পূজা বা বড় দিন -অন্যান্য উৎসব আসলে জ্বিনের বা যাদুর সমস্যা গুলি বেশী হয় কেন??
প্রথমে আপনাকে শির্ক সম্পর্কে অবগত হতে হবে অর্থাৎ আল্লাহ্ সাথে কাউকে শরীক করা।
(১)শির্ক আর কুফরি ছাড়া যাদু হয়না।যেখানে শির্ক আর কুফরি সেখানেই জ্বিন শয়তান জড়িত।
রেফারেন্স দেখুন সুরা বাকারা (১০২)
(২) -যাদু হচ্ছে শির্ক!!
রেফারেন্স (আন -নিহায়া :১/২০০)
যে ব্যক্তি শির্ক করে আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তির পুর্ব বর্তী সব নেক আমল নিস্ফল হয়ে যায় বরবাদ হয়ে যায়।
আল্লাহ সুবহানাহু তা 'আলা বলেন-
وَ`
لَـقَدْ اُوْحِيَ اِلَيْكَ وَاِ لَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكَ ۚ لَئِنْ اَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِيْنَ
"কিন্তু তোমার কাছে আর তোমাদের পূর্ববর্তীদের কাছে ওয়াহী করা হয়েছে যে, তুমি যদি (আল্লাহর) শরীক স্থির কর, তাহলে তোমার কর্ম অবশ্য অবশ্যই নিস্ফল হয়ে যাবে, আর তুমি অবশ্য অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।"
জাদুকর 'রা যাদু করার জন্য ভিন্ন উৎসবের দিন গুলিকে বেছে নেয় বেশী! এবং এই দিন গুলিতে যাদু রিনিউ করে বেশী। এর প্রধান কারণ এই উৎসবের দিন গুলিতে শির্ক করা হয় বেশী! এবং আল্লাহ্ নামের ব্যথিত পশু জবাই করা হয়। এতে জ্বিন শয়তান খুব বেশী খুশী হয়!!
সূরা মায়েদার ৩ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنْزِيرِ وَمَا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ وَالْمُنْخَنِقَةُ وَالْمَوْقُوذَةُ وَالْمُتَرَدِّيَةُ وَالنَّطِيحَةُ وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيْتُمْ وَمَا ذُبِحَ عَلَى النُّصُبِ وَأَنْ تَسْتَقْسِمُوا بِالْأَزْلَامِ
‘‘তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শূকরের মাংস, আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের নামে যবেহ কৃত পশু, যা কণ্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উঁচুস্থান থেকে পড়ে গিয়ে মারা যায়, যা শিং-এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ্ করেছ, তা হালাল। আর যে জন্তু বেদীমূলে যবেহ্ করা হয়েছে তাও তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে। এ ছাড়া জুয়ার তীর নিক্ষেপের মাধ্যমে ভাগ্য নির্ণয় করাও তোমাদের জন্য জায়েয নয়।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ
‘‘তুমি বলো, আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সবই আল্লাহ রাববুল আলামীনের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। তার কোনো শরীক নেই। আমি তাই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই প্রথম আনুগত্যশীল’’।
(আনআমঃ ১৬২-১৬৩)
‘‘তুমি একনিষ্ঠ হয়ে নিজেকে ঠিকভাবে দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখো এবং মুশরেকদের অন্তর্ভুক্ত হয়োনা। (সূরা ইউনূসঃ ১০৫) সম্পূর্ণ কুরআনেই এবাদতের ক্ষেত্রে এ তাওহীদকে সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তাতে তাওহীদের পূর্ণ বিবরণ পেশ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়; শির্ককে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে এবং শির্কের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেছেনঃ
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
‘‘তুমি তোমার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ো এবং কোরবানী করো’’। (সূরা কাউছারঃ ২)
সুতরাং পুজা বলেন বা বড় দিন বলেন এটা তাদের ধর্মীয় একটি ইবাদত বলেই মনে করে।
যাদুকর 'রা কিভাবে কাজ করে??
وَّاَنَّهٗ كَا نَ رِجَا لٌ مِّنَ الْاِ نْسِ يَعُوْذُوْنَ بِرِجَا لٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَا دُوْهُمْ رَهَقًا
"আরো এই যে, কতক মানুষ কতক জ্বিনের আশ্রয় নিত, এর দ্বারা তারা জ্বিনদের গর্ব অহঙ্কার বাড়িয়ে দিয়েছে।"
এই আয়াতের দুইটি বিষয় -
(১)এই আয়াত দ্বারা জ্বিন দিয়ে কাজ করানো হারাম সাব্যস্ত হয়।
(২)কিছু মানুষ জ্বিনের সাহায্য এবং আশ্রয় নেয়।
🛑🛑 ছোট একটি উদাহারণ দেই তাহলে বুঝতে সহজ হবে।
একজন মুমিন বান্ধা আল্লাহ্ নৈকট্য লাভের জন্য তার ঈমান, আক্বিদা ঠিক রেখে, সালাত, রোজা, জিকির আজকার এর মাধ্যমে আল্লাহ্ নৈকট্য তালাশ করে এবং আল্লাহ্ সাহায্য প্রাপ্ত হয়!
🛑 আর যে ব্যক্তি জ্বিনের সাহায্য নেয় এবং জ্বিন দিয়ে কাজ করায় সে ব্যক্তি তার ইমান আক্বীদাহ বিসর্জন দিয়ে, একমাত্র আল্লাহ্ ইবাদত বন্দেগী বাদ দিয়ে শির্ক এবং কুফরী কর্ম কান্ডের মাধ্যমে জিন শয়তানের নৈকট্য লাভ করে।
আল্লাহ্ সুবহানাহু তা 'লা বলেন
كَمَثَلِ الشَّيْطٰنِ اِذْ قَا لَ لِلْاِ نْسَا نِ اكْفُرْ ۚ فَلَمَّا كَفَرَ قَا لَ اِنِّيْ بَرِيْٓءٌ مِّنْكَ اِنِّيْۤ اَخَا فُ اللّٰهَ رَبَّ الْعٰلَمِيْنَ
"(তাদের মিত্ররা তাদেরকে প্রতারিত করেছে) শয়ত্বানের মত। যখন মানুষকে সে বলে- ‘কুফুরী কর’। অতঃপর মানুষ যখন কুফুরী করে তখন শয়ত্বান বলে- ‘তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই, আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।’"
এই আয়াতে তাদের মিত্র অর্থাৎ জ্বিন শয়তানের মিত্র যাদুকরকে বুঝানো হয়েছে, যারা শির্ক করে, কুফরি করে, তাবিজ তুমার দেয়।