Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh] @yasirarafatelhindi Channel on Telegram

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

@yasirarafatelhindi


Yasir Arafat El Hindi [Bangladesh] (English)

Are you looking for a channel that offers insightful content on topics related to Bangladesh? Look no further than '@yasirarafatelhindi'! This Telegram channel, managed by Yasir Arafat El Hindi, is dedicated to providing a platform for discussions, news updates, and cultural insights related to Bangladesh. With a focus on promoting the rich heritage and vibrant culture of Bangladesh, this channel aims to bring together individuals who share a common interest in the country. Whether you are a resident of Bangladesh, an expat living abroad, or simply curious about this fascinating country, '@yasirarafatelhindi' has something for everyone. From informative articles on history and current affairs to engaging discussions on social issues and cultural events, this channel covers a wide range of topics that will keep you informed and entertained. Join us today and become a part of our growing community of Bangladesh enthusiasts! Who is it? Yasir Arafat El Hindi is a passionate advocate for Bangladesh and strives to showcase the beauty and diversity of the country through this channel. What is it? '@yasirarafatelhindi' is a platform for sharing knowledge, news, and stories about Bangladesh, aimed at fostering a sense of community among its members. Don't miss out on the opportunity to connect with like-minded individuals and learn more about this unique and fascinating country. Join us now and immerse yourself in the world of Bangladesh!

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

19 Nov, 13:26


বড় যুদ্ধ লাগতে পারে

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

19 Nov, 13:26


রাশিয়ার অভ্যন্তরে ছয়টি মিজাইল আঘাত ইউক্রেনের

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

19 Nov, 12:08


ফিলিস্তীনের জাতীয় কবি মাহমুদ দারউশের একটি কাব্যে লিখেছিলেনঃ

সমরের সমাপ্তি ঘটবে....
(পরিশেষে) নেতৃবৃন্দ (পরস্পর) হাত মেলাবে
কিন্তু সেই বৃদ্ধাটি তাঁর শহীদ সন্তানের অপেক্ষায় রবেন,
আর ঐ বিধবাটি রবে তার প্রাণনাথের চিরপ্রতিক্ষায়,
শিশুরা তাদের সিংহ পিতার অপেক্ষায় থাকবে সদা অপেক্ষমাণ
আমি জানি না, কে এই মাতৃভূমিকে বিক্রয় করেছিল
কিন্তু আমি দেখেছি, কারা তার চরমমূল্য চুকিয়েছিল....

(ছবিটা ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিটা আমার এই চরণগুলো মনে করিয়ে দিল)

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

16 Nov, 15:23


রবীন্দ্রনাথ ও স্যার সৈয়দ আহমাদ এবং ফ্রীম্যাসন

https://www.facebook.com/100074524491346/posts/315455157615298/?app=fbl

The Aryan Secret

https://www.facebook.com/100074524491346/posts/497425219418290/?app=fbl

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

16 Nov, 15:23


নাৎসিদের জননী সাবিত্রী দেবী, নাৎসি এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্যাটানিজম চর্চা নিয়ে অদ্ভুত সব তথ্য তুলে ধরেছেন সৈকত নিয়োগী। এ সপ্তাহের সাপ্তাহিক বর্তমানে ছাপা হয় প্রবন্ধটি।

এসংক্রান্ত আমার করা পোস্টগুলো হয়ত অনেকের মনে পড়বে। কিছু লিঙ্ক কমেন্টে দিয়েছি।

চিত্র কৃতজ্ঞতাঃ Nazia আপা।

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

16 Nov, 12:50


প্রশ্নঃ ইসলামী ইমারত কি দাড়ি রাখার উপর কোন বাধ্যবাধকতা জারি করেছে?

আজ সকালে এক ভাই কিছু প্রখ্যাত লিঙ্ক হতে একটি খবর দিয়েছিলেন যে গত কয়েকমাস পূর্বে ইসলামী ইমারত দাড়ি রাখার উপর বাধ্যবাধকতা জারি করেছে এবং কেবলমাত্র দাড়ি না রাখার কারণে শতাধিক সেনা বরখাস্ত করেছে। ইমারত যেহেতু অফিশিয়াল কোন বিবৃতি দেয় নি তাই আমি এই প্রোপাগান্ডার বিষয়ে কোন খবর পাই নি। খবরটি আমার নিকট বিব্রতকর মনে হয় যেহেতু রাষ্ট্রগতভাবে এধরনের কোন পদক্ষেপ নেওয়া সমীচীন নয়। যদিও আমার বিশ্বাস ছিল খবরটি গুজব কারণ ২০২১ এর দিকে এধরনের একটি গুজব ছড়ানো হয়েছিল। আজ খবরটির সত্যতা যাচাই করতে আমি সরাসরি কাতারস্থ ইসলামী ইমারত সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শাইখ আহমাদ ইয়াসির حفظه الله এঁর সাথে কথা বলি এবং খবরটির সত্যতা নিয়ে জানতে চাই।

তিনি আমায় স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, খবরটি ভিত্তিহীন। ইসলামী ইমারতের আমর বিল মারূফ মন্ত্রণালয় কেবল দাওয়াত দেয় শরয়ী সম্মত দাড়ি রাখার ক্ষেত্রে। কিন্তু দাড়ি রাখার জন্য ইমারত কোন জবরদস্তি করে না এবং দেশটিতে দাড়ি ছাটার জন্য কোন সেলুন বন্ধ করা হয় নি, যারা দাড়ি ছাঁটে তাদের উপর কোন পাবন্দও দেওয়া হয় নি। তিনি বলেনঃ

‏نعم الامارة توصی شعبها بترک اللحیه وعدم الحلق ولکن لا تشدد علی الناس ولا تغلق المحلات الحلاقه هذه محض الادعاءات تری کثیر من الناس فی الاسواق حالقی اللحیه

সুতরাং এটা পশ্চিমী মিডিয়ার ধারাবাহিক মিথ্যাচারের মধ্যে একটি ছিল। এধরনের বহু গুজব রয়েছে ইমারত এর বিষয়ে, যেমন নারীদের উপর ভয়াবহ আপদ তারা নামিয়েছে, তাদের কর্মক্ষেত্র থেকে বহিষ্কার করেছে, তাদের শিক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে এমনকি পরস্পর আলাপে পাবন্দ লাগিয়েছে, এগুলো সবই বানোয়াট কথা। এধরনের কোন খবরের সত্যতা জানতে আপনারা সরাসরি ইমারতের জনগণ বা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে পারেন।

[ আমার সাথে শাইখের কথার স্কৃণশট উপরে দেওয়া হয়েছে]

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

16 Nov, 12:13


“The Iranians, who spoke on the condition of anonymity because they were not authorised to discuss policy publicly, described the meeting as “positive” and “good news”.”

The Telegraph
16/11/2024

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

15 Nov, 09:53


Arabs at War in Afghanistan ( PDFDrive ).pdf

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

15 Nov, 09:50


https://www.alsomood.af/%d8%ad%d9%82%d8%a7%d9%86%d9%8a-%d8%a7%d9%84%d8%b9%d8%a7%d9%84%d9%85-%d8%a7%d9%84%d9%81%d9%82%d9%8a%d9%87-%d9%88%d8%a7%d9%84%d9%85%d8%ac%d8%a7%d9%87%d8%af-%d8%a7%d9%84%d9%85%d8%ac%d8%af%d8%af-%d8%a7-4/

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

15 Nov, 09:49


The+Secret+Life+of+Mullah+Omar.pdf

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

15 Nov, 09:48


“যদি তুমি জানো যে, আল্লাহ তায়ালা কোথায় আছেন, সেক্ষেত্রে তুমি তাজসীম করলে, কিন্তু তিনি তা নন”⁴

পরবর্তীতে ২০০১ এর ঘটনার পর আরবীয় তাকফিরিরা আফগান ছেড়ে চলে যায় কিন্তু কিছু তাকফিরী বীজ রেখে যায়। পরবর্তীতে তা বিকশিত হয়। বিশেষ করে যখন দায়েশী ফিতনা শুরু হয়। তখন ইমারত সামরিক অভিযান চালিয়ে তাদের দমন করে, পাশাপাশি এই নির্দিষ্ট মতাদর্শের বিরুদ্ধে ইলমী অভিযান শুরু করে যা আজও চলমান। তাকফিরীদের উগ্রতা কতদূর পৌঁছে গেছিল তা কতিপয় মহান উলামাদের শাহাদত প্রমাণ বহন করে যাঁদের দোষ ছিল তাঁরা তাকফিরীদের বিরুদ্ধে কলমযুদ্ধ চালান যা জ্ঞান দিয়ে মোকাবেলার যোগ্যতা তাদের ছিল না। এসকল উলামাদের একজন হলেন শাইখ রহীমুল্লাহ নাওওয়ারাল্লাহ মারকাদাহু।

শুধু আফগানিস্তান নয়, বিভিন্ন দেশ এই নির্দিষ্ট মতাদর্শের ব্যপারে ভয়াবহ কঠোর। মালয়েশিয়া তাদের ব্যান করেছিল, চেচনিয়ায় তাদের দেখা মাত্র হত্যার বিধান করেছে। অতয়েব প্রেক্ষাপট না জেনে একটি আদর্শ মুসলিম সমাজকে ‘জমাটবদ্ধ কট্টর সমাজের’ তকমা দেওয়া উচিত নয়। আফগান তাকফিরীদের বিরুদ্ধে এমনি কঠোর হয় নি, তাদের কঠোর হবার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

_____
1. মাজাল্লাতুস সুমূদ (২২ জমাদিউল উলা ১৪৪২ হিজরী), প্রবন্ধঃ حقا-/ني : العالم الفقيه والمجا /-هد المجدد , লেখকঃ আবুল ওয়ালীদ, পর্বঃ ২৮
2. প্রাগুক্ত
3. Arabs at War in Afghanistan by Mustafa (Abul Waleed) , pg. 220
4. Secret Life of M*u* l/lah Omar by Bette Dam, Pg. 14-15

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

15 Nov, 09:48


আফগানিস্তানের তথাকথিত ‘জমাটবদ্ধ কট্টর সমাজের’ কট্টর হবার নেপথ্যে

জনৈক লেখক তাঁর কোন এক পোস্টে আশায়েরাদের আহলে সুন্নাহ থেকে বাহিরে রাখা তথাকথিত ‘নরমপন্থী’ এক ব্যক্তির কিছু ‘মাহাত্ম্য’ বর্ণনা করতে গিয়ে কিছু ভুল করেছেন। তিনি কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা (যেগুলোর সত্যতা আমি যাচাই করি নি) উল্লেখ করে, আফগান সাধারণ মুসলিম সমাজকে ‘জমাটবদ্ধ কট্টর সমাজ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ আফগান সমাজ তাঁর মতে ছিল ভিন্ন মতাদর্শীদের প্রতি অসহনশীল একটি সমাজ। কিন্তু আফসোসের বিষয় হল, তিনি আফগানিস্তানের মুসলিম সমাজের একটি ‘নির্দিষ্ট মতাদর্শীদের’ ব্যপারে কঠোরতা অবলম্বনের নেপথ্যের কাহিনী যথাযথ না জেনেই একটি আদর্শ মুসলিম সমাজকে ‘কট্টর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আমি অতি সংক্ষিপ্ত আকারে কিছু তথ্য তুলে ধরব যাতে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়।

সর্বপ্রথম আমাদের জেনে রাখতে হবে যে, মাওলানা রূমী এঁর আত্মার বিচরণস্থল আফগানিস্তান দেশটি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অনুসারী বিশুদ্ধ তাওহীদের দেশ যা শরীয়ত ও তরীকতের সকল দিকটি বাস্তবায়িত করছে। দেশটির অধিবাসীদের প্রায় ৯০ শতাংশ বা তার বেশি মাযহাবগত হানাফী, আকীদাগত মাতুরিদি এবং তাসাউফগত নকশবন্দি তরিকার অনুসারী আমাদের এই উপমহাদেশের জমহুর মুসলিমদের ন্যায়। সুদীর্ঘ যুগ ধরে আফগানিস্তান আহনাফ ও আহলুল্লাহগণের সুদৃঢ় একটি কেল্লা হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে যার নমুনা ইতিহাসে বিরল। আর এই সুদীর্ঘ ইতিহাসে সেখানে আকীদা নিয়ে ফিতনা ফাসাদ ও কোন্দলের কোন নমুনা পাওয়া যায় না। ফাসাদাত শুরু হয় রুশ দখলদারিত্বের পর যখন সেখানে আরব থেকে একটি বিশাল সংখ্যক তাকফিরি ‘যোদ্ধা হিসেবে’ সেখানে অনুপ্রবেশ করে। মূলতঃ তাদের আগমন ছিল আফগানিস্তানের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় যার কুফল দীর্ঘদিন ধরে দেশটি ভোগ করেছে।

আরবীয় তাকফিরিরা আফগানিস্তানের পবিত্র ভূমিতে আসার পর তাদের চিরাচরিত ফিতনা সেখানে শুরু করে । যেহেতু তারা তাদের মতাদর্শ ব্যতীত বাকি মুসলিমদের বিদয়াতী এমনকি কা/ ফির মুশরিক বলে অজ্ঞতাসুলভ আচরণ করে থাকে, আফগানিস্তানে আগমনের পর তার ব্যতিক্রম হল না। তারা সেখানে আফগান মুসলিমদের মাজার পূজারী, বেদাতী, মুশরিকীন সহ নানান ভাষায় আক্রমণ করতে লাগল এবং আকীদার লড়াইয়ের জন্ম দেয়। কিন্তু আফগানিস্তান হল উলামাদের পদধূলি বিধৌত দেশ। তাই তারা সেখানে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারে নি।

বর্তমান আফগানিস্তান ইসলামী ইমারতের সরকার দ্বারা প্রচারিত মাসিক আরবী ম্যাগাজিন আস সুমূদের মধ্যে বিখ্যাত আরব যোদ্ধা যিনি রুশ বিরোধী যুদ্ধে আফগান যোদ্ধাদের সাথে লড়াই করেন এবং বর্তমান সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখেন সেই আবুল ওয়ালীদ লেখেন ঃ

وكان المسؤول عنها هم العرب أنفسهم خاصة الشباب السلفي الوهابي من السعودية ومصر وغيرها. وكان ذلك الطابع الأغلب للشباب في الجبهات، فحدثت بينهم وبين الأفغان “صدامات عقائدية” الذين لم يكونوا غير شعب من “القبوريين الأحناف المشركين” في نظر هؤلاء الشباب

অর্থঃ “আর উহার (সেই ফিতনার) জন্য আরবরাই দায়ী ছিল, বিশেষ করে সৌদি, মিশর প্রভৃতি দেশ হতে আগত সালাফী ওয়াহাবী যুবকরা। আর তা ছিল (আরব) ফ্রন্ট সমূহের অধিকাংশ যুবকের চরিত্র। ফলে তাদের সাথে ও আফগানদের মধ্যে যারা ঐ সকল যুবকের নিকট ‘মাযার পূজারী হানাফী মুশরিক’ হিসেবেই পরিচিত ছিল তাদের আকীদার যুদ্ধ সংঘটিত হয়”¹

উল্লেখ থাকা প্রয়োজন, আবুল ওয়ালীদ আরবীয় প্রথম যুগের রুশ বিরোধী যোদ্ধা হলেও তিনি তাকফিরী ছিলেন না, তিনি ছিলেন মিশরীয় শাফেয়ী। তিনি বলেন ১৯৮৬ সন হতে তাকফিরীদের এহেন কর্মকাণ্ড তিনি দেখে আসছেনঃ

فقد لمست تلك الظاهرة منذ عام 1986 ²

তথাকথিত সহীহ আকীদার নামে এসকল আজহালুল জুহালা তাকফিরীদের ফিতনা ও দ্বীন সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা, দ্বীনের অপব্যখ্যা আফগান সমাজকে ক্ষেপিয়ে তোলে। প্রথম ইসলামী ইমারত যখন প্রতিষ্ঠা পেল তখন ইমারতের তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরব তাকফিরিদের আফগানিস্তান হতে বিতাড়িত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আবুল ওয়ালীদ তাঁর গ্রন্থ ‘Arabs at War in Afghanistan’ এর মধ্যে লিপিবদ্ধ করেছেন যেঃ

“One day I was in Kabul with an Afghan friend attending a large conference with the foreign minister. At the end of the day, they were going to pray and the foreign minister did not know there was an Arab in the room. He said, 'In fact we do not need these Wahhabi Arabs in Afghanistan; they create problems for us and they make takfir on us.”³

তাকফিরীদের আকীদা নিয়ে অপব্যখ্যা নিয়ে যথেষ্ট কঠোর ছিলেন ইমারতের প্রথম আমীরুল মু'মিনীন হযরত মোল্লা উমর নকশবন্দী রাহিমাহুল্লাহ। তাঁর দেহরক্ষী জাব্বার উমারী বলেন যে, যখন জাল্কায়দার বিষয় তাঁর নিকট উত্থাপন করা হত, তিনি ইসলামের ‘ওয়াহাবী ব্যখ্যা’র সমালোচনা করতেন। একদা তিনি ‘ওয়াহাবীদের তাজসীমী’ আকীদার সমালোচনা করে বলেনঃ

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

13 Nov, 14:28


সিরিয়াতে ফিতনার পর বারকাউইর বিরুদ্ধে তাকে খারেজী ঘোষণা করে সিরিয়ার অপর সালাফি তাকফিরি যোদ্ধাদল হাইআত তাহরীর আশ শামের ফতোয়া

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

13 Nov, 14:25


এই ব্যক্তির ব্যপারে আমি সদা সর্বদা সচেতন কেন করি তার জন্য এই পোস্টটি যথেষ্ট। আসিফ আদনান কোন আলিম নন। এটা তাঁর থেকে ফিতনার সর্বপ্রথম আশঙ্কা। এখানে তিনি যে বইটি হাইলি রেকমেন্ডেড করে দিয়েছেন এই বইটির লেখক আসিম আল বারকাউই যিনি একজন কট্টর তাকফিরি ও বিন্লাদিনের জাল্কায়দার লোক। আল মাকদিসি নামেও এনাকে অনেকেই চেনেন। এ লোকের নিকট কুফরে আসগার হল কুফরে আকবার আর সারা বিশ্বের যত মুসলিম গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সাথে যুক্ত এমনকি আরবের রাজতন্ত্রীরাও সবাই কা/ ফির। সিরিয়াতে এই ব্যক্তিই ছোট একটি কারণে তাদের সদর ভাই হাইআতের বিরুদ্ধে কুফরের ফতোয়া মেরে যুদ্ধ লাগিয়ে দিয়েছিল যা আজও চলমান। পরবর্তীতে তাকে খাওয়ারিজ ঘোষণা করে হাইআত। এই লোকের আদ দিমুক্রাতিয়্যাহ দীনুন বইটা পড়ে একসময় জাহালতের কারণে আমি নিজেও পথভ্রষ্ট হয়েছিলাম।

অথচঃ এ লোক যাকে তার জাতভাইরাও খাওয়ারিজ ঘোষণা করেছে, তাঁর তাকফিরি আকীদাকে তিনি আহলে সুন্নাতের আকীদা বলে প্রথম করছেন এবং হাইলি রেকমেন্ড করছেন। আল্লাহ তায়ালা হিফাজত করুন।

তাকফিরি ফিতনা বিকশিত হবার আশঙ্কা করছি....

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

10 Nov, 09:23


যখন তারা বলে দিবে যে, আগামীকাল তারা ফিরছে, তখন সংঘর্ষ নয় ধংগড়শো হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবুও সতর্কতা কাম্য। কারণ রাষ্ট্রীয় বিষয়ে ১% রিস্ক নেওয়া অন্যায়

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

09 Nov, 18:12


কাল একটা ধংগড়শো হবে 😕

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

07 Nov, 04:27


মুসলিম ও আরব ভোটারদের বিজয় বার্তায় প্রসংশা ট্রাম্পের!

https://youtu.be/3ev9BYvZKd4?si=92J7mOpvppANU_jM

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

06 Nov, 19:04


দুইটি সংবাদ

- মধ্যপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা হুসীদের

- গ্যালান্টকে পদ থেকে বরখাস্ত নেতানিয়াহুর।

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

06 Nov, 18:52


ট্রাম্পকে পুতিনের দোষ ধরতে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প আমেরিকার দোষ ধরে বসে

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

06 Nov, 18:20


ট্রাম্প ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে চান, আমরা তা সমর্থন করি, জানালেন ভ্লাদিমির পুতিন

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

06 Nov, 17:52


নির্বাচনের পূর্বে রাশিয়ার কুস্তিগীর খাবিব এঁর সাথে একটি সাক্ষাতে খাবীব যখন ট্রাম্পকে ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান, তখন ট্রাম্প বলেনঃ “আমরা তা বন্ধ করব। আমি তা বন্ধ করব।”

এদিকে ফেস দ্য পিপল জানাচ্ছে যে, আজ ট্রাম্প ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধের কথা বলেছে।

ট্রাম্পের বন্ধু ও তুর্কি রাষ্ট্রপতি রজব তৈয়ব এরদোয়ান ট্রাম্পের বিজয়ের আগেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বসে আছেন। তিনি ফিলিস্তিন ও ইউক্রেন সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করার কথা বলেছেন। শোনা যায় এরদোয়ান ট্রাম্পের মধ্যে ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ আলাপ হয়।

- ইন শা আল্লাহ আমরা নতুন কিছু দেখতে যাচ্ছি -

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

06 Nov, 17:32


শয়তানটা ইসরাইলের মুখপাত্র হয়ে তাদের পরিকল্পনা সিম্পসনের ন্যায় আওড়াচ্ছিল। কিন্তু এবার তার অঙ্কে গোলমাল পাকিয়ে ট্রাম্প বিজয়ী হয়ে গেছে।

এবার তার অঙ্কগুলো আর মিলবে না, ইন শা আল্লাহ।

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

06 Nov, 17:28


ট্রাম্পের প্রথম ভাষণেই ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টকে হুঁশিয়ারি।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করার ঘোষণা।

- FTP

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

06 Nov, 11:23


যারা মনে করেন শ্রী ডোলান ট্রাম্পের বিজয় বাংলাদেশ রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে তাঁরা যে যার ওবস্তান থেকে পালান।

জয় রঙ্গবন্ধু!

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

05 Nov, 10:28


কোন এক ‘তৌহিদী’ আরবদেশ কর্তৃক পরিচালিত আশ শরকুল আওসাতের খবরের শিরোনাম করার ধরন! যেন এই সংবাদে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছে তারা 🙂

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

04 Nov, 13:19


সেমিরামিস - নমরূদপূত্র তাম্মূজ এর পূজার প্রচলন ঘটায়। যা প্রথমে ব্যবীলনে নানান নামে ও রূপে ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর ব্যবীলন থেকে প্রাচীন মিশরীয়রা এই পূজাকে Osiris - Isis - Horus পূজা রূপে গ্রহণ করে। যেখানে নমরূদকে ওসিরিস ও সেমিরামিসকে আইসিস নামে পূজা করা হত। কানয়ানীরা বাল ও আশতারতে/ইশতার নামে, প্রাচীন রোমানরা মার্স ও ভেনাস নামে, প্রাচীন আরবে হূ বাল (হোবল, জেনে রাখা ভালো, প্রাচীন আরবরা হোবল দেবটি ব্যবীলনীয়দের বাল দেব থেকে গ্রহণ করে) ও মানাত রূপে, ভারতে শিব ও পার্বতী রূপে এছাড়াও আরো বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে নমরূদ ও সেমিরামিসের পূজার প্রচলন ঘটে। গ্রীকরা সেমিরামিসকে অ্যাফরোডাইট নামে পূজা করত। এছাড়া গ্রীক, মিশর, ব্যবীলন প্রভৃতি স্থানে নমরূদ ও সেমিরামিসকে উপরোক্ত নাম ছাড়া অন্যান্য বহু নামে বহু স্থানে পূজা করা হত।

হেরোডোটাসের পোস্টোল্লোখিত অংশে তিনি প্রাচীন ব্যাবীলনবাসীদের দেবী মিলিত্যাকে প্রথমে ‘ভেনাস’ বলে উল্লেখ করেছেন। এর থেকে বোঝা যায় ব্যাবীলনবাসীদের মিলিত্যা যে ভেনাস বা ভেনাস যে মিলিত্যা এটা হেরোডোটাস নিজেও জানতেন। বিষয়টা আশ্চর্যজনকও বটে।

2. হেরোডোটাস প্রথমে যাকে ভেনাস বলেছেন তাকে পোস্টোল্লোখিত মেসোপটেমিয়রা মিলিত্যা (Mylitta) নামে জানত ও উপাসনা করত। যেমনটি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

04 Nov, 13:19


ব্যাবীলনবাসীদের পাপাচারের একটি নমুনা

বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের জেরেমিয়াহ গ্রন্থের একান্নতম অধ্যায়ের সপ্তম ভার্সটি যেমন অত্যন্তঃ রহস্যময় তেমনি বহু রহস্যের জটাজাল ছিন্ন করেছে। ভার্সটিতে রহস্যময় ছন্দে , বলা হয়েছেঃ

“ব্যাবীলন খোদার হাতে এক স্বর্ণ পেয়ালা ছিল যা সমগ্র বিশ্বকে মাতাল বানিয়ে ছেড়েছে। জাতিগুলো তার মদ হতে পান করেছে, তাই তারা পাগল হয়েছে।”

এখানে ‘রহস্যময় মদ’ বলতে ঠিক কি বোঝানো হয়েছে তা নিয়ে বাইবেল বিশারদ গণের মধ্যে রয়েছে বিস্তর আলোচনা সমালোচনা। উক্ত ভার্সের বিশদ ব্যখ্যা অন্য একদিন ভিন্ন পোস্টে দেওয়া যাবে। এখানে সংক্ষেপে বলা যায়, বাইবেলের এই ভার্সটি হল রূপক। এখানে মদ বলতে যেটা বোঝানো হয়েছে বলে ধারণা করা হয় তা হল, ব্যবীলন হতে সেমিরামিসের মাধ্যমে মিস্ট্রির মোড়কে ছড়িয়ে পড়া শিরক ও শয়তানবাদ যা পরবর্তীতে ছদ্মবেশী শয়তানবাদীদের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে বিভিন্ন রূপে এবং বিভিন্ন নামে পরিব্যপ্ত হয়েছে। আর তাদের সেইসব ধর্ম, তন্ত্র ও মন্ত্রকে যুগে যুগে মানুষ বিচার বুদ্ধিকে বিসর্জন দিয়ে যাচাই বাছাই না করে গ্রহণ করে নিয়েছে। এভাবে তারা ব্যবীলনের শরাব পান করে মাতাল হয়েছে। শয়তানবাদ নিয়ে গবেষণা করলে ইতিহাসে যুগে যুগে শয়তানবাদীদের দ্বারা মানুষের এভাবে মাতাল হবার ভুরি ভুরি প্রমাণ পাওয়া যাবে যার ধারা আজও বিদ্যমান। আজকে এরকম একটি মাতাল হয়ে যাওয়া জাতির মাতলামির ইতিহাস শোনাব।

গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস তাঁর সুবিখ্যাত কিতাব হিস্ট্রিজের মধ্যে তাঁর সমসাময়িক ব্যবীলনবাসীর একটি জঘন্য পাপাচারের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি তাঁর ইতিহাসের প্রথম খণ্ডে সে বিষয়ে বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেনঃ

“ব্যবীলনবাসীর একটি অত্যন্তঃ লজ্জাজনক রীতি ছিল। দেশটিতে জন্মানো প্রতিটি মেয়েকে জীবনে একবার অবশ্যই ভেনাস দেবীর¹ সান্নিধ্যে বসতে হত অতঃপর একজন অপরিচিত ব্যক্তির সাথে (সঙ্গমের উদ্দেশ্যে) যেতে হত।.... আর অপরিচিত ব্যক্তিরা তাদের পাশ দিয়ে যেত নিজেদের পছন্দের (নারীকে) চয়ন করতে। একজন মেয়ে যে তার তার স্থানে বসেছে সে ততক্ষণ স্থান পরিত্যাগ করে ঘরে ফিরতে পারত না, যতক্ষণ পর্যন্ত না একজন অপরিচিত ব্যক্তি তার কোলে একটি রূপালী কয়েন নিক্ষেপ করত এবং তাকে নিয়ে পবিত্র ময়দানের বাইরে (সঙ্গমের উদ্দেশ্যে) যেত। যখন সে তার কোলে কয়েন ছুঁড়ত তখন বলতঃ “দেবী মালিত্য² তোমায় সমৃদ্ধি দিন।” (ভেনাস কে এসিরীয়রা মালিত্য বলত) । রূপালী কয়েন যে কোনো আকারের হোক তা ফিরিয়ে দেওয়ার উপায় ছিল না, যেহেতু নিয়মানুযায়ী তা নিষিদ্ধ ছিল , আর যেহেতু তা ছোঁড়া হয়েছে তাই সেটা পবিত্র (হিসেবে পরিগণিত হত) । মেয়েটি তাকে যে সর্বপ্রথম টাকা ছুঁড়ে মারত তার সাথে যেত তবে অন্যদের না করত না। যখন সে তার সাথে যেত, এভাবে দেবীকে সন্তুষ্ট করতে পারত সে ঘরে যেতে পারত। .... লম্বা ও সুন্দরী মহিলাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হত কিন্তু অন্য যারা অসুন্দর নিয়মাবলী রক্ষার আগ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় (উক্ত স্থানে) থাকতে হত।” [হিস্ট্রিজ, প্রথম খণ্ড, পৃঃ ১৯৯)

অতয়েব আমরা দেখতে পাচ্ছি, শয়তানবাদী ও নমরূদ পূজারীরা ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে মানুষকে ব্রেনওয়াশ করে কিভাবে তাদের পথভ্রষ্ট করেছিল। মেসোপটেমিয়ার মতো একই রকমের প্রথা প্রাচীন ইউরোপেও প্রচলিত ছিল। যুগে যুগে শয়তানবাদীরা কখনো ধর্মের নামে, কখনো নানান মতপথ ও মন্ত্র তন্ত্রের নামে মানুষকে এভাবে অবিরাম বিভ্রান্ত করে চলেছে। প্রাচীন কালে যেতে হবে না। কয়েক শতাব্দী পূর্বের ভারতের দিকে লক্ষ্য করলে সেসময়কার সমাজে এরকম নানান অশ্লীল এবং বর্বর রীতির অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যাবে। বর্তমানকালেও মানবতাবাদ ও বাকস্বাধীনতার নামে শয়তানবাদীদের মানুষকে নানানভাবে হিপনোটাইজ করতে দেখা যায়। আর মানুষ কখনো অর্থ বা পদের লোভে আবার কখনো অতিরিক্ত পান্ডিত্য দেখাতে গিয়ে সেগুলো বেওকুফের মতো সেগুলো গোগ্রাসে গিলছে। এর একটি নমুনা হল, বর্তমানে চলমান LGBT নামক অভিশপ্ত আন্দোলন। শয়তানবাদীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এবং তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সমকামিতার প্রসার ঘটাতে (উল্লেখ্যঃ সমকামিতার প্রসার ঘটানো যে স্যাটানিস্টদের একটি এজেন্ডা তা গত কয়েকদিন পূর্বে একটি পোস্টে দেখিয়েছি) এই LGBT মুভমেন্ট শুরু করেছে, আর কিছু মানুষ মাতালের মতো তাদের বীণায় নাচছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের শয়তানবাদী ও তাদের ফিতনা হতে হিফাজত করুন। আমীন।

____
1. রোমক মুশরিকীন সম্প্রদায়ের দেবী ভেনাস হল নমরূদপত্নী সেমিরামিসের রোমান রূপ। নমরূদ যাকে ব্যবিলনবাসী পরবর্তীতে বেল, নিনাস, মারদূক সহ বহু নামে ও রূপে পূজা করত তার মৃত্যুর পর নমরূদপত্নী ব্যবীলনে ব্যভিচারের ফলে তার গর্ভে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। কিন্তু সম্মান বাঁচাতে সে প্রচার করে দেয় যে, নমরূদের মৃত্যুর পর সে সূর্য রূপে তার সাথে মিলন ঘটায় ফলে তার গর্ভে নতুন সন্তান রূপে নমরূদই পুনরায় মর্তে ফিরছেন। এরপর সে নিজেকে ঈশ্বর জন্মদাত্রী দেবী হিসেবে জনগণের মধ্যে নমরূদ -

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

04 Nov, 13:19


ভারতে ধর্মীয় লিঙ্গম দ্বারা কুমারী নারীদের সতীত্ব নাশ প্রথা

কয়েকমাস পূর্বে আমি ঐতিহাসিক হেরোডোটাসের বিখ্যাত হিস্ট্রিজ গ্রন্থ হতে প্রাচীনযুগে ব্যাবীলনে মিলিত্যা (ভেনাস বা সেমিরামিস) দেবীর তুষ্টিতে নারীদের সতীত্ব নাশ প্রথার একটি ঘটনা পোস্ট করেছিলাম।¹ যেখানে দেখানো হয়েছে যে, প্রাচীন যুগে ব্যবীলনে নমরুদবাদীরা মানুষদের এমনভাবে মগজ ধোলাই করেছিল যে, তদানীন্তন নারীরা স্বেচ্ছায় অপর পুরুষের সাথে দৈহিক সম্পর্ক তৈরির উদ্দেশ্যে একটি উৎসব উপলক্ষে সমবেত হত। তারা স্বেচ্ছায় অপর পুরুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করত এবং এটা ব্যতীত তাদের বিয়ের অনুমতি হত না।

শুধু ব্যবীলন নয়, দেব- দেবীর তুষ্টির লক্ষ্যে প্রায় একই পদ্বতিতে সতীত্ব বিসর্জন প্রথার এহেন বর্বর রীতির প্রচলন পরবর্তীতে অন্যান্য জায়গায় বিশেষ করে প্রাচীন মিশর এবং গ্রীসের পৌত্তলিকদের মধ্যে ছিল। প্রাচীন গ্রীক ঐতিহাসিক স্ট্রাবোর বর্ণনায় গ্রীক দেবতা জিউস এর তুষ্টিতে সমাজের সবচেয়ে সুন্দরী নারীদের বাছাই করা এবং তাদের পরপুরুষের নিকট সতীত্ব বিসর্জনের বিভৎস প্রথার ইতিহাস জানা যায়। শুধু সতীত্ব বিসর্জন দেওয়াই নয়, তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দেবালয়ে বন্দী রাখা হত যেখানে দেবতার তুষ্টির নামে তাদের সাথে অপকর্ম করা হত অতঃপর তারা বিবাহযোগ্য হিসেবে পরিগণিত হত। এই সময়কালে যে পুরুষ যে নারীকে চাইতো তাকে ঐ পুরুষের নিকট নিজেদের দেহ বিসর্জন দিতে বাধ্য থাকতে হত। গ্রীসের ইতিহাসখ্যাত অ্যাসক্লেপিয়াসের মন্দিরে সদা এহেন অকর্ম করার জন্য একটি বিছানা প্রস্তুত রাখার কথা ইতিহাস থেকে জানা যায়।

An Essay Towards a Natural History of Serpents গ্রন্থের মধ্যে প্রাচীন ফিনিশীয়দের মধ্যে দেবতাদের তুষ্টির নামে নারী সম্ভোগ প্রথা প্রচলনের ভয়াবহ ইতিহাস জানা যায়। যেখানে নারীক এক দিনের জন্য অপরিচিত পুরুষের সাথে অবস্থান করতে হত সেক্ষেত্রে নারীর ইচ্ছা ও অনিচ্ছার কোন মূল্য থাকত না। এভাবে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন রূপে মুশরিকীন তথা পৌত্তলিকদের মধ্যে ধর্মের নামে এধরনের শয়তানী কাজ প্রচলিত ছিল। এসবের উৎপত্তি ব্যবীলন রাজ নমরূদের পত্নী সেমিরামিসের পরপুরুষের সাথে অবৈধ দৈহিক সম্পর্ক হতে। মূলতঃ সেখান থেকেই লিঙ্গ পূজা ও লিঙ্গ আরাধনা উৎপত্তি লাভ করেছে। আর নানা যুগে শয়তান ও তার অনুসারীরা এসব দূরাচারকে ধর্মের মোড়কে মানুষের মধ্যে প্রচলন ঘটিয়ে তাদের পথভ্রষ্ট করেছে।

আজকে ইতিহাস পড়তে গিয়ে ভারতের দাক্ষিণাত্য অঞ্চলে ধর্মের নামে এরকম একটি বিভৎস শয়তানী রীতির ইতিহাস পেলাম। ষোড়শ শতাব্দীর পর্তুগিজ কর্মকর্তা দুয়ার্তে বারবোসার বর্ণনা হতে জানা যায় যে, ভারতের দাক্ষিণাত্য অঞ্চলে মধ্যযুগে ধর্মীয় লিঙ্গম দ্বারা (খুব সম্ভবতঃ শিবলিঙ্গম) নারীদের সতীনাশ করা হত। দূয়ার্তে সাহেব নিজেই উক্ত অঞ্চলে দশ বছর বয়সী শিশুদের ধর্মীয় লিঙ্গম দ্বারা সতীত্ব নাশ করতে দেখেছেন। বর্তমান সময়ে স্যাটানিস্টদের গুপ্ত রিচুয়ালগুলোতে এধরনের বর্বর কর্মকাণ্ডের হদিস পাওয়া যায়। এধরনের ইতিহাস আরো রয়েছে লিখলে পোস্ট বিরাট হয়ে যাবে। অত্যন্তঃ বিস্ময়কর বিষয় হল, এহেন যত কর্মকাণ্ড ইতিহাসে পাওয়া যায় সব পৌত্তলিকতার সাথে সম্পৃক্ত। এসব ইতিহাস পড়লে এটা বুঝতে সহজ হয় যে, পবিত্র কুরআন মাজীদে শয়তানকে কেন মানুষের ‘عدو مبين’ বা প্রকাশ্য শত্রু বলা হয়েছে।

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

04 Nov, 13:18


ধর্মযুগে ধর্ম দিয়ে তারা নারীকে উলঙ্গ বানিয়ে পর পুরুষদের ভোগ্যপণ্যে¹ পরিণত করেছিল। অধর্মের যুগে অধর্ম দিয়ে একই কাজ করছে তারা।

#Fact: Iran

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

26 Oct, 18:28


🌺 তাতার বিরোধী যুদ্ধে হযরত আমীর খসরু দেহলভী চিশতী رضي الله عنه

৬৮৩ হিজরী সনের ঘটনা। দিল্লী নগরী তখন আওলিয়া আল্লাহগণের বস্বরা এবং জ্ঞানীগুণীদের বাগদাদ নগরী হয়ে উঠেছিল। ভারতীয় সুলতানগণের রাজসভা হয়ে উঠেছিল অলীদের হানূত, কবিদের মঞ্চ এবং উলামাদের বিদ্যাপীঠে।

এসময় দিল্লির রাজসভাকে অলঙ্কৃত করছিলেন সুমহান আল্লাহর অলী ইমাম আমীর খসরু দেহলভী قدس سره । ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী رضي الله عنه তাঁকে উপমহাদেশের দ্বিতীয় তবকার আওলিয়াগণের মধ্যে পরিগণিত করেছেন। তিনি উপমহাদেশে সুবিখ্যাত অলী ইমাম নিজামুদ্দীন আওলিয়া رضي الله عنه এঁর মুরীদান বর্গের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।

ইমাম আমীর খসরু দেহলভী رضي الله عنه সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন রাহিমাহুল্লাহ এঁর যুগে হৃদয়নগরী দিল্লীতে এসে উপনীত হন। তিনি গিয়াস রাহিমাহুল্লাহ এঁর ভাগিনা কুতলু খান যিনি হাজচু বা চাচ্চু খান নামেও পরিচিত ছিলেন, তাঁর দরবারে উপনীত হন। কুতলু খান ছিলেন অত্যন্তঃ দাতা ব্যক্তি। ফারিশ্তা গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, কুতলু খান রাহিমাহুল্লাহ এঁর দরবারে মিশর, সিরিয়া, রোম, বাগদাদ, ইরাক, খুরাসান, তুর্কিস্তান প্রভৃতি দেশ হতে আওলিয়া ও কবিগণ তাঁর দরবার অলঙ্কৃত করতেন এবং তিনি তাঁদের ভরে ভরে দান করতেন। পরবর্তীতে তিনি সুলতান বলবন রাহিমাহুল্লাহ এঁর পুত্র বুগরা খান রাহিমাহুল্লাহ এঁর দরবার অলঙ্কৃত করেন এবং তাঁর সাথে লখনৌতির বিদ্রোহী শাসক তুগরূলের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন যেমনটি তারীখে ফারিশ্তার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে।

সুলতান গিয়াসউদ্দীন রাহিমাহুল্লাহ এঁর পুত্র হযরত মুহাম্মাদ ক্বান রাহিমাহুল্লাহ এঁর যুগে তাতারী বাহিনী লাহোর আক্রমণ করে বসে। তাতারীদের বিরুদ্ধে হযরত মুহাম্মাদ ক্বান রাহিমাহুল্লাহ অংশগ্রহণ করেন। তাঁর সাথে উক্ত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন হযরত আমীর খসরু দেহলভী রাহিমাহুল্লাহ এবং খাজা হাসান দেহলভী رحمه الله উক্ত যুদ্ধে অংশ নেন। হযরত মুহাম্মাদ ক্বান رحمه الله যুহরের নামাজ আদায় করছিলেন এমন সময় তাতার বাহিনী আক্রমণ শুরু করে। হযরত ক্বান রাহিমাহুল্লাহ ও মুসল্লিগণ নামাজ থেকে ফারিগ হয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। তারিখে ফারিশ্তার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে যে, উক্ত পবিত্র সংগ্রাম চলাকালীন একটি তীরের আঘাতে হযরত ক্বান রাহিমাহুল্লাহ শাহাদাতের সুধা পান করেন। তাতারীরা হযরত খাজা হাসান রাহিমাহুল্লাহকে আটক করে বলখে নিয়ে যায়।

ইমাম আমীর খসরু দেহলভী রাহিমাহুল্লাহ এই ঘটনায় অত্যন্তঃ শোকাহত হয়ে মারসিয়া বা শোকগাথা রচনা করে দিল্লিতে প্রেরণ করেন। হযরত শিবলী নুমানী رحمه الله আমীর খসরু দেহলভী রাহিমাহুল্লাহ এঁর জীবনচরিত এর মধ্যে লেখেন কয়েক মাস যাবত ঘরে ঘরে উক্ত শোকগাথা পাঠ করা হত ও শুহাদাদের জন্য মানুষেরা শোক বিহ্বল হয়ে কান্না করত।

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

26 Oct, 02:35


গুজব লীগে যোগ দিল ইসরায়েল। ২০২১ সালের ফুটেজ নিয়ে ইরানে হামলার গুজব ছড়িয়ে দিল তারা

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

24 Oct, 03:51


মু’মিনদের সাথে জায়নবাদীদের কুদসের লড়াই এর সূচনা ঘটে সেই হেরড যুগ থেকে। কুদস লড়াই এর একজন মহান শহীদ হলেন সাইয়িদুনা ইয়াহইয়া عليه السلام (Prophet John عليه السلام )।

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

24 Oct, 00:52


বিলাদুশ শামে তেল রাফাত অঞ্চলে অপবিত্র পিকেকে বাহিনীর উপর বিমান হামলা তুর্কি বাহিনীর

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

23 Oct, 17:24


সৌদি আরবের গভার্নমেন্ট রেকগনাইজড একটি সংগঠনে একজন শীয়া আছে। সেও জায়নবাদীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে।

এবার বুঝুন এই আহলে তায়ালিসারা কতটা ভয়ঙ্কর জায়নবাদী।

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

23 Oct, 16:26


যুদ্ধে ধূসর নেকড়েরা চেচেন সিংহদের পাশে দাঁড়িয়ে চেচেন যুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারাও।সাইপ্রাস, ক্রিমিয়া ও গ্রীসে মুসলিমদের পাশে দাঁড়াতে তারা বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করে নি। দলটিকে অনেকে অতুর্কি বিরোধী বলে মনে করে কিন্তু সেটা ভুল ধারণা। তুর্কিদের পাশাপাশি আরব ও অনারব মুসলিমদের হয়ে তাদের লড়াইয়ের ইতিহাস রয়েছে। ২০১১ তে শুরু হওয়া সিরীয় সংকটকালীন আরবদের পাশে দাঁড়িয়ে আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে উলকু উজাকলারীর বীরেরা। আফগানিস্তানে আফগান সিংহদের জন্য তাদের সংগ্রাম অবিস্মরণীয়।

এটা কেবলমাত্র তুর্কিয়ার একটি দলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, তুর্কিয়ার এরদোগান বিপ্লব এরকম আরো বহু দলের জন্ম দিয়েছে যারা গোপনে ও প্রকাশ্যে বিশ্বজুড়ে উম্মতে মুসলিমাহর খিদমত করে চলেছে সরকারী এবং বেসরকারি সমর্থন নিয়ে। তারা তাদের স্বপ্ন নিয়ে ঠিক এগিয়ে চলছে। তারা ইসলামী ভ্রাতৃত্বের জন্য বিনা বাছ বিচারে সকল মজলূমকে সহায়তা করে। কিন্তু তাকফীরীদের কারণে অনেক সময় তাদের কিছু পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। যেমন কিছু জায়গায় তারা তাকফীরীদের ওহাবী বলে দূরে না সরিয়ে ভরপুর সহায়তা করেছিল, কিন্তু তাকফীরীদের কারণে সেসব জায়গায় বিপ্লব সাফল্যের মুখ দেখে নি।

যাইহোক, এতবড় পোস্ট করার উদ্দেশ্য হল তুর্কিয়া বা এরদোগানের পুরোটা না জেনেই উপরি উপরি কিছু কথা ও কাজ দেখে তাঁকে বিচার করে ফেলাটা মস্তবড় তাঁর প্রতি খিয়ানত হবে। সম্প্রতি কিছু লম্বা পাগড়িধারী, অথবা দ্বীন দুনিয়ার জ্ঞানহীন কিছু মানুষ দুএকটি কেতাব পড়ে, সোশাল মিডিয়ায় কিছু গরম গরম লেখা দেখে নিজেদের মস্তবড় মুত্তাকী এবং রাজনীতিবিদ মনে করতে শুরু করে এবং তুর্কিয়া ও এরদোগানের বিরুদ্ধে গুরুগম্ভীর কিছু লিখে নিজেদের পোড়াকপাল আরো পুড়িয়ে ফেলে। ওয়াল্লাহুস সামিয়ুল বাস্বীর, তারা যদি জানত তাদের এধরনের হামাকত কিয়ামতের দিন বুমেরাং হয়ে ফিরতে পারে তাহলে হয়ত তারা এধরনের কাজ করত না। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

23 Oct, 16:26


🇹🇷 রহস্যময় ধূসর নেকড়ে দলঃ

[কিছু পুঁথি এবং সামাজিক মাধ্যমের সরণীতে ক্ষণিকের সফর যাঁদেরকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির তুখোড় বিশ্লেষক ও ইফতার ময়দানে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছে লেখাটা মূলতঃ তাদের জন্য]

তুরকিয়া নামটি যখন আমরা শুনি তখন সর্বাগ্রে আমাদের স্মৃতিপটে এরদোগানের নামটি ভেসে ওঠে, যেমন উসমানীয় সাম্রাজ্যের নামটি আমাদের আরতুগরুল ইবনু সুলাইমানকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আবার যখন উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইতিকথা আলোচনা করা হয়, তখন আরতুগরুলের পাশাপাশি তুরগুত ও বামসীর প্রসঙ্গটি উঠে আসে। ঠিক তেমনি ভাবে ভবিষ্যত প্রজন্ম যখন জাদীদ দৌলতে তুরকিয়ার ইতিহাস পড়বে তখন তারা জাদীদ তুরকিয়ার রূপকার হিসেবে রজব তৈয়্যবের পাশাপাশি যাঁর নামটি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে তিনি হলেন এরদোগানের সহযোদ্ধা ও ইসলামপন্থী দল মিল্লিয়াতচি হারাকাত নেতা দৌলত বাহজালী। বাহজালী এমন এক ব্যক্তিত্ব যিনি পর্দার অন্তরালে থেকে নিরবে এরদোগানের পাশে দাঁড়িয়ে বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছেন। তাঁর জীবনের উত্থান পতনের গল্পগুলো অন্য কোনও সময় বলা যাবে। দৌলত বাহজেলী মিল্লিয়াতচির পাশাপাশি অপর একটি দলের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, আজকের পোস্টটি মূলতঃ সেই রহস্যময় দলটি নিয়ে।

ত্রিশের দশকে উসমানীয় খিলাফতের সূর্য যখন পশ্চিমী লালিমায় ঢলে পড়েছিল তখন গৃষ্মের দাবদাহে চৌচির হয়ে যাওয়া জমিনের মতো জাতীয়তাবাদের বিষবাষ্প মুসলিম বিশ্বটে ফাটিয়ে চৌচির করে দেয়। অতঃপর শত্রুরা মুসলিমদের উপর ঠিক ক্ষুধাতুর হিংস্র পশুর ন্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে শুরু করে। যুদ্ধে বিগ্রহে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে সমগ্র আলামে ইসলামী। একসময় একটি বিশ্বসভ্যতার নেতৃত্ব দেওয়া মুসলিমরা হয়ে পড়ে মজলূম। ঠিক এমনি এক দূর্যোগময় সময়ে তুর্কিয়ার মধ্যে দুইটি ভিন্নধারার বিপ্লব ঘটে যায়। একটি সুপ্ত অপরটি প্রকাশ্য। একদিকে যখন কামাল আতাতুর্কের ফিতনা তুর্কিয়াকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেছিল, ইসলামকে ইসলামবূলের বুক থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অপপ্রয়াস চলছিল ঠিক তখনই অপরদিকে উসমানীয়দের উত্তরসূরীরা্য একটি নতুন প্রভাতের স্বপ্ন নিয়ে রচনা করছিল একটি নতুন বিপ্লবের প্রেক্ষাপট, যা কেবল তুর্কি নয় ছড়িয়ে পড়বে গোটা বিশ্বজুড়ে। উসমানের দামাল ছেলেরা নিজেরা জুলমের শিকার হলেও মজলূম উম্মতে মুসলিমাকে একাকী পরিত্যাগ করে নি। উম্মতে মুসলিমাকে সহায়তা ও একটি রেনেসাঁ ঘটাতে তাঁরা দিবানিশি সদাতৎপর হয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকেন। এসময় তাঁরা উসমানীয় জেনিসারীর আদলে তৈরি করেন বেশ কয়েকটি মর্দেমুজাহিদ বাহিনী। যাদের লক্ষ্য হল উম্মতে মুসলিমাহর খিদমত করা। এমনি একটি মর্দেমুজাহিদ বাহিনী হল দৌলত বাহজেলীর নেতৃত্বাধীন 'উলকূ উজাকলারী' বা 'ধূসর নেকড়েদল'।

ষাটের দশকে তুর্কিয়ার রাজনীতিবিদ ও মিল্লিয়াতচি নেতা আল্প আরসালান তুর্কেশ সর্বপ্রথম এই দুর্ধর্ষ বাহিনীটি তৈরি করেন। মূলতঃ উসমানীয় রেনেসাঁর স্বপ্ন নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এই সংগঠনটি অর্থাৎ তুর্ক নেতৃত্বাধীন একটি ইসলামী সাম্রাজ্য স্থাপন। তাদের স্লোগান হল , "তোমাদের ডাক্তার হবে তুর্কিরা এবং ঔষধ হবে ইসলাম। " স্বল্পকালের মধ্যে দ্রুততার সাথে দলটি ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র তুর্কিয়াতে। জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তুর্কদের মাঝে। তবে দলটি গুপ্তভাবে তাদের কার্যক্রম চালাতে থাকে। ১৯৬৮ সালে দেশজুড়ে এই দলটি প্রায় একশত শিবির গড়ে তোলে। তুর্কিয়ার অভ্যন্তরে তারা কমিউনিস্ট, সমকামী ও লিবারেল ফাসিক ও মুরতাদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। তুর্কিয়ার অভ্যন্তরে সেসময় পশ্চিমাদের মদতে নৈরাজ্যবাদীরা কুর্দি নাম নিয়ে পশ্চিমী কুর্দিস্তান প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছিল। এসময় ধূসর নেকড়েরা তাদের মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়ার অগ্নি শপথ নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও অংশগ্রহণ করতে থাকে এরা। এভাবে ধীরে ধীরে একপর্যায়ে তুর্কিয়াতে তাদের অবস্থান অত্যন্তঃ মজবুত হয়ে যায়। অনেকে তাদের তুর্কিয়ার ডিপস্টেট বলে বর্ণনা করে থাকে। তুর্কিয়ার অভ্যন্তরে যখন তাদের অবস্থান সুদৃঢ় হয়ে গেল তখন তারা ধীরে ধীরে তাদের তৎপরতা তুর্কিয়ার বাইরে নিয়ে যেতে শুরু করে এবং বিশ্বজুড়ে মজলুম মুসলিমদের পাশে তারা দাঁড়াতে ও বিপ্লবের বীজ বপন করতে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। চীন, আজারবাইজান, রাশিয়া, গ্রীস, ফ্রান্স, সাইপ্রাস, চেচনিয়া, আফগানিস্তানআফগানিস্তান, শাম সহ বিভিন্ন দেশে তাদের তৎপরতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

শিংজিয়ানে চীন যখন উইঘুরদের উপর অত্যাচার শুরু করে তখন উইঘুরদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিল তাদের তুর্কি ভাইয়েরা। অকাতরে তারা বাড়িয়ে দেয় তাদের সহায়তার হাত। উইঘুর বিপ্লবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তারা উইঘুরদের হয়ে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। সাম্প্রতিক কয়েক বৎসর পূর্বে চীনের একটি সংবাদমাধ্যমে 'Inside the World Uyghur Congress' শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। যাতে উইঘুরদের প্রতি ধূসর নেকড়ে দলের চীন বিরোধী যুদ্ধের বিষয়টি স্বীকার করা হয়। এছাড়া প্রথম এবং দ্বিতীয় রুশ বিরোধী চেচেন

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

23 Oct, 16:26


“আমরা কুর্দিদের (এখানে উদ্দেশ্য মোসাদ কর্তৃক সহায়তাপ্রাপ্ত পিকেকে সন্ত্রাসী সংগঠন) বলেছি .... (যে) তারা যাই করুক না কেন, যুদ্ধে এবং শান্তিতে (সকল অবস্থায়) আমরা তাদের সমর্থন করি।”

- মোসাদ কর্মকর্তা ইলিয়েজার সাফারির

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

23 Oct, 16:09


بِسَيفِكَ يَعلو الحَقُّ وَالحَقُّ أَغلَبُ
وَيُنصَرُ دينُ اللَهِ أَيّانَ تَضرِبُ


#تركيا

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

23 Oct, 15:59


তুর্কিতে মোসাদ হামলা

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

23 Oct, 15:56


এবার মোসাদ ও আরব জায়নবাদীদের মুখপাত্র বলল যে, তাদের লক্ষ্যবস্তু আবু উবাইদাহ حفظه الله

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

19 Oct, 16:19


কিছু ভাষা ও সাহিত্যের পিতা

🌺 পাঞ্জাবী সাহিত্যের পিতাঃ ইমাম ফরীদ উদ্দীন গঞ্জশিকর চিশতী রাহিমাহুল্লাহ

[ পাঞ্জাবী জ্ঞানদীপ্তির পিতা হলেন ইমাম আব্দুল্লাহ শাহ আল কাদেরী (বুল্লাহ শাহ) রাহিমাহুল্লাহ ]

🌺 উর্দু ভাষা ও সাহিত্যের জনকঃ হযরত আমীর খসরু চিশতী রাহিমাহুল্লাহ।

🌺 হিন্দী ভাষা ও সাহিত্যের জনকঃ হযরত আমীর খসরু চিশতী রাহিমাহুল্লাহ

🌺 আধুনিক ফারসী ভাষার জনকঃ পারস্যের হোমার আবুল কাসিম আল ফিরদাউসী

🌺 ফারসী ও তাজিক সাহিত্যের জনকঃ বিখ্যাত সূফি কবি হযরত আবু আবদিল্লাহ জা'ফর আস সমরকন্দী (রূদাকী) রাহিমাহুল্লাহ

🌺 পশতু সাহিত্যের পিতাঃ বিখ্যাত সূফি কবি হযরত খুশহাল খান খাত্তাক রাহিমাহুল্লাহ

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

19 Oct, 16:18


🌺 সিলেটি ভাষার জনক যে সূফী আওলিয়া

সুবিখ্যাত ভাষাবিদ অধ্যাপক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেনঃ

“তুর্কি এবং অন্যান্য বিদেশী মুসলিমগণ যাঁরা বাংলাতে বসতি স্থাপন করেছিলেন তাঁরা তাঁদের প্রজা কর্তৃক বড় প্রভাবিত হয়েছিলেন। পঞ্চদশ শতাব্দীর অন্তে ও ষোড়শ শতাব্দীর সূচনালগ্নে আমরা দেখতে পাই যে, বঙ্গালার মুসলিম শাসক এবং চিটাগাস্থ তাঁর সেনাপতিগণ বাংলা সাহিত্যের সক্রিয় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।”¹

সুফি আওলিয়াগণ দ্বীনের দাওয়াতে যেখানে গেছেন তাঁরা মানুষের সাথে যোগাযোগের জন্য এবং তাদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য যেটা প্রয়োজন সেটাই করেছেন। আর তা করতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে তাঁরা জন্ম দিয়েছেন সমৃদ্ধ ভাষা ও সাহিত্যের। যেমন আমরা দেখি সাইয়িদী ইমাম আমীর খসরু দেহলভী চিশতী قدس الله سره এঁর ক্ষেত্রে যাঁকে উর্দু এবং হিন্দী ভাষার জনক বলা হয়ে থাকে।²

অনুরূপভাবে, বাংলার আওলিয়াগণ কেবলমাত্র বাংলা ভাষা আয়ত্ত্ব করে অথবা বাংলা সাহিত্যের নবদিগন্তের উন্মোচন করেই ক্ষান্ত হন নি, পাশাপাশি তাঁরা নতুন ভাষারও জন্ম দিয়েছেন যা সিলেটি ভাষা নামে খ্যাতি লাভ করেছে।

ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এঁর মতে সিলেটি ভাষা সুবিখ্যাত সূফি আওলিয়া ইমাম শাহ জালাল قدس سره যখন বাংলার ভূমিতে আগমন করেন, তিনি তা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। যেহেতু সম্ভবতঃ তিনি বাংলা ভাষায় পারদর্শী ছিলেন না। বিধায় বাঙালি জাতির সাথে সহজে যোগাযোগের জন্য তিনি ফারসি, বাংলা ও কিছু আঞ্চলিক ভাষার সংমিশ্রণে তৈরি এই ভাষা ও লিপি তৈরি করেন। যদিও ঐতিহাসিকগণের মধ্যে এবিষয়ে মতভেদ রয়েছে যে, ভাষাটি ইমাম রাহিমাহুল্লাহ সাথে নিয়ে আসেন নাকি এখানে আসার পর তাঁর মুরীদানগণ এই ভাষা তৈরি করেন। এছাড়াও আরো কিছু মতভেদ রয়েছে। সে যাইহোক, কিন্তু উপমহাদেশের নানা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশে সূফী আওলিয়া رضوان الله عليهم গণের বড় অবদান রয়েছে। এবিষয়টি গবেষণার দাবি রাখে।

____
1. The Origin and Development of the Bengali Language by Suniti Kumar Chatterjee, Pg. 203
2. এ বিষয়ে একটি পোস্ট কমেন্টে রয়েছে

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

19 Oct, 16:17


💐 তাইয়িবাহঃ মদীনা শরীফের একটি পবিত্র নাম

ইমাম ইবনু বতূতা রাহিমাহুল্লাহ দ্বিতীয়বার মদীনা শরীফ গমনের বিষয়ে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ

’’ثم رحلنا فوصلنا الي طيبة، مدينة الرسول ﷺ‘¹

অর্থঃ অতঃপর আমরা ভ্রমণ শুরু করলাম এবং তারপর রসূলুল্লাহ ﷺ এঁর নগর তইয়্যিবাহতে এসে উপনীত হলাম।

পবিত্র মদীনা শরীফের পবিত্রতম নামসমূহের মধ্যে এক অতি পবিত্র নাম হল তাইয়িবাহ। রসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেনঃ

إِنَّ اللهَ تَعَالَى سَمَّى الْمَدِينَةَ طَابَةَ²

অর্থঃ আল্লাহ তায়ালা মদীনার নাম দিয়েছেন তবাহ।

মদীনা শরীফের প্রাচীন নাম ছিল ইয়াসরিব। ঐতিহাসিক গণের মতে হযরত নূহ আলাইহিস সালামের বংশধরদের মধ্যে জনৈক ইয়াসরিব নামক ব্যক্তির নামানুসারে পবিত্র শহরটির ইয়াসরিব নামকরণ করা হয়। হযরত রসূলুল্লাহ ﷺ ইয়াসরিবের নাম পরিবর্তন করে মদীনাহ নামকরণ করেন। ইয়াসরিব নামকরণে ইমামগণ নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছেন যেহেতু ثرب অর্থ নিন্দা ও ফাসাদ হয় এছাড়াও يثرب আযাবের অর্থেও আসে।

ইমাম মালিক রাহিমাহুল্লাহ সহ কতিপয় ইমামগণ পবিত্র শহরটিকে ইয়াসরিব না বলার পক্ষে মত প্রদান করেন। ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহ মদীনা শরীফকে ইয়াসরিব নাম দেওয়া মকরূহ হবার কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ

إنما كره تسميتها يثرب لأنه من التثريب، وهو التوبيخ والملامة، وكان النبي صلى الله عليه وسلم يحب الاسم الحسن، ويكره الاسم القبيح

অর্থঃ উহার ইয়াসরিব নামকরণ মকরূহ হবার কারণ হল উহা تثريب হতে এসেছে যার (অর্থ হল) তিরস্কার এবং নিন্দা করা। এবং রসূলুল্লাহ ﷺ সুন্দর নাম পছন্দ করতেন এবং অসুন্দর নাম অপছন্দ করতেন।

ইমাম বুখারী رضي الله عنه এঁর তারীখের একটি বর্ণনা অনুযায়ী কেও যদি মদীনা শরীফকে ইয়াসরিব নামে ডাকে, সে যেন প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ দশবার মদীনা বলে। ইমাম আহমাদ এবং আবু ইয়ালা رضي الله عنهما গণের বর্ণনা অনুযায়ী কেও যদি পবিত্র মদীনা শরীফকে ইয়াসরিব বলে সে যেন তাওবাহ পাঠ করে। তাঁদের মতে উহার নাম ত্ববাহ। ইমাম মালেকী মাযহাবের মতানুসারে যে ব্যক্তি মদীনা শরীফের পবিত্র ভূমিকে অনুৎকৃষ্টতার সাথে সম্পৃক্ত করবে এবং তার পবনকে সৌরভহীন বলে সে ওয়াযিবুত তা’জীরে পরিণত হয় এবং তাকে কারাদণ্ড প্রদান করতে হবে।³

ইমাম আমীর খসরু দেহলভী রাহিমাহুল্লাহ এঁর ভাষায়ঃ

ز نسیم جانفزایت دل مرده زنده گردد
ز کدام باغی ای گل که چنین خوش است بویت

সৌরভে তব শবসম চিত্তে নিত্য সঞ্চারিত হয় প্রাণ
কোন সে কানন হতে সুরভিত হও তুমি ওহে প্রসূন?⁴

অতয়েব এই পোস্ট হতে দুইটি বিষয় আমরা জানতে পারি যে, পবিত্র মদীনা শরীফের এর নাম তাইয়িবাহ, তবাহ বা তাইবাহ। দ্বিতীয় বিষয়টি হল পবিত্র মদীনা শরীফকে ইয়াসরিব বলা হতে আমাদের বিরত থাকা উচিত। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক পথে থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।

____
1. رحلة الامام ابن بطوطة المالكي قدس سره ج ١، ص ١٥٤-١٥٥
2. مسلم 🌹 ١٤٨٥
3. جذب القلوب الي ديار المحبوب للامام عبد الحق المحدث الدهلوي قدس سره ص٦
4. دیوان اشعار للعارف بالله الامام أمير خسرو الدهلوي الجشتي قدس سره، غزليات، رقم ٢٤٩
جذب القلوب الي ديار المحبوب للامام عبد الحق المحدث الدهلوي قدس سره، ص ٦

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

19 Oct, 10:50


ড্রোন টেকনোলজিটা যেভাবে গত কয়েক বছরে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি পাল্টে দিয়েছে, সেটা এক কথায় অবিশ্বাস্য। হেজবুল্লাহর ড্রোন যে সরাসরি নেতানিয়াহুর বাসায় হিট করতে পারবে, এটা কে ভাবতে পেরেছিল?

গতকাল রাতে ইসরায়েলকে টার্গেট করে হেজবুল্লাহ শতাধিক ড্রোন ছেড়েছিল। এরমধ্যে তিনটা ড্রোন তারা ছাড়ে নেতানিয়াহুর উইকেন্ড হোমকে টার্গেট করে।

ইসরায়েল এই সংক্রান্ত নিউজের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে; কিন্তু আল-জাজিরা কনফার্ম করছে, দুইটা ড্রোন ইসরায়েল ইন্টারসেপ্ট করলেও তৃতীয়টা ঠিকই নেতানিয়াহুর বাসায় আঘাত করেছে। নেতানিয়াহু এবং তার স্ত্রী অবশ্য সে সময় বাসায় ছিল না।

আফসোস একটাই, ড্রোন টেকনোলজিতে শ্রেষ্ঠ দেশটা এই যুদ্ধে সরাসরি কন্ট্রিবিউট করতে পারছে না। করলে ড্রামাটিক রেজাল্ট দেখা যেত।

© ত্বহা

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

18 Oct, 14:08


আল-কাসাম ব্রিগেডসের বিবৃতির বাংলা অনুবাদ:

- আমাদের নেতা "আবু ইব্রাহিম"-এর যাত্রা ছিল একটি সম্মানজনক জিহাদি যাত্রা, যেখানে তিনি ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং এর সামরিক ও নিরাপত্তা শাখার প্রতিষ্ঠাতা প্রজন্মের একজন ছিলেন। তারপর তিনি দখলদারদের কারাগারে বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দী হিসেবে তার যৌবন উৎসর্গ করেছিলেন এবং "ওফা আল-আহরার" চুক্তিতে মুক্তি পেয়েছিলেন মাথা উঁচু করে। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, তিনি শুধুমাত্র জিহাদের পথ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং কখনও বিশ্রামের স্বাদ গ্রহণ করেননি। তিনি তিনটি অঞ্চলে আন্দোলনের সামরিক কার্যক্রম তদারকি করেছিলেন এবং প্রতিরোধের ফ্রন্টগুলিকে একীভূত করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, যা আরব জেরুজালেমের পথকে শক্তিশালী করেছিল। তারপর তিনি গাজায় আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন, যা তার নেতৃত্বের সময় আন্দোলনের প্রচার, রাজনৈতিক ও সামরিক অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে একটি গুণগত পরিবর্তন এনে দেয় এবং যা "আল-আকসা বন্যা" সংঘাতে শেষ হয়েছিল।

- জাতীয় সম্পর্ক ও যৌথ প্রতিরোধের কাজে, তিনি গৃহে এবং বিদেশে, মহান নেতা ইসমাইল হানিয়ার শহীদের পর আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

- প্রতিরোধের সংগঠনগুলো, যাদের কেন্দ্রে হামাস রয়েছে, যখন তারা ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামের ইতিহাসে এই মহা ও চূড়ান্ত যুদ্ধে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তারা জানত যে মুক্তির মূল্য অনেক বেশি, এবং সমস্ত জাতি তাদের দখলদারদের থেকে মুক্তি পাওয়ার আগে এই মূল্য দিয়েছিল। তারা আত্মত্যাগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে প্রস্তুত ছিল, নিজেদের নেতারা ও সৈন্যদের উৎসর্গ করে, শত্রুকে আত্মসমর্পণ না করে বা আমাদের জনগণের বৈধ অধিকারগুলির উপর তাদের অন্যায় ও লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে নীরব না থেকে।

- আমাদের জিহাদ থামবে না যতক্ষণ না ফিলিস্তিন মুক্ত হয়, শেষ জায়নিস্টকে সেখান থেকে বিতাড়িত করা হয়, এবং আমাদের সমস্ত বৈধ অধিকার পুনরুদ্ধার হয়। এর সর্বোত্তম প্রমাণ হল যে "আল-আকসা বন্যা" যুদ্ধে এক বছর পরও আমাদের জনগণ ভেঙে পড়েনি বা আত্মসমর্পণ করেনি, তাদের যে বিপুল মূল্য দিতে হয়েছে এবং বর্বর জায়নিস্ট গণহত্যার অপরাধের পরও।

এই অপরাধী শত্রু যদি মনে করে যে, সিনওয়ার, হানিয়া, নাসরাল্লাহ, আল-আরুরি এবং অন্যান্য মহান প্রতিরোধ নেতাদের হত্যা করে সে প্রতিরোধের শিখা নিভিয়ে ফেলতে পারবে বা তাকে পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য করতে পারবে, তবে সে মূর্খ। বরং, প্রতিরোধ চলতে থাকবে এবং বৃদ্ধি পাবে যতক্ষণ না আমাদের জনগণের বৈধ লক্ষ্য অর্জিত হয়। শহীদত্ব হল আমাদের নেতাদের সর্বোচ্চ ইচ্ছা, এবং তাদের রক্ত হবে মুক্তির পথে একটি আলোকবর্তিকা এবং আক্রমণকারীদের জন্য একটি আগুন।

© সংগৃহীত

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

18 Oct, 12:25


Al-Qassam Brigades:

- The journey of our leader "Abu Ibrahim" was an honorable jihadist journey, during which he was from the founding generation of the Islamic Resistance Movement Hamas and its military and security apparatuses, then he sacrificed the flower of his youth as a prisoner in the occupation's prisons for more than twenty years before he was released with his head held high in the "Wafa al-Ahrar" deal, and as soon as he was released from prison, he refused to do anything but continue the journey of jihad and did not taste rest, so he supervised the movement's military work in the three regions and had an important role in the path of unifying the resistance fronts on the path to Arab Jerusalem, then he headed the movement in Gaza so that his leadership period constituted a qualitative shift in its advocacy, political and military journey that culminated in "Al-Aqsa Flood"

- In the path of national relations and joint resistance work, before he headed the movement at home and abroad after the martyrdom of the great leader Ismail Haniyeh.

- The resistance factions, with Hamas at their core, when they decided to enter this great and decisive battle in the history of the Palestinian people’s struggle and in the path of our nation, knew that the price of liberation was very high, and that all peoples had paid it before they were liberated from their occupiers. They were prepared to advance the ranks of the sacrificial ones at the heart of their people, so they presented leaders and soldiers, refusing to submit to the enemy or remain silent about its injustice and plundering of our people’s legitimate rights.

- Our jihad will not stop until Palestine is liberated, the last Zionist is expelled from it, and all our legitimate rights are restored. The best evidence of this is that our people have not been broken or surrendered a year after the “Al-Aqsa Flood” battle, despite the enormous price they paid and despite the brutal Zionist genocide crimes.

This criminal enemy is delusional if he thinks that by assassinating the great leaders of the resistance, such as Sinwar, Haniyeh, Nasrallah, Al-Arouri, and others, he can extinguish the flame of the resistance or force it to retreat. Rather, it will continue and escalate until the legitimate goals of our people are achieved. Martyrdom is the highest desire of our leaders, and their blood will be a beacon that lights the path to liberation and a fire that burns the aggressors.

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

18 Oct, 12:19


بسم الله الرحمن الرحيم
"ولا تحسبن الذين قتلوا في سبيل الله أمواتاً بل أحياء عند ربهم يرزقون"

بيان عسكري صادر عن:
..::: كتائب الشهيد عز الدين القسـام :::..

يا أبناء شعبنا الفلسطيني المجاهد.. يا جماهير أمتنا العربية والإسلامية:

تزف كتائب الشهيد عز الدين القسام إلى العلا الشهيد القائد الكبير/ يحيى السنوار "أبو إبراهيم" قائد حركة المقاومة الإسلامية حماس، الذي ارتقى مقبلاً غير مدبر في أشرف المعارك دفاعاً عن المسجد الأقصى المبارك وعن شعبنا وحقوقه المشروعة، وإنه لمن دواعي الفخر أن تقدم حركتنا القادة قبل الجند، وأن يتقدم قادتها قافلة شهداء شعبنا الذين قدموا أرواحهم ودماءهم في سبيل الله وعلى طريق تحرير فلسطين، وأن يستشهد قائدها بين إخوانه المجاهدين بطلاً مشتبكاً مع الغزاة الذين ظنوا أن غزة يمكن أن تكون لقمةً سائغةً لجيشهم الجبان.

لقد كانت مسيرة قائدنا "أبي إبراهيم" مسيرةً جهاديةً مشرّفة، كان خلالها من جيل التأسيس لحركة المقاومة الإسلامية حماس وأجهزتها العسكرية والأمنية، ثم ضحى بزهرة شبابه أسيراً في سجون الاحتلال لأكثر من عشرين عاماً قبل أن يخرج رافع الرأس في صفقة "وفاء الأحرار"، وبمجرد تحرره من السجن أبى إلا أن يواصل مسيرة الجهاد ولم يذق للراحة طعماً، فأشرف على العمل العسكري للحركة في الأقاليم الثلاثة وكان له دورٌ مهم في مسار توحيد جبهات المقاومة على طريق القدس، ثم ترأس الحركة في غزة لتشكل فترة قيادته نقلةً نوعيةً في مسيرتها الدعوية والسياسية والعسكرية التي تكللت بـ"طوفان الأقصى"، وفي مسار العلاقات الوطنية والعمل المقاوم المشترك، قبل أن يترأس الحركة في الداخل والخارج عقب استشهاد القائد الكبير إسماعيل هنية.

إن فصائل المقاومة وفي القلب منها حماس حين قررت دخول هذه المعركة الكبرى والفاصلة في تاريخ جهاد الشعب الفلسطيني وفي مسيرة أمتنا كانت تعلم بأن ثمن التحرير غالٍ جداً قدمته كل الشعوب قبل أن تتحرر من محتليها، وقد كانت مستعدةً لتتقدم صفوف المضحّين في القلب من أبناء شعبها، فقدمت القادة والجند رافضةً الإذعان للعدو أو السكوت على ظلمه ونهبه لحقوق شعبنا المشروعة، ولن تتوقف مسيرة جهادنا حتى تحرير فلسطين وطرد آخر صهيونيٍ منها واستعادة كامل حقوقنا المشروعة، وخير دليلٍ على ذلك أن شعبنا لم ينكسر أو يستسلم بعد عام من معركة "طوفان الأقصى" رغم فداحة الأثمان التي دفعها ورغم جرائم الإبادة الصهيونية الوحشية.

واهمٌ هذا العدو المجرم إن ظن أنه باغتيال قادة المقاومة العظام من أمثال السنوار وهنية ونصر الله والعاروري وغيرهم يمكن أن يخمد جذوة المقاومة أو يدفعها للتراجع، بل ستتواصل وتتصاعد حتى تحقيق أهداف شعبنا المشروعة، فالشهادة أسمى ما يتمناه قادتنا، ودماؤهم ستكون نبراساً ينير طريق التحرير وناراً تحرق المعتدين، وقد ترك قادتنا خلفهم مئات الآلاف من المجاهدين من أبناء شعبنا وأمتنا المصممين على مقارعة الاحتلال الصهيوني حتى تطهير فلسطين والمسجد الأقصى من دنسه، وكنسه عن أرضنا بإذن الله.

وإنه لجهاد نصر أو استشهاد،،،
كتائب الشهيد عز الدين القسام – فلسطين
الجمعة 15 ربيع الثاني 1446هـ
الموافق 18/10/2024م

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

18 Oct, 12:14


﴿یٰۤاَیَّتُهَا النَّفۡسُ الۡمُطۡمَئِنَّة 🌹ارۡجِعِیۡۤ اِلٰی رَبِّكِ رَاضِیَة مَّرۡضِیَّة 🌹

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

18 Oct, 12:13


🟢In the name of God, the Most Gracious, the Most Merciful

Obituary statement for the martyred Mujahid leader and great national symbol

Yahya Sinwar "Abu Ibrahim" Commander of the Battle of the Flood of Al-Aqsa

{Among the believers are men true to what they promised Allah. Among them is he who has fulfilled his vow [to the death], and among them is he who awaits [his chance], and they did not alter [the terms of their commitment] by any alteration.}

With all the meanings of pride, dignity, honor and dignity, the Islamic Resistance Movement Hamas mourns to our Palestinian people, to our entire nation and to the free people of the world, one of the noblest and bravest men, a man who dedicated his life for Palestine and gave his soul for the sake of God on the path to its liberation. He was truthful to God and God was truthful to him, and chose him as a martyr along with his martyred brothers who preceded him:

We mourn the great national leader
Brother, the martyr, Mujahid Yahya Al-Sanour (Abu Ibrahim)

Head of the Political Bureau of the Islamic Resistance Movement (Hamas) and Commander of the Battle of the Flood of Al-Aqsa

Who ascended as a heroic martyr, advancing and not retreating, brandishing his weapon, engaging and confronting the occupation army at the forefront of the ranks, moving between all the combat positions, steadfast, fixed and steadfast on the land of proud Gaza, defending the land of Palestine and its holy sites, and inspiring in kindling the spirit of steadfastness, patience, steadfastness and resistance.
Sons of our great people, our Arab and Islamic nation, free people of the world.

Islamic Resistance Movement - Hamas

Friday: 15 Rabi` al-Thani 1446 AH
Corresponding to: October 18, 2024

[G&T]

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

18 Oct, 12:09


🌺 মুকাওয়ামা শাহাদতের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

18 Oct, 12:03


🍁 সৌদি আরবের সেই শীয়া নেতা মুহাম্মাদ আল হুসাইনী যে নসর সাহেবের ইন্তেকালের কিছুদিন পূর্বে তিনি মরবেন এই ভবিষ্যতবাণী করেছিল এবং ষড়যন্ত্র পূর্বক এর দায় ইরানের উপর চাপায় সেই ব্যক্তি একই সাক্ষাতকারে স্পষ্ট ভাষায় জানায় যেঃ

• ইয়াহইয়া সাহেবকে হত্যা করা হবে।
• তিনি টানেল থেকে বের হবেন এবং তাঁকে হত্যা করা হবে।
• তিনি একাকী নিহত হবেন।


ইত্যাদি।

[ এখন বুঝুন আরব জায়নবাদী ও আলে সৌদরা কতটুকু ঘনিষ্ঠভাবে দখলদারদের সাথে কাজ করলে তিনি তাদের মুখপাত্র হিসেবে এত নিঁখুত পরিকল্পনার কথা বর্ণনা করতে পারেন। ]

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

18 Oct, 11:30


😒শোকসংবাদঃ মুকাওয়ামা আমীর শহীদ হয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেলাম। আজই কিছুক্ষণের মধ্যে মুকাওয়ামার পক্ষ হতে বিবৃতি এসে যাবে ইন শা আল্লাহ।

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

18 Oct, 11:14


মুকাওয়ামা কিছুক্ষণ পূর্বে ঘটে যাওয়া একটি আক্রমণের ব্যপারে বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু ইয়াহইয়া حفظه الله এঁর বিষয়ে কোন কথাই বলছে না।

কিন্তু কিছু মানুষ ইতিমধ্যে রূহানী গায়েবী জানা পড়ে বসে আছে।

• মুকাওয়ামা ব্যস্ততার জন্য বিবৃতি দেওয়ার সময় পাচ্ছে না

• তারা হযরতের সাথে যোগাযোগ না করতে পারে নি তাই দেরি করছে।

উভয় যুক্তিই অযৌক্তিক বলে বলে করি। والله اعلم بالصواب।

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

18 Oct, 09:43


চিন্তন হল গুলিরোধক।

- ইয়াহইয়া সি + নাওয়ার

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

17 Oct, 19:28


আমি যদিও ৯৯.৯% নিশ্চিত যে ইয়াহিয়া حفظه الله জীবিত। কিন্তু যদি তিনি শহীদ হন সেক্ষেত্রে আর যাই হোক, আল আরবীতে ইন্টারভিউ দেওয়া সেই শীয়া তথাকথিত প্রাক্তন হিজব নেতা যে ব্যক্তি নাসর সাহেবের হত্যার ভবিষ্যতবাণী করেছিল, সে যে আরব জায়নবাদী + জায়নবাদী অক্ষের মুখপাত্র এবং আরব জায়নবাদীরা ঘনিষ্ঠভাবে দখলদারদের সহায়তা করে যাচ্ছে সেটা আরো একবার প্রমাণিত হবে....

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

17 Oct, 18:50


ইরান ও দখলদারদের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হবার দিকে পরিস্থিতি গড়িয়ে যাবার ইঙ্গিত দিয়ে তুর্কি ও আঞ্চলিক দেশগুলিকে সম্ভব্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

17 Oct, 17:52


যে ছবি নিয়ে এত হুলস্থুল

Yasir Arafat El Hindi [ Bangladesh]

17 Oct, 17:28


তাইলিসানধারী দাজ্জালের অনুসারীদের নিয়ে চর্চা বেশ হচ্ছে। টুইটার খুললেই দেখতে পাবেন, একদল রুমালধারী ইতিমধ্যে দাজাজেলাদের সাথে সখ্যতা পাতিয়েছে.....