RU Shibir

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবির শাখার ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সফরটি সত্যিই চমৎকার এবং অনুপ্রেরণামূলক। কুসুম্বা মসজিদ ও পাহাড়পুর সোমপুর বিহার পরিদর্শন শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার পরিধি বাড়াতে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

শিক্ষা সফরের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো বিভিন্ন ধরনের মজার ও সৃজনশীল ইভেন্ট, যেমন ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ, আঞ্চলিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং অন্য আরও আয়োজন। এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু আনন্দেরই উৎস হয়নি, বরং তাদের মনন ও চিন্তাশক্তি বিকাশেও ভূমিকা রেখেছে। নবীনদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং তাদের মুখে আনন্দের ঝিলিক আসলেই ছাত্রশিবিরের জন্য বড় একটি অর্জন।

সফরের আয়োজনে যে উদ্যম ও পরিকল্পনার ছাপ ছিল, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পাশাপাশি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে সহায়ক।

"যদি আগামীর দিনটাকে পেতে চাও আলোয় ভরা,
যদি পেতে চাও রাশেদার আলোকিত বসুন্ধরা,
তবে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বেলে - দাঁড়িয়ে তোমার দ্বারে,
আহবান করি যে তোমায়, এসো এই আঙিনায়।"

#Shibir #EducationTour #RajshahiUniversity

শিক্ষা সফর, ২০২৪
রাবি শিবির

১০ টা বাস নিয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের নিয়ে শিক্ষা সফরে রাবি শিবির...

#rushibir

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়টি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে, তবে বিশ্বমানের শিক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্রথমত, শিক্ষার আধুনিকীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বিশ্বে শিক্ষা দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে তার পাঠ্যক্রম ও শিখন পদ্ধতিকে আরও আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে আরো উদ্ভাবনী পদ্ধতি এবং ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা উচিত। শিক্ষকরা যদি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ পান, তবে তারা শিক্ষার্থীদের জন্য আরও ভালো অভিজ্ঞতা তৈরি করতে পারবেন।

দ্বিতীয়ত, গবেষণা সেক্টর মজবুতীকরণ নিশ্চিত করতে হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সেরা মান থাকা জরুরি এবং এজন্য গবেষণা বাজেট বৃদ্ধি, আধুনিক গবেষণাগার এবং সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষক, গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্পে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা উচিত, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক পরিচিতি ও মর্যাদা বাড়াবে।

তৃতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক শ্রেণীকক্ষ, গবেষণাগার, লাইব্রেরি, খেলার মাঠ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা উচিত। ক্যাম্পাসের সুরক্ষা এবং পরিবেশগত দিকগুলোও উন্নত করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে।

এছাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ এবং সহায়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের জন্য শিক্ষার খরচ সহনীয় করা উচিত। শিক্ষা ক্ষেত্রে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি এবং আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন শুধু দেশের শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায়ও মান বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। সরকারের সক্রিয় সমর্থন এবং সুপরিকল্পিত উদ্যোগের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, যা দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার খ্যাতি বৃদ্ধি করবে।

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সদস্য ও 'দৈনিক বণিক বার্তা' পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আবু ছালেহ শোয়েব'র ওপর রাবির মার্কেটিং বিভাগের কতিপয়  শিক্ষার্থী কর্তৃক মারধর ও হেনস্তার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং একই সাথে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

☆একনজরে শহীদ আসগর আলী ভাইয়ের জীবনী☆

শহীদ আসগর আলী

শাহাদাতের ক্রম:
ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম (কেন্দ্রীয় ২৫তম)

একাডেমিক পড়াশুনা:
এসএসসি প্রথম বিভাগ (বিজ্ঞান), ১৯৭৯; এইচএসসি দ্বিতীয় বিভাগ (বিজ্ঞান), ১৯৮১; বিএসসি (সম্মান) পদার্থ, ১৯৮৮,শাহাদাতবরণকালে এমএসসি (রা.বি) অধ্যয়নরত ছিলেন

সাংগঠনিক মান:
কর্মী

শাহাদাতের স্থান:
শাহ মাখদুম হলের সামনে (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)

আঘাতকারী ও আঘাতের ধরণ:
ছাত্রমৈত্রী,হকিস্টিক, কিরিচ, ছোরা, কুড়াল দিয়ে সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়।

শাহাদাতের তারিখ:
১৮ নভেম্বর, ১৯৮৮; দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট

পিতার প্রতিক্রিয়া:
ইসলামী আন্দোলনের জন্য আমি আমার সন্তানকে হারিয়েছি, এর দায়িত্ব মহান রাব্বুল আলামিনের ছেড়ে দিলাম।

#WeAreAsgar

আমাদের প্রিয় আসগর আলী ভাই; যিনি ইসলামী আন্দোলনের স্বার্থে এই মতিহারের সবুজ চত্বরকে ভালো বেসেছিলেন।

#RuShibir

এই শিবিরই
আগামী দিনের উজ্জ্বল সূর্যের বারতা
লক্ষ্য তরুণ এক কাফলা গড়বেই গড়বেই একতা

#Shibir
#rushibir

ইন্না লিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহি রজিউন।

জুলাই বিপ্লবের সর্বশেষ শহীদ আব্দুল্লাহ আজ ১৪ নভেম্বর সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করেন।

আজ সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শহীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত জানাযায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।

মহান আল্লাহ আব্দুল্লাহর শাহাদাৎ কবুল করুন। আমিন।

#Shibir

ভূমিকা:

পৃথিবীর কোন বস্তুই এমনিতেই সৃষ্টি হয়নি। সকল সৃষ্টির পিছনে থাকে এক একজন কারিগর। আমাদের পৃথিবী তেমনি এক বিশাল সৃষ্টিকর্ম। যা আল্লাহ তা'য়ালা সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর সকল উপকরণ মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত রয়েছে। আর মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে একমাত্র ইবাদত করার জন্য। তাই মানুষ যেন সঠিক পদ্ধতিতে ইবাদত করতে পারে সেজন্য তিনি পথ প্রদর্শক হিসেবে নবী রাসূল পাঠিয়েছেন। যারা নবী-রাসূলকে মেনে নিয়ে সে অনুযায়ী নিজেদের জীবন-যাপন করবে তারাই মুসলিম। শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর মাধ্যমে নবুওয়াতের সে ধারা সমাপ্ত হয়েছে। আর কোন নবী-রাসূল পৃথিবীতে আসবেন না। নবী রাসূলদের অনুপস্থিতিতে তাদের রেখে যাওয়া দাওয়াতী কাজের আঞ্জাম দিবে মুসলমানরা। বাংলাদেশের প্রায় সকল লোক মুসলমান। কিন্তু ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও তার অনুসৃতি থেকে তারা অনেক দূরে সরে গেছে। বিশেষ করে তরুন সমাজ। তরুন সমাজকে ইসলামের রঙে রাঙিয়ে তুলে আগামী দিনে জাতির কান্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ করার মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

✍️ বই: এসো আলোর পথ