মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️ @muktobatash Channel on Telegram

মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️

@muktobatash


তোমরা যা কিছু কর তিনি তা ভালোভাবেই দেখেন। (কুরআন- ১১:১১২)

"অন্ধকার থেকে আলোতে ফেরা ও ফেরানো হচ্ছে আমাদের মূল উদ্দেশ্য"

মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️ (Bengali)

আপনি চিরকালের অশান্তি থেকে পাড়িয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে মন চাই খুঁজছেন? যদি হ্যাঁ, তবে 'মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️' টেলিগ্রাম চ্যানেলটি আপনার জন্য একটি নিরামিষ উপায়। এই চ্যানেলটি 'মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️' নামক একটি সম্প্রদায়িক চ্যানেল, যেখানে আপনি দৈনন্দিন জীবনের কাছাকাছি প্রাকৃতিক ছবিতে ভ্রমণ করতে পারবেন। চ্যানেলটি 'মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️' আমাদের পূর্বের এবং আগামী প্রজনন শৃঙ্গে স্বাগতম জানাতে সাহায্য করবে, এবং আমরা এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাধ্যমে চিন্তা ও শারীরিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখার উপায় শেখাব। 'মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️' টেলিগ্রাম চ্যানেল সকালের প্রথম আলো থেকে রাতের অন্ধকারে পর্যটনকে আনন্দের মধ্যে রূপান্তর করতে সাহায্য করতে, ভ্রমণের প্রাকৃতিক উপমহাদের মাঝে ভ্রমণ করতে সাহায্য করতে। এই সম্প্রদায়িক চ্যানেলটি 'মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️' এ যোগ দেওয়ার ফলে আপনি প্রাকৃতিক পরিবেশের অনুভূত জীবনধারায় ভাল মনোভাব ও সুস্থ্য জীবনযাপন স্থাপন করতে পারেন।

মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️

05 Jan, 14:55


জনৈক বেদুঈনের প্রতি নবীজীর (ﷺ) উপদেশ 
━━━━━━ • ✿ • ━━━━━━

নবীজী (ﷺ) এর খিদমতে এক বেদুঈন হাজির হয়ে আরজ করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি বড় আলেম হতে চাই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- اِتَّقِ اللهَ تَكُنْ أَعْلَمَ النَّاسِ তুমি তাকওয়া অবলম্বন করলে সবচেয়ে বড় আলেম হবে। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি সবচেয়ে বড় সম্পদশালী হতে চাই। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কানাআত তথা অল্পে তুষ্টির গুণ অর্জন কর, বড় সম্পদশালী হয়ে যাবে। সে বলল, আমি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে গণ্য হতে চাই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকর কর, তাহলে তিনি তোমাকে বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করবেন। সে বলল, আমি সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হতে চাই। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিজের প্রয়োজনের কথা আল্লাহ্ তাআলা ছাড়া আর কারো কাছে ব্যক্ত করবে না। আল্লাহ্ তাআলা তোমাকে সকলের চেয়ে বেশী সম্মান দান করবেন। সে আবার বলল, আমি চাই আমার রিযক বেশী হয়ে যাক। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সবসময় উযূর সাথে থাক, তোমার রিযকে বরকত হবে। সে বলল, আমি চাই আমার আল্লাহ্ যেন আমাকে বেইজ্জত না করেন, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যিনা-ব্যভিচার থেকে বেঁচে থাক, আল্লাহ তাআলা তোমাকে সব ধরনের যিল্লতি থেকে রক্ষা করবেন। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি চাই আমার ঈমান কামেল ও পরিপূর্ণ হোক। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার আখলাক ভাল কর। উত্তম আখলাক অর্জন করা ছাড়া পরিপূর্ণ মুমিন হওয়া যায় না। ঈমান শেখা ফরয, ইবাদত করা ফরয, আখলাক হাসিল করা ফরয, ইখলাস অর্জন করা ফরয।

উৎসঃ ঈমানজাগানিয়া কাহিনী |

মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️

18 Dec, 19:13


রেভেঞ্জ পর্ন প্যারাডক্স

> পাড়ার একটা মেয়ের ন্যুড লিক হয়েছে। ফ্যামিলির কাছেও পৌছেছে। বাবার কলিগ, বাসায় আসা আত্মীয়, যে যেভাবে পারছে কথা শুনিয়ে দিচ্ছে।

ফ্যামিলি একরকম একঘরে। ছোটভাই স্কুলে গেলে টিটকারী শোনে, বাবা বাজারে যেতে পারে না। সেই মেয়েকে রাস্তায় দেখলে লোকে বলে 'ঢেকে কী হবে, দেখে ফেলেছি' ইত্যাদি ইত্যাদি।

এই ধরণের ঘটনার পর আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে। ইভেন মা-বাবা পর্যন্ত সুইসাইড করার খবর পাওয়া যায়।

এখানে দুটো ব্যাপার -
  * এই ন্যুড লিক বা রেভেঞ্জ পর্ন, এর ভয়াবহ পরিণতি দেখেই বহু মেয়ে পাপ থেকে বেঁচে থাকছে। ভেবে দেখুন, কারো ন্যুড লিক হবার পর উপরের একটা ঘটনাও ঘটছে না। তাহলে অশ্লীলতা কোন পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়বে? এই যে রিঅ্যাকশন, এটা কিছুটা হলেও ডিসিপ্লিন আনছে।
* এবার অপরপক্ষের দিকটা। যে ভয়টা ডিসিপ্লিন আনছে, সেটা আসলে কিসের ভয়? সেটা লোকে দেখে ফেলবে - এই ভয়। কিন্তু আপনি যদি এই লোক বা দর্শকের দিকটা ভাবেন, তারাও কিন্তু ভালো কিছু করছে না। পর্ন ছড়িয়ে দেওয়া বা দর্শক হওয়া দুটোই বড় ধরণের পাপ।

অর্থাৎ, এটা একটা প্যারাডক্স। আপনি কোনো পক্ষই নিতে পারছেন না। থামিয়ে দিলে সমাজ ধ্বংস হবে, আবার চলতে দেওয়াও পাপ।

> আপনাদের সদ্য সমাপ্ত জুলাই বিপ্লবের একটা ঘটনার কথা মনে আছে নিশ্চয়। সাংবাদিক ইলিয়াস ডিবি হারুনের ভিডিও ফাঁস করে দিয়েছিলো। এই একটা ঘটনা পুরো বিপ্লবে বিশাল একটা মোমেন্টাম এনে দিয়েছিলো। পরে জানতে পেরেছি, প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিলো।

ওই ঘটনার পর ডিবি হারুনের মত লয়াল লাঠিয়ালকেও সরিয়ে দেওয়া হয়, কিছু কর্মকর্তা কেবল এই ভিডিও ফাঁসের ভয়ে ছাত্রদের বিরুদ্ধে নামতে চায় নি। অর্থাৎ পুরো ঘটনা আন্দোলনের বিশাল উপকার করেছিলো।
আসলে ওই লেভেলের কর্মকর্তারা তো পাবলিকের ব্যপারে কেয়ার করে না, তাদের ভয় ছিলো এইসব ভিডিও তাদের কলিগরাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতো। কারণ যেসব বড় পদ, এক পদের জন্য বহু লোক মূখিয়ে থাকে। ইমেজকে ব্লাকমেইল করে তাদের ক্যারিয়ারের বারোটা বাজিয়ে দিতো।

তাছাড়া এসব অফিসারদের সন্তানদেরও বাপের এসব কীর্তি অস্বস্তিতে ফেলতো।
মোটকথা, জনগণের উপকারই হয়েছে।

কিন্তু উল্টোভাবে, লাখ লাখ মানুষ যে সেই অশ্লীলতার সাক্ষী হলো? সেটাও তো ভালো নয়।

আবারও, সেই একই প্যারাডক্স।

> বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই পরকীয়া কাপোল, ইভেন সিঙ্গেল কাপল ধরা পড়লেও সাধারণতঃ মারধর করা হয়, সম্মানহানি করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো লিমিটই ক্রস ফেলে জনতা।

কিন্তু ভেবে দেখুন, বিবাহবহির্ভুত ব্যাভিচার চলছে, কিন্তু সামাজিক রিঅ্যাকশনটা আর নেই। কী অবস্থা হবে তখন? সমাজে বৈধভাবে জন্ম নেওয়া মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।

> বাংলাদেশের বিয়েগুলোতে বিয়ের আগে, বিয়ের দিন বা বিয়ের পরে বয়ফ্রেন্ড কর্তৃক হবু স্বামীকে ভিডিও বা ছবি পাঠিয়ে দেওয়ার চল আছে।
বয়ফ্রেন্ডের দিক থেকে, সে অন্যায় করেছে একটা পবিত্র সম্বন্ধ ভেঙ্গে, প্রাইভেসী লঙ্ঘন করে, গোপন পাপ প্রকাশ করে।

কিন্তু ভাবুন তো, সে যদি এটা না করতো? এখানে একমাত্র লুজার হতো সেই নির্দোষ স্বামী যে এত ইফোর্ট দিয়ে বিয়ে করে পাচ্ছে এক চরিত্রহীনা অমানুষকে, যে আগেই সব বিলিয়ে দিয়ে এসেছে। আবার এই ভয় যদি না থাকতো, অলরেডি পচে যাওয়া সমাজে মেয়েগুলো আরো বেশী ব্যাভিচারে জড়িয়ে পড়তো, যেহেতু কোনো কনসিকোয়েন্স পোহানো লাগছে না।

> বলা হয়, মেয়েদের জন্য ন্যুড লিক হলে তার ফল নেওয়া লাগে দুইবার। একবার তো ইমিডিয়েটলি। দ্বিতীয়বার তার সন্তান হবার পর।

এমনিতে মা-বাবা অল্পবয়েসী সন্তানের খুব কাছের হয়ে থাকে। তাদের নিয়ে মশকরা বা বুলি করা সন্তানেরা সহজে মানতে পারে না। ইভেন মায়ের নাম বিকৃত করে বললে পর্যন্ত বাচ্চারা মারামারি করতে লেগে যায়।
সেখানে ভেবে দেখুন, ওইটুকু বাচ্চা স্কুলে গেলে তার সহপাঠি কিংবা বুলিরা তাকে তার মায়ের নগ্ন ভিডিও দেখাচ্ছে, সেক্স ভিডিও দেখাচ্ছে। তার চাইল্ডহুড ওইখানেই শেষ, সম্পুর্ন তার মায়ের দোষে। ওই মা তার সন্তানকে কী জবাব দেবে?

আমেরিকাতে মায়ের নগ্ন ভিডিওকে কেন্দ্র করে স্কুলগামী বাচ্চাদের আত্মহত্যার ঘটনা খুবই কমন। ওই বয়সে আসলে এসব অনেক বড় আঘাত।

একদিকে এই নির্দোষ বাচ্চাকে বুলি যেমন জঘন্য কাজ, তেমনি এটা যদি না থাকতো তাহলে মায়েরা তো কেয়ারই করতো না। অশ্লীলতা আরো ছড়াতো।

আমরা আসলে সেই সমাজ চাচ্ছি, যেখানে এই দুই পক্ষেরই অস্তিত্ব থাকবে না। অশ্লীলতা যেমন প্রমোট করার কেউ থাকবে না, তেমনি কোনো ব্যাভিচারিও পার পেয়ে যাবে না।

মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️

14 Dec, 11:32


হল থেকে বের করার দের ঘন্টা পর ফোন বের করছি তাও ওটা জমা দেওয়া ছিলো,,আবার শিক্ষকের কথাতেই আমি ফোন এনে কল করেছি।এখানে আমার ভুল বা দোষ কি? আবার 999 থেকে জানতে পারি আমি নাকি অশদউপায় অবলম্বন করেছি তাই আমাকে হল থেকে বের করে দিছে,,আমার কাছে যদি নকল পায় তাহলে পুলিশের কাছে প্রমাণ নাই কেন নকলের? আমি নকল করলে আমি কেন পুলিশকে কল করবো? প্রশ্ন হলো বাউবি থেকে কি নিষেধ করা ছিলো নারীকে নারী দিয়ে মুখ দেখানো যাবে না,দেশের বড় বড় কোর্টে পর্দার ব্যপারে শিথিলতা আছে এবং নারীকে নারী দিয়ে তল্লাসি সহ যাবতিও সব করা হয় তাহলে আমার দোষ টা কি আমি পেলাম না কেন?,আবার নকল বের করার সময় তো ঠিকি নারি কাউকে ডেকে আনে,,না আমার কাছে নকল পাইছে না আমি বাজে ব্যবহার করেছি,একটাই পুরুষের সামনে নেকাব খুলি নি,এখানে আমি কি দোষ করেছি?উনি আসার আগে আমার শিক্ষার্থী কার্ড টাও রেখে দিয়েছে,বলেছে আমি ঝামেলা না করলে সামনের পরিক্ষার সময় এসে নিয়ে পরিক্ষা দিতাম,আইডি কার্ড টা আমার কাছেই আছে।ওনাদের ভুল বা দোষ না থাকলে আমি ঝামেলা করবো কেন? কর্তুপক্ষের হস্তক্ষেপ চাই আমি,

নাম-উম্মে আন্জুমানয়ারা
কলেজ- মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ
সেশন-২০২১(বর্তমানে ৩য় এবং ৪র্থ সেমি: পরিক্ষা রানিং)

#মাটিরাঙ্গা_সরকারি_ডিগ্রি_কলেজ

#খাগড়াছড়ি_জেলা_পরিষদ

#khagrachor

বোন Umma Anjumanara

মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️

14 Dec, 11:32


যে দেশে মুসমিল জনসংখ্যা বেশি ঔ দেশে নেকাব পুরুষের সামনে না খোলার জন্য আমাকে বলির পাঠা হতে হয়েছে

আজকে১৩-১২-২৪ এ বিকাল ২ টা থেকে ৫ টা সমাজতত্ত্ব ২ পরিক্ষা ছিলো আমার (বাউবি),,মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ,খাগড়াছড়ি ,আগে আরো ২ টা পরিক্ষা হইছে,,,গত বছর ৮ টা দিয়েছি,তো আজকের পরিক্ষায় আগের মতই খাতা দিছে সব করছে যখন খাতায় সই করতে আসছে তখন হলে থাকা শিক্ষক বলে মুখ দেখাতে হবে,তো আমি বললাম স্যার মহিলা শিক্ষক কে দেখাবো,, দরকার হলে আমি কমন রুমে যাবো,তো উনি বললো মহিলা শিক্ষক নাই,ওনাকেই দেখাতে হবে,আমি পরে বলছি স্যার যে কোন একজন আপুকে মানে হলের পরিক্ষার্থীকে দেখলেও হবে।তখন উনি বলে না হবে না,পরে আমি বলছি স্যার আমাকে তো আপনারা চিনেন বলে চিনলে হবে না মুখ দেখাতে হবে।পরে আমার আগে পেছনের ছেলে মেয়ে গুলোও বলছে স্যার ভাবিকে আমরা চিনি,তাও উনি মানে নি,,হলে থাকা ২ জন শিক্ষক এর মাঝে লম্বা করে একজন উনি আমাকে বারবার হেয় করে বলতেছিলো ওনার স্ত্রী আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক উনি মুখ দেখায় আমি কোথাকার আলী ম হয়ে গেছি,আবার হুজুর মত করে একজন ছিলেন উনিও আমাকে বারবার হেনস্তা করেছেন নানান কথা বলেছেন হলের ভেতরেই,আমি চুপ ছিলাম পুরো হল সাক্ষী,আমি তখনও কান্না করে বলছি আমার পাশের ছেলেগুলো বলেছে স্যার ভাবি অসুস্থ ভুয়া হলে এই অবস্থায় কেন পরিক্ষা দিতে আসবে,ঔ ২ জন শিক্ষক এর কথা না শোনাতে নেকাব না খোলাতে ওনারা প্রিন্সিপালকে ডেকে আনে।

পরে হলের ২ জন শিক্ষক প্রিন্সিপালকে ডেকে আনে উনিও সেম বলে মুখ দেখাতে আর আমাকে বোঝাতে থাকে শিক্ষক বাবার সমতুল্য আমি তখনও বলছি মেয়ে কাউকে দেখাবো,ততক্ষণে আমার খাতা+ এডমিট কার্ড নিয়ে নিছে আর প্রিন্সিপাল বলতেছিলো কোন কথা শোনা হবে না মুখ না দেখালে বহিষ্কার বাস,তখন পরিক্ষা মাত্র ৩০-৩৫ মি ই হয়েছিলো,উনি রেগে কথা গুলো বলে চলে গিয়ে আবার ফিরে আসছে তখন হলের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ নিয়ে,পুলিশকে বলছে আমি বহিষ্কার কেন তা বলে নি তো পুলিশ বললো আমাকে বের হতে আমি বলছি আমার অন্যায় কি,পরেআমি পুলিশকে বলছি ওনারা মুখ দেখতে চাচ্ছে,,আমি বলছি মহিলা কাউকে দেখাবো,,তখন পুলিশ টাও বললো যে ক্লাসের কোন মেয়েকে দেখালেই তো হলো,কিন্তু প্রিন্সিপাল তার কোন কথাই শুনে নি,তখন আমার খাতা এডমিট সহ তার রুমে চলে গেছে আমিও ওনার রূমে গেছি,,তখন আমাকে কয়েকজন শিক্ষক মিলে বলে আমি ভুয়া,কার পরিক্ষা দিতে আসছি বলতাম,আমি পরে বলছি স্যার আমার আগে পরের বেন্সের ওরা তো বললো আমাকে চিনে,ওনারা আমাকে প্রায় ৩:৪৫ পর্যন্ত ওখানে দার করিয়ে রাখে। তো ওনারা বললো যে না হবে না এমন কারো নাম বলো যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তো পরে বললাম যে খাগড়াছড়ি থানার এস আইকে কল দিতে উনি আমাকে চিনে,তখন ওখানে থাকা পুলিশটা ওনাকে কল দিছে এখন ওনাদের কি কথা হইছে আমি জানি না,পরে ঔ পুলিশ গিয়ে প্রিন্সিপালকে কি বললো তখন উনি বললো না না হবে না আর বহিষ্কার,,, পরে আরকজন শিক্ষক বললো কলেজের কোন স্যারকে চিনি কিনা বলছি একজনের সাথে কথা হয়,ওনার নাম নিছি বোরহান স্যার,,পরে উনি বলে ওনাকে দিয়ে কল দেওয়াও,,আমি বলছি ফোন তো হলে জমা দেওয়া উনি বললো ফোন আনো,আমি পরে ফোন এনে মাঠে দারিয়ে কল দেওয়াতে প্রিন্সিপাল এসে আমাকে পুলিশ দিয়ে কুকুরের মত তারিয়ে বের করে দেয়,আমি হাটতে পারিতেছিলাম না,,,অফিসে কথা বলার সময় আমি বারবার প্রিন্সিপাল সহ সবাইকে বলছি আমি ৩ মাসের প্রেগনেন্ট,,আমার আগে ২ টা মিসক্যারেজ আছে শুধু ইয়ার ড্রপ যাতে না হয় হাই রিক্স নিয়ে পরিক্ষা দিচ্ছি,,প্রিন্সিপাল তাও কোন কথাই শুনে নি আমাকে বের করে দিয়ে গেট তালা মেরে দিতে বলছে,পরে বারবার অনুরোধ করাতেও গেট খুলে নি।

আমি বদ্ধ হয়ে তখন ৩:৫০ এ 999 এ কল করি,,,মাটিরাঙ্গা থানার ওসি ১৫-২০ মি এর মাঝেই আসে মহিলা পুলিশ সহ,,,আমি বারবার বলেছি আরো ১ ঘন্টা বাকি আছে এখনও আমি লিখলে পাস আসবে কিন্তু প্রিন্সিপাল ওসিকে তার কথার জালে ৪০-৪৫ মি আটকে রাখে,নিচে আসে তখন পরিক্ষা শেষ হতে ২৫-২০ মি বাকি,,তখনও কথা বলে আমাকে যাচাই করে,,,ততক্ষণে পরিক্ষা শেষ,,তাও প্রিন্সিপাল বলে আমি ইসলামের গোরা প্রকৃতি ধরে বসে আছি,,আমার পরিচিত একজন ওনাকে বললো ওর পরিক্ষা শেষ করে যে স্যার এই যে ওনার প্রেগনেন্সির সময় এমন একটা ইন্সিডেন্ট হলো এটা ওনার জন্য ক্ষতিকর হবে,,তখন ঔ ছেলেকে ধমক দিয়ে বলে তাহলে পরিক্ষা দিতে কেন আসছে,তার মানে কি আমি প্রেগনেন্ট হলে পড়ার অধিকার নাই,,ওসি আমার সাথে কথা বলতে চাইলে বারবার উনি প্রিন্সিপাল কথার মাঝে ইন্টারাপ্ট করছে,আমাকে কথা বলতেই দেয় নি,,এমন কি উনি বলছে উনি নাকি বলছে আমি মহিলা পুলিশকে মুখ দেখাতে অশিকার করছি,,তখন আমি ঔ কর্তব্যরত পলিশকে বলছি ভাইয়া আপনি বলেন তখন উনি বলছে আমি চাইছি কিন্তু কলেজ থেকে অনুমতি না দিলে নাকি মহিলা পুলিশ আনা যায় না,,ওনাকে প্রিন্সিপাল মানা করছে,,কলেজ থেকে থানায় লিখিত দিছে আমি নাকি হলে শিক্ষদের সাথে বাজে ব্যবহার করছি এবং ফোন ব্যবহার করছি তাই আমাকে আর পরিক্ষা দিতে দেয় নি,,হলের সব ছাত্র ছাত্রি শাক্ষি আমি কেমন ব্যবহার করছি আর আমাকে

মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️

08 Dec, 14:51


শাম অঞ্চল ‘ফিলিস্তিন’ নিয়ে মুহাম্মাদ (সা.) এর ১০টি ভবিষ্যদ্বাণী।

মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র নগরী মক্কা এবং মদিনার পরে তৃতীয় পবিত্র ও ভালোবাসার স্থান শামদেশ। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে শামদেশকে কেন্দ্র করে। কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত তৎকালীন সময়ে শামদেশ বলতে- বর্তমান সময়ের সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ভূখণ্ডকে বুঝানো হতো।

এ শামদেশকে কেন্দ্র করে যতগুলো তথ্য হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থগুলোতে পাওয়া যায়, সেই শামদেশের সীমানা অবশ্য আজকের সিরিয়া থেকে অনেক বিস্তৃত এবং বড় ছিল।
কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের সমন্বয়ে ছিল বিশ্বনবির সময়ের শামদেশ। অবশ্য সে সময়ের শামদেশের সবচেয়ে বড় অংশ বর্তমান সময়ের সিরিয়া হওয়ার কারণেই সিরিয়াকে শাম বলা হয়।

শামদেশের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য

যুগে যুগে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যত নবি-রাসুল সারা দুনিয়ায় এসেছিলেন, অধিকাংশ নবি-রাসুলই এসেছেন এ শামদেশে। আবার এ শামদেশ বা অঞ্চলই হবে কেয়ামতের ময়দান। কেয়ামতের দিন সব মানুষ এখানেই সমবেত হতে থাকবে। শামদেশ সম্পর্কে বিশ্বনবির ভবিষ্যদ্বাণী
এ শামদেশ তথা সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ফিলিস্তিন অঞ্চল সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য ও বক্তব্য রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ কিছু তুলে ধরা হলো-

১. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের ঘোষণা, আমার উম্মাতের মধ্যে এক দল সব সময়ই হকের উপর বিজয়ী থাকবেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত মুগিরাহ ইবনে শোবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন, ‘কেয়ামত আসা পর্যন্ত আমার উম্মাতের এক দল সব সময়ই (সত্যের উপর) বিজয়ী থাকবে। আর তাঁরা হলেন বিজয়ী।’ (বুখারি)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘এ উম্মাতের কার্যকলাপ কেয়ামত অবধি কিংবা বলেছিলেন, মহান আল্লাহ্‌ তাআলার হুকুম আসা পর্যন্ত (সত্যের উপর) সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে।
অর্থাৎ আমার উম্মতের মধ্যে একদল বা বিশেষ শ্রেণীর লোক থাকবে যারা সত্যের পথে লড়াই করতে থাকবে। তাদের সঙ্গে আল্লাহর সাহায্য থাকবে। আর তারা সত্যের পক্ষের সংগ্রামকে কেয়ামত না আসা পর্যন্ত অব্যাহত রাখবে। এ সংগ্রামী মানুষকে যারা ক্ষতি করতে চায়, কেউ তাদের কোনো ক্ষতিও করতে পারবে না।
হাদিসে উল্লেখিত যে দলটির কথা বলা হয়েছে, যারা আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য পাবেন এবং সত্যের উপর অবিচল থাকবেন, তাদের পরিচয় ও অবস্থান সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরাম বলেছেন-
> এ দলটি শামদেশ অঞ্চলের অবস্থানকারী হবেন। আর তা হবে ঠিক কেয়ামতের আগ মহূর্তে। তাছাড়া তাবরানির এক বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সে দলটি থাকবে সিরিয়া বা শামে।

২. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় সিরিয়া ও ইয়ামেন সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবে দোয়া করেছেন-
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي شَامِنَا وَفِي يَمَنِنَا
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের শাম এবং ইয়ামেনে বরকত দান করুন।’

এ দোয়া শুনে উপস্থিত ব্যক্তিরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের নজদেও বরকত দান করুন’- আপনি এ দোয়াও করুন। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কথা না শোনে আবারও শাম এবং ইয়ামেনের জন্য বরকতের দোয়া করলেন। এভাবে তৃতীয়বারও লোকেরা নজদের জন্য দোয়া করতে বললেন, আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথম ও দ্বিতীয় বারের মতো একই দোয়া করলেন।
তারপর রাসুলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, নজদ; সে স্থানে তো ফেতনা-ফাসাদ হবে; সেখানে তো হত্যা, মারামারি হবে; খুনাখুনি হবে; সেখানে ভূমিকম্প দেখা দেবে এবং সেখান থেকে শয়তানের আবির্ভাব হবে।
এখানে নাজদ বলতে যে অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে, অধিকাংশ ইসলামিক স্কলার নাজদ বলতে ইরাককে বুঝিয়েছেন। কেননা নাজদ বলা হয় উঁচু অঞ্চলকে। আবার সৌদি আরবের হেজাজকেও নজদ বলা হয়। তবে কানজুল উম্মালের বর্ণনায় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নজদ বলতে ইরাকের কথাই বলেছেন।

মূল কথা হলো-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বরকত ও কল্যাণ চেয়েছেন শামবাসীর জন্য। সেহিসেবে শাম অঞ্চল বা সিরিয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও প্রিয় ভূখণ্ড।

৩. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে হাওয়ালা রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন, ‘যখন তুমি দেখবে খেলাফত কোনো পবিত্র ভূমিতে অবতরণ করেছে বা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তখন তুমি মনে করবে যে, কেয়ামত খুব সন্নিকটে এসে গেছে।’ (আবু দাউদ ও মুসনাদে আহমাদ)
এ হাদিসে উল্লেখিত পবিত্র ভূমি সম্পর্কে হাদিস বিশারদগণ বলেছেন, ‘এ পবিত্র ভূমি বলতে শাম অঞ্চল বা সিরিয়া। উল্লেখিত হাদিসের পর্যালোচনা করলেই তা প্রমাণিত হয়ে যায়।

মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️

08 Dec, 14:51


৪. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সিরিয়াকে মুসলিম বিশ্বের হৃদপিণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছেন বা মন্তব্য করেছেন।’ (তিরমিজি) অর্থাৎ শামের লোকেরা যখন খারাপ হয়ে যাবে। মন্দ এবং খারাপ দিক যখন সিরিয়া বা শামের লোকদেরকে আক্রমণ করবে বা খারাপে পরিণত হবে; তখন তোমরা ধরে নেবে যে, পৃথিবীর কোনো অঞ্চল বা ভূখণ্ডে মুসলমানদের মধ্যে আর কোনো কল্যাণ অবশিষ্ট নেই।
অর্থাৎ হৃদপিণ্ডের মতো সিরিয়া বা শাম অঞ্চলের মানুষের মধ্যে যখন পছন ধরবে তখন পুরো দেহে তথা গোটা মুসলিম বিশ্বের পছন ধরে গেছে বলে মেনে নিতে হবে। এ হাদিসেও সিরিয়া বা শামদেশকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

৫. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একটা সময় আসবে যখন গোটা বিশ্বে বড় বড় যুদ্ধ দেখা দেবে তখন নওমুসলিমদের একটি দল আল্লাহর পক্ষে, সত্যের পক্ষে আল্লাহর দ্বীনের জন্য সংগ্রাম করতে থাকবে। ওই সময় আধুনিক যত অস্ত্র-শস্ত্র থাকতে তা নিয়েই তারা সজ্জিত থাকবে। আর সত্যের পক্ষে লড়াই করতে থাকবেন। (ইবনে মাজাহ)
সুতরাং চরম সংকটময় পরিস্থিতিতে আল্লাহ তাআলার বিশেষ সাহায্য ও অনুগ্রহ পাওয়ার কথা ঘোষিত হয়েছে। আর তা আসবে সিরিয়া নামক দেশের দামেস্ক শহরে।

৬. হজরত নাওয়াস ইবনে সামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার দাজ্জাল প্রসঙ্গে দীর্ঘ ও বিশদ আলোচনা করেছেন। এক পর্যায়ে তিনি বললেন, কেয়ামতের আগে হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম যে আসমান থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করবেন। তিনি যে স্থানে অবতরণ করবেন মূলত সিরিয়ার দামেস্ক নাম শহরে পূর্ব অঞ্চলে উঁচু এবং সাদা মিনারায়। তিনি অবতরণ করে দুনিয়াতে আসবেন এবং সারা দুনিয়ায় তাণ্ডব চালানো দাজ্জালের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করবেন। আর সিরিয়ার ‘লুদ’ নামক স্থানে তিনি দাজ্জালকে হত্যা করবেন।’ (মুসলিম)
একজন মুসলমানের কাছে শাম অঞ্চল যে তাৎপর্যপূর্ণ তা পরিস্কারভাবে এ হাদিসের মাধ্যমে সুস্পষ্ট।

৭. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কেয়ামতের আগে ইয়ামেনের হাজরামাউত নামক শহরে আগুনের তাপ দেখা দেবে, আগ্নেয়গিরি দেখা দেবে। আর সে আগুন মানুষকে ধাওয়া করতে থাকবে।
কেয়ামতের আগ মুহূর্তে সেই পরিস্থিতি আসলে করণীয় কী হবে? সে সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাহাবায়ে কেরাম দিকনির্দেশনা চেয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন- ‘তোমরা শামদেশ তথা সিরিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নেবে।’
হাদিসের অন্য বর্ণনায় বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন তিন (সিরিয়া, ইয়ামেন এবং ইরাকে) স্থানে এক সঙ্গে যুদ্ধ চলবে, তখন এক সাহাবি জানতে চাইলেন। হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে কোন পক্ষের হয়ে লড়াই করার নির্দেশ করবেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তুমি শামের হয়ে তথা সিরিয়ার হয়ে লড়াই করবে। যদি শামের পক্ষে লড়াই করার সামর্থ্য না থাকবে তবে ইয়ামেনের পক্ষে লড়াই করবে। এ হাদিস থেকে সুস্পষ্ট যে, শামের গুরুত্ব অনেক বেশি।

৮. কেয়ামতের আগে যে আগ্নেয়গিরি দেখা যাবে, যে আগুনের তাপ দেখা দেবে, সে আগুন মানুষকে ধাওয়া করতে থাকবে। সারা পৃথিবীর মানুষকে ধাওয়া করতে করতে থাকবে। মানুষকে ধাওয়া করতে করতে একটা সময় এক জায়গায় একত্রিত করবে। আর সেটি হলো সিরিয়া। পিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভাষায়- ‘আরদুল মাহশারে ওয়াল মানশার’ অর্থাৎ সিরিয়াই হবে কেয়ামতের ময়দান। কেয়ামতের সময় মানুষ সারা পৃথিবী থেকে এসে এ শাম অঞ্চলেই একত্রিত হতে থাকবে। (মুসনাদে আহামদ)

৯. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য হাদিসে ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর ফেরেশতারা শাম অঞ্চলের উপরে তাদের ডানা বিছিয়ে দিয়ে আছেন। অথবা ডানা বিছিয়ে রাখবেন।

১০. অন্য এক হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্বপ্নে বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘একবার আমি শুয়েছিলাম। দেখলাম আমার মাথার নিচ থেকে আল্লাহর কিতাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো। আর সেটাকে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন আমি তাকিয়ে দেখতে থাকলাম, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?
দেখলাম একটা আলোকরশ্মি চলে যাচ্ছে। যেতে যেতে সেটা শাম অঞ্চল তথা সিরিয়ার ভূমি পর্যন্ত চলে গেল। আর সেটা সেখানেই অবতরণ করল। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘যখন সারা পৃথিবীতে ফেতনা ফাসাদে ভরে যাবে তখন ঈমানের ঠিকানা হবে শাম বা সিরিয়া অঞ্চল আর ঈমানদারদের শেষ আশ্রয়স্থলও হবে শাম বা সিরিয়া অঞ্চল।
উল্লেখিত হাদিস থেকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে, কেয়ামতের আগ মুহূর্তে পবিত্র নগরী মক্কা-মদিনা থেকেও ঘটনাবহুলস্থানে পরিণত হবে শামদেশ তথা- কুরআন-সুন্নাহর পরিভাষায়, সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ফিলিস্তিন অঞ্চল। আর এ স্থানগুলো মর্যাদাও অনেক বেশি।

মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️

08 Dec, 14:32


উম্মাহর জাগরণে প্রতিপক্ষ নয়, সহযোগী হোন :

বিংশ শতাব্দী ছিল মুসলিম উম্মাহর পরাজয় ও লাঞ্ছনার শতাব্দী। এ শতাব্দীতেই মুসলিমরা হারিয়েছে তাদের গৌরবময় খিলাফাহ। ইতিহাস-ঐতিহ্য ভুলে বাঘের জাতি রূপান্তরিত হয়েছে বিড়ালের জাতিতে। অভিভাবকহীন উম্মাহ পদে পদে লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে। এতিমের মতো কখনো এ দুয়ারে এবং কখনো ও দুয়ারে ধরনা দিয়েছে। কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি, কেউ জায়গা দেয়নি। ক্রমশ বেড়েছে জুলুম-অত্যাচারের সীমা। প্রকৃত মুসলিমদের নাম-নিশানা মিটিয়ে দিতে একমত হয়েছে সমগ্র কুফফার বিশ্ব। ক্ষমতার লোভে তাদের সাথে জোট বেঁধেছে মুনাফিকদের দল। সময় গড়িয়েছে অনেক। মুসলিমরা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। দ্বীন-ধর্ম ত্যাগ করে কেউ প্রাধান্য দিয়েছে দুনিয়ার জীবন। কেউবা গিয়েছে আপোষের পথে। কেউবা মিশেছে বিজাতির সাথে। আর অল্প কিছু মানুষ বেছে নিয়েছে বন্ধুর পথ, যে পথ বিপদসংকুল, কণ্টকাকীর্ণ। এভাবেই কেটেছে গোটা বিংশ শতাব্দী।

এরপর আসল একবিংশ শতাব্দী। এটা হলো মুসলিমদের বিজয়ের শতাব্দী। এটা উম্মাহর ঘুরে দাঁড়ানোর সূচনাকাল। শুরু হলো নতুন খেলা। খেলার সূচনা করল মুসলিমরাই। ২০০১ সাল ছিল পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা মুসলিমদের ঘুরে দাঁড়ানোর সাল। এটা ছিল আঘাতের পরিবর্তে পাল্টা আঘাতের বছর। দুর্বলতা ও কাপুরুষতা কাটিয়ে সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনার সূচনাবর্ষ। কুফফার বিশ্ব চোখে-মুখে সর্ষেফুল দেখতে শুরু করল। সামরিক সক্ষমতায় যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও শয়তানের দল প্রতিটি ময়দানে রহমানের বান্দাদের হাতে মার খেতে লাগল। ফলে উম্মাহ ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করল। বিশ্বের প্রান্তে প্রান্তে আল্লাহর বান্দারা বিজয়ের স্বাদ পেতে শুরু করল। খোরাসান অঞ্চল দখলদারমুক্ত হলো। আল্লাহর যমিনে মুক্ত বাতাসে ইসলামের পতাকা উড়তে থাকল। এতে উম্মাহর যুবকদের হৃদয়ে বিজয়ের আশা ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার অগ্নিশিখা নতুন করে জেগে উঠল।

চলমান শতাব্দীর প্রথম দশকে উম্মাহর জাগরণ শুরু হলেও দ্বিতীয় দশকে এটা ব্যাপ্ত হয়েছে এবং তৃতীয় দশকে তা আরও শক্তিশালীরূপে আবির্ভূত হয়েছে। বর্তমানে উম্মাহর সচেতন মুসলিমদের হৃদয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা ও স্বজাতির অস্তিত্ব রক্ষার ব্যাপারটি বেশ ভালোভাবেই গেঁথে গিয়েছে। উম্মাহর জাগ্রত শ্রেণি এখন সমুচ্চ স্বরেই ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলছে। যুবকদের শ্লোগানে শারিয়াহ কায়েমের আওয়াজ বেশ স্পষ্টভাবেই শোনা যাচ্ছে। দ্বীনে ফেরা জেনারেল ভাইয়েরা মানুষের কাছে দ্বীনের স্পষ্ট বার্তা বেশ সাহসিকতার সাথেই পৌঁছে দিচ্ছেন। বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে আধুনিক রিদ্দাহ ও জাহিলিয়াত মোকাবেলা করছেন এবং উম্মাহর ইমান-আকিদার হেফাযতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। উম্মাহর রাব্বানি আলিমরাও দ্বীনের সুষ্পষ্ট আহকাম নিয়ে কথা বলছেন এবং দালিলিকভাবে বাতিল আকিদা ও মতাদর্শ খণ্ডন করে চলছেন। সব মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে উম্মাহ যে আবার জেগে উঠছে, তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।

এমন গুরুত্বপূর্ণ ও সঙিন মুহূর্তে উম্মাহর এ জাগরণকে থামিয়ে দেয় এমন সকল পদক্ষেপ থেকে আমাদের বিরত থাকা কর্তব্য। দল, মাসলাক ও মানহাজের ভিন্নতাকে পাশ কাটিয়ে কুফফার ও মুনাফিক গোষ্ঠার বিরুদ্ধে পরিচালিত বুদ্ধিবৃত্তিক এ যুদ্ধে সকল মুসলিমের সহযোগিতা করা একান্ত অপরিহার্য। ফিকহি ইখতিলাফ ও আকিদার শাখাগত মতানৈক্য নিয়ে বিভেদ তৈরি না করে দ্বীন-ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে সবার কাজ করা জরুরি। ইমান-আকিদার প্রতিরক্ষা ও প্রকৃত মুসলিমদের অস্তিত্ব রক্ষার এ লড়াইয়ে হেরে গেলে না থাকবে দল, আর না থাকবে মাসলাক-মাযহাব। তাই মুসলিমদের এমন সংকটকালে দলীয় দ্বন্দ্ব উসকে না দিয়ে সবাই ভাই-ভাই হয়ে যাই এবং উম্মাহর জাগরণে যারা কাজ করছে তাদের সহযোগী হই। আল্লাহ না করুন, সহযোগী হতে না পারলেও কমপক্ষে যেন তাদের প্রতিপক্ষ না হই। আল্লাহ আমাদের বোঝার ও উম্মাহর জাগরণে সহযোগী হওয়ার তাওফিক দান করুন।

~ মুফতি তারিকুজ্জামান হাফিজাহুল্লাহ

মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️

07 Dec, 01:31


হিন্দু-প্রধান দেশ বলেই কি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ইন্ডিয়া বিরোধি?

এক কথায় এর উত্তর হলো— না।

হিন্দু প্রধান দেশ হওয়ার জন্যেই যদি ইন্ডিয়াকে এই দেশের মানুষ অপছন্দ করতো, তাহলে নেপালের লোকজনের সাথে বাংলাদেশের মানুষজনের সাপেনেউলে সম্পর্ক থাকতো।

হিন্দু প্রধান দেশ হওয়ার কারণে যদি এ দেশের মানুষ ইন্ডিয়াকে ঘৃণা করতো, তাহলে এই দেশে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সাথে হাজার বছর ধরে সম্প্রীতি রক্ষা করে তারা বাস করতে পারতো না।

এই দেশে যতোগুলো সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে ইতোপূর্বে, তার বড় অংশটাই হচ্ছে রাজনৈতিক প্রভাবিত৷ এর বাইরেও যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সেসব ঘটনাকে এই দেশের বৃহত্তর মুসলিম সমাজ কখনোই সাবস্ক্রাইব বা সমর্থন করেনি।

অন্যদিকে আপনি ইন্ডিয়ার দিকে তাকান। সেখানে গড়ে প্রায় প্রতিদিনই সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটছে। এই তো কয়েকদিন আগেই মসজিদে তিনজন মুসলমানকে মেরে ফেলেছে হিন্দুরা। গরু নামক জীবটাকে কেন্দ্র করে ইন্ডিয়ায় যে পরিমাণ সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে, সেসব দিয়ে এনসাইক্লোপিডিয়া রচনা করে ফেলাও সম্ভব।

এবার, একটু বিপরীতে গিয়ে ভাবি।

বাংলাদেশের মানুষজনকে ইন্ডিয়ার লোকজন ঠিক কেন ঘৃণা করে?

ইয়েস। মোটাদাগে মুসলমান প্রধান দেশ হওয়ার কারণেই। তারা আমাদেরকে ‘দ্বিতীয় পাকিস্তান’ ছাড়া আর কোনোকিছু ভাবে না।

আপনি বলতে পারেন, দুনিয়ার আর কোনো দেশকে তারা কি ‘মুসলমান’ হওয়ার কারণে ঘৃণা করে?

আলবৎ করে। দুনিয়ার প্রায় প্রত্যেকটা মুসলিম প্রধান দেশ নিয়ে ইন্ডিয়ানদের সীমাহীন ঘৃণা আছে। আরব দেশগুলোকে তো তারা দুই চোখে দেখতেই পারে না। আমাদের এইখানে যে মুসলিম সংস্কৃতি, এই যে দাড়িটুপি, হিজাব-পর্দা, এগুলোকে যে সেক্যুলারেরা অপছন্দ করে, সেই অপছন্দের নামটা কী? আরব সংস্কৃতি।

আরব সংস্কৃতি মানেই পরিত্যাজ্য—এই ন্যারেটিভটা ইন্ডিয়ানদেরই।

যদিও প্রচুর ইন্ডিয়ান আরব দেশগুলোতে আছে আর কাজ করে। কিন্তু তাদের মনে আছে সীমাহীন মুসলিমবিদ্বেষ।

আপনি ভাবতে পারেন যে আমি হয়তো একটু বাড়িয়েই বলছি।

যদি আপনার মনে হয় যে আমি কোনোকিছু বাড়িয়ে বলছি, তাহলে Fee লি শ ত্বীন ইস্যুতে ইন্ডিয়ানদের টুইট আর মন্তব্যগুলো খেয়াল করবেন।

Fee লি শ ত্বীনের সাথে ইন্ডিয়ার না আছে বর্ডার, না আছে রাজনীতি, না আছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক। কিন্তু ওরা কেন দলবেঁধে ই শ Raaa Yeel কে সমর্থন করে জানেন? কারণ ই শ Raaa Yeel মুসলিম মারে।

পাক জান্তাদের বর্বরতাকে কোনোভাবেই জাস্টিফাই করছি না৷ তবে, মুক্তিযুদ্ধে ইন্ডিয়া আমাদের ‘সাহায্য’ করেছে কেবলমাত্র পাকিস্তানকে বিভক্ত আর দুই টুকরো করতে। শত্রুর ঘরে লাগা আগুনে আলুপোড়া খেতে কে না পছন্দ করে৷

~ আরিফ আজাদ

মুক্ত বাতাসের খোঁজে⬇️

03 Oct, 03:39


ধারাবাহিকভাবে ভিডিওগুলা দেখার অনুরোধ রইলো

2,177

subscribers

56

photos

24

videos