Dhaka University Dawah Association (ঢাকা ইউনিভার্সিটি দাওয়াহ এসোসিয়েশন)

এবং আমি ‘আদ ও ছামূদকে ধ্বংস করেছিলাম; তাদের বাড়ীঘরই তোমাদের জন্য এর সুস্পষ্ট প্রমাণ। শাইতান তাদের কাজকে তাদের দৃষ্টিতে সুশোভিত করেছিল এবং তাদেরকে সৎপথ অবলম্বনে বাধা দিয়েছিল, যদিও তারা ছিল বিচক্ষণ।

সূরা আনকাবুত। আয়াত ৩৮

Topic: Islamic Finance and Bangking in Bangladesh

মুফতি ইউসুফ সুলতান বাংলাদেশের ইসলামী অর্থনীতির অন্যতম ধারক ও বাহক।

জামিয়া আম্বরশাহ আল ইসলামিয়াতে ছাত্রজীবনের প্রথমভাগ কাঁটিয়ে তিনি ২০০৮ সালে জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে দাওরায়ে হাদীস পাস করেন। সে বছর কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় তিনি সারা বাংলাদেশে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর একই প্রতিষ্ঠান থেকে ফিকহ-ফতোয়ার উপর বিশেষায়িত পড়াশোনা ইফতা সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবনের শুরুতে তিনি প্রথমে জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়ায় সহকারী মুফতি হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে প্রিয় প্রতিষ্ঠান জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ তাকে নিজ কোলে ডেকে নেয়। পাশাপাশি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি গাজীপুরে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি বাংলাদেশে মাকতাবা শামেলার অন্যতম পরিবেশক।

স্বপ্নের পিছে ছুটতে গিয়ে তিনি পৌঁছে যান সুদূর মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামী অর্থনীতি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান INCEIF বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাস্টার্স শেষ করে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সম্প্রতি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

ইসলামী অর্থনীতিতে মুফতি ইউসুফ সুলতান অল্প সময়ে বেশ পরিচিতি ও সুখ্যাতি লাভ করেছেন। তার সুনাম ছড়িয়েছে বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে মালয়েশিয়া, সাউথ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশেও। সাউথ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কিছু দেশে তিনি আমন্ত্রিত আলোচক হিসেবেও অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া বাহরাইনে অনুষ্ঠিত এ্যাওফির বার্ষিক শারিয়াহ সভায় একটি সেশনের তিনি স্পিকারও ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ এ্যাওফি ফেলো ফোরাম কর্তৃক বাফ এওয়ার্ড ২০২৩ এ ভুষিত। বর্তমানে এ্যাওফির ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও মাস্টার ট্রেইনার, বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের শারিয়াহ বোর্ডের সদস্য, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সাদিক মালয়েশিয়ার শারিয়াহ বোর্ডের সদস্য ও আইডিএলসি ইসলামিক ফাইন্যান্স এবং এসেট ম্যানেজমেন্ট, সিটি ইসলামিক, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক পিএলসি, এনআরবি ইসলামিক ব্যাংক এর শারিয়াহ বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি আইএফএসির সহপ্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং আদলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। সুদমুক্ত ইসলামী অর্থনীতি ও লেনদেনে হালাল-হারাম বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আইএফএ কনসালটেন্সি বাংলাদেশে ইসলামী অর্থনীতি ও ফিন্যান্স বিষয়ে ট্রেইনিং, গবেষণা ও শারিয়াহ কনসালটেন্সি সেবার বিষয়ে ইতোমধ্যে পথিকৃৎ হিসেবে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।

তাই দাওয়াহ এসোসিয়েশন এর এবারের আয়োজন ইসলামিল ফাইন্যান্স এর মৌলিক প্রাথমিক ধারণা নিয়ে।

সময়: সন্ধ্যা ৬:০০ টা
তারিখ: ৩ জানুয়ারি, ২০২৪
মাধ্যম: জুম

লিঙ্ক:
https://us06web.zoom.us/j/5952801584?pwd=N0tMYmVGNUR1QkZDRHNsbnMrRHJlUT09&omn=81244348641

আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
"হে মুমিনগণ, ইয়াহুদী ও নাসারাদেরকে তোমরাবন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের
বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে
বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন।"
[সূরা আহযাব: ৫১]


যেই ইয়াহুদি- খ্রিস্টানদের (নাসারা) অনুকরণে তুমি থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করছো তারাই তোমার ভাই-বোনদের প্রতি মূহুর্তে বোমার আঘাতে জর্জরিত করছে...। বোমার তীব্রতায় লাশও খুজে পাচ্ছে না। মা সন্তানের লাশ চাইলে বস্তাভর্তি কয়েক টুকরো মাংস ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে!
কীভাবে সহ্য করছো তোমার ভাই-বোনদের বুকফাঁটা আর্তনাদ?
আমরা না এক উম্মাহ, এক দেহ?
একই আকাশ, একদিকে উড়ছে নববর্ষের ফানুস অন্যদিকে, উড়ছে যুদ্ধ বিমান, বোমার ধোঁয়া?! হাসপাতালগুলোও বাদ যাচ্ছে না এই বিভীষিকা থেকে।

স্পষ্ট হাদিস "যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদের দলভুক্ত হবে।"
[আবু দাউদ, হাদিস নং- ৪০৩১]

তাহলে, কেমো আমরা আল্লাহ শত্রুদের উৎসব পালন করতে যাবো!!? কেনো তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে থার্টিফার্স্ট নাইট পালন করতে যাবো!!
আল্লাহ, তুমি আমাদের হিদায়ত দাও।

তাই, আজ রাত যে বেহায়াপনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তা থেকে আমরা যেনো বেঁচে থাকি। ইনশাআল্লাহ।

আমি রাসুল(স.) কে বলতে শুনেছি,
"ইমানদার ব্যক্তিরা, তাদের উত্তম চরিত্র দ্বারা নফল সিয়াম পালনকারী এবং
রাতে ইবাদতকারীর মর্যাদা লাভ করবে।"
(আবু দাউদ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

আজকের কুরআন প্রতিযোগিতার লিঙ্ক
https://forms.gle/sBW1wemKkb1ntY3FA

১২৪. আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উঠাবো অন্ধ অবস্থায়।

১২৫. সে বলবে, ‘হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন’?

১২৬. তিনি(আল্লাহ) বলবেন, ‘এভাবেই তো আমার নিদর্শনসমূহ যখন তোমার কাছে এসেছিল তখন তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে। আজকের দিনে সেভাবেই তোমাকে ভুলে যাওয়া হচ্ছে।

১২৭. আমি এভাবেই প্রতিফল দেই তাদেরকে যারা সীমালঙ্ঘন করে এবং তার প্রতিপালকের নিদর্শনে বিশ্বাস করে না। আর আখিরাতের ‘আযাব অবশ্যই সবচেয়ে বেশী কঠিন ও সবচেয়ে বেশী স্থায়ী।

সূরা ত্ব-হা। আয়াত ১২৪-১২৭

মুসলিম সারা বছর "কুল হু আল্লাহু আহাদ" অর্থাৎ, "বল, তিনিই আল্লাহ এক/ অদ্বিতীয়।" তিলাওয়াত করে, কিন্তু বছর শেষে কাফেরদের সাথে তাদের উৎসব পালন করে। (নাউজুবিল্লাহ)

যে মুসলিম খ্রিষ্টানদের ক্রিস্টমাস উৎযাপন করবে, সে এটা স্বীকার করল যে, আল্লাহ ২৫শে ডিসেম্বর ঈসা(আ.) কে জন্ম দিয়েছে। নাউজুবিল্লাহ। সে কুফর করলো।

আল্লাহ, তুমি আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বোঝার তাওফিক দান করুন।

N.B: বিষয়টি আরো বেশি প্রচার করুন, যেনো মুসলমানরা এ কুফরি কাজ থেকে দূরে থাকে।

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর(রা) থেকে বর্ণিত :
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘প্রকৃত মুসলিম সেই, যার জিভ ও হাত থেকে সকল মুসলিম নিরাপদ থাকে। আর প্রকৃত মুহাজির (দ্বীনের খাতিরে স্বদেশ ত্যাগকারী) সেই, যে আল্লাহ যে সব কাজ করতে নিষেধ করেছেন, তা ত্যাগ করে।’’[১]
সহিহ বূখারী, হাদিস ১০

আমাদের দিয়ে কি দ্বীন কায়েম হবে!!?

আমরা যদি এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যাই, তবে দেখতে পারবো আমাদের বর্তমান অবস্থায় তা সম্ভব নয়। এর কয়েকটি কারণ উল্লেখ করছি।

১.আমরা ফজর এ ঘুম বিসর্জন করতে পারি না।
২. মা-বাবার সাথে খারাপ আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে পারি না।
৩. আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করি না,
৪. সুদ ও ঘুষ ছাড়তে পারি না।
৫. আমরা নারীর মোহো থেকে বিরত থাকতে পারি না।
৬. আমরা সামান্য দুনিয়ার জন্য আল্লাহর হুকুম অমান্য না করে থাকতে পারি না।
৭. বান্দার হক আদায় করি না।
৮. আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করি না।
৯. আমরা অহংকার ছাড়তে পারি না।
১০. সবসময় দুনিয়ার ফিকির আমাদের আঁকড়ে রেখেছে।
১১. আমরা কুরআন পরিত্যাগ করেছি, সুন্নাহ পরিত্যাগ করেছি।
১২. ঐক্যবদ্ধভাবে এক জাতি হিসেবে থাকা ছেড়ে দিয়েছি।
১৩. আমরা দলাদলি ছাড়তে পারি না।
১৪. উম্মাহর সার্থ্যে কাজ করি না।

হে আল্লাহ, তুমি আমাদের পরিপূর্ণভাবে তোমার দ্বীন পালন করার ও পরিপূর্ণ মুসলিম হওয়ার তাওফিক দান করো।
আমিন ইয়া রাব্বি।

শুক্রবার যত বেশি দুরুদ পড়বো, তত বেশি আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য হাসিল করতে পারবো।

আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়াসাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ। সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

এখনো কি সময় হয়নি!!?

এখনো কি সময় হয়নি, নিজের উপর যে জুলুম করছি, তা পরিত্যাগ করে, রবের নিকটে ফিরে আসার?

এখনো কি সময় হয়নি, অহংকার ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর হুকুমে আত্মসর্মপণ করার?

এখনো কি সময় হয়নি, নামাজ কায়েম করার?
যে নামাজ আল্লাহ প্রতিটি মুমিনের উপর নির্ধারিত সময়ে আদায় করা ফরজ করেছেন।

এখনো কি সময় হয়নি, যিনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার?
যে যিনার কাছেও যেতে আল্লাহ আমাদের নিষেধ করেছেন।

সময় কি এখনো হয়নি, আল্লাহর হক এবং বান্দার হক আদায় করার? যা আদায় না করলে অনন্তকাল জ্বলতে হবে জাহান্নামে!! যার তাপ হবে পৃথিবীর আগুন অপেক্ষা ৭০গুণ ভয়ংকর।

আল্লাহ তুমি আমাদের, তোমার দিকে ফিরে আসার এবং তোমার সিরাতুল মুনতাকিমে চলার তাওফিক দান করুন।
আমিন ইয়া রাব্বি।

আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আমি জিজ্ঞেস করলাম, কোন্ ‘আমল উত্তম? তিনি বললেন, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং তাঁর পথে জিহাদ করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কোন্ ধরনের ক্রীতদাস মুক্ত করা উত্তম? তিনি বললেন, যে ক্রীতদাসের মূল্য অধিক এবং যে ক্রীতদাস তার মনিবের কাছে অধিক আকর্ষণীয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ যদি আমি করতে না পারি? তিনি বললেন, তাহলে কাজের লোককে (তার কাজে) সাহায্য করবে কিংবা বেকারকে কাজ দিবে। আমি (আবারও) বললাম, এও যদি না পারি? তিনি বললেন, মানুষকে তোমার অনিষ্টতা হতে মুক্ত রাখবে। বস্তুতঃ এটা তোমার নিজের জন্য তোমার পক্ষ হতে সাদাকাহ।

সহিহ বূখারী ২৫১৮।

যখন তোমরা নামায আদায় করে নেবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে, অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন (যথানিয়মে) নামায কায়িম করবে। নির্দিষ্ট সময়ে নামায কায়িম করা মু’মিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।

সূরা নিসা। আয়াত ১০৩

যদি আমাকে জানানো হয় যে, ২দিনেই আমার মৃত্যু হতে যাচ্ছে। তবে কি আমি আমার কর্মকান্ডে বিশাল পরিবর্তন আনবো? আমি কি অনেক আমল নিজের জীবন থেকে পরিত্যাগ করবো যা ইতোমধ্যে আমি করছিলাম এবং কি অনেক আমল এড করবো আমাদের আমলনামায় যা পূর্বে করিনি।

যদি এমনটা হয়, তবে আমার জেনে রাখা উচিত, আমি আসল সত্যকে(মৃত্যু) উপেক্ষা করে আছি এবং শয়তান আমাকে দুনিয়ার মোহোতে ভুলিয়ে রেখেছে।
অতঃপর, আমার উচিত, সেদিনকে ভয় করা যেদিন চক্ষু হবে স্থির এবং সে দিনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

আল্লাহ, আপনি আমাদের তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
আমিন ইয়া রাব্বি।