রাইভ - https://cutt.ly/Sholo-6

শুভেচ্ছা মূল্য পরিশোধ করে চব্বিশের বীরদের সহযোগিতা করতে চাইলে নগদ/বিকাশ পার্সোনাল - 01609 331 400

কিশোরদের যত্ন নিন,
তাদেরকে ষোলো পড়তে দিন।

ষোলো

17 Nov, 10:25


#ষোলোগ্রাফি
ছবি পাঠিয়েছেন - Farjana Ela

ষোলো

16 Nov, 14:29


.
[1] প্রথম পর্ব - https://sholo.info/id/25, দ্বিতীয় পর্ব - https://sholo.info/id/462

.
তোমার এলাকার ষোলো প্রতিনিধির কাছ থেকে ষোলো কিনতে ভিজিট করো এই লিংকে - https://tinyurl.com/protinidhi-male
বি:দ্র:- আপুরা মেয়ে প্রতিনিধি তথ্য পেতে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

.
তোমার এলাকায় প্রতিনিধি না থাকলে,ষোলো পেতে পারো;
রকমারি --
https://rkmri.co/mNme0ElAMmlM/
ওয়াফি লাইফ --
https://www.wafilife.com/sholo-7m-shonkkha-2024/dp/1120872
সন্দীপন - https://www.sondipon.com/product/sholo7/

ষোলো

16 Nov, 14:24


সেলফি[1] তোলার সময় বিভিন্ন ইফেক্ট বা ফ্রেম দিয়ে অনেকেই ছবি তোলে, খেয়াল করেছ না? বিড়ালের ফ্রেম, বড় চশমার ফ্রেম, মজার মজার বিভিন্ন ফ্রেইম… মানুষের চেহারাই পুরো পালটে যায়। দেখা গেল, মাথা বিশাল বড়, শরীর অনেক ছোট বা বিড়ালের মতো ইয়া বড় বড় কান বা দাড়ি-গোঁফ। এই চেহারা কি আসলে তোমার?
.
তুমি এমন না। কিন্তু সেলফি ক্যামেরার ইফেক্ট তোমার চেহারাকে বদলে ফেলেছে। তোমার তুমিটাকে পরিবর্তন করে এক অন্য তুমিতে রূপান্তর করেছে।
.
সেলফি ক্যামেরা যেমন বাস্তবতাকে বদলে দিয়েছে, তুমি যখন টেনশন করো তখন তোমার এই টেনশন তোমার সামনে বাস্তবতাকে বদলে দেয়। অন্য রূপে হাজির করে। তুমি তোমার এই মাথা, বিশাল বড় শরীর, অনেক ছোট চেহারাকেই নিজের প্রকৃত শরীর বলে মেনে নাও। ভয় পাও। এ কী হয়ে গেল আমার, আমি শেষ হয়ে গেলাম—এমন ধ্বংসাত্মক চিন্তাভাবনা করো। এবং পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে ফেলো। আরও ধ্বংসাত্মক চিন্তা করো।
.
আমরা এখন ধারাবাহিকভাবে চিন্তার এমন ৬টি ফাঁদ নিয়ে আলোচনা করব। মুখচোরা, সোশ্যাল এংজিটি আছে এমন মানুষেরা সাধারণত না বুঝে চিন্তার এই ৬টি ফাঁদের কোনো একটিতে পা দেয়। এবং অন্যদের সামনে সহজভাবে কথা বলতে পারে না। এই ফাঁদগুলো চিনতে পারলে তুমি অন্য মানুষদের সামনে কথা বলতে ভয় পাবে না, অস্বস্তি বোধ করবে না,  ইনশাআল্লাহ।
.
১/ ধ্বংসাত্মক চিন্তাভাবনা (Catastrophic Thinking)–

কোনো কাজ করতে যাবার আগে সবার প্রথমে তোমার মাথায় এই চিন্তা আসে বা তুমি এই প্রশ্ন করে বসো—এই কাজের ফলে সবচেয়ে খারাপ কী কী হতে পারে? এরপর তুমি সেই কাজটা শুরু করলা। তুমি যেমন প্রত্যাশা করেছিলা হুবহু সেভাবে কোনো কিছু না হয়ে একটু ভিন্নভাবে কিছু হলো। ব্যাস, তুমি টেনশন শুরু করে দিবা। আর ধরেই নিবা, সবচেয়ে খারাপ পরিণতি বরণ করতে চলেছ তুমি। অথচ আরও অনেক কিছু হতে পারত। কিন্তু তুমি ভাববে সবচেয়ে খারাপটাই। এটাই হলো ধ্বংসাত্মক চিন্তা।
.
ধরো, শহীদ তিতুমীর স্কুলে ভ্যালেন্টাইনের অশ্লীলতা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য এলাকার তরুণ আসাদ লিফলেট বিতরণ, পোস্টার সাটানো, রম্য মিছিল করতে চাচ্ছে। তাই বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে সে গিয়েছে হেডস্যারের কাছে অনুমতি নিতে। হেডস্যার গম্ভীর মুখে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের পরিচয় কী? তোমরা আসলে কী চাও?  প্রশ্ন আর গম্ভীর মুখ দেখেই ঘাবড়ে গেল আসাদ। সাথে সাথে তার মাথায় চিন্তা আসলো—হেডস্যার বোধহয় ভাবছেন আমরা কোনো বিশেষ দলের সদস্য। নাহলে মুখ এত গম্ভীর কেন? আমরা এলাকারই ছেলে। আমাদের না চেনার কী আছে। আমাদের পরিচয় কেন জানতে চাইলেন আবার? এবার বোধহয় আমাদের সবাইকে পুলিশে ধরিয়ে দেবেন।
.
অথচ ঘটনা এসবের কিছুই নয়। হেডস্যারের বয়স হয়েছে। একটা মাইল্ড স্ট্রোক করেছেন। অনেককেই এখন আর চিনতে পারেন না। শরীর খারাপ থাকায় মেজাজটাও তার ভালো থাকে না। তাই মুখ এমন গম্ভীর। স্যার শুধু আসাদদের নাম জানতে চেয়েছেন। আর ভালোভাবে বুঝতে চেয়েছেন, ওরা কী কী করতে চায়। তাহলে সেভাবে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে দেবেন। কিন্তু মুখচোরা আসাদ শুরুতেই ধরে নিয়েছে সবচেয়ে খারাপটা। এরপর ভোগা শুরু করেছে ব্যাপক টেনশনে এবং তোতলাতে শুরু করেছে।
.
 • বাড়ির কাজ - ১

ক) খাতা-কলম নিয়ে এমন একটি ঘটনার কথা বিস্তারিত লিখো, যখন তুমি ধ্বংসাত্মক চিন্তাভাবনা করছিলে।
খ) সবচেয়ে খারাপ কী হতে পারে? তুমি কী ভেবেছিলে তা লিখো।

.
মুখচোরা (৩য় পর্ব)
–হাসান আলী

.
[ষোলো ৭ম সংখ্যা থেকে নেওয়া, পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে।অর্ডার লিংক কমেন্টে]
.
#ষোলো
#ষোলোর_পাতা_থেকে

ষোলো

14 Nov, 13:03


ফজরে কীভাবে ঘুম থেকে উঠব?
.
ক) সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারার পূর্বশর্ত হচ্ছে, রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া। এটা আমরা গত পর্বে আলোচনা করেছি।

একজন মানুষের শরীর স্বাভাবিকভাবে চলার জন্য একটা ন্যুনতম পরিমাণ ঘুমের দরকার আছে। এই ঘুম পূরণ না হলে তোমার পক্ষে আসলে ফজরে উঠা সম্ভব না। হয়তো তুমি গভীর রাতে শুলে, এরপর ১০/১২ টা এলার্ম দিয়ে রেখে ফজরে উঠলে – কিন্তু তুমি নিশ্চিত থাকতে পারো যে বেশিক্ষণ জেগে থাকতে পারবে না। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে থেকে নামায আদায় করেই আবার বিছানায় চলে যেতে চাইবে। তাই সকাল সকাল উঠার প্রথম শর্ত হচ্ছে রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়া।
.
খ) ঘড়ি বা মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রাখা। চাইলে বেশ কয়েকটি এলার্ম দিয়ে রাখতে পারো। এবং ঘড়ি বা এলার্ম বিছানা থেকে দূরে রাখা। যেন তোমাকে এলার্ম বন্ধ করার জন্য বিছানা থেকে উঠতে হয়। একটু কষ্ট করে হেঁটে গিয়ে এলার্ম বন্ধ করতে হয়।
হলে বা মেসে থাকলে এভাবে মোবাইল বা ঘড়ি দূরে রাখাটা সম্ভব নাও হতে পারে। বিশেষ করে যদি তোমার রুমমেট এমন হয় যে, সে সকালে উঠতে ইচ্ছুক না এবং তোমার এলার্ম শুনে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলে বিরক্ত বোধ করবে। সেক্ষেত্রে বালিশের নিচে মোবাইল/ ঘড়ি রাখতে পারো। তবে তোমাকে একটু সতর্ক হতে হবে, যেন এলার্ম বন্ধ করে দিয়ে আবার ঘুমিয়ে না পড়ো।
ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাবার পূর্বে খেয়াল করে নাও, তুমি সবগুলো এলার্ম বন্ধ করেছ কিনা। না হলে দেখা যাবে, তুমি টয়লেটে বসে আছো, আর এদিকে এলার্ম বেজে তোমার রুমমেটের ঘুম ভেঙ্গে গেছে।

আরেকটা বিষয়, চার্জার লাইট বা টেবিল ল্যাম্প জাতীয় কিছুর ব্যবস্থা করে নিয়ো। ঘুম থেকে উঠে মেইন লাইট জ্বালিয়ে পড়াশোনা বা অন্য কাজ করলে তোমার রুমমেটের ঘুমের সমস্যা হতে পারে। [1]
.
ঘ) এলার্মে ঝাকানাকা টোন দিবে না। এমন টোন দিবে, যা প্রথমে আস্তে আস্তে বাজবে, এরপর দ্রুত হতে থাকবে। ঘুমের ঘোরেই একদম ঝাকানাকা টোনে ঘুম থেকে জেগে উঠলে তোমার মস্তিষ্ক, হার্ট ইত্যাদির ক্ষতি হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রেই মাথাব্যাথা শুরু হয়।
.
ঙ) ঘুম ভাঙ্গার পর, ‘আর ৫ মিনিট ঘুমাই’—এই ফাঁদে পা দিবা না। ৫ মিনিট যে কখন ২ ঘণ্টা হয়ে যাবে, তা টেরও পাবে না। তোমার যদি আরও ৫ মিনিট বেশি ঘুমানোর ইচ্ছা করে, তাহলে রাতে ৫ মিনিট আগে ঘুমাও। ঘুম থেকে জাগার পর সঙ্গে সঙ্গেই উঠে বিছানা থেকে নেমে যাবে।

এভাবে চেষ্টা করতে থাকো। মাঝে মাঝে সফল হবে, মাঝে মাঝে ব্যর্থ। তবে চেষ্টা চালাতে থাকো। হতাশ হয়ে হাল ছাড়বে না। দেখবে, একসময় এটা তোমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
.
ঘুম থেকে উঠার পর জেগে থাকতে অনেক কষ্ট হয়। আবার ঘুমিয়ে পড়ি। কী করব? এ প্রশ্নের উত্তর আলোচনা করা হবে পরের পর্বে ইনশাআল্লাহ।

[1] যদিও সকলেরই উচিত সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা। তোমার রুমমেটকেও তুমি ফজরে ঘুম থেকে উঠার জন্য অণুপ্রাণিত করবে। তবে এই প্রসেসটা হবে দীর্ঘমেয়াদী। আর এমন কিছু করা যাবে না, যাতে সে বিরক্ত বোধ করে।
.
রাত জাগা পাখি (২য় পর্ব)
–লস্ট মডেস্টি

.
[ষোলো ৭ম সংখ্যা থেকে নেওয়া, পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে।অর্ডার লিংক কমেন্টে]
.
#ষোলো
#ষোলোর_পাতা_থেকে

ষোলো

12 Nov, 16:43


আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ

ষোলো

12 Nov, 14:47


প্রথম পর্ব পড়ে নাও এখান থেকে - https://sholo.info/id/433

শেষ পর্ব ওয়েবসাইট থেকে পড়তে পারো-
https://sholo.info/id/608

.
তোমার এলাকার ষোলো প্রতিনিধির কাছ থেকে ষোলো কিনতে ভিজিট করো এই লিংকে - https://tinyurl.com/protinidhi-male
বি:দ্র:- আপুরা মেয়ে প্রতিনিধি তথ্য পেতে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

.
তোমার এলাকায় প্রতিনিধি না থাকলে,ষোলো পেতে পারো;
রকমারি --
https://rkmri.co/mNme0ElAMmlM/
ওয়াফি লাইফ --
https://www.wafilife.com/sholo-7m-shonkkha-2024/dp/1120872
সন্দীপন - https://www.sondipon.com/product/sholo7/

ষোলো

12 Nov, 14:46


কিন্তু..........

- কিন্তু কী?
- কী করে যাই বলো, ভাইয়া? আগে যখন রাস্তায় বের হতাম, মানুষ আমাকে দেখে ভয় পেত, ঘেন্না করত, অনেকে ইট-পাথর যা পেত তাই দিয়েই মারতে আসত। ‘ভূত’, ‘জানোয়ার’, ‘দৈত্য’ আরও কত নামে ডাকত রাস্তায় দেখলে! তাছাড়া রোদে যেতেও খুব কষ্ট হয় আমার।
.
সবাই কেমন নিশ্চুপ হয়ে গেছে ওর কথাগুলো শুনে। সকলের চোখই ভেজা। আজ মানুষের ভেতর থেকে মানবতা হারিয়ে গেছে।
.
- আচ্ছা ভাইয়া, বলো তো, এই রোগ কি আমি ইচ্ছে করে বাঁধিয়েছি? না নিজে তৈরি করেছি? সবার ওই কটু কথা, বাজে দৃষ্টিভঙ্গি, দুর্ব্যবহার; আর সহ্য করতে পারছি না! জানো ভাইয়া? কখনো মনে হয়েছে নিজেকে শেষ করে ফেলি, এত যন্ত্রণা আর সইতে পারছি না। কিন্ত পরক্ষণেই মনে পড়ে আত্মহত্যা যে মহাপাপ! ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার কষ্ট সইতে না পেরে নিজেকে হত্যা করে আমার চিরস্থায়ী দুনিয়ায় শাস্তির ব্যবস্থা কেন করব? আল্লাহ হয়তো আমার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন। এ পরীক্ষায় আমাকে উত্তীর্ণ হতেই হবে, এই কথাগুলো ভেবে নিজেকে সামলে নিই আমি।
.
ভরসায় পরিপূর্ণ কণ্ঠে রবিন বলল, ‘ঠিক বলেছ, রাসেল। তুমি এতটুকু ছেলে হয়েও কত সুন্দর চিন্তা তোমার! আর আমরা বড়রাও তোমার মতো করে হয়তো ভাবতে পারতাম না।’
.
রাসেল নিঃশব্দে মাথা নাড়ল শুধু।
.
প্রায় একবছর হলো দিনের বেলায় আর বাইরে বের হই না। আর বাইরে যেতে খুব ইচ্ছে করলে রাতের বেলায় একটু বের হই। তবুও…। জানো রবিন ভাইয়া? তোমাকে আমার বেশ ভালো লেগেছে। দাদিকে পাঠিয়ে বেশ কয়েকবার তোমার খোঁজখবরও নিয়েছি। সেদিন রাতে ভাবলাম তোমার সাথে দেখা করব। তাই তোমার বাসার সামনে গিয়েছিলাম; তবে বাসার ভেতরে ঢোকার সাহস হয়নি। বাসার দরজার সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে যখন দেখলাম তুমি চিৎকার করছিলে, যদিও হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয় তবুও আপ্রাণ চেষ্টা করে যত দ্রুত সম্ভব পালিয়ে গিয়েছিলাম ওখানে থেকে। আ-আসলে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, যদি লোকজন জড়ো হয়ে যায় আর আমাকে মারে!
.
ওয়াহিদ বলে উঠল, ‘হ্যাঁ, বুঝতে পেরেছি। তারপর কী হয়েছিল।’
.
রবিন চোখের পানি মুছতে মুছতে রাসেলের দিকে তাকালো। একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে রাসেলের চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে ওর মাথায় স্নেহমাখা পরশ দিলো রবিন। অনেকদিন পর যেন কেউ তাকে এত ভালোবেসে দেখছে, মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
.
- কিন্তু এমন হলো কেন? কী হয়েছে রাসেলের? ও হঠাৎ এমন হয়ে গেল কেন? দাদি জিজ্ঞাসা করল। তিনিও রাসেলের এমন অবস্থার কারণ জানেন না।
.
- রাসেল ‘Tree Man disease’ বা বৃক্ষমানব রোগে আক্রান্ত।
.
তিনজনই ওয়াহিদের মুখের দিকে বিস্মিত দৃষ্টিকে চেয়ে আছে। এসব কী বলছে ওয়াহিদ? এমন অদ্ভুত কথা কেউ শোনেনি আগে। কী অদ্ভুত নাম! বৃক্ষমানব!
.
ওয়াহিদ বলল, ‘ইভি-তে আক্রান্ত হওয়ার ফলেই রাসেলের হাত ও পা অস্বাভাবিক হয়ে গেছে এবং অনেকটাই গাছের মতো হয়ে গেছে।’[2]

*
রাতের খাবার খাওয়া শেষ করে দুই বন্ধু গল্প করছিল। রাজিয়া বেগমও ওদের সাথে যোগ দিলেন। রবিন ওয়াহিদকে জিজ্ঞেস করল, সে এসব বুঝল কীভাবে? বুড়ি দাদির নাতির এই অসুখ এসব কীভাবে জানল ওয়াহিদ? ওয়াহিদ রহস্যময় একটা হাসি দিলো।
.
আরে ওয়াহিদ, বল না?
.
- গতকাল বাইরে একা একা ঘুরছিলাম, মনে আছে তোর?
- হু।
- তখন বাজার থেকে ফেরার সময় দেখলাম বুড়ি দাদিমা বাজারের ব্যাগ নিয়ে বসে আছেন। হাঁটতে পারছেন না ব্যাগ নিয়ে। তাই আমি উনার ব্যাগটা হাতে তুলে নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলাম। তখনই উনার সাথে পরিচয়। আজ দিনের বেলায়ও উনার বাড়িতেই গিয়েছিলাম৷ তখনই ওকে দেখেছি।
.
রবিনের মা রাসেলের কথা শুনে খুব কষ্ট পেলেন। উনার চোখও ভিজে গেল, উনি চোখ মুছে রাসেলের জন্য দুআ করলেন।
.
‘তবে আমার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে কোনটা জানেন, আন্টি? মানুষের এই নির্মম আচরণের কথা শুনে। সবারই উচিৎ অসুস্থ ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো। অসুস্থদের খোঁজ নেওয়া।’
.
ঠিক বলেছিস। জানো মা? আমরা রাসেলকে বলেছি যে, যখন ওর ইচ্ছে করবে তখনই আমাদের বাসায় চলে আসতে।
.
খুব ভালো করেছিস, বাবা। আল্লাহ তোদের নেক কাজগুলোর জন্য উত্তম প্রতিদান দেবেন ইনশাআল্লাহ।

.
পরদিন সকালে...
মুখ কালো করে রাজিয়া বেগম ওয়াহিদের দিকে তাকিয়ে আছেন। ওনার মলিন চেহারা ওয়াহিদকে বড্ড কষ্ট দেয়।
আজকেই কেন চলে যেতে হবে, বাবা? আর ক'টা দিন থেকে গেলে হতো না?
.
না, আন্টি। কদিন তো ছিলামই।
.
ঢলে পড়া সূয্যিমামার সাথে এগিয়ে চলেছে ওয়াহিদ। রবিন ও রাজিয়া বেগম স্থিরদৃষ্টিতে চেয়ে আছেন তার দিকে। হঠাৎ রবিনের কাঁধে কেউ একজন হাত রাখল। পেছন ফিরতেই চমকে উঠে সে!
___

ভূতোদ্ভিদ (শেষ পর্ব)
–ফাহমিদা আফরিন, ইংরেজি বিভাগ, দৌলতপুর কলেজ, কুষ্টিয়া

.
[ষোলো ৭ম সংখ্যা থেকে নেওয়া, পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে।অর্ডার লিংক কমেন্টে]
.
#ষোলো
#ষোলোর_পাতা_থেকে

ষোলো

10 Nov, 14:33


[1] প্রথম পর্ব পড়ে নাও এখান থেকে - https://sholo.info/id/433

শেষ পর্ব ওয়েবসাইট থেকে পড়তে পারো-
https://sholo.info/id/608

.
তোমার এলাকার ষোলো প্রতিনিধির কাছ থেকে ষোলো কিনতে ভিজিট করো এই লিংকে - https://tinyurl.com/protinidhi-male
বি:দ্র:- আপুরা মেয়ে প্রতিনিধি তথ্য পেতে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

.
তোমার এলাকায় প্রতিনিধি না থাকলে,ষোলো পেতে পারো;
রকমারি --
https://rkmri.co/mNme0ElAMmlM/
ওয়াফি লাইফ --
https://www.wafilife.com/sholo-7m-shonkkha-2024/dp/1120872
সন্দীপন - https://www.sondipon.com/product/sholo7/

ষোলো

10 Nov, 14:32


পরদিন রাতে[1];
.
এশার সালাত আদায় করে বাসায় ফিরছে দুজনে। বাসার কাছে একজায়গায় এসে ওয়াহিদ দাঁড়িয়ে গেল। চারিদিকটা কেমন থমথম করছে, নিস্তব্ধতা ঘিরে ফেলেছে পুরো এলাকাকে। গা ছমছমে একটা ব্যাপার কাজ করছে।
.
এখানে দাঁড়িয়ে পড়লি কেন হঠাৎ?

তোর ভূতটাকে দেখাবো তাই দাঁড়ালাম।

ওয়াহিদ, ফাজলামো করবি না বলছি, এসব নিয়ে মশকরা একদম ভালো লাগে না।

- আল্লাহ আছেন তো! ভয় কীসের?
.
রবিনের হাত ধরে দরজায় ঠকঠক শব্দ করে সামনের বাড়িটার ভেতরে ঢুকে পড়ল ওয়াহিদ।
.
বেশ পুরোনো ছোট একটা বাড়ি। অযত্নে পড়ে আছে অনেকদিন, তা চারদিকে দেখলেই বোঝা যায়। দরজা দিয়ে ঢুকেই যে ঘরটি, সেখানে কম আলোর একটি বাল্ব জ্বলছে। ঘরের এককোণে ছোট একটা পুরোনো টেবিল রাখা, তার ওপর কয়টা মলিন রঙিন কাগজ।
.
ঘরের মেঝেতে বসে ছিলেন একজন বৃদ্ধা। মোটা ফ্রেমের ঘোলাটে কাঁচওয়ালা চশমাটা আঁচল দিয়ে মুছে চোখে এঁটে ওয়াহিদের দিকে তাকালেন তিনি।
.
আস্-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, দাদিমা।

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। তুই আইছিস বাপ, তোর বন্ধুরেও সাথে আনছিস, আয় এদিকে আয়।
.
ময়লা একটা মাদুর পেতে রবিন আর ওয়াহিদকে বসিয়ে দিলেন বৃদ্ধা। কাঁপাকাঁপা গলায় বললেন, ‘তোরা বস, ভাই। আমি একটু খাবারের ব্যবস্থা করি।’
.
ওয়াহিদ বাধা দিয়ে বলল, ‘আহ দাদিমা, ওসবের প্রয়োজন নেই।’
.
তার কথা শুনে বৃদ্ধা কাঁপা স্বরে বললেন, ‘চুপ কর তুই, প্রয়োজন নাই কে বলছে?’
.
বৃদ্ধা ধীরে ধীরে হেঁটে ভেতরের দিকে চলে গেলেন। রবিন এতক্ষণ সবকিছু চুপ করে দেখছিল। সুযোগ পেয়ে সে মুখ খুলল।
.
- ব্যাপার কী? ঐ বুড়ি দাদিকে তুই চিনলি কীভাবে?
- আরে অপেক্ষা কর, বাড়িতে গিয়ে তারপর সব বলব ইনশাআল্লাহ।
.
এক বাটি মুড়ি নিয়ে ফিরে এলেন বুড়ি।
.
এই গরিবের বাড়িতে আইছিস তোরা। তোদের একটু ভালো করে আদর-যত্নও করতে পারছি না।

আরে দাদিমা, এভাবে বলছো কেন? মহান আল্লাহ যখন যা দিচ্ছেন, তাতেই আমরা খুশি, আলহামদুলিল্লাহ! তাই না রবিন?

হ্যাঁ, আলহামদুলিল্লাহ!
.
দুজনেই তৃপ্তিকরে বুড়ির মুড়িমাখা খাচ্ছে। আর এই দৃশ্য দেখে আনন্দে বুড়ির মন ভরে যাচ্ছে।
.
মুড়ি হাতে তুলে নিতে নিতে ওয়াহিদ বলল, ‘দাদিমা, আমরা একাই খাচ্ছি; এটাতো ঠিক না। সবারই খাওয়া উচিৎ।’
বুড়ি বিস্ফোরিত নয়নে ওয়াহিদের মুখের দিকে তাকালো! ওয়াহিদ শুধু মৃদু হাসলো আর মাথা নাড়িয়ে কিছু একটা বুঝালো। বুড়ি সুবোধ বালিকার মতো উঠে কোণের একটা ঘরের দিকে চলে গেলে। কিছুক্ষণ পরেই বুড়ি ফিরল এক কিশোরকে নিয়ে। ওকে দেখে রবিন চমকে উঠল। যেন সামনে অর্ধমানববৃক্ষ দাঁড়িয়ে আছে! গাছের যেমন ছাল-বাকল থাকে, হাত-পাগুলো তেমন। আঙুলগুলো দেখে মনে হয় শাখা-প্রশাখায় ছত্রাক জন্মেছে! ওয়াহিদ রবিনের কানের পাশে গিয়ে আস্তে করে বলল, ‘রবিন, ভয় পাস না। ও হচ্ছে দাদিমার নাতি রাসেল৷’
.
আস্-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, রাসেল! কেমন আছো?

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ ওয়াহিদ ভাইয়া, তুমি কেমন আছো?

- আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। রাসেল, এই যে ইনি তোমার রবিন ভাই। চিনতে পারছো?

রাসেল মাথা নাড়িয়ে উত্তর দিলো। ওয়াহিদ রবিনকে বলল, ‘আসলে এ-ক'দিন যাকে তুই দেখেছিস, সে হচ্ছে রাসেল। রাসেলই বাসার সামনে গিয়েছিল সে রাতে।’

রবিন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘কিন্ত তুমি বাসার সামনে গিয়ে উঁকি কেন দিচ্ছিলে?’
.
রাসেলের চোখের কোণে অশ্রুবিন্দু জমতে শুরু করেছে। গাল বেয়ে অশ্রুবিন্দুগুলো অসার হাতের ওপর গিয়ে টুপটাপ করে পড়ছে।

- দু’বছর আগেও আমি তোমাদের মতোই সুস্থ-স্বাভাবিক ছিলাম। কিন্তু…

কথা বলতে বলতেই থমকে গেল রাসেল। কথাগুলো দলা পাকিয়ে আটকে গেছে গলার কাছে। নিঃশ্বাস ভারি হয়ে আসছে।
.
হঠাৎ সব কেমন ওলটপালট হয়ে গেল! এক সকালে ঘুম ভাঙার পর নিজেকে এই অবস্থায় আবিষ্কার করলাম! আমার পুরো দুনিয়া যেন আঁধারে ঢেকে গেল। পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেল। প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম। কান্না করতে করতে আল্লাহকে বলেছিলাম, আল্লাহ আমার এ কী পরীক্ষা নিচ্ছো তুমি! কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।

- তুমি যখন বিকেলে বারান্দায় বসে থাকো, আমি তোমাকে জানালা দিয়ে দেখি। তুমি একা বসে বই পড়ো, রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকো, মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে তোমার কাছে যাই, কিন্ত…

ভূতোদ্ভিদ (শেষ পর্ব)
–ফাহমিদা আফরিন, ইংরেজি বিভাগ, দৌলতপুর কলেজ, কুষ্টিয়া
(১ম পর্ব কমেন্ট বক্সে)

.
[ষোলো ৭ম সংখ্যা থেকে নেওয়া, পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে।অর্ডার লিংক কমেন্টে]
.
#ষোলো
#ষোলোর_পাতা_থেকে

ষোলো

09 Nov, 06:33


ষোলো ৭ম সংখ্যা কার কার কাছে আছে?
ছবি দেখতে চাই!

ষোলো

09 Nov, 03:53


বইমেলার ইভেন্টটি বাতিল হয়েছে!

আজকে ইসলামী বইমেলায় আমাদের একটি আড্ডা ও গেইমিং ইভেন্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের টিমমেইটের যেই ভাই সঞ্চালনা করার কথা তিনি হঠাৎ একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঢাকার বাইরে থেকে বইমেলায় আসা উনার জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছে। তাই টিমের পরমার্শক্রমে আজকের ইভেন্টটি বাতিল করা হলো।

আমরা এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ইসলামী বইমেলায় আমরা একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। তা আর হলো না। আল্লাহ তাওফিক দিলে সামনে এরচেয়েও দারুণ ও উপভোগ্য কোনো ইভেন্ট আয়োজন করার চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ।

ষোলো টিমের জন্য দুআর আবেদন।

ষোলো

07 Nov, 15:30


৪.
আমার বন্ধু ইয়ামিন আর নাই। আমার রুমমেট আর নাই। ওসমানী হল রুম নং ৬১৯ আর নাই। আমার রাত ৩.০০ টায় আড্ডা মারার সাথি আর নাই। আমার সাথে কাচ্চি শেয়ার করার সাথি আর নাই।  আমার হিউমারলেস জোকে হাসার সাথি আর নাই। আমাকে গেইমের কাহিনি বলার সাথি আর নাই। আমাকে বাসা থেকে আনা খাবার দেওয়ার সাথি আর নাই। আমার ভুলগুলা ধরায় দেওয়ার সাথি আর নাই। 
আমি ইয়ামিনের আম্মুকে কী বলব? 
.
ইয়ামিনের সাথে আমার সকালেই কথা হইছে। পরে ওর বোন আমাকে বলে, ‘ও বাসায় নাই।’ইয়ামিনের আম্মুকে কী বলব আমি? ওর আব্বু ওকে বাইরে পড়তে পাঠাইতে চাইছিল। ওর আব্বুর ব্যবসা ওর দেখার কথা ছিল।
.
তোমরা ইয়ামিনের কী জানো? ওর সব কথা ও আমাকে বলত। আমি আমার পুরা ২২ বছরের জীবনে ওর সাথে সবচেয়ে বেশি কথা শেয়ার করছি। আমার সব সমস্যার প্র্যাক্টিকাল সমাধান ছিল ওর কাছে।
.
ইয়ামিন বুয়েটে চান্স পাইছিল, মেডিকেলেও পাইছিল। ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত, আমি না পড়লে টেনে নিয়ে যাইত। ও সুন্নাত পালনের জন্য রোজাও রাখত ছাত্র অবস্থাতেই। ইয়ামিন সেদিন বৃহস্পতিবার রোজা ছিল। রোজা অবস্থাতেই সে যুহরের নামাজ মসজিদে পড়ে ছাত্রদের বাঁচাতে যেয়ে নিজে গুলি খেয়ে নিহত হয়।
.
ওর আব্বুর পুরা ফ্যামিলি নিয়ে মালয়েশিয়াতে শিফট করার কথা ছিল। কিন্তু তারা যায়নি ইয়ামিনের দেশপ্রেমের জন্য। ওকে ফিউচারের কথা জিজ্ঞেস করলে ও বলত, ও খুব সিম্পল লাইফ চায় আজীবন। শুনে অনেক রাগ উঠত আমার। অনেক পটেনশিয়াল ছিল ওর মধ্যে। আমাকে সবসময় বলত, ‘মানুষকে আমার ক্রিয়েটিভিটি দেখানো উচিত।
.
’আমি ওকে শেখ ইয়ামিন বলতাম। কারণ আমার জীবনের সব সমস্যার উত্তর ওর কাছে ছিল। আর দেখব না ইয়ামিনকে মৃদু নিষ্পাপ মিষ্টি হাসিমুখটা নিয়ে সবার শেষে হলের ডাইনিংয়ের খাবার খেতে বসতে। আর দেখব না হাস্যোজ্জ্বল মায়াবী মুখটা সবার সব সমস্যার সহজ বুদ্ধিদীপ্ত সমাধান করে দিচ্ছে নিঃস্বার্থভাবে। তার কাছে গেলে কেমন শান্তি শান্তি লাগত। নিজে সবচেয়ে বিনয়ী হয়ে যেমন সবার সমস্যার সমাধান দিত, তেমনভাবেই ছাত্রদের দিকে গুলি হইতে দেখে নিজের জীবনটা দিয়ে সেটা সলভ করতে গেছিল ইয়ামিন, গুলির মুখে বুক পেতে।
.
লিখতে পারতেছি না আমি আর। কিন্তু বলার অনেক কথা আছে। তোমরা আমার অন্তরের রক্তক্ষরণ বুঝবা না।
.
তোমরা কি বুঝবা আমার অন্তরের রক্তক্ষরণ ?" 

-মোহাম্মদ শাহীনুর রহমান চৌধুরী, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ, MIST

.
[ষোলো ৭ম সংখ্যা থেকে নেওয়া, পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে।অর্ডার লিংক কমেন্টে]
.
#ষোলো
#ষোলোর_পাতা_থেকে

ষোলো

07 Nov, 04:52


Mymensingh Deeni Community গ্রুপে ধারাবাহিক সীরাহ কন্টেস্ট চলছে। সেখানে পুরস্কার হিসেবে থাকবে "ষোলো" ম্যাগাজিনসহ আরও সুন্দর সুন্দর কিছু পুরস্কার। মমিসিংগা ভাইবোনেরা যুক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন ইনশা আল্লাহ।

ষোলো

06 Nov, 16:33


আমরা আসছি ইসলামী বইমেলায়!
.
আগামী শনিবার, ৯ নভেম্বর বাইতুল মুকাররম ইসলামী বইমেলায় আমরা থাকবো ইন শা আল্লাহ। শনিবার বিকেল ৪:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০ পর্যন্ত চলবে আমাদের এই ইভেন্ট।
.
না, আমরা বিশেষ কেউ নই। আমরা মূলত ষোলোর পাঠক-প্রতিনিধিদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য এই ইভেন্ট আয়োজন করছি ইন শা আল্লাহ।
.
এখানে কোনো তাত্ত্বিক আলোচনা হবে না। বরং এতে থাকবে গেইমিং ইভেন্ট, প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং কুইজ প্রতিযোগিতা। পুরস্কার হিসেবে থাকবে ষোলো সপ্তম সংখ্যাসহ চমৎকার কিছু বই।
.
আমরা আমাদের পাঠককে এই ইভেন্টে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা তোমাদের সাথে একটি বিকেল বেশ মজার সাথে পার করতে চাই। আসছো তো, ইনশাআল্লাহ?

ষোলো

06 Nov, 14:05


ষোলোর ক্ষুদে পাঠক,
বাবার সাথে গিয়েছে ঢাকায় বাইতুল মোকাররম মসজিদের পাশে চলমান ইসলামি বই মেলায়।
সেখান থেকেই ষোলো-র সাথে ছেলেদের ছবি তুলে পাঠিয়েছেন তাদের বাবা ফায়েজ আহমেদ।
#ষোলোগ্রাফি

ষোলো

06 Nov, 11:03


যারা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করো,
ইনস্টাগ্রামে ও ষোলো কে ফলো দিয়ে রাখতে পারো;
https://www.instagram.com/sholo_official/

ষোলো

06 Nov, 05:37


৬ষ্ঠ সংখ্যার পিডিএফ এর ড্রাইভ লিংক - https://cutt.ly/Sholo-6

ষোলো

05 Nov, 14:21


.
সামনের দিকে একবার তাকাইয়া দেখলাম, অসংখ্য পুলিশ অস্ত্রহাতে এদিকে আসতেসে! কেমন জানি গোলমাল লাইগা গেল! মাথা কাজ করতেসে না! শরীর নিস্তেজ হয়ে যাইতেছিল! একবার ভাবলাম মুগ্ধর পর্যন্ত যাওয়ার আগেই আমাকেও গুলি করবে! তবুও আমি দৌড়ায়ে মুগ্ধর কাছে গিয়ে ওরে ধইরা তোলার চেষ্টা করলাম। পারতেসি না একা, পাশেই একজন সাহস করে আসলো চেহারা মনে নাই! দুইজনে মিলে কোলে তুললাম মুগ্ধকে! পরক্ষণেই বেশ কয়েকজন মিলে ধরল! আমি রিকশায় আবারও আগের মতোই কোলে নিয়ে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছি আর মুগ্ধর কপালে চাপ দিয়ে ধরে আছি যাতে রক্ত না বের হয়! (একটু আগেই মুগ্ধ আমার সাথে মানুষকে হাসপাতালে নিতেছিল! এখন আমি নিজেই ওরে কোলে তুইলা নিয়ে যাইতেসি)!
.
বন্ধু হয়ে কলিজার বন্ধুর মাথায় গুলি লাগা অবস্থায় কোলে নিয়ে অসহায়ের মতো লাগতেসিলো, যে এখন আমি কী করব? কী করলে মুগ্ধ ঠিক হয়ে যাবে? আমার কাছে সবকিছু কেমন স্লো-মোশন মনে হচ্ছিল! ইমারজেন্সিতে নিয়ে বেড-এ রেখে এক কোণায় মাটিতে বসে পড়লাম ওই রুমেই! স্নিগ্ধরেই বা আমি কী বলব? বাসা থেকে তো একসাথেই বের হইলাম!
কিছুক্ষণ পর ঝাপসা চোখে দেখলাম মুগ্ধর আইডি কার্ড হাতে ডাক্তার আমাকে বলতেসে, ‘আপনার কী হয়?’ বললাম, ‘আমার ভাই!’ 
.
ডাক্তার বলল, ‘আপনার কোথায় লাগসে? পানি খান, বেডে শুয়ে পড়েন!’ বললাম, ‘আমার কিছুই হয় নাই! ওর কী হইসে? বাঁইচা আছে?’ আমাকে বলল, ‘পালস খুজে পাচ্ছি না। আপনি একটু রিল্যাক্স হয়ে বাসায় ফোন দেন!’ 
.
তখনো ক্লিয়ারলি কিছুই বুঝে উঠতে পারতেসি না! আমি স্নিগ্ধকে কল করলাম সাথে সাথে! বললাম মুগ্ধ গুলি খাইসে, তাড়াতাড়ি ক্রিসেন্টে আয় ভাই! স্নিগ্ধ আসলো! দেখল! ডাক্তার জানাইলো পালস পায় না! স্নিগ্ধ আমাকে ধরে কানতেসে আর অসহায়ের মতো ডাক্তারকে বলতেসে, ‘ভাই প্লিজ! প্লিজ ভাই, আরেকবার দেখেন না!’
.
ওইদিনের প্রত্যেকটা সেকেন্ড আমি লিখতে পারব! প্রত্যেকটা মুহূর্ত আমার কাছে কয়েক ঘণ্টার সমান! হয়তো কয়েক সেকেন্ড দেরি করলে আজকে আমি মুগ্ধর সাথেই থাকতাম! কিন্তু এই স্মৃতি? ক্লাস সিক্স থেকে এই পর্যন্ত একসাথে চলা, শেষে পাশে বইসা থাইকাও কিছুই করতে পারলাম না রে!
এই ২১, ২২ তারিখে আমাদের সব বন্ধুরা মিলে টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়ার কথা! টিকিট আর বোট ও কনফার্ম করা হয়ে গেছে! সেদিন মুগ্ধর কথামতো রাতে আমি ওর পাশে ওর সাথেই ছিলাম। কিন্তু মুগ্ধ আমাদের সাথে ছিল না! আল্লাহ আমার বন্ধুকে শহীদের মর্যাদা দান করুক! আপনারা সবাই মুগ্ধর জন্য দুআ করবেন!
.
আরে বেটা, সমস্যা নাই! আমরা রেগুলার ইনশাআল্লাহ আড্ডা দিতে আসবো তোর কাছে! আপাতত তুই রাফির সাথে আড্ডা দে। আমরাও সময় হলেই আসতেসি! তোরে নিয়ে এতকিছু লিখতে অনেক কষ্ট হইলো রে, ভাই! ভালো থাকিস!

- নাইমুর রহমান আশিক (মুগ্ধর বন্ধু)


.
[ষোলো ৭ম সংখ্যা থেকে নেওয়া, পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে।অর্ডার লিংক কমেন্টে]
.
#ষোলো
#ষোলোর_পাতা_থেকে

ষোলো

05 Nov, 14:21


বুকের ভেতর অনেক ঝড়

৩.
১৮ জুলাই, ২০২৪। বেলা ১২ টায় ফোনকলে মুগ্ধ।
- চালু আয়, বেটা!
- অফিস শেষ হবে ২:৩০ এ। তখন বাসায় যেয়ে বাইক রাইখা খাইয়া আসতেসি! বাইক নিয়া এই ঝামেলায় যাব না!
- আরে মামা, আমি তোর খাওয়ার ব্যাবস্থা করতেসি! আমার বাসায়ই বাইক রাখ! একসাথে বের হব! তুই আমার বাসায় আয় তাড়াতাড়ি! তোর বাসায় গেলে তুই দেরি করবি!
.
এই বলে ফোন রাখল! আমি গেলাম ওর বাসায়। দরজা খুলল ফোন দেওয়ার সাথে সাথেই! ভাত এনে দিলো মুগ্ধ নিজেই! বুয়ার প্রতি একবার রাগও করল, শুধু ডিম দিয়েই কেন দেওয়া হলো! আমি বললাম, ‘বাদ দে, বাসায় কেউ নাই। যা পারসে দিসে! খেয়ে রওনা হব।’
.
আমি বললাম, ‘ফরমাল প্যান্ট পইরা যামু?’ 
স্নিগ্ধ বলতেসে, ‘এমনে যাইস না, ছাপড়ি লাগতেসে তোরে!’ 
আমি বললাম, ‘তোগো প্যান্ট দে একটা!’ মুগ্ধ হেসে বলল, ‘তোর যা সাইজ! আমাদের প্যান্ট তোর হবে? আচ্ছা এইটা দেখ, বড় আছে।’ 
.
মুগ্ধর দেওয়া প্যান্ট পরেই বের হচ্ছি। পায়েও মুগ্ধর দেওয়া স্যান্ডেল। কারণ, আমি অফিস থেকে ফরমালে ওর বাসায় আসছি। বের হওয়ার সময় স্নিগ্ধ হেসে বলতেসে, ‘তোরা আসলেই যাইতেসিস?’
মুগ্ধ বলল, ‘হ্যা, যাইতেসি। তুই স্পাইনলেস, যাইতে পারতেসোস না!’ 
স্নিগ্ধ হাতের ব্যান্ডেজ দেখাইয়া বলল, ‘সুস্থ থাকলে আমিও বের হইতাম! (স্নিগ্ধ ২ দিন আগে বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করেছিল)’
.
আমরা বের হয়েই রিকশায় মামাকে জিজ্ঞেস করলাম, মামা আন্দোলন কোনদিকে হচ্ছে?
- আজমপুরে মারামারি লাগসে, মামা!
মুগ্ধকে বললাম, ‘যাবি?’ 
বলল, ‘ভিডিও দেখলাম হাউসবিল্ডিংয়েও গেঞ্জাম! আচ্ছা চল যাই।’
.
রিকশায় দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের হল থেকে বের করে দেওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করল মুগ্ধ!
.
আজমপুর যেতে না যেতেই মুগ্ধ বলতেসে, ‘এই কী অবস্থা, মামা! এইটা তো পুরা মুভির মতো দেখতেসি!’
আমি আবার বললাম, ‘না বেটা, গেইমসে ওয়ারজোনগুলা এমন দেখায় না?’ 
মুগ্ধ বলল, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ!’
.
আমরা একটু সামনে এগুতেই দেখলাম, মানুষ স্প্রিনটার খেয়ে ক্ষতবিক্ষত ছাত্রদের কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে! কারও পুরো মুখ ফেটে রক্ত বের হচ্ছে, কারও পিঠ ঝাঁঝরা হয়ে গেসে! পরক্ষণেই রিকশার ভাড়া দিয়ে মুগ্ধকে বললাম, ‘ধর, হাসপাতালে নিতে সাহায্য করি!’ এরপর দুইজন মিলে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নিলাম! মাঝখানে আলাদা হয়ে যাওয়াতে আবার কল করে বলল, ‘কই তুই? আলাদা হইস না! ফ্যামিলি নিডস-এর সামনে আয়, আমি দাঁড়াইসি।" 
.
একসাথে হয়ে আমির কমপ্লেক্সের দিকে গেলাম!
এদিকে মুগ্ধর সাথে জাকিরের কথা হয়! আমাকে মুগ্ধ বারবার বলতেসে, ‘জাকির আসছে! চল! মি. মানিকের ওইদিকে দাঁড়াইসে!’ 
.
পরে আমি আর মুগ্ধ এইপারে এসে জাকিরের সাথে দেখা করলাম! বেশ কিছু সময় গেল! হঠাৎ পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলের ধোয়া আসলো। চোখ, নাক জ্বলতেছিল সবার! দমবন্ধ হয়ে আসতেছিল! আগুনে নিশ্বাস নিয়েই খোঁজ নিতে মুগ্ধকে ফোন দিলাম, ‘কই তুই?’ জাকির কল ধরে বলল, ‘ইষ্টি কুটুম-এর সামনে আছি আমরা, আয়।’ দেখলাম মুগ্ধর হাতে এক কেইস পানির বোতল আর বিস্কিট অনেকগুলা! আমাকে বলতেসে, ‘সামনের দিকে ঝামেলা। ওইদিকে যাইস না! এখানে থাক!’
.
আমিও দুর্বল আর ক্লান্ত হয়ে পরেছিলাম। তাই কথামতো আমরা দুজন মিলে পানি দিচ্ছি। মুগ্ধর পানি দেওয়ার ভিডিওটা দেখলেই দেখতে পাবেন, আমি ওর থেকে নিয়ে পানি দিচ্ছি সবাইকে। আর জাকির আমাদের সাহায্য করতেসে! 
.
মুগ্ধ আমাকে বলতেসে, ‘মামা! যেই পরিস্থিতি আজকে তুই রাতে আমার বাসাতেই থাক! যাইস না! জাকিরকেও রেখে দিব নে!’
আমি বললাম, ‘তুই বললেই হইল? আমার অফিস আছে না? সকালেই অফিসে যাইতে হবে!’
- আরে, তোর ড্রেস তো বাসায় আছেই! আমার বাসা থেকে সকালে যাইস!
বললাম, দেখা যাক!
.
এক পর্যায়ে আমরা ইষ্টি কুটুমের মুখোমুখি হয়ে রোড ডিভাইডারের উপর বসলাম একটু বিশ্রামের জন্য! জাকির বলল, ‘আমার আর মুগ্ধর একটা ছবি তুলে দে!’ আমি ওদের দুইজনের ছবি তুললাম মুগ্ধর ফোন দিয়েই. ঠিক বিকেল ৫ টা ৪৬ মিনিটে! আবার আমরা বসলাম! প্রথমে জাকির এরপর মুগ্ধ আর সবশেষে আমি! আর তখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে কোনো প্রকার গুলি করে নাই! শুধুমাত্র টিয়ার শেল, স্প্রিন্টার আর রাবার বুলেটেই সীমাবদ্ধ ছিল! ছবি তোলার ৪/৫ মিনিট পরে হঠাৎ সবাই আমির কমপ্লেক্স আর রাজউক কমার্শিয়ালের ওইদিক থেকে দৌড়ায় আসতেসে! আমরা দেখলাম! কিছুটা ধীর গতিতেই উঠব ভাবলাম! কারণ, বারবার এমনটাই হচ্ছে! ২/৩ সেকেন্ড পর মুগ্ধর পায়ের উপরে হাত রেখে বললাম, ‘চল দৌড় দিই!’ আমার বন্ধু শেষবারের মতো আমাকে বলল, ‘চল!’
.
জাকির উঠে দৌড় দিলো আগে। তারপর আমিও উঠে দৌড় দিলাম। ৩ থেকে ৪ কদম যাওয়ার পর আমার সামনেই জাকিরকে দেখতেসি দৌড়াইতেসে। কিন্তু আমার পাশে মুগ্ধ নাই! থেমে গেলাম। পিছন ঘুরে তাকাতেই দেখি আমার বন্ধু ওই বসা অবস্থা থেকেই মাটিতে পড়তেসে, চোখ ২ টা বড় করে আমার দিকে তাকায় আছে, হাতে সেই অবশিষ্ট বিস্কুট আর পানির বোতলের পলিথিন, কপালে গুলির স্পষ্ট চিহ্ন। আমি চিৎকার করলাম, ‘জাকির, মুগ্ধ গুলি খাইসে!’

ষোলো

05 Nov, 05:51


ষোলো pinned «বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম . ষষ্ঠ সংখ্যার পিডিএফ কিনে চব্বিশের বীরদের পাশে দাঁড়াও! . ষোলোর ৬ষ্ঠ সংখ্যার (মে-জুলাই ২০২৪) অফিশিয়াল পিডিএফ সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো। আলহামদুলিল্লাহ। . ৫ম সংখ্যার মতো এবারও আমরা পিডিএফ-এর জন্য ঐচ্ছিক শুভেচ্ছা মূল্য নিচ্ছি।…»

ষোলো

05 Nov, 02:58


জুলাই আন্দোলনের সময় ভাইরাল হওয়া কিছু স্লোগান, বক্তব্য,ঘটনা… কিছু কি ছাড়া পড়ে গেল? ষোলো ম্যাগাজিনের জন্য তোমাদের সহায়তা এক্টু দরকার…


❖ ‘আমি কে তুমি কে, রাজাকার, রাজাকার
কে বলেছে, কে বলেছে, স্বৈরাচার, স্বৈরাচার
❖ এক দুই তিন চার, শেখ হাসিনা গদি ছাড়
❖ চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে, হয়ে গেলাম রাজাকার
❖ আমার খায়, আমার পরে, আমার বুকেই গুলি করে
❖ দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ
❖ তোর কোটা তুই নে, আমার ভাই ফিরিয়ে দে
❖ লাশের ভেতর জীবন দে, নইলে গদি ছাইড়া দে
❖ আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না
❖ আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই
❖ আমার ভাই কবরে, খুনিরা কেন বাইরে
❖ বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর
❖ দিনে নাটক রাতে আটক
❖ দফা এক,দাবি এক,খুনি হাসিনার পদত্যাগ
❖ লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে
❖ পানি লাগবে পানি
❖ কোটা না মেধা,মেধা মেধা
❖ রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়
❖ পা চাটলে সঙ্গী, না চাটলে জঙ্গি
❖ নাটক কম করো পিও
❖স্যাটেলাইটে পানি ঢুকছে
❖ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে
❖মেট্রোরেল…
❖স্নাইপার
❖হেলিকপ্টার থেকে গুলি
❖আয়নাঘর
❖৭ মিনিটে ক্লিয়ার

❖হামার বেটাক মারলু কেনে?

❖ হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল
❖ স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি
❖ আমারে যাইতে দেন না, আমার একটা ছোট্ট বোন আছে

ষোলো

04 Nov, 14:01


বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
.
ষষ্ঠ সংখ্যার পিডিএফ কিনে চব্বিশের বীরদের পাশে দাঁড়াও!
.
ষোলোর ৬ষ্ঠ সংখ্যার (মে-জুলাই ২০২৪) অফিশিয়াল পিডিএফ সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো। আলহামদুলিল্লাহ।
.
৫ম সংখ্যার মতো এবারও আমরা পিডিএফ-এর জন্য ঐচ্ছিক শুভেচ্ছা মূল্য নিচ্ছি। শুভেচ্ছা মূল্য নির্দিষ্ট না; যে যেমন পারো দিবা। ১০/২০/১০০/৫০০ বা আরও বেশি। কেউ না দিতে পারলেও সমস্যা নেই। তোমাদের পাঠানো এই শুভেচ্ছা মূল্য একত্র করে আমরা সেটা জুলাই আন্দোলনের আহত বীরদের কাছে পৌঁছে দেবো।
.
যাদের জীবন আর অঙ্গহানির বিনিময়ে লেডি ফিরআউনের কবল থেকে মুক্তি পেলাম, তাদেরকেই আমরা আজ ভুলে গেলাম। ভুলে গেলাম তাঁদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার কথা। নিদারুণ অবহেলায় দিন পার করা সেই সিংহহৃদয় বীরদের পাশে দাঁড়াতে চাই আমরা। তাঁদের জীবনে যে অনিশ্চিত দুশ্চিন্তা বাসা বেঁধেছে, তার সামান্য কিছু হলেও দূর করতে চাই।
.
ইতোমধ্যে আমরা মাসরুরস গ্রুপের সহায়তায় ৩০+ আহত বীরদের আর্থিক সহযোগিতা করেছি। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে আমাদের কিছুটা অভিজ্ঞতাও অর্জিত হয়েছে। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন আহত বীরের তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে, যারা উল্লেখযোগ্য কোনো সহায়তা পায়নি। তাই সকলের কাছে তাদের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
.
ষোলোর পাঠক-পাঠিকা ভাইয়া-আপুরা, তোমরা যে যেমন পারো পাঠাতে পারো। সিনিয়ররা ভাইয়া-আপু ও আংকেল-আন্টিরাও আপনাদের ইচ্ছেমতো টাকা পাঠাতে পারবেন আমাদের কাছে। টাকা পাঠানো যাবে নিচের একাউন্টগুলোতে। টাকা পাঠানোর সময় রেফারেন্সে SHOLO লিখে দেওয়ার অনুরোধ। টাকা পাঠানো যাবে ১৬ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ৬ টা পর্যন্ত।
.
নগদ/বিকাশ পার্সোনাল - 01609 331 400
.
কেউ ব্যাংকের মাধ্যমে মোটা অংকের অনুদান পাঠাতে চাইলে ওয়াটসঅ্যাপ করুন 01511-162016 নাম্বারে।
.
অতএব, যারা শুভেচ্ছা মূল্য (যা মূলত সাদাকাহ) পাঠাতে চাও/চান, জলদি পাঠিয়ে দাও/দিন।
.
অতঃপর ঝটপট ডাউনলোড করে নাও চকচকে রঙিন ষোলো ষষ্ঠ সংখ্যা। ডাউনলোড লিংক - https://cutt.ly/Sholo-6
.
যারা টাকা দিতে পারবা না, তারা পিডিএফটা তোমার পরিচিতদের মাঝে ছড়িয়ে দাও। বিভিন্ন বইয়ের গ্রুপে ষোলো নিয়ে আড্ডা ও আলোচনা জমাও। ষোলোকে ছড়িয়ে দাও প্রতিটি কিশোর-কিশোরীর কাছে।

ষোলো

04 Nov, 13:56


কাউন্ট ডাউন শুরু...

৬ষ্ঠ সংখ্যার পিডিএফ!

৫, ৪,...

ষোলো

04 Nov, 10:21


#ষোলোগ্রাফি
ছবি পাঠিয়েছেন Fatiha Fatir

ষোলো

03 Nov, 14:31


বুকের ভেতর অনেক ঝড়

২.
ছবির ছেলেটা আমার ভাই, আমাদের দুই বোনের একমাত্র আদরের ভাই। আমরা ওকে কী পরিমাণ ভালোবাসি এটা হয়তো কখনো আর তাকে বলাই হবে না, সুযোগ কই?যেদিন প্রথম আম্মু তাকে আনে বাসায়, এসেই সে আমাদের দুই বোনের গায়ে স্বসম্মানে হিসু করে ভালোবাসার জানান দেয়।
.
আমাদের ছোট্ট বাবুটাকে আমরা ‘টুনা’ ডাকতাম, ভালোবাসার ডাক আরকি। ছোট্ট টুনা বড় হয়ে বড় হইল, কিন্তু টুনাই রয়ে গেল আমাদের কাছে, সৈকত হতে পারল না। কী রাগ তার!
-‘আমাকে বন্ধুদের সামনে টুনা ডাকবা না তো, সেবন্তি আপু।’
.
১১ই সেপ্টেম্বরে তার ২০ বছর হওয়ার কথা ছিল। কত হাসিখুশি ছিলাম আমরা। এখন বুকে খালি হাহাকার, কী যেন নাই, নাই তো নাই-ই!আমাদের কলিজাকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার ফুলের মতো ভাইটাকে ঠান্ডা মাথায় টার্গেট করে মাথায় গুলি করা হয়েছে। বাবার কাঁধে ছেলের লাশের চেয়ে ভারী এই পৃথিবীতে কিছু আছে?বিচার কাকে দিব? আল্লাহর কাছে দিলাম। আমার আল্লাহ কক্ষনো কারও সাথে অবিচার করেন না। হাশরের ময়দানে বিচার করবেন আমার আল্লাহ।আমি জানি না, আমরা আর কক্ষনো মন খুলে হাসতে পারব কিনা, ওর পছন্দের কিছু খাইতে পারব কিনা, কক্ষনো সত্যিকারের ভালো থাকব কিনা। কিচ্ছু জানি না। শুধু জানি, আমার ছোট্ট ভাইটা নির্দোষ, সে ছোট্ট একটা বাচ্চা ছেলে, যে বীরের মতো বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়েছিল। কারণ এটাই তার পারিবারিক শিক্ষা যে, কাউকে বিপদে দেখে সাহায্য করতে হয়।
.
কক্ষনো আর ভাইকে দেখতে পাব না, জড়িয়ে ধরতে পারব না, গালে-কপালে জোড় করে চুমু দিতে পারব না। আর কক্ষনো বলতে পারব না, ‘টুনা কয়েল ধরায়ে দে’, ‘টুনা পানি দে’।
.
আমার ভাই শহীদ (ইনশাআল্লাহ)। শুক্রবার দিন, দুপুর ৩:৩৭ এ আমার ভাইয়ের মাথায় গুলি করা হয়েছে। মুসলমানদের জন্য শুক্রবারে মৃত্যু হচ্ছে স্বপ্ন, আর তার উপর মুহাররম মাস! জান্নাতে সবুজ পাখি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আমার ছোট্ট ভাইটা। আমরাও অপেক্ষায় আছি কবে পাখির সাথে দেখা হবে আবার!
.
বি:দ্র: সবাইকে জানাতে চাই আমার ভাই শহীদ ও নিষ্পাপ। সবাইকে জানাতে চাই সে কক্ষনো কারও ক্ষতি করেনি।

– সাবরিনা সেবন্তি, সৈকতের বড় বোন

.
[ষোলো ৭ম সংখ্যা থেকে নেওয়া, পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে।অর্ডার লিংক কমেন্টে]
.
#ষোলো
#ষোলোর_পাতা_থেকে

ষোলো

26 Oct, 15:02


এসএসসিতে মোটামুটি রেজাল্ট করে রাজশাহীতে একটা সরকারি কলেজে ভর্তি হই। কলেজের আশেপাশেই একটা মেসে উঠি। মেস লাইফ যে খুব একটা খারাপ, তা নয়। তবে সমস্যা হলো আমার লম্বা চুল। এই চুলের যত্ন একা নেওয়াই মুশকিল। মেসে এসে প্রথম চিন্তা এইটাই।
.
তবে বেশিদিন এই চিন্তা আমাকে করতে হয়নি। ২ মাসের মধ্যেই মাথার অর্ধেক চুল উঠে টাক পড়ার জো'। বাড়িতে যখন গেলাম মা তো আমাকে এক গাল বকা শুনিয়ে তারপর থামল। চুলের নাকি আমি যত্নই নিতে ভুলে গেছি। আমি মাকে এবার বোঝাই কী করে যে, দোষটা আমার না। দোষ হলো রাজশাহীর ওই আয়রনে ভরপুর পানির। পানি দেখলেই মনে হয়, ম্যানহোলের লাইন বোধহয় পানির সাথে যুক্ত।
.
আমার চুল উঠা যে এই পানি বাড়িয়েছে, তা শুধু নয়। আজকাল আমাকে দেখলে মনে হয়, আমি হয়তো কালোজাদু করি৷ কিংবা রাত হলেই তেঁতুল গাছে উঠে বসে থাকি।
মা আমাকে খানিক বকাবকি করে রাগ মিটিয়ে নিলো। এরপর আমাকে বলল, চুলটা ভালো মতো আচরে নিতে। আমি চুল আচরে এসে দেখি মা পেঁয়াজ কাটছে।
.
আমি: মা, পেঁয়াজ কেন কাটছো? কী রান্না করবে?
মা: কিছু রান্না করব না। তোর মাথায় দেবো।
পেঁয়াজ?
- হ্যাঁ। পেঁয়াজ বেটে রসটা তোর চুলে দেবো। দেখবি, চুলের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
- না বাবা, থাক। চুল গন্ধ করবে।
- ভালোমতো ধুয়ে নিবি, কিছু হবে না। বস তো এখানে।
- আচ্ছা মা, পেঁয়াজের রস চুলে দিলে কী হয়?
- অনেক উপকারিতা আছে এটার।
 - যেমন?
·        নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
·        চুলের ঘনত্ব ফিরিয়ে দেয়
·        চুল পড়া কমায়
·        চুলকানি কমায়
·        সংক্রমণ কমায়
·        চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে
·        চুলের অকালপক্কতা রোধ করে
·        চুলে খুশকির সমস্যা দূর করে

তাহলে তো চুলের সব সমস্যার সমাধানই পেঁয়াজের রস। আমি ডেইলি ব্যবহার করব৷
- না, ডেইলি ব্যবহার করলে তোমার উপকারের চেয়ে ক্ষতি হবে বেশি।
তাহলে শুধু একবার ব্যবহার করব?
.
কলিং বেলের শব্দে আমরা চমকে উঠলাম। এসময় অফিস থেকে বাবা আসে। আর এভাবে দুইবার পর পর কলিংবেল বাজায়। মা দরজা খুলতে চলে গেল। এখন বাবার সেবা-যত্ন করার জন্য মা অনেকক্ষণ ব্যস্ত থাকবে। কীভাবে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে হবে, তা জানার জন্য আমার আর তর সইছিল না। তাই, ফোন নিয়ে গুগলে সার্চ দিলাম। 
.
যা পেলাম—
১/ একটি বড় পেঁয়াজ নিয়ে প্রথমে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
২/ এরপর সেটা পিষে পেস্ট বানিয়ে ফেলতে হবে। চাইলে সরাসরি জুসারে দিয়ে পেঁয়াজের রসও বের করে নেওয়া যায়।
৩/ পেস্ট বা পেঁয়াজের রস একটি পাত্রে নিতে হবে। এরপর সেটি ভালোভাবে মাথার তালুতে লাগাতে হবে। আঙুলে সামান্য চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এই ম্যাসাজ তোমার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে। চুলের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায়। বাকি রস চুলেও লাগিয়ে নিতে হবে।
৪/ ৩০ মিনিট ওভাবেই রাখবে। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলবে।
৫/ সপ্তাহে এক থেকে দু’বার পেঁয়াজের রস চুলে লাগানো যেতে পারে।
.
আরেকটা কথা। পেঁয়াজের রস ব্যবহারের আগে অবশ্যই অ্যালার্জি পরীক্ষা করে নিতে হবে। এ জন্য তুমি  প্রথমে তোমার মাথার ত্বকের অল্প জায়গায় এটি লাগিয়ে রাখবে।
.
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করবে না।
.
চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস!
–আয়াত, রাজশাহী মহিলা কলেজ
 
.
[ষোলো ৭ম সংখ্যা থেকে নেওয়া, পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে।অর্ডার লিংক কমেন্টে]
.
#ষোলো
#ষোলোর_পাতা_থেকে

ষোলো

26 Oct, 10:40


#ষোলোগ্রাফি
ছবি পাঠিয়েছেন - Habiba Urmi

ষোলো

24 Oct, 14:42


.
হাদীসে এসেছে, আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে বলে, হে আল্লাহর রাসূল, গত রাতে আমাকে একটি বিষাক্ত বিচ্ছু কামড় দিয়েছিল। তাতে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। তিনি বলেন, “যদি তুমি সন্ধ্যার সময় এ কথা (উপরোক্ত দুআটি) বলতে তাহলে তা তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারত না।” অন্য বর্ণনায় তিনি বলেন: “যদি কেউ সন্ধ্যায় তিন বার এ বাক্যটি বলে সে রাতে কোনো বিষ বা দংশন তাকে ক্ষতি করতে পারবে না।”
.
সকাল-সন্ধ্যায় দুআটি পড়তে ভুলে যেয়ো না কিন্তু!
.
১, ২, ৩ একটু সর্পকথন
–হামদাম এলাহী, শিক্ষার্থী, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়


.
[ষোলো ৭ম সংখ্যা থেকে নেওয়া, পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে।অর্ডার লিংক কমেন্টে]
.
#ষোলো
#ষোলোর_পাতা_থেকে

ষোলো

24 Oct, 14:42


এই বেশ কয়েকদিন আগে, টেলিগ্রামে একটা ভিডিও দেখে রীতিমত চমকে উঠলাম। পদ্মা নদীর পাড়ে একটা প্রাণী দ্রুত চলে যাচ্ছে, যেন কাউকে ধাওয়া করছে। বুঝতেই পারছো কীসের কথা বলছি? হ্যাঁ, দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়া রাসেল’স ভাইপার (নামটা কিন্তু “রাসেল ভাইপার” নয়)। সবার মধ্যে একটা অদ্ভুত আতঙ্ক, যখন তখন চলে আসবে না তো? ক্লাসমেটদের মধ্যে অনেকে ওয়াশরুমে যেতেও ভয় পাচ্ছিল, যদি ওয়াশরুমের পাইপ দিয়ে উঠে আসে! আচ্ছা, এ ব্যাপারে বেশি কিছু বলার আগে দু-একটা অদ্ভুত ঘটনা বলে নিই।
.
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি প্রদেশ। সময়কাল ২০১৮। সবুজ পাহাড় আর নীল লেকের ছবির মতো একটি দ্বীপ মুনা। প্রতিদিনের মতো সেদিনও ওই দ্বীপের বাসিন্দা থিবা তার বাগানে গিয়েছিলেন শাক-সবজির পরিচর্যা করতে। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। থিবা কি জানতেন এই দিনটি তার জীবনের আর দশটি সাধারণ দিনের মতো হবে না?
.
থিবা নিখোঁজ হয়ে গেলেন। আশেপাশের সাধারণ মানুষেরা তাকে খুঁজতে লাগল। পুরো একদিন খুঁজেও থিবাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ পর বাগানে থিবার স্যান্ডেল আর ছুরি খুঁজে পায় সবাই। হঠাৎ একজন খেয়াল করল, যেখানে স্যান্ডেল পাওয়া গিয়েছিল তার প্রায় ৩০ মিটার দূরে, একটা পেট বিশ্রীভাবে ফোলা পাইথন মানে অজগর সাপ বসে আছে!
.
সবার সাপটার প্রতি সন্দেহ হয়। সন্দেহবশত সাপটাকে এলাকাবাসী মেরে ফেলে। এরপর পেট কেটে দেখে, এ কী কাণ্ড! আস্ত থিবার শরীর পাইথনটার পেটে! পা-বিহীন এই সরীসৃপটা থিবাকে পুরোপুরি গিলে ফেলেছিল, থিবার শরীর পর্যন্ত দুমড়ে মুচড়ে যেতে পারেনি। পুরো একদিন থিবা মৃত অবস্থায় পাইথনটার পেটে ছিলেন। ৫৪ বছর বয়সেই নির্মম মৃত্যু ঘটল থিবার।
.
পাইথনটি ছিল ২৩ ফুট লম্বা। তবে মানুষখেকো এমন সাপের ঘটনা এটাই কেবল নয়। একদম সাম্প্রতিক এই বছরের জুন মাসে একই দ্বীপের ৪৫ বছর বয়সী ফরিদাকে পাইথন গিলে ফেলে। সাপটির পেটে ফরিদার দেহ পাওয়া যায় তার পোশাকসহ! 

ইন্দোনেশিয়ার জামবি প্রদেশে ২০২২ সালে একজন নারীকে ১৬ ফুট লম্বা একটি পাইথন গিলে ফেলে। তার মরদেহও সাপের পেটে পাওয়া যায়।
.
২০২২ সালের মার্চ মাসেও একজন ২৫ বছর বয়সী তরুণ কৃষককে আরেকটি পাইথন গিলে ফেলেছিল।৪ ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি রক পাইথন ১০ বছর বয়সী বাচ্চাকে খেয়ে ফেলেছিল।
.
২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে একটি পাইথন ৫ বছর বয়সী বাচ্চাকে পেঁচিয়ে ধরে সুইমিং পুলে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়। ভাগ্যক্রমে বাচ্চাটা বেঁচে যায়।
.
এভাবে সাপের আস্ত মানুষ খেয়ে ফেলার ঘটনা যদিও বিরল, তবে সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা কিন্তু বিরল নয়। বিবিসি সাইন্স ফোকাস জার্নালের হিসেব অনুযায়ী, বিপজ্জনক প্রাণীর তালিকায় সাপ আছে তিন নম্বরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৫৪ লাখ মানুষকে সাপ দংশন করে এবং এর মধ্যে প্রায় ৮১ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। যারা বেঁচে যান তারাও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন অঙ্গহানি, পঙ্গুত্ববরণ করেন। অনেকের মানসিক সমস্যাও দেখা যায়।
.
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর হিসেব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ৪ লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয়, যার মধ্যে প্রায় ৭ হাজার মানুষ মারা যায়। এদের মধ্যে কেউটে এবং কোবরা সাপ ছিল প্রধান।
.
ফিরে আসি আমরা যা দিয়ে শুরু করেছিলাম। কী? ভয় লাগছে? রাসেল’স ভাইপার আবার খেয়ে ফেলবে না তো?
না, না। হা হা হা।
.
রাসেল’স ভাইপার আসলে আমাদের দেশেরই একটি সাপ; চন্দ্রবোড়া সাপ। চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টারের হিসেবে, দেশের উত্তরাঞ্চল ছাড়াও ২৭টি জেলায় এই সাপটি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে যতটা আতঙ্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি ছড়িয়েছে ততটাও ভয়ঙ্কর সাপ এটি নয়। এটি কেউটে বা কোবরার চেয়ে কম প্রাণঘাতী। বাংলাদেশ টক্সিকোলোজি সোসাইটির সভাপতি মোঃ আবুল ফয়েজ বলেন, ‘চন্দ্রবোড়া সাপ বা রাসেলস ভাইপারের কামড়ে ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টা সময় লাগে মানুষের মৃত্যু ঘটতে। সর্বোচ্চ ২৫ দিন পর্যন্ত মানুষ বেঁচে থাকার রেকর্ডও আছে।’
.
সাপের আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার জন্য একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেসব এলাকায় সাপ আছে তার আশেপাশে না যাওয়া (এসব ক্ষেত্রে সাহসিকতা না দেখানো; মনে রাখতে হবে জীবন কোনো সিনেমা নয়)। সাপ কামড় দিলে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত এন্টিভেনোম প্রয়োগ করা, কোথাও সাপ দেখা দিলে স্থানীয় লোকজনকে জানানো এবং ব্যবস্থা নেওয়া ইত্যাদি।

.
রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের ক্ষতিকর প্রাণী থেকে বেঁচে থাকার দুআ শিখিয়েছেন।
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
উচ্চারণ: আ’ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মা-তি, মিন শার্‌রি মা-খালাক্
অনুবাদ: আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্যসমূহের আশ্রয় গ্রহণ করছি; তিনি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার অকল্যাণ থেকে।

ষোলো

24 Oct, 06:26


ষোলো কেন লাগে ভালো?
.
ষোলো কেন লাগে ভালো?
ষোলোতে আছে আশার আলো।
ষোলো চেনায় সহজ পন্থা,
ষোলো শেখায় বাস্তবতা।
.
হরেক রকম লেখা আছে
হরেক বিষয় নিয়ে,
জীবন আরো করছে সহজ
সঠিক উপদেশ দিয়ে।
.
চুল পড়ে সব মাথা ফাঁকা
চুল মেয়েদের রত্ন,
সপ্তম সংখ্যায় পেয়ে গেলাম
পেঁয়াজের রসে চুলের যত্ন।
.
বান্ধবী মোর করেছে প্রেম
খেয়েছে আবার ছ্যাকা,
স্টোরি দেয় সারাদিন-রাত
সম্ভব নয় জীবন রাখা।
.
চতুর্থ সংখ্যার-পরিণাম,
যেনো তারই প্রতিফলন।
হারাম পথেই ডুব দিয়ে,
আজ ঘটছে অঘটন।
.
সপ্তম সংখ্যার প্রথম পেজটাই
ভালো করে পড়ো,
সঠিক জ্ঞান মাথায় নিয়ে
সুন্দর জীবন গড়ো।
.
রেজাল্ট খারাপ হয়েছে ভাইয়ের
খায়নি রাতে খাবার,
উপদেশ হিসেবে দিয়েছি পড়তে
ফেলটুস থেকে টপার।
.
এবার নিশ্চয়ই বুঝেছ তোমরা,
ষোলো কেন ভালো?
ষোলো পড়ে খুঁজে নিয়ো
জীবন গড়ার আলো।
.
.
ষোলো ম্যাগাজিন নিয়ে ছড়া লিখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছে-
সুরাইয়া সানজিদা সুরভী
দ্বাদশ শ্রেণি
বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ
.
ছবি কৃতজ্ঞতা: আনান, ঢাকা

ষোলো

23 Oct, 16:31


মনে আছে আবু সাঈদের কথা? কিংবা আসহাবুল ইয়ামিন - এপিসির ওপর থেকে নৃশংসভাবে যার নিথর দেহ টেনে হিচড়ে ফেলে দিয়েছিল পুলিশ?
.
আশুলিয়াতে সেই ছাত্রদের কথা মনে আছে, যাদেরকে মেরে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছিলো? ভুলে গেছেন নাফিসের কথা, রিকশাওয়ালা ভাই প্রাণপণ চেষ্টায়ও বাঁচাতে পারেনি যাকে?
.
আজকের মতো রাতে এ স্মৃতিগুলো কি দুঃস্বপ্ন হয়ে ফিরে আসে না? প্রচন্ড রাগে কি হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে যায় না?
.
মনে হয় না। আমরা ভুলে যাই। আমরা ভুলতে পছন্দ করি। যার কারণে খুনী আওয়ামীলীগ আজ  ফিরে আসার চেষ্টা করছে নানা রূপে। আবু সাঈদের রক্তে ভেজা মাটিতে দাঁড়িয়ে খুনী হাসিনার পক্ষে স্লোগান দেওয়ার স্পর্ধা দেখাচ্ছে তারা।
.
মুজিববাদের পক্ষে  কলাম লিখছে  ডেইলি স্টারদের মতো ফ্যাসিবাদের দোসররা। বহাল তবিয়তে আছে মুজিববাদের সে বয়ান, যে বয়ানের ওয়র তৈরি হয়েছিল পিলখানা, শাহবাগ, শাপলা গণহত্যা, জুলাই গণহত্যা সর্বোপরি আওয়ামী জাহেলিয়াত।
.
৭৫-এও মানুষ মনে করেছিলো, খুনী লীগ আজীবনের জন্য বিদায় হয়েছে। কিন্তু না। ২১ বছরের মাথাতেই আবার ক্ষমতায় ফিরে এসেছে তারা।  ৪০ বছরের মাথায় দোর্দন্ড প্রতাপে কায়েম করেছে আওয়ামী জাহেলিয়াত ২.০।
.
আপনি হাসিনার প্রতি দয়া দেখালেও সে আপনার প্রতি দেখাবে না। জুলাই গনহত্যার ব্যাপারে খুনী হাসিনা থেকে শুরু করে তাদের কোনো নেতাকর্মীর কোনো অনুতাপ নেই, অপরাধবোধ নেই। তারা বারবার ফিরে আসে আগের চেয়ে আরও অনেক হিংস্র হয়ে।
.
তাদের আসার পথ সুগম করে মুজিববাদী সাংস্কৃতিক বয়ান। ডেইলি স্টারের কলাম, উপদেষ্টাদের মাথার উপরে মুজিবের ছবি মুজিববাদের ফিরে আসারই অশনী সঙ্কেত দেয় আমাদেরকে।
.
রক্তের দাগ শুকায় নাই। জুলাই জুড়ে যে মানুষদের ঐক্য, বীরত্ব ও মহানুভবতায় হাসিনার পতন হয়েছে, সে মানুষগুলো এ মাটিতেই আছে। চোখের সামনে দিয়ে খুলি উড়ে যাওয়া ভাইয়ের লাশ নিয়ে যাওয়ার স্মৃতি আমরা ভুলিনি। ভোলা সম্ভব না।
.
আমরা হাসিনার পতন নিশ্চিত করেছি বটে, বিজয় নিশ্চিত করি নি। যদি আজ পথে না নামি, নতুনভাবে মুজিববাদের বিদায় না ঘটাই, মনে রাখবেন আবু সাঈদদের রক্তই শেষ রক্ত না। আমাদের ও আমাদের প্রজন্মের মুক্তি হয় নি। ১৫ বছরের স্বৈরাচারই শেষ স্বৈরাচার না। তাই আসুন না, খুনীদের বিচার, আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, মুজিববাদের বিদায়ের লক্ষ্যে আরেকটাবার নামি, যেভাবে নেমেছিলাম এ কয়েকমাস আগেই।
.
জুলাইয়ের কাফেলা জেগে উঠুক আরেকবার।

ষোলো

23 Oct, 14:30


#ষোলোগ্রাফি
ফ্রম- Nadid Hossain

ষোলো

23 Oct, 06:34


৬ অক্টোবর, ২০২৪। রবিবার। বিকেল পাঁচটায় আমরা পৌঁছে যাই হাতিরঝিল এলাকায়। না, হাতিরঝিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যাইনি আমরা। গিয়েছিলাম আমাদের কয়কেজনের বীরের বীরত্বের গল্প শুনতে। আর তাঁদেরকে হালকা সান্তনা দিতে।

যাদের রক্ত আর অঙ্গহানির বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ পেলাম, স্বাধীনতার স্বাদে তাঁদেরকেই আমরা ভুলে গেলাম। ভুলে গেলাম তাঁদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার কথা। আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়লাম নিজেদের সুবিধা আদায়ে। আর পর্দার আড়ালে পড়ে সেই সিংহহৃদয় বীরেরা। তাঁরাও ব্যস্ত হলো, তবে তা সুবিধা আদায়ের জন্য না। ভবিষ্যত জীবনের অনিশ্চয়তার চিন্তায় তারা ব্যস্ত এখন।

বীরেরা আমাদেরকে যেই দায়বদ্ধতার ঋণে আটকে ফেলেছে, সেই ঋণের কিছুটা পরিশোধ করতে আমাদের সাথে এগিয়ে আসলো Masroors Group এর ভাইয়েরা। তাঁদের অর্থায়নে হাতিরঝিল ও রামপুরা এলাকার কয়েকজন আহত বীরকে খুবই সামান্য কিছু সহযোগিতার চেষ্টা করেছি আমরা।

আমাদের এই সহযোগিতা মোটেই যথেষ্ট না। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সামর্থ্যবান প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, নিজ নিজ জায়গা থেকে আন্দোলনের বীরদের পাশে দাঁড়ান। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ মন খুলে কথা বলতে পারছি, তাঁদেরকে যেন ভুলে না যাই।