Almirsad Bangla @almirssadbangla1 Channel on Telegram

Almirsad Bangla

@almirssadbangla1


আল মিরসাদ— বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রামের সুদৃঢ় ময়দান

Almirsad Bangla (Bangla)

আলমিরসাদ বাংলা চ্যানেলটি একটি উত্সাহী এবং সংগ্রাহকালয় যা আপনাকে বাংলা ভাষায় ভিডিও, লেখা, ছবি এবং অন্যান্য ধরনের সূত্র থেকে মজার এবং উপকারিতা পুর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে উদ্দীপ্ত করে। এই চ্যানেলটি বাংলা ভাষার ভূমিকা এবং সম্প্রসারণ করার জন্য উদ্দীপ্তিমূলক সামগ্রিক তথ্য উপার্জন করার জন্য প্রত্যাশাবাদীদের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী উপায় হতে পারে। চ্যানেলটি বিভিন্ন বিষয়বস্তুতে নির্ভর করে, যেমন পরিকল্পনা করা, সাহিত্‌য, পর্যটন, খেলাধুলা, শিক্ষা ইত্যাদি। আপনি 'আলমিরসাদ বাংলা' চ্যানেলে যোগদান করে বাংলা ভাষার বিভিন্ন বিষয়ে মজার এবং সঠিক তথ্য পেতে পারেন।

Almirsad Bangla

30 Jan, 15:34


https://almirsadbd.com/b-ggr-se-s-kr-le-isi-pr-dr-t-s/
বিশৃঙ্খল গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় দৃঢ়করণের লক্ষ্যে আইএসআই প্রতিনিধি দলের তুরস্ক সফর
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

আল মিরসাদকে নির্ভরযোগ্য সূত্রসমূহ অবহিত করেছে যে, পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থা (ISI) শিগগিরই একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল তুরস্কে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সফরের উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন বিশৃঙ্খল ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় আরও সুসংহত করা এবং তাদের কার্যক্রমকে সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত করা।

সূত্রের তথ্যমতে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাটি এসব বিশৃঙ্খল গোষ্ঠীর নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায়— যাতে আফগানিস্তানের ভেতরে সুশৃঙ্খল অরাজকতা সৃষ্টি করে ইসলামী ইমারাতের বিরুদ্ধে কৌশলগতভাবে তাদের ব্যবহার করা যায়।

এই সিদ্ধান্ত এমন এক প্রেক্ষাপটে গৃহীত হয়েছে, যেখানে অতীতেও পাকিস্তান আফগান ভূখণ্ডে নিজের কৌশলগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য আইএস-কে (IS-K)-কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। সাম্প্রতিক গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ইতোমধ্যেই বেলুচিস্তানে আইএসের জন্য নতুন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য বিশিষ্ট জনবলকে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।

আফগানিস্তান ইসলামী ইমারাতের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক সাম্প্রতিক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন যে, বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় আইএসের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক নিরাপত্তাহীনতার ঘটনায় লিপ্ত আইএস সদস্যদের এক উল্লেখযোগ্য অংশ পাকিস্তান থেকে প্রবেশ করেছে।

Almirsad Bangla

27 Jan, 15:31


এক সাবেক দাঈশ সদস্যের মুখে দাঈশের গল্প!
[ চতুর্থ ও শেষ পর্ব ]
✍🏻 উসামা হুম্মাম

তৃতীয় পর্বে আমরা আবু ক্বাতাদাহ নামক এক জার্মান আইএসআইএস সদস্যের জীবনপ্রবাহ তুলে ধরেছিলাম এবং তার জবানিতে আইএসআইএসের কার্যক্রম সংক্রান্ত কিছু বক্তব্য নিবদ্ধ করেছিলাম। খ্যাতনামা সাংবাদিক ও লেখক জার্গেন টোডেনহোফার (Jürgen Todenhöfer) আবু ক্বাতাদাহর সঙ্গে যোগাযোগের সূত্র ধরে সিরিয়ার মাটিতে পা রেখে আইএসআইএস এবং তাদের ভয়ঙ্কর কার্যকলাপ সরাসরি প্রত্যক্ষ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

আইএসআইএসের এক উচ্চপদস্থ নেতার কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুমোদনপত্রের ভিত্তিতে টোডেনহোফার তুরস্ক থেকে তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে অনায়াসে প্রবেশাধিকার পান। সেখানকার পরিস্থিতি অবলোকন করার লক্ষ্যে তিনি আবু ক্বাতাদাহ ও তার সহচরদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নির্ধারিত দশ দিনের এক সাহসী অভিযানে তিনি বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করেন এবং কোনো সেন্সরশিপের শিকার না হয়ে নিজের প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন।

যদিও এই সফর চলাকালীন সময়ে তিনি বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত ও বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। আইএসআইএস সদস্যদের পক্ষ থেকে তাকে একাধিকবার হুমকি প্রদান করা হয়, এমনকি প্রাণনাশের শঙ্কাও তার পিছু ছাড়েনি। তার চলাফেরায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছিল, এবং তাকে কখনোই একা চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তার প্রতিটি পদক্ষেপে সশস্ত্র প্রহরী উপস্থিত থাকত। সফরকালীন তার তোলা প্রতিটি ছবি এবং সাক্ষাৎকার পরবর্তীতে আইএসআইএসের পক্ষ থেকে কঠোর পর্যালোচনার মুখোমুখি হয়। ফলে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছবি ও একটি সাক্ষাৎকার মুছে ফেলা হয়, কারণ সেগুলো সংগঠনের ভয়ঙ্কর রূপ উন্মোচন করত।

আবু ক্বাতাদাহ তাকফিরি মতবাদের বশবর্তী হয়ে তালেবান সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করত। সে দাবি করত, মোল্লা মুহাম্মাদ উমর মুজাহিদের আদর্শ ও দর্শন ইসলামের মূলনীতির পরিপন্থী। এমন বক্তব্যের মূল কারণ হলো, আইএসআইএস নিজেদের লড়াইকেই “জিহাদ” এবং নিজেদের আন্দোলনকেই “ইসলামী” বলে আখ্যায়িত করে। অন্য কোনো বৈধ জিহাদি আন্দোলনকে তারা কখনোই সহ্য করতে পারে না। তাদের এই চরম দৃষ্টিভঙ্গি এমন এক সীমায় পৌঁছেছে, যেখানে তারা নিজেদের বাহিরে প্রতিটি আদর্শ ও আন্দোলনকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে।

এই চরমপন্থী দল তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচ্যুত মুসলিমদের ‘কাফির’ আখ্যা দিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। দলত্যাগীদের ‘মুরতাদ’ বলে চিহ্নিত করে তাদের ওপর নির্মম শাস্তি আরোপ করে। আবু ক্বাতাদাহর বিশ্বাস ছিল, যারা এই সংগঠন ত্যাগ করেছে, তারা সবাই মুরতাদ। যদি তারা তওবা না করে, তবে তাদের হত্যা করা হবে।

আইএসআইএস তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক যোদ্ধাদের কৌশলগত কাজে ব্যবহার করে, যারা এখনো ভালো-মন্দের পার্থক্য নির্ণয়ের ক্ষমতা অর্জন করেনি। টোডেনহোফার তার সফরের চতুর্থ দিনে আবু ক্বাতাদাহ ও তার সহযোগীদের সঙ্গে মসুল শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পথে আবু লুত নামক এক আইএসআইএস সাংবাদিক তাদের সামরিক কার্যক্রম ও যুদ্ধের কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেয়।

আবু লুত জানায়, আইএসআইএসের একজন জার্মান যোদ্ধা, যার বয়স ছিল মাত্র ষোলো বছর, সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হয়। এই ঘটনা ছিল আইএসআইএসে অপ্রাপ্তবয়স্ক যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্তির এক করুণ উদাহরণ। সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের এমন যোদ্ধার সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য।

আবু লুত আরও জানায় যে, বোরিক নামে এক জার্মান যোদ্ধা, যিনি একসময় জার্মান জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় ছিলেন, এবং আমেরিকার টেক্সাসের এক যোদ্ধা, যার পিতা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন, তারাও এই দলের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এমনকি কিছু আরব-ইসরায়েলি, যারা ইসরায়েলি পাসপোর্টধারী, তারাও আইএসআইএসের হয়ে লড়াই করত।

মসুল দখল প্রসঙ্গে আবু লুত বলে যে, এটি ছিল দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ। মসুলে তারা এত সংখ্যক আত্মঘাতী হামলা পরিচালনা করেছিল যে, শহরবাসী নিরাপত্তাবোধ পুরোপুরি হারিয়ে ফেলে। এমনকি আইএসআইএস তাদের নিজস্ব সদস্যদের পবিত্র কুরআন খতমের অনুষ্ঠানে আত্মঘাতী হামলা পরিচালনার জন্য পাঠাতো। এভাবে মসুলের শান্তি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেলা হয়।

টোডেনহোফারের দশ দিনের এই অভিজ্ঞতা, যা শুরু হয়েছিল ৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে, এক গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। বইটিতে আইএসআইএসের চরমপন্থা, তাদের কার্যক্রম এবং মানবতার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান অত্যন্ত গভীরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা এই গ্রন্থের মূল বিষয়বস্তুকে চারটি পর্বে সংক্ষেপিত করেছি।

আসল সত্য হলো, আইএসআইএসের কার্যকলাপ এতটাই বিভীষিকাময় যে, এই বিষয়ে শত শত গ্রন্থ রচনা করলেও কম হবে। আইএসআইএসের বর্বরতা ও চরমপন্থা বারবার মানবতার বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এটি কেবল তাদের নৃশংসতার একটি চিত্র নয়, বরং এটি একটি অমূল্য শিক্ষা— চরমপন্থা ও বিভ্রান্তিকর আদর্শের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা মানবজাতির জন্য কতটা অপরিহার্য।
https://almirsadbd.com/1-s-d-sr-me-dr-g-4th-last/

Almirsad Bangla

25 Jan, 15:24


দাঈশ-খাওয়ারিজরা অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে তাদের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে!
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

চলতি ইসলামী মাস রজবের ৮ তারিখে আইএসআইএস এক বিশেষ নির্দেশনা প্রকাশ করে। এতে তাদের মতাদর্শী সমর্থকদের আহ্বান জানানো হয়— তারা যেন আর্থিক অনুদান কেবলমাত্র সংগঠনের অনুমোদিত কর্মকর্তাদের হাতে অর্পণ করেন।

এই নির্দেশনাগুলো একটি অজ্ঞাত মিডিয়া সংস্থা “আল-বাসায়ের” কর্তৃক প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে আইএসআইএসের নিজস্ব অনুবাদ সংস্থা “ফুরসানুত তারজুমা” এসব নির্দেশনা ফরাসি, ইংরেজি এবং আরও বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে, যা তাদের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক প্রচারণায় ব্যবহৃত হয়।

সেই পোস্টারগুলোতে দাবি করা হয়েছে, দাঈশকে আর্থিক সহায়তা প্রদান প্রতিটি মুসলিমের জন্য ধর্মীয় দায়িত্ব। তবে পোস্টারে একটি গভীর উদ্বেগও প্রকাশিত হয়েছে— মুজাহিদ, বন্দি, এতিম ও বিধবাদের নামে সংগৃহীত অর্থের একটি বৃহৎ অংশ তাদের কাছে পৌঁছায় না, যারা এর প্রকৃত পাওনাদার।

দাঈশ স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করেছে, যারা এই অনুদান নিজেদের ইচ্ছামতো অপব্যবহার করছে তারা কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হবে। পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, অনুদান সংগ্রহকারীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই দেখা গেছে, জিহাদের নামে সংগৃহীত অর্থ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, সংগঠনের আর্থিক কাঠামোয় দুর্নীতির মূলে আরও গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে আইএসআইএস নিজেই প্রকাশ করেছিল যে, তাদের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ পরিচালনাকারী আফাক নামের একটি মিডিয়া সংস্থা সংগৃহীত অর্থের অপব্যবহার করেছে এবং সেই অর্থ দিয়ে ব্যক্তিগত কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছে।

ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং অন্যান্য অঞ্চলে ক্রমাগত পরাজয়ের কারণে দাঈশ-খাওয়ারিজরা চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। জনগণের কাছ থেকে আরও অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এই পোস্টারগুলোর প্রচার এ সংকট থেকে উত্তরণের একটি কৌশল হিসেবে প্রতীয়মান হয়।

দাঈশ তাদের ক্ষমতার সময় একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করেছিল, যেখানে তাদের অধীনস্থ অঞ্চলগুলো বাজেয়াপ্ত সম্পদের ২৫ শতাংশ কেন্দ্রীয় সংগঠনে জমা দিত। এই অর্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পরিচালনার পাশাপাশি অন্যান্য শাখাকে সহায়তা প্রদানে ব্যবহৃত হতো।

তবে ধারাবাহিক পরাজয়ের ফলে এই ব্যবস্থাটি ভেঙে পড়ে। বর্তমানে দাঈশ তাদের আর্থিক চাহিদা মেটাতে সমর্থকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত দান এবং সাধারণ মুসলিম জনগণের ওপর জবরদস্তি চাপিয়ে অর্থ আদায়ের ওপর নির্ভর করছে।
https://almirsadbd.com/d-kh-o-sr-kkh-t-kdr-d-n-u-pr-k/

Almirsad Bangla

21 Jan, 15:03


আলিমদের দায়িত্ব
✍🏻 মুফতী হামাস ইনক্বিয়াদী

আল্লামা সুয়ূতী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন:
لولا العلماء لکان الناس كالبهائم
অনুবাদ: “যদি আলিমগণ না থাকতেন, তবে মানুষ পশুর ন্যায় আচরণ করত।”

অর্থাৎ উলামাবিহীন মানুষের জীবন অন্ধকারে নিমজ্জিত হতো, পশুর মতো প্রাত্যহিক চাহিদা পূরণের বাইরে তাদের আর কোনো অভিজ্ঞান থাকত না।

আলিমগণ জাতির জন্য প্রদীপস্বরূপ, তাঁরা জাতির মেরুদণ্ড। যে সমাজে আলিম নেই বা সমাজের সঙ্গে আলিমদের কোনো সংযোগ নেই, সেই সমাজকে উন্নত সমাজ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না।

প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য হলো আলিমদের সান্নিধ্যে আসা, তাদের থেকে ইলমের আলো গ্রহণ করা, এবং আলিমদের সঠিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী জীবনকে পরিচালিত করা। এভাবেই আখিরাতের শাশ্বত সাফল্যের ভিত্তি নির্মাণ সম্ভব।

আলিমদের মহান দায়িত্ব হলো মানুষকে দ্বীনের পথে আহ্বান জানানো এবং তাদেরকে মন্দ কর্ম থেকে বিরত রাখা। আমর বিল মা‘রুফ (সৎকাজের নির্দেশনা) এবং নাহী আনিল মুনকার (অসৎকাজ থেকে নিষেধ) আলিমদের সামাজিক দায়িত্বের মূল স্তম্ভ।

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন:
«الدِّينُ النَّصِيحَةُ» [بخاري او مسلم]
অনুবাদ: “দীন (ধর্ম) হচ্ছে নসীহাহ (উপদেশ ও আন্তরিকতা)।”

তাদের উচিত কোমলতা, সৌজন্য ও সহমর্মিতার সাথে মানুষকে দীনের পথে আহ্বান জানানো। আহ্বানের ভাষা এমন হতে হবে যা হৃদয় ছুঁয়ে যায়; কঠোরতা বা রূঢ়তার কোনো স্থান এখানে নেই। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর পদ্ধতিই সর্বোত্তম আদর্শ।

সমাজের বিভেদ সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো থেকে উলামাগণকে সর্বদা বিরত থাকতে হবে। তাদের কাজ হবে সমাজের প্রতিটি স্তরে ইসলামের সার্বজনীন সত্যগুলো পৌঁছে দেওয়া। যদি কোনো অন্যায় বা পাপ সমাজে বিস্তৃত হয়, তবে প্রজ্ঞা, সৌজন্য এবং নম্রতার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।

চরমপন্থার প্রতি ইসলামের যে নীরব ঘৃণা, তা আলিমদের জীবন ও দাওয়াহ কার্যক্রমে সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হওয়া আবশ্যক। চরমপন্থা শরীয়তের মুল্যবোধের সাথে কোনোভাবেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

যদি কোনো সমাজে দ্বীন ও দাওয়াহর চর্চা বিলুপ্তপ্রায় হয়ে পড়ে, তবে সেই দায়ভার বহন করতে হবে আলিমদের। তাদেরই দায়িত্ব হলো মানুষের আত্মিক ও নৈতিক পুনর্জাগরণ ঘটানো।

আলিমদের পথচলা যেন হয় রাসুলুল্লাহ ﷺ এর পদাঙ্ক অনুসরণে অবিচল এবং দৃঢ়। বাইরের প্রভাব বা পরিস্থিতির চাপ যেন তাদের অবস্থানে কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে।

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন:
أَلاَ لاَ يَمْنَعَنَّ أَحَدَكُمْ هَيْبَةُ النَّاسِ أَنْ يَقُولَ بِحَقٍ إِذَا رَآهُ أَوْ شَهِدَهُ، فَإِنَّهُ لاَ يُقَرِّبُ مِنْ أَجَلٍ وَلاَ يُبَاعِدُ مِنْ رِزْقٍ أَنْ يَقُولَ بِحَقٍّ أَوْ يُذَكِّرَ بِعَظِيمٍ
অনুবাদ: “মানুষের ভয়ে তোমরা যেন সত্য কথা বলায় বিরত না থাক। যদি তুমি কোনো সত্য জানো, তা প্রকাশে দ্বিধা করো না। কারণ, সত্য বললে জীবনের আয়ু কমে না এবং রিজিকও কমে না।” (মুসনাদ আহমাদ)

এছাড়াও রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন:
أَفْضَلُ الْجِهَادِ كَلِمَةُ عَدْلٍ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ أَوْ أَمِيرٍ جَائِرٍ
অনুবাদ: “সর্বোৎকৃষ্ট জিহাদ হলো জালিম শাসকের সামনে ন্যায়ের কথা বলা।” (আবু দাউদ, আহমাদ)

উলামাগণের দৃষ্টিভঙ্গি যেন সর্বদা জাতিগত, ভাষাগত, কিংবা জাতীয়তাবাদী পক্ষপাতমুক্ত থাকে। ইসলামের সার্বজনীন মুল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করাই তাদের মূল দায়িত্ব।

সমাজের যুবসমাজ যেন সঠিক আদর্শে থাকে এবং ইসলামী ব্যবস্থার পবিত্রতা রক্ষিত হয়— এ দায়িত্বও উলামাদের ওপর বর্তায়। প্রতিটি আলিমের উচিত এই দায়িত্বকে ব্যক্তিগত কর্তব্য হিসেবে বিবেচনা করা।

আলিমদের জন্য অপরিহার্য হলো জাগতিক লোভ-লালসা ও ক্ষমতার মোহ থেকে মুক্ত থাকা। তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং দ্বীনের খেদমত। যদি কোনো আলিম জাগতিক মোহে আবদ্ধ হন, তবে তিনি সমাজের জন্য আশীর্বাদ নয়, বরং অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবেন।

যদি সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা মুসলিম সমাজব্যবস্থার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তবে আলিমদের কর্তব্য সেই অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করা। জনগণকে ইসলামের বরকত গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা এবং যেকোনো মূল্যে এই ব্যবস্থা রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকা।
https://almirsadbd.com/alimder-dayitw/?amp=1

Almirsad Bangla

20 Jan, 14:43


রাসূলুল্লাহ ﷺ–এর যুদ্ধজীবন: মানবজাতির জন্য শিক্ষা
[দ্বিতীয় পর্ব]
✍🏻 আবু রাইয়ান হামিদী

যখন মুসলিমদের ওপর জিহাদের আদেশ অবতীর্ণ হলো, তখন এর সঙ্গে সূচনা হলো এক মহৎ আদর্শের, এক আলোকোজ্জ্বল তত্ত্বের— যা যুগে যুগে নিপীড়িত উম্মতকে মর্যাদার শিখরে পৌঁছে দিয়েছে এবং ইসলামের শত্রুদের বারংবার পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ আস্বাদন করিয়েছে।

সীরাত বিশারদদের মতে, যে সেনাবাহিনীতে রাসুলুল্লাহ ﷺ স্বয়ং উপস্থিত থেকেছেন, তা গাযওয়া নামে পরিচিত, চাই সে যুদ্ধে সংঘর্ষ হোক বা না হোক। আর যে অভিযানে তিনি স্বশরীরে অংশগ্রহণ করেননি, তাকে সারিয়াহ বা বাআস বলা হয়, চাই সে যুদ্ধে রক্তক্ষয় হোক বা না হোক।

গাযওয়া ও সারিয়াহর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। প্রখ্যাত সীরাতকার মুসা ইবনু উকবা, ইবনু ইসহাক, আল্লামা ওয়াকিদি ও ইবনু জাওযি (রহিমাহুমুল্লাহ) প্রমুখের মতে, রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর জীবদ্দশায় গাযওয়ার মোট সংখ্যা ছিল ২৭। অপরদিকে, সারিয়াহর সংখ্যা সম্পর্কে মতভেদ আরও বিস্তৃত, যেখানে অনেক সীরাতবিদের অভিমত ৩৮।

এ সকল গাযওয়া ও সারিয়াহ সংঘটিত হয় মাত্র দশ বছরের এক সীমিত সময়কালে— যা শুরু হয় রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর হিজরতের বছর থেকে এবং তাঁর ওফাতের বছরে এসে সমাপ্ত হয়। গাযওয়ার এই ধারাবাহিকতার সূচনা হয়েছিল গাযওয়াতুল আবওয়া দিয়ে এবং সমাপ্তি ঘটে গাযওয়াতুত তাবুকে। এ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, রাসুলুল্লাহ ﷺ জিহাদের নির্দেশ পালনে কীভাবে পূর্ণ আত্মনিবেদন প্রদর্শন করেছিলেন।

গাযওয়া ও সারিয়াহর সংখ্যা নিয়ে মতভেদ
গাযওয়া ও সারিয়াহর সংখ্যা নির্ধারণে মতবিরোধের মূল কারণ নিহিত সীরাতকারদের পর্যালোচনার ভিন্নতায়। কোনো কোনো আলিম একাধিক গাযওয়াকে একক অভিযানের অংশ হিসেবে বিবেচনা করেছেন, কারণ সেগুলো একই অভিযাত্রার অন্তর্ভুক্ত ছিল। অন্যদিকে, কিছু আলিম প্রতিটি ঘটনাকে আলাদা গাযওয়া হিসেবে গণ্য করেছেন এবং অভিযানের প্রতিটি ধাপকে পৃথকভাবে তালিকাভুক্ত করেছেন। এই মতভেদকে ঘিরে আরও নানা ব্যাখ্যা বিদ্যমান, তবে এখানে কেবল মৌলিক কারণগুলোকেই উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রথম গাযওয়া: (গাযওয়াতুল আবওয়া/ওয়াদ্দান)
আবওয়া এবং ওয়াদ্দান —এই দুটি স্থাননাম ইসলামের ইতিহাসে প্রথম গাযওয়ার স্মৃতি বহন করে। এ অভিযানে রাসুলুল্লাহ ﷺ স্বয়ং নেতৃত্ব দেন এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রায় সত্তরজন মুহাজির সাহাবি।

এই গাযওয়া সংঘটিত হয়েছিল হিজরতের দ্বিতীয় বর্ষের সফর মাসে। তবে এখানে যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল কুরাইশদের একটি বাণিজ্যিক কাফেলা, যা সিরিয়া থেকে মক্কার দিকে গমন করছিল। কাফেলাটি বনু দ্বামরাহ গোত্রের এলাকার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল। মুসলিম বাহিনী যখন ওয়াদ্দান পর্যন্ত পৌঁছায়, কাফেলাটি ততক্ষণে তাদের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল।

পরবর্তী সময়ে, বনু দ্বামরাহ গোত্র যুদ্ধের পথ পরিহার করে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি সম্পাদন করে। চুক্তির উল্লেখযোগ্য কয়েকটি শর্ত ছিল নিম্নরূপ:
১. বনু দ্বামরাহ গোত্র মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার শত্রুতা প্রদর্শন করবে না।
২. তারা মুসলমানদের শত্রুদের কোনোভাবে সহায়তা করবে না।
৩. প্রয়োজনে তারা মুসলিমদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াবে।
৪. যতদিন তারা এই চুক্তি অক্ষুণ্ণ রাখবে, মুসলিমদের পক্ষ থেকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তবে চুক্তি ভঙ্গ করলে তারা এ সুবিধা হারাবে।

এই অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা প্রায় ১৫ দিন মদিনার বাইরে অবস্থান করেন। এ সময় রাসুলুল্লাহ ﷺ মদিনার শাসনভার অর্পণ করেন হযরত সা’দ ইবনু উবাদা রাদিয়াল্লাহু আনহুর ওপর।

এই গাযওয়া থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা
ক. রাসুলুল্লাহ ﷺ শুধুমাত্র মসজিদের মিম্বরে কুরআন ও শরিয়তের বিধান প্রচার করেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন যুদ্ধক্ষেত্রের এক অভিজাত কুশলী সেনাপতি এবং সূক্ষ্ম যুদ্ধকৌশলের গভীর জ্ঞানসম্পন্ন নেতা। যুদ্ধের প্রতিটি দিক সম্পর্কে তাঁর পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা ছিল, এবং প্রেক্ষাপটের প্রতি সুবিবেচনা রেখে তিনি প্রতিটি যুদ্ধক্ষেত্র এমন কৌশলে বিন্যস্ত করতেন যে শেষপর্যন্ত বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠত।

বানু দ্বামরাহ গোত্র মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী একটি কৌশলগত অবস্থানে ছিল, যা কুরাইশদের জন্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থানকে ব্যবহার করে কুরাইশরা সুবিধা নিতে পারত। তাই রাসুলুল্লাহ ﷺ তাদের সঙ্গে এমন শর্তে শান্তিচুক্তি করেন, যাতে তারা কুরাইশদের যুদ্ধে সহায়তা না করে।

খ. রাসুলুল্লাহ ﷺ এর এই কাজ থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, কাফেরদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার অনুমতি শরিয়তে বিদ্যমান, যদি তা মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় হয়। এমন চুক্তি, যা মুসলমানদের বর্তমান বা ভবিষ্যতের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, শরিয়তের নীতিতে অনুমোদিত। এই গাযওয়ার প্রেক্ষাপটে রাসুলুল্লাহ ﷺ বিভিন্ন সময়ে এই কৌশল অবলম্বন করেছেন।

Almirsad Bangla

20 Jan, 14:43


তবে রাজনৈতিক চুক্তি গ্রহণের সময় মুসলিমদের অবস্থান অবশ্যই সুস্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন এবং সেই চুক্তি অবশ্যই সমগ্র উম্মাহর স্বার্থ বিবেচনা করে করা উচিত। এমন চুক্তি করতে হবে, যা মুসলিমদের সম্মিলিত মঙ্গল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং কোনো পরিস্থিতিতেই মুসলিমদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।
https://almirsadbd.com/r-saw-e-zj-mj-k-sh-2nd/?amp=1

Almirsad Bangla

17 Jan, 13:14


আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
https://almirsadbd.com/p-swk-s-r-bh-af-k-s-n-o/?amp=1

Almirsad Bangla

17 Jan, 13:14


পারস্পরিক স্বার্থকে সামনে রেখে ভারত-আফগানিস্তান কূটনীতিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়
✍🏻 আবদান সাফী

যদিও ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে কোনো স্থলসীমা নেই, তবে এই দু’টি দেশের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে সংস্কৃতি, বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান। কিন্তু পাকিস্তান বরাবরই এই সম্পর্ককে সন্দেহের চোখে দেখেছে এবং আফগানিস্তানে ভারতের ভূমিকা সীমিত করতে সচেষ্ট থেকেছে।

পাকিস্তানের এই সংকীর্ণ নীতি কেবল তাদের কূটনৈতিক মঞ্চে ব্যর্থতার কালিমা এঁকে দেয়নি, বরং আফগানিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককেও বহুমুখী জটিলতার আবর্তে নিক্ষেপ করেছে। সম্প্রতি দুবাইয়ে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক এ প্রেক্ষাপটেরই বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এই বৈঠক ভারত ও আফগানিস্তান সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে এবং পাকিস্তানের জন্য আরেকটি কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

পাকিস্তানের আফগান নীতি বরাবরই দ্বিচারিতা ও দূরদর্শিতার অভাবে কলঙ্কিত। উনিশ শতকের শেষভাগে ইসলামাবাদ যখন তালেবান শাসনকে স্বীকৃতি প্রদান করেছিল, তখন তাদের প্রত্যাশা ছিল, ভবিষ্যতেও তালেবান শাসনের ওপর তারা প্রভাব বজায় রাখতে সক্ষম হবে। তবে ২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর তাদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির দৃঢ় ঘোষণা ইসলামাবাদের সেই প্রত্যাশাকে ভেঙে চুরমার করে দেয়।

ফলস্বরূপ, আফগান শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং ডুরান্ড লাইনের ওপারে হামলাকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ইসলামী ইমারতের বিরুদ্ধে আঙুল তোলা এবং আফগান ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালানোর পর, বিশেষ করে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।

পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ভুল হলো আফগানিস্তানকে তাদের তথাকথিত কৌশলগত গভীরতার দর্শনের আলোকে পর্যালোচনা করা এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে এর মর্যাদাকে অবহেলা করা।

অপরদিকে, ভারত সবসময় আফগানিস্তানের উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং মানবসম্পদের উন্নয়নে নিবেদিত থেকেছে। ভারত আফগান জনগণের জন্য বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি সড়ক ও হাসপাতাল নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং সরাসরি জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে অগ্রগামী থেকেছে। এই বৈপরীত্য আজ আরও গভীরভাবে দৃশ্যমান— পাকিস্তান যেখানে তালেবানের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপনে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে ভারতের কূটনৈতিক দিগন্ত উন্মুক্ত রয়েছে।

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠকটিকে শুধুমাত্র একটি প্রথাগত কূটনৈতিক বিনিময় হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। এই বৈঠকের মাধ্যমে ইসলামী ইমারত স্পষ্ট করেছে যে, তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে প্রস্তুত। আলোচনায় কূটনীতি, অর্থনীতি ও বাণিজ্য ছাড়াও নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। এটি ইসলামী ইমারতের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক উদ্যোগ এবং অঞ্চলে ভারসাম্যপূর্ণ নীতি গ্রহণের ইচ্ছার প্রকাশ।

বিশেষত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা একটি প্রশংসনীয় কৌশল। ইসলামী ইমারত বুঝতে পেরেছে যে, কেবল এক বা দুই দেশের ওপর নির্ভরশীল হওয়া লাভজনক নয় বরং একটি বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যময় পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করলে আফগানিস্তানের স্বার্থ অধিকতর সুরক্ষিত হবে। এ কারণেই তারা শুধু চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে না, বরং উপসাগরীয় দেশগুলো, ইরান এবং ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক শক্তিশালী করছে।

এখন পাকিস্তানের জন্য একটি অতি জরুরি প্রশ্ন হলো: তারা কি তাদের পররাষ্ট্রনীতিকে বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে, নাকি ঐতিহ্যবাহী ঔদ্ধত্যপূর্ণ মনোভাব বজায় রেখে আফগানিস্তানে তাদের ক্রমহ্রাসমান প্রভাবকে আরও ত্বরান্বিত করবে? ইসলামী ইমারতের প্রতি চাপ সৃষ্টি বা কঠোর নীতি অবলম্বন কোনো ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে না; বরং সম্পর্ককে আরও তিক্ত করে তুলবে।

ইসলামাবাদকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, আফগানিস্তান একটি স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্র, যার নিজস্ব স্বার্থের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।

ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্ক উন্নয়ন কোনো ষড়যন্ত্র নয় বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার প্রচেষ্টা। পাকিস্তান যদি এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে তাদের নীতিতে নমনীয়তা প্রদর্শন করে, তবে তারাও এই পরিস্থিতি থেকে উপকৃত হতে পারে। তবে যদি তারা ভারতের উপস্থিতিকে শত্রুতার দৃষ্টিতে পর্যালোচনা করে, তবে তা কেবল তাদের জন্য আত্মঘাতী হবে।

দুবাইয়ের এই বৈঠক একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে চিহ্নিত। যদি আলোচনা ইতিবাচক গতিতে অগ্রসর হয়, তবে তা ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে কেবল অর্থনৈতিক সম্পর্ককে মজবুত করবে না, বরং আঞ্চলিক কূটনৈতিক ও কৌশলগত ভারসাম্যের ক্ষেত্রেও গভীর প্রভাব ফেলবে। তালেবান সরকার ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনায় তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে, এবং যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তবে আফগানিস্তান ভবিষ্যতে একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে

Almirsad Bangla

15 Jan, 16:42


ওআইসি–এর দ্বৈতনীতি: মালালার প্রতি সমর্থন, আফগান নারীদের অধিকার নিয়ে উদ্বেগ তবে ফিলিস্তিন ইস্যুতে নীরবতা
✍🏻 আহরাম খান

১৯৬৯ সালের ২১ আগস্ট এক অস্ট্রেলীয় খ্রিস্টান “ডেনিস মাইকেল” জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের ৮০০ বছরের পুরোনো মিম্বারে অগ্নিসংযোগ করে, যার ফলে মসজিদের ছাদসহ গুরুত্বপূর্ণ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ মর্মান্তিক ঘটনা সমগ্র মুসলিম বিশ্বের হৃদয়ে গভীর শোক ও ক্রোধের সঞ্চার করে। ফিলিস্তিনের তৎকালীন গ্র্যান্ড মুফতী আমীন আল হুসাইনী তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে এ ঘটনার বিরুদ্ধে দৃঢ় ও একতাবদ্ধ অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান।

তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সৌদি আরব ও মরক্কো মুসলিম নেতৃত্বকে একত্রিত করার অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের প্রধানরা মরক্কোর রাজধানী রাবাতে মিলিত হন এবং ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) প্রতিষ্ঠা করেন। ছয় মাস পর সৌদি আরব পুনরায় উদ্যোগ গ্রহণ করে জেদ্দায় মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রথম আনুষ্ঠানিক সম্মেলন আয়োজন করে। ১৯৭২ সালে ওআইসি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো পায়, যেখানে প্রতি বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন এবং প্রতি তিন বছরে একবার শীর্ষ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ওআইসির সনদে ইসলামী ও অর্থনৈতিক মূল্যবোধের রক্ষাকল্পের অঙ্গীকার, মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সংহতির প্রসার, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার অগ্রগতি এবং আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়।

তথাপি, এই প্রতিশ্রুতিসমূহ সত্ত্বেও ওআইসি মুসলিম অধিকার প্রতিষ্ঠায় কার্যত অক্ষম প্রমাণিত হয়েছে। এর ভূমিকা মূলত আনুষ্ঠানিক সভা-সমিতির আয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে গেছে, যার বাস্তবিক কোন ফলপ্রসূতা লক্ষ্য করা যায় না। যে সংস্থা আল আকসার উপর হামলার বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনের অধিকারের পক্ষে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, আজ সেই সংস্থা ফিলিস্তিনে চলমান হত্যাযজ্ঞের প্রতি নির্লিপ্ত। এই সংস্থা কেবল নির্বাকই নয়, বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের ইচ্ছাশক্তি বা সাহসও প্রদর্শন করতেও ব্যর্থ। বরং ওআইসি এখন মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের অভ্যন্তরে বিভাজন সৃষ্টির এক রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ওআইসির ক্রমবর্ধমান বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক হলো বিতর্কিত ব্যক্তিত্বদের এর মঞ্চে স্থান দেওয়া। যেমন মালালা ইউসুফজাই, যিনি প্রায়শই পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন, যা ইসলামী মূল্যবোধের সঙ্গে সুস্পষ্ট সাংঘর্ষিক।

মালালা ইউসুফজাই, যিনি পশ্চিমা প্রচারযন্ত্রের একটি নির্মাণ। কিছুদিন আগে পাকিস্তানে এক ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার অতীতের বক্তব্যগুলোও এমন পর্যায়ের ধৃষ্টতাপূর্ণ যে, এমন মন্তব্য একজন অমুসলিমও উচ্চারণ করতে দ্বিধান্বিত হতেন।

তার দৃষ্টিভঙ্গি ও সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করে যে, তিনি কেবল পশ্চিমা এজেন্ডাকে সমর্থন করেন না, বরং ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে এক বৈশ্বিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার গভীর সংযোগ এবং ইসলামী নীতির প্রতি তার স্পষ্ট বিরোধিতা ইঙ্গিত দেয় যে তিনি ইসলামের অন্তর্নিহিত মূল্যবোধের বিপরীতে অবস্থান গ্রহণ করেছেন।

মালালার একটি বিতর্কিত মন্তব্য ছিল হিজাব এবং বোরকা সম্পর্কে, এগুলোকে তিনি “অজ্ঞতার যুগের প্রতীক” বলে অভিহিত করেছিলেন। এটি চরম অবমাননাকর একটি মন্তব্য, কারণ ইসলামী সংস্কৃতিতে হিজাব মর্যাদা ও শালীনতার প্রতীক। এমন মন্তব্য কেবল ইসলামী মূল্যবোধকে অবমাননাই নয়, বরং মুসলিম নারীদের সম্মানকেও উপহাস করে।

তার বক্তব্যের আরেকটি দৃষ্টান্ত হলো দাড়ি সম্পর্কে, যেটিকে তিনি “ফিরআউনের প্রতীক” বলে আখ্যা দিয়েছেন। এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত অসম্মানজনক; কারণ দাড়ি ইসলামী শরিয়তে একটি সুন্নাহ হিসেবে স্বীকৃত।

তার এমন বক্তব্যসমূহ ইসলামী শিক্ষার প্রতি গভীর তাচ্ছিল্যেরই প্রতিফলন, যা প্রমাণ করে যে তার দৃষ্টিভঙ্গি পশ্চিমা মানসিকতা দ্বারা প্রভাবিত এবং তা ইসলামী নীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী।

মালালার পশ্চিমা এজেন্ডার প্রতি আনুগত্য আরও প্রমাণ করে যে তিনি মুসলিমদের কল্যাণের পরিবর্তে বিদেশি স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার বই আই অ্যাম মালালা ইসলাম সম্পর্কে এমন অনেক মন্তব্যে ভরা, যা মুসলিম সমাজে অত্যন্ত আপত্তিজনক বলে বিবেচিত। বিবিসির মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার সখ্যতা এবং তার বক্তব্য, যা ইসলামী শিক্ষাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে, প্রমাণ করে যে তিনি পশ্চিমা প্রপাগান্ডার হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছেন।

Almirsad Bangla

15 Jan, 16:42


আফগান নারীদের অধিকারের বিষয়ে মালালার অবস্থানও সমানভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। যদি তিনি সত্যিই আফগান নারীদের কল্যাণে আন্তরিক হতেন, তবে তিনি ইসলামি মূল্যবোধ ও আফগান ঐতিহ্যকে সম্মান করতেন— যা তার কথাবার্তায় অনুপস্থিত।

আফগান নারীদের শুধুমাত্র পশ্চিমা প্রচারণার একটি মাধ্যম হিসেবে উপস্থাপন এবং মালালাকে তাদের কথিত রক্ষক হিসেবে তুলে ধরা বিভ্রান্তিকর এবং আফগান নারীদের প্রতি অপমানজনক। এটি ইসলামী ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার এবং বাইরের মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার একটি বৃহত্তর পশ্চিমা কৌশলের অংশ বলেই মনে হয়।

এছাড়াও মালালার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সংযোগ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। জানা যায়, বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জনের পূর্বে তিনি সিআইএর সঙ্গে গোপন বৈঠকে লিপ্ত ছিলেন, যার আলোকচিত্রও প্রকাশিত হয়েছে। এটি ইঙ্গিত করে যে তার উত্থান পূর্বপরিকল্পিত এবং একটি ইসলাম-বিরোধী এজেন্ডার অংশ।

মালালা ইউসুফজাইকে ওআইসির একটি ফোরামে আমন্ত্রণ জানানো মুসলিম স্বার্থের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার শামিল এবং ইসলামী বিশ্বের জন্য একটি গভীর অপমান। যারা ইসলামের মূলনীতিকে প্রকাশ্যে অপমান করেন, তাদের এমন মঞ্চে স্থান দেওয়া উচিত নয়।

ফিলিস্তিনসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ওআইসির নিরবতা এবং মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরে বিভেদ সৃষ্টির ভূমিকা এর রাজনৈতিক ভণ্ডামি এবং নৈতিক দুর্বলতার পরিচায়ক। যদি ওআইসি আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহে একতাবদ্ধভাবে মুসলিম অধিকার রক্ষায় কাজ না করে, তবে এর গ্রহণযোগ্যতা চিরতরে হারিয়ে যাওয়া সময়েরই ব্যাপার।
https://almirsadbd.com/oic-r-dw-m-pr-s-a-n-o-n-u-t-p-i-n/?amp=1

Almirsad Bangla

14 Jan, 16:09


OIC-এর বিতর্কিত সম্মেলন এবং পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ রাজনীতি
✍🏻 আবদান সাফী

পাকিস্তানে আয়োজিত ওআইসি সম্মেলনকে আফগান জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীদের শিক্ষার প্রসার এবং মানবিক সংকট নিরসনের নামে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তবে এই সম্মেলনের প্রকৃত অভিপ্রায় একেবারে ভিন্ন। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের ওপর প্রভাব বিস্তারের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে আসছে। কিন্তু যখন ইসলামী ইমারাত স্বাধীন ও স্বতন্ত্র নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন তা পাকিস্তানের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে।

একটি রাজনৈতিক প্রণালী, যা ইসলামী ইমারাতের মর্যাদা খর্ব ও এর ওপর চাপ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে রচিত— ওআইসি সম্মেলন মূলত এই কৌশলেরই এক সম্প্রসারণ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অবজ্ঞার ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্কিত রাষ্ট্র পাকিস্তান কীভাবে অন্য জাতিগুলোর নৈতিক অভিভাবক সাজতে পারে?

পাকিস্তান দৃশ্যত দাবি করে তারা আফগান শিশু ও নারীদের শিক্ষার অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই বা কী পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করেছে? সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী পাকিস্তানে ২৬ মিলিয়নের অধিক শিশু বিদ্যালয় কিংবা মাদরাসায় শিক্ষালাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত, এবং এটি বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ।

এটি এক স্বীকৃত বাস্তবতা যে, পাকিস্তানি রাষ্ট্রযন্ত্র, বিশেষত তাদের সামরিক বাহিনী বারংবার আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। তারা আফগান সরকারের ওপর নিজেদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালিয়েছে, সীমান্ত-বিরোধকে উস্কে দিয়েছে, বাণিজ্যপথে বাধা সৃষ্টি করে আফগান অর্থনীতিকে দুর্বল করেছে এবং সন্ত্রাসবাদের মিথ্যা অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আফগানিস্তানের সুনাম নষ্ট করেছে।

এসব কর্মকাণ্ডই পাকিস্তানের আফগান নীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। তবে সময় বদলেছে; আফগানিস্তান এখন আর বহিরাগত চাপের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। পাকিস্তানের উচিত এ বাস্তবতা মেনে নেওয়া যে, তাদের পুরনো কৌশল আর কার্যকর হবে না।

যদি পাকিস্তান সত্যিই মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি নিষ্ঠাবান হতে চায়, তবে তাদের উচিত প্রথমে নিজেদের অভ্যন্তরীণ অযাচার ও অবিচার দূর করা। পাকিস্তানের রাষ্ট্রযন্ত্র এবং তাদের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজেদের ব্যর্থতাগুলো আড়াল করতে প্রায়শই বাইরের সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে জনগণের মনোযোগ সরিয়ে দেয়। আফগানিস্তানের সমালোচনা করা এবং তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করাও এই নীতির অংশ। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, পাকিস্তান নিজেই অভ্যন্তরীণ সংকটে জর্জরিত।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আজ নজিরবিহীন স্তরে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক হস্তক্ষেপে একটি নির্বাচিত সরকার অপসারিত হয়েছে, যা দেশটিকে এক গভীর রাজনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত করেছে। নির্বাচনী প্রহসন, গণমাধ্যমের দমননীতি এবং বিচার বিভাগের রাজনৈতিক অপব্যবহারের মাধ্যমে পাকিস্তানের তথাকথিত গণতন্ত্র আজ বিদ্রূপে পরিণত হয়েছে।

বেলুচিস্তানে দীর্ঘমেয়াদী রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। অগণিত বেলুচ যুবক জোরপূর্বক গুম হয়েছেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিকৃত মরদেহ পাওয়া গেছে এবং অনেকেই কারাবন্দি কিংবা নির্বাসিত হতে বাধ্য হয়েছেন।

পাকিস্তানি রাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে বেলুচ জনগণকে বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যায়িত করে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তাদের শিক্ষার সুযোগ, কর্মসংস্থান এবং মৌলিক সেবাসমূহ অস্বীকৃত হয়েছে। জোরপূর্বক গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেলুচিস্তানের এক চিরন্তন বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেকোনো সমালোচনাকারীকে কঠোরভাবে দমন করে।

একই চিত্র খাইবার পাখতুনখাওয়ায়ও দেখা যায়, যেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে বেসামরিক জনগণকে টার্গেট করা হয়। সামরিক অভিযানগুলো সম্পূর্ণ অঞ্চলকে বিপর্যস্ত করেছে এবং নিরপরাধ মানুষকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যারা নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়াস করেছে, তাদের রাষ্ট্রদ্রোহী কিংবা রাষ্ট্রের শত্রু বলে দাগানো হয়েছে।

অন্য কোনো দেশের মানবাধিকার বিষয়ে মতপ্রকাশের আগে পাকিস্তানের উচিত নিজ দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সংকট নিরসন করা। সেখানে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে অপহরণ, নির্যাতন এবং প্রায়শই হত্যার ঘটনা ঘটে। পুরো গণমাধ্যম আজ সামরিক নিয়ন্ত্রণে আবদ্ধ, আর ভিন্নমতাবলম্বীদের হয়তো দমন করা হয়, নয়তো নির্বাসিত হতে বাধ্য করা হয়।

২০২৩ সালের হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রতিবেদন পাকিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাবনতির একটি ভয়ানক চিত্র উপস্থাপন করেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংখ্যালঘু অধিকার, নারীর অধিকার এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা সেখানে এক গভীর সংকটে নিমজ্জিত। মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে পাকিস্তান বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

Almirsad Bangla

14 Jan, 16:09


২০২৪ সালে পাকিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের রুল অফ ল’ ইনডেক্স অনুযায়ী, ১৪০টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান ১২৫তম, যা মানবাধিকারের প্রতি তাদের নিদারুণ অবহেলার প্রমাণ।

পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পাঞ্জাবে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, যৌন নিপীড়ন, এবং হত্যার ৪,৩৭৬টি নথিভুক্ত ঘটনা ঘটেছে— যা দেশটির প্রদেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এটি একটি প্রদেশের মাত্র একটি অংশের চিত্র।

এই প্রেক্ষাপটে ওআইসি সম্মেলনের অংশগ্রহণকারীদের এটি উপলব্ধি করা উচিত যে, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক এজেন্ডার অনুসরণ করা নৈতিকতার পরিপন্থী এবং ক্ষতিকর। যদি এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারীর শিক্ষা উন্নয়ন হয়, তবে প্রথমেই পাকিস্তানের জোরপূর্বক গুম, সামরিক দমননীতি, এবং গণমাধ্যমের দমনচর্চার তদন্ত করা উচিত।

ওআইসির উচিত আফগানিস্তানের সঙ্গে সমতা ও সম্মানের ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপন করা এবং তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা। আফগান অর্থনীতি, শিক্ষা, এবং উন্নয়নকে সহায়তা করার জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, পাকিস্তানের স্বার্থরক্ষার জন্য নয়। যদি ওআইসি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে চায়, তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে প্রকৃত সমস্যাগুলোর সমাধানে মনোনিবেশ করা উচিত।
https://almirsadbd.com/oic-r-b-s-pkr-h-r/?amp=1

Almirsad Bangla

12 Jan, 16:47


সিরিয়ান বাহিনী এক সমাধিস্থলকে লক্ষ্যবস্তু করা আইএসআইএস সদস্যদের গ্রেফতার করেছে
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

সিরিয়ার নবগঠিত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, তারা দামেস্কের একটি সমাধিস্থলে হামলার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত দাঈশের (আইএসআইএস) একটি ষড়যন্ত্র সফলভাবে নস্যাৎ করেছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণ গোয়েন্দা অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় দামেস্কের উপকণ্ঠে দাঈশের একটি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দাঈশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, গ্রেফতারকৃতরা দামেস্কের সাইয়্যিদা যাইনাব মাজারে হামলার পরিকল্পনা করেছিল এবং এই উদ্দেশ্যে তারা বিস্ফোরক ও অন্যান্য সরঞ্জাম প্রস্তুত করেছিল।

দামেস্কের উপকণ্ঠে অবস্থিত সাইয়্যিদা যাইনাব মাজার বিশেষ একটি কারণে শিয়া সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমামিয়া শিয়াদের বিশ্বাস মতে, এটি হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর কন্যা সাইয়্যিদা যাইনাব রাদিয়াল্লাহু আনহার সমাধিস্থল।

প্রসঙ্গত, গত মাসে দাঈশ জঙ্গিগোষ্ঠী সিরিয়ার মুজাহিদদের বিজয়ের পর নবগঠিত সরকারের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই অব্যাহত রাখার হুমকি দেয়। এই ব্যর্থ ষড়যন্ত্র থেকে স্পষ্ট যে, চরমপন্থী এই গোষ্ঠী সিরিয়ায় সংঘাত পুনরায় উস্কে দিতে চায় এবং শামের এই পবিত্র ভূমিকে একটি স্থায়ী রণক্ষেত্রে পরিণত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
https://almirsadbd.com/s-b-1-sk-l-k-d-sd-gr-k/?amp=1

Almirsad Bangla

11 Jan, 16:10


চরমপন্থা ও কঠোরতার রাজনীতি: এক অনিবার্য পরাজয়ের আখ্যান
✍🏻 আহমাদ হিশাম আল কুরদী

চরমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি দীর্ঘমেয়াদী ব্যর্থতা ও বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চরমপন্থা কেবলমাত্র সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর গভীরতাকেই বাড়িয়ে তোলে না, বরং মানুষের মধ্যে বিশ্বাস, ঐক্য এবং শান্তির ভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

চরমপন্থী মতাদর্শ সর্বদা সত্য ও মধ্যপন্থার পরিবর্তে আবেগতাড়িত ও অযৌক্তিক পন্থাকে অগ্রাধিকার দেয়। এর ফলশ্রুতিতে সহিংসতা, অস্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতির পথ রুদ্ধ হয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, কঠোর ও চরমপন্থী আদর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত দল ও আন্দোলন অধিকাংশ সময়ে সীমিত প্রভাব রাখতে সক্ষম হয় এবং তাদের শাসন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষণস্থায়ী হয়। তারা প্রায়শই বিশৃঙ্খলতা ও অস্থিতিশীলতায় নিমজ্জিত হয়।

যদিও চরমপন্থীরা প্রথমদিকে বলপ্রয়োগ ও জবরদস্তির মাধ্যমে অঞ্চল ও জনগণকে করায়ত্ত করতে সক্ষম হয়েছিল, তাদের কঠোরতা প্রায়শই তাদের পুনরায় ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। তাদের পতনের অন্তর্নিহিত কারণসমূহ নিম্নরূপ:

১. বৈধতার অভাব
কঠোরপন্থী আন্দোলনগুলো প্রায়শই সহিংসতা, বলপ্রয়োগ এবং দমননীতির আশ্রয় নেয়, যা তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি ও সমর্থনকে দূরে সরিয়ে দেয়। যখন কোনো আন্দোলন জনসাধারণের হৃদয় ও আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়, তখন তার অস্তিত্ব অবশ্যম্ভাবীভাবে হ্রাস পায়।

২. বিরোধিতার বিস্তার
চরমপন্থীরা তাদের কর্মধারার কারণে প্রায়শই ব্যাপক বিরোধিতার মুখোমুখি হয়। এই বিরোধিতাকারী শক্তিগুলো, তা অভ্যন্তরীণ হোক কিংবা বহিরাগত, ধারাবাহিকভাবে তাদের দুর্বল করার জন্য সক্রিয় থাকে। বিপুল সংখ্যক শত্রুর উপস্থিতি একটি স্থিতিশীল শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

৩. রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর ভঙ্গুরতা
কঠোর আন্দোলনগুলো সাধারণত সুশাসন প্রতিষ্ঠা কিংবা টেকসই রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়। তাদের উত্থান প্রায়ই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংকটের সূচনা করে, যা শেষ পর্যন্ত তাদের পতনের পথকে প্রশস্ত করে।

৪. মধ্যপন্থী মতাদর্শের শ্রেষ্ঠত্ব
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, মধ্যপন্থী আদর্শ ও আন্দোলনগুলো সর্বদাই কঠোরপন্থী দলের তুলনায় অধিকতর শক্তিশালী ও স্থায়িত্বশীল প্রমাণিত হয়েছে। মধ্যপন্থার শ্রেষ্ঠত্বের মূল কারণ হলো, এটি মানুষের প্রকৃত চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

চরমপন্থার ব্যর্থতার উদাহরণ

খারিজি সম্প্রদায়
ইসলামের প্রাথমিক শতাব্দীতে এটি ছিল একটি কঠোর ধর্মীয় আন্দোলন। তাদের আদর্শিক চরমপন্থা ও সহিংস কার্যকলাপের কারণে তারা সাময়িকভাবে শক্তিশালী হলেও, তাদের বিচ্ছিন্নতা এবং চরমপন্থী অবস্থানের কারণে তারা ইসলামী জগৎ থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়।

নাৎসি পার্টি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি পার্টির চরমপন্থী নীতিমালা স্বল্পকালীন ক্ষমতা অর্জনে সহায়ক হলেও, তাদের পথ ছিল ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত।

সাম্যবাদী আন্দোলন
সোভিয়েত ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশে সাম্যবাদ চরমপন্থী আদর্শ অনুসরণ করেছিল। তবে এই আদর্শ শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

আধুনিক যুগের আইএসআইএস
যদিও আইএসআইএস প্রাথমিকভাবে উল্লেখযোগ্য অঞ্চল দখল করে এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করে, তাদের নীতিমালা ও কর্মধারা টেকসই ছিল না। তাদের চরমপন্থা ও কঠোর পন্থা তাদের বিচ্ছিন্নতার কারণ হয় এবং শেষ পর্যন্ত তাদের পতন ঘটে।

প্রথমদিকে আইএসআইএস নিজেদের ইসলামের অভিভাবক হিসেবে উপস্থাপন করেছিল। কিন্তু তাদের অপরাধ, হত্যাযজ্ঞ, মুসলিমদের শোষণ ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ তাদের প্রকৃত চরিত্র উন্মোচন করে। ফলে তারা একটি দীর্ঘস্থায়ী শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে ব্যর্থ হয়।

উপসংহার
চরমপন্থী আন্দোলনগুলো হয়তো সাময়িক কিছু সাফল্য অর্জন করতে পারে, তবে তাদের সহিংসতা ও মানুষের প্রকৃত চাহিদা পূরণে ব্যর্থতা তাদের অচিরেই পতনের দিকে নিয়ে যায়। ইতিহাস এই সত্যই প্রমাণ করে যে, টেকসই পরিবর্তন অর্জনের একমাত্র পথ হলো মধ্যপন্থা, ভারসাম্য ও যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি।
https://almirsadbd.com/ch-o-k-r-1-o-p-o/?amp=1

Almirsad Bangla

10 Jan, 15:15


আল কায়েদা দুই আইএস সদস্যকে হত্যা করেছে এবং একজনকে জীবিত আটক করেছে
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

বুরকিনা ফাসোতে আল কায়েদার মুজাহিদীনদের সম্প্রতি একটি অভিযানে দুই আইএসআইএস সদস্য নিহত হয় এবং একজনকে জীবিত আটক করা হয়।

জামাআতু নুসরাতিল ইসলামি ওয়াল মুসলিমীন (জেএনআইএম)–এর মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আয-যাল্লাকা জানিয়েছে যে, গত মঙ্গলবার ডোরি প্রদেশে আইএস যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালায় আল কায়েদার মুজাহিদীন। এর ফলে দুই আইএস সদস্য নিহত হয় এবং একজনকে জীবিত ধরা হয়।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, আইএস যোদ্ধাদের কাছ থেকে তিনটি মোটরসাইকেল, তিনটি কালাশনিকভ রাইফেল এবং অন্যান্য বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
https://almirsadbd.com/a-q-2-is-sk-h-k-1k-j-a-k/?amp=1

Almirsad Bangla

09 Jan, 15:37


ইসলামী ইমারাত প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্রের পতন
ড. আসাদ

এই প্রবন্ধে ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের (তালেবান আন্দোলন) উত্থান, এর জিহাদি সংগ্রামের ধারাবাহিকতা এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিরোধের অনুপুঙ্খ আলোচনা উপস্থাপিত হয়েছে।

১. ইসলামী ইমারাত কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
ইসলামী ইমারাতের মূল ভিত্তি স্থাপনকারী ব্যক্তিরা ছিলেন গ্রামীণ মাদরাসা ও মসজিদের একান্ত নিবেদিত ছাত্রগণ। তাদের অনেকে সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জিহাদে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং কেউ কেউ স্বাধীন যোদ্ধা হিসেবে ফ্রন্ট পরিচালনা করেছিলেন।

যখন গোষ্ঠীগত কোন্দল ও নৈরাজ্য চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল এবং যুদ্ধবাজদের নৃশংসতা, লুটপাট, হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতা সমাজকে গ্রাস করেছিল, তখন মোল্লা মুহাম্মাদ উমর মুজাহিদ রহিমাহুল্লাহর নেতৃত্বে একদল ধর্মপ্রাণ ছাত্র চলমান যুলুমকে উপেক্ষা না করে প্রতিরোধের জন্য সুশৃঙ্খলভাবে সংগঠিত হয়। এই আন্দোলনের সূচনা ঘটে কান্দাহারের ঝারী জেলার সাঙ্গ হিসার এলাকায়, যা সেই সময় মাইওয়ান্দের অংশ ছিল। এটি ধীরে ধীরে মাইওয়ান্দ, পানজওয়ে এবং আশপাশের জেলার গ্রামীণ মাদরাসাগুলোর ছাত্রদের অকুণ্ঠ সমর্থন অর্জন করে।

মোল্লা মুহাম্মাদ উমর মুজাহিদের দূরদর্শী নেতৃত্বে তালেবান অস্ত্র ধারণ করে, কারণ জাতি ও জনগণ এক অন্ধকারময় বিপর্যয়ের সম্মুখীন ছিল। মানুষের জীবন, সম্পদ ও অধিকার প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছিল এবং মুসলমানদের মর্যাদা ও সম্মান হুমকির মুখে পড়েছিল। আফগানিস্তান এক প্রান্তিক পতনের দ্বারপ্রান্তে ছিল, যেখানে কোনো শাসনব্যবস্থা এই ব্যাপক শোষণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্ষম ছিল না।

ততদিনে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ তার সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছিল। বহু ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত জিহাদের সুফল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দেড় লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লক্ষ্যসমূহ ক্ষমতার লালসায় বিকৃত হয়ে পড়েছিল। তথাকথিত নেতারা ব্যক্তিগত স্বার্থ ও ক্ষমতার লড়াইয়ে মগ্ন হয়ে জাতিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল। এই পরিস্থিতি ইসলামী ইমারাত প্রতিষ্ঠার মঞ্চ প্রস্তুত করে, যার মূল লক্ষ্য ছিল জাতি ও জনগণকে চলমান অত্যাচার, বিশৃঙ্খলা এবং দুর্দশা থেকে মুক্ত করা।

২. জিহাদের পর্যায়
২০০১ সালের ৭ অক্টোবর (সূর্য পঞ্জিকায় ১৩৮০ সালের ১৫ মিজান), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রশক্তি আফগানিস্তানে সামরিক আগ্রাসন চালায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবিক নীতিমালা ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে আফগানিস্তান দখল করে। তারা বিদ্যমান ইসলামী শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে এবং গণতন্ত্রের আড়ালে অভ্যন্তরীণ সহযোগীদের সমর্থনে একটি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে।

পরবর্তীতে ইসলামী শরিয়াহ আইনকে গণতন্ত্র ও প্রজাতন্ত্রবাদ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়। নারীর অধিকারের অজুহাতে এবং তথাকথিত স্বাধীনতার নামে সমাজে অশ্লীলতা ও নৈতিক অবক্ষয়ের উন্মুক্ত প্রচার শুরু হয়। শত শত টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন, সংবাদ সংস্থা, সংবাদপত্র ও সাময়িকী চালু করা হয়। সামরিক আগ্রাসনের পাশাপাশি একটি সাংস্কৃতিক ও আদর্শগত আগ্রাসন শুরু হয়। “আফগান স্টার” এর মতো অনুষ্ঠানের সূচনা করে তারা ধর্মীয় ও জাতীয় মূল্যবোধের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে।

কিন্তু বিপরীত দিকে ঈমানদারগণ ছিলেন অটল ও অবিচল। বিশ্বব্যাপী প্রবল সামরিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের বিপরীতে তারা আল্লাহর প্রতি তাদের গভীর বিশ্বাস স্থাপন করেন। তারা ছিলেন আল্লাহর সাহায্যের প্রতীক্ষায়। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেনমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি একসময় ধ্বংস হবে। জিহাদের পুনরুত্থান ঘটবে এবং সমগ্র মানবজাতি আবারও দেখবে কিভাবে ঈমান বস্তুবাদী শক্তির উপর বিজয় অর্জন করে।

হাজার হাজার যুবক শহীদ হওয়ার সংকল্প নিয়ে জিহাদের পথে এগিয়ে আসে। বিদেশি আগ্রাসন ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগঠিতভাবে জিহাদি অভিযান শুরু হয়। দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ যোদ্ধারা দখলদারদের বিরুদ্ধে এমন সুনিপুণ আঘাত হানেন যা তাদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যায়। এই অভিযানের প্রভাব দখলদার বাহিনীকে আফগানিস্তান থেকে সরে যেতে এবং সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে।

দুই দশকের নিরলস সংগ্রাম ও পবিত্র জিহাদের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের পরাজয় স্বীকার করে। তারা দোহায় ইসলামী ইমারাতের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং আফগানিস্তান থেকে তাদের সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে। এর মাধ্যমে তথাকথিত প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্রের অন্ধকার যুগের সমাপ্তি ঘটে।

ইসলামী ইমারাত পুনরায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়, গণতন্ত্রের সমস্ত চিহ্ন বিলুপ্ত করে। শান্তি ও স্থিতিশীলতা সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়ে, এবং আফগান জনগণের আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি ইসলামি শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
https://almirsadbd.com/iea-pr-gr-p/?amp=1

Almirsad Bangla

08 Jan, 16:44


প্রাচীন খাওয়ারিজ বনাম নব্য চরমপন্থী গোষ্ঠী: পার্থক্য ও প্রাসঙ্গিকতা
✍🏻 মুহাম্মাদ আফগান

প্রাচীন খাওয়ারিজ এবং নব্য চরমপন্থী গোষ্ঠীর মধ্যে কালানুক্রমিক অবস্থান, উদ্দেশ্য, কৌশল এবং আচরণে গভীর প্রভেদ পরিলক্ষিত হয়। এই ভিন্নতাগুলো নিম্নলিখিত সূক্ষ্ম পর্যালোচনায় উন্মোচিত করা হলো:

১. প্রতিষ্ঠা ও আদর্শিক ভিত্তি
প্রাচীন খাওয়ারিজ: তারা ইসলামের ইতিহাসে প্রথম রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ভিন্নমতাবলম্বী দল, যারা আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। তাদের আদর্শ ছিল অতি কঠোর এবং তারা বিশ্বাস করত যে, কবিরা গুনাহের মাধ্যমে একজন মুসলিম ঈমানচ্যুত হয়ে কাফের হয়ে যায়।

নব্য চরমপন্থী গোষ্ঠী: আইএসআইএস প্রভৃতি গোষ্ঠী অনুরূপ চরমপন্থী চিন্তাধারা লালন করলেও তাদের তাকফিরের প্রয়োগ আরও ব্যাপক। যারা তাদের মতাদর্শ বা পদ্ধতির সাথে ভিন্নমত পোষণ করে, চাই সে হোক কোনো ব্যক্তি বা গোটা কোনো গোষ্ঠী; তারা তাদের সরাসরি মুরতাদ বা কাফের ঘোষণা করে।

২. অভিলক্ষ্য
প্রাচীন খাওয়ারিজ: তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ইসলামী খিলাফতকে তথাকথিত “বিশুদ্ধতার” আলোকে পুনর্গঠিত করা এবং তাদের দৃষ্টিতে “সৎ মুসলিমদের” উপর শাসন প্রতিষ্ঠা করা। তাদের সংগ্রাম মূলত তাদের সময়কার শাসকদের বিরুদ্ধেই সীমাবদ্ধ ছিল।

আধুনিক খাওয়ারিজ: তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য বৈশ্বিক। তারা তাদের বিকৃত মতবাদ চাপিয়ে দিতে চায় মুসলিম এবং অমুসলিম উভয়ের উপর। তাদের কৌশল অতিমাত্রায় আক্রমণাত্মক, যার মধ্যে আত্মঘাতী হামলা, নিরীহ জনতাকে আঘাত করা এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা অন্তর্ভুক্ত।

৩. কৌশল ও প্রযুক্তির প্রয়োগ
প্রাচীন খাওয়ারিজ: তাদের যুদ্ধকৌশল ছিল তৎকালীন অস্ত্রশস্ত্র, যেমন তলোয়ার ও বর্শার উপর নির্ভরশীল।

আধুনিক খাওয়ারিজ: তারা আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত অস্ত্রশস্ত্র, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং আত্মঘাতী হামলার মাধ্যমে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে চরমপন্থা প্রচার করে, অনুসারী সংগ্রহ করে এবং প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। তাদের পদ্ধতিতে আত্মঘাতী হামলা ও নির্বিচার হত্যাকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত, যা যুদ্ধনীতির চরম লঙ্ঘন।

৪. সহিংসতার লক্ষ্য
প্রাচীন খাওয়ারিজ: তারা মূলত তাদের কঠোর আকীদার বিরোধিতাকারী নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উপর আক্রমণ চালাত।

আধুনিক খাওয়ারিজ: তাদের সহিংসতা নির্বিচার। তারা নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে, তারা যোদ্ধা হোক বা না হোক; তাদের সন্ত্রাসবাদের উদ্দেশ্য হলো সর্বত্র ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করা।

৫. ধর্মীয় গ্রন্থের ব্যাখ্যা
প্রাচীন খাওয়ারিজ: তারা ইসলামী গ্রন্থসমূহের আক্ষরিক অর্থ গ্রহণ করত এবং সেগুলোর গভীরতর ব্যাখ্যায় প্রবেশ করত না।

আধুনিক খাওয়ারিজ: তারা কেবল আক্ষরিক অর্থ গ্রহণে সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং নিজেদের রাজনৈতিক ও সামরিক উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ধর্মীয় গ্রন্থের বিকৃতি সাধন করে। তারা কেবল চরমপন্থার পক্ষে উপযোগী আয়াত ও হাদিস তুলে ধরে, দয়া ও ন্যায়বিচার সংক্রান্ত অংশগুলো পুরোপুরি উপেক্ষা করে।

৬. তাকফিরের প্রয়োগ
প্রাচীন খাওয়ারিজ: তাদের তাকফির মূলত তাদের ধর্মীয় নীতির বিরোধীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

আধুনিক খাওয়ারিজ: তারা মুসলিম ও অমুসলিম উভয়কেই শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে এবং কেবল তাদের অনুসারীদের “সত্যিকারের মুসলিম” বলে মনে করে। এমনকি তারা অনুরূপ চরমপন্থী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও অবস্থান নেয়, যাদের চিন্তাধারা তুলনামূলকভাবে কম কঠোর।

৭. মতাদর্শের প্রচার
প্রাচীন খাওয়ারিজ: তাদের মতবাদ প্রচারের মাধ্যম ছিল মূলত জনসমাবেশ এবং ধর্মীয় আলোচনায় সীমাবদ্ধ।

আধুনিক খাওয়ারিজ: তারা ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা টুল ব্যবহার করে তাদের মতবাদ বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দেয়। তাদের লক্ষ্য হলো জনমত প্রভাবিত করা এবং নতুন অনুসারী সংগ্রহ করা।

উপসংহার
প্রাচীন ও আধুনিক খাওয়ারিজ উভয়েই চরমপন্থী চেতনার ধারক। তবে আধুনিক খাওয়ারিজরা প্রযুক্তি, প্রোপাগান্ডার ব্যাপক ব্যবহার এবং বৈশ্বিক সংযোগের কারণে অনেক বেশি বিধ্বংসী। এ কারণেই তাদের কার্যক্রম তাদের পূর্বসূরিদের তুলনায় বহুগুণ ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক।
https://almirsadbd.com/pr-kh-b-n-ch-h-p-o-pr/?amp=1

Almirsad Bangla

04 Jan, 16:08


পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের দাবি: ভিক্ষা প্রার্থনা থেকে মিথ্যা অভিযোগ পর্যন্ত
✍🏻 আবদান সাফী

ইসলামী ইমারত আফগানিস্তান (আইইএ) নাকি ওয়াজিরিস্তানি শরণার্থীদের স্থানান্তরের জন্য ১০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি দাবি করেছে— গতকাল এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এমনই অভিযোগ উত্থাপন করেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এই ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক দাবি আবারও একবার নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করা এবং আন্তর্জাতিক সহানুভূতি কুড়াতে মনগড়া অভিযোগ হাজির করার পাকিস্তানের চিরাচরিত কৌশল উন্মোচন করেছে। বাস্তবতার সঙ্গে সম্পূর্ণ সংযোগবিহীন এমন একটি মন্তব্য শুধু পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংকটের গভীরতাকেই প্রকাশ করে না, বরং দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার ব্যাপারটাও স্পষ্ট করে।

পাকিস্তান যুগ যুগ ধরে নিজেদেরকে কখনো সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের গ্লোবাল মিত্র হিসেবে উপস্থাপন করেছে, আবার কখনো শরণার্থীদের বোঝার অজুহাতে আন্তর্জাতিক সহায়তা কামনা করেছে। নিজেদের অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য দায় চাপিয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর।

এই সাম্প্রতিক অভিযোগ সেই পুরনো নাটকের আরেকটি অধ্যায় মাত্র। ওয়াজিরিস্তানি শরণার্থীদের হুমকি হিসেবে উপস্থাপন করে বৈশ্বিক সহানুভূতি আদায়ের এই প্রচেষ্টা আরও একবার প্রমাণ করে যে, পাকিস্তান আসলে সংকট থেকে উত্তরণের বদলে সংকটের মুখোশ তৈরি করতে বেশি পারদর্শী।

পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করলে ১০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির দাবি নিছক রঙ্গব্যঙ্গ বলে প্রতীয়মান হয়।

পাকিস্তান সেই দেশ, যারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য মরিয়া। এমনকি তাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা পর্যন্ত নির্ধারিত হয় আইএমএফের অনুমোদন সাপেক্ষে। তাদের মুদ্রার মান ডলারের তুলনায় প্রতিনিয়ত কমছে, মুদ্রাস্ফীতি আকাশচুম্বী, এবং জনগণ ভুগছে তীব্র দারিদ্র্য ও বেকারত্বে।

অভ্যন্তরীণ সংকট স্বীকার করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পথে হাঁটার বদলে পাকিস্তান সব সময় নিজেদের অসহায় হিসেবে তুলে ধরে বিশ্ব মঞ্চের করুণা ভিক্ষা করতে চায় এবং প্রতিবেশী আফগানিস্তানের মতো দেশগুলোর ওপর দোষ চাপায়।

ভিত্তিহীন অভিযোগ করা পাকিস্তানের জন্য কোনো নতুন বিষয় নয়। সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার হাতিয়েছে, অথচ এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক তারাই। এমনকি আইএস ও অন্যান্য শান্তি-বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে নিরাপদ আশ্রয় ও সমর্থন প্রদান করে তারা সন্ত্রাসবাদের প্রসার ঘটিয়েছে।

ইসলামী ইমারতের মুখপাত্ররা পাকিস্তানের এই বানোয়াট দাবিকে সম্পূর্ণ নাকচ করে বলেছেন যে, এমন কোনো দাবি আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে কখনো করা হয়নি এবং পাকিস্তানের সেরকম সক্ষমতাও নেই। ইসলামী ইমারতের কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, পাকিস্তান তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতাগুলো আড়াল করতে অন্য দেশের নাম ব্যবহার করে।

দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন ছলনার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা লাভের চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

এখন সময় এসেছে বিশ্ব সম্প্রদায়ের এই সত্য উপলব্ধি করার যে, পাকিস্তানের অভিযোগগুলো নিছক অর্থহীন ছলচাতুরীর অংশমাত্র। অর্থনৈতিক ব্যর্থতা এবং রাজনৈতিক সংকট ঢাকতে এমন মিথ্যা প্রচারণা চালানোর দিন এখন শেষ।

নিজেদের সংকটের সমাধানের বদলে সমস্যার দায় অন্যদের ওপর চাপিয়ে আন্তর্জাতিক সাহায্য কামনা পাকিস্তানের একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রতি আমাদের একটি সরল বার্তা:
আপনার দেশ দুনিয়ার শীর্ষ দাতব্য নির্ভর দেশগুলোর একটি, যা আইএমএফ, সৌদি আরব, চীন এবং অন্যান্য দেশ থেকে ঋণ ও সাহায্য চেয়ে প্রতিনিয়ত দরখাস্ত করে। আপনার অর্থনীতি পতনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে, আপনার জনগণ ক্ষুধা, দারিদ্র্য, ও বেকারত্বের এক অন্তহীন সংকটে ডুবে রয়েছে। যখন আপনারা নিজেদের ঋণ শোধ করতে অক্ষম এবং নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে বিশ্বব্যাপী দাতব্যের ওপর নির্ভরশীল, তখন কীভাবে আপনারা দাবি করেন যে, কেউ আপনাদের কাছ থেকে ১০ বিলিয়ন রুপি চাইতে পারে?

বাস্তবতা হলো, প্রতিদিন আপনারা দুনিয়ার দরজায় কড়া নেড়েই বেঁচে আছেন। অথচ, এই অবস্থায়ও নিজেদের “উদার” হিসেবে দেখানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আপনার উচিত হবে নিজের অর্থনীতির পুনর্গঠন এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া। কেবল তখনই আপনারা উদারতার দাবির যোগ্যতা অর্জন করবেন।
https://almirsadbd.com/pk-kd-d-v-pr-th-m-o-p/?amp=1

Almirsad Bangla

02 Jan, 14:35


আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন: একটি ঐতিহাসিক বিবরণ এবং অন্যদের জন্য শিক্ষা
✍🏻 জামশেদ আনসারী

এই আক্রমণের পরিণতি গভীরভাবে বোঝা প্রয়োজন, কেবল আফগান জনগণের জন্য নয়, বরং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর জন্যও। ভবিষ্যতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা অপরিহার্য।

১. সংক্ষিপ্ত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন জনসাধারণের বিরোধ এবং পিপল’স ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে আফগানিস্তানে তাদের সেনা প্রেরণ করে। তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার করা এবং আফগানিস্তানকে কৌশলগত কাজে ব্যবহার করা। তবে, এই দখলদারিত্বের পরিণতি আফগানিস্তানকে বিধ্বস্ত স্তুপে পরিণত করে।

২. আফগান জনগণের পবিত্র জিহাদি প্রতিরোধ
নিজস্ব ইসলামী, জাতীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ভিত্তিতে আফগান জনগণ সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পবিত্র যুদ্ধ (জিহাদ) শুরু করে। এই জিহাদ কেবল আফগানিস্তানের স্বাধীনতার প্রতীক নয়, বরং এটি সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত জাতিসমূহের মুক্তিরও প্রতীক হয়ে ওঠে।

৩. জিহাদের লক্ষ্যসমূহ
• সার্বভৌমত্ব রক্ষা
• সোভিয়েত উপনিবেশের অবসান
• ইসলামী শাসনব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা

৪. পরিণতি
আফগান মুজাহিদীন সোভিয়েত সামরিক শক্তিকে পরাজিত করতে সমর্থ হয়, যা শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৫. একটি সর্বজনীন শিক্ষা
সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান আক্রমণের ইতিহাস থেকে পরিষ্কার হয় যে, কোনো পরাশক্তি আফগানিস্তানকে বশ্যতা স্বীকার করাতে সক্ষম নয়। যে জাতি বা শক্তি আফগানিস্তানকে দুর্বল করার চেষ্টা করবে, তার পরিণতি হবে সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো।

৬. পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকা
আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর, বিশেষত যারা সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং আফগান বিষয়াবলীতে শত্রুভাবাপন্ন হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা উচিত।

বিশেষ করে পাকিস্তানের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করা আবশ্যক, কারণ:
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এবং কিছু রাজনীতিবিদ বারবার আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করেছে।

পাকিস্তান নিজ দেশের দুর্বল নীতির আড়ালে আফগানিস্তানকে দোষারোপ করে।

৭. সাম্প্রতিক ঘটনা - পাকিস্তানি সামরিক বর্বরতা
ডিসেম্বর ২৪ তারিখে (যা সোভিয়েত আক্রমণের শুরুর দিন) পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পাক্তিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় সাধারণ নাগরিকদের ওপর নিষ্ঠুর বোমাবর্ষণ চালায়। এই বর্বরতার ফলে ৫০ জন নিরীহ শরণার্থী ও আফগান শহীদ হন, যার মধ্যে ২৭ জন নারী ও শিশু। যা ইসলামী, নৈতিক এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড লঙ্ঘন করে।

৮. আফগানিস্তানের অটল সংকল্প
ইতিহাস জুড়ে আফগান জনগণ এমন শত্রুতা ও বর্বরতার সম্মুখীন হয়েছে, তবে কখনোই তাদের জাতীয় ও ইসলামী মূল্যবোধ পরিত্যাগ করেনি। তারা সোভিয়েত আক্রমণকে পরাজিত করেছে এবং বর্তমান শত্রুদের যেকোনো ষড়যন্ত্রকেও পরাস্ত করবে।

৯. সমাপনী বার্তা
শত্রুভাবাপন্ন জাতিগুলোর, বিশেষত পাকিস্তানের সোভিয়েত ইউনিয়নের পরিণতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। আফগানিস্তান হলো মুসলিম উম্মাহর হৃদস্পন্দন, এবং এর প্রতি শত্রুতা মানে সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বৈরিতা।

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পরিবর্তে এসব জাতির উচিত আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করা এবং নিজেদের জনগণের উন্নতির প্রতি মনোযোগ দেওয়া। আফগান জনগণ তাদের স্বাধীনতা, মর্যাদা এবং ইসলামি শাসনব্যবস্থার জন্য অটল রয়েছে, এবং কোনো পরাশক্তিই তাদের সংকল্পকে নষ্ট করতে পারবে না।
https://almirsadbd.com/afe-s-s-1-oi-b-od-j-sh/?amp=1

Almirsad Bangla

01 Jan, 02:02


আল কায়েদা বুরকিনা ফাসোতে চার আইএসআইএস সদস্যকে নির্মূল করেছে
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

আফ্রিকায় আল কায়েদার স্থানীয় শাখা বুরকিনা ফাসোতে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে চারজন আইএস সদস্যকে নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে।

জামাআতু নুসরাতিল ইসলামি ওয়াল মুসলিমীন (JNIM)–এর মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘আয-যাল্লাকা’ গত রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, বুরকিনা ফাসোর উদালান প্রদেশে আইএস সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা চালায়, যার ফলে চারজন আইএস সদস্য নিহত হয়।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়— নিহত আইএস সদস্যদের কাছ থেকে একটি ডিএসএইচকে মেশিনগান, দুটি কালাশনিকভ রাইফেল, মোবাইল ফোন এবং বিভিন্ন সরঞ্জামসহ অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করা হয়। এছাড়াও তাদের যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, জেএনআইএম পশ্চিম আফ্রিকায় আল কায়েদার সক্রিয় একটি শাখা; যা মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারে ‘আল কায়েদা ইন দ্য ইসলামিক মাগরিব’–এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
https://almirsadbd.com/a-q-b-f-4-d-sk-n-k/?amp=1

Almirsad Bangla

31 Dec, 12:58


কুনারে নিরাপত্তা অভিযানে এক দাঈশ সদস্য নিহত
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

গতকাল সন্ধ্যায় (২৮ জুমাদিউস সানি) কুনার প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত এক অভিযানে দাঈশের এক সদস্য নিহত হয়েছে।

আল মিরসাদকে সূত্র জানায়, এই ব্যক্তি সাঈদ মোল্লা (হামাস) নামে পরিচিত এবং সে মূলত মানোগাই জেলার বাসিন্দা ছিল। সে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে নারাং জেলায় গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

অভিযানের সময় সে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার কর্মফলের শাস্তি তাকে পেতে হয়।

সূত্র মতে, অন্যান্য আইএসআইএস সদস্যদের মতো সেও ইসলামী ইমারাতের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের ভয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিল। বেলুচিস্তানে বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর সম্প্রতি সে দেশে ফিরে আসে।
https://almirsadbd.com/ke-n-oe-1-e-d-s-n/?amp=1

Almirsad Bangla

29 Dec, 22:54


রাশিয়ায় আইএসআইএসের হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়া হয়েছে
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে শুক্রবার জানানো হয়েছে যে, মস্কোতে দাঈশের একটি হামলার পরিকল্পনা সফলভাবে নস্যাৎ করা হয়েছে।

টিএএসএস সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, মধ্য এশিয়ার আইএস-সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি মস্কোর রুশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি কার্যালয়ে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। তবে তাদের ষড়যন্ত্র আগেভাগেই উদ্ঘাটন করা হয় এবং একটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম থামিয়ে দেয়া হয়।

প্রতিবেদন অনুসারে, সন্দেহভাজনরা একটি গাড়ি সংগ্রহ করে তা প্রোপেন গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে সাজিয়ে একটি অস্থায়ী বিস্ফোরক যন্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল।

রুশ কর্তৃপক্ষ অভিযানে নিহত সন্দেহভাজনদের সুনির্দিষ্ট পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, তারা তাজিক নাগরিক হতে পারে। অতীতের ঘটনাবলিতে দেখা গেছে, রাশিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে হামলায় আইএস প্রায়ই তাজিক নাগরিকদের ব্যবহার করে থাকে।

উল্লেখ্য যে, রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের পাশাপাশি আফগানিস্তান ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে হামলার সঙ্গে জড়িত অনেক আইএস যোদ্ধার জাতীয়তা তাজিক। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাজিক নাগরিকরা সাধারণত প্রথমে তুরস্ক হয়ে পাকিস্তানে পৌঁছায়, যেখানে তারা সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এরপর তাদের আফগানিস্তান এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে মোতায়েন করা হয়।
https://almirsadbd.com/r-dr-hr-p-v-d-h/?amp=1

Almirsad Bangla

28 Dec, 07:50


গত রাতে খোস্ত প্রদেশের আলী-শের জেলার ডাবগাই অঞ্চলের ডুরান্ড সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসী ও তাদের সমর্থকদের লুকানোর স্থান এবং ঘাঁটিগুলোর ওপর প্রতিশোধমূলক হামলার কিছু দৃশ্য প্রত্যক্ষ করা গেছে।

তথ্যসূত্র অনুযায়ী, সংঘর্ষকালে ভারী ও হালকা অস্ত্রের গোলাগুলি ভোর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তদ্রূপ ডাণ্ড পাতান জেলার সীমান্তের অপরপাশে ওজগুড়ি অঞ্চলের খুশকরম, টোপ, এঞ্জারকি, তাবি এবং কেফতানের পাহাড়ি এলাকাগুলোর ঘাঁটি ও লুকানোর স্থানগুলোর ওপর গোলাবর্ষণ ও বিস্ফোরণ ভোর পর্যন্ত চলমান ছিল।

Almirsad Bangla

28 Dec, 05:44


দ্বিতীয় আপডেট
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

গতরাতে পাকতিয়া ও খোস্ত প্রদেশে ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ডুরান্ড লাইনের বরাবর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সেনা পোস্টগুলোতে অত্যন্ত নিখুঁত অভিযান পরিচালনা করেছে।

সূত্রগুলো আল মিরসাদকে জানিয়েছে যে, এই হামলাগুলো পরিচালিত হয়েছে পাকতিয়ার ডাণ্ড পাটান জেলার দিক থেকে ডুরান্ড লাইনের ওপারের ডাবগাই এলাকায় এবং খোস্তের আলিশের জেলার দিক থেকে ডুরান্ড লাইনের ওপারের ওজগুড়ি এলাকায়। বেশ কয়েকটি স্থানে ভোর পর্যন্ত আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এখনও তাদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে, সূত্রের তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিগুলোর ভিত্তিতে বলা যায় যে, পাকিস্তানি সেনা ও তাদের ঘাঁটিগুলো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে।
https://almirsadbd.com/2nd-update-p-kh-a/?amp=1

Almirsad Bangla

28 Dec, 04:52


ব্রেকিং নিউজ

পাকতিয়া ও খোস্ত প্রদেশে ডুরান্ড লাইনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভয়াবহ সংঘর্ষের সূচনা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডুরান্ড লাইনের অপর প্রান্তে চলছে তীব্র গোলাগুলি, যার ফলে উল্লেখযোগ্য প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে...

বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে...

Almirsad Bangla

27 Dec, 22:14


পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় পাকিস্তানি আগ্রাসনের সর্বশেষ বিশদ বিবরণ
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

আল মিরসাদ নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে জানিয়েছে যে, বুধবার রাতে পাকিস্তানি আগ্রাসী সেনাবাহিনী পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার চারটি এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে স্থানীয় আফগানদেরও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে ১৫ জনেরও বেশি নারী ও শিশু আফগান রয়েছে, যাদের অধিকাংশ একই পরিবারের সদস্য।

উল্লেখযোগ্য যে, এই ভয়াবহ হামলায় শহীদ হওয়া ৫০ জনেরও অধিক মানুষ ছিলেন নিরীহ নারী ও শিশু, যাদের মধ্যে অনেকেই ওয়াজিরিস্তান থেকে আগত শরণার্থী পরিবারভুক্ত। যার মাধ্যমে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সেই দাবি ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা আফগানিস্তানে সশস্ত্র প্রতিপক্ষকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণকে ন্যায্য বলা যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন— কীভাবে দক্ষিণ ও উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সশস্ত্র হামলা এবং বিস্ফোরণ আফগানিস্তান থেকে সংগঠিত হতে পারে? এবং তা নারীরা ও শিশুরা সম্পাদন করতে পারে? কারণ একদিকে ডুরান্ড সীমান্তজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া, গভীর খন্দক এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার প্রাচুর্য রয়েছে। অন্যদিকে, হামলার অভিযোগ ওঠা অঞ্চলগুলো ডুরান্ড সীমান্ত থেকে অনেক দূরে অবস্থিত।

উল্লেখ করা জরুরি, অতীতে উপজাতীয় অঞ্চলে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এবং উপজাতীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাত এবং মতবিরোধ ঘটে আসছিল, যার ফলে তাদের মধ্যে একাধিকবার শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল।

তৎকালীন সময়ে কোনো ওয়াজিরিস্তানি নাগরিকরাও আফগানিস্তানে অবস্থান করছিল না। প্রকৃত সত্য হলো, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর উদ্দেশ্য উপজাতীয় অঞ্চলগুলোকে চিরতরে দখল করা, তাদের স্বতন্ত্র উপজাতীয় পরিচিতি ধ্বংস করা, অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিজেদের ব্যর্থতাগুলো আড়াল করা, এবং সেই সামরিক কৌশল অব্যাহত রাখা যার মাধ্যমে তাদের জেনারেলদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য সম্পদ আহরণ করা হয়।

এই দীর্ঘস্থায়ী নীতি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গভীর বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে, যার পরিণতি এমন হবে যে এই সংকট থেকে কেউই নিরাপদ থাকতে পারবে না।
https://almirsadbd.com/p-pr-b-jy-pki-ar-s-b-b/?amp=1

Almirsad Bangla

27 Dec, 21:11


শুভরাত্রি!

Almirsad Bangla

26 Dec, 13:47


এখনও সময় রয়েছে পাকিস্তানের জনগণ এবং রাজনীতিবিদদের জন্য এই গুরুতর সমস্যাটিকে গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করার। এই বেপরোয়া সামরিক গোষ্ঠীর অনর্থক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে পারলেই পাকিস্তান, আফগানিস্তান, এবং সমগ্র অঞ্চল শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর হতে পারবে।
https://almirsadbd.com/s-b-n-1-g-af-pk-ur-m-k/?amp=1

Almirsad Bangla

26 Dec, 13:47


সামরিক বাহিনীর নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠী— আফগানিস্তান-পাকিস্তান উত্তেজনার মূল কারণ
পর্যায়ক্রমিক বিশ্লেষণ

গত পরশু সন্ধ্যায় পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় ডিউরান্ড লাইনের নিকটবর্তী অঞ্চলে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে। এ ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। একই সময়ে পাকিস্তানের আফগানিস্তান-বিষয়ক বিশেষ দূত সাদিক খানের নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক প্রতিনিধি দল কাবুলে আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত ছিল। এই হামলা পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বেসামরিক সরকারের ওপর আধিপত্য আবারও প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন কূটনৈতিক পথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য সচেষ্ট, তখন সামরিক বাহিনীর এই গোষ্ঠী নিরীহ মানুষের ওপর আঘাত হেনে এসব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে তুলছে। এই দ্বিচারিতা, অবৈধ এবং বেপরোয়া মনোভাব গোষ্ঠীটির এক অপ্রতিরোধ্য বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে।

এই গোষ্ঠী জাতি ও জনগণের মঙ্গলের চেয়ে তাদের নিজস্ব স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়। তাদের কর্মকাণ্ড শুধু আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে না, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানের জন্য লজ্জা, নিন্দা এবং অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলাও ডেকে আনে।

আফগান ভূখণ্ডে হামলার মাধ্যমে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য যে কোনো আন্তরিক প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। টিটিপি এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যকার আলোচনা ভণ্ডুল করাও তাদের অন্যতম একটি সাফল্য। যারা সংঘাতের মীমাংসার জন্য শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলেছে, তাদের মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে বা অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।

এই সাম্প্রতিক হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের শিকার হয়ে আফগানিস্তানে আশ্রয় নেয়া শরণার্থী ছিলেন। পাকিস্তানের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে আফগান সরকার ডিউরান্ড লাইনের কাছ থেকে শরণার্থীদের সরিয়ে নিরাপদ দূরত্বে শিবির স্থাপন করেছিল। এই নিরপরাধ মানুষগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর এই গোষ্ঠী মনে করে, যুদ্ধ এবং অস্থিতিশীলতা তাদের টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। তাদের পরিচালিত হামলাগুলো শুধু আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের উন্নয়নকে ব্যাহত করে না, বরং উভয় দেশকে সংঘাতে টেনে নিয়ে যায়।

তাদের কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে, তারা শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বিন্দুমাত্র আগ্রহী নয়। কারণ শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের সামরিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব কমে যাবে, এবং তাদের যুদ্ধ-নির্ভর অর্থনীতি ভেঙে পড়বে।

পাকিস্তানের বর্তমান অভ্যন্তরীণ সংকট এই নীতিগুলোর ফলাফল। দেশটি এখন তীব্র রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার সম্মুখীন, যার প্রধান কারণ হলো প্রতিটি বিষয়ে এই গোষ্ঠীর অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দুর্বল করা, গণমাধ্যমকে সেন্সর করা, এবং সাধারণ জনগণকে নিপীড়ন ও গুম করা এখন তাদের নিয়মিত আচরণ।

আফগানিস্তানে হামলার মাধ্যমে তারা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতাগুলো থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে চায়। কিন্তু এসব কর্মকাণ্ড শুধু পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করছে না, বরং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা ও সংঘাতেরও কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

তাদের যুদ্ধ-নির্ভর অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে তারা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা সামরিক নেতাদের জন্য লাভজনক হলেও দেশ ও জনগণের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর ফলে পাকিস্তান এখন একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে আইনের শাসন, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার অভাব প্রকট।

গত কয়েক দশক ধরে এই গোষ্ঠী পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক নীতিকে নিজেদের স্বার্থে পরিচালিত করেছে। এর ফলে পাকিস্তানের সুনাম নষ্ট হয়েছে এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নষ্ট হয়েছে। আফগান ভূখণ্ডে হামলা, তা কথিত হুমকির নামে হোক বা অন্য কোনো অজুহাতে, তাদের নীতিরই অংশ, যা তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় পরিচালিত হয়— হাজারো নিরীহ মানুষের জীবন বিপন্ন করেও।

পাকিস্তানের জনগণের উচিত নিজেদের বিবেকের কাছে এই প্রশ্ন রাখা, কতদিন এই গোষ্ঠী এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন নীতি পরিচালনা করবে, এবং কবে একটি সিস্টেম প্রতিষ্ঠিত হবে, যা মানুষের জীবনকে প্রাধান্য দেবে এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলবে?

পাকিস্তানের জনগণকে বুঝতে হবে যে, এই সামরিক গোষ্ঠী দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে। তারা অবিশ্বাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং নিজেদের স্বার্থে জনগণের আবেগকে কাজে লাগায়।

আফগানিস্তান এখন শক্তিশালী নেতৃত্বের অধীনে পরিচালিত, যারা যে কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সাহসী এবং কার্যকর জবাব দিতে প্রস্তুত। পাকিস্তানের কোনো আক্রমণ অজবাবযোগ্য থাকবে না। যদি পাকিস্তানের দায়িত্বজ্ঞানহীন সামরিক নীতির কারণে অঞ্চলটি সংঘাতে নিমজ্জিত হয়, তবে এর ভয়াবহ ফল উভয় দেশের জনগণকেই ভোগ করতে হবে।

Almirsad Bangla

25 Dec, 12:16


আফগান সার্বভৌমত্বে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ নতুন সংঘাতের অধ্যায় শুরু করতে পারে
✍🏻 আবদান সাফী

গত রাতে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় ওয়াজিরিস্তানি শরণার্থীদের আবাসস্থলে ভয়াবহ এয়ারস্ট্রাইক চালায়। এই হামলায় অনেক নিরীহ নারী ও শিশুর মর্মান্তিক প্রাণহানি ঘটেছে। এমন নৃশংসতা শুধু আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনই নয়, বরং পারস্পরিক সম্পর্কের মৌলিক নীতির প্রতি এক চরম অবজ্ঞা। যার মাধ্যমে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা উভয়ই হুমকির মুখে পড়েছে।

পাকিস্তান দাবি করেছে এই হামলা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)–এর কমান্ডারদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই এবং এটি পাকিস্তানি মহলের প্রচারিত গুজব ছাড়া কিছু নয়। প্রকৃতপক্ষে নিহতরা ছিলেন সেই ওয়াজিরিস্তানি শরণার্থী, যারা পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন এবং দীর্ঘদিন যাবত আফগানিস্তানে আশ্রিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন।

এই শরণার্থীরা সেই দুর্ভাগা মানুষ, যারা নিজেদের ন্যূনতম প্রয়োজন মেটানোর সংগ্রামে প্রতিটি মুহূর্ত হিমশিম খেয়ে কাটান। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তোলা, তাদের টিটিপি কমান্ডার হিসেবে চিহ্নিত করা ও তাদের বাসস্থানে হামলা চালানো— ন্যায়বিচারের সঙ্গে অবিচার করার সমান এবং মানবিকতার প্রতিও চরম উদাসীনতার প্রমাণ।

এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটানো পাকিস্তানের জন্য নতুন নয়। অতীতেও তারা একই ধরনের হামলার মাধ্যমে টিটিপি কমান্ডারদের লক্ষ্যবস্তু করার দাবি করেছিল, যা পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। পাকিস্তান দাবি করেছিল যে, তারা কমান্ডারদের “নির্মূল” করেছে, অথচ হামলার পর সেই “নির্মূলকৃত” কমান্ডারদেরকেই ওয়াজিরিস্তানে প্রকাশ্যে দেখা গেছে।

পাকিস্তানের এমন ভিত্তিহীন দাবি শুধু তার বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেনি, বরং যেসব পরিবার তাদের প্রিয়জন এবং সহায়-সম্পদ হারিয়েছে, তাদের দুঃখ-কষ্ট আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এই হামলা কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের কোনো সমাধান তো আনতে পারেনি; বরং পরিস্থিতির জটিলতার বৃত্তকে আরও ঘনীভূত করেছে।

যদি আফগানিস্তান এই আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে বাধ্য হয়, যা তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার ন্যায্য অধিকার, তবে এর পরিণতির দায় পাকিস্তানকেই বহন করতে হবে। আফগানিস্তান এমন একটি স্বাধীন দেশ, যা তার সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষায় অতীতে বৈশ্বিক শক্তির বিরুদ্ধেও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। সুতরাং পাকিস্তানের এমন শত্রুতার সামনে নীরব থাকা তার পক্ষে অকল্পনীয়।

পাকিস্তানের এমন আগ্রাসী কর্মকাণ্ড কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে না, বরং গোটা অঞ্চলকে একটি নতুন সঙ্কট ও সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। আফগান সরকার জাতীয় মর্যাদা ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে যদি এই সঙ্কট আরও তীব্র হয়, তাহলে এটি অঞ্চলজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে। এই ঘটনার দায় পাকিস্তানকেই বহন করতে হবে, এবং এর জন্য তাকে সামরিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে চরম মূল্য দিতে হবে।
https://almirsadbd.com/af-e-s-e-pk-e-h-n-s-o-sh-k-p/?amp=1

Almirsad Bangla

23 Dec, 15:36


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি খাওয়ারিজদের প্রাথমিক শত্রুতা
✍🏻 আবু জাভেদ

ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়ে স্পষ্টভাবে চিত্রিত হয়েছে যে, পূর্ব ও পশ্চিমের কুফফার অপশক্তিগুলো প্রতিনিয়ত ইসলামের ভিত্তিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকেছে। তাদের অন্যতম একটি কৌশল হলো এমন গোষ্ঠী সৃষ্টি করা, যারা ইসলামের নামে কার্যক্রম পরিচালনা করলেও প্রকৃতপক্ষে ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শকে বিকৃত করে। এসব গোষ্ঠীর কাজ বিকৃত মতবাদ প্রচার করা এবং নিজেদের কার্যক্রমকে ইসলামের ছদ্মাবরণে উপস্থাপন করা।

এই ষড়যন্ত্রের সবচেয়ে কুখ্যাত উদাহরণ হলো দাঈশ (আইএসআইএস)। ইসলামের ভবিষ্যদ্বাণী এবং সতর্কবাণীর আলোকে এই গোষ্ঠীকে খাওয়ারিজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা মুসলিম নেতার আনুগত্য ও ইসলামী সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন প্রত্যাখ্যান করে মুসলিমদের ঐক্যের ভিত্তিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এবং ইসলামের শত্রুদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করছে।

খাওয়ারিজরা ইসলামের জন্য বহুমুখী ক্ষতির কারণ। তারা ইসলামী আদর্শের নামে বিভ্রান্তিকর কর্মকাণ্ড চালিয়ে সরলমনা ও অজ্ঞ যুবকদের ভুল পথে প্ররোচিত করছে। এভাবে তারা নিজেরা ইসলামের মুখোশ পরে থেকে অন্যদের সত্য থেকে বিচ্যুত করে।

তাদের আদর্শিক ও পদ্ধতিগত দিক থেকে নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগের বিদ্রোহীদের অনুসরণ করে। এক্ষেত্রে যুল-খুওয়াইসিরাহ আত-তামীমির ঘটনা উল্লেখযোগ্য। সে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছিল:
“হে মুহাম্মাদ! আপনি ন্যায়পরায়ণ হন।”

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উত্তর ছিল:
“আমি যদি ন্যায়পরায়ণ না হই, তবে আর কে হবে? যদি আমি ন্যায়পরায়ণ না হই, তবে আমি নিঃসন্দেহে ব্যর্থ এবং ক্ষতিগ্রস্ত হব।”
(সহীহ মুসলিম)

এই হাদিস নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ন্যায়পরায়ণতার মূর্তপ্রতীক। কোনো খারিজী বা বিদ্রোহী এই সত্যকে অস্বীকার করতে পারে না। তা সত্ত্বেও খাওয়ারিজরা ইসলামের পবিত্রতার প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করে এবং নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এমন মন্তব্য করতে সাহস পায়।

আধুনিক যুগের খাওয়ারিজরা যুল-খুওয়াইসিরাহর আদর্শিক উত্তরসূরি। তাদের চিন্তা ও কর্মপদ্ধতির মূল উৎস তার মধ্যেই নিহিত। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদের সম্পর্কে ১৪০০ বছর পূর্বে ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন:
“তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে, যেমন তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়। তারা মুসলিমদের হত্যা করবে এবং মুশরিকদের রেহাই দেবে। যদি আমি তাদের সম্মুখীন হতাম, তবে আমি তাদের আদ সম্প্রদায়ের মতো ধ্বংস করতাম।”
(সহীহ বুখারী ও মুসনাদ আহমাদ)

উম্মাহর যুবকদের প্রতি আহ্বান
প্রিয় মুসলিম যুবকগণ, তাকফিরি গোষ্ঠীগুলোর ফাঁদে পড়া থেকে সর্বদা সতর্ক থাকুন। এই গোষ্ঠীগুলো ইসলামের মৌলিক কাঠামোর বিরুদ্ধে কাজ করে। সচেতন হোন এবং এদের সমর্থন বা প্রচারে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকুন, তা জেনে-বুঝে হোক বা অজান্তে।

এদের বিকৃত মতাদর্শ সহীহ হাদিসের আলোকে যাচাই করুন। তাদের প্রতিষ্ঠার পেছনে থাকা উদ্দেশ্য ও মতাদর্শ গভীরভাবে অন্বেষণ করুন। এদের কার্যক্রমের প্রকৃত উৎস ও লক্ষ্য আবিষ্কার করুন। এই গবেষণা ও চিন্তার মাধ্যমে আপনি নিজেকে এবং সমগ্র উম্মাহকে তাদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারবেন।

আপনার আত্মসচেতনতা এবং বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গি উম্মাহর ঐক্য ও অগ্রগতির পথকে মসৃণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
https://almirsadbd.com/rasulullah-saw-pr-kh-d-pr-sh/?amp=1

Almirsad Bangla

22 Dec, 15:58


সিরিয়ায় আইএসআইএসের আল খায়ের প্রদেশের গভর্নর নিহত
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, সিরিয়ার দেইর আয যোরে একটি বিমান হামলায় আইএসআইএসের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং তার একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী নিহত নেতার পরিচিতি আবু ইউসুফ নামে জানা গেছে। আইএসআইএসের অভ্যন্তরে এই ছদ্মনামে পরিচিত মাহমুদ মূলত দেইর আয যোর অঞ্চলে সক্রিয় ছিল।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (SOHR) জানিয়েছে, আবু ইউসুফ দাঈশ গোষ্ঠীর অধীন আল খায়ের উপপ্রদেশের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। তবে হামলার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত আইএসআইএস কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

দেইর আয যোর একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেখানে আইএসআইএস এখনো গোপনে সক্রিয়। সংগঠনটি প্রায়ই স্থানীয় সম্পদশালী ব্যক্তিদের চাঁদা দিতে বাধ্য করে এবং অস্বীকৃতি জানালে তাদের বিরুদ্ধে সহিংস হামলা পরিচালনা করে।
https://almirsadbd.com/s-d-e-al-kh-pr-g-n/?amp=1

Almirsad Bangla

21 Dec, 16:15


আইএসকেপি ও তাজিক নাগরিক
✍🏻 আসিম উমার

আইএসকেপির (খোরাসান শাখা) কার্যক্রম আফগানিস্তান, পাকিস্তানের উপজাতীয় অঞ্চল, ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশ এবং তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও কিরগিজস্তানের সীমান্ত এলাকাগুলো জুড়ে বিস্তৃত। মস্কোর ক্রোকাস কনসার্ট হলে হামলার দায়ও এই শাখা নিজেদের ওপর নিয়েছে।

আইএসআইএসের, বিশেষত খোরাসান শাখার সদস্যদের একটি বড় অংশ বিদেশি যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত। প্রাপ্ত প্রমাণ ও প্রতিবেদন অনুসারে, এদের মধ্যে তাজিক ও পাকিস্তানি নাগরিকদের সংখ্যাই বেশি।

সম্প্রতি তাজিক নাগরিকদের আইএসআইএস, বিশেষত খোরাসান শাখায় যোগদানের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আত্মঘাতী হামলা এবং অন্যান্য প্রাণঘাতী অভিযানে জড়িতদের মধ্যে বেশিরভাগই তাজিক নাগরিক, যারা তাজিকিস্তানের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে রাশিয়া ও অন্যান্য দেশে পাড়ি জমায়।

রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল শাসনব্যবস্থা, সরকারি দুর্নীতি, উৎপাদন ও রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা, কম বিদেশি বিনিয়োগ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বিভিন্ন কারণ তাজিকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটকে গভীরতর করেছে।

এই অর্থনৈতিক সংকটের ফলে অনেক তাজিক নাগরিক রাশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমায় এবং নির্মাণশিল্প, কৃষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসা কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রবাস থেকে উপার্জিত অর্থের একটি বড় অংশ তারা দেশে পরিবারকে পাঠায়।

তাজিক নাগরিকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ রাশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে আইএসআইএসে নিয়োগপ্রাপ্ত হচ্ছে। তাদের কেউ আদর্শিক কারণে যোগ দিচ্ছে, আবার অনেকে আর্থিক প্রলোভনে প্রভাবিত হচ্ছে। নিয়োগের পর তাদের বিভিন্ন মিশনের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে পাঠানো হয়, যেমন এশিয়া বা ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর লক্ষ্যে।

রাশিয়া, তুরস্ক, ইরান, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে প্রাণঘাতী হামলার সঙ্গে তাজিক যোদ্ধাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অনেকেই আত্মঘাতী হামলাকারী হিসেবে কাজ করেছে।

তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাহমোন সম্প্রতি এক বিবৃতিতে দেশটির নাগরিকদের এসব হামলায় সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, গত তিন বছরে ২৪ জন তাজিক ১০টি দেশে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ আইএস-খোরাসানের সদস্যরা অনেক হামলার সঙ্গেই জড়িত।

কাবুলে একটি মাদরাসায় বিস্ফোরক ব্যবহার করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করার সময় একজন তাজিক আইএস সদস্যকে আটক করা হয়েছিল। এছাড়াও, উল্লেখযোগ্য আত্মঘাতী হামলাকারীদের মধ্যে ছিল আবু মুহাম্মাদ ও আবু ইলিয়াস (কাবুলের ইমান মসজিদে হামলাকারী), আবু উমার জাওয়াদ (চীনা হোটেলে হামলাকারী), আবদুল জাব্বার (চীনা হোটেল ও সামরিক বিমানঘাঁটির হামলায় জড়িত), যাকারিয়া (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হামলাকারী, যিনি খাইবার কান্ধারী নামেও পরিচিত) এবং আবদুল হক খোরাসানি (বালখের প্রাদেশিক সদর দপ্তরে হামলাকারী)।

মস্কোর ক্রোকাস কনসার্ট হলে তাজিক সদস্যদের পরিচালিত সন্ত্রাসী হামলায় ১৪৫ জন হতাহত হয়। একইভাবে ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে আটক হওয়া আইএস সদস্যদের অনেককেই তাজিক নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

তাজিকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট এবং ইসলামি অনুশীলনের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ আইএস-খোরাসানের জন্য সহজ নিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো তাদের তাজিক নাগরিকদের আকৃষ্ট করতে এবং নিয়োগপ্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে বড় ভূমিকা পালন করেছে।
https://almirsadbd.com/d-kh-sh-t-n/?amp=1

Almirsad Bangla

20 Dec, 14:31


আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের শাসনামলে ইবনুল আশ'আসের বিদ্রোহ
✍🏻 আহমাদ রূহী হুমাইদ

ইসলামের ইতিহাসে খাওয়ারিজদের কার্যক্রম সবসময়ই একটি আলোচিত ও বিতর্কিত অধ্যায়। তাদের বিশৃঙ্খলা এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে বারবার বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট একদিকে ইসলামের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ইতিহাসকে গভীর করে তুলেছে, অন্যদিকে খেলাফতের স্থিতিশীলতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জকে স্পষ্ট করেছে।

উমাইয়াহ খেলাফতের সময়, বিশেষত আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের শাসনামলে (৬৫-৮৬ হিজরি), মুসলিমদের অভ্যন্তরীণ সংঘাত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এই সময়ের প্রধান ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি ছিল ইবনুল আশ’আসের বিদ্রোহ। এটি শুধু একটি সামরিক সংঘাত নয়; বরং এটি ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক বিভাজন এবং খেলাফতের বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি।

বিদ্রোহের পটভূমি
আবদুল্লাহ ইবন যুবায়ের রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাতের পর মুসলিম উম্মাহ অভ্যন্তরীণ অশান্তিতে নিমজ্জিত হয়। ইরাকে খাওয়ারিজরা তাদের পুরোনো প্রথা অনুযায়ী আবার বিদ্রোহ শুরু করে। প্রথমদিকে হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে যখন ইবনুল আশ’আসকে কাবুলে পাঠানো হয় স্থানীয় শাসক রুতবিলকে তার শাসন এবং জিজিয়া পরিশোধের দায়িত্ব পালনে বাধ্য করতে, তখন ইবনুল আশ’আস তার মিশনে ব্যর্থ হয়। এরপর ফিরে এসে সে বসরা ও কুফায় আক্রমণ চালায় এবং খাওয়ারিজ ও অন্যান্য কিছু দলের সমর্থন নিয়ে সেখানকার জনগণকে তার প্রতি বাইআতবদ্ধ হতে বাধ্য করে।

দায়রুল জামাজিমের যুদ্ধ
৮৩ হিজরিতে হাজ্জাজ এবং ইবনুল আশ’আসের বাহিনী দায়রুল জামাজিম নামক স্থানে মুখোমুখি হয়। প্রায় একশ দিন ধরে চলা এই যুদ্ধ উমাইয়াহ খেলাফতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে আছে। হাজ্জাজের দৃঢ় নেতৃত্বে উমাইয়াহ বাহিনী বিজয় অর্জন করে, আর ইবনুল আশ’আস পরাজিত হয়ে কাবুলে পালিয়ে যায়।

বিদ্রোহের সমাপ্তি
কাবুলে পালিয়ে গিয়ে ইবনুল আশ’আস রুতবিলের আশ্রয়ে যায়। কিন্তু হাজ্জাজের কূটনৈতিক তৎপরতা এবং তার শক্তির খ্যাতি রুতবিলকে বাধ্য করে ইবনুল আশ’আসকে হত্যা করতে। রুতবিল ইবনুল আশ’আসের মাথা হাজ্জাজের কাছে প্রেরণ করে, যার মাধ্যমে এই বিদ্রোহের অবসান ঘটে।

প্রভাব ও শিক্ষা
ইবনুল আশ’আসের বিদ্রোহ ইসলামের ইতিহাসে কেবল একটি সামরিক সংঘাত নয়; এটি ছিল খলিফার কর্তৃত্ব এবং ইসলামের স্থিতিশীলতা রক্ষার এক চ্যালেঞ্জ। খেলাফতের অভ্যন্তরীণ বিভাজন কীভাবে বহিরাগত বিদ্রোহকে উৎসাহিত করতে পারে, তার একটি স্পষ্ট উদাহরণ এই বিদ্রোহ।

এই ঘটনাটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ঐক্য এবং নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য ইসলামের স্থায়িত্বের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাসের এই অধ্যায় থেকে আমরা আজকের সময়েও অনেক শিক্ষা নিতে পারি।
https://almirsadbd.com/ab-m-ibn-m-e-sh-e-ibn-al-ash-e-b/?amp=1

Almirsad Bangla

18 Dec, 16:05


আবদুল্লাহ ইবন যুবায়ের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে খাওয়ারিজদের বিচ্ছিন্নতা
✍🏻 আহমাদ জাওয়াদ

ইসলামের ইতিহাসে খাওয়ারিজদের পরিচিতি চরমপন্থা ও বিভেদ সৃষ্টিকারী দল হিসেবে। উমাইয়াহ শাসকদের প্রতি তাদের তীব্র বিদ্বেষ এবং বৈরিতার রেশ মুয়াবিয়া ইবন আবি সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাসনামল থেকে শুরু করে উমাইয়াহ খেলাফতের পতন পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মুসলিম সমাজে তারা বারবার অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে এবং ইসলামের শাশ্বত ঐক্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছে।

আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের খেলাফতের সময়, খাওয়ারিজদের প্রভাব আরব উপদ্বীপ, ইয়েমেন, ইরাক এবং শামের (গ্রেটার সিরিয়া) বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের উগ্র মতাদর্শের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে অনেকেই পথভ্রষ্ট হয়েছিল। খাওয়ারিজরা নিজেদের আকীদার প্রচারক হিসেবে পরিচিত করলেও, প্রকৃতপক্ষে তারা উমাইয়াহ খেলাফতের বৈধতাকে অস্বীকার করে এবং শাসনব্যবস্থার ভিত দুর্বল করতে চেয়েছিল।

মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর ইন্তেকালের পর খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তাঁর পুত্র ইয়াজিদ ইবন মুয়াবিয়া। কিন্তু এই উত্তরাধিকারের বিষয়টি সাধারণ জনগণ এবং অনেক সাহাবীর নিকট গ্রহণযোগ্য ছিল না। বিশিষ্ট সাহাবীদের একটি বড় অংশ ইয়াজিদের আনুগত্য প্রত্যাখ্যান করেন, যার মধ্যে আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু ইয়াজিদের খেলাফত অস্বীকার করে একটি স্বাধীন খেলাফতের ঘোষণা দেন। তাঁর এই অবস্থান ইয়াজিদের শাসনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়। ঠিক সেই সময়ে খাওয়ারিজদের কিছু নেতা তাঁর কাছে একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে। তারা জানায়, যদি তিনি তাদের মতবাদ গ্রহণ করেন, তবে উমাইয়াহ শাসনের বিরুদ্ধে তারা তাঁকে পূর্ণ সহযোগিতা দেবে।

খাওয়ারিজদের এই প্রস্তাব কেবলমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চালিত ছিল। অতীতের ঘটনা প্রবাহ থেকে খাওয়ারিজদের প্রকৃত অভিপ্রায় স্পষ্ট বোঝা যায়। তারা উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু, তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহুর প্রতি তীব্র বিদ্বেষ পোষণ করত। বিশেষত তারা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর প্রতি অত্যন্ত শত্রুতা পোষণ করত কারণ নাহরাওয়ানের যুদ্ধে বিদ্রোহের দায়ে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রায় ৪,০০০ খারিজী বিদ্রোহীকে দমন করেছিলেন। এই বিদ্রোহীরা তখন শ্লোগান দিয়েছিল, “আল্লাহ ছাড়া আর কারও ফায়সালা করার অধিকার নেই”, যা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর সিদ্ধান্তের প্রতি তাদের আপত্তি প্রকাশ করে।

আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে আসা খাওয়ারিজরা ছিল সেই বিদ্রোহী দলের অবশিষ্টাংশ, যারা একসময় পরাজয়ের পর আশপাশের এলাকায় আত্মগোপন করেছিল। এবার তারা আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ব্যবহার করে মুসলিম সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।

তবে খারিজীদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। যখন তারা সাহাবায়ে কেরামের রাদিয়াল্লাহু আনহুম সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহুর মতামত জানতে চায়, তখন তিনি তাদের সামনে একটি সুদীর্ঘ বক্তৃতা দেন। এতে তিনি উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু, তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু, এবং যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহুএর প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন এবং খাওয়ারিজদের মতবাদকে কঠোর ভাষায় খণ্ডন করেন।

আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহুর এই অটল অবস্থানের কারণে খাওয়ারিজরা হতাশ হয়ে ফিরে যায় এবং তাঁকে শত্রু ঘোষণা করে। তবে তাদের বিদ্রোহ থেমে থাকেনি। তারা বিভিন্ন অঞ্চলে আবার অরাজকতা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে মুসআব ইবনু যুবাইর আল মুহাল্লাব, এবং আল হাজ্জাজের মতো দক্ষ সেনাপতিদের নেতৃত্বে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হয়।

এই কঠোর পদক্ষেপ উমাইয়াহ খেলাফতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে এবং আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ানের শাসনকে খাওয়ারিজদের ফিতনা ও চক্রান্ত থেকে রক্ষা করে।
https://almirsadbd.com/ab-ibn-z-rd-th-kh-d-b/?amp=1

Almirsad Bangla

18 Dec, 13:55


Channel photo updated

Almirsad Bangla

17 Dec, 14:28


টিটিপি ইস্যুতে পাকিস্তানের ব্যর্থতা; আফগানিস্তানকে দোষারোপ করা কি তাদের রাজনৈতিক স্বভাবে পরিণত হয়েছে?
✍🏻 আবদান সাফী

জাতিসংঘে পাকিস্তানের প্রতিনিধি উসমান জাদুন আবারও তার দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতার দায়ভার আফগানিস্তানের উপর চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ইসলামী ইমারাত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-কে সুযোগ-সুবিধা ও আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করছে। তার ভাষ্যমতে, বর্তমানে ৬,০০০ টিটিপি সদস্য আফগানিস্তানে অবস্থান করছে।

পাকিস্তানের সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা নিয়মিত এমন এমন ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে থাকেন, যা তাদের অভ্যন্তরীণ সংকটগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টি সরানোর একটি কৌশল বৈ আর কিছু নয়।

আফগানিস্তান একটি স্বাধিকারসম্পন্ন রাষ্ট্র, যা সবসময় অন্য দেশগুলোর সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে এবং তার ভূখণ্ডকে কোনো তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয় না। পাকিস্তান টিটিপির আফগানিস্তানে উপস্থিতির দাবি করলেও এখন পর্যন্ত তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাস্তবতা হলো, টিটিপি আফগানিস্তানে নয়, বরং পাকিস্তানের অভ্যন্তরেই সক্রিয় এবং সেখান থেকেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

টিটিপির পুরো নেতৃত্ব ওয়ারজিস্তান থেকে সোয়াত পর্যন্ত তাদের শক্ত ঘাঁটিতে অবস্থান করছে। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের বেশ কয়েকজন কমান্ডার পাকিস্তানের বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিজ নিজ এলাকায় শহীদ হয়েছেন।

পাকিস্তানের প্রতিনিধি যে দাবি করেছেন, আফগান সরকার টিটিপিকে আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে, সেটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আধুনিক আমেরিকান অস্ত্র আজকাল বিশ্বের কালোবাজারে সহজলভ্য, এবং যে কেউ সেগুলো সংগ্রহ করতে পারে।

এমনকি এই অস্ত্রগুলোর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ করাচি বন্দরে আমদানি হওয়া মার্কিন কন্টেইনার থেকে চুরি করা হয় এবং পাকিস্তানের সামরিক জেনারেলদের সহায়তায় কালোবাজারে বিক্রি করা হয়।

পাকিস্তানের উচিত তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতার জন্য আফগানিস্তানকে দায়ী করা থেকে বিরত থাকা। টিটিপি তাদের নিজস্ব সমস্যা, যা তাদের ভুল নীতিমালার ফল। আফগানিস্তানকে দোষারোপ করার পরিবর্তে পাকিস্তানের উচিত নিজেদের দায়-দায়িত্বের মুখোমুখি হওয়া।

আপনারা আফগানিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অন্যান্য সমস্যার দিক নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু ওয়াজিরিস্তান থেকে বেলুচিস্তান পর্যন্ত নিজের দেশে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যায়গুলো আপনাদের চোখে পড়ে না। নিজেদের আচরণ পর্যালোচনা করুন। আমরা যদি আর কিছু বলি, সেটি হয়তো অভিযোগ হিসেবে ধরা হবে।
https://almirsadbd.com/ttp-i-t-pk-e-b-afg-k-d-k-k-t-r-sw-p-h/?amp=1

Almirsad Bangla

16 Dec, 16:28


দাঈশ খাওয়ারিজ সিরীয় জিহাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে তাদের সংঘাত আরও তীব্র করার হুমকি দিয়েছে
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

২০২১ সালে যখন আফগানিস্তানে ইসলামী ইমারাত (আইইএ) ক্রুসেডার দখলদার জোটকে আফগানিস্তান থেকে পিছু হটতে বাধ্য করে এবং কাবুল দখল করে নেয়, তখন আইএসআইএস খাওয়ারিজ তাদের যুদ্ধ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। তারা আফগানিস্তানে নব-প্রতিষ্ঠিত ইসলামী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শত্রুতা বাড়ানোর জন্য তাদের প্রচেষ্টা তীব্রভাবে বৃদ্ধি করতে থাকে।

সম্প্রতি সিরিয়ার নিষ্ঠুর শাসক বাশশার আল-আসাদের পতন এবং সিরীয় জিহাদী গোষ্ঠীগুলির দামেস্ক দখলের পর, আইএসআইএস খাওয়ারিজ আবারও তাদের সংঘাত চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। নিজেদের ‘জিহাদ’ নামক ঢাল ব্যবহার করে বিজয়ী জিহাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখার কথা ঘোষণা করেছে।

আইএসআইএস তাদের সাপ্তাহিক সংবাদপত্র আন-নাবার সম্প্রতি প্রকাশিত সংখ্যায় জানায় যে, যদিও সিরিয়ায় বাশশার আল-আসাদের সরকার পতিত হয়েছে, তবুও তারা তাদের দল এবং মতবাদ বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। দামেস্কের বিজয়ের পর এটি প্রত্যাশিত ছিল যে, আইএসআইএস খাওয়ারিজ তাদের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠিত করতে এবং জিহাদী গোষ্ঠীগুলিকে দুর্বল করতে অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ নিবে, যা আন-নাবার সম্প্রতি প্রকাশিত হুমকিতে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

কাফিরদের প্রতি সদয় মনোভাব এবং মুসলিমদের প্রতি সহিংসতা বরাবরই খাওয়ারিজদের পরিচায়ক। তাদের বিবৃতি এবং কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আইএসআইএস খাওয়ারিজ বারবার এই বৈশিষ্ট্যটি স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে।
https://almirsadbd.com/d-kh-s-j-g-b-t-s-a-t-k-h-d/?amp=1

Almirsad Bangla

15 Dec, 15:52


শাহাদাত আমাদের শক্তির রহস্য
✍🏻 আবদুর রহীম রাশেদ

শাহাদাত এমন একটি আধ্যাত্মিক সাক্ষাতের সূচনা যা প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের হৃদয়ের গভীরে লালিত একটি সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা। এটি এক উজ্জ্বল ও নূরানী গন্তব্য, যেখানে পৌঁছানোর জন্য মুমিন ক্লান্তি, পিপাসা এবং কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতেও প্রস্তুত থাকে। যদি আমরা নবী ও সাহাবাগণের শাহাদাতের দিকে তাকাই, তবে দেখতে পাব— তাঁদের শাহাদাত কখনোই মুসলিমদের মনোবল দুর্বল করেনি। বরং তা তাঁদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করেছে, তাঁদের প্রচেষ্টাকে আরও সংগঠিত করেছে, যাতে তারা শত্রুকে পরাজিত করতে পারে।

উহুদের যুদ্ধে যখন মহান সাহাবি হযরত হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর বেদনাদায়ক শাহাদাত ঘটে, তখন কিছু মুসলিম মুষড়ে পড়েছিলেন। কিন্তু সাহসী মুমিনদের অন্তর আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে। ইসলামের বিজয় এবং শহীদ সঙ্গীর প্রতিশোধের অগ্নি তাঁদের বুকে প্রজ্জ্বলিত হতে থাকে। এমনভাবে তাঁরা যুদ্ধ করেন যে, অসংখ্য মুশরিককে জাহান্নামের অতল গহ্বরে নিক্ষিপ্ত করেন।

একইভাবে যদি আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হৃদয়বিদারক ও অসহনীয় ওয়াফাতের দিকে তাকাই, তখন মনে হয়েছিল মানবতার এই মহান নেতা ও সেনাপতির প্রস্থান পুরো পৃথিবীকে আবার অন্ধকার জাহেলিয়াতের অতলে নিমজ্জিত করবে। কিন্তু আল্লাহর একটি চিরন্তন সুন্নাহ হলো— ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে ইসলামি শাসনব্যবস্থা টিকে থাকে এবং তা রক্ষার জন্য তিনি নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেন।

প্রতিটি যুগেই আল্লাহ তাআলা ইসলামের শাসনব্যবস্থা এবং শরিয়তের সুরক্ষার জন্য এমন ব্যক্তিদের নির্বাচন করেছেন, যাঁরা নজিরবিহীন আত্মত্যাগের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন ইসলামের শাসনব্যবস্থা কেবল একজনের ওপর নির্ভর করে না। বরং আল্লাহ বারবার মুজাদ্দিদদের পাঠান, যারা ইসলামের পতাকাকে অটুট রাখে।

তাই কাপুরুষ শত্রুরা শুনে রাখুক! ইসলামি শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে এই কাতারের প্রতিটি মুজাহিদ পাহাড়ের মতো অটল। তাঁদের দেহে এক ফোঁটা রক্ত থাকা পর্যন্ত তাঁরা এই শাসনব্যবস্থা এবং দেশের প্রতিরক্ষা করে যাবেন। তাঁরা প্রতিটি শত্রুকে নির্মূল করে ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করবেন।

জিহাদের ময়দানে সামনের সারিতে থাকা প্রতিটি যোদ্ধা জানেন, তাঁদের সঙ্গীর শাহাদাত যতটা বেদনার, ততটাই আনন্দের। এটি তাঁদের বিজয়ের প্রতীক। তাঁদের অন্তর প্রত্যেকবার তাঁদের এই আহ্বান জানায়— শান্তিতে বসে থাকার সময় এখন নয়। বরং তাঁদের জান-মাল ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে হলেও শত্রুর কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে হবে, যেন শহীদের রক্ত বৃথা না যায় এবং ইসলামের শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

যদি আমরা আফগানিস্তানের গত দুই দশকের ইতিহাসের দিকে নজর দিই, তবে দেখতে পাই আমাদের আমির, নেতা, আলেম, যুবক, মা-বোন, ভাই, শিশু এবং বয়োবৃদ্ধদের শাহাদাত আমাদের জাতি এবং শাসনব্যবস্থাকে কখনোই দুর্বল করেনি। বরং তাঁদের ঈমানি শক্তি আরও বেড়েছে। তাঁরা তাঁদের জীবনকে হস্তে তুলে নিয়ে পূর্ণ ঈমানি সাহসিকতা এবং অদম্য শক্তি দিয়ে দ্বীন ও মাতৃভূমির প্রতিরক্ষায় এগিয়ে এসেছেন।

শাহাদাত একটি শাসনব্যবস্থার শক্তি ও স্থিতিশীলতার মূলে রয়েছে। এটি জাতির ঈমানি আত্মমর্যাদার চূড়ান্ত প্রকাশ এবং শত্রুর পরাজয়ের মূল কারণ।
https://almirsadbd.com/sh-ad-sh-r/?amp=1

Almirsad Bangla

14 Dec, 14:30


দাঈশি খাওয়ারিজদের দ্বারা বিদেশীদের পরিকল্পিত হামলা ইসলামী ইমারাতকে দুর্বল করতে পারবে না: দায়িত্বশীলদের দৃপ্ত ঘোষণা
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলানা আমির খান মুত্তাকি শহীদ খলিলুর রহমান হাক্কানী রহ.–এর জানাযায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন:
“গত সাত মাসে দাঈশি খাওয়ারিজদের দ্বারা সংঘটিত প্রতিটি হামলার পরিকল্পনা হয়েছে আফগানিস্তানের সীমানার বাইরে থেকে।"
তিনি আরও বলেন, “দাঈশ ও তাদের সহযোগীরা মনে করে শহীদের রক্ত ঝরিয়ে তারা ইসলামী ইমারাতের ভিত্তি নাড়িয়ে দেবে, কিন্তু তারা জানে না এই ইমারাতের প্রতিটি মন্ত্রী ও কর্মী শহীদ হওয়াকে নিজেদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান ও সফলতা বলে মনে করেন।”
মাওলানা মুত্তাকি দাঈশের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থক রাষ্ট্রগুলোকে সতর্ক করে বলেন, “আপনারা যদি আপনাদের সীমানার মধ্যে এই ফিতনাকারী দলের উপস্থিতি উপেক্ষা করেন, তাহলে তাদের আগুনে আপনারাই পুড়ে ছাই হবেন। এই জালিমদের আশ্রয় দেয়া, তাদের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করা কিংবা তাদেরকে নিজেদের ছায়ায় লালন করা পুরো অঞ্চলের জন্য ধ্বংস ডেকে আনবে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আরও যোগ করেন, “খলিলুর রহমান হাক্কানীর মতো সৎ ও আদর্শিক ব্যক্তিত্বদের শাহাদাত ইমারাতের জন্য প্রেরণা। যারা এমন মহান ব্যক্তিত্বদের জীবন কেড়ে নেয়ার জন্য দায়ী, তারা শীঘ্রই তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য কড়া পরিণতি ভোগ করবে।”

ওদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খলিফা সিরাজুদ্দীন হাক্কানী বলেন, “আমরা শহীদ খলিলুর রহমান হাক্কানী রহ.–এর রক্তের প্রতিশোধ আল্লাহর হাতে তুলে দিয়েছি। আমাদের জিহাদ ও সংগ্রাম কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য; ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ এখানে নেই।”
খলিফা সাহেব আরও বলেন, “আমার কেবল দুঃখ হয় এই কারণে যে, যারা এই কাপুরুষোচিত কাজ করেছে তারা অন্তত এটা ভাবতে পারত হাজী খলিল সাহেব ছিলেন কাফিরদের শত্রু। আমেরিকানরা তার মাথার জন্য ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তিনি তো কখনোই মুসলিমদের শত্রু ছিলেন না। একজন মুমিন মুসলিমকে শহীদ করে তারা কী অর্জন করেছে? এটিকে গর্বের বিষয় বলে মনে করা শুধুই আত্মপ্রবঞ্চনা।”

উল্লেখ্য, গত বুধবার যুহরের নামাযের পর দাঈশি খাওয়ারিজদের এক হামলায় শহীদ হন ইসলামী ইমারাতের শরনার্থী বিষয়ক মন্ত্রী খলিলুর রহমান হাক্কানী। গত পরশু পাক্তিয়ার গারদা সেরাই এলাকার তার জন্মভূমিতে জানাযা শেষে তাকে সমাহিত করা হয়। এটি সেই ঐতিহাসিক স্থান, যেখান থেকে তিনি দুই বৃহৎ কাফির সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জিহাদের সূচনা করেছিলেন।
https://almirsadbd.com/d-kh-d-dw-b-d-p-h-i-e-k-d-k-p-n-d-d-gh/?amp=1

Almirsad Bangla

13 Dec, 14:44


দুই বিপ্লবের মহানায়ক: আত্মত্যাগের এক অমর প্রতীক
✍🏻 হিশাম শহীদ

শহীদ খলিলুর রহমান হাক্কানী রহ. যিনি মুহাম্মদ আমিন রহ.–এর পুত্র; ছিলেন পাক্তিয়া প্রদেশের গারদা-সেরাই জেলার কান্দো গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর পিতা ছিলেন এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও সম্মানিত আলেমে দীন। সমাজে তাঁর প্রজ্ঞা ও চারিত্রিক মহত্ত্ব গভীর শ্রদ্ধার স্থান দখল করেছিল সেসময়।

খলিলুর রহমান ছিলেন তিন ভাইয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ। যখন তাঁর বড় ভাইয়েরা পড়াশোনায় নিবিষ্ট ছিলেন, তখন পরিবারের গৃহস্থালির দায়িত্ব তাঁর কাঁধে এসে পড়ে। শৈশবেই তিনি পরিবারের পশুপালন ও অন্যান্য গৃহকর্মে সহায়তা করতেন। একদিন পশু চরানোর সময় জরুরি সংবাদে তাঁকে বাড়ি ডাকা হয়। বাড়ি ফিরে তিনি জানতে পারেন, তাঁর পিতা ইন্তেকাল করেছেন। সেই শোকাবহ মুহূর্তে তিনি উপলব্ধি করেন, পরিবারের পুরো দায়িত্ব এখন তাঁর কিশোর-কাঁধে।

পারিবারিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি তাঁর ভাইদের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়েন। যখন কমিউনিজমের অশুভ ছায়া তাঁর অঞ্চলে প্রসারিত হতে শুরু করে, তখন তাঁদের পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় নিজেদের অঞ্চলকে সব ধরনের ফিতনা ও অরাজকতা থেকে মুক্ত রাখবে।

কমিউনিজমবিরোধী আন্দোলনের সময় একদিন তাঁরা এক সঙ্গীকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা চালান। তবে তাঁদের এই পরিকল্পনা দাউদ খানের সরকারের কাছে ফাঁস হয়ে যায়, এবং পরিস্থিতি তাঁদেরকে ১৩৫৪ সালে (শামসি সাল) দেশত্যাগে বাধ্য করে। দাউদ খানের পতনের পর খলিলুর রহমান আবার জিহাদে অংশ নেন এবং দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কমিউনিজমের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যান, যতক্ষণ না দেশ শত্রুমুক্ত হয়।

মুজাহিদীন সরকারের সময় তিনি কখনো কোনো পদ বা ক্ষমতার লোভ দেখাননি, বরং যখন তিনি দেখলেন দেশ ক্রমশ অরাজকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সম্মানিত মোল্লা সাহেব রহিমাহুল্লাহর নেতৃত্বে নিজের পরিবার ও ভাইদের সঙ্গে আবার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁরা ইসলামী ইমারাত প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশকে পুনরায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে ফিরিয়ে আনেন।

বুক ভরে শান্তির নিশ্বাস তখনও তিনি নিতে পারেননি, এমন সময় আমেরিকান বাহিনী দেশ দখল করে। এই আক্রমণের প্রথম শিকার হয় শহীদ হাজি খলিলুর রহমানের বাড়ি। তাঁদের পরিবারের ১৩ জন সদস্য শহীদ হন, এবং তাঁরা আবার দেশান্তরী হতে বাধ্য হন। তবে এবার তাঁদের শত্রু আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল, এবং দীর্ঘ সংগ্রামের ক্লান্তি ছাপ তাঁদের চেহারায় স্পষ্ট ভেসে উঠেছিল, তবুও সেই ক্লান্তি তাঁদের দৃঢ় সংকল্পকে গ্রাস করতে পারেনি।

বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমেরিকার দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর পরিবারের ৮০ জন সদস্য শহীদ হন। ইসলামী ইমারাত পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর খলিলুর রহমান হাক্কানী শরণার্থী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। তিন বছরের মধ্যে তিনি শরণার্থী সংকটের ক্ষেত্রে এমন অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন যে, দেশ একটি বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পায়।

শহীদ হাজি সাহেবের জীবন ও অবদানের মধ্যে রয়েছে— কমিউনিজমের মূলোৎপাটন, ফিতনার বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিরোধ, আমেরিকান দখলদারদের অপসারণ এবং জাতির প্রতি তাঁর অতুলনীয় সেবা। সবশেষে, তিনি তাঁর জীবনের দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করেন, অর্থাৎ শাহাদাত। তিনি হামযাহ ইবন আবদুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহুর পথ অনুসরণ করে এ পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।

শহীদ হাজি সাহেব কেবল একজন মুজাহিদই ছিলেন না, তিনি ছিলেন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, গোত্রীয় নেতা এবং জাতি গঠনের এক অগ্রনায়ক। আত্মত্যাগে তিনি সর্বদা প্রথম সারিতে ছিলেন। তাঁর পরিবার অর্ধশতাব্দী ধরে যুগের সব ফিতনা, সাম্রাজ্যবাদ এবং কুফরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের এক শক্ত ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

তাঁদের পরিবার কমিউনিজম, পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ, প্রজাতন্ত্রবাদ এবং যাবতীয় অরাজকতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের অসংখ্য আত্মত্যাগ সত্ত্বেও, তাঁদের মনোবল এখনও অটুট। তাঁরা বিশ্বাস করেন, এই ভূমি এখনও তাঁদের আরও আত্মত্যাগ দাবি করে। তাঁদের বর্তমান লক্ষ্য হলো অঞ্চলকে খাওয়ারিজ ফিতনা থেকে মুক্ত করা এবং দেশকে তাদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করা।

আজ জালালুদ্দীনের রূহ শান্তিতে পাবে, কারণ তাঁর ছোট ভাই তাঁর সঙ্গে পুনর্মিলিত হয়েছেন। আজ উসামার রূহ আনন্দিত হবে, কারণ নির্বাসনের সেই দিনগুলোতে তাঁর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী তাঁর সঙ্গে একত্র হয়েছেন। এমনকি কুফরি শক্তিও হয়তো আজ কিছুটা স্বস্তি অনুভব করবে, কারণ তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে খাওয়ারিজ দল শহীদ করেছে।
https://almirsadbd.com/2-b-e-mn-a-r-1-o-pr/?amp=1

Almirsad Bangla

11 Dec, 17:12


শহীদ খলিলুর রহমান হাক্কানীর শাহাদাতের ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

আজ বুধবার (৯ জুমাদিউস সানি), ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের শরনার্থী ও পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ খলিলুর রহমান হাক্কানী রহিমাহুল্লাহ এক ঘৃণ্য আত্মঘাতী হামলায় শাহাদাতবরণ করেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর শাহাদাতকে কবুল করুন।

এখনো পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে হামলার আগে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত হুমকি এবং হামলার পদ্ধতি দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে, দায় স্বীকারের জন্য আইএসআইএস (ISIS) এগিয়ে আসতে পারে।

(উল্লেখ্য, হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে Eagle Eye নামে একটি অ্যাকাউন্ট, যা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে ধারণা করা হয়, একটি পোস্টে লিখেছিল: “আরেকটি কাফেলা এগিয়ে আসছে।” হামলার পর এই অ্যাকাউন্টটি পোস্টটি মুছে ফেলে এবং শহীদ খলিলুর রহমান হাক্কানীর শাহাদাত নিয়ে একাধিক বিবৃতি প্রকাশ করে।)

পূর্ববর্তী ঘটনাগুলোর অভিজ্ঞতা এবং আজকের ঘটনা বিশ্লেষণ করলে অনুমান করা যায় যে, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী অঞ্চলে কিছু গোয়েন্দা সংস্থা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আইএসআইএসকে ব্যবহার করে থাকে। তাদের এই কার্যক্রমের ভিত্তিতে ধারণা করা যায়, এই হামলাটিও একই ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ, যেখানে আইএসআইএসকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে এই চক্রগুলো আফগানিস্তানের জিহাদি, সামাজিক এবং বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিত্বদের টার্গেট করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
https://almirsadbd.com/kh-r-h-e-sh-gh-g-s-g-s-s/?amp=1

Almirsad Bangla

11 Dec, 16:21


বুরকিনা ফাসোতে একিউ দুই আইএসআইএস জঙ্গিকে জাহান্নামে পাঠিয়েছে
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

পশ্চিম আফ্রিকা ও সাহেল অঞ্চলে আল কায়েদার স্থানীয় শাখা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা একাধিক অপারেশনের মাধ্যমে আইএসআইএসের দুইজন সদস্যকে নির্মূল করেছে।

জামাআতু নুসরাতিল ইসলামি ওয়াল মুসলিমীন (JNIM)–এর মিডিয়া আউটলেট আয-যাল্লাকা সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জানায় যে, সংগঠনটি বুরকিনা ফাসোর ডোরি শহরের দাদিল এলাকায় সংঘর্ষে দুইজন আইএসআইএস যোদ্ধাকে নির্মূল করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সংঘর্ষে ওই দুই আইএসআইএস সদস্য নিহত হয় এবং সংগঠনটি অস্ত্র এবং চারটি মোটরসাইকেল জব্দ করে।

উল্লেখযোগ্য যে, জামাআতু নুসরাতিল ইসলামি ওয়াল মুসলিমিন পশ্চিম আফ্রিকা (মালি, বুরকিনা ফাসো, এবং নিঝের) ও সাহেল অঞ্চলে আল কায়েদার একটি সক্রিয় শাখা, যা “আল কায়েদা ইন দ্য ইসলামিক ম্যাগরেব” (AQIM) এর ছায়াতলে কাজ করে। তবে আফগানিস্তানের মতো আইএসআইএস পশ্চিম আফ্রিকা এবং সাহেল অঞ্চলে আল কায়েদার জন্য একটি বড় প্রতিপক্ষ এবং প্রতিবন্ধকতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
https://almirsadbd.com/b-ph-aq-2-d-j-k-j-p/?amp=1

Almirsad Bangla

10 Dec, 15:48


এইচটিএস এবং আইএসআইএসের মধ্যে পার্থক্য
✍🏻 আহমাদ আবিদ

আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিষয় নজরে এলো, যেখানে হায়’আত তাহরির আশ শাম (এইচটিএস) এবং ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এন্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) তুলনা করা হচ্ছিল। সেই আলোচনায় দাবি করা হচ্ছিল, উভয় দলই ইসলামের জন্য ক্ষতিকর। একজন নিরপেক্ষ লেখক হিসেবে আমি এই দুটি গোষ্ঠীর আদর্শ, লক্ষ্য, এবং কৌশলগত পার্থক্যগুলো বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন অনুভব করেছি।

আইএসআইএস এবং এইচটিএস—এই দুটি নাম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন নিয়ে আলোচনায় বহুল উল্লেখিত। কিন্তু তাদের আদর্শিক ভিত্তি, রাজনৈতিক লক্ষ্য এবং কার্যক্রমের পদ্ধতিতে এমন কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে যা একে অপরের থেকে তাদের সম্পূর্ণ আলাদা করে।

আদর্শিক ভিত্তি এবং দৃষ্টিভঙ্গি
আইএসআইএস চরমপন্থী তাকফিরি আদর্শ ধারণ করে, যা ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার নামে বিশ্বজুড়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

অন্যদিকে, এইচটিএস বাস্তবভিত্তিক জিহাদি প্রচেষ্টার মাধ্যমে সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সক্রিয় লড়াই চালিয়ে এসেছে, যার ফলে দৃশ্যমান কিছু সাফল্যও অর্জিত হয়েছে।

আইএসআইএসের তাকফির নীতি চরমপন্থী ও আগ্রাসী। তারা তাদের আনুগত্য অস্বীকারকারীদের অবলীলায় কাফির ঘোষণা করে।

অপরদিকে, এইচটিএস এই বিষয়ে অনেক বেশি সংযত এবং ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করে। তারা তাকফির শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মনে করে, যারা প্রকাশ্যে এবং সুস্পষ্টভাবে কুফর করে (কুফরে বুয়াহ)।

আইএসআইএস তাদের তাকফির নীতির প্রয়োগে সীমা ছাড়িয়ে যায়। তারা শুধু মৌখিক তাকফিরেই সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং হত্যাকাণ্ড, বন্দিত্ব, এবং নির্যাতনের মতো চরম শাস্তি আরোপ করে। উপরন্তু, আইএসআইএসে যোগ্যতা-অযোগ্যতার তোয়াক্কা ছাড়াই যে কেউ ফাতওয়া জারি করতে পারে এবং ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

এর বিপরীতে, এইচটিএস তাকফির ঘোষণার দায়িত্ব শুধুমাত্র যোগ্য আলেম ও ইসলামি বিচারিক সংস্থাগুলোর ওপর অর্পণ করেছে। তাদের সাধারণ সদস্যদের এ বিষয়ে কোনো এখতিয়ার নেই।

আলেমদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি
আইএসআইএস তাদের চরমপন্থী কার্যক্রমের বিরোধিতাকারী আলেমদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে। তারা এ আলেমদের কাফির বলে আখ্যায়িত করে এবং তাদের ওপর সহিংসতা চালায়। তারা নিজেদের শরিয়াহর একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি বলে দাবি করে।

বিপরীতে, এইচটিএস আলেমদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন ও তাদের সমর্থন লাভে সচেষ্ট থাকে। তারা নিজেদের বৈধতা প্রতিষ্ঠায় আলেমদের পরামর্শ ও সহায়তা গ্রহণ করে।

শাসনব্যবস্থা ও কৌশল
আইএসআইএস তাৎক্ষণিক খিলাফত প্রতিষ্ঠার ধারণা গ্রহণ করে। ২০১৪ সালে তারা একটি বৈশ্বিক ইসলামি খিলাফতের ঘোষণা দেয়, কিন্তু তারা এই ঘোষণার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত ও ধাপগুলো উপেক্ষা করে। এর ফলে তাদের প্রচেষ্টা একাধিক জটিলতা ও ব্যর্থতার মুখে পড়ে।

অপরদিকে, এইচটিএস ধীরগতির এবং পর্যায়ক্রমিক খিলাফত প্রতিষ্ঠার ধারণা গ্রহণ করে। তারা বিশ্বাস করে যে, একটি ইসলামি কাঠামো প্রতিষ্ঠার আগে প্রাসঙ্গিক শর্তগুলো পূরণ এবং স্থানীয় জনগণের সমর্থন অর্জন জরুরি।

উপসংহার
সংক্ষেপে আদর্শ, লক্ষ্য এবং কৌশলের ক্ষেত্রে হায়’আত তাহরির আশ শাম (এইচটিএস) এবং ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এন্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)–এর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। এইচটিএস স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জন, ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, এবং একটি মধ্যপন্থী ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে চায়। অন্যদিকে, আইএসআইএসের চরমপন্থী নীতি বিভাজন, অভ্যন্তরীণ সংঘাত, এবং বৈশ্বিকভাবে একঘরে অবস্থার জন্ম দিয়েছে।
https://almirsadbd.com/hts-d-er-m-p/?amp=1

Almirsad Bangla

09 Dec, 16:17


সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের শাসনের অবসান
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

রবিবার, ৬ই জুমাদিউস সানি, হায়’আত তাহরির আশ শাম (HTS)-এর নেতৃত্বে সিরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠীগুলো একাধিক সফল অভিযানের পর বাশার আল আসাদের শাসন উৎখাত এবং দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

সিরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠীগুলোর এই বিজয় মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ও উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে। আফগানিস্তানের কাবুল, খোস্তসহ বিভিন্ন শহরে এই বিজয় উদযাপনে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং পথঘাট তাকবির ধ্বনিতে মুখরিত হয়।

যদিও সিরিয়া বিপ্লবের এই বিজয় বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ মুসলিমদের জন্য আনন্দের সংবাদ, তথাকথিত মুসলিমরূপী আইএস খারিজিরা বাশারের সমর্থকদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রথম দিন থেকেই সিরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

তাদের পুরনো অভ্যাস অনুযায়ী তারা সিরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছে, কখনও তাদের পূর্বের দাস বলে অভিহিত করেছে, আবার কখনও পশ্চিমাদের দাস বলে অভিহিত করেছে। পাশাপাশি তারা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিরিয়ায় পুনরায় অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।

সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, গত তিন দিনে আইএস খারিজিরা সিরিয়ার কুর্দি-অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে মরুভূমিতে লুকিয়ে থাকা ঘাঁটি থেকে প্রায় দশটি হামলা চালিয়েছে।

সিরিয়ার জিহাদী গোষ্ঠীগুলোর এখনও বিপ্লবের পূর্ণ সুফল উপভোগ করতে হলে অনেক পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা দরকার। তবে আইএসের মতো গোষ্ঠীগুলো, যারা মুসলিমদের শত্রু, তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রেখে মুসলিমদের শান্তিপূর্ণ জীবন ও ইসলামী শাসনব্যবস্থার স্বপ্নকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে বলে মনে হচ্ছে।
https://almirsadbd.com/b-a-a-e-sh-e-o-sh/?amp=1

Almirsad Bangla

08 Dec, 16:05


নাঙ্গারহারে দাঈশ: সন্ত্রাসের ছায়ায় হারানো মানবতা
✍🏻 ফারুক নাঙ্গারহারী

২০১৫ সালে পতিত গণপ্রজাতন্ত্রের সময় আফগানিস্তানের নাঙ্গারহার প্রদেশে দাঈশ নামে একটি গোষ্ঠী উদিত হয়। এই গোষ্ঠীটি ঐ অঞ্চলের আচিন, হাসকা মিনা, শিনওয়ার, কোট, তোরা-বোরা, চাপরাহার এবং অন্যান্য অনেক জেলায় তাদের মিথ্যা মতবাদ বাস্তবায়নের জন্য সশস্ত্র শক্তি ব্যবহার করেছিল।

এই গোষ্ঠীটি দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য আঞ্চলিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলির পূর্ণ সহায়তা পেয়েছিল। দাঈশকে জাতীয় নিরাপত্তা পরিচালক (NDS) এবং অন্যান্য অনেক সংস্থা কর্তৃক বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল।

দাঈশের প্রভাব এবং কর্তৃত্ব প্রদর্শন করার জন্য নাঙ্গারহারে অবস্থিত দাঈশের সন্ত্রাসীরা তোরা-বোরা, আচিন, কোট, শিনওয়ার, হাসকা মিনা, চাপরাহার এবং অন্যান্য জেলায় নিরপরাধ মুসলিম, উপজাতীয় নেতা, ব্যবসায়ী, আলেম, স্কুল এবং মাদরাসার ছাত্রদের উপর সহিংসতা চালায়। তাদের কর্মকাণ্ডের ফলে অসংখ্য পরিবারকে এই অঞ্চলগুলো থেকে বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছিল।

দাঈশ সাধারণ মুসলিমদের মুশরিক হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের সম্পদ, বাড়ি এবং জীবনকে গনিমত হিসেবে বিবেচনা করতো। তারা নিয়মিতভাবে সাধারণ নাগরিক, উপজাতীয় নেতা, আলেম এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে হত্যা করতো। বাজার, মসজিদ এবং জনবহুল স্থানগুলোতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে অনেক বেসামরিক নাগরিকের প্রাণ নিতো।

২০১৬ সালে দাঈশ কোট জেলায় উপজাতীয় নেতাদের এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি সমাবেশে বোমা হামলা চালায়, যার ফলে অনেক নাগরিক শহীদ হন। একইভাবে ২০১৭ সালে তারা নাজিয়ান এলাকায় উপজাতীয় নেতাদের এবং স্থানীয় মুসলিমদের একটি সমাবেশে বোমা হামলা চালায়, যার ফলে অনেক প্রাণহানি ঘটে। ২০১৯ সালে তারা হাসকা মিনা জেলার একটি মসজিদে হামলা চালায় যাতে অনেক মুসল্লি শহীদ হন।

এছাড়াও তারা নাঙ্গারহারের জাওয়া, মোমন্দ দরা, নাজিয়ান, লালপুর এবং দুর বাবা এলাকায় হাজার হাজার নাগরিককে হত্যা করেছে, যার মধ্যে ছাত্র, কৃষক, ব্যবসায়ী, আলেম এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

স্থানীয় সাক্ষীদের মতে, দাঈশ নতুন আফগান মুদ্রার নোট রাখার জন্যও লোকদের হত্যা করেছিল, এবং দাবি করেছিল যে যারা নতুন মুদ্রা ব্যবহার করেন তারা অবশ্যই সরকারের সাথে সম্পর্কিত। এছাড়াও তারা তাদের কট্টরপন্থী মতবাদ এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ব্যক্তিদের হত্যা করেছিল।

আলেমদের, বিশেষ করে সুফিদের লক্ষ্য করে হামলা, মসজিদ, মাজার ও ধর্মীয় স্থানগুলোর ধ্বংস, এবং সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবমাননা নাঙ্গারহারের দাঈশের জন্য সাধারণ অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
https://almirsadbd.com/ng-d-s-chh-h-m/?amp=1

Almirsad Bangla

06 Dec, 16:15


মুহাম্মাদ ইবন তুমারত এবং খাওয়ারিজদের দাবী
✍🏻 জাওয়াদ আহমাদ

মুহাম্মাদ ইবন তুমারত, যিনি আমাজিগ জাতির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, সোস অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন এবং চতুর্থ হিজরি শতকে উত্তর আফ্রিকার পশ্চিম প্রান্তে (বর্তমান মরক্কো) মুওয়াহহিদীন আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করেন। তার দাওয়াত ও আদর্শ খারিজি মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত ছিল। তিনি ছোটখাটো গুনাহের কারণে মানুষকে মুরতাদ আখ্যা দিতেন।

উত্তর আফ্রিকায় ফিরে আসার পর মুহাম্মাদ ইবন তুমারত তৎকালীন আল মুরাবিতুন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং জনগণকে শাসকদের বিরুদ্ধে উস্কে দেন। তিনি নিজেকে ইমাম মাহদি হিসেবে দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার, তাওহিদ ও সংস্কারের স্লোগান তুলে ধরে মুওয়াহহিদীন আন্দোলনের সূচনা করেন।

তার রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কার্যক্রম ছিল কঠোর, যা তাকে চরমপন্থী হিসেবে পরিচিত করে তোলে। ইসলামী আকিদা ও সংস্কার বাস্তবায়নে তার নীতিতে ছিল কঠোরতা ও আপসহীনতা। তিনি মনে করতেন, ধর্মীয় বিদআত, রাজনৈতিক অবিচার এবং ইসলামের মৌলিক নীতির যেকোনো বিচ্যুতি রোধ করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োজন।

মুহাম্মাদ ইবন তুমারত প্রকাশ্যে তার বিরোধীদের, বিশেষত আল মুরাবিতুন সাম্রাজ্য এবং তাদের শাসক আলী ইবন ইউসুফ ইবন তাশফিনকে কাফের ঘোষণা করেন। তার কঠোর মতাদর্শের কারণে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি হয় এবং বহু সংঘাত ও রক্তপাত ঘটে।

তার চরমপন্থী ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সে সময়ের প্রায় সকল উলামা এবং সাধারণ মানুষ তার বিরোধিতা করেন। তার অনুসারীদের দ্বারা বহু নিরীহ মানুষ নিহত হন, বিশেষত আল মুরাবিতুন সাম্রাজ্যের পতনের সময় ব্যাপক
মুহাম্মাদ ইবন তুমারত নিজেকে মাহদী হিসেবে দাবি করলেও উলামারা সর্বসম্মতিক্রমে তার দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং একে চরম বিভ্রান্তি হিসেবে চিহ্নিত করেন।

তিনি নিজেকে নবীদের জন্য নির্ধারিত মাসুমিয়াতের (পাপমুক্তির) বৈশিষ্ট্যের অধিকারী বলে দাবি করেন এবং নিজের অনুসারীদের কাছে নিজেকে ঐশী পথপ্রদর্শনের উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই দাবির মূল উদ্দেশ্য ছিল তার অনুসারীদের মধ্যে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করা, যেন তারা তাকে নিঃশর্তভাবে মেনে নেয়।

মুহাম্মাদ ইবন তুমারতের অনুসারীদের দাবীগুলো:

১. মুহাম্মাদ ইবন তুমারতের সব কাজ ও সিদ্ধান্ত আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী।
২. তার কথাগুলো ত্রুটিমুক্ত ও পাপমুক্ত।
৩. তিনি আল্লাহর বিশেষ ঐশী নির্দেশনার অধিকারী।

শেষ পর্যন্ত মুহাম্মাদ ইবন তুমারতের আন্দোলনের ফলে আল মুরাবিতুন সাম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং মুওয়াহহিদীন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

আল মুরাবিতুন সাম্রাজ্য, যা একাদশ ও দ্বাদশ শতকে উত্তর আফ্রিকা এবং আন্দালুসে শাসন করেছিল, একটি শক্তিশালী ইসলামী শাসন ছিল। এটি সানহাজি উপজাতি (বারবার জাতিগোষ্ঠীর একটি শাখা) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়।

সাম্রাজ্যের সূচনা হয় আবদুল্লাহ ইবন ইয়াসিনের নেতৃত্বে এবং পরে ইউসুফ ইবন তাশফিনের অধীনে ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। ইউসুফ ইবন তাশফিন আন্দালুসের অধিকাংশ অঞ্চল ও উত্তর আফ্রিকাকে নিজের শাসনের অধীনে আনেন।

আল মুরাবিতুন সাম্রাজ্য ইসলামী ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে পরিচিত, যা ইসলামী সভ্যতা, শিক্ষা এবং রাজনীতির উন্নয়নে অসাধারণ অবদান রাখে। তবে অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা এবং মুহাম্মদ বিন তুমারাতের নেতৃত্বাধীন মুওয়াহহিদীন আন্দোলনের সামরিক বিদ্রোহ ও চাপের কারণে এই সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে।
https://almirsadbd.com/m-ibn-t-kh-d-d/?amp=1

Almirsad Bangla

05 Dec, 19:53


সুফরিয়া খাওয়ারিজদের বিদ্রোহ: আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের প্রতিরোধ
✍🏻 জিয়া বারী

উমাইয়াহ খেলাফতের সূচনালগ্নে, বিশেষত আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের শাসনামলের প্রারম্ভিক সময়ে খাওয়ারিজদের বিদ্রোহ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিরাট সংকট বয়ে এনেছিল। এই ফিতনা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তা পুরো উম্মাহর ঐক্য ও স্থিতিশীলতাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার আশঙ্কা তৈরি করেছিল। এ বিদ্রোহী দল মূলত সেই খাওয়ারিজদের উত্তরসূরী ছিল, যারা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর সময় ফিতনার অঙ্কুর রোপণ করেছিল। আত্মগোপনে থাকা এই গোষ্ঠী বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং সুযোগ পেলেই নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠত।

সুফরিয়া নামে পরিচিত খাওয়ারিজদের একটি শাখা আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তাদের “সুফরিয়া” বলা হতো কারণ, অতিরিক্ত ইবাদতের প্রভাবে তাদের মুখমণ্ডল ফ্যাকাশে হলুদ হয়ে গিয়েছিল। এই গোষ্ঠী চরম উগ্রতা ও কঠোরতার পথে পরিচালিত হয়েছিল। বিকৃত আকীদা ও চেতনায় আচ্ছন্ন এই খাওয়ারিজরা মুসলিমদের রক্ত ঝরানোকে বৈধ মনে করত। পূর্ববর্তী খাওয়ারিজদের মতো তারাও নিজেদের মতাদর্শের বিরোধিতাকারী সবাইকে কাফির আখ্যা দিয়ে তাদের হত্যাকে ন্যায়সঙ্গত মনে করত।

সুফরিয়া খাওয়ারিজদের নেতৃত্ব দিয়েছিল সালিহ ইবন মুসাররিহ আত তামীমি। তার অন্যতম প্রধান সেনাপতি ছিল শাবিব ইবন ইয়াজিদ, যে অসাধারণ যুদ্ধকৌশল, সাহসিকতা এবং দ্রুতগতির জন্য সুপরিচিত ছিল।

সুফরিয়া খাওয়ারিজরা আলোচনায় আসে তখন— যখন তারা হজের মৌসুমে আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানকে হত্যা করার চেষ্টা করে। শাবিব ইবন ইয়াজিদের নেতৃত্বে তারা বারবার হাজ্জাজ ইবন ইউসুফের বাহিনীকে পরাজিত করে, যদিও তাদের সংখ্যা ছিল খুবই নগণ্য। কুফায় তারা হাজ্জাজের সেনাপতি আতাব ইবন ওয়ারকা এবং তার ছয় শতাধিক সৈন্যকে হত্যা করে।

কুফার জনগণ সংখ্যায় বেশি হলেও খাওয়ারিজদের মোকাবিলায় বারবার ব্যর্থ হয়। এতে ক্রুদ্ধ হয়ে হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের আদেশে নিজেই সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। এই অভিযানে তিনি শাবিবের বাহিনীকে প্রথমবারের মতো পরাজিত করতে সক্ষম হন। শাবিব পালিয়ে আহওয়াজে আশ্রয় নেয়।

পালিয়ে যাওয়া শাবিবকে ধরতে হাজ্জাজ নতুন করে সেনা প্রেরণ করেন। আরেকটি তীব্র যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধের ফলাফল দীর্ঘক্ষণ অনিশ্চিত থাকার পর শাবিব পালানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে একটি প্রশস্ত নদী পার হওয়ার সময় সে তার ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়।

শাবিবের মৃত্যুর মাধ্যমে উমাইয়াহ খিলাফত এই ভয়াবহ ফিতনার অবসান ঘটায় এবং মুসলিম উম্মাহ দীর্ঘ এক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পায়।
https://almirsadbd.com/s-kh-b-ab-m-ibn-m-er-pr/?amp=1

Almirsad Bangla

03 Dec, 16:40


খলিফা হারুন আর রশীদ রহ.–এর বিরুদ্ধে খাওয়ারিজদের বিদ্রোহ
✍🏻 আসাদ ঘোরজঙ্গ

ইসলামের ইতিহাসে খাওয়ারিজরা এক দীর্ঘতম চরমপন্থী অধ্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের কঠোর ও অযৌক্তিক মতাদর্শের কারণে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সামষ্টিক সিদ্ধান্তে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যুগে যুগে তারা তাদের ভ্রান্ত বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেছে, যার ফলশ্রুতিতে ব্যাপক প্রাণহানি ছাড়াও মুসলিম সমাজে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

প্রথম দিককার ইসলামি যুগে, বিশেষ করে উমাইয়াহ খিলাফতের পর খাওয়ারিজরা আব্বাসী খিলাফতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্রোহ করেছিল। খলিফা হারুন আর রশীদের রহ. খিলাফতের সময়ে খাওয়ারিজরা খোরাসান, ইরাক এবং পারস্যের কিছু অংশে বিদ্রোহ করে। তারা সাধারণত কেন্দ্রীয় শাসনের বৈধতা অস্বীকার করতো এবং ন্যায্যতা ও ধর্মীয় বিশুদ্ধতার নামে তাদের বিদ্রোহকে বৈধতা দিত। এসব বিদ্রোহ খিলাফতের জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়ায় এবং সেগুলো দমন করতে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা শুরু হয়।

১৭৮ হিজরিতে ওয়ালিদ ইবন তারিফের নেতৃত্বে খাওয়ারিজরা আরব উপদ্বীপে হারুন আর রশীদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিদ্রোহ শুরু করে। এই বিদ্রোহ এতটাই তীব্র ও বিপজ্জনক ছিল যে, একাধিক যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী তাদের কাছে পরাজিত হয়।

এই সংকট মোকাবিলায় হারুন আর রশীদ মাআন ইবনে যায়েদা আশ শাইবানী রহ.–কে (যিনি ইয়াজিদ নামেও পরিচিত) বিদ্রোহ দমন করতে নিয়োগ দেন। ইয়াজিদ ছিলেন একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ সেনাপতি। তিনি এবং বিদ্রোহী নেতা ওয়ালিদ একই গোত্রের সদস্য ছিলেন। এ কারণে ইয়াজিদ প্রাথমিকভাবে যুদ্ধ এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন।

কিন্তু ইয়াজিদের এই ধীর পদক্ষেপ নিয়ে সেনাবাহিনীর উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা হারুন আর রশীদের কাছে অভিযোগ জানান। তারা দাবি করেন, ইয়াজিদ ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ বিলম্বিত করছেন। এরপর হারুন আর রশীদ কঠোরভাবে নির্দেশ দেন যে, ইয়াজিদ যেন দ্রুত ওয়ালিদকে পরাজিত করে বিদ্রোহের অবসান ঘটান।

ইয়াজিদ ওয়ালিদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে বলেন, “আল্লাহর বান্দাদের হত্যা করে কী লাভ? আসুন আমরা ব্যক্তিগতভাবে মুখোমুখি হয়ে এই সমস্যার সমাধান করি।” ইয়াজিদের আহ্বান পেয়ে ওয়ালিদ দ্রুত যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হয়।

দু’জন নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তলোয়ার চালান আর উভয় পক্ষের সৈন্যরা তা নীরবে প্রত্যক্ষ করে। অবশেষে ওয়ালিদ নিহত হন এবং তার অনুসারীরা বিদ্রোহ ত্যাগ করে। এভাবেই হারুন আর রশীদের খেলাফত খাওয়ারিজদের ভয়াবহ হুমকি থেকে মুক্তি পায়।
https://almirsadbd.com/kh-h-a-r-rh-e-b-kh-d-b/?amp=1

Almirsad Bangla

02 Dec, 16:29


বাঘলানের রক্তাক্ত অধ্যায়: খাওয়ারিজদের বিশ্বাসঘাতকতার নির্মম চিত্র!
আবু উসামা খোরাসানী

আইএসআইএস— যারা নিজেদেরকে মুসলিম এবং সত্যপথের মুজাহিদ বলে দাবি করে কিন্তু তাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন ইতিহাস নিরীহ নিরপরাধ মানুষের রক্তে রঞ্জিত। তাদের কার্যকলাপ অত্যন্ত নির্মম এবং উদ্দেশ্য ইসলামবিরোধী। খাওয়ারিজ গোষ্ঠীটি কার্যত জায়োনিস্ট শাসনের মতোই একটি কুখ্যাত পরিচিতি বহন করে। যেমন জায়োনিস্টরা নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে, তেমনি এই গোষ্ঠীও একই নির্মম পথে হাঁটছে। তারা হাজারো মুসলিমের জীবন কেড়ে নিয়েছে যা পুরোপুরি অযৌক্তিক অভিযোগ ও ভিত্তিহীন ফাতাওয়ার ফল।

খাওয়ারিজদের কুরুচিপূর্ণ ইতিহাস সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত নির্মমতার সাক্ষী। তাদের তথাকথিত “আলেম” ও নেতৃত্বের মাধ্যমে জারি করা ফাতাওয়াগুলো ন্যায়বিচারের মুখোমুখি করার পরিবর্তে অন্যায় হত্যাকাণ্ডের প্ররোচনা দিয়েছে।

তারা আমেরিকার দখলদারিত্ব ও তাদের পুতুল প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ব্যাপক তাকফিরি কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এ গোষ্ঠী বিভিন্ন ভিত্তিহীন অজুহাতে মুসলিমদের কাফির আখ্যা দিয়ে তাদের রক্তকে হালাল ঘোষণা করেছে। তারা এমন এক নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছে, যা ইসলামি মূল্যবোধ ও মানবিকতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

মসজিদে ইবাদতে মগ্ন মানুষকে হত্যা করা থেকে শুরু করে শিশু ও বৃদ্ধদের ওপরও তারা দয়া দেখায়নি। তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে যারা আল্লাহর ঘরে ইবাদতে রত, যাদের তারা কখনো শিরক করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে, কখনো শিয়া বলে অপবাদ দিয়েছে।

তাদের এই নির্মম কার্যকলাপ শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, গোটা ইসলামি সমাজের ওপরও গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। তারা ইসলামের শত্রুদের মনোরঞ্জনের জন্য এ জাতীয় নৃশংস কাজ চালিয়ে গেছে।

সম্প্রতি বাঘলান প্রদেশের নাহরিন জেলার একটি মসজিদে আল্লাহর স্মরণে নিমগ্ন মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়ে তারা আবারও তাদের প্রকৃত সন্ত্রাসী চেহারা উন্মোচন করেছে। তাদের এই জঘন্য আক্রমণ প্রমাণ করে, তাদের কার্যক্রম ইসলামের শিক্ষা এবং পবিত্র নীতির সাথে পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

ইসলামি ইমারাত প্রতিষ্ঠার পর এই ধ্বংসাত্মক গোষ্ঠীর কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ইসলামি ইমারাতের সাহসী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে জাতিকে তাদের নৃশংসতা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে।

যদিও তারা এখন আর ইসলামি ইমারাতের সাহসী বাহিনীর সাথে সরাসরি লড়াইয়ে সক্ষম নয়, তবু তারা বিচ্ছিন্নভাবে এই ধরনের হামলা চালিয়ে ইসলামের শত্রুদের খুশি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

তাদের ইতিহাস ও বর্তমান কার্যকলাপ একথাই প্রমাণ করে, আল্লাহর ইচ্ছায় তারা অচিরেই তাদের কৃতকর্মের কঠোর পরিণতি ভোগ করবে। অতীতে যেমন তাদের পূর্বসূরিদের ধ্বংস করা হয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতেও তাদের ধ্বংস অনিবার্য।

❝তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী, যেমনটি ছিল তাদের পূর্বসূরিদের!❞
https://almirsadbd.com/b-r-o-kh-b-n-ch/?amp=1

Almirsad Bangla

01 Dec, 15:10


পাকিস্তান স্বীকার করেছে পেশাওয়ার ও এর আশেপাশে আইএসআইএসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের কর্মকর্তাগণ আল মিরসাদের ধারাবাহিক রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে, পাকিস্তান ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশের (আইএসকেপি) প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করে। এই কেন্দ্রগুলিতে আফগানিস্তান ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে মোতায়েনের আগে যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

সম্প্রতি পাকিস্তানের সামরিক প্রচার যন্ত্রের সাথে যুক্ত একটি গণমাধ্যম সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগের সূত্র উদ্ধৃত করে পেশাওয়ার শহর ও এর আশপাশের এলাকায় আইএসআইএসের আত্মঘাতী প্রশিক্ষণ শিবিরের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছে। এই শিবিরগুলিতে আইএসআইএস যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

খাইবার ক্রনিকলস নামক এই গণমাধ্যমটি প্রকাশ করেছে যে, উক্ত প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে কিছু প্রশিক্ষিত আইএসআইএস সদস্যকে পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ এবং অন্যান্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। (আল মিরসাদ এর আগে অক্টোবরে রিপোর্ট করেছিল যে আইএসআইএস পাকিস্তানে বিশিষ্ট ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পাকিস্তানি শাসনের বিরোধীদের হত্যার পরিকল্পনা করছে।)

খাইবার ক্রনিকলস পেশাওয়ারে তিন আইএসআইএস সদস্যকে গ্রেফতারের বিস্তারিত রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

এই গণমাধ্যমটি পাকিস্তানের সামরিক ও নিরাপত্তা সংস্থার প্রেস বিভাগ, আইএসপিআরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখে এবং তাদের দ্বারা আর্থিকভাবে সমর্থিত। এর নাম অনুসারে আউটলেটটি প্রাথমিকভাবে খাইবার পাখতুনখা এবং উপজাতীয় এলাকার রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর ফোকাস করে। আইএসপিআর দ্বারা সমর্থিত অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মতো এটি পরোক্ষভাবে কেবল সামরিক বাহিনীর বর্ণনাকে তার ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রকাশ করে অন্য কোনো কন্টেন্ট প্রকাশ না করে।
https://almirsadbd.com/ok-sw-k-p-o-e-ap-d-er-pr-k-r/?amp=1

Almirsad Bangla

29 Nov, 18:50


সিরিয়ার জিহাদি গোষ্ঠীগুলো আলেপ্পো শহরে প্রবেশ করেছে
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত জিহাদি গোষ্ঠীগুলো গত তিন দিন ধরে আলেপ্পো শহরের ভেতরে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার এই গোষ্ঠীগুলো শহরে প্রবেশ করে এর বৃহৎ অংশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলেপ্পোর পাশাপাশি ইদলিব প্রদেশের কৌশলগত শহর সারাকিবও সরকারবিরোধী জিহাদি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

অভিযানের সময় মুজাহিদরা বেশ কয়েকজন সরকারি সেনা এবং ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের আটক করতে সক্ষম হন। পাশাপাশি তাঁরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সামরিক যান ও অস্ত্রশস্ত্রও জব্দ করেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর সবচেয়ে বড় অভ্যুত্থান, যা সফলভাবে আসাদ সরকারের দমনমূলক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় বাশার সরকারের বিরুদ্ধে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। তবে ২০১৪ সালে আইএসআইএস উগ্রপন্থীদের উত্থান সিরিয়ার বিপ্লবকে গুরুতরভাবে ব্যাহত করে। এর ফলে জিহাদি গোষ্ঠীগুলো ইদলিব প্রদেশে পিছু হটতে বাধ্য হয়। দীর্ঘ প্রস্তুতি ও পুনর্গঠনের পর সাম্প্রতিক সময়ে সরকারবিরোধী এই গোষ্ঠীগুলো তাদের শক্তি পুনরুদ্ধার করে অভিযান চালাতে সক্ষম হয়েছে।
https://almirsadbd.com/s-j-gg-a-sh-pr-k/?amp=1

Almirsad Bangla

27 Nov, 18:21


পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সংকট: সেনাবাহিনীর নীতিগত ব্যর্থতার ফলাফল
✍🏻 আবদান সাফী

পাকিস্তান— সহিংস এবং অস্থিতিশীল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হিসেবে বিশ্ব দরবারে চিহ্নিত। তবে সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা পরিস্থিতিকে আরও গভীর করেছে। দেশের প্রতিটি কোণ থেকে নিরাপত্তাহীনতার খবর এখন জনগণের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবর্তে সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।

প্রথামতো, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সচেতনভাবে বর্তমান অস্থিতিশীলতাকে, বিশেষত কুররম এজেন্সির সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কিত করার চেষ্টা করছে। এভাবে তারা নিজেদের ব্যর্থ নীতির ফলাফল থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে চায়।

গত চার দশকে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সাম্প্রদায়িক বিভিন্ন গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তা কৌশলগত লাভের জন্য ব্যবহার করেছে। তারা এসব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ এড়িয়েছে, কারণ তারা ভবিষ্যতে এই গোষ্ঠীগুলিকে নিজেদের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চেয়েছিল।

প্রথম দিকে এই গোষ্ঠীগুলি প্রধানত পাকিস্তানের বড় বড় শহর ও পাঞ্জাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে সময়ের সাথে সাথে তাদের প্রভাব দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আজও পর্যন্ত এই গোষ্ঠীগুলো সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার ছত্রচ্ছায়ায় নানা রূপে সক্রিয়।

সম্প্রতি সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্রদায়িক উপাদানগুলিকে আবারও রসদ দেয়া হয়েছে, যাতে তাদের সহিংসতার মাধ্যমে সেনাবাহিনী তার ব্যর্থতাগুলোর পেছনে পর্দা টানতে পারে। অন্যথায় এটা কীভাবে সম্ভব যে, কোনো প্রক্সি গোষ্ঠী তাদের নিজস্ব পতাকা উঁচিয়ে ঘর-বাড়ি, গ্রাম, বাজার জ্বালিয়ে দিতে পারে, মানুষ হত্যা করতে পারে, সামরিক ঘাঁটি দখল করতে পারে এবং সেনাবাহিনী নিঃশব্দ দর্শকের মতো তাকিয়ে থাকবে?

এধরনের পদক্ষেপ স্পষ্টভাবে সেনাবাহিনীর জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেয়, কখনো এক গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করে, আবার কখনো অন্য গোষ্ঠীকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়।

এখন প্রশ্ন উঠছে, ইসলামাবাদে চারজন নিরাপত্তা কর্মীর হত্যাকে যখন জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট মনে করা হয়, তখন কুররম এজেন্সিতে এক সপ্তাহে ২০০-এর বেশি মানুষ নিহত হলেও কেন তার দিকে কোনো দৃষ্টি দেওয়া হয় না? এই নীরবতা সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার নীতি এবং উদ্দেশ্যগুলোকে উন্মোচন করে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবর্তে, সমস্ত মনোযোগ দিয়েছে দেশীয় রাজনৈতিক কৌশল কাজে লাগাতে। তারা রাজনৈতিক দলগুলিকে দুর্বল করে, নির্দিষ্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করে এবং জনগণের মনোভাব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে, কিন্তু জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা মাত্র কিছু প্রতীকী পদক্ষেপ নেয় বা প্রতিবেশী দেশগুলিকে দোষারোপ করে।

অন্যদিকে, আফগানিস্তান ইসলামী ইমারাত সম্প্রতি প্রমাণ করেছে যে, তারা দেশের অভ্যন্তরীণ ধর্মীয় সমস্যাগুলির সমাধানে যথেষ্ট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তারা বারবার ঘোষণা করেছে যে, তারা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যে বিশ্বাসী এবং সকল মুসলিমকে আফগান সমাজের অংশ হিসেবে গণ্য করে।

এটি সত্য যে, পাকিস্তান চেষ্টা করছে তার প্রক্সি গোষ্ঠী আইএসআইএসের মাধ্যমে আফগানিস্তানের শিয়া সংখ্যালঘু, বিশেষত হাজারা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালাতে। তবে ইসলামী ইমারাত তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে এসব অশুভ উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অভিযোগ যে ইসলামী ইমারাত পাকিস্তানে ধর্মীয় সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে— এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতা থেকে দূরে। ইসলামী ইমারাত বর্তমানে ধর্মীয় বিভেদ দূর করতে এবং মুসলিম সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে।

পাকিস্তানকে অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পরিবর্তে তার নিজের ব্যর্থ নীতিগুলি থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং ইসলামী ইমারাতের সফল পদক্ষেপ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।

পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের নীতি, সেগুলি অভ্যন্তরীণ হোক বা বৈদেশিক, বারবার দেশের অস্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করেছে। তাদের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সম্পর্ক এবং অস্বচ্ছ নীতিগুলি দেশের জন্য বহু সমস্যার জন্ম দিচ্ছে।
https://almirsadbd.com/pk-cr-s-s-n-by-f/?amp=1

Almirsad Bangla

26 Nov, 14:45


উমাইয়াহ খিলাফতের অন্তিম অধ্যায়ে আন্দালুসে খাওয়ারিজদের ব্যর্থ অভ্যুত্থান
✍🏻 বশীর সাদাত

ইতিহাসের বিবর্ণ প্রান্তরে খাওয়ারিজরা এক শোকাবহ অধ্যায়। তারা চরমপন্থা ও কঠোরতার এমন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা কেবল মুসলমানদের ঐক্য বিনষ্টই করেনি, বরং ইসলামের নামকে কলঙ্কিত করেছে। তাদের বিভ্রান্তিমূলক আদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রয়াসে তারা বারবার মুসলিম সমাজে ধ্বংস ও অস্থিরতার সঞ্চার করেছে।

তাদের নৃশংসতার সাক্ষী হয়েছে ইসলামের শ্রেষ্ঠতম যুগ। রক্তাক্ত হয়েছেন হযরত উসমান ইবন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আলী ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং বহু মহৎ সাহাবি, তাবেঈন, তাবে তাবেঈন, আলিম ও মুজাহিদ। আজও তাদের চরমপন্থা উম্মাহর ঐক্যের পথে এক অনতিক্রম্য বাধা।

ইতিহাস পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মুসলিম উম্মাহর ওপর খাওয়ারিজদের আঘাত ছিল ক্রুসেডার কিংবা খ্রিস্টান সন্ত্রাসীদের আঘাতের চেয়েও গভীর। উমাইয়াহ ও আব্বাসী খিলাফতের দিনগুলিতে, এমনকি বিভিন্ন ইসলামী যুগেও তাদের তরবারি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে না উঠে উল্টো মুসলিমদের রক্তে কলঙ্কিত হয়েছে।

আন্দালুস বিজয়ের পর মুসলিমরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তি ও সমৃদ্ধির পরিবেশে বসবাস করছিল। প্রায় ১৩৮ হিজরি পর্যন্ত কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা বা নিরাপত্তাহীনতার ছায়া তাদের জীবনকে স্পর্শ করতে পারেনি।

আন্দালুসে ইসলামের ভিত্তি এতটাই দৃঢ় ছিল যে, কোনো বাহ্যিক শক্তি তা নষ্ট করতে সক্ষম হয়নি। কিন্তু ১৩৮ হিজরিতে মুসলিমদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে খাওয়ারিজরা গোপনে শাম (সিরিয়া) অঞ্চল থেকে আন্দালুসে প্রবেশ করে এবং বার্বার জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। ইউসুফ ইবন আবদুর রহমান আল ফিহরীর শাসনের যুলুমের কারণে বার্বারদের মধ্যে যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল, তা খাওয়ারিজরা কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। তাদের লক্ষ্য ছিল এই জনগোষ্ঠীকে ইসলামের মূলধারার পথ থেকে সরিয়ে উগ্রতা ও কঠোরতার দিকে ঠেলে দেয়া।

চরমপন্থার দ্রুত বিস্তার
ইতিহাসবিদদের ভাষ্যমতে খাওয়ারিজদের উগ্র মতবাদ এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে, অল্প সময়ের মধ্যেই আন্দালুসের ইসলামী সভ্যতা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। তারা বিশিষ্ট, যোগ্য ও জ্ঞানী আলিমদের সমাজ থেকে সরিয়ে দেয় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য নানাবিধ প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।

আবদুর রহমান আল-দাখিল: এক আলোকবর্তিকা
সময়ের পরিক্রমায় আন্দালুসে এক মহান বীরের আগমন ঘটে, যিনি উমাইয়াহ খিলাফতের শেষ উত্তরাধিকারী আবদুর রহমান ইবন মু’য়াবিয়া ইবন হিশাম আদ দাখিল রহিমাহুল্লাহ। তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব খাওয়ারিজ এবং অন্যান্য অনুরূপ বিভ্রান্তিমূলক আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটায়। তিনি আন্দালুস এবং ইসলামী সমাজ থেকে এই বিশৃঙ্খলা দূর করে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

উপসংহার: এক উজ্জ্বল অধ্যায়
আবদুর রহমান আদ দাখিলের দূরদর্শী নেতৃত্ব কেবল খাওয়ারিজদের অন্তঃসারশূন্য চক্রান্ত ব্যর্থই করেনি, বরং উম্মাহর ঐক্য ও স্থিতিশীলতার এক চিরন্তন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তাঁর অদম্য নেতৃত্ব আন্দালুসকে এক নতুন দিগন্তে পৌঁছে দেয়। ইসলামের ইতিহাসে তাঁর অবদান এক দীপ্ত জ্যোতিষ্ক হয়ে থাকবে, যা আগামী প্রজন্মকে ঐক্যের শক্তি ও নেতৃত্বের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।
https://almirsadbd.com/u-kh-o-o-a-kh-d-by-o/?amp=1

Almirsad Bangla

24 Nov, 11:45


কুর্দিস্তানের আইএসআইএস আমীর জীবিত আটক!
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষেবা (INSS) গতকাল শনিবার জানিয়েছে যে, কিরকুক প্রদেশে পরিচালিত একটি অভিযানে আইএসআইএসের একটি নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হয়েছে এবং কুর্দিস্তানের আইএসআইএস আমীর আযাদ সাখিকে জীবিত আটক করা হয়েছে।

সরকারি ইরাকি সংবাদ সংস্থার মতে, এই অভিযান সুলায়মানিয়াহ শহরে পরিচালিত হয়। এতে সাত সদস্যের একটি আইএসআইএস দলকে নিষ্ক্রিয় করা হয় এবং কুর্দিস্তানের খাওয়ারিজদের আমীর আযাদ সাখিকে জীবিত আটক করা সম্ভব হয়।

উল্লেখ্য, ইরাককে আইএসআইএসের বিদ্রোহের জন্মভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হলেও বর্তমানে এটি আইএসআইএস সদস্যদের অভ্যন্তরীণ গুপ্তচরবৃত্তি এবং দমন কার্যক্রমের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে, যেখানে প্রতি মাসে বহু সদস্য আটক বা নির্মূল হচ্ছে।
https://almirsadbd.com/k-e-d-aa-j-a/?amp=1

Almirsad Bangla

23 Nov, 23:24


উমার ইবন আবদুল আযীয রহিমাহুল্লাহর মহিমা এবং খাওয়ারিজদের বিদ্রোহ
✍🏻 জাওয়াদ আহমাদ

ইতিহাসের পাতায় সাহাবায়ে কিরামের যুগের পর যাঁরা ন্যায়বিচার, সততা, চারিত্রিক ঔজ্জ্বল্য এবং ইসলামের পূর্ণ প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ শিখরে অধিষ্ঠিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উমার ইবন আবদুল আযীয রহিমাহুল্লাহ এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।

তাঁর জীবন ও খিলাফত নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ রচিত হয়েছে, কিন্তু এমন কোনো কলম খুঁজে পাওয়া যায়নি, যা তাঁর শাসনব্যবস্থার সমালোচনা করেছে। খুলাফায়ে রাশেদিন ও হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর পরে তাঁর শাসনই ছিল আদর্শ রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি।

তাঁর শাসনকালে সমাজের বুকে একটি বিষাক্ত চেতনা—খারিজী মতবাদ গোপনে বিকাশ লাভ করছিল। এ মতবাদ হযরত উসমান ও হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুমার যুগ থেকেই বিদ্যমান ছিল এবং ইসলামী খিলাফতের বিভিন্ন সময়ে বিদ্রোহ ও রক্তপাতের ইতিহাস তৈরি করেছিল।

উমার ইবন আবদুল আযীয রহিমাহুল্লাহ প্রথমে এই বিদ্রোহীদের প্রতি কোমলতা ও মহানুভবতার আচরণ করেন। তিনি ইসলামী শিক্ষার আলোয় তাঁদের সংশোধনের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করেন। তাঁর দাওয়াত, দরদ, এবং মানবিকতার মুগ্ধ স্পর্শে অনেক খারিজী তাঁদের পথপরিবর্তনে সম্মত হয়। তারা সহিংসতার পথ ছেড়ে শান্তি ও ইসলামী নীতিমালার দিকে ফিরে আসে।

কিন্তু খাওয়ারিজদের একটি বড় অংশ এবং সেই যুগের উগ্রপন্থি কিছু গোষ্ঠী উমার ইবন আবদুল আযীয রহিমাহুল্লাহর প্রতি শত্রুতা এবং বিদ্বেষ বহাল রাখে। তাঁর ন্যায়বিচার, সততা এবং পরোপকারিতার আচরণ দেখে সংশোধনের পথে আসার বদলে তারা তাদের বাতিল মতবাদকে আরও সাহসিকতার সঙ্গে প্রচার করতে থাকে। বিভিন্ন অঞ্চলে তারা তাদের শক্তি বৃদ্ধি এবং শাসনব্যবস্থার ওপর কর্তৃত্ব লাভের উদ্দেশ্যে তাঁর নীতিগুলোকে নিজেদের স্বার্থের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে।

যখন উমার ইবন আবদুল আযীয রহিমাহুল্লাহ মানুষের মধ্যে ন্যায়, সমতা ও ঐক্যের ভিত্তিতে এক আদর্শ রাষ্ট্র গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন, তখন খারিজীরা এটিকে তাদের প্রভাব হারানোর কারণ মনে করে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা আজারবাইজানের কিছু অঞ্চলে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং যাঁরা উমার ইবন আবদুল আযীয রহিমাহুল্লাহর বায়আত গ্রহণ করেছিলেন বা তাঁর শাসন মেনে নিয়েছিলেন, তাঁদের কাফির বলে ঘোষণা দেয়। এই বিদ্রোহের সময় তারা নিষ্ঠুরতার সঙ্গে অসংখ্য নিরীহ মুসলিমের রক্ত ঝরায়।

এমন পরিস্থিতিতেও উমার ইবন আবদুল আযীয রহিমাহুল্লাহ তাঁদের কাছে শান্তির আহ্বান জানাতে থাকেন। তিনি তাঁদের উগ্রপন্থি চিন্তাধারা থেকে মুক্ত করে সঠিক ইসলামি শিক্ষার পথে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যখন তাদের উদ্ধত মনোভাব পরিবর্তন হলো না, তখন তিনি বাধ্য হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি সেনাপতি ইবন হাতিমকে নির্দেশ দেন এই বিদ্রোহীদের এমনভাবে দমন করতে যাতে তারা আর কোনোদিন ইসলামের শান্তিপূর্ণ ভূমিতে ফিতনা সৃষ্টি করতে না পারে।

ইবন হাতিম তাঁর নির্দেশ বাস্তবায়ন করেন। ইসলামী সেনাবাহিনী এমন দৃঢ়তার সঙ্গে তাদের দমন করেন যে, ঐ অঞ্চলে খাওয়ারিজদের অস্তিত্ব চিরতরে বিলীন হয়ে যায়।

উমার ইবন আবদুল আযীয রহিমাহুল্লাহ তাঁর ন্যায়বিচার, সংস্কার এবং মানবকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে ইতিহাসের পৃষ্ঠায় চিরন্তন মর্যাদা লাভ করেছেন। কিন্তু খারিজীরা তাদের কঠোর মতাদর্শ এবং উমাইয়াহ খিলাফতের প্রতি প্রাচীন বিদ্বেষের কারণে তাঁর মহানুভবতা ও আলোকিত শাসনের প্রতিও বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। তাঁদের বিদ্রোহের আগুন শান্ত করার জন্য তাঁর নেয়া প্রতিটি পদক্ষেপই ইতিহাসে এক দীপ্ত অধ্যায় হয়ে থাকবে।

উমার ইবন আবদুল আযীয রহিমাহুল্লাহ ছিলেন সত্যিকার অর্থেই সেই খলিফা, যাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ আল্লাহর নৈকট্য লাভ এবং ইসলামের পুনরুজ্জীবনে নিবেদিত ছিল। তাঁর জীবন ও কর্ম যেন ন্যায়পরায়ণতার মূর্ত প্রতীক হয়ে চিরকাল আমাদের সামনে উদাহরণ হয়ে থাকবে।
https://almirsadbd.com/u-i-a-a-rh-er-m-kh-d-b/?amp=1

Almirsad Bangla

23 Nov, 12:17


পাকিস্তানের কূটচক্রান্ত: চীনকে আঞ্চলিক প্রক্সি যুদ্ধে জড়িয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের প্রচেষ্টা
পর্যবেক্ষণমূলক বিশ্লেষণ

প্রায় ২০টি সশস্ত্র বা চরমপন্থী গোষ্ঠী বর্তমানে আফগানিস্তানে সক্রিয়, যা চীনের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করছে—চীনের আফগানিস্তান-বিষয়ক বিশেষ দূত ইউ শাওইয়ং সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন।

এই মন্তব্য তিনি পাকিস্তান সফরের সময় করেছিলেন। পাকিস্তানের ইংরেজি পত্রিকা “ডেইলি দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন”-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউ শাওইয়ং সোমবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পাকিস্তান তাদের দাবি সমর্থনে কিছু নথিপত্র উপস্থাপন করে, যেখানে দাবি করা হয় যে আফগানিস্তানই আঞ্চলিক শান্তির পথে প্রধান অন্তরায়।

যদিও প্রথম নজরে দূতের মন্তব্য চীনের সরকারি অবস্থান বলে মনে হতে পারে, তবে গভীর বিশ্লেষণে দেখা যায়, এটি মূলত তার ব্যক্তিগত ব্যাখ্যা। এই ব্যাখ্যা পাকিস্তানের সরবরাহকৃত তথ্য, সাজানো প্রমাণ এবং উদ্দেশ্যমূলক ব্রিফিং দ্বারা প্রভাবিত।

পাকিস্তানের এই প্রচারণার প্রকৃত উদ্দেশ্য এখন পরিষ্কার। তাদের লক্ষ্য হলো আফগানিস্তানকে দায়ী করে চীনের সমর্থন আদায় করা। বিশেষত, বেলুচিস্তানে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের ফলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। চীনকে পাশে পাওয়া ছাড়া এই সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব নয়।

চীনের নিরাপত্তা ও পাকিস্তানের ব্যর্থতা
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিজ দেশের মাটিতে চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে চীনা কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছে। যদি এই দাবি কার্যকর হয়, তাহলে এটি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতায় গুরুতর আঘাত হানবে।

এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান চীনকে বোঝাতে চায় যে, তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংকটের মূল কারণ আফগানিস্তান। তাই তারা বিভিন্ন সময়ে এমন ভিত্তিহীন প্রতিবেদন তৈরি করে চীন, জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থাপন করছে।

বেলুচিস্তান সংকট: পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা
পাকিস্তানের এই দাবিগুলোর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বেলুচিস্তানের সংকট মূলত পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নীতির ফল, যা প্রায় দুই দশক ধরে চলমান। এর বিপরীতে আফগানিস্তানের ইসলামী ইমারাত মাত্র তিন বছর আগে ক্ষমতায় এসেছে।

অপরদিকে, পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি, যা দেখাতে পারে যে আফগান ভূখণ্ড চীনের স্বার্থবিরোধী কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।

পাকিস্তানের লক্ষ্য: চীনকে প্রক্সি যুদ্ধে জড়ানো
পাকিস্তান তাদের ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে চীনকে আফগানিস্তানে প্রক্সি যুদ্ধে জড়ানোর চেষ্টা করছে। যদি চীন এই ফাঁদে পা দেয়, তবে তা তাদের নিরপেক্ষতা এবং কূটনৈতিক অবস্থানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

চীনের উচিত এই প্রোপাগান্ডায় প্রভাবিত না হয়ে আফগানিস্তান বিষয়ে স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘদিনের উত্তেজনা এবং একে অপরের প্রতি অবিশ্বাস পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। তাই চীনের উচিত নিরপেক্ষ উৎস থেকে অভিযোগ যাচাই করা এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সংযোগ জোরদার করা।

পাকিস্তানের পুরনো খেলা, নতুন লক্ষ্য
চীনা কর্তৃপক্ষের বোঝা উচিত ৯/১১-এর পর পাকিস্তান আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য আমেরিকার সামরিক অভিযানের সঙ্গী হয়েছিল। এখন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে পরাজিত হয়ে সরে আসার পর, পাকিস্তান একইভাবে চীনকে প্রক্সি যুদ্ধে টেনে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছে।

অযাচাইকৃত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো চীনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চীনের উচিত বাস্তব পরিস্থিতি যাচাই করে সঠিক নীতি নির্ধারণ করা, যা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জন্য কল্যাণকর হবে।
https://almirsadbd.com/pk-k-ch-a-pr-z-j-n-sw-h-pr/?amp=1

Almirsad Bangla

21 Nov, 15:10


খাওয়ারিজ ও আমেরিকার সম্পর্ক: এক নির্ভুল বিশ্লেষণ
✍🏻 আবু উসামা খোরাসানী

আফগানিস্তান দখলের পর আমেরিকা ও তার মিত্ররা ভেবেছিল যে, শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তারা আফগান জনগণের ইচ্ছাশক্তিকে দমন করে তাদের অন্যায় শর্তগুলো মেনে নিতে বাধ্য করতে সক্ষম হবে।

কিন্তু যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার পাশাপাশি অমুসলিম বিশ্বের শক্তিগুলো চরম ক্ষতির মুখে পতিত হওয়ার পর এই ধারণা সম্পূর্ণভাবে ভুল প্রমাণিত হয়। এর ফলে তাদের স্থানীয় ভাড়াটে বাহিনী ইসলামি ইমারাতের প্রকৃত মুজাহিদদের মোকাবিলায় অক্ষম হয়ে পড়ে।

এই ব্যর্থতার পর আমেরিকা দ্বিতীয় কৌশল গ্রহণ করে। তারা খাওয়ারিজ নামে পরিচিত একটি ভাড়াটে গোষ্ঠীকে সক্রিয় করে এবং ইসলামি ইমারাতের মুজাহিদদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়। এর অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে খাওয়ারিজদের শাখা আইএসকেপি সক্রিয় করা হয়। তাদের ধারণা ছিল, এই ভাড়াটেরা ইসলামি ইমারাতের অগ্রগতি ব্যাহত করতে পারবে।

ইসলামি ইমারাত যখন খাওয়ারিজ ফিতনা নির্মূলে সক্রিয় হয়, তখন আমেরিকা দাবি করেছিল যে তারা আইএস খোরাসানের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় আমেরিকার বিমান বাহিনী ইসলামি ইমারাতের মুজাহিদদের অবস্থানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে খারিজিদেরকে সরাসরি সহযোগিতা করে। খারিজি গোষ্ঠীকে নির্মূল করার বদলে আমেরিকা তাদের শক্তি বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়, যা তাদের প্রকৃত অভিসন্ধি প্রকাশ করে।

এমনকি আমেরিকা একাধিকবার সরাসরি এই প্রক্সি বাহিনীর পক্ষে অবস্থান নেয়। উদাহরণস্বরূপ ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি আমেরিকান সৈন্যরা তাদের স্থানীয় সহযোগীদের সঙ্গে মিলে বাদঘিস প্রদেশের জওয়ান্দ জেলায় ইসলামি ইমারাতের একটি কারাগারে হামলা চালায় এবং ৪০ জন খারিজিকে মুক্ত করে।

এ ঘটনাই শুধু আমেরিকা ও খারিজিদের মধ্যে প্রত্যক্ষ সহযোগিতার একমাত্র দৃষ্টান্ত ছিল না। ২০১৯ সালের ৬ জুন, আমেরিকান বাহিনী ফারিয়াব প্রদেশে ইসলামি ইমারাতের কারাগারে অভিযান চালিয়ে ১০ জন আইএস বন্দিকে মুক্ত করে।

ইসলামি ইমারাত যখন কুনার প্রদেশে খারিজি ফিতনা দমন করতে ব্যাপক অভিযান শুরু করে এবং ধীরে ধীরে আইএস খোরাসানের যোদ্ধাদের অবরুদ্ধ করে ফেলে, তখন এ গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা নুর গুল জেলার কারচান্দ ও মাজার দারা এলাকায় পালিয়ে যায়।

কিন্তু যখন স্পষ্ট হয়ে গেল যে, ইসলামি ইমারাতের বীর যোদ্ধারা তাদের আটক করতে চলেছে এবং তাদের পলায়নের আর কোনো পথ খোলা নেই, তখন গভীর রাতে অসংখ্য আমেরিকান বিমান সেখানে উপস্থিত হয়। এই বিমানগুলো খারিজিদের তাদের অস্ত্রসহ উদ্ধার করে একটি অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়।

আমেরিকার বস্তুগত ও নৈতিক সমর্থন সত্ত্বেও আইএস খারিজিরা ইসলামী ইমারাতের মুজাহিদদের সামনে টিকতে তো পারেই নি উল্টো দ্রুত পরাজিত হয়েছিল। আফগানিস্তান বিজয়ের পর কাফের রাষ্ট্রগুলো, বিশেষত আমেরিকা প্রচারণার মাধ্যমে খারিজিদের হুমকিকে অতিরঞ্জিত করে ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের ফিতনার অগ্নিশিখা দ্রুত নিভে যায়, আর এই পবিত্র ভূমির মুসলমানরা তাদের অনিষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তি লাভ করে।
https://almirsadbd.com/kh-a-s-1-n-b/?amp=1

Almirsad Bangla

20 Nov, 13:26


ইসলামী ইমারাতের ভারসাম্যপূর্ণ নীতি
✍🏻 আহমাদ আবিদ

আফগানিস্তান—সমৃদ্ধ ইতিহাস ও গভীর ইসলামী এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের ধারক এক ভূমি। এই ভূমির শাসনব্যবস্থার জন্য সর্বদা এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন হয়েছে, যা একদিকে তার ধর্মীয় আকাঙ্ক্ষাকে সুরক্ষা দেয়, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে।

বর্তমানে ইসলামী ইমারাত একটি মধ্যপন্থী নীতির উপর নির্ভর করছে, যা শরিয়াহর নীতিমালার প্রতি দৃঢ় আনুগত্য এবং জাতির ইসলামী পরিচয়কে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি আফগানিস্তানের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোকে বাস্তববাদী উপায়ে সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে। এই নীতি নিম্নোক্ত মূল ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত:

১. ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি আনুগত্য
ইসলামী ইমারাত নিশ্চিত করেছে, দেশের প্রতিটি আইন ও বিধান ইসলামী শরিয়াহর ভিত্তিতে প্রণীত হবে। ইসলামী মূল্যবোধ সংরক্ষণ এই নীতির মৌলিক স্তম্ভ, যা সরকার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত। ইসলামী ফিকহের দিকনির্দেশনায় আইন প্রণয়ন করা হয়, যাতে কুরআনের শিক্ষা ও নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর সঙ্গে কোনো বৈপরীত্য না থাকে।

২. ধর্মীয় পরিচয়ের সুরক্ষা
ইসলামী ইমারাত জনগণের ধর্মীয় চেতনাকে জাগ্রত করতে কুরআনি শিক্ষা, ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা এবং ধর্মীয় গবেষণার প্রসারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মাদরাসা এবং ইসলামী জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রগুলো ইমারাতের শিক্ষানীতির শীর্ষ অগ্রাধিকার।

৩. সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
ন্যায়বিচার ইসলামের একটি মৌলিক নীতি এবং ইসলামী ইমারাতের নীতির প্রধান ভিত্তি। সমাজের প্রতিটি স্তরের অধিকার রক্ষা এবং যেকোনো ধরনের নির্যাতন বা বৈষম্য দূর করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এই প্রচেষ্টা ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে একটি ন্যায়পরায়ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য বহন করে।

৪. নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ
ইসলামী ইমারাত দেশজুড়ে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং বিশৃঙ্খলা দূরীকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই প্রচেষ্টা জনগণ ও সরকারের মধ্যে আস্থা পুনর্গঠনে সহায়ক।

৫. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ততা
ইসলামী ইমারাত প্রতিবেশী দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে মধ্যপন্থী নীতির উপর জোর দিচ্ছে। মানবাধিকার, নারীদের অধিকার এবং শিক্ষার মতো বিষয়গুলোতে বৈশ্বিক উদ্বেগ মোকাবিলার প্রচেষ্টা চলছে শরিয়াহর গণ্ডীর মধ্যে থেকেই।

আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা ইসলামী ইমারাতের নীতির একটি প্রধান উপাদান। পারস্পরিক সম্মান, সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আফগানিস্তানের ভূমিকা পুনঃসংজ্ঞায়িত করার প্রচেষ্টা চলছে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে এবং ইসলামী মূল্যবোধ অক্ষুণ্ণ রেখে ইমারাত এক দায়িত্বশীল ও সক্রিয় বৈশ্বিক অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়।

বিশেষত ইসলামী ইমারাত তাদের ইসলামী পরিচয় রক্ষা এবং আফগানিস্তানের উপর পশ্চিমা সংস্কৃতির চাপ প্রয়োগ প্রতিহত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

৬. আঞ্চলিক সম্পর্ক শক্তিশালীকরণ
পাকিস্তান, ইরান, চীন এবং রাশিয়ার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ইসলামী ইমারাতের পররাষ্ট্রনীতির মূল অংশ। এই সম্পর্কগুলো নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং পানি সম্পদের ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

৭. জাতীয় ঐক্যের উন্নয়ন
আফগানিস্তানের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এবং উপজাতির মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা ইসলামী ইমারাতের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিরসন এবং জাতীয় সংহতি শক্তিশালী করার মাধ্যমে একটি সংহত জাতি গঠনের চেষ্টা চলছে।

এই নীতি ইসলামী নীতিমালার সঙ্গে আধুনিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটি ভারসাম্যপূর্ণ মডেল উপস্থাপন করে। এটি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগিতার একটি পথ তৈরি করে, যা আফগানিস্তানের ঐতিহ্যগত ইসলামী পরিচয়কে রক্ষা করে এবং একই সঙ্গে একটি দায়িত্বশীল বিশ্বসম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে তার ভূমিকা সুসংহত করে।
https://almirsadbd.com/iea-er-v-n/?amp=1

Almirsad Bangla

19 Nov, 13:43


আইএস একটি মহামারির নাম
[চতুর্দশ পর্ব]
✍🏻 আবু হাজার আল কুর্দি

পূর্বের পর্বে হাজরে আসওয়াদের কৌশলগত অবস্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবার আমরা এই অঞ্চলে আইএসআইএসের দখল ও তাদের কর্মকাণ্ডের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরব।

২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে আইএসআইএস অপরাধীরা হঠাৎ আক্রমণ চালায়। স্থানীয় কিছু বিশ্বাসঘাতক গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় তারা হাজরে আসওয়াদে প্রবেশের সুযোগ পায়।

বিভ্রান্তিকর স্লোগান ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তারা দ্রুত জনসাধারণের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে। আইএসআইএসের আগমনের পূর্বে এই অঞ্চল ছিল জাবাহাতুন নুসরাহর মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে, যারা বাশার আল আসাদের শাসনের জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হতেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নুসাইরি শাসন তাদের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক এবং সামরিক সরঞ্জাম সক্রিয় করে মুজাহিদদের নির্মূলের চেষ্টা চালায়, যাতে তাদের বাহিনী কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে।

হাজরে আসওয়াদ দখলের পর আইএসআইএস সিরিয়া সরকারের বিরোধী বহু ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। যার মধ্যে আকনাফে বাইতুল মাকদিস (ইয়ারমুক শরণার্থী শিবিরের একটি ফিলিস্তিনি দল) এবং স্থানীয় অন্যান্য দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারা ধোঁকা ও প্রতারণার মাধ্যমে বিশিষ্ট মুজাহির ও আনসার মুজাহিদদের রক্তপাত ঘটায়।

গবেষণা থেকে জানা যায়, দখলের পর আইএসআইএস দুই শতাধিক মুজাহিদকে হত্যা করে এবং অসংখ্য শিশুকে ইয়াতিম করে ফেলে। তারা কোনো ইতিবাচক অবদান রাখার পরিবর্তে সুন্নি যুবকদের ওপর চালানো সহিংসতাকে নিজেদের “সাফল্য” হিসেবে দাবি করে। সিরিয়া ও ইরাকে তাদের কথিত অর্জন শুধু মুজাহিদ ও বৃহত্তর জিহাদি আন্দোলনের ক্ষতিই করেছে।

আইএসআইএস প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যই ছিল ইসলামের একটি বিকৃত ও নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরা। ইসলামের শত্রুরা তাদের সভা-সমাবেশে এই কর্মকাণ্ডগুলো প্রচার করে ইসলামকে সহিংসতার ধর্ম হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করে। এই দৃশ্যপটগুলো অবশ্য তাদেরই তৈরি করা, যেখানে বিক্রি হওয়া আইএসআইএসের অপরাধীদের কর্মকাণ্ড প্রচারিত হয় এবং বিশ্বব্যাপী ঘোষিত হয়।

চলবে....
https://almirsadbd.com/isis-ekti-mohamarir-naam-14th/?amp=1

Almirsad Bangla

18 Nov, 15:43


মত্তন, কুরম এবং উরকজই এজেন্সির বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিশেষত বানু এবং ডি. আই. খান জেলার অধিকাংশ অংশ এখন তালিবানদের দখলে। ২৬ অক্টোবর ডি. আই. খান কমিশনার এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি সতর্কতা প্রদান করেছিল যে, সরকারি কর্মকর্তারা ডি. আই. খান ও টানক জেলার প্রধান সড়ক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং রাতের বেলায় চলাচল থেকে বিরত থাকুন। এসব বিষয় স্পষ্টতই প্রমাণ করে যে টিটিপি এখন পাকিস্তানের মাটিতে তৎপর, আর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি এই পরিস্থিতির জন্য কার ওপর দোষ চাপাচ্ছে?

পঞ্চম প্রশ্ন:
পাকিস্তানের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বারবার ইমরান খান এবং জেনারেল বাজওয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে, ফয়েয হামিদের মাধ্যমে ইমারাতে ইসলামিয়ার মধ্যস্থতায় এক বছর ধরে যে আলোচনা চলছিল, তার ফলে প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ তালিবান মালাকান্দ ডিভিশন এবং উপজাতীয় অঞ্চলে প্রবেশ করেছিল। যদি এই বক্তব্যে সত্যতা থাকে, তবে ইমারাতে ইসলামিয়ার বদলে এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তাহলে এখানে ন্যায়বিচারের প্রতি কেন অবহেলা করা হচ্ছে?

ষষ্ঠ প্রশ্ন:
সম্প্রতি খাইবার এজেন্সির তিরাহ এলাকা এবং দক্ষিণ ও উত্তর ওয়াজিরিস্তানে অনেক ড্রোন হামলা হচ্ছে, যার ফলে অনেক সাধারণ মানুষ শহীদ এবং আহত হচ্ছেন। মীর আলী বাজারে ফসফরাস বোমা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এবং অজুহাত হিসেবে বলা হচ্ছে যে এখানে সন্ত্রাসীরা আছে। তেমনি লাকি মাওয়াত, মিয়ানওয়ালি, গন্ধাপুর, টানক, বানু, সদা, এফআর পেশাওয়ার, পেশাওয়ার, মর্দান, দর এবং শাঙ্গলা এলাকায় মুজাহিদরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছে। এই মুজাহিদরা এত বিশাল সংখ্যায় আফগানিস্তান থেকে প্রবেশ করে কয়েকশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে চলে এসেছে, অথচ দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কিছুই জানে না? তাহলে কি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মুজাহিদরা জিন-ভূত, যাদের সম্পর্কে এই গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কোনো ধারণাই নেই?

মূল বিষয় হলো, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি এখন জনগণের ওপর অবিরত অত্যাচার চালাচ্ছে এবং তাদের জীবন, সম্পদ ও সম্মান রক্ষার পরিবর্তে তা লুণ্ঠনকারী হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণের খনিজ সম্পদ ও সঞ্চয় দখল করার কারণে সেনাবাহিনী তার সম্মান হারিয়েছে। প্রতিটি পরিবারে কিছু সদস্য এমন এক সংকল্প নিয়ে টিটিপিতে শামিল হচ্ছে যে, এই ডাকাতদের এখন অস্ত্রের ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় বোঝালে কাজ হবে না। এর ফলে, টিটিপির সারিতে প্রতিদিনই নতুন সদস্য যোগ হচ্ছে, যা তাদের সাফল্য এবং লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।

আরও প্রশ্ন তোলা সম্ভব, কিন্তু যারা সত্যের অনুসন্ধানে রয়েছেন তাদের জন্য একটি সুস্পষ্ট প্রমাণই যথেষ্ট। আর যারা নিজেদের অহমিকা ও অজ্ঞতায় অটল, তাদের জন্য কোনো সমাধান নেই। আল্লাহ তায়ালা এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন এবং এটিকে ইসলামি বসন্তের সৌন্দর্যে সজ্জিত করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামিন।

وصلی اللہ تعالی علی خیر خلقہ محمد والہ وصحبہ اجميعين
https://almirsadbd.com/ttp-afn-er-snk-or-pk/?amp=1

Almirsad Bangla

18 Nov, 15:42


তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান – টিটিপি আফগানিস্তানের সঙ্কট নাকি পাকিস্তানের?
✍🏻 আবু হারিস

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন একটি ধারণা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে আসছে, যা সত্যকে অতিরঞ্জিত করে। তাদের দাবি, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সদস্যরা আফগান ভূমি ব্যবহার করে পাকিস্তানে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে আবার আফগানিস্তানে ফিরে যায়।

তবে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইসলামি ইমারাত আফগানিস্তান বারবারই স্পষ্ট করে জানিয়ে আসছে যে, টিটিপি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। আফগান ভূমিকে কখনো কোনো প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। বরং যেসব শরণার্থী পাকিস্তানের অসহনীয় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিল— তখন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রবাহিনীও আফগানিস্তানে অবস্থান করছিল। বর্তমানে খোস্ত ক্যাম্পসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা এসব পাকিস্তানি শরণার্থীদের হাতে কোনো অস্ত্র নেই, এবং তাদের টিটিপির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততাও নেই। আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন অনুযায়ী তারা একান্তই শরণার্থীর জীবনযাপন করছে, যেমনটি পাকিস্তান, তুরস্ক বা অন্য যেকোনো দেশে শরণার্থীরা করে থাকে।

এ ধরনের সরকারি অভিযোগের ভিত্তি এবং সত্যতা যাচাই করতে এখানে কয়েকটি বাস্তবসম্মত প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, এগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার অন্ধ ও বেপরোয়া প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিকতার মঞ্চে সরকারি চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে জোরালো বক্তব্য রাখা ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

ان اريد الا الاصلاح ماستطعت وما توفیقی الا بالله

প্রথম প্রশ্ন:
পাকিস্তান দাবি করেছে যে, তারা ২,৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডিউরান্ড রেখা বরাবর ১২ ফুট উঁচু এবং ৫ ফুট চওড়া এক শক্তিশালী তারের বেড়া নির্মাণ করেছে। শুধু তা-ই নয়, এই বেড়ার মাঝে এমনভাবে কাঁটাতারের ব্যবস্থা করা হয়েছে যেকোনো ছোট প্রাণীও সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না।

প্রতি ২০০-৩০০ মিটার অন্তর একটি মজবুত চৌকি স্থাপন করা হয়েছে, যা ওয়্যারলেস যোগাযোগ এবং টহল ব্যবস্থার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। পুরো ডিউরান্ড রেখা বরাবর সড়কপথের নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে, এবং প্রতি ১০-১৫টি চৌকির পেছনে একটি বড় সামরিক ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রস্তুত বাহিনী, খাদ্যসামগ্রী এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি চৌকিতে ৫-৬ জন সশস্ত্র সৈনিক অবস্থান করেন, যাদের কাছে জি-থ্রি, স্নাইপার রাইফেল এবং এলএমজি পর্যন্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে।

এছাড়া, প্রতিটি চৌকিতে ৭০-৮০ লক্ষ রুপি মূল্যের থার্মাল ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যা এমন উন্নত প্রযুক্তির যে, গভীর রাতে ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো পাখি ডানা ঝাপটালেও তা ক্যামেরার নজরে পড়ে। প্রতি ২০-৩০ মিটারে স্বয়ংক্রিয় আলো এবং সেন্সর বসানো হয়েছে, যা কোনো জীবিত কিছু নিকটবর্তী হলে আলোর তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। এই আধুনিক আলোক ব্যবস্থা ডিউরান্ড রেখার রাত্রিকালীন পরিবেশকে আলোকিত করে তোলে।

তদুপরি, মাটিতে বিদ্যুৎ-চালিত তার এবং সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে, যা বেড়ার কাছে কোনো প্রাণীর উপস্থিতি শনাক্ত করে চৌকির সেনাদের সাইরেনের মাধ্যমে সতর্ক করে দেয়। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই ডিউরান্ড রেখার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান ৮০০ ছোট-বড় ড্রোন বরাদ্দ করেছে। এসব ড্রোনে মিসাইল উৎক্ষেপণের সক্ষমতা এবং নজরদারির বিভিন্ন উন্নত সরঞ্জাম সংযুক্ত রয়েছে।

এই সমস্ত ব্যবস্থার পাশাপাশি, ডিউরান্ড রেখার এক কিলোমিটারের মধ্যে বিশেষ বাহিনীর ইউনিটগুলো লুকানো অবস্থানে প্রস্তুত থাকে, যারা উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত। কোনো সন্ত্রাসী যদি এই সমস্ত নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেদ করেও প্রবেশ করতে সক্ষম হয়, তবে এই বিশেষ বাহিনী তাকে মোকাবিলা করে।

এই বিশাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার পর পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছে যে, ডিউরান্ড রেখার জন্য তাদের বরাদ্দকৃত হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রকে পুরোপুরি নিশ্চিত করতে চায় যে, এখন এই ডিউরান্ড রেখা এমনভাবে সুরক্ষিত যে, একটি পাখিও তাদের নজর এড়িয়ে উড়ে যেতে পারবে না।

মনে রাখা উচিত যে, উপরোক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোনো কাল্পনিক নয়, বরং একটি সুস্পষ্ট বাস্তবতা, যা পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের দক্ষতা ও উদ্যোগের প্রমাণ। এমন ব্যবস্থা তৈরি করা যেকোনো সাধারণ রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব ছিল না। এমনকি শক্তিশালী রাশিয়াও ইউক্রেনের সুসজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি— যাদের পাশে রয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের পূর্ণ সমর্থন এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। তেমনি ইসরায়েল, যে আমেরিকা ও ব্রিটেনের সহযোগিতায় কাজ করে, হামাসের মতো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মুজাহিদদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

Almirsad Bangla

18 Nov, 15:42


এখন প্রশ্ন উঠছে, এসব কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার পরও টিটিপির মুজাহিদরা কীভাবে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়? কীভাবে তারা চিত্রাল, সোয়াত, পেশোয়ার থেকে ডেরা জাট এবং বেলুচিস্তান পর্যন্ত পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল আক্রমণ চালায়? এ প্রশ্নের উত্তর অন্তত আমার বোধগম্যতার বাইরে।

এক মুহূর্তের জন্য ধরি, পাকিস্তানের এই দাবি মেনে নেয়া হলো যে, সত্যিই টিটিপি আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে। তবে আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে বলা যায়, ইসলামি ইমারাত পাকিস্তানের তৈরি নিরাপত্তা ব্যবস্থার তুলনায় ডিউরান্ড রেখায় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণই করেনি। তাহলে টিটিপির অভিযানের ব্যাপারে ইমারাতের উপর দোষ চাপানোর পরিবর্তে পাকিস্তানকে নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে তাকাতে হবে।

যদি পাকিস্তান দাবি করে যে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশংসনীয়, তবে টিটিপির যোদ্ধারা যদি এসব ব্যবস্থা সত্ত্বেও ডিউরান্ড রেখা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়, তাহলে তারা শতভাগ প্রশংসা প্রাপ্য। এটি একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ যে, যেমন সাহাবাদের জন্য সমুদ্রপথ উন্মুক্ত হয়েছিল, তেমনি টিটিপির মুজাহিদদের জন্য পাহাড়ি দুর্গম পথে এমন কঠিন নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরেও পথ উন্মুক্ত হচ্ছে, যা সমুদ্রপথের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন।

এত শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান যদি আফগানিস্তানের ইসলামি ইমারাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে থাকে, তবে এটি খোলামেলা বোকামি এবং টিটিপির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের স্বীকারোক্তি ছাড়া আর কিছুই নয়।

দ্বিতীয় প্রশ্ন:
পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্য সূত্র দাবি করেছে যে, রাষ্ট্রীয় বাহিনী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে বাযোড় এবং দীরের ‘‘দরগই’’ সীমান্তে মালাকন্দ ডিভিশনে টিটিপির সহযোগী মুহতারাম কুরাইশি উস্তাদ, তাঁর ছেলে এবং জামাতাসহ মোট ৯ জন কমান্ডারকে হত্যা করেছে। এই দাবি টিটিটিপির নির্ভরযোগ্য সূত্রও নিশ্চিত করেছে, এবং মালাকন্দ ডিভিশনের দায়িত্বশীল মাওলানা আযমতুল্লাহ লালা এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন যে, এই মুজাহিদরা বাযোড়ের শিবির থেকে সড়কপথে সোয়াতের শিবিরের দিকে যাচ্ছিলেন। এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, সোয়াত, দীর এবং বাযোড় অঞ্চলে টিটিপির বড় আকারের ঘাঁটি রয়েছে। প্রতিদিন এই অঞ্চলে সুরক্ষা বাহিনীর উপর হামলা চালানো এই দাবিকে আরও শক্তিশালী করে। এখন এই ঘাঁটি এবং হামলার জন্য ইসলামি ইমারাতকে দায়ী করার ব্যাপারটা অন্তত আমার বোধগম্যতার বাইরে।

তৃতীয় প্রশ্ন:
টিটিপির ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ নিয়মাবলী এবং সাংগঠনিক কাঠামো থেকে জানা যায় যে, তারা পাকিস্তানকে দুটি অঞ্চলে (দক্ষিণী ও উত্তরী) ভাগ করেছে। দক্ষিণী অঞ্চলে কোহাট ডিভিশন থেকে বানু, ডি. আই. খান, পুরো বেলুচিস্তান, সিন্ধ এবং দক্ষিণ পাঞ্জাবের ডিভিশনগুলো অন্তর্ভুক্ত, যেখানে উত্তরী অঞ্চলে মালাকন্দ ডিভিশন, পেশাওয়ার, মর্দান, হাজারা এবং উত্তর পাঞ্জাবের ডিভিশনগুলো রয়েছে। এবং প্রতিটি ডিভিশনকে তারা প্রদেশের মর্যাদা দিয়েছে, এবং প্রতিটি থানা বা এলাকা জেলার মর্যাদা পেয়েছে। এই বিভাজনের উদ্দেশ্য হলো, প্রায় পনেরো থেকে ষোলটি প্রদেশপ্রধান এবং অসংখ্য জেলার প্রধানকে টিটিপির পক্ষ থেকে বাধ্য করা হয়েছে যে, তারা সম্মুখযুদ্ধে থাকবেন। এর প্রমাণ হচ্ছে, রাহবারী শুরা সদস্য মুফতি মুযাহিম সাহেব (যিনি টিটিপির সাবেক উপ-প্রধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন, এবং বর্তমানে দক্ষিণী অঞ্চলের সামরিক প্রধানও) একটি ভিডিও বার্তায় সাফভাবে বলেছেন যে, তিনি দক্ষিণী অঞ্চলের বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শন করেছেন, যেখানে সীমান্ত এবং প্রধান স্থানগুলোর পাশাপাশি প্রতিটি জায়গাতেই তালিবানের ঘাঁটি রয়েছে। তালিবানরা প্রকাশ্যে বাজার, হজরাহ এবং মসজিদে চলাফেরা করে, এবং জনগণ তাদের সমস্যাগুলি কাচারি বা আদালতের পরিবর্তে স্থানীয় তালিবান কাযীদের মাধ্যমে সমাধান করে। একইভাবে, রাহবারী শুরার আরও অনেক সদস্য কেন্দ্রীয় ঘাঁটির পরিবর্তে সরাসরি সম্মুখযুদ্ধে অবস্থান করছেন, যেমন মাওলানা ত্বহা সোয়াতি, যিনি রাহবারী শুরার সদস্য হিসেবে এবং হিসাব-নিরীক্ষণ কমিশনের সদস্য হিসেবে সম্মুখযুদ্ধের তদারকিতে নিয়োজিত আছেন। রাহবারী শুরার আরেক সদস্য কমান্ডার বিলাল ফারুকী, যিনি অঞ্চলের গোয়েন্দা প্রধান এবং অর্থনৈতিক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, বর্তমানে যুদ্ধে মুজাহিদদের তদারকি করছেন। পাকিস্তান সরকার এই সত্য জানে না? অথবা পাকিস্তান সরকার কি ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলামি ইমারাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার কাজটিকে নিজের ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে পালন করে?

চতুর্থ প্রশ্ন:
মাওলানা ফজলুর রহমান সাহেব এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা বারবার এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের যোদ্ধারা এত বিপুল সংখ্যায় উপজাতীয় অঞ্চলে উপস্থিত আছেন যে, রাতের বেলায় বাজার, চৌকো চত্ত্বর এবং সড়কগুলিতে তালিবানের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় এবং সরকারের কর্তৃত্ব বলে কিছুই আর অবশিষ্ট থাকে না। সম্প্রতি টিটিপির কর্মীরা খাইবার এজেন্সি, বারা,

Almirsad Bangla

17 Nov, 12:54


ইসলামী ইমারতের অগ্রগতির পথে বৈশ্বিক অপশক্তি কতৃক সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা
✍🏻 সাইদ আল ফাতিহ

বর্তমান বিশ্বে এখন অবধি মার্কিন আধিপত্য বজায় রয়েছে। কিন্তু আফগানে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই তাদের আধিপত্য ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, কেননা বৈশ্বিক আধিপত্য নির্ভর করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক অপরাজেয়তার উপরে।

ইসলামী ইমারতে আফগানিস্তান কখনোই আগ্রাসী বৈশ্বিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা, শোষণমূলক অর্থনৈতিক নীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের বশ্যতা স্বীকার করেনি।

বিভিন্ন বৈশ্বিক রাজনৈতিক বলয় সমূহ ও মার্কিন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাড়ানোর চেষ্টা করছে। যেমন– ব্রিকস, ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ইত্যাদি। তারা নিজস্ব অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন এবং আমেরিকাকে কর্তৃত্বের আসন চ্যুত করার চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছে।

বিগত বিশ বছর যাবত আমেরিকা এবং বৈশ্বিক শক্তি সমূহ এজন্য আতংকিত ছিল যে, হয়তো এমন একটি রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হবে যা তাদের এজেন্ডা নস্যাৎ করে দিবে এবং মুসলিমদের একত্রিত করবে।

আর অবশেষে সেই রাষ্ট্রের অভ্যুত্থান হলো এবং মুসলিমরাও একত্রিত হতে আরম্ভ করলো। ফলশ্রুতিতে আমেরিকার সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র বৈশ্বিক শক্তি সমূহ আতঙ্কিত হয়ে গেল এবং তারা সর্ব উপায়ে সেই রাষ্ট্রের উপরে চাপ প্রয়োগ করা আরম্ভ করল। কেউ কেউ গোয়েন্দা বাহিনী সমূহের প্রক্সি/পাপেট আইএসকে পুনরুজ্জীবিত করেছিল আর্থিক এবং সাংগঠনিক সাহায্য প্রদানের মাধ্যমে। আর কেউ কেউ পূর্ববর্তী সরকারের আমেরিকান দোসরদের ন্যাশনাল রেজিস্টান্স ফ্রন্টের ব্যানারে পুনর্বাসিত করতেছিল। আর অন্যরা (ইমারাতের আন্তর্জাতিক) স্বীকৃতি লাভের বিষয়টি পুজি করে বিভিন্ন উপায়ে চাপ প্রদান করা আরম্ভ করে।

বিগত তিন বছর যাবত ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তান এইসকল চ্যালেঞ্জ এবং সংকটের মোকাবিলা করেছে। বিশেষ করে নিম্নে প্রদত্ত সমস্যা সমূহ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সমাধান করেছে।

১. বৈশ্বিক শক্তি সমূহ কতৃক ওয়েস্টার্ন ইন্টেলিজেন্সের পাপেট গ্রুপটি যারা পরিচিত দাঈশ নামে, তাদের আফগানে সক্রিয় করার প্রচেষ্টা সফলতার সহিত নস্যাৎ করা হয়েছে। বিগত তিন বছরে ইসলামি ইমারতের বীর মুজাহিদদের হাতে আইএসের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দের মৃত্য আইএসকে এই অঞ্চলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে।

২. পূর্বের গোলাম সরকারের পলাতক যেসব কর্মকর্তা বিদেশিদের মদদে পুনরায় যুদ্ধ আরম্ভ করার পায়তারা করছিল, তাদের প্রতিরোধ করা হয়েছে। বিশ্বের সম্মুখে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে এবং তরুন-যুবারা যেন তাদের প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের কবলে পতিত না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

৩. বৈশ্বিক অপশক্তি সমূহ কামনা করেছিল, ব্যবসায়ীদের পলায়নের মাধ্যমে যেন আফগান অর্থনীতি ধ্বসে যায় কিন্তু তাদের আশা নিরাশায় রুপান্তরিত হয়েছে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসার পর উপরন্তু আফগানে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীগণ আগমন করেছেন।

৪. যেসকল উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ দেশত্যাগ করেছিলেন তারা উত্তমরুপে দেশে ফিরে এসেছেন, জাতির সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে।

উল্লেখিত বিষয় গুলো ব্যতীত আইইএ আরো অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছে কিন্তু বিগত তিন বছরে আইইএ উল্লিখিত সমস্যা গুলো মোটাদাগে চিহ্নিত করে সমাধান করেছে এবং একটি ইসলামি ইমারত প্রতিষ্ঠার পথে অন্তরায় হওয়া সব বাধার পাহাড় চূর্ণ করে চলেছে। সমস্ত প্রসংশা মহান আল্লাহ তায়ালার।
https://almirsadbd.com/i-e-er-agr-er-pth-e-b-o-k-sr-pr/?amp=1

Almirsad Bangla

15 Nov, 10:35


উপসংহারে ইসলামী ইমারাত অতীত থেকে অনেক কিছু শিখেছে, তার ভারসাম্যপূর্ণ নীতি, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং সংলাপের ক্ষমতা তার বিরোধীদের সকল কৌশলকে নস্যাৎ করেছে। উল্টো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার যুদ্ধনীতির কারণে নিজেকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। ট্রাম্প/ইউএসএ নিজেদেরকে ঘূর্ণিঝড় আর তপ্ত লাভার মধ্যস্থানে আবিষ্কার করেছে। এমন একটি দুর্দশা যা তাদের পতনের চূড়ান্ত পরিণতি হতে পারে।
https://almirsadbd.com/trump-gh-t-l-r-msth/?amp=1

Almirsad Bangla

15 Nov, 10:35


ট্রাম্প: ঘূর্ণিঝড় আর তপ্ত লাভার মধ্যস্থানে
✍🏻 আহমাদ মানসূর

ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করেছে এমন এক সময়ে যখন যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। এবার বিশ্বের নয় বরং আমেরিকার উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত এজন্য যে— আমরা কী করতে যাচ্ছি? যেহেতু তারা প্রাচ্যের সাথে প্রকৃত প্রতিযোগিতায় জড়িত।

বিশদ আলোচনায় ঢোকার আগে সাম্প্রতিক মার্কিন নির্বাচন পর্যালোচনা করা যাক। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, বিশ্বে জনপ্রিয় নির্বাচনগুলি কেবল লোক দেখানোর জন্য অনুষ্ঠিত হয়। উন্নত সকল দেশ গণতন্ত্রের প্রতি তাদের নিবেদন প্রদর্শনের জন্য গণমাধ্যম ও মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমকে গুরুত্ব সহকারে নেয় এটা দেখাতে যে, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং জনগণের পছন্দের সরকার ব্যবস্থাকেই প্রয়োগ করা হয়েছে।

যদিও প্রেসিডেন্ট আগ থেকেই নির্বাচিত থাকে, কিন্তু জনগণের চোখে ধুলো দেয়ার জন্যই শুধুমাত্র এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়। সাম্প্রতিক মার্কিন নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে, যারা নিজেদেরকে নারীবাদের উস্তাদ দাবি করে এবং পুরুষ ও নারীর মধ্যে সমতার জিগির তোলে খোদ তাদের কর্মকাণ্ডেই নারীর প্রতি বৈষম্য ফুটে উঠেছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রার্থী কামালা হ্যারিস কেন বিজয়ী হলো না? যেহেতু অতীত ইতিহাস জুড়ে পুরুষ প্রেসিডেন্টদের আধিপত্য ছিল, তাই এখন একজন মহিলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া উচিত ছিল। বেশিরভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শাসনে নারীরা যোগ্য নয়। অর্থাৎ নারীদের সেই অবস্থান সম্পর্কে তারা বিশ্বাসী নয় যা তারা মিডিয়ায় সময়ে সময়ে বিবৃতির মাধ্যমে প্রচার করে।

আচ্ছা, এবার প্রসঙ্গে আসি। কীভাবে ঘূর্ণিঝড় আর তপ্ত লাভার মধ্যস্থানে আটকে গিয়েছে ট্রাম্প? নির্বাচনে জয়ের আগে এবং পরে ট্রাম্প এমন বিবৃতি দিয়েছে যে, পদক্ষেপ এবং নীরবতা উভয়টির জন্যই তাকে চরম মূল্য দিতে হবে। যেমন ফিলিস্তিন, লেবানন ও ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান এবং বাগরাম পুনর্দখল।

ট্রাম্প যদি মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের অবসান ঘটাতে চেষ্টা করে তাহলে এটা স্পষ্ট যে, সেখানে বল প্রয়োগে অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তাই সে শান্তিপূর্ণ উপায়ে যুদ্ধ শেষ করার চেষ্টা করছে। এটা খুব কঠিন হবে কারণ হামাস তার দাবি ছাড়তে প্রস্তুত নয়, একইভাবে নেতানিয়াহুও হামাসের দাবি মেনে নেয়াকে নিজের পরাজয় বলে মনে করবে।

অন্যদিকে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার ইস্যুটি ফিলিস্তিন ইস্যু থেকে কোনো অংশে কম নয়। রাশিয়া কোনো অর্থেই ইউক্রেন থেকে সরে আসতে প্রস্তুত নয়, কারণ রাশিয়া ইউক্রেন থেকে সরে গেলে সেই অঞ্চলে তার প্রভাব শেষ হয়ে যাবে। আবার ইউক্রেনও তার প্রতিরক্ষা মর্যাদা হারাতে চাইবে না। তবে হ্যাঁ, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধ বন্ধ করার একটি উপায় আছে, তা হলো যদি মার্কিন ইউক্রেনকে সমস্ত সহায়তা বন্ধ করে দেয়।

সংক্ষেপে উপরের সমস্যা দুটো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত জটিল, এর একটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ হলে অন্যটিতে ব্যর্থ হওয়া নিশ্চিত।

বাগরাম দখলের দাবি:
এই বিষয়টি পর্যালোচনা করার আগে একটা বিষয় আমাদের লক্ষ্য করতে হবে, তা হলো ইসলামী ইমারাত সামরিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অতীতের তুলনায় আরও শক্তিশালী এবং সংগঠিতভাবে প্রবেশ করেছে। ইমারাত সমগ্র বিশ্বকে বুঝিয়েছে যে, উন্নয়ন ও সফলতা নির্ভর করে বিশ্বের সাথে ভালো সম্পর্ক এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক নীতির উপর। যাইহোক, ট্রাম্প তার প্রচারণার সময় যেসব দাবি ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাইলে তাকে অবশ্যই দু’টি প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হবে।

১. এটি হবে দোহা চুক্তি লঙ্ঘন, যা শুধু বিশ্বে আমেরিকার অবস্থানকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না বরং এই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে যে আমেরিকা বিশ্বস্ত নয়।
২. এতে করে ট্রাম্প প্রাচ্য ব্লককে শক্তিশালী করবে।

আফগানিস্তানের গণতান্ত্রিক শরণার্থীরা বলছে যে, ট্রাম্প তার দাবি বাস্তবায়নের জন্য মাসে ৪০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য আটকে রাখতে পারে এবং যদি সে তা-ই করে, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ এই সাহায্য যদি আফগান জনগণের জন্য হয়, এবং যদি তা বন্ধ করা হয়, তাহলে আমেরিকার মানবাধিকার প্রদর্শন নিয়ে বিশ্বের যে সন্দেহ-সংশয় রয়েছে তা বৈধ প্রমাণিত হবে, পাশাপাশি আমেরিকার মানবিক ঘোষণাগুলিও যে নিছক প্রতীকী, সেটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে।

এই পলাতকদের মতে, যদি উল্লিখিত সাহায্য তালেবানের কাছে যায়, তখন আমেরিকান সরকার তার নিজের জনগণের কাছ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে। কিন্তু বাস্তবে তারা উল্লিখিত সাহায্য বন্ধ করলে যেমনটা এই বিষয়ে বিরোধীরা ধারণা করে, ইসলামী ইমারাতের উপর তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না ইনশাআল্লাহ। হ্যাঁ, এই সিদ্ধান্তে আমেরিকা তার বিরোধী ব্লক বাড়াবে।

Almirsad Bangla

13 Nov, 16:00


আইএসআইএসের ব্যর্থ প্রচেষ্টা এবং ইসলামী ইমারাতের সফল শৃঙ্খলা
✍🏻 ড. হামিদ

এটা স্পষ্ট যে, আল্লাহ তাআলা সবসময় নেক ও সৎ লোকদেরই বিজয় দান করেন। বিশেষ করে তাদের, যারা আল্লাহর শরীয়ত ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রজ্ঞাময় নববী পদ্ধতি বাস্তবায়ন করেন।

আইএসআইএস, যারা আল্লাহর এই পবিত্র দীন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নববী কর্মপন্থা বিরোধী। তারা চায় না যে পৃথিবীতে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হোক। তাদের উদ্দেশ্য সবসময় ইসলামী শৃঙ্খলা ও মুসলিম উম্মাহর উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করা, তাদের ক্ষতি করা এবং অগ্রগতিতে বাধা দেয়া।

ইসলামী ইমারাতের ক্ষমতায়নের পূর্বে গণতান্ত্রিক শাসনের দাসত্বের যুগে আইএসআইএস তাদের বর্বরতার চরম শিখরে পৌঁছেছিল। তারা মানুষের সম্পদ জোরপূর্বক লুট করতো; দেশের বহু অঞ্চলে নিরীহ মানুষ, নারী, শিশু ও তরুণদের হত্যা করতো এবং প্রতিটি শয়তানি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো। আর এসব কাজে গণতান্ত্রিক প্রশাসন ও মার্কিন বাহিনীর প্রকাশ্য সমর্থন ছিল।

কিন্তু ইসলামী ইমারাতের প্রতিষ্ঠার সাথে সাথেই আইএসআইএসের বর্বরতার অবসান ঘটে এবং তাদের ইসলামী শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে জাতিকে অন্ধকার ও অজ্ঞতার গহ্বরে ঠেলে দেবার আশা ধূলিসাৎ হয়ে যায়। ইসলামী ইমারাতের সফল প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও কৌশলের কারণে যালিমরা বারংবার পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে। তারা মারা যাচ্ছে, ধরা পড়ছে বা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।

আইএসআইএস দীনের ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়, আর না আঞ্চলিক বা জাতিগত ভিত্তে। এজন্যই এর সদস্যরা বিভিন্ন প্রান্তের, অচেনা ও আশ্রয়হীন মানুষ। নানান দেশ থেকে বহু অঞ্চলের দুষ্টু প্রকৃতির লোকদের আইএসআইএসের অপরাধী দলে ভিড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

ইসলামী ইমারাতের বাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানে বিপুল সংখ্যক বিদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ ও স্বার্থের নামে তাদেরকে প্রলুব্ধ করা হয়। তাদেরকে পার্শ্ববর্তী দেশে প্রশিক্ষণ দিয়ে আফগানিস্তানে সন্ত্রাস, অপরাধ ও নিরীহ মানুষ হত্যার কাজে প্রেরণ করা হয়।

তবে যতদিন ইসলামী ইমারাতের এই সাহসী সৈনিকরা বিদ্যমান থাকবে, ততদিন আইএসআইএস এবং শয়তানের দল তাদের লক্ষ্য অর্জনে কখনো সফল হবে না। তারা তাদের বিরুদ্ধে আবাবিলের ন্যায় ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং তাদের ধ্বংস করবে, ইনশাআল্লাহ।
https://almirsadbd.com/d-er-b-pr-i-e-s-sh/?amp=1

Almirsad Bangla

10 Nov, 21:07


উমার ইবন আবদুল আযীয রহ. বললেন, “তাহলে কী এমন বিপর্যয় এলো যে, তোমার দল হযরত আবু বকর এবং উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা উভয়কে ভালোবাসে এবং তুমিও তাদের উভয়কে ভালোবাসো, অথচ তাদের পদ্ধতিতে স্পষ্ট পার্থক্য ছিল?
বসরাবাসীরা কুফাবাসীকে ভালোবাসলেও তাদের ধরন ও আচার-আচরণে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। কুফাবাসী এবং বসরাবাসী উভয়কে কিভাবে ভালবাসতে পারবে, যখন এই দুই দলের জীবন-যাপন পদ্ধতি, আচার-আচরণে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে? সুতরাং তোমাদের কর্মের মধ্যে বৈপরীত্য রয়েছে।
তোমাদের মতে, আমার পরিবারের সাথে বারাআত ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই? পাপীকে লনত দেয়ার পদ্ধতি যদি এমনই হয়, তাহলে খারেজিদের প্রতিনিধি! বলো তো, ফেরাউন ও হামানকে কবে এবং কত দিন অভিশাপ দিয়েছো?”
আসিম বললেন, “জানি না!”

উমর ইবন আবদুল আযীয রহ. বললেন, “এটা সত্যিই দুঃখজনক যে, ফেরাউনকে অভিশাপ দেওয়ার সময় তোমার নেই, তবুও তুমি দাবি করছো আমি যেন আমার পরিবারকে অভিশাপ দিই বা আমার পূর্বপুরুষদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। আজ তোমরা তা গ্রহণ করছো যা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং যা তিনি গ্রহণ করেছিলেন, তা তোমরা প্রত্যাখ্যান করছো।
তিনি আরও বললেন, “এটা কি এমন নয় যে, কিছু লোক মূর্তিপূজা পরিত্যাগ করেছে, আল্লাহর একত্ববাদ স্বীকার করেছে, নবুওয়াতের সাক্ষ্য দিয়েছে সুতরাং মুসলিম হয়েছে, অথচ তোমরা তাদের হত্যা করছো, তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছো এবং তাদের জান-মাল হালাল মনে করছো? অথচ তোমরা ইয়াহুদী ও অন্যান্য কাফেরদের কোনো ক্ষতি করো না এবং তাদের সাথে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করো?

এ শুনে খারিজিদের ইথিওপিয়ান প্রতিনিধি আসিম উত্তর দিলেন, “হে উমার, আমি আজ অবধি আপনার যুক্তির চেয়ে সুস্পষ্ট এবং শক্তিশালী যুক্তি দেখিনি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি সত্যের উপর আছেন এবং আমি নিজেকে সেই দলগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করছি যারা আপনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে।”

অন্য প্রতিনিধি শাইবানি বলল, “আমি মুসলিমদের (খাওয়ারিজ) সাথে পরামর্শ না করা পর্যন্ত এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি না শোনা পর্যন্ত আমার মতামত প্রকাশ করব না।”
উমার ইবন আবদুল আযীয জবাব দিলেন, “তাহলে তুমি যেভাবে উপযুক্ত মনে করো তা-ই করো!”

পরবর্তীকালে উমার ইবন আবদুল আযীয ইথিওপিয়ান আসিমকে রাষ্ট্রের মধ্যে একটি পদে নিয়োগ দেন। শইবানি অবশ্য খারিজিদের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রেই নিহত হয়।
https://almirsadbd.com/kh-s-h-u-i-a-a-rh-er-b/?amp=1

Almirsad Bangla

10 Nov, 21:07


খাওয়ারিজদের সঙ্গে হযরত উমার ইবন আবদুল আযীয রহ.–এর বিতর্ক!
✍🏻 ইয়াহইয়া যাহার

উমার ইবন আবদুল আযীয রহ.-এর যুগে শুযাব আল হারুরীর নেতৃত্বে খাওয়ারিজরা আল জাজিরা অঞ্চলে বিদ্রোহ করে। উমার ইবন আবদুল আযীয রহ. তাদের কাছে মুহাম্মাদ ইবন যুবায়ের আল হানযালির মাধ্যমে একটি চিঠি পাঠান।

চিঠিটি পাওয়ার পর খারিজিরা উমার ইবন আবদুল আযীয রহ.-এর সাথে বিতর্কে জড়ানোর জন্য দুইজন দক্ষ ও প্রতিভাবান প্রতিনিধি পাঠায়, একজন ইথিওপিয়ান যার নাম আসিম এবং আরেকজন শাইবানি।

উমার ইবন আবদুল আযীয তাদের জিজ্ঞেস করলেন, “কেন তোমরা মুসলিম খলিফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার সিদ্ধান্ত নিলে?”
তাদের মধ্যকার আসিম নামে একজন উত্তর দিল, “হে উমার! আল্লাহর কসম, আপনার শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই, কারণ আপনি আল্লাহর যমিনে আদল ও ইনসাফ বাস্তবায়ন করেছেন। যাইহোক, আমাদের এবং আপনার মাঝে মতবিরোধের কারণ উল্লেখ করার পর আপনি যদি এটি গ্রহণ করেন, তবে আমরা আপনার সাথে থাকব এবং আপনি আমাদের সাথে থাকবেন। কিন্তু আপনি যদি তা প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক থাকবে না।”

উমার ইবন আব্দুল আযীয রহ. বললেন, “আমাকে বলো! এমন কী বিষয় যা তোমাদেরকে বিদ্রোহ করতে প্ররোচিত করেছিল?”
আসিম বলল, “আমরা দেখেছি যে আপনি আপনার পরিবারের প্রথার বিরোধিতা করেন, তাদের পথ ও প্রথার বিরুদ্ধে যাচ্ছেন এবং তাদের নীতিকে যুলুম হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে আপনি সঠিক পথে আছেন এবং তারা বিপথগামী ছিল, তাহলে প্রকাশ্যে তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করুন এবং তাদের প্রতি লানত দিন। এটিই একমাত্র বিষয় যা আমাদের একত্রিত বা পৃথক করতে পারে।”

উমার ইবন আবদুল আযীয রহ. বললেন, “নিঃসন্দেহে আমি তোমার বক্তব্যের উদ্দেশ্য থেকে এতটুকু বুঝতে পেরেছি যে, তোমরা পার্থিব স্বার্থে বিদ্রোহ বেছে নাওনি, তোমরা আখেরাত কামনা করেছিলে, কিন্তু তোমরা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছো।
তিনি আরও বললেন, “আমি তোমাদেরকে কিছু জিজ্ঞাসা করি; আল্লাহকে উপস্থিত ও সাক্ষী মনে করে তোমার জ্ঞান অনুযায়ী সত্য উত্তর দাও। আবু বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুমা কি তোমাদের পূর্বসূরিদের মধ্যে ছিলেন না? তোমরা কি তাদের ভালোবাসো না? তোমরা কি তাদের সাফল্য ও সমৃদ্ধির সাক্ষ্য দাও না?”
আসিম জবাব দিল, “হ্যাঁ, আবু বকর এবং উমার রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুমা আমাদের নেতাদের মধ্যে ছিলেন এবং আমরা তাদের সত্যতার সাক্ষ্য দিচ্ছি।”

উমার ইবন আবদুল আযীয রহ. জিজ্ঞেস করলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তেকালের পর, যখন অনেক আরব মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল, তখন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু কি তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেননি? তাদের রক্তপাত করেননি? তাদের নারী ও শিশুদের বন্দী করেননি? তাদের সম্পত্তি গনিমত হিসেবে নেননি?”
আসিম উত্তর দিল, “নিঃসন্দেহে তা-ই ঘটেছিল।”

উমার ইবন আবদুল আযীয রহ. বললেন,“তুমি জানো যে, আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর শাহাদাতের পর উমর রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু খলিফা হন এবং তিনি সেই সমস্ত বন্দীদের মুক্তি দেন এবং তাদের গোত্রে ফেরত পাঠান।”
আসিম বলল, “নিঃসন্দেহে এমনটাই হয়েছিল।”

উমার ইবন আবদুল আযীয রহ. বললেন, “তাহলে কি আবু বকর উমারের সাথে কিংবা উমার আবু বকরের সাথে (রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুমা) বারাআত ঘোষণা করেছিলেন?
আসিম বলল, “না!”

উমার ইবন আবদুল আযীয রহ. বললেন, “তোমরা কি তাঁদের কোনো একজনের সাথে বারাআত ঘোষণা করো?
আসিম বলল, “না, মোটেই না!”

উমার ইবন আবদুল আযীয রহ. বললেন, “আচ্ছা বলো তো, নাহরাওয়ানের লোকেরা কি তোমাদের পূর্বপুরুষ নয়? তোমরা কি তাদেরকে ভালোবাসো না এবং তাদের সাফল্যের সাক্ষী দাও না?”
আসিম বলল, “হ্যাঁ, তারা আমাদের পূর্বপুরুষ এবং আমরা তাদের মুক্তির সাক্ষ্য দিচ্ছি।”

উমার ইবন আবদুল আযীয রহ. বললেন, “তোমরা জানো যে, কুফাবাসী যখন নাহরওয়ানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, তখন তারা কারো উপর যুলুম করেনি এবং কোনোকে হত্যা করেনি।”
আসিম বলল, “হ্যাঁ, তাই।”

উমার ইবন আবদুল আযীয রহ. বললেন, “তুমি জানো যে, বসরার লোকেরা যখন নাহরওয়ানের লোকদের পিছনে বাহিনী প্রেরণ করেছিল, তখন তারা অনেক লোকের উপর অত্যাচার করেছিল। এমনকি নবীর একজন সাহাবী আবদুল্লাহ ইবন খাব্বাব রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুকে হত্যা করেছিল, যিনি বনু কুতাইয়ার সদস্য ছিলেন। সেই বাহিনী বহু নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল।”
আসিম বললেন, “নিঃসন্দেহে তা-ই হয়েছিল।”

উমার ইবন আবদুল আযীয রহ. বললেন, “তোমার দল কি এই দুই দলের কোনো দল থেকে বারাআত ঘোষণা করে?
আসিম বললেন, “না, তারা তাদের কারো সাথে বারাআত ঘোষণা করে না।”

উমার ইবন আবদুল আযীয রহ. বললেন, “আচ্ছা বলো, দীন একটি না দুইটি?
আসিম বললেন, “দীন একটিই।”

উমার ইবন আবদুল আযীয আরও প্রশ্ন করলেন, “এই এক ধর্মে কি তোমাদের জন্য এমন কিছু আছে যা আমার জন্য নেই?”
উত্তরে আসিম বললেন, “না।”

Almirsad Bangla

09 Nov, 14:22


গত দু’দিনে দাঈশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযান
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

আল মিরসাদ নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য পেয়েছে যে, গত আটচল্লিশ ঘণ্টায় কাবুলসহ আফগানিস্তানের তিনটি প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনী দাঈশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে, যার ফলে পাঁচজন খারিজি নিহত হয় এবং বিপুলসংখ্যককে গ্রেফতার করা হয়।

সূত্র অনুসারে এই অভিযানগুলি ঘোর, কাবুল এবং কুনার প্রদেশে পরিচালিত হয়েছে এবং অভিযানের লক্ষ্য ছিল দাঈশের সেসব নেটওয়ার্ক— যারা এই বছর নাশকতামূলক কার্যকলাপে জড়িত ছিল।

তথ্য অনুযায়ী ঘোরে আইএসআইএস-খাওয়ারিজের সেই নেটওয়ার্কটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, যারা কয়েক মাস আগে ঘোর ও দাইকুন্ডির মধ্যে একটি হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছিল। এই অভিযানের ফলস্বরূপ দুই দাঈশ জঙ্গি নিহত হয় এবং একজন জীবিত ধরা পড়ে।

একইভাবে গত পরশু রাতে কাবুলে বিশেষ বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত অভিযানে একজন বিদেশীসহ (যার পরিচয় এখনো জানা যায়নি) দুই দাঈশ জঙ্গি নিহত হয়েছে এবং বাকি দুইজনকে জীবিত বন্দী করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী আরেক অভিযানের ফলে কুনারেও এক আইএসআইএস সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

উল্লেখ্য যে সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তান ইসলামী ইমারাতের নিরাপত্তা বাহিনী দেশের কেন্দ্র ও পূর্বাঞ্চলে দাঈশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে (যার নেতৃত্ব বেলুচিস্তানে এই রাষ্ট্রদ্রোহীদের কেন্দ্র থেকে পরিচালিত হচ্ছে) অভিযান জোরদার করেছে। সেখানে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং পরে আফগানিস্তানে পাঠানো হয়। নিরাপত্তা সূত্র আল মিরসাদকে জানিয়েছে যে এই বছর দাঈশ দ্বারা পরিচালিত প্রায় সমস্ত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে তারাই জড়িত, যাদের পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আফগানিস্তানে পাঠানো হয়েছিল।
https://almirsadbd.com/g-2-d-d-s-b-g-o/?amp=1

Almirsad Bangla

07 Nov, 14:15


শীঘ্রই আসছে...
https://x.com/Almirsad_Bangla/status/1854527446089076909?t=RfBgRjci6OPeybDoa8tHZg&s=19

Almirsad Bangla

03 Nov, 13:40


দাঈশের বিরুদ্ধে ইসলামী ইমারাতের সফল যুদ্ধ
✍🏻 ড. আসাদ

এই নিবন্ধে আমরা আইএসআইএস-খাওয়ারিজদের বিরুদ্ধে ইসলামী ইমারাতের সফল সংগ্রাম সম্পর্কে লিখব। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কীভাবে দাঈশ পরাজিত হয়েছে এবং ইসলামী ইমারাতের সাফল্যের রহস্য কী তা ব্যাখ্যা করব।

যেদিন থেকে ইসলামী ইমারাত দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে, সেদিন থেকেই সমগ্র দেশ ইসলামী ইমারাতের নিয়ন্ত্রণাধীন। যখন যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল দখলদার বাহিনী দেশ ত্যাগ করে, গণতন্ত্র নামক প্রশাসনের অবসান ঘটে ইসলামী ব্যবস্থা কার্যকর হয়, ঠিক তখনই আইএসআইএস-খাওয়ারিজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।

দাঈশ প্রাথমিকভাবে কিছু পাবলিক প্লেসে হামলা চালিয়ে বেসামরিক জনগণদের শহীদ ও আহত করে আফগানিস্তানকে আবারও রণক্ষেত্রে পরিণত করতে এবং দেশে তাদের প্রভুদের স্বৈরশাসন বাস্তবায়ন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

যাহোক, ইসলামী ইমারাতের নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্ব ও দৃঢ়তার সাথে এই বিপথগামী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। যে সমস্ত প্রদেশে এই রাষ্ট্রদ্রোহী গোষ্ঠীর উদ্ভব হয়েছিল, সেখানে সেখানে তাদের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিতভাবে অভিযান চালায়। যার ফলস্বরূপ এই দলটিকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

ইসলামী ইমারাতের সফল অভিযানের ফলস্বরূপ প্রধান আইএসআইএস কমান্ডারকে হত্যা করা হয়, তাদের বেশিরভাগ যোদ্ধাকে বন্দী করা হয় এবং কেউ কেউ দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলিতে আশ্রয় নিতে পালিয়ে যায়।

ইসলামী ইমারাতের তিন বছরের সফল অভিযানের ফলে দাঈশ গ্রুপ পরাজিত হয়েছে। এখন আর দলটি দেশে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারছে না। সামরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রেও পরাভবের সম্মুখীন হচ্ছে। আফগান নাগরিকরাও তাদের বাস্তবতা জানতে পেরেছে।

এখন আফগানিস্তানে দাঈশ গোষ্ঠীর কোনো স্থান নেই। তাদের কোনো সহানুভূতিশীলও নেই। তারা দেশের কোনো ছোট অংশ তো দখল করতে পারেই নি উল্টো তারা চরম পতনের মুখে রয়েছে। আমরা নিশ্চিত যে ইসলামী ইমারাতের সংগ্রাম এভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই দেশের এই বিপথগামী খাওয়ারিজ দল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে।
https://almirsadbd.com/isis-e-b-i-i-e-s-z/?amp=1

Almirsad Bangla

02 Nov, 16:50


আইএসআইএস-খাওয়ারিজের সম্পদের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উৎস কী?
✍🏻 ওয়ালিদ উইয়ার

আইএসআইএস-খাওয়ারিজদের সৃষ্টির ইতিহাস এবং মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামী শরীয়াহ, দীনি মূল্যবোধ, মুসলিম নেতা এবং সত্যিকারের ইসলামী ব্যবস্থার সুনামকে কলঙ্কিত করা। তাদের পশ্চিমা প্রভুদের দ্বারা নির্ধারিত প্রতিটি প্রকল্পের জন্য এই লক্ষ্যগুলি স্থির থাকে। কখনো কখনো অঞ্চল, অবস্থা এবং উপলব্ধ সংস্থানের উপর নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়।

তাদের কর্ম ধারাবাহিকভাবে একটি বিচ্যুত পথ অনুসরণ করে, যা আল্লাহর রহমতে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। বিশেষ করে আফগানিস্তানে তাদের সমস্ত অশুভ উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলিকে চূর্ণবিচূর্ণ করা হয়েছে এবং তারা তাদের কর্মের ফল ভোগ করছে।

এর সাম্প্রতিক উদাহরণ হলো ইসলামী ইমারাতের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ঘোর এবং কুনারে তাদের ঘাঁটি ধ্বংস ও উন্মুক্ত করা। আমরা ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি যে দাঈশ তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি। নিম্নে তাদের অর্থায়নের উৎস সম্পর্কে আলোকপাত করা হল:

ক. বিদেশী উৎস
আইএসআইএসের প্রাথমিক তহবিল উৎস হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তাদের স্রষ্টা বা পশ্চিমা সমর্থকদের থেকে অনুদান; বিশেষ করে ক্রুসেডার দেশগুলি। এই তহবিল সরকারী এবং বেসরকারী উভয় চ্যানেল থেকে আসে, পশ্চিমা নীতির অংশ হিসাবে ইসলামী দেশগুলিকে দুর্বল করা এবং ইসলামের অবমাননা করার লক্ষ্যে।

এরজন্য ক্রুসেডেররা সাধারণত ব্ল্যাংক চেক প্রদান করে। যদি নীতিতে পরিবর্তন আসে তাহলে প্রস্তাবিত প্রকল্পের খরচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান এবং যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এবং এজেন্টদের দ্বারা প্রদান করা হয়। দখলের সময় আইএসআইএস তাদের কাছ থেকে সরাসরি সামরিক ও লজিস্টিক সহায়তাও পেয়েছিল, তবে আফগানিস্তানে নিহত খারিজিদের অর্থায়ন ও স্থানান্তরের উৎস এখনো পর্যন্ত তাজিকিস্তান এবং পাকিস্তানে বলে প্রমাণিত হয়েছে।

খ. স্থানীয় সূত্র
আইএসআইএস-খাওয়ারিজরা তাদের পৃষ্ঠপোষকদের পক্ষ থেকে প্রদত্ত তহবিল দিয়ে প্রতারণা, দুর্নীতি এবং ব্যক্তিগত ব্যবসাও করে। তাদের অন্যান্য স্থানীয় উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে:

১. হাইওয়ে ডাকাতি
যদিও আফগানিস্তানে খাওয়ারিজদের পা রাখার মতো জায়গাও নেই। তারা কখনো মাথা তুললে তা ইমারাত নিজ পা দ্বারা পিষ্ট করে ফেলে। কিন্তু ইরাক ও অন্যান্য অঞ্চলে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, দাঈশ সুযোগ পেলেই কোনো না কোনো অজুহাতে মহাসড়ক দখল করে যাত্রীদের অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেছে।

২. ঐতিহাসিক নিদর্শন চুরি
অনেক ইসলামী দেশে উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঐতিহ্য রয়েছে। আইএসআইএস-খাওয়ারিজরা বারবার গোপনে বা প্রকাশ্যে এই নিদর্শনগুলি চুরি করেছে। অর্থায়নের উদ্দেশ্যে তাদের প্রভুদের কাছে বা কালোবাজারে বিক্রি করেছে।

৩. অপহরণ ও মানব পাচার
আইএসআইএস-খাওয়ারিজদের জন্য অপহরণ একটি স্বাভাবিক কর্ম। তারা শিশু, নারী এবং বৃদ্ধদেরও ছাড় দেয়নি। অপহরণ করে তাদের পরিবারের কাছ থেকে বড় মুক্তিপণ দাবি করেছে এবং প্রায়ই মুক্তিপণ পাওয়ার পরেও জিম্মিদের হত্যা করেছে। তারা জোরপূর্বক শিশুদেরকেও তাদের ঘৃণ্য অপরাধে নিয়োগ করে।

৪. চাঁদাবাজি
বিভিন্ন সময়ে আইএসআইএস-খাওয়ারিজ ধনী ব্যক্তি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছে। আর যারা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তাদেরকে কারারুদ্ধ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে, তারপর হয় তাদের হত্যা করা হয়েছে বা গুম করা হয়েছে।

৫. সশস্ত্র ডাকাতি
সশস্ত্র ডাকাতি হলো আইএসআইএস-খাওয়ারিজদের একটি নিত্যনৈমিত্তিক রুটিন। বাড়ি, দোকান বা কর্মস্থল যেখানেই তারা টাকা দেখতে পায়, তারা তাদের ভাড়াটে ঘাতকদের ব্যবহার করে সেখান থেকে টাকা চুরি করে আস্তানায় নিয়ে যায়।

৬. খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন
খনিজ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ— যা আইন অনুসারে বাইতুল মালে সংরক্ষিত জনসাধারণের সম্পত্তি অর্থাৎ জাতীয় সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হয়। প্রায়শই আইএসআইএস দ্বারা অভিযান চালিয়ে সেগুলো লুটপাট ও কালোবাজারে বিক্রি করা হতো।

৭. “গনিমত” হিসেবে জনসম্পদ লুণ্ঠন
আইএসআইএস তাদের অবৈধভাবে দখলকৃত গ্রাম, অঞ্চল এবং এলাকা লুণ্ঠনকে পবিত্র সংগ্রাম বলে আখ্যায়িত করে। অতীতে তারা লোকেদের বাড়িঘর, কর্মক্ষেত্র এবং পকেট থেকে অর্থ এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে সেগুলোকে “গনিমত” হিসাবে উল্লেখ করেছে। অন্য মুসলিমদের সম্পদ তাদের জন্য হালাল বলে ঘোষণা করেছে।
https://almirsadbd.com/isis-kh-s-o-b-u-k/?amp=1

Almirsad Bangla

31 Oct, 16:24


আইএসআইএস জঙ্গিরা কোত্থেকে আসে?
✍🏻 উযাইর আযম

আইএসআইএস খাওয়ারিজ তাদের ঘৃণ্য লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেকোনো কাজ করতে পারে। তাদের নেতা এবং তথাকথিত অনুসারীদের একে অপরের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই কারণ এটি তাদের আসল জঘন্য চেহারা প্রকাশ করে দিবে।

তাদের বিরুদ্ধে ইসলামী ইমারাতের নিরাপত্তা বাহিনীর সংগ্রামের সময় তারা কীভাবে তাদের যোদ্ধা ও ভাড়াটে লোকদের নিয়োগ ও বাধ্য করেছে তা প্রমাণিত হয়েছে।

নিম্নে যোদ্ধা নিয়োগের জন্য আইএসআইএসের দ্বারা ব্যবহৃত কিছু পদ্ধতি সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো:

১. শিশু এবং কিশোর:
কেবল শরীয়াহ আইনেই নয়, সেকুলার আইনেও যুদ্ধ ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য শিশুদের নিয়োগ বৈধ নয়। আইএসআইএস-খাওয়ারিজ কিছু এলাকা ও গ্রামে অভিযানের সময় বারবার শিশু ও কিশোরদের তাদের পরিবার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের কাজ এবং যুদ্ধের জন্য তাদের গোলাম এবং গনিমত হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকে শিশুদের বাবা-মাকে বারবার হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের সন্তানদের আইএসআইএসের হাতে তুলে দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

২. অর্থের লোভ দেখিয়ে ব্যক্তি নিয়োগ:
আইএসআইএস বেকার, নিঃস্ব যুবক এবং পরিবারের থেকেও ফায়দা লুটেছে। তাদের উচ্চ বেতনের কথা বলা হয়েছে যা আনুমানিক মাসিক ৫০০-১০০০ ডলার। ডলারে বেতন দেয়া তাদের প্রভুদের ফাঁস করার একটি স্পষ্ট যুক্তি।

৩. পবিত্র জিহাদের নামে প্রতারণা:
খারেজীরা তাদের সংগ্রামকে ধর্মীয় পবিত্র সংগ্রাম হিসাবে দেখে। তারা তাদের ভাড়াটেদেরকে জান্নাত, রূহানী ফযিলত এবং অন্যান্য গুণাবলীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। যদিও তা সম্পূর্ণ মিথ্যা; প্রকৃতপক্ষে এই লোকেরা ইসলাম ধর্মকে বিকৃত ও অপমান করার জন্য লড়াই করে, যাদের আবাস অবশ্যই জাহান্নাম।

৪. অপহৃত শ্রমিক:
মুক্তিপণ এবং অর্থ প্রদান না করার পরে অপহরণকারী এবং বন্দীদের ঋণ এবং মুক্তিপণ পরিশোধের জন্য তাদের দলে নিয়োগ করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে সামরিক ও অন্যান্য পরিষেবা আদায় করা হয়, যার মধ্যে শিশু ও যুবক রয়েছে। তাদের এবং তাদের আত্মীয়দের হত্যার হুমকি দেয়া হতো, ফলে তারা তাদের সাথে যুদ্ধ এবং অন্যান্য কাজে যেতে বাধ্য হতো।

৫. ক্ষমতার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে প্রতারণা:
খাওয়ারিজরা বিশ্বাস একদিন তারা এক বিশাল এবং বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে একটি সরকার এবং তথাকথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবে। তাই তারা তাদের ভাড়াটে সৈন্যদের বাচ্চাসুলভ সান্ত্বনা দেয় যে, খিলাফত প্রতিষ্ঠার পর তারা সম্মান ও পদের মালিক হবে এবং সরকারী সুযোগ-সুবিধা পাবে। আসলে তাদের এই স্বপ্ন বামন হয়ে চাঁদে হাত বাড়ানোর মতোই, পৃথিবীর উপরিভাগের কোনো অংশও এখন আর তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।

৬. ত্রাস:
ভীতি ও আতঙ্ক ছড়ানোর মাধ্যমে দাঈশ খাওয়ারিজের আসল চেহারা পরিষ্কার হয়ে যায়। যদি আপনি অতীতের কথা বিবেচনা করেন— তারা তাদের যোদ্ধাদের, যারা যুদ্ধে পরাজিত ও পশ্চাদপসরণ করেছিল তাদের নিজ হাতে হত্যা করেছে অথবা গুম করেছে। তাদের ভাড়াটে গুণ্ডারা যারা তাদের জঘন্য চেহারা দেখে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাদেরকেও এই ধরনের হুমকি দিয়েছে।

এসব কর্মকাণ্ড বিচার করার মাধ্যমে দ্বীনের শত্রু খাওয়ারিজদের কুৎসিত চেহারা জনগণকে চিনতে হবে। তাদের উন্মোচন ও চিহ্নিতকরণে ইসলামী ইমারাতকে সহযোগিতা করে ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে।
https://almirsadbd.com/isis-j-k-a/?amp=1

Almirsad Bangla

30 Oct, 16:19


আইএস একটি মহামারির নাম
[ত্রয়োদশ পর্ব]
✍🏻 আবু হাজার আল কুর্দি

“হাজর আল আসওয়াদ” অঞ্চলে আইএসআইএসের আক্রমণ এবং আধিপত্য:

যখনই আইএসআইএসের নাম নেয়া হয়, এই গোষ্ঠীর অপরাধ ও বিশ্বাসঘাতকতা প্রতিটি মুসলিমের অন্তরে ঘা সৃষ্টি করে। তারা বিশ্বাস করে যে, আইএসআইএসের বিষাক্ত ছোরা অধিকাংশই সুন্নি জনগণের দেহ-মনকে ক্ষতবিক্ষত করেছে।

সিরিয়ায় মুজাহিদীনদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশাল এলাকাগুলো নাসিরি বাহিনীকে পুনরায় দখল করতে আইএসআইএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এভাবেই আইএসআইএস ভিত্তিহীন অজুহাত দিয়ে মুজাহিদীনদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সুন্নি এলাকাগুলোয় আক্রমণ করে দখল করে কিছুদিন পর তা তারা বাশার আল আসাদের বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে দেয়।

শত শত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান যা পূর্বে মুজাহিদীনদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, আইএসআইএস সেগুলো দখলে নিয়ে কিছুদিন পর তারা সেখান থেকে চলে যায়; ফলে সেই এলাকাগুলো ইরান ও নাসিরি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তন্মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হলো— দামেস্কের দক্ষিণ প্রান্তে এবং ইয়ারমুক ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত “হাজর আল আসওয়াদ”, যেটি ২০১৫ সালে আইএসআইএসের দখলে আসে। বাগদাদি বিদ্রোহীদের দ্বারা হাজর আল আসওয়াদ দখলের বিষয়ে লেখার আগে আমি এই এলাকাটির কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে নিম্নে কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখ করছি:

১. দামেস্কের নিকটবর্তী হওয়া:
হাজর আল আসওয়াদ দামেস্কের দক্ষিণে এবং সিরিয়ার রাজধানীর নিকটবর্তী অবস্থিত হওয়ার কারণে এই এলাকাটি সরকারের বিরুদ্ধে মুজাহিদীনদের অপারেশনের একটি প্রধান ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ দামেস্ক এবং এর আশেপাশের মুজাহিদীনদের আক্রমণ এবং সামরিক অভিযানকে সহজতর করেছিল। যা সিরিয়া সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

২. ইয়ারমুক ক্যাম্পের সাথে সীমান্ত:
হাজর আল আসওয়াদ ইয়ারমুক ক্যাম্পের কাছে অবস্থিত, যেটিকে সিরিয়ার সবচেয়ে বড় ফিলিস্তিনি শিবির হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ইয়ারমুক ক্যাম্প রাজনৈতিক, মানবসম্পদ এবং সামাজিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হওয়ায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

মুজাহিদীনদের ইয়ারমুক ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার করতে এবং জায়গাটিকে বাহিনী সরবরাহের উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে সক্ষম করে হাজর আল আসওয়াদ এলাকার নিয়ন্ত্রণ।

৩. রিসোর্স ডেলিভারি এবং সাপোর্ট চ্যানেল:
এলাকাটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ সরবরাহ রুট বরাবর অবস্থিত হওয়ায় মুজাহিদীনরা অস্ত্র ও সম্পদ সরবরাহ করতে এটি ব্যবহার করতেন। হাজর আল আসওয়াদ দক্ষিণ থেকে কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বাহিনী ও সম্পদ স্থানান্তরের জন্য একটি আদর্শ এলাকা ছিল।

৪. মুজাহিদীনদের আশ্রয়স্থল:
বিভিন্ন জিহাদি এলাকা থেকে আগত আহত সিরিয়ান মুজাহিদীনদের জন্য হাজর আল আসওয়াদ একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল। অন্যান্য এলাকায় অসুবিধা ও সমস্যার সম্মুখীন হওয়া জিহাদি গোষ্ঠীগুলিও এই এলাকাতে ফিরে আসতো। যাতে তারা এখানে তাদের বাহিনীকে রসদ সরবরাহ করে পুনরায় ময়দানে পাঠাতে পারে।

৫. পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রভাব:
হাজর আল আসওয়াদের নিয়ন্ত্রণ লাভের ফলে সুন্নি গোষ্ঠীগুলোর দামেস্কের দক্ষিণের আশেপাশের এলাকা এবং গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করার সু্যোগ হয়েছিল। দামেস্ক এবং অন্যান্য অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিকে প্রভাবিত করার জন্য এই অঞ্চলটি একটি সামরিক ও সরবরাহ কেন্দ্র হিসাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

চলবে ইনশাআল্লাহ...
https://almirsadbd.com/isis-ekti-mohamarir-naam-13th-2/?amp=1

Almirsad Bangla

29 Oct, 17:21


আইএস একটি মহামারির নাম
[দ্বাদশ পর্ব]
✍🏻 আবু হাজার আল কুর্দি

ইয়ারমুক ক্যাম্পে আইএসআইএসের প্রভাব এবং সুন্নি মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে তাদের কুকীর্তি

এই সিরিজের শুরুতেই আমি উল্লেখ করেছি যে, দাঈশ সুন্নি মুসলিম ও মুজাহিদীনদের জন্য একটি মহামারি ছাড়া আর কিছুই নয়; যেখানেই মুজাহিদীনরা ক্ষমতায় থাকতেন, সেখানেই এই অশুভ কীট আবির্ভূত হয়ে ইসলামের যুবকদের উপর আক্রমণ করত।

আইএসআইএসের দখলে থাকা জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ইয়ারমুক ক্যাম্প।

ইয়ারমুক ক্যাম্পটি সিরিয়ার রাজধানী এবং বাশার আল আসাদের প্রাসাদ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যেটি মুজাহিদীনরা খুব অল্প সময়ে জয় করেছিলেন। এ কারণেই আইএসআইএস এই জায়গাটি দখল করার চিন্তা করেছিল যাতে বাশার আল আসাদ সরকার শান্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে এবং নিকটে অবস্থানরত মুজাহিদীনদের হুমকি থেকে মুক্ত থাকতে পারে।

২০১৫–এর শুরুতে ইয়ারমুক ক্যাম্পে আইএসআইএসের প্রবেশকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের একটি সংবেদনশীল এবং জটিল কারণ বলে মনে করা হয়। ইয়ারমুক ক্যাম্প— যা ১৯৫০–এর দশকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের থাকার জন্য নির্মিত হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে গৃহযুদ্ধের শুরুর দিকে এটি সিরিয়ার সবচেয়ে বড় ফিলিস্তিনি বসতিতে পরিণত হয় পাশাপাশি এটি পারস্পরিক দ্বন্দ্বের একটি প্রধান কারণ হয়ে ওঠে।

আইএসআইএসের উপস্থিতির পূর্বে ইয়ারমুক ক্যাম্পের অবস্থা:
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলে ইয়ারমুক ক্যাম্প দামেস্ক শহরের নিকটবর্তী এবং জনসংখ্যায় অধিক হওয়ার কারণে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর জন্য একটি কৌশলগত এলাকা হয়ে ওঠে।

প্রথমে আসাদ বিরোধী গোষ্ঠীগুলো যেমন “ফ্রি সিরিয়ান আর্মি” এবং পরে “জাবাহাতুন নুসরাহ” ক্যাম্পের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।

সেই সময়কালে ক্যাম্পটি সিরিয়ার সরকারী বাহিনী দ্বারা ব্যাপকভাবে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল, ইয়ারমুকবাসীর জীবনকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলেছিল। বাসিন্দাদের খাদ্য, চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছিল।

ইয়ারমুকে আইএসের প্রবেশ:
২০১৫ সালের এপ্রিলে ফিলিস্তিনি জিহাদি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে আন্তঃসংঘাতের সুযোগ নিয়ে আইএসআইএস ক্যাম্পে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়।

কিছু সূত্র দাবি করে যে, আইএসআইএস ইয়ারমুকে “আকনাফে বাইতুল মাকদিস” (হামাসের সাথে সম্পৃক্ত একটি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী যেটি সিরিয়া সরকার বিরোধী) গ্রুপের যোগসাজশে প্রবেশ করেছিল; কিন্তু এই দাবি সত্য ছিল না কারণ পরবর্তীতেই তারা একে অপরের সাথে যুদ্ধ শুরু করে।

ইয়ারমুকে দাঈশের প্রবেশের সফলতা বিভিন্ন জিহাদি গোষ্ঠীর সাথে প্রতারণা এবং বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল।

ইয়ারমুকে আইএসআইএসের লক্ষ্যবস্তু:

১. কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ:
ইয়ারমুক ক্যাম্পটি দামেস্কের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এলাকাটি আইএসআইএস দখল করতে চেয়েছিল যাতে সিরিয়ার রাজধানীর চারপাশে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার পাশাপাশি বাশার আল আসাদ সরকারকে নিরাপত্তা দিতে পারে।

২. নতুন লোক নিয়োগ এবং মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে তাদের ব্যবহার:
আইএসআইএস তরুণদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছিল যাতে তারা জিহাদি দলগুলিতে যোগ না দেয় এবং জিহাদি দলগুলিকে দুর্বল করে দেয়। এই কারণেই সরকারী বাহিনী সেই দিনগুলিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ ছিল।

৩. অন্যান্য জিহাদি দলের সাথে প্রতিযোগিতা:
তখন ইয়ারমুকে সিরিয়া সরকারের বিরোধী বেশ কয়েকটি দল ছিল, যার মধ্যে জাবাহাতুন নুসরাহ ছিল অন্যতম; ইয়ারমুকে প্রবেশ করে দাঈশ কেবল নতুন অঞ্চল দখলের চেষ্টাই করেনি বরং অন্যান্য ইসলামপন্থী এবং সশস্ত্র জিহাদি গোষ্ঠীর উপর তার শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টাও করেছে।

যদিও মুজাহিদীনদের প্রতি হাজারো অত্যাচার ও নৃশংসতা করার পর আইএসআইএস ক্যাম্পের বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়; কিন্তু তারা কখনো বাশার আল আসাদের বাহিনীর ওপর একটি গুলিও চালায়নি। দাঈশের প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা সবসময় মুজাহিদীনদেরকেই টার্গেট করেছে।

৪. মানবিক সংকটের সুযোগ নেওয়া:
আইএসআইএস মূলত সঙ্কট পরিস্থিতির সুযোগ নেয় ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ পেতে। যেমন অবরোধ এবং দুর্ভিক্ষ; ইয়ারমুকে সরকারী বাহিনীর দীর্ঘ অবরোধ এবং অচলাবস্থা আইএসআইএসকে একটি শক্তিশালী এবং সম্ভাব্য ত্রাণকর্তা হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল।

প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল:
ইয়ারমুকে আইএসআইএসের প্রবেশ ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও ভীতি ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিল। আইএসআইএস দ্রুত ক্যাম্পের বড় একটি অংশ দখল করে নেয় এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং জাবাহাতুন নুসরাহর সাথে ভয়ানক যুদ্ধে লিপ্ত হয়। সরকারি বাহিনীর ব্যাপক অবরোধ সত্ত্বেও আইএসআইএস ইয়ারমুক ক্যাম্পের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করতে পারেনি।

Almirsad Bangla

29 Oct, 17:21


ইয়ারমুক ক্যাম্পে আইএসআইএসের উপস্থিতি বেশ কয়েক মাস ধরে চলেছিল, যা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের অনেক ক্ষতি করেছিল। অবিরাম যুদ্ধ এবং দরিদ্র জীবনযাত্রা ক্যাম্পের অনেক বাসিন্দাকে সরে যেতে বাধ্য করেছিল ফলে আইএসআইএস ধীরে ধীরে তার বাহিনী হারায়।

ইয়ারমুকে আইএসআইএসের উপস্থিতি ছিল তাদের যুদ্ধ কৌশলের উদাহরণ, যা যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় বিশৃঙ্খলা ও জনগণের অসন্তোষের সুযোগ নেয়। যার মূল উদ্দেশ্য কৌশলগত অবস্থানে আধিপত্য বিস্তার করা আর সংকট পরিস্থিতি থেকে নিজের প্রভাব বাড়াতে থাকা।
https://almirsadbd.com/isis-ekti-mohamarir-naam-12th/?amp=1

Almirsad Bangla

28 Oct, 16:14


উমাইয়াহ, আব্বাসী এবং উসমানী খিলাফতকালে খাওয়ারিজদের অস্তিত্ব
✍🏻 জিয়া বারী

হযরত আলী এবং হযরত মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহুমার মধ্যে সংঘটিত সিফফিনের যুদ্ধে (৩৭ হিজরি/৬৫৭ ঈসায়ী) খারেজীদের আবির্ভাব ঘটে।

যুদ্ধ শেষে পরস্পর হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু ও হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর মাঝে আলোচনা করার ফায়সালা হয়, ফলে একদল লোক হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুর সেনাবাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং এই দুই হযরতের সিদ্ধান্তকে অসমর্থন করে। তাদের মত ছিল ফায়সালা করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ তায়ালার; এবং মানুষের মধ্যে সংহতি প্রতিষ্ঠা করা আল্লাহর হাকিমিয়্যাতের পরিপন্থী। এ কারণেই তাদের মূলমন্ত্র ছিল ‘ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ’।

এই দলটি “খাওয়ারিজ” নামে পরিচিতি লাভ করে। (খাওয়ারিজ শব্দটি “خروج” থেকে উদ্ভূত যার অর্থ বিদ্রোহ এবং বিচ্ছিন্নতা) পরে তারা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু এবং মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তারা বিশ্বাস করত যে কেউ এই দুই হযরতের সিদ্ধান্তের সাথে একমত হবেন তিনি কাফের এবং ইসলামের বৃত্ত থেকে বহিষ্কৃত হয়ে যাবেন।

তারা একটি স্বাধীন ও আত্মনির্ভর প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় ইরাক, পারস্য ও অন্যান্য অঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুও তাদের বিদ্রোহের মুখোমুখি হন, অবশেষে খাওয়ারিজদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেন।

৩৮ হিজরীতে নাহারওয়ান এলাকায় খাওয়ারিজদের একটি বড় দল সমবেত হয়, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু তাদের সাথে যুদ্ধ করেন, যাকে নাহারওয়ানের যুদ্ধ বলা হয়। এতে অনেক খাওয়ারিজ নিহত হয় এবং এই বিদ্রোহ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বাকিরা ছোট দল আকারে সক্রিয় হতে থাকে।

হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু খারেজীদের প্রথম বিদ্রোহকে চূর্ণ করেছিলেন, কিন্তু খারেজীরা সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে যায়নি। উমাইয়া খিলাফতেও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল, তারা ছিল উমাইয়া শাসকদের ঘোর বিরোধী।

উমাইয়া খিলাফতের সময় খাওয়ারিজরা বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে ইরাক, পারস্য এবং আরব উপদ্বীপে উমাইয়া খলিফাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। খাওয়ারিজদের যুক্তি ছিল উমাইয়া খলিফারা ইসলামের প্রকৃত চেতনা মুখ ফেরানো যালিম।

উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান রহ. এবং উমাইয়া খিলাফতের একজন গুরুত্বপূর্ণ গভর্নর ও সেনাপতি হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের শাসনামলে খাওয়ারিজরা বিশেষভাবে সক্রিয় ছিল। তারা খাওয়ারিজের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার যুদ্ধ করেন।

আব্বাসী খিলাফতের প্রারম্ভিক বছরগুলিতে খারিজিরা বিশেষভাবে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সক্রিয় ছিল। আব্বাসী শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে ইসলামী খেলাফতের স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলেছিল।

আব্বাসী খলিফারা খাওয়ারিজদের বিদ্রোহী দলগুলোকে নির্মূল করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু খাওয়ারিজরা দীর্ঘদিন ধরে একটি গুরুতর এবং বিপজ্জনক সমস্যা হিসেবে রয়ে যায়। সেই সময়ে তারা ইরাক, আরব উপদ্বীপ, ইয়েমেন, পারস্য এবং উত্তর আফ্রিকার মুসলিমদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার বিদ্রোহ করেছিল।

উসমানী খিলাফতকালে খাওয়ারিজরা ততটা সক্রিয় ছিল না যতটা তারা প্রথম শতাব্দীতে ছিল। কারণ সময়ের সাথে সাথে তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হ্রাস পেয়েছিল এবং তৎকালীন মুসলিমবিশ্বে তাদের প্রভাব খুব সীমিত ছিল।

উসমানী খিলাফতের সময় খাওয়ারিজ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। সেই সময়ের প্রধান ধর্মীয় ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ছিল সুন্নি-শিয়া দ্বন্দ্ব, সাফাভি-উসমানী প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও আধুনিকায়নের দাবি। খাওয়ারিজ ফিতনার মতো কোনো সমস্যা ছিল না।

খারিজিদের সমমনা মানুষেরা তখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছোট সম্প্রদায়ের আকারে বিদ্যমান ছিল, উসমানী খেলাফতের বৃহত্তর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ভূগোলে তাদের কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল না।
https://almirsadbd.com/u-a-u-kh-k-kh-d-o/?amp=1

Almirsad Bangla

27 Oct, 16:36


তেহরিকে হামাস: খাওয়ারিজদের তাকফির থেকে আল কাসসামের বিজয় পর্যন্ত!
✍🏻 আবু উসামা খোরাসানী

২০১৮ সালে মিশরের সিনাই মরুভূমিতে দাঈশ তার প্রাক্তন সদস্যদের একজনকে হত্যা করেছিল এই অভিযোগে যে— সে হামাসের মুজাহিদীনদের কাছে অস্ত্র পাঠিয়েছিল। আর এইভাবে আইএসআইএস ইয়াহুদিবাদী শাসনের শত্রুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করেছে।

জাহিল খাওয়ারিজরা ধর্মীয় বিষয়ে তাদের অজ্ঞতা ও সংকীর্ণ মনোভাবের কারণে জিহাদী আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে এবং তাদের বাতিল যুক্তি দিয়ে এই দলকে তাকফির করে।

হামাস মুজাহিদীনদের সেই সময়ে জায়নবাদী শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ রাখা ছিল খাওয়ারিজদের দ্বারা তাদের তাকফিরের অন্যতম একটি বড় কারণ। কেননা আইএসআইএস দাবি করেছিল যে, হামাস কাফেরদেরকে সহযোগিতা করছে এবং ফিলিস্তিনের জায়নবাদী দখলকে ন্যায্যতা দিচ্ছে।

গতবছর অক্টোবরের ৭ তারিখে হামাস তুফানুল আকসা শিরনামে যুদ্ধ শুরু করে, যা অধিকৃত এলাকার বাসিন্দাদের বিস্মিত করার পাশাপাশি আইএসআইএসের বিপথগামী অনুসারীদেরকেও অবাক করে। কারণ তারা ভ্রমে বা কল্পনায়ও ভাবতে পারেনি একদিন হামাস মুজাহিদীন ইয়াহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে ফিদায়ী জিহাদ শুরু করবে এবং দুই বিলিয়ন মুসলিমের পবিত্র ভূমি রক্ষায় রুখে দাঁড়াবে।

খাওয়ারিজদের বিপথগামীতা এতটাই যে, ৭ই অক্টোবরের যুদ্ধের পরও তারা তাদের মিথ্যা অভিযোগ থেকে ফিরে আসেনি এবং তাদের মিথ্যা অবস্থান থেকে পিছপা হয়নি। তাদের ভিত্তিহীন যুক্তি ও অভিযোগগুলো ছিল শুধুমাত্র শোঅফ। এখন এই প্রত্যাখ্যাত গোষ্ঠীর মুখোশ সরে গিয়ে বাস্তবতা সবার সামনে উন্মোচিত হয়েছে।

হামাস আন্দোলন ইয়াহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে মৌলিক পরিকল্পনা তৈরি করে কুফরবিশ্বকে তাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রতিরোধী করতে সফল হয়েছে এবং অবশেষে জায়নবাদী শাসনকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

ইয়াহুদিবাদীদের নৃশংস হামলা ও গণহত্যার এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, তবুও এখনো তারা তাদের বন্দীদের মুক্তি করতে এবং তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে সফল হয়নি। উল্টোদিকে, ইয়াহুদিবাদী শাসকের সশস্ত্র বাহিনী ও তাদের উন্নত সামরিক সরঞ্জাম থাকা সত্ত্বেও তারা গাযযার যুদ্ধের চোরাবালিতে গভীর থেকে গভীরতরভাবে আটকে যাচ্ছে।

হামাসের মুজাহিদীনদের দৃঢ়তা উম্মাহর তরুণদের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে। তাদের নেতাদের শাহাদাত সকলের জন্য গর্বের উৎস হয়ে উঠেছে। এগুলো সমস্ত স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের জন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে এবং চিরকালের জন্য ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়েছে।

হ্যাঁ! আল্লাহ হামাস আন্দোলনের মুখলিস মুজাহিদীনদের সম্মানিত করেছেন এবং তাদের তাকফিরকাীদের অর্থাৎ বিপথগামী খাওয়ারিজদের লাঞ্ছিত করেছেন। আল্লাহর শুকরিয়া এখন এটা সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, কে জায়নিস্টদের বন্ধু আর কে তাদের শত্রু।
https://almirsadbd.com/t-h-kh-d-t-th-a-q-e-b-p/?amp=1

Almirsad Bangla

26 Oct, 15:20


আইএসআইএসের পেছনে কাদের হাত রয়েছে?
ড. আসাদ

আমরা আগেই বলেছি ইসলামবিরোধী গোষ্ঠী আইএসআইএস-খাওয়ারিজদের পেছনে আমেরিকা, ইসরায়েল, আইএসআই ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে। তারা দাঈশকে অর্থায়ন করে, তাদের সমর্থন করে এবং এই গ্রুপটিকে তাদের ঘৃণ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে।

এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বেশ কিছু প্রামাণিক যুক্তি পেশ করছি— কিছু দিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন মার্কিন সেনাকে আইএসআইএসকে সহযোগিতা করার জন্য চৌদ্দ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল; স্পষ্টতই সে ধরা পড়ার পরে তাকে শাস্তি দেয়ার অর্থ ছিল বিশ্বের চোখে ধুলো দেয়া।

যদিও বাস্তবতা হচ্ছে আইএসআইএস-খাওয়ারিজদের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে। তারা তাদের সাহায্য করে, অস্ত্র, গোলাবারুদ, অর্থ এমনকি সৈন্য দিয়েও; যাতে দাঈশকে তাদের গোয়েন্দা সংস্থার ঘৃণ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে পারে।

এছাড়াও এই বিপথগামী গ্রুপ আইএসআইএসের মাথার উপর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থারও আশীর্বাদ রয়েছে। আপনারা হয়তো কিছুদিন আগে আল মিরসাদের একটি প্রতিবেদনে উল্লিখিত গ্রুপের সদস্য কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিককে ইসলামি ইমারাত আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার সংবাদ পড়েছেন। যাদেরকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আফগানিস্তানে পাঠানো হয়েছিল।

ইসরায়েলও উল্লিখিত গোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছে। তারাও নিজেদের স্বার্থে এই গোষ্ঠীকে সমর্থন করে। এই স্বার্থের মূল উদ্দেশ্য হলো উল্লেখিত গোষ্ঠীকে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা এবং ইসরায়েল এই গ্রুপের মাধ্যমে ইরানের কাছ থেকে প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করছে।

এখন আমাদের এই অভিশপ্ত গোষ্ঠীকে তাদের লক্ষ্য অর্জন থেকে বিরত রাখতে হবে। এজন্য এমন শিক্ষা দিতে হবে যা তাদের ছোটবেলায় পান করা দুধের কথা মনে করিয়ে দেয়। তাদেরকে এমনভাবে পরাজিত করতে হবে যাতে আমেরিকা, ইসরায়েল, আইএসআই এবং ইসলাম ও আফগানিস্তানের বিদ্বেষী অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রিয় তাওহীদের ভূমি আফগানিস্তানের কথা ভাবলেও ভয়ে কেঁপে ওঠে।
https://almirsadbd.com/isis-e-p-k-h-r/?amp=1

Almirsad Bangla

25 Oct, 13:44


যদিও তুফানুল আকসা শুরু হওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেছে। তবে বছরটি হানাদারদের জন্য সবচেয়ে খারাপ এবং ভয়ঙ্কর ছিল, কারণ গাযযায় একটি সিংহ জীবিত ছিল। সেই সিংহ, যে হানাদারদের পরাস্ত করতে তাদের ভূমি ও হৃদয়ে হামলা করেছিল।

যদিও ইয়াহইয়া সিনওয়ার সামরিক অবস্থানের দিক থেকে বাকি জীবন খুব শান্তিপূর্ণভাবে কাটাতে পারতেন। কিন্তু তাঁর শাহাদাতের প্রতি আবেগ এবং বাতিলের সাথে লড়াই করার ইচ্ছা তাঁকে ভাঙ্গা হাত ও ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়েও যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে আসে। জিহাদের ময়দানে তিনি অস্ত্র, ভাঙ্গা হাত ও ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে ফিলিস্তিন ও ইসলামের শত্রুদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ ঈমান ও আকিদায়ে তাওহীদ হৃদয় নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন।

বিশ্ব তাঁর বীরত্ব ও সাহসিকতা দেখে বিস্মিত! বিশ্বের বড় বড় রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন দেশের নেতারা এই বীরত্ব ও সাহসিকতায় মুগ্ধ।

তিনি ছিলেন ইসলামের শ্রেষ্ঠ নেতা এবং শ্রেষ্ঠ যোদ্ধাদের একজন, যিনি এক মুহুর্তের জন্যও জিহাদ ও শত্রুর সাথে যুদ্ধ করতে পিছপা হননি।

ইয়াহইয়া আস সিনওয়ার, যিনি ইসলামের শত্রুদের মধ্যে এতটাই ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিলেন যে, তাঁর মৃতদেহ দেখেও তারা কেঁপে উঠেছিল।

দীনে ইসলাম রক্ষা করার জন্য আল্লাহ তায়ালা অগণিত ব্যক্তি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সৃষ্টি করেছেন, তাদের মধ্যে কেউ যদি শহীদ হয়ে যান, তার মানে এই নয় যে তার পরে আর কেউ অবশিষ্ট নেই বা গল্প এখানেই শেষ। বরং এটা আল্লাহর সুন্নাত যে, একজন নেতার শাহাদাতের পর আরো হাজার হাজার সশস্ত্র ও নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
https://almirsadbd.com/i-r-k-sh-y-s-e-j-o-k-s-b/?amp=1

Almirsad Bangla

25 Oct, 13:44


ইতিহাস রচনাকারী শহীদ সিনওয়ারের জীবন ও কর্মের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
✍🏻 জুনাইদ যাহিদ

প্রকৃতপক্ষে হক ও বাতিলের দ্বন্দ্বের সূচনা থেকে জিহাদ চলে আসছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এই পবিত্র সংগ্রাম এমন সব মৃত্যুঞ্জয়ী সৈনিকদের দুনিয়ার সামনে উপস্থাপন করে, যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা তাদের বিশেষ যোগ্যতার কারণে তাঁর নৈকট্যের জন্য মনোনীত করেছেন।

যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং সরাবিশ্বে ঐশী ন্যায়বিচার ছড়িয়ে দেয়া ছাড়া আর কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ কিংবা ইচ্ছা রাখেন না; এ ধরনের ব্যক্তি বা জামাআত সর্বদা, প্রতিটি যুগে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বকে তাদের কৃতিত্ব দেখিয়ে গিয়েছেন। স্বীয় প্রতিপালকের সাথে করা ওয়াদা বাস্তবায়ন করার জন্য তারা পৃথিবীতে নিজেদের মূল্যবান জীবন ও সম্পদ জিহাদের তরে বিসর্জন দিয়েছেন।

জেনে রাখা উচিত জিহাদ সর্বদাই অত্যাচার ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এবং তা অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ অত্যাচারের আগুন জ্বলতে থাকবে আর মুজাহিদরা তা নিভানোর জন্য সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে থাকবে।

স্বাধীনতা কোনো পণ্য নয় যা সহজেই কিনে ফেলা যায়। স্বাধীনতা পেতে হলে আত্মত্যাগ এবং রক্তের নদী পাড়ি দিতে হয়।

মুসলিমদের বাতিলের বিরুদ্ধে জিহাদের ময়দানে ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশ খোদ আল্লাহই দিয়েছেন, এই আদেশ কাফেলার নেতাদের শাহাদাতের মধ্য দিয়ে থেমে থাকেনি এবং থামবেও না।

এমন বহু মহান ব্যক্তিত্ব এবং উম্মাহর মহানায়ক অতিবাহিত হয়েছেন যারা জিহাদ ও ত্যাগের পথকে আলোকিত করতে নিজ জীবন উৎসর্গ করে শাহাদাতের সুমিষ্ট পেয়ালায় চুমুক দিয়েছেন।

সেই সমস্ত মহামানব যাদের প্রত্যেকের উদাহরণ তারা নিজেই, যাদের একজন একটি জামাআত সাদৃশ্য ছিলেন, ইতিহাস তাদের নাম, চিহ্ন ও শাহাদাতের স্থান লিপিবদ্ধ করে বিশ্ব কিংবদন্তির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।

ইয়াহইয়া সিনওয়ার একজন মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি ফিলিস্তিনের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইয়াহইয়া এখন ইসলামের মহান সিপাহসালারদের মধ্য থেকে একজন।

সিনওয়ার, একজন অক্লান্ত যোদ্ধা! হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক কার্যালয়ের প্রধান তাঁর শাহাদাতের মাধ্যমে বিশ্বকে জাগিয়ে তুলেছেন এবং সকলের কাছে স্পষ্ট করে দিয়ে গেছেন যে, একজন মুসলিম যখন বলে “الموت فی سبیل اللہ اسمٰی امانینا” আল্লাহর পথে শাহাদাত আমাদের সবচেয়ে বড় কামনা। এটা কোনো নিছক স্লোগান নয় বরং এটাই প্রত্যেক মুসলিমের অন্তরে প্রোথিত দৃঢ় আকাঙ্খা।

যারা ইয়াহুদীবাদের নৃশংস রূপের ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত অবগত ছিলেন না, ইয়াহইয়া সিনওয়ার তাদের সকলের কাছে পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, তাদের সকল কথা ও পরিকল্পনা মিথ্যা। তারা ধ্বংস ও অবিচারেই কেবল বিশ্বাসী, এ ছাড়া আর কিছুই না।

শহীদ সিনওয়ারের জীবনে বহু নির্যাতন ও জেল-যুলুম সহ্য করার অভিজ্ঞতা ছিল। তিনি তাঁর জীবনের দুই দশক রক্তপিপাসু ইয়াহুদীবাদ শাসনের বন্দীদশায় কাটিয়েছেন এবং সহিংসতার সাথে পরিচিত ছিলেন।

শহীদ সিনওয়ার সাহসিকতার সাথে শাহাদাতের সুধা পান করেছিলেন, তিনি তাঁর প্রভুর সামনে নিজেকে পেশ করতে দ্বিধা করেননি। পাশাপাশি তিনি তাঁর দুর্বল শত্রুদেরকে দেখিয়ে দিলেন, মুসলিমদের ইচ্ছাশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার কোনো ফায়দা নেই।

শহীদ ইয়াহইয়া সিনওয়ার রহিমাহুল্লাহর জীবনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ!

ইয়াহইয়া সিনওয়ার কে ছিলেন?

ইয়াহইয়া ইবরাহীম হাসান আস সিনওয়ার, আবু ইবরাহীম নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ১৯৬২ সালের অক্টোবরে গাযযার দক্ষিণে খান ইউনুসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আরবী ভাষার পাশাপাশি হিব্রু ভাষাতেও পারদর্শী ছিলেন।

তাঁর তিনজন ছেলে রয়েছে। ১৯৮০–এর দশকের শুরুর দিকে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ গাযযাতে দখলদারিত্ব বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ইয়াহুদীবাদী শাসকদের দ্বারা বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন।

ইয়াহইয়া সর্বদা ইয়াহুদীবাদী বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন, শিক্ষা থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি ইয়াহুদীবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধের জন্য মুজাহিদীনদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত হামাসের সামরিক শাখায় পরিবর্তিত হয়।

১৯৮৭ সালে শায়খ আহমাদ ইয়াসিন রহ. কর্তৃক হামাস প্রতিষ্ঠার সময় সিনওয়ার এই দলে যোগ দিয়েছিলেন। উল্লিখিত শহীদকে ইয়াহুদীবাদীরা বেশ কয়েকবার গ্রেফতার করেছিল। শেষ গ্রেফতারের পরে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়, তবে ২৩ বছর পর বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে তাঁকে জায়নিস্ট কারাগার থেকে মুক্ত করা হয়।

শহীদ সিনওয়ার ২০১৪ সালে গাযযায় ইসরায়েলের টানা সাত সপ্তাহের আক্রমণের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন, যার পরে তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কালো তালিকাভুক্ত করে।

২০১৭ সালে সিনওয়ার গাযযায় হামাসের নেতৃত্ব গ্রহণ করে শহীদ ইসমাইল হানিয়্যাহর দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালে হামাস তুফানুল আকসা অপারেশন শুরু করে, এ অপারেশনের পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন সিনওয়ার।

Almirsad Bangla

23 Oct, 13:55


আইএসআইএস-খাওয়ারিজের দুই প্রধান সদস্য কুনারে নিহত হয়েছে

আল মিরসাদের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, গত পরশু কুনারের মানোগি জেলায় আফগানিস্তান ইসলামি ইমারাতের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দুই গুরুত্বপূর্ণ আইএসআইএস সদস্য নিহত হয়েছে।

এক গোপন সূত্র আল মিরসাদকে জানিয়েছে যে, গত পরশু রাতে কুনারে মানোগি জেলার শোরাক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ খারিজী গ্রুপের দুই প্রধান সদস্য নিহত হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি বন্দুক, গুলি, গ্রেনেড ও মাইন উদ্ধার করা হয়েছে।

সূত্রমতে এই দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন পাকিস্তানি, যে চলতি মাসে (রবিউস সানির ১ তারিখ) চৌকির জেলার দেওগাল উপত্যকায় একটি রেঞ্জার গাড়িকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণের পাশাপাশি অন্যান্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।

সূত্র আরও জানায়, নিহত পাকিস্তানি খোরাসানি খাওয়ারিজের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও অপারেশনাল ম্যানেজার এবং তার সাথে নিহত তার বন্ধু তিন মাস আগে পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে এসেছিল।
https://almirsadbd.com/isis-kh-2-p-s-k-n-h/?amp=1

Almirsad Bangla

21 Oct, 16:17


ঘোর প্রদেশের কেন্দ্রস্থলে আইএসআইএস-খাওয়ারিজের একটি গ্রুপকে নির্মূল করা হয়েছে
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

ইসলামি ইমারাত আফগানিস্তানের একজন মুখপাত্র আজ জানিয়েছেন যে, ঘোর প্রদেশের রাজধানী ফিরোজকোহ শহরের উপকণ্ঠে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দুই আইএসআইএস যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

যাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, রবিবার (১৭ রবিউস সানি/২১ অক্টোবর) ফিরোজকোহ শহরের মারকোহা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ফলে স্থানীয় খারিজী নেতা এক সহযোগীসহ নিহত হয়। এবং সেই দলের অন্য সদস্যদের জীবিত বন্দী করা হয়।

মুজাহিদ আরও বলেন, এই দলটিই গত রবিউল আউয়াল মাসের ৯ তারিখে ঘোর এবং দাইকুন্দির মাঝখানের এক সড়কে ১৪ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছিল। তারা কাবুল ও বামিয়ান হামলার সাথেও জড়িত ছিল।

যাবিহুল্লাহ মুজাহিদ আরো একবার আল মিরসাদের প্রতিবেদনের সত্যতা উল্লেখ করে বলেন যে, গোষ্ঠীটি সরাসরি বেলুচিস্তান আইএসআইএস কেন্দ্রের অধীনে ছিল এবং সেখান থেকেই দিকনির্দেশনা পাচ্ছিল।
https://almirsadbd.com/gh-p-k-isis-khawarij-1-g-k-n-k-h/?amp=1

Almirsad Bangla

19 Oct, 15:16


ইয়াহইয়া সিনওয়ারের শাহাদাত: জেরুজালেমের আরেকটি বীরত্বপূর্ণ স্তম্ভের ভাঙন
হারিস হিশাম

হামাসের ইসলামী ও জিহাদি আন্দোলনের প্রধান ইয়াহইয়া ইবরাহীম হাসান আস সিনওয়ার রহ. গত পরশু দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় শহীদ হয়েছেন।

শহীদ ইসমাঈল হানিয়্যাহ রহ.–এর শাহাদাতের পর শহীদ ইয়াহইয়া আস সিনওয়ারকে ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন ‘হামাস’-এর রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

শহীদ সিনওয়ার একজন সম্পদশালী, সক্রিয়, সামরিক ও রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি তাঁর সমগ্র জীবন পবিত্র ভূমিকে স্বাধীন করার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে কাটিয়েছেন এবং অবশেষে তাঁর শাহাদাতের মহান লক্ষ্য অর্জন করেছেন।

শহীদ ইয়াহইয়া ইবরাহীম হাসান আস সিনওয়ার ১৯ অক্টোবর, ১৯৬২ সালে গাযযার দক্ষিণে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের শিবির খান ইউনুসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একটি স্থানীয় স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং পরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ গাযযা থেকে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

শহীদ সিনওয়ার তাঁর সংগ্রামী জীবনে বেশ কয়েকবার জেল খেটেছেন। তিনি দুই দশকেরও বেশি সময় জেলে কাটিয়েছেন। একবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন, পরবর্তীতে বন্দী বিনিময়ে মুক্তি পেয়েছিলেন।

গত বছরের ৭ই অক্টোবর হামাস ইসরায়েলি বসতিগুলির ভিতরে অত্যন্ত সফল অভিযান চালায়, যার ফলস্বরূপ বহু ইসরায়েলি সেনা নিহত হয় এবং বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলিকে গ্রেফতার করা হয়। এই অপারেশনের পর শহীদ সিনওয়ার ছিলেন ইসরায়েলের জন্য মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তিদের একজন, যে কারণে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলি তাকে হত্যা করাকে তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত লক্ষ্য হিসাবে বিবেচনা করে।

তিনি ছিলেন এমন একজন নেতা যিনি জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সারিতে মুজাহিদীনদের সাথে লড়াই করে গেছেন। তিনি আত্মসমর্পণ করেননি বা অস্ত্র ফেলে দেননি বরং তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে একজন সত্যিকার সাহসী মুজাহিদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

শহীদ সিনওয়ার তাঁর লক্ষ্য অর্জন করেছেন। তিনি তাঁর একটি পুরানো ভিডিওতে বলেছিলেন, আমার সবচেয়ে বড় ইচ্ছা ইসরায়েলিদের হাতে নিহত হওয়া। ইসরায়েল তাঁকে বন্দীদের মধ্যে লুকিয়ে থাকার অপবাদ দিয়েছিল, কিন্তু সিনওয়ার ছিলেন যথেষ্ট সাহসী— যিনি শত্রুদের সাথে মুখোমুখি লড়াইয়ে শহীদ হয়েছেন এবং নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন।

শহীদ সিনওয়ার ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি তাঁর সমগ্র জীবন পবিত্র সংগ্রাম ও জিহাদে অতিবাহিত করেছেন। ইসলামের শত্রুদেরকে গৃহে অস্থির করে তাদের ঘুম হারাম করে রেখেছিলেন, শত্রুরা তাঁর নাম শুনে ভয় পেত কারণ তিনি এমন এক মহাপুরুষ, যিনি শত্রুর সমস্ত মন্দ পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন।
https://almirsadbd.com/y-s-e-s-j-a-b-s-v/?amp=1

Almirsad Bangla

16 Oct, 15:00


আইএসআইএস-খাওয়ারিজ আফগানিস্তানে কী চায়?
হারিস হাশিম

২০ বছরের জিহাদ ও প্রতিরোধের পর আফগানিস্তানে একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সমগ্র দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হয়েছে। কোনো প্রকার বিধি-নিষেধ ছাড়াই ইসলামী বিধান বলবৎ রয়েছে এবং আমর বিল মা’রূফ ওয়া নাহী আনিল মুনকারের নির্দেশ পালন করা হচ্ছে। দখলদার বাহিনীকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। গণতন্ত্রের নামে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার যার সমস্ত আইন পশ্চিম থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, তা উপড়ে ফেলা হয়েছে। তাহলে আফগানিস্তানে আইএসআইএস আর কী চায়?!

যদি এই খারেজীদের লক্ষ্য ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামের খেদমত করা হয়ে থাকে— তাহলে তা অর্জিত হয়েছে। ইসলামী ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়েছে। মাযলুমদের আর্তনাদ শোনা হচ্ছে, যালেমকে যুলুম থেকে বিরত রাখা হয়েছে। আর ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমদের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন ঘোষণা করা হচ্ছে।

দুর্ভাগ্যবশত আইএসআইএসের লক্ষ্য অন্য কিছু, এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামকে বদনাম করা, দুর্বল করা এবং ইসলামী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা।

২০ বছর জিহাদ চলাকালীন সময় জিহাদী রঙ্গকে শক্তিশালী করার পরিবর্তে, হানাদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং তাদের অন্যান্য মিত্রদের বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিবর্তে, এই বিপথগামী দলটি দাঁড়িয়েছিল মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে এবং তাদের বিরুদ্ধে যারা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর স্বাধীনতার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

আইএসআইএস-খাওয়ারিজদের মূল লক্ষ্য হলো তাদের প্রভুদের নির্দেশে এই ইসলামী ও পবিত্র ব্যবস্থা অর্থাৎ ইসলামী ইমারাতকে দুর্বল করা এবং ইসলামকে অপমান করা। তবে তারা জেনে রাখুক তাদের এই লক্ষ্যগুলি কিয়ামত পর্যন্ত অর্জিত হবে না কারণ ইসলামের সন্তানরা এখনও এই ভূমিতে বেঁচে আছে। ইনশাআল্লাহ।
https://almirsadbd.com/isis-khawarij-afghanistane-ki-chay/?amp=1

Almirsad Bangla

15 Oct, 15:55


আইএস একটি মহামারির নাম
[একাদশ পর্ব]
আবু হাজার আল কুর্দি

দেইর আয যুরে আইএসআইএস কর্তৃক সংঘটিত অপরাধসমূহ:

দেইর আয যুর সিরিয়ার পূর্বে অবস্থিত একটি প্রদেশ যেটি গৃহযুদ্ধের সময়, বিশেষ করে আইএসআইএসের শাসনাধীনকালে ভয়াবহ অপরাধের কেন্দ্রস্থল ছিল।

এর কৌশলগত অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে এই এলাকাটি দাঈশের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। এলাকাটি ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

১. প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড, মুজাহিদীন ও সাধারণ নাগরিকদের অধিকার হরণ:

দাঈশের দ্বারা প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড ছিল ভয় জাগিয়ে তোলার এবং সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি মাধ্যম। যাদেরকে কুফর-ইরতিদাদ, জিহাদি আন্দোলনের সমর্থন ও তাদের বিরোধিতা করার জন্য গ্রেফতার করা হতো; তাদের সবাইকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতো। এই মৃত্যুদণ্ড কর্যক্রম অন্য লোকেদের হৃদয়ে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য প্রকাশ্য স্থানে চালানো হতো।

নৃশংস হত্যাকাণ্ড: গুলি, শিরশ্ছেদ এবং জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে বহু লোককে।

পারিবারিক অধিকার লঙ্ঘন: নিহতদের পরিবারের জন্য শুধু শোক পালন করাই নিষিদ্ধ ছিল না বরং ভয়ে ও নীরবে জীবনযাপন করতে বাধ্য করা হয়েছিল তাদের।

২. মুক্তিপণের জন্য অপহরণ:

লোকেদের, বিশেষ করে যুবক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অপহরণ করাও আইএসআইএসের একটি কৌশল ছিল যার দুটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল:
(ক) চাঁদাবাজি: দাঈশ অপহৃতদের মুক্তির বিনিময়ে তাদের পরিবারের কাছ থেকে অর্থ দাবি করতো।
(খ) মানব-ঢাল হিসেবে ব্যবহার: অপহরণকারীদের যুদ্ধের সময় মানব-ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হতো, ফলে তারা আইএসআইএসের প্রতিপক্ষদের টার্গেট হয়ে প্রাণ হারাতো।

৩. নারীদের যৌন হয়রানি ও শোষণ:

দেইর আয যুরে অমুসলিম মহিলা এবং মেয়েরা পদ্ধতিগত যৌন সহিংসতার শিকার হতো, আইএসআইএস মহিলাদের গণিমতের মাল হিসাবে বিবেচনা করতো।
(বি.দ্র. অমুসলিম বলতে শিয়াদের বোঝানো হয়েছে)

(ক) নারীদের ক্রয়-বিক্রয়: ইয়াজিদি এবং অন্যান্য অমুসলিম নারীদের বাজারে বিক্রি করা হতো এবং তাদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
(খ) সহিংসতা ও জবরদস্তি: অনেক নারী শারীরিক ও মানসিক সহিংসতার শিকার হয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হয়েছে।

৪. নিষ্ঠুর আইন প্রয়োগ:

দাঈশ নিষ্ঠুর আইন ও কঠোর শাস্তি কার্যকর করার জন্য মানুষকে ভয় দেখানো এবং ভয় দেখানোর জন্য সব ধরনের অবৈধ উপায় ব্যবহার করেছে।

৫. অর্থনীতি ও অবকাঠামো ধ্বংস:

আইএসআইএস এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্পদ, বিশেষ করে তেলের ফায়দা লুটেছে যাতে নিজেদের কার্যক্রম তহবিল ভারি করা যায়।

(ক) অবকাঠামো ধ্বংস: অর্থনৈতিক অবকাঠামো যেমন বাজার এবং শিক্ষাকেন্দ্র আইএসআইএসের শাসনামলে ধ্বংস করা হয়েছিল, তখন অনেক কারখানা এবং কৃষি এলাকা ধ্বংস হয়ে যায় বা ধ্বংস করে ফেলা হয়।
(খ) বেকারত্ব ও দারিদ্র্যতা: অর্থনীতির পতনের কারণে বেকারত্ব বেড়েছিল এবং মানুষ মারাত্মক অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল।

৬. ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনসমূহ ধ্বংস:

আইএসআইএস দেইর আয যুরে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভগুলি ধ্বংস করার জন্য ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ নিয়েছিল।

(ক) ঐতিহাসিক ভবন ধ্বংস: মসজিদ এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক ভবন যা স্থানীয় জনগণের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান ছিল, সেগুলি ধ্বংস করা হয়। শুধুমাত্র ইতিহাস ও সংশ্লিষ্ট স্মৃতিচিহ্নগুলিকেই মুছে ফেলা হয়নি বরং সেই কর্মগুলির সাংস্কৃতিক পরিচয়কেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছিল।
(খ) বৈধ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা: সকল সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং যেকোনো নির্দেশ লঙ্ঘনের জন্য কঠোর শাস্তি প্রদান করা হতো।

ফলাফল:

২০১৭ সালে দাঈশের পরাজয়ের পর দেইর আয যুরে এ সমস্ত অপরাধের প্রমাণ এবং হাজার হাজার গণকবর— দাঈশ দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতার চিত্র তুলে ধরে, ভিক্টিমদের অধিকাংশই ছিল সুন্নি এবং মুজাহিদীন।

(এটিই খুব সম্ভবত এই সিরিজের শেষ পর্ব, তবে আল মিরসাদ বাংলা এব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত নয়)
https://almirsadbd.com/isis-ekti-mohamarir-naam-11th/?amp=1

Almirsad Bangla

14 Oct, 13:34


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারকৃত আইএসআইএস সদস্য আগে আফগানিস্তানে সিআইএয়ের গার্ড হিসেবে কাজ করেছে

মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল ঘোষণা করেছে যে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন একটি হামলার ঘটনায় একজন ২৭ বছর বয়সী আফগান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আমেরিকান মিডিয়ার মতে, আমেরিকায় যাওয়ার আগে এই ব্যক্তি আফগানিস্তানে সিআইএ–এর সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করতো এবং ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা তাকে হাজার হাজার গুপ্তচর ও যোদ্ধাসহ আফগানিস্তান থেকে বের করে নিয়ে যায়।

এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, দুই মার্কিন কর্মকর্তার মতে আইএসআইএসের নির্দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন লোকেদের উপর হামলা করার জন্য দু’টি কালাশনিকভ এবং বুলেট কেনার পরে ওকলাহোমায় নাসির আহমাদ তাওহিদীকে গত সোমবার এফবিআই গ্রেফতার করেছিল। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস নিজেদের প্রেস রিলিজে লিখেছে যে, অস্ত্রগুলি এফবিআইয়ের একজন গোপন কর্মী তার কাছে বিক্রি করেছিল। এনবিসিল নিউজ জানিয়েছে যে, তাওহিদী গত মার্চ মাসে একটি আইএসআইএস তহবিল সংগ্রহকারী গোষ্ঠীকেও অর্থ পাঠিয়েছিল।

ওকলাহোমা রাজ্য আদালতের নথি অনুসারে তাওহিদী ওকলাহোমায় তার শ্বশুরবাড়ি ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলারে বিক্রি করে এবং পরবর্তীতে ১৭ই অক্টোবর তার পরিবারকে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যাতে তার পরিবার ‘প্রকৃত ইসলামের’ ছায়ায় বসবাস করতে পারে। (উল্লিখিত ব্যক্তি আফগানিস্তানকে সত্যিকারের ইসলামের কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করে, যেখানে দাঈশের অন্যান্য সদস্যরা এই দেশটিকে দারুল কুফর বলে এবং যারা সত্যিকারের ইসলামী আইন প্রয়োগ করে তাদের ওয়াজিবুল কতল মুরতাদ মনে করে। এর দ্বারাই আইএসআইএস-খাওয়ারিজদের মধ্যকার নড়বড়ে ও দুর্বল অবস্থান এবং তাদের কথা ও কাজের মধ্যে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।)

উল্লেখ্য যে, বিপুল সংখ্যক দাঈশ খারিজীরাও অনলাইন ফোরামে নিশ্চিত করেছে তারা তাওহিদী (ওরফে আবু উমায়ের) এর সাথে যোগাযোগ রাখতো এবং তাকে তাদের “বিশ্বস্ত ও আন্তরিক” বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।

সিআইএয়ের নিরাপত্তা প্রহরী নাসির আহমাদ তাওহিদীকে গ্রেফতার করাটাও হয়ত একটি গোয়েন্দা চক্রান্ত। এটি বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার সাথে আইএসআইএস-খাওয়ারিজের সংযোগকে আরও উন্মোচিত করে এবং খাওয়ারিজদের এই দলটি গোয়েন্দাদের হাতের খেলনা হিসাবে কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা প্রমাণ করে।
https://almirsadbd.com/arrested-isis-member-in-the-u-s-a-worked-as-a-cia-guard-in-afghanistan/?amp=1

Almirsad Bangla

11 Oct, 22:36


ইরাকের সালাহুদ্দীন প্রদেশের আইএসআইএস গভর্নর বিমান হামলায় নিহত হয়েছে
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক


ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে যে, সালাহুদ্দীন প্রদেশের আইএসআইএস গভর্নর বিমান হামলায় নিহত হয়েছে।

উল্লিখিত সংস্থাটি ইরাকি জয়েন্ট অপারেশন কমান্ডের বরাত দিয়ে লিখেছে— গত সোমবার সালাহুদ্দীন প্রদেশের আল আইস এলাকায় বিমান হামলায় চারজন নিহত হয়; যাদের একজন আবু উমার আল কুরাইশি, যে দাঈশের পক্ষ থেকে সালাহুদ্দীন প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত হয়েছিল।

মনে রাখা উচিত ইরাক এক সময় দাঈশী ফিতনা ও বিদ্রোহের উৎস এবং কেন্দ্র ছিল, কিন্তু এখন ইরাকের আইএসআইএস গুপ্তচরে পূর্ণ বলে আইএসআইএসেরই কিছু সূত্র বারবার দাবি করে আসছে। তাদের নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্যও চরমে পৌঁছেছে।
https://almirsadbd.com/i-e-s-p-g-b-h-n-h/?amp=1

Almirsad Bangla

10 Oct, 15:06


https://almirsadbd.com/p-isis-e-t-h-k-j-b-d-t-p/?amp=1
পাকিস্তানে আইএসআইএসের টার্গেট হওয়া কিছু জনপ্রিয় ব্যক্তিদের তালিকা আল মিরসাদ কর্তৃক প্রকাশ!
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

আল মিরসাদ নির্ভরযোগ্য গোপন নিরাপত্তা সূত্র থেকে নিচের তালিকাটি পেয়েছে। এই তালিকাটি ১০ই ​​জুলাই, ২০২৪-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ আইএসআইএস সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক থেকে জব্দ করা হয়, যেখানে আইএসআইএস কর্তৃক কাঙ্ক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তানি ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এই নেটওয়ার্কটিকে সম্প্রতি তাদের বড় একটি আস্তানা থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ আটক করা হয়েছে। তালিকায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের নাম রয়েছে, যাদেরকে হত্যা করা আইএসআইএসের লক্ষ্য। তাদের নামের তালিকা নিম্নরূপ:

জমিয়তে উলামা-ই-ইসলাম:
১. মুফতী কিফায়াতুল্লাহ; খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মানসেরা শহরের জমিয়তে উলামা-ই-ইসলামের প্রধান।
২. মুফতী সাদিক; জমিয়তে উলামা-ই-ইসলামের একজন নেতা এবং ওয়াজিরিস্তানের বিখ্যাত দীনি বিদ্যাপীঠ ‘মাদরাসায়ে নিযামী’-এর সম্মানিত মুহতামিম।
৩. মৌলভী মুহাম্মাদ আনওয়ার; করম এজেন্সিতে জমিয়তে উলামা-ই-ইসলামের প্রধান।
৪. মাওলানা হাফিযুল্লাহ নিযামী; উত্তর ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে জমিয়তে উলামা-ই-ইসলামের নেতা।
৫. হাফিয হামদুল্লাহ; জমিয়তে উলামা-ই-ইসলাম বেলুচিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
৬. অ্যাডভোকেট কামরান মুর্তজা; জমিয়তে উলামা-ই-ইসলাম বেলুচিস্তানের একজন সদস্য।

পশতুন তাহাফফুয মুভমেন্ট (পিটিএম):
১. মনযুর পশতিন; পশতুন তাহাফফুয মুভমেন্টের একজন নেতা, যিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়ার জন্য কিছুদিন কারাগারে ছিলেন।
২. নূর বাচা; বেলুচিস্তানের পশতুন তাহাফফুয মুভমেন্টের প্রধান।
৩ নূরুল্লাহ তারিন; সিন্ধু প্রদেশের পিটিএম প্রধান, যিনি কয়েক মাস জেলেও ছিলেন।
৪. যাকিম খান ওয়জির; পশতুন তাহাফফুয মুভমেন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য, তিনি ওয়াজিরিস্তানে খুব সক্রিয় নেতা, গিলাহ মান সাহেবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং দু’জন একসাথেই কারাগারে ছিলেন। (দ্রষ্টব্য: গিলাহ মান পশতিনের নামও উপরের তালিকায় ছিল, তাকে কিছুদিন আগে হত্যা করা হয়েছে)।
৫. কাসিম আচাকজাই; পশতুন তাহাফফুয মুভমেন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, তিনি বেলুচিস্তানের খুব সক্রিয় নেতা।
৬. লতিফ ওয়াজিরি; তিনি পশতুন তাহাফফুয মুভমেন্টের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং ওয়াজিরিস্তানের অত্যন্ত সক্রিয় নেতা।
৭. রাজা পশতিন; পশতুন তাহাফফুয মুভমেন্টের একজন সদস্য, ওয়াজিরিস্তান এবং বেলুচিস্তানের সক্রিয় নেতা।
৮. মহসিন দাওয়ার; জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা এবং পাকিস্তানের সাবেক সংসদ সদস্য, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মিরান শাহের বাসিন্দা।

বেলুচিস্তান:
১. মাহমুদ খান আচাকজাই; পাখতুনখোয়া ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির নেতা।
২. মেহরিং বেলুচ; যিনি পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে চলমান বেলুচ জাতীয় বিক্ষোভের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।
৩. ড. সামিউদ্দিন।
৪. সরদার আখতারজান মেঙ্গল।



আইএসআইএস কর্তৃক পাকিস্তানি নেতাদের নামের তালিকার ব্যাপারে সংযুক্তি

পাকিস্তানে আইএসআইএস কর্তৃক কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের তালিকা এমন একজন আইএসআইএস সদস্যের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে, যে আইএসআইএসের পক্ষ থেকে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সাথে যোগাযোগ করতো। সেই ব্যক্তি পাকিস্তানের ওরাকজাই এজেন্সি এবং বেলুচিস্তানের কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।

সূত্রমতে সেই ব্যক্তির কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী আইএসআইএস-খাওয়ারিজ একটি এমন প্রকল্প যেখানে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি গভীর প্রভাব ফেলে এবং নিজেদের অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে দাঈশকে ব্যবহার করে।
https://almirsadbd.com/p-isis-e-t-h-k-j-b-d-t-p/?amp=1

Almirsad Bangla

08 Oct, 23:38


ইরান ও তুরস্কে আইএসআইএসের চার সদস্য গ্রেফতার
আল মিরসাদ নিউজ ডেস্ক

ইরানের মাযানদারান প্রদেশের নওশহর এলাকায় তিন দাঈশ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নওশহরের পুলিশ কমান্ডার গত শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, দাঈশীরা শহরের অভ্যন্তরে এমন জায়গাগুলিতে হামলা করার পরিকল্পনা করেছিল যেখানে পর্যটকের সংখ্যা বেশি।

ইরানি কর্তৃপক্ষ গ্রেফতারকৃত আইএসআইএস জঙ্গিদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।

অন্যদিকে তুর্কি মিডিয়া জানিয়েছে যে, গত ৩ অক্টোবর একজন সিরীয় নাগরিক— যে আইএসআইএসের জন্য ল্যান্ডমাইন বানাতো, ইস্তাম্বুলে একটি অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সেই ব্যক্তির নাম ‘রামি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে তুরস্কের বাইরে সে আইএসআইএস যোদ্ধাদের বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিতো। সে নিজেও ইস্তাম্বুলে হামলা করার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানানো হয়।

এটি মনে রাখা উচিত যে, তুরস্ক এবং ইরান উভয় দেশই আইএসআইএস দ্বারা মানুষ এবং অর্থ স্থানান্তরের একটি ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
https://almirsadbd.com/i-o-t-isis-e-4-s-g/?amp=1

Almirsad Bangla

07 Oct, 15:10


৭ই অক্টোবর : উম্মাহর শক্তি ও ক্ষমতার স্মৃতি দিবস!
আবু হাজার আল কুর্দি

যখন সারাবিশ্ব গভীর ঘুমে মগ্ন ছিল, কেউ ভাবতেও পারেনি একদল মুসলিম যুবক কয়েকশ কিলোমিটার দীর্ঘ ও গভীর সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে এমনভাবে— অন্ধকার রাত পোহালে যেমন সূর্যের রশ্মি উঁকি দেয়। তাঁরা উম্মতকে প্রায় একশত বছরের অন্ধকারের ছায়া থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।

হ্যাঁ! এমন এক সময়ে যখন আধুনিক বিশ্ব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিজেকে খোদা বলে দাবি করে। তাদের গোয়েন্দাসংস্হা ও গুপ্তচরবৃত্তি সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাদবিহীন কারাগার গাযযার কয়েকজন যুবক পোক্ত ঈমান, দৃঢ়সংকল্প, ইয়াকিন ও তাওয়াককুলের অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শত্রুর ওপর আক্রমণ করে।

তাঁরাই ছিলেন সেই সকল যুবক, যারা আবাবিলের মতো শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অল্প সময়ের মধ্যেই দখলদার শত্রুর বিশাল প্রাসাদ তছনছ করে দেন।

তারা বহু শহর ও দখলকৃত অঞ্চলকে পুনরায় ইসলামী ভূমিতে অন্তর্ভুক্ত করতে এবং হাজার হাজার ইয়াহুদি অপরাধীকে তাদের কৃতকর্মের শাস্তি দিতে সফল হন এবং উম্মাহর ব্যথিত হৃদয়কে আবারও আনন্দে পূর্ণ করেন।

৭ই অক্টোবর ২০২৩ ছিল কাফের শক্তির বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ঐতিহাসিক বিজয়ের দিন।

৭ই অক্টোবর মুক্তিকামীদের জন্য এই মহান বার্তা বহন করে যে, স্বাধীনতার প্রত্যাশীরা যখন বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জনের দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করে, তখন তাদের সামনে না কংক্রিটের দেয়ালও দাঁড়াতে পারে, আর না কাফেরদের বর্বর শক্তিও তাকে প্রতিহত করতে পারে।

৭ই অক্টোবর সেই দিন, যেদিন একদিন তরুণদের জীবনের শিরোনাম ও গন্তব্য হয়ে উঠবে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য গর্ব ও সম্মানের প্রতীক হয়ে উঠবে। গাযযার নাগরিকদের এক বছর ধরে আমরা যে সাহস, ধৈর্য, ​​আস্থা ও অধ্যবসায় দেখেছি, তা দেখে এটা বলা বাহুল্য হবে না যে গাযযা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও প্রকৃত বিজয় গাযযার জনগণ এবং মুসলিমদের।
https://almirsadbd.com/7th-october-ummahr-shokti-o-kkhomotar-smrity-dibos/?amp=1

Almirsad Bangla

05 Oct, 21:20


আইএসআইএসের পৈশাচিক কর্মকাণ্ডে যুবকদের নিয়োগ-কৌশল
[প্রথম পর্ব]
✍🏻 জুনাইদ যাহিদ

ন্যায়-অন্যায়ের দ্বন্দ্বের ধারা পৃথিবী সৃষ্টির শুরুর লগ্ন হতে আজও অব্যাহত। যারা সত্য ও বাস্তবতার সন্ধান করেছেন, তারা ন্যায়-ইনসাফ ও দীনে হকের পথে অবিচল থেকেছেন, আর যারা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে তারা ভ্রান্ত পথের পথিক হয়েছে।

দাঈশও সেই শয়তানী অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত যারা সত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। এ কারণেই দাঈশ এখন তাদের রাজনৈতিক জীবনে টিকে থাকার জন্য জিহাদি আন্দোলনের নাম ভাঙিয়ে আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছে।

এই দলটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির নির্দেশে আধুনিক মিডিয়া ব্যবহার করে তাদের তথাকথিত অর্জন দেখিয়ে তরুণদের প্ররোচিত করে।

অধিকাংশ তরুণ যারা ধর্মীয় জ্ঞানে অজ্ঞ এবং অনভিজ্ঞ তারা আইএসআইএসের প্রচার প্রচারণায় প্রভাবিত হয়ে তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

আইএসআইএস তাদের জনশক্তি বাড়াতে বেশ কিছু কৌশল ব্যবহার করছে।

নতুন কর্মী নিয়োগের পদ্ধতি:

১. ভিডিও ও অডিও সিরিজ:
নতুন লোক নিয়োগের জন্য আইএসআইএস দ্বারা গৃহীত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো ভিডিও ও ফটোর মাধ্যমে নতুন লোকদের প্রভাবিত করা। এই উদ্দেশ্যে তারা ফেইক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও ব্যবহার করছে।
এই লোকেরা খুব চতুরতার সাথে সহিংস বিষয়বস্তু এবং ন্যায়বিচারের সংমিশ্রণ দিয়ে শর্ট ফিল্ম তৈরি করে যা একই সাথে চরমপন্থী এবং স্বার্থবাদী উভয় শ্রেণীকেই আকৃষ্ট করে।
এ বিষয়ে তথ্য জানার জন্য ইন্টারনেটে আরবি ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত ‘দাবিক’ (دابق/Dabiq) ম্যাগাজিনটি দেখতে পারেন।

২. ফেইক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যুবকদের প্রলুব্ধ করা:
আইএসআইএস হলো কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে একটি যারা ফেইক ওয়েবসাইট এবং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের তরুণদের প্রলুব্ধ করে। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব বিবেচনা করে তারা ‘আল ইতিসাম’ (الاعتصام) নামে একটি মিডিয়া এজেন্সি তৈরি করেছে যাতে আইএসআইএসের জন্য একটি প্রচারের প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা যায়।
আসলে এই দলটি তরুণদের মন জয় করতে মিডিয়ায় কাল্পনিক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।
এই দলগুলো এবং তাদের অনুসারীরা মিডিয়াতে নিজেদের এমনভাবে উপস্থাপন করে যেন তারা বিশ্বের চলমান অন্যায়, বঞ্চনা ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। মূলত অনলাইনে সারাবিশ্বে কমবেশী সবাই তাদের এই ধোঁকার স্বীকার হচ্ছে এবং এর ভিত্তিতে আইএসআইএস ক্রমাগত নিজেদের পদে নতুন লোক নিয়োগ করে চলছে।
তারা ইন্টারনেট এবং ফেইক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছে যে, নতুন কর্মী বা যারা তাদের পদে যোগ দিতে চায় তারা সহজেই তাদের দায়িত্বশীল এবং পাতি নেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। যেখান থেকে তাদের পরবর্তী প্রকল্পের কাজ দেয়া হয়।

৩. বিভ্রান্তিকর প্রচারণা:
এই দলটি বুদ্ধিবৃত্তিক ও ধর্মীয় সন্দেহ ও সংশয় সৃষ্টি করে যুব সমাজকে তাদের ঘৃণ্য উদ্দেশ্যের দিকে আমন্ত্রণ জানায়।
তথ্যের ছদ্মবেশে সুনির্দিষ্ট ও জটিল মিডিয়া কৌশল ব্যবহার করে মুজাহিদীন ও উলামাদের মুরতাদ বলা এই গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য।
তাদের মিডিয়া কেন্দ্রিক সমস্ত ব্যবস্থা যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তির অ্যাক্সেস সম্ভব— এগুলোকে তারা প্রপাগাণ্ডার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।

প্রকৃতপক্ষে এই দলগুলি নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করার জন্য মিডিয়াতে ভালবাসা, শান্তি এবং সম্প্রীতির ভূমি হিসাবে তাদের নিয়ন্ত্রিত ছোট এলাকাটিকে উপস্থাপন করে। ভিডিও সম্প্রচারে তারা তাদের কর্মীদের এমনভাবে প্রকাশ করে যেন কাল্পনিক জান্নাত আর অজ্ঞ লোকেরা এই ঘটনা দেখে প্রতারিত হয়।

চলবে ইনশাআল্লাহ....
https://almirsadbd.com/isis-p-k-j-n-k-1st/?amp=1

Almirsad Bangla

04 Oct, 14:02


https://almirsadbd.com/m-dsk-a-osk-n/?amp=1

মুসলিমদের দায়িত্ব; সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ!
মুফতী হামাস ইনকিয়াদী

সরকারি দায়িত্ববোধ ছাপিয়েও মানুষকে ভালো কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা আমাদের সকলের কর্তব্য। আল্লাহ তাআলার নির্দেশানুসারে সকল মানুষ পরস্পরকে ভালো কাজে উৎসাহিত করা এবং যতোটা সম্ভব খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখার কথা বলা হয়েছে।

এটি সেই খোদায়ী আদেশ যা প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তাআলা কমবেশি এক লাখ চব্বিশ হাজার নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন এবং যেকোনো মূল্যে এই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।

তাই মানুষকে ইসলামের আদেশ-নিষেধ মেনে চলার দাওয়াত দিন। সৎকাজে উৎসাহিত করুন, খারাপ অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করুন। ইসলামী ব্যবস্থার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করুন। বড় ও ছোটদের অধিকার ব্যাখ্যা করুন। নারী ও পুরুষের অধিকার সম্পর্কে বলুন, তাদের একে অপরের সাথে কেমন সম্পর্ক থাকা উচিত এবং ইসলামে নারী ও পুরুষের অবস্থান কী— এসব স্পষ্ট করুন।

বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ি ও চরমপন্থা পরিহার করুন। দীন ও শরীয়াহকে আপনার ইচ্ছার অধীন না করে, নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর হুকুমের অনুগত করুন।

দীন ও শরীয়ত রক্ষায় শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়া, তাদের মিথ্যা অপপ্রচারের শিকার না হওয়া— এগুলোও সৎকাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের অন্তর্ভুক্ত এবং শরীয়তে ইসলামের দাবী।

আমীরুল মুমিনীন হাফিযাহুল্লাহ আমর বিল মারুফ ওয়া নাহী আনিল মুনকারের আইন পাশ করার পর থেকে দেখা যাচ্ছে, এই আইনে নারীর অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো আসমান মাথায় তুলে রেখেছে। জনগণের মধ্যে এসব গুজব রটানোর মাধ্যমে সরকারের ব্যাপারে খারাপ ও নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়াই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।

আমরা আমাদের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে এটি একটি ইসলামী সরকার, এখানে কারোর অধিকার হরণ করার সুযোগ নেই।

কারো অধিকার লঙ্ঘন শরীয়াহ অনুযায়ী নিষ্ঠুরতা ও চরমপন্থা। অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারো নেই। তাই আপনাদের এতো চিন্তা করার দরকার নেই, বর্তমান সরকার ব্যবস্থায় সবার অধিকার সুরক্ষিত রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

পশ্চিমের ভুয়া খবর ও গুজবে কান দেবেন না।

Almirsad Bangla

02 Oct, 14:14


তলোয়ার : খাওয়ারিজদের একমাত্র প্রতিকার
আবু হাজার আল কুর্দি

দাঈশের প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা একটি সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। তারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিষ্ঠায় যেকোনো অপরাধ করতে দ্বিধাবোধ করে না।

ধর্মের চাদরে নিজেদের অপরাধ ঢেকে রাখার জন্য মুসলিমদের তাকফির করে করে হত্যা করা আইএসআইএসের কর্মকাণ্ডের শিরোনামে পরিণত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ মুসলিমদের চতুর্থ খলিফা সাইয়্যিদুনা আলী রদিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাত; ইবনে মুলজাম প্রথমে তাঁকে তাকফির করে এবং তারপর তাঁকে শহীদ করে।

এটাই বাস্তবতা যে আজ আইএসআইএস মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে যে কাউকে শহীদ করছে। এ থেকে বোঝা যায় সমসাময়িক খারেজীরা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুর আমলের খারেজীদের অনুসারী, তবে বর্তমান খারেজীদের কর্মকাণ্ড এবং তাদের অপরাধ আদি খারেজীদের অপরাধের চেয়েও বহুগুণ বেশি গুরুতর।

যদি খারেজীদেরকে তাওবা করার সুযোগ দেয়া হয় তাহলে তা তাদের জন্য কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াবে এবং মুষ্টিমেয় কিছু লোকই থাকবে যারা এসব মন্দ চিন্তাকে ঘৃণা করে সংস্কারের পথ অবলম্বন করবে।

তারা সর্বদা মুসলিমদের হত্যা ও ধ্বংসের জন্য উদ্বিগ্ন এবং প্রকৃতপক্ষে তারা তাগুতের সীমানা রক্ষাকারী।

গাযযার মুজাহিদীনদের অস্ত্র সরবরাহের আড়ালে মিশরের উত্তর সিনাইয়ে কয়েক ডজন লোকের শাহাদত এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

দাঈশের একটি নিকৃষ্ট কাজ ছিল, হামাসের মুজাহিদদের সহযোগিতা করার অভিযোগে একজন মুজাহিদের শিরশ্ছেদ করা। এছাড়াও তারা সিনাই মরুভূমি থেকে আল কায়েদার মুজাহিদীনদের সম্পূর্ণ নির্মূল করেছে, যার কারণে ইসরায়েলি সরকার নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অতীতের তুলনায় বহুগুণ বেশি নির্যাতন চালাচ্ছে।

ইতিহাস জুড়ে খারেজীরা অপরাধ ও বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছুই করেনি, সুতরাং তাদের ব্যাপারে একটিই সমাধান হতে পারে। কেননা কারাগারে পাঠিয়ে বা দাওয়াত দিয়ে তাদের সংস্কার সম্ভব নয় (ইল্লা মা শা আল্লাহ)। শুধুমাত্র সাইয়্যিদুনা আলী রদিআল্লাহু আনহুর তলোয়ারই মুসলিম এবং এই সম্প্রদায়ের মধ্যে সমাধ করতে পারে। তলোয়ার; খাওয়ারিজদের একমাত্র প্রতিকার।
https://almirsadbd.com/talwar-khawarijder-ekmatro-protikar/?amp=1

3,390

subscribers

63

photos

4

videos