ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল @islamicarticlebd Channel on Telegram

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

@islamicarticlebd


অন্যান্য চ্যানেলঃ
❑ t.me/hakeemacademybd
❑ t.me/islamiclibraryintl
❑ t.me/islamimasayel
❑ t.me/iiqbyhakeemacademy
❑ t.me/iisbyhakeemacademy
❏ t.me/hakeemacademy
❑ t.me/islaah_academy
❑ t.me/selectedwaz
❑ t.me/islamicaudiobd
✪ যোগাযোগঃ t.me/nurulhakim365

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল (Bengali)

ইসলামি আর্টিকেল চ্যানেলটি একটি সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং মৌলিক ধর্মের প্রসারে মূল মাধ্যম। এই চ্যানেলে আপনি ইসলামিক বিষয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল, লেখা, উপদেশ এবং মৌলিক সংস্কৃতির কাহিনী পাবেন। যারা ইসলামিক জ্ঞান সংক্রান্ত সঠিক ও মৌলিক তথ্য প্রচার এবং শেয়ার করতে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল। এই চ্যানেল আপনার ইসলামিক জীবনে নতুন আলোক নিয়ে আসবে এবং আপনার ধার্মিক জ্ঞান পরিপন্থি করতে সাহায্য করবে। চ্যানেলে যোগ দিন এবং ইসলামিক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করুন।

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

10 Nov, 02:17


শহীদের মর্যাদা ও ফজীলত
━━━━━ • ✿ • ━━━━━

যদি দ্বীনের উপর অবিচল থাকার কারণে আল্লাহ পাকের কোনো বান্দা-বান্দীকে হত্যা করা হয়, অথবা দ্বীনের পথে জিহাদ ও মেহনত করতে গিয়ে কারো মৃত্যু হয়, তবে শরীয়তের পরিভাষায় তাকে শহীদ বলে। আল্লাহ পাকের দরবারে শহীদের অনেক অনেক মর্যাদা। কোরআন শরীফে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,

وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ

যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছে, তাদেরকে অন্য মৃতদের মতো মনে করো না। বরং তারা বিশেষ হায়াত প্রাপ্ত এবং তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে বিভিন্ন রিযিক ও নেয়ামত প্রাপ্ত হচ্ছে। সূরা আলে ইমরান ৩/১৬৯

এক হাদীসে এসেছে, নবীজী এরশাদ করেন,

مَا أَحَدٌ يَدْخُلُ الجَنَّةَ يُحِبُّ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الدُّنْيَا، وَلَهُ مَا عَلَى الأَرْضِ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا الشَّهِيدُ، يَتَمَنَّى أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الدُّنْيَا، فَيُقْتَلَ عَشْرَ مَرَّاتٍ لِمَا يَرَى مِنَ الكَرَامَةِ

কোনো জান্নাতী এটা চাবে না যে, তাকে আবার দুনিয়াতে পাঠানো হোক, যদিও তাকে সারা পৃথিবীর মালিক বানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু একজন শহীদ তাঁর জান্নাতী মর্যাদা প্রত্যক্ষ করে কামনা করতে থাকবে, তাকে অন্তত দশবার দুনিয়াতে পাঠানো হোক, যেন প্রতিবার সে শহীদ হয়ে আসতে পারে। বুখারী, হাদীস নং ২৮১৭

স্বয়ং নবীজী শহীদী মৃত্যুর তামান্না করে ইরশাদ করেন,

وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ... لَوَدِدْتُ أَنِّي أُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ، ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ، ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ

ঐ সত্ত্বার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! আমার বড় ইচ্ছে হয়, আমি আল্লাহর রাস্তায় নিহত হবো। আমাকে জীবিত করা হবে, আবার আমি নিহত হবো। পুনরায় আমাকে জিন্দা করা হবে এবং আমি আবার আল্লাহর রাস্তায় জীবন বিলিয়ে দিবো। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭২২৬

এক হাদীসে হসেছে,

لِلشَّهِيدِ عِنْدَ اللَّهِ سِتُّ خِصَالٍ: يُغْفَرُ لَهُ فِي أَوَّلِ دَفْعَةٍ، وَيَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الجَنَّةِ، وَيُجَارُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَيَأْمَنُ مِنَ الفَزَعِ الأَكْبَرِ، وَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجُ الوَقَارِ، اليَاقُوتَةُ مِنْهَا خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا، وَيُزَوَّجُ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً مِنَ الحُورِ العِينِ، وَيُشَفَّعُ فِي سَبْعِينَ مِنْ أَقَارِبِهِ

শহীদ আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে বড়বড় ছয়টি পুরস্কার পাবে।

এক. তাকে তৎক্ষণাৎ ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং তাকে তার জান্নাতী নিবাস দেখনো হবে।

দুই. কবরের আযাব মাফ করে দেয়া হবে ।

তিন. হাশরের ময়দানে যখন ব্যতিক্রম ছাড়া সবাই সন্ত্রস্ত ও পেরেশান থাকবে, তখন আল্লাহ পাক তাকে সেই পেরেশানি ও বিভীষিকা থেকে মুক্ত রাখবেন।

চার. সেদিন তার মাথায় এমন একটি সম্মাননা মুকুট পরানো হবে, যার একেকটি হীরা ও মুক্তা দুনিয়া ও তার সব কিছু থেকে দামী হবে।

পাঁচ. স্ত্রী হিসাবে তাকে বাহাত্তরজন হুর দান করা হবে।

ছয়. তার নিকটজনদের মধ্যে হতে সত্তরজনের ব্যাপারে তার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং ১৬৬৩

অন্য এক হাদীসে এসেছে,

يُغْفَرُ لِلشَّهِيدِ كُلُّ ذَنْبٍ إِلَّا الدَّيْنَ

প্রদেয় ঋণ ব্যতীত শহীদ ব্যক্তির সমস্ত গুনাহ আল্লাহ তাআলা মাফ করে দেবেন। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৮৬

শহীদের মতো আল্লাহ পাকের রাস্তায় কেউ যদি কষ্টের সম্মুখীন হয়, কারো শ্লীলতা হানি হয়, ধন-সম্পদ লুণ্ঠিত হয়, তবে আল্লাহ তাআলার দরবারে এমন ব্যক্তিও অনেক বড় বড় সম্মান প্রাপ্ত হয়, যা দেখে ওলী-বুযুর্গরাও ঈর্ষা করে। দুনিয়াতে এ নিয়ম আছে যে, সরকারের অনুগত সৈনিকেরা যদি বীরত্ব প্রদর্শন করে এবং রাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষায় হতাহত হয়, তবে তাদেরকে রাষ্ট্রের পক্ষ হতে বড় বড় পুরস্কার ও খেতাব দেওয়া হয়। তেমনি যারা আল্লাহর দ্বীনের কাজ করার অপরাধে প্রহৃত হয়, লাঞ্ছিত হয়, এবং নানা ধরনের ক্ষতি ও বঞ্চনার শিকার হয়, আল্লাহ পাক কেয়ামতের দিন তাদেরকে জনসমক্ষে এমন এমন সম্মান আর মর্যাদা দান করবেন যে, অন্যরা তা দেখে আক্ষেপ করবে, হায়! দুনিয়াতে যদি আল্লাহর রাস্তায় আমাদের সঙ্গেও জুলুম করা হতো, লাঞ্ছনা আর গঞ্জনার আচরণ করা হতো, তাহলে এই পুরস্কার ও সম্মান লাভ করে আমরাও আজ ধন্য হতাম!

আয় আল্লাহ! এমন সুযোগ যদি আমাদের জীবনে আসে, তবে আমাদেরকে তুমি দৃঢ়পদ রেখো, সাহায্যে কোরো।

উৎসঃ মারকাযুল কুরআন | ইসলাম ও মুসলমানের পরিচয়

━━━━━━ • ✿ • ━━━━━━
HAKEEM ACADEMY | iLIBRARY
ISLAMIC ARTICLE | iMASAYEL

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

09 Nov, 02:15


কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত
-মুফতী মনসূরুল হক (দা. বা.)
━━━━━━ • ✿ • ━━━━━━

১. নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম পথ চলার সময় রাস্তা হতে লোকদের ধাক্কানো বা সরানো হত না। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং- ১৪২৩৬)

২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট কেউ কিছু চাইলে তিনি কখনও না বলতেন না। (অর্থাৎ প্রার্থিত জিনিস থাকলে তা দিয়ে দিতেন, আর না থাকলে অপারগতা প্রকাশ করতেন।) (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং- ১৪২৯৪)

৩. প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কারো মুখ হতে স্বীয় চেহারা মুবারক ফিরিয়ে নিতেন না যতক্ষণ না সে তার চেহারা ফিরিয়ে নিত। কোন ব্যক্তি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কানে কানে কোন কথা বলতে চাইলে তিনি তার দিকে স্বীয় কান মুবারক বাড়িয়ে দিতেন এবং যতক্ষণ তার কথা শেষ না হতো, ততক্ষণ স্বীয় কর্ণ মুবারক সরিয়ে নিতেন না। (ইবনে মাজাহ, হাদীস নং- ৩৭১৬/ আবু দাউদ, হাদীস নং- ৪৭৯৪)

৪. নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাক্ষাতকালে নিজেই আগে সালাম করতেন, তারপর দু’হাতে মুসাফাহা করতেন। অনেক দিন পর কারো সাথে সাক্ষাত হলে তার সাথে মু‘আনাকাও করতেন। (আবু দাউদ, হাদীস নং- ৫২১৪/ বুখারী শরীফ হাদীস নং- ৬২৬৫-৬২৬৬)

বি.দ্র. সালাম দেয়ার সময় হাত তোলা বিধর্মীদের নীতি। সুতরাং হাত তুলবে না। তবে আওয়াজ না পৌঁছার আশংকা থাকলে হাত তুলতে পারে। কিন্তু স্যালুটের মত করে হাত তুলবে না। আর মুসাফাহার সময় প্রত্যেকের এক হাত অপর ব্যক্তির দু‘হাতের মাঝখানে থাকবে। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৬২৬৫)

অমুসলিমদের হ্যান্ডসেকের মত করে হাত ধরবে না। মু‘আনাকার সময় উভয় ব্যক্তি নিজের ডান গর্দান একবার মিলাবে। সাধারণত লোকেরা উভয় দিকে তিনবার সিনা মিলিয়ে থাকে এবং ঈদের দিন মু‘আনাকার ধুম পড়ে যায়। এর কোন ভিত্তি নেই।

৫. রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাউকে বিদায় দেয়ার সময় মুসাফাহা করতেন এবং এই দু‘আ পড়তেনঃ

اَسْتَوْدِ عُ اللهَ دِيْنَكُمْ وَاَمَانَتَكُمْ وَخَوَاتِيْمَ اَعْمَالِكُمْ.

(আবু দাউদ, হাদীস নং- ২৬০১)

এবং যাকে বিদায় দিতেন তিনি এ দু‘আটি পড়তেনঃ

اَسْتَوْدِعُكُمُ اللهَ الَّذِيْ لَا تَضِيْعُ وَدَائِعُهٗ.

(ইবনে মাজাহ হাদীস নং- ২৮২৫)

৬. রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন পছন্দনীয় জিনিস হাসিল করলে এই দু‘আ পড়তেনঃ

اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ بِنِعْمَتِهٖ تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ.

(ইবনে মাজাহ, হাদীস নং- ৩৮০৩)

৭. পক্ষান্তরে মনের ইচ্ছার ব্যতিক্রম কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে এই দু‘আ পড়তেন:

اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ عَلٰی كُلِّ حَالٍ.

(ইবনে মাজাহ, হাদীস নং- ৩৮০৩)

৮. রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে এই দু‘আ পড়তেনঃ

يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ  بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغِيْثُ.
(তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৫২৪)

৯. হুযুর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কারো দিকে তাকাতেন, তখন সম্পূর্ণ চেহারা ঘুরিয়ে তাকাতেন। অহংকারীদের ন্যায় আড় চোখে তাকাতেন না। (শামায়িলে তিরমিযী, পৃ. ১)

১০. হুযুর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বদা দৃষ্টি নীচু করে থাকতেন। অধিক লাজুক হওয়ার কারণে তিনি কারো প্রতি দৃষ্টি ভরে তাকাতে পারতেন না। (শামায়িলে তিরমিযী, পৃ. ২)

১১. হুযুর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম পথ চলার সময় কিছুটা সম্মুখ পানে ঝুঁকে চলতেন। দেখলে মনে হতো যেন তিনি উপর হতে নীচের দিকে অবতরণ করছেন। (শামায়িলে তিরমিযী, পৃ. ১)

১২. প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবার সাথে মিলেমিশে থাকতেন, স্বতন্ত্র মর্যাদা বজায় রেখে চলতেন না। মাঝে মাঝে তিনি হাসি-কৌতুকও করতেন। তবে সে কৌতুকও হতো বাস্তবসম্মত। কাউকে কটাক্ষ করে বা অবাস্তব কথা বলে তিনি কোন কৌতুক করতেন না।(শামায়িলে তিরমিযী,পৃ. ১৫)

বি.দ্র. হাসি কৌতুক-এর অনেক হিকমতের মধ্যে একটা হিকমত ছিল যে, এর কারণে লোকেরা নির্ভয়ে তাঁর নিকট যে কোন দীনী প্রশ্ন করার সুযোগ পেত।

১৩. কোন দুঃস্থ বা বৃদ্ধা মহিলা হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে কথা বলতে চাইলে, রাস্তার একপার্শ্বে গিয়ে তিনি তাদের কথা শুনতেন। (শামায়িলে তিরমিযী, পৃ. ২২)

১৪. রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় পরিবারের লোকদের ব্যাপারেও খুব লক্ষ্য রাখতেন। যাতে তাঁর দ্বারা তাদের কোনরূপ কষ্ট না হয়। এজন্য রাতে ঘর হতে বের হওয়ার প্রয়োজন হলে অত্যন্ত ধীরস্থিরভাবে উঠে জুতা পরিধান করতেন এবং নিঃশব্দে দরজা খুলে বের হতেন। অনুরূপভাবে ঘরে প্রবেশ করার সময়ও নিঃশব্দে প্রবেশ করতেন, যাতে ঘুমন্ত ব্যক্তিদের ঘুমের কোন প্রকার ব্যাঘাত না ঘটে।(মুসলিম, হাদীস নং- ১০৩)

১৫. কোন সন্তানের বয়স সাত বছর হলে তাকে নামায এবং শরীয়তের অন্যান্য বিধি-বিধান পালনে অভ্যস্ত করানোর নির্দেশ দিতেন। (তিরমিযী, হাদীস নং- ৪০৭)

❏❏ অসম্পূর্ণ | পর্ব-০২

উৎসঃ ইসলামী যিন্দেগী

─━━━━━━━━⊱✿⊰━━━━━━━─
আমাদের Telegram চ্যানেল সমূহ:
HA | IL | IA | IM | IIQ | IIS | IIA | SIB | SW | SA | IA | IA | HAI

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

04 Nov, 02:22


অন্তরের ১০টি রোগের বর্ণনা
━━━━━ • পর্ব-০১ • ━━━━━

অন্তরের ১০টি রোগের চিকিৎসা করে অন্তরের ১০টি গুণ হাসিল করার নাম তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধিযা শরী‘আতের দৃষ্টিতে ফরযে আইন এবং এর জন্যে কোন ইজাযত প্রাপ্ত শাইখের সাথে ইসলাহী সম্পর্ক করাও ফরযে আইন। বাইআত হওয়া ফরয বা ওয়াজিব নয় বরং এটা মুস্তাহাব, এর উপর আত্মশুদ্ধি নির্ভর করে না। আত্মশুদ্ধি অর্জন হলে সমস্ত জাহেরী গুনাহ বর্জন করা এবং জাহেরী ইবাদত-বন্দেগী করা সহজ হয়ে যায় এবং সেই বন্দেগীকে তাকওয়ার যিন্দেগী বা সুন্নতী যিন্দেগী বলে এবং সে ব্যক্তি তথন আল্লাহর ওলী হয় এবং তার হায়াতে তাইয়িবা তথা পবিত্র জীবন নসীব হয়। আল্লাহ তা‘আলা সকলকে এ দৌলত নসীব করেন, আমীন।

অন্তরের ১০টি রোগের বর্ণনা
═════════════════

১. বেশী খাওয়া এবং ভাল খানার প্রতি লোভী হওয়া
বেশি খাওয়া এবং উদর পূর্তি করে খাওয়া অসংখ্য গুনাহের মূল। এজন্য হাদীসে পাকে ক্ষুধার্ত থাকার অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। রাসূল আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ “মানুষের জন্য পূর্ণ করার ক্ষেত্রে পেটের থেকে খারাপ কোন পাত্র নেই।” (বুখারী হা: নং ৪৩৪৩)

খানা কম খাওয়ার উপকারসমূহ
১. অন্তরে স্বচ্ছতা সৃষ্টি হয়।
২. দিল নরম হয় এবং মুনাজাতে স্বাদ অনুভূত হয়।
৩. অবাধ্য নফস অপদস্থ ও পরাজিত হয়।
৪. নফসকে শাস্তি দেওয়া হয়।
৫. কুপ্রবৃত্তি দুর্বল হয়ে যায়।
৬. বেশী নিদ্রা আসে না এবং ইবাদত কষ্টকর হয় না।
৭. দুনিয়াবী চিন্তাভাবনা কমে আসে এবং জীবিকা নির্বাহের বোঝা হাল্কা হয়ে যায়।

✓ উল্লেখ্য বর্তমান যামানার লোকেরা পূর্বের তুলনায় অনেক কমজোর হওয়ায় তাদের খানার মুজাহাদার ব্যাপারে হাকীমুল উম্মত হযরত থানভী রহ. লিখেছেনঃ এ যমানায় খানার মুজাহাদার অর্থ হলো পেট পূর্ণ হতে ২/৪ লুকমা বাকী থাকা অবস্থায় খানা শেষ করা এবং নফস বা শরীর দিয়ে খুব কাজ নেয়া।

২. অধিক কথা বলা
যবান হল অন্তরের দূত, অন্তরের যাবতীয় নকশা ও কল্পনাকে যবানই প্রকাশ করে। এজন্য যবানের ক্রিয়া বড় মারাত্মক হয়।
এজন্যই আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকটা কথাই সংরক্ষণ করা হয়। (সূরা কাফ-১৮)

হাদীসে পাকে ইরশাদ হয়েছেঃ যে ব্যক্তি নিজের লজ্জাস্থান এবং জিহবাহর ব্যাপারে আমাকে নিশ্চয়তা দিতে পারবে আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দিব। (বুখারী হা: নং ৬৪৭৪)

কথা বেশী বলার ক্ষতিসমূহ
১. মিথ্যা বলায় অভ্যস্ত হয়ে পড়া।
২. গীবতে জড়িয়ে পড়া।
৩. অনর্থক ঝগড়া করা।
৪. অতিরিক্ত হাসাহাসি করা, যাদ্দরুন দিল মরে যায়।
৫. অন্যের অযাচিত প্রশংসা করা।

চুপ থাকার উপকারিতা
১. মেহনতবিহীন ইবাদত।
২. সাম্রাজ্যবিহীন দাপট।
৩. দেওয়ালবিহীন দূর্গ।
৪. অস্ত্রবিহীন বিজয়।
৫. কিরামান কাতবীনের শান্তি।
৬. আল্লাহভীরুদের অভ্যাস।
৭. হেকমতের গুপ্তধন।
৮. মূর্খদের উত্তর।
৯. দোষসমূহ আবৃতকারী।
১০. গুনাহসমূহ আচ্ছাদনকারী।

৩. অহেতুক গোস্বা করা
এটা অত্যন্ত খারাপ একটি আত্মিক ব্যাধি। রাগ দোযখের আগুনের একটি টুকরা এজন্য রাগান্বিত ব্যক্তির চেহারা লাল হয়ে যায়। এর কারণে মারামারি, ঝগড়াঝাটি, গালাগালী, এমনকি খুনাখুনী পর্যন্ত সংঘটিত হয়।
এমনকি অনেকে বৃদ্ধ বয়সে এসে তুচ্ছ ঘটনায় বিবিকে তিন তালাক দিয়ে পস্তাতে থাকে।

মহানবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন: ঐ ব্যক্তি বাহাদুর নয় যে যুদ্ধের ময়দানে দুশমনকে নীচে ফেলে দেয় বরং ঐ ব্যক্তি বাহাদুর যে রাগের মুহূর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। (বুখারী হাদীস নং ৬১১৪)

গোস্বার চিকিৎসা
দুইভাবে গোস্বার চিকিৎসা করা হয়। ১. ইলমী বা জ্ঞানগত পদ্ধতিতে ২. আমলী বা কার্যগত পদ্ধতিতে।

ইলমী চিকিৎসা হলঃ গোস্বার সময় চিন্তা করতে হবে গোস্বা কেন আসে? গোস্বা আসার কারণ তো এটাই যে, যে কাজটি আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে সে কাজটি আমার মনের মোতাবেক কেন হয়নি? কেন এটা আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী হল? তার মানে আমি আল্লাহর ইচ্ছাকে আমার ইচ্ছার অনুগত বানাতে চাই? নাউযুবিল্লাহ! এভাবে চিন্তা করলে গোস্বার বদ অভ্যাস দূর হয়ে যাবে।

আর আমলী চিকিৎসা হলঃ
গোস্বা আসলে ১ (أعُوْذ ُبِاللهِ مِنَ الشيْطَانِ الرَّجِيْمِ) পড়বে, ২. নিজ অবস্থা পরিবর্তন করবে। অর্থাৎ, দাঁড়ানো থাকলে বসে পড়বে, বসে থাকলে শুয়ে পড়বে। ৩. যার প্রতি গোস্বার উদ্রেক হয় তার সামনে থেকে সরে পড়বে। ৪. তারপরও গোস্বা ঠান্ডা না হলে উযু করবে, নিজ গালকে মাটিতে লাগিয়ে দিবে। এভাবে আমল করলে গোস্বা দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

(অসম্পূর্ণ)

✪ পর্ব-০২

উৎসঃ ইসলামি যিন্দেগী | প্রবন্ধ

──────⊱◈◈◈⊰──────
HAKEEM ACADEMY | ISLAMIC ARTICLE

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

30 Oct, 06:12


জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ এবং যে কোন হুরকে বিয়ে করার আমল
(প্রতি ফরয নামাযের পর সূরা এখলাস ১০ বার)
━━━━━━ • ✿ • ━━━━━━

হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি কাজ এমন রয়েছে, যে ব্যক্তি এগুলো সম্পাদন করে, সে জান্নাতের দরজা গুলোর যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে এবং জান্নাতের যে কোন হূরের সাথে ইচ্ছা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।

❑ যে ব্যক্তি তার হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেয়
❑ নিজের গোপনীয় ঋণ পরিশোধ করে এবং
প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে দশ বার সূরা ইখলাস পড়ে।

তখন হযরত আবু বকর (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! এই তিনটি কাজের যে কোন একটি যদি কেউ করে? উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, একটি করলেও একই রকম সম্মান সে লাভ করবে। (দুররে মানসুর ৮/৬৭৩, ইবনে কাসীর)

• ────── ✾ ────── •

যে কোন সময় সূরা এখলাস ১০ বার পড়লে জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মিত হয়

হযরত মুআয ইবনে আনাস আল জুহানী (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, কেউ যদি ১০ বার সূরা এখলাস পাঠ করে তবে আল্লাহ তা'য়ালা তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন । হযরত ওমর (রাঃ) আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তবে তো আমি অনেক বেশি পরিমাণে পড়ব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালাও অনেক বেশী ও উত্তম সওয়াব দানকারী।

(মুসনাদে আহমদ/ ইবনে কাসীর)

উৎসঃ প্রতিদিনের নেক আমল | পৃষ্ঠা-৭৩

─━━━━━━━━⊱✿⊰━━━━━━━─
আমাদের Telegram চ্যানেল সমূহ:
HA | IL | IA | IM | IIQ | IIS | IIA | SIB | SW | SA | DOT | IA | HAI | WA1 | WA2 | WA3
কয়েকটি ইসলামী এন্ড্রয়েড Apps:
IJ | MB | MQ | AHM | KQ | SLT

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

28 Oct, 02:24


খুশু বা একাগ্রতার হাকীকত
━━━━━━ • ✿ • ━━━━━━

হযরত থানবী (রহঃ) ইরশাদ করেন, নামাযে খুশু ও একাগ্রতার হাকীকত হলাে, মনের স্থিরতা। অর্থাৎ, চিন্তা-ফিকিরের আন্দোলিত হওয়ার বিষয়টি থেমে যাওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া। আর এমনটি অর্জন করা মন ও মানসিকতা অনুসারে বিভিন্ন রকমে হয়ে থাকে। কারাে যদি মনের স্থিরতা এমনভাবে অর্জিত হয় যে, সে মনে মনে ধ্যান করলাে, পবিত্র বাইতুল্লাহ আমার সামনে আছে, তবে তার জন্য এটাই উত্তম। আবার কারাে জন্য যদি এমনটি সহজ হয় যে, সে যে শব্দগুলাে মুখে উচ্চারণ করছে, তার প্রতি ধ্যান করবে, তবে সেক্ষেত্রে তার জন্য এমনটি করাই মুনাসিব বা উচিত। আর যার পক্ষে আল্লাহ পাকের পবিত্র সত্তার দিকে মনােনিবেশ করা সহজ হয় তবে তার ক্ষেত্রে এটাই সবচাইতে ভাল ও উত্তম।

হযরত থানবী (রহঃ) বলেন যে, একটি যরুরী কথা যা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত হয়েছে। তাহলাে, খুশু বা একাগ্রচিত্ততার ক্ষেত্রে খুব বেশী বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে বেশী বাড়াবাড়ি করা হলে দু-এক রােকন আদায় করার পর মন-মানসিকতার মাঝে ক্লান্তি এসে যায় এবং তখন ধ্যান ও খেয়াল বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

কখনাে ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি মনের মাঝে অন্যান্য ধ্যান-খেয়াল আসা-যাওয়া করতে থাকে, তবে তা খুশু বা একাগ্রচিত্ততার পরিপন্থী নয়। তবে সেজন্য শর্ত হচ্ছে ঐসব ধ্যান ও খেয়ালের প্রতি লক্ষ্য ও মনােনিবেশ করা যাবে না। একটি বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি এভাবে বুঝা যায়, যেমন কেউ যদি কোন একটা বিন্দুকে দেখতে চায়, তবে স্বাভাবিকভাবে তার আশপাশের প্রতিও নযর পড়ে। কিন্তু যেহেতু অন্তরের মনােনিবেশ সেদিকে থাকে না, তাই সেটা হিসাবেও আসে না। বরং সেক্ষেত্রে একথাই বলা হয় যে, সে ঐ বিন্দুটিকেই দেখছে। অনুরূপভাবে অন্তরের মনােনিবেশ যখন বিশেষভাবে কোন বস্তুর প্রতি নিবদ্ধ থাকে, তখন স্বাভাবিক নিয়মেই তার আশেপাশের কিছু জিনিসও তার সামনে থাকবে। কিন্তু ওসব জিনিস শুধু সামনে থাকাটা ঐ মনােনিবেশের ক্ষেত্রে বাধা বা অন্তরায় নয়। যতক্ষণ ইচ্ছাকৃতভাবে ঐ জিনিসগুলাের প্রতি মনােনিবেশ করা না হবে।

উৎসঃ মাজালিসে হাকীমুল উম্মত | পৃষ্ঠা-২৯৩

─━━━━━━━━⊱✿⊰━━━━━━━─
আমাদের Telegram চ্যানেল সমূহ:
HA | IL | IA | IM | IIQ | IIS | IIA | SIB | SW | SA | IA | IA | HAI | WA1 | WA2 | WA3
কয়েকটি ইসলামী এন্ড্রয়েড Apps:
IJ | MB | MQ | AHM | KQ | SLT

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

27 Oct, 02:25


তাসাওউফের সারবস্তু খুবই সহজ
━━━━━━ • ✿ • ━━━━━━

আল্লাহ পাকের নিয়ম হচ্ছে, যেসব জিনিস মানুষের জন্য খুব বেশী প্রয়ােজন, সেসব জিনিস অর্জন করা তিনি আসান করে দিয়েছেন। মানুষের সবচাইতে বেশী প্রয়ােজন হাওয়া। আর তা সব সময় সকল স্থানে বিনা পয়সায় পাওয়া যায়। বরং এটা কেমন যেন জোর করেই ভাগ দিয়ে দেয়ার মত। যদি কেউ এ থেকে বাঁচার ইচ্ছাও করে তবে সে ইচ্ছায় সফলকাম হওয়াও মুশকিল।

দ্বিতীয় পর্যায়ে মানুষের অধিক প্রয়োজন পানি। তাও ব্যাপকভাবে বিনা পয়সায় পাওয়া যায়। অবশ্য কোন কোন স্থানে খুব সামান্য মূল্যও নেয়া হয়। এমনিভাবে অন্যান্য জিনিসও। আর মানুষের সবচাইতে কম উপকারী হলাে, স্বর্ণ, চান্দী ইত্যাদি জাওহারসমূহ। আর এগুলাে হচ্ছে সবচাইতে বেশী দামী।

আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার পথ যেহেতু ব্যাপকভাবে মানুষের প্রয়ােজনীয় ও উপকারী বস্তু তাই সৃষ্টিগত দিক থেকে সেটা সহজলভ্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মুশকিল হলাে লােকদের অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়িই বিষয়টিকে কঠিন বানিয়ে রেখেছে। বর্তমানে মানুষের ইচ্ছা বহির্ভূত এবং নিষ্প্রয়ােজনীয় নীতিমালা এবং আমলের নাম রেখেছে তাসাওউফ। অথচ সেগুলাে মূলতঃ কোন তাসাওউফ নয়। বরং তাসাওউফ তাে হচ্ছে, এই বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহ পাকের দিকে মনােনিবেশ করার নাম যে, যখন আমরা মহান আল্লাহর দিকে মনােনিবেশ করবাে তখন হাদীস পাকের ওয়াদা মতে আল্লাহ পাক আমাদের মনােনিবেশ থেকে বেশী আমাদের দিকে মনােনিবেশ দান করবেন। এর মধ্যে তাে কোন নফল আমলেরও প্রয়ােজন নেই তবে ফরয আমলগুলাে ঠিক ঠিকভাবে আদায় করে নেয়া আবশ্যক। আর এতটুকুই যথেষ্ট। উলামায়ে কিরাম লিখেছেন অধিক পরিমাণে নফল ইবাদত করার চাইতে পরিপূর্ণভাবে ফরয ইবাদতগুলাে পালন করা অধিক উত্তম। আর এটি মানুষের মন-মানসিকতার সাথেও সামঞ্জস্যশীল। যেমন এক ব্যক্তি দাওয়াত দিয়ে দশ প্রকার খানা খাওয়ায়। কিন্তু তা সবই খারাপ। পক্ষান্তরে অপর এক ব্যক্তি শুধু এক প্রকারের খানা প্রস্তুত করে এবং তা খুব ভাল ও উন্নত। এক্ষেত্রে একথা স্পষ্টতঃই বুঝা যায় যে, আপনি ঐ দশ প্রকারের খানার তুলনায় এই এক প্রকারের খানাকেই অগ্রাধিকার দিবেন।

মুসনাদে ইমাম আহমদ (রহঃ)-এর মধ্যে একটি হাদীস আছে, যে হাদীসটি 'আত্তাকাশশুফ নামক গ্রন্থে বর্ণনা করা হয়েছে। সে হাদীসের মর্ম হচ্ছে, একবার কয়েকজন সাহাবী (রাযিঃ) বসেছিলেন। অপর একজন সাহাবী তাদের কাছ দিয়ে যেতে লাগলে তাদের মধ্য থেকে একজন সাহাবী (রাযিঃ) বললেন, ঐ ব্যক্তির প্রতি আমি অসন্তুষ্ট ও গােশ্বা। একজন সাহাবী (রাযিঃ) উঠে গিয়ে এ কথাটা ঐ সাহাবী (রাযিঃ) কে বললেন, যিনি ঐ স্থান দিয়ে যাচ্ছিলেন। সংবাদ পেয়ে সাহাবী (রাযিঃ) ফিরে এলেন। এবং জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি আমার সম্পর্কে একথা বলেছেন ? আমি এই ব্যক্তির প্রতি অসন্তুষ্ট ও গোশ্বা!

অপর সাহাবী (রাযিঃ) কথাটা স্বীকার করলেন যে, হাঁ আমি একথা বলেছি। প্রথম সাহাবী পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, আমার প্রতি গােশ্বা ও অসন্তুষ্টির কারণ কি? দ্বিতীয়জন উত্তর দিলেন, আমি তােমাকে কখনাে কোন নফল নামায পড়তে দেখিনি এবং নফল রোজা রাখতে দেখিনি। প্রথম সাহাবী এবার বললেন, আচ্ছা আপনি আমাকে ফরয আমলের ক্ষেত্রে কখনাে কোন শিথিলতা করতে দেখেননি তাে? দ্বিতীয়জন উত্তর দিলেন, না, ফরয আমলে কখনাে শিথিলতা করতে দেখিনি। এবার, প্রথম সাহাবী (রাযিঃ) বললেন, আমি তাে এটাকেই যথেষ্ট মনে করি। এরপর বিষয়টির সমাধানের জন্য উভয়েই উঠে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে উপস্থিত হলেন। হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথম সাহাবী (রাযিঃ)-এর রায় ফরয আমলকে যথেষ্ট মনে করা কেই সঠিক বলে বর্ণনা করলেন।

উৎসঃ মাজালিসে হাকীমুল উম্মত | পৃষ্ঠা-২৭৬

─━━━━━━━━⊱✿⊰━━━━━━━─
আমাদের Telegram চ্যানেল সমূহ:
HA | IL | IA | IM | IIQ | IIS | IIA | SIB | SW | SA | IA | IA | HAI | WA1 | WA2 | WA3
কয়েকটি ইসলামী এন্ড্রয়েড Apps:
IJ | MB | MQ | AHM | KQ | SLT

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

26 Oct, 02:17


গুনাহে পতিত হওয়ার কারণসমূহ
━━━━━━ • পর্ব - ০৭ • ━━━━━━

০৬। দীর্ঘ হায়াতের আশা করা

মুসলিম গুনাহে পতিত হয়ে যায়, হিসাবের কথা ভুলে যায়, ভুলে যায় প্রতিক্ষিতি প্রতিদান যেদিন পাবে সেদিনের কথা। এগুলো ভুলে যায় বান্দা তার দীর্ঘ হায়াতের আশা ও মওতের কথা ভুলে গেলে, মৃত্যু যন্ত্রণার কথা ভুলে গেলে, কবর ও সিরাতে মুসতাকিমের কথা ভুলে গেলে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন-

اَلَمْ يَاْنِ لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اَنْ تَخْشَعَ قُلُوْبُهُمْ لِذِكْرِ اللّٰهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ الْحَـقِّۙ وَلَا يَكُوْنُوْا كَالَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ مِنْ قَبْلُ فَطَالَ عَلَيْهِمُ الْاَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوْبُهُمْ‌ؕ وَكَثِيْرٌ مِّنْهُمْ فٰسِقُوْنَ

যারা মুমিন, তাদের জন্যে কি আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবর্তীর্ণ হয়েছে, তার কারণে হৃদয় বিগলিত হওয়ার সময় আসেনি? তারা তাদের মত যেন না হয়, যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল। তাদের উপর সুদীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হয়েছে, অতঃপর তাদের অন্তঃকরণ কঠিন হয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশই পাপাচারী। (সূরা হাদীদ, আয়াত ১৬)

আবদুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাধে ধরে বললেন, দুনিয়াতে তুমি এমনভাবে থাকো যেন তুমি আগন্তুক অথবা পথচারী।

হাফিজ ইবনু রজব হাম্বলি রহিমাহুল্লাহ বলেন: দুনিয়াতে অল্প হায়াতের আশা করার প্রেক্ষিতে এই হাদীসখানা হলো আসল বা মূল। আর নিঃসন্দেহে মুমিনদের জন্য উচিত নয় দুনিয়াকে বাসস্থান ও বসবাসের জায়গা হিসেবে গ্রহণ করে তাতে প্রশান্তি লাভ করবে। বরং মুমিনের জন্য উচিত হলো এখানে থাকবে সফরের ডানার ওপর ভর করে, যেখানে সে সফর বা যাত্রার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।

সাইয়িদুনা আলি ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: আমি তোমাদের ব্যাপারে দুই জিনিসের ভয় করি। আর তা হলো, কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ ও দীর্ঘ হায়াতের আশা করা। কেননা কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ হক থেকে বিরত রাখে আর দীর্ঘ হায়াতের আশা আখিরাতকে ভুলিয়ে দেয়।

হাসান বসরি রহিমাহুল্লাহ বলেন বান্দা দীর্ঘ হায়াতের আশা করেনা কেবল আমলকে ভুলে যায়।

জনৈক ব্যক্তি বসরায় কোন এক যাহেদকে বলল, বাগদাদে কী আপনার কোন প্রয়োজন আছে? তখন যাহেদ বলল, আমার আশাকে এত লম্বা করা পছন্দ করি না যে, সে বাগদাদ আসা যাওয়া করবে।

কোন এক হাকিম বলেন: জাহেল ব্যক্তি তার আশার ওপর ভরসা করে আর জ্ঞানী ব্যক্তি ভরসা করে নিজের আমলের ওপর।

কোন এক সাহিত্যিক বলেন: আশা হলো মরীচিকার মত। যে তা দেখে সেই ধোঁকা খায় আর যে তার আশা করে সেই ত্রুটিযুক্ত হয়।

হাসান রহিমাহুল্লাহ বলেন: উলামাদের তিনজন একত্রিত হলো। তারা তাদের একজনকে বলল, তোমার আশা আকাঙ্খা কী? সে বলল, আমার কাছে যে মাসই এসেছে আমি ধারণা করেছি যে মৃত্যুবরণ করব মাসটিতে। হাসান বলেন: তার সাথি তাকে বলল, নিশ্চয় এটি আশা আকাঙ্খা। অতপর দ্বিতীয় জনকে বলা হলো, তোমার আশা কী? সে বলল, আমার কাছে এমন কোন জুমা আসে নি যাতে আমি আশা করিনি যে সে জুমাতে আমি মৃত্যুবরণ করব। হাসান রহিমাহুল্লাহ বলেন: এটিও আশা। অতপর তারা দুজনে তৃতীয় জনকে জিজ্ঞেস করল, তোমার আশা কী? সে বলল, যার শ্বাস নিঃশ্বাস অন্যের হাতে তার কী আশা থাকতে পারে?

কোন এক সালাফ বলেন: এমন কোন ঘুমে যাইনি যে, নিজেকে বলেছি আমি এই ঘুম থেকে জাগ্রত হবো।

মারুফ কারখি নামাজে দাঁড়ালেন। অতপর এক ব্যক্তিকে বললেন, সামনে অগ্রসর হও, আর আমাদের নামাজের ইমামতি কর। অতপর লোকটি বলল, যদি আমি এই নামাজে আপনাদের ইমামতি করি তাহলে এ ছাড়া আর কোন নামাজে আপনাদের ইমামতি করবো না। মারুফ কারখি বললেন, তুমি নিজের ব্যাপারে বলছ যে, আরও এক নামাজ পড়ানোর কথা। আল্লাহর কাছে দীর্ঘ আশা থেকে পানাহ চাই। কেননা, নিশ্চয়ই দীর্ঘ আশা নেক আমল থেকে বাধাপ্রদান করে।

আল্লামা ইবনুল কাইয়িম রহিমাহুল্লাহ বলেন: প্রবৃত্তির অনুসরণ ও উচ্চ আশা সকল ফাসাদের মূল, সকল অনিষ্টের মূল। কেননা, প্রবৃত্তির অনুসরণ হক জানতে ও হকের ইচ্ছা করা থেকে অন্ধ বানিয়ে দেয়, আর উচ্চ আশা আখিরাতকে ভুলিয়ে দেয় এবং আখিরাতের পাথেয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে ভুলিয়ে দেয়।

হাদীসে এরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সেই ব্যক্তি বুদ্ধিমান যে নিজের নাফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মৃত্যুর পরবর্তী সময়ের জন্য কাজ করে। আর সেই ব্যক্তি নির্বোধ ও অক্ষম যে তার নাফসের দাবির অনুসরণ করে আর আল্লাহ্ তা'আলার নিকটে বৃথা আশা পোষণ করে।

তাই আমরা নফসের দাবির অনুসারে চলে নির্বোধ হতে চাই না, আল্লাহর নিকট বৃথা আশা করতে চাই না। আল্লাহর কাছে পবিত্রতা ও নিরাপত্তা কামনা করছি।

✦✦ অসম্পূর্ণ | চলমান...✍️

🔰 গুনাহ থেকে ফিরে আসুন | পৃষ্ঠা-১০১

─━━━━━━━━⊱✿⊰━━━━━━━─
আমাদের Telegram চ্যানেল সমূহ:
HA | IL | IA | IM | IIQ | IIS | IIA | SIB | SW | SA | IA | IA | HAI | WA1 | WA2 | WA3
কয়েকটি ইসলামী এন্ড্রয়েড Apps:
IJ | MB | MQ | AHM | KQ | SLT

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

24 Oct, 02:27


হযরত ওমর (রাঃ) এর যামানায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনা...
━━━━━━ • ✿ • ━━━━━━

হযরত ওমর (রা.) এর যামানায় এক যুবক মসজিদে বসে ইবাদত করত এবং বেশি বেশি হযরত ওমর (রা.) এর দরবারে যাতায়াত করতো। এক পরমা সুন্দরী মহিলা তাকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য ফুসলাতে থাকে। এক পর্যায়ে যুবকটিকে আকৃষ্ট করে ফেলে এবং শেষ পর্যন্ত একদিন রাত্রবেলায় যুবকটি মহিলার বাড়িতে এসে পড়ে। মহিলা প্রথমে নিজে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে এবং যুবকটিকেও ঘরে প্রবেশ করতে বলে। যুবকটি ঘরে প্রবেশ করার সময় যখন সে এক পা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে এবং এক পা দরজার বাইরে রয়েছে এমন সময় সাথে সাথে তার এই আয়াতটি মনে পড়ে যায়-

اِنَّ الَّذِيْنَ اتَّقَوْا اِذَا مَسَّهُمْ طٰۤٮِٕفٌ مِّنَ الشَّيْطٰنِ تَذَكَّرُوْا فَاِذَا هُمْ  مُّبْصِرُوْنَ‌ۚ

অর্থাৎ যারা মুত্তাকী (আল্লাহ তা'য়ালাকে ভয় করে) শয়তান যখন তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিয়ে খারাপ কাজে নিমগ্ন করে, সাথে সাথে তাঁরা আত্মসচেতন হয়ে আল্লাহ তা'য়ালাকে স্মরণ করে এবং তাদের জ্ঞান চক্ষু খুলে যায়। (সূরা আরাফঃ আয়াত-২০১)

তৎক্ষণাৎ সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। বহুক্ষণ পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরে না আসার কারণে মহিলাটি মনে করলো যে, যুবকটি বোধ হয় মারা গেছে। মহিলাটি চিন্তা করলো, ভোর হলে তো লাশটি কেউ দেখে ফেললে আসল ব্যাপারটা হয় তো সকলে জেনে যাবে তাই তার দাসী এবং নিজে মিলে দু'জনে ঘাড়ে করে যুবকের বাড়ির দরজায় রেখে আসলো। অনেক্ষণ পর যুবকের জ্ঞান ফিরে এলে তার পিতা আয়াতটি শুনতে চাইলে যুবক পুণরায় আয়াতটি তেলাওয়াত করে একটি চিৎকার দিয়ে আবার অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং ইন্তেকাল করেন। রাত্রিকালেই তাকে দাফন করা হয়।

সকাল বেলায় হযরত ওমর (রা.) তার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য তার বাড়িতে উপস্থিত হন এবং তার পিতার নিকট সকল ঘটনা জানতে পেরে তিনি সমবেদনা প্রকাশ করেন। হযরত ওমর (রা.) তার কয়েকজন সাথিকে নিয়ে যুবকের কবরের কাছে গমন করেন এবং তার জানাযা আদায় করেন। তারপর তিনি তাকে সম্বোধন করে বললেন, হে যুবক!

وَلِمَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ جَنَّتَانِ.

অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'য়ালাকে ভয় করলো তার জন্য (পুরষ্কার রয়েছে) দুটি জান্নাত। (সূরা আররহমান: আয়াত ৪৬ পারা ২৭)

হযরত ওমর (রা.) এর মুখে এই আয়াতটি শুনে যুবকটি কবরের মধ্য থেকে উত্তর দিলঃ আল্লাহ তা'য়ালা আমাকে দুটি জান্নাত দান করেছেন।

(হায়াতুস সাহাবাঃ তাফসীরে ইবনে কাছির, ৪৮৬-৪৮৭ পৃষ্ঠা।)

এ ঘটনা দ্বারা কি বুঝা গেল? এ ঘটনার অল্প কথায়, তথা এক কথায় বুঝা গেল যে, গায়েব সত্য, কুরআন হাদিসের বিরুদ্ধে যত মতবাদ আর যে যা কিছু বলেছে তা সব ভ্রান্ত, সব মিথ্যা, সব কাল্পনিক, সব মানুষের মনগড়া, তার একটাও বিশ্বাস করা যাবে না। সকলকে কুর'আন হাদিস অনুযায়ী জীবন গড়তে হবে, যার পুরস্কার হলো জান্নাত বা বেহেশত। ঐ জান্নাত বা বেহেশত হলো এমন জীবন যৌবন আরাম আয়েশ ভোগ বিলাস শান্তি সুখ সফলতার জায়গা যা কোনদিন চক্ষু দর্শন করেনি। যার বর্ণনা কোনদিন কোনো কর্ণ শ্রবণ করেনি এবং কখনো কোনো দিন কোনো অন্তর কল্পনা করেনি। পক্ষান্তরে যারা কোরআন হাদিস বিশ্বাস করবে না, বিন্দুমাত্র সন্দেহ করবে এবং কোরআন-হাদিস অনুযায়ী জীবন গঠন করবে না, তাদের আর কোন উপায় নাই। জাহান্নাম তথা দোযখ হবে তাদের চিরস্থায়ী ঠিকানা, যা আগুন আর সাপ বিচ্ছুতে পরিপূর্ণ আর হাজারও রকমের শাস্তি কষ্ট। যার কথা কোরআন হাদিস খুলে খুলে বর্ণনা করেছে, তার প্রতিটি আযাব শাস্তি সেখানে রয়েছে। তার থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না। ফলে সকলকে তাওবা এস্তেগফার করে বাঁচার রাস্তা ধরতে হবে তথা কোরআন হাদীসের রাস্তা ধরতে হবে।

🔰 চোখে দেখা কবরের আযাব | পৃষ্ঠা-৫৫

─━━━━━━━━⊱✿⊰━━━━━━━─
আমাদের Telegram চ্যানেল সমূহ:
HA | IL | IA | IM | IIQ | IIS | IIA | SIB | SW | SA | IA | IA | HAI | WA1 | WA2 | WA3
কয়েকটি ইসলামী এন্ড্রয়েড Apps:
IJ | MB | MQ | AHM | KQ | SLT

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

23 Oct, 09:23


কুরআন মাজীদের আলোকে কুদৃষ্টির চিকিৎসা

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

23 Oct, 02:24


গুনাহে পতিত হওয়ার কারণসমূহ
━━━━━━ • পর্ব - ০৬ • ━━━━━━

যার প্রায় সময় গাফিলতিতে কাটে তার অন্তরে মরিচা জমতে থাকে। গাফিলতি ও অলসতার অনুপাতে প্রতিটি অন্তরে মরিচা পড়ে। অন্তর মরিচাগ্রস্ত হলে তাতে ইলমের ছাপ পড়ে না। তখন বাতিলকে হকের সুরতে দেখে। আর হককে বাতিলের সুরতে। যখন অন্তরে মরিচা জমাট বাঁধে এবং হৃদয় কালো-ধূসর হয়ে যায়, তখন এর কল্পনা ও বোধশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। তখন হক গ্রহণও করে না। বাতিলকে বারণও করে না। আর এটাই অন্তরের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। আর এগুলোর মূলে হলো গাফলতি ও নিজের খেয়াল খুশির অনুসরণ। কেননা, এগুলো অন্তরের নূরকে নিভিয়ে দেয় এবং চক্ষুকে অন্ধ বানিয়ে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَ لَا تُطِعْ مَنْ اَغْفَلْنَا قَلْبَهٗ عَنْ ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوٰٮهُ وَكَانَ اَمْرُهٗ فُرُطًا

যার মনকে আমার স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি, যে, নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং যার কার্য কলাপ হচ্ছে সীমা অতিক্রম করা, আপনি তার অনুগত্য করবেন না। (সূরা কাহাফ: ২৮)

সুতরাং আল্লাহ তাআলা ও তার জিকির হতে গাফেল থাকাটা অন্তর কঠিন ও নিষ্ঠুর হওয়া এবং আল্লাহ তাআলা ও তাঁর কথার প্রভাব থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় কারণের অন্যতম।

ইবনুল কাইয়িম রহিমাহুল্লাহ বলেন: যখনই অন্তরের উদাসীনতা প্রবল হয় তখন অন্তরের নিষ্ঠুরতাও কঠোর হতে থাকে। অতপর যখন আল্লাহর জিকির করে তখন ঐ নিষ্ঠুরতা গলে যায় যেভাবে আগুনের মাঝে সীসা গলে যায়। জিকরুল্লাহর মত কোন জিনিস দ্বারাই অন্তরে নিষ্ঠুরতা নির্দয়তাকে গলানো যায় না। সুতরাং জিকির হলো ক্বলবের শিফা ও তার দাওয়া অর্থাৎ ঔষধ। আর গাফলতি ও উদাসীনতা হলো রোগ। সুতরাং রোগাক্রান্ত অন্তরসমূহের শিফা ও আরওগ্যতা হলো আল্লাহ তাআলার জিকিরের মাঝে।

মাকহুল বলেন: জিকরুল্লাহ তথা আল্লাহর স্মরণ হলো শিফা ও আরওগ্যতা আর মানুষের স্মরণ হলো রোগ ও ব্যাধি।

ইমাম বায়হাকী মাকহুল থেকে মারফু মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন: যদি আমি জিকির করি তাহলে সেই জিকির আমার শিফা দান করে। আর যখন আমি জিকির থেকে গাফেল থাকি আমার অধঃপতন হয়। যেমন বলা হয়:

إذا مرضنا تداوينا بذكركم - - ونترك الذكر أحياناً فننتكس

যখন আমরা রোগাক্রান্ত হয়ে যাই তোমার জিকির আমাকে সুস্থ করে তোলে। আর যখনই তোমার জিকির ছেড়ে দেই আমার অধঃপতন হয়।

তিনি বলেন: জিকির হলো আল্লাহর সাথে সম্পর্কস্থাপনের আসল

বস্তু, বন্ধুত্বস্থাপনের মূল বিষয়। আর গাফলতি ও উদাসীনতা হলো আল্লাহর সাথে শত্রুতা পোষণের মূল বিষয় ও আসল বস্তু। তাই বান্দা যদি সর্বদা তার রবের জিকিরে থাকবে, তাঁকে স্মরণ করবে এমনকি তাকে ভালবাসতে থাকবে তাহলে তার সাথে সম্পর্ক হবে আর যদি বান্দা তার রবের জিকির থেকে গাফেল থাকে এমনকি তার প্রতি সে অসন্তুষ্ট হয়ে যায় তাহলে তার সাথে শত্রুতা হবে।

ইমাম আওযায়ি বলেন, হাসান বিন আতিয়াহ বলেন, বান্দা তার রবের সাথে সীমালঙ্ঘন করে বা শত্রুতাপোষণ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে বান্দা তার রবের জিকিরকে ও যারা তাঁর জিকির করে তাদেরকে অপছন্দ করা। সুতরাং এই শত্রুতা ও বিদ্বেষের কারণ হলো গাফলতি। বান্দা যখনই আল্লাহর জিকিরকে অপছন্দ করে, যারা জিকির করে তাদেরকে অপছন্দ করে তখন থেকেই আল্লাহ তাআলা তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করে যেভাবে আল্লাহ তাঁর জিকিরকারীকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে।

তাই জিকির থেকে গাফেল ও উদাসীন থাকা আমাদের অনুচিত। কেননা জিকিরে গাফেল ব্যক্তি আল্লাহর শত্রুতে পরিণত হয় এবং জিকিরকারী ব্যক্তি আল্লাহর বন্ধু হয়।

✦✦ অসম্পূর্ণ | পরবর্তী পর্ব...✍️

🔰 গুনাহ থেকে ফিরে আসুন | পৃষ্ঠা-১০১

─━━━━━━━━⊱✿⊰━━━━━━━─
আমাদের Telegram চ্যানেল সমূহ:
HA | IL | IA | IM | IIQ | IIS | IIA | SIB | SW | SA | IA | IA | HAI | WA1 | WA2 | WA3
কয়েকটি ইসলামী এন্ড্রয়েড Apps:
IJ | MB | MQ | AHM | KQ | SLT

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

22 Oct, 13:01


অধিক কথা বলার ক্ষতি
━━━━ • ✿ • ━━━━

অধিক কথা বলা সর্বাবস্থায় নিন্দনীয় । অনর্থক এবং প্রয়ােজনের অতিরিক্ত কথাও ইহার মধ্যে গণ্য। প্রয়ােজনীয় কথা যেই ক্ষেত্রে সংক্ষেপেও হইতে পারে সেই ক্ষেত্রে একটি বাক্যের স্থলে যদি দুইটি বাক্য ব্যবহার করা হয়, তবে দ্বিতীয় বাক্যটি অতিরিক্ত হইবে। কোন গুনাহ ও ক্ষতি না হলেও এই অতিরিক্ত কথন নিষিদ্ধ।

হযরত আতা ইবনে রাবাহ (রহঃ) বলেন, আমাদের পূর্ববর্তী বুজুর্গগন অনর্থক কথা বলা পছন্দ করিতেন না। তাহাদের নিকট আল্লাহর কিতাব, রাসূলের সুন্নত, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ এবং অত্যাবশ্যকীয় কথা ব্যতীত অন্য সকল কথাই অতিরিক্ত কথার মধ্যে গণ্য ছিল। বস্তুতঃ এই কথা কেহই অস্বীকার করিতে পারিবে না যে, প্রতিটি মানুষেরই ডানে-বামে কিরামান কাতেবীন সদা সতর্ক অবস্থায় মানুষের ভাল-মন্দ সকল আমল লিপিবদ্ধ করিতেছে। কালামে পাকে এরশাদ হয়েছে...

অর্থ : “সে যেই কথাই উচ্চারণ করে, তাহাই গ্রহণ করার জন্য তাহার নিকট সদা প্রস্তুত প্রহরী রহিয়াছে ।” (সূরা কাহফ - ১৮ আয়াত)

তোমরা কি এই বিষয়ে কিছুমাত্র লজ্জাবোধ করে না যে, হাশরের ময়দানে যখন তোমার আমলনামা খোলা হইবে, তখন ইহাতে এমন অসংখ্য আমলের উল্লেখ পাওয়া যাইবে, যেই সকল আমলের সঙ্গে না দ্বীনের, না দুনিয়ার কোন সম্পর্ক আছে?

এক সাহাবী বলেন, লােকেরা আমার নিকট যেইসব প্রশ্ন করে, সেইসব প্রশ্ন তাহাদের নিকট এমন ভাল লাগে যেমন তৃষ্ণার্ত ব্যক্তির নিকট ঠাণ্ডা পানি ভাল লাগে। আর আমার নিকট তাদের প্রশ্নের জবাব দিতে অনুরূপ ভাল লাগে। কিন্তু আমি এই ভয়ে নীরব থাকি যে, আমার এই কথা আবার অতিরিক্ত কথার মধ্যে গণ্য না হয়!

হযরত মুতরিফ বলেন, তােমরা আল্লাহ পাকের শান ও প্রতাপের প্রতি লক্ষ্য রাখিও। এমন কোন স্থানে তাঁহার উল্লেখ করিও না, যেখানে তাঁহার শান ক্ষুণ্ন হওয়ার বিন্দুমাত্র সন্দেহ হতে পারে। যেমন কুকুর বা গাধা দেখিয়া এইরূপ বলিও না যে, হে আল্লাহ! ইহাকে দূরে সরাইয়া দাও।

উৎসঃ জবানের ক্ষতি | পৃষ্ঠা-১৯

─━━━━━━━━⊱✿⊰━━━━━━━─
আমাদের Telegram চ্যানেল সমূহ:
HA | IL | IA | IM | IIQ | IIS | IIA | SIB | SW | SA | DOT | IA | HAI | WA1 | WA2 | WA3
কয়েকটি ইসলামী এন্ড্রয়েড Apps:
IJ | MB | MQ | AHM | KQ | SLT

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

22 Oct, 02:18


অবাধ্য স্বামীকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট এবং দ্বীনের পথে আনার পদ্ধতি...
-শাইখুল হাদীস হযরত মাওলানা মুফতী মনসূরুল হক দাঃ বাঃ
━━━━━━ • ✿ • ━━━━━━

স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক সুখকর এবং ইহকালীন ও পরকালীন স্থায়ী শান্তির আশায় প্রত্যেক মুসলমান মেয়ের উচিত দ্বীনদার মুত্তাকী ছেলেদের নিকট বিবাহ বসতে চেষ্টা করা এবং অভিভাবকদেরও যিম্মাদারী যে, দ্বীনদার ছেলে দেখে তার নিকট নিজেদের অধীনস্থ মেয়েদেরকে বিবাহ দেয়ার ব্যবস্থা করা।

হাদীসে পাকে ইরশাদ হয়েছে-

اذا خطب اليكم من ترضون دينه وخلقه فزوجوه ان لا تفعلوه تكن فتنة فى الارض رفساد عريض

অর্থ:কেউ যদি তোমাদের নিকট বিবাহের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্রে তোমরা সন্তুষ্ট, তাহলে অচিরেই বিবাহের ব্যবস্থা কর, নতুবা সমাজে মারাত্মক ফিতনা-ফাসাদ বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে। (তিরমিযী শরীফ ১/ ২০৭)

এক্ষেত্রে অভিভাবকদের অবহেলায় বা বাস্তব পর্যবেক্ষণের অসম্পূর্ণতায় কেউ বদদ্বীন স্বামীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকলে, তখন তার উচিত স্বামীকে দ্বীনদার বানানোর সকল চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। তাকে হাক্কানী আলেমের সাথে সম্পর্ক গড়তে ও তাবলীগ জামা‘আতের সাথে জুড়তে উৎসাহিত করা এবং স্বামী যদি সুদ-ঘুষ খেতে অভ্যস্ত থাকে অথবা অন্য কোন অবৈধ রোজগারে অভ্যস্ত থাকে, তাহলে বিনয়ের সাথে তাকে বুঝাবে যে, আমার দামী দামী খানা-পিনা ও পোশাক, অলংকারের কোন দাবী বা চাহিদা নাই। আমি শুধু এতটুকু চাই যে, আমার জন্য দু’বেলা দু’মুঠো হালাল ডাল ভাতের ব্যবস্থা করবেন। সাধারণ কাপড় পরাবেন যাতে আমরা আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হই। দুনিয়া তো একভাবে চলেই যাবে। সুতরাং, আপনার রোজগারের মধ্যে কোনভাবে হারামের সংমিশ্রণ যেন না হয় সেদিকে আপনি খুবই সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন।

সেই সাথে স্ত্রী নিজেও পরিপূর্ণ দ্বীনদারীর সাথে চলতে চেষ্টা করবে। নিজেদের সুন্দর, সুখময় দাম্পত্য জীবনের জন্য সর্বদা আল্লাহর দরবারে দু‘আ করতে থাকবে। শরীয়তের আওতায় থেকে স্ত্রী নিজেকে সবসময় সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবে। যাতে স্বামী তার রূপ-লাবণ্যে, সৌন্দর্যে এবং ব্যবহারে আকৃষ্ট হয়ে অন্য সব কিছু ভুলে যায় এবং দ্বীনদার হওয়ার চেষ্টা করে।

স্বামীর সাংসারিক কাজে ত্রুটি না ধরে আন্তরিকভাবে তার খেদমত ও সহযোগিতা করবে, তার আয়-উন্নতির ব্যাপারে সহযোগিতা করবে, কোন জিনিসের দাবী করবে না, বেহুদা খরচ করবে না। স্বামী প্রদত্ত প্রত্যেক জিনিসের প্রতি খুশী থেকে তার শুকরিয়া আদায় করবে এবং তার পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের খেদমত করে দু’আ নিতে থাকবে।

উপরোক্ত কাজগুলো ইন্‌শাআল্লাহ ফলদায়ক হবে এবং ধীরে ধীরে স্বামী দ্বীনের দিকে ও স্ত্রীর দিকে আকৃষ্ট হতে থাকবে। এরপরও যদি ফল না হয়, স্বামীর বদ-দ্বীনী বাড়তে থাকে, তাহলে নিজের ও সন্তানদের আখিরাতের চিন্তায় মুরব্বীর মাধ্যমে স্বামী থেকে খোলা তালাক গ্রহণ করে তার থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার অবকাশ রয়েছে।

উল্লেখ্য, এ ব্যাপারে অনেক মূর্খ মহিলা যাদু-টোনা, তাবীজ-কবজের মাধ্যমে স্বামীকে নিজের মুঠের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করে, এটা জঘন্য অপরাধ। কারণ, পুরুষদেরকে আল্লাহ তা‘আলা তুলনামূলক জ্ঞান বুদ্ধি বেশি দিয়েছেন, তার অভিজ্ঞতাও বেশী। সুতরাং, সে স্বাধীনভাবে মুরব্বীদের পরামর্শে চললে তার নিজের, বিবি বাচ্চাদের সকলের উন্নতি হবে। সংসারে শান্তি আসবে।

আর যদি অবৈধ পন্থায় তার স্বাধীনতা হরণ করে তাকে বেকুব বা গর্দভ বানিয়ে রাখা হয়, তাহলে এ ধরনের অকেজো স্বামী নিজ স্ত্রীর গোলামী করলেও তার দ্বারা স্ত্রীর নিজেরও কোন কল্যাণ হবে না; বরং ভবিষ্যতে মারাত্মক বিপদে পড়তে হবে।

সারকথা, স্বামীর স্বাধীনতা হরণ করাও নাজায়েয এবং যাদু টোনা করাও হারাম কাজ। আর কোন কোন অবস্থায় কুফরী কাজ। সুতরাং, কোন অবস্থাতেই স্বামীকে বশ করার জন্য এ সব হারাম কাজ করে নিজের আখিরাত বরবাদ করবে না। (ইমদাদুল ফাতাওয়া, ৪/ ৮৭, ৬/ ১৯৮)

আল্লাহ তা‘আলা সকল দম্পতিকে তাঁর হুকুম এবং প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকা মত চলে দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।

উৎসঃ ইসলামি যিন্দেগী

─━━━━━━━━⊱✿⊰━━━━━━━─
আমাদের Telegram চ্যানেল সমূহ:
HA | IL | IA | IM | IIQ | IIS | IIA | SIB | SW | SA | DOT | IA | HAI | WA1 | WA2 | WA3
কয়েকটি ইসলামী এন্ড্রয়েড Apps:
IJ | MB | MQ | AHM | KQ | SLT

ISLAMIC ARTICLE || ইসলামি আর্টিকেল

20 Oct, 02:24


স্বামীর আহ্বানে যখন তখন সাড়া দেয়া কি স্ত্রীর জন্য জরুরী?
-মুফতি সাঈদ আল হাসান
━━━━━ • ✿ • ━━━━

বংশ পরম্পরা রক্ষা, গোনাহ থেকে হিফাজত, অর্ধেক দিন পুরো করা এবং পরস্পর সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করা ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কারণে আল্লাহ তাআলা নারী পুরুষের মাঝে বিবাহ বন্ধনের ব্যবস্থা রেখেছেন।যারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে, সেই স্বামী-স্ত্রীকেও আল্লাহ তা’আলা অনেক মর্যাদা দান করেছেন।

সংসার সুখময় রাখবার জন্যে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপরেই বেশ কিছু হক নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং উভয়কেই নিজ নিজ হক পরিপূর্ণ পালনে নির্দেশ দিয়েছেন। স্ত্রীর উপর তেমনই একটি হক হল, স্বামীর যৌন তাকাজা পুরো করা।কাজেই শরীয়ত সমর্থিত কোন ওজর না থাকলে স্বামীর এই তাকাজা পূরণ করা স্ত্রীর জন্যে জরুরী।
শরয়ী কোন ওজর দেখা দিলে তখন এই কাজে বিরত থাকতে সমস্যা নেই।

*** শরয়ী ওজর তথা দৈহিক মিলনে নিষেধাজ্ঞার দুটি বড় উদাহরণ হল হায়েজ ও নেফাস। এ ২টি জারি অবস্থায় সহবাস জায়েজ নয়। বরং নিষিদ্ধ ও হারাম।

এ সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ২২২ নং আয়াতে বলেছেন-

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢]

আর তারা আপনার কাছে হায়েয (ঋতু)সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিন, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। ততোক্ষণ পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন তারা উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন তাদের কাছে গমন কর, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে, তাদেরকে পছন্দ করেন। [সূরা বাকারা-২২২]

এ আয়াত দ্বারা আমরা বুঝতে পারি, হায়েজ ও নেফাস ছাড়া যেকোনো অবস্থায় সহবাস করা যাবে।

তবে স্ত্রীর মত স্বামীরও একটি দায়িত্ব হল, স্ত্রীকে কোনরূপ কষ্ট না দেয়া বা জোর জবরদস্তি না করা। স্বামীর ইচ্ছে জাগলেই স্ত্রীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়া গোনাহের কাজ। স্ত্রীও তো মানুষ, তার তো মানসিক প্রস্তুতির দরকার আছে। অতএব যেদিন তাকাজা পূরণের ইচ্ছে করবে, সেদিন স্বামী আগে থেকেই স্ত্রীকে জানিয়ে রাখবে। যেন স্ত্রী সমস্ত ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে নিজেও মানসিকভাবে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে পারে।পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন থাকলে সেটাও করে নিতে পারে।

আর একান্তই যদি স্ত্রী মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকে,তবে স্বামী কর্তৃক জোর করা ঠিক হবে না। স্ত্রীর উচিত, স্বামীকে বুঝিয়ে বিরত রাখা বা ভিন্ন উপায়ে স্বামীর তাকাজা পূরণ করা। তবে, ভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে গিয়ে কোনভাবেই শরীয়ত নিষিদ্ধ পদ্ধতিতে তাকাজা মেটানো যাবে না।
শরীয়ত নিষিদ্ধ একটি পদ্ধতি হল, পায়ুপথে সহবাস করা। স্বামীর যতই চাহিদা থাকুক, কোনভাবেই পেছনের রাস্তায় সহবাস করা যাবে না। স্বামী যদি পেছন পথে সহবাসের জন্য জোরাজুরি করেন, তবুও কোনভাবেই স্ত্রী তার ডাকে সাড়া দিবে না। এটা হারাম ও স্ত্রীর স্বাস্থ্যের জন্যেও মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। এক্ষেত্রে স্বামীর আদেশ অমান্য করাও জায়েজ।কারণ, স্রষ্টার আদেশ অমান্য করে সৃষ্টির আদেশ পালন করা জায়েজ নয়।

(অসম্পূর্ণ)
বিস্তারিতঃ মাসিক আদর্শ নারী

─━━━━━━━━⊱✿⊰━━━━━━━─
আমাদের Telegram চ্যানেল সমূহ:
HA | IL | IA | IM | IIQ | IIS | IIA | SIB | SW | SA | IA | IA | HAI | WA1 | WA2 | WA3
কয়েকটি ইসলামী এন্ড্রয়েড Apps:
IJ | MB | MQ | AHM | KQ | SLT

2,915

subscribers

92

photos

72

videos